আল বিদায়া ওয়া আন্নিহায়া

ثم دخلت سنة خمس وثلاثين

خلافة أمير المؤمنين علي بن أبي طالب رضي الله عنه

পৃষ্ঠা - ৫৯০৭


অভিযানে বের হওয়ার সময় মদীনায় র্তাকে স্থলাভিষিক্ত করে যান; তখন তিনি বলেছিলেন :
ইয়া রাসুলাল্লাহ ! আপনি কি আমাকে নারী এবং শিশুদের মধ্যে স্থলাভিষিক্ত করে যাচ্ছেনঃ তখন ন্
রাসুলুল্লাহ্ :ম্পোন্বলেন :


তৃমি কি এতে সন্তুষ্ট নও যে, আমার পক্ষ থেকে তুমি এমন স্থানে থাকবে, যে স্থানে ছিলেন
মুসা (আ) এর পক্ষ থেকে হারুন (আ) ৷ তবে ব্যতিক্রম এই যে, আমার পরে কোন নবী নেই’ ৷
রাসুলুল্লাহ্স্কুদ্বুফুর্তড়াভৈক ইয়ামাংন আমীর এবং হাকিম মনোনীত করে প্রেরণ করেন আর তার সঙ্গে
ছিলেন ৰালিদ ইব নুল ওয়ালীদ ৷ বিদায় হরুজ্জর বছর৩ তিনি মক্কায় এসে রাসুলুল্লাহ্:মোঃএর সঙ্গে
মিলিত হন এবং সঙ্গে হাদী তথা কুরবানীর পশুও নিয়ে আংসন ৷ তিনি নবী করীমস্র০ষ্ দ্বুৰুট্রুঙেএর
মতো তকবীর বলেন ৷ আর রাসুলুল্লাহ্গ্যে তাকে কুরবানীর পশুতে শরীক করে নেন এবং
ইহরাম অব্যাহত রাখেন ৷ আর হ্যজ্জর আনুষ্ঠানিকতা শেষে উভয়ে ’হাদী কুরবানী করেন, যা
ইতােপুর্বে আলোচনা করা হয়েছে ৷ রাসুলুল্লাহ্ মোঃ অসুস্থ হলে হযরত আব্বাস (রা) তাকে
বলেন, রাসুলুল্লাহ্র্ন্তপু ষ্কে জিজ্ঞেস কর, র্তার পরে কে আমীর হবেন’ ৷ তিনি বললেন
“আল্লাহর কলম, এ সম্পর্কে আমি তাকে জিজ্ঞেস করবো না ৷ কারণ,৩ তিনি যদি তা থেকে
আমাদেরকে ধারণ করেন তাহলে আর কখনো লোকেরা আমাদেরকে তা দিবে না” ৷ বিশুদ্ধ ও
স্পষ্ট হাদীস প্রমাণ করে যে, রাসুলুল্লাহ্ন্ত্রতত্ত্বকে বা অন্য কাউকে খিলাফতের জন্য অসিয়ত
করে যাননি ৷ অবশ্য সিদ্দীক (রা)-এর প্রতি ইঙ্গিত করেছেন ৷ এ ব্যাপারে তিনি খুব স্পষ্ট ইঙ্গিত
করেছেন যে সম্পর্কে ইতিপুর্বেআমরা আলোচনা করেছি ৷ সমস্ত প্রশংসা আল্লহরই ৷

রাসুলুল্লাহ্ৰুট্রুম্পুআলীৱ জা; খিল্; ৷ফাতের ওসিয়ত করেছেন বলে অনেক জাহিল শীয়া এবং
গণ্ড মুর্থের দল যে মিথ্যারোপ করে রাসুলের প্ৰতি, তা সর্বৈব মিথ্যা অপবাদ বৈ কিছুই নয় ৷
এরফলে সাহাবায়ে কিরামকে খিয়ানতকারী সাব্যস্ত করা হয় এবং রাসুলের ওসিয়ত বর্জনে
সহায়তা দান এবং ওসির নিকট ওসিয়ত না পৌছাংনা এবং কোন অর্থ আর কারণ ছাড়াই
অপরের নিকট ওসিয়ত পৌহানাের অভিযোগ অনিবার্য হয়ে পড়ে ৷ আর আল্লাহ্ এবং রাসুলে
বিশ্বাসী প্রতিটি মুমিন স্বীকার করে যে, দীন ইসলাম সত্য আর এ মিখ্যাচারণে অগ্নহণযােপ্য সে
কথাও সে জানে ৷ কারণ সাহাবীরা ছিলেন নবীদের পর সৃষ্টির বসরা ৷ কুরআনের স্পষ্ট ঘোষণা
এবং পুর্বাপর সকল মনীষীর ঐকমত্যের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী দুনিয়া আর আখিরাতে মুসলিম উম্মাহ
সর্বশ্রেষ্ঠ জাতি ৷ সমস্ত প্রর্শসা আল্লাহ্রই ৷

কোন কোন সাধারণ প্রকার হাটে-বাজারে আলী (না)-এর নামে রাসুলুল্লাহ্£-হুল্ল যেসব
ওসিয়ত আদব-আখলাক, পানাহার এবং পোশাক সম্পর্কে প্রচার করে, সেসব তিত্তিহীন ৷ যেমন
তারা বলে : হে আলী, বসে পাগড়ি পরবে না, হে আলী, দাড়িয়ে পায়জামা পরবে না, হে,
আলী, দরজার দৃ বাহু ধরে র্দাড়াবে না, দরজার চৌকাঠের উপর বসবে না এবং পরিধানে রেখে
কাপড় সেলাই করবেনা এসব নিতাত অমুলক কথা, এসব জাহিল-বেকুফদের বানানো কাহিনী
মাত্র ৷ গবেট গণ্ডমুর্থ ছাড়া কেউ এসবে বিশ্বাস করতে পারে না আর এরা ছাড়া আর কেউ এসব
কথা দ্বারা প্রভাবিত হয় না ৷ রাসুলুল্পাহ্ মোঃ এর ইন্তিকালের পর তার গোসল এবং
দাফন-কাফনের যাবতীয় দায়িত্ব আলী (রা) পালন করেন, যা ইতিপুর্বে বিস্তারিত আলোচনা


[خِلَافَةُ أَمِيرِ الْمُؤْمِنِينَ عَلِيِّ بْنِ أَبِي طَالِبٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ] وَلِنَذْكُرْ شَيْئًا مِنْ تَرْجَمَتِهِ عَلَى سَبِيلِ الِاخْتِصَارِ قَبْلَ ذَلِكَ. هُوَ أَمِيرُ الْمُؤْمِنِينَ عَلِيُّ بْنُ أَبِي طَالِبٍ - وَاسْمُهُ عَبْدُ مَنَافٍ - بْنِ عَبْدِ الْمُطَّلِبِ - وَاسْمُهُ شَيْبَةُ - بْنِ هَاشِمٍ - وَاسْمُهُ عَمْرٌو - بْنِ عَبْدِ مَنَافٍ - وَاسْمُهُ الْمُغِيرَةُ - بْنُ قُصَيٍّ - وَاسْمُهُ زَيْدٌ - بْنِ كِلَابِ بْنِ مُرَّةَ بْنِ كَعْبِ بْنِ لُؤَيِّ بْنِ غَالِبِ بْنِ فِهْرِ بْنِ مَالِكِ بْنِ النَّضْرِ بْنِ كِنَانَةَ بْنِ خُزَيْمَةَ بْنِ مُدْرِكَةَ بْنِ إِلْيَاسَ بْنِ مُضَرَ بْنِ نِزَارِ بْنِ مَعَدِّ بْنِ عَدْنَانَ، أَبُو الْحَسَنِ وَالْحُسَيْنِ، وَيُكْنَى بِأَبِي تُرَابٍ وَأَبِي الْقَضْمِ، الْهَاشِمِيُّ، ابْنُ عَمِّ رَسُولِ اللَّهِ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَخَتَنُهُ عَلَى ابْنَتِهِ فَاطِمَةَ الزَّهْرَاءِ. وَأُمُّهُ فَاطِمَةُ بِنْتُ أَسَدِ بْنِ هَاشِمِ بْنِ عَبْدِ مَنَافِ بْنِ قُصَيٍّ. وَيُقَالُ: إِنَّهَا أَوَّلُ هَاشِمِيَّةٍ وَلَدَتْ هَاشِمِيًّا. وَكَانَ لَهُ مِنَ الْإِخْوَةِ طَالِبٌ، وَعَقِيلٌ، وَجَعْفَرٌ، وَكَانُوا أَكْبَرَ مِنْهُ، بَيْنَ كُلِّ وَاحِدٍ
পৃষ্ঠা - ৫৯০৮


করা হয়েছে ৷ সকল প্রশংসা আর কৃতজ্ঞতা আল্লাহ্রই প্রাপ্য ৷ তার ফষীলত বৈশিষ্ট্য অধ্যায়ে
আলোচনা করা হবে বদর যুদ্ধের পর তার কাছে রাসুলুল্লাহ্ড়োএর কন্যা ফাতিমাকে বিবাহ
দেওয়ার প্রসঙ্গ ৷ এ গর্ভে হাসান, হুসইিন এবং মুহসিনের জন্মগ্নহণের কথাও ইতিপুর্বে উল্লেখ
করা হয়েছে ৷ এ প্রসঙ্গে এমন অনেক বর্ণনাও রয়েছে যা বিশুদ্ধ নয়, বরং এসবের অধিকাংশই
রাফেযী এবং গল্পকারের মনগড়া রচনা ৷

ইতিপুর্বে একথাও উল্লেখ করা হয়েছে যে, সাকীফার ছিল আবুবকর সিদ্দীক (রা)-এর হাতে

বারআত প্রহণকারীদের আলী (রা)ও ছিলেন ৷ অন্যান্য বড় বড় সাহাবীর মতো আলী (রা)

হযরত আবুবকর সিদ্দীক (রা)-এর আনুগভ্যকে ফরম মনে করতেন ৷ আর এটা ছিল তার কাছে
প্রিয় কাজ ৷ ৬ মাস পরে হযরত ফাতিমা ইন্তিকাল করেন ৷ পিতার পক্ষ থেকে মীরাস না পেয়ে
তিনি হযরত আবু বকর (রা)-এর প্রতি কিছুটা অসন্তুষ্ট ছিলেন ৷ আর নৰীগণের (সম্পদের)
ওয়ারিস হয় না, এ ব্যাপারে দ্ব্যর্থহীন বাণী সম্পর্কে তার স্পষ্ট ধারণা ছিল না ৷ এ সম্পর্কে
জানতে পেরে তিনি হযরত আবু বকর (রা)-এর নিকট দাবি করেন যে, তার স্বামী সদকার’
তত্ত্বাবধায়ক হবেন, কিন্তু তিনি এ দাবিও নাকচ করেন ৷ এভেও তার মনে কিছুটা অসন্তুষ্টি থেকে
যায়, যা আমরা আগে আলোচনা করেছি ৷ এসময় তার প্রতি কিছুটা কােমলতা প্রদর্শন করা
আলী (রা)-এর জন্য আবশ্যক হয়ে পড়ে ৷

হযরত ফাতিমা (বা) এর ইনতিকালের পর আলী (রা) আবু বকর (রা) এর হাতে
বায়আত নবায়ন করেন ৷ আর হযরত আবু বকর (রা)-এর ওফাতের পর তার ওসিয়ত অনুযায়ী
হযরত উমর (রা) খিলাফতের দায়িত্বভার গ্রহণ করলে বায়আতকারীদের মধ্যে আলী (রা)ও
ছিলেন ৷ উমর (বা) বিভিন্ন বিষয়ে আলী (রা)-এৱ সঙ্গে পরামর্শ করতেন ৷ বরং বলা হয়ে থাকে
যে, উমর (র) তার খিলাফতকালে আলী (রা)-কে কাযী তথা বিচারকের পদে নিযুক্ত করেন ৷
এবং সকল বড় বড় সাহাবীসহ খলীফা উমর (রা)-এর সঙ্গে সিরিয়ার গমন করেন এবং তার
জ্যাবিয়ার ভাষণে উপস্থিত ছিলেন ৷ উমর (রা) আহত হয়ে ৬ জনের যে শুরা গঠন করেন,
তাদের অন্যতম ছিলেন আলী (রা) ৷ এর পর আলী ও উসমান (রা)-কে বাছাই করা হয় ৷ পরে
উসমান (রা)-কে আলী (রা)-এর চাইতে অগগণ্য করে খলীফা করা হয় ৷ তিনি তা মেনে নেন
এবং আনুগত্য করেন ৷ প্রসিদ্ধ উক্তিমতে ৩৫ হিজরীর ১৮ যিলহজ্জ উসমান (রা) নিহত হলে
লোকজন আলী (রা) এর প্রতি ছুটে যায় এবংর্তার হাতে বায়আত করে ৷ দিনটি ছিল শুক্রবার ৷
এ বায়আত হয় উসমান (রা)-এর দাফনের পুর্ব ৷১ মতান্তরে তার দাফনের পর বড়ায়আত হয় ৷
আলী (বা) দায়িত্ব গ্রহণে বিরত থাকেন ৷ এমনকি তিনি পলায়ন করে বনু আমৃর ইবন
মার বুল-এর বাগান পানে ছুটে যান এবং ভেতরে প্রবেশ করে দরজা বন্ধ করে দেন ৷২ লোকেরা
আগমন করে দরজার খটখট করে ভেতরে প্রবেশ করে ৷ তাদের সঙ্গে তালহা এবং যুবায়রও



১ তাবারী ও কামিলে আছে : যিলহজ্জ মাসের ৫ দিন বাকি থাকতে বায়আত করা হয় ৷ উসমান (রা)-এর
হত্যার পর ৫ দিন মদীনায় আমীর ছিলেন পাফিফী ইবন হাৱব ৷ দলে দলে লোকেরা আলী (রা)-এর নিকট
ছুটে এলে তিনি লোকদের বায়অতে গ্রহণ করেন ৷ (৩১৯৩) ৷ মুরাজুবৃ ষাহাব এরউক্তি মতে উসমান
(রা)-এৱ হত্যার দিন আলী (রা)-এৱ বায়আত হয় ৷

২ এটা তাবারীর উক্তি ৷ কামিল-এর মতে তিনি গৃহে দরজা বন্ধ করেছিলেন (৩১৯১ ) ৷


مِنْهُمْ وَبَيْنَ الْآخَرِ عَشْرُ سِنِينَ، وَلَهُ أُخْتَانِ ; أُمُّ هَانِئٍ وَجُمَانَةُ، وَكُلُّهُمْ مِنْ فَاطِمَةَ بِنْتِ أَسَدٍ، وَقَدْ أَسْلَمَتْ وَهَاجَرَتْ. 1 -. كَانَ عَلِيٌّ أَحَدَ الْعَشَرَةِ الْمَشْهُودِ لَهُمْ بِالْجَنَّةِ، وَأَحَدَ السِّتَّةِ أَصْحَابِ الشُّورَى، وَكَانَ مِمَّنْ تُوُفِّيَ رَسُولُ اللَّهِ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَهُوَ رَاضٍ عَنْهُمْ، وَكَانَ رَابِعَ الْخُلَفَاءِ الرَّاشِدِينَ، وَكَانَ رَجُلًا آدَمَ شَدِيدَ الْأُدْمَةِ شَكِلَ الْعَيْنَيْنِ عَظِيمَهُمَا، فِيهِمَا خَفَشٌ، ذُو بَطْنٍ، أَصْلَعَ، وَهُوَ إِلَى الْقِصَرِ أَقْرَبُ، وَكَانَ عَظِيمَ اللِّحْيَةِ، قَدْ مَلَأَتْ صَدْرَهُ وَمَنْكِبَيْهِ، أَبْيَضُهَا كَثِيرٌ، وَكَانَ كَثِيرَ شَعْرِ الصَّدْرِ وَالْكَتِفَيْنِ، حَسَنَ الْوَجْهِ، ضَحُوكَ السِّنِّ، خَفِيفَ الْمَشْيِ عَلَى الْأَرْضِ. أَسْلَمَ عَلِيٌّ قَدِيمًا وَهُوَ ابْنُ سَبْعٍ، وَقِيلَ: ابْنُ ثَمَانٍ. وَقِيلَ: تِسْعٍ. وَقِيلَ: عَشْرٍ. وَقِيلَ: إِحْدَى عَشْرَةَ. وَقِيلَ: اثْنَيْ عَشْرَةَ. وَقِيلَ: ثَلَاثَ عَشْرَةَ. وَقِيلَ: أَرْبَعَ عَشْرَةَ. وَقِيلَ: ابْنُ خَمْسَ عَشْرَةَ، أَوْ سِتَّ عَشْرَةَ سَنَةً. قَالَهُ عَبْدُ الرَّزَّاقِ، عَنْ مَعْمَرٍ، عَنْ قَتَادَةَ، عَنِ الْحَسَنِ. وَيُقَالُ: إِنَّهُ أَوَّلُ مَنْ
পৃষ্ঠা - ৫৯০৯
أَسْلَمَ. وَالصَّحِيحُ أَنَّهُ أَوَّلُ مَنْ أَسْلَمَ مِنَ الْغِلْمَانِ، كَمَا أَنَّ خَدِيجَةَ أَوَّلُ مَنْ أَسْلَمَتْ مِنَ النِّسَاءِ، وَزَيْدُ بْنُ حَارِثَةَ أَوَّلُ مَنْ أَسْلَمَ مِنَ الْمَوَالِي، وَأَبُو بَكْرٍ الصِّدِّيقُ أَوَّلُ مَنْ أَسْلَمَ مِنَ الرِّجَالِ الْأَحْرَارِ. وَكَانَ سَبَبُ إِسْلَامِ عَلِيٍّ صَغِيرًا أَنَّهُ كَانَ فِي كَفَالَةِ رَسُولِ اللَّهِ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ; لِأَنَّهُ كَانَ قَدْ أَصَابَتْهُمْ سَنَةُ مَجَاعَةٍ فَأَخَذُوهُ مِنْ أَبِيهِ، فَكَانَ فِي كَفَالَتِهِ، فَلَمَّا بَعَثَهُ اللَّهُ بِالْحَقِّ آمَنَتْ خَدِيجَةُ وَأَهْلُ الْبَيْتِ، وَمِنْ جُمْلَتِهِمْ عَلِيٌّ، وَكَانَ الْإِيمَانُ النَّافِعُ الْمُتَعَدِّي نَفْعُهُ إِلَى النَّاسِ إِيمَانَ الصِّدِّيقِ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ. وَقَدْ وَرَدَ عَنْ عَلِيٍّ أَنَّهُ قَالَ: أَنَا أَوَّلُ مَنْ أَسْلَمَ. وَلَا يَصِحُّ إِسْنَادُهُ إِلَيْهِ. وَقَدْ رُوِيَ فِي هَذَا الْمَعْنَى أَحَادِيثُ أَوْرَدَهَا ابْنُ عَسَاكِرَ، كَثِيرَةٌ مُنْكَرَةٌ لَا يَصِحُّ شَيْءٌ مِنْهَا. وَاللَّهُ أَعْلَمُ. وَقَدْ رَوَى الْإِمَامُ أَحْمَدُ، مِنْ حَدِيثِ شُعْبَةَ، عَنْ عَمْرِو بْنِ مُرَّةَ: سَمِعْتُ أَبَا حَمْزَةَ - رَجُلًا مِنْ مَوَالِي الْأَنْصَارِ - قَالَ: سَمِعْتُ زَيْدَ بْنَ أَرْقَمَ يَقُولُ: أَوَّلُ مَنْ أَسْلَمَ مَعَ رَسُولِ اللَّهِ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، عَلِيٌّ. وَفِي رِوَايَةٍ: أَوَّلُ مَنْ صَلَّى. قَالَ عَمْرٌو: فَذَكَرْتُ ذَلِكَ لِلنَّخَعِيِّ فَأَنْكَرَهُ وَقَالَ: أَبُو بَكْرٍ أَوَّلُ مَنْ أَسْلَمَ. وَقَالَ مُحَمَّدُ بْنُ كَعْبٍ الْقُرَظِيُّ: أَوَّلُ مَنْ آمَنَ خَدِيجَةُ، وَأَوَّلُ رَجُلَيْنِ آمَنَا أَبُو بَكْرٍ وَعَلِيٌّ، وَلَكِنْ كَانَ أَبُو بَكْرٍ يُظْهِرُ إِيمَانَهُ وَعَلِيٌّ يَكْتُمُ إِيمَانَهُ. قُلْتُ: يَعْنِي خَوْفًا مِنْ أَبِيهِ، ثُمَّ أَمَرَهُ أَبُوهُ بِمُتَابَعَةِ ابْنِ عَمِّهِ وَنُصْرَتِهِ.
পৃষ্ঠা - ৫৯১০


ছিলেন ৷ তারা বলেন, আমীর ছাড়া প্রশাসন টেকবে না ৷ তাদের পীড়াপীড়িতে অবশেষে তিনি
সম্মত হন
আলী (রা) এর হাতে খিলাফতের ৰায় আত প্রসঙ্গ

বলা হয়ে থাকে যে, সকলের আগে হযরত আলী (রা) এর হাতে বায় আত করেন তালহা
(রা) ডান হাত দ্বারা ৷ উহুদ যুদ্ধের কিং তার এ হাত অসাড় হয়েছিল ৷ সেদিন এ হাত দ্বারা তিনি
রাসুলুল্লাহ্লোঃকে রক্ষা করেছিলেন, তখন কাওমের কেউ কেউ বলেছিল : আল্লাহর কসম ৷
এ কাজ সমাপ্ত হবে না ৷ আর আলী (রা) মসজিদের পথে বের হয়ে মিম্বরে আরোহণ করেন ৷ এ
সময় তার পরিধানে ছিল চাদর এবং ব্লেশষী পাগড়ি ৷ আর জুতা জোড়া ছিল তার হাতে ৷ আর
তিনি ধনুকে ঠেস দিয়ে র্দাড়ান আর গণমানুষ তার হাতে বায়আত করে ৷ আর এ ফিা
শনিবার ১৯ যিলহজ্জ ৩৫ হিজরী সালে ৷ কথিত আছে যে, বসরা আর কুফার আমীর নিযুক্ত
করার দাবি উথাপনের পর তালহা এবং যুৰায়র (রা) ও বায়আত করেন ৷ তখন আলী (রা)
তাদের দৃজনকে বলেছিলেন, “বরং তোমরা দু’জন আমার কাছে অবন্থানকরবে, আর এতেই
আশ্বস্ত বোধ করবো ৷ আর কিছু কিছু লোক মনে করে যে, একদল আনসার আলী (রা)-এর
হাতে বায়আত করেননি ৷ এদের মধ্যে ছিলেন হাসসান ইবন সাধিত, কাব ইবন মালিক,
মাসলামা ইবন মাখলাদ, আবু সাঈদ মুহাম্মদ ইবন মাসলামা, নুমান ইবন বাশীর, যায়দ ইবন
সাধিত, রাফি ইবন খাদীজ ফুযালা ইবন উবায়দ এবং কাব ইবন উজরা (বা) ৷ ইবন জারীর
আল-মাদায়েনী সুত্রে বনু হাশিমের জনৈক শায়খ থেকে আব্দুল্লাহ ইবনুল হাসানের বরাতে এ
কথা উল্লেখ করেছেন ৷ আল-মাদায়েনী বলেন, যুহরীকে বলতে শুনােছন এমন এক ব্যক্তি
আমাকে জানান যে, একদল লোক মদীনা থেকে পলায়ন করে সিরিয়ার চলে যায়, এরা আলী
(রা)-এর হাতে বায়আত করেনি ৷ কুদামা ইবন মাবৃউন, আব্দুল্লাহ ইবন সালাম এবং মুগীরা
ইবন শুবাও তার হাতে বায়আত করেন নি ৷ আমি বলি, মারওয়ান ইবনুল হাকাম, ওয়ালীদ
ইবন উকবা এবং আরো কিছু ণ্লাকও তার হাতে বায়আত করেন নি ৷

আর ওয়াকিদী বলেন : লোকেরা মদীনায় হযরত আলী (রা)-এর হাতে বায়আত করে;
তবে সাত ব্যক্তি বিরত থাকে, তারা বায়আত করেননি ৷ এরা হলেন : ইবন উমর সাদ ইবন
আবু ওয়াক্কাস, সুহায়ব, যায়দ ইবন সাধিত, মুহাম্মদ ইবন আবু সালুমা, সালমা ইবন সালামা
ইবন রাক্শ এবং উসমো ইবন যায়দ (রা) আমাদের জানা মতে আনসারদের কেউই বিরত
ছিলেন না; সকলেই বায়আতকরে ৷ আর সায়ক ইবন উমর তার একদল শায়খের উদ্ধৃতি দিয়ে
উল্লেখ করেন যে, হযরত উসমান (রা)-এর পর মদীনা পাচ দিন নেতাশুন্য ছিল ৷ এ সময়
মদীনায় আমীর ছিলেন গাফেফী ইবন হারব ৷ তারা এমন একজন লোক অনুসন্ধান করছিলেন,
যিনি সুষ্ঠুভাবে দায়িত্ব পালন করবেন ৷ আর মিসরীয়রা হযরত আলী (রা)-এর জন্য পীড়াপীড়ি
করছিল (আমীরের দায়িত্ব গ্রহণ করার জন্য) আর তিনি পলায়ন করে বাগান পানে ছুটে
যাচ্ছিলেন ৷ আর কুফীরা যুৰায়র (রা)-কে তালাশ বরেহ্নিশু, কিন্তু খুজে বের করতে পারছিল না ৷

পক্ষাস্তরে বসরীরা খুজছিল তালহা (রা)-কে; কিন্তু তিনি তাদের ডাকে সাড়া দিচ্ছিলেন না ৷
তাই তারা নিজেদের মধ্যে বলাবলি করে, আমরা এ তিনজনের কাউকে শাসক বানাবাে না ৷


وَهَاجَرَ عَلِيٌّ بَعْدَ خُرُوجِ رَسُولِ اللَّهِ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، مِنْ مَكَّةَ، وَكَانَ قَدْ أَمَرَهُ بِقَضَاءِ دُيُونِهِ وَرَدِّ وَدَائِعِهِ، ثُمَّ يَلْحَقُ بِهِ، فَامْتَثَلَ مَا أَمَرَهُ بِهِ، ثُمَّ هَاجَرَ، وَآخَى النَّبِيُّ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، بَيْنَهُ وَبَيْنَ سَهْلِ بْنِ حُنَيْفٍ. وَذَكَرَ ابْنُ إِسْحَاقَ وَغَيْرُهُ مِنْ أَهْلِ السِّيَرِ وَالْمَغَازِي أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، آخَى بَيْنَهُ وَبَيْنَ نَفْسِهِ. وَلَا يَصِحُّ، وَقَدْ وَرَدَ فِي ذَلِكَ أَحَادِيثُ كَثِيرَةٌ لَا يَصِحُّ شَيْءٌ مِنْهَا ; لِضَعْفِ أَسَانِيدِهَا، وَرَكَّةِ بَعْضِ مُتُونِهَا، فَإِنَّ فِي بَعْضِهَا: " «أَنْتَ أَخِي وَوَارِثِي وَخَلِيفَتِي وَخَيْرُ مَنْ أُمِّرَ بَعْدِي» ". وَهَذَا الْحَدِيثُ مَوْضُوعٌ مُخَالِفٌ لِمَا ثَبَتَ فِي " الصِّحَاحِ " وَغَيْرِهِمَا. وَاللَّهُ أَعْلَمُ. وَقَدْ شَهِدَ عَلِيٌّ بَدْرًا وَكَانَتْ لَهُ الْيَدُ الْبَيْضَاءُ فِيهَا، بَارَزَ يَوْمَئِذٍ فَغَلَبَ وَظَهَرَ، وَفِيهِ وَفِي عَمِّهِ حَمْزَةَ وَابْنِ عَمِّهِ عُبَيْدَةَ بْنِ الْحَارِثِ وَخُصُومِهِمُ الثَّلَاثَةِ - عُتْبَةَ وَشَيْبَةَ وَالْوَلِيدِ بْنِ عُتْبَةَ - نَزَلَ قَوْلُهُ تَعَالَى: {هَذَانَ خَصْمَانِ اخْتَصَمُوا فِي رَبِّهِمْ} [الحج: 19] الْآيَةَ [الْحَجِّ: 19] . وَقَالَ الْحَكَمُ وَغَيْرُهُ، عَنْ مِقْسَمٍ، «عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ قَالَ: دَفَعَ النَّبِيُّ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، الرَّايَةَ يَوْمَ بَدْرٍ إِلَى عَلِيٍّ وَهُوَ ابْنُ عِشْرِينَ سَنَةً» . وَقَالَ الْحَسَنُ بْنُ عَرَفَةَ: حَدَّثَنِي عَمَّارُ بْنُ مُحَمَّدٍ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ مُحَمَّدٍ الْحَنْظَلِيِّ، عَنْ أَبِي جَعْفَرٍ مُحَمَّدِ بْنِ عَلِيٍّ قَالَ: نَادَى مُنَادٍ فِي السَّمَاءِ يَوْمَ بَدْرٍ - يُقَالُ لَهُ: رِضْوَانُ -: لَا سَيْفَ إِلَّا ذُو
পৃষ্ঠা - ৫৯১১


ফলে তারা হযরত সাদ ইবন আবু ওয়াক্কাসের নিকট গমন করে বলে : আপনিঅে শুরা
সদস্যদের অন্তর্গত ৷ কিন্তু তিনি তাদের কথা মেনে নেননি ৷ এরপর তারা হযরত ইবন উমর
(রা) এর নিকট গমন করে, কিন্তু তিনিও তা অম্বীকার করেন ৷ এরপর তারা ব্যাপারটা নিয়ে
ব্যাকুল হয়ে পড়ে ৷ উসমান (রা)-এর হত্যার পর নেতা নির্বাচন না করে আমরা যদি নিজ নিজ
দেশে ফিরে যাই তাহলে বিষয়টা নিয়ে লোকেরা মতানৈক্যে জড়িয়ে পড়বে ৷ আর এতে তাে
আমরা নিজেরাও নিরাপদ থাকবাে না ৷ ফলে তারা হযরত আলী (রা)-এর নিকট গমন করে
পীড়াপীড়ি করে ৷ আশতার আলী (রা)-এৱ হাত ধারণ পুর্বক বায়আত করে এবং লোকেরাও
তার হাতে বায়আত করে ৷
আর কুফাবাসীরা বলেন, সর্বপ্রথম আশৃত ৷র নড়াখৃঈ আলী (রা) এর হাতে বায় আত করে ৷

আর এটা ২৪ যিলহজ্জ বৃহস্পতিবারের ঘটনা ৷ আর এটা ঘটে তাদের পরামর্শক্রমে ৷ তাদের
সকলেই বলে, এ জন্য আলী ছাড়া আর কেউ উপযুক্ত নয় ৷ শুক্রবার আলী (রা) মিম্বরে
আরোহণ করলে গতকাল যারা বায়আত করেনি, তারা বায়আত করে ৷ আর সকলের আগে
তালহা (বা) তার অবশ হাতে বায়আত করেন ৷ তখন কোন একজন বলে উঠে : ৷) (fl ৷া
;, ৷, ৷ ৰু ৷ ৷ তারপর বায়আত করেন যুবায়র ৷ বায়আত শেষে তিনি বলেন এআমি এমন
এক অবস্থায় আলী (রা) এর হাতে বায়আত করি, যখন আমার ঘাড়ে তরবড়ারি ঝুলছিল ৷ ওয়াস
সালাম ৷ এরপর তিনি মক্কা গমন করেন এবং সেখানে : মাস অবস্থান করেন ৷ আর এ
বায়আত অনুষ্টিত হয় যিলহজ্জ মাসের ৫ দিন বাকি থাকতে শুক্রবার দিন ৷ প্রথম ভাষণে
আল্লাহর হড়ামৃদ সানা শেষে তিনি বলেনং :


এ“ৰু

,

(ৰুঙ্গ

“নিঃসন্দেহে আল্পাহ্ তাআলা এর্ক পথপ্রদর্শক কিতাব নাযিল করেছেন এবং তাতে
ভাল-মন্দ স্পষ্ট বিবৃত করেছেন ৷ সুতরাপুহ্ তোমরা ভালটড়া গ্রুহ্ণ করবে আর মন্দটা পরিত্যাগ
করবে ৷ আল্লাহ্ তাআলাভৃল করা ছাড়াই হরমকে সমানার্চু করেছেন এবং মুসলমানের
মর্ষাদাকে সমস্ত সম্মানার্চু বিষয়ের উপর গ্রেষ্ঠতু দিয়েছেন ৷ আর মুসলিমের অধিকারকে বেধে
দিয়েছেন ইসলাম আর তাওহীদের স ঙ্গে ৷ আর মুসলিমতেড়া সেই ব্যক্তি, যার হাত এবং জিহ্বার
(অনিষ্ট থেকে) অপর মুসলমান নিরাপদ থাকে ৷ অবশ্য সত্য ও ন্যায়ের খাতিরে এটা লং ত


الْفَقَارِ وَلَا فَتًى إِلَّا عَلِيٌّ. قَالَ ابْنُ عَسَاكِرَ: وَهَذَا مُرْسَلٌ، وَإِنَّمَا تَنَفَّلَ رَسُولُ اللَّهِ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، سَيْفَهُ ذَا الْفَقَارِ يَوْمَ بَدْرٍ، ثُمَّ وَهَبَهُ مِنْ عَلِيٍّ بَعْدَ ذَلِكَ. وَقَالَ يُونُسُ بْنُ بُكَيْرٍ، عَنْ مِسْعَرٍ، عَنْ أَبِي عَوْنٍ، عَنْ أَبِي صَالِحٍ، عَنْ عَلِيٍّ قَالَ: قِيلَ لِي يَوْمَ بَدْرٍ وَلِأَبِي بَكْرٍ قِيلَ لِأَحَدِنَا: مَعَكَ جِبْرِيلُ، وَمَعَ الْآخَرِ مِيكَائِيلُ. قَالَ: وَإِسْرَافِيلُ مَلَكٌ عَظِيمٌ يَشْهَدُ الْقِتَالَ وَلَا يُقَاتِلُ وَيَكُونُ فِي الصَّفِّ. وَشَهِدَ عَلِيٌّ أُحُدًا، وَكَانَ عَلَى الْمَيْمَنَةِ وَمَعَهُ الرَّايَةُ بَعْدَ مُصْعَبِ بْنِ عُمَيْرٍ، وَعَلَى الْمَيْسَرَةِ الْمُنْذِرُ بْنُ عَمْرٍو الْأَنْصَارِيُّ، وَحَمْزَةُ بْنُ عَبْدِ الْمُطَّلِبِ عَلَى الْقَلْبِ، وَعَلَى الرَّجَّالَةِ الزُّبَيْرُ بْنُ الْعَوَّامِ، وَقِيلَ: الْمِقْدَادُ بْنُ الْأَسْوَدِ. وَقَدْ قَاتَلَ عَلِيٌّ يَوْمَئِذٍ قِتَالًا شَدِيدًا وَقَتَلَ خَلْقًا كَثِيرًا مِنَ الْمُشْرِكِينَ وَغَسَلَ عَنْ وَجْهِ النَّبِيِّ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، الدَّمَ حِينَ شُجَّ فِي رَأْسِهِ وَكُسِرَتْ رَبَاعِيَّتُهُ. وَشَهِدَ يَوْمَ الْخَنْدَقِ فَقَتَلَ يَوْمَئِذٍ فَارِسَ الْعَرَبِ وَأَحَدَ شُجْعَانِهِمُ الْمَشَاهِيرِ، عَمْرَو بْنَ عَبْدِ وُدٍّ الْعَامِرِيَّ كَمَا قَدَّمْنَا ذَلِكَ. وَشَهِدَ الْحُدَيْبِيَةَ وَبَيْعَةَ الرِّضْوَانِ، وَشَهِدَ خَيْبَرَ وَكَانَتْ لَهُ بِهَا مَوَاقِفُ هَائِلَةٌ،
পৃষ্ঠা - ৫৯১২
وَمَشَاهِدُ طَائِلَةٌ ; مِنْهَا أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، قَالَ: «لَأُعْطِيَنَّ الرَّايَةَ غَدًا رَجُلًا يُحِبُّ اللَّهَ وَرَسُولَهُ، وَيُحِبُّهُ اللَّهُ وَرَسُولُهُ. فَبَاتَ النَّاسُ يَدُوكُونَ لَيْلَتَهُمْ أَيُّهُمْ يُعْطَاهَا، فَدَعَا عَلِيًّا - وَكَانَ أَرْمَدَ - فَدَعَا لَهُ، وَبَصَقَ فِي عَيْنِهِ فَلَمْ يَرْمَدْ بَعْدَهَا، فَبَرَأَ وَأَعْطَاهُ الرَّايَةَ، فَفَتَحَ اللَّهُ عَلَى يَدَيْهِ، وَقَتَلَ مَرْحَبًا الْيَهُودِيَّ» . وَذَكَرَ مُحَمَّدُ بْنُ إِسْحَاقَ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ حَسَنٍ، عَنْ بَعْضِ أَهْلِهِ، عَنْ أَبِي رَافِعٍ أَنَّ يَهُودِيًّا ضَرَبَ عَلِيًّا فَطَرَحَ تُرْسَهُ، فَتَنَاوَلَ بَابًا عِنْدَ الْحِصْنِ فَتَتَرَّسَ بِهِ، فَلَمْ يَزَلْ فِي يَدِهِ حَتَّى فَتَحَ اللَّهُ عَلَى يَدَيْهِ ثُمَّ أَلْقَاهُ مِنْ يَدِهِ. قَالَ أَبُو رَافِعٍ: فَلَقَدْ رَأَيْتُنِي أَنَا وَسَبْعَةٌ مَعِي نَجْهَدُ أَنْ نَقْلِبَ ذَلِكَ الْبَابَ عَلَى ظَهْرِهِ يَوْمَ خَيْبَرَ فَلَمْ نَسْتَطِعْ. وَقَالَ لَيْثٌ، عَنْ أَبِي جَعْفَرٍ، عَنْ جَابِرٍ أَنَّ عَلِيًّا حَمَلَ الْبَابَ عَلَى ظَهْرِهِ يَوْمَ خَيْبَرَ حَتَّى صَعِدَ الْمُسْلِمُونَ عَلَيْهِ فَفَتَحُوهَا، فَلَمْ يَحْمِلْهُ إِلَّا أَرْبَعُونَ رَجُلًا. وَمِنْهَا أَنَّهُ قَتَلَ مَرْحَبًا فَارِسَ يَهُودَ وَشُجَاعَهُمْ. وَشَهِدَ عَلِيٌّ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، عُمْرَةَ الْقَضَاءِ، وَفِيهَا قَالَ لَهُ النَّبِيُّ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «أَنْتَ
পৃষ্ঠা - ৫৯১৩


হতে পারে ৷ কোন মুসলমানকে কষ্ট দেওয়া কোন মুসলমানের জন্য হলোল নয় ৷ কষ্ট দেওয়া
অপরিহার্য হলে ড়িন্ ব্লু কথা ৷ সাধারণ মানুষের বিষয়ের দিকে ধাবিত হও ৷ বিশেষ করে তোমাদের
যে কোন ব্যক্তি মৃত্যুর কথা চিন্তা করবে ৷ লোকেরা রয়েছে তোমাদের সম্মুখে, আর তোমাদের
পেছনে লেগে আছে কিয়ামত ৷ কিয়ামতই ণ্তামাদেরকে পেছন থেকে হীকিয়ে চলেছে ৷ তোমরা
হালকা থাকবে মিলিত হয়ে যাবে ৷ কারণ মানুষের শেষ ঠিকানা তার প্রতীক্ষায় রয়েছে ৷
আল্লাহ্র বন্দোদের ক্ষেত্রে আল্লাহর রাজ্যে তাকে ভয় করে চলবে ৷ ণ্তাম্যাদরকে জিজ্ঞাসা করা
হবে; এমন কি ভুমির অংশ বিশেষ আর চতৃষ্পদ জন্তু সম্পর্কেও তোমরা জিজ্ঞাসিত হবে ৷
অতএব তোমরা আল্লাহর আনুগত্য করবে, তার নাফরমানী করবে না ৷ আর ভাল কিছু দেখলে
তা গ্রহণ করবে এবং মন্দ কিছু দেখলে তা ত্যাগ করবে ৷ আর স্মরণ কর, যখন তোমরা ছিলে
অল্প, পরাজিত অবস্তায় পড়েছিলে দেশে, ভীত-সন্ত্রস্ত ছিলে যে, তোমাদের না অন্যায় ছে৷ মেরে
নিয়ে যেত ৷ তারপর তিনি তােমাদেরকে আশ্রয়ের ঠিকানা দিয়েছেন, স্বীয় সাহায্য দ্বারা
তােমন্দেরকে শান্তি দান করেছেন ৷ এবং পরিচ্ছন্ন জীবিকা দিয়েছেন, যাতে তোমরা শুকরিয়া
াদায় কর’ (আনফাল ৮ : ২৬) ৷ প্ ন্
তিনি ভাষণ ণ্শষ করলে মিসরীয়রা নিম্নোক্ত কৰির্তী আবৃত্তি করে é

৷ টু,;;াৰু;,
হে আবুল হাসান, এটা গ্রহণ করুন, আমারা তাে রশির মতো পাকিয়ে ফেলবাে ৷
সিংহের হামলাতাে হয় দামাল সিংহের মতো ৷ আর সে হামলা চালায় এমন তরবারি দ্বারা
যা দুধের নহরবৎ ৷ আর আমরা বাদশাহকে আঘাত করি রশির মতো নরম বর্শার ফলা দ্বারা;
এমন কি যে সম্মুখে না এসেই কঠোৱতা সত্বেও কোমল হয়ে যায়’ ৷
আলী (রা)এর জবাবে নিম্নোক্ত কবিতা আবৃত্তি করেন :
, ৷
ণ্৷ এ
আমি যদি কােনভ্যবে অক্ষমও হই তবু আমি ক্ষমা চাইবাে না, তারপর আমি হবো বুদ্ধিমান
ও শক্তিশালী ৷ আর আমি যা টানি, আমি তা উত্তোলন করবো, আর ইতস্তত বিক্ষিপ্ত বিষয়টা
আমি করবো সমবেত ৷ বিজয়ী তাড়াহুড়াকারী যদি আমার সঙ্গে ঝগড়া না বাধায় অথবা সে যদি
আমার ত্যাগ করে আর অস্ত্রসহ তৃরিৎ এগিয়ে না যায় ৷
আর কুফায় হযরত আবু মুসা আশআরী ছিলেন সালাত প্রতিষ্ঠার দায়িত্বে নিয়োজিত এবং
কাকা ইব ন আম্র ছিলেন যুদ্ধ-বিগ্রহের দায়িত্বে নিয়োজিত এবং জাবির ইবন ফলান
আল-মুযানী ছিলেন কর আদায়ের দায়িত্বে নিয়োজিত ৷ বসরায় দায়িত্বে নিয়োজিত ছিলেন
হযরত আব্দুল্লাহ ইবন আমের এবং মিসরে নিয়োজিত ছিলেন আব্দুল্লাহ্ ইবন সাদ ইবন আবু


مِنِّي وَأَنَا مِنْكَ» . وَمَا يُذْكُرُهُ كَثِيرٌ مِنَ الْقُصَّاصِ فِي مُقَاتَلَتِهِ الْجِنَّ فِي بِئْرِ ذَاتِ الْعَلَمِ - وَهُوَ بِئْرٌ قَرِيبٌ مِنَ الْجُحْفَةِ - فَلَا أَصْلَ لَهُ، وَهُوَ مِنْ وَضْعِ الْجَهَلَةِ مِنَ الْأَخْبَارِيِّينَ فَلَا يُغْتَرُّ بِهِ. وَشَهِدَ الْفَتْحَ وَحُنَيْنًا وَالطَّائِفَ، وَقَاتِلَ فِي هَذِهِ الْمَشَاهِدِ قِتَالًا كَثِيرًا، وَاعْتَمَرَ مِنَ الْجِعْرَانَةِ مَعَ رَسُولِ اللَّهِ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَلَمَّا خَرَجَ رَسُولُ اللَّهِ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، إِلَى تَبُوكَ وَاسْتَخْلَفَهُ عَلَى الْمَدِينَةِ قَالَ: يَا رَسُولَ اللَّهِ أَتُخَلِّفَنِي مَعَ النِّسَاءِ وَالصِّبْيَانِ؟ فَقَالَ: «أَلَا تَرْضَى أَنْ تَكُونَ مِنِّي بِمَنْزِلَةِ هَارُونَ مِنْ مُوسَى، غَيْرَ أَنَّهُ لَا نَبِيَّ بَعْدِي» . وَبَعَثَهُ رَسُولُ اللَّهِ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، أَمِيرًا وَحَاكِمًا عَلَى الْيَمَنِ، وَمَعَهُ خَالِدُ بْنُ الْوَلِيدِ، ثُمَّ وَافَى رَسُولَ اللَّهِ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، عَامَ حَجَّةِ الْوَدَاعِ إِلَى مَكَّةَ، وَسَاقَ مَعَهُ هَدْيًا، وَأَهَلَّ كَإِهْلَالِ النَّبِيِّ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَأَشْرَكَهُ فِي هَدْيِهِ، وَاسْتَمَرَّ عَلَى إِحْرَامِهِ، وَنَحَرَا هَدْيَهُمَا بَعْدَ فَرَاغِ نُسُكِهِمَا، كَمَا تَقَدَّمَ. وَلَمَّا مَرِضَ رَسُولُ اللَّهِ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، قَالَ لَهُ الْعَبَّاسُ: سَلْ رَسُولَ اللَّهِ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فِي مَنِ الْأَمْرِ بَعْدَهُ؟ فَقَالَ: وَاللَّهِ لَا أَسْأَلُهُ، فَإِنَّهُ إِنْ مَنَعَنَاهَا لَا يُعْطِينَاهَا النَّاسُ بَعْدَهُ أَبَدًا. وَالْأَحَادِيثُ الصَّحِيحَةُ الصَّرِيحَةُ دَالَّةٌ عَلَى أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، لَمْ يُوصِ إِلَيْهِ وَلَا إِلَى غَيْرِهِ بِالْخِلَافَةِ، بَلْ لَوَّحَ بِذِكْرِ الصِّدِّيقِ، وَأَشَارَ إِشَارَةً مُفْهِمَةً ظَاهِرَةً جِدًّا إِلَيْهِ،
পৃষ্ঠা - ৫৯১৪


সারাহ ৷ কিন্তু মুহাম্মদ ইবন আবু হুযইিফা জোরপুর্বক তার উপর কর্তৃতু প্রতিষ্ঠা করে নেন ৷
মু’আৰিযা ইবন আবু সুফিয়ান ছিলেন সিরিয়ার কর্তৃত্বে আর হিমসে র্তার প্রতিনিধি ছিলেন আব্দুর
রহমান ইবন খালিদ ইবন ওয়ালীদ ৷ কিন্নাসিরীন-এ দায়িত্বে নিয়োজিত ছিলেন হাবীব ইবন
মাসলামা, জর্দানে আবুল আওয়ার, ফিলিস্তীনে হাকীম ইবন আলকামা, আযারবাইজানে
আশআস ইবন কায়স, জারীর ইবন আব্দুল্লাহ আল-ৰাজালী ছিলেন কারকিসিয়ায়, হুলওয়ানে
উতায়বা ইবন নুহাম, মালিক ইবন হাবীব ছিলেন কায়সারিয়ায় আর হামাদান-এ দায়িত্বে
নিয়োজিত ছিলেন হাবীশ ৷

ইবন জারীর তাবারীর বর্ণনা মতে উসমান (রা) নিহত হওয়ার সময় এসব ব্যক্তিরা
উপরোক্ত অঞ্চলে তার প্রতিনিধি ছিলেন ৷ উকবা ইবন আমর ভিন্নমতে উকবা ইবন আমের
ছিলেন বায়তৃল মালের দায়িত্বে নিয়োজিত ৷ আর মদীনায় বিচার ব্যবহার দায়িত্বে নিয়োজিত
ছিলেন যায়দ ইবন সাধিত ৷ হযরত উসমান (রা) নিহত হলে নুমান ইবন বাশীর তার রক্তমাখা
জামা নিয়ে বের হন ৷ সঙ্গে ছিল শ্রী নায়েলার কর্তিত আব্দুল, স্বামীকে রক্ষা করতে গিয়ে তিনি এ
আঙ্গুলগুলাে হারিয়ে ছিলেন ৷ নুমান ইবন বাশীর এসব নিয়ে সিরিয়ার মুআৰিয়ার নিকট
উপস্থিত হন ৷ লোকজনকে দেখাবার জন্য মুআবিয়া এসব নিদর্শন মিন্বরে স্থাপন করেন ৷ তিনি
আমার আন্তিনের সঙ্গে কর্তিত আঙ্গুল ঝুলিয়ে দেন ৷ এ অন্যায় আচরণ আর রক্তপাতের বদলা
নেয়ার জন্য তিনি লোকজনকে উত্তেজিত করেন ৷ মিম্বরের চতৃর্দিকে লোকেরা কান্নাকাঢি জুড়ে
দেয় এবং জামা কখনও উপরে তোলেন এবং কখনো নিচে নামান ৷ মিম্বরের চতুর্দিকে লোকেরা
দীর্ঘ এক বছর যাবত ক্রন্দন করতে থাকে এবং এর প্ৰতিশোধ নেয়ার জন্য সােকজন্যক
উত্তেজিত করে তোলে ৷ এ এক বছর লোকেরা ত্রী গমন থেকে বিরত থাকে ৷ মুআবিয়ার সঙ্গে
একদল সাহাবী উসমান (রা)-এর রক্তের প্রতিশোধ নেয়ার জন্য লোকজনকে উত্তেজিত করে
তোলেন ৷ এ দাবিতে সাহাবীগণের মধ্যে সোচ্চার ছিলেন উবাদা ইবন সামিত, আবুদ দারদা ,
আবু উমামা আমর ইবন আম্বাসা প্রমুখ এবং তাবিঈদের মধ্যে শুরাইক ইবন হাবাশা, আবু
মুসলিম যাওযানী , আব্দুর রহমান ইবন গনোম প্রমুখ ৷

আলী (রা)-এর বায়আতের বিষয়টা সুসম্পন্ন হয়ে গেলে তালহ্৷ (রা) যুবায়র (বা) এবং
বড় বড় সাহাবী তার সঙ্গে সাক্ষাৎ করে হদ’ তথা শরীয়ত নির্ধারিত দণ্ডবিধি প্রতিষ্ঠা এবং
হযরত উসমান (রা)-এর খুনের বদলা নেয়ার দাবি জানান ৷ তিনি এই বলে অক্ষমতা জ্ঞাপন
করেন যে, সস্ত্রাসীদের সাঙ্গপাঙ্গ আছে, আছে তাদের সাহায্য-সহায়তকোরী ৷ কাজেই এই মুহুর্তে
তার পক্ষে এই কাজ করা সম্ভব নয় ৷ তখন যুবায়র তার নিকট কুফার কর্তৃত্ব দাবি করেন, যাতে
তিনি সেখান থেকে সৈন্য আনতে পারেন ৷ অনুরুপভ্যবে তালহা দাবি করেন বসরার কর্তৃত্ব,
যাতে সেখান থেকে সৈন্য সামত্ত এনে শক্তি সঞ্চয় করে খারিজীদের দর্প চুর্ণ করতে পারেন ৷
হযরত উসমান (রা)-এর হত্যাকাণ্ডে আরো যেসব অজ্ঞ-মুর্ণ আরব দল ওদের সঙ্গে যোগ
দিয়েছিল, তাদেরকেও যেন শায়েস্তা করা যায় ৷ আলী (রা) তাদের উভয়কে বললেন, আমাকে
কিছুটা অবকাশ দাও, যাতে বিষয়টা নিয়ে আমি একটা চিভা-ভাবনা করতে পারি ৷ তাদের পিছু
পিছু হযরত মুপীরা ইবন শুবা তার সঙ্গে সাক্ষাৎ করে বলেন : আমার মতে বিভিন্ন শহরে
আপনার গআরদেরকে বহাল রাখা হোক ৷ তারা আপনার আনুগত্য স্বীকার করে নেয়ার পর

৫২


كَمَا قَدَّمْنَا ذَلِكَ، وَلِلَّهِ الْحَمْدُ. وَأَمَّا مَا يَفْتَرِيهِ كَثِيرٌ مِنْ جَهَلَةِ الشِّيعَةِ وَالْقُصَّاصِ الْأَغْبِيَاءِ، مِنْ أَنَّهُ أَوْصَى إِلَى عَلِيٍّ بِالْخِلَافَةِ، فَكَذِبٌ وَبَهْتٌ وَافْتِرَاءٌ عَظِيمٌ يَلْزَمُ مِنْهُ خَطَأٌ كَبِيرٌ ; مِنْ جَوْرِ الصَّحَابَةِ وَتَمَالُئِهِمْ بَعْدَهُ، عَلَيْهِ السَّلَامُ، عَلَى تَرْكِ إِنْفَاذِ وَصِيَّتِهِ وَإِيصَالِهَا إِلَى مَنْ أَوْصَى إِلَيْهِ، وَصَرْفِهِمْ إِيَّاهَا إِلَى غَيْرِهِ لَا لِمَعْنًى وَلَا لِسَبَبٍ، وَكُلُّ مُؤْمِنٍ بِاللَّهِ وَرَسُولِهِ يَتَحَقَّقُ أَنَّ دِينَ الْإِسْلَامِ هُوَ الْحَقُّ، يَعْلَمُ بُطْلَانَ هَذَا الِافْتِرَاءِ ; لِأَنَّ الصَّحَابَةَ كَانُوا خَيْرَ الْخَلْقِ بَعْدَ الْأَنْبِيَاءِ، وَهُمْ خَيْرُ قُرُونِ هَذِهِ الْأُمَّةِ الَّتِي هِيَ أَشْرَفُ الْأُمَمِ بِنَصِّ الْقُرْآنِ وَإِجْمَاعِ السَّلَفِ وَالْخَلَفِ فِي الدُّنْيَا وَالْآخِرَةِ، وَلِلَّهِ الْحَمْدُ. وَمَا يَقُصُّهُ بَعْضُ الْقُصَّاصِ مِنَ الْعَوَامِّ وَغَيْرِهِمْ فِي الْأَسْوَاقِ وَغَيْرِهَا، مِنَ الْوَصِيَّةِ لِعَلِيٍّ بِآدَابٍ وَأَخْلَاقٍ فِي الْمَأْكَلِ وَالْمَشْرَبِ وَالْمَلْبَسِ، مِثْلَ مَا يَقُولُونَ: يَا عَلِيُّ لَا تَعْتَمَّ وَأَنْتَ قَاعِدٌ، يَا عَلِيُّ لَا تَلْبَسْ سَرَاوِيلَكَ وَأَنْتَ قَائِمٌ، يَا عَلِيُّ لَا تُمْسِكْ عِضَادَتَيِ الْبَابِ، وَلَا تَجْلِسْ عَلَى أُسْكُفَّةِ الْبَابِ، وَلَا تَخِطْ ثَوْبَكَ وَهُوَ عَلَيْكَ. وَنَحْوَ ذَلِكَ، كُلُّ ذَلِكَ مِنَ الْهَذَيَانَاتِ فَلَا أَصْلَ لَهُ، بَلْ هُوَ اخْتِلَاقٌ وَكَذِبٌ وَزُورٌ. ثُمَّ لَمَّا مَاتَ رَسُولُ اللَّهِ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، كَانَ عَلِيٌّ مِنْ جُمْلَةِ مَنْ غَسَّلَهُ وَكَفَّنَهُ وَوَلِيَ دَفْنَهُ،
পৃষ্ঠা - ৫৯১৫
كَمَا تَقَدَّمَ ذَلِكَ مُفَصَّلًا. وَلِلَّهِ الْحَمْدُ وَالْمِنَّةُ. وَسَيَأْتِي فِي بَابِ فَضَائِلِهِ ذِكْرُ تَزْوِيجِهِ بِفَاطِمَةَ بَعْدَ وَقْعَةِ بَدْرٍ، فَوُلِدَ لَهُ مِنْهَا حَسَنٌ وَحُسَيْنٌ وَمُحَسِّنٌ، كَمَا قَدَّمْنَا. وَقَدْ وَرَدَتْ أَحَادِيثُ فِي ذَلِكَ لَا يَصِحُّ كَثِيرٌ مِنْهَا بَلْ أَكْثَرُهَا مِنْ وَضْعِ الرَّوَافِضِ وَالْقُصَّاصِ. وَلَمَّا بُويِعَ الصِّدِّيقُ يَوْمَ السَّقِيفَةِ كَانَ عَلِيٌّ مِنْ جُمْلَةِ مَنْ بَايَعَ بِالْمَسْجِدِ، كَمَا قَدَّمْنَا. وَكَانَ بَيْنَ يَدَيِ الصِّدِّيقِ كَغَيْرِهِ مِنْ أُمَرَاءِ الصَّحَابَةِ يَرَى طَاعَتَهُ فَرْضًا عَلَيْهِ، وَأَحَبَّ الْأَشْيَاءِ إِلَيْهِ، وَلَمَّا تُوُفِّيَتْ فَاطِمَةُ بَعْدَ سِتَّةِ أَشْهُرٍ، وَكَانَتْ قَدْ تَغَضَّبَتْ بَعْضَ التَّغَضُّبِ عَلَى أَبِي بَكْرٍ، بِسَبَبِ الْمِيرَاثِ الَّذِي فَاتَهَا مِنْ أَبِيهَا، عَلَيْهِ السَّلَامُ وَلَمْ تَكُنِ اطَّلَعَتْ عَلَى النَّصِّ الْمُخْتَصِّ بِالْأَنْبِيَاءِ، وَأَنَّهُمْ لَا يُوَرَّثُونَ، فَلَمَّا بَلَغَهَا سَأَلَتْ أَبَا بَكْرٍ أَنْ يَكُونَ زَوْجُهَا نَاظِرًا عَلَى هَذِهِ الصَّدَقَةِ، فَأَبَى ذَلِكَ عَلَيْهَا، فَبَقِيَ فِي نَفْسِهَا شَيْءٌ، كَمَا قَدَّمْنَا، وَاحْتَاجَ عَلِيٌّ أَنْ يُدَارِيَهَا بَعْضَ الْمُدَارَاةِ، فَلَمَّا تُوُفِّيَتْ جَدَّدَ عَلِيٌّ الْبَيْعَةَ مَعَ الصِّدِّيقِ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا، فَلَمَّا تُوُفِّيَ أَبُو بَكْرٍ، وَقَامَ عُمَرُ فِي الْخِلَافَةِ بِوَصِيَّةِ أَبِي بَكْرٍ إِلَيْهِ بِذَلِكَ، كَانَ عَلِيٌّ مِنْ جُمْلَةِ مَنْ بَايَعَهُ، وَكَانَ مَعَهُ يُشَاوِرُهُ فِي الْأُمُورِ، وَيُقَالُ: إِنَّهُ اسْتَقْضَاهُ فِي أَيَّامِ خِلَافَتِهِ، وَقَدِمَ مَعَهُ فِي جُمْلَةِ سَادَاتِ أُمَرَاءِ الصَّحَابَةِ إِلَى الشَّامِ، وَشَهِدَ خُطْبَتَهُ بِالْجَابِيَةِ، فَلَمَّا طُعِنَ