আল বিদায়া ওয়া আন্নিহায়া

ثم دخلت سنة خمس وثلاثين

كيفية قتل عثمان بالمدينة وبها جماعة من كبار الصحابة

পৃষ্ঠা - ৫৮৪০


পরিচ্ছেদ : একটা জিজ্ঞাসা ও তার জবাব

কেউ যদি জিজ্ঞাসা করে মদীনায় এত বড় বড় সাহাবী উপস্থিত থাকতে (আমীরুল
মু’মিনীন খলীফাতৃল মুসলিমীন) উসমান (রা)-এর (মতো একজন ন্যয়পরয়ণ শাসক এবং
রাষ্ট্র ও সরকার প্রধ্ন)-কে হত্যা করার মতো এত বড় ঘটনা কিরুপে সংঘটিত হলো?
কয়েকভাবে এ প্রশ্নের জবাব দেয়া যায় :

১ সড়াহাবীগণের অনেকে, বরং অধিকাৎশ এমন কি তদের কেউই এমন ধারণা করেন নি
যে খলীফর হত্যা পর্যন্ত ঘটনা গড়বে ৷ কারণ এসব দলের লোকের অবিকল তাকেই হত্যা
করতে চায়নি ৷ বরং তারা খলীফার নিকট তিনটি দাবির যে কোন একটি পুরণ করার জন্য চাপ
দিয়েছিল : ক হয় খলীফা নিজে পদত্যাগ করবেন, খ মারওয়ান ইবনুল হাকামকে তাদের
হাতে সমর্পণ করবেন অথবা গ তিনি নিজে মারওয়ানকে হত্যা করবেন ৷ তারা আশা করেছিল
খলীফা উসমান (রা) মারওয়ানকে তাদের হাতে সমর্পণ করবেন, অথবা তিনি নিজে পদত্যাগ
করে এ মহা সংকট থেকে রেহই লাভ করবেন ৷ হ৩ ত্যাকাণ্ড সংঘটিত হবে, সাহৰীগণের মধ্যে
কেউই এমন ধারণা করেন নি ৷ সন্ত্রসীরা এতদুর পরিমাণ অগ্রসর হবে, এমন ঔদ্ধত প্রকাশ
করবে, তা-ও তার ভাবতে পারেন নি, যার ফলে য ঘটায় ছিল, তাই ঘটে পেল ৷ মহান
আল্লাহ্ই সবচেয়ে ভাল জানেন ৷

২ সহবায়ে কিরাম (রা) খলীফা উসমান (রা)-কে হিফাযত করার জন সৰ্বাত্মক চেষ্টা

লান; কিন্তু যখন তীব্র সংকট দেখা দেয় তখন উসমান (রা) লোকদেরকে হস্ত সংবরণ করে
অস্ত্র ব্যবহার না করার জন্য কস- দিয়ে তাকীদ করেন, তাই নােকেরা তাই করেছে ফলে
সন্ত্রসারা য চেয়েছিল ত ই কার্যকর করতে সক্ষম হয়েছে এ৩ সব কিছুর পরও একেবারে
খলীফা ওসমান (রা) কে হত্যা ই কর হবে সাহবীগণের মধ্যে কেউই এমন কথা কল্পনও
করেন নি

৩ হদুজ্জর মৌসুমে মদীনায় অনেক গণ্যমান ব্যক্তি মদীনায় উপস্থিত ছিলেন না, সাহায্যের
জন্য চতুর্দিক থেকে বাহিনী তখনো মদীনায় এসে পৌছেনি সন্ত্রসী খারিজীরা এ সুযোগ গ্রহণ
করে সহায়ক বাহিনী আগমনের সময় যখন ঘনিয়ে আসে, তখন তার এ ঘটনা ঘটায় (মহান
আল্লাহ তাদের চেহারা মলিন করুন) এই সুযোগে তার এ লংকাকাণ্ড ঘটায়

৪ এসব সস্ত্রসী খারিজীরা ছিল সং খ্যায় প্রায় দুই হাজার নামকরা লড়কুর দল ৷ মদীনায়
স্বভবত সমসংখক লড়াকু লোক ছিল ন কারণ, লোকেরা সীমান্ত এলাকা এবং নানা অঞ্চলে
ছড়িয়ে-ছিটিয়ে ছিল ৷ এছাড়াও অনেক সাহাবী এ ফিতনা থেকে দুরে সরে ঘরের কোণে বলে
থাকেন সাহাবীগণের মধ্যে যারা মসজিদে গমন করতেন র্তারাও সঙ্গে তরবরি নিয়ে গমন
করতেন এমনকি বসার সময়ও তার কোলের উপর তরবরি রেখে বসতেন ৷ আর খারিজীর
উসমান (রা) এর গৃহ ঘেরাও করে রেখেছিণ ৷ তাদেরকে সেখান থেকে হটাতে চাইলেও সেট
সম্ভব হয়নি তাদের পক্ষে কিন্তু বড় বড় সাহাবীরা উসমান (রা) এর গৃহ হিফাজতের জন
র্তাদের সন্তানদেরকে প্রেরণ করেন যাতে বিভিন্ন শহর থেকে সৈন্যরা তার সাহায্যের জন
এগিয়ে আসতে পারে ইতিমধ্যে হঠাৎ করেই বিদ্রোহীরা গৃহের অভ্যন্তরে প্রবেশ করতে সফ্ফা
হয় তার ঘরের দরজা জ্বালিয়ে দেয় এবং দেয়াল ডিঙ্গিয়ে ভেতরে প্রবেশ করে তাকে হত্যাট্রু


عَشِيَّةَ يَدْخُلُونَ بِغَيْرِ إِذْنٍ ... عَلَى مُتَوَكِّلٍ أَوْفَى وَطَابَا خَلِيلُ مُحَمِّدٍ وَوَزِيرُ صِدْقٍ ... وَرَابِعُ خَيْرِ مَنْ وَطِئِ التُّرَابَا [كَيْفِيَّةُ قَتْلِ عُثْمَانَ بِالْمَدِينَةِ وَبِهَا جَمَاعَةٌ مِنْ كِبَارِ الصَّحَابَةِ] فَصْلٌ (كَيْفِيَّةُ قَتْلِ عُثْمَانَ بِالْمَدِينَةِ وَبِهَا جَمَاعَةٌ مِنْ كِبَارِ الصَّحَابَةِ) إِنْ قَالَ قَائِلٌ: كَيْفَ وَقَعَ قَتْلُ عُثْمَانَ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، بِالْمَدِينَةِ وَفِيهَا جَمَاعَةٌ مِنْ كِبَارِ الصَّحَابَةِ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمْ؟ فَجَوَابُهُ مِنْ وُجُوهٍ: أَحَدُهَا، أَنَّ كَثِيرًا مِنْهُمْ، بَلْ أَكْثَرُهُمْ أَوْ كُلُّهُمْ، لَمْ يَكُنْ يَظُنُّ أَنَّهُ يَبْلُغُ الْأَمْرُ إِلَى قَتْلِهِ، فَإِنَّ أُولَئِكَ الْأَحْزَابَ لَمْ يَكُونُوا يُحَاوِلُونَ قَتْلَهُ عَيْنًا، بَلْ طَلَبُوا مِنْهُ أَحَدَ أُمُورٍ ثَلَاثَةٍ ; إِمَّا أَنْ يَعْزِلَ نَفْسَهُ، أَوْ يُسَلِّمَ إِلَيْهِمْ مَرْوَانَ بْنَ الْحَكَمِ، أَوْ يَقْتُلُوهُ، فَكَانُوا يَرْجُونَ أَنْ يُسَلِّمَ إِلَى النَّاسِ مَرْوَانَ، أَوْ أَنْ يَعْزِلَ نَفْسَهُ وَيَسْتَرِيحَ مِنْ هَذِهِ الضَّائِقَةِ الشَّدِيدَةِ. وَأَمَّا الْقَتْلُ فَمَا كَانَ يَظُنُّ أَحَدٌ أَنَّهُ يَقَعُ، وَلَا أَنَّ هَؤُلَاءِ يَجْتَرِئُونَ عَلَيْهِ إِلَى مَا هَذَا حَدُّهُ، حَتَّى وَقَعَ مَا وَقَعَ. وَاللَّهُ أَعْلَمُ. الثَّانِي، أَنَّ الصَّحَابَةَ مَانَعُوا دُونَهُ أَشَدَّ الْمُمَانَعَةِ، وَلَكِنْ لَمَّا وَقَعَ التَّضْيِيقُ الشَّدِيدُ عَزَمَ عُثْمَانُ عَلَى النَّاسِ أَنَّ يَكُفُّوا أَيْدِيَهُمْ وَيُغْمِدُوا أَسْلِحَتَهُمْ فَفَعَلُوا، فَتَمَكَّنَ أُولَئِكَ مِمَّا أَرَادُوا، وَمَعَ هَذَا مَا ظَنَّ أَحَدٌ مِنَ النَّاسِ أَنَّهُ يُقْتَلُ بِالْكُلِّيَّةِ. الثَّالِثُ، أَنَّ هَؤُلَاءِ الْخَوَارِجَ لَمَّا اغْتَنَمُوا غَيْبَةَ كَثِيرٍ مِنْ أَهْلِ الْمَدِينَةِ فِي أَيَّامِ الْحَجِّ، وَلَمْ تَقْدِمِ الْجُيُوشُ مِنَ الْآفَاقِ لِلنُّصْرَةِ، بَلْ لَمَّا اقْتَرَبَ مَجِيئُهُمْ، انْتَهَزُوا فُرْصَتَهُمْ، قَبَّحَهُمُ اللَّهُ، وَصَنَعُوا مَا صَنَعُوا مِنَ الْأَمْرِ الْعَظِيمِ. الرَّابِعُ، أَنَّ هَؤُلَاءِ الْخَوَارِجُ كَانُوا قَرِيبًا مِنْ أَلْفَيْ مُقَاتِلٍ مِنَ الْأَبْطَالِ، وَرُبَّمَا لَمْ
পৃষ্ঠা - ৫৮৪১


ক্তরে ৷ কিছু লোক যে বলে কোন কোন সাহাৰী র্তাকে একা ছেড়ে দিয়েছিলেন এবং এ
হত্যাকাণ্ডে তারা সন্তুষ্ট ছিলেন, কোন একজন সাহাবীর ক্ষেত্রেও একথা সত্য ও সঠিক নয় ৷
সাহাবীরা সকলেই এ কর্মকে ঘৃণা করেছেন, অপছন্দ করেছেন এবং যারা এ কাজ করেছে
তাদেরকে গাল-মন্দ করেছেন ৷ অবশ্য কোন কোন সাহাৰী যেমন আমার ইবন ইয়াসির , মুহাম্মদ
ইবন আবু বকর এবং আমৃর ইবনুল হুমুক প্রমুখ উসমান (না)-এর ক্ষমতা ত্যাগ করাকে পছন্দ
করতেন ৷

ইবন আসাকির সাহাম ইবন খানশ বা খড়ানীশ অথবা খানশ আল-আঘৃদীর জীবনীতে উল্লেখ
করেছেন আর ইনি উসমান (রা)-এর গৃহে উপস্থিত ছিলেন মুহাম্মদ ইবন আইয় ইসমাঈল
ইবন আইয়্যাশ সুত্রে মুহাম্মদ ইবন ইয়াযীদ আররাব্জীর বরাতে বর্ণনা করেন যে , উমর ইবন
আব্দুল আযীষে তাকে দীর-এ সামআন ডেকে এনে উসমান (রা)-এর হত্যাকাণ্ড সম্পর্কে জানতে
চাইলে তিনি যা বলেন, তার সারকথা এরকম :

সাবাঈ তথা মিসরীয়দের প্রতিনিধি দল উসমান (রা)-এর নিকট আগমন করলে তিনি
তাদেরকে দান-দক্ষিণা দিয়া তৃষ্ট করলে তারা ফিরে যায় ৷ পরে তারা পুনঃ ফিরে এলে উসমান
(রা)-এর সঙ্গে তাদের সাক্ষাৎ হয় ৷ যখন তিনি ফজরের অথবা যােহরের নড়ামাষের ত্তণ্ন্য (বর
হন ৷ সাবড়াঈ সন্ত্রড়াসীরা তার প্রতি কংকর, জুতা এবং মােজা নিক্ষেপ করে ৷ ফলে তিনি গৃহে
ফিরে মনে, এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন আবু হুরায়রা (রা) , যুবায়র (বা) তার পুত্র আব্দুল্লাহ
তালহা, মারওয়ান, মুর্গীরা ইবন আখনাস, অন্যান্য লোকসহ উপস্থিত ছিলেন ৷ মিসরীহ্ব
প্রতিনিধি দল তার গৃহে চক্কর দেয় ৷ তখন উসমড়ান (রা) লোকজনের নিকট পরামর্শ চাইলে
আবদুল্লাহ ইবন যুবায়র বলেন :

আমীরুল মুমিনীন ! আমি আপনাকে পরামর্শ দিচ্ছি তিনটি বিষয়ের মধ্যে যে কোন একটি
গ্রহণ করার জন্য :

১ আপনি উমরার ইহরাম ৰীধবেন, ফলে তাদের জন্য আমাদের রক্ত হারাম হয়ে যাবে ;
২ অথবা আমরা সঙ্গী হয়ে সিরিয়ায় মুআবিয়ার নিকট গমন করবো, অথবা ৩ আমরা বের
হয়ে অস্ত্র দ্বারা যুদ্ধ করবো যতক্ষণ না আল্লাহ্ তাদের আর আমাদের মধ্যে মীমাংসা করে দেন;
কারণ আমরা আছি সত্যের উপর, আর তারা রয়েছে মিথ্যা তথা বাতিলের উপর ৷

তখন উসমান (রা) বলেন :

আপনি যে ইহরাম রাখার কথা বলেছেন, যার ফলে আমাদের রক্ত হারাম হয়ে যাবে, (তার
জবাব এই যে,) তারা তাে আমাদেরকে এখন ইহরাম অবস্থায় এবং ইহরামের পরে (সর্বাবস্থায়)
গোমরাহ মনে করে ৷ আর সিরিয়ায় গমন করা, ভীত হয়ে আমি তাদের মধ্য থেকে বের হয়ে
যাবাে এতে আমি লজ্জা বোধ করি; আর সিরিয়াবাসী আমাকে দেখবে আর দুশমনরা শুনবে;
কাফির দুশমনরাও একথা শুনবে ৷ আর যুদ্ধ-আমি তো কামনা করি এমন অবস্থায় আল্লাহ্র সঙ্গে
মিলিত হতে, যাতে আমার কারণে এক কেটি৷ রক্তও প্রবাহিত না হয় ৷ ,বর্ণনাকারী বলেন
একদিন আমরা তার সঙ্গে ফজরের নামায আদায় করি; নামায শেষে তিনি লৌকদের দিকে মুষ্ধ্
করে বললেন :


يَكُنْ فِي أَهْلِ الْمَدِينَةِ هَذِهِ الْعِدَّةُ مِنَ الْمُقَاتِلَةِ ; لِأَنَّ النَّاسَ كَانُوا فِي الثُّغُورِ وَفِي الْأَقَالِيمِ فِي كُلِّ جِهَةٍ وَفِي الْحَجِّ. وَمَعَ هَذَا كَانَ كَثِيرٌ مِنَ الصَّحَابَةِ قَدِ اعْتَزَلَ هَذِهِ الْفِتْنَةَ وَلَزِمُوا بُيُوتَهُمْ، وَمَنْ كَانَ يَحْضُرُ مِنْهُمُ الْمَسْجِدَ لَا يَجِيءُ إِلَّا وَمَعَهُ السَّيْفُ يَضَعُهُ عَلَى حَبْوَتِهِ إِذَا احْتَبَى، وَالْخَوَارِجُ مُحْدِقُونَ بِدَارِ عُثْمَانَ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ. وَرُبَّمَا لَوْ أَرَادُوا صَرْفَهُمْ عَنِ الدَّارِ لَمَا أَمْكَنَ ذَلِكَ. وَلَكِنَّ كِبَارَ الصَّحَابَةِ قَدْ بَعَثُوا أَوْلَادَهُمْ إِلَى الدَّارِ يُجَاحِفُونَ عَنْ عُثْمَانَ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، لِكَيْ تَقْدَمَ الْجُيُوشُ مِنَ الْأَمْصَارِ لِنُصْرَتِهِ، فَمَا فَجَأَ النَّاسَ إِلَّا وَقَدْ ظَفِرَ أُولَئِكَ بِالدَّارِ مِنْ خَارِجِهَا، وَأَحْرَقُوا بَابَهَا، وَتَسَوَّرُوا عَلَيْهِ حَتَّى قَتَلُوهُ. وَأَمَّا مَا يَذْكُرُهُ بَعْضُ النَّاسِ مِنْ أَنَّ بَعْضَ الصَّحَابَةِ أَسْلَمَهُ وَرَضِيَ بِقَتْلِهِ، فَهَذَا لَا يَصِحُّ عَنْ أَحَدٍ مِنَ الصَّحَابَةِ أَنَّهُ رَضِيَ بِقَتْلِ عُثْمَانَ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، بَلْ كُلُّهُمْ كَرِهَهُ، وَمَقَتَهُ، وَسَبَّ مَنْ فَعَلَهُ، وَلَكِنَّ بَعْضَهُمْ كَانَ يَوَدُّ لَوْ خَلَعَ نَفْسَهُ مِنَ الْأَمْرِ ; كَعَمَّارِ بْنِ يَاسِرٍ، وَمُحَمَّدِ بْنِ أَبِي بَكْرٍ، وَعَمْرِو بْنِ الْحَمِقِ وَغَيْرِهِمْ. قَالَ أَبُو عُمَرَ بْنُ عَبْدِ الْبَرِّ: دَفَنُوا عُثْمَانَ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ بِحَشِّ كَوْكَبٍ، وَكَانَ قَدِ اشْتَرَاهُ وَزَادَهُ فِي الْبَقِيعِ. وَلَقَدْ أَحْسَنَ بَعْضُ السَّلَفِ حَيْثُ يَقُولُ وَقَدْ سُئِلَ عَنْ عُثْمَانَ: هُوَ أَمِيرُ الْبَرَرَةِ، وَقَتِيلُ الْفَجَرَةِ، مَخْذُولٌ مَنْ خَذَلَهُ، مَنْصُورٌ مَنْ نَصَرَهُ.
পৃষ্ঠা - ৫৮৪২


আমি আজ রাত্রে আবু বকর এবং উমর (রা)-ণ্ক স্বপ্নে দেখতে পেয়েছি ৷ তারা আমার
নিকট আগমন করে বললেন : উসমান, তুমি ব্লোযা রাখ, কারণ, তোমাকে আমাদের নিকট
ইফতার করতে হবে ৷ আর আমি তােমাদেরকে সাক্ষী রেখে বলছি যে, আমি তোর থেকে রােযা
রেখেছি ৷ যে ব্যক্তি আল্লাহ্ এবং শেষ দিনের প্ৰতি ঈমান রাখে, তাকে আমি কঠোরভাবে নির্দেশ
দিচ্ছি যাতে সে নিরাপদে গৃহ ত্যাগ করে চলেযায় ৷’ আমরা বললাম, আমীরুল মু’মিনীন!
আমরা যদি বের হই তাহলে তাদের পক্ষ থেকে আমরা নিরাপদ থাকবাে না, তাই আপনি
আমাদেরকে অনুমতি দিন, যাতে আমরা তার সঙ্গে গৃহের এক কোণে থাকতে পারি, এর ফলে
আমরা এক দলও থাকবাে, আবার হিফাজতও হবে ৷

তারপর তার নির্দেশে গৃহের দরজা খোলা হয় ৷ তিনি কুরআন শরীফ চেয়ে নেন এবং তার
উপর ঝুকে পড়েন (এবং তিলাওয়াত করতে থাকেন) ৷ এ সময় তার নিকট তার দু’জন শ্রী
ছিলেন : নাইলা ৰিনতৃল ফারাফিসা এবং শায়ৰার কন্যা ৷ সর্বপ্রথম মুহাম্মদ ইবন আবু বকর গৃহে
প্রবেশ করে তার দাড়ি ধরলে তিনি বলেন : ভাতিজা, আমার দাড়ি ছাড়, আল্লাহ্র শপথ,
তোমার পিতা তো এর চাইতে সামান্য আচরণের জন্যও দুঃখিত হতেন ৷ ফলে তিনি সজ্জিত
হয়ে বেরিয়ে এসে লোকজনকে বললেন : আমি তো তোমাদের জন্য তাকে ধরেই ছিলাম ৷
দাড়ির সে পশমগুলো আবু বকর তনয় উপড়ে ফেলেছিলেন, তা তিনি তার কোন এক ত্রীর
হাতে তুলে দেন ৷ তারপর গৃহে প্রবেশ করে মুরাদ গোত্রের এক খৰ্বাকৃতির কৃষ্ণকায় ব্যক্তি ৷
ক্রুদ্ধ এ লোকটির সাথে ছিল ধারালো লোহা ৷ লোকটি গৃহে প্রবেশ করেই বললো : (হে বোকা
বৃদ্ধ), তুমি কোন ধর্মের অনুসারী? উসমান (বা) বললেন : আমি বোকা বৃদ্ধ নই; আমি উসমান
ইবন আফ্ফান ৷ আমি ইব্রাহীমী মিল্লাতের অনুসারী নিষ্ঠবোন মুসলিম, মুশরিকদের সঙ্গে
আমার কোন সম্পর্ক নেই ৷”

সে বললো, তুমি মিথ্যা বলছ এই বলে সে খলীফার বাম কানপট্টিতে ধারালো লোহা
দ্বারা আঘাত করে তাকে হত্যা করে ৷ তিনি মাটিতে পড়ে গেলে স্তী নাইলা তাকে বস্ত্রাবৃত করে
নেন ৷ আর ত্রী ছিলেন মোটা-সােটা দেহধারিণী ৷ তিনি নিজেকে খলীফার দেহের উপর নিক্ষেপ
করেন এবং দেহের অবশিষ্ট অংশের উপর লুঢিয়ে পড়েন অপর শ্রী বিনৃত শায়বা ৷ তারপর
তলােয়ার উচিয়ে জনৈক মিসরী ব্যক্তি প্রবেশ করে বলে : আল্লাহ্র কসম, আমি তার নাসিকা
কর্তন করবো ৷ শ্রী লোকটিকে তার থেকে সরিয়ে দেন এবং লােকঢির উপর তিনি প্রবল হন ৷
আর লোকটি পেছন থেকে তার আমার কাপড় সরিয়ে দেয় ৷ এমনকি সে র্তার পিঠ দেখতে
পায় ৷ সে যখন তার (লাশের) নিকট পৌছতে পারলাে না তখন সে তার (শ্ৰীর) কানের বালি
আর র্কাধের মাঝখান দিয়ে তরবারি ঢুকিয়ে দেয় ৷ এবং শ্রী তরবারি চেপে ধরলে তার হাতের
আঙ্গুল কাটা যায় ৷ তখন তার শ্রী চিৎকার নিয়ে বসে উঠেন : হে বিবাহ (আর এ ছিল উসমান
রা-এর কৃষ্ণকায় দাস), এ লোকটিকে আসা থেকে হটিয়ে দাও ৷

ভৃত্য তার দিকে এগিয়ে গিয়ে তলোয়ারের আঘাতে তাকে হত্যা করে আর গৃহের লোকেরা
নিজেদের প্রতিরোধের নিমিত্ত বেরিয়ে আসে ৷ এ সময় মুগীরা ইবন আখনাম নিহত হন এবং
মারওয়ান ইবনুল হাকাম আহত হন ৷ বর্ণনাকারী বলেন, সন্ধ্যড়া হয়ে গেলে আমরা বললাম,
তোমরা যদি তোমাদের সঙ্গীকে সকাল হওয়ার জন্য ছেড়ে যাও তারাতে৷ তার অঙ্গচ্ছের্দ বল্মৰে,


وَقَالَ شَيْخُنَا أَبُو عَبْدِ اللَّهِ الذَّهَبِيُّ فِي آخِرِ تَرْجَمَةِ عُثْمَانَ وَفَضَائِلِهِ، بَعْدَ حِكَايَتِهِ هَذَا الْكَلَامَ: قُلْتُ: الَّذِينَ قَتَلُوهُ أَوْ أَلَّبُوا عَلَيْهِ قَتَلُوا إِلَى عَفْوِ اللَّهِ وَرَحْمَتِهِ، وَالَّذِينَ خَذَلُوهُ خَذَلُوا وَتَنَغَّصَ عَيْشُهُمْ، وَكَانَ الْمُلْكُ بَعْدَهُ فِي نَائِبِهِ مُعَاوِيَةَ وَابْنَيْهِ، ثُمَّ فِي وَزِيرِهِ مَرْوَانَ وَثَمَانِيَةٍ مِنْ ذُرِّيَّتِهِ، اسْتَطَالُوا حَيَاتَهُ وَمَلُّوهُ مَعَ فَضْلِهِ وَسَوَابِقِهِ، فَتَمَلَّكَ عَلَيْهِمْ مَنْ هُوَ مِنْ بَنِي عَمِّهِ بِضْعًا وَثَمَانِينَ سَنَةً، فَالْحُكْمُ لِلَّهِ الْعَلِيُّ الْكَبِيرُ. وَهَذَا لَفْظُهُ بِحُرُوفِهِ.