আল বিদায়া ওয়া আন্নিহায়া

ثم دخلت سنة خمس وثلاثين

كلام الصحابة في مقتل عثمان رضي الله عنه

পৃষ্ঠা - ৫৮২৬


উসমান (বা) হত্যার ঘটনা ইসলামে ছিল প্রথম ফিতনা

যায়দ ইবন ওয়াহাব সুত্রে হুযায়ফার বরাতে আমাশ বলেন : প্রথম ফিতনা ছিল উসমান
(রা) হত্যা, আর শেষ ফিতনা হলো দাজ্জাল ৷ হাকিম ইবন আসাকির শাবাবা সুত্রে হাকম
ওয়াহাব ইবন হুযাইফার বরাতে বলেন : প্রথম ফিতনা উসমান (রা)-এর হত্যা, আর শেষ
ফিতনা দাজ্জালের আবির্ভাব ৷ তিনি আরো বলেন :

যার হাতে আমার জীবন-প্রাণ, তার শপথ করে বলছি, কোন ব্যক্তি যদি উসমান (রা)
হত্যার ব্যাপারে অন্তরে সরিষা পরিমাণ ভালবাসা নিয়েও মৃত্যুবরণ করে তাহলে দাজ্জালকে
গেলে সে দাজ্জালের অনুসারী হবে, আর দাজ্জালকে না গেলে সে কবরে দাজ্জালের প্রতি ঈমান
আনবে ৷ আবু বকর ইবন আবৃদ্দুনইয়া প্রমুখ মুহাম্মদ ইবন সাদ হুযাইফা ইবনুল ইয়ামান
সুত্রে বর্ণনা করে বলেন :

হে আল্লাহ ৷ উসমান (রা)-এর হত্যা যদি কোন নেক কর্ম হয়ে থাকে তাহলে তাতে আমার
কোন অংশ নেই ৷ আর যদি তার হত্যা মন্দ কর্ম হয় তাহলে তা থােক আমি মুক্ত ৷ আল্লাহর
কসম, তীর হত্যা যদি কোন ভাল কাজ হয় তাহলে তা থেকে দুধ দােহন করবে, আর যদি তা
হয় কোন মন্দ কর্ম তাহলে তা থেকে রক্ত চুষে খাবে ৷১

ইমাম বুখারী তার সহীহ গ্রন্থে হাদীসটি উল্লেখ করেছেন ৷

অপর একটি বর্ণনা ও মুহাম্মদ ইবন অইিয বলেন : মুহাম্মদ ইবন হামযা উল্লেখ করেন যে,
আবু আব্দুল্লাহ হাররানী আমাকে বলেন যে, হুযাইফা ইবনুল ইয়ামানের ওফাত পুর্ব অসুস্থতার
সময় তার ভাইদের মধ্যে একজন উপস্থিত ছিলেন, আর তিনি তীর শ্ৰীর সঙ্গে কানে কানে কথা
বলছিলেন, তিনি চোখ খুলে তাদের দৃ’জ্বনকে জিজ্ঞেস করলে তারা বলেন, ভাল ৷ তখন তিনি
বললেন : তোমরা দৃজনে আমার থেকে একটা কিছু লুকাচ্ছিলে, যা ভাল নয়, তিনি বললেন,
এক ব্যক্তি অর্থাৎ উসমান (রা) নিহত হয়েছেন ৷ ইন্নালিল্লাহ পড়ে তিনি বললেন :

হে আল্লাহ! এ কর্ষ থেকে আমি দুরে হ্নিা৷ম ৷ তা যদি ভাল হয়ে থাকে তবে তাদের জন্য,
যারা তখন তার নিকট হাযির ছিল, আর সে কর্ম থেকে আমি মুক্ত ৷ আর যদি সে কর্সযন্দ হয়ে
থাকে তবে তা তার জন্য, যে ব্যক্তি তখন সেখানে উপস্থিত ছিল, আর তা থেকে আমি মুক্ত ৷
হে উসমান! আজ অস্তরগুলাে বদলে গেছে ৷ প্রশংসা সে আল্পাহ্র জন্য, যিনি ফিল্দোার আগে
আমাকে ভুলে নিছেন ৷ তৰুন্ত্রদ্য নেতা আর কর্তা ব্যক্তি হলো বর্শা ৷ যে ব্যক্তি তা ছাড়া মারা
যাবে, যে চর্বি দ্বারা পরিভৃপ্ত হয়ে এবং তার আমল গৃহীত হ্ৰে ৷

হাসান ইবন আরফো ইসমাঈল ইবন ইব্রাহীম আবু মুসা আশআরী সুত্রে বর্ণনা করে
বলেন :

উসমান (রা)প্-এর হত্যা যদি হিদায়াত হতো তাহলে উষ্মত তা থেকে দুগ্ধ দােহন করতে
পারভাে; কিত্তু তাতাে ছিল গোমরাহী পথভ্রষ্টতা; তাই তা দ্বারা রক্ত দােহন করছে ৷ তবে এ
ব্লেওয়ায়েতটি মুনকাতি তথা বিচ্ছিন্ন সনদের ৷

মুহম্মদ ইবন সাদ আরিম ইবনফযল সুত্রে যাহ্দাম আল জারমীর বরাতে বলেন,
ইবন আব্বাস (রা) এক ভাষণে বলেন :



১ দ্রষ্টব্য তাবকোত ইবন সাদ (৩৮২) ৷
আল-বিদায়া — ৪৪


فَاعْتَذَرَ بَعْضُ الْعُذْرِ. فَقَالَ عُثْمَانُ: إِنِّي قَدْ سَمِعْتُ وَحَفِظْتُ، وَلَيْسَ كَمَا سَمِعْتَ، سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، يَقُولُ: " إِنَّهُ سَيُقْتَلُ أَمِيرٌ، وَيَنْتَزِي مُنْتَزٍ» . وَإِنِّي أَنَا الْمَقْتُولُ وَلَيْسَ عُمَرُ، إِنَّ عُمَرَ قَتَلَهُ وَاحِدٌ وَإِنَّهُ سَيُجْتَمَعُ عَلَيَّ. وَقَالَ أَحْمَدُ: ثَنَا وَكِيعٌ، عَنْ إِسْمَاعِيلَ، عَنْ قَيْسٍ قَالَ: حَدَّثَنِي أَبُو سَهْلَةَ أَنَّ عُثْمَانَ قَالَ يَوْمَ الدَّارِ: إِنَّ رَسُولَ اللَّهِ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، عَهِدَ لِي عَهْدًا فَأَنَا صَابِرٌ عَلَيْهِ. قَالَ قَيْسٌ: فَكَانُوا يَرَوْنَهُ ذَلِكَ الْيَوْمَ. وَرَوَاهُ التِّرْمِذِيُّ مِنْ حَدِيثِ وَكِيعٍ وَيَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ، عَنْ إِسْمَاعِيلَ بْنِ أَبِي خَالِدٍ بِهِ. وَفِي " مُسْنَدِ أَبِي يَعْلَى "، مِنْ طَرِيقِ أَبِي سَهْلَةَ قَالَ: قَالَ لِي رَسُولُ اللَّهِ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «سَتُبْتَلَى بَعْدِي فَلَا تُقَاتِلْ» [كَلَامُ الصَّحَابَةِ فِي مَقْتَلِ عُثْمَانَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ] فَصْلٌ (كَلَامُ الصَّحَابَةِ فِي مَقْتَلِ عُثْمَانَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ) قَالَ الْأَعْمَشُ، عَنْ زَيْدِ بْنِ وَهْبٍ، عَنْ حُذَيْفَةَ أَنَّهُ قَالَ: أَوَّلُ الْفِتَنِ قَتْلُ عُثْمَانَ، وَآخِرُ الْفِتَنِ الدَّجَّالُ. وَرَوَى الْحَافِظُ بْنُ عَسَاكِرَ، مِنْ طَرِيقِ شَبَابَةَ، عَنْ حَفْصِ بْنِ مُوَرِّقٍ
পৃষ্ঠা - ৫৮২৭

৩৪৬ আব-ৰিদায়া ওয়াস্ জো

লোকেরা উসমান (রা) এর রজাে বলো দাবি না করলে আসমান থেকে তাদের প্রতি খ্যাঃ
নিক্ষেপ করা হতো ৷ অন্য সুত্রেও তার থেকে হাদীসটি বর্ণিত হয়েছে ৷

আ মাশ প্রমুখ সাবিত ইবন উৰাইদ সুত্রে আব্দুল্লাহ ইবন আবু জা ফর আনসারীর বরাতে
বলেন :

উসমান (রা) নিহত হলে আমি আলী (রা) এর নিকট ণমন করে তাকে বন্ধি উসমান
(বা) নিহত হয়েছেন, এসময় তিনি মসজিদে উপৰিষ্ট ছিলেন, আর তার মাথায় ছিল কাল পাগড়ি
তিনি বললেন : চিরকাল তারা ধ্বংস হোক ৷ অপর বর্ণনায় আছে তারা ব্যর্থ হোক ৷

আবুল কাসিম বাপাবী আলী ইবন জাদ ইবন আবুলায়লা সুত্রে বর্ণনা করে বলেন :

আমি আলী (রা)-কে মসজিদে অথবা অনুজারুবৃ যায়ত-এর নিটক উচুম্বরে বলতে
ণ্ডনেছি : হে আল্লাহ্৷ আমি তোমার সমীপে উসমানের রক্ত থেকে আমাকে মুক্ত ঘোষণা করছি ৷

আবু হিলাল কাতাদা সুত্রে হাসানের বরাতে বলেন : উসমান (বা) নিহত হওয়ার সময়
আলী (বা) তার এক খামারে ছিলেন, হত্যা সম্পর্কে জানতে পেয়ে তিনি বলেন : “হে আল্পাহ্ ৷
তার হত্যাকাণ্ডে আমি সন্তুষ্ট নই, আর তাতে আমার সহ্যযাগিতাও সেই ৷’ আবুল আলিয়া সুত্রে
অন্য এক বর্ণনায় আছে যে, আলী (রা) উসমান (রা)-এর নিকট গমন করে তার গায়ের উপর
পতিত হন এবং কান্নাকাটি করতো থাকেন যাতে লোকের ধারণা জন্যে যে, তিনিও উসমান
(না)-এর সঙ্গে মিলিত হবেন বুঝি ৷

ইবন আব্বাস (বা) সুত্রে বর্ণিত, উদ্যান (বা) নিহত হওয়ার দিন আলী (বা) বলেন :

ধ্া৷াএ

আল্পাহ্র শপথ, আমি হত্যা করিনি, এর নির্দেশও দান করিনি, তবে আমি পরাজিত
হয়েছি’ ৷ লইিস ছাড়া অন্যরা হাদীসটি তাউস সুত্রে ইবন আমাদের বরাতে আলী (রা) থেকে
বর্ণনা করেছেন ৷

হাবীব ইবন আবুল আলিয়া সুত্রে মুজাহিদ ইবন আব্বাস (রা) থেকে বর্ণনা করেন : আলী
(বা) হলফ করে বলেনং

লোকেরা চাইলে আমি মাকামে ইবৃরাহীমের নিকট আল্লাহর নামে শপথ করে বলবো যে,

আমি উসমান (বা) কে হত্যা করিনি; হত্যার নির্দেশও দেইনি, বরং আমি তাদেরকে নিষেধ
করেছিলাম, কিন্তু তারা আমার নিষেধ মাংননি ৷ আলী (রা) থেকে কয়েক সুত্রে হাদীসটি বর্ণিত
হয়েছে ’া১ মুহম্মেদইবনহিউনুস কাদিমী কায়স ইবন আব্বাছু সুত্রে বর্ণনা করেন জামাল
যুদ্ধের দিন আমি আলী (রা)কে বসতে শুনেছিপ্ত

হে আমাহ্! আমি তোমার সমীপে উসমান (রা) এর হত্যার ব্যাপারে আমার সম্পর্কীহীনতা
প্রকাশ বল্মছি ৷ উসমান (রা) এর হত্যার দিন আমার জ্ঞান-বুদ্ধি প্রায় পোপ হয়ে গিয়েছিল এবং
আমি নিজেকে চিনতে পারিনি ৷ বায় আতের জন্য তারা আমার নিকট আগমন করলে তাদেরকে
আমি ববিং আল্লাহর শপথ,যে ব্যক্তি সম্পর্কে আল্পাহ্র রাসুসুস্লাহ্ লোঃবলেন ফেব্রেশতারা সে
ব্যক্তিকে লজ্জা করে, আমিও তাকে লজ্জা করি, যে জাতি এমন ব্যক্তিকে হত্যা কারছে, এমন



১ দ্রষ্টব্য তাবাকাত ইবন স্যদ (৩৮২) পৃষ্ঠা ৷


الْبَاهِلِيِّ، عَنْ حَجَّاجِ بْنِ أَبِي عُثْمَانَ الصَّوَّافِ، عَنْ زَيْدِ بْنِ وَهْبٍ، عَنْ حُذَيْفَةَ. قَالَ: أَوَّلُ الْفِتَنِ قَتْلُ عُثْمَانَ، وَآخِرُ الْفِتَنِ خُرُوجُ الدَّجَّالِ، وَالَّذِي نَفْسِي بِيَدِهِ لَا يَمُوتُ رَجُلٌ وَفِي قَلْبِهِ مِثْقَالُ حَبَّةٍ مِنْ حُبِّ قَتْلِ عُثْمَانَ إِلَّا تَبِعَ الدَّجَّالَ إِنْ أَدْرَكَهُ وَإِنْ لَمْ يُدْرِكْهُ آمَنَ بِهِ فِي قَبْرِهِ. وَقَالَ أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي الدُّنْيَا وَغَيْرُهُ: أَنَا مُحَمَّدُ بْنُ سَعْدٍ، أَنَا عَمْرُو بْنُ عَاصِمٍ الْكِلَابِيُّ، ثَنَا أَبُو الْأَشْهَبِ، حَدَّثَنِي عَوْفٌ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ سِيرِينَ أَنَّ حُذَيْفَةَ بْنَ الْيَمَانِ قَالَ: اللَّهُمَّ إِنْ كَانَ قَتْلُ عُثْمَانَ بْنِ عَفَّانَ خَيْرًا فَلَيْسَ لِي فِيهِ نَصِيبٌ، وَإِنْ كَانَ قَتْلُهُ شَرًّا فَأَنَا مِنْهُ بَرِيءٌ، وَاللَّهِ لَئِنْ كَانَ قَتْلُهُ خَيْرًا لَتَحْلُبُنَّهُ لَبَنًا، وَلَئِنْ كَانَ قَتْلُهُ شَرًّا لَتَمْتَصُّنَّ بِهِ دَمًا. وَقَدْ ذَكَرَهُ الْبُخَارِيُّ فِي " صَحِيحِهِ ". طَرِيقٌ أُخْرَى عَنْهُ: قَالَ مُحَمَّدُ بْنُ عَائِذٍ: ذَكَرَ يَحْيَى بْنُ حَمْزَةَ، حَدَّثَنِي أَبُو عَبْدِ اللَّهِ النَّجْرَانِيُّ أَنَّ حُذَيْفَةَ بْنَ الْيَمَانِ فِي مَرَضِهِ الَّذِي هَلَكَ فِيهِ، كَانَ عِنْدَهُ رَجُلٌ مِنْ إِخْوَانِهِ وَهُوَ يُنَاجِي امْرَأَتَهُ، فَفَتَحَ عَيْنَيْهِ فَسَأَلَهُمَا فَقَالَا: خَيْرٌ. فَقَالَ:
পৃষ্ঠা - ৫৮২৮
إِنَّ شَيْئًا تُسِرَّانِهِ دُونِي مَا هُوَ بِخَيْرٍ. قَالَ: قُتِلَ الرَّجُلُ. يَعْنِي عُثْمَانَ. قَالَ: فَاسْتَرْجَعَ، ثُمَّ قَالَ: اللَّهُمَّ إِنِّي كُنْتُ مِنْ هَذَا الْأَمْرِ بِمَعْزِلٍ، فَإِنْ كَانَ خَيْرًا فَهُوَ لِمَنْ حَضَرَهُ، وَأَنَا مِنْهُ بَرِيءٌ، وَإِنْ كَانَ شَرًّا فَهُوَ لِمَنْ حَضَرَهُ، وَأَنَا مِنْهُ بَرِيءٌ، الْيَوْمَ نَفَرَتِ الْقُلُوبُ بِأَنْفَارِهَا، الْحَمْدُ لِلَّهِ الَّذِي سَبَقَ بِيَ الْفِتَنَ، قَادَتَهَا وَعُلُوجَهَا، الْحَظِيُّ مَنْ تَرَدَّى بَعِيرُهُ، فَشَبِعَ شَحْمَا وَقَلَّ عَمَلُهُ. وَقَالَ الْحَسَنُ بْنُ عَرَفَةَ: ثَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ بْنِ عُلَيَّةَ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ أَبِي عَرُوبَةَ، عَنْ قَتَادَةَ عَنْ أَبِي مُوسَى الْأَشْعَرِيِّ قَالَ: لَوْ كَانَ قَتْلُ عُثْمَانَ هُدًى، لَاحْتَلَبَتْ بِهِ الْأُمَّةُ لَبَنًا، وَلَكِنَّهُ كَانَ ضَلَالًا، فَاحْتَلَبَتْ بِهِ الْأُمَّةُ دَمًا. وَهَذَا مُنْقَطِعٌ. وَقَالَ مُحَمَّدُ بْنُ سَعْدٍ: أَنَا عَارِمُ بْنُ الْفَضْلِ، أَنَا الصَّعِقُ بْنُ حَزْنٍ، ثَنَا قَتَادَةُ، عَنْ زَهْدَمٍ الْجَرْمِيِّ قَالَ: خَطَبَ ابْنُ عَبَّاسٍ فَقَالَ: لَوْ لَمْ يَطْلُبِ النَّاسُ بِدَمِ عُثْمَانَ لَرُمُوا بِالْحِجَارَةِ مِنَ السَّمَاءِ. وَقَدْ رُوِيَ مِنْ غَيْرِ هَذَا الْوَجْهِ عَنْهُ. وَقَالَ الْأَعْمَشُ وَغَيْرُهُ، عَنْ ثَابِتِ بْنِ عُبَيْدٍ، عَنْ أَبِي جَعْفَرٍ الْأَنْصَارِيِّ
পৃষ্ঠা - ৫৮২৯


জাতির বায়আত গ্রহণ করতে আমার লজ্জা হয় ৷ আর উসমান (রা)প্রুএর লাশ দাফন-কাফনহীন
অবস্থায় মটির উপর পড়ে আছে, এমন অবস্থায় বায়আত নিতে আমার লজ্জা হয় ৷ এরপর
তারা চলে যায় ৷ দাফনের পর তারা ফিরে এসে পুনরায় বায় আত করতে চইিলে আমি বললাম
হে আল্লাহ! এমন পদক্ষেপ গ্রহণ করতে আমার ভয় হয় ৷ পরে তারা অেদাজেদি করতে থাকলে
আমি বায় আত গ্রহণ করি ৷ তারা যখন আমীরুল মু মিনীন উচ্চারণ করে তখন আমার অন্তর
বিদীর্ণ হয়ে যাজ্জি ৷ এবং ঘৃণাবশত আমি চুপ করে থাকি ৷

হাফিজ কাবীর ইবন আসাক্কিরআলী (রা) থেকে বর্ণিত সকল সুত্র এবল্ম করার উদ্যোগ
গ্রহণ করে বর্ণনা করেন যে, উসমান (রা)-এর হত্যা সম্পর্কে আলী (বা) তার সস্পর্কহীনতার
কথা ঘোষণা করেন ৷ ভাষণ ইত্যাদিতেও তিনি এ সম্পর্কে হলফ করে বলতেন যে, তিনি
উসমান (রা)-ফে হত্যা করেননি, হত্যার নির্দেশ দেননি ৷ এতে সহযোগিতা করেননি এবং এতে
তিনি সত্তুষ্টও হননি ৷ বরং তিনি নিষেধ করেছিলেন, কিন্তু তারা তার নিষেধ শোনেনি ৷ হাদীসটি
আলী (রা) থেকে ৰিআি সুত্রে প্রমাণিত, হাদীসের ইমামদের নিকট যা অকাট্য বলে গ্রহণযোগ্য
ও স্বীকৃত ৷ সকল প্রশংসা আর যাবতীয় স্তব-ন্তুতি এ জন্য মহান আল্লাহ্ৱই প্রাপ্য ৷

একাধিক সুত্রে আলী (রা) থেকে বর্ণিত আছে যে, তিনি বলেন :
(
আমি আশা করি আমি এবং উসমান সেসব ব্যক্তিবর্ণের অন্তর্ভুক্ত হবো, যাদের সম্পর্কে
আল্লাহ্ বলেনঃ আমি তাদের অন্তর থেকে বিদ্বেষ বিদুরিত করবো, তারা ভইিয়ের মত পরস্পর
মুখোমুখি হয়ে আসলে উপবেশন করবে (সুরা আল হিজ্বর ১৫£ : ৭) ৷
অনুরুপভাবে তার থেকে একাধিক সুত্রে আরো প্রমাণিত আছে : উসমান (রা) সম্পর্কে তিনি
নিম্নোক্ত আয়াত তিলাওয়াত করে বলেন : তিনি ছিলেন এ আয়াতের বাস্তব নমুনা ৷
(৭া
যারা ঈমান এসেছে তারপর লেক আমল করেছে, পরে সতর্ক হয় ও ঈমান আসে এবং
ইহসান করে (মায়িদা ৫ : ৯৩) ৷
এক বর্ণনা মতে আলী (রা) আরো বলেন :
উসমান (রা) ছিলেন আমাদের মধ্যে সর্বোত্তম ব্যক্তি এবং আত্মীয়তার হক আদায় করার
ক্ষেত্রেও সকলের চইিতে ভালো, লজ্জাশীলতার ক্ষেত্রে সবচাইতে কঠোর, পাক-পবিত্রতার
ক্ষেত্রে আমাদের মধ্যে সুন্দরতম ব্যক্তি এবং মহান আল্লাহ্কে ভয় করে চলার ক্ষেত্রে সকলের
চাইতে অগ্রগণ্য ৷
ইয়াকুব ইবনৃ সুফিয়ান আবী কালীর সুত্রে বর্ণনা করে বলেনঃ আলী (রা) ভাষণ দিতে
র্দাড়ালে খারিজীদের আপত্তির মুখে তিনি মিম্বর থেকে নেমে এসে বললেন ং


قَالَ: لَمَّا قُتِلَ عُثْمَانُ جِئْتُ عَلِيًّا وَهُوَ جَالِسٌ فِي الْمَسْجِدِ وَعَلَيْهِ عِمَامَةٌ سَوْدَاءُ فَقُلْتُ لَهُ: قُتِلَ عُثْمَانُ. فَقَالَ: تَبًّا لَهُمْ آخِرَ الدَّهْرِ. وَفِي رِوَايَةٍ: خَيْبَةً لَهُمْ. وَقَالَ أَبُو الْقَاسِمِ الْبَغَوِيُّ أَنْبَأَنَا عَلِيُّ بْنُ الْجَعْدِ، أَنَا شَرِيكٌ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عِيسَى، عَنِ ابْنِ أَبِي لَيْلَى قَالَ: سَمِعْتُ عَلِيًّا وَهُوَ بِبَابِ الْمَسْجِدِ، أَوْ عِنْدَ أَحْجَارِ الزَّيْتِ رَافِعًا صَوْتَهُ يَقُولُ: اللَّهُمَّ إِنِّي أَبْرَأُ إِلَيْكَ مِنْ دَمِ عُثْمَانَ. وَقَالَ أَبُو هِلَالٍ: عَنْ قَتَادَةَ عَنِ الْحَسَنِ قَالَ: قُتِلَ عُثْمَانُ وَعَلِيٌّ غَائِبٌ فِي أَرْضٍ لَهُ، فَلَمَّا بَلَغَهُ قَالَ: اللَّهُمَّ إِنِّي لَمْ أَرْضَ وَلَمْ أُمَالِئْ. وَرَوَى الرَّبِيعُ بْنُ بَدْرٍ عَنْ سَيَّارِ بْنِ سَلَامَةَ، عَنْ أَبِي الْعَالِيَةِ أَنَّ عَلِيًّا دَخَلَ عَلَى عُثْمَانَ، فَوَقَعَ عَلَيْهِ وَجَعَلَ يَبْكِي حَتَّى ظَنُّوا أَنَّهُ سَيَلْحَقُ بِهِ. وَقَالَ الثَّوْرِيُّ وَغَيْرُهُ، عَنْ لَيْثٍ، عَنْ طَاوُسٍ. ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ قَالَ: قَالَ عَلِيٌّ يَوْمَ قُتِلَ عُثْمَانُ: وَاللَّهِ مَا قَتَلْتُ، وَلَا أَمَرْتُ، وَلَكِنِّي غُلِبْتُ. وَرَوَاهُ غَيْرُ لَيْثٍ، عَنْ طَاوُسٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، عَنْ عَلِيٍّ نَحْوَهُ. وَقَالَ حَبِيبُ بْنُ أَبِي الْعَالِيَةِ، عَنْ مُجَاهِدٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ قَالَ: قَالَ عَلِيٌّ: إِنْ شَاءَ النَّاسُ حَلَفْتُ لَهُمْ عِنْدَ مَقَامِ إِبْرَاهِيمَ بِاللَّهِ، مَا قَتَلْتُ عُثْمَانَ، وَلَا أَمَرْتُ بِقَتْلِهِ، وَلَقَدْ نَهَيْتُهُمْ فَعَصَوْنِي. وَقَدْ رُوِيَ مِنْ غَيْرِ وَجْهٍ عَنْ عَلِيٍّ بِنَحْوِهِ.
পৃষ্ঠা - ৫৮৩০
وَقَالَ مُحَمَّدُ بْنُ يُونُسَ الْكُدَيْمِيُّ: ثَنَا هَارُونُ بْنُ إِسْمَاعِيلَ، ثَنَا قُرَّةُ بْنُ خَالِدٍ، عَنِ الْحَسَنِ، عَنْ قَيْسِ بْنِ عُبَادٍ قَالَ: سَمِعْتُ عَلِيًّا يَوْمَ الْجَمَلِ يَقُولُ: اللَّهُمَّ إِنِّي أَبْرَأُ إِلَيْكَ مِنْ دَمِ عُثْمَانَ، وَلَقَدْ طَاشَ عَقْلِي يَوْمَ قُتِلَ عُثْمَانُ، وَأَنْكَرْتُ نَفْسِي وَجَاءُونِي لِلْبَيْعَةِ فَقُلْتُ: وَاللَّهِ إِنِّي لِأَسْتَحْيِي مِنَ اللَّهِ أَنْ أُبَايِعَ قَوْمًا قَتَلُوا رَجُلًا قَالَ فِيهِ رَسُولُ اللَّهِ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «أَلَا أَسْتَحْيِي مِمَّنْ تَسْتَحْيِي مِنْهُ الْمَلَائِكَةُ» . وَإِنِّي لِأَسْتَحْيِي مِنَ اللَّهِ أَنْ أُبَايِعَ وَعُثْمَانُ قَتِيلٌ عَلَى الْأَرْضِ لَمْ يُدْفَنْ بَعْدُ. فَانْصَرَفُوا، فَلَمَّا دُفِنَ رَجَعَ النَّاسُ يَسْأَلُونِي الْبَيْعَةَ فَقُلْتُ: اللَّهُمَّ إِنِّي لَمُشْفِقٌ مِمَّا أُقْدِمُ عَلَيْهِ، ثُمَّ جَاءَتْ عَزْمَةٌ فَبَايَعْتُ، فَلَمَّا قَالُوا: أَمِيرُ الْمُؤْمِنِينَ، فَكَأَنَّمَا صُدِعَ قَلْبِي وَانْسَكَبْتُ بِعَبْرَةٍ. وَقَدِ اعْتَنَى الْحَافِظُ الْكَبِيرُ أَبُو الْقَاسِمِ بْنُ عَسَاكِرَ بِجَمْعِ الطُّرُقِ الْوَارِدَةِ عَنْ عَلِيٍّ، أَنَّهُ تَبَرَّأَ مِنْ دَمِ عُثْمَانَ، وَكَانَ يُقْسِمُ عَلَى ذَلِكَ فِي خُطَبِهِ وَغَيْرِهَا أَنَّهُ لَمْ يَقْتُلْهُ، وَلَا أَمَرَ بِقَتْلِهِ، وَلَا مَالَأَ، وَلَا رَضِيَ بِهِ، وَلَقَدْ نَهَى عَنْهُ فَلَمْ يَسْمَعُوا مِنْهُ. ثَبَتَ ذَلِكَ عَنْهُ مِنْ طُرُقٍ تُفِيدُ الْقَطْعَ عِنْدَ كَثِيرٍ مِنْ أَئِمَّةِ الْحَدِيثِ. وَلِلَّهِ الْحَمْدُ وَالْمِنَّةُ. وَثَبَتَ عَنْهُ أَيْضًا مِنْ غَيْرِ وَجْهٍ أَنَّهُ قَالَ: إِنِّي لَأَرْجُوَ أَنْ أَكُونَ أَنَا وَعُثْمَانُ مِمَّنْ قَالَ اللَّهُ تَعَالَى فِيهِمْ: {وَنَزَعْنَا مَا فِي صُدُورِهِمْ مِنْ غِلٍّ إِخْوَانًا عَلَى سُرُرٍ مُتَقَابِلِينَ} [الحجر: 47]
পৃষ্ঠা - ৫৮৩১


আমার এবং উসমান (রা) এর দৃষ্টান্ত তিন র্ষাড়ের দৃষ্টান্তের মতো লাল, সাদা এবং
কালো ৷ সেগুলোর সঙ্গে ছিল একটা সিংহও ৷ যখনই সিং হ দু টি একটিকে হত্যা করার ফন্দি
করতো অপর দু টি বাধা দািতা ৷ তখন সিং হ কালো আর লালটাকে বলে

এই সাদা ষাড়ট৷ দলের মধ্যে আমাদের অপদস্থু করেছে ৷ তোমরা তাকে ছেড়ে দাও,তাহলে
আমি তাকে যেতে পারি ৷ উভয়ে তাকে ত্যাগ করলে যে খেয়ে ফেলে ৷ তারপর তাদের একজন
অপর জনকে আহার করতে চাইলে অপরজন বাধা দেয় ৷ ফলে যে অপরটিকে বলে : এই কাল
যাড়টি এই জঙ্গলে আমাদেরকে লাঞ্ছিত ৩করেছে ৷ আমার রংভাে তোমার রংয়ের মতো ৷ তুমি
তাকে ত্যাগ করলে আমি তাকে খেয়ে ফেলতাম ৷ লাল যাড়টি তাকে ছেড়ে দিলে সে তাকে
যেয়ে ফেলে ৷ এরপর লাল ষাড়ঢিকে সে বলোঃ এবার আমি তোমাকে খাবাে ৷ তখন সে বলে :
আমাকে ছেড়ে দাও আমি তিনটি আওয়াজ দিয়ে নেই ৷ সে ব ললো ও হ্যা তোমাকে সে সুযোগ
দেয়া হলো ৷ তখন যে বলে : সাবধান! যে দিন আমি সাদা র্ষাড়টিকে খাই সেদিন তুমি
তিনঢিকেই থেয়েছিলে ৷ সেদিন আমি তাকে সাহায্য করলে আমাকে খেতে পারতে না ৷ তারপর
আলী (রা) বলেন সেদিন উসমান (রা) কে হত্যা করা হয় সেদিন আমি দুর্বলতা প্রদর্শন
করেছিলাম ৷ সেদিন আমি তীকে সাহায্য করলে আজ আমি দুর্বল থাকতাম না, একথা তিনি
তিনবার বললেন ৷

ঐতিহাসিক ইবনে আসাকির মুহাম্মদ ইবনে হারুন সাঈদ ইবনুল মুসাইয়্যাব সুত্রে
বর্ণনা করেন : উসমান (রা)-এর শাসনামলে এক মহিলা বায়তৃলমালে আগমন করতো এবং
নিজের বোঝা বহণ করতে করতে বলতো হে আল্পাহ্৷ পরিবর্তন কর, হে আল্লাহ্ বদলে দাও ৷
উসমান (বা) নিহত হলে হাসৃসান ইবনে সাবিত (রা) নিচের কবিতাটি আবৃত্তি করেনঃ

ণ্১ভ্রুষ্
তোমরা বলেছিলে বদলে দাও, তইি তিনি বদলে দিয়েছেন নিচুপথ আর অগ্নিক্ষুলিঙ্গের
মতো যুদ্ধ দ্বারা পরিবর্তন করেছেন ৷
পুরাতন বস্ত্র , দাস দাসী আর সোনা-রুপা দ্বারা তোমরা প্রতিশোধ গ্রহণ করনি ৷
ইবনে আসাকির আরো বর্ণনা করেন যে, বনু সাঈদতুক্ত আবু হুমইিদ, যিনি ছিলেন বদর
যুদ্ধে অৎশগ্নহণকারীদের অন্যতম, আর উসমান (রা)-এর ব্যাপারে যারা এড়িয়ে গা-বাচিয়ে
চলেইনিশুণ্-হািলন তাদের মধ্যে অন্যতম, উসমান (রা) নিহত হলে তিনি বলেছিলেন :
আল্লাহর শপথ ! তিনি নিহত হন, এটা আমরা চইিনি আর হত্যা পর্যন্ত গড়াবে, আমরা তা
মনে করিনি ৷ হে আল্লাহ্৷ তোমার পক্ষ থেকে আমার কর্তব্য হচ্ছে এই এই কাজ না করা এবং
তোমার সঙ্গে মিলিত না হওয়া পর্যন্ত না হাসা ৷
মুহাম্মদ ইবনে সাদ আব্দুল্লাহ ইবনে ইদ্রীস আমর ইবনে নুফইিল সুত্রে বর্ণনা করেন
যে, আমি নিজেকে দেখতে পাই যে, উমর (রা) আমাকে এবং তার বোনকে ধরে রেখেছেন
ইসলামের কারণে ৷ আর আসকানের পুত্র তথা উসমানের সঙ্গে তোমরা যা করেছ সে জন্য কেউ
যদি পৃথক হয়ে যায় তবে তা করার তার অধিকার আছে ৷ ইমাম বুখ্যরী তার সহীহ বুখারীতে
এরুপই বর্ণনা করেছেন ৷


[الْحِجْرِ: 47] . وَثَبَتَ عَنْهُ أَيْضًا مِنْ غَيْرِ وَجْهٍ أَنَّهُ قَالَ: كَانَ مِنَ الَّذِينَ آمَنُوا وَعَمِلُوا الصَّالِحَاتِ، ثُمَّ اتَّقَوْا وَآمَنُوا، ثُمَّ اتَّقَوْا وَأَحْسَنُوا. وَفِي رِوَايَةٍ أَنَّهُ قَالَ: كَانَ عُثْمَانُ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، خَيْرَنَا، وَأَوْصَلَنَا لِلرَّحِمِ، وَأَشَدَّنَا حَيَاءً، وَأَحْسَنَنَا طُهُورًا، وَأَتْقَانَا لِلرَّبِّ، عَزَّ وَجَلَّ. وَرَوَى يَعْقُوبُ بْنُ سُفْيَانَ، عَنْ سُلَيْمَانَ بْنِ حَرْبٍ عَنْ حَمَّادِ بْنِ زَيْدٍ، عَنْ مَجَالِدٍ، عَنْ عُمَيْرِ بْنِ زَوْذِيٍّ أَبِي كَثِيرٍ قَالَ: خَطَبَ عَلِيٌّ فَقَطَعَ الْخَوَارِجُ عَلَيْهِ خُطْبَتَهُ، فَنَزَلَ فَقَالَ: إِنَّ مَثَلِي وَمَثَلَ عُثْمَانَ كَمَثَلِ أَثْوَارٍ ثَلَاثَةٍ ; أَحْمَرَ وَأَبْيَضَ وَأَسْوَدَ، وَمَعَهُمْ فِي أَجَمَةٍ أَسَدٌ، فَكَانَ كُلَّمَا أَرَادَ قَتْلَ أَحَدِهِمْ مَنَعَهُ الْآخَرَانِ، فَقَالَ لِلْأَسْوَدِ وَالْأَحْمَرِ: إِنَّ هَذَا الْأَبْيَضَ قَدْ فَضَحَنَا فِي هَذِهِ الْأَجَمَةِ فَخَلِّيَا عَنْهُ حَتَّى آكُلَهُ. فَخَلَّيَا عَنْهُ فَأَكَلَهُ، ثُمَّ كَانَ كُلَّمَا أَرَادَ أَحَدَهُمَا مَنَعَهُ الْآخَرُ، فَقَالَ لِلْأَحْمَرِ: إِنَّ هَذَا الْأَسْوَدَ قَدْ فَضَحَنَا فِي هَذِهِ الْأَجَمَةِ، وَإِنَّ لَوْنِي عَلَى لَوْنِكَ، فَلَوْ خَلَّيْتَ عَنْهُ أَكَلْتُهُ. فَخَلَّى عَنْهُ الْأَحْمَرُ فَأَكَلَهُ، ثُمَّ قَالَ لِلْأَحْمَرِ: إِنِّي آكِلُكَ. فَقَالَ: دَعْنِي حَتَّى أَصِيحَ ثَلَاثَ صَيْحَاتٍ. فَقَالَ: دُونَكَ. فَقَالَ: أَلَا إِنِّي إِنَّمَا أُكِلْتُ يَوْمَ أُكِلَ الْأَبْيَضُ. ثَلَاثًا، ثُمَّ قَالَ عَلِيٌّ: وَإِنَّمَا أَنَا وَهَنْتُ يَوْمَ قُتِلَ عُثْمَانُ. قَالَهَا ثَلَاثًا.
পৃষ্ঠা - ৫৮৩২
وَرَوَى ابْنُ عَسَاكِرَ، مِنْ طَرِيقِ مُحَمَّدِ بْنِ هَارُونَ الْحَضْرَمِيِّ، عَنْ سَوَّارِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ الْعَنْبَرِيِّ الْقَاضِي، عَنِ ابْنِ مَهْدِيٍّ، عَنْ حَمَّادِ بْنِ زَيْدٍ، عَنْ يَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ الْمُسَيَّبِ قَالَ: كَانَتِ الْمَرْأَةُ تَجِيءُ فِي زَمَانِ عُثْمَانَ إِلَى بَيْتِ الْمَالِ، فَتَحْمِلُ وِقْرَهَا وَتَقُولُ: اللَّهُمَّ بَدِّلْ، اللَّهُمَّ غَيِّرْ. فَقَالَ حَسَّانُ بْنُ ثَابِتٍ حِينَ قُتِلَ عُثْمَانُ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ: قُلْتُمُ بَدِّلْ فَقَدْ بَدَّلَكُمْ ... سَنَةً حَرَّى وَحَرْبًا كَاللَّهَبْ مَا نَقِمْتُمْ مِنْ ثِيَابٍ خِلْفَةٍ ... وَعَبِيدٍ وَإِمَاءٍ وَذَهَبْ قَالَ: وَقَالَ أَبُو حُمَيْدٍ أَخُو بَنِي سَاعِدَةَ - وَكَانَ مِمَّنْ شَهِدَ بَدْرًا، وَكَانَ فِي مَنْ جَانَبَ عُثْمَانَ - فَلَمَّا قُتِلَ قَالَ: وَاللَّهِ مَا أَرَدْنَا قَتْلَهُ، وَلَا كُنَّا نَرَى أَنْ يَبْلُغَ مِنْهُ الْقَتْلَ، اللَّهُمَّ إِنَّ لَكَ عَلَيَّ أَنْ لَا أَفْعَلَ كَذَا وَكَذَا، وَلَا أَضْحَكَ حَتَّى أَلْقَاكَ. وَقَالَ مُحَمَّدُ بْنُ سَعْدٍ: أَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ إِدْرِيسَ، أَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ أَبِي خَالِدٍ، عَنْ قَيْسِ بْنِ أَبِي حَازِمٍ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ زَيْدِ بْنِ عَمْرِو بْنِ نُفَيْلٍ، قَالَ: لَقَدْ رَأَيْتُنِي وَإِنَّ عُمَرَ مُوثِقِي وَأُخْتَهُ عَلَى الْإِسْلَامِ، وَلَوِ ارْفَضَّ أُحُدٌ فِيمَا صَنَعْتُمْ بِابْنِ عَفَّانَ،
পৃষ্ঠা - ৫৮৩৩


মুহাম্মদ ইবন আয়িস ইসমানৈ ইবন আব্বাস আব্দুর রহমান ইবন ন্ধুবইির সুত্রে বর্ণনা
করেন : তিনি আব্দুল্লাহ ইবন সালামকে অন্য এক ব্যক্তিকে একথা বলতে শ্যুনছেন : উসমান
(রা) নিহত হলেন এ সম্পর্কে দুটি মেষ ও একটা অন্যটড়াকে গুতা মারলো না ! তখন আব্দুল্লাহ

ইবনে সালাম তাকে বললেন : খলীফার মৃত্যুতে র্ষাড় আর মেয়ে গুতাগুতি করে না ঠিকই;
কিত্তু তাতে পুর্ণ বয়স্ক লোকেরা অস্ত্র নিয়ে গুতাগুতি ঠিকই করে ৷ আল্লাহ্র বপ্সম,এ বিষয়ে এমন
অনেক লোক সংঘাতে লিপ্ত হবে, যাদের এখনো জন্ম হয়নি, যারা এখনো পিতার মেরুদণ্ডে
রয়েছে ৷ তাউসের সুত্রে লাউসের বরাতে ইবন সালাম বলেন : কিয়ামতের দিন হত্যাকারী আর
লাঞ্জু নাকারীর ব্যাপারে উসমান (রা)-এরফয়সালা করা হবে ৷ আৰুআব্দুল্পাহ আল মাহামিনী
আবুল আশআস আবুল অড়ামওয়াদ সুত্রে বলেন : আমি আবু বাকঃল্কাকে বলতে শুনেছি :
ঢা;ষ্, ড্রুএে;



উসমান (রা) এর হত্যাকাণ্ডে অংশগ্রহণ বলার চইিতে আসমান থেকে মাটিতে পতিত হওয়া
আমার নিকট অধিক প্রিয় ৷

আবু ইয়ালা ইব্রাহীম ইবনে মুহাম্মদ জারুদের দুধভই আল-হাযরামী সুত্রে বর্ণনা
করেন : আমি কুফায় হ্নিগ্নম সেখানে হাসান ইবন আলী ভাষণ দানের জন্য দাড়িয়ে বললেন :

’সোক সকল! গতরাত্রে আমি স্বপ্নে এক বিস্ময়কর দৃশ্য দেখেছি ৷ আল্লাহ্ তাবারাকা ওয়া
তাআলাকে আমি দেখতে পাই তিনি আরশে উপবিষ্ট আছেন আর রাসুলুল্লাহ্ভ্রুগং র্চু আগমন করে
আরশের পারা ধরে দাড়িয়েছেন ৷ এ সময় আবু বকর (রা) আগমন করে রাসুলে করীমমোঃ
এর কাধে হস্ত স্থাপন করেন ৷ এরপর উমর (রা) আগমন করে আবু বকর (রা)-এর র্কাধে হাত
রেখে দাড়ান ৷ তারপর উসমান (রা) আগমন করেন, তিনি মাথায় হাত রেখে আছেন ৷ তিনি
বলছেন : হে পরওয়ারদেগারা তোমার বান্দাদেরকে জিজ্ঞেস কর, কােনৃ কারণে আর কোন
অপরাধে তারা আমাকে হত্যা করেছো ইতিমধ্যে আসমান থেকে দুটি রক্ত ধারা প্রবাহিত হতে
শুরু করে ৷ বর্ণনাকারী বলেন : এ সময় আলী (রা)-কে বলা হলো : আপনি কি লক্ষ্য করছেন
না হাসান কি বলছেন ? তিনি বললেন, যে যা দেখেছে তা-ই বয়ান করছে ৷

আবু ইয়ালা সুফিয়ান হারব আল আজালী সুত্রে বর্ণনা করেন, আমি হাসান ইবন
আলী (রা)-কে বলতে শুনেছি :

আমি যে স্বপ্ন দেখেছি, তাতে আমি আর লড়াই করার মতো অবস্থানে নেই ৷ আমি আল্লাহ
পাকের আরশ দেখতে পাই এবং রাসুল করীমন্চ্ ষ্ ষ্-কে আরশ আকড়ে ধরা অবস্থায় দেখতে
পাই ৷ আর আবু বকর (রা)ষ্কে দেখতে পাই রাসুল করীমমোঃ এর কাধে হাত রেখে র্দৰত্যিয়
আছেন ৷ আর উমর (রা) দাড়িয়ে আছেনআবুবকর (রা)-এর কাধে হাত রেখে এবং উসমান
(বা) দাড়িয়ে আছেন উমর (রা)-এর কাধে হাত রেখে ৷ আর তাদের অদুরে আমি রক্ত দেখতে
পাই ৷ আমি জিজ্ঞেস করলাম, এটা কী ৷ বলা হলো উসমান (রা)-এর রক্ত, যা আল্লাহ
,তাআলারনিকট ফরিয়াদ জানাচ্ছে ৷
মুসলিম ইবন ইব্রাহীম সালাম ইবন মিসকীন যায়দ ইবন সওবান সুত্রে বর্ণনা করেন :

গ্শ্
প্রু ন্এে ৷এ

উসমান (রা) অন্যায়ভ্যবে নিহত হয়েছেন ৷ তীর হত্যকােরীদ্দের প্ৰতি আল্লাহর লানত ৷


لَكَانَ حَقِيقًا. وَهَكَذَا رَوَاهُ الْبُخَارِيُّ فِي " صَحِيحِهِ ". وَرَوَى مُحَمَّدُ بْنُ عَائِذٍ، عَنْ إِسْمَاعِيلَ بْنِ عَيَّاشٍ، عَنْ صَفْوَانَ بْنِ عَمْرٍو، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ جُبَيْرٍ قَالَ: سَمِعَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ سَلَامٍ رَجُلًا يَقُولُ لِآخَرَ: قُتِلَ عُثْمَانُ بْنُ عَفَّانَ، فَلَمْ يَنْتَطِحُ فِيهِ عَنْزَانِ. فَقَالَ ابْنُ سَلَامٍ: أَجَلْ إِنَّ الْبَقَرَ وَالْمَعْزَ لَا تَنْتَطِحُ فِي قَتْلِ الْخَلِيفَةِ، وَلَكِنْ تَنْتَطِحُ فِيهِ الرِّجَالُ بِالسِّلَاحِ، وَاللَّهِ لَيُقْتَلَنَّ بِهِ أَقْوَامٌ، إِنَّهُمْ لَفِي أَصْلَابِ آبَائِهِمْ مَا وُلِدُوا بَعْدُ. وَقَالَ لَيْثٌ عَنْ طَاوُسٍ قَالَ: قَالَ ابْنُ سَلَامٍ: يُحَكَّمُ عُثْمَانُ يَوْمَ الْقِيَامَةِ فِي الْقَاتِلِ وَالْخَاذِلِ. وَقَالَ أَبُو عَبْدِ اللَّهِ الْمَحَامِلِيُّ: ثَنَا أَبُو الْأَشْعَثِ، ثَنَا حَزْمُ بْنُ أَبِي حَزْمٍ، سَمِعْتُ أَبَا الْأَسْوَدِ يَقُولُ: سَمِعْتُ أَبَا بَكْرَةَ يَقُولُ: لَأَنْ أَخِرَّ مِنَ السَّمَاءِ إِلَى الْأَرْضِ أَحَبُّ إِلَيَّ مِنْ أَنْ أُشْرَكَ فِي دَمِ عُثْمَانَ. وَقَالَ أَبُو يَعْلَى: ثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ مُحَمَّدِ بْنِ عَرْعَرَةَ، ثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبَّادٍ الْهُنَائِيُّ، ثَنَا الْبَرَاءُ بْنُ أَبِي فَضَالَةَ، ثَنَا الْحَضْرَمِيُّ، عَنْ أَبِي مَرْيَمَ رَضِيعِ
পৃষ্ঠা - ৫৮৩৪
الْجَارُودِ قَالَ: كُنْتُ بِالْكُوفَةِ فَقَامَ الْحَسَنُ بْنُ عَلِيٍّ خَطِيبًا فَقَالَ: أَيُّهَا النَّاسُ، رَأَيْتُ الْبَارِحَةَ فِي مَنَامِي عَجَبًا ; رَأَيْتُ الرَّبَّ تَبَارَكَ وَتَعَالَى فَوْقَ عَرْشِهِ، فَجَاءَ رَسُولُ اللَّهِ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، حَتَّى قَامَ عِنْدَ قَائِمَةٍ مِنْ قَوَائِمِ الْعَرْشِ، فَجَاءَ أَبُو بَكْرٍ فَوَضَعَ يَدَهُ عَلَى مَنْكِبِ النَّبِيِّ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، ثُمَّ جَاءَ عُمَرُ فَوَضَعَ يَدَهُ عَلَى مَنْكِبِ أَبِي بَكْرٍ، ثُمَّ جَاءَ عُثْمَانُ فَكَانَ نُبْذَةً، فَقَالَ: رَبِّ سَلْ عِبَادَكَ فِيمَ قَتَلُونِي؟ فَانْبَعَثَ مِنَ السَّمَاءِ مِيزَابَانِ مِنْ دَمٍ فِي الْأَرْضِ. قَالَ: فَقِيلَ لِعَلِيٍّ: أَلَا تَرَى مَا يُحَدِّثُ بِهِ الْحَسَنُ؟ فَقَالَ: حَدَّثَ بِمَا رَأَى. وَرَوَاهُ أَبُو يَعْلَى أَيْضًا، عَنْ سُفْيَانَ بْنِ وَكِيعٍ، عَنْ جُمَيْعِ بْنِ عُمَرَ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ مُجَالِدٍ، عَنْ طُحْرُبٍ الْعِجْلِيِّ: سَمِعْتُ الْحَسَنَ بْنَ عَلِيٍّ يَقُولُ: مَا كُنْتُ لِأُقَاتِلَ بَعْدَ رُؤْيَا رَأَيْتُهَا ; رَأَيْتُ الْعَرْشَ، وَرَأَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، مُتَعَلِّقًا بِالْعَرْشِ، وَرَأَيْتُ أَبَا بَكْرٍ وَاضِعًا يَدَهُ عَلَى مَنْكِبِ رَسُولِ اللَّهِ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَكَانَ عُمَرُ وَاضِعًا يَدَهُ عَلَى مَنْكِبِ أَبِي بَكْرٍ، وَرَأَيْتُ عُثْمَانَ وَاضِعًا يَدَهُ عَلَى مَنْكِبِ
পৃষ্ঠা - ৫৮৩৫


উসমান (রা) যেদিন নিহত হয়েছেন, সেকাি থেকে তম্ভেরে ঘৃণাবিদ্বেষের জন্ম হয়েছে যে
সত্তার হাতে আমার জীবন, তার শপথ, কিয়ামতের দিন পর্যন্ত অত্তরগুলোতে আর জোড়া
লাগবে না ৷

মুহাম্মদ ইবন শীরীন বর্ণনা করেন যে, আয়িশ৷ (রা) বলেছেন : পাত্রের মতো তোমরা
তাকে চুষে নেয়ার পর হত্যা করেছ ৷ খলীফা ইবন খাইয়াত আবু কুতায়রা আয়িশা
(রা)-এর বরাতে বলেন, তিনি বলেছেন :
া১৷ ণ্ধু৷ মোঃ


তোমাদের জন্য চাবুকের কারণেই আমি ক্রুদ্ধ হয়ে যাই আর উসমান (রা) এর জন্য আমি

তরবারির কারণে ক্ষিপ্ত হতাশা তোমরা তার সন্তুষ্টি প্রত্যাশা করেছিলে, শেষ পর্যন্ত তোমরা
তাকে স্বচ্ছ সন্তানের মতো বর্জন করে হত্যা করলে ৷

আবু মু আবিয়া আ মাশ মাসরুক সুত্রে বর্ণনা করেন যে, উসমান (রা) নিহত হলে
আয়িশা (রা) বলেন :

তোমরা তাকে ময়লামুক্তস্বচ্ছ বদ্রের মতো ছাড়লে, তারপর তোমরা তাকে হত্যা করলে ৷
অন্য এক বর্ণনা মতে তিনি বলেন : তোমরা তাকে নিকটবর্তী করেছিলে ৷ তারপর তাকে

ভৈড়ার মত জবাই করলে ৷ তখন মাসরুক তাকে বলেন, এটা তো আপনার কাজ ৷ আপনি
লোকদের নিকট পত্র লিখেছেন যাতে তারা তার কাছে আসে ৷ ’ তখন আয়িশা (রা) প্রতিবাদ
করে বলেন :
০এপ্রুগ্রা এেগ্রা১ ¥

না, তা ঠিক নয়, যে সত্তার প্রতি মু’মিনরা ঈমান আসে, এবং কাফিররা কুফরী করে, তার
শপথ ! আমি এ স্থানে উপবেশন করা পর্যন্ত তাদের প্ৰতি সাদা কাগজে কালো কিছুই লিপিবদ্ধ
করিনি ৷ আমাশ বলেন, ঐতিহাসিকদের মতে আয়িশা (রা)-এর দ্দৌত অন্যরা এ পত্র
লিখেছে ৷ আয়িশা (রা)-এর প্ৰতি এ বর্ণনার সনদ বিশুদ্ধ ৷ এ বর্ণনা এবং এ ধরনের অন্যান্য
বর্ণনায় স্পষ্ট প্রমাণ পাওয়া যায় যে, বাি দ্রাহীরা সাহাবীগণের জবানীতে দিকে দিকে জালপত্র
প্রেরণ করেছে ৷ আল্লাহ্ ড়াদের মুখমণ্ডল মলিন করুন ৷ এ সব পত্রে তারা উসমান (রা) এর
বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে জনগণকে , ক্ষিপ্ত ও প্ররােচিত করে তৃলেছিল ৷ ইতিপুর্বে এ সম্পর্কে আমরা
আলোচনা কারছি ৷ সমস্ত প্রশংসা আর যাবতীয় স্তর-ন্তুতি মহান আল্লাহ্রই ৷

আবু দাউদ তায়ান্সিসী হায্ম আল-কাতঈ তালুক ইবন হাসান সুত্রে বর্ণনা করেন,
উসমান (রা) নিহত হলে আমরা দলে দলে বিভক্ত হয়ে নবী করীমলোঃ এর সাহাষীগণের
নিকট তার হত্যা বিষয়ে জিজ্ঞাসা করলে আয়িশা (রা) কে বলতে শুনেছিঙ্ক



عُمَرَ، وَرَأَيْتُ دَمًا دُونَهُمْ فَقُلْتُ: مَا هَذَا؟ فَقِيلَ: هَذَا دَمُ عُثْمَانَ يَطْلُبُ اللَّهَ بِهِ. وَقَالَ مُسْلِمُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ: ثَنَا سَلَّامُ بْنُ مِسْكِينٍ، عَنْ وَهْبِ بْنِ شَبِيبٍ، عَنْ زَيْدِ بْنِ صُوحَانَ أَنَّهُ قَالَ يَوْمَ قُتِلَ عُثْمَانُ: نَفَرَتِ الْقُلُوبُ مَنَافِرَهَا، وَالَّذِي نَفْسِي بِيَدِهِ، لَا تَتَآلَفُ إِلَى يَوْمِ الْقِيَامَةِ. وَقَالَ مُحَمَّدُ بْنُ سِيرِينَ: قَالَتْ عَائِشَةُ: مُصْتُمُوهُ مَوْصَ الْإِنَاءِ ثُمَّ قَتَلْتُمُوهُ. وَقَالَ خَلِيفَةُ بْنُ خَيَّاطٍ: ثَنَا أَبُو قُتَيْبَةَ، ثَنَا يُونُسُ بْنُ أَبِي إِسْحَاقَ، عَنْ عَوْنِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُتْبَةَ: قَالَ: قَالَتْ عَائِشَةُ: غَضِبْتُ لَكُمْ مِنَ السَّوْطِ وَلَا أَغْضَبُ لِعُثْمَانَ مِنَ السَّيْفِ! اسْتَعْتَبْتُمُوهُ حَتَّى إِذَا تَرَكْتُمُوهُ كَالْقَلْبِ الْمُصَفَّى قَتَلْتُمُوهُ. وَقَالَ أَبُو مُعَاوِيَةَ، عَنِ الْأَعْمَشِ، عَنْ خَيْثَمَةَ، عَنْ مَسْرُوقٍ قَالَ: قَالَتْ عَائِشَةُ حِينَ قُتِلَ عُثْمَانُ: تَرَكْتُمُوهُ كَالثَّوْبِ النَّقِيِّ مِنَ الدَّنَسِ ثُمَّ قَتَلْتُمُوهُ. وَفِي
পৃষ্ঠা - ৫৮৩৬
رِوَايَةٍ: ثُمَّ قَرَّبْتُمُوهُ فَذَبَحْتُمُوهُ كَمَا يُذْبَحُ الْكَبْشُ. فَقَالَ لَهَا مَسْرُوقٌ: هَذَا عَمَلُكِ، أَنْتِ كَتَبْتِ إِلَى النَّاسِ تَأْمُرِينَهُمْ أَنْ يَخْرُجُوا إِلَيْهِ. فَقَالَتْ: لَا وَالَّذِي آمَنَ بِهِ الْمُؤْمِنُونَ، وَكَفَرَ بِهِ الْكَافِرُونَ، مَا كَتَبْتُ إِلَيْهِمْ سَوْدَاءَ فِي بَيْضَاءَ حَتَّى جَلَسْتُ مَجْلِسِي هَذَا. قَالَ الْأَعْمَشُ: فَكَانُوا يَرَوْنَ أَنَّهُ كُتِبَ عَلَى لِسَانِهَا. وَهَذَا إِسْنَادٌ صَحِيحٌ إِلَيْهَا. وَفِي هَذَا وَأَمْثَالِهِ دَلَالَةٌ ظَاهِرَةٌ عَلَى أَنَّ هَؤُلَاءِ الْخَوَارِجَ، قَبَّحَهُمُ اللَّهُ، زَوَّرُوا كُتُبًا عَلَى لِسَانِ الصَّحَابَةِ إِلَى الْآفَاقِ، يُحَرِّضُونَهُمْ عَلَى قِتَالِ عُثْمَانَ، كَمَا قَدَّمْنَا بَيَانَهُ. وَلِلَّهِ الْحَمْدُ وَالْمِنَّةُ. وَقَالَ أَبُو دَاوُدَ الطَّيَالِسِيُّ: حَدَّثَنَا حَزْمٌ الْقُطَعِيُّ، ثَنَا أَبُو الْأَسْوَدِ بْنُ سَوَادَةَ، أَخْبَرَنِي طَلْقُ بْنُ خُشَّافٍ. قَالَ: قُتِلَ عُثْمَانُ فَتَفَرَّقْنَا فِي أَصْحَابِ مُحَمَّدٍ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، نَسْأَلُهُمْ عَنْ قَتْلِهِ، فَسَمِعْتُ عَائِشَةَ تَقُولُ: قُتِلَ مَظْلُومًا لَعَنَ اللَّهُ قَتَلَتَهُ. وَرَوَى مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ الْأَنْصَارِيُّ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ ثُمَامَةَ، عَنْ أَنَسٍ قَالَ: قَالَتْ أُمُّ سُلَيْمٍ لَمَّا سَمِعَتْ بِقَتْلِ عُثْمَانَ: رَحِمَهُ اللَّهُ، أَمَا إِنَّهُمْ لَنْ