আল বিদায়া ওয়া আন্নিহায়া

ثم دخلت سنة خمس وثلاثين

مدة حصاره رضي الله عنه

পৃষ্ঠা - ৫৮১৭


তারপর সাদ বলেন : হে আল্লাহ! তুমি তাদেরকে লাঞ্ছিত কর এবং তাদেরকে পাকড়াও
কর, ৷ অতীত পণ্ডিত মনীষীদের মধ্যে কেউ কেউ আল্লাহর নামে শপথ করে বলেন যে, উসমান
(রা)-এর হত্যাকারীদের মধ্যে কারো স্বাভাবিক মৃত্যু হয়নি, সবলেকেই ঘাতকের হাতে জীবন
দিতে হয়েছে ৷ এ মন্তব্য ঐতিহাসিক ইবনৃ জারীর তাবাৰীর ৷

কতিপয় কারণে এমন হতে পারে ৷ তার মধ্যে একটা হলো : সাদ ইবনৃ আবু ওয়াক্কড়াস
-এর দুআ আল্লাহর দরবারে মকুবল হলো ৷ বিশুদ্ধ হাদীস দ্বারা এটা প্রমাণিত ৷ ঐতিহাসিকদের
কারো কারো মন্তব্য এই যে, কোন হত্যাকারী পাগল-মাতাল না হয়ে মারা যায়নি ৷ ঐতিহাসিক
ওয়াকিদী আব্দুর রহমান ইবনৃ আবুয যিনাদ সুত্রে আব্দুর রহমান ইবনুল হারিসের বরাতে বলেনঃ
উসমান (রা) এর হন্তা ছিল কিনানা ইবনৃ বিশৃর ইবনৃ ইতাব তুব্জীবী ৷ আর মনসুর ইবন
সাইয়্যার ফিযারীর শ্রী বলতেন৪ আমরা হকৃজ্জর উদ্দেশ্যে বের হই, তখনো উসমান (রা) এর
হত্যা সম্পর্কে আমরা কিইে জানতাম না মারজ’১ নামক স্থানে পৌছে আমরা জনৈক ব্যক্তিকে
রর্ণিউকালে গান গাইতে শুনি :

হুষ্ট্র১!ট্র শ্বা
জেনে রাখবে, তিন জনের পরে যিনি ছিলেন সর্বোত্তম ব্যক্তি
মিসর থেকে আগত তৃব্জীবীর হাতে নিহত হয়েছেন তিনি ৷

হজ্জ থেকে প্রত্যাবর্তন শেষে লোকেরা জানতে পারে যে, উসমান (রা) নিহত হয়েছেন এবং
লোকেরা আলী ইবন আবুত তালিবের হাতে ৩বায়য়াত করেছেন ৷ উম্মাহাতৃল মুমিনীনরা পথিমধ্যে
খবর পান যে, উসামান (বা) নিহত হয়েছেন, তারা মক্কায় ফিরে এসে প্রায় চার মাস সেখানে
অবস্থান করেন ৷ এ বিষয়ে পরে আলোচনা হবে ৷

অবরুদ্ধ জীবন, বয়স ও দাফন প্রসঙ্গ

প্রসিদ্ধ উক্তি অনুযায়ী উসমান (রা)-এর গৃহে অবরুদ্ধ জীবনের মেয়াদ ছিল চল্লিশ দিন ৷
আরো কারো মতে চল্লিশ দিনের কিছু বেশি ৷ ইমাম শাবীর মতে তিনি ২২ রাত্রি অবরুদ্ধ
ছিলেন ৷ শুক্রবারে তিনি নিহত হয়েছেন-এ ব্যাপারে কারো দ্বিমত নেই ৷ লাইফ ইবনৃ উমর তার
মাশইিখের উদ্ধৃতি দিয়ে বলেন, শুত্রষ্ব্ড়ার দিনের শেষে তিনি নিহত হন ৷ মুসৃআবৃ ইবনৃ যুবাইর
এবং অন্যান্য এজন্য সুস্পষ্ট প্রমাণও উপস্থাপন করেছেন ৷ অন্যরা বলেন, এ দিন চাশতের সময়
তিনি নিহত হয়েছেন ৷ আর এ মতই বেশি সামঞ্জস্যপুর্ণ ৷ আর প্রসিদ্ধ উক্তি মতে এটা ছিল
যিলহজ্জ মাসের ১৮ তারিখের ঘটনা ৷ আবার কাংরা কারো মতে, এটা ঘটে আইয়্যামে
তাশরীকে ৷ ইবনৃ জারীর তাবারী আহমদ ইবনৃ যুহাইর আবু খায়সামা ওয়াহাব ইবনৃ
জারীর২ এর বরাতে বলেন, আমি ইউনুসকে ইয়াযীদ সুত্রে যুহ্রীর বরাতে বলতে শুনেছিণ্ব্ল
উসমান (বা) নিহত হয়েছেন কারো কারো মতে, আইয়্যামে তাশরীকে ৷ আবার কারো কারো



১ তাবারীতে এ স্থলে ৰুপ্রু-এর পরিবর্তে €, উল্লেখ আছে ৷ এটা মক্কা-মদীনার মধ্যস্থুলে হাঙ্গীদেৱ পথে
একটা উপত্যকার নাম (মু জামুল বুলদান) ৷
২ ইমাম তাবারী তার বর্ণনায় আমার পিতাকে বসতে শ্যুনছি এটুকু অতিরিক্ত যোগ করেন ৷


الْحَدِيثِ الصَّحِيحِ. وَقَالَ بَعْضُهُمْ: مَا مَاتَ أَحَدٌ مِنْهُمْ حَتَّى جُنَّ. وَقَالَ الْوَاقِدِيُّ: حَدَّثَنِي عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ أَبِي الزِّنَادِ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ الْحَارِثِ، قَالَ: الَّذِي قَتَلَ عُثْمَانَ كِنَانَةُ بْنُ بِشْرِ بْنِ عَتَّابٍ التُّجِيبِيُّ، وَكَانَتِ امْرَأَةُ مَنْظُورِ بْنِ سَيَّارٍ الْفَزَارِيِّ تَقُولُ: خَرَجْنَا إِلَى الْحَجِّ وَمَا عَلِمْنَا لِعُثْمَانَ بِقَتْلٍ، حَتَّى إِذَا كُنَّا بِالْعَرْجِ سَمِعْنَا رَجُلًا يُغَنِّي تَحْتَ اللَّيْلِ: أَلَا إِنَّ خَيْرَ النَّاسِ بَعْدَ ثَلَاثَةٍ ... قَتِيلُ التُّجِيبِيِّ الَّذِي جَاءَ مِنْ مِصْرِ وَلَمَّا رَجَعَ الْحَجِيجُ وَجَدُوا عُثْمَانَ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، قَدْ قُتِلَ وَبَايَعَ النَّاسُ عَلِيَّ بْنَ أَبِي طَالِبٍ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ. وَلَمَّا بَلَغَ أُمَّهَاتِ الْمُؤْمِنِينَ فِي أَثْنَاءِ الطَّرِيقِ أَنَّ عُثْمَانَ قَدْ قُتِلَ، رَجَعْنَ إِلَى مَكَّةَ، فَأَقَمْنَ بِهَا نَحْوًا مِنْ أَرْبَعَةِ أَشْهُرٍ كَمَا سَيَأْتِي. [مُدَّةُ حِصَارِهِ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ] فَصْلٌ (مُدَّةُ حِصَارِهِ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ) كَانَتْ مُدَّةُ حَصْرِ عُثْمَانَ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، فِي دَارِهِ أَرْبَعِينَ يَوْمًا عَلَى
পৃষ্ঠা - ৫৮১৮
الْمَشْهُورِ. وَقِيلَ: كَانَتْ بِضْعًا وَأَرْبَعِينَ يَوْمًا. وَقَالَ الشَّعْبِيُّ: كَانَتْ ثِنْتَيْنِ وَعِشْرِينَ لَيْلَةً. ثُمَّ كَانَ قَتْلُهُ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، فِي يَوْمِ الْجُمُعَةِ بِلَا خِلَافٍ. قَالَ سَيْفُ بْنُ عُمَرَ عَنْ مَشَايِخِهِ: فِي آخِرِ سَاعَةٍ مِنْهَا. وَنَصَّ عَلَيْهِ مُصْعَبٌ الزُّبَيْرِيُّ وَآخَرُونَ. وَقَالَ آخَرُونَ: ضَحْوَةً. وَهَذَا أَشْبَهُ. وَكَانَ ذَلِكَ لِثَمَانِيَ عَشْرَةَ لَيْلَةً خَلَتْ مِنْ ذِي الْحِجَّةِ عَلَى الْمَشْهُورِ. وَقِيلَ: فِي أَيَّامِ التَّشْرِيقِ. رَوَاهُ ابْنُ جَرِيرٍ: حَدَّثَنِي أَحْمَدُ بْنُ زُهَيْرٍ، ثَنَا أَبُو خَيْثَمَةَ، ثَنَا وَهْبُ بْنُ جَرِيرٍ قَالَ: سَمِعْتُ أَبِي قَالَ: سَمِعْتُ يُونُسَ بْنَ يَزِيدَ، عَنِ الزُّهْرِيِّ قَالَ: قُتِلَ عُثْمَانُ فَزَعَمَ بَعْضُ النَّاسِ أَنَّهُ قُتِلَ فِي أَيَّامِ التَّشْرِيقِ - وَرَوَاهُ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ أَحْمَدَ، عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ مُعَاذٍ، عَنْ مُعْتَمِرِ بْنِ سُلَيْمَانَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَبِي عُثْمَانَ قَالَ: قُتِلَ عُثْمَانُ فِي أَوْسَطِ أَيَّامِ التَّشْرِيقِ - وَقَالَ بَعْضُهُمْ: قُتِلَ يَوْمَ الْجُمْعَةِ لِثَمَانِيَ عَشْرَةَ لَيْلَةً خَلَتْ مِنْ ذِي الْحِجَّةِ. وَقِيلَ: قُتِلَ يَوْمَ النَّحْرِ. حَكَاهُ
পৃষ্ঠা - ৫৮১৯


মতে, ৩রা যিলহজ্জ ক্রোার তিনি নিহত হয়েছেন ৷ আবার কারো কারো মতে, ইয়াওমুন নাহ্র
তথা কুরবানীর রুিৰ্ তিনি নিহত হন ৷ ঐতিহাসিক ইবন আসাকির এ বর্ণনা করে নিচের কবিতা
দ্বারা তার প্রমাণ উপস্থাপন করেন

া; ৷ ৷দ্বু১১

তারা চাশতের সময় হত্যা করেছে সাদা-কালো চুলের অধিকারী ব্যক্তিকে, যার কপালে
ছিল সাজদার চিহ্ন, যিনি দিনরাত অতিবাহিত করতেন৩ তাসৃবীহ পাঠ আর কুরআন মজীদ
তিলাওয়াতে ৷ ,

তবে তাবারীর মতে প্রথমােক্ত মতটি প্রসিদ্ধ ৷ আবার কারো কারো মতে ৩৫ হিজরীর ১৮
যিলহজ্জ শুক্রবার তিনি নিহত হন ৷এ উক্তি বিশুদ্ধ ও প্রসিদ্ধ ৷ জ্যিমতে ৩৬ হিজরীতে তিনি
নিহত হন ৷ অবশ্য মুসৃআব ইবন যুবইির এবং একটা দল এ উজ্যিক যরীফ তথা অপরিচিত
বলে উল্লেখ করেছেন ৷ ফলে তার খিলাফতের মুদ্দত ছিল ১২ দিন কম ১২ বৎসর ৷ ২ কারণ ২৪
হিজরী সালে মুহররম মাসের সুচনায় তার হাতে বায়য়াত করা হয় ৷

আর তীর বয়স ৮২ বছর অতিক্রম করে ৷ সালিহ ইবন কায়সান বলেন : ৮২ বছর কয়েক
মাস বয়সে র্তার ওফাত হয় ৷ কারো কারো মতে ৮৪ বছর বয়সে ৷ আর কাতাদা বলেন :
ওফাতকালে তার বয়স হয়েছিল ৮৮ বা ৯০ বছর ৷ তার অপর এক বর্ণনামতে ৮৬ বছর বয়সে
তার যেতে হয় ৷ ইিশাম ইবনুল কালবী সুত্রে বর্ণিত : তিনি ৭৫ বছর বয়সে ওফাত পান ৷ তবে
এ উক্তি অতিমাত্রায় গরীব তথা অপরিচিত ৷ আর এর চাইতেও পরীব হলো মাশইিখ সুত্রে বর্ণিত
সাইফ ইবনৃন্ন্ ৩মরের উক্তি ৷ আর তারা হলেন মুহাম্মদ, তালহা, আবু উসমান এবং আবুহারি;সা ৷
এরা বলেন : উসমান (বা) ৬৩ বছর বয়সে নিহত হন ৷

অবশ্য তার কবরের স্থানের ব্যাপারে কোন মতবিরোধ নেই যে, জান্নাতুল বাকী’র পুর্ব
প্রান্তে হাশৃ কাওকাব’ নামক স্থানে তাকে দাফন করা হয়েছে ৷ বনু উমইিয়্যাদের শাসনামলে
র্তার কবরে একটা বিরাট স্মৃতিসৌধ নির্মাণ করা হয়েছে যা এখনো (গ্রন্থকারের যুগ পর্যন্ত)
বর্তমান আছে ৷ ইমাম মালিক (বা) বলেন৪ আমি জানতে পেয়েছি উসমান (রা) হাশৃ
কাওকাব এ কবর স্থান দিয়ে গমনকালে একদা বলেছিলেন একজন নেককার ব্যক্তিকে এ স্থানে
দাফন করা হবে ৷

ইবনৃ জারীর তাবারী উল্লেখ করেছেন নিহত হওয়ার পর উসমান (রা)-এর লাশ তিনদিন
দাফন-কাফন হীন অবস্থায় পড়ে থাকে ৷ আমি বলি, আলী (রা)-এর বায়আতেৱ ব্যাপারে ব্যস্ত
থাকায় লোকেরা তীর দিকে মনোযোগ দিতে পারেনি ৷ বায়আতের কাজ সম্পন্ন হলে তবে যে
দিকে মনোযোগ দেয় ৷ কারো কারো মতে, দুরাত পড়ে থাকে, আবার অন্যদের মতে সে



১ তাবারীতে ১৮ তারিখ রাত্রের উল্লেখ আছে ৷ আর ইবনুল আ নাম বলেন : ১৮ যিনহজ্জ নিহত হন
(২২৪ ১) ৷ মরজুয্ যাহাৰে আছে৪ যিলহন্ধের তিনদিন বাকি থাকতে জুমআর রাত্রে তিনি নিহত হন
(২৩৮ ২) ৷

২ মুরুজুয যাহাৰে আছে : ১৮ দিন কম ১২ বৎসর (২৩৬৬) ৷ ইবনুদ আসাম বলেন : ১১ বৎসর ১১ মাস ১৮
দিনের মাথায় তিনি নিহত হন ৷ পক্ষান্তরে ইবন আব্দুল ৰাব ওয়াকিদীর সুত্রে উল্পে!৷ করেন যে, ৩৫ হিজরীর
৮ যিলহজ্জ্ব জুমআর দিন তিনি নিহত হন ৷ এ দিনটি ছিল তাসবিয়ার দিন ৷ ওয়াকিদী সুত্রে এটাও বর্ণিত অহে
যে, যিলহস্যে ২ দিন বাকি থাকতে তিনি নিহত হন (আল-ইসাবাব হাশিয়৷ (৩৭৬ ৭ ৭ পৃষ্ঠা)


ابْنُ عَسَاكِرَ. وَيُسْتَشْهَدُ لَهُ بِقَوْلِ الشَّاعِرِ: ضَحَّوْا بَأَشْمَطَ عُنْوَانُ السُّجُودِ بِهِ ... يُقَطِّعُ اللَّيْلَ تَسْبِيحًا وَقُرْآنَا قُلْتُ: وَالْأَوَّلُ هُوَ الْأَشْهَرُ. وَهُوَ أَنَّهُ قُتِلَ يَوْمَ الْجُمُعَةِ لِثَمَانِ عَشْرَةَ لَيْلَةً خَلَتْ مِنْ ذِي الْحِجَّةِ سَنَةَ خَمْسٍ وَثَلَاثِينَ، عَلَى الصَّحِيحِ الْمَشْهُورِ. وَقِيلَ: سَنَةَ سِتٍّ وَثَلَاثِينَ. قَالَهُ مُصْعَبٌ الزُّبَيْرِيُّ وَطَائِفَةٌ. وَهُوَ غَرِيبٌ. فَكَانَتْ خِلَافَتُهُ ثِنْتَيْ عَشْرَةَ سَنَةً إِلَّا اثْنَيْ عَشَرَ يَوْمًا ; لِأَنَّهُ بُويِعَ لَهُ فِي مُسْتَهَلِّ الْمُحَرَّمِ سَنَةَ أَرْبَعٍ وَعِشْرِينَ. فَأَمَّا عُمُرُهُ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، فَإِنَّهُ جَاوَزَ الثَّمَانِينَ عَلَى الْمَشْهُورِ. فَقِيلَ: إِحْدَى وَثَمَانِينَ سَنَةً. وَقَالَ الْوَاقِدِيُّ وَغَيْرُ وَاحِدٍ: تُوُفِّيَ عَنْ ثِنْتَيْنِ وَثَمَانِينَ سَنَةً. وَقَالَ صَالِحُ بْنُ كَيْسَانَ: وَأَشْهُرٍ. وَقِيلَ: أَرْبَعٌ وَثَمَانِينَ سَنَةً. وَقَالَ
পৃষ্ঠা - ৫৮২০
أَحْمَدُ، عَنْ حَسَنِ بْنِ مُوسَى، حَدَّثَنَا أَبُو هِلَالٍ، عَنْ قَتَادَةَ: تُوُفِّيَ عُثْمَانُ عَنْ ثَمَانٍ وَثَمَانِينَ أَوْ تِسْعِينَ سَنَةً. وَفِي رِوَايَةٍ عَنْهُ: تُوُفِّيَ عَنْ سِتٍّ وَثَمَانِينَ سَنَةً. وَعَنْ هِشَامِ بْنِ الْكَلْبِيِّ: تُوُفِّيَ عَنْ خَمْسٍ وَسَبْعِينَ سَنَةً. وَهَذَا غَرِيبٌ جِدًّا. وَأَغْرَبُ مِنْهُ مَا رَوَاهُ سَيْفُ بْنُ عُمَرَ عَنْ مَشَايِخِهِ ; وَهُمْ مُحَمَّدٌ وَطَلْحَةُ وَأَبُو عُثْمَانَ وَأَبُو حَارِثَةَ أَنَّهُمْ قَالُوا: قُتِلَ عُثْمَانُ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ عَنْ ثَلَاثٍ وَسِتِّينَ سَنَةً. وَأَمَّا مَوْضِعُ قَبْرِهِ فَلَا خِلَافَ أَنَّهُ دُفِنَ بِحَشِّ كَوْكَبٍ - شَرْقِيَّ الْبَقِيعِ - وَقَدْ بُنِيَ عَلَيْهِ زَمَانَ بَنِي أُمَيَّةَ قُبَّةٌ عَظِيمَةٌ وَهِيَ بَاقِيَةٌ إِلَى الْيَوْمِ. قَالَ الْإِمَامُ مَالِكٌ: بَلَغَنِي أَنَّ عُثْمَانَ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، كَانَ يَمُرُّ بِمَكَانِ قَبْرِهِ مِنْ حَشِّ كَوْكَبٍ فَيَقُولُ: إِنَّهُ سَيُدْفَنُ هَاهُنَا رَجُلٌ صَالِحٌ . وَقَدْ ذَكَرَ ابْنُ جَرِيرٍ أَنَّ عُثْمَانَ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، بَقِيَ بَعْدَ أَنْ قُتِلَ ثَلَاثَةَ أَيَّامٍ لَا يُدْفَنُ. قُلْتُ: وَكَأَنَّهُ اشْتَغَلَ النَّاسُ عَنْهُ بِمُبَايَعَةِ عَلِيٍّ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ حَتَّى تَمَّتْ. وَقِيلَ: إِنَّهُ مَكَثَ لَيْلَتَيْنِ. وَقِيلَ: بَلْ دُفِنَ مِنْ لَيْلَتِهِ. ثُمَّ كَانَ دَفْنُهُ مَا بَيْنَ الْمَغْرِبِ وَالْعَشَاءِ خِيفَةً مِنَ الْخَوَارِجِ. وَقِيلَ: بَلِ اسْتُؤْذِنَ فِي ذَلِكَ بَعْضُ رُؤَسَائِهِمْ.
পৃষ্ঠা - ৫৮২১


রাতেই তাকে দাফন করা হয় ৷ বিদ্রোহীদের ভয়ে গোপনে মাগরিব এবং এশার মধ্যবর্তী সময়ে

তাকে দাফন করা হয় ৷ আবার কারো কারো মতে, এ ব্যাপারে বড় বড় সাহাবীর সঙ্গে পরামর্শ
করে অনুমতি নেয়া হয় ৷ সাহাবীগণের একটা ক্ষুদ্র দল তার লাশ নিয়ে গমন করেন১, র্তাদের
মধ্যে ছিলেন হাকীম ইবন হিসাম, হয়ইিতিব ইবন আব্দুল উঘৃযা, আবুল জাহাম ইবন্ হলাইফা,
নিয়ার ইবন মাকরাম আসলামী, যুবাইর ইবন মুতইম, যইিদ ইবন সাধিত, কাব ইবন মালিক,
তালহা ও যুবাইর, আলী ইবন আবুতালিব, তার সঙ্গীদের মধ্যে কিছু লোক এবং কয়েকজন
নারী, যাদের মধ্যে ছিলেন তার দুজন শ্রী নাইলা এবং উম্মুল বানীন বিনত উত্বা ইবন হাসীন
এবং দুজন শিশু ৷ এটাই ওয়াকিদী এবং সইিফ ইবন উমর তামীমীর উক্তির সারবস্তু ৷ এছাড়া
তার খাদিম-সেবকংদর একটা দল পােসল-কাফানর পর তার মৃতদেহ গৃহের দরজা পর্যন্ত বহন
করে আগে ৷ কারো কারো মতে তাকে গোসল এবং কাফন পরানাে হয়নি ৷ তবে প্ৰথমােক্ত
মতটি বিশুদ্ধ ৷ যুবাইর ইবন মুত্ইম তার জানাযার ইমামতি করেন ৷

বেস্ট কেউ বলেন, যুবাইর ইবনুল আওয়াম আবার কারো মতে হার্কীম ইবন হিসাম, বা
মারওয়ান ইবনুল হাকাম এবং আিমতে মিসওয়ার ইবন মাখৃরামা তার জানাযার নামাষে
ইমামতি করেন ৷ কোন কোন খারিব্জী তার লাশ দাফনের বিরোধিতা করে লাশে প্রস্তর নিক্ষেপ
করে খাটিয়া থেকে ফেলে দিতে চায় ৷ তারা ইহুদীদের কবরস্থান দীর-ই মালা’-এ র্তার লাশ
দাফন করতে দৃঢ় সংকর ছিল ৷ অবশেষে তাদের নিকট আলী (রা)-কে প্রেরণ করলে তিনি
তাদেরকে এ কাজ করতে ধারণ করেন ৷ হাতীমে ইবন হিসাম, মারওয়ান ইবনুল হাকাম,
মিসওয়ার ইবন মাখরামা, আবুজাহাম ইবন হুযাইফা, নিয়ার ইবন মাকরাম এবং জুবাইর ইবন
মুজীম প্রমুখ তার লাশ বহন করেন ৷ প্

ওয়াকিদী উল্লেখ করেন যে, জানাযার স্থলে নামাযের জন্য লাশ রাখা হলে কতিপয়
আনসার বাধা দিতে চাইলে আবুজাহাম ইবন হুলাইফা বলেন, লাশ দাফন করতে দাও, কারণ,
আল্লাহর হুকুমে তার ফেরেশতারা তার জন্য জানাযার নামায পড়েছেন ৷ এরপর তারা বলে,
জান্নাতুল বাকীতে তার লাশ দাফন করা যাবে না; বরং দেয়ালের বাইরে তার লাশ দাফন কর ৷
তইি বাকী-এর পুর্বদিকে খেজুর গাছের নিচে তার লাশ দাফন করা হয়৷

ওয়াকিদী উল্লেখ করেন যে, উসমান (রা)-এর লাশ জানাযার নামায পড়ার জন্য খাটিয়ায়
, রাখা হলে উমইির ইবন যাবী তার লাশের উপর হামলা চালায় এবং তার পাজরের একটি হাড়
ভেঙ্গে ফেলে ৷ যাবীকে অটিক করা হয় এবং কারাগারে তার মৃত্যু হয় ৷ পরবর্তীকালে হাজ্জাজ
ইবন ইউসুফ এই উমাইর ইবন যাবীকে হত্যা করে ৷ আর ইমাম বুখারী তার ইতিহাস গ্রন্থে মুসা
,ইবর্বৃ ইসমাঈল মুহাষ্মদ ইবন সীরীন সুতে উল্লেখ করেন যে, আমি কা বা শরীফ তাওয়াফ
করছিস্াম, এমন সময় এক ব্যক্তি বলছিপ্সং

ব্লুণ্৷ ৷

১ তাবাকাতে ইবন সালে এ হয়ে ১৬ জনের কথা উল্লেখ করা হয়েছে ৷ পক্ষাস্তরে ঐতিহাসিক ওয়াকিদী বলেন,
৪ ব্যক্তি তার দাশ বহন করেন; জুবাইর ইবন মুতইম, হার্কীম ইবন হিযাম, আবু হুযাইফ৷ ইবন হুলাইফা
এবং নিয়ার ইবন মাকৰাম এবং জুবইির তার জানাযার নামায পড়ান ৷ ইবন সাদ বলেন, এটাই অধিক
প্ৰমাণসিদ্ধ মত ৷




فَخَرَجُوا بِهِ فِي نَفَرٍ قَلِيلٍ مِنَ الصَّحَابَةِ ; مِنْهُمْ حَكِيمُ بْنُ حِزَامٍ، وَحُوَيْطِبُ بْنُ عَبْدِ الْعُزَّى، وَأَبُو الْجَهْمِ بْنُ حُذَيْفَةَ، وَنِيَارُ بْنُ مُكْرَمٍ الْأَسْلَمِيُّ، وَجَبَيْرُ بْنُ مُطْعِمٍ، وَزَيْدُ بْنُ ثَابِتٍ، وَكَعْبُ بْنُ مَالِكٍ، وَطَلْحَةُ، وَالزُّبَيْرُ، وَعَلِيُّ بْنُ أَبِي طَالِبٍ، وَجَمَاعَةٌ مِنْ أَصْحَابِهِ وَنِسَائِهِ ; مِنْهُنَّ امْرَأَتَاهُ نَائِلَةُ وَأُمُّ الْبَنِينَ بِنْتُ عُيَيْنَةَ بْنِ حِصْنٍ، وَصِبْيَانٌ. وَهَذَا مَجْمُوعٌ مِنْ كَلَامِ الْوَاقِدِيِّ وَسَيْفِ بْنِ عُمَرَ التَّمِيمِيِّ. قَالَ أَحْمَدُ: ثَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، عَنْ مَعْمَرٍ، عَنْ قَتَادَةَ قَالَ: صَلَّى الزُّبَيْرُ عَلَى عُثْمَانَ وَدَفَنَهُ وَكَانَ أَوْصَى إِلَيْهِ. وَرَوَى عَبْدُ اللَّهِ مِنْ طَرِيقِ إِبْرَاهِيمَ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ فَرُّوخَ، عَنْ أَبِيهِ: شَهِدْتُ عُثْمَانَ دُفِنَ فِي ثِيَابِهِ بِدِمَائِهِ وَلَمْ يُغَسَّلْ. وَحَمَلَهُ جَمَاعَةٌ مِنْ خَدَمِهِ بَعْدَ مَا غَسَّلُوهُ وَكَفَّنُوهُ. وَزَعَمَ بَعْضُهُمْ أَنَّهُ لَمْ يُغَسَّلْ وَلَمْ يُكَفَّنْ. وَالصَّحِيحُ الْأَوَّلُ. وَصَلَّى عَلَيْهِ جُبَيْرُ بْنُ مُطْعِمٍ. وَقِيلَ: الزُّبَيْرُ بْنُ الْعَوَّامِ. وَقِيلَ: حَكِيمُ بْنُ حِزَامٍ. وَقِيلَ: مَرْوَانُ بْنُ الْحَكَمِ. وَقِيلَ: الْمِسْوَرُ بْنُ مَخْرَمَةَ. وَقَدْ عَارَضَهُ بَعْضُ الْخَوَارِجِ وَأَرَادُوا رَجْمَهُ وَإِلْقَاءَهُ عَنْ سَرِيرِهِ،
পৃষ্ঠা - ৫৮২২
وَعَزَمُوا عَلَى أَنْ يُدْفَنَ بِمَقْبَرَةِ الْيَهُودِ بِدَيْرِ سَلْعٍ، حَتَّى بَلَغَ عَلِيَّ بْنَ أَبِي طَالِبٍ، فَبَعَثَ إِلَيْهِمْ مَنْ نَهَاهُمْ عَنْ ذَلِكَ، وَحَمَلَ جِنَازَتَهُ حَكِيمُ بْنُ حِزَامٍ، وَأَبُو جَهْمِ بْنُ حُذَيْفَةَ، وَنِيَارُ بْنُ مُكْرَمٍ، وَجُبَيْرُ بْنُ مُطْعِمٍ. وَذَكَرَ الْوَاقِدِيُّ أَنَّهُ لَمَّا وُضِعَ لِيُصَلَّى عَلَيْهِ - عِنْدَ مُصَلَّى الْجَنَائِزِ - أَرَادَ بَعْضُ الْأَنْصَارِ أَنْ يَمْنَعَهُمْ مِنْ ذَلِكَ، فَقَالَ أَبُو جَهْمِ بْنُ حُذَيْفَةَ: ادْفِنُوهُ فَقَدْ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَمَلَائِكَتُهُ. ثُمَّ قَالُوا: لَا يُدْفَنُ فِي الْبَقِيعِ، وَلَكِنِ ادْفِنُوهُ وَرَاءَ الْحَائِطِ. فَدَفَنُوهُ شَرْقِيَّ الْبَقِيعِ تَحْتَ نَخَلَاتٍ هُنَاكَ. وَذَكَرَ الْوَاقِدِيُّ أَنَّ عُمَيْرُ بْنُ ضَابِئٍ نَزَا عَلَى سَرِيرِهِ وَهُوَ مَوْضُوعٌ لِلصَّلَاةِ عَلَيْهِ، فَكَسَرَ ضِلْعًا مِنْ أَضْلَاعِهِ، وَقَالَ: أَحَبَسْتَ ضَابِئًا حَتَّى مَاتَ فِي السِّجْنِ؟ وَقَدْ قَتَلَ الْحَجَّاجُ فِيمَا بَعْدُ عُمَيْرَ بْنَ ضَابِئٍ هَذَا. وَقَالَ الْبُخَارِيُّ فِي " التَّارِيخِ ": حَدَّثَنَا مُوسَى بْنُ إِسْمَاعِيلَ، عَنْ عِيسَى بْنِ مِنْهَالٍ، ثَنَا غَالِبٌ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ سِيرِينَ قَالَ: كُنْتُ أَطُوفُ بِالْكَعْبَةِ وَإِذَا رَجُلٌ يَقُولُ: اللَّهُمَّ اغْفِرْ لِي. وَمَا أَظُنُّ أَنْ تَغْفِرَ لِي. فَقُلْتُ: يَا عَبْدَ اللَّهِ مَا سَمِعْتُ أَحَدًا
পৃষ্ঠা - ৫৮২৩
يَقُولُ مَا تَقُولُ. قَالَ: كُنْتُ أَعْطَيْتُ اللَّهَ عَهْدًا إِنْ قَدَرْتُ أَنْ أَلْطِمَ وَجْهَ عُثْمَانَ إِلَّا لَطْمَتُهُ، فَلَمَّا قُتِلَ وُضِعَ عَلَى سَرِيرِهِ فِي الْبَيْتِ وَالنَّاسُ يَجِيئُونَ فَيُصَلُّونَ عَلَيْهِ، فَدَخَلْتُ كَأَنِّي أُصَلِّي عَلَيْهِ فَوَجَدْتُ خَلْوَةً فَرَفَعْتُ الثَّوْبَ عَنْ وَجْهِهِ فَلَطَمْتُهُ، وَسَجَّيْتُهُ، وَقَدْ يَبِسَتْ يَمِينِي. قَالَ ابْنُ سِيرِينَ: فَرَأَيْتُهَا يَابِسَةً كَأَنَّهَا عُودٌ. ثُمَّ خَرَجُوا بِعَبْدَيْ عُثْمَانَ اللَّذَيْنِ قُتِلَا فِي الدَّارِ ; وَهُمَا صُبَيْحٌ وَنُجَيْحٌ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا، فَدُفِنَا إِلَى جَانِبِهِ بِحَشِّ كَوْكَبٍ. وَقِيلَ: إِنَّ الْخَوَارِجَ لَمْ يُمَكِّنُوا مِنْ دَفْنِهِمَا، بَلْ جَرُّوهُمَا بِأَرْجُلِهِمَا حَتَّى أَلْقَوْهُمَا بِالْبَلَاطِ فَأَكَلَتْهُمَا الْكِلَابُ. وَقَدِ اعْتَنَى مُعَاوِيَةُ فِي أَيَّامِ إِمَارَتِهِ بِقَبْرِ عُثْمَانَ، وَرَفَعَ الْجِدَارَ بَيْنَهُ وَبَيْنَ الْبَقِيعِ، وَأَمَرَ النَّاسَ أَنْ يَدْفِنُوا مَوْتَاهُمْ حَوْلَهُ حَتَّى اتَّصَلَتْ بِمَقَابِرِ الْمُسْلِمِينَ.