আল বিদায়া ওয়া আন্নিহায়া

ثم دخلت سنة خمس وثلاثين

صفة قتله رضي الله عنه

পৃষ্ঠা - ৫৮০১


ঐতিহাসিক ইবন আসাকির বর্ণনা করেন যে, সত্রাসীরা গৃহে প্রবেশ করে উসমান (রা) কে
হত্যা করে সেদিন তিনি নিম্নোক্ত কবিতা আবৃত্তি করেনং

া১>াষ্ ১এে
১৮এ ৰুপ্৬ৰু এ এে :১ ১, এ ঢ়হৃ ষ্ও ১১
আমি দেখতে পাই, মৃত্যু কোন প্রিয়জনকে ছাড়ে না, ছাড়ে নাংদেশেআর ক্ষেতখামারে
আশ্রয় গ্রহণকারীকে ৷ দুর্গ যখন বন্ধ হয় তখন হামলা হয় দুর্গবাসীদের উপর মৃত্যু হাজির হয়
পর্বতমালার শীর্ষ দেশেও ৷’

উসমান (রা)-এর হত্যার বিবরণ

খলীফা ইবন খাইয়াত রাবাব সুত্রে বর্ণনা করেন : উসমান (বা) আশতারকে তার
জন্য ডেকে আনতে আমাকে পাঠান ৷ তিনি বললেন, লোকেরা কি চায়? তিনি বললেন :
তিনটার যে কোন এবণ্টা মেনে নেয়া ছাড়া উপায় নেই ৷ তিনি জানতে চাইলেন০ যে তিনটি
বিষয় কি ? (আশ৩ ৷র) বললেন৪ তারা আপনাকে ইখতিয়া র দিচ্ছে যে, আপনি দায়িত্ব; ত্যাগ
করে তাদের হাতে ন্যস্ত করুন ৷ আপনি ঘোষণা করুন : ব্যাপারটা তোমাদের, তোমরা যাকে
ইচ্ছা বাছাই করে নিতে পার ৷ আপনি নিজেকেও পেশ করতে পারেন কিসাস তথা প্রতিশোধের
জন্য অন্যথায় লোকেরা আপনার সঙ্গে লড়াই করবে ৷ তখন তিনি বললেন, তারা যে নেতৃত্ব
তাদের হাতে ন্যস্ত করার কথা বলছে, তাতে আমি করবো না ৷ কারণ, আল্লাহ্ তাআলা
আমাকে যে পোশাক পরিধান করিয়েছেন, আমি তা খুলে ফেলতে পারি না ৷ আর তাদের জন্য
আমি নিজের থেকে কিসাস গ্রহণ করার ব্যাপারে আল্লাহর কসম করে বলছি : যদি তোমরা
আমাকে হত্যা করে৷ তবে আমার পরে আর পরস্পরকে ভালবড়াসতে পারবে না, সকলে মিলে
একসঙ্গে নামায আদায় করতে পারবে না ৷ আর সকলে এক সঙ্গে দুশমনের সঙ্গে প্ণ্ণ্ন্ড়ােন্থ
করতেও সক্ষম হবে না ৷ ’

বর্ণনাকারী বলেন, নেকড়ের মতো খর্বাকৃতির জনৈক ব্যক্তি দরজা দিয়ে উকি মেরে ফিরে
যায় ৷ ১৩ জন লোক সঙ্গে নিয়ে হযরত আবু বকঃা৩ তনয় মুহাম্মদ আগমন করে তার দাড়ি ধরে
টানেন, যার ফলে আমি তার মাড়ীর দাতের শব্দ শুনতে পাই ৷ তিনি (মুহাম্মদ) বললেন,
মুআবিয়া তোমার কোন কাজে আসেনি, ইবন আমিরও তোমা র কাজে লাগেনি আর না তোমার
কাজে লেগেছে তোমার পত্রাদি ৷ খলীফা বললেন : ভাতিজা, আমার দাড়ি ছাড় ৷’ বর্ণনক্যেরী
বলেন, আমি দেখতে পেলাম, তিনি চক্ষু দ্বারা ইশারায় উপস্থিত ব্যক্তিদের মধ্যে একজনের
সাহায্য চাইলেন ৷ লােকটি তীরের ভারী ফলা নিয়ে এগিয়ে এসে তার মস্তকে আঘাত করে ৷
আমি বললাম, তারপর কি হলো? বললেন, একে একে সকলে হামলা চালিয়ে তাকে হত্যা
করে ৷



১ এ স্থলে তাবরীি ৩৭৩ পৃষ্ঠায় ,এ ষ্ ন্ এর স্থলে ষ্ , ৮ উল্লেখ করা হয়েছে ৷ মানে সকলে বিভ্রান্ত হয়ে
হামলা চালায় ৷


[صِفَةُ قَتْلِهِ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ] قَالَ خَلِيفَةُ بْنُ خَيَّاطٍ: حَدَّثَنَا ابْنُ عُلَيَّةَ، ثَنَا ابْنُ عَوْنٍ عَنِ الْحَسَنِ قَالَ: أَنْبَأَنِي وَثَّابٌ قَالَ: بَعَثَنِي عُثْمَانُ فَدَعَوْتُ لَهُ الْأَشْتَرَ فَقَالَ: مَا يُرِيدُ النَّاسُ؟ قَالَ: ثَلَاثٌ لَيْسَ مِنْ إِحْدَاهُنَّ بُدٌّ. قَالَ: مَا هُنَّ؟ قَالَ: يُخَيِّرُونَكَ بَيْنَ أَنْ تَخْلَعَ لَهُمْ أَمْرَهُمْ فَتَقُولَ: هَذَا أَمْرُكُمْ فَاخْتَارُوا مَنْ شِئْتُمْ، وَبَيْنَ أَنْ تُقِصَّ مِنْ نَفْسِكَ، فَإِنْ أَبَيْتَ فَإِنَّ الْقَوْمَ قَاتِلُوكَ. فَقَالَ: أَمَّا أَنْ أَخْلَعَ لَهُمْ أَمْرَهُمْ فَمَا كُنْتُ لِأَخْلَعَ سِرْبَالًا سَرْبَلَنِيهِ اللَّهُ، وَأَمَّا أَنْ أُقِصَّ لَهُمْ مِنْ نَفْسِي، فَوَاللَّهِ لَقَدْ عَلِمْتُ أَنَّ صَاحِبَيَّ بَيْنَ يَدَيَّ قَدْ كَانَا يُعَاقِبَانِ، وَمَا يَقُومُ بَدَنِي بِالْقِصَاصِ، وَأَمَّا أَنْ يَقْتُلُونِي، فَوَاللَّهِ لَئِنْ قَتَلْتُمُونِي لَا تَحَابُّونَ بَعْدِي أَبَدًا، وَلَا تُصَلُّونَ بَعْدِي جَمِيعًا أَبَدًا،
পৃষ্ঠা - ৫৮০২


’ সাইফ ইব ন উমর তামীমী (র) ঈস ইবন কাসিম সুত্রের উসামা ইবন যায়দ-এর
আযাদকৃত দাসী খানসা সুত্রে আর এ খানসা উসমান (রা)-এর শ্রী নাইলা বিনত ফারাফিসার
সঙ্গে থাকতেন বর্ণনা করেন : (হামলার সময়) তিনি গৃহে ছিলেন ৷ এ সময় মুহাম্মদ ইবন আবু
বকর (রা) গৃহে প্রবেশ করে সঙ্গে থাকাতীরের ভারী ফলা দিয়ে তার গলায় আঘাত করলে
উসমান (রা) বলেন : ভাতিজা, থাম, শপথ আল্লাহ্র৷ তুমি এমন স্থানে হাত দিয়েই, যেখানে
তোমার পিতাও হাত দিতেন না ৷ তিনি লজ্জিত হয়ে দাড়ি ছেড়ে দিয়ে দুরে সরে র্দাড়ান ৷ গৃহের
লোকজন তীর মুখোমুখিহয় এবং দীর্ঘ বাদ-প্রতিবাদ হয় ৷ লোকজন জয়ী হয় এবং তারা গৃহে
প্রবেশ করে এবং মুহাম্মদ ইবন আবু বকর গৃহ থেকে বের হয়ে চলে যান ৷ এরপর এক ব্যক্তি
তার নিকট আগমন করে, যার হাতে ছিল খেজুরের ভাল ৷ লোকদের অগ্রভাগে থেকে সে
উসমান (রা)-এর মাথার কাছে গিয়ে দাড়ায় এবং ভাল দিয়ে মাংয় আঘাত করে তাকে রক্তাক্ত
করে দেয় ৷ রক্তের ছিটা কুরআন মজীদে পতিত হয়ে তা রঞ্জিত করে দেয় ৷ তারপর তারা
তরবারি দ্বারা তার উপর আঘাত হানে ৷ অপর এক ব্যক্তি অগ্রসর হয়ে তার বুকে তরবারি দ্বারা
আঘাত হানে ৷ শ্রী নাইলা বিনত ফারাফিসা আলকালবিয়াও আহত হয়ে চিৎকার করে খলীফার
গায়ের উপর পড়ে যায় ৷ তিনি চিৎকার করে বলতে থাকেন : হে শায়বার কন্যা ! তবে কি
আমীরুল মু’মিনীনকে হত্যা করা হবে ? এই বলে তিনি তলোয়ার হাতে নিলে লােকঢি তার
হাতে আঘাত করে (তারীখে তাবারী এবং তারীখুল কামিল-এর বর্ণনা মতে নাইলার হাতের
আব্দুল কাটা যায়) সন্তাসীরা গৃহের আসবাবপত্রও লুটপাট করে ৷ এ সময় জনৈক ব্যক্তি উসমান
(রা) এর নিকট দিয়ে অতিক্রমকালে কুরআন মজীদের উপর মস্তক রাখা অবস্থায় দেখতে পেয়ে
তাতে পদাঘাত করত বলে ৪

আজকের দিনের মতো এমন সুন্দর কোন কাফির-এর মুখমণ্ডল আমি আর দেখিনি, আর
আজকের দিনের মতো এমন সম্মানজনক কোন কাফিরের শয্যাও আমি আর দেখিনি ৷’
বর্ণনক্যেরী বলেন : আল্লাহ্রকসম, সস্ত্রাসীরা গৃহে কোন কিছুই রেখে যায়নি, এমনকি তারা
পানির পেয়ালা পর্যন্ত নিয়ে যায় ৷

আর হাফিজ ইবন আসাকির বর্ণনা করেন যে, উসমান (রা) দৃঢ়তা সহকারে গৃহের সকল
সদস্যকে বের করে দিলে তার পরিবার ছাড়া সেখানে আর কেউ ছিল না ৷ এ সময় সন্ত্রাসীরা
ন্£ক্রোল্ল টপকে এবং দরজা খুলে বাতি জ্বালিয়ে ভিতরে প্রবেশ করে ৷ এদের মধ্যে কোন সাহাবী
ছিলেন না; এমনকি সাহাবীর কোন সন্তানও ছিলেন না ৷ সাহাবীর সন্তানদের মধ্যে কেবল
মুহাম্মদ ইবন আবু বকর (রা) ছিলেন ৷ এদের মধ্যে কেউ অগ্রসর হয়ে তাকে প্ৰহার করলে তিনি
বেছুশ হয়ে পড়ে যান ৷ নারীরা চিৎকার জুড়ে দেয় ৷ তখন তারা ছত্রভঙ্গ হয়ে গৃহত্যাগ করে ৷ এ
সময় খলীফা নিহত হয়েছেন মনে করে মুহাম্মদ ইয়ুন আবু বকর গৃহে প্রবেশ করেন ৷ যখন
তিনি দেখতে পেলেন যে, খলীফার জ্ঞান ফিরেছে তখন তিনি বললেন :

হে বোকা বৃদ্ধ ! তুমি কােনৃ ধর্মের অনুসারী? তিনি জবাব দেন, আমি ইসলামের অনুসারী;
তবে আমি বোকা বুড়ো নই; বরং আমি আমীরম্স মু’মিনীন ৷ ইবন আবুবকৱ বললেন : তৃমি
কিতাবুল্লাহ্য় পরিবর্তন সাধন করেছ ৷ ’ খলীফা বললেন : কিতাবুল্লাহ তাে আমার এবং


وَلَا تُقَاتِلُونَ بَعْدِي عَدُوًّا جَمِيعًا أَبَدًا. قَالَ: وَجَاءَ رُوَيْجِلٌ كَأَنَّهُ ذِئْبٌ فَاطَّلَعَ مِنْ بَابٍ وَرَجَعَ، وَجَاءَ مُحَمَّدُ بْنُ أَبِي بَكْرٍ فِي ثَلَاثَةَ عَشَرَ رَجُلًا، فَأَخَذَ بِلِحْيَتِهِ فَقَالَ بِهَا حَتَّى سَمِعْتُ وَقْعَ أَضْرَاسِهِ، فَقَالَ: مَا أَغْنَى عَنْكَ مُعَاوِيَةُ، وَمَا أَغْنَى عَنْكَ ابْنُ عَامِرٍ، وَمَا أَغْنَتْ عَنْكَ كُتُبُكَ. قَالَ: أَرْسِلْ لِحْيَتِي يَا ابْنَ أَخِي. قَالَ: فَأَنَا رَأَيْتُهُ اسْتَعْدَى رَجُلًا مِنَ الْقَوْمِ بِعَيْنِهِ - يَعْنِي أَشَارَ إِلَيْهِ - فَقَامَ إِلَيْهِ بِمِشْقَصٍ فَوَجَأَ بِهِ رَأْسَهُ. قُلْتُ: ثُمَّ مَهْ؟ قَالَ: ثُمَّ تَعَاوَرُوا عَلَيْهِ وَاللَّهِ حَتَّى قَتَلُوهُ. وَقَالَ سَيْفُ بْنُ عُمَرَ التَّمِيمِيُّ، رَحِمَهُ اللَّهُ، عَنِ الْغُصْنِ بْنِ الْقَاسِمِ، عَنْ رَجُلٍ، عَنْ خَنْسَاءَ مَوْلَاةِ أُسَامَةَ بْنِ زَيْدٍ - وَكَانَتْ تَكُونُ مَعَ نَائِلَةَ بِنْتِ الْفَرَافِصَةِ امْرَأَةِ عُثْمَانَ - أَنَّهَا كَانَتْ فِي الدَّارِ، وَدَخَلَ مُحَمَّدُ بْنُ أَبِي بَكْرٍ فَأَخَذَ بِلِحْيَتِهِ وَأَهْوَى بِمَشَاقِصَ مَعَهُ لِيَجَأَ بِهَا فِي حَلْقِهِ، فَقَالَ: مَهْلًا يَا ابْنَ أَخِي، فَوَاللَّهِ لَقَدْ أَخَذْتَ مَأْخَذًا مَا كَانَ أَبُوكَ لِيَأْخُذَ بِهِ. فَتَرَكَهُ وَانْصَرَفَ مُسْتَحْيِيًا نَادِمًا، فَاسْتَقْبَلَهُ الْقَوْمُ عَلَى بَابِ الصُّفَّةِ، فَرَدَّهُمْ طَوِيلًا حَتَّى غَلَبُوهُ فَدَخَلُوا، وَخَرَجَ مُحَمَّدٌ رَاجِعًا، فَأَتَاهُ رَجُلٌ بِيَدِهِ جَرِيدَةٌ يُقَدِّمُهُمْ حَتَّى قَامَ عَلَى عُثْمَانَ، فَضَرَبَ بِهَا رَأْسَهُ فَشَجَّهُ،
পৃষ্ঠা - ৫৮০৩
فَقَطَرَ دَمُهُ عَلَى الْمُصْحَفِ حَتَّى لَطَّخَهُ، ثُمَّ تَغَاوَوْا عَلَيْهِ، فَأَتَاهُ رَجُلٌ فَضَرَبَهُ عَلَى الثَّدْيِ بِالسَّيْفِ، وَوَثَبَتْ نَائِلَةُ بِنْتُ الْفَرَافِصَةِ الْكَلْبِيَّةُ فَصَاحَتْ وَأَلْقَتْ نَفْسَهَا عَلَيْهِ، وَقَالَتْ: يَا بِنْتَ شَيْبَةَ أَيُقْتَلُ أَمِيرُ الْمُؤْمِنِينَ! وَأَخَذَتِ السَّيْفَ فَقَطَعَ الرَّجُلُ يَدَهَا، وَانْتَهَبُوا مَتَاعَ الدَّارِ، وَمَرَّ رَجُلٌ عَلَى عُثْمَانَ وَرَأْسُهُ مَعَ الْمُصْحَفِ، فَضَرَبَ رَأَسَهُ بِرِجْلِهِ وَنَحَّاهُ عَنِ الْمُصْحَفِ وَقَالَ: مَا رَأَيْتُ كَالْيَوْمِ وَجْهَ كَافِرٍ أَحْسَنَ، وَلَا مَضْجَعَ كَافِرٍ أَكْرَمَ. فَلَا وَاللَّهِ مَا تَرَكُوا فِي دَارِهِ شَيْئًا حَتَّى الْأَقْدَاحَ إِلَّا ذَهَبُوا بِهِ. وَرَوَى الْحَافِظُ ابْنُ عَسَاكِرَ أَنَّ عُثْمَانَ لَمَّا عَزَمَ عَلَى أَهْلِ الدَّارِ فِي الِانْصِرَافِ، وَلَمْ يَبْقَ عِنْدَهُ سِوَى أَهْلِهِ تَسَوَّرُوا عَلَيْهِ الدَّارَ، وَأَحْرَقُوا الْبَابَ وَدَخَلُوا عَلَيْهِ، وَلَيْسَ فِيهِمْ أَحَدٌ مِنَ الصَّحَابَةِ وَلَا أَبْنَائِهِمْ إِلَّا مُحَمَّدَ بْنَ أَبِي بَكْرٍ، وَسَبَقَهُ بَعْضُهُمْ فَضَرَبُوهُ حَتَّى غُشِيَ عَلَيْهِ وَصَاحَ النِّسْوَةُ فَانْذَعَرُوا وَخَرَجُوا، وَدَخَلَ مُحَمَّدُ بْنُ أَبِي بَكْرٍ، وَهُوَ يَظُنُّ أَنَّهُ قَدْ قُتِلَ، فَلَمَّا رَآهُ قَدْ أَفَاقَ قَالَ: عَلَى أَيِّ دِينٍ أَنْتَ يَا نَعْثَلُ؟ قَالَ: عَلَى دِينِ الْإِسْلَامِ، وَلَسْتُ بِنَعْثَلٍ، وَلَكِنِّي أَمِيرُ الْمُؤْمِنِينَ. فَقَالَ: غَيَّرْتَ كِتَابَ اللَّهِ. فَقَالَ: كِتَابُ اللَّهِ بَيْنِي وَبَيْنَكُمْ. فَتَقَدَّمَ إِلَيْهِ وَأَخَذَ بِلِحْيَتِهِ وَقَالَ: إِنَّا لَا يُقْبَلُ مِنَّا يَوْمَ الْقِيَامَةِ أَنْ نَقُولَ:
পৃষ্ঠা - ৫৮০৪


তোমাদের সকলের সম্মুখে বিদ্যমান রয়েছে ৷’ আমি কিভাবে তাতে বিকৃতি সাধন করলামা)
ইবন আবু বকর এগিয়ে যান এবং বলেন :

কিয়ামতের দিন আমরা যদি বলি “হে আমাদের পালনকর্তা৷ আমরা আমাদের
নেতা-কর্ভাদের আনুগত্য করেহ্নিাড়াম আর তারা আমাদেরকে বিভ্রান্ত করেছে” তবে আমাদের
কথা গৃহীত হবে না ৷ (সুরা আহযাব ৩৩ : ৬৭ আয়াত) ৷ এই বলে তিনি খলীফাকে
টানা-হেচড়া করে ঘরের দরজা পর্যন্ত নিয়ে আসেন ৷ তখন খলীফা বলছিলেন :

হে ভাতিজা ৷ তোমার পিতা আমার দাড়ি ধরতে পারতেন না!’ যিসরীয়দের মধ্যে কিনদা
গোত্রের জনৈক ব্যক্তি আশমন করে, যার পদবী ছিল গাধা’ন্ ৷ আর তার কুনিযাত বা উপনাম
জ্যি আবু রোমান ৷ কাতদাের মতে লোকটির নাম ছিল রোমান, অন্যদের মতে সে ছিল নীল,
লাল-হলুদের মিশ্র বর্ণের ৷ কেউ কেউ বলেন, লোকটির নাম ছিল সুদান ইবন রোমান
আল-মুরাদী ৷ ইবন উমর সুত্রে বর্ণিত আছে ৷ তিনি বলেন, যে ব্যক্তি থলীফা উসমান (রা)-কে
হত্যা করেছে, তার নাম জ্জি, আসওয়াদ ইবন হুমরান ৷ সে বর্শা দ্বারা তাকে আঘাত স্থানে, তার
হাতে উন্মুক্ত তরবারিও ছিল ৷ তিনি বলেন, লোকটি পুন৪ আগমন করে তার বুকে বর্শা বিদ্ধ
করে এবং তরবারির ধার তার পেটে স্থাপন করে তার জীবন লীলা দান করে দেয় ৷ শ্রী নইিলা
নিকটে ছিলেন ৷ তিনি এগিয়ে এসে বাধা দান করলে তার হাতের আঙ্গুল কাটা যায় ৷ একথাও
বর্ণিত আছে যে , মুহাম্মদ ইবন আবু বকর তীরের ফলা নিক্ষেপ করলে তা খলীফার গলায় বিদ্ধ
হয় ৷ সঠিক কথা এই যে, হত্যাকারী জ্জি অন্য কেউ; মুহাম্মদ ইবন আবু বকর নন ৷ “তুমি এমন
এক ব্যক্তির দাড়ি ধরেছ, তোমার পিতা যাকে সম্মান করতেন ৷ ’ খলীফা একথা বললে তিনি
লজ্জিত হয়ে ফিরে যান ৷ এরপর তিনি মুখ ঢেকে দুরে সরে যান ৷ অবশ্য এতেও তার কোন
কল্যাণ হয়নি ৷ আল্লাহ্র অভিপ্রায় সুনিশ্চিত ৷ আর এটা আল্পাহ্র কিভাবে লিপিবদ্ধ ছিল ৷

ইবন আওন সুত্রে ইবন আসাকির বর্ণনা করেন যে, কিনানা ইবন বিশর খলীফার মুখমণ্ডল
এবং মাথার অগ্রভাগে লোহার হাতুড়ি দ্বারা আঘাত করলে খলীফা কাত হয়ে পড়ে যান ৷ আবদুর
রহমান ইবন হারিসও ইবন আওন সুত্রে অনুরুপ বর্ণনা করেছেন ৷ পহ্মাম্ভার ফুতুহে ইবন
আশামএ আছে যে, খলীফা আহত হয়ে আমার পেছনের অংশ মাটিতে স্থাপনপুর্বক পতিত
হন ৷ কাত হয়ে পড়ে গেলে সুদান ইবন হুমরান আল-মুরাহী আঘাত করে করে তাকে হত্যা
করে ৷ অবশ্য আম্র ইবনুল হুমুক লাফ দিয়ে খলীফার বুকে চড়ে বলে তখন তার অন্তিম
অবস্থা ৷ সে বর্শা দ্বারা নয়বার তাকে আঘাত করে এবং বলে তিনটা আল্লাহ্র উদ্দেশ্যে, বাকি
ছয়ট৷ আমার বুকে পুঞ্জীভুত ক্ষোব্লুঙ্ঘ জন্য ৷

তবােরানী আহমদ ইবন মুহাম্মদ ইবন ছাদকা বাগদাদী হাসান সুত্রে বর্ণনা করেন :
সায়াফ উসমান আমাকে হাদীস শুনান যে, জনৈক আনসারী ব্যক্তি গৃহে উসমান (রা)-এর
নিকটে গেলে তিনি সে ব্যক্তিকে বললেন : ভাতিজা৷ ফিরে যাও, তুমি তো আমার হত্যাকারী
নও ৷ লোকটি বললো আপনি কেমন করে তা জানতে পারলেনঃ তিনি বললেন০ ং

কারণ, তোমার জন্মের সপ্তম দিবসে তোমাকে নবী করীমহ্রন্খাং এর থেদমতে আনা হলে
তিনি তোমার তাহনীক তথা মিষ্টি মুখ করেন (ানজ মুখে খেজুর চিবিয়ে নরম করে তোমার
মুখে তুলে দেন) এবং তোমার ৰরকতের জন্য রাসুলুল্লাহ্প্লাং ফাংনিজে দু আ করেছেন ৷ তারপর


{رَبَّنَا إِنَّا أَطَعْنَا سَادَتَنَا وَكُبَرَاءَنَا فَأَضَلُّونَا السَّبِيلَا} [الأحزاب: 67] . وَشَحَطَهُ بِيَدِهِ مِنَ الْبَيْتِ إِلَى بَابِ الدَّارِ وَهُوَ يَقُولُ: يَا ابْنَ أَخِي مَا كَانَ أَبُوكَ لِيَأْخُذَ بِلِحْيَتِي. وَجَاءَ رَجُلٌ مِنْ كِنْدَةَ مِنْ أَهْلِ مِصْرَ - يُلَقَّبُ حِمَارًا وَيُكَنَّى، بِأَبِي رُومَانَ. وَقَالَ قَتَادَةُ: اسْمُهُ رُومَانُ. وَقَالَ غَيْرُهُ: كَانَ أَزْرَقَ أَشْقَرَ. وَقِيلَ: كَانَ اسْمُهُ سُودَانَ بْنَ رُومَانَ الْمُرَادِيَّ. وَعَنِ ابْنِ عُمَرَ قَالَ: كَانَ اسْمُ الَّذِي قَتَلَ عُثْمَانَ أَسْوَدُ بْنُ حُمْرَانَ ضَرَبَهُ بِحَرْبَةٍ - وَبِيَدِهِ السَّيْفُ صَلْتًا فَقَالَ: أَفْرِجُوا. ثُمَّ جَاءَ فَضَرَبَهُ بِهِ فِي صَدْرِهِ حَتَّى أَقْعَصَهُ، ثُمَّ وَضَعَ ذُبَابَ السَّيْفِ فِي بَطْنِهِ وَاتَّكَأَ عَلَيْهِ وَتَحَامَلَ حَتَّى قَتَلَهُ، وَقَامَتْ نَائِلَةُ دُونَهُ فَقَطَعَ السَّيْفُ أَصَابِعَهَا، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهَا. وَيُرْوَى أَنَّ مُحَمَّدَ بْنَ أَبِي بَكْرٍ طَعْنَهُ بِمَشَاقِصَ فِي أُذُنِهِ حَتَّى دَخَلَتْ حَلْقَهُ. وَالصَّحِيحُ أَنَّ الَّذِي فَعَلَ ذَلِكَ غَيْرُهُ، وَأَنَّهُ اسْتَحْيَى وَرَجَعَ حِينَ قَالَ لَهُ عُثْمَانُ: لَقَدْ أَخَذْتَ بِلِحْيَةٍ كَانَ أَبُوكَ يُكْرِمُهَا. فَتَذَمَّمَ مِنْ ذَلِكَ وَغَطَّى وَجْهَهُ وَرَجَعَ وَجَاحَفَ دُونَهُ فَلَمْ يُفِدْ، وَكَانَ أَمْرُ اللَّهِ قَدَرًا مَقْدُورًا وَكَانَ ذَلِكَ فِي الْكِتَابِ مَسْطُورًا.
পৃষ্ঠা - ৫৮০৫
وَرَوَى ابْنُ عَسَاكِرَ، عَنِ ابْنِ عَوْنٍ، أَنَّ كِنَانَةَ بْنَ بِشْرٍ ضَرَبَ جَبِينَهُ وَمُقَدَّمَ رَأْسِهِ بِعَمُودٍ حَدِيدٍ، فَخَرَّ لِجَنْبِهِ، وَضَرَبَهُ سُودَانُ بْنُ حُمْرَانَ الْمُرَادِيُّ بَعْدَ مَا خَرَّ لِجَنْبِهِ فَقَتَلَهُ، وَأَمَّا عَمْرُو بْنُ الْحَمِقِ فَوَثَبَ عَلَى عُثْمَانَ فَجَلَسَ عَلَى صَدْرِهِ وَبِهِ رَمَقٌ، فَطَعَنَهُ تِسْعَ طَعَنَاتٍ وَقَالَ: أَمَّا ثَلَاثٌ مِنْهُنَّ فَلِلَّهِ، وَسِتٌّ لِمَا كَانَ فِي صَدْرِي عَلَيْهِ. وَقَالَ الطَّبَرَانِيُّ: حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ مُحَمَّدِ بْنِ صَدَقَةَ الْبَغْدَادِيُّ وَإِسْحَاقُ بْنُ دَاوُدَ الصَّوَّافُ التُّسْتَرِيُّ، قَالَا: ثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ خَالِدِ بْنِ خِدَاشٍ، ثَنَا سَلْمُ بْنُ قُتَيْبَةَ، ثَنَا مُبَارَكٌ، عَنِ الْحَسَنِ قَالَ: حَدَّثَنِي سَيَّافُ عُثْمَانَ أَنَّ رَجُلًا مِنَ الْأَنْصَارِ دَخَلَ عَلَى عُثْمَانَ فَقَالَ: ارْجِعْ يَا ابْنَ أَخِي فَلَسْتَ بِقَاتِلِي. قَالَ: وَكَيْفَ عَلِمْتَ ذَاكَ؟ قَالَ: لِأَنَّهُ أُتِيَ بِكَ النَّبِيُّ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، يَوْمَ سَابِعِكَ فَحَنَّكَكَ وَدَعَا لَكَ بِالْبَرَكَةِ. ثُمَّ دَخَلَ عَلَيْهِ رَجُلٌ آخَرُ مِنَ الْأَنْصَارِ فَقَالَ لَهُ مِثْلَ ذَلِكَ سَوَاءً. ثُمَّ دَخَلَ مُحَمَّدُ بْنُ أَبِي بَكْرٍ فَقَالَ: أَنْتَ قَاتِلِي. قَالَ: وَمَا يُدْرِيكَ يَا نَعْثَلُ؟ قَالَ: لِأَنَّهُ أُتِيَ بِكَ رَسُولُ اللَّهِ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، يَوْمَ سَابِعِكَ لِيُحَنِّكَكَ وَيَدْعُوَ لَكَ بِالْبَرَكَةِ، فَخَرِيتَ عَلَى رَسُولِ اللَّهِ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ. قَالَ: فَوَثَبَ عَلَى صَدْرِهِ وَقَبَضَ عَلَى لِحْيَتِهِ، وَوَجَأَهُ بِمَشَاقِصَ كَانَتْ فِي يَدِهِ. هَذَا حَدِيثٌ غَرِيبٌ جِدًّا وَفِيهِ نَكَارَةٌ.
পৃষ্ঠা - ৫৮০৬


অপর এক আনসারী ব্যক্তি তার কাছে গেলে তাকেও ঠিক একই কথা বলেন ৷ এরপর
মুহাম্মদ ইবন আবু বকর প্রবেশ করলে তাকে বললেন : তুমি আমার হ্বা৷ ৷ তিনি বললেন : “হে
অথর্ববৃদ্ধ, তুমি কেমন-করে জানলে ? খলীফা বললেন :

জন্মের সপ্তম দিনে তাহনীক আর দৃআর জন্য তোমাকে রাসুলুল্লাহদ্দুহুক্রু; এর থেদমতে
হাযির করা হলে তুমি রাসুলুল্লাহ্::;-প্লোণ্: এর কোলে পায়খানা করেছিলে ৷ রাবী বলেন৪ এরপর
তার বুকে চড়ে দাড়ি ধরে এর০ হাতের ভীরের ফলা উসমান (রা) এর বুকে ৰিদ্ধ করে ৷
হড়াদীসটি নি৩ শত যয়ীফ পর্যায়ের এবং তাতে গ্রহণযোগ্য না হওয়ার উপকরণও বিদ্যমান
রয়েছে ৷ একাধিক সুত্রে একথা প্রমাণিত হয়েছে যে,৩ তার দেহের রক্তের ছিটা মহান আল্লাহর
বাণী :


অনতিবিলন্বে তাদের জন্য আল্লাহ্ই যথেষ্ট হবেন ৷ আর তিনি মহা শ্রবণকারী, মহাজ্ঞানী
(সুরা বাকারা ২০ আয়াত ১৩৭) ৷ এ আঘাতের উপর পতিত হয় একথাও বর্ণিত আছে যে
ঘাতক যখন উসমান (রা) এর নিকেট পৌছে তখন তিনি কুরআন মজীদ তিলাওয়াত করতে
করতে এ আয়াত পর্যন্ত পৌছেন ৷ আর এটা অসম্ভব নয়, কারণ তিনি তখন কুরআন মজীদ
তিলাওয়াত করছিলেন ৷

ইবনু আসাকির বর্ণনা করেন যে, উসমান (রা) আহত হয়ে বলেন :ৰিসমিল্লাহ,
তাওয়াক্কালতৃ আল্লাহ্ ৷ রক্ত প্ৰব৷ ত হলে বলেনং সুবহানাল্লা ৷হিল আষীম ৷ ইবন জারীর তাবারী
তার ইতিহাস গ্রন্থে বিভিন্ন সনদে উল্লেখ করেন যে, মিসরীয়রা মিসরের শাসনকর্তার নামে
প্রেরিত পত্রবাহক নিকট দেখতে গেলো, এপত্রে তাদের কতককে হত্যা করা, কতককে
শুলীবিদ্ধ করা এবং কতকের হাত পা কেটে দেয়ার নির্দেশ ছিল ৷ আর মারওয়ান ইবনুল হাকাম
উসমান (রা) এর যবানীতে এ পত্র লিখে এবং এ সম্পর্কে যুক্তি হিসাবে কুরআনস্মজীদের
নিম্নোক্ত আয়াত উপস্থাপন করা হয়

ষ্


ধ্ ১ৰু;;;ন্ছু,

যারাআল্লাহ্ ও তার রাসুলের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে, এবং পৃথিবীতে বিপর্যয় সৃষ্টি করে বেড়ায়,

এটাই তাদের শাস্তি যে তাদেরকে হত্যা করা হবে, শুলীবিদ্ধ করা হবে অথবা বিপরীত দিক
থেকে তাদের হস্তপদ কর্তা করা হবে অথবা তাদেরকে দেশ থেকে নির্বাসিত করা হবে ৷

দৃনিয়াতে এটইি তাদের লাস্থনা, অবমাননা, আর আখিরাতে তাদের জন্য রয়েছে মহা শান্তি

(সুরা মায়িদা ৫; আয়াত ৩৩) ৷

মারওয়ান ইবনুল হাকামের মতে যারা উসমান (রা) এর বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করছে, তারা
সকলেই পৃথিবীতে বিপর্যয় সৃষ্টিকারী ৷ নিঃসন্দেহে তারা এমনই ছিল; কিত্তু উসমান (রা) কে

অবহিত্ন৷ করে তীর পক্ষ থেকে এমন পত্র লেখা তার পক্ষে উচিত হয়নি ৷ আর মিছামিছি তার


وَثَبَتَ مِنْ غَيْرِ وَجْهٍ أَنَّ أَوَّلَ قَطْرَةٍ مِنْ دَمِهِ سَقَطَتْ عَلَى قَوْلِهِ تَعَالَى {فَسَيَكْفِيكَهُمُ اللَّهُ وَهُوَ السَّمِيعُ الْعَلِيمُ} [البقرة: 137] . وَيُرْوَى أَنَّهُ كَانَ قَدْ وَصَلَ إِلَيْهَا فِي التِّلَاوَةِ أَيْضًا حِينَ دَخَلُوا عَلَيْهِ. وَلَيْسَ بِبَعِيدٍ، فَإِنَّهُ كَانَ قَدْ وَضَعَ الْمُصْحَفَ يَقْرَأُ فِيهِ الْقُرْآنَ. وَرَوَى ابْنُ عَسَاكِرَ أَنَّهُ لَمَّا طُعِنَ قَالَ: بِسْمِ اللَّهِ تَوَكَّلْتُ عَلَى اللَّهِ فَلَمَّا قَطَرَ الدَّمُ قَالَ: سُبْحَانَ اللَّهِ الْعَظِيمِ. وَقَدْ ذَكَرَ ابْنُ جَرِيرٍ فِي " تَارِيخِهِ " بِأَسَانِيدِهِ أَنَّ الْمِصْرِيِّينَ لَمَّا وَجَدُوا ذَلِكَ الْكِتَابَ مَعَ الْبَرِيدِ إِلَى أَمِيرِ مِصْرَ، فِيهِ الْأَمْرُ بِقَتْلِ بَعْضِهِمْ، وَصَلْبِ بَعْضِهِمْ، وَبِقَطْعِ أَيْدِي بَعْضِهِمْ وَأَرْجُلِهِمْ، وَكَانَ قَدْ كَتَبَهُ مَرْوَانُ بْنُ الْحَكَمِ عَلَى لِسَانِ عُثْمَانَ مُتَأَوِّلًا قَوْلَهُ تَعَالَى {إِنَّمَا جَزَاءُ الَّذِينَ يُحَارِبُونَ اللَّهَ وَرَسُولَهُ وَيَسْعَوْنَ فِي الْأَرْضِ فَسَادًا أَنْ يُقَتَّلُوا أَوْ يُصَلَّبُوا أَوْ تُقَطَّعَ أَيْدِيهِمْ وَأَرْجُلُهُمْ مِنْ خِلَافٍ أَوْ يُنْفَوْا مِنَ الْأَرْضِ ذَلِكَ لَهُمْ خِزْيٌ فِي الدُّنْيَا وَلَهُمْ فِي الْآخِرَةِ عَذَابٌ عَظِيمٌ} [المائدة: 33] . وَعِنْدَهُ أَنَّ هَؤُلَاءِ الَّذِينَ خَرَجُوا عَلَى أَمِيرِ الْمُؤْمِنِينَ عُثْمَانَ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، مِنْ جُمْلَةِ الْمُفْسِدِينَ فِي الْأَرْضِ، وَلَا شَكَّ أَنَّهُمْ كَذَلِكَ، لَكِنْ لَمْ يَكُنْ لَهُ أَنْ يَفْتَاتَ عَلَى عُثْمَانَ وَيَكْتُبَ عَلَى لِسَانِهِ بِغَيْرِ عِلْمِهِ، وَيُزَوِّرَ عَلَى خَطِّهِ وَخَاتَمِهِ، وَيَبْعَثَ غُلَامَهُ عَلَى بَعِيرِهِ بَعْدَ مَا وَقَعَ الصُّلْحُ بَيْنَ عُثْمَانَ وَبَيْنَ الْمِصْرِيِّينَ عَلَى تَأْمِيرِ مُحَمَّدِ بْنِ أَبِي بَكْرٍ عَلَى مِصْرَ، بِخِلَافِ ذَلِكَ كُلِّهِ، وَلِهَذَا لَمَّا
পৃষ্ঠা - ৫৮০৭
وَجَدُوا هَذَا الْكِتَابَ عَلَى خِلَافِ مَا وَقَعَ الِاتِّفَاقُ عَلَيْهِ، وَظَنُّوا أَنَّهُ مِنْ عُثْمَانَ، أَعْظَمُوا ذَلِكَ، مَعَ مَا هُمْ مُشْتَمَلُونَ عَلَيْهِ مِنَ الشَّرِّ، فَرَجَعُوا إِلَى الْمَدِينَةِ، فَطَافُوا بِهِ عَلَى رُءُوسِ الصَّحَابَةِ، وَأَعَانَهُمْ عَلَى ذَلِكَ قَوْمٌ آخَرُونَ، حَتَّى ظَنَّ بَعْضُ الصَّحَابَةِ أَنَّ هَذَا عَنْ أَمْرِ عُثْمَانَ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، فَلَمَّا قِيلَ لِعُثْمَانَ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، فِي أَمْرِ هَذَا الْكِتَابِ بِحَضْرَةِ جَمَاعَةٍ مِنْ أَعْيَانِ الصَّحَابَةِ وَجُمْهُورِ الْمِصْرِيِّينَ، حَلَفَ بِاللَّهِ الْعَظِيمِ - وَهُوَ الصَّادِقُ الْبَارُّ الرَّاشِدُ - أَنَّهُ لَمْ يَكْتُبْ هَذَا الْكِتَابَ وَلَا أَمَلَاهُ عَلَى مَنْ كَتَبَهُ، وَلَا عِلْمَ بِهِ فَقَالُوا لَهُ: فَإِنَّ عَلَيْهِ خَاتَمَكَ. فَقَالَ: إِنَّ الرَّجُلَ قَدْ يُزَوَّرُ عَلَى خَطِّهِ وَخَاتَمِهِ. قَالُوا: فَإِنَّهُ مَعَ غُلَامِكَ وَعَلَى جَمَلِكَ. فَقَالَ: وَاللَّهِ لَمْ أَشْعُرْ بِشَيْءٍ مِنْ ذَلِكَ. فَقَالُوا لَهُ بَعْدَ كُلِّ مَقَالِهِ: إِنْ كُنْتَ قَدْ كَتَبْتَهُ فَقَدْ خُنْتَ، وَإِنْ لَمْ تَكُنْ قَدْ كَتَبْتَهُ بَلْ كُتِبَ عَلَى لِسَانِكَ وَأَنْتَ لَا تَعْلَمُ فَقَدْ عَجَزْتَ، وَمِثْلُكَ لَا يَصْلُحُ لِلْخِلَافَةِ ; إِمَّا لِخِيَانَتِكَ، وَإِمَّا لِعَجْزِكَ. وَهَذَا الَّذِي قَالُوا بَاطِلٌ عَلَى كُلِّ تَقْدِيرٍ، فَإِنَّهُ لَوْ فُرِضَ أَنَّهُ كَتَبَ الْكِتَابَ - وَهُوَ لَمْ يَكْتُبْهُ فِي نَفْسِ الْأَمْرِ - لَا يَضُرُّهُ ذَلِكَ ; لِأَنَّهُ قَدْ يَكُونُ رَأَى ذَلِكَ مَصْلَحَةً لِلْأُمَّةِ فِي إِزَالَةِ شَوْكَةِ هَؤُلَاءِ الْبُغَاةِ الْخَارِجِينَ عَلَى الْإِمَامِ، وَأَمَّا إِذَا لَمْ يَكُنْ قَدْ عَلِمَ بِهِ فَأَيُّ عَجْزٍ يُنْسَبُ إِلَيْهِ إِذَا لَمْ يَكُنْ قَدِ اطَّلَعَ عَلَيْهِ وَزُوِّرَ عَلَى لِسَانِهِ؟ ! وَلَيْسَ هُوَ بِمَعْصُومٍ بَلِ الْخَطَأُ وَالْغَفْلَةُ جَائِزَانِ عَلَيْهِ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، وَإِنَّمَا هَؤُلَاءِ الْجَهَلَةُ الْبُغَاةُ مُتَعَنِّتُونَ خَوَنَةٌ ظَلَمَةٌ مُفْتَرُونَ، وَلِهَذَا صَمَّمُوا بَعْدَ هَذَا عَلَى حَصْرِهِ وَالتَّضْيِيقِ عَلَيْهِ حَتَّى مَنَعُوهُ الْمِيرَةَ وَالْمَاءَ وَالْخُرُوجَ إِلَى الْمَسْجِدِ، وَتَهَدَّدُوهُ بِالْقَتْلِ، وَلِهَذَا خَاطَبَهُمْ بِمَا خَاطَبَهُمْ بِهِ مِنْ تَوْسِعَةِ الْمَسْجِدِ وَهُوَ أَوَّلُ مَنْ مُنِعَ مِنْهُ، وَمِنْ وَقْفِهِ بِئْرَ رُومَةَ عَلَى الْمُسْلِمِينَ وَهُوَ أَوَّلُ مَنْ مُنِعَ مَاءَهَا، وَمِنْ أَنَّهُ سَمِعَ رَسُولَ اللَّهِ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، يَقُولُ: «لَا يَحِلُّ دَمُ امْرِئٍ مُسْلِمٍ يَشْهَدُ أَنْ لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ إِلَّا بِإِحْدَى ثَلَاثٍ ; النَّفْسُ بِالنَّفْسِ وَالثَّيِّبُ
পৃষ্ঠা - ৫৮০৮


সীলমােহর ব্যবহার, তার উট ব্যবহার ও তার গােলামকে পত্র প্রেরণের জন্য ব্যবহার করা
উচিত হয়নি ৷ বিশেষত মুহাম্মদ ইবনৃ আবু বকরকে মিসরের শাসনকর্তা নিয়োগ করার ব্যাপারে
উসমান (রা) এবং মিসরীয়১ ৰিদ্রোহীদের সঙ্গে সমঝোতা হওয়ার পর এমন ঘটনা মোটেই
সমীচীন ছিল না ৷ এসব কিছুই তাে সমঝোতা ম্মারকের পরিপন্থী ৷ এ কারণে সমঝোতার
বিপরীত পত্র পেয়ে তারা ধারণা করে যে, নিশ্চয়ই তা উসমা ন (রা)-এব্র পত্র এবং তাদের
বিবেচনায় এটা তার বড় অপরাধ ৷ অথচ ওয়াই ছিল অপরাধে লিপ্ত আর ষড়যন্থে জড়িত ৷

তইি তারা মদীনায় ফিরে আসে এবং বড় বড় সাহাৰীকে পত্র দেখায় ৷ আর একাজে
অন্যরাও তাদের সহায়তা করে এবং ইন্ধন যোগড়ায় ৷ এমনকি কোন কােপ্সসাহন্বীও ধারণা করেন
যে, এ ঘটনা হযরত উসমান (রা)-এর নির্দেশক্রমেই ঘটেছে ৷ একদল বড় সাহাবী এবং
মিসরীয়দের উপস্থিতিতে এ সম্পর্কে উসমান (রা)-কে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি মহান আল্লাহ্র
নামে শপথ করে তা অস্বীকার করেন ৷ আর তিনি তো সত্যবাদী, নেক্কার এবং সত্য পথের
অভিযাত্রী ৷ পত্র লেখা, পত্রের বিষয়বস্তু লেখককে বলে দেয়ার কথা অস্বীকার করে তিনি বলেন
৪ এ বিষয়ে আমি কিছুই জানি না ৷ বিদ্রোহীরা বললো, পত্রে তো আপনার সীলমােহর আছে?’
তিনি বললেন, কােন ব্যক্তি এ সীলমােহর জাল করতে পারে ৷’ তখন তারা বললাে : পত্রভাে
ছিল আপনার উটের উপর সওয়ার আপনার সেবকের নিকট ৷ তখন তিনি বললেন : আল্পাহ্র
কসম, এ সম্পর্কে আমি কিছাং জানি না ৷ ’ এ সমস্ত কথার পর বিদ্রোহীরা তাকে বলে : আপনি
এ পত্র লিখে খিয়ানত তথা বিশ্বাসঘাতকতা করেছেন ; আর যদি আপনি না লিখে থাকেন বরং
আপনার যৰানীতে আপনার অগােচরে অন্য কেউ লিখে থাকে তাহলে তো আপনি অক্ষম
প্রমাণিত হলেন ৷ আর আপনার মতো অক্ষম ব্যক্তি তাে খিলাফতের যোগ্য নয় ৷ আপনার
খিয়ানত তথা বিশ্বাসহীনতা এবং অক্ষমতাই এর প্রধান কারণ ৷ ’

উসমব্ধিন (রা) খিলাফতের যোগ্য নন বলে বিদ্রোহীদের বক্তব্য ও দাবি সকল বিবেচনায়ই
অগ্রহণযােগ্য ৷ কারণ তর্কের খাতিরে যদি ধরে নেয়া যায় যে, তিনি সে পত্র লিখেছেন বাস্তবে
কিন্তু তিনি সে পত্র লিখেননি তাতেও দােষের কিছু নেই ৷ কারণ, ইমাম তথা শাসকের বিরুদ্ধে
বিদ্রোহীদের দর্প চুর্ণ করার লক্ষে এ ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করাকে তিনি উম্মতের জন্য
কল্যাণকঃ মনে করতে পারেন ৷ আর যেহেতু এ সম্পর্কে কোন কিছুই তার জানা ছিল না , তাই
তার পক্ষ হয়ে মিথ্যা আর বানােয়াট পত্রের জা র্তাকে কেমন করে অক্ষম সাব্যস্ত করা যায়ঃ
আর তিনি তাে মাসুম তথা নিষ্পাপ নন ৷ ভুলভ্রান্তি আর ক্রটি-বিচ্যুতি তার দ্বারাও সংঘটিত
হওয়া সম্ভব ৷ আর এসব র্তাজ্ঞ মুর্থ বিদ্রোহীরা তো ছিল ছিদ্বাম্বেষী খিয়ানতকারী ও মিথ্যাশ্রয়ী
জালিম ৷ এ কারণেই তো এরপর তারা র্তাকে অবরুদ্ধ করে তার জীবন যাপন সংকীর্ণ করে
তোলার জন্য কৃত সংকল্প হয় ৷ এমনকি তারা খাদ্য-পানীয় এবং মসজিদে দাফন করতেও তাকে
বিরত রাখে, হত্যার হুমকি দেয় ৷ এ কারণে মসজিদ সম্প্রসারণে তার অবদানের কথা তিনি
তাদেরকে স্মরণ করান ৷ আর তিনি হলেন প্রথম ব্যক্তি, যাকে তার সম্প্রসারিত মসজিদে নামায



১ মুহাম্মদ ইবনৃ আবুয়কর তাদের শাসক থাকবেন-এ মর্মে উসমান (রা)এর পক্ষ থেকে লিখিত অঙ্গীকার পত্র
নিয়ে মিসরীয়রা দেশে ফিরে যায় ৷ (ফুতুহে ইবনুল আসাম ২২১ : পৃষ্ঠায় পুর্ণ বিবরণ দ্রষ্টব্য ৷ (মিসরের
শাসনকর্তা ইবনৃ আবু সারাহ এর নামে উসমান (রা)এর পত্রের পুর্ণ বিবরণও তাতে দেখা যেতে পারে) ৷


الزَّانِي، وَالتَّارِكُ لِدِينِهِ الْمُفَارِقُ لِلْجَمَاعَةِ» وَذَكَرَ أَنَّهُ لَمْ يَقْتُلْ نَفَسًا، وَلَا ارْتَدَّ بَعْدَ إِيمَانِهِ، وَلَا زَنَى فِي جَاهِلِيَّةٍ وَلَا إِسْلَامٍ، بَلْ وَلَا مَسَّ فَرْجَهُ بِيَمِينِهِ بَعْدَ أَنْ بَايَعَ بِهَا رَسُولَ اللَّهِ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ. وَفِي رِوَايَةٍ بَعْدَ أَنْ كَتَبَ بِهَا الْمُفَصَّلَ. ثُمَّ ذَكَرَ لَهُمْ مِنْ فَضَائِلِهِ وَمَنَاقِبِهِ مَا لَعَلَّهُ يَنْجَعُ فِيهِمْ بِالْكَفِّ عَنْهُ وَالرُّجُوعِ إِلَى الطَّاعَةِ لِلَّهِ وَلِرَسُولِهِ وَلِأُولِي الْأَمْرِ مِنْهُمْ، فَأَبَوْا إِلَّا الِاسْتِمْرَارَ عَلَى مَا هُمْ عَلَيْهِ مِنَ الْبَغْيِ وَالْعُدْوَانِ. وَمَنَعُوا النَّاسَ مِنَ الدُّخُولِ إِلَيْهِ وَالْخُرُوجِ مِنْ عِنْدِهِ، حَتَّى اشْتَدَّ عَلَيْهِ الْحَالُ، وَضَاقَ الْمَجَالُ، وَنَفَدَ مَا عِنْدَهُ مِنَ الْمَاءِ، فَاسْتَغَاثَ بِالْمُسْلِمِينَ فِي ذَلِكَ فَرَكِبَ عَلِيٌّ بِنَفْسِهِ وَحَمَلَ مَعَهُ قِرَبًا مِنَ الْمَاءِ فَبِالْجَهْدِ حَتَّى أَوْصَلَهَا إِلَيْهِ بَعْدَ مَا نَالَهُ مِنْ جَهَلَةِ أُولَئِكَ كَلَامٌ غَلِيظٌ، وَتَنْفِيرٌ لِدَابَّتِهِ، وَإِخْرَاقٌ عَظِيمٌ بَلِيغٌ، وَكَانَ قَدْ زَجَرَهُمْ أَتَمَّ الزَّجْرِ، حَتَّى قَالَ لَهُمْ فِيمَا قَالَ: وَاللَّهِ إِنَّ فَارِسَ وَالرُّومَ لَا يَفْعَلُونَ كَفِعْلِكُمْ هَذَا بِهَذَا الرَّجُلِ، وَاللَّهِ إِنَّهُمْ لِيَأْسِرُونِ فَيُطْعِمُونَ وَيَسْقُونَ. فَأَبَوْا أَنْ يَقْبَلُوا مِنْهُ حَتَّى رَمَى بِعِمَامَتِهِ فِي وَسَطِ الدَّارِ، وَجَاءَتْ أُمُّ حَبِيبَةَ رَاكِبَةً بَغْلَةً وَحَوْلَهَا حَشَمُهَا وَخَدَمُهَا، فَقَالُوا: مَا جَاءَ بِكِ؟ فَقَالَتْ: إِنْ عِنْدَهُ وَصَايَا بَنِي أُمَيَّةَ لِأَيْتَامٍ وَأَرَامِلَ، فَأَحْبَبْتُ أَنْ أُذَكِّرَهُ بِهَا. فَكَذَّبُوهَا فِي ذَلِكَ، وَنَالَهَا مِنْهُمْ شِدَّةٌ عَظِيمَةٌ، وَقَطَعُوا حِزَامَ الْبَغْلَةِ وَنَدَّتْ بِهَا، وَكَادَتْ أَوْ سَقَطَتْ عَنْهَا، وَكَادَتْ تُقْتَلُ لَوْلَا تَلَاحَقَ بِهَا النَّاسُ فَأَمْسَكُوا بِدَابَّتِهَا، وَوَقَعَ أَمْرٌ كَبِيرٌ جِدًّا، وَلَمْ يَبْقَ يَحْصُلُ لِعُثْمَانَ وَأَهْلِهِ مِنَ الْمَاءِ إِلَّا مَا يُوصِلُهُ إِلَيْهِمْ آلُ عَمْرِو بْنِ حَزْمٍ فِي الْخُفْيَةِ لَيْلًا، فَإِنَّا لِلَّهِ وَإِنَّا إِلَيْهِ رَاجِعُونَ.
পৃষ্ঠা - ৫৮০৯


আদায় করতে বাধা দেয়া হয় ৷ বিরে রুমা মুসলমানদের জন্য ওয়াফ্ক করার কথাও তিনি
তাদেরকে স্মরণ করবে, আর আজ কিনা তাকেই সে পানি থেকে বঞ্চিত করা হচ্ছে ৷ তিনি
তাদেরকে রাসুলমোঃ এর হাদীসের কথা স্মরণ করিয়ে দেন :

এশ্শ্ৰু১

তিনি রাসুল মোঃ-কে বলতে শুনেছেন : তিনটি কারণের কোন একটি ছাড়া ণ্কান মুসলিম
ব্যক্তির রক্ত হালাল নয় (১) জানের বদলা জান, (২) বিবাহিত পুরুষের ব্যভিচারে লিপ্ত হওয়া
এবং (৩) ধর্মত্যাগ করা, যে দলের ভাঙ্গন সৃষ্টি করে ৷ তনি একথাও উল্লেখ করেন যে, কোন
মানুষকে৩ তিনি হত্যা করেন নি ৷ ঈমান আনয়নের পর তিনি মুর৩ ৩াদ হননি এবং জাহিলী বা
ইসলামী যুগে তিনি ব্যতিচারে লিপ্ত হননি ৷ ৷ রাসুলের নিকট বায়য়াত করার পর ডান হাতে
লজ্জাস্থান স্পর্শ করেন নি ৷ অন্য বর্ণনার ডান হাত দ্বারা মুফাসসাল সুরা লিপিবদ্ধ করার কথা
উল্লেখ আছে ৷ অতঃপর তিনি তাদের সম্মুখে নিজের বৈশিষ্ট্য উল্লেখ করেন ৷ এ আশায় যে,
হয়তো এতে করে তা থেকে তাদের নিবৃত্ত হওয়া এবৎ আল্লাহ তার রাসুল এবং আমীরের
আনুগত্যের দিকে ফিরে আসার ব্যাপারে কল্যাণকর হতে পারে ৷ বিদ্রোহ আর সীমালৎঘন
অব্যাহত রাখা ছাড়া অন্য কিছু করতে বিদ্রোহীরা অস্বীকার করে ৷ তারা লোকজনকে তার নিকট
গমনাগমন করতেও বাধা দেয় ৷ অবস্থা চরম আকার ধারণ করে এবং পরিবেশ সঙ্গীন হয়ে
উঠে ৷ গৃহে যে পানি ছিল তা-ও ফুরিয়ে যায় ৷ তিনি মুসলমানদের নিকট সাহায্যের জন্য
ফরিয়াদ জানালে আলী (বা) এক মশক পানি বহন করে আনেন এবং অতিকষ্টে তা খলীফার
নিকট পৌছান ৷ এজন্য র্তাকে এসব জাহিলদের অনেক গঞ্জনা সহ্য করতে হয়েছে, শুনতে
হয়েছে অনেক কটু কথা ৷

তারা তার বাহন হটিয়ে দেয়ার চেষ্টা করে এবং অনেক হুমকি আর অনেক ভয়-ভীতি
দেখায় ৷ তিনি তাদেরকে প্রচণ্ডভাবে শাসিয়ে দেন ৷ এমনকি তিনি তাদেরকে অন্যসব কথার
মধ্যে একথাও বলেন : তোমরা এ ব্যক্তির সঙ্গে যে আচরণ করছো, তোমাদের মতো আচরণ
রোমান আর পারসিকরাও করতো না এমন কথাভাে আমি হলফ করে বলতে পারি ৷ আল্লাহ্র
কলম, তারাভাে বন্দীদেরকেও আহার্য ও পানীয় সরবরাহ করে ৷ তারা তার কথা মানতে
অস্বীকৃতি জ্ঞাপন করলে খলীফা গৃহের অভ্যন্তরে তার মাথার পাগড়ি ছুড়ে মারেন ৷ উম্মে হাবীবা
খচ্চরের পিঠে সওয়ার হয়ে উপস্থিত হন ৷ আশপাশে ছিল তার খাদিম-নওফর ৷ সন্ত্রাসীরা
জিজ্ঞেস করে, “কি জন্য আপনার এখানে আগমনা তিনি বললেন, খলীফা উসমান (রা)এর
নিকট বনু উমাইয়াৱ এতীম এবং ৰিধবাদের জন্য ওসীয়ত (আমানত) আছে ৷ সে ব্যাপারে আমি
তার সঙ্গে কথা বলতে চাই ৷ কিড়ু তারা এ ব্যাপারে তাকে মিথ্যা প্রতিপন্ন করে ৷ তাদের পক্ষ
থেকে তাকে অনেক ফেতনা আর পঞ্জন৷ সইতে হয় ৷ এমনকি তারা খচ্চরের জিনের বেল্ট কর্তন
করে, ফলে খচ্চর তাকে নিয়ে পলায়ন করে ৷ এমনকি তার পতিত হওয়ার উপক্রম হয় ৷
লোকেরা ছুটে না এলে তিনি মারা যাওয়ার উপক্রম হয়েছিলেন ৷ লোকেরা তার পশুকে রক্ষা
করে ৷ অন্যথায় মহাকাগু ঘটে যেভাে ৷ আম্র ইবন ছায়মের লোকজন রাত্রিবেলা গোপনে যে
পানি উসমান (রা) ও তার পরিজনের নিকট পৌছায়, তাছাড়া অন্য কোন পানি পাওয়ার সুযোগ
আর অবশিষ্ট জ্জি না ৷


وَلَمَّا وَقَعَ هَذَا أَعْظَمَهُ النَّاسُ جِدًّا، وَلَزِمَ أَكْثَرُ النَّاسِ بُيُوتَهُمْ، وَجَاءَ وَقْتُ الْحَجِّ فَخَرَجَتْ أُمُّ الْمُؤْمِنِينَ عَائِشَةُ فِي هَذِهِ السَّنَةِ إِلَى الْحَجِّ، فَقِيلَ لَهَا: إِنَّكِ لَوْ أَقَمْتِ كَانَ أَصْلَحَ، لَعَلَّ هَؤُلَاءِ الْقَوْمَ يَهَابُونَكِ. فَقَالَتْ: إِنِّي أَخْشَى أَنْ أُشِيرَ عَلَيْهِمْ بِرَأْيٍ فَيَنَالَنِي مِنْهُمْ مِنَ الْأَذِيَّةِ مَا نَالَ أُمَّ حَبِيبَةَ. فَعَزَمَتْ عَلَى الْخُرُوجِ. وَاسْتَخْلَفَ عُثْمَانُ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، فِي هَذِهِ السَّنَةِ عَلَى الْحَجِّ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ عَبَّاسٍ، فَقَالَ لَهُ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عَبَّاسٍ: إِنَّ مُقَامِي عَلَى بَابِكَ أُجَاحِفُ عَنْكَ أَفْضَلُ مِنَ الْحَجِّ. فَعَزَمَ عَلَيْهِ فَخَرَجَ بِالنَّاسِ إِلَى الْحَجِّ، وَاسْتَمَرَّ الْحِصَارُ بِالدَّارِ حَتَّى مَضَتْ أَيَّامُ التَّشْرِيقِ وَرَجَعَ الْبَشِيرُ مِنَ الْحَجِّ، فَأَخْبَرَ بِسَلَامَةِ النَّاسِ، وَأَخْبَرَ أُولَئِكَ بِأَنَّ أَهْلَ الْمَوْسِمِ عَازِمُونَ عَلَى الرُّجُوعِ إِلَى الْمَدِينَةِ لِيَكُفُّوكُمْ عَنْ أَمِيرِ الْمُؤْمِنِينَ. وَبَلَغَهُمْ أَيْضًا أَنَّ مُعَاوِيَةَ قَدْ بَعَثَ جَيْشًا مَعَ حَبِيبِ بْنِ مَسْلَمَةَ، وَأَنَّ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ سَعْدِ بْنِ أَبِي سَرْحٍ قَدْ نَفَّذَ آخَرَ مَعَ مُعَاوِيَةَ بْنِ حُدَيْجٍ، وَأَنَّ أَهْلَ الْكُوفَةِ قَدْ بَعَثُوا الْقَعْقَاعَ بْنَ عَمْرٍو فِي جَيْشٍ، وَأَنَّ أَهْلَ الْبَصْرَةِ بَعَثُوا مُجَاشِعًا فِي جَيْشٍ، فَعِنْدَ ذَلِكَ صَمَّمُوا عَلَى أَمْرِهِمْ وَبَالَغُوا فِيهِ وَانْتَهَزُوا الْفُرْصَةَ بِقِلَّةِ النَّاسِ وَغَيْبَتِهِمْ فِي الْحَجِّ، وَأَحَاطُوا بِالدَّارِ، وَجَدُّوا فِي الْحِصَارِ، وَأَحْرَقُوا الْبَابَ، وَتَسَوَّرُوا مِنَ الدَّارِ الْمُتَاخِمَةِ لِلدَّارِ ; كَدَارِ عَمْرِو بْنِ حَزْمٍ وَغَيْرِهَا، وَجَاحَفَ النَّاسُ عَنْ عُثْمَانَ أَشَدَّ الْمُجَاحَفَةِ، وَاقْتَتَلُوا عَلَى الْبَابِ قِتَالًا شَدِيدًا، وَتَبَارَزُوا وَتَرَاجَزُوا بِالشِّعْرِ فِي مُبَارَزَتِهِمْ، وَجَعَلَ أَبُو هُرَيْرَةَ يَقُولُ: هَذَا يَوْمٌ طَابَ امْضِرَابُ. وَقُتِلَ طَائِفَةٌ مِنْ
পৃষ্ঠা - ৫৮১০
أَهْلِ الدَّارِ، وَآخَرُونَ مِنْ أُولَئِكَ الْفُجَّارِ، وَجُرِحَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ الزُّبَيْرِ جِرَاحَاتٍ كَثِيرَةً، وَكَذَلِكَ جُرِحَ الْحَسَنُ بْنُ عَلِيٍّ، وَمَرْوَانُ بْنُ الْحَكَمِ فَقُطِعَ إِحْدَى عِلْبَاوَيْهِ، فَعَاشَ أَوْقَصَ حَتَّى مَاتَ. وَمِنْ أَعْيَانِ مَنْ قُتِلَ مِنْ أَصْحَابِ عُثْمَانَ، زِيَادُ بْنُ نُعَيْمٍ الْفِهْرِيُّ، وَالْمُغِيرَةُ بْنُ الْأَخْنَسِ بْنِ شَرِيقٍ، وَنِيَارُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ الْأَسْلَمِيُّ، فِي أُنَاسٍ وَقْتَ الْمَعْرَكَةِ. وَيُقَالُ: إِنَّهُ انْهَزَمَ أَصْحَابُ عُثْمَانَ ثُمَّ تَرَاجَعُوا. وَلَمَّا رَأَى عُثْمَانُ ذَلِكَ عَزَمَ عَلَى النَّاسِ لِيَنْصَرِفُوا إِلَى بُيُوتِهِمْ، فَانْصَرَفُوا - كَمَا تَقَدَّمَ - فَلَمْ يَبْقَ عِنْدَهُ أَحَدٌ سِوَى أَهْلِهِ، فَدَخَلُوا عَلَيْهِ مِنَ الْبَابِ وَمِنَ الْجُدْرَانِ، وَفَزِعَ عُثْمَانُ إِلَى الصَّلَاةِ وَافْتَتَحَ سُورَةَ طه - وَكَانَ سَرِيعَ الْقِرَاءَةِ - فَقَرَأَهَا وَالنَّاسُ فِي غَلَبَةٍ عَظِيمَةٍ، قَدِ احْتَرَقَ الْبَابُ وَالسَّقِيفَةُ الَّتِي عِنْدَهُ، وَخَافُوا أَنْ يَصِلَ الْحَرِيقُ إِلَى بَيْتِ الْمَالِ، ثُمَّ فَرَغَ عُثْمَانُ مِنْ صِلَاتِهِ وَجَلَسَ وَبَيْنَ يَدَيْهِ الْمُصْحَفُ، وَجَعَلَ يَتْلُو هَذِهِ الْآيَةَ: {الَّذِينَ قَالَ لَهُمُ النَّاسُ إِنَّ النَّاسَ قَدْ جَمَعُوا لَكُمْ فَاخْشَوْهُمْ فَزَادَهُمْ إِيمَانًا وَقَالُوا حَسْبُنَا اللَّهُ وَنِعْمَ الْوَكِيلُ} [آل عمران: 173] فَكَانَ أَوَّلَ مَنْ دَخَلَ عَلَيْهِ
পৃষ্ঠা - ৫৮১১

ট্রুড্রুটুঠুপ্রুাট্রু ণ্ ৷ র্চুাট্রু ণ্এপুা
নিশ্চয় আমরা আল্লাহর জন্য এবং তার দিকেই তাে আমাদেরকে ফিরে যেতে হবে ৷
লোকেরা এ ঘটনাকে অনেক বড় বিপর্যয় জ্ঞান করে ৷ অনেক লোক গৃহাভ্যত্তরে বসে থাকা
নিজেদের জন্য অবধারিত করে নেয় ৷ ওদিকে হয়ুজ্জর সময় ঘনিয়ে আসে ৷ আর উম্মুল মু’মিনীন
আয়েশা (বা) এ বছর হক্কজ্জর জন্য বের হন ৷ তড়াকে বলা হয়, আপনি গৃহেঅবস্থান করলেই
ভাল হয়; হয়তো সস্রাসীরা আপনার ভয়ে বিরত থাকবে ৷ তিনি বললেন, আমার আশংকা হয়
তাদের সম্পর্কে আমি আমার মত ব্যক্ত করলে উম্মে হাবীবার মতো আমাকেও কষ্ট পেতে হবে ৷
তাই (হজ্জ সফরে) বের হতেই তিনি দৃঢ় প্রতিজ্ঞ হলেন ৷ আর উসমান (রা)-এ বছর আবদুল্লাহ্
ইবনৃ আব্বাস (রা)-কে তার ন্থলবর্তী আমীরুল হজ্জ নিয়োজিত করেন ৷ আবদুল্লাহ্ ইবনৃ
আব্বাস (রা) র্তাকে বলেন, আপনার গৃহের দরজায় অবস্থান করে হেফাজতের ব্যবস্থা করা
আমার হ্যজ্জর চাইতে উত্তম ৷ কিন্তু খলীফা তাকে হজ্জ করার জন্য জোর তড়াপিদ দেন ৷ তাই
তিনি লোকজনকে নিজে হক্কজ্জ রওয়ানা হন ৷
এদিকে গৃহদ্বারে অবরোধ জারি থাকে ৷ ইতিমধ্যে আইয়ামে তাশরীকও অতিক্রান্ত হয় ৷
কিছুসংখ্যক মানুষ হজ্জ থেকে ফিরে আসে ৷ লোকেরা সহি সালামতে আছে বলে র্তাকে জানানো
হয় আর তাদেরকে জানানো হয় যে, হাজীরা মদীনায় ফিরে যেতে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ, যাতে তারা
তােমাদেরকে আমীরুল মু’মিনীন থেকে নিবৃত্ত করতে পারে ৷ তারা এ খবরও পড়ায় যে মুঅড়াবিয়া
হড়াবীব ইবনৃ মাসলামার নেতৃত্বে একদল সৈন্য প্রেরণ করেছেন ৷ আর আবদুল্লাহ ইবনৃ সাদ
ইবনৃ আবু সারাহ মুআবিযা ইবনৃ খাদীজের নেতৃত্বে অপর একটি বাহিনী প্রেরণ করছেন ৷
কুফাবাসীরাও কাকা ইবনৃ আমরের নেতৃত্বে আর একটি বাহিনী প্রেরণ করছে আর
বসরাবাসীরাও অপর একটা বাহিনীসহ মুজাশিকে প্রেরণ করছে ৷ এ সুযোগে সন্ত্রাসীচক্র
নিজেদের সিদ্ধান্ত কার্যকর করতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ হয় এবং অবস্থা চরমে পৌছে ৷
হৰজ্জর কারণে লোকজনের অনুপন্থিতি এবং স্বল্পতাকে তারা সুবর্ণ সুযোগ জ্ঞান করে ৷ তারা
আমীরুল মু’মিনীনের গৃহ অবরোধ করে নেয় এবং এতে সর্বশক্তি নিয়োজিত করে ৷ তারা ঘরের
দরজায় আগুন লাগিয়ে দেয় এবং পাশের ঘর দিয়ে দেয়াল টপকিয়ে আসে ৷ তার ঘরের পাশে
ছিল আমৃর ইবনৃ হাঘৃমৃ প্রমুখের গৃহ ৷ লোকজন উসমড়ান (রা)-এর পক্ষ থেকে তীর প্রতিরোধ ং
গড়ে ণ্তড়ালে এবং দরজায় প্রচণ্ড লড়াই করে ৷ একে অন্যকে সম্মুখ সমরে অবতীর্ণ হওয়ার
আহ্বান আমার এবং উদ্দীপনামুলক কবিতা আবৃত্তি করে সম্মুখে অ্যাসর হয় ৷ আবু হুরাইরা (রা)
ও বলেন : এদািন অস্ত্র চালনা উত্তম কর্ম ৷ গৃহবাসীদের মধ্যে একদল নিহত হয়; অপরদিকে
সন্ত্রাসী পাপাচারীদের্বু মধ্য থেকে কিছু লোকও নিহত হয় ৷ আব্দুল্লাহ ইবন যুবাইর অনেক
আঘাতপ্রাপ্ত হন ৷ অনুরুপভাবে হুসাইন ইবনৃ আলী এবং মারওয়ান ইবনুল হাকামও আহত হন ৷
মারওয়ানের ঘাড়ের একাংশ কাটা যায় এবং সে আহত হয়ে ঘাড় ৰীকা অবস্থায় বেচে থাকার
পর অবশেষে মৃত্যুবরণ করে ৷
উসমান (রা)-এর সঙ্গীদের মধ্যে বিশিষ্ট যেসব ব্যক্তি ইনতিকলৌ করেন, তাদের মধ্যে
বিবাদ ইবনৃ নাঈম আলফিহরী, মুগীরা ইবনৃ আখনাস ইবনৃ শুরইিক, নিয়ার ইবনৃ আবদুল্লাহ্

৪৩


رَجُلٌ يُقَالُ لَهُ: الْمَوْتُ الْأَسْوَدُ. فَخَنَقَهُ خَنْقًا شَدِيدًا حَتَّى غُشِيَ عَلَيْهِ، وَجَعَلَتْ نَفْسُهُ تَتَرَدَّدُ فِي حَلْقِهِ، فَتَرَكَهُ وَهُوَ يَظُنُّ أَنَّهُ قَدْ قَتَلَهُ، ثُمَّ دَخَلَ ابْنُ أَبِي بَكْرٍ فَمَسَكَ بِلِحْيَتِهِ، ثُمَّ نَدِمَ وَخَرَجَ، ثُمَّ دَخَلَ عَلَيْهِ آخَرُ وَمَعَهُ سَيْفٌ فَضَرَبَهُ بِهِ فَاتَّقَاهُ بِيَدِهِ فَقَطَعَهَا. فَقِيلَ: إِنَّهُ أَبَانَهَا. وَقِيلَ: بَلْ قَطَعَهَا وَلَمْ يُبِنْهَا. إِلَّا أَنَّ عُثْمَانَ قَالَ: وَاللَّهِ إِنَّهَا لَأَوَّلُ يَدٍ كَتَبَتِ الْمُفَصَّلَ. فَكَانَ أَوَّلُ قَطْرَةِ دَمٍ مِنْهَا سَقَطَتْ عَلَى هَذِهِ الْآيَةِ: {فَسَيَكْفِيكَهُمُ اللَّهُ وَهُوَ السَّمِيعُ الْعَلِيمُ} [البقرة: 137] . ثُمَّ جَاءَ آخَرُ شَاهِرًا سَيْفَهُ، فَاسْتَقْبَلَتْهُ نَائِلَةُ بِنْتُ الْفَرَافِصَةِ لِتَمْنَعَهُ مِنْهُ، وَأَخَذَتِ السَّيْفَ فَانْتَزَعَهُ مِنْهَا فَقَطَعَ أَصَابِعَهَا، ثُمَّ إِنَّهُ تَقَدَّمَ إِلَيْهِ، فَوَضَعَ السَّيْفَ فِي بَطْنِهِ فَتَحَامَلَ عَلَيْهِ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْ عُثْمَانَ وَأَرْضَاهُ. وَفِي رِوَايَةٍ أَنَّ الْغَافِقِيَّ بْنَ حَرْبٍ تَقَدَّمَ إِلَيْهِ بَعْدَ مُحَمَّدِ بْنِ أَبِي بَكْرٍ فَضَرَبَهُ بِحَدِيدَةٍ فِي يَدِهِ، وَرَفَسَ الْمُصْحَفَ الَّذِي بَيْنَ يَدَيْهِ بِرِجْلِهِ، فَاسْتَدَارَ الْمُصْحَفُ ثُمَّ اسْتَقَرَّ بَيْنَ يَدَيْ عُثْمَانَ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، وَسَالَتْ عَلَيْهِ الدِّمَاءُ، ثُمَّ تَقَدَّمَ سُودَانُ بْنُ حُمْرَانَ بِالسَّيْفِ فَمَانَعَتْهُ نَائِلَةُ، فَقَطَعَ أَصَابِعَهَا، فَوَلَّتْ فَضَرَبَ عَجِيزَتَهَا بِيَدِهِ، وَقَالَ: إِنَّهَا لِكَبِيرَةُ الْعَجِيزَةِ. وَضَرَبَ عُثْمَانَ فَقَتَلَهُ، فَجَاءَ غُلَامُ عُثْمَانَ فَضَرَبَ
পৃষ্ঠা - ৫৮১২
سُودَانَ فَقَتَلَهُ، فَضَرَبَ الْغُلَامَ رَجُلٌ يُقَالُ لَهُ: قُتَيْرَةُ. فَقَتَلَهُ. وَرَوَى ابْنُ جَرِيرٍ أَنَّهُمْ أَرَادُوا حَزَّ رَأْسِهِ بَعْدَ قَتْلِهِ، فَصَاحَ النِّسَاءُ وَضَرَبْنَ وُجُوهَهُنَّ ; فِيهِنَّ امْرَأَتَاهُ نَائِلَةُ وَأُمُّ الْبَنِينَ وَبَنَاتُهُ، فَقَالَ ابْنُ عُدَيْسٍ: اتْرُكُوهُ! فَتَرَكُوهُ. ثُمَّ مَالَ هَؤُلَاءِ الْفَجَرَةُ عَلَى مَا فِي الْبَيْتِ فَنَهَبُوهُ، وَذَلِكَ أَنَّهُ نَادَى مُنَادِيهِمْ: أَيَحِلُّ لَنَا دَمُهُ وَلَا يَحِلُّ لَنَا مَالُهُ! فَانْتَهَبُوهُ، ثُمَّ خَرَجُوا فَأَغْلَقُوا الْبَابَ عَلَى عُثْمَانَ وَقَتِيلَيْنِ مَعَهُ، فَلَمَّا خَرَجُوا إِلَى صَحْنِ الدَّارِ وَثَبَ غُلَامٌ لِعُثْمَانَ عَلَى قُتَيْرَةَ فَقَتَلَهُ، وَجَعَلُوا لَا يَمُرُّونَ عَلَى شَيْءٍ إِلَّا أَخَذُوهُ، حَتَّى اسْتَلَبَ رَجُلٌ يُقَالُ لَهُ: كُلْثُومٌ التُّجِيبِيُّ، مُلَاءَةَ نَائِلَةَ، فَضَرَبَهُ غُلَامٌ لِعُثْمَانَ فَقَتَلَهُ، وَقُتِلَ الْغُلَامُ أَيْضًا، ثُمَّ تَنَادَى الْقَوْمُ: أَنْ أَدْرِكُوا بَيْتَ الْمَالِ لَا تَسْتَبَقُوا إِلَيْهِ. فَسَمِعَهُمْ حَفَظَةُ بَيْتِ الْمَالِ فَقَالُوا: يَا قَوْمُ النَّجَاءَ النَّجَاءَ! فَإِنَّ هَؤُلَاءِ الْقَوْمَ لَمْ يَصْدُقُوا فِيمَا قَالُوا مِنْ أَنَّ قَصْدَهُمْ قِيَامُ الْحَقِّ وَالْأَمْرُ بِالْمَعْرُوفِ وَالنَّهْيُ عَنِ الْمُنْكَرِ، وَغَيْرُ ذَلِكَ مِمَّا ادَّعَوْا أَنَّهُمْ إِنَّمَا قَامُوا لِأَجْلِهِ، وَكَذَبُوا إِنَّمَا قَصْدُهُمُ الدُّنْيَا. فَانْهَزَمُوا وَجَاءَ الْخَوَارِجُ فَأَخَذُوا مَالَ بَيْتِ الْمَالِ وَكَانَ فِيهِ شَيْءٌ كَثِيرٌ جِدًّا.
পৃষ্ঠা - ৫৮১৩


আসলামী-এসব বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ স ঘাতকালে অন্যদ্যে৷ সঙ্গে নিহত হন ৷ কারো কারো মতে
উসমান (রা) এর সমর্থকরা পরাজিত হয়ে ফিরে আসে ৷ উসমান (বা) এ অবস্থা দেখে
লোকজনকে স্বস্ব গৃহে ফিরে যাওয়ার জন্য জোর দিয়ে বলেন ৷ ফলে তারা ফিরে যায়, যেমন

ইতিপুর্বে উল্লেখ করা হয়েছে ৷ তাই পরিবার অর্থাৎ; শ্রী ব্যতীত তার নিকট আর কেউ ছিল না ৷

ফলে সস্ত্রাসীরা দরজা দিয়ে এবং দেয়াল টপকে ভেতরে প্রবেশ করে ৷ এ সময় উসমান (বা)

নামাষে রত হন এবং সুরা ত্বাহ৷ পাঠ করতে থাকেন ৷ তিনি দ্রুত কুরআন তিসাওয়াত করতেন ৷

তিনি তিলাওয়াত করছিলেন আর লোকেরা সংঘাতে লিপ্ত ৷ ভীব্রে সংঘাতকালে গৃহের দরজা ও

ছাদ অগ্নিদগ্ধ হয় ৷ আগুনে ৰায়তুলমাল পর্যন্ত প্ৰজ্বলিত হওয়ার আশংকা দেখা দেয় ৷ উসমান

(রা) নামায সমাপ্ত করে বললেন ৷ তার সম্মুখে উন্মুক্ত কুরআন মব্জীদ ৷ তিনি নিম্নের আয়াত
তিলাওয়াত করছিলেন :

লোকেরা তাদেরকে বললো : “তোমাদের বিরুদ্ধে লোকেরা সমবেত হয়েছে; সুতরাং
তোমরা তাদেরকে ভয় কর, কিত্তু এটা তাদের ঈমান দৃঢ়তর করেছিল এবং তারা বলে
উঠলো আল্লাহ্ই আমাদের জন্য যথেষ্ট এবং তিনি কতই না উত্তম কর্মৰিধায়ক ! (সুরা আলে
ইমরান ৩৪ ১৭৩)
তারপর যে লোকটি সর্বপ্রথম তার নিকট গমন করে তাকে ষ্ ন্১৷ ৷ -,¢ ৷ তথা কৃষ্ণ মৃত্যু
নামে অভিহিত করা হয় ৷ লোকটি ভীব্রভাবে তার র্টুটি চেপে ধরে, ফলে তিনি সম্বিতহারা হয়ে
যান ৷ এ সময় তার শ্বাস আসে আর যায় এমন অবস্থা ৷ তার মৃত্যু হয়েছে মনে করে লোকটি
তাকে ছেড়ে যায় ৷ এরপর গৃহে প্রবেশ করে আবুবকর তনয় ৷ তিনি ঢুকেই তার দাড়ি ধরে
টানেন এবং পরে বেরিয়ে যান ৷ তারপর তরবারি নিয়ে অপর ব্যক্তি প্রবেশ করে তরবারি দ্বারা
আঘাত করলে হাত দ্বারা তিনি তা ঠেকাবার চেষ্টা করেন ৷ ফলে তার হাত কেটে যায় ৷ কেউ
বলেন, এর ফলে তার হাত বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়, আবার কারো কারো মতে বিজ্জি হয়নি, তবে
কাটা যায় ৷ এ সময় উসমান (রা) বলছিলেন, আল্লাহ্র কসম, এ হাত দ্বারা আমি মুফাসৃসাল
সুরাগুলো লিপিবদ্ধ করেছিলাম ৷ তার রক্তের প্রথম ল্টি৷ এ আয়াতটির উপর পতিত হয় :


অনতিবিলন্বে তাদের জন্য তোমার পক্ষে আল্পাহ্ই যথেষ্ট হবেন; তিনি মহা শ্রোতা,
মহাজ্ঞানী (সুরা বাকারা ২, আয়াত ১৩৭) ৷

তারপর তরবারি উচিয়ে অপর এক ব্যক্তি প্রবেশ করে ৷ তাকে বাধা দেয়ার জন্য নইিলা
বিনত ফারাফিসা এগিয়ে যান ৷ তিনি তরবারি হাতে নিয়ে বাধা দেয়ার চেষ্টা করলে লোকটি তা
ছিনিয়ে নেয়, এতে তার হাত কাটা যায় ৷ তারপর লোকটি এগিয়ে গিয়ে আমীরুল মু’মিনীনের
পােট আঘাত করে ৷ আল্লাহ্ উসমানেরপ্রতি সত্তুষ্ট থাকুন ৷ অপর এক বর্ণনা মতে, মুহাম্মদ ইবন
আবু বকরের পরে গাফিকী ইবনৃ হারব এগিয়ে খলীফার মুখে লৌহ শলাকা দ্বারা আঘাত হানে


وَقَدْ ذَكَرَ ابْنُ عَسَاكِرَ فِي تَرْجَمَةِ سَهْمِ بْنِ خَنْبَسٍ أَبِي خَنْبَشٍ أَوْ خُنَيْسٍ الْأَزْدِيِّ - وَكَانَ قَدْ شَهِدَ الدَّارَ - وَرَوَاهُ مُحَمَّدُ بْنُ عَائِذٍ، عَنْ إِسْمَاعِيلَ بْنِ عَيَّاشٍ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ يَزِيدَ الرَّحْبِيِّ، عَنْهُ وَكَانَ قَدِ اسْتَدْعَاهُ عُمَرُ بْنُ عَبْدِ الْعَزِيزِ إِلَى دَيْرِ سَمْعَانَ، فَسَأَلَهُ عَنْ مَقْتَلِ عُثْمَانَ، فَذَكَرَ مَا مُلَخَّصُهُ أَنَّ وَفْدَ الْأَشْقِيَاءِ وَهُمْ وَفْدُ مِصْرَ كَانُوا قَدْ قَدِمُوا عَلَى عُثْمَانَ فَأَجَازَهُمْ وَأَرْضَاهُمْ، فَانْصَرَفُوا رَاجِعِينَ، ثُمَّ كَرُّوا إِلَى الْمَدِينَةِ، فَوَافَقُوا عُثْمَانَ قَدْ خَرَجَ لِصَلَاةِ الْغَدَاةِ أَوِ الظُّهْرِ، فَحَصَبُوهُ بِالْحَصَا وَالنِّعَالِ وَالْخِفَافِ، فَانْصَرَفَ إِلَى الدَّارِ وَمَعَهُ أَبُو هُرَيْرَةَ وَالزُّبَيْرُ وَابْنُهُ عَبْدُ اللَّهِ وَطَلْحَةُ وَمَرْوَانُ وَالْمُغِيرَةُ بْنُ الْأَخْنَسِ فِي أُنَاسٍ، وَأَطَافَ وَفْدُ مِصْرَ بِدَارِهِ، فَاسْتَشَارَ النَّاسَ، فَقَالَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ الزُّبَيْرِ: يَا أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ إِنِّي أُشِيرُ بِإِحْدَى ثَلَاثِ خِصَالٍ ; إِمَّا أَنْ تُحْرِمَ بِعُمْرَةٍ فَتَحْرُمَ عَلَيْهِمْ دِمَاؤُنَا، وَإِمَّا أَنْ نَرْكَبَ مَعَكَ إِلَى مُعَاوِيَةَ بِالشَّامِ، وَإِمَّا أَنْ نَخْرُجَ فَنَضْرِبَ بِالسَّيْفِ إِلَى أَنْ يَحْكُمَ اللَّهُ بَيْنَنَا وَبَيْنَهُمْ، فَإِنَّا عَلَى الْحَقِّ وَهُمْ عَلَى الْبَاطِلِ. فَقَالَ عُثْمَانُ: أَمَّا مَا ذَكَرْتَ مِنَ الْإِحْرَامِ بِعُمْرَةٍ فَتَحْرُمُ دِمَاؤُنَا فَإِنَّهُمْ يَرَوْنَا حَلَالًا الْآنَ وَحَالَ الْإِحْرَامِ وَبَعْدَ الْإِحْرَامِ، وَأَمَّا الذَّهَابُ إِلَى الشَّامِ فَإِنِّي أَسْتَحْيِي أَنْ أَخْرُجَ مِنْ بَيْنِهِمْ خَائِفًا فَيَرَانِي أَهْلُ الشَّامِ وَتَسْمَعُ الْأَعْدَاءُ مِنَ الْكُفَّارِ ذَلِكَ، وَأَمَّا الْقِتَالُ فَإِنِّي أَرْجُو أَنْ أَلْقَى اللَّهَ وَلَيْسَ يُهَرَاقُ بِسَبَبِي مِحْجَمَةُ دَمٍ. قَالَ: ثُمَّ صَلَّيْنَا مَعَهُ صَلَاةَ الصُّبْحِ ذَاتَ يَوْمٍ فَلَمَّا فَرَغَ أَقْبَلَ عَلَى النَّاسِ فَقَالَ: إِنِّي رَأَيْتُ أَبَا بَكْرٍ وَعُمَرَ أَتَيَانِي اللَّيْلَةَ
পৃষ্ঠা - ৫৮১৪
فَقَالَا لِي: صُمْ يَا عُثْمَانُ فَإِنَّكَ تُفْطِرُ عِنْدَنَا. وَإِنِّي أُشْهِدُكُمْ أَنِّي قَدْ أَصْبَحْتُ صَائِمًا، وَإِنِّي أَعْزِمُ عَلَى مَنْ كَانَ يُؤْمِنُ بِاللَّهِ وَالْيَوْمِ الْآخِرِ أَنْ يَخْرُجَ مِنَ الدَّارِ سَالِمًا مَسْلُومًا مِنْهُ. فَقُلْنَا: يَا أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ، إِنْ خَرَجْنَا لَمْ نَأْمَنْ مِنْهُمْ عَلَيْنَا، فَائْذَنْ لَنَا أَنْ نَكُونَ فِي بَيْتٍ مِنَ الدَّارِ تَكُونُ لَنَا فِيهِ جَمَاعَةٌ وَمَنَعَةٌ. ثُمَّ أَمَرَ بِبَابِ الدَّارِ فَفُتِحَ، وَدَعَا بِالْمُصْحَفِ فَأَكَبَّ عَلَيْهِ وَعِنْدَهُ امْرَأَتَاهُ بِنْتُ الْفَرَافِصَةِ الْكَلْبِيَّةُ وَابْنَةُ شَيْبَةَ، فَكَانَ أَوَّلُ مَنْ دَخَلَ عَلَيْهِ مُحَمَّدُ بْنُ أَبِي بَكْرٍ فَأَخَذَ بِلِحْيَتِهِ، فَقَالَ: دَعْهَا يَا ابْنَ أَخِي فَوَاللَّهِ لَقَدْ كَانَ أَبُوكَ يَتَلَهَّفُ لَهَا بِأَدْنَى مِنْ هَذَا. فَاسْتَحْيَى فَخَرَجَ فَقَالَ لِلْقَوْمِ: قَدْ أَشْعَرْتُهُ لَكُمْ. وَأَخَذَ عُثْمَانُ مَا امْتُعِطَ مِنْ لِحْيَتِهِ فَأَعْطَاهُ إِحْدَى امْرَأَتَيْهِ، ثُمَّ دَخَلَ رُومَانُ بْنُ سُودَانَ، رَجُلٌ أَزْرَقُ قَصِيرٌ مُخَدَّدٌ، عِدَادُهُ مِنْ مُرَادٍ مَعَهُ جُرْزٌ مِنْ حَدِيدٍ، فَاسْتَقْبَلَهُ فَقَالَ: عَلَى أَيِّ مِلَّةٍ أَنْتَ يَا نَعْثَلُ؟ فَقَالَ عُثْمَانُ: لَسْتُ بِنَعْثَلٍ وَلَكِنِّي عُثْمَانُ بْنُ عَفَّانَ، وَأَنَا عَلَى مِلَّةِ إِبْرَاهِيمَ حَنِيفًا مُسْلِمًا وَمَا أَنَا مِنَ الْمُشْرِكِينَ. فَقَالَ: كَذَبْتَ. وَضَرَبَهُ بِالْجُرْزِ عَلَى صُدْغِهِ الْأَيْسَرِ فَقَتَلَهُ فَخَرَّ، فَأَدْخَلَتْهُ بِنْتُ الْفَرَافِصَةِ بَيْنَهَا وَبَيْنَ ثِيَابِهَا - وَكَانَتِ امْرَأَةً جَسِيمَةً ضَلِيعَةً - فَأَلْقَتْ نَفْسَهَا عَلَيْهِ، وَأَلْقَتْ بِنْتَ شَيْبَةَ نَفْسَهَا عَلَى مَا بَقِيَ مِنْ