আল বিদায়া ওয়া আন্নিহায়া

ثم دخلت سنة خمس وثلاثين

صفة حصر أمير المؤمنين عثمان بن عفان

صفة حصر أمير المؤمنين عثمان بن عفان

পৃষ্ঠা - ৫৭৮১


তারপর কাজ শেষে তারা তাদের বাসস্থান প্রত্যাবর্তন করলেন ৷ সাহাবায়ে কিংামের মধ্য হতে
একটি দল যেমন আবু হুরায়রা (রা) , ইবন উমর (রা) এবং যায়িদ ইবন সাধিত (রা) হযরত
উসমান (রা)-এর পক্ষ হতে যুদ্ধ করার জন্যে এগিয়ে আসেন ৷ হযরত উসমান (বা) তাদের
কাছে লোক প্রেরণ করলেন এবং শপথ প্রদান করলেন যাতে আল্লাহ তাআলার ফয়সালায়
হস্তক্ষেপ থেকে তারা বিরত থাকেন ও চুপ থাকেন ৷

আমীরুন মুমিনীন উসমান ইবন আফ্ফান (না)-এর অররােধের ঘটনা
জুমআর দিন যে ঘটনা ঘটার ছিল, তাই সংঘটিত হলো এবং অড়ামীরপ্স মু’মিনীন উসমান
(রা) মুখমণ্ডল এবং মাথায় অড়াঘাতপ্রাপ্ত হলেন; আহত হওয়ার সময় তিনি মিম্বরের উপর
ছিলেন ৷ বেছুশ হয়ে তিনি নিচে পড়ে যান, তাকে গৃহে নিয়ে যাওয়া হয় এবং পরিস্থিতি গুরুতর
আকার ধারণ করে ৷ অপরাধী চক্র তার ব্যাপারে লোভাতৃর হয়ে ওঠে ৷ ণ্লাকগুলো তাকে গৃহে
অবরুদ্ধ থাকতে বাধ্য করে, তার জীবন সংকীর্ণ করে তোলে এবং পৃহের অভ্যন্তরে তড়াকে
অবরুদ্ধ করে রাখে ৷ অনেক সাহাবী নিজ নিজ পৃহের অভ্যন্তরে অবস্থান করতে লাগলেন ৷
সাহাবী তনয়ের একটা দল তাদের নিজ নিজ পিতার নির্দেশে উসমান (রা)-এর দিকে ছুটে
যায় ৷ তাদের মধ্যে হাসান-হুসাইন (রা), আবদুল্লাহ্ ইবন যুবাইর (রা)ও ছিলেন, আর (পৃহের
দরজায় পাহারায় নিয়োজিতদের) ইনিই ছিলেন প্রধান, আংরা ছিলেন আব্দুল্লাহ ইবন আমর
(রা) ৷ এরা তার পক্ষ নিয়ে বিতণ্ডায় প্রবৃত্ত হন এবং প্রতিরোধ গড়ে তোলেন, যাতে অপরাধী
চক্রের কেউ তার কাছে পৌছতে সক্ষম না হয় ৷ অবরােধ্কারীদের কোন একটা দাবি তিনি
মেনে নেবেন এ আশায় সাহসীগণের কেউ কেউ তাকে একা ছেড়ে চলে গিয়েছিলেন ৷
আমীরুল মু’মিনীন-এর নিকট তাদের দাবি ছিল : হয় তিনি পদত্যাগ করবেন, অথবা
মারওয়ান ইবনুল হাকামকে তাদের নিকট সমর্পণ করবেন ৷ বিদ্রোহীরা হত্যার কথা ভাবছে
এমন চিন্তা কারো মনে জাগেনি ৷ এসময় উসমান (রা) মসজিদ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েন ৷ তাই
(পােলযােগের সুত্রপাতঙ্ঘ) প্রথম দিকে তিনি খুব কমই বের হতেন ৷ শেষের দিকে বের হওয়া
সম্পুর্ণ বন্ধ করে দেন ৷ এ সময় সাদ ইবন হাবব লোকদের নিয়ে নামায আদায় করেন ৷
অবরোধ এক মাসের বেশি অব্যাহত থাকে ৷ কারো কারো মতে তা ছিল চল্লিশ দিনব্যাপী ৷
অবশ্যেষ অবরােধের শেষ পর্যায়ে এসে আমীরুল মু’মিনীন উসমান ইবন আফ্ফান (রা) শহীদ
হন ৷ র্তাকে নির্মমডাবে হত্যা করা হয় ৷ এ সম্পর্কে পরে আমরা আলোচনা করবো ইনশাআল্লাহ্
তাআলা ৷
ইবন জারীর উল্লেখ করেন যে, উসমান (রা) যখন অবরুদ্ধ ছিলেন, সে সময়ে তালহা ইবন
উবায়দুল্লাহ লোকদেরকে নিয়ে নামায আদায় করতেন ৷ এমর্মে সহীহ বুখারীৰত১ একটা বর্ণনা
আছে ৷ তবে ওয়াকিদী বর্ণনা করেন যে, আলী (রা) আবুআইউব (রা), সহল ইবন হুনইিনও এ
সময় নামাষে ইমামতি করতেন ৷ তবে আলী (রা) দোকদেরকে নিয়ে জুমআর নামায আদায়
করতেন, পরবর্তীকালেও তিনিই জুমআর নামাষে ইমামতি করবেন ৷ এ সময় কতিপয় বিষয়ে



১ বুখারীর পাণ্ডুলিপিতে এ স্থান শুন্য রয়েছে ৷ প্রকাশিত কপির টীকায় বলা হয়েছে; মিসরীয় পাণ্ডুলিপি, রিয়াযুন
মাত্রা এবং তারীখুল আমীসেও রয়েছে ৷ আবদুল্লাহ ইবন সালাম থেকে বর্ণিত আছে যে, তিনি বলেছেন;
উসমান (রা) অবরুদ্ধ হলে আবু হুরায়রা (রা)-কে নামাষে ইমামতির দায়িত্ব দেন ৷


بِأَجْمَعِهِمْ فَحَصَبُوا النَّاسَ حَتَّى أَخْرَجُوهُمْ مِنَ الْمَسْجِدِ، وَحَصَبُوا عُثْمَانَ حَتَّى صُرِعَ مِنَ الْمِنْبَرِ مَغْشِيًّا عَلَيْهِ، فَاحْتُمِلَ وَأُدْخِلَ دَارَهُ، وَكَانَ الْمِصْرِيُّونَ لَا يَطْمَعُونَ فِي أَحَدٍ مِنَ النَّاسِ أَنْ يُسَاعِدَهُمْ إِلَّا مُحَمَّدَ بْنَ أَبِي بَكْرٍ، وَمُحَمَّدَ بْنَ جَعْفَرٍ، وَعَمَّارَ بْنَ يَاسِرٍ. وَأَقْبَلَ عَلِيٌّ وَطَلْحَةُ وَالزُّبَيْرُ إِلَى عُثْمَانَ فِي أُنَاسٍ يَعُودُونَهُ وَيَشْكُونَ إِلَيْهِ بَثَّهُمْ وَمَا حَلَّ بِالنَّاسِ، ثُمَّ رَجَعُوا إِلَى مَنَازِلِهِمْ، وَاسْتَقْتَلَ جَمَاعَةٌ مِنَ الصَّحَابَةِ؛ مِنْهُمْ أَبُو هُرَيْرَةَ، وَابْنُ عُمَرَ، وَزَيْدُ بْنُ ثَابِتٍ، فِي الْمُحَارَبَةِ عَنْ عُثْمَانَ، فَبَعَثَ إِلَيْهِمْ يُقْسِمُ عَلَيْهِمْ لَمَا كَفُّوا أَيْدِيَهُمْ وَسَكَنُوا حَتَّى يَقْضِيَ اللَّهُ مَا يَشَاءُ. [صِفَةُ حَصْرِ أَمِيرِ الْمُؤْمِنِينَ عُثْمَانَ بْنِ عَفَّانَ] َ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ لَمَّا وَقَعَ مَا وَقَعَ يَوْمَ الْجُمُعَةِ، وَشُجَّ أَمِيرُ الْمُؤْمِنِينَ عُثْمَانُ وَهُوَ فِي رَأْسِ الْمِنْبَرِ، وَسَقَطَ مَغْشِيًّا عَلَيْهِ، وَاحْتُمِلَ إِلَى دَارِهِ، تَفَاقَمَ الْأَمْرُ وَطَمِعَ فِيهِ أُولَئِكَ الْأَجْلَافُ الْأَخْلَاطُ مِنَ النَّاسِ وَأَلْجَئُوهُ إِلَى دَارِهِ وَضَيَّقُوا عَلَيْهِ، وَأَحَاطُوا بِهَا مُحَاصِرِينَ لَهُ،
পৃষ্ঠা - ৫৭৮২


তিনি জনগণের সম্মুখে ভাষণও দান করেছেন ৷ এ সময় আরো কিছু ঘটনা সংঘটিত হয় ৷
তারমধ্যে যতটুকু সম্ভব হয় আমরা আলোচনা করবো ইনশাআল্লাহ্ ৷ এজন্য আল্পাহ্র নিকট
সাহায্য প্রার্থনা করছি ৷

ইমাম আহমদ (র) আমর ইবন জাওয়ান সুত্রে বর্ণনা করেন ! আহনাক বলেন, আমরা
হাজ্জর উদ্দেশ্যে রওয়ানা করি ৷ মদীনা অতিক্রম করে আমরা আগ্রসর হই ৷ আমরা যখন
মনযিলে অবস্থানরত তখন জনৈক আপন্তুক এসে বলে :

ণ্লাকেরা মসজিদে সমবেত হয়েছেন ৷ আমি এবং আমার এক সঙ্গী সেদিকে এগিয়ে যইি ৷
সেখানে গিয়ে দেখি, একটা দলকে ঘিরে লোকজন জড়ো হয়েছে ৷ বর্ণনাকারী বলেন, “আমি
তাদের ভেতর দিয়ে অতিক্রম করে তাদের নিকট গিয়ে র্দাড়াই ৷ আমি দেখতে পাই সেখানে
রয়েছেন আলী ইবন আবু তালিব, যুবইির, তালহা এবং সাদ ইবন আবু ওয়াক্কাস (রা) ৷ রাবী
বলেন, অঅিদ্রুত উসমান (বা) পায়ে হেটে সেখানে উপস্থিত হন ৷ তিনি জিজ্ঞেস করলেন,
“এখানে কি আলী আছেন ৷ বলা হলো, ব্জী হ্যা ৷ আবার জিজ্ঞেস করলেন, এখানে কি যুবইির
আছেন ন্’ লোকেরা বললো, ব্জী ছুা’ ৷ তিনি আবার জিজ্ঞেস করলেন, এখানেকি তালহা
আছেন ন্’ বলা হলো, ব্জী ছুব্লা ৷ তিনি পুনরায় জিজ্ঞেস করলেন, র্টএখানে কি সাদ ইবন আবু
ওয়াক্কাস আছেন ? ণ্লাকেরা-জৰাব দেয়, জী ছুা৷ ৷ ’ তখন উসমান (বা) বললেন দ্ভ

ন্াঢু ণ্ৰু; ন্া,পু ঞে

;া৷ ,৷ ৷ৰু;াএ স্পো
খুএে; ১া;
যে আল্লাহ্ ছাড়া কোন ইলাহ নেই তার দোহাই দিয়ে আমি আপনাদেরকে বলছি
আপনারা জানেন যে, রাসুলুল্লা স্”দ্বুভ্রবলেনঃ অমুক গোত্রের মেষের চারণভুমি কে ক্রয় করে
দেবে, আল্লাহ্ তাকে ক্ষমা করবেন ৷ আমি তা ক্রয় করে রাসুলুল্পাহ্গ্লুঙুঞএর নিকট আগমন
করে বলি-আমি তা ক্রয় করেছি ৷’ তখন, রাসুলুল্লাহ্জােবললেন: স্থানটি আমাদের মসজিদের
জন (মসজিদে নববী) দান কর, তুমি এর প্রতিদান পাবে ৷’ তারা বললেন, জী হীা’ ৷ তিনি
বললেন, সে আল্লাহ্র দোহাই দিয়ে আমি আপনাদেরকে বলছি রাসুলুল্লাহ্র্দুসাঃ বলেছিলেন


وَلَزِمَ كَثِيرٌ مِنَ الصَّحَابَةِ بُيُوتَهُمْ، وَسَارَ إِلَيْهِ جَمَاعَةٌ مِنْ أَبْنَاءِ الصَّحَابَةِ عَنْ أَمْرِ آبَائِهِمْ ; مِنْهُمُ الْحَسَنُ وَالْحُسَيْنُ، وَعَبْدُ اللَّهِ بْنُ الزُّبَيْرِ - وَكَانَ أَمِيرَ الدَّارِ - وَعَبْدُ اللَّهِ بْنُ عُمَرَ، وَصَارُوا يُجَاحِفُونَ عَنْهُ، وَيُنَاضِلُونَ دُونَهُ أَنْ يَصِلَ إِلَيْهِ أَحَدٌ مِنْهُمْ، وَأَسْلَمَهُ بَعْضُ النَّاسِ رَجَاءَ أَنْ يُجِيبَ أُولَئِكَ إِلَى وَاحِدَةٍ مِمَّا سَأَلُوا، فَإِنَّهُمْ كَانُوا قَدْ طَلَبُوا مِنْهُ إِمَّا أَنْ يَعْزِلَ نَفْسَهُ أَوْ يُسْلِمَ إِلَيْهِمْ مَرْوَانَ بْنَ الْحَكَمِ، وَلَمْ يَقَعْ فِي خَلَدِ أَحَدٍ أَنَّهُ يُقْتَلُ، إِلَّا مَا كَانَ فِي نَفْسِ أُولَئِكَ الْخَارِجِينَ عَلَيْهِ. وَانْقَطَعَ عُثْمَانُ عَنِ الْمَسْجِدِ، فَكَانِ لَا يَخْرُجُ إِلَيْهِ إِلَّا قَلِيلًا فِي أَوَائِلِ الْأَمْرِ، ثُمَّ انْقَطَعَ بِالْكُلِّيَّةِ فِي آخِرِهِ، وَكَانَ يُصَلِّي بِالنَّاسِ فِي هَذِهِ الْأَيَّامِ الْغَافِقِيُّ بْنُ حَرْبٍ. وَقَدِ اسْتَمَرَّ الْحَصْرُ أَكْثَرَ مِنْ شَهْرٍ. وَقِيلَ: أَرْبَعِينَ يَوْمًا. حَتَّى كَانَ آخِرَ ذَلِكَ أَنْ قُتِلَ شَهِيدًا، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، عَلَى مَا سَنُبَيِّنُهُ إِنْ شَاءَ اللَّهُ تَعَالَى. وَالَّذِي ذَكَرَهُ ابْنُ جَرِيرٍ أَنَّ الَّذِي كَانَ يُصَلِّي بِالنَّاسِ فِي هَذِهِ الْمُدَّةِ وَعُثْمَانُ مَحْصُورٌ طَلْحَةُ بْنُ عُبَيْدِ اللَّهِ. وَرَوَى الْوَاقِدِيُّ أَنَّ عَلِيًّا صَلَّى أَيْضًا، وَصَلَّى
পৃষ্ঠা - ৫৭৮৩
أَبُو أَيُّوبَ وَصَلَّى بِهِمْ سَهْلُ بْنُ حُنَيْفٍ، وَكَانَ يَجْمَعُ بِهِمْ عَلِيٌّ، وَهُوَ الَّذِي صَلَّى بِهِمْ بَعْدُ. وَقَدْ خَاطَبَ النَّاسَ فِي غُبُونِ ذَلِكَ بِأَشْيَاءَ، وَجَرَتْ أُمُورٌ سَنُورِدُ مِنْهَا مَا تَيَسَّرَ. وَبِاللَّهِ الْمُسْتَعَانُ. قَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا بَهْزٌ، ثَنَا أَبُو عَوَانَةَ، ثَنَا حُصَيْنٌ عَنْ عَمْرِو بْنِ جَاوَانَ قَالَ: «قَالَ الْأَحْنَفُ: انْطَلَقْنَا حُجَّاجًا فَمَرَرْنَا بِالْمَدِينَةِ، فَبَيْنَمَا نَحْنُ فِي مَنْزِلِنَا إِذْ جَاءَنَا آتٍ فَقَالَ: النَّاسُ فِي الْمَسْجِدِ. فَانْطَلَقْتُ أَنَا وَصَاحِبِي فَإِذَا النَّاسُ مُجْتَمِعُونَ عَلَى نَفَرٍ فِي الْمَسْجِدِ قَالَ: فَتَخَلَّلْتُهُمْ حَتَّى قُمْتُ عَلَيْهِمْ، فَإِذَا عَلِيُّ بْنُ أَبِي طَالِبٍ وَالزُّبَيْرُ وَطَلْحَةُ وَسَعْدُ بْنُ أَبِي وَقَّاصٍ، قَالَ: فَلَمْ يَكُنْ ذَلِكَ بِأَسْرَعَ مِنْ أَنْ جَاءَ عُثْمَانُ يَمْشِي، فَقَالَ: هَاهُنَا عَلِيٌّ؟ قَالُوا: نَعَمْ. قَالَ: أَهَاهُنَا الزُّبَيْرُ؟ قَالُوا: نَعَمْ. قَالَ: أَهَاهُنَا سَعْدٌ؟ قَالُوا: نَعَمْ. قَالَ: أَنْشُدُكُمْ بِاللَّهِ الَّذِي لَا إِلَهَ إِلَّا هُوَ أَتَعْلَمُونَ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، قَالَ: مَنْ يَبْتَاعُ مِرْبَدَ بَنِي فُلَانٍ غَفَرَ اللَّهُ لَهُ فَابْتَعْتُهُ فَأَتَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَقُلْتُ: إِنِّي قَدِ ابْتَعْتُهُ. فَقَالَ: " اجْعَلْهُ فِي مَسْجِدِنَا وَأَجْرُهُ لَكَ "؟ قَالُوا: نَعَمْ. قَالَ: أَنْشُدُكُمْ بِاللَّهِ الَّذِي لَا إِلَهَ إِلَّا هُوَ، أَتَعْلَمُونَ أَنَّ رَسُولَ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، قَالَ: مَنْ يَبْتَاعُ بِئْرَ رُومَةَ؟ .
পৃষ্ঠা - ৫৭৮৪


ৰি’রে রুমা (একটি সৃমিষ্ট পানির কুয়ো) কে ক্রয় করে দেবাে আমি এত এত দিরহাম দিয়ে তা
ক্রয় করে দেই ৷ তারপর রাসুলুল্লাহ্লোঃ এর নিকট আগমন করে আরব করলাম, আমি ৰিরে
রুমা ক্রয় করে দিয়েছি ! রাসুলুল্লাহ্ড্রো বললেন, মুসলমানদের পানি পান করার জন্য তা দান
করে দাও ৷ তুমি এর সাওয়াব পাবে ৷ তারা জবাব দিলেন, হী৷ ৷ তিনি পুনরায় বললেন,
আল্লাহ্র দােহাই দিয়ে আমি আপনাদেরকে জিজ্ঞেস করছি, যিনি ব্যতীত কোন ইলাহ নেই,
আপনারা জানেন যে, রাসুলুল্লাহ্মোঃ সংকীর্ণতড়ার বাহিনীর (তাবুক যুদ্ধের) দিন লোকজনের
চেহারা দেখে বলেছিলেন ৪ এদেরকে যুদ্ধের সাজ-সরঞ্জাম দিয়ে কে সজ্জিত করবে, আল্লাহ্
তাকে ক্ষমা করবেন, আমি তাদেরকে যুদ্ধের উপকরণ দ্বারা সজ্জিত করেছিলাম, এমনকি জন্ন্তুর
পায়ে লাপাবার এবং বাধার একটা রশিও বাদ ছিল নাপ্ তারা জবাব দিলেন, ইফুড়া’ , আপনি ঠিকই
বলছেন ৷ তখন তিনি বললেন, হে আল্লাহ্’ তুমি সড়াক্ষী থাক , হে আল্লাহ্ তুমি সাক্ষী থাক,
আল্লাহ্ তুমি সাক্ষী থাক ৷’ তারপর তিনি ফিরে যান (মুসনাদে ইমাম আহমদ ১৭০) ৷ ইমাম
নাসাঈ হাসীন সুত্রে হড়াদীসটি বণ্নাি করেছেন ৷ তাতে একথাও রয়েছে, অর্থাৎ হলুদ-চাদর গায়ে
এক ব্যক্তি উপস্থিত হলেন ৷
অপর এক বর্ণনা

আব্দুল্লাহ্ ইবন আহমদ হুদায়বিয়ার সন্ধিকালে উপস্থিত ছিলেন এমন একজন সাহাবী
আবু আনসারীর উদ্ধৃতি যায়দ ইবন আসলাম সুত্রে তিনি তার পিতার বরাতে বর্ণনা করেন,
হযরত উসমান (রা) এর অবরােধের দিনগুলোতে আমি তাকে জানাযাস্থলে দেখতে পাই, তখন
কোন প্রস্তর নিক্ষেপ করা হলে তা কোন ব্যক্তির মাথায়ই পতিত হতো ৷ মাকামে জিবৃরীলের
নিকটবর্তী জানালা দিয়ে আমি উসমান (রা)-কে উকি মারভে দেখতে পইি ৷ তিনি বলছিলেন :
“লোক সকল ! তোমাদের মধ্যে তালহা আছেন কি প্’ সকলেই চুপ থাকে ৷ তিনি আবার জিজ্ঞেস
করলেন ; লোক সকল ! তোমাদের মধ্যে তাল্হা আছেন কিপ্ সকলেই চুপ ৷ তিনি পুনঃ
জিজ্ঞেস করলেন ও দোক সকল ! এখানে তালহা আছেনন্’ এবার তালহা ইবন উবড়ায়দুল্লাহ
র্দাড়ালেন ৷ উসমান (রা) তাকে বললেন : আমি কি তোমাকে এখানে দেখতে পাচ্ছি না?
একদল লোকের মধ্যে তুমি উপস্থিত থাকবে আর তিনবার আমি তোমাকে ডকেবাে, কিন্তু জবাব
দেবে না, এমনটি আমি ধারণা করিনি ৷ হে তালহা! আল্লাহ্র দোহাই দিয়ে আমি সেদিনের কথা
তোমাকে স্মরণ করিয়ে দিচ্ছি, যেদিন অমুক স্থানে রাসুলুল্লাহ্মোঃ এর সঙ্গে ভুমি এবং আমি
ছিলাম; আমি এবং তুমি ছাড়া সেদিন তার সঙ্গে অন্য কোন সাহাবী ছিলেন না ৷ তিনি বললেন,
হ্যা’ ৷ উসমান (রা) বলেন তখন রাসুলুল্লাহ্আঃ তোমাকে লক্ষ্য করে বলেছিলেন :

াশু

হে তালহা ! (শোন), এমন কোন নবী নেই, যার উষ্মতের মধ্য থেকে তার সঙ্গীদের মধ্যে
জান্নাতে একজন সঙ্গী থাকবে না ৷ আর এই উসমান ইবন আফ্ফান হ্বেশ্ জান্নাতে আমার

আল-বিদায়া — ৪১


فَابْتَعْتُهَا بِكَذَا وَكَذَا، فَأَتَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَقُلْتُ: إِنِّي قَدِ ابْتَعْتُهَا - يَعْنِي بِئْرَ رُومَةَ - فَقَالَ: اجْعَلْهَا سِقَايَةً لِلْمُسْلِمِينَ وَلَكَ أَجْرُهَا "؟ قَالُوا: نَعَمْ. قَالَ: أَنْشُدُكُمْ بِاللَّهِ الَّذِي لَا إِلَهَ إِلَّا هُوَ أَتَعْلَمُونَ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، نَظَرَ فِي وُجُوهِ الْقَوْمِ يَوْمَ جَيْشِ الْعُسْرَةِ فَقَالَ: مَنْ يُجَهِّزْ هَؤُلَاءِ غَفَرَ اللَّهُ لَهُ فَجَهَّزْتُهُمْ حَتَّى مَا يَفْقِدُونَ خِطَامًا وَلَا عِقَالًا؟ قَالُوا: اللَّهُمَّ نَعَمْ. فَقَالَ: اللَّهُمَّ اشْهَدْ، اللَّهُمَّ اشْهَدْ، اللَّهُمَّ اشْهَدْ. ثُمَّ انْصَرَفَ» . وَرَوَاهُ النَّسَائِيُّ مِنْ حَدِيثِ حُصَيْنٍ، وَعِنْدَهُ: إِذْ جَاءَ عُثْمَانُ وَعَلَيْهِ مُلَاءَةٌ صَفْرَاءُ. طَرِيقٌ أُخْرَى: قَالَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ أَحْمَدَ: حَدَّثَنِي عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ عُمَرَ الْقَوَارِيرِيُّ، حَدَّثَنِي الْقَاسِمُ بْنُ الْحَكَمِ بْنِ أَوْسٍ الْأَنْصَارِيُّ، حَدَّثَنِي أَبُو عُبَادَةَ الزُّرَقِيُّ الْأَنْصَارِيُّ، مِنْ أَهْلِ الْمَدِينَةِ، عَنْ زَيْدِ بْنِ أَسْلَمَ، عَنْ أَبِيهِ قَالَ: شَهِدْتُ عُثْمَانَ يَوْمَ حُصِرَ فِي مَوْضِعِ الْجَنَائِزِ، وَلَوْ أُلْقِيَ حَجَرٌ لَمْ يَقَعْ إِلَّا عَلَى رَأْسِ رَجُلٍ، فَرَأَيْتُ عُثْمَانَ أَشْرَفَ مِنَ الْخَوْخَةِ الَّتِي تَلِي مَقَامَ جِبْرِيلَ، فَقَالَ: أَيُّهَا النَّاسُ أَفِيكُمْ طَلْحَةُ؟ فَسَكَتُوا. ثُمَّ قَالَ: أَيُّهَا النَّاسُ أَفِيكُمْ طَلْحَةُ؟ فَسَكَتُوا. ثُمَّ قَالَ: أَيُّهَا النَّاسُ أَفِيكُمْ طَلْحَةُ؟ فَقَامَ طَلْحَةُ بْنُ عُبَيْدِ اللَّهِ، فَقَالَ لَهُ عُثْمَانُ: أَلَا
পৃষ্ঠা - ৫৭৮৫
أَرَاكَ هَاهُنَا؟ مَا كُنْتُ أَرَى أَنَّكَ تَكُونُ فِي جَمَاعَةِ قَوْمٍ تَسْمَعُ نِدَائِي آخِرَ ثَلَاثِ مَرَّاتٍ ثُمَّ لَا تُجِيبُنِي، أَنْشُدُكَ اللَّهَ يَا طَلْحَةُ، تَذْكُرُ يَوْمَ كُنْتُ أَنَا وَأَنْتَ مَعَ رَسُولِ اللَّهِ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فِي مَوْضِعِ كَذَا وَكَذَا، لَيْسَ مَعَهُ أَحَدٌ مِنْ أَصْحَابِهِ غَيْرِي وَغَيْرُكَ - فَقَالَ: نَعَمْ - فَقَالَ لَكَ رَسُولُ اللَّهِ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: يَا طَلْحَةُ إِنَّهُ لَيْسَ مِنْ نَبِيٍّ إِلَّا وَمَعَهُ مِنْ أَصْحَابِهِ رَفِيقٌ مِنْ أُمَّتِهِ مَعَهُ فِي الْجَنَّةِ، وَإِنَّ عُثْمَانَ بْنَ عَفَّانَ هَذَا - يَعْنِينِي - رَفِيقِي فِي الْجَنَّةِ؟ . فَقَالَ طَلْحَةُ: اللَّهُمَّ نَعَمْ. ثُمَّ انْصَرَفَ. لَمْ يُخْرِجُوهُ. طَرِيقٌ أُخْرَى: قَالَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ أَحْمَدَ: حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ أَبِي بَكْرٍ الْمُقَدَّمِيُّ، ثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ الْأَنْصَارِيُّ، ثَنَا هِلَالُ بْنُ حَقٍّ، عَنِ الْجُرَيْرِيِّ، عَنْ ثُمَامَةَ بْنِ حَزْنٍ الْقُشَيْرِيِّ، قَالَ: شَهِدْتُ الدَّارَ يَوْمَ أُصِيبَ عُثْمَانُ، فَاطَّلَعَ عَلَيْهِمُ اطِّلَاعَةً، فَقَالَ: ادْعُوا لِي صَاحِبَيْكُمُ اللَّذَيْنِ أَلَّبَاكُمْ عَلَيَّ، فَدُعِيَا لَهُ فَقَالَ: أَنْشُدُكُمَا اللَّهَ، أَتَعْلَمَانِ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، لَمَّا
পৃষ্ঠা - ৫৭৮৬


সঙ্গী ৷ তখন তালহা (রা) বললেন, আল্লাহ্ সাক্ষী এটা ঠিক কথা ৷’ এরপর তিনি প্রন্থান
করেন

অপর একটি বর্ণনা

আবদৃল্লাহ্ ইবন আহমদ মুহাম্মদ ইবন আবুবকর মাকদেসী সুমামা ইবন জায্আ
কুশাইরী সুত্রে বর্ণনা করেন : উসযান (রা) যেদিন শহীদ হন, সেদিন আমি তার গৃহে উপস্থিত
হয়ে তাকে ভালভাবে অবলােকন করি ৷ তিনি বললেন, তােমাদের সে সঙ্গীদ্বয়কে আমার কাছে
ডেকে আলো, যারা আমার বিরুদ্ধে তােমাদেরকে ঐক্যবদ্ধ করেছে ৷ ব্যক্তিদ্বয়কে ডেকে তার
কাছে আনা হয় ৷ ’ তিনি বললেন :

আল্লাহ্র নাম নিয়ে আমি তােমাদেরকে বলছি তোমরা জান যে, রাসুলুল্লাহ্ র্ন্ত £ যখন
মদীনা আগমন করেন তখন মসজিদে মুসল্লীদের স্থান সংকুলান হতো না ৷ তখন রাসুলুল্লাহ্
মোঃবললেন, নিজের নির্ডেজাল সম্পদ দ্বারা কে এ ভুমিখণ্ড ক্রয় করবে এবং এতে সে ও অন্যন্যে
মুসলমানের মতো অংশীদার হবে এবং জান্নাতে যে এর চাইতে উত্তম ভুমি লাভ করবেঃ তখন
আমার নির্ভেজাল মাল দ্বারা আমি তা ক্রয় করি এবং তা মুসলমানদের জন্য দান করে দেই ৷
আজ সে মসজিদে দু’রাকআত সালাত আদায় করতে তোমরা আমাকে বাধা দিচ্ছ ৷ এরপর তিনি
বলেন, আল্লাহ্র দােহাই দিয়ে আমি ভোমাদেরকে জিজ্ঞেস করছি, তোমরা কি জান যে,
রাসুলুল্লাহ্মোঃ যখন মদীনা আগমন করেন তখন সেখানে সুপেয় পানির কোন কুয়াে ছিল না
বিরে রুমা ব্যতীত ৷ তখন রাসুলুল্লাহ্ মোঃ বললেন, এমন কে আছে, যে তার হালাল মাল
দ্বারা কুয়া ক্রয় করতে পারো আর এ কুয়ােয় তার বালতিও অন্যান্য মুসলমানের বালতির মতো
হয়ে (এতে সকলের সমান অধিকার থাকবে) ৷ আর জান্নাতে যে এর চাইতে উত্তম বিনিময়
পাবে ৷ ’ তখন আমার হালাল মাল দ্বারা আমি তা ক্রয় করি ৷ আর আজ সে কুপের পানি পান
করতে তোমরা আমাকে বাধা দিচ্ছ! তারপর তিনি বলেনঃ তােমরা কি জান না যে, আমি

ৎকটকালীন বাহিনীর (তাবুক যুদ্ধের) যােগানদারঃ তারা সকলে বলেন, হ্যা, আপনি ঠিক

বলছেন ৷ ’ ইমাম তিরমিযী আব্দুল্লাহ্ ইবন আবদুর রহমান দারিমী সুত্রে হাদীসটি রিওয়ায়াত
করেন ৷ এছাড়া আব্বাস ছাওরী প্রমুখ সুত্রেও তিনি হাদীসটি বর্ণনা করেন ৷ ইমাম নাসাঈ যিয়াদ
ইবন আইউব সুত্রে এবং তারা সকলে সাঈদ ইবন আমির আবু মাসউদ সুত্রে হাদীসঢি
বর্ণনা করেন ৷ ইমাম তিরমিযী (র) হাদীসটিকে হাসান সহীহ বলে অভিহিত করেছেন ৷

অপর একটি বণ্নাি

ইমাম আহমদ (র) আব্দুস সামাদ সালিম ইবন আবুল জাদ সুত্রে বর্ণনা করেন :

উসমান (রা) রাসুলুল্লা হ্ মোঃ এর কয়েকজন সাহাবীকে যাদের মধ্যে আমার ইবন
ইয়াসিরও ছিলেন ডেকে বললেন, আমি তােমাদেরকে জিজ্ঞেস করছি এবং আমি পছন্দ করে
তোমরা আমার সত্যায়ন করবে ৷ আমি তােমাদেরকে আল্লাহ্র দােহাই দিয়ে বলছি তােমরা
কি জান না যে, রাসুলুল্লাহ্মোঃসমস্ত মানুষের উপর কুরাইশকে অগ্রাধিকার দিতেন ৷ আর সমস্ত
কুরাইশের উপর বনু হড়াশিমকে প্রাধান্য দিতেনা’ সকলেই নিরুত্তর, তখন তিনি বললেন ’:
আমার হাতে জান্নাতের কুঞ্জি থাকলে আমি তা বনী উমইিয়ায় হাতে তুলে দিতাম, যাতে তাদের


قَدِمَ الْمَدِينَةَ ضَاقَ الْمَسْجِدُ بِأَهْلِهِ، فَقَالَ: مَنْ يَشْتَرِي هَذِهِ الْبُقْعَةَ مِنْ خَالِصِ مَالِهِ فَيَكُونَ فِيهَا كَالْمُسْلِمِينَ وَلَهُ خَيْرٌ مِنْهَا فِي الْجَنَّةِ؟ . فَاشْتَرَيْتُهَا مِنْ خَالِصِ مَالِي فَجَعَلْتُهَا بَيْنَ الْمُسْلِمِينَ، وَأَنْتُمْ تَمْنَعُونِي أَنْ أُصَلِّيَ فِيهِ رَكْعَتَيْنِ! ثُمَّ قَالَ: أَنْشُدُكُمُ اللَّهَ أَتَعْلَمُونَ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، لَمَّا قَدِمَ الْمَدِينَةَ لَمْ يَكُنْ فِيهَا بِئْرٌ يُسْتَعْذَبُ مِنْهُ إِلَّا بِئْرَ رُومَةَ، فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «مَنْ يَشْتَرِيهَا مِنْ خَالِصِ مَالِهِ فَيَكُونَ دَلْوُهُ فِيهَا كَدِلَاءِ الْمُسْلِمِينَ، وَلَهُ خَيْرٌ مِنْهَا فِي الْجَنَّةِ؟» فَاشْتَرَيْتُهَا مِنْ خَالِصِ مَالِي وَأَنْتُمْ تَمْنَعُونِي أَنْ أَشْرَبَ مِنْهَا! ثُمَّ قَالَ: هَلْ تَعْلَمُونَ أَنِّي صَاحِبُ جَيْشِ الْعُسْرَةِ؟ قَالُوا: اللَّهُمَّ نَعَمْ. وَقَدْ رَوَاهُ التِّرْمِذِيُّ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ الدَّارِمِيِّ وَعَبَّاسٍ الدُّورِيِّ وَغَيْرِ وَاحِدٍ. وَأَخْرَجَهُ النَّسَائِيُّ عَنْ زِيَادِ بْنِ أَيُّوبَ. كُلُّهُمْ عَنْ سَعِيدِ بْنِ عَامِرٍ، عَنْ يَحْيَى بْنِ أَبِي الْحَجَّاجِ الْمِنْقَرِيِّ، عَنْ سَعِيدٍ الْجُرَيْرِيِّ بِهِ. وَقَالَ التِّرْمِذِيُّ حَسَنٌ. طَرِيقٌ أُخْرَى: قَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا عَبْدُ الصَّمَدِ، ثَنَا الْقَاسِمُ - يَعْنِي ابْنَ الْفَضْلِ - ثَنَا عَمْرُو بْنُ مُرَّةَ، عَنْ سَالِمِ بْنِ أَبِي الْجَعْدِ
পৃষ্ঠা - ৫৭৮৭


সর্ব শেষ ব্যক্তিটি পর্যন্ত জান্নাতে প্রবেশ করতে পারে ৷ তারপর তিনি তালহা এবং ঘুবাইর-এর
জন্য লোক প্রেরণ করেন ৷ (র্তারা উপস্থিত হলে) উসমান (রা) বললেন : আমি কি তোমাদের
উভয়কে আমার সম্পর্কে একটা কথা বলে দেবাে না? আমি রাসুলুল্লাহ্র্চুন্ম্পুক্ট্র এর সঙ্গে আগমন
করি ৷ তিনি আমার হাত ধরে বাতহা তথা মক্কার পুণ্য ভুমিতে পথ অতিক্রম করছিলেন ৷ শেষ
পর্যন্ত তিনি আম্মারের পিতা-মাতার নিকট আগমন করেন আর তখন তাদেরকে শাস্তি দেয়া
হচ্ছিল, তখন আম্মারের পিতা বললেন, ইয়া রাসুলাল্লাহা সময় কি এমনই কাটবেঃ’ তখন নবী
করীমমোঃ বললেন, ধৈর্যধারণ কর ৷ তখন আল্লাহর নবী বলেন :

হে আল্লাহ! ইয়াসির পরিবারকে ক্ষমা করো ৷ তৃমিভাে তইি করে থাকে৷ ৷ ইমাম আহমদ
এককভাবে হাদীসটি বর্ণনা করেন ৷ অন্য ইমামগণ হাদীসটি বর্ণনা করেন নি ৷

অপর একটি বর্ণনা

ইমাম আহমদ ইসহাক ইবন সুলাইমান নাফি ইবন উমর সুত্রে বর্ণনা করেন যে,
উসমান (রা) অবরোধের দিনগুলােতে তীর সঙ্গীদের দিকে উকি মেরে বলেন :
র্মু


“কোন; কারণে তোমরা আমাকে হত্যা করতে উদ্যত হচ্ছ৷ আমি রাসুলুল্লাহ্লোঃ-কে বলতে
শুনেছি : তিনটি কারণের মধ্যে কোন একটি কারণ ব্যতীত কোন মুসলমানের রক্ত হালাল নয় ৷
কোন ব্যক্তি বিবাহ করার পর ব্যভিচারে প্রবৃত্ত হলে তাকে প্রস্তরাঘাতে হত্যা করা হবে,
ইচ্ছাকৃতভাবে কাউকে হত্যা করার দায়ে হত্তাকে হত্যা করা হবে, কেউ ইসলাম গ্রহণ করার পর
মুৱতাদ হয়ে গেলে তাকে হত্যা করা হবে ৷ আল্লাহ্র কসম করে বলছি ৷ জাহিলী বা ইসলামী
কোন যুগেই আমি বব্রুভিচারে লিপ্ত হইনি ৷ আমি কাউকে হত্যা করিনি যে, তার বদলে আমাকে
হত্যা করা হবে; আর ইসলাম গ্রহণ করার পর আমি মুরতাদও হইনি ৷ আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে,
আল্লাহ্ ছাড়া কোন ইলাহ নেই এবং মুহাম্মদ (সা) আল্পাহ্র বান্দা ও রাসুল ৷ ’

ইমাম নাসাঈ আহমদ ইবন আস্হাদ সুত্রে ইসহড়াক ইবন সুলায়মানের বরাতে হাদীসটি
বর্ণনা করেছেন ৷

আর একটি বর্ণনা : ইমাম আহমদ (র) হাষ্মদ ইবন যায়দ সহল ইবন হুলইিফ সুত্রে
বর্ণনা করেন যে, হযরত উসমান (রা) যখন গৃহে অবরুদ্ধ তখন আমি তার সঙ্গে ছিলাম ৷
আমরা ভেতের প্রবেশ করে উপর দিক থেকেকথা শুনতে পেতাম ৷ বর্ণনাকারী বলেন, উসমান
(রা) একদিন কোন প্রয়োজনে ভেতরে প্রবেশ করেন ৷ এসময় তার চেহারার রং পরিবর্তিত হয়ে
যায় ৷ তখন তিনি বলেন, তীরা অবিলম্বে আমাকে হত্যার হুমকি দিচ্ছে ৷ রাবী বলেন, আমরা
বললাম, আমীরুল মু’মিনীন! তাদের বিপক্ষে আপনার জন্য আল্লাহ্ই যথেষ্ট ৷ তিনি বললেন,
তারা কেন আমাকে হত্যা করতে চায়ঃ


قَالَ: دَعَا عُثْمَانُ رِجَالًا مِنْ أَصْحَابِ رَسُولِ اللَّهِ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فِيهِمْ عَمَّارُ بْنُ يَاسِرٍ، فَقَالَ: إِنِّي سَائِلُكُمْ وَإِنِّي أُحِبُّ أَنْ تُصْدُقُونِي، نَشَدْتُكُمُ اللَّهَ، أَتَعْلَمُونَ «أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، كَانَ يُؤْثِرُ قُرَيْشًا عَلَى سَائِرِ النَّاسِ، وَيُؤْثِرُ بَنِي هَاشِمٍ عَلَى سَائِرِ قُرَيْشٍ؟ فَسَكَتَ الْقَوْمُ،» فَقَالَ عُثْمَانُ: لَوْ أَنَّ بِيَدِي مَفَاتِيحَ الْجَنَّةِ لَأَعْطَيْتُهَا بَنِي أُمَيَّةَ حَتَّى يَدْخُلُوا مِنْ عِنْدِ آخِرِهِمْ. فَبَعَثَ إِلَى طَلْحَةَ وَالزُّبَيْرِ، «فَقَالَ عُثْمَانُ: أَلَا أُحَدِّثُكُمَا عَنْهُ - يَعْنِي عَمَّارًا - أَقْبَلْتُ مَعَ رَسُولِ اللَّهِ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، آخِذًا بِيَدِي نَتَمَشَّى فِي الْبَطْحَاءِ حَتَّى أَتَى عَلَى أَبِيهِ وَأُمِّهِ وَعَلَيْهِ يُعَذَّبُونَ، فَقَالَ أَبُو عَمَّارٍ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، الدَّهْرَ هَكَذَا؟ فَقَالَ لَهُ النَّبِيُّ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " اصْبِرْ ". ثُمَّ قَالَ: " اللَّهُمَّ اغْفِرْ لِآلِ يَاسِرٍ وَقَدْ فَعَلْتَ» . تَفَرَّدَ بِهِ أَحْمَدُ، وَلَمْ يُخَرِّجْهُ أَحَدٌ مِنْ أَصْحَابِ الْكُتُبِ. طَرِيقٌ أُخْرَى: قَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ سُلَيْمَانَ، سَمِعْتُ مُغِيرَةَ بْنَ مُسْلِمٍ أَبَا سَلَمَةَ يَذْكُرُ عَنْ مَطَرٍ، عَنْ نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ أَنَّ عُثْمَانَ أَشْرَفَ عَلَى أَصْحَابِهِ وَهُوَ مَحْصُورٌ فَقَالَ: عَلَامَ تَقْتُلُونِي؟ فَإِنِّي سَمِعْتُ
পৃষ্ঠা - ৫৭৮৮
رَسُولَ اللَّهِ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، يَقُولُ: «لَا يَحِلُّ دَمُ امْرِئٍ مُسْلِمٍ إِلَّا بِإِحْدَى ثَلَاثٍ؛ رَجُلٌ زَنَى بَعْدَ إِحْصَانِهِ فَعَلَيْهِ الرَّجْمُ، أَوْ قَتَلَ عَمْدًا فَعَلَيْهِ الْقَوَدُ، أَوِ ارْتَدَّ بَعْدَ إِسْلَامِهِ فَعَلَيْهِ الْقَتْلُ» . فَوَاللَّهِ مَا زَنَيْتُ فِي جَاهِلِيَّةٍ وَلَا إِسْلَامٍ، وَلَا قَتَلْتُ أَحَدًا فَأُقِيدَ نَفْسِي مِنْهُ، وَلَا ارْتَدَدْتُ مُنْذُ أَسْلَمْتُ؛ إِنِّي أَشْهَدُ أَنْ لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ، وَأَنَّ مُحَمَّدًا عَبْدُهُ وَرَسُولُهُ. وَرَوَاهُ النَّسَائِيُّ، عَنْ أَحْمَدَ بْنِ الْأَزْهَرِ، عَنْ إِسْحَاقَ بْنِ سُلَيْمَانَ بِهِ. طَرِيقٌ أُخْرَى: قَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا عَفَّانُ، ثَنَا حَمَّادُ بْنُ زَيْدٍ، ثَنَا يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ، عَنْ أَبِي أُمَامَةَ بْنِ سَهْلِ بْنِ حُنَيْفٍ قَالَ: كُنْتُ مَعَ عُثْمَانَ فِي الدَّارِ وَهُوَ مَحْصُورٌ، قَالَ: وَكُنَّا نَدْخُلُ مُدْخَلًا إِذَا دَخَلْنَاهُ سَمِعْنَا كَلَامَ مَنْ عَلَى الْبَلَاطِ، قَالَ: فَدَخَلَ عُثْمَانُ يَوْمًا لِحَاجَةٍ، فَخَرَجَ إِلَيْنَا مُنْتَقِعًا لَوْنُهُ، فَقَالَ: إِنَّهُمْ لَيَتَوَعَّدُونِي بِالْقَتْلِ آنِفًا. قَالَ: قُلْنَا: يَكْفِيكَهُمُ اللَّهُ يَا أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ. قَالَ: فَقَالَ: وَبِمَ يَقْتُلُونِي؟ فَإِنِّي سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، يَقُولُ: «لَا يَحِلُّ دَمُ امْرِئٍ مُسْلِمٍ إِلَّا بِإِحْدَى ثَلَاثٍ؛ رَجُلٌ كَفَرَ بَعْدَ إِسْلَامِهِ، أَوْ زَنَى بَعْدَ إِحْصَانِهِ، أَوْ قَتَلَ نَفْسًا بِغَيْرِ نَفْسٍ» . فَوَاللَّهِ مَا زَنَيْتُ فِي جَاهِلِيَّةٍ وَلَا إِسْلَامٍ قَطُّ، وَلَا تَمَنَّيْتُ بَدَلًا بِدِينِي مُذْ هَدَانِي اللَّهُ لَهُ، وَلَا قَتَلْتُ نَفْسًا، فَبِمَ يَقْتُلُونِي؟ . وَقَدْ رَوَاهُ أَهْلُ
পৃষ্ঠা - ৫৭৮৯


আমি রাসুলুল্লাহ্ল্লী কে বলতে শুনেছি, তিনটি কারণের কোন একটি ব্যতীত কোন
মুসলিম ব্যক্তির রক্ত হলােল নয় ৷ কোন ব্যক্তি ইসলাম গ্রহণ করার পর কুফরী অবলম্বন করলে,
অথবা বিবাহ করার পরও ব্যভিচারে লিপ্ত হলে; অথবা অহেতুক কোন প্রাণ বধ করলে ৷ আমি
আল্পাহ্র শপথ করে বলছি জাহিলী যুগে বা ইসলামী যুগে আমি কখনো ব্যভিচারে লিপ্ত হইনি ৷
আল্লাহ্ আমাকে ইসলামের হিদায়তের পর আমি দীন পরিবর্তন করিনি ৷ আর আমি কোন
ব্যক্তিকে হত্যা করিনি ৷ তবে কেন তারা আমাকে হত্যা করতে উদ্যত হয়েছে :’ চারটি সুনান
গ্রন্থের গ্রন্থকারপণ হাম্মাদ ইবন যায়দ সুত্রে ইয়াহইয়া ইবন সাঈদের বরাতে হাদীসটি বর্ণনা
করেছেন ৷ ইমাম নাসাঈ এবং আব্দুল্লাহ ইবন আয়ের ইবন রাবীআ অতিরিক্ত যোগ করে বলেনঃ
আমরা উসমান (বা) এর সঙ্গে ছিলাম ৷ তারপর হাদীসটি বর্ণনা করেন ৷ ইমাম তিরমিষী
হাদীসটিকে হাসান বলে অভিহিত করেছেন ৷ হাম্মাদ ইবন সালমা ইয়াহইয়া ইবন সাঈদ সুত্রে
মারকুরুচপ হাদীসটি বর্ণান করেছেন ৷

অপর একটি বর্ণনা ইমাম আমহদ (র) ইউনুস আবু সালমা ইবন আব্দুর রহামন
সুত্রে বর্ণনা করেন : উসমান (বা) যখন অবরুদ্ধ অবস্থায় ছিলেন, তখন তিনি মহল থেকে উকি
মেরে ছিলেন ৷ এ সময় তিনি বলেন হেরার দিনে যে ব্যক্তি রাসুলুল্লাহ্মোঃণ্এর সামনে
উপস্থিত ছিল, আমি তাকে আল্লাহ্র নামের কসম দিয়ে বলছি; সেদিন হঠাৎ পাহাড় কেপে
উঠলে রাসুলুল্লাহ্ল্যাং , মোঃপদাঘাত করে পর্বতকে লক্ষ্য করে বলেছিলেনং

ন্

হে হেরা পর্বত, শান্ত হও, তোমার উপর আছেন একজন নবী, একজন সিদ্দীক এবং
একজন শহীদ ৷ এ সময় তার সঙ্গে আমিও ছিলাম ৷’ লোকেরা র্তাকে ছুক্ল৷ বাচক জবাব দান
করলে তিনি বলেন :

বায়আতে রিদওয়ানের দিন যে ব্যক্তি রাসুলুল্পাহ্ৰা,র্দু,দাদ্বু এর সম্মুখে উপস্থিত ছিল, যেদিন
রাসুলুল্লাহ্ড্রে আমাকে মক্কার মুশরিকদের নিকট প্রেরণ করেছিলেন (এবং বায়আতকালে)
রাসুলুল্লাহ্প্লীবলেছিলের্ন এবং তিনি এক হাতের উপর অপর হাত স্থাপনপুর্বক বলেছিলেন-
এটা আমার হাত আর এটা উসমাংনর হাত ৷ এই বলে তিনি আমার পক্ষ থেকে বায় আত গ্রহণ
করেন ৷ লোকেরা র্তাকে হ্যা সুচক জবাব দিলে তিনি বলেনং আমি আল্লাহ্র দোহাই দিয়ে
তাকে বলছি যে রাসুলুল্পাহ্ঢুখ কে দেখেছে ৷ সেদিন রাসুলুল্লাহ্মোঃবলেছিলেন :


এ গৃহ দ্বারা যে ব্যক্তি আমাদের জন্য মসজিদ সম্প্রসারণ করবে, তার জন্য জান্নাতে গৃহ
নির্মাণ করা হবে ৷’ আমি আমার অর্থ দ্বারা তা ক্রয় করে মসজিদ সম্প্রসারণ করি ৷ এরপর তিনি
বলেন : সংকীর্ণতার বাহিনীর ছিল যে ব্যক্তি রাসুলুল্লাহ্ড়ো-কে বলতে শুনেছে, আমি আল্লাহর
দোহাই দিয়ে তাকে বলছি সেদিন রাসুলুল্লাহ্মোঃবলেছিৰুলন : আজকে দান করবে, তার দান
গৃহীত হবে’ (আল্লাহর দরবারে) ৷ তাই আমি সম্পদ দ্বারা অর্ধেক বাহিনী প্রস্তুত করে দেই ৷
লোকেরা তার কথায় সায় দিলে তিনি বলেন ; সে ব্যক্তি রুমা কুয়োর পানি পথচারীদের জন্য
বিক্রয় হতে দেখেছে, আমি তাকে আল্লাহর দোহাই দিয়ে বলছি ৷ আমি আমার অর্থ দ্বারা তা


" السُّنَنِ الْأَرْبَعَةُ " مِنْ حَدِيثِ حَمَّادِ بْنِ زَيْدٍ، عَنْ يَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ، عَنْ أَبِي أُمَامَةَ - زَادَ النَّسَائِيُّ: وَعَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَامِرِ بْنِ رَبِيعَةَ - قَالَا: كُنَّا مَعَ عُثْمَانَ. فَذَكَرَهُ. وَقَالَ التِّرْمِذِيُّ: حَسَنٌ، وَقَدْ رَوَاهُ حَمَّادُ بْنُ سَلَمَةَ عَنْ يَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ فَرَفَعَهُ. طَرِيقٌ أُخْرَى: قَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا قَطَنٌ، حَدَّثَنَا يُونُسُ - يَعْنِي ابْنَ أَبِي إِسْحَاقَ - عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَبِي سَلَمَةَ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، قَالَ: أَشْرَفَ عُثْمَانُ مِنَ الْقَصْرِ وَهُوَ مَحْصُورٌ، فَقَالَ: أَنْشُدُ بِاللَّهِ مَنْ شَهِدَ رَسُولَ اللَّهِ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، يَوْمَ حِرَاءَ، إِذِ اهْتَزَّ الْجَبَلُ فَرَكَلَهُ بِقَدَمِهِ، ثُمَّ قَالَ: «اسْكُنْ حِرَاءُ لَيْسَ عَلَيْكَ إِلَّا نَبِيٌّ أَوْ صِدِّيقٌ أَوْ شَهِيدٌ، وَأَنَا مَعَهُ» . فَانْتَشَدَ لَهُ رِجَالٌ. قَالَ: أَنْشُدُ بِاللَّهِ مَنْ شَهِدَ رَسُولَ اللَّهِ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، يَوْمَ بَيْعَةِ الرِّضْوَانِ، إِذْ بَعَثَنِي إِلَى الْمُشْرِكِينَ إِلَى أَهْلِ مَكَّةَ فَقَالَ: " هَذِهِ يَدِي وَهَذِهِ يَدُ عُثْمَانَ " فَبَايَعَ لِي؟ فَانْتَشَدَ لَهُ رِجَالٌ. قَالَ: أَنْشُدُ بِاللَّهِ مَنْ شَهِدَ رَسُولَ اللَّهِ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، قَالَ مَنْ يُوَسِّعُ لَنَا بِهَذَا الْبَيْتِ فِي الْمَسْجِدِ بِبَيْتٍ فِي الْجَنَّةِ؟ فَابْتَعْتُهُ مِنْ مَالِي فَوَسَّعْتُ بِهِ الْمَسْجِدَ؟ فَانْتَشَدَ لَهُ رِجَالٌ. قَالَ: وَأَنْشُدُ بِاللَّهِ مَنْ شَهِدَ رَسُولَ اللَّهِ يَوْمَ جَيْشِ الْعُسْرَةِ قَالَ: مَنْ يُنْفِقُ الْيَوْمَ نَفَقَةً مُتَقَبَّلَةً؟ . فَجَهَّزْتُ نِصْفَ الْجَيْشِ مِنْ مَالِي؟ فَانْتَشَدَ لَهُ رِجَالٌ. وَأَنْشُدُ بِاللَّهِ مَنْ
পৃষ্ঠা - ৫৭৯০
شَهِدَ رُومَةَ يُبَاعُ مَاؤُهَا ابْنَ السَّبِيلِ، فَابْتَعْتُهَا مِنْ مَالِي فَأَبَحْتُهَا ابْنَ السَّبِيلِ؟ قَالَ: فَانْتَشَدَ لَهُ رِجَالٌ. وَرَوَاهُ النَّسَائِيُّ، عَنْ عِمْرَانَ بْنِ بَكَّارٍ، عَنْ خَطَّابِ بْنِ عُثْمَانَ، عَنْ عِيسَى بْنِ يُونُسَ بْنِ أَبِي إِسْحَاقَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ جَدِّهِ أَبِي إِسْحَاقَ السَّبِيعِيِّ بِهِ. وَقَدْ ذَكَرَ ابْنُ جَرِيرٍ أَنَّ عُثْمَانَ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، لَمَّا رَأَى مَا فَعَلَهُ هَؤُلَاءِ الْخَوَارِجُ مِنْ أَهْلِ الْأَمْصَارِ، مِنْ مُحَاصَرَتِهِ فِي دَارِهِ، وَمَنْعِهِ الْخُرُوجَ إِلَى الْمَسْجِدِ، كَتَبَ إِلَى مُعَاوِيَةَ بِالشَّامِ، وَإِلَى ابْنِ عَامِرٍ بِالْبَصْرَةِ، وَإِلَى أَهْلِ الْكُوفَةِ، يَسْتَنْجِدُهُمْ فِي بَعْثِ جَيْشٍ يَطْرُدُونَ هَؤُلَاءِ مِنَ الْمَدِينَةِ، فَبَعَثَ مُعَاوِيَةُ حَبِيبَ بْنَ مَسْلَمَةَ، وَانْتَدَبَ يَزِيدُ بْنُ أَسَدٍ الْقَسْرِيُّ فِي جَيْشٍ، وَبَعَثَ أَهْلُ الْكُوفَةِ جَيْشًا، وَأَهْلُ الْبَصْرَةِ جَيْشًا، فَلَمَّا سَمِعَ أُولَئِكَ بِخُرُوجِ الْجُيُوشِ إِلَيْهِمْ صَمَّمُوا فِي الْحِصَارِ، فَمَا اقْتَرَبَ الْجُيُوشُ إِلَى الْمَدِينَةِ حَتَّى جَاءَهُمْ قَتْلُ عُثْمَانَ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، كَمَا سَنَذْكُرُهُ. وَذَكَرَ ابْنُ جَرِيرٍ أَنَّ عُثْمَانَ اسْتَدْعَى الْأَشْتَرَ النَّخَعِيَّ، وَوُضِعَتْ لِعُثْمَانَ وِسَادَةٌ فِي كُوَّةٍ مِنْ دَارِهِ، فَأَشْرَفَ عَلَى النَّاسِ فَقَالَ لَهُ عُثْمَانُ: يَا أَشْتَرُ مَاذَا يُرِيدُونَ؟ فَقَالَ: إِنَّهُمْ يُرِيدُونَ مِنْكَ إِمَّا أَنْ تَعْزِلَ نَفْسَكَ عَنِ الْإِمْرَةِ، وَإِمَّا أَنْ تُقِيدَ مِنْ نَفْسِكَ مَنْ قَدْ ضَرَبْتَهُ، أَوْ جَلَدْتَهُ، أَوْ حَبَسْتَهُ، وَإِمَّا أَنْ يَقْتُلُوكَ.
পৃষ্ঠা - ৫৭৯১


ক্রয় করে মুসাফিরদের জন্য তা দান করে দেই ৷ লোকেরা তার কথায়ও সায় দেয় ৷ ৷ ইমাম
নাসাঈ ইমরান ইবন বাক্কার আবু ইসহাক সাবিঈর সুত্রেও হাদীসটি বর্ণনা করেছেন ৷

ইবন জারীর উল্লেখ করেন যে, হযরত উসমান (রা) যখন বিদ্রোহীদের কর্মকাণ্ড দেখতে
পেলেন যে, তারা তাকে গৃহে অবরুদ্ধ করে রেখেছে, এমনকি মসজিদে দাফন করতেও বাধা
দান করছে তখন তিনি সিরিয়ার মুআবিয়া, বসরায় ইবন আমির এবং কুফাবাসীদের নিকট
সাহায্য চেয়ে পত্র প্রেরণ করেন, যাতে তারা সৈন্য প্রেরণ করে গোলযােগ সৃষ্টিকারীদেরকে
মদীনা থেকে বিতাড়িত করে দিতে পারেন ৷ সে মতে মুআবিয়া মুসলিম ইবন হাবীবকে প্রেরণ
করেন ৷ ইয়াষীদ ইবন আসাদ আল-কুশাইরী প্রতিনিধি হিসাবে সৈন্য প্রেরণ করেন ৷ কুফা ও
বসরাবড়াসীরা সৈন্য প্রেরণ করে ৷ তাদের দিকে সৈন্য আসছে জানতে পেরে তারা অবরোধ
আরো তীব্র, আরো কঠোর করে তোলে, তারা মদীনায় কাছাকাছিই এসে উসমান (রা)-এর
শাহাদত সম্পর্কে জানতে পারে ৷ পরে এ সম্পর্কে আলোচনা করা হবে ৷

ইবন জারীর আরো উল্লেখ করেন যে, উসমান (রা) আশতার নাখঈকে তলব করেন এবং
হযরত উসমানের গৃহের বাতায়নযুক্ত কক্ষে তার জন্য বালিশ রাখা হয় ৷ তিনি উকি মেরে
লোকদের দেখলে উসমান (রা) তাকে বলেন : কে আশতার ! লোকেরা কি চায়৷ তিনি বলেন,
তারা চায়, হয় আপনি ক্ষমতা ত্যাগ করেন, অথবা আপনি যাদেরকে প্রহার করেছেন,
যাদেরকে চাবুক মেরেছেন বা যাদেরকে বন্দী করেছেন, ফিদিয়া (মুক্তিপণ) দ্বারা তাদের থেকে
আপনি নিজেকে মুক্ত করে নিন; অন্যথায় তারা আপনাকে হত্যা করবে ৷

অপর এক বর্ণনায় আছে যে, তারা দাবি করছে বিভিন্ন শহরের দায়িত্বশীল কর্মকর্তাদের
পদচ্যুত করে তাদের স্থলে তাদের পছন্দমাফিক লোক নিয়োগ করতে হবে ৷ আর তিনি নিজে
পদত্যাগ না করলে মারওয়ান ইবনুল হাকামকে তাদের হাতে তুলে দিতে হবে, তারাই তার
থেকে প্রতিশোধ্ নেবে ৷ যাকে মিসরে হযরত উসমানের পক্ষ থেকে ভুয়া পত্র প্রেরণের দায়ে
দণ্ডিত করা হবে ৷ উসমান (রা) আশংকা করলেন যে, মারওয়ানকে তাদের হাতে তুলে দিলে
তারা তাকে হত্যা করবে আর এতে তিনি হবেন একজন মুসলমানকে হত্যা করার কারণ, অথচ
যে এমন কোন কাজ করেনি, যার জন্য হত্যার যোগ্য বিবেচিত হতে পারে ৷ আর তাদের কথা
মতো কিসাসের প্রতিশোধের ব্যাপারে তিনি অক্ষমতা প্রকাশ করেন এ জন্য যে, তিনি একজন
বৃদ্ধ ও দুর্বল দেহের অধিকারী ব্যক্তি ৷ আর তার নিজের পদত্যাগের যে দাবি তারা তৃল্যেছ
তা-ও তিনি মেনে নেবেন না; কারণ, আল্লাহ্ তাকে সে জামা পরিধান করিয়েছেন তিনি তা
খুলতে পারেন না ৷

আর তিনি উম্মাত মুহাম্মদীকে এ অবস্থায় ছেড়ে দিতে পারেন না যে, তারা একে অন্যের
উপর হস্তক্ষেপ করবে ৷ আর না তাদের ইচ্ছা মতো অজ্ঞ মুর্থ ব্যক্তিদেরকে শাসক নিযুক্ত করতে
দিতে পারেন, যার ফলে অরাজকতা দেখা দিবে, দেশে বিপর্যয় সৃষ্টি হবে ৷ তিনি যা ধারণা
করেছিলেন, বাস্তবে তা-ই ঘটে ৷ উশুাতের মধ্যে বিপর্যয় দেখা দেয়, অরাজকতা সৃষ্টি হয় ৷ তিনি
তাদেরকে একথাও বলেছিলেন তোমরা যাকে পছন্দ করবে তাকেই যদি আমীর নিযুক্ত করি
আর যাকে তোমরা অপছন্দ কর তাকে যদি আমি পদচ্যুত করি, তাহলে আমার ণ্নতৃৎ আর
থাকে কোথায় ? তিনি তাদেরকে একথাও বলেছিলেন আল্লাহ্র কসম, তোমরা যদি আমাকে


وَفِي رِوَايَةٍ أَنَّهُمْ طَلَبُوا مِنْهُ أَنْ يَعْزِلَ نُوَّابَهُ عَنِ الْأَمْصَارِ وَيُوَلِّيَ عَلَيْهَا مَنْ يُرِيدُونَ هُمْ، وَإِنْ لَمْ يَعْزِلْ نَفْسَهُ، أَنْ يُسْلِمَ لَهُمْ مَرْوَانَ بْنَ الْحَكَمِ فَيُعَاقِبُوهُ كَمَا زَوَّرَ عَلَى عُثْمَانَ كِتَابَهُ إِلَى مِصْرَ. فَخَشِيَ عُثْمَانُ إِنْ سَلَّمَهُ إِلَيْهِمْ أَنْ يَقْتُلُوهُ، فَيَكُونَ سَبَبًا فِي قَتْلِ امْرِئٍ مُسْلِمٍ، وَمَا فَعَلَ مِنَ الْأَمْرِ مَا يَسْتَحِقُّ بِسَبَبِهِ الْقَتْلَ، وَاعْتَذَرَ عَنِ الِاقْتِصَاصِ مِمَّا قَالُوا بِأَنَّهُ رَجُلٌ ضَعِيفُ الْبَدَنِ كَبِيرُ السِّنِّ. وَأَمَّا مَا سَأَلُوهُ مِنْ خَلْعِهِ نَفْسَهُ فَإِنَّهُ لَا يَفْعَلُ وَلَا يَنْزِعُ قَمِيصًا قَمَّصَهُ اللَّهُ إِيَّاهُ، وَيَتْرُكُ أُمَّةَ مُحَمَّدٍ يَعْدُو بَعْضُهَا عَلَى بَعْضٍ، وَقَالَ لَهُمْ فِيمَا قَالَ: وَأَيُّ شَيْءٍ إِلَيَّ مِنَ الْأَمْرِ إِنْ كُنْتُ كُلَّمَا كَرِهْتُمْ أَمِيرًا عَزَلْتُهُ، وَكُلَّمَا رَضِيتُمْ عَنْهُ وَلَّيْتُهُ؟ وَقَالَ لَهُمْ فِيمَا قَالَ: وَاللَّهِ لَئِنْ قَتَلْتُمُونِي لَا تَتَحَابُّوا بَعْدِي أَبَدًا، وَلَا تُصَلُّوا جَمِيعًا أَبَدًا، وَلَا تُقَاتِلُوا بَعْدِي عَدُوًّا جَمِيعًا أَبَدًا. وَقَدْ صَدَقَ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ فِيمَا قَالَ. وَقَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ مَهْدِيٍّ، ثَنَا مُعَاوِيَةُ بْنُ صَالِحٍ، عَنْ رَبِيعَةَ بْنِ يَزِيدَ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي قَيْسٍ، حَدَّثَنِي النُّعْمَانُ بْنُ بَشِيرٍ قَالَ: كَتَبَ مَعِي مُعَاوِيَةُ إِلَى عَائِشَةَ كِتَابًا فَدَفَعَتْ إِلَيْهَا كِتَابَهُ، فَحَدَّثَتْنِي أَنَّهَا سَمِعَتْ رَسُولَ اللَّهِ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، يَقُولُ لِعُثْمَانَ: «إِنَّ اللَّهَ لَعَلَّهُ يُقَمِّصُكَ قَمِيصًا فَإِنْ أَرَادَكَ أَحَدٌ عَلَى خَلْعِهِ فَلَا تَخْلَعْهُ ثَلَاثَ مَرَّاتٍ» . قَالَ النُّعْمَانُ: فَقُلْتُ يَا أُمَّ الْمُؤْمِنِينَ، فَأَيْنَ كُنْتِ عَنْ هَذَا الْحَدِيثِ؟ فَقَالَتْ: يَا بُنَيَّ، وَاللَّهِ أُنْسِيتُهُ. وَقَدْ رَوَاهُ
পৃষ্ঠা - ৫৭৯২


হত্যা করো তবে আমার ঘর আর একে অপরকে ভালৰাসতে পারবে না ৷ তোমরা আর কখনো
সকলে মিলে একসঙ্গে নামায আদায় করতে পারবে না, আমার পরে তোমরা আর কখনো
সকলে এক সঙ্গে মিলে দৃশমনের বিরুদ্ধে লড়াই করতে সক্ষম হবে না ৷ উসমান (বা) যা
বলেছেন, সত্যই বলেছেন ৷ তার কথা অক্ষরে অক্ষরে সত্যে পরিণত হয়েছে ৷ আল্লাহ তার প্রতি
সন্তুষ্ট থাকুন এবং তাকে সন্তুষ্ট কবন্স ৷
ইমাম আহ্ব মদ (র) আব্দুর রহমান ইবন মাহদী নুমান ইবুন বাশীর সুত্রে বর্ণনা করেনঃ
উসমান (বা) আমার মারফত আয়িশা (রা) এর নিকটঅ্যাং একটা পত্র লেখেন ৷ আমি পত্র র্তাব
নিকট হস্তান্তর করলেও তিনি বলেন যে, তিনি রাসুলুল্লাহ্ন্ ফ্লে কে হযরত উসমান (রা)-কে লক্ষ্য
করে বলতে শুন্যেছন০ ং
ৰুর্দুা৷ গ্লু,া
৷ ,গ্রা
আল্লাহ তাআলা আপনাকে একটা জামা পরাবেন ৷ কেউ তা খুলতে চাইলেও আপনি তা
খুলবেন না ৷ একথা তিনি তিনবার বলেন ৷ নুমান বলেন, তখন আমি বললাম, হে উম্মুল
মু’মিনীন! আপনি (কেন এতদিন এ হাদীস বর্ণনা করেন নিা) তিনি বলেন, হে বৎস, আল্লাহর
কসম, আমি ভুলে গিয়েছিলাম ৷ (মুসনাদে আহমদ ৬৭৫) ৷ ইমাম তিরমিযী (র) লইিস
আবদুল্লাহ ইবন আমির সুত্রে আয়িশা (রা)-এর বরাতে হাদীসটি বর্ণনা করেন ৷ এরপর তিনি
হলেন এটি হাসান গরীব হাদীস ৷ ইমাম ইবন মজােহও কবৃজ ইবন সুযালা ইয়াযীদ ইবন
নু মান সুত্রে হাদীসটি বর্ণনা করেছেন, তবে তিনি মধ্যখান থেকে আব্দুল্লাহ ইবন আমিরকে বাদ
দিয়েছেন ৷
ইমাম আহমদ (র) ইয়াহইয়া ইবন ইসমাঈল আয়িশা (রা) সুত্রে বর্ণনা করেন ৷
হযরত আয়িশা (রা) বলেন, রাসুলুল্লাহ্ছুধুক্ট্র বলেছেন : একজন সাহাবীকে ডাক’ ৷ আমি
বললাম , আবু বকরকেম্র তিনি বললেন, না ৷ আমি বললাম, উমর কেম্র তিনি বললেন, না ৷
আমি বললাম, “আপনার চড়াচড়াতো ভইি আলীকে? তিনি বললেন, না ৷ আমি বললাম,
উসমানকে ৷ তিনি বললেন, ইা ৷ তিনি উপস্থিত হলে রাসুলুল্লাহ্ £-—; “§ আমাকে বললেন,
একদিকে সরে যাও ৷ রাসুলুল্লাহ্জ্জার্তার ব্যান কানে কথা বলছিলেন আর উসমান (রা)-এর
চেহারার রং পরিবর্তন হচ্ছিল ৷ অবরোধকালে তিনি গৃহে অবরুদ্ধ হলে আমরা বললাম,
আমীরুল মু ’মিনীন ৷ আপনি যুদ্ধ করবেন নাঃ তিনি বললেন, ন৷ ৷ রাসুলুল্লা ট্ট আমার নিকট
থেকে একটা অঙ্গীকার গ্রহণ করেছেন ৷ আমি দৃঢ়তার সঙ্গে তাতে ধৈর্যধারণ করবাে’ ৷ ইমাম
আহমদ এককভ্যবে হাদীসটি বর্ণনা করেন ৷
মুহাম্মদ ইবন আইদ দামেশর্কী ওয়লীেদ ইবন মুসলিম ইয়াষীদ ইব ন আম্র সুত্রে বর্ণন
করেন যে, তিনি আবু সাওর ফাকিমীকে বলতে শুনেছেন আমি উসমান (রা)এর নিকট
উপস্থিত হই ৷ আমি তার কাছে অবস্থান করে বেরিয়ে পড়ি ৷ তখন মিসরীয় প্রতিনিধি দল ফিরে
আসে ৷ আমি উসমান (না)-এর নিকট গমন করে তাকে অবহিত করি ৷ তিনি বললেন,

১ মুসনাদে আহমদ ৬৫২ ৷ ইবন সাদ আবুসাহ্লা সুত্রে হামাদ ইবন উসামার বরাতে হাদীসটি বর্ণনা করেন
(৩৬৬) ৷ তাতে আবু সাহলা বলেন : তাদের মতে সেদিনটি ছিল গৃহে অবরুদ্ধ হওয়ার দিন ৷




التِّرْمِذِيُّ مِنْ حَدِيثِ اللَّيْثِ، عَنْ مُعَاوِيَةَ بْنِ صَالِحٍ عَنْ رَبِيعَةَ بْنِ يَزِيدَ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَامِرٍ، عَنِ النُّعْمَانِ، عَنْ عَائِشَةَ بِهِ. ثُمَّ قَالَ: هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ. وَرَوَاهُ ابْنُ مَاجَهْ مِنْ حَدِيثِ الْفَرَجِ بْنِ فَضَالَةَ، عَنْ رَبِيعَةَ بْنِ يَزِيدَ، عَنِ النُّعْمَانِ فَأَسْقَطَ عَبْدَ اللَّهَ بْنَ عَامِرٍ قَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ إِسْمَاعِيلَ، ثَنَا قَيْسٌ، عَنْ أَبِي سَهْلَةَ، عَنْ عَائِشَةَ قَالَتْ: «قَالَ رَسُولُ اللَّهِ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " ادْعُوا لِي بَعْضَ أَصْحَابِي ". قُلْتُ: أَبُو بَكْرٍ؟ قَالَ: " لَا ". قُلْتُ: عُمَرُ؟ قَالَ: " لَا ". قُلْتُ: ابْنُ عَمِّكَ عَلِيٌّ؟ قَالَ: " لَا ". قَالَتْ: قُلْتُ: عُثْمَانُ؟ قَالَ: " نَعَمْ ". فَلَمَّا جَاءَ قَالَ: تَنَحَّيْ. فَجَعَلَ يُسَارُّهُ وَلَوْنُ عُثْمَانَ يَتَغَيَّرُ. فَلَمَّا كَانَ يَوْمُ الدَّارِ وَحُصِرَ فِيهَا قُلْنَا: يَا أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ أَلَا تُقَاتِلُ؟ قَالَ: لَا؛ إِنَّ رَسُولَ اللَّهِ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، عَهِدَ إِلَيَّ عَهْدًا وَإِنِّي صَابِرٌ نَفْسِي عَلَيْهِ» . تَفَرَّدَ بِهِ أَحْمَدُ. وَقَالَ مُحَمَّدُ بْنُ عَائِذٍ الدِّمَشْقِيُّ: حَدَّثَنَا الْوَلِيدُ بْنُ مُسْلِمٍ، ثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ لَهِيعَةَ، عَنْ يَزِيدَ بْنِ عَمْرٍو أَنَّهُ سَمِعَ أَبَا ثَوْرٍ الْفَهْمِيَّ يَقُولُ: قَدِمْتُ عَلَى
পৃষ্ঠা - ৫৭৯৩
عُثْمَانَ فَبَيْنَا أَنَا عِنْدَهُ فَخَرَجْتُ فَإِذَا بِوَفْدِ أَهْلِ مِصْرَ قَدْ رَجَعُوا فَدَخَلْتُ عَلَى عُثْمَانَ فَأَعْلَمْتُهُ، فَقَالَ: وَكَيْفَ رَأَيْتَهُمْ؟ فَقُلْتُ: رَأَيْتُ فِي وُجُوهِهِمُ الشَّرَّ، وَعَلَيْهِمُ ابْنُ عُدَيْسٍ الْبَلَوِيُّ، فَصَعِدَ ابْنُ عُدَيْسٍ مِنْبَرَ رَسُولِ اللَّهِ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَصَلَّى بِهِمُ الْجُمُعَةَ وَتَنَقَّصَ عُثْمَانَ فِي خُطْبَتِهِ، فَدَخَلْتُ عَلَى عُثْمَانَ فَأَخْبَرْتُهُ بِمَا قَامَ فِيهِمْ، فَقَالَ: كَذَبَ وَاللَّهِ ابْنُ عُدَيْسٍ، وَلَوْلَا مَا ذَكَرَ مَا ذَكَرْتُ ذَلِكَ، إِنِّي لَرَابِعُ أَرْبَعَةٍ فِي الْإِسْلَامِ، وَلَقَدْ أَنْكَحَنِي رَسُولُ اللَّهِ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، ابْنَتَهُ، ثُمَّ تُوُفِّيَتْ، فَأَنْكَحَنِي ابْنَتَهُ الْأُخْرَى، وَاللَّهِ وَلَا زَنَيْتُ وَلَا سَرَقْتُ فِي جَاهِلِيَّةٍ وَلَا إِسْلَامٍ، وَلَا تَعَتَّيْتُ وَلَا تَمَنَّيْتُ مُنْذُ أَسْلَمْتُ، وَلَا مَسَسْتُ فَرْجِي بِيَمِينِي مُنْذُ بَايَعْتُ بِهَا رَسُولَ اللَّهِ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَلَقَدْ جَمَعْتُ الْقُرْآنَ عَلَى عَهْدِ رَسُولِ اللَّهِ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَلَا أَتَتْ عَلَيَّ جُمُعَةٌ إِلَّا وَأَنَا أُعْتِقُ فِيهَا رَقَبَةً مُنْذُ أَسْلَمْتُ، إِلَّا أَنْ لَا أَجِدَهَا فِي تِلْكَ الْجُمُعَةِ فَأَجْمَعَهَا فِي الْجُمُعَةِ الثَّانِيَةِ. وَرَوَاهُ يَعْقُوبُ بْنُ سُفْيَانَ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي بَكْرٍ عَنِ ابْنِ لَهِيعَةَ قَالَ: لَقَدِ اخْتَبَأْتُ عِنْدَ رَبِّي عَشْرًا فَذَكَرَهُنَّ.
পৃষ্ঠা - ৫৭৯৪


তাদেরকে তুমি কেমন দেখতে পেলে : আমি বললাম, আমি তাদের চেহারায় মন্দের চিহ্ন
দেখতে পেয়েছি ৷ আর তাদের নেতা সন্ত্রড়াসী ইবন আদীস ৷ সে রাসুলুল্লাহ্-স্রামোঃ এর মিম্বরে
আরোহণ করে লোকদেরকে নিয়ে জুমআর নামায আদায়ক্লরে ৷ জুমআর খুতৰায় সে উসমান
(রা)-এর দােষ-ক্রটি বর্ণনা করে ৷ আমি উসমান (রা)-এর নিকট গমন করে তাকে সেসব কথা
জানালে তিনি বলেন, আল্পাহ্র কসম! ইবন আদীস মিথ্যা বল্যেছ ! সে যদি তা না বলতাে
তাহলে আমিও বলতাম না ৷ ;

আমি ইসলামে চারজনের মধ্যে চতুর্থ ব্যক্তি ৷ রাসুলুল্লাহ্ন্ন্দ্বু আমার নিকট তার কন্যা
বিবাহ দিয়েছেন ৷ তিনি মৃত্যুবরণ করলে তার অপর কন্যা বিবাহ দেন ৷ জাইিলী যুগেও আমি
ব্যভিচারে লিপ্ত হইনি, চুরিও করিনি, ইসলামী যুগেও নয় ৷ ইসলাম গ্রহণ করার পর আমি
কাউকে কষ্ট দেইনি, কোন লোভ-লালসা করিনি ৷ রাসুলুল্লাহ্জ্জ এর নিকট বায়আত করার
পর ডান হাত দ্বারা আমি লজ্জাস্থান স্পর্শ করিনি ৷ রাসুলুল্লাহ্হ্রস্ত্র এর যুগেই আমি কুরআন
মজীদ সংগ্রহের কার্য সম্পাদন করি ৷ ইসলর্ষীম গ্রহণ করার পর প্রত্যেক জুমআর দিন আমি
একজন দাস মুক্ত করি ৷ কোন জুমআর দিন তা না পারলে পরবর্তী জুমআর দিন দুজন দাস
মুক্ত করতাম ৷

ইয়াকুব ইবন সুকইয়াম আব্দুল্পাহ্ ইবন আবু বকর সুত্রে ইবন লাহিয়ার বরাতেও হড়াদীসঢি
বর্ণনা করেছেন ৷ তার বর্ণনায় আছে : আমি আমার পালনকর্তার নিকট ছয়টি বিষয় গোপন
রাখি ৷ তারপর তিনি সেগুলোর উল্লেখ করেন ৷

অবরোধের বিবরণ

যিলকদ মাসের শেষের দিক থেকে ১৮ই যিলহজ্জ পর্যন্ত অবরোধ অব্যাহত ছিল ৷ সেদিন
ছিল জুমআর দিন ৷ ’এদিনের একদিন পুর্বে উসমান (বা) গৃহে উপস্থিত মুহাজির আনসারদের
উদ্দোশ্য বলেন, আর তাদের সংখ্যা জ্যি প্রায় সাতশ জন ৷ তাদের মধ্যে ছিলেন আন্দুল্লাহ্ ইবন
উমর, আব্দুল্লাহ্ ইবন যুবইিৱ, হাসান, হুসাইন, মারওয়ান এবং আবু হুরায়রা (বা) ৷ তার মুক্ত
করা অনেক দাসও উপস্থিত ছিল ৷ তিনি এদেরকে ছেড়ে দিলে (বাধা না দিলে) তারাই
সত্রাসীদের দমন করতো ৷ বরং তিনি বলেছিলেন, যার উপর আমার অধিকার আছে, আমি
কসম দিয়ে বলছি সে যেন হাত গুটিয়ে নিজ গৃহে ফিরে যায়’ ৷ এসময় বড় বড় সাহাবী এবং
তাদের সন্তানদের এবল্টা বিরাট দল তার নিকট ছিল ৷ তিনি তার ভৃত্যদেরকে বললেন : যে
তরবারি কােষবদ্ধ রাখবে, সে মুক্ত ৷ ফলে ভেতর থেকে লড়াইয়ে ডাটা পড়ে গেল ৷ কিন্তু বাইরে
থেকে উত্তপ্ত হয়ে পড়ে ৷ পরিস্থিতি হয়ে উঠে তীব্রতর ৷ আর এর কারণ ছিল এই যে, উসমান
(রা) স্বপ্নে দেখেন, যা থেকে তার সময় ফুরিয়ে এসেছে বলে বোঝা যায় ৷ ফলে তিনি আল্পাহ্র
নির্দেশের কাছে আত্মসমর্পণ করেন আল্পাহ্র প্রতিশ্রুতির আশায় এবং রাসুলুল্লাহ্ন্দুৰু-এর প্রতি
(মিলিত হওয়ার) আগ্রহের কারণে ৷ এছাড়াও তিনি আদম (আ)-এর দু’ সন্তানের মধ্যে
উত্তমত্তনে হতে চেয়েছিলেন ৷ ভইি তাকে হত্যা করার অভিপ্রায় করলে যিনি বলেছিলেন :

;ণ্ণ্ষ্ ষ্

(শে ৷


فَصْلٌ كَانَ الْحِصَارُ مُسْتَمِرًّا مِنْ أَوَاخِرَ ذِي الْقِعْدَةِ إِلَى يَوْمِ الْجُمُعَةَ الثَّامِنَ عَشَرَ مِنْ ذِي الْحِجَّةِ، فَلَمَّا كَانَ قَبْلَ ذَلِكَ بِيَوْمٍ، قَالَ عُثْمَانُ لِلَّذِينِ عِنْدَهُ فِي الدَّارِ مِنْ أَبْنَاءِ الْمُهَاجِرِينَ وَالْأَنْصَارِ - وَكَانُوا قَرِيبًا مِنْ سَبْعِمِائَةٍ؛ فِيهِمْ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عُمَرَ، وَعَبْدُ اللَّهِ بْنُ الزُّبَيْرِ، وَالْحَسَنُ، وَالْحُسَيْنُ، وَمَرْوَانُ، وَأَبُو هُرَيْرَةَ، وَخَلْقٌ مِنْ مَوَالِيهِ، وَلَوْ تَرَكَهُمْ لَمَنَعُوهُ، فَقَالَ لَهُمْ: أُقْسِمَ عَلَى مَنْ لِي عَلَيْهِ حَقٌّ أَنْ يَكُفَّ يَدَهُ، وَأَنْ يَنْطَلِقَ إِلَى مَنْزِلِهِ. وَعِنْدَهُ مِنْ أَعْيَانِ الصَّحَابَةِ وَأَبْنَائِهِمْ جَمٌّ غَفِيرٌ. وَقَالَ لِرَقِيقِهِ: مَنْ أَغْمَدَ سَيْفَهُ فَهُوَ حُرٌّ. فَبَرُدَ الْقِتَالُ مِنْ دَاخِلِ الدَّارِ، وَحَمِيَ مِنْ خَارِجٍ، وَاشْتَدَّ الْأَمْرُ وَكَانَ سَبَبُ ذَلِكَ أَنَّ عُثْمَانَ رَأَى فِي الْمَنَامِ رُؤْيَا دَلَّتْ عَلَى اقْتِرَابِ أَجَلِهِ، فَاسْتَسْلَمَ لِأَمْرِ اللَّهِ رَجَاءَ مَوْعُودِهِ، وَشَوْقًا إِلَى رَسُولِ اللَّهِ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَلِيَكُونَ خَيْرَ ابْنَيْ آدَمَ حَيْثُ قَالَ حِينَ أَرَادَ أَخُوهُ قَتْلَهُ: {إِنِّي أُرِيدُ أَنْ تَبُوءَ بِإِثْمِي وَإِثْمِكَ فَتَكُونَ مِنْ أَصْحَابِ النَّارِ وَذَلِكَ جَزَاءُ الظَّالِمِينَ} [المائدة: 29] . وَرُوِيَ أَنَّ آخِرَ مَنْ خَرَجَ مِنْ عِنْدِ عُثْمَانَ مِنَ الدَّارِ بَعْدَ أَنْ عَزَمَ عَلَيْهِمْ فِي الْخُرُوجِ، الْحَسَنُ بْنُ عَلِيٍّ وَقَدْ جُرِحَ، وَكَانَ أَمِيرَ الْحَرْبِ عَلَى أَهْلِ الدَّارِ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ الزُّبَيْرِ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمْ. وَرَوَى مُوسَى بْنُ عُقْبَةَ، عَنْ سَالِمٍ أَوْ نَافِعٍ، أَنَّ ابْنَ عُمَرَ لَمْ يَلْبَسْ سِلَاحَهُ
পৃষ্ঠা - ৫৭৯৫
بَعْدَ رَسُولِ اللَّهِ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، إِلَّا يَوْمَ الدَّارِ، وَيَوْمَ نَجْدَةَ الْحَرُورِيِّ قَالَ أَبُو جَعْفَرٍ الرَّازِيُّ، عَنْ أَيُّوبَ السِّخْتِيَانِيِّ، عَنْ نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ أَنَّ عُثْمَانَ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، أَصْبَحَ يُحَدِّثُ النَّاسَ قَالَ: رَأَيْتُ النَّبِيَّ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فِي الْمَنَامِ فَقَالَ: " يَا عُثْمَانُ أَفْطِرْ عِنْدَنَا ". فَأَصْبَحَ صَائِمًا وَقُتِلَ مِنْ يَوْمِهِ. وَقَالَ سَيْفُ بْنُ عُمَرَ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ زِيَادِ بْنِ أَنْعُمَ، عَنْ رَجُلٍ قَالَ: دَخَلَ عَلَيْهِ كَثِيرُ بْنُ الصَّلْتِ، فَقَالَ: يَا أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ، اخْرُجْ فَاجْلِسْ بِالْفَنَاءِ، فَيُرَى وَجْهُكَ، فَإِنَّكَ إِنْ فَعَلْتَ ارْتَدَعُوا. فَضَحِكَ، وَقَالَ: يَا كَثِيرُ رَأَيْتُ الْبَارِحَةَ وَكَأَنِّي دَخَلْتُ عَلَى نَبِيِّ اللَّهِ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَعِنْدَهُ أَبُو بَكْرٍ وَعُمَرُ، فَقَالَ: " ارْجِعْ فَإِنَّكَ مُفْطِرٌ عِنْدِي غَدًا ". ثُمَّ قَالَ عُثْمَانُ: وَلَنْ تَغِيبَ الشَّمْسُ وَاللَّهِ غَدًا - أَوْ كَذَا وَكَذَا - إِلَّا وَأَنَا مِنْ أَهْلِ الْآخِرَةِ. قَالَ: فَوَضَعَ سَعْدٌ وَأَبُو هُرَيْرَةَ السِّلَاحَ، وَأَقْبَلَا حَتَّى دَخَلَا عَلَى عُثْمَانَ. وَقَالَ مُوسَى بْنُ عُقْبَةَ: حَدَّثَنِي أَبُو عَلْقَمَةَ - مَوْلًى لِعَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ عَوْفٍ - حَدَّثَنِي ابْنُ الصَّلْتِ، قَالَ: أَغْفَى عُثْمَانُ بْنُ عَفَّانَ فِي الْيَوْمِ الَّذِي قُتِلَ
পৃষ্ঠা - ৫৭৯৬


“আমি চাই যে, তুমি আমার এবং তোমার পাপের তার বহন কর এবং জাহান্নামবাসী হও ৷
আর এটইি জালিমদের কর্মফল (মায়িদা ৫ : ২৯) ৷’

বর্ণিত আছে যে, গৃহ ত্যাগ করার জন্য তিনি কড়া নির্দেশ দানের পর উসমান (রা)-এৱ গৃহ
ত্যাগকারী সর্বশেষ ব্যক্তিটি ছিলেন হাসান ইবন আলী (রা) ৷ তিনিও বেরিয়ে আসেন ৷ আর
গৃহবাসীদের উপর আষীরুল হারব তথা সেনাপতি ছিলেন আব্দুল্লাহ ইবন যুবাইর (রা) ৷ মুসা
ইবন উকতা সলিম বা নাফি সুত্রে বর্ণনা করেন যে, রাসুলুল্লাহ্ মোঃ এর পরে ইবন উমর (রা)
ইয়াওমুদ্দার বা হযরত উসমানের গৃহে অবরুদ্ধ হওয়ার দিন এবং ইয়াওমুন নাজরা হারুরী দিন
ছাড়া আর কখনো অস্ত্র পরিধান করেন নি ৷ আবু জাফর দায়ী আইউব সাখতিয়ানী সুত্রে
নাফি এর বরাতে ইবন উমর থেকে বর্ণনা করেন, উসমান (বা) ভোরে লোকজনের সঙ্গে কথা
বলেন ৷ তিনি বলেন৪ নবী করীমমোঃ-কে আমি স্বপ্নে দেখেছি ৷ তিনি বলেছেন ব্রু উসমান,
আমাদের সঙ্গে ইফতার করবে ৷’ সকাল থেকে তিনি রােয৷ রাখেন এবং বোযাদার অবস্থায়
সেদিনই তিনি শহীদ হন ৷ সাইফ ইবন উমর আব্দুর রহমান ইবন যিয়াদ ইবন আনউম সুত্রে
জনৈক ব্যক্তির বরাতে বলেন, কাসীর ইবনৃস সাল্ত হযরত উসমান (রা)-এর নিকট গমন করে
বলেনঃ আমীরুল মুমিনীন ! আপনি বেরিয়ে আসুন, ঘরের আঙ্গিনায় বসুন, যাতে লোকেরা
আপনার চেহারা দেখতে পড়ায় ৷ আপনি এটা করলে হয়তো তারা নিবৃত্ত হবে ৷ এটা শুনে উসমান
(রা) হেসে বললেন ;; ’ হে কাসীর ৷ গত রাতে আমি স্বপ্নে দেখি যেন আমি নবী কবীমছুণ্হুহুব্লু এর
সঙ্গে সাক্ষাৎ করছি আর র্তার কাছে আছেন আবুবকর ও উমর (রা) ৷ নবী করীমহৃগু, হ্রচ্’ শ্-পুবললেন
ফিরে যাও, কাল আমার সঙ্গে তোমাকে ইফতার করতে ৩হবে ৷’ এরপর উনমান (রা) বললেন
আল্লাহ্র কলম, আগামী দিন সুর্যাস্তের পুর্বেই আমি আখিরাতবাসীদের সঙ্গী হবে৷ ৷ এতে না সে

ও আবুহুরায়রা হাতের অস্ত্র ফেলে দিয়ে সোজা উসমান (রা)-এর সম্মুখে উপস্থিত হন ৷
মুসা ইবন উকবা আবদুর রহমান ইবন আওফের আযাদ করা গোলাম আবুআলকাম৷ সুত্রে
ইবনুস সালতের বরাতে বলেন ;; উসমান (রা) সেদিন নিহত হন সেদিন তিনি তন্দ্রাচ্ছন্ন হয়ে
পড়েন এবং জাগ্রত হয়ে বলেন, নােকে যদি না বলতাে যে, উসমান মৃত্যু কামনা করছে তাহলে
আমি (তে আমাদেরকে) বলতড়াম ৷ বর্ণনাকারী বলেন৪ আমরা বললাম আল্লাহ্ আপনার মঙ্গল
করুন, আপনি আমাদেরকে বলুন; লোকেরা যা বলে আমরা তা বলবো না ৷’ তখন তিনি বলেনঃ
আমি রাসুলুল্লাহ্হুল্লী কে স্বপ্নে দেখেছি ৷ তিনি বলেন, জুম’আর দিন তুমি আমাদের সঙ্গে
শরীক হবে ৷ ’
ইবন আবিদ্দুনইয়া আবদুর রহমান আল-কুরাশী কালীর ইবনুস সালুত সুত্রে বর্ণনা
করেনং অবরুদ্ধ দিনগুলোতে আমি উসমান (রা) এর নিকট গমন করলে তিনি বলেন হে
কালীর! আমার মনে হয় আমি আজ্জী নিহত হবে৷ ৷’ রাবী বলেন, আমি তাকে বললাম,
আমীরুল মু’মিনীন ! দুশমনের বিরুদ্ধে আল্পাহ্ আপনাকে সাহায্য করুন ৷ ’ বর্ণনাকারী বলেন,
তিনি পুনরায় আমাকে একই কথা বললে আমি তাকেবললাম, আজকের দিনে আপনার জন্য
কি কোন নির্ধারিত করা হয়েছে ? নাকি আপনাকে কিছু বলা হয়েছে’ন্ তিনি বললেন, না , গত
রাতে আমার ঘুম হয়নি ৷ ভোর রাত্রে আমি তন্দ্রাচ্ছন্ন হয়ে পড়ি ৷ এ সময় আমি রাসুলুল্লাহ্হ্ক্ট্র
-কে স্বপ্নে দেখি ৷ স্বপ্নে দেখি আবু বকর এবং উমরকেও ৷ আর বসেলুল্লাহ “ আমাকে

ষ্গ্ জ্যো ধ্


فِيهِ فَاسْتَيْقَظَ فَقَالَ: لَوْلَا أَنْ يَقُولَ النَّاسُ: تَمَنَّى عُثْمَانُ أُمْنِيَةً لَحَدَّثْتُكُمْ. قَالَ: قُلْنَا أَصْلَحَكَ اللَّهُ، حَدِّثْنَا فَلَسْنَا نَقُولُ مَا يَقُولُ النَّاسُ. فَقَالَ: إِنِّي رَأَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فِي مَنَامِي هَذَا فَقَالَ: " إِنَّكَ شَاهِدٌ مَعَنَا الْجُمُعَةَ ". وَقَالَ ابْنُ أَبِي الدُّنْيَا: حَدَّثَنَا أَبُو عَبْدِ الرَّحْمَنِ الْقُرَشِيُّ، ثَنَا خَلَفُ بْنُ تَمِيمٍ، ثَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ بْنِ مُهَاجِرٍ الْبَجَلِيُّ، ثَنَا عَبْدُ الْمَلِكِ بْنُ عُمَيْرٍ، حَدَّثَنِي كَثِيرُ بْنُ الصَّلْتِ، قَالَ: دَخَلْتُ عَلَى عُثْمَانَ وَهُوَ مَحْصُورٌ فَقَالَ لِي: يَا كَثِيرُ، مَا أُرَانِي إِلَّا مَقْتُولًا يَوْمِي هَذَا. قَالَ: قُلْتُ: يَنْصُرُكَ اللَّهُ عَلَى عَدُوِّكَ يَا أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ. قَالَ: ثُمَّ أَعَادَ عَلَيَّ فَقُلْتُ: وُقِّتَ لَكَ فِي هَذَا الْيَوْمِ شَيْءٌ، أَوْ قِيلَ لَكَ شَيْءٌ؟ قَالَ: لَا، وَلَكِنِّي سَهِرْتُ فِي لَيْلَتِي هَذِهِ الْمَاضِيَةِ، فَلَمَّا كَانَ عِنْدَ السَّحَرِ أَغْفَيْتُ إِغْفَاءَةً، فَرَأَيْتُ فِيمَا يَرَى النَّائِمُ رَسُولَ اللَّهِ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَأَبَا بَكْرٍ وَعُمَرَ، وَرَسُولَ اللَّهِ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، يَقُولُ لِي: يَا " عُثْمَانُ الْحَقْنَا لَا تَحْبِسْنَا، فَإِنَّا نَنْتَظِرُكَ ". قَالَ: فَقُتِلَ مِنْ يَوْمِهِ ذَلِكَ. وَقَالَ ابْنُ أَبِي الدُّنْيَا: حَدَّثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ إِسْمَاعِيلَ ثَنَا يَزِيدُ بْنُ هَارُونَ، عَنْ فَرَجِ بْنِ فَضَالَةَ، عَنْ مَرْوَانَ بْنِ أَبِي أُمَيَّةَ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ سَلَامٍ قَالَ: أَتَيْتُ عُثْمَانَ لِأَسْلَمِ عَلَيْهِ وَهُوَ مَحْصُورٌ، فَدَخَلْتُ عَلَيْهِ فَقَالَ: مَرْحَبًا بِأَخِي، رَأَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، اللَّيْلَةَ فِي هَذِهِ الْخَوْخَةِ - قَالَ: وَخَوْخَةٌ فِي الْبَيْتِ - فَقَالَ: " يَا عُثْمَانُ حَصَرُوكَ؟ ". قُلْتُ: نَعَمْ. قَالَ: " عَطَّشُوكَ؟ ". قُلْتُ: نَعَمْ. فَأَدْلَى دَلْوًا فِيهِ مَاءٌ فَشَرِبْتُ حَتَّى رَوَيْتُ، حَتَّى إِنِّي لَأَجِدُ بَرْدَهُ بَيْنَ ثَدْيَيَّ بَيْنَ كَتِفَيَّ، وَقَالَ
পৃষ্ঠা - ৫৭৯৭


বলছেনঃ উসমান ! আমাদেরকে অপেক্ষায় রাখৰে না, আমাদের সঙ্গে মিলিত হও ৷ আমরা
তোমার অপেক্ষায় আছি ৷ রাবী বলেন, সেদিনই তিনি নিহত হন ৷
ইবনু আবিদ্দুনইয়া ইসহাকইবন ইসমাঈল আবদুল্লাহ ইবন সালাম সুত্রে বর্ণনা করেন,
অবরোধকালে আমি উসমান (রা)-কে সালাম জানাবাৱ জন্য তার নিকট উপস্থিত হই ৷ গৃহে
প্রবেশ করলে তিনি বলেন : মারহাবা, প্রিয় ভইি আমার, আজ রাত্রে আমি এ জানালা দিয়ে
রাসুলুল্লাহ্ মোঃ কে দেখেছি ৷ বর্ণনাকারী বলেন, গৃহে জানালা জ্যি ৷ রাসুলুল্লাহ্ মোঃ বললেন,
উসামন৷ তারা তোমাকে অবরুদ্ধ করেছে ৷ আমি বললাম, জী ৷ তিনি বললেন তারা
তোমাকে পিপাসার্ত ণ্রখেছে? আমি বললাম, র্জী হীা
তখন তিনি একটা বালতি কাত করেছিলেন, যাতে পানি জ্যি ৷ আমি তা থেকে পানি পান
করি, এমন কি পরিতৃপ্ত হই ৷ এমনকি সে পানির শী৩ লত৷ আমি বুক আর কাধের মধ্যন্থলে
অনুভব করছি ৷ তিনি আমাকে আরো বলেন, তৃমি ইচ্ছা করলে৩ তাদের বিরুদ্ধে আমি ণ্তড়ামাকে
সাহায্য করি ৷ আবার তমি ইচ্ছা করলে আমার সঙ্গে ইফতার করতে পার ৷’ রাবী বলেন,৩ তিনি
বললেন, আমি তার সঙ্গে ইফতার ব্বাকেই গ্রহণ করেছি’ ৷ ৫সদিনই তিনি নিহত হন ৷
মুহাম্মদ ইবন সা দ আফ্ফান ইবন মুসলিম উসমান (বা) এর ত্রীর বরাতে হিলাল
বিনত ওয়াবী সুত্রে বর্ণনা করেন, রাবী বলেন, আমার ধারণা তিনি ছিলেন বিনতৃল ফারাফিসা-
তিনি বলেন, উসমান (রা)৩ তন্দ্রাভিভুত হয়ে পড়েন ৷ তা থেকে জাগ্রত হয়ে৩ তিনি বললেন ং
লোকেরা আমাকে হত্যা করবে ৷’ আমি বাংলায়, আমীরুল মুমিনীন, তা কখনো হতে পারে
না ৷ তিনি বললেন, আমি রাসুলুল্লাহ্ হুণ্র্দুশ্ষ্,:ব্লু এবং আবুবকর ও উমর (রা)-কে স্বপ্নে দেখেছি ৷
র্তারা বললেন, অড়াজ রাত্রে আমাদের সঙ্গে ইফতার করবে ৷’ অথবা তারা বলেন, আজ রাত্রে
আমাদের সঙ্গে তোমাকে ইফতার করতে হবে ৷ (তাবাকাতে ইবন সাদ ৩৭৫) ৷
আর হইিসাম ইবন কুলাইব ঈসা ইবন আহমদ আসকালানী নুমান ইবন বাশীর সুত্রে
উসমান (রা)-এর শ্রী নাইলা বিনত ফারাফিসার বরাতে বলেন : উসমান (বা) অবরুদ্ধ হয়ে
যেদিন নিহত হন সেদিন কোন রােয়৷ রাখেন ৷ ইফতারের সময় তিনি অবরোধকারীদের নিকট ,
ইফতার করার জন্য সুপেয় পানি চাইলে তারা র্তাকে পানি দিতে অস্বীকার করে বলে, সাবধানা
তামার নিকটেই কুয়ো আছে ৷ সেখান থেকে পানি নিয়ে ইফতার কর ৷’ অথচ গৃহের আঙ্গিনার
কুয়োটা ছিল ময়লা-আবর্জনা ৰেলোর স্থান ৷
নাইলা আরো বলেন, ভোর রাত্রে আমি গৃহের কাছের প্রস্তরময় ভুমিতে কয়েকজন
প্রতিবেশীকে দেখতে পেয়ে তাদের নিকট পানি চাইলে তারা আমাকে একজগ পানি দান করলে
তা নিয়ে আমি তার নিকট গমন করি এবং তাকে বলি : এই নিন, আপনার সুপেয় পানিনিয়ে
এসেছি ৷’ তিনি আরো বলেন : তিনি বইিরে দেখেন, ফজরের সময় হয়ে গেছে ৷ তাই তিনি
বললেন, রােযাদার অবস্থায় আমার সকাল হয়েছে ৷’ নাইলা বলেন, আমি তাকে জিজ্ঞেস
করলাম, আপনি কোথায় আহার করলেন, খাদ্য-পানীয় নিয়ে আসতে কাউকে তো দেখিনি ?
তিনি বললেন : আমি দেখতে পাই, রাসুলুল্লাহ্ড়োছাদ থেকে উকি দিয়ে আমাকে দেখেন,
তার সঙ্গে ছিল এক বালতি পানি ৷ তিনি বললেন, উসমান৷ পান কর ৷’ তাই আমি পান করি,
এমনকি পরিতৃপ্ত হয়ে য়াই ৷ তিনি আবার বললেন, আরো পান কর ৷ ’ তাই আমি তৃপ্ত হয়ে পান

আল-বিদায়া — ৪২


لِي: " إِنْ شِئْتَ نُصِرْتَ عَلَيْهِمْ وَإِنْ شِئْتَ أَفْطَرْتَ عِنْدَنَا ". فَاخْتَرْتُ أَنْ أُفْطِرَ عِنْدَهُ. فَقُتِلَ ذَلِكَ الْيَوْمَ. وَقَالَ مُحَمَّدُ بْنُ سَعْدٍ: ثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عُمَرَ، أَنَا عَفَّانُ بْنُ مُسْلِمٍ، ثَنَا وُهَيْبٌ، ثَنَا دَاوُدُ عَنْ زِيَادِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، عَنْ أُمِّ هِلَالٍ بِنْتِ وَكِيعٍ، عَنِ امْرَأَةِ عُثْمَانَ - قَالَ: وَأَحْسَبُهَا بِنْتَ الْفَرَافِصَةِ - قَالَتْ: أَغْفَى عُثْمَانُ فَلَمَّا اسْتَيْقَظَ قَالَ: إِنَّ الْقَوْمَ يَقْتُلُونَنِي. قُلْتُ: كَلَّا يَا أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ. قَالَ: إِنِّي رَأَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَأَبَا بَكْرٍ وَعُمَرَ فَقَالُوا: " أَفْطِرْ عِنْدَنَا اللَّيْلَةَ ". أَوْ: " إِنَّكَ تُفْطِرُ عِنْدَنَا اللَّيْلَةَ ". وَقَالَ الْهَيْثَمُ بْنُ كُلَيْبٍ: حَدَّثَنَا عِيسَى بْنُ أَحْمَدَ الْعَسْقَلَانِيُّ، ثَنَا شَبَابَةُ، ثَنَا يَحْيَى بْنُ أَبِي رَاشِدٍ مَوْلَى عُمَرَ بْنِ حُرَيْثٍ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ الْجُرَشِيِّ، وَعُقْبَةَ بْنِ أُسَيْدٍ، عَنِ النُّعْمَانِ بْنِ بَشِيرٍ، عَنْ نَائِلَةَ بِنْتِ الْفَرَافِصَةِ الْكَلْبِيَّةِ - امْرَأَةِ عُثْمَانَ - قَالَتْ: لَمَّا حُصِرَ عُثْمَانُ ظَلَّ الْيَوْمَ الَّذِي كَانَ قَبْلَ قَتْلِهِ صَائِمًا، فَلَمَّا كَانَ عِنْدَ إِفْطَارِهِ سَأَلَهُمُ الْمَاءَ الْعَذْبَ، فَأَبَوْا عَلَيْهِ وَقَالُوا:
পৃষ্ঠা - ৫৭৯৮
دُونَكَ ذَلِكَ الرَّكِيَّ - وَرَكِيٌّ فِي الدَّارِ الَّذِي يُلْقَى فِيهِ النَّتِنُ - قَالَتْ: فَلَمْ يُفْطِرْ، فَأَتَيْتُ جَارَاتٍ لَنَا عَلَى أَجَاجِيرَ مُتَوَاصِلَةٍ - وَذَلِكَ فِي السَّحَرِ - فَسَأَلْتُهُمُ الْمَاءَ الْعَذْبَ فَأَعْطَوْنِي كُوزًا مِنْ مَاءٍ، فَأَتَيْتُهُ فَقُلْتُ: هَذَا مَاءٌ عَذْبٌ أَتَيْتُكَ بِهِ. قَالَتْ: فَنَظَرَ فَإِذَا الْفَجْرُ قَدْ طَلَعَ فَقَالَ: إِنِّي أَصْبَحْتُ صَائِمًا. قَالَتْ: فَقُلْتُ: وَمِنْ أَيْنَ وَلَمْ أَرَ أَحَدًا أَتَاكَ بِطَعَامٍ وَلَا شَرَابٍ؟ فَقَالَ: إِنِّي رَأَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، اطَّلَعَ عَلَيَّ مِنْ هَذَا السَّقْفِ وَمَعَهُ دَلْوٌ مِنْ مَاءٍ فَقَالَ: " اشْرَبْ يَا عُثْمَانُ ". فَشَرِبْتُ حَتَّى رَوِيتُ ثُمَّ قَالَ: " ازْدَدْ ". فَشَرِبْتُ حَتَّى نَهِلْتُ ثُمَّ قَالَ: " أَمَا إِنَّ الْقَوْمَ سَيَبْكُرُونَ عَلَيْكَ، فَإِنْ قَاتَلْتَهُمْ ظَفِرْتَ، وَإِنْ تَرَكْتَهُمْ أَفْطَرْتَ عِنْدَنَا ". قَالَتْ: فَدَخَلُوا عَلَيْهِ مِنْ يَوْمِهِ فَقَتَلُوهُ. وَقَالَ أَبُو يَعْلَى الْمَوْصِلِيُّ، وَعَبْدُ اللَّهِ بْنُ الْإِمَامِ أَحْمَدَ: حَدَّثَنِي عُثْمَانُ
পৃষ্ঠা - ৫৭৯৯


করি ৷ ’ তিনি আরো বলেন, ল্যেকেরা তোমার বিরুদ্ধে অভিযোগ করছে ৷ তুমি তাদের বিরুদ্ধে
লড়াই করলে জয়ী হবে, আর লড়াই না করলে আমার সঙ্গে ইফতা ৷র করবে ৷ ’ নাইলা বলেন,
সন্ত্রাসীরা সেদিনই তাকে হত্যা করে ৷

আবু ইয়ালা আল-মুসিলী ও ইমাম আহমদ (র)-এর পুত্র আন্দুল্লাহ্ উসমান ইবন আবু
শায়বা উসমান (রা)-এর আযাদকৃত দাস আবু সাঈদ সুত্রে বর্ণনা করেন ৷

উসমান (বা) ২০ জন গোলাম অযােদ করেন এবং পায়জামা চেয়ে নিয়ে শক্ত করে তা
পরিধান করেন ৷ অথচ জাহিলী যুগে বা ইসলামী যুগে৩ তিনি কখনো পায়জাম৷ পরিধান
করেননি ৷ উমমান (রা) বলেন আমি রাসুলুল্লাহ্গো এবং আবু বকর ও উমর (রা)ষ্টু£ক স্বপ্নে
দেখেছি ৷ তারা আমাকে বলেনং ধৈর্যধারণ কর, মিতৃ আমাদের সঙ্গে ইফতার করবে ৷ ’ এরপর
তিনি কুরআন শরীফ চেয়ে নেন ৷ নিহত হওয়ার সময় তার সম্মুখে কুরআন শরীফ উন্মুক্ত ছিল ৷

আমি (গ্রন্থকার) বলি-এদিন তিনি এজন্য পায়জাম৷ পরিধান করেছিলেন যাতে তার
লজ্জান্থান প্রকাশ না পড়ায়, কারণ, তিনি ছিলেন অভিমাত্রায় লজ্জাশীল ৷ এমনকি ফেরেশতারা
পর্যন্ত তাকে লজ্জা করতেন ৷ এ সম্পর্কে রাসুলুল্লাহ্ ইর্দুক্ট্র এর উক্তি রয়েছে ৷ সম্মুখে উন্মুক্ত
কুরআন শরীফ তিলাওয়াতরত অবস্থায়৩ তিনি মহান আল্লাহর ইচ্ছার কাছে আত্মসমর্পণ করেন ৷
যুদ্ধ থেকে তিনি নিজে নিবৃত্ত থাকেন এবং তার হিফজ্যোতরউদ্দেশ্যে যুদ্ধ না করার জন্য
লোকজনকে কসম দিয়ে ধারণ করেন ৷ তিনি লোকজনকে এমন কঠোরভাবে বারণ না করলে
তারা অবশ্যই দৃশমনের হাত থেকে তাকে রক্ষা করার জন্য তার সাহায্যে এগিয়ে আসতো ৷
কিন্তু আল্লাহ্র হুকুম ছিল চুড়ান্ত এবং পুর্ব নির্ধারিত ৷ হিশাম ইবন উরওয়া তার পিতা সুত্রে
বর্ণনা করেন, উসমান (বা) হযরত যুবাইরকে ওসীয়ত করে যান ৷ আসমাঈ আলা ইবন ফযল
সুত্রে তার পিতার বরাতে বর্ণনা করেন যে, হযরত উসমান (রা) এর হত্যার পর ল্যেকেরা তা
গৃহের আসবাবপএ অনুসন্ধান করে একটা তালাবদ্ধ সিন্দুকের সন্ধান পায় ৷ সিন্দুকটি খুলে তাতে
একটা ছোট পাত্রে এক টুকরা কাগজ পায় ৷ তাতে লেখা ছিলং : তার ওসীয়ত ৷৩ তা এইং

ট্রপু ব্লুটুপু ৷ ;,১দ্বুড্রু৷ ৷ ণ্এ৷ ৷

;,এেম্
;, ৷
৷ এ;

বিসমিল্পাহির রাহমানির রাহীম

উসমান ইবন আফফান সাক্ষ্য দিচ্ছে যে, আল্পাহ্ ছাড়া কোন ইলাহ নেই, তিনি এক, তার
কোন শরীক নেই ৷ মুহাম্মদমোঃআল্লাহ্র বান্দা ও রাসুল ৷ জান্নাত সত্য ৷ জ্যহান্নাম সত্য ৷
আল্লাহ একদিন কবরবাসীকে উথিত করবেন তাতে কোন সন্দেহ নেই ৷ আর আল্লাহ্ ওয়াদার

থেলাফ করেন না ৷ এ বিশ্বাস অনুযায়ী সে বেচে থাকে, আর এ বিশ্বাস মতে সে মৃত্যুবরণ করে
আর এ বিশ্বাস অনুযায়ী সে পুনরুথিত হবে ইনশাআল্লাহ্ তাআলা ৷


بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، ثَنَا يُونُسُ بْنُ أَبِي يَعْفُورٍ الْعَبْدِيُّ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ مُسْلِمٍ أَبِي سَعِيدٍ مَوْلَى عُثْمَانَ بْنِ عَفَّانَ، أَنَّ عُثْمَانَ أَعْتَقَ عِشْرِينَ مَمْلُوكًا، وَدَعَا بِسَرَاوِيلَ فَشَدَّهَا وَلَمْ يَلْبَسْهَا فِي جَاهِلِيَّةٍ وَلَا إِسْلَامٍ، وَقَالَ: إِنِّي رَأَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فِي الْمَنَامِ وَأَبَا بَكْرٍ وَعُمَرَ وَإِنَّهُمْ قَالُوا لِي: " اصْبِرْ فَإِنَّكَ تُفْطِرُ عِنْدَنَا الْقَابِلَةَ ". ثُمَّ دَعَا بِمُصْحَفٍ فَنَشَرَهُ بَيْنَ يَدَيْهِ، فَقُتِلَ وَهُوَ بَيْنَ يَدَيْهِ. قُلْتُ: إِنَّمَا لَبِسَ السَّرَاوِيلَ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، فِي هَذَا الْيَوْمِ لِئَلَّا تَبْدُوَ عَوْرَتَهُ إِذَا قُتِلَ ; فَإِنَّهُ كَانَ شَدِيدَ الْحَيَاءِ، كَانَتْ تَسْتَحْيِي مِنْهُ الْمَلَائِكَةُ، كَمَا نَطَقَ بِذَلِكَ النَّبِيُّ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ. وَوَضَعَ بَيْنَ يَدَيْهِ الْمُصْحَفَ يَتْلُو فِيهِ، وَاسْتَسْلَمَ لِقَضَاءِ اللَّهِ، عَزَّ وَجَلَّ، وَكَفَّ يَدَهُ عَنِ الْقِتَالِ، وَأَمَرَ النَّاسَ وَعَزَمَ عَلَيْهِمْ أَنْ لَا يُقَاتِلُوا دُونَهُ، وَلَوْلَا عَزِيمَتُهُ عَلَيْهِمْ لَنَصَرُوهُ مِنْ أَعْدَائِهِ، وَلَكِنْ كَانَ أَمْرُ اللَّهِ قَدَرًا مَقْدُورًا. وَقَالَ هِشَامُ بْنُ عُرْوَةَ، عَنْ أَبِيهِ: إِنَّ عُثْمَانَ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، أَوْصَى إِلَى الزُّبَيْرِ. وَقَالَ الْأَصْمَعِيُّ عَنِ الْعَلَاءِ بْنِ الْفَضْلِ عَنْ أَبِيهِ قَالَ: لَمَّا قُتِلَ عُثْمَانُ فَتَّشُوا خَزَائِنَهُ فَوَجَدُوا فِيهَا صُنْدُوقًا مُقْفَلًا، فَفَتَحُوهُ فَوَجَدُوا فِيهِ حُقَّةً فِيهَا وَرَقَةٌ مَكْتُوبٌ فِيهَا: هَذِهِ وَصِيَّةُ عُثْمَانَ: بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَنِ الرَّحِيمِ، عُثْمَانُ بْنُ عَفَّانَ يَشْهَدُ أَنْ لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ وَحْدَهُ لَا شَرِيكَ لَهُ، وَأَنَّ مُحَمَّدًا عَبْدُهُ وَرَسُولُهُ، وَأَنَّ الْجَنَّةَ حَقٌّ، وَأَنَّ النَّارَ حَقٌّ، وَأَنَّ اللَّهَ يَبْعَثُ مَنْ فِي الْقُبُورِ، لِيَوْمٍ لَا رَيْبَ فِيهِ، إِنَّ اللَّهَ لَا يُخْلِفُ الْمِيعَادَ، عَلَيْهَا يَحْيَا وَعَلَيْهَا يَمُوتُ، وَعَلَيْهَا يُبْعَثُ إِنْ شَاءَ اللَّهُ تَعَالَى.
পৃষ্ঠা - ৫৮০০
وَرَوَى ابْنُ عَسَاكِرَ أَنَّ عُثْمَانَ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، قَالَ يَوْمَ دَخَلُوا عَلَيْهِ فَقَتَلُوهُ: أَرَى الْمَوْتَ لَا يُبْقِي عَزِيزًا وَلَمْ يَدَعْ ... لِعَادٍ مَلَاذًا فِي الْبِلَادِ وَمُرْتَقَى وَقَالَ أَيْضًا: يُبَيِّتُ أَهْلَ الْحِصْنِ وَالْحِصْنُ مُغْلَقٌ ... وَيَأْتِي الْجِبَالَ فِي شَمَارِيخِهَا الْعُلَا