ثم دخلت سنة خمس وثلاثين
পৃষ্ঠা - ৫৮৬৫
এ
এ ৷
মোঃ
ড্রুন্া৷ন্ ৷
নিঃসন্দেহে আল্লাহ তাআলা মুহাম্মদঘ্নে কে সত্যসহ প্রেরণ করেছেন এবং তার প্ৰতি
কিতাব নাযিল করেছেন এবং যারা আল্লাহ্ এবং আল্লাহ্র রাসুলের ডাকে সাড়া দিয়েছেন, আপনি
তাদের অন্যতম ৷ আর আপনি দু দফা হিজরত করেছেন, রাসুলুল্লাহ্ট্রু,আঃ এর সাহচর্য লাভ
করেছেন এবং §fifi§fl§£;:-¢:§ হিদায়াত আপনি প্র৩ ৷ক্ষ করেছেন ৷ আবন্ ওয়ালীদ সম্পর্কে
লোকেরা অনেক কথা বলেছে ৷ তিনি বললেন, ভুমি রাসুল মোঃ ফে পেয়েছদ্রু আমি বললাম,
না ৷ তবে হী৷ , তার জ্ঞানের যে অংশ আমার কাছে পৌছেছে, যা পৌছে পর্দার অন্তরালে একজন
নারীর নিকট ৷ তিনি বললেন : তারপর ; আল্লাহ তাআলা নিঃসন্দেহে মুহাম্মদহুন্ধুহুব্লু-কে সভ্যসহ
প্রেরণ করেছেন ৷ যারা তার আহ্বানে সাড়া দিয়েছে, আমি তাদের অন্যতম, ফলে তিনি যা নিয়ে
প্রেরিত হয়েছেন, তার প্ৰতি আমি ঈমান এ নেছি ৷ এবং দুদফা হিজরত করেছি, যেমন তুমি
বলেছ ৷ আমি রাসু :;চ্চুচ্চু এর সান্নিধ্য সাহচর্য লাভ করেছি এবং তার হাতে বায়আত করেছি ৷
আল্লাহর শপথ আল্লাহ তাআলা র্তাকে ওফাত দেয়া পর্যন্ত আমি তার নাফরমানী করিনি,
তাকে প্রভাবিত ও করিনি ৷ তারপর অনুরুপতাবে আবু বকর (বা) এবং উমর (রা)ও ওফাত লাভ
করেন ৷ এরপর খিলাফতে তর দায়িত্ব আমার উপর বর্তায় ৷৩ তাদের যেমন অধিকার ছিল, আমার
কি তে মন অধিকার নেই? আমি বললাম, কেন থাকবে না, অবশ্যই আছে ৷ তিনি বললেন, তবে
তোমাদের সম্পর্কে এসব কি কথাবার্তা শুনতে পাচ্ছি? অবশ্য ওয়ালীদ সম্পর্কে তুমি যা বলেছ,
সে বিষয়ে অবিলম্বে আমি স৩ তা ব্যবস্থুইি গ্রহণ করবো, ইনশা আল্লাহ্ তা আলা ৷ এরপর তাকে
চাবুক মারার জন্য আলী (রা)-কে ডেকে তাকে চাবুক মারার নির্দেশ দেন ৷ ফলে তিনি তাকে
৮০ যা চাবুক মারেন ৷
অপর একটি হাদীস
ইমাম আহমদ (র) আবুল মুগীরা আয়েশা (রা) সুত্রে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন :
১ ’
رَسُولَ اللَّهِ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَرَأَيْتَ هَدْيَهُ، وَقَدْ أَكْثَرَ النَّاسُ فِي شَأْنِ الْوَلِيدِ. فَقَالَ: أَدْرَكْتَ رَسُولَ اللَّهِ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ؟ قُلْتُ: لَا، وَلَكِنْ خَلَصَ إِلَيَّ مِنْ عِلْمِهِ مَا يَخْلُصُ إِلَى الْعَذْرَاءِ فِي سِتْرِهَا. قَالَ: أَمَّا بَعْدُ، فَإِنَّ اللَّهَ بَعَثَ مُحَمَّدًا بِالْحَقِّ وَكُنْتُ مِمَّنِ اسْتَجَابَ لِلَّهِ وَلِرَسُولِهِ، وَآمَنْتُ بِمَا بَعَثَ بِهِ، وَهَاجَرْتُ الْهِجْرَتَيْنِ كَمَا قُلْتَ، وَصَحِبْتُ رَسُولَ اللَّهِ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَبَايَعْتُهُ فَوَاللَّهِ مَا عَصَيْتُهُ وَلَا غَشَشْتُهُ حَتَّى تَوَفَّاهُ اللَّهُ، عَزَّ وَجَلَّ، ثُمَّ أَبُو بَكْرٍ مِثْلُهُ، ثُمَّ عُمَرُ مِثْلُهُ، ثُمَّ اسْتُخْلِفْتُ، أَفَلَيَسَ لِي مِنَ الْحَقِّ مِثْلُ الَّذِي لَهُمْ؟ قُلْتُ: بَلَى. قَالَ: فَمَا هَذِهِ الْأَحَادِيثُ الَّتِي تَبْلُغُنِي عَنْكُمْ؟ أَمَّا مَا ذَكَرْتَ مِنْ شَأْنِ الْوَلِيدِ، فَسَنَأْخُذُ فِيهِ بِالْحَقِّ إِنْ شَاءَ اللَّهُ. ثُمَّ دَعَا عَلِيًّا فَأَمَرَهُ أَنْ يَجْلِدَهُ فَجَلَدَهُ ثَمَانِينَ.
حَدِيثٌ آخَرُ: قَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا أَبُو الْمُغِيرَةِ، ثَنَا الْوَلِيدُ بْنُ سُلَيْمَانَ، حَدَّثَنِي رَبِيعَةُ بْنُ يَزِيدَ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَامِرٍ، عَنِ النُّعْمَانِ بْنِ بَشِيرٍ، عَنْ عَائِشَةَ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهَا، قَالَتْ: «أَرْسَلَ رَسُولُ اللَّهِ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، إِلَى عُثْمَانَ بْنِ عَفَّانَ، فَأَقْبَلَ عَلَيْهِ رَسُولُ اللَّهِ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَلَمَّا رَأَيْنَا إِقْبَالَ رَسُولِ اللَّهِ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، عَلَى عُثْمَانَ أَقْبَلَتْ إِحْدَانَا عَلَى الْأُخْرَى فَكَانَ مِنْ آخِرِ كَلَامٍ كَلَّمَهُ أَنْ ضَرَبَ مَنْكِبَهُ، وَقَالَ: " يَا عُثْمَانُ إِنَّ اللَّهَ عَسَى أَنْ يُلْبِسَكَ قَمِيصًا فَإِنْ أَرَادَكَ الْمُنَافِقُونَ
পৃষ্ঠা - ৫৮৬৬
এৰু-ট্ট
০এশ্ণ্১এ’ (
রাসুলুল্পাহ্মোঃউসমান ইবন আফ্ফান-এর নিকট খবর পাঠালে তিনি দেখা করলেন এবং
রাসুসুন্নাহ্য়ো,তার সম্মুখে উপস্থিত হলেন ৷ আমরা যখন দেখলাম যে, রাসুলুল্লাহ্ন্শুমোঃট্রু তাৱ
দিকে এগিয়ে আসছেন তখন আমরা নারীরা একজন আরেকজনের দিকে এগিয়ে গেলাম ৷
(দেখতে (সোম) রাসুলুল্লাহ্ঘ্নেউসমান (রা)-এর স্কন্ধে হস্ত স্থাপন পুর্বক শেষ যে কথাটি
বললেন তা এইং হে উসমান! অদুর ভবিষ্যতে আল্লাহ তা’আলা তোমাকে একটা জামা
পরিধান করাবেন ৷ মুনাফিকরা তে ৷মার নিকট থেকে সে জামা ছিনিয়ে নিতে চাইলে তুমি তা
খুলে ণ্ফ্ফাবে না, যতক্ষণ না আমার সঙ্গে মিলিত হও ৷ কথাটি তিনি তিনবার বলেন ৷
নুমান ইবন বাশীর বলেন, আমি আয়েশা (রা)-কে বললাম, হে উম্মুল মু’মিনীন ৷ এতদিন
সে কথা, আপনি বলেননি কেনা তিনি বললেন, যে কথাটা আমি তুলে গিয়েছিলাম ৷ আল্লাহর
কলম, তা আমার স্মরণ ,ছিল না ৷ ন্ বর্ণনাকারী বলেন, আমি বিষয়টা মুয়াবিয়া ইবন আবু
সুফিয়ানকে জানালে তিনি তাতে খুশি হলেন না ৷ শেষ পর্যন্ত তিনি উম্মুল মুমিনীন (আয়েশা
রা)-এর নিকট পত্র লিখবেন যে, হাদীসটা আমাকে লিখে জানান ৷ ফলে তিনি মুয়াবিয়া
(রা)-কে হাদীসটি লিখিতভাবে জানান ৷ আবু আব্দুল্লাহ আল-জীরী আয়েশা (রা) এবং হাফসা
(রা) সুত্রে হাদীসটি পুর্বের মতো বর্ণনা করেন ৷ কায়স ইবন আবু হাশিম এবং আবু সালমা-ও
আয়েশা (রা) সুত্রে হাদীসটি বর্ণনা করেছেন ৷ আবুসাহলা উসমান (রা) সুবুএ হাদীসটি এভাবে
বর্ণনা করেন :
বাসুলুল্পাহ আমাকে একটা অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন, আর আমি দৃঢ়তড়ার সঙ্গে তাতে
অৰিচল আছি ৷ ফারাজ ইবন কুযালা মুহাম্মদ ইবন যুবাইদী যুহ্য়ী সুত্রে উর ওয়ার বরাতে আয়েশা
(রা)-এর জবানীতে হাদীসটি বর্ণনা করেছেন ৷ ইমাম দারকুতনীর মতে ফারাজ ইবন ফুজালা
এককভাবে হাদীসটি বর্ণনা করেছেন ৷ আবু মারওয়ানও মুহাম্মদ আয়েশা (রা) সুত্রে
হাদীসটি বর্ণনা করেছেন ৷ ইবন আসাকিরও মিনহাল ইবন উমর আয়েশা (রা) সুত্রে
হাদীসটি বর্ণনা করেছেন ৷ ইবন উসামা জারীরী সুত্রে আবু বকর আল-আছাবীর বরাতে হাদীসটি
বর্ণনা করে বলেন, আমি আয়েশা (রা)-কে জিজ্ঞেস করি ৷ তিনি পুর্বের মতো হাদীসটি উল্লেখ
করেন ৷ হাহীনও মুজাহিদ সুত্রে আয়েশা (রা)এর বরাতে অনুরুপভাবে হাদীসটি পুর্বের মতো
বর্ণনা করেন ৷
ইমাম আহমদ (র) মুহাম্মদ ইবন কিনানা আল-আসাদী ইসহাক ইবন সাঈদ সুত্রে, তিনি
তার পিতার বরাতে বর্ণনা করেন আমি জানতে পেয়েছি যে, আয়েশা (রা) বলেছেন :
া
عَلَى خَلْعِهِ فَلَا تَخْلَعْهُ حَتَّى تَلْقَانِي " ثَلَاثًا. فَقُلْتُ لَهَا: يَا أُمَّ الْمُؤْمِنِينَ فَأَيْنَ كَانَ هَذَا عَنْكِ؟ قَالَتْ: نُسِّيتُهُ وَاللَّهِ فَمَا ذَكَرْتُهُ. قَالَ: فَأَخْبَرْتُهُ مُعَاوِيَةَ بْنَ أَبِي سُفْيَانَ فَلَمْ يَرْضَ بِالَّذِي أَخْبَرْتُهُ حَتَّى كَتَبَ إِلَى أُمِّ الْمُؤْمِنِينَ أَنِ اكْتُبِي إِلَيَّ بِهِ فَكَتَبَتْ إِلَيْهِ بِهِ كِتَابًا»
وَقَدْ رَوَاهُ أَبُو عَبْدِ اللَّهِ الْجَسْرِيُّ، عَنْ عَائِشَةَ وَحَفْصَةَ بِنَحْوِ مَا تَقَدَّمَ. وَرَوَاهُ قَيْسُ بْنُ أَبِي حَازِمٍ وَأَبُو سَهْلَةَ عَنْهَا. وَرَوَاهُ أَبُو سَهْلَةَ، عَنْ عُثْمَانَ: «إِنَّ رَسُولَ اللَّهِ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، عَهِدَ إِلَيَّ عَهْدًا فَأَنَا صَابِرٌ نَفْسِي عَلَيْهِ» . وَرَوَاهُ فَرَجُ بْنُ فَضَالَةَ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ الْوَلِيدِ الزُّبَيْدِيِّ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ عُرْوَةَ، عَنْ عَائِشَةَ، فَذَكَرَهُ. قَالَ الدَّارَقُطْنِيُّ: تَفَرَّدَ بِهِ الْفَرَجُ بْنُ فَضَالَةَ. وَرَوَاهُ أَبُو مَرْوَانَ مُحَمَّدُ بْنُ عُثْمَانَ بْنِ خَالِدٍ الْعُثْمَانِيُّ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ أَبِي
পৃষ্ঠা - ৫৮৬৭
الزِّنَادِ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَائِشَةَ. وَرَوَاهُ ابْنُ عَسَاكِرَ مِنْ طَرِيقِ الْمِنْهَالِ بْنِ بَحْرٍ، عَنْ حَمَّادِ بْنِ سَلَمَةَ، عَنْ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْهَا. وَرَوَاهُ أَبُو أُسَامَةَ، عَنِ الْجُرَيْرِيِّ: حَدَّثَنِي أَبُو بَكْرٍ الْعَدَوِيُّ قَالَ: سَأَلْتُ عَائِشَةَ. فَذَكَرَ عَنْهَا نَحْوَ مَا تَقَدَّمَ. وَرَوَاهُ خُصَيْفٌ، عَنْ مُجَاهِدٍ، عَنْ عَائِشَةَ بِنَحْوِهِ.
وَقَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ كُنَاسَةَ الْأَسَدِيُّ أَبُو يَحْيَى، ثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ سَعِيدٍ، عَنْ أَبِيهِ قَالَ: بَلَغَنِي أَنَّ عَائِشَةَ قَالَتْ: مَا اسْتَمَعْتُ عَلَى رَسُولِ اللَّهِ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، إِلَّا مَرَّةً، فَإِنَّ عُثْمَانَ جَاءَهُ فِي نَحْرِ الظَّهِيرَةِ فَظَنَنْتُ أَنَّهُ
পৃষ্ঠা - ৫৮৬৮
“আমি কেবল একবার রাসুলুল্লাহ্ক্রো এর নিকট শ্রবণ করেছি যে, উসমান (বা) দ্বিপ্রহরে
গ্রীষ্মের মধ্যে রাসুলুল্লাহ্ ক্ষাদ্যো;ন্হ্ঙ্কু-এর নিকট আগমন করলেন আর আমার ধারণা হলো যে, তিনি
নারীদের প্রসঙ্গ নিয়ে আলোচনার জন্য তার কাছে এসেছেন ৷ তাই তার কথা কান পেতে শ্রবণ
করতে আমি আগ্রহী হলাম ৷ আমি তাকে বলতে শুনলড়াম : আল্লাহ্ তোমাকে একটা জামা
পরাবেন, আর আমার উষ্মত তোমার কাছে দাবি জানাবে সে জামা খুলে ফেলতে কিন্তু তুমি তা
খুলবে না ৷ আমি যখন দেখলাম যে, উসমান (বা) তাদের সকল দাবিই পুরা করছেন, কেবল সে
জামাট৷ খুলতেই তিনি অস্বীকার করছেন তখন আমি বুঝতে পারলাম যে, তিনি রাসুলুল্লাহ্ ;
এর দেয়া অঙ্গীকার পুর্ণ করছেন ৷
ভিন্ন সুত্রে বর্ণিত হাদীস
ইমাম তাবারানী (র) মুত্তালিব ইবন ইয্দী আবু হিলাল সুত্রে রবীআ ইবন সইিফ-এর
বরাতে বর্ণনা করেন, আমরা শিফা আল-আসবইিরের নিকটে ছিলাম, তিনি বলেন, আবদুল্লাহ
ইবন উমর (রা) আমাকে হাদীস শুনিয়ে বলেন : ন্
রাসুলুল্লাহ্ঘ্নে উসমান (রা)-কাে লক্ষ্য করে বললেন : হে!উসমান ৷ আল্পাহ্ তাআলা
তোমাকে একটা জামা পরাবেন, লোকেরা তা খুলে ফেলার জন্য তোমার নিকট দাবি জানালে
তুমি তা খুলবে না ৷ আল্লাহ্র কসম, তুমি যদি তা খুলে ফেল তাহলে পুইয়ের ছিদ্র দিয়ে উট
প্রবেশ না করা পর্যন্তু তুমি জানাতে প্রবেশ করতে পারবে না ৷ আবু ইয়ালা আন্দুল্লাহ্ ইবন
উমর সুত্রে তীর বোন উম্মুল মু’মিনীন হাফলার বরাতে হাদীসটি বর্ণনা করেছেন ৷ তবে তার
বর্ণিত হাদীস গুরীন পর্যায়ের ৷ আল্লাহ্ই ভাল জানেন ৷
অপর একটি হাদীস ,
ইমাম আহমদ (র) আব্দুস সামাদ ফাতিমা বিনতে আবদুর রহমান সুত্রে বর্ণনা করেন
যে, আমার অক্ষমতা আমাকে জানান যে, তিনি আয়েশা (রা)-কে জিজ্ঞেস করেন, আর তার
চাচা তাকে এই বলে প্রেরণ করেন যে, তুমি তাকে নিয়ে বল যে, আপনার এক কন্যা সালাম
জানিয়ে উসমান ইবন আফ্ফান সম্পর্কে জানতে চাচ্ছে ৷ কারণ লোকেরা তাকে পাল-মন্দ
দিচ্ছে ৷ তখন আয়েশা (রা) বললেন
,
যে ব্যক্তি উসমান (রা) কে লানত করে, তার প্রতি আল্পাহ্র লানত ৷ আল্পাহ্র কসম,
উসমান (রা) রাসুলুল্লাহ্স্রষ্ণ্ধ্ষ্ এর নিকট বসা ছিলেন আর রাসুলুল্লাহ্ মোঃ আমার দিকে পিঠে
ঠেস দিয়ে বলেছিলেন, আর জিবরীল (আ) রাসুলুল্লাহ্ভ্রু দুঃ এর প্ৰতি ওহী নিয়ে আগমন
করছিলেন, আর রাসুলুল্লাহ্ফ্লোউসমান (রা)-কে বলছিলেন, হে উসমান, তুমি লিখ ৷ ’ আয়েশা
(রা) বলেন, আল্লাহ্ তাআলা সে ব্যক্তিকে এ মর্যাদা দান করেন, আল্লাহ্ এবং রাসুলুল্লাহ্ক্সে
-এর নিকট যে ব্যক্তি এ মর্যাদা পাওয়ার যোগ্য ৷
جَاءَهُ فِي أَمْرِ النِّسَاءِ، فَحَمَلَتْنِي الْغَيْرَةُ عَلَى أَنْ أَصْغَيْتُ إِلَيْهِ فَسَمِعْتُهُ يَقُولُ: «إِنَّ اللَّهَ مُلْبِسُكَ قَمِيصًا تُرِيدُكَ أُمَّتِي عَلَى خَلْعِهِ فَلَا تَخْلَعْهُ " فَلَمَّا رَأَيْتُ عُثْمَانَ يَبْذُلُ لَهُمْ مَا سَأَلُوهُ إِلَّا خَلْعَهُ، عَلِمْتُ أَنَّهُ مِنْ عَهْدِ رَسُولِ اللَّهِ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، الَّذِي عَهِدَ إِلَيْهِ» .
طَرِيقٌ أُخْرَى: قَالَ الطَّبَرَانِيُّ: حَدَّثَنَا مُطَّلِبُ بْنُ شُعَيْبٍ الْأَزْدِيُّ، ثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ صَالِحٍ، ثَنَا اللَّيْثُ، عَنْ خَالِدِ بْنِ يَزِيدَ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ أَبِي هِلَالٍ، عَنْ رَبِيعَةَ بْنِ سَيْفٍ قَالَ: كُنَّا عِنْدَ شُفَيٍّ الْأَصْبَحِيُّ فَقَالَ: حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عُمَرَ قَالَ: الْتَفَتَ رَسُولُ اللَّهِ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَقَالَ: «يَا عُثْمَانُ إِنْ أَلْبَسَكَ اللَّهُ قَمِيصًا فَأَرَادَكَ النَّاسُ عَلَى خَلْعِهِ فَلَا تَخْلَعْهُ فَوَاللَّهِ لَئِنْ خَلَعْتَهُ لَا تَرَى الْجَنَّةَ حَتَّى يَلِجَ الْجُمَلُ فِي سَمِّ الْخِيَاطِ»
وَقَدْ رَوَاهُ أَبُو يَعْلَى مِنْ طَرِيقِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ، عَنْ أُخْتِهِ حَفْصَةَ أُمِّ
পৃষ্ঠা - ৫৮৬৯
الْمُؤْمِنِينَ. وَفِي سِيَاقِ مَتْنِهِ غَرَابَةٌ، فَاللَّهُ أَعْلَمُ
حَدِيثٌ آخَرُ: قَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا عَبْدُ الصَّمَدِ، حَدَّثَتْنِي فَاطِمَةُ بِنْتُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ قَالَتْ: حَدَّثَتْنِي أُمِّي أَنَّهَا سَأَلَتْ عَائِشَةَ، وَأَرْسَلَهَا عَمُّهَا فَقَالَ: إِنَّ أَحَدَ بَنِيكِ يُقْرِئُكِ السَّلَامَ وَيَسْأَلُكِ عَنْ عُثْمَانَ بْنِ عَفَّانَ، فَإِنَّ النَّاسَ قَدْ شَتَمُوهُ! فَقَالَتْ: لَعَنَ اللَّهُ مَنْ لَعَنَهُ، فَوَاللَّهِ لَقَدْ كَانَ قَاعِدًا عِنْدَ رَسُولِ اللَّهِ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَإِنَّ رَسُولَ اللَّهِ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، لَمُسْنِدٌ ظَهْرَهُ إِلَيَّ، وَإِنَّ جِبْرِيلَ لَيُوحِي إِلَيْهِ الْقُرْآنَ، وَإِنَّهُ لَيَقُولُ لَهُ: «اكْتُبْ يَا عُثَيْمُ» قَالَتْ عَائِشَةُ: فَمَا كَانَ اللَّهُ لِيُنْزِلَ تِلْكَ الْمَنْزِلَةَ إِلَّا كِرِيمًا عَلَى اللَّهِ وَرَسُولِهِ. ثُمَّ رَوَاهُ الْإِمَامُ أَحْمَدُ، عَنْ يُونُسَ، عَنْ عُمَرَ بْنِ إِبْرَاهِيمَ الْيَشْكَرِيِّ، عَنْ أُمِّهِ، عَنْ أُمِّهَا أَنَّهَا سَأَلَتْ عَائِشَةَ عِنْدَ الْكَعْبَةِ عَنْ عُثْمَانَ فَذَكَرَتْ مِثْلَهُ.
حَدِيثٌ آخَرُ: قَالَ الْبَزَّارُ: حَدَّثَنَا عُمَرُ بْنُ الْخَطَّابِ قَالَ: ذَكَرَ أَبُو الْمُغِيرَةِ، عَنْ صَفْوَانَ بْنِ عَمْرٍو، عَنْ مَاعِزٍ التَّمِيمِيِّ، عَنْ جَابِرٍ «أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، ذَكَرَ فِتْنَةً، فَقَالَ أَبُو بَكْرٍ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ: أَنَا أُدْرِكُهَا؟ قَالَ: " لَا ". فَقَالَ عُمَرُ: أَنَا يَا رَسُولَ اللَّهِ أُدْرِكُهَا؟ قَالَ: " لَا ". فَقَالَ عُثْمَانُ: يَا رَسُولَ اللَّهِ أَنَا
পৃষ্ঠা - ৫৮৭০
তারপর ইমাম আহমদ (র) ইউনুস সুত্রে, তিনি উমর ইবন ইব্রাহীম ইয়ার্শকুরী সুত্রে, তিনি
তার মাতার বরাতে, তিনি তার মাতার সুত্রে বর্ণনা করেন যে, তিনি আয়েশা (রা)-কে কাবার
নিকটে উসমান (রা) সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলে তিনি অনুরুপ উল্লেখ করেন ৷
অপর একটি হাদীস
বায্যার উমর ইবন খাত্তাব (রা) সুত্রে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন, আবুল মুগীরা
সাফওয়ান ইবন আমৃর , মায়িয তামীমীর বরাতে জাবির (রা) সুত্রে বর্ণনা করেন :
রাসুলুল্লাহ্ হুন্ফে ; একটা ফিতনার প্রসঙ্গ উল্লেখ করেন ৷ তখন আবু বকর (রা) বললেন, আমি
তা পাবাে৷ রাসুলুল্লাহ্হু,র্দুদ্বুবললেন, না ৷ উমর (রা) বললেন, ইয়া রাসুলাল্লাহ্ ! আমি তা পারো?
বাসুলুল্লাহ বললেন না, তখন উসমান (রা) বললেনং ইয়৷ রাসুলাল্লাহ্৷ তবে আমিওা
পাবাে ? বাসুলুল্লাহলোঃ বললেন তোমার দ্বারা তাদের পরীক্ষা করা হবে ৷ বায্যার (র) বলেন,
আমরা কেবল এ সুত্রেই হাদীসটি বর্ণিত বলে জানি ৷
অপর একটি হাদীস
ইমাম আহমদ (র) আসওয়াদ ইবন উমর ইবন উমর সুত্রে বর্ণনা করেন :
রাসুলুল্লাহ্ ট্টষ্ন্ণ্,;ণ্: লোঃএকটা ফিতনার উল্লেখ করে বললেন সেদিন সে ফিতনার এই মস্তক
আবৃত ব্যক্তি অন্যায়ভাবে নিহত হবে ৷ আমি তাকিয়ে দেখি যে, তিনি হলেন উসমান ইবন
আফ্ফান (রা) ৷ ইমাম তিরমিযী (র) ইব্রাহীম ইবন সইিদ সুত্রে শাযান এর বরাতে হাদীসটি
বর্ণনা করে বলেন যে, হাদীসটি হাসান গরীব পর্যায়ের ৷
অপর একটি হাদীস
ইমাম আহমদ (র) আফ্ফান মুসা ইবন উকরা তিনি তার নানা আবু হানীফা (র) সুত্রে
বর্ণনা করেন যে, তিনি গৃহে প্রবেশ করে দেখেন যে, উসমান (রা) তাতে অবরুদ্ধ আছেন ৷ আর
তিনি আবুহুরায়হ্’: (রা)-ণ্ক উংমােন (রা)-এর সঙ্গে কথা বলার অনুমতি চাইতে শুনেন ৷ তখন
তিনি তাকে অনুমতি দান করেন ৷ তিনি দাড়িয়ে আল্লাহর প্রশংসা এবং স্তব-ন্তুতি করে বললেন :
আমি রাসুলুল্লাহ্ মোঃ-কে বলতে শুনেছি :
া
আমার পরে তোমরা ফিতনা এবং মতবিরোধের মুখোমুখি হবে ৷ অথবা তিনি বলেছেন :
মতবিরোধ্ ও ফিতনার মুখোমুখি হবে’ ৷ তখন লোকদের মধ্যে একজন তাকে বললেন : ইয়া
রাসুলাল্লাহ্ আমরা কার সঙ্গে থাকবাে :’ তখন রাসুলুল্লাহ্মোঃ বললেন : তোমরা অবশ্যই
আমানতদার এবং তার সঙ্গীদের সাথে থাকবে ৷’ একথা বলার সময় তিনি উসমান (রা) এর
দিকে ইঙ্গিত করেন ৷ ইমাম আহমদ (র) এককভাবে হাদীসটি বর্ণনা করেন এবং৩ তার বর্ণনার
أُدْرِكُهَا؟ قَالَ: " بِكَ يُبْتَلَوْنَ» قَالَ الْبَزَّارُ: وَهَذَا لَا نَعْلَمُهُ يُرْوَى إِلَّا مِنْ هَذَا الْوَجْهِ.
حَدِيثٌ آخَرُ: قَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا أَسْوَدُ بْنُ عَامِرٍ، ثَنَا سِنَانُ بْنُ هَارُونَ، ثَنَا كُلَيْبُ بْنُ وَائِلٍ: عَنِ ابْنِ عُمَرَ قَالَ: «ذَكَرَ رَسُولُ اللَّهِ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فِتْنَةً فَمَرَّ رَجُلٌ، فَقَالَ: " يُقْتَلُ فِيهَا هَذَا الْمُقَنَّعُ يَوْمَئِذٍ مَظْلُومًا ". فَنَظَرْتُ فَإِذَا هُوَ عُثْمَانُ بْنُ عَفَّانَ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ» . وَرَوَاهُ التِّرْمِذِيُّ عَنْ إِبْرَاهِيمَ بْنِ سَعِيدٍ عَنْ شَاذَانَ بِهِ. وَقَالَ: حَسَنٌ غَرِيبٌ.
حَدِيثٌ آخَرُ: قَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا عَفَّانُ، ثَنَا وُهَيْبٌ، ثَنَا مُوسَى بْنُ عُقْبَةَ قَالَ: حَدَّثَنِي أَبُو أُمِّي أَبُو حَبِيْبَةَ، أَنَّهُ دَخَلَ الدَّارَ وَعُثْمَانُ مَحْصُورٌ فِيهَا، وَأَنَّهُ سَمِعَ أَبَا هُرَيْرَةَ يَسْتَأْذِنُ عُثْمَانَ فِي الْكَلَامِ فَأَذِنَ لَهُ، فَقَامَ فَحَمِدَ اللَّهَ، وَأَثْنَى عَلَيْهِ، ثُمَّ قَالَ: ( «إِنِّي سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، يَقُولُ: " إِنَّكُمْ تَلْقَوْنَ بَعْدِي فِتْنَةً وَاخْتِلَافًا " - أَوْ قَالَ: " اخْتِلَافًا وَفِتْنَةً " - فَقَالَ لَهُ قَائِلٌ مِنَ النَّاسِ: فَمَنْ لَنَا يَا رَسُولَ اللَّهِ؟ قَالَ: " عَلَيْكُمْ بِالْأَمِينِ وَأَصْحَابِهِ " وَهُوَ يُشِيرُ إِلَى عُثْمَانَ بِذَلِكَ» . تَفَرَّدَ بِهِ أَحْمَدُ وَإِسْنَادُهُ جَيِّدٌ حَسَنٌ، وَلَمْ يُخَرِّجُوهُ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ.
পৃষ্ঠা - ৫৮৭১
নদও হাসান তথা উত্তম ও শক্তিশালী ৷ তবে অন্য মুহাদ্দিসরা এ সুত্রে হাদীসটি বর্ণনা
করেননি ৷
ইমাম আহমদ (র)আবুউসামা মুররা আল-বাহনী সুত্রে বর্ণনা করেন :
,;প্রু;;১;
মোঃ
একদা মদীনায় একটা পথে আমরা রাসুলুল্লাহ্লোঃ এর সঙ্গে ছিলাম ৷ তখন রাসুলুল্লাহ্
ন্হুষ্টু বললেন : সে ফিতনা পৃথিবীর দিকে দিকে র্ষাড়ের শিঙের মতো উখিত হবে, তাতে
তোমরা কি করবে ?’ (আমরা বললাম) ইয়ড়া রাসুলাল্পাহ, তাতে আমরা কি করবাে?’ তিনি
বললেন : তেড়ামড়াদের উচিত হবে এ ব্যক্তি এবং তার সঙ্গীদের সঙ্গে থাকা’, অথবা তিনি
বলেছেন, তােমরা এ ব্যক্তি এবং তার সঙ্গীদের অনুসরণ করবে’ ৷ রাবী বলেন, আমি দ্রুত ছুটে
যাই এমন কি ক্লান্ত হয়ে পড়ি এবং লোকটির নাপাল পাই ৷ আমি বলি : ইয়ড়া রাসুলাল্লাহ্! এ
ব্যক্তি? তিনি বললেন ৷ এই ব্যক্তি ৷ আর যে ব্যক্তি ছিলেন উসমান ইবন আফ্ফান (রা) ৷
ভিন্ন এক সুত্র
ইমাম তিরমিযী (র) জানি তিরমিযীতে মুহাম্মদ ইবন বাশৃশার আবুল আশআছ
সানআনী সুত্রে বর্ণনা করেন ৷ সিরিয়ার কিছু লোক বক্তৃতা করতে দাড়ায়, তাদের মধ্যে নবী
করীমষ্ব্লুন্ ণ্ট্রু এর সাহাবীগণের মধ্যে মুররা ইবন কাব নামক জনৈক ব্যক্তিও ছিলেন ৷ তিনি
বললেন :
আমি রাসুলুল্লাহ্ন্ধুন্দ্রুব্লু; থেকে একটা হাদীস না শুনলে আমি কথা বলতাম না ৷ এরপর তিনি
ফিতনা প্রসঙ্গে তা নিকটবর্তী বলে উল্লেখ করেন ৷ এ সময় বস্ত্রাবৃত এক ব্যক্তি অতিক্রম করেন ৷
তিনি বললেন, তখন এ লোকটি হিদায়াতের উপর থাকবে ৷ এসময় আমি লোকটির দিকে
এগিয়ে গিয়ে দেখি যে, তিনি হলেন উসমান ইবন আফ্ফান ৷ আমি তার দিকে তার মন ফিরিয়ে
দিয়ে বললাম : ইনি’ ? তিনি বললেন : ইৱা’ ৷ তারপর ইমাম তিরমিযী এ হাদীসকে
হাসান-সহীহ বলে উল্লেখ করেন ৷ এ অধ্যায়ে ইবন উমর, আব্দুল্পাহ্ ইবন হাওয়ালা এবং কাব
ইবন উজরা থেকেও হাদীস বর্ণিত আছে ৷ আমি বলি : আসাদ ইবন মুসা মুররা ইবন কাব
বাহযী সুত্রে ও হাদীসটি বর্ণিত হয়েছে ৷ আর বিশুদ্ধ কথা হচ্ছে কাব ইবন মুররা নয়, বরং মুররা
ইবন কাব, যেমন ইতােপুর্বে উল্লেখ্ করা হয়েছে ৷ আবু ইবন হাওয়ালার হাদীস সম্পর্কে হন্মোদ
ইবন সালামা সাঈদ আল-জারীরী আব্দুল্লাহ্ ইবন হাওয়ালা সুত্রে বর্ণনা করেন যে,
রাসুলুল্লাহ্স্লেবলেছেন :
পৃথিবীর দিকে দিকে যখন ফিতনা ছড়িয়ে পড়বে তখন তোমার অবস্থা কেমন হবে৷ আমি
বললাম; আল্লাহ্ এবং রাসুলুল্লাহ্ত্রু আমার জন্য নাপছন্দ করেন ৷’ তিনি বললেন, এ
লোকটির অনুসরণ করবে ৷ কারণ, সেদিন এ ব্যক্তি এবং তার অনুসারীরা সত্যের উপর থাকবে ৷
وَقَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا أَبُو أُسَامَةَ - حَمَّادُ بْنُ أُسَامَةَ - أَنَا كَهْمَسُ بْنُ الْحَسَنِ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ شَقِيقٍ، حَدَّثَنِي هَرِمُ بْنُ الْحَارِثِ وَأُسَامَةُ بْنُ خُرَيْمٍ - وَكَانَا يُغَازِيَانِ - فَحَدَّثَانِي حَدِيثًا وَلَمْ يَشْعُرْ كُلُّ وَاحِدٍ مِنْهُمَا أَنَّ صَاحِبَهُ حَدَّثَنِيهِ، عَنْ مُرَّةَ الْبَهْزِيِّ، قَالَ: «بَيْنَمَا نَحْنُ مَعَ رَسُولِ اللَّهِ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فِي طَرِيقٍ مِنْ طُرُقِ الْمَدِينَةِ فَقَالَ: " كَيْفَ تَصْنَعُونَ فِي فِتْنَةٍ تَثُورُ فِي أَقْطَارِ الْأَرْضِ كَأَنَّهَا صَيَاصِي بَقَرٍ؟ " قَالُوا: نَصْنَعُ مَاذَا يَا رَسُولَ اللَّهِ؟ قَالَ: " عَلَيْكُمْ هَذَا وَأَصْحَابَهُ " - أَوْ " اتَّبِعُوا هَذَا وَأَصْحَابَهُ " - قَالَ: فَأَسْرَعْتُ حَتَّى عَيِيتُ فَأَدْرَكْتُ الرَّجُلَ فَقُلْتُ: هَذَا يَا رَسُولَ اللَّهِ؟ قَالَ: " هَذَا ". فَإِذَا هُوَ عُثْمَانُ بْنُ عَفَّانَ، فَقَالَ: " هَذَا وَأَصْحَابُهُ» . فَذَكَرَهُ.
طَرِيقٌ أُخْرَى: وَقَالَ التِّرْمِذِيُّ فِي " جَامِعِهِ ": حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، ثَنَا عَبْدُ الْوَهَّابِ الثَّقَفِيُّ، ثَنَا أَيُّوبُ عَنْ أَبِي قِلَابَةَ، عَنْ أَبِي الْأَشْعَثِ الصَّنْعَانِيِّ «أَنَّ خُطَبَاءَ قَامَتْ بِالشَّامِ، وَفِيهِمْ رِجَالٌ مِنْ أَصْحَابِ النَّبِيِّ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَقَامَ آخِرُهُمْ ; رَجُلٌ يُقَالُ لَهُ: مُرَّةُ بْنُ كَعْبٍ. فَقَالَ: لَوْلَا حَدِيثٌ سَمِعْتُهُ مِنْ رَسُولِ اللَّهِ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، مَا تَكَلَّمْتُ، وَذَكَرَ الْفِتَنَ فَقَرَّبَهَا، فَمَرَّ رَجُلٌ مُقَنَّعٌ فِي ثَوْبٍ، فَقَالَ:
পৃষ্ঠা - ৫৮৭২
" هَذَا يَوْمَئِذٍ عَلَى الْهُدَى ". فَقُمْتُ إِلَيْهِ فَإِذَا هُوَ عُثْمَانُ بْنُ عَفَّانَ، فَأَقْبَلْتُ عَلَيْهِ بِوَجْهِهِ فَقُلْتُ: هَذَا؟ قَالَ " نَعَمْ» قَالَ التِّرْمِذِيُّ: هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ، وَفِي الْبَابِ عَنِ ابْنِ عُمَرَ وَعَبْدِ اللَّهِ بْنِ حَوَالَةَ وَكَعْبِ بْنِ عُجْرَةَ. قُلْتُ: وَقَدْ رَوَاهُ أَسَدُ بْنُ مُوسَى، عَنْ مُعَاوِيَةَ بْنِ صَالِحٍ، عَنْ سُلَيْمِ بْنِ عَامِرٍ، عَنْ جُبَيْرِ بْنِ نُفَيْرٍ، عَنْ مُرَّةَ بْنِ كَعْبٍ الْبَهْزِيِّ، فَذَكَرَ نَحْوَهُ.
وَقَدْ رَوَاهُ الْإِمَامُ أَحْمَدُ عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ مَهْدِيٍّ، عَنْ مُعَاوِيَةَ، عَنْ صَالِحٍ، عَنْ سُلَيْمِ بْنِ عَامِرٍ، عَنْ جُبَيْرِ بْنِ نُفَيْرٍ، عَنْ كَعْبِ بْنِ مُرَّةَ الْبَهْزِيِّ، وَالصَّحِيحُ مُرَّةُ بْنُ كَعْبٍ، كَمَا تَقَدَّمَ.
وَأَمَّا حَدِيثُ ابْنِ حَوَالَةَ، فَقَالَ حَمَّادُ بْنُ سَلَمَةَ، عَنْ سَعِيدٍ الْجُرَيْرِيِّ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ شَقِيقٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ حَوَالَةَ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «كَيْفَ أَنْتَ وَفِتْنَةٌ تَكُونُ فِي أَقْطَارِ الْأَرْضِ؟ ". قُلْتُ: مَا خَارَ اللَّهُ لِي وَرَسُولُهُ. قَالَ: " اتَّبِعْ هَذَا الرَّجُلَ، فَإِنَّهُ يَوْمَئِذٍ وَمَنِ اتَّبَعَهُ عَلَى الْحَقِّ ". قَالَ: فَأَتْبَعْتُهُ فَأَخَذْتُ بِمَنْكِبِهِ فَلَفَتُّهُ، فَقُلْتُ: هَذَا يَا رَسُولَ اللَّهِ؟ فَقَالَ: " نَعَمْ ". فَإِذَا هُوَ عُثْمَانُ بْنُ عَفَّانَ» ،
পৃষ্ঠা - ৫৮৭৩
বর্ণনাকারী বলেন, আমি লোকটির অনুসরণ করি এবং তার বগধে হাত দিয়ে ঘুরিয়ে নিয়ে বলি ং
ইয়া রাসুলাল্লাহ্! এ লোকটি : তিনি বললেন, হ্যা ৷ দেখি, তিনি উসমান ইবন আফ্ফান
(রা) ৷
হারমালা ইবন ওহাব ইবন লাহ্য়া ইবন হাওয়ালা সুত্রে বর্ণনা করে বলেন :
এাৰুএ৷ গ্রাথ্রা ণ্ণ্ংধ্রুন্ন্
যে ব্যক্তি তিনটি বিষয় থেকে রক্ষা পেয়েছে সে তো নাজাত পেয়ে গেল : আমার ন্
ইনতিকাল, দাজ্জালের আত্মপ্রকাশ এবং ধৈর্যশীল এবং সত্যে অটল, অবিচল খলীফার
হত্যাকাণ্ড ৷ যিনি কেবল সতে অবিচল নয়, বরং সত্যের পৃষ্ঠপোষকও ৷’
আর কাব ইবন উজবার হাদীস সম্পর্কে ইমাম আহমদ (র) ইসহাক ইবন সুলায়মান রাযী
ইবন সীরীন সুত্রে কাব ইবন উজৱাদ বরাতে বলেন :
রাসুলুল্লাহ্ট্রুর্চু একটা ফিতনার উল্লেখ করে তা নিকটবর্তী এবং বড় বলে অভিহিত
করেছেন ৷ রাবী বলেন, এরপর চাদর ঘুড়ি দিয়ে এক ব্যক্তি সে স্থান অতিক্রম করেন ৷ তখন
বাসুলুল্পাহস্ণুশু; বললেন : তখন এ ব্যক্তি সত্যের উপর থাকবে ৷ রাবী বলেন, আমি দ্রুত ছুটে
গিয়ে তার দুই বাহু ধরে ফেলি আর বলি৪ ইয়া রাসুলাল্পাহ্ এ লোকটিং তিনি বললেন, ঠিক, এ
ল্যেকটি ৷ রাবী বলেন, দেখি, লোকটি হলেন উসমান ইবন আফ্ফান (রা) ৷ তারপর ইমাম
আহমদ (র) ইয়াযীদ ইবন হাজন : করি ইবন উজরা সুত্রে অনুরুপ বর্ণনা করেন ৷ আবু
ইয়ালা ও হুদবা করি ইবন উজরা সুত্রে হাদীসঢি বর্ণনা করেছেন ৷ আর আবু আওনও ইবন
সীরীন সুত্রে কাব-এর বরাতে হাদীসঢি বর্ণনা করেন ৷ ইতােপুর্বে আবু সাওর তামীমী বর্ণিত
হাদীসঢি কাবের বরাতে বর্ণিত হয়েছে’ যাতে তিনি নিজ গৃহে লোকদের উদ্দেশ্যে ভাষণ দেন :
(fl ৷এ
ভাষণে তিনি বলেন৪ আল্পাহ্র কসম, আমি গান করিনি, আকাত্তক্ষ্য পোষণ করিনি,
জাহিলী যুগে এবং ইসলামী যুগে আমি ব্যভিচারে লিপ্ত হইনি, ডান হাত দ্বারা রাসু মোঃ এর
নিকট বায় অড়াত করার পর সে হাত দ্বারা আমি কখনো লজ্জাস্থান স্পর্শ করিনি ৷ প্রত্যেক
জুম আর দিন তিনি একজন দাস মুক্ত করতেন ৷ কোন শুক্রবারে অপারগ হলে পরবর্তী শুক্রবার
দুটি দাস যুক্ত করতেন ৷
আরো একটি হাদীস
ইমাম আহমদ (র) আলী ইবন আইয়্যাশ মুগীরা ইবন শুবা সুত্রে বর্ণনা করেন যে,
উসমান (রা) অবরুদ্ধ থাকাকালে মুগীরা ইবন শুবা তার নিকট গমন করে বলেন :
এ৬ঞা
মোঃ
৪৮
وَقَالَ حَرْمَلَةُ، عَنِ ابْنِ وَهْبٍ، عَنِ ابْنِ لَهِيعَةَ، عَنْ يَزِيدَ بْنِ أَبِي حَبِيبٍ، عَنْ رَبِيعَةَ بْنِ لَقِيطٍ، عَنِ ابْنِ حَوَالَةَ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «ثَلَاثٌ مَنْ نَجَا مِنْهُنَّ فَقَدْ نَجَا ; مَوْتِي، وَخُرُوجُ الدَّجَّالِ، وَقَتْلُ خَلِيفَةٍ مُصْطَبِرٍ قَوَّامٍ بِالْحَقِّ يُعْطِيهِ» .
وَأَمَّا حَدِيثُ كَعْبِ بْنِ عُجْرَةَ، فَقَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ سُلَيْمَانَ الرَّازِيُّ، أَخْبَرَنِي مُغِيرَةُ بْنُ مُسْلِمٍ، عَنْ مَطَرٍ الْوَرَّاقِ، عَنِ ابْنِ سِيرِينَ، عَنْ كَعْبِ بْنِ عُجْرَةَ قَالَ: «ذَكَرَ رَسُولُ اللَّهِ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فِتْنَةً فَقَرَّبَهَا وَعَظَّمَهَا. قَالَ: ثُمَّ مَرَّ رَجُلٌ مُقَنَّعٌ فِي مِلْحَفَةٍ، فَقَالَ: " هَذَا يَوْمَئِذٍ عَلَى الْحَقِّ ". فَانْطَلَقْتُ مُسْرِعًا - أَوْ قَالَ: مُحْضِرًا - وَأَخَذْتُ بِضَبْعَيْهِ، فَقُلْتُ: هَذَا يَا رَسُولَ اللَّهِ؟ قَالَ: " هَذَا ". فَإِذَا هُوَ عُثْمَانُ بْنُ عَفَّانَ» .
ثُمَّ رَوَاهُ الْإِمَامُ أَحْمَدُ، عَنْ يَزِيدَ بْنِ هَارُونَ، عَنْ هِشَامِ بْنِ حَسَّانَ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ سِيرِينَ، عَنْ كَعْبِ بْنِ عُجْرَةَ، فَذَكَرَ مِثْلَهُ.
وَرَوَاهُ أَبُو يَعْلَى، عَنْ هُدْبَةَ، عَنْ هَمَّامٍ، عَنْ قَتَادَةَ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ
পৃষ্ঠা - ৫৮৭৪
গুা৷ ৷
ছু
মোঃ ষ্ট্টহু-শু
আপনি তো জনগণের ইমাম ৷ আর আপনার উপর যে বিপদ আপতিত্ত হয়েছে, তান্তাে
আপনি দেখতেই পাচ্ছেন ৷ আমি আপনার সম্মুখে তিনটি বিষয় উপস্থাপন করছি, তার মধ্যে যে
কোন একটি অবলম্বন করবেন ৷ হয় আপনি বাইরে নিয়ে তাদের সঙ্গে লড়াই করবেন, কারণ
আপনার সঙ্গে আছে জনসংখ্যা এবং (রাষ্টীয়) ক্ষমতা, আর আপনি তো আছেন-সত্য ও ন্যায়ের
উপর ; আর তারা (বিড্রোহীরা) রয়েছে বাতিল তথাঅন্যায়ের উপর ৷ অথবা বিদ্রোহীরা যে
দরজায় আছে, তা বাদ দিয়ে অন্য কোন দরজা দিয়ে আপনি বের হয়ে যাবেন এবং সওয়ারীতে
আরোহণ করে মক্কায় গমন করবেন ৷ কারণ আপনার ওখানে অবস্থানকালে তারা আপনার রক্ত
(প্রবাহিত করা)-কে হালাল জ্ঞান করবে না ৷ অথবা আপনি সিরিয়ার গমন করবেন এবং তারা
তো সিরিয়ার অধিবাসী আর আমীর মুয়াৰিয়াভাে সেখানেই আছেন ৷ তখন উসমান (রা)
বললেন : বইিরে নিয়ে তাদের সঙ্গে লড়াই করা বাসুলুল্লাহমোঃ এর উষ্মতে র মধ্যে আমি
মোঃ প্রথম উত্তরাধিকারী হতে চাই না, যে রক্তপাত করবে ৷ আর আমি মক্কায় গমন করবো আর
সেখানে তারা আমার রক্তকে হালাল জ্ঞান করবে না কারণ আমি রাসুলুল্লাহ্মোঃ কে বলতে
শুনেছি : মক্কায় কুরইিশের এক ব্যক্তি মুলহিদ তথা নাস্তিক হয়ে যাবে, আর সে ব্যক্তি অর্ধ
পৃথিবীর শাস্তি ভোগ করার ৷ আর আমি যে ব্যক্তি হতে চাই না ৷ আর সিরিয়ার গমন ; আমি
তো আমার হিজরত ভুমি এবং রাসুলুল্পাহ্মোঃ এর প্রতিবেশী হওয়ার সুযোগ হার্ভছাড়া করতে
রাজী নই ৷ ’
ইমাম আহমদ (র) আবুল মুগীরা আবু আওন আনসায়ী সুত্রে বর্ণনা করেন যে, উসমান
(রা) ইবন মাসউদ (রা)-কে বলেন ? তােমার সম্পর্কে যেসব কথা আমি শুনতে পাচ্ছি,’ তা
থেকে তুমি কি নিবৃত্ত হবেঃ তিনি কিছু ওযর আপত্তি পেশ করলে উসমান (রা) তাকে বললেন ;;
তোমার জন্য আফসােসষ্ আমি শ্রবণ করেছি এবং স্মরণ ব্লেখেছি, তুমি যা শুনেছ ব্যাপার তা
নয় ৷ রাসুলুল্লাহ্মোঃবলেছেন :
অদুর ভবিষ্যতে একজন আমীর নিহত হবে ৷ আর নিজেকে দায়মুক্ত ঘোষণা করার ব্যক্তি
তা ই করবে আর সে নিহত জনও আমি হবো, উমর (রা) নন; আর উমর এর হত্যাকারী হবে
একজন লোক, আর আমার হত্যার অনেকের জমায়েত হবে, নিহত হওয়ার প্রায় চার বছর পুর্বে
তিনি ইবন মাসৃউদ (রা)-কে একথা বলেছিলেন এবং প্রায় এ সময়কাল আগেই তিনি (মাসউদ)
ওফাত পান ৷
অপর একটি হাদীস
আব্দুল্লাহ ইবন আহমদ (র) উবায়দুল্লাহ ইবন উমর ফারবারী যায়দ ইবন আসলাম
সৃত্রে তিনি তার পিতার বরাতে বর্ণনা করেন :
سِيرِينَ، عَنْ كَعْبِ بْنِ عُجْرَةَ.
وَكَذَا رَوَاهُ أَبُو عَوْنٍ، عَنِ ابْنِ سِيرِينَ، عَنْ كَعْبِ بْنِ عُجْرَةَ
وَقَدْ تَقَدَّمَ حَدِيثُ أَبِي ثَوْرٍ الْفَهْمِيِّ عَنْهُ، فِي قَوْلِهِ فِي الْخُطْبَةِ الَّتِي خَاطَبَ بِهَا النَّاسَ مِنْ دَارِهِ: وَاللَّهِ مَا تَعَتَّيْتُ وَلَا تَمَنَّيْتُ، وَلَا زَنَيْتُ فِي جَاهِلِيَّةٍ وَلَا إِسْلَامٍ، وَلَا مَسَسْتُ فَرْجِي بِيَمِينِي مُنْذُ بَايَعْتُ بِهَا رَسُولَ اللَّهِ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ. وَأَنَّهُ كَانَ يُعْتِقُ كُلَّ يَوْمِ جُمُعَةٍ عَتِيقًا، فَإِنْ تَعَذَّرَ عَلَيْهِ أَعْتَقَ فِي الْجُمُعَةِ الْأُخْرَى عَتِيقَيْنِ. وَقَالَ مَوْلَاهُ حُمْرَانُ: كَانَ عُثْمَانُ يَغْتَسِلُ كُلَّ يَوْمٍ مُنْذُ أَسْلَمَ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ.
حَدِيثٌ آخَرُ: قَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ عَيَّاشٍ، ثَنَا الْوَلِيدُ بْنُ مُسْلِمٍ، أَنَا الْأَوْزَاعِيُّ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ عَبْدِ الْمَلِكِ بْنِ مَرْوَانَ أَنَّهُ حَدَّثَهُ عَنِ الْمُغِيرَةِ بْنِ شُعْبَةَ أَنَّهُ دَخَلَ عَلَى عُثْمَانَ وَهُوَ مَحْصُورٌ، فَقَالَ: إِنَّكَ إِمَامُ الْعَامَّةِ، وَقَدْ نَزَلَ بِكَ مَا تَرَى، وَإِنِّي أَعْرِضُ عَلَيْكَ خِصَالًا ثَلَاثًا اخْتَرْ إِحْدَاهُنَّ ; إِمَّا أَنْ تَخْرُجَ فَتَقَاتِلَهُمْ، فَإِنَّ مَعَكَ عَدَدًا وَقُوَّةً وَأَنْتَ عَلَى الْحَقِّ وَهُمْ عَلَى الْبَاطِلِ، وَإِمَّا أَنْ تَخْرِقَ بَابًا سِوَى الْبَابِ الَّذِي هُمْ عَلَيْهِ فَتَقْعُدَ عَلَى رَوَاحِلِكَ فَتَلْحَقَ بِمَكَّةَ، فَإِنَّهُمْ لَنْ يَسْتَحِلُّوكَ وَأَنْتَ بِهَا، وَإِمَّا أَنْ تَلْحَقَ بِالشَّامِ، فَإِنَّهُمْ أَهْلُ الشَّامِ وَفِيهِمْ مُعَاوِيَةُ.
পৃষ্ঠা - ৫৮৭৫
فَقَالَ عُثْمَانُ: أَمَّا أَنْ أَخْرَجَ فَأُقَاتِلُ، فَلَنْ أَكُونَ أَوَّلَ مَنْ خَلَفَ رَسُولَ اللَّهِ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فِي أُمَّتِهِ بِسَفْكِ الدِّمَاءِ، وَأَمَّا أَنْ أَخْرُجَ إِلَى مَكَّةَ فَإِنَّهُمْ لَنْ يَسْتَحِلُّونِي بِهَا، فَإِنِّي سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، يَقُولُ: «يُلْحِدُ رَجُلٌ مِنْ قُرَيْشٍ بِمَكَّةَ يَكُونُ عَلَيْهِ نِصْفُ عَذَابِ الْعَالَمِ. فَلَنْ أَكُونَ أَنَا، وَأَمَّا أَنْ أَلْحَقَ بِالشَّامِ، فَإِنَّهُمْ أَهْلُ الشَّامِ وَفِيهِمْ مُعَاوِيَةُ فَلَنْ أُفَارِقَ دَارَ هِجْرَتِي وَمُجَاوَرَةَ رَسُولِ اللَّهِ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ» .
وَقَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: ثَنَا أَبُو الْمُغِيرَةِ، ثَنَا أَرْطَاةُ - يَعْنِي ابْنَ الْمُنْذِرِ - حَدَّثَنِي أَبُو عَوْنٍ الْأَنْصَارِيُّ أَنَّ عُثْمَانَ قَالَ لِابْنِ مَسْعُودٍ: " هَلْ أَنْتَ مُنْتَهٍ عَمَّا بَلَغَنِي عَنْكَ؟ فَاعْتَذَرَ بَعْضَ الْعُذْرِ، فَقَالَ عُثْمَانُ: وَيْحَكَ! إِنِّي قَدْ سَمِعْتُ وَحَفِظْتُ - وَلَيْسَ كَمَا سَمِعْتَ - أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، قَالَ: «سَيُقْتَلُ أَمِيرٌ وَيَنْتَزِي مُنْتَزٍ. وَإِنِّي أَنَا الْمَقْتُولُ، وَلَيْسَ عُمَرَ، إِنَّمَا قَتَلَ عُمَرَ وَاحِدٌ، وَإِنَّهُ يُجْتَمَعُ عَلَيَّ» . وَهَذَا الَّذِي قَالَهُ لِابْنِ مَسْعُودٍ قَبْلَ مَقْتَلِهِ بِنَحْوٍ مَنْ أَرْبَعِ سِنِينَ، فَإِنَّهُ مَاتَ قَبْلَهُ بِنَحْوِ ذَلِكَ.
حَدِيثٌ آخَرُ: قَالَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ أَحْمَدَ: ثَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ عُمَرَ الْقَوَارِيرِيُّ، ثَنَا الْقَاسِمُ بْنُ الْحَكَمِ بْنِ أَوْسٍ الْأَنْصَارِيُّ، حَدَّثَنِي أَبُو عُبَادَةَ الزُّرَقِيُّ الْأَنْصَارِيُّ - مِنْ أَهْلِ الْمَدِينَةِ - عَنْ زَيْدِ بْنِ أَسْلَمَ، عَنْ أَبِيهِ قَالَ: شَهِدْتُ عُثْمَانَ يَوْمَ حُصِرَ فِي مَوْضِعِ الْجَنَائِزِ وَلَوْ أُلْقِيَ حَجَرٌ لَمْ يَقَعْ إِلَّا عَلَى رَأْسِ رَجُلٍ، فَرَأَيْتُ عُثْمَانَ أَشْرَفَ مِنَ الْخَوْخَةِ الَّتِي تَلِي بَابَ مَقَامِ جِبْرِيلَ، فَقَالَ: أَيُّهَا النَّاسُ، أَفِيكُمْ طَلْحَةُ؟
পৃষ্ঠা - ৫৮৭৬
অবরােধের দিলে আমি উসমান (রা)-কে জানাযা স্থলে প্রত্যক্ষ করি ৷ কোন পাথর নিক্ষেপ
করা হলে তা একজন মানুষের মস্তকেই পতিত হতো ৷ আমি দেখতে পইিলে, উসমান (রা)
বাবে মাকামই জিবৃরাঈলের পাশের র্ফাক দিয়ে উকি মেরে দেখেন এবং বলেন ং লোক সকল!
তোমাদের মধ্যে কি তালহা আছেনঃ সকলেই চুপ ৷ তিনি আবার বললেন : লোক সকল!
তোমাদের মধ্যে কি তালহা ইবন উবায়দুল্লাহ আৰুড্ডান্ এবারও সকলে চুপ ৷ তিনি আবার
বললেন : লোক সকল! তোমাদের মধ্যে কি তালহা আছেনঃ এবার তালহা ইবন উবায়দুল্পাহ
দাড়ালেন ৷ উসমান (রা) র্তাকে বললেন : আমি কি আপনাকে এখানে দেখছি না? আমি
ভাবতেও পারিনি যে, আপনি একটি দলের মধ্যে থাকবেন, যারা তিনবার আমার ডাক শুনেও
জবাব দেবে না ! হে তালহা, আমি আল্পাহ্র দোহাই দিয়ে আপনাকে বলছি, এমন এক দিনের
কথা কি আপনার মনে পড়ে, যেদিন অমুক স্থানে আমি আর আপনি রাসুলুল্লাহ্মোঃ এর সঙ্গে
ছিলাম ৷ রাসুলুল্লাহ্মোঃ এর সাহাবীগণের মধ্যে আপনি ব্যতীত আর কেউ সেখানে ছিল না ৷
তালহা বললেন, হ্যা (মনে পড়ছে) ৷ তখন বাসুলুল্লাহল্যাং আপনাকে বলেছিলেন, এমন কোন
নবী নেই, যার সঙ্গে জান্নাতে একজন সঙ্গী থাকবে না ৷ আর এই উসমান হবেন জান্নাতে আমার
সঙ্গী ৷ তখন তালহা বললেন, অবশ্যই এটা ঠিক, মনে পড়ছে ৷ ইমাম আহমদ (র) এককভাবে
হাদীসটি বর্ণনা করেছেন ৷
তালহা সুত্রে আর একটি হাদীস
ইমাম তিরমিষী (র) আবু হিশাম যিফাঈ তালহা ইবন উবায়দুল্লাহ সুত্রে বর্ণনা করেন,
রাসুলুল্লাহ্জ্যেবলেছেন :
প্রত্যেক নবীর জন্য একজন সঙ্গী আছেন, আর জান্নড়াতে আমার সঙ্গী হবেন উসমান ৷
তারপর ইমাম তিরমিষী বলেন, এটি একটি গরীব হাদীস আর এর সনদও তেমন শক্তিশালী
নয় ৷ বরং তার সনদটি মুনকাতি বা বিচ্ছিন্ন ৷ আবুউসমান মুহাম্মদ ইবন উসমান আৱাজ
থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি আবুহুরায়রা সুত্রে হাদীসটি বর্ণনা করেছেন ৷
ইমাম তিরমিষী ফযল ইবন আবু তালিব বাণদাদী প্রমুখ সুত্রে জাবির (রা) থেকে বর্ণনা
করেছেন :
নবী করীমগ্লুত্ত্ব,রু এর নিকট জনৈক ব্যক্তির মৃতদেহ আনা হয় যাতে তিনি তার জানাযার
নামায আদায় করেন ৷ কিন্তু রাসুলুল্লাহ্মোঃ আংলােকটির জানাযার নামায পড়ালেন না ৷ তখন
তাকে কেউ জিজ্ঞেস করলাে৪ হে আল্লাহর রাসুল! আমরা তো ইতিপুর্বে আপনাকে কারো
জানাযার নামায ছাড়তে দেখিনি, তখন রাসুলুল্লাহ্£-ৰু ল্যাংবললেন ং লােকটি উসমান এর প্রতি
বিদ্বেষ পোষণ করতো তাই আল্লাহ্ তা আলাও তাকে নিদ্বেষের দৃষ্টিতে দেখেন ৷ তারপর ইমাম
তিরমিষী বলেন : হাদীসটি গরীব পর্যায়ের এবং মায়মুন ইবন মিহরানের সঙ্গী মুহাম্মদ ইবন
فَسَكَتُوا ثُمَّ قَالَ: أَيُّهَا النَّاسُ، أَفِيكُمْ طَلْحَةُ بْنُ عُبَيْدِ اللَّهِ؟ فَسَكَتُوا، ثُمَّ قَالَ: أَيُّهَا النَّاسُ أَفِيكُمْ طَلْحَةُ؟ فَقَامَ طَلْحَةُ بْنُ عُبَيْدِ اللَّهِ فَقَالَ لَهُ عُثْمَانُ: أَلَا أَرَاكَ هَاهُنَا؟ مَا كُنْتُ أَرَى أَنَّكَ تَكُونُ فِي جَمَاعَةِ قَوْمٍ تَسْمَعُ نِدَائِي آخَرَ ثَلَاثِ مَرَّاتٍ، ثُمَّ لَا تُجِيبُنِي؟ أَنْشُدُكَ اللَّهَ يَا طَلْحَةُ، تَذْكُرُ يَوْمَ كُنْتُ أَنَا وَأَنْتَ مَعَ رَسُولِ اللَّهِ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فِي مَوْضِعِ كَذَا وَكَذَا لَيْسَ مَعَهُ أَحَدٌ مِنْ أَصْحَابِهِ غَيْرِي وَغَيْرُكَ؟ فَقَالَ: نَعَمْ. قَالَ: فَقَالَ لَكَ رَسُولُ اللَّهِ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «إِنَّهُ مَا مِنْ نَبِيٍّ إِلَّا وَمَعَهُ مِنْ أَصْحَابِهِ رَفِيقٌ مِنْ أُمَّتِهِ مَعَهُ فِي الْجَنَّةِ، وَإِنَّ عُثْمَانَ بْنَ عَفَّانَ هَذَا - يَعْنِينِي - رَفِيقِي فِي الْجَنَّةِ "؟ فَقَالَ طَلْحَةُ: اللَّهُمَّ نَعَمْ» . تَفَرَّدَ بِهِ.
حَدِيثٌ آخَرُ، عَنْ طَلْحَةَ: قَالَ التِّرْمِذِيُّ حَدَّثَنَا أَبُو هِشَامٍ الرِّفَاعِيُّ، ثَنَا يَحْيَى بْنُ الْيَمَانِ، عَنْ شَيْخِ بْنِ زُهْرَةَ، عَنِ الْحَارِثِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ أَبِي ذُبَابٍ، عَنْ طَلْحَةَ بْنِ عُبَيْدِ اللَّهِ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «لِكُلِّ نَبِيٍّ رَفِيقٌ، وَرَفِيقِي فِي الْجَنَّةِ عُثْمَانُ» . ثُمَّ قَالَ: هَذَا حَدِيثٌ غَرِيبٌ وَلَيْسَ إِسْنَادُهُ بِالْقَوِيِّ، وَإِسْنَادُهُ مُنْقَطِعٌ. وَرَوَاهُ أَبُو مَرْوَانَ مُحَمَّدُ بْنُ عُثْمَانَ، عَنْ أَبِيهِ،
পৃষ্ঠা - ৫৮৭৭
عَنْ أَبِي الزِّنَادِ، عَنْ أَبِيهِ، عَنِ الْأَعْرَجِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ.
وَقَالَ التِّرْمِذِيُّ: حَدَّثَنَا الْفَضْلُ بْنُ أَبِي طَالِبٍ الْبَغْدَادِيُّ، وَغَيْرُ وَاحِدٍ قَالُوا: حَدَّثَنَا عُثْمَانُ بْنُ زُفَرَ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ زِيَادٍ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ عَجْلَانَ، عَنْ أَبِي الزُّبَيْرِ، عَنْ جَابِرٍ قَالَ: «أُتِيَ رَسُولُ اللَّهِ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، بِجِنَازَةِ رَجُلٍ لِيُصَلِّيَ عَلَيْهِ فَلَمْ يُصَلِّ عَلَيْهِ، فَقِيلَ: يَا رَسُولَ اللَّهِ مَا رَأَيْنَاكَ تَرَكْتَ الصَّلَاةَ عَلَى أَحَدٍ قَبْلَ هَذَا؟ فَقَالَ: " إِنَّهُ كَانَ يُبْغِضُ عُثْمَانَ فَأَبْغَضَهُ اللَّهُ، عَزَّ وَجَلَّ» ". ثُمَّ قَالَ التِّرْمِذِيُّ: هَذَا حَدِيثٌ غَرِيبٌ، وَمُحَمَّدُ بْنُ زِيَادٍ هَذَا صَاحِبُ مَيْمُونِ بْنِ مِهْرَانَ ضَعِيفُ الْحَدِيثِ جِدًّا، وَمُحَمَّدُ بْنُ زِيَادٍ صَاحِبُ أَبِي هُرَيْرَةَ بَصْرِيٌّ ثِقَةٌ يُكَنَّى أَبَا الْحَارِثِ، وَمُحَمَّدُ بْنُ زِيَادٍ الْأَلْهَانِيُّ صَاحِبُ أَبِي أُمَامَةَ ثِقَةٌ شَامِيٌّ يُكَنَّى أَبَا سُفْيَانَ.
حَدِيثٌ آخَرُ: رَوَى الْحَافِظُ ابْنُ عَسَاكِرَ، مِنْ حَدِيثِ أَبِي مَرْوَانَ الْعُثْمَانِيِّ، حَدَّثَنِي أَبِي، عُثْمَانُ بْنُ خَالِدٍ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ أَبِي الزِّنَادِ، عَنْ أَبِيهِ، عَنِ الْأَعْرَجِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، لَقِيَ عُثْمَانَ بْنَ عَفَّانَ عَلَى بَابِ الْمَسْجِدِ فَقَالَ: «يَا عُثْمَانُ هَذَا جِبْرِيلُ يُخْبِرُنِي أَنَّ اللَّهَ قَدْ زَوَّجَكَ أُمَّ كُلْثُومٍ بِمِثْلِ صَدَاقِ رُقَيَّةَ عَلَى مِثْلِ مُصَاحَبَتِهَا» وَقَدْ رَوَاهُ ابْنُ عَسَاكِرَ أَيْضًا، مِنْ حَدِيثِ ابْنِ عَبَّاسٍ، وَعَائِشَةَ، وَعُمَارَةَ بْنِ رُوَيْبَةَ، وَعِصْمَةَ بْنِ مَالِكٍ الْخَطْمِيِّ، وَأَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، وَابْنِ عُمَرَ، وَغَيْرِهِمْ. وَهُوَ غَرِيبٌ وَمُنْكَرٌ مِنْ جَمِيعِ طُرُقِهِ.
পৃষ্ঠা - ৫৮৭৮
যিয়াদ অতিমাত্রায় দুর্বল হাদীস রিওয়ায়াতকারী ৷ পক্ষম্ভেরে আবু হুরাররাৱ সঙ্গী মুহাম্মদ ইবন
যিয়াদ বসৃরী সিকাহ তথা নির্ভরযোগ্য রাৰী ৷ তার কুনিয়াত আবুল হারিস ৷ আর আবু উমমােৱ
সঙ্গী মুহাম্মদ ইবন যিয়াদ আল-হানীও নির্ভরযোগ্য ৰাবী ৷ সিরিয়ার অধিবাসী আবু সুফিয়ান
কুনিয়াত্তে, পরিচিত ৷
অপর একটি হাদীস
হাফিজ ইবন অসােরিক আবু মারওয়ান আল-উসমানী (রা) আবু হুরায়রা (রা) সুত্রে
বর্ণনা করেন :
রাসুলুল্লাহ্সাঃ মসজিদে উসমান (রা)-এর সাক্ষাৎ পেয়ে তীকে বললেন : হে উসমান! এই
জিবৃরাঈল (আ) আমাকে জানান যে, আল্লাহ্ তাআলা রুকাইয়ার অনুরুপ মহরানার বিনিময়ে
উম্মে কুলসুমকে আপনার নিকট বিবাহ দিয়েছেন ৷ তার সঙ্গে সত্সর্গ আর সাহচর্যও হবে
রুকাইয়ার অনুরুপ ৷ ইবন আসাকির এ হাদীসটি ইবন আব্বাস (বা) আয়েশা (বা) উমারা ইবন
রুবাইয়া , ইসমাত ইবন মালিক, আন-খিত্মী, অনােস ইবন মালিক, ইবন উমর (রা) প্রমুখ রাবী
সুত্রেও বর্ণনা করেছন ৷ তবে সমস্ত সুত্র থেকেই হাদীসটি গরীব এবং অগ্রহণযােগ্য (মুনকার)
পর্যায়ের ৷ একটি দুর্বল সনদে আলী (বা) থেকে বর্ণিত হয়েছে যে, রাসুলুল্লাহ্ ল্লে বলেছেন :
আমার যদি চল্লিশজন কন্যা সন্তানও থাকতো তাহলে এক এক করে তাদেরকে আমি
উসমান (রা)-এৱ নিকট বিবাহ দিতাম, যাতে শেষ পর্যন্ত একজ্যাও অবশিষ্ট থাকত না ৷
মুহাম্মদ ইবন সাঈদ আল-উমনী ইউনুস ইবন আবু ইসহাক সুত্রে, তিনি তার পিতা সুত্রে
মুহাল্পার ইবন আবু সুফরার বরাতে বর্ণনা করেন :
আমি রাসুলুল্লাহ্চ্ছুহাংন্ এর সাহাবীগণকে জ্যিজ্ঞস করি, উসমান (রা),সম্পর্কে জোর ঘোষণা
দিয়ে কথা বলেন কেনা জবাবে তারা বলেন : পুর্ববর্তী আর পরবর্তীদের মধ্যে কেউ নবী
““মোঃএর দুজন কন্যা সন্তানকে বিবাহ করে নি ৷ হাদীসটি ইবন আসাকির বর্ণনা করেন ৷
ইসমাঈল ইবন আবদুল মালেক আবদুল্লাহ ইবন আবু মুলাইকা সুত্রে আয়িশা (রা)-এর
বরাতে বর্ণনা করেন :
;,াব্র; ;,ৰু
ন্ ৷;৷া
وَرُوِيَ بِإِسْنَادٍ ضَعِيفٍ، عَنْ عَلِيٍّ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، قَالَ: «لَوْ كَانَ لِي أَرْبَعُونَ ابْنَةً لَزَوَّجْتُهُنَّ بِعُثْمَانَ وَاحِدَةً بَعْدَ وَاحِدَةٍ، حَتَّى لَا يَبْقَى مِنْهُنَّ وَاحِدَةٌ» .
وَقَالَ مُحَمَّدُ بْنُ سَعِيدٍ الْأُمَوِيُّ، عَنْ يُونُسَ بْنِ أَبِي إِسْحَاقَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنِ الْمُهَلَّبِ بْنِ أَبِي صُفْرَةَ قَالَ: سَأَلْتُ أَصْحَابَ رَسُولِ اللَّهِ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، لِمَ قُلْتُمْ فِي عُثْمَانَ: أَعْلَاهَا فُوقًا؟ قَالُوا: لِأَنَّهُ لَمْ يَتَزَوَّجْ رَجُلٌ مِنَ الْأَوَّلِينَ وَالْآخَرِينَ ابْنَتَيْ نَبِيٍّ غَيْرُهُ. رَوَاهُ ابْنُ عَسَاكِرَ.
وَقَالَ إِسْمَاعِيلُ بْنُ عَبْدِ الْمَلِكِ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي مُلَيْكَةَ، عَنْ عَائِشَةَ قَالَتْ: «مَا رَأَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، رَافِعًا يَدَيْهِ حَتَّى يَبْدُوَ ضَبْعَيْهِ إِلَّا لِعُثْمَانَ بْنِ عَفَّانَ، إِذَا دَعَا لَهُ» .
وَقَالَ مِسْعَرٌ، عَنْ عَطِيَّةَ، عَنْ أَبِي سَعِيدٍ قَالَ: «رَأَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، مِنْ أَوَّلِ اللَّيْلِ إِلَى أَنْ طَلَعَ الْفَجْرُ رَافِعًا يَدَيْهِ يَدْعُو لِعُثْمَانَ بْنِ عَفَّانَ، يَقُولُ: " اللَّهُمَّ عُثْمَانُ رَضِيتُ عَنْهُ فَارْضَ عَنْهُ» . وَفِي رِوَايَةٍ يَقُولُ لِعُثْمَانَ " غَفَرَ اللَّهُ لَكَ مَا قَدَّمْتَ وَمَا أَخَّرْتَ، وَمَا أَسْرَرْتَ وَمَا أَعْلَنْتَ، وَمَا كَانَ مِنْكَ وَمَا هُوَ كَائِنٌ إِلَى يَوْمِ الْقِيَامَةِ. وَرَوَاهُ الْحَسَنُ بْنُ عَرَفَةَ عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ الْقَاسِمِ
পৃষ্ঠা - ৫৮৭৯
উসমান ইবন আফ্ফান ব্যতীত অপর কারো জন্য আমি রাসুলুল্লাহ্মোঃ কে এভাবে
দু হাত উত্তোলন করে দৃ আ করতে দেষিনি ৷ যার ফলে তার কালের নিমাংণ স্পষ্ট দেখা যেতো
যখন তিনি উসমান (রা) এর জন্য দু অ৷ করতেন ৷
আতিয়া সুত্রে আবুসাঈদের বরাতে মুসৃইর বলেন
ষ্ক্রো
রাত্রের প্রথম প্রহর থেকে শেষ প্রহর পর্যন্ত আমি রাসুনুল্লাহ্মোঃ কে উসমান (রা)-এর
জন্য এই বলে দৃআ করতে দেখেছি :
ণ্র্মুমোঃ
হে আল্লাহ্ ! আমি উসমান-এর প্রতি সন্তুষ্ট, ভুমিও তার প্রতি সন্তুষ্ট থাক ৷ অপর বর্ণনা
মতে তিনি উসমান (রা) এর জন্য দুআয় বলেন :
তোমার পুর্বাপৱ জাহিরী-ৰাতিনী এবং কিয়ামত পর্যন্ত সকল গুনাহ আল্লাহ্ ক্ষমা করুন ৷
হাসান ইবন আরাফা হিসাম ইবন আতিয়্যার বরাতে নবী ৰ্লীম স্রথােক মুরসাল সুত্রেও
হড়াদীসটি বর্ণিত আছে ৷
ইবন আদী আবুইয়ালা সুত্রে হুযইিফার বরাতে বর্ণনা করে বলেন
<—fi’
ৰু
ষ্৷ ৷
,
একটা যুদ্ধে রাসুলুল্পাহ্ fl উসমান (রা)-এর সহযোগিতা কামনা করে লোক প্রেরণ
করেন ৷ উসমান (রা) তার হাতে দশ হাজার দীনার দান করেন ৷ রাসুসুল্লাহ্ডাঃদীনারগুলো
হাতে নিয়ে নাড়াচড়াে করতে করতে তার জন্য দৃঅ্যা করেন ৷ হে উসমান ! আল্লাহ্ তোমার
জাহিরী-বাতিনী এবং কিয়ামত পর্যন্ত হতে পারে সমস্ত গুনৰুাহ মাফ করুন ৷ এরপর উসমান কি
করলো, তার কোন পরওয়ড়াতাকে করতে হবে না চ —
আরো একটি হাদীস
লায়স ইবন আবু সসীম বলেন : সর্বপ্রথম যিনি হাসুয়া বানান তিনি হলেন উসমান (রা) ৷
তিনি মধু আর ময়দা মিশ্রণ করেন, তারপর উষ্মে সালমান গৃহে রাসুলুল্লাহ্লোঃ এব জন্য প্রেরণ
করেন; কিন্তু সােকটি রাসুলুল্লাহ্খ্যাঃ এর সাক্ষাৎ পাননি ৷ রাসুলুঘাহ্শ্রো গৃহে ফিরে এলে
ঘরের লোকজন তা রাসুলুল্লাহ্মোঃএর সম্মুখে উপস্থিত করেন ৷ রাসুলুল্পাহ্ড্রে জানতে
চইিলেন এটা কে প্রেরণ করেছে? বলা হলো, উসমান (রা) ৷ উঘু সালমা বলেন : রাসুলুল্পাহ্
স্তোাষ্
الْأَسَدِيِّ، عَنِ الْأَوْزَاعِيِّ، عَنْ حَسَّانَ بْنِ عَطِيَّةَ، عَنِ النَّبِيِّ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، مُرْسَلًا.
وَقَالَ ابْنُ عَدِيٍّ، عَنْ أَبِي يَعْلَى، عَنْ عَمَّارِ بْنِ يَاسِرٍ الْمُسْتَمْلِيِّ، عَنْ إِسْحَاقَ بْنِ إِبْرَاهِيمَ الْمُسْتَمْلِيِّ، عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ، عَنْ أَبِي وَائِلٍ، عَنْ حُذَيْفَةَ «أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، بَعَثَ إِلَى عُثْمَانَ يَسْتَعِينُهُ فِي غَزَاةٍ غَزَاهَا، فَبَعَثَ إِلَيْهِ عُثْمَانُ بِعَشَرَةِ آلَافِ دِينَارٍ، فَوَضَعَهَا بَيْنَ يَدَيْهِ، فَجَعَلَ يُقَلِّبُهَا بَيْنَ يَدَيْهِ وَيَدْعُو لَهُ: " غَفَرَ اللَّهُ لَكَ يَا عُثْمَانُ مَا أَسْرَرْتَ وَمَا أَعْلَنْتَ وَمَا أَخْفَيْتَ، وَمَا هُوَ كَائِنٌ إِلَى يَوْمِ الْقِيَامَةِ، مَا يُبَالِي عُثْمَانُ مَا فَعَلَ بَعْدَ هَذَا» ".
حَدِيثٌ آخَرُ: وَقَالَ لَيْثُ بْنُ أَبِي سُلَيْمٍ: «أَوَّلُ مَنْ خَبَصَ الْخَبِيصَ عُثْمَانُ ; خَلَطَ بَيْنَ الْعَسَلِ وَالنَّقِيِّ، ثُمَّ بَعَثَ بِهِ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، إِلَى مَنْزِلِ أُمِّ سَلَمَةَ فَلَمْ يُصَادِفْهُ، فَلَمَّا جَاءَ وَضَعُوهُ بَيْنَ يَدَيْهِ، فَقَالَ: مَنْ بَعَثَ بِهَذَا؟ قَالُوا: عُثْمَانُ. قَالَتْ: فَرَفَعَ يَدَيْهِ إِلَى السَّمَاءِ، فَقَالَ: " اللَّهُمَّ إِنَّ عُثْمَانَ يَتَرَضَّاكَ فَارْضَ عَنْهُ» ".
حَدِيثٌ آخَرُ: رَوَى أَبُو يَعْلَى، عَنْ شَيْبَانَ بْنِ فَرُّوخَ، عَنْ طَلْحَةَ بْنِ زَيْدٍ، عَنْ عُبَيْدَةَ بْنِ حَسَّانَ، عَنْ عَطَاءٍ الْكَيْخَارَنِيِّ، عَنْ جَابِرٍ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ
পৃষ্ঠা - ৫৮৮০
صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، اعْتَنَقَ عُثْمَانَ، وَقَالَ: «أَنْتَ وَلِيِّي فِي الدُّنْيَا وَوَلِيِّي فِي الْآخِرَةِ» .
حَدِيثٌ آخَرُ: قَالَ أَبُو دَاوُدَ الطَّيَالِسِيُّ: حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ سَلَمَةَ، وَحَمَّادُ بْنُ زَيْدٍ، عَنِ الْجُرَيْرِيِّ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ شَقِيقٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ حَوَالَةَ قَالَ: «قَالَ رَسُولُ اللَّهِ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: تَهْجُمُونَ عَلَى رَجُلٍ مُعْتَجِرٍ بِبُرْدَةٍ مِنْ أَهْلِ الْجَنَّةِ، يُبَايِعُ النَّاسَ. قَالَ: فَهَجَمْنَا عَلَى عُثْمَانَ بْنِ عَفَّانَ مُعْتَجِرًا يُبَايِعُ النَّاسَ» .
পৃষ্ঠা - ৫৮৮১
;, ৷ স্পোা৷ ৷
হে আল্লাহ্ ! তোমার সন্তুষ্টি উসমানের কাম্য ৷ তইি তৃমিও তার প্রতি সন্তুষ্ট থাক ৷
অপর একটি হাদীস ’
আবু ইয়া লা সিনান ইবন ফররুখ জাবির (রা) সুত্রে বর্ণনা করেন যে , রড়াসুলুল্পাহ্ন্ত্র
উসমান (রা)-কে আলিঙ্গনকালে বলেন :
দুনিয়া এবং আখিরাতে তুমি আমার অম্ভরঙ্গ সুহৃদ ৷
আরো একটি হাদীস
আবু দাউদ তায়ালিসী হাষ্মাদ ইবন সালামা আবদুল্লাহ ইবন হাওয়ালা সুত্রে বর্ণনা করে
বলেন যে, রাসুলুল্লাহ্ড্রো বলেছেন :
ঠো-ন্
তােমার এমন এক জান্নড়াভী ব্যজিং উপর ভিড় জমাবে, যে লোকটি চাদরে আবৃত হয়ে
লোকদের নিকট থেকে বায়আত গ্রহণ করছে ৷ রাবী বলেন, আমরা উসমান ইবন আফ্ফান-এর
উপর ভিড় জমাই এবং আমরা দেখতে পইি যে, তিনি চাদর পরিধান করে লোকদের নিকট
থেকে বায়আত গ্রহণ করছেন ৷
উসমান (রা)-এর কিঞ্চিৎ জীবনালেখ্য, যা থেকে তার শ্রেষ্ঠতু বৈশিষ্টের প্রমাণ
পাওয়া যায়
ইবন মাসউদ (রা) বলেন, “উমর (রা) নিহত হলে আমরা আমাদের মধ্যে উত্তম ব্যক্তির
হাতে বায়আত করি এবং আমরা কোন ত্রুটি করিনি ৷ অন্য বর্ণনায় আছে ও তারা উত্তম ব্যক্তির
নিকট বায়আত করেন; কিন্তু তারা কোন ত্রুটি করেন নি ৷ আসমাঈ আবুষ্ যিনাদ থেকে তার
পিতার বরাতে আমৃর ইবন উসমান ইবন আফ্ফান-এর জবানীতে বর্ণনা করে বলেন যে,
উসমান (রা)এ আংটিতে খচিত ছিল :
া
যিনি সৃষ্টি করে সুঠাম করেছেন, আমি তার প্রতি ঈমান এনেছি ৷’ আর মুহাম্মদ ইবন
মুবারক বলেন, আমি অবহিত আছি যে, উসমান (রা)-এর আৎটি অংকিত ছিল০ ং
উসমান মহান আল্লাহর প্রতি ঈমান এসেছে ৷ আর ইমাম বুখারী (র) তার ইতিহাস গ্রন্থে
উল্লেখ করেন৪ মুসা ইবন ইসমাঈল আমাকে বলেছেন যে, মুবারক ইবন ফুযা লা আমার নিকট
বর্ণনা করেন যে, আমি হাসানকে বলতে শুনেছি; লোকেরা যেসব কারণে উসমান (রা) এর
বিরুদ্ধে প্রতিশোধ্ গ্রহণ করে আমি তা জানতে পেয়েছি ৷ তুমি ঘোষণা করে দাও যে, মানুষের
কাছে যেদিনই আপতিত হয়, লোকেরা তাতে ধন-সম্পদ বন্টন করে নেয় ৷ তাদেরকে বলা হয় :
[ذِكْرُ شَيْءٍ مِنْ سِيرَتِهِ وَهِيَ دَالَّةٌ عَلَى فَضِيلَتِهِ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ]
فَصْلٌ فِي ذِكْرِ شَيْءٍ مِنْ سِيرَتِهِ وَهِيَ دَالَّةٌ عَلَى فَضِيلَتِهِ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ
قَالَ ابْنُ مَسْعُودٍ: لَمَّا تُوُفِّيَ عُمَرُ بَايَعْنَا خَيْرَنَا وَلَمْ نَأْلُ. وَفِي رِوَايَةٍ: بَايَعُوا خَيْرَهُمْ وَلَمْ يَأْلُوا.
وَقَالَ الْأَصْمَعِيُّ، عَنْ أَبِي الزِّنَادِ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَمْرِو بْنِ عُثْمَانَ بْنِ عَفَّانَ، قَالَ: كَانَ نَقْشُ خَاتَمِ عُثْمَانَ: آمَنْتُ بِالَّذِي خَلَقَ فَسَوَّى.
وَقَالَ مُحَمَّدُ بْنُ الْمُبَارَكِ: بَلَغَنِي أَنَّهُ كَانَ نَقْشُ خَاتَمِ عُثْمَانَ: آمَنَ عُثْمَانُ بِاللَّهِ الْعَظِيمِ.
وَقَالَ الْبُخَارِيُّ فِي " التَّارِيخِ ": ثَنَا مُوسَى بْنُ إِسْمَاعِيلَ، ثَنَا مُبَارَكُ بْنُ فَضَالَةَ، قَالَ: سَمِعْتُ الْحَسَنَ يَقُولُ: أَدْرَكْتُ عُثْمَانَ عَلَى مَا نَقَمُوا عَلَيْهِ، قَلَّمَا يَأْتِي عَلَى النَّاسِ يَوْمٌ إِلَّا وَهُمْ يَقْتَسِمُونَ فِيهِ خَيْرًا، يُقَالُ لَهُمْ: يَا مَعْشَرَ الْمُسْلِمِينَ، اغْدُوا عَلَى أَعْطِيَاتِكُمْ. فَيَأْخُذُونَهَا وَافِرَةً، ثُمَّ يُقَالُ لَهُمُ: اغْدُوا عَلَى أَرْزَاقِكُمْ. فَيَأْخُذُونَهَا وَافِرَةً، ثُمَّ يُقَالُ لَهُمُ: اغْدُوا عَلَى السَّمْنِ وَالْعَسَلِ، الْأَعْطِيَاتُ جَارِيَةٌ، وَالْأَرْزَاقُ دَارَّةٌ، وَالْعَدُوُّ مُتَّقًى، وَذَاتُ الْبَيْنِ حَسَنٌ، وَالْخَيْرُ
পৃষ্ঠা - ৫৮৮২
হে মুসলিম সমাজ ৷ ভোর বেলা তোমরা চলে যাও তোমাদের উপচৌকনের বস্তুর নিকট আর
তারা তা গ্রহণকরবে পর্যাপ্ত পরিমাণে ৷ এরপর তাদেরকে বলা হবে : প্রত্যুষে তোমরা গমন কর
ঘি আর মধুর নিকট ৷ ভোর বেলা তোমরা গমন কর তোমাদের ব্জীবিকশ্র নিকট এবং পর্যাপ্ত
পরিমাণে তা হস্তপত বল্ম ৷ দানতো রহমান, আর জীবিকাতো ঘুর্ণায়মান, দৃশমনতো পলায়মান,
পারস্পরিক সম্পর্ক চমৎকার, মঙ্গল আর কল্যাণতো অচেল, কোন মু’মিন মুমিনকে ভয় করবে
না, যার সঙ্গে সাক্ষাৎ হবে সে তাে তার ভাই ৷ তার প্রীতি, শুভ কামনা আর ভালবাসার অংশ
এটাও: যে, সে তাদেরকে ওসিয়ত করবে যে, অদুর ভবিষ্যতে স্বজনপ্রীতি জন্ম নেবে ৷ যখন
এমন অবস্থা দেখা দেবে তখন তোমরা ধৈর্যধারণ করবে ৷
হাসান (রা) বলেন, স্বজনগ্রীতির মুখেও মু’মিন ব্যক্তি ধৈর্যধারণ করলে তার সমান, জীবিকা
এবং বিত্ত-বৈভবে প্রশস্ততা সৃষ্টি হয় ৷ বরং তারা বলেন ও না, আল্লাহর কসম, আমরা ধৈর্যে
তাদের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় অবতীর্ণ হবো না ৷ আল্লাহ্র কসম, তারা না অবতীর্ণ হয়েছে আর
না তারা নিরাপদ হতে পােরছে ৷ দ্বিতীয় কথা, মুসলমানদের ব্যাপারে তরবারি জ্জি কােষবদ্ধ,
তারা যে কােষবদ্ধ তলোয়ার নিজেদের ক্ষেত্রে চালনা করেছে ৷ আল্লাহর কসম, কিয়ামতের দিন
পর্যন্ত তা উন্মুক্ত থাকবে ৷ আল্লাহ্র কসম, কিয়ামতের দিন পর্যন্ত আমি তো তরবারি কোষ মুক্তই
দেখতে পাচ্ছি ৷
একাধিক ব্যক্তি হাসান বসরী সুত্রে বর্ণনা করেন : আমি শুনেছি, উসমান (রা) খুতৰায়
কবুতর জবাই করার আর কুকুর নিধনের নির্দেশ দিতেন ৷ লাইফ ইবন উমর বর্ণনা করেন যে,
মদীনাবাসীদের কেউ কেউ কবুতর লালন করেন এবং তাদের কেউ কেউ গুলতির গুলিও
ছোড়েন ৷ তাই উসমান (রা) বনু লাইসের জনৈক ব্যক্তিকে এ কাজ তদারক করার জন্য
নিয়োজিত করেন এবং ণ্লাকটি কবুতরের পালক কর্তা করে এবং গুলতি ভেঙ্গে ফেলে ৷ আর
তা হচ্ছে গুলতির গুলি ৷
মুহাম্মদ ইবন সা দ কানাষী সুত্রে খালিদ ইবন মাখলাদ সুত্রে মুহাম্মদ ইবন হিলালের বরাতে
আর তিনি স্থানীয় সুত্রে যিনি উসমান (রা)-এর অবরুদ্ধ দিন তার নিকট গমন করতেন ইনি
হিলাল নামে এক পুত্র সন্তান প্রসব কারন ৷ একদা তিনি তার দাদীকে দেখতে না পেয়ে (খোজ
নেন) ৷ তাকে বলা হয় যে, অন্য রাত্রে তিনি এক পুত্র সন্তান প্রসব করেছেন ৷ তার দাদী বলেন,
উসমান (বা) আমার নিকট ৫০ ব্বিহাম এবং এক টুকরা সুমলানী চাদর প্রেরণ করে বলেন,
এটা তোমার নবজাত পুত্র“ সন্তানের জন্যে দান ও পোশাক ৷ শিশু সন্তানের বয়স এক বছর পুর্ণ
হলে আমরা শিশুর ভাতাব্র পরিমাণ একশ দিরহামে উন্নীত করবো ৷
যুবাইর ইবন আবু বকর মুহাম্মদ ইবন সালাম সুত্রে ইবন বাককাহ্-এর বরাতে বলেন,
ইবন সাঈদ ইবন ইয়ারবু ইবন আতুকা আল-মাখবুমী বলেন০ যৌবনে একদা দুপুরে আমি
গমন করি, আর আমার সঙ্গে ছিল একটা পাখি, যা আমি মসজিদে ছেড়ে দিতাম ৷ আর মসজিদ
ছিল আমাদের এলাকার মধ্যে ৷ হঠাৎ দেখতে পাই এক সুদর্শন শায়গমথোর নিচে ইট বা ইটের
টুকরা দিয়ে শুয়ে আছেন ৷ আমি দাড়িয়ে শায়খের সৌন্দর্য দর্শনে অচ্ছিত হচ্ছিলাম ৷ শায়খ
চোখ খুলে কালেন৪ যুবক, কে তুমিঃ আমি তাকে জানালাম ৷ হঠাৎ দেখতে পাই তার নিকটে
এক যুবক ঘুমাচ্ছে ৷ শায়খ ঘুবককে ডাকলেন, কিন্তু যে কোন জবাব দেয় না ৷ ফলে শায়খ
كَثِيرٌ، وَمَا مِنْ مُؤْمِنٍ يَخَافُ مُؤْمِنًا، مَنْ لَقِيَهُ فَهُوَ أَخُوهُ مَنْ كَانَ ; أُلْفَتُهُ وَنَصِيحَتُهُ وَمَوَدَّتُهُ، قَدْ عَهِدَ إِلَيْهِمْ أَنَّهَا سَتَكُونُ أَثَرَةً، فَإِذَا كَانَتْ فَاصْبِرُوا. قَالَ الْحَسَنُ: فَلَوْ أَنَّهُمْ صَبَرُوا حِينَ رَأَوْهَا لَوَسِعَهُمْ مَا كَانُوا فِيهِ مِنَ الْعَطَاءِ وَالرِّزْقِ وَالْخَيْرِ الْكَثِيرِ، قَالُوا: لَا وَاللَّهِ مَا نُصَابِرُهَا. فَوَاللَّهِ مَا رُدُّوا وَمَا سَلِمُوا، وَالْأُخْرَى كَانَ السَّيْفُ مُغْمَدًا عَنْ أَهْلِ الْإِسْلَامِ فَسَلُّوهُ عَلَى أَنْفُسِهِمْ، فَوَاللَّهِ مَا زَالَ مَسْلُولًا إِلَى يَوْمِ النَّاسِ هَذَا، وَايْمُ اللَّهِ إِنِّي لِأُرَاهُ سَيْفًا مَسْلُولًا إِلَى يَوْمِ الْقِيَامَةِ.
وَقَالَ غَيْرُ وَاحِدٍ، عَنِ الْحَسَنِ الْبَصْرِيِّ، قَالَ: سَمِعْتُ عُثْمَانَ يَأْمُرُ فِي خُطْبَتِهِ بِذَبْحِ وَقَتْلِ الْكِلَابِ.
وَرَوَى سَيْفُ بْنُ عُمَرَ أَنَّ أَهْلَ الْمَدِينَةِ اتَّخَذَ بَعْضُهُمُ الْحَمَامَ، وَرَمَى بَعْضُهُمْ بِالْجُلَاهِقَاتِ، فَوَكَّلَ عُثْمَانُ رَجُلًا مِنْ بَنِي لَيْثٍ يَتَتَبَّعُ ذَلِكَ، فَيَقُصُّ الْحَمَامَ وَيَكْسِرُ الْجُلَاهِقَاتِ، وَهِيَ قِسِيُّ الْبُنْدُقِ.
وَقَالَ مُحَمَّدُ بْنُ سَعْدٍ: أَنْبَأَنَا الْقَعْنَبِيُّ، وَخَالِدُ بْنُ مَخْلَدٍ، ثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ هِلَالٍ، عَنْ جَدَّتِهِ - وَكَانَتْ تَدْخُلُ عَلَى عُثْمَانَ وَهُوَ مَحْصُورٌ - فَوَلَدَتْ هِلَالًا، فَفَقَدَهَا يَوْمًا، فَقِيلَ لَهُ: إِنَّهَا قَدْ وَلَدَتْ هَذِهِ اللَّيْلَةَ غُلَامًا. قَالَتْ: فَأَرْسَلَ إِلَيَّ بِخَمْسِينَ دِرْهَمًا وَشُقَيْقَةً سُنْبُلَانِيَّةً، وَقَالَ: هَذَا عَطَاءُ ابْنِكِ وَكِسْوَتُهُ، فَإِذَا مَرَّتْ بِهِ سَنَةٌ رَفَعْنَاهُ إِلَى مِائَةٍ.
পৃষ্ঠা - ৫৮৮৩
وَرَوَى الزُّبَيْرُ بْنُ أَبِي بَكْرٍ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ سَلَّامٍ، عَنِ ابْنِ دَابٍ، قَالَ: قَالَ ابْنُ سَعِيدِ بْنِ يَرْبُوعِ بْنِ عَنْكَثَةَ الْمَخْزُومِيُّ: انْطَلَقْتُ وَأَنَا غُلَامٌ فِي الظَّهِيرَةِ وَمَعِي طَيْرٌ أُرْسِلُهُ فِي الْمَسْجِدِ، وَالْمَسْجِدُ يُبْنَى، فَإِذَا شَيْخٌ جَمِيلٌ حَسَنُ الْوَجْهِ نَائِمٌ، تَحْتَ رَأْسِهِ لَبِنَةٌ أَوْ بَعْضُ لَبِنَةٍ، فَقُمْتُ أَنْظُرُ إِلَيْهِ أَتَعَجَّبُ مِنْ جَمَالِهِ، فَفَتَحَ عَيْنَيْهِ، فَقَالَ: مَنْ أَنْتَ يَا غُلَامُ؟ فَأَخْبَرْتُهُ، فَنَادَى غُلَامًا نَائِمًا، قَرِيبًا مِنْهُ، فَلَمْ يَجُبْهُ، فَقَالَ لِيَ: ادْعُهُ. فَدَعَوْتُهُ، فَأَمَرَهُ بِشَيْءٍ وَقَالَ لِيَ: اقْعُدْ. قَالَ: فَذَهَبَ الْغُلَامُ فَجَاءَ بِحُلَّةٍ، وَجَاءَ بِأَلْفِ دِرْهَمٍ، وَنَزَعَ ثُوبِي وَأَلْبَسَنِي الْحُلَّةَ، وَجَعَلَ الْأَلْفَ دِرْهَمٍ فِيهَا، فَرَجَعْتُ إِلَى أَبِي فَأَخْبَرْتُهُ، فَقَالَ: يَا بُنَيَّ مَنْ فَعَلَ هَذَا بِكَ؟ فَقُلْتُ: لَا أَدْرِي إِلَّا أَنَّهُ رَجُلٌ فِي الْمَسْجِدِ نَائِمٌ لَمْ أَرَ قَطُّ أَحْسَنَ مِنْهُ. قَالَ: ذَاكَ أَمِيرُ الْمُؤْمِنِينَ عُثْمَانُ بْنُ عَفَّانَ.
وَقَالَ عَبْدُ الرَّزَّاقِ، عَنِ ابْنِ جُرَيْجٍ: أَخْبَرَنِي يَزِيدُ بْنُ خَصِيفَةَ، عَنِ السَّائِبِ بْنِ يَزِيدَ أَنَّ رَجُلًا سَأَلَ عَبْدَ الرَّحْمَنِ بْنَ عُثْمَانَ التَّيْمِيَّ عَنْ صَلَاةِ طَلْحَةَ بْنِ عُبَيْدِ اللَّهِ؟ قَالَ: إِنْ شِئْتَ أَخْبَرْتُكَ عَنْ صَلَاةِ عُثْمَانَ؟ قَالَ:
পৃষ্ঠা - ৫৮৮৪
আমাকে বললেন, আমি তাকে ডেকে তৃললে শায়খ তাকে একটা কিছু কাজের হুকুম দিয়ে
আমাকে বললেন, বলো ৷ যুবকটি গিয়ে একটা চাদর এবং এক হাজার দিরহাম নিয়ে আসে ৷
তিনি আমার গায়ের বস্ত্র খুলে আমাকে চাদরটা পরিধান করলে এবং এক হাজার দিরহাম
চ্াদরের ভেতর রাখেন ৷ আমি আমার পিতার নিকট গমন করে তাকে সবকিছু জানাই ৷ তিনি
বললেন, বৎস৷ কে তোমার সঙ্গে এমন কাজ করেছেন? বললাম, জানি না, তবে মসজিদে
একজন লোক শুয়ে আছেন, তার চাইতে সুন্দর মানুষ আমি আর কখনো দেখিনি ৷ পিতা বললেন
: ইনিই তো আর্মীরুল মুমিনীন উসমান ইবন আফ্ফান ৷
ইবন জুরাইজ সুত্রে আব্দুর রাজ্জাক ইয়াষীদ ইবন খাসী ফা সুত্রে আবুস সাইব ইবন
ইয়াযীদ-এর বরাতে বলেন : জ্যানক ব্যক্তি আব্দুর রহমান ইবন উসমান তামীমীকে জিজ্ঞেস
করেন ৷ এটা কি উসমান (রা)-এর বিপরীতে তালহা ইবন উবায়দুল্পাহ্র নামায়ঃ তিনি বললেন,
হ্যা ৷ বর্ণনাকারী বলেন, আমি বললাম, আজ রাত্রে আমি অবশ্যই আলহাজব অর্থাৎ মাকামে
ইবরাহীমে দলের উপর বিজয়ী হতো ৷ আমি যখন র্দাড়ালাম তখন দেখি এক ব্যক্তি মস্তক আবৃত
করে আমাকে কংকর নিক্ষেপ করছেন ৷ রাবী বলেন, আমি লক্ষ্য করে দেখি, উসমান (রা)
আমাকে কংকর নিক্ষেপ করছেন ৷ আম তার থেকে একটু পেছনে সরে আসি ৷ তিনি নামায
পড়ছিলেন এবং কুরআন তিলাওয়াতের সাজদা করছিলেন ৷ আমি যখন বললাম, এটাভাে হলো
ফজ্বরের আমান, তখন তিনি এক রাকআত বিত্রের নামায আদায় করে চলে গেলেন, অন্য
কোন নামায আদায় করলেন না ৷ একাধিক সুত্রে একথাও বর্ণিত আছে যে, তিনি হভ্রুজ্জর
মওসুমে হাজার আসওয়াদের নিকট এক রাকআতে পেটি৷ কুরআন করীম তিলাওয়াত
করেছেন ৷ আর এটা ছিল আমীরুল মু’মিনীন উসমান (রা)-এর অভ্যাস ৷ এ কারণে ইবন উমর
(রা) থেকে আমরা বর্ণনা করেছি যে, আল্লাহর বাণী৪
শ্ #
যে ব্যক্তি রাত্রির বিভিন্ন নামে সাজদাবনত হয়ে এবং দাড়িয়ে আনুগত্য প্রকাশ করে, এবং
তার পালনকর্তার অনুগ্রহ প্রত্যাশা করে, সে কি সমান, যে তা করে না (সুরা যুমার ৩৯১; ৯)
তিনি বলেন, ইনি হলেন উসমান (রা) ৷ আল্লাহ্ তা আলার বাণী ং
(র্ষী
সে ব্যক্তি আর যে ব্যক্তি সুবিচারের নির্দেশ দেয় এবং সে নিজে রয়েছে সরল পথেশ্ উভয়
কি সমান হতে পারে ? (সুরা নাহল ১৬ : ৭৬) ৷ রাবী বলেন, ইনি হলেন উসমান ইবন
আফ্ফান (রা) ৷
হাসৃসান ইবন সাবিত (রা) বলেন :
তারা হত্যা করেছে এমন এক ব্যক্তিকে, যার মাথার চুল সাদা-কালো ৷ যার সাজদার চিহ্ন
ছিল এই যে, তিনি রাত্রি অতিবাহিত করতেন তাসবীহ আর তিলাওয়াতের মধ্য দিয়ে ৷
نَعَمْ. قَالَ: قُلْتُ لَأَغْلِبَنَّ اللَّيْلَةَ النَّفَرَ عَلَى الْحَجَرِ - يَعْنِي الْمَقَامَ - فَلَمَّا قُمْتُ إِذَا رَجُلٌ يَزْحَمُنِي مُقَنَّعًا، قَالَ: فَالْتَفَتُّ فَإِذَا بِعُثْمَانَ فَتَأَخَّرْتُ عَنْهُ، فَصَلَّى فَإِذَا هُوَ يَسْجُدُ سُجُودَ الْقُرْآنِ حَتَّى إِذَا قُلْتُ: هَذَا هُوَ أَذَانُ الْفَجْرِ. أَوْتَرَ بِرَكْعَةٍ لَمْ يُصَلِّ غَيْرَهَا، ثُمَّ انْطَلَقَ. وَقَدْ رُوِيَ هَذَا مِنْ غَيْرِ وَجْهٍ أَنَّهُ صَلَّى بِالْقُرْآنِ الْعَظِيمِ فِي رَكْعَةٍ وَاحِدَةٍ عِنْدَ الْحَجَرِ الْأَسْوَدِ، أَيَّامَ الْحَجِّ. وَقَدْ كَانَ هَذَا مِنْ دَأْبِهِ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ. وَلِهَذَا رُوِّينَا عَنِ ابْنِ عُمَرَ أَنَّهُ قَالَ فِي قَوْلِهِ تَعَالَى: {أَمَّنْ هُوَ قَانِتٌ آنَاءَ اللَّيْلِ سَاجِدًا وَقَائِمًا يَحْذَرُ الْآخِرَةَ وَيَرْجُو رَحْمَةَ رَبِّهِ} [الزمر: 9] قَالَ: هُوَ عُثْمَانُ بْنُ عَفَّانَ. وَقَالَ ابْنُ عَبَّاسٍ فِي قَوْلِهِ تَعَالَى: {هَلْ يَسْتَوِي هُوَ وَمَنْ يَأْمُرُ بِالْعَدْلِ وَهُوَ عَلَى صِرَاطٍ مُسْتَقِيمٍ} [النحل: 76] . قَالَ: هُوَ عُثْمَانُ بْنُ عَفَّانَ.
وَقَالَ حَسَّانُ:
ضَحَّوْا بِأَشْمَطَ عُنْوَانُ السُّجُودِ بِهِ ... يُقَطِّعُ اللَّيْلَ تَسْبِيحًا وَقُرْآنَا
وَقَالَ سُفْيَانُ بْنُ عُيَيْنَةَ: ثَنَا إِسْرَائِيلُ بْنُ مُوسَى، سَمِعْتُ الْحَسَنَ يَقُولُ: قَالَ عُثْمَانُ: لَوْ أَنَّ قُلُوبَنَا طَهُرَتْ مَا شَبِعْنَا مِنْ كَلَامِ رَبِّنَا، وَإِنِّي لَأَكْرَهُ أَنْ يَأْتِيَ عَلَيَّ يَوْمٌ لَا أَنْظُرُ فِي الْمُصْحَفِ، وَمَا مَاتَ عُثْمَانُ حَتَّى خَرَقَ مُصْحَفَهُ مِنْ كَثْرَةِ مَا
পৃষ্ঠা - ৫৮৮৫
يُدِيمُ النَّظَرَ فِيهِ.
وَقَالَ أَنَسٌ وَمُحَمَّدُ بْنُ سِيرِينَ: قَالَتِ امْرَأَةُ عُثْمَانَ يَوْمَ الدَّارِ: اقْتُلُوهُ أَوْ دَعُوهُ فَوَاللَّهِ لَقَدْ كَانَ يُحْيِي اللَّيْلَ بِالْقُرْآنِ فِي رَكْعَةٍ. وَقَالَ غَيْرُ وَاحِدٍ: إِنَّهُ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، كَانَ لَا يُوقِظُ أَحَدًا مِنْ أَهْلِهِ إِذَا قَامَ مِنَ اللَّيْلِ لِيُعِينَهُ عَلَى وُضُوئِهِ، إِلَّا أَنْ يَجِدَهُ يَقْظَانَ، وَكَانَ يَصُومُ الدَّهْرَ، وَكَانَ يُعَاتَبُ فَيُقَالُ لَهُ: لَوْ أَيْقَظْتَ بَعْضَ الْخَدَمِ؟ فَيَقُولُ: لَا، اللَّيْلُ لَهُمْ يَسْتَرِيحُونَ فِيهِ. وَكَانَ إِذَا اغْتَسَلَ لَا يَرْفَعُ الْمِئْزَرَ عَنْهُ، وَهُوَ فِي بَيْتٍ مُغْلَقٍ عَلَيْهِ، وَلَا يَرْفَعُ صُلْبَهُ جَيِّدًا مِنْ شِدَّةِ حَيَائِهِ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ.
পৃষ্ঠা - ৫৮৮৬
সুফিয়ান ইবন উয়ায়না বলেন৪ ইসরাঈল ইবন মুসা আমাকে জানান যে, আমি হাসা নকে
বলতে শুনেছি, উসমান (রা) বলেছেনং :
ষ্
আমাদের অন্তর পাকা-পবিত্র হলে আল্লাহ্র কালামে আমাদের অন্তর কখনো পরিতৃপ্ত হবে
না ৷ আমার উপর এমন কোন দিন আসুক যে দিন আমি কালাম পাক-এর দিকে দৃষ্টি দেবাে না
এটা আমার নিকট পছন্দ নয় ৷ ক্রমাগত দৃষ্টি দানের ফলে ইনতিক্যলের পুর্বে উসমান (রা)-এর
কুরআন শরীফের পাতা ছিড়ে যায় ৷ জানান এবং মুহাম্মদ ইবন সীরীন বলেন :
পৃহবন্দীর দিনে উসমান (রা)-এর শ্রী বলেন :
৷ প্রু১ গ্রা;; , ৷ ণ্প্রুা;ন্ ৷
তােমরা হয় তাকে হত্যা কর, অথবা তাকে ছেড়ে দাও ৷ আল্লাহ্র কসম৷ তিনি এক
রাকআতে গোটা কুরআন তিলাওয়াতে রাত্রি অতিবাহিত করেন ৷ একাধিক ব্যক্তি বলেন,
উসমান (রা) রাত্রে জাগ্রত হয়ে উবু করার কাজে সহায়তা করার জন্য কাউকে ঘুম থেকে
জাগাতেন না ৷ কেউ জাগ্রত থাকলে তার সাহায্য নািতন ৷ তিনি সারা বছর রােযা পালন
করতেন ৷ কেউ যদি ভভুসনার সুরে তাকে বলতাে : যদি কোন খাদিমকে জাগ্রত করতেন !
জবাবে তিনি বলতেন : না, রাত্র তো তাদের বিশ্রামের জন্য ৷ গোসল করার সময়ও তিনি
তহ্বন্দ তৃলতেন না (পরনের কাপড় খুলতেন না) অথচ বদ্ধ ঘরে তিনি তো আছেন ৷
অতিমাত্রায় লজ্জাশীল৩ যে কারণে তিনি কােমর ভালভাবে সোজা করতেন না ৷ আল্লাহ্৩ তার প্রতি
সন্তুষ্ট থাকুন ৷
তার ভাষণের কিছু নমুনা
ওয়াকিদী ইব্রাহীম ইবন ইসমা ঈল ইবন আব্দুর রহমান ইবন আন্দুল্লাহ্ ইবন আবু রবী আ
আলমাখবুমী সুত্রে৩ তার পিতার বরাতে বলেন যে, খিলাফতের বায় আত গ্রহণ করার পর
উসমান (বা) জনতার উদ্দেশ্যে বেরিয়ে এসে তাদের সম্মুখে ভাষণ দান করেন ৷
মহান আল্লাহ্র হামৃদ ও ছানার পর ভাষণে তিনি বলেন :
৷ ধ্,ৰু ৷
া
“লোক সকল! সমস্ত আরােহণের সুচনা কঠিন হয় ৷ আজকের পরও দিন আছে ৷ আমি যদি
বেচে থাকি তবে তোমাদের সামনে অনেক ভাষণ আসবে যথাযথভাবে ৷ তবে আমিতে৷ ৰা’মী
নই, অবশ্য আল্লাহ্ তাআলা আমাকে ভাষণ দান করা শিক্ষা দেবেন ৷ ১
১ তবকাত; ইবন সাদ ৩৬২ আল-ইবনুল ফারীদ ২১৩৩, শুরা সদস্যদের শপথ শেষে তাবাৰী অপর একটা
ভাৰণেও উল্লেখ করেছেন ৷ তবােরী বলেন, যুহ্দ ৷ দৃনিয়াকে তুচ্ছ জ্ঞান করা এবং দুনিয়ার দিকে আকৃষ্ট না
হওয়ার ক্ষেত্রে উসমান ইবন আফ্ফান (বা) ছিলেন এক আদর্শ নমুনা (তাবারী ৫৪ ৫) ৷
৪৯
[فِي ذِكْرِ شَيْءٍ مِنْ خُطَبِهِ]
فَصْلٌ فِي ذِكْرِ شَيْءٍ مِنْ خُطَبِهِ
قَالَ الْوَاقِدِيُّ: حَدَّثَنِي إِسْمَاعِيلُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي رَبِيعَةَ الْمَخْزُومِيُّ، عَنْ أَبِيهِ أَنَّ عُثْمَانَ لَمَّا بُويِعَ خَرَجَ إِلَى النَّاسِ فَخَطَبَهُمْ، فَحَمِدَ اللَّهَ وَأَثْنَى عَلَيْهِ، ثُمَّ قَالَ: أَيُّهَا النَّاسُ إِنَّ أَوَّلَ كُلِّ مَرْكَبٍ صَعْبٌ، وَإِنَّ بَعْدَ الْيَوْمِ أَيَّامًا، وَإِنْ أَعِشْ تَأْتِكُمُ الْخُطْبَةُ عَلَى وَجْهِهَا، وَمَا كُنَّا خُطَبَاءَ، وَسَيُعَلِّمُنَا اللَّهُ.
وَقَالَ الْحَسَنُ: خَطَبَ عُثْمَانُ، فَحَمِدَ اللَّهَ وَأَثْنَى عَلَيْهِ، ثُمَّ قَالَ: أَيُّهَا النَّاسُ اتَّقُوا اللَّهَ فَإِنَّ تَقْوَى اللَّهِ غُنْمٌ، وَإِنَّ أَكْيَسَ النَّاسِ مَنْ دَانَ نَفْسَهُ وَعَمِلَ لِمَا بَعْدَ الْمَوْتِ، وَاكْتَسَبَ مِنْ نُورِ اللَّهِ نُورًا لِظُلْمَةِ الْقَبْرِ، وَلْيَخْشَ عَبْدٌ أَنْ يَحْشُرَهُ اللَّهُ أَعْمَى وَقَدْ كَانَ بَصِيرًا، وَقَدْ يَكْفِينِي الْحَكِيمُ جَوَامِعَ الْكَلِمِ، وَالْأَصَمُّ يُنَادَى مِنْ مَكَانٍ بَعِيدٍ، وَاعْلَمُوا أَنَّ مَنْ كَانَ اللَّهُ مَعَهُ لَمْ يَخَفْ شَيْئًا، وَمَنْ كَانَ اللَّهُ عَلَيْهِ فَمَنْ يَرْجُو بَعْدَهُ؟
وَقَالَ مُجَاهِدٌ: خَطَبَ عُثْمَانُ فَقَالَ: ابْنَ آدَمَ، اعْلَمْ أَنَّ مَلَكَ الْمَوْتِ الَّذِي وُكِّلَ بِكَ لَمْ يَزَلْ يُخْلِفُكَ وَيَتَخَطَّى إِلَى غَيْرِكَ مُنْذُ أَنْتَ فِي الدُّنْيَا، وَكَأَنَّهُ قَدْ تَخَطَّى غَيْرَكَ إِلَيْكَ وَقَصَدَكَ، فَخُذْ حِذْرَكَ وَاسْتَعِدَّ لَهُ، وَلَا تَغْفُلْ فَإِنَّهُ لَا يَغْفُلُ عَنْكَ، وَاعْلَمْ
পৃষ্ঠা - ৫৮৮৭
(আ) যেভবে রাসুলুল্পাহ্ঘ্নে কে কুরআন মজীদ পাঠ করে শোনান, উসমান (রা) সে ধারায়
কুরআন মজীদ লিপিবদ্ধ করান ৷ এর একটা কারণও আছে তা এই যে, হুযাইফা ইবনুল ইয়ামান
(বা) কোন এক যুদ্ধে অংশ্যাহণ করেন ৷ সিরিয়ার বিপুল লোক এ যুদ্ধে শরীক ছিল ৷ এরা
তিলাওয়াত করতেন মিকদাদ ইবনুল আসওয়াদ এবং আবু দারদার রীতি অনুযায়ী ৷ আর
ইরাকের লোকেরা তিলাওয়াত করতো আব্দুল্লাহ ইবন মাসৃউদ এবং আবু মুসা (আশআরী) এর
রীতি অনুযায়ী ৷
সাত হরফ তথা সাত রীতি অনুযায়ী কুরআন তিলাওয়াত জায়িয একথা যার জানা ছিল না
যে নিজের কিরাআতকে আব্দুল্লাহ ইবন মাসউদ (বা) ও আবু মুসা (রা)-এর কিরাআতের
চাইতে শ্রেষ্ঠ জ্ঞান করতো, আবার সাত রীতিতে কুরআন তিলাওয়াত জায়িয এটা যার জানা
ছিল না যে নিজের কিরাঅড়াতকে অপরের কিরাআতের উপর গ্রেষ্ঠতৃ দিত ৷ কখনো কখনো
অপরকে অপরাধী এমন কি কাফির বলেও তাদেরকে আখ্যায়িত করত এতে প্রচণ্ড মতবিরোধ
দেখা দেয় এবং জনগণের মধ্যে কটুক্তি ছড়িয়ে পড়ে ৷ হযরত হুযাইফা (রা) সওয়ারীতে
আরোহণ করে উসমনে (রা)-এর নিকট আগমন করে বললেন, আযীরুল মু’মিনীন!
ইহুদী-নাসারা তাদের কিতাবের ব্যাপারে যেমন মতবিরোধে লিপ্ত হয়েছে, এই উম্মত তেমন
অবস্থায় পতিত হওয়ার পুর্বেই সংশোধনের ব্যবস্থা গ্রহণ করুন ৷ ’ কিরাতের ব্যাপারে প্রত্যক্ষ
অভিজ্ঞতার কথাও তিনি উল্লেখ করেন ৷
উসমান (বা) এ প্রসঙ্গে সাহাবীপণকে সমবেত করে তাদের কাছে পরামর্শ চান ৷ এ রীতিতে
কুরআন লিপিবদ্ধ করা এবং সকল অঞ্চলের ণ্লাকদেরকে এ ব্যাপারে ঐক্যবদ্ধ করার পক্ষে তিনি
মত প্রকাশ করেন ৷ এ ক্ষেত্রে ভিন্ন ভিন্ন রীতি চলতে দেওয়া বাইনীয় নয় ৷ তার মতে বিরোধ
নিষ্পত্তি আর মতপার্থক্য নিরসনের উপায় এতেই নিহিত রয়েছে ৷ আবু বকর সিদ্দীক (রা) ন্
মাসহাফের যে কপিঢি সংগ্রহ করার জন্য যায়দ ইবন সাবিত (রা) কে নির্দেশ দিয়ে ছিলেন,
আবু বকর (রা)-এর জীবদ্দশায় যা তার কাছে ছিল, পরে তা ছিল উমর (রা) এর নিকট এবং
তার পরবর্তীকালে তা সংরক্ষিত ছিল উন্মুল মু’মিনীন হাফসা (রা)-এর নিকট, সে কপিঢি তিনি
তলব করে জানান এবং যায়দ ইবন সাধিত আনসারীকে (নব পর্যায়ে) কুরআন মজীদ লিপিবদ্ধ
করার নির্দেশ দেন ৷
আব্দুল্লাহ ইবন যুবায়র আসড়াদী এবং আব্দুর রহমান ইবনুল হারিস ইবন হিমাশ
আল-মাখয়ুমীর উপস্থিতিতে সাঈদ ইবনুল আস আল উমযীএর পঠন-“এর মাধ্যমে এই কপি
প্রস্তুত করা হবে ৷ তিনি তাদেরকে এ নির্দেশও দান করেন যে, কোন ক্ষেত্রে মতভেদ দেখা দিলে
যেন কুরায়শের ভাষা-রীতি অনুযায়ী লিপিবদ্ধ করা হয় ৷ সিরিয়াবাসীদের জন্য মাসহাফের একটা
কপি লিপিবদ্ধ করা হয়, আরেকটা কপি করা হয় মিসরৰাসীদের জন্য ৷ বসৃরা এবং কুফায় ভিন্ন
ভিন্ন কপি প্রেরণ করা হয় ৷ মক্কা, মদীনা এবং ইয়ামানেও কপি প্রেরণ করা হয় ৷ মাসহাফের এ
কপিগুবলা ইমাম’ নামে অভিহিত ৷ এসব কপি, বরং এর কোন একটিও উসমান (রা)-এর নিজ
হাতে লেখা নয় ৷ এসব লিপিবদ্ধ করা হয়েছে যায়দ ইবন সাবিতের হাতে ৷ তারপরও এটাকে
মাসহাফে উসযানী’ বলা হয়, কারণ, তার নির্দেশে ভুাৱই শাসনামলে এবং তারই নেতৃত্বে এ
কপি সংকলিত এবং লিপিবদ্ধ করা হয়েছে ৷ যেমন বলা হয় হিরাক্লিয়াসের দীনার’ অর্থাৎ তার
শাসনামলে প্রবতিতি মুদ্রা ৷
ابْنَ آدَمَ، إِنْ غَفَلْتَ عَنْ نَفْسِكَ وَلَمْ تَسْتَعِدَّ لَهَا، لَمْ يَسْتَعِدَّ لَهَا غَيْرُكَ، وَلَا بُدَّ مِنْ لِقَاءِ اللَّهِ، فَخُذْ لِنَفْسِكَ وَلَا تَكِلْهَا إِلَى غَيْرِكَ. وَالسَّلَامُ.
وَقَالَ سَيْفُ بْنُ عُمَرَ، عَنْ بَدْرِ بْنِ عُثْمَانَ، عَنْ عَمِّهِ قَالَ: آخَرُ خُطْبَةٍ خَطَبَهَا عُثْمَانُ فِي جَمَاعَةٍ: إِنَّ اللَّهَ إِنَّمَا أَعْطَاكُمُ الدُّنْيَا لِتَطْلُبُوا بِهَا الْآخِرَةَ، وَلَمْ يُعْطِكُمُوهَا لِتَرْكَنُوا إِلَيْهَا، إِنَّ الدُّنْيَا تَفْنَى وَإِنَّ الْآخِرَةَ تَبْقَى، لَا تُبْطِرَنَّكُمُ الْفَانِيَةُ وَلَا تَشْغَلَنَّكُمْ عَنِ الْبَاقِيَةِ، فَآثِرُوا مَا يَبْقَى عَلَى مَا يَفْنَى، فَإِنَّ الدُّنْيَا مُنْقَطِعَةٌ، وَإِنَّ الْمَصِيرَ إِلَى اللَّهِ، اتَّقُوا اللَّهَ فَإِنَّ تَقْوَاهُ جُنَّةٌ مِنْ بَأْسِهِ، وَوَسِيلَةٌ عِنْدَهُ، وَاحْذَرُوا مِنَ اللَّهِ الْغِيَرَ، وَالْزَمُوا جَمَاعَتَكُمْ، لَا تَصِيرُوا أَحْزَابًا {وَاذْكُرُوا نِعْمَةَ اللَّهِ عَلَيْكُمْ إِذْ كُنْتُمْ أَعْدَاءً فَأَلَّفَ بَيْنَ قُلُوبِكُمْ فَأَصْبَحْتُمْ بِنِعْمَتِهِ إِخْوَانًا} [آل عمران: 103] إِلَى آخِرِ الْآيَتَيْنِ [آلِ عِمْرَانَ: 103، 104] .
[مَنَاقِبُهُ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ]
فَصْلٌ (مَنَاقِبُهُ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ)
قَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا هُشَيْمٌ، ثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ قَيْسٍ الْأَسَدِيُّ، عَنْ مُوسَى بْنِ طَلْحَةَ قَالَ: سَمِعْتُ عُثْمَانَ بْنَ عَفَّانَ وَهُوَ عَلَى الْمِنْبَرِ وَالْمُؤَذِّنُ يُقِيمُ الصَّلَاةَ، وَهُوَ يَسْتَخْبِرُ النَّاسَ يَسْأَلُهُمْ عَنْ أَخْبَارِهِمْ وَأَسْعَارِهِمْ.
وَقَالَ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، ثَنَا يُونُسُ - يَعْنِي ابْنَ عُبَيْدٍ - حَدَّثَنِي عَطَاءُ بْنُ فَرُّوخَ مَوْلَى الْقُرَشِيِّينَ أَنَّ عُثْمَانَ اشْتَرَى مِنْ رَجُلٍ أَرْضًا فَأَبْطَأَ
পৃষ্ঠা - ৫৮৮৮
عَلَيْهِ، فَلَقِيَهُ فَقَالَ: مَا مَنَعَكَ مِنْ قَبْضِ مَالِكَ؟ قَالَ: إِنَّكَ غَبَنْتَنِي، فَمَا أَلْقَى مِنَ النَّاسِ أَحَدًا إِلَّا وَهُوَ يَلُومُنِي. قَالَ: أَوَذَلِكَ يَمْنَعُكَ؟ قَالَ: نَعَمْ. قَالَ: فَاخْتَرْ بَيْنَ أَرْضِكَ وَمَالِكَ. ثُمَّ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «أَدْخَلَ اللَّهُ الْجَنَّةَ رَجُلًا كَانَ سَهْلًا ; مُشْتَرِيًا، وَبَائِعًا، وَقَاضِيًا، وَمُقْتَضِيًا» .
وَرَوَى ابْنُ جَرِيرٍ أَنَّ طَلْحَةَ لَقِيَ عُثْمَانَ وَهُوَ خَارِجٌ إِلَى الْمَسْجِدِ، فَقَالَ لَهُ طَلْحَةُ: إِنَّ الْخَمْسِينَ أَلْفًا الَّتِي لَكَ عِنْدِي قَدْ حَصَلَتْ، فَأَرْسِلْ مَنْ يَقْبِضُهَا. فَقَالَ لَهُ عُثْمَانُ: إِنَّا قَدْ وَهَبْنَاكَهَا لِمُرُوءَتِكَ.
وَقَالَ الْأَصْمَعِيُّ: اسْتَعْمَلَ ابْنُ عَامِرٍ قَطَنَ بْنَ عَوْفٍ الْهِلَالِيَّ عَلَى كَرْمَانَ، فَأَقْبَلَ جَيْشٌ مِنَ الْمُسْلِمِينَ - أَرْبَعَةُ آلَافٍ - وَجَرَى الْوَادِي فَقَطَعَهُمْ عَنْ طَرِيقِهِمْ، وَخَشِيَ قَطَنٌ الْفَوْتَ فَقَالَ: مَنْ جَازَ الْوَادِي فَلَهُ أَلْفُ دِرْهَمٍ. فَحَمَلُوا أَنْفُسَهُمْ عَلَى الْعُظْمِ، فَكَانَ إِذَا جَازَ الرَّجُلُ مِنْهُمْ قَالَ قَطَنٌ: أَعْطُوهُ جَائِزَتَهُ. حَتَّى جَازَوْا جَمِيعًا وَأَعْطَاهُمْ أَرْبَعَةَ آلَافِ دِرْهَمٍ، فَأَبَى ابْنُ عَامِرٍ أَنْ يَحْسِبَهَا لَهُ، فَكَتَبَ بِذَلِكَ إِلَى عُثْمَانَ بْنِ عَفَّانَ، فَكَتَبَ عُثْمَانُ أَنِ احْسِبْهَا لَهُ، فَإِنَّهُ إِنَّمَا أَعَانَ الْمُسْلِمِينَ فِي سَبِيلِ اللَّهِ، فَمِنْ ذَلِكَ الْيَوْمِ سُمِّيَتِ الْجَوَائِزُ لِإِجَازَةِ الْوَادِي، فَقَالَ الْكِنَانِيُّ ذَلِكَ:
পৃষ্ঠা - ৫৮৮৯
ওয়াকিদী ইবন আবু সুবব৷ আবুহ্ব ব্ায়রা (রা) সুত্রে বর্ণনা করেনং :
াকুা
গ্লুা৷ ৷,
সমান (বা) মাসাহিফের অনুলিপি প্রস্তুত করাবার পর আবু হুরায়রা (বা) তার সঙ্গে
সাক্ষাৎ করে বলেন, আপনি ঠিক কাজটি করেছেন ৷ আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, রাসুলুল্লাহ্কুমোর্দু কে
আমি বলতে শুনেছি; আমার উম্মতের মধ্যে সেসব লোক আমাকে সব চাইতে বেশি ভালবাসার,
যদ্রা আমরে পরে আগমন করবে এবং আমাকে না দেখেও আমার প্রতি ঈমান আনবে এবং
কুলন্ত পত্রে যা আছে সে অনুযায়ী তারা আমল করবে ৷ আমি জিজ্ঞেস করলাম; ঝুলন্ত পত্র কি?
শেষ পর্যন্ত আমি মাসাহিফ’ দেখলাম ৷ রাবী বলেন, এতে উসমান (রা) খুশি হয়ে আবু
হুরায়রাকে দশ হাজার (দিরহড়াম) পুরস্কার প্রদানের নির্দেশ দেন ৷ এরপর তিনি বলেনঃ আল্লাহর
কসম! আমি জানতাম না যে, আপনি আমাদের জন্য নবী করীমগ্লুস্কু এর হাদীসকে এভাবে
ধারণ করে রাখবেন ৷ তারপর লোকজনের নিকট মাসহিফের অন্যান্য যেসব ক৷ প ছিল, তিনি
সেদিকে মনোযোগ দেন এবং তার প্রস্তুত কপির থেকে ভিন্নতর কপিগুলে৷ জ্বালিয়ে ফেলেন, যেন
সেসব কপির কারণে জনমনে বিভেদ আর বিভ্রান্ত সৃষ্টি না হয় ৷ এ প্রসঙ্গে আবু বকর ইবন আবু
দাউদ কিতাবুল মাসাহিফ’ গ্রন্থে মুহাম্মদ ইবন বাশৃশার সুওয়াইদ ইবন গাফালা সুত্রে বর্ণনা
করেন যে, উসমড়ান (রা) মাসাহিফের কপি জ্বালিয়ে ফেলার পর আলী (রা) আমাকে
বলেছিলেন, তিনি একাজটি না করলে আমি অবশ্যই করতাম ৷’ অনুরুপভাবে আবু দাউদ
তায়ালিসি ও আমৃর ইবন মারয়ুফ শুব৷ সুত্রেও হাদীসটি বর্ণনা করেছেন ৷ বায়হাকী প্রমুখ
মুহাম্মদ ইবন আবান ঈযার ইবন পাফালা সুত্রে বর্ণনা করেন যে, আমি শুনেছি ৷ সুওয়ইিদ
ইবন প্যফালা বলেন : আলী (রা) বলেছেন :
া
চে;া৷ ৷
লেড়াক সকল ৷ উসমানের ব্যাপারে বাড়াবাড়ি থেকে বিরত থাক ৷ তোমরা বর্লছ, তিনি
কুরআন শরীফের কপি জ্বালিয়ে ফেলেছেন ৷ আল্লাহ্র কসম ! তিনি মুহাম্মদখ্যাঃ এর সাহাবীদের
পরামর্শক্রমেই তা জ্বালিয়েছেন ৷ তার উপর যে দায়িত্ব অর্পিত হয়েছিল তা যদি আমার উপর
অর্পিত হতো৩ তা৩হলে তিনি যেমন করেছেন, আমিও তেমন করতাম ৷’
ইবন মাসউদ (রা) থেকে বর্ণিত আছে যে, উসমনে (রা) তার হাত ৩থেকে মাসহাফের কপি
নিয়ে জ্বালিয়ে ফেললে তিনি অসন্তুষ্টি প্রকাশ করে মাসাহিফের লেখক যায়দ ইবন সাধিত এর
চাইতে ইসলামে তার অগ্রগণ্য হওয়ার ব্যাপারে প্রশ্ন উত্থাপন করে তার সঙ্গী-সাথীদেরকে
فِدًى لِلْأَكْرَمِينَ بَنِي هِلَالٍ ... عَلَى عِلَّاتِهِمْ أَهْلِي وَمَالِي
هُمُ سَنُّوا الْجَوَائِزَ فِي مَعَدٍّ ... فَعَادَتْ سُنَّةً أُخْرَى اللَّيَالِي
رِمَاحُهُمُ تَزِيدُ عَلَى ثَمَانٍ ... وَعَشْرٍ قَبْلَ تَرْكِيبِ النِّصَالِ
[مَنَاقِبُهُ الْكِبَارُ وَحَسَنَاتُهُ الْعَظِيمَةُ]
فَصْلٌ (مَنَاقِبُهُ الْكِبَارُ وَحَسَنَاتُهُ الْعَظِيمَةُ)
وَمِنْ مَنَاقِبِهِ الْكِبَارِ وَحَسَنَاتِهِ الْعَظِيمَةِ أَنَّهُ جَمَعَ النَّاسَ عَلَى قِرَاءَةٍ وَاحِدَةٍ، وَكَتَبَ الْمُصْحَفَ عَلَى الْعَرْضَةِ الْأَخِيرَةِ، الَّتِي دَرَّسَهَا جِبْرِيلُ رَسُولَ اللَّهِ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فِي آخِرِ سِنِي حَيَاتِهِ، وَكَانَ سَبَبُ ذَلِكَ أَنَّ حُذَيْفَةَ بْنَ الْيَمَانِ كَانَ فِي بَعْضِ الْغَزَوَاتِ، وَقَدِ اجْتَمَعَ فِيهَا خَلْقٌ مِنْ أَهْلِ الشَّامِ مِمَّنْ يَقْرَأُ عَلَى قِرَاءَةِ الْمِقْدَادِ بْنِ الْأَسْوَدِ وَأَبِي الدَّرْدَاءِ، وَجَمَاعَةٌ مِنْ أَهْلِ الْعِرَاقِ مِمَّنْ يَقْرَأُ عَلَى قِرَاءَةِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مَسْعُودٍ وَأَبِي مُوسَى، وَجَعَلَ مَنْ لَا يَعْلَمُ بِسَوَغَانِ الْقِرَاءَةِ عَلَى سَبْعَةِ أَحْرُفٍ يُفَضِّلُ قِرَاءَتَهُ عَلَى قِرَاءَةِ غَيْرِهِ، وَرُبَّمَا خَطَّأَ الْآخَرَ أَوْ كَفَّرَهُ، فَأَدَّى ذَلِكَ إِلَى اخْتِلَافٍ شَدِيدٍ وَانْتِشَارٍ فِي الْكَلَامِ السَّيِّئِ بَيْنَ النَّاسِ، فَرَكِبَ حُذَيْفَةُ إِلَى عُثْمَانَ، فَقَالَ: يَا أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ، أَدْرِكْ هَذِهِ الْأُمَّةَ قَبْلَ أَنْ تَخْتَلِفَ فِي كِتَابِهَا كَاخْتِلَافِ الْيَهُودِ وَالنَّصَارَى فِي كُتُبِهِمْ. وَذَكَرَ لَهُ مَا شَاهَدَ مِنَ اخْتِلَافِ النَّاسِ فِي الْقِرَاءَةِ، فَعِنْدَ ذَلِكَ جَمَعَ عُثْمَانُ الصَّحَابَةَ وَشَاوَرَهُمْ فِي ذَلِكَ، وَرَأَى أَنْ يَكْتُبَ الْمُصْحَفَ عَلَى حَرْفٍ وَاحِدٍ، وَأَنْ يَجْمَعَ النَّاسَ فِي سَائِرِ الْأَقَالِيمِ عَلَى الْقِرَاءَةِ بِهِ دُونَ مَا سِوَاهُ ; لِمَا رَأَى فِي ذَلِكَ مِنْ مَصْلَحَةِ كَفِّ الْمُنَازَعَةِ وَدَفْعِ
পৃষ্ঠা - ৫৮৯০
নিজেদের মাসাহিফেরকপি গোপনে বেধে রাখার নির্দেশ দেন ৷ এ সময় তিনি এ আয়াতটি
তিলাওয়াত করেন :
আর কেউ কিছু গোপন করলে কিয়ামতের দিন যে তা নিয়ে উপস্থিত হয়ে ৷ (সুরা আলে
ইমরান ৩ : ১৬১)
তাই উসমান (রা)৩ তাকে পত্র লিখে সাহারা ই কিরামের অনুসরণের প্রতি ৩অড়াহ্বান জানান
যে, যে বিষয়ে তারা একমত হয়েছেন তাতেই কল্যাণ, ঐক্য এবং অনৈকের প্রতিষেধ্ক নি৩
রয়েছে ৷ ফলে তিনি তার মত থেকে ফিরে আসেন, আনুগত্য আর অনুসরণের দিকে ফিরে
আসেন এবং অনৈক্য বর্জনের পক্ষে রায় দেন ৷ তাদের সকলের প্রতি ৩আল্লাহ্ সভুষ্ট থাকুন ৷
আবু ইসহাক আব্দুর রহমান ইবন ইয়াযীদের বরাতে বর্ণনা করেন যে, আব্দুল্লাহ ইবন
মাসউদ (রা) মিনার’ মসজিদে প্রবেশ করে জিজ্ঞেস করেন : আমীরুল মুমিনীন যােহরের
নামায কয় রাকাআত আদায় করেছেন ৷ লোকেরা জবাব দিলেন চার রাকাআত ৷ তখন
লোকেরা বললাে, আপনি তো আমাদেরকে হাদীস বর্ণনা করেছেন যে, রাসুলুল্লাহ্ঘ্নে আবু
বকর এবং উমর (রা) দৃ’রাকাআত নামায আদায় করেছেন?৩ তিনি বললেন, হী৷ এখনো আমি
সে হাদীসই গােনাচ্ছি, তবে কিনা আমি ইখতিলাফ পছন্দ করি না ৷ সহীহ হাদীসে আছে যে,
ইবন মাসউদ (রা) বলেন, বার রাক আংতর মধ্যে মকবুল দৃ রাক আ৩ ও যদি আমার হিস্যায়
পড়তে৷ ! ’
আমাশ ঘুআবিয়া ইব ন কুররা সুত্রে ওয়াসািত তার শায়খদের বরাতে বলেন : উসমান
(রা) মিনার যােহরের নামায চার রাকআত আদায় করেন ৷ হযরত আব্দুল্লীহ ইবন মাসউদএ
সম্পর্কে জানতে পেরে তাকে দােষারোপ করেন ৷ এরপর ইবন মাসউদ তার নিজগৃহে আসবে
চার রাক আত নামায আদায় করলে তাকে বলা হয়, উসমানকে দােষারোপ করে আপনি নিজে
চার রাকাআত নামায আদায় করলেন ৷’ শ্জংাবে তিনি বলেন, আমি মতভেদকে পছন্দ করি
না ৷ ’ অপর বর্ণনামতে মতভেদ আছে ৷ খুটিনাটি বিষয়ে উসমান (রা)-এর অনুসরণের ক্ষেত্রে
ইবন মাসউদের যখন এ অবস্থা, তখন মুল কুরআনের ক্ষেত্রে তার অনুসরণের কি অবস্থা হবো
আর কুরআন মজীদ তিলাওয়াত্তে র ক্ষেত্রে যে রীতি ৩অনুসরণের জন্য জোর দিয়েছেন, তারইবা
কি অবস্থা হবে ৷
ইমাম যুহরী প্রমুখ উল্লেখ করেছেন যে, উসমান (রা) পুর্ণ নামায আদায় করেন রদ্দুদের
আশংকায় ; যাতে তারা একথা বিশ্বাস না করে বলে যে, দৃরাকআত নামাযই ফরয ৷ , কেউ কেউ
বলেন, বরং তিনি মক্কায় স্থায়িভাবে বাস করেছিলেন ৷ ইয়ালা প্রমুখ ইকরাম৷ ইবন ইব্রাহীম
সুত্রে আবদুল্লাহ বিন আব্দুর রহমান ইবনুল হারিস ইবন আবু যুবাব৩ তার পিতার বরাতে বর্ণনা
করেন যে উসমান (রা) তাদেরকে নিয়ে মিনার চার আক আত নামায আদায় করেছেন ৷
তারপর জনতারদিকে মুখ করে বলেন যে, আমি রাসুলুল্লাহ্ড্রে ণ্ক বলতে শ্যুনছি :
ব্লু ,ট্রুও ৷১া
“কোন ব্যক্তি কোন শহরে বিবাহ করলে যে ব্যক্তি সে শহরের বাসিন্দা হয়ে যায় ৷” আর
আমি সেখানে পুর্ণ নামায পড়েছি, কারণ সেখানে আগমন করার পর আমি সেখানে বিবাহ
الِاخْتِلَافِ، فَاسْتَدْعَى بِالصُّحُفِ الَّتِي كَانَ الصِّدِّيقُ أَمَرَ زَيْدَ بْنَ ثَابِتٍ بِجَمْعِهَا، وَكَانَتْ عِنْدَ الصِّدِّيقِ أَيَّامَ حَيَاتِهِ، ثُمَّ كَانَتْ عِنْدَ عُمَرَ، فَلَمَّا تُوُفِّيَ صَارَتْ إِلَى حَفْصَةَ أُمِّ الْمُؤْمِنِينَ، فَاسْتَدْعَى بِهَا عُثْمَانُ وَأَمَرَ زَيْدَ بْنَ ثَابِتٍ الْأَنْصَارِيَّ أَنْ يَكْتُبَ، وَأَنْ يُمْلِيَ عَلَيْهِ سَعِيدُ بْنُ الْعَاصِ الْأُمَوِيُّ، بِحَضْرَةِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الزُّبَيْرِ الْأَسَدِيِّ وَعَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ الْحَارِثِ بْنِ هِشَامٍ الْمَخْزُومِيِّ، وَأَمَرَهُمْ إِذَا اخْتَلَفُوا فِي شَيْءٍ أَنْ يَكْتُبُوهُ بِلُغَةِ قُرَيْشٍ، فَكَتَبَ لِأَهْلِ الشَّامِ مُصْحَفًا وَلِأَهْلِ مِصْرَ آخَرَ، وَبَعَثَ إِلَى الْبَصْرَةِ مُصْحَفًا وَإِلَى الْكُوفَةِ بِآخَرَ، وَأَرْسَلَ إِلَى مَكَّةَ مُصْحَفًا وَإِلَى الْيَمَنِ مِثْلَهُ، وَأَقَرَّ بِالْمَدِينَةِ مُصْحَفًا، وَيُقَالُ لِهَذِهِ الْمَصَاحِفِ: الْأَئِمَّةُ. وَلَيْسَتْ كُلُّهَا بِخَطِّ عُثْمَانَ، بَلْ وَلَا وَاحِدٌ مِنْهَا، وَإِنَّمَا هِيَ بِخَطِّ زَيْدِ بْنِ ثَابِتٍ، وَإِنَّمَا يُقَالُ لَهَا: الْمَصَاحِفُ الْعُثْمَانِيَّةُ ; نِسْبَةً إِلَى أَمْرِهِ وَزَمَانِهِ وَإِمَارَتِهِ. كَمَا يُقَالُ: دِينَارٌ هِرَقْلِيُّ. أَيْ ضُرِبَ فِي زَمَانِهِ وَدَوْلَتِهِ.
وَقَالَ الْوَاقِدِيُّ: حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي سَبْرَةَ، عَنْ سُهَيْلِ بْنِ أَبِي صَالِحٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ - وَرَوَاهُ غَيْرُهُ، مِنْ وَجْهٍ آخَرَ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ - قَالَ: «لَمَّا نَسَخَ عُثْمَانُ الْمَصَاحِفَ دَخَلَ عَلَيْهِ أَبُو هُرَيْرَةَ، فَقَالَ: أَصَبْتَ وَوُفِّقْتَ، أَشْهَدُ لَسَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، يَقُولُ: " إِنَّ أَشَدَّ أُمَّتِي حُبًّا لِي قَوْمٌ يَأْتُونَ مِنْ بَعْدِي يُؤْمِنُونَ بِي وَلَمْ يَرَوْنِي يَعْمَلُونَ بِمَا فِي الْوَرَقِ الْمُعَلَّقِ " فَقُلْتُ: أَيُّ وَرَقٍ؟ حَتَّى رَأَيْتُ الْمَصَاحِفَ. قَالَ: فَأَعْجَبَ ذَلِكَ عُثْمَانَ، وَأَمَرَ لِأَبِي هُرَيْرَةَ بِعَشَرَةِ آلَافٍ، وَقَالَ:
পৃষ্ঠা - ৫৮৯১
করেছি ৷ আর এ হাদীসঢি সহীহ নয় ৷ কারণ, রাসুলুল্লাহ্ ষ্ঘ্নেউমৃরাতৃল কাষায় হযরত মায়মুনা
(রা) কে বিবাহ করেন ৷ কিন্তু তিনি তো তখন সেখানে পুরো নামায আদায় করেন নি ৷ কেউ
কেউ বলেন, হযরত ৩উসমান (রা) এর এ ব্যাখ্যা করেছেন যে, তিনি সেখানেই থাকুন না কেন,
সেখানেই তো তিনি আমীরুল মু মিনীন ৷ আর এভাবেই হযরত আয়িশা ব্যাখ্যা করে পুর্ণ নামায
আদায় করেছেন ৷ কিংব্লু৷ তাদের এ ব্যাখ্যা সম্বন্ধেও কথা থেকে যায় ৷ কারণ রাসুলুল্পাহ্ড়াে
যেখানেই থাকেন, তিনি রাসুলই থাকেন; তা সত্বেও তিনি সফরে পুর্ণ নামায আদায় করেন নি ৷
আর হযরত উসমান (বা) যে ৰিষয়টার উপর আস্থা রাখতে ন তা এই যে, তিনি প্রতি বছর
(হম্ভজ্জর) মৌসুমে গভর্নরদের উপস্থিতি বাধ্যতামুলক করেছিলেন এবং তিনি প্ৰজাদের লিখে
জানান যে, তাদের মধ্যে যে ব্যক্তির অধিকার হরণ হয়েছে সে যেন উপস্থিত হয় (হজ্ঞোর)
মৌসুমে, আমি শাসনকর্তার নিকট থেকে তার অধিকার আদায় করেদেবাে ৷
আর উসমান (রা) অনেক বড় বড় সাহাবীকে অনুমতি দান করেছিলেন, তারা যে কোন
শহরে ইচ্ছা সফর করতে পারতেন ৷ পক্ষান্তরে হযরত উমর (বা) এ ব্যাপারে তাদের উপর
কড়াকড়ি আরোপ করেছিলেন ৷ এমনকি যুদ্ধে যোগদানের ক্ষেত্রেও তিনি কড়াকাড়ি আরোপ
করেন ৷ তিনি বলতেন :
“আমার আশংকা হয় যে, তোমরা তাে দুনিয়া দেখবে আর দুনিয়ার সন্তানরা দেখবে
তােমৰুদেরকে ৷’ কিন্তু উসমান (রা)-এর শাসনকালে তারা যখন বের হন তখন তাদের কাছে
লােকন্ধ্ৰ,ন জড়ো হয় ৷ আর প্রত্যেকের সাথী জুটে এবং উসমান (রা)-এর পর প্রত্যেবেইি আশা
পেষেণ করে যে, তার সঙ্গীই নেতৃত্ব কর্তৃতু লাভ করবেন ৷ আর এ কারণেই তারা তাড়াতাড়ি
তার শুভ্যুপ্ কামনা করে এবং তার জীবনকাল তাদের নিকট দীর্ঘ ঠেকে ৷ শেষ পর্যন্ত কোন কোন
শহরের বাসিন্দাদের দ্বারা বিস্ময়কর ঘটনা সংঘটিত হয় যে সম্পর্কে ইতিপুর্বে আলোচনা করা
হয়েছে ৷
প্রুা৷ ,ন্ৰুন্৷ ৷ এে
ট্রট্রুা;;ট্রু ৷
আমরা সকলেই আল্লাহর জন্য, তার সমীপেই ফিরে যেতে হবে আমাদেরকে ৷ মহা
প্রতাপশালী মহাজ্ঞা ৷নী অ ৷ল্লাহ্ ছাড়া কারো কোন ক্ষমতা নেই ৷ যিনি সর্বোচ্চ তিস্টিং শ্রেষ্ঠ ৷
উসমান (না)-এর শ্রী, পুত্র-কন্যা প্রসঙ্গ
রাসুলুল্লাহ্মোঃ এর কন্যা রুকাইয়্যা (রা)-কে তিনি বিবাহ করেন ৷ তার গর্ভে তার এক
পুত্র সন্তান আবদুল্লাহ্র জন্ম হয় ৷ এ সন্তানের নামানুসারে তিনি (আবু আব্দুল্লাহ) কুনিয়াত বা
উপন;ম ধারণ করেন ৷ আর জাহিলী যুগে তার কুনিয়াত ছিল আবু আমৃর ৷ রুকাইয়্যা ইন্তিকাল
করলে তিনি তার শ্রীর বোন উম্মে কুলসুম (রা)-কে বিবাহ করেন ৷ ইনি ইস্তিকাল করলে তিনি
কাথ্তা বিনৃত গাযওয়ান ইবন জাবিরকে বিবাহ করেন ৷ এর গর্ভে তার উবড়ায়দুল্লাহ আল-
আসগর নামে এক পুত্র সন্তানের জন্ম হয় ৷ তারপর তিনি বিবাহ করেন উম্মু অড়াম্র বিনৃত জুন্দুব
وَاللَّهِ مَا عَلِمْتُ أَنَّكَ لَتَحْبِسُ عَلَيْنَا حَدِيثَ نَبِيِّنَا، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ. ثُمَّ عَمَدَ إِلَى بَقِيَّةِ الْمَصَاحِفِ الَّتِي بِأَيْدِي النَّاسِ مِمَّا يُخَالِفُ مَا كَتَبَهُ فَحَرَقَهُ ; لِئَلَّا يَقَعَ بِسَبَبِهِ اخْتِلَافٌ» ، فَقَالَ أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي دَاوُدَ فِي كِتَابِ " الْمَصَاحِفِ ": حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، ثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ جَعْفَرٍ وَعَبْدُ الرَّحْمَنِ قَالَا: ثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ عَلْقَمَةَ بْنِ مَرْثَدٍ، عَنْ رَجُلٍ، عَنْ سُوَيْدِ بْنِ غَفَلَةَ قَالَ: قَالَ لِي عَلِيٌّ حِينَ حَرَقَ عُثْمَانُ الْمَصَاحِفَ: لَوْ لَمْ يَصْنَعْهُ هُوَ لَصَنَعْتُهُ. وَهَكَذَا رَوَاهُ أَبُو دَاوُدَ الطَّيَالِسِيُّ، وَعَمْرُو بْنُ مَرْزُوقٍ، عَنْ شُعْبَةَ مِثْلَهُ. وَقَدْ رَوَاهُ الْبَيْهَقِيُّ وَغَيْرُهُ، مِنْ حَدِيثِ مُحَمَّدِ بْنِ أَبَانَ - زَوْجِ أُخْتِ حُسَيْنٍ - عَنْ عَلْقَمَةَ بْنِ مَرْثَدٍ قَالَ: سَمِعْتُ الْعَيْزَارَ بْنَ جَرْوَلَ، سَمِعْتُ سُوِيدَ بْنَ غَفَلَةَ قَالَ: قَالَ عَلِيٌّ: أَيُّهَا النَّاسُ، إِيَّاكُمْ وَالْغُلُوَّ فِي عُثْمَانَ، يَقُولُونَ: حَرَقَ الْمَصَاحِفَ. وَاللَّهِ مَا حَرَقَهَا إِلَّا عَنْ مَلَأٍ مِنْ أَصْحَابِ مُحَمَّدٍ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَلَوْ وَلِيتُ مِثْلَ مَا وَلِيَ لَفَعَلْتُ مِثْلَ الَّذِي فَعَلَ.
পৃষ্ঠা - ৫৮৯২
ইবন আমৃর আল-আযদিয়াকে ৷ এর গর্ভে উমর, খালি দ, আবান এবং মারইয়ামের জন্ম হয় ৷
তারপর তিনি বিবাহ করেন ফাতিমা বিনতুল ওয়ালীদ ইবন আবদ শাম্স আল-মাখৃবুমিয়াকে
এবং এর গর্ভে দৃট্জ্জা পুত্র সন্তান ওয়ালীদ এবং সাঈদের জন্ম হয় ৷
এরপর তিনি বিবাহ করেন উম্মুল বানীন ৰিনৃত উয়ইিনা ইবন হিসান আল-ফাযারিয়াকে
এবং এর গর্ভে আব্দুল মালিকের জন্ম হয় ৷ কেউ কেউ বলেন, এর গর্ভে উতবারও জন্ম হয় ৷
এরপর তিনি বিবাহ করেন রামলা ৰিনৃত শায়বা ইবন রবীআ ইবন আবদ শাম্স ইবন অব্দে
মানাফ ইবনংকুসাইকে এবং এর গর্তোআঃয়শা, উম্মু জানান এবং উন্মু আম্রৰুন্যুমে, তিনজন কন্যা ৰু-ৰুণ্ৰুৰু
সন্তানের জন্ম হয় ৷“ এরপর তিনি বিবাহ করেন নায়েলা বিনতৃল ফারাকিসা ইবনুল আহওয়াস
ইবন আম্র ইবন সালাবা ইবন হিসৃন ইবন যামযাম ইবন আদী ইবন হাইয়্যান ইবন
কুলাইবকে ৷ এর গর্ভে তার এক কন্যা সন্তান মতান্তরে আম্বাসা নামে কন্যা সন্তানের জন্ম হয় ৷
নিহত হওয়ার সময় তার চারজন শ্রী ছিলেন ৷ তারা হলেন নায়েলা, রামলা , উম্মুল বানীন এবং
ফাখৃতা ৷ কারো কারো মতে অবরোধকালে তিনি উম্মুল বানীনকে তালাক দেন ৷
রাসুলুল্লাহ্ হুখৃষ্ণ্ন্ৰুট্রু এর একটি হাদীস ইতিপুর্বে দালাইলুন নুবুওয়াত’ অধ্যায়ে একটি হাদীস
বর্ণিত হয়েছে, যা ইমাম আহমদ (র) এবং ইমাম আবু দাউদ (র) সুফিয়ান সাওরী
আব্দুল্লাহ ইবন মাসউদ সুত্রে বর্ণনা করেন যে, রাসুলে করীমড্রো বলেছেন :
ইসলামের চাকা ঘুরবে ৩৫, ৩৬ বা ৩৭ বছরে ৷ তা যদি ধ্বংস হয় তবে তা হবে সে
পখেই, আর যদি তাদের দীন টিকে থাকে তবে তা থাকবে ৭০ বছর ৷ তখন উমর (রা)
বললেন, ইয়া রাসুলাল্লাহ্ ৷ যা গত হয়েছে তা নিয়ে, না যা অবশিষ্ট আছে তা নিয়ো তিনি
বললেন, বরং যা অবশিষ্ট আছে, তা নিয়ে ৷ ইযারুম আহমদ ও আবু দাউদের ভাষায় বলা হয়েছেঃ
৩৫ বা ৩৬ বহ্ব ইসলামের চাকা আবর্তিত হবে ৷ আর এই সন্দেহ বর্ণনড়াকারীর পক্ষ
থেকে ৷ আর মুলত সংরক্ষিত হচ্ছে ৩৫ বছর ৷ আর এই ৩৫ বছরের মাথায়ই হযরত উসমান
(বা) নিহত হন ৷ এটিইি বিশুদ্ধ কথা ৷ জ্যি মতে ৩৬ সালের মাথায় আমীরুলমুমিনীন উসমান-’
(বা) নিহত হয়েছেন ৷ প্রথম মতঢিই বিশুদ্ধ ৷ আর তখন বীতৎস কাণ্ড ঘটে যায় ৷ তবে আল্লাহ্
তাআলা তীর শক্তি আর ক্ষমতা বলে রক্ষা করেছেন ৷ তইি অতি দ্রুত লোকেরা আলী ইবন
আবু তালিবের হাতে বায়আত করে ৷ আল্লাহ্ তার প্রতি সস্তুষ্ট থাকুন ৷ ব্যাপার ঠিকঠাক হয়ে
যায় এবং অস্থিরতা দুর হয়ে স্থিরতা ফিরে আসে ৷ কিন্তু উটের যুদ্ধ আর সিফ্ফিনের ময়দানে
এমন কিছু ঘটনা ঘটে যার, যা আমরা শিগগিরই বর্ণনা করবো ইনশ্যঅলোঃহ্ তাআল৷ ৷
উসমান (রা) এর শাসনামলে যাদের ইনতিকাল হয় এবং যাদের ওফাতের তারিখ নির্দিষ্ট
করে জানা নেই ৷
৫০
وَقَدْ رُوِيَ عَنِ ابْنِ مَسْعُودٍ أَنَّهُ تَعَتَّبَ لَمَّا أُخِذَ مِنْهُ مُصْحَفُهُ فَحُرِّقَ، وَتَكَلَّمَ فِي تَقَدُّمِ إِسْلَامِهِ عَلَى زَيْدِ بْنِ ثَابِتٍ الَّذِي كَتَبَ الْمَصَاحِفَ، وَأَمَرَ أَصْحَابَهُ أَنْ يَغُلُّوا مَصَاحِفَهُمْ، وَتَلَا قَوْلَهُ تَعَالَى {وَمَنْ يَغْلُلْ يَأْتِ بِمَا غَلَّ يَوْمَ الْقِيَامَةِ} [آل عمران: 161] فَكَتَبَ إِلَيْهِ عُثْمَانُ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، يَدْعُوهُ إِلَى اتِّبَاعِ الصَّحَابَةِ فِيمَا أَجْمَعُوا عَلَيْهِ مِنَ الْمَصْلَحَةِ فِي ذَلِكَ، وَجَمْعِ الْكَلِمَةِ، وَعَدَمِ الِاخْتِلَافِ، فَأَنَابَ وَأَجَابَ إِلَى الْمُتَابَعَةِ وَتَرَكَ الْمُخَالَفَةَ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمْ أَجْمَعِينَ.
وَقَدْ قَالَ أَبُو إِسْحَاقَ: عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ يَزِيدَ أَنَّ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ مَسْعُودٍ دَخَلَ مَسْجِدَ مِنًى، فَقَالَ: كَمْ صَلَّى أَمِيرُ الْمُؤْمِنِينَ الظُّهْرَ؟ قَالُوا: أَرْبَعًا. فَصَلَّى ابْنُ مَسْعُودٍ أَرْبَعًا، فَقَالُوا: أَلَمْ تُحَدِّثْنَا أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَأَبَا بَكْرٍ وَعُمَرَ صَلَّوْا رَكْعَتَيْنِ؟ فَقَالَ: نَعَمْ، وَأَنَا أُحَدِّثُكُمُوهُ الْآنَ، وَلَكِنْ أَكْرَهُ الِاخْتِلَافَ.
وَفِي " الصَّحِيحِ " أَنَّ ابْنَ مَسْعُودٍ قَالَ: لَيْتَ حَظِّي مِنْ أَرْبَعِ رَكَعَاتٍ رَكْعَتَانِ مُتَقَبَّلَتَانِ.
وَقَالَ الْأَعْمَشُ: حَدَّثَنِي مُعَاوِيَةُ بْنُ قُرَّةَ - بِوَاسِطٍ - عَنْ أَشْيَاخِهِ قَالُوا: صَلَّى عُثْمَانُ الظُّهْرَ بِمِنًى أَرْبَعًا، فَبَلَغَ ذَلِكَ ابْنَ مَسْعُودٍ، فَعَابَ عَلَيْهِ، ثُمَّ صَلَّى بِأَصْحَابِهِ الْعَصْرَ فِي رَحْلِهِ أَرْبَعًا، فَقِيلَ لَهُ: عِبْتَ عَلَى عُثْمَانَ وَصَلَّيْتَ أَرْبَعًا؟ فَقَالَ: إِنِّي أَكْرَهُ الْخِلَافَ. وَفِي رِوَايَةٍ: الْخِلَافُ شَرٌّ. فَإِذَا كَانَ هَذَا مُتَابَعَةً مِنَ
পৃষ্ঠা - ৫৮৯৩
ابْنِ مَسْعُودٍ عُثْمَانَ فِي هَذَا الْفَرْعِ، فَكَيْفَ بِمُتَابَعَتِهِ إِيَّاهُ فِي أَصْلِ الْقُرْآنِ، وَالِاقْتِدَاءِ بِهِ فِي التِّلَاوَةِ الَّتِي عَزَمَ عَلَى النَّاسِ أَنْ يَقْرَأُوا بِهَا لَا بِغَيْرِهَا؟ وَقَدْ حَكَى الزُّهْرِيُّ وَغَيْرُهُ أَنَّ عُثْمَانَ إِنَّمَا أَتَمَّ الصَّلَاةَ خَشْيَةً عَلَى الْأَعْرَابِ أَنْ يَعْتَقِدُوا أَنَّ فَرْضَ الصَّلَاةِ رَكْعَتَانِ. وَقِيلَ: بَلْ قَدْ تَأَهَّلَ بِمَكَّةَ. فَرَوَى أَبُو يَعْلَى وَغَيْرُهُ، مِنْ حَدِيثِ عِكْرِمَةَ بْنِ إِبْرَاهِيمَ، حَدَّثَنِي عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ الْحَارِثِ بْنِ أَبِي ذُبَابٍ، عَنْ أَبِيهِ أَنَّ عُثْمَانَ صَلَّى بِهِمْ بِمِنًى أَرْبَعَ رَكَعَاتٍ، ثُمَّ أَقْبَلَ عَلَيْهِمْ، فَقَالَ: إِنِّي سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، يَقُولُ: «إِذَا تَزَوَّجَ الرَّجُلُ بِبَلَدٍ فَهُوَ مِنْ أَهْلِهِ» وَإِنِّي أَتْمَمْتُ لِأَنِّي تَزَوَّجْتُ بِهَا مُنْذُ قَدِمْتُهَا. وَهَذَا الْحَدِيثُ لَا يَصِحُّ، وَقَدْ تَزَوَّجَ رَسُولُ اللَّهِ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فِي عُمْرَةِ الْقَضَاءِ بِمَيْمُونَةَ بِنْتِ الْحَارِثِ وَلَمْ يُتِمَّ الصَّلَاةَ. وَقَدْ قِيلَ: إِنَّ عُثْمَانَ تَأَوَّلَ أَنَّهُ أَمِيرُ الْمُؤْمِنِينَ حَيْثُ كَانَ. وَهَكَذَا تَأَوَّلَتْ عَائِشَةُ فَأَتَمَّتْ. وَفِي هَذَا التَّأْوِيلِ نَظَرٌ ; فَإِنَّ رَسُولَ اللَّهِ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، هُوَ رَسُولُ اللَّهِ حَيْثُ كَانَ، وَمَعَ هَذَا مَا أَتَمَّ الصَّلَاةَ فِي الْأَسْفَارِ.
وَمِمَّا كَانَ يَعْتَمِدُهُ عُثْمَانُ بْنُ عَفَّانَ أَنَّهُ كَانَ يُلْزِمُ عُمَّالَهُ بِحُضُورِ الْمَوْسِمِ كُلَّ عَامٍ، وَيَكْتُبُ إِلَى الرَّعَايَا: مَنْ كَانَتْ لَهُ عِنْدَ أَحَدٍ مِنْهُمْ مَظْلِمَةٌ فَلْيُوَافِ إِلَى الْمَوْسِمِ، فَإِنِّي آخُذُ لَهُ حَقَّهُ مِنْ عَامِلِهِ. وَكَانَ عُثْمَانُ قَدْ سَمَحَ لِكَثِيرٍ مِنْ كِبَارِ الصَّحَابَةِ فِي الْمَسِيرِ حَيْثُ شَاءُوا مِنَ الْبِلَادِ، وَكَانَ عُمَرُ يَحْجُرُ عَلَيْهِمْ فِي ذَلِكَ، حَتَّى وَلَا فِي الْغَزْوِ وَيَقُولُ: إِنِّي أَخَافُ أَنْ تَرَوُا الدُّنْيَا أَوْ أَنْ يَرَاكُمْ أَبْنَاؤُهَا. فَلَمَّا
পৃষ্ঠা - ৫৮৯৪
১ আনাস ইবন মুআয ইবন আনাস ইবন কায়স আল-আনসারী অড়ান-নাজ্জারী : ইনি
সকল যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন ৷ আল্লাহর তার প্রতি সন্তুষ্ট থাকুন ৷
২ আওস ইবনুস সামিত ৷ উবাদা ইবনুস সামিত আনসারীর তাই ৷ বদর যুদ্ধে অংশগ্নহণ
করেন ৷ আল্লাহ্ তাআলার বাণী :
ব্লু;;ব্লু ১১
(
আল্লাহ্ অবশ্যই শ্রবণ করেছেন যে নারীর কথা, যে তার স্বামীর ব্যাপারে তোমার সঙ্গে
বিতণ্ডা করছে এবং আল্লাহর নিকট ফবিয়াদ করছে ৷ আর আল্লাহ শ্রবণ করেন তোমাদের
সংলাপ, আর আল্লাহ্ সর্বশ্রেড়াতা, সর্বদ্রষ্ট৷ (মুজাদালা ৫৮৪ ১) ৷ আলোচ্য আয়াতে বর্ণিত
বিতণ্ডাকারী নারীর স্বামী হলেন আওস ৷ আর তার শ্রী ছিলেন খাওলা বিনুত সা লাৰা ৷
৩ আওস ইবন খাওলী আনসারী ৷ ইনি বনী হুবলার সদস্য ৷ ইনি বদর যুদ্ধে অংশ্যাহণ
করেছেন ৷ আনসারদের মধ্যে রাসুলুল্পাহ্মোঃ এর গোসল এবং রাসুলের স্বজনদের সাথে কবরে
অবতরণকারীদের মধ্যে তিনি একক ব্যক্তিত্ব ৷
৪ আল-হ্ব ইবন কায়স ৷ ইনি ছিলেন আনসারদের মধ্যে সর্দার ৷ কিন্তু ইনি ছিলেন কৃপণ
এবং নিফাকের অভিযোগে অভিযুক্ত ৷ কথিত আছে যে, ইনি বায়আতৃর রিদওয়ানে উপস্থিত
থেকেও বায়আত করেন নি ৷ বরং তিনি নিজের উটের আড়ালে আত্মগােপন করে থাকেন ৷ আর
তার সষ্পর্কেই কুরআন মজীদের নিম্নোক্ত আয়াত নাযিল হয় :
শ্শ্শ্শ্শ্শ্শ্ : ৷, ধ্
( ষ্ষ্ণ্
আর তাদের মধ্যে এমন লোকও আছে যে বলে, আমাকে অব্যাহতি দাও এবং আমাকে
বিপদে ফেলবে না সাবধান! ওরইি বিপদে পতিত হয়েছে আর জাহান্নামতো পরিবেষ্টন করেই
রয়েছে কাফিরদেরকে (তাওৰা ৯ : ৪৯) ৷ কারো কারো মতে তিনি তাওব৷ করে ইসলামে ফিরে
আসেন ৷ মহান আল্লাহ্ই ভাল জানেন ৷
৫ প্রসিদ্ধ করি আল-হাতিয়া ৷ কারো কারো মতে তার নাম জারওয়াল ৷ তিনি আবু
মুলইিকা কুনিয়াতে পরিচিত ৷ বনু আবাস গোত্রের এ সদস্য জাহিলী যুগ এবং ইসলামী যুগের
প্রথম দিক পেয়েছিলেন ৷ বিভিন্ন অঞ্চলে ঘুরে বেড়িয়ে তিনি শাসকদের প্রশংসা করে
দান-দক্ষিণা লাভ করতেন ৷ বলা হয় যে, তা সত্বেও ইনি ছিলেন কৃপণ ৷ একদা সফরকালে
শ্রীকে বিদায় জানান এই বলে :
বছর গণনা করবে যখন আমি বহির্পত হই অনুপন্থিতির ভরে ৷ আর ত্যাগ কর মাসগুলি
(গণনা করা) ৷ কারণ,মাসভাে ক্ষীণ ! তিনি প্রশংসা আর নিন্দা উভয়ই করতে পারতেন ৷ তার
কিছু উত্তম কবিতা আছে ৷ আমীরুল মু’মিনীন উমর ইবনুল খাত্তাব (রা)-এর সম্মুখে পঠিত
কবিতার মধ্যে তিনি পছন্দ করেছেন এমন একটা কবিতা এই :
خَرَجُوا فِي زَمَانِ عُثْمَانَ اجْتَمَعَ عَلَيْهِمُ النَّاسُ، وَصَارَ لِكُلِّ وَاحِدٍ أَصْحَابٌ، وَطَمِعَ كُلُّ قَوْمٍ فِي تَوْلِيَةِ صَاحِبِهِمُ الْإِمَارَةَ الْعَامَّةَ بَعْدَ عُثْمَانَ، فَاسْتَعْجَلُوا مَوْتَهُ، وَاسْتَطَالُوا حَيَاتَهُ، حَتَّى وَقَعَ مَا وَقَعَ مِنْ بَعْضِ أَهْلِ الْأَمْصَارِ، كَمَا تَقَدَّمَ، فَإِنَّا لِلَّهِ وَإِنَّا إِلَيْهِ رَاجِعُونَ، وَلَا حَوْلَ وَلَا قُوَّةَ إِلَّا بِاللَّهِ الْعَزِيزِ الْحَكِيمِ، الْعَلِيِّ الْعَظِيمِ.
[ذِكْرُ زَوْجَاتِهِ وَبَنِيهِ وَبَنَاتِهِ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ]
تَزَوَّجَ بِرُقَيَّةَ بِنْتِ رَسُولِ اللَّهِ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَوُلِدَ لَهُ مِنْهَا عَبْدُ اللَّهِ، وَبِهِ كَانَ يُكَنَّى، بَعْدَ مَا كَانَ يُكَنَّى فِي الْجَاهِلِيَّةِ بِأَبِي عَمْرٍو، ثُمَّ لَمَّا تُوُفِّيَتْ، تَزَوَّجَ بِأُخْتِهَا أُمِّ كُلْثُومٍ، ثُمَّ تُوُفِّيَتْ، فَتَزَوَّجَ بِفَاخِتَةَ بِنْتِ غَزْوَانَ بْنِ جَابِرٍ، فَوُلِدَ لَهُ مِنْهَا عُبَيْدُ اللَّهِ الْأَصْغَرُ. وَتَزَوَّجَ بِأُمِّ عَمْرٍو بِنْتِ جُنْدُبِ بْنِ عَمْرٍو الْأَزْدِيَّةِ، فَوَلَدَتْ لَهُ عَمْرًا، وَخَالِدًا، وَأَبَانَ وَعُمَرَ، وَمَرْيَمَ، وَتَزَوَّجَ بِفَاطِمَةَ بِنْتِ الْوَلِيدِ بْنِ عَبْدِ شَمْسٍ الْمَخْزُومِيَّةِ، فَوَلَدَتْ لَهُ الْوَلِيدَ وَسَعِيدًا. وَتَزَوَّجَ أُمَّ الْبَنِينَ بِنْتَ عُيَيْنَةَ بْنِ حِصْنٍ الْفِزَارِيَّةَ، فَوَلَدَتْ لَهُ عَبْدَ الْمَلِكِ، وَيُقَالُ: وَعُتْبَةَ. وَتَزَوَّجَ رَمْلَةَ بِنْتَ شَيْبَةَ بْنِ رَبِيعَةَ بْنِ عَبْدِ شَمْسِ بْنِ عَبْدِ مَنَافِ بْنِ قُصَيٍّ، فَوَلَدَتْ لَهُ عَائِشَةَ، وَأُمَّ أَبَانَ، وَأُمَّ عَمْرٍو ; بَنَاتِ عُثْمَانَ. وَتَزَوَّجَ نَائِلَةَ بِنْتَ الْفَرَافِصَةِ بْنِ الْأَحْوَصِ بْنِ عَمْرِو بْنِ ثَعْلَبَةَ بْنِ حِصْنِ بْنِ ضَمْضَمِ بْنِ عَدِيِّ بْنِ جَنَابِ بْنِ كَلْبٍ، فَوَلَدَتْ لَهُ مَرْيَمَ وَيُقَالُ: وَعَنْبَسَةَ.
পৃষ্ঠা - ৫৮৯৫
যে ভাল কাজ করবে যে এর পুরস্কার হারাবে না ৷ আল্লাহ এবং মানুষের নিকট সুনাম
বিলীন হয় না ৷’
৬ খুৰায়ব ইবন ইয়াসাফ ইবন উতবা আল আনসারী বদর যুদ্ধে অংশ্যাহণকারীদের
অন্যতম ৷
৭ সালমান ইবন রবী আ আল-রাহিলী ৷ তাকে সুহ্বা বলা হতো ৷ ইনি ছিলেন উল্লেখযোগ্য
বীর বাহাদুর এবং মশহুর ঘোড় সওয়ারদের অন্যতম ৷ উমর (রা)ও তাকে কুফায় কাযীর পদে
নিযুক্ত করেন ৷ উসমান (রা)-এর শাসনামলে তাকে তৃবইৰ্টদের সঙ্গে যুদ্ধ করার দায়িত্বে নিযুক্ত
করা হয় ৷ তুর্কী ফ্রান্সে বালঞ্জার নামক স্থানে তিনি নিহত হন ৷ সেখানে সিন্দুকে তাকে দাফন
করা হয় ৷ দৃর্ভিক্ষকালে তুর্কীরা তার উসীলায় বৃষ্টি বর্ষণ কামনা করে ৷
৮ আব্দুল্লাহ ইবন হুসাফা ইবন কায়স আল-কুরশী আসৃসাহমী ৷ তিনি এবং তার ভাই
কায়স হাবশায় হিজরত করেন ৷ ইনি ছিলেন বিশিষ্ট সাহাবীদের অন্যতম ৷ ইনিই রাসুলুল্লাহ্
মোঃ কে জিজ্ঞেস করেছিলেন :
হে আল্লাহর রাসুল ! আমার পিতা তো” আর রাসুলুল্লাহ্মোঃ কারো প্রতি অসন্তুষ্ট হলে
তাকে তার পিতা ছাড়া অন্যের নামে ডাকতেন ৷ রাসুলুল্লাহ্ভ্রু বললেন৪ তােমার পিতা
ছযাফা’ ৷ আল্লাহর রাসুল তাকে ফিগরার নিকট (দুত হিসাবে) প্রেরণ করেন ৷ আর তিনি১
বুসরার প্রধান ব্যক্তির নিকট যে পত্র হস্তান্তর করেন ৷ আর বুসরার সে প্রধান ব্যক্তি একজন
লোক মারফত র্তাকে হেরাক্লিয়াসের কাছে নিয়ে যান ৷ যা ইতিপুর্বে আলোচনা করা হয়েছে ৷
উমর ইবনুল খাত্তাবের শাসনামলে রােমকরা ৮০ জন লোকের সঙ্গে র্তাকেও বন্দী করে ৷ কুফরী
অবলম্বন করতে তারা চাপ দিলেও তিনি তা অস্বীকার করেন তখন বাদশাহ র্তাকে বলে :
আমার মাথায় চুমু দাও আমি সঙ্গী-সাথী মুসলিমসহ ৫৩ ড়ামাকে মুক্তি দেবাে ৷ তিনি তার
মাথায় চুমাে দিলে তাকে মুক্তি দেয়া হয় ৷ তিনি মুক্তি লাভ করে হযরত উমর (রা)-এর সঙ্গে
সাক্ষাৎ করতে গেলে তিনি বলেন
তোমার মাথায় চুমু খাওয়া প্রত্যেক মুসলমানের কর্তব্য ৷ এই বলে তিনি সকলের আগে তীর
মাথায় চুমু খান ৷ আল্লাহ তার প্রতি সন্তুষ্ট থাকুন ৷
৯ আব্দুল্লাহ ইবন সুরাকা ইবনুল মুতামির আল আদবী, ইনি ছিলেন উহুদ যুদ্ধে
অংশগ্রহণকারী সাহাবী ৷ যুহ্রীর ধারণা, ইনি বদর যুদ্ধেও শরীক ছিলেন ৷ আল্লাহ্ই ভাল
জানেন ৷
১ এখানে কিছু তথ্য ৰিভ্রাট হয়েছে ৷ বুসরার শাসকের নিকট ংক্রোাহক ছিলেন দিহ্য়া কালবী (দ্র হযরত
মুহাষ্মদঃ মুস্তফা মাওলানা তফাজ্জল হোসইিন (পৃ ৬৮৩)
وَقُتِلَ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، وَعِنْدَهُ أَرْبَعٌ ; نَائِلَةُ، وَرَمْلَةُ، وَأُمُّ الْبَنِينَ، وَفَاخِتَةُ. وَيُقَالُ: إِنَّهُ طَلَّقَ أُمَّ الْبَنِينَ وَهُوَ مَحْصُورٌ.
فَصْلٌ
تَقَدَّمَ فِي دَلَائِلِ النُّبُوَّةِ الْحَدِيثُ الَّذِي رَوَاهُ الْإِمَامُ أَحْمَدُ، وَأَبُو دَاوُدَ، مِنْ حَدِيثِ سُفْيَانَ الثَّوْرِيِّ، عَنْ مَنْصُورٍ، عَنْ رِبْعِيٍّ، عَنِ الْبَرَاءِ بْنِ نَاجِيَةَ الْكَاهِلِيِّ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مَسْعُودٍ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " «إِنَّ رَحَى الْإِسْلَامِ سَتَدُورُ لِخَمْسٍ وَثَلَاثِينَ، أَوْ سِتٍّ وَثَلَاثِينَ، أَوْ سَبْعٍ وَثَلَاثِينَ، فَإِنْ يَهْلِكْ فَسَبِيلُ مَا هَلَكَ، وَإِنْ يَقْمْ لَهُمْ دِينُهُمْ، يَقُمْ لَهُمْ سَبْعِينَ عَامًا ". قَالَ: فَقَالَ عُمَرُ: يَا رَسُولَ اللَّهِ أَبِمَا مَضَى أَمْ بِمَا بَقِيَ؟ قَالَ: " بَلْ بِمَا بَقِيَ» وَفِي لَفْظٍ لَهُ وَلِأَبِي دَاوُدَ: " «تَدُورُ رَحَى الْإِسْلَامِ لِخَمْسٍ وَثَلَاثِينَ، أَوْ سِتٍّ وَثَلَاثِينَ» . الْحَدِيثَ، وَكَأَنَّ هَذَا الشَّكَّ مِنَ الرَّاوِي، وَالْمَحْفُوظُ فِي نَفْسِ الْأَمْرِ: " خَمْسٍ وَثَلَاثِينَ ". فَإِنَّ فِيهَا قُتِلَ أَمِيرُ الْمُؤْمِنِينَ عُثْمَانُ، عَلَى الصَّحِيحِ. وَقِيلَ: سَنَةَ سِتٍّ وَثَلَاثِينَ. وَالصَّحِيحُ الْأَوَّلُ. وَكَانَتْ أُمُورٌ شَنِيعَةٌ فَظِيعَةٌ، وَلَكِنَّ اللَّهَ سَلَّمَ وَوَقَى بِحَوْلِهِ وَقُوَّتِهِ فَلَمْ يَكُنْ بِأَسْرَعَ مِنْ أَنْ بَايَعَ النَّاسُ عَلِيَّ بْنَ أَبِي طَالِبٍ، رَضِيَ اللَّهُ
পৃষ্ঠা - ৫৮৯৬
عَنْهُ، وَانْتَظَمَ الْأَمْرُ، وَاجْتَمَعَ الشَّمْلُ، وَلَكِنْ جَرَتْ بَعْدَ ذَلِكَ أُمُورٌ فِي يَوْمِ الْجَمَلِ وَأَيَّامِ صِفِّينَ، عَلَى مَا سَنُبَيِّنُهُ، إِنْ شَاءَ اللَّهُ تَعَالَى.
[ذِكْرُ مَنْ تُوَفِّيَ فِي زَمَانِ دَوْلَةِ عُثْمَانَ]
فَصْلٌ (ذِكْرُ مَنْ تُوُفِّيَ فِي زَمَانِ دَوْلَةِ عُثْمَانَ)
فِي ذِكْرِ مَنْ تُوُفِّيَ فِي زَمَانِ دَوْلَةِ عُثْمَانَ مِمَّنْ لَا يُعْرَفُ وَقْتُ وَفَاتِهِ عَلَى التَّعْيِينِ، عَلَى مَا ذَكَرَهُ شَيْخُنَا أَبُو عَبْدِ اللَّهِ الذَّهَبِيُّ وَغَيْرُهُ.
أَنَسُ بْنُ مُعَاذِ بْنِ أَنَسِ بْنِ قَيْسٍ الْأَنْصَارِيُّ النَّجَّارِيُّ - وَيُقَالُ لَهُ: أُنَيْسٌ أَيْضًا، شَهِدَ الْمُشَاهِدَ كُلَّهَا، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ.
أَوْسُ بْنُ الصَّامِتِ، أَخُو عُبَادَةَ بْنِ الصَّامِتِ الْأَنْصَارِيِّانِ، شَهِدَ بَدْرًا، وَأَوْسٌ هُوَ زَوْجُ الْمُجَادِلَةِ الْمَذْكُورُ فِي قَوْلِهِ تَعَالَى: {قَدْ سَمِعَ اللَّهُ قَوْلَ الَّتِي تُجَادِلُكَ فِي زَوْجِهَا وَتَشْتَكِي إِلَى اللَّهِ وَاللَّهُ يَسْمَعُ تَحَاوُرَكُمَا إِنَّ اللَّهَ سَمِيعٌ بَصِيرٌ} [المجادلة: 1] . وَأَمْرَأَتُهُ خَوْلَةُ بِنْتُ ثَعْلَبَةَ.
أَوْسُ بْنُ خَوَلِيٍّ الْأَنْصَارِيُّ، مِنْ بَنِي الْحُبَلَى، شَهِدَ بَدْرًا، وَهُوَ الْمُنْفَرِدُ مِنْ بَيْنِ الْأَنْصَارِ بِحُضُورِ غُسْلِ النَّبِيِّ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَالنُّزُولِ مَعَ أَهْلِهِ فِي قَبْرِهِ، عَلَيْهِ الصَّلَاةُ وَالسَّلَامُ.
পৃষ্ঠা - ৫৮৯৭
১ : আব্দুল্লাহ ইবন কায়স ইবন খালিদ আনসারী ৷ ইনি বদর যুদ্ধে শরীক ছিলেন ৷
১ ১ আব্দুর রহমান ইবন সহল ইবন যায়দ আনসারী আল-হারিসী ৷ উহুদ এবং পরবর্তী
যুদ্ধে শরীক ছিলেন ৷ ইবন আব্দুল বারএর মতে ইনি বদর যুদ্ধে শরীক ছিলেন ৷ উত্বা ইবন
গায্ওয়ান-এর মৃত্যুর পর উমর (রা) র্তাকে বসৃরার শাসনকর্তা নিযুক্ত করেন ৷ সাপ তাকে
দংশন করলে উমারা ইবন হাযুম তাকে ঝাড়কুক করেন ৷ ইনিই হযরত আবু বকর (রা)-কে
বলেছিলেন, যখন তার নিকট দু’জন দাদী আসে; তিনি মায়ের মাকে ৬ ভাগের এক ভাগ দেন
আর অপরজনকে বাদ দেন, যিনি ছিলেন বাপের মা ৷ তখন তিনি বলেছিলেন :
ধ্
আপনি একজনকে অংশ দিয়েছেন যে মারা গেলে ওয়ারিস হয় না, আর এমন একজনকে
বাদ দিয়েছেন, যে মারা গেলে ওয়ারিস হয় ৷ ফলে তিনি উভয়কে অংশীদার করেন ৷
১ ২ আমৃর ইবন সুরাকা ইবনুল মুতামির আলআদবী আব্দুল্লাহ ইবন সুরাকার ভইি ৷ ইনি
ছিলেন বড় বদরী ৷ কথিত আছে যে, একবার তিনি তীব্র ক্ষুধার্ত হয়ে পেটে পাথর বীধেন আর
এ অবস্থায় রাত্রি অবধি পথ অতিক্রম করেন ৷ জনৈক আরব র্তাকে সঙ্গী-সাথীসহ যেহমানদারী
করেন ৷ পরিতৃপ্ত হয়ে আহার করে তিনি সঙ্গীদেরকে বলেন :
আমার ধারণা ছিল দুই পা পেটকে বহন করে, আর এখন দেখছি যে, পেট দৃই পাকে বহন
করে ৷
১৩ উমাইর ইবন সাদ আল-আনসারী আল-আওমী ৷ ইনি ছিলেন একজন মহান
মর্যাদাবান সাহাবী ৷ অতিমাত্রায় ইবাদত বন্দেপী এবং দুনিয়া বিমুখ হওয়ার কারণে তাকে একক
ব্যক্তিত্ব মনে করা হতো ৷ আবু উবায়দা (রা)-এর সঙ্গে সিরিয়া বিজয়ে অং হণ করেন ৷ উমর
(রা)-এর শাসনামলে তিনি হিম্স এবং দামেশকে নায়িব নিযুক্ত হন ৷ উসমান (বা) তার
শাসনামলে র্তাকে পদচ্যুত করে মুআবিয়াকে গোটা সিরিয়ার শাসনকর্তা নিযুক্ত করেন ৷ তার
অনেক দীর্ঘ কাহিনী আছে ৷
১৪ উরওয়া ইবন হিযাম আবু সাঈদ আলআদবী ৷ ইনি ছিলেন চাচাতাে বোনের প্রেমে
মগ্ন করি ৷ প্রেমিকার নাম আফরা বিনৃত মুহাজির ৷ প্রেমিকার জন্য কবিতা রচনা করে তিনি
খ্যাতি লাভ করেন ৷ প্রেমিকার পরিবার হিজায থেকে সিরিয়া প্ৰস্থান করলে উরওয়াও তাদের
পশ্চাদগমন করেন ৷ চাচার নিকট বিবাহের প্রস্তাব পেশ করলে তীর দারিদ্রেক্তর কারণে তিনি
প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেন এবং অপর এক চাচাতাে ভইিয়ের সাথে তাকে বিবাহ দেন ৷ প্রেমিকার
ভালবাসা বুকে নিয়ে তিনি ধ্বংস হয়ে যান ৷ মাসারিউল উশৃশাক’ নামক গ্রন্থে এ কাহিনী উল্লেখ
আছে ৷ তার দৃটি কবিতা এ রকম ৷
الْجَدُّ بْنُ قَيْسٍ، كَانَ سَيِّدًا فِي الْأَنْصَارِ، وَلَكِنْ كَانَ بَخِيلًا وَمُتَّهَمًا بِالنِّفَاقِ، يُقَالُ: إِنَّهُ شَهِدَ يَوْمَ بَيْعَةِ الرِّضْوَانِ فَلَمْ يُبَايِعْ، وَاسْتَتَرَ بِبَعِيرٍ لَهُ. وَهُوَ الَّذِي نَزَلَ فِيهِ قَوْلُهُ تَعَالَى: {وَمِنْهُمْ مَنْ يَقُولُ ائْذَنْ لِي وَلَا تَفْتِنِّي أَلَا فِي الْفِتْنَةِ سَقَطُوا وَإِنَّ جَهَنَّمَ لَمُحِيطَةٌ بِالْكَافِرِينَ} [التوبة: 49] الْآيَةَ [التَّوْبَةِ: 49] . وَقَدْ قِيلَ: إِنَّهُ تَابَ مِنْ ذَلِكَ وَأَقْلَعَ عَنْهُ. فَاللَّهُ أَعْلَمُ.
الْحُطَيْئَةُ الشَّاعِرُ الْمَشْهُورُ، قِيلَ: اسْمُهُ جَرْوَلٌ. وَيُكَنَّى بِأَبِي مُلَيْكَةَ، مِنْ بَنِي عَبْسٍ، أَدْرَكَ أَيَّامَ الْجَاهِلِيَّةِ، وَأَدْرَكَ صَدْرًا مِنَ الْإِسْلَامِ، وَكَانَ يَطُوفُ فِي الْآفَاقِ يَمْتَدِحُ الرُّؤَسَاءَ مِنَ النَّاسِ، وَيَسْتَجْدِيهِمْ، وَيُقَالُ: كَانَ بَخِيلًا مَعَ ذَلِكَ. سَافَرَ مَرَّةً فَوَدَّعَ امْرَأَتَهُ فَقَالَ لَهَا:
عُدِّي السِّنِينَ إِذَا خَرَجْتُ لِغَيْبَةٍ ... وَدَعِي الشُّهُورَ فَإِنَّهُنَّ قِصَارُ
وَكَانَ مَدَّاحًا هَجَّاءً، وَلَهُ شِعْرٌ جَيِّدٌ، وَمِنْ شِعْرِهِ مَا قَالَهُ بَيْنَ يَدَيْ أَمِيرِ الْمُؤْمِنِينَ عُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، فَاسْتَجَادَ مِنْهُ قَوْلَهُ:
পৃষ্ঠা - ৫৮৯৮
২৬ আবু যায়দ আত্-তাঈ ৷ ইনি কবি ছিলেন ৷ তার নাম হারমালা ইবনুল মুনৃযির ৷ ইনি
ছিলেন নাসৃরানী ৷১ ওলীদ ইবন উকবার দরবারে তার যাতায়াত আর উঠাবসা ছিল ৷ তিনি
হযরত উসমান (রা) এর নিকট তাকে নিয়ে যান ৷ উসমান (রা) তাকে একটা কবিতা আবৃত্তি
করতে বললে তিনি সিংহ সম্পর্কে একটা কবিতা আবৃত্তি করে গােনান ৷ অনন্য এ কবিতা শ্রবণ
করে তিনি বলেনং
তুমি কি আজীবন সিংহের আলোচনাই ক্যাভে থাকবে : আমিতো তোমাকে একজন ভীরু
খ্রিস্টান মনে করি ৷
২ ৭ আবু সাররা ইবন আবু রিহিম আলআমিরী ৷ ইনি ছিলেন আবু সাল্মা ইবন আব্দুল
আমাদের তাই ৷ তার মাতা ছিলেন আব্দুল মুত্তালিবের কন্যা বাররা ৷ তিনি হাবশায় ইিজরত
করেন এবং বদর ও তার পরবর্তী যুদ্ধে অংশ নেন ৷ হযরত যুবাইর (রা) বলেন, রাসুলুল্লাহ্ড্ডা
এর পরে তিনি ছাড়া অন্য কোন বদরী মক্কায় বাস করার কথা আমার জানা নেই ৷ তিনি আরো
বলেন, এ সুবাদে তার পরিবারের লোকজন বদরে অবস্থান করেন ৷
২৮ আবু লুবাবা ইবন আব্দুল মুনৃষির অকােৰার রৰ্ত্রের অন্যতম নকীব ৷ জ্যিমতে হযরত
আলী (রা) এর খিলাফতকালে ইনি ইস্তিকাল করেন ৷ আল্লাহ ভাল জানেন ৷
২৯ আবু হাশিম ইবন উতবা ৷ হিজ্জী ২১ সালে মৃত্যুবরণকারীদের প্রসঙ্গে তার সম্পর্কে
আলোচনা করা হয়েছে ৷ ভিন্ন মতে ইনি উসমান (রাষ্টুণ্এর খিলাফতকালে ইন্তিকাল করেন ৷
মহান অড়াল্লাহ্ই ভাল জানেন ৷
১ অধিকাংশ প্রাচীন উৎস মতে, ইনি ব্রিণ্টান ফ্লিন, ইসলামী যুগে ঘৃঞ্জোছন; কিংন্থ ইসলাম গ্রহগ ৰহ্ব করে
ঈসায়ী হিসাৰেই মৃত্যুবরণ করেছেন (দ্রষ্টব্য : অংশৃশিয়িক্ল জ্ঞাশ শুমারা, ম্বঅেআখানী, তাল্পীধে ইবন
আসাকির এবং ইয়াকুত হামার্বী প্রণীত আল-ইরশাদ) ৷ অবশ্য তাবারীর একটা ইঙ্গিত ঐজ্জিহৃসিকাং
উপেক্ষা করে গেছেন ৷ আর তা হলো যুদ্ধের প্রতি তার আগ্রহ ও যােগতো ৷ সেতুর যুদ্ধের দিন তিনি
মুসলমানদের প্ৰতি ৰিরটি সহানুভৃতি ও আত্তরিকতা দেখান ৷ ফলে হযরত উমর (রা) ঠাকে সাদকা
আদায়ের দায়িত্বে নিয়োজিত করেন ৷ তার মৃত্যু সম্পৃর্কে অনেক কথা আছে ৷ ভ্রকলম্যান-এর মতে উসমান
(রা)-এখু খিলফ্তেকালে খ্রিষ্টান অবস্থায় তার মৃত্যু হয়েছে (তায়ীখুল আদাবিল আরাবী আরবী সাহিত্যের
ইতিহাস ১১ ৭৩) ৷
مَنْ يَفْعَلِ الْخَيْرَ لَمْ يَعْدِمْ جَوَازِيَهُ ... لَا يَذْهَبُ الْعُرْفُ بَيْنَ اللَّهِ وَالنَّاسِ
خُبَيْبُ بْنُ يَسَافِ بْنِ عِنَبَةَ الْأَنْصَارِيُّ، أَحَدُ مَنْ شَهِدَ بَدْرًا.
سَلْمَانُ بْنُ رَبِيعَةَ الْبَاهِلِيُّ، يُقَالُ: لَهُ صُحْبَةٌ. كَانَ مِنَ الشُّجْعَانِ الْأَبْطَالِ الْمَذْكُورِينَ وَالْفُرْسَانِ الْمَشْهُورِينَ، وَلَّاهُ عُمَرُ قَضَاءَ الْكُوفَةِ، ثُمَّ وَلِيَ فِي زَمَنِ عُثْمَانَ إِمْرَةً عَلَى جِهَادِ التُّرْكِ، فَقُتِلَ بِبَلَنْجَرَ، فَقَبْرُهُ هُنَاكَ فِي تَابُوتٍ يَسْتَسْقِي بِهِ التُّرْكُ إِذَا قَحَطُوا.
عَبْدُ اللَّهِ بْنُ حُذَافَةَ بْنِ قَيْسٍ الْقُرَشِيُّ السَّهْمِيُّ، هَاجَرَ هُوَ وَأَخُوهُ قَيْسٌ إِلَى الْحَبَشَةِ، وَكَانَ مِنْ سَادَاتِ الصَّحَابَةِ، وَهُوَ الْقَائِلُ: مَنْ أَبِي يَا رَسُولَ اللَّهِ؟ - وَكَانَ إِذَا لَاحَى الرِّجَالَ دُعِيَ لِغَيْرِ أَبِيهِ - فَقَالَ: " أَبُوكَ حُذَافَةُ ". وَكَانَ رَسُولُ اللَّهِ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، بَعَثَهُ إِلَى كِسْرَى، فَدَفَعَ كِتَابَهُ إِلَى عَظِيمِ بُصْرَى، فَبَعَثَ مَعَهُ مَنْ يُوَصِّلُهُ إِلَى هِرَقْلَ، كَمَا تَقَدَّمَ. وَقَدْ أَسَرَتْهُ الرُّومُ فِي زَمَنِ عُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ،
পৃষ্ঠা - ৫৮৯৯
رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، فِي جُمْلَةِ ثَمَانِينَ مِنَ الْمُسْلِمِينَ، فَأَرَادُوهُ عَلَى الْكُفْرِ فَأَبَى عَلَيْهِمْ، فَقَالَ لَهُ الْمَلِكُ: قَبِّلْ رَأْسِي وَأَنَا أُطْلِقُكَ وَمَنْ مَعَكَ مِنَ الْمُسْلِمِينَ. فَقَبَّلَ رَأْسَهُ، فَأَطْلَقَهُمْ، فَلَمَّا قَدِمَ عَلَى عُمَرَ قَالَ لَهُ: حَقٌّ عَلَى كُلِّ مُسْلِمٍ أَنْ يُقَبِّلَ رَأْسَكَ. ثُمَّ قَامَ عُمَرُ فَقَبَّلَ رَأْسَهُ، ثُمَّ قَبَّلَهُ النَّاسُ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ.
عَبْدُ اللَّهِ بْنُ سُرَاقَةَ بْنِ الْمُعْتَمِرِ الْعَدَوِيُّ، صَحَابِيٌّ أُحُدِيٌّ، وَزَعَمَ الزُّهْرِيُّ أَنَّهُ شَهِدَ بَدْرًا. فَاللَّهُ أَعْلَمُ.
عَبْدُ اللَّهِ بْنُ قَيْسِ بْنِ خَالِدٍ الْأَنْصَارِيُّ النَّجَّارِيُّ، شَهِدَ بَدْرًا.
عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ سَهْلِ بْنِ زَيْدٍ الْأَنْصَارِيُّ الْحَارِثِيُّ، شَهِدَ أُحُدًا وَمَا بَعْدَهَا، وَقَالَ ابْنُ عَبْدِ الْبَرِّ: شَهِدَ بَدْرًا. اسْتَعْمَلَهُ عُمَرُ عَلَى الْبَصْرَةِ بَعْدَ مَوْتِ عُتْبَةَ بْنِ غَزْوَانَ، وَقَدْ نَهَشَتْهُ حَيَّةٌ فَرَقَاهُ عُمَارَةُ بْنُ حَزْمٍ، وَهُوَ الْقَائِلُ لِأَبِي بَكْرٍ، وَقَدْ جَاءَتْهُ جَدَّتَانِ فَأَعْطَى السُّدُسَ أُمَّ الْأُمِّ وَتَرَكَ الْأُخْرَى وَهِيَ أُمُّ الْأَبِ - فَقَالَ لَهُ: أَعْطَيْتَ الَّتِي لَوْ مَاتَتْ لَمْ يَرِثْهَا، وَتَرَكْتَ الَّتِي لَوْ مَاتَتْ لَوَرِثَهَا. فَشَرَكَ بَيْنَهُمَا
পৃষ্ঠা - ৫৯০০
আমীরুল মু’মিনীন
তিনি হলেন আমীরুল মুমিনীন আলী ইবন আবু৩ তালিব ৷ আবু তালিবের নাম আবদ
মানাফ ইবন আবদুল মুত্তালিব ৷ আব্দুল মুত্তালিবেব নাম শায়বা ইবন হাশিম ৷ আর হাশিমের
নাম আমৃর ইবন অব্দে মানাফ ৷ আর আব্দ মানাফ এর নাম মুগীরা ইবন কুসইি, আর কুসইি-এর
নাম যায়দ ইবন কিলাব ইবন মুররা ইবন কাব ইবন লুয়াই ইবন পালিব ইবন ফিহির ইবন
মালিক ইবন নাযার ইবন কিনানা ইবন খুযায়মা ইবন মুদরিকা ইবন ইলয়াস ইবন মুযার ইবন
নিযার ইবন মা আদ ইবন আদনান ৷ আলী (বা) হলেন হাসান হুসাইনের পিতা ৷৩ তার কুনিয়াত
বা উপনাম ছিল আবু তৃরাব ৷ আবুল কাসিম আল-হাশিমীও তার কুনিয়াত ছিল ৷ ইনি ছিলেন
রড়াসুলুল্লাহ্মঃল্ল-এর চাচাতো ভইি এবং জামাত ৷ ৷ তিনি রাসুলুল্পাহ্ন্ঘ্নে: এর কন্যা ফা ৷তিমাতৃঘৃ
যাহ্রা এর স্বামী ৷ তার মাতা ছিলেন ফাতিম৷ ৰিনৃত আসাদ ইবন হাশিম ইবন আবদ মানাফ
ইবন কুসাই ৷
কথিত আছে যে, তিনি প্রথম হাশিমী নারী, যিনি হাশিমী সন্তান প্রসব করেন ৷ তালিব,
আকীল এবং জা ফর ছিলেন তার ভাই ৷ এরা সকলেই ছিলেন বয়সে তার বড় ৷ র্তাদের প্রতি
দুইজনের মধ্যে ব্যবধান ছিল ১০ বছরের ৷৩ তার দুই বোন উম্মু হানী ও জুমানা ৷ আর তারা
সকলেই ফাতিম৷ ৰিনৃত আমাদের সন্তান ৷ তিনি ইসলাম গ্রহণ করেন এবং হিজরত করেন ৷
তিনি ছিলেন জান্নাতের সুসৎবাদপ্রাপ্ত দশজনের অন্যতম এবং ৬ সদস্য বিশিষ্ট শুরার অন্যতম
সদস্য ৷ ওফাতকালে রাসুলুল্লাহ্স্পা যাদের প্রতি সন্তুষ্ট ছিলেন ইনি ছিলেন তাদের অন্যতম ৷
তিনি ছিলেন : জন থুলাফায়ে রাশেদীনের অন্যতম ৷ তার দেহের বর্ণ ছিল গমের রং এর মতো
গাঢ় ৷ তার চোখ ছিল কাত্তলেমাখা ডাগর ডাগর ৷ পেট ছিল বড় এবং মাথার সম্মুখ ভাগে ছিল
টাক ৷ তিনি ছিলেন খৰ্বাকৃতির কাছাকাছি ৷ র্তার দাড়ি ছিল দীর্ঘ ৷ ঘন, কালো এবং দীর্ঘ দীড়িতে
বুক ও র্কাধ ভর্তি ছিল ৷ বুক আর উভয় র্কাধে অনেক পশম ছিল ৷ সুদর্শন চেহারা আর হাসিমাখা
দাতের অধিকারী এই সুপুরুষ ব্যক্তি ধীরে-সৃন্থে পদচারণা করতেন ৷ ইসলামের প্রথম পর্যায়ে
সাত বছর বযসে তিনি ইসলাম গ্রহণ করেন ৷ ম৩ তাত্তার তিনি ৮ বা ৯ বা ১০ বা ১১ বা ১২ বা
১৩ বা ১৪ বা ১৫ বা ১৬ বছর বয়সে তিনি ইসলাম গ্রহণ করেন ৷ আব্দুর রাযযাক মা মার সুত্রে
কাতাদার বরাতে হাসান (র)-এর উদ্ধৃতিতে এ বর্ণনা করেন ৷
কারো কারো মতে তিনি সর্বপ্রথম ইসলাম গ্রহণ করেন ৷ বিশুদ্ধ কথা এই যে, তিনি
যুবকদের মধ্যে সর্বপ্রথম ইসলাম গ্রহণ করেন ৷ যেমন হযরত খাদীজা নারীদের মধ্যে সর্বপ্রথম
ইসলাম গ্রহণ করেন এবং ক্রীতদাসদের মধ্যে যায়দ ইবন হারিস৷ সর্বপ্রথম ইসলাম গ্রহণ করেন
عَمْرُو بْنُ سُرَاقَةَ بْنِ الْمُعْتَمِرِ الْعَدَوِيُّ، أَخُو عَبْدِ اللَّهِ بْنِ سُرَاقَةَ، وَهُوَ بَدْرِيٌّ كَبِيرٌ، رُوِيَ أَنَّهُ جَاعَ مَرَّةً فَرَبَطَ حَجَرًا عَلَى بَطْنِهِ مِنْ شِدَّةِ الْجُوعِ، وَمَشَى يَوْمَهُ ذَلِكَ إِلَى اللَّيْلِ، فَأَضَافَهُ قَوْمٌ مِنَ الْعَرَبِ وَمَنْ مَعَهُ، فَلَمَّا شَبِعَ قَالَ لِأَصْحَابِهِ: كُنْتُ أَحْسَبُ الرِّجْلَيْنِ يَحْمِلَانِ الْبَطْنَ، فَإِذَا الْبَطْنُ، يَحْمِلُ الرِّجْلَيْنِ.
عُمَيْرُ بْنُ سَعْدٍ الْأَنْصَارِيُّ الْأَوْسِيُّ، صَحَابِيٌّ جَلِيلُ الْقَدْرِ كَبِيرُ الْمَحَلِّ، كَانَ يُقَالُ لَهُ: نَسِيجُ وَحْدِهِ. لِكَثْرَةِ زَهَادَتِهِ وَعِبَادَتِهِ، شَهِدَ فَتْحَ الشَّامِ مَعَ أَبِي عُبَيْدَةَ، وَنَابَ بِحِمْصَ وَبِدِمَشْقَ أَيْضًا فِي زَمَانِ عُمَرَ، فَلَمَّا كَانَتْ خِلَافَةُ عُثْمَانَ عَزَلَهُ وَوَلَّى مُعَاوِيَةَ الشَّامَ بِكَمَالِهِ، وَلَهُ أَخْبَارٌ يَطُولُ ذِكْرُهَا.
عُرْوَةُ بْنُ حِزَامٍ، أَبُو سَعِيدٍ الْعُذْرِيُّ، كَانَ شَاعِرًا مُغْرَمًا فِي ابْنَةِ عَمٍّ لَهُ، وَهِيَ عَفْرَاءُ بِنْتُ مُهَاجِرٍ، يَقُولُ فِيهَا الشِّعْرَ، وَاشْتُهِرَ بِحُبِّهَا فَارْتَحَلَ أَهْلُهَا مِنَ الْحِجَازِ إِلَى الشَّامِ، فَتَبِعَهُمْ عُرْوَةُ فَخَطَبَهَا إِلَى عَمِّهِ فَامْتَنَعَ مِنْ تَزْوِيجِهِ لِفَقْرِهِ، وَزَوَّجَهَا بِابْنِ عَمِّهَا الْآخَرِ، فَهَلَكَ عُرْوَةُ هَذَا فِي مَحَبَّتِهَا، وَهُوَ مَذْكُورٌ فِي كِتَابِ " مُصَارِعِ الْعُشَّاقِ " وَمِنْ شِعْرِهِ فِيهَا قَوْلُهُ:
وَمَا هُوَ إِلَّا أَنْ أَرَاهَا فُجَاءَةً ... فَأُبْهَتُ حَتَّى مَا أَكَادُ أُجِيبُ
পৃষ্ঠা - ৫৯০১
وَأُصْرَفُ عَنْ رَأْيِي الَّذِي كُنْتُ أَرْتَئِي
وَأَنْسَى الَّذِي أَعْدَدْتُ حِينَ تَغِيبُ
قُطْبَةُ بْنُ عَامِرٍ، أَبُو زَيْدٍ الْأَنْصَارِيُّ، عَقَبِيٌّ بَدْرِيٌّ.
قَيْسُ بْنُ قَهْدِ بْنِ قَيْسِ بْنِ ثَعْلَبَةَ الْأَنْصَارِيُّ النَّجَّارِيُّ، لَهُ حَدِيثٌ فِي الرَّكْعَتَيْنِ قَبْلَ الْفَجْرِ. وَزَعَمَ ابْنُ مَاكُولَا أَنَّهُ شَهِدَ بَدْرًا. قَالَ مُصْعَبٌ الزُّبَيْرِيُّ: هُوَ جَدُّ يَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ الْأَنْصَارِيِّ. وَقَالَ الْأَكْثَرُونَ: بَلْ
পৃষ্ঠা - ৫৯০২
এবং স্বাধীন পুর্ণ বয়স্ক পুরুষদের মধ্যে হযরত আবু বকর (রা) সকলের আগে ইসলাম গ্রহন
করেন ৷ শৈশবে আলী (রা)-এর ইসলাম গ্রহণের কারণ এই ছিল যে, তিনি রানুলুল্লাহ্স্লোএব
তত্তাবধানে প্ৰতিপালিত হন ৷ এক বছর ক্ষুধা তাকে গ্রাস করে, যার ফলে রাসুলুল্লাহ্হ্রশ্দ্বু;ক্ট্র তাকে
তার পিতার নিকট থেকে নিজ দায়িত্বে নিয়ে আসেন ৷ এরপর থেকে তিনি রাসুলুল্লাহ্ইপ্নে; এব
নিকট অবস্থান করেন ৷ আল্পাহ্ তা জানা যখন র্তাকে সত্যসহ প্রেরণ করেন তখন হযরত
থাদীজা পরিবারের অন্যান্য লোকজনসহ ঈমান আনেন, তাদের মধ্যে আলী (রা)ও ছিলেন ৷
তার ঈমান আনয়ন ছিল লোকদের জন্য কল্যাণকর ৷ ফলে হযরত আবু বকর সিদ্দীক (রা)
ঈমান আনেন ৷ বর্ণিত আছে যে, আলী (রা) বলেছেন, আমি সর্বপ্রথম ঈমান আমি ৷ তবে এ
বর্ণনার সনদ সহীহ নয় ৷ এই অর্থে অনেক হাদীস বর্ণিত আছে, যা ইবন অড়াসাকির উল্লেখ
করেছেন ৷ তবে এর অনেকাংশই অগ্রহণযােগ্য , এর কিছা বিশুদ্ধ নয় ৷ আল্লাহ্ই সবচেয়ে ভাল
জানেন ৷
ইমাম আহমদ (র) শু “বা সুত্রে আম্র ইবন মুররার বরাভে বর্ণনা করেন যে, আনসারদের
দাসদের মধ্যে আবু হামৃযার নিকট আমি শ্যুনছি যে,৩ তিনি বলেন, যায়দ ইবন আরকামকে
বলতে শুনেছি৪ রাসুলুল্পাহ্মোঃ, এর প্রতি সর্বপ্রথম ঈমান আনেন আলী (রা) ৷ অপর এক
বর্ণনায় সর্বপ্রথম নামায আদায় করেন আলী (রা) ৷ আম্র ইবন মুররা বলেন আমি নাখঈকে
একথা বললে তিনি তা অগ্রাহ্য করেন ৷ তার মতে হযরত আবু বকর সর্বপ্রথম ইসলাম গ্রহণ
করেন ৷ মুহাম্মদ ইবন কা’ব আল-কুরাসী বলেন : নারীদের মধ্যে হযরত খাদীজা এবং পুরুষদের
মধ্যে হযরত আবু বকর এবং হযরত আলী সকলের আগে ঈমান আনেন; তবে আবু বকর (রা )
ঈমান আনা প্রকাশ করেন আর আলী (রা) ঈমান গোপন রাখেন ৷ আমি বলি, পিতার ভয়ে তিনি
ঈমান গোপন রাখেন ৷ তারপর পিতা তাকে চাচাতো ভাইয়ের সাহায্য-সহায়৩ তার নির্দেশ দেন ৷
রাসুলুল্লাহ্ফ্ল; -ৰু-এর মক্কা থেকে হিজরতের পর আলী (রা) হিজরত করেন ৷ ঋণ পরিশোধ
আমানত মালিকের ফেরত দেওয়ার কাজে রাসুলুল্লাহ্মোঃতাকে নিয়োজিত করেছিলেন ৷ এরপর
রাসুলুল্লাহ্মোঃ এর নির্দেশ পালন করেন এবং পরব হিজব ৩ করেন ৷ নবী করীমট্রুট্রুট্রুট্রু
তার এবং সহল ইবন হুনাইফের মধ্যে ভ্রাতৃৎ বন্ধন স্থাপন করেন ৷ সিয়ারও ণ্ণ্মাগ্যষী গ্রন্থ
প্রণেতা ইবন ইসহাক প্রমুখ উল্লেখ করেন যে রাসুলুল্লাহ্ম্স্;চ্ তার নিজের সঙ্গে আলী (রা)-এর
ভ্রাতৃতৃ বন্ধন স্থাপন করেন ৷ এ প্রসঙ্গে অনেক হাদীস বর্ণিত আছে, সনদের দৃর্বলতার কারণে
যার অধিকাংশই শুদ্ধ নয় ৷ এসব হাদীসের কোন কােনটিতে উল্লেখ আছে :
তুমি আমার ভাই ওয়ারিস, খলীফা এবং আমার পরে যারা আমীর হবে, তাদের মধ্যে
সর্বোত্তম ব্যক্তি ৷ এ বর্ণনা মওবু বা জাল এবং বৃখারী-মুসলিম ইত্যাদি হাদীস গ্রন্থে উল্লিখিত
প্রমাণিত হাদীসের পরিপন্থী ৷ আল্পাহ্ই ভাল জানেন ৷
হযরত আলী (রা) বদরযুদ্ধে অংশগ্রহণ করতঃ বিপুল বীরতু প্রদর্শন করেন ৷ মল্লযুদ্ধে
অবতীর্ণ হয়ে বিজয় লাভ করেন ৷ তিনি, তার “চাচা হামযা এবং চাচাতো ডইি উবায়দা ইবনুল
হারিস এবং তাদের তিনজন প্রতিপক্ষ উতবা, শায়বা এবং ওলীদ ইবন উতবা সম্পর্কে কুরআন
মজীদের নিম্নোক্ত আয়াত নাযিল হয় !
৫১
هُوَ جَدُّ أَبِي مَرْيَمَ عَبْدِ الْغَفَّارِ بْنِ الْقَاسِمِ الْكُوفِيِّ، فَاللَّهُ أَعْلَمُ.
لَبِيدُ بْنُ رَبِيعَةَ أَبُو عَقِيلٍ الْعَامِرِيُّ الشَّاعِرُ الْمَشْهُورُ. صَحَّ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، قَالَ: «أَصْدَقُ كَلِمَةٍ قَالَهَا شَاعِرٌ كَلِمَةُ لَبِيَدٍ ;
أَلَا كُلُّ شَيْءٍ مَا خَلَا اللَّهُ بَاطِلُ
.» وَتَمَامُ الْبَيْتِ:
وَكُلُّ نَعِيمٍ لَا مَحَالَةَ زَائِلُ
فَقَالَ عُثْمَانُ بْنُ مَظْعُونٍ إِلَّا نَعِيمَ الْجَنَّةِ. وَقَدْ قِيلَ: إِنَّهُ تُوُفِّيَ سَنَةَ إِحْدَى وَأَرْبَعِينَ. فَاللَّهُ أَعْلَمُ.
الْمُسَيَّبُ بْنُ حَزْنِ بْنِ أَبِي وَهْبٍ الْمَخْزُومِيُّ، شَهِدَ بَيْعَةَ الرِّضْوَانِ، وَهُوَ وَالِدُ سَعِيدِ بْنِ الْمُسَيَّبِ سَيِّدِ التَّابِعِينَ.
مُعَاذُ بْنُ عَمْرِو بْنِ الْجَمُوحِ الْأَنْصَارِيُّ، شَهِدَ بَدْرًا، وَضَرَبَ يَوْمَئِذٍ أَبَا جَهْلٍ بِسَيْفِهِ فَقَطَعَ رِجْلَهُ، وَحَمَلَ عِكْرِمَةُ بْنُ أَبِي جَهِلٍ عَلَى مُعَاذٍ هَذَا فَضَرَبَهُ بِالسَّيْفِ فَحَلَّ يَدَهُ مِنْ كَتِفِهِ، فَقَاتَلَ بَقِيَّةَ يَوْمِهِ وَهِيَ مُعَلَّقَةٌ يَسْحَبُهَا خَلْفَهُ، قَالَ مُعَاذٌ: فَلَمَّا آذَتْنِي وَضَعْتُ قَدَمِي عَلَيْهَا ثُمَّ تَمَطَّأْتُ عَلَيْهَا حَتَّى طَرَحْتُهَا، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ. وَعَاشَ بَعْدَ ذَلِكَ إِلَى هَذِهِ السَّنَةِ سَنَةِ خَمْسٍ وَثَلَاثِينَ.
পৃষ্ঠা - ৫৯০৩
# ৷
( গ্রা১
এরা দুই বিবদমান পক্ষ তাদের পালনকর্তা সম্পর্কে বিতর্ক করে (সুরা আল-হাজ্জ ২২০ ১৯) ৷
হাকাম প্রমুখ মাকসাম সুত্রে ইবন আব্বাস (রা)-এর বরাতে বর্ণনা করেনং :
বদর যুদ্ধের দিন নবী করীমৰুক্ট্রআলী (রা)-এর হাতে পতাকা তুলে দেন, আর তৃখন তার
বয়স ছিল বিশ বছর ৷ হাসান ইবন আরাফা আমার ইবন মুহাম্মদ সুত্রে সাঈদ ইবন মুহাম্মদ
হানযালীর বরাতে আবুজাফর মুহাম্মদ ইবন আলী-এর উদ্ধৃতি দিয়ে বর্ণনা করেন :
এ
বদর যুদ্ধের দিন আসমানে রিদওয়ান নামে এক ঘোষক ঘোষণা দেন যে, যুলফিকার ছাড়া
কোন তরবারি নেই এবং আলী ছাড়া কোন যুবক নেই ৷’ ইবন আসাকির বলেন, এ মুরসাল
বর্ণনা ৷
অবশ্য বদর যুদ্ধের দিন রাসুলুল্লাহ্মোঃগনীমত হিসাবে যুলফিকার তরবারিঢি লাভ করেন
এবং পরে তা আলী (রা)-কে দান করেন ৷ ইউনুস ইবন বৃকাইর মুসৃইর আলী (রা) থেকে
বর্ণনা করেন যে,
ঠো-ন্
বদর যুদ্ধের দিন আমাকে এবং আবুবররকে বলা হয় যে, তোমার সঙ্গে জিবৃরাঈল এবং
অপরজনের সঙ্গে মীকাঈল আছেন ৷ রাবী বলেন, ইসরাফীল হলেন একজন বড় ফেরেশতা, যিনি
যুদ্ধে উপস্থিত থাকেন, কিন্তু যুদ্ধ করেন না , অবশ্য তিনি যুদ্ধের সারিতে উপস্থিত থাকেন ৷
আলী (রা) উহুদ যুদ্ধেঅং শ গ্রহণ করেন এবং তিনি ডান দিকের বাহিনীর কর্ত্যতৃ ছিলেন,
পতাকা ছিল তার হাতে তারপর পতাকা যার মুল আব ইবন উমাইর-এর হাতে ৷ আর মাইসারা
তথ্য বাম দিকের দলের কর্তত্নে ছিলেন মুনষির ইবন আযর আল-আনসারী ৷ যুদ্ধে কালুব্ তথা
মুল ভাগের কর্তৃত্বে ছিলেন হামৃযা ইবন আব্দুল মুতালিব এবং পদাতিক দলের কর্ত্যতু ছিলেন
যুবাইর ইবনুল আওয়ায ৷ ত্মিমতে এ দলের কর্তৃত্বে ছিলেন মিকদাদ ইবনুল আসওয়াদ ৷ উহুদ
যুদ্ধের দিন আলী (রা) প্রচণ্ড যুদ্ধ করেন এবং সেদিন তিনি অনেক মুশরিককে হত্যা করেন ৷
রাসুলুল্লাহ্মোঃ এর মুখমগুলে আঘাতের ফলে তার দাত শহীদ হয়ে গেলে তিনি রাসুলুল্লাহ্
মোঃএর চেহারা থেকে রক্ত মুছে দেন ৷ খন্দক যুদ্ধেও তিনি অংশগ্রহণ করেন এবং এদিন তিনি
আরবের ঘোড়সওয়ার এবং তাদের খ্যাতনামা যোদ্ধা আম্র ইবন আবদ উদ আল-আমিরীকে
হত্যা করেন ৷ খন্দক যুদ্ধ প্রসঙ্গে এ বিষয়ে আলোচনা করা হয়েছে ৷ হুদায়বি য়ার সন্ধি এবং
বায়আতে রিদওয়ানে তিনি যোগদান করেন ৷ তিনি খায়বরণ্যুদ্ধেও অংশগ্রহণ করেন এবং তাতে
বিস্ময়কর ভুমিকা পালন করতঃ স্মরণীয় কীর্তি স্থাপন করেন ৷ খায়বর যুদ্ধে রাসুলুল্পাহ্জাে
বললেন :
مُحَمَّدُ بْنُ جَعْفَرِ بْنِ أَبِي طَالِبٍ، الْقُرَشِيُّ الْهَاشِمِيُّ، وُلِدَ لِأَبِيهِ وَهُوَ بِالْحَبَشَةِ، فَلَمَّا هَاجَرَ إِلَى الْمَدِينَةِ سَنَةَ خَيْبَرَ، وَتُوُفِّيَ يَوْمَ مُؤْتَةَ شَهِيدًا، جَاءَ رَسُولُ اللَّهِ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، إِلَى مَنْزِلِهِمْ، فَقَالَ لِأُمِّهِمْ أَسْمَاءَ بِنْتِ عُمَيْسٍ " ائْتِينِي بِبَنِي أَخِي ". فَجِيءَ بِهِمْ كَأَنَّهُمْ أَفْرُخٌ، فَجَعَلَ يُقَبِّلُهُمْ وَيَشُمُّهُمْ وَيَبْكِي، فَبَكَتْ أُمُّهُمْ فَقَالَ: " أَتَخَافِينَ عَلَيْهِمُ الْعَيْلَةَ وَأَنَا وَلِيُّهُمْ فِي الدُّنْيَا وَالْآخِرَةِ؟ ". ثُمَّ أَمَرَ الْحَلَّاقَ فَحَلَقَ رُءُوسَهُمْ. وَقَدْ مَاتَ مُحَمَّدٌ وَهُوَ شَابٌّ فِي أَيَّامِ عُثْمَانَ، كَمَا ذَكَرْنَا. وَزَعَمَ ابْنُ عَبْدِ الْبَرِّ أَنَّهُ تُوُفِّيَ فِي تُسْتَرَ. فَاللَّهُ أَعْلَمُ.
مَعْبَدُ بْنُ الْعَبَّاسِ بْنِ عَبْدِ الْمُطَّلِبِ، ابْنُ عَمِّ رَسُولِ اللَّهِ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ. قُتِلَ شَابًّا بِإِفْرِيقِيَّةَ مِنْ بِلَادِ الْمَغْرِبِ.
مُعَيْقِيبُ بْنُ أَبِي فَاطِمَةَ الدَّوْسِيُّ، صَاحِبُ خَاتَمِ النَّبِيِّ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، قِيلَ: تُوُفِّيَ فِي أَيَّامِ عُثْمَانَ. وَقِيلَ: قَبْلَ ذَلِكَ. وَقِيلَ: سَنَةَ أَرْبَعِينَ. وَاللَّهُ أَعْلَمُ.
مُنْقِذُ بْنُ عَمْرٍو الْأَنْصَارِيُّ، أَحَدُ بَنِي مَازِنِ بْنِ النَّجَّارِ، كَانَ قَدْ أَصَابَتْهُ آمَّةٌ فِي رَأْسِهِ فَكَسَرَتْ لِسَانَهُ، وَضَعُفَ عَقْلُهُ، وَكَانَ يُكْثِرُ مِنَ الْبَيْعِ وَالشِّرَاءِ، وَكَانَ يُغْبَنُ، فَقَالَ لَهُ النَّبِيُّ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «مَنْ بَايَعْتَ فَقُلْ: لَا خِلَابَةَ. ثُمَّ أَنْتَ
পৃষ্ঠা - ৫৯০৪
بِالْخِيَارِ فِي كُلِّ مَا تَشْتَرِيهِ ثَلَاثَةَ أَيَّامٍ» . قَالَ الشَّافِعِيُّ: كَانَ مُخَصَّصًا بِإِثْبَاتِ الْخِيَارِ ثَلَاثَةً فِي كُلِّ بَيْعٍ، سَوَاءٌ اشْتَرَطَ الْخِيَارَ أَمْ لَا.
نُعَيْمُ بْنُ مَسْعُودٍ أَبُو سَلَمَةَ الْغَطَفَانِيُّ، وَهُوَ الَّذِي خَذَّلَ بَيْنَ الْأَحْزَابِ وَبَيْنَ بَنِي قُرَيْظَةَ، كَمَا قَدَّمْنَاهُ، فَلَهُ بِذَلِكَ الْيَدُ الْبَيْضَاءُ، وَالرَّايَةُ الْعُلْيَا.
أَبُو ذُؤَيْبٍ خُوَيْلِدُ بْنُ خَالِدٍ الْهُذَلِيُّ، الشَّاعِرُ الْمَشْهُورُ، أَدْرَكَ الْجَاهِلِيَّةَ، وَأَسْلَمَ بَعْدَ مَوْتِ النَّبِيِّ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَشَهِدَ يَوْمَ السَّقِيفَةِ، وَصَلَّى عَلَى النَّبِيِّ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَكَانَ أَشْعَرَ هُذَيْلٍ، وَهُذَيْلٌ أَشْعَرُ الْعَرَبِ، وَهُوَ الْقَائِلُ:
وَإِذَا الْمَنِيَّةُ أَنْشَبَتْ أَظْفَارَهَا ... أَلْفَيْتَ كُلَّ تَمِيمَةٍ لَا تَنْفَعُ
وَتَجَلُّدِي لِلشَّامِتِينَ أُرِيهُمُ ... أَنِّي لِرَيْبِ الدَّهْرِ لَا أَتَضَعْضَعُ
تُوفِّيَ غَازِيًّا بِإِفْرِيقِيَّةَ فِي خِلَافَةِ عُثْمَانَ.
أَبُو رُهْمٍ سَبْرَةُ بْنُ عَبْدِ الْعُزَّى، الْقُرَشِيُّ الْعَامِرِيُّ. ذَكَرَهُ فِي هَذَا
পৃষ্ঠা - ৫৯০৫
মোঃখু
আপামীকাল আমি এমন এক লোকের হাতে পতাকা ভুলে দেবে৷ যে আল্লাহ এবং আল্লাহ্র
রাসুলকে তলে বাসে এবং আল্লাহ আর আল্লাহর রাসুসও যাকে ভালবাসেন ৷’ লোকেরা
আলোচনা করতে লাগলেন, রাসুলুল্লাহ্ কার হাতে পতাকা তুলে দেবেন ৷ রাসুলুল্লাহ্লোঃ ট্রুঅড়ালী
(রা) কে ডাকলেন ৷ তার চােশুখ অসুখ ছিল ৷ রাসুলুল্লাহ্মোঃ তার জন্য দু অ৷ করেন এবং চোখে
লালা লাগিয়ে দেন ৷ এরপর আর কখনো তার চোখে অসুখ দেখা দেয়নি ৷ তার চোখের অসুখ
ভাল হয়ে যায় ৷ রাসুলুল্লাহ্ত্রু তার হাতে পতাকা তুলে দেন এবং আল্লাহ তার হাতে বিজয়
দান করেন, তিনি মারহাব ইহুদীকে হত্যা করেন ৷
আর মুহাম্মদ ইবন ইসহাক আব্দুল্লাহ ইবন হাসান সুত্রে আবু রাফে থেকে বর্ণনা করেন :
;,া
ণ্ঘুষ্
জনৈক ইহুদী হযরত আলী (রা)-কে আঘাত করলে তার ঢাল পড়ে যায় ৷ তিনি দুর্গের
কাছে একটা দরজা পেয়ে তা হাতে তুলে নিয়ে ঢাল বানান ৷ আল্লাহ্ তা জানা তার হাতে বিজয়
দান পর্যন্ত দরজা তার হাতে ছিল ৷ তারপর হাত থেকে তিনি তা ছুড়ে ফেলে দেন ৷ আবু রাফে
খায়বর যুদ্ধের দিন আরো ৭ জন সঙ্গীসহ আমি সে দরজা পিঠে বহন করার চেষ্টা কার ৷
কিন্তু তাতে সক্ষম হইনি ৷ লায়স আবুজাফরের সুত্রে জাব্যিরর বরাতে বর্ণনা করেন :
১স্পো
খায়বর যুদ্ধের দিনে আলী (বা) দরজাটি পিঠে বহন করেন ৷ আর মুসলমানরা তাতে
আরোহণ করে খায়বর দুর্গ জয় করেন ৷ অথচ দরজাটি বহন করতে ৪০ জন লোক দরকার
হতো ৷ খায়বর যুদ্ধে তার বিস্ময়কর কীর্ডিং অন্যতম হচ্ছে ইহুদীদের সবচাইতে বীর বাহাদুর
অশ্বারোহী মারহাবকে তিনি হত্যা করেন ৷ তিনি উমরাতুস কাযায় অংশগ্রহণ করেন, এ প্রসঙ্গে
রাসুলুল্লাহ্মোঃর্তাকে বলেছিলেনং
তুমি আমার, আমি ভোমার ৷ যাতুল আলাম কুয়াের নিকট জিনের সঙ্গে তার যুদ্ধের যে
কাহিনী গল্পকাররা প্রণয়ন করেছে তার কোন ভিত্তি নেই ৷ এটা মুর্য গল্পকারদের রটনা ৷ এ সব
গল্প দ্বারা প্রভাবিত হয়ে না, আর যাতৃর্ল আলমজুহ্ফার নিকট একটা কুয়াের নাম ৷ মক্কা বিজয়
এবং হনাইন ও তায়িফ যুদ্ধেও তিনি অ শগ্নহণ করেন ৷ আর এসব যুদ্ধে তিনি ত্তীব্রে লড়াই
করেন ৷ তিনি জিইররানা থেকে রাসৃলুল্লা এরষ্;শ্খ, সঙ্গে উমর৷ করেন ৷ রাসুলুল্লাহ্র্চুষ্-ণ্প্ষ্ন্ শ্ তৰুক
الْفَصْلِ مُحَمَّدُ بْنُ سَعْدٍ وَحْدَهُ.
أَبُو زُبَيْدٍ الطَّائِيُّ، الشَّاعِرُ، اسْمُهُ حَرْمَلَةُ بْنُ الْمُنْذِرِ، كَانَ نَصْرَانِيًّا، وَكَانَ يُجَالِسُ الْوَلِيدَ بْنَ عُقْبَةَ، فَأَدْخَلَهُ عَلَى عُثْمَانَ، فَاسْتَنْشَدَهُ شَيْئًا مِنْ شِعْرِهِ، فَأَنْشَدَهُ قَصِيدَةً لَهُ فِي الْأَسَدِ بَدِيعَةً، فَقَالَ لَهُ عُثْمَانُ: تَفْتَأُ تَذْكُرُ الْأَسَدَ مَا حَيِيتَ؟ إِنِّي لَأَحْسَبُكَ جَبَانًا نَصْرَانِيًّا.
أَبُو سَبْرَةَ بْنُ أَبِي رُهْمٍ الْعَامِرِيُّ، أَخُو أَبِي سَلَمَةَ بْنِ عَبْدِ الْأَسَدِ، أُمُّهُمَا بَرَّةُ بِنْتُ عَبْدِ الْمُطَّلِبِ، هَاجَرَ إِلَى الْحَبَشَةِ وَشَهِدَ بَدْرًا وَمَا بَعْدَهَا. قَالَ الزُّبَيْرُ بْنُ بِكَّارٍ: لَا نَعْلَمُ بَدْرِيًّا سَكَنَ مَكَّةَ بَعْدَ النَّبِيِّ سِوَاهُ. قَالَ: وَأَهْلُهُ يُنْكِرُونَ ذَلِكَ.
পৃষ্ঠা - ৫৯০৬
أَبُو لُبَابَةَ بْنُ عَبْدِ الْمُنْذِرِ، أَحَدُ نُقَبَاءِ لَيْلَةِ الْعَقَبَةِ وَقِيلَ: إِنَّهُ تُوُفِّيَ فِي خِلَافَةِ عَلِيٍّ. وَاللَّهُ أَعْلَمُ.
أَبُو هَاشِمِ بْنُ عُتْبَةَ، تَقَدَّمَ وَفَاتُهُ فِي سَنَةِ إِحْدَى وَعِشْرِينَ. وَقِيلَ: فِي خِلَافَةِ عُثْمَانَ. وَاللَّهُ أَعْلَمُ.
পৃষ্ঠা - ৫৯০৭
অভিযানে বের হওয়ার সময় মদীনায় র্তাকে স্থলাভিষিক্ত করে যান; তখন তিনি বলেছিলেন :
ইয়া রাসুলাল্লাহ ! আপনি কি আমাকে নারী এবং শিশুদের মধ্যে স্থলাভিষিক্ত করে যাচ্ছেনঃ তখন ন্
রাসুলুল্লাহ্ :ম্পোন্বলেন :
তৃমি কি এতে সন্তুষ্ট নও যে, আমার পক্ষ থেকে তুমি এমন স্থানে থাকবে, যে স্থানে ছিলেন
মুসা (আ) এর পক্ষ থেকে হারুন (আ) ৷ তবে ব্যতিক্রম এই যে, আমার পরে কোন নবী নেই’ ৷
রাসুলুল্লাহ্স্কুদ্বুফুর্তড়াভৈক ইয়ামাংন আমীর এবং হাকিম মনোনীত করে প্রেরণ করেন আর তার সঙ্গে
ছিলেন ৰালিদ ইব নুল ওয়ালীদ ৷ বিদায় হরুজ্জর বছর৩ তিনি মক্কায় এসে রাসুলুল্লাহ্:মোঃএর সঙ্গে
মিলিত হন এবং সঙ্গে হাদী তথা কুরবানীর পশুও নিয়ে আংসন ৷ তিনি নবী করীমস্র০ষ্ দ্বুৰুট্রুঙেএর
মতো তকবীর বলেন ৷ আর রাসুলুল্লাহ্গ্যে তাকে কুরবানীর পশুতে শরীক করে নেন এবং
ইহরাম অব্যাহত রাখেন ৷ আর হ্যজ্জর আনুষ্ঠানিকতা শেষে উভয়ে ’হাদী কুরবানী করেন, যা
ইতােপুর্বে আলোচনা করা হয়েছে ৷ রাসুলুল্লাহ্ মোঃ অসুস্থ হলে হযরত আব্বাস (রা) তাকে
বলেন, রাসুলুল্লাহ্র্ন্তপু ষ্কে জিজ্ঞেস কর, র্তার পরে কে আমীর হবেন’ ৷ তিনি বললেন
“আল্লাহর কলম, এ সম্পর্কে আমি তাকে জিজ্ঞেস করবো না ৷ কারণ,৩ তিনি যদি তা থেকে
আমাদেরকে ধারণ করেন তাহলে আর কখনো লোকেরা আমাদেরকে তা দিবে না” ৷ বিশুদ্ধ ও
স্পষ্ট হাদীস প্রমাণ করে যে, রাসুলুল্লাহ্ন্ত্রতত্ত্বকে বা অন্য কাউকে খিলাফতের জন্য অসিয়ত
করে যাননি ৷ অবশ্য সিদ্দীক (রা)-এর প্রতি ইঙ্গিত করেছেন ৷ এ ব্যাপারে তিনি খুব স্পষ্ট ইঙ্গিত
করেছেন যে সম্পর্কে ইতিপুর্বেআমরা আলোচনা করেছি ৷ সমস্ত প্রশংসা আল্লহরই ৷
রাসুলুল্লাহ্ৰুট্রুম্পুআলীৱ জা; খিল্; ৷ফাতের ওসিয়ত করেছেন বলে অনেক জাহিল শীয়া এবং
গণ্ড মুর্থের দল যে মিথ্যারোপ করে রাসুলের প্ৰতি, তা সর্বৈব মিথ্যা অপবাদ বৈ কিছুই নয় ৷
এরফলে সাহাবায়ে কিরামকে খিয়ানতকারী সাব্যস্ত করা হয় এবং রাসুলের ওসিয়ত বর্জনে
সহায়তা দান এবং ওসির নিকট ওসিয়ত না পৌছাংনা এবং কোন অর্থ আর কারণ ছাড়াই
অপরের নিকট ওসিয়ত পৌহানাের অভিযোগ অনিবার্য হয়ে পড়ে ৷ আর আল্লাহ্ এবং রাসুলে
বিশ্বাসী প্রতিটি মুমিন স্বীকার করে যে, দীন ইসলাম সত্য আর এ মিখ্যাচারণে অগ্নহণযােপ্য সে
কথাও সে জানে ৷ কারণ সাহাবীরা ছিলেন নবীদের পর সৃষ্টির বসরা ৷ কুরআনের স্পষ্ট ঘোষণা
এবং পুর্বাপর সকল মনীষীর ঐকমত্যের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী দুনিয়া আর আখিরাতে মুসলিম উম্মাহ
সর্বশ্রেষ্ঠ জাতি ৷ সমস্ত প্রর্শসা আল্লাহ্রই ৷
কোন কোন সাধারণ প্রকার হাটে-বাজারে আলী (না)-এর নামে রাসুলুল্লাহ্£-হুল্ল যেসব
ওসিয়ত আদব-আখলাক, পানাহার এবং পোশাক সম্পর্কে প্রচার করে, সেসব তিত্তিহীন ৷ যেমন
তারা বলে : হে আলী, বসে পাগড়ি পরবে না, হে আলী, দাড়িয়ে পায়জামা পরবে না, হে,
আলী, দরজার দৃ বাহু ধরে র্দাড়াবে না, দরজার চৌকাঠের উপর বসবে না এবং পরিধানে রেখে
কাপড় সেলাই করবেনা এসব নিতাত অমুলক কথা, এসব জাহিল-বেকুফদের বানানো কাহিনী
মাত্র ৷ গবেট গণ্ডমুর্থ ছাড়া কেউ এসবে বিশ্বাস করতে পারে না আর এরা ছাড়া আর কেউ এসব
কথা দ্বারা প্রভাবিত হয় না ৷ রাসুলুল্পাহ্ মোঃ এর ইন্তিকালের পর তার গোসল এবং
দাফন-কাফনের যাবতীয় দায়িত্ব আলী (রা) পালন করেন, যা ইতিপুর্বে বিস্তারিত আলোচনা
[خِلَافَةُ أَمِيرِ الْمُؤْمِنِينَ عَلِيِّ بْنِ أَبِي طَالِبٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ]
وَلِنَذْكُرْ شَيْئًا مِنْ تَرْجَمَتِهِ عَلَى سَبِيلِ الِاخْتِصَارِ قَبْلَ ذَلِكَ.
هُوَ أَمِيرُ الْمُؤْمِنِينَ عَلِيُّ بْنُ أَبِي طَالِبٍ - وَاسْمُهُ عَبْدُ مَنَافٍ - بْنِ عَبْدِ الْمُطَّلِبِ - وَاسْمُهُ شَيْبَةُ - بْنِ هَاشِمٍ - وَاسْمُهُ عَمْرٌو - بْنِ عَبْدِ مَنَافٍ - وَاسْمُهُ الْمُغِيرَةُ - بْنُ قُصَيٍّ - وَاسْمُهُ زَيْدٌ - بْنِ كِلَابِ بْنِ مُرَّةَ بْنِ كَعْبِ بْنِ لُؤَيِّ بْنِ غَالِبِ بْنِ فِهْرِ بْنِ مَالِكِ بْنِ النَّضْرِ بْنِ كِنَانَةَ بْنِ خُزَيْمَةَ بْنِ مُدْرِكَةَ بْنِ إِلْيَاسَ بْنِ مُضَرَ بْنِ نِزَارِ بْنِ مَعَدِّ بْنِ عَدْنَانَ، أَبُو الْحَسَنِ وَالْحُسَيْنِ، وَيُكْنَى بِأَبِي تُرَابٍ وَأَبِي الْقَضْمِ، الْهَاشِمِيُّ، ابْنُ عَمِّ رَسُولِ اللَّهِ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَخَتَنُهُ عَلَى ابْنَتِهِ فَاطِمَةَ الزَّهْرَاءِ. وَأُمُّهُ فَاطِمَةُ بِنْتُ أَسَدِ بْنِ هَاشِمِ بْنِ عَبْدِ مَنَافِ بْنِ قُصَيٍّ. وَيُقَالُ: إِنَّهَا أَوَّلُ هَاشِمِيَّةٍ وَلَدَتْ هَاشِمِيًّا. وَكَانَ لَهُ مِنَ الْإِخْوَةِ طَالِبٌ، وَعَقِيلٌ، وَجَعْفَرٌ، وَكَانُوا أَكْبَرَ مِنْهُ، بَيْنَ كُلِّ وَاحِدٍ
পৃষ্ঠা - ৫৯০৮
করা হয়েছে ৷ সকল প্রশংসা আর কৃতজ্ঞতা আল্লাহ্রই প্রাপ্য ৷ তার ফষীলত বৈশিষ্ট্য অধ্যায়ে
আলোচনা করা হবে বদর যুদ্ধের পর তার কাছে রাসুলুল্লাহ্ড়োএর কন্যা ফাতিমাকে বিবাহ
দেওয়ার প্রসঙ্গ ৷ এ গর্ভে হাসান, হুসইিন এবং মুহসিনের জন্মগ্নহণের কথাও ইতিপুর্বে উল্লেখ
করা হয়েছে ৷ এ প্রসঙ্গে এমন অনেক বর্ণনাও রয়েছে যা বিশুদ্ধ নয়, বরং এসবের অধিকাংশই
রাফেযী এবং গল্পকারের মনগড়া রচনা ৷
ইতিপুর্বে একথাও উল্লেখ করা হয়েছে যে, সাকীফার ছিল আবুবকর সিদ্দীক (রা)-এর হাতে
বারআত প্রহণকারীদের আলী (রা)ও ছিলেন ৷ অন্যান্য বড় বড় সাহাবীর মতো আলী (রা)
হযরত আবুবকর সিদ্দীক (রা)-এর আনুগভ্যকে ফরম মনে করতেন ৷ আর এটা ছিল তার কাছে
প্রিয় কাজ ৷ ৬ মাস পরে হযরত ফাতিমা ইন্তিকাল করেন ৷ পিতার পক্ষ থেকে মীরাস না পেয়ে
তিনি হযরত আবু বকর (রা)-এর প্রতি কিছুটা অসন্তুষ্ট ছিলেন ৷ আর নৰীগণের (সম্পদের)
ওয়ারিস হয় না, এ ব্যাপারে দ্ব্যর্থহীন বাণী সম্পর্কে তার স্পষ্ট ধারণা ছিল না ৷ এ সম্পর্কে
জানতে পেরে তিনি হযরত আবু বকর (রা)-এর নিকট দাবি করেন যে, তার স্বামী সদকার’
তত্ত্বাবধায়ক হবেন, কিন্তু তিনি এ দাবিও নাকচ করেন ৷ এভেও তার মনে কিছুটা অসন্তুষ্টি থেকে
যায়, যা আমরা আগে আলোচনা করেছি ৷ এসময় তার প্রতি কিছুটা কােমলতা প্রদর্শন করা
আলী (রা)-এর জন্য আবশ্যক হয়ে পড়ে ৷
হযরত ফাতিমা (বা) এর ইনতিকালের পর আলী (রা) আবু বকর (রা) এর হাতে
বায়আত নবায়ন করেন ৷ আর হযরত আবু বকর (রা)-এর ওফাতের পর তার ওসিয়ত অনুযায়ী
হযরত উমর (রা) খিলাফতের দায়িত্বভার গ্রহণ করলে বায়আতকারীদের মধ্যে আলী (রা)ও
ছিলেন ৷ উমর (বা) বিভিন্ন বিষয়ে আলী (রা)-এৱ সঙ্গে পরামর্শ করতেন ৷ বরং বলা হয়ে থাকে
যে, উমর (র) তার খিলাফতকালে আলী (রা)-কে কাযী তথা বিচারকের পদে নিযুক্ত করেন ৷
এবং সকল বড় বড় সাহাবীসহ খলীফা উমর (রা)-এর সঙ্গে সিরিয়ার গমন করেন এবং তার
জ্যাবিয়ার ভাষণে উপস্থিত ছিলেন ৷ উমর (রা) আহত হয়ে ৬ জনের যে শুরা গঠন করেন,
তাদের অন্যতম ছিলেন আলী (রা) ৷ এর পর আলী ও উসমান (রা)-কে বাছাই করা হয় ৷ পরে
উসমান (রা)-কে আলী (রা)-এর চাইতে অগগণ্য করে খলীফা করা হয় ৷ তিনি তা মেনে নেন
এবং আনুগত্য করেন ৷ প্রসিদ্ধ উক্তিমতে ৩৫ হিজরীর ১৮ যিলহজ্জ উসমান (রা) নিহত হলে
লোকজন আলী (রা) এর প্রতি ছুটে যায় এবংর্তার হাতে বায়আত করে ৷ দিনটি ছিল শুক্রবার ৷
এ বায়আত হয় উসমান (রা)-এর দাফনের পুর্ব ৷১ মতান্তরে তার দাফনের পর বড়ায়আত হয় ৷
আলী (বা) দায়িত্ব গ্রহণে বিরত থাকেন ৷ এমনকি তিনি পলায়ন করে বনু আমৃর ইবন
মার বুল-এর বাগান পানে ছুটে যান এবং ভেতরে প্রবেশ করে দরজা বন্ধ করে দেন ৷২ লোকেরা
আগমন করে দরজার খটখট করে ভেতরে প্রবেশ করে ৷ তাদের সঙ্গে তালহা এবং যুবায়রও
১ তাবারী ও কামিলে আছে : যিলহজ্জ মাসের ৫ দিন বাকি থাকতে বায়আত করা হয় ৷ উসমান (রা)-এর
হত্যার পর ৫ দিন মদীনায় আমীর ছিলেন পাফিফী ইবন হাৱব ৷ দলে দলে লোকেরা আলী (রা)-এর নিকট
ছুটে এলে তিনি লোকদের বায়অতে গ্রহণ করেন ৷ (৩১৯৩) ৷ মুরাজুবৃ ষাহাব এরউক্তি মতে উসমান
(রা)-এৱ হত্যার দিন আলী (রা)-এৱ বায়আত হয় ৷
২ এটা তাবারীর উক্তি ৷ কামিল-এর মতে তিনি গৃহে দরজা বন্ধ করেছিলেন (৩১৯১ ) ৷
مِنْهُمْ وَبَيْنَ الْآخَرِ عَشْرُ سِنِينَ، وَلَهُ أُخْتَانِ ; أُمُّ هَانِئٍ وَجُمَانَةُ، وَكُلُّهُمْ مِنْ فَاطِمَةَ بِنْتِ أَسَدٍ، وَقَدْ أَسْلَمَتْ وَهَاجَرَتْ.
1 -. كَانَ عَلِيٌّ أَحَدَ الْعَشَرَةِ الْمَشْهُودِ لَهُمْ بِالْجَنَّةِ، وَأَحَدَ السِّتَّةِ أَصْحَابِ الشُّورَى، وَكَانَ مِمَّنْ تُوُفِّيَ رَسُولُ اللَّهِ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَهُوَ رَاضٍ عَنْهُمْ، وَكَانَ رَابِعَ الْخُلَفَاءِ الرَّاشِدِينَ، وَكَانَ رَجُلًا آدَمَ شَدِيدَ الْأُدْمَةِ شَكِلَ الْعَيْنَيْنِ عَظِيمَهُمَا، فِيهِمَا خَفَشٌ، ذُو بَطْنٍ، أَصْلَعَ، وَهُوَ إِلَى الْقِصَرِ أَقْرَبُ، وَكَانَ عَظِيمَ اللِّحْيَةِ، قَدْ مَلَأَتْ صَدْرَهُ وَمَنْكِبَيْهِ، أَبْيَضُهَا كَثِيرٌ، وَكَانَ كَثِيرَ شَعْرِ الصَّدْرِ وَالْكَتِفَيْنِ، حَسَنَ الْوَجْهِ، ضَحُوكَ السِّنِّ، خَفِيفَ الْمَشْيِ عَلَى الْأَرْضِ.
أَسْلَمَ عَلِيٌّ قَدِيمًا وَهُوَ ابْنُ سَبْعٍ، وَقِيلَ: ابْنُ ثَمَانٍ. وَقِيلَ: تِسْعٍ. وَقِيلَ: عَشْرٍ. وَقِيلَ: إِحْدَى عَشْرَةَ. وَقِيلَ: اثْنَيْ عَشْرَةَ. وَقِيلَ: ثَلَاثَ عَشْرَةَ. وَقِيلَ: أَرْبَعَ عَشْرَةَ. وَقِيلَ: ابْنُ خَمْسَ عَشْرَةَ، أَوْ سِتَّ عَشْرَةَ سَنَةً. قَالَهُ عَبْدُ الرَّزَّاقِ، عَنْ مَعْمَرٍ، عَنْ قَتَادَةَ، عَنِ الْحَسَنِ. وَيُقَالُ: إِنَّهُ أَوَّلُ مَنْ
পৃষ্ঠা - ৫৯০৯
أَسْلَمَ. وَالصَّحِيحُ أَنَّهُ أَوَّلُ مَنْ أَسْلَمَ مِنَ الْغِلْمَانِ، كَمَا أَنَّ خَدِيجَةَ أَوَّلُ مَنْ أَسْلَمَتْ مِنَ النِّسَاءِ، وَزَيْدُ بْنُ حَارِثَةَ أَوَّلُ مَنْ أَسْلَمَ مِنَ الْمَوَالِي، وَأَبُو بَكْرٍ الصِّدِّيقُ أَوَّلُ مَنْ أَسْلَمَ مِنَ الرِّجَالِ الْأَحْرَارِ. وَكَانَ سَبَبُ إِسْلَامِ عَلِيٍّ صَغِيرًا أَنَّهُ كَانَ فِي كَفَالَةِ رَسُولِ اللَّهِ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ; لِأَنَّهُ كَانَ قَدْ أَصَابَتْهُمْ سَنَةُ مَجَاعَةٍ فَأَخَذُوهُ مِنْ أَبِيهِ، فَكَانَ فِي كَفَالَتِهِ، فَلَمَّا بَعَثَهُ اللَّهُ بِالْحَقِّ آمَنَتْ خَدِيجَةُ وَأَهْلُ الْبَيْتِ، وَمِنْ جُمْلَتِهِمْ عَلِيٌّ، وَكَانَ الْإِيمَانُ النَّافِعُ الْمُتَعَدِّي نَفْعُهُ إِلَى النَّاسِ إِيمَانَ الصِّدِّيقِ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ. وَقَدْ وَرَدَ عَنْ عَلِيٍّ أَنَّهُ قَالَ: أَنَا أَوَّلُ مَنْ أَسْلَمَ. وَلَا يَصِحُّ إِسْنَادُهُ إِلَيْهِ. وَقَدْ رُوِيَ فِي هَذَا الْمَعْنَى أَحَادِيثُ أَوْرَدَهَا ابْنُ عَسَاكِرَ، كَثِيرَةٌ مُنْكَرَةٌ لَا يَصِحُّ شَيْءٌ مِنْهَا. وَاللَّهُ أَعْلَمُ. وَقَدْ رَوَى الْإِمَامُ أَحْمَدُ، مِنْ حَدِيثِ شُعْبَةَ، عَنْ عَمْرِو بْنِ مُرَّةَ: سَمِعْتُ أَبَا حَمْزَةَ - رَجُلًا مِنْ مَوَالِي الْأَنْصَارِ - قَالَ: سَمِعْتُ زَيْدَ بْنَ أَرْقَمَ يَقُولُ: أَوَّلُ مَنْ أَسْلَمَ مَعَ رَسُولِ اللَّهِ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، عَلِيٌّ. وَفِي رِوَايَةٍ: أَوَّلُ مَنْ صَلَّى. قَالَ عَمْرٌو: فَذَكَرْتُ ذَلِكَ لِلنَّخَعِيِّ فَأَنْكَرَهُ وَقَالَ: أَبُو بَكْرٍ أَوَّلُ مَنْ أَسْلَمَ. وَقَالَ مُحَمَّدُ بْنُ كَعْبٍ الْقُرَظِيُّ: أَوَّلُ مَنْ آمَنَ خَدِيجَةُ، وَأَوَّلُ رَجُلَيْنِ آمَنَا أَبُو بَكْرٍ وَعَلِيٌّ، وَلَكِنْ كَانَ أَبُو بَكْرٍ يُظْهِرُ إِيمَانَهُ وَعَلِيٌّ يَكْتُمُ إِيمَانَهُ. قُلْتُ: يَعْنِي خَوْفًا مِنْ أَبِيهِ، ثُمَّ أَمَرَهُ أَبُوهُ بِمُتَابَعَةِ ابْنِ عَمِّهِ وَنُصْرَتِهِ.
পৃষ্ঠা - ৫৯১০
ছিলেন ৷ তারা বলেন, আমীর ছাড়া প্রশাসন টেকবে না ৷ তাদের পীড়াপীড়িতে অবশেষে তিনি
সম্মত হন
আলী (রা) এর হাতে খিলাফতের ৰায় আত প্রসঙ্গ
বলা হয়ে থাকে যে, সকলের আগে হযরত আলী (রা) এর হাতে বায় আত করেন তালহা
(রা) ডান হাত দ্বারা ৷ উহুদ যুদ্ধের কিং তার এ হাত অসাড় হয়েছিল ৷ সেদিন এ হাত দ্বারা তিনি
রাসুলুল্লাহ্লোঃকে রক্ষা করেছিলেন, তখন কাওমের কেউ কেউ বলেছিল : আল্লাহর কসম ৷
এ কাজ সমাপ্ত হবে না ৷ আর আলী (রা) মসজিদের পথে বের হয়ে মিম্বরে আরোহণ করেন ৷ এ
সময় তার পরিধানে ছিল চাদর এবং ব্লেশষী পাগড়ি ৷ আর জুতা জোড়া ছিল তার হাতে ৷ আর
তিনি ধনুকে ঠেস দিয়ে র্দাড়ান আর গণমানুষ তার হাতে বায়আত করে ৷ আর এ ফিা
শনিবার ১৯ যিলহজ্জ ৩৫ হিজরী সালে ৷ কথিত আছে যে, বসরা আর কুফার আমীর নিযুক্ত
করার দাবি উথাপনের পর তালহা এবং যুৰায়র (রা) ও বায়আত করেন ৷ তখন আলী (রা)
তাদের দৃজনকে বলেছিলেন, “বরং তোমরা দু’জন আমার কাছে অবন্থানকরবে, আর এতেই
আশ্বস্ত বোধ করবো ৷ আর কিছু কিছু লোক মনে করে যে, একদল আনসার আলী (রা)-এর
হাতে বায়আত করেননি ৷ এদের মধ্যে ছিলেন হাসসান ইবন সাধিত, কাব ইবন মালিক,
মাসলামা ইবন মাখলাদ, আবু সাঈদ মুহাম্মদ ইবন মাসলামা, নুমান ইবন বাশীর, যায়দ ইবন
সাধিত, রাফি ইবন খাদীজ ফুযালা ইবন উবায়দ এবং কাব ইবন উজরা (বা) ৷ ইবন জারীর
আল-মাদায়েনী সুত্রে বনু হাশিমের জনৈক শায়খ থেকে আব্দুল্লাহ ইবনুল হাসানের বরাতে এ
কথা উল্লেখ করেছেন ৷ আল-মাদায়েনী বলেন, যুহরীকে বলতে শুনােছন এমন এক ব্যক্তি
আমাকে জানান যে, একদল লোক মদীনা থেকে পলায়ন করে সিরিয়ার চলে যায়, এরা আলী
(রা)-এর হাতে বায়আত করেনি ৷ কুদামা ইবন মাবৃউন, আব্দুল্লাহ ইবন সালাম এবং মুগীরা
ইবন শুবাও তার হাতে বায়আত করেন নি ৷ আমি বলি, মারওয়ান ইবনুল হাকাম, ওয়ালীদ
ইবন উকবা এবং আরো কিছু ণ্লাকও তার হাতে বায়আত করেন নি ৷
আর ওয়াকিদী বলেন : লোকেরা মদীনায় হযরত আলী (রা)-এর হাতে বায়আত করে;
তবে সাত ব্যক্তি বিরত থাকে, তারা বায়আত করেননি ৷ এরা হলেন : ইবন উমর সাদ ইবন
আবু ওয়াক্কাস, সুহায়ব, যায়দ ইবন সাধিত, মুহাম্মদ ইবন আবু সালুমা, সালমা ইবন সালামা
ইবন রাক্শ এবং উসমো ইবন যায়দ (রা) আমাদের জানা মতে আনসারদের কেউই বিরত
ছিলেন না; সকলেই বায়আতকরে ৷ আর সায়ক ইবন উমর তার একদল শায়খের উদ্ধৃতি দিয়ে
উল্লেখ করেন যে, হযরত উসমান (রা)-এর পর মদীনা পাচ দিন নেতাশুন্য ছিল ৷ এ সময়
মদীনায় আমীর ছিলেন গাফেফী ইবন হারব ৷ তারা এমন একজন লোক অনুসন্ধান করছিলেন,
যিনি সুষ্ঠুভাবে দায়িত্ব পালন করবেন ৷ আর মিসরীয়রা হযরত আলী (রা)-এর জন্য পীড়াপীড়ি
করছিল (আমীরের দায়িত্ব গ্রহণ করার জন্য) আর তিনি পলায়ন করে বাগান পানে ছুটে
যাচ্ছিলেন ৷ আর কুফীরা যুৰায়র (রা)-কে তালাশ বরেহ্নিশু, কিন্তু খুজে বের করতে পারছিল না ৷
পক্ষাস্তরে বসরীরা খুজছিল তালহা (রা)-কে; কিন্তু তিনি তাদের ডাকে সাড়া দিচ্ছিলেন না ৷
তাই তারা নিজেদের মধ্যে বলাবলি করে, আমরা এ তিনজনের কাউকে শাসক বানাবাে না ৷
وَهَاجَرَ عَلِيٌّ بَعْدَ خُرُوجِ رَسُولِ اللَّهِ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، مِنْ مَكَّةَ، وَكَانَ قَدْ أَمَرَهُ بِقَضَاءِ دُيُونِهِ وَرَدِّ وَدَائِعِهِ، ثُمَّ يَلْحَقُ بِهِ، فَامْتَثَلَ مَا أَمَرَهُ بِهِ، ثُمَّ هَاجَرَ، وَآخَى النَّبِيُّ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، بَيْنَهُ وَبَيْنَ سَهْلِ بْنِ حُنَيْفٍ. وَذَكَرَ ابْنُ إِسْحَاقَ وَغَيْرُهُ مِنْ أَهْلِ السِّيَرِ وَالْمَغَازِي أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، آخَى بَيْنَهُ وَبَيْنَ نَفْسِهِ. وَلَا يَصِحُّ، وَقَدْ وَرَدَ فِي ذَلِكَ أَحَادِيثُ كَثِيرَةٌ لَا يَصِحُّ شَيْءٌ مِنْهَا ; لِضَعْفِ أَسَانِيدِهَا، وَرَكَّةِ بَعْضِ مُتُونِهَا، فَإِنَّ فِي بَعْضِهَا: " «أَنْتَ أَخِي وَوَارِثِي وَخَلِيفَتِي وَخَيْرُ مَنْ أُمِّرَ بَعْدِي» ". وَهَذَا الْحَدِيثُ مَوْضُوعٌ مُخَالِفٌ لِمَا ثَبَتَ فِي " الصِّحَاحِ " وَغَيْرِهِمَا. وَاللَّهُ أَعْلَمُ.
وَقَدْ شَهِدَ عَلِيٌّ بَدْرًا وَكَانَتْ لَهُ الْيَدُ الْبَيْضَاءُ فِيهَا، بَارَزَ يَوْمَئِذٍ فَغَلَبَ وَظَهَرَ، وَفِيهِ وَفِي عَمِّهِ حَمْزَةَ وَابْنِ عَمِّهِ عُبَيْدَةَ بْنِ الْحَارِثِ وَخُصُومِهِمُ الثَّلَاثَةِ - عُتْبَةَ وَشَيْبَةَ وَالْوَلِيدِ بْنِ عُتْبَةَ - نَزَلَ قَوْلُهُ تَعَالَى: {هَذَانَ خَصْمَانِ اخْتَصَمُوا فِي رَبِّهِمْ} [الحج: 19] الْآيَةَ [الْحَجِّ: 19] . وَقَالَ الْحَكَمُ وَغَيْرُهُ، عَنْ مِقْسَمٍ، «عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ قَالَ: دَفَعَ النَّبِيُّ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، الرَّايَةَ يَوْمَ بَدْرٍ إِلَى عَلِيٍّ وَهُوَ ابْنُ عِشْرِينَ سَنَةً» . وَقَالَ الْحَسَنُ بْنُ عَرَفَةَ: حَدَّثَنِي عَمَّارُ بْنُ مُحَمَّدٍ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ مُحَمَّدٍ الْحَنْظَلِيِّ، عَنْ أَبِي جَعْفَرٍ مُحَمَّدِ بْنِ عَلِيٍّ قَالَ: نَادَى مُنَادٍ فِي السَّمَاءِ يَوْمَ بَدْرٍ - يُقَالُ لَهُ: رِضْوَانُ -: لَا سَيْفَ إِلَّا ذُو
পৃষ্ঠা - ৫৯১১
ফলে তারা হযরত সাদ ইবন আবু ওয়াক্কাসের নিকট গমন করে বলে : আপনিঅে শুরা
সদস্যদের অন্তর্গত ৷ কিন্তু তিনি তাদের কথা মেনে নেননি ৷ এরপর তারা হযরত ইবন উমর
(রা) এর নিকট গমন করে, কিন্তু তিনিও তা অম্বীকার করেন ৷ এরপর তারা ব্যাপারটা নিয়ে
ব্যাকুল হয়ে পড়ে ৷ উসমান (রা)-এর হত্যার পর নেতা নির্বাচন না করে আমরা যদি নিজ নিজ
দেশে ফিরে যাই তাহলে বিষয়টা নিয়ে লোকেরা মতানৈক্যে জড়িয়ে পড়বে ৷ আর এতে তাে
আমরা নিজেরাও নিরাপদ থাকবাে না ৷ ফলে তারা হযরত আলী (রা)-এর নিকট গমন করে
পীড়াপীড়ি করে ৷ আশতার আলী (রা)-এৱ হাত ধারণ পুর্বক বায়আত করে এবং লোকেরাও
তার হাতে বায়আত করে ৷
আর কুফাবাসীরা বলেন, সর্বপ্রথম আশৃত ৷র নড়াখৃঈ আলী (রা) এর হাতে বায় আত করে ৷
আর এটা ২৪ যিলহজ্জ বৃহস্পতিবারের ঘটনা ৷ আর এটা ঘটে তাদের পরামর্শক্রমে ৷ তাদের
সকলেই বলে, এ জন্য আলী ছাড়া আর কেউ উপযুক্ত নয় ৷ শুক্রবার আলী (রা) মিম্বরে
আরোহণ করলে গতকাল যারা বায়আত করেনি, তারা বায়আত করে ৷ আর সকলের আগে
তালহা (বা) তার অবশ হাতে বায়আত করেন ৷ তখন কোন একজন বলে উঠে : ৷) (fl ৷া
;, ৷, ৷ ৰু ৷ ৷ তারপর বায়আত করেন যুবায়র ৷ বায়আত শেষে তিনি বলেন এআমি এমন
এক অবস্থায় আলী (রা) এর হাতে বায়আত করি, যখন আমার ঘাড়ে তরবড়ারি ঝুলছিল ৷ ওয়াস
সালাম ৷ এরপর তিনি মক্কা গমন করেন এবং সেখানে : মাস অবস্থান করেন ৷ আর এ
বায়আত অনুষ্টিত হয় যিলহজ্জ মাসের ৫ দিন বাকি থাকতে শুক্রবার দিন ৷ প্রথম ভাষণে
আল্লাহর হড়ামৃদ সানা শেষে তিনি বলেনং :
এ“ৰু
,
(ৰুঙ্গ
“নিঃসন্দেহে আল্পাহ্ তাআলা এর্ক পথপ্রদর্শক কিতাব নাযিল করেছেন এবং তাতে
ভাল-মন্দ স্পষ্ট বিবৃত করেছেন ৷ সুতরাপুহ্ তোমরা ভালটড়া গ্রুহ্ণ করবে আর মন্দটা পরিত্যাগ
করবে ৷ আল্লাহ্ তাআলাভৃল করা ছাড়াই হরমকে সমানার্চু করেছেন এবং মুসলমানের
মর্ষাদাকে সমস্ত সম্মানার্চু বিষয়ের উপর গ্রেষ্ঠতু দিয়েছেন ৷ আর মুসলিমের অধিকারকে বেধে
দিয়েছেন ইসলাম আর তাওহীদের স ঙ্গে ৷ আর মুসলিমতেড়া সেই ব্যক্তি, যার হাত এবং জিহ্বার
(অনিষ্ট থেকে) অপর মুসলমান নিরাপদ থাকে ৷ অবশ্য সত্য ও ন্যায়ের খাতিরে এটা লং ত
الْفَقَارِ وَلَا فَتًى إِلَّا عَلِيٌّ. قَالَ ابْنُ عَسَاكِرَ: وَهَذَا مُرْسَلٌ، وَإِنَّمَا تَنَفَّلَ رَسُولُ اللَّهِ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، سَيْفَهُ ذَا الْفَقَارِ يَوْمَ بَدْرٍ، ثُمَّ وَهَبَهُ مِنْ عَلِيٍّ بَعْدَ ذَلِكَ. وَقَالَ يُونُسُ بْنُ بُكَيْرٍ، عَنْ مِسْعَرٍ، عَنْ أَبِي عَوْنٍ، عَنْ أَبِي صَالِحٍ، عَنْ عَلِيٍّ قَالَ: قِيلَ لِي يَوْمَ بَدْرٍ وَلِأَبِي بَكْرٍ قِيلَ لِأَحَدِنَا: مَعَكَ جِبْرِيلُ، وَمَعَ الْآخَرِ مِيكَائِيلُ. قَالَ: وَإِسْرَافِيلُ مَلَكٌ عَظِيمٌ يَشْهَدُ الْقِتَالَ وَلَا يُقَاتِلُ وَيَكُونُ فِي الصَّفِّ.
وَشَهِدَ عَلِيٌّ أُحُدًا، وَكَانَ عَلَى الْمَيْمَنَةِ وَمَعَهُ الرَّايَةُ بَعْدَ مُصْعَبِ بْنِ عُمَيْرٍ، وَعَلَى الْمَيْسَرَةِ الْمُنْذِرُ بْنُ عَمْرٍو الْأَنْصَارِيُّ، وَحَمْزَةُ بْنُ عَبْدِ الْمُطَّلِبِ عَلَى الْقَلْبِ، وَعَلَى الرَّجَّالَةِ الزُّبَيْرُ بْنُ الْعَوَّامِ، وَقِيلَ: الْمِقْدَادُ بْنُ الْأَسْوَدِ. وَقَدْ قَاتَلَ عَلِيٌّ يَوْمَئِذٍ قِتَالًا شَدِيدًا وَقَتَلَ خَلْقًا كَثِيرًا مِنَ الْمُشْرِكِينَ وَغَسَلَ عَنْ وَجْهِ النَّبِيِّ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، الدَّمَ حِينَ شُجَّ فِي رَأْسِهِ وَكُسِرَتْ رَبَاعِيَّتُهُ.
وَشَهِدَ يَوْمَ الْخَنْدَقِ فَقَتَلَ يَوْمَئِذٍ فَارِسَ الْعَرَبِ وَأَحَدَ شُجْعَانِهِمُ الْمَشَاهِيرِ، عَمْرَو بْنَ عَبْدِ وُدٍّ الْعَامِرِيَّ كَمَا قَدَّمْنَا ذَلِكَ.
وَشَهِدَ الْحُدَيْبِيَةَ وَبَيْعَةَ الرِّضْوَانِ، وَشَهِدَ خَيْبَرَ وَكَانَتْ لَهُ بِهَا مَوَاقِفُ هَائِلَةٌ،
পৃষ্ঠা - ৫৯১২
وَمَشَاهِدُ طَائِلَةٌ ; مِنْهَا أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، قَالَ: «لَأُعْطِيَنَّ الرَّايَةَ غَدًا رَجُلًا يُحِبُّ اللَّهَ وَرَسُولَهُ، وَيُحِبُّهُ اللَّهُ وَرَسُولُهُ. فَبَاتَ النَّاسُ يَدُوكُونَ لَيْلَتَهُمْ أَيُّهُمْ يُعْطَاهَا، فَدَعَا عَلِيًّا - وَكَانَ أَرْمَدَ - فَدَعَا لَهُ، وَبَصَقَ فِي عَيْنِهِ فَلَمْ يَرْمَدْ بَعْدَهَا، فَبَرَأَ وَأَعْطَاهُ الرَّايَةَ، فَفَتَحَ اللَّهُ عَلَى يَدَيْهِ، وَقَتَلَ مَرْحَبًا الْيَهُودِيَّ» . وَذَكَرَ مُحَمَّدُ بْنُ إِسْحَاقَ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ حَسَنٍ، عَنْ بَعْضِ أَهْلِهِ، عَنْ أَبِي رَافِعٍ أَنَّ يَهُودِيًّا ضَرَبَ عَلِيًّا فَطَرَحَ تُرْسَهُ، فَتَنَاوَلَ بَابًا عِنْدَ الْحِصْنِ فَتَتَرَّسَ بِهِ، فَلَمْ يَزَلْ فِي يَدِهِ حَتَّى فَتَحَ اللَّهُ عَلَى يَدَيْهِ ثُمَّ أَلْقَاهُ مِنْ يَدِهِ. قَالَ أَبُو رَافِعٍ: فَلَقَدْ رَأَيْتُنِي أَنَا وَسَبْعَةٌ مَعِي نَجْهَدُ أَنْ نَقْلِبَ ذَلِكَ الْبَابَ عَلَى ظَهْرِهِ يَوْمَ خَيْبَرَ فَلَمْ نَسْتَطِعْ. وَقَالَ لَيْثٌ، عَنْ أَبِي جَعْفَرٍ، عَنْ جَابِرٍ أَنَّ عَلِيًّا حَمَلَ الْبَابَ عَلَى ظَهْرِهِ يَوْمَ خَيْبَرَ حَتَّى صَعِدَ الْمُسْلِمُونَ عَلَيْهِ فَفَتَحُوهَا، فَلَمْ يَحْمِلْهُ إِلَّا أَرْبَعُونَ رَجُلًا. وَمِنْهَا أَنَّهُ قَتَلَ مَرْحَبًا فَارِسَ يَهُودَ وَشُجَاعَهُمْ.
وَشَهِدَ عَلِيٌّ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، عُمْرَةَ الْقَضَاءِ، وَفِيهَا قَالَ لَهُ النَّبِيُّ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «أَنْتَ
পৃষ্ঠা - ৫৯১৩
হতে পারে ৷ কোন মুসলমানকে কষ্ট দেওয়া কোন মুসলমানের জন্য হলোল নয় ৷ কষ্ট দেওয়া
অপরিহার্য হলে ড়িন্ ব্লু কথা ৷ সাধারণ মানুষের বিষয়ের দিকে ধাবিত হও ৷ বিশেষ করে তোমাদের
যে কোন ব্যক্তি মৃত্যুর কথা চিন্তা করবে ৷ লোকেরা রয়েছে তোমাদের সম্মুখে, আর তোমাদের
পেছনে লেগে আছে কিয়ামত ৷ কিয়ামতই ণ্তামাদেরকে পেছন থেকে হীকিয়ে চলেছে ৷ তোমরা
হালকা থাকবে মিলিত হয়ে যাবে ৷ কারণ মানুষের শেষ ঠিকানা তার প্রতীক্ষায় রয়েছে ৷
আল্লাহ্র বন্দোদের ক্ষেত্রে আল্লাহর রাজ্যে তাকে ভয় করে চলবে ৷ ণ্তাম্যাদরকে জিজ্ঞাসা করা
হবে; এমন কি ভুমির অংশ বিশেষ আর চতৃষ্পদ জন্তু সম্পর্কেও তোমরা জিজ্ঞাসিত হবে ৷
অতএব তোমরা আল্লাহর আনুগত্য করবে, তার নাফরমানী করবে না ৷ আর ভাল কিছু দেখলে
তা গ্রহণ করবে এবং মন্দ কিছু দেখলে তা ত্যাগ করবে ৷ আর স্মরণ কর, যখন তোমরা ছিলে
অল্প, পরাজিত অবস্তায় পড়েছিলে দেশে, ভীত-সন্ত্রস্ত ছিলে যে, তোমাদের না অন্যায় ছে৷ মেরে
নিয়ে যেত ৷ তারপর তিনি তােমাদেরকে আশ্রয়ের ঠিকানা দিয়েছেন, স্বীয় সাহায্য দ্বারা
তােমন্দেরকে শান্তি দান করেছেন ৷ এবং পরিচ্ছন্ন জীবিকা দিয়েছেন, যাতে তোমরা শুকরিয়া
াদায় কর’ (আনফাল ৮ : ২৬) ৷ প্ ন্
তিনি ভাষণ ণ্শষ করলে মিসরীয়রা নিম্নোক্ত কৰির্তী আবৃত্তি করে é
৷ টু,;;াৰু;,
হে আবুল হাসান, এটা গ্রহণ করুন, আমারা তাে রশির মতো পাকিয়ে ফেলবাে ৷
সিংহের হামলাতাে হয় দামাল সিংহের মতো ৷ আর সে হামলা চালায় এমন তরবারি দ্বারা
যা দুধের নহরবৎ ৷ আর আমরা বাদশাহকে আঘাত করি রশির মতো নরম বর্শার ফলা দ্বারা;
এমন কি যে সম্মুখে না এসেই কঠোৱতা সত্বেও কোমল হয়ে যায়’ ৷
আলী (রা)এর জবাবে নিম্নোক্ত কবিতা আবৃত্তি করেন :
, ৷
ণ্৷ এ
আমি যদি কােনভ্যবে অক্ষমও হই তবু আমি ক্ষমা চাইবাে না, তারপর আমি হবো বুদ্ধিমান
ও শক্তিশালী ৷ আর আমি যা টানি, আমি তা উত্তোলন করবো, আর ইতস্তত বিক্ষিপ্ত বিষয়টা
আমি করবো সমবেত ৷ বিজয়ী তাড়াহুড়াকারী যদি আমার সঙ্গে ঝগড়া না বাধায় অথবা সে যদি
আমার ত্যাগ করে আর অস্ত্রসহ তৃরিৎ এগিয়ে না যায় ৷
আর কুফায় হযরত আবু মুসা আশআরী ছিলেন সালাত প্রতিষ্ঠার দায়িত্বে নিয়োজিত এবং
কাকা ইব ন আম্র ছিলেন যুদ্ধ-বিগ্রহের দায়িত্বে নিয়োজিত এবং জাবির ইবন ফলান
আল-মুযানী ছিলেন কর আদায়ের দায়িত্বে নিয়োজিত ৷ বসরায় দায়িত্বে নিয়োজিত ছিলেন
হযরত আব্দুল্লাহ ইবন আমের এবং মিসরে নিয়োজিত ছিলেন আব্দুল্লাহ্ ইবন সাদ ইবন আবু
مِنِّي وَأَنَا مِنْكَ» . وَمَا يُذْكُرُهُ كَثِيرٌ مِنَ الْقُصَّاصِ فِي مُقَاتَلَتِهِ الْجِنَّ فِي بِئْرِ ذَاتِ الْعَلَمِ - وَهُوَ بِئْرٌ قَرِيبٌ مِنَ الْجُحْفَةِ - فَلَا أَصْلَ لَهُ، وَهُوَ مِنْ وَضْعِ الْجَهَلَةِ مِنَ الْأَخْبَارِيِّينَ فَلَا يُغْتَرُّ بِهِ.
وَشَهِدَ الْفَتْحَ وَحُنَيْنًا وَالطَّائِفَ، وَقَاتِلَ فِي هَذِهِ الْمَشَاهِدِ قِتَالًا كَثِيرًا، وَاعْتَمَرَ مِنَ الْجِعْرَانَةِ مَعَ رَسُولِ اللَّهِ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَلَمَّا خَرَجَ رَسُولُ اللَّهِ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، إِلَى تَبُوكَ وَاسْتَخْلَفَهُ عَلَى الْمَدِينَةِ قَالَ: يَا رَسُولَ اللَّهِ أَتُخَلِّفَنِي مَعَ النِّسَاءِ وَالصِّبْيَانِ؟ فَقَالَ: «أَلَا تَرْضَى أَنْ تَكُونَ مِنِّي بِمَنْزِلَةِ هَارُونَ مِنْ مُوسَى، غَيْرَ أَنَّهُ لَا نَبِيَّ بَعْدِي» .
وَبَعَثَهُ رَسُولُ اللَّهِ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، أَمِيرًا وَحَاكِمًا عَلَى الْيَمَنِ، وَمَعَهُ خَالِدُ بْنُ الْوَلِيدِ، ثُمَّ وَافَى رَسُولَ اللَّهِ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، عَامَ حَجَّةِ الْوَدَاعِ إِلَى مَكَّةَ، وَسَاقَ مَعَهُ هَدْيًا، وَأَهَلَّ كَإِهْلَالِ النَّبِيِّ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَأَشْرَكَهُ فِي هَدْيِهِ، وَاسْتَمَرَّ عَلَى إِحْرَامِهِ، وَنَحَرَا هَدْيَهُمَا بَعْدَ فَرَاغِ نُسُكِهِمَا، كَمَا تَقَدَّمَ.
وَلَمَّا مَرِضَ رَسُولُ اللَّهِ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، قَالَ لَهُ الْعَبَّاسُ: سَلْ رَسُولَ اللَّهِ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فِي مَنِ الْأَمْرِ بَعْدَهُ؟ فَقَالَ: وَاللَّهِ لَا أَسْأَلُهُ، فَإِنَّهُ إِنْ مَنَعَنَاهَا لَا يُعْطِينَاهَا النَّاسُ بَعْدَهُ أَبَدًا. وَالْأَحَادِيثُ الصَّحِيحَةُ الصَّرِيحَةُ دَالَّةٌ عَلَى أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، لَمْ يُوصِ إِلَيْهِ وَلَا إِلَى غَيْرِهِ بِالْخِلَافَةِ، بَلْ لَوَّحَ بِذِكْرِ الصِّدِّيقِ، وَأَشَارَ إِشَارَةً مُفْهِمَةً ظَاهِرَةً جِدًّا إِلَيْهِ،
পৃষ্ঠা - ৫৯১৪
সারাহ ৷ কিন্তু মুহাম্মদ ইবন আবু হুযইিফা জোরপুর্বক তার উপর কর্তৃতু প্রতিষ্ঠা করে নেন ৷
মু’আৰিযা ইবন আবু সুফিয়ান ছিলেন সিরিয়ার কর্তৃত্বে আর হিমসে র্তার প্রতিনিধি ছিলেন আব্দুর
রহমান ইবন খালিদ ইবন ওয়ালীদ ৷ কিন্নাসিরীন-এ দায়িত্বে নিয়োজিত ছিলেন হাবীব ইবন
মাসলামা, জর্দানে আবুল আওয়ার, ফিলিস্তীনে হাকীম ইবন আলকামা, আযারবাইজানে
আশআস ইবন কায়স, জারীর ইবন আব্দুল্লাহ আল-ৰাজালী ছিলেন কারকিসিয়ায়, হুলওয়ানে
উতায়বা ইবন নুহাম, মালিক ইবন হাবীব ছিলেন কায়সারিয়ায় আর হামাদান-এ দায়িত্বে
নিয়োজিত ছিলেন হাবীশ ৷
ইবন জারীর তাবারীর বর্ণনা মতে উসমান (রা) নিহত হওয়ার সময় এসব ব্যক্তিরা
উপরোক্ত অঞ্চলে তার প্রতিনিধি ছিলেন ৷ উকবা ইবন আমর ভিন্নমতে উকবা ইবন আমের
ছিলেন বায়তৃল মালের দায়িত্বে নিয়োজিত ৷ আর মদীনায় বিচার ব্যবহার দায়িত্বে নিয়োজিত
ছিলেন যায়দ ইবন সাধিত ৷ হযরত উসমান (রা) নিহত হলে নুমান ইবন বাশীর তার রক্তমাখা
জামা নিয়ে বের হন ৷ সঙ্গে ছিল শ্রী নায়েলার কর্তিত আব্দুল, স্বামীকে রক্ষা করতে গিয়ে তিনি এ
আঙ্গুলগুলাে হারিয়ে ছিলেন ৷ নুমান ইবন বাশীর এসব নিয়ে সিরিয়ার মুআৰিয়ার নিকট
উপস্থিত হন ৷ লোকজনকে দেখাবার জন্য মুআবিয়া এসব নিদর্শন মিন্বরে স্থাপন করেন ৷ তিনি
আমার আন্তিনের সঙ্গে কর্তিত আঙ্গুল ঝুলিয়ে দেন ৷ এ অন্যায় আচরণ আর রক্তপাতের বদলা
নেয়ার জন্য তিনি লোকজনকে উত্তেজিত করেন ৷ মিম্বরের চতৃর্দিকে লোকেরা কান্নাকাঢি জুড়ে
দেয় এবং জামা কখনও উপরে তোলেন এবং কখনো নিচে নামান ৷ মিম্বরের চতুর্দিকে লোকেরা
দীর্ঘ এক বছর যাবত ক্রন্দন করতে থাকে এবং এর প্ৰতিশোধ নেয়ার জন্য সােকজন্যক
উত্তেজিত করে তোলে ৷ এ এক বছর লোকেরা ত্রী গমন থেকে বিরত থাকে ৷ মুআবিয়ার সঙ্গে
একদল সাহাবী উসমান (রা)-এর রক্তের প্রতিশোধ নেয়ার জন্য লোকজনকে উত্তেজিত করে
তোলেন ৷ এ দাবিতে সাহাবীগণের মধ্যে সোচ্চার ছিলেন উবাদা ইবন সামিত, আবুদ দারদা ,
আবু উমামা আমর ইবন আম্বাসা প্রমুখ এবং তাবিঈদের মধ্যে শুরাইক ইবন হাবাশা, আবু
মুসলিম যাওযানী , আব্দুর রহমান ইবন গনোম প্রমুখ ৷
আলী (রা)-এর বায়আতের বিষয়টা সুসম্পন্ন হয়ে গেলে তালহ্৷ (রা) যুবায়র (বা) এবং
বড় বড় সাহাবী তার সঙ্গে সাক্ষাৎ করে হদ’ তথা শরীয়ত নির্ধারিত দণ্ডবিধি প্রতিষ্ঠা এবং
হযরত উসমান (রা)-এর খুনের বদলা নেয়ার দাবি জানান ৷ তিনি এই বলে অক্ষমতা জ্ঞাপন
করেন যে, সস্ত্রাসীদের সাঙ্গপাঙ্গ আছে, আছে তাদের সাহায্য-সহায়তকোরী ৷ কাজেই এই মুহুর্তে
তার পক্ষে এই কাজ করা সম্ভব নয় ৷ তখন যুবায়র তার নিকট কুফার কর্তৃত্ব দাবি করেন, যাতে
তিনি সেখান থেকে সৈন্য আনতে পারেন ৷ অনুরুপভ্যবে তালহা দাবি করেন বসরার কর্তৃত্ব,
যাতে সেখান থেকে সৈন্য সামত্ত এনে শক্তি সঞ্চয় করে খারিজীদের দর্প চুর্ণ করতে পারেন ৷
হযরত উসমান (রা)-এর হত্যাকাণ্ডে আরো যেসব অজ্ঞ-মুর্ণ আরব দল ওদের সঙ্গে যোগ
দিয়েছিল, তাদেরকেও যেন শায়েস্তা করা যায় ৷ আলী (রা) তাদের উভয়কে বললেন, আমাকে
কিছুটা অবকাশ দাও, যাতে বিষয়টা নিয়ে আমি একটা চিভা-ভাবনা করতে পারি ৷ তাদের পিছু
পিছু হযরত মুপীরা ইবন শুবা তার সঙ্গে সাক্ষাৎ করে বলেন : আমার মতে বিভিন্ন শহরে
আপনার গআরদেরকে বহাল রাখা হোক ৷ তারা আপনার আনুগত্য স্বীকার করে নেয়ার পর
৫২
كَمَا قَدَّمْنَا ذَلِكَ، وَلِلَّهِ الْحَمْدُ. وَأَمَّا مَا يَفْتَرِيهِ كَثِيرٌ مِنْ جَهَلَةِ الشِّيعَةِ وَالْقُصَّاصِ الْأَغْبِيَاءِ، مِنْ أَنَّهُ أَوْصَى إِلَى عَلِيٍّ بِالْخِلَافَةِ، فَكَذِبٌ وَبَهْتٌ وَافْتِرَاءٌ عَظِيمٌ يَلْزَمُ مِنْهُ خَطَأٌ كَبِيرٌ ; مِنْ جَوْرِ الصَّحَابَةِ وَتَمَالُئِهِمْ بَعْدَهُ، عَلَيْهِ السَّلَامُ، عَلَى تَرْكِ إِنْفَاذِ وَصِيَّتِهِ وَإِيصَالِهَا إِلَى مَنْ أَوْصَى إِلَيْهِ، وَصَرْفِهِمْ إِيَّاهَا إِلَى غَيْرِهِ لَا لِمَعْنًى وَلَا لِسَبَبٍ، وَكُلُّ مُؤْمِنٍ بِاللَّهِ وَرَسُولِهِ يَتَحَقَّقُ أَنَّ دِينَ الْإِسْلَامِ هُوَ الْحَقُّ، يَعْلَمُ بُطْلَانَ هَذَا الِافْتِرَاءِ ; لِأَنَّ الصَّحَابَةَ كَانُوا خَيْرَ الْخَلْقِ بَعْدَ الْأَنْبِيَاءِ، وَهُمْ خَيْرُ قُرُونِ هَذِهِ الْأُمَّةِ الَّتِي هِيَ أَشْرَفُ الْأُمَمِ بِنَصِّ الْقُرْآنِ وَإِجْمَاعِ السَّلَفِ وَالْخَلَفِ فِي الدُّنْيَا وَالْآخِرَةِ، وَلِلَّهِ الْحَمْدُ.
وَمَا يَقُصُّهُ بَعْضُ الْقُصَّاصِ مِنَ الْعَوَامِّ وَغَيْرِهِمْ فِي الْأَسْوَاقِ وَغَيْرِهَا، مِنَ الْوَصِيَّةِ لِعَلِيٍّ بِآدَابٍ وَأَخْلَاقٍ فِي الْمَأْكَلِ وَالْمَشْرَبِ وَالْمَلْبَسِ، مِثْلَ مَا يَقُولُونَ: يَا عَلِيُّ لَا تَعْتَمَّ وَأَنْتَ قَاعِدٌ، يَا عَلِيُّ لَا تَلْبَسْ سَرَاوِيلَكَ وَأَنْتَ قَائِمٌ، يَا عَلِيُّ لَا تُمْسِكْ عِضَادَتَيِ الْبَابِ، وَلَا تَجْلِسْ عَلَى أُسْكُفَّةِ الْبَابِ، وَلَا تَخِطْ ثَوْبَكَ وَهُوَ عَلَيْكَ. وَنَحْوَ ذَلِكَ، كُلُّ ذَلِكَ مِنَ الْهَذَيَانَاتِ فَلَا أَصْلَ لَهُ، بَلْ هُوَ اخْتِلَاقٌ وَكَذِبٌ وَزُورٌ.
ثُمَّ لَمَّا مَاتَ رَسُولُ اللَّهِ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، كَانَ عَلِيٌّ مِنْ جُمْلَةِ مَنْ غَسَّلَهُ وَكَفَّنَهُ وَوَلِيَ دَفْنَهُ،
পৃষ্ঠা - ৫৯১৫
كَمَا تَقَدَّمَ ذَلِكَ مُفَصَّلًا. وَلِلَّهِ الْحَمْدُ وَالْمِنَّةُ.
وَسَيَأْتِي فِي بَابِ فَضَائِلِهِ ذِكْرُ تَزْوِيجِهِ بِفَاطِمَةَ بَعْدَ وَقْعَةِ بَدْرٍ، فَوُلِدَ لَهُ مِنْهَا حَسَنٌ وَحُسَيْنٌ وَمُحَسِّنٌ، كَمَا قَدَّمْنَا. وَقَدْ وَرَدَتْ أَحَادِيثُ فِي ذَلِكَ لَا يَصِحُّ كَثِيرٌ مِنْهَا بَلْ أَكْثَرُهَا مِنْ وَضْعِ الرَّوَافِضِ وَالْقُصَّاصِ.
وَلَمَّا بُويِعَ الصِّدِّيقُ يَوْمَ السَّقِيفَةِ كَانَ عَلِيٌّ مِنْ جُمْلَةِ مَنْ بَايَعَ بِالْمَسْجِدِ، كَمَا قَدَّمْنَا. وَكَانَ بَيْنَ يَدَيِ الصِّدِّيقِ كَغَيْرِهِ مِنْ أُمَرَاءِ الصَّحَابَةِ يَرَى طَاعَتَهُ فَرْضًا عَلَيْهِ، وَأَحَبَّ الْأَشْيَاءِ إِلَيْهِ، وَلَمَّا تُوُفِّيَتْ فَاطِمَةُ بَعْدَ سِتَّةِ أَشْهُرٍ، وَكَانَتْ قَدْ تَغَضَّبَتْ بَعْضَ التَّغَضُّبِ عَلَى أَبِي بَكْرٍ، بِسَبَبِ الْمِيرَاثِ الَّذِي فَاتَهَا مِنْ أَبِيهَا، عَلَيْهِ السَّلَامُ وَلَمْ تَكُنِ اطَّلَعَتْ عَلَى النَّصِّ الْمُخْتَصِّ بِالْأَنْبِيَاءِ، وَأَنَّهُمْ لَا يُوَرَّثُونَ، فَلَمَّا بَلَغَهَا سَأَلَتْ أَبَا بَكْرٍ أَنْ يَكُونَ زَوْجُهَا نَاظِرًا عَلَى هَذِهِ الصَّدَقَةِ، فَأَبَى ذَلِكَ عَلَيْهَا، فَبَقِيَ فِي نَفْسِهَا شَيْءٌ، كَمَا قَدَّمْنَا، وَاحْتَاجَ عَلِيٌّ أَنْ يُدَارِيَهَا بَعْضَ الْمُدَارَاةِ، فَلَمَّا تُوُفِّيَتْ جَدَّدَ عَلِيٌّ الْبَيْعَةَ مَعَ الصِّدِّيقِ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا، فَلَمَّا تُوُفِّيَ أَبُو بَكْرٍ، وَقَامَ عُمَرُ فِي الْخِلَافَةِ بِوَصِيَّةِ أَبِي بَكْرٍ إِلَيْهِ بِذَلِكَ، كَانَ عَلِيٌّ مِنْ جُمْلَةِ مَنْ بَايَعَهُ، وَكَانَ مَعَهُ يُشَاوِرُهُ فِي الْأُمُورِ، وَيُقَالُ: إِنَّهُ اسْتَقْضَاهُ فِي أَيَّامِ خِلَافَتِهِ، وَقَدِمَ مَعَهُ فِي جُمْلَةِ سَادَاتِ أُمَرَاءِ الصَّحَابَةِ إِلَى الشَّامِ، وَشَهِدَ خُطْبَتَهُ بِالْجَابِيَةِ، فَلَمَّا طُعِنَ
পৃষ্ঠা - ৫৯১৬
যাকে ইচ্ছা বহাল করবেন, আর যাকে খুশি বাদ দিবেন ৷ পরের দিন আবার তিনি হাযির হয়ে
বললেন : আমার মতে গভর্নরদেরকে পদচ্যুত করা হোক, যাতে আপনি জানতে পারেন কে
আপনার আনুগত্য করে, আর কে নাফরমানী করে ৷ আলী (রা) বিষয়টা হযরত ইবন আব্বাস
(রা)-এর নিকট উপস্থাপন করলে তিনি বললেন : তিনি গতকাল আপনাকে সঠিক উপদেশ
দিয়েছেন ৷ আর আজ আপনার সঙ্গে প্রতারণা করছেন ৷ মুগীরা ইবন ভাষা এ সম্পর্কে জানতে
পেরে বলেন, ঠিক কথা আমি তাকে উপদেশ দিয়েজ্জিঙ্কম, যখন উপদেশ মেনে নিলেন না তখন
প্রতারণা করলাম ৷ এরপর মুগীরা (বা) বের হয়ে মক্কা গমন করেন ৷ একদল সড়াহাবীও তার সঙ্গে
মক্কায় মিলিত হন, তাদের মধ্যে হযরত তালহা এবং যুবায়রও ছিলেন ৷ র্তারা উমরাহ্ করার
জন্য হযরত আলী (রা)-এর নিকট অনুমতি চাইলে তিনি তাদেরকে অনুমতি দান করেন ৷
তারপর হযরত ইবন আব্বাস (রা) পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়া পর্যন্ত বিভিন্ন অঞ্চলে
প্রতিনিধিদের তাদের পদে বহাল রাখার ইঙ্গিত দেন, বিশেষ করে হযরত মুআবিয়াকে সিরিয়ার
বহাল রাখার পরামর্শ দেন ৷
হযরত ইবন আব্বাস (রা) আলী (রা) কে আরো বলেন, আমার আশা কা হচ্ছে, আপনি
মু আৰিয়াকে পদচ্যুত করলে তিনি আপনার নিকট উসমা (রা) এর রক্তের বদলা দাবি করবেন ৷
আর তালহা এবং যুবায়র-এর ব্যাপারেও আমি নিরাপদ বোধ করছি না ৷ র্তারাও এ ব্যাপারে
আপনার বিরুদ্ধে আপত্তি তুলতে পারেন ৷ তখন আলী (বা) বললেন, আমি এমনটি মনে করি
না; তুমি বরং সিরিয়ার গমন কর , আমি তোমাকে সেখানকার শাসনকর্তা নিযুক্ত করলাম ৷ তখন
ইবন আব্বাস (রা) আলী (রা)-কে বললেন : মুআরিয়া সম্পর্কে আমার আশংকা হচ্ছে, হযরত
উসমান (রা)-এর প্রতিশোধ হিসাবে তিনি আমাকে হত্যা করবেন, অথবা আপনার সঙ্গে
ভৈনকাট্যর কারণে তিনি আমাকে বন্দী করবেন ৷ বরং আপনি আমার হাতে হযরত মুআবিয়ার
নিকট পত্র লিখে দিন, যাতে তিনি তার ওয়াদা পুর্ণ করেন ৷ তখন আলী (রা) বললেন :
আল্লাহ্র কসম, এটা কখনো হবে না ৷ ’
তখন হযরত ইবন আব্বাস (রা) বললেন : আমীরম্স মু’মিনীন! রাসুলুল্লাহ্মোঃ এর উক্তি
অনুযায়ী যুদ্ধ তো এক ধরনের কুটকৌশল, ৷ আল্পাহ্র কসম, আপনি যদি আমার কথা মেনে নেন
তাহলে তারা ফিরে এলে আমি অবশ্যই তাদেরকে হাষির করবো ৷ হযরত ইবন আব্বাস (রা)
আলী (রা)-কে নিষেধ করেন যে, আপনার মদীনা ত্যাগ করে ইরাক গমনকে যারা অভিনন্দিত
করে, তাদের কথায় আপনি কান দেবেন না ৷ কিন্তু আলী (রা) হযরত ইবন আব্বাস (রা) এর
কোন কথইি মানতে রাজী হননি ৷ বরং তিনি গ্রহণ করেন নানা শহর থেকে আগত খারিজী
সম্প্রদায়ের হর্ভাকর্তাদের পরামর্শ ৷
ইবন জারীর তাবারী বলেনং এ বছর কনক্টানটইিন ই বন হিরাক্লিয়াস এক হাজার জাহাজ
যােগে মুসলিম অঞ্চলে অভিযানের অন্ডিপ্রড়ায়ধ্ করলে আল্লাহ তাআলা ঝঞা বায়ু প্রেরণ করে
আপন শক্তি বলে তা ডুবিয়ে দেন ৷ তাদের সঙ্গে সকল নােক-লশকরও ডুবে মরে; রজাের সঙ্গে
একটা ন্মুন্দ্র দল কেবল রক্ষা পড়ায় ৷ বাদশাহ সিলিলিতে প্রবেশ করলে লোকেরা তার ড়ন্যে একটা
হাষ্মড়ামখানা প্রস্তুত করে তাকে সেখানে হত্যা করে ৷ লোকেরা তাকে বলে, ভুমি আমাদের
ণ্লাকজ্যাকে হত্যা করেছ ৷
عُمَرُ وَجَعَلَ الْأَمْرَ شُورَى فِي سِتَّةٍ أَحَدُهُمْ عَلِيٌّ، ثُمَّ خُلِصَ مِنْهُمْ بِعُثْمَانَ وَعَلِيٍّ - كَمَا قَدَّمْنَا - فَقُدِّمَ عُثْمَانُ عَلَى عَلِيٍّ، سَمِعَ وَأَطَاعَ. فَلَمَّا قُتِلَ عُثْمَانُ يَوْمَ الْجُمْعَةِ لِثَمَانِ عَشْرَةَ خَلَتْ مِنْ ذِي الْحِجَّةِ سَنَةَ خَمْسَةٍ وَثَلَاثِينَ، عَلَى الْمَشْهُورِ عَدَلَ النَّاسُ إِلَى عَلِيٍّ فَبَايَعُوهُ قَبْلَ أَنْ يُدْفَنَ عُثْمَانُ، وَقِيلَ: بَعْدَ دَفْنِهِ. كَمَا تَقَدَّمَ، وَقَدِ امْتَنَعَ عَلِيٌّ مِنْ مُبَايَعَتِهِمْ، وَفَرَّ مِنْهُمْ إِلَى حَائِطِ بَنِي عَمْرِو بْنِ مَبْذُولٍ، وَأَغْلَقَ بَابَهُ وَامْتَنَعَ مِنْ قَبُولِ الْإِمَارَةِ حَتَّى تَكَرَّرَ قَوْلُهُمْ، فَجَاءَ النَّاسُ فَطَرَقُوا الْبَابَ وَوَلَجُوا عَلَيْهِ، وَجَاءُوا مَعَهُمْ بِطَلْحَةَ وَالزُّبَيْرِ، فَقَالُوا لَهُ: إِنَّ هَذَا الْأَمْرَ لَا يُمْكِنُ بَقَاؤُهُ بِلَا أَمِيرٍ، وَلَمْ يَزَالُوا بِهِ حَتَّى أَجَابَ.
[ذِكْرُ بَيْعَةِ عَلِيٍّ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، بِالْخِلَافَةِ]
فَيُقَالُ: إِنَّ أَوَّلَ مَنْ بَايَعَهُ طَلْحَةُ بِيَدِهِ الْيُمْنَى وَكَانَتْ شَلَّاءَ مِنْ يَوْمِ أُحُدٍ - لَمَّا وَقَى بِهَا رَسُولَ اللَّهِ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، - فَقَالَ بَعْضُ الْقَوْمِ: وَاللَّهِ إِنَّ هَذَا الْأَمْرَ لَا يَتِمُّ. وَخَرَجَ عَلِيٌّ إِلَى الْمَسْجِدِ فَصَعِدَ الْمِنْبَرَ وَعَلَيْهِ إِزَارٌ وَعِمَامَةُ خَزٍّ، وَنَعْلَاهُ فِي يَدِهِ، يَتَوَكَّأُ عَلَى قَوْسِهِ، فَبَايَعَهُ عَامَّةُ النَّاسِ، وَذَلِكَ يَوْمَ السَّبْتِ التَّاسِعَ عَشَرَ مِنْ ذِي الْحِجَّةِ سَنَةَ خَمْسٍ وَثَلَاثِينَ، وَيُقَالُ: إِنَّ طَلْحَةَ وَالزُّبَيْرَ إِنَّمَا بَايَعَاهُ بَعْدَ أَنْ طَلَبَهُمَا وَسَأَلَاهُ أَنْ
পৃষ্ঠা - ৫৯১৭
শুরু হলো হিজরী ৩৬ সাল
এ বছর শুরু হলে আমীরুল মু’মিনীন আলী ইবন আবু তালির্ব খিলাফতের দায়িত্ব গ্রহণ
করেন ৷ শুরুতেই তিনি বিভিন্ন শহরে প্রতিনিধি নিয়োগ করেন ৷ উবায়দুল্লাহ ইবন আব্বাসকে
ইয়ামানে, সামুরা ইবন জুন্দুবকে বসরায়, আমারা ইবন শিহাবকে কুফায় ৷ কায়স ইবন সাদ
ইবন উবাদাকে মিসরে, এবং সিরিয়ার মুআবিয়ার পরিবর্তে সহল ইবন হ্নৰুইিফকে প্রতিনিধি
নিযুক্ত করেন ৷ হযরর সহল ইবন হুনাইফ রওয়ানা করেন ৷ তবুক পৌছে মুআবিয়ার ঘোড়
সওয়ারের সঙ্গে তার সাক্ষাৎ হয়৷ তারা জিজ্ঞেস করে, আপনি কো তিনি বললেন, আমীর ৷
তারা বলে, কিসের আমীরঃ তিনি বললেন, সিরিয়ায় ৷ তারা বললো : উসমান (রা) তোমাকে
প্রেরণ করে থাকলে স্বাগতম ৷ অন্যথায় ফিরে যাও ৷ তিনি বললেন, কী ঘটেছে তোমরা কি
শুননিঃ তারা বললো, শুনেছি বটে, ফলে তিনি আলী (রা)-এর নিকট ফিরে যান ৷ কায়স ইবন
সাদ সম্পর্কে মিসরৰাসী দ্বিমত পোষণ করে ৷ অধিকাংশ লোক তার পক্ষে ৰায়আত করে, কিন্তু
একদল বলে, উসমান (রা)-এর হত্যাকারীদেরকে হত্যা না করা পর্যন্ত আমরা বায়আত করবো
না ৷ বসরাবাসীও একই কথা বললো ৷ অন্মোরা ইবন শিহাব, যাকে কুফায় আমীর নিযুক্ত করা
হয়, হযরত উসমান (রা) এর প্রতিশোধ নেয়ার উদ্দেশ্যে তালহা ইবন খুওয়ইিলিদ তার পথ
বোধ করে ৷ ফলে তিনি আলী (রা) এর নিকট ফিরে এসে তাকে তা অবহিত করেন ৷ ফিতনা ও
অস্থিরতা বিস্তার লাভ করে এবং পরিস্থিতির অবনতি ঘটে এবং উষ্মতের ঐক্য বিন ষ্ট হয়ে যায় ৷
কুফাবাসীদের আনুগত্য ও ৰায়আত সম্পর্কে আবু মুসা (রা) হযরত আলী (রা)-কে লিখেন
যে, মুষ্টিমেয় লোক ছাড়া অন্যরা আনুগত্য স্বীকার করে নিয়েছে ৷ আর হযরত আলী (রা)
মুয়াবিয়ার নিকট অনেক পত্র প্রেরণ করেন, কিন্তু তিনি সেসব পত্রের কোন জবাব ণ্দন্ন্নি ৷
হযরত উসমান (রা) এর হত্যার পর তৃতীয় মাস সফর মাস পর্যন্ত বারবার এটা ঘটে ৷ এরপর
হযরত মুআবিয়া জনৈক ব্যক্তি মারফত একটা লিপি পাঠান ৷ লোকঢি তা নিয়ে হযরত আলী
(না)-এর নিকট গেলে তিনি বললেন, তোমার পেছনে কি রয়েছে : লোকঢি বলে : আমি এমন
এক সম্প্রদায়ের নিকট থেকে এসেছি, যারা কিসাস ব্যতীত কিছুই চায় না ৷ আমি ৭০ হাজার
শায়খ্যক-(তারীখে তাৰাৰী ও তারীখে কামিল-এ এ ক্ষেত্রে ৬০ হাজার বলা হয়েছে) উসমান
(না)-এর আমার নিচে ত্রুন্দনরত রেখে এসেছি ৷ আর তা দামেশকে মিন্বরের উপর আছে ৷
তখন আলী (রা) বললেন হে আল্পাহ্! আমি তোমার নিকট উসমানের রক্ত থেকে নিজেকে
যুক্ত ঘোষণা করছি ৷ ন্
এরপর মু আবিয়ার দুত আলী (রা) এর সম্মুখ থেকে বের হয়ে এলে যেসব খারেজী উসমান
(রা) কে হত্যা করেছিল তারা তাকেও হত্যা বরেতে উদ্যত হয় ৷ অনেক চেষ্টা করে লোকঢি
বেরিয়ে আসতে সক্ষম হয় ৷ আর হযরত আলী (রা) সিরিয়াবাসীর সঙ্গে লড়াই করতে
ত্কল্পবদ্ধ হন ৷ তিনি মিসরে হযরত কায়স ইবন মধ্যে এবং কুফায় হযরত আবু মুসার নিকট এ
يُؤَمِّرُهُمَا عَلَى الْبَصْرَةِ وَالْكُوفَةِ، فَقَالَ لَهُمَا: بَلْ تَكُونَانِ عِنْدِي أَسْتَأْنِسُ بِكُمَا.
وَمِنَ النَّاسِ مَنْ يَزْعُمُ أَنَّهُ لَمْ يُبَايِعْهُ طَائِفَةٌ مِنَ الْأَنْصَارِ ; مِنْهُمْ حَسَّانُ بْنُ ثَابِتٍ، وَكَعْبُ بْنُ مَالِكٍ، وَمَسْلَمَةُ بْنُ مَخْلَدٍ، وَأَبُو سَعِيدٍ، وَمُحَمَّدُ بْنُ مَسْلَمَةَ، وَالنُّعْمَانُ بْنُ بَشِيرٍ، وَزَيْدُ بْنُ ثَابِتٍ، وَرَافِعُ بْنُ خَدِيجٍ، وَفَضَالَةُ بْنُ عُبَيْدٍ، وَكَعْبُ بْنُ عُجْرَةَ. ذَكَرَهُ ابْنُ جَرِيرٍ، مِنْ طَرِيقِ الْمَدَائِنِيِّ، عَنْ شَيْخٍ مِنْ بَنِي هَاشِمٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الْحَسَنِ. قَالَ الْمَدَائِنِيُّ: حَدَّثَنِي مَنْ سَمِعَ الزُّهْرِيَّ يَقُولُ: هَرَبَ قَوْمٌ مِنَ الْمَدِينَةِ إِلَى الشَّامِ وَلَمْ يُبَايِعُوا عَلِيًّا، وَلَمْ يُبَايِعْهُ قُدَامَةُ بْنُ مَظْعُونٍ، وَعَبْدُ اللَّهِ بْنُ سَلَامٍ، وَالْمُغِيرَةُ بْنُ شُعْبَةَ. قُلْتُ: وَهَرَبَ مَرْوَانُ بْنُ الْحَكَمِ، وَالْوَلِيدُ بْنُ عُقْبَةَ، وَآخَرُونَ إِلَى الشَّامِ. وَقَالَ الْوَاقِدِيُّ: بَايَعَ النَّاسُ عَلِيًّا بِالْمَدِينَةِ، وَتَرَبَّصَ سَبْعَةُ نَفَرٍ لَمْ يُبَايِعُوا ; مِنْهُمُ ابْنُ عُمَرَ، وَسَعْدُ بْنُ أَبِي وَقَّاصٍ، وَصُهَيْبٌ، وَزَيْدُ بْنُ ثَابِتٍ، وَمُحَمَّدُ بْنُ مَسْلَمَةَ، وَسَلَمَةُ بْنُ سَلَامَةَ بْنِ وَقْشٍ، وَأُسَامَةُ بْنُ زَيْدٍ، وَلَمْ يَتَخَلَّفْ أَحَدٌ مِنَ الْأَنْصَارِ إِلَّا بَايَعَ فِيمَا نَعْلَمُ.
وَذَكَرَ سَيْفُ بْنُ عُمَرَ، عَنْ جَمَاعَةٍ مِنْ شُيُوخِهِ قَالُوا: بَقِيَتِ الْمَدِينَةُ خَمْسَةَ أَيَّامٍ بَعْدَ قَتْلِ عُثْمَانَ وَأَمِيرُهَا الْغَافِقِيُّ بْنُ حَرْبٍ، يَلْتَمِسُونَ مَنْ يُجِيبُهُمْ إِلَى الْقِيَامِ
পৃষ্ঠা - ৫৯১৮
بِالْأَمْرِ وَالْمِصْرِيُّونَ يُلِحُّونَ عَلَى عَلِيٍّ وَهُوَ يَهْرُبُ مِنْهُمْ إِلَى الْحِيطَانِ، وَيَطْلُبُ الْكُوفِيُّونَ الزَّبِيرَ، فَلَا يَجِدُونَهُ، وَالْبَصْرِيُّونَ يَطْلُبُونَ طَلْحَةَ فَلَا يُجِيبُهُمْ، فَقَالُوا فِيمَا بَيْنَهُمْ: لَا نُوَلِّي أَحَدًا مِنْ هَؤُلَاءِ الثَّلَاثَةِ. فَمَضَوْا إِلَى سَعْدِ بْنِ أَبِي وَقَّاصٍ، فَقَالُوا: إِنَّكَ مِنْ أَهْلِ الشُّورَى. فَلَمْ يَقْبَلْ مِنْهُمْ، ثُمَّ جَاءُوا إِلَى ابْنِ عُمَرَ، فَأَبَى عَلَيْهِمْ، فَحَارُوا فِي أَمْرِهِمْ، ثُمَّ قَالُوا: إِنْ نَحْنُ رَجَعْنَا إِلَى أَمْصَارِنَا بِقَتْلِ عُثْمَانَ مِنْ غَيْرِ إِمْرَةٍ، اخْتَلَفَ النَّاسُ فِي أَمْرِهِمْ وَلَمْ نَسْلَمْ. فَرَجَعُوا إِلَى عَلِيٍّ فَأَلَحُّوا عَلَيْهِ، وَأَخَذَ الْأَشْتَرُ النَّخَعِيُّ بِيَدِهِ فَبَايَعَهُ وَبَايَعَهُ النَّاسُ، وَأَهْلُ الْكُوفَةِ يَقُولُونَ: أَوَّلُ مَنْ بَايَعَهُ الْأَشْتَرُ النَّخَعِيُّ. وَذَلِكَ يَوْمَ الْخَمِيسِ الرَّابِعُ وَالْعِشْرُونَ مِنْ ذِي الْحِجَّةِ، وَذَلِكَ بَعْدَ مُرَاجَعَةِ النَّاسِ لَهُمْ فِي ذَلِكَ، وَكُلُّهُمْ يَقُولُ: لَا يَصْلُحُ لَهَا إِلَّا عَلِيٌّ. فَلَمَّا كَانَ يَوْمُ الْجُمُعَةِ وَصَعِدَ الْمِنْبَرَ، بَايَعَهُ مَنْ لَمْ يُبَايِعْهُ بِالْأَمْسِ، وَكَانَ أَوَّلَ مَنْ بَايَعَهُ طَلْحَةُ بِيَدِهِ الشَّلَّاءِ، فَقَالَ قَائِلٌ: إِنَّا لِلَّهِ، وَإِنَّا إِلَيْهِ رَاجِعُونَ. ثُمَّ الزُّبَيْرُ، ثُمَّ قَالَ الزُّبَيْرُ: إِنَّمَا بَايَعْتُ عَلِيًّا وَاللُّجُّ عَلَى عُنُقِي. ثُمَّ رَاحَ إِلَى مَكَّةَ فَأَقَامَ بِهَا أَرْبَعَةَ أَشْهُرٍ، وَكَانَتْ هَذِهِ الْبَيْعَةُ يَوْمَ الْجُمُعَةِ لِخَمْسٍ بَقِينَ مِنْ ذِي الْحِجَّةِ، وَكَانَ أَوَّلُ خُطْبَةٍ خَطَبَهَا أَنَّهُ حَمِدَ اللَّهَ وَأَثْنَى عَلَيْهِ، ثُمَّ قَالَ: إِنَّ اللَّهَ تَعَالَى أَنْزَلَ كِتَابًا
পৃষ্ঠা - ৫৯১৯
মর্মে পত্র লিখেন যে, তারা যেন যুদ্ধ করার নিমিত্ত লোকদের নিকট সাহায্য চায় ৷ হযরত
উসমান ইবন হুনইিফের নিকটও এ মর্মে বার্তা প্রেরণ করেন ৷ তিনি লোকজনের সঙ্গে কথা বলে
এ ব্যাপারে তাদেরকে অনুপ্রাণিত করেন ৷ প্রভৃতির সংকল্প নিয়ে তিনি মদীনা থেকে বের হন
এবং কুসাম ইবন আব্বাসকে মদীনায় স্থলাভিষিক্ত করে যান ৷ তিনি তার অনুগতদেরকে সঙ্গে
নিয়ে অবাধ এবং লোকদের সঙ্গে বায়আত করতে অস্বীকারকারীদের বিরুদ্ধে লড়ইি করার
সংকল্প নিয়ে বের হন ৷ পুত্র হাসান তার কাছে এসে বলেন, পিতা ! এ সংকল্প পরিত্যাগ করুন ৷
কারণ, এতে মুসলমানদের রক্তপাত হবে আর নিজেদের মধ্যে মতবেধ সৃষ্টি হবে ৷ জ্যি আলী
(রা) পুত্রের এসব কথা মেনে নেননি ৷ বরং যুদ্ধের জন্য তিনি কৃত সংকল্প হন এবং সেনাবাহিনী
প্রস্তুত করেন ৷ মুহাম্মদ ইবনুল হানাফিয়ার হাতে তিনি পতাকা তুলে দেন ৷ আর ইবন আব্বাস
(রা)-কে ডান দিকের বাহিনীর নেতা করেন এবং আমর ইবন আবু সালমাকে করেন বাম দিকের
বাহিনীর নেতা ৷ ভিন্ন মতে বাম দিকের বাহিনীর নেতা নিযুক্ত করেন অমৃর ইবন সুফিয়ান ইবন
আব্দুল আসাদকে এবং অগ্রভাগের দায়িত্ব ন্যস্ত করেন আবু উবায়দার ভাতিজা আবু লায়লা ইবন
আমর ইবনুল জায়রাহ-এর উপর ৷ আর মদীনায় তার স্থলাভিষিক্ত নিযুক্ত করেন কুসাম ইবন
আব্বাসকে ৷ মদীনা থেকে সিরিয়ার উদ্দেশ্যে বের হওয়ার ক্ষেত্রে আর কোন বাধা থাকলো না ৷
াশষ পর্যন্ত এমন এক পরিস্থিতি সৃষ্টি হলো, যা তাকে এ কাজ থেকে নিবৃত্ত করলো ৷ সামনে সে
কথাই আমরা আলোচনা করবো ৷
জামাল (উটের) যুদ্ধের সুচনা
আইয়ামে তাশৃয়ীকের পর যখন উসমান (রা)-এর হত্যার ঘটনা ঘটে, তখন ফিতনা থেকে
বাচার জন্য নবী করীম মোঃ এর সহধর্মিনী উম্মুল মুমিনীনগণ সে বছর হজে গমন করেন ৷
লোকেরা যখন উসমান (রা)-এর হত্যা সম্পর্কে জানতে পারে তখন লোকজন মক্কা থেকে চলে
গেলেও তারা মক্কায় অবসস্থান করেন ৷ পরে তারাও মক্কা থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পর পুনরায়
মক্কায় প্রত্যাবর্ভা করে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করেন ৷ আলী (রা)-এর পক্ষে বায়আত গৃহীত
হওয়ার পর পরিবেশ পরিস্থিতির দাবি আর ব্যাপক পরামর্শক্রমে জনমত তার পক্ষে আসে
যেসব খারিজী উসমান (রা)-কে হত্যা করেছিল, আলী (রা) তাদেরকে নাপছন্দ করতেন বটে,
জ্যি কালের আবর্তনের তিনি অপেক্ষা করছিলেন ৷ তিনি কামনা করতেন যে, সুযোগ এলে তিনি
তাদের থেকে আল্লাহ্র হক উসুল করবেন ৷ কিন্তু পরিস্থিতি এমন র্দাড়াল যে, তাৱইি তার উপর
প্রবল হয়ে উঠলো, তারা বড় বড় সাহাবীকে তার নিকট আসতে বারণ করলো ৷ এসময় বনু
উযইিয়া “এবং অন্যদের একটা দল মক্কায় পলায়ন করে চলে আসেন ৷ তালহা ও ষুৰায়র তার
নিকট উমরা করার অনুমতি চাইলে তিনি তাদেরকে অনুমতি দেন ৷ ’ তারা মক্কা গমন করলে
বিপুল লোক তাদের অনুসরণ করে ৷
আলী (বা) সিরিয়াবাসীদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়ে মদীনাবাসীদেরকে তাতে যোগ
দানের আহ্বান জানালে তারা যোগদান করতে অস্বীকার করে ৷ এরপর তিনি আব্দুল্পাহ্ ইবন
উমর ইবনুল খাত্তাব (রা)-ণ্ক তলব করে তাকে সঙ্গী হওয়ার জন্য উদ্বুদ্ধ ও অনুপ্রাণিত করেন ৷
জবাবে তিনি বলেন : আমিতো মদীনাবাসী এক (সাধারণ) মানুষ ৷ তারা যুদ্ধে গমন করলে
তাদের সকলের সঙ্গে অনুগতরুপে আমিও বের হবো ৷ তবে এ বছর যুদ্ধের জন্য আমি বের হব
هَادِيًا بَيَّنَ فِيهِ الْخَيْرَ وَالشَّرَّ، فَخُذُوا بِالْخَيْرِ وَدَعُوا الشَّرَّ، إِنَّ اللَّهَ حَرَّمَ حُرُمًا مُجْمَلَةً، وَفَضَّلَ حُرْمَةَ الْمُسْلِمِ عَلَى الْحُرُمِ كُلِّهَا، وَشَدَّ بِالْإِخْلَاصِ وَالتَّوْحِيدِ حُقُوقَ الْمُسْلِمِينَ، وَالْمُسْلِمُ مَنْ سَلِمَ الْمُسْلِمُونَ مِنْ لِسَانِهِ وَيَدِهِ إِلَّا بِالْحَقِّ، لَا يَحِلُّ أَذَى مُسْلِمٍ إِلَّا بِمَا يَجِبُ، بَادِرُوا أَمْرَ الْعَامَّةِ، وَخَاصَّةُ أَحَدِكُمُ الْمَوْتُ، فَإِنَّ النَّاسَ أَمَامَكُمْ وَإِنَّمَا خَلْفَكُمُ السَّاعَةُ تَحْدُوكُمْ فَتَخَفَّفُوا تَلْحَقُوا، فَإِنَّمَا يَنْتَظِرُ النَّاسُ أُخْرَاهُمُ، اتَّقُوا اللَّهَ عِبَادَهُ فِي عِبَادِهِ وَبِلَادِهِ، إِنَّكُمْ مَسْئُولُونَ حَتَّى عَنِ الْبِقَاعِ وَالْبَهَائِمِ، أَطِيعُوا اللَّهَ وَلَا تَعْصُوهُ، وَإِذَا رَأَيْتُمُ الْخَيْرَ فَخُذُوا بِهِ وَإِذَا رَأَيْتُمُ الشَّرَّ فَدَعُوهُ: {وَاذْكُرُوا إِذْ أَنْتُمْ قَلِيلٌ مُسْتَضْعَفُونَ فِي الْأَرْضِ} [الأنفال: 26] فَلَمَّا فَرَغَ مِنْ خُطْبَتِهِ قَالَ الْمِصْرِيُّونَ:
خُذْهَا إِلَيْكَ وَاحْذَرَنْ أَبَا الْحَسَنْ ... إِنَّا نُمِرُّ الْأَمْرَ إِمْرَارَ الرَّسَنْ
صَوْلَةَ أَقْوَامٍ كَأَسْدَادِ السُّفُنْ ... بِمَشْرَفِيَّاتٍ كَغُدْرَانِ اللَّبَنْ
পৃষ্ঠা - ৫৯২০
وَنَطْعُنُ الْمُلْكَ بِلِينٍ كَالشَّطَنْ
حَتَّى يُمَرَّنَّ عَلَى غَيْرِ عَنَنْ
فَقَالَ عَلِيٌّ مُجِيبًا لَهُمْ:
إِنِّي عَجَزْتُ عَجْزَةً لَا أَعْتَذِرْ ... سَوْفَ أَكِيسُ بَعْدَهَا وَأَسْتَمِرْ
أَرْفَعُ مِنْ ذَيْلِيَ مَا كُنْتُ أَجُرْ ... وَأَجْمَعُ الْأَمْرَ الشَّتِيتَ الْمُنْتَشِرْ
إِنْ لَمْ يُشَاغِبْنِي الْعَجُولُ الْمُنْتَصِرْ ... أَوْ يَتْرُكُونِي وَالسِّلَاحُ يُبْتَدَرْ
وَكَانَ عَلَى الْكُوفَةِ أَبُو مُوسَى الْأَشْعَرِيُّ عَلَى الصَّلَاةِ، وَعَلَى الْحَرْبِ الْقَعْقَاعُ بْنُ عَمْرٍو، وَعَلَى الْخَرَاجِ جَابِرُ بْنُ فُلَانٍ الْمُزَنِيُّ، وَعَلَى الْبَصْرَةِ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عَامِرٍ، وَعَلَى مِصْرَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ سَعْدِ بْنِ أَبِي سَرْحٍ، وَقَدْ تَغَلَّبَ عَلَيْهِ مُحَمَّدُ بْنُ أَبِي حُذَيْفَةَ، وَعَلَى الشَّامِ مُعَاوِيَةُ بْنُ أَبِي سُفْيَانَ، وَنُوَّابُهُ ; عَلَى حِمْصَ عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ خَالِدِ بْنِ الْوَلِيدِ، وَعَلَى قِنَّسْرِينَ حَبِيبُ بْنُ مَسْلَمَةَ، وَعَلَى الْأُرْدُنِّ أَبُو الْأَعْوَرِ، وَعَلَى فِلَسْطِينَ عَلْقَمَةُ بْنُ حَكِيمٍ، وَعَلَى أَذْرَبِيجَانَ الْأَشْعَثُ بْنُ قَيْسٍ، وَعَلَى قَرْقِيسْيَاءَ جَرِيرُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ الْبَجَلِيُّ، وَعَلَى حُلْوَانَ عُتَيْبَةُ بْنُ
পৃষ্ঠা - ৫৯২১
না ৷ এরপর ইবন উমর প্রস্তুত হয়ে মক্কার উদ্দেশ্যে বের হয়ে যান ৷ একই বছর ইয়ামান থেকে
ইয়ালা ইবন উমইিয়াও মক্কায় আগমন করেন (সঠিক নামটা হলো ইয়ালা ইবন মুনৃয়া) ৷ ইনি
ছিলেন ইয়ামনে উসমান (রা)-এর নিযুক্ত গভর্নর ৷ তার সঙ্গে ছিল ৬ শত উট এবং ৬ লাখ
দিবহাম ড্রো ৷ (তাবারীও কামিল গ্রন্থে এমনই উল্লিখিত হয়েছে; জ্যি ইবনুল আসাম-এর ফুতুহ্
গ্রন্থে বলা হয়েছে : শত উট) ৷ বসরা থেকে আব্দুল্লাহ্ ইবন আমেরও মক্কায় আগমন করেন,
যিনি সেখানে হযরত উসমান (রা)-এর প্রতিনিধি ছিলেন ৷ বেশ কিছু বড় বড় সাহাৰী এবং উম্মুল
মু’মিনীনগণও মক্কায় সমবেত হন ৷ হযরত আয়েশা (রা) উসমান (না)-এর রক্তের বদলা দাবি
করে ভাষণ দান করে লোকজনকে উদ্দীপ্ত করেন, যেস সব লোক হত্বরম শহরে হারাম মাসে
উসমান (রা)কে হত্যা করেছে, তাদের সম্পর্কে তিনি তীর ব্যক্তিগত, মতের কথাও উল্লেখ
করেন ৷ রাসুলুল্লাহ্ক্রেএর প্রতিবেশী হওয়ার বিষয়টাও বিবেচনা না করে তারা রক্তপাত
করেছে এবং ধন-সম্পদ লুটপাট করেছে ৷ জ্যাতা হযরত আয়েশা (রা)-এর প্রতি সমর্থন জ্ঞাপন
করে আমার যে, এ ব্যাপারে আপনি যা ভাল মনে করবেন তাতে আমাদের সমর্থন থাকবে ৷
তারা জানায় যে, আপনি যেখানে গমন করেন, আমরা আপনার সঙ্গে থাকবাে ৷ কেউ
বললো, আমরা সিরিয়া যাবো ৷ আবার কেউ বললো, হযরত আয়েশা (রা)-এর ব্যাপারে
মুয়াবিয়ার সিদ্ধান্তই যথেষ্ট ৷ তারা তার দিকে এগিয়ে গেলে তারাই প্রবল থাকতো তাদের
ইচ্ছা-অভিপ্রায় অনুযায়ী সকল কাজ সম্পন্ন হতো ৷ কারণ, বড় বড় সাহাৰী তাদের সঙ্গে ছিলেন ৷
অন্যরা বললো : আমরা মদীনায় যাবো, আলী (রা)-এর নিকট দাবি জানাবাে, তিনি যেন
উসমান (রা) , এর হত্যাকায়ীদ্যোকে আমাদের হাতে ন্যস্ত করেন ৷ এরপর তাদেরকে হত্যা করা
হবে ৷ অন্যরা বললো : বরং আমরা বসরা গমন করবো, অশ্বারোহী আর পদাতিক দ্বারা শক্তি
সঞ্চয় করবো এবং উসমান (রা)-এর হত্যাকারীদের মধ্যে যারা সেখানে রয়েছে, তাদের
থেকেই আমরা (প্রতিশোধ অভিযান) শুরু করবো ৷
সকলের সষ্মতিক্রমে এ মতই স্থির হয় ৷ আর অন্যান্য উম্মুল মুমিনীন হযরত আয়েশা
(রা)-এর সঙ্গে মদীনা গমন করার ব্যাপারে একমত ছিলেন ৷ বসরা গমন বল্পার ব্যাপারে সকলে
একমত হলে উম্মুল মু’মিনীনগণ সেখান থেকে এই বলে ফিরে যান যে, আমরা মদীনা ছাড়া
অন্য কোথাও যাবো না ৷ ইয়া’লা ইবন উমাইয়া লোকদের প্রস্তুত করেন এবং তাদের জন্য ৬
শত উট এবং ৬ লাখ দিরহাম ব্যয় করেন ৷ ইবনুল আমান এর ফু-তুহ গ্রন্থে ষাট হজাের দীনার
উল্লেখ করা হয়েছেন ৷ ইবন আমেরও অনেক মাল দ্বারা তাদ্যোকে প্রস্তুত করেন ৷ উঘুল
মুমিনীন হাফসা বিনৃত উমর বসরা গমন করার ব্যাপারে হযরত আলো (রা)এর সঙ্গে একমত
হন ৷ তবে তার ভইি আব্দুল্লাহ্ এ থেকে তাকে বিরত রাখেন ৷ এবং তিনি নিজেও মদীনা ছাড়া
অন্য কোথাও গমন করতে অস্বীকার করেন ৷ করে এক হজোর অশ্যারাহীসহ হযরত আয়েশা
রওয়ানা হন ৷ জ্যি মতে তাদের সঙ্গে ছিলেন মক্কা-মদীনার নয় শত অশ্বারােহীর দল ৷ তাদের
সঙ্গে অন্যরাও যোগ দেয় ৷ ফলে তাদের সংখ্যা দাড়ায় তিনহজোর অশ্বারোহী ৷
আর উম্মুল মুমিনীন আয়েশা (রা) আসৃফার নামক উটের পিঠে হাওদায় সওয়ার ছিলেন ৷
ইয়ালা ইবন উমইিয়া উরাইনা নামে জনৈক ব্যত্তিল্ম নিকট দুশ দীনার , ভিন্ন মতে ৮০ দীনার বা
,কম বেশি দামে উটটি ক্রয় করেছিলেন ৷ আয়েশা (রা)-কে বািদয় জানাতে উম্মুল মুমিনীনগণ
তার সঙ্গে যাতু ইরক নামক স্থান পর্যন্ত এগিয়ে আসেন ৷ সেখানে তার র্তাকে বিদায় জানাতে
النَّهَّاسِ، وَعَلَى مَاهَ مَالِكُ بْنُ حَبِيبٍ، وَعَلَى هَمَذَانَ النُّسَيْرُ. هَذَا مَا ذَكَرَهُ ابْنُ جَرِيرٍ مِنْ نُوَّابِ عُثْمَانَ الَّذِينَ تُوَفِّيَ وَهُمْ نُوَّابُ الْأَمْصَارِ، وَكَانَ عَلَى بَيْتِ الْمَالِ عُقْبَةُ بْنُ عَمْرٍو، وَعَلَى قَضَاءِ الْمَدِينَةِ زَيْدُ بْنُ ثَابِتٍ.
وَلَمَّا قُتِلَ عُثْمَانُ بْنُ عَفَّانَ خَرَجَ النُّعْمَانُ بْنُ بَشِيرٍ وَمَعَهُ قَمِيصُ عُثْمَانَ مُضَمَّخٌ بِدَمِهِ، وَمَعَهُ أَصَابِعُ نَائِلَةَ الَّتِي أُصِيبَتْ حِينَ جَاحَفَتْ عَنْهُ بِيَدِهَا، فَقُطِعَتْ مَعَ بَعْضِ الْكَفِّ فَوَرَدَ بِهِ عَلَى مُعَاوِيَةَ بِالشَّامِ، فَوَضَعَهُ مُعَاوِيَةُ عَلَى الْمِنْبَرِ لِيَرَاهُ النَّاسُ، وَعَلَّقَ الْأَصَابِعَ فِي كُمِّ الْقَمِيصِ، وَنَدَبَ النَّاسَ إِلَى الْأَخْذِ بِثَأْرِ هَذَا الدَّمِ وَصَاحِبِهِ، فَتَبَاكَى النَّاسُ حَوْلَ الْمِنْبَرِ، وَجَعَلَ الْقَمِيصُ يُرْفَعُ تَارَةً وَيُوضَعُ تَارَةً، وَالنَّاسُ يَتَبَاكَوْنَ حَوْلَهُ سَنَةً، وَحَثَّ بَعْضُهُمْ بَعْضًا عَلَى الْأَخْذِ بِثَأْرِهِ، وَاعْتَزَلَ أَكْثَرُ النَّاسِ النِّسَاءَ فِي هَذَا الْعَامِ، وَقَامَ فِي النَّاسِ مُعَاوِيَةُ وَجَمَاعَةٌ مِنَ الصَّحَابَةِ مَعَهُ يُحَرِّضُونَ النَّاسَ عَلَى الْمُطَالَبَةِ بِدَمِ عُثْمَانَ مِمَّنْ قَتَلَهُ مِنْ أُولَئِكَ الْخَوَارِجِ ; مِنْهُمْ عُبَادَةُ بْنُ الصَّامِتِ، وَأَبُو الدَّرْدَاءِ، وَأَبُو أُمَامَةَ، وَعَمْرُو بْنُ عَبَسَةَ، وَغَيْرُهُمْ مِنَ الصَّحَابَةِ وَمِنَ التَّابِعِينَ ;
পৃষ্ঠা - ৫৯২২
شَرِيكُ بْنُ خُبَاشَةَ، وَأَبُو مُسْلِمٍ الْخَوْلَانِيُّ، وَعَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ غَنْمٍ، وَغَيْرُهُمْ مِنَ التَّابِعِينَ.
وَلَمَّا اسْتَقَرَّ أَمْرُ بَيْعَةِ عَلِيٍّ دَخَلَ عَلَيْهِ طَلْحَةُ وَالزُّبَيْرُ وَرُءُوسُ الصَّحَابَةِ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمْ، وَطَلَبُوا مِنْهُ إِقَامَةَ الْحُدُودِ، وَالْأَخْذَ بِدَمِ عُثْمَانَ. فَاعْتَذَرَ إِلَيْهِمْ بِأَنَّ هَؤُلَاءِ لَهُمْ مَدَدٌ وَأَعْوَانٌ، وَأَنَّهُ لَا يُمْكِنُهُ ذَلِكَ يَوْمَهُ هَذَا، فَطَلَبَ مِنْهُ الزُّبَيْرُ أَنْ يُوَلِّيَهُ إِمْرَةَ الْكُوفَةِ لِيَأْتِيَهُ بِالْجُنُودِ، وَطَلَبَ مِنْهُ طَلْحَةُ أَنْ يُوَلِّيَهُ إِمْرَةَ الْبَصْرَةِ لِيَأْتِيَهُ مِنْهَا بِالْجُنُودِ، لِيَتَقَوَّى بِهِمْ عَلَى شَوْكَةِ هَؤُلَاءِ الْخَوَارِجِ، وَجَهَلَةِ الْأَعْرَابِ الَّذِينَ كَانُوا مَعَهُمْ فِي قَتْلِ عُثْمَانَ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، فَقَالَ لَهُمَا: حَتَّى أَنْظُرَ فِي هَذَا. وَدَخَلَ عَلَيْهِ الْمُغِيرَةُ بْنُ شُعْبَةَ عَلَى إِثْرِ ذَلِكَ فَقَالَ لَهُ: إِنِّي أَرَى أَنْ تُقِرَّ عُمَّالَكَ عَلَى الْبِلَادِ، فَإِذَا أَتَتْكَ طَاعَتُهُمُ اسْتَبْدَلْتَ بَعْدَ ذَلِكَ بِمَنْ شِئْتَ وَتَرَكْتَ مَنْ شِئْتَ. ثُمَّ جَاءَهُ مِنَ الْغَدِ فَقَالَ لَهُ: إِنِّي أَرَى أَنْ تَعْزِلَهُمْ لِتَعْلَمَ مَنْ يُطِيعُكَ مِمَّنْ يَعْصِيكَ. فَعَرَضَ ذَلِكَ عَلِيٌّ عَلَى ابْنِ عَبَّاسٍ فَقَالَ: لَقَدْ نَصَحَكَ بِالْأَمْسِ وَغَشَّكَ الْيَوْمَ. فَبَلَغَ ذَلِكَ الْمُغِيرَةَ فَقَالَ: نَعَمْ نَصَحْتُهُ فَلَمَّا لَمْ يَقْبَلْ غَشَشْتُهُ. ثُمَّ خَرَجَ الْمُغِيرَةُ فَلَحِقَ
পৃষ্ঠা - ৫৯২৩
গিয়ে কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন ৷ লোকেরা কৃত্রিম কান্নড়াও র্কাদে ৷ এ দিনটি ইয়াওমুন নহীব’ তথা
উভৈচ্চ৪স্বরে কান্নার দিন নামে পরিচিত ৷ ণ্লাকেরা বসরার উদ্দেশ্যে রওয়ানা হয় ৷ আয়েশা
(রা) এর নির্দেশক্রমৈ তীর ভাপ্নে আব্দুল্লাহ্ ইবন যুবইির (তাবারীর বর্ণনা মতে আব্দুর রহমান
ইবন আত্তাব ইবন আসীদ) লোকদের নামাষে ইমহুমতি করেন এবং মারওয়ান ইবনুল হাকাম
নামায়ের সময় আমান দেন ৷ রাত্রিবেলা পথ অতিত্রুমকালে তারা হাওয়াব’ নামক কুপের কাছে
পৌছে কুকুরের আওয়াজ শুনতে পান ৷ আয়েশা (বা) জিজ্ঞেস করেন, এ স্থানটিৱ কি নাম ৷
লোকেরা বললো হাওয়াব ৷ তিনি এক হাতের উপর অপর হস্ত স্থাপন করে বললেন,
ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলইিইি রাজিউন, আমি ফিরে যেতে চাই ৷ জিজ্ঞেস করা হলো, কেন :
তিনি বললেনং :
মোঃ
ষ্ ন্ ৷ ,;৷ ৷ ষ্ ন্১াব্লু
আমি রাসুল মোঃ ণ্ক তার ত্রীদের সম্পর্কে বলতে শুনেছি : হার ! আমি যদি জানতাম,
তোমাদের মধ্যে কারজন্য হাওয়াবের কুকুর ক্রন্দন করর্বে ৷ ’ তারপর তিনি উটের বাহুতে আঘাত
করে তাকে বসান এবং বলেন : আমাকে ফিরিয়ে নাও, আমাকে ফিরিয়ে নাও, আল্লাহ্র কসম !
আমিইতাে হলাম হাওয়াব কুয়াের অধিৰাসিনী ৷ ’ ইতােপুর্বে সুত্র আর শ্ন্দেমালা যােগে আমরা
দালাইলুন নবুওয়ড়াত অধ্যায়ে হাদীসটি উল্লেখ করেছি ৷ তইি লোকজনও তাদের উট একদিন
একরাত্র সেখানে বসিয়ে রাখে ৷ এরপর আব্দুল্লাহ্ ইবন যুবায়র (রা) তাকে বললেন :
যে আপনাকে বলেছে যে, এটা হাওয়াব কুয়াে, সে মিথ্যা বলেছে ৷ (ইবন যুবায়র আয়েশা
(রা)-এর নিকট ৫০ জন লোক হাযির করেন, যারা এ মর্মে সাক্ষ্য দান করেন যে, এটা হাওয়াব
কুয়াে নয় ৷ আর এ ছিল ইসলামে সর্বপ্রথম মিথ্যা সাক্ষ্য) ৷ এরপর লোকেরা বলে উঠে : র্বাচাও ৷
র্বাচাও ! এ যে আলী ইবন আবু তালিরের সৈন্যরা এগিয়ে আসছে ৷ চল বসরা অভিমুখে
রওয়ানা হও ৷ বসরার নিকট পৌছে তিনি আহনাফ ইবন করেন এবং অন্যান্য প্রধান ব্যক্তির
নিকট এ মর্মে পত্র প্রেরণ করেন যে, তিনি বসরার নিকট এসে মোঃছন ৷ তখন উসমান ইবন
হুনইিফ, ইমরান ইবন হুসইিন এবং আবুল আসওয়ড়াদদুয়েলীকে তার নিকট প্রেরণ করেন, যাতে
তারা জানত্বে পারেন যে, তার আগমনের হেতু কি ৷ র্তারা তার কাছে গিয়ে জানতে চান যে, কি
জন্য তার আগমন? তিনি তাদেরকে জানান যে, যে জন্য তিনি এসেছেন তা হলো উসমান
(রা)-এর হত্যার প্রতিশোধ দাবি করা ৷ কারণ, অন্যায়ডাবে হারাম মাসে হারম নগরীতে তিনি
নিহত হয়েছেন ৷ এ সময় তিনি কুরআন মজীদের নিম্নোক্ত আয়াত তিলাওয়াত করেন০
০
শ্শ্শ্শ্শ্শ্
بِمَكَّةَ، وَلَحِقَ جَمَاعَةٌ مِنْهُمْ طَلْحَةُ وَالزُّبَيْرُ بِمَكَّةَ، وَكَانُوا قَدِ اسْتَأْذَنُوا عَلِيًّا فِي الِاعْتِمَارِ فَأَذِنَ لَهُمْ، ثُمَّ إِنَّ ابْنَ عَبَّاسٍ أَشَارَ عَلَى عَلِيٍّ بِاسْتِمْرَارِهِ بِنُوَّابِهِ فِي الْبِلَادِ إِلَى حِينِ يَتَمَكَّنُ الْأَمْرُ، وَأَنْ يُقِرَّ مُعَاوِيَةَ خُصُوصًا عَلَى الشَّامِ وَقَالَ لَهُ: إِنِّي أَخْشَى إِنْ عَزَلْتَهُ عَنْهَا أَنْ يُطَالِبَكَ بِدَمِ عُثْمَانَ، وَلَا آمَنُ طَلْحَةَ وَالزُّبَيْرَ أَنْ يَكِرَّا عَلَيْكَ بِسَبَبِ ذَلِكَ. فَقَالَ عَلِيٌّ: إِنِّي لَا أَرَى هَذَا، وَلَكِنِ اذْهَبْ أَنْتَ إِلَى الشَّامِ فَقَدْ وَلَّيْتُكَهَا. فَقَالَ ابْنُ عَبَّاسٍ: إِنِّي أَخْشَى مِنْ مُعَاوِيَةَ أَنْ يَقْتُلَنِي بِعُثْمَانَ، أَوْ يَحْبِسَنِي لِقَرَابَتِي مِنْكَ، وَلَكِنِ اكْتُبْ إِلَى مُعَاوِيَةَ فَمَنِّهِ وَعِدْهُ. فَقَالَ عَلِيٌّ: وَاللَّهِ إِنَّ هَذَا مَا لَا يَكُونُ أَبَدًا. فَقَالَ ابْنُ عَبَّاسٍ: يَا أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ إِنَّ الْحَرْبَ خَدْعَةٌ كَمَا قَالَ رَسُولُ اللَّهِ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَوَاللَّهِ لَئِنْ أَطَعْتَنِي لَأُورِدَنَّهُمْ بَعْدَ صَدْرِهِمْ. وَنَهَى ابْنُ عَبَّاسٍ عَلِيًّا فِيمَا أَشَارَ عَلَيْهِ أَنْ يَقْبَلَ مِنْ هَؤُلَاءِ الَّذِينَ يُحَسِّنُونَ لَهُ الدُّخُولَ إِلَى الْعِرَاقِ، وَمُفَارَقَةَ الْمَدِينَةِ، فَأَبَى عَلَيْهِ ذَلِكَ كُلَّهُ، وَطَاوَعَ أَمْرَ أُولَئِكَ الْأُمَرَاءِ مِنْ أُولَئِكَ الْخَوَارِجِ مِنْ أَهْلِ الْأَمْصَارِ.
قَالَ ابْنُ جَرِيرٍ: وَفِي هَذِهِ السَّنَةِ قَصَدَ قُسْطَنْطِينُ بْنُ هِرَقْلَ بِلَادَ
পৃষ্ঠা - ৫৯২৪
الْمُسْلِمِينَ فِي أَلْفِ مَرْكَبٍ، فَأَرْسَلَ اللَّهُ عَلَيْهِ قَاصِفًا مِنَ الرِّيحِ فَغَرَّقَهُ اللَّهُ بِحَوْلِهِ وَقُوَّتِهِ وَمَنْ مَعَهُ، وَلَمْ يَنْجُ مِنْهُمْ أَحَدٌ إِلَّا الْمَلِكُ فِي شِرْذِمَةٍ قَلِيلَةٍ مِنْ قَوْمِهِ، فَلَمَّا دَخَلَ صِقِلِّيَةَ عَمِلُوا لَهُ حَمَّامًا فَدَخَلَهُ فَقَتَلُوهُ فِيهِ وَقَالُوا: أَنْتَ قَتَلْتَ رِجَالَنَا.