ثم دخلت سنة خمس وثلاثين
পৃষ্ঠা - ৫৭৬৬
৩৫ হিজরীর আগমন ও হযরত উসমান (না)-এর
নিহত হওয়ার ঘটনা
তার কারণ ছিল, হযরত উসমান ইবন আফফান (রা) কবৃকি আমর ইবনুল আস (রা)কে
মিসর থেকে বরখাস্ত করা এবং আবদুল্লাহ ইবন সাদ ইবন আবু সারহ (র)-বো আমীর নিযুক্ত
করা ৷ মিসরের খারিজীরা আমর ইবনুল আস (রা) দ্বারা পরিরেষ্টিত ছিল এবং তার কাছে
পরাভৃত ছিল ৷ তাই তারা খলীফার ও আমীরের বিরুদ্ধে কোন রকম বিরুপ মন্তব্য করতে সাহস
পেত না ৷ তারা এরুপ অবস্থায় দিন কাটাতে লাগল ৷ একদিন তারা হযরত উসমান (রা)-এর
কাছে আমীরের বিরুদ্ধে অভিযোগ পােশ করল এবং তাকে তাদের থেকে প্রত্যাহার করে অন্য
একজন তার চেয়ে নয় শাসক নিযুক্ত করার দাবি জানলে ৷ তাদের এ দাবি আদায়ের জন্য তারা
খলীফার উপরে চাপ সৃষ্টি করতে লাগল ৷ তারপর খসীফা আমর (বা)-কে সেনাপতির পদ
থেকে বরখাস্ত করলেন কিন্তু তাকে সালাতের ইমামতিতে বহাল রাখলেন ৷ সেনাপতি ও কর
আদায়ের দায়িত্ব দিলেন আবদুল্লাহ ইবন সাদ ইবন আবু সারহ (র)-কে ৷ তারপর খারিজীরা
এই দুইজন প্রশাসকের মধ্যে হিংসা-বিদ্বেষ সৃষ্টি কংতে অপপ্রয়াস চালান ৷
শেষ পর্যন্ত তাদের মধ্যে হিংসা-বিদ্বেষ সৃষ্টি হলো এবং তাদের মধ্যে বাদানুবাদ ও
বাকবিতণ্ডা পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হলো ৷ তারপর উসমান (বা) তাদের কাছে দুত পাঠান এবং
আবদুল্লাহ ইবন সা’দ ইবন আবু সারহ (র)-কে মিসরের সমস্ত কর্মচারী তাদের কর আদায়,
তাদের যুদ্ধ পরিচালনা, তাদের সালাত আদায় ও যাবতীয় কাজের দায়িত্ব অর্পণ করেন ৷ আর
আমর ইবনুল আস (বা) কে বলে পাঠান যে, যারা তোমাকে অপছন্দ করে তাদের কাছে থেকে
তোমার কোন লাভ নেই ৷ তাই তুমি আমার কাছে চলে এসো ৷ তারপর আমর ইবনুল আস
(রা) মদীনায় প্রত্যাবর্তন করেন ৰিক্ষ্ম উসমান (রা)-এর সম্পর্কে নিজের মধ্যে অত্যন্ত খারাপ
ধারণা ও দুরভিসন্ধি পোষণ করতে লাণলেন ৷ তিনি স্বয়ং খলীফার সাথে তার বিষয় নিয়ে কথা
বলেন ৷ তারা এ ব্যাপারে কথা কাটা-কাটি করলেন এবং আমর ইবনুল মাস (বা) হযরত
উসমান (রা) থেকে তার পিতাকে অধিক সম্মানিত বলে প্রমাণ করতে তৎপরতা চালান ৷ তখন
হযরত উসমান (রা) তাকে বলেন এসব ছাড়, এগুলোত জাইিলিয়তের প্রচলিত নিয়ম পদ্ধতি ৷
তারপর আমর ইবনুল আ’স জনর্গণকে হযরত উসমান (রা) এর বিরুদ্ধে ক্ষেপিয়ে তোলেন ৷
মিসরে একটি দল ছিল যারা হযরত উসমান (রা)এর সাথে হিংসা-ৰিদ্বেয রাখত এবং
হযরত উসমান (রা)-এব্র বদনাম করত ৷ তারা প্রবীণ সাহাবীদের বরখাস্ত করে তরুণদেরকে
দায়িত্ব প্ৰদান কিৎবা তাদের মতে অনুপযুক্ত আত্মীয়-স্বজনদের নিয়োগ প্রদানকরার অভিযাে প
আনয়ন করে ৷ আমর ইবনুল আস (রা)-এর পর মিসরবাসীরা আবদুল্লাহ ইবন সা’স ইবন আবু
[ثُمَّ دَخَلَتْ سَنَةُ خَمْسٍ وَثَلَاثِينَ]
[أَسْبَابُ مَقْتَلِ عُثْمَانَ بْنِ عَفَّانَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ]
َ فَفِيهَا مَقْتَلُ عُثْمَانَ بْنِ عَفَّانَ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ
وَكَانَ السَّبَبُ فِي ذَلِكَ أَنَّ عَمْرَو بْنَ الْعَاصِ حِينَ عَزَلَهُ عُثْمَانُ عَنْ مِصْرَ وَوَلَّى عَلَيْهَا عَبْدَ اللَّهِ بْنَ سَعْدِ بْنِ أَبِي سَرْحٍ. وَكَانَ سَبَبُ ذَلِكَ أَنَّ الْخَوَارِجَ مِنَ الْمِصْرِيِّينَ كَانُوا مَحْصُورِينَ مِنْ عَمْرِو بْنِ الْعَاصِ، مَقْهُورِينَ مَعَهُ لَا يَسْتَطِيعُونَ أَنْ يَتَكَلَّمُوا بِسُوءٍ فِي خَلِيفَةٍ وَلَا أَمِيرٍ، فَمَا زَالُوا يَعْمَلُونَ عَلَيْهِ حَتَّى شَكَوْهُ إِلَى عُثْمَانَ؛ لِيَنْزِعَهُ عَنْهُمْ وَيُوَلِّيَ عَلَيْهِمْ مَنْ هُوَ أَلْيَنُ مِنْهُ، فَلَمْ يَزَلْ ذَلِكَ دَأْبُهُمْ حَتَّى عَزَلَ عَمْرًا عَنِ الْحَرْبِ وَتَرَكَهُ عَلَى الصَّلَاةِ، وَوَلَّى عَلَى الْحَرْبِ وَالْخَرَاجِ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ سَعْدِ بْنِ أَبِي سَرْحٍ، ثُمَّ سَعَوْا فِيمَا بَيْنَهُمَا بِالنَّمِيمَةِ فَوَقَعَ بَيْنَهُمَا، حَتَّى كَانَ بَيْنَهُمَا كَلَامٌ قَبِيحٌ، فَأَرْسَلَ عُثْمَانُ فَجَمَعَ لِابْنِ أَبِي سَرْحٍ جَمِيعَ عِمَالَةِ مِصْرَ؛ خَرَاجَهَا وَحَرْبَهَا وَصَلَاتَهَا، وَبَعَثَ إِلَى عَمْرٍو يَقُولُ لَهُ: لَا خَيْرَ لَكَ فِي الْمَقَامِ عِنْدَ مَنْ يَكْرَهُكَ، فَاقْدُمْ إِلَيَّ. فَانْتَقَلَ عَمْرُو بْنُ الْعَاصِ إِلَى الْمَدِينَةِ وَفِي نَفْسِهِ مِنْ عُثْمَانَ أَمْرٌ عَظِيمٌ، وَشَرٌّ كَبِيرٌ، فَكَلَّمَهُ فِيمَا كَانَ مِنْ أَمْرِهِ بِنَفْسٍ، وَتَقَاوَلَا فِي ذَلِكَ، وَافْتَخَرَ عَمْرُو بْنُ الْعَاصِ بِأَبِيهِ عَلَى أَبِي عُثْمَانَ، وَأَنَّهُ كَانَ أَعَزَّ مِنْهُ، فَقَالَ لَهُ عُثْمَانُ: دَعْ هَذَا فَإِنَّهُ مِنْ أَمْرِ الْجَاهِلِيَّةِ. وَجَعَلَ عَمْرُو بْنُ الْعَاصِ يُؤَلِّبُ النَّاسَ عَلَى
পৃষ্ঠা - ৫৭৬৭
সারহ (র)-কে অপছন্দ করতে লাগল ৷ এদিক দিয়ে আবদুল্লাহ ইবন সা’দ ইবন আবু সারহ (র)
মরক্কোবাসীদের সাথে যুদ্ধে লিপ্ত ছিলেন ৷ তিনি বারবারদের শহরসমুহ, আন্দুলুস ও আফ্রিকা
জয়লাভ করেন ৷ কয়েকজন সাহাবীর সত্তানেরা মিসরে একটি দল গঠন করে তারা জনগণকে
হযরত উসমান (রা)-এর বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে ও খলীফার বিরুদ্ধে আন্দোলন করার জন্যে
জনগণকে উদ্বুদ্ধ করতে লাগল ৷ তাদের মধ্যে প্রধান ছিল মুহাম্মদ ইবন আবু বকর (রং) ও
মুহাম্মদ ইবন আবু হুযাইফা ৷ তারা প্রায় ছয়শত সওয়ারী সংগ্রহ করল, এ সওয়ারীগুলো উমরাহ্
করার নাম করে রজব মাসে পবিত্র মদীনা অভিমুখে রওয়ানা হলো ৷
তাদের উদ্দেশ্য হলো খলীফার বিরুদ্ধে সংগ্রাম করা ৷ তার চারটি দলে বিভক্ত ছিল এবং
তাদের চারজন নেতা ও ছিল ৷ তারা হলো, আমর ইবন বুদাইল ইবন ওয়ারাকাহ আল-খুযায়ী,
আবদুর রহমান ইবন উদাইস আল-বালবী, কিনানাহ ইবন বশর আততাজীরী, সুদান ইবন
হুমরার্ন আস-সাকুনী ৷ তাদের সাথে সংগী ছিলেন মুহাম্মদ ইবন আর্বৃবকর (রা) ৷ আর মুহাম্মদ
ইবন আবু হুযাইফা মিসর থেকে জনগণকে উত্তেজিত করতে লাগলেন ও তাদের জন্যে
প্রতিরাে ধ গড়ে তুলতে লাগলেন ৷ উমরা, পালনকারীদের বেশে খলীফার বিরুদ্ধে
আন্দোলনকারীদের সন্বেন্ধে অবহিত করে উসমান (রা)-এর কাছে আবদুল্লাহ ইবন সাদ ইবন
আবু সারহ (র) একটি পত্রসহ দুত পাঠড়ালেন ৷ যখন তারা মদীনায় নিকটবর্তী হলো, মদীনা
প্রবেশের পুর্বে তাদেরকে প্রকৃত ঘটনা অবহিত করে শান্ত করে নিজেদের দেশে ফেরত পাঠাবার
জন্যে তিনি হযরত আলী (রা)-কে প্রেরণ করেন ৷ ৰু
এরুপও কথিত আছে যে, হযরত উসমান (রা) জনগণকে তাদের প্ৰতি আগমন করার
জন্যে দাওয়াত দিলেন ৷ এ কাজে যাওয়ার জন্যে আলী (রা) রাযী হলেন তাই তাকে খলীফা
প্রেরণ করেন ৷ তার সাথে প্রবীণ সম্মানিত ব্যক্তিদের একটি দলও সঙ্গী ছিলেন ৷ আমার ইবন
ইয়াসার (রা)-কে সঙ্গে নেওয়ার জন্যে আলী (রা)-কে হযরত উসমান (রা) অনুরোধ করেন ৷
তাই আলী (রা) আম্মার ইবন ইয়ড়াসার (রা)-কে অনুরোধ করলেন সাথী হওয়ার জন্যে কিত্তু
আমার (রা) হযরত আলী (রা) এর সাথে আগমন করতে অস্বীকার করেন ৷ তারপর হযরত
উসমান (রা) হযরত অন্মোর (রা)-এর কাছে হহৃরত সাদ ইবন আবু ওয়াক্কাস (রা)-কে প্রেরণ
করেন যাতে তিনি তাকে আলী (রা)-এর সাথে যাওয়ার জন্যে উৎসাহিত করেন ৷ কিন্তু আমার
(রা) যেতে অস্বীকার করেন ও অত্যন্ত কঠোরভাবে প্রতিবাদ করতে লাগলেন ৷ তিনি উসমান
(রা)-এর উপর অত্যন্ত নারাজ ছিলেন ৷ কেননা, তিনি তাকে একটি ব্যাপারে শাসন করেছিলেন
এবং এ ব্যাপারে তাকে প্রহার করেছিলেন ৷
ঘটনাটি ছিল এরুপ যে, একদিন আম্মার (বা) আব্বাস ইবন উভবা ইবন আবু লাহাবকে
পালি-গালাজ করলেন ৷ তাই হযরত উসমান (যা) তাকে শাসন করলেন ৷ এজন্য হযরত আমার
(বা) যলীফার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করলেন এবং তার বিরুদ্ধে জনগণকে উত্তেজিত করলেন ৷ সাদ
ইবন আবু ওয়াক্কাস (রা) তাকে এ কাজ করতে নিষেধ করেন এবং এ ব্যাপারে তাকে তিরস্কার
করেন ৷ কিন্তু তাতে কোন কাজ হলো না ৷ তিনি বিরত হলেন না এবং ক্ষান্তও হলেন না ৷
তারপর হযরত আলী ইবন আবু তালিব (রা) বিদ্রোহীদের কাছে গেলেন ৷ বিদ্রোহীরা আল
জ্বহফা নামক স্থানে অবস্থান করছিল ৷ র্তারা তাকে সম্মান করত এবং তার (হযরত আলী) হুকুম
عُثْمَانَ. وَكَانَ بِمِصْرَ جَمَاعَةٌ يُبْغِضُونَ عُثْمَانَ وَيَتَكَلَّمُونَ فِيهِ بِكَلَامٍ قَبِيحٍ - عَلَى مَا قَدَّمْنَا - وَيَنْقِمُونَ عَلَيْهِ فِي عَزْلِهِ جَمَاعَةً مِنْ عِلْيَةِ الصَّحَابَةِ، وَتَوْلِيَتِهِ مَنْ دُونِهِمْ أَوْ مَنْ لَا يَصْلُحُ عِنْدَهُمْ لِلْوِلَايَةِ. وَكَرِهَ أَهْلُ مِصْرَ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ سَعْدِ بْنِ أَبِي سَرْحٍ بَعْدَ عَمْرِو بْنِ الْعَاصِ، وَاشْتَغَلَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ سَعْدٍ عَنْهُمْ بِقِتَالِ أَهْلِ الْمَغْرِبِ وَفَتْحِهِ بِلَادَ الْبَرْبَرِ وَالْأَنْدَلُسِ وَإِفْرِيقِيَّةَ.
وَنَشَأَ بِمِصْرَ طَائِفَةٌ مِنْ أَبْنَاءِ الصَّحَابَةِ يُؤَلِّبُونَ النَّاسَ عَلَى حَرْبِهِ وَالْإِنْكَارِ عَلَيْهِ، وَكَانَ عُظْمُ ذَلِكَ مُسْنَدًا إِلَى مُحَمَّدِ بْنِ أَبِي بَكْرٍ وَمُحَمَّدِ بْنِ أَبِي حُذَيْفَةَ، حَتَّى اسْتَنْفَرَا نَحْوًا مِنْ سِتِّمِائَةِ رَاكِبٍ يَذْهَبُونَ إِلَى الْمَدِينَةِ فِي صِفَةِ مُعْتَمِرِينَ فِي شَهْرِ رَجَبٍ؛ لِيُنْكِرُوا عَلَى عُثْمَانَ، فَسَارُوا إِلَيْهَا تَحْتَ أَرْبَعِ رِفَاقٍ، وَأَمْرُ الْجَمِيعِ إِلَى أَبِي عَمْرِو بْنِ بُدَيْلِ بْنِ وَرْقَاءَ الْخُزَاعِيِّ، وَعَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ عُدَيْسٍ الْبَلَوِيِّ، وَكِنَانَةَ بْنِ بِشْرٍ التُّجِيبِيِّ، وَسَوْدَانَ بْنِ حُمْرَانَ السَّكُونِيِّ، وَأَقْبَلَ مَعَهُمْ مُحَمَّدُ بْنُ أَبِي بَكْرٍ، وَأَقَامَ بِمِصْرَ مُحَمَّدُ بْنُ أَبِي حُذَيْفَةَ يُؤَلِّبُ النَّاسَ وَيُدَافِعُ عَنْ هَؤُلَاءِ، وَكَتَبَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ سَعْدِ بْنِ أَبِي سَرْحٍ إِلَى عُثْمَانَ يُعْلِمُهُ بِقُدُومِ هَؤُلَاءِ الْقَوْمِ إِلَى الْمَدِينَةِ مُنْكِرِينَ عَلَيْهِ فِي صِفَةِ مُعْتَمِرِينَ، فَلَمَّا اقْتَرَبُوا مِنَ الْمَدِينَةِ أَمَرَ عُثْمَانُ عَلِيَّ بْنَ أَبِي طَالِبٍ أَنْ يَخْرُجَ إِلَيْهِمْ؛ لِيَرُدَّهُمْ إِلَى بِلَادِهِمْ قَبْلَ أَنْ يَدْخُلُوا الْمَدِينَةَ. وَيُقَالُ: بَلْ نَدَبَ النَّاسَ إِلَيْهِمْ فَانْتَدَبَ عَلِيٌّ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ،
পৃষ্ঠা - ৫৭৬৮
যথাযথ পালন করত ৷ তারপর হযরত আলী (বা) তাদেরকে ফেরত পাঠালেন ৷ প্রকৃত তথ্য
তাদের কাছে তুলে ধরলেন ও তাদেরকে তিরস্কার করলেন ৷ এর পর বিদ্রোহীরা সজ্জিত হলো
এবং একে অন্যকে বলতে লাগল এ জন্যে কি ণ্৩ ঘেরা আমীরের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে চাও ৷ আর
এটাকে কি তােমরা৩ তার বিরুদ্ধে দলীল হিসেবে পেশ করছ ? আরো কথিত আছে যে, হযরত
আলী (বা) হযরত উসমান (রা) এর সম্পর্কে বিদ্রেড়াহীদের সাথে বহস করেছেন এবং তাদেরকে
প্রশ্ন করেছেন যে, খলীফার বিরুদ্ধে তাদের অভিযােগগুলো কি ৷ তারা খলীফার বিরুদ্ধে কিছু
অত্যিযাগ পেশ করল ৷
১ সরকারী চারণ ভুমি নিজস্ব স্বার্থে ব্যবহার ৷ ২ কুরআন শরীফ দগৃধীভুতকরণ ৷ ৩
মুসাফিরী অবস্থায় পুর্ণ নামায আদায় করা ৷ : প্রবীণ সাহাবীদেরকে বরখাস্ত করে তরুণদেরকে
আমীর নিযুক্ত করা ৷ ৫ বনু উমাইয়ার সদস্যদেরকে অধিক হারে চাকুরীতে নিয়োগ করা ৷
হযরত আলী (রা) এসব অভিযোগের উত্তর প্রদান করেন ৷
১ সরকারের কিছু সম্পত্তি সীমানা নির্ধারণ করে পৃথক করা হয় তীর নিজের ভেড়া-বকরী
চরাবার জন্যে নয় বরং তা করা হয়েছে সাদকার উট চরাবার জন্যে, যাতে এগুলো মােটাতাজা
হতে পারে ৷ ২ কুরআন শরীফের , বিরোধপুর্ণ কিছু অংশ (কিরাতের বিভিন্নতা) সাহাবায়ে
কিরামের সম্মতিতে পুড়িয়ে ফেলা হয় এবং সর্বপ্সম্মতিক্রষ্মে গ্রহণযোগ্য অংশগুলো বাকি রাখা
হয় ৷ কুরআন সংকলনের দ্বিতীয় পর্যায়ে এরুপ ব্যবস্থা গ্রহণ সর্বসম্মতিক্রমে গৃহিত হয়েছে ৷ ৩
পবিত্র মক্কায় মুসাফিরী অবস্থায় পুর্ণ সালাত আদায় করার বিষয়টির ব্যাখ্যা নিম্নরুপ ৷ তিনি
পবিত্র মক্কায় স্থায়ীভাবে বসবাস শুরু করেন এবং এখানে ১৫ দিনের অধিককাল থাকর নিয়ত
করেন ৷ তাই তিনি পুর্ণ নামায আদায় করতেন ৷ : তরুণদেরকে নিয়োগ দেওয়ার ব্যাপারে
বলা হয়েছে যে, তিনি ন্যায় পরায়ণ ও যােগ্যতাসম্পন্ন ব্যক্তি বর্গকে নিয়োগ দিয়েছেন ৷
রাসুলুল্লাহ মোঃ ইতাব ইবন উসইিদ (রা) কে পবিত্র মক্কার আমীর নিযুক্ত করেছিলেন ৷ অথচ
তার বয়স ছিল তখন ২০ বছর মাত্র ৷ অনুরুপভ্যবে উসামা ইবন যায়িদ ইবন হড়ারিসাকে
রাসুলুল্লড়াহ,মোঃ ল্যাংসেনাপতি নিয়োগ করেন অথচ জনসাধারণ তাকে আমির নিযুক্ত করার ব্যাপারে
আপত্তি উত্থাপন করে ৷ খনত রাসুলুল্লাহ মোঃবলেন, “তিনি আমীর হওয়ার উপযুক্ত” ৷ ৫ তার
নিজ সম্প্রদায় বনু উন্ম্বুইয়ায় সদস্যদেৱকে অগাধিকার দেওয়ার ক্ষেত্রে বলা যায় যে, রাসুলুল্লহে
মোঃ ও জনগণের মধ্যে কুরাইশকে অঘাধিকার দিতেন ৷ এজন্য হযরত উসমান (রা) বলেছিলেন
আল্লাহর শপথ যদি আমার হাতে জান্নাতের চাৰি থাকত তাহলে আমি বনু উমাইয়ার সকল
সদস্যকে জান্নাতে প্রবেশ করার অনুমতি দিতাম ৷
কথিত আছে যে, আমার (বা) ও মুহাম্মদ ইবন আবু বকর (রা)-এর ক্ষেত্রে হযরত উসমান
(রা)-কে বিদ্রোহীরা যে অভিযােবগ অভিযুক্ত করেছিল, তাদের সম্পর্কে হযরত উসমান (রা)
ওযর পেশ করতে গিয়ে বলেন, তিনি তাদেরকে তাদের মঙ্গলের জন্যই সমুচিত শাসন
করেছিলেন ৷ হাকাম ইবন আবুল আসকে চাকুরী দেওয়ার বিরুদ্ধে বিদ্রোহীরা হযরত উসমান
(রা) কে দোষারােপ করে বলেছিল যে, রাসুলুল্পাহঘ্নে তাকে তায়িফ শহরে নির্বাসন
দিয়েছিলেন ৷ উত্তরে হযরত উসমান (রা) এর ব্যাখ্যা হলো, রাসুলুল্লাহসাঃতাকে তায়িফে
প্রথম নিৰ্বাসন দিয়েছিলেন ৷ তারপর তাকে ফেরত আমার অনুমতি দেন ৷ পুনরায় তাকে তথায়
لِذَلِكَ فَبَعَثَهُ وَخَرَجَ مَعَهُ جَمَاعَةُ الْأَشْرَافِ وَأَمَرَهُ أَنْ يَأْخُذَ مَعَهُ عَمَّارَ بْنَ يَاسِرٍ، فَقَالَ عَلِيٌّ لِعَمَّارٍ فَأَبَى عَمَّارٌ أَنْ يَخْرُجَ مَعَهُ، فَبَعَثَ عُثْمَانُ سَعْدَ بْنَ أَبِي وَقَّاصٍ أَنْ يَذْهَبَ إِلَى عَمَّارٍ لِيُحَرِّضَهُ عَلَى الْخُرُوجِ مَعَ عَلِيٍّ إِلَيْهِمْ، فَأَبَى عَمَّارٌ كُلَّ الْإِبَاءِ، وَامْتَنَعَ أَشَدَّ الِامْتِنَاعِ، وَكَانَ مُتَغَضِّبًا عَلَى عُثْمَانَ بِسَبَبِ تَأْدِيبِهِ لَهُ عَلَى أَمْرٍ، وَضَرْبِهِ إِيَّاهُ فِي ذَلِكَ، وَذَلِكَ بِسَبَبِ شَتْمِهِ عَبَّاسَ بْنِ عُتْبَةَ بْنِ أَبِي لَهَبٍ، فَأَدَّبَهُمَا عُثْمَانُ، فَتَآمَرَ عَمَّارٌ عَلَيْهِ لِذَلِكَ، وَجَعَلَ يُحَرِّضُ النَّاسَ عَلَيْهِ، فَنَهَاهُ سَعْدُ بْنُ أَبِي وَقَّاصٍ عَنْ ذَلِكَ وَلَامَهُ عَلَيْهِ، فَلَمْ يُقْلِعْ عَنْهُ وَلَمْ يَرْجِعْ وَلَمْ يَنْزِعْ، فَانْطَلَقَ عَلِيُّ بْنُ أَبِي طَالِبٍ إِلَيْهِمْ وَهُمْ بِالْجُحْفَةِ، وَكَانُوا يُعَظِّمُونَهُ وَيُبَالِغُونَ فِي أَمْرِهِ، فَرَدَّهُمْ وَأَنَّبَهُمْ وَشَتَمَهُمْ، فَرَجَعُوا عَلَى أَنْفُسِهِمْ بِالْمَلَامَةِ، وَقَالُوا: هَذَا الَّذِي تُحَارِبُونَ الْأَمِيرَ بِسَبَبِهِ، وَتَحْتَجُّونَ عَلَيْهِ بِهِ. وَيُقَالُ: إِنَّهُ نَاظَرَهُمْ فِي عُثْمَانَ، وَسَأَلَهُمْ مَاذَا يَنْقِمُونَ عَلَيْهِ؟ فَذَكَرُوا أَشْيَاءَ؛ مِنْهَا أَنَّهُ حَمَى الْحِمَى، وَأَنَّهُ حَرَقَ الْمَصَاحِفَ، وَأَنَّهُ أَتَمَّ الصَّلَاةَ، وَأَنَّهُ وَلَّى الْأَحْدَاثَ الْوِلَايَاتِ، وَتَرَكَ الصَّحَابَةَ الْأَكَابِرَ، وَأَعْطَى بَنِي أُمَيَّةَ أَكْثَرَ مِنَ النَّاسِ، فَأَجَابَ عَلِيٌّ عَنْ ذَلِكَ فَقَالَ: أَمَّا الْحِمَى فَإِنَّمَا حَمَاهُ لِإِبِلِ الصَّدَقَةِ لِتَسْمَنَ، وَلَمْ يَحْمِهِ لِإِبِلِهِ وَلَا لِغَنَمِهِ، وَقَدْ حَمَاهُ عُمَرُ مِنْ قَبْلِهِ، وَأَمَّا الْمَصَاحِفُ فَإِنَّمَا حَرَقَ مَا وَقَعَ فِيهِ اخْتِلَافٌ، وَأَبْقَى لَهُمُ الْمُتَّفَقَ عَلَيْهِ، كَمَا ثَبَتَ فِي الْعَرْضَةِ الْأَخِيرَةِ، وَأَمَّا إِتْمَامُهُ الصَّلَاةَ بِمَكَّةَ فَإِنَّهُ كَانَ قَدْ تَأَهَّلَ بِهَا وَنَوَى الْإِقَامَةَ
পৃষ্ঠা - ৫৭৬৯
নির্বাসন দেন ৷ বর্ণনাকারী বলেন, রাসুলুল্লাহমোঃতাকে নির্বাসনে প্রেরণ করেন পরে তাকে
যেদ্মত আমার অনুমতি দেন ৷
বর্ণিত রয়েছে যে, হযরত উসমান (রা) উপরোক্ত বিষয়সমুহ সম্বন্ধে সাহাবায়ে কিংা৷মের
সম্মুখে খুতবা দান করেন ৷ আর এ সম্পর্কে তাদের থেকে সাক্ষ্য তলব করেন এবং তারা সাক্ষ্য
দিতে লাপলেন, যার মধ্যে কিংবা যেখানে যেখানে তার জন্যে সাক্ষ্য দেওয়া প্রয়োজন ৷ এরুপও
বর্ণিত রয়েছে যে, বিদ্রোহীরা তাদের মধ্য থােক একদলকে প্রেরণ করেছিল যাতে তারা উসমান
(বা) এর খুতবায় উপস্থিত থাকতে পারে ৷ তারা যখন উপস্থিত হলো তাদের সামনে
অতিযােগগুলোর সংজ্ঞা দেওয়া হলো, সমস্যেগুলাে দুর করা হলো, তখন তাদের জন্যে কোন
সন্দেহ বাকি রইল না ৷
সাহাবায়ে কিরামের একটি দল হযরত উসমান (রা)-কে ইংগিত করলেন যেন খলীফা
বিদ্রোহীদেরকে কঠোরভাবে শাস্তি প্রদান করেন ৷ কিন্তু, হযরত উসমান (রা) তাদেরকে ক্ষমা
করে দেন এবং তাদেরকে তাদের সম্প্রদায়ের কাছে ফিরে যেতে অনুমতি দেন ৷ তাই তারা
যেখান থেকে এসেছিল সেখানে বিফল মনােরথ হয়ে প্রত্যাবর্তন করে ৷৩ তারা বা কিছু যটাবার
ইচ্ছে করেছিল আর কিছুই তারা করতে পারেনি ৷ হযরত আলী (রা) হযরত উসমান (রা) এর
কাছে ফেরত আসেন এবং বিদ্রোহীদের ফিরে যাবার সংবাদ হযরত ৩উসমান (রা) এর নিকট
পরিবেশন করেন ৷ আর তারা যে হযরত আলী (রা)-এর কথা শুনেছেন তাও ব্যক্ত করেন ৷ তিনি
হযরত উসমান (রা)-কে জনগণের কাছে একটি খুতবা দেওয়ার জন্যে ইং গত করলেন ৷ এ
খুতবার মাধ্যমে তিনি তার কিছু সংখ্যক আত্মীয়-স্বজনকে অগাধিকার দেওয়ার প্রেক্ষিতে যে
অন্যায় হয়েছে তার সম্বন্ধে যেন জনগণের কাছে ক্ষমা প্রার্থনাকরেনঃ এবং তাদেরকে এ কথার
উপরে সাক্ষ্য দিতে বলেন যে, তিনি তা থেকে তাওবা করেছেন এবং তার পুর্বে দুইজন প্রবীণ
খলীফা যেভাবে কাজ করেছেন ৷ তার ধারাবাহিকতা তিনি বজায় রাখবেন, তিনি তা থেকে
লক্ষ্যভ্রষ্ট হবেন না ৷ আর তার খিলাফতের প্রথম ছয় বছর যেরুপ ছিল তিনি তা পরবর্তীতেও
বজায় রাখবেন ৷
হযরত উসমান (রা) হযরত আলী (রা) এর এ নসীহতটি মনে৷ যা ৷গ সহকারে শ্রবণ
করলেন এবং তা পালন করার জন্যে সানন্দে গ্রহণ করেন ৷ জুমার দিন যখন আসল তিনি
জনগণের মাঝে খুতবা দেন এবং খুতবার মধ্যে দৃইহাত উত্তোলন করে বলেন, হে আল্লাহ ! আমি
তোমার কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করছি এবং আমি তোমার কাছে তাওবা করছি ৷ হে আল্লাহ! আমার
থেকে যা কিছু হয়ে গেছে আমি তার সর্বপ্রথম তাও ৰাকারী ৷ তারপর দৃইচােখের অশ্রু ছেড়ে
দিলেন ৷ সমস্ত মুসলমানও তার সাথে ক্রন্দন করলেন ৷ জনগণ তাদের ইমামের জন্য অত্যন্ত
দরদ দেখালেন ৷ হযরত উসমান (রা) জনগণের এরুপ ব্যবহার স্বয়ং প্রত্যক্ষ করলেন ৷ আর
মনে মনে প্রতিজ্ঞা করলেন হযরত আবু বকর সিদ্দীক (মা) ও হযরত উমর (রা) যেভাবে
চলেছিলেন তিনিও সেভাবে চলবেন ৷ তিনি তার ঘরের দরজা সাক্ষাতপ্রার্ষীদের জন্যে খোলা
রাখবেন ৷ কাউকে তিনি কোন সময় বাধা দিয়ে না ৷ তিনি মিম্বর থেকে নামলেন এবং জনগণকে
নিয়ে সালা ত আদায় করলেন ৷ তারপর ঘরে প্রবেশ করলেন এবং আমীরুল্ মু’মিনীনের ঘরে
فَأَتَمَّهَا، وَأَمَّا تَوْلِيَتُهُ الْأَحْدَاثَ فَلَمْ يُوَلِّ إِلَّا رَجُلًا سَوِيًّا عَدْلًا، وَقَدْ وَلَّى رَسُولُ اللَّهِ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، عَتَّابَ بْنَ أُسِيدٍ عَلَى مَكَّةَ وَهُوَ ابْنُ عِشْرِينَ سَنَةً، وَوَلَّى أُسَامَةَ بْنَ زَيْدِ بْنِ حَارِثَةَ وَطَعَنَ النَّاسِ فِي إِمَارَتِهِ فَقَالَ: إِنَّهُ لَخَلِيقٌ لِلْإِمَارَةِ. وَأَمَّا إِيثَارُهُ قَوْمَهُ بَنِي أُمَيَّةَ فَقَدْ «كَانَ رَسُولُ اللَّهِ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، يُؤْثِرُ قُرَيْشًا عَلَى النَّاسِ،» وَوَاللَّهِ لَوْ أَنَّ مِفْتَاحَ الْجَنَّةِ بِيَدِي لَأَدْخَلْتُ بَنِي أُمَيَّةَ إِلَيْهَا.
وَيُقَالُ: إِنَّهُمْ عَتَبُوا عَلَيْهِ فِي عَمَّارٍ وَمُحَمَّدِ بْنِ أَبِي بَكْرٍ. فَذَكَرَ عُثْمَانُ عُذْرَهُ فِي ذَلِكَ، وَأَنَّهُ أَقَامَ فِيهِمَا مَا كَانَ يَجِبُ عَلَيْهِمَا. وَعَتَبُوا عَلَيْهِ فِي إِيوَائِهِ الْحَكَمَ بْنَ أَبِي الْعَاصِ، وَقَدْ نَفَاهُ رَسُولُ اللَّهِ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، إِلَى الطَّائِفِ فَذَكَرَ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، كَانَ قَدْ نَفَاهُ إِلَى الطَّائِفِ ثُمَّ رَدَّهُ، ثُمَّ نَفَاهُ إِلَيْهَا، قَالَ: فَقَدْ نَفَاهُ رَسُولُ اللَّهِ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، ثُمَّ رَدَّهُ.
وَرُوِيَ أَنَّ عُثْمَانَ خَطَبَ النَّاسَ بِهَذَا كُلِّهِ بِمَحْضَرٍ مِنَ الصَّحَابَةِ، وَجَعَلَ يَسْتَشْهِدُ بِهِمْ فَيَشْهَدُونَ لَهُ فِيمَا فِيهِ شَهَادَةٌ لَهُ. وَيُرْوَى أَنَّهُمْ بَعَثُوا طَائِفَةً مِنْهُمْ فَشَهِدُوا خُطْبَةَ عُثْمَانَ هَذِهِ، فَلَمَّا تَمَهَّدَتِ الْأَعْذَارُ وَانْزَاحَتْ عِلَلُهُمْ وَلَمْ يَبْقَ لَهُمْ شُبْهَةٌ أَشَارَ جَمَاعَةٌ مِنَ الصَّحَابَةِ عَلَى عُثْمَانَ بِتَأْدِيبِهِمْ، فَصَفَحَ عَنْهُمْ وَتَرَكَهُمْ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، وَرَدَّهُمْ إِلَى قَوْمِهِمْ، فَرَجَعُوا خَائِبِينَ مِنْ حَيْثُ أَتَوْا وَلَمْ يَنَالُوا شَيْئًا مِمَّا كَانُوا أَمَّلُوا وَرَامُوا، وَرَجَعَ عَلِيٌّ إِلَى عُثْمَانَ فَأَخْبَرَهُ بِرُجُوعِهِمْ عَنْهُ وَسَمَاعِهِمْ مِنْهُ، وَأَشَارَ عَلَى عُثْمَانَ أَنْ يَخْطُبَ النَّاسَ خُطْبَةً يَعْتَذِرُ إِلَيْهِمْ فِيهَا مِمَّا كَانَ وَقَعَ مِنَ الْأَثَرَةِ لِبَعْضِ أَقَارِبِهِ، وَيُشْهِدُهُمْ عَلَيْهِ بِأَنَّهُ قَدْ تَابَ مِنْ ذَلِكَ، وَأَنَابَ إِلَى الِاسْتِمْرَارِ عَلَى مَا كَانَ عَلَيْهِ مِنْ سِيرَةِ الشَّيْخَيْنِ
পৃষ্ঠা - ৫৭৭০
কোন প্রয়োজন কিংবা মাসয়ালা কিংবা প্রশ্নের উত্তর জানার জন্যে যদি কেউ প্রবেশ করতে ইচ্ছে
করেন তাহলে তাকে কােনরুপ বাধা দেওয়া হবে না ৷ এরুপ পদ্ধতি কিছু দিন চলতে লাগল ৷
আল্লামা ওয়াকিদী (র) বলেন, আলী ইবন উমর (র) তার পিতা থেকে বর্ণনা করেন ৷ তিনি
বলেন, মিসরীয় ৰিদ্রোহীরা চলে যাওয়ার পর হযরত আলী (বা) হযরত উসমান (রা)এ্যার কাছে
আগমন করেন এবং বলেন, এমনভাবে মানুষের সাথে কথা বলবেন যেন তারা আপনার কথা
শুনতে পায় এবং তারা আপনার কার্যকলাপে যে সততা আছে তা সাক্ষ্য দেয়, আর আপনার
অন্তার মহান আল্লাহর প্রতি যে অনুনয় বিনয় ও ডয়-ডীতি আছে, তা আল্লাহ তাআলা যেন
সাক্ষ্য দেন ও গ্রহণ করেন ৷ কেননা বিভিন্ন শহরের জ্যাগণ আপনার বিরুদ্ধে ক্ষুব্ধ হয়ে পড়েছে ৷
আমি আমার নিজেকেও নিরাপদ মনে করি না ৷ আরো একটি দলও কুফা থেকে অভিযোগ নিয়ে
আগমন করতে পারে, তখন আপনি আমাকে বলবেন, হে আলী ! তাদের সাথে একটু কথা
বলুন, আবার আরেক দল আসবে বসরা হতে, আপনি আমাকে বলবেন, হে আলী ৷ আপনি
তাদের সাথে দেখা করুন এবং তাদেরকে নসীহত করুন ৷ যদি আমি আপনার কথা অমান্য করি
তখন আপনার ও আমার মধ্যে যে ঘনিষ্ঠভা আছে, তা নষ্ট হয়ে যাবে এবং আপনার
অধিকারকেও আমি ক্ষুগ্ন করব ৷
বর্ণনাকারী বলেন, হযরত উসমান (রা) ঘর থেকে বের হলেন এবং জনগণের সামনে এমন
এক খুতবা দিলে, যেখানে তিনি মহান আল্লাহর প্রতি যে তার ভয়ভীতি আছে তা প্রদর্শন
করেন এবং তিনি যে তাওবা করেছেন তাও জনগণকে অবহিত করেন ৷ তারপর তিনি র্দড়াড়ালেন
এবং মহান আল্লাহার যথােপযুক্ত হড়ামদও প্রশংসা করেন ৷ তারপর বলেন, যে মানবমওলী
আল্লাহর শপথ, যে দোষ-ত্রুটি আমি জানিনা সেটা যদি কেউ অৰেষণ করে তাহলে সে অন্যায়
করেনি ৷ আমি তোমাদের কাছে যা কিছু বলছি তা জেনে শুনে বলছি, কিন্তু আমার ন্যায়
পরায়নতার কিছুটা বিব্ল ঘটেছে ৷ আমি রাসুলুল্লাহমোঃ-কে বলতে শুনেছি, তিনি বলেন, যার
পদষ খলন হয়েছে সে যেন তাওবা করে ৷ যে ভ্যু৷ করেছে সে যেন তাওবা করে এবং ধ্বংসাত্মক
কাছে যেন আর লিপ্ত না থাকে ৷ কেননা সে জুলুম-অত্যাচারে লিপ্ত থাকবে যে সঠিক রাস্তা
থেকে দুরে সরে যাবে ৷ আমি প্রথম ব্যক্তি যে এ নসীহত পালন করতে চেষ্টা করছি ৷ আমি যা
যা করেছি তা সম্বন্ধে আমি ঠিকই তাওবা করছি ও আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করছি ৷ আর
আমার মত লোকের উচিত মহান আল্লাহর দরবারে অনুনয়-বিনয় করা ও তাওবা করা ৷ যখন
আমি মিন্বর থেকে অবতরণ করব, তোমাদের পণ্যমান্য লোকেরা যেন আমার কাছে আগমন
করেন ৷ কেননা, আল্লাহর শপথ! আমি এমন একটি দুর্বল লোক যাকে রাজত্ব দান করা হলে
তার সবর করা উচিত, তাকে আযাদ করা হলে তার শোকর করা উচিত ৷ আর তার জন্য মহান
আল্লাহ ব্যতীত অন্য কোথায়ও তার যাওয়ার জায়গা ণ্নই ৷” ধ্ ,
বর্ণনাকারী বলেন, মানুষ তার প্রতি সহমর্মিতা প্রদর্শন করল এবং ত্রুদনকারী ত্রুন্দন করল ৷
আর সাঈদ ইবন যায়িদ (রা) খলীফার দিকে এগিয়ে গেলেন এবং বললেন, যে আমীরুল
মুমিনীন! মহান আল্লাহ্কে ভয় করুন এবং মহান আল্পাহকে আপনার অস্তরে ভয় করুন ৷
আপনি যা বলেছেন তা আপনি পালন করুন ৷ হযরত উসমান (রা) যখন তার ঘরে প্রত্যাবর্তন
করেন, তখন সেখানে তিনি মহ্ৎ ব্যক্তিদের কয়েকক্ষাকে তথায় উপস্থিত দেখতে পেলেন ৷ ঐ
قَبْلَهُ، وَأَنَّهُ لَا يَحِيدُ عَنْهَا كَمَا كَانَ الْأَمْرُ أَوَّلًا فِي مُدَّةِ سِتِّ سِنِينَ الْأُوَلِ، فَاسْتَمَعَ عُثْمَانُ هَذِهِ النَّصِيحَةَ، وَقَابَلَهَا بِالسَّمْعِ وَالطَّاعَةِ، وَلَمَّا كَانَ يَوْمُ الْجُمُعَةِ وَخَطَبَ النَّاسَ، رَفَعَ يَدَيْهِ فِي أَثْنَاءِ الْخُطْبَةِ، وَقَالَ: اللَّهُمَّ إِنِّي أَسْتَغْفِرُكَ وَأَتُوبُ إِلَيْكَ، اللَّهُمَّ إِنِّي أَوَّلُ تَائِبٍ مِمَّا كَانَ مِنِّي. وَأَرْسَلَ عَيْنَيْهِ بِالْبُكَاءِ فَبَكَى الْمُسْلِمُونَ أَجْمَعُونَ وَحَصَلَ لِلنَّاسِ رِقَّةٌ شَدِيدَةٌ عَلَى إِمَامِهِمْ، وَأَشْهَدَ عُثْمَانُ النَّاسَ عَلَى نَفْسِهِ بِذَلِكَ، وَأَنَّهُ قَدْ لَزِمَ مَا كَانَ عَلَيْهِ الشَّيْخَانِ أَبُو بَكْرٍ وَعُمَرَ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا، وَأَنَّهُ قَدْ سَبَّلَ بَابَهُ لِمَنْ أَرَادَ الدُّخُولَ عَلَيْهِ، لَا يَمْنَعُ أَحَدًا مِنْ ذَلِكَ، وَنَزَلَ فَصَلَّى بِالنَّاسِ، ثُمَّ دَخَلَ مَنْزِلَهُ وَجَعَلَ مَنْ أَرَادَ الدُّخُولَ عَلَى أَمِيرِ الْمُؤْمِنِينَ لِحَاجَةٍ أَوْ مَسْأَلَةٍ أَوْ سُؤَالٍ، لَا يُمْنَعُ أَحَدٌ مِنْ ذَلِكَ مُدَّةً.
قَالَ الْوَاقِدِيُّ: فَحَدَّثَنِي عَلِيُّ بْنُ عُمَرَ عَنْ أَبِيهِ قَالَ: ثُمَّ إِنَّ عَلِيًّا جَاءَ عُثْمَانَ بَعْدَ انْصِرَافِ الْمِصْرِيِّينَ فَقَالَ لَهُ: تَكَلَّمْ كَلَامًا يَسْمَعُهُ النَّاسُ مِنْكَ وَيَشْهَدُونَ عَلَيْكَ، وَيَشْهَدُ اللَّهُ عَلَى مَا فِي قَلْبِكَ مِنَ النُّزُوعِ وَالْإِنَابَةِ، فَإِنَّ الْبِلَادَ قَدْ تَمَخَّضَتْ عَلَيْكَ، وَلَا آمَنُ رَكْبًا آخَرِينَ يَقْدَمُونَ مِنْ قِبَلِ الْكُوفَةِ فَتَقُولُ: يَا عَلِيُّ ارْكَبْ إِلَيْهِمْ. وَيَقْدَمُ آخَرُونَ مِنَ الْبَصْرَةِ فَتَقُولُ: يَا عَلِيُّ ارْكَبْ إِلَيْهِمْ. فَإِنْ لَمْ أَفْعَلْ قَطَعْتُ رَحِمَكَ وَاسْتَخْفَفْتُ بِحَقِّكَ؟! قَالَ: فَخَرَجَ عُثْمَانُ فَخَطَبَ الْخُطْبَةَ الَّتِي نَزَعَ فِيهَا، وَأَعْلَمَ النَّاسَ مِنْ نَفْسِهِ التَّوْبَةَ فَقَامَ ; فَحَمِدَ اللَّهَ وَأَثْنَى عَلَيْهِ بِمَا هُوَ أَهْلُهُ، ثُمَّ قَالَ: أَمَّا بَعْدُ، أَيُّهَا النَّاسُ، فَوَاللَّهِ مَا عَابَ مَنْ عَابَ شَيْئًا أَجْهَلُهُ، وَمَا جِئْتُ شَيْئًا إِلَّا وَأَنَا أَعْرِفُهُ، وَلَكِنْ ضَلَّ رُشْدِي، وَلَقَدْ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، يَقُولُ: «مَنْ زَلَّ فَلْيَتُبْ، وَمَنْ أَخْطَأَ فَلْيَتُبْ، وَلَا يَتَمَادَى فِي الْهَلَكَةِ، إِنَّ مَنْ
পৃষ্ঠা - ৫৭৭১
সময় তার কাছে সারওয়ার ইবনুল হাকাম আগমন করল এবং বলল, হে আমীরুল মু’মিনীন!
আমি কি কথা বলতে পারি, না চুপ করে থাকার : হযরত উসমান (রা)-এর শ্রী নাইলা বিনত
আল ফারা ফাসাহ আল কালবীয়া পর্দায় আড়াল থেকে বললেন, বরং তুমি চুপ থাকে৷ ৷ আল্লাহর
শপথ, তারা তাকে হআ করে ছাড়বে ৷ তিনি এমন কথা বলেছেন যার থেকে ফিরে আসা
মোটেই উচিত নয় ৷ মারওয়ান তখন তাকে বললেন, তোমার এখানে বলার কি আছে : আল্লাহর
শপথ, তোমার পিতা মারা গেছে অথচ সে ভাল করে জানে না, ওবু কিভাবে করতে হয় ৷
হযরত নাইলা (র) তাকে বললেন, বাপ-দাদার কথা ছাড় ৷ মারওয়ানের পিতা আল হাকাম
সম্বন্ধে হযরত নাইলা (র) আরো কিছু বললেন ৷ মারওয়ান তার থেকে মুখ ফিরিয়ে নিলেন এবং
হযরত উসমান (রা)-কে বললেন, “হে আমীরুল মু’মিনীন! আমি কি কথা বলতে পারি, না চুপ
করে থাকর ; হযরত উসমান (রা) তাকে বললেন, বরং কথা বল ৷ ”
মারওয়ান বললেন, আমার পিতা-মড়াতা আপনার উপর কুরবান হোক ৷ আমি ঢেয়েছিলাম,
আপনার কথাবর্তা হবে অত্যন্ত কঠোর, আর আপনি থাকবেন অটল ও অনড়, তাহলে আমি
হতাম প্রথম ব্যক্তি যে এটাকে মেনে নিত এবং এটাকে সাহায্য-সহায়তা করত কিন্ত আপনি যা
বললেন, তাতে অবস্থা অত্যন্ত জটিল আকার ধারণ করেছে ৷ অনেক কিছু হাতছাড়া হয়ে
গেছে ৷ অসম্মানিত ব্যক্তিকে সম্মান দেওয়া হয়েছে ৷ আল্লাহর শপথ, ভুলের কারণে ক্ষমা
প্রার্থনার জন্যে অটল থাকা, ভয় পেয়ে তাওবা করার চেয়ে অনেক ভাল ৷ আপনি যদি চাইতেন
তা হলে তাওবার দৃঢ় প্রত্যয় নিতে পারতেন এবং আমাদের কাছে সেই অন্যায় অস্বীকার
করতেন ৷ পাহাড়ের ন্যায় আপনার ঘরের সামনে মানুষের ন্তুপ তাদের উদ্দেশ্যে কথা বলুন ৷
হযরত উসমান (রা) বলেন, তুমি যাও এবং তাদের সাথে কথা বলো ৷ তাদের সাথে কথা
বলতে আমার লজ্জা হয় ৷
বর্ণনাকারী বলেন, মারওয়ান দরজার দিকে এগিয়ে আসলেন এবং দেখলেন দরজার সামনে
লোকে লােকারণ্য ৷ তখন তিনি বললেন, “কি হয়েছে তােমাদেরকে মনে হয় যেন তোমরা
এখানে লুট করতে এসেছ ৷ তোমাদের উপর অভিশাপ, প্রত্যেক মানুষ তার সাথীর উপকার
করে থাকে তবে যার উদ্দেশ্য অসৎ তার কথা ভিন্ন ৷ তোমরা এখানে এসেছ আমাদের ক্ষমতা
হরণ করার জন্যে তাই তোমরা এখান থেকে বের হয়ে পড় ৷ আল্লাহর শপথ ! আবার যদি
তামরড়া আমাদেরকে প্রভাবিত করতে চাও , তাহলে তোমাদের জন্যে এমন হুকুম জারি করা
হবে, যা তোমাদের সকলকে দুঃখ দিবে ৷ আর তোমরা তার পরিণাম প্রশংসার চোখে দেখবে
না ৷ তোমাদের ঘরে তোমরা ফিরে যাও ৷ আল্লাহর শপথ ! আমাদের হাতে যে ক্ষমতা আছে তা
নিয়ে আমরা পরাভুত হবো না ৷
বর্ণনাকারী বলেন, জনগণ প্রত্যাবর্তন করলেন ৷ কিন্তু তাদের কয়েকজন হযরত আলী
(বা) এর কাছে আগমন করলেন এবং তাকে ঘটনা সম্বন্ধে বিস্তারিতভাবে অবহিত করলেন ৷
হযরত আলী (রা) রাপাষিত হলেন এবং উসমান (রা) এর ঘরে প্রবেশ করলেন ৷ তিনি বললেন,
আপনি কি মারওয়ানের প্রতি সন্তুষ্ট? কিত্তু আপনার নীল ও বিবেক বুদ্ধি ধ্বংস না করা পর্যন্ত সে
আপনার প্রতি সন্তুষ্ট হবে না ৷ আপনার উদাহরণ এখন ভারবাহী উটের ন্যায় ৷ তাকে যেখানেই
নিয়ে যাওয়া হয় সেখানেই সে গমন করবে ৷ আল্লাহর শপথ ! মারওয়ান ধর্মের দিক্ দিয়েও
تَمَادَى فِي الْجَوْرِ كَانَ أَبْعَدَ عَنِ الطَّرِيقِ» . فَأَنَا أَوَّلُ مَنِ اتَّعَظَ، أَسْتَغْفِرُ اللَّهَ مِمَّا فَعَلْتُ وَأَتُوبُ إِلَيْهِ، فَمِثْلِي نَزَعَ وَتَابَ، فَإِذَا نَزَلْتُ فَلْيَأْتِنِي أَشْرَافُكُمْ، فَوَاللَّهِ لَأَكُونَنَّ كَالْمَرْقُوقِ، إِنْ مَلَكَ صَبَرَ، وَإِنْ عُتِقَ شَكَرَ، وَمَا عَنِ اللَّهِ مَذْهَبٌ إِلَّا إِلَيْهِ. قَالَ: فَرَقَّ النَّاسُ لَهُ وَبَكَى مَنْ بَكَى، وَقَامَ إِلَيْهِ سَعِيدُ بْنُ زَيْدٍ فَقَالَ: يَا أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ، اللَّهَ اللَّهَ فِي نَفْسِكَ! فَأَتْمِمْ عَلَى مَا قُلْتَ. فَلَمَّا انْصَرَفَ عُثْمَانُ إِلَى مَنْزِلِهِ وَجَدَ بِهِ جَمَاعَةٌ مِنْ أَكَابِرِ النَّاسِ، وَجَاءَهُ مَرْوَانُ بْنُ الْحَكَمِ فَقَالَ: أَتَكَلَّمُ يَا أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ أَمْ أَصْمُتُ؟ فَقَالَتِ امْرَأَةُ عُثْمَانَ - نَائِلَةُ بِنْتُ الْفَرَافِصَةِ الْكَلْبِيَّةُ - مِنْ وَرَاءِ الْحِجَابِ: بَلِ اصْمُتْ، فَوَاللَّهِ إِنَّهُمْ لَقَاتِلُوهُ، وَلَقَدْ قَالَ مَقَالَةً لَا يَنْبَغِي لَهُ النُّزُوعُ عَنْهَا. فَقَالَ لَهَا: وَمَا أَنْتِ وَذَاكَ! فَوَاللَّهِ لَقَدْ مَاتَ أَبُوكِ وَمَا يُحْسِنُ يَتَوَضَّأُ. فَقَالَتْ لَهُ: دَعْ ذِكْرَ الْآبَاءِ. وَنَالَتْ مِنْ أَبِيهِ الْحَكَمَ، فَأَعْرَضَ عَنْهَا مَرْوَانُ، وَقَالَ لِعُثْمَانَ: يَا أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ أَتَكَلَّمُ أَمْ أَصْمُتُ؟ فَقَالَ لَهُ عُثْمَانُ: بَلْ تَكَلَّمْ. فَقَالَ مَرْوَانُ: بِأَبِي أَنْتَ وَأُمِّي لَوَدِدْتُ أَنَّ مَقَالَتَكَ هَذِهِ كَانَتْ وَأَنْتَ مُمْتَنِعٌ مَنِيعٌ، فَكُنْتُ أَوَّلَ مَنْ رَضِيَ بِهَا وَأَعَانَ عَلَيْهَا، وَلَكِنَّكَ قُلْتَ مَا قُلْتَ حِينَ بَلَغَ الْحِزَامُ الطُّبْيَيْنِ، وَخَلَفَ السَّيْلُ الزُّبَى، وَحِينَ أَعْطَى الْخُطَّةَ الذَّلِيلَةَ الذَّلِيلُ، وَاللَّهِ لَإِقَامَةٌ عَلَى خَطِيئَةٍ يُسْتَغْفَرُ مِنْهَا، خَيْرٌ مِنْ تَوْبَةٍ تُخَوَّفُ عَلَيْهَا، وَإِنَّكَ لَوْ شِئْتَ
পৃষ্ঠা - ৫৭৭২
لَعَزَمْتَ التَّوْبَةَ وَلَمْ تُقَرِّرْ لَنَا بِالْخَطِيئَةِ، وَقَدِ اجْتَمَعَ إِلَيْكَ عَلَى الْبَابِ مِثْلُ الْجِبَالِ مِنَ النَّاسِ. فَقَالَ عُثْمَانُ: فَاخْرُجْ إِلَيْهِمْ فَكَلِّمْهُمْ، فَإِنِّي أَسْتَحِي أَنْ أُكَلِّمَهُمْ. قَالَ: فَخَرَجَ مَرْوَانُ إِلَى الْبَابِ وَالنَّاسِ يَرْكَبُ بَعْضُهُمْ بَعْضًا، فَقَالَ: مَا شَأْنُكُمْ؟ كَأَنَّكُمْ قَدْ جِئْتُمْ لِنَهْبٍ، شَاهَتِ الْوُجُوهُ! كُلُّ إِنْسَانٍ آخِذٍ بِأُذُنِ صَاحِبِهِ، أَلَا مَنْ أُرِيدُ؟ جِئْتُمْ تُرِيدُونَ أَنْ تَنْزِعُوا مُلْكَنَا مِنْ أَيْدِينَا، اخْرُجُوا عَنَّا، أَمَا وَاللَّهِ لَئِنْ رُمْتُمُونَا لِيُمُرَّنَّ عَلَيْكُمْ أَمْرٌ يَسُوءُكُمْ وَلَا تَحْمَدُوا غِبَّهُ، ارْجِعُوا إِلَى مَنَازِلِكُمْ، فَوَاللَّهِ مَا نَحْنُ مَغْلُوبِينَ عَلَى مَا بِأَيْدِينَا. قَالَ: فَرَجَعَ النَّاسُ، وَخَرَجَ بَعْضُهُمْ حَتَّى أَتَى عَلِيًّا فَأَخْبَرَهُ الْخَبَرَ، فَجَاءَ عَلِيٌّ مُغْضَبًا حَتَّى دَخَلَ عَلَى عُثْمَانَ فَقَالَ: أَمَا رَضِيتَ مِنْ مَرْوَانَ وَلَا رَضِيَ مِنْكَ إِلَّا بِتَحْوِيلِكَ عَنْ دِينِكَ وَعَقْلِكَ، وَإِنَّ مَثَلَكَ مِثْلُ جَمَلِ الظَّعِينَةِ سَارَ حَيْثُ يَسَارُ بِهِ، وَاللَّهِ مَا مَرْوَانُ بِذِي رَأْيٍ فِي دِينِهِ وَلَا نَفْسِهِ، وَايْمُ اللَّهِ إِنِّي لَأَرَاهُ سَيُورِدُكَ ثُمَّ لَا يُصْدِرُكَ، وَمَا أَنَا بِعَائِدٍ بَعْدَ مَقَامِي هَذَا لِمُعَاتَبَتِكَ، أَذْهَبْتَ شَرَفَكَ، وَغُلِبْتَ عَلَى أَمْرِكَ. فَلَمَّا خَرَجَ عَلِيٌّ دَخَلَتْ نَائِلَةُ عَلَى عُثْمَانَ فَقَالَتْ: أَتَكَلَّمُ أَوْ أَسْكُتُ؟ فَقَالَ: تَكَلَّمِي. فَقَالَتْ: سَمِعْتُ قَوْلَ عَلِيٍّ أَنَّهُ لَيْسَ يُعَاوِدُكَ، وَقَدْ أَطَعْتَ مَرْوَانَ حَيْثُ شَاءَ. قَالَ: فَمَا أَصْنَعُ؟ قَالَتْ: تَتَّقِي اللَّهَ وَحْدَهُ لَا شَرِيكَ لَهُ، وَتَتَّبِعُ سُنَّةَ صَاحِبَيْكَ مِنْ قَبْلِكَ، فَإِنَّكَ مَتَى أَطَعْتَ مَرْوَانَ قَتَلَكَ، وَمَرْوَانُ لَيْسَ لَهُ عِنْدَ اللَّهِ قَدْرٌ وَلَا هَيْبَةٌ وَلَا مَحَبَّةٌ، فَأَرْسِلْ إِلَى عَلِيٍّ فَاسْتَصْلِحْهُ، فَإِنَّ لَهُ قَرَابَةً مِنْكَ وَهُوَ لَا يُعْصَى. قَالَ: فَأَرْسَلَ عُثْمَانُ إِلَى عَلِيٍّ فَأَبَى أَنْ يَأْتِيَهُ، وَقَالَ: لَقَدْ أَعْلَمْتُهُ أَنِّي لَسْتُ بِعَائِدٍ. قَالَ: وَبَلَغَ مَرْوَانَ قَوْلُ نَائِلَةَ فِيهِ،
পৃষ্ঠা - ৫৭৭৩
সচেতন নয় এবং বিবেকের দিক দিয়েও বুদ্ধিমান নয় ৷ আল্লাহর শপথ ! আমি তাকে দেখেছি
যে, সে আপনাকে মাঠে নামিয়ে দেবে আর উঠাতে পারবে না ৷ এরপর আর আমি আপনার
ব্যাপারে মাথা ঘামানাের জন্যে আপনার কাছে আসর না ৷ আপনি আপনার মর্যাদা হারিয়ে
ফেলেছেন এবং আপনার ব্যাপারে আপনি প্রভাবিত হয়ে পড়েছেন ৷ একথা বলে তিনি বের হয়ে
গেছেন ৷ হযরত আলী (রা) বের হয়ে যাওয়ার পর হযরত উসমান (রা)-এর শ্রী হযরত নইিলা
(বা) ঘরে প্রবেশ করলেন এবং বললেন, আমি কি কথা বলতে পারি, না চুপ করে থাকবঃ
খলীফা বললেন, কথা বল’ ৷ তিনি বলেন, হযরত আলী (রা)-এর কথা আমি সব শ্যুনছি ৷ তিনি
আর আপনার কাছে আসবেন না ৷ আপনি মারওয়ানের কথামত চলছেন ৷
খলীফা বললেন, “এখন আমি কি করব?” হযরত নইিলা (রা) বললেন, আপনি শুধুমাত্র
অংশীদারহীন আল্লাহকে ভয় রব্রুন এবং আপনার পুর্ববর্তী দুই খলীফার নীতি অনুসরণ করুন ৷
কেননা, আপনি যদি মারওয়ানের কথা শুনেন, তাহলে সে আপনাকে ধ্বংস করে দিয়ে ৷ কেননা,
মহান আল্লাহর কাছে মারওয়ানের কোন সম্মান, ভয়, মহব্বত কিছুই নেই ৷ আপনি আলী
(রা)-এর কাছে লোক প্রেরণ করুন এবং তার থেকে উপস্থিত সংকট কটিড়ান্যের জন্য পরামর্শ
গ্রহণ করুন ৷ কেননা, তিনি আপনার নিকটাত্মীয় ৷ তিনি আপনার কথা আমান্য রল্মবেন না ৷”
বর্ণনাকারী বলেন, হযরত উসমান (রা) হযরত আলী (রা)-এর কাছে লোক পাঠালেন ৷
কিন্তু , হযরত আলী (বা) জানতে অস্বীকার করলেন এবং বললেন, আমিতো তাকে জানিয়ে
দিয়েছি যে, আমি আর পুনরায় আসর না ৷
বর্ণনাকারী বলেন, “মারওয়ানেল্লু কাছে যখন হযরত নাইলা (রা)-এর কথােপকথনের
সংবাদ পৌছে তখন তিনি হযরত উসমান (রা)এর কাছে আসেন এবং বলেন, আমি কি কোন
কথা বলতে পারি, না চুপ করে থাকর? হযরত উসমান (রা) বলেন, বল’ ৷ মারওয়ান বললেন,
“নিশ্চয়ই নইিলা বিনত আলফারা ফাসাহ ৷ হযরত উসমান (রা) বলেন, “তাকে তৃ
এমনভাবে স্মরণ করো না যে, আমি তোমার প্রতি অসস্তুষ্ট হব ৷ কেননা আল্লাহর শপথ ৷ সে
আমার কাছে তোমার চেয়ে বেশি সৎ উপদেশ প্রদানকারিণী ৷
বর্ণনাকারী বলেন, এর পর মারওয়ান ক্ষান্ত হলেন ৷
দ্বিতীয় বার মিসর থেকে উসমান (রা)এর কাছে বিজ্যি দলের আগমন
বিভিন্ন শহরের বাষিন্দাপণের কাছে যখন মারওয়ান-এর দান্তিক আচরণ ও তার কারণে
হযরত উসমান (রা)-এর প্রতিহযরত আলী (রা)-এর ৫ক্রাধের খবর পৌছায় এবং অবস্থার
কোন পরিবর্তন ব্যতীত, হযরত উসমান (রা)-এর পুর্বের ইে খলীফার নিয়ম পদ্ধতি পালিত না
হওয়ায় মিসর, কৃষ্ণ! ও রসরার বাসিন্দরাে খলীফার বিরুদ্ধে পরস্পর যোগাযোগ করতে লাগল ৷
পবিত্র মদীনায় অবস্থানরত সাহাবী যেমন হযরত আলী (রা), হযরত তালহ্৷ (রা), হযরত
যুবাইর (রা)-এর লিখিত জাল পত্রাদির মাধ্যমে তারা জনগণকে হযরত উসমান (রা) এর হত্যা
ও দীনের সাহায্যের জন্য আহ্বান আমার এবং এটাকে হাল যমানার শ্রেষ্ঠ জিহাদ বলে ঘোষণা
করে ৷ সাইফ ইবন উমর আত্তামীমী (র) মুহাম্মদ, তালহা আবু হারিসা ও আবু উসমান থেকে
উল্লেখ করেন ৷ তারা বলেন, ৩৫ হিজরীর সাওয়াল মাসে মিসরের বাসিন্দারা ৪জন নেতার
আলবিদায়া ৪০
فَجَاءَ إِلَى عُثْمَانَ فَقَالَ: أَتَكَلَّمُ أَوْ أَسْكُتُ؟ فَقَالَ: تَكَلَّمْ. فَقَالَ: إِنَّ نَائِلَةَ بِنْتَ الْفَرَافِصَةِ، فَقَالَ عُثْمَانُ: لَا تَذْكُرْهَا بِحَرْفٍ فَأَسُوءَ لَكَ وَجْهَكَ، فَهِيَ وَاللَّهِ أَنْصَحُ لِي مِنْكَ. قَالَ: فَكَفَّ مَرْوَانُ.
[ذِكْرُ مَجِيءِ الْأَحْزَابِ إِلَى عُثْمَانَ لِلْمَرَّةِ الثَّانِيَةِ مِنْ مِصْرَ]
َ وَغَيْرِهَا فِي شَوَّالٍ مِنْ هَذِهِ السَّنَةِ
وَسَبَبُ ذَلِكَ أَنَّ أَهْلَ الْأَمْصَارِ لَمَّا بَلَغَهُمْ خَبَرُ مَرْوَانَ وَغَضَبُ عَلِيٍّ عَلَى عُثْمَانَ بِسَبَبِهِ، وَوَجَدُوا الْأَمْرَ عَلَى مَا كَانَ عَلَيْهِ لَمْ يَتَغَيَّرْ، وَتَكَاتَبَ أَهْلُ مِصْرَ وَأَهْلُ الْكُوفَةِ وَأَهْلُ الْبَصْرَةِ وَتَرَاسَلُوا، وَزُوِّرَتْ كُتُبٌ عَلَى لِسَانِ الصَّحَابَةِ الَّذِينَ بِالْمَدِينَةِ وَعَلَى لِسَانِ عَلِيٍّ وَطَلْحَةَ وَالزُّبَيْرِ، يَدْعُونَ النَّاسَ إِلَى قِتَالِ عُثْمَانَ وَنَصْرِ الدِّينِ، وَأَنَّهُ أَكْبَرُ الْجِهَادِ الْيَوْمَ.
وَقَالَ سَيْفُ بْنُ عُمَرَ التَّمِيمِيُّ، عَنْ مُحَمَّدٍ وَطَلْحَةَ وَأَبِي حَارِثَةَ وَأَبِي عُثْمَانَ - وَقَالَهُ غَيْرُهُمْ أَيْضًا - قَالُوا: لَمَّا كَانَ فِي شَوَّالٍ سَنَةَ خَمْسٍ وَثَلَاثِينَ، خَرَجَ أَهْلُ مِصْرَ فِي أَرْبَعِ رِفَاقٍ عَلَى أَرْبَعَةِ أُمَرَاءَ؛ الْمُقَلِّلُ لَهُمْ يَقُولُ: سِتُّمِائَةٍ. وَالْمُكَثِّرُ يَقُولُ: أَلْفٌ. عَلَى الرِّفَاقِ عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ عُدَيْسٍ الْبَلَوِيُّ، وَكِنَانَةُ بْنُ
পৃষ্ঠা - ৫৭৭৪
নেতৃত্বে : ভাগে পবিত্র মদীনায় রণ্ডয়ানা হয় ৷ তাদের সং খ্যা কম বর্ণনকােরী বলেন, তারা
ছিলেন ছয়শত আর অধিক বর্ণনাকারী বলেন, তারা ছিলেন এক হাজার জন ৷ ঢারজ্যা নেতা
হলেন নিম্নরুপং আবদুর রহমা ন ইবন উদাইস আল বালভী, কিননােহ ইবন বশর আল-লইিসী,
সুদান ইবন হুমরান আনরুস্যকুলী এবং কাতীরাহআস-সাকুনী আর সার্বিক দায়িত্বে ছিলেন আল
গাফিকী ইবন হার্ব আল আকী ৷ তারা হাজীর বেশে ভ্রমণ করতে থাকেন ৷ আর তাদের সাথে
ছিল ইবনুস সাওদা ৷ তিনি ছিলেন মুলত যিঘী ৷ তারপর ইসলাম প্রকাশ করে এবং বিভিন্ন
রকমের বিদয়াতী কথা ও কাজ প্রচলন করেন ৷
কুফাবাসীরাও চার নেতার নেতৃত্বে : ভাগে পবিত্র মদীনায় রওয়ানা হন ৷ চারজন নেতা
হলেন নিম্নরুপ ং
যায়িদ ইবন সুহান, আল আশতাব্ল আন-নাখয়ী, যিয়াদ ইবন আন-নাদর আল-হারিসী ও
আবদুল্লাহ আল-আসাম ৷ তাদের সার্বিক দায়িত্বে ছিলেন আমর ইবন আল-আসাম ৷
বসরাবাসীরাও চারজন নেতার নেতৃত্বে চারটি পতাকা সহকারে পবিত্র মদীনায় দিকে
রওয়ানা হন ৷ তারা হলেন নিম্নরুপ হুকাইম ইবন জাবিল্লাহ আল-আরদী, বশর ইবন সুরাইহ
ইবন দাৰীয়া আল-কাহসী, যুরাই ইবন উব্বাদ আলআবদী ও ইবনুল মুহতারাশ ৷ সার্বিক
দায়িত্বে ছিলেন হারকুস ইবন ষুহইির আসশ্সাদী ৷
মিসরের বাসিন্দারা হযরত আলী ইবন আবু তালিব (রা) এর আমীর হওয়ার প্রতি
আগ্রহী ৷ কুফার বাসিন্দারা হযরত আযযুবাইর (রা) কে আমীর নির্বাচন করতে চায় এবং
রসরার বাসিন্দারা হযরত তালহা (রা)এর আমীর হওয়ার ব্যাপারে দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করে ৷
প্রত্যেকটি দলই নিজেদের কাজটি অতি শীঘ্রই সম্পন্ন হবে বলে কোন সন্দেহ পোষণ করছে না ৷
তাই প্রতিটি দল তাদের শহর থেকে রওয়ানা হয় এবং পবিত্র মদীনায় আশপাশ পর্যন্ত পৌছে ৷
তাদের পত্রে তারা একে অন্যের সাথে ওয়াদাবদ্ধ হয়েছিল ৷ সেই মুতাবিক শাওয়াল মাসে
একদল যুখাশাব এ অবতরণ করেন ৷
অন্য একদল আল আওয়সে এ এবং অধিকাংশ লোক যুল মারওয়াত এ অবতরণ করেন ৷
তারা পবিত্র মদীনাবাসী হতে৩ ভীত ছিল বিধায় পৌছার পুকেহ তারা গুপ্তচর প্রেরণ করে
লোকজনের খবরাখবর নেয় ৷ তারা হশুজ্জা জন্যে এসেছে এবং অন্য কোন উদ্দেশে! আসে নাই
বলে প্রকাশ করে ৷ আর তাদের কেউ কেউ কিছু সং খ্যক কর্মচারীর ব্যাপারে ক্ষমা চাওয়ার জন্যে
এসেছে বলেও প্রকাশ করে ৷ তারা প্রবেশের অনুমতি প্রার্থনা করে ৷ প্রতিটি ণ্লাইে তাদের
প্রবেশকে অপছন্দ করে এবং তাদেরকে নিষেধও করে ৷ তথাপি তারা নির্ডয়ে পবিত্র মদীনায়
নিকটবর্তী হতে থাকে ৷
মিসরীর একটি দল হযরত আলী (রা)-এর কাছে গমন করে ৷ তিনি আহজারিয যাইত
নামক স্থানে সেনাবাহিনীর মাঝে অবস্থান করছিলেন ৷ তার পায়ে ছিল পাতলা চাদর এবং মাথায়
ছিল ইয়ামানী লাল পাপড়ি ৷ তিনি তলোয়ার কােমরে বেধে ছিলেন ৷ তার পারে কোন জানা ছিল
না ৷ যারা সমবেত হয়েছিল তাদের প্রেক্ষিতে তিনি তার ছেলে হযরত ইমাম হাসান (রা)-ণ্ক
হযরত উসমান (রা)এর কাছে প্রেরণ কারন ৷ মিসরীয়রা হযরত আলী (রা)-কে সালাম দিল ৷
হযরত আলী (বা) তাদের সাথে উভৈচ্চঙ্কস্বরে কথা বলেন এবং তাদেরকে তাড়িয়ে দেন ৷ আর
বলেন, “সৎলােকেরা আসে যে,: খুব মারওয়া ও যুল ’খাশারে অবস্থানকারী সেনাদল, মুহাম্মদ
بِشْرٍ التُّجِيبِيُّ، وَعُرْوَةُ بْنُ شُيَيْمٍ اللِّيثِيُّ، وَسَوْدَانُ بْنُ حُمْرَانَ السُّكُونِيُّ، وَقُتَيْرَةُ السُّكُونِيُّ، وَعَلَى الْقَوْمِ جَمِيعًا الْغَافِقِيُّ بْنُ حَرْبٍ الْعَكِّيُّ، وَخَرَجُوا فِيمَا يُظْهِرُونَ لِلنَّاسِ حُجَّاجًا، وَمَعَهُمُ ابْنُ السَّوْدَاءِ، وَكَانَ أَصْلُهُ ذِمِّيًّا، فَأَظْهَرَ الْإِسْلَامَ وَأَحْدَثَ بِدَعًا قَوْلِيَّةً وَفِعْلِيَّةً - قَبَّحَهُ اللَّهُ - وَخَرَجَ أَهْلُ الْكُوفَةِ فِي أَرْبَعِ رِفَاقٍ، وَأُمَرَاؤُهُمْ زَيْدُ بْنُ صُوحَانَ، وَالْأَشْتَرُ النَّخَعِيُّ، وَزِيَادُ بْنُ النَّضْرِ الْحَارِثِيُّ، وَعَبْدُ اللَّهِ بْنُ الْأَصَمِّ، وَعَلَى الْجَمِيعِ عَمْرُو بْنُ الْأَصَمِّ، وَخَرَجَ أَهْلُ الْبَصْرَةِ أَيْضًا فِي أَرْبَعِ رَايَاتٍ مَعَ حَكِيمِ بْنِ جَبَلَةَ الْعَبْدِيِّ، وَبِشْرِ بْنِ شُرَيْحِ بْنِ ضُبَيْعَةَ الْقَيْسِيِّ، وَذُرَيْحِ بْنِ عَبَّادٍ الْعَبْدِيِّ، وَابْنِ مُحَرِّشٍ الْحَنَفِيِّ، وَعَلَيْهِمْ كُلِّهِمْ حُرْقُوصُ بْنُ زُهَيْرٍ السَّعْدِيُّ. وَأَهْلُ مِصْرَ مُصِرُّونَ عَلَى وِلَايَةِ عَلِيِّ بْنِ أَبِي طَالِبٍ، وَأَهْلُ الْكُوفَةِ عَازِمُونَ عَلَى تَأْمِيرِ الزُّبَيْرِ، وَأَهْلُ الْبَصْرَةِ
পৃষ্ঠা - ৫৭৭৫
স্রষ্ এর উক্তি মুতাবিক অভিশপ্ত ৷ ক্বাজেই তোমরা ফেরত যাও ৷ মহান আল্লাহ্ যেন
তােমাভৈদঃাকে ভোরের আলো না দেখায় ৷” তারা বলেন, জি হ্যা এ বলে তারা তার কাছ থেকে
চলে গেল ৷ বসরাবাসীরা তালহাহ্ (রা)-এর কাছে আগমন করল ৷ তিনি আলী (রা)-এর পাশে
অন্য একটি দল দ্বারা পরিবেষ্টিত হয়ে পড়েছিলেন ৷ তিনিও যারা সমবেত হয়েছিল তাদের
প্রেক্ষিতে নিচজ্যা দুই পুত্রকে হযরত উসমান (রা)-এর কাছে প্রেরণ করেন ৷ বসরাবাসীরা হযরত
তালহা (রা)-ণ্ক সালাম দিলেন ৷ তখন তিনি তাদের সাথে উভৈদঃস্বরে কথা বললেন এবং
তাদেরকে তাড়িয়ে দিলেন ৷
আর আলী (রা) মিসরীয়দেরকে যেরুপ বলেছিলেন তিনিও বসরাবাসীদেরকে এরুপ
বললেন ৷ কুফাবাসীদের ক্ষেত্রেও হযরত যুবাইর (রা) অনুরুপ আচরণ করলেন ৷ তারপর
প্রত্যেকটি দলই তাদের সম্প্রদায়ের কাছে ফেরত রওয়ানা হলো এবং তারা প্রকাশ করতে লাগল
যে, তারা তাদের শহরে ফিরে যাচ্ছে ৷ ফেরত পথে কয়েক দিন ভ্রমণ করার পর তারা পুনরায়
পবিত্র মদীনায় দিকে প্রত্যাবর্তন করে এবং কিছু ক্ষণের মধ্যেই পবিত্র মদীনাবাসীরা তাদের
তাকবীরের আওয়াজ শুনতে পেল ৷ দেখা গেল, লোকগুলাে পবিত্র মদীনায় প্রবেশ করল ৷
তারপর শহরটিকে ঘেরাও করে ফেলল ৷ তাদের অধিকাত্শই ছিল হযরত উসমান ইবন
আফ্ফান (রা)-এর ঘরের চারদিকে ৷ তারা লোকজনকে বলতে লাগল, যে বিরত থাকবে যে
নিরাপত্তা ভোগ করবে ৷ লোকজন বিরত রইল ৷ তারা তাদের ঘরে অবস্থান করতে লাগল ৷
এভাবে কয়েকদিন চলে গেল ৷
এসব ঘটনা যটছে বিক্ষ্ম সাধারণ লোকজন জানে না বিদ্রোহীরা কি করছে এবং কাকে তারা
লক্ষ্যবন্তু নির্ধারণ করছে ৷ এর মধ্যে আমীরুল মু’মিনীন হযরত উসমান (রা) ঘর থেকে বের হন
এবং মসজিদে নামায পড়ান ৷ পবিত্র মদীনাবাসীগণ তার ৫ পছান নামায পড়েন ৷ অন্যান্য
সাহাবী সন্ত্রড়াসীদের কাছে যান এবং তাদেরকে ফেরত চলে যাবার জন্যে বার বার অনুরোধ
করেন ৷ এমনকি আলী (রা) মিসরীয়দেরকে বললেন, “তোমাদের চলে যাওয়ার পর, অভিমত
পাল্টানাের পর তোমরা আবার কেন ফিরে এসেহাে ?” উত্তরে তারা বলল, আমরা একটি
দুতের কাছে একটি পত্র পেলাম সে পত্রে আমাদেরকে হত্যা করার জন্যে বলা হয়েছে ৷
বসরাবাসীরাও হযরত তালহা (রা)-এর কাছে অনুরুপ বক্তব্য পেশ করল এবং কুফাবাসীরাও
যুবইির (রা)-এর কাছে অনুরুপ বক্তব্য পেশ করল ৷
আর প্রত্যেক শহরের লােৰুক্য৷ বলল যে, আমরা আমা দক্সে সাখীদের সাহায্য করার জন্যে
এসেছি ৷ সাহাবীরা তাদেরকে বললেন, তোমরা এ ব্যাপারে কেমন করে অবগত হলো
তােমরাও পৃথক পৃথকতাৰে বিদায় নিলে এবং তোমাদের মধ্যে কয়েক মঞ্জিলের দুরত্ব বিরাজ
করছে ৷ তাই এটা তোমাদ্যে৷ পরিকল্পিত ব্যাপার বলেই মনে হয় ৷ তারা বলল, আমরা যা
চেয়েছি তা আমাদেরকে করতে দাও ৷ এ লোকটির আমাদের কোন প্রায়াজন নেই ৷ সে যেন
আমাদেরকে ছেড়ে চলে যায় এবং আমরাও তার থেকে পৃথক হয়ে যাই ৷ এটার দ্বারা তারা
বুঝাতে চায় যে, যদি খলীফা খিলাফত থেকে সরে র্দাড়ান তাহলে তারা ত ড়াকে নিরাপত্তা
সহকারে থাকতে দিবে ৷ ঘটনার বিবরণে প্রকাশ, মিসৰীররা যখন তাদের দেশের দিকে ফেরত
যেতে চেয়েছিল খনত তারা রাস্তায় একটি দুতকে দেখতে পেল যে, সে অতি ৩দ্রুত ভ্রমণ ব্বছে ৷
مُصَمِّمُونَ عَلَى تَوْلِيَةِ طَلْحَةَ. لَا تَشُكُّ كُلُّ فِرْقَةٍ أَنَّ أَمْرَهَا سَيَتِمُّ، فَسَارَ كُلُّ طَائِفَةٍ مِنْ بَلَدِهِمْ حَتَّى تَوَافَوْا حَوْلَ الْمَدِينَةِ - كَمَا تَوَاعَدُوا فِي كُتُبِهِمْ - فِي شَهْرِ شَوَّالٍ فَنَزَلَ طَائِفَةٌ مِنْهُمْ بِذِي خُشُبٍ، وَطَائِفَةٌ بِالْأَعْوَصِ، وَالْجُمْهُورُ بِذِي الْمَرْوَةِ، وَهُمْ عَلَى وَجَلٍ مِنْ أَهْلِ الْمَدِينَةِ، فَبَعَثُوا قُصَّادًا وَعُيُونًا بَيْنَ أَيْدِيهِمْ؛ لِيَخْتَبِرُوا النَّاسَ وَيُخْبِرُوهُمْ أَنَّهُمْ إِنَّمَا جَاءُوا لِلْحَجِّ لَا لِغَيْرِهِ، وَلِيَسْتَعْفُوا هَذَا الْوَالِي مِنْ بَعْضِ عُمَّالِهِ، مَا جِئْنَا إِلَّا لِذَلِكَ، وَاسْتَأْذَنُوا فِي الدُّخُولِ، فَكُلُّ النَّاسِ أَبَى دُخُولَهُمْ، وَنَهَى عَنْهُ، فَتَجَاسَرُوا وَاقْتَرَبُوا مِنَ الْمَدِينَةِ. وَجَاءَتْ طَائِفَةٌ مِنَ الْمِصْرِيِّينَ إِلَى عَلِيٍّ وَهُوَ فِي عَسْكَرٍ عِنْدَ أَحْجَارِ الزَّيْتِ، عَلَيْهِ حُلَّةُ أَفْوَافٍ، مُعْتَمٌّ بِشَقِيقَةٍ حَمْرَاءَ يَمَانِيَةٍ، مُتَقَلِّدًا السَّيْفَ، وَلَيْسَ عَلَيْهِ قَمِيصٌ، وَقَدْ سَرَّحَ ابْنَهُ الْحَسَنَ إِلَى عُثْمَانَ فِي مَنِ اجْتَمَعَ إِلَيْهِ، فَسَلَّمَ عَلَيْهِ الْمِصْرِيُّونَ فَصَاحَ بِهِمْ وَأَطْرَدَهُمْ وَقَالَ: لَقَدْ عَلِمَ الصَّالِحُونَ أَنَّ جَيْشَ ذِي الْمَرْوَةِ وَذِي خُشُبٍ مَلْعُونُونَ عَلَى لِسَانِ مُحَمَّدٍ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَارْجِعُوا لَا صَبَّحَكُمُ اللَّهُ. قَالُوا: نَعَمْ. وَانْصَرَفُوا مِنْ عِنْدِهِ عَلَى ذَلِكَ، وَأَتَى الْبَصْرِيُّونَ طَلْحَةَ وَهُوَ فِي جَمَاعَةٍ أُخْرَى إِلَى جَنْبِ عَلِيٍّ - وَقَدْ أَرْسَلَ ابْنَيْهِ إِلَى عُثْمَانَ - فَسَلَّمُوا عَلَيْهِ، فَصَاحَ بِهِمْ وَأَطْرَدَهُمْ وَقَالَ لَهُمْ كَمَا قَالَ عَلِيٌّ لِأَهْلِ مِصْرَ، وَكَذَلِكَ كَانَ رَدُّ الزُّبَيْرِ عَلَى أَهْلِ الْكُوفَةِ. فَرَجَعَ كُلُّ فَرِيقٍ مِنْهُمْ إِلَى قَوْمِهِمْ وَأَظْهَرُوا لِلنَّاسِ أَنَّهُمْ رَاجِعُونَ إِلَى بُلْدَانِهِمْ، وَسَارُوا أَيَّامًا رَاجِعِينَ، ثُمَّ
পৃষ্ঠা - ৫৭৭৬
كَرُّوا عَائِدِينَ إِلَى الْمَدِينَةِ، فَمَا كَانَ غَيْرَ قَلِيلٍ حَتَّى سَمِعَ أَهْلُ الْمَدِينَةِ التَّكْبِيرَ، وَإِذَا الْقَوْمُ قَدْ زَحَفُوا عَلَى الْمَدِينَةِ وَأَحَاطُوا بِهَا، وَجُمْهُورُهُمْ عِنْدَ دَارِ عُثْمَانَ بْنِ عَفَّانَ، وَقَالُوا لِلنَّاسِ: مَنْ كَفَّ يَدَهُ فَهُوَ آمِنٌ. فَكَفَّ النَّاسُ وَلَزِمُوا بُيُوتَهُمْ، وَأَقَامَ النَّاسُ عَلَى ذَلِكَ أَيَّامًا. هَذَا كُلُّهُ وَلَا يَدْرِي النَّاسُ مَا الْقَوْمُ صَانِعُونَ وَلَا عَلَى مَا هُمْ عَازِمُونَ، وَفِي كُلِّ ذَلِكَ وَأَمِيرُ الْمُؤْمِنِينَ عُثْمَانُ بْنُ عَفَّانَ يَخْرُجُ مِنْ دَارِهِ فَيُصَلِّي بِالنَّاسِ، فَيُصَلِّي وَرَاءَهُ أَهْلُ الْمَدِينَةِ وَأُولَئِكَ الْآخَرُونَ، وَذَهَبَ الصَّحَابَةُ إِلَى هَؤُلَاءِ يُؤَنِّبُونَهُمْ وَيَعْذِلُونَهُمْ عَلَى رُجُوعِهِمْ، حَتَّى قَالَ عَلِيٌّ لِأَهْلِ مِصْرَ: مَا رَدُّكُمْ بَعْدَ ذَهَابِكُمْ وَرُجُوعِكُمْ عَنْ رَأْيِكُمْ؟ فَقَالُوا: وَجَدْنَا مَعَ بَرِيدٍ كِتَابًا بِقَتْلِنَا. وَكَذَلِكَ قَالَ الْبَصْرِيُّونَ لِطَلْحَةَ، وَالْكُوفِيُّونَ لِلزُّبَيْرِ. وَقَالَ أَهْلُ كُلِّ مِصْرَ: إِنَّمَا جِئْنَا لِنَنْصُرَ أَصْحَابَنَا. فَقَالَ لَهُمُ الصَّحَابَةُ: كَيْفَ عَلِمْتُمْ بِذَلِكَ مِنْ أَصْحَابِكُمْ وَقَدِ افْتَرَقْتُمْ وَصَارَ بَيْنَكُمْ مَرَاحِلُ؟ إِنَّمَا هَذَا أَمْرٌ اتَّفَقْتُمْ عَلَيْهِ. فَقَالُوا: ضَعُوهُ عَلَى مَا أَرَدْتُمْ، لَا حَاجَةَ لَنَا فِي هَذَا الرَّجُلِ، لِيَعْتَزِلْنَا وَنَحْنُ نَعْتَزِلُهُ. يَعْنُونَ أَنَّهُ إِنْ نَزَلَ عَنِ الْخِلَافَةِ تَرَكُوهُ آمِنًا.
وَكَانَ الْمِصْرِيُّونَ - فِيمَا ذُكِرَ - لَمَّا رَجَعُوا إِلَى بِلَادِهِمْ وَجَدُوا فِي الطَّرِيقِ بَرِيدًا يَسِيرُ، فَأَخَذُوهُ، فَفَتَّشُوهُ، فَإِذَا مَعَهُ فِي إِدَوَاةٍ كِتَابٌ عَلَى لِسَانِ عُثْمَانَ فِيهِ الْأَمْرُ بِقَتْلِ طَائِفَةٍ مِنْهُمْ، وَبِصَلْبِ آخَرِينَ، وَبِقَطْعِ أَيْدِي آخَرِينَ مِنْهُمْ وَأَرْجُلِهِمْ. وَكَانَ عَلَى الْكِتَابِ طَابَعٌ بِخَاتَمِ عُثْمَانَ وَالْبَرِيدُ أَحَدُ غِلْمَانِ عُثْمَانَ، وَعَلَى جَمَلِ عُثْمَانَ، فَلَمَّا رَجَعُوا جَاءُوا بِالْكِتَابِ وَدَارُوا بِهِ عَلَى النَّاسِ، فَكَلَّمَ النَّاسُ أَمِيرَ
পৃষ্ঠা - ৫৭৭৭
তখন তারা তাকে ধরে ফেলল এবং তারা তার দেহ ও মাল-পত্র তল্লাশি করল ৷ একটি পাত্রের
মধ্যে একটি পত্র পাওয়া গেল ৷ পত্রে দেখা গেল হযরত উসমান (বা) তাদের কয়েকজনকে
হত্যার নির্দেশ দিয়েছেন, কয়েকজ্যাকে শুলে চড়াবার হুকুম দিয়েছেন ও অন্য কয়েকজনেৱ হাত
পা কেটে ফেলার আদেশ দিয়েছেন ৷ পত্রের মধ্যে উসমান (রা)-এর সীলমােহৱ ছিল ৷ আর
দুতটি ছিল হযরত উসমান (রা) এর একজন গোলাম ৷ আবার উটটিও ছিল হযরত উসমান
(রা) এরই ৷ যখন বিদ্রোহীরা ফেরত আসল তারা তখন পত্রটি সঙ্গে নিয়ে আসল এবং ঘুরে ঘুরে
লোকজনকে তা প্রদর্শন করতে লাগল ৷
এ সম্পর্কে জ্যাগণ আমীরুল মু’মিনীনকে জিজ্ঞেস করলেন ৷ তিনি বলেন, এটার সম্পর্কে
আমার বিরুদ্ধে প্রমাণ পেশ করতে হবে ৷ আল্লাহর শপথ ! আমি এটা লিখিও নইি কিংবা হুকুমও
করি নইি ৷ আর এ ব্যাপারে আমি কোন প্রকার অবইিতও নই ৷ সীলমােহৱ কোন কোন , সময়
জালও হয়ে থাকে ৷ সত্য বলে ধারণাকারীরা এটাকে সত্য ও সঠিক বলে গণ্য করল ৷ আর জাল
বলে ধারণাকারীরা এটাকে জাল বলে আখ্যায়িত করল ৷ কথিত আছে যে, মিসরের বাসিন্দারা
আবদুল্লাহ ইবন সা দ ইবন সারহকে বরখাস্ত করে মুহাম্মদ ইবন আবু বকরকে তাদের আমীর
নিযুক্ত করার জন্যে হযরত উসমান (রা) এর কাছে আবেদন করেছিল ৷ হযরত উসমান (রা)
এতদসম্পর্কে তাদের আবেদন মঞ্জুর করেছিলেন ৷ তারপর তারা যখন মুহাম্মদ ইবন আবু বকর
ও অন্যান্যকে হত্যা করার নির্দেশ সম্বলিত পত্রটিসহ দুতটি ধরতে গেল, তারা পত্রঢি নিয়ে
পবিত্র মদীনায় ফিরে আসল এবং খলীফা হযরত উসমান (রা)-এর উপর অত্যন্ত চাপ প্রয়োগ
করতে লাগল ৷ আর ঘুরে ঘুরে জনগণকেও পত্রটি দেখাতে লাগল যা অনেক লোকের অতরে
সন্দেহের সৃষ্টি করলো ৷
মুহাম্মদ ইবন ইসহাক ও আবদুর রহমান ইবন ইয়াসার এর মাধ্যমে বর্ণিত ৷ ইবন জারীর
(র) বলেন, মিসরের প্ৰতি হযরত উসমান (রা) এর পক্ষ থেকে লিখিত পত্রটি যার কাছে পাওয়া
গিয়েছিল তার নাম ছিল আবুল আওয়ার আসসালামী আর উটটি ছিল হযরত উসমান
(রা)-এর ৷ ইবন জারীর (র) উপরোক্ত সুত্রে আরো বলেন, হযরত উসমান (রা)-এর হত্যা
করার জন্যে সাহাবায়ে কিরাম পবিত্র মদীনায় বিভিন্ন অঞ্চলে পত্র দিয়ে পবিত্র মদীনায় আগমন
করার আহ্বানসুচক বর্ণনাটি সাহাবায়ে কিরামেব উপর যিথ্যারোপ করা ব্যতীত অন্য কিছুই
নয় ৷ তাদের নামে জাল পত্র লেখা হয়েছিল যেমন হযরত আলী (রা) , হযরত তালহ্৷ (রা) ও
হযরত যুবাইর (রা)-এর নামে খারিব্জীদের কাছে জাল পত্র লেখা হয়েছিল ৷ তারা ঐ পত্র
অস্বীকার করেছিল ৷ অনুরুপভাবে এ পত্রটিও হযরত উসমান (রা)এর পক্ষ থেকে লেখা
হয়েজ্জি ৷ তিনি এ ব্যাপারে কোন নির্দেশ দেন নাই কিংবা তিনি এ ব্যাপারে কিছুই জানেন না ৷
এ দিনগুলোতে হযরত উসমান (রা) লোকজ়নদেরকে নিয়ে জামায়াতে নামায আদায়
করছিলেন ৷ আর মুসল্লীরা ছিলেন তার কাছে মাটি থেকেও অধম ৷ কোন এক জুমার দিন
খলীফা হযরত উসমান (রা) মিম্বরে দণ্ডায়মান ছিলেন ৷ তার হাতে ছিল একটি লাঠি যার উপর
ভর দিয়ে রাসুলুল্পাহ্মোঃ খুতবা প্রদান করতেন ৷ আবু বকর (রা), উমর (রা)ও এ লাঠিটি
ব্যবহার ক্যাতেন ৷ বিদ্রোহী লোকদের একজন দাড়িয়ে গেল ৷ সে খলীফাকে পালি দিল এবং
তাকে আক্রমণ করল ৷ আর তাকে মিম্বর থেকে নামিয়ে দিল ৷ ঐ দিন থেকে জনগণ তার
খিলাফত সম্বন্ধে সন্দেহ করতে লাগল ৷
الْمُؤْمِنِينَ فِي ذَلِكَ، فَقَالَ: بَيِّنَةٌ عَلَيَّ بِذَلِكَ، وَإِلَّا فَوَاللَّهِ لَا كَتَبْتُ وَلَا أَمْلَيْتُ، وَلَا دَرَيْتُ بِشَيْءٍ مِنْ ذَلِكَ، وَالْخَاتَمُ قَدْ يُزَوَّرُ عَلَى الْخَاتَمِ. فَصَدَّقَهُ الصَّادِقُونَ فِي ذَلِكَ، وَكَذَّبَهُ الْكَاذِبُونَ. وَيُقَالُ: إِنَّ أَهْلَ مِصْرَ كَانُوا قَدْ سَأَلُوا مِنْ عُثْمَانَ أَنْ يَعْزِلَ عَنْهُمُ ابْنَ أَبِي سَرْحٍ وَيُوَلِّيَ مُحَمَّدَ بْنَ أَبِي بَكْرٍ، فَأَجَابَهُمْ إِلَى ذَلِكَ فَلَمَّا رَجَعُوا وَجَدُوا ذَلِكَ الْبَرِيدَ وَمَعَهُ الْكِتَابُ بِقَتْلِ مُحَمَّدِ بْنِ أَبِي بَكْرٍ وَآخَرِينَ مَعَهُ، فَرَجَعُوا وَقَدْ حَنِقُوا عَلَيْهِ حَنَقًا شَدِيدًا، وَطَافُوا بِالْكِتَابِ عَلَى النَّاسِ فَدَخَلَ ذَلِكَ فِي أَذْهَانِ كَثِيرٍ مِنَ النَّاسِ.
وَرَوَى ابْنُ جَرِيرٍ، مِنْ طَرِيقِ مُحَمَّدِ بْنِ إِسْحَاقَ، عَنْ عَمِّهِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ يَسَارٍ، أَنَّ الَّذِي كَانَ مَعَهُ هَذِهِ الرِّسَالَةُ مِنْ جِهَةِ عُثْمَانَ إِلَى مِصْرَ أَبُو الْأَعْوَرِ السُّلَمِيُّ عَلَى جَمَلٍ لِعُثْمَانَ. وَذَكَرَ ابْنُ جَرِيرٍ، مِنْ هَذِهِ الطَّرِيقِ أَنَّ الصَّحَابَةَ كَتَبُوا إِلَى الْآفَاقِ مِنَ الْمَدِينَةِ يَأْمُرُونَ النَّاسَ بِالْقُدُومِ عَلَى عُثْمَانَ لِيُقَاتِلُوهُ. وَهَذَا كَذِبٌ عَلَى الصَّحَابَةِ، وَإِنَّمَا كُتِبَتْ كُتُبٌ مُزَوَّرَةٌ عَلَيْهِمْ، كَمَا كَتَبُوا مِنْ جِهَةِ عَلِيٍّ وَطَلْحَةَ وَالزُّبَيْرِ إِلَى الْخَوَارِجِ كُتُبًا مُزَوَّرَةً عَلَيْهِمْ أَنْكَرُوهَا، وَهَكَذَا زُوِّرَ هَذَا الْكُتَّابُ عَلَى عُثْمَانَ أَيْضًا، فَإِنَّهُ لَمْ يَأْمُرْ بِهِ وَلَمْ يَعْلَمْ بِهِ أَيْضًا.
وَاسْتَمَرَّ عُثْمَانُ يُصَلِّي بِالنَّاسِ فِي تِلْكَ الْأَيَّامِ كُلِّهَا، وَهُمْ أَحْقَرُ فِي عَيْنِهِ مِنَ التُّرَابِ، فَلَمَّا كَانَ فِي بَعْضِ الْجُمُعَاتِ وَقَامَ عَلَى الْمِنْبَرِ، وَفِي يَدِهِ الْعَصَا الَّتِي كَانَ يَعْتَمِدُ عَلَيْهَا رَسُولُ اللَّهِ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فِي خُطْبَتِهِ، وَكَذَلِكَ أَبُو بَكْرٍ وَعُمَرُ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا، مِنْ بَعْدِهِ، فَقَامَ إِلَيْهِ رَجُلٌ مِنْ أُولَئِكَ فَسَبَّهُ وَنَالَ مِنْهُ، وَأَنْزَلَهُ عَنِ الْمِنْبَرِ،
পৃষ্ঠা - ৫৭৭৮
অনুরুপভাবে আল-ওয়াকিদী (র) উসামা ইবন যায়িদ (বা) ও ইয়াহ্ইয়াহ ইবন আবদুর
রহমান (র)-এর মাধ্যমে বর্ণনা করেন ৷ তিনি বলেন, আমি হযরত উসমান (রা)-এর দিকে
লক্ষ্য করছিলাম ৷ তিনি রাসুলুল্লাহ্মোঃ এর ব্যবহৃত লাঠির উপর ডঃ দিয়ে খুতবা দিচ্ছিলেন,
যে লাঠির উপর ভর দিয়ে হযরত আবু বকর (বা) ও হযরত উমর (রা) খুতবা পাঠ করতেন ৷
তখন জাহ জাহ নামক এক ব্যক্তি তাকে বলল, “দীড়াও হে বুড়াে আহমক ! তারপর এ বিষয়
হতে অবতরণ কর” এই বলে সে লাঠিটি কেড়ে নিন এবং তার ডান ছুাটুর উপর জোরে আঘাত
করল ৷ লাঠির টুকরো পায়ের নলীতে ঢুকে গেল ও জখমী হলো ৷ উসমান (রা) মিম্বর থেকে
নেমে গেলেন এবং লোকজন র্তাকে ও লঠিটি উঠিয়ে নিয়ে গেলেন ৷ তিনি ছিলেন অচেতন ৷
পরে এ জখমীতে ক্ষত রোগ সৃষ্টি হয় ও তাতে পোকা দেখা দেয় ৷ এ ঘটনার পর একবার
কিংবা দুইবার তিনি বের হয়েছিলেন ৷ তারপর তিনি অবরােধে পতিত হন ও শহীদ হন ৷
ইবন জারীর (র) নাফি (বা) হতে বর্ণনা করেন ৷ তিনি বলেন, আল-জাহ জাহ আল
পিফারী হযরত উসমান (রা)-এর হাতের লাঠি ধরেছিল এবং তা দিয়ে তার হীটুতে আঘাত
করেছিল ৷ আর ঐ জায়গায় জখমী হয়ে ক্ষতের সৃষ্টি হয়েছিল ৷ ’
আল্লামা আল-ওয়াকিদী (র) ইবন আবু হাবীবা হতে বর্ণনা করেন ৷ তিনি বলেন,
একদিন হযরত উসমান (রা) জনগণের মাঝে খুতবা দেন ৷ আমর ইবনুল আ’স (রা) বলেন,
হে আমীরুল মু’মিনীন ৷ আপনি ধ্বংস যানে আরোহণ করেছেন ৷ আর আমরাও আপনার সাথে
তাতে আরোহণ করেছি ৷ কাজেই আপনি তওবা করুন, আমরাও আপনার সাথে তাওৰা করব ৷
উসমান (বা) কিবলামুখী হন এবং দুইহাত উত্তোলন করেন ৷ ইবন আবু হাবীবা বলেন, আমি
আর তাকে কোন দিনও এরুপ ক্রন্দনরত অবস্থায় দেখিনি ৷ এরপর তিনি একদিন খুতবা দেন ৷
এমন সময় জাহ জাহ গিফারী তার দিকে এগিয়ে আসল এবং চিৎকার দিয়ে বলল, হে উসমান ৷
সাবধান! এ উটনিটি আমি নিয়ে এসেছি তার উপর রয়েছে একটি লম্বা জামা, একটি গলবন্ধনী ৷
তুমি মিম্বর হতে নেমে আস ৷ তোমাকে লম্বা জামাটিতে ঢুকাব, তোমার গলায় গলবন্ধনী পরিয়ে
দেব এবং তোমাকে জখমী উটনীর উপর উঠিয়ে নেৰ ৷ তারপর ণ্তামাকে আমরা ধোয়ার
পাহাড়ে নিক্ষেপ করব ৷ উসমান (বা) বলেন, “আল্লাহ তোমার মন্দ করুন এবং তুমি যা নিয়ে
আসছ তাও মন্দে পরিণত করুন ৷ তারপর উসমান (রা) মিম্বর হতে নেমে আসলেন ৷ ইবন আবু
হাবীবা বলেন, “আর এটা ছিল সর্বশেষ দিন, তাকেআমি দেখেছি ৷”
আল্লামা আল ওয়াকিদী (র) আমির ইবন সা৷দ (র) হতে বর্ণনা করেন ৷ তিনি বলেন :
সর্বপ্রথম যে ব্যক্তি উসমান (রা)-এ্যার সাথে দুর্ব্যাবহার করার দুঃসাহসকঃরজ্জি সে ছিল
জাৰিল্লাহ ইবন আমর আস-সড়ায়িদী ৷ একবার উসমান (বা) তার কাছ দিয়ে অতিক্রা করছেন ৷
সে ছিল তার সম্প্রদায়ের মজলিসে ৷ আর তার হাতে ছিল একটি গলবন্ধনী ৷ যখন উসমান (বা)
সম্প্রদায়ের কাছে আসলেন ও সালাম করলেন, ম্পোড়ায়ের লোকেরা সালামের উত্তর দিলেন ৷
জাবিল্লাহ বলল, তোমরা কেন তার সালামের উত্তর দিচ্ছা তিনি এমন একটি লোক, যিনি এটা
করেছেন, ওটা করেছেন ইত্যাদি ৷ আবার উসমান (রা)-এর দিকে মুখ ফিরিয়ে বলে, আল্লাহ্র
শপথ’ ৷ আমি তোমার গলায় এ গলবন্ধনী পরিয়ে দেবাে কিৎবা তুমি তোমার আত্মীয়কে ছেড়ে
দেবে ৷ উসমান (বা) বললেন, কোনৃ আত্মীয়ঃ আল্লাহর শপথ, আমিও জনগণকে নিজের
فَطَمِعَ النَّاسِ فِيهِ مِنْ يَوْمَئِذٍ، كَمَا قَالَ الْوَاقِدِيُّ: حَدَّثَنِي أُسَامَةُ بْنُ زَيْدٍ، عَنْ يَحْيَى بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ حَاطِبٍ، عَنْ أَبِيهِ قَالَ: بَيْنَا أَنَا أَنْظُرُ إِلَى عُثْمَانَ يَخْطُبُ عَلَى عَصَا النَّبِيِّ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، الَّتِي كَانَ يَخْطُبُ عَلَيْهَا وَأَبُو بَكْرٍ وَعُمَرُ، فَقَالَ لَهُ جَهْجَاهُ: قُمْ يَا نَعْثَلُ فَانْزِلْ عَنْ هَذَا الْمِنْبَرِ. وَأَخَذَ الْعَصَا فَكَسَرَهَا عَلَى رُكْبَتِهِ الْيُمْنَى فَدَخَلَتْ شَظِيَّةٌ مِنْهَا فِيهَا، فَبَقِيَ الْجُرْحُ حَتَّى أَصَابَتْهُ الْأَكِلَةُ فَرَأَيْتُهَا تُدَوِّدُ، فَنَزَلَ عُثْمَانُ وَحَمَلُوهُ وَأَمَرَ بِالْعَصَا فَشَدُّوهَا، فَكَانَتْ مُضَبَّبَةً، فَمَا خَرَجَ بَعْدَ ذَلِكَ الْيَوْمِ إِلَّا خَرْجَةً أَوْ خَرْجَتَيْنِ، حَتَّى حُصِرَ فَقُتِلَ.
قَالَ ابْنُ جَرِيرٍ: حَدَّثَنِي أَحْمَدُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، ثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ إِدْرِيسَ، عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ، عَنْ نَافِعٍ أَنَّ جَهْجَاهًا الْغِفَارِيَّ أَخَذَ عَصَا كَانَتْ فِي يَدِ عُثْمَانَ فَكَسَرَهَا عَلَى رُكْبَتِهِ، فَرُمِيَ فِي ذَلِكَ الْمَكَانِ بِأَكِلَةٍ.
وَقَالَ الْوَاقِدِيُّ: وَحَدَّثَنِي ابْنُ أَبِي الزِّنَادِ، عَنْ مُوسَى بْنِ عُقْبَةَ، عَنْ أَبِي حَبِيبَةَ قَالَ: خَطَبَ عُثْمَانُ النَّاسَ فِي بَعْضِ أَيَّامِهِ فَقَالَ عَمْرُو بْنُ الْعَاصِ: يَا أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ، إِنَّكَ قَدْ رَكِبْتَ نَهَابِيرَ وَرَكِبْنَاهَا مَعَكَ، فَتُبْ نَتُبْ. فَاسْتَقْبَلَ عُثْمَانُ
পৃষ্ঠা - ৫৭৭৯
সাহায্যকারী হিসেবে গ্রহণ করছি ৷ তখন যে বলল, তুমি মারওয়ানরুক নির্বাচন করেছ; তুমি
মুয়াবীয়াকে নির্বাচন করেছ; তুমি আবদুল্লাহ ইবন আমির ইবন কুরাইযকে নির্বাচন করেছ; তুমি
আবদুল্লাহ ইবন সাদ ইবন আবু সারহ-এর ন্যায় দোকজনকে নির্বাচন করেছ ৷ তাদের মধ্যে
এমন লোক আছে যার দৃর্ণাম বর্ণনায় কুরআনের আয়াত নাযিল হয়েছে এবং রাসুলুল্পাহ্ঙ্কুঙ্কুশু
তার রক্ত মুৰাহ করে দিয়েব্ছন ৷
বর্ণনাকারী বলেন, হযরত উসমান (রা) সেখান থেকে চলে আসেন এবং সোকজনও তার
বিরুদ্ধে বিভিন্ন রকম মন্তব্য করতে থাকে ৷
আল্লামা ওয়াকিদী (র) উসমান ইবন আশ-শারীদ (র) হতে বর্ণনা করেন ৷ তিনি
বলেন, “একদিন উসমান (রা) জাবিল্লাহ ইবন আমর আস-সায়ীদি-এর নিকট দিয়ে যাচ্ছিলেন ৷
সে ছিল তার বাড়ির সম্মুখে এবং তার সাথে ছিল একটি গলবন্ধনী ৷ উসমান (রা)-ণ্ক সে দেশে
বলল, “হে বুড়াে বোকা ! আল্লাহ্র শপথ, আমি অবশ্যই তোমাকে হত্যা করব এবং আমি
অবশ্যই তোমাকে জখমী উটের উপর উঠার ৷ আর আমি অবশ্যই ,তােমাকে উত্তপ্ত অগ্নির দিকে
বের করে নিয়ে যাব ৷” তারপর আবার যে হযরত উসমান (রা) এর কাছে আগমন করল এবং
হযরত উসমান (রা) ছিলেন মিম্বরের উপর, যে তাকে মিম্বর থেকে নামিয়ে দিল ৷
সাইফ ইবন উমর (র) উল্লেখ করেন যে, উসমান (রা) জুমার দিন সােকজনকে নিয়ে
সালাত আদায় করার পর মিম্বরে উঠলেন এবং জনগণকে খুতবা দিলেন ৷ তিনি তার খুতবায়
বলেন, উপস্থিত জ্যিদেশী ব্যক্তিবর্গ! মহান আল্পাহ্কে ভয় কর ৷ আল্লাহ্কে ভয় কর ৷ আল্লাহ্র
শপথ, নিশ্চয়ই পবিত্র মদীনাবাসী তোমাদের সম্বন্ধে জানেন যে, তোমরা রাসুলুল্লাহ্ন্ব্লু,শ্ন এর
ভাষায় অভিশ্বপ্ত ৷ তইি তোমরা সঠিক কাজ করে ভ্রম সংশোধন কর ৷ কেননা, আল্লাহ্ রাববুল
আলামীন ভাল কাজের মাধ্যমে মন্দ কাজের পরিণাম মিটিয়ে দেন ৷ তখন মুহাম্মদ ইবন
মাসলামা (রা) উঠে র্দাড়ালেন এবং বললেন, আমি এ ব্যাপারে সাক্ষ্য দিচ্ছি ৷ হুকইিম ইবন
জাবিল্লাহ তাকে গিয়ে ধরনের এবং বসিয়ে দিলেন ৷ তারপর যায়িদ ইবন সাধিত (রা) দাড়ান্সেনঃ
এবং বললেন, হযরত উসমান (রা)-এর উক্তি আল্লাহর কিতাবেও দেখতে পাওয়া যায় ৷
অন্যদিকে থেকে মুহাম্মদ ইবন মুরাইরাহ লাফ দিয়ে উঠলেন এবং যায়িদ ইবন সাধিত (রা)-এর
কাছে গেলেন এবং তাকে বসিয়ে দিলেন ও বললেন, এটা খুব খারাপ কথা ৷” সকলে উত্তেজিত
হয়ে পড়লেন ’এবং বিদ্রোহীরা ণ্লাকজঃনর উপর প্রস্তর নিক্ষেপ করতে লাগল ৷ আর বিদ্রোহীরা
এভাবে তাদেরকে মসজিদ থেকে বের করে দিল ৷ এরপর তারা হযরত উসমান (রা)-এর প্রতি
প্রস্তর নিক্ষেপ করতে লাগল ৷ এরপর তিনি অচেতন হয়ে ফিরে থেকে নিচে পড়ে গেলেন ৷
তারপর তাকে উঠানাে হলো এবং তাকে বয়ে নিয়ে যাওয়া হলো ৷
শ্মিসরৰাসী নােকজনের মধ্য হতে নিম্নবর্ণিত তিনজন ব্যতীত অন্য কাউকেও তাদের
সাহায্যকারী মনে করত না ৷ তারা হলেন : মুহাম্মদ ইবন আবু বকর (বা), মুহাম্মদ ইবন জাফর ন্
(বা) এবং আমার ইবন ইয়াসার (রা) ৷
হযরত আলী (রা), হযরত তালহা (রা) ও হযরত যুৰাইর (রা) অন্য লোকজনের সাথে
হযরত উসমান (রা)-এর সেবা শুশ্রুষার জন্যে এবং নিজেদের দুঃ দৃর্দশ ৷ ও জনগণের
দুঃখ-দুর্দশা তার কাছে পেশ করার লক্ষে হযরত উসমান (রা)এর কাছে উপস্থিত হলেন ৷
الْقِبْلَةَ وَشَهَرَ يَدَيْهِ قَالَ أَبُو حَبِيبَةَ: فَلَمْ أَرَ يَوْمًا أَكْثَرَ بَاكِيًا وَلَا بَاكِيَةً مِنْ يَوْمِئِذٍ. ثُمَّ لَمَّا كَانَ بَعْدَ ذَلِكَ خَطَبَ النَّاسَ فَقَامَ إِلَيْهِ جَهْجَاهُ الْغِفَارِيُّ فَصَاحَ: يَا عُثْمَانُ أَلَا إِنَّ هَذِهِ شَارِفٌ قَدْ جِئْنَا بِهَا عَلَيْهَا عَبَاءَةٌ وَجَامِعَةٌ، فَانْزِلْ فَلْنُدْرِجْكَ فِي الْعَبَاءَةِ، وَلْنَطْرَحْكَ فِي الْجَامِعَةِ، وَلْنَحْمِلْكَ عَلَى الشَّارِفِ، ثُمَّ نَطْرَحْكَ فِي جَبَلِ الدُّخَانِ. فَقَالَ عُثْمَانُ: قَبَّحَكَ اللَّهُ وَقَبَّحَ مَا جِئْتَ بِهِ. ثُمَّ نَزَلَ عُثْمَانُ. قَالَ أَبُو حَبِيبَةَ: وَكَانَ آخِرَ يَوْمٍ رَأَيْتُهُ فِيهِ.
وَقَالَ الْوَاقِدِيُّ: حَدَّثَنِي أَبُو بَكْرِ بْنُ إِسْمَاعِيلَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَامِرِ بْنِ سَعْدٍ قَالَ: كَانَ أَوَّلَ مَنِ اجْتَرَأَ عَلَى عُثْمَانَ بِالْمَنْطِقِ السَّيِّئِ جَبَلَةُ بْنُ عَمْرٍو السَّاعِدِيُّ، مَرَّ بِهِ عُثْمَانُ وَهُوَ فِي نَادِي قَوْمِهِ، وَفِي يَدِ جَبَلَةَ جَامِعَةٌ، فَلَمَّا مَرَّ عُثْمَانُ سَلَّمَ فَرَدَّ الْقَوْمُ، فَقَالَ جَبَلَةُ لِمَ تَرُدُّونَ عَلَيْهِ؟ رَجُلٌ قَالَ كَذَا وَكَذَا. ثُمَّ أَقْبَلَ عَلَى عُثْمَانَ فَقَالَ: وَاللَّهِ لَأَطْرَحَنَّ هَذِهِ الْجَامِعَةَ فِي عُنُقِكَ أَوْ لَتَتْرُكَنَّ بِطَانَتَكَ هَذِهِ. فَقَالَ عُثْمَانُ: أَيُّ بِطَانَةٍ؟ فَوَاللَّهِ إِنِّي لِأَتَخَيَّرُ النَّاسُ. فَقَالَ: مَرْوَانَ تَخَيَّرْتَهُ؟! وَمُعَاوِيَةَ تَخَيَّرْتَهُ؟! وَعَبْدَ اللَّهِ بْنَ عَامِرِ بْنِ كُرَيْزٍ تَخَيَّرْتَهُ؟! وَعَبْدَ اللَّهِ بْنَ سَعْدِ
পৃষ্ঠা - ৫৭৮০
بْنِ أَبِي سَرْحٍ تَخَيَّرْتَهُ؟! مِنْهُمْ مَنْ نَزَلَ الْقُرْآنُ بِدَمِهِ، وَأَبَاحَ رَسُولُ اللَّهِ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، دَمَهُ. قَالَ: فَانْصَرَفَ عُثْمَانُ فَمَا زَالَ النَّاسُ مُجْتَرِئِينَ عَلَيْهِ إِلَى هَذَا الْيَوْمِ.
قَالَ الْوَاقِدِيُّ: وَحَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ صَالِحٍ، عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ رَافِعِ بْنِ نُقَاخَةَ، عَنْ عُثْمَانَ بْنِ الشَّرِيدِ قَالَ: مَرَّ عُثْمَانُ عَلَى جَبَلَةَ بْنِ عَمْرٍو السَّاعِدِيِّ وَهُوَ بِفَنَاءِ دَارِهِ، وَمَعَهُ جَامِعَةٌ فَقَالَ: يَا نَعْثَلُ، وَاللَّهِ لِأَقْتُلُنَّكَ وَلَأَحْمِلَنَّكَ عَلَى قَلُوصٍ جَرْبَاءَ، وَلِأُخْرِجُنَّكَ إِلَى حَرَّةِ النَّارِ. ثُمَّ جَاءَهُ مَرَّةً أُخْرَى وَعُثْمَانُ عَلَى الْمِنْبَرِ فَأَنْزَلَهُ عَنْهُ.
وَذَكَرَ سَيْفُ بْنُ عُمَرَ أَنَّ عُثْمَانَ بَعْدَ أَنْ صَلَّى بِالنَّاسِ يَوْمَ الْجُمُعَةِ صَعِدَ الْمِنْبَرَ فَخَطَبَهُمْ أَيْضًا، فَقَالَ فِي خُطْبَتِهِ: يَا هَؤُلَاءِ الْعِدَا اللَّهَ اللَّهَ! فَوَاللَّهِ إِنَّ أَهْلَ الْمَدِينَةِ لَيَعْلَمُونِ أَنَّكُمْ مَلْعُونُونَ عَلَى لِسَانِ مُحَمَّدٍ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَامْحُوَا الْخَطَأَ بِالصَّوَابِ، فَإِنَّ اللَّهَ لَا يَمْحُو السَّيِّئَ إِلَّا بِالْحَسَنِ. فَقَامَ مُحَمَّدُ بْنُ مَسْلَمَةَ فَقَالَ: أَنَا أَشْهَدُ بِذَلِكَ. فَأَخَذَهُ حَكِيمُ بْنُ جَبَلَةَ فَأَقْعَدَهُ، فَقَامَ زَيْدُ بْنُ ثَابِتٍ فَقَالَ: إِنَّهُ فِي الْكِتَابِ. فَثَارَ إِلَيْهِ مِنْ نَاحِيَةٍ أُخْرَى مُحَمَّدُ بْنُ أَبِي قُتَيْرَةَ فَأَقْعَدَهُ وَقَالَ فَأَفْظَعَ، وَثَارَ الْقَوْمُ
পৃষ্ঠা - ৫৭৮১
তারপর কাজ শেষে তারা তাদের বাসস্থান প্রত্যাবর্তন করলেন ৷ সাহাবায়ে কিংামের মধ্য হতে
একটি দল যেমন আবু হুরায়রা (রা) , ইবন উমর (রা) এবং যায়িদ ইবন সাধিত (রা) হযরত
উসমান (রা)-এর পক্ষ হতে যুদ্ধ করার জন্যে এগিয়ে আসেন ৷ হযরত উসমান (বা) তাদের
কাছে লোক প্রেরণ করলেন এবং শপথ প্রদান করলেন যাতে আল্লাহ তাআলার ফয়সালায়
হস্তক্ষেপ থেকে তারা বিরত থাকেন ও চুপ থাকেন ৷
আমীরুন মুমিনীন উসমান ইবন আফ্ফান (না)-এর অররােধের ঘটনা
জুমআর দিন যে ঘটনা ঘটার ছিল, তাই সংঘটিত হলো এবং অড়ামীরপ্স মু’মিনীন উসমান
(রা) মুখমণ্ডল এবং মাথায় অড়াঘাতপ্রাপ্ত হলেন; আহত হওয়ার সময় তিনি মিম্বরের উপর
ছিলেন ৷ বেছুশ হয়ে তিনি নিচে পড়ে যান, তাকে গৃহে নিয়ে যাওয়া হয় এবং পরিস্থিতি গুরুতর
আকার ধারণ করে ৷ অপরাধী চক্র তার ব্যাপারে লোভাতৃর হয়ে ওঠে ৷ ণ্লাকগুলো তাকে গৃহে
অবরুদ্ধ থাকতে বাধ্য করে, তার জীবন সংকীর্ণ করে তোলে এবং পৃহের অভ্যন্তরে তড়াকে
অবরুদ্ধ করে রাখে ৷ অনেক সাহাবী নিজ নিজ পৃহের অভ্যন্তরে অবস্থান করতে লাগলেন ৷
সাহাবী তনয়ের একটা দল তাদের নিজ নিজ পিতার নির্দেশে উসমান (রা)-এর দিকে ছুটে
যায় ৷ তাদের মধ্যে হাসান-হুসাইন (রা), আবদুল্লাহ্ ইবন যুবাইর (রা)ও ছিলেন, আর (পৃহের
দরজায় পাহারায় নিয়োজিতদের) ইনিই ছিলেন প্রধান, আংরা ছিলেন আব্দুল্লাহ ইবন আমর
(রা) ৷ এরা তার পক্ষ নিয়ে বিতণ্ডায় প্রবৃত্ত হন এবং প্রতিরোধ গড়ে তোলেন, যাতে অপরাধী
চক্রের কেউ তার কাছে পৌছতে সক্ষম না হয় ৷ অবরােধ্কারীদের কোন একটা দাবি তিনি
মেনে নেবেন এ আশায় সাহসীগণের কেউ কেউ তাকে একা ছেড়ে চলে গিয়েছিলেন ৷
আমীরুল মু’মিনীন-এর নিকট তাদের দাবি ছিল : হয় তিনি পদত্যাগ করবেন, অথবা
মারওয়ান ইবনুল হাকামকে তাদের নিকট সমর্পণ করবেন ৷ বিদ্রোহীরা হত্যার কথা ভাবছে
এমন চিন্তা কারো মনে জাগেনি ৷ এসময় উসমান (রা) মসজিদ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েন ৷ তাই
(পােলযােগের সুত্রপাতঙ্ঘ) প্রথম দিকে তিনি খুব কমই বের হতেন ৷ শেষের দিকে বের হওয়া
সম্পুর্ণ বন্ধ করে দেন ৷ এ সময় সাদ ইবন হাবব লোকদের নিয়ে নামায আদায় করেন ৷
অবরোধ এক মাসের বেশি অব্যাহত থাকে ৷ কারো কারো মতে তা ছিল চল্লিশ দিনব্যাপী ৷
অবশ্যেষ অবরােধের শেষ পর্যায়ে এসে আমীরুল মু’মিনীন উসমান ইবন আফ্ফান (রা) শহীদ
হন ৷ র্তাকে নির্মমডাবে হত্যা করা হয় ৷ এ সম্পর্কে পরে আমরা আলোচনা করবো ইনশাআল্লাহ্
তাআলা ৷
ইবন জারীর উল্লেখ করেন যে, উসমান (রা) যখন অবরুদ্ধ ছিলেন, সে সময়ে তালহা ইবন
উবায়দুল্লাহ লোকদেরকে নিয়ে নামায আদায় করতেন ৷ এমর্মে সহীহ বুখারীৰত১ একটা বর্ণনা
আছে ৷ তবে ওয়াকিদী বর্ণনা করেন যে, আলী (রা) আবুআইউব (রা), সহল ইবন হুনইিনও এ
সময় নামাষে ইমামতি করতেন ৷ তবে আলী (রা) দোকদেরকে নিয়ে জুমআর নামায আদায়
করতেন, পরবর্তীকালেও তিনিই জুমআর নামাষে ইমামতি করবেন ৷ এ সময় কতিপয় বিষয়ে
১ বুখারীর পাণ্ডুলিপিতে এ স্থান শুন্য রয়েছে ৷ প্রকাশিত কপির টীকায় বলা হয়েছে; মিসরীয় পাণ্ডুলিপি, রিয়াযুন
মাত্রা এবং তারীখুল আমীসেও রয়েছে ৷ আবদুল্লাহ ইবন সালাম থেকে বর্ণিত আছে যে, তিনি বলেছেন;
উসমান (রা) অবরুদ্ধ হলে আবু হুরায়রা (রা)-কে নামাষে ইমামতির দায়িত্ব দেন ৷
بِأَجْمَعِهِمْ فَحَصَبُوا النَّاسَ حَتَّى أَخْرَجُوهُمْ مِنَ الْمَسْجِدِ، وَحَصَبُوا عُثْمَانَ حَتَّى صُرِعَ مِنَ الْمِنْبَرِ مَغْشِيًّا عَلَيْهِ، فَاحْتُمِلَ وَأُدْخِلَ دَارَهُ، وَكَانَ الْمِصْرِيُّونَ لَا يَطْمَعُونَ فِي أَحَدٍ مِنَ النَّاسِ أَنْ يُسَاعِدَهُمْ إِلَّا مُحَمَّدَ بْنَ أَبِي بَكْرٍ، وَمُحَمَّدَ بْنَ جَعْفَرٍ، وَعَمَّارَ بْنَ يَاسِرٍ. وَأَقْبَلَ عَلِيٌّ وَطَلْحَةُ وَالزُّبَيْرُ إِلَى عُثْمَانَ فِي أُنَاسٍ يَعُودُونَهُ وَيَشْكُونَ إِلَيْهِ بَثَّهُمْ وَمَا حَلَّ بِالنَّاسِ، ثُمَّ رَجَعُوا إِلَى مَنَازِلِهِمْ، وَاسْتَقْتَلَ جَمَاعَةٌ مِنَ الصَّحَابَةِ؛ مِنْهُمْ أَبُو هُرَيْرَةَ، وَابْنُ عُمَرَ، وَزَيْدُ بْنُ ثَابِتٍ، فِي الْمُحَارَبَةِ عَنْ عُثْمَانَ، فَبَعَثَ إِلَيْهِمْ يُقْسِمُ عَلَيْهِمْ لَمَا كَفُّوا أَيْدِيَهُمْ وَسَكَنُوا حَتَّى يَقْضِيَ اللَّهُ مَا يَشَاءُ.
[صِفَةُ حَصْرِ أَمِيرِ الْمُؤْمِنِينَ عُثْمَانَ بْنِ عَفَّانَ]
َ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ
لَمَّا وَقَعَ مَا وَقَعَ يَوْمَ الْجُمُعَةِ، وَشُجَّ أَمِيرُ الْمُؤْمِنِينَ عُثْمَانُ وَهُوَ فِي رَأْسِ الْمِنْبَرِ، وَسَقَطَ مَغْشِيًّا عَلَيْهِ، وَاحْتُمِلَ إِلَى دَارِهِ، تَفَاقَمَ الْأَمْرُ وَطَمِعَ فِيهِ أُولَئِكَ الْأَجْلَافُ الْأَخْلَاطُ مِنَ النَّاسِ وَأَلْجَئُوهُ إِلَى دَارِهِ وَضَيَّقُوا عَلَيْهِ، وَأَحَاطُوا بِهَا مُحَاصِرِينَ لَهُ،
পৃষ্ঠা - ৫৭৮২
তিনি জনগণের সম্মুখে ভাষণও দান করেছেন ৷ এ সময় আরো কিছু ঘটনা সংঘটিত হয় ৷
তারমধ্যে যতটুকু সম্ভব হয় আমরা আলোচনা করবো ইনশাআল্লাহ্ ৷ এজন্য আল্পাহ্র নিকট
সাহায্য প্রার্থনা করছি ৷
ইমাম আহমদ (র) আমর ইবন জাওয়ান সুত্রে বর্ণনা করেন ! আহনাক বলেন, আমরা
হাজ্জর উদ্দেশ্যে রওয়ানা করি ৷ মদীনা অতিক্রম করে আমরা আগ্রসর হই ৷ আমরা যখন
মনযিলে অবস্থানরত তখন জনৈক আপন্তুক এসে বলে :
ণ্লাকেরা মসজিদে সমবেত হয়েছেন ৷ আমি এবং আমার এক সঙ্গী সেদিকে এগিয়ে যইি ৷
সেখানে গিয়ে দেখি, একটা দলকে ঘিরে লোকজন জড়ো হয়েছে ৷ বর্ণনাকারী বলেন, “আমি
তাদের ভেতর দিয়ে অতিক্রম করে তাদের নিকট গিয়ে র্দাড়াই ৷ আমি দেখতে পাই সেখানে
রয়েছেন আলী ইবন আবু তালিব, যুবইির, তালহা এবং সাদ ইবন আবু ওয়াক্কাস (রা) ৷ রাবী
বলেন, অঅিদ্রুত উসমান (বা) পায়ে হেটে সেখানে উপস্থিত হন ৷ তিনি জিজ্ঞেস করলেন,
“এখানে কি আলী আছেন ৷ বলা হলো, ব্জী হ্যা ৷ আবার জিজ্ঞেস করলেন, এখানে কি যুবইির
আছেন ন্’ লোকেরা বললো, ব্জী ছুা’ ৷ তিনি আবার জিজ্ঞেস করলেন, এখানেকি তালহা
আছেন ন্’ বলা হলো, ব্জী ছুব্লা ৷ তিনি পুনরায় জিজ্ঞেস করলেন, র্টএখানে কি সাদ ইবন আবু
ওয়াক্কাস আছেন ? ণ্লাকেরা-জৰাব দেয়, জী ছুা৷ ৷ ’ তখন উসমান (বা) বললেন দ্ভ
া
ন্াঢু ণ্ৰু; ন্া,পু ঞে
;া৷ ,৷ ৷ৰু;াএ স্পো
খুএে; ১া;
যে আল্লাহ্ ছাড়া কোন ইলাহ নেই তার দোহাই দিয়ে আমি আপনাদেরকে বলছি
আপনারা জানেন যে, রাসুলুল্লা স্”দ্বুভ্রবলেনঃ অমুক গোত্রের মেষের চারণভুমি কে ক্রয় করে
দেবে, আল্লাহ্ তাকে ক্ষমা করবেন ৷ আমি তা ক্রয় করে রাসুলুল্পাহ্গ্লুঙুঞএর নিকট আগমন
করে বলি-আমি তা ক্রয় করেছি ৷’ তখন, রাসুলুল্লাহ্জােবললেন: স্থানটি আমাদের মসজিদের
জন (মসজিদে নববী) দান কর, তুমি এর প্রতিদান পাবে ৷’ তারা বললেন, জী হীা’ ৷ তিনি
বললেন, সে আল্লাহ্র দোহাই দিয়ে আমি আপনাদেরকে বলছি রাসুলুল্লাহ্র্দুসাঃ বলেছিলেন
وَلَزِمَ كَثِيرٌ مِنَ الصَّحَابَةِ بُيُوتَهُمْ، وَسَارَ إِلَيْهِ جَمَاعَةٌ مِنْ أَبْنَاءِ الصَّحَابَةِ عَنْ أَمْرِ آبَائِهِمْ ; مِنْهُمُ الْحَسَنُ وَالْحُسَيْنُ، وَعَبْدُ اللَّهِ بْنُ الزُّبَيْرِ - وَكَانَ أَمِيرَ الدَّارِ - وَعَبْدُ اللَّهِ بْنُ عُمَرَ، وَصَارُوا يُجَاحِفُونَ عَنْهُ، وَيُنَاضِلُونَ دُونَهُ أَنْ يَصِلَ إِلَيْهِ أَحَدٌ مِنْهُمْ، وَأَسْلَمَهُ بَعْضُ النَّاسِ رَجَاءَ أَنْ يُجِيبَ أُولَئِكَ إِلَى وَاحِدَةٍ مِمَّا سَأَلُوا، فَإِنَّهُمْ كَانُوا قَدْ طَلَبُوا مِنْهُ إِمَّا أَنْ يَعْزِلَ نَفْسَهُ أَوْ يُسْلِمَ إِلَيْهِمْ مَرْوَانَ بْنَ الْحَكَمِ، وَلَمْ يَقَعْ فِي خَلَدِ أَحَدٍ أَنَّهُ يُقْتَلُ، إِلَّا مَا كَانَ فِي نَفْسِ أُولَئِكَ الْخَارِجِينَ عَلَيْهِ. وَانْقَطَعَ عُثْمَانُ عَنِ الْمَسْجِدِ، فَكَانِ لَا يَخْرُجُ إِلَيْهِ إِلَّا قَلِيلًا فِي أَوَائِلِ الْأَمْرِ، ثُمَّ انْقَطَعَ بِالْكُلِّيَّةِ فِي آخِرِهِ، وَكَانَ يُصَلِّي بِالنَّاسِ فِي هَذِهِ الْأَيَّامِ الْغَافِقِيُّ بْنُ حَرْبٍ. وَقَدِ اسْتَمَرَّ الْحَصْرُ أَكْثَرَ مِنْ شَهْرٍ. وَقِيلَ: أَرْبَعِينَ يَوْمًا. حَتَّى كَانَ آخِرَ ذَلِكَ أَنْ قُتِلَ شَهِيدًا، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، عَلَى مَا سَنُبَيِّنُهُ إِنْ شَاءَ اللَّهُ تَعَالَى. وَالَّذِي ذَكَرَهُ ابْنُ جَرِيرٍ أَنَّ الَّذِي كَانَ يُصَلِّي بِالنَّاسِ فِي هَذِهِ الْمُدَّةِ وَعُثْمَانُ مَحْصُورٌ طَلْحَةُ بْنُ عُبَيْدِ اللَّهِ. وَرَوَى الْوَاقِدِيُّ أَنَّ عَلِيًّا صَلَّى أَيْضًا، وَصَلَّى
পৃষ্ঠা - ৫৭৮৩
أَبُو أَيُّوبَ وَصَلَّى بِهِمْ سَهْلُ بْنُ حُنَيْفٍ، وَكَانَ يَجْمَعُ بِهِمْ عَلِيٌّ، وَهُوَ الَّذِي صَلَّى بِهِمْ بَعْدُ. وَقَدْ خَاطَبَ النَّاسَ فِي غُبُونِ ذَلِكَ بِأَشْيَاءَ، وَجَرَتْ أُمُورٌ سَنُورِدُ مِنْهَا مَا تَيَسَّرَ. وَبِاللَّهِ الْمُسْتَعَانُ.
قَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا بَهْزٌ، ثَنَا أَبُو عَوَانَةَ، ثَنَا حُصَيْنٌ عَنْ عَمْرِو بْنِ جَاوَانَ قَالَ: «قَالَ الْأَحْنَفُ: انْطَلَقْنَا حُجَّاجًا فَمَرَرْنَا بِالْمَدِينَةِ، فَبَيْنَمَا نَحْنُ فِي مَنْزِلِنَا إِذْ جَاءَنَا آتٍ فَقَالَ: النَّاسُ فِي الْمَسْجِدِ. فَانْطَلَقْتُ أَنَا وَصَاحِبِي فَإِذَا النَّاسُ مُجْتَمِعُونَ عَلَى نَفَرٍ فِي الْمَسْجِدِ قَالَ: فَتَخَلَّلْتُهُمْ حَتَّى قُمْتُ عَلَيْهِمْ، فَإِذَا عَلِيُّ بْنُ أَبِي طَالِبٍ وَالزُّبَيْرُ وَطَلْحَةُ وَسَعْدُ بْنُ أَبِي وَقَّاصٍ، قَالَ: فَلَمْ يَكُنْ ذَلِكَ بِأَسْرَعَ مِنْ أَنْ جَاءَ عُثْمَانُ يَمْشِي، فَقَالَ: هَاهُنَا عَلِيٌّ؟ قَالُوا: نَعَمْ. قَالَ: أَهَاهُنَا الزُّبَيْرُ؟ قَالُوا: نَعَمْ. قَالَ: أَهَاهُنَا سَعْدٌ؟ قَالُوا: نَعَمْ. قَالَ: أَنْشُدُكُمْ بِاللَّهِ الَّذِي لَا إِلَهَ إِلَّا هُوَ أَتَعْلَمُونَ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، قَالَ: مَنْ يَبْتَاعُ مِرْبَدَ بَنِي فُلَانٍ غَفَرَ اللَّهُ لَهُ فَابْتَعْتُهُ فَأَتَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَقُلْتُ: إِنِّي قَدِ ابْتَعْتُهُ. فَقَالَ: " اجْعَلْهُ فِي مَسْجِدِنَا وَأَجْرُهُ لَكَ "؟ قَالُوا: نَعَمْ. قَالَ: أَنْشُدُكُمْ بِاللَّهِ الَّذِي لَا إِلَهَ إِلَّا هُوَ، أَتَعْلَمُونَ أَنَّ رَسُولَ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، قَالَ: مَنْ يَبْتَاعُ بِئْرَ رُومَةَ؟ .
পৃষ্ঠা - ৫৭৮৪
ৰি’রে রুমা (একটি সৃমিষ্ট পানির কুয়ো) কে ক্রয় করে দেবাে আমি এত এত দিরহাম দিয়ে তা
ক্রয় করে দেই ৷ তারপর রাসুলুল্লাহ্লোঃ এর নিকট আগমন করে আরব করলাম, আমি ৰিরে
রুমা ক্রয় করে দিয়েছি ! রাসুলুল্লাহ্ড্রো বললেন, মুসলমানদের পানি পান করার জন্য তা দান
করে দাও ৷ তুমি এর সাওয়াব পাবে ৷ তারা জবাব দিলেন, হী৷ ৷ তিনি পুনরায় বললেন,
আল্লাহ্র দােহাই দিয়ে আমি আপনাদেরকে জিজ্ঞেস করছি, যিনি ব্যতীত কোন ইলাহ নেই,
আপনারা জানেন যে, রাসুলুল্লাহ্মোঃ সংকীর্ণতড়ার বাহিনীর (তাবুক যুদ্ধের) দিন লোকজনের
চেহারা দেখে বলেছিলেন ৪ এদেরকে যুদ্ধের সাজ-সরঞ্জাম দিয়ে কে সজ্জিত করবে, আল্লাহ্
তাকে ক্ষমা করবেন, আমি তাদেরকে যুদ্ধের উপকরণ দ্বারা সজ্জিত করেছিলাম, এমনকি জন্ন্তুর
পায়ে লাপাবার এবং বাধার একটা রশিও বাদ ছিল নাপ্ তারা জবাব দিলেন, ইফুড়া’ , আপনি ঠিকই
বলছেন ৷ তখন তিনি বললেন, হে আল্লাহ্’ তুমি সড়াক্ষী থাক , হে আল্লাহ্ তুমি সাক্ষী থাক,
আল্লাহ্ তুমি সাক্ষী থাক ৷’ তারপর তিনি ফিরে যান (মুসনাদে ইমাম আহমদ ১৭০) ৷ ইমাম
নাসাঈ হাসীন সুত্রে হড়াদীসটি বণ্নাি করেছেন ৷ তাতে একথাও রয়েছে, অর্থাৎ হলুদ-চাদর গায়ে
এক ব্যক্তি উপস্থিত হলেন ৷
অপর এক বর্ণনা
আব্দুল্লাহ্ ইবন আহমদ হুদায়বিয়ার সন্ধিকালে উপস্থিত ছিলেন এমন একজন সাহাবী
আবু আনসারীর উদ্ধৃতি যায়দ ইবন আসলাম সুত্রে তিনি তার পিতার বরাতে বর্ণনা করেন,
হযরত উসমান (রা) এর অবরােধের দিনগুলোতে আমি তাকে জানাযাস্থলে দেখতে পাই, তখন
কোন প্রস্তর নিক্ষেপ করা হলে তা কোন ব্যক্তির মাথায়ই পতিত হতো ৷ মাকামে জিবৃরীলের
নিকটবর্তী জানালা দিয়ে আমি উসমান (রা)-কে উকি মারভে দেখতে পইি ৷ তিনি বলছিলেন :
“লোক সকল ! তোমাদের মধ্যে তালহা আছেন কি প্’ সকলেই চুপ থাকে ৷ তিনি আবার জিজ্ঞেস
করলেন ; লোক সকল ! তোমাদের মধ্যে তাল্হা আছেন কিপ্ সকলেই চুপ ৷ তিনি পুনঃ
জিজ্ঞেস করলেন ও দোক সকল ! এখানে তালহা আছেনন্’ এবার তালহা ইবন উবড়ায়দুল্লাহ
র্দাড়ালেন ৷ উসমান (রা) তাকে বললেন : আমি কি তোমাকে এখানে দেখতে পাচ্ছি না?
একদল লোকের মধ্যে তুমি উপস্থিত থাকবে আর তিনবার আমি তোমাকে ডকেবাে, কিন্তু জবাব
দেবে না, এমনটি আমি ধারণা করিনি ৷ হে তালহা! আল্লাহ্র দোহাই দিয়ে আমি সেদিনের কথা
তোমাকে স্মরণ করিয়ে দিচ্ছি, যেদিন অমুক স্থানে রাসুলুল্লাহ্মোঃ এর সঙ্গে ভুমি এবং আমি
ছিলাম; আমি এবং তুমি ছাড়া সেদিন তার সঙ্গে অন্য কোন সাহাবী ছিলেন না ৷ তিনি বললেন,
হ্যা’ ৷ উসমান (রা) বলেন তখন রাসুলুল্লাহ্আঃ তোমাকে লক্ষ্য করে বলেছিলেন :
াশু
হে তালহা ! (শোন), এমন কোন নবী নেই, যার উষ্মতের মধ্য থেকে তার সঙ্গীদের মধ্যে
জান্নাতে একজন সঙ্গী থাকবে না ৷ আর এই উসমান ইবন আফ্ফান হ্বেশ্ জান্নাতে আমার
আল-বিদায়া — ৪১
فَابْتَعْتُهَا بِكَذَا وَكَذَا، فَأَتَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَقُلْتُ: إِنِّي قَدِ ابْتَعْتُهَا - يَعْنِي بِئْرَ رُومَةَ - فَقَالَ: اجْعَلْهَا سِقَايَةً لِلْمُسْلِمِينَ وَلَكَ أَجْرُهَا "؟ قَالُوا: نَعَمْ. قَالَ: أَنْشُدُكُمْ بِاللَّهِ الَّذِي لَا إِلَهَ إِلَّا هُوَ أَتَعْلَمُونَ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، نَظَرَ فِي وُجُوهِ الْقَوْمِ يَوْمَ جَيْشِ الْعُسْرَةِ فَقَالَ: مَنْ يُجَهِّزْ هَؤُلَاءِ غَفَرَ اللَّهُ لَهُ فَجَهَّزْتُهُمْ حَتَّى مَا يَفْقِدُونَ خِطَامًا وَلَا عِقَالًا؟ قَالُوا: اللَّهُمَّ نَعَمْ. فَقَالَ: اللَّهُمَّ اشْهَدْ، اللَّهُمَّ اشْهَدْ، اللَّهُمَّ اشْهَدْ. ثُمَّ انْصَرَفَ» . وَرَوَاهُ النَّسَائِيُّ مِنْ حَدِيثِ حُصَيْنٍ، وَعِنْدَهُ: إِذْ جَاءَ عُثْمَانُ وَعَلَيْهِ مُلَاءَةٌ صَفْرَاءُ.
طَرِيقٌ أُخْرَى: قَالَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ أَحْمَدَ: حَدَّثَنِي عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ عُمَرَ الْقَوَارِيرِيُّ، حَدَّثَنِي الْقَاسِمُ بْنُ الْحَكَمِ بْنِ أَوْسٍ الْأَنْصَارِيُّ، حَدَّثَنِي أَبُو عُبَادَةَ الزُّرَقِيُّ الْأَنْصَارِيُّ، مِنْ أَهْلِ الْمَدِينَةِ، عَنْ زَيْدِ بْنِ أَسْلَمَ، عَنْ أَبِيهِ قَالَ: شَهِدْتُ عُثْمَانَ يَوْمَ حُصِرَ فِي مَوْضِعِ الْجَنَائِزِ، وَلَوْ أُلْقِيَ حَجَرٌ لَمْ يَقَعْ إِلَّا عَلَى رَأْسِ رَجُلٍ، فَرَأَيْتُ عُثْمَانَ أَشْرَفَ مِنَ الْخَوْخَةِ الَّتِي تَلِي مَقَامَ جِبْرِيلَ، فَقَالَ: أَيُّهَا النَّاسُ أَفِيكُمْ طَلْحَةُ؟ فَسَكَتُوا. ثُمَّ قَالَ: أَيُّهَا النَّاسُ أَفِيكُمْ طَلْحَةُ؟ فَسَكَتُوا. ثُمَّ قَالَ: أَيُّهَا النَّاسُ أَفِيكُمْ طَلْحَةُ؟ فَقَامَ طَلْحَةُ بْنُ عُبَيْدِ اللَّهِ، فَقَالَ لَهُ عُثْمَانُ: أَلَا
পৃষ্ঠা - ৫৭৮৫
أَرَاكَ هَاهُنَا؟ مَا كُنْتُ أَرَى أَنَّكَ تَكُونُ فِي جَمَاعَةِ قَوْمٍ تَسْمَعُ نِدَائِي آخِرَ ثَلَاثِ مَرَّاتٍ ثُمَّ لَا تُجِيبُنِي، أَنْشُدُكَ اللَّهَ يَا طَلْحَةُ، تَذْكُرُ يَوْمَ كُنْتُ أَنَا وَأَنْتَ مَعَ رَسُولِ اللَّهِ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فِي مَوْضِعِ كَذَا وَكَذَا، لَيْسَ مَعَهُ أَحَدٌ مِنْ أَصْحَابِهِ غَيْرِي وَغَيْرُكَ - فَقَالَ: نَعَمْ - فَقَالَ لَكَ رَسُولُ اللَّهِ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: يَا طَلْحَةُ إِنَّهُ لَيْسَ مِنْ نَبِيٍّ إِلَّا وَمَعَهُ مِنْ أَصْحَابِهِ رَفِيقٌ مِنْ أُمَّتِهِ مَعَهُ فِي الْجَنَّةِ، وَإِنَّ عُثْمَانَ بْنَ عَفَّانَ هَذَا - يَعْنِينِي - رَفِيقِي فِي الْجَنَّةِ؟ . فَقَالَ طَلْحَةُ: اللَّهُمَّ نَعَمْ. ثُمَّ انْصَرَفَ. لَمْ يُخْرِجُوهُ.
طَرِيقٌ أُخْرَى: قَالَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ أَحْمَدَ: حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ أَبِي بَكْرٍ الْمُقَدَّمِيُّ، ثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ الْأَنْصَارِيُّ، ثَنَا هِلَالُ بْنُ حَقٍّ، عَنِ الْجُرَيْرِيِّ، عَنْ ثُمَامَةَ بْنِ حَزْنٍ الْقُشَيْرِيِّ، قَالَ: شَهِدْتُ الدَّارَ يَوْمَ أُصِيبَ عُثْمَانُ، فَاطَّلَعَ عَلَيْهِمُ اطِّلَاعَةً، فَقَالَ: ادْعُوا لِي صَاحِبَيْكُمُ اللَّذَيْنِ أَلَّبَاكُمْ عَلَيَّ، فَدُعِيَا لَهُ فَقَالَ: أَنْشُدُكُمَا اللَّهَ، أَتَعْلَمَانِ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، لَمَّا
পৃষ্ঠা - ৫৭৮৬
সঙ্গী ৷ তখন তালহা (রা) বললেন, আল্লাহ্ সাক্ষী এটা ঠিক কথা ৷’ এরপর তিনি প্রন্থান
করেন
অপর একটি বর্ণনা
আবদৃল্লাহ্ ইবন আহমদ মুহাম্মদ ইবন আবুবকর মাকদেসী সুমামা ইবন জায্আ
কুশাইরী সুত্রে বর্ণনা করেন : উসযান (রা) যেদিন শহীদ হন, সেদিন আমি তার গৃহে উপস্থিত
হয়ে তাকে ভালভাবে অবলােকন করি ৷ তিনি বললেন, তােমাদের সে সঙ্গীদ্বয়কে আমার কাছে
ডেকে আলো, যারা আমার বিরুদ্ধে তােমাদেরকে ঐক্যবদ্ধ করেছে ৷ ব্যক্তিদ্বয়কে ডেকে তার
কাছে আনা হয় ৷ ’ তিনি বললেন :
আল্লাহ্র নাম নিয়ে আমি তােমাদেরকে বলছি তোমরা জান যে, রাসুলুল্লাহ্ র্ন্ত £ যখন
মদীনা আগমন করেন তখন মসজিদে মুসল্লীদের স্থান সংকুলান হতো না ৷ তখন রাসুলুল্লাহ্
মোঃবললেন, নিজের নির্ডেজাল সম্পদ দ্বারা কে এ ভুমিখণ্ড ক্রয় করবে এবং এতে সে ও অন্যন্যে
মুসলমানের মতো অংশীদার হবে এবং জান্নাতে যে এর চাইতে উত্তম ভুমি লাভ করবেঃ তখন
আমার নির্ভেজাল মাল দ্বারা আমি তা ক্রয় করি এবং তা মুসলমানদের জন্য দান করে দেই ৷
আজ সে মসজিদে দু’রাকআত সালাত আদায় করতে তোমরা আমাকে বাধা দিচ্ছ ৷ এরপর তিনি
বলেন, আল্লাহ্র দােহাই দিয়ে আমি ভোমাদেরকে জিজ্ঞেস করছি, তোমরা কি জান যে,
রাসুলুল্লাহ্মোঃ যখন মদীনা আগমন করেন তখন সেখানে সুপেয় পানির কোন কুয়াে ছিল না
বিরে রুমা ব্যতীত ৷ তখন রাসুলুল্লাহ্ মোঃ বললেন, এমন কে আছে, যে তার হালাল মাল
দ্বারা কুয়া ক্রয় করতে পারো আর এ কুয়ােয় তার বালতিও অন্যান্য মুসলমানের বালতির মতো
হয়ে (এতে সকলের সমান অধিকার থাকবে) ৷ আর জান্নাতে যে এর চাইতে উত্তম বিনিময়
পাবে ৷ ’ তখন আমার হালাল মাল দ্বারা আমি তা ক্রয় করি ৷ আর আজ সে কুপের পানি পান
করতে তোমরা আমাকে বাধা দিচ্ছ! তারপর তিনি বলেনঃ তােমরা কি জান না যে, আমি
ৎকটকালীন বাহিনীর (তাবুক যুদ্ধের) যােগানদারঃ তারা সকলে বলেন, হ্যা, আপনি ঠিক
বলছেন ৷ ’ ইমাম তিরমিযী আব্দুল্লাহ্ ইবন আবদুর রহমান দারিমী সুত্রে হাদীসটি রিওয়ায়াত
করেন ৷ এছাড়া আব্বাস ছাওরী প্রমুখ সুত্রেও তিনি হাদীসটি বর্ণনা করেন ৷ ইমাম নাসাঈ যিয়াদ
ইবন আইউব সুত্রে এবং তারা সকলে সাঈদ ইবন আমির আবু মাসউদ সুত্রে হাদীসঢি
বর্ণনা করেন ৷ ইমাম তিরমিযী (র) হাদীসটিকে হাসান সহীহ বলে অভিহিত করেছেন ৷
অপর একটি বণ্নাি
ইমাম আহমদ (র) আব্দুস সামাদ সালিম ইবন আবুল জাদ সুত্রে বর্ণনা করেন :
উসমান (রা) রাসুলুল্লা হ্ মোঃ এর কয়েকজন সাহাবীকে যাদের মধ্যে আমার ইবন
ইয়াসিরও ছিলেন ডেকে বললেন, আমি তােমাদেরকে জিজ্ঞেস করছি এবং আমি পছন্দ করে
তোমরা আমার সত্যায়ন করবে ৷ আমি তােমাদেরকে আল্লাহ্র দােহাই দিয়ে বলছি তােমরা
কি জান না যে, রাসুলুল্লাহ্মোঃসমস্ত মানুষের উপর কুরাইশকে অগ্রাধিকার দিতেন ৷ আর সমস্ত
কুরাইশের উপর বনু হড়াশিমকে প্রাধান্য দিতেনা’ সকলেই নিরুত্তর, তখন তিনি বললেন ’:
আমার হাতে জান্নাতের কুঞ্জি থাকলে আমি তা বনী উমইিয়ায় হাতে তুলে দিতাম, যাতে তাদের
قَدِمَ الْمَدِينَةَ ضَاقَ الْمَسْجِدُ بِأَهْلِهِ، فَقَالَ: مَنْ يَشْتَرِي هَذِهِ الْبُقْعَةَ مِنْ خَالِصِ مَالِهِ فَيَكُونَ فِيهَا كَالْمُسْلِمِينَ وَلَهُ خَيْرٌ مِنْهَا فِي الْجَنَّةِ؟ . فَاشْتَرَيْتُهَا مِنْ خَالِصِ مَالِي فَجَعَلْتُهَا بَيْنَ الْمُسْلِمِينَ، وَأَنْتُمْ تَمْنَعُونِي أَنْ أُصَلِّيَ فِيهِ رَكْعَتَيْنِ! ثُمَّ قَالَ: أَنْشُدُكُمُ اللَّهَ أَتَعْلَمُونَ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، لَمَّا قَدِمَ الْمَدِينَةَ لَمْ يَكُنْ فِيهَا بِئْرٌ يُسْتَعْذَبُ مِنْهُ إِلَّا بِئْرَ رُومَةَ، فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «مَنْ يَشْتَرِيهَا مِنْ خَالِصِ مَالِهِ فَيَكُونَ دَلْوُهُ فِيهَا كَدِلَاءِ الْمُسْلِمِينَ، وَلَهُ خَيْرٌ مِنْهَا فِي الْجَنَّةِ؟» فَاشْتَرَيْتُهَا مِنْ خَالِصِ مَالِي وَأَنْتُمْ تَمْنَعُونِي أَنْ أَشْرَبَ مِنْهَا! ثُمَّ قَالَ: هَلْ تَعْلَمُونَ أَنِّي صَاحِبُ جَيْشِ الْعُسْرَةِ؟ قَالُوا: اللَّهُمَّ نَعَمْ. وَقَدْ رَوَاهُ التِّرْمِذِيُّ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ الدَّارِمِيِّ وَعَبَّاسٍ الدُّورِيِّ وَغَيْرِ وَاحِدٍ. وَأَخْرَجَهُ النَّسَائِيُّ عَنْ زِيَادِ بْنِ أَيُّوبَ. كُلُّهُمْ عَنْ سَعِيدِ بْنِ عَامِرٍ، عَنْ يَحْيَى بْنِ أَبِي الْحَجَّاجِ الْمِنْقَرِيِّ، عَنْ سَعِيدٍ الْجُرَيْرِيِّ بِهِ. وَقَالَ التِّرْمِذِيُّ حَسَنٌ.
طَرِيقٌ أُخْرَى: قَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا عَبْدُ الصَّمَدِ، ثَنَا الْقَاسِمُ - يَعْنِي ابْنَ الْفَضْلِ - ثَنَا عَمْرُو بْنُ مُرَّةَ، عَنْ سَالِمِ بْنِ أَبِي الْجَعْدِ
পৃষ্ঠা - ৫৭৮৭
সর্ব শেষ ব্যক্তিটি পর্যন্ত জান্নাতে প্রবেশ করতে পারে ৷ তারপর তিনি তালহা এবং ঘুবাইর-এর
জন্য লোক প্রেরণ করেন ৷ (র্তারা উপস্থিত হলে) উসমান (রা) বললেন : আমি কি তোমাদের
উভয়কে আমার সম্পর্কে একটা কথা বলে দেবাে না? আমি রাসুলুল্লাহ্র্চুন্ম্পুক্ট্র এর সঙ্গে আগমন
করি ৷ তিনি আমার হাত ধরে বাতহা তথা মক্কার পুণ্য ভুমিতে পথ অতিক্রম করছিলেন ৷ শেষ
পর্যন্ত তিনি আম্মারের পিতা-মাতার নিকট আগমন করেন আর তখন তাদেরকে শাস্তি দেয়া
হচ্ছিল, তখন আম্মারের পিতা বললেন, ইয়া রাসুলাল্লাহা সময় কি এমনই কাটবেঃ’ তখন নবী
করীমমোঃ বললেন, ধৈর্যধারণ কর ৷ তখন আল্লাহর নবী বলেন :
হে আল্লাহ! ইয়াসির পরিবারকে ক্ষমা করো ৷ তৃমিভাে তইি করে থাকে৷ ৷ ইমাম আহমদ
এককভাবে হাদীসটি বর্ণনা করেন ৷ অন্য ইমামগণ হাদীসটি বর্ণনা করেন নি ৷
অপর একটি বর্ণনা
ইমাম আহমদ ইসহাক ইবন সুলাইমান নাফি ইবন উমর সুত্রে বর্ণনা করেন যে,
উসমান (রা) অবরোধের দিনগুলােতে তীর সঙ্গীদের দিকে উকি মেরে বলেন :
র্মু
“কোন; কারণে তোমরা আমাকে হত্যা করতে উদ্যত হচ্ছ৷ আমি রাসুলুল্লাহ্লোঃ-কে বলতে
শুনেছি : তিনটি কারণের মধ্যে কোন একটি কারণ ব্যতীত কোন মুসলমানের রক্ত হালাল নয় ৷
কোন ব্যক্তি বিবাহ করার পর ব্যভিচারে প্রবৃত্ত হলে তাকে প্রস্তরাঘাতে হত্যা করা হবে,
ইচ্ছাকৃতভাবে কাউকে হত্যা করার দায়ে হত্তাকে হত্যা করা হবে, কেউ ইসলাম গ্রহণ করার পর
মুৱতাদ হয়ে গেলে তাকে হত্যা করা হবে ৷ আল্লাহ্র কসম করে বলছি ৷ জাহিলী বা ইসলামী
কোন যুগেই আমি বব্রুভিচারে লিপ্ত হইনি ৷ আমি কাউকে হত্যা করিনি যে, তার বদলে আমাকে
হত্যা করা হবে; আর ইসলাম গ্রহণ করার পর আমি মুরতাদও হইনি ৷ আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে,
আল্লাহ্ ছাড়া কোন ইলাহ নেই এবং মুহাম্মদ (সা) আল্পাহ্র বান্দা ও রাসুল ৷ ’
ইমাম নাসাঈ আহমদ ইবন আস্হাদ সুত্রে ইসহড়াক ইবন সুলায়মানের বরাতে হাদীসটি
বর্ণনা করেছেন ৷
আর একটি বর্ণনা : ইমাম আহমদ (র) হাষ্মদ ইবন যায়দ সহল ইবন হুলইিফ সুত্রে
বর্ণনা করেন যে, হযরত উসমান (রা) যখন গৃহে অবরুদ্ধ তখন আমি তার সঙ্গে ছিলাম ৷
আমরা ভেতের প্রবেশ করে উপর দিক থেকেকথা শুনতে পেতাম ৷ বর্ণনাকারী বলেন, উসমান
(রা) একদিন কোন প্রয়োজনে ভেতরে প্রবেশ করেন ৷ এসময় তার চেহারার রং পরিবর্তিত হয়ে
যায় ৷ তখন তিনি বলেন, তীরা অবিলম্বে আমাকে হত্যার হুমকি দিচ্ছে ৷ রাবী বলেন, আমরা
বললাম, আমীরুল মু’মিনীন! তাদের বিপক্ষে আপনার জন্য আল্লাহ্ই যথেষ্ট ৷ তিনি বললেন,
তারা কেন আমাকে হত্যা করতে চায়ঃ
قَالَ: دَعَا عُثْمَانُ رِجَالًا مِنْ أَصْحَابِ رَسُولِ اللَّهِ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فِيهِمْ عَمَّارُ بْنُ يَاسِرٍ، فَقَالَ: إِنِّي سَائِلُكُمْ وَإِنِّي أُحِبُّ أَنْ تُصْدُقُونِي، نَشَدْتُكُمُ اللَّهَ، أَتَعْلَمُونَ «أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، كَانَ يُؤْثِرُ قُرَيْشًا عَلَى سَائِرِ النَّاسِ، وَيُؤْثِرُ بَنِي هَاشِمٍ عَلَى سَائِرِ قُرَيْشٍ؟ فَسَكَتَ الْقَوْمُ،» فَقَالَ عُثْمَانُ: لَوْ أَنَّ بِيَدِي مَفَاتِيحَ الْجَنَّةِ لَأَعْطَيْتُهَا بَنِي أُمَيَّةَ حَتَّى يَدْخُلُوا مِنْ عِنْدِ آخِرِهِمْ. فَبَعَثَ إِلَى طَلْحَةَ وَالزُّبَيْرِ، «فَقَالَ عُثْمَانُ: أَلَا أُحَدِّثُكُمَا عَنْهُ - يَعْنِي عَمَّارًا - أَقْبَلْتُ مَعَ رَسُولِ اللَّهِ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، آخِذًا بِيَدِي نَتَمَشَّى فِي الْبَطْحَاءِ حَتَّى أَتَى عَلَى أَبِيهِ وَأُمِّهِ وَعَلَيْهِ يُعَذَّبُونَ، فَقَالَ أَبُو عَمَّارٍ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، الدَّهْرَ هَكَذَا؟ فَقَالَ لَهُ النَّبِيُّ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " اصْبِرْ ". ثُمَّ قَالَ: " اللَّهُمَّ اغْفِرْ لِآلِ يَاسِرٍ وَقَدْ فَعَلْتَ» . تَفَرَّدَ بِهِ أَحْمَدُ، وَلَمْ يُخَرِّجْهُ أَحَدٌ مِنْ أَصْحَابِ الْكُتُبِ.
طَرِيقٌ أُخْرَى: قَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ سُلَيْمَانَ، سَمِعْتُ مُغِيرَةَ بْنَ مُسْلِمٍ أَبَا سَلَمَةَ يَذْكُرُ عَنْ مَطَرٍ، عَنْ نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ أَنَّ عُثْمَانَ أَشْرَفَ عَلَى أَصْحَابِهِ وَهُوَ مَحْصُورٌ فَقَالَ: عَلَامَ تَقْتُلُونِي؟ فَإِنِّي سَمِعْتُ
পৃষ্ঠা - ৫৭৮৮
رَسُولَ اللَّهِ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، يَقُولُ: «لَا يَحِلُّ دَمُ امْرِئٍ مُسْلِمٍ إِلَّا بِإِحْدَى ثَلَاثٍ؛ رَجُلٌ زَنَى بَعْدَ إِحْصَانِهِ فَعَلَيْهِ الرَّجْمُ، أَوْ قَتَلَ عَمْدًا فَعَلَيْهِ الْقَوَدُ، أَوِ ارْتَدَّ بَعْدَ إِسْلَامِهِ فَعَلَيْهِ الْقَتْلُ» . فَوَاللَّهِ مَا زَنَيْتُ فِي جَاهِلِيَّةٍ وَلَا إِسْلَامٍ، وَلَا قَتَلْتُ أَحَدًا فَأُقِيدَ نَفْسِي مِنْهُ، وَلَا ارْتَدَدْتُ مُنْذُ أَسْلَمْتُ؛ إِنِّي أَشْهَدُ أَنْ لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ، وَأَنَّ مُحَمَّدًا عَبْدُهُ وَرَسُولُهُ. وَرَوَاهُ النَّسَائِيُّ، عَنْ أَحْمَدَ بْنِ الْأَزْهَرِ، عَنْ إِسْحَاقَ بْنِ سُلَيْمَانَ بِهِ.
طَرِيقٌ أُخْرَى: قَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا عَفَّانُ، ثَنَا حَمَّادُ بْنُ زَيْدٍ، ثَنَا يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ، عَنْ أَبِي أُمَامَةَ بْنِ سَهْلِ بْنِ حُنَيْفٍ قَالَ: كُنْتُ مَعَ عُثْمَانَ فِي الدَّارِ وَهُوَ مَحْصُورٌ، قَالَ: وَكُنَّا نَدْخُلُ مُدْخَلًا إِذَا دَخَلْنَاهُ سَمِعْنَا كَلَامَ مَنْ عَلَى الْبَلَاطِ، قَالَ: فَدَخَلَ عُثْمَانُ يَوْمًا لِحَاجَةٍ، فَخَرَجَ إِلَيْنَا مُنْتَقِعًا لَوْنُهُ، فَقَالَ: إِنَّهُمْ لَيَتَوَعَّدُونِي بِالْقَتْلِ آنِفًا. قَالَ: قُلْنَا: يَكْفِيكَهُمُ اللَّهُ يَا أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ. قَالَ: فَقَالَ: وَبِمَ يَقْتُلُونِي؟ فَإِنِّي سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، يَقُولُ: «لَا يَحِلُّ دَمُ امْرِئٍ مُسْلِمٍ إِلَّا بِإِحْدَى ثَلَاثٍ؛ رَجُلٌ كَفَرَ بَعْدَ إِسْلَامِهِ، أَوْ زَنَى بَعْدَ إِحْصَانِهِ، أَوْ قَتَلَ نَفْسًا بِغَيْرِ نَفْسٍ» . فَوَاللَّهِ مَا زَنَيْتُ فِي جَاهِلِيَّةٍ وَلَا إِسْلَامٍ قَطُّ، وَلَا تَمَنَّيْتُ بَدَلًا بِدِينِي مُذْ هَدَانِي اللَّهُ لَهُ، وَلَا قَتَلْتُ نَفْسًا، فَبِمَ يَقْتُلُونِي؟ . وَقَدْ رَوَاهُ أَهْلُ
পৃষ্ঠা - ৫৭৮৯
আমি রাসুলুল্লাহ্ল্লী কে বলতে শুনেছি, তিনটি কারণের কোন একটি ব্যতীত কোন
মুসলিম ব্যক্তির রক্ত হলােল নয় ৷ কোন ব্যক্তি ইসলাম গ্রহণ করার পর কুফরী অবলম্বন করলে,
অথবা বিবাহ করার পরও ব্যভিচারে লিপ্ত হলে; অথবা অহেতুক কোন প্রাণ বধ করলে ৷ আমি
আল্পাহ্র শপথ করে বলছি জাহিলী যুগে বা ইসলামী যুগে আমি কখনো ব্যভিচারে লিপ্ত হইনি ৷
আল্লাহ্ আমাকে ইসলামের হিদায়তের পর আমি দীন পরিবর্তন করিনি ৷ আর আমি কোন
ব্যক্তিকে হত্যা করিনি ৷ তবে কেন তারা আমাকে হত্যা করতে উদ্যত হয়েছে :’ চারটি সুনান
গ্রন্থের গ্রন্থকারপণ হাম্মাদ ইবন যায়দ সুত্রে ইয়াহইয়া ইবন সাঈদের বরাতে হাদীসটি বর্ণনা
করেছেন ৷ ইমাম নাসাঈ এবং আব্দুল্লাহ ইবন আয়ের ইবন রাবীআ অতিরিক্ত যোগ করে বলেনঃ
আমরা উসমান (বা) এর সঙ্গে ছিলাম ৷ তারপর হাদীসটি বর্ণনা করেন ৷ ইমাম তিরমিষী
হাদীসটিকে হাসান বলে অভিহিত করেছেন ৷ হাম্মাদ ইবন সালমা ইয়াহইয়া ইবন সাঈদ সুত্রে
মারকুরুচপ হাদীসটি বর্ণান করেছেন ৷
অপর একটি বর্ণনা ইমাম আমহদ (র) ইউনুস আবু সালমা ইবন আব্দুর রহামন
সুত্রে বর্ণনা করেন : উসমান (বা) যখন অবরুদ্ধ অবস্থায় ছিলেন, তখন তিনি মহল থেকে উকি
মেরে ছিলেন ৷ এ সময় তিনি বলেন হেরার দিনে যে ব্যক্তি রাসুলুল্লাহ্মোঃণ্এর সামনে
উপস্থিত ছিল, আমি তাকে আল্লাহ্র নামের কসম দিয়ে বলছি; সেদিন হঠাৎ পাহাড় কেপে
উঠলে রাসুলুল্লাহ্ল্যাং , মোঃপদাঘাত করে পর্বতকে লক্ষ্য করে বলেছিলেনং
ন্
হে হেরা পর্বত, শান্ত হও, তোমার উপর আছেন একজন নবী, একজন সিদ্দীক এবং
একজন শহীদ ৷ এ সময় তার সঙ্গে আমিও ছিলাম ৷’ লোকেরা র্তাকে ছুক্ল৷ বাচক জবাব দান
করলে তিনি বলেন :
বায়আতে রিদওয়ানের দিন যে ব্যক্তি রাসুলুল্পাহ্ৰা,র্দু,দাদ্বু এর সম্মুখে উপস্থিত ছিল, যেদিন
রাসুলুল্লাহ্ড্রে আমাকে মক্কার মুশরিকদের নিকট প্রেরণ করেছিলেন (এবং বায়আতকালে)
রাসুলুল্লাহ্প্লীবলেছিলের্ন এবং তিনি এক হাতের উপর অপর হাত স্থাপনপুর্বক বলেছিলেন-
এটা আমার হাত আর এটা উসমাংনর হাত ৷ এই বলে তিনি আমার পক্ষ থেকে বায় আত গ্রহণ
করেন ৷ লোকেরা র্তাকে হ্যা সুচক জবাব দিলে তিনি বলেনং আমি আল্লাহ্র দোহাই দিয়ে
তাকে বলছি যে রাসুলুল্পাহ্ঢুখ কে দেখেছে ৷ সেদিন রাসুলুল্লাহ্মোঃবলেছিলেন :
এ গৃহ দ্বারা যে ব্যক্তি আমাদের জন্য মসজিদ সম্প্রসারণ করবে, তার জন্য জান্নাতে গৃহ
নির্মাণ করা হবে ৷’ আমি আমার অর্থ দ্বারা তা ক্রয় করে মসজিদ সম্প্রসারণ করি ৷ এরপর তিনি
বলেন : সংকীর্ণতার বাহিনীর ছিল যে ব্যক্তি রাসুলুল্লাহ্ড়ো-কে বলতে শুনেছে, আমি আল্লাহর
দোহাই দিয়ে তাকে বলছি সেদিন রাসুলুল্লাহ্মোঃবলেছিৰুলন : আজকে দান করবে, তার দান
গৃহীত হবে’ (আল্লাহর দরবারে) ৷ তাই আমি সম্পদ দ্বারা অর্ধেক বাহিনী প্রস্তুত করে দেই ৷
লোকেরা তার কথায় সায় দিলে তিনি বলেন ; সে ব্যক্তি রুমা কুয়োর পানি পথচারীদের জন্য
বিক্রয় হতে দেখেছে, আমি তাকে আল্লাহর দোহাই দিয়ে বলছি ৷ আমি আমার অর্থ দ্বারা তা
" السُّنَنِ الْأَرْبَعَةُ " مِنْ حَدِيثِ حَمَّادِ بْنِ زَيْدٍ، عَنْ يَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ، عَنْ أَبِي أُمَامَةَ - زَادَ النَّسَائِيُّ: وَعَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَامِرِ بْنِ رَبِيعَةَ - قَالَا: كُنَّا مَعَ عُثْمَانَ. فَذَكَرَهُ. وَقَالَ التِّرْمِذِيُّ: حَسَنٌ، وَقَدْ رَوَاهُ حَمَّادُ بْنُ سَلَمَةَ عَنْ يَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ فَرَفَعَهُ.
طَرِيقٌ أُخْرَى: قَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا قَطَنٌ، حَدَّثَنَا يُونُسُ - يَعْنِي ابْنَ أَبِي إِسْحَاقَ - عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَبِي سَلَمَةَ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، قَالَ: أَشْرَفَ عُثْمَانُ مِنَ الْقَصْرِ وَهُوَ مَحْصُورٌ، فَقَالَ: أَنْشُدُ بِاللَّهِ مَنْ شَهِدَ رَسُولَ اللَّهِ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، يَوْمَ حِرَاءَ، إِذِ اهْتَزَّ الْجَبَلُ فَرَكَلَهُ بِقَدَمِهِ، ثُمَّ قَالَ: «اسْكُنْ حِرَاءُ لَيْسَ عَلَيْكَ إِلَّا نَبِيٌّ أَوْ صِدِّيقٌ أَوْ شَهِيدٌ، وَأَنَا مَعَهُ» . فَانْتَشَدَ لَهُ رِجَالٌ. قَالَ: أَنْشُدُ بِاللَّهِ مَنْ شَهِدَ رَسُولَ اللَّهِ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، يَوْمَ بَيْعَةِ الرِّضْوَانِ، إِذْ بَعَثَنِي إِلَى الْمُشْرِكِينَ إِلَى أَهْلِ مَكَّةَ فَقَالَ: " هَذِهِ يَدِي وَهَذِهِ يَدُ عُثْمَانَ " فَبَايَعَ لِي؟ فَانْتَشَدَ لَهُ رِجَالٌ. قَالَ: أَنْشُدُ بِاللَّهِ مَنْ شَهِدَ رَسُولَ اللَّهِ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، قَالَ مَنْ يُوَسِّعُ لَنَا بِهَذَا الْبَيْتِ فِي الْمَسْجِدِ بِبَيْتٍ فِي الْجَنَّةِ؟ فَابْتَعْتُهُ مِنْ مَالِي فَوَسَّعْتُ بِهِ الْمَسْجِدَ؟ فَانْتَشَدَ لَهُ رِجَالٌ. قَالَ: وَأَنْشُدُ بِاللَّهِ مَنْ شَهِدَ رَسُولَ اللَّهِ يَوْمَ جَيْشِ الْعُسْرَةِ قَالَ: مَنْ يُنْفِقُ الْيَوْمَ نَفَقَةً مُتَقَبَّلَةً؟ . فَجَهَّزْتُ نِصْفَ الْجَيْشِ مِنْ مَالِي؟ فَانْتَشَدَ لَهُ رِجَالٌ. وَأَنْشُدُ بِاللَّهِ مَنْ
পৃষ্ঠা - ৫৭৯০
شَهِدَ رُومَةَ يُبَاعُ مَاؤُهَا ابْنَ السَّبِيلِ، فَابْتَعْتُهَا مِنْ مَالِي فَأَبَحْتُهَا ابْنَ السَّبِيلِ؟ قَالَ: فَانْتَشَدَ لَهُ رِجَالٌ. وَرَوَاهُ النَّسَائِيُّ، عَنْ عِمْرَانَ بْنِ بَكَّارٍ، عَنْ خَطَّابِ بْنِ عُثْمَانَ، عَنْ عِيسَى بْنِ يُونُسَ بْنِ أَبِي إِسْحَاقَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ جَدِّهِ أَبِي إِسْحَاقَ السَّبِيعِيِّ بِهِ.
وَقَدْ ذَكَرَ ابْنُ جَرِيرٍ أَنَّ عُثْمَانَ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، لَمَّا رَأَى مَا فَعَلَهُ هَؤُلَاءِ الْخَوَارِجُ مِنْ أَهْلِ الْأَمْصَارِ، مِنْ مُحَاصَرَتِهِ فِي دَارِهِ، وَمَنْعِهِ الْخُرُوجَ إِلَى الْمَسْجِدِ، كَتَبَ إِلَى مُعَاوِيَةَ بِالشَّامِ، وَإِلَى ابْنِ عَامِرٍ بِالْبَصْرَةِ، وَإِلَى أَهْلِ الْكُوفَةِ، يَسْتَنْجِدُهُمْ فِي بَعْثِ جَيْشٍ يَطْرُدُونَ هَؤُلَاءِ مِنَ الْمَدِينَةِ، فَبَعَثَ مُعَاوِيَةُ حَبِيبَ بْنَ مَسْلَمَةَ، وَانْتَدَبَ يَزِيدُ بْنُ أَسَدٍ الْقَسْرِيُّ فِي جَيْشٍ، وَبَعَثَ أَهْلُ الْكُوفَةِ جَيْشًا، وَأَهْلُ الْبَصْرَةِ جَيْشًا، فَلَمَّا سَمِعَ أُولَئِكَ بِخُرُوجِ الْجُيُوشِ إِلَيْهِمْ صَمَّمُوا فِي الْحِصَارِ، فَمَا اقْتَرَبَ الْجُيُوشُ إِلَى الْمَدِينَةِ حَتَّى جَاءَهُمْ قَتْلُ عُثْمَانَ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، كَمَا سَنَذْكُرُهُ.
وَذَكَرَ ابْنُ جَرِيرٍ أَنَّ عُثْمَانَ اسْتَدْعَى الْأَشْتَرَ النَّخَعِيَّ، وَوُضِعَتْ لِعُثْمَانَ وِسَادَةٌ فِي كُوَّةٍ مِنْ دَارِهِ، فَأَشْرَفَ عَلَى النَّاسِ فَقَالَ لَهُ عُثْمَانُ: يَا أَشْتَرُ مَاذَا يُرِيدُونَ؟ فَقَالَ: إِنَّهُمْ يُرِيدُونَ مِنْكَ إِمَّا أَنْ تَعْزِلَ نَفْسَكَ عَنِ الْإِمْرَةِ، وَإِمَّا أَنْ تُقِيدَ مِنْ نَفْسِكَ مَنْ قَدْ ضَرَبْتَهُ، أَوْ جَلَدْتَهُ، أَوْ حَبَسْتَهُ، وَإِمَّا أَنْ يَقْتُلُوكَ.
পৃষ্ঠা - ৫৭৯১
ক্রয় করে মুসাফিরদের জন্য তা দান করে দেই ৷ লোকেরা তার কথায়ও সায় দেয় ৷ ৷ ইমাম
নাসাঈ ইমরান ইবন বাক্কার আবু ইসহাক সাবিঈর সুত্রেও হাদীসটি বর্ণনা করেছেন ৷
ইবন জারীর উল্লেখ করেন যে, হযরত উসমান (রা) যখন বিদ্রোহীদের কর্মকাণ্ড দেখতে
পেলেন যে, তারা তাকে গৃহে অবরুদ্ধ করে রেখেছে, এমনকি মসজিদে দাফন করতেও বাধা
দান করছে তখন তিনি সিরিয়ার মুআবিয়া, বসরায় ইবন আমির এবং কুফাবাসীদের নিকট
সাহায্য চেয়ে পত্র প্রেরণ করেন, যাতে তারা সৈন্য প্রেরণ করে গোলযােগ সৃষ্টিকারীদেরকে
মদীনা থেকে বিতাড়িত করে দিতে পারেন ৷ সে মতে মুআবিয়া মুসলিম ইবন হাবীবকে প্রেরণ
করেন ৷ ইয়াষীদ ইবন আসাদ আল-কুশাইরী প্রতিনিধি হিসাবে সৈন্য প্রেরণ করেন ৷ কুফা ও
বসরাবড়াসীরা সৈন্য প্রেরণ করে ৷ তাদের দিকে সৈন্য আসছে জানতে পেরে তারা অবরোধ
আরো তীব্র, আরো কঠোর করে তোলে, তারা মদীনায় কাছাকাছিই এসে উসমান (রা)-এর
শাহাদত সম্পর্কে জানতে পারে ৷ পরে এ সম্পর্কে আলোচনা করা হবে ৷
ইবন জারীর আরো উল্লেখ করেন যে, উসমান (রা) আশতার নাখঈকে তলব করেন এবং
হযরত উসমানের গৃহের বাতায়নযুক্ত কক্ষে তার জন্য বালিশ রাখা হয় ৷ তিনি উকি মেরে
লোকদের দেখলে উসমান (রা) তাকে বলেন : কে আশতার ! লোকেরা কি চায়৷ তিনি বলেন,
তারা চায়, হয় আপনি ক্ষমতা ত্যাগ করেন, অথবা আপনি যাদেরকে প্রহার করেছেন,
যাদেরকে চাবুক মেরেছেন বা যাদেরকে বন্দী করেছেন, ফিদিয়া (মুক্তিপণ) দ্বারা তাদের থেকে
আপনি নিজেকে মুক্ত করে নিন; অন্যথায় তারা আপনাকে হত্যা করবে ৷
অপর এক বর্ণনায় আছে যে, তারা দাবি করছে বিভিন্ন শহরের দায়িত্বশীল কর্মকর্তাদের
পদচ্যুত করে তাদের স্থলে তাদের পছন্দমাফিক লোক নিয়োগ করতে হবে ৷ আর তিনি নিজে
পদত্যাগ না করলে মারওয়ান ইবনুল হাকামকে তাদের হাতে তুলে দিতে হবে, তারাই তার
থেকে প্রতিশোধ্ নেবে ৷ যাকে মিসরে হযরত উসমানের পক্ষ থেকে ভুয়া পত্র প্রেরণের দায়ে
দণ্ডিত করা হবে ৷ উসমান (রা) আশংকা করলেন যে, মারওয়ানকে তাদের হাতে তুলে দিলে
তারা তাকে হত্যা করবে আর এতে তিনি হবেন একজন মুসলমানকে হত্যা করার কারণ, অথচ
যে এমন কোন কাজ করেনি, যার জন্য হত্যার যোগ্য বিবেচিত হতে পারে ৷ আর তাদের কথা
মতো কিসাসের প্রতিশোধের ব্যাপারে তিনি অক্ষমতা প্রকাশ করেন এ জন্য যে, তিনি একজন
বৃদ্ধ ও দুর্বল দেহের অধিকারী ব্যক্তি ৷ আর তার নিজের পদত্যাগের যে দাবি তারা তৃল্যেছ
তা-ও তিনি মেনে নেবেন না; কারণ, আল্লাহ্ তাকে সে জামা পরিধান করিয়েছেন তিনি তা
খুলতে পারেন না ৷
আর তিনি উম্মাত মুহাম্মদীকে এ অবস্থায় ছেড়ে দিতে পারেন না যে, তারা একে অন্যের
উপর হস্তক্ষেপ করবে ৷ আর না তাদের ইচ্ছা মতো অজ্ঞ মুর্থ ব্যক্তিদেরকে শাসক নিযুক্ত করতে
দিতে পারেন, যার ফলে অরাজকতা দেখা দিবে, দেশে বিপর্যয় সৃষ্টি হবে ৷ তিনি যা ধারণা
করেছিলেন, বাস্তবে তা-ই ঘটে ৷ উশুাতের মধ্যে বিপর্যয় দেখা দেয়, অরাজকতা সৃষ্টি হয় ৷ তিনি
তাদেরকে একথাও বলেছিলেন তোমরা যাকে পছন্দ করবে তাকেই যদি আমীর নিযুক্ত করি
আর যাকে তোমরা অপছন্দ কর তাকে যদি আমি পদচ্যুত করি, তাহলে আমার ণ্নতৃৎ আর
থাকে কোথায় ? তিনি তাদেরকে একথাও বলেছিলেন আল্লাহ্র কসম, তোমরা যদি আমাকে
وَفِي رِوَايَةٍ أَنَّهُمْ طَلَبُوا مِنْهُ أَنْ يَعْزِلَ نُوَّابَهُ عَنِ الْأَمْصَارِ وَيُوَلِّيَ عَلَيْهَا مَنْ يُرِيدُونَ هُمْ، وَإِنْ لَمْ يَعْزِلْ نَفْسَهُ، أَنْ يُسْلِمَ لَهُمْ مَرْوَانَ بْنَ الْحَكَمِ فَيُعَاقِبُوهُ كَمَا زَوَّرَ عَلَى عُثْمَانَ كِتَابَهُ إِلَى مِصْرَ. فَخَشِيَ عُثْمَانُ إِنْ سَلَّمَهُ إِلَيْهِمْ أَنْ يَقْتُلُوهُ، فَيَكُونَ سَبَبًا فِي قَتْلِ امْرِئٍ مُسْلِمٍ، وَمَا فَعَلَ مِنَ الْأَمْرِ مَا يَسْتَحِقُّ بِسَبَبِهِ الْقَتْلَ، وَاعْتَذَرَ عَنِ الِاقْتِصَاصِ مِمَّا قَالُوا بِأَنَّهُ رَجُلٌ ضَعِيفُ الْبَدَنِ كَبِيرُ السِّنِّ. وَأَمَّا مَا سَأَلُوهُ مِنْ خَلْعِهِ نَفْسَهُ فَإِنَّهُ لَا يَفْعَلُ وَلَا يَنْزِعُ قَمِيصًا قَمَّصَهُ اللَّهُ إِيَّاهُ، وَيَتْرُكُ أُمَّةَ مُحَمَّدٍ يَعْدُو بَعْضُهَا عَلَى بَعْضٍ، وَقَالَ لَهُمْ فِيمَا قَالَ: وَأَيُّ شَيْءٍ إِلَيَّ مِنَ الْأَمْرِ إِنْ كُنْتُ كُلَّمَا كَرِهْتُمْ أَمِيرًا عَزَلْتُهُ، وَكُلَّمَا رَضِيتُمْ عَنْهُ وَلَّيْتُهُ؟ وَقَالَ لَهُمْ فِيمَا قَالَ: وَاللَّهِ لَئِنْ قَتَلْتُمُونِي لَا تَتَحَابُّوا بَعْدِي أَبَدًا، وَلَا تُصَلُّوا جَمِيعًا أَبَدًا، وَلَا تُقَاتِلُوا بَعْدِي عَدُوًّا جَمِيعًا أَبَدًا. وَقَدْ صَدَقَ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ فِيمَا قَالَ.
وَقَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ مَهْدِيٍّ، ثَنَا مُعَاوِيَةُ بْنُ صَالِحٍ، عَنْ رَبِيعَةَ بْنِ يَزِيدَ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي قَيْسٍ، حَدَّثَنِي النُّعْمَانُ بْنُ بَشِيرٍ قَالَ: كَتَبَ مَعِي مُعَاوِيَةُ إِلَى عَائِشَةَ كِتَابًا فَدَفَعَتْ إِلَيْهَا كِتَابَهُ، فَحَدَّثَتْنِي أَنَّهَا سَمِعَتْ رَسُولَ اللَّهِ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، يَقُولُ لِعُثْمَانَ: «إِنَّ اللَّهَ لَعَلَّهُ يُقَمِّصُكَ قَمِيصًا فَإِنْ أَرَادَكَ أَحَدٌ عَلَى خَلْعِهِ فَلَا تَخْلَعْهُ ثَلَاثَ مَرَّاتٍ» . قَالَ النُّعْمَانُ: فَقُلْتُ يَا أُمَّ الْمُؤْمِنِينَ، فَأَيْنَ كُنْتِ عَنْ هَذَا الْحَدِيثِ؟ فَقَالَتْ: يَا بُنَيَّ، وَاللَّهِ أُنْسِيتُهُ. وَقَدْ رَوَاهُ
পৃষ্ঠা - ৫৭৯২
হত্যা করো তবে আমার ঘর আর একে অপরকে ভালৰাসতে পারবে না ৷ তোমরা আর কখনো
সকলে মিলে একসঙ্গে নামায আদায় করতে পারবে না, আমার পরে তোমরা আর কখনো
সকলে এক সঙ্গে মিলে দৃশমনের বিরুদ্ধে লড়াই করতে সক্ষম হবে না ৷ উসমান (বা) যা
বলেছেন, সত্যই বলেছেন ৷ তার কথা অক্ষরে অক্ষরে সত্যে পরিণত হয়েছে ৷ আল্লাহ তার প্রতি
সন্তুষ্ট থাকুন এবং তাকে সন্তুষ্ট কবন্স ৷
ইমাম আহ্ব মদ (র) আব্দুর রহমান ইবন মাহদী নুমান ইবুন বাশীর সুত্রে বর্ণনা করেনঃ
উসমান (বা) আমার মারফত আয়িশা (রা) এর নিকটঅ্যাং একটা পত্র লেখেন ৷ আমি পত্র র্তাব
নিকট হস্তান্তর করলেও তিনি বলেন যে, তিনি রাসুলুল্লাহ্ন্ ফ্লে কে হযরত উসমান (রা)-কে লক্ষ্য
করে বলতে শুন্যেছন০ ং
ৰুর্দুা৷ গ্লু,া
৷ ,গ্রা
আল্লাহ তাআলা আপনাকে একটা জামা পরাবেন ৷ কেউ তা খুলতে চাইলেও আপনি তা
খুলবেন না ৷ একথা তিনি তিনবার বলেন ৷ নুমান বলেন, তখন আমি বললাম, হে উম্মুল
মু’মিনীন! আপনি (কেন এতদিন এ হাদীস বর্ণনা করেন নিা) তিনি বলেন, হে বৎস, আল্লাহর
কসম, আমি ভুলে গিয়েছিলাম ৷ (মুসনাদে আহমদ ৬৭৫) ৷ ইমাম তিরমিযী (র) লইিস
আবদুল্লাহ ইবন আমির সুত্রে আয়িশা (রা)-এর বরাতে হাদীসটি বর্ণনা করেন ৷ এরপর তিনি
হলেন এটি হাসান গরীব হাদীস ৷ ইমাম ইবন মজােহও কবৃজ ইবন সুযালা ইয়াযীদ ইবন
নু মান সুত্রে হাদীসটি বর্ণনা করেছেন, তবে তিনি মধ্যখান থেকে আব্দুল্লাহ ইবন আমিরকে বাদ
দিয়েছেন ৷
ইমাম আহমদ (র) ইয়াহইয়া ইবন ইসমাঈল আয়িশা (রা) সুত্রে বর্ণনা করেন ৷
হযরত আয়িশা (রা) বলেন, রাসুলুল্লাহ্ছুধুক্ট্র বলেছেন : একজন সাহাবীকে ডাক’ ৷ আমি
বললাম , আবু বকরকেম্র তিনি বললেন, না ৷ আমি বললাম, উমর কেম্র তিনি বললেন, না ৷
আমি বললাম, “আপনার চড়াচড়াতো ভইি আলীকে? তিনি বললেন, না ৷ আমি বললাম,
উসমানকে ৷ তিনি বললেন, ইা ৷ তিনি উপস্থিত হলে রাসুলুল্লাহ্ £-—; “§ আমাকে বললেন,
একদিকে সরে যাও ৷ রাসুলুল্লাহ্জ্জার্তার ব্যান কানে কথা বলছিলেন আর উসমান (রা)-এর
চেহারার রং পরিবর্তন হচ্ছিল ৷ অবরোধকালে তিনি গৃহে অবরুদ্ধ হলে আমরা বললাম,
আমীরুল মু ’মিনীন ৷ আপনি যুদ্ধ করবেন নাঃ তিনি বললেন, ন৷ ৷ রাসুলুল্লা ট্ট আমার নিকট
থেকে একটা অঙ্গীকার গ্রহণ করেছেন ৷ আমি দৃঢ়তার সঙ্গে তাতে ধৈর্যধারণ করবাে’ ৷ ইমাম
আহমদ এককভ্যবে হাদীসটি বর্ণনা করেন ৷
মুহাম্মদ ইবন আইদ দামেশর্কী ওয়লীেদ ইবন মুসলিম ইয়াষীদ ইব ন আম্র সুত্রে বর্ণন
করেন যে, তিনি আবু সাওর ফাকিমীকে বলতে শুনেছেন আমি উসমান (রা)এর নিকট
উপস্থিত হই ৷ আমি তার কাছে অবস্থান করে বেরিয়ে পড়ি ৷ তখন মিসরীয় প্রতিনিধি দল ফিরে
আসে ৷ আমি উসমান (না)-এর নিকট গমন করে তাকে অবহিত করি ৷ তিনি বললেন,
১ মুসনাদে আহমদ ৬৫২ ৷ ইবন সাদ আবুসাহ্লা সুত্রে হামাদ ইবন উসামার বরাতে হাদীসটি বর্ণনা করেন
(৩৬৬) ৷ তাতে আবু সাহলা বলেন : তাদের মতে সেদিনটি ছিল গৃহে অবরুদ্ধ হওয়ার দিন ৷
التِّرْمِذِيُّ مِنْ حَدِيثِ اللَّيْثِ، عَنْ مُعَاوِيَةَ بْنِ صَالِحٍ عَنْ رَبِيعَةَ بْنِ يَزِيدَ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَامِرٍ، عَنِ النُّعْمَانِ، عَنْ عَائِشَةَ بِهِ. ثُمَّ قَالَ: هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ. وَرَوَاهُ ابْنُ مَاجَهْ مِنْ حَدِيثِ الْفَرَجِ بْنِ فَضَالَةَ، عَنْ رَبِيعَةَ بْنِ يَزِيدَ، عَنِ النُّعْمَانِ فَأَسْقَطَ عَبْدَ اللَّهَ بْنَ عَامِرٍ
قَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ إِسْمَاعِيلَ، ثَنَا قَيْسٌ، عَنْ أَبِي سَهْلَةَ، عَنْ عَائِشَةَ قَالَتْ: «قَالَ رَسُولُ اللَّهِ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " ادْعُوا لِي بَعْضَ أَصْحَابِي ". قُلْتُ: أَبُو بَكْرٍ؟ قَالَ: " لَا ". قُلْتُ: عُمَرُ؟ قَالَ: " لَا ". قُلْتُ: ابْنُ عَمِّكَ عَلِيٌّ؟ قَالَ: " لَا ". قَالَتْ: قُلْتُ: عُثْمَانُ؟ قَالَ: " نَعَمْ ". فَلَمَّا جَاءَ قَالَ: تَنَحَّيْ. فَجَعَلَ يُسَارُّهُ وَلَوْنُ عُثْمَانَ يَتَغَيَّرُ. فَلَمَّا كَانَ يَوْمُ الدَّارِ وَحُصِرَ فِيهَا قُلْنَا: يَا أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ أَلَا تُقَاتِلُ؟ قَالَ: لَا؛ إِنَّ رَسُولَ اللَّهِ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، عَهِدَ إِلَيَّ عَهْدًا وَإِنِّي صَابِرٌ نَفْسِي عَلَيْهِ» . تَفَرَّدَ بِهِ أَحْمَدُ.
وَقَالَ مُحَمَّدُ بْنُ عَائِذٍ الدِّمَشْقِيُّ: حَدَّثَنَا الْوَلِيدُ بْنُ مُسْلِمٍ، ثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ لَهِيعَةَ، عَنْ يَزِيدَ بْنِ عَمْرٍو أَنَّهُ سَمِعَ أَبَا ثَوْرٍ الْفَهْمِيَّ يَقُولُ: قَدِمْتُ عَلَى
পৃষ্ঠা - ৫৭৯৩
عُثْمَانَ فَبَيْنَا أَنَا عِنْدَهُ فَخَرَجْتُ فَإِذَا بِوَفْدِ أَهْلِ مِصْرَ قَدْ رَجَعُوا فَدَخَلْتُ عَلَى عُثْمَانَ فَأَعْلَمْتُهُ، فَقَالَ: وَكَيْفَ رَأَيْتَهُمْ؟ فَقُلْتُ: رَأَيْتُ فِي وُجُوهِهِمُ الشَّرَّ، وَعَلَيْهِمُ ابْنُ عُدَيْسٍ الْبَلَوِيُّ، فَصَعِدَ ابْنُ عُدَيْسٍ مِنْبَرَ رَسُولِ اللَّهِ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَصَلَّى بِهِمُ الْجُمُعَةَ وَتَنَقَّصَ عُثْمَانَ فِي خُطْبَتِهِ، فَدَخَلْتُ عَلَى عُثْمَانَ فَأَخْبَرْتُهُ بِمَا قَامَ فِيهِمْ، فَقَالَ: كَذَبَ وَاللَّهِ ابْنُ عُدَيْسٍ، وَلَوْلَا مَا ذَكَرَ مَا ذَكَرْتُ ذَلِكَ، إِنِّي لَرَابِعُ أَرْبَعَةٍ فِي الْإِسْلَامِ، وَلَقَدْ أَنْكَحَنِي رَسُولُ اللَّهِ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، ابْنَتَهُ، ثُمَّ تُوُفِّيَتْ، فَأَنْكَحَنِي ابْنَتَهُ الْأُخْرَى، وَاللَّهِ وَلَا زَنَيْتُ وَلَا سَرَقْتُ فِي جَاهِلِيَّةٍ وَلَا إِسْلَامٍ، وَلَا تَعَتَّيْتُ وَلَا تَمَنَّيْتُ مُنْذُ أَسْلَمْتُ، وَلَا مَسَسْتُ فَرْجِي بِيَمِينِي مُنْذُ بَايَعْتُ بِهَا رَسُولَ اللَّهِ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَلَقَدْ جَمَعْتُ الْقُرْآنَ عَلَى عَهْدِ رَسُولِ اللَّهِ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَلَا أَتَتْ عَلَيَّ جُمُعَةٌ إِلَّا وَأَنَا أُعْتِقُ فِيهَا رَقَبَةً مُنْذُ أَسْلَمْتُ، إِلَّا أَنْ لَا أَجِدَهَا فِي تِلْكَ الْجُمُعَةِ فَأَجْمَعَهَا فِي الْجُمُعَةِ الثَّانِيَةِ. وَرَوَاهُ يَعْقُوبُ بْنُ سُفْيَانَ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي بَكْرٍ عَنِ ابْنِ لَهِيعَةَ قَالَ: لَقَدِ اخْتَبَأْتُ عِنْدَ رَبِّي عَشْرًا فَذَكَرَهُنَّ.
পৃষ্ঠা - ৫৭৯৪
তাদেরকে তুমি কেমন দেখতে পেলে : আমি বললাম, আমি তাদের চেহারায় মন্দের চিহ্ন
দেখতে পেয়েছি ৷ আর তাদের নেতা সন্ত্রড়াসী ইবন আদীস ৷ সে রাসুলুল্লাহ্-স্রামোঃ এর মিম্বরে
আরোহণ করে লোকদেরকে নিয়ে জুমআর নামায আদায়ক্লরে ৷ জুমআর খুতৰায় সে উসমান
(রা)-এর দােষ-ক্রটি বর্ণনা করে ৷ আমি উসমান (রা)-এর নিকট গমন করে তাকে সেসব কথা
জানালে তিনি বলেন, আল্পাহ্র কসম! ইবন আদীস মিথ্যা বল্যেছ ! সে যদি তা না বলতাে
তাহলে আমিও বলতাম না ৷ ;
আমি ইসলামে চারজনের মধ্যে চতুর্থ ব্যক্তি ৷ রাসুলুল্লাহ্ন্ন্দ্বু আমার নিকট তার কন্যা
বিবাহ দিয়েছেন ৷ তিনি মৃত্যুবরণ করলে তার অপর কন্যা বিবাহ দেন ৷ জাইিলী যুগেও আমি
ব্যভিচারে লিপ্ত হইনি, চুরিও করিনি, ইসলামী যুগেও নয় ৷ ইসলাম গ্রহণ করার পর আমি
কাউকে কষ্ট দেইনি, কোন লোভ-লালসা করিনি ৷ রাসুলুল্লাহ্জ্জ এর নিকট বায়আত করার
পর ডান হাত দ্বারা আমি লজ্জাস্থান স্পর্শ করিনি ৷ রাসুলুল্লাহ্হ্রস্ত্র এর যুগেই আমি কুরআন
মজীদ সংগ্রহের কার্য সম্পাদন করি ৷ ইসলর্ষীম গ্রহণ করার পর প্রত্যেক জুমআর দিন আমি
একজন দাস মুক্ত করি ৷ কোন জুমআর দিন তা না পারলে পরবর্তী জুমআর দিন দুজন দাস
মুক্ত করতাম ৷
ইয়াকুব ইবন সুকইয়াম আব্দুল্পাহ্ ইবন আবু বকর সুত্রে ইবন লাহিয়ার বরাতেও হড়াদীসঢি
বর্ণনা করেছেন ৷ তার বর্ণনায় আছে : আমি আমার পালনকর্তার নিকট ছয়টি বিষয় গোপন
রাখি ৷ তারপর তিনি সেগুলোর উল্লেখ করেন ৷
অবরোধের বিবরণ
যিলকদ মাসের শেষের দিক থেকে ১৮ই যিলহজ্জ পর্যন্ত অবরোধ অব্যাহত ছিল ৷ সেদিন
ছিল জুমআর দিন ৷ ’এদিনের একদিন পুর্বে উসমান (বা) গৃহে উপস্থিত মুহাজির আনসারদের
উদ্দোশ্য বলেন, আর তাদের সংখ্যা জ্যি প্রায় সাতশ জন ৷ তাদের মধ্যে ছিলেন আন্দুল্লাহ্ ইবন
উমর, আব্দুল্লাহ্ ইবন যুবইিৱ, হাসান, হুসাইন, মারওয়ান এবং আবু হুরায়রা (বা) ৷ তার মুক্ত
করা অনেক দাসও উপস্থিত ছিল ৷ তিনি এদেরকে ছেড়ে দিলে (বাধা না দিলে) তারাই
সত্রাসীদের দমন করতো ৷ বরং তিনি বলেছিলেন, যার উপর আমার অধিকার আছে, আমি
কসম দিয়ে বলছি সে যেন হাত গুটিয়ে নিজ গৃহে ফিরে যায়’ ৷ এসময় বড় বড় সাহাবী এবং
তাদের সন্তানদের এবল্টা বিরাট দল তার নিকট ছিল ৷ তিনি তার ভৃত্যদেরকে বললেন : যে
তরবারি কােষবদ্ধ রাখবে, সে মুক্ত ৷ ফলে ভেতর থেকে লড়াইয়ে ডাটা পড়ে গেল ৷ কিন্তু বাইরে
থেকে উত্তপ্ত হয়ে পড়ে ৷ পরিস্থিতি হয়ে উঠে তীব্রতর ৷ আর এর কারণ ছিল এই যে, উসমান
(রা) স্বপ্নে দেখেন, যা থেকে তার সময় ফুরিয়ে এসেছে বলে বোঝা যায় ৷ ফলে তিনি আল্পাহ্র
নির্দেশের কাছে আত্মসমর্পণ করেন আল্পাহ্র প্রতিশ্রুতির আশায় এবং রাসুলুল্লাহ্ন্দুৰু-এর প্রতি
(মিলিত হওয়ার) আগ্রহের কারণে ৷ এছাড়াও তিনি আদম (আ)-এর দু’ সন্তানের মধ্যে
উত্তমত্তনে হতে চেয়েছিলেন ৷ ভইি তাকে হত্যা করার অভিপ্রায় করলে যিনি বলেছিলেন :
;ণ্ণ্ষ্ ষ্
(শে ৷
فَصْلٌ
كَانَ الْحِصَارُ مُسْتَمِرًّا مِنْ أَوَاخِرَ ذِي الْقِعْدَةِ إِلَى يَوْمِ الْجُمُعَةَ الثَّامِنَ عَشَرَ مِنْ ذِي الْحِجَّةِ، فَلَمَّا كَانَ قَبْلَ ذَلِكَ بِيَوْمٍ، قَالَ عُثْمَانُ لِلَّذِينِ عِنْدَهُ فِي الدَّارِ مِنْ أَبْنَاءِ الْمُهَاجِرِينَ وَالْأَنْصَارِ - وَكَانُوا قَرِيبًا مِنْ سَبْعِمِائَةٍ؛ فِيهِمْ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عُمَرَ، وَعَبْدُ اللَّهِ بْنُ الزُّبَيْرِ، وَالْحَسَنُ، وَالْحُسَيْنُ، وَمَرْوَانُ، وَأَبُو هُرَيْرَةَ، وَخَلْقٌ مِنْ مَوَالِيهِ، وَلَوْ تَرَكَهُمْ لَمَنَعُوهُ، فَقَالَ لَهُمْ: أُقْسِمَ عَلَى مَنْ لِي عَلَيْهِ حَقٌّ أَنْ يَكُفَّ يَدَهُ، وَأَنْ يَنْطَلِقَ إِلَى مَنْزِلِهِ. وَعِنْدَهُ مِنْ أَعْيَانِ الصَّحَابَةِ وَأَبْنَائِهِمْ جَمٌّ غَفِيرٌ. وَقَالَ لِرَقِيقِهِ: مَنْ أَغْمَدَ سَيْفَهُ فَهُوَ حُرٌّ. فَبَرُدَ الْقِتَالُ مِنْ دَاخِلِ الدَّارِ، وَحَمِيَ مِنْ خَارِجٍ، وَاشْتَدَّ الْأَمْرُ وَكَانَ سَبَبُ ذَلِكَ أَنَّ عُثْمَانَ رَأَى فِي الْمَنَامِ رُؤْيَا دَلَّتْ عَلَى اقْتِرَابِ أَجَلِهِ، فَاسْتَسْلَمَ لِأَمْرِ اللَّهِ رَجَاءَ مَوْعُودِهِ، وَشَوْقًا إِلَى رَسُولِ اللَّهِ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَلِيَكُونَ خَيْرَ ابْنَيْ آدَمَ حَيْثُ قَالَ حِينَ أَرَادَ أَخُوهُ قَتْلَهُ: {إِنِّي أُرِيدُ أَنْ تَبُوءَ بِإِثْمِي وَإِثْمِكَ فَتَكُونَ مِنْ أَصْحَابِ النَّارِ وَذَلِكَ جَزَاءُ الظَّالِمِينَ} [المائدة: 29] . وَرُوِيَ أَنَّ آخِرَ مَنْ خَرَجَ مِنْ عِنْدِ عُثْمَانَ مِنَ الدَّارِ بَعْدَ أَنْ عَزَمَ عَلَيْهِمْ فِي الْخُرُوجِ، الْحَسَنُ بْنُ عَلِيٍّ وَقَدْ جُرِحَ، وَكَانَ أَمِيرَ الْحَرْبِ عَلَى أَهْلِ الدَّارِ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ الزُّبَيْرِ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمْ.
وَرَوَى مُوسَى بْنُ عُقْبَةَ، عَنْ سَالِمٍ أَوْ نَافِعٍ، أَنَّ ابْنَ عُمَرَ لَمْ يَلْبَسْ سِلَاحَهُ
পৃষ্ঠা - ৫৭৯৫
بَعْدَ رَسُولِ اللَّهِ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، إِلَّا يَوْمَ الدَّارِ، وَيَوْمَ نَجْدَةَ الْحَرُورِيِّ
قَالَ أَبُو جَعْفَرٍ الرَّازِيُّ، عَنْ أَيُّوبَ السِّخْتِيَانِيِّ، عَنْ نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ أَنَّ عُثْمَانَ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، أَصْبَحَ يُحَدِّثُ النَّاسَ قَالَ: رَأَيْتُ النَّبِيَّ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فِي الْمَنَامِ فَقَالَ: " يَا عُثْمَانُ أَفْطِرْ عِنْدَنَا ". فَأَصْبَحَ صَائِمًا وَقُتِلَ مِنْ يَوْمِهِ.
وَقَالَ سَيْفُ بْنُ عُمَرَ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ زِيَادِ بْنِ أَنْعُمَ، عَنْ رَجُلٍ قَالَ: دَخَلَ عَلَيْهِ كَثِيرُ بْنُ الصَّلْتِ، فَقَالَ: يَا أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ، اخْرُجْ فَاجْلِسْ بِالْفَنَاءِ، فَيُرَى وَجْهُكَ، فَإِنَّكَ إِنْ فَعَلْتَ ارْتَدَعُوا. فَضَحِكَ، وَقَالَ: يَا كَثِيرُ رَأَيْتُ الْبَارِحَةَ وَكَأَنِّي دَخَلْتُ عَلَى نَبِيِّ اللَّهِ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَعِنْدَهُ أَبُو بَكْرٍ وَعُمَرُ، فَقَالَ: " ارْجِعْ فَإِنَّكَ مُفْطِرٌ عِنْدِي غَدًا ". ثُمَّ قَالَ عُثْمَانُ: وَلَنْ تَغِيبَ الشَّمْسُ وَاللَّهِ غَدًا - أَوْ كَذَا وَكَذَا - إِلَّا وَأَنَا مِنْ أَهْلِ الْآخِرَةِ. قَالَ: فَوَضَعَ سَعْدٌ وَأَبُو هُرَيْرَةَ السِّلَاحَ، وَأَقْبَلَا حَتَّى دَخَلَا عَلَى عُثْمَانَ.
وَقَالَ مُوسَى بْنُ عُقْبَةَ: حَدَّثَنِي أَبُو عَلْقَمَةَ - مَوْلًى لِعَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ عَوْفٍ - حَدَّثَنِي ابْنُ الصَّلْتِ، قَالَ: أَغْفَى عُثْمَانُ بْنُ عَفَّانَ فِي الْيَوْمِ الَّذِي قُتِلَ
পৃষ্ঠা - ৫৭৯৬
“আমি চাই যে, তুমি আমার এবং তোমার পাপের তার বহন কর এবং জাহান্নামবাসী হও ৷
আর এটইি জালিমদের কর্মফল (মায়িদা ৫ : ২৯) ৷’
বর্ণিত আছে যে, গৃহ ত্যাগ করার জন্য তিনি কড়া নির্দেশ দানের পর উসমান (রা)-এৱ গৃহ
ত্যাগকারী সর্বশেষ ব্যক্তিটি ছিলেন হাসান ইবন আলী (রা) ৷ তিনিও বেরিয়ে আসেন ৷ আর
গৃহবাসীদের উপর আষীরুল হারব তথা সেনাপতি ছিলেন আব্দুল্লাহ ইবন যুবাইর (রা) ৷ মুসা
ইবন উকতা সলিম বা নাফি সুত্রে বর্ণনা করেন যে, রাসুলুল্লাহ্ মোঃ এর পরে ইবন উমর (রা)
ইয়াওমুদ্দার বা হযরত উসমানের গৃহে অবরুদ্ধ হওয়ার দিন এবং ইয়াওমুন নাজরা হারুরী দিন
ছাড়া আর কখনো অস্ত্র পরিধান করেন নি ৷ আবু জাফর দায়ী আইউব সাখতিয়ানী সুত্রে
নাফি এর বরাতে ইবন উমর থেকে বর্ণনা করেন, উসমান (বা) ভোরে লোকজনের সঙ্গে কথা
বলেন ৷ তিনি বলেন৪ নবী করীমমোঃ-কে আমি স্বপ্নে দেখেছি ৷ তিনি বলেছেন ব্রু উসমান,
আমাদের সঙ্গে ইফতার করবে ৷’ সকাল থেকে তিনি রােয৷ রাখেন এবং বোযাদার অবস্থায়
সেদিনই তিনি শহীদ হন ৷ সাইফ ইবন উমর আব্দুর রহমান ইবন যিয়াদ ইবন আনউম সুত্রে
জনৈক ব্যক্তির বরাতে বলেন, কাসীর ইবনৃস সাল্ত হযরত উসমান (রা)-এর নিকট গমন করে
বলেনঃ আমীরুল মুমিনীন ! আপনি বেরিয়ে আসুন, ঘরের আঙ্গিনায় বসুন, যাতে লোকেরা
আপনার চেহারা দেখতে পড়ায় ৷ আপনি এটা করলে হয়তো তারা নিবৃত্ত হবে ৷ এটা শুনে উসমান
(রা) হেসে বললেন ;; ’ হে কাসীর ৷ গত রাতে আমি স্বপ্নে দেখি যেন আমি নবী কবীমছুণ্হুহুব্লু এর
সঙ্গে সাক্ষাৎ করছি আর র্তার কাছে আছেন আবুবকর ও উমর (রা) ৷ নবী করীমহৃগু, হ্রচ্’ শ্-পুবললেন
ফিরে যাও, কাল আমার সঙ্গে তোমাকে ইফতার করতে ৩হবে ৷’ এরপর উনমান (রা) বললেন
আল্লাহ্র কলম, আগামী দিন সুর্যাস্তের পুর্বেই আমি আখিরাতবাসীদের সঙ্গী হবে৷ ৷ এতে না সে
ও আবুহুরায়রা হাতের অস্ত্র ফেলে দিয়ে সোজা উসমান (রা)-এর সম্মুখে উপস্থিত হন ৷
মুসা ইবন উকবা আবদুর রহমান ইবন আওফের আযাদ করা গোলাম আবুআলকাম৷ সুত্রে
ইবনুস সালতের বরাতে বলেন ;; উসমান (রা) সেদিন নিহত হন সেদিন তিনি তন্দ্রাচ্ছন্ন হয়ে
পড়েন এবং জাগ্রত হয়ে বলেন, নােকে যদি না বলতাে যে, উসমান মৃত্যু কামনা করছে তাহলে
আমি (তে আমাদেরকে) বলতড়াম ৷ বর্ণনাকারী বলেন৪ আমরা বললাম আল্লাহ্ আপনার মঙ্গল
করুন, আপনি আমাদেরকে বলুন; লোকেরা যা বলে আমরা তা বলবো না ৷’ তখন তিনি বলেনঃ
আমি রাসুলুল্লাহ্হুল্লী কে স্বপ্নে দেখেছি ৷ তিনি বলেন, জুম’আর দিন তুমি আমাদের সঙ্গে
শরীক হবে ৷ ’
ইবন আবিদ্দুনইয়া আবদুর রহমান আল-কুরাশী কালীর ইবনুস সালুত সুত্রে বর্ণনা
করেনং অবরুদ্ধ দিনগুলোতে আমি উসমান (রা) এর নিকট গমন করলে তিনি বলেন হে
কালীর! আমার মনে হয় আমি আজ্জী নিহত হবে৷ ৷’ রাবী বলেন, আমি তাকে বললাম,
আমীরুল মু’মিনীন ! দুশমনের বিরুদ্ধে আল্পাহ্ আপনাকে সাহায্য করুন ৷ ’ বর্ণনাকারী বলেন,
তিনি পুনরায় আমাকে একই কথা বললে আমি তাকেবললাম, আজকের দিনে আপনার জন্য
কি কোন নির্ধারিত করা হয়েছে ? নাকি আপনাকে কিছু বলা হয়েছে’ন্ তিনি বললেন, না , গত
রাতে আমার ঘুম হয়নি ৷ ভোর রাত্রে আমি তন্দ্রাচ্ছন্ন হয়ে পড়ি ৷ এ সময় আমি রাসুলুল্লাহ্হ্ক্ট্র
-কে স্বপ্নে দেখি ৷ স্বপ্নে দেখি আবু বকর এবং উমরকেও ৷ আর বসেলুল্লাহ “ আমাকে
ষ্গ্ জ্যো ধ্
فِيهِ فَاسْتَيْقَظَ فَقَالَ: لَوْلَا أَنْ يَقُولَ النَّاسُ: تَمَنَّى عُثْمَانُ أُمْنِيَةً لَحَدَّثْتُكُمْ. قَالَ: قُلْنَا أَصْلَحَكَ اللَّهُ، حَدِّثْنَا فَلَسْنَا نَقُولُ مَا يَقُولُ النَّاسُ. فَقَالَ: إِنِّي رَأَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فِي مَنَامِي هَذَا فَقَالَ: " إِنَّكَ شَاهِدٌ مَعَنَا الْجُمُعَةَ ".
وَقَالَ ابْنُ أَبِي الدُّنْيَا: حَدَّثَنَا أَبُو عَبْدِ الرَّحْمَنِ الْقُرَشِيُّ، ثَنَا خَلَفُ بْنُ تَمِيمٍ، ثَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ بْنِ مُهَاجِرٍ الْبَجَلِيُّ، ثَنَا عَبْدُ الْمَلِكِ بْنُ عُمَيْرٍ، حَدَّثَنِي كَثِيرُ بْنُ الصَّلْتِ، قَالَ: دَخَلْتُ عَلَى عُثْمَانَ وَهُوَ مَحْصُورٌ فَقَالَ لِي: يَا كَثِيرُ، مَا أُرَانِي إِلَّا مَقْتُولًا يَوْمِي هَذَا. قَالَ: قُلْتُ: يَنْصُرُكَ اللَّهُ عَلَى عَدُوِّكَ يَا أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ. قَالَ: ثُمَّ أَعَادَ عَلَيَّ فَقُلْتُ: وُقِّتَ لَكَ فِي هَذَا الْيَوْمِ شَيْءٌ، أَوْ قِيلَ لَكَ شَيْءٌ؟ قَالَ: لَا، وَلَكِنِّي سَهِرْتُ فِي لَيْلَتِي هَذِهِ الْمَاضِيَةِ، فَلَمَّا كَانَ عِنْدَ السَّحَرِ أَغْفَيْتُ إِغْفَاءَةً، فَرَأَيْتُ فِيمَا يَرَى النَّائِمُ رَسُولَ اللَّهِ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَأَبَا بَكْرٍ وَعُمَرَ، وَرَسُولَ اللَّهِ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، يَقُولُ لِي: يَا " عُثْمَانُ الْحَقْنَا لَا تَحْبِسْنَا، فَإِنَّا نَنْتَظِرُكَ ". قَالَ: فَقُتِلَ مِنْ يَوْمِهِ ذَلِكَ.
وَقَالَ ابْنُ أَبِي الدُّنْيَا: حَدَّثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ إِسْمَاعِيلَ ثَنَا يَزِيدُ بْنُ هَارُونَ، عَنْ فَرَجِ بْنِ فَضَالَةَ، عَنْ مَرْوَانَ بْنِ أَبِي أُمَيَّةَ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ سَلَامٍ قَالَ: أَتَيْتُ عُثْمَانَ لِأَسْلَمِ عَلَيْهِ وَهُوَ مَحْصُورٌ، فَدَخَلْتُ عَلَيْهِ فَقَالَ: مَرْحَبًا بِأَخِي، رَأَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، اللَّيْلَةَ فِي هَذِهِ الْخَوْخَةِ - قَالَ: وَخَوْخَةٌ فِي الْبَيْتِ - فَقَالَ: " يَا عُثْمَانُ حَصَرُوكَ؟ ". قُلْتُ: نَعَمْ. قَالَ: " عَطَّشُوكَ؟ ". قُلْتُ: نَعَمْ. فَأَدْلَى دَلْوًا فِيهِ مَاءٌ فَشَرِبْتُ حَتَّى رَوَيْتُ، حَتَّى إِنِّي لَأَجِدُ بَرْدَهُ بَيْنَ ثَدْيَيَّ بَيْنَ كَتِفَيَّ، وَقَالَ
পৃষ্ঠা - ৫৭৯৭
বলছেনঃ উসমান ! আমাদেরকে অপেক্ষায় রাখৰে না, আমাদের সঙ্গে মিলিত হও ৷ আমরা
তোমার অপেক্ষায় আছি ৷ রাবী বলেন, সেদিনই তিনি নিহত হন ৷
ইবনু আবিদ্দুনইয়া ইসহাকইবন ইসমাঈল আবদুল্লাহ ইবন সালাম সুত্রে বর্ণনা করেন,
অবরোধকালে আমি উসমান (রা)-কে সালাম জানাবাৱ জন্য তার নিকট উপস্থিত হই ৷ গৃহে
প্রবেশ করলে তিনি বলেন : মারহাবা, প্রিয় ভইি আমার, আজ রাত্রে আমি এ জানালা দিয়ে
রাসুলুল্লাহ্ মোঃ কে দেখেছি ৷ বর্ণনাকারী বলেন, গৃহে জানালা জ্যি ৷ রাসুলুল্লাহ্ মোঃ বললেন,
উসামন৷ তারা তোমাকে অবরুদ্ধ করেছে ৷ আমি বললাম, জী ৷ তিনি বললেন তারা
তোমাকে পিপাসার্ত ণ্রখেছে? আমি বললাম, র্জী হীা
তখন তিনি একটা বালতি কাত করেছিলেন, যাতে পানি জ্যি ৷ আমি তা থেকে পানি পান
করি, এমন কি পরিতৃপ্ত হই ৷ এমনকি সে পানির শী৩ লত৷ আমি বুক আর কাধের মধ্যন্থলে
অনুভব করছি ৷ তিনি আমাকে আরো বলেন, তৃমি ইচ্ছা করলে৩ তাদের বিরুদ্ধে আমি ণ্তড়ামাকে
সাহায্য করি ৷ আবার তমি ইচ্ছা করলে আমার সঙ্গে ইফতার করতে পার ৷’ রাবী বলেন,৩ তিনি
বললেন, আমি তার সঙ্গে ইফতার ব্বাকেই গ্রহণ করেছি’ ৷ ৫সদিনই তিনি নিহত হন ৷
মুহাম্মদ ইবন সা দ আফ্ফান ইবন মুসলিম উসমান (বা) এর ত্রীর বরাতে হিলাল
বিনত ওয়াবী সুত্রে বর্ণনা করেন, রাবী বলেন, আমার ধারণা তিনি ছিলেন বিনতৃল ফারাফিসা-
তিনি বলেন, উসমান (রা)৩ তন্দ্রাভিভুত হয়ে পড়েন ৷ তা থেকে জাগ্রত হয়ে৩ তিনি বললেন ং
লোকেরা আমাকে হত্যা করবে ৷’ আমি বাংলায়, আমীরুল মুমিনীন, তা কখনো হতে পারে
না ৷ তিনি বললেন, আমি রাসুলুল্লাহ্ হুণ্র্দুশ্ষ্,:ব্লু এবং আবুবকর ও উমর (রা)-কে স্বপ্নে দেখেছি ৷
র্তারা বললেন, অড়াজ রাত্রে আমাদের সঙ্গে ইফতার করবে ৷’ অথবা তারা বলেন, আজ রাত্রে
আমাদের সঙ্গে তোমাকে ইফতার করতে হবে ৷ (তাবাকাতে ইবন সাদ ৩৭৫) ৷
আর হইিসাম ইবন কুলাইব ঈসা ইবন আহমদ আসকালানী নুমান ইবন বাশীর সুত্রে
উসমান (রা)-এর শ্রী নাইলা বিনত ফারাফিসার বরাতে বলেন : উসমান (বা) অবরুদ্ধ হয়ে
যেদিন নিহত হন সেদিন কোন রােয়৷ রাখেন ৷ ইফতারের সময় তিনি অবরোধকারীদের নিকট ,
ইফতার করার জন্য সুপেয় পানি চাইলে তারা র্তাকে পানি দিতে অস্বীকার করে বলে, সাবধানা
তামার নিকটেই কুয়ো আছে ৷ সেখান থেকে পানি নিয়ে ইফতার কর ৷’ অথচ গৃহের আঙ্গিনার
কুয়োটা ছিল ময়লা-আবর্জনা ৰেলোর স্থান ৷
নাইলা আরো বলেন, ভোর রাত্রে আমি গৃহের কাছের প্রস্তরময় ভুমিতে কয়েকজন
প্রতিবেশীকে দেখতে পেয়ে তাদের নিকট পানি চাইলে তারা আমাকে একজগ পানি দান করলে
তা নিয়ে আমি তার নিকট গমন করি এবং তাকে বলি : এই নিন, আপনার সুপেয় পানিনিয়ে
এসেছি ৷’ তিনি আরো বলেন : তিনি বইিরে দেখেন, ফজরের সময় হয়ে গেছে ৷ তাই তিনি
বললেন, রােযাদার অবস্থায় আমার সকাল হয়েছে ৷’ নাইলা বলেন, আমি তাকে জিজ্ঞেস
করলাম, আপনি কোথায় আহার করলেন, খাদ্য-পানীয় নিয়ে আসতে কাউকে তো দেখিনি ?
তিনি বললেন : আমি দেখতে পাই, রাসুলুল্লাহ্ড়োছাদ থেকে উকি দিয়ে আমাকে দেখেন,
তার সঙ্গে ছিল এক বালতি পানি ৷ তিনি বললেন, উসমান৷ পান কর ৷’ তাই আমি পান করি,
এমনকি পরিতৃপ্ত হয়ে য়াই ৷ তিনি আবার বললেন, আরো পান কর ৷ ’ তাই আমি তৃপ্ত হয়ে পান
আল-বিদায়া — ৪২
لِي: " إِنْ شِئْتَ نُصِرْتَ عَلَيْهِمْ وَإِنْ شِئْتَ أَفْطَرْتَ عِنْدَنَا ". فَاخْتَرْتُ أَنْ أُفْطِرَ عِنْدَهُ. فَقُتِلَ ذَلِكَ الْيَوْمَ.
وَقَالَ مُحَمَّدُ بْنُ سَعْدٍ: ثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عُمَرَ، أَنَا عَفَّانُ بْنُ مُسْلِمٍ، ثَنَا وُهَيْبٌ، ثَنَا دَاوُدُ عَنْ زِيَادِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، عَنْ أُمِّ هِلَالٍ بِنْتِ وَكِيعٍ، عَنِ امْرَأَةِ عُثْمَانَ - قَالَ: وَأَحْسَبُهَا بِنْتَ الْفَرَافِصَةِ - قَالَتْ: أَغْفَى عُثْمَانُ فَلَمَّا اسْتَيْقَظَ قَالَ: إِنَّ الْقَوْمَ يَقْتُلُونَنِي. قُلْتُ: كَلَّا يَا أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ. قَالَ: إِنِّي رَأَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَأَبَا بَكْرٍ وَعُمَرَ فَقَالُوا: " أَفْطِرْ عِنْدَنَا اللَّيْلَةَ ". أَوْ: " إِنَّكَ تُفْطِرُ عِنْدَنَا اللَّيْلَةَ ".
وَقَالَ الْهَيْثَمُ بْنُ كُلَيْبٍ: حَدَّثَنَا عِيسَى بْنُ أَحْمَدَ الْعَسْقَلَانِيُّ، ثَنَا شَبَابَةُ، ثَنَا يَحْيَى بْنُ أَبِي رَاشِدٍ مَوْلَى عُمَرَ بْنِ حُرَيْثٍ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ الْجُرَشِيِّ، وَعُقْبَةَ بْنِ أُسَيْدٍ، عَنِ النُّعْمَانِ بْنِ بَشِيرٍ، عَنْ نَائِلَةَ بِنْتِ الْفَرَافِصَةِ الْكَلْبِيَّةِ - امْرَأَةِ عُثْمَانَ - قَالَتْ: لَمَّا حُصِرَ عُثْمَانُ ظَلَّ الْيَوْمَ الَّذِي كَانَ قَبْلَ قَتْلِهِ صَائِمًا، فَلَمَّا كَانَ عِنْدَ إِفْطَارِهِ سَأَلَهُمُ الْمَاءَ الْعَذْبَ، فَأَبَوْا عَلَيْهِ وَقَالُوا:
পৃষ্ঠা - ৫৭৯৮
دُونَكَ ذَلِكَ الرَّكِيَّ - وَرَكِيٌّ فِي الدَّارِ الَّذِي يُلْقَى فِيهِ النَّتِنُ - قَالَتْ: فَلَمْ يُفْطِرْ، فَأَتَيْتُ جَارَاتٍ لَنَا عَلَى أَجَاجِيرَ مُتَوَاصِلَةٍ - وَذَلِكَ فِي السَّحَرِ - فَسَأَلْتُهُمُ الْمَاءَ الْعَذْبَ فَأَعْطَوْنِي كُوزًا مِنْ مَاءٍ، فَأَتَيْتُهُ فَقُلْتُ: هَذَا مَاءٌ عَذْبٌ أَتَيْتُكَ بِهِ. قَالَتْ: فَنَظَرَ فَإِذَا الْفَجْرُ قَدْ طَلَعَ فَقَالَ: إِنِّي أَصْبَحْتُ صَائِمًا. قَالَتْ: فَقُلْتُ: وَمِنْ أَيْنَ وَلَمْ أَرَ أَحَدًا أَتَاكَ بِطَعَامٍ وَلَا شَرَابٍ؟ فَقَالَ: إِنِّي رَأَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، اطَّلَعَ عَلَيَّ مِنْ هَذَا السَّقْفِ وَمَعَهُ دَلْوٌ مِنْ مَاءٍ فَقَالَ: " اشْرَبْ يَا عُثْمَانُ ". فَشَرِبْتُ حَتَّى رَوِيتُ ثُمَّ قَالَ: " ازْدَدْ ". فَشَرِبْتُ حَتَّى نَهِلْتُ ثُمَّ قَالَ: " أَمَا إِنَّ الْقَوْمَ سَيَبْكُرُونَ عَلَيْكَ، فَإِنْ قَاتَلْتَهُمْ ظَفِرْتَ، وَإِنْ تَرَكْتَهُمْ أَفْطَرْتَ عِنْدَنَا ". قَالَتْ: فَدَخَلُوا عَلَيْهِ مِنْ يَوْمِهِ فَقَتَلُوهُ.
وَقَالَ أَبُو يَعْلَى الْمَوْصِلِيُّ، وَعَبْدُ اللَّهِ بْنُ الْإِمَامِ أَحْمَدَ: حَدَّثَنِي عُثْمَانُ
পৃষ্ঠা - ৫৭৯৯
করি ৷ ’ তিনি আরো বলেন, ল্যেকেরা তোমার বিরুদ্ধে অভিযোগ করছে ৷ তুমি তাদের বিরুদ্ধে
লড়াই করলে জয়ী হবে, আর লড়াই না করলে আমার সঙ্গে ইফতা ৷র করবে ৷ ’ নাইলা বলেন,
সন্ত্রাসীরা সেদিনই তাকে হত্যা করে ৷
আবু ইয়ালা আল-মুসিলী ও ইমাম আহমদ (র)-এর পুত্র আন্দুল্লাহ্ উসমান ইবন আবু
শায়বা উসমান (রা)-এর আযাদকৃত দাস আবু সাঈদ সুত্রে বর্ণনা করেন ৷
উসমান (বা) ২০ জন গোলাম অযােদ করেন এবং পায়জামা চেয়ে নিয়ে শক্ত করে তা
পরিধান করেন ৷ অথচ জাহিলী যুগে বা ইসলামী যুগে৩ তিনি কখনো পায়জাম৷ পরিধান
করেননি ৷ উমমান (রা) বলেন আমি রাসুলুল্লাহ্গো এবং আবু বকর ও উমর (রা)ষ্টু£ক স্বপ্নে
দেখেছি ৷ তারা আমাকে বলেনং ধৈর্যধারণ কর, মিতৃ আমাদের সঙ্গে ইফতার করবে ৷ ’ এরপর
তিনি কুরআন শরীফ চেয়ে নেন ৷ নিহত হওয়ার সময় তার সম্মুখে কুরআন শরীফ উন্মুক্ত ছিল ৷
আমি (গ্রন্থকার) বলি-এদিন তিনি এজন্য পায়জাম৷ পরিধান করেছিলেন যাতে তার
লজ্জান্থান প্রকাশ না পড়ায়, কারণ, তিনি ছিলেন অভিমাত্রায় লজ্জাশীল ৷ এমনকি ফেরেশতারা
পর্যন্ত তাকে লজ্জা করতেন ৷ এ সম্পর্কে রাসুলুল্লাহ্ ইর্দুক্ট্র এর উক্তি রয়েছে ৷ সম্মুখে উন্মুক্ত
কুরআন শরীফ তিলাওয়াতরত অবস্থায়৩ তিনি মহান আল্লাহর ইচ্ছার কাছে আত্মসমর্পণ করেন ৷
যুদ্ধ থেকে তিনি নিজে নিবৃত্ত থাকেন এবং তার হিফজ্যোতরউদ্দেশ্যে যুদ্ধ না করার জন্য
লোকজনকে কসম দিয়ে ধারণ করেন ৷ তিনি লোকজনকে এমন কঠোরভাবে বারণ না করলে
তারা অবশ্যই দৃশমনের হাত থেকে তাকে রক্ষা করার জন্য তার সাহায্যে এগিয়ে আসতো ৷
কিন্তু আল্লাহ্র হুকুম ছিল চুড়ান্ত এবং পুর্ব নির্ধারিত ৷ হিশাম ইবন উরওয়া তার পিতা সুত্রে
বর্ণনা করেন, উসমান (বা) হযরত যুবাইরকে ওসীয়ত করে যান ৷ আসমাঈ আলা ইবন ফযল
সুত্রে তার পিতার বরাতে বর্ণনা করেন যে, হযরত উসমান (রা) এর হত্যার পর ল্যেকেরা তা
গৃহের আসবাবপএ অনুসন্ধান করে একটা তালাবদ্ধ সিন্দুকের সন্ধান পায় ৷ সিন্দুকটি খুলে তাতে
একটা ছোট পাত্রে এক টুকরা কাগজ পায় ৷ তাতে লেখা ছিলং : তার ওসীয়ত ৷৩ তা এইং
ট্রপু ব্লুটুপু ৷ ;,১দ্বুড্রু৷ ৷ ণ্এ৷ ৷
;,এেম্
;, ৷
৷ এ;
বিসমিল্পাহির রাহমানির রাহীম
উসমান ইবন আফফান সাক্ষ্য দিচ্ছে যে, আল্পাহ্ ছাড়া কোন ইলাহ নেই, তিনি এক, তার
কোন শরীক নেই ৷ মুহাম্মদমোঃআল্লাহ্র বান্দা ও রাসুল ৷ জান্নাত সত্য ৷ জ্যহান্নাম সত্য ৷
আল্লাহ একদিন কবরবাসীকে উথিত করবেন তাতে কোন সন্দেহ নেই ৷ আর আল্লাহ্ ওয়াদার
থেলাফ করেন না ৷ এ বিশ্বাস অনুযায়ী সে বেচে থাকে, আর এ বিশ্বাস মতে সে মৃত্যুবরণ করে
আর এ বিশ্বাস অনুযায়ী সে পুনরুথিত হবে ইনশাআল্লাহ্ তাআলা ৷
بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، ثَنَا يُونُسُ بْنُ أَبِي يَعْفُورٍ الْعَبْدِيُّ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ مُسْلِمٍ أَبِي سَعِيدٍ مَوْلَى عُثْمَانَ بْنِ عَفَّانَ، أَنَّ عُثْمَانَ أَعْتَقَ عِشْرِينَ مَمْلُوكًا، وَدَعَا بِسَرَاوِيلَ فَشَدَّهَا وَلَمْ يَلْبَسْهَا فِي جَاهِلِيَّةٍ وَلَا إِسْلَامٍ، وَقَالَ: إِنِّي رَأَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فِي الْمَنَامِ وَأَبَا بَكْرٍ وَعُمَرَ وَإِنَّهُمْ قَالُوا لِي: " اصْبِرْ فَإِنَّكَ تُفْطِرُ عِنْدَنَا الْقَابِلَةَ ". ثُمَّ دَعَا بِمُصْحَفٍ فَنَشَرَهُ بَيْنَ يَدَيْهِ، فَقُتِلَ وَهُوَ بَيْنَ يَدَيْهِ. قُلْتُ: إِنَّمَا لَبِسَ السَّرَاوِيلَ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، فِي هَذَا الْيَوْمِ لِئَلَّا تَبْدُوَ عَوْرَتَهُ إِذَا قُتِلَ ; فَإِنَّهُ كَانَ شَدِيدَ الْحَيَاءِ، كَانَتْ تَسْتَحْيِي مِنْهُ الْمَلَائِكَةُ، كَمَا نَطَقَ بِذَلِكَ النَّبِيُّ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ. وَوَضَعَ بَيْنَ يَدَيْهِ الْمُصْحَفَ يَتْلُو فِيهِ، وَاسْتَسْلَمَ لِقَضَاءِ اللَّهِ، عَزَّ وَجَلَّ، وَكَفَّ يَدَهُ عَنِ الْقِتَالِ، وَأَمَرَ النَّاسَ وَعَزَمَ عَلَيْهِمْ أَنْ لَا يُقَاتِلُوا دُونَهُ، وَلَوْلَا عَزِيمَتُهُ عَلَيْهِمْ لَنَصَرُوهُ مِنْ أَعْدَائِهِ، وَلَكِنْ كَانَ أَمْرُ اللَّهِ قَدَرًا مَقْدُورًا.
وَقَالَ هِشَامُ بْنُ عُرْوَةَ، عَنْ أَبِيهِ: إِنَّ عُثْمَانَ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، أَوْصَى إِلَى الزُّبَيْرِ.
وَقَالَ الْأَصْمَعِيُّ عَنِ الْعَلَاءِ بْنِ الْفَضْلِ عَنْ أَبِيهِ قَالَ: لَمَّا قُتِلَ عُثْمَانُ فَتَّشُوا خَزَائِنَهُ فَوَجَدُوا فِيهَا صُنْدُوقًا مُقْفَلًا، فَفَتَحُوهُ فَوَجَدُوا فِيهِ حُقَّةً فِيهَا وَرَقَةٌ مَكْتُوبٌ فِيهَا: هَذِهِ وَصِيَّةُ عُثْمَانَ: بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَنِ الرَّحِيمِ، عُثْمَانُ بْنُ عَفَّانَ يَشْهَدُ أَنْ لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ وَحْدَهُ لَا شَرِيكَ لَهُ، وَأَنَّ مُحَمَّدًا عَبْدُهُ وَرَسُولُهُ، وَأَنَّ الْجَنَّةَ حَقٌّ، وَأَنَّ النَّارَ حَقٌّ، وَأَنَّ اللَّهَ يَبْعَثُ مَنْ فِي الْقُبُورِ، لِيَوْمٍ لَا رَيْبَ فِيهِ، إِنَّ اللَّهَ لَا يُخْلِفُ الْمِيعَادَ، عَلَيْهَا يَحْيَا وَعَلَيْهَا يَمُوتُ، وَعَلَيْهَا يُبْعَثُ إِنْ شَاءَ اللَّهُ تَعَالَى.
পৃষ্ঠা - ৫৮০০
وَرَوَى ابْنُ عَسَاكِرَ أَنَّ عُثْمَانَ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، قَالَ يَوْمَ دَخَلُوا عَلَيْهِ فَقَتَلُوهُ:
أَرَى الْمَوْتَ لَا يُبْقِي عَزِيزًا وَلَمْ يَدَعْ ... لِعَادٍ مَلَاذًا فِي الْبِلَادِ وَمُرْتَقَى
وَقَالَ أَيْضًا:
يُبَيِّتُ أَهْلَ الْحِصْنِ وَالْحِصْنُ مُغْلَقٌ ... وَيَأْتِي الْجِبَالَ فِي شَمَارِيخِهَا الْعُلَا
পৃষ্ঠা - ৫৮০১
ঐতিহাসিক ইবন আসাকির বর্ণনা করেন যে, সত্রাসীরা গৃহে প্রবেশ করে উসমান (রা) কে
হত্যা করে সেদিন তিনি নিম্নোক্ত কবিতা আবৃত্তি করেনং
া১>াষ্ ১এে
১৮এ ৰুপ্৬ৰু এ এে :১ ১, এ ঢ়হৃ ষ্ও ১১
আমি দেখতে পাই, মৃত্যু কোন প্রিয়জনকে ছাড়ে না, ছাড়ে নাংদেশেআর ক্ষেতখামারে
আশ্রয় গ্রহণকারীকে ৷ দুর্গ যখন বন্ধ হয় তখন হামলা হয় দুর্গবাসীদের উপর মৃত্যু হাজির হয়
পর্বতমালার শীর্ষ দেশেও ৷’
উসমান (রা)-এর হত্যার বিবরণ
খলীফা ইবন খাইয়াত রাবাব সুত্রে বর্ণনা করেন : উসমান (বা) আশতারকে তার
জন্য ডেকে আনতে আমাকে পাঠান ৷ তিনি বললেন, লোকেরা কি চায়? তিনি বললেন :
তিনটার যে কোন এবণ্টা মেনে নেয়া ছাড়া উপায় নেই ৷ তিনি জানতে চাইলেন০ যে তিনটি
বিষয় কি ? (আশ৩ ৷র) বললেন৪ তারা আপনাকে ইখতিয়া র দিচ্ছে যে, আপনি দায়িত্ব; ত্যাগ
করে তাদের হাতে ন্যস্ত করুন ৷ আপনি ঘোষণা করুন : ব্যাপারটা তোমাদের, তোমরা যাকে
ইচ্ছা বাছাই করে নিতে পার ৷ আপনি নিজেকেও পেশ করতে পারেন কিসাস তথা প্রতিশোধের
জন্য অন্যথায় লোকেরা আপনার সঙ্গে লড়াই করবে ৷ তখন তিনি বললেন, তারা যে নেতৃত্ব
তাদের হাতে ন্যস্ত করার কথা বলছে, তাতে আমি করবো না ৷ কারণ, আল্লাহ্ তাআলা
আমাকে যে পোশাক পরিধান করিয়েছেন, আমি তা খুলে ফেলতে পারি না ৷ আর তাদের জন্য
আমি নিজের থেকে কিসাস গ্রহণ করার ব্যাপারে আল্লাহর কসম করে বলছি : যদি তোমরা
আমাকে হত্যা করে৷ তবে আমার পরে আর পরস্পরকে ভালবড়াসতে পারবে না, সকলে মিলে
একসঙ্গে নামায আদায় করতে পারবে না ৷ আর সকলে এক সঙ্গে দুশমনের সঙ্গে প্ণ্ণ্ন্ড়ােন্থ
করতেও সক্ষম হবে না ৷ ’
বর্ণনাকারী বলেন, নেকড়ের মতো খর্বাকৃতির জনৈক ব্যক্তি দরজা দিয়ে উকি মেরে ফিরে
যায় ৷ ১৩ জন লোক সঙ্গে নিয়ে হযরত আবু বকঃা৩ তনয় মুহাম্মদ আগমন করে তার দাড়ি ধরে
টানেন, যার ফলে আমি তার মাড়ীর দাতের শব্দ শুনতে পাই ৷ তিনি (মুহাম্মদ) বললেন,
মুআবিয়া তোমার কোন কাজে আসেনি, ইবন আমিরও তোমা র কাজে লাগেনি আর না তোমার
কাজে লেগেছে তোমার পত্রাদি ৷ খলীফা বললেন : ভাতিজা, আমার দাড়ি ছাড় ৷’ বর্ণনক্যেরী
বলেন, আমি দেখতে পেলাম, তিনি চক্ষু দ্বারা ইশারায় উপস্থিত ব্যক্তিদের মধ্যে একজনের
সাহায্য চাইলেন ৷ লােকটি তীরের ভারী ফলা নিয়ে এগিয়ে এসে তার মস্তকে আঘাত করে ৷
আমি বললাম, তারপর কি হলো? বললেন, একে একে সকলে হামলা চালিয়ে তাকে হত্যা
করে ৷
১ এ স্থলে তাবরীি ৩৭৩ পৃষ্ঠায় ,এ ষ্ ন্ এর স্থলে ষ্ , ৮ উল্লেখ করা হয়েছে ৷ মানে সকলে বিভ্রান্ত হয়ে
হামলা চালায় ৷
[صِفَةُ قَتْلِهِ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ]
قَالَ خَلِيفَةُ بْنُ خَيَّاطٍ: حَدَّثَنَا ابْنُ عُلَيَّةَ، ثَنَا ابْنُ عَوْنٍ عَنِ الْحَسَنِ قَالَ: أَنْبَأَنِي وَثَّابٌ قَالَ: بَعَثَنِي عُثْمَانُ فَدَعَوْتُ لَهُ الْأَشْتَرَ فَقَالَ: مَا يُرِيدُ النَّاسُ؟ قَالَ: ثَلَاثٌ لَيْسَ مِنْ إِحْدَاهُنَّ بُدٌّ. قَالَ: مَا هُنَّ؟ قَالَ: يُخَيِّرُونَكَ بَيْنَ أَنْ تَخْلَعَ لَهُمْ أَمْرَهُمْ فَتَقُولَ: هَذَا أَمْرُكُمْ فَاخْتَارُوا مَنْ شِئْتُمْ، وَبَيْنَ أَنْ تُقِصَّ مِنْ نَفْسِكَ، فَإِنْ أَبَيْتَ فَإِنَّ الْقَوْمَ قَاتِلُوكَ. فَقَالَ: أَمَّا أَنْ أَخْلَعَ لَهُمْ أَمْرَهُمْ فَمَا كُنْتُ لِأَخْلَعَ سِرْبَالًا سَرْبَلَنِيهِ اللَّهُ، وَأَمَّا أَنْ أُقِصَّ لَهُمْ مِنْ نَفْسِي، فَوَاللَّهِ لَقَدْ عَلِمْتُ أَنَّ صَاحِبَيَّ بَيْنَ يَدَيَّ قَدْ كَانَا يُعَاقِبَانِ، وَمَا يَقُومُ بَدَنِي بِالْقِصَاصِ، وَأَمَّا أَنْ يَقْتُلُونِي، فَوَاللَّهِ لَئِنْ قَتَلْتُمُونِي لَا تَحَابُّونَ بَعْدِي أَبَدًا، وَلَا تُصَلُّونَ بَعْدِي جَمِيعًا أَبَدًا،
পৃষ্ঠা - ৫৮০২
’ সাইফ ইব ন উমর তামীমী (র) ঈস ইবন কাসিম সুত্রের উসামা ইবন যায়দ-এর
আযাদকৃত দাসী খানসা সুত্রে আর এ খানসা উসমান (রা)-এর শ্রী নাইলা বিনত ফারাফিসার
সঙ্গে থাকতেন বর্ণনা করেন : (হামলার সময়) তিনি গৃহে ছিলেন ৷ এ সময় মুহাম্মদ ইবন আবু
বকর (রা) গৃহে প্রবেশ করে সঙ্গে থাকাতীরের ভারী ফলা দিয়ে তার গলায় আঘাত করলে
উসমান (রা) বলেন : ভাতিজা, থাম, শপথ আল্লাহ্র৷ তুমি এমন স্থানে হাত দিয়েই, যেখানে
তোমার পিতাও হাত দিতেন না ৷ তিনি লজ্জিত হয়ে দাড়ি ছেড়ে দিয়ে দুরে সরে র্দাড়ান ৷ গৃহের
লোকজন তীর মুখোমুখিহয় এবং দীর্ঘ বাদ-প্রতিবাদ হয় ৷ লোকজন জয়ী হয় এবং তারা গৃহে
প্রবেশ করে এবং মুহাম্মদ ইবন আবু বকর গৃহ থেকে বের হয়ে চলে যান ৷ এরপর এক ব্যক্তি
তার নিকট আগমন করে, যার হাতে ছিল খেজুরের ভাল ৷ লোকদের অগ্রভাগে থেকে সে
উসমান (রা)-এর মাথার কাছে গিয়ে দাড়ায় এবং ভাল দিয়ে মাংয় আঘাত করে তাকে রক্তাক্ত
করে দেয় ৷ রক্তের ছিটা কুরআন মজীদে পতিত হয়ে তা রঞ্জিত করে দেয় ৷ তারপর তারা
তরবারি দ্বারা তার উপর আঘাত হানে ৷ অপর এক ব্যক্তি অগ্রসর হয়ে তার বুকে তরবারি দ্বারা
আঘাত হানে ৷ শ্রী নাইলা বিনত ফারাফিসা আলকালবিয়াও আহত হয়ে চিৎকার করে খলীফার
গায়ের উপর পড়ে যায় ৷ তিনি চিৎকার করে বলতে থাকেন : হে শায়বার কন্যা ! তবে কি
আমীরুল মু’মিনীনকে হত্যা করা হবে ? এই বলে তিনি তলোয়ার হাতে নিলে লােকঢি তার
হাতে আঘাত করে (তারীখে তাবারী এবং তারীখুল কামিল-এর বর্ণনা মতে নাইলার হাতের
আব্দুল কাটা যায়) সন্তাসীরা গৃহের আসবাবপত্রও লুটপাট করে ৷ এ সময় জনৈক ব্যক্তি উসমান
(রা) এর নিকট দিয়ে অতিক্রমকালে কুরআন মজীদের উপর মস্তক রাখা অবস্থায় দেখতে পেয়ে
তাতে পদাঘাত করত বলে ৪
আজকের দিনের মতো এমন সুন্দর কোন কাফির-এর মুখমণ্ডল আমি আর দেখিনি, আর
আজকের দিনের মতো এমন সম্মানজনক কোন কাফিরের শয্যাও আমি আর দেখিনি ৷’
বর্ণনক্যেরী বলেন : আল্লাহ্রকসম, সস্ত্রাসীরা গৃহে কোন কিছুই রেখে যায়নি, এমনকি তারা
পানির পেয়ালা পর্যন্ত নিয়ে যায় ৷
আর হাফিজ ইবন আসাকির বর্ণনা করেন যে, উসমান (রা) দৃঢ়তা সহকারে গৃহের সকল
সদস্যকে বের করে দিলে তার পরিবার ছাড়া সেখানে আর কেউ ছিল না ৷ এ সময় সন্ত্রাসীরা
ন্£ক্রোল্ল টপকে এবং দরজা খুলে বাতি জ্বালিয়ে ভিতরে প্রবেশ করে ৷ এদের মধ্যে কোন সাহাবী
ছিলেন না; এমনকি সাহাবীর কোন সন্তানও ছিলেন না ৷ সাহাবীর সন্তানদের মধ্যে কেবল
মুহাম্মদ ইবন আবু বকর (রা) ছিলেন ৷ এদের মধ্যে কেউ অগ্রসর হয়ে তাকে প্ৰহার করলে তিনি
বেছুশ হয়ে পড়ে যান ৷ নারীরা চিৎকার জুড়ে দেয় ৷ তখন তারা ছত্রভঙ্গ হয়ে গৃহত্যাগ করে ৷ এ
সময় খলীফা নিহত হয়েছেন মনে করে মুহাম্মদ ইয়ুন আবু বকর গৃহে প্রবেশ করেন ৷ যখন
তিনি দেখতে পেলেন যে, খলীফার জ্ঞান ফিরেছে তখন তিনি বললেন :
হে বোকা বৃদ্ধ ! তুমি কােনৃ ধর্মের অনুসারী? তিনি জবাব দেন, আমি ইসলামের অনুসারী;
তবে আমি বোকা বুড়ো নই; বরং আমি আমীরম্স মু’মিনীন ৷ ইবন আবুবকৱ বললেন : তৃমি
কিতাবুল্লাহ্য় পরিবর্তন সাধন করেছ ৷ ’ খলীফা বললেন : কিতাবুল্লাহ তাে আমার এবং
وَلَا تُقَاتِلُونَ بَعْدِي عَدُوًّا جَمِيعًا أَبَدًا. قَالَ: وَجَاءَ رُوَيْجِلٌ كَأَنَّهُ ذِئْبٌ فَاطَّلَعَ مِنْ بَابٍ وَرَجَعَ، وَجَاءَ مُحَمَّدُ بْنُ أَبِي بَكْرٍ فِي ثَلَاثَةَ عَشَرَ رَجُلًا، فَأَخَذَ بِلِحْيَتِهِ فَقَالَ بِهَا حَتَّى سَمِعْتُ وَقْعَ أَضْرَاسِهِ، فَقَالَ: مَا أَغْنَى عَنْكَ مُعَاوِيَةُ، وَمَا أَغْنَى عَنْكَ ابْنُ عَامِرٍ، وَمَا أَغْنَتْ عَنْكَ كُتُبُكَ. قَالَ: أَرْسِلْ لِحْيَتِي يَا ابْنَ أَخِي. قَالَ: فَأَنَا رَأَيْتُهُ اسْتَعْدَى رَجُلًا مِنَ الْقَوْمِ بِعَيْنِهِ - يَعْنِي أَشَارَ إِلَيْهِ - فَقَامَ إِلَيْهِ بِمِشْقَصٍ فَوَجَأَ بِهِ رَأْسَهُ. قُلْتُ: ثُمَّ مَهْ؟ قَالَ: ثُمَّ تَعَاوَرُوا عَلَيْهِ وَاللَّهِ حَتَّى قَتَلُوهُ.
وَقَالَ سَيْفُ بْنُ عُمَرَ التَّمِيمِيُّ، رَحِمَهُ اللَّهُ، عَنِ الْغُصْنِ بْنِ الْقَاسِمِ، عَنْ رَجُلٍ، عَنْ خَنْسَاءَ مَوْلَاةِ أُسَامَةَ بْنِ زَيْدٍ - وَكَانَتْ تَكُونُ مَعَ نَائِلَةَ بِنْتِ الْفَرَافِصَةِ امْرَأَةِ عُثْمَانَ - أَنَّهَا كَانَتْ فِي الدَّارِ، وَدَخَلَ مُحَمَّدُ بْنُ أَبِي بَكْرٍ فَأَخَذَ بِلِحْيَتِهِ وَأَهْوَى بِمَشَاقِصَ مَعَهُ لِيَجَأَ بِهَا فِي حَلْقِهِ، فَقَالَ: مَهْلًا يَا ابْنَ أَخِي، فَوَاللَّهِ لَقَدْ أَخَذْتَ مَأْخَذًا مَا كَانَ أَبُوكَ لِيَأْخُذَ بِهِ. فَتَرَكَهُ وَانْصَرَفَ مُسْتَحْيِيًا نَادِمًا، فَاسْتَقْبَلَهُ الْقَوْمُ عَلَى بَابِ الصُّفَّةِ، فَرَدَّهُمْ طَوِيلًا حَتَّى غَلَبُوهُ فَدَخَلُوا، وَخَرَجَ مُحَمَّدٌ رَاجِعًا، فَأَتَاهُ رَجُلٌ بِيَدِهِ جَرِيدَةٌ يُقَدِّمُهُمْ حَتَّى قَامَ عَلَى عُثْمَانَ، فَضَرَبَ بِهَا رَأْسَهُ فَشَجَّهُ،
পৃষ্ঠা - ৫৮০৩
فَقَطَرَ دَمُهُ عَلَى الْمُصْحَفِ حَتَّى لَطَّخَهُ، ثُمَّ تَغَاوَوْا عَلَيْهِ، فَأَتَاهُ رَجُلٌ فَضَرَبَهُ عَلَى الثَّدْيِ بِالسَّيْفِ، وَوَثَبَتْ نَائِلَةُ بِنْتُ الْفَرَافِصَةِ الْكَلْبِيَّةُ فَصَاحَتْ وَأَلْقَتْ نَفْسَهَا عَلَيْهِ، وَقَالَتْ: يَا بِنْتَ شَيْبَةَ أَيُقْتَلُ أَمِيرُ الْمُؤْمِنِينَ! وَأَخَذَتِ السَّيْفَ فَقَطَعَ الرَّجُلُ يَدَهَا، وَانْتَهَبُوا مَتَاعَ الدَّارِ، وَمَرَّ رَجُلٌ عَلَى عُثْمَانَ وَرَأْسُهُ مَعَ الْمُصْحَفِ، فَضَرَبَ رَأَسَهُ بِرِجْلِهِ وَنَحَّاهُ عَنِ الْمُصْحَفِ وَقَالَ: مَا رَأَيْتُ كَالْيَوْمِ وَجْهَ كَافِرٍ أَحْسَنَ، وَلَا مَضْجَعَ كَافِرٍ أَكْرَمَ. فَلَا وَاللَّهِ مَا تَرَكُوا فِي دَارِهِ شَيْئًا حَتَّى الْأَقْدَاحَ إِلَّا ذَهَبُوا بِهِ.
وَرَوَى الْحَافِظُ ابْنُ عَسَاكِرَ أَنَّ عُثْمَانَ لَمَّا عَزَمَ عَلَى أَهْلِ الدَّارِ فِي الِانْصِرَافِ، وَلَمْ يَبْقَ عِنْدَهُ سِوَى أَهْلِهِ تَسَوَّرُوا عَلَيْهِ الدَّارَ، وَأَحْرَقُوا الْبَابَ وَدَخَلُوا عَلَيْهِ، وَلَيْسَ فِيهِمْ أَحَدٌ مِنَ الصَّحَابَةِ وَلَا أَبْنَائِهِمْ إِلَّا مُحَمَّدَ بْنَ أَبِي بَكْرٍ، وَسَبَقَهُ بَعْضُهُمْ فَضَرَبُوهُ حَتَّى غُشِيَ عَلَيْهِ وَصَاحَ النِّسْوَةُ فَانْذَعَرُوا وَخَرَجُوا، وَدَخَلَ مُحَمَّدُ بْنُ أَبِي بَكْرٍ، وَهُوَ يَظُنُّ أَنَّهُ قَدْ قُتِلَ، فَلَمَّا رَآهُ قَدْ أَفَاقَ قَالَ: عَلَى أَيِّ دِينٍ أَنْتَ يَا نَعْثَلُ؟ قَالَ: عَلَى دِينِ الْإِسْلَامِ، وَلَسْتُ بِنَعْثَلٍ، وَلَكِنِّي أَمِيرُ الْمُؤْمِنِينَ. فَقَالَ: غَيَّرْتَ كِتَابَ اللَّهِ. فَقَالَ: كِتَابُ اللَّهِ بَيْنِي وَبَيْنَكُمْ. فَتَقَدَّمَ إِلَيْهِ وَأَخَذَ بِلِحْيَتِهِ وَقَالَ: إِنَّا لَا يُقْبَلُ مِنَّا يَوْمَ الْقِيَامَةِ أَنْ نَقُولَ:
পৃষ্ঠা - ৫৮০৪
তোমাদের সকলের সম্মুখে বিদ্যমান রয়েছে ৷’ আমি কিভাবে তাতে বিকৃতি সাধন করলামা)
ইবন আবু বকর এগিয়ে যান এবং বলেন :
কিয়ামতের দিন আমরা যদি বলি “হে আমাদের পালনকর্তা৷ আমরা আমাদের
নেতা-কর্ভাদের আনুগত্য করেহ্নিাড়াম আর তারা আমাদেরকে বিভ্রান্ত করেছে” তবে আমাদের
কথা গৃহীত হবে না ৷ (সুরা আহযাব ৩৩ : ৬৭ আয়াত) ৷ এই বলে তিনি খলীফাকে
টানা-হেচড়া করে ঘরের দরজা পর্যন্ত নিয়ে আসেন ৷ তখন খলীফা বলছিলেন :
হে ভাতিজা ৷ তোমার পিতা আমার দাড়ি ধরতে পারতেন না!’ যিসরীয়দের মধ্যে কিনদা
গোত্রের জনৈক ব্যক্তি আশমন করে, যার পদবী ছিল গাধা’ন্ ৷ আর তার কুনিযাত বা উপনাম
জ্যি আবু রোমান ৷ কাতদাের মতে লোকটির নাম ছিল রোমান, অন্যদের মতে সে ছিল নীল,
লাল-হলুদের মিশ্র বর্ণের ৷ কেউ কেউ বলেন, লোকটির নাম ছিল সুদান ইবন রোমান
আল-মুরাদী ৷ ইবন উমর সুত্রে বর্ণিত আছে ৷ তিনি বলেন, যে ব্যক্তি থলীফা উসমান (রা)-কে
হত্যা করেছে, তার নাম জ্জি, আসওয়াদ ইবন হুমরান ৷ সে বর্শা দ্বারা তাকে আঘাত স্থানে, তার
হাতে উন্মুক্ত তরবারিও ছিল ৷ তিনি বলেন, লোকটি পুন৪ আগমন করে তার বুকে বর্শা বিদ্ধ
করে এবং তরবারির ধার তার পেটে স্থাপন করে তার জীবন লীলা দান করে দেয় ৷ শ্রী নইিলা
নিকটে ছিলেন ৷ তিনি এগিয়ে এসে বাধা দান করলে তার হাতের আঙ্গুল কাটা যায় ৷ একথাও
বর্ণিত আছে যে , মুহাম্মদ ইবন আবু বকর তীরের ফলা নিক্ষেপ করলে তা খলীফার গলায় বিদ্ধ
হয় ৷ সঠিক কথা এই যে, হত্যাকারী জ্জি অন্য কেউ; মুহাম্মদ ইবন আবু বকর নন ৷ “তুমি এমন
এক ব্যক্তির দাড়ি ধরেছ, তোমার পিতা যাকে সম্মান করতেন ৷ ’ খলীফা একথা বললে তিনি
লজ্জিত হয়ে ফিরে যান ৷ এরপর তিনি মুখ ঢেকে দুরে সরে যান ৷ অবশ্য এতেও তার কোন
কল্যাণ হয়নি ৷ আল্লাহ্র অভিপ্রায় সুনিশ্চিত ৷ আর এটা আল্পাহ্র কিভাবে লিপিবদ্ধ ছিল ৷
ইবন আওন সুত্রে ইবন আসাকির বর্ণনা করেন যে, কিনানা ইবন বিশর খলীফার মুখমণ্ডল
এবং মাথার অগ্রভাগে লোহার হাতুড়ি দ্বারা আঘাত করলে খলীফা কাত হয়ে পড়ে যান ৷ আবদুর
রহমান ইবন হারিসও ইবন আওন সুত্রে অনুরুপ বর্ণনা করেছেন ৷ পহ্মাম্ভার ফুতুহে ইবন
আশামএ আছে যে, খলীফা আহত হয়ে আমার পেছনের অংশ মাটিতে স্থাপনপুর্বক পতিত
হন ৷ কাত হয়ে পড়ে গেলে সুদান ইবন হুমরান আল-মুরাহী আঘাত করে করে তাকে হত্যা
করে ৷ অবশ্য আম্র ইবনুল হুমুক লাফ দিয়ে খলীফার বুকে চড়ে বলে তখন তার অন্তিম
অবস্থা ৷ সে বর্শা দ্বারা নয়বার তাকে আঘাত করে এবং বলে তিনটা আল্লাহ্র উদ্দেশ্যে, বাকি
ছয়ট৷ আমার বুকে পুঞ্জীভুত ক্ষোব্লুঙ্ঘ জন্য ৷
তবােরানী আহমদ ইবন মুহাম্মদ ইবন ছাদকা বাগদাদী হাসান সুত্রে বর্ণনা করেন :
সায়াফ উসমান আমাকে হাদীস শুনান যে, জনৈক আনসারী ব্যক্তি গৃহে উসমান (রা)-এর
নিকটে গেলে তিনি সে ব্যক্তিকে বললেন : ভাতিজা৷ ফিরে যাও, তুমি তো আমার হত্যাকারী
নও ৷ লোকটি বললো আপনি কেমন করে তা জানতে পারলেনঃ তিনি বললেন০ ং
কারণ, তোমার জন্মের সপ্তম দিবসে তোমাকে নবী করীমহ্রন্খাং এর থেদমতে আনা হলে
তিনি তোমার তাহনীক তথা মিষ্টি মুখ করেন (ানজ মুখে খেজুর চিবিয়ে নরম করে তোমার
মুখে তুলে দেন) এবং তোমার ৰরকতের জন্য রাসুলুল্লাহ্প্লাং ফাংনিজে দু আ করেছেন ৷ তারপর
{رَبَّنَا إِنَّا أَطَعْنَا سَادَتَنَا وَكُبَرَاءَنَا فَأَضَلُّونَا السَّبِيلَا} [الأحزاب: 67] . وَشَحَطَهُ بِيَدِهِ مِنَ الْبَيْتِ إِلَى بَابِ الدَّارِ وَهُوَ يَقُولُ: يَا ابْنَ أَخِي مَا كَانَ أَبُوكَ لِيَأْخُذَ بِلِحْيَتِي. وَجَاءَ رَجُلٌ مِنْ كِنْدَةَ مِنْ أَهْلِ مِصْرَ - يُلَقَّبُ حِمَارًا وَيُكَنَّى، بِأَبِي رُومَانَ. وَقَالَ قَتَادَةُ: اسْمُهُ رُومَانُ. وَقَالَ غَيْرُهُ: كَانَ أَزْرَقَ أَشْقَرَ. وَقِيلَ: كَانَ اسْمُهُ سُودَانَ بْنَ رُومَانَ الْمُرَادِيَّ. وَعَنِ ابْنِ عُمَرَ قَالَ: كَانَ اسْمُ الَّذِي قَتَلَ عُثْمَانَ أَسْوَدُ بْنُ حُمْرَانَ ضَرَبَهُ بِحَرْبَةٍ - وَبِيَدِهِ السَّيْفُ صَلْتًا فَقَالَ: أَفْرِجُوا. ثُمَّ جَاءَ فَضَرَبَهُ بِهِ فِي صَدْرِهِ حَتَّى أَقْعَصَهُ، ثُمَّ وَضَعَ ذُبَابَ السَّيْفِ فِي بَطْنِهِ وَاتَّكَأَ عَلَيْهِ وَتَحَامَلَ حَتَّى قَتَلَهُ، وَقَامَتْ نَائِلَةُ دُونَهُ فَقَطَعَ السَّيْفُ أَصَابِعَهَا، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهَا.
وَيُرْوَى أَنَّ مُحَمَّدَ بْنَ أَبِي بَكْرٍ طَعْنَهُ بِمَشَاقِصَ فِي أُذُنِهِ حَتَّى دَخَلَتْ حَلْقَهُ. وَالصَّحِيحُ أَنَّ الَّذِي فَعَلَ ذَلِكَ غَيْرُهُ، وَأَنَّهُ اسْتَحْيَى وَرَجَعَ حِينَ قَالَ لَهُ عُثْمَانُ: لَقَدْ أَخَذْتَ بِلِحْيَةٍ كَانَ أَبُوكَ يُكْرِمُهَا. فَتَذَمَّمَ مِنْ ذَلِكَ وَغَطَّى وَجْهَهُ وَرَجَعَ وَجَاحَفَ دُونَهُ فَلَمْ يُفِدْ، وَكَانَ أَمْرُ اللَّهِ قَدَرًا مَقْدُورًا وَكَانَ ذَلِكَ فِي الْكِتَابِ مَسْطُورًا.
পৃষ্ঠা - ৫৮০৫
وَرَوَى ابْنُ عَسَاكِرَ، عَنِ ابْنِ عَوْنٍ، أَنَّ كِنَانَةَ بْنَ بِشْرٍ ضَرَبَ جَبِينَهُ وَمُقَدَّمَ رَأْسِهِ بِعَمُودٍ حَدِيدٍ، فَخَرَّ لِجَنْبِهِ، وَضَرَبَهُ سُودَانُ بْنُ حُمْرَانَ الْمُرَادِيُّ بَعْدَ مَا خَرَّ لِجَنْبِهِ فَقَتَلَهُ، وَأَمَّا عَمْرُو بْنُ الْحَمِقِ فَوَثَبَ عَلَى عُثْمَانَ فَجَلَسَ عَلَى صَدْرِهِ وَبِهِ رَمَقٌ، فَطَعَنَهُ تِسْعَ طَعَنَاتٍ وَقَالَ: أَمَّا ثَلَاثٌ مِنْهُنَّ فَلِلَّهِ، وَسِتٌّ لِمَا كَانَ فِي صَدْرِي عَلَيْهِ.
وَقَالَ الطَّبَرَانِيُّ: حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ مُحَمَّدِ بْنِ صَدَقَةَ الْبَغْدَادِيُّ وَإِسْحَاقُ بْنُ دَاوُدَ الصَّوَّافُ التُّسْتَرِيُّ، قَالَا: ثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ خَالِدِ بْنِ خِدَاشٍ، ثَنَا سَلْمُ بْنُ قُتَيْبَةَ، ثَنَا مُبَارَكٌ، عَنِ الْحَسَنِ قَالَ: حَدَّثَنِي سَيَّافُ عُثْمَانَ أَنَّ رَجُلًا مِنَ الْأَنْصَارِ دَخَلَ عَلَى عُثْمَانَ فَقَالَ: ارْجِعْ يَا ابْنَ أَخِي فَلَسْتَ بِقَاتِلِي. قَالَ: وَكَيْفَ عَلِمْتَ ذَاكَ؟ قَالَ: لِأَنَّهُ أُتِيَ بِكَ النَّبِيُّ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، يَوْمَ سَابِعِكَ فَحَنَّكَكَ وَدَعَا لَكَ بِالْبَرَكَةِ. ثُمَّ دَخَلَ عَلَيْهِ رَجُلٌ آخَرُ مِنَ الْأَنْصَارِ فَقَالَ لَهُ مِثْلَ ذَلِكَ سَوَاءً. ثُمَّ دَخَلَ مُحَمَّدُ بْنُ أَبِي بَكْرٍ فَقَالَ: أَنْتَ قَاتِلِي. قَالَ: وَمَا يُدْرِيكَ يَا نَعْثَلُ؟ قَالَ: لِأَنَّهُ أُتِيَ بِكَ رَسُولُ اللَّهِ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، يَوْمَ سَابِعِكَ لِيُحَنِّكَكَ وَيَدْعُوَ لَكَ بِالْبَرَكَةِ، فَخَرِيتَ عَلَى رَسُولِ اللَّهِ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ. قَالَ: فَوَثَبَ عَلَى صَدْرِهِ وَقَبَضَ عَلَى لِحْيَتِهِ، وَوَجَأَهُ بِمَشَاقِصَ كَانَتْ فِي يَدِهِ. هَذَا حَدِيثٌ غَرِيبٌ جِدًّا وَفِيهِ نَكَارَةٌ.
পৃষ্ঠা - ৫৮০৬
অপর এক আনসারী ব্যক্তি তার কাছে গেলে তাকেও ঠিক একই কথা বলেন ৷ এরপর
মুহাম্মদ ইবন আবু বকর প্রবেশ করলে তাকে বললেন : তুমি আমার হ্বা৷ ৷ তিনি বললেন : “হে
অথর্ববৃদ্ধ, তুমি কেমন-করে জানলে ? খলীফা বললেন :
জন্মের সপ্তম দিনে তাহনীক আর দৃআর জন্য তোমাকে রাসুলুল্লাহদ্দুহুক্রু; এর থেদমতে
হাযির করা হলে তুমি রাসুলুল্লাহ্::;-প্লোণ্: এর কোলে পায়খানা করেছিলে ৷ রাবী বলেন৪ এরপর
তার বুকে চড়ে দাড়ি ধরে এর০ হাতের ভীরের ফলা উসমান (রা) এর বুকে ৰিদ্ধ করে ৷
হড়াদীসটি নি৩ শত যয়ীফ পর্যায়ের এবং তাতে গ্রহণযোগ্য না হওয়ার উপকরণও বিদ্যমান
রয়েছে ৷ একাধিক সুত্রে একথা প্রমাণিত হয়েছে যে,৩ তার দেহের রক্তের ছিটা মহান আল্লাহর
বাণী :
অনতিবিলন্বে তাদের জন্য আল্লাহ্ই যথেষ্ট হবেন ৷ আর তিনি মহা শ্রবণকারী, মহাজ্ঞানী
(সুরা বাকারা ২০ আয়াত ১৩৭) ৷ এ আঘাতের উপর পতিত হয় একথাও বর্ণিত আছে যে
ঘাতক যখন উসমান (রা) এর নিকেট পৌছে তখন তিনি কুরআন মজীদ তিলাওয়াত করতে
করতে এ আয়াত পর্যন্ত পৌছেন ৷ আর এটা অসম্ভব নয়, কারণ তিনি তখন কুরআন মজীদ
তিলাওয়াত করছিলেন ৷
ইবনু আসাকির বর্ণনা করেন যে, উসমান (রা) আহত হয়ে বলেন :ৰিসমিল্লাহ,
তাওয়াক্কালতৃ আল্লাহ্ ৷ রক্ত প্ৰব৷ ত হলে বলেনং সুবহানাল্লা ৷হিল আষীম ৷ ইবন জারীর তাবারী
তার ইতিহাস গ্রন্থে বিভিন্ন সনদে উল্লেখ করেন যে, মিসরীয়রা মিসরের শাসনকর্তার নামে
প্রেরিত পত্রবাহক নিকট দেখতে গেলো, এপত্রে তাদের কতককে হত্যা করা, কতককে
শুলীবিদ্ধ করা এবং কতকের হাত পা কেটে দেয়ার নির্দেশ ছিল ৷ আর মারওয়ান ইবনুল হাকাম
উসমান (রা) এর যবানীতে এ পত্র লিখে এবং এ সম্পর্কে যুক্তি হিসাবে কুরআনস্মজীদের
নিম্নোক্ত আয়াত উপস্থাপন করা হয়
ষ্
ধ্ ১ৰু;;;ন্ছু,
যারাআল্লাহ্ ও তার রাসুলের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে, এবং পৃথিবীতে বিপর্যয় সৃষ্টি করে বেড়ায়,
এটাই তাদের শাস্তি যে তাদেরকে হত্যা করা হবে, শুলীবিদ্ধ করা হবে অথবা বিপরীত দিক
থেকে তাদের হস্তপদ কর্তা করা হবে অথবা তাদেরকে দেশ থেকে নির্বাসিত করা হবে ৷
দৃনিয়াতে এটইি তাদের লাস্থনা, অবমাননা, আর আখিরাতে তাদের জন্য রয়েছে মহা শান্তি
(সুরা মায়িদা ৫; আয়াত ৩৩) ৷
মারওয়ান ইবনুল হাকামের মতে যারা উসমান (রা) এর বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করছে, তারা
সকলেই পৃথিবীতে বিপর্যয় সৃষ্টিকারী ৷ নিঃসন্দেহে তারা এমনই ছিল; কিত্তু উসমান (রা) কে
অবহিত্ন৷ করে তীর পক্ষ থেকে এমন পত্র লেখা তার পক্ষে উচিত হয়নি ৷ আর মিছামিছি তার
وَثَبَتَ مِنْ غَيْرِ وَجْهٍ أَنَّ أَوَّلَ قَطْرَةٍ مِنْ دَمِهِ سَقَطَتْ عَلَى قَوْلِهِ تَعَالَى {فَسَيَكْفِيكَهُمُ اللَّهُ وَهُوَ السَّمِيعُ الْعَلِيمُ} [البقرة: 137] . وَيُرْوَى أَنَّهُ كَانَ قَدْ وَصَلَ إِلَيْهَا فِي التِّلَاوَةِ أَيْضًا حِينَ دَخَلُوا عَلَيْهِ. وَلَيْسَ بِبَعِيدٍ، فَإِنَّهُ كَانَ قَدْ وَضَعَ الْمُصْحَفَ يَقْرَأُ فِيهِ الْقُرْآنَ.
وَرَوَى ابْنُ عَسَاكِرَ أَنَّهُ لَمَّا طُعِنَ قَالَ: بِسْمِ اللَّهِ تَوَكَّلْتُ عَلَى اللَّهِ فَلَمَّا قَطَرَ الدَّمُ قَالَ: سُبْحَانَ اللَّهِ الْعَظِيمِ.
وَقَدْ ذَكَرَ ابْنُ جَرِيرٍ فِي " تَارِيخِهِ " بِأَسَانِيدِهِ أَنَّ الْمِصْرِيِّينَ لَمَّا وَجَدُوا ذَلِكَ الْكِتَابَ مَعَ الْبَرِيدِ إِلَى أَمِيرِ مِصْرَ، فِيهِ الْأَمْرُ بِقَتْلِ بَعْضِهِمْ، وَصَلْبِ بَعْضِهِمْ، وَبِقَطْعِ أَيْدِي بَعْضِهِمْ وَأَرْجُلِهِمْ، وَكَانَ قَدْ كَتَبَهُ مَرْوَانُ بْنُ الْحَكَمِ عَلَى لِسَانِ عُثْمَانَ مُتَأَوِّلًا قَوْلَهُ تَعَالَى {إِنَّمَا جَزَاءُ الَّذِينَ يُحَارِبُونَ اللَّهَ وَرَسُولَهُ وَيَسْعَوْنَ فِي الْأَرْضِ فَسَادًا أَنْ يُقَتَّلُوا أَوْ يُصَلَّبُوا أَوْ تُقَطَّعَ أَيْدِيهِمْ وَأَرْجُلُهُمْ مِنْ خِلَافٍ أَوْ يُنْفَوْا مِنَ الْأَرْضِ ذَلِكَ لَهُمْ خِزْيٌ فِي الدُّنْيَا وَلَهُمْ فِي الْآخِرَةِ عَذَابٌ عَظِيمٌ} [المائدة: 33] . وَعِنْدَهُ أَنَّ هَؤُلَاءِ الَّذِينَ خَرَجُوا عَلَى أَمِيرِ الْمُؤْمِنِينَ عُثْمَانَ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، مِنْ جُمْلَةِ الْمُفْسِدِينَ فِي الْأَرْضِ، وَلَا شَكَّ أَنَّهُمْ كَذَلِكَ، لَكِنْ لَمْ يَكُنْ لَهُ أَنْ يَفْتَاتَ عَلَى عُثْمَانَ وَيَكْتُبَ عَلَى لِسَانِهِ بِغَيْرِ عِلْمِهِ، وَيُزَوِّرَ عَلَى خَطِّهِ وَخَاتَمِهِ، وَيَبْعَثَ غُلَامَهُ عَلَى بَعِيرِهِ بَعْدَ مَا وَقَعَ الصُّلْحُ بَيْنَ عُثْمَانَ وَبَيْنَ الْمِصْرِيِّينَ عَلَى تَأْمِيرِ مُحَمَّدِ بْنِ أَبِي بَكْرٍ عَلَى مِصْرَ، بِخِلَافِ ذَلِكَ كُلِّهِ، وَلِهَذَا لَمَّا
পৃষ্ঠা - ৫৮০৭
وَجَدُوا هَذَا الْكِتَابَ عَلَى خِلَافِ مَا وَقَعَ الِاتِّفَاقُ عَلَيْهِ، وَظَنُّوا أَنَّهُ مِنْ عُثْمَانَ، أَعْظَمُوا ذَلِكَ، مَعَ مَا هُمْ مُشْتَمَلُونَ عَلَيْهِ مِنَ الشَّرِّ، فَرَجَعُوا إِلَى الْمَدِينَةِ، فَطَافُوا بِهِ عَلَى رُءُوسِ الصَّحَابَةِ، وَأَعَانَهُمْ عَلَى ذَلِكَ قَوْمٌ آخَرُونَ، حَتَّى ظَنَّ بَعْضُ الصَّحَابَةِ أَنَّ هَذَا عَنْ أَمْرِ عُثْمَانَ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، فَلَمَّا قِيلَ لِعُثْمَانَ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، فِي أَمْرِ هَذَا الْكِتَابِ بِحَضْرَةِ جَمَاعَةٍ مِنْ أَعْيَانِ الصَّحَابَةِ وَجُمْهُورِ الْمِصْرِيِّينَ، حَلَفَ بِاللَّهِ الْعَظِيمِ - وَهُوَ الصَّادِقُ الْبَارُّ الرَّاشِدُ - أَنَّهُ لَمْ يَكْتُبْ هَذَا الْكِتَابَ وَلَا أَمَلَاهُ عَلَى مَنْ كَتَبَهُ، وَلَا عِلْمَ بِهِ فَقَالُوا لَهُ: فَإِنَّ عَلَيْهِ خَاتَمَكَ. فَقَالَ: إِنَّ الرَّجُلَ قَدْ يُزَوَّرُ عَلَى خَطِّهِ وَخَاتَمِهِ. قَالُوا: فَإِنَّهُ مَعَ غُلَامِكَ وَعَلَى جَمَلِكَ. فَقَالَ: وَاللَّهِ لَمْ أَشْعُرْ بِشَيْءٍ مِنْ ذَلِكَ. فَقَالُوا لَهُ بَعْدَ كُلِّ مَقَالِهِ: إِنْ كُنْتَ قَدْ كَتَبْتَهُ فَقَدْ خُنْتَ، وَإِنْ لَمْ تَكُنْ قَدْ كَتَبْتَهُ بَلْ كُتِبَ عَلَى لِسَانِكَ وَأَنْتَ لَا تَعْلَمُ فَقَدْ عَجَزْتَ، وَمِثْلُكَ لَا يَصْلُحُ لِلْخِلَافَةِ ; إِمَّا لِخِيَانَتِكَ، وَإِمَّا لِعَجْزِكَ.
وَهَذَا الَّذِي قَالُوا بَاطِلٌ عَلَى كُلِّ تَقْدِيرٍ، فَإِنَّهُ لَوْ فُرِضَ أَنَّهُ كَتَبَ الْكِتَابَ - وَهُوَ لَمْ يَكْتُبْهُ فِي نَفْسِ الْأَمْرِ - لَا يَضُرُّهُ ذَلِكَ ; لِأَنَّهُ قَدْ يَكُونُ رَأَى ذَلِكَ مَصْلَحَةً لِلْأُمَّةِ فِي إِزَالَةِ شَوْكَةِ هَؤُلَاءِ الْبُغَاةِ الْخَارِجِينَ عَلَى الْإِمَامِ، وَأَمَّا إِذَا لَمْ يَكُنْ قَدْ عَلِمَ بِهِ فَأَيُّ عَجْزٍ يُنْسَبُ إِلَيْهِ إِذَا لَمْ يَكُنْ قَدِ اطَّلَعَ عَلَيْهِ وَزُوِّرَ عَلَى لِسَانِهِ؟ ! وَلَيْسَ هُوَ بِمَعْصُومٍ بَلِ الْخَطَأُ وَالْغَفْلَةُ جَائِزَانِ عَلَيْهِ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، وَإِنَّمَا هَؤُلَاءِ الْجَهَلَةُ الْبُغَاةُ مُتَعَنِّتُونَ خَوَنَةٌ ظَلَمَةٌ مُفْتَرُونَ، وَلِهَذَا صَمَّمُوا بَعْدَ هَذَا عَلَى حَصْرِهِ وَالتَّضْيِيقِ عَلَيْهِ حَتَّى مَنَعُوهُ الْمِيرَةَ وَالْمَاءَ وَالْخُرُوجَ إِلَى الْمَسْجِدِ، وَتَهَدَّدُوهُ بِالْقَتْلِ، وَلِهَذَا خَاطَبَهُمْ بِمَا خَاطَبَهُمْ بِهِ مِنْ تَوْسِعَةِ الْمَسْجِدِ وَهُوَ أَوَّلُ مَنْ مُنِعَ مِنْهُ، وَمِنْ وَقْفِهِ بِئْرَ رُومَةَ عَلَى الْمُسْلِمِينَ وَهُوَ أَوَّلُ مَنْ مُنِعَ مَاءَهَا، وَمِنْ أَنَّهُ سَمِعَ رَسُولَ اللَّهِ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، يَقُولُ: «لَا يَحِلُّ دَمُ امْرِئٍ مُسْلِمٍ يَشْهَدُ أَنْ لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ إِلَّا بِإِحْدَى ثَلَاثٍ ; النَّفْسُ بِالنَّفْسِ وَالثَّيِّبُ
পৃষ্ঠা - ৫৮০৮
সীলমােহর ব্যবহার, তার উট ব্যবহার ও তার গােলামকে পত্র প্রেরণের জন্য ব্যবহার করা
উচিত হয়নি ৷ বিশেষত মুহাম্মদ ইবনৃ আবু বকরকে মিসরের শাসনকর্তা নিয়োগ করার ব্যাপারে
উসমান (রা) এবং মিসরীয়১ ৰিদ্রোহীদের সঙ্গে সমঝোতা হওয়ার পর এমন ঘটনা মোটেই
সমীচীন ছিল না ৷ এসব কিছুই তাে সমঝোতা ম্মারকের পরিপন্থী ৷ এ কারণে সমঝোতার
বিপরীত পত্র পেয়ে তারা ধারণা করে যে, নিশ্চয়ই তা উসমা ন (রা)-এব্র পত্র এবং তাদের
বিবেচনায় এটা তার বড় অপরাধ ৷ অথচ ওয়াই ছিল অপরাধে লিপ্ত আর ষড়যন্থে জড়িত ৷
তইি তারা মদীনায় ফিরে আসে এবং বড় বড় সাহাৰীকে পত্র দেখায় ৷ আর একাজে
অন্যরাও তাদের সহায়তা করে এবং ইন্ধন যোগড়ায় ৷ এমনকি কোন কােপ্সসাহন্বীও ধারণা করেন
যে, এ ঘটনা হযরত উসমান (রা)-এর নির্দেশক্রমেই ঘটেছে ৷ একদল বড় সাহাবী এবং
মিসরীয়দের উপস্থিতিতে এ সম্পর্কে উসমান (রা)-কে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি মহান আল্লাহ্র
নামে শপথ করে তা অস্বীকার করেন ৷ আর তিনি তো সত্যবাদী, নেক্কার এবং সত্য পথের
অভিযাত্রী ৷ পত্র লেখা, পত্রের বিষয়বস্তু লেখককে বলে দেয়ার কথা অস্বীকার করে তিনি বলেন
৪ এ বিষয়ে আমি কিছুই জানি না ৷ বিদ্রোহীরা বললো, পত্রে তো আপনার সীলমােহর আছে?’
তিনি বললেন, কােন ব্যক্তি এ সীলমােহর জাল করতে পারে ৷’ তখন তারা বললাে : পত্রভাে
ছিল আপনার উটের উপর সওয়ার আপনার সেবকের নিকট ৷ তখন তিনি বললেন : আল্পাহ্র
কসম, এ সম্পর্কে আমি কিছাং জানি না ৷ ’ এ সমস্ত কথার পর বিদ্রোহীরা তাকে বলে : আপনি
এ পত্র লিখে খিয়ানত তথা বিশ্বাসঘাতকতা করেছেন ; আর যদি আপনি না লিখে থাকেন বরং
আপনার যৰানীতে আপনার অগােচরে অন্য কেউ লিখে থাকে তাহলে তো আপনি অক্ষম
প্রমাণিত হলেন ৷ আর আপনার মতো অক্ষম ব্যক্তি তাে খিলাফতের যোগ্য নয় ৷ আপনার
খিয়ানত তথা বিশ্বাসহীনতা এবং অক্ষমতাই এর প্রধান কারণ ৷ ’
উসমব্ধিন (রা) খিলাফতের যোগ্য নন বলে বিদ্রোহীদের বক্তব্য ও দাবি সকল বিবেচনায়ই
অগ্রহণযােগ্য ৷ কারণ তর্কের খাতিরে যদি ধরে নেয়া যায় যে, তিনি সে পত্র লিখেছেন বাস্তবে
কিন্তু তিনি সে পত্র লিখেননি তাতেও দােষের কিছু নেই ৷ কারণ, ইমাম তথা শাসকের বিরুদ্ধে
বিদ্রোহীদের দর্প চুর্ণ করার লক্ষে এ ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করাকে তিনি উম্মতের জন্য
কল্যাণকঃ মনে করতে পারেন ৷ আর যেহেতু এ সম্পর্কে কোন কিছুই তার জানা ছিল না , তাই
তার পক্ষ হয়ে মিথ্যা আর বানােয়াট পত্রের জা র্তাকে কেমন করে অক্ষম সাব্যস্ত করা যায়ঃ
আর তিনি তাে মাসুম তথা নিষ্পাপ নন ৷ ভুলভ্রান্তি আর ক্রটি-বিচ্যুতি তার দ্বারাও সংঘটিত
হওয়া সম্ভব ৷ আর এসব র্তাজ্ঞ মুর্থ বিদ্রোহীরা তো ছিল ছিদ্বাম্বেষী খিয়ানতকারী ও মিথ্যাশ্রয়ী
জালিম ৷ এ কারণেই তো এরপর তারা র্তাকে অবরুদ্ধ করে তার জীবন যাপন সংকীর্ণ করে
তোলার জন্য কৃত সংকল্প হয় ৷ এমনকি তারা খাদ্য-পানীয় এবং মসজিদে দাফন করতেও তাকে
বিরত রাখে, হত্যার হুমকি দেয় ৷ এ কারণে মসজিদ সম্প্রসারণে তার অবদানের কথা তিনি
তাদেরকে স্মরণ করান ৷ আর তিনি হলেন প্রথম ব্যক্তি, যাকে তার সম্প্রসারিত মসজিদে নামায
১ মুহাম্মদ ইবনৃ আবুয়কর তাদের শাসক থাকবেন-এ মর্মে উসমান (রা)এর পক্ষ থেকে লিখিত অঙ্গীকার পত্র
নিয়ে মিসরীয়রা দেশে ফিরে যায় ৷ (ফুতুহে ইবনুল আসাম ২২১ : পৃষ্ঠায় পুর্ণ বিবরণ দ্রষ্টব্য ৷ (মিসরের
শাসনকর্তা ইবনৃ আবু সারাহ এর নামে উসমান (রা)এর পত্রের পুর্ণ বিবরণও তাতে দেখা যেতে পারে) ৷
الزَّانِي، وَالتَّارِكُ لِدِينِهِ الْمُفَارِقُ لِلْجَمَاعَةِ» وَذَكَرَ أَنَّهُ لَمْ يَقْتُلْ نَفَسًا، وَلَا ارْتَدَّ بَعْدَ إِيمَانِهِ، وَلَا زَنَى فِي جَاهِلِيَّةٍ وَلَا إِسْلَامٍ، بَلْ وَلَا مَسَّ فَرْجَهُ بِيَمِينِهِ بَعْدَ أَنْ بَايَعَ بِهَا رَسُولَ اللَّهِ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ. وَفِي رِوَايَةٍ بَعْدَ أَنْ كَتَبَ بِهَا الْمُفَصَّلَ. ثُمَّ ذَكَرَ لَهُمْ مِنْ فَضَائِلِهِ وَمَنَاقِبِهِ مَا لَعَلَّهُ يَنْجَعُ فِيهِمْ بِالْكَفِّ عَنْهُ وَالرُّجُوعِ إِلَى الطَّاعَةِ لِلَّهِ وَلِرَسُولِهِ وَلِأُولِي الْأَمْرِ مِنْهُمْ، فَأَبَوْا إِلَّا الِاسْتِمْرَارَ عَلَى مَا هُمْ عَلَيْهِ مِنَ الْبَغْيِ وَالْعُدْوَانِ. وَمَنَعُوا النَّاسَ مِنَ الدُّخُولِ إِلَيْهِ وَالْخُرُوجِ مِنْ عِنْدِهِ، حَتَّى اشْتَدَّ عَلَيْهِ الْحَالُ، وَضَاقَ الْمَجَالُ، وَنَفَدَ مَا عِنْدَهُ مِنَ الْمَاءِ، فَاسْتَغَاثَ بِالْمُسْلِمِينَ فِي ذَلِكَ فَرَكِبَ عَلِيٌّ بِنَفْسِهِ وَحَمَلَ مَعَهُ قِرَبًا مِنَ الْمَاءِ فَبِالْجَهْدِ حَتَّى أَوْصَلَهَا إِلَيْهِ بَعْدَ مَا نَالَهُ مِنْ جَهَلَةِ أُولَئِكَ كَلَامٌ غَلِيظٌ، وَتَنْفِيرٌ لِدَابَّتِهِ، وَإِخْرَاقٌ عَظِيمٌ بَلِيغٌ، وَكَانَ قَدْ زَجَرَهُمْ أَتَمَّ الزَّجْرِ، حَتَّى قَالَ لَهُمْ فِيمَا قَالَ: وَاللَّهِ إِنَّ فَارِسَ وَالرُّومَ لَا يَفْعَلُونَ كَفِعْلِكُمْ هَذَا بِهَذَا الرَّجُلِ، وَاللَّهِ إِنَّهُمْ لِيَأْسِرُونِ فَيُطْعِمُونَ وَيَسْقُونَ. فَأَبَوْا أَنْ يَقْبَلُوا مِنْهُ حَتَّى رَمَى بِعِمَامَتِهِ فِي وَسَطِ الدَّارِ، وَجَاءَتْ أُمُّ حَبِيبَةَ رَاكِبَةً بَغْلَةً وَحَوْلَهَا حَشَمُهَا وَخَدَمُهَا، فَقَالُوا: مَا جَاءَ بِكِ؟ فَقَالَتْ: إِنْ عِنْدَهُ وَصَايَا بَنِي أُمَيَّةَ لِأَيْتَامٍ وَأَرَامِلَ، فَأَحْبَبْتُ أَنْ أُذَكِّرَهُ بِهَا. فَكَذَّبُوهَا فِي ذَلِكَ، وَنَالَهَا مِنْهُمْ شِدَّةٌ عَظِيمَةٌ، وَقَطَعُوا حِزَامَ الْبَغْلَةِ وَنَدَّتْ بِهَا، وَكَادَتْ أَوْ سَقَطَتْ عَنْهَا، وَكَادَتْ تُقْتَلُ لَوْلَا تَلَاحَقَ بِهَا النَّاسُ فَأَمْسَكُوا بِدَابَّتِهَا، وَوَقَعَ أَمْرٌ كَبِيرٌ جِدًّا، وَلَمْ يَبْقَ يَحْصُلُ لِعُثْمَانَ وَأَهْلِهِ مِنَ الْمَاءِ إِلَّا مَا يُوصِلُهُ إِلَيْهِمْ آلُ عَمْرِو بْنِ حَزْمٍ فِي الْخُفْيَةِ لَيْلًا، فَإِنَّا لِلَّهِ وَإِنَّا إِلَيْهِ رَاجِعُونَ.
পৃষ্ঠা - ৫৮০৯
আদায় করতে বাধা দেয়া হয় ৷ বিরে রুমা মুসলমানদের জন্য ওয়াফ্ক করার কথাও তিনি
তাদেরকে স্মরণ করবে, আর আজ কিনা তাকেই সে পানি থেকে বঞ্চিত করা হচ্ছে ৷ তিনি
তাদেরকে রাসুলমোঃ এর হাদীসের কথা স্মরণ করিয়ে দেন :
এশ্শ্ৰু১
তিনি রাসুল মোঃ-কে বলতে শুনেছেন : তিনটি কারণের কোন একটি ছাড়া ণ্কান মুসলিম
ব্যক্তির রক্ত হালাল নয় (১) জানের বদলা জান, (২) বিবাহিত পুরুষের ব্যভিচারে লিপ্ত হওয়া
এবং (৩) ধর্মত্যাগ করা, যে দলের ভাঙ্গন সৃষ্টি করে ৷ তনি একথাও উল্লেখ করেন যে, কোন
মানুষকে৩ তিনি হত্যা করেন নি ৷ ঈমান আনয়নের পর তিনি মুর৩ ৩াদ হননি এবং জাহিলী বা
ইসলামী যুগে তিনি ব্যতিচারে লিপ্ত হননি ৷ ৷ রাসুলের নিকট বায়য়াত করার পর ডান হাতে
লজ্জাস্থান স্পর্শ করেন নি ৷ অন্য বর্ণনার ডান হাত দ্বারা মুফাসসাল সুরা লিপিবদ্ধ করার কথা
উল্লেখ আছে ৷ অতঃপর তিনি তাদের সম্মুখে নিজের বৈশিষ্ট্য উল্লেখ করেন ৷ এ আশায় যে,
হয়তো এতে করে তা থেকে তাদের নিবৃত্ত হওয়া এবৎ আল্লাহ তার রাসুল এবং আমীরের
আনুগত্যের দিকে ফিরে আসার ব্যাপারে কল্যাণকর হতে পারে ৷ বিদ্রোহ আর সীমালৎঘন
অব্যাহত রাখা ছাড়া অন্য কিছু করতে বিদ্রোহীরা অস্বীকার করে ৷ তারা লোকজনকে তার নিকট
গমনাগমন করতেও বাধা দেয় ৷ অবস্থা চরম আকার ধারণ করে এবং পরিবেশ সঙ্গীন হয়ে
উঠে ৷ গৃহে যে পানি ছিল তা-ও ফুরিয়ে যায় ৷ তিনি মুসলমানদের নিকট সাহায্যের জন্য
ফরিয়াদ জানালে আলী (বা) এক মশক পানি বহন করে আনেন এবং অতিকষ্টে তা খলীফার
নিকট পৌছান ৷ এজন্য র্তাকে এসব জাহিলদের অনেক গঞ্জনা সহ্য করতে হয়েছে, শুনতে
হয়েছে অনেক কটু কথা ৷
তারা তার বাহন হটিয়ে দেয়ার চেষ্টা করে এবং অনেক হুমকি আর অনেক ভয়-ভীতি
দেখায় ৷ তিনি তাদেরকে প্রচণ্ডভাবে শাসিয়ে দেন ৷ এমনকি তিনি তাদেরকে অন্যসব কথার
মধ্যে একথাও বলেন : তোমরা এ ব্যক্তির সঙ্গে যে আচরণ করছো, তোমাদের মতো আচরণ
রোমান আর পারসিকরাও করতো না এমন কথাভাে আমি হলফ করে বলতে পারি ৷ আল্লাহ্র
কলম, তারাভাে বন্দীদেরকেও আহার্য ও পানীয় সরবরাহ করে ৷ তারা তার কথা মানতে
অস্বীকৃতি জ্ঞাপন করলে খলীফা গৃহের অভ্যন্তরে তার মাথার পাগড়ি ছুড়ে মারেন ৷ উম্মে হাবীবা
খচ্চরের পিঠে সওয়ার হয়ে উপস্থিত হন ৷ আশপাশে ছিল তার খাদিম-নওফর ৷ সন্ত্রাসীরা
জিজ্ঞেস করে, “কি জন্য আপনার এখানে আগমনা তিনি বললেন, খলীফা উসমান (রা)এর
নিকট বনু উমাইয়াৱ এতীম এবং ৰিধবাদের জন্য ওসীয়ত (আমানত) আছে ৷ সে ব্যাপারে আমি
তার সঙ্গে কথা বলতে চাই ৷ কিড়ু তারা এ ব্যাপারে তাকে মিথ্যা প্রতিপন্ন করে ৷ তাদের পক্ষ
থেকে তাকে অনেক ফেতনা আর পঞ্জন৷ সইতে হয় ৷ এমনকি তারা খচ্চরের জিনের বেল্ট কর্তন
করে, ফলে খচ্চর তাকে নিয়ে পলায়ন করে ৷ এমনকি তার পতিত হওয়ার উপক্রম হয় ৷
লোকেরা ছুটে না এলে তিনি মারা যাওয়ার উপক্রম হয়েছিলেন ৷ লোকেরা তার পশুকে রক্ষা
করে ৷ অন্যথায় মহাকাগু ঘটে যেভাে ৷ আম্র ইবন ছায়মের লোকজন রাত্রিবেলা গোপনে যে
পানি উসমান (রা) ও তার পরিজনের নিকট পৌছায়, তাছাড়া অন্য কোন পানি পাওয়ার সুযোগ
আর অবশিষ্ট জ্জি না ৷
وَلَمَّا وَقَعَ هَذَا أَعْظَمَهُ النَّاسُ جِدًّا، وَلَزِمَ أَكْثَرُ النَّاسِ بُيُوتَهُمْ، وَجَاءَ وَقْتُ الْحَجِّ فَخَرَجَتْ أُمُّ الْمُؤْمِنِينَ عَائِشَةُ فِي هَذِهِ السَّنَةِ إِلَى الْحَجِّ، فَقِيلَ لَهَا: إِنَّكِ لَوْ أَقَمْتِ كَانَ أَصْلَحَ، لَعَلَّ هَؤُلَاءِ الْقَوْمَ يَهَابُونَكِ. فَقَالَتْ: إِنِّي أَخْشَى أَنْ أُشِيرَ عَلَيْهِمْ بِرَأْيٍ فَيَنَالَنِي مِنْهُمْ مِنَ الْأَذِيَّةِ مَا نَالَ أُمَّ حَبِيبَةَ. فَعَزَمَتْ عَلَى الْخُرُوجِ.
وَاسْتَخْلَفَ عُثْمَانُ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، فِي هَذِهِ السَّنَةِ عَلَى الْحَجِّ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ عَبَّاسٍ، فَقَالَ لَهُ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عَبَّاسٍ: إِنَّ مُقَامِي عَلَى بَابِكَ أُجَاحِفُ عَنْكَ أَفْضَلُ مِنَ الْحَجِّ. فَعَزَمَ عَلَيْهِ فَخَرَجَ بِالنَّاسِ إِلَى الْحَجِّ، وَاسْتَمَرَّ الْحِصَارُ بِالدَّارِ حَتَّى مَضَتْ أَيَّامُ التَّشْرِيقِ وَرَجَعَ الْبَشِيرُ مِنَ الْحَجِّ، فَأَخْبَرَ بِسَلَامَةِ النَّاسِ، وَأَخْبَرَ أُولَئِكَ بِأَنَّ أَهْلَ الْمَوْسِمِ عَازِمُونَ عَلَى الرُّجُوعِ إِلَى الْمَدِينَةِ لِيَكُفُّوكُمْ عَنْ أَمِيرِ الْمُؤْمِنِينَ. وَبَلَغَهُمْ أَيْضًا أَنَّ مُعَاوِيَةَ قَدْ بَعَثَ جَيْشًا مَعَ حَبِيبِ بْنِ مَسْلَمَةَ، وَأَنَّ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ سَعْدِ بْنِ أَبِي سَرْحٍ قَدْ نَفَّذَ آخَرَ مَعَ مُعَاوِيَةَ بْنِ حُدَيْجٍ، وَأَنَّ أَهْلَ الْكُوفَةِ قَدْ بَعَثُوا الْقَعْقَاعَ بْنَ عَمْرٍو فِي جَيْشٍ، وَأَنَّ أَهْلَ الْبَصْرَةِ بَعَثُوا مُجَاشِعًا فِي جَيْشٍ، فَعِنْدَ ذَلِكَ صَمَّمُوا عَلَى أَمْرِهِمْ وَبَالَغُوا فِيهِ وَانْتَهَزُوا الْفُرْصَةَ بِقِلَّةِ النَّاسِ وَغَيْبَتِهِمْ فِي الْحَجِّ، وَأَحَاطُوا بِالدَّارِ، وَجَدُّوا فِي الْحِصَارِ، وَأَحْرَقُوا الْبَابَ، وَتَسَوَّرُوا مِنَ الدَّارِ الْمُتَاخِمَةِ لِلدَّارِ ; كَدَارِ عَمْرِو بْنِ حَزْمٍ وَغَيْرِهَا، وَجَاحَفَ النَّاسُ عَنْ عُثْمَانَ أَشَدَّ الْمُجَاحَفَةِ، وَاقْتَتَلُوا عَلَى الْبَابِ قِتَالًا شَدِيدًا، وَتَبَارَزُوا وَتَرَاجَزُوا بِالشِّعْرِ فِي مُبَارَزَتِهِمْ، وَجَعَلَ أَبُو هُرَيْرَةَ يَقُولُ: هَذَا يَوْمٌ طَابَ امْضِرَابُ. وَقُتِلَ طَائِفَةٌ مِنْ
পৃষ্ঠা - ৫৮১০
أَهْلِ الدَّارِ، وَآخَرُونَ مِنْ أُولَئِكَ الْفُجَّارِ، وَجُرِحَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ الزُّبَيْرِ جِرَاحَاتٍ كَثِيرَةً، وَكَذَلِكَ جُرِحَ الْحَسَنُ بْنُ عَلِيٍّ، وَمَرْوَانُ بْنُ الْحَكَمِ فَقُطِعَ إِحْدَى عِلْبَاوَيْهِ، فَعَاشَ أَوْقَصَ حَتَّى مَاتَ.
وَمِنْ أَعْيَانِ مَنْ قُتِلَ مِنْ أَصْحَابِ عُثْمَانَ، زِيَادُ بْنُ نُعَيْمٍ الْفِهْرِيُّ، وَالْمُغِيرَةُ بْنُ الْأَخْنَسِ بْنِ شَرِيقٍ، وَنِيَارُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ الْأَسْلَمِيُّ، فِي أُنَاسٍ وَقْتَ الْمَعْرَكَةِ.
وَيُقَالُ: إِنَّهُ انْهَزَمَ أَصْحَابُ عُثْمَانَ ثُمَّ تَرَاجَعُوا. وَلَمَّا رَأَى عُثْمَانُ ذَلِكَ عَزَمَ عَلَى النَّاسِ لِيَنْصَرِفُوا إِلَى بُيُوتِهِمْ، فَانْصَرَفُوا - كَمَا تَقَدَّمَ - فَلَمْ يَبْقَ عِنْدَهُ أَحَدٌ سِوَى أَهْلِهِ، فَدَخَلُوا عَلَيْهِ مِنَ الْبَابِ وَمِنَ الْجُدْرَانِ، وَفَزِعَ عُثْمَانُ إِلَى الصَّلَاةِ وَافْتَتَحَ سُورَةَ طه - وَكَانَ سَرِيعَ الْقِرَاءَةِ - فَقَرَأَهَا وَالنَّاسُ فِي غَلَبَةٍ عَظِيمَةٍ، قَدِ احْتَرَقَ الْبَابُ وَالسَّقِيفَةُ الَّتِي عِنْدَهُ، وَخَافُوا أَنْ يَصِلَ الْحَرِيقُ إِلَى بَيْتِ الْمَالِ، ثُمَّ فَرَغَ عُثْمَانُ مِنْ صِلَاتِهِ وَجَلَسَ وَبَيْنَ يَدَيْهِ الْمُصْحَفُ، وَجَعَلَ يَتْلُو هَذِهِ الْآيَةَ: {الَّذِينَ قَالَ لَهُمُ النَّاسُ إِنَّ النَّاسَ قَدْ جَمَعُوا لَكُمْ فَاخْشَوْهُمْ فَزَادَهُمْ إِيمَانًا وَقَالُوا حَسْبُنَا اللَّهُ وَنِعْمَ الْوَكِيلُ} [آل عمران: 173] فَكَانَ أَوَّلَ مَنْ دَخَلَ عَلَيْهِ
পৃষ্ঠা - ৫৮১১
ট্রুড্রুটুঠুপ্রুাট্রু ণ্ ৷ র্চুাট্রু ণ্এপুা
নিশ্চয় আমরা আল্লাহর জন্য এবং তার দিকেই তাে আমাদেরকে ফিরে যেতে হবে ৷
লোকেরা এ ঘটনাকে অনেক বড় বিপর্যয় জ্ঞান করে ৷ অনেক লোক গৃহাভ্যত্তরে বসে থাকা
নিজেদের জন্য অবধারিত করে নেয় ৷ ওদিকে হয়ুজ্জর সময় ঘনিয়ে আসে ৷ আর উম্মুল মু’মিনীন
আয়েশা (বা) এ বছর হক্কজ্জর জন্য বের হন ৷ তড়াকে বলা হয়, আপনি গৃহেঅবস্থান করলেই
ভাল হয়; হয়তো সস্রাসীরা আপনার ভয়ে বিরত থাকবে ৷ তিনি বললেন, আমার আশংকা হয়
তাদের সম্পর্কে আমি আমার মত ব্যক্ত করলে উম্মে হাবীবার মতো আমাকেও কষ্ট পেতে হবে ৷
তাই (হজ্জ সফরে) বের হতেই তিনি দৃঢ় প্রতিজ্ঞ হলেন ৷ আর উসমান (রা)-এ বছর আবদুল্লাহ্
ইবনৃ আব্বাস (রা)-কে তার ন্থলবর্তী আমীরুল হজ্জ নিয়োজিত করেন ৷ আবদুল্লাহ্ ইবনৃ
আব্বাস (রা) র্তাকে বলেন, আপনার গৃহের দরজায় অবস্থান করে হেফাজতের ব্যবস্থা করা
আমার হ্যজ্জর চাইতে উত্তম ৷ কিন্তু খলীফা তাকে হজ্জ করার জন্য জোর তড়াপিদ দেন ৷ তাই
তিনি লোকজনকে নিজে হক্কজ্জ রওয়ানা হন ৷
এদিকে গৃহদ্বারে অবরোধ জারি থাকে ৷ ইতিমধ্যে আইয়ামে তাশরীকও অতিক্রান্ত হয় ৷
কিছুসংখ্যক মানুষ হজ্জ থেকে ফিরে আসে ৷ লোকেরা সহি সালামতে আছে বলে র্তাকে জানানো
হয় আর তাদেরকে জানানো হয় যে, হাজীরা মদীনায় ফিরে যেতে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ, যাতে তারা
তােমাদেরকে আমীরুল মু’মিনীন থেকে নিবৃত্ত করতে পারে ৷ তারা এ খবরও পড়ায় যে মুঅড়াবিয়া
হড়াবীব ইবনৃ মাসলামার নেতৃত্বে একদল সৈন্য প্রেরণ করেছেন ৷ আর আবদুল্লাহ ইবনৃ সাদ
ইবনৃ আবু সারাহ মুআবিযা ইবনৃ খাদীজের নেতৃত্বে অপর একটি বাহিনী প্রেরণ করছেন ৷
কুফাবাসীরাও কাকা ইবনৃ আমরের নেতৃত্বে আর একটি বাহিনী প্রেরণ করছে আর
বসরাবাসীরাও অপর একটা বাহিনীসহ মুজাশিকে প্রেরণ করছে ৷ এ সুযোগে সন্ত্রাসীচক্র
নিজেদের সিদ্ধান্ত কার্যকর করতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ হয় এবং অবস্থা চরমে পৌছে ৷
হৰজ্জর কারণে লোকজনের অনুপন্থিতি এবং স্বল্পতাকে তারা সুবর্ণ সুযোগ জ্ঞান করে ৷ তারা
আমীরুল মু’মিনীনের গৃহ অবরোধ করে নেয় এবং এতে সর্বশক্তি নিয়োজিত করে ৷ তারা ঘরের
দরজায় আগুন লাগিয়ে দেয় এবং পাশের ঘর দিয়ে দেয়াল টপকিয়ে আসে ৷ তার ঘরের পাশে
ছিল আমৃর ইবনৃ হাঘৃমৃ প্রমুখের গৃহ ৷ লোকজন উসমড়ান (রা)-এর পক্ষ থেকে তীর প্রতিরোধ ং
গড়ে ণ্তড়ালে এবং দরজায় প্রচণ্ড লড়াই করে ৷ একে অন্যকে সম্মুখ সমরে অবতীর্ণ হওয়ার
আহ্বান আমার এবং উদ্দীপনামুলক কবিতা আবৃত্তি করে সম্মুখে অ্যাসর হয় ৷ আবু হুরাইরা (রা)
ও বলেন : এদািন অস্ত্র চালনা উত্তম কর্ম ৷ গৃহবাসীদের মধ্যে একদল নিহত হয়; অপরদিকে
সন্ত্রাসী পাপাচারীদের্বু মধ্য থেকে কিছু লোকও নিহত হয় ৷ আব্দুল্লাহ ইবন যুবাইর অনেক
আঘাতপ্রাপ্ত হন ৷ অনুরুপভাবে হুসাইন ইবনৃ আলী এবং মারওয়ান ইবনুল হাকামও আহত হন ৷
মারওয়ানের ঘাড়ের একাংশ কাটা যায় এবং সে আহত হয়ে ঘাড় ৰীকা অবস্থায় বেচে থাকার
পর অবশেষে মৃত্যুবরণ করে ৷
উসমান (রা)-এর সঙ্গীদের মধ্যে বিশিষ্ট যেসব ব্যক্তি ইনতিকলৌ করেন, তাদের মধ্যে
বিবাদ ইবনৃ নাঈম আলফিহরী, মুগীরা ইবনৃ আখনাস ইবনৃ শুরইিক, নিয়ার ইবনৃ আবদুল্লাহ্
৪৩
رَجُلٌ يُقَالُ لَهُ: الْمَوْتُ الْأَسْوَدُ. فَخَنَقَهُ خَنْقًا شَدِيدًا حَتَّى غُشِيَ عَلَيْهِ، وَجَعَلَتْ نَفْسُهُ تَتَرَدَّدُ فِي حَلْقِهِ، فَتَرَكَهُ وَهُوَ يَظُنُّ أَنَّهُ قَدْ قَتَلَهُ، ثُمَّ دَخَلَ ابْنُ أَبِي بَكْرٍ فَمَسَكَ بِلِحْيَتِهِ، ثُمَّ نَدِمَ وَخَرَجَ، ثُمَّ دَخَلَ عَلَيْهِ آخَرُ وَمَعَهُ سَيْفٌ فَضَرَبَهُ بِهِ فَاتَّقَاهُ بِيَدِهِ فَقَطَعَهَا. فَقِيلَ: إِنَّهُ أَبَانَهَا. وَقِيلَ: بَلْ قَطَعَهَا وَلَمْ يُبِنْهَا. إِلَّا أَنَّ عُثْمَانَ قَالَ: وَاللَّهِ إِنَّهَا لَأَوَّلُ يَدٍ كَتَبَتِ الْمُفَصَّلَ. فَكَانَ أَوَّلُ قَطْرَةِ دَمٍ مِنْهَا سَقَطَتْ عَلَى هَذِهِ الْآيَةِ: {فَسَيَكْفِيكَهُمُ اللَّهُ وَهُوَ السَّمِيعُ الْعَلِيمُ} [البقرة: 137] . ثُمَّ جَاءَ آخَرُ شَاهِرًا سَيْفَهُ، فَاسْتَقْبَلَتْهُ نَائِلَةُ بِنْتُ الْفَرَافِصَةِ لِتَمْنَعَهُ مِنْهُ، وَأَخَذَتِ السَّيْفَ فَانْتَزَعَهُ مِنْهَا فَقَطَعَ أَصَابِعَهَا، ثُمَّ إِنَّهُ تَقَدَّمَ إِلَيْهِ، فَوَضَعَ السَّيْفَ فِي بَطْنِهِ فَتَحَامَلَ عَلَيْهِ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْ عُثْمَانَ وَأَرْضَاهُ.
وَفِي رِوَايَةٍ أَنَّ الْغَافِقِيَّ بْنَ حَرْبٍ تَقَدَّمَ إِلَيْهِ بَعْدَ مُحَمَّدِ بْنِ أَبِي بَكْرٍ فَضَرَبَهُ بِحَدِيدَةٍ فِي يَدِهِ، وَرَفَسَ الْمُصْحَفَ الَّذِي بَيْنَ يَدَيْهِ بِرِجْلِهِ، فَاسْتَدَارَ الْمُصْحَفُ ثُمَّ اسْتَقَرَّ بَيْنَ يَدَيْ عُثْمَانَ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، وَسَالَتْ عَلَيْهِ الدِّمَاءُ، ثُمَّ تَقَدَّمَ سُودَانُ بْنُ حُمْرَانَ بِالسَّيْفِ فَمَانَعَتْهُ نَائِلَةُ، فَقَطَعَ أَصَابِعَهَا، فَوَلَّتْ فَضَرَبَ عَجِيزَتَهَا بِيَدِهِ، وَقَالَ: إِنَّهَا لِكَبِيرَةُ الْعَجِيزَةِ. وَضَرَبَ عُثْمَانَ فَقَتَلَهُ، فَجَاءَ غُلَامُ عُثْمَانَ فَضَرَبَ
পৃষ্ঠা - ৫৮১২
سُودَانَ فَقَتَلَهُ، فَضَرَبَ الْغُلَامَ رَجُلٌ يُقَالُ لَهُ: قُتَيْرَةُ. فَقَتَلَهُ.
وَرَوَى ابْنُ جَرِيرٍ أَنَّهُمْ أَرَادُوا حَزَّ رَأْسِهِ بَعْدَ قَتْلِهِ، فَصَاحَ النِّسَاءُ وَضَرَبْنَ وُجُوهَهُنَّ ; فِيهِنَّ امْرَأَتَاهُ نَائِلَةُ وَأُمُّ الْبَنِينَ وَبَنَاتُهُ، فَقَالَ ابْنُ عُدَيْسٍ: اتْرُكُوهُ! فَتَرَكُوهُ. ثُمَّ مَالَ هَؤُلَاءِ الْفَجَرَةُ عَلَى مَا فِي الْبَيْتِ فَنَهَبُوهُ، وَذَلِكَ أَنَّهُ نَادَى مُنَادِيهِمْ: أَيَحِلُّ لَنَا دَمُهُ وَلَا يَحِلُّ لَنَا مَالُهُ! فَانْتَهَبُوهُ، ثُمَّ خَرَجُوا فَأَغْلَقُوا الْبَابَ عَلَى عُثْمَانَ وَقَتِيلَيْنِ مَعَهُ، فَلَمَّا خَرَجُوا إِلَى صَحْنِ الدَّارِ وَثَبَ غُلَامٌ لِعُثْمَانَ عَلَى قُتَيْرَةَ فَقَتَلَهُ، وَجَعَلُوا لَا يَمُرُّونَ عَلَى شَيْءٍ إِلَّا أَخَذُوهُ، حَتَّى اسْتَلَبَ رَجُلٌ يُقَالُ لَهُ: كُلْثُومٌ التُّجِيبِيُّ، مُلَاءَةَ نَائِلَةَ، فَضَرَبَهُ غُلَامٌ لِعُثْمَانَ فَقَتَلَهُ، وَقُتِلَ الْغُلَامُ أَيْضًا، ثُمَّ تَنَادَى الْقَوْمُ: أَنْ أَدْرِكُوا بَيْتَ الْمَالِ لَا تَسْتَبَقُوا إِلَيْهِ. فَسَمِعَهُمْ حَفَظَةُ بَيْتِ الْمَالِ فَقَالُوا: يَا قَوْمُ النَّجَاءَ النَّجَاءَ! فَإِنَّ هَؤُلَاءِ الْقَوْمَ لَمْ يَصْدُقُوا فِيمَا قَالُوا مِنْ أَنَّ قَصْدَهُمْ قِيَامُ الْحَقِّ وَالْأَمْرُ بِالْمَعْرُوفِ وَالنَّهْيُ عَنِ الْمُنْكَرِ، وَغَيْرُ ذَلِكَ مِمَّا ادَّعَوْا أَنَّهُمْ إِنَّمَا قَامُوا لِأَجْلِهِ، وَكَذَبُوا إِنَّمَا قَصْدُهُمُ الدُّنْيَا. فَانْهَزَمُوا وَجَاءَ الْخَوَارِجُ فَأَخَذُوا مَالَ بَيْتِ الْمَالِ وَكَانَ فِيهِ شَيْءٌ كَثِيرٌ جِدًّا.
পৃষ্ঠা - ৫৮১৩
আসলামী-এসব বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ স ঘাতকালে অন্যদ্যে৷ সঙ্গে নিহত হন ৷ কারো কারো মতে
উসমান (রা) এর সমর্থকরা পরাজিত হয়ে ফিরে আসে ৷ উসমান (বা) এ অবস্থা দেখে
লোকজনকে স্বস্ব গৃহে ফিরে যাওয়ার জন্য জোর দিয়ে বলেন ৷ ফলে তারা ফিরে যায়, যেমন
ইতিপুর্বে উল্লেখ করা হয়েছে ৷ তাই পরিবার অর্থাৎ; শ্রী ব্যতীত তার নিকট আর কেউ ছিল না ৷
ফলে সস্ত্রাসীরা দরজা দিয়ে এবং দেয়াল টপকে ভেতরে প্রবেশ করে ৷ এ সময় উসমান (বা)
নামাষে রত হন এবং সুরা ত্বাহ৷ পাঠ করতে থাকেন ৷ তিনি দ্রুত কুরআন তিসাওয়াত করতেন ৷
তিনি তিলাওয়াত করছিলেন আর লোকেরা সংঘাতে লিপ্ত ৷ ভীব্রে সংঘাতকালে গৃহের দরজা ও
ছাদ অগ্নিদগ্ধ হয় ৷ আগুনে ৰায়তুলমাল পর্যন্ত প্ৰজ্বলিত হওয়ার আশংকা দেখা দেয় ৷ উসমান
(রা) নামায সমাপ্ত করে বললেন ৷ তার সম্মুখে উন্মুক্ত কুরআন মব্জীদ ৷ তিনি নিম্নের আয়াত
তিলাওয়াত করছিলেন :
লোকেরা তাদেরকে বললো : “তোমাদের বিরুদ্ধে লোকেরা সমবেত হয়েছে; সুতরাং
তোমরা তাদেরকে ভয় কর, কিত্তু এটা তাদের ঈমান দৃঢ়তর করেছিল এবং তারা বলে
উঠলো আল্লাহ্ই আমাদের জন্য যথেষ্ট এবং তিনি কতই না উত্তম কর্মৰিধায়ক ! (সুরা আলে
ইমরান ৩৪ ১৭৩)
তারপর যে লোকটি সর্বপ্রথম তার নিকট গমন করে তাকে ষ্ ন্১৷ ৷ -,¢ ৷ তথা কৃষ্ণ মৃত্যু
নামে অভিহিত করা হয় ৷ লোকটি ভীব্রভাবে তার র্টুটি চেপে ধরে, ফলে তিনি সম্বিতহারা হয়ে
যান ৷ এ সময় তার শ্বাস আসে আর যায় এমন অবস্থা ৷ তার মৃত্যু হয়েছে মনে করে লোকটি
তাকে ছেড়ে যায় ৷ এরপর গৃহে প্রবেশ করে আবুবকর তনয় ৷ তিনি ঢুকেই তার দাড়ি ধরে
টানেন এবং পরে বেরিয়ে যান ৷ তারপর তরবারি নিয়ে অপর ব্যক্তি প্রবেশ করে তরবারি দ্বারা
আঘাত করলে হাত দ্বারা তিনি তা ঠেকাবার চেষ্টা করেন ৷ ফলে তার হাত কেটে যায় ৷ কেউ
বলেন, এর ফলে তার হাত বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়, আবার কারো কারো মতে বিজ্জি হয়নি, তবে
কাটা যায় ৷ এ সময় উসমান (রা) বলছিলেন, আল্লাহ্র কসম, এ হাত দ্বারা আমি মুফাসৃসাল
সুরাগুলো লিপিবদ্ধ করেছিলাম ৷ তার রক্তের প্রথম ল্টি৷ এ আয়াতটির উপর পতিত হয় :
অনতিবিলন্বে তাদের জন্য তোমার পক্ষে আল্পাহ্ই যথেষ্ট হবেন; তিনি মহা শ্রোতা,
মহাজ্ঞানী (সুরা বাকারা ২, আয়াত ১৩৭) ৷
তারপর তরবারি উচিয়ে অপর এক ব্যক্তি প্রবেশ করে ৷ তাকে বাধা দেয়ার জন্য নইিলা
বিনত ফারাফিসা এগিয়ে যান ৷ তিনি তরবারি হাতে নিয়ে বাধা দেয়ার চেষ্টা করলে লোকটি তা
ছিনিয়ে নেয়, এতে তার হাত কাটা যায় ৷ তারপর লোকটি এগিয়ে গিয়ে আমীরুল মু’মিনীনের
পােট আঘাত করে ৷ আল্লাহ্ উসমানেরপ্রতি সত্তুষ্ট থাকুন ৷ অপর এক বর্ণনা মতে, মুহাম্মদ ইবন
আবু বকরের পরে গাফিকী ইবনৃ হারব এগিয়ে খলীফার মুখে লৌহ শলাকা দ্বারা আঘাত হানে
وَقَدْ ذَكَرَ ابْنُ عَسَاكِرَ فِي تَرْجَمَةِ سَهْمِ بْنِ خَنْبَسٍ أَبِي خَنْبَشٍ أَوْ خُنَيْسٍ الْأَزْدِيِّ - وَكَانَ قَدْ شَهِدَ الدَّارَ - وَرَوَاهُ مُحَمَّدُ بْنُ عَائِذٍ، عَنْ إِسْمَاعِيلَ بْنِ عَيَّاشٍ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ يَزِيدَ الرَّحْبِيِّ، عَنْهُ وَكَانَ قَدِ اسْتَدْعَاهُ عُمَرُ بْنُ عَبْدِ الْعَزِيزِ إِلَى دَيْرِ سَمْعَانَ، فَسَأَلَهُ عَنْ مَقْتَلِ عُثْمَانَ، فَذَكَرَ مَا مُلَخَّصُهُ أَنَّ وَفْدَ الْأَشْقِيَاءِ وَهُمْ وَفْدُ مِصْرَ كَانُوا قَدْ قَدِمُوا عَلَى عُثْمَانَ فَأَجَازَهُمْ وَأَرْضَاهُمْ، فَانْصَرَفُوا رَاجِعِينَ، ثُمَّ كَرُّوا إِلَى الْمَدِينَةِ، فَوَافَقُوا عُثْمَانَ قَدْ خَرَجَ لِصَلَاةِ الْغَدَاةِ أَوِ الظُّهْرِ، فَحَصَبُوهُ بِالْحَصَا وَالنِّعَالِ وَالْخِفَافِ، فَانْصَرَفَ إِلَى الدَّارِ وَمَعَهُ أَبُو هُرَيْرَةَ وَالزُّبَيْرُ وَابْنُهُ عَبْدُ اللَّهِ وَطَلْحَةُ وَمَرْوَانُ وَالْمُغِيرَةُ بْنُ الْأَخْنَسِ فِي أُنَاسٍ، وَأَطَافَ وَفْدُ مِصْرَ بِدَارِهِ، فَاسْتَشَارَ النَّاسَ، فَقَالَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ الزُّبَيْرِ: يَا أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ إِنِّي أُشِيرُ بِإِحْدَى ثَلَاثِ خِصَالٍ ; إِمَّا أَنْ تُحْرِمَ بِعُمْرَةٍ فَتَحْرُمَ عَلَيْهِمْ دِمَاؤُنَا، وَإِمَّا أَنْ نَرْكَبَ مَعَكَ إِلَى مُعَاوِيَةَ بِالشَّامِ، وَإِمَّا أَنْ نَخْرُجَ فَنَضْرِبَ بِالسَّيْفِ إِلَى أَنْ يَحْكُمَ اللَّهُ بَيْنَنَا وَبَيْنَهُمْ، فَإِنَّا عَلَى الْحَقِّ وَهُمْ عَلَى الْبَاطِلِ. فَقَالَ عُثْمَانُ: أَمَّا مَا ذَكَرْتَ مِنَ الْإِحْرَامِ بِعُمْرَةٍ فَتَحْرُمُ دِمَاؤُنَا فَإِنَّهُمْ يَرَوْنَا حَلَالًا الْآنَ وَحَالَ الْإِحْرَامِ وَبَعْدَ الْإِحْرَامِ، وَأَمَّا الذَّهَابُ إِلَى الشَّامِ فَإِنِّي أَسْتَحْيِي أَنْ أَخْرُجَ مِنْ بَيْنِهِمْ خَائِفًا فَيَرَانِي أَهْلُ الشَّامِ وَتَسْمَعُ الْأَعْدَاءُ مِنَ الْكُفَّارِ ذَلِكَ، وَأَمَّا الْقِتَالُ فَإِنِّي أَرْجُو أَنْ أَلْقَى اللَّهَ وَلَيْسَ يُهَرَاقُ بِسَبَبِي مِحْجَمَةُ دَمٍ. قَالَ: ثُمَّ صَلَّيْنَا مَعَهُ صَلَاةَ الصُّبْحِ ذَاتَ يَوْمٍ فَلَمَّا فَرَغَ أَقْبَلَ عَلَى النَّاسِ فَقَالَ: إِنِّي رَأَيْتُ أَبَا بَكْرٍ وَعُمَرَ أَتَيَانِي اللَّيْلَةَ
পৃষ্ঠা - ৫৮১৪
فَقَالَا لِي: صُمْ يَا عُثْمَانُ فَإِنَّكَ تُفْطِرُ عِنْدَنَا. وَإِنِّي أُشْهِدُكُمْ أَنِّي قَدْ أَصْبَحْتُ صَائِمًا، وَإِنِّي أَعْزِمُ عَلَى مَنْ كَانَ يُؤْمِنُ بِاللَّهِ وَالْيَوْمِ الْآخِرِ أَنْ يَخْرُجَ مِنَ الدَّارِ سَالِمًا مَسْلُومًا مِنْهُ. فَقُلْنَا: يَا أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ، إِنْ خَرَجْنَا لَمْ نَأْمَنْ مِنْهُمْ عَلَيْنَا، فَائْذَنْ لَنَا أَنْ نَكُونَ فِي بَيْتٍ مِنَ الدَّارِ تَكُونُ لَنَا فِيهِ جَمَاعَةٌ وَمَنَعَةٌ. ثُمَّ أَمَرَ بِبَابِ الدَّارِ فَفُتِحَ، وَدَعَا بِالْمُصْحَفِ فَأَكَبَّ عَلَيْهِ وَعِنْدَهُ امْرَأَتَاهُ بِنْتُ الْفَرَافِصَةِ الْكَلْبِيَّةُ وَابْنَةُ شَيْبَةَ، فَكَانَ أَوَّلُ مَنْ دَخَلَ عَلَيْهِ مُحَمَّدُ بْنُ أَبِي بَكْرٍ فَأَخَذَ بِلِحْيَتِهِ، فَقَالَ: دَعْهَا يَا ابْنَ أَخِي فَوَاللَّهِ لَقَدْ كَانَ أَبُوكَ يَتَلَهَّفُ لَهَا بِأَدْنَى مِنْ هَذَا. فَاسْتَحْيَى فَخَرَجَ فَقَالَ لِلْقَوْمِ: قَدْ أَشْعَرْتُهُ لَكُمْ. وَأَخَذَ عُثْمَانُ مَا امْتُعِطَ مِنْ لِحْيَتِهِ فَأَعْطَاهُ إِحْدَى امْرَأَتَيْهِ، ثُمَّ دَخَلَ رُومَانُ بْنُ سُودَانَ، رَجُلٌ أَزْرَقُ قَصِيرٌ مُخَدَّدٌ، عِدَادُهُ مِنْ مُرَادٍ مَعَهُ جُرْزٌ مِنْ حَدِيدٍ، فَاسْتَقْبَلَهُ فَقَالَ: عَلَى أَيِّ مِلَّةٍ أَنْتَ يَا نَعْثَلُ؟ فَقَالَ عُثْمَانُ: لَسْتُ بِنَعْثَلٍ وَلَكِنِّي عُثْمَانُ بْنُ عَفَّانَ، وَأَنَا عَلَى مِلَّةِ إِبْرَاهِيمَ حَنِيفًا مُسْلِمًا وَمَا أَنَا مِنَ الْمُشْرِكِينَ. فَقَالَ: كَذَبْتَ. وَضَرَبَهُ بِالْجُرْزِ عَلَى صُدْغِهِ الْأَيْسَرِ فَقَتَلَهُ فَخَرَّ، فَأَدْخَلَتْهُ بِنْتُ الْفَرَافِصَةِ بَيْنَهَا وَبَيْنَ ثِيَابِهَا - وَكَانَتِ امْرَأَةً جَسِيمَةً ضَلِيعَةً - فَأَلْقَتْ نَفْسَهَا عَلَيْهِ، وَأَلْقَتْ بِنْتَ شَيْبَةَ نَفْسَهَا عَلَى مَا بَقِيَ مِنْ
পৃষ্ঠা - ৫৮১৫
এবং তার সম্মুখে থাকা কুরআন মজীদ পদতলে পিষ্ট করে এবং কুরআন মজীদ ঘুরে উসমান
(রা)-এর সম্মুখে এসে স্থির হয় ৷ রক্ত কুরআন মজীদের উপর দিয়ে প্রবাহিত হয় ৷ এরপর সুদান
ইবন হমরান তরবারি নিয়ে এগিয়ে আসে ৷ ত্রী নাইলা বাধা দিতে গেলে তার হাতের আঙ্গুল
কটি৷ যায় ৷ ত্রী আহত হয়ে মুখ ফিরিয়ে চলে যান, লােকটি তার পাছায় আঘাত করে বলে-
কতো বড তার পড়াছা! তারপর আঘাত করে সে উসমান (রা) কে হত্যা করে ৷ এ সময় উসমান
(রা) এর ভৃত্য আগমন করে সুদানকে হত্যা করে ৷ ইতিমধ্যে কাত্রা’১ নামের জনৈক ব্যক্তি
এগিয়ে খলীফার তৃত্যাক হত্যা করে ৷
ইবন জারীর তাবারী উল্লেখ করেন যে, সন্ত্রড়াসীরা হযরত উসমান (রা)-কে হত্যা করার পর
তার মাথা বিচ্ছিন্ন করতে চেয়েছিল; কিস্তু নারীরা চিৎকার জুড়ে দিয়ে মুখ চাপড়াতে শুরু করলে
ইবন আদীম বলে উঠে, তাকে ছেড়ে দাও, তখন তারা মস্তক বিচ্ছিন্ন না করে লাশ ফেলে চলে
যায় ৷ যেসব নারী চিৎকার করে তাদের মধেড্রু খলীফার শ্রীদ্বয় নইিলা এবং উম্মুল গনীন এবং তার
কন্যারাও ছিলেন ৷ এরপর এসব পাপিষ্ঠরা গৃহের আসবাবপত্রের দিকে মনাে ষেগে দেয়, লুণ্ঠন
চালায় ৷ আর লুটতরাজ তারা এজন্য করে যে, তাদের মধ্যে একজন বলেছিল আমাদের জন্য
তার রক্ত হালাল, আর মাল কি হালাল হবে না ৷ এর পরই তারা লুটতরাজ চালায় ৷ উসমান
(রা) এবং তার সঙ্গে নিহত অপর ব্যক্তিদ্বরের লাশ ভেতরে রেখে তারা গৃহের দরজা বন্ধ করে
দেয় ৷ সন্ত্রড়াসীরা গৃহের আঙ্গিনায় বের হলে উসমান (রা)-এর তৃত্য কাত্রার উপর হামলা
চালিয়ে তাকে হত্যা করে ৷ তখন তারা যে কোন জিনিসের নিকট দিয়ে গমন করছিল তাই
তুলে নিচ্ছিল ৷ এমনকি কুলসুম তজীবী নামক জনৈক ব্যক্তি শ্রী নাইলার চাদর ছিনিয়ে নিতে
উদ্যত হলে খলীফার জনৈক ভৃত্য তরবারির আঘাতে তাকে হত্যা করে ৷ পরে অবশ্য সে ভৃত্যও
নিহত হয় ৷
এরপর লোকেরা চিৎকার জুড়ে দেয় বায়তৃলমাল রক্ষা করো, সেদািক অগ্নসর হবে না ৷
বায়তৃল মাসের প্রহরীরা এ আওয়াজ শুনতে পেয়ে বলে : ৰ্বাচাও, ৰ্বাচাও, কারণ এসব লোককে
বলছে স র্ত্য প্রতিষ্ঠা এবং আমর বিল মারুফ ও নারী আনিল মৃনকার তথা সত্য ও ন্যায়ের
নির্দেশ এবং অন্যায়-অসত্য প্রতিরোধ ইত্যাদিই তাদের লক্ষ্য এ দাবিতে তারা সত্যবাদী নয় ৷ এ
উদ্দেশ্যে তাদের উত্থান বলে তারা যে দাবি করছে তা-ও তারা সত্য প্রমাণ করেনি ৷ তাদের
আসল লক্ষ্য হলো দুনিয়া অর্জন করা ৷’ কিন্তু তারা পরাজিত হয় এবং বিদ্রোহীদের আগমন
ঘটে ৷ এরা আগমন করে বায়ত্যুঃমাল লুট করে ৷ তাতে অঢেল সম্পদ রক্ষিত ছিল ৷
উসমান (রা) এর হত্যার পর সাহাৰীগণের প্রতিক্রিয়া
, এ হীন ঘৃণ্য জঘন্য ঘটনা সংঘটিত হলে সকলে স্তম্বিত হয়ে যান এবং সকল মানুষ এ
ঘটনার নিন্দা করে ৷ অজ্ঞ-মুর্য ও পাষণ্ড ৰিদ্রোহীদের অনেকেই এত্তন্যে লজ্জিত-অনুতপ্ত হয় ৷ এ
কর্ম দ্বারা তারা নিজেদেরকে বাছুর পুজারীন্বদ্যা অনুরুপ বিবেচনা করে, যাদের সম্পর্কে কালামে
মজীদে মহান আল্লাহ্ উল্লেখ করেছেন ং
১ তারীখে তাবারী, তারীখুন কামিল এবং তারীখে মাসউদী ইত্যাদি গ্রন্থে কাত্রা এর স্থলে কুতায়রা উল্লিখিত
হ্ম্নেৰুহু
جَسَدِهِ وَدَخَلَ رَجُلٌ مِنْ أَهْلِ مِصْرَ بِالسَّيْفِ مُصْلَتًا فَقَالَ: وَاللَّهِ لَأَقْطَعَنَّ أَنْفَهُ. فَعَالَجَ الْمَرْأَةَ عَنْهُ، فَغَلَبَتْهُ، فَكَشَفَ عَنْهَا دِرْعَهَا مِنْ خَلْفِهَا حَتَّى نَظَرَ إِلَى مَتْنِهَا، فَلَمَّا لَمْ يَصِلْ إِلَيْهِ أَدْخَلَ السَّيْفَ بَيْنَ قُرْطِهَا وَمَنْكِبِهَا، فَقَبَضَتْ عَلَى السَّيْفِ فَقَطَعَ أَنَامِلَهَا، فَقَالَتْ يَا رَبَاحُ - لِغُلَامِ عُثْمَانَ أَسْوَدَ - يَا غُلَامُ ادْفَعْ عَنِّي هَذَا الرَّجُلَ. فَمَشَى إِلَيْهِ الْغُلَامُ فَضَرَبَهُ فَقَتَلَهُ، وَخَرَجَ أَهْلُ الْبَيْتِ يُقَاتِلُونَ عَنْ أَنْفُسِهِمْ، فَقُتِلَ الْمُغِيرَةُ بْنُ الْأَخْنَسِ وَجُرِحَ مَرْوَانُ. قَالَ: فَلَمَّا أَمْسَيْنَا قُلْنَا: إِنْ تَرَكْتُمْ صَاحِبَكُمْ حَتَّى يُصْبِحَ مَثَّلُوا بِهِ. فَاحْتَمَلْنَاهُ إِلَى بَقِيعِ الْغَرْقَدِ فِي جَوْفِ اللَّيْلِ، وَغَشِيَنَا سَوَادٌ مِنْ خَلْفِنَا فَهِبْنَاهُمْ وَكِدْنَا أَنْ نَتَفَرَّقَ عَنْهُ، فَنَادَى مُنَادِيهِمْ: أَنْ لَا رَوْعَ عَلَيْكُمْ، اثْبُتُوا إِنَّمَا جِئْنَا لِنَشْهَدَهُ مَعَكُمْ - وَكَانَ أَبُو خُنَيْسٍ يَقُولُ: هُمْ مَلَائِكَةُ اللَّهِ - فَدَفَنَّاهُ ثُمَّ هَرَبْنَا إِلَى الشَّامِ مِنْ لَيْلَتِنَا، فَلَقِينَا الْجَيْشَ بِوَادِي الْقُرَى عَلَيْهِمْ حَبِيبُ بْنُ مَسْلَمَةَ.
[تَعْلِيقَاتٌ عَلَى مَقْتَلِ عُثْمَانَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ]
فَصْلٌ (تَعْلِيقَاتٌ عَلَى مَقْتَلِ عُثْمَانَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ)
وَلَمَّا وَقَعَ هَذَا الْأَمْرُ الْعَظِيمُ الْفَظِيعُ الشَّنِيعُ أُسْقِطَ فِي أَيْدِي النَّاسِ،
পৃষ্ঠা - ৫৮১৬
( ৷ট্রুটুদ্বুব্লুটু টু
তারা যখন অনুতপ্ত হলো এবং দেখলাে যে, তারা ৰিপথগামী হয়েছে তখন তরাে বলালা-
আমাদের পালনকর্তা যদি আমাদেরকে দয়া এবং ক্ষমা না করেন তবে তো আমরা নিশ্চিত
ক্ষতিগ্রস্ত হবো (আরাফ ৭ : ১৪৯) ৷’
হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হওয়ার সময় যুবইির (রা) মদীনায় বাইরে ছিলেন ; এ সম্পর্কে জানতে
পেয়ে তিনি পাঠ করেন :
প্দু৷ ৷ট্রুা
নিঃসন্দেহে আমরা আল্লাহর জন্য এবং তার সমীপেই আমাদের সকলকে ফিরে যেতে হবে
(বাকারা ২ : ১৫৬) ৷
এরপর উসমান (রা)-এর রুহের কল্যাণ কামনা করেন ৷ উসমান (রা)-এর হত্যাকারীরা
লজ্জিত অনুতপ্ত হয়েছে জানতে পেয়ে তিনি বলেন : তারা ধ্বংস হোক ৷ তারপর তিনি আল্লাহ্
তাআলার নিম্নোক্ত বাণী তিলাওয়াত করেন :
৷ —
ম্বুও
া
ওরা তো কেবল এক মহানাদের অপেক্ষায় আছে যা তাদেরকে আঘাত করবে তাদের
বাকবিতণ্ডাকালে ৷ তখন তারা ওসীয়ত করতে সমর্থ হবে না আর না সমর্থ হয়ে তাদের
পরিবার-পরিজনের নিকট ফিরে যেতে ৷ (সুরা ইয়াসীন ৩৬ং ৪৯) ৷
আলী (বা) এ সম্পর্কে জানতে পেরে তার জন্য আল্লাহ্র রহমত কামনা করেন ৷ আর
হত্যাকারীরা লজ্জিত-অনুতপ্ত হয়েছে জানতে পেরে তিনি তিলাওয়াত করেন
৷ ব্লু শ্ শ্
যেমন শয়তানের দৃষ্টান্ত, সে মানুষকে বলে, কুফ্রী কর ৷ তারপর সে কুফ্ররী করলে তখন
সে বলে আমি তোমার থেকে মুক্ত, আমি আল্লাহ্ রাববুল আলামীনকে ভয় করি (সুরা হাশর
৫৯ : ১৬) ৷
সাদ ইবন আবু ওয়াক্কাস (বা) এ সম্পর্কে জানতে পেরে তার জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করেন
এবং রহমতের জন্য দৃআ করেন ৷ আর হত্যাকারীদের প্রসঙ্গে তিলাওয়াত করেন ং
৷ ৷
ঠুাট্র
বল, আমি কি তােমাদেরকে সংবাদ দেবো কর্মে বিশেষ ক্ষতিগ্রস্তদের ৷ তারা ওরা, পার্থিব
জীবনে যাদের প্রচেষ্টা পশু হয়; অথচ তারা ধারণা করে যে ভাল কাজই তারা করে যাচ্ছে
(কাহফ্ ১৮ : ১০৩১০৪)
فَأَعْظَمُوهُ جِدًّا، وَنَدِمَ أَكْثَرُ هَؤُلَاءِ الْجَهَلَةِ الْخَوَارِجِ عَلَى مَا صَنَعُوا، وَأَشْبَهُوا مَنْ تَقَدَّمَهُمْ مِمَّنْ قَصَّ اللَّهُ عَلَيْنَا خَبَرَهُمْ فِي كِتَابِهِ الْعَزِيزِ، مِنَ الَّذِينَ عَبَدُوا الْعِجْلَ فِي قَوْلِهِ تَعَالَى: {وَلَمَّا سُقِطَ فِي أَيْدِيهِمْ وَرَأَوْا أَنَّهُمْ قَدْ ضَلُّوا قَالُوا لَئِنْ لَمْ يَرْحَمْنَا رَبُّنَا وَيَغْفِرْ لَنَا لَنَكُونَنَّ مِنَ الْخَاسِرِينَ} [الأعراف: 149]
وَلَمَّا بَلَغَ الزُّبَيْرَ مَقْتَلُ عُثْمَانَ - وَكَانَ قَدْ خَرَجَ مِنَ الْمَدِينَةِ - قَالَ: إِنَّا لِلَّهِ وَإِنَّا إِلَيْهِ رَاجِعُونَ. ثُمَّ تَرَحَّمَ عَلَى عُثْمَانَ، وَبَلَغَهُ أَنَّ الَّذِينَ قَتَلُوهُ نَدِمُوا فَقَالَ: تَبًّا لَهُمْ. ثُمَّ تَلَا قَوْلَهُ تَعَالَى: {مَا يَنْظُرُونَ إِلَّا صَيْحَةً وَاحِدَةً تَأْخُذُهُمْ وَهُمْ يَخِصِّمُونَ فَلَا يَسْتَطِيعُونَ تَوْصِيَةً وَلَا إِلَى أَهْلِهِمْ يَرْجِعُونَ} [يس: 49] الْآيَةَ [الْحَشْرِ: 16] . وَلَمَّا بَلَغَ سَعْدَ بْنَ أَبِي وَقَّاصٍ قَتْلُ عُثْمَانَ اسْتَغْفَرَ لَهُ، وَتَرَحَّمَ عَلَيْهِ، وَتَلَا فِي حَقِّ الَّذِينَ قَتَلُوهُ: {قُلْ هَلْ نُنَبِّئُكُمْ بِالْأَخْسَرِينَ أَعْمَالًا الَّذِينَ ضَلَّ سَعْيُهُمْ فِي الْحَيَاةِ الدُّنْيَا وَهُمْ يَحْسَبُونَ أَنَّهُمْ يُحْسِنُونَ صُنْعًا} [الكهف: 103]
[الْكَهْفِ: 103، 104] . ثُمَّ قَالَ سَعْدٌ: اللَّهُمَّ أَنْدِمْهُمْ ثُمَّ خُذْهُمْ. وَقَدْ أَقْسَمَ بَعْضُ السَّلَفِ بِاللَّهِ أَنَّهُ مَا مَاتَ أَحَدٌ مِنْ قَتَلَةِ عُثْمَانَ إِلَّا مَقْتُولًا. رَوَاهُ ابْنُ جَرِيرٍ. وَهَكَذَا يَنْبَغِي أَنْ يَكُونَ؛ لِوُجُوهٍ مِنْهَا، دَعْوَةُ سَعْدٍ الْمُسْتَجَابَةُ، كَمَا ثَبَتَ فِي
পৃষ্ঠা - ৫৮১৭
তারপর সাদ বলেন : হে আল্লাহ! তুমি তাদেরকে লাঞ্ছিত কর এবং তাদেরকে পাকড়াও
কর, ৷ অতীত পণ্ডিত মনীষীদের মধ্যে কেউ কেউ আল্লাহর নামে শপথ করে বলেন যে, উসমান
(রা)-এর হত্যাকারীদের মধ্যে কারো স্বাভাবিক মৃত্যু হয়নি, সবলেকেই ঘাতকের হাতে জীবন
দিতে হয়েছে ৷ এ মন্তব্য ঐতিহাসিক ইবনৃ জারীর তাবাৰীর ৷
কতিপয় কারণে এমন হতে পারে ৷ তার মধ্যে একটা হলো : সাদ ইবনৃ আবু ওয়াক্কড়াস
-এর দুআ আল্লাহর দরবারে মকুবল হলো ৷ বিশুদ্ধ হাদীস দ্বারা এটা প্রমাণিত ৷ ঐতিহাসিকদের
কারো কারো মন্তব্য এই যে, কোন হত্যাকারী পাগল-মাতাল না হয়ে মারা যায়নি ৷ ঐতিহাসিক
ওয়াকিদী আব্দুর রহমান ইবনৃ আবুয যিনাদ সুত্রে আব্দুর রহমান ইবনুল হারিসের বরাতে বলেনঃ
উসমান (রা) এর হন্তা ছিল কিনানা ইবনৃ বিশৃর ইবনৃ ইতাব তুব্জীবী ৷ আর মনসুর ইবন
সাইয়্যার ফিযারীর শ্রী বলতেন৪ আমরা হকৃজ্জর উদ্দেশ্যে বের হই, তখনো উসমান (রা) এর
হত্যা সম্পর্কে আমরা কিইে জানতাম না মারজ’১ নামক স্থানে পৌছে আমরা জনৈক ব্যক্তিকে
রর্ণিউকালে গান গাইতে শুনি :
হুষ্ট্র১!ট্র শ্বা
জেনে রাখবে, তিন জনের পরে যিনি ছিলেন সর্বোত্তম ব্যক্তি
মিসর থেকে আগত তৃব্জীবীর হাতে নিহত হয়েছেন তিনি ৷
হজ্জ থেকে প্রত্যাবর্তন শেষে লোকেরা জানতে পারে যে, উসমান (রা) নিহত হয়েছেন এবং
লোকেরা আলী ইবন আবুত তালিবের হাতে ৩বায়য়াত করেছেন ৷ উম্মাহাতৃল মুমিনীনরা পথিমধ্যে
খবর পান যে, উসামান (বা) নিহত হয়েছেন, তারা মক্কায় ফিরে এসে প্রায় চার মাস সেখানে
অবস্থান করেন ৷ এ বিষয়ে পরে আলোচনা হবে ৷
অবরুদ্ধ জীবন, বয়স ও দাফন প্রসঙ্গ
প্রসিদ্ধ উক্তি অনুযায়ী উসমান (রা)-এর গৃহে অবরুদ্ধ জীবনের মেয়াদ ছিল চল্লিশ দিন ৷
আরো কারো মতে চল্লিশ দিনের কিছু বেশি ৷ ইমাম শাবীর মতে তিনি ২২ রাত্রি অবরুদ্ধ
ছিলেন ৷ শুক্রবারে তিনি নিহত হয়েছেন-এ ব্যাপারে কারো দ্বিমত নেই ৷ লাইফ ইবনৃ উমর তার
মাশইিখের উদ্ধৃতি দিয়ে বলেন, শুত্রষ্ব্ড়ার দিনের শেষে তিনি নিহত হন ৷ মুসৃআবৃ ইবনৃ যুবাইর
এবং অন্যান্য এজন্য সুস্পষ্ট প্রমাণও উপস্থাপন করেছেন ৷ অন্যরা বলেন, এ দিন চাশতের সময়
তিনি নিহত হয়েছেন ৷ আর এ মতই বেশি সামঞ্জস্যপুর্ণ ৷ আর প্রসিদ্ধ উক্তি মতে এটা ছিল
যিলহজ্জ মাসের ১৮ তারিখের ঘটনা ৷ আবার কাংরা কারো মতে, এটা ঘটে আইয়্যামে
তাশরীকে ৷ ইবনৃ জারীর তাবারী আহমদ ইবনৃ যুহাইর আবু খায়সামা ওয়াহাব ইবনৃ
জারীর২ এর বরাতে বলেন, আমি ইউনুসকে ইয়াযীদ সুত্রে যুহ্রীর বরাতে বলতে শুনেছিণ্ব্ল
উসমান (বা) নিহত হয়েছেন কারো কারো মতে, আইয়্যামে তাশরীকে ৷ আবার কারো কারো
১ তাবারীতে এ স্থলে ৰুপ্রু-এর পরিবর্তে €, উল্লেখ আছে ৷ এটা মক্কা-মদীনার মধ্যস্থুলে হাঙ্গীদেৱ পথে
একটা উপত্যকার নাম (মু জামুল বুলদান) ৷
২ ইমাম তাবারী তার বর্ণনায় আমার পিতাকে বসতে শ্যুনছি এটুকু অতিরিক্ত যোগ করেন ৷
الْحَدِيثِ الصَّحِيحِ. وَقَالَ بَعْضُهُمْ: مَا مَاتَ أَحَدٌ مِنْهُمْ حَتَّى جُنَّ.
وَقَالَ الْوَاقِدِيُّ: حَدَّثَنِي عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ أَبِي الزِّنَادِ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ الْحَارِثِ، قَالَ: الَّذِي قَتَلَ عُثْمَانَ كِنَانَةُ بْنُ بِشْرِ بْنِ عَتَّابٍ التُّجِيبِيُّ، وَكَانَتِ امْرَأَةُ مَنْظُورِ بْنِ سَيَّارٍ الْفَزَارِيِّ تَقُولُ: خَرَجْنَا إِلَى الْحَجِّ وَمَا عَلِمْنَا لِعُثْمَانَ بِقَتْلٍ، حَتَّى إِذَا كُنَّا بِالْعَرْجِ سَمِعْنَا رَجُلًا يُغَنِّي تَحْتَ اللَّيْلِ:
أَلَا إِنَّ خَيْرَ النَّاسِ بَعْدَ ثَلَاثَةٍ ... قَتِيلُ التُّجِيبِيِّ الَّذِي جَاءَ مِنْ مِصْرِ
وَلَمَّا رَجَعَ الْحَجِيجُ وَجَدُوا عُثْمَانَ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، قَدْ قُتِلَ وَبَايَعَ النَّاسُ عَلِيَّ بْنَ أَبِي طَالِبٍ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ. وَلَمَّا بَلَغَ أُمَّهَاتِ الْمُؤْمِنِينَ فِي أَثْنَاءِ الطَّرِيقِ أَنَّ عُثْمَانَ قَدْ قُتِلَ، رَجَعْنَ إِلَى مَكَّةَ، فَأَقَمْنَ بِهَا نَحْوًا مِنْ أَرْبَعَةِ أَشْهُرٍ كَمَا سَيَأْتِي.
[مُدَّةُ حِصَارِهِ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ]
فَصْلٌ (مُدَّةُ حِصَارِهِ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ)
كَانَتْ مُدَّةُ حَصْرِ عُثْمَانَ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، فِي دَارِهِ أَرْبَعِينَ يَوْمًا عَلَى
পৃষ্ঠা - ৫৮১৮
الْمَشْهُورِ. وَقِيلَ: كَانَتْ بِضْعًا وَأَرْبَعِينَ يَوْمًا. وَقَالَ الشَّعْبِيُّ: كَانَتْ ثِنْتَيْنِ وَعِشْرِينَ لَيْلَةً. ثُمَّ كَانَ قَتْلُهُ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، فِي يَوْمِ الْجُمُعَةِ بِلَا خِلَافٍ. قَالَ سَيْفُ بْنُ عُمَرَ عَنْ مَشَايِخِهِ: فِي آخِرِ سَاعَةٍ مِنْهَا. وَنَصَّ عَلَيْهِ مُصْعَبٌ الزُّبَيْرِيُّ وَآخَرُونَ. وَقَالَ آخَرُونَ: ضَحْوَةً. وَهَذَا أَشْبَهُ. وَكَانَ ذَلِكَ لِثَمَانِيَ عَشْرَةَ لَيْلَةً خَلَتْ مِنْ ذِي الْحِجَّةِ عَلَى الْمَشْهُورِ. وَقِيلَ: فِي أَيَّامِ التَّشْرِيقِ. رَوَاهُ ابْنُ جَرِيرٍ: حَدَّثَنِي أَحْمَدُ بْنُ زُهَيْرٍ، ثَنَا أَبُو خَيْثَمَةَ، ثَنَا وَهْبُ بْنُ جَرِيرٍ قَالَ: سَمِعْتُ أَبِي قَالَ: سَمِعْتُ يُونُسَ بْنَ يَزِيدَ، عَنِ الزُّهْرِيِّ قَالَ: قُتِلَ عُثْمَانُ فَزَعَمَ بَعْضُ النَّاسِ أَنَّهُ قُتِلَ فِي أَيَّامِ التَّشْرِيقِ - وَرَوَاهُ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ أَحْمَدَ، عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ مُعَاذٍ، عَنْ مُعْتَمِرِ بْنِ سُلَيْمَانَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَبِي عُثْمَانَ قَالَ: قُتِلَ عُثْمَانُ فِي أَوْسَطِ أَيَّامِ التَّشْرِيقِ - وَقَالَ بَعْضُهُمْ: قُتِلَ يَوْمَ الْجُمْعَةِ لِثَمَانِيَ عَشْرَةَ لَيْلَةً خَلَتْ مِنْ ذِي الْحِجَّةِ. وَقِيلَ: قُتِلَ يَوْمَ النَّحْرِ. حَكَاهُ
পৃষ্ঠা - ৫৮১৯
মতে, ৩রা যিলহজ্জ ক্রোার তিনি নিহত হয়েছেন ৷ আবার কারো কারো মতে, ইয়াওমুন নাহ্র
তথা কুরবানীর রুিৰ্ তিনি নিহত হন ৷ ঐতিহাসিক ইবন আসাকির এ বর্ণনা করে নিচের কবিতা
দ্বারা তার প্রমাণ উপস্থাপন করেন
া; ৷ ৷দ্বু১১
তারা চাশতের সময় হত্যা করেছে সাদা-কালো চুলের অধিকারী ব্যক্তিকে, যার কপালে
ছিল সাজদার চিহ্ন, যিনি দিনরাত অতিবাহিত করতেন৩ তাসৃবীহ পাঠ আর কুরআন মজীদ
তিলাওয়াতে ৷ ,
তবে তাবারীর মতে প্রথমােক্ত মতটি প্রসিদ্ধ ৷ আবার কারো কারো মতে ৩৫ হিজরীর ১৮
যিলহজ্জ শুক্রবার তিনি নিহত হন ৷এ উক্তি বিশুদ্ধ ও প্রসিদ্ধ ৷ জ্যিমতে ৩৬ হিজরীতে তিনি
নিহত হন ৷ অবশ্য মুসৃআব ইবন যুবইির এবং একটা দল এ উজ্যিক যরীফ তথা অপরিচিত
বলে উল্লেখ করেছেন ৷ ফলে তার খিলাফতের মুদ্দত ছিল ১২ দিন কম ১২ বৎসর ৷ ২ কারণ ২৪
হিজরী সালে মুহররম মাসের সুচনায় তার হাতে বায়য়াত করা হয় ৷
আর তীর বয়স ৮২ বছর অতিক্রম করে ৷ সালিহ ইবন কায়সান বলেন : ৮২ বছর কয়েক
মাস বয়সে র্তার ওফাত হয় ৷ কারো কারো মতে ৮৪ বছর বয়সে ৷ আর কাতাদা বলেন :
ওফাতকালে তার বয়স হয়েছিল ৮৮ বা ৯০ বছর ৷ তার অপর এক বর্ণনামতে ৮৬ বছর বয়সে
তার যেতে হয় ৷ ইিশাম ইবনুল কালবী সুত্রে বর্ণিত : তিনি ৭৫ বছর বয়সে ওফাত পান ৷ তবে
এ উক্তি অতিমাত্রায় গরীব তথা অপরিচিত ৷ আর এর চাইতেও পরীব হলো মাশইিখ সুত্রে বর্ণিত
সাইফ ইবনৃন্ন্ ৩মরের উক্তি ৷ আর তারা হলেন মুহাম্মদ, তালহা, আবু উসমান এবং আবুহারি;সা ৷
এরা বলেন : উসমান (বা) ৬৩ বছর বয়সে নিহত হন ৷
অবশ্য তার কবরের স্থানের ব্যাপারে কোন মতবিরোধ নেই যে, জান্নাতুল বাকী’র পুর্ব
প্রান্তে হাশৃ কাওকাব’ নামক স্থানে তাকে দাফন করা হয়েছে ৷ বনু উমইিয়্যাদের শাসনামলে
র্তার কবরে একটা বিরাট স্মৃতিসৌধ নির্মাণ করা হয়েছে যা এখনো (গ্রন্থকারের যুগ পর্যন্ত)
বর্তমান আছে ৷ ইমাম মালিক (বা) বলেন৪ আমি জানতে পেয়েছি উসমান (রা) হাশৃ
কাওকাব এ কবর স্থান দিয়ে গমনকালে একদা বলেছিলেন একজন নেককার ব্যক্তিকে এ স্থানে
দাফন করা হবে ৷
ইবনৃ জারীর তাবারী উল্লেখ করেছেন নিহত হওয়ার পর উসমান (রা)-এর লাশ তিনদিন
দাফন-কাফন হীন অবস্থায় পড়ে থাকে ৷ আমি বলি, আলী (রা)-এর বায়আতেৱ ব্যাপারে ব্যস্ত
থাকায় লোকেরা তীর দিকে মনোযোগ দিতে পারেনি ৷ বায়আতের কাজ সম্পন্ন হলে তবে যে
দিকে মনোযোগ দেয় ৷ কারো কারো মতে, দুরাত পড়ে থাকে, আবার অন্যদের মতে সে
১ তাবারীতে ১৮ তারিখ রাত্রের উল্লেখ আছে ৷ আর ইবনুল আ নাম বলেন : ১৮ যিনহজ্জ নিহত হন
(২২৪ ১) ৷ মরজুয্ যাহাৰে আছে৪ যিলহন্ধের তিনদিন বাকি থাকতে জুমআর রাত্রে তিনি নিহত হন
(২৩৮ ২) ৷
২ মুরুজুয যাহাৰে আছে : ১৮ দিন কম ১২ বৎসর (২৩৬৬) ৷ ইবনুদ আসাম বলেন : ১১ বৎসর ১১ মাস ১৮
দিনের মাথায় তিনি নিহত হন ৷ পক্ষান্তরে ইবন আব্দুল ৰাব ওয়াকিদীর সুত্রে উল্পে!৷ করেন যে, ৩৫ হিজরীর
৮ যিলহজ্জ্ব জুমআর দিন তিনি নিহত হন ৷ এ দিনটি ছিল তাসবিয়ার দিন ৷ ওয়াকিদী সুত্রে এটাও বর্ণিত অহে
যে, যিলহস্যে ২ দিন বাকি থাকতে তিনি নিহত হন (আল-ইসাবাব হাশিয়৷ (৩৭৬ ৭ ৭ পৃষ্ঠা)
ابْنُ عَسَاكِرَ. وَيُسْتَشْهَدُ لَهُ بِقَوْلِ الشَّاعِرِ:
ضَحَّوْا بَأَشْمَطَ عُنْوَانُ السُّجُودِ بِهِ ... يُقَطِّعُ اللَّيْلَ تَسْبِيحًا وَقُرْآنَا
قُلْتُ: وَالْأَوَّلُ هُوَ الْأَشْهَرُ. وَهُوَ أَنَّهُ قُتِلَ يَوْمَ الْجُمُعَةِ لِثَمَانِ عَشْرَةَ لَيْلَةً خَلَتْ مِنْ ذِي الْحِجَّةِ سَنَةَ خَمْسٍ وَثَلَاثِينَ، عَلَى الصَّحِيحِ الْمَشْهُورِ. وَقِيلَ: سَنَةَ سِتٍّ وَثَلَاثِينَ. قَالَهُ مُصْعَبٌ الزُّبَيْرِيُّ وَطَائِفَةٌ. وَهُوَ غَرِيبٌ. فَكَانَتْ خِلَافَتُهُ ثِنْتَيْ عَشْرَةَ سَنَةً إِلَّا اثْنَيْ عَشَرَ يَوْمًا ; لِأَنَّهُ بُويِعَ لَهُ فِي مُسْتَهَلِّ الْمُحَرَّمِ سَنَةَ أَرْبَعٍ وَعِشْرِينَ.
فَأَمَّا عُمُرُهُ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، فَإِنَّهُ جَاوَزَ الثَّمَانِينَ عَلَى الْمَشْهُورِ. فَقِيلَ: إِحْدَى وَثَمَانِينَ سَنَةً. وَقَالَ الْوَاقِدِيُّ وَغَيْرُ وَاحِدٍ: تُوُفِّيَ عَنْ ثِنْتَيْنِ وَثَمَانِينَ سَنَةً. وَقَالَ صَالِحُ بْنُ كَيْسَانَ: وَأَشْهُرٍ. وَقِيلَ: أَرْبَعٌ وَثَمَانِينَ سَنَةً. وَقَالَ
পৃষ্ঠা - ৫৮২০
أَحْمَدُ، عَنْ حَسَنِ بْنِ مُوسَى، حَدَّثَنَا أَبُو هِلَالٍ، عَنْ قَتَادَةَ: تُوُفِّيَ عُثْمَانُ عَنْ ثَمَانٍ وَثَمَانِينَ أَوْ تِسْعِينَ سَنَةً. وَفِي رِوَايَةٍ عَنْهُ: تُوُفِّيَ عَنْ سِتٍّ وَثَمَانِينَ سَنَةً. وَعَنْ هِشَامِ بْنِ الْكَلْبِيِّ: تُوُفِّيَ عَنْ خَمْسٍ وَسَبْعِينَ سَنَةً. وَهَذَا غَرِيبٌ جِدًّا. وَأَغْرَبُ مِنْهُ مَا رَوَاهُ سَيْفُ بْنُ عُمَرَ عَنْ مَشَايِخِهِ ; وَهُمْ مُحَمَّدٌ وَطَلْحَةُ وَأَبُو عُثْمَانَ وَأَبُو حَارِثَةَ أَنَّهُمْ قَالُوا: قُتِلَ عُثْمَانُ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ عَنْ ثَلَاثٍ وَسِتِّينَ سَنَةً.
وَأَمَّا مَوْضِعُ قَبْرِهِ فَلَا خِلَافَ أَنَّهُ دُفِنَ بِحَشِّ كَوْكَبٍ - شَرْقِيَّ الْبَقِيعِ - وَقَدْ بُنِيَ عَلَيْهِ زَمَانَ بَنِي أُمَيَّةَ قُبَّةٌ عَظِيمَةٌ وَهِيَ بَاقِيَةٌ إِلَى الْيَوْمِ. قَالَ الْإِمَامُ مَالِكٌ: بَلَغَنِي أَنَّ عُثْمَانَ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، كَانَ يَمُرُّ بِمَكَانِ قَبْرِهِ مِنْ حَشِّ كَوْكَبٍ فَيَقُولُ: إِنَّهُ سَيُدْفَنُ هَاهُنَا رَجُلٌ صَالِحٌ
. وَقَدْ ذَكَرَ ابْنُ جَرِيرٍ أَنَّ عُثْمَانَ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، بَقِيَ بَعْدَ أَنْ قُتِلَ ثَلَاثَةَ أَيَّامٍ لَا يُدْفَنُ. قُلْتُ: وَكَأَنَّهُ اشْتَغَلَ النَّاسُ عَنْهُ بِمُبَايَعَةِ عَلِيٍّ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ حَتَّى تَمَّتْ. وَقِيلَ: إِنَّهُ مَكَثَ لَيْلَتَيْنِ. وَقِيلَ: بَلْ دُفِنَ مِنْ لَيْلَتِهِ. ثُمَّ كَانَ دَفْنُهُ مَا بَيْنَ الْمَغْرِبِ وَالْعَشَاءِ خِيفَةً مِنَ الْخَوَارِجِ. وَقِيلَ: بَلِ اسْتُؤْذِنَ فِي ذَلِكَ بَعْضُ رُؤَسَائِهِمْ.
পৃষ্ঠা - ৫৮২১
রাতেই তাকে দাফন করা হয় ৷ বিদ্রোহীদের ভয়ে গোপনে মাগরিব এবং এশার মধ্যবর্তী সময়ে
তাকে দাফন করা হয় ৷ আবার কারো কারো মতে, এ ব্যাপারে বড় বড় সাহাবীর সঙ্গে পরামর্শ
করে অনুমতি নেয়া হয় ৷ সাহাবীগণের একটা ক্ষুদ্র দল তার লাশ নিয়ে গমন করেন১, র্তাদের
মধ্যে ছিলেন হাকীম ইবন হিসাম, হয়ইিতিব ইবন আব্দুল উঘৃযা, আবুল জাহাম ইবন্ হলাইফা,
নিয়ার ইবন মাকরাম আসলামী, যুবাইর ইবন মুতইম, যইিদ ইবন সাধিত, কাব ইবন মালিক,
তালহা ও যুবাইর, আলী ইবন আবুতালিব, তার সঙ্গীদের মধ্যে কিছু লোক এবং কয়েকজন
নারী, যাদের মধ্যে ছিলেন তার দুজন শ্রী নাইলা এবং উম্মুল বানীন বিনত উত্বা ইবন হাসীন
এবং দুজন শিশু ৷ এটাই ওয়াকিদী এবং সইিফ ইবন উমর তামীমীর উক্তির সারবস্তু ৷ এছাড়া
তার খাদিম-সেবকংদর একটা দল পােসল-কাফানর পর তার মৃতদেহ গৃহের দরজা পর্যন্ত বহন
করে আগে ৷ কারো কারো মতে তাকে গোসল এবং কাফন পরানাে হয়নি ৷ তবে প্ৰথমােক্ত
মতটি বিশুদ্ধ ৷ যুবাইর ইবন মুত্ইম তার জানাযার ইমামতি করেন ৷
বেস্ট কেউ বলেন, যুবাইর ইবনুল আওয়াম আবার কারো মতে হার্কীম ইবন হিসাম, বা
মারওয়ান ইবনুল হাকাম এবং আিমতে মিসওয়ার ইবন মাখৃরামা তার জানাযার নামাষে
ইমামতি করেন ৷ কোন কোন খারিব্জী তার লাশ দাফনের বিরোধিতা করে লাশে প্রস্তর নিক্ষেপ
করে খাটিয়া থেকে ফেলে দিতে চায় ৷ তারা ইহুদীদের কবরস্থান দীর-ই মালা’-এ র্তার লাশ
দাফন করতে দৃঢ় সংকর ছিল ৷ অবশেষে তাদের নিকট আলী (রা)-কে প্রেরণ করলে তিনি
তাদেরকে এ কাজ করতে ধারণ করেন ৷ হাতীমে ইবন হিসাম, মারওয়ান ইবনুল হাকাম,
মিসওয়ার ইবন মাখরামা, আবুজাহাম ইবন হুযাইফা, নিয়ার ইবন মাকরাম এবং জুবাইর ইবন
মুজীম প্রমুখ তার লাশ বহন করেন ৷ প্
ওয়াকিদী উল্লেখ করেন যে, জানাযার স্থলে নামাযের জন্য লাশ রাখা হলে কতিপয়
আনসার বাধা দিতে চাইলে আবুজাহাম ইবন হুলাইফা বলেন, লাশ দাফন করতে দাও, কারণ,
আল্লাহর হুকুমে তার ফেরেশতারা তার জন্য জানাযার নামায পড়েছেন ৷ এরপর তারা বলে,
জান্নাতুল বাকীতে তার লাশ দাফন করা যাবে না; বরং দেয়ালের বাইরে তার লাশ দাফন কর ৷
তইি বাকী-এর পুর্বদিকে খেজুর গাছের নিচে তার লাশ দাফন করা হয়৷
ওয়াকিদী উল্লেখ করেন যে, উসমান (রা)-এর লাশ জানাযার নামায পড়ার জন্য খাটিয়ায়
, রাখা হলে উমইির ইবন যাবী তার লাশের উপর হামলা চালায় এবং তার পাজরের একটি হাড়
ভেঙ্গে ফেলে ৷ যাবীকে অটিক করা হয় এবং কারাগারে তার মৃত্যু হয় ৷ পরবর্তীকালে হাজ্জাজ
ইবন ইউসুফ এই উমাইর ইবন যাবীকে হত্যা করে ৷ আর ইমাম বুখারী তার ইতিহাস গ্রন্থে মুসা
,ইবর্বৃ ইসমাঈল মুহাষ্মদ ইবন সীরীন সুতে উল্লেখ করেন যে, আমি কা বা শরীফ তাওয়াফ
করছিস্াম, এমন সময় এক ব্যক্তি বলছিপ্সং
ব্লুণ্৷ ৷
১ তাবাকাতে ইবন সালে এ হয়ে ১৬ জনের কথা উল্লেখ করা হয়েছে ৷ পক্ষাস্তরে ঐতিহাসিক ওয়াকিদী বলেন,
৪ ব্যক্তি তার দাশ বহন করেন; জুবাইর ইবন মুতইম, হার্কীম ইবন হিযাম, আবু হুযাইফ৷ ইবন হুলাইফা
এবং নিয়ার ইবন মাকৰাম এবং জুবইির তার জানাযার নামায পড়ান ৷ ইবন সাদ বলেন, এটাই অধিক
প্ৰমাণসিদ্ধ মত ৷
فَخَرَجُوا بِهِ فِي نَفَرٍ قَلِيلٍ مِنَ الصَّحَابَةِ ; مِنْهُمْ حَكِيمُ بْنُ حِزَامٍ، وَحُوَيْطِبُ بْنُ عَبْدِ الْعُزَّى، وَأَبُو الْجَهْمِ بْنُ حُذَيْفَةَ، وَنِيَارُ بْنُ مُكْرَمٍ الْأَسْلَمِيُّ، وَجَبَيْرُ بْنُ مُطْعِمٍ، وَزَيْدُ بْنُ ثَابِتٍ، وَكَعْبُ بْنُ مَالِكٍ، وَطَلْحَةُ، وَالزُّبَيْرُ، وَعَلِيُّ بْنُ أَبِي طَالِبٍ، وَجَمَاعَةٌ مِنْ أَصْحَابِهِ وَنِسَائِهِ ; مِنْهُنَّ امْرَأَتَاهُ نَائِلَةُ وَأُمُّ الْبَنِينَ بِنْتُ عُيَيْنَةَ بْنِ حِصْنٍ، وَصِبْيَانٌ. وَهَذَا مَجْمُوعٌ مِنْ كَلَامِ الْوَاقِدِيِّ وَسَيْفِ بْنِ عُمَرَ التَّمِيمِيِّ.
قَالَ أَحْمَدُ: ثَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، عَنْ مَعْمَرٍ، عَنْ قَتَادَةَ قَالَ: صَلَّى الزُّبَيْرُ عَلَى عُثْمَانَ وَدَفَنَهُ وَكَانَ أَوْصَى إِلَيْهِ. وَرَوَى عَبْدُ اللَّهِ مِنْ طَرِيقِ إِبْرَاهِيمَ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ فَرُّوخَ، عَنْ أَبِيهِ: شَهِدْتُ عُثْمَانَ دُفِنَ فِي ثِيَابِهِ بِدِمَائِهِ وَلَمْ يُغَسَّلْ.
وَحَمَلَهُ جَمَاعَةٌ مِنْ خَدَمِهِ بَعْدَ مَا غَسَّلُوهُ وَكَفَّنُوهُ. وَزَعَمَ بَعْضُهُمْ أَنَّهُ لَمْ يُغَسَّلْ وَلَمْ يُكَفَّنْ. وَالصَّحِيحُ الْأَوَّلُ. وَصَلَّى عَلَيْهِ جُبَيْرُ بْنُ مُطْعِمٍ. وَقِيلَ: الزُّبَيْرُ بْنُ الْعَوَّامِ. وَقِيلَ: حَكِيمُ بْنُ حِزَامٍ. وَقِيلَ: مَرْوَانُ بْنُ الْحَكَمِ. وَقِيلَ: الْمِسْوَرُ بْنُ مَخْرَمَةَ. وَقَدْ عَارَضَهُ بَعْضُ الْخَوَارِجِ وَأَرَادُوا رَجْمَهُ وَإِلْقَاءَهُ عَنْ سَرِيرِهِ،
পৃষ্ঠা - ৫৮২২
وَعَزَمُوا عَلَى أَنْ يُدْفَنَ بِمَقْبَرَةِ الْيَهُودِ بِدَيْرِ سَلْعٍ، حَتَّى بَلَغَ عَلِيَّ بْنَ أَبِي طَالِبٍ، فَبَعَثَ إِلَيْهِمْ مَنْ نَهَاهُمْ عَنْ ذَلِكَ، وَحَمَلَ جِنَازَتَهُ حَكِيمُ بْنُ حِزَامٍ، وَأَبُو جَهْمِ بْنُ حُذَيْفَةَ، وَنِيَارُ بْنُ مُكْرَمٍ، وَجُبَيْرُ بْنُ مُطْعِمٍ.
وَذَكَرَ الْوَاقِدِيُّ أَنَّهُ لَمَّا وُضِعَ لِيُصَلَّى عَلَيْهِ - عِنْدَ مُصَلَّى الْجَنَائِزِ - أَرَادَ بَعْضُ الْأَنْصَارِ أَنْ يَمْنَعَهُمْ مِنْ ذَلِكَ، فَقَالَ أَبُو جَهْمِ بْنُ حُذَيْفَةَ: ادْفِنُوهُ فَقَدْ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَمَلَائِكَتُهُ. ثُمَّ قَالُوا: لَا يُدْفَنُ فِي الْبَقِيعِ، وَلَكِنِ ادْفِنُوهُ وَرَاءَ الْحَائِطِ. فَدَفَنُوهُ شَرْقِيَّ الْبَقِيعِ تَحْتَ نَخَلَاتٍ هُنَاكَ.
وَذَكَرَ الْوَاقِدِيُّ أَنَّ عُمَيْرُ بْنُ ضَابِئٍ نَزَا عَلَى سَرِيرِهِ وَهُوَ مَوْضُوعٌ لِلصَّلَاةِ عَلَيْهِ، فَكَسَرَ ضِلْعًا مِنْ أَضْلَاعِهِ، وَقَالَ: أَحَبَسْتَ ضَابِئًا حَتَّى مَاتَ فِي السِّجْنِ؟ وَقَدْ قَتَلَ الْحَجَّاجُ فِيمَا بَعْدُ عُمَيْرَ بْنَ ضَابِئٍ هَذَا.
وَقَالَ الْبُخَارِيُّ فِي " التَّارِيخِ ": حَدَّثَنَا مُوسَى بْنُ إِسْمَاعِيلَ، عَنْ عِيسَى بْنِ مِنْهَالٍ، ثَنَا غَالِبٌ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ سِيرِينَ قَالَ: كُنْتُ أَطُوفُ بِالْكَعْبَةِ وَإِذَا رَجُلٌ يَقُولُ: اللَّهُمَّ اغْفِرْ لِي. وَمَا أَظُنُّ أَنْ تَغْفِرَ لِي. فَقُلْتُ: يَا عَبْدَ اللَّهِ مَا سَمِعْتُ أَحَدًا
পৃষ্ঠা - ৫৮২৩
يَقُولُ مَا تَقُولُ. قَالَ: كُنْتُ أَعْطَيْتُ اللَّهَ عَهْدًا إِنْ قَدَرْتُ أَنْ أَلْطِمَ وَجْهَ عُثْمَانَ إِلَّا لَطْمَتُهُ، فَلَمَّا قُتِلَ وُضِعَ عَلَى سَرِيرِهِ فِي الْبَيْتِ وَالنَّاسُ يَجِيئُونَ فَيُصَلُّونَ عَلَيْهِ، فَدَخَلْتُ كَأَنِّي أُصَلِّي عَلَيْهِ فَوَجَدْتُ خَلْوَةً فَرَفَعْتُ الثَّوْبَ عَنْ وَجْهِهِ فَلَطَمْتُهُ، وَسَجَّيْتُهُ، وَقَدْ يَبِسَتْ يَمِينِي. قَالَ ابْنُ سِيرِينَ: فَرَأَيْتُهَا يَابِسَةً كَأَنَّهَا عُودٌ.
ثُمَّ خَرَجُوا بِعَبْدَيْ عُثْمَانَ اللَّذَيْنِ قُتِلَا فِي الدَّارِ ; وَهُمَا صُبَيْحٌ وَنُجَيْحٌ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا، فَدُفِنَا إِلَى جَانِبِهِ بِحَشِّ كَوْكَبٍ. وَقِيلَ: إِنَّ الْخَوَارِجَ لَمْ يُمَكِّنُوا مِنْ دَفْنِهِمَا، بَلْ جَرُّوهُمَا بِأَرْجُلِهِمَا حَتَّى أَلْقَوْهُمَا بِالْبَلَاطِ فَأَكَلَتْهُمَا الْكِلَابُ.
وَقَدِ اعْتَنَى مُعَاوِيَةُ فِي أَيَّامِ إِمَارَتِهِ بِقَبْرِ عُثْمَانَ، وَرَفَعَ الْجِدَارَ بَيْنَهُ وَبَيْنَ الْبَقِيعِ، وَأَمَرَ النَّاسَ أَنْ يَدْفِنُوا مَوْتَاهُمْ حَوْلَهُ حَتَّى اتَّصَلَتْ بِمَقَابِرِ الْمُسْلِمِينَ.
পৃষ্ঠা - ৫৮২৪
হে আল্লাহ, আমাকে ক্ষমা কর ; আমার ধারণা তুমি আমাকে ক্ষমা করবে না ৷” আমি
তাকে বললাম, হে তুা৷ল্লাহ্র বন্দো তুমি যা বলছ, এমন কথাতে৷ কাউকে বলতে শুনিনি ৷ সে
বললো, আমি আলুাহ্র সঙ্গে অঙ্গীকার করি যে, আমি যদি উসমান (রা)-এর ঢেহারায়
চপেটাঘাত করার সুযোগ’ পাই তবে অবশ্যই তা করবো ৷ নিহত হওয়ার পর তাকে গৃহে
খাটিয়ায় রাখা হয় আর তার জানাযার নামায পড়ার জন্য লোকজন আসছিল, তখন নামায
পড়ার ভাগ করে আমিও সেখানে প্রবেশ করি ৷ তাকে একাকী পেয়ে তার চেহারা থেকে কাপড়
হটিংয় আমি তাকে চপেটাঘাত করি ৷ এর ফলে আমার ডান হাত শুষ্ক হয়ে পড়ে ৷ ইবনৃ সীরীন
বলেন, আমি তার ডান হাত শুষ্ক দেখতে পাই, তা যেন কাঠের টুকরো আর কি! তারপর তারা
উসমান (রা) এর দু’জ্যা৩ ভ্যত্যর লাশ ঘর থেকে বের করে, যারা তার সঙ্গে গৃহে খুন হয় ৷ তারা
ছিল সাবীহ এবং নাজীহ ৷ হামা তাওকাবে উসমান (রা) এর পাশে তাদের লাশও দাফন করা
হয় ৷ আবার কেউ কেউ বলেন, খারেজীরা (বিদ্রোহীরা) এদের দুজনের লাশ দাফন করতে
দেয়নি, বরং তারা পদাঘাত করতে করতে তাদের লাশ নিয়ে সমতল ভুমিতে ফেলে দেয় এবং
শিয়াল-কুকুর তা খেয়ে ফেলে ৷ আমীর মুআবিয়৷ তার শাসনামলে উসমান (রা) এর কবরের
যতু নেন এবংজ ৷ন্নাতৃল বাকী এবং তার কবরের মধ্যন্থলে একটি প্রাচীর নির্মাণ করান ৷ উসমান
(রা)-এর কবরের পাশে লাশ দাফন করার জন্য তিনি লোকজনকে ৷নর্দেশ দেন ৷ ৷ ফলে তা
মুসলমানদের কবরের সঙ্গে মিশে যায় ৷
উসমান (রা)-এর গুণ ও বৈশিষ্ট্য
উসমান (রা)-এর চেহারা ছিল সুদর্শন, গায়ের চামড়া ছিল পাতলা, দাড়ি ছিল বড় (ও
বন) , দেহ ছিল মাঝারি ধরনের ৷ হাড়ের জোড়া ছিল বড়, দু’ র্কাধের মধ্যখানে দুরতৃ ছিল
অনেক, মাথার চুল ছিল প্রচুর (এবং ঘন), র্দাত ছিল পরিপাটি এবং রং ছিল তামাটে ৷ কেউ
কেউ বলেন, তার ঢেহারায় বসভের কিছু চিহ্ন ছিল ৷ যুহরী থেকে বর্ণিত, তার চেহারা এবং র্দাত
ছিল সুন্দর, দেহ ছিল মধ্যমাকৃতির, মস্তকের সম্মুখ ভাগের চুল ছিল না, পায়ের গোছা কাি
সুডোল ৷ তিনি কাল খিযাব ব্যবহার করতে ন ৷ তিনি সোনা দিয়ে র্দাত বাধহন ৷ তার বুক আর
বাহুতে পশম ছিল ৷
ঐতিহাসিক ওয়াকিদী ইবন; আবু সুবৃরা, সাঈদ ইবন আবু যায়দ, যুহরী উবায়দুল্লাহ ইৰ্নৃ
উতব৷ সুত্রে বর্ণনা করেন উসমান (রা) যেদিন নিহত হন, সেদিন তার কােষাধ্যক্ষের নিকট
৩০ কোটি ৫ লক্ষ দিরহাম এবং ১ লক্ষ দীনার ছিল ৷ এসবই লুট্পাট হয় এবং নিঃশেষ হয়
যায় ৷ ১এছাড়াও রাবৃযায় তার এক হাজার উট ছিল ৷ সাদকা করা অনেক জিনিসও তিনি রেখে
যান ৷ এ সব রয়েছে বি’ রে আরীস, খায়বার এবং ওয়াদিল কুরায় ৷ এগুলােও ২ লক্ষ দীনারের
সম্পদ আর ফিরে রুমা তো নবী কৰীম মোঃ এর জীবদ্দশায়ই তিনি ক্রয় করে আল্লাহর রাস্তায়
দান করে দিয়েছিলেন ৷
১ ওয়াকিদী সুত্রে ইবন সাদের বর্ণনায় আছে ; ৫০ লক্ষ দীনার (৩৭৬) ৷ কােষাধ্যক্ষের নিকট তার ৫০ লক্ষ
দীনার এবং ১ লক্ষ দিরহাম ছিল ৷ এছাড়া ওয়াদিল কৃর৷ হুনায়ন ইত্যাদী স্থানে ১ লক্ষ দীনার মুল্যের
তৃ-সম্পত্তি ছিল ৷ তিনি অনেক উট ও অশ্ব রেখে যান (২৩৬৭) ৷
[ذِكْرُ صِفَتِهِ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ]
كَانَ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، حَسَنَ الْوَجْهِ، رَقِيقَ الْبَشَرَةِ، كَبِيرَ اللِّحْيَةِ، مُعْتَدِلَ الْقَامَةِ، عَظِيمَ الْكَرَادِيسِ، بَعِيدَ مَا بَيْنَ الْمَنْكِبَيْنِ، كَثِيرَ شَعْرِ الرَّأْسِ، حَسَنَ الثَّغْرِ، فِيهِ سُمْرَةٌ. وَقِيلَ: بَيَاضٌ. وَقِيلَ: كَانَ فِي وَجْهِهِ شَيْءٌ مِنْ آثَارِ الْجُدَرِيِّ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ. وَعَنِ الزُّهْرِيِّ: كَانَ حَسَنَ الْوَجْهِ وَالشَّعْرِ، مَرْبُوعًا، أَضْلَعَ، أَرْوَحَ الرِّجْلَيْنِ.
وَقَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: ثَنَا عَبْدُ الصَّمَدِ، ثَنَا سَالِمٌ أَبُو جُمَيْعٍ، ثَنَا الْحَسَنُ وَذَكَرَ عُثْمَانَ وَشِدَّةَ حَيَائِهِ فَقَالَ: إِنْ كَانَ لَيَكُونُ فِي الْبَيْتِ وَالْبَابُ عَلَيْهِ مُغْلَقٌ، فَمَا يَضَعُ عَنْهُ الثَّوْبَ لِيُفِيضَ عَلَيْهِ الْمَاءَ ; يَمْنَعُهُ الْحَيَاءُ أَنْ يُقِيمَ صُلْبَهُ.
وَقَالَ عَبْدُ اللَّهِ: حَدَّثَنَا زِيَادُ بْنُ أَيُّوبَ، ثَنَا هُشَيْمٌ قَالَ: زَعَمَ أَبُو الْمِقْدَامِ، عَنِ الْحَسَنِ بْنِ أَبِي الْحَسَنِ قَالَ: دَخَلْتُ الْمَسْجِدَ فَإِذَا أَنَا بِعُثْمَانَ بْنِ عَفَّانَ
পৃষ্ঠা - ৫৮২৫
مُتَوَكِّئٌ عَلَى رِدَائِهِ، فَأَتَاهُ سَقَّاءَانِ يَخْتَصِمَانِ فَقَضَى بَيْنَهُمَا، ثُمَّ أَتَيْتُهُ فَنَظَرْتُ إِلَيْهِ فَإِذَا رَجُلٌ حَسَنُ الْوَجْهِ، بِوَجْنَتَيْهِ نَكَتَاتُ جُدَرِيٍّ، وَإِذَا شَعْرُهُ قَدْ كَسَا ذِرَاعَيْهِ. وَقَالَ وَاقِدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ: حَدَّثَنِي مَنْ رَأَى عُثْمَانَ بْنَ عَفَّانَ ضَبَّبَ أَسْنَانَهُ بِالذَّهَبِ.
وَقَالَ الْوَاقِدِيُّ: حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي سَبْرَةَ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ أَبِي زَيْدٍ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُتْبَةَ قَالَ: كَانَ لِعُثْمَانَ عِنْدَ خَازِنِهِ يَوْمَ قُتِلَ ثَلَاثُونَ أَلْفَ أَلْفَ دِرْهَمٍ، وَخَمْسُمِائَةِ أَلْفِ دِرْهَمٍ، وَخَمْسُونَ وَمِائَةُ أَلْفِ دِينَارٍ، فَانْتُهِبَتْ وَذَهَبَتْ، وَتَرَكَ أَلْفَ بَعِيرٍ بِالرَّبَذَةِ، وَتَرَكَ صَدَقَاتٍ كَانَ تَصَدَّقَ بِهَا ; بِبِئْرِ أَرِيسٍ، وَخَيْبَرَ، وَوَادِي الْقُرَى قِيمَةَ مِائَتَيْ أَلْفِ دِينَارٍ.
وَقَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: ثَنَا أَبُو الْمُغِيرَةِ، ثَنَا أَرْطَاةُ بْنُ الْمُنْذِرِ، ثَنَا أَبُو عَوْنٍ الْأَنْصَارِيُّ «أَنَّ عُثْمَانَ قَالَ لِابْنِ مَسْعُودٍ: هَلْ أَنْتَ مُنْتَهٍ عَمَّا بَلَغَنِي عَنْكَ؟
পৃষ্ঠা - ৫৮২৬
উসমান (বা) হত্যার ঘটনা ইসলামে ছিল প্রথম ফিতনা
যায়দ ইবন ওয়াহাব সুত্রে হুযায়ফার বরাতে আমাশ বলেন : প্রথম ফিতনা ছিল উসমান
(রা) হত্যা, আর শেষ ফিতনা হলো দাজ্জাল ৷ হাকিম ইবন আসাকির শাবাবা সুত্রে হাকম
ওয়াহাব ইবন হুযাইফার বরাতে বলেন : প্রথম ফিতনা উসমান (রা)-এর হত্যা, আর শেষ
ফিতনা দাজ্জালের আবির্ভাব ৷ তিনি আরো বলেন :
যার হাতে আমার জীবন-প্রাণ, তার শপথ করে বলছি, কোন ব্যক্তি যদি উসমান (রা)
হত্যার ব্যাপারে অন্তরে সরিষা পরিমাণ ভালবাসা নিয়েও মৃত্যুবরণ করে তাহলে দাজ্জালকে
গেলে সে দাজ্জালের অনুসারী হবে, আর দাজ্জালকে না গেলে সে কবরে দাজ্জালের প্রতি ঈমান
আনবে ৷ আবু বকর ইবন আবৃদ্দুনইয়া প্রমুখ মুহাম্মদ ইবন সাদ হুযাইফা ইবনুল ইয়ামান
সুত্রে বর্ণনা করে বলেন :
হে আল্লাহ ৷ উসমান (রা)-এর হত্যা যদি কোন নেক কর্ম হয়ে থাকে তাহলে তাতে আমার
কোন অংশ নেই ৷ আর যদি তার হত্যা মন্দ কর্ম হয় তাহলে তা থােক আমি মুক্ত ৷ আল্লাহর
কসম, তীর হত্যা যদি কোন ভাল কাজ হয় তাহলে তা থেকে দুধ দােহন করবে, আর যদি তা
হয় কোন মন্দ কর্ম তাহলে তা থেকে রক্ত চুষে খাবে ৷১
ইমাম বুখারী তার সহীহ গ্রন্থে হাদীসটি উল্লেখ করেছেন ৷
অপর একটি বর্ণনা ও মুহাম্মদ ইবন অইিয বলেন : মুহাম্মদ ইবন হামযা উল্লেখ করেন যে,
আবু আব্দুল্লাহ হাররানী আমাকে বলেন যে, হুযাইফা ইবনুল ইয়ামানের ওফাত পুর্ব অসুস্থতার
সময় তার ভাইদের মধ্যে একজন উপস্থিত ছিলেন, আর তিনি তীর শ্ৰীর সঙ্গে কানে কানে কথা
বলছিলেন, তিনি চোখ খুলে তাদের দৃ’জ্বনকে জিজ্ঞেস করলে তারা বলেন, ভাল ৷ তখন তিনি
বললেন : তোমরা দৃজনে আমার থেকে একটা কিছু লুকাচ্ছিলে, যা ভাল নয়, তিনি বললেন,
এক ব্যক্তি অর্থাৎ উসমান (রা) নিহত হয়েছেন ৷ ইন্নালিল্লাহ পড়ে তিনি বললেন :
হে আল্লাহ! এ কর্ষ থেকে আমি দুরে হ্নিা৷ম ৷ তা যদি ভাল হয়ে থাকে তবে তাদের জন্য,
যারা তখন তার নিকট হাযির ছিল, আর সে কর্ম থেকে আমি মুক্ত ৷ আর যদি সে কর্সযন্দ হয়ে
থাকে তবে তা তার জন্য, যে ব্যক্তি তখন সেখানে উপস্থিত ছিল, আর তা থেকে আমি মুক্ত ৷
হে উসমান! আজ অস্তরগুলাে বদলে গেছে ৷ প্রশংসা সে আল্পাহ্র জন্য, যিনি ফিল্দোার আগে
আমাকে ভুলে নিছেন ৷ তৰুন্ত্রদ্য নেতা আর কর্তা ব্যক্তি হলো বর্শা ৷ যে ব্যক্তি তা ছাড়া মারা
যাবে, যে চর্বি দ্বারা পরিভৃপ্ত হয়ে এবং তার আমল গৃহীত হ্ৰে ৷
হাসান ইবন আরফো ইসমাঈল ইবন ইব্রাহীম আবু মুসা আশআরী সুত্রে বর্ণনা করে
বলেন :
উসমান (রা)প্-এর হত্যা যদি হিদায়াত হতো তাহলে উষ্মত তা থেকে দুগ্ধ দােহন করতে
পারভাে; কিত্তু তাতাে ছিল গোমরাহী পথভ্রষ্টতা; তাই তা দ্বারা রক্ত দােহন করছে ৷ তবে এ
ব্লেওয়ায়েতটি মুনকাতি তথা বিচ্ছিন্ন সনদের ৷
মুহম্মদ ইবন সাদ আরিম ইবনফযল সুত্রে যাহ্দাম আল জারমীর বরাতে বলেন,
ইবন আব্বাস (রা) এক ভাষণে বলেন :
১ দ্রষ্টব্য তাবকোত ইবন সাদ (৩৮২) ৷
আল-বিদায়া — ৪৪
فَاعْتَذَرَ بَعْضُ الْعُذْرِ. فَقَالَ عُثْمَانُ: إِنِّي قَدْ سَمِعْتُ وَحَفِظْتُ، وَلَيْسَ كَمَا سَمِعْتَ، سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، يَقُولُ: " إِنَّهُ سَيُقْتَلُ أَمِيرٌ، وَيَنْتَزِي مُنْتَزٍ» . وَإِنِّي أَنَا الْمَقْتُولُ وَلَيْسَ عُمَرُ، إِنَّ عُمَرَ قَتَلَهُ وَاحِدٌ وَإِنَّهُ سَيُجْتَمَعُ عَلَيَّ.
وَقَالَ أَحْمَدُ: ثَنَا وَكِيعٌ، عَنْ إِسْمَاعِيلَ، عَنْ قَيْسٍ قَالَ: حَدَّثَنِي أَبُو سَهْلَةَ أَنَّ عُثْمَانَ قَالَ يَوْمَ الدَّارِ: إِنَّ رَسُولَ اللَّهِ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، عَهِدَ لِي عَهْدًا فَأَنَا صَابِرٌ عَلَيْهِ. قَالَ قَيْسٌ: فَكَانُوا يَرَوْنَهُ ذَلِكَ الْيَوْمَ.
وَرَوَاهُ التِّرْمِذِيُّ مِنْ حَدِيثِ وَكِيعٍ وَيَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ، عَنْ إِسْمَاعِيلَ بْنِ أَبِي خَالِدٍ بِهِ.
وَفِي " مُسْنَدِ أَبِي يَعْلَى "، مِنْ طَرِيقِ أَبِي سَهْلَةَ قَالَ: قَالَ لِي رَسُولُ اللَّهِ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «سَتُبْتَلَى بَعْدِي فَلَا تُقَاتِلْ»
[كَلَامُ الصَّحَابَةِ فِي مَقْتَلِ عُثْمَانَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ]
فَصْلٌ (كَلَامُ الصَّحَابَةِ فِي مَقْتَلِ عُثْمَانَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ)
قَالَ الْأَعْمَشُ، عَنْ زَيْدِ بْنِ وَهْبٍ، عَنْ حُذَيْفَةَ أَنَّهُ قَالَ: أَوَّلُ الْفِتَنِ قَتْلُ عُثْمَانَ، وَآخِرُ الْفِتَنِ الدَّجَّالُ.
وَرَوَى الْحَافِظُ بْنُ عَسَاكِرَ، مِنْ طَرِيقِ شَبَابَةَ، عَنْ حَفْصِ بْنِ مُوَرِّقٍ
পৃষ্ঠা - ৫৮২৭
৩৪৬ আব-ৰিদায়া ওয়াস্ জো
লোকেরা উসমান (রা) এর রজাে বলো দাবি না করলে আসমান থেকে তাদের প্রতি খ্যাঃ
নিক্ষেপ করা হতো ৷ অন্য সুত্রেও তার থেকে হাদীসটি বর্ণিত হয়েছে ৷
আ মাশ প্রমুখ সাবিত ইবন উৰাইদ সুত্রে আব্দুল্লাহ ইবন আবু জা ফর আনসারীর বরাতে
বলেন :
উসমান (রা) নিহত হলে আমি আলী (রা) এর নিকট ণমন করে তাকে বন্ধি উসমান
(বা) নিহত হয়েছেন, এসময় তিনি মসজিদে উপৰিষ্ট ছিলেন, আর তার মাথায় ছিল কাল পাগড়ি
তিনি বললেন : চিরকাল তারা ধ্বংস হোক ৷ অপর বর্ণনায় আছে তারা ব্যর্থ হোক ৷
আবুল কাসিম বাপাবী আলী ইবন জাদ ইবন আবুলায়লা সুত্রে বর্ণনা করে বলেন :
আমি আলী (রা)-কে মসজিদে অথবা অনুজারুবৃ যায়ত-এর নিটক উচুম্বরে বলতে
ণ্ডনেছি : হে আল্লাহ্৷ আমি তোমার সমীপে উসমানের রক্ত থেকে আমাকে মুক্ত ঘোষণা করছি ৷
আবু হিলাল কাতাদা সুত্রে হাসানের বরাতে বলেন : উসমান (বা) নিহত হওয়ার সময়
আলী (বা) তার এক খামারে ছিলেন, হত্যা সম্পর্কে জানতে পেয়ে তিনি বলেন : “হে আল্পাহ্ ৷
তার হত্যাকাণ্ডে আমি সন্তুষ্ট নই, আর তাতে আমার সহ্যযাগিতাও সেই ৷’ আবুল আলিয়া সুত্রে
অন্য এক বর্ণনায় আছে যে, আলী (রা) উসমান (রা)-এর নিকট গমন করে তার গায়ের উপর
পতিত হন এবং কান্নাকাটি করতো থাকেন যাতে লোকের ধারণা জন্যে যে, তিনিও উসমান
(না)-এর সঙ্গে মিলিত হবেন বুঝি ৷
ইবন আব্বাস (বা) সুত্রে বর্ণিত, উদ্যান (বা) নিহত হওয়ার দিন আলী (বা) বলেন :
ধ্া৷াএ
আল্পাহ্র শপথ, আমি হত্যা করিনি, এর নির্দেশও দান করিনি, তবে আমি পরাজিত
হয়েছি’ ৷ লইিস ছাড়া অন্যরা হাদীসটি তাউস সুত্রে ইবন আমাদের বরাতে আলী (রা) থেকে
বর্ণনা করেছেন ৷
হাবীব ইবন আবুল আলিয়া সুত্রে মুজাহিদ ইবন আব্বাস (রা) থেকে বর্ণনা করেন : আলী
(বা) হলফ করে বলেনং
লোকেরা চাইলে আমি মাকামে ইবৃরাহীমের নিকট আল্লাহর নামে শপথ করে বলবো যে,
আমি উসমান (বা) কে হত্যা করিনি; হত্যার নির্দেশও দেইনি, বরং আমি তাদেরকে নিষেধ
করেছিলাম, কিন্তু তারা আমার নিষেধ মাংননি ৷ আলী (রা) থেকে কয়েক সুত্রে হাদীসটি বর্ণিত
হয়েছে ’া১ মুহম্মেদইবনহিউনুস কাদিমী কায়স ইবন আব্বাছু সুত্রে বর্ণনা করেন জামাল
যুদ্ধের দিন আমি আলী (রা)কে বসতে শুনেছিপ্ত
হে আমাহ্! আমি তোমার সমীপে উসমান (রা) এর হত্যার ব্যাপারে আমার সম্পর্কীহীনতা
প্রকাশ বল্মছি ৷ উসমান (রা) এর হত্যার দিন আমার জ্ঞান-বুদ্ধি প্রায় পোপ হয়ে গিয়েছিল এবং
আমি নিজেকে চিনতে পারিনি ৷ বায় আতের জন্য তারা আমার নিকট আগমন করলে তাদেরকে
আমি ববিং আল্লাহর শপথ,যে ব্যক্তি সম্পর্কে আল্পাহ্র রাসুসুস্লাহ্ লোঃবলেন ফেব্রেশতারা সে
ব্যক্তিকে লজ্জা করে, আমিও তাকে লজ্জা করি, যে জাতি এমন ব্যক্তিকে হত্যা কারছে, এমন
১ দ্রষ্টব্য তাবাকাত ইবন স্যদ (৩৮২) পৃষ্ঠা ৷
الْبَاهِلِيِّ، عَنْ حَجَّاجِ بْنِ أَبِي عُثْمَانَ الصَّوَّافِ، عَنْ زَيْدِ بْنِ وَهْبٍ، عَنْ حُذَيْفَةَ. قَالَ: أَوَّلُ الْفِتَنِ قَتْلُ عُثْمَانَ، وَآخِرُ الْفِتَنِ خُرُوجُ الدَّجَّالِ، وَالَّذِي نَفْسِي بِيَدِهِ لَا يَمُوتُ رَجُلٌ وَفِي قَلْبِهِ مِثْقَالُ حَبَّةٍ مِنْ حُبِّ قَتْلِ عُثْمَانَ إِلَّا تَبِعَ الدَّجَّالَ إِنْ أَدْرَكَهُ وَإِنْ لَمْ يُدْرِكْهُ آمَنَ بِهِ فِي قَبْرِهِ.
وَقَالَ أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي الدُّنْيَا وَغَيْرُهُ: أَنَا مُحَمَّدُ بْنُ سَعْدٍ، أَنَا عَمْرُو بْنُ عَاصِمٍ الْكِلَابِيُّ، ثَنَا أَبُو الْأَشْهَبِ، حَدَّثَنِي عَوْفٌ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ سِيرِينَ أَنَّ حُذَيْفَةَ بْنَ الْيَمَانِ قَالَ: اللَّهُمَّ إِنْ كَانَ قَتْلُ عُثْمَانَ بْنِ عَفَّانَ خَيْرًا فَلَيْسَ لِي فِيهِ نَصِيبٌ، وَإِنْ كَانَ قَتْلُهُ شَرًّا فَأَنَا مِنْهُ بَرِيءٌ، وَاللَّهِ لَئِنْ كَانَ قَتْلُهُ خَيْرًا لَتَحْلُبُنَّهُ لَبَنًا، وَلَئِنْ كَانَ قَتْلُهُ شَرًّا لَتَمْتَصُّنَّ بِهِ دَمًا. وَقَدْ ذَكَرَهُ الْبُخَارِيُّ فِي " صَحِيحِهِ ".
طَرِيقٌ أُخْرَى عَنْهُ:
قَالَ مُحَمَّدُ بْنُ عَائِذٍ: ذَكَرَ يَحْيَى بْنُ حَمْزَةَ، حَدَّثَنِي أَبُو عَبْدِ اللَّهِ النَّجْرَانِيُّ أَنَّ حُذَيْفَةَ بْنَ الْيَمَانِ فِي مَرَضِهِ الَّذِي هَلَكَ فِيهِ، كَانَ عِنْدَهُ رَجُلٌ مِنْ إِخْوَانِهِ وَهُوَ يُنَاجِي امْرَأَتَهُ، فَفَتَحَ عَيْنَيْهِ فَسَأَلَهُمَا فَقَالَا: خَيْرٌ. فَقَالَ:
পৃষ্ঠা - ৫৮২৮
إِنَّ شَيْئًا تُسِرَّانِهِ دُونِي مَا هُوَ بِخَيْرٍ. قَالَ: قُتِلَ الرَّجُلُ. يَعْنِي عُثْمَانَ. قَالَ: فَاسْتَرْجَعَ، ثُمَّ قَالَ: اللَّهُمَّ إِنِّي كُنْتُ مِنْ هَذَا الْأَمْرِ بِمَعْزِلٍ، فَإِنْ كَانَ خَيْرًا فَهُوَ لِمَنْ حَضَرَهُ، وَأَنَا مِنْهُ بَرِيءٌ، وَإِنْ كَانَ شَرًّا فَهُوَ لِمَنْ حَضَرَهُ، وَأَنَا مِنْهُ بَرِيءٌ، الْيَوْمَ نَفَرَتِ الْقُلُوبُ بِأَنْفَارِهَا، الْحَمْدُ لِلَّهِ الَّذِي سَبَقَ بِيَ الْفِتَنَ، قَادَتَهَا وَعُلُوجَهَا، الْحَظِيُّ مَنْ تَرَدَّى بَعِيرُهُ، فَشَبِعَ شَحْمَا وَقَلَّ عَمَلُهُ.
وَقَالَ الْحَسَنُ بْنُ عَرَفَةَ: ثَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ بْنِ عُلَيَّةَ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ أَبِي عَرُوبَةَ، عَنْ قَتَادَةَ عَنْ أَبِي مُوسَى الْأَشْعَرِيِّ قَالَ: لَوْ كَانَ قَتْلُ عُثْمَانَ هُدًى، لَاحْتَلَبَتْ بِهِ الْأُمَّةُ لَبَنًا، وَلَكِنَّهُ كَانَ ضَلَالًا، فَاحْتَلَبَتْ بِهِ الْأُمَّةُ دَمًا. وَهَذَا مُنْقَطِعٌ.
وَقَالَ مُحَمَّدُ بْنُ سَعْدٍ: أَنَا عَارِمُ بْنُ الْفَضْلِ، أَنَا الصَّعِقُ بْنُ حَزْنٍ، ثَنَا قَتَادَةُ، عَنْ زَهْدَمٍ الْجَرْمِيِّ قَالَ: خَطَبَ ابْنُ عَبَّاسٍ فَقَالَ: لَوْ لَمْ يَطْلُبِ النَّاسُ بِدَمِ عُثْمَانَ لَرُمُوا بِالْحِجَارَةِ مِنَ السَّمَاءِ. وَقَدْ رُوِيَ مِنْ غَيْرِ هَذَا الْوَجْهِ عَنْهُ.
وَقَالَ الْأَعْمَشُ وَغَيْرُهُ، عَنْ ثَابِتِ بْنِ عُبَيْدٍ، عَنْ أَبِي جَعْفَرٍ الْأَنْصَارِيِّ
পৃষ্ঠা - ৫৮২৯
জাতির বায়আত গ্রহণ করতে আমার লজ্জা হয় ৷ আর উসমান (রা)প্রুএর লাশ দাফন-কাফনহীন
অবস্থায় মটির উপর পড়ে আছে, এমন অবস্থায় বায়আত নিতে আমার লজ্জা হয় ৷ এরপর
তারা চলে যায় ৷ দাফনের পর তারা ফিরে এসে পুনরায় বায় আত করতে চইিলে আমি বললাম
হে আল্লাহ! এমন পদক্ষেপ গ্রহণ করতে আমার ভয় হয় ৷ পরে তারা অেদাজেদি করতে থাকলে
আমি বায় আত গ্রহণ করি ৷ তারা যখন আমীরুল মু মিনীন উচ্চারণ করে তখন আমার অন্তর
বিদীর্ণ হয়ে যাজ্জি ৷ এবং ঘৃণাবশত আমি চুপ করে থাকি ৷
হাফিজ কাবীর ইবন আসাক্কিরআলী (রা) থেকে বর্ণিত সকল সুত্র এবল্ম করার উদ্যোগ
গ্রহণ করে বর্ণনা করেন যে, উসমান (রা)-এর হত্যা সম্পর্কে আলী (বা) তার সস্পর্কহীনতার
কথা ঘোষণা করেন ৷ ভাষণ ইত্যাদিতেও তিনি এ সম্পর্কে হলফ করে বলতেন যে, তিনি
উসমান (রা)-ফে হত্যা করেননি, হত্যার নির্দেশ দেননি ৷ এতে সহযোগিতা করেননি এবং এতে
তিনি সত্তুষ্টও হননি ৷ বরং তিনি নিষেধ করেছিলেন, কিন্তু তারা তার নিষেধ শোনেনি ৷ হাদীসটি
আলী (রা) থেকে ৰিআি সুত্রে প্রমাণিত, হাদীসের ইমামদের নিকট যা অকাট্য বলে গ্রহণযোগ্য
ও স্বীকৃত ৷ সকল প্রশংসা আর যাবতীয় স্তব-ন্তুতি এ জন্য মহান আল্লাহ্ৱই প্রাপ্য ৷
একাধিক সুত্রে আলী (রা) থেকে বর্ণিত আছে যে, তিনি বলেন :
(
আমি আশা করি আমি এবং উসমান সেসব ব্যক্তিবর্ণের অন্তর্ভুক্ত হবো, যাদের সম্পর্কে
আল্লাহ্ বলেনঃ আমি তাদের অন্তর থেকে বিদ্বেষ বিদুরিত করবো, তারা ভইিয়ের মত পরস্পর
মুখোমুখি হয়ে আসলে উপবেশন করবে (সুরা আল হিজ্বর ১৫£ : ৭) ৷
অনুরুপভাবে তার থেকে একাধিক সুত্রে আরো প্রমাণিত আছে : উসমান (রা) সম্পর্কে তিনি
নিম্নোক্ত আয়াত তিলাওয়াত করে বলেন : তিনি ছিলেন এ আয়াতের বাস্তব নমুনা ৷
(৭া
যারা ঈমান এসেছে তারপর লেক আমল করেছে, পরে সতর্ক হয় ও ঈমান আসে এবং
ইহসান করে (মায়িদা ৫ : ৯৩) ৷
এক বর্ণনা মতে আলী (রা) আরো বলেন :
উসমান (রা) ছিলেন আমাদের মধ্যে সর্বোত্তম ব্যক্তি এবং আত্মীয়তার হক আদায় করার
ক্ষেত্রেও সকলের চইিতে ভালো, লজ্জাশীলতার ক্ষেত্রে সবচাইতে কঠোর, পাক-পবিত্রতার
ক্ষেত্রে আমাদের মধ্যে সুন্দরতম ব্যক্তি এবং মহান আল্লাহ্কে ভয় করে চলার ক্ষেত্রে সকলের
চাইতে অগ্রগণ্য ৷
ইয়াকুব ইবনৃ সুফিয়ান আবী কালীর সুত্রে বর্ণনা করে বলেনঃ আলী (রা) ভাষণ দিতে
র্দাড়ালে খারিজীদের আপত্তির মুখে তিনি মিম্বর থেকে নেমে এসে বললেন ং
قَالَ: لَمَّا قُتِلَ عُثْمَانُ جِئْتُ عَلِيًّا وَهُوَ جَالِسٌ فِي الْمَسْجِدِ وَعَلَيْهِ عِمَامَةٌ سَوْدَاءُ فَقُلْتُ لَهُ: قُتِلَ عُثْمَانُ. فَقَالَ: تَبًّا لَهُمْ آخِرَ الدَّهْرِ. وَفِي رِوَايَةٍ: خَيْبَةً لَهُمْ.
وَقَالَ أَبُو الْقَاسِمِ الْبَغَوِيُّ أَنْبَأَنَا عَلِيُّ بْنُ الْجَعْدِ، أَنَا شَرِيكٌ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عِيسَى، عَنِ ابْنِ أَبِي لَيْلَى قَالَ: سَمِعْتُ عَلِيًّا وَهُوَ بِبَابِ الْمَسْجِدِ، أَوْ عِنْدَ أَحْجَارِ الزَّيْتِ رَافِعًا صَوْتَهُ يَقُولُ: اللَّهُمَّ إِنِّي أَبْرَأُ إِلَيْكَ مِنْ دَمِ عُثْمَانَ. وَقَالَ أَبُو هِلَالٍ: عَنْ قَتَادَةَ عَنِ الْحَسَنِ قَالَ: قُتِلَ عُثْمَانُ وَعَلِيٌّ غَائِبٌ فِي أَرْضٍ لَهُ، فَلَمَّا بَلَغَهُ قَالَ: اللَّهُمَّ إِنِّي لَمْ أَرْضَ وَلَمْ أُمَالِئْ.
وَرَوَى الرَّبِيعُ بْنُ بَدْرٍ عَنْ سَيَّارِ بْنِ سَلَامَةَ، عَنْ أَبِي الْعَالِيَةِ أَنَّ عَلِيًّا دَخَلَ عَلَى عُثْمَانَ، فَوَقَعَ عَلَيْهِ وَجَعَلَ يَبْكِي حَتَّى ظَنُّوا أَنَّهُ سَيَلْحَقُ بِهِ.
وَقَالَ الثَّوْرِيُّ وَغَيْرُهُ، عَنْ لَيْثٍ، عَنْ طَاوُسٍ.
، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ قَالَ: قَالَ عَلِيٌّ يَوْمَ قُتِلَ عُثْمَانُ: وَاللَّهِ مَا قَتَلْتُ، وَلَا أَمَرْتُ، وَلَكِنِّي غُلِبْتُ. وَرَوَاهُ غَيْرُ لَيْثٍ، عَنْ طَاوُسٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، عَنْ عَلِيٍّ نَحْوَهُ.
وَقَالَ حَبِيبُ بْنُ أَبِي الْعَالِيَةِ، عَنْ مُجَاهِدٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ قَالَ: قَالَ عَلِيٌّ: إِنْ شَاءَ النَّاسُ حَلَفْتُ لَهُمْ عِنْدَ مَقَامِ إِبْرَاهِيمَ بِاللَّهِ، مَا قَتَلْتُ عُثْمَانَ، وَلَا أَمَرْتُ بِقَتْلِهِ، وَلَقَدْ نَهَيْتُهُمْ فَعَصَوْنِي. وَقَدْ رُوِيَ مِنْ غَيْرِ وَجْهٍ عَنْ عَلِيٍّ بِنَحْوِهِ.
পৃষ্ঠা - ৫৮৩০
وَقَالَ مُحَمَّدُ بْنُ يُونُسَ الْكُدَيْمِيُّ: ثَنَا هَارُونُ بْنُ إِسْمَاعِيلَ، ثَنَا قُرَّةُ بْنُ خَالِدٍ، عَنِ الْحَسَنِ، عَنْ قَيْسِ بْنِ عُبَادٍ قَالَ: سَمِعْتُ عَلِيًّا يَوْمَ الْجَمَلِ يَقُولُ: اللَّهُمَّ إِنِّي أَبْرَأُ إِلَيْكَ مِنْ دَمِ عُثْمَانَ، وَلَقَدْ طَاشَ عَقْلِي يَوْمَ قُتِلَ عُثْمَانُ، وَأَنْكَرْتُ نَفْسِي وَجَاءُونِي لِلْبَيْعَةِ فَقُلْتُ: وَاللَّهِ إِنِّي لِأَسْتَحْيِي مِنَ اللَّهِ أَنْ أُبَايِعَ قَوْمًا قَتَلُوا رَجُلًا قَالَ فِيهِ رَسُولُ اللَّهِ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «أَلَا أَسْتَحْيِي مِمَّنْ تَسْتَحْيِي مِنْهُ الْمَلَائِكَةُ» . وَإِنِّي لِأَسْتَحْيِي مِنَ اللَّهِ أَنْ أُبَايِعَ وَعُثْمَانُ قَتِيلٌ عَلَى الْأَرْضِ لَمْ يُدْفَنْ بَعْدُ. فَانْصَرَفُوا، فَلَمَّا دُفِنَ رَجَعَ النَّاسُ يَسْأَلُونِي الْبَيْعَةَ فَقُلْتُ: اللَّهُمَّ إِنِّي لَمُشْفِقٌ مِمَّا أُقْدِمُ عَلَيْهِ، ثُمَّ جَاءَتْ عَزْمَةٌ فَبَايَعْتُ، فَلَمَّا قَالُوا: أَمِيرُ الْمُؤْمِنِينَ، فَكَأَنَّمَا صُدِعَ قَلْبِي وَانْسَكَبْتُ بِعَبْرَةٍ.
وَقَدِ اعْتَنَى الْحَافِظُ الْكَبِيرُ أَبُو الْقَاسِمِ بْنُ عَسَاكِرَ بِجَمْعِ الطُّرُقِ الْوَارِدَةِ عَنْ عَلِيٍّ، أَنَّهُ تَبَرَّأَ مِنْ دَمِ عُثْمَانَ، وَكَانَ يُقْسِمُ عَلَى ذَلِكَ فِي خُطَبِهِ وَغَيْرِهَا أَنَّهُ لَمْ يَقْتُلْهُ، وَلَا أَمَرَ بِقَتْلِهِ، وَلَا مَالَأَ، وَلَا رَضِيَ بِهِ، وَلَقَدْ نَهَى عَنْهُ فَلَمْ يَسْمَعُوا مِنْهُ. ثَبَتَ ذَلِكَ عَنْهُ مِنْ طُرُقٍ تُفِيدُ الْقَطْعَ عِنْدَ كَثِيرٍ مِنْ أَئِمَّةِ الْحَدِيثِ. وَلِلَّهِ الْحَمْدُ وَالْمِنَّةُ. وَثَبَتَ عَنْهُ أَيْضًا مِنْ غَيْرِ وَجْهٍ أَنَّهُ قَالَ: إِنِّي لَأَرْجُوَ أَنْ أَكُونَ أَنَا وَعُثْمَانُ مِمَّنْ قَالَ اللَّهُ تَعَالَى فِيهِمْ: {وَنَزَعْنَا مَا فِي صُدُورِهِمْ مِنْ غِلٍّ إِخْوَانًا عَلَى سُرُرٍ مُتَقَابِلِينَ} [الحجر: 47]
পৃষ্ঠা - ৫৮৩১
আমার এবং উসমান (রা) এর দৃষ্টান্ত তিন র্ষাড়ের দৃষ্টান্তের মতো লাল, সাদা এবং
কালো ৷ সেগুলোর সঙ্গে ছিল একটা সিংহও ৷ যখনই সিং হ দু টি একটিকে হত্যা করার ফন্দি
করতো অপর দু টি বাধা দািতা ৷ তখন সিং হ কালো আর লালটাকে বলে
এই সাদা ষাড়ট৷ দলের মধ্যে আমাদের অপদস্থু করেছে ৷ তোমরা তাকে ছেড়ে দাও,তাহলে
আমি তাকে যেতে পারি ৷ উভয়ে তাকে ত্যাগ করলে যে খেয়ে ফেলে ৷ তারপর তাদের একজন
অপর জনকে আহার করতে চাইলে অপরজন বাধা দেয় ৷ ফলে যে অপরটিকে বলে : এই কাল
যাড়টি এই জঙ্গলে আমাদেরকে লাঞ্ছিত ৩করেছে ৷ আমার রংভাে তোমার রংয়ের মতো ৷ তুমি
তাকে ত্যাগ করলে আমি তাকে খেয়ে ফেলতাম ৷ লাল যাড়টি তাকে ছেড়ে দিলে সে তাকে
যেয়ে ফেলে ৷ এরপর লাল ষাড়ঢিকে সে বলোঃ এবার আমি তোমাকে খাবাে ৷ তখন সে বলে :
আমাকে ছেড়ে দাও আমি তিনটি আওয়াজ দিয়ে নেই ৷ সে ব ললো ও হ্যা তোমাকে সে সুযোগ
দেয়া হলো ৷ তখন যে বলে : সাবধান! যে দিন আমি সাদা র্ষাড়টিকে খাই সেদিন তুমি
তিনঢিকেই থেয়েছিলে ৷ সেদিন আমি তাকে সাহায্য করলে আমাকে খেতে পারতে না ৷ তারপর
আলী (রা) বলেন সেদিন উসমান (রা) কে হত্যা করা হয় সেদিন আমি দুর্বলতা প্রদর্শন
করেছিলাম ৷ সেদিন আমি তীকে সাহায্য করলে আজ আমি দুর্বল থাকতাম না, একথা তিনি
তিনবার বললেন ৷
ঐতিহাসিক ইবনে আসাকির মুহাম্মদ ইবনে হারুন সাঈদ ইবনুল মুসাইয়্যাব সুত্রে
বর্ণনা করেন : উসমান (রা)-এর শাসনামলে এক মহিলা বায়তৃলমালে আগমন করতো এবং
নিজের বোঝা বহণ করতে করতে বলতো হে আল্পাহ্৷ পরিবর্তন কর, হে আল্লাহ্ বদলে দাও ৷
উসমান (বা) নিহত হলে হাসৃসান ইবনে সাবিত (রা) নিচের কবিতাটি আবৃত্তি করেনঃ
ণ্১ভ্রুষ্
তোমরা বলেছিলে বদলে দাও, তইি তিনি বদলে দিয়েছেন নিচুপথ আর অগ্নিক্ষুলিঙ্গের
মতো যুদ্ধ দ্বারা পরিবর্তন করেছেন ৷
পুরাতন বস্ত্র , দাস দাসী আর সোনা-রুপা দ্বারা তোমরা প্রতিশোধ গ্রহণ করনি ৷
ইবনে আসাকির আরো বর্ণনা করেন যে, বনু সাঈদতুক্ত আবু হুমইিদ, যিনি ছিলেন বদর
যুদ্ধে অৎশগ্নহণকারীদের অন্যতম, আর উসমান (রা)-এর ব্যাপারে যারা এড়িয়ে গা-বাচিয়ে
চলেইনিশুণ্-হািলন তাদের মধ্যে অন্যতম, উসমান (রা) নিহত হলে তিনি বলেছিলেন :
আল্লাহর শপথ ! তিনি নিহত হন, এটা আমরা চইিনি আর হত্যা পর্যন্ত গড়াবে, আমরা তা
মনে করিনি ৷ হে আল্লাহ্৷ তোমার পক্ষ থেকে আমার কর্তব্য হচ্ছে এই এই কাজ না করা এবং
তোমার সঙ্গে মিলিত না হওয়া পর্যন্ত না হাসা ৷
মুহাম্মদ ইবনে সাদ আব্দুল্লাহ ইবনে ইদ্রীস আমর ইবনে নুফইিল সুত্রে বর্ণনা করেন
যে, আমি নিজেকে দেখতে পাই যে, উমর (রা) আমাকে এবং তার বোনকে ধরে রেখেছেন
ইসলামের কারণে ৷ আর আসকানের পুত্র তথা উসমানের সঙ্গে তোমরা যা করেছ সে জন্য কেউ
যদি পৃথক হয়ে যায় তবে তা করার তার অধিকার আছে ৷ ইমাম বুখ্যরী তার সহীহ বুখারীতে
এরুপই বর্ণনা করেছেন ৷
[الْحِجْرِ: 47] . وَثَبَتَ عَنْهُ أَيْضًا مِنْ غَيْرِ وَجْهٍ أَنَّهُ قَالَ: كَانَ مِنَ الَّذِينَ آمَنُوا وَعَمِلُوا الصَّالِحَاتِ، ثُمَّ اتَّقَوْا وَآمَنُوا، ثُمَّ اتَّقَوْا وَأَحْسَنُوا. وَفِي رِوَايَةٍ أَنَّهُ قَالَ: كَانَ عُثْمَانُ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، خَيْرَنَا، وَأَوْصَلَنَا لِلرَّحِمِ، وَأَشَدَّنَا حَيَاءً، وَأَحْسَنَنَا طُهُورًا، وَأَتْقَانَا لِلرَّبِّ، عَزَّ وَجَلَّ.
وَرَوَى يَعْقُوبُ بْنُ سُفْيَانَ، عَنْ سُلَيْمَانَ بْنِ حَرْبٍ عَنْ حَمَّادِ بْنِ زَيْدٍ، عَنْ مَجَالِدٍ، عَنْ عُمَيْرِ بْنِ زَوْذِيٍّ أَبِي كَثِيرٍ قَالَ: خَطَبَ عَلِيٌّ فَقَطَعَ الْخَوَارِجُ عَلَيْهِ خُطْبَتَهُ، فَنَزَلَ فَقَالَ: إِنَّ مَثَلِي وَمَثَلَ عُثْمَانَ كَمَثَلِ أَثْوَارٍ ثَلَاثَةٍ ; أَحْمَرَ وَأَبْيَضَ وَأَسْوَدَ، وَمَعَهُمْ فِي أَجَمَةٍ أَسَدٌ، فَكَانَ كُلَّمَا أَرَادَ قَتْلَ أَحَدِهِمْ مَنَعَهُ الْآخَرَانِ، فَقَالَ لِلْأَسْوَدِ وَالْأَحْمَرِ: إِنَّ هَذَا الْأَبْيَضَ قَدْ فَضَحَنَا فِي هَذِهِ الْأَجَمَةِ فَخَلِّيَا عَنْهُ حَتَّى آكُلَهُ. فَخَلَّيَا عَنْهُ فَأَكَلَهُ، ثُمَّ كَانَ كُلَّمَا أَرَادَ أَحَدَهُمَا مَنَعَهُ الْآخَرُ، فَقَالَ لِلْأَحْمَرِ: إِنَّ هَذَا الْأَسْوَدَ قَدْ فَضَحَنَا فِي هَذِهِ الْأَجَمَةِ، وَإِنَّ لَوْنِي عَلَى لَوْنِكَ، فَلَوْ خَلَّيْتَ عَنْهُ أَكَلْتُهُ. فَخَلَّى عَنْهُ الْأَحْمَرُ فَأَكَلَهُ، ثُمَّ قَالَ لِلْأَحْمَرِ: إِنِّي آكِلُكَ. فَقَالَ: دَعْنِي حَتَّى أَصِيحَ ثَلَاثَ صَيْحَاتٍ. فَقَالَ: دُونَكَ. فَقَالَ: أَلَا إِنِّي إِنَّمَا أُكِلْتُ يَوْمَ أُكِلَ الْأَبْيَضُ. ثَلَاثًا، ثُمَّ قَالَ عَلِيٌّ: وَإِنَّمَا أَنَا وَهَنْتُ يَوْمَ قُتِلَ عُثْمَانُ. قَالَهَا ثَلَاثًا.
পৃষ্ঠা - ৫৮৩২
وَرَوَى ابْنُ عَسَاكِرَ، مِنْ طَرِيقِ مُحَمَّدِ بْنِ هَارُونَ الْحَضْرَمِيِّ، عَنْ سَوَّارِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ الْعَنْبَرِيِّ الْقَاضِي، عَنِ ابْنِ مَهْدِيٍّ، عَنْ حَمَّادِ بْنِ زَيْدٍ، عَنْ يَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ الْمُسَيَّبِ قَالَ: كَانَتِ الْمَرْأَةُ تَجِيءُ فِي زَمَانِ عُثْمَانَ إِلَى بَيْتِ الْمَالِ، فَتَحْمِلُ وِقْرَهَا وَتَقُولُ: اللَّهُمَّ بَدِّلْ، اللَّهُمَّ غَيِّرْ. فَقَالَ حَسَّانُ بْنُ ثَابِتٍ حِينَ قُتِلَ عُثْمَانُ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ:
قُلْتُمُ بَدِّلْ فَقَدْ بَدَّلَكُمْ ... سَنَةً حَرَّى وَحَرْبًا كَاللَّهَبْ
مَا نَقِمْتُمْ مِنْ ثِيَابٍ خِلْفَةٍ ... وَعَبِيدٍ وَإِمَاءٍ وَذَهَبْ
قَالَ: وَقَالَ أَبُو حُمَيْدٍ أَخُو بَنِي سَاعِدَةَ - وَكَانَ مِمَّنْ شَهِدَ بَدْرًا، وَكَانَ فِي مَنْ جَانَبَ عُثْمَانَ - فَلَمَّا قُتِلَ قَالَ: وَاللَّهِ مَا أَرَدْنَا قَتْلَهُ، وَلَا كُنَّا نَرَى أَنْ يَبْلُغَ مِنْهُ الْقَتْلَ، اللَّهُمَّ إِنَّ لَكَ عَلَيَّ أَنْ لَا أَفْعَلَ كَذَا وَكَذَا، وَلَا أَضْحَكَ حَتَّى أَلْقَاكَ.
وَقَالَ مُحَمَّدُ بْنُ سَعْدٍ: أَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ إِدْرِيسَ، أَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ أَبِي خَالِدٍ، عَنْ قَيْسِ بْنِ أَبِي حَازِمٍ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ زَيْدِ بْنِ عَمْرِو بْنِ نُفَيْلٍ، قَالَ: لَقَدْ رَأَيْتُنِي وَإِنَّ عُمَرَ مُوثِقِي وَأُخْتَهُ عَلَى الْإِسْلَامِ، وَلَوِ ارْفَضَّ أُحُدٌ فِيمَا صَنَعْتُمْ بِابْنِ عَفَّانَ،
পৃষ্ঠা - ৫৮৩৩
মুহাম্মদ ইবন আয়িস ইসমানৈ ইবন আব্বাস আব্দুর রহমান ইবন ন্ধুবইির সুত্রে বর্ণনা
করেন : তিনি আব্দুল্লাহ ইবন সালামকে অন্য এক ব্যক্তিকে একথা বলতে শ্যুনছেন : উসমান
(রা) নিহত হলেন এ সম্পর্কে দুটি মেষ ও একটা অন্যটড়াকে গুতা মারলো না ! তখন আব্দুল্লাহ
ইবনে সালাম তাকে বললেন : খলীফার মৃত্যুতে র্ষাড় আর মেয়ে গুতাগুতি করে না ঠিকই;
কিত্তু তাতে পুর্ণ বয়স্ক লোকেরা অস্ত্র নিয়ে গুতাগুতি ঠিকই করে ৷ আল্লাহ্র বপ্সম,এ বিষয়ে এমন
অনেক লোক সংঘাতে লিপ্ত হবে, যাদের এখনো জন্ম হয়নি, যারা এখনো পিতার মেরুদণ্ডে
রয়েছে ৷ তাউসের সুত্রে লাউসের বরাতে ইবন সালাম বলেন : কিয়ামতের দিন হত্যাকারী আর
লাঞ্জু নাকারীর ব্যাপারে উসমান (রা)-এরফয়সালা করা হবে ৷ আৰুআব্দুল্পাহ আল মাহামিনী
আবুল আশআস আবুল অড়ামওয়াদ সুত্রে বলেন : আমি আবু বাকঃল্কাকে বলতে শুনেছি :
ঢা;ষ্, ড্রুএে;
া
উসমান (রা) এর হত্যাকাণ্ডে অংশগ্রহণ বলার চইিতে আসমান থেকে মাটিতে পতিত হওয়া
আমার নিকট অধিক প্রিয় ৷
আবু ইয়ালা ইব্রাহীম ইবনে মুহাম্মদ জারুদের দুধভই আল-হাযরামী সুত্রে বর্ণনা
করেন : আমি কুফায় হ্নিগ্নম সেখানে হাসান ইবন আলী ভাষণ দানের জন্য দাড়িয়ে বললেন :
’সোক সকল! গতরাত্রে আমি স্বপ্নে এক বিস্ময়কর দৃশ্য দেখেছি ৷ আল্লাহ্ তাবারাকা ওয়া
তাআলাকে আমি দেখতে পাই তিনি আরশে উপবিষ্ট আছেন আর রাসুলুল্লাহ্ভ্রুগং র্চু আগমন করে
আরশের পারা ধরে দাড়িয়েছেন ৷ এ সময় আবু বকর (রা) আগমন করে রাসুলে করীমমোঃ
এর কাধে হস্ত স্থাপন করেন ৷ এরপর উমর (রা) আগমন করে আবু বকর (রা)-এর র্কাধে হাত
রেখে দাড়ান ৷ তারপর উসমান (রা) আগমন করেন, তিনি মাথায় হাত রেখে আছেন ৷ তিনি
বলছেন : হে পরওয়ারদেগারা তোমার বান্দাদেরকে জিজ্ঞেস কর, কােনৃ কারণে আর কোন
অপরাধে তারা আমাকে হত্যা করেছো ইতিমধ্যে আসমান থেকে দুটি রক্ত ধারা প্রবাহিত হতে
শুরু করে ৷ বর্ণনাকারী বলেন : এ সময় আলী (রা)-কে বলা হলো : আপনি কি লক্ষ্য করছেন
না হাসান কি বলছেন ? তিনি বললেন, যে যা দেখেছে তা-ই বয়ান করছে ৷
আবু ইয়ালা সুফিয়ান হারব আল আজালী সুত্রে বর্ণনা করেন, আমি হাসান ইবন
আলী (রা)-কে বলতে শুনেছি :
আমি যে স্বপ্ন দেখেছি, তাতে আমি আর লড়াই করার মতো অবস্থানে নেই ৷ আমি আল্লাহ
পাকের আরশ দেখতে পাই এবং রাসুল করীমন্চ্ ষ্ ষ্-কে আরশ আকড়ে ধরা অবস্থায় দেখতে
পাই ৷ আর আবু বকর (রা)ষ্কে দেখতে পাই রাসুল করীমমোঃ এর কাধে হাত রেখে র্দৰত্যিয়
আছেন ৷ আর উমর (রা) দাড়িয়ে আছেনআবুবকর (রা)-এর কাধে হাত রেখে এবং উসমান
(বা) দাড়িয়ে আছেন উমর (রা)-এর কাধে হাত রেখে ৷ আর তাদের অদুরে আমি রক্ত দেখতে
পাই ৷ আমি জিজ্ঞেস করলাম, এটা কী ৷ বলা হলো উসমান (রা)-এর রক্ত, যা আল্লাহ
,তাআলারনিকট ফরিয়াদ জানাচ্ছে ৷
মুসলিম ইবন ইব্রাহীম সালাম ইবন মিসকীন যায়দ ইবন সওবান সুত্রে বর্ণনা করেন :
গ্শ্
প্রু ন্এে ৷এ
উসমান (রা) অন্যায়ভ্যবে নিহত হয়েছেন ৷ তীর হত্যকােরীদ্দের প্ৰতি আল্লাহর লানত ৷
لَكَانَ حَقِيقًا. وَهَكَذَا رَوَاهُ الْبُخَارِيُّ فِي " صَحِيحِهِ ".
وَرَوَى مُحَمَّدُ بْنُ عَائِذٍ، عَنْ إِسْمَاعِيلَ بْنِ عَيَّاشٍ، عَنْ صَفْوَانَ بْنِ عَمْرٍو، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ جُبَيْرٍ قَالَ: سَمِعَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ سَلَامٍ رَجُلًا يَقُولُ لِآخَرَ: قُتِلَ عُثْمَانُ بْنُ عَفَّانَ، فَلَمْ يَنْتَطِحُ فِيهِ عَنْزَانِ. فَقَالَ ابْنُ سَلَامٍ: أَجَلْ إِنَّ الْبَقَرَ وَالْمَعْزَ لَا تَنْتَطِحُ فِي قَتْلِ الْخَلِيفَةِ، وَلَكِنْ تَنْتَطِحُ فِيهِ الرِّجَالُ بِالسِّلَاحِ، وَاللَّهِ لَيُقْتَلَنَّ بِهِ أَقْوَامٌ، إِنَّهُمْ لَفِي أَصْلَابِ آبَائِهِمْ مَا وُلِدُوا بَعْدُ.
وَقَالَ لَيْثٌ عَنْ طَاوُسٍ قَالَ: قَالَ ابْنُ سَلَامٍ: يُحَكَّمُ عُثْمَانُ يَوْمَ الْقِيَامَةِ فِي الْقَاتِلِ وَالْخَاذِلِ.
وَقَالَ أَبُو عَبْدِ اللَّهِ الْمَحَامِلِيُّ: ثَنَا أَبُو الْأَشْعَثِ، ثَنَا حَزْمُ بْنُ أَبِي حَزْمٍ، سَمِعْتُ أَبَا الْأَسْوَدِ يَقُولُ: سَمِعْتُ أَبَا بَكْرَةَ يَقُولُ: لَأَنْ أَخِرَّ مِنَ السَّمَاءِ إِلَى الْأَرْضِ أَحَبُّ إِلَيَّ مِنْ أَنْ أُشْرَكَ فِي دَمِ عُثْمَانَ.
وَقَالَ أَبُو يَعْلَى: ثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ مُحَمَّدِ بْنِ عَرْعَرَةَ، ثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبَّادٍ الْهُنَائِيُّ، ثَنَا الْبَرَاءُ بْنُ أَبِي فَضَالَةَ، ثَنَا الْحَضْرَمِيُّ، عَنْ أَبِي مَرْيَمَ رَضِيعِ
পৃষ্ঠা - ৫৮৩৪
الْجَارُودِ قَالَ: كُنْتُ بِالْكُوفَةِ فَقَامَ الْحَسَنُ بْنُ عَلِيٍّ خَطِيبًا فَقَالَ: أَيُّهَا النَّاسُ، رَأَيْتُ الْبَارِحَةَ فِي مَنَامِي عَجَبًا ; رَأَيْتُ الرَّبَّ تَبَارَكَ وَتَعَالَى فَوْقَ عَرْشِهِ، فَجَاءَ رَسُولُ اللَّهِ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، حَتَّى قَامَ عِنْدَ قَائِمَةٍ مِنْ قَوَائِمِ الْعَرْشِ، فَجَاءَ أَبُو بَكْرٍ فَوَضَعَ يَدَهُ عَلَى مَنْكِبِ النَّبِيِّ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، ثُمَّ جَاءَ عُمَرُ فَوَضَعَ يَدَهُ عَلَى مَنْكِبِ أَبِي بَكْرٍ، ثُمَّ جَاءَ عُثْمَانُ فَكَانَ نُبْذَةً، فَقَالَ: رَبِّ سَلْ عِبَادَكَ فِيمَ قَتَلُونِي؟ فَانْبَعَثَ مِنَ السَّمَاءِ مِيزَابَانِ مِنْ دَمٍ فِي الْأَرْضِ. قَالَ: فَقِيلَ لِعَلِيٍّ: أَلَا تَرَى مَا يُحَدِّثُ بِهِ الْحَسَنُ؟ فَقَالَ: حَدَّثَ بِمَا رَأَى.
وَرَوَاهُ أَبُو يَعْلَى أَيْضًا، عَنْ سُفْيَانَ بْنِ وَكِيعٍ، عَنْ جُمَيْعِ بْنِ عُمَرَ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ مُجَالِدٍ، عَنْ طُحْرُبٍ الْعِجْلِيِّ: سَمِعْتُ الْحَسَنَ بْنَ عَلِيٍّ يَقُولُ: مَا كُنْتُ لِأُقَاتِلَ بَعْدَ رُؤْيَا رَأَيْتُهَا ; رَأَيْتُ الْعَرْشَ، وَرَأَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، مُتَعَلِّقًا بِالْعَرْشِ، وَرَأَيْتُ أَبَا بَكْرٍ وَاضِعًا يَدَهُ عَلَى مَنْكِبِ رَسُولِ اللَّهِ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَكَانَ عُمَرُ وَاضِعًا يَدَهُ عَلَى مَنْكِبِ أَبِي بَكْرٍ، وَرَأَيْتُ عُثْمَانَ وَاضِعًا يَدَهُ عَلَى مَنْكِبِ
পৃষ্ঠা - ৫৮৩৫
উসমান (রা) যেদিন নিহত হয়েছেন, সেকাি থেকে তম্ভেরে ঘৃণাবিদ্বেষের জন্ম হয়েছে যে
সত্তার হাতে আমার জীবন, তার শপথ, কিয়ামতের দিন পর্যন্ত অত্তরগুলোতে আর জোড়া
লাগবে না ৷
মুহাম্মদ ইবন শীরীন বর্ণনা করেন যে, আয়িশ৷ (রা) বলেছেন : পাত্রের মতো তোমরা
তাকে চুষে নেয়ার পর হত্যা করেছ ৷ খলীফা ইবন খাইয়াত আবু কুতায়রা আয়িশা
(রা)-এর বরাতে বলেন, তিনি বলেছেন :
া১৷ ণ্ধু৷ মোঃ
তোমাদের জন্য চাবুকের কারণেই আমি ক্রুদ্ধ হয়ে যাই আর উসমান (রা) এর জন্য আমি
তরবারির কারণে ক্ষিপ্ত হতাশা তোমরা তার সন্তুষ্টি প্রত্যাশা করেছিলে, শেষ পর্যন্ত তোমরা
তাকে স্বচ্ছ সন্তানের মতো বর্জন করে হত্যা করলে ৷
আবু মু আবিয়া আ মাশ মাসরুক সুত্রে বর্ণনা করেন যে, উসমান (রা) নিহত হলে
আয়িশা (রা) বলেন :
তোমরা তাকে ময়লামুক্তস্বচ্ছ বদ্রের মতো ছাড়লে, তারপর তোমরা তাকে হত্যা করলে ৷
অন্য এক বর্ণনা মতে তিনি বলেন : তোমরা তাকে নিকটবর্তী করেছিলে ৷ তারপর তাকে
ভৈড়ার মত জবাই করলে ৷ তখন মাসরুক তাকে বলেন, এটা তো আপনার কাজ ৷ আপনি
লোকদের নিকট পত্র লিখেছেন যাতে তারা তার কাছে আসে ৷ ’ তখন আয়িশা (রা) প্রতিবাদ
করে বলেন :
০এপ্রুগ্রা এেগ্রা১ ¥
না, তা ঠিক নয়, যে সত্তার প্রতি মু’মিনরা ঈমান আসে, এবং কাফিররা কুফরী করে, তার
শপথ ! আমি এ স্থানে উপবেশন করা পর্যন্ত তাদের প্ৰতি সাদা কাগজে কালো কিছুই লিপিবদ্ধ
করিনি ৷ আমাশ বলেন, ঐতিহাসিকদের মতে আয়িশা (রা)-এর দ্দৌত অন্যরা এ পত্র
লিখেছে ৷ আয়িশা (রা)-এর প্ৰতি এ বর্ণনার সনদ বিশুদ্ধ ৷ এ বর্ণনা এবং এ ধরনের অন্যান্য
বর্ণনায় স্পষ্ট প্রমাণ পাওয়া যায় যে, বাি দ্রাহীরা সাহাবীগণের জবানীতে দিকে দিকে জালপত্র
প্রেরণ করেছে ৷ আল্লাহ্ ড়াদের মুখমণ্ডল মলিন করুন ৷ এ সব পত্রে তারা উসমান (রা) এর
বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে জনগণকে , ক্ষিপ্ত ও প্ররােচিত করে তৃলেছিল ৷ ইতিপুর্বে এ সম্পর্কে আমরা
আলোচনা কারছি ৷ সমস্ত প্রশংসা আর যাবতীয় স্তর-ন্তুতি মহান আল্লাহ্রই ৷
আবু দাউদ তায়ান্সিসী হায্ম আল-কাতঈ তালুক ইবন হাসান সুত্রে বর্ণনা করেন,
উসমান (রা) নিহত হলে আমরা দলে দলে বিভক্ত হয়ে নবী করীমলোঃ এর সাহাষীগণের
নিকট তার হত্যা বিষয়ে জিজ্ঞাসা করলে আয়িশা (রা) কে বলতে শুনেছিঙ্ক
عُمَرَ، وَرَأَيْتُ دَمًا دُونَهُمْ فَقُلْتُ: مَا هَذَا؟ فَقِيلَ: هَذَا دَمُ عُثْمَانَ يَطْلُبُ اللَّهَ بِهِ.
وَقَالَ مُسْلِمُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ: ثَنَا سَلَّامُ بْنُ مِسْكِينٍ، عَنْ وَهْبِ بْنِ شَبِيبٍ، عَنْ زَيْدِ بْنِ صُوحَانَ أَنَّهُ قَالَ يَوْمَ قُتِلَ عُثْمَانُ: نَفَرَتِ الْقُلُوبُ مَنَافِرَهَا، وَالَّذِي نَفْسِي بِيَدِهِ، لَا تَتَآلَفُ إِلَى يَوْمِ الْقِيَامَةِ.
وَقَالَ مُحَمَّدُ بْنُ سِيرِينَ: قَالَتْ عَائِشَةُ: مُصْتُمُوهُ مَوْصَ الْإِنَاءِ ثُمَّ قَتَلْتُمُوهُ.
وَقَالَ خَلِيفَةُ بْنُ خَيَّاطٍ: ثَنَا أَبُو قُتَيْبَةَ، ثَنَا يُونُسُ بْنُ أَبِي إِسْحَاقَ، عَنْ عَوْنِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُتْبَةَ: قَالَ: قَالَتْ عَائِشَةُ: غَضِبْتُ لَكُمْ مِنَ السَّوْطِ وَلَا أَغْضَبُ لِعُثْمَانَ مِنَ السَّيْفِ! اسْتَعْتَبْتُمُوهُ حَتَّى إِذَا تَرَكْتُمُوهُ كَالْقَلْبِ الْمُصَفَّى قَتَلْتُمُوهُ.
وَقَالَ أَبُو مُعَاوِيَةَ، عَنِ الْأَعْمَشِ، عَنْ خَيْثَمَةَ، عَنْ مَسْرُوقٍ قَالَ: قَالَتْ عَائِشَةُ حِينَ قُتِلَ عُثْمَانُ: تَرَكْتُمُوهُ كَالثَّوْبِ النَّقِيِّ مِنَ الدَّنَسِ ثُمَّ قَتَلْتُمُوهُ. وَفِي
পৃষ্ঠা - ৫৮৩৬
رِوَايَةٍ: ثُمَّ قَرَّبْتُمُوهُ فَذَبَحْتُمُوهُ كَمَا يُذْبَحُ الْكَبْشُ. فَقَالَ لَهَا مَسْرُوقٌ: هَذَا عَمَلُكِ، أَنْتِ كَتَبْتِ إِلَى النَّاسِ تَأْمُرِينَهُمْ أَنْ يَخْرُجُوا إِلَيْهِ. فَقَالَتْ: لَا وَالَّذِي آمَنَ بِهِ الْمُؤْمِنُونَ، وَكَفَرَ بِهِ الْكَافِرُونَ، مَا كَتَبْتُ إِلَيْهِمْ سَوْدَاءَ فِي بَيْضَاءَ حَتَّى جَلَسْتُ مَجْلِسِي هَذَا. قَالَ الْأَعْمَشُ: فَكَانُوا يَرَوْنَ أَنَّهُ كُتِبَ عَلَى لِسَانِهَا. وَهَذَا إِسْنَادٌ صَحِيحٌ إِلَيْهَا. وَفِي هَذَا وَأَمْثَالِهِ دَلَالَةٌ ظَاهِرَةٌ عَلَى أَنَّ هَؤُلَاءِ الْخَوَارِجَ، قَبَّحَهُمُ اللَّهُ، زَوَّرُوا كُتُبًا عَلَى لِسَانِ الصَّحَابَةِ إِلَى الْآفَاقِ، يُحَرِّضُونَهُمْ عَلَى قِتَالِ عُثْمَانَ، كَمَا قَدَّمْنَا بَيَانَهُ. وَلِلَّهِ الْحَمْدُ وَالْمِنَّةُ.
وَقَالَ أَبُو دَاوُدَ الطَّيَالِسِيُّ: حَدَّثَنَا حَزْمٌ الْقُطَعِيُّ، ثَنَا أَبُو الْأَسْوَدِ بْنُ سَوَادَةَ، أَخْبَرَنِي طَلْقُ بْنُ خُشَّافٍ. قَالَ: قُتِلَ عُثْمَانُ فَتَفَرَّقْنَا فِي أَصْحَابِ مُحَمَّدٍ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، نَسْأَلُهُمْ عَنْ قَتْلِهِ، فَسَمِعْتُ عَائِشَةَ تَقُولُ: قُتِلَ مَظْلُومًا لَعَنَ اللَّهُ قَتَلَتَهُ.
وَرَوَى مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ الْأَنْصَارِيُّ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ ثُمَامَةَ، عَنْ أَنَسٍ قَالَ: قَالَتْ أُمُّ سُلَيْمٍ لَمَّا سَمِعَتْ بِقَتْلِ عُثْمَانَ: رَحِمَهُ اللَّهُ، أَمَا إِنَّهُمْ لَنْ
পৃষ্ঠা - ৫৮৩৭
মুহাম্মদ ইবন আব্দুল্লাহ আনসারী তার পিতার সুত্রে তিনি সুমামার বরাতে আনাস (বা) সুত্রে
বর্ণনা করেন : উসমান (রা) নিহত হয়েছেন শুনতে ওপরে উন্মু সুলাইম (বা) বলেন ং
তার প্রতি আল্লাহ্ রহম করুন ৷ অবশ্য তার পরে তারা কেবল রক্তই হনন করে চলেছে ৷
অবশ্য এ প্রসঙ্গে ত্যাবঈ ইমামদের উক্তি ও বক্তব্য অনেক, বার আলোচনা করতে গেলে
তা অনেক দীর্ঘ হয়ে যাবে ৷ এ প্রসঙ্গে আবু মুসলিম খাওলানীর উক্তি উল্লেখযোগ্য ৷ উসমান
(রা)-কে যারা হত্যধ্বকরেছে; তাদের প্রতিনিধি: দসন্আপমন করতে দেখে তিনি মন্তব্য
করেছিলেন ং
া
া
তােমরাতো তড়াদেরই মত, অথবা অপরাধের বিচারে তাদের চাইতে তোমরা গুরুতর
অপরাধী ৷ তোমরা কি সামুদ জাতির জনপদ দিয়ে অতিক্রম করেছা তারা বলালা ছুব্রুা’ ৷ তখন
তিনি বললেন, সাক্ষী থাক, তোমরা তো তাদেরই মতো ৷ আল্লাহ্র নিকট খলীফার মর্যাদা
সালিহ্ (আ)-এব্র উটনীর চাইতে অনেক বেশি ৷ ’
ইবন উলইিয়া ইউনুস ইবন উবাইদ সুত্রে হাসান (রা)-এর বরাতে বলেন :
উসমান (রা)-এর হত্যা যদি হিদায়ার্তহতো তাহলে উষ্মত তা দ্বারা দুধ দোহন করতে
পারতো; কিভৃ তা তাে ছিল গোমরাহী; ফলে তা দ্বারা মুসলিম উষ্মাহ রক্ত দোহন করছে ৷
ইমাম আবু জাফর বাকির বলেন : উসমান (রা)-এর হত্যা ছিল নাহক পন্থায় ৷ ’
কতিপয় শ্রোকণথো
মুজালিদ শাবী সুত্রে বর্ণনা করেন যে, উসমান (রা)-এর মসিয়া বা শোকগথাের মধ্যে
কাব ইবন মালির্ক(র)-এর পােকগথােৱ চইিতে উত্তম কোন মসিয়া আমি দেখিনি ৷ কাব ইবন
মালিক (বা) তার মর্সিয়ায় বলেন :
তিনি গুটিং য় নেন নিজের দৃহাত এবং বন্ধ করেন দরজা আর দৃঢ় বিশ্বাস রাখেন যে,
আল্লাহ্ মোটেই বেখবর নন ৷ আর গৃহের ণ্লাকজ্যাকে তিনি বলেন, তাদের সঙ্গে লড়বে না,
যারা লড়াই করবে না, আল্লাহ্ তাদেরকে ক্ষমা করুন ৷ তুমি দেখতে পেয়েছে৷ আল্লাহ্ কিরুপে
আরোপ করেছেন তাদের প্রতি হিংসা-বিদ্বেষ মিলনের পরেও ৷ তুমি আরো দেখতে পেলে, র্তাৱ
পরে কিভাবে মঙ্গল বিদায় নিয়েছে, পলায়নপর উটপাখির মতো ৷
يَحْتَلِبُوا بَعْدَهُ إِلَّا دَمًا.
وَأَمَّا كَلَامُ أَئِمَّةِ التَّابِعِينَ فِي هَذَا الْفَصْلِ فَكَثِيرٌ جِدًّا يَطُولُ ذِكْرُنَا لَهُ، فَمِنْ ذَلِكَ قَوْلُ أَبِي مُسْلِمٍ الْخَوْلَانِيِّ حِينَ رَأَى الْوَفْدَ الَّذِينَ قَدِمُوا مِنْ قَتْلِهِ: أَمَا مَرَرْتُمْ بِبِلَادِ ثَمُودَ؟ قَالُوا: نَعَمْ. قَالَ: أَشْهَدُ أَنَّكُمْ مِثْلُهُمْ، لَخَلِيفَةُ اللَّهِ أَكْرَمُ عَلَيْهِ مِنْ نَاقَتِهِ. وَقَالَ ابْنُ عُلَيَّةَ، عَنْ يُونُسَ بْنِ عُبَيْدٍ، عَنِ الْحَسَنِ قَالَ: لَوْ كَانَ قَتْلُ عُثْمَانَ هُدًى لَاحْتَلَبَتْ بِهِ الْأُمَّةُ لَبَنًا، وَلَكِنَّهُ كَانَ ضَلَالًا فَاحْتَلَبَتْ بِهِ الْأُمَّةُ دَمًا. وَقَالَ أَبُو جَعْفَرٍ الْبَاقِرُ: كَانَ قَتْلُ عُثْمَانَ عَلَى غَيْرِ وَجْهِ الْحَقِّ
[ذِكْرُ بَعْضِ مَا رُثِيَ بِهِ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ]
قَالَ مَجَالِدٌ عَنِ الشَّعْبِيِّ: مَا سَمِعْتُ مِنْ مَرَاثِي عُثْمَانَ أَحْسَنَ مِنْ قَوْلِ كَعْبِ بْنِ مَالِكٍ:
فَكَفَّ يَدَيْهِ ثُمَّ أَغْلَقَ بَابَهُ ... وَأَيْقَنَ أَنَّ اللَّهَ لَيْسَ بِغَافِلِ
وَقَالَ لِأَهْلِ الدَّارِ لَا تَقْتُلُوهُمُ ... عَفَا اللَّهُ عَنْ كُلِّ امْرِئٍ لَمْ يُقَاتِلِ
فَكَيْفَ رَأَيْتَ اللَّهَ صَبَّ عَلَيْهِمُ ... الْعَدَاوَةَ وَالْبَغْضَاءَ بَعْدَ التَّوَاصُلِ
পৃষ্ঠা - ৫৮৩৮
সইিফ ইবন উমর এ পং ক্তিগুলো আবুল মুগীরা আখনাস ইবন শুরাইকের বলে মত প্রকাশ
করেছেন ৷ সাইফ ইবন উমর হাসৃসান ইবন সারিতে র নিম্নোক্ত কবিতা উল্লেখ করেছেন
শুপু , ণ্ৰুট্রুাষ্
মোঃ মৈং
সে দীনদার ভইি সম্পর্কে কী অভিপ্রায় তােমাদেরঃ আর বরকত দান করেছে আর হাত সে
দীর্ঘ করে কর্তন করা চামড়ার ৷ তোমরা হত্যা করেছ আল্লাহ্র বন্ধুকে তার গৃহের অভ্যন্তরে ৷
আর করেছ তোমরা এক অন্যায় কর্ম, যা হিদায়াত প্রাপ্ত নয় ৷ কেন তোমরা লক্ষ্য রাখনি
নিজেদের মধ্যে আল্লাহ্র যিম্মা! আর কেন তোমরা পুর্ণ করনি মুহড়াম্মদন্ন্দ্যো:ঙ্কুণ্এর সঙ্গে কৃত
অঙ্গীকারঃ তোমাদের মধ্যে কি এমন ব্যক্তি নেই, যে পরীক্ষা করতে পারে, পারে সত্যায়ন
করতে? আর যে পুরা করে তোমাদের সঙ্গে অঙ্গীকার, সকল ক্ষেত্রে, সকল সাক্ষ্য স্থলে! সফল
হবে না সেসব লোকের শপথ, যারা বায়আত করেছে সত্যাশ্রয়ী, সভ্যপথের অভিসারী উসমান
(রা)-এর হত্যার ব্যাপারে শপথ করে নেমেছে ৷
ইবন জারীর এর মতো হাসৃসান ইবন সাধিত (রা) নিচের কবিতাগুলোও আবৃত্তি করেন :
ঢুএে; , ৷
“মৃত্যু যাকে আনন্দ দেয় ঘুরে ফিরে, নাই যার কোন মিযাজ সে আগমন করুক উসমান
গৃহে যাকে, সেখানে অনেক সিংহ, তা একত্র করে লোহার অস্ত্র, তারা নাকের উপর স্থাপন
করেছে তরবারির চিহ্ন, যারা শোভা বর্ধন করেছে দেহের ৷ নিধন করেছে তরাে সাদা-কালাে
চুলওয়লােকে, যাতে ছিল সাজদার চিহ্ন, যার রাত্রি অতিবাহিত হতো তাসবীহ পাঠ আর কুরআন
তিলাওয়াতে !
ধৈর্যধারণ কর, আমার মতো তোমার জন্য উৎসর্গিত, উৎসর্পিত তার জন্য মায়ের সন্তান,
কখনো কাজে লাগে বিপদাপদে ধৈর্যধারণ করা ৷
وَكَيْفَ رَأَيْتَ الْخَيْرَ أَدْبَرَ بَعْدَهُ
عَنِ النَّاسِ إِدْبَارَ النَّعَامِ الْجَوَافِلِ
وَقَدْ نَسَبَ هَذِهِ الْأَبْيَاتِ سَيْفُ بْنُ عُمَرَ إِلَى الْمُغِيرَةِ بْنِ الْأَخْنَسِ بْنِ شَرِيقٍ.
وَقَالَ سَيْفُ بْنُ عُمَرَ: وَقَالَ حَسَّانُ بْنُ ثَابِتٍ:
مَاذَا أَرَدْتُمْ مِنْ أَخِي الدِّينِ بَارَكَتْ ... يَدُ اللَّهِ فِي ذَاكَ الْأَدِيمِ الْمُقَدَّدِ
قَتَلْتُمْ وَلِيَّ اللَّهِ فِي جَوْفِ دَارِهِ ... وَجِئْتُمْ بِأَمْرٍ جَائِرٍ غَيْرَ مُهْتَدِ
فَهَلَّا رَعَيْتُمْ ذِمَّةَ اللَّهِ بَيْنَكُمْ ... وَأَوْفَيْتُمُ بِالْعَهْدِ عَهْدِ مُحَمَّدِ
أَلَمْ يَكُ فِيكُمْ ذَا بَلَاءٍ وَمَصْدَقٍ ... وَأَوْفَاكُمُ قِدْمًا لَدَى كُلِّ مَشْهَدِ
فَلَا ظَفِرَتْ أَيْمَانُ قَوْمٍ تَبَايَعُوا ... عَلَى قَتْلِ عُثْمَانَ الرَّشِيدِ الْمُسَدَّدِ
وَقَالَ ابْنُ جَرِيرٍ: وَقَالَ حَسَّانُ بْنُ ثَابِتٍ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ:
مَنْ سَرَّهُ الْمَوْتُ صِرْفًا لَا مِزَاجَ لَهُ ... فَلْيَأْتِ مَأْسَدَةً فِي دَارِ عُثْمَانَا
পৃষ্ঠা - ৫৮৩৯
আমরা তো সত্তুষ্ট হয়েছি শাম দেশ, আমীর আর ভইিদেরকে ভাই হিসাবে গ্রহণ করে ৷
আমি তো তাদের অন্তর্গত, তারা পায়ের হোক, বা হাজির, যতদিন আমি বেচে থাকি আর
যতদিন নাম থাকে হাসান ৷ অবিলম্বে তোমরা টুণ্ডনতে পারে তাদের গৃহে আল্লাহ আকবার ধ্বনি
আর উসমান হত্যার (কিস্লাসের) হৈ চৈ ৷
হায় যদি আমি জানতাম আর যদি পাখি জানতে! আমার, কী অবস্থা হয়েছে আলী আর
ইবন আফফানের ৷
হাসৃসান ইবন সাবিত আরো বলেন :
ার্দু
ইবন আরওয়ার গৃহ তা থেকে মুক্ত হলেও সে পৃহের একটা দরজা তাে ভেঙ্গে পড়ে আছে
অপর দরজা গেছে জ্বলে ৷ দানের সন্ধানী লাভ করে তার প্রয়োজন, আর তাভেই আশ্রয় নেয়
শ্রেষ্ঠতু ও বংশ গৌরব ৷ হে ণ্লাকসকলষ্ প্রকাশ কর নিজের সত্তাকে, সমান নয় আল্লাহর নিকট
সত্য আর মিথ্যা !
করি ফারাযদাক বলেন :
ামোঃা
া
ইয়াসরিববাসীরা যখন হিদায়াতের বিপরীত পথে চলে, তখন খিলাফত দুত সরে যায়
তাদের থেকে আর খিলাফ্ত গমন করে তার যোগ্য ব্যক্তি ও ওয়ারিসের কাছে ৷ যখন আল্লাহ্
দেখতে পেলেন ধুয, উসমান (রা)-এর ক্ষেত্রে তারা সত্য লংঘন করেছে ৷
তারা প্রবাহিত করেছে তার রক্ত অন্যায় আর পাপাচার করে ৷
তারা এমনই রক্তপাত করেছে যে, এরফলে ণ্গামরাহী থেকে আর উদ্ধার হতে পারেনি ৷ ’
উটের রাখাল নামিয়ী এ সম্পর্কে বলে :
পু>ধৃ১১১ মোঃ মোঃ
বিকালে তারা প্রবেশ করে অনুমতি বাদে,
আল্লাহ্য় ভরসাকারীর নিকট, যিনি বিশ্বস্ত আর ৫নক্মানুষ
মুহাষ্মদপুশ্ষ্,ণ্ ন্ এর বন্ধু, সত্যের সহায়ক ৷
মাটির উপর বিতরণকারীদের মধ্যে যিনি ছিষ্ঠেন উত্তম ব্যক্তিদের মধ্যে চতুর্থ ৷
৪৫
مُسْتَشْعِرِي حَلَقَ الْمَاذِيِّ قَدْ شُفِعَتْ
قَبْلَ الْمَخَاطِمِ بَيْضٌ زَانَ أَبْدَانَا ... ضَحَّوْا بَأَشْمَطَ عُنْوَانُ السُّجُودِ بِهِ
يُقَطِّعُ اللَّيْلَ تَسْبِيحًا وُقُرْآنَا ... صَبْرًا فِدًى لَكُمُ أُمِّي وَمَا وَلَدَتْ
قَدْ يَنْفَعُ الصَّبْرُ فِي الْمَكْرُوهِ أَحْيَانَا ... فَقَدْ رَضِينَا بَأَرْضِ الشَّامِ نَافِرَةً
وَبِالْأَمِيرِ وَبِالْإِخْوَانِ إِخْوَانَا ... إِنِّي لَمِنْهُمْ وَإِنْ غَابُوا وَإِنْ شَهِدُوا
مَا دُمْتُ حَيًّا وَمَا سُمِّيتُ حَسَّانَا ... لَتَسْمَعُنَ وَشِيكًا فِي دِيَارِهِمُ
اللَّهُ أَكْبَرُ يَا ثَارَاتِ عُثْمَانَا ... يَا لَيْتَ شِعْرِي وَلَيْتَ الطَّيْرَ تُخْبِرُنِي
مَا كَانَ شَأْنُ عَلِيٍّ وَابْنِ عَفَّانَا
وَقَالَ رَاعِي الْإِبِلِ النُّمَيْرِيُّ فِي عُثْمَانَ:
পৃষ্ঠা - ৫৮৪০
পরিচ্ছেদ : একটা জিজ্ঞাসা ও তার জবাব
কেউ যদি জিজ্ঞাসা করে মদীনায় এত বড় বড় সাহাবী উপস্থিত থাকতে (আমীরুল
মু’মিনীন খলীফাতৃল মুসলিমীন) উসমান (রা)-এর (মতো একজন ন্যয়পরয়ণ শাসক এবং
রাষ্ট্র ও সরকার প্রধ্ন)-কে হত্যা করার মতো এত বড় ঘটনা কিরুপে সংঘটিত হলো?
কয়েকভাবে এ প্রশ্নের জবাব দেয়া যায় :
১ সড়াহাবীগণের অনেকে, বরং অধিকাৎশ এমন কি তদের কেউই এমন ধারণা করেন নি
যে খলীফর হত্যা পর্যন্ত ঘটনা গড়বে ৷ কারণ এসব দলের লোকের অবিকল তাকেই হত্যা
করতে চায়নি ৷ বরং তারা খলীফার নিকট তিনটি দাবির যে কোন একটি পুরণ করার জন্য চাপ
দিয়েছিল : ক হয় খলীফা নিজে পদত্যাগ করবেন, খ মারওয়ান ইবনুল হাকামকে তাদের
হাতে সমর্পণ করবেন অথবা গ তিনি নিজে মারওয়ানকে হত্যা করবেন ৷ তারা আশা করেছিল
খলীফা উসমান (রা) মারওয়ানকে তাদের হাতে সমর্পণ করবেন, অথবা তিনি নিজে পদত্যাগ
করে এ মহা সংকট থেকে রেহই লাভ করবেন ৷ হ৩ ত্যাকাণ্ড সংঘটিত হবে, সাহৰীগণের মধ্যে
কেউই এমন ধারণা করেন নি ৷ সন্ত্রসীরা এতদুর পরিমাণ অগ্রসর হবে, এমন ঔদ্ধত প্রকাশ
করবে, তা-ও তার ভাবতে পারেন নি, যার ফলে য ঘটায় ছিল, তাই ঘটে পেল ৷ মহান
আল্লাহ্ই সবচেয়ে ভাল জানেন ৷
২ সহবায়ে কিরাম (রা) খলীফা উসমান (রা)-কে হিফাযত করার জন সৰ্বাত্মক চেষ্টা
লান; কিন্তু যখন তীব্র সংকট দেখা দেয় তখন উসমান (রা) লোকদেরকে হস্ত সংবরণ করে
অস্ত্র ব্যবহার না করার জন্য কস- দিয়ে তাকীদ করেন, তাই নােকেরা তাই করেছে ফলে
সন্ত্রসারা য চেয়েছিল ত ই কার্যকর করতে সক্ষম হয়েছে এ৩ সব কিছুর পরও একেবারে
খলীফা ওসমান (রা) কে হত্যা ই কর হবে সাহবীগণের মধ্যে কেউই এমন কথা কল্পনও
করেন নি
৩ হদুজ্জর মৌসুমে মদীনায় অনেক গণ্যমান ব্যক্তি মদীনায় উপস্থিত ছিলেন না, সাহায্যের
জন্য চতুর্দিক থেকে বাহিনী তখনো মদীনায় এসে পৌছেনি সন্ত্রসী খারিজীরা এ সুযোগ গ্রহণ
করে সহায়ক বাহিনী আগমনের সময় যখন ঘনিয়ে আসে, তখন তার এ ঘটনা ঘটায় (মহান
আল্লাহ তাদের চেহারা মলিন করুন) এই সুযোগে তার এ লংকাকাণ্ড ঘটায়
৪ এসব সস্ত্রসী খারিজীরা ছিল সং খ্যায় প্রায় দুই হাজার নামকরা লড়কুর দল ৷ মদীনায়
স্বভবত সমসংখক লড়াকু লোক ছিল ন কারণ, লোকেরা সীমান্ত এলাকা এবং নানা অঞ্চলে
ছড়িয়ে-ছিটিয়ে ছিল ৷ এছাড়াও অনেক সাহাবী এ ফিতনা থেকে দুরে সরে ঘরের কোণে বলে
থাকেন সাহাবীগণের মধ্যে যারা মসজিদে গমন করতেন র্তারাও সঙ্গে তরবরি নিয়ে গমন
করতেন এমনকি বসার সময়ও তার কোলের উপর তরবরি রেখে বসতেন ৷ আর খারিজীর
উসমান (রা) এর গৃহ ঘেরাও করে রেখেছিণ ৷ তাদেরকে সেখান থেকে হটাতে চাইলেও সেট
সম্ভব হয়নি তাদের পক্ষে কিন্তু বড় বড় সাহাবীরা উসমান (রা) এর গৃহ হিফাজতের জন
র্তাদের সন্তানদেরকে প্রেরণ করেন যাতে বিভিন্ন শহর থেকে সৈন্যরা তার সাহায্যের জন
এগিয়ে আসতে পারে ইতিমধ্যে হঠাৎ করেই বিদ্রোহীরা গৃহের অভ্যন্তরে প্রবেশ করতে সফ্ফা
হয় তার ঘরের দরজা জ্বালিয়ে দেয় এবং দেয়াল ডিঙ্গিয়ে ভেতরে প্রবেশ করে তাকে হত্যাট্রু
عَشِيَّةَ يَدْخُلُونَ بِغَيْرِ إِذْنٍ ... عَلَى مُتَوَكِّلٍ أَوْفَى وَطَابَا
خَلِيلُ مُحَمِّدٍ وَوَزِيرُ صِدْقٍ ... وَرَابِعُ خَيْرِ مَنْ وَطِئِ التُّرَابَا
[كَيْفِيَّةُ قَتْلِ عُثْمَانَ بِالْمَدِينَةِ وَبِهَا جَمَاعَةٌ مِنْ كِبَارِ الصَّحَابَةِ]
فَصْلٌ (كَيْفِيَّةُ قَتْلِ عُثْمَانَ بِالْمَدِينَةِ وَبِهَا جَمَاعَةٌ مِنْ كِبَارِ الصَّحَابَةِ)
إِنْ قَالَ قَائِلٌ: كَيْفَ وَقَعَ قَتْلُ عُثْمَانَ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، بِالْمَدِينَةِ وَفِيهَا جَمَاعَةٌ مِنْ كِبَارِ الصَّحَابَةِ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمْ؟ فَجَوَابُهُ مِنْ وُجُوهٍ:
أَحَدُهَا، أَنَّ كَثِيرًا مِنْهُمْ، بَلْ أَكْثَرُهُمْ أَوْ كُلُّهُمْ، لَمْ يَكُنْ يَظُنُّ أَنَّهُ يَبْلُغُ الْأَمْرُ إِلَى قَتْلِهِ، فَإِنَّ أُولَئِكَ الْأَحْزَابَ لَمْ يَكُونُوا يُحَاوِلُونَ قَتْلَهُ عَيْنًا، بَلْ طَلَبُوا مِنْهُ أَحَدَ أُمُورٍ ثَلَاثَةٍ ; إِمَّا أَنْ يَعْزِلَ نَفْسَهُ، أَوْ يُسَلِّمَ إِلَيْهِمْ مَرْوَانَ بْنَ الْحَكَمِ، أَوْ يَقْتُلُوهُ، فَكَانُوا يَرْجُونَ أَنْ يُسَلِّمَ إِلَى النَّاسِ مَرْوَانَ، أَوْ أَنْ يَعْزِلَ نَفْسَهُ وَيَسْتَرِيحَ مِنْ هَذِهِ الضَّائِقَةِ الشَّدِيدَةِ. وَأَمَّا الْقَتْلُ فَمَا كَانَ يَظُنُّ أَحَدٌ أَنَّهُ يَقَعُ، وَلَا أَنَّ هَؤُلَاءِ يَجْتَرِئُونَ عَلَيْهِ إِلَى مَا هَذَا حَدُّهُ، حَتَّى وَقَعَ مَا وَقَعَ. وَاللَّهُ أَعْلَمُ.
الثَّانِي، أَنَّ الصَّحَابَةَ مَانَعُوا دُونَهُ أَشَدَّ الْمُمَانَعَةِ، وَلَكِنْ لَمَّا وَقَعَ التَّضْيِيقُ الشَّدِيدُ عَزَمَ عُثْمَانُ عَلَى النَّاسِ أَنَّ يَكُفُّوا أَيْدِيَهُمْ وَيُغْمِدُوا أَسْلِحَتَهُمْ فَفَعَلُوا، فَتَمَكَّنَ أُولَئِكَ مِمَّا أَرَادُوا، وَمَعَ هَذَا مَا ظَنَّ أَحَدٌ مِنَ النَّاسِ أَنَّهُ يُقْتَلُ بِالْكُلِّيَّةِ.
الثَّالِثُ، أَنَّ هَؤُلَاءِ الْخَوَارِجَ لَمَّا اغْتَنَمُوا غَيْبَةَ كَثِيرٍ مِنْ أَهْلِ الْمَدِينَةِ فِي أَيَّامِ الْحَجِّ، وَلَمْ تَقْدِمِ الْجُيُوشُ مِنَ الْآفَاقِ لِلنُّصْرَةِ، بَلْ لَمَّا اقْتَرَبَ مَجِيئُهُمْ، انْتَهَزُوا فُرْصَتَهُمْ، قَبَّحَهُمُ اللَّهُ، وَصَنَعُوا مَا صَنَعُوا مِنَ الْأَمْرِ الْعَظِيمِ.
الرَّابِعُ، أَنَّ هَؤُلَاءِ الْخَوَارِجُ كَانُوا قَرِيبًا مِنْ أَلْفَيْ مُقَاتِلٍ مِنَ الْأَبْطَالِ، وَرُبَّمَا لَمْ
পৃষ্ঠা - ৫৮৪১
ক্তরে ৷ কিছু লোক যে বলে কোন কোন সাহাৰী র্তাকে একা ছেড়ে দিয়েছিলেন এবং এ
হত্যাকাণ্ডে তারা সন্তুষ্ট ছিলেন, কোন একজন সাহাবীর ক্ষেত্রেও একথা সত্য ও সঠিক নয় ৷
সাহাবীরা সকলেই এ কর্মকে ঘৃণা করেছেন, অপছন্দ করেছেন এবং যারা এ কাজ করেছে
তাদেরকে গাল-মন্দ করেছেন ৷ অবশ্য কোন কোন সাহাৰী যেমন আমার ইবন ইয়াসির , মুহাম্মদ
ইবন আবু বকর এবং আমৃর ইবনুল হুমুক প্রমুখ উসমান (না)-এর ক্ষমতা ত্যাগ করাকে পছন্দ
করতেন ৷
ইবন আসাকির সাহাম ইবন খানশ বা খড়ানীশ অথবা খানশ আল-আঘৃদীর জীবনীতে উল্লেখ
করেছেন আর ইনি উসমান (রা)-এর গৃহে উপস্থিত ছিলেন মুহাম্মদ ইবন আইয় ইসমাঈল
ইবন আইয়্যাশ সুত্রে মুহাম্মদ ইবন ইয়াযীদ আররাব্জীর বরাতে বর্ণনা করেন যে , উমর ইবন
আব্দুল আযীষে তাকে দীর-এ সামআন ডেকে এনে উসমান (রা)-এর হত্যাকাণ্ড সম্পর্কে জানতে
চাইলে তিনি যা বলেন, তার সারকথা এরকম :
সাবাঈ তথা মিসরীয়দের প্রতিনিধি দল উসমান (রা)-এর নিকট আগমন করলে তিনি
তাদেরকে দান-দক্ষিণা দিয়া তৃষ্ট করলে তারা ফিরে যায় ৷ পরে তারা পুনঃ ফিরে এলে উসমান
(রা)-এর সঙ্গে তাদের সাক্ষাৎ হয় ৷ যখন তিনি ফজরের অথবা যােহরের নড়ামাষের ত্তণ্ন্য (বর
হন ৷ সাবড়াঈ সন্ত্রড়াসীরা তার প্রতি কংকর, জুতা এবং মােজা নিক্ষেপ করে ৷ ফলে তিনি গৃহে
ফিরে মনে, এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন আবু হুরায়রা (রা) , যুবায়র (বা) তার পুত্র আব্দুল্লাহ
তালহা, মারওয়ান, মুর্গীরা ইবন আখনাস, অন্যান্য লোকসহ উপস্থিত ছিলেন ৷ মিসরীহ্ব
প্রতিনিধি দল তার গৃহে চক্কর দেয় ৷ তখন উসমড়ান (রা) লোকজনের নিকট পরামর্শ চাইলে
আবদুল্লাহ ইবন যুবায়র বলেন :
আমীরুল মুমিনীন ! আমি আপনাকে পরামর্শ দিচ্ছি তিনটি বিষয়ের মধ্যে যে কোন একটি
গ্রহণ করার জন্য :
১ আপনি উমরার ইহরাম ৰীধবেন, ফলে তাদের জন্য আমাদের রক্ত হারাম হয়ে যাবে ;
২ অথবা আমরা সঙ্গী হয়ে সিরিয়ায় মুআবিয়ার নিকট গমন করবো, অথবা ৩ আমরা বের
হয়ে অস্ত্র দ্বারা যুদ্ধ করবো যতক্ষণ না আল্লাহ্ তাদের আর আমাদের মধ্যে মীমাংসা করে দেন;
কারণ আমরা আছি সত্যের উপর, আর তারা রয়েছে মিথ্যা তথা বাতিলের উপর ৷
তখন উসমান (রা) বলেন :
আপনি যে ইহরাম রাখার কথা বলেছেন, যার ফলে আমাদের রক্ত হারাম হয়ে যাবে, (তার
জবাব এই যে,) তারা তাে আমাদেরকে এখন ইহরাম অবস্থায় এবং ইহরামের পরে (সর্বাবস্থায়)
গোমরাহ মনে করে ৷ আর সিরিয়ায় গমন করা, ভীত হয়ে আমি তাদের মধ্য থেকে বের হয়ে
যাবাে এতে আমি লজ্জা বোধ করি; আর সিরিয়াবাসী আমাকে দেখবে আর দুশমনরা শুনবে;
কাফির দুশমনরাও একথা শুনবে ৷ আর যুদ্ধ-আমি তো কামনা করি এমন অবস্থায় আল্লাহ্র সঙ্গে
মিলিত হতে, যাতে আমার কারণে এক কেটি৷ রক্তও প্রবাহিত না হয় ৷ ,বর্ণনাকারী বলেন
একদিন আমরা তার সঙ্গে ফজরের নামায আদায় করি; নামায শেষে তিনি লৌকদের দিকে মুষ্ধ্
করে বললেন :
يَكُنْ فِي أَهْلِ الْمَدِينَةِ هَذِهِ الْعِدَّةُ مِنَ الْمُقَاتِلَةِ ; لِأَنَّ النَّاسَ كَانُوا فِي الثُّغُورِ وَفِي الْأَقَالِيمِ فِي كُلِّ جِهَةٍ وَفِي الْحَجِّ.
وَمَعَ هَذَا كَانَ كَثِيرٌ مِنَ الصَّحَابَةِ قَدِ اعْتَزَلَ هَذِهِ الْفِتْنَةَ وَلَزِمُوا بُيُوتَهُمْ، وَمَنْ كَانَ يَحْضُرُ مِنْهُمُ الْمَسْجِدَ لَا يَجِيءُ إِلَّا وَمَعَهُ السَّيْفُ يَضَعُهُ عَلَى حَبْوَتِهِ إِذَا احْتَبَى، وَالْخَوَارِجُ مُحْدِقُونَ بِدَارِ عُثْمَانَ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ. وَرُبَّمَا لَوْ أَرَادُوا صَرْفَهُمْ عَنِ الدَّارِ لَمَا أَمْكَنَ ذَلِكَ.
وَلَكِنَّ كِبَارَ الصَّحَابَةِ قَدْ بَعَثُوا أَوْلَادَهُمْ إِلَى الدَّارِ يُجَاحِفُونَ عَنْ عُثْمَانَ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، لِكَيْ تَقْدَمَ الْجُيُوشُ مِنَ الْأَمْصَارِ لِنُصْرَتِهِ، فَمَا فَجَأَ النَّاسَ إِلَّا وَقَدْ ظَفِرَ أُولَئِكَ بِالدَّارِ مِنْ خَارِجِهَا، وَأَحْرَقُوا بَابَهَا، وَتَسَوَّرُوا عَلَيْهِ حَتَّى قَتَلُوهُ.
وَأَمَّا مَا يَذْكُرُهُ بَعْضُ النَّاسِ مِنْ أَنَّ بَعْضَ الصَّحَابَةِ أَسْلَمَهُ وَرَضِيَ بِقَتْلِهِ، فَهَذَا لَا يَصِحُّ عَنْ أَحَدٍ مِنَ الصَّحَابَةِ أَنَّهُ رَضِيَ بِقَتْلِ عُثْمَانَ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، بَلْ كُلُّهُمْ كَرِهَهُ، وَمَقَتَهُ، وَسَبَّ مَنْ فَعَلَهُ، وَلَكِنَّ بَعْضَهُمْ كَانَ يَوَدُّ لَوْ خَلَعَ نَفْسَهُ مِنَ الْأَمْرِ ; كَعَمَّارِ بْنِ يَاسِرٍ، وَمُحَمَّدِ بْنِ أَبِي بَكْرٍ، وَعَمْرِو بْنِ الْحَمِقِ وَغَيْرِهِمْ.
قَالَ أَبُو عُمَرَ بْنُ عَبْدِ الْبَرِّ: دَفَنُوا عُثْمَانَ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ بِحَشِّ كَوْكَبٍ، وَكَانَ قَدِ اشْتَرَاهُ وَزَادَهُ فِي الْبَقِيعِ.
وَلَقَدْ أَحْسَنَ بَعْضُ السَّلَفِ حَيْثُ يَقُولُ وَقَدْ سُئِلَ عَنْ عُثْمَانَ: هُوَ أَمِيرُ الْبَرَرَةِ، وَقَتِيلُ الْفَجَرَةِ، مَخْذُولٌ مَنْ خَذَلَهُ، مَنْصُورٌ مَنْ نَصَرَهُ.
পৃষ্ঠা - ৫৮৪২
আমি আজ রাত্রে আবু বকর এবং উমর (রা)-ণ্ক স্বপ্নে দেখতে পেয়েছি ৷ তারা আমার
নিকট আগমন করে বললেন : উসমান, তুমি ব্লোযা রাখ, কারণ, তোমাকে আমাদের নিকট
ইফতার করতে হবে ৷ আর আমি তােমাদেরকে সাক্ষী রেখে বলছি যে, আমি তোর থেকে রােযা
রেখেছি ৷ যে ব্যক্তি আল্লাহ্ এবং শেষ দিনের প্ৰতি ঈমান রাখে, তাকে আমি কঠোরভাবে নির্দেশ
দিচ্ছি যাতে সে নিরাপদে গৃহ ত্যাগ করে চলেযায় ৷’ আমরা বললাম, আমীরুল মু’মিনীন!
আমরা যদি বের হই তাহলে তাদের পক্ষ থেকে আমরা নিরাপদ থাকবাে না, তাই আপনি
আমাদেরকে অনুমতি দিন, যাতে আমরা তার সঙ্গে গৃহের এক কোণে থাকতে পারি, এর ফলে
আমরা এক দলও থাকবাে, আবার হিফাজতও হবে ৷
তারপর তার নির্দেশে গৃহের দরজা খোলা হয় ৷ তিনি কুরআন শরীফ চেয়ে নেন এবং তার
উপর ঝুকে পড়েন (এবং তিলাওয়াত করতে থাকেন) ৷ এ সময় তার নিকট তার দু’জন শ্রী
ছিলেন : নাইলা ৰিনতৃল ফারাফিসা এবং শায়ৰার কন্যা ৷ সর্বপ্রথম মুহাম্মদ ইবন আবু বকর গৃহে
প্রবেশ করে তার দাড়ি ধরলে তিনি বলেন : ভাতিজা, আমার দাড়ি ছাড়, আল্লাহ্র শপথ,
তোমার পিতা তো এর চাইতে সামান্য আচরণের জন্যও দুঃখিত হতেন ৷ ফলে তিনি সজ্জিত
হয়ে বেরিয়ে এসে লোকজনকে বললেন : আমি তো তোমাদের জন্য তাকে ধরেই ছিলাম ৷
দাড়ির সে পশমগুলো আবু বকর তনয় উপড়ে ফেলেছিলেন, তা তিনি তার কোন এক ত্রীর
হাতে তুলে দেন ৷ তারপর গৃহে প্রবেশ করে মুরাদ গোত্রের এক খৰ্বাকৃতির কৃষ্ণকায় ব্যক্তি ৷
ক্রুদ্ধ এ লোকটির সাথে ছিল ধারালো লোহা ৷ লোকটি গৃহে প্রবেশ করেই বললো : (হে বোকা
বৃদ্ধ), তুমি কোন ধর্মের অনুসারী? উসমান (বা) বললেন : আমি বোকা বৃদ্ধ নই; আমি উসমান
ইবন আফ্ফান ৷ আমি ইব্রাহীমী মিল্লাতের অনুসারী নিষ্ঠবোন মুসলিম, মুশরিকদের সঙ্গে
আমার কোন সম্পর্ক নেই ৷”
সে বললো, তুমি মিথ্যা বলছ এই বলে সে খলীফার বাম কানপট্টিতে ধারালো লোহা
দ্বারা আঘাত করে তাকে হত্যা করে ৷ তিনি মাটিতে পড়ে গেলে স্তী নাইলা তাকে বস্ত্রাবৃত করে
নেন ৷ আর ত্রী ছিলেন মোটা-সােটা দেহধারিণী ৷ তিনি নিজেকে খলীফার দেহের উপর নিক্ষেপ
করেন এবং দেহের অবশিষ্ট অংশের উপর লুঢিয়ে পড়েন অপর শ্রী বিনৃত শায়বা ৷ তারপর
তলােয়ার উচিয়ে জনৈক মিসরী ব্যক্তি প্রবেশ করে বলে : আল্লাহ্র কসম, আমি তার নাসিকা
কর্তন করবো ৷ শ্রী লোকটিকে তার থেকে সরিয়ে দেন এবং লােকঢির উপর তিনি প্রবল হন ৷
আর লোকটি পেছন থেকে তার আমার কাপড় সরিয়ে দেয় ৷ এমনকি সে র্তার পিঠ দেখতে
পায় ৷ সে যখন তার (লাশের) নিকট পৌছতে পারলাে না তখন সে তার (শ্ৰীর) কানের বালি
আর র্কাধের মাঝখান দিয়ে তরবারি ঢুকিয়ে দেয় ৷ এবং শ্রী তরবারি চেপে ধরলে তার হাতের
আঙ্গুল কাটা যায় ৷ তখন তার শ্রী চিৎকার নিয়ে বসে উঠেন : হে বিবাহ (আর এ ছিল উসমান
রা-এর কৃষ্ণকায় দাস), এ লোকটিকে আসা থেকে হটিয়ে দাও ৷
ভৃত্য তার দিকে এগিয়ে গিয়ে তলোয়ারের আঘাতে তাকে হত্যা করে আর গৃহের লোকেরা
নিজেদের প্রতিরোধের নিমিত্ত বেরিয়ে আসে ৷ এ সময় মুগীরা ইবন আখনাম নিহত হন এবং
মারওয়ান ইবনুল হাকাম আহত হন ৷ বর্ণনাকারী বলেন, সন্ধ্যড়া হয়ে গেলে আমরা বললাম,
তোমরা যদি তোমাদের সঙ্গীকে সকাল হওয়ার জন্য ছেড়ে যাও তারাতে৷ তার অঙ্গচ্ছের্দ বল্মৰে,
وَقَالَ شَيْخُنَا أَبُو عَبْدِ اللَّهِ الذَّهَبِيُّ فِي آخِرِ تَرْجَمَةِ عُثْمَانَ وَفَضَائِلِهِ، بَعْدَ حِكَايَتِهِ هَذَا الْكَلَامَ: قُلْتُ: الَّذِينَ قَتَلُوهُ أَوْ أَلَّبُوا عَلَيْهِ قَتَلُوا إِلَى عَفْوِ اللَّهِ وَرَحْمَتِهِ، وَالَّذِينَ خَذَلُوهُ خَذَلُوا وَتَنَغَّصَ عَيْشُهُمْ، وَكَانَ الْمُلْكُ بَعْدَهُ فِي نَائِبِهِ مُعَاوِيَةَ وَابْنَيْهِ، ثُمَّ فِي وَزِيرِهِ مَرْوَانَ وَثَمَانِيَةٍ مِنْ ذُرِّيَّتِهِ، اسْتَطَالُوا حَيَاتَهُ وَمَلُّوهُ مَعَ فَضْلِهِ وَسَوَابِقِهِ، فَتَمَلَّكَ عَلَيْهِمْ مَنْ هُوَ مِنْ بَنِي عَمِّهِ بِضْعًا وَثَمَانِينَ سَنَةً، فَالْحُكْمُ لِلَّهِ الْعَلِيُّ الْكَبِيرُ. وَهَذَا لَفْظُهُ بِحُرُوفِهِ.
পৃষ্ঠা - ৫৮৪৩
[الْأَحَادِيثُ الْوَارِدَةُ فِي فَضَائِلِ عُثْمَانَ بْنِ عَفَّانَ]
[نَسَبُهُ]
فَصْلٌ فِي الْإِشَارَةِ إِلَى شَيْءٍ مِنَ الْأَحَادِيثِ الْوَارِدَةِ فِي فَضَائِلِ عُثْمَانَ بْنِ عَفَّانَ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ
هُوَ عُثْمَانُ بْنُ عَفَّانَ بْنِ أَبِي الْعَاصِ بْنِ أُمَيَّةَ بْنِ عَبْدِ شَمْسِ بْنِ عَبْدِ مَنَافِ بْنِ قُصَيِّ بْنِ كِلَابِ بْنِ مُرَّةَ بْنِ كَعْبِ بْنِ لُؤَيِّ بْنِ غَالِبِ بْنِ فِهْرِ بْنِ مَالِكِ بْنِ النَّضْرِ بْنِ كِنَانَةَ بْنِ خُزَيْمَةَ بْنِ مُدْرِكَةَ بْنِ إِلْيَاسَ بْنِ مُضَرَ بْنِ نِزَارِ بْنِ مَعَدِّ بْنِ عَدْنَانَ، أَبُو عَمْرٍو، وَأَبُو عَبْدِ اللَّهِ، الْقُرَشِيُّ، الْأُمَوِيُّ، أَمِيرُ الْمُؤْمِنِينَ، ذُو النُّورَيْنِ، وَصَاحِبُ الْهِجْرَتَيْنِ، وَالْمُصَلِّي إِلَى الْقِبْلَتَيْنِ، وَزَوْجُ الِابْنَتَيْنِ. وَأُمُّهُ أَرْوَى بِنْتُ كُرَيْزِ بْنِ رَبِيعَةَ بْنِ عَبْدِ شَمْسٍ، وَأُمُّهَا أُمُّ حَكِيمٍ ; وَهِيَ الْبَيْضَاءُ بِنْتُ عَبْدِ الْمُطَّلِبِ عَمَّةُ رَسُولِ اللَّهِ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ. وَهُوَ أَحَدُ الْعَشْرَةِ الْمَشْهُودِ لَهُمْ بِالْجَنَّةِ، وَأَحَدُ السِّتَّةِ أَصْحَابِ الشُّورَى، وَأَحَدُ الثَّلَاثَةِ الَّذِينَ خَلَصَتْ لَهُمُ الْخِلَافَةُ مِنَ السِّتَّةِ، ثُمَّ تَعَيَّنَتْ فِيهِ بِإِجْمَاعِ الْمُهَاجِرِينَ وَالْأَنْصَارِ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمْ، فَكَانَ ثَالِثَ الْخُلَفَاءِ الرَّاشِدِينَ، وَالْأَئِمَّةِ الْمَهْدِيِّينَ، الْمَأْمُورِ بِاتِّبَاعِهِمْ وَالِاقْتِدَاءِ بِهِمْ.
أَسْلَمَ عُثْمَانُ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، قَدِيمًا عَلَى يَدَيْ أَبِي بَكْرٍ الصِّدِّيقِ، وَكَانَ سَبَبُ إِسْلَامِهِ عَجِيبًا، فِيمَا ذَكَرَهُ الْحَافِظُ ابْنُ عَسَاكِرَ، وَمُلَخَّصُ ذَلِكَ أَنَّهُ لَمَّا بَلَغَهُ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، زَوَّجَ ابْنَتَهُ رُقَيَّةَ - وَكَانَتْ ذَاتَ جَمَالٍ - مِنَ ابْنِ عَمِّهَا عُتْبَةَ بْنِ أَبِي لَهَبٍ، تَأَسَّفَ إِذْ لَمْ يَكُنْ هُوَ تَزَوَّجَهَا، فَدَخَلَ عَلَى أَهْلِهِ مَهْمُومًا
পৃষ্ঠা - ৫৮৪৪
فَوَجَدَ عِنْدَهُمْ خَالَتَهُ سُعْدَى بِنْتَ كُرَيْزٍ - وَكَانَتْ كَاهِنَةً - فَقَالَتْ لَهُ:
أَبْشِرْ وَحُيِّيِتَ ثَلَاثًا تَتْرَا ... ثُمَّ ثَلَاثًا وَثَلَاثًا أُخْرَى
ثُمَّ بِأُخْرَى كَيْ تَتِمَّ عَشْرَا ... أَتَاكَ خَيْرٌ وَوُقِيتَ شَرَّا
أُنْكِحْتِ وَاللَّهِ حَصَانًا زَهْرَا ... وَأَنْتَ بِكْرٌ وَلَقِيتَ بِكْرَا وَافَيْتَهَا بِنْتَ عَظِيمٍ قَدْرَا
بَنَيْتَ أَمْرًا قَدْ أَشَادَ ذِكْرَا
قَالَ عُثْمَانُ: فَعَجِبْتُ مِنْ قَوْلِهَا ; حَيْثُ تُبَشِّرُنِي بِامْرَأَةٍ قَدْ تَزَوَّجَتْ بِغَيْرِي، فَقُلْتُ: يَا خَالَةُ مَا تَقُولِينَ! فَقَالَتْ: عُثْمَانُ
لَكَ الْجَمَالُ وَلَكَ اللِّسَانُ ... هَذَا نَبِيٌّ مَعَهُ الْبُرْهَانُ
أَرْسَلَهُ بِحَقِّهِ الدَّيَّانُ ... وَجَاءَهُ التَّنْزِيلُ وَالْفُرْقَانُ
فَاتْبَعْهُ لَا تَغْتَالُكَ الْأَوْثَانُ
قَالَ: فَقُلْتُ إِنَّكِ لَتَذْكُرِينَ أَمْرًا مَا وَقَعَ بِبَلَدِنَا. فَقَالَتْ: مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ، رَسُولٌ مِنْ عِنْدِ اللَّهِ، جَاءَ بِتَنْزِيلِ اللَّهِ، يَدْعُو بِهِ إِلَى اللَّهِ. ثُمَّ قَالَتْ:
مِصْبَاحُهُ مِصْبَاحُ ... وَدِينُهُ فَلَاحُ
وَأَمْرُهُ نَجَاحُ ... وَقَرْنُهُ نَطَاحُ
ذَلَّتْ لَهُ الْبِطَاحُ ... مَا يَنْفَعُ الصِّيَاحُ
পৃষ্ঠা - ৫৮৪৫
لَوْ وَقَعَ الذِّبَاحُ
وَسُلَّتِ الصِّفَاحُ ... وَمُدَّتِ الرِّمَاحُ
قَالَ عُثْمَانُ: فَانْطَلَقْتُ مُفَكِّرًا فَلَقِيَنِي أَبُو بَكْرٍ فَأَخْبَرْتُهُ، فَقَالَ: وَيْحَكَ يَا عُثْمَانُ، إِنَّكَ لَرَجُلٌ حَازِمٌ، مَا يَخْفَى عَلَيْكَ الْحَقُّ مِنَ الْبَاطِلِ، مَا هَذِهِ الْأَصْنَامُ الَّتِي يَعْبُدُهَا قَوْمُنَا؟ أَلَيْسَتْ مِنْ حِجَارَةٍ صُمٍّ ; لَا تَسْمَعُ وَلَا تُبْصِرُ وَلَا تَضُرُّ وَلَا تَنْفَعُ؟ قَالَ: قُلْتُ: بَلَى، وَاللَّهِ إِنَّهَا لَكَذَلِكَ. فَقَالَ: وَاللَّهِ لَقَدْ صَدَقَتْكَ خَالَتُكَ، هَذَا رَسُولُ اللَّهِ مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ، قَدْ بَعَثَهُ اللَّهُ إِلَى خَلْقِهِ بِرِسَالَتِهِ، هَلْ لَكَ أَنْ تَأْتِيَهُ؟ فَاجْتَمَعْنَا بِرَسُولِ اللَّهِ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَقَالَ: «يَا عُثْمَانُ أَجِبِ اللَّهَ إِلَى جَنَّتِهِ، فَإِنِّي رَسُولُ اللَّهِ إِلَيْكَ وَإِلَى خَلْقِهِ» . قَالَ: فَوَاللَّهِ مَا تَمَالَكْتُ حِينَ سَمِعْتُ قَوْلَهُ أَنْ أَسْلَمْتُ وَشَهِدْتُ أَنْ لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ وَحْدَهُ لَا شَرِيكَ لَهُ وَأَنَّ مُحَمَّدًا عَبْدُهُ وَرَسُولُهُ، ثُمَّ لَمْ أَلْبَثْ أَنْ تَزَوَّجْتُ رُقَيَّةَ بِنْتَ رَسُولِ اللَّهِ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَكَانَ يُقَالُ: أَحْسَنُ زَوْجٍ رَآهُ إِنْسَانٌ، رُقْيَةُ وَزَوْجُهَا عُثْمَانُ. فَقَالَتْ فِي ذَلِكَ سُعْدَى بِنْتُ كُرَيْزٍ:
هَدَى اللَّهُ عُثْمَانَا بِقَوْلِي إِلَى الْهُدَى ... وَأَرْشَدَهُ وَاللَّهُ يَهْدِي إِلَى الْحَقِّ
فَتَابَعَ بِالرَّأْيِ السَّدِيدِ مُحَمَّدًا ... وَكَانَ بِرَأْيٍ لَا يَصُدُّ عَنِ الصِّدْقِ
وَأَنْكَحَهُ الْمَبْعُوثُ بِالْحَقِّ بِنْتَهُ ... فَكَانَا كَبَدْرٍ مَازَجَ الشَّمْسَ فِي الْأُفْقِ
فِدَاؤُكَ يَا ابْنَ الْهَاشِمِيِّينَ مُهْجَتِي ... وَأَنْتَ أَمِينُ اللَّهِ أُرْسِلْتَ لِلْخَلْقِ
পৃষ্ঠা - ৫৮৪৬
قَالَ: ثُمَّ جَاءَ أَبُو بَكْرٍ مِنَ الْغَدِ بِعُثْمَانَ بْنِ مَظْعُونٍ، وَبِأَبِي عُبَيْدَةَ بْنِ الْجَرَّاحِ، وَعَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ عَوْفٍ، وَأَبِي سَلَمَةَ بْنِ عَبْدِ الْأَسَدِ، وَالْأَرْقَمِ بْنِ أَبِي الْأَرْقَمِ، فَأَسْلَمُوا وَكَانُوا مَعَ مَنِ اجْتَمَعَ مَعَ رَسُولِ اللَّهِ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ; ثَمَانِيَةً وَثَلَاثُونَ رَجُلًا.
ثُمَّ هَاجَرَ إِلَى الْحَبَشَةِ أَوَّلَ النَّاسِ وَمَعَهُ زَوْجَتُهُ رُقَيَّةُ بِنْتُ رَسُولِ اللَّهِ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، ثُمَّ عَادَ إِلَى مَكَّةَ وَهَاجَرَ إِلَى الْمَدِينَةِ، فَلَمَّا كَانَتْ وَقْعَةُ بَدْرٍ اشْتَغَلَ بِتَمْرِيضِ ابْنَةِ رَسُولِ اللَّهِ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَأَقَامَ بِسَبَبِهَا فِي الْمَدِينَةِ، فَضَرَبَ لَهُ رَسُولُ اللَّهِ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، بِسَهْمِهِ مِنْهَا وَأَجْرِهِ فِيهَا، فَهُوَ مَعْدُودٌ فِيمَنْ شَهِدَهَا. فَلَمَّا تُوُفِّيَتْ زَوَّجَهُ رَسُولُ اللَّهِ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، بِأُخْتِهَا أُمِّ كُلْثُومٍ، فَتُوُفِّيَتْ أَيْضًا فِي صُحْبَتِهِ، وَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «لَوْ كَانَ عِنْدَنَا أُخْرَى لَزَوَّجْنَاهَا بِعُثْمَانَ» . وَشَهِدَ أُحُدًا وَفَرَّ يَوْمَئِذٍ فِيمَنْ تَوَلَّى، وَقَدْ نَصَّ اللَّهُ تَعَالَى عَلَى الْعَفْوِ عَنْهُمْ، وَشَهِدَ الْخَنْدَقَ وَالْحُدَيْبِيَةَ، وَبَايَعَ عَنْهُ رَسُولُ اللَّهِ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، يَوْمَئِذٍ بِإِحْدَى يَدَيْهِ، وَشَهِدَ خَيْبَرَ وَعُمْرَةَ الْقَضَاءِ، وَحَضَرَ الْفَتْحَ وَهَوَازِنَ وَالطَّائِفَ وَغَزْوَةَ تَبُوكَ، وَجَهَّزَ فِيهَا جَيْشَ الْعُسْرَةِ. فَتَقَدَّمَ فِي رِوَايَةٍ عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ خَبَّابٍ أَنَّهُ جَهَّزَهُمْ يَوْمَئِذٍ بِثَلَاثِمِائَةِ بَعِيرٍ بِأَقْتَابِهَا وَأَحْلَاسِهَا. وَعَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ سَمُرَةَ أَنَّهُ جَاءَ يَوْمَئِذٍ بِأَلْفِ دِينَارٍ فَصَبَّهَا فِي حِجْرِ رَسُولِ اللَّهِ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَقَالَ النَّبِيُّ،
পৃষ্ঠা - ৫৮৪৭
صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «مَا ضَرَّ عُثْمَانَ مَا فَعَلَ بَعْدَ هَذَا الْيَوْمِ» . مَرَّتَيْنِ. وَحَجَّ مَعَ رَسُولِ اللَّهِ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، حَجَّةَ الْوَدَاعِ، وَتُوُفِّيَ وَهُوَ عَنْهُ رَاضٍ.
وَصَحِبَ أَبَا بَكْرٍ فَأَحْسَنَ صُحْبَتَهُ، وَتُوُفِّيَ وَهُوَ عَنْهُ رَاضٍ. وَصَحِبَ عُمَرَ فَأَحْسَنَ صُحْبَتَهُ، وَتُوُفِّيَ وَهُوَ عَنْهُ رَاضٍ - وَنَصَّ عَلَيْهِ فِي أَهْلِ الشُّورَى السِّتَّةِ، فَكَانَ خَيْرَهُمْ، كَمَا سَيَأْتِي - فَوَلِيَ الْخِلَافَةَ بَعْدَهُ فَفَتَحَ اللَّهُ عَلَى يَدَيْهِ كَثِيرًا مِنَ الْأَقَالِيمِ وَالْأَمْصَارِ، وَتَوَسَّعَتِ الْمَمْلَكَةُ الْإِسْلَامِيَّةُ، وَامْتَدَّتِ الدَّوْلَةُ الْمُحَمَّدِيَّةُ، وَبُلِّغَتِ الرِّسَالَةُ الْمُصْطَفَوِيَّةُ فِي مَشَارِقِ الْأَرْضِ وَمَغَارِبِهَا، وَظَهَرَ لِلنَّاسِ مِصْدَاقُ قَوْلِهِ تَعَالَى: {وَعَدَ اللَّهُ الَّذِينَ آمَنُوا مِنْكُمْ وَعَمِلُوا الصَّالِحَاتِ لَيَسْتَخْلِفَنَّهُمْ فِي الْأَرْضِ كَمَا اسْتَخْلَفَ الَّذِينَ مِنْ قَبْلِهِمْ وَلَيُمَكِّنَنَّ لَهُمْ دِينَهُمُ الَّذِي ارْتَضَى لَهُمْ وَلَيُبَدِّلَنَّهُمْ مِنْ بَعْدِ خَوْفِهِمْ أَمْنًا يَعْبُدُونَنِي لَا يُشْرِكُونَ بِي شَيْئًا وَمَنْ كَفَرَ بَعْدَ ذَلِكَ فَأُولَئِكَ هُمُ الْفَاسِقُونَ} [النور: 55] . وَقَوْلِهِ تَعَالَى: {هُوَ الَّذِي أَرْسَلَ رَسُولَهُ بِالْهُدَى وَدِينِ الْحَقِّ لِيُظْهِرَهُ عَلَى الدِّينِ كُلِّهِ وَلَوْ كَرِهَ الْمُشْرِكُونَ} [الصف: 9] . وَقَوْلِهِ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «إِنَّ اللَّهَ زَوَى لِيَ الْأَرْضَ فَرَأَيْتُ مَشَارِقَهَا وَمَغَارِبَهَا، وَسَيَبْلُغُ مُلْكُ أُمَّتِي مَا زَوَى لِي مِنْهَا» . وَقَوْلِهِ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «إِذَا هَلَكَ قَيْصَرُ فَلَا قَيْصَرَ بَعْدَهُ، وَإِذَا هَلَكَ كِسْرَى فَلَا كِسْرَى بَعْدَهُ، وَالَّذِي نَفْسِي بِيَدِهِ لِتُنْفِقُنَّ كُنُوزَهُمَا فِي سَبِيلِ اللَّهِ» . وَهَذَا كُلُّهُ تَحَقَّقَ وُقُوعُهُ وَتَأَكَّدَ وَتَوَطَّدَ فِي زَمَانِ عُثْمَانَ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ.
পৃষ্ঠা - ৫৮৪৮
তইি রাত্রের অন্ধকারে আমরা তার মৃতদেহে বাকী আল-পারকাদ কবরন্থানে নিয়ে যাই আর
পেছন থেকে আমাদেরকে লোকদের কারা আচ্ছন্ন করে নেয় ৷ লোকজন ছুটে এলে আমরা
তাদেরকে দেখে ভয় পাই ৷ র্তাকে রেখে আমাদের ছুত্রভঙ্গ হওয়ার উপক্রম হয়েছিল ৷ এ সময়
হঠাৎ তাদের ঘোষক ঘোষণা দেয় : না, তোমাদের জন্য কোন ভয় নেই, র্দাড়াও, আমরাতো
এসেছি কেবল তোমাদের সঙ্গে যোগ দেয়ার জন্য ৷
আর আবু হুবাইশ বলতেন ও তারা ছিলেন আল্লাহর ফেরেশতা তইি আমরা তার লাশ দাফন
করে সে রাত্রেই সিরিয়ার পালিয়ে যাই ৷ ওয়াদিল কুরায় একটা সৈন্যদলের সঙ্গে আমাদের
সাক্ষাৎ হয়, যার নেতৃত্বে ছিলেন হাবীব ইবন মাসলামা ৷ এ দলটি এসেছিল উসমান (রা)এর
সাহায্যার্থে, আমরা তাদেরকে খলীফার হত্যা ও দাফন সম্পর্কে অবহিত করি ৷
আবু উমর ইবন আব্দুল বার বলেন : লোকেরা উসমান (রা)-কে হাশকাওকাব’ নামক স্থানে
দাপন করেছে ৷ আর উসমান (রা) নিজে এ স্থানটি ক্রয় করে বাকী আল-গারকাদের অন্তর্ভুক্ত
করে দিয়েছিলেন ৷ অতীত মনীষীদের একজনকে উসমান (রা) সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হলে কি
চমৎকারই না জবাব দিয়েছিলেন :
তিনি পুণ্যবানদের আমীর ছিলেন আর পাপাচারীদের হাতে নিহত হয়েছেন ৷ যারা র্তাকে
অপদন্থ করেছে ৷ তারা নিজেরইি হয়েছে অপদস্থু আর যারা তার সাহায্য করেছে, তারা হয়েছে
সাহায্যপ্রাপ্ত ৷ ’
আর আমাদের শায়খ আবু আব্দুল্লাহ সাহাবী উসমান (রা)-এর জীবনী, ফযীলত, গ্রেষ্ঠতৃ ও
গুণ-বৈশিষ্ট্য আলোচনা শেষে এ মন্তব্য করার পর
(যারা তাকে হত্যা করেছে বা তীর শক্রতায় একমত হয়েছে তারা তাকে হত্যা করে তাকে
আল্লাহর ক্ষমা ও দয়ার দিকে পাঠিয়েছে ৷ পক্ষান্তরে যারা র্তাকে অপদস্থ করেছে তারা হয়েছে
অপদন্থ আর জীবন হয়েছে পংকিল) এ উক্তি উদ্ধৃত করার পর তিনি বলেন, আর তার পরে
আমীর মু’আবিয়া এবং তার সন্তানরা রাজত্ব লাভ করেন এবং এর তার উষীর হন মারওয়ান
এবং তার সন্তানদের মধ্যে আটজন ৷ এরা তার জীবনকে দীর্ঘ করে তোলে এবং তার ফষীলত
আর গুণবৈশ্যিষ্ট্য জীবনকে ভরে তোলে ৷ তারপর তার চাচাতো ভাইয়েরা আশি বছরের অধিক
কাল রাজত্ব করে ৷ কর্তৃতুতো সুমহান আল্লাহর যিনি সকলের উরুর্ধ্ব ৷ এটাই শায়খ আবু
আদুঃাড়াহ যাহাবীর হুবহু শব্দমালা ৷
উসমান (রা)-এর ফষীলত বিষয়ে কতিপয় হাদীস
উসমান (রা)-এর পরিচিতি :
তিনি উসমান ইবন আফফান ইবন আবুল আস ইবন উমইিয়্যা ইবন আবদ শামস ইবন
আবদ মানাফ ইবন কুসইি ইবন কিলাব ইবন মুররা ইবন কাব ইবন লুয়ইি ইবন গালিব ইবন
وَقَدْ كَانَ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، حَسَنَ الشَّكْلِ، مَلِيحَ الْوَجْهِ، كَرِيمَ الْأَخْلَاقِ، ذَا حَيَاءٍ كَثِيرٍ، وَكَرَمٍ غَزِيرٍ، يُؤْثِرُ أَهْلَهُ وَأَقَارِبَهُ فِي اللَّهِ تَأْلِيفًا لِقُلُوبِهِمْ مِنْ مَتَاعِ الْحَيَاةِ الدُّنْيَا الْفَانِي ; لَعَلَّهُ يُرَغِّبُهُمْ فِي إِيثَارِ مَا يَبْقَى عَلَى مَا يَفْنَى، كَمَا كَانَ النَّبِيُّ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، يُعْطِي أَقْوَامًا وَيَدَعُ آخَرِينَ ; يُعْطِي أَقْوَامًا خَشْيَةَ أَنْ يَكُبَّهُمُ اللَّهُ عَلَى وُجُوهِهِمْ فِي النَّارِ، وَيَكِلُ آخَرِينَ إِلَى مَا جَعَلَ اللَّهُ فِي قُلُوبِهِمْ مِنَ الْهُدَى وَالْإِيمَانِ، وَقَدْ عَابَهُ بِسَبَبِ هَذِهِ الْخَصْلَةِ أَقْوَامٌ، كَمَا عَابَ بَعْضُ الْخَوَارِجِ عَلَى رَسُولِ اللَّهِ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فِي الْإِيثَارِ. وَقَدْ قَدَّمْنَا ذَلِكَ فِي غَزْوَةِ حُنَيْنٍ حَيْثُ قَسَّمَ غَنَائِمَهَا.
وَقَدْ وَرَدَتْ أَحَادِيثُ كَثِيرَةٌ فِي فَضْلِ عُثْمَانَ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، نَذْكُرُ مَا تَيَسَّرَ مِنْهَا إِنْ شَاءَ اللَّهُ تَعَالَى، وَبِهِ الثِّقَةُ ; وَهِيَ قِسْمَانِ:
[فِيمَا وَرَدَ فِي فَضَائِلِهِ مَعَ غَيْرِهِ]
الْأَوَّلُ: فِيمَا وَرَدَ فِي فَضَائِلِهِ مَعَ غَيْرِهِ
فَمِنْ ذَلِكَ: الْحَدِيثُ الَّذِي رَوَاهُ الْبُخَارِيُّ فِي " صَحِيحِهِ ": حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، ثَنَا يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ، عَنْ سَعِيدٍ، عَنْ قَتَادَةَ أَنَّ أَنَسًا حَدَّثَهُمْ قَالَ: «صَعِدَ النَّبِيُّ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، أُحُدًا وَمَعَهُ أَبُو بَكْرٍ وَعُمَرُ وَعُثْمَانُ فَرَجَفَ، فَقَالَ: " اسْكُنْ أُحُدُ - أَظُنُّهُ ضَرَبَهُ بِرِجْلِهِ - فَلَيْسَ عَلَيْكَ إِلَّا نَبِيٌّ وَصِدِّيقٌ وَشَهِيدَانِ» تَفَرَّدَ بِهِ دُونَ مُسْلِمٍ. وَقَالَ التِّرْمِذِيُّ: ثَنَا قُتَيْبَةُ، ثَنَا عَبْدُ الْعَزِيزِ بْنُ مُحَمَّدٍ، عَنْ سُهَيْلِ بْنِ أَبِي صَالِحٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، كَانَ عَلَى حِرَاءَ هُوَ وَأَبُو بَكْرٍ
পৃষ্ঠা - ৫৮৪৯
যিহ্র ইবন মালিক ইবনুল নযর ইবন কিনানা ইবন খুযায়ম৷ ইবনমুদরিক৷ ইবন ইয়াস ইবন
মুযার ইবন নিযার ইবন সার্দ ইবন আদনান, আবু আমৃর ও আবু আব্দুল্লাহ আল-কুরশী
আল-উমাবী, আমীরপ্স মু’মিনীন, যুন নুরাইন, দুই হিজরতের অধিকারী এবং রাসুল করীমব্লুদ্বুহুদ্বু
এর দু’ কন্যার স্বামী ৷ তার মাতা আরওয়া বিনুত কুরায়য ইবন রবীআ ইবন আব্দ শামস ৷ আর
তার মাতার মাতা অর্থাৎ নানী উম্মু হাকীম আর্ল-বায়দা বিনৃত আবদুল মুত্তালিব রাসুল করীম
ছুষ্; হুটু এর ফুফী ৷ তিনি ছিলেন তাদের অন্যতম যাদেরকে জান্নাতের সাক্ষ্য দেওয়া হয়েছে,
আশারা মুবাশৃশারার একজন ৷ ছয়জনের সমন্বয়ে গঠিত শুরার অন্যতম সদস্য ৷ সে ছয়জনের
মধ্য থেকে যে তিনজনের জন্য খিলাফত নির্ধারণ করা হয়, তিনি ছিলেন তাদের অন্যতম ৷
তারপর আনসার এবং মুহাজিরদের ঐকমতোর ভিত্তিতে তার জন্য খিলাফত নির্ধারিত করা হয় ৷
ফলে তিনি ছিলেন ঘুলাফায়ে রাশেদীনের তৃতীয় জন, সতপেথ প্রাপ্ত ইমামদের অন্যতম ৷ যাদের
আনুগত্য ও অনুসরণ করার জন্য সকলেই ছিলেন নির্দেশিত ও আদিষ্ট ৷
ইসলাম প্রচারের সুচনাকালে তিনি আবু বকর সিদ্দীক (রা)-এর হাতে ইসলাম গ্রহণ
করেন ৷ হাফিজ আসাকির-এর বর্ণনা অনুযায়ী তার ইসলাম গ্রহণের কাহিনী বিস্ময়কর ৷ তীর
বর্ণনার সার কথা এই :
রাসুলুল্লাহ্ ণ্প্ন্ন্ এৱ কন্যাদের মধ্যে রুকাইয়া ছিলেন অতি সুন্দরী ৷ তিনি যখন জানতে
ষ্ধ্ষ্
পারলেন যে, রাসুলুল্লাহ্ন্র্দুক্ট্র তার কন্যা রুকাইয়াকে তার চাচাতাে ভাইউ তবা ইবন আবু
লাহাবের নিকট বিবাহ দিয়েছেন তখন তিনি গুাকে বিবাহ করতে না পাবার জন্য আফসোস
করেন ৷ তিনি দুঃখিত হয়ে গৃ হে ফিরে যান ৷ পরিবারে অন্যান্যের সঙ্গে তিনি র্তব্ৰ খাল৷ সওদা
ৰিনত কুরায়যকে দেখতে পান ৷ আর তার খাল৷ সওদা ছিলেন দানক্যরিণী ৷ খালা র্তাকে
বললেন সৃসৎবাদ গ্রহণ কর ৷ তোমার জন্য তিন দফা অভিনন্দন ৷ একের পর এক তিন দফা,
এরপর তিন দফা আবার আরো তিন দফা, পরে আরো এক দফা, যাতে পুর্ণ হয় দশ দফা ৷
তোমার কাছে মঙ্গল এসেছে আর তুমি রক্ষা পেয়েছ অমঙ্গল আর অকলা৷ণ থেকে ৷ আল্লাহর
কসম, তুমি বিবাহ করবে ফুলের মতো খাটি সুন্দর রমণীকে ৷৩ তমি নিজেও কুমার আর কুমারীর
সঙ্গেই ণ্৩ামার মিলন হবে ৷ আমিত তাকে পেয়েছি মর্যাদার বিচারে মহান মর্যাদার অধিকারী
ব্যক্তির কন্যা হিসাবে ৷৩ তমি এমন এক কর্মের ভিত্তি স্থাপন করেছ, যা উচু ও মজবুত করবে
মর্যাদাকে ৷ উসমান (রা) বলেন,৩ তার কথায় আমি বিস্মিত হ৩লাম, কারণ,৩ তিনি আমাকে এমন
এক নারীর সুসংবাদ দিচ্ছেন, যে নারী বিবাহ করেছে আমি ছাড়া অপর কাউকে ৷ তখন আমি
বললাম, খালাজান আপনি কি বলছেন ? তিনি বললেন
হে উসমান মি লাভ করেছ সৌন্দর্য আর ভাষা ৷ এই যে নবী, তার সঙ্গে রয়েছে প্রমাণ,
প্রেরণ করেছেন তাকে প্রতিশোধ গ্রহণকারী স৩ ত্যসহ ৷ তার কাছে এসেছে তানযীল ও ফুরকান ৷
সুতরা তুমি তার অনুসরণ কর, মুর্তি যেন ৫৩ামার বিনাশ সাধন না করে ৷ বর্ণনাকারী বলেন,
তখন আমি অর্থাৎ উসমান (রা) তাকে বললাম, আপনি এমন একটা কথা বলছেন, যা আমাদের
দেশে এখনো প্রকাশ পায়নি, সংঘটিত হয়নি ৷ তখন তিনি বললেন :
وَعُمَرُ وَعُثْمَانُ وَعَلِيُّ بْنُ أَبِي طَالِبٍ وَطَلْحَةُ وَالزُّبَيْرُ، فَتَحَرَّكَتِ الصَّخْرَةُ فَقَالَ النَّبِيُّ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «اهْدَأْ فَمَا عَلَيْكَ إِلَّا نَبِيٌّ أَوْ صِدِّيقٌ أَوْ شَهِيدٌ» . ثُمَّ قَالَ: وَفِي الْبَابِ: عَنْ عُثْمَانَ، وَسَعِيدِ بْنِ زَيْدٍ، وَابْنِ عَبَّاسٍ، وَسُهَيْلِ بْنِ سَعْدٍ، وَأَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، وَبُرَيْدَةَ الْأَسْلَمِيِّ، وَهَذَا حَدِيثٌ صَحِيحٌ. قُلْتُ: وَرَوَاهُ أَبُو دَاوُدَ، وَرَوَاهُ التِّرْمِذِيُّ، عَنْ عُثْمَانَ فِي خُطْبَتِهِ يَوْمَ الدَّارِ، وَقَالَ عَلَى ثَبِيرٍ
حَدِيثٌ آخَرُ: وَهُوَ مَا ثَبَتَ فِي " الصَّحِيحَيْنِ " مِنْ حَدِيثِ أَبِي عُثْمَانَ النَّهْدِيِّ، عَنْ أَبِي مُوسَى الْأَشْعَرِيِّ قَالَ: «كُنْتُ مَعَ رَسُولِ اللَّهِ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فِي حَائِطٍ، فَأَمَرَنِي بِحِفْظِ الْبَابِ، فَجَاءَ رَجُلٌ يَسْتَأْذِنُ، فَقُلْتُ: مَنْ هَذَا؟ قَالَ: أَبُو بَكْرٍ. فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " ائْذَنْ لَهُ وَبَشِّرْهُ بِالْجَنَّةِ ". ثُمَّ جَاءَ عُمَرُ فَقَالَ: " ائْذَنْ لَهُ وَبَشِّرْهُ بِالْجَنَّةِ ". ثُمَّ جَاءَ عُثْمَانُ فَقَالَ: " ائْذَنْ لَهُ وَبَشِّرْهُ بِالْجَنَّةِ عَلَى بَلْوَى تُصِيبُهُ ". فَدَخَلَ وَهُوَ يَقُولُ: اللَّهُمَّ صَبْرًا. وَفِي رِوَايَةٍ: اللَّهُ الْمُسْتَعَانُ» . رَوَاهُ عَنْهُ قَتَادَةُ، وَأَيُّوبُ السِّخْتِيَانِيُّ. وَقَالَ الْبُخَارِيُّ: وَقَالَ حَمَّادُ بْنُ زَيْدٍ: حَدَّثَنَا
পৃষ্ঠা - ৫৮৫০
মুহাম্মদ ইবন আব্দুল্লাহ আল্লাহর পক্ষ থেকে রাসুল,৩ তিনি উপস্থাপন করেছেন তা তানযীল
তথা ওহীর বাণী ৷ যা দিয়ে তিনি আল্লাহর দিকে আহ্বান জানান ৷ তারপর খালা আবার বলেন :
ৰু ;এ১
তার আলোইতে৷ (একমাত্র) আলো, আর তার উপস্থাপিত দীনইতে৷ কল্যাণ (ও মঙ্গল),
তার নির্দেশই সাফল্য, আর তীর প্রতিপক্ষই ৰিফল, উপত্যকার পর উপত্যকা তার অনুগত,
কোন কাজে আসবে না চিৎকার, যদিও গলায় জমা হোক না কেন, ক্ষয়ক্ষতির হাড় যতই টানা
পডুক না কেন আর তীর যতই দীর্ঘ হোক না কেন ৷
উসমান (রা) বলেন, আমি চিন্তা করতে করতে পথ অতিত্রণ্ ম করছি ৷ম ৷ আবু বকর
(রা) এর সাথে সাক্ষাৎ হলে আমি তাকে জানালাম ৷ তিনি বললেন, উসমান! তোমার জন্য
আফসোস ভুমিতে ৷ একজন বিচক্ষণ ব্যক্তি, স৩ মিথ্যা তো তোমার কাছে গোপন থাকতে
পারে না ৷ আমার জাতির লোকেরা যেসব মুতিরি পুজা করছে, সেগুলো কী? সেসব কি নির্বাক
পাথরের তৈরি নয় যা শোনেও না, দেখেও না, লাভ-ক্ষতি কিছুই করতে পারে না ? তিনি
বলেন, আমি বললাম, নিশ্চয়ই ৷ আল্লাহর কসম, সেগুলো এরুপই ৷ তখন তিনি বললেন,
আল্লাহর কসম, তোমার খালা ঠিকই বলেছেন ৷ ইনি আল্লাহর রাসুল মুহাম্মদ ইবন আব্দুল্লাহ,
আল্লাহ র্তাকে প্রেরণ করেছেন সৃষ্টিকৃলের নিকট রিসালাতের দায়িত্ব দিয়ে ৷ তুমি কি তীর নিবল্ট
গমন করতে পারা তাই আমরা রাসুলুল্পাহ্মোঃ এর নিকট সমবেত হই ৷ তিনি বললেন, হে
উসমান, আল্লাহর হক স্বীকার করে নাও ৷ কারণ, অমি তে ৷মার আর সৃষ্টির প্ৰতি আল্লাহর
রাসুল ! তিনি বলেন, আল্লাহর কসম, রাসুল এর কথা শ্রবণ করে আমি নিজেকে সংবরণ
করতে পারিনি, ফলে আমি ইসলাম গ্রহণ করি এবং সাক্ষ্য দেই যে, এক আল্লাহ ছাড়া কোন
ইলাহ নেই, তার কোন শরীক নেই ৷ তারপর অনতিবিলন্বে আমি রুকাইয়া বিনৃত রাসুলুল্পাহ্কে
বিবাহ করি ৷ এ প্রসঙ্গে বলা হয় :
সর্বে৷ ৷ত্তম দম্পতি যা মানুষ দেখতে ৩পেয়েছে, রুকইিয়া এবং তার স্বামী উসমান (রা) ৷
এ প্রসঙ্গে সা দী বিন ত কুরায়য বলেন :
৷ র্চো)া৷ন্ ৰুন্এে
৮;১১া৷ স্পো ৷
عَاصِمٌ الْأَحْوَلُ وَعَلِيُّ بْنُ الْحَكَمِ، سَمِعَا أَبَا عُثْمَانَ يُحَدِّثُ عَنْ أَبِي مُوسَى الْأَشْعَرِيِّ بِنَحْوِهِ، وَزَادَ عَاصِمٌ: أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، كَانَ قَاعِدًا فِي مَكَانٍ فِيهِ مَاءٌ قَدِ انْكَشَفَ عَنْ رُكْبَتَيْهِ، أَوْ رُكْبَتِهِ، فَلَمَّا دَخَلَ عُثْمَانُ غَطَّاهَا. وَهُوَ فِي " الصَّحِيحَيْنِ " أَيْضًا، مِنْ حَدِيثِ سَعِيدِ بْنِ الْمُسَيَّبِ عَنْ أَبِي مُوسَى وَفِيهِ: أَنَّ أَبَا بَكْرٍ وَعُمَرَ دَلَّيَا أَرْجُلَهُمَا مَعَ رَسُولِ اللَّهِ فِي بَابِ الْقُفِّ وَهُوَ فِي الْبِئْرِ، وَجَاءَ عُثْمَانُ فَلَمْ يَجِدْ لَهُ مَوْضِعًا فَجَلَسَ نَاحِيَةً. قَالَ سَعِيدُ بْنُ الْمُسَيَّبِ فَأَوَّلْتُ ذَلِكَ قُبُورَهُمُ ; اجْتَمَعَتْ وَانْفَرَدَ عُثْمَانُ.
وَقَدْ وَقَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا يَزِيدُ بْنُ هَارُونَ، ثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَمْرٍو، عَنْ أَبِي سَلَمَةَ قَالَ: قَالَ نَافِعُ بْنُ الْحَارِثِ: «خَرَجْتُ مَعَ رَسُولِ اللَّهِ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، حَتَّى دَخَلَ حَائِطًا فَقَالَ لِي: " أَمْسِكْ عَلَيَّ الْبَابَ ". فَجَاءَ حَتَّى جَلَسَ عَلَى الْقُفِّ وَدَلَّى رِجْلَيْهِ، فَضُرِبَ الْبَابُ فَقُلْتُ: مَنْ هَذَا؟ فَقَالَ: أَبُو بَكْرٍ. قُلْتُ: يَا رَسُولَ اللَّهِ هَذَا أَبُو بَكْرٍ. قَالَ: " ائْذَنْ لَهُ وَبَشِّرْهُ بِالْجَنَّةِ ". فَدَخَلَ فَجَلَسَ مَعَ رَسُولِ اللَّهِ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، عَلَى الْقُفِّ وَدَلَّى رِجْلَيْهِ فِي الْبِئْرِ، ثُمَّ ضُرِبَ الْبَابُ، فَقُلْتُ: مَنْ هَذَا؟ قَالَ: عُمَرُ. قُلْتُ: يَا رَسُولَ اللَّهِ هَذَا عُمَرُ. قَالَ: " ائْذَنْ لِي وَبَشِّرْهُ بِالْجَنَّةِ ". فَفَعَلْتُ فَجَاءَ فَجَلَسَ مَعَ رَسُولِ اللَّهِ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، عَلَى الْقُفِّ وَدَلَّى رِجْلَيْهِ فِي
পৃষ্ঠা - ৫৮৫১
আল্লাহ্ উসমানকে হিদায়াত করেছেন সত্যের দিকে আমার কথা মতে
আল্লাহ্ তাকে পথ দেখিয়েছেন, আর আল্লাহ্ভাে পথ দেখান সত্যের দিকে ৷ তইি তিনি
অনুসরণ করেছেন মুহাম্মদশ্নো এর সঠিক মতামত, আর পরামর্শ দ্বারা তিনি সত্য থেকে
ৰিচ্যুত হন না ৷ সত্যসহ প্রেরিত (নবী) বিবাহ দিয়েছেন তার নিকট নিজ কন্যা, ফলে তারা
উতয়ে হয়েছেন পুণিঘিার চাদের মত, যা মিলিত হয়েছে আকাশ প্রান্তে সুর্যের সঙ্গে ৷
হে হাশিমী তনয়, তােমাতে উৎসর্গ আমার প্রাণ,
আর তৃমিতাে আল্লাহর আমীন’ প্রেরিত হয়েছ তুমি সৃষ্টিকৃলের তবে ৷
বর্ণনড়াকারী বলেন, তারপর পরদিন প্রত্যুষে উসমান ইবন মায্উন, আবু উবায়দ, আব্দুর
রহমান ইবন আউফ, আবু সালমা ইবন আব্দুল আসাদ এবং আরকাম ইবন আবুল আরকামকে
নিয়ে আবু বকর (রা) উপস্থিত হলেন ৷ তারা সকলেই ইসলাম কবুল করেন ৷ রাসুলুল্লাহ্স্লো
ংর সঙ্গে যারা সমবেত হন, তারা হলেন সর্বমোট ৩৮ জন ৷ উসমান (রা) তার শ্রী রুকাইয়া
ৰিনৃত রাসুলুল্লাহ্ন্গাং’কু-রুক সঙ্গে নিয়ে সর্বপ্রথম আবিসিনিয়ায় হিজরত করেন ৷ তারপর হাবশা
থেকে মক্কা য় ফিরে আসেন এবং পরে মদীনায় হিজরত করেন ৷ বদর যুদ্ধের সময় রাসুলের
কন্যার সেবায় তিনি নিয়োজিত ছিলেন ৷ এ কারণে তিনি মদীনায় অবস্থান করেন ৷ রাসুলুল্লাহ্
মোঃ র্তাকে গনীমতের অংশ দান করেন এবং তিনি এ জন্য প্রতিদানও লাভ করেন ৷ ফলে বদর
যুদ্ধে অংশ্যাহণকাবীদের মধ্যে৩ তাকে শুমার করা হয়, রুকাইয়্যা ইনতিকাল করলে বাসুলুল্লাহ্
ষ্ৰুণ্শ্লের্তার সঙ্গে রুকাইয়ার বোন উম্মে কুলসুমকে বিবাহ দান করেন, তার সঙ্গে চর্যে উম্মে
ষ্ৰ্প্ষ্গ্
কৃলসুমও ইনতিকাল করলে রাসুলুল্লাহ্ মোঃ বালছিলেন০ ং
;;াওষ্ঞ
আমার যদি অপর কোন কন্যা থাকতো তবে তাকেও আমি উসমানএর কাছে বিবাহ
দিতাম ৷ ’ তিনি উহুদ যুদ্ধে শরীক হন এবং সেদিন যারা পলায়ন করেছিল , তিনিও ছিলেন তাদের
অন্তর্ভুক্ত ৷ আল্লাহ্ তাআলা তাদেরকে ক্ষমা করার স্পষ্ট ঘোষণা দিয়েছেন ৷ খন্দক আর
হুদায়ৰিয়ার যুদ্ধেও তিনি অংশগ্রহণ করেছেন ৷ হুদায়ৰিয়ার দিন রাসুলুল্লাহ্ মোঃ তার এক হাতে
উসমান (রা)-এর পক্ষ থেকে বায়য়াত গ্রহণ করেন ৷ খায়বর অভিযান আর উমরাতৃল কাযায়ও
তিনি অংশগ্রহণ করেছেন ৷ মক্কা বিজয় অভিযান, হাওয়াযিন, তায়িফ অভিযান আর তাবুক
যুদ্ধেও তিনি অংশগ্রহণ করেন ৷ জায়শুল উসরা (সংকীর্ণতার বাহিনী) তথা তাবুক
অভিযাত্রীদলকে তিনি সজ্জিত করেন, তাদেরসাজ সরঞ্জাম যোগান দেন ৷ আব্দুর রহমান ইবন
খাবার সুত্রে ইতিপুর্বে আলোচনা করা হয়েছে যে, এদিন তিনি তিন শ উট নিয়ে হাজির
হয়েছিলেন, সঙ্গে ছিল প্রয়োজনীয় সাজ-সরঞ্জাম ৷ আব্দুর রহমান ইবন সামুরা থেকে বর্ণিত যে,
সেদিন তিনি এক হাজার দীনার এনে রাসুলুল্লাহ্ঘ্নে এর কোলে ঢেলে দিয়েছিলেন ৷ তখন
আল্লাহর নবী মোঃ বলেছিলেন :
আজকের পর উসমান (রা) যা কিছু করে তাতে তার কোন ক্ষতি হবে না ৷ কথাটা তিনি
দৃবার বলেন ৷’ তিনি বিদায় হচ্ছে রাসুলুল্লাহ্মোঃ-এর সঙ্গে হজ্জ করেন এবং রাসুলুল্লাহ্মোঃ
الْبِئْرِ، ثُمَّ ضُرِبَ الْبَابُ فَقُلْتُ: مَنْ هَذَا؟ قَالَ: عُثْمَانُ. قُلْتُ: يَا رَسُولَ اللَّهِ هَذَا عُثْمَانُ. قَالَ: " ائْذَنْ لَهُ وَبَشِّرْهُ بِالْجَنَّةِ مَعَهَا بَلَاءٌ ". فَأَذِنْتُ لَهُ وَبَشَّرْتُهُ بِالْجَنَّةِ، فَجَلَسَ مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَدَلَّى رِجْلَيْهِ فِي الْبِئْرِ» . هَكَذَا وَقَعَ فِي هَذِهِ الرِّوَايَةِ. وَقَدْ أَخْرَجَهُ أَبُو دَاوُدَ وَالنِّسَائِيُّ مِنْ حَدِيثِ أَبِي سَلَمَةَ.
فَيُحْتَمَلُ أَنَّ أَبَا مُوسَى وَنَافِعُ بْنُ عَبْدِ الْحَارِثِ كَانَا مُوَكَّلَيْنِ بِالْبَابِ، أَوْ أَنَّهَا قِصَّةٌ أُخْرَى
وَقَدْ رَوَاهُ الْإِمَامُ أَحْمَدُ، عَنْ عَفَّانَ، عَنْ وُهَيْبٍ، عَنْ مُوسَى بْنِ عُقْبَةَ سَمِعْتُ أَبَا سَلَمَةَ يُحَدِّثُ، وَلَا أَعْلَمُهُ إِلَّا عَنْ نَافِعِ بْنِ عَبْدِ الْحَارِثِ: «أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، دَخَلَ حَائِطًا فَجَلَسَ عَلَى قُفِّ الْبِئْرِ، فَجَاءَ أَبُو بَكْرٍ فَاسْتَأْذَنَ فَقَالَ لِأَبِي مُوسَى: " ائْذَنْ لَهُ وَبَشِّرْهُ بِالْجَنَّةِ ". ثُمَّ جَاءَ عُمَرُ فَقَالَ: " ائْذَنْ لَهُ وَبَشِّرْهُ بِالْجَنَّةِ ". ثُمَّ جَاءَ عُثْمَانُ فَقَالَ: " ائْذَنْ لَهُ وَبَشِّرْهُ بِالْجَنَّةِ وَسَيَلْقَى بَلَاءً» وَهَذَا السِّيَاقُ أَشْبَهُ مِنَ الْأَوَّلِ، عَلَى أَنَّهُ قَدْ رَوَاهُ النِّسَائِيُّ، مِنْ حَدِيثِ صَالِحِ بْنِ كَيْسَانَ، عَنْ أَبِي الزِّنَادِ، عَنْ أَبِي سَلَمَةَ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ نَافِعِ بْنِ عَبْدِ الْحَارِثِ، عَنْ أَبِي مُوسَى الْأَشْعَرِيِّ، فَاللَّهُ أَعْلَمُ.
وَقَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا يَزِيدُ، أَنَا هَمَّامٌ، عَنْ قَتَادَةَ، عَنِ ابْنِ سِيرِينَ
পৃষ্ঠা - ৫৮৫২
তার প্রতি সন্তুষ্ট-এমন অবস্থায় রাসুলুল্লাহ্ স্লে এর ওফাত হয়েছে ৷ তিনি আবু বকর (রা)-এর
উত্তম সঙ্গী ছিলেন এবং তার ইনতিকালের সময় তিনি তার (উসমড়ানের) উপর সন্তুষ্ট ছিলেন ৷
তার উপর সত্ত্ব ষ্ট থাকা অবস্থায় তার মৃত্যু হয়েছে ৷ তিনি উমর (রা)-এর সাহচর্য গ্রহণ করেন
এবং তিনি ছিলেন তার উত্তম সহচর এবং ইনতিকালের সময়ও একে অপরের প্রতি সত্তুষ্ট ছিল ৷
৬ ব্যক্তির সমন্বয়ে গঠিত শুরার তিনি ছিলেন অন্যতম সদস্য ৷ বরং তিনি ছিলেন তাদের মধ্যে
উত্তম, পরে এ সম্পর্কে আলোচনা আসছে ৷
উমর (রা)-এর পর তিনি খিলাফতের দায়িত্ব গ্রহণ করেন এবং তার হাতে আল্লাহ অনেক
দেশ আর শহর জয় করান ৷ ফলে ইসলামী রাষ্টের সীমা বহুদুর পর্যন্ত সম্প্রসারিত হয় ৷
দুর-দুরান্তে ছড়িয়ে পড়ে মুহাম্মদী রাষ্ট্র ব্যবস্থা ৷ আর প্রড়াচ্য-প্রতীচ্যে ছড়িয়ে পড়ে মুস্তাফ্াবী
পয়গাম ৷ মানুষের নিকট প্রকাশ পড়ায় মহান আল্লাহর নিম্নোক্ত বাণীর সভ্যতা :
তােমাদের মধ্যে যারা ঈমান আসে ও লেক আমল করে আল্পাহ্ তাদেরকে প্রতিশ্রুতি
দিতেছেন যে, তিনি অবশ্যই তাদেরকে পৃাথবীতে প্রতিনিধিত্ব দান করবেন, যেমন তিনি
প্রতিনিধিত্ব দান করেছিলেন তাদের পুর্ববর্তীদেরকে এবং৩ তিনি অবশ্যই তাদের জন্য প্রতিষ্ঠিত
করবেন তাদের দীনকে, যা তিনি পছন্দ করেছেন তাদের জন্য এবং ভয়ভীতির পরিবর্তে
অবশ্যই তিনি তাদেরকে নিরাপত্তা দান করবেন (সুরা নুর ২৪৪ ৫৫) ৷
সত্য প্রমাণ করেছেন আল্লাহর নিম্নোক্ত বাণীও :
৷ হো৷ ৷ ’ ,ট্রা
া
তিনি সে সত্তা যিনি তার রাসুলকে প্রেরণ করেছেন হিদায়াত ও মত দীনসহ, যাতে তাকে
সমস্ত দীনের উপর জয়যুক্ত করেন যদিও মুশরিকরা এটাকে অপ্রীতিকর জ্ঞান করে’ (সুরা
তাওবা ৯ : ৩৩) !
আল্লাহ্র নবীর নিম্নোক্ত বাণীও সত্য প্রতিপন্ন হয়েছে :
কায়সারের বিনাশের পর আর কোন কায়সার হবে না; তেমনি কিসৃরার বিনাশের পর আর
কোন কিসৃরা হবে না ৷ যার হাতে আমার জীবন তার শপথ ৷ তোমরা অবশ্যই তাদের সঞ্চিত
ধন-ভাণ্ডাৱ আল্লাহর রাস্তায় ব্যয় করবে ৷
উসমান (রা)-এর শাসনামলে এসব কিছুই সত্য প্রতিপন্ন হয়েছে ৷ হয়েছে বাস্তবে
রুপায়িত ৷ আল্পাহ্ তার প্রতি রহম করুন এবপ্ সন্তুষ্ট থাকুন ৷
আলবিদায়া ৪৬
وَمُحَمَّدِ بْنِ عُبَيْدٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرٍو قَالَ: «كُنْتُ مَعَ رَسُولِ اللَّهِ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَجَاءَ أَبُو بَكْرٍ فَاسْتَأْذَنَ، فَقَالَ: " ائْذَنْ لَهُ وَبَشِّرْهُ بِالْجَنَّةِ ". ثُمَّ جَاءَ عُمَرُ فَاسْتَأْذَنَ، فَقَالَ: " ائْذَنْ لَهُ وَبَشِّرْهُ بِالْجَنَّةِ ". ثُمَّ جَاءَ عُثْمَانُ فَاسْتَأْذَنَ فَقَالَ: " ائْذَنْ لَهُ وَبَشِّرْهُ بِالْجَنَّةِ ". قَالَ: قُلْتُ: فَأَيْنَ أَنَا؟ قَالَ: " أَنْتَ مَعَ أَبِيكَ» . تَفَرَّدَ بِهِ أَحْمَدُ. وَقَدْ رَوَاهُ الْبَزَّارُ، وَأَبُو يَعْلَى مِنْ حَدِيثِ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، بِنَحْوِ مَا تَقَدَّمَ.
حَدِيثٌ آخَرٌ: قَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا حَجَّاجٌ، ثَنَا لَيْثٌ، حَدَّثَنِي عُقَيْلٌ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، عَنْ يَحْيَى بْنِ سَعِيدِ بْنِ الْعَاصِ أَنَّ سَعِيدَ بْنَ الْعَاصِ أَخْبَرَهُ أَنَّ عَائِشَةَ زَوْجَ النَّبِيِّ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَعُثْمَانَ حَدَّثَاهُ، أَنَّ أَبَا بَكْرٍ اسْتَأْذَنَ عَلَى النَّبِيِّ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَهُوَ مُضْطَجِعٌ عَلَى فِرَاشِهِ لَابِسٌ مِرْطَ عَائِشَةَ، فَأَذِنَ لِأَبِي بَكْرٍ وَهُوَ كَذَلِكَ، فَقَضَى إِلَيْهِ حَاجَتَهُ، ثُمَّ انْصَرَفَ، فَاسْتَأْذَنَ عُمَرُ فَأَذِنَ لَهُ وَهُوَ عَلَى تِلْكَ الْحَالَةِ، فَقَضَى إِلَيْهِ حَاجَتَهُ ثُمَّ انْصَرَفَ، قَالَ عُثْمَانُ: ثُمَّ اسْتَأْذَنْتُ عَلَيْهِ، فَجَلَسَ وَقَالَ: " اجْمَعِي عَلَيْكِ ثِيَابَكِ ". فَقَضَيْتُ إِلَيْهِ حَاجَتِي ثُمَّ انْصَرَفْتُ. فَقَالَتْ عَائِشَةُ: يَا رَسُولَ اللَّهِ مَالِي لَا أَرَاكَ فَزِعْتَ لِأَبِي بَكْرٍ وَعُمَرَ كَمَا فَزِعْتَ لِعُثْمَانَ؟ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «إِنَّ عُثْمَانَ رَجُلٌ حَيِيٌّ، وَإِنِّي خَشِيتُ إِنْ أَذِنْتُ لَهُ عَلَى تِلْكَ الْحَالَةِ لَا يُبْلِغُ إِلَيَّ حَاجَتَهُ» . قَالَ اللَّيْثُ: وَقَالَ جَمَاعَةُ النَّاسِ: إِنَّ رَسُولَ اللَّهِ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، قَالَ لِعَائِشَةَ: «أَلَا أَسْتَحِي مِمَّنْ تَسْتَحِي مِنْهُ الْمَلَائِكَةُ!» . وَرَوَاهُ مُسْلِمٌ مِنْ
পৃষ্ঠা - ৫৮৫৩
তিনি ছিলেন সুদর্শন, লাবণ্যময় চেহারার অধিকারী, উত্তম চরিত্রের অধিকারী, অতিমাত্রায়
লজ্জাশীল এবং বড় মাপের দানশীল ৷ আল্লাহ্র রাস্তায় স্বজন আর আত্মীয়বর্ণাক তিনি
অগ্ৰাধিকার দান করতে ন ৷ তিনি এটা করতেন তাদের অন্তর জয় করার নিমিত্ত আর এজন্য তিনি
নম্বর জীবনের তৃচ্ছ৫ ভোগের বস্তুর উপর সব কিছুকে অগ্রাধিকার দান করতেন ৷ নশ্বরের উপর
অবিনশ্বরকে অ্যাধিকার দানের ক্ষেত্রে উদ্বুদ্ধ অনুপ্রাণিত করার জন্যই হয়তাে৩ তিনি এমনটি
করতেন যেমন নবী কবীম ভ্রুারুন্ণ্ষ্ কিছু লোককে দান করতেন আর কিছু লোককে বাদ দিতেন ৷
যেমন তিনি কিছু লোককে দান করতেন, যাতে আল্পাহ্ তা আলা তাদের মুখঃমগুলকে অগ্নিতে দগ্ধ
হওয়া থেকে রক্ষা করেন আর অন্যদেরকে ছাড়তেন; কারণ, আল্লাহ্ তাদের অস্তরে হিদায়াত ও
ঈমান গচ্ছিত রেখেছেন ৷ তার এ স্বভাবের কারণে কিছু লোক তার বিরুদ্ধে আপত্তি উত্থাপন
করেছে, যথা খারিজীরা রাসুলুল্লাহ্গ্লুকুদ্বু এর বিরুদ্ধেও অভিযোগ উত্থাপন করেছিল ৷ হুনইিন
যুদ্ধে গনীমতের মাল বণ্টন প্রসঙ্গে ইতিপুর্বে আমরা তা আলোচনা করেছি ৷
উসমান (রা) এর ফযীলত তথা গুণ-বৈশিষ্ট্য আর শ্রেষ্ঠতু বিষয়ে অনেক হাদীস বর্ণিত
হয়েছে ৷ সেসব থেকে আমরা যথাসম্ভব আলোচনা করবো ইনশা আল্লাহ তা আলা, আমরা র্তারই
উপর নির্ভর করছি ৷ এ হাদীসসমুহ দৃ ধরনের : ১ সেগুলােতে তার ফষীলতের সঙ্গে অন্যদের
ফযীলতও বর্ণিত হয়েছে ৷ ২ যেসব হাদীসে কেবল উসমান (রা) এর ফযীলত বর্ণিত হয়েছে ৷
প্রথম শ্রেণীর হাদীস
ইমাম বুখারী (র) মুসাদ্দাদ (র) আনাস (রা) সুত্রে বর্ণনা করেন :
মুসাদ্দাদ আনাস (রা) সুত্রে বর্ণিত ৷ তিনি বলেন, একদিন নবী করীম ব্লুনুলাং, উহুদ
পাহাড়ে আরোহণ করেন, তখন র্তার সঙ্গে ছিলেন আবুবকর, উমর এবং উসমান (রা) ৷ উহুদ
পাহাড় কেপে উঠলে রাসুলুল্লাহ্-হুত্ত্ব ন্ষ্কবললেন উহুদ শান্ত হও ৷ রাবী বলেন, আমার মনে হয়,
তিনি পর্বতে পদাঘাত করে বললেন তোমার উপর আছেন একজন নবী, একজন সিদ্দীক এবং
দু’জন শহীদ ৷ ইমাম বুখারী এককভাবে হাদীসটি বর্ণনা করেছেন ৷
ইমাম তিরমিযী আব্দুল আযীয আবু হুবাযব৷ সুত্রে বর্ণনা করে বলেন ;;
০া
একদা রাসুল কয়ীম ন্;স্ন্ হেরা প ৩ছিলেন, তীর সঙ্গে আরো ছিলেন আবুবকর, উমর,
উসমান, আলী ইবন আবু৩ তালিব এবং তালহা ও যুৰায়র (রা)ও ৷ পর্বতের একটা পাথর
নডাচড়া করলে রাসুলে করীম-ন্ প্;; ন্প্ণ্শ্প্;বললেন : শান্ত হও, স্থির থাক, তোমার উপর নবী, সিদ্দীক
এবং শহীদ ছাড়া আর কেউ নেই ৷ একই অধ্যায়ে উসমান, সাঈদ ইবন যায়দ, ইবন আব্বাস,
حَدِيثِ اللَّيْثِ بْنِ سَعْدٍ بِهِ، وَمِنْ حَدِيثِ صَالِحِ بْنِ كَيْسَانَ، عَنِ الزُّهْرِيِّ بِهِ. وَرَوَاهُ مُسْلِمٌ، مِنْ حَدِيثِ مُحَمَّدِ بْنِ أَبِي حَرْمَلَةَ، عَنْ عَطَاءٍ وَسُلَيْمَانَ ابْنَيْ يَسَارٍ، وَأَبِي سَلَمَةَ، عَنْ عَائِشَةَ. وَرَوَاهُ أَبُو يَعْلَى الْمَوْصِلِيُّ، مِنْ حَدِيثِ سُهَيْلٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَائِشَةَ. وَرَوَاهُ جُبَيْرُ بْنُ نُفَيْرٍ، وَعَائِشَةُ بِنْتُ طَلْحَةَ عَنْهَا.
وَقَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا مَرْوَانُ، ثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ يَسَارٍ سَمِعْتُ عَائِشَةَ بِنْتَ طَلْحَةَ تَذْكُرُ عَنْ عَائِشَةَ أُمِّ الْمُؤْمِنِينَ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، كَانَ جَالِسًا كَاشِفًا عَنْ فَخِذِهِ، فَاسْتَأْذَنَ أَبُو بَكْرٍ، فَأَذِنَ لَهُ وَهُوَ عَلَى حَالِهِ، ثُمَّ جَاءَ عُمَرُ فَاسْتَأْذَنَ، فَأَذِنَ لَهُ وَهُوَ عَلَى حَالِهِ، ثُمَّ اسْتَأْذَنَ عُثْمَانُ فَأَرْخَى عَلَيْهِ ثِيَابَهُ، فَلَمَّا قَامُوا قُلْتُ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، اسْتَأْذَنَ عَلَيْكَ أَبُو بَكْرٍ وَعُمَرُ فَأَذِنْتَ لَهُمَا وَأَنْتَ عَلَى حَالِكَ، فَلَمَّا اسْتَأْذَنَ عُثْمَانُ أَرْخَيْتَ عَلَيْكَ ثِيَابَكَ! فَقَالَ: «يَا عَائِشَةُ أَلَا أَسْتَحِي مِنْ رَجُلٍ، وَاللَّهِ إِنَّ الْمَلَائِكَةَ تَسْتَحِي مِنْهُ» ! .
পৃষ্ঠা - ৫৮৫৪
সহল ইবন সাদ, আনাস ইবন মালিক, ইয়াষীদ আসলাষী (রা) থেকে হাদীস বর্ণিত আছে ৷
হাদীসটি সহীহ ৷ আমি বলি, আৰুদ্দারদাও হাদীসটি বর্ণনা করেন ৷ ইমাম তিরমিষী (র) উসমান
(রা) থেকে অবারাবের দিন তার ভাষণেও হাদীসটি বর্ণনা করেছেন ৷ তিনি বলেন, উসমান (রা)
সাবীর এর উপর দাড়িয়ে এ ভাষণ দান করেন ৷
অপর একটি হাদীস
হাদীসটি আবু উসমান মাহদী সুত্রে আবু মুসা আশআরী থেকে বর্ণিত ৷ তিনি বলেন :
একদা আমি রাসুলুল্লাহ্ «—« এর সঙ্গে একটা বাগানে জ্জিাম, তিনি আষ্কাক্লো দরজা হিফাজতের
ষ্ৰ্ষ্ ষ্ষ্স্ষ্ধ্
নির্দোণ করেন, তখন জনৈক ব্যক্তি এসে অনুমতি প্রার্থনা করলে আমি জিজ্ঞেস করলাম, কে ?
ষ্ৰ্ গ্যে’ ষ্
তিনি বললেন : আবু বকর ৷ তখন রাসুল :::: বললেন০ ষ্
;
তাকে (ভেতরে প্রবেশ করার) অনুমতি দাও এবং জান্নাতের সুসৎ বাদ দাও ৷ তারপর উমর
(রা) আগমন করলে রাসুলুৰুা৷হ্মেং মোঃ বললেন, তাকে অনুমতি দাও এবং জান্নাতের থােশখবর
দাও ৷ এরপর উসমান (রা) আগমন করলে রাসুল শ্ল্ শ্ত্ত্ব; বললেন তাকে অনুমতি দাও এবং
তাকে যে বিপদে পতিত হতে হবে, সে জন্য জান্নাতের সুসংবাদ দাও ৷ তিনি একথা বলতে
বলতে ভিতরে প্রবেশ করলেন : হে আল্লাহ্ ৷ সবর চাই, সবর ৷ অপর এক বর্ণনায় আছে :
আল্লাহ্র নিকট সাহায্য কামান করছি ৷ কাতাদা এবং আইউব সাখৃতিয়ানী আবু মুসা আশআরী
সুত্রে হাদীসটি বর্ণনা করেন ৷ ইমাম বুখারী (র) হাম্মাদ ইবন যায়দ আবু মুস৷ আশআরী
প্শ্
সুত্রে হাদীসটি বর্ণনা করেছেন ৷ আর আসিম অতিরিক্ত যোগ করে বলেন যে, রাসুল প্ষ্শ্ন্ এক
প্ৰ্ষ্শ্ষ্ধ্
স্থানে উপবিষ্ট ছিলেন ৷ এ সময় তার দৃছুাটু বা এক ছুাটু খুলে যায় ৷ উসমান (বা) প্রবেশ করলে
রাসুলুল্লাহ্ :::;ণ্;৩ ৩৷ ঢেকে নেন ৷ আর বুখারী-মৃসলিমে হাদীসটি সাঈদ ইবনুল মৃসাইয়িব সুত্রে
আবু মুসার বরাতে বর্ণিত হয়েছে ৷ আর তাতে একথাও আছে ং
া প্রুএন্ ণ্াশু শুশ্১ এ ণ্ান্এ রুশ্রা এ>শু ণ্ন্ষ্ক্ষো১; ৷ান্ ন্ম্পো ণ্ওম্, ৷ৰু৷ ১
আবু বকর এবং উমর (রা) রাসুল শ্ষ্ণ্ট্রু,ন্শ্;ষ্ট্রুএর সঙ্গে তাদের পদদ্বয় কৃয়াের পাড়ে ঝুলিয়ে
রাখেন, এ সময় উসমান (রা) আগমন করে কোন স্থান পেলেন না ৷ সাঈদ বলেন, আমি এর এ
অর্থ করি যে, তাদের কবর একসঙ্গে হবে, আর উসমান (রা) থাকবেন পৃথক করার ৷ ’
ইমাম আহমদ ইয়াষীদ ইবন মারওয়ান নাফি ইবনুল হারিস সুত্রে বর্ণনা করেন :
আমি রাসুলে ৰুরীম্শ্ণ্ন্ শ্প্ষ্ষ্ন্ষ্ -এর সঙ্গে বেরিয়ে আসলে তিনি একটা বাগানে প্রবেশ করেন
এবং বলেন ং আমার জন্য দরজা বন্ধ রাখ’ ৷ তিনি আগমন করে কৃপের পাড়ে বসে পা ঝুলিয়ে
দেন ৷ এসময় দরজায় আঘাত করা হলে আমি জিজ্ঞেস করলাম; কে? বলালনং আবুবকর ৷
আমি বললাম, ইয়া রাসুলাল্লাহা ইনি আবু বকর ৷ তিনি বললেনং তাকে অনুমতি দাও এবং
تَفَرَّدَ بِهِ أَحْمَدُ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ.
طَرِيقٌ أُخْرَى عَنْ حَفْصَةَ: رَوَاهُ الْحَسَنُ بْنُ عَرَفَةَ، وَأَحْمَدُ بْنُ حَنْبَلٍ عَنْ رَوْحِ بْنِ عُبَادَةَ، عَنِ ابْنِ جُرَيْجٍ، أَخْبَرَنِي أَبُو خَالِدٍ عُثْمَانُ بْنُ خَالِدٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي سَعِيدٍ الْمَدَنِيِّ، حَدَّثَتْنِي حَفْصَةُ، فَذَكَرَ مِثْلَ حَدِيثِ عَائِشَةَ، وَفِيهِ: فَقَالَ «أَلَا اسْتَحِي مِمَّنْ تَسْتَحِي مِنْهُ الْمَلَائِكَةُ!» .
طَرِيقٌ أُخْرَى عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ: قَالَ الْحَافِظُ أَبُو بَكْرٍ الْبَزَّارُ: حَدَّثَنَا أَبُو كُرَيْبٍ، ثَنَا يُونُسُ بْنُ بُكَيْرٍ، ثَنَا النَّضْرُ - هُوَ ابْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ أَبُو عُمَرَ الْخَزَّازُ الْكُوفِيُّ - عَنْ عِكْرِمَةَ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «أَلَا أَسْتَحِي مِمَّنْ تَسْتَحِي مِنْهُ الْمَلَائِكَةُ ;» عُثْمَانَ بْنِ عَفَّانَ. ثُمَّ قَالَ الْبَزَّارُ: لَا نَعْلَمُهُ يُرْوَى عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ إِلَّا بِهَذَا الْإِسْنَادِ. قُلْتُ: هُوَ عَلَى شَرْطِ التِّرْمِذِيِّ، وَلَمْ يُخَرِّجُوهُ.
طَرِيقٌ أُخْرَى عَنِ ابْنِ عُمَرَ: قَالَ الطَّبَرَانِيُّ: حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ أَحْمَدَ بْنِ حَنْبَلٍ، ثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ أَبِي بَكْرٍ الْمُقَدِّمِيُّ، ثَنَا أَبُو مَعْشَرٍ، حَدَّثَنِي إِبْرَاهِيمُ
পৃষ্ঠা - ৫৮৫৫
জান্নড়াতের সুসংবাদ দাও ৷ তিনি ভেতরে প্রবেশ করে কুয়াের পাড়ে বসে কুয়ার দুই পা ঝুলিয়ে
দেন ৷ তারপর দরজায় করাঘাত হলে আমি জিজ্ঞেস করি : ফে৷ তিনি বললেন? উমর ৷ তখন
আমি বললাম : ইয়া রাসুলাল্লাহ ! ইনি উমর ৷ তিনি বললেন : তাকে অনুমতি দাও এবং
জান্নাতের সুসংবাদ দাও ৷ আমি তইি করলাম ৷ তিনি আগমন করে রাসুলড্রোথ এর পাশে বসে
কুয়ার পা ছড়িয়ে দেন ৷ এরপর দরজায় আঘাত হলে আমি বললাম : কে তিনি বললেন :
উসমান ৷ আমি বললাম : ইয়া রাসুলাল্লাহ্ ৷ ইনি উসমান ৷ তিনি বললেন : তাকে অনুমতি দাও
এবং জান্নড়াতের সুসংবাদ দাও ৷ তবে জান্নাতের সঙ্গে বিপদাপদ আর পরীক্ষাও আছে ৷ আমি
তাকে অনুমতি দিলাম এবং জান্নাতের সুসংবাদও দিলাম ৷ তিনি (ভেতরে প্রবেশ করতঃ) রাসুলে
করীমড্রে এর সঙ্গে পাড়ে বসে কুয়ার পাদ্বয় ঝুলিয়ে দেন ৷ এ রিওয়ায়াতে এরুপই বর্ণিত
হয়েছে ৷ ইমাম আবু দাউদ (র) ও ইমাম নাসাঈ আবু সালমা সুত্রে হাদীসটি বর্ণনা করেছেন ৷
হতে পারে আবু মুসা এবং নাফি ইবন আব্দুল হারিস উভয়ই দরজায় নিয়োজিত ছিলেন ৷ অথবা
এটা ভিন্ন ঘটনা ৷
ইমাম আহমদ (র) আফ্ফান নাফি ইবন আব্দুল হারিস সুত্রে বর্ণনা করে বলেন :
রাসুলুল্পাহ্হুহুআং ৰু একটা বাগানে প্রবেশ করে কুয়ার পাড়ে বসলেন ৷ আবু বকর (বা) আগমন
করে অনুমতি চইিলে তিনি আবু মুসা (রা)-কে বললেন ও তাকে অনুমতি দাও এবং জান্নড়াতের
সুসংবাদ দাও ৷ এরপর উমর (রা) এলে বললেন ও তাকে অনুমতি দাও এবং জান্নাতের সুসংবাদ
দাও ৷ এরপর উসমান (রা) আগমন করলে তিনি বললেন : তাকে অনুমতি দাও এবং জান্নাতের
সুসংবাদ দাও ৷ অদুর ভবিষ্যতে সে বিপদের সম্মুখীন হয়ে ৷ এ বর্ণনা ধারা প্রথম বর্ণনার সাথে
বেশি সামঞ্জস্যপুর্ণ ৷ পক্ষাম্ভরে ইমাম নাসাঈ (র) সালিহ্ ইবন কায়সান আবু মুসা আশআরী
সুত্রে হাদীসটি বর্ণনা করেছেন ৷ আল্পাহ্ই ভাল জানেন ৷
ইমাম আহমদ (র) ইয়াযীদ আব্দুল্লাহ ইবন আমর সুত্রে বর্ণনা করে বলেন ং
আমি রাসুলুল্লাহ্মোঃএর সঙ্গে ছিলাম, এমন সময় আবু বকর (রা) আগমন করে অনুমতি
চাইলে তিনি বলেন : র্তাকে অনুমতি দাও এবং জান্নাতের সুসংবাদ দাও ৷ এরপর উমর (রা)
আগমন করলে তিনি বললেন ও তাকে অনুমতি দাও এবং জান্নাতের সুসংবাদ দাও ৷ রাৰী বলেনঃ
আমি বললাম : তবে আমি কোথায় থাকবাে ? তিনি বললেন : তুমি তোমার পিতার সঙ্গে
থাকবে ৷ ইমাম আহমদ এককভাবে হাদীসটি বর্ণনা করেন ৷ বাঘৃযার ও আবুইয়ালা আনাস ইবন
মালিক (রা) সুত্রে পুর্ববর্তী বর্ণনার মতো হাদীসটি বর্ণনা করেছেন ৷
অপর একটি হাদীস
ইমাম আহমদ লাইস সাঈদ ইবনুল আন সুত্রে বর্ণনা করে বলেন
৷
স্পো
া
بْنُ عُمَرَ بْنِ أَبَانَ، حَدَّثَنِي أَبِي - عُمَرُ بْنُ أَبَانَ - عَنْ أَبِيهِ قَالَ: سَمِعْتُ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ عُمَرَ يَقُولُ: بَيْنَمَا رَسُولُ اللَّهِ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، جَالِسٌ وَعَائِشَةُ وَرَاءَهُ إِذِ اسْتَأْذَنَ أَبُو بَكْرٍ فَدَخَلَ، ثُمَّ اسْتَأْذَنَ عُمَرُ فَدَخَلَ، ثُمَّ اسْتَأْذَنَ سَعْدُ بْنُ مَالِكٍ فَدَخَلَ، ثُمَّ اسْتَأْذَنَ عُثْمَانُ بْنُ عَفَّانَ وَرَسُولُ اللَّهِ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، يَتَحَدَّثُ كَاشِفًا عَنْ رُكْبَتِهِ فَمَدَّ ثَوْبَهُ عَلَى رُكْبَتِهِ حِينَ اسْتَأْذَنَ عُثْمَانُ، وَقَالَ لِامْرَأَتِهِ: اسْتَأْخِرِي. فَتَحَدَّثُوا سَاعَةً ثُمَّ خَرَجُوا، فَقَالَتْ عَائِشَةُ: يَا نَبِيَّ اللَّهِ دَخَلَ أَبِي وَأَصْحَابُهُ، فَلَمْ تُصْلِحْ ثَوْبَكَ عَلَى رُكْبَتِكَ وَلَمْ تُؤَخِّرْنِي عَنْكَ. فَقَالَ النَّبِيُّ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «أَلَا أَسْتَحِي مِنْ رَجُلٍ تَسْتَحِي مِنْهُ الْمَلَائِكَةُ! وَالَّذِي نَفْسُ رَسُولِ اللَّهِ بِيَدِهِ إِنَّ الْمَلَائِكَةَ لَتَسْتَحْيِي مِنْ عُثْمَانَ، كَمَا تَسْتَحِي مِنَ اللَّهِ وَرَسُولِهِ، وَلَوْ دَخَلَ وَأَنْتِ قَرِيبٌ مِنِّي لَمْ يَتَحَدَّثْ وَلَمْ يَرْفَعْ رَأْسَهُ حَتَّى يَخْرُجَ» . هَذَا حَدِيثٌ غَرِيبٌ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ وَفِيهِ زِيَادَةٌ عَلَى مَا قَبْلَهُ، وَفِي إِسْنَادِهِ ضَعْفٌ. قُلْتُ: وَفِي الْبَابِ عَنْ عَلِيٍّ، وَعَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي أَوْفَى، وَزَيْدِ بْنِ ثَابِتٍ.
পৃষ্ঠা - ৫৮৫৬
৷ ৷ ১া
১া
ৰু
আয়িশা (রা) ও উসমান (রা) বর্ণনা করেন যে, আবু বকর (রা) রাসুলুল্লাহ্মোঃ মোঃ এর নিকট
অনুমতি চাইলেন, এসময় তিনি আয়িশা (রা) এর চাদর মুড়িওট্টদািয় বিছানায় শুয়ে ছিলেন, তিনিণ্;:
আবু বকর (রা) কে অনুমতি দেন, আর তিনি তখনও চাদর মুড়ি দিয়ে ছিলেন ৷ তিনি
প্রয়োজনের কথা র্তাকে বলে চলে গেলেন ৷ তারপর উমর (রা) অনুমতি চইিলে তাকে অনুমতি
দিলেন ৷ আর তিনি তখনও যে অবস্থায় ছিলেন ৷ তিনি রাসুল মোঃ কে প্রয়োজনের কথা বলে
গমন করেন ৷ উসমান (রা) বলেন তারপর আমি তার নিকট অনুমতি চইিলে তিনি বলে
পড়লেন এবং বললেন : তোমার কাপড় ঠিক করে নাও ৷ আমি তাকে আমার প্রয়োজনের কথা
বলে ফিরে আসি ৷ তখন আয়িশা (রা) বললেন : ইয়া রাসুলাল্লাহ! কি ব্যাপার ৷ উসমান
(রা)-এর আগমনে আপনাকে যতটা বিব্লত দেখেছি, আবু বকর ও উমর (রা)এর জন্য কেন
ততটা বিব্লত দেখিনি৷ তখন রাসুল ড্রুল্ বললেন : উসমান (বা) একজন লজ্জাশীল ব্যক্তি,
আমার আশংকা হয়েছিল, যে অবস্থায় আমি তাকে অনুমতি দান করলে তিনি তার প্রয়োজন
আমার নিকট পৌছাতে পারতেন না ৷
লইিস বলেন, একদল লোক বলেছেন যে, রাসুল মোঃ আয়িশা (রা)-ণ্ক বলেছেন : আমি
কি যে ব্যক্তিকে লজ্জা পাবাে না,যে ব্যক্তিকে ফেরেশতারা লজ্জা করেন?’ ইমাম মুসলিম (র)
মুহাম্মদ ইবন আবু হারমালা আয়িশা সুত্রেও হাদীসটি বর্ণনা করেছেন ৷ আবু ইয়ালা আল
মুসিলী সুহইিল সুত্রে তার পিতার বরাভে আয়িশা (রা) থেকেও হাদীসটি বর্ণনা করেছেন ৷
জুবাইর ইবন নুফাইর আয়িশা বিনতে তালহা সুত্রে আয়িশা (রা) থেকেও হাদীসটি বর্ণনা
করেছেন ৷
ইমাম আহমদ (র) মারওয়ান উঘুল মুমিনীন আয়িশা (রা) সুত্রে বর্ণনা করেন যে,
রাসুলুল্লাহ্ মোঃ ন্ একদা উরু উন্মুক্ত করে বলেছিলেন ৷ এমন সময় আবু বকর (বা) অনুমতি
চইিলেন, অথচ তিনি একই অবস্থায় ছিলেন ৷ পরে উমর (রা) আগমন করে অনুমতি চইিলে সে
অবন্থায়ই র্তাকে অনুমতি দিলেন৷ এরপর উসমান (রা) অনুমতি চইিলে রাসুললোঃ গায়ে
কাপড় টেনে দেন ৷ তারা সকলে উঠে র্দড়োলে আমি বললাম :
৫হ আল্লাহ্র রাসুল! আবু বকর ও উমর (রা) অনুমতি চইিলে আপনি একই অবস্থায়
(নির্বিকার) ছিলেন, কিন্তু উসমান (রা) অনুমতি চইিলে আপনি পায়ে কাপড় টেনে দিলেন (এর
কারণ কি ৷) তখন রাসুলঘ্নে ল্যাং বললেন
হে আয়িশা ! ফেরেশতারা যে ব্যক্তিকে লজ্জা পায়, আমরা কি তাকে লজ্জা করবো না? ’
وَرَوَى أَبُو مَرْوَانَ الْقُرَشِيُّ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ مَالِكٍ، عَنْ أَبِي الزِّنَادِ، عَنِ الْأَعْرَجِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، قَالَ: «عُثْمَانُ حَيِيٌّ تَسْتَحِي مِنْهُ الْمَلَائِكَةُ» .
حَدِيثٌ آخَرُ: قَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، عَنْ سُفْيَانَ، عَنْ خَالِدٍ الْحَذَّاءِ، عَنْ أَبِي قِلَابَةَ، عَنْ أَنَسٍ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، «أَرْحَمُ أُمَّتِي أَبُو بَكْرٍ، وَأَشَدُّهَا فِي دِينِ اللَّهِ عُمَرُ، وَأَشَدُّهَا حَيَاءً عُثْمَانُ، وَأَعْلَمُهَا بِالْحَلَالِ وَالْحَرَامِ مُعَاذُ بْنُ جَبَلٍ، وَأَقْرَؤُهَا لِكِتَابِ اللَّهِ أُبَيٌّ، وَأَعْلَمُهَا بِالْفَرَائِضِ زَيْدُ بْنُ ثَابِتٍ، وَلِكُلِّ أُمَّةٍ أَمِينٌ، وَأَمِينُ هَذِهِ الْأُمَّةِ أَبُو عُبَيْدَةَ بْنُ الْجَرَّاحِ» . وَهَكَذَا رَوَاهُ التِّرْمِذِيُّ، وَالنِّسَائِيُّ، وَابْنُ مَاجَهْ مِنْ حَدِيثِ خَالِدٍ الْحَذَّاءِ، وَقَالَ التِّرْمِذِيُّ: حَسَنٌ صَحِيحٌ. وَفِي " صَحِيحِ الْبُخَارِيِّ "، وَ " مُسْلِمٍ " آخِرُهُ " «وَلِكُلِّ أُمَّةٍ أَمِينٌ، وَأَمِينُ هَذِهِ الْأُمَّةِ أَبُو عُبَيْدَةَ بْنُ الْجَرَّاحِ» ".
وَقَدْ رَوَى هُشَيْمٌ عَنْ كَوْثَرِ بْنِ حَكِيمٍ، عَنْ نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ مِثْلَ حَدِيثِ أَبِي قِلَابَةَ، عَنْ أَنَسٍ، أَوْ نَحْوَهُ.
পৃষ্ঠা - ৫৮৫৭
হাফসা সুত্রে অপর এক বর্ণনা
হাসান ইবন আরড়াফা হাফসা সুত্রে আয়েশা (রা) এর অনুরুপ হাদীস বর্ণনা করেছেন ৷
ইবন আব্বাস (রা) সুত্রে অপর বংনাি
হাফিয আবু বকর বায্যার আবু কুরাইব ইবন আব্বাস (রা) সুত্রে বর্ণনা করেন
বাসুলুল্লাহশু;:: বলেছেন : উসমান ইবন আফফান, যাকে ফেরেশতারা লজ্জা করে , আমরা কি
ভাবে লজ্জা করবো না? তারপর ইমাম বায্যার বলেন : ইবন আব্বাস সুত্রেই কেবল হাদীসটি
বর্ণিত আছে ৷ অপর কোন সুত্রে বর্ণিত আছ বলে আমার জানা নেই ৷ আমি বলি , হাদীসটি ইমাম
তিরমিযীর শর্তানুযায়ী বর্ণিত ৷ অন্যান্য ইমাম হাদীসটি বর্ণনা করেন নি ৷
ইবন উমর (রা) থেকে ভিন্ন সুত্রের বর্ণনা
তাবারানী আব্দুল্লাহ্ ইবন আহমদ আবু উমর ইবন আব্বান সুত্রে পিতার বরাতে
বলেন, আমি আব্দুল্লাহ্ ইবন উমরকে বলতে শুনেছিষ্ ং
একদা রাসুলুল্লাহ্ৰাদাওউগবিষ্ট ছিলেন, আর তার পেছনে ছিলেন আ য়েশা (রা) ৷ এমন সময়
আবু বকর (রা) অনুমতি নিয়ে ভিতরে প্রবেশ করলেন, পরে উমর (রা)ও অনুমতি নিয়ে ভেতরে
প্রবেশ করলেন, তারপর সাদ ইবন মালিক অনুমতি নিয়ে ভেতরে প্রবেশ করলেন; তারপর
অনুমতি নিয়ে ভেতরে প্রবেশ করলেন উসমান ইবন আফ্ফান, তখন রাসুল ,ৰু ইাটু উন্মুক্ত
অবস্থায় কথা বলছিলেন ৷ উসমান (রা) অনুমতি চাইলে রাসু হুষ্“-;ৰুহ্:হাটুর উপর কাপড় টেনে
দিলেন আর তার শ্রী আয়েশা (রা) কে বললেনং তুমি এক দিকে সরে যাও ৷ ধ্তারা সকলে
কিছুক্ষণ কথা বলে বেরিয়ে গেলে আয়েশ্ ৷৷ (রা) বললেন ?; হে আল্লাহ্র নবী আমার পিতা আর
সঙ্গীরা আপনার নিকট এলেন, তখন আপনি ছুাটুর উপর কাপড় টেনে দিলেন না, আর
আমাকেও পেছনে সরে যেতে বললেন না (এর কারণ কি?) তখন আল্লাহর নবীগ্লু;হু৮ বললেন :
সে ব্যক্তিকে ফেরেশতারা লজ্জা পড়ায়, তাকে কি আমি লজ্জা পারে৷ না? যার হাতে আমার জীবন,
তার শপথ! ফেরেশতারা যেমনি আ ল্লাহ্ ও তার রাসুলকে লজ্জা পান, তেমনি লজ্জা ৷পান উসমান
(রা) কেও ৷ তিনি যদি ভেতরে প্রবেশ করতেন আর তুমি আমার কাছ থাকতে তাহলে৩ তিনি
কোন কথা না বলে মাথাও না তৃলেই চলে যেতে ন ৷ এ সুত্রে হাদীসটি গরীব এবং তাতে আগের
বর্ণনার অতিরিক্ত আছে ৷ আর৩ তার সনদেও দুর্বলত ৷ আছে ৷ আমি বলি, এ অধ্যায়ে আলী (রা)
আব্দুল্লাহ্ ইবন আবু আউফা এবং যায়দ ইবন সাবিত থেকেও হাদীস বর্ণিত ৩আছে ৷ আর আবু
প্৭ fl ন্শ্ ১
মারওয়ান আল-কুরায়শী , আবু হুরায়রা সুত্রে বর্ণনা করে বলেন যে, রাসুল ;;ৰু:: বলেছেন :
উসমান (রা) এমনই লজ্জাশীল যে, ফেরেশতারাও তাকে লজ্জা করেন’ ৷
অপর একট হাদীস
ইমাম আহমদ (র) ওয়াকী আনাস (রা) সুত্রে বর্ণনা করে রাসুলে করীমন্;:দ্বুহু
বলেছেন ;
ণ্১,া
حَدِيثٌ آخَرُ: قَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا يَزِيدُ بْنُ عَبْدِ رَبِّهِ، ثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ حَرْبٍ، حَدَّثَنِي الزُّبَيْدِيُّ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، عَنْ عَمْرِو بْنِ أَبَانَ بْنِ عُثْمَانَ، عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ أَنَّهُ كَانَ يُحَدِّثُ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، قَالَ: ( «أُرِيَ اللَّيْلَةَ رَجُلٌ صَالِحٌ أَنَّ أَبَا بَكْرٍ نِيطَ بِرَسُولِ اللَّهِ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَنِيطَ عُمَرُ بِأَبِي بَكْرٍ، وَنِيطَ عُثْمَانُ بِعُمَرَ» . قَالَ جَابِرٌ: فَلَمَّا قُمْنَا مِنْ عِنْدِ رَسُولِ اللَّهِ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، قُلْنَا: أَمَّا الرَّجُلُ الصَّالِحُ فَرَسُولُ اللَّهِ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَأَمَّا مَا ذَكَرَ رَسُولُ اللَّهِ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، مِنْ نَوْطِ بَعْضِهِمْ لِبَعْضٍ فَهُمْ وُلَاةُ هَذَا الْأَمْرِ الَّذِي بَعَثَ اللَّهُ بِهِ نَبِيَّهُ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ.
وَرَوَاهُ أَبُو دَاوُدَ، عَنْ عَمْرِو بْنِ عُثْمَانَ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ حَرْبٍ، ثُمَّ قَالَ: وَرَوَاهُ يُونُسُ وَشُعَيْبٌ، فَلَمْ يَذْكُرَا عُمَرَ.
حَدِيثٌ آخَرُ: قَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا أَبُو دَاوُدَ - عُمَرُ بْنُ سَعْدٍ - ثَنَا بَدْرُ بْنُ عُثْمَانَ، عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ مَرْوَانَ، عَنْ أَبِي عَائِشَةَ، عَنِ ابْنِ
পৃষ্ঠা - ৫৮৫৮
া
আমার উম্মতের মধ্যে সবচাইতে দয়াবান আবু বকর (বা) আর আল্লাহ্র দীনের ক্ষেত্রে
সবচইিতে কঠোর উমর (বা) আর তাদের মধ্যে লজ্জার দিক থেকে সবচইিতে কঠোর উসমান
(বা), আর হালাল-হারামের ব্যাপারে সবচইিতে বড় জ্ঞানী মুআয ইবন জাৰাল (রা), আর
আল্লাহ্র কিতড়াবের সবচইিতে বড় কারী উবাই (বা), আর তাদের মধ্যে ফরায়েষের ক্ষেত্রে
সবচাইতে বড় আলিম হলেন যায়দ ইবন সাবিত (রা) ৷ আর প্রা৩ ত্যক উম্মতের জন্য একজন
আমানতদার আছেন , আর এ উম্মতের আমানতদার হলেন আবু উবায়দা ইবনুল জার্রাহ্ (রা)া
অনুরুপভাবে ইমাম তিরমিষী (র ) ইমাম নাসাঈ (র) ও ইমাম ইবন মাজাহ্ খালিদ আল-হড়ায্যা
সুত্রে হাদীসটি বর্ণনা করেছেন ৷ আর ইমাম তিরমিষী হাদীসটিকে হাসানসহীহ্’ বলে উল্লেখ
করেছেন ৷ আর সহীহ বুখারী ও সহীহ মুসলিমে বর্ণিত হাদীসের শেষে আছে; প্রত্যেক
উম্মতের একজন আমীন রয়েছেন, আর এ উম্মতের আমীন’ হলেন আবু উবায়দা ইবনুল
জাররাহ্’ ৷
অনুরুপভাবে হইিসাম কুরীয সুত্রে আনাস (বা) থেকে হাদীস বর্ণনা করেছেন ৷
অপর একটি হাদীস
ইমাম আহমদ (র) ইয়াযীদ ইবন আব্দ রাব্বিহী জাবির ইবন আব্দুল্লাহ (রা) সুত্রে
বর্ণনা করেন যে, তিনি হাদীস বর্ণনা করতেন যে, বাসুলুল্লাহশ্রুটুদ্বু বলেছেন
আজ রাত্রে আমাকে একজন নেককার লোক দেখানো হয়েছে যে, আবু বকর (রা-)-কে
রাসু fl এর সঙ্গে মিলানাে হয়েছে ৷ আর উমর (রা)-কে মিলানাে হয়েছে আবু বকর
(রা)-এর সঙ্গে, আর উসমান (রা)-কে মিলানাে হয়েছে উমর (রা)-এর সঙ্গে ৷ আমরা যখন
রাসুলুল্পাহ্মোঃ এর নিকট থেকে উঠে র্দাড়ালাম তখন বললাম৪ নেককার লেকটিতো
বাসুলুল্লাহৰু ৷ অবশ্য রাসুল মোঃ যে তাদের একজনের সঙ্গে অন্যজনের মিলনের কথা
বলেছেন, তারা হলেন এ দীনের শাসকবৃন্দ, যে দীনসহ আল্লাহ তা আলা তার নবীকে প্রেরণ
করেছেন ৷ ইমাম আবু দাউদ (র) হাদীসটি আম্র ইবন উসমান (র) সুত্রে মুহাম্মদ ইবন হড়ারব
সুত্রে বর্ণনা করে বলেন : ইউনুস এবং শুয়াইবও হাদীসটি যুহরী সুত্রে বর্ণনা করেছেন, তবে
তারা উমরের কথা উল্লেখ করেন নি ৷
ইমাম আহমদ (ব ) আবু দাউদ (রা) উমর ইবন সাদ ইবন উমর (রা) সুত্রে বর্ণনা
করেন ং একদা ভোরে সুর্যোদয়ের পর রাসুলুল্লাহ্মোঃআমাদের নিকট আগমন করে বলেন :
ফজরের পুর্বে আমি দেখতে পাই, যেন আমাকে কুনজী আর দাড়িপাল্লা দেওয়া হয়েছে ৷
মড়াকালীদ হলো চাবি, আর মাওয়াযীন হলো যা দ্বারা (বান্দাদের আমল) ওযন করা হয় ৷ এক
পাল্লায় আমাকে রাখা হয়, অপর পাল্লার রাখা হয় আমার উষ্মতকে ৷ আর তাদের সঙ্গে আমাকে
ওযন করা হলে আমিই ভারী হই ৷ তারপর আবু বকর (রা) -কে এনে ওযন করা হলে তিনি
সমান সমান হলেন ৷ পরে উমর (রা)-কে এনে ওযন করা হলে তিনিও সমান সমান হলেন ৷
এরপর উসমান (রা)-কে এনে ওযন করা হলে তিনিও ওযনে সমান হলেন ৷ তারপর দীড়িপাল্লা
উপরে উঠিয়ে নেয়া হয় ৷ ইমাম আহমদ (রা) এককন্ডাবে হাদীসটি বর্ণনা করেছেন ৷
عُمَرَ قَالَ: خَرَجَ عَلَيْنَا رَسُولُ اللَّهِ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، ذَاتَ غَدَاةٍ بَعْدَ طُلُوعِ الشَّمْسِ فَقَالَ: «رَأَيْتُ قُبَيْلَ الْفَجْرِ كَأَنِّي أُعْطِيتُ الْمَقَالِيدَ وَالْمَوَازِينَ، فَأَمَّا الْمَقَالِيدُ فَهَذِهِ الْمَفَاتِيحُ، وَأَمَّا الْمَوَازِينُ فَهِيَ الَّتِي تَزِنُونَ بِهَا، فَوُضِعْتُ فِي كِفَّةٍ، وَوُضِعَتْ أُمَّتِي فِي كِفَّةٍ، فَوُزِنْتُ بِهِمْ فَرَجَحْتُ، ثُمَّ جِيءَ بِأَبِي بَكْرٍ فَوُزِنَ بِهِمْ فَوَزَنَ، ثُمَّ جِيءَ بِعُمَرَ فَوُزِنَ فَوَزَنَ، ثُمَّ جِيءَ بِعُثْمَانَ فَوَزَنَ بِهِمْ، ثُمَّ رُفِعَتْ» تَفَرَّدَ بِهِ أَحْمَدُ.
وَقَالَ يَعْقُوبُ بْنُ سُفْيَانَ: حَدَّثَنَا هِشَامُ بْنُ عَمَّارٍ، ثَنَا عَمْرُو بْنُ وَاقِدٍ، ثَنَا يُونُسُ بْنُ مَيْسَرَةَ، عَنْ أَبِي إِدْرِيسَ، عَنْ مُعَاذِ بْنِ جَبَلٍ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «إِنِّي رَأَيْتُ أَنِّي وُضِعْتُ فِي كِفَّةٍ وَأُمَّتِي فِي كِفَّةٍ فَعَدَلْتُهَا، ثُمَّ وُضِعَ أَبُو بَكْرٍ فِي كِفَّةٍ وَأُمَّتِي فِي كِفَّةٍ فَعَدَلَهَا، ثُمَّ وُضِعَ عُمَرُ فِي كِفَّةٍ وَأُمَّتِي فِي كِفَّةٍ فَعَدَلَهَا، ثُمَّ وُضِعَ عُثْمَانُ فِي كِفَّةٍ وَأُمَّتِي فِي كِفَّةٍ فَعَدَلَهَا» .
حَدِيثٌ آخَرُ: قَالَ أَبُو يَعْلَى: حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مُطِيعٍ، ثَنَا هُشَيْمٌ، عَنِ الْعَوَّامِ، عَمَّنْ حَدَّثَهُ، عَنْ عَائِشَةَ قَالَتْ: «لَمَّا أَسَّسَ رَسُولُ اللَّهِ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، مَسْجِدَ الْمَدِينَةِ جَاءَ بِحَجَرٍ فَوَضَعَهُ، وَجَاءَ أَبُو بَكْرٍ بِحَجَرٍ فَوَضَعَهُ، وَجَاءَ عُمَرُ بِحَجَرٍ فَوَضَعَهُ، وَجَاءَ عُثْمَانُ بِحَجَرٍ فَوَضَعَهُ، قَالَتْ: فَسُئِلَ رَسُولُ اللَّهِ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، عَنْ ذَلِكَ، فَقَالَ: هَذَا أَمْرُ الْخِلَافَةِ مِنْ بَعْدِي» وَقَدْ تَقَدَّمَ هَذَا الْحَدِيثُ فِي بِنَاءِ مَسْجِدِهِ أَوَّلَ
পৃষ্ঠা - ৫৮৫৯
ইয়াকুব ইবন সুফিয়ান ইিশাম ইবন আমার (বা) মুয়ায ইবন জাবাল (রা) সুত্রে বর্ণনা
করে বলেন, রাসুলে কবীমমোঃ মোঃপুর্বের হাদীসের অনুরুপ বলেছেন ৷
আরো একটি হাদীস
আবু ইয়ালা আব্দুল্লাহ্ ইবন মুতী আয়েশা (রা) সুত্রে বর্ণনা করে বলেন :
মদীনায় মসজিদের ভিত্তি স্থাপনকালে রাসুলুল্লাহ্মোঃ একটা পাথর এনে স্থাপন করলেন ৷
এরপর আবু বকর (রা) একটা পাথর এনে স্থাপন করলেন; পরে উমর (রা) এসে একটা পাথর
এনে স্থাপন করলেন এবং এরপরে উসমান (রা) একটা পাথর এনে স্থাপন করলেন ৷ বর্ণনাকারী
(আয়েশা) (রা) বলেন : এ সম্পর্কে রাসুলুল্লাহ্স্লে কে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি বললেন :
আমার পর এরাই হবেন খিলাফতের দায়িত্বে নিয়োজিত আমীর ৷ মদীনায় রাসুল মোঃ এর
আগমনের শুরুতে মসজিদের ভিত্তি স্থাপন প্রসঙ্গে হাদীসটি আলোচিত হয়েছে ৷ অনুরুপভাবে
দালাইলুন নবুয়ত অধ্যায়ে যুহ্রী সুত্রে অপর এক ব্যক্তির মারফ্তে আবু যর (রা)-এর বরাতে
রাসুলুল্লাহ্হুশুক্ষুৰু এবং আবু বকর, উমর, উসমান (রা)-এর হাতে কংকরের তাসবীহ পাঠ প্রসঙ্গে
হাদীসটি বর্ণিত হয়েছে ৷ কোন কোন বর্ণনায় আছে তখন রাসুলর্ন্তশৃক্ট্রবলেন :
এটা হচ্ছে নবুয়াতের খিলাফত ৷
সফীনা সুত্রে বর্ণিত হাদীস পরে আসছে, যাতে রাসুলুল্লাহ্ক্রোবলোছন :
ঞশ্ঞা হুও১গ্রা
আমার পরে ৩০ বৎসর খিলাফত ব্যবস্থা চালু থাকবে, তারপর আসবে রাজতন্ত্র ৷ ’ মোট
এই ৩০ বৎসর মুদ্দতের মধ্যে বাস্তববাদী আলিমদের সর্বসম্মত মত অনুযায়ী উসমান (রা)-এর
১২ বৎসরও অন্তর্ভুক্ত ৷ সাইয়িদ্রদুল মুরসালীনমোঃ এ সম্পর্কে পুৰ্বাহে অবহিত করেছিলেন ৷
অপর একটি হাদীস ণ্
রাসুলুল্পাহ্জ্যে থেকে বিভিন্ন সুত্রে বর্ণিত হয়েছে যে, তিনি ১০ জনের জন্য জামাতের সাক্ষ্য
“দানকরেছেন, নৰীকরীমমোঃ চ্এর স্পষ্ট উক্তি মতে উসমান (রা)-ও ছিলেন সে দশ জনের
অন্যতম ৷
আরো একটি হাদীস
ইমাম ৰুখারী (র) মুহাম্মদ ইবন হাতিম ইবন উমর (রা) সুত্রে বর্ণনা করেন :
مَقْدِمِهِ الْمَدِينَةَ عَلَيْهِ الصَّلَاةُ وَالسَّلَامُ.
وَكَذَلِكَ تَقَدَّمَ فِي دَلَائِلِ النُّبُوَّةِ مِنْ حَدِيثِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ رَجُلٍ، عَنْ أَبِي ذَرٍّ فِي تَسْبِيحِ الْحَصَا فِي يَدِهِ عَلَيْهِ الصَّلَاةُ وَالسَّلَامُ، ثُمَّ فِي كَفِّ أَبِي بَكْرٍ، ثُمَّ فِي كَفِّ عُمَرَ، ثُمَّ فِي كَفِّ عُثْمَانَ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمْ. وَفِي بَعْضِ الرِّوَايَاتِ: فَقَالَ: رَسُولُ اللَّهِ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: هَذِهِ خِلَافَةُ النُّبُوَّةِ
وَسَيَأْتِي حَدِيثُ سَفِينَةَ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، قَالَ: «الْخِلَافَةُ بَعْدِي ثَلَاثُونَ سَنَةً ثُمَّ تَكُونُ مُلْكًا» فَكَانَتْ وِلَايَةُ عُثْمَانَ، وَمُدَّتُهَا ثِنْتَيْ عَشْرَةَ سَنَةً، مِنْ جُمْلَةِ هَذِهِ الثَّلَاثِينَ بِلَا خِلَافٍ بَيْنِ الْعُلَمَاءِ الْعَامِلِينَ، كَمَا أَخْبَرَ بِهِ سَيِّدُ الْمُرْسَلِينَ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَعَلَى آلِهِ وَصَحْبِهِ أَجْمَعِينَ.
حَدِيثٌ آخَرُ: وَهُوَ مَا رُوِيَ مِنْ طُرُقٍ مُتَعَدِّدَةٍ عَنْ رَسُولِ اللَّهِ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، أَنَّهُ شَهِدَ لِلْعَشَرَةِ بِالْجَنَّةِ، وَعُثْمَانُ مِنْهُمْ بِنَصِّ النَّبِيِّ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، عَلَى ذَلِكَ.
حَدِيثٌ آخَرُ: قَالَ الْبُخَارِيُّ: حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ حَاتِمِ بْنِ بَزِيعٍ، ثَنَا شَاذَانُ، ثَنَا عَبْدُ الْعَزِيزِ بْنُ أَبِي سَلَمَةَ الْمَاجِشُونُ، عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ، عَنْ نَافِعٍ، «عَنِ ابْنِ عُمَرَ قَالَ: كُنَّا فِي زَمَنِ النَّبِيِّ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، لَا نَعْدِلُ بِأَبِي بَكْرٍ أَحَدًا، ثُمَّ عُمَرَ، ثُمَّ عُثْمَانَ، ثُمَّ نَتْرُكُ أَصْحَابَ النَّبِيِّ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، لَا نُفَاضِلُ بَيْنَهُمْ» . تَابَعَهُ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ صَالِحٍ، عَنْ
পৃষ্ঠা - ৫৮৬০
নবী করীমমোঃএর যমানায় আমরা কাউকে আবু বকর-এর সমকক্ষ মনে করতাম না ৷
তারপর উমর, এবং তারপর উসমান (না)-এর সঙ্গে কাউকে সমান জ্ঞান করতাম না ৷ তারপর
আমরা নবী করীমভ্রুম্যু এর সাহাৰীদের ব্যাপারে কাউকে অন্যের উপর শ্রেষ্ঠতু দিতাম না ৷
আব্দুল্লাহ্ ইবন সালিহ ইবন আব্দুল আযীয অনুরুপ বর্ণনা করেছেন ইমাম বুখারী এককভাবে
হাদীসটি বর্ণনা করেছেন ৷ হাদীসটি ইসমাঈল ইবন আইয়াশ, ফরজ ইবন ফুযালা ইয়াহইয়া
ইবন সাঈদ আনসারী থেকে, তিনি নাফি সুত্রে ইবন উমর (রা)-এর বরাতে বর্ণনা করেছেন ৷
আবুইয়ালা আবু মাশার ইবন উমর সুত্রেও হাদীসটি বর্ণনা করেছেন ৷
ইবন উমর (রা) থেকে অন্য এক সুত্রে বর্ণিত হাদীস
ইমাম আহমদ (র) আবু মুআবিয়া ইবন উমর (রা) সুত্রে বর্ণনা করে বলেন :
ণ্ট্রু ঞ্জে
আমরা রাসুল করীমপ্লো : এবং তবে সাহাবী আবু বকর, উমর এবং উসমান (রা)-কে শ্রেষ্ঠ
জ্ঞান করতাম, তারপর চুপ থাকতাম ৷
জ্যি ভাষায় ইবন উমর (না) থেকে অপর এক বর্ণনা
হাফিয আবু বকর বাযষার অড়ামৃর ইবন আলী সালিম সুত্রে, তিনি তার পিতা সুত্রে
বর্ণনা করেন : ,
নবী করীমঘ্নে এর যমানায় আমরা বল্তাম : আবু বকর, উমর এবং উসমান (রা) অর্থাৎ
খিলাফতের পরম্পরার ক্ষেত্রে ৷
এ হাদীসের ইসনড়াদ শায়খাইন তথা বুখারী-মুসলিমের শর্ত অনুযায়ী বিশুদ্ধ ৷ তবে তারা
হাদীসটি উদ্ধৃত করেননি ৷ অবশ্য ইমাম বাষ্যাৱ বলেনঃ এ হাদীসটি ইবন উমর থেকে বিভিন্ন
সুত্রে বর্ণিত আছে : ,
আমরা বলতাম আবু বকর, উমর এবং উসমান (রা) তারপর অন্যদের মধ্যে কাউকে
কারো উপর শ্রেষ্ঠৎ দিতাম না ৷ আর উমর ইবন মুহাম্মদ হাফিয-ই হাদীস ছিলেন না ৷ আর এটা
প্রকাশ পায় তার হাদীসে, যখন তিনি সালিম ছাড়া অন্য সুত্রে বর্ণনা করেন তখন কিছুই বলেন
না ৷ আর হাদীসটি দৃর্বলদের একাধিক ব্যক্তি যুহরী সুত্রে সালিম-এর বরাতে আর তিনি তার
পিতার সুত্রে বর্ণনা করেছেন ৷ আর হাফিয ইবন আসাকির ইবন উমর থেকে সকল সুত্র একত্র
করার উদ্যোগ নিয়ে ভাল কাজ করেছেন ৷, অবশ্য তাবারানী সাঈদ ইবন অব্দে রাব্বিহী
ইবন আব্বাস (রা) সুত্রে বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ্ ন্ষ্ণ্ণ্ষ্ণ্ বন্লছেন :
জান্নাতে একটি বৃক্ষ আছে, অথবা জান্নাতে কোন বৃক্ষ নেই! আলী ইবন হাম্বল সন্দেহ
করেন যাতে লইিলাহ৷ ইল্লাহু মুহাষ্মাক্যু রাসুলুল্লাহ্ন্ক্তে লেখা সেই, লেখা সেই যাতে আবু বকর
সিদ্দীক, উমর ফ্ারুক এবং উসমান যুনৃনুরইিন লেখা সেই ৷ হাদীসটি যঈফ তথা দুর্বল এবং এ
হাদীসের সনদে এমন লোক রয়েছে, যার সম্পর্কে বিতর্ক রয়েছে ৷ আর হাদীসটি (নাফারাত)
ত্রুটি থেকেও মুক্ত নয় ৷ মহান আল্লাহ্ই ভাল জানেন ৷
আল-বিদায়া — : ৭
عَبْدِ الْعَزِيزِ. تَفَرَّدَ بِهِ الْبُخَارِيُّ. وَرَوَاهُ إِسْمَاعِيلُ بْنُ عَيَّاشٍ، وَالْفَرَجُ بْنُ فَضَالَةَ، عَنْ يَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ الْأَنْصَارِيِّ، عَنْ نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ. وَرَوَاهُ أَبُو يَعْلَى، عَنْ أَبِي مَعْمَرٍ، عَنْ يَزِيدَ بْنِ هَارُونَ، عَنِ اللَّيْثِ، عَنْ يَزِيدَ بْنِ أَبِي حَبِيبٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ بِهِ.
طَرِيقٌ أُخْرَى عَنِ ابْنِ عُمَرَ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا: قَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا أَبُو مُعَاوِيَةَ، ثَنَا سُهَيْلُ بْنُ أَبِي صَالِحٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ قَالَ: كُنَّا نَعُدُّ وَرَسُولُ اللَّهِ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، حَيٌّ وَأَصْحَابُهُ مُتَوَافِرُونَ ; أَبُو بَكْرٍ وَعُمَرُ وَعُثْمَانُ، ثُمَّ نَسْكُتُ.
طَرِيقٌ أُخْرَى عَنِ ابْنِ عُمَرَ بِلَفْظٍ آخَرَ: قَالَ الْحَافِظُ أَبُو بَكْرٍ الْبَزَّارُ: حَدَّثَنَا عَمْرُو بْنُ عَلِيٍّ وَعُقْبَةُ بْنُ مُكْرَمٍ قَالَا: ثَنَا أَبُو عَاصِمٍ، عَنْ عُمَرَ بْنِ مُحَمَّدٍ، عَنْ سَالِمٍ، عَنْ أَبِيهِ قَالَ: «كُنَّا نَقُولُ فِي عَهْدِ رَسُولِ اللَّهِ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: أَبُو بَكْرٍ وَعُمَرُ وَعُثْمَانُ،
পৃষ্ঠা - ৫৮৬১
يَعْنِي فِي الْخِلَافَةِ» . وَهَذَا إِسْنَادٌ صَحِيحٌ عَلَى شَرْطِ الشَّيْخَيْنِ، وَلَمْ يُخَرِّجَاهُ، لَكِنْ قَالَ الْبَزَّارُ: وَهَذَا الْحَدِيثُ قَدْ رُوِيَ عَنِ ابْنِ عُمَرَ مِنْ وُجُوهٍ، وَعُمَرُ بْنُ مُحَمَّدٍ لَمْ يَكُنْ بِالْحَافِظِ، وَذَلِكَ فِي حَدِيثِهِ مُتَبَيَّنٌ إِذَا رَوَى عَنْ غَيْرِ سَالِمٍ.
وَقَدْ رَوَاهُ غَيْرُ وَاحِدٍ مِنَ الضُّعَفَاءِ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ سَالِمٍ، عَنْ أَبِيهِ بِهِ، وَقَدِ اعْتَنَى الْحَافِظُ - ابْنُ عَسَاكِرَ بِجَمْعِ طُرُقِهِ عَنِ ابْنِ عُمَرَ فَأَفَادَ وَأَجَادَ.
فَأَمَّا الْحَدِيثُ الَّذِي رَوَاهُ الطَّبَرَانِيُّ: حَدَّثَنَا سَعِيدُ بْنُ عَبْدَوَيْهِ الصَّفَّارُ الْبَغْدَادِيُّ، حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ جَمِيلٍ الرَّقِيُّ، أَنَا جَرِيرٌ، عَنْ لَيْثٍ، عَنْ مُجَاهِدٍ عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «فِي الْجَنَّةِ شَجَرَةٌ أَوْ مَا فِي
পৃষ্ঠা - ৫৮৬২
দ্বিতীয় প্রকার হাদীস, যাতে কেবল উসমান (রা)-এর ফযীলত বর্ণিত হয়েছে
ইমাম বুখারী (র) মুসা ইবন ইসমাঈল উসমান ইবন মাওহাব সুত্রে বর্ণনা করেন ?
ণ্ ন্ব্লু৷ ৷
া
১ ৷
ট্রু ঠুই
;
জ্যানক মিসরীয় ব্যক্তি বায়তৃল্লাহ্য় হক্কজ্জর উংদ্দাশ্য আগমন করে কিছু লোককে বসে
থাকতে দেখে জিজ্ঞেস করলেনঃ এরা করো ? লোকেরা বললো ? কুরাইশের লোকজন ৷ তিনি
জানতে চাইলে ? আদর মধ্যে শায়খ কে ? লোকেরা বললো? আব্দুল্লাহ্ ইবন উমর ৷ তিনি
বললেন : ইবন উমর, আমি একটা বিষয় আপনাকে জিজ্ঞেস করতে চাই, যে বিষয়ে আপনি
আমাকে অবগত করবেন ৷ আপনি কি জানেন যে, উসমান (রা) উহুদ যুদ্ধের দিন পলায়ন
করেছিলেন? তিনি বললেন, হ্যা ৷ তিনি বললেন ? আপনার কি জানা আছে যে, তিনি বদর
যুদ্ধের দিন অনুপস্থিত ছিলেন, উপস্থিত হননি? বললেন-হ্যা ৷ লোকঢি আবার বললেন যে,
আপনার কি জানা আছে যে, উসমান (রা) ৰায়আতুর রিদওয়ানে অনুপস্থিত ছিলেন, উপস্থিত
হননি ? তিনি বললেন, হ্যা ৷ মিসরীয় লােকিট বললেন ? আল্লাহ আকবার ৷ ইবন উমর (রা)
বললেন : আল তোমাকে আমি খোলাসা করে বলছি : উহুদ যুদ্ধের দিন তার পলায়ন করা
সম্পর্কে আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, আল্লাহ্ তাআলা তাকে মাফ করে দিয়েছেন ৷ আর বদর যুদ্ধের
দিন তীর অনুপস্থিত থাকার কারণ এই যে, সেদিন তার দায়িত্বে ছিলেন রাসুলুল্পাহ্মোঃ এর
কন্যা, যিনি অসুস্থ ছিলেন ৷ রাসুলুল্লাহ্স্তে তাকে বলেছিলেন : আপনার জন্য রয়েছে যুদ্ধে
অংশগ্রহণকারীর সাওয়াব ও অংশ ৷ আর ৰায়আতুর রিদওয়ানে তার অনুপস্থিত থাকা, উনমান
(রা)-এর চাইতে মক্কা ভুমিতে কেউ যদি বেশি প্রিয় থাকতো তাহলে তার স্থলে সেদিন
রাসুলুল্লাহ্লাং£র্তাকেই প্রেরণ করতেন ৷ তইি রাসুলুল্লাহ্-ষ্ঘ্নেউসমান (রা)-কে মক্কায় প্রেরণ
করেন ৷ আর উসামন (রা) মক্কায় গমন করার পর বায়আভুর ম্বিওয়ান সংঘটিত হয় ৷ সেদিন
রাসুলুল্লাহ্আঃ নিজের ডান হাতকে বলেছিলেন : এটা হলো উসমান (না)-এর হাত ৷ তার
الْجَنَّةِ شَجَرَةٌ - شَكَّ عَلِيُّ بْنُ جَمِيلٍ - مَا عَلَيْهَا وَرَقَةٌ إِلَّا مَكْتُوبٌ عَلَيْهَا: لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ مُحَمَّدٌ رَسُولُ اللَّهِ، أَبُو بَكْرٍ الصِّدِّيقُ، عُمَرُ الْفَارُوقُ، عُثْمَانُ ذُو النُّورَيْنِ» . فَإِنَّهُ حَدِيثٌ ضَعِيفٌ، فِي إِسْنَادِهِ مَنْ تُكُلِّمَ فِيهِ، وَلَا يَخْلُو مِنْ نَكَارَةٍ. وَاللَّهُ أَعْلَمُ.
[فِيمَا وَرَدَ مِنْ فَضَائِلِهِ وَحْدَهُ]
الْقِسْمُ الثَّانِي فِيمَا وَرَدَ مِنْ فَضَائِلِهِ وَحْدَهُ: قَالَ الْبُخَارِيُّ: حَدَّثَنَا مُوسَى بْنُ إِسْمَاعِيلَ، ثَنَا أَبُو عَوَانَةَ، ثَنَا عُثْمَانُ بْنُ مَوْهَبٍ قَالَ: جَاءَ رَجُلٌ مِنْ أَهْلِ مِصْرَ حَجَّ الْبَيْتَ، فَرَأَى قَوْمًا جُلُوسًا فَقَالَ: مَنْ هَؤُلَاءِ الْقَوْمُ؟ قَالُوا: هَؤُلَاءِ قُرَيْشٌ. قَالَ: فَمَنِ الشَّيْخُ فِيهِمْ؟ قَالُوا: عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عُمَرَ قَالَ: يَا ابْنَ عُمَرَ إِنِّي سَائِلُكَ عَنْ شَيْءٍ فَحَدِّثْنِي ; هَلْ تَعْلَمُ أَنَّ عُثْمَانَ فَرَّ يَوْمَ أُحُدٍ؟ قَالَ: نَعَمْ. فَقَالَ: تَعْلَمُ أَنَّهُ تَغَيَّبَ عَنْ بَدْرٍ وَلَمْ يَشْهَدْهَا؟ قَالَ: نَعَمْ. قَالَ: تَعْلَمُ أَنَّهُ تَغَيَّبَ عَنْ بَيْعَةِ الرِّضْوَانِ فَلَمْ يَشْهَدْهَا؟ قَالَ: نَعَمْ. قَالَ: اللَّهُ أَكْبَرُ. قَالَ ابْنُ عُمَرَ: تَعَالَ أُبَيِّنْ لَكَ ; أَمَّا فِرَارُهُ يَوْمَ أُحُدٍ فَأَشْهَدُ أَنَّ اللَّهَ عَفَا عَنْهُ وَغَفَرَ لَهُ، وَأَمَّا تَغَيُّبُهُ عَنْ بَدْرٍ فَإِنَّهُ كَانَتْ تَحْتَهُ بِنْتُ رَسُولِ اللَّهِ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَكَانَتْ مَرِيضَةً، فَقَالَ لَهُ رَسُولُ اللَّهِ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «إِنَّ لَكَ أَجْرَ رَجُلٍ مِمَّنْ شَهِدَ بَدْرًا وَسَهْمَهُ» ، وَأَمَّا تَغَيُّبُهُ عَنْ
পৃষ্ঠা - ৫৮৬৩
নিজের অপর হাতের উপর সে হাত রেখে রাসুলুল্লাহ্অ্যাংন্র্দু গাংবলেছিলেন এটা হলো উসমানেৰু
জন্য ৷ তখন ইবন উমর (রা) লোকটিকে বললেন০ ং
এখন তুমি এটা৫ তামার সঙ্গে নিয়ে যাও ৷ মুসলিম (বা) ব্যতীত ইমাম বুখারী (র)
এককভাবে হাদীসটি বর্ণনা করেছেন ৷
অপর একটি বর্ণনা
ইমাম আহমদ মুআবিয়া ইবন আমৃর সুফিয়ান সুত্রে বর্ণনা করেন :
আবদুর রহমান ইবন আওফ ওয়ালীদ ইবন উকবার সঙ্গে সাক্ষাৎ করলে ওয়ালীদ র্তাকে
বললেন : কি ব্যাপার আমি দেখতে পাচ্ছি যে, আপনি আমীরুল মু’মিনীন উসমান (রা)-এর
ব্যাপারে অন্যায় আচরণ করছেনঃ তখন আব্দুর রহমান (রা) তাকে বললেন : তড়াকে জানিয়ে
দাও যে, হুনইিন যুদ্ধের দিন আমি পলায়ন করিনি ৷ রাবী আসিম বলেনং উহুদ যুদ্ধের দিন, আর
বদর যুদ্ধের দিন আমি পিছু হটিনি এবং আমি উমর (রা) এর সুন্নাহ ত্যাপও করিনি ৷ রাবী
বলেন, তিনি গিয়েউসমান (রা) কে খবর দিলে তিনি বললেনং : হুনাইন যুদ্ধের দিন আমি
পলায়ন করিনি-একথা দ্বারা তিনি কেমন করে আমাকে দোষ সাব্যস্ত করতে পারেন? অথচ
আল্লাহ্ তাআলা তো আমাকে ক্ষমা করে দিয়েছেন ৷ আল্লাহ্ বলেন :
যেদিন দুদল পরস্পর সম্মুখীন হয়েছিল, সেদিন তোমাদের মধ্যে যারা পৃষ্ঠ প্রদর্শন করেছিল
তাদের কৃ ত কর্মের জন্য শয়তানই তাদের পদস্কালন ঘটিয়েছিল ৷ অবশ্য আর ৷ হ তাদেরকে ক্ষমা
করে দিয়েছেন ৷ আল্লাহ্ মহা ক্ষমাপরায়ণ ও সহনশীল (সুরা আলে ইমরানও : ১৫৫) ৷ আর
তিনি যে বলেছেন-বদর যুদ্ধের দিন আমি পশ্চাতে পড়েছিলাম, তার ৫৩ এই যে, আমি
রাসুলুল্লাহ্ এর কন্যা রুকইিয়ার সেবা যন্তে নিয়োজিত ছিলাম ৷ আর রাসুলুল্লাহ্গুণুহৃ
আমাকে অংশ দান করেহ্নো; আর রাসুলুল্লাহ্মোঃআঃ যাকে অংশ দিয়েছেনঃ সে অবশ্যই উপস্থিত
বলে গণ্য হয়েছে ৷ আর তিনি যে বলেছেন?’ আমি উমর (রা) এর সপ্তাহ ত্যাগ করিনি, তার
রহস্য এই যে, সে সাধ্য আমারও নেই, তারও নেই আর তিনি একথাই বলতেন ৷
অপর একটি হাদীস
ইমাম বুখারী (র) আহমদ ইবন শাবীর ইবন সাঈদ উবায়দুল্লাহ ইবন আদী ইবনুল
খিয়ার থেকে বর্ণনা করেন যে তিনি বলেছেন মিসওয়ার ইবন মাখরামা এবং আব্দুল ইবনুল
আসওয়াদ ইবন ইয়াগৃস বলেছেন০ ং উসমান (রা) এর ভইি ওয়ালীদের ব্যাপারে কথা বলতে
কিসে আপনাকে বাধা দিচ্ছে৷ লোকেরা তার ব্যাপারে অনেক কথা বলছে ৷ তাই উসমান (বা)
যখন নামাষের জন্য বের হন তখন আমি তার সামনে হাজির হয়ে বললাম আপনার সাথে
আমার একটা দরকার আছে ৷ আর তাহলো আপনার জন্য উপদেশমুলক কথা ৷ তখনও তিনি
বললেন, ৷তােমার নিকট থেকে উপদেশমুলক কথা ! হে ব্যক্তিহ্ আবু আব্দুল্লাহ্ উল্লেখ করেন যে,
মামাৱ বলেন : (তিনি বলেছিলেন) আমি আল্পাহ্র নিকট তোমার পক্ষ থেকে পানাহ চাই ৷
তইি আমি ফিরে আমি এবং তাদের নিকট প্ৰত্যাবর্ত্য করি ৷ হঠাৎ দেখি, উসমান (রা)-এর দুত
হাজির হয়েছেন ৷ আমি তার কাছে গেলে তিনি বললেন, তোমার কি উপদেশ প্ তখন আমি
বললাম :
بَيْعَةِ الرِّضْوَانِ فَلَوْ كَانَ أَحَدٌ أَعَزَّ بِبَطْنِ مَكَّةَ مِنْ عُثْمَانَ لَبَعَثَهُ مَكَانَهُ ; فَبَعَثَ رَسُولُ اللَّهِ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، عُثْمَانَ - وَكَانَتْ بَيْعَةَ الرِّضْوَانِ بَعْدَ مَا ذَهَبَ عُثْمَانُ - إِلَى مَكَّةَ، فَقَالَ النَّبِيُّ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، بِيَدِهِ الْيُمْنَى: هَذِهِ يَدُ عُثْمَانَ. فَضَرَبَ بِهَا عَلَى يَدِهِ فَقَالَ: هَذِهِ لِعُثْمَانَ. فَقَالَ لَهُ ابْنُ عُمَرَ: اذْهَبْ بِهَا الْآنَ مَعَكَ. تَفَرَّدَ بِهِ دُونَ مُسْلِمٍ.
طَرِيقٌ أُخْرَى: وَقَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا مُعَاوِيَةُ بْنُ عَمْرٍو، ثَنَا زَائِدَةُ، عَنْ عَاصِمٍ، عَنْ شَقِيقٍ قَالَ: لَقِيَ عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ عَوْفٍ الْوَلِيدَ بْنَ عُقْبَةَ فَقَالَ لَهُ الْوَلِيدُ: مَا لِي أَرَاكَ جَفَوْتَ أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ عُثْمَانَ؟ فَقَالَ لَهُ عَبْدُ الرَّحْمَنِ: أَبْلِغْهُ أَنِّي لَمْ أَفِرَّ يَوْمَ حُنَيْنٍ - قَالَ عَاصِمٌ: يَقُولُ: يَوْمَ أُحُدٍ - وَلَمْ أَتَخَلَّفْ عَنْ يَوْمِ بَدْرٍ، وَلَمْ أَتْرُكْ سُنَّةَ عُمَرَ. قَالَ: فَانْطَلَقَ فَخَبَّرَ ذَلِكَ عُثْمَانَ فَقَالَ: أَمَّا قَوْلُهُ: إِنِّي لَمْ أَفِرَّ يَوْمَ حُنَيْنٍ فَكَيْفَ يُعَيِّرُنِي بِذَلِكَ وَقَدْ عَفَا اللَّهُ عَنِّي فَقَالَ: {إِنَّ الَّذِينَ تَوَلَّوْا مِنْكُمْ يَوْمَ الْتَقَى الْجَمْعَانِ إِنَّمَا اسْتَزَلَّهُمُ الشَّيْطَانُ بِبَعْضِ مَا كَسَبُوا وَلَقَدْ عَفَا اللَّهُ عَنْهُمْ إِنَّ اللَّهَ غَفُورٌ حَلِيمٌ} [آل عمران: 155]
পৃষ্ঠা - ৫৮৬৪
[آلِ عِمْرَانَ: 155] وَأَمَّا قَوْلُهُ: إِنِّي تَخَلَّفْتُ يَوْمَ بَدْرٍ. فَإِنِّي كُنْتُ أُمَرِّضُ رُقَيَّةَ بِنْتَ رَسُولِ اللَّهِ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَقَدْ ضَرَبَ لِي رَسُولُ اللَّهِ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، بِسَهْمِي وَمَنْ ضَرَبَ لَهُ رَسُولُ اللَّهِ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، بِسَهْمِهِ فَقَدْ شَهِدَ، وَأَمَّا قَوْلُهُ: وَلَمْ أَتْرُكْ سُنَّةَ عُمَرَ. فَإِنِّي لَا أُطِيقُهَا وَلَا هُوَ فَأْتِهِ فَحَدِّثْهُ بِذَلِكَ.
حَدِيثٌ آخَرُ: قَالَ الْبُخَارِيُّ: حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ شَبِيبِ بْنِ سَعِيدٍ، ثَنَا أَبِي، عَنْ يُونُسَ قَالَ ابْنُ شِهَابٍ: أَخْبَرَنِي عُرْوَةُ أَنَّ عُبَيْدَ اللَّهِ بْنَ عَدِيِّ بْنِ الْخِيَارِ، أَخْبَرَهُ أَنَّ الْمِسْوَرَ بْنَ مَخْرَمَةَ وَعَبْدَ الرَّحْمَنِ بْنَ الْأَسْوَدِ بْنِ عَبْدِ يَغُوثَ قَالَا: مَا يَمْنَعُكَ أَنْ تُكَلِّمَ عُثْمَانَ لِأَخِيهِ الْوَلِيدِ، فَقَدْ أَكْثَرَ النَّاسُ فِيهِ؟ فَقَصَدْتُ لِعُثْمَانَ حِينَ خَرَجَ إِلَى الصَّلَاةِ. قُلْتُ: إِنَّ لِي إِلَيْكَ حَاجَةٌ، وَهِيَ نَصِيحَةٌ لَكَ. قَالَ: يَا أَيُّهَا الْمَرْءُ - قَالَ أَبُو عَبْدِ اللَّهِ: قَالَ مَعْمَرٌ: أَرَاهُ قَالَ - أَعُوذُ بِاللَّهِ مِنْكَ. فَانْصَرَفْتُ فَرَجَعْتُ إِلَيْهِمْ إِذْ جَاءَ رَسُولُ عُثْمَانَ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، فَأَتَيْتُهُ فَقَالَ: مَا نَصِيحَتُكَ؟ فَقُلْتُ: إِنَّ اللَّهَ بَعَثَ مُحَمَّدًا، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، بِالْحَقِّ، وَأَنْزَلَ عَلَيْهِ الْكِتَابَ، وَكُنْتَ مِمَّنِ اسْتَجَابَ لِلَّهِ وَلِرَسُولِهِ، فَهَاجَرْتَ الْهِجْرَتَيْنِ، وَصَحِبْتَ