আল বিদায়া ওয়া আন্নিহায়া

ثم دخلت سنة خمس وثلاثين

أسباب مقتل عثمان بن عفان رضي الله عنه

পৃষ্ঠা - ৫৭৬৬

৩৫ হিজরীর আগমন ও হযরত উসমান (না)-এর
নিহত হওয়ার ঘটনা

তার কারণ ছিল, হযরত উসমান ইবন আফফান (রা) কবৃকি আমর ইবনুল আস (রা)কে
মিসর থেকে বরখাস্ত করা এবং আবদুল্লাহ ইবন সাদ ইবন আবু সারহ (র)-বো আমীর নিযুক্ত
করা ৷ মিসরের খারিজীরা আমর ইবনুল আস (রা) দ্বারা পরিরেষ্টিত ছিল এবং তার কাছে
পরাভৃত ছিল ৷ তাই তারা খলীফার ও আমীরের বিরুদ্ধে কোন রকম বিরুপ মন্তব্য করতে সাহস
পেত না ৷ তারা এরুপ অবস্থায় দিন কাটাতে লাগল ৷ একদিন তারা হযরত উসমান (রা)-এর
কাছে আমীরের বিরুদ্ধে অভিযোগ পােশ করল এবং তাকে তাদের থেকে প্রত্যাহার করে অন্য
একজন তার চেয়ে নয় শাসক নিযুক্ত করার দাবি জানলে ৷ তাদের এ দাবি আদায়ের জন্য তারা
খলীফার উপরে চাপ সৃষ্টি করতে লাগল ৷ তারপর খসীফা আমর (বা)-কে সেনাপতির পদ
থেকে বরখাস্ত করলেন কিন্তু তাকে সালাতের ইমামতিতে বহাল রাখলেন ৷ সেনাপতি ও কর
আদায়ের দায়িত্ব দিলেন আবদুল্লাহ ইবন সাদ ইবন আবু সারহ (র)-কে ৷ তারপর খারিজীরা
এই দুইজন প্রশাসকের মধ্যে হিংসা-বিদ্বেষ সৃষ্টি কংতে অপপ্রয়াস চালান ৷

শেষ পর্যন্ত তাদের মধ্যে হিংসা-বিদ্বেষ সৃষ্টি হলো এবং তাদের মধ্যে বাদানুবাদ ও
বাকবিতণ্ডা পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হলো ৷ তারপর উসমান (বা) তাদের কাছে দুত পাঠান এবং
আবদুল্লাহ ইবন সা’দ ইবন আবু সারহ (র)-কে মিসরের সমস্ত কর্মচারী তাদের কর আদায়,
তাদের যুদ্ধ পরিচালনা, তাদের সালাত আদায় ও যাবতীয় কাজের দায়িত্ব অর্পণ করেন ৷ আর
আমর ইবনুল আস (বা) কে বলে পাঠান যে, যারা তোমাকে অপছন্দ করে তাদের কাছে থেকে
তোমার কোন লাভ নেই ৷ তাই তুমি আমার কাছে চলে এসো ৷ তারপর আমর ইবনুল আস
(রা) মদীনায় প্রত্যাবর্তন করেন ৰিক্ষ্ম উসমান (রা)-এর সম্পর্কে নিজের মধ্যে অত্যন্ত খারাপ
ধারণা ও দুরভিসন্ধি পোষণ করতে লাণলেন ৷ তিনি স্বয়ং খলীফার সাথে তার বিষয় নিয়ে কথা
বলেন ৷ তারা এ ব্যাপারে কথা কাটা-কাটি করলেন এবং আমর ইবনুল মাস (বা) হযরত
উসমান (রা) থেকে তার পিতাকে অধিক সম্মানিত বলে প্রমাণ করতে তৎপরতা চালান ৷ তখন
হযরত উসমান (রা) তাকে বলেন এসব ছাড়, এগুলোত জাইিলিয়তের প্রচলিত নিয়ম পদ্ধতি ৷
তারপর আমর ইবনুল আ’স জনর্গণকে হযরত উসমান (রা) এর বিরুদ্ধে ক্ষেপিয়ে তোলেন ৷

মিসরে একটি দল ছিল যারা হযরত উসমান (রা)এর সাথে হিংসা-ৰিদ্বেয রাখত এবং
হযরত উসমান (রা)-এব্র বদনাম করত ৷ তারা প্রবীণ সাহাবীদের বরখাস্ত করে তরুণদেরকে
দায়িত্ব প্ৰদান কিৎবা তাদের মতে অনুপযুক্ত আত্মীয়-স্বজনদের নিয়োগ প্রদানকরার অভিযাে প
আনয়ন করে ৷ আমর ইবনুল আস (রা)-এর পর মিসরবাসীরা আবদুল্লাহ ইবন সা’স ইবন আবু


[ثُمَّ دَخَلَتْ سَنَةُ خَمْسٍ وَثَلَاثِينَ] [أَسْبَابُ مَقْتَلِ عُثْمَانَ بْنِ عَفَّانَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ] َ فَفِيهَا مَقْتَلُ عُثْمَانَ بْنِ عَفَّانَ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ وَكَانَ السَّبَبُ فِي ذَلِكَ أَنَّ عَمْرَو بْنَ الْعَاصِ حِينَ عَزَلَهُ عُثْمَانُ عَنْ مِصْرَ وَوَلَّى عَلَيْهَا عَبْدَ اللَّهِ بْنَ سَعْدِ بْنِ أَبِي سَرْحٍ. وَكَانَ سَبَبُ ذَلِكَ أَنَّ الْخَوَارِجَ مِنَ الْمِصْرِيِّينَ كَانُوا مَحْصُورِينَ مِنْ عَمْرِو بْنِ الْعَاصِ، مَقْهُورِينَ مَعَهُ لَا يَسْتَطِيعُونَ أَنْ يَتَكَلَّمُوا بِسُوءٍ فِي خَلِيفَةٍ وَلَا أَمِيرٍ، فَمَا زَالُوا يَعْمَلُونَ عَلَيْهِ حَتَّى شَكَوْهُ إِلَى عُثْمَانَ؛ لِيَنْزِعَهُ عَنْهُمْ وَيُوَلِّيَ عَلَيْهِمْ مَنْ هُوَ أَلْيَنُ مِنْهُ، فَلَمْ يَزَلْ ذَلِكَ دَأْبُهُمْ حَتَّى عَزَلَ عَمْرًا عَنِ الْحَرْبِ وَتَرَكَهُ عَلَى الصَّلَاةِ، وَوَلَّى عَلَى الْحَرْبِ وَالْخَرَاجِ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ سَعْدِ بْنِ أَبِي سَرْحٍ، ثُمَّ سَعَوْا فِيمَا بَيْنَهُمَا بِالنَّمِيمَةِ فَوَقَعَ بَيْنَهُمَا، حَتَّى كَانَ بَيْنَهُمَا كَلَامٌ قَبِيحٌ، فَأَرْسَلَ عُثْمَانُ فَجَمَعَ لِابْنِ أَبِي سَرْحٍ جَمِيعَ عِمَالَةِ مِصْرَ؛ خَرَاجَهَا وَحَرْبَهَا وَصَلَاتَهَا، وَبَعَثَ إِلَى عَمْرٍو يَقُولُ لَهُ: لَا خَيْرَ لَكَ فِي الْمَقَامِ عِنْدَ مَنْ يَكْرَهُكَ، فَاقْدُمْ إِلَيَّ. فَانْتَقَلَ عَمْرُو بْنُ الْعَاصِ إِلَى الْمَدِينَةِ وَفِي نَفْسِهِ مِنْ عُثْمَانَ أَمْرٌ عَظِيمٌ، وَشَرٌّ كَبِيرٌ، فَكَلَّمَهُ فِيمَا كَانَ مِنْ أَمْرِهِ بِنَفْسٍ، وَتَقَاوَلَا فِي ذَلِكَ، وَافْتَخَرَ عَمْرُو بْنُ الْعَاصِ بِأَبِيهِ عَلَى أَبِي عُثْمَانَ، وَأَنَّهُ كَانَ أَعَزَّ مِنْهُ، فَقَالَ لَهُ عُثْمَانُ: دَعْ هَذَا فَإِنَّهُ مِنْ أَمْرِ الْجَاهِلِيَّةِ. وَجَعَلَ عَمْرُو بْنُ الْعَاصِ يُؤَلِّبُ النَّاسَ عَلَى
পৃষ্ঠা - ৫৭৬৭


সারহ (র)-কে অপছন্দ করতে লাগল ৷ এদিক দিয়ে আবদুল্লাহ ইবন সা’দ ইবন আবু সারহ (র)
মরক্কোবাসীদের সাথে যুদ্ধে লিপ্ত ছিলেন ৷ তিনি বারবারদের শহরসমুহ, আন্দুলুস ও আফ্রিকা
জয়লাভ করেন ৷ কয়েকজন সাহাবীর সত্তানেরা মিসরে একটি দল গঠন করে তারা জনগণকে
হযরত উসমান (রা)-এর বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে ও খলীফার বিরুদ্ধে আন্দোলন করার জন্যে
জনগণকে উদ্বুদ্ধ করতে লাগল ৷ তাদের মধ্যে প্রধান ছিল মুহাম্মদ ইবন আবু বকর (রং) ও
মুহাম্মদ ইবন আবু হুযাইফা ৷ তারা প্রায় ছয়শত সওয়ারী সংগ্রহ করল, এ সওয়ারীগুলো উমরাহ্
করার নাম করে রজব মাসে পবিত্র মদীনা অভিমুখে রওয়ানা হলো ৷

তাদের উদ্দেশ্য হলো খলীফার বিরুদ্ধে সংগ্রাম করা ৷ তার চারটি দলে বিভক্ত ছিল এবং
তাদের চারজন নেতা ও ছিল ৷ তারা হলো, আমর ইবন বুদাইল ইবন ওয়ারাকাহ আল-খুযায়ী,
আবদুর রহমান ইবন উদাইস আল-বালবী, কিনানাহ ইবন বশর আততাজীরী, সুদান ইবন
হুমরার্ন আস-সাকুনী ৷ তাদের সাথে সংগী ছিলেন মুহাম্মদ ইবন আর্বৃবকর (রা) ৷ আর মুহাম্মদ
ইবন আবু হুযাইফা মিসর থেকে জনগণকে উত্তেজিত করতে লাগলেন ও তাদের জন্যে
প্রতিরাে ধ গড়ে তুলতে লাগলেন ৷ উমরা, পালনকারীদের বেশে খলীফার বিরুদ্ধে
আন্দোলনকারীদের সন্বেন্ধে অবহিত করে উসমান (রা)-এর কাছে আবদুল্লাহ ইবন সাদ ইবন
আবু সারহ (র) একটি পত্রসহ দুত পাঠড়ালেন ৷ যখন তারা মদীনায় নিকটবর্তী হলো, মদীনা
প্রবেশের পুর্বে তাদেরকে প্রকৃত ঘটনা অবহিত করে শান্ত করে নিজেদের দেশে ফেরত পাঠাবার
জন্যে তিনি হযরত আলী (রা)-কে প্রেরণ করেন ৷ ৰু

এরুপও কথিত আছে যে, হযরত উসমান (রা) জনগণকে তাদের প্ৰতি আগমন করার
জন্যে দাওয়াত দিলেন ৷ এ কাজে যাওয়ার জন্যে আলী (রা) রাযী হলেন তাই তাকে খলীফা
প্রেরণ করেন ৷ তার সাথে প্রবীণ সম্মানিত ব্যক্তিদের একটি দলও সঙ্গী ছিলেন ৷ আমার ইবন
ইয়াসার (রা)-কে সঙ্গে নেওয়ার জন্যে আলী (রা)-কে হযরত উসমান (রা) অনুরোধ করেন ৷
তাই আলী (রা) আম্মার ইবন ইয়ড়াসার (রা)-কে অনুরোধ করলেন সাথী হওয়ার জন্যে কিত্তু
আমার (রা) হযরত আলী (রা) এর সাথে আগমন করতে অস্বীকার করেন ৷ তারপর হযরত
উসমান (রা) হযরত অন্মোর (রা)-এর কাছে হহৃরত সাদ ইবন আবু ওয়াক্কাস (রা)-কে প্রেরণ
করেন যাতে তিনি তাকে আলী (রা)-এর সাথে যাওয়ার জন্যে উৎসাহিত করেন ৷ কিন্তু আমার
(রা) যেতে অস্বীকার করেন ও অত্যন্ত কঠোরভাবে প্রতিবাদ করতে লাগলেন ৷ তিনি উসমান
(রা)-এর উপর অত্যন্ত নারাজ ছিলেন ৷ কেননা, তিনি তাকে একটি ব্যাপারে শাসন করেছিলেন
এবং এ ব্যাপারে তাকে প্রহার করেছিলেন ৷

ঘটনাটি ছিল এরুপ যে, একদিন আম্মার (বা) আব্বাস ইবন উভবা ইবন আবু লাহাবকে
পালি-গালাজ করলেন ৷ তাই হযরত উসমান (যা) তাকে শাসন করলেন ৷ এজন্য হযরত আমার
(বা) যলীফার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করলেন এবং তার বিরুদ্ধে জনগণকে উত্তেজিত করলেন ৷ সাদ
ইবন আবু ওয়াক্কাস (রা) তাকে এ কাজ করতে নিষেধ করেন এবং এ ব্যাপারে তাকে তিরস্কার
করেন ৷ কিন্তু তাতে কোন কাজ হলো না ৷ তিনি বিরত হলেন না এবং ক্ষান্তও হলেন না ৷
তারপর হযরত আলী ইবন আবু তালিব (রা) বিদ্রোহীদের কাছে গেলেন ৷ বিদ্রোহীরা আল
জ্বহফা নামক স্থানে অবস্থান করছিল ৷ র্তারা তাকে সম্মান করত এবং তার (হযরত আলী) হুকুম


عُثْمَانَ. وَكَانَ بِمِصْرَ جَمَاعَةٌ يُبْغِضُونَ عُثْمَانَ وَيَتَكَلَّمُونَ فِيهِ بِكَلَامٍ قَبِيحٍ - عَلَى مَا قَدَّمْنَا - وَيَنْقِمُونَ عَلَيْهِ فِي عَزْلِهِ جَمَاعَةً مِنْ عِلْيَةِ الصَّحَابَةِ، وَتَوْلِيَتِهِ مَنْ دُونِهِمْ أَوْ مَنْ لَا يَصْلُحُ عِنْدَهُمْ لِلْوِلَايَةِ. وَكَرِهَ أَهْلُ مِصْرَ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ سَعْدِ بْنِ أَبِي سَرْحٍ بَعْدَ عَمْرِو بْنِ الْعَاصِ، وَاشْتَغَلَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ سَعْدٍ عَنْهُمْ بِقِتَالِ أَهْلِ الْمَغْرِبِ وَفَتْحِهِ بِلَادَ الْبَرْبَرِ وَالْأَنْدَلُسِ وَإِفْرِيقِيَّةَ. وَنَشَأَ بِمِصْرَ طَائِفَةٌ مِنْ أَبْنَاءِ الصَّحَابَةِ يُؤَلِّبُونَ النَّاسَ عَلَى حَرْبِهِ وَالْإِنْكَارِ عَلَيْهِ، وَكَانَ عُظْمُ ذَلِكَ مُسْنَدًا إِلَى مُحَمَّدِ بْنِ أَبِي بَكْرٍ وَمُحَمَّدِ بْنِ أَبِي حُذَيْفَةَ، حَتَّى اسْتَنْفَرَا نَحْوًا مِنْ سِتِّمِائَةِ رَاكِبٍ يَذْهَبُونَ إِلَى الْمَدِينَةِ فِي صِفَةِ مُعْتَمِرِينَ فِي شَهْرِ رَجَبٍ؛ لِيُنْكِرُوا عَلَى عُثْمَانَ، فَسَارُوا إِلَيْهَا تَحْتَ أَرْبَعِ رِفَاقٍ، وَأَمْرُ الْجَمِيعِ إِلَى أَبِي عَمْرِو بْنِ بُدَيْلِ بْنِ وَرْقَاءَ الْخُزَاعِيِّ، وَعَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ عُدَيْسٍ الْبَلَوِيِّ، وَكِنَانَةَ بْنِ بِشْرٍ التُّجِيبِيِّ، وَسَوْدَانَ بْنِ حُمْرَانَ السَّكُونِيِّ، وَأَقْبَلَ مَعَهُمْ مُحَمَّدُ بْنُ أَبِي بَكْرٍ، وَأَقَامَ بِمِصْرَ مُحَمَّدُ بْنُ أَبِي حُذَيْفَةَ يُؤَلِّبُ النَّاسَ وَيُدَافِعُ عَنْ هَؤُلَاءِ، وَكَتَبَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ سَعْدِ بْنِ أَبِي سَرْحٍ إِلَى عُثْمَانَ يُعْلِمُهُ بِقُدُومِ هَؤُلَاءِ الْقَوْمِ إِلَى الْمَدِينَةِ مُنْكِرِينَ عَلَيْهِ فِي صِفَةِ مُعْتَمِرِينَ، فَلَمَّا اقْتَرَبُوا مِنَ الْمَدِينَةِ أَمَرَ عُثْمَانُ عَلِيَّ بْنَ أَبِي طَالِبٍ أَنْ يَخْرُجَ إِلَيْهِمْ؛ لِيَرُدَّهُمْ إِلَى بِلَادِهِمْ قَبْلَ أَنْ يَدْخُلُوا الْمَدِينَةَ. وَيُقَالُ: بَلْ نَدَبَ النَّاسَ إِلَيْهِمْ فَانْتَدَبَ عَلِيٌّ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ،
পৃষ্ঠা - ৫৭৬৮


যথাযথ পালন করত ৷ তারপর হযরত আলী (বা) তাদেরকে ফেরত পাঠালেন ৷ প্রকৃত তথ্য
তাদের কাছে তুলে ধরলেন ও তাদেরকে তিরস্কার করলেন ৷ এর পর বিদ্রোহীরা সজ্জিত হলো
এবং একে অন্যকে বলতে লাগল এ জন্যে কি ণ্৩ ঘেরা আমীরের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে চাও ৷ আর
এটাকে কি তােমরা৩ তার বিরুদ্ধে দলীল হিসেবে পেশ করছ ? আরো কথিত আছে যে, হযরত
আলী (বা) হযরত উসমান (রা) এর সম্পর্কে বিদ্রেড়াহীদের সাথে বহস করেছেন এবং তাদেরকে
প্রশ্ন করেছেন যে, খলীফার বিরুদ্ধে তাদের অভিযােগগুলো কি ৷ তারা খলীফার বিরুদ্ধে কিছু
অত্যিযাগ পেশ করল ৷

১ সরকারী চারণ ভুমি নিজস্ব স্বার্থে ব্যবহার ৷ ২ কুরআন শরীফ দগৃধীভুতকরণ ৷ ৩
মুসাফিরী অবস্থায় পুর্ণ নামায আদায় করা ৷ : প্রবীণ সাহাবীদেরকে বরখাস্ত করে তরুণদেরকে
আমীর নিযুক্ত করা ৷ ৫ বনু উমাইয়ার সদস্যদেরকে অধিক হারে চাকুরীতে নিয়োগ করা ৷
হযরত আলী (রা) এসব অভিযোগের উত্তর প্রদান করেন ৷

১ সরকারের কিছু সম্পত্তি সীমানা নির্ধারণ করে পৃথক করা হয় তীর নিজের ভেড়া-বকরী
চরাবার জন্যে নয় বরং তা করা হয়েছে সাদকার উট চরাবার জন্যে, যাতে এগুলো মােটাতাজা
হতে পারে ৷ ২ কুরআন শরীফের , বিরোধপুর্ণ কিছু অংশ (কিরাতের বিভিন্নতা) সাহাবায়ে
কিরামের সম্মতিতে পুড়িয়ে ফেলা হয় এবং সর্বপ্সম্মতিক্রষ্মে গ্রহণযোগ্য অংশগুলো বাকি রাখা
হয় ৷ কুরআন সংকলনের দ্বিতীয় পর্যায়ে এরুপ ব্যবস্থা গ্রহণ সর্বসম্মতিক্রমে গৃহিত হয়েছে ৷ ৩
পবিত্র মক্কায় মুসাফিরী অবস্থায় পুর্ণ সালাত আদায় করার বিষয়টির ব্যাখ্যা নিম্নরুপ ৷ তিনি
পবিত্র মক্কায় স্থায়ীভাবে বসবাস শুরু করেন এবং এখানে ১৫ দিনের অধিককাল থাকর নিয়ত
করেন ৷ তাই তিনি পুর্ণ নামায আদায় করতেন ৷ : তরুণদেরকে নিয়োগ দেওয়ার ব্যাপারে
বলা হয়েছে যে, তিনি ন্যায় পরায়ণ ও যােগ্যতাসম্পন্ন ব্যক্তি বর্গকে নিয়োগ দিয়েছেন ৷
রাসুলুল্লাহ মোঃ ইতাব ইবন উসইিদ (রা) কে পবিত্র মক্কার আমীর নিযুক্ত করেছিলেন ৷ অথচ

তার বয়স ছিল তখন ২০ বছর মাত্র ৷ অনুরুপভ্যবে উসামা ইবন যায়িদ ইবন হড়ারিসাকে

রাসুলুল্লড়াহ,মোঃ ল্যাংসেনাপতি নিয়োগ করেন অথচ জনসাধারণ তাকে আমির নিযুক্ত করার ব্যাপারে
আপত্তি উত্থাপন করে ৷ খনত রাসুলুল্লাহ মোঃবলেন, “তিনি আমীর হওয়ার উপযুক্ত” ৷ ৫ তার
নিজ সম্প্রদায় বনু উন্ম্বুইয়ায় সদস্যদেৱকে অগাধিকার দেওয়ার ক্ষেত্রে বলা যায় যে, রাসুলুল্লহে
মোঃ ও জনগণের মধ্যে কুরাইশকে অঘাধিকার দিতেন ৷ এজন্য হযরত উসমান (রা) বলেছিলেন
আল্লাহর শপথ যদি আমার হাতে জান্নাতের চাৰি থাকত তাহলে আমি বনু উমাইয়ার সকল
সদস্যকে জান্নাতে প্রবেশ করার অনুমতি দিতাম ৷

কথিত আছে যে, আমার (বা) ও মুহাম্মদ ইবন আবু বকর (রা)-এর ক্ষেত্রে হযরত উসমান
(রা)-কে বিদ্রোহীরা যে অভিযােবগ অভিযুক্ত করেছিল, তাদের সম্পর্কে হযরত উসমান (রা)
ওযর পেশ করতে গিয়ে বলেন, তিনি তাদেরকে তাদের মঙ্গলের জন্যই সমুচিত শাসন
করেছিলেন ৷ হাকাম ইবন আবুল আসকে চাকুরী দেওয়ার বিরুদ্ধে বিদ্রোহীরা হযরত উসমান
(রা) কে দোষারােপ করে বলেছিল যে, রাসুলুল্পাহঘ্নে তাকে তায়িফ শহরে নির্বাসন
দিয়েছিলেন ৷ উত্তরে হযরত উসমান (রা) এর ব্যাখ্যা হলো, রাসুলুল্লাহসাঃতাকে তায়িফে
প্রথম নিৰ্বাসন দিয়েছিলেন ৷ তারপর তাকে ফেরত আমার অনুমতি দেন ৷ পুনরায় তাকে তথায়


لِذَلِكَ فَبَعَثَهُ وَخَرَجَ مَعَهُ جَمَاعَةُ الْأَشْرَافِ وَأَمَرَهُ أَنْ يَأْخُذَ مَعَهُ عَمَّارَ بْنَ يَاسِرٍ، فَقَالَ عَلِيٌّ لِعَمَّارٍ فَأَبَى عَمَّارٌ أَنْ يَخْرُجَ مَعَهُ، فَبَعَثَ عُثْمَانُ سَعْدَ بْنَ أَبِي وَقَّاصٍ أَنْ يَذْهَبَ إِلَى عَمَّارٍ لِيُحَرِّضَهُ عَلَى الْخُرُوجِ مَعَ عَلِيٍّ إِلَيْهِمْ، فَأَبَى عَمَّارٌ كُلَّ الْإِبَاءِ، وَامْتَنَعَ أَشَدَّ الِامْتِنَاعِ، وَكَانَ مُتَغَضِّبًا عَلَى عُثْمَانَ بِسَبَبِ تَأْدِيبِهِ لَهُ عَلَى أَمْرٍ، وَضَرْبِهِ إِيَّاهُ فِي ذَلِكَ، وَذَلِكَ بِسَبَبِ شَتْمِهِ عَبَّاسَ بْنِ عُتْبَةَ بْنِ أَبِي لَهَبٍ، فَأَدَّبَهُمَا عُثْمَانُ، فَتَآمَرَ عَمَّارٌ عَلَيْهِ لِذَلِكَ، وَجَعَلَ يُحَرِّضُ النَّاسَ عَلَيْهِ، فَنَهَاهُ سَعْدُ بْنُ أَبِي وَقَّاصٍ عَنْ ذَلِكَ وَلَامَهُ عَلَيْهِ، فَلَمْ يُقْلِعْ عَنْهُ وَلَمْ يَرْجِعْ وَلَمْ يَنْزِعْ، فَانْطَلَقَ عَلِيُّ بْنُ أَبِي طَالِبٍ إِلَيْهِمْ وَهُمْ بِالْجُحْفَةِ، وَكَانُوا يُعَظِّمُونَهُ وَيُبَالِغُونَ فِي أَمْرِهِ، فَرَدَّهُمْ وَأَنَّبَهُمْ وَشَتَمَهُمْ، فَرَجَعُوا عَلَى أَنْفُسِهِمْ بِالْمَلَامَةِ، وَقَالُوا: هَذَا الَّذِي تُحَارِبُونَ الْأَمِيرَ بِسَبَبِهِ، وَتَحْتَجُّونَ عَلَيْهِ بِهِ. وَيُقَالُ: إِنَّهُ نَاظَرَهُمْ فِي عُثْمَانَ، وَسَأَلَهُمْ مَاذَا يَنْقِمُونَ عَلَيْهِ؟ فَذَكَرُوا أَشْيَاءَ؛ مِنْهَا أَنَّهُ حَمَى الْحِمَى، وَأَنَّهُ حَرَقَ الْمَصَاحِفَ، وَأَنَّهُ أَتَمَّ الصَّلَاةَ، وَأَنَّهُ وَلَّى الْأَحْدَاثَ الْوِلَايَاتِ، وَتَرَكَ الصَّحَابَةَ الْأَكَابِرَ، وَأَعْطَى بَنِي أُمَيَّةَ أَكْثَرَ مِنَ النَّاسِ، فَأَجَابَ عَلِيٌّ عَنْ ذَلِكَ فَقَالَ: أَمَّا الْحِمَى فَإِنَّمَا حَمَاهُ لِإِبِلِ الصَّدَقَةِ لِتَسْمَنَ، وَلَمْ يَحْمِهِ لِإِبِلِهِ وَلَا لِغَنَمِهِ، وَقَدْ حَمَاهُ عُمَرُ مِنْ قَبْلِهِ، وَأَمَّا الْمَصَاحِفُ فَإِنَّمَا حَرَقَ مَا وَقَعَ فِيهِ اخْتِلَافٌ، وَأَبْقَى لَهُمُ الْمُتَّفَقَ عَلَيْهِ، كَمَا ثَبَتَ فِي الْعَرْضَةِ الْأَخِيرَةِ، وَأَمَّا إِتْمَامُهُ الصَّلَاةَ بِمَكَّةَ فَإِنَّهُ كَانَ قَدْ تَأَهَّلَ بِهَا وَنَوَى الْإِقَامَةَ
পৃষ্ঠা - ৫৭৬৯


নির্বাসন দেন ৷ বর্ণনাকারী বলেন, রাসুলুল্লাহমোঃতাকে নির্বাসনে প্রেরণ করেন পরে তাকে
যেদ্মত আমার অনুমতি দেন ৷

বর্ণিত রয়েছে যে, হযরত উসমান (রা) উপরোক্ত বিষয়সমুহ সম্বন্ধে সাহাবায়ে কিংা৷মের
সম্মুখে খুতবা দান করেন ৷ আর এ সম্পর্কে তাদের থেকে সাক্ষ্য তলব করেন এবং তারা সাক্ষ্য
দিতে লাপলেন, যার মধ্যে কিংবা যেখানে যেখানে তার জন্যে সাক্ষ্য দেওয়া প্রয়োজন ৷ এরুপও
বর্ণিত রয়েছে যে, বিদ্রোহীরা তাদের মধ্য থােক একদলকে প্রেরণ করেছিল যাতে তারা উসমান
(বা) এর খুতবায় উপস্থিত থাকতে পারে ৷ তারা যখন উপস্থিত হলো তাদের সামনে
অতিযােগগুলোর সংজ্ঞা দেওয়া হলো, সমস্যেগুলাে দুর করা হলো, তখন তাদের জন্যে কোন
সন্দেহ বাকি রইল না ৷

সাহাবায়ে কিরামের একটি দল হযরত উসমান (রা)-কে ইংগিত করলেন যেন খলীফা
বিদ্রোহীদেরকে কঠোরভাবে শাস্তি প্রদান করেন ৷ কিন্তু, হযরত উসমান (রা) তাদেরকে ক্ষমা
করে দেন এবং তাদেরকে তাদের সম্প্রদায়ের কাছে ফিরে যেতে অনুমতি দেন ৷ তাই তারা
যেখান থেকে এসেছিল সেখানে বিফল মনােরথ হয়ে প্রত্যাবর্তন করে ৷৩ তারা বা কিছু যটাবার
ইচ্ছে করেছিল আর কিছুই তারা করতে পারেনি ৷ হযরত আলী (রা) হযরত উসমান (রা) এর
কাছে ফেরত আসেন এবং বিদ্রোহীদের ফিরে যাবার সংবাদ হযরত ৩উসমান (রা) এর নিকট
পরিবেশন করেন ৷ আর তারা যে হযরত আলী (রা)-এর কথা শুনেছেন তাও ব্যক্ত করেন ৷ তিনি
হযরত উসমান (রা)-কে জনগণের কাছে একটি খুতবা দেওয়ার জন্যে ইং গত করলেন ৷ এ
খুতবার মাধ্যমে তিনি তার কিছু সংখ্যক আত্মীয়-স্বজনকে অগাধিকার দেওয়ার প্রেক্ষিতে যে
অন্যায় হয়েছে তার সম্বন্ধে যেন জনগণের কাছে ক্ষমা প্রার্থনাকরেনঃ এবং তাদেরকে এ কথার
উপরে সাক্ষ্য দিতে বলেন যে, তিনি তা থেকে তাওবা করেছেন এবং তার পুর্বে দুইজন প্রবীণ
খলীফা যেভাবে কাজ করেছেন ৷ তার ধারাবাহিকতা তিনি বজায় রাখবেন, তিনি তা থেকে
লক্ষ্যভ্রষ্ট হবেন না ৷ আর তার খিলাফতের প্রথম ছয় বছর যেরুপ ছিল তিনি তা পরবর্তীতেও
বজায় রাখবেন ৷

হযরত উসমান (রা) হযরত আলী (রা) এর এ নসীহতটি মনে৷ যা ৷গ সহকারে শ্রবণ
করলেন এবং তা পালন করার জন্যে সানন্দে গ্রহণ করেন ৷ জুমার দিন যখন আসল তিনি
জনগণের মাঝে খুতবা দেন এবং খুতবার মধ্যে দৃইহাত উত্তোলন করে বলেন, হে আল্লাহ ! আমি
তোমার কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করছি এবং আমি তোমার কাছে তাওবা করছি ৷ হে আল্লাহ! আমার
থেকে যা কিছু হয়ে গেছে আমি তার সর্বপ্রথম তাও ৰাকারী ৷ তারপর দৃইচােখের অশ্রু ছেড়ে
দিলেন ৷ সমস্ত মুসলমানও তার সাথে ক্রন্দন করলেন ৷ জনগণ তাদের ইমামের জন্য অত্যন্ত
দরদ দেখালেন ৷ হযরত উসমান (রা) জনগণের এরুপ ব্যবহার স্বয়ং প্রত্যক্ষ করলেন ৷ আর
মনে মনে প্রতিজ্ঞা করলেন হযরত আবু বকর সিদ্দীক (মা) ও হযরত উমর (রা) যেভাবে
চলেছিলেন তিনিও সেভাবে চলবেন ৷ তিনি তার ঘরের দরজা সাক্ষাতপ্রার্ষীদের জন্যে খোলা
রাখবেন ৷ কাউকে তিনি কোন সময় বাধা দিয়ে না ৷ তিনি মিম্বর থেকে নামলেন এবং জনগণকে
নিয়ে সালা ত আদায় করলেন ৷ তারপর ঘরে প্রবেশ করলেন এবং আমীরুল্ মু’মিনীনের ঘরে


فَأَتَمَّهَا، وَأَمَّا تَوْلِيَتُهُ الْأَحْدَاثَ فَلَمْ يُوَلِّ إِلَّا رَجُلًا سَوِيًّا عَدْلًا، وَقَدْ وَلَّى رَسُولُ اللَّهِ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، عَتَّابَ بْنَ أُسِيدٍ عَلَى مَكَّةَ وَهُوَ ابْنُ عِشْرِينَ سَنَةً، وَوَلَّى أُسَامَةَ بْنَ زَيْدِ بْنِ حَارِثَةَ وَطَعَنَ النَّاسِ فِي إِمَارَتِهِ فَقَالَ: إِنَّهُ لَخَلِيقٌ لِلْإِمَارَةِ. وَأَمَّا إِيثَارُهُ قَوْمَهُ بَنِي أُمَيَّةَ فَقَدْ «كَانَ رَسُولُ اللَّهِ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، يُؤْثِرُ قُرَيْشًا عَلَى النَّاسِ،» وَوَاللَّهِ لَوْ أَنَّ مِفْتَاحَ الْجَنَّةِ بِيَدِي لَأَدْخَلْتُ بَنِي أُمَيَّةَ إِلَيْهَا. وَيُقَالُ: إِنَّهُمْ عَتَبُوا عَلَيْهِ فِي عَمَّارٍ وَمُحَمَّدِ بْنِ أَبِي بَكْرٍ. فَذَكَرَ عُثْمَانُ عُذْرَهُ فِي ذَلِكَ، وَأَنَّهُ أَقَامَ فِيهِمَا مَا كَانَ يَجِبُ عَلَيْهِمَا. وَعَتَبُوا عَلَيْهِ فِي إِيوَائِهِ الْحَكَمَ بْنَ أَبِي الْعَاصِ، وَقَدْ نَفَاهُ رَسُولُ اللَّهِ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، إِلَى الطَّائِفِ فَذَكَرَ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، كَانَ قَدْ نَفَاهُ إِلَى الطَّائِفِ ثُمَّ رَدَّهُ، ثُمَّ نَفَاهُ إِلَيْهَا، قَالَ: فَقَدْ نَفَاهُ رَسُولُ اللَّهِ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، ثُمَّ رَدَّهُ. وَرُوِيَ أَنَّ عُثْمَانَ خَطَبَ النَّاسَ بِهَذَا كُلِّهِ بِمَحْضَرٍ مِنَ الصَّحَابَةِ، وَجَعَلَ يَسْتَشْهِدُ بِهِمْ فَيَشْهَدُونَ لَهُ فِيمَا فِيهِ شَهَادَةٌ لَهُ. وَيُرْوَى أَنَّهُمْ بَعَثُوا طَائِفَةً مِنْهُمْ فَشَهِدُوا خُطْبَةَ عُثْمَانَ هَذِهِ، فَلَمَّا تَمَهَّدَتِ الْأَعْذَارُ وَانْزَاحَتْ عِلَلُهُمْ وَلَمْ يَبْقَ لَهُمْ شُبْهَةٌ أَشَارَ جَمَاعَةٌ مِنَ الصَّحَابَةِ عَلَى عُثْمَانَ بِتَأْدِيبِهِمْ، فَصَفَحَ عَنْهُمْ وَتَرَكَهُمْ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، وَرَدَّهُمْ إِلَى قَوْمِهِمْ، فَرَجَعُوا خَائِبِينَ مِنْ حَيْثُ أَتَوْا وَلَمْ يَنَالُوا شَيْئًا مِمَّا كَانُوا أَمَّلُوا وَرَامُوا، وَرَجَعَ عَلِيٌّ إِلَى عُثْمَانَ فَأَخْبَرَهُ بِرُجُوعِهِمْ عَنْهُ وَسَمَاعِهِمْ مِنْهُ، وَأَشَارَ عَلَى عُثْمَانَ أَنْ يَخْطُبَ النَّاسَ خُطْبَةً يَعْتَذِرُ إِلَيْهِمْ فِيهَا مِمَّا كَانَ وَقَعَ مِنَ الْأَثَرَةِ لِبَعْضِ أَقَارِبِهِ، وَيُشْهِدُهُمْ عَلَيْهِ بِأَنَّهُ قَدْ تَابَ مِنْ ذَلِكَ، وَأَنَابَ إِلَى الِاسْتِمْرَارِ عَلَى مَا كَانَ عَلَيْهِ مِنْ سِيرَةِ الشَّيْخَيْنِ
পৃষ্ঠা - ৫৭৭০


কোন প্রয়োজন কিংবা মাসয়ালা কিংবা প্রশ্নের উত্তর জানার জন্যে যদি কেউ প্রবেশ করতে ইচ্ছে
করেন তাহলে তাকে কােনরুপ বাধা দেওয়া হবে না ৷ এরুপ পদ্ধতি কিছু দিন চলতে লাগল ৷

আল্লামা ওয়াকিদী (র) বলেন, আলী ইবন উমর (র) তার পিতা থেকে বর্ণনা করেন ৷ তিনি
বলেন, মিসরীয় ৰিদ্রোহীরা চলে যাওয়ার পর হযরত আলী (বা) হযরত উসমান (রা)এ্যার কাছে
আগমন করেন এবং বলেন, এমনভাবে মানুষের সাথে কথা বলবেন যেন তারা আপনার কথা
শুনতে পায় এবং তারা আপনার কার্যকলাপে যে সততা আছে তা সাক্ষ্য দেয়, আর আপনার
অন্তার মহান আল্লাহর প্রতি যে অনুনয় বিনয় ও ডয়-ডীতি আছে, তা আল্লাহ তাআলা যেন
সাক্ষ্য দেন ও গ্রহণ করেন ৷ কেননা বিভিন্ন শহরের জ্যাগণ আপনার বিরুদ্ধে ক্ষুব্ধ হয়ে পড়েছে ৷
আমি আমার নিজেকেও নিরাপদ মনে করি না ৷ আরো একটি দলও কুফা থেকে অভিযোগ নিয়ে
আগমন করতে পারে, তখন আপনি আমাকে বলবেন, হে আলী ! তাদের সাথে একটু কথা
বলুন, আবার আরেক দল আসবে বসরা হতে, আপনি আমাকে বলবেন, হে আলী ৷ আপনি
তাদের সাথে দেখা করুন এবং তাদেরকে নসীহত করুন ৷ যদি আমি আপনার কথা অমান্য করি
তখন আপনার ও আমার মধ্যে যে ঘনিষ্ঠভা আছে, তা নষ্ট হয়ে যাবে এবং আপনার
অধিকারকেও আমি ক্ষুগ্ন করব ৷

বর্ণনাকারী বলেন, হযরত উসমান (রা) ঘর থেকে বের হলেন এবং জনগণের সামনে এমন
এক খুতবা দিলে, যেখানে তিনি মহান আল্লাহর প্রতি যে তার ভয়ভীতি আছে তা প্রদর্শন
করেন এবং তিনি যে তাওবা করেছেন তাও জনগণকে অবহিত করেন ৷ তারপর তিনি র্দড়াড়ালেন
এবং মহান আল্লাহার যথােপযুক্ত হড়ামদও প্রশংসা করেন ৷ তারপর বলেন, যে মানবমওলী
আল্লাহর শপথ, যে দোষ-ত্রুটি আমি জানিনা সেটা যদি কেউ অৰেষণ করে তাহলে সে অন্যায়
করেনি ৷ আমি তোমাদের কাছে যা কিছু বলছি তা জেনে শুনে বলছি, কিন্তু আমার ন্যায়
পরায়নতার কিছুটা বিব্ল ঘটেছে ৷ আমি রাসুলুল্লাহমোঃ-কে বলতে শুনেছি, তিনি বলেন, যার
পদষ খলন হয়েছে সে যেন তাওবা করে ৷ যে ভ্যু৷ করেছে সে যেন তাওবা করে এবং ধ্বংসাত্মক
কাছে যেন আর লিপ্ত না থাকে ৷ কেননা সে জুলুম-অত্যাচারে লিপ্ত থাকবে যে সঠিক রাস্তা
থেকে দুরে সরে যাবে ৷ আমি প্রথম ব্যক্তি যে এ নসীহত পালন করতে চেষ্টা করছি ৷ আমি যা
যা করেছি তা সম্বন্ধে আমি ঠিকই তাওবা করছি ও আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করছি ৷ আর
আমার মত লোকের উচিত মহান আল্লাহর দরবারে অনুনয়-বিনয় করা ও তাওবা করা ৷ যখন
আমি মিন্বর থেকে অবতরণ করব, তোমাদের পণ্যমান্য লোকেরা যেন আমার কাছে আগমন
করেন ৷ কেননা, আল্লাহর শপথ! আমি এমন একটি দুর্বল লোক যাকে রাজত্ব দান করা হলে
তার সবর করা উচিত, তাকে আযাদ করা হলে তার শোকর করা উচিত ৷ আর তার জন্য মহান
আল্লাহ ব্যতীত অন্য কোথায়ও তার যাওয়ার জায়গা ণ্নই ৷” ধ্ ,

বর্ণনাকারী বলেন, মানুষ তার প্রতি সহমর্মিতা প্রদর্শন করল এবং ত্রুদনকারী ত্রুন্দন করল ৷
আর সাঈদ ইবন যায়িদ (রা) খলীফার দিকে এগিয়ে গেলেন এবং বললেন, যে আমীরুল
মুমিনীন! মহান আল্লাহ্কে ভয় করুন এবং মহান আল্পাহকে আপনার অস্তরে ভয় করুন ৷
আপনি যা বলেছেন তা আপনি পালন করুন ৷ হযরত উসমান (রা) যখন তার ঘরে প্রত্যাবর্তন
করেন, তখন সেখানে তিনি মহ্ৎ ব্যক্তিদের কয়েকক্ষাকে তথায় উপস্থিত দেখতে পেলেন ৷ ঐ


قَبْلَهُ، وَأَنَّهُ لَا يَحِيدُ عَنْهَا كَمَا كَانَ الْأَمْرُ أَوَّلًا فِي مُدَّةِ سِتِّ سِنِينَ الْأُوَلِ، فَاسْتَمَعَ عُثْمَانُ هَذِهِ النَّصِيحَةَ، وَقَابَلَهَا بِالسَّمْعِ وَالطَّاعَةِ، وَلَمَّا كَانَ يَوْمُ الْجُمُعَةِ وَخَطَبَ النَّاسَ، رَفَعَ يَدَيْهِ فِي أَثْنَاءِ الْخُطْبَةِ، وَقَالَ: اللَّهُمَّ إِنِّي أَسْتَغْفِرُكَ وَأَتُوبُ إِلَيْكَ، اللَّهُمَّ إِنِّي أَوَّلُ تَائِبٍ مِمَّا كَانَ مِنِّي. وَأَرْسَلَ عَيْنَيْهِ بِالْبُكَاءِ فَبَكَى الْمُسْلِمُونَ أَجْمَعُونَ وَحَصَلَ لِلنَّاسِ رِقَّةٌ شَدِيدَةٌ عَلَى إِمَامِهِمْ، وَأَشْهَدَ عُثْمَانُ النَّاسَ عَلَى نَفْسِهِ بِذَلِكَ، وَأَنَّهُ قَدْ لَزِمَ مَا كَانَ عَلَيْهِ الشَّيْخَانِ أَبُو بَكْرٍ وَعُمَرَ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا، وَأَنَّهُ قَدْ سَبَّلَ بَابَهُ لِمَنْ أَرَادَ الدُّخُولَ عَلَيْهِ، لَا يَمْنَعُ أَحَدًا مِنْ ذَلِكَ، وَنَزَلَ فَصَلَّى بِالنَّاسِ، ثُمَّ دَخَلَ مَنْزِلَهُ وَجَعَلَ مَنْ أَرَادَ الدُّخُولَ عَلَى أَمِيرِ الْمُؤْمِنِينَ لِحَاجَةٍ أَوْ مَسْأَلَةٍ أَوْ سُؤَالٍ، لَا يُمْنَعُ أَحَدٌ مِنْ ذَلِكَ مُدَّةً. قَالَ الْوَاقِدِيُّ: فَحَدَّثَنِي عَلِيُّ بْنُ عُمَرَ عَنْ أَبِيهِ قَالَ: ثُمَّ إِنَّ عَلِيًّا جَاءَ عُثْمَانَ بَعْدَ انْصِرَافِ الْمِصْرِيِّينَ فَقَالَ لَهُ: تَكَلَّمْ كَلَامًا يَسْمَعُهُ النَّاسُ مِنْكَ وَيَشْهَدُونَ عَلَيْكَ، وَيَشْهَدُ اللَّهُ عَلَى مَا فِي قَلْبِكَ مِنَ النُّزُوعِ وَالْإِنَابَةِ، فَإِنَّ الْبِلَادَ قَدْ تَمَخَّضَتْ عَلَيْكَ، وَلَا آمَنُ رَكْبًا آخَرِينَ يَقْدَمُونَ مِنْ قِبَلِ الْكُوفَةِ فَتَقُولُ: يَا عَلِيُّ ارْكَبْ إِلَيْهِمْ. وَيَقْدَمُ آخَرُونَ مِنَ الْبَصْرَةِ فَتَقُولُ: يَا عَلِيُّ ارْكَبْ إِلَيْهِمْ. فَإِنْ لَمْ أَفْعَلْ قَطَعْتُ رَحِمَكَ وَاسْتَخْفَفْتُ بِحَقِّكَ؟! قَالَ: فَخَرَجَ عُثْمَانُ فَخَطَبَ الْخُطْبَةَ الَّتِي نَزَعَ فِيهَا، وَأَعْلَمَ النَّاسَ مِنْ نَفْسِهِ التَّوْبَةَ فَقَامَ ; فَحَمِدَ اللَّهَ وَأَثْنَى عَلَيْهِ بِمَا هُوَ أَهْلُهُ، ثُمَّ قَالَ: أَمَّا بَعْدُ، أَيُّهَا النَّاسُ، فَوَاللَّهِ مَا عَابَ مَنْ عَابَ شَيْئًا أَجْهَلُهُ، وَمَا جِئْتُ شَيْئًا إِلَّا وَأَنَا أَعْرِفُهُ، وَلَكِنْ ضَلَّ رُشْدِي، وَلَقَدْ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، يَقُولُ: «مَنْ زَلَّ فَلْيَتُبْ، وَمَنْ أَخْطَأَ فَلْيَتُبْ، وَلَا يَتَمَادَى فِي الْهَلَكَةِ، إِنَّ مَنْ
পৃষ্ঠা - ৫৭৭১


সময় তার কাছে সারওয়ার ইবনুল হাকাম আগমন করল এবং বলল, হে আমীরুল মু’মিনীন!
আমি কি কথা বলতে পারি, না চুপ করে থাকার : হযরত উসমান (রা)-এর শ্রী নাইলা বিনত
আল ফারা ফাসাহ আল কালবীয়া পর্দায় আড়াল থেকে বললেন, বরং তুমি চুপ থাকে৷ ৷ আল্লাহর
শপথ, তারা তাকে হআ করে ছাড়বে ৷ তিনি এমন কথা বলেছেন যার থেকে ফিরে আসা
মোটেই উচিত নয় ৷ মারওয়ান তখন তাকে বললেন, তোমার এখানে বলার কি আছে : আল্লাহর
শপথ, তোমার পিতা মারা গেছে অথচ সে ভাল করে জানে না, ওবু কিভাবে করতে হয় ৷
হযরত নাইলা (র) তাকে বললেন, বাপ-দাদার কথা ছাড় ৷ মারওয়ানের পিতা আল হাকাম
সম্বন্ধে হযরত নাইলা (র) আরো কিছু বললেন ৷ মারওয়ান তার থেকে মুখ ফিরিয়ে নিলেন এবং
হযরত উসমান (রা)-কে বললেন, “হে আমীরুল মু’মিনীন! আমি কি কথা বলতে পারি, না চুপ
করে থাকর ; হযরত উসমান (রা) তাকে বললেন, বরং কথা বল ৷ ”

মারওয়ান বললেন, আমার পিতা-মড়াতা আপনার উপর কুরবান হোক ৷ আমি ঢেয়েছিলাম,
আপনার কথাবর্তা হবে অত্যন্ত কঠোর, আর আপনি থাকবেন অটল ও অনড়, তাহলে আমি
হতাম প্রথম ব্যক্তি যে এটাকে মেনে নিত এবং এটাকে সাহায্য-সহায়তা করত কিন্ত আপনি যা
বললেন, তাতে অবস্থা অত্যন্ত জটিল আকার ধারণ করেছে ৷ অনেক কিছু হাতছাড়া হয়ে
গেছে ৷ অসম্মানিত ব্যক্তিকে সম্মান দেওয়া হয়েছে ৷ আল্লাহর শপথ, ভুলের কারণে ক্ষমা
প্রার্থনার জন্যে অটল থাকা, ভয় পেয়ে তাওবা করার চেয়ে অনেক ভাল ৷ আপনি যদি চাইতেন
তা হলে তাওবার দৃঢ় প্রত্যয় নিতে পারতেন এবং আমাদের কাছে সেই অন্যায় অস্বীকার
করতেন ৷ পাহাড়ের ন্যায় আপনার ঘরের সামনে মানুষের ন্তুপ তাদের উদ্দেশ্যে কথা বলুন ৷
হযরত উসমান (রা) বলেন, তুমি যাও এবং তাদের সাথে কথা বলো ৷ তাদের সাথে কথা
বলতে আমার লজ্জা হয় ৷

বর্ণনাকারী বলেন, মারওয়ান দরজার দিকে এগিয়ে আসলেন এবং দেখলেন দরজার সামনে
লোকে লােকারণ্য ৷ তখন তিনি বললেন, “কি হয়েছে তােমাদেরকে মনে হয় যেন তোমরা
এখানে লুট করতে এসেছ ৷ তোমাদের উপর অভিশাপ, প্রত্যেক মানুষ তার সাথীর উপকার
করে থাকে তবে যার উদ্দেশ্য অসৎ তার কথা ভিন্ন ৷ তোমরা এখানে এসেছ আমাদের ক্ষমতা
হরণ করার জন্যে তাই তোমরা এখান থেকে বের হয়ে পড় ৷ আল্লাহর শপথ ! আবার যদি
তামরড়া আমাদেরকে প্রভাবিত করতে চাও , তাহলে তোমাদের জন্যে এমন হুকুম জারি করা
হবে, যা তোমাদের সকলকে দুঃখ দিবে ৷ আর তোমরা তার পরিণাম প্রশংসার চোখে দেখবে
না ৷ তোমাদের ঘরে তোমরা ফিরে যাও ৷ আল্লাহর শপথ ! আমাদের হাতে যে ক্ষমতা আছে তা
নিয়ে আমরা পরাভুত হবো না ৷

বর্ণনাকারী বলেন, জনগণ প্রত্যাবর্তন করলেন ৷ কিন্তু তাদের কয়েকজন হযরত আলী

(বা) এর কাছে আগমন করলেন এবং তাকে ঘটনা সম্বন্ধে বিস্তারিতভাবে অবহিত করলেন ৷
হযরত আলী (রা) রাপাষিত হলেন এবং উসমান (রা) এর ঘরে প্রবেশ করলেন ৷ তিনি বললেন,
আপনি কি মারওয়ানের প্রতি সন্তুষ্ট? কিত্তু আপনার নীল ও বিবেক বুদ্ধি ধ্বংস না করা পর্যন্ত সে
আপনার প্রতি সন্তুষ্ট হবে না ৷ আপনার উদাহরণ এখন ভারবাহী উটের ন্যায় ৷ তাকে যেখানেই
নিয়ে যাওয়া হয় সেখানেই সে গমন করবে ৷ আল্লাহর শপথ ! মারওয়ান ধর্মের দিক্ দিয়েও


تَمَادَى فِي الْجَوْرِ كَانَ أَبْعَدَ عَنِ الطَّرِيقِ» . فَأَنَا أَوَّلُ مَنِ اتَّعَظَ، أَسْتَغْفِرُ اللَّهَ مِمَّا فَعَلْتُ وَأَتُوبُ إِلَيْهِ، فَمِثْلِي نَزَعَ وَتَابَ، فَإِذَا نَزَلْتُ فَلْيَأْتِنِي أَشْرَافُكُمْ، فَوَاللَّهِ لَأَكُونَنَّ كَالْمَرْقُوقِ، إِنْ مَلَكَ صَبَرَ، وَإِنْ عُتِقَ شَكَرَ، وَمَا عَنِ اللَّهِ مَذْهَبٌ إِلَّا إِلَيْهِ. قَالَ: فَرَقَّ النَّاسُ لَهُ وَبَكَى مَنْ بَكَى، وَقَامَ إِلَيْهِ سَعِيدُ بْنُ زَيْدٍ فَقَالَ: يَا أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ، اللَّهَ اللَّهَ فِي نَفْسِكَ! فَأَتْمِمْ عَلَى مَا قُلْتَ. فَلَمَّا انْصَرَفَ عُثْمَانُ إِلَى مَنْزِلِهِ وَجَدَ بِهِ جَمَاعَةٌ مِنْ أَكَابِرِ النَّاسِ، وَجَاءَهُ مَرْوَانُ بْنُ الْحَكَمِ فَقَالَ: أَتَكَلَّمُ يَا أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ أَمْ أَصْمُتُ؟ فَقَالَتِ امْرَأَةُ عُثْمَانَ - نَائِلَةُ بِنْتُ الْفَرَافِصَةِ الْكَلْبِيَّةُ - مِنْ وَرَاءِ الْحِجَابِ: بَلِ اصْمُتْ، فَوَاللَّهِ إِنَّهُمْ لَقَاتِلُوهُ، وَلَقَدْ قَالَ مَقَالَةً لَا يَنْبَغِي لَهُ النُّزُوعُ عَنْهَا. فَقَالَ لَهَا: وَمَا أَنْتِ وَذَاكَ! فَوَاللَّهِ لَقَدْ مَاتَ أَبُوكِ وَمَا يُحْسِنُ يَتَوَضَّأُ. فَقَالَتْ لَهُ: دَعْ ذِكْرَ الْآبَاءِ. وَنَالَتْ مِنْ أَبِيهِ الْحَكَمَ، فَأَعْرَضَ عَنْهَا مَرْوَانُ، وَقَالَ لِعُثْمَانَ: يَا أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ أَتَكَلَّمُ أَمْ أَصْمُتُ؟ فَقَالَ لَهُ عُثْمَانُ: بَلْ تَكَلَّمْ. فَقَالَ مَرْوَانُ: بِأَبِي أَنْتَ وَأُمِّي لَوَدِدْتُ أَنَّ مَقَالَتَكَ هَذِهِ كَانَتْ وَأَنْتَ مُمْتَنِعٌ مَنِيعٌ، فَكُنْتُ أَوَّلَ مَنْ رَضِيَ بِهَا وَأَعَانَ عَلَيْهَا، وَلَكِنَّكَ قُلْتَ مَا قُلْتَ حِينَ بَلَغَ الْحِزَامُ الطُّبْيَيْنِ، وَخَلَفَ السَّيْلُ الزُّبَى، وَحِينَ أَعْطَى الْخُطَّةَ الذَّلِيلَةَ الذَّلِيلُ، وَاللَّهِ لَإِقَامَةٌ عَلَى خَطِيئَةٍ يُسْتَغْفَرُ مِنْهَا، خَيْرٌ مِنْ تَوْبَةٍ تُخَوَّفُ عَلَيْهَا، وَإِنَّكَ لَوْ شِئْتَ
পৃষ্ঠা - ৫৭৭২
لَعَزَمْتَ التَّوْبَةَ وَلَمْ تُقَرِّرْ لَنَا بِالْخَطِيئَةِ، وَقَدِ اجْتَمَعَ إِلَيْكَ عَلَى الْبَابِ مِثْلُ الْجِبَالِ مِنَ النَّاسِ. فَقَالَ عُثْمَانُ: فَاخْرُجْ إِلَيْهِمْ فَكَلِّمْهُمْ، فَإِنِّي أَسْتَحِي أَنْ أُكَلِّمَهُمْ. قَالَ: فَخَرَجَ مَرْوَانُ إِلَى الْبَابِ وَالنَّاسِ يَرْكَبُ بَعْضُهُمْ بَعْضًا، فَقَالَ: مَا شَأْنُكُمْ؟ كَأَنَّكُمْ قَدْ جِئْتُمْ لِنَهْبٍ، شَاهَتِ الْوُجُوهُ! كُلُّ إِنْسَانٍ آخِذٍ بِأُذُنِ صَاحِبِهِ، أَلَا مَنْ أُرِيدُ؟ جِئْتُمْ تُرِيدُونَ أَنْ تَنْزِعُوا مُلْكَنَا مِنْ أَيْدِينَا، اخْرُجُوا عَنَّا، أَمَا وَاللَّهِ لَئِنْ رُمْتُمُونَا لِيُمُرَّنَّ عَلَيْكُمْ أَمْرٌ يَسُوءُكُمْ وَلَا تَحْمَدُوا غِبَّهُ، ارْجِعُوا إِلَى مَنَازِلِكُمْ، فَوَاللَّهِ مَا نَحْنُ مَغْلُوبِينَ عَلَى مَا بِأَيْدِينَا. قَالَ: فَرَجَعَ النَّاسُ، وَخَرَجَ بَعْضُهُمْ حَتَّى أَتَى عَلِيًّا فَأَخْبَرَهُ الْخَبَرَ، فَجَاءَ عَلِيٌّ مُغْضَبًا حَتَّى دَخَلَ عَلَى عُثْمَانَ فَقَالَ: أَمَا رَضِيتَ مِنْ مَرْوَانَ وَلَا رَضِيَ مِنْكَ إِلَّا بِتَحْوِيلِكَ عَنْ دِينِكَ وَعَقْلِكَ، وَإِنَّ مَثَلَكَ مِثْلُ جَمَلِ الظَّعِينَةِ سَارَ حَيْثُ يَسَارُ بِهِ، وَاللَّهِ مَا مَرْوَانُ بِذِي رَأْيٍ فِي دِينِهِ وَلَا نَفْسِهِ، وَايْمُ اللَّهِ إِنِّي لَأَرَاهُ سَيُورِدُكَ ثُمَّ لَا يُصْدِرُكَ، وَمَا أَنَا بِعَائِدٍ بَعْدَ مَقَامِي هَذَا لِمُعَاتَبَتِكَ، أَذْهَبْتَ شَرَفَكَ، وَغُلِبْتَ عَلَى أَمْرِكَ. فَلَمَّا خَرَجَ عَلِيٌّ دَخَلَتْ نَائِلَةُ عَلَى عُثْمَانَ فَقَالَتْ: أَتَكَلَّمُ أَوْ أَسْكُتُ؟ فَقَالَ: تَكَلَّمِي. فَقَالَتْ: سَمِعْتُ قَوْلَ عَلِيٍّ أَنَّهُ لَيْسَ يُعَاوِدُكَ، وَقَدْ أَطَعْتَ مَرْوَانَ حَيْثُ شَاءَ. قَالَ: فَمَا أَصْنَعُ؟ قَالَتْ: تَتَّقِي اللَّهَ وَحْدَهُ لَا شَرِيكَ لَهُ، وَتَتَّبِعُ سُنَّةَ صَاحِبَيْكَ مِنْ قَبْلِكَ، فَإِنَّكَ مَتَى أَطَعْتَ مَرْوَانَ قَتَلَكَ، وَمَرْوَانُ لَيْسَ لَهُ عِنْدَ اللَّهِ قَدْرٌ وَلَا هَيْبَةٌ وَلَا مَحَبَّةٌ، فَأَرْسِلْ إِلَى عَلِيٍّ فَاسْتَصْلِحْهُ، فَإِنَّ لَهُ قَرَابَةً مِنْكَ وَهُوَ لَا يُعْصَى. قَالَ: فَأَرْسَلَ عُثْمَانُ إِلَى عَلِيٍّ فَأَبَى أَنْ يَأْتِيَهُ، وَقَالَ: لَقَدْ أَعْلَمْتُهُ أَنِّي لَسْتُ بِعَائِدٍ. قَالَ: وَبَلَغَ مَرْوَانَ قَوْلُ نَائِلَةَ فِيهِ،