আল বিদায়া ওয়া আন্নিহায়া

ثم دخلت سنة أربع وثلاثين

পৃষ্ঠা - ৫৭৫৭


পাসনার্থে তাদ্যোকে তিনি তথায প্রেরণ করেন ৷ যখন তারা সেখানে প্রত্যাবর্তন করে তখন
ছিল বছরের সবচেয়ে বেশি দুর্যোগময় সময় এবং তারাও তাদেরকে অত্যন্ত মন্দ বলে প্রমাণ
করে ৷ তইি সাঈদ ইবনুল আস (র) তাদের বিরুদ্ধে উসমান (রা)এর কাছে প্রতিবেদন পেশ
করেন ৷ তিনি তাদেরকে তাদের রাস্তার নিরাপত্তাসহ হিম্সে আবদুর রমহান ইবন খালীদ ইবন
আল-ওয়ালীদের কাছে প্রেরণ করার জন্যে সাঈদ ইবনুল আসকে নির্দেশ দেন ৷

এ সালেই হযরত উসমান (রা) কয়েকজন বসরাবাসীকে ন্যায়সঙ্গত কারণে সিরিয়ার ও
মিসরে প্রেরণ করেন ৷ তারা তার (খলীফা) বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করেছে এবং তাকে ক্ষমতা হতে
অপসারণ করার আন্দোলনের ক্ষেত্রে শত্রুদের সাহায্য-সহায়তা করেছে ৷ আর এ কাজে তারা
অন্যায়ের আশ্রয় নিয়েছে ৷ অথচ তিনি অত্যন্ত ন্যায়-পরায়ণ ও সঠিক পখেৱঅনুসারী ৷ আর এ
সনেই হযরত উসমান ইবন আফ্ফান (রা) জনগণকে নিয়ে হজ্জ পালন করেন ৷ আল্লাহ
তাআলা তা মঞ্জুর করুন ৷

৩৪ হিজরীর প্রারঃ

আবু মাশার (র) বলেন : এ সনেই সাওয়ারীর ঘটনা ঘটে ৷ তবে এ ব্যাপারে অন্যদের
কথা সঠিক ৷ তারা বলেন, এ ঘটনাটি এর পুর্বে সংঘটিত হয়েছিল ৷ যেমন পুর্বে বর্ণনা করা
হয়েছে ৷ এ সনেই হযরত উসমান (রা)-এর আনুগত্য প্রত্যাখ্যানকারীণণ নিজেদের মধ্যে
যোগাযোগ স্থাপন করে ৷ তাদের অধিকাংশ্ইি ছিল কুকাবাসী ৷ তারা এখন কুফা হতে বিতাড়িত
হয়ে হিমৃস নগরীতে আবদুর রহমান ইবন খালিদ ইবন ওয়ালীদের সাহর্চর্যে অবস্থান করছে ৷
তারা কুফার আমীর সাঈদ ইবনুল আস (র)-এর বিরুদ্ধে আন্দোলন করেছে ৷ তার বিরুদ্ধে
ষড়যন্ত্র করেছে এবং তারা তার ও হযরত উসমান (রা)-এর অনেক ক্ষতিসাধন করেছে ৷ তারা
হযরত উসমান (না)-এর কাছে তাদের প্রতিনিধি প্রেরণ করেছে ৷ এই প্রতিনিধিপণ হযরত
উসমান (না)-এর সাথে বাক্-ৰিতণ্ডা করেছে এবং বহু সাহাবীকে বরখাস্ত ও খলীফার
শ্-আত্মীয়-স্বক্ষা, বনু উমাইয়ার একদল লোককে আমীর নিযুক্ত করা ইত্যাদি সম্পর্কে খমীকার
সাথে আলোচনা করেছে এবং খ্লীকার সাথে রুঢ় সংলাপ করেছে ৷ তারা তার কাছে দাবি
করেছে যেন তিনি তার কর্মচারীদেরকে বরখাস্ত করেন ও তাদের পরিবর্তে প্রবীণ সাহাবীগণকে
নিযুক্ত করেন ৷
হযরত উসমান (রা) এতে অত্যন্ত বিপর্যস্ত হয়ে পড়েন এবং বিভিন্ন অরক্রোর আর্মীরদের
কাছে দুত প্রেরণ করেন এবং তাদের সাথে পরামর্শ করার লাক্ষ্য তার কাছে ন্হাযির হওয়ার
জন্যে খসীফা তাদ্যেশ্বকে জরুরী নির্দেশ প্রদান করেন ৷ উক্ত নির্দেশ পালনার্থে যারা তার কাছে
উপস্থিত হন তারা হলেন নিম্নে বর্ণিত ব্যক্তিবর্গ : সিরিয়ার আমীর মুয়াবীয়া ইবন আবু সুফিয়ান
(রা) , মিসরের আমীর আমর ইবনুন আস (রা), মরক্কোর আমীর আবদুল্লাহ ইবন সাদ ইবন
আবু সারহ (র), কুকার আমীর সাঈদ ইবনুল আস (র), বসরার আমীর আবদুল্লাহ ইবন আমির
(র) ৷ খলীফা তাদের সাথে বর্তমান পরিস্থিতি ও অনৈক্যের সমাধান সম্পর্কে পরামর্শ চান ৷
আবদুল্লাহ ইবন আমির (র) ইংগিত করলেন যেন খলীফা তাদেরকে যুদ্ধক্ষেত্রে বিভাের রাখেন ৷


[ثُمَّ دَخَلَتْ سَنَةُ أَرْبَعٍ وَثَلَاثِينَ] قَالَ أَبُو مَعْشَرٍ: فِيهَا كَانَتْ غَزْوَةُ الصَّوَارِي. وَالصَّحِيحُ فِي قَوْلِ غَيْرِهِ أَنَّهَا كَانَتْ قَبْلَ ذَلِكَ، كَمَا تَقَدَّمَ. وَفِي هَذِهِ السَّنَةِ تَكَاتَبَ الْمُنْحَرِفُونَ عَنْ طَاعَةِ عُثْمَانَ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، وَكَانَ جُمْهُورُهُمْ مِنْ أَهْلِ الْكُوفَةِ - وَهُمْ فِي مُعَامَلَةِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ خَالِدِ بْنِ الْوَلِيدِ بِحِمْصَ مَنْفِيُّونَ عَنِ الْكُوفَةِ - وَثَارُوا عَلَى سَعِيدِ بْنِ الْعَاصِ أَمِيرِ الْكُوفَةِ، وَتَأَلَّبُوا عَلَيْهِ وَنَالُوا مِنْهُ وَمِنْ عُثْمَانَ، وَبَعَثُوا إِلَى عُثْمَانَ مَنْ يُنَاظِرُهُ فِيمَا فَعَلَ، وَفِيمَا اعْتَمَدَ مَنْ عَزْلِ كَثِيرٍ مِنَ الصَّحَابَةِ وَتَوْلِيَةِ جَمَاعَةٍ مِنْ بَنِي أُمَيَّةَ مِنْ أَقْرِبَائِهِ، وَأَغْلَظُوا لَهُ فِي الْقَوْلِ، وَطَلَبُوا مِنْهُ أَنْ يَعْزِلَ عُمَّالَهُ وَيَسْتَبْدِلَ بِهِمْ غَيْرَهُمْ مِنَ السَّابِقَيْنَ وَمِنَ الصَّحَابَةِ، حَتَّى شَقَّ ذَلِكَ عَلَيْهِ جِدًّا وَبَعَثَ إِلَى أُمَرَاءِ الْأَجْنَادِ، فَأَحْضَرَهُمْ عِنْدَهُ لِيَسْتَشِيرَهُمْ، فَاجْتَمَعَ إِلَيْهِ مُعَاوِيَةُ بْنُ أَبِي سُفْيَانَ أَمِيرُ الشَّامِ، وَعَمْرُو بْنُ الْعَاصِ أَمِيرُ مِصْرَ، وَعَبْدُ اللَّهِ بْنُ سَعْدِ بْنِ أَبِي سَرْحٍ أَمِيرُ الْمَغْرِبِ، وَسَعِيدُ بْنُ الْعَاصِ أَمِيرُ الْكُوفَةِ، وَعَبْدُ اللَّهِ بْنُ عَامِرٍ أَمِيرُ الْبَصْرَةِ، فَاسْتَشَارَهُمْ فِيمَا حَدَثَ مِنَ الْأَمْرِ وَافْتِرَاقِ الْكَلِمَةِ، فَأَشَارَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عَامِرٍ أَنْ يَشْغَلَهُمْ بِالْغَزْوِ عَمَّا هُمْ فِيهِ مِنَ الشَّرِّ فَلَا يَكُونَ هَمُّ أَحَدِهِمْ إِلَّا نَفْسَهُ وَمَا هُوَ فِيهِ مِنْ دَبَرَةِ دَابَّتِهِ، وَقَمْلِ
পৃষ্ঠা - ৫৭৫৮


তাহলে তারা খারাপ কাজ হতে বিরত থাকবে ৷ প্রত্যেকে নিজের ব্যাপারে চিন্তিত থাকবে ৷ কে
কোথায় গোপর৷ কে কি নিঙ্কেআসল্ তা চিন্তা করার তাদের সময় থাকবে না ৷

অধিকাংশ সোকই যখন তারা অবসর থাকে, তাদের কোন কাজ থাকে না, তখন তারা
অনর্থক কাজে লিপ্ত হয় এবং আজেবাজে কথাবার্তায় মগ্ন হয়ে; পড়ে আর যখন তাদেরকে
কাঅ্যাংর্ম নিয়োজিত করে বিভক্ত রাখা যায় তখন তাদের দ্বারা অন্যরা উপকৃত হয় এবং তারা
নিজেরাও উপকৃত হয় ৷ সাঈদ ইবনুল আস (র) বলেন, খলীফ্৷ যেন সস্রাসীদের মুলোৎপাটন
করেন এবং তাদেরকে নিশ্চিহ্ন করে দেন ৷ আমীর মুয়াবীয়া (রা) বলেন, খলীফ৷ যেন
কর্মচারীদেরকে তাদের নিজ নিজ এলাকায় কর্তব্য কাজে পাঠিয়ে দেন এবং ঐ সব লোকের
প্ৰতি যেন খলীফা কোন ভ্রাক্ষপ না করেন ৷ আর তারা খলীফাৱ বিরুদ্ধে যে ষড়যন্ত্র করেছে
তারা কিছুই করতে পারবে না ৷ কেননা, তারা সংখ্যায় কম এবং শক্তিতে নগণ্য ৷

আবদুল্লাহ ইবন সাদ ইবন আবুনারহ বলেন, খলীফা যেন তাদেরকে সম্পদ দিয়ে তাদের
মনোরঞ্জন করেন ৷ এ সম্পদ পেয়ে তারা তাদের দৃষ্কর্ম থেকে বিরত থাকবে এবং খদীফ৷ তাদের
অনিষ্ট থেকে নিরাপদ থাকবেন ৷ আর তাদের অত্তরও খলীফার প্রতি আকৃষ্ট থাকবে ৷ আমর
ইবনুল আস (বা) দণ্ডায়মান হলেন এবং তারপর বললেন, “হে উসমান (রা) ! ক্ষাগণ যা খারাপ
মনেকরে বা জনগণ যা চায় না তুমি তার শিকার হয়ে পড়েছ ৷ তারা বা খারাপ মনে করে তার
থেকে তুমি সরে যাও, অথবা এগিয়ে যাও এবং তোমার কর্মচারীদেরকে তাদের পদমর্যদাে থেকে
নামিয়ে দাও ৷ খলীফাকে তিনি এমন এমন কথা বললেন যা ছিল অত্যন্ত রুঢ় ৷ তারপর তিনি
খলীফার কাছে গোপনে ক্ষমা চাইলেন এবং বললেন, এসব কথা তাকে এ জন্যে বলা হয়েছেষ্
যাতে ঘোকজ্যনর মধ্যে যারা এখানে উপস্থিত আছে তারা অন্যদেরকে জানিয়ে দেবে যারা
প্ এখানৈ উপস্থিত নাই ৷ আর তারা সকলে হযরত উসমান (না)-এর প্ৰতি সভুষ্ট হয়ে যাবে ৷
তারপর উসমান (বা) তার কর্মচারীাদরকে তাদের স্ব-স্ব পদে বহাল রাখেন আর বিদ্রোহীদেরকে
সম্পদ দ্বারা মনোরঞ্জন করেন ৷ আমীরদেরকে হুকুম দেন তারা যেন যােদ্ধাদেরকে সীমান্ত
এলাকায় যুদ্ধ করতে প্রেরণ করেন ৷ এভাবে তিনি সবগুলো পরামর্শের মধ্যে সমন্বয় সাধন
করেন ৷

শাসকগণ যখন তাদের এলাকায় ফিরে গেলেন তখন কুফাবাসীরা সাঈদ ইবনুল আস
(র)-ণ্ক কুফায় প্রবেশে বাধা দান করে ৷ তারা অস্ত্রশত্রে সজ্জিত হয় এবং শপথ করে যে, তারা
সাঈদ ইবনুল আস (র)-কে কখনও কুফায় ঢুকতে দিবেন না ৷ আর খলীফা উসমান (রা) যেন
তাকে বরখাস্ত করেন এবং আবু মুসা আশয়াৰী (রা)-কে তাদের আমীর নিযুক্ত করেন ৷ তারা
একটি জায়গায় সমবেত হয় যাকে বলা হয় জারয়াহ্ ৷ আল-আশতার আন-নাখয়ী ঐ দিন
বলেছিল, “আল্লাহর শপথ, আমাদের কুফায় ঐ ব্যক্তি প্রবেশ করতে পারবে না যায় বিরুদ্ধে
আমরা তলোয়ার উত্তোলন করেছি ৷ জারয়াহ্ নামক স্থানে সোকজ়ন অপেক্ষা করতে লাগল কিন্তু
সাঈদ (র) তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করা থেকে বিরত রইলেন ৷ আর তারাও তাকে বাধা দেওয়ার
জন্যে দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন ৷

কুফায় মসজিদে ঐ দিন হ্বাইফা (রা) ও আবু মাসউদ উকব৷ ইবন আমর (রা) উপস্থিত
হন ৷ আবু মাসউদ (বা) বলতে লাণলেন, আল্লাহর শপথ সাঈদ ইবনুল আ স (র) রক্তপাত


فَرْوَتِهِ، فَإِنَّ غَوْغَاءَ النَّاسِ إِذَا تَفَرَّغُوا وَبَطِلُوا، اشْتَغَلُوا بِمَا لَا يُغْنِي، وَتَكَلَّمُوا فِيمَا لَا يُرْضِي، وَإِذَا تَفَرَّقُوا نَفَعُوا أَنْفُسَهُمْ وَغَيْرَهُمْ. وَأَشَارَ سَعِيدُ بْنُ الْعَاصِ بِأَنْ يَسْتَأْصِلَ شَأْفَةَ الْمُفْسِدِينَ، وَيَقْطَعَ دَابِرَهُمْ. وَأَشَارَ مُعَاوِيَةُ بِأَنْ يَرُدَّ عُمَّالَهُ إِلَى أَقَالِيمِهِمْ، وَأَنْ لَا يَلْتَفِتَ إِلَى هَؤُلَاءِ وَمَا تَأَلَّبُوا عَلَيْهِ مِنَ الشَّرِّ، فَإِنَّهُمْ أَقَلُّ وَأَضْعَفُ جُنْدًا. وَأَشَارَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ سَعْدِ بْنِ أَبِي سَرْحٍ بِأَنْ يَتَأَلَّفَهُمْ بِالْمَالِ فَيُعْطِيَهِمْ مِنْهُ مَا يَكُفُّ بِهِ شَرَّهُمْ، وَيَأْمَنُ غَائِلَتَهُمْ، وَيَعْطِفُ بِهِ قُلُوبَهُمْ إِلَيْهِ. وَأَمَّا عَمْرُو بْنُ الْعَاصِ فَقَامَ فَقَالَ: أَمَّا بَعْدُ يَا عُثْمَانُ، فَإِنَّكَ قَدْ رَكَّبْتَ النَّاسَ مَا يَكْرَهُونَ، فَإِمَّا أَنْ تَعْزِلَ عَنْهُمْ مَا يَكْرَهُونَ، وَإِمَّا أَنْ تَقَدَّمَ فَتُنْزِلَ عُمَّالَكَ عَمَّا هُمْ عَلَيْهِ. وَقَالَ لَهُ كَلَامًا فِيهِ غِلْظَةٌ، ثُمَّ اعْتَذَرَ إِلَيْهِ فِي السِّرِّ بِأَنَّهُ إِنَّمَا قَالَ هَذَا لِيُبَلِّغَ عَنْهُ مَنْ كَانَ حَاضِرًا مِنَ النَّاسِ إِلَيْهِمْ لِيَرْضَوْا مِنْ عُثْمَانَ بِهَذَا، فَعِنْدَ ذَلِكَ قَرَّرَ عُثْمَانُ عُمَّالَهُ عَلَى مَا كَانُوا عَلَيْهِ، وَتَأَلَّفَ قُلُوبَ أُولَئِكَ بِالْمَالِ، وَأَمَرَ بِأَنْ يُبْعَثُوا فِي الْغَزْوِ إِلَى الثُّغُورِ، فَجَمَعَ بَيْنَ الْمَصَالِحِ كُلِّهَا، وَلَمَّا رَجَعَتِ الْعُمَّالُ إِلَى أَقَالِيمِهَا امْتَنَعَ أَهْلُ الْكُوفَةِ مِنْ أَنْ يَدْخُلَ عَلَيْهِمْ سَعِيدُ بْنُ الْعَاصِ، وَلَبِسُوا السِّلَاحَ وَحَلَفُوا أَنْ لَا يُمَكِّنُوهُ مِنَ الدُّخُولِ عَلَيْهِمْ حَتَّى يَعْزِلَهُ عُثْمَانُ وَيُوَلِّيَ عَلَيْهِمْ أَبَا مُوسَى الْأَشْعَرِيَّ، وَكَانَ اجْتِمَاعُهُمْ بِمَكَانٍ يُقَالُ لَهُ: الْجَرَعَةُ. وَقَدْ قَالَ يَوْمَئِذٍ الْأَشْتَرُ النَّخَعِيُّ وَاللَّهِ لَا يُدْخِلُهَا عَلَيْنَا مَا حَمَلْنَا سُيُوفَنَا. وَتَوَاقَفَ النَّاسُ بِالْجَرَعَةِ، وَأَحْجَمَ سَعِيدٌ عَنْ قِتَالِهِمْ وَصَمَّمُوا
পৃষ্ঠা - ৫৭৫৯


ব্যতীত কুফায় প্রবেশ করতে পারবে না ৷ হুযাইফা (বা) বলতে লাগলেন, আল্লাহর শপথ ! তিনি
ফিরে আসবেন ৷ আর এখানে কোন রক্তপাত হবে না ৷ আজকের দিনকে আমি এমনি জানি
যেমন রড়াসুলুল্লাহড়োব্জীবিত থাকা অবস্থায় জানতাম ৷ বন্তুত সাঈদ ইবনুল আস (র) মদীনায়
ফেরত গেলেন ৷ উত্তেজনা শেষ হয়ে গেল ৷ কুফাবাসীরা এ ব্যবস্থাকে পছন্দ করলেন এবং
উসমান (রা)-কে তারা পত্র দিলেন যেন হযরত আবু মুসা আশয়ারী (রা)-কে তাদের আমীর
নিযুক্ত করা হয় ৷ হযরত উসমান (রা) তাদের সমস্যার সমাধান, সন্দেহের অবসান ও
অভিযোগের অপনােদনকল্পে তাদের প্রত্যাশা পুরণ করে তিনি তাদের প্রতি উত্তর দান করেন ৷

আল্লামা লাইফ ইবন উমর (র) উল্লেখ করেন যে, হযরত উসমান (রা) এর বিরুদ্ধে বিভিন্ন
দলের ষড়যন্তের কারণ হলো নিম্নরুপছু এক ব্যক্তির নাম ছিল আবদুল্লাহ ইবন সারা ৷ সে ছিল
একজন ইয়াহ্রদী ৷ সে প্রকাশ্যে ইসলাম গ্রহণ করল এবং মিসরে বসবাসের জন্যে গমন বল্মল ৷
কিছু সংখ্যক লোকের কাছে গোপনে এমন কথাবার্তা প্রচার করল যা সে নিক্তআ তৈরি
করেছিল ৷ সে এক ব্যক্তিকে বলল, এটা কি প্রমাণিত নয় যে, ঈসা ইবন মারইয়াম (আ) এ
দুনিয়ার আবার অচিরেই ফিরে আসবেন ? লোকটি বলল, হ্যা ৷ আবার সে উক্ত লোকটিকে
বলল, “রাসুলুল্লাহ মোঃ ঈসা (আ) হতে ৩অধিক মর্যাদাবান ৷ তাহলে তার এ দুনিয়াতে ফিরে
আসার ব্যাপারটি তুমি কেন অস্বীকার কর ? তিনি কি ঈসা ইবন মারইয়াম (আ) হতে ৩অধিক
মর্ষাদাবান নন ? তারপর সে বলল, হযরত আলী ইবন আবু৩ তালিব (রা) এর কাছে ওসীয়ত
করা হয়েছে যে, মুহম্মেদমোঃষ্ন্ শেষ নদী এবং আলী (রা) সর্বশেষ ওসীয়ত প্রদানকারী ৷ তারপর
সে বলে তিনি খিলাফতের ব্যাপারে হযরত উসমান (রা) হতে অধিক যোগ্যতাসম্পন্ন ৷ হযরত
উসমান (বা) তার খিলাফতের ব্যাপারে সীমালংঘনকারী ৷ সে তার উপযুক্ত নয় ৷

উক্ত কারণে কিছু সংখ্যক লোক হযরত উসমান (রা)-কে ঘৃণা করতে লাগল এবং
তথাকথিত “সৎ কাজের আদেশ ও অসৎ কাজে নিষেধ“ প্রকাশ করতে লাগল ৷ মিসরের
কতিপয় লোক আবদুল্লাহ ইবন সাবার উপরোক্ত উদ্ভট মম্ভব্যে বিভ্রান্তিতে পরিণত হলো এবং
তারা কুফা ও বসরবেঃসীদের কিছু ণ্লাকের কাছে পত্র লিখল ৷ ফলে তারা এদিকে ঝুকে পড়ল ৷
নিজেদের মধ্যে এ ব্যাপারে যোগাযোগ স্থাপন করল ৷ আর হযরত উসমান (রা)এর বিরুদ্ধে
সংগ্রামের জন্যে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার ওয়াদা অংগীকার করল ৷ তারা সকলে মিলে হযরত উসমান
(রা)-এর কাছে দুত পাঠাল যে, হযরত উসমান (রা)-এর সাথে বাক্বিতণ্ডা করল এবং তার
আত্মীয়-স্বজনকে চাকুরী প্রদান ও প্রবীণ সাহাবীদেরকে বরখাস্ত করার ব্যাপারে তাদের
প্অসন্তুষ্টির কথা স্মরণ করিয়ে দিল ৷

এ কতিপয় ধ্যান-ধারণা অনেকের অস্তরে আলোড়ন সৃষ্টি করল ৷ হযরত উসমান (রা) এর
পর বিভিন্ন শহরে নািয়াজিত তার প্রতিনিধিদেরকে ডেকে পাঠালেন এবং এ ব্যাপারে তাদের
থেকে পরামর্শ চইিলেন ৷ ;তারা তাকে নিজেদের জ্ঞান-বুদ্ধির নিরিখে পরামর্শ প্রদান করলেন যা
পুর্বে উল্লেখ করা হয়েছে ৷

আল্লামা ওয়াকিদী (র) আবদুল্লাহ ইবন মুহাম্মদ হতে বর্ণনা করেন ৷ তিনি বলেন, ৩৪
হিজরীত্তে হযরত উসমান ইবন আফ্ফান (রা)-এর বিরুদ্ধে লোকজন বহু অতািযাগ উত্থাপন
করতে লাগল এবং অত্যন্ত জঘন্য ধরনের অত্যিযাপ মদীনায় পৌছতে লাগল ৷ লোকজন হযরত


عَلَى مَنْعِهِ. وَقَدِ اجْتَمَعَ فِي مَسْجِدِ الْكُوفَةِ فِي هَذَا الْيَوْمِ حُذَيْفَةُ، وَأَبُو مَسْعُودٍ عُقْبَةُ بْنُ عَمْرٍو، فَجَعَلَ أَبُو مَسْعُودٍ يَقُولُ: وَاللَّهِ لَا يَرْجِعُ سَعِيدُ بْنُ الْعَاصِ حَتَّى يَكُونَ دِمَاءٌ. فَجَعَلَ حُذَيْفَةُ يَقُولُ: وَاللَّهِ لَيَرْجِعَنَّ وَلَا يَكُونُ فِيهَا مِحْجَمَةٌ مِنْ دَمٍ، وَمَا أَعْلَمُ الْيَوْمَ شَيْئًا إِلَّا وَقَدْ عَلِمْتُهُ وَمُحَمَّدٌ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، حَيٌّ. وَالْمَقْصُودُ أَنَّ سَعِيدَ بْنَ الْعَاصِ كَرَّ رَاجِعًا إِلَى الْمَدِينَةِ وَكَسَرَ الْفِتْنَةَ، فَأَعْجَبَ ذَلِكَ أَهْلَ الْكُوفَةِ، وَكَتَبُوا إِلَى عُثْمَانَ أَنْ يُوَلِّيَ عَلَيْهِمْ أَبَا مُوسَى الْأَشْعَرِيَّ، فَأَجَابَهُمْ عُثْمَانُ إِلَى مَا سَأَلُوا؛ إِزَاحَةً لِعُذْرِهِمْ، وَإِزَالَةً لِشُبَهِهِمْ، وَقَطْعًا لِعِلَلِهِمْ. وَذَكَرَ سَيْفُ بْنُ عُمَرَ أَنَّ سَبَبَ تَأَلُّبِ الْأَحْزَابِ عَلَى عُثْمَانَ أَنَّ رَجُلًا يُقَالُ لَهُ: عَبْدُ اللَّهِ بْنُ سَبَأٍ. كَانَ يَهُودِيًّا فَأَظْهَرَ الْإِسْلَامَ وَصَارَ إِلَى مِصْرَ، فَأَوْحَى إِلَى طَائِفَةٍ مِنَ النَّاسِ كَلَامًا اخْتَرَعَهُ مِنْ عِنْدِ نَفْسِهِ مَضْمُونُهُ أَنَّهُ يَقُولُ لِلرَّجُلِ: أَلَيْسَ قَدْ ثَبَتَ أَنَّ عِيسَى ابْنَ مَرْيَمَ سَيَعُودُ إِلَى هَذِهِ الدُّنْيَا؟ فَيَقُولُ الرَّجُلُ: بَلَى! فَيَقُولُ لَهُ: فَرَسُولُ اللَّهِ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، أَفْضَلُ مِنْهُ فَمَا تُنْكِرُ أَنْ يَعُودَ إِلَى هَذِهِ الدُّنْيَا وَهُوَ أَشْرَفُ مِنْ عِيسَى ابْنِ مَرْيَمَ عَلَيْهِ السَّلَامُ! ثُمَّ يَقُولُ: وَقَدْ كَانَ أَوْصَى إِلَى عَلِيِّ بْنِ أَبِي طَالِبٍ؛ فَمُحَمَّدٌ خَاتَمُ الْأَنْبِيَاءِ، وَعَلِيٌّ خَاتَمُ الْأَوْصِيَاءِ. ثُمَّ يَقُولُ: فَهُوَ أَحَقُّ بِالْإِمْرَةِ مِنْ عُثْمَانَ، وَعُثْمَانُ مُعْتَدٍ فِي وِلَايَتِهِ مَا لَيْسَ لَهُ. فَأَنْكَرُوا عَلَيْهِ وَأَظْهَرُوا الْأَمْرَ بِالْمَعْرُوفِ وَالنَّهْيَ عَنِ الْمُنْكَرِ. فَافْتُتِنَ بِهِ بَشَرٌ كَثِيرٌ مِنْ أَهْلِ مِصْرَ، وَكَتَبُوا إِلَى جَمَاعَاتٍ مِنْ عَوَامِّ أَهْلِ الْكُوفَةِ وَالْبَصْرَةِ؛ فَتَمَالَئُوا عَلَى ذَلِكَ، وَتَكَاتَبُوا فِيهِ، وَتَوَاعَدُوا أَنْ يَجْتَمِعُوا فِي الْإِنْكَارِ عَلَى عُثْمَانَ، وَأَرْسَلُوا إِلَيْهِ مَنْ يُنَاظِرُهُ وَيَذْكُرُ لَهُ
পৃষ্ঠা - ৫৭৬০


আলী (রা)-কে হযরত উসমান (রা)-এর সাথে এ ব্যাপারে আলোচনা করার জন্যে অনুরোধ
করলেন ৷ হযরত আলী (রা) হযরত উসমান (রা)-এর সাথে দেখা করেন এবং বলেন, জনগণ
আমার কাছে এসেছেন ৷ তারা আপনার সম্বন্ধে সমালোচনা করেছেন ৷ আল্লাহর শপথ ! আমি
জানি না এ ব্যাপারে আমি আপনাকে কি বলব ৷ আপনি যা জানেন না তাও আমি বুঝতে পারি
না ৷ আর আপনি যে জিনিস বুঝেন না তার সম্বন্ধে আপনাকে আমি দিক-নির্দেশনা দিতে পারছি
না ৷ আমি যা আমি আপনিও তা অবশ্যই জানেন ৷

আমি আপনার চেয়ে কোন বিষয়ে অগ্রগামী নই যে, আমি সেই সম্বন্ধে আপনাকে সংবাদ
দিব ৷ আমি এমন জিনিস অতিক্রম করে আমি নাই যে, সেখানে আমি অক্ষোাকে পৌছিয়ে
দিব ৷ আমাকে এমন বিষয়ে বিশেষভাবে জ্ঞান দেওয়া হয়নি বা আপনার পক্ষে উপলব্ধি করা
দুরুহ ব্যাপার ৷ আপনি রাসুলুল্লাহমোঃ কে দেখেছেন তার কথা শুনেছেন, তার সঙ্গী ছিলেন
এবং তার জামাতাও হয়েছিলেন ৷ আবু কুহাফ৷ (রা)-এৱ ছেলে অর্থাৎ আবু বকর সিদ্দীক
(রা) এর আমলের দিক্ দিয়ে আপনার থেকে উত্তম ছিলেন না ৷ খাত্তাবের ছেলে অর্থাৎ হযরত
উমর (রা) কল্যাণের দিক দিয়ে আপনার থেকে উত্তম ছিলেন না ৷ আপনি রাসৃবুল্লাহপ্নে দ্বু এর
কাছে দয়াপ্ৰাপ্তির দিক দিয়ে নিকটতম ছিলেন ৷ আপনি রাসুলুল্লাহমোঃ থেকে এমন আ ৷ত্মীয়তা
অর্জন করেছিলেন যা তারা দুইজন অর্জন করতে পারেন নি ৷ বন্তুত৩ তারা কোন ব্যাপারেই
আপনার সাথে প্রতি যােগিতায় জয়লাভ ক্যতে পারেন নি ৷ নিজের সম্পর্কে আল্লাহকে ভয়
করুন ৷ আল্লাহর শপথ ৷ অন্ধতৃ থাকলে আপনি দেখতে পারবেন না, অজ্ঞতা থাকলে আপনি

জানতে পারবেন না ৷ তাই লক্ষ্য করা যায় যে, শরীয়তের রাস্তা অত্যন্ত পরিষ্কার ও সুস্পষ্ট ৷ আর

দীনের নির্দেশনাদি সুপ্রতিষ্ঠিত ৷

জেনে রাখুন, হে উসমান (রা)! আল্লাহর কাছেও তরে উৎকৃষ্ট বান্দা হলেন তিনি, যিনি
ন্যায়-পরায়ণ ইমাম ৷ তিনি হিদায়াতপ্রাপ্ত এবং তিনি অন্যকে হিদায়া৩ করেন ৷ তিনি সুনির্দিষ্ট
পদ্ধতিকে প্রতিষ্ঠিত করেন এবং নির্দিষ্ট বিদায়াতকে উৎমাত করেন ৷ আল্লাহর শপথ ! এ দুটো
জিনিসই অত্যন্ত সুস্পষ্ট ৷ সুন্নাতগুলো তাদের চিহ্ন সহকারে সুপ্ৰতিষ্ঠিত ৷ অন্যদিকে বিদায়াত ও
তার চিহ্নগুলো সহকারে সুস্পষ্ট ৷ আর আল্লাহর কাছে অত্যন্ত নিকৃষ্ট বান্দ৷ হলেন তিনি, যিনি
জালিম ইমাম বা প্রশাসক ৷ তিনি নিজে পথভ্রষ্ট এবং অন্যকে পথভ্রষ্ট করেন ৷ তারপর তিনি
সুনির্দিষ্ট সুন্নাতকে ধ্বংস করেন এবং ধ্বংসপ্রাপ্ত ৰিদারাত জীবিত করেন ৷

আমি রাসুলুল্লাহ ;শু:;স্কু কে বলতে শ্যুনছি ৷ তিনি বলেছেন, কিয়ামরুতঃ দিন জাসিম
ইমামকে উপস্থিত করা হবে ৷ তার সাথে কোন সাহাযকোরী থাকবে না কিংবা তার পক্ষে কোন
ক্ষমা প্রার্থনাকারীও থাকবে না ৷৩ তাকে জাহান্নামে নিঃক্ষপ করা হবে ৷ সে চাকার ন্যায় জ্জাহান্নদ্বমে
ঘুরতে থাকবে ৷ তারপর জাহান্নামের পভীহ্বর হাবুডুবু খেতে থাকবে ৷ আমি আপনাকে মহান
আল্লাহর ব্যাপারে সাবধান করছি ৷ মহ,ান আল্লাহর আমার ও অসন্তুষ্টি সম্পৃর্কে সাবধান করছি ৷
কেননা, তার আমার হলো অত্যন্ত কঠোর ও যস্ত্রণাদায়ক ৷ আপনাকে এ উষ্মাহর নিহত ইমাম
থেকেও সাবধান করছি ৷ কেননা কথিত আছে যে, এ উম্মাহর একজন ইমাম নিহত হবে ৷ তার
পরে এ উষ্মাহর জন্যে হত্যা ও যুদ্ধের দরজা কিয়ামত পর্যন্ত থােন৷ থাকবে ৷ কিয়ামতের
বিষয়বন্তুগুলো মানুষের কাছে অস্পষ্ট হয়ে যাবে এবং জনগণ বিভিন্ন দলে বিভক্ত হয়ে পড়বে ৷


مَا يَنْقِمُونَ عَلَيْهِ مِنْ تَوْلِيَتِهِ أَقْرِبَاءَهُ وَذَوِي رَحِمِهِ وَعَزْلِهِ كِبَارَ الصَّحَابَةِ. فَدَخَلَ هَذَا فِي قُلُوبِ كَثِيرٍ مِنَ النَّاسِ فَجَمَعَ عُثْمَانُ بْنُ عَفَّانَ نُوَّابَهُ مِنَ الْأَمْصَارِ، فَاسْتَشَارَهُمْ فَأَشَارُوا عَلَيْهِ بِمَا تَقَدَّمَ ذِكْرُنَا لَهُ. وَاللَّهُ أَعْلَمُ. وَقَالَ الْوَاقِدِيُّ فِيمَا رَوَاهُ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مُحَمَّدٍ عَنْ أَبِيهِ قَالَ: لَمَّا كَانَتْ سَنَةُ أَرْبَعٍ وَثَلَاثِينَ كَثُرَ النَّاسُ عَلَى عُثْمَانَ، وَنَالُوا مِنْهُ أَقْبَحَ مَا نِيلَ مِنْ أَحَدٍ، فَكَلَّمَ النَّاسُ عَلِيَّ بْنَ أَبِي طَالِبٍ أَنْ يَدْخُلَ عَلَى عُثْمَانَ، فَدَخَلَ عَلَيْهِ فَقَالَ لَهُ: إِنَّ النَّاسَ وَرَائِي وَقَدْ كَلَّمُونِي فِيكَ، وَوَاللَّهِ مَا أَدْرِي مَا أَقُولُ لَكَ وَمَا أَعْرِفُ شَيْئًا تَجْهَلُهُ وَلَا أَدُلُّكَ عَلَى أَمْرٍ لَا تَعْرِفُهُ، إِنَّكَ لَتَعْلَمُ مَا نَعْلَمُ مَا سَبَقْنَاكَ إِلَى شَيْءٍ فَنُخْبِرُكَ عَنْهُ، وَلَا خَلَوْنَا بِشَيْءٍ فَنُبَلِّغُكَهُ، وَمَا خُصِصْنَا بِأُمُورٍ عَنْكَ، وَقَدْ رَأَيْتَ وَسَمِعْتَ وَصَحِبْتَ رَسُولَ اللَّهِ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَنِلْتَ صِهْرَهُ وَمَا ابْنُ أَبِي قُحَافَةَ بِأَوْلَى بِعَمَلِ أَلْحَقِّ مِنْكَ، وَلَا ابْنُ الْخَطَّابِ بِأَوْلَى بِشَيْءٍ مِنَ الْخَيْرِ مِنْكَ، وَإِنَّكَ أَقْرَبُ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، رَحِمًا، وَلَقَدْ نِلْتَ مِنْ صِهْرِ رَسُولِ اللَّهِ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، مَا لَمْ يَنَالَا، وَلَا سَبَقَاكَ إِلَى شَيْءٍ، فَاللَّهَ اللَّهَ فِي نَفْسِكَ، فَإِنَّكَ وَاللَّهِ مَا تُبْصِرُ مِنْ عَمَى، وَلَا تَعْلَمُ مِنْ جَهْلٍ، وَإِنَّ الطَّرِيقَ لِوَاضِحٌ بَيِّنٌ، وَإِنَّ أَعْلَامَ الدِّينِ لِقَائِمَةٌ، تَعْلَمُ يَا عُثْمَانُ أَنَّ أَفْضَلَ عِبَادِ اللَّهِ عِنْدَ اللَّهِ إِمَامٌ عَادِلٌ، هُدِيَ وَهَدَى، فَأَقَامَ سُنَّةً مَعْلُومَةً، وَأَمَاتَ بِدْعَةً مَعْلُومَةً، فَوَاللَّهِ إِنَّ كُلًّا لَبَيِّنٌ، وَإِنَّ السُّنَنَ لَقَائِمَةٌ لَهَا أَعْلَامٌ، وَإِنَّ الْبِدَعَ
পৃষ্ঠা - ৫৭৬১
لَقَائِمَةٌ لَهَا أَعْلَامٌ، وَإِنَّ شَرَّ النَّاسِ عِنْدَ اللَّهِ إِمَامٌ جَائِرٌ، ضَلَّ وَضُلَّ بِهِ، فَأَمَاتَ سُنَّةً مَعْلُومَةً، وَأَحْيَا بِدْعَةً مَتْرُوكَةً، وَإِنِّي سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، يَقُولُ: «يُؤْتَى يَوْمَ الْقِيَامَةِ بِالْإِمَامِ الْجَائِرِ وَلَيْسَ مَعَهُ نَصِيرٌ وَلَا عَاذِرٌ، فَيُلْقَى فِي جَهَنَّمَ فَيَدُورُ فِيهَا كَمَا تَدُورُ الرَّحَا ثُمَّ يَرْتَطِمُ فِي غَمْرَةِ جَهَنَّمَ» . وَإِنِّي أُحَذِّرُكَ اللَّهَ وَأُحَذِّرُكَ سَطْوَتَهُ وَنِقْمَتَهُ، فَإِنَّ عَذَابَهُ شَدِيدٌ أَلِيمٌ، وَاحْذَرْ أَنْ تَكُونَ إِمَامَ هَذِهِ الْأُمَّةِ الْمَقْتُولَ، فَإِنَّهُ كَانَ يُقَالُ: يُقْتَلُ فِي هَذِهِ الْأُمَّةِ إِمَامٌ فَيُفْتَحُ عَلَيْهَا الْقَتْلُ وَالْقِتَالُ إِلَى يَوْمِ الْقِيَامَةِ، وَتُلَبَّسُ أُمُورُهَا عَلَيْهَا، وَيُتْرَكُونَ شِيَعًا لَا يُبْصِرُونَ الْحَقَّ مِنَ الْبَاطِلِ، يَمُوجُونَ فِيهَا مَوْجًا، وَيَمْرَجُونَ فِيهَا مَرَجًا. فَقَالَ عُثْمَانُ: قَدْ وَاللَّهِ عَلِمْتُ لَتَقُولَنَّ الَّذِي قُلْتَ، أَمَا وَاللَّهِ لَوْ كُنْتَ مَكَانِي مَا عَنَّفْتُكَ وَلَا أَسْلَمْتُكَ، وَلَا عِبْتُ عَلَيْكَ، وَلَا جِئْتُ مُنْكِرًا أَنْ وَصَلْتُ رَحِمًا، وَسَدَدْتُ خَلَّةً، وَأَوَيْتُ ضَائِعًا، وَوَلَّيْتُ شَبِيهًا بِمَنْ كَانَ عُمَرُ يُوَلِّي، أَنْشُدُكَ اللَّهَ يَا عَلِيُّ هَلْ تَعْلَمُ أَنَّ الْمُغِيرَةَ بْنَ شُعْبَةَ لَيْسَ هُنَاكَ؟ قَالَ: نَعَمْ. قَالَ: فَتَعْلَمُ أَنَّ عُمَرَ وَلَّاهُ؟ قَالَ: نَعَمْ. قَالَ: فَلِمَ تَلُومُنِي أَنْ وَلَّيْتُ ابْنَ عَامِرٍ فِي رَحِمِهِ وَقَرَابَتِهِ؟ فَقَالَ عَلِيٌّ: سَأُخْبِرُكَ، إِنَّ عُمَرَ كَانَ كُلُّ مَنْ وَلَّى فَإِنَّمَا يَطَأُ عَلَى صِمَاخَيْهِ، وَإِنْ بَلَغَهُ عَنْهُ حَرْفٌ، جَاءَ بِهِ، ثُمَّ بَلَغَ بِهِ أَقْصَى الْغَايَةِ فِي الْعُقُوبَةِ،
পৃষ্ঠা - ৫৭৬২


তারা হককে বাতিল থেকে পার্থক্য করতে পারবে না ৷ দুনিয়ার মহব্বতের ঢেউয়ে হাবুডুবু খেতে
থাকবে ৷ দুনিয়ার আনন্দ উৎসবে মত্ত থাকবে ৷

হযরত উসমান (রা) বলেন, আল্লাহর শপথ, আপনি যা বলছেন তা আমি বুঝতে পেয়েছি ৷
আল্লাহর শপথ! যদি আপনি আমার স্থানে হতেন তাহলে আমি আপনাকে এমন কঠোর কথা
বলতাম না এবং আপনার কাছে এত আত্মসমর্পণ করতাম না ৷ আমি আপনার ত্রুটি খুজতাম
না ৷ আমি আপনার “কাছে অসত্তুষ্ট হয়েও আসতাম না ৷ আমি ঘনিষ্ঠতা রক্ষা করে চলহি ও বন্ধুতু
বজায় রেখেছি ৷ আসহায়কে আশ্রয় দিচ্ছি ৷ হযরত উমর (বা) যে ধরনের লোককে আমীর
নিযুক্ত করতেন, আমিও যে ধরনের লোককে আমীর নিযুক্ত করছি ৷ আল্লাহর শপথ, হে আলী !
আপনি কি জানেন মুগীরা ইবন শুবা এখানে নেই : তিনি বললেন, হ্যা ৷ হযরত উসমান (রা)
বলেন, তাহলে আপনি কি জানেন যে, হযরত উমর (রা) তাকে আমীর নিযুক্ত করেছিলেন :
উত্তরে তিনি বললেন, হ্যা ৷

হযরত উসমান (রা) বলেন, তাহলে আপনারা ইবন আমিরকে আমীর নিযুক্ত করার জন্যে
তার ঘনিষ্ঠতা ও আত্মীয়তা নিয়ে আমাকে তিরস্কার করছেন কেন : হযরত আলী (বা) বলেন,
আমি আপনাকে অবহিত করার জন্যে জানাচ্ছি যে, হযরত উমর (রা) যখন কাউকে আমীর
নিযুক্ত করতেন তার কর্তব্য সম্বন্ধে তাকে ভুশিয়ার করে দিতেন ৷ যদি কোন অভিযোগ আসত
তখন তা তিনি কঠোর হস্তে দমন করতেন ৷ শাস্তি দেওয়ার ব্যাপারে চুড়ান্ত পর্যায়ে পৌছতেন ৷
আর আপনি তা করছেন না ৷ আপনি আপনার আত্মীয়ের ব্যাপারে নয় ও ভদ্র ব্যবহার করেন ৷
ণ্ তাদের প্ৰতি র্দয়া দেখান ৷ হযরত উসমান (রা) বলেন, তারা তো আপনারও আত্মীয়-স্বজন ৷
হযরত আলী (রা) বলেন, আমার বয়সের শপথ! তারা আমার নিকটবর্তী হিসেবে দয়চু পেয়ে
থাকে কিন্তু অন্যেরা তাদের গুণাবলীর মুল্যায়ন পেয়ে থাকে ৷

হযরত উসমান (রা) বলেন, আপনি কি জানেন হযরত উমর (রা) আমীর মুয়াবীয়া
(রা)-ক্লে পুরাপুরিতাবে আমীর নিযুক্ত করেছিলেন ৷ তাকে আমিও আমীর নিযুক্ত করেছি ৷ তখন
আলী (রা) বলেন, আল্লাহর শপথ ৷ আপনি কি জানেন হযরত উমর (না)-এর গোলাম ইয়ারফা
হযরত উমর (রা)-ণ্ক যেরুপ ভয় করতেন আমীর মুয়াবীয়া (বা) হযরত উমর (রা)-কে তার
চেয়ে বেশি ভয় করতেন : তিনি বললেন, ইা! হযরত আলী (রা) বলেন, আমীর মুয়াবীয়া (বা)
আপনার অনুমতি ব্যতীত যাবতীয় কার্ষাদি সম্পন্ন করছেন অথচ আপনি তা আনেন এবং তিনি
দোকজনকে বলছেন এটা উসমান (রা)-এর কাজ ৷ এ সংবাদ আপনার কাছে পৌছেছে বিক্ষ্ম
আপনি তা খারাপ মনে করেন নাই এবং আমীর মুয়াবীয়া (রা)-এর বিরুদ্ধে কোন পদক্ষেপ
গ্রহণ করেন নাই ৷ তারপর হযরত আলী (রা) হযরত উসমান (রা)-এর নিকট থেকে বের হয়ে
আসলেন, তার পেছনে পেছনে হযরত উসমান (রা)-ও বের হয়ে আসনের ৷ হযরত উসমান
(রা) যিম্বরে উঠলেন ও ওয়াজ় করলেন ৷ জনগণকে সতর্ক করলেন ভয় দেখালেন, ধমক দিলেন
এবং তালে কাছে ওয়াদা-অঙ্গীকার করলেন ৷ আর নিজেও ডীতসন্ত্রস্ত হয়ে কেপে উঠন্সেন ৷
’ তিনি যা বলেছেন তার কিয়নাংপ নিম্নরুপ

সাবধান ! আল্লাহর শপথ, তোমরা আমাকে দােষারোপ করছ অথচ তোমরা তা ইবনুন্
খাত্তাবের জন্য সঠিক মনে করতে ৷ তিনি তােমাদেরকে পা দিয়ে মাড়িয়েছেঃ, হাত দিয়ে প্রধ্


وَأَنْتَ لَا تَفْعَلُ، ضَعُفْتَ وَرَفُقْتَ عَلَى أَقْرِبَائِكَ. فَقَالَ عُثْمَانُ: هُمْ أَقْرِبَاؤُكَ أَيْضًا. فَقَالَ عَلِيٌّ: لَعَمْرِي إِنَّ رَحِمَهُمْ مِنِّي لِقَرِيبَةٌ، وَلَكِنَّ الْفَضْلَ فِي غَيْرِهِمْ. قَالَ عُثْمَانُ: هَلْ تَعْلَمُ أَنَّ عُمَرَ وَلَّى مُعَاوِيَةَ خِلَافَتَهُ كُلَّهَا؟ فَقَدَ وَلَّيْتُهُ. فَقَالَ عَلِيٌّ: أَنْشُدُكَ اللَّهَ هَلْ تَعْلَمُ أَنَّ مُعَاوِيَةَ كَانَ أَخْوَفَ مِنْ عُمَرَ مِنْ يَرْفَأَ غُلَامِ عُمَرَ مِنْهُ؟ قَالَ: نَعَمْ. قَالَ عَلِيٌّ: فَإِنَّ مُعَاوِيَةَ يَقْطَعُ الْأُمُورَ دُونَكَ وَأَنْتَ تَعْلَمُهَا، وَيَقُولُ لِلنَّاسِ: هَذَا أَمْرُ عُثْمَانَ. فَيَبْلُغُكَ وَلَا تُغَيِّرُ عَلَى مُعَاوِيَةَ. ثُمَّ خَرَجَ عَلِيٌّ مِنْ عِنْدِهِ، وَخَرَجَ عُثْمَانُ عَلَى إِثْرِهِ، فَصَعِدَ الْمِنْبَرَ، فَخَطَبَ النَّاسَ فَوَعَظَ، وَحَذَّرَ وَأَنْذَرَ، وَتَهَدَّدَ وَتَوَعَّدَ، وَأَبْرَقَ وَأَرْعَدَ، فَكَانَ فِيمَا قَالَ: أَلَا فَقَدَ وَاللَّهِ عِبْتُمْ عَلَيَّ بِمَا أَقْرَرْتُمْ بِهِ لِابْنِ الْخَطَّابِ، وَلَكِنَّهُ وَطِئَكُمْ بِرِجْلِهِ، وَضَرَبَكُمْ بِيَدِهِ، وَقَمَعَكُمْ بِلِسَانِهِ، فَدِنْتُمْ لَهُ عَلَى مَا أَحْبَبْتُمْ أَوْ كَرِهْتُمْ، وَلِنْتُ لَكُمْ وَأَوْطَأْتُ لَكُمْ كَتِفِي، وَكَفَفْتُ يَدِي وَلِسَانِي عَنْكُمْ، فَاجْتَرَأْتُمْ عَلَيَّ، أَمَا وَاللَّهِ لَأَنَا أَعَزُّ نَفَرًا، وَأَقْرَبُ نَاصِرًا، وَأَكْثَرُ عَدَدًا، وَأَقْمَنُ إِنْ قُلْتُ: هَلُمَّ. أُتِيَ إِلَيَّ، وَلَقَدْ أَعْدَدْتُ لَكُمْ أَقْرَانَكُمْ، وَأَفْضَلْتُ عَلَيْكُمْ فُضُولًا، وَكَشَرْتُ لَكُمْ عَنْ نَابِي، فَأَخْرَجْتُمْ مِنِّي خُلُقًا لَمْ أَكُنْ أُحْسِنُهُ، وَمَنْطِقًا لَمْ أَنْطِقْ بِهِ، فَكُفُّوا أَلْسِنَتَكُمْ وَطَعْنَكُمْ وَعَيْبَكُمْ عَلَى وُلَاتِكُمْ، فَإِنِّي قَدْ كَفَفْتُ عَنْكُمْ مِنْ لَوْ كَانَ هُوَ الَّذِي يَلِيكُمْ لَرَضِيتُمْ مِنْهُ بِدُونِ مَنْطِقِي هَذَا، أَلَا فَمَا تَفْقِدُونَ مِنْ حَقِّكُمْ؟ فَوَاللَّهِ مَا
পৃষ্ঠা - ৫৭৬৩


করেছেন, ভাষায় নিস্তব্ধ করেছেন ৷ তোমরা তা পছন্দ কর অথবা অপছন্দ কর তার পক্ষ থেকে
নেমে নিয়েছ ৷ আমি তোমাদের সাথে নম্র ব্যবহার করেছি ৷ আমি তােমাদ্যো জন্যে আমার বাহু
পেতে দিয়েছি ৷ তোমাদের থেকে আমি আমার মুখকেও বিরত রেখেছি ৷ আর তোমরা আমার
উপর দুঃসাহস করছ ৷ আল্লাহ্র শপথ ! আমরা কি তোমাদের কাছে মানুষ হিসেবে সম্মানিত নই
৷ সাহায্যকারী হিসেবে নিকটবর্তী নই এবং ত্খ্যা হিসেবে পর্যাপ্ত নই ৷ আমি যদি, তোমাদেরকে
বলি অসে, আমার কাছে আস, যে কোন পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্যে তোমাদের বন্ধু হিসেবে
আমি তোমাদের পাশে আছি ৷ এবং আমি তোমাদেরকে যথোপযুক্ত মর্যাদা দিতে প্রস্তুত আছি ৷
আমার বিপদের সময়েও তােমাদেরকে পর্যাপ্ত পরিমাণ সাহায্য করতে প্রস্তুত আছি, তাহলে কি
তোমরা আমার কাছ থেকে ব্যর্থ মনােরথ হয়ে বের হয়ে ণিয়েছ ৷ আমি কি তোমাদের সাথে
তাল ব্যবহার করিনি ৷ আমি কি তোমাদের সাথে ভাল ভাল কথা বলিনি ৷ কাজেই তোমরা
আমীরদের বিরুদ্ধে তােমাদেরকে সংযত রাখ, আমাদেরকে দােষারোপ ও আমাদের বিরীপ
সমালোচনা হতে বিরত থাক ৷ আমি তোমাদের থেকে এমন লোককে বিরত রেখেছি, যে
তোমাদের কাছে থাকলে আমার কথা ব্যতীত নিজেরাই তার প্রতিবাধ্য হয়ে তোমরা সন্তুষ্ট
থাকতে ৷

সাবধান ৷ তোমাদের কি অধিকার ক্ষুগ্ন হচ্ছে ? আল্লাহর শপথ! আমার পুর্ববর্তী থলীফাগণ
যা দান করতেন, তা দান করতে আমি ত্রুটি করি নইি ৷ তারপর তিনি নিজের আত্মীয়দেরকে
নিজের অতিরিক্ত সম্পদ থেকে দান করার তথ্যটি ব্যক্ত করেন ৷ এরপর মারওয়ান ইবন হাকাম
র্দাড়ালেন এবং বললেন, আল্লাহর শপথ! তোমরা যদি চাও তাহলে আমাদের ও তোমাদের
মাঝে তলোয়ার ফয়সালা করে দিয়ে ৷ আমাদের ও তোমাদের মাঝে যে পরিস্থিতি বিরাজ করছে
তাহবলা নিম্নরুপ, যেমন কোন এক করি বলেছেন ?; তোমাদের জন্যে আমরা আমাদের ইষ্যত
হুবমত বিছিয়ে দিলাম ৷ সেখানে তোমাদের বাগান গজিয়ে উঠেছে ৷ আবার মাটির ভুপের মধ্যে
তোমরা তােমাদেরকে বাসস্থান তৈরি করছ ৷ হযরত উসমান (রা) বলেন, তৃমি চুপ থাকবে না
কি আমি চুপ থাকর ৷ আমাকে ও আমার সাথীদের কাজ করতে দাও ৷ এখানে তোমার কি কথা
থাকতে পারে ? পুর্বেই কি আমি তােমকে বলি নাই যে, তুমি কথা বলবে না ? মারওয়ান চুপ
করে র্ইলেন এবং উসমান (বা) মিম্বর থেকে অবতরণ করেন ৷

সাইফ ইবন উমর (র) ও অন্যরা বর্ণনা করেন যে, যখন আমীর মুয়াবীয়া (রা) কে উসমান
(রা) বিদায় দেন এবং আমীর মুয়াবীয়া (রা) সিরিয়ার চলে যাবার ইচ্ছে পোষণ করেন, তখন
তিনি হযরত উসমান (রা)-কে তার সাথে সিরিয়ার চলে যাবার অনুরোধ করেন ৷ কেননা,
সিরিয়ারাসীরা তাদের আমীরের প্রতি অত্যন্ত অনুগত ৷ হযরত উসমান (বা) বলেন, আল্লাহর
রাসুলুল্লাহ ন্হ্ন্,ন্থ এর প্রতিবেশীতু ত্যাগ করে আমি কোথাও যাওয়া পছন্দ করি না ৷ তিনি আবার
বলেন, আমি কি আপনার জন্যে সিরিয়া থেকে একটি সেনাবাহিনী প্রেরণ করব যারা আপনাকে
সাহায্য করার জন্যে আপনার কাছে আবস্থান করবে ৷ উসমান (রা) বলেন, এতে আমার ভয়
হয় কেননা এর দ্বারা হয়ত আমি রাসুলুল্লাহ fl এর আসহাব ষুহাজিং ও আনসারদের কাছে
রাসুলুল্লাহ ন্হুব্দু; এর শহরকে সংকুচিত করে দােবা ৷

— ৩৯


قَصَّرْتُ فِي بُلُوغِ مَا كَانَ يَبْلُغُ مَنْ كَانَ قَبْلِي. ثُمَّ اعْتَذَرَ عَمَّا كَانَ يُعْطِي أَقَارِبَهُ بِأَنَّهُ مِنْ فَضْلِ مَالِهِ. فَقَامَ مَرْوَانُ بْنُ الْحَكَمِ فَقَالَ: إِنْ شِئْتُمْ وَاللَّهِ حَكَّمْنَا بَيْنَنَا وَبَيْنَكُمُ السَّيْفَ، نَحْنُ وَاللَّهَ وَأَنْتُمْ كَمَا قَالَ الشَّاعِرُ: فَرَشْنَا لَكُمْ أَعْرَاضَنَا فَنَبَتْ بِكُمْ ... مَعَارِسُكُمْ تَبْنُونَ فِي دِمَنِ الثَّرَى فَقَالَ عُثْمَانُ: اسْكُتْ لَا سَكَتَّ، دَعْنِي وَأَصْحَابِي، مَا مَنْطِقُكَ فِي هَذَا! أَلَمْ أَتَقَدَّمْ إِلَيْكَ أَنْ لَا تَنْطِقَ! فَسَكَتَ مَرْوَانُ وَنَزَلَ عُثْمَانُ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ. وَذَكَرَ سَيْفُ بْنُ عُمَرَ وَغَيْرُهُ أَنَّ مُعَاوِيَةَ لَمَّا وَدَّعَ عُثْمَانَ حِينَ عَزَمَ عَلَى الْخُرُوجِ إِلَى الشَّامِ، عَرَضَ عَلَيْهِ أَنْ يَرْحَلَ مَعَهُ إِلَى الشَّامِ، فَإِنَّهُمْ قَوْمٌ كَثِيرَةٌ طَاعَتُهُمْ لِلْأُمَرَاءِ. فَقَالَ: لَا أَخْتَارُ بِجِوَارِ رَسُولِ اللَّهِ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، سِوَاهُ. فَقَالَ: أُجَهِّزُ لَكَ جَيْشًا مِنَ الشَّامِ يَكُونُونَ عِنْدَكَ يَنْصُرُونَكَ؟ فَقَالَ: إِنِّي أَخْشَى أَنْ أُضَيِّقَ بِهِمْ بَلَدَ رَسُولِ اللَّهِ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، عَلَى أَصْحَابِهِ مِنَ الْمُهَاجِرِينَ وَالْأَنْصَارِ. قَالَ مُعَاوِيَةُ: فَوَاللَّهِ يَا أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ لَتُغْتَالَنَّ - أَوْ قَالَ: لَتُغْزَيَنَّ - فَقَالَ عُثْمَانُ: حَسْبِيَ اللَّهُ وَنِعْمَ الْوَكِيلُ. ثُمَّ خَرَجَ مُعَاوِيَةُ مِنْ عِنْدِهِ وَهُوَ مُتَقَلِّدٌ السَّيْفَ، وَقَوْسُهُ فِي يَدِهِ، فَمَرَّ عَلَى مَلَأٍ مِنَ الْمُهَاجِرِينَ؛ فِيهِمْ عَلِيُّ بْنُ أَبِي طَالِبٍ، وَطَلْحَةُ، وَالزُّبَيْرُ، فَوَقَفَ عَلَيْهِمْ وَاتَّكَأَ عَلَى قَوْسِهِ، وَتَكَلَّمَ بِكَلَامٍ بَلِيغٍ يَشْتَمِلُ عَلَى الْوَصَاةِ بِعُثْمَانَ بْنِ عَفَّانَ، رَضِيَ اللَّهُ تَعَالَى عَنْهُ وَالتَّحْذِيرِ مِنْ إِسْلَامِهِ إِلَى أَعْدَائِهِ، ثُمَّ انْصَرَفَ ذَاهِبًا. فَقَالَ الزُّبَيْرُ: مَا
পৃষ্ঠা - ৫৭৬৪


আমীর মুয়াবীয়া (বা) বলেন, আল্লাহর শপথ ৷ হে আমীরুল মু’মিনীন ! আপনাকে অবশ্যই
যুদ্ধ করতে হবে ৷ উসমান (বা) বলেন, আমার জন্যে মহান আল্লাহই যথেষ্ট এবং তিনি কতইনা
উত্তম কর্মবিধায়ক ৷ তারপর আমীর মুয়াবীয়া (বা) তার কাছ থেকে বিদায় নিলেন ৷ তিনি
কােমরবন্ধ দ্বারা তল্যেয়ার ৰ্বাধ্লেন ও ধনুক হাতে নিলেন ৷ একদল মুহষ্ঠীজির ও আনসারদের
সমাবেশে উপস্থিত হলেন তাদের মধ্যে ছিলেন আলী ইবন আবু তালিব (রা), তালহা (রা),

আয-যুবাইর (রা) ৷ তিনি তাদের সামনে র্দাড়ালেন এবং ধনুকের উপর ভর দিয়ে র্দাড়ালেন আর
অত্যন্ত অলংকারপুর্ণ ভাষায় কথা বললেন ৷ উসমান ইবন আফফান (রা)-এর সম্পর্কে কিছু
ওসীয়ত করলেন ৷ তার ইসলাম গ্রহণের সময়কাল থেকে শত্রুর সম্মুখীন হওয়া পর্যন্ত
উপদেশাবলী উল্লেখ করেন ৷ তারপর বিদায় নিলেন ৷

আয-যুবইির (রা) বলেন, “আজকের দিনের চেয়ে অধিক ভীতিপুর্ণ আমি আর তাকে কোন
দিন দেখিনি ৷” ইবন জারীর (র) উল্লেখ করেন, আমীর মুয়াবীয়া (রা) এবার পবিত্র মদীনায়
আগমন করার পর নিজেই বিষয়টি উপলব্ধি করতে পেরেছেন ৷ তিনি এবছরের হচজ্জর মৌসুমে
এক উটচালককে গাইতে শুনেছেন ৷ সে বলছিল, “দুর্বল সওয়ারীগুলো এবং কষ্টসহিষ্ণু বেকে
যাওয়া উটগুলাে ইতিমধ্যে জেনে নিয়েছে যে, এরপর আমীর হচ্ছেন হযরত আলী (রা) ৷
আয-যুবাইর (রা)-এর মধ্যে রয়েছে সন্তোষজনক প্রতিনিধিত্ব ৷ আর সাহায্যকারী তালহা, (রা)
থিলাফতের অভিভাবক ৷’’

উটচালকের এগান শুনে মুয়াবীয়া (রা) সর্বদা তার অন্তরে এনিয়েই ভাবছিলেন ৷ এ
ব্যাপারে পরে যথাস্থানে বিস্তারিত বর্ণনা পেশ করা হবে ৷

ইবন জারীর (র) বলেন, এ সালেই আবু আবস ইবন যুবাইর (রা) পবিত্র মদীনায়
ইনতিকাল করেন ৷ তিনি ছিলেন বদর যুদ্ধে অংশগ্রহণকারী ৷ যিসতড়াহ ইবন আসালাহ (রা) এবং
প্যফিল ইবন আল বুকাইর (রা) এ বছরেই ইনতিকাল করেন ৷ এবছরে হযরত উসমান (রা)
ইবন আফফান (রা) সোকজনকে নিয়ে হজ্জ পালন করেন ৷


رَأَيْتُهُ أَهْيَبَ فِي عَيْنِي مِنْ يَوْمِهِ هَذَا. وَذَكَرَ ابْنُ جَرِيرٍ أَنَّ مُعَاوِيَةَ اسْتَشْعَرَ الْأَمْرَ لِنَفْسِهِ مَنْ قَدْمَتِهِ هَذِهِ إِلَى الْمَدِينَةِ، وَذَلِكَ أَنَّهُ سَمِعَ حَادِيًا يَرْتَجِزُ فِي أَيَّامِ الْمَوْسِمِ فِي هَذَا الْعَامِ وَهُوَ يَقُولُ: قَدْ عَلِمَتْ ضَوَامِرُ الْمَطِيِّ ... وَضُمَّرَاتُ عُوَّجِ الْقِسِيِّ أَنَّ الْأَمِيرَ بَعْدَهُ عَلِيُّ ... وَفِي الزُّبَيْرِ خَلَفٌ رَضِيُّ وَطَلْحَةُ الْحَامِي لَهَا وَلِيُّ فَقَالَ كَعْبُ الْأَحْبَارِ - وَهُوَ يَسِيرُ خَلْفَ عُثْمَانَ: وَاللَّهِ إِنَّ الْأَمِيرَ بَعْدَهُ صَاحِبُ الْبَغْلَةِ الشَّهْبَاءِ. وَأَشَارَ إِلَى مُعَاوِيَةَ. فَلَمَّا سَمِعَهَا مُعَاوِيَةُ لَمْ يَزَلْ ذَلِكَ فِي نَفْسِهِ حَتَّى كَانَ مَا كَانَ، عَلَى مَا سَنَذْكُرُهُ فِي مَوْضِعِهِ، إِنْ شَاءَ اللَّهُ، وَبِهِ الثِّقَةُ. قَالَ ابْنُ جَرِيرٍ: وَفِي هَذِهِ السَّنَةِ مَاتَ أَبُو عَبْسِ بْنُ جَبْرٍ بِالْمَدِينَةِ، وَهُوَ بَدْرِيٌّ.
পৃষ্ঠা - ৫৭৬৫
وَمَاتَ أَيْضًا مِسْطَحُ بْنُ أُثَاثَةَ، وَعَاقِلُ بْنُ الْبُكَيْرِ. وَحَجَّ بِالنَّاسِ فِي هَذِهِ السَّنَةِ عُثْمَانُ بْنُ عَفَّانَ، رَضِيَ اللَّهُ تَعَالَى عَنْهُ.