আল বিদায়া ওয়া আন্নিহায়া

ثم دخلت سنة ثلاث وثلاثين

পৃষ্ঠা - ৫৭৫৪


বসবাস করেন ৷ এ বছরের যুল-ইাজ্জাহ্ মাসে তিনি ইনতিকাল করেন ৷ তার ত্রী ও ছেলে
মেয়েরা ব্যতীত অন্য কেউ তার কাছে ছিল না ৷ তাকে দাফন করার তাদের সমর্থ ছিল না ৷
এমন সময় আবদুল্লাহ ইবন মাসউদ (বা) তার সাথী-সঙ্গীদের নিয়ে ইরাক হতে তথায় উপস্থিত
হন ৷ তারা তার মৃত্যু প্রত্যক্ষ করেন এবং তিনি তাদেরকে ওসীয়ত করেন, তারা কিভাবে তার
দাফনকাফন সম্পন্ন করবেন ৷

কেউ কেউ বলেন , তারা তার মৃত্যুর পর আগমন করেছিলেন ৷ তবে তারা তার শাসন ও
দাফনে অংশ্যাহণ করেছিলেন ৷ তিনি তার পরিবারবর্গকে আদেশ দিয়েছিলেন, যাতেছুরী তার
মৃত্যুর পর মেহমড়ানদের জন্যে বকরী রান্না করে তাদেরকে রীতিমত আপ্যায়ন করে ৷ হযরত
উসমান ইবন আফ্ফান (বা) তার পরিবারের কাছে লোক পাঠান, যিনি তার পরিবারের
সদস্যদেরকে খলীফার পরিবারের সাথে সাক্ষাত করান ৷

৩৩ হিজরীর প্রাবম্ভ

আলুড়ামা আবু মাশার (র ) এর মতে এ বছরেই সাইপ্রাস বিজয় হয় ৷ কিন্তু সংখ্যাগরিষ্ঠ
ইতিহাসৰিদগণ তার বিরোধিতা করে বলেনঃ, সাইপ্রাস এর পুর্বে বিজয় হয়েছিল ৷ এ সনেই
আবদুল্লাহ ইবন সাদ ইবন আবু সর্সরহ (র) দ্বিতীয়বার আফ্রিকা জয়লাভ করেন ৷ কেননা পুর্বে
কৃত অঙ্গীকার ও প্ৰতিশ্রু৩ ভৎ গ ম্পেবছিন্প্ , তার অধিবাসীরা এ সনেই আমীরুল মুমির্নীনঃ হযরত
উসমান ইবন আফফন্যে (রত্ত্ব) কুফর একদল কায়ীত্বক সিরিয়া প্রেরণ করেন ৷ তার করেণ হলো :
তারা সাঈদ ইবন আমির (রা) এন্ মভা হন :যাণ্দোন করে তাশ্যেতনীয় কথাবার্তার অবতারণা
করেছিল ৷ তাই সাঈদ ইবন আমির (রা ) তাদের সম্বন্ধে উসমান (রা) এর কাছে পত্র লিখেন
এবং তাদেরকে কুফা হতে সিরিয়ার বিতাড়িত করার নির্দেশ দেন ৷

হযরত উসমান (রা) সিরিয়ার আমীর হযরত আমীর মৃয়াবীরা (রা) এর নিকট পত্র লিখে
বলেন, তোমার কাছে কুফার একদল কারীকে প্রেরণ করা হলো ৷ তৃ তাদেরকে যেহমান
“হিসেবে গ্রহণ করবে, তাদেরকে সম্মান করবে এবং তাদের মনোরঞ্জন করবে ৷ যখন তারা
সিরিয়ার আগমন করল আমীর মুয়াবীয়া (রা) তাদেরকে অভ্যর্থনা জানালেন, তাদের সম্মান
করলেন এবং তাদের সাথে মিলিত হলেন ৷ তাদেরকে নসীহত করলেন এবং তাদেরকে
ৎথ্যাগরিষ্ঠ লোকদের অনুসরণ ও বিচ্ছিন্নতা পরিহার ইত্যাদির পরামর্শ দিলেন ৷ তাদের মধ্যে
যারা বাকপটু ও অনুবাদক তারা তার প্রতি উত্তর দেন ৷ তবে তাদের কথাবর্তোয় ছিল নােৎরামি
ও ভদ্রতা বিবর্জিত ৷ কিন্তু আমীর মুয়াবীয়া (রা) তার ধৈর্যের সাক্ষ্যস্বরুপ তাদের সাথে অত্যন্ত
ভাল ব্যবহার করলেন ৷ আর কুরইিশদের প্রশংসা শুরু করলেন ৷ তারাও এটার প্রতি খুব প্ৰলুব্ধ
ছিল ৷ আবার তিনি রাসুলুল্লাহগ্ত্তে এর প্রশংসা, গুণাবলী আলোচনা, সালাত ও সালাম পেশ
করতে লাগলেন ৷

আমীর মুয়াবীয়া (বা) তার পিতাকে নিয়ে গর্ব করতে লাগলেন এবং তার সম্প্রদায়ের মধ্যে
পিতার মর্যাদা নিয়ে কথা বলতে লাগলেন ৷ আর কথা প্রসঙ্গে বলেন যে, জনগণ যদি সকলে
মিলে সন্তান উৎপাদন করে তবে আবু সুফিয়ানের ন্যায় এরুপ বিজ্ঞলোকের জন্ম দেওয়া সম্ভব


[ثُمَّ دَخَلَتْ سَنَةُ ثَلَاثٍ وَثَلَاثِينَ] فِيهَا كَانَ فَتْحُ قُبْرُسَ فِي قَوْلِ أَبِي مَعْشَرٍ وَخَالَفَهُ الْجُمْهُورُ فَذَكَرُوهَا قَبْلَ ذَلِكَ كَمَا تَقَدَّمَ. وَفِيهَا غَزَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ سَعْدِ بْنِ أَبِي سَرْحٍ إِفْرِيقِيَّةَ ثَانِيَةً حِينَ نَقَضَ أَهْلُهَا الْعَهْدَ. وَفِيهَا سَيَّرَ أَمِيرُ الْمُؤْمِنِينَ جَمَاعَةً مِنْ قُرَّاءِ أَهْلِ الْكُوفَةِ إِلَى الشَّامِ، وَكَانَ سَبَبُ ذَلِكَ أَنَّهُمْ تَكَلَّمُوا بِكَلَامٍ قَبِيحٍ فِي مَجْلِسِ سَعِيدِ بْنِ عَامِرٍ، فَكَتَبَ إِلَى عُثْمَانَ فِي أَمْرِهِمْ، فَكَتَبَ إِلَيْهِ عُثْمَانُ أَنْ يُجْلِيَهُمْ عَنْ بَلَدِهِ إِلَى الشَّامِ، وَكَتَبَ عُثْمَانُ إِلَى مُعَاوِيَةَ أَمِيرِ الشَّامِ أَنَّهُ قَدْ خَرَجَ إِلَيْكَ قُرَّاءُ مِنْ أَهْلِ الْكُوفَةِ فَأَنْزِلْهُمْ وَأَكْرِمْهُمْ وَتَأْلَفْهُمْ. فَلَمَّا قَدِمُوا أَنْزَلَهُمْ مُعَاوِيَةُ وَأَكْرَمَهُمْ وَاجْتَمَعَ بِهِمْ وَوَعَظَهُمْ وَنَصَحَهُمْ فِيمَا يَعْتَمِدُونَهُ مِنِ اتِّبَاعِ الْجَمَاعَةِ وَتَرْكِ الِانْفِرَادِ وَالِابْتِعَادِ، فَأَجَابَهُ مُتَكَلِّمُهُمْ وَالْمُتَرْجِمُ عَنْهُمْ بِكَلَامٍ فِيهِ بَشَاعَةٌ وَشَنَاعَةٌ، فَاحْتَمَلَهُمْ مُعَاوِيَةُ لِحِلْمِهِ، وَأَخَذَ فِي مَدْحِ قُرَيْشٍ - وَكَانُوا قَدْ نَالُوا مِنْهُمْ - وَأَخَذَ فِي الْمَدْحِ لِرَسُولِ اللَّهِ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَالثَّنَاءِ عَلَيْهِ وَالصَّلَاةِ وَالتَّسْلِيمِ، وَافْتَخَرَ مُعَاوِيَةُ بِوَالِدِهِ وَشَرَفِهِ فِي قَوْمِهِ، وَقَالَ فِيمَا قَالَ: وَأَظُنُّ أَبَا سُفْيَانَ لَوْ وَلَدَ النَّاسَ كُلَّهُمْ لَمْ يَلِدْ إِلَّا حَازِمًا. فَقَالَ لَهُ صَعْصَعَةُ بْنُ صُوحَانَ: كَذَبْتَ، قَدْ وَلَدَ النَّاسُ كُلُّهُمْ لَمَنْ هُوَ خَيْرٌ مِنْ أَبِي سُفْيَانَ؛ مَنْ خَلَقَهُ اللَّهُ
পৃষ্ঠা - ৫৭৫৫


হবে না ৷ সাসাহ ইবন সুহান বলে উঠলেন, তুমি মিথ্যা বলেছ ৷ জনগণ তোমার পিতা আবু
সুফিয়ান থেকে উত্তম লোককে জন্ম দিয়েছে ৷ যাকে আল্লাহ তাআলা নিজের হাতে সৃষ্টি
করেছেন তার মধ্যে নিজের রুহ কুকে দিয়েছেন এবং ফোরশতাদের হুকুম দিয়েছেন যেন তাকে
সিজদা করে ৷
তারপর দেখা গেল, এ কারীদের মধ্যে ভাল, মন্দ, বোকা ও চালাক সব রকমের গুলাকই
আছে, তারপর তিনি তাদেরকে দ্বিতীয়বার নসীহত করলেন ৷ কিন্তু তারা তাদের বর্বরত৷ ও
অসভ্যতায়, মত্ত রইল এবং তাদের বোকামি ও নির্বুদ্ধিতায় রত রইল ৷ এ প্রেক্ষিতে তিনি
তাদেরকে তার শহর থেকে বহিষ্কার করেন এবং তাদেরকে সিরিয়ার সীমানা হতে ৩বিতাড়িত
করেন যাকে তারা জনগণকে বিভ্রান্ত করতে না পারে ৷ তিনি লক্ষ্য করলেন যে, তাদের
অধিকাংশ, কথা-বার্তায় তারা কুরাইশদের মান-ইষ্যত ক্ষুপ্ন করেছে ৷ আর ইসলামের
সাহায্য-সহায়তা প্রদান ও সন্ত্রাসীদের মুলোৎপাটন করার ক্ষেত্রে তাদের যেরুপ ভুমিকা থাকা
দরকার তারা সেই বিষয়ে মোটেই ণ্তায়াক্কা করেনি বরং তা ধুলিসাৎ করে দিয়েছে ৷ তারা
তাদের আচরণে অন্যদের সম্মানহানি, দোষ-ত্রুটি অন্বেষণ, মিথ্যা অপবাদ ইত্যাদির মধ্যে তারা
দিনরাত ব্যস্ত রয়েছে ৷ তারা হযরত উসমান (বা) এবং সাঈদ ইবনুল আস (রা)-কে অকথ্য
ভাষায় গালিগালাজ করছে ৷ তারা সংখ্যায় ছিল দশজন, কেউ কেউ বলেন, নয়জন ৷ আর এটাই
বেশি গ্রহণীয় ৷ তারা হলেন ং
কুমীল ইবন যিয়াদ, আল আশ৩ ড়ার আন্নাখয়ী যার নাম ছিল মালিক ইবন ইয়াযীদ
আলকাহৃ ৷হ ইবন ক ইস, আন্নাথয়ীয়ান, সাবিত ইবন কাইস আন্নাখয়ড়া, জুন্দব ইবন ষুহাইর
আল-আমিরী, জুন্দব ইবন কাব আল-ইযদী, উরওয়াহ ইবন আল-জাদ ও আমর ইবন
আলহুমক আল-খাযায়ী ৷ যখন তারা দামেশৃক হতে বহিষ্কার হলেন তখন তারা আলজেরীয়ায়
আশ্রয় নিলেন ৷ তাদের সাথে আবদুর রহমান ইবন খালিদ ইবন আল-ওয়ালীদ (র) সাক্ষাত
করেন ৷ তিনি ছিলেন আলজেরীয়ার নায়িব ৷ তারপর তিনি হিমৃস অভিমুখী হন্লন ৷ তিনি
তাদেরকে ধমক দিলেন এবং চুক্তিবদ্ধ হয়ে থাকতে বললেন ৷ তারা তার কাছে আত্মসমর্পণ
করলেন এবং তারা তাদের অবস্থান থেকে সরে দাড়াতে ওয়াদাবদ্ধ হলেন ৷ তিনি তাদের ত্তন্যে
দুআ করলেন এবং তাদের নেতা হিসেবে আল-আশতার আন-নাখয়ীকে তাদেব্ পক্ষ হয়ে ওযর
পেশ করার জন্য হযরত উসমান ইবন আফ্ফান (রা)-এর কাছে প্রেরণ করেন ৷ তিনি তাদের
পক্ষ থেকে তাদের এ ক্ষমা প্রার্থনা কবুল কারন এবং তাদেরকে এ অঞ্চলের যেকোন স্থানে
তাদের ইচ্ছানুযায়ী বসবাস করার অনুমতি দিলেন ৷ তারা আবদুর রহমান ইবন খালিদ ইবন
আলওয়ালীদ (র)-এর সাহচর্ষে থাকার আগ্রহ প্রকাশ করেন ৷ তারা হিমৃস শহরে আগমন
করে ৷ তাদেরকে তিনি উপকুলীয় এলাকায় থাকার আদেশ দিলেন এবং তাংদ্যা ভাতাও নির্ধারণ
করে দিলেন ৷

এরুপও কথিত আছে যে, আমীর মুয়ারীয়া (রা) যখন তাদের প্ৰতি অসন্তুষ্ট হলেন তখন
তিনি তাদের সম্পর্কে উসমান (রা) এর কাছে পত্র লিখেন ৷ পত্রের উত্তরে আবার হযরত উসমান
(রা) লিখলেন তিনি যেন তাদেরকে কুফায় সাঈদ ইবনুল আসের কাছে প্রেরণ করেন ৷ আদেশ


بِيَدِهِ، وَنَفَخَ فِيهِ مِنْ رُوحِهِ، وَأَمَرَ الْمَلَائِكَةَ فَسَجَدُوا لَهُ فَكَانَ فِيهِمُ الْبَرُّ وَالْفَاجِرُ، وَالْأَحْمَقُ وَالْكَيِّسُ. ثُمَّ بَذَلَ لَهُمُ النُّصْحَ مَرَّةً أُخْرَى، فَإِذَا هُمْ يَتَمَادَوْنَ فِي غَيِّهِمْ، وَيَسْتَمِرُّونَ عَلَى جَهَالَتِهِمْ وَحَمَاقَتِهِمْ، فَعِنْدَ ذَلِكَ أَخْرَجَهُمْ مِنْ بَلَدِهِ وَنَفَاهُمْ عَنِ الشَّامِ؛ لِئَلَّا يُشَوِّشُوا عُقُولَ الطَّغَامِ، وَذَلِكَ أَنَّهُ كَانَ يَشْتَمِلُ مَطَاوِي كَلَامِهِمْ عَلَى الْقَدْحِ فِي قُرَيْشٍ، كَوْنَهُمْ فَرَّطُوا وَضَيَّعُوا مَا يَجِبُ عَلَيْهِمْ مِنَ الْقِيَامِ فِيهِ؛ مِنْ نُصْرَةِ الدِّينِ، وَقَمْعِ الْمُفْسِدِينَ. وَإِنَّمَا يُرِيدُونَ بِهَذَا التَّنْقِيصَ وَالْعَيْبَ وَرَجْمَ الْغَيْبِ، وَكَانُوا يَشْتُمُونَ عُثْمَانَ وَسَعِيدَ بْنَ الْعَاصِ، وَكَانُوا عَشْرَةً، وَقِيلَ: تِسْعَةً، وَهُوَ الْأَشْبَهُ، مِنْهُمْ كُمَيْلُ بْنُ زِيَادٍ، وَالْأَشْتَرُ النَّخَعِيُّ - وَاسْمُهُ مَالِكُ بْنُ الْحَارِثِ، وَصَعْصَعَةُ بْنُ صُوحَانَ، وَأَخُوهُ زَيْدُ بْنُ صُوحَانَ، وَمَالِكُ بْنُ كَعْبٍ الْأَرْحَبِيُّ، وَالْأَسْوَدُ بْنُ يَزِيدَ، وَعَلْقَمَةُ بْنُ قَيْسٍ النَّخَعِيَّانِ، وَثَابِتُ بْنُ قَيْسٍ النَّخْعِيُّ، وَجُنْدُبُ بْنُ زُهَيْرٍ الْعَامِرِيُّ، وَجُنْدُبُ بْنُ كَعْبٍ الْأَزْدِيُّ، وَعُرْوَةُ بْنُ الْجَعْدِ، وَعَمْرُو بْنُ الْحَمِقِ الْخُزَاعِيُّ. فَلَمَّا خَرَجُوا مِنْ دِمَشْقَ أَوَوْا إِلَى الْجَزِيرَةِ، فَاجْتَمَعَ بِهِمْ عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ خَالِدِ بْنِ الْوَلِيدِ - وَكَانَ نَائِبًا عَلَى الْجَزِيرَةِ، ثُمَّ وَلِيَ حِمْصَ بَعْدَ ذَلِكَ - فَهَدَّدَهُمْ وَتَوَعَّدَهُمْ؛ فَاعْتَذَرُوا إِلَيْهِ، وَأَنَابُوا إِلَى الْإِقْلَاعِ عَمَّا كَانُوا عَلَيْهِ، فَدَعَا لَهُمْ وَسَيَّرَ مَالِكًا الْأَشْتَرَ النَّخَعِيَّ إِلَى عُثْمَانَ بْنِ عَفَّانَ؛ لِيَعْتَذِرَ
পৃষ্ঠা - ৫৭৫৬
إِلَيْهِ عَنْ أَصْحَابِهِ بَيْنَ يَدَيْهِ، فَقَبِلَ ذَلِكَ مِنْهُمْ وَكَفَّ عَنْهُمْ، وَخَيَّرَهُمْ أَنْ يُقِيمُوا حَيْثُ أَحَبُّوا، فَاخْتَارُوا أَنْ يَكُونُوا فِي مُعَامَلَةِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ خَالِدِ بْنِ الْوَلِيدِ، فَقَدِمُوا عَلَيْهِ حِمْصَ، فَأَمَرَهُمْ بِالْمَقَامِ بِالسَّاحِلِ، وَأَجْرَى عَلَيْهِمُ الرِّزْقَ. وَيُقَالُ: بَلْ لَمَّا مَقَتَهُمْ مُعَاوِيَةُ، كَتَبَ فِيهِمْ إِلَى عُثْمَانَ، فَجَاءَهُ كِتَابُ عُثْمَانَ أَنْ يَرُدَّهُمْ إِلَى سَعِيدِ بْنِ الْعَاصِ بِالْكُوفَةِ، فَرَدَّهُمْ إِلَيْهِ، فَلَمَّا رَجَعُوا كَانُوا أَزَلَقَ أَلْسِنَةً، وَأَكْثَرَ شَرًّا، فَضَجَّ مِنْهُمْ سَعِيدُ بْنُ الْعَاصِ إِلَى عُثْمَانَ، فَأَمَرَهُ أَنْ يُسَيِّرَهُمْ إِلَى عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ خَالِدِ بْنِ الْوَلِيدِ بِحِمْصَ، وَأَنْ يَلْزَمُوا الدُّرُوبَ. وَفِي هَذِهِ السَّنَةِ سَيَّرَ عُثْمَانُ بَعْضَ أَهْلِ الْبَصْرَةِ مِنْهَا إِلَى الشَّامِ، وَإِلَى مِصْرَ بِأَسْبَابٍ مُسَوِّغَةٍ لِمَا فَعَلَهُ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، فَكَانَ هَؤُلَاءِ مِمَّنْ يُؤَلِّبُ عَلَيْهِ وَيُمَالِئُ الْأَعْدَاءَ فِي الْحَطِّ وَالْكَلَامِ فِيهِ، وَهُمُ الظَّالِمُونَ فِي ذَلِكَ وَهُوَ الْبَارُّ الرَّاشِدُ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ. وَفِي هَذِهِ السَّنَةِ حَجَّ بِالنَّاسِ أَمِيرُ الْمُؤْمِنِينَ عُثْمَانُ بْنُ عَفَّانَ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، وَتَقَبَّلَ اللَّهُ مِنْهُ.