ثم دخلت سنة ثنتين وثلاثين
পৃষ্ঠা - ৫৭৩৯
৩২ হিজরীর প্রারম্ভ
এ বছরেই আমীর মুয়াবীয়া (বা) রোম সাম্রাজ্যের দেশগুলোতে যুদ্ধ করেন এবং
কুসতানতানীয়ালু প্রণালী পর্বত পৌছে যান ৷ তার সাথে তার শ্রী আতিকাহ (র) ছিলেন ৷ তার
পুর্ণ নাম ছিল ফাতিমা বিনত কারযা ইবন আবদ আমর ইবন নওফল ইবন আবদি মন্নাফ্ ৷
আল্লামা ওয়াকিদী (র) ও আবু মাশার (র) উপরোক্ত তথ্য বর্ণনা করেন ৷ এ বছরেই সাঈদ
ইবনুল আস (রা) সালমান ইবন রাবীয়াহ (র)-কে একটি সেনাবাহিনীর আমীর নিযুক্ত করেন
এবং আল-বাবে যুদ্ধ করার নির্দেশ দেন ৷ আর এ এলাকার নায়িব আবদুর রহমান ইবন রাবীয়াহ
(র)-কে তার সাহায্য করার জন্যে পত্র লিখেন ৷ সালমান ইবন রাবীয়াহ (র) রওয়ানা হন এবং
বালাঞ্জার পৌছে তা অবরোধ করেন৷ আর ক্ষেপণাস্ত্র ও পাথর নিক্ষেপকারী যন্ত্রাদি স্থাপন
করেন ৷ তারপর বালাঞ্জরের অধিবাসীপপ মুকাবিলায় বের হলেন এবং তাদেরকে তৃর্করািও
সাহায্য করলেন ৷ উভয় পক্ষের মধ্যে প্রষ্গু লড়াই হলো ৷
তুর্কীরা মুসলমানদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে ভয় পেত ৷ তারা ধারণা করত যে, মুসলমানরা
কখনও মৃত্যুবরণ করবে না ৷ কিন্তু একটি ঘটনার প্রেক্ষিতে তারা মুসলমানদের উপর হামলা
করতে সাহস পেল ৷ আজকের দিনে মুসলমানদের মুকাবিলা হওয়ায় তারা মুসলমানদের
বিরুদ্ধে তুমুল যুদ্ধ করে ৷ এ যুদ্ধে আবদুর রহমান ইবন রাবীয়াহ (র) নিহত হন ৷ তাকে যুনৃনুর
বলা হয় ৷ মুসলমানপণ পরাজয় বরণ করে তারা দুইদলে বিভক্ত হয়ে পড়ে ৷ একটি দল
আল-খযােরের শহরগুলোর দিকে গমন করে এবং অন্য দলটি জ্জিান ও জুরজান অঞ্চলের দিকে
পাড়ি জমান ৷ তাদের মধ্যে ছিলেন আবু হ্বায়রা (রা) ও সালমান ফাসী (রা) ৷ তৃন্ধীরাি আবদুর
রহমান ইবন রাবীয়াহ (র)-এর দেহ নিয়ে যায় ৷ তিনি ছিলেন একজন মুসলিম সর্দার ও
যোদ্ধাদের অন্যতম ৷ তার মরদেহ তারা নিজেদের শহরে দাফন করেন এবং আজ পর্যন্ত তার
উসীলা করে বৃষ্টির জন্য প্রার্থনা করেন ৷
আবদুর রহমান ইবন রাবীয়াহ (র) যখন নিহত হন সাঈদ ইবনুল আস (বা) তার পরিবর্তে
সালমান ইবন রাবীয়াহ (র) কে আমীর নিযুক্ত করেন ৷ অন্যদিকে হযরত উসমান (রা) হাবীব
ইবন মাসলামা (র)-এর নেতৃ ষ্কর্তৃ সিরিয়াৰাসীঙ্কদরাক দিয়ে তাদের সাহায্য করেন ৷ তারপর
হাবীব : সালমান আমীরদ্বয় ঝপড়ায় লিপ্ত হন এবংদৃইদ্যা একে অন্যের সাথে মতাভদ করতে
থাকে ৷ এটইি ছিল কুফাবাসী ও সিব্লিয়ারাসীর প্রথম মতবিরোধ্ ৷ কুকাবাসীরণ্ মধ্যে হতে আউস
নামে এক করি এ সম্পর্কে রলেনং
তোমরা যদি আমাদের সালমানকে আঘাত ক্যা আমর৷ তােমাদ্যে৷ হাৰীবকে আঘাত করব ৷
তোমরা যদি হযরত উসমান ইবন আফুকনে (রা) এর দািক প্ৰত্যাগমন ক্য৷ তাহলে আমরাও
আল-বিদায়া ৩৭
[ثُمَّ دَخَلَتْ سَنَةُ ثِنْتَيْنِ وَثَلَاثِينَ]
[مَا وَقَعَ فِيهَا مِنْ أَحْدَاثٍ]
وَفِيهَا غَزَا مُعَاوِيَةُ بِلَادَ الرُّومِ حَتَّى بَلَغَ الْمَضِيقَ مَضِيقَ الْقُسْطَنْطِينِيَّةِ، وَمَعَهُ زَوْجَتُهُ عَاتِكَةُ - وَيُقَالُ: فَاطِمَةُ - بِنْتُ قَرَظَةَ بْنِ عَبْدِ عَمْرِو بْنِ نَوْفَلِ بْنِ عَبْدِ مَنَافٍ. قَالَهُ أَبُو مَعْشَرٍ وَالْوَاقِدِيُّ.
وَفِيهَا اسْتَعْمَلَ سَعِيدُ بْنُ الْعَاصِ سَلْمَانَ بْنَ رَبِيعَةَ عَلَى جَيْشٍ وَأَمَرَهُ أَنْ يَغْزُوَ الْبَابَ، وَكَتَبَ إِلَى عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ رَبِيعَةَ نَائِبِ تِلْكَ النَّاحِيَةِ بِمُسَاعَدَتِهِ، فَسَارَ حَتَّى بَلَغَ بَلَنْجَرَ، فَحَصَرُوهَا وَنُصِبَتْ عَلَيْهَا الْمَجَانِيقُ وَالْعَرَّادَاتُ. ثُمَّ إِنَّ أَهْلَ بَلَنْجَرَ خَرَجُوا إِلَيْهِمْ وَعَاوَنَهُمُ التُّرْكُ فَاقْتَتَلُوا قِتَالًا شَدِيدًا - وَكَانَتِ التُّرْكُ تَهَابُ قِتَالَ الْمُسْلِمِينَ وَيَظُنُّونَ أَنَّهُمْ لَا يَمُوتُونَ حَتَّى اجْتَرَءُوا عَلَيْهِمْ بَعْدَ ذَلِكَ - فَلَمَّا كَانَ هَذَا الْيَوْمُ الْتَقَوْا مَعَهُمْ، فَاقْتَتَلُوا فَقُتِلَ يَوْمَئِذٍ عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ رَبِيعَةَ - وَكَانَ يُقَالُ لَهُ: ذُو النُّورِ - وَانْهَزَمَ الْمُسْلِمُونَ فَافْتَرَقُوا فِرْقَتَيْنِ؛ فَفِرْقَةٌ ذَهَبَتْ عَلَى بِلَادِ الْخَزَرِ، وَفِرْقَةٌ سَلَكُوا نَاحِيَةَ جِيلَانَ وَجُرْجَانَ، وَفِي هَؤُلَاءِ أَبُو هُرَيْرَةَ وَسَلْمَانُ الْفَارِسِيُّ. وَأَخَذَتِ التُّرْكُ جَسَدَ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ رَبِيعَةَ - وَكَانَ مِنْ سَادَاتِ الْمُسْلِمِينَ وَشُجْعَانِهِمْ - فَدَفَنُوهُ فِي بِلَادِهِمْ فَهُمْ يَسْتَسْقُونَ عِنْدَهُ إِلَى الْيَوْمِ، وَلَمَّا
পৃষ্ঠা - ৫৭৪০
قُتِلَ عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ رَبِيعَةَ، اسْتَعْمَلَ سَعِيدُ بْنُ الْعَاصِ عَلَى ذَلِكَ الْجَيْشِ سَلْمَانَ بْنَ رَبِيعَةَ، وَأَمَدَّهُمْ عُثْمَانُ بِأَهْلِ الشَّامِ عَلَيْهِمْ حَبِيبُ بْنُ مَسْلَمَةَ، فَتَنَازَعَ حَبِيبُ وَسَلْمَانُ فِي الْإِمْرَةِ حَتَّى اخْتَلَفَا، فَكَانَ أَوَّلَ اخْتِلَافٍ وَقَعَ بَيْنَ أَهْلِ الْكُوفَةِ وَأَهْلِ الشَّامِ، حَتَّى قَالَ فِي ذَلِكَ رَجُلٌ مِنْ أَهْلِ الْكُوفَةِ، وَهُوَ أَوْسٌ:
فَإِنْ تَضْرِبُوا سَلْمَانَ نَضْرِبْ حَبِيبَكُمْ ... وَإِنْ تَرْحَلُوا نَحْوَ ابْنِ عَفَّانَ نَرْحَلِ
وَإِنْ تُقْسِطُوا فَالثَّغْرُ ثَغْرُ أَمِيرِنَا ... وَهَذَا أَمِيرٌ فِي الْكَتَائِبِ مُقْبِلُ
وَنَحْنُ وُلَاةُ الثَّغْرِ كُنَّا حُمَاتَهُ ... لَيَالِيَ نَرْمِي كُلَّ ثَغْرِ وَنُنْكِلِ
وَفِيهَا فَتَحَ ابْنُ عَامِرٍ مَرْوَ الرُّوذِ وَالطَّالِقَانَ وَالْفَارِيَابَ وَالْجُوزَجَانَ وَطَخَارِسْتَانَ. فَأَمَّا مَرْوُ الرُّوذِ فَبَعَثَ إِلَيْهَا ابْنُ عَامِرٍ الْأَحْنَفَ بْنَ قَيْسٍ فَحَصَرَهَا، فَخَرَجُوا إِلَيْهِ، فَقَاتَلَهُمْ حَتَّى كَسَرَهُمْ فَاضْطَرَّهُمْ إِلَى حِصْنِهِمْ، ثُمَّ صَالَحُوهُ عَلَى مَالٍ جَزِيلٍ، وَعَلَى أَنْ يَضْرِبَ عَلَى أَرَاضِي الرَّعِيَّةِ الْخَرَاجَ، وَيَدَعَ الْأَرْضَ الَّتِي كَانَ أَقْطَعُهَا كِسْرَى لِوَالِدِ الْمَرْزُبَانِ، صَاحِبِ مَرْوَ، حِينَ قَتَلَ الْحَيَّةَ الَّتِي كَانَتْ تَقْطَعُ الطَّرِيقَ عَلَى النَّاسِ وَتَأْكُلُهُمْ، فَصَالَحَهُمُ الْأَحْنَفُ عَلَى
পৃষ্ঠা - ৫৭৪১
তার দিকে প্ৰত্যাগমন করব ৷ তোমরা যদি ন্যায়নীতি অবলম্বন কর তাহলে পুরো শহরটি
আমাদের আমীরের শহর বলেই গণ্য হবে ৷ আর তিনি বিভিন্ন সামরিক দলের অগ্রগামী আমীর
বিবেচিত হবেন ৷ আমরা হব সীমান্তের অভিভাবক এবং আমরইি হব সীমান্তের প্রতিরক্ষা দল ৷
আমাদের শহরের প্রতি যারাই আক্রমণ করবে তাদেরকে আমরা শহর থেকে বিতাডিংচ বল্পার
জন্যে লাপাতার তাদের প্রতি তীর নিক্ষেপ করব এবং তাদেরকে শাস্তি প্রদান করব ৷
এ বছরেই ইবন আমির মারভ আর-বোম, আততালিকান, আল-ফারইয়ার আল জুযিজান
ও তাখারিন্তান জয় করেন ৷ তবে মারভ আর-বোমে ইবন আমির (রা) আহনাফ ইবন কইিস
(র)কে,, প্রেরণ করেন ৷ তিনি শহরটি অবরোধ করেন শহরবাসী মুকাবিলার জন্যে এগিয়ে
আসেন এবং উভয় দলের মধ্যে“ তুমুল যুদ্ধ হয় ৷ মুসলিম সেনাপতি শত্রু সৈন্যদের মনােবল
ভেঙ্গে দেন ৷ আর তাদেরকে তাদের দুর্গে আশ্রয় নিতে বাধ্য করেন ৷ তারপর তারা বিপুল অর্থ
আদায় এবং আৰাদকৃত জমির কর আদায়ের শর্তে সন্ধিতে উপনীত হন ৷ আর এটাও সিদ্ধান্ত
নেওয়া হয় যে, সম্রাট যে জমি পৃথক করে রেখেছিলেন তা মারভের শাসনকর্তা মিরযাৰানের
পিতাকে ছেড়ে দেওয়া হবে ৷ কেননা, মিরযাবানকে সাপে দংশন করেছিল ৷ আর এ সাপ
রাস্তাঘাট ও লোকালয়ে চলাফেরা করত ৷
উপরোক্ত শর্তসমুহের প্রেক্ষিতে আহনাফ (র) তাদের সাথে সন্ধি করেন ৷ আর
বাসিন্দাদেরকে একটি নিরাপত্তা নামা লিখেছিলেন ৷ তারপর আহনাফ (র) আল-আব্বা ইবন
হারিস (র)-কে আল-জুযিজানের প্রতি প্রেরণ করেন ৷ তাদের মধ্যে যুদ্ধ সংঘটিত হবার পর,
তাতে তিনিই জয়লাভ করেন ৷ আবু কাসীর আন-নাহশালী এ সম্পর্কে একটি নাতিদীর্ঘ কবিতা
রচনা করেন ৷ যেমন তিনি বলেন : আল জুযিজানে যুবকদের যখন যুদ্ধ শুরু হয় ৫মঘ-বৃষ্টিতে
তারা সিঞ্চিত হন ৷ রিসতাক থাওত হতে কাসরীন পর্যন্ত সেখানে ছিল আল আকরা আবু দহমের
কর্তৃত্ব ৷
তারপর আহনাফ (র) মারভ আর-রােম হতে বালখ অভিমুখে অভিযান পরিচালনা করেন ৷
তিনি তাদেরকে অবরোধ করেন ৷ শেষ পর্যন্ত বার্ষিক চার লক্ষ দিরহাম আদায় সাপেক্ষে সন্ধি
স্থাপিত হয় ৷ তিনি তার চাচাতাে ভাই উসাইদ ইবন আল মুশাম্মাসকে সম্পদ আহরণের দায়িত্ব
প্রদান করেন ৷ তারপর তিনি জিহাদের উদ্দেশ্যে সামনে অগ্রসর হলেন কিন্তু শীতের ঠাণ্ডা তাকে
আক্রমণ করল ৷ তিনি সাথীদের বললেন, তোমরা কি চাও? তারা বললেন, আমর ইবন
মাদীকারাব ইতিমধ্যে তার প্রতি উত্তর দিয়েছেন ৷ “যদি তুমি কোন কাজ না করতে পার তাহলে
তা আপাতত রেখে দাও ৷ তারপর তাকে চেষ্টায় মাধ্যমে ঐ পর্যায় পৌছাও যেখানে তুমি তাকে
আয়ত্তে আনতে পারবে ৷”
তারপর আহনাফ (র) বালখের দিকে অভিযান পরিচালনার নির্দেশ প্রদান করেন ৷ শীতকাল
তিনি সেখানে অবস্থান করেন ৷ এরপর আমীরের কাছে ফিরে আসেন ৷ ইবন আমিরকে বলা
হলো, তোমার আমলে যতদুর বিজয় সংঘটিত হয়েছে অন্য কারোর সময়ে তা হয়নি ৷ যেমন
ফারিস, কিরমান, সিজিন্তান ও আমির খুরাসান ৷ তিনি বললেন, অবশ্যই ৷ এটার জন্যে মহান
আল্লাহ্র কাছে শুকরিয়াস্বরুপ আমার এ জায়গা থেকে আমি উমরার নিয়ত করবো ৷ কাজেই,
আমি নিশাপুৱ থেকে উমরার ইহরাম ৰ্বাধবাে ৷ যখন তিনি হযরত উসমান ইবন আফ্ফান
ذَلِكَ، وَكَتَبَ لَهُمْ كِتَابَ صُلْحٍ بِذَلِكَ، ثُمَّ بَعَثَ الْأَحْنَفُ الْأَقْرَعَ بْنَ حَابِسٍ إِلَى الْجُوزَجَانِ فَفَتَحَهَا بَعْدَ قِتَالٍ وَقَعَ بَيْنَهُمْ، قُتِلَ فِيهِ خَلْقٌ مِنْ شُجْعَانِ الْمُسْلِمِينَ، ثُمَّ نُصِرُوا، فَقَالَ فِي ذَلِكَ كُثَيِّرٌ النَّهْشَلِيُّ قَصِيدَةً طَوِيلَةً فِيهَا:
سَقَى مُزْنَ السَّحَابِ إِذَا اسْتَهَلَّتْ ... مَصَارِعَ فِتْيَةٍ بِالْجُوزَجَانِ
إِلَى الْقَصْرَيْنِ مِنْ رُسْتَاقِ خُوطٍ ... أَبَادَهُمُ هُنَاكَ الْأَقْرَعَانِ
ثُمَّ سَارَ الْأَحْنَفُ مِنْ مَرْوِ الرُّوذِ إِلَى بَلْخَ فَحَاصَرَهُمْ حَتَّى صَالَحُوهُ عَلَى أَرْبَعِمِائَةِ أَلْفٍ، وَاسْتَنَابَ ابْنَ عَمِّهِ أُسَيْدَ بْنَ الْمُتَشَمِّسِ عَلَى قَبْضِ الْمَالِ، ثُمَّ ارْتَحَلَ يُرِيدُ الْجِهَادَ، وَدَهَمَهُ الشِّتَاءُ، فَقَالَ لِأَصْحَابِهِ: مَا تَشَاءُونَ؟ فَقَالُوا: قَدْ قَالَ عَمْرُو بْنُ مَعْدِيكَرِبَ:
إِذَا لَمْ تَسْتَطِعْ شَيْئًا فَدَعْهُ ... وَجَاوِزْهُ إِلَى مَا تَسْتَطِيعُ
فَأَمَرَ الْأَحْنَفُ بِالرَّحِيلِ إِلَى بَلْخَ، فَأَقَامَ بِهَا مُدَّةَ الشِّتَاءِ، ثُمَّ عَادَ إِلَى ابْنِ
পৃষ্ঠা - ৫৭৪২
عَامِرٍ، فَقِيلَ لِابْنِ عَامِرٍ: مَا فُتِحَ عَلَى أَحَدٍ مَا فُتِحَ عَلَيْكَ؛ فَارِسُ وَكِرْمَانُ وَسِجِسْتَانُ وَعَامَّةُ خُرَاسَانَ. فَقَالَ: لَا جَرَمَ، لَأَجْعَلَنَّ شُكْرِي لِلَّهِ عَلَى ذَلِكَ أَنْ أُحْرِمَ بِعُمْرَةٍ مِنْ مَوْقِفِي هَذَا مُشَمِّرًا. فَأَحْرَمَ بِعُمْرَةٍ مِنْ نَيْسَابُورَ، فَلَمَّا قَدِمَ عَلَى عُثْمَانَ لَامَهُ عَلَى إِحْرَامِهِ مِنْ خُرَاسَانَ.
وَفِيهَا أَقْبَلَ قَارِنُ فِي أَرْبَعِينَ أَلْفًا فَالْتَقَاهُ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ خَازِمٍ فِي أَرْبَعَةِ آلَافٍ، وَجَعَلَ لَهُمْ مُقَدِّمَةً سِتَّمِائَةِ رَجُلٍ، وَأَمَرَ كُلَّ وَاحِدٍ مِنْهُمْ أَنْ يَحْمِلَ عَلَى رَأْسِ رُمْحِهِ نَارًا، وَأَقْبَلُوا إِلَيْهِمْ فِي وَسَطِ اللَّيْلِ فَبَيَّتُوهُمْ فَثَارُوا إِلَيْهِمْ فَنَاوَشَتْهُمُ الْمُقَدِّمَةُ فَاشْتَغَلُوا بِهِمْ، وَأَقْبَلَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ خَازِمٍ بِمَنْ مَعَهُ مِنَ الْمُسْلِمِينَ فَاتَّقَعُوا هُمْ وَإِيَّاهُمْ، فَوَلَّى الْمُشْرِكُونَ مُدْبِرِينَ، وَأَتْبَعَهُمُ الْمُسْلِمُونَ يَقْتُلُونَ مَنْ شَاءُوا كَيْفَ شَاءُوا، وَغَنِمُوا سَبْيًا كَثِيرًا، وَأَمْوَالًا جَزِيلَةً، ثُمَّ بَعَثَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ خَازِمٍ بِالْفَتْحِ إِلَى ابْنِ عَامِرٍ، فَرَضِيَ عَنْهُ وَأَقَرَّهُ عَلَى خُرَاسَانَ - وَكَانَ قَدْ عَزَلَهُ عَنْهَا - فَاسْتَمَرَّ بِهَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ خَازِمٍ إِلَى مَا بَعْدَ ذَلِكَ.
পৃষ্ঠা - ৫৭৪৩
(রা)-এর কাছে আগমন করেন তখন উসমড়ান (রা) তাকে খুরাসান হতে ইহরাম বীধার জন্যে
তিরস্কার করেন ৷
এ বছরেই কারিন ৪০ হাজার সৈন্য নিয়ে এগিয়ে আসল ৷ চার হাজার সৈন্য নিয়ে
আবদুল্লাহ ইবন খাযিম (র) তার মুকাবিলা করলেন ৷ অগ্রবর্তী দলে ৬শ নির্ধারণ করা হলো আর
প্রত্যেককে বর্শার মাথায় অগ্নি বহন করার জন্যে আদেশ দেওয়া হলো ৷ তারা মধ্যরাতে
শত্রুদের দিকে অগ্রসর হল এবং রাতের বেলায় তাদের কাছে পৌছল ও ঝড়ের বেগে এগিয়ে
আসল ৷ অ্যাণামী দল শত্রু সৈন্যদের উপর অতর্কিতে হামলা করল ৷ তারা এদিকে ব্যস্ত হয়ে
পড়ল ৷ তখন আবদুল্লাহ ইবন খাযিম (র) তার সাথে অবস্থানরত মুসলিম সৈন্যদের নিয়ে
সামনের দিকে অগ্রসর হলো ও শত্রু সৈন্যদের মুখোমুখি হলো ন্৷ তখন মুশরিকপণ পলায়ন
করতে লাগল ৷ মুসলযানগণ তাদের পিছু ধাওয়া করল এবং যাকে যেখানে ও যেভাবে পেল
হত্যা করতে লাগল ৷ বহু বন্দী ও প্রচুর সম্পদ গনীমত হিসেবে অর্জিত হলো ৷ তারপর
আবদুল্লাহ ইবন খাযিম (র) বিজয়ের সৎৰাদসহ ইবন আমির (র)- এর কাছে লোক ,,৫প্রুরণ
করলেন ৷ তিনি তার প্রতি সত্তুষ্ট হলেন এবং তাকে খুরাসানে বহাল করেন ৷ পুর্বে তাকে বরখাস্ত
করা হয়েছিল ৷ এরপর সেখানে আব্দুল্লাহ ইবন খাযিম (র)বলবৎ থাকেন ৷
এ বছর যেসব ব্যক্তিত্ব ওফাত গ্রহণ করেন তাদের বিবরণ
আল-আব্বাস ইবন আবদুল মুত্তালিব (বা)
তার পুর্ণ নাম আবুল ফযল আল-আব্বাস ইবন আবদুল মুত্তালিব ইবন হাশিম ইবন আবদি
মন্নাফ আল-কারাশী আলহাশিমী আল-মাকী ৷ তিনি ছিলেন রাসুলুল্লাহ্ন্নুশু এর চাচা এবং
আব্বাসী খলীফাদের র্বপ৩ না ৷ তিনি রাসুলুল্লাহ্মোঃ হতে ৩দুইবছর কিৎবা তিন বছরের বড়
ছিলেন ৷ বদরের যুদ্ধের দিন তিনি বন্দী হয়ে আসেন ৷ তাপর তিনি তার নিজের এবং দুই
ভাইয়ের ছেলে আর্কীল ইবন আবু তালিব (রা) ও নওফল ইবন আল-হারিস এর মুক্তিপণ
আদায় করেন ৷ পুর্বেও উল্লেখ করা হয়েছে যে, যখন তিনি বন্দী হয়ে আসেন ও তিনি শৃৎখলে
আটক ছিলেন ৷ আর লোকজনের জন্যে সদ্যা ঘনিয়ে আসল, কিত্তু রাসুলুল্লাহ্ঘ্নে জাগ্রত
রইলেন, ঘুমাতে পারলেন না ৷ রাসুলুল্লাহ্£কুজং কে জিজ্ঞেস করা হলো, হে আল্লাহর রাসুল ৷
আপনার কি হলো? তিনি বলেন, আমি আব্বাস (রা)-এর শৃৎখলের যন্ত্রণার আওয়াজ শুনছি ৷
এজন্যে ঘুমাতে পারছি ন৷ ৷ মুসলমানদের থেকে এক ব্যক্তি উঠে র্দাড়ালেন এবৎ আব্বাস
(রা) ণ্ক শৃৎখল মুক্ত করেছিলেন ৷ ফলে তার যস্ত্রণার উপশম হলো এবং রাসুলুল্পাহ্মোঃও
ঘুমালেন ৷ তারপর তিনি পবিত্র মক্কা বিজয়ের বছর মুসলমান হন ও আল-জুহফায় রাসুলুল্লাহ্
ভ্রুক্ট্র-এর সাথে সাক্ষাত করেন এবং রাসুলুল্লাহ্ট্রুট্রু এর সাথে প্রত্যাবর্তন করেন ও পবিত্র
মক্কা বিজয়ে অংশগ্রহণ করেন ৷ কথিত আছে যে, তিনি এর পুর্বে ইসলাম গ্রহণ করেন কিন্তু
তিনি হুা৷সুলুল্লাহ্-;ণ্ এর অনুমতিক্রাম পবিত্র মক্কায় বসবাস করতেন ৷ যেমন এ সম্পর্কে
হাদীস বর্ণিত রয়েছে ৷ মহান আল্লাহ্ অধিক পরিজ্ঞাত ৷
রাসুলুল্লাহমোঃ তাকে সমান করতেন, তাযীম করতেন ও সন্তানের পক্ষ থেকে পিতার
মর্যাদা দিতেন ৷ আর §fifi§fi§”“§ বলতেন তিনি আমার বাপ-দাদার অবশিষ্ট ৷ তিনি ছিলেন
কুরইিশদের মধ্যে অধিক ঘনিষ্ঠতা রক্ষাকারী এবং তাদের মধ্যে অধিক প্রিয় ব্যক্তি ৷ তিনি
[ذِكْرُ مَنْ تُوُفِّيَ مِنَ الْأَعْيَانِ]
ِ فِي هَذِهِ السَّنَةِ الْعَبَّاسُ بْنُ عَبْدِ الْمُطَّلِبِ
ابْنُ هَاشِمِ بْنِ عَبْدِ مَنَافٍ الْقُرَشِيُّ الْهَاشِمِيُّ أَبُو الْفَضْلِ الْمَكِّيُّ عَمُّ رَسُولِ اللَّهِ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَوَالِدُ الْخُلَفَاءِ الْعَبَّاسِيِّينَ، وَكَانَ أَسَنَّ مِنْ رَسُولِ اللَّهِ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، بِسَنَتَيْنِ أَوْ ثَلَاثٍ، أُسِرَ يَوْمَ بَدْرٍ، فَافْتَدَى نَفْسَهُ بِمَالٍ، وَافْتَدَى ابْنَيْ أَخَوَيْهِ؛ عَقِيلَ بْنَ أَبِي طَالِبٍ، وَنَوْفَلَ بْنَ الْحَارِثِ. وَقَدْ ذَكَرْنَا أَنَّهُ لَمَّا أُسِرَ وَشُدَّ فِي الْوَثَاقِ وَأَمْسَى النَّاسُ أُرِّقَ رَسُولُ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَقِيلَ: يَا رَسُولَ اللَّهِ مَالَكَ؟ فَقَالَ: «إِنِّي أَسْمَعُ أَنِينَ الْعَبَّاسِ فِي وَثَاقِهِ فَلَا أَنَامُ. فَقَامَ رَجُلٌ مِنَ الْمُسْلِمِينَ فَحَلَّ مِنْ وَثَاقِ الْعَبَّاسِ حَتَّى سَكَنَ أَنِينُهُ، فَنَامَ رَسُولُ اللَّهِ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ» . ثُمَّ أَسْلَمَ عَامَ الْفَتْحِ وَتَلَقَّى رَسُولَ اللَّهِ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، إِلَى الْجُحْفَةِ، فَرَجَعَ مَعَهُ، وَشَهِدَ الْفَتْحَ. وَيُقَالُ: إِنَّهُ أَسْلَمَ قَبْلَ ذَلِكَ وَلَكِنَّهُ أَقَامَ بِمَكَّةَ بِإِذْنِ النَّبِيِّ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، لَهُ فِي ذَلِكَ، كَمَا وَرَدَ بِهِ الْحَدِيثُ. فَاللَّهُ أَعْلَمُ. وَقَدْ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، يُجِلُّهُ وَيُعَظِّمُهُ وَيُنْزِلُهُ مَنْزِلَةَ الْوَالِدِ مِنَ الْوَلَدِ، وَيَقُولُ: هَذَا بَقِيَّةُ آبَائِي. وَكَانَ مِنْ أَوْصَلِ النَّاسِ لِقُرَيْشٍ وَأَشْفَقِهِمْ عَلَيْهِمْ، وَكَانَ ذَا
পৃষ্ঠা - ৫৭৪৪
ছিলেন বুদ্ধিমান ও পরিপুর্ণ আকলের অধিকারী ৷ তিনি ছিলেন লম্বা, সুন্দর, সাদা ও কোমল
ত্বকের অধিকারী ৷ তিনি দুই পদকের অধিকারী ৷ মেয়ে ব্যতীত তার ছিল দশটি ছেলে সন্তান ৷
তারা হলেন তামাম (সবচেয়ে হোট্ ছেলে), আল হারিস, অৰেদুল্লাহ, উবইিদুরাহ, আউন,
আবদুর রহমান, আল-ফ্যল, কাসাম, কালীর ও মা বাদ ৷ তার গোলামের ৭০জনকে তিনি
আযাদ করে দিয়েছিলেন ৷ প্
ইমাম আহমদ (র) সা দ ইবন আবু ওয়াক্কাস (রা) হতে বর্ণনা করেন ৷ তিনি বলেন,
রাসুলুল্লাহ্মোঃ আব্বাস (রা) এর জন্যে বলেন, ইনি আব্বাস ইবন আবদুল মুত্তালির ৷
কুরাইশদেৱ মধ্যে অধিক দানশীল এবং অধিক ঘনিষ্ঠতা রক্ষাকারী ৷ সহীহ বুখারী ও সহীহ
মুসলিমের বর্ণিত আছে যে, রাসুলুল্পাহ্মোঃ উমর (রা) কে বলেন, যখন তিনি তাকে সাদকা
আদায়ের জন্যে প্রেরণ করেন, বলা হলো যে, ইবন আসীন, খালিদ ইবন ওয়লীেদ এবং আব্বাস
(রা) রাসুলুল্লাহ্ ষ্শ্ণ্ঘ্নে এর চাচা যাকাত দেওয়া হতে বিরত রয়েছেন ৷ রাসুলুল্লাহ্মোঃ বললেন,
ইবন জ্যমীল সাদকা আদায় থেকে বিরত রয়েছে ৷ কারণ সে জ্জি দরিদ্র তাকে আল্লাহ্ তাআলা
ধন-সম্পদ দিয়েছেন ৷ তবে খালিদ (রা)-এরং উপর তোমরা জুলুম করছ ৷ কেননা, সে তার
জামা-কাপড় ও সহায়-সম্পদ মহান আল্লাহর রাস্তায় দান করে দিয়েছে ৷ আর আব্বাস (রা) ,
তার সাদকা আমার যিমায় রইল এবং তার সমান আরো একগুণ সাদকা প্রদান আমার যিষ্মড়ায়
রইল ৷ তারপর রাসুলুল্লাহ্ মোঃ বলেন, “হে উমর ! তুমি কি জান না, কোন লোকের চাচা,
তার পিতার সমতুল্য !
সহীহ বুখারীতে হযরত আনাস (রা) হতে বর্ণিত রয়েছে যে, একবার হযরত উমর (রা)
ইসতিসকাহ নামাষের জন্যে বের হলেন এবং আব্বাস (রা)এর মাধ্যমে আল্লাহ তাআলার
দরবারে পানির প্রার্থনা করলেন ৷ তিনি বলতে লাগলেন, হে আল্পাহ্ ! আমাদের যখন দুর্তিক্ষ
হতো তখন আমরা আমাদের নবীর মাধ্যমে তোমার কাছে বৃষ্টির জন্যে আহ্বান করতাম এবং
তুমি আমাদেরকে বৃষ্টি প্রদান করতে ৷ এখন আমরা তোমার কাছে আমাদের নবীর চাচার
মাধ্যমে বৃষ্টির জন্যে প্রার্থনা করছি ৷
বর্ণনাকারী বলেন, এভাবে তাদেরকে বৃষ্টি প্রদান করা হতো ৷ আরো কথিত আছে, হযরত
উমর ইবনুল খাত্তাব (রা) এবং হযরত উসমান ইবন আফুফান (রা) যখন আব্বাস (রা) এর
নিকট হয়ে গমন করতে ন তখন তারা দুজনেই হযরত আব্বাস (রা) এর সমানার্থে সওয়ারী
হতে নেমে যেতেন ৷ আল্লামা ওয়াকিদী (র) ও অন্যরা বলেন, আব্বাস (রা) জুমার দিন রজবের
১২ তারিখ ইনতিকাল করেন ৷ কেউ কেউ বলেন, ৩২ হিজরীর রমযান মাসে ৮৮ বছর বয়সে
তিনি ইনতিকাল করেন ৷ হযরত উসমান ইবন আফ্ফান্ (বা) তার সালাতে জানাযা পড়ান
এবং তাকে জান্নাতৃল বার্কীতে দাফন করা হয় ৷ আবার কেউ কেউ বলেন, ৩৪ হিজরীতে তিনি
ইনতিকাল করেন ৷ তার কৃতিত্ব ও গুণারলী অনেক ৷
আবদৃল্লাহইবনমাসউদ (রা)
তার পুর্ণ নাম আবু আবদুর রহমান আবদুল্লাহ ইবন মাসউদ ইবন গাফিল ইবন হ্ার্বীব্ ইবন
সামাহ ইবন ফার ইবন মাখবুম ইবন সাহিনাহ ইবন কাহিল ইবন আল-হারিস ইবন তাইম ইবন
رَأْيٍ وَعَقْلٍ تَامٍّ وَافٍ، وَكَانَ طَوِيلًا جَمِيلًا أَبْيَضَ بَضًّا ذَا ضَفِيرَتَيْنِ، وَكَانَ لَهُ مِنَ الْوَلَدِ عَشَرَةُ ذُكُورٍ سِوَى الْإِنَاثِ، وَهُمْ تَمَّامٌ - وَكَانَ أَصْغَرَهُمْ - وَالْحَارِثُ، وَعَبْدُ اللَّهِ، وَعُبَيْدُ اللَّهِ، وَعَبْدُ الرَّحْمَنِ، وَعَوْنٌ، وَالْفَضْلُ، وَقُثَمُ، وَكَثِيرٌ، وَمَعْبَدٌ. وَأَعْتَقَ سَبْعِينَ مَمْلُوكًا مِنْ غِلْمَانِهِ.
وَقَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: ثَنَا عَلِيُّ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ قَالَ: حَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ طَلْحَةَ التَّمِيمِيُّ مِنْ أَهْلِ الْمَدِينَةِ، حَدَّثَنِي أَبُو سُهَيْلٍ نَافِعُ بْنُ مَالِكٍ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ الْمُسَيَّبِ، عَنْ سَعْدِ بْنِ أَبِي وَقَّاصٍ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، لِلْعَبَّاسِ: «هَذَا الْعَبَّاسُ بْنُ عَبْدِ الْمُطَّلِبِ، أَجْوَدُ قُرَيْشٍ كَفًّا وَأَوْصَلُهَا» . تَفَرَّدَ بِهِ.
وَثَبَتَ فِي " الصَّحِيحَيْنِ " «أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، قَالَ لِعُمَرَ حِينَ بَعَثَهُ عَلَى الصَّدَقَةِ فَقِيلَ: مَنَعَ ابْنُ جَمِيلٍ وَخَالِدُ بْنُ الْوَلِيدِ وَالْعَبَّاسُ عَمُّ رَسُولِ اللَّهِ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَقَالَ لَهُ رَسُولُ اللَّهِ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: مَا يَنْقِمُ ابْنُ جَمِيلٍ إِلَّا أَنْ كَانَ فَقِيرًا فَأَغْنَاهُ اللَّهُ، وَأَمَّا خَالِدٌ فَإِنَّكُمْ تَظْلِمُونَ خَالِدًا؛ وَقَدِ احْتَبَسَ أَدْرَاعَهُ وَأَعْتَادَهُ فِي سَبِيلِ اللَّهِ، وَأَمَّا الْعَبَّاسُ فَهِيَ عَلَيَّ وَمِثْلُهَا. ثُمَّ قَالَ يَا عُمَرُ أَمَا شَعُرْتَ أَنَّ عَمَّ الرَّجُلِ صِنْوُ أَبِيهِ» ؟
পৃষ্ঠা - ৫৭৪৫
وَثَبَتَ فِي " صَحِيحِ الْبُخَارِيِّ " عَنْ أَنَسٍ أَنَّ عُمَرَ خَرَجَ يَسْتَسْقِي وَخَرَجَ بِالْعَبَّاسِ مَعَهُ يَسْتَسْقِي بِهِ، وَقَالَ: اللَّهُمَّ إِنَّا كُنَّا إِذَا قَحَطْنَا تَوَسَّلْنَا إِلَيْكَ بِنَبِيِّنَا فَتَسْقِينَا، وَإِنَّا نَتَوَسَّلُ إِلَيْكَ بِعَمِّ نَبِيِّنَا. قَالَ: فَيُسْقَوْنَ.
وَيُقَالُ: إِنَّ عُمَرَ بْنَ الْخَطَّابِ وَعُثْمَانَ بْنَ عَفَّانَ كَانَا إِذَا مَرَّا بِالْعَبَّاسِ وَهُمَا رَاكِبَانِ تَرَجَّلَا إِكْرَامًا لَهُ. قَالَ الْوَاقِدِيُّ وَغَيْرُ وَاحِدٍ: تُوُفِّيَ الْعَبَّاسُ فِي يَوْمِ الْجُمُعَةِ لِثِنْتَيْ عَشْرَةَ لَيْلَةً خَلَتْ مِنْ رَجَبٍ - وَقِيلَ: مِنْ رَمَضَانَ - سَنَةَ ثِنْتَيْنِ وَثَلَاثِينَ عَنْ ثَمَانٍ وَثَمَانِينَ سَنَةً، وَصَلَّى عَلَيْهِ عُثْمَانُ بْنُ عَفَّانَ، وَدُفِنَ بِالْبَقِيعِ. وَقِيلَ: تُوُفِّيَ سَنَةَ ثَلَاثٍ وَثَلَاثِينَ، وَقِيلَ: سَنَةَ أَرْبَعٍ وَثَلَاثِينَ. وَفَضَائِلُهُ وَمَنَاقِبُهُ كَثِيرَةٌ جِدًّا.
عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مَسْعُودٍ
ابْنُ غَافِلِ بْنِ حَبِيبِ بْنِ شَمْخِ بْنِ فَارِ بْنِ مَخْزُومِ بْنِ صَاهِلَةَ بْنِ كَاهِلِ بْنِ الْحَارِثِ بْنِ تَمِيمِ بْنِ سَعْدِ بْنِ هُذَيْلِ بْنِ مُدْرِكَةَ بْنِ إِلْيَاسَ بْنِ
পৃষ্ঠা - ৫৭৪৬
সাদ ইবন হুষাইল ইবন মুদরিকাহ ইবন ইলিয়াস ইবন মুদার আল-হয়ােলী ৷ তিনি বনু যুহরার
মিত্র ছিলেন ৷ হযরত উমর (রা) এর পুর্বে তিনি ইসলাম গ্রহণ করেন ৷ তার ইসলাম গ্রহণ করার
কারণ হলো নিম্নরুপ ং
একদিন রাসুলুল্লাহ্আঃ ও আবু বকর (বা) তার কাছ দিয়ে কোথায় যেন যেতেছিলেন ৷
তিনি বকরী চরাতে ছিলেন ৷ তারা দুজন প্র্তার কাছে দুধ চইিল ৷ তখন তিনি বললেন, আমি
আমানতদার ৷ ’ বর্ণনাকারী বললেন, রাসুলুল্পাহ্জ্জ একটি শ্রী বকরী বাচ্চাকে ধরলেন যার সাথে
পুরুধ্ বকরী এখনও সঙ্গম করেনি ৷ তাকে আটক করেন ৷ তারপর তিনি এটাকে দােহন করেন
ও এটার দুধ পান করেন এবং আবু বকর (রা)-কে দৃধপান করান ৷ তারপর তিনি ওলানকে
বললেন, সং চিত হয়ে যাও ৷ তখন তা সৎকুচিত হয়ে গেল ৷ বর্ণনাকারী বলেন, আমি
রাসুলুল্লাহ্জ্যে-কে বললাম, আমাকে এ দুআটি শিক্ষা দিন! রাসুলুল্লাহ্ফ্লো বললেন, “নিশ্চয়ই
তুমি একজন শিক্ষিত যুবক ৷ (আল-হাদীস)
মুহাম্মদ ইবন ইসহাক (র) ইয়াহ্ইয়া ও তার পিতা উরওয়া (বা) হতে বর্ণনা করেন ৷ তিনি
বলেন, আবদুল্লাহ ইবন মাসউদ (বা) প্রথম ব্যক্তি ছিলেন যিনি রাসুসুল্লাহ্জাে এর পর পবিত্র
মক্কার বাইতুয়াহ শয়ীফে কুরআন মব্জীদ উচ্চস্বরে তিলাওয়াত করেন ৷ আর কুরাইশরা ছিল
বাইতুল্লাহর আঙ্গিনায় ৷ তিনি সুরায়ে আর-রহমান তিলাওয়াত করেন ৷ তিনি বলেন, দয়াময়
আল্লাহ ৷ তিনিই শিক্ষা দিয়েছেন কুরআন ৷ এ কথা শোনার পর কুরইিশরা তার দিকে দৌড়িয়ে
আসে এবং তাকে বেদয প্ৰহার করে ৷ তিনি রাসুলুল্লাহ্মোঃ ,-এর জুতা ও মিসওয়াক বহন
করতেন ৷ রাসুলুল্লাহ্মোঃ ,তাকে বলেন, আমি তোমাকে আমার গোপন কথা শোনার অনুমতি
দিঘাম’ ৷ এজন্যই তাকে বলা হতো সাহিবুস সিওয়াক ওয়াল বিসাদ অর্থাৎ মিসওয়ড়াক ও
বাসিশ বহনকারী ৷
তিনি হাবশায় হিওরেত করেন এবং পরে পবিত্র মক্কা ফিরে আসেন ৷ তারপর পবিত্র মদীনায়
হিঞ্জব্ত করেন ৷ তিনি বদর যুদ্ধে অংকুাগ্নহ্ণ করেন ৷ আর তিনিই উক্ত যুদ্ধে আবু অেহেলকে
আকরার দৃই ছেলে আঘাত করার পর হত্যা করেন ৷ তিনি অন্যান্য অবশিষ্ট যুদ্ধগুদ্যেতে
যোগদান করেন ৷ একদিন রাসুলুন্নাহ্মোঃ , তাকে বলেন, আমার নিকট তুমি কুরআন
তিলাওয়াত কর ৷ ’তিনি বললেন, আমি কি আপনার নিকট কুরআন তিলাওয়াত করতে পারি,
যে কুরআন খােদ আপনার উপর অবতীর্ণ হয়েছে ? ’
বাসুলুল্পাহ্দ্রো বললেন, এ কুরআন অন্য লোক থেকে শুনতে আমার বড় ভাল লাগে ৷
তখন তিনি রাসুলুল্লাহ্ম্প্ ট্রুজং-এর কাছে সুরায়ে নিসার প্রথম থেকে তিলাওয়াত শুরু করেন ৷
যখন তিনি নিম্ন বর্ণিত আয়াত তিলাওয়াত করেন রাসুলুল্পাহ্ড্ডাক্রন্দন করতে লাপলেন এবং
বললেন, এপর্ষস্তই থেমে যাও ৷ আয়াত হলো
অর্থাৎ, যখন প্রত্যেক উষ্মত হতে একজন সাক্ষী উপস্থিত করব এবং তোমাকে তাদের
বিরুদ্ধে সাক্ষীরুপে উপস্থিত করব তখন কী অবস্থা হবো (সুরা নিসা : ১)
مُضَرَ، أَبُو عَبْدِ الرَّحْمَنِ الْهُذَلِيُّ، حَلِيفُ بَنِي زُهْرَةَ، أَسْلَمَ قَدِيمًا قَبْلَ عُمَرَ، وَكَانَ سَبَبُ إِسْلَامِهِ حِينَ «مَرَّ بِهِ رَسُولُ اللَّهِ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَأَبُو بَكْرٍ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، وَهُوَ يَرْعَى غَنَمًا فَسَأَلَاهُ لَبَنًا، فَقَالَ: إِنِّي مُؤْتَمَنٌ. قَالَ فَأَخَذَ رَسُولُ اللَّهِ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، عَنَاقًا لَمْ يَنْزُ عَلَيْهَا الْفَحْلُ فَاعْتَقَلَهَا ثُمَّ حَلَبَ وَشَرِبَ وَسَقَى أَبَا بَكْرٍ، ثُمَّ قَالَ لِلضَّرْعِ: " اقْلِصْ ". فَقَلَصَ، فَقُلْتُ: عَلِّمْنِي مِنْ هَذَا الدُّعَاءِ. فَقَالَ: " إِنَّكَ غُلَيْمٌ مُعَلَّمٌ» الْحَدِيثَ.
وَرَوَى مُحَمَّدُ بْنُ إِسْحَاقَ عَنْ يَحْيَى بْنِ عُرْوَةَ عَنْ أَبِيهِ أَنَّ ابْنَ مَسْعُودٍ كَانَ أَوَّلَ مَنْ جَهَرَ بِالْقُرْآنِ بِمَكَّةَ بَعْدَ النَّبِيِّ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، عِنْدَ الْبَيْتِ وَقُرَيْشٌ فِي أَنْدِيَتِهَا؛ قَرَأَ سُورَةَ: {الرَّحْمَنُ عَلَّمَ الْقُرْآنَ} [الرحمن: 1]
[الرَّحْمَنِ: 1، 2] . فَقَامُوا إِلَيْهِ فَضَرَبُوهُ.
وَلَزِمَ رَسُولَ اللَّهِ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، حِينَ أَسْلَمَ، وَكَانَ يَحْمِلُ نَعْلَيْهِ وَسِوَاكَهُ، وَقَالَ لَهُ: «إِذْنُكَ عَلَيَّ أَنْ تَسْمَعَ سِوَادِي» ". وَلِهَذَا كَانَ يُقَالُ لَهُ: صَاحِبُ السِّوَاكِ وَالسِّوَادِ.
وَهَاجَرَ إِلَى الْحَبَشَةِ ثُمَّ عَادَ إِلَى مَكَّةَ، ثُمَّ هَاجَرَ إِلَى الْمَدِينَةِ، وَشَهِدَ بَدْرًا، وَهُوَ
পৃষ্ঠা - ৫৭৪৭
আবু মুসা আশয়ারী (রা) বলেন, আমি ও আমার ভাই ইয়ামান থেকে রাসুলুল্লাহমোঃ এর
দরবারে আগমন করলাম এবৎ নবীস্গাং, , এর ঘরে বেশি বেশি যাতায়াতের জন্যে আমরা ধারণা
করতে লাগলাম যে, আবদুল্লাহ ইবন মাসউদ (রা) ও তার মাতা নবী পরিবারের সদস্য ৷
হুযাইফা (রা) বলেন, রাসুলুল্লাহ্-ম্, শ্ষ্ন্ এর চালচলন, আচার-আচরণ ও চেহারা-সুরতে
হযরত ইবন মাসউদ (রা) থেকে অধিক সাদৃশ্যপুর্ণ আমি আর কাউকে দেখিনি ৷ আর রাসুলুল্পাহ্
স্নে-এর সংরক্ষিত ও প্রবীণ সাহাবায়ে কিরাম জানেন যে, ইবন উষ্মে আবদ (আবদুল্লাহ ইবন
মাসউদ সাহাবাদের মধ্যে আল্লাহ তাআলার কাছে নিকটতম ৷ হাদীসে উল্লেখ রয়েছে,
রাসুলুল্লাহ্ত্রুবলেন, তােমরা ইবন উম্মে আবদের আদর্শ ও চুক্তিপত্রকে জাকড়িয়ে ধর ৷ ’
ইমাম আহমদ (র) আলী (রা) হতে বর্ণনা করেন ৷ তিনি বলেন, একদিন ইবন
মাসউদ (রা) কাবাত নামী এক পাকা ফল সংগ্রহের জন্যে গাছে উঠলেন ৷ £লাকজন তার সরু
পায়ের গোছ দেখে অবাক হয়ে গেল ৷ রাসুলুল্লাহ্স্পঞাবলেন, “যে সত্তার হাতে আমার জীবন
তার শপথ ৷ হাশরের দিন এ সরু গোছাগুলাে অন্যদের পােছা হতে অধিক ভারী হবে ৷” হযরত
উমর ইবনুল খাত্তাব (রা) হযরত ইবন মাসউদ (রা) এর খাটো আকৃতির প্ৰতি দৃষ্টি করেন ও
খতিয়ে দেখতে লাপলেন যার উচ্চত ৷ ছিল একটি উপবিষ্ট লোকের উচ্চতার সমান ৷ তারপর
তিনি বলেন, এটা এমন একটি দেওয়াল যা জ্ঞ ৷নে পরিপুর্ণ ৷ রাসুলুল্পাহহ্র,ণুশু এর ইনতিকালের
পরও তিনি বহুযুদ্ধ ক্ষেত্রে অংশ্যাহণ করেছেন ৷ তার মধ্যে ইয়ারমুক উল্পেখযো গ্যে ৷ হজ্জ পালন
শেষে তিনি ইরাক থেকে রাবযড়াহ যেতে ছিলেন ৷ সেখানে তিনি আবু বর (বা) এর ওফাত ও
দাফন লক্ষ্য করেন ৷ তারপর তিনি পবিত্র মদীনা গমন করেন ও সেখানে অসুস্থ হয়ে পড়েন ৷
হযরত উসমান ইবন আফ্ফান (র) তাকে দেখতে পান ৷
কথিত আছে যে, তিনি তাকে প্রশ্ন করেছিলেন, তোমার অভিযোগ কি ? উত্তরে তিনি
বলেন, “আমার পাপ ৷ তিনি বলেন, তুমি এখন কি চাও ? তিনি বললেন, “আমার
প্ৰতিপালকের রহ৩ ত ৷ তিনি বলেন “তোমার জন্যে কি একজন চিকিৎসক ডেকে আনব ৷’
তিনি বলেন, “চিকিৎসকই তো আমাকে অসুস্থ করেছেন ৷” তিনি বলেন, আমি কি তোমার
ভাতা প্রদানের নির্দেশ দেব ? তিনি তা দুই বছর যাবত নিচ্ছেন না ৷ তিনি উত্তরে বলেন, এটার
আমার কোন প্রয়োজন নেই ৷ তিনি বলেন, “তাহলে এটা তোমার পরে তোমার মেয়েদের জন্যে
হবে একটি অবলম্বন ৷ তিনি বলেন, “তুমি কি আমার মেয়েদের অভাবের জন্যে ভয় করছ :
আমি আমার যেয়েদেরকে আদেশ দিয়েছি তারা যেন প্রতি রাতে সুরায়ে আল ওয়াকিয়াহ
তিলাওয়াত করে ৷
আমি রাসুলুল্লাহ্ড্রে কে বলতে শুনেছি ৷ তিনি বলেন, “যে ব্যক্তি প্রতিরাতে সুরায়ে
আলওয়াকিয়াহ তিলাওয়াত করবে তার কখনও অভাব অনটন হবে না ৷” হযরত আবদুল্লাহ
ইবন মাসউদ (রা) হযরত যুবাইর ইবনুল আওয়াম (রা)-কে ওসীয়ত করেন ৷ কথিত আছে যে,
যুবাইর (রা) রাতে তার সালাতে জানাযা আদায় করেন ৷ এর জন্যে হযরত উসমান (রা) হযরত
যুবা ৷ইর (রা) কে তিরস্কার করেন ৷ কেই কেউ বলেন, বরৎ হযরত ৩উসযান (বা) তা ৷র সালাতে
জানাযা আদায় করেন ৷ আবার কেউ কেউ বলেন, “আম্মার (বা) তার সালাতে জানাযা পড়ান ৷
মহান আল্লাহ অধিক পরিজ্ঞাত ৷ জান্নাতু ল বাকীতে তাকে দাফন করা হয় ৷ তখন তার বয়স
ছিল ৬৩ বছরের অধিক ৷
الَّذِي قَتَلَ أَبَا جَهْلٍ بَعْدَ مَا أَثْبَتَهُ ابْنَا عَفْرَاءَ وَشَهِدَ بَقِيَّةَ الْمَشَاهِدِ.
وَقَالَ لَهُ رَسُولُ اللَّهِ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، يَوْمًا: «اقْرَأْ عَلَيَّ ". فَقُلْتُ: أَقْرَأُ عَلَيْكَ وَعَلَيْكَ أُنْزِلَ؟ فَقَالَ: " إِنِّي أُحِبُّ أَنْ أَسْمَعَهُ مِنْ غَيْرِي ". فَقَرَأَ عَلَيْهِ مِنْ أَوَّلِ سُورَةِ النِّسَاءِ إِلَى قَوْلِهِ: {فَكَيْفَ إِذَا جِئْنَا مِنْ كُلِّ أُمَّةٍ بِشَهِيدٍ وَجِئْنَا بِكَ عَلَى هَؤُلَاءِ شَهِيدًا} [النساء: 41] . فَبَكَى رَسُولُ اللَّهِ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَقَالَ: " حَسْبُكَ» "
وَقَالَ أَبُو مُوسَى: قَدِمْتُ أَنَا وَأَخِي مِنَ الْيَمَنِ وَمَا كُنَّا نَظُنُّ إِلَّا أَنَّ ابْنَ مَسْعُودٍ وَأُمَّهُ مِنْ أَهْلِ بَيْتِ النَّبِيِّ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ؛ لِكَثْرَةِ دُخُولِهِمْ بَيْتَ النَّبِيِّ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ.
وَقَالَ حُذَيْفَةُ: مَا رَأَيْتُ أَحَدًا أَشْبَهَ بِرَسُولِ اللَّهِ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فِي هَدْيِهِ وَدَلِّهِ وَسَمْتِهِ مِنَ ابْنِ مَسْعُودٍ، وَلَقَدْ عَلِمَ الْمَحْفُوظُونَ مِنْ أَصْحَابِ مُحَمَّدٍ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، أَنَّ ابْنَ أُمِّ عَبْدٍ أَقْرَبُهُمْ إِلَى اللَّهِ زُلْفَى. وَفِي الْحَدِيثِ: «وَتَمَسَّكُوا بِعَهْدِ ابْنِ أُمِّ عَبْدٍ» .
وَفِي الْحَدِيثِ الْآخَرِ الَّذِي رَوَاهُ أَحْمَدُ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ فُضَيْلٍ، عَنْ مُغِيرَةَ، عَنْ أُمِّ مُوسَى، عَنْ عَلِيٍّ أَنَّ ابْنَ مَسْعُودٍ صَعِدَ شَجَرَةً يَجْتَنِي الْكَبَاثَ، فَجَعَلَ
পৃষ্ঠা - ৫৭৪৮
النَّاسُ يَعْجَبُونَ مِنْ دِقَّةِ سَاقَيْهِ، فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ: «وَالَّذِي نَفْسِي بِيَدِهِ لَهُمَا فِي الْمِيزَانِ أَثْقَلُ مِنْ أُحُدٍ»
وَقَالَ عُمَرُ بْنُ الْخَطَّابِ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ - وَقَدْ نَظَرَ إِلَى قِصَرِهِ وَكَانَ يُوَازِي بِقَامَتِهِ الْجُلُوسَ - فَجَعَلَ يُتْبِعُهُ بَصَرَهُ ثُمَّ قَالَ: هُوَ كُنَيْفٌ مُلِئَ عِلْمًا.
وَقَدْ شَهِدَ ابْنُ مَسْعُودٍ بَعْدَ النَّبِيِّ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، مَوَاقِفَ كَثِيرَةً؛ مِنْهَا الْيَرْمُوكُ وَغَيْرُهَا، وَكَانَ قَدْ قَدِمَ مِنَ الْعِرَاقِ حَاجًّا فَمَرَّ بِالرَّبَذَةِ فَشَهِدَ وَفَاةَ أَبِي ذَرٍّ وَدَفَنَهُ، ثُمَّ قَدِمَ إِلَى الْمَدِينَةِ، فَمَرِضَ بِهَا، فَجَاءَهُ عُثْمَانُ بْنُ عَفَّانَ عَائِدًا، فَيُرْوَى أَنَّهُ قَالَ لَهُ: مَا تَشْتَكِي؟ قَالَ: ذُنُوبِي. قَالَ: فَمَا تَشْتَهِي؟ قَالَ: رَحْمَةَ رَبِّي. قَالَ: أَلَا آمُرُ لَكَ بِطَبِيبٍ؟ فَقَالَ: الطَّبِيبُ أَمْرَضَنِي. قَالَ: أَلَا آمُرُ لَكَ بِعَطَائِكَ - وَكَانَ قَدْ تَرَكَهُ سَنَتَيْنِ؟ فَقَالَ: لَا حَاجَةَ لِي فِيهِ. فَقَالَ: يَكُونُ لِبَنَاتِكَ مِنْ بَعْدِكَ. فَقَالَ: أَتَخْشَى عَلَى بَنَاتِي الْفَقْرَ؟ إِنِّي أَمَرْتُ بَنَاتِي أَنْ يَقْرَأْنَ كُلَّ لَيْلَةٍ سُورَةَ الْوَاقِعَةِ، وَإِنِّي سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، يَقُولُ: «مَنْ قَرَأَ الْوَاقِعَةَ كُلَّ لَيْلَةٍ لَمْ تُصِبْهُ فَاقَةٌ أَبَدًا» .
وَأَوْصَى عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مَسْعُودٍ إِلَى الزُّبَيْرِ بْنِ الْعَوَّامِ، فَيُقَالُ: إِنَّهُ هُوَ الَّذِي صَلَّى عَلَيْهِ لَيْلًا ثُمَّ عَاتَبَ عُثْمَانُ الزُّبَيْرَ عَلَى ذَلِكَ. وَقِيلَ: بَلْ صَلَّى عَلَيْهِ عُثْمَانُ. وَقِيلَ: عَمَّارٌ. فَاللَّهُ أَعْلَمُ، وَدُفِنَ بِالْبَقِيعِ عَنْ بِضْعٍ وَسِتِّينَ سَنَةً.
পৃষ্ঠা - ৫৭৪৯
আবদুর রহমান ইবন আউফ (বা)
তার পুর্ণ নাম আবু মুহাম্মদ আবদুর রহমান ইবন আউফ ইবন আবদ আউফ ইবন আবদুল
হারিস ইবন যুহরাহ ইবন কিলাব ইবন মুর্বাহ আল-কড়ারাশী আয-যুহরী ৷ তিনি ইসলামের
প্রাথমিক যুগে হযরত আবু বকর সিদ্দীক (রা)-এর হাতে ইসলাম গ্রহণ করেন ৷ তিনি হাবশায়
হিজরত করেন ৷ তারপর পবিত্র মদীনায় হিজরত করেন ৷ রাসুলুল্লাহগ্লুক্ট্র তার সাদ ইবন
আররাবী এর মধ্যে ভ্রাতৃত্বের বন্ধনে আবদ্ধ করে দেন ৷ তিনি বদর ও পরবর্তী যুদ্ধগুলােতে
অংশ্যাহণ করেন ৷ রাসুলুল্লাহ;;শু;শুর্তাকে বনুকালবের কাছে আমীর হিসেবে প্রেরণ করেন এবং
গােভ বর্ধনের জন্যে তার দৃই স্কন্ধে সুত্রগুচ্ছ ঝুলিয়ে দেন ৷ উদ্দেশ্য হলো এটা যেন তার আমী
নিযুক্ত হওয়ার চিহ্ন হিসেবে কাজ করে ৷ তিনি ছিলেন ঐ দশজনের অন্যতম যাদেরকে
ণ্জান্নাতের সুসংবাদ দেওয়া হয়েছিল ৷ তিনি ছিলেন ঐ আটজনের অন্য৩ ম যারা ইসলামে র প্বীং
সদস্য হিসেবে স্বীকৃত ৷ তিনি ছিলেন এ ছয়জনের অন্যতম যাদেরকে মজলিসে শুরার সদন্
হিসেবে হযরত ৩উমর ইবনুল খাত্তা ৷ব (রা) নির্ধারণ করে গিয়েছিলেন ৷ তিনি ছিলেন তারা র ট্রুণ্
তিনজনের অন্যতম যাদের কাছে খিলাফত নির্ধারণের সর্বশেষ দায়িত্ব অর্পিত হয়েছিল ৷ তারপর
তিনিই ঐ ব্যক্তি যিনি হযরত উসমান (রা)-কে অগ্ৰাধিকার দেওয়ার জন্যে প্রাণপণ চেষ্ট
করেছিলেন ৷ ’
কোন এক যুদ্ধে তিনি ও খালিদ ইবনুল ওয়ালীদ (রা) বাক্-বিতণ্ড করেন ৷ কথায় ৷লিদ
(বা) তার প্ৰতি রুক্ষ্ম ব্যবহার করেন ৷ রাসুলুল্লা শ্প্ ;;দ্বু এর কাছে এ সংবাদ পৌছার পর ৷ এ ;
বলেন, আমার আসহাবকে গালিগালাজ করো না ৷ ঐ সত্তার শপথ, যার হাতে আমার প্রাণ
তোমাদের মধ্য হতে কেউ যদি উহুদ পাহাড়ের পরিমাণ স্বর্ণও মহান আল্লাহর পথে দান করে
তাহলে তাদের এক মুদ (চার গ্যালন) কিত্বা তার অর্ধেকের দানের সমান হবে না ৷ আর এ ;
বিশুদ্ধ হাদীস ৷
আল্লামা মামার (র) ইমাম যুহরী (র) হতে বর্ণনা করেন ৷ তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহর্বৃকুছুদ্বু
এর আমলে হযরত আবদুর রহমান ইবন আউফ (বা) তার সালের এক অংশ সাদকা করেন
তার পরিমাশ্ ছিল চার হাজার দীনার ৷ তার পর তিনি চল্লিশ হাজার দীনার সাদকা প্রদান
করেন ৷ তারপর আবার চল্লিশ হাজার দীনারন্সাদকা প্রদান করেন ৷ তারপর পাচশ যেড়াের
বোঝা মালামাল মহান আল্লাহর রাস্তায় দান করেন ৷ তারপর পড়াচশ উটের বোঝা মালামাল
মহান আল্লাহর রাস্তায় দান করেন ৷ ব্যবসার মাধ্যমে তিনি তার সম্পদ অর্জন করেন ৷
আবদুল হামীদ (র) তার মুসনাদে আনাস ইবন মালিক (বা) হতে বর্ণনা করেন ৷
তিনি বলেন, আবদুর রহমান ইবন আউফ (বা) যখন হিজরত করেন তখন রা সুলুল্লাহন্হুহৃটু তার
ও হযরত উসমান ইবন আফ্ফান (রা) এর মধ্যে ভ্রাতৃত্বের বন্ধনে আবদ্ধ করে দেন ৷ হযরত
উসমান (বা) তবে বললেন, “আমার দুটো বাগান রয়েছে তার মধ্যে তোমার যেটা ইচ্ছা
তোমার জন্যে নির্বাচিত করতে পার ৷ তিনি বললেন, আল্লাহ তাআলা তোমার দুই বাপারুন্ন্ব
বরকত দান করুন আমি এর জন্যে ইসলাম কবুল করি নাই ৷ আমাকে বাজারের পথ দেখিয়ে
দাও ৷ বর্ণনাকারী বলেন, তিনি তাকে বাজার দেখিয়ে দিলেন ৷ তিনি ঘি,পনিরচামড়া
عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ عَوْفِ
ابْنُ عَبْدِ عَوْفِ بْنِ عَبْدِ الْحَارِثِ بْنِ زُهْرَةَ بْنِ كِلَابِ بْنِ مُرَّةَ أَبُو مُحَمَّدٍ الْقُرَشِيُّ الزُّهْرِيُّ، أَسْلَمَ قَدِيمًا عَلَى يَدَيْ أَبِي بَكْرٍ، وَهَاجَرَ إِلَى الْحَبَشَةِ وَإِلَى الْمَدِينَةِ، وَآخَى رَسُولُ اللَّهِ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، بَيْنَهُ وَبَيْنَ سَعْدِ بْنِ الرَّبِيعِ، وَشَهِدَ بَدْرًا وَمَا بَعْدَهَا، وَأَمَرَهُ رَسُولُ اللَّهِ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، حِينَ بَعَثَهُ إِلَى بَنِي كَلْبٍ، وَأَرْخَى لَهُ عَذَبَةً بَيْنَ كَتِفَيْهِ؛ لِتَكُونَ أَمَارَةً عَلَيْهِ لِلْإِمَارَةِ، وَهُوَ أَحَدُ الْعَشْرَةِ الْمَشْهُودِ لَهُمْ بِالْجَنَّةِ، وَأَحَدُ الثَّمَانِيَةِ السَّابِقَيْنَ إِلَى الْإِسْلَامِ، وَأَحَدُ السِّتَّةِ أَصْحَابِ الشُّورَى، ثُمَّ أَحَدُ الثَّلَاثَةِ الَّذِينَ انْتَهَتْ إِلَيْهِمْ مِنْهُمْ، كَمَا ذَكَرْنَا. ثُمَّ كَانَ هُوَ الَّذِي اجْتَهَدَ فِي تَقْدِيمِ عُثْمَانَ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، وَقَدْ تَقَاوَلَ هُوَ وَخَالِدُ بْنُ الْوَلِيدِ فِي بَعْضِ الْغَزَوَاتِ فَأَغْلَظَ لَهُ خَالِدٌ فِي الْمَقَالِ، فَلَمَّا بَلَغَ ذَلِكَ رَسُولَ اللَّهِ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، قَالَ: «لَا تَسُبُّوا أَصْحَابِي فَوَالَّذِي نَفْسِي بِيَدِهِ لَوْ أَنْفَقَ أَحَدُكُمْ مِثْلَ أُحُدٍ ذَهَبًا مَا بَلَغَ مُدَّ أَحَدِهِمْ وَلَا نَصِيفَهُ» . وَهُوَ فِي " الصَّحِيحِ ". وَقَالَ مَعْمَرٌ عَنِ الزُّهْرِيِّ: تَصَدَّقَ عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ عَوْفٍ عَلَى عَهْدِ النَّبِيِّ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، بِشَطْرِ مَالِهِ؛ أَرْبَعَةِ آلَافٍ، ثُمَّ تَصَدَّقَ بِأَرْبَعِينَ أَلْفًا، ثُمَّ تَصَدَّقَ بِأَرْبَعِينَ أَلْفَ دِينَارٍ، ثُمَّ حَمَلَ عَلَى خَمْسِمِائَةِ فَرَسٍ فِي سَبِيلِ اللَّهِ، ثُمَّ حَمَلَ
পৃষ্ঠা - ৫৭৫০
বেচাকেনা করতেন ৷ এভাবে তিনি সম্পদ সংগ্রহ করেন ৷ তিনি বিয়ে করেন এবং রাসুলুল্লাহ্
ছুস্ণ্শ্হ্ , এর কাছে আগমন করেন ও সংবাদ দেন ৷
রাসুল্ল্পাহমোঃইরশাদ করেন, তোমাকে মহান আল্লাহ বরকত দান করুন, একটি বকরী
দিয়ে হলেও তুমি ওয়ালীমা কর ৷ বর্ণনাকারী বলেন, “তার অনেক সম্পদ সংগৃহীত হলো
এমনকি সাতশ’ উটের বোঝা সম্পদ তার অর্জিত হলো ৷ এগুলাে ছিল গম, আটা ও অন্যান্য
খাদ্য দ্রব্যের বোঝা ৷ বনািকারী আরো বলেন, যখন উটগুলো বোঝা নিয়ে পবিত্র মদীনায়
প্রবেশ করল, তখন পবিত্র মদীনায় মধ্যে একটি আলোড়নের সৃষ্টি হলো ৷ হযরত আয়েশা
লিদ্দীকা (রা) বলেন, এটা কিসের হট্টগােল৷ তড়াকে বলা হলো, যানবাহনের কাফেলা আবদুর
রহমান ইবন আউফ (রা)-এর সাতশ উট গম, আটা ও অন্যান্য খাদ্যপ্দ্রব্য নিয়ে পবিত্র মদীনা
পৌছেছে ৷ হযরত আয়েশা সিদ্দীকা (রা) বলেন, “আমি রাসুলুল্লাহ্লোঃ ণ্ক বলতে শুনেছি ৷
তিনি বলেন, আবদুর রহমান ইবন আউফ (রা) হামাগুড়ি দিয়ে জান্নাতে প্রবেশ করবে ৷ যখন
অম্বুৰ্দুৰু রহমান ইবন আউফ (রা)-এর কাছে এ হাদীসঢির সংবাদ পৌছল তখন তিনি বললেন,
ব্লুহ আমাদের যা! আমি আপনার কাছে কথা দিচ্ছি যে, এ উটগুলো ও তাদের বোঝা, হাওদা ও
জিনের রশিগুলো পর্যন্ত মহান আল্লাহর রাস্তায় দান করে দিলাম ৷’
ইমাম আহমদ (র) হযরত আনাস (বা) হতে বর্ণনা করেন তিনি বলেন, হযরত আয়েশা
সিদ্দীকা (বা) তার স্বীয় ঘরে অবস্থান করছিলেন, এমন সনময় তিনি পবিত্র মদীনায় গােলমাল
শুনতে গেলেন এবং বললেন, এটা কিসের গো লমাল ? লোকজন বললেন, আবদুর রহমান ইবন
আউফ (রা) এর কাফেলা খাদ্য-দ্রব্য বহন করে সিরিয়া থেকে পবিত্র মদীনায় পৌছেছে এ
জন্যেই এরুপ গোলমাল শোনা যাচ্ছে ৷ হযরত আয়েশা সিদ্দীকা (রা) বলেন “আমি রাসুলুল্লাহ
ত্তুত্তু,ড্রু: কে বলতে শুনেছি ৷ তিনি বলেন, “আবদুর রহমান ইবন আউফ (রা)-কে হামাগুড়ি দিয়ে
জান্নাতে প্রবেশ করতে দেখেছি ৷” এ হাদীসের সংবাদ হযরত আবদুর রহমান ইবন আউফ
(রা)-এর কাছে পৌছার পর তিনি বলেন, আমি দাড়িয়ে জান্নড়াতে প্রবেশ করার চেষ্টা করব ৷ ’ এ
বলে তিনি সমস্ত উট, বোঝা ও জিনসহ মহান আল্লাহর রাস্তায় দান করে দিলেন ৷
উপরোক্ত হাদীসের বর্ণনাকারীদের মধ্যে এক স্তরে শুধু একজন বর্ণনাকারী দেখা যায় ৷ আর
তিনি বলেন, আম্মারাহ ইবন যজােন আস-সাইদালানী ৷ আর তিনি হলেন ধীশক্তিতে দুর্বল ৷
আবদুল হামীদ কর্তৃক বর্ণিত হাসীসে যে বলা হয়েছে রাসুলুল্লাহ্’তার ও উসমান ইবন
ণ্ফ্ফান (রা) এর মধ্যে এ ৷তৎ বন্ধনে আবদ্ধ করিয়ে দেন ৷” এটা একেবারেই ভুল এবং বিশুদ্ধ
বর্ণনার পরিপন্থী যা বুখারী শরীফে বর্ণিত হয়েছে যে, রাসুলুল্পাহমোঃ ষ্ তার মধ্যে ও মধ্যে ইবন
আর রাবী আনসারী (রা) এর মধ্যে ভ্রাতৃৎ বন্ধনে আবদ্ধ করিয়ে দিয়েছিলেন ৷ আরো বিশুদ্ধ
বর্ণনায় রয়েছে যে, রাসুলুল্লাহড্রে কোন এক ভ্রমণে ফজরের দ্বিতীয় রাকাত নামায হযরত
আবদুর রহমান ইবন আউফ (ৱা)-এর পেছনে পড়েছেন ৷ এটা এত বড় একটি ফযীলত যার
তুলনা হয় না ৷
তার যখন ইনতিকালের সময় নিকটবর্তী হয় তখন তিনি বদরের যুদ্ধে অংশ্যাহণকারীদের
মধ্যে যারা তখনও দুনিয়ার বেচেছিলেন তাদের প্রত্যেককে ৪০০ দীনার করে দান করার
ওসীয়ত করে গিয়েছিলেন ৷ আর তখন বদরের যুদ্ধে অৎশ্যাহণকারীর অবশিষ্ট সং থ্যা ছিল
عَلَى خَمْسِمِائَةِ رَاحِلَةٍ فِي سَبِيلِ اللَّهِ، وَكَانَ عَامَّةُ مَالِهِ مِنَ التِّجَارَةِ.
فَأَمَّا الْحَدِيثُ الَّذِي قَالَ عَبْدُ بْنُ حُمَيْدٍ فِي " مُسْنَدِهِ ": ثَنَا يَحْيَى بْنُ إِسْحَاقَ، ثَنَا عُمَارَةُ بْنُ زَاذَانَ، عَنْ ثَابِتٍ الْبُنَانِيِّ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، «أَنَّ عَبْدَ الرَّحْمَنِ بْنَ عَوْفٍ لَمَّا هَاجَرَ آخَى رَسُولُ اللَّهِ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، بَيْنَهُ وَبَيْنَ عُثْمَانَ بْنِ عَفَّانَ فَقَالَ لَهُ: إِنَّ لِي حَائِطَيْنِ فَاخْتَرْ أَيَّهُمَا شِئْتَ. فَقَالَ: بَارَكَ اللَّهُ لَكَ فِي حَائِطَيْكَ، مَا لِهَذَا أَسْلَمْتُ دَلَّنِي عَلَى السُّوقِ. قَالَ: فَدَلَّهُ، فَكَانَ يَشْتَرِي السُّمَيْنَةَ وَالْأُقَيْطَةَ وَالْإِهَابَ، فَجَمَعَ فَتَزَوَّجَ، فَأَتَى النَّبِيَّ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَقَالَ: بَارَكَ اللَّهُ لَكَ. أَوْلِمْ وَلَوْ بِشَاةٍ. قَالَ فَكَثُرَ مَالُهُ حَتَّى قَدِمَتْ لَهُ سَبْعُمِائَةُ رَاحِلَةٍ تَحْمِلُ الْبُرَّ وَتَحْمِلُ الدَّقِيقَ وَالطَّعَامَ. قَالَ: فَلَمَّا دَخَلَتِ الْمَدِينَةَ سُمِعَ لِأَهْلِ الْمَدِينَةِ رَجَّةٌ، فَقَالَتْ عَائِشَةُ: مَا هَذِهِ الرَّجَّةُ؟ فَقِيلَ لَهَا: عِيرٌ قَدِمَتْ لِعَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ عَوْفٍ سَبْعُمِائَةٍ تَحْمِلُ الْبُرَّ وَالدَّقِيقَ وَالطَّعَامَ.» فَقَالَتْ عَائِشَةُ: سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، يَقُولُ: «يَدْخُلُ عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ عَوْفٍ الْجَنَّةَ حَبْوًا. فَلَمَّا بَلَغَ ذَلِكَ عَبْدَ الرَّحْمَنِ قَالَ: أُشْهِدُكِ يَا أُمَّهْ أَنَّهَا بِأَحْمَالِهَا وَأَحْلَاسِهَا وَأَقْتَابِهَا فِي سَبِيلِ اللَّهِ» .
وَقَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: ثَنَا عَبْدُ الصَّمَدِ بْنُ حَسَّانَ، ثَنَا عُمَارَةُ - هُوَ ابْنُ زَاذَانَ - عَنْ ثَابِتٍ، عَنْ أَنَسٍ قَالَ: «بَيْنَمَا عَائِشَةُ فِي بَيْتِهَا إِذْ سَمِعَتْ صَوْتًا فِي الْمَدِينَةِ فَقَالَتْ: مَا هَذَا؟ قَالُوا: عِيرٌ لِعَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ عَوْفٍ قَدِمَتْ مِنَ الشَّامِ تَحْمِلُ
পৃষ্ঠা - ৫৭৫১
كُلَّ شَيْءٍ - قَالَ: وَكَانَتْ سَبْعَمِائَةِ بَعِيرٍ - قَالَ: فَارْتَجَّتِ الْمَدِينَةُ مِنَ الصَّوْتِ، فَقَالَتْ عَائِشَةُ: سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، يَقُولُ: قَدْ رَأَيْتُ عَبْدَ الرَّحْمَنِ بْنَ عَوْفٍ يَدْخُلُ الْجَنَّةَ حَبْوًا. فَبَلَغَ ذَلِكَ عَبْدَ الرَّحْمَنِ بْنَ عَوْفٍ قَالَ: لَئِنِ اسْتَطَعْتُ لَأَدْخُلَنَّهَا قَائِمًا. فَجَعَلَهَا بِأَقْتَابِهَا وَأَحْمَالِهَا فِي سَبِيلِ اللَّهِ» . فَقَدْ تَفَرَّدَ بِهِ عُمَارَةُ بْنُ زَاذَانَ الصَّيْدَلَانِيُّ وَهُوَ ضَعِيفٌ. وَقَوْلُهُ فِي سِيَاقِ عَبْدِ بْنِ حُمَيْدٍ: إِنَّهُ آخَى بَيْنَهُ وَبَيْنَ عُثْمَانَ بْنِ عَفَّانَ. فَغَلَطٌ مَحْضٌ مُخَالِفٌ لِمَا فِي " صَحِيحِ الْبُخَارِيِّ " مِنْ أَنَّ الَّذِي آخَى بَيْنَهُ وَبَيْنَهُ إِنَّمَا هُوَ سَعْدُ بْنُ الرَّبِيعِ الْأَنْصَارِيُّ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا. وَثَبَتَ فِي " الصَّحِيحِ " «أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، صَلَّى وَرَاءَهُ الرَّكْعَةَ الثَّانِيَةَ مِنْ صَلَاةِ الْفَجْرِ فِي بَعْضِ الْأَسْفَارِ» . وَهَذِهِ مَنْقَبَةٌ عَظِيمَةٌ لَا تُبَارَى.
وَلَمَّا حَضَرَتْهُ الْوَفَاةُ أَوْصَى لِكُلِّ رَجُلٍ مِمَّنْ بَقِيَ مِنْ أَهْلِ بِدْرٍ بِأَرْبَعِمِائَةِ دِينَارٍ - وَكَانُوا مِائَةً - فَأَخَذُوهَا حَتَّى عُثْمَانُ وَعَلِيٌّ. وَقَالَ عَلِيٌّ: اذْهَبْ يَا ابْنَ عَوْفٍ فَقَدْ أَدْرَكْتَ صَفْوَهَا، وَسَبَقْتَ رَنْقَهَا. وَأَوْصَى لِكُلِّ امْرَأَةٍ مِنْ أُمَّهَاتِ الْمُؤْمِنِينَ بِمَبْلَغٍ كَثِيرٍ حَتَّى كَانَتْ عَائِشَةُ تَقُولُ: سَقَاهُ اللَّهُ مِنَ السَّلْسَبِيلِ. وَأَعْتَقَ خَلْقًا مِنْ مَمَالِيكِهِ، ثُمَّ تَرَكَ بَعْدَ ذَلِكَ كُلِّهِ مَالًا جَزِيلًا؛ مِنْ ذَلِكَ ذَهَبٌ قُطِعَ
পৃষ্ঠা - ৫৭৫২
একশ জন ৷ তারা সকলে এ দান গ্রহণ করেন ৷ এমনকি হযরত উসমান (বা) এবং হযরত
আলী (রা)ও তাদের অংশগ্রহণ করেছিলেন ৷
হযরত আলী (রা) বলেছিলেন, যাও হে ইবন আউফ্! তুমি তোমার সম্পদের গ্রেষ্ঠাংশ
পেয়ে গেলে এবং সম্পদের অসারতাকে পবাভুত করলে ৷ রাসুলুস্লাহমোঃ এর পবিত্র শ্রীগণের
প্ৰত্যেককেই বিপুল পরিমাণ অর্থ প্রদানের জন্যও তিনি ওসীয়ত করে যান ৷ এমনকি হযরত
আয়েশা সিদ্দীকা (রা) এ প্রেক্ষিতে বলেন : অর্থাৎ “আল্লাহু
তাআলা তাকে জান্নাতের শীতল বিশুদ্ধ পানি পান ধ্বংত্ৰুদিন্ধ্ ৷” তিনি তার মালিকানাধীন
একদল গোলামকে আযাদ করে দেন ৷ এ সৰের পরেও তিনি বিপুল সম্পদ রেখে যান ৷ এসব
সম্পদের কিছু রয়েছে স্বর্ণের টুকরো যা ব্যবহারী কুড়াল দ্বারা টুকরা করতে গিয়ে মানুষের হাতে
ফোসকা পড়ে গিয়েছিল ৷ তিনি এক হাজার উট ও একশ ঘোড়া রেখে গেছেন ৷ আবার ময়দানে
চরার জন্যে রেখে গেছেন ৩ হাজার ভেড়া-বকরী ৷ তার চারজন শ্রী ছিলেন ৷ একজনের সাথে
ন্আটের এক ভাগের চায়ের এক অ শ দিয়ে সন্ধি হয়েছিল তার পরিমাণ ছিল ৮০ :০০ দীনার ৷
তিনি যখন ইন্তিকাল করেন উসমান ইবন আফফান (রা) তার সালাতে জানাযা পড়ান ৷ সা দ
ইবন আবু ওরাক্কাস (রা) তার জানাযা উঠান ৷ জান্নাতুল বাকীতে তাকে ৭৫ বছর বয়সে দাফন
করা হয় ৷ তার গায়ের রং ছিল সাদা-লাল মিশ্রিত ৷ তিনি ছিলেন সুন্দর চেহারা, কোমল চামড়া,
লম্বা লম্বা ৰ্বাকা চোখের পাতা, কানের নিচে পর্যন্ত লম্বা চুল, মোটা দুই হাত ও পুরু আঙ্গুলের
অধিকারী ৷ তিনি সাদাচুল রঙিন করতেন না ৷
আবু যর আল-গিফারী (রা)
প্রসিদ্ধ মতে তার নাম জুন্দর ইবন জানাদা ৷ তিনি ইসলামের প্রাথমিক যুগে পবিত্র মক্কায়
ইসলাম গ্রহণ করেন ৷ কাজেই তিনি ছিলেন চার-এর চতুর্থ কিৎবা পড়াচ-এর পঞ্চ ম ৷ হিজরতের
পুর্বে তার মুসলমান হওয়ার ঘটনা পুর্বে বর্ণনা করা হয়েছে ৷ তিনি ছিলেন প্রথম ব্যক্তি যিনি
রাসুলুল্লাহলোঃ-কে ইসলামের অভিবাদন জানান ৷ তারপর তিনি তার শহরে ও তার সম্প্রদায়ের
কাছে প্রত্যোবর্তন করেন ৷ পবিত্র মদীনায় রাসুলুল্লাহত্রু এর হিজরত করার পুর্ব পর্যন্ত তিনি
তথায় অবস্থান করেন ৷ খন্দকের যুদ্ধের পর তিনি হিজরত করেন ৷ তারপর মুসাফির ও মুকীম
উভয় অবস্থায় রাসুলুল্লাহগ্লু আে এর সাহচর্যে কাটান ৷ তার থেকে বহু হাদীস বর্ণিত হয়েছে ৷
আর তার ফষীলত বর্ণনড়ার্থে বহু হাদীস রয়েছে ৷ তার সম্বন্ধে বর্ণিত হাদীসগুলোর মধ্যে
একটি হলো হযরত আমাশ (র) হতে বর্ণিত ৷ তিনি আবদুঃব্লড়াহ ইবন আমর (বা) হতে
বর্ণনা করেন ৷ তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ্মোঃ মোঃইরশাদ করেন আবু বর (বা) হতে অধিক সতবােদী
এ দৃনিয়াতে আর কেউ নেই ৷ এ হাদীসটির সনদ দুর্বল ৷ তারপর যখন রাসুলুল্লাহ
ইনতিকাল করেন ও আবু বকর সিদ্দীক (রা) ইনতিকাল করেন, তখন তিনি সিরিয়া চলে যান ৷
হযরত আমীর মুয়াবীয়া (রা) এর সাথে ঘটনা স ঘটিত হওয়ার পুর্ব পর্যন্ত তিনি সেখানেই
ছিলেন ৷
হযরত আমীর মুয়াবীয়া (রা) ও তার মধ্যে বিতর্ক সংঘটিত হওয়ার পর হযরত উসমান
(রা) তাকে পবিত্র মদীনায় ডেকে পাঠান ৷ এরপর তিনি রাবযায় আগমন করেন ও সেখানেই
আল-বিদায়া ৩৮
بِالْفُئُوسِ حَتَّى مَجَلَتْ أَيْدِي الرِّجَالِ، وَتَرَكَ أَلْفَ بَعِيرٍ وَمِائَةَ فَرَسٍ، وَثَلَاثَةَ آلَافِ شَاةٍ تَرْعَى بِالْبَقِيعِ، وَكَانَ نِسَاؤُهُ أَرْبَعًا، فَصُولِحَتْ إِحْدَاهُنَّ مِنْ رُبْعِ الثَّمَنِ بِثَمَانِينَ أَلْفًا.
وَلَمَّا مَاتَ صَلَّى عَلَيْهِ عُثْمَانُ بْنُ عَفَّانَ، وَحَمَلَ فِي جِنَازَتِهِ سَعْدُ بْنُ أَبِي وَقَّاصٍ، وَدُفِنَ بِالْبَقِيعِ عَنْ خَمْسٍ وَسَبْعِينَ سَنَةً.
وَكَانَ أَبْيَضَ مُشْرَبًا حُمْرَةً، حَسَنَ الْوَجْهِ، رَقِيقَ الْبَشَرَةِ، أَعْيَنَ، أَهْدَبَ الْأَشْفَارِ، أَقْنَى، لَهُ جَمَّةٌ، ضَخْمَ الْكَفَّيْنِ، غَلِيظَ الْأَصَابِعِ، لَا يُغَيِّرُ شَيْبَهُ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ.
أَبُو ذَرٍّ الْغِفَارِيُّ وَاسْمُهُ جُنْدُبُ بْنُ جُنَادَةَ، عَلَى الْمَشْهُورِ. أَسْلَمَ قَدِيمًا بِمَكَّةَ فَكَانَ رَابِعَ أَرْبَعَةٍ أَوْ خَامِسَ خَمْسَةٍ، وَقِصَّةُ إِسْلَامِهِ تَقَدَّمَتْ قَبْلَ الْهِجْرَةِ، وَهُوَ أَوَّلُ مَنْ حَيَّا رَسُولَ اللَّهِ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، بِتَحِيَّةِ الْإِسْلَامِ، ثُمَّ رَجَعَ إِلَى بِلَادِهِ وَقَوْمِهِ، فَكَانَ هُنَاكَ حَتَّى هَاجَرَ رَسُولُ اللَّهِ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، إِلَى الْمَدِينَةِ، فَهَاجَرَ بَعْدَ الْخَنْدَقِ، ثُمَّ لَزِمَ رَسُولَ اللَّهِ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، حَضَرًا وَسَفَرًا، وَرَوَى عَنْهُ أَحَادِيثَ كَثِيرَةً. وَجَاءَ فِي فَضْلِهِ أَحَادِيثُ كَثِيرَةٌ؛ مِنْ أَشْهَرِهَا مَا رَوَاهُ الْأَعْمَشُ، عَنْ أَبِي الْيَقْظَانِ عُثْمَانَ بْنِ عُمَيْرٍ، عَنْ
পৃষ্ঠা - ৫৭৫৩
أَبِي حَرْبِ بْنِ أَبِي الْأَسْوَدِ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرٍو أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، قَالَ: ( «مَا أَظَلَّتِ الْخَضْرَاءُ، وَلَا أَقَلَّتِ الْغَبْرَاءُ أَصْدَقَ لَهْجَةً مِنْ أَبِي ذَرٍّ» . وَفِيهِ ضَعْفٌ. ثُمَّ لَمَّا مَاتَ رَسُولُ اللَّهِ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَمَاتَ أَبُو بَكْرٍ خَرَجَ إِلَى الشَّامِ فَكَانَ فِيهِ حَتَّى وَقَعَ بَيْنَهُ وَبَيْنَ مُعَاوِيَةَ فَاسْتَقْدَمَهُ عُثْمَانُ إِلَى الْمَدِينَةِ، ثُمَّ نَزَلَ بِالرَّبَذَةِ فَأَقَامَ بِهَا حَتَّى مَاتَ فِي ذِي الْحِجَّةِ مِنْ هَذِهِ السَّنَةِ، وَلَيْسَ عِنْدَهُ سِوَى امْرَأَتِهِ وَأَوْلَادِهِ، فَبَيْنَمَا هُمْ كَذَلِكَ لَا يَقْدِرُونَ عَلَى دَفْنِهِ إِذْ قَدِمَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مَسْعُودٍ مِنْ الْعِرَاقَ فِي جَمَاعَةٍ مِنْ أَصْحَابِهِ، فَحَضَرُوا مَوْتَهُ وَأَوْصَاهُمْ كَيْفَ يَفْعَلُونَ بِهِ. وَقِيلَ: قَدِمُوا بَعْدَ مَوْتِهِ، فَوَلُوا غُسْلَهُ وَدَفْنَهُ. وَكَانَ قَدْ أَمَرَ أَهْلَهُ أَنْ يَطْبُخُوا لَهُمْ شَاةً مِنْ غَنَمِهِ لِيَأْكُلُوهَا بَعْدَ الْمَوْتِ. قَدْ أَرْسَلَ عُثْمَانُ بْنُ عَفَّانَ إِلَى أَهْلِهِ فَضَمَّهُمْ إِلَى أَهْلِهِ