আল বিদায়া ওয়া আন্নিহায়া

ثم دخلت سنة إحدى وثلاثين

পৃষ্ঠা - ৫৭৩৩

৩১ হিজরীর প্রারম্ভ

আল্লামা আল-ওয়াকিদী (র) এর মতে এ বছরেই সমুদ্রপখে সংঘটিত হয়েছিল
আস-সাওয়ারী ও আল-আসায়ীদাহ এর যুদ্ধ ৷ আবু মাশার (র) বলেন, ৩৪ হিজরীতে
আসসড়াওয়ারীর যুদ্ধ সংঘটিত হয়েছিল ৷ আল্পামা আলওয়াকিদী (র), সাইফ (র) ও অন্যান্যের
বর্ণনার সারসৎক্ষেপ হলো নিম্নরুপ :

হযরত উসমান ইবন আফফান (রা) এর খিলাফতে র প্রথম দু বছরেই সিরিয়ার হযরত
আমীর ঘুয়ড়াবীয়া ইবন আবু সুফিয়ান (রা) এর শাসন সুপ্রতিষ্ঠিত হয় ৷ তিনি অতিমাত্রায়
নিরাপত্তা অর্জন করেছিলেন এবং তার প্রভাব প্রতিপত্তি অত্যন্ত বেড়ে গিয়েছিল ৷৩ তারপরও প্রতি
বছর তাকে ছোট ছোট রোমান রাজ্যগুলােতে গ্রীষ্মকালে যুদ্ধ করতে হতে তা ৷ এজন্যেই এ ধরনের
যুদ্ধকে গড়াযওয়ায়ে আস-সায়িফাহ বলা হয়ে থাকে ৷ মুসলমানগণ শত্রু সৈন্যদের একটি দলকে
হত্যা করত অন্য একটি দলকে বন্দী করত, দৃর্গসমুহ জয়লাভ করত, প্রচুর গনীমত
করত এবং শত্রুদেরকে ভীতসন্ত্রস্ত করত ৷

আফ্রিকার শহরগুলো ও আন্দুলুসে যখন ফ্রান্স এবং বারবার শাসকদের মাধ্যয়ে আবদুল্লাহ
ইবন সাদ ইবন আবু সারহ (র) কিছু ক্ষতির সম্মুখীন হলেন তখন রোমানরা উত্তেজিত হয়ে
উঠল এবং কুসতানতীন ইবন হিরাক্লিয়াসের নেতৃত্বে একত্রিত হলো ৷ আর এমন বিরাট বাহিনী
নিয়ে মুসলমানদের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করল যা কেউ কোন দিন ইসলামের প্রারন্ত হতে
আজ পর্যন্ত দেখেনি ৷ তারা পাচশ’ যুদ্ধজাহাজে আগমন করে এবং পশ্চিমের শহরগুন্থলাতে
অবস্থানরত আবদুল্লাহ ইবন সাদ ইবন আবু সারহ (র)-এর নেতৃত্বে পরিচালিত মুসলিম
বাহিনীর মুকাবিলার জান্য অগ্রসর হয় ৷ যখন দৃপক্ষ মুখোমুখি হলো, রোমান সৈন্যরা রাতের
বেলায় নাকুস বাজাতে লাগল, বড়াশীতে কুক দিতে লাগল, ঘণ্টা বাজাতে লাগল, সিটি বাজাতে
লাগল ও মদপান করতে লাগল ৷

অন্যদিকে মুসলিম বাহিনী কুরআন৩ তিলাওয়াত ও সালাত আদায়ে রাত যাপন করতে
লাগল ৷ যখন রাত ভোর হলো আবদুল্লাহ ইবন সা দ (র)৩ তার সাখীদেরকে যুদ্ধ জাহাজে
সুবিন্যস্ত করলেন এবং তাদেরকে আল্লাহর যিকর ও কুরআন তিলাওয়াত করার হুকুম দিলেন ৷
এ যুদ্ধে যারা অংশ্যাহণ করেছিলেন তাদের কেউ কেউ বলেন, আমাদের দিকে শত্রু সেনারা
এত বেশি যুদ্ধ জাহাজে অগ্রসর হতে লাগল যা কেউ কোন দিন দেখেনি ৷ তারা পাল উত্তোলন
করল ৷ আর বাতাস ছিল তাদের অনুকুলে ও আমাদের প্ৰতিকুলে ৷ আমরা অতিসত্ত্বর আমাদের
জাহাজসমুহকে নােঙ্গর করলাম ৷ তারপর দেখলাম বাতাস থেমে গেছে ৷ আমরা শত্রু
সৈন্যদেরকে বললাম, তোমরা যদি চাও তাহলে এগিয়ে আস, আমরা ও তোমরা মাঠে বের হয়ে


[ثُمَّ دَخَلَتْ سَنَةُ إِحْدَى وَثَلَاثِينَ] [غَزْوَةُ الصَّوَارِي وَغَزْوَةُ الْأَسَاوِدَةِ] فَفِيهَا كَانَتْ غَزْوَةُ الصَّوَارِي، وَغَزْوَةُ الْأَسَاوِدَةِ فِي الْبَحْرِ فِيمَا ذَكَرَهُ الْوَاقِدِيُّ. وَقَالَ أَبُو مَعْشَرٍ: كَانَتْ غَزْوَةُ الصَّوَارِي سَنَةَ أَرْبَعٍ وَثَلَاثِينَ. وَمُلَخَّصُ ذَلِكَ فِيمَا ذَكَرَهُ الْوَاقِدِيُّ وَسَيْفٌ وَغَيْرُهُمَا، أَنَّ الشَّامَ كَانَ قَدْ جُمِعَ نِيَابَتُهُ لِمُعَاوِيَةَ بْنِ أَبِي سُفْيَانَ لِسَنَتَيْنِ مَضَتَا مِنْ خِلَافَةِ عُثْمَانَ بْنِ عَفَّانَ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، وَقَدْ أَحْرَزَهُ غَايَةَ الْحِفْظِ وَحَمَى حَوْزَتَهُ، وَمَعَ هَذَا لَهُ فِي كُلِّ سَنَةٍ غَزْوَةٌ فِي بِلَادِ الرُّومِ فِي زَمَنِ الصَّيْفِ - وَلِهَذَا يُسَمُّونَ هَذِهِ الْغَزْوَةَ الصَّائِفَةَ - فَيَقْتُلُونَ خَلْقًا وَيَأْسِرُونَ آخَرِينَ، وَيَفْتَحُونَ حُصُونًا، وَيَغْنَمُونَ أَمْوَالًا، وَيُرْعِبُونَ الْأَعْدَاءَ، فَلَمَّا أَصَابَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ سَعْدِ بْنِ أَبِي سَرْحٍ مَنْ أَصَابَ مِنَ الْفِرِنْجِ وَالْبَرْبَرِ بِبِلَادِ إِفْرِيقِيَّةَ وَالْأَنْدَلُسِ، حَمِيَتِ الرُّومُ وَاجْتَمَعَتْ عَلَى قُسْطَنْطِينَ بْنِ هِرَقْلَ، وَسَارُوا إِلَى الْمُسْلِمِينَ فِي جَمْعٍ لَمْ يُرَ مِثْلُهُ مُنْذُ كَانَ الْإِسْلَامُ خَرَجُوا فِي خَمْسِمِائَةِ مَرْكَبٍ، وَقَصَدُوا عَبْدَ اللَّهِ بْنَ سَعْدِ بْنِ أَبِي سَرْحٍ فِي أَصْحَابِهِ مِنَ الْمُسْلِمِينَ الَّذِينَ بِبِلَادِ الْمَغْرِبِ. فَلَمَّا تَرَاءَى الْجَمْعَانِ بَاتَ الرُّومُ يُقَسْقِسُونَ وَيُصَلِّبُونَ، وَبَاتَ الْمُسْلِمُونَ يَقْرَءُونَ وَيُصَلُّونَ، فَلَمَّا أَصْبَحُوا صَفَّ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ سَعْدٍ أَصْحَابَهُ صُفُوفًا فِي الْمَرَاكِبِ، وَأَمَرَهُمْ بِذِكْرِ اللَّهِ وَتِلَاوَةِ الْقُرْآنِ. قَالَ بَعْضُ مَنْ حَضَرَ ذَلِكَ: فَأَقْبَلُوا إِلَيْنَا فِي أَمْرٍ لَمْ يُرَ مِثْلُهُ مِنْ كَثْرَةِ الْمَرَاكِبِ، وَتَعْدَادِ صَوَارِيهَا، وَكَانَتِ الرِّيحُ لَهُمْ وَعَلَيْنَا فَأَرْسَيْنَا ثُمَّ سَكَنَتِ الرِّيحُ عَنَّا، فَقُلْنَا لَهُمْ:
পৃষ্ঠা - ৫৭৩৪


পড়ি এবং আমাদের ও তোমাদের মধ্যে যারা অতি দ্রুত মরতে চায় তারা যেন এগিয়ে আসে
এবং দ্বন্দুযুদ্ধে লিপ্ত হয় ৷ বর্ণনাকারী বলেন, তারা এক বাক্যে বলতে লাগল, পানি’ পানি’ ৷

আমরা তাদের নিকটবর্তী হলাম ৷ আমাদের জাহাজগুলো তাদের জাহাজসমুহের সাথে
বেধে ফেললঃম ৷ তারপর আমরা তাদেরকে তলোয়ার দিয়ে আঘাত করতে লাগলাম ৷ আমাদের
লোকগুলো তলোয়ার ও খঞ্জর নিয়ে ওদের লোকদের উপর ৰীপিয়ে পড়ল ৷ আমাদের ও তাদের
জাহাজগুলােতে প্রচণ্ড আকারে ণ্উে আঘাত করতে লাগল এবং জাহাজগুৰুলাকে উপকুলে আশ্রয়
নিতে বাধ্য করল ৷ ণ্লাকজ্যা সহায়-সম্পদ নিয়ে তীরে উঠতে বাধ্য হলো ৷ তাতে সমুদ্রের তীরে
একটি বিরাট পাহাড়ের ন্যায় ভুপের সৃষ্টি হলো ৷ পানির রংয়ের উপর জ্যেপ্ৰভাব বিস্তার
করতে লাগল ৷

মুসলমানগণ ঐ দিন এত অধিক ধৈর্যধারণ করেছিলেন যে, এরুপ আর কোন দিন দেখা
যায়নি ৷ তাদের মধ্য হতে অনেক লোক শহীদ হলো ৷ আর রােমানরা কয়েক গুণ বেশি নিহত
হয় ৷ তারপর আল্লাহ্ তাআলা মুসলমানদের সাহায্য করলেন ও তাদের জন্যে বিজয় দান
করলেন ৷ কুসতানতীন ও তার সেনাবাহিনী পলায়ন করে ৷ তারা সংখ্যায় অত্যত্তহ্রাস পেল ৷
কুসতানতীন মারাত্মকভাবে আহত হয় ৷ চিকিংসার জন্যে যুদ্ধের পর কিছুক্ষণ অপেক্ষমাণ
থাকে ৷ আবদুল্লাহ ইবন সাদ যাতে সওয়ারীতে কিছু দিন অবস্থান করেন ৷ তারপর তিনি
বিজয়ীর বেশে পর্যাপ্ত পরিমাণে গনীমত সহকারে মহান সফলতা নিয়ে প্রত্যাবর্তন করেন ৷

আল্লামা ওয়াকিদী (র) ইমাম যুহরী (ব) হতে বর্ণনা করেন ৷ তিনি বলেন, এ যুদ্ধে মুহাম্মদ
ইবন আবু হুযাইফা (রা) ও মুহাম্মদ ইবন আবু বকর (রা) অংশগ্রহণ করেছিলেন ৷ তারা হযরত
উসমান (রা)-এর দোষ-ত্রুটি প্রকাশ করতে থাকেন এবং তিনি যা কিছু পরিবতনি করেন ও আবু
বকর (বা) এবং উমর (রা)-এর বিপরীত করেছেন তা ব্যক্ত করেন ৷ তারা আরো বলতে থাকেন
যে, তার রক্ত হালাল ৷ অর্থাৎ তাকে হত্যা করা যায় ৷ কেননা, তিনি আবদুল্পাহ্ ইবন সাদ
(র)-কে আমীর নিযুক্ত করেছেন ৷ এই আবদুল্লাহ ইবন সাদ (র) ইসলাম প্রত্যাখ্যান করেহ্নিশ্ব,
আল-কুরআনুল করীমকে অস্বীকার করেছিল, রাসুলুল্লাহ্ল্লী তার রক্ত হালাল বলে ঘোষণা
দিয়েছিলেন ৷ কিছু সংখ্যক লোককে রাসুলুল্লাহ্জাে বহিষ্কার করেন; ৷ ব্যিন্থ উসমান (বা) তাদের
ডেকে এনে আমীর নিযুক্ত করেন ৷ রাসুলুল্পাহুজ্জএব সাহাৰীগণ সাঈদ ইবনুল আস ও
আবদুল্লাহ ইবন আমিরকে প্রত্যাখ্যান করেহ্নে৷ ৷ কিত্তু হযরত উসমান (রা) তাদেরকে আমীর
নিযুক্ত করেন ৷

হযরত উসমান (রা) সস্পর্কেজনসমঙ্গে তাদের এসব অভিযোগের ষ্ণা-প্স্ফোঙ্কহ ইবন
সাদ (রা)এর কাছে যখন পৌছে তখন তিনি বলেন, এ দৃ’জনকে আমাদের সাথে নৌযানে
আরোহণ করতে দেবে না ৷ তাই তারা দু’জনে এমন একটি নৌযানে আরোহণ কালে যেখানে
কোন মুসলমান সদস্য ছিল না ৷ তার! দৃশমনের মুকাবিলা করল কিন্তু তারা মুসলমানদের মধ্যে
যুদ্ধে নিকৃষ্টতম অবস্থার শিকার হয়েছিল ৷ এ সম্পর্কে তাদেরকে প্রশ্ন করা হলে তারা বলেন,
আমরা কেমন করে এমন লোকের নেতৃত্বে যুদ্ধ করব যার হুকুম মান্য করা আমাদের জন্যে
মোটেই সমীচীন নয় ৷ তারপর আবদুল্লাহ ইবন সাদ (র) তাদের কাছে লোক প্রেরণ করে
তাদেরকে তাদের উপরোক্ত কাজ থেকে বিরত থাকার জন্যে কঠোরভাবেনির্দেশ দিলেন এবং


إِنْ شِئْتُمْ خَرَجْنَا نَحْنُ وَأَنْتُمْ إِلَى الْبَرِّ فَمَاتَ الْأَعْجَلُ مِنَّا وَمِنْكُمْ. قَالَ: فَنَخِرُوا نَخِرَةَ رَجُلٍ وَاحِدٍ وَقَالُوا: الْمَاءَ الْمَاءَ. قَالَ: فَدَنَوْنَا مِنْهُمْ وَرَبَطْنَا سُفُنَنَا بِسُفُنِهِمْ. ثُمَّ اجْتَلَدْنَا وَإِيَّاهُمْ بِالسُّيُوفِ يَثِبُ الرِّجَالُ عَلَى الرِّجَالِ بِالسُّيُوفِ وَالْخَنَاجِرِ، وَضَرَبَتِ الْأَمْوَاجُ فِي عُيُونِ تِلْكَ السُّفُنِ حَتَّى أَلْجَأَتْهَا إِلَى السَّاحِلِ، وَأَلْقَتِ الْأَمْوَاجُ جُثَثَ الرِّجَالِ إِلَى السَّاحِلِ حَتَّى صَارَتْ مِثْلَ الْجَبَلِ الْعَظِيمِ، وَغَلَبَ الدَّمُ عَلَى لَوْنِ الْمَاءِ، وَصَبَرَ الْمُسْلِمُونَ يَوْمَئِذٍ صَبْرًا لَمْ يُعْهَدْ مِثْلُهُ قَطُّ، وَقُتِلَ مِنْهُمْ بَشَرٌ كَثِيرٌ وَمِنَ الرُّومِ أَضْعَافُ ذَلِكَ، ثُمَّ أَنْزَلَ اللَّهُ نَصْرَهُ عَلَى الْمُسْلِمِينَ، فَهَرَبَ قُسْطَنْطِينُ وَجَيْشُهُ - وَقَدْ قَلُّوا جِدًّا - وَبِهِ جِرَاحَاتٌ شَدِيدَةٌ كَثِيرَةٌ مَكَثَ حِينًا يُدَاوَى مِنْهَا بَعْدَ ذَلِكَ، وَأَقَامَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ سَعْدٍ بِذَاتِ الصَّوَارِي أَيَّامًا، ثُمَّ رَجَعَ مُؤَيَّدًا مَنْصُورًا مُظَفَّرًا. قَالَ الْوَاقِدِيُّ: فَحَدَّثَنِي مَعْمَرٌ عَنِ الزُّهْرِيِّ قَالَ: كَانَ فِي هَذِهِ الْغَزْوَةِ مُحَمَّدُ بْنُ أَبِي حُذَيْفَةَ وَمُحَمَّدُ بْنُ أَبِي بَكْرٍ، فَأَظْهَرَا عَيْبَ عُثْمَانَ، وَمَا غَيَّرَ وَمَا خَالَفَ أَبَا بَكْرٍ وَعُمَرَ، وَيَقُولَانِ: دَمُهُ حَلَالٌ؛ لِأَنَّهُ اسْتَعْمَلَ عَبْدَ اللَّهَ بْنَ سَعْدٍ - وَكَانَ قَدِ ارْتَدَّ وَكَفَرَ بِالْقُرْآنِ الْعَظِيمِ، وَأَبَاحَ رَسُولُ اللَّهِ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، دَمَهُ - وَأَخْرَجَ رَسُولُ اللَّهِ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، أَقْوَامًا وَاسْتَعْمَلَهُمْ عُثْمَانُ وَنَزَعَ الصَّحَابَةَ وَاسْتَعْمَلَ سَعِيدَ بْنَ الْعَاصِ وَعَبْدَ اللَّهِ بْنَ عَامِرٍ. فَبَلَغَ ذَلِكَ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ سَعْدٍ فَقَالَ: لَا تَرْكَبَا مَعَنَا. فَرَكِبَا فِي مَرْكَبٍ مَا فِيهِ أَحَدٌ مِنَ الْمُسْلِمِينَ، وَلَقُوُا الْعَدُوَّ فَكَانَا أَنْكَلَ الْمُسْلِمِينَ قِتَالًا، فَقِيلَ
পৃষ্ঠা - ৫৭৩৫


বললেন, আল্লাহর শপথ ৷ যদি আমীরংল মুমিনীনের অভিমত আমার জানা থাকত, তাহলে আমি
তােমাদেরাক নিশ্চয়ই শাস্তি প্রদান করতাম ও তোমাদের গ্রেফতার করতাম ৷ আল্লামা ওয়াকিদী
(র) বলেন, “এ বছরেই হাবীব ইবন মাসলামা (রা) এর হাতে আরমানীয়া বিজয় হয় ৷ আর
বছরেই পারস্য সম্রাট কিসরা নিহত হয় ৷

পারস্য সম্রাট ইয়াযদপারদের নিহত হবার বিবরণ
ইবন ইসহাক (র) বলেন, ছোট একটি দল নিয়ে ইয়াযদপারদ কিংমান থেকে মারভ-এর
দিকে পলায়ন করেন ৷ য়ারডএর কয়েক ব্যক্তির কাছে তিনি কিছু অর্ধ চেয়েছিলেন কিন্তু তারা
ভাবে কিছু দান করতে অস্বীকৃতি জ্ঞাপন করল এবং তাদের নিজের জন্যে তাকে একটি ভরের
বন্তু বলে গণ্য ক্যাল ৷ তারা তুর্কীদের কাছে লোক প্রেরণ করে তার বিরুদ্ধে তাদেরকে উত্তেজিত
করল ৷ তাই তারা স্ম্রাটেৰু কাছে আগমন করল এবং তারা তার সাথীদেরকে হত্যাবল্পল ম্ভি
সম্রাট কৌশলে তাদ্যো এখান থেকে পলায়ন করলেন এবং সমুদ্রের কিনারড়ায় এক চাকা
খােদাইকারী ব্যজ্যি বাড়িতে আগমন করলেন ও এক রাতের জন্যে তার কাছে আশ্রয় নিলেন ৷
যখন তিনি নিদ্রায় মগ্ন হলেন তখন চাকা খােদাইকারী তাকে হত্যা করল ৷
আল্লামা আল মাদায়িনী (র) বলেন, “সম্রাটের সাথীগণ নিহত হওয়ার পর সম্রাট যখন
পলায়ন করলেন তখন তিনি পায়ে ছুটিতে লাগলেন ৷ তার সাথে ছিল তার ঘুকুট, একটি
কােমরবন্দ এবং সুন্দর একটি তলোয়ার ৷ তারপর তিনি এমন এক লোকের ঘরে পৌছলেন যে
চাকা খোদাই করে থাকে ৷ তিনি তার কাছে বললেন এবং অসতর্কতার সুযোগে সে তাকে হত্যা
করল ৷ আর তার বা কিছু ছিল সে গুলোও সে নিয়ে নিল ৷ তৃর্কীরা তার খোজে এখানে এসে
তাকে পেল কিন্তু দেখল সে তাকে ইতোপুর্বে হত্যা করেছে ও তার সবকিছু নিয়ে নিয়েছে ৷
তৃর্কীরা তখন ণ্লাকটিকে হত্যা করল এবং তার পরিবারের লেকোদরাকও হত্যা করল ৷ আর
সম্রাটের সাথে যা কিছু হ্নিড়া তারা তা নিয়ে নিল এবং কিসরাকে একটি কফিনে স্থাপন করল ও
তাকে ইসতিখারে বহন করে নিল ৷ সম্রাট নিহত হওয়ার পুর্বে মারভের একটি মহিলার সাথে
তিনি সঙ্গম করেন ৷ মহিলাটি পর্ভধারণ করে এবং সম্রাটের মৃত্যুর পর সে একটি পঙ্গু পুত্র
সন্তান জন্ম দেয় ৷ এ সত্তানটির নাম রাখা হয়েছিল আল-মুখদাজ ৷ তার বংশ পরম্পরা ছিল
খুরাসানে ৷ এসব শহরে যুদ্ধ করার সময় কোন এক যুদ্ধে কুতইিবা ইবন মুসলিম (র) ঐ
সত্তানটির বংশ থেকে দুইজন দাসীকে কয়েদ করেন ৷ তন্মধ্য হতে একজ্যাকে তিনি হাজ্জাজের
কাছে প্রেরণ করেন ৷ হাজ্জাজ তাকে আল-ওয়ালীদ ইবন আবদুল মালিকের কাছে প্রেরণ
করেন ৷ তার গর্ভে তার ছেলে ইয়াযীদ ইবন আল-ওয়ালীদ ড্ডা নেয় যার উপাধি ছিল ষ্ দ্বু ৷শ্র ৷
বা অসম্পুর্ণ ৷
আল্লামা আল মাদায়িনী (র) তার এক ওস্তাদ থেকে বর্ণনা করেন ৷ তিনি বলেন,
ইয়াযদগরেদের সাথীরা যখন তার কাছ থেকে পালিয়ে যায় তখন তিনি তার যােড়াটি মেরে
ফেলেন এবং পায়ে ইটিতে শুরু করেন ৷ নদীর ধারে একজন চাকা খােদইিকারীর ঘরে প্রবেশ
করেন ৷ তার নাম জ্জি আল-মিরপাব ৷ তিনি তার বাড়িতে দৃইরাত অবস্থান করেন ৷ শত্রুরা তার
অম্বেষণে ছিল ৷ ফেউই জানত না তিনি কোথায় আছেন ৷ তারপর খােদাইকারী ঘরে আসল ও
কিসরাকে দেখতে পেল ৷ তার পরনে কাি বহু মুল্যবান পােশাকাদি ৷ সে তাকে বলল, তুমি ণ্কঃ


لَهُمَا فِي ذَلِكَ فَقَالَا: كَيْفَ نُقَاتِلُ مَعَ رَجُلٍ لَا يَنْبَغِي لَنَا أَنْ نُحَكِّمَهُ؟ فَأَرْسَلَ إِلَيْهِمَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ سَعْدٍ فَنَهَاهُمَا أَشَدَّ النَّهْيِ، وَقَالَ: وَاللَّهِ لَوْلَا أَنِّي لَا أَدْرِي مَا يُوَافِقُ أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ لِعَاقَبْتُكُمَا وَحَبَسْتُكُمَا. قَالَ الْوَاقِدِيُّ: وَفِي هَذِهِ السَّنَةِ فُتِحَتْ أَرْمِينِيَةُ عَلَى يَدَيْ حَبِيبِ بْنِ مَسْلَمَةَ. وَفِي هَذِهِ السَّنَةِ قُتِلَ كِسْرَى مَلِكُ الْفُرْسِ. [كَيْفِيَّةُ قَتْلِ كِسْرَى مِلِكِ الْفُرْسِ وَهُوَ يَزْدَجِرْدُ] قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: هَرَبَ يَزْدَجِرْدُ مِنْ كِرْمَانَ فِي جَمَاعَةٍ يَسِيرَةٍ إِلَى مَرْوَ، فَسَأَلَ مِنْ بَعْضِ أَهْلِهَا مَالًا فَمَنَعُوهُ وَخَافُوهُ عَلَى أَنْفُسِهِمْ، فَبَعَثُوا إِلَى التُّرْكِ يَسْتَنْصِرُونَهُمْ عَلَيْهِ، فَأَتَوْهُ فَقَتَلُوا أَصْحَابَهُ وَهَرَبَ هُوَ حَتَّى أَتَى مَنْزِلَ رَجُلٍ يَنْقُرُ الْأَرْحِيَةَ عَلَى شَطٍّ، فَأَوَى إِلَيْهِ لَيْلًا فَلَمَّا نَامَ قَتَلَهُ. وَقَالَ الْمَدَائِنِيُّ: لَمَّا هَرَبَ بَعْدَ قَتْلِ أَصْحَابِهِ انْطَلَقَ مَاشِيًا وَعَلَيْهِ تَاجُهُ وَمِنْطَقَتُهُ وَسَيْفُهُ، فَانْتَهَى إِلَى مَنْزِلِ هَذَا الرَّجُلِ الَّذِي يَنْقُرُ الْأَرْحِيَةَ فَجَلَسَ عِنْدَهُ، فَاسْتَغْفَلَهُ وَقَتَلَهُ وَأَخَذَ مَا كَانَ عَلَيْهِ، وَجَاءَتِ التُّرْكُ فِي طَلَبِهِ فَوَجَدُوهُ قَدْ قَتَلَهُ وَأَخَذَ حَاصِلَهُ، فَقَتَلُوا ذَلِكَ الرَّجُلَ وَأَهْلَ بَيْتِهِ وَأَخَذُوا مَا كَانَ مَعَ كِسْرَى، وَوَضَعُوا
পৃষ্ঠা - ৫৭৩৬


তুমি মানুষ না জিন? তিনি বললেন মানুষ’ ৷ তিনি আবার বললেন, “তোমার কাছে কি খাবার
আছে ?” খােদইিকারী বললেন, হ্যা’ ৷ খােদইিকারী তার কাছে খাবার নিয়ে আসল ৷ সম্রাট
বললেন, খাওয়রে পুর্বে আমি একটি বিশেষ ধরনের শব্দ করে থাকি তা ছাড়া আমি খাওয়া
পেতে পারি না ৷ এজন্য মুসাফিরদের ব্যবহার উপযোগী একটি বিশেষ ধরনের পাত্র আছে তা
তুমি কোথা থেকে নিয়ে আস যার দ্বারা আমি এ ষ্পব্দকরব এবং বাৰারখারো ৷

বর্ণনাকারী বলেন, খােদইিকারী পার্শ্ববর্তী বাড়ির সোকজনের কাছে সেই পাত্রটি আনতে
গেল এবং গিয়ে বলল, এ বিশেষ ধরনের পাত্রটি কিছু সময়ের জন্যে আমাকে দাও ৷ প্রতিবেশী
বলল, তুমি এটা দিয়ে কি করবেঃ সে বলল, আমার কাছে এমন একটি লোক এসেছে যাকে
আমি আর কোন দিন দেখিনি ৷ সে আমার কাছে কিছুক্ষণের জন্যে এরুপ পাত্র চায় ৷ প্রতিবেশী
তখন তাকে নিয়ে উক্ত শহরের (মাৱভ) প্রশাসকের কাছে যায় যার নাম কাি মাহ্বীরা ইবন
ৰাবাহ্, তাকে সম্রাট সম্পর্কে সংবাদ দেয় ৷ প্রশাসক বললেন, তিনিই তো ইয়াযদপারদ ৷ তিনি
তার লোকদের বললেন, তোমরা অতিসত্ত্বর যাও এবং আমার কাছে তার মথাে নিয়ে আস ৷
তারা খােদাইকারীর সাথে গেল ৷ যখন তারা খােদইিকারীর ঘরের নিকটবর্তী হলো তখন তারা
তাকে হত্যা করতে ভয় গেল এবং নিজেদের মধ্যে ঠেলাঠেলি করতে লাগল ৷

তারা খােদইিন্কারীকে অনুরোধ করল, তৃমি ভিতরে যাও এবং তাকে হত্যা কর ৷
থােদইিকরীি ভিতরে গোল এবং সম্রটিকে নিদ্রিত অবস্থায় দেখতে পেল ৷ সে একটি বড় পাথর
নিল এবং পাথর দিয়ে তার মাথায় আঘাত ব্বল ৷ অতঃপর সে তার মাথাটি কেটে নিন এবং তা
তাদের কাছে সমর্পণ করল ৷ সম্রাটের শরীরটা নদীতে ফেলে দিল ৷ জ্যাগণ খােদাইকারীর কাছে
আসল, তারা তাকে হত্যা করল ৷ তখন একজন পাদরী বের হয়ে আসল এবং নদী থেকে
সম্রাটের দেহটি উদ্ধার করল ৷ পরে দেহ্টিকে একটি কফিনে রাখল এবং এটাকে ইসতিখার
নামক জায়গায় নিয়ে পেল ৷ এটাকে পুনরায় বড় একটি পাথরের কফিনে স্থাপন করল ৷ এরুপও
বর্ণিত আছে যে, খােদাইকারীর ঘরে সম্রাট তিনদিন অবস্থান করেছিলেন ৷ তিনি কিছুই ণ্খতেন
না ৷ খােদাইকারী তার প্রতি দয়াবান হলো এবং তাকে বলল, দুর্ভণ্যে তোমার হে মিসকাি৷ তুমি
খাচ্ছ না কেনা একথা বলে যে তার কাছে খাদ্য নিম্নে আসল ৷ সম্রাট বললেন, আমি বিশেষ
ধরনের শব্দ করা ব্যতীত খাবা র ণ্খত্তে পারি না ৷ খােদইিকারী বলল, আমি তোমার জঃন্য শব্দ
করছি তুমি খাবার খাও ৷ তিনি বললেন, যেরুপ পাত্রের সাহায্যে এরুপ শব্দ করা হয় তুমি
কোথাও থেকে তা নিয়ে আস ৷ এ পাত্রের খোজে খােদইিকারী তার প্রতিবেশীর কাছে গেল ও
পাত্রটি চইিল ৷ প্রতাি বশীরা তার কাছ থেকে মিশৃক আম্বরের মোঃবু গেল এবং তার কাছ থেকে
এরুপ থােশবু পাওয়া তারা প্রত্যাশা করেনি ৷

কাজেই তারা তাকে এ সম্পর্কে জিজ্ঞাসাবাদ করল ৷ ণ্স তাদেরকে বিস্তারিত জানান এবং
বলল, আমার কাছে এমন একজন লোক এসেছে যার চেহারা সুব্রত এরুপ, এরুপ ৷ তখন তারা
তাকে চিনতে পারল এবং খােদাইকারীর সাথে তার উদ্দেশ্যে তারা রওয়ানা হলো ৷ প্রথমে
ণ্খাদইিকারী অগ্রসর হলো এবং ঘরে ঢুকল ও তাকে ধরার প্রস্তুতি নিল ৷ সম্রাট ব্যাপারটি বুঝতে
পারল এবং তাকে বলল, দুর্ভাগ্য তোমার! তুমি আমার এ আত্টি, চুড়ি ও কোমবন্দ নিয়ে যাও
আর আমাকে এখান থেকে চলে যেতে দাও ৷ সে বলল না, তা হবে না ৷ তুমি আমাকে চারটি


كِسْرَى فِي تَابُوتٍ وَحَمَلُوهُ إِلَى إِصْطَخْرَ، وَقَدْ كَانَ يَزْدَجِرْدُ وَطِئَ امْرَأَةً مِنْ أَهْلِ مَرْوَ قَبْلَ أَنْ يُقْتَلَ، فَحَمَلَتْ مِنْهُ، وَوَضَعَتْ بَعْدَ قَتْلِهِ غُلَامًا ذَاهِبَ الشِّقِّ، وَسُمِّيَ ذَلِكَ الْغُلَامُ الْمُخَدَّجُ، وَكَانَ لَهُ نَسْلٌ وَعَقِبٌ فِي خُرَاسَانَ، وَقَدْ سَبَى قُتَيْبَةُ بْنُ مُسْلِمٍ فِي بَعْضِ غَزَوَاتِهِ بِتِلْكَ الْبِلَادِ جَارِيَتَيْنِ مَنْ نَسْلِهِ، فَبَعَثَ بِإِحْدَاهُمَا إِلَى الْحَجَّاجِ، فَبَعَثَ بِهَا إِلَى الْوَلِيدِ بْنِ عَبْدِ الْمَلِكِ، فَوَلَدَتْ لَهُ ابْنَهُ يَزِيدَ بْنَ الْوَلِيدِ، الْمُلَقَّبَ بِالنَّاقِصِ. وَقَالَ الْمَدَائِنِيُّ فِي رِوَايَةٍ عَنْ بَعْضِ شُيُوخِهِ: إِنَّ يَزْدَجِرْدَ لَمَّا انْهَزَمَ عَنْهُ أَصْحَابُهُ عَقَرَ جَوَادَهُ، وَذَهَبَ مَاشِيًا حَتَّى دَخَلَ رَحًى عَلَى شَطِّ نَهْرٍ يُقَالُ لَهُ: الْمَرْغَابُ، فَمَكَثَ فِيهِ لَيْلَتَيْنِ وَالْعَدُوُّ فِي طَلَبِهِ فَلَمْ يُدْرَ أَيْنَ هُوَ، ثُمَّ جَاءَ صَاحِبُ الرَّحَى فَرَأَى كِسْرَى وَعَلَيْهِ أُبَّهَتُهُ، فَقَالَ لَهُ: مَا أَنْتَ؟ إِنْسِيٌّ أَمْ جِنِّيٌّ؟ قَالَ: إِنْسِيٌّ، فَهَلْ عِنْدَكَ طَعَامٌ؟ قَالَ: نَعَمْ. فَأَتَاهُ بِطَعَامٍ فَقَالَ: إِنِّي مُزَمْزِمٌ فَأْتِنِي بِمَا أُزَمْزِمُ بِهِ. قَالَ: فَذَهَبَ الطَّحَّانُ إِلَى أُسْوَارٍ مِنَ الْأَسَاوِرَةِ فَطَلَبَ مِنْهُ مَا يُزَمْزِمُ بِهِ. قَالَ: وَمَا تَصْنَعُ بِهِ؟ قَالَ: عِنْدِي رَجُلٌ لَمْ أَرَ مَثَلَهُ قَطُّ وَقَدْ طَلَبَ مِنِّي هَذَا. فَذَهَبَ بِهِ الْأُسْوَارُ إِلَى مَلِكِ الْبَلَدِ - مَرْوَ - وَاسْمُهُ مَاهَوَيْهِ بْنُ بَابَاهُ، فَأَخْبَرَهُ خَبَرَهُ، فَقَالَ: هُوَ يَزْدَجِرْدُ، اذْهَبُوا فَجِيئُونِي بِرَأْسِهِ. فَذَهَبُوا مَعَ الطَّحَّانِ، فَلَمَّا دَنَوْا مِنْ دَارِ الرَّحَى هَابُوا أَنْ يَقْتُلُوهُ وَتَدَافَعُوا، وَقَالُوا لِلطَّحَّانِ: ادْخُلْ أَنْتَ فَاقْتُلْهُ، فَدَخَلَ فَوَجَدَهُ نَائِمًا، فَأَخَذَ حَجَرًا فَشَدَخَ بِهِ رَأْسَهُ، ثُمَّ احْتَزَّهُ، فَدَفَعَهُ إِلَيْهِمْ، وَأَلْقَى جَسَدَهُ فِي النَّهْرِ،
পৃষ্ঠা - ৫৭৩৭


দিরহাম দাও তাহলে আমি তোমাকে ছেড়ে দেবাে ৷ সম্রাট তাকে একটি কানের জিনিসও
অতিরিক্ত দিল জ্যি সে তার দিরহাম ব্যতীত কোন কিছুই গ্রহণ করল না ৷ তারা এরুপ অবস্থায়
বিরাজমান থাকতেই সেনাবাহিনী তাদের কাছে এসে গেলো এবং তারা সম্রাটকে যেরাও করে
ফেলল ৷ আর তারা সম্রাটকে হত্যা করতে উদ্যত হলো ৷ সম্রাট বললেন, দুর্ভাগ্য তোমাদের,
তোমরা আমাকে হত্যা করো না ৷ কেননা আমরা আমাদের ধর্যগ্রন্থে লিখিত পেয়েছি, যে ব্যক্তি
দেশের সম্রাটকে হত্যা করর্বে তাকে আল্লাহ্ তাআলা পরকালের শাস্তি ছাড়াও এ পৃথিবীতে
তাকে জ্বালিয়ে পুড়িয়ে মারবেন ৷ কাজেই, তোমরা আমাকে হত্যা করো না ৷ আমাকে তোমরা
তোমাদের রাজা কিংবা আরবদের কাছে নিয়ে চল ৷ কেননা, তারা সম্রাটকে হত্যা করতে
লজ্জাবােধ করেন ৷ তারা সম্রাটের কথা মানতে অস্বীকৃতি ৩জানাল ৷

সম্রাটের কাছে যেসব অলংকার ছিল তা তারা লুণ্ঠন করল এবৎ সম্রাটকে একটি বন্তায়-
পুরে বিল ও তাকে গলায় রশি দিয়ে শ্বাসরুদ্ধ করে হত্যা করল ৷ তাকে নদীতে ফেলে দিল ৷
কিন্তু লাশ একটি কাঠের সাথে আটকিয়ে গেল ৷ তখন ইলিয়া,নামী একজন পাদরী লাশটি গ্রহণ
করলেন ও লাশটির প্রতি দয়া ও সম্মান প্রদর্শন করলেন ৷ কেননা, এ পাদরীর পুর্ব-পুরুষগণ
যখন পারস্য সাম্রাজ্যে ছিলেন তখন সম্রাটের পুর্বপুরুয হতে খৃন্টান হিসেবে সাহায্য সহায়তা
পেয়েছিলেন ৷৩ তারপর তিনি লাশটিকে একটি কফিনে রাখলেন এবং একটি বড় পাথর নির্মিত
কফিনে পুনরায় লাশটি সমাধিস্থু করলেন ৷ তার থেকে পাওয়া যাবতীয় অলংকারাদি আমীরুল
মু’মিনীন হযরত উসমান ইবন আফ্ফান (রা)-এর কাছে প্রেরণ করেন ৷ তার অলংকারাদির মধ্য
হতে একটি কানের জিনিস হারিয়ে যায় তখন তিনি ঐ শহরের নেতার কাছে লোক পাঠান এবং
নেতা তার ক্ষতিপুরণ আদায় করেন ৷

সম্রাট ইয়াযদপারদেয় বয়স ছিল হ০ বছর ৷ চার বছর তিনি আরামে ছিলেন ৷ আর বাকি
১৬ বছর তিনি ইসলাম ও মুসলমানদের ভয়ে পালিয়ে বেড়িয়েছেন ৷ বন্তুত তিনিই ছিলেন
পারস্যের শেষ সম্রটি ৷ রাসুলুল্লাহ্র্দুম্যুইরশাদ করেন, “যখন রোমের সম্রাট ধ্বংস হবে, তারপর
আর কোন সম্রাট হবে না ৷ আর পারস্যের সম্রাট যখন ধ্বংস হয়ে তখন তারপরে আর কোন
সম্রাট হবে না ৷ ঐ সত্তার শপথ যার হাতে আমার প্রাণ; তোমরা তাদের সম্পদ মহান আল্লাহর
পথে খরচ করবে ৷

ইমাম বুখারী (র) এ হাদীসটি বর্ণনা করেন ৷ বিশুদ্ধ হাদীসে আরো বর্ণিত আছে যে,
রাসুলুল্পাহ্গ্লুগাং রুএর পত্র যখন পারস্য সম্রাটের কাছে পৌছে, তখন তিনি পত্রটি ছিড়ে ফেলেন ৷
রাসুলুল্লাহ্জােতাকে অভিশাপ দিলেন এবং বললেন, সম্রাট ও তার সাম্রাজ্য পুরোপুরি ধ্বংস
হয়ে যাবে, যেরুপ পত্রটি সে ধ্বংস করেছে ৷ প্রকৃতপক্ষে ঘটনাটি তা-ই হলো ৷

এ বছরেই ইবন আমির (র) অনেকগুলো বিজয় অর্জন করেন ৷ অধিকাংশ ক্ষেত্রে বিজয়কৃত
দেশের বাসিন্দাগণ সন্ধি তংগ করে ও পুনরায় পরাজয় বরণ করে সন্ধি স্থাপন করে ৷
অনুরুপভাবে যুদ্ধের মাধ্যমে বহুবিধ বিজয় অর্জিত হয় ৷ সন্ধির মাধ্যমে বিজরকৃত শহরগুলাের
মধ্যে অন্যতম হলো মারড ৷ বার্ষিক ২২ লক্ষ দিরহাম আদায়ের শর্তে সন্ধি হয় ৷ কেউ কেউ
বলেন, ৬২ লক্ষ দিরহাম আদায়ের শর্তে সন্ধি হয় ৷ এ বছরেই হযরত উসমান হবৃন আফফান
(রা) ণ্লাকজ্যাকে নিয়ে হজ্জ আদায় করেন ৷


فَخَرَجَتِ الْعَامَّةُ إِلَى الطَّحَّانِ فَقَتَلُوهُ، وَخَرَجَ أُسْقُفٌ فَأَخَذَ جَسَدَهُ مِنَ النَّهْرِ وَجَعَلَهُ فِي تَابُوتٍ وَحَمَلَهُ إِلَى إِصْطَخْرَ فَوَضَعَهُ فِي نَاوُوسٍ. وَيُرْوَى أَنَّهُ مَكَثَ فِي مَنْزِلِ ذَلِكَ الطَّحَّانِ ثَلَاثَةَ أَيَّامٍ لَا يَأْكُلُ حَتَّى رَقَّ لَهُ وَقَالَ لَهُ: وَيْحَكَ يَا مِسْكِينُ أَلَا تَأْكُلُ؟ وَأَتَاهُ بِطَعَامٍ فَقَالَ: إِنِّي لَا أَسْتَطِيعُ أَنْ آكُلَ إِلَّا بِزَمْزَمَةٍ. فَقَالَ لَهُ: كُلْ وَأَنَا أُزَمْزِمُ لَكَ. فَسَأَلَ أَنْ يَأْتِيَهُ بِمُزَمْزِمٍ، فَلَمَّا ذَهَبَ يَطْلُبُ لَهُ مِنْ بَعْضِ الْأَسَاوِرَةِ شَمُّوا رَائِحَةَ الْمِسْكِ مِنْ ذَلِكَ الرَّجُلِ، فَأَنْكَرُوا رَائِحَةَ الْمِسْكِ مِنْهُ، فَسَأَلُوهُ، فَأَخْبَرَهُمْ، فَقَالَ: إِنَّ عِنْدِي رَجُلًا مِنْ صِفَتِهِ كَيْتَ وَكَيْتَ. فَعَرَفُوهُ وَقَصَدُوهُ مَعَ الطَّحَّانِ، وَتَقَدَّمَ الطَّحَّانُ، فَدَخَلَ عَلَيْهِ، وَهَمَّ بِالْقَبْضِ عَلَيْهِ، فَعَرَفَ يَزْدَجِرْدُ ذَلِكَ فَقَالَ لَهُ: وَيْحَكَ خُذْ خَاتَمِي وَسِوَارِي وَمِنْطَقَتِي وَدَعْنِي أَذْهَبُ مِنْ هَاهُنَا. فَقَالَ: لَا، أَعْطِنِي أَرْبَعَةَ دَرَاهِمَ وَأَنَا أُطْلِقُكَ. فَزَادَهُ إِحْدَى قُرْطَيْهِ مِنْ أُذُنَيْهِ، فَلَمْ يَقْبَلْ حَتَّى يُعْطِيَهُ أَرْبَعَةَ دَرَاهِمَ، فَهُمْ فِي ذَلِكَ إِذْ دَهَمَهُمُ الْجُنْدُ، فَلَمَّا أَحَاطُوا بِهِ وَأَرَادُوا قَتْلَهُ قَالَ: وَيْحَكُمْ لَا تَقْتُلُونِي فَإِنَّا نَجِدُ فِي كُتُبِنَا أَنَّ مَنِ اجْتَرَأَ عَلَى قَتْلِ الْمُلُوكِ عَاقَبَهُ اللَّهُ بِالْحَرِيقِ فِي الدُّنْيَا مَعَ مَا هُوَ قَادِمٌ عَلَيْهِ، فَلَا تَقْتُلُونِي وَاذْهَبُوا بِي إِلَى الْمَلِكِ أَوْ إِلَى الْعَرَبِ فَإِنَّهُمْ يَسْتَحْيُونَ مِنْ قَتْلِ الْمُلُوكِ. فَأَبَوْا عَلَيْهِ ذَلِكَ فَسَلَبُوهُ مَا كَانَ عَلَيْهِ مِنَ الْحُلِيِّ، فَجَعَلُوهُ فِي جِرَابٍ وَخَنَقُوهُ بِوَتَرٍ وَأَلْقَوْهُ فِي النَّهْرِ، فَتَعَلَّقَ بِعُودٍ فَأَخَذَهُ أُسْقُفٌ - وَاسْمُهُ إِيلِيَا - فَحَنَّ عَلَيْهِ؛ لِمَا كَانَ مِنْ أَسْلَافِهِ مِنَ الْإِحْسَانِ إِلَى النَّصَارَى الَّذِينَ كَانُوا بِبِلَادِهِمْ، فَوَضَعَهُ فِي تَابُوتٍ وَدَفَنَهُ
পৃষ্ঠা - ৫৭৩৮
فِي نَاوُوسٍ. ثُمَّ حَمَلَ مَا كَانَ عَلَيْهِ مِنَ الْحُلِيِّ إِلَى أَمِيرِ الْمُؤْمِنِينَ عُثْمَانَ بْنِ عَفَّانَ، فَفُقِدَ قُرْطٌ مِنْ حُلِيِّهِ، فَبَعَثَ إِلَى دِهْقَانِ تِلْكَ الْبِلَادِ فَأَغْرَمَهُ ذَلِكَ. وَكَانَ مُلْكُ يَزْدَجِرْدَ عِشْرِينَ سَنَةً؛ مِنْهَا أَرْبَعُ سِنِينَ فِي دَعَةٍ وَبَاقِي ذَلِكَ هَارِبًا مِنْ بَلَدٍ إِلَى بَلَدٍ خَوْفًا مِنَ الْإِسْلَامِ وَأَهْلِهِ. وَهُوَ آخِرُ مُلُوكِ الْفُرْسِ فِي الدُّنْيَا عَلَى الْإِطْلَاقِ؛ لِقَوْلِ رَسُولِ اللَّهِ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «إِذَا هَلَكَ قَيْصَرُ فَلَا قَيْصَرَ بَعْدَهُ وَإِذَا هَلَكَ كِسْرَى فَلَا كِسْرَى بَعْدَهُ، وَالَّذِي نَفْسِي بِيَدِهِ لِتُنْفَقَنَّ كُنُوزُهُمَا فِي سَبِيلِ اللَّهِ» رَوَاهُ الْبُخَارِيُّ. وَثَبَتَ فِي الْحَدِيثِ الصَّحِيحِ أَنَّهُ لَمَّا جَاءَ كِتَابُ النَّبِيِّ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، مَزَّقَهُ فَدَعَا النَّبِيُّ عَلَيْهِ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، أَنْ يُمَزَّقَ كُلَّ مُمَزَّقٍ فَوَقَعَ الْأَمْرُ كَذَلِكَ. وَفِي هَذِهِ السَّنَةِ فَتَحَ ابْنُ عَامِرٍ فُتُوحَاتٍ كَثِيرَةً كَانَ قَدْ نَقَضَ أَهْلُهَا مَا كَانَ لَهُمْ مِنَ الصُّلْحِ، فَمِنْ ذَلِكَ مَا فَتَحَ عَنْوَةً، وَمِنْ ذَلِكَ مَا فَتَحَ صُلْحًا، فَكَانَ فِي جُمْلَةِ مَا صَالَحَ عَلَيْهِ بَعْضُ الْمَدَائِنِ - وَهِيَ مَرْوُ - عَلَى أَلْفَيْ أَلْفٍ وَمِائَتَيْ أَلْفٍ، وَقِيلَ: عَلَى سِتَّةِ آلَافِ أَلْفٍ وَمِائَتَيْ أَلْفٍ. وَفِي هَذِهِ السَّنَةِ حَجَّ بِالنَّاسِ عُثْمَانُ بْنُ عَفَّانَ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ.