سنة ثلاثين من الهجرة النبوية
পৃষ্ঠা - ৫৭২৮
রাসুলুল্লাহ্ মোঃ-এর হিজরতের ৩০তম বছর
এ বছরেই সাঈদ ইবনুল আস (রা) তিবরিন্তান জয় করেন ৷ এ অভিমত আল্লামা ওয়াকিদী
(র), আবু মাশার (র) ও আল মাদায়িনী (র)-এর ৷ তিনিই প্রথম তিবরিস্তানে যুদ্ধ করেন ৷
আল্পামা সাইফ (র ) মনে করেন : তিবরিস্তানের বাসিন্দারা পুর্বে সাওয়াদ ইবন মুকরিন (রা) এর
সাথে এ শর্তে সন্ধি করেছিলেন যে, তারা সম্পদ আদায়ের বিনিময়ে-তার সাথে যুদ্ধ করবে না ৷
মহান আল্লাহ অধিক পরিজ্ঞাত ৷
আল্লামা আল মদােয়িনী (র) উল্লেখ করেন যে, সাঈদ ইবনুল আস (রা) এমন একটি
সেনাবাহিনী গঠন করেন যার মধ্যে ছিলেন ইমাম হাসান (রা), ইমাম হুসাইন (রা) , আবদুল্লাহ
ইবন আব্বাস (রা), আবদুল্লাহ ইবন উমর (রা), আবদুল্লাহ ইবন আমর ইবনুল আস (বা) ,
আবদুল্লাহ ইবন আয্ যুবাইর (রা), হুযাইফা ইবন আল ইয়ামান (রা) ও অন্যান্য এক জামায়াত
সাহাবায়ে কিরাম ৷ তিনি তাদেরকে নিয়ে অভিযান শুরু করলেন ৷ বিভিন্ন শহরে তিনি গমন
করেন ও শহরের বাসিন্দাগণ পর্যাপ্ত পরিমাণ সম্পদের বিনিময়ে তর সাথে সন্ধি করেন ৷
তারপর তিনি মুয়ামিলাতে জুরজান শহরে পৌছেন ৷ শহরবাসীরা তার সাথে যুদ্ধ করে ৷ মুসলিম
সেনা ৷বাহনী সালাতে খাওফ আদায় করতে বাধ্য হন ৷
সেনাপতি সাঈদ ইবনুল আস (রা) হুযাইফা (রা) কে জিজ্ঞেস করলেন, রাসুলুল্লাহ্হুলদ্বুণটুদ্বু
কেমন করে এরুপ সালাত আদায় করেক্রোা০ হুযাইফা (বা) তাকে সংবাদ দিলেন এবংএ সংবাদ
অনুযায়ী তিনি সালাতে খাওফ আদায় করেন ৷ তারপর এ দুর্গের অধিবাসীপণ নিরাপত্তার প্রার্থনা
করেন ৷ সাঈদ ইবন আ স (রা)৩ তাদেরকে এ শর্তে নিরাপত্তা প্রদান করেন যে তিনি তাদের
মধ্য থেকে শুধুমাত্র এক ব্যক্তিকে হত্যা করবেন না ৷ এরপর তারা দুর্গ খুলে দিল ৷ একজন
ব্যতীত তিনি তাদের সকলকে হত্যা করেন এবং দৃর্গে যা কিছু ছিল তা তিনি দখল করে
নিলেন ৷ বনু নাহাদ হতে এক ব্যক্তি একটি মুখবন্ধ ঝুড়ি প্রাপ্ত হন ৷ সাঈদ (বা) তা চেয়ে
পাঠালেন ৷ তারপর সেনাবাহিনীর লোকেরা এটা খুললেন এবং তারা এটার মধ্যে ভাজ করা
একটা নেকড়া দেখতে পান ৷ তারা এটাকেও খুললেন ৷ তারপর এটার ভে ৩রে একটা লাল
নেকড়া দেখতে পেলেন ৷ এটাকেও তারা খুললেন ৷ তখন তারা এটার মধ্যে একটা হলদে
ণ্নকড়া দেখতে পেলেন ৷ সেই ণ্নকড়ার মধ্যে৩ তারা ইরানী বাদাম ও গোলাপ ফুল দেখতে
পেলেন ৷ তারপর একজন করি এ দু টো বন্তুৱ জন্যে বনু নাহাদের দৃর্নাম করতেগ্ গিয়ে বলেন :
সম্মানিত লোকের বন্দীদেরকে গনীমত হিসেবে অর্জন করতে চান না ৷ আর বনু নাহাদ
একটি ঝুড়ির মধ্যে দুটো ইরানী বস্তু, একটি বাদাম ও একটি গোলাপ ফুল অর্জন করল ৷ দুটি
জিনিসই ছিল বড় আকারের ৷ তারা এগুলোকে গনীমত হিসেবে মনে করল ৷ এটা তাদের কত
বড় ভুল ৷
[سَنَةُ ثَلَاثِينَ مِنَ الْهِجْرَةِ النَّبَوِيَّةِ]
[فَتْحُ طَبَرِسْتَانَ]
فِيهَا افْتَتَحَ سَعِيدُ بْنُ الْعَاصِ طَبَرِسْتَانَ فِي قَوْلِ الْوَاقِدِيِّ وَأَبِي مَعْشَرٍ وَالْمَدَائِنِيِّ، وَقَالَ: هُوَ أَوَّلُ مَنْ غَزَاهَا. وَزَعَمَ سَيْفٌ أَنَّهُمْ كَانُوا صَالَحُوا سُوَيْدَ بْنَ مُقَرِّنٍ قَبْلَ ذَلِكَ عَلَى أَنْ لَا يَغْزُوَهَا عَلَى مَالٍ بَذَلَهُ لَهُ إِصْبَهْبَذُهَا. فَاللَّهُ أَعْلَمُ. فَذَكَرَ الْمَدَائِنِيُّ أَنَّ سَعِيدَ بْنَ الْعَاصِ رَكِبَ فِي جَيْشٍ فِيهِ الْحَسَنُ وَالْحُسَيْنُ وَالْعَبَادِلَةُ الْأَرْبَعَةُ وَحُذَيْفَةُ بْنُ الْيَمَانِ، فِي خَلْقٍ مِنَ الصَّحَابَةِ، فَسَارَ بِهِمْ فَمَرَّ عَلَى بُلْدَانٍ شَتَّى، فَصَالَحُوهُ عَلَى أَمْوَالٍ جَزِيلَةٍ، حَتَّى انْتَهَى إِلَى بَلَدٍ بِمُعَامَلَةِ جُرْجَانَ تُسَمَّى طَمِيسَةَ عَلَى سَاحِلِ الْبَحْرِ، فَقَاتَلُوهُ حَتَّى احْتَاجُوا إِلَى صَلَاةِ الْخَوْفِ، فَسَأَلَ حُذَيْفَةَ: كَيْفَ صَلَّى رَسُولُ اللَّهِ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ؟ فَأَخْبَرَهُ، فَصَلَّى كَمَا أَخْبَرَهُ، ثُمَّ سَأَلَهُ أَهْلُ ذَلِكَ الْحِصْنِ الْأَمَانَ، فَأَعْطَاهُمْ عَلَى أَنْ لَا يَقْتُلَ مِنْهُمْ رَجُلًا وَاحِدًا، فَفَتَحُوا الْحِصْنَ فَقَتَلَهُمْ إِلَّا رَجُلًا وَاحِدًا، وَاحْتَوَى عَلَى مَا كَانَ فِي الْحِصْنِ، فَأَصَابَ رَجُلٌ مِنْ بَنِي نَهْدٍ سَفَطًا مَقْفُولًا فَاسْتَدْعَى بِهِ سَعِيدٌ، فَفَتَحُوهُ فَإِذَا فِيهِ خِرْقَةٌ سَوْدَاءُ مُدْرَجَةٌ، فَنَشَرُوهَا فَإِذَا فِيهَا خِرْقَةٌ حَمْرَاءُ، فَنَشَرُوهَا، وَإِذَا دَاخَلَهَا خِرْقَةٌ صَفْرَاءُ، وَفِيهَا أَيْرَانِ كُمَيْتٍ وَوَرْدٌ. فَقَالَ شَاعِرٌ يَهْجُو بِهِمَا بَنِي نَهْدٍ:
পৃষ্ঠা - ৫৭২৯
ইতিহাসবিদগণ বলেন : সাঈদ ইবনুল আস (রা) এর সাথে সন্ধি করার পর
জুরজানবাসীরা সন্ধি ভঙ্গ করে এবং তাদের উপর ধার্যকৃত সম্পদ বায়তৃলমালে জমা দেওয়া
হতে বিরত থাকে ৷ ধার্যকৃত করের পরিমাণ এক লাখ দীনার ৷ কেউ কেউ বলেন, দুই লাখ
দীনার ৷ আবার কেউ কেউ বলেন, তিন লাখ দীনারধ্ ৷ তারপর ইয়াযীদ ইবন আল-মিহলাব (র)
তাদের দিকে দৃষ্টি দিলেন ৷ এ সম্বন্ধে পরবর্তীতে বিস্তারিত আলোচনা করা হবে ইনশাআল্লাহ্ ৷
”fl রছরেই উসমান ইবন আফ্ফান (রা) আল-ওয়ালীদ ইবন উকবা (রা) কে কুফ৷ হতে
বরখস্থে করেন এবং তার স্থলে সাঈদ ইবনুল আস (রা) কে নিযুক্ত করেন ৷ তাকে বরখাস্ত
কবাবকাবণ হলো এই যে, তিনি একদিন কুফাবাসীদেরকে নিয়ে ফজরের সালাত চার রাকাত
আদায় করেন এবং মুক্তাদীদেব দিকে মুখ ফিরিয়ে বললেন, আমি কি তে আমাদেরকে নিয়ে
অতিরিক্ত নামায পড়েছি? তখন একজন মুক্তাদী বললেন, আজকের দিন থেকে তোমার সাথে
আমরা অতিরিক্ত নামায পড়তে থাকর ৷ তারপর একদল লোক তাকে প্রতিহত করল ৷ কথিত
আছে যে, তাদেরও তার মধ্যে ছিল দুশমনি ৷৩ তাই তার বিরুদ্ধে হযরত উসমান (রা) এর
কাছে অভিযোগ পেশ করেন এবং তাদের কেউ কেউ তার বিরুদ্ধে শরাব পান করার অভিযোগ
আনয়ন করেন ৷ আবার তাদের মধ্যে কেউ কেউ এরুপ সাক্ষী দেন যে, সে তাকে বমি করতে
দেখেছে ৷ উসমান (রা) তাকে উপস্থিত করার জন্যে আদেশ দিলেন এবং তাকে ণ্বত্রাঘাত করার
জন্যে নির্দেশ প্রদান করলেন ৷ কথিত, আছে যে, হযরত আলী (বা) তার শরীর থেকে চাদর
খুলে ফেলেন এবং সাঈদ ইবনুল আস (রা)-কে হযরত উসমান ইবন আফ্ফান (রা)-এর
সামনে তাকে বেত্রাঘত্বত করেন ৷ আর উসমান (রা) তাকে বরখাস্ত করেন এবং সাঈদ ইবনুল
আস (রা) কে তার পরিবর্তেকুফায় নিয়োগ করেন ৷
এ বছরেই রাসুলুল্লাহ্ট্টহ্র্দুহ্:-এর হাতের আংটি হযরত উসমান (রা) এর হাত থেকে আরীস
নামক কুয়ায় পড়ে যায় ৷ এ কুয়াঢি পবিত্র মদীনা থেকে দুই মাইল দুরে ৷ এ কুয়ায় অন্যান্য
কুয়ার তুলনায় পানি ছিল খুব কম ৷ তারপরেও অনেক ঘোজাখুজি এবং সম্পদ ব্যয় করার পর
আজ পর্যন্ত তার কোন সন্ধান পাওয়া গেল না ৷ তারপর উসমান (রা) রুপার একটি আংটি তৈরি
করিয়ে নেন এবং এটার উপর খোদাই করেন মুহাম্মদুর রাসুলুল্লাহ’ ৷ হযরত উসমান (রা) শহীদ
হওয়ার পর আৎটিটি হারিয়ে যায় ৷ কেউ জানে না কে এটাকে নিয়ে গেছে ৷ ইবন আবীর (র)
স্ব র্ণ দিয়ে রাসুলুল্পাহ্র্চুম্পু এ-র আংটি তৈরির সম্পর্কে একটি বিরাট হাদীস এখানে বর্ণনা
করেছেন ৷ তারপর রানুলুল্লাহ্খ্যাঃ এর আংটি রুপার দ্বারা তৈরি হয় ৷ উমর (রা) এটাকে পারস্য
সম্রাট কিসরার কাছে প্রেরণ করেন ৷ তারপর দাহ্ইর৷ আল-কালবী মারফত রোমের বাদশাহ
কাইসারের কাছে প্রেরণ করেন ৷ এই আংটিটি রাসুলুল্পাহ্স্লে এর হাতে ছিল ৷ তারপরআবু
বকর সিদ্দীক (বা) এর হাতে ছিল ৷ তারপর হযরত উমর (রা) এর হাতে ছিল এবং সর্বশেষে
হযরত উসমান (রা) এর হাতে ৬ বছর ছিল ৷ তারপর আরীস নামক কুয়ায় পতিত হয়েছিল ৷ এ
হাদীসের কিছু অংশ পুর্বে বর্ণিত হয়েছে ৷
এ বছরেই আমীর মুয়াবীয়া (রা) ও আবু বর (বা) এর মধ্যে সিরিয়ার মতবিরোধ হয় ৷
আবু বর (বা) আমীর মুয়াবীয়া (রা) এর কিছু কাজকর্ম অপছন্দ করেন ৷ তিনি ধনী ব্যক্তিদের
সম্পদ অর্জনকে অপছন্দ করতেন ৷ আর দৈনন্দিন থােরাকের অধিক খাদ্য জমা রাখাকে নিষেধ
৩৬
آبَ الْكِرَامُ بِالسَّبَايَا غَنِيمَةً ... وَفَازَ بَنُو نَهْدٍ بِأَيْرَيْنِ فِي سَفَطْ
كُمَيْتٍ وَوَرْدٍ وَافِرَيْنِ كِلَاهُمَا ... فَظَنُّوهُمَا غُنْمًا فَنَاهِيكَ مِنْ غَلَطْ
قَالُوا: ثُمَّ نَقَضَ أَهْلُ جُرْجَانَ مَا كَانَ صَالَحَهُمْ عَلَيْهِ سَعِيدُ بْنُ الْعَاصِ، وَامْتَنَعُوا عَنْ أَدَاءِ الْمَالِ الَّذِي ضَرَبَهُ عَلَيْهِمْ - وَكَانَ مِائَةَ أَلْفِ دِينَارٍ. وَقِيلَ: مِائَتَيْ أَلْفِ دِينَارٍ، وَقِيلَ: ثَلَاثَمِائَةِ أَلْفِ دِينَارٍ - ثُمَّ رَدَّهُ عَلَيْهِمْ يَزِيدُ بْنُ الْمُهَلَّبِ بَعْدَ ذَلِكَ، كَمَا سَنَذْكُرُهُ إِنْ شَاءَ اللَّهُ تَعَالَى.
وَفِي هَذِهِ السَّنَةِ عَزَلَ عُثْمَانُ بْنُ عَفَّانَ الْوَلِيدَ بْنَ عُقْبَةَ عَنِ الْكُوفَةِ، وَوَلَّى عَلَيْهَا سَعِيدَ بْنَ الْعَاصِ، وَكَانَ سَبَبُ عَزْلِهِ أَنَّهُ صَلَّى بِأَهْلِ الْكُوفَةِ الصُّبْحَ أَرْبَعًا، ثُمَّ الْتَفَتَ فَقَالَ: أَزِيدُكُمْ؟ فَقَالَ قَائِلٌ: مَا زِلْنَا مِنْكَ مُنْذُ الْيَوْمِ فِي زِيَادَةٍ. ثُمَّ إِنَّهُ تَصَدَّى لَهُ جَمَاعَةٌ يُقَالُ كَانَ بَيْنَهُمْ وَبَيْنَهُ شَنَآنٌ، فَشَكَوْهُ إِلَى عُثْمَانَ، وَشَهِدَ بَعْضُهُمْ عَلَيْهِ أَنَّهُ شَرِبَ الْخَمْرَ، وَشَهِدَ الْآخَرُ أَنَّهُ رَآهُ يَتَقَيَّؤُهَا، فَأَمَرَ عُثْمَانُ بِإِحْضَارِهِ وَأَمَرَ بِجَلْدِهِ - فَيُقَالُ: إِنَّ عَلِيًّا نَزَعَ عَنْهُ حُلَّتَهُ، وَإِنَّ سَعِيدَ بْنَ الْعَاصَ جَلَدَهُ بَيْنَ يَدَيْ عُثْمَانَ بْنِ عَفَّانَ - وَعَزَلَهُ وَأَمَّرَ مَكَانَهُ عَلَى الْكُوفَةِ سَعِيدَ بْنَ الْعَاصِ.
وَفِي هَذِهِ السَّنَةِ سَقَطَ خَاتَمُ النَّبِيِّ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، مِنْ يَدِ عُثْمَانَ فِي بِئْرِ أَرِيسٍ، وَهِيَ عَلَى مِيلَيْنِ مِنَ الْمَدِينَةِ، وَهِيَ مِنْ أَقَلِّ الْآبَارِ مَاءً، فَلَمْ يُدْرَكْ خَبَرُهُ بَعْدَ بَذْلِ مَالٍ جَزِيلٍ، وَالِاجْتِهَادِ فِي طَلَبِهِ، حَتَّى السَّاعَةَ، فَاسْتَخْلَفَ عُثْمَانُ بَعْدَهُ خَاتَمًا مِنْ فِضَّةٍ، وَنَقَشَ عَلَيْهِ: مُحَمَّدٌ رَسُولُ اللَّهِ. فَلَمَّا قُتِلَ عُثْمَانُ ذَهَبَ الْخَاتَمُ فَلَا يُدْرَى مَنْ أَخَذَهُ.
وَقَدْ رَوَى ابْنُ جَرِيرٍ هَاهُنَا حَدِيثًا طَوِيلًا فِي اتِّخَاذِ النَّبِيِّ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، خَاتَمًا مَنْ
পৃষ্ঠা - ৫৭৩০
করতেন এবং অতিবিক্তকে সাদকা করা অবশ্য কর্তব্য মনে করতেন ৷ সুরায়ে তাওবায় ৩৪ নং
আয়াত এ উল্লেখিত বিষয়টির প্ৰতি সকলের মনোযোগ আকর্ষণ করতেন ৷ আল্লাহ্ তা“ জানা
ইরশাদ করেনং :
া৷া৷া৷
এরুন্
অর্থাৎ আর যারা স্বর্ণ ও রৌপ্য পুঞ্জীভুত করে এবং এটা আল্লাহর পথে ব্যয় করে না,
তাদেরকে মর্যর্ভুদশাস্তির সুসংবাদ দাও ৷” এ আয়াতের মর্য প্রচার করতে আমীর মুয়াবীয়া (রা)
র্তাকে নিষেধ করেন ৷ কিন্তু তিনি বিরত থাকেন নইি ৷ তাই র্তার বিরুদ্ধে অভিযোগ নিয়ে আমীর
মুয়াবীয়া (রা) হযরত উসমান (রা) এর কাছে লোক প্রেরণ করেন ৷ হযরত উসমান (রা) পবিত্র
মদীনায় আসার জন্যে আবু যর (রা)-কে পত্র লিখেন ৷ তিনি পবিত্র মদীনায় আগমন করলে
হযরত উসমান (বা) তাকে তার কিছু কৃতকর্মের জন্যে তিরস্কার করেন এবং তাকে সিরিয়ার
ফিরে যেতে বলেন ৷ বিৎ তিনি ফিরে পেলেন না ৷ তারপর তিনি তাকে রাবষাহ নামক জায়গায়
বসবাস করতে নির্দেশ দিলেন ৷ এ স্থানটি পবিত্র মদীনায় পুর্ব দিকে অবস্থিত ৷
কথিত আছে যে, তিনি হযরত উসমান (রা) কে অনুরোধ করেন যাতে তিনি উক্ত জায়গায়
বসবাস করতে পারেন এবং তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ্লোঃ আমাকে বলেছিলেন : বসবাসের ঘর
যখন ব্যবসায়ী পণ্যে পরিণত হবে, তখন তুমি তা থেকে বের হয়ে যাও ৷ এখন থাকার ঘর
ব্যবসায়ী পণ্যে পরিণতি হয়েছে অর্থাৎ মানুষের মধ্যে সহমর্মিত৷ তিরােহিত হয়ে গেছে ৷ তাই
লোকালয় থেকে দুরে থাকাই শ্রেয় ৷ তারপর হযরত উসমান (রা) রাবষাহ নামক স্থানে গিয়ে
বসবাস করার জন্যে হযরত আবু যর (রা) কে অনুমতি দিলেন এবং তাকে নির্দেশ দিলেন তিনি
যেন মাঝে মাঝে পবিত্র মদীনায় সাথে যোগাযোগ রাখেন ৷ আর তিনি যেন কোন বেদুঈনকে
তার হিজরতেব পবিত্র মদীনা থেকে ফেরত যেতে উৎসাহিত না করেন ৷ নির্দেশ মত আবু বর
(বা) মৃত্যু পর্যন্ত সেখানে বসবাস করেন ৷ পরবর্তীতে তার সম্বন্ধে আরো বর্ণনা আসবে ৷
এ বছরেই হযরত উসমান (রা) জুমাৱ দিন যাওরা নামক স্থানে তৃতীয় আযান বা
সতকীকিরণের ব্যবস্থা করেন ৷
অধ্যায় : আল্পামা ইবন কাসীর (র) বলেন, আমাদের উস্তাদ আবু আবদুল্লাহ আয্-যাহাৰী
(র) উল্লেখ করেন যে, এ বছরেই অর্থাৎ ৩০ হিজৰীতে উৰাই ইবন কাব (বা) ইনতিকাল
করেন ৷ আন্নামা আল-ওয়াকিদীও এ অভিমতকে বিশুদ্ধ বলে ব্যক্ত করোছা ৷
ন্ধুৰার ইৰ্ন সাখার (বা)
তার পুর্ণ নাম আবু আবদুর রহমান জুবাব ইবন সাখার ইবন উমাইয়৷ ইবন খানসা
আল-আনসারী ৷ তিনি আল আকাবায় উপস্থিত ছিলেন ৷ তিনি বদরের যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন ৷
তাকে রাসুবুল্পাহ্মোঃখায়বারে ফলফলাদির পরিমাণ নির্ধারণ করার জন্যে প্রেরণ করেছিলেন ৷
তিনি ষাট বছর বয়সে ইনতিকাল করেন ৷
ذَهَبٍ، ثُمَّ مِنْ فِضَّةٍ، وَبَعَثِهِ عُمَرَ بْنَ الْخَطَّابِ إِلَى كِسْرَى، ثُمَّ دِحْيَةَ إِلَى قَيْصَرَ، وَأَنَّ الْخَاتَمَ كَانَ فِي يَدِ النَّبِيِّ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، ثُمَّ فِي يَدِ أَبِي بَكْرٍ، ثُمَّ فِي يَدِ عُمَرَ، ثُمَّ فِي يَدِ عُثْمَانَ سِتَّ سِنِينَ، ثُمَّ إِنَّهُ وَقَعَ فِي بِئْرِ أَرِيسٍ، وَقَدْ تَقَدَّمَ بَعْضُ هَذَا فِي " الصَّحِيحِ ".
وَفِي هَذِهِ السَّنَةِ وَقَعَ بَيْنَ مُعَاوِيَةَ وَأَبِي ذَرٍّ بِالشَّامِ، وَذَلِكَ أَنَّ أَبَا ذَرٍّ أَنْكَرَ عَلَى مُعَاوِيَةَ بَعْضَ الْأُمُورِ، وَكَانَ يُنْكِرُ عَلَى مَنْ يَقْتَنِي مَالًا مِنَ الْأَغْنِيَاءِ، وَيَمْنَعُ أَنْ يَدَّخِرَ فَوْقَ الْقُوتِ، وَيُوجِبُ أَنْ يَتَصَدَّقَ بِالْفَضْلِ، وَيَتَأَوَّلُ قَوْلَ اللَّهِ سُبْحَانَهُ وَتَعَالَى: {وَالَّذِينَ يَكْنِزُونَ الذَّهَبَ وَالْفِضَّةَ وَلَا يُنْفِقُونَهَا فِي سَبِيلِ اللَّهِ فَبَشِّرْهُمْ بِعَذَابٍ أَلِيمٍ} [التوبة: 34] . فَيَنْهَاهُ مُعَاوِيَةُ عَنْ إِشَاعَةِ ذَلِكَ فَلَا يَمْتَنِعُ، فَبَعَثَ يَشْكُوهُ إِلَى عُثْمَانَ، فَكَتَبَ عُثْمَانُ إِلَى أَبِي ذَرٍّ أَنْ يَقْدَمَ عَلَيْهِ الْمَدِينَةَ، فَقَدِمَهَا، فَلَامَهُ عُثْمَانُ عَلَى بَعْضِ مَا صَدَرَ مِنْهُ، وَاسْتَرْجَعَهُ فَلَمْ يَرْجِعْ، فَأَمَرَهُ بِالْمَقَامِ بِالرَّبَذَةِ - وَهِيَ شَرْقِيُّ الْمَدِينَةِ - وَيُقَالُ: إِنَّهُ سَأَلَ عُثْمَانَ أَنْ يُقِيمَ بِهَا، وَقَالَ: «إِنَّ رَسُولَ اللَّهِ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، قَالَ لِي: إِذَا بَلَغَ الْبِنَاءُ سَلْعًا فَاخْرُجْ مِنْهَا» . وَقَدْ بَلَغَ الْبِنَاءُ سَلْعًا، فَأَذِنَ لَهُ عُثْمَانُ بِالْمَقَامِ بِالرَّبَذَةِ، وَأَمَرَهُ أَنْ يَتَعَاهَدَ الْمَدِينَةَ فِي بَعْضِ الْأَحْيَانِ حَتَّى لَا يَرْتَدَّ أَعْرَابِيًّا بَعْدَ هِجْرَتِهِ، فَفَعَلَ فَلَمْ يَزَلْ مُقِيمًا بِهَا حَتَّى مَاتَ، عَلَى مَا سَنَذْكُرُهُ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ.
وَفِي هَذِهِ السَّنَةِ زَادَ عُثْمَانُ النِّدَاءَ الثَّالِثَ يَوْمَ الْجُمُعَةِ عَلَى الزَّوْرَاءِ.
[فِيمَنْ تُوُفِّيَ فِي هَذِهِ السَّنَةِ]
فَصْلٌ (فِيمَنْ تُوَفِّي فِي هَذِهِ السَّنَةِ)
وَمِمَّنْ ذَكَرَ شَيْخُنَا أَبُو عَبْدِ اللَّهِ الذَّهَبِيُّ أَنَّهُ تُوُفِّيَ فِي هَذِهِ السَّنَةِ -
পৃষ্ঠা - ৫৭৩১
হাতির ইবন আবু বলতায়া (বা)
তার পুর্ণনাম হাতির ইবন আবু বলতায়া ইবন আমর ইবন উমইির আল-লাখামী (বা) ৷
তিনি বনু আসাদ ইবন আবদুল উয্যার মিত্র ছিলেন ৷ বদর ও পরবর্তী যুদ্ধগুষ্কলাতে তিনি
অংশ্যাহ্ণ করেন ৷ তিনি র্টুপর্বিত্র মক্কার মুশরিকদের কাছে পত্র লিখে পবিত্র মক্কা বিজয় সম্পর্কে
ন্রাসুলুল্লাহ্ড্রো এর মনস্থ সম্পর্কে অবগত করান ৷ তারপর রাসুলুল্লাহ্শ্লি এর কাছে ভুল
স্বীকার করে ক্ষমা প্রার্থনা করার রাসুলুল্লাহ্ঘ্নেতার ওমর গ্রহণ করেন ৷ তারপর রাসুলুল্লাহ্স্লো
তাকে ইস্কান্দারীয়ার রাজা আল-মুকাওকচ্স-এর নিকট একটি পত্রসহ প্রেরণ করেন ৷
অতি-তুফ্ইিল ইবনআল-হারিস (বা) ,
তার পুর্ণ নাম আত-তুফইিল ইবন আল-হারিস ইবন আল-মুত্তালিব (বা) ৷ তিনি উবইিদা
এবং হাসীনেৱ ভাই ৷ তিনি বদর যুদ্ধে অংশঃমহণ করেন ৷ সাঈদ ইবন উমইির (র) বলেন, এ
বছরেই তিনি ইনতিকাল করেন ৷
ণ্ আবদুল্লাহ ইবন কা ব (রা)
- তার পুর্ণ নাম আবুল হারিস অথবা আবু ইয়াহ্ইয়া আবদুল্লাহ ইবন কা ব ইবন আমর
আল-মাযিনী আল-আনসায়ী ৷ তিনি বদর যুদ্ধে অ ত্শ্যাহণ করেন এবং ঐ দিন তিনি খুমুসের
তত্ত্ববেধানে ছিলেন ৷
আবদুল্লাহ ইবন মাযউন (বা)
তিনি উসমান ইবন মাযউন (রা)-এর ভাই ছিলেন ৷ তিনি হাবশায় হিজরত করেন এবং
বদর যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন ৷
অইিরায ইবন যুহইির (রা)
তার পুর্ণ নাম আবু সাঈদ ইবন আবু শাদ্দাদ ইবন রাবীয়াহ ইবন ইিলাল আল কারাশী
আল-ফিহরী (বা) ৷ তিনি বদ্যা এবং পরবর্তী যুদ্ধগুলোতে অং শগ্নহণ করেন ৷
মাসউদ ইবন রাবীয়াহ (বা)
তার পুর্ণ নাম আবু আমর মাসউদ ইবন রাবীয়াহ অথবা ইবনুব রাবী আল-কারী (বা) ৷
তিনি বদর ও এর পরবর্তী যুদ্ধগু?লাতে অংশ্যাহণ করেন ৷ তিনি ষাট বছরের অধিক বয়সে
ইনতিকাল করেন ৷
মামার ইবন আবু সারহ (বা)
তার পুর্ণ নাম আবু সাদ মামার অথবা আমর ইবন আবু সারহ ইবন হিলালআল কারাশী
আল-ফিহরী (রা) ৷ তিনি বদরের যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন এবং তিনি ছিলেন একজন প্রবীণ
সাহাবী (রা) ৷
আবু উসাইদ (বা)
তার পুর্ণ নাম আবু উসাইদ মালিক ইবন রাবীয়াহ (রা) ৷ ত্মাল-ফাল্পাস বলেন, “তিনি এ
বছরেই ইনতিকাল করেন ৷ অধিক শুদ্ধ মত হলো তিনি ৪০ হিজরীতে ইনতিকাল করেন ৷
আবার কেউ কেউ বলেন, ৬০ ইিজরীতে তিনি ইনতিকাল করেন ৷
أَعْنِي سَنَةَ ثَلَاثِينَ - أُبَيُّ بْنُ كَعْبٍ، فِيمَا صَحَّحَهُ الْوَاقِدِيُّ.
جَبَّارُ بْنُ صَخْرِ بْنِ أُمَيَّةَ بْنِ خَنْسَاءَ، أَبُو عَبْدِ اللَّهِ الْأَنْصَارِيُّ، عَقَبِيٌّ بَدْرِيٌّ، وَقَدْ بَعَثَهُ رَسُولُ اللَّهِ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، إِلَى خَيْبَرَ خَارِصًا، وَقَدْ تُوُفِّيَ عَنْ سِتِّينَ سَنَةً.
حَاطِبُ بْنُ أَبِي بَلْتَعَةَ عَمْرِو بْنِ عُمَيْرٍ اللَّخْمِيُّ، حَلِيفُ بَنِي أَسَدِ بْنِ عَبْدِ الْعُزَّى شَهِدَ بَدْرًا وَمَا بَعْدَهَا، وَهُوَ الَّذِي كَانَ كَتَبَ إِلَى الْمُشْرِكِينَ يُعْلِمُهُمْ بِعَزْمِ رَسُولِ اللَّهِ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، عَلَى فَتْحِ مَكَّةَ، فَعَذَرَهُ رَسُولُ اللَّهِ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، بِمَا اعْتَذَرَ بِهِ، ثُمَّ بَعَثَهُ بَعْدَ ذَلِكَ بِرِسَالَةٍ إِلَى الْمُقَوْقِسِ مَلِكِ الْإِسْكَنْدَرِيَّةِ.
الطُّفَيْلُ بْنُ الْحَارِثِ بْنِ الْمُطِّلِبِ، أَخُو عُبَيْدَةَ وَحُصَيْنٍ، شَهِدَ بَدْرًا. قَالَ: سَعِيدُ بْنُ عُمَيْرٍ: تُوُفِّيَ فِي هَذِهِ السَّنَةِ.
عَبْدُ اللَّهِ بْنُ كَعْبِ بْنِ عُمَرَ الْمَازِنِيُّ، أَبُو الْحَارِثِ - وَقِيلَ: أَبُو يَحْيَى - الْأَنْصَارِيُّ. شَهِدَ بَدْرًا وَكَانَ عَلَى الْخُمُسِ يَوْمَئِذٍ.
عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مَظْعُونٍ، أَخُو عُثْمَانَ بْنِ مَظْعُونٍ، هَاجَرَ إِلَى الْحَبَشَةِ، وَشَهِدَ بَدْرًا.
পৃষ্ঠা - ৫৭৩২
عِيَاضُ بْنُ زُهَيْرِ بْنِ أَبِي شَدَّادِ بْنِ رَبِيعَةَ بْنِ هِلَالٍ، أَبُو سَعْدٍ الْقُرَشِيُّ الْفِهْرِيُّ، شَهِدَ بَدْرًا وَمَا بَعْدَهَا.
مَسْعُودُ بْنُ رَبِيعَةَ وَقِيلَ: ابْنُ الرَّبِيعِ. أَبُو عَمْرٍو الْقَارِي، شَهِدَ بَدْرًا وَمَا بَعْدَهَا، تُوُفِّيَ عَنْ نَيِّفٍ وَسِتِّينَ سَنَةً.
مَعْمَرُ بْنُ أَبِي سَرْحِ بْنِ رَبِيعَةَ بْنِ هِلَالٍ الْقُرَشِيُّ، أَبُو سَعْدٍ الْفِهْرِيُّ. وَقِيلَ: اسْمُهُ عَمْرٌو. بَدْرِيٌّ قَدِيمُ الصُّحْبَةِ.
أَبُو أُسَيْدٍ مَالِكُ بْنُ رَبِيعَةَ، قَالَ الْفَلَّاسُ: مَاتَ فِي هَذِهِ السَّنَةِ. وَالْأَصَحُّ أَنَّهُ مَاتَ سَنَةَ أَرْبَعِينَ، وَقِيلَ: سَنَةَ سِتِّينَ، فَاللَّهُ أَعْلَمُ.