আল বিদায়া ওয়া আন্নিহায়া

ثم استهلت سنة أربع وعشرين

পৃষ্ঠা - ৫৭০৪

অড়ামীরুল মৃ’মিনীন হযরত উসমান ইবন আফফান (না)-এর
খিলাফত ২৪ হিজরী সনের প্রথম দিন

ইসলামের তৃতীয় খলীফা হযরত উসমান ইবন আফফান (রা) এর খিলাফতের প্রথম দিন
আমীরুল মু মিনীন হযরত উমর হবনুল খাত্তাব (রা)-ফে দাফন করা হয় ৷ আর এক বর্ণনা
অনুযায়ী দিনটি ছিল রবিবার ৷ তিনদিন পর আমীরুল মু’মিনীন হযরত উসমান ইবন আফফান
(রা) এর হাতে বাইয়াত গ্রহণ করা হয় ৷

হযরত উমর (রা) খিলাফতে র বিষয়টি ৬ সদস্য বিশিষ্ট একটি মজলিসে সুরার উপর ন্যস্ত
করেছিলেন ৷ তারা হলেন উসমান ইবন আফ্ফান (রা), আলী ইবন আবুতা তালিব (রা), তালহা
ইবন উবাইদৃল্লাহ (রা), আয-যুবাইর ইবনুল আওয়াম (বা), না দ ইবন আবু ওয়াক্কাস (রা),
আবদুর রহমান ইবন আউফ (বা) ৷ এ ছয়জনের মধ্য থেকে কোন একজনের জন্য খিলাফতের
বিষয়টি পুর্ব নির্ধারণ করা ক্ষতিকর বলেও তিনি মনে করেন এবং বলেন, আমি জীবিত কিৎবা
মক্যুর পর ন্হ্বদের একাজের দায়িশ্ হু বহন করতে চ ই না ৷ মহান আল্লাহ যদি তোমাদের প্রতি
কল্যাণ চান তাহলে তাদের মধ্যে যিনি সবচেয়ে ভাল তার ব্যাপারে একমত হওয়ার তোফিক
প্রদান করবেন ৷ যেমন রাসুলুল্লাহ্ন্;গাং এর পরে তোমাদের মধ্য হতে সর্বোত্তম ব্যক্তি সম্পর্কে
একমত হ ওয়ার তৌফিক দিয়েছিলেন ৷

হযরত উমর (রা)-এর মধ্যে পরিপুর্ণ পরহেযগারীর প্রমাণ পাওয়া যায় ৷ তিনি মজলিসে
শুরার মধ্যে সাঈদ ইবন যড়ায়িদ ইবন আমর ইবন নুফাইল (রা)-কে অন্তর্ভুক্ত করেন নি ৷
কেননা, তিনি ছিলেন তার চাতাত তাই ৷ তিনি আশংকা করেছিলেন যে, তার চাচাত ভাই
হওয়ার কারণে খিলাফতের ক্ষেত্রে তাকে হয়ত প্রাধান্য দেওয়া হতে পারে ৷ এজন্যে তিনি তাকে
সম্পৃক্ত করেন নি ৷ অথচ তিনি তাদের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত ছিলেন যাদের জান্নন্তে যাওয়ার বিষয়টি
সম্পর্কে রাসুলুল্লাহ্ শ্র্দুছুট্রু সাক্ষ্য প্রদান করেছিলেন ৷ বরং আল্লামা আল-মাদায়িনী তার ওস্তাদ
থেকে প্রাপ্ত এটি বর্ণনায় বলেছিলেন যে, হযরত উমর (রা) তাকে তাদের থেকে পৃথক করে
রেখেছিলেন এবং তিনি বলেছিলেন, “আমি তাকে তাদের মধ্যে প্রবেশ করাতে রাষী নই ৷
আবার মজলিসে শুরার লোকজনকে তিনি বলে রাখলেন যে, আমার ছেলে আবদুল্লাহ তোমাদের
মজলিসে উপস্থিত হয়ে কিন্তু তার জন্যে খিলাফতের কোন অংশ নেই অর্থাৎ তিনি শুধু পরামর্শ
দেওয়ার জন্যে হাযির হতে পারবেন, খিলাফতের অংশ দাবি করার জন্যে নয় ৷”

হযরত উমর (বা) আরো ওসীয়ত করেন, তার মৃত্যুর পর সুহাইব ইবন সিনান আর-রুমী
(বা) তিন দিন পর্যন্ত সালাতে র ইমামতি করবেন ৷ এ তিন দিন পর মজলিসে শুরার সদস্যগণ
ঐকমত্য পােছবেন এবংজ জনণণের কাছে বিষয়টি উত্থাপন করে স্থির করবেন ৷ তাদের সাহায্য


[ثُمَّ اسْتَهَلَّتْ سَنَةُ أَرْبَعٍ وَعِشْرِينَ] [دَفْنُ أَمِيرِ الْمُؤْمِنِينَ عُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ وَمُبَايَعَةُ عُثْمَانَ بْنِ عَفَّانَ أَمِيرًا لِلْمُؤْمِنِينَ] فَفِي أَوَّلِ يَوْمٍ مِنْهَا دُفِنَ أَمِيرُ الْمُؤْمِنِينَ عُمَرُ بْنُ الْخَطَّابِ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، وَذَلِكَ يَوْمَ الْأَحَدِ فِي قَوْلٍ. وَبَعْدَ ثَلَاثِ أَيَّامٍ بُويِعَ لِأَمِيرِ الْمُؤْمِنِينَ عُثْمَانَ بْنِ عَفَّانَ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ. [خِلَافَةُ أَمِيرِ الْمُؤْمِنِينَ عُثْمَانَ بْنِ عَفَّانَ] َ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ كَانَ عُمَرُ بْنُ الْخَطَّابِ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، قَدْ جَعَلَ الْأَمْرَ بَعْدَهُ شُورَى بَيْنَ سِتَّةِ نَفَرٍ، وَهُمْ: عُثْمَانُ بْنُ عَفَّانَ، وَعَلِيُّ بْنُ أَبِي طَالِبٍ، وَطَلْحَةُ بْنُ عُبَيْدِ اللَّهِ، وَالزُّبَيْرُ بْنُ الْعَوَّامِ، وَسَعْدُ بْنُ أَبِي وَقَّاصٍ، وَعَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ عَوْفٍ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمْ. وَتَحَرَّجَ أَنْ يَجْعَلَهَا إِلَى وَاحِدٍ مِنْ هَؤُلَاءِ عَلَى التَّعْيِينِ، وَقَالَ: لَا أَتَحَمَّلُ أَمْرَكُمْ حَيًّا وَمَيِّتًا، وَإِنْ يُرِدِ اللَّهُ بِكُمْ خَيْرًا يَجْمَعْكُمْ عَلَى خَيْرِ هَؤُلَاءِ، كَمَا جَمَعَكُمْ عَلَى خَيْرِكُمْ بَعْدَ نَبِيِّكُمْ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ. وَمِنْ تَمَامِ وَرَعِهِ لَمْ يَذْكُرْ فِي أَهْلِ الشُّورَى سَعِيدَ بْنَ زَيْدِ بْنِ عَمْرِو بْنِ نُفَيْلٍ؛ لِأَنَّهُ ابْنُ عَمِّهِ خَشِيَ أَنْ يُرَاعَى فَيُوَلَّى لِكَوْنِهِ ابْنَ عَمِّهِ، فَلِذَلِكَ تَرَكَهُ، وَهُوَ أَحَدُ الْعَشْرَةِ الْمَشْهُودِ لَهُمْ بِالْجَنَّةِ بَلْ جَاءَ فِي رِوَايَةِ الْمَدَائِنِيِّ، عَنْ شُيُوخِهِ أَنَّهُ اسْتَثْنَاهُ مِنْ بَيْنِهِمْ وَقَالَ: لَسْتُ مُدْخِلَهُ فِيهِمْ. وَقَالَ لِأَهْلِ الشُّورَى: يَحْضُرُكُمْ عَبْدُ اللَّهِ - يَعْنِي ابْنَهُ - وَلَيْسَ لَهُ مِنَ الْأَمْرِ شَيْءٌ؛ بَلْ يَحْضُرُ الشُّورَى وَيُشِيرُ بِالنُّصْحِ
পৃষ্ঠা - ৫৭০৫


সহায়তার জন্যে পঞ্চাশজন মুসলিম ব্যক্তিকে নিযুক্ত করলেন ৷ আর তাদের মধ্যে সমম্বয়কারী
হিসেবে কাজ করবেন আবু তালহা আল-আনসারী ও আল মিকদাদ ইবন আল-আসওয়াদ
আল-কিন্দি ৷

হযরত উমর ইবনুল খাত্তাব (রা) বলেছিলেন, “আমি ধারণা করি না যে, জনগণ উসমান
(বা) এবং আলী (রা) কে সমতুল্য মনে করবে যদিও তারা দুজনে রাসুলুল্লাহ্মোঃ এর সামনে
হযরত জিবরাঈল (আ) এর দেওয়া আল্লাহর ওহী লিপিবদ্ধ করতে ন ৷ ইতিহাসবিদগণ বলেন,
যখন হযরত উমর (রা) শান্ খ্ড়াদত লাভ করেন এবং তার জানাযাকে প্রস্তুত করা হয়, তখন
সালাতে জানাযা পরিচালনা করার (ইমামতি) জন্য হযরত আলী (রা) এবং হযরত উসমান (রা)
দুইজনেই এগিয়ে আসেন যাতে র্তারা সালাতে জানাযার ইমামতি করতে পারেন ৷ হযরত
আবদুর রহমান ইবন আউফ (রা) তাদেরকে বললেন, তোমাদের দৃইজনের কোন একজন এটা
করতে পারবে না , ইমামতি করার জন্যে হযরত সুহাইব (রা)-কে হযরত উমর (রা) নির্দেশ
দিয়ে গিয়েছেন ৷ তারপর হযরত সুহাইব (রা) এগিয়ে আসেন এবং সালাতে জানযো জনগণকে
নিয়ে সম্পাদন করেন ৷ মজলিসে শুরার সদস্যগণ হযরত উমর (রা)-এর ছেলে আবদুল্লাহ
(রা)-এর সাথে কবরে অবতরণ করেন ৷ মজলিসে শুরার সদস্যদের মধ্যে হযরত তালহা (রা)
অনুপস্থিত থাকায় কবরে অবতরণ করতে পারেন নি ৷ হযরত উমর (রা)-এর কাফন-দাফন
শেষ হওয়ার পর হযরত আল মিকদাদ ইবন আল-আসওয়াদ (রা) মজলিসে শুরার
সদস্যদেরকে আল-মিসওয়ার ইবন মাখরামা (রা)-এর ঘরে একত্রিত করেন ৷

কেউ কেউ বলেন, হযরত আয়েশা সিদ্দীকা (রা)-এর হুজরড়ায় একত্রিত করেন ৷ আবার
কেউ কেউ বলেন, কােষাপারে একত্রিত করেন ৷ আবার কেউ কেউ বলেন, আদ-দুহাক ইবন
কাইস (রা) এর ভগ্নি ফাতিমা বিনত কইিস (রা)-এর ঘরে একত্রিত করেন ৷ প্রথম অভিমত
বেশি গ্রহণীয় ৷ মহান আল্লাহ অধিক পরিজ্ঞাত ৷ তড়ারা সকলে ঘরের ভিতরে বলেন এবং আবু
তালহা (বা) তাদের দ্বারে খিদমতে নিয়োজিত ছিলেন ৷ আমর ইবনুল আস (রা) এবং
আল-মুগীরা ইবন শুঝহ (রা) আগমন করলেন ও দরজার পেছনের দিকে বললেন ৷ সাদ ইবন
আবু ওয়াক্কাস (বা) তাদের দিকে ছোট ছোট পাথর নিক্ষেপ করেন এবং তাদেরকে বের করে
দেন ও বলেন, তেড়ামরা দুইজন এসেছ তাহলে তোমরা বলতে পারবে আমরাতো পরামর্শ সভায়
উপস্থিত ছিলাম, তাই না ? এ ঘটনাটি আল্লামা মাদায়িনী তার ওস্তাদদের থেকে বর্ণনা
করেছেন ৷ এটার শুদ্ধতা সম্পর্কে মহান আল্লাহ অধিক পরিজ্ঞাত ৷

বন্তুত মজলিসে শুরার সদস্যগণ জনগণ থেকে পৃথক হয়ে ঘরে ঢুকলেন এবং তাদের
ব্যাপারে পরামর্শ করতে লাগলেন ৷ তারপর কাথাবার্তা চলতে লাগল এবং উভৈচ্চ৪স্বরে
অনেকক্ষণ আলোচনা হতে লাগল ৷ আবুতালহা (রা) বলেন, “আমি ধারণা করেছিলাম যে,
তোমরা এ, বিষয়টি নিয়ে ঠেলাঠেলি করবে কিত্তু কোন দিনও ভাবিনি যে, তোমরা এ দায়িতৃ
গ্রহণ নিয়ে কাড়াকাড়ি শুরু করবে ৷ তারপর হযরত তালহা (রা) উপস্থিত হওয়ার পর তাদের
তিনজন অপর তিনজনের প্রতি দায়িত্ব সমর্পণ করেন ৷ আয-যুবাইর (রা) তার খিলাফতের
অধিকারকে হযরত আলী ইবন আবু তালিব (রা) এর প্রতি সমর্পণ করেন ৷ সা দ (বা) তার
অধিকারকে আবদুর রহমান ইবন আউফ (রা) এর প্রতি সমর্পণ করেন ৷ তালহা (বা) তার
অধিকারকে উসমান ইবন আফ্ফান (রা) এর প্ৰতি সমর্পণ করেন ৷


وَلَا يُوَلَّى شَيْئًا. وَأَوْصَى أَنْ يُصَلِّيَ بِالنَّاسِ صُهَيْبُ بْنُ سِنَانٍ الرُّومِيُّ ثَلَاثَةَ أَيَّامٍ حَتَّى تَنْقَضِيَ الشُّورَى، وَأَنْ يَجْتَمِعَ أَهْلُ الشُّورَى وَيُوَكَّلَ بِهِمْ أُنَاسٌ حَتَّى يَنْبَرِمَ الْأَمْرُ وَوَكَّلَ بِهِمْ خَمْسِينَ رَجُلًا مِنَ الْمُسْلِمِينَ وَجَعَلَ عَلَيْهِمْ مُسْتَحِثًّا أَبَا طَلْحَةَ الْأَنْصَارِيَّ، وَالْمِقْدَادَ بْنَ الْأُسُودِ الْكِنْدِيَّ. وَقَدْ قَالَ عُمَرُ بْنُ الْخَطَّابِ: مَا أَظُنُّ النَّاسَ يَعْدِلُونَ بِعُثْمَانَ وَعَلِيٍّ أَحَدًا؛ إِنَّهُمَا كَانَا يَكْتُبَانِ الْوَحْيَ بَيْنَ يَدَيْ رَسُولِ اللَّهِ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، مِمَّا يَنْزِلُ بِهِ جِبْرِيلُ عَلَيْهِ. قَالُوا: فَلَمَّا مَاتَ عُمَرُ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، وَأُحْضِرَتْ جِنَازَتُهُ تَبَادَرَ إِلَيْهَا عَلِيٌّ وَعُثْمَانُ أَيُّهُمَا يُصَلِّي عَلَيْهِ، فَقَالَ لَهُمَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ عَوْفٍ لَسْتُمَا مِنْ هَذَا فِي شَيْءٍ، إِنَّمَا هَذَا إِلَى صُهَيْبٍ الَّذِي أَمَرَهُ عُمَرُ أَنْ يُصَلِّيَ بِالنَّاسِ. فَتَقَدَّمَ صُهَيْبٌ وَصَلَّى عَلَيْهِ. وَنَزَلَ فِي قَبْرِهِ مَعَ ابْنِهِ عَبْدِ اللَّهِ أَهْلُ الشُّورَى سِوَى طَلْحَةَ فَإِنَّهُ كَانَ غَائِبًا. فَلَمَّا فُرِغَ مِنْ شَأْنِ عُمَرَ جَمَعَهُمُ الْمِقْدَادُ بْنُ الْأَسْوَدِ فِي بَيْتِ الْمِسْوَرِ بْنِ مَخْرَمَةَ، وَقِيلَ: فِي حُجْرَةِ عَائِشَةَ. وَقِيلَ: فِي بَيْتِ الْمَالِ. وَقِيلَ: فِي بَيْتِ فَاطِمَةَ بِنْتِ قَيْسٍ أُخْتِ الضَّحَّاكِ بْنِ قَيْسٍ. وَالْأَوَّلُ أَشْبَهُ. وَاللَّهُ أَعْلَمُ. فَجَلَسُوا فِي الْبَيْتِ، وَقَامَ أَبُو طَلْحَةَ يَحْجُبُهُمْ، وَجَاءَ عَمْرُو بْنُ الْعَاصِ، وَالْمُغِيرَةُ بْنُ شُعْبَةَ فَجَلَسَا مِنْ وَرَاءِ الْبَابِ، فَحَصَبَهُمَا سَعْدُ بْنُ أَبِي وَقَّاصٍ، وَطَرَدَهُمَا، وَقَالَ: جِئْتُمَا لِتَقُولَا: حَضَرْنَا أَمْرَ الشُّورَى! رَوَاهُ الْمَدَائِنِيُّ عَنْ مَشَايِخِهِ، وَاللَّهُ أَعْلَمُ بِصِحَّتِهِ. وَالْمَقْصُودُ أَنَّ الْقَوْمَ خَلَصُوا مِنَ النَّاسِ فِي بَيْتٍ يَتَشَاوَرُونَ فِي أَمْرِهِمْ فَكَثُرَ
পৃষ্ঠা - ৫৭০৬


তারপর আবদুর রহমান ইবন আউফ (রা) হযরত আলী (রা) ও হযরত উসমান (রা)-ফে
লক্ষ্য করে বলেন, তোমাদের মধ্য যে আছে যে, এ খিলাফতের ব্যাপার থেকে সরে র্দাড়াবে
এবং আমরা তার প্ৰতি দায়িত্ব দেব সে যেন বাকি দুইজনের মধ্য হতে উত্তম ব্যক্তিকে আমীর
হিসেবে নির্ধারণ যেন করে দেয় ৷ হযরত আলী (রা) ও হযরত উসমান (রা) দুইজনের উভয়ে
চুপ কর রইলেন ৷ তখন আবদুর রহমান ইবন আউফ (রা) বলেন, “আমি খিলাফতের বিষয়
হতে আমার অধিকার প্রত্যাহার করলাম ৷ আল্লাহ শপথ! এখন আমার উপর দায়িত্ব অর্পিত
হলো আমি কি ইসলামের খাতিরে তোমাদের মধ্য হতে অধিক যােণ্য ব্যক্তিকে আমীর হিসেবে
নির্ধারণ করার জন্যে প্রাণপণ চেষ্টা করব? তারা বলেন, হ্যা ৷ তারপর তিনি তাদের প্রত্যেককেই
লক্ষ্য করে তাদের গুণাবলী সম্বন্ধে স্মরণ করিয়ে দেন এবং তাদের প্রা,তাকের কাছ থেকে ওয়াদা
অঙ্গীকার নেন যে, যদি তিনি আমীর হন তাহলে তিনি ন্যায় বিচাছুট্রুকরবেন ৷ আর যদি তিনি
আমীর হতে না পারেন তাহলে আমীরের কথা তিনি অবশ্যই শুনবেন এবং আমীরের বাধ্যগত
থাকবেন ৷ তারা উভয়েই বললেন, হ্যা, তারপর তারা বিদায় হয়ে গেলেন ৷

এরুপও বর্ণনা করা হয়েছে যে, মজলিসে শুরার সদস্যগণ খিলাফতের বিষয়টি আবদুর
রহমান ইবন আউফ (রা)-এর কাছে সমর্পণ করেন ৷ তাহলে তিনি যেন প্রাণপণ চেষ্টা করে
মুসলমানদের জরু৫ষ্দ্র সর্বোত্তম একজন আমীর নির্ধারণ করেন ৷ এটাও উল্লেখ করা হয়েছে যে,
তিনি মজলিসে শুরার সদস্য ও অন্যান্য সম্ভাব্য সকলের কাছে প্রশ্ন রেখেছেন তারা সকলে
উসমান ইবন অড়াফ্ফান (রা)-এর প্রতি ইংগিত করেন ৷ তারপর আবদুর রহমান ইবন আউফ
(রা) হযরত আলী (রা)-কে বলেন, যদি আমার পক্ষে তোমাকে আমীর নিযুক্ত করা সম্ভব না হয়
তাহলে তুমি কার সম্পর্কে আমার কাছে প্রস্তাব রাখবে ? উত্তরে তিনি বলেন, উসমান (রা) ৷ ’
আর হযরত উসমান (রা) কে তিনি জিজ্ঞেস করেন, যদি আমার পক্ষে তে তামাকে আমীর নিযুক্ত
করা সম্ভব না হয় তাহলে তুমি কার সম্পর্কে আমার কাছে প্রস্তাব রাখবে ? উত্তরে তিনি বলেন
আলী ইবন আবু৩ তালিব (রা) ৷

প্রকণ্যেত বোঝা যায় যে, খিলাফতে ন্র বিষয়টি তিনজনের মধ্যে সীমাবদ্ধ হবার পুর্বেও
শ্রেষ্ঠ৩ ম আমীর নির্বাচনের লক্ষে আবদুর রহমান ইবন আউফ (রা) অধিকার প্রত্যাহার করার

পুর্বে এ কথোপকথনটি অনুষ্ঠিত হয়েছিল ৷ আল্লাহর শপথ ! ইসলামের খাতিরে তিনি দুইজনের
উত্তম ব্যক্তিকে আমীর নির্ধারণ করার প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে তারপর আবদুর রহমান ইবন
আউফ (বা) তাদের সম্বন্ধে জনগণের সাথে পরামর্শ করেন এবং মুসলমানদের বিশিষ্ট
নেতা-কর্মীদের মতামতের নিরীখে সাধারণ মুসলমানদের সমষ্টিগত ও পৃথক পৃথক প্রকাশ্যে ন্
অপ্রকাশ্যে মতামত সং গ্রহ করেন ৷ তারপর তিনি পর্দানশীন মহিলাদের কাছে গমন করেন,

তাদেরকে জিজ্ঞেস করেন, প্রতিষ্ঠানে অধ্যয়নরত দে লে মেয়েদের জিজ্ঞেস করেন ৷ তিন দিন
তিন রাতের মধ্যে মদীনায় আগত ব্যবসায়ী কাফেলা ও বেদুঈন সদস্যবৃন্দের মতামত গ্রহণ
করেন ৷ তিনি উসমান ইবন আফফান (রা) এর অগ্রড়াধিকারের ক্ষেত্রে কোন দুইজনের
মতবিরোধ দেখতে পাননি ৷ তবে আম্মার (রা) ও আল মিকদাদ (রা) থেকে বর্ণিত রয়েছে যে,
তারা আলী ইবন আবু৩ তালিব (রা) এর প্ৰতি ইং গিত করেছেন ৷ পরে অবশ্য তারা জনগণের
সমভিব্যাহরে বাইয়াত গ্রহণ করেন ৷


الْقَوْلُ، وَعَلَتِ الْأَصْوَاتُ، وَقَالَ أَبُو طَلْحَةَ: إِنِّي كُنْتُ أَظُنُّ أَنْ تَدَافَعُوهَا، وَلَمْ أَكُنْ أَظُنُّ أَنْ تَنَافَسُوهَا. ثُمَّ صَارَ الْأَمْرُ بَعْدَ حُضُورِ طَلْحَةَ إِلَى أَنْ فَوَّضَ ثَلَاثَةٌ مِنْهُمْ مَا لَهُمْ فِي ذَلِكَ إِلَى ثَلَاثَةٍ؛ فَفَوَّضَ الزُّبَيْرُ مَا يَسْتَحِقُّهُ مِنَ الْإِمَارَةِ إِلَى عَلِيٍّ، وَفَوَّضَ سَعْدٌ مَا لَهُ فِي ذَلِكَ إِلَى عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ عَوْفٍ وَتَرَكَ طَلْحَةُ حَقَّهُ لِعُثْمَانَ بْنِ عَفَّانَ، فَقَالَ عَبْدُ الرَّحْمَنِ لِعَلِيٍّ وَعُثْمَانَ: أَيُّكُمَا يَبْرَأُ مِنْ هَذَا الْأَمْرِ فَنُفَوِّضَ الْأَمْرَ إِلَيْهِ، وَاللَّهُ عَلَيْهِ وَالْإِسْلَامُ، لَيُوَلِّيَنَّ أَفْضَلَ الرَّجُلَيْنِ الْبَاقِيَيْنِ. فَأُسْكِتَ الشَّيْخَانِ عَلِيٌّ وَعُثْمَانُ، فَقَالَ عَبْدُ الرَّحْمَنِ: فَإِنِّي أَتْرُكُ حَقِّي مِنْ ذَلِكَ، وَاللَّهُ عَلَيَّ وَالْإِسْلَامُ أَنْ أَجْتَهِدَ فَأُوَلِّيَ أَوْلَاكُمَا بِالْحَقِّ. فَقَالَا: نَعَمْ. ثُمَّ خَاطَبَ كُلَّ وَاحِدٍ مِنْهُمَا بِمَا فِيهِ مِنَ الْفَضْلِ، وَأَخَذَ عَلَيْهِ الْعَهْدَ وَالْمِيثَاقَ لَئِنْ وَلَّاهُ لَيَعْدِلَنَّ وَلَئِنْ وُلِّيَ عَلَيْهِ لَيَسْمَعَنَّ وَلَيُطِيعَنَّ، فَقَالَ كُلٌّ مِنْهُمَا: نَعَمَ. ثُمَّ تَفَرَّقُوا. وَيُرْوَى أَنَّ أَهْلَ الشُّورَى جَعَلُوا الْأَمْرَ إِلَى عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ عَوْفٍ؛ لِيَجْتَهِدَ لِلْمُسْلِمِينَ فِي أَفْضَلِهِمْ فَيُوَلِّيَهُ. فَيُذْكَرُ أَنَّهُ سَأَلَ كُلَّ مَنْ يُمْكِنُهُ سُؤَالُهُ مِنْ أَهْلِ الشُّورَى وَغَيْرِهِمْ، فَلَا يُشِيرُ إِلَّا بِعُثْمَانَ بْنِ عَفَّانَ حَتَّى أَنَّهُ قَالَ لِعَلِيٍّ: أَرَأَيْتَ إِنْ لَمْ أُوَلِّكَ، فَمَنْ تُشِيرُ بِهِ؟ قَالَ: بِعُثْمَانَ. وَقَالَ لِعُثْمَانَ: أَرَأَيْتَ إِنْ لَمْ أُوَلِّكَ، فَمَنْ تُشِيرُ بِهِ؟ قَالَ: بِعَلِيِّ بْنِ أَبِي طَالِبٍ. وَالظَّاهِرُ أَنَّ هَذَا كَانَ قَبْلَ أَنْ يَنْحَصِرَ الْأَمْرُ فِي ثَلَاثَةٍ، وَيَنْخَلِعَ عَبْدُ الرَّحْمَنِ مِنْهَا لِيَنْظُرَ الْأَفْضَلَ، وَاللَّهُ عَلَيْهِ وَالْإِسْلَامُ لَيَجْتَهِدَنَّ فِي أَفْضَلِ الرَّجُلَيْنِ فَيُوَلِّيهِ.
পৃষ্ঠা - ৫৭০৭


আবদুর রহমান ইবন আউফ্ (রা) তিনদিন তিন রাত সুখময় নিদ্র৷ ত্যাগ করে সালাত,
দৃআ ও ইসতিখারায় কাটান এবং বুদ্ধিজীবীদের কাছে নানাবিধ প্রশ্ন জিজ্ঞেস করেন ৷ উসমান
ইবন আফ্ফান (রা)-এর পক্ষের ভোটের সমতুল্য কারো পক্ষে তিনি জনমত পাননি ৷ হযরত
উমর (রা) এর শাহাদাতের পর যখন তিনদিন অতিবাহিত হয়ে :চতুর্থ দিনের রাত ঘনিয়ে আসে
তিনি তার বোনের ছেলে আল মিসওয়ার ইবন মাখরামা (রা)-এর ঘরে পৌছে বলেন, হে
মিসওয়ার (রা) ঘুমে নাকাি আল্লাহর শপথ ! তিনদিন যাবত আমি সুখময় নিদ্র৷ হতে বিরত
রয়েছি ; তুমি যাও এবং আমার কাছে আলী (রা) ও উসমান (রা)-কে ডেকে চুআন ৷ মিসওয়ার
(রা) বলেন, তাদের দৃইজনের মধ্যে কাকে প্রথম বলব? তিনি বললেন, “তোমার যাকে ইচ্ছে
তাকে প্রথম বলবে ৷”

বর্ণনাকারী বলেন, “প্রথম আমি হযরত আলী (রা)-এর কাছে গেলাম এবং বললাম, আমার
মামার ডাকে সাড়া দিন ৷ হযরত আলী (রা) বললেন, “আমার সাথে কি অন্য কাউকে ডাকার
জান্য তোমাকে তোমার মামা আদেশ করেছেন ?” আমি বললাম, ইা৷ ৷’ তিনি বললেন, “কে
তিনি ?” আমি বললাম, তিনি হলেন, উসমান ইবনৃ আফ্ফান (বা) ৷ তিনি পুনরায় বলেন,
“প্রথমে আমাদের মধ্যে কার কথা তিনি বলেছেন ?” আমি বললাম, “এ ব্যাপারে আমাকে তিনি
কোন নির্দেশ দেননি বরং আমাকে বলেছেন, তাদের যে কোন একজনকে প্রথমে আমার কাছে
ডেকে আন ৷ তাই, আমি আপনার কাছে আগমন করলাম ৷” তারপর তিনি আমার সাথে বের
হয়ে এলেন ৷

তারপর যখন আমরা উসমান ইবন আফ্ফান (রা)এর ঘরে পৌছলাম, আলী (রা) দরজায়
বসে পড়লেন এ ৎ আমি ভিতরে পেলাম ৷ দেখতে পেলাম তিনি সালাতে ফজরের পুর্বে বিভবের
সালাত আদায় করছেন ৷ তিনিও আমাকে এরুপই বললেন যেরুপ আলী (রা) বলেছিলেন ৷
তারপর তিনি বের হয়ে আসলেন ৷ আমি তাদের দুইজনকে নিয়ে আমার মামার কাছে
পৌছলাম ৷ এসে দেখি তিনি সালাত আদায় করছেন ৷ সালাত সমাপ্তির পর তিনি হযরত আলী

(রা) ও হযরত উসমান (রা) এর দিকে দৃষ্টি নিক্ষেপ করলেন ও বললেন, আমি তোমাদের
সম্বন্ধে জনগণকে জিজ্ঞেস করেছি, তোমাদের সম্পর্কে একজনকে অপরজনের সমত তুল্য পাই
নাই ৷৩ তারপর দৃইজনের প্রত্যেবেহ্ব কাছ থেকে তিনি অঙ্গীকার নিলেন যে, তাদের কাউকে যদি
আমীর নিয়োগ করা হয় তাহলে তিনি অবশ্যই ন্যায় বিচার করবেন ৷ আর যদি তাকে আমীর
নিয়োগ না করা হয় তাহলে তিনি আমীরের কথা অবশ্যই শুনবেন ও তার আনুগত্য স্বীকার
করবেন ৷ তারপর তারুব্ব দৃইত্তানকে নিয়ে মসজিদের দিকে রওয়ানা হলেন ৷ ’শ্

আবদুর রহমান ইবন আউফ (বা) ঐ পাগড়িটি মাথায় বাধলেন যা রাসুলুল্লাহ্শ্যার্মু তার
মাথায় বেধে দিয়েছিলেন এবং একটি তলোয়ার কােমরে বাধলেন ৷ মুহাজির ও আনসারদের
প্রসিদ্ধ ব্যক্তিদের কাছে লোক প্রেরণ করলেন এবং সাধারণ জনগণের মাঝে ঘোষণা করলেন,
সালাত অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে ৷ মসজিদ লোকে নােকারণ্য হয়ে গেল, তিল ধরার মত জায়গা
রইল না ৷ এমনকি হযরষ্ : উসমান (রা) এসে বনন্যে জায়গা পেলেন না ৷ তিনি সকলের পেছনে
বসতে বাধ্য হলেন ৷ আর তিনি ছিলেন অত্যন্ত লাজুক ৷ তারপর আবদুর রহমান ইবন আউফ
(রা) রাসুলুল্লাহ্ত্রু-এর মিম্বরে আরোহণ করেন ৷ অনেকক্ষণ দণ্ডায়মান রইলেন এবং দীর্ঘ

৩৪


ثُمَّ نَهَضَ عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ عَوْفٍ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، يَسْتَشِيرُ النَّاسَ فِيهِمَا وَيَجْتَمِعُ بِرُءُوسِ النَّاسِ وَأَجْنَادِهِمْ؛ جَمِيعًا وَأَشْتَاتًا، مَثْنَى وَفُرَادَى وَمُجْتَمِعِينَ، سِرًّا وَجَهْرًا، حَتَّى خَلَصَ إِلَى النِّسَاءِ الْمُخَدَّرَاتِ فِي حِجَابِهِنَّ، وَحَتَّى سَأَلَ الْوِلْدَانَ فِي الْمَكَاتِبِ، وَحَتَّى سَأَلَ مَنْ يَرِدُ مِنَ الرُّكْبَانِ وَالْأَعْرَابِ إِلَى الْمَدِينَةِ، فِي مُدَّةِ ثَلَاثَةِ أَيَّامٍ بِلَيَالِيهَا، فَلَمْ يَجِدِ اثْنَيْنِ يَخْتَلِفَانِ فِي تَقْدِيمِ عُثْمَانَ بْنِ عَفَّانَ؛ إِلَّا مَا يُنْقَلُ عَنْ عَمَّارٍ وَالْمِقْدَادِ أَنَّهُمَا أَشَارَا بِعَلِيِّ بْنِ أَبِي طَالِبٍ، ثُمَّ بَايَعَا مَعَ النَّاسِ عَلَى مَا سَيُذْكَرُ. فَسَعَى فِي ذَلِكَ عَبْدُ الرَّحْمَنِ ثَلَاثَةَ أَيَّامٍ بِلَيَالِيهَا لَا يَغْتَمِضُ بِكَثِيرِ نَوْمٍ إِلَّا صَلَاةً وَدُعَاءً وَاسْتِخَارَةً، وَسُؤَالًا مِنْ ذَوِي الرَّأْيِ وَغَيْرِهِمْ، فَلَمْ يَجِدْ أَحَدًا يَعْدِلُ بِعُثْمَانَ بْنِ عَفَّانَ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ. فَلَمَّا كَانَتِ اللَّيْلَةُ الَّتِي يُسْفِرُ صَبَاحُهَا عَنِ الْيَوْمِ الرَّابِعِ مِنْ مَوْتِ عُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ، جَاءَ إِلَى مَنْزِلِ ابْنِ أُخْتِهِ الْمِسْوَرِ بْنِ مَخْرَمَةَ، فَقَالَ: أَنَائِمٌ يَا مِسْوَرُ! وَاللَّهِ لَمْ أَغْتَمِضْ بِكَثِيرِ نَوْمٍ مُنْذُ ثَلَاثٍ، اذْهَبْ فَادْعُ لِي عَلِيًّا وَعُثْمَانَ. قَالَ الْمِسْوَرُ: فَقُلْتُ: بِأَيِّهِمَا أَبْدَأُ؟ فَقَالَ: بِأَيِّهِمَا شِئْتَ. قَالَ: فَذَهَبْتُ إِلَى عَلِيٍّ، فَقُلْتُ: أَجِبْ خَالِي. فَقَالَ: أَمَرَكَ أَنْ تَدْعُوَ مَعِيَ أَحَدًا؟ قُلْتُ: نَعَمْ. قَالَ: مَنْ؟ قُلْتُ: عُثْمَانَ بْنَ عَفَّانَ. قَالَ: بِأَيِّنَا بَدَأَ؟ قُلْتُ: لَمْ يَأْمُرْنِي بِذَلِكَ، بَلْ قَالَ: ادْعُ أَيَّهُمَا شِئْتَ أَوَّلًا. فَجِئْتُ إِلَيْكَ. قَالَ: فَخَرَجَ مَعِي، فَلَمَّا مَرَرْنَا بِدَارِ عُثْمَانَ بْنِ عَفَّانَ،
পৃষ্ঠা - ৫৭০৮
جَلَسَ عَلِيٌّ حَتَّى دَخَلْتُ فَوَجَدْتُهُ يُوتِرُ مَعَ الْفَجْرِ، فَدَعَوْتُهُ، فَقَالَ لِي كَمَا قَالَ لِي عَلِيٌّ سَوَاءً، ثُمَّ خَرَجَ، فَدَخَلْتُ بِهِمَا عَلَى خَالِي وَهُوَ قَائِمٌ يُصَلِّي، فَلَمَّا انْصَرَفَ أَقْبَلَ عَلَى عَلِيٍّ وَعُثْمَانَ فَقَالَ: إِنِّي قَدْ سَأَلْتُ النَّاسَ عَنْكُمَا، فَلَمْ أَجِدْ أَحَدًا يَعْدِلُ بِكُمَا أَحَدًا. ثُمَّ أَخَذَ الْعَهْدَ عَلَى كُلٍّ مِنْهُمَا أَيْضًا لَئِنْ وَلَّاهُ لَيَعْدِلَنَّ، وَلَئِنْ وَلَّى عَلَيْهِ لَيَسْمَعَنَّ وَلِيُطِيعَنَّ، ثُمَّ خَرَجَ بِهِمَا إِلَى الْمَسْجِدِ وَقَدْ لَبِسَ عَبْدُ الرَّحْمَنِ الْعِمَامَةَ الَّتِي عَمَّمَهُ بِهَا رَسُولُ اللَّهِ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَتَقَلَّدَ سَيْفًا، وَبَعَثَ إِلَى وُجُوهِ النَّاسِ مِنَ الْمُهَاجِرِينَ وَالْأَنْصَارِ وَنُودِيَ فِي النَّاسِ عَامَّةً: الصَّلَاةُ جَامِعَةٌ. فَامْتَلَأَ الْمَسْجِدُ حَتَّى غَصَّ بِالنَّاسِ، وَتَرَاصَّ النَّاسُ، وَتَرَاصُّوا حَتَّى لَمْ يَبْقَ لِعُثْمَانَ مَوْضِعٌ يَجْلِسُ فِيهِ إِلَّا فِي أُخْرَيَاتِ النَّاسُ - وَكَانَ رَجُلًا حَيِيًّا، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ - ثُمَّ صَعِدَ عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ عَوْفٍ مِنْبَرَ رَسُولِ اللَّهِ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَوَقَفَ وُقُوفًا طَوِيلًا، وَدَعَا دُعَاءً طَوِيلًا، لَمْ يَسْمَعْهُ النَّاسُ، ثُمَّ تَكَلَّمَ، فَقَالَ: أَيُّهَا النَّاسُ إِنِّي قَدْ سَأَلْتُكُمْ سِرًّا وَجَهْرًا، مَثْنَى وَفُرَادَى، فَلَمْ أَجِدْكُمْ تَعْدِلُونَ بِأَحَدِ هَذَيْنِ الرَّجُلَيْنِ؛ إِمَّا عَلِيٌّ وَإِمَّا عُثْمَانُ، فَقُمْ إِلَيَّ يَا عَلِيُّ، فَقَامَ إِلَيْهِ فَوَقَفَ تَحْتَ الْمِنْبَرِ، فَأَخَذَ عَبْدُ الرَّحْمَنِ بِيَدِهِ فَقَالَ: هَلْ أَنْتَ مُبَايِعِي عَلَى كِتَابِ اللَّهِ وَسُنَّةِ نَبِيِّهِ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَفِعْلِ أَبِي بَكْرٍ وَعُمَرَ؟ قَالَ: اللَّهُمَّ لَا، وَلَكِنْ عَلَى جُهْدِي مِنْ ذَلِكَ وَطَاقَتِي. قَالَ: فَأَرْسَلَ يَدَهُ وَقَالَ:
পৃষ্ঠা - ৫৭০৯


সময় পর্যন্ত দৃআ করতে লাগলেন ৷ লোকজন তার দুআ শুনতে পায়নি ৷ তারপর তিনি কথা
বলতে লাগলেন এবং বলেন, হে মানবম-ণ্ডলী ! আমি তোমাদের কাছে জিজ্ঞেস করছি তোমাদের
আমানত সম্বন্ধে প্রকাশ্য ও গোপনভাবে কিন্তু তোমরা দুইব্যক্তির কারো একজনের সম্বন্ধে না যে
বিচার করেছ বলে আমি প্রমাণ পইিনি আর তারা দুইজন হলেন আলী (রা) ও উসমান (রা) ৷

হে আলী (রা)! আপনি আমার কছে দণ্ডায়মান হোন ৷ হযরত আলী (বা) তার নিকট
দণ্ডায়মান হলেন এবং মিন্বরের নিচে দাড়ালেন ৷ আবদুর রহমান ইবন আউফ (বা) তার হাত
ধরে বলেন, “আপনি কি আল্লাহর কিতাব, রাসুলুল্লাহ্শ্নো এর সুন্নাত এবংঅ ৷বু বকর সিদ্দীক
(রা) ও উমর (রা) এর কর্মকাণ্ড অনুযায়ী রাষ্ট্ৰপরিচা লনা করার অঙ্গীকা র করছেন ? উত্তরে তিনি
বললেন, না বরং আমার প্রচেষ্টা, শক্তি ও বুদ্ধিমত্তা অনুযায়ী চলার প্রত্যাশা করছি ৷ বর্ণনাকারী
বলেন,৩ তিনি তার হাত ছেড়ে দিলেন এবং বললেন, হে উসমান (রা) ! আপনি আমার কাছে
দণ্ডায়মান হোন ৷ তারপর তিনি তার হাত ধরলেন ও বললেন, আপনি কি আল্লাহর কিতাব,
রাসুলুল্লাহ্অ্যাং এর সুন্নাত এবং আবু বকর সিদ্দীক (রা) ও উমর (রা) এর কর্মপন্থা অনুযায়ী
রাষ্ট্র পরিচালনা করার অঙ্গীকার করছেন ? হযরত উসমান (রা) বলেন, হ্যা’ ৷ বর্ণনাকারী বলেন,
“আবদুর রহমান ইবন আউফ (রা) মসজিদের ছ দের দিকে মাথা উচু করেন এবং উসমান
(রা)-এর হাতে তার হাত রেখে তিনি বললেন, হে আল্লাহ তুমি শ্যেন এবং সাক্ষী থাক, হে
আল্লাহ ! তুমি গােন এবং সাক্ষী থাক, হে আল্লাহ ! তুমি গােন এবং সাক্ষী থাক ৷ হে আল্লাহ!
আমার যিম্মায় যে খিলাফতের দায়িত্ব ছিল সেটা আমি হযরত উসমান (রা) এর যিম্মায় রেখে
দিলাম ৷

বর্ণনড়াকারী বলেন, “লোকজন বইিয়াত করার জন্যে প্রচণ্ড ভিড় জমাতে লাগলেন এমনকি
তারা মিম্বরের নিচে হযরত উসমান (রা) কে ঢেকে ফেললেন ৷ তারপর হযরত আবদুর রহমান
ইবন আউফ (রা) মিম্বরে রাসুলুল্লাহ্:স্লো-এর আসনে উপবিষ্ট হলেন এবং উসমান (রা)-ফে
তীর নিচে দ্বিতীয় স্তরে বসালেন ৷ বইিয়াত করার জন্যে তার নিকট লোকজন আসতে লাগল ৷
সর্বপ্রথম হযরত আলী (রা) তার হাতে বইিয়াত করেন ৷ আবার কেউ কেউ বলেন, তিনি
সর্বশেষে বইিয়াত গ্রহণ করেন ৷

ইবন জারীর ও অন্যান্য ইতিহাসবিদ বর্ণনা করেন যে, আলী (রা) আবদুর রহমান ইবন
আউফ (রা)-কে বলেছিলেন, তুমি আমার সাথে প্রতারণা করেছ, তুমি হযরত উসমান (রা) কে
আমীর নিযুক্ত করেছ ৷ কেননা, তিনি তোমার জামাত! আর দৈনন্দিন কাজে তিনি তোমার
পরামর্শ গ্রহণ করে থাকেন ৷ তিনি তার পেছনে ধাবিত হন ৷ এমন কি তাকে হযরত আবদুর
রহমান (রা) কুরআন শরীফের আয়াত স্মরণ করিয়ে“ বলতে লাগলেন :




অর্থাৎ যে এটা ভঙ্গ করল, এটা ভঙ্গ করার পরিণাম তারই এবং যে আল্লাহর সাথে অঙ্গীকার
পুর্ণ করে তিনি তাকে মহা পুরস্কার দেন ৷ (সুরায়ে ফাতহ : ১০)


قُمْ يَا عُثْمَانُ. فَأَخَذَ بِيَدِهِ فَقَالَ: هَلْ أَنْتَ مُبَايِعِي عَلَى كِتَابِ اللَّهِ وَسُنَّةِ نَبِيِّهِ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَفِعْلِ أَبِي بَكْرٍ وَعُمَرَ؟ قَالَ: اللَّهُمَّ نَعَمْ. قَالَ: فَرَفَعَ رَأْسَهُ إِلَى سَقْفِ الْمَسْجِدِ وَيَدَهُ فِي يَدِ عُثْمَانَ، فَقَالَ: اللَّهُمَّ اسْمَعْ وَاشْهَدْ، اللَّهُمَّ اسْمَعْ وَاشْهَدْ، اللَّهُمَّ اسْمَعْ وَاشْهَدْ، اللَّهُمَّ إِنِّي قَدْ جَعَلْتُ مَا فِي رَقَبَتِي مِنْ ذَاكَ فِي رَقَبَةِ عُثْمَانَ. قَالَ: وَازْدَحَمَ النَّاسُ يُبَايِعُونَ عُثْمَانَ حَتَّى غَشَوْهُ تَحْتَ الْمِنْبَرِ قَالَ: فَقَعَدَ عَبْدُ الرَّحْمَنِ مَقْعَدَ النَّبِيِّ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَأَجْلَسَ عُثْمَانَ تَحْتَهُ عَلَى الدَّرَجَةِ الثَّانِيَةِ، وَجَاءَ إِلَيْهِ النَّاسُ يُبَايِعُونَهُ، وَبَايَعَهُ عَلِيُّ بْنُ أَبِي طَالِبٍ أَوَّلًا، وَيُقَالُ آخِرًا. وَمَا يَذْكُرُهُ كَثِيرٌ مِنَ الْمُؤَرِّخِينَ - كَابْنِ جَرِيرٍ وَغَيْرِهِ - عَنْ رِجَالٍ لَا يُعْرَفُونَ مِنْ أَنَّ عَلِيًّا قَالَ لِعَبْدِ الرَّحْمَنِ: خَدَعْتَنِي، وَإِنَّكَ إِنَّمَا وَلَّيْتَهُ؛ لِأَنَّهُ صِهْرُكَ وَلِيُشَاوِرَكَ كُلَّ يَوْمٍ فِي شَأْنٍ. وَأَنَّهُ تَلَكَّأَ حَتَّى قَالَ لَهُ عَبْدُ الرَّحْمَنِ: {فَمَنْ نَكَثَ فَإِنَّمَا يَنْكُثُ عَلَى نَفْسِهِ وَمَنْ أَوْفَى بِمَا عَاهَدَ عَلَيْهُ اللَّهَ فَسَيُؤْتِيهِ أَجْرًا عَظِيمًا} [الفتح: 10] . إِلَى غَيْرِ ذَلِكَ مِنَ الْأَخْبَارِ الْمُخَالِفَةِ لِمَا ثَبَتَ فِي الصِّحَاحِ، فَهِيَ مَرْدُودَةٌ عَلَى قَائِلِيهَا وَنَاقِلِيهَا. وَاللَّهُ أَعْلَمُ. وَالْمَظْنُونُ بِالصَّحَابَةِ خِلَافُ مَا يَتَوَهَّمُ كَثِيرٌ مِنْ جَهَلَةِ الرَّافِضَةِ وَأَغْبِيَاءِ الْقُصَّاصِ الَّذِينَ لَا تَمْيِيزَ عِنْدَهُمْ بَيْنَ صَحِيحِ الْأَخْبَارِ وَضَعِيفِهَا، وَمُسْتَقِيمِهَا وَسَقِيمِهَا، وَشَاذِّهَا وَقَوِيمِهَا،
পৃষ্ঠা - ৫৭১০


এ ধরনের অনেক বর্ণনা এসেছে যা প্রতিষ্ঠিত ও বিশুদ্ধরুপে বর্ণিত বর্ণনাসমুহের পরিপন্থী ৷
এসব বর্ণনা মোটেই গ্রহণযোগ্য নয় ৷ এগুলো প্রত্যাখ্যানকৃত বর্ণনা ৷ মহান আল্লাহ্ অধিক
পব্লিজ্ঞাত ৷

বহু রাফিযী ও নির্বোধ কাহিনীকাৱ যাদের মধ্যে শুদ্ধ ও দুর্বল তথ্য এবং সহজ-সরল ও বত্রু
তথ্যসমুহের মধ্যে পার্থক্য করার ক্ষমতা নেই ৷ তারা সাহাবীদের সম্বন্ধে নানারুপ অসত্য মন্তব্য
করে থাকে যা কোন সুস্থ সবল চিজ্ঞেৰ্ অধিকারীরা করতে পারে না ৷

সীরাত বিশেষজ্ঞগণ হযরত উসমান ইবন আফ্ফান (রা)-এর হাতে বইিয়াত গ্রহণ করার
দিন সম্পর্কে মতবিরোধ করেছেন ৷ আল্লামা ওয়াকিদী (র) তীর ওস্তাদগণ হতে বর্ণনা করেন যে,
২৩ হিজরী সনের যুলহাজ্জাহ্ মাসের সমাপ্তির একরাত বাকি সোমবার দিন হযরত উসমান ইবন
আফ্ফান (রা)-এর হাতে বইিয়াত গ্রহণ করা হয় ৷ আর ২৪ হিজরীর মুহররমের পহেলা তারিখ
হতে খিলাফতের সুচনা হয় ৷ এ বর্ণনাটি একটি অদ্ভুত বর্ণনা ৷ ইবন আবু মুলাইকার মড়ারফত
ইবন জারীর (র) হতে আল্লামা ওয়াকিদী এটাও বর্ণনা করেন যে, উমর (রা) শহীদ হবার
তিনদিন পর যুহররমের ১০ তারিখ উসমান ইবন আফ্ফান (রা) এর হাতে বইিয়াত গ্রহণ করা
হয় ৷ এ বর্ণনাটি পুর্বের বর্ণনাটি হতে আরো বেশি অদ্ভুত ৷ অনুরুপভাবে আল্লামা সাইফ ইবন
উমর (র) আমির আশ-শাবী হতে বর্ণনা করেন ৷ তিনি বলেন : ২৪ হিজরীর মুহররমের তিন
তারিখ মজলিসে শুরার সদস্যগণ হযরত উসমান ইবন আফ্ফান (রা) সম্বন্ধে ঐকমতাে
া:পাছেন ৷ এ সময় আসরের সময় হয়েছিল এবং সুহাইব (রা)-এর মুয়ায্যিন আধান দিলেন ৷
আধান অ-রে ইকামাতের মধ্যে লোকজন একত্রিত হয় ৷ তখন হযরত উসমান (বা) বেরিয়ে
আসেন এবং লোকজন নিয়ে আসরের সালাত আদায় করেন ৷

আল্লামা সাইফ (র) , খালীফা, ইবন যুফার (র) ও মুজালিদ (র) হতে বর্ণনা করেন ৷ তারা
বলেন, ২৩ হিজরীর মুহররমের তিন তারিখ উসমান (বা) খলীফা নিযুক্ত হন ৷ তারপর তিনি
বেরিয়ে আসেন এবং লোকজন নিয়ে সালাতে আসর আদায় রেন এবং সেনাবাহিনীর
লোকজনকে অতিরিক্ত দান করেন ৷ অর্থাৎ জনপ্রতি মাসিক উমর (রা)-এর নির্ধারত ১০০
দিরহাম-এরও বেশি দান করেন ৷ তিনি শহরবাসীকে উপচৌকন দেন ৷ আর তিনিই প্রথম
খলীফা যিনি এ্যাকাজ করেছেন ৷

আল্লামা ইবন কাসীর (র) বলেন, হযরত উসমান (রা)-এর বইিয়াত সম্পর্কে যেসব তথ্য
আমাদের হাতে এসেছে এবং বর্ণনা করা হয়েছে তার প্রেক্ষিতে বলা যায় যে, এ বইিয়াতটি ছিল
সুর্য ঢলে পড়ার আগে ৷ তবে লোকজন যখন মসজিদে তার হাতে বইিয়াত করেন এরপর তিনি
মজলিসে শুরার ঘরে যান ৷ তারপর বাকি লোকের তার হাতে বইিয়াত গ্রহণ করেন ৷ তবে
যুহরের পরে বইিয়াত পর্ব শেষ হয় ৷ হযরত সুহাইব (রা) ঐদিন মসজিদে নববীতে যুহরের
নামাযের ইমামতি করেন ৷ আর হযরত উসমান (বা) আমীরুল মুমিনীন হিসেবে
মুসলমানদেরকে নিয়ে সর্বপ্রথম যেই নামাযের ইমামতি করেন তড়াহলাে আসরের নামায ৷ ইমাম
শাৰী (র) ও অন্যগণ এ তথ্য উল্লেখ করেছেন ৷ মুসলমানদের সামনে প্রথমে তিনি যে ভাষণটি
প্রদান করেন এ সম্পর্কে বিভিন্ন ধরনের প্রতিবেদন পরিলক্ষিত হয় ৷


وَاللَّهُ الْمُوَفِّقُ لِلصَّوَابِ. وَقَدِ اخْتَلَفَ عُلَمَاءُ السِّيَرِ فِي الْيَوْمِ الَّذِي بُويِعَ فِيهِ لِعُثْمَانَ بْنِ عَفَّانَ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ؛ فَرَوَى الْوَاقِدِيُّ عَنْ شُيُوخِهِ أَنَّهُ بُويِعَ يَوْمَ الِاثْنَيْنِ لِلَيْلَةٍ بَقِيَتْ مِنْ ذِي الْحِجَّةِ سَنَةَ ثَلَاثٍ وَعِشْرِينَ، وَاسْتَقْبَلَ بِخِلَافَتِهِ الْمُحَرَّمَ سَنَةَ أَرْبَعٍ وَعِشْرِينَ. وَهَذَا غَرِيبٌ جِدًّا. وَقَدْ رَوَى الْوَاقِدِيُّ أَيْضًا عَنِ ابْنِ جُرَيْجٍ، عَنِ ابْنِ أَبِي مُلَيْكَةَ، قَالَ: بُويِعَ لِعُثْمَانَ بْنِ عَفَّانَ لِعَشْرٍ خَلَوْنَ مِنَ الْمُحَرَّمِ بَعْدَ مَقْتَلِ عُمَرَ بِثَلَاثِ لَيَالٍ. وَهَذَا أَغْرَبُ مِنَ الَّذِي قَبْلَهُ. وَقَالَ سَيْفٌ، عَنْ خُلَيْدِ بْنِ ذَفَرَةَ، وَمُجَالِدٍ قَالَا: اسْتُخْلِفَ عُثْمَانُ لِثَلَاثٍ خَلَوْنَ مِنَ الْمُحَرَّمِ سَنَةَ أَرْبَعٍ وَعِشْرِينَ. وَكَذَا رَوَى سَيْفٌ عَنْ عُمَرَ عَنْ عَامِرٍ الشَّعْبِيِّ أَنَّهُ قَالَ: اجْتَمَعَ أَهْلُ الشُّورَى عَلَى عُثْمَانَ لِثَلَاثٍ خَلَوْنَ مِنَ الْمُحَرَّمِ سَنَةَ أَرْبَعٍ وَعِشْرِينَ، وَقَدْ دَخَلَ وَقْتُ الْعَصْرِ وَقَدْ أَذَّنَ مُؤَذِّنُ صُهَيْبٍ، وَاجْتَمَعَ النَّاسُ بَيْنَ الْأَذَانِ وَالْإِقَامَةِ، فَخَرَجَ فَصَلَّى بِهِمُ الْعَصْرَ وَزَادَ النَّاسَ - يَعْنِي فِي أُعْطِيَّاتِهِمْ - مِائَةً، وَوَفَّدَ أَهْلَ الْأَمْصَارِ، وَهُوَ أَوَّلُ مَنْ صَنَعَ ذَلِكَ.
পৃষ্ঠা - ৫৭১১


আল্লামা সাইফ ইবন উমর (র) বর্ণনা করেন যে, যখন মজলিসে শুরার সদস্যগণ হযরত
উসমান (রা)-এর হাতে বইিয়াত গ্রহণ করেন তখন তিনি অত্যন্ত ক্লান্ত ছিলেন ৷ তিনি বের হয়ে
আসেন ও রাসুলুল্পাহ্ ড়ো-এর মিম্বরে উপবিষ্ট হন ৷ তিনি জনগণকে সম্বোধন করেন ৷ তারপর
তিনি মহান আল্লাহর প্রশংসা করেন এবং রাসুলের প্রতি দরুদ পেশ করেন ৷ আর বলেন, “হে
মানবমওলী ৷ তােমারা দুর্গের ঘরে বাস করছ এবং নিজেদের আয়ুর বাকি অংশে বসবাস করছ ৷
কাজেই সম্ভাব্য কল্যাণসহ তোমরা তোমাদের মৃত্যুর দিকে ধাবিত হও ৷ তোমরা সকাল ও
সন্ধ্যড়ায় নিজেদের জীবন অতিবাহিত করে আসছ ৷ সাবধান ! এ দুনিয়া নৌকা ও প্রতারণাৱ সাথে
সম্পৃক্ত ৷
কাজেই পার্থিব জীবন যেন তেলোঃদরকে কিছুতেই প্রভাবিত না করে এবং সেই প্রবঞ্চক
যেন তােমাদেরকে কিছুতেই আল্লাহ্ পাক সম্পর্কে প্রবঞ্চিত না করে ৷ মারা চলে গেছেন
তাদেরকে দেখে উপদেশ গ্রহণ কর ৷ তারপর চেষ্টা করবে, উদাসীন হবে না ৷ কেননা, তিনি
(আল্লাহ্ তাআলা) তোমাদের সম্পর্কে অসতর্ক নন ৷ দুনিয়ার সত্তানেরা ও বোনেরা আজ
কােথায়ঃ যারা এ পৃথিবীকে আবাদ করেছিল, উৎপাদন করেছিল এবং বহুকাল যাবত এ দুনিয়া
থেকে উপকৃত হয়েছিল, দুনিয়া কি তাদেরকে নিক্ষিপ্ত করেনি ? দুনিয়ার যেখানে আল্পাহ্
তাআলা তােমাদেরকে রেখেছেন সেখানেই থাক, আখিরাতকে অম্বেষণ কর ৷ নিশ্চয়ই আল্পাহ্
তাআলা দুনিয়ার জন্যে একটি কল্যাণকর উপমা পেশ করেছেন ৷ আল্পাহ্ তাআলা সুরায়ে
কাহফের ৪৫ নং আয়াতে ইরশাদ করেন :

ণ্,৷ পুন্,,প্া,

অর্থাৎ, তাদের নিকট পেশ কর উপমা পার্থিব জীবনে; এটা পানির ন্যায় যা আমি বর্ষণ
করি আকাশ হতে, যদ্দারা ভুমিজ উদ্ভিদ ঘন সন্নিবিষ্ট হয়ে উদ্ধত হয় ৷ তারপর এটা বিশুদ্ধ হয়ে
এমন চুর্ণ-বিচুর্ণ হয় যে, বাতাস এটাকে উড়িয়ে নিয়ে যায় ৷ আল্লাহ্ সর্ববিষয়ে শক্তিমান ৷

ধনৈশ্বর্য ও সন্তান-সন্ততি পার্থিব জীবনে শোভা এবং স্থায়ী সৎকর্ম তোমার প্রতিপালকের
নিকট পুরস্কার প্রাপ্তির ত্তন্যে শ্রেষ্ঠ এবং বঞ্চিত হিসেবেও উৎকৃষ্ট ৷

বর্ণনড়াকারী বলেন, জনগণ তার হাতে বইিয়াত গ্রহণের জন্যে এগিয়ে আসলেন ৷

আল্লামা ইবন কাসীর (র) বলেন, এ খুতবাটি ঐদিন আসরের নামাযের পরে দেওয়া
হয়েছিল কিৎবা সুর্য পশ্চিম দিকে চলে পড়ার পুর্বে দেওয়া হয়েছিল ৷ আর আবদুর রহমান ইবন
আউফ (রা) মিশ্বরের মাথায় উপবিষ্ট ছিলেন ৷ এ মতামতটি অধিক গ্রহণীয় ৷ মহান আল্লাহ্
অধিক পরিজ্ঞাত ৷ ,

কেউ কেউ উল্লেখ করেন যে, উসমান (বা) যখন প্রখৃম খুতবা দেওয়ার জন্যে দণ্ডায়মান
হন, বাকরুদ্ধ হয়ে যান, তিনি বুঝতে পারেন নি যে, তিনি কি বলবেন ৷ এরপর তিনি বলেন,

“হে মানবমওলী ৷ প্রথম প্রথম সাওয়ারীতে চড়া কষ্টকর ৷ আজকের দিনের পর বহুদিন আসবে ৷
যদি আমি বেচে থাকি তাহলে ণ্তমােদের কাছে যথােপযুক্ত খুতবা নিয়ে উপস্থিত হব ৷


قُلْتُ: ظَاهِرُ مَا ذَكَرْنَا مِنْ سِيَاقِ بَيْعَتِهِ يَقْتَضِي أَنَّ ذَلِكَ كَانَ قَبْلَ الزَّوَالِ، لَكِنَّهُ لَمَّا بَايَعَهُ النَّاسُ فِي الْمَسْجِدِ، ذُهِبَ بِهِ إِلَى دَارِ الشُّورَى عَلَى مَا تَقَدَّمَ فِيهَا مِنَ الْخِلَافِ، فَبَايَعَهُ بَقِيَّةُ النَّاسِ، وَكَأَنَّهُ لَمْ يُتِمَّ الْبَيْعَةَ إِلَّا بَعْدَ الظُّهْرِ. وَصَلَّى صُهَيْبٌ يَوْمَئِذٍ الظَّهْرَ فِي الْمَسْجِدِ النَّبَوِيِّ، وَكَانَ أَوَّلَ صَلَاةٍ صَلَّاهَا الْخَلِيفَةُ أَمِيرُ الْمُؤْمِنِينَ عُثْمَانُ بْنُ عَفَّانَ بِالْمُسْلِمِينَ صَلَاةُ الْعَصْرِ، كَمَا ذَكَرَهُ الشَّعْبِيُّ وَغَيْرُهُ. وَأَمَّا أَوَّلُ خُطْبَةٍ خَطَبَهَا بِالْمُسْلِمِينَ فَرَوَى سَيْفُ بْنُ عُمَرَ، عَنْ بَدْرِ بْنِ عُثْمَانَ، عَنْ عَمِّهِ قَالَ: لَمَّا بَايَعَ أَهْلُ الشُّورَى عُثْمَانَ، خَرَجَ وَهُوَ أَشَدُّهُمْ كَآبَةً فَأَتَى مِنْبَرَ النَّبِيِّ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَخَطَبَ النَّاسَ؛ فَحَمِدَ اللَّهَ وَأَثْنَى عَلَيْهِ، وَصَلَّى عَلَى النَّبِيِّ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَقَالَ: إِنَّكُمْ فِي دَارِ قَلْعَةٍ، وَفِي بَقِيَّةِ أَعْمَارٍ، فَبَادِرُوا آجَالَكُمْ بِخَيْرِ مَا تَقْدِرُونَ عَلَيْهِ، فَلَقَدْ أُتِيتُمْ؛ صُبِّحْتُمْ أَوْ مُسِّيتُمْ، أَلَا وَإِنَّ الدُّنْيَا طُوِيَتْ عَلَى الْغُرُورِ {فَلَا تَغُرَّنَّكُمُ الْحَيَاةُ الدُّنْيَا وَلَا يَغُرَّنَّكُمْ بِاللَّهِ الْغَرُورُ} [لقمان: 33] . وَاعْتَبِرُوا بِمَنْ مَضَى ثُمَّ جِدُّوا وَلَا تَغْفُلُوا؛ أَيْنَ أَبْنَاءُ الدُّنْيَا وَإِخْوَانُهَا الَّذِينَ أَثَارُوهَا وَعَمَرُوهَا وَمُتِّعُوا بِهَا طَوِيلًا؛ أَلَمْ تَلْفِظْهُمْ! ارْمُوا بِالدُّنْيَا حَيْثُ رَمَى اللَّهُ بِهَا، وَاطْلُبُوا الْآخِرَةَ فَإِنَّ اللَّهَ قَدْ ضَرَبَ لَهَا مَثَلًا، وَالَّذِي هُوَ خَيْرٌ، فَقَالَ تَعَالَى {وَاضْرِبْ لَهُمْ مَثَلَ الْحَيَاةِ الدُّنْيَا كَمَاءٍ أَنْزَلْنَاهُ مِنَ السَّمَاءِ فَاخْتَلَطَ بِهِ نَبَاتُ الْأَرْضِ فَأَصْبَحَ هَشِيمًا تَذْرُوهُ الرِّيَاحُ وَكَانَ اللَّهُ عَلَى كُلِ شَيْءٍ مُقْتَدِرًا الْمَالُ وَالْبَنُونَ زِينَةُ الْحَيَاةِ الدُّنْيَا وَالْبَاقِيَاتُ الصَّالِحَاتُ خَيْرٌ عِنْدَ رَبِّكَ ثَوَابًا وَخَيْرٌ أَمَلًا} [الكهف: 45]
পৃষ্ঠা - ৫৭১২


উপরোক্ত তথ্যটি আল-আকদের লিখক ও অন্যরাও উল্লেখ করেন ৷ কিন্তু এ তথ্যের কোন
সস্তোষজনক সুত্র আমি পাইনি ৷ মহান আল্লাহ্ অধিক পরিজ্ঞাত ৷

ইমাম আশ-শাবী (র) বলেন, হুা হুাপ্ ৰু ,ার্দু;৷ ৷ ’া৷টু অর্থাৎ হযরত উমর (রা)
সেনাবাহিনীর প্রত্যেক সদস্যকে বায়ভুল মাল হতেমাসিক একশ দিরহাম প্রদান করতেন ৷
রামাদান মাসে প্রত্যেক মুসলমানের ইফতারের জন্যে বায়ভুল সাল হতে প্রতিরাতে এক দিরহাম
এবং উম্মুল মু’মিনীনগণের জন্যে দুই দিরহাম প্রদান করতেন ৷ হযরত উসমান (রা) খলীফা
নিযুক্ত হবার পর তা বলবৎ রাখেন ও কিছু বেশিও প্রদান করেন ৷ মসজিদে ইবাদাত গুযার,

ইতিকাফকারী, মুসাফির , ফকীর ও মিসকীনগণের মসজিদে খাবারের ব্যবস্থা করেন ৷

রাসুলুল্লাহ্মোঃখুতবা প্রদানের সময় মিম্বরের যে সিড়িতে দীড়াতেন হযরত আবু বকর
সিদ্দিকী (রা) যখন খুতবা দিতেন তখন তিনি তার নিচের সিড়িতে র্দাড়াতেন ৷ যখন হযরত
উমর (রা) খলীফা হলেন তখন আবু বকর সিদ্দীক (রা)-এর সিড়ির নিচের সিড়িতে র্দাড়াতেন ৷
যখন উসমান (রা) খলীফা হলেন তখন তিনি বললেন, এভাবে দিন দিন বাড়তেই থাকবে, ত
রাসুলুল্লাহ্ল্লেমিম্বরের যে সিড়িতে দীড়াতেন তিনিও সে সিড়িভেই র্দাড়ালেন ৷ তিনি জুমার
দিন রাসুলুল্লাহ্ঘ্নে এর মিম্বরে উপবিষ্ট অবস্থায় রাসুলুল্লাহ্ন্হুল্ এর সামনে মুয়াযযিন যে
আমান দিতেন তার আগে বর্তমানে প্রচলিত প্রথম আযানের প্রচলন করেন ৷

হযরত উসমান (রা)-এর খিলাফতের প্রথম মামলাটি হলো উবাইদুল্লাহ ইবন উমর
(রা)-এর মামলা ৷ যে মামলার রড়ায়দিলেন থােদ আমীরুল মু’মিনীন হযরত উসমান (বা) ৷
হযরত উমর (রা)-এর আহত হবার পরদিন সকালে উবাইদুল্লাহ ইবন উমর (রা), উমর
(রা) এর হআকারী আবু লুলুর কন্যার কাছে গমন করেন এবং তাকে হত্যা করেন ৷ জুফাইনাহ
নামক একজন খ্রিক্টানকে তিনি তলোয়ার দিয়ে আঘাত করেন ও এভাবে তাকে হত্যা করেন ৷
তাসতৃরের শাসক আল-হুরমুযানকে তিনি আঘাত করেন ও তাকে হত্যা করেন ৷ অভিযোগ করা
হয়েছে যে, তারা এ দুইজন উমর (বা)-কে হত্যার ব্যাপারে আবুলুলুকে সাহায্য করেছিল ৷

ইতোমধ্যে উমর (রা) তাকে বন্দী করার হুকুন্৷ দিয়েছিলেন ৷ যাতে তার পরে যে খলীফা
হবেন তিনি তার বিচার করতে পারেন ৷ যখন হযরত উসমান (রা) খলীফা হলেন এবং
জনগণের সমস্যা সমাধানে বসলেন, তখন প্রথম মামলাটি ছিল উবইিক্যুাহ ইবন উমর (রা)
সম্পর্কে, যেটাতে উসমান (রা)-কে রায় দিতে হবে ৷ আলী (রা) বলেন, “ন্যায় ৰিচারকে ছেড়ে
দেওয়া বিচারের অন্তর্ভুক্ত নয় ৷ তিনি হত্যার নির্দেশ প্রদান করলেন, কিছু সংখ্যক যুহাজির
বলেন, গতকাল তার পিতা শহীদ হন, আর আজকে তাকে হত্যা করা হবে, এটা কেমন
দেখায়ঃ আমর ইবন আস (রা) বলেন, হে আমীরুল মু’মিনীন! আপনাকে অহল্লাহ্ রাববুল
আলামীন এটা থেকে পব্রিত্রাণ দিয়েছেন ৷ এ মামলাটি আপনার যুগে সংঘটিত হয় নইি ৷
কারুজী, আপনি আপনার পক্ষ থেকে এটা ছেড়ে দিতে পারেন ৷ তখন হযরত উসমান (বা) এ
তিনটি হত্যাকাণ্ডের খেসারত নিজের ব্যক্তিগত সম্পদ থেকে আদায় করে দেন ৷ কেননা, তাদের
বিষয়গুলোর সিদ্ধান্ত খলীফার উপরই বর্তায় ৷ বায়তৃলমাল ব্যতীত তাদের কোন উত্তরাধিকারীই
ছিল না ৷ আর খলীফা এ ব্যাপারে যা ভাল মনে করেন তাই স্তেতে পারেন ৷ হযরত উসমান
(রা) এভাবে উবাইদুল্লাহ ইবন উমর (রা) কে দায়মুক্ত করে দিলেন ৷


[سُورَةُ الْكَهْفِ: 45، 46] . قَالَ: وَأَقْبَلَ النَّاسُ يُبَايِعُونَهُ. قُلْتُ: وَهَذِهِ الْخُطْبَةُ إِمَّا بَعْدَ صَلَاةِ الْعَصْرِ يَوْمَئِذٍ، أَوْ قَبْلَ الزَّوَالِ، وَعَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ عَوْفٍ جَالِسٌ فِي رَأْسِ الْمِنْبَرِ، وَهُوَ الْأَشْبَهُ. وَاللَّهُ أَعْلَمُ. وَمَا يَذْكُرُهُ بَعْضُ النَّاسِ مِنْ أَنَّ عُثْمَانَ لَمَّا خَطَبَ أَوَّلَ خُطْبَةٍ أُرْتِجَ عَلَيْهِ فَلَمْ يَدْرِ مَا يَقُولُ حَتَّى قَالَ: أَيُّهَا النَّاسُ إِنَّ أَوَّلَ مَرْكَبٍ صَعْبٌ، وَإِنْ أَعِشْ فَسَتَأْتِكُمُ الْخُطْبَةُ عَلَى وَجْهِهَا. فَهُوَ شَيْءٌ يَذْكُرُهُ صَاحِبُ الْعِقْدِ وَغَيْرُهُ، مِمَّنْ يَذْكُرُ طَرَفَ الْفَوَائِدِ، وَلَكِنْ لَمْ أَرَ هَذَا بِإِسْنَادٍ تَسْكُنُ النَّفْسُ إِلَيْهِ. وَاللَّهُ أَعْلَمُ. وَأَمَّا قَوْلُ الشَّعْبِيِّ أَنَّهُ زَادَ النَّاسَ مِائَةً، يَعْنِي فِي عَطَاءِ كُلِّ وَاحِدٍ مِنْ جُنْدِ الْمُسْلِمِينَ؛ زَادَهُ عَلَى مَا فَرَضَ لَهُ عُمَرُ مِائَةَ دِرْهَمٍ مِنْ بَيْتِ الْمَالِ، وَكَانَ عُمَرُ قَدْ جَعَلَ لِكُلِّ نَفْسٍ مِنَ الْمُسْلِمِينَ فِي كُلِّ لَيْلَةٍ مِنْ رَمَضَانَ دِرْهَمًا مِنْ بَيْتِ الْمَالِ يُفْطِرُ عَلَيْهِ، وَلِأُمَّهَاتِ الْمُؤْمِنِينَ دِرْهَمَيْنِ دِرْهَمَيْنِ، فَلَمَّا وَلِيَ عُثْمَانُ، أَقَرَّ ذَلِكَ وَزَادَهُ، وَاتَّخَذَ سِمَاطًا فِي الْمَسْجِدِ أَيْضًا لِلْمُتَعَبِّدِينَ، وَالْمُعْتَكِفِينَ، وَأَبْنَاءِ السَّبِيلِ، وَالْفُقَرَاءِ، وَالْمَسَاكِينِ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ. وَقَدْ كَانَ أَبُو بَكْرٍ إِذَا خَطَبَ يَقُومُ عَلَى الدَّرَجَةِ الَّتِي تَحْتَ الدَّرَجَةِ الَّتِي كَانَ رَسُولُ اللَّهِ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، يَقِفُ عَلَيْهَا فَلَمَّا وَلِيَ عُمَرُ نَزَلَ دَرَجَةً أُخْرَى عَنْ دَرَجَةِ أَبِي بَكْرٍ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا، فَلَمَّا وَلِيَ عُثْمَانُ قَالَ: إِنَّ هَذَا يَطُولُ: فَصَعِدَ إِلَى الدَّرَجَةِ الَّتِي كَانَ يَخْطُبُ عَلَيْهَا رَسُولُ اللَّهِ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ.
পৃষ্ঠা - ৫৭১৩
وَزَادَ الْأَذَانَ الْأَوَّلَ يَوْمَ الْجُمُعَةَ قَبْلَ الْأَذَانِ الَّذِي كَانَ يُؤُذَّنُ بِهِ بَيْنَ يَدَيْ رَسُولِ اللَّهِ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، إِذَا جَلَسَ عَلَى الْمِنْبَرِ. وَأَمَّا أَوَّلُ حُكُومَةٍ حَكَمَ فِيهَا فَقَضِيَّةُ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ، وَذَلِكَ أَنَّهُ غَدَا عَلَى ابْنَةِ أَبِي لُؤْلُؤَةَ قَاتِلِ عُمَرَ فَقَتَلَهَا، وَضَرَبَ رَجُلًا نَصْرَانِيًّا يُقَالُ لَهُ: جُفَيْنَةُ. بِالسَّيْفِ فَقَتَلَهُ، وَضَرَبَ الْهُرْمُزَانَ الَّذِي كَانَ صَاحِبَ تَسْتُرَ فَقَتَلَهُ، وَكَانَ قَدْ قِيلَ: إِنَّهُمَا مَالَئَا أَبَا لُؤْلُؤَةَ عَلَى قَتْلِ عُمَرَ. فَاللَّهُ أَعْلَمُ. وَقَدْ كَانَ عُمَرُ قَدْ أَمَرَ بِسَجْنِهِ لِيَحْكُمَ فِيهِ الْخَلِيفَةُ مِنْ بَعْدِهِ، فَلَمَّا وَلِيَ عُثْمَانُ، وَجَلَسَ لِلنَّاسِ، كَانَ أَوَّلَ مَا تُحُوكِمَ إِلَيْهِ فِي شَأْنِ عُبَيْدِ اللَّهِ فَقَالَ عَلِيٌّ: مَا مِنَ الْعَدْلِ تَرْكُهُ. وَأَمَرَ بِقَتْلِهِ. وَقَالَ بَعْضُ الْمُهَاجِرِينَ: أَيُقْتَلُ أَبُوهُ بِالْأَمْسِ وَيُقْتَلُ هُوَ الْيَوْمَ! فَقَالَ عَمْرُو بْنُ الْعَاصِ: يَا أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ، قَدْ بَرَّأَكَ اللَّهُ مِنْ ذَلِكَ؛ قَضِيَّةٌ لَمْ تَكُنْ فِي أَيَّامِكَ فَدَعْهَا عَنْكَ. فَوَدَى عُثْمَانُ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، أُولَئِكَ الْقَتْلَى مِنْ مَالِهِ؛ لِأَنَّ أَمْرَهُمْ إِلَيْهِ، إِذْ لَا وَارِثَ لَهُمْ إِلَّا بَيْتُ الْمَالِ، وَالْإِمَامُ يَرَى الْأَصْلَحَ فِي ذَلِكَ، وَخَلَّى سَبِيلَ عُبَيْدِ اللَّهِ. قَالُوا: فَكَانَ زِيَادُ بْنُ لَبِيدٍ الْبَيَاضِيُّ إِذَا رَأَى عُبَيْدَ اللَّهِ بْنَ عُمَرَ يَقُولُ: أَلَا يَا عُبَيْدَ اللَّهِ مَالَكَ مَهْرَبٌ ... وَلَا مَلْجَأٌ مِنِ ابْنِ أَرْوَى وَلَا خَفَرْ أَصَبْتَ دَمًا وَاللَّهِ فِي غَيْرِ حِلِّهِ ... حَرَامًا وَقَتْلُ الْهُرْمُزَانِ لَهُ خَطَرْ عَلَى غَيْرِ شَيْءٍ غَيْرَ أَنْ قَالَ قَائِلٌ ... أَتَتَّهِمُونَ الْهُرْمُزَانَ عَلَى عُمَرَ
পৃষ্ঠা - ৫৭১৪


ইতিহাসবিদগণ বলেন, “যিয়াদ ইবন লাবীদ আল যিয়াদী যখনই উবাইদুল্লাহ ইবন উমর
(রা)-কে দেখতেন তখনই নিম্নবর্গিত কবিতাগুলো পাঠ করতেন : হে উবাইদৃল্লাহ্৷ সাবধান,
তোমার পলায়নের জায়গা নেই ৷ ইবন আরওয়া থেকে র্বাচার কোন জায়গা নেই, কোন
প্রতিরক্ষাও নেই ৷ আল্লাহ্র শপথ ! তুমি একটি হারাম রক্তের শিকার হয়েছ এবং হরমুযানকে
হত্যা করার কারণে তুমি একটি বিপদের আশংকায় রয়েছ ৷ কোন কারণ ছাড়া এবং কোন
বক্তার উক্তি ও সাক্ষ্য ছাড়া তোমরা হরমুযানকে উমর (রা)-এর হত্যা সম্বন্ধে দােষারোপ করছ ৷
নির্বোধ লোক বলে থাকে, “বিপদ-আপদ অপরিসীম তইি আমি তাকে অভিযুক্ত করছি ৷ সে
হত্যার হুকুম দিয়েছে অথবা সে ইংগিত করেছে (এরুপ কোন প্রমাণ নেই) অভিযুক্ত ব্যক্তির
হাতিয়ার তার ঘরের ভিতরেই ছিল সেটাকে সে নাড়াচাড়া করত ৷ মনে রাখতে হবে যে, ঢিল
মারলে পাটকেল যেতে হয় ৷

বর্ণনাকারী বলেন, উবাইদুল্লাহ ইবন উমর (রা) যিয়াদের এ কবিতার কথা হযরত উসমান
(রা)-এর কাছে অভিযোর্গ হিসেবে পেশ করেন ৷ হযরত উসমান (রা) যিয়াদ ইবন লাবীদকে
ডেকে পাঠান, তখন যিয়াদ আরো ক্ষিপ্র হয়ে হযরত উসমান (রা) সম্বন্ধে কবিতা পাঠ করেন ও
বলেন, আবু আমর উবাইদুল্লাহ বন্ধকী বস্তু সদৃশ ৷ আল-হরমুযানের হত্যার ব্যাপারে কোন
সন্দেহ নেই ৷ আপনি কি ক্ষমা করে দিচ্ছেন? যদি আপনি ন্যায় বিচার বহির্ভু৩ ক্ষমা করে দেন

াহলে যেখানে দুইহাত জনসমক্ষে সাক্ষ্য দিয়ে অবসর গ্রহণ করেছে সেখানে আমার করণীয়

কি? বর্ণনাকারী বলেন, হযরত উসমান (রা) তাকে এরুপ আচরণ থেকে নিষেধ করলেন ও
তিরস্কার করলেন ৷ এরপর সে যা বলেছিল তা থেকে যৌনতা অবলম্বন করল ৷

তারপর হযরত উসমান ইবন আফ্ফান (বা) বিভিন্ন শহরের শাসক, সেনাপতি, সালাতের
ইমাম এবং বায়তৃলমালের তত্ত্ববেধায়কদেরকে পত্র লিখেন যাতে তারা তাদের অধীর্লন্থদেরকে
সৎকর্মেব নির্দেশ দেন এবং অসৎকার্যে বাধা দেন ৷ তাদেরকে আল্লাহ ও আল্লাহ্র রাসুল র্চুট্রুষ্শ্ব্লুশ্ণ্,ট্ট
-এর আনুগত্যের প্রতি উৎসাহিত করেন, তাদেরকে অনুসরণীয় আমল পরিগ্রহণ ও বিদয়াত
পরিহারের জন্যে উদ্বুদ্ধ করেন ৷

ইবন জারীর (র) বলেন, এ বছরেই হযরত উসমান (রা) আল-মুগীরা ইবন শুবাহ
(রা)-কে কুফা হতে অব্যাহতি প্রদান করেন এবং সাদ ইবন আবু ওয়ড়াক্কাস (রা)-কে কুফায়
শাসক নিযুক্ত করেন ৷ তিনি ছিলেন প্রথম শাসক যাকে সেখানে নিযুক্ত করা হয়েছিল ৷ হযরত
উমর (রা) বলেছিলেন, “যদি সাদ (রা) কে আমীর রাখা যায় তাহলে বেশ ভাল কথা, অন্যথায়
তোমাদের মধ্য হতে তার পরিবর্তে যে আমীর হবে সে যেন তার থেকে রাষ্ট্রপরিচালনায় সাহায্য
সহায়তা গ্রহণ করে ৷ কেননা, আমি তার অপারগতা কিংবা তীর দুর্নীতির জন্যে তাকে বরখাস্ত
করিনি ৷ তারপর উসমান (রা) এক বছর এবং আরো কিছু দিনের জ্যন্য সাদ (রা)-কে আমীর
নিযুক্ত করেন ৷ তারপর ইবন জারীর (র) সাঈফ ও মুজালিদের মারফতে ইমাম শাবী হতে
অনুরুপ বর্ণনা করেন ৷

আল্পামা ওয়াকিদী (র) অ ৷সলাম (র) হতে বংনাি করেন যে, হযরত উমর (রা) ওসীয়ত
করেছিলেন যে, তার শাসকদেরকে যেন কমপক্ষে এক বছর যাবত যার যার স্থানে বলবৎ রাখা
হয় ৷ তাই উসমান (রা) আমীর নিযুক্ত হওয়ার পর মুগীরা ইবন শুবাহ্ (না)-কে কুফায়


فَقَالَ سَفِيهٌ وَالْحَوَادِثُ جَمَّةٌ نَعَمْ أَتَّهِمْهُ قَدْ أَشَارَ وَقَدْ أَمَرَ ... وَكَانَ سِلَاحُ الْعَبْدِ فِي جَوْفِ بَيْتِهِ يُقَلِّبُهَا وَالْأَمْرُ بِالْأَمْرِ يُعْتَبَرْ قَالَ: فَشَكَا عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ عُمَرَ زِيَادًا إِلَى عُثْمَانَ، فَاسْتَدْعَى عُثْمَانُ زِيَادَ بْنَ لَبِيدٍ، فَأَنْشَأَ زِيَادٌ يَقُولُ فِي عُثْمَانَ: أَبَا عَمْرٍو عُبَيْدُ اللَّهِ رَهْنٌ ... فَلَا تَشْكُكْ بِقَتْلِ الْهُرْمُزَانِ فَإِنَّكَ إِنْ غَفَرْتَ الْجُرْمَ عَنْهُ ... وَأَسْبَابُ الْخُطَا فَرَسَا رِهَانِ أَتَعْفُو إِذْ عَفَوْتَ بِغَيْرِ حَقٍّ ... فَمَا لَكَ بِالَّذِي يُخْلَى يَدَانِ قَالَ: فَنَهَاهُ عُثْمَانُ عَنْ ذَلِكَ، وَزَبَرَهُ، فَسَكَتَ زِيَادُ بْنُ لَبِيدٍ عَمَّا يَقُولُ. ثُمَّ كَتَبَ عُثْمَانُ بْنُ عَفَّانَ إِلَى عُمَّالِهِ عَلَى الْأَمْصَارِ؛ أُمَرَاءِ الْحَرْبِ وَالْأَئِمَّةِ عَلَى الصَّلَوَاتِ، وَالْأُمَنَاءِ عَلَى بُيُوتِ الْمَالِ؛ يَأْمُرُهُمْ بِالْمَعْرُوفِ، وَيَنْهَاهُمْ عَنِ الْمُنْكَرِ، وَيَحُثُّهُمْ عَلَى طَاعَةِ اللَّهِ وَطَاعَةِ رَسُولِهِ، وَيُحَرِّضُهُمْ عَلَى الِاتِّبَاعِ وَتَرْكِ الِابْتِدَاعِ. قَالَ ابْنُ جَرِيرٍ: وَفِي هَذِهِ السَّنَةِ عَزَلَ عُثْمَانُ الْمُغِيرَةَ بْنَ شُعْبَةَ عَنِ الْكُوفَةِ، وَوَلَّى عَلَيْهَا سَعْدَ بْنَ أَبِي وَقَّاصٍ، فَكَانَ أَوَّلَ عَامِلٍ وَلَّاهُ؛ لِأَنَّ عُمَرَ قَالَ: فَإِنْ أَصَابَتِ الْإِمْرَةُ سَعْدًا فَذَاكَ، وَإِلَّا فَلْيَسْتَعِنْ بِهِ أَيُّكُمْ وَلِيَ، فَإِنِّي لَمْ أَعْزِلْهُ عَنْ عَجْزٍ وَلَا خِيَانَةٍ. فَاسْتَعْمَلَ سَعْدًا عَلَيْهَا سَنَةً وَبَعْضَ أُخْرَى. ثُمَّ رَوَاهُ ابْنُ جَرِيرٍ، مِنْ
পৃষ্ঠা - ৫৭১৫


প্রশাসকের পদে এক বছর রলবৎ রাখেন ৷ তারপর তাকে বরখাস্ত করেন এবং সাদ (রা) কে
আমীর নিযুক্ত কনে ৷ তারপর তাকে বরখাস্ত করেন ৷ ওয়ালীদ ইবন উকবা ইবন আবু মুয়ীতকে
প্রশাসক নিযুক্ত করেন ৷

ইবন জারীর (র) আরো বলেন, আল্লামা আল-ওয়াকিদী (র)-এর পরিবেশিত তথ্য অনুযায়ী
হযরত সাদ (না)-এর কুফায় থাকার সন হলো ২৫ হিজরী ৷ ইবন জারীর (র) আরো বলেন, এ
বছরেই অর্থাৎ ২৪ হিজ্জীতে ওয়ালীদ ইবন উকবা আযারবইিজান ও আরমানীয়ায় যুদ্ধ করেন ৷
হযরত উমর ইবনুল খাত্তাব (রা)-এর আমলে তারা মুসলমানদের সাথে সন্ধি করে ছিল পরে
উক্ত স্থানদ্বয়ের অধিবাসীরা সন্ধি ভঙ্গ করে ৷ উপরোক্ত বর্ণনাটি আবু মিখনাফের পরিবেশিত ৷

আর অন্যদের বর্ণনায় আরো জানা যায় যে, ২৬ হিজরী আযারবইিজানবাসী ও
আরমেনীয়দের বিরুদ্ধে যুদ্ধ হয় ৷ তারপর ইবন জারীর (র) এ ব্যাপারে একটি সং ক্ষিপ্ত
প্রতিবেদন উত্থাপন করেন ও বলেনহ্র ওয়ালীদ ইবন উকবা (র) কুফা থেকে স গৃহীত
সেনাবাহিনী নিয়ে সন্ধি ভত্গ করার জন্যে আযারবইিজান ও আরমানীয়া অভিমুখে রওয়ানা
করেন ও তাদের শহরে পৌরুছা ৷ আর অভিযান পরিচালনা করেন ও গনীমত লাভ করেন ৷ কিছু

থেকে লোককে বন্দী করেন এবং প্রচুর পরিমাণ অর্থ সম্পদ গ্রহণ করেন ৷ এ এলাকার জনগণ
যখন তাদের ধ্বংসের ব্যাপারে নিশ্চিত হন তখন তারা হুযাইফা ইবন ইয়ামান (রা)-এর সাথে
যেরুপ সন্ধি করেছিল তদ্ধপ প্রতি বছর আট লক্ষ দিরহাম আদায়ের শর্তে তারা সন্ধি করেন ৷
ওয়ালীদ ইবন উকবা (র)৩ তাদের থেকে বাৎসরিক কর হিসেবে বহু অর্থসম্পদ লাভ করেন এবং
সুন্থশ ৷রীরে সম্পদসহ কুফায় প্রত্যাবর্তন করেন ৷ তারপর তিনি মুনেল নামক স্থানে গমন করেন
এবং তার কাছে হযরত উসমান (বা) হতে একটি পত্র পৌছল যার মাধ্যমে তাকে নির্দেশ দেন
যেন তিনি সিরিয়ার জগণণকে নিয়ে রোমানদের বিরুদ্ধে যুদ্ধরত হন ৷

আল্লামা ইবন জারীর (র) বলেন, এ বছরেই ব্লোমানরা উত্তেজিত হয়ে উঠল এবং সিরিয়ার
বাসিন্দাগণ ভীত ও সন্ত্রস্ত হয়ে পড়ল ৷ তারা সাহায্য চোয় হযরত উসমান (রা)-এর কাছে দুত
প্রেরণ করল ৷ তারপর হযরত উসমান (বা) ওয়ালীদ ইবন উংবাের কাছে পত্র লিখেন, যখন
তোমার কাছে আমার এ পত্রটি পৌছবে তখন তুমি একজন বিশ্বাসী, সম্মানিত ও সাহাসী
ব্যক্তিকে আট হাজার কিংবা নয় হাজার কিঝো দশ হাজার সৈন্য নিয়ে সিরিয়ার ভাইদের
সাহায্যের জন্যে প্রেরণ করবে ৷

হযরত উসমান (রা) এর পত্র যখন তার কাছে পৌছণ তখন ওয়ালীদ ইবন উকবা
জনগণের মাঝে খুতবা দেওয়ার জন্যে দাড়ালেন এবং আমীরুন মু’মিনীন তাকে যে হ্বম
দিয়েছেন এ সম্বন্ধে জনগণকে অবহিত করেন ৷ জনগণকে যুদ্ধের জন্যে উৎসাহিত করলেন ৷
আমীরে মৃয়াৰীয়া (রা) ও সিরিয়াবাসীদ্দের সাহায্যের জন্যে এগিয়ে আসতে জনগণকে উৎসাহিত
করেন ৷ যেসব লোক সিরিয়ার দিকে অগ্রসর হবেন তাদের আমীর নিযুক্ত করা হয় সালমান
ইবন রাবীয়াহকে ৷ তিনি তিন দিনের মধ্যে আট হাজার সৈন্য সংগ্রহ করলেন এবং তাদেরকে
সিরিয়ার উদ্দেশে রওয়ানা হবার জন্যে ঘোষণা দিলেন ৷ আর হাবীব ইবন মুসলিম
আল-ফিহরীকে মুসলমান সৈন্যদের প্রধান হিসেবে সিরিয়া প্রেরণ করেন ৷ যখন তারা দুই


طَرِيقِ سَيْفٍ، عَنْ مَجَالِدٍ، عَنِ الشَّعْبِيِّ. وَقَالَ الْوَاقِدِيُّ فِيمَا ذَكَرَهُ عَنْ أُسَامَةَ بْنِ زَيْدِ بْنِ أَسْلَمَ، عَنْ أَبِيهِ أَنَّ عُمَرَ أَوْصَى أَنْ تُقَرَّ عُمَّالُهُ سَنَةً، فَلَمَّا وَلِيَ عُثْمَانُ أَقَرَّ الْمُغِيرَةَ بْنَ شُعْبَةَ عَلَى الْكُوفَةِ سَنَةً، ثُمَّ عَزَلَهُ، وَاسْتَعْمَلَ سَعْدًا، ثُمَّ عَزَلَهُ وَوَلَّى الْوَلِيدَ بْنَ عُقْبَةَ بْنِ أَبِي مُعَيْطٍ. قَالَ ابْنُ جَرِيرٍ: فَعَلَى مَا ذَكَرَهُ الْوَاقِدِيُّ تَكُونُ وِلَايَةُ سَعْدٍ عَلَى الْكُوفَةِ سَنَةَ خَمْسٍ وَعِشْرِينَ. قَالَ ابْنُ جَرِيرٍ: وَفِي هَذِهِ السَّنَةِ - أَعْنِي سَنَةَ أَرْبَعٍ وَعِشْرِينَ - غَزَا الْوَلِيدُ بْنُ عُقْبَةَ أَذْرَبِيجَانَ، وَأَرْمِينِيَّةَ حِينَ مَنَعَ أَهْلُهَا مَا كَانُوا صَالَحُوا عَلَيْهِ فِي أَيَّامِ عُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ، وَهَذَا فِي رِوَايَةِ أَبِي مِخْنَفٍ. وَأَمَّا فِي رِوَايَةِ غَيْرِهِ، فَإِنَّ ذَلِكَ كَانَ فِي سَنَةِ سِتٍّ وَعِشْرِينَ. ثُمَّ ذَكَرَ ابْنُ جَرِيرٍ هَاهُنَا هَذِهِ الْوَقْعَةَ، وَمُلَخَّصُهَا أَنَّ الْوَلِيدَ بْنَ عُقْبَةَ سَارَ بِجَيْشِ الْكُوفَةِ نَحْوَ أَذْرَبِيجَانَ وَأَرْمِينِيَةَ حِينَ نَقَضُوا الْعَهْدَ فَوَطِئَ بِلَادَهُمْ، وَأَغَارَ بِأَرَاضِي تِلْكَ النَّاحِيَةِ، فَغَنِمَ وَسَبَى، وَأَخَذَ أَمْوَالًا جَزِيلَةً، فَلَمَّا أَيْقَنُوا بِالْهِلْكَةِ صَالَحَهُ أَهْلُهَا عَلَى مَا كَانُوا صَالَحُوا عَلَيْهِ حُذَيْفَةَ بْنَ الْيَمَانِ؛ ثَمَانِمِائَةِ أَلْفِ دِرْهَمٍ فِي كُلِّ سَنَةٍ، فَقَبَضَ مِنْهُمْ جِزْيَةَ سَنَةٍ، ثُمَّ رَجَعَ سَالِمًا غَانِمًا إِلَى الْكُوفَةِ، فَمَرَّ بِالْمَوْصِلِ، وَجَاءَهُ كِتَابُ عُثْمَانَ وَهُوَ بِهَا يَأْمُرُهُ أَنْ يُمِدَّ أَهْلَ الشَّامِ عَلَى حَرْبِ أَهْلِ الرُّومِ.
পৃষ্ঠা - ৫৭১৬


সেনাবাহিনী একত্রিত হলো তখন তারা রোমানদের শহরের উপর অভিযান জোরদার করল ৷
তারা প্রচুর গর্নীমত অর্জা করল ৷ অনেক লোককে বন্দী করল এবং বহু দুর্গ জয় করল ৷

আল্লামা ওয়াকিদী (র) ধারণা করেন যে , সালমান ইবন রাবীয়াহ-এর মাধ্যমে
সিরিয়াবাসীদেরকে হযরত উসমান (রা)-এর পত্রের আলোকে যিনি সাহায্য করেন, তিনি হলেন
সাঈদ ইবনুল আস (বা) ৷ তারপর সাঈদ ইবনুল আস (রা) সালমান ইবন রাবীয়াহ (রা)-কে
ছয়হাজার অশ্বারোহী সৈন্যসহ প্রেরণ করেন ৷ তিনি যখন হাবীবইবন মাসলামার কাছে
পৌছেন, তখন দেখা গেল ইতিমধ্যে আশি হাজার রোমান ও তুর্কী সৈন্যসহ আল মুরীয়ান
আর-রুমী তথায় পৌছে গেছে ৷ হাবীব ইবন মাসলামা (রা) ছিলেন অ৩ ন্তে সাহসী, দুর্জয় ও
দুর্ধর্ষ ৷ তিনি রোমান সৈন্যদের কাছে রাতের বেলায় পমন করার ইচ্ছে পোষণ করেন ৷ তিনি
আমীরদেরকে একথা বললেন এবং তার শ্রী তাকে এ কথা বলতে শুনলেন ৷ তখন তিনি তাকে
বললেন, “আপনার সাথে আমার নির্ধারিত সময় কোথায় ? অর্থাৎ আপামীকাল আপনার সাথে
আমি কোথায় একত্রিত হতে পারব ৷ তখন তিনি স্বীয় ত্রীকে বললেন, তােমার সাথে আমার
সাক্ষাৎ করার নির্ধারিত স্থান হলো আল-মুরীয়ানদেরত র্তাবু অথবা জান্নাত ৷ তারপর তার সাথে
একজন মুসলিম সৈনিককে সাথে করে ঐ রাতে তিনি তাদের দিকে ধাবিত ৩হলেন ৷ যে ব্যচ্ছি
তার দিকে এগিয়ে আসল তাকেই তিনি হত্যা করলেন ৷ আর তার শ্রী তার পুর্বেই
আল-মুরীয়ানদের তষ্কৰুতে পৌছলেন ৷ তিনিই ছিলেন আরবদের মধ্যে সর্বপ্রথম মহিলা যার
জন্যে বিরাট র্তাবু স্থাপন করা হয়েছিল ৷ এরপর হাবীব ইবন মাসলাম (র) ইনতিকাল করেন ৷
আদদৃহাক ইবন কাইস আলফিহরী (র) হাবীব ইবন মাসলামাহ (র),-এর স্থলাভিষিক্ত হন এবং
তার ত্রীর অভিভাবক হন ৷ মহিলাটি ছিল তার উম্মে ওলাদ বা তার সন্তানের মতো ৷

আল্লামা ইবন জারীর (র) বলেন, এ বছর কে লোকজনকে নিয়ে হজ্জ পালন করেছেন তার
মধ্যে মতবিরোধ রয়েছে ৷ আল্লামা আল-ওয়াকিদী (র) ও আবু মাশার (র) বলেন, হযরত
উসমান (রা) এর নির্দেশে আবদুর রহমান ইবন আউফ (রা) ণ্লাকজনকে নিয়ে হজ্জ আদায়
করেন ৷ অন্যরা বলেন, উসমান উবৃন আফ্ফান (রা) লোকজনকে নিয়ে হজ্জ আদায় করেন ৷
প্রথম অজ্যিতটিই অধিক প্রসিদ্ধ ৷ কেননা, উসমান (রা) এ বছর হজ্জ করতে সক্ষম হন নইি ৷
কারণ, অন্যান্য লোকের ন্যায় এ বছরে৩ তিনিও নাকের রক্তক্ষরণ রোগে আক্রান্ত হয়েছিলেন
এবং মৃত্যুমুখে পতিত হওয়ার উপক্রম হয়েছিল ৷ তইি, এ বছরটিকে ৮গ্লু ৷ ই নাকের
রক্তক্ষরণ রোগের বছর বলা হয়ে থাকে ৷ রইি এর বাসিন্দাগণ হুযাইফা ইবন আল-ইয়ামান
(রা) এর সাথে সন্ধি করার পর সন্ধি ভঙ্গ করে ৷ তাই এ বছরেই হযরত আবু মুসা
আল-আশয়ারী (রা) রাই পুনরায় জয় করেন ৷

আর এ বছরেই সুরাকাহ ইবন মালিক ইবন জাশাম আল-মাদলাজী (রা) ইনতিকাল
করেন ৷ তার কুনিয়াত আবু সুফিয়ান ৷ তিনি কাদীদের বাসিন্দা ৷ পবিত্র মক্কা থেকে মদীনা
তয়িবােতে হিজ্যাতের সময় রাসুলুল্পাহ্স্রামোঃ , আবু বকর সিদ্দীক (রা) , আমির ইবন ফুহইিরা
(রা) ও আবদুল্লাহ ইবন আরীকাত আদ-দিলী (রা) যখন সাওর নামক গুহা হতে বের হয়ে
মদীনায় উদ্দেশ্যে রওয়ানা হলেন তখন তাদেরকে পবিত্র মক্কাবাসীদের কাছে ফিরিয়ে আনার
জন্যে তিনি ইচ্ছে পোষণ করেন ৷ কেননা মক্কাবানী রাসুলুল্লাহ্ মোঃ ও আবু বকর সিদ্দীক (রা)


قَالَ ابْنُ جَرِيرٍ: وَفِي هَذِهِ السَّنَةِ جَاشَتِ الرُّومُ حَتَّى خَافَ أَهْلُ الشَّامِ وَبَعَثُوا إِلَى عُثْمَانَ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، يَسْتَمِدُّونَهُ، فَكَتَبَ إِلَى الْوَلِيدِ بْنِ عُقْبَةَ؛ أَنْ إِذَا جَاءَكَ كِتَابِي هَذَا، فَابْعَثْ رَجُلًا أَمِينًا كَرِيمًا شُجَاعًا قِي ثَمَانِيَةِ آلَافٍ أَوْ تِسْعَةِ آلَافٍ أَوْ عَشَرَةِ آلَافٍ إِلَى إِخْوَانِكُمْ بِالشَّامِ. فَقَامَ الْوَلِيدُ بْنُ عُقْبَةَ فِي النَّاسِ خَطِيبًا حِينَ وَصَلَ إِلَيْهِ كِتَابُ عُثْمَانَ، فَأَخْبَرَهُمْ بِمَا أَمَرَهُ بِهِ أَمِيرُ الْمُؤْمِنِينَ، وَنَدَبَ النَّاسَ، وَحَثَّهُمْ عَلَى الْجِهَادِ وَمُعَاوَنَةِ مُعَاوِيَةَ وَأَهْلِ الشَّامِ، وَأَمَّرَ سَلْمَانَ بْنَ رَبِيعَةَ عَلَى النَّاسِ الَّذِينَ يَخْرُجُونَ إِلَى الشَّامِ، فَانْتَدَبَ فِي ثَلَاثَةِ أَيَّامٍ ثَمَانِيَةُ آلَافٍ، فَبَعَثَهُمْ إِلَى الشَّامِ، وَعَلَى جُنْدِ الْمُسْلِمِينَ حَبِيبُ بْنُ مُسْلِمٍ الْفِهْرِيُّ. فَلَمَّا اجْتَمَعَ الْجَيْشَانِ شَنُّوا الْغَارَاتِ عَلَى بِلَادِ الرُّومِ، فَغَنِمُوا وَسَبَوْا سَبْيًا كَثِيرًا، وَفَتَحُوا حُصُونًا كَثِيرَةً. وَلِلَّهِ الْحَمْدُ. وَزَعَمَ الْوَاقِدِيُّ أَنَّ الَّذِي أَمَدَّ أَهْلَ الشَّامِ بِسَلْمَانَ بْنِ رَبِيعَةَ إِنَّمَا هُوَ سَعِيدُ بْنُ الْعَاصِ؛ عَنْ كِتَابِ عُثْمَانَ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، فَبَعَثَ سَعِيدُ بْنُ الْعَاصِ سَلْمَانَ بْنَ رَبِيعَةَ بِسِتَّةِ آلَافِ فَارِسٍ حَتَّى انْتَهَى إِلَى حَبِيبِ بْنِ مَسْلَمَةَ وَقَدْ أَقْبَلَ إِلَيْهِ الْمَوْرِيَانُ الرُّومِيُّ فِي ثَمَانِينَ أَلْفًا مِنَ الرُّومِ وَالتُّرْكِ، وَكَانَ حَبِيبُ بْنُ مَسْلَمَةَ شُجَاعًا شَهْمًا، فَعَزَمَ عَلَى أَنْ يُبَيِّتَ جَيْشَ الرُّومِ، فَسَمِعَتْهُ امْرَأَتُهُ يَقُولُ لِلْأُمَرَاءِ ذَلِكَ، فَقَالَتْ لَهُ: فَأَيْنَ مَوْعِدِي مَعَكَ. تَعْنِي أَيْنَ أَجْتَمِعُ بِكَ غَدًا؟ فَقَالَ لَهَا: مَوْعِدُكِ سُرَادِقُ مَوْرِيَانَ أَوِ الْجَنَّةُ. ثُمَّ نَهَضَ إِلَيْهِمْ فِي اللَّيْلِ بِمَنْ مَعَهُ مِنَ الْمُسْلِمِينَ،
পৃষ্ঠা - ৫৭১৭


প্রত্যেকের জন্যে সংৰাদদাতাকে একশ উট পুরস্কার দেওয়ার জন্যে ঘোষণা করেছিল ৷ সুরাকা
ইবন মালিক (বা) এ পুরস্কার লাভের জন্যে আশা পোষণ করে ৷ কিত্তু আল্লাহ্ তাআলা তাকে
রাসুলুল্লাহ্মোঃ ও তার সংগীদের উপর জয় লাভ করতে সুযেপে দেননি বরং যখন তিনি তাদের
নিকটবর্তী হলেন এবং তিনি রাসুলুল্লাহ্ফ্তে এর কিরাত শুনতে পান তখন তার ঘোড়ার পা
মাটিতে ধেবে যায় ৷ তিনি তখন তাদের কাছে নিরাপত্তা প্রার্থনা করেন এবং তারা তাকে
নিরাপত্তা প্রদান করেন ৷ রাসুলুল্লাহ্ ষ্পুপ্ ণ্শ্, এর অনুমতিক্রাম আবু বকর সিদ্দীক (বা) তার জন্যে
একটি নিরাপত্তানামা লিখে দেন ৷ তারপর তিনিতায়িফ যুদ্ধের পর রাসুলুল্লাহ্র্চুলা ৰুষ্টু এর কাছে
আগমন করেন ও ইসলাম গ্রহণ করেন ৷ রাসুলুল্লাহ্ড়ো তার প্রতি সম্মান প্রদর্শন করেন ৷ তিনি
বলেন, হে আল্লাহ্র রাসুল ৷ হসুজ্জর সাথে উমরাহ করার জন্যে আপনি যে আমাদেরকে অনুমতি
দিয়েছেন তা কি শুধু এ বছরের জন্যে, না চিরকালের জন্যে? রাসুলুল্লাহ্লোঃতাকে বললেন, না,
বরং চিরকালের জন্যে ৷ কিয়ামত পর্যন্ত হত্তজ্জর মধ্যে উমরাহ প্রবেশ করল ৷

আল-বিদায়া — ৩৫


فَقَتَلَ مَنْ أَشْرَفَ لَهُ، وَسَبَقَتْهُ امْرَأَتُهُ إِلَى سُرَادِقِ مَوْرِيَانَ، فَكَانَتْ أَوَّلَ امْرَأَةٍ مِنَ الْعَرَبِ ضُرِبَ عَلَيْهَا سُرَادِقُ، وَقَدْ مَاتَ عَنْهَا حَبِيبُ بْنُ مَسْلَمَةَ بَعْدَ ذَلِكَ، فَخَلَفَ عَلَيْهَا بَعْدَهُ الضَّحَّاكُ بْنُ قَيْسٍ الْفِهْرِيُّ؛ فَهِيَ أُمُّ وَلَدِهِ. قَالَ ابْنُ جَرِيرٍ: وَاخْتُلِفَ فِي مَنْ حَجَّ بِالنَّاسِ فِي هَذِهِ السَّنَةِ؛ فَقَالَ الْوَاقِدِيُّ وَأَبُو مَعْشَرٍ: حَجَّ بِهِمْ عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ عَوْفٍ بِأَمْرِ عُثْمَانَ. وَقَالَ آخَرُونَ: حَجَّ بِالنَّاسِ عُثْمَانُ بْنُ عَفَّانَ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ. وَالْأَوَّلُ هُوَ الْأَشْهَرُ؛ فَإِنَّ عُثْمَانَ لَمْ يَتَمَكَّنْ مِنَ الْحَجِّ فِي هَذِهِ السَّنَةِ لِأَجْلِ رُعَافٍ أَصَابَهُ مَعَ النَّاسِ فِي هَذِهِ السَّنَةِ حَتَّى خُشِيَ عَلَيْهِ. وَكَانَ يُقَالُ لِهَذِهِ السَّنَةِ: سَنَةُ الرُّعَافِ. وَفِيهَا افْتَتَحَ أَبُو مُوسَى الْأَشْعَرِيُّ الرَّيَّ بَعْدَ مَا نَقَضُوا الْعَهْدَ الَّذِي كَانَ وَاثَقَهُمْ عَلَيْهِ حُذَيْفَةُ بْنُ الْيَمَانِ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ. [وَفِيهَا تُوُفِّيَ سُرَاقَةُ بْنُ مَالِكٍ بْنُ جُعْشُمٍ الْمُدْلِجِيُّ] وَفِيهَا تُوُفِّيَ سُرَاقَةُ بْنُ مَالِكٍ بْنُ جُعْشُمٍ الْمُدْلِجِيُّ، وَيُكَنَّى بِأَبِي سُفْيَانَ، كَانَ يَنْزِلُ قُدَيْدًا، وَهُوَ الَّذِي اتَّبَعَ رَسُولَ اللَّهِ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَأَبَا بَكْرٍ وَعَامِرَ بْنَ فُهَيْرَةَ وَعَبْدَ اللَّهِ بْنَ أُرَيْقِطٍ الدِّيَلِيَّ، حِينَ خَرَجُوا مِنْ غَارِ ثَوْرٍ قَاصِدِينَ الْمَدِينَةَ، فَأَرَادَ أَنْ يَرُدَّهُمْ عَلَى أَهْلِ مَكَّةَ لَمَّا جَعَلُوا فِي كُلِّ وَاحِدٍ مِنَ النَّبِيِّ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَأَبِي بَكْرٍ مِائَةً مِنَ الْإِبِلِ، فَطَمِعَ أَنْ يَفُوزَ بِهَذَا الْجُعْلِ، فَلَمْ يُسَلِّطْهُ اللَّهُ عَلَيْهِمْ، بَلْ لَمَّا اقْتَرَبَ مِنْهُمْ وَسَمِعَ قِرَاءَةَ رَسُولِ اللَّهِ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، سَاخَتْ قَوَائِمُ فَرَسِهِ فِي الْأَرْضِ حَتَّى نَادَاهُمْ
পৃষ্ঠা - ৫৭১৮
بِالْأَمَانِ، فَأَعْطَوْهُ الْأَمَانَ، وَكَتَبَ لَهُ أَبُو بَكْرٍ كِتَابَ أَمَانٍ عَنْ إِذْنِ رَسُولِ اللَّهِ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، ثُمَّ قُدِمَ بِهِ بَعْدَ غَزْوَةِ الطَّائِفِ، فَأَسْلَمَ وَأَكْرَمَهُ النَّبِيُّ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَهُوَ الْقَائِلُ: يَا رَسُولَ اللَّهِ أَعُمْرَتُنَا هَذِهِ لِعَامِنَا هَذَا أَمْ لِلْأَبَدِ؟ فَقَالَ لَهُ: «بَلْ لِأَبَدِ الْأَبَدِ، دَخَلَتِ الْعُمْرَةُ فِي الْحَجِّ إِلَى يَوْمِ الْقِيَامَةِ» .