ثم دخلت سنة ثلاث وعشرين
পৃষ্ঠা - ৫৬৬৮
[ثُمَّ دَخَلَتْ سَنَةُ ثَلَاثٍ وَعِشْرِينَ]
[مَا وَقَعَ فِي هَذِهِ السَّنَةِ مِنْ أَحْدَاثٍ]
َ وَفِيهَا وَفَاةُ عُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ
قَالَ الْوَاقِدِيُّ وَأَبُو مَعْشَرٍ: فِيهَا كَانَ فَتْحُ إِصْطِخْرَ وَهَمَذَانَ. وَقَالَ سَيْفٌ: كَانَ فَتْحُهَا بَعْدَ فَتْحِ تَوَّجَ الْآخِرَةِ. ثُمَّ ذَكَرَ أَنَّ الَّذِي افْتَتَحَ تَوَّجَ مُجَاشِعُ بْنُ مَسْعُودٍ، بَعْدَ مَا قَتَلَ مِنَ الْفُرْسِ مَقْتَلَةً عَظِيمَةً، وَغَنِمَ مِنْهُمْ غَنَائِمَ جَمَّةً، ثُمَّ ضَرَبَ الْجِزْيَةَ عَلَى أَهْلِهَا، وَعَقَدَ لَهُمُ الذِّمَّةَ، ثُمَّ بَعَثَ بِالْفَتْحِ وَخُمْسِ الْغَنَائِمِ إِلَى عُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ. ثُمَّ ذَكَرَ أَنَّ عُثْمَانَ بْنَ أَبِي الْعَاصِ افْتَتَحَ جُورَ بَعْدَ قِتَالٍ شَدِيدٍ كَانَ عِنْدَهَا، ثُمَّ افْتَتَحَ الْمُسْلِمُونَ إِصْطَخْرَ، وَهَذِهِ الْمَرَّةُ الثَّانِيَةُ، وَكَانَ أَهْلُهَا قَدْ نَقَضُوا الْعَهْدَ بَعْدَ مَا كَانَ جُنْدُ الْعَلَاءِ بْنِ الْحَضْرَمِيِّ افْتَتَحُوهَا حِينَ جَازَ فِي الْبَحْرِ مِنْ أَرْضِ الْبَحْرَيْنِ وَالْتَقَوْا هُمْ وَالْفُرْسُ فِي مَكَانٍ يُقَالُ لَهُ: طَاوُسٌ. كَمَا تَقَدَّمَ بَسْطُ ذَلِكَ فِي مَوْضِعِهِ. ثُمَّ صَالَحَهُ الْهِرْبِذُ عَلَى الْجِزْيَةِ، وَأَنْ يَضْرِبَ لَهُمُ الذِّمَّةَ. ثُمَّ بَعَثَ بِالْأَخْمَاسِ وَالْبِشَارَةِ إِلَى عُمَرَ.
قَالَ ابْنُ جَرِيرٍ وَكَانَتِ الرُّسُلُ لَهَا جَوَائِزُ، وَتُقْضَى لَهُمْ حَوَائِجُ كَمَا كَانَ رَسُولُ اللَّهِ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، يُعَامِلُهُمْ بِذَلِكَ. ثُمَّ إِنَّ شَهْرَكَ خَلَعَ الْعَهْدَ، وَنَقَضَ الذِّمَّةَ، وَنَشِطَ الْفُرْسُ، فَنَقَضُوا، فَبَعَثَ إِلَيْهِمْ عُثْمَانُ بْنُ أَبِي الْعَاصِ ابْنَهُ وَأَخَاهُ الْحَكَمَ، فَاقْتَتَلُوا
পৃষ্ঠা - ৫৬৬৯
২৩ হিজরীর সুচনা
এ সনেই হযরত উমর উবনুল খাত্তাব (রা)-এর ওফাত ৷ আল্লামা ওয়াকিদী (র) ও আবু
মাশার (র) বলেন, “এ বছরেই ইসতিখার ও হামাদান বিজয় হয় ৷
আল্লামা সাইফ (র) বলেন, এটার বিজয় ছিল দ্বিতীয় তাওয়াজ-এর বিজয়ের পর ৷ তারপর
তিনি উল্লেখ করেন, যিনি পারস্যবাসীদের সাথে প্রচণ্ড যুদ্ধ করার পর তাওয়াজ জয় করেন তিনি
হলেন মাজাশি ইবন মাসুদ ৷ তিনি তাদের থেকে প্রচুর পনীম্তও অর্জন করেছিলেন ৷ তারপর
তিনি বাসিন্দাদের উপর কর ধার্য করেন এবং তারেদকে একটি নিরাপত্তানামা প্রদান করেন ৷
তারপর তিনি হযরত উমর (রা)এর কাছে বিজয়ের সংবাদ ও খুমুসের সরকারী অংশ প্রেরণ
করেন ৷
আল্লামা ওয়াকিদী (র) আরো উল্লেখ করেন যে, উসমান ইবন আবুল আস (রা) প্রচণ্ড
যুদ্ধের পর জাওর জয়লাভ করেন ৷ তারপর মুসলমানগণ ইখতিখার পুনরায় জয় করেন ৷
বাহরাইন জয় করার পথে আল-আলা ইবন আল-হাদরামী (রা)-এর সৈন্যরা একবার ইসতিখার
জয় করেছিলেন ৷ কিন্তু পরে বাসিন্দারা সন্ধি ভঙ্গ করে ৷ মুসলমান ও পারস্য সৈন্যরা একটি
জায়গায় মুখোমুখি হয়েছিল, তাকে তাউস বলা হয় ৷ তারপর হারবাদ কর আদায়ের শর্তে সন্ধি
করেন এবং বাসিন্দাদের জন্যে সন্ধিনামায় দিয়ে দেন ৷ এরপর তিনি খুমুসসহ বিজয়ের শুভ
সংবাদ জ্ঞাপন করে উমর (রা) এর কাছে দুত প্রেরণ করেন ৷
ইবন জারীৱ (র) বলেন, দুতদেরকে পুরস্কার দেওয়া হতো এবং তাদের প্রয়োজন মিটানাে
হতো ৷ রাসুলুল্লাহ্জ্জা ও তাদের সাথে এরুপ আচরণ করতেন ৷ তারপর শাহরাক সন্ধি ভঙ্গ
করল ও সন্ধিনামা বিনষ্ট করল ৷ যে পারস্যবাসীদেরাক উষ্কানি দিল ৷ তাই তারা সন্ধি ভঙ্গ
করল ৷ উসমান ইবন আবুল আস (বা) তার পুত্রকে এবং তাই হাকামকে তাদের দমনের জন্যে
প্রেরণ করেন ৷ তারা পারসাবাসীদের বিরুদ্ধে তুমুল যুদ্ধ করেন ৷ আল্লাহ্ তাআলা মুশরিক
সৈন্যদেরকে পৱাভৃত করেন ৷ আর হাকাম ইবন আবুল আস (র) শাহরাককে হত্যা করেন ৷
তার পুত্রও তার সাথে নিহত হয় ৷ আবু মাশার (র) বলেন, পারস্যের প্রথম যুদ্ধ এবং
ইসতিখারের দ্বিতীয়যুদ্ধ হযরত উসমান (রা)-এর আমলে ২৮ হিজরীতে সংঘটিত হয় ৷ আর
পারস্যের দ্বিতীয় যুদ্ধ ও জাওরের ঘটনা ২৯ হিজরীতে সংঘটিত হয় ৷
ফাসা ও দাৱ আৰ্জারদ-এর বিজয় এবং সারীয়া ইবন যুনইিম-এর কাহিনী
আল্লামা সইিফ্ (র) তার ওন্তাদদের থেকে উল্লেখ করেন যে, সারীয়া ইবন যুনাইম
ফাসাওদার আবজারদ এর অভিযানের উদ্দেশ্যে রওয়ানা হন ৷ পারস্যবাসী ও কুর্দীদের মধ্য হতে
একটি বিরাট সৈন্যদল তার বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার জন্যে জমায়েত হলো ৷ শত্রু সৈন্যের আধিক্য
مَعَ الْفُرْسِ، فَهَزَمَ اللَّهُ جُيُوشَ الْمُشْرِكِينَ، وَقَتَلَ الْحَكَمُ بْنُ أَبِي الْعَاصِ شَهْرَكَ، وَقَتَلَ ابْنَهُ مَعَهُ أَيْضًا.
وَقَالَ أَبُو مَعْشَرٍ: كَانَتْ فَارِسُ الْأُولَى وَإِصْطَخْرُ الْآخِرَةُ سَنَةَ ثَمَانٍ وَعِشْرِينَ فِي إِمَارَةِ عُثْمَانَ، وَكَانَتْ فَارِسُ الْآخِرَةَ وَوَقْعَةُ جَوْرَ فِي سَنَةِ تِسْعٍ وَعِشْرِينَ.
[فَتْحُ فَسَا وَدَارَابْجِرْدَ وَقِصَّةُ سَارِيَةَ بْنِ زُنَيْمٍ]
ذَكَرَ سَيْفٌ عَنْ مَشَايِخِهِ أَنَّ سَارِيَةَ بْنَ زُنَيْمٍ قَصَدَ فَسَا وَدَارَابْجِرْدَ، فَاجْتَمَعَ لَهُ جُمُوعٌ مِنَ الْفُرْسِ وَالْأَكْرَادِ عَظِيمَةٌ، وَدَهَمَ الْمُسْلِمِينَ مِنْهُمْ أَمْرٌ عَظِيمٌ وَجَمْعٌ كَثِيرٌ، فَرَأَى عُمَرُ فِي تِلْكَ اللَّيْلَةِ فِيمَا يَرَى النَّائِمُ مَعْرَكَتَهُمْ وَعَدَدَهُمْ فِي وَقْتٍ مِنَ النَّهَارِ، وَأَنَّهُمْ فِي صَحْرَاءَ، وَهُنَاكَ جَبَلٌ إِنِ اسْتَنَدُوا إِلَيْهِ لَمْ يُؤْتَوْا إِلَّا مِنْ وَجْهٍ وَاحِدٍ، فَنَادَى مِنَ الْغَدِ: الصَّلَاةُ جَامِعَةٌ. حَتَّى إِذَا كَانَتِ السَّاعَةُ الَّتِي رَأَى أَنَّهُمُ اجْتَمَعُوا فِيهَا، خَرَجَ إِلَى النَّاسِ وَصَعِدَ الْمِنْبَرَ فَخَطَبَ النَّاسَ وَأَخْبَرَهُمْ بِصِفَةِ مَا رَأَى، ثُمَّ قَالَ: يَا سَارِيَةُ، الْجَبَلَ الْجَبَلَ! ثُمَّ أَقْبَلَ عَلَيْهِمْ، وَقَالَ: إِنَّ لِلَّهِ جُنُودًا، وَلَعَلَّ بَعْضَهَا أَنْ يُبَلِّغَهُمْ. قَالَ: فَفَعَلُوا مَا قَالَ عُمَرُ، فَنَصَرَهُمُ اللَّهُ عَلَى عَدُوِّهِمْ، وَفَتَحُوا الْبَلَدَ.
وَذَكَرَ سَيْفٌ فِي رِوَايَةٍ أُخْرَى عَنْ شُيُوخِهِ، أَنَّ عُمَرَ بَيْنَمَا هُوَ يَخْطُبُ يَوْمَ
পৃষ্ঠা - ৫৬৭০
ও তাদের প্রকাগু আয়োজনে মুসলমানগণ হতভম্ব ও আতংকিত হয়ে পড়লেন ৷ যুদ্ধের ণ্পুর্বরাতে
হযরত উমর (রা) মুসলিম ও শত্রু সৈন্য সংখ্যা এবং দিনের নির্দিষ্ট সময়ে সংঘটিত তাদের যুদ্ধ
স্বপ্নে দেখলেন ৷ আর মুসলমান সৈন্যদেরকে ময়দানে প্রতিকুলঅবন্থায় অবস্থান করতে
দেখলেন ৷ অথচ তাদের পাশেই রয়েছে পাহাড় ৷ যদি তারা পাহাড়কে পিছে ণ্রনে , শত্রুর
মোকাবিলা করে তাহলে শত্রুরা তাদের প্রতি মাত্র এক দিক দিয়ে হামলা করতে সক্ষম হবে ৷
পরদিন ঐ নির্দিষ্ট সময়ে ঘোষণা করা হলো ’ন্হ্রাপু ’ওব্লুান্এ ৷ দোকজ্যা যখন জমায়েত
হলো ৷ হযরত উমর (রা) জনসমক্ষে বের হলেন ও যিম্বরে আরোহণ করেন এবং জনগণকে
সাম্বাধ্নর্কিরেন ৷ আর তিনি যা স্বপ্নে দেখেছেন এ জ্যোং-তদ্যেকে সংবাদ দিলেন ৷ এরপর
বললেন, ইয়া সারীয়াতাহ আল-জাবাল, আল-জাবাল অর্থাৎ হে সারীয়াহ পাহাড়ে আশ্রয় নাও,
পাহাড়ে আশ্রয় নাও ৷ তারপর তিনি উপস্থিত জনতার প্রতি মুখ ফিরালেন এবং বললেন,
“আল্লাহর বহু সৈন্য-সামত্ত রয়েছে হয়ত কিছু অংশ মুসলিম সৈন্যদের সাহায্যে আসবে ৷
বর্ণনাকারী বলেন, উমর (রা) যেরুপ বললেন সৈন্যরাও অনুরুপ বরেলেন ৷ এরপর আল্লাহ্
তাআলা তাদেরকে তাদের শত্রুদের বিরুদ্ধে সাহায্য দান করলেন এবং তারা শহরটি জয়
করলেন ৷
আল্লামা সাইফ্ (র) তার ওস্তাদগণের মাধ্যমে অন্য এক বর্ণনায় উল্পেখকারন যে, একদিন
উমর (রা) জুমার খুতবা প্রদান কালে বললেন, হে যুনইিমের পুত্র সারীয়াহ পাহাড়, পাহাড়
অর্থাৎ তোমরা পাহাড়ে আশ্রয় গ্রহণ কর ৷ তারপর মুসলমানগণ তথায় অবস্থিত পাহাড়ে আশ্রয়
নিলেন ৷ তাই শক্ররা শুধুমাত্র এক দিক দিয়ে আক্রমণ করার সুযোগ পেল ৷ শত্রুদের বিরুদ্ধে
মুসলমানদেরকে আল্লাহ্ তাআলা সাহায্য করলেন ৷ তারা শহরটি জয় করলেন এবং পর্যাপ্ত
পরিমাংণ সালে গনীমত অর্জন করলেন ৷ গনীমতের মধ্যে এক ঝুড়ি মুক্তা ছিল অন্যতম ৷ হযরত
উমর (রা)-ঝে হাদীয়া হিসেবে প্রদান করার জন্যে সারীয়াহ (র) মুসলমানদের কাছে অনুমতি
প্রার্থনা করলেন ৷ তারা অনুমতি দিলেন ৷ উক্ত ঝুড়িটি যখন দুতের মাধ্যমে খুমুসের সাথে হযরত
উমর (রা) এর কাছে পৌছল, দুত খুমুস নিয়ে হযরত উমর (রা)-এর কাছে হাযির হলো তখন
সে দেখল যে, হযরত উমর (রা) তার হাতে একটি ছড়ি নিয়ে মুসলমানদেরকে খাদ্য
খাওয়ইিতেছেন ৷ উমর (রা) যখন তাকে দেখলেন তখন তাকে বললেন, বস, অথচ তিনি তাকে
চিনতে পারেন নি ৷ লোকটি বসলেন এবং অন্য লোকদের সাথে খাদ্য গ্রহণ করলেন ৷ যখন
তারা খাবার খাওয়া শেষ করলেন, উমর (বা) তার ঘরে প্রত্যাবর্তন করেন এবং নােকটিও তার
পেছনে পেছনে তার ঘরে গমন করলেন ৷ প্রবেশের অনুমতি প্রার্থনা করলেন ৷ যলীফা তাকে
অনুমতি প্রদান করলেন এবং তার সামনে রুটি, যায়তুন তেল ও লবণ রাখা হলো ৷ খলীফা
তাকে বললেন, নিকটে আস ও খাও ৷ খলীফার শ্রী স্বীয় কক্ষে উপবিষ্ট ছিলেন ৷ খলীফা তার
ন্নীহুৰু বলতে লাগলেন হে৷ তুমি কি বের হয়ে আসবে ও খাবেঃ তিনি বললেন, আমি তোমার
কাছে একজন লোকের উপস্থিতি অনুভব করছি ৷ তিনি বললেন, হ্যা, খলীফার, শ্রী বললেন, যদি
তুমি চাও যে আমি পুরুষদের সামনে আসা-যাওয়া করি তাহলে আমাকে আমার এ কাপড়ের
পরিবর্তে অন্য একটি ভাল কাপড় খরিদ করে দেবে ৷
الْجُمُعَةِ إِذْ قَالَ: يَا سَارِيَةُ بْنَ زُنَيْمٍ، الْجَبَلَ الْجَبَلَ! فَلَجَأَ الْمُسْلِمُونَ إِلَى جَبَلٍ هُنَاكَ، فَلَمْ يَقْدِرِ الْعَدُوُّ عَلَيْهِمْ إِلَّا مِنْ جِهَةٍ وَاحِدَةٍ، فَأَظْفَرَهُمُ اللَّهُ بِهِمْ، وَفَتَحُوا الْبَلَدَ، وَغَنِمُوا شَيْئًا كَثِيرًا، فَكَانَ مِنْ جُمْلَةِ ذَلِكَ سَفَطٌ مِنْ جَوْهَرٍ، فَاسْتَوْهَبَهُ سَارِيَةُ مِنَ الْمُسْلِمِينَ لِعُمَرَ، فَلَمَّا وَصَلَ إِلَيْهِ مَعَ الْأَخْمَاسِ، قَدِمَ الرَّسُولُ بِالْخُمْسِ فَوَجَدَ عُمَرَ قَائِمًا فِي يَدِهِ عَصَا، وَهُوَ يُطْعِمُ الْمُسْلِمِينَ سِمَاطَهُمْ، فَلَمَّا رَآهُ عُمَرُ قَالَ لَهُ: اجْلِسْ. وَلَمْ يَعْرِفْهُ. فَجَلَسَ الرَّجُلُ فَأَكَلَ مَعَ النَّاسِ، فَلَمَّا فَرَغُوا انْطَلَقَ عُمَرُ إِلَى مَنْزِلِهِ، وَأَتْبَعَهُ الرَّجُلُ، فَاسْتَأْذَنَ فَأَذِنَ لَهُ، وَإِذَا هُوَ قَدْ وُضِعَ لَهُ خُبْزٌ وَزَيْتٌ وَمِلْحٌ، فَقَالَ: ادْنُ فَكُلْ. قَالَ: فَجَلَسْتُ، فَجَعَلَ يَقُولُ لِامْرَأَتِهِ: أَلَا تَخْرُجِينَ يَا هَذِهِ فَتَأْكُلِينَ؟ فَقَالَتْ: إِنِّي أَسْمَعُ حِسَّ رَجُلٍ عِنْدَكَ. فَقَالَ: أَوَمَا تَرْضَيْنَ أَنْ يُقَالَ: أُمُّ كُلْثُومٍ بِنْتُ عَلِيٍّ وَامْرَأَةُ عُمَرَ! فَقَالَتْ: مَا أَقَلَّ غَنَاءَ ذَلِكَ عَنِّي. ثُمَّ قَالَ لِلرَّجُلِ: ادْنُ فَكُلْ، فَلَوْ كَانَتْ رَاضِيَةً لَكَانَ أَطْيَبَ مِمَّا تَرَى. فَأَكَلَا، فَلَمَّا فَرَغَا، قَالَ: أَنَا رَسُولُ سَارِيَةَ بْنِ زُنَيْمٍ يَا أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ. فَقَالَ: مَرْحَبًا وَأَهْلًا. ثُمَّ أَدْنَاهُ حَتَّى مَسَّتْ رُكْبَتُهُ رُكْبَتَهُ، ثُمَّ سَأَلَهُ عَنِ الْمُسْلِمِينَ، ثُمَّ سَأَلَهُ عَنْ سَارِيَةَ بْنِ زُنَيْمٍ، فَأَخْبَرَهُ، ثُمَّ ذَكَرَ لَهُ شَأْنَ السَّفَطِ مِنَ الْجَوْهَرِ، فَأَبَى أَنْ يَقْبَلَهُ وَأَمَرَ بِرَدِّهِ إِلَى الْجُنْدِ. وَقَدْ سَأَلَ أَهْلُ الْمَدِينَةِ رَسُولَ سَارِيَةَ عَنِ الْفَتْحِ فَأَخْبَرَهُمْ، فَسَأَلُوهُ: هَلْ سَمِعُوا صَوْتًا يَوْمَ الْوَقْعَةِ؟ قَالَ: نَعَمْ، سَمِعْنَا قَائِلًا يَقُولُ: يَا سَارِيَةُ، الْجَبَلَ! وَقَدْ كِدْنَا نَهْلِكُ فَلَجَأْنَا إِلَيْهِ فَفَتَحَ اللَّهُ عَلَيْنَا.
পৃষ্ঠা - ৫৬৭১
খলীফা বললেন, “তুমি কি এটাতে খুশি নও যে, তোমাকে বলা হয়ে থাকে হযরত আলী
(রা)এর কন্যা উষ্মে কুল্সুম্ এবং হযরত উমর (না)-এর ত্রীণ্ তিনি বললেন, এটা আমার জন্যে
কম সৌভাংগ্যর নয় ৷ তারপর খলীফা দোকটিকে বললেন, তুমি অসে এবং খাও , যদি আমার ত্রী
রাজী হতো তাহলে এটা হতো উত্তম ৷ খলীফা ও লোকটি এ দুজনে খেতে বসলেন, এবং
খাওয়ার শেষে লোকটি বলল, “হে আমীরুল মু’মিনীন ৷ আমি সারীয়াহ ইবন যুনাইম (র)-এর
দুত ৷ খলীফা বললেন মারহাবা, সুস্বাগতম’ খলীফা তাকে আরো নিকটে বসালেন এমনকি
খলীফার ইার্টুর সাথে তার ইাটু স্পর্শ করল ৷ তারপর খলীফা মুসলমানদের সম্বন্ধে জিজ্ঞেস
করলেন এবং সারীয়াহ ইবন যুনাইম (র) সম্বন্ধেও জিজ্ঞেস করলেন ৷ লোকটি খলীফাৱ কাছে
বিস্তারিত প্রতিবেদন পেশ করল ৷
তারপর লোকটি খলীফার কাছে মুক্তার ঝুড়িটির কথা উল্লেখ করলেন কিন্তু খলীফা তা
গ্রহণ করলেন না এবং সৈন্যদের কাছে ফেরত পাঠ্বাের নির্দেশ প্রদান করলেন ৷ মদীনায়
বাসিন্দাগণ সারীয়াহর দুতকে বিজয় সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলেন ৷ লোকটি তাদের কাছে সংবাদ
পরিবেশন করলেন ৷ তারপর তারা র্তাকে জ্যিজ্ঞস করলেন, ঘটনার দিন কি তোমরা কোন
আওয়াজ শুনেছিলাে, লোকটি বলল হ্যা’ আমরা একজন ব্যক্তিকে বলতে শুনেছি ৷ তিনি
বলছিলেন, হে সারীয়াহ আল-জাবাল ! আল-জ্বাবাল! আমরা ধ্বংসের মুখোমুখি হয়ে
গিয়েছিলড়াম ৷ তারপর আমরা পাহাড়ের দিকে আশ্রয় নিলাম এবং আল্লাহ্ তাআলা আমাদেরকে
বিজয় দান করলেন ৷ আল্লামা সাইফ (র) ও মুজালিদ (র) এবং ইমাম শাবী (র)-এর মাধ্যমে
অনুরুপ বর্ণনা পেশ করেন ৷
আবদুল্লাহ ইবন ওহাব (র) ইবন উমর (রা) হতে বর্ণনা করেন ৷ তিনি বলেন,
একবার হযরত উমর (রা) একটি অভিযানে সেনাদল প্রেরণ করেন এবং সারীয়াহ নামক এক
ব্যক্তিকে আমীর নিযুক্ত করেন ৷ ইতোমধ্যে উমর (রা) জনগণের উদ্দেশ্যে খুতবাহ পাঠ করার
সময় উভৈচ্চ৪স্বরে বলতে লাগলেন ; অর্থাৎ হে
সারীয়াহ! পাহাড়ে আশ্রয় নাও ৷ তিনবার বললেন ৷ যুদ্ধশেষে সেনাপতির দুত আগমন করলে
হযরত উমর (রা) তাকে জিজ্ঞেস করলেন ৷ তোমরা কি যুদ্ধের সময় কোন আওয়াজ শুনেছিলো
তখন দুত বলল, হে আমীরুল মু মিনীনা আমাদের পরাজিত হবার উপক্রম হয়েছিল
এমতাবস্থায় আমরা একজন আহ্বানকারীকে তিনবার আহ্বান করতে শুনলাম, “হে সারীয়াহা
পাহাড়ে আশ্রয় নাও ৷ আমরা পাহাড়কে আমাদের পেছনে রাখলাম ৷ তারপর আল্লাহ তা আলা
শক্রসেনাদেরকে পরাস্ত করলেন ৷ বর্ণনাকারী বলেন, হযরত উমর (না)-কে বলা হলো নিশ্চয়ই ন্
আপনিই উভৈচ্চঙ্কস্বরে এটা বলছিলেন ৷
আস্লামা ওয়াকিদী (র) হযরত ইবন উমর (রা) হতে বর্ণনা করেন ৷ তিনি বলেন,
“উমর (রা) একদা মিম্বরে দাড়িয়ে বলেন, “হে সারীয়াহ ইবন যুনাইম, পাহাড়ে আশ্রয় নাও ৷
লোকজন বুঝতে পারেনি যে, তিনি কি বলছেন ৷ তারপর সারীয়াহ ইবন যুনাইম (র) মদিনায়
এসে হযরত উমর (রা)এর সাথে সাক্ষাত করেন এবং বলেন, হে আমীরুন ন্মুমিনীনা আমরা
শত্রু দ্বগ্লুরা পরিৰেষ্টিত হয়ে পড়েজ্জিড়াম ৷ আমরা এমনভাবে আমাদের দিনষ্টন্লো কালাতির্পাত
ثُمَّ رَوَاهُ سَيْفٌ عَنْ مَجَالِدٍ عَنِ الشَّعْبِيِّ بِنَحْوِ هَذَا.
وَقَالَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ وَهْبٍ عَنْ يَحْيَى بْنِ أَيُّوبَ عَنِ ابْنِ عَجْلَانَ عَنْ نَافِعٍ عَنِ ابْنِ عُمَرَ، أَنَّ عُمَرَ وَجَّهَ جَيْشًا وَرَأَّسَ عَلَيْهِمْ رَجُلًا يُقَالُ لَهُ: سَارِيَةُ. قَالَ: فَبَيْنَمَا عُمَرُ يَخْطُبُ فَجَعَلَ يُنَادِي: يَا سَارِيَ الْجَبَلَ! ثَلَاثًا. ثُمَّ قَدِمَ رَسُولُ الْجَيْشِ فَسَأَلَهُ عُمَرُ فَقَالَ: يَا أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ هُزِمْنَا فَبَيْنَمَا نَحْنُ كَذَلِكَ إِذْ سَمِعْنَا مُنَادِيًا: يَا سَارِيَةُ الْجَبَلَ! ثَلَاثًا. فَأَسْنَدْنَا ظُهُورَنَا بِالْجَبَلِ فَهَزَمَهُمُ اللَّهُ. قَالَ: فَقِيلَ لِعُمَرَ: إِنَّكَ كُنْتَ تَصِيحُ بِذَلِكَ وَهَذَا إِسْنَادٌ جَيِّدٌ حَسَنٌ.
وَقَالَ الْوَاقِدِيُّ: حَدَّثَنِي نَافِعُ بْنُ أَبِي نُعَيْمٍ، عَنْ نَافِعٍ مَوْلَى ابْنِ عُمَرَ، أَنَّ عُمَرَ قَالَ عَلَى الْمِنْبَرِ: يَا سَارِيَةُ بْنَ زُنَيْمٍ الْجَبَلَ! فَلَمْ يَدْرِ النَّاسُ مَا يَقُولُ حَتَّى قَدِمَ سَارِيَةُ بْنُ زُنَيْمٍ الْمَدِينَةَ عَلَى عُمَرَ، فَقَالَ: يَا أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ كُنَّا مُحَاصِرِي الْعَدُوِّ، فَكُنَّا نُقِيمُ الْأَيَّامَ لَا يَخْرُجُ عَلَيْنَا مِنْهُمْ أَحَدٌ نَحْنُ فِي خَفْضٍ مِنَ الْأَرْضِ وَهُمْ فِي حِصْنٍ عَالٍ، فَسَمِعْتُ صَائِحًا يُنَادِي بِكَذَا وَكَذَا: يَا سَارِيَةُ بْنَ زُنَيْمٍ الْجَبَلَ! فَعَلَوْتُ بِأَصْحَابِي الْجَبَلَ، فَمَا كَانَ إِلَّا سَاعَةً حَتَّى فَتَحَ اللَّهُ عَلَيْنَا.
وَقَدْ رَوَاهُ الْحَافِظُ أَبُو الْقَاسِمِ اللَّالِكَائِيُّ، مِنْ طَرِيقِ مَالِكٍ عَنْ نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ بِنَحْوِهِ، وَفِي صِحَّتِهِ مِنْ حَدِيثِ مَالِكٍ نَظَرٌ.
পৃষ্ঠা - ৫৬৭২
করছিলাম যে, তাদের মধ্য থেকে কেউ আমাদের কাছে আগমন করেনি ৷ আমরা অবস্থান
করছিলাম অপেক্ষাকৃত নীচুভুমিতে ৷ আর শত্রুর৷ অবস্থান করছিল উচু দুর্ণে ৷ তারপর আমি
একজন আহ্বানকারীকে এরুপ আহ্বান করতে শুনলাম, তিনি আহ্বান করছেন, হে সারীয়াহ
ইবন যুনাইম “পাহাড়ে আশ্রয় নাও ৷ তখন আমি আমার সাথীদের নিয়ে পাহাড়ে আশ্রয়
নিলাম ৷ কিছুক্ষণের মধ্যে আল্লাহ তা আলা আমাদেরকে বিজয় দান করলেন ৷ হাফিজ আবুল
কাসিম আলালকা ৷রীও হযরত ইবন উমর (বা) হতে অনুরুপ বর্ণনা করেন ৷ তবে এ সনদের
শুদ্ধতায় মতভেদ রয়েছে
আল্লামা ওয়াকিদী (র) উসামা ইবন যায়িদ (রা) ও আবু সুল৷ ৷ইমান (র) এর মাধ্যমে বর্ণনা
করেন ৷ তারা বলেন, “একদিন হযরত উমর ইবনুল খাত্তাব (রা) জুমার সালাত আদায় করার
জন্যে ঘরের বের হন ৷ তারপর তিনি মিম্বরে আরোহণ করেন ও এক পর্যায়ে উক্ট্রচ্চ৪স্বরে বলতে
লাগলেন, হে সারীয়াহ ইবন যুনাইম, পাহাড়ের আশ্রয় নাও, হে সারীয়াহ ইবন যুনাইম পাহাড়ে
আশ্রয় নাও ৷ যে ব্যক্তি বকরীর সাথে নেকড়ে চবড়াতে চায় তার ষ্টুছুবউ সীমালংঘন হয়ে থাকে ৷
ণরপর তিনি থুতব৷ সমাপ্ত করলেন ৷ ও ন্
তারপর হযরত উমর (রা) এর কাছে সারীয়াহ (রা) এর পএ পৌছে ৷ পত্রে লেখা ছিল,
নিশ্চয়ই জুমার দিন অতটার সময় যখন হযরত উমর (রা) ঘর থেকে বের হয়ে মিম্বরে
দণ্ডায়মান হয়ে কথা বলছিলেন, তখন আল্লাহ্ তাআলা আমাদেরকে বিজয় দান করলেন ৷
সারীয়াহ (র) বলেন, আমি আওয়াজ শুনেছিলাম, হে সারীয়াহ ইর্বৃন যুনাইম! পাহাড়ে আশ্রয়
নাও, হে সারীয়াহ ইবন যুন৷ ৷ইম! পাহাড়ে আশ্রয় নাও ৷ যে ব্যক্তি বকরীর সাথে নেকড়ে চরড়াতে
চায় তার উপর সীমালং ঘন হয়ে থাকে ৷ তারপবু আমার সাথীদেবকে নিয়ে আমি পাহাড়ে
চড়লাম ৷ এর পুর্বে আমরা ছিলাম উপত্যকার নিম্নণ্ডুমাি৩ ৷ আমরা শ্াত্রু দ্বারা পরিবেষ্টিত হয়ে
পড়েহ্নিা৷ম ৷ তারপর আল্লাহ তা আলা আ গ্াদ্বেৰুবেষ্াবিজ্য় দান করনুেন ৷ হযরত উমর (রা) কে
জিজ্ঞেস করা হয়েছিল, একথাটি কেমন করে হয়েছিল? ট্রুহযরক ৩উমব (রা) বলেন, আল্লাহর
শপথ আমার মুখে য৷ এসেছিল তা ই আমি বলেছি লাম্ ৷ উপরের বর্ণনাটি বিভিন্ন সুত্রের
সমন্বয়ে পেশ করা হলো ৷
কিরমান, সিজিস্তান ও মাকরানের বিজয়
আল্লামা সাইফ (র) এর মাধ্যমে তার ওস্তাদদের কাহু থেকে বর্ণনায় ২ব ন জারীর (র)
বলেন, সুহাইল ইবন আদী (র) এর হাতে কিরমান বিজয় হয়েছিল আর তাকে সাহায্য করেছিল
“আবদুল্লাহ ইবন আবদুল্লাহ ইবন উ৩বান (র) ৷ কেউ কেউ বলেন, আবদুল্লাহ ইবন বুদাইল ইবন
ওরাকা আল খাযায়ী এর হাতে কিরমান বিজয় হয়েছিল ৷ প্রচণ্ড যুদ্ধের পর আসিম ইবন আমর
(র) এর হাতে সিজিস্তান বিজয় হয় ৷ দেশটির সীমানা ছিল বিন্তুত আর র্শহরগুলৌ ছিল
বিক্ষিপ্ত ৷ এটা ছিল আস-সানাদ হতে বালখের নদী পর্যন্ত এলাকায় বিন্তুত ৷ এদেশের বাসিন্দারা
তাদের সীমান্তে ও প্রধান প্রধান শহরগুলােতে পুর্বে কান্দাহায়বাসী ও তৃর্কীদের সাথে যুদ্ধে মগ্ন
থাকত ৷ আল-হাকাম ইবন আমর(র)-এর হাতে সাকরান বিজয় হয় ৷ তাকে সাহায্য করেন,
বাশহাব ইবন আল-মাখারিক ইবন শিহাব (র), সুহাইল ইবন আদী (র) ও আবদুল্লাহ ইবন
আবদুল্লাহ (র) ৷ আস-সানাদের বাদশাহর বির্ব্লুন্দ্ধে তারা যুদ্ধ করেন ৷ আল্পাহ্ তাআ,লা
আল-ৰিদায়া — ৩১
وَقَالَ الْوَاقِدِيُّ: حَدَّثَنِي أُسَامَةُ بْنُ زَيْدٍ عَنْ أَسْلَمَ عَنْ أَبِيهِ، وَأَبُو سُلَيْمَانَ، عَنْ يَعْقُوبَ بْنِ زَيْدٍ، قَالَا: خَرَجَ عُمَرُ بْنُ الْخَطَّابِ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، يَوْمَ الْجُمُعَةِ إِلَى الصَّلَاةِ فَصَعِدَ الْمِنْبَرَ ثُمَّ صَاحَ: يَا سَارِيَةُ بْنَ زُنَيْمٍ الْجَبَلَ! يَا سَارِيَةُ بْنَ زُنَيْمٍ الْجَبَلَ! ظَلَمَ مَنِ اسْتَرْعَى الذِّئْبَ الْغَنَمَ. ثُمَّ خَطَبَ حَتَّى فَرَغَ، فَجَاءَ كِتَابُ سَارِيَةَ إِلَى عُمَرَ: إِنَّ اللَّهَ قَدْ فَتَحَ عَلَيْنَا يَوْمَ الْجُمُعَةِ سَاعَةَ كَذَا وَكَذَا - لِتِلْكَ السَّاعَةِ الَّتِي خَرَجَ فِيهَا عُمَرُ فَتَكَلَّمَ عَلَى الْمِنْبَرِ - قَالَ سَارِيَةُ: فَسَمِعْتُ صَوْتًا: يَا سَارِيَةُ بْنَ زُنَيْمٍ، الْجَبَلَ! يَا سَارِيَةُ بْنَ زُنَيْمٍ الْجَبَلَ! ظَلَمَ مَنِ اسْتَرْعَى الذِّئْبَ الْغَنَمَ. فَعَلَوْتُ بِأَصْحَابِيَ الْجَبَلَ، وَنَحْنُ قَبْلَ ذَلِكَ فِي بَطْنِ وَادٍ وَنَحْنُ مُحَاصِرُو الْعَدُوِّ فَفَتَحَ اللَّهُ عَلَيْنَا. فَقِيلَ لِعُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ: مَا ذَلِكَ الْكَلَامُ؟ فَقَالَ: وَاللَّهِ مَا أَلْقَيْتُ لَهُ بَالًا؛ شَيْءٌ أُلْقِيَ عَلَى لِسَانِي. فَهَذِهِ طُرُقٌ يَشُدُّ بَعْضُهَا بَعْضًا.
ثُمَّ ذَكَرَ ابْنُ جَرِيرٍ، مِنْ طَرِيقِ سَيْفٍ، عَنْ شُيُوخِهِ، فَتْحَ كِرْمَانَ عَلَى يَدَيْ سُهَيْلِ بْنِ عَدِيٍّ، وَأَمَدَّهُ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عِتْبَانَ. وَقِيلَ: عَلَى يَدَيْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ بُدَيْلِ بْنِ وَرْقَاءَ الْخُزَاعِيِّ.
وَذَكَرَ فَتْحَ سِجِسْتَانَ عَلَى يَدَيْ عَاصِمِ بْنِ عَمْرٍو، بَعْدَ قِتَالٍ شَدِيدٍ
পৃষ্ঠা - ৫৬৭৩
وَكَانَتْ ثُغُورُهَا مُتَّسِعَةً وَبِلَادُهَا مُتَبَايِنَةً مَا بَيْنَ السِّنْدِ إِلَى نَهْرِ بَلْخَ، وَكَانُوا يُقَاتِلُونَ الْقَنْدَهَارَ وَالتُّرْكَ مِنْ ثُغُورِهَا وَفُرُوجِهَا.
وَذَكَرَ فَتْحَ مُكْرَانَ عَلَى يَدَيِ الْحَكَمِ بْنِ عَمْرٍو، وَأَمَدَّهُ شِهَابُ بْنُ الْمُخَارِقِ بْنِ شِهَابٍ وَسُهَيْلُ بْنُ عَدِيٍّ، وَعَبْدُ اللَّهِ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ، فَاقْتَتَلُوا مَعَ مَلِكِ السِّنْدِ، فَهَزَمَ اللَّهُ جُمُوعَ السِّنْدَ، وَغَنِمَ الْمُسْلِمُونَ مِنْهُمْ غَنِيمَةً عَظِيمَةً، وَكَتَبَ الْحَكَمُ بْنُ عَمْرٍو بِالْفَتْحِ، وَبَعَثَ بِالْأَخْمَاسِ مَعَ صُحَارٍ الْعَبْدِيِّ، فَلَمَّا قَدِمَ عَلَى عُمَرَ سَأَلَهُ عَنْ أَرْضِ مُكْرَانَ، فَقَالَ: يَا أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ، أَرْضٌ سَهْلُهَا جَبَلٌ، وَمَاؤُهَا وَشَلٌ، وَثَمَرُهَا دَقَلٌ، وَعَدُوُّهَا بَطَلٌ، وَخَيْرُهَا قَلِيلٌ، وَشَرُّهَا طَوِيلٌ، وَالْكَثِيرُ بِهَا قَلِيلٌ، وَالْقَلِيلُ بِهَا ضَائِعٌ، وَمَا وَرَاءَهَا شَرٌّ مِنْهَا. فَقَالَ عُمَرُ: أَسَجَّاعٌ أَنْتَ أَمْ مُخْبِرٌ؟ فَقَالَ: لَا بَلْ مُخْبِرٌ. فَكَتَبَ عُمَرُ إِلَى الْحَكَمِ بْنِ عَمْرٍو أَنْ لَا يَغْزُوَ بَعْدَ ذَلِكَ مُكْرَانَ، وَلْيَقْتَصِرُوا عَلَى مَا دُونَ النَّهْرِ.
وَقَدْ قَالَ الْحَكَمُ بْنُ عَمْرٍو فِي ذَلِكَ
لَقَدْ شَبِعَ الْأَرَامِلُ غَيْرَ فَخْرٍ ... بِفَيْءٍ جَاءَهُمُ مِنْ مُكَّرَانِ
পৃষ্ঠা - ৫৬৭৪
আস-র্সনােদের সেনাবাহিনীকে পরাতুত করেন ৷ তাদের থেকে মুসলমালীে৷ বিপুল পরিমাণ
গনীমত অর্জন করেন ৷ ই
আল-হাকাম ইরন আমর (র), হযরত উমর (রা) এর কাছে সুহার আল-আবদী (র) এর
মাধ্যমে বিজয়ের সংবাদ ও খুমুসের সরকারী অংশ প্রেরণ করেন ৷ সুহার আল-আবদী (র) যখন
হযরত উমর (রা) এর কাছে আগমন করেন তখন তিনি তাকে মাকরান ভুখণ্ড সম্বন্ধে প্রশ্ন
করেন ৷ উত্তরে তিনি বলেন, হে আমীরুল মু ’মিনীন! চুা৷করান এমন একটি ভুখণ্ড যার সমভুমি
হচ্ছে পাহাড়, ম্পোানি হচ্ছে স্বল্প, ;মার ফল-ফলাদি হচ্ছে খারাপ ও ব্লিম্ন মানের, যার দুশমন হচ্ছে
বাহাদুর, যার কল্যাণ হচ্ছে কম, যার অকল্যাণ হচ্ছে দীর্ঘ ব৷ র্বৈন্নি, যার সঞ্চয় বা অতিরিক্ত
হচ্ছে স্বল্প, যার স্বল্প হুচ্ছে; ধ্বংসপ্রাপ্ত ৷ আর এগুলো রক্কুভুত আর যা কিছু আছেযেগুলো আরো
ণ্বেশি খারাপ ৷ ণ্উমৰু,(বা) রনুেন, তৃমি কি কবিতা রচুয়িতা, নাহুসংবাদদাতা ৷ তিনি বললেন, না
সংবাদদাতা ৷ ড় ষ্ ’ হযরত উমর (রা) আল-হাকাম ইরন আমর (র) এর কাছে পত্র লিখে
নির্দেশ দেন, এর ন্মাকরান্নে আর যুদ্ধ না করেন নহর র্লো যেন মুসলিম সৈন্যরা ক্ষান্ত
ত্থাকে ৷ আল-ছুাকামদ্ভুহু ইরন আমর (র) এ সম্পর্কে বন্মেন
মাকরান থেকেত্ত্বআফ্তে গনীমতের মাল দ্বারান্ ৰিধবাগ্লোঃব্রুশুারি৩ ট্রুপ্তি অর্জন করল, এটা
গববিহীন সাধারণড়াবে বষুছুক্ত ৰুৰ্বা যাওছু ৷ দৃর্ভিক্ষ ও অভাব অ্যাংক্ষ্ম পর এ গান তাদের কাছে
পৌছল ৷ অভারের কাবণেৰুণীতশ্মৌসুমে ধোয়৷ থেফোখৰুলি হর্ষেগৈছে ৷ অর্থাৎ শীত থেকে রক্ষা
পৃাবার জন্যে পর্ষাপ্তআগুন ব্যুবহার সম্ভব হচ্ছে না ৷ আর্মি এমনস্বীনুষ সেনাবাহিনী যার কাজে
সমালোচনা করে না ৷ অদ্৷ ঈৰুা৷ষ্ন্ত্রর কিংবা বল্লম্ভমরও প্রকার কুখ্যাতি নেই ৷ অতি
প্রভ্যুয়ে আমি দুবৃত্তু জনসা
, , ওক্ষ্মপবাধীদেবকে হুবিস্তস্তুষ্এৰুস্ সানাদ পর্বত বি৩ ৷ড়িত
করলাম ৷ আর; মেহরান আমাদের দখলে এসে যান,হ প্রশানবান্বঠু
বশ্যতা ম্বীকা ৷র করে, তাদের মধ্যে অরাধ্য আর কেউ নেই, যদি আমার আমীর আমাকে নিষেধ
না করতেন তাহলে আমি এটাকেৰুকালো অ ৷চিলের ন্যায় টুকরো টুকরো করে কেটে ফেলতাম ৷
কুর্দচিদর বিরুদ্ধে যুদ্ধ
আল্লামা স ইফ (র) এর মাধ্যমে তার ওন্তাদদেব্লু কাছ থেকে বর্ণনায় ইরন জারীর (র)
উল্লেখ করেন যে, কুর্দীদের একটি দলের সাথে পারসিকদেৱশ্ একটি দল মিলিত হয়ে
মুসলমানদের বিরুদ্ধে জমায়েত হয় ৷ আবু মুসা আশয়ারী (রা) তীরী নদীর বাইরোয’ ভুখণ্ডের
এক জায়গায় তাদের মোকাবিলা করেন ৷ তারপর তিনি৷ তাদের থেকে মুখ ফিরিয়ে ইস্পাহানের
দিকে অগ্রসর হন এবং আল মুহাজির ইরন যিয়াদের নিহত হবার পর তাদের সাথে যুদ্ধ করার
জন্যে তার ভাই রাবী ইরন যিয়াদকে প্রতিনিধি রেখে যান ৷ তিনি যুদ্ধ পরিচালনা করেন এবং
শত্রুদের উপর চাপ সৃষ্টি করেন ৷ আল্লাহ তা আলা ,শত্রুকে পৃরাভুত করেন ৷ এটা আল্লাহ্
তা আলার চিরাচরির্ত ও প্রতিষ্ঠিত নিয়ম যা তার মুমিন বান্দা সকল, স্রফলকাম দল ও রাসুলুল্লাহ্
স্স্ত্র দ্যোএ-র প্রকৃত অনুসারীদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য ৷৩ তার পৃ র গনীমতের এক পঞ্চমাংশ মাল পৃথক
করা হয় এবং রাবী ইরন যিয়াদ (র) বিজয়ের সংবাদ ও এক পঞ্চমাংশ গনীমতসহ হযরত উমর
(রা) এর কাছে দুত প্রেরণ করেন ৷
€০া৷া
তথাকার জনগণ আমাদের
أَتَاهُمْ بَعْدَ مَسْغَبَةٍ وَجَهْدٍ
وَقَدْ صَفِرَ الشِّتَاءُ مِنَ الدُّخَانِ ... فَإِنِّي لَا يَذُمُّ الْجَيْشُ فِعْلِي
وَلَا سَيْفِي يُذَمُّ وَلَا سِنَانِي ... غَدَاةَ أُدَفِّعُ الْأَوْبَاشَ دَفْعَا
إِلَى السِّنْدِ الْعَرِيضَةِ وَالْمَدَانِي ... وَمِهْرَانٌ لَنَا فِيمَا أَرَدْنَا
مُطِيعٌ غَيْرَ مُسْتَرْخِي الْعِنَانِ ... فَلَوْلَا مَا نَهَى عَنْهُ أَمِيرِي
قَطَعْنَاهُ إِلَى الْبُدُدِ الزَّوَانِي
[غَزْوَةُ الْأَكْرَادِ]
ثُمَّ ذَكَرَ ابْنُ جَرِيرٍ بِسَنَدِهِ عَنْ سَيْفٍ، عَنْ شُيُوخِهِ، أَنَّ جَمَاعَةً مِنَ الْأَكْرَادِ وَالْتَفَّ إِلَيْهِمْ طَائِفَةٌ مِنَ الْفُرْسِ اجْتَمَعُوا، فَلَقِيَهُمْ أَبُو مُوسَى بِمَكَانٍ مِنْ أَرْضٍ بَيْرُوذَ قَرِيبٍ مِنْ نَهْرِ تِيرَى، ثُمَّ سَارَ عَنْهُمْ أَبُو مُوسَى إِلَى أَصْبَهَانَ، وَقَدِ اسْتَخْلَفَ عَلَى حَرْبِهِمُ الرَّبِيعَ بْنَ زِيَادٍ بَعْدَ مَقْتَلِ أَخِيهِ الْمُهَاجِرِ بْنِ زِيَادٍ، فَتَسَلَّمَ الْحَرْبَ وَهُوَ حَنِقٌ عَلَيْهِمْ، فَهَزَمَ اللَّهُ الْعَدُوَّ. وَلِلَّهِ الْحَمْدُ وَالْمِنَّةُ، كَمَا هِيَ عَادَتُهُ الْمُسْتَمِرَّةُ وَسُنَّتُهُ الْمُسْتَقِرَّةُ، فِي عِبَادِهِ الْمُؤْمِنِينَ، وَحِزْبِهِ الْمُفْلِحِينَ مِنْ أَتْبَاعِ سَيِّدِ الْمُرْسَلِينَ. ثُمَّ خُمِّسَتِ الْغَنِيمَةُ وَبُعِثَ بِالْفَتْحِ وَالْأَخْمَاسِ إِلَى عُمَرَ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ.
পৃষ্ঠা - ৫৬৭৫
দাব্বাহ ইবন মুহসিন আল-আনাষী, আবু মুসা আশয়ারী (রা)-এর বিরুদ্ধে হযরত উমর
(রা) এর কাছে অভিযোগ দায়ের করেন ৷ তিনি’তার অভিযোগ নামায় ছয়টি অভিযোগ পেশ
করেন যেগুলোর মাধ্যমে তার উপর প্রতিহিং সার প্রতিশোধ নেওয়া উদ্দেশ্য নয় ৷৩ তাই উমর
(রা) তাকে তলব করেন এবং এগুলো সম্বন্ধে জিজ্ঞেস করেন ৷ তিনি এগুলো সম্বন্ধে অনুশোচনা
করেন ও গ্রহণীয় কতিপয় কারণ প্রদর্শন করে ক্ষমা প্রার্থনা করেন ৷ হযরত উমর (রা) এগুলো
শ্রবণ করেন ও গ্রহণ করেন ৷ আর তাকে তার দায়িত্বে ফেরত পাঠালেন এবং দাব্বাহও তার
প্রতিউত্তরে সন্তুষ্ট হয়ে অভিযোগ প্রত্যাহার করেন ৷ যখন হযরত উমর (রা) ইনতিকাল করেন
তখন আবুমুসা (রা) ছিলেন বসরার সালাত আদায়ের দায়িত্বে ৷
সালামাহ ইবন কইিস আল-অড়াশজায়ী ও কুর্দীদের সংবাদ
হযরত উমর (রা) সালামাহ ইবন কইিস আল-আশজারী (র)-কে একটি সারীয়াহর প্রধান
হিসেবে বহু গুরুত্বপুর্ণ নসীহত সহকারে প্রেরণ করেন ৷ সহীহ্ মুসলিমে হযরত বুরাইদা
(না)-এর মাধ্যমে এ হাদীসঢির মর্ম বর্ণিত রয়েছে ৷ রাসুলুল্লাহ্ট্ট-র্দুছু ইরশাদ করেন, “আল্লাহর
নামে যুদ্ধ কর এবং আল্লাহর সাথে যে কুফরী করে তার বিরুদ্ধে যুদ্ধ কর ৷ ” সালামাহ (র) ও
তার সাথীরা অগ্রসর হলেন এবং মুশরিকদের একটি বড় দলের মুখোমুখি হলেন ৷ তখন তারা
শত্রুদের সামনে তিনটি বিষয় উত্থাপন করেন ও যে কোন একটি কবুল করতে আহ্বান জানান ৷
প্রথমত তাদের কাছে ইসলাম গ্রহণ করার জন্যে দাওয়াত পেশ করেন ৷ তারা অস্বীকার
করার তাদেরকে কর প্রদানের জন্যে বলা হয় ৷ কর প্রদান অস্বীকার করার যুদ্ধের জন্যে আহ্বান
করা হয় ৷ এরপর তাদের বিরুদ্ধে প্রচণ্ড যুদ্ধ হয় ৷ তাদের যােদ্ধাদেরকে হত্যা করা হয় এবং
যুদ্ধশেষে তাদের পরিবার-পরিজনকে বন্দী করা হয় এবং তাদের সম্পদ মুসলমানদের কাছে
গনীমত হিসেবে বিবেচিত হয় ৷ তারপর সালামাহ ইবন কইিস (র) হযরত উমর (রা)-এর কাছে
বিজয়ের সংবাদ ও গনীমতের মালসহ দুত প্রেরণ করেন ৷ উমর (রা) জনগণকে ভোজন
করাচ্ছিলেন ৷ দুতের আগমন সম্বন্ধে হযরত উমর (রা)-কে অবগত করানো হয় ৷ দুত খলীফার
সাথে তার বাড়িতে যান ৷ উষ্মে কুলসুম বিনত আলী (না)-এর ঘটনা সংঘটিত হয় ৷ তিনিও
হযরত তালহ৷ (বা) এবং অন্যান্যের ন্তীদের ন্যায় উন্নতমানের পোশাকের দাবি করেন ৷
খলীফা তাকে বলেন, তােমার জন্যে কি এটা যথেষ্ট নয় যে, তোমাকে বলা হয়, “হযরত
আলী (রা) এর কন্যা এবং আমীরুল মুমিনীন উমর (রা) এর শ্রী ৷ এসব বর্ণনার পর ইবন
জারীর (র) খলীফড়ার সাধারণ পানাহার ও মােটা পােশাকাদির বর্ণনা দেন ৷ তারপরও তিনি
মুহাজিরদের খবরাখবর, তাদের খাওয়া-পরার ও চালচলনের ধরনাদি ইত্যাদি বর্ণনা করেন ৷
তিনি বলেন, তাদের বৃক্ষস্বরুপ গোশত কি তারা ভক্ষণ করে না? এবং তাদের এ বৃক্ষস্বরুপ
গােশত ব্যতীত অন্য কোন উল্লেখযোগ্য খাদ্যসামষী কি ছিল না? আর খলীফার কাছে এক ঝুড়ি
মুক্তা উপহার হিসেবে উপস্থাপন ও এটা নিতে খলীফার অস্বীকৃতি এবং সৈন্যদের মধ্যে বন্টন
করে দেওয়ার নির্দেশ ইত্যাদির বিস্তারিত বর্ণনা পেশ করেন আল্লামা ইবন জারীর ৷
আল্পামা ইবন জারীর (র) বলেন, “এ বছরেই উমর (রা) রাসুলুল্পাহ্নোং এর
সহধর্মিণীদেরকে নিয়ে হজ্জব্রত পালন করেন ৷ আর এটাই ছিল তীর সর্বশেষ হজ্জ ৷ এ বছরেই
وَقَدْ سَارَ ضَبَّةُ بْنُ مِحْصَنٍ الْعَنَزِيُّ، فَاشْتَكَى أَبَا مُوسَى إِلَى عُمَرَ، وَذَكَرَ عَنْهُ أُمُورًا لَا يُنْقَمُ عَلَيْهِ بِسَبَبِهَا، فَاسْتَدْعَاهُ عُمَرُ، فَسَأَلَهُ عَنْهَا، فَاعْتَذَرَ مِنْهَا بِوُجُوهٍ مَقْبُولَةٍ فَسَمِعَهَا عُمَرُ وَقَبِلَهَا، وَرَدَّهُ إِلَى عَمَلِهِ وَعَذَرَ ضَبَّةَ فِيمَا تَأَوَّلَهُ. وَمَاتَ عُمَرُ وَأَبُو مُوسَى عَلَى صَلَاةِ الْبَصْرَةِ.
[خَبَرُ سَلَمَةَ بْنِ قَيْسٍ الْأَشْجَعِيِّ وَالْأَكْرَادِ]
بَعَثَهُ عُمَرُ أَمِيرًا عَلَى سَرِيَّةٍ، وَوَصَّاهُ بِوَصَايَا كَثِيرَةٍ بِمَضْمُونِ حَدِيثِ بُرَيْدَةَ فِي " صَحِيحِ مُسْلِمٍ ": " «اغْزُوا بِسْمِ اللَّهِ قَاتِلُوا مَنْ كَفَرَ بِاللَّهِ» ". الْحَدِيثَ إِلَى آخِرِهِ. فَسَارُوا فَلَقَوْا جَمْعًا مِنَ الْمُشْرِكِينَ فَدَعَوْهُمْ إِلَى إِحْدَى ثَلَاثِ خِلَالٍ، فَأَبَوْا أَنْ يَقْبَلُوا وَاحِدَةً مِنْهَا، فَقَاتَلُوهُمْ فَقَتَلُوا مُقَاتَلَتَهُمْ، وَسَبَوْا ذَرَارِيَّهُمْ، وَغَنِمُوا أَمْوَالَهُمْ. ثُمَّ بَعَثَ سَلَمَةُ بْنُ قَيْسٍ رَسُولًا إِلَى عُمَرَ بِالْفَتْحِ وَبِالْغَنَائِمِ، فَذَكَرُوا وُرُودَهُ عَلَى عُمَرَ وَهُوَ يُطْعِمُ النَّاسَ، وَذَهَابَهُ مَعَهُ إِلَى مَنْزِلِهِ؛ كَنَحْوِ مَا تَقَدَّمَ مِنْ قِصَّةِ أُمِّ كُلْثُومٍ بِنْتِ عَلِيٍّ، وَطَلَبِهَا الْكُسْوَةَ كَمَا يَكْسُو طَلْحَةُ وَغَيْرُهُ أَزْوَاجَهُمْ، فَقَالَ: أَلَا يَكْفِيَكِ أَنْ يُقَالَ: بِنْتُ عَلِيٍّ وَامْرَأَةُ أَمِيرِ الْمُؤْمِنِينَ! ثُمَّ ذَكَرَ طَعَامَهُ الْخَشِنَ وَشَرَابَهُ مِنْ سُلْتٍ، ثُمَّ شَرَعَ يَسْتَعْلِمُهُ عَنْ أَخْبَارِ الْمُهَاجِرِينَ،
পৃষ্ঠা - ৫৬৭৬
তিনি ইনতিকাল করেন ৷ তারপর ইবন জারীর (র) উমর (রা)-এর শহীদ হওয়ার পুর্ণ ও
বিস্তারিত বর্ণনা পেশ করেন ৷ হযরত উমর (রা)-এর জীবন কথার শেবাংশে এ নিয়ে বিস্তারিত
আলোচনা উপস্থাপন করা হয়েছে ৷
হযরত উমর (রা)-এর পুর্ণ নাম উমর ইবন আল-খাত্তাব ইবন ৰুফাইল ইবন আবদুল উয্যা
ইবন রাবাহ ইবন আবদুল্লাহ ইবন কারত ইবন রাবাহ ইবন আলী ইবন কা’ব ইবন লুই ইবন
গ্া৷লিব ইবন ফিহর ইবন মালিক ইবন আন-নাদড়ার ইবন কিনানাহ ইবন খুযাইমাহ ইবন
মুদরিকাহ ইবন ইলয়াছ ইবন মুদার ইবন নাযার ইবন মুয়াদ ইবন আদনান আল-কারাশী ৷ তার
কুনিয়াত আবু হাফ্স আল-আদভী ৷ তার উপাধি আল-ফারুক ৷ কেউ কেউ বলেন, কিতাবীরা
তাকে এ উপাধি দিয়েছিল ৷ তার মায়ের নাম ছিল হানতড়ামাহ বিনত হিশাম ৷ আবু জেহেল ইবন
হিশামের ভগ্নি ৷ ’
হযরত উমর (রা) যখন ইসলাম গ্রহণ করেন, তার বয়স ছিন ২৭ বছর ৷ তিনি বদর ও
উহুদ যুদ্ধসহ রাসুলুল্লাহ্লোঃ এর সাথে সবগুলো যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন ৷ তিনি অনেকগুলো
সারীয়াহতে অংশগ্রহণ করেন ৷ কিছু সংখ্যক সারীয়াহ তিনি নিজেও পরিচালনা করেন ৷ তাকেই
প্রথম আমীরুল মুমিনীন বলা হয়েছিল ৷ তিনিই প্রথম পত্র লিখার সময় তারিখ লিখার নিয়ম
চালু করেছিলেন ৷ তিনিই প্রথম লোকজনকে সালাতে তারাবীহ পড়ার জন্যে একত্রিত
করেছিলেন ৷ তিনিই প্রথম মদীনায় ভৈনশ প্রহরার নীতি চালু করেছিলেন ৷ তিনিই সর্বপ্রথম সঙ্গে
বেত রাখতেন এবং বেত্রাঘাতে শাস্তি প্রদান করতেন ৷ কেউ মদ পান করলে তিনি তাকে ৮০টি
শৃবত্রাঘাতে শাস্তি প্রদান করতেন ৷ তিনি নতুন নতুন বিজয়ের সুচনা করেন ও নতুন নতুন
শহরের ভিত্তি প্রস্তর রাখেন ৷ তিনি সেনাবাহিনীকে সংস্কার করে কর ধার্য করেন ৷
হযরত উমর (রা)-এর আমলে মুসলিম সয়ােজ যথেষ্ট বিস্তার লাভ করে ৷ এ সকল বিজিত
অঞ্চল হতে যে ভুমি রাজস্ব বা খাজনা আদায় করা হতো তা-ই খারাজবা ভুমি কর নামে
পারিচিত ৷ অমুসলমান কৃষকদেরকে এ কর দিতে হতো ৷ সুষ্ঠু সামরিক প্রশাসনের জন্য
সাম্রাজ্যকে নয়টি সামরিক জেলায় বিভক্ত করা হয়েছিল-মদীনা, কুফা, বসরা, ফুস্তাত, মিসর,
দামেশক, হিমৃস, ফিলিস্তিন ও মসুল ৷ তিনি রাজস্ব বণ্টন নীতি প্রণয়ন করেন ৷ তিনি ভাতা
তালিকা প্রণয়ন করেন ৷ মুসলমানদের (আরব ও অনারব) নাম এবং কে কত বৃত্তি ও ভাতা
পারে তার পরিমাণ দিওয়ান বা ভাতা তালিকায় উল্লিখিত থাকত ৷ দিওয়ান বা ভাতা তালিকার
সৰ্বাগ্রে ছিলেন নৰীজীর পরিবড়ারবর্গ ও আত্মীয়স্বজন ৷ তিনিই উপচৌকন প্রদানের ব্যবস্থা
করেন ৷ খলীফা উমর (রা) বিচার ব্যবস্থা কাযীর উপর ন্যস্ত করেন ৷ প্রয়োজনে খলীফা স্বয়ং
কাযীর দরবারে উপস্থিত হয়ে নিজ অপরাধের জন্য আত্মপক্ষ সমর্থন করতেন ৷ হযরত উমর
(রা) শাসন কার্যের সুবিধার জন্যে সাম্রাজ্যকে বিভিন্ন অঞ্চলে বিভক্ত করেছিলেন ৷ যেমন
সাওয়াদ, আহওয়ায, জিবাল, ফারিস ইত্যাদি ৷ সিরিয়ার সবটুকু ও সম্পুর্ণরুপে জয়লাভ
করেছিলেন ৷ তিনি আরো জয়লাভ করেন : ইরাক, মুসল, মিয়া ফারিকাইন, আমাদ, আর
মীনীয়াহ, মিসর ও ইসকান্দারীয়াহ ৷ তিনি যখন ইনতিকাল করেন তখন তার সৈন্যরা ছিল
রাই-এর শহরগুলো ৰিজয়ে ব্যস্ত ৷ তিনি জয়লাভ করেন : সিরিয়ার ইয়ারমুক , বসরা , দামেশক ,
وَكَيْفَ طَعَامُهُمْ وَأَشْعَارُهُمْ؟ وَهَلْ يَأْكُلُونَ اللَّحْمَ الَّذِي هُوَ شَجَرَتُهُمْ - وَلَا بَقَاءَ لِلْعَرَبِ دُونَ شَجَرَتِهِمْ؟ وَذَكَرَ عَرْضَهُ عَلَيْهِ ذَلِكَ السَّفَطَ مِنَ الْجَوْهَرِ، فَأَبَى أَنْ يَأْخُذَهُ وَأَقْسَمَ عَلَى ذَلِكَ، وَأَمَرَهُ بِأَنْ يَرُدَّهُ فَيُقَسَّمَ بَيْنَ الْغَانِمِينَ. وَقَدْ أَوْرَدَهُ ابْنُ جَرِيرٍ مُطَوَّلًا جِدًّا.
وَقَالَ ابْنُ جَرِيرٍ وَفِي هَذِهِ السَّنَةِ حَجَّ عُمَرُ بِأَزْوَاجِ النَّبِيِّ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَهِيَ آخِرُ حَجَّةٍ حَجَّهَا، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ.
قَالَ: وَفِي هَذِهِ السَّنَةِ كَانَتْ وَفَاتُهُ. ثُمَّ ذَكَرَ صِفَةَ مَقْتَلِهِ مُطَوَّلًا أَيْضًا، وَقَدْ ذَكَرْتُ ذَلِكَ مُسْتَقْصًى فِي آخِرِ " سِيرَةِ عُمَرَ "، فَلْيُكْتَبْ مِنْ هُنَاكَ إِلَى هُنَا.
وَهُوَ عُمَرُ بْنُ الْخَطَّابِ بْنِ نُفَيْلِ بْنِ عَبْدِ الْعُزَّى بْنِ رِيَاحِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ قُرْطِ بْنِ رُزَاحَ بْنِ عَدِيِّ بْنِ كَعْبِ بْنِ لُؤَيِّ بْنِ غَالِبِ بْنِ فِهْرِ بْنِ مَالِكِ بْنِ النَّضِرِ بْنِ كِنَانَةَ بْنِ خُزَيْمَةَ بْنِ مُدْرِكَةَ بْنِ إِلْيَاسَ بْنِ مُضَرَ بْنِ نِزَارِ بْنِ مَعْدِّ بْنِ عَدْنَانَ، الْقُرَشِيُّ، أَبُو حَفْصٍ الْعَدَوِيُّ، الْمُلَقَّبُ بِالْفَارُوقِ، قِيلَ: لَقَّبَهُ بِذَلِكَ أَهْلُ الْكِتَابِ. رُوِيَ ذَلِكَ عَنِ الزُّهْرِيِّ. وَأُمُّهُ حَنْتَمَةُ بِنْتُ هِشَامٍ أُخْتُ أَبِي جَهْلِ
পৃষ্ঠা - ৫৬৭৭
জর্ডান, বাইসান, তাবরীয়ড়াহ, জাবীয়া, ফিলিস্তীন, রামল্লা, আসকালান, গাযাহ, সাওয়াহিল,
কুদ্স, পশ্চিম তারাবলুস, বারাকাহ ৷
সিরিয়ার শহরগুলাের মধ্যে প্রসিদ্ধ হলো : বালাবাক, হিম্স, কুনসারীন, হড়ালব,
ইনতার্কীয়াহ ৷ আরো জয় করেন : আল জারীয়াহ, হুরান, রুহা, রাকাহ, নাসীবাইন, রাস-আইন,
শামসাত, আইন ওরদাহ, দিয়ার বকর, দিয়ার রাবীয়াহ, আরমীনীয়ার সর্ব শহর, ইরাকের
কাদেসীয়া, হীরাহ, নাহারসীর, সাবাত, কিসরার মাদায়েন, ফুরাত অঞ্চল, দজলা, আবেলাহ,
নিহাওয়ান্দ, হামাদান, রাই, কোমাস, খুরাসান, ইসতিখার, ইস্পড়াহান, সুস, মড়ারভ, ভৈনশাপুর,
জুরজান, আযারবাইজান ও অন্যান্য ৷ তার সৈন্যরা কয়েক বার নহর অতিক্রম করে ৷ তিনি
ছিলেন মহান আল্লাহর দরবারে অনুনয় বিনয়কারী, সাদাসিধে জীবন যাপনে অভ্যস্ত, সাধারণ ও
মোটা খাদন্দ্রব্য ভক্ষণকারী ৷ মহান আল্লাহর আইন প্রয়ােগে তিনি ছিলেন কঠোর ৷ চামড়া দিয়ে
তালি দেওয়া কাপড় পরিধান করতেন ৷ কাধে পানির মসক বহন করতেন অথচ তীর ভীষণ
ভয়ে মানুষ প্রকম্পিত ছিল ৷ গাধার খালি পিঠে আরোহণ করতে ন ৷ মুখসাজ পরানো উটে
চড়তেন ৷ তিনি খুব কম হাসতেন ৷ কারো সাথে হাসি তামাশা করতেন না ৷ তার আৎটিতে
নকশা ছিল ,ছুট্রুা;; ৷ , ;,;fl & ষ্ণ্হ্র হে উমর! মৃত্যুই যথেষ্ট ন র্ণীহতকাবা হিসেবে ৷
সুলুল্লাহশ্নো বলেন মহান আল্লাহর দীন সম্পর্কে আমার উম্মতের মধ্যে সবচেয়ে বেশি
কঠোর হলেন উমর ৷ ইবন আব্বাস (বা) হতে বর্ণিত ৷ রাসুলুল্লাহর্চুট্রু বলেন৪ আসমানের
বাসিন্দাদের মধ্যে আমার দু জন ওয়াযীর রয়েছে এবং যমীনের বাসিন্দাদের মধ্যেও আমার
দু’জন ওয়াযীর রয়েছে ৷ আসমানের বাসিন্দাদের মধ্যেও আমার ওয়াযীর হলেন, জিবরাঈল ও
মীকাইল ৷ আর যমীনের বাসিন্দাদের মধ্যে আমার ওয়াযীর হলেন আবু বকর (রা), ও উমর
(রা) ৷ আর তারা দুজন হলেন কান ও চোখ সমতুল্য ৷
হযরত আয়িশা সিদ্দীকা (বা) হতে ৩বণিতি ৷ তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ্ খ্যাঃ ইরশাদ করেন,
“নিশ্চয়ই শয়তান উমর (রা) কে ভয় পায় ৷” তিনি আরো বলেন, “আমার উম্মতের মধ্যে
অত্যন্ত দয়ালু হলেন আবু বকর (রা) ৷ আর মহান আল্লাহর দীন প্রয়োগে সবচেয়ে বেশি কঠোর
হলেন উমর (রা) ৷ কেউ কেউ উমর (রা)-কে বলেন, “তৃমিই বিচার ৷ উত্তরে তিনি বলেন ,
“সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর জন্যে যিনি আমার অম্ভরকে তাদের জন্যে কৃপায় ভরে দিয়েছেন ৷ আর
তাদের অম্ভরকে আমার জন্যে ভয়ে পরিপুর্ণ করে দিয়েছেন ৷” উমর (রা) বলেন, মহান
আল্লাহর মাল হতে আমার জন্যে দুটি চাদর ব্যতীত কিছুই বৈধ নয় ৷ একটি চাদর শীতের
জন্যে আর অন্যটি গরমের জন্যে ৷ আমার পরিবারের খাদ্য হচ্ছে কুরাইশদের একজন সাধারণ
লোকের পরিবারের ন্যায় ৷ তারপর আমি একজন মুসলমান ৷” উমর (রা) যখন কাউকে কাজে
নিয়োগ করতেন তখন তার সাথে চুক্তি লিখে দিতেন এবং মুহাজিরদের কয়েকজনকে সাক্ষী
রাখতেন ৷ তার সাথে শর্ত আরোপ করতেন : সে বারঘুন ঘোড়ার আরোহণ করবে না, উচ্চ
মানের খাবার খাবে না, পাতলা কাপড় র্পরবে না এবং অভাৰী কিংবা যার প্রয়োজন আছে তার
জন্যে দ্বার বন্ধ করবে না ৷ উপরোক্ত কাজগুলোর যে কোন একটির বরখেলাফ করলে তাকে
শাস্তি পেতে হবে ৷
ابْنِ هِشَامٍ. أَسْلَمَ عُمَرُ وَعُمُرُهُ سَبْعٌ وَعِشْرُونَ سَنَةً، وَشَهِدَ بَدْرًا وَأُحُدًا وَالْمَشَاهِدَ كُلَّهَا مَعَ النَّبِيِّ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَخَرَجَ فِي عِدَّةِ سَرَايَا وَكَانَ أَمِيرًا عَلَى بَعْضِهَا.
وَهُوَ أَوَّلُ مَنْ دُعِيَ أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ، وَأَوَّلُ مَنْ كَتَبَ التَّارِيخَ، وَجَمَعَ النَّاسَ عَلَى التَّرَاوِيحِ، وَأَوَّلُ مَنْ عَسَّ بِالْمَدِينَةِ، وَحَمَلَ الدِّرَّةَ وَأَدَّبَ بِهَا، وَجَلَدَ فِي الْخَمْرِ ثَمَانِينَ، وَفَتَحَ الْفُتُوحَ، وَمَصَّرَ الْأَمْصَارَ، وَجَنَّدَ الْأَجْنَادَ، وَوَضَعَ الْخَرَاجَ، وَدَوَّنَ الدَّوَاوِينَ، وَعَرَضَ الْأَعْطِيَةَ، وَاسْتَقْضَى الْقُضَاةَ، وَكَوَّرَ الْكُوَرَ؛ مِثْلَ السَّوَادِ، وَالْأَهْوَازِ، وَالْجِبَالِ، وَفَارِسَ وَغَيْرِهَا، وَفَتَحَ الشَّامَ كُلَّهُ، وَالْجَزِيرَةَ وَالْمَوْصِلَ وَمَيَّافَارِقِينَ، وَآمِدَ، وَأَرْمِينِيَةَ، وَمِصْرَ، وَإِسْكَنْدَرِيَّةَ، وَمَاتَ وَعَسَاكِرُهُ عَلَى بِلَادِ الرَّيِّ. فَتَحَ مِنَ الشَّامِ الْيَرْمُوكَ، وَبُصْرَى، وَدِمَشْقَ، وَالْأُرْدُنَّ، وَبَيْسَانَ، وَطَبَرِيَّةَ، وَالْجَابِيَةَ، وَفِلَسْطِينَ، وَالرَّمْلَةَ، وَعَسْقَلَانَ، وَغَزَّةَ، وَالسَّوَاحِلَ وَالْقُدْسَ. وَفَتَحَ مِصْرَ، وَإِسْكَنْدَرِيَّةَ، وَطَرَابُلُسَ الْغَرْبِ، وَبَرْقَةَ وَمِنْ مُدُنِ الشَّامِ بَعْلَبَكَّ، وَحِمْصَ، وَقِنَّسْرِينَ، وَحَلَبَ وَأَنْطَاكِيَةَ، وَفَتَحَ الْجَزِيرَةَ، وَحَرَّانَ، وَالرُّهَا، وَالرَّقَّةَ، وَنَصِيبِينَ، وَرَأْسَ عَيْنٍ، وَشِمْشَاطَ وَعَيْنَ وَرْدَةَ، وَدِيَارَ بَكْرٍ، وَدِيَارَ رَبِيعَةَ، وَبِلَادَ الْمَوْصِلِ، وَأَرْمِينِيَةَ جَمِيعَهَا. وَبِالْعِرَاقِ الْقَادِسِيَّةَ، وَالْحِيرَةَ، وَبَهُرَسِيرَ، وَسَابَاطَ، وَمَدَائِنَ كِسْرَى. وَكُورَةَ الْفُرَاتِ، وَدِجْلَةَ، وَالْأَبُلَّةَ، وَالْبَصْرَةَ، وَالْأَهْوَازَ، وَفَارِسَ وَنَهَاوَنْدَ، وَهَمَذَانَ، وَالرَّيَّ، وَقُومِسَ، وَخُرَاسَانَ، وَإِصْطَخْرَ، وَأَصْبَهَانَ، وَالسُّوسَ، وَمَرْوَ، وَنَيْسَابُورَ، وَجُرْجَانَ، وَأَذْرَبِيجَانَ، وَغَيْرَ ذَلِكَ، وَقَطَعَتْ جُيُوشُهُ النَّهْرَ مِرَارًا.
পৃষ্ঠা - ৫৬৭৮
وَكَانَ مُتَوَاضِعًا فِي اللَّهِ، خَشِنَ الْعَيْشِ، خَشِنَ الْمَطْعَمِ، شَدِيدًا فِي ذَاتِ اللَّهِ، يُرَقِّعُ الثَّوْبَ بِالْأَدِيمِ، وَيَحْمِلُ الْقِرْبَةَ عَلَى كَتِفَيْهِ، مَعَ عِظَمِ هَيْبَتِهِ، وَيَرْكَبُ الْحِمَارَ عُرْيًا، وَالْبَعِيرَ مَخْطُومًا بِاللِّيفِ، وَكَانَ قَلِيلَ الضَّحِكِ لَا يُمَازِحُ أَحَدًا، وَكَانَ نَقْشُ خَاتَمِهِ: كَفَى بِالْمَوْتِ وَاعِظًا يَا عُمَرُ.
وَقَالَ النَّبِيُّ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «أَشَدُّ أُمَّتِي فِي دِينِ اللَّهِ عُمَرُ» . وَعَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ أَنَّ النَّبِيَّ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، قَالَ: «إِنَّ لِي وَزِيرَيْنِ مِنْ أَهْلِ السَّمَاءِ وَوَزِيرَيْنِ مِنْ أَهْلِ الْأَرْضِ فَوَزِيرَايَ مِنْ أَهْلِ السَّمَاءِ جِبْرِيلُ وَمِيكَائِيلُ، وَوَزِيرَايَ مِنْ أَهْلِ الْأَرْضِ أَبُو بَكْرٍ وَعُمَرُ، وَإِنَّهُمَا السَّمْعُ وَالْبَصَرُ» . وَعَنْ عَائِشَةَ أَنَّ النَّبِيَّ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، قَالَ: «إِنَّ الشَّيْطَانَ يَفْرَقُ مِنْ عُمَرَ» . وَقَالَ: «أَرْحَمُ أُمَّتِي أَبُو بَكْرٍ وَأَشُدُّهَا فِي دِينِ اللَّهِ عُمَرُ» .
وَقِيلَ لِعُمَرَ: إِنَّكَ فَظٌّ. فَقَالَ: الْحَمْدُ لِلَّهِ الَّذِي مَلَأَ قَلْبِي لَهُمْ رُحْمًا، وَمَلَأَ قُلُوبَهُمْ لِي رُعْبًا. وَقَالَ عُمَرُ: لَا يَحِلُّ لِي مِنْ مَالِ اللَّهِ إِلَّا حُلَّتَانِ؛ حُلَّةٌ لِلشِّتَاءِ وَحُلَّةٌ لِلصَّيْفِ، وَقُوتُ أَهْلِي كَرَجُلٍ مِنْ قُرَيْشٍ لَيْسَ بِأَغْنَاهُمْ، ثُمَّ أَنَا
পৃষ্ঠা - ৫৬৭৯
কথিত আছে যে, যখন কোন ব্যক্তি উমর (রা)-এর সাথে কথা বলত আর কথা বলার মধ্যে
যদি হঠাৎ দু-একটি শব্দ মিথ্যা বলে ফেলত উমর (রা) তাকে বলতেন, “ এটা বন্ধ কর,” “ঐটা
বন্ধ কর” তখন লোকটি বলত আল্লাহর শপথ, আপনি যেটার কথা বলছেন এটাকে বাদ দিয়ে
আপনার সাথে আমি সঠিক বাক্যালাপ করেছি ৷
মুয়াবীয়া ইবন আবু সুফিয়ান (রা) বলেন, “আবু বকর (রা) দুনিয়াকে চান নাই এবং
দৃনিয়াও তাকে চায় নাই ৷ কিন্তু হযরত উমর (রা) কে দুনিয়া ঢেয়েছিল আর তিনি দুনিয়াকে চান
নাই ৷ অথচ আমরা দুনিয়ার বুকে ও পিঠে গড়াগড়ি পাচ্ছি” ৷ হযরত উমর (রা) কে একবার
ভহ্সনা করা হলো এবং তাকে বলা হলো যদি তুমি উত্তম খাবার থেতে৩ তাহলে তোমার কি
সত্যের উপর থাকাট৷ আরো মযবুত হতে তা না? তখন তিনি বললেন, নিঃসন্দেহে আমি আমার
দুই বন্ধুকে রাস্তায় ছেড়ে এসেছি ৷ তুমি যদি তাদেরকে রাস্তায় অবস্থান করা অবস্থায় পাও,
তাহলে তাদেরকে তুমি ঘরে পৌছে পাবে না ৷ তিনি যখন খলীফ৷ ছিলেন তখন তিনি পশমের
জুব্বা পরিধান করা ন্ন, জুব্বাটির কোন কোন জায়গায় চামড়ার তালি লাগানো ছিল ৷ তিনি
হাতে যেত নিয়ে বাজারে ঘোরাফেরা করতেন ৷ আর বেত দিয়ে মানুষকে শাসন করতেন ৷ যখন
কোন শস্য ক্ষেতের কাছ দিয়ে গমন করতেন তখন এগুলো মানুষের বাড়ি পেছিয়ে দিতেন যাতে
মানুষ এগুলো দিয়ে উপকৃত হতে পারে ৷
আব্বাস (বা) বলেন হযরত উমর (রা) এর আমার দুই কাধে ছিল চারটি চামড়ার তালি ৷
আর ই দাবেব মধ্যে ছিল চাহ্রাড়ার তালি ৷ তিনি মিম্বরে আরোহণ করে খুতবা৷ দিতেন অথচ তার
ইজার বা লুঙ্গীতে ছিল ১২টি অলি ৷ আর হজ্জ করতে গিয়ে মাত্র ১৬ দীনার খরচ করেছিলেন ৷
তারপরেও নিজের ছেলেকে বলেছিলেন যে, “আমরা অতিরিক্ত খরচ করেছি ৷ তিনি কোন কিছু
দ্বারা ছায়া গ্রহণ করতেন না ৷ শুধু তার একটি চাদর পাছেঃ উপর ছড়িয়ে দিতেন এবং তার নিচে
ছায়া গ্রহণ করতেন ৷ তার কোন র্তাবু বা শামিয়ানা ছিল না ৷
যখন তিনি বায়তুল মুকা দ্দাস বিজয় উপলক্ষে সিরিয়া এসেছিলেন তখন তিনি একটি ধুসর
ত্য়ের উর্টে র উপর আরোহণ করেছিলেন ৷৩ তার টাক পড়া মাথা রােদ্রে ঝলমল করছিল ৷ তার
কোন শিরাবরণ ছিল না বা কোন পাগড়িও ছিল না ৷ তার দুটো পা ব্জীনের দুপ্যাশ মিলে
গিয়েছিল ৷ সাওয়ারীতে কোন রেকাব ছিল না ৷ জ্যিনর ভিতরে ছিল একগােছা পশম ৷ আর
যখন উট থেকে অবতরণ করতেন তখন এটাই ছিল তার বিছান৷ ৷ আর তার ণ্বগটি ছিল
থেজুরের ছোবড়ার জাশে পুর্ণ ৷ যখন তিনি ঘুমাতেন এটাই ছিল তার বালিশ ৷ তার জামাটি ছিল
অমসৃণ কাপড়ের তৈরী ৷ দাগ পড়ে গেছে এবং পকেটও ছিড়ে গেছে ৷
বায়তৃল মুকাদ্দাসে যখন তিনি অবতরণ করেন তিনি বললেন, র্গায়েরশহরে সর্দারকে
আমার কাছে ডাক ৷ তারপর তারা তাকে ডাকল ৷ তিনি বললেন, আমার জামাটি ধৌত করে
দাও ৷ এটাকে একটু সেলাই কর ৷ আর আমাকে একটি জামা ধার দাও ৷ তিনি তখন একটি
€ক্ষীম বস্ত্র আনয়ন করলেন ৷ খলীফা প্রশ্ন করলেন, এটা কি কাপড় ? বলা হলো এটা ফৌম
বস্ত্র ৷ তিনি বললেন, ফৌম বস্ত্র কেন ? তখন তারা র্তাকে কাপড়টির গুণাগুণ সম্বন্ধে সংবাদ
পরিবেশন করেন ৷ তিনি তার স্বীয় জামা খুলে ফেলেন ৷ তখন তারা এটাকে ধৌত করেন এবং
এটাকে সেলাই করলেন ৷ তারপর তিনি এটা আবার পরিধান করলেন ৷ শহরের সর্দার বললেন,
رَجُلٌ مِنَ الْمُسْلِمِينَ. وَكَانَ عُمَرُ إِذَا اسْتَعْمَلَ عَامِلًا كَتَبَ لَهُ عَهْدًا، وَأَشْهَدَ عَلَيْهِ رَهْطًا مِنَ الْمُهَاجِرِينَ، وَاشْتَرَطَ عَلَيْهِ أَنْ لَا يَرْكَبَ بِرْذَوْنًا، وَلَا يَأْكُلَ نَقِيًّا، وَلَا يَلْبَسَ رَقِيقًا، وَلَا يُغْلِقَ بَابَهُ دُونَ ذَوِي الْحَاجَاتِ، فَإِنْ فَعَلَ شَيْئًا مِنْ ذَلِكَ حَلَّتْ عَلَيْهِ الْعُقُوبَةُ.
وَقِيلَ: إِنَّهُ كَانَ إِذَا حَدَّثَهُ الرَّجُلُ بِالْحَدِيثِ فَيَكْذِبُ فِيهِ الْكَلِمَةَ وَالْكَلِمَتَيْنِ، فَيَقُولُ عُمَرُ: احْبِسْ هَذِهِ احْبِسْ هَذِهِ. فَيَقُولُ الرَّجُلُ: وَاللَّهِ كُلُّ مَا حَدَّثْتُكُ بِهِ حَقٌّ غَيْرَ مَا أَرَدْتَنِي أَنْ أَحْبِسَهُ.
وَقَالَ مُعَاوِيَةُ بْنُ أَبِي سُفْيَانَ: أَمَّا أَبُو بَكْرٍ فَلَمْ يُرِدِ الدُّنْيَا وَلَمْ تُرِدْهُ، وَأَمَّا عُمَرُ فَأَرَادَتْهُ فَلَمْ يُرِدْهَا، وَأَمَّا نَحْنُ فَتَمَرَّغْنَا فِيهَا ظَهْرًا لِبَطْنٍ.
وَعُوتِبَ عُمَرُ فَقِيلَ لَهُ: لَوْ أَكَلْتَ طَعَامًا طَيِّبًا، كَانَ أَقْوَى لَكَ عَلَى الْحَقِّ؟ فَقَالَ: إِنِّي تَرَكْتُ صَاحِبَيَّ عَلَى جَادَّةٍ فَإِنْ تَرَكْتُ جَادَّتَهُمَا لَمْ أُدْرِكْهُمَا فِي الْمَنْزِلِ. وَكَانَ يَلْبَسُ وَهُوَ خَلِيفَةٌ جُبَّةَ صُوفٍ مَرْقُوعَةً بَعْضُهَا بِأَدَمٍ، وَيَطُوفُ بِالْأَسْوَاقِ عَلَى عَاتِقِهِ الدِّرَّةُ يُؤَدِّبُ بِهَا النَّاسَ، وَإِذَا مَرَّ بِالنَّوَى وَغَيْرِهِ يَلْتَقِطُهُ وَيَرْمِي بِهِ فِي مَنَازِلِ النَّاسِ يَنْتَفِعُونَ بِهِ.
وَقَالَ أَنَسٌ: كَانَ بَيْنَ كَتِفَيْ عُمَرَ أَرْبَعُ رِقَاعٍ، وَإِزَارُهُ مَرْقُوعٌ بِأَدَمٍ. وَخَطَبَ عَلَى الْمِنْبَرِ وَعَلَيْهِ إِزَارٌ فِيهِ اثْنَتَا عَشْرَةَ رُقْعَةً، وَأَنْفَقَ فِي حَجَّتِهِ سِتَّةَ عَشَرَ دِينَارًا، وَقَالَ
পৃষ্ঠা - ৫৬৮০
আপনি আরবের বাদশা আর এসব শহরে উটে আরোহণ মোটেই মানায় না ৷ একটি ঘোড়া
আনা হলো ৷ তার উপর একটি ভেলভেট কাপড় স্থাপন করা হলো ৷ জিন ও সেই, জিনের পাশে
থলেও নেই ৷ যখন ঘোড়াটি ভ্রমণ করতে লাগল তখন এটা দ্রুত চলতে লাগল ৷ খলীফার
সহযাত্রীকে খলীফ৷ বললেন, এটড়াকে থামাও ৷ আমি ধারণা করি নাই যে, মানুষও আবার
শয়তানের উপরে আরোহণ করে ৷ আমার উটটি আনয়ন কর ৷’ তারপর তিনি ঘোড়া হতে
নামলেন এবং নিজের উটের উপর আংরাহণ করেন ৷
لِابْنِهِ: قَدْ أَسْرَفْنَا. وَكَانَ لَا يَسْتَظِلُّ بِشَيْءٍ غَيْرَ أَنَّهُ كَانَ يُلْقِي كِسَاءَهُ عَلَى الشَّجَرِ وَيَسْتَظِلُّ تَحْتَهُ، وَلَيْسَ لَهُ خَيْمَةٌ وَلَا فُسْطَاطٌ.
وَلَمَّا قَدِمَ الشَّامَ لِفَتْحِ بَيْتِ الْمَقْدِسِ، كَانَ عَلَى جَمَلٍ أَوْرَقَ تَلُوحُ صَلْعَتُهُ لِلشَّمْسِ لَيْسَ عَلَيْهِ قَلَنْسُوَةٌ وَلَا عِمَامَةٌ، قَدْ طَبَّقَ رِجْلَيْهِ بَيْنَ شُعْبَتِيِ الرَّحْلِ بِلَا رِكَابٍ، وَوِطَاؤُهُ كِسَاءٌ مِنْ صُوفٍ، وَهُوَ فِرَاشُهُ إِذَا نَزَلَ وَحَقِيبَتُهُ مَحْشُوَّةٌ لِيفًا، وَهِيَ وِسَادَتُهُ إِذَا نَامَ، وَعَلَيْهِ قَمِيصٌ مِنْ كَرَابِيسَ قَدْ دَسِمَ وَتَخَرَّقَ جَيْبُهُ، فَلَمَّا نَزَلَ قَالَ: ادْعُوا لِي رَأَسَ الْقَرْيَةِ. فَدَعَوْهُ فَقَالَ: اغْسِلُوا قَمِيصِي وَخَيِّطُوهُ وَأَعِيرُونِي قَمِيصًا. فَأُتِيَ بِقَمِيصِ كَتَّانٍ فَقَالَ: مَا هَذَا؟ فَقِيلَ: كَتَّانٌ. فَقَالَ: فَمَا الْكَتَّانُ؟ فَأَخْبَرُوهُ، فَنَزَعَ قَمِيصَهُ فَغَسَلُوهُ وَخَاطُوهُ ثُمَّ لَبِسَهُ، فَقِيلَ لَهُ: أَنْتَ مَلِكُ الْعَرَبِ، وَهَذِهِ بِلَادٌ لَا يَصْلُحُ فِيهَا رُكُوبُ الْإِبِلِ. فَأُتِيَ بِبِرْذَوْنٍ فَطَرَحَ عَلَيْهِ قَطِيفَةً بِلَا سَرْجٍ وَلَا رَحْلٍ، فَلَمَّا سَارَ جَعَلَ الْبِرْذَوْنُ يُهَمْلِجُ بِهِ، فَقَالَ لِمَنْ مَعَهُ: احْبِسُوا، مَا كُنْتُ أَظُنُّ أَنَّ النَّاسَ يَرْكَبُونَ الشَّيَاطِينَ، هَاتُوا جَمَلِي. ثُمَّ نَزَلَ وَرَكِبَ الْجَمَلَ.
وَعَنْ أَنَسٍ قَالَ: كُنْتُ مَعَ عُمَرَ فَدَخَلَ حَائِطًا لِحَاجَتِهِ فَسَمِعْتُهُ يَقُولُ - بَيْنِي وَبَيْنَهُ جِدَارُ الْحَائِطِ -: عُمَرُ بْنُ الْخَطَّابِ أَمِيرُ الْمُؤْمِنِينَ! بَخٍ بَخٍ، وَاللَّهِ لِتَتَّقِيَنَّ اللَّهَ بُنَيَّ الْخَطَّابِ أَوْ لِيُعَذِّبَنَّكَ. وَقِيلَ إِنَّهُ حَمَلَ قِرْبَةً عَلَى عَاتِقِهِ، فَقِيلَ لَهُ
পৃষ্ঠা - ৫৬৮১
فِي ذَلِكَ فَقَالَ: إِنَّ نَفْسِي أَعْجَبَتْنِي فَأَرَدْتُ أَنْ أُذِلَّهَا.
وَكَانَ يُصَلِّي بِالنَّاسِ الْعِشَاءَ، ثُمَّ يَدْخُلُ بَيْتَهُ فَلَا يَزَالُ يُصَلِّي إِلَى الْفَجْرِ. وَمَا مَاتَ حَتَّى سَرَدَ الصَّوْمَ، وَكَانَ فِي عَامِ الرَّمَادَةِ لَا يَأْكُلُ إِلَّا الْخُبْزَ وَالزَّيْتَ، حَتَّى اسْوَدَّ جِلْدُهُ وَيَقُولُ: بِئْسَ الْوَالِي أَنَا إِنْ شَبِعْتُ وَالنَّاسُ جِيَاعٌ. وَكَانَ فِي وَجْهِهِ خَطَّانِ أَسْوَدَانِ مِنَ الْبُكَاءِ، وَكَانَ يَسْمَعُ الْآيَةَ مِنَ الْقُرْآنِ فَيُغْشَى عَلَيْهِ، فَيُحْمَلُ صَرِيعًا إِلَى مَنْزِلِهِ، فَيُعَادُ أَيَّامًا لَيْسَ بِهِ مَرَضٌ إِلَّا الْخَوْفُ.
وَقَالَ طَلْحَةُ بْنُ عُبَيْدِ اللَّهِ: خَرَجَ عُمَرُ لَيْلَةً فِي سَوَادِ اللَّيْلِ، فَدَخَلَ بَيْتًا، فَلَمَّا أَصْبَحْتُ ذَهَبْتُ إِلَى ذَلِكَ الْبَيْتِ، فَإِذَا عَجُوزٌ عَمْيَاءُ مُقْعَدَةٌ فَقُلْتُ لَهَا: مَا بَالُ هَذَا الرَّجُلِ يَأْتِيكِ؟ فَقَالَتْ: إِنَّهُ يَتَعَاهَدُنِي مُدَّةَ كَذَا وَكَذَا؛ يَأْتِينِي بِمَا يُصْلِحُنِي وَيُخْرِجُ عَنِّي الْأَذَى. فَقُلْتُ لِنَفْسِي: ثَكِلَتْكَ أُمُّكَ يَا طَلْحَةُ أَعَثَرَاتِ عُمَرَ تَتَّبِعُ!
وَقَالَ أَسْلَمُ مَوْلَى عُمَرَ: قَدِمَ الْمَدِينَةَ رُفْقَةٌ مِنْ تُجَّارٍ، فَنَزَلُوا الْمُصَلَّى، فَقَالَ عُمَرُ لِعَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ عَوْفٍ: هَلْ لَكَ أَنْ نَحْرُسَهُمُ اللَّيْلَةَ؟ قَالَ: نَعَمْ. فَبَاتَا يَحْرُسَانِهِمْ وَيُصَلِّيَانِ، فَسَمِعَ عُمَرُ بُكَاءَ صَبِيٍّ فَتَوَجَّهَ نَحْوَهُ، فَقَالَ لِأُمِّهِ: اتَّقِ اللَّهَ تَعَالَى وَأَحْسِنِي إِلَى صَبِيِّكِ. ثُمَّ عَادَ إِلَى مَكَانِهِ فَسَمِعَ بُكَاءَهُ، فَعَادَ إِلَى أُمِّهِ، فَقَالَ لَهَا مِثْلَ ذَلِكَ، ثُمَّ عَادَ مَكَانَهُ، فَلَمَّا كَانَ آخِرُ اللَّيْلِ سَمِعَ بُكَاءَ الصَّبِيِّ، فَأَتَى إِلَى أُمِّهِ، فَقَالَ لَهَا: وَيْحَكِ! إِنَّكِ أُمُّ سُوءٍ، مَالِي أَرَى ابْنَكِ لَا يَقَرُّ مُنْذُ اللَّيْلَةِ مِنَ الْبُكَاءِ؟ فَقَالَتْ: يَا عَبْدَ اللَّهِ إِنِّي أَشْغَلُهُ عَنِ الطَّعَامِ فَيَأْبَى ذَلِكَ. قَالَ: وَلِمَ؟
পৃষ্ঠা - ৫৬৮২
পেলেন ৷ তিনি ঐদিকে দৃষ্টিপাত করলেন এবং শিশুটির মাতাকে বললেন “আল্লাহ্কে ভয় কর
এবং তোমার শিশুঢির প্ৰতি সদর ব্যবহার কর ৷” হযরত উমর (রা)ত তার স্থানে ফিরে আসলেন ৷
পুনরায় কিছুক্ষণ পর হযরত উমর (রা) শিশুটির কান্ন৷ শুনলেন এবং শিশুটির মাতা র কাছে গমন
করলেন ও পুর্বের ন্যায় কথা বললেন ৷ তারপর নিজের স্থানে ফিরে আসলেন ৷ কিছুক্ষণ পর
পুনরায় হযরত উমর (রা) শিশুটির কান্ন৷ শুনলেন এবং শিশুটির মাত ৷র কাছে তিনি গমন
করলেন ও বললেন, “তোমার দুর্ভাগ্য, নিংসন্দেহে তুমি একজন নির্দয় মাতা ৷ সারারাত আমি
দেখেছি যে, তোমার শিশুটি কান্নাক৷ ৷টি করছে, শান্তি পাচ্ছে না, তার কারণ কি?
মহিলাটি বললেন, হে আল্লাহর বান্দা! আমি শি;শুটিকে দুধ খাওয়া থেকে বিরত রাখার
(মাই ছাড়হ্নাের) চেষ্টা করছি আর সে দুধ যেতে চায় ৷ এজন্য যে সারারাত অশান্তিতে রয়েছে ৷
খলীফা বললেন, “তুমি কেন এরুপ করছ?” মহিলাটি বললেন, কেননা হযরত ৩উমর (বা) শুধু
মাই ছাড়ানাে শিশুদের জন্যে খাদ্য বরাদ্দ রেখেছেন ৷ তিনি বললেন, “ ৫৩াণ্া৷র শিশুটির বয়স
কত ?” মহিলা বললেন, এইত ধরুন কয়েক মাস ৷ ” খলীফা বললেন, “ণ্তামার দুর্ভাগ্য, তুমি
শিশুটিকে এত তাড়াতাড়ি মাই ছাড়ানাের চেষ্টা করো না ৷” খলীফা যখন সালাতে ফজর আদায়
করছিলেন তখন তিনি কান্নায় কিরাত স্পষ্ট করে পড়তে প৩ারছিলেন না ৷ তিনি বলতে লাগলেন,
“উমরের দৃর্ভাগ্য সে যে কত মুসলিম শিশুর অনিষ্ট করছে ৷৩ তারপর তিনি এক আহ্বানকারীকে
ঘোষণা দিতে নির্দেশ দিলেন, “৫৩ ৷মর৷ অতি শীঘ্র শিশ্যুদঃ মইি ছাড়ানাের চেষ্টা করবে না ৷
কেননা আমরা প্রতোক মুসলিম শিশুর জন্যে খাদ্য বরাদ্দ করেছি ৷ বিভিন্ন অঞ্চলেও তিনিএ
আসলাম (র) বলেন, “এক রাতে আমি হযরত ৩উমর (রা) এর সাথে মদীনায় বাইরে বের
, হ-লাম ৷ কিছুক্ষণ পর আমরা একটিত তাবু দেখতে পেলাম ৷ আমরা তাষুর ভিতর গেলাম
দেখলাম একটি প্রসবােদ্যত৷ র্কাদছে ৷ হযরত উমর (রা)৩ তার অবস্থা সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলেন ৷
মহিলা বললেন, “আমি একজন আরব মাহলা, আমার কাছে কিছুই নেই ৷ ন্হযর৩ উমর (রা)
তখন ত্রুন্দন করলেন এবং তাড়াতাড়ি ত:র ঘরে প্রত্যাবর্তন করলেন ৷ নিজ শ্রী উম্মে কুলসুম
বিনত হযরত আলী (রা) কে বললেন, “আল্পাহ্ প্রদত্ত সুযোগের প্রেক্ষিতে তুমি কি নওয়াব
অর্জন করতে আগ্রহী ? এ বলে তিনি তাকে বিস্তারিত খবর জানালেন ৷ উত্তরে তিনি বললেন,
হীা ৷ খলীফ৷ এক বস্তা অ৷ ৷ট৷ ও এক পাত্র ঘি পিঠে উঠা ৷লেন এবং উম্মে ৰুন্নেসুম (রা)ও সন্তান
প্রসবের প্রয়োজনীয় সরঞ্জামাদি সাথে বহন করলেন ৷ দু’জনেই তথায় আগমন করলেন উম্মে
কুলসুম ( ৷) মহিলার কাছে গমন করলেন এবং খলীফা তার স্বামীর সাথে বসে কথা বলতে
লাগলেন ৷ কিন্তু ল্যেকটি খলীফাকে চিনত না ৷ মহিলা একটি পুত্র সন্তান জন্য দিলেন ৷ তখন
উম্মে কৃলসুম (রা) বললেন, “হে আমীরুল ঘু’মিনীন ! আপনার সাথে কথোপকথনকারীকে তার
পুত্র সন্তান ভুমিষ্ঠের সুসংবাদ দিনৰুা” যখন ণ্লাকটি উম্মে কুলসুম (রা)-এর কথা শুনলেন,
অবাক হয়ে গেলেন এবং উমর (রা) এর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করতে লাগলেন ৷ হযরত উমর
(রা) বললেন, “এতে তোমার কোন ক্ষতি হবে না ৷ তারপর তিনি তাদেরকে প্রয়োজনীয়
খরচাদি ও সরঞ্জামাদ প্রদান করে বিদায় হন ৷
قَالَتْ: لِأَنَّ عُمَرَ لَا يَفْرِضُ إِلَّا لِلْمَفْطُومِ. قَالَ: وَكَمْ عُمُرُ ابْنِكِ؟ قَالَتْ: كَذَا وَكَذَا شَهْرًا. فَقَالَ: وَيْحَكِ! لَا تُعْجِلِيهِ عَنِ الْفِطَامِ. فَلَمَّا صَلَّى الصُّبْحَ وَهُوَ لَا يَسْتَبِينُ لِلنَّاسِ قِرَاءَتُهُ مِنَ الْبُكَاءِ. قَالَ: بُؤْسًا لِعُمَرَ، كَمْ قَتَلَ مِنْ أَوْلَادِ الْمُسْلِمِينَ. ثُمَّ أَمَرَ مُنَادِيهِ، فَنَادَى: لَا تُعْجِلُوا صِبْيَانَكُمْ عَنِ الْفِطَامِ، فَإِنَّا نَفْرِضُ لِكُلِّ مَوْلُودٍ فِي الْإِسْلَامِ. وَكَتَبَ بِذَلِكَ إِلَى الْآفَاقِ.
وَقَالَ أَسْلَمُ: خَرَجْتُ لَيْلَةً مَعَ عُمَرَ إِلَى ظَاهِرِ الْمَدِينَةِ، فَلَاحَ لَنَا بَيْتُ شَعْرٍ فَقَصَدْنَاهُ، فَإِذَا فِيهِ امْرَأَةٌ تَمْخَضُ وَتَبْكِي، فَسَأَلَهَا عُمَرُ عَنْ حَالِهَا فَقَالَتْ: أَنَا امْرَأَةٌ عَرَبِيَّةٌ وَلَيْسَ عِنْدِي شَيْءٌ. فَبَكَى عُمَرُ وَعَادَ يُهَرْوِلُ إِلَى بَيْتِهِ، فَقَالَ لِامْرَأَتِهِ أُمِّ كُلْثُومٍ بِنْتِ عَلِيِّ بْنِ أَبِي طَالِبٍ: هَلْ لَكِ فِي أَجْرٍ سَاقَهُ اللَّهُ إِلَيْكِ؟ وَأَخْبَرَهَا الْخَبَرَ، فَقَالَتْ: نَعَمْ. فَحَمَلَ عَلَى ظَهْرِهِ دَقِيقًا وَشَحْمًا، وَحَمَلَتْ أُمُّ كُلْثُومٍ مَا يَصْلُحُ لِلْوِلَادَةِ وَجَاءَا، فَدَخَلَتْ أُمُّ كُلْثُومٍ عَلَى الْمَرْأَةِ، وَجَلَسَ عُمَرُ مَعَ زَوْجِهَا - وَهُوَ لَا يَعْرِفُهُ - يَتَحَدَّثُ، فَوَضَعَتِ الْمَرْأَةُ غُلَامًا، فَقَالَتْ أُمُّ كُلْثُومٍ: يَا أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ بَشِّرْ صَاحِبَكَ بِغُلَامٍ. فَلَمَّا سَمِعَ الرَّجُلُ قَوْلَهَا اسْتَعْظَمَ ذَلِكَ وَأَخَذَ يَعْتَذِرُ إِلَى عُمَرَ. فَقَالَ عُمَرُ: لَا بَأْسَ عَلَيْكِ. ثُمَّ أَوْصَلَهُمْ بِنَفَقَةٍ وَمَا يُصْلِحُهُمْ وَانْصَرَفَ.
وَقَالَ أَسْلَمُ: خَرَجْتُ لَيْلَةً مَعَ عُمَرَ إِلَى حَرَّةِ وَاقِمٍ، حَتَّى إِذَا كُنَّا بِصِرَارٍ إِذَا بِنَارٍ فَقَالَ: يَا أَسْلَمُ هَاهُنَا رَكْبٌ قَدْ قَصَّرَ بِهِمُ اللَّيْلُ، انْطَلِقْ بِنَا
পৃষ্ঠা - ৫৬৮৩
আসলড়াম (র) আরো বলেন £ “হযরত উমর (রা)-এর সাথে এক রাত আমি ওয়াকিমের
পাথরীয় ভুখণ্ডের দিকে রওয়ানা হলাম ৷ আমরা যখন একটি উচু জায়গায় পৌছলাম, সেখানে
অগ্নি জ্বলতে দেখলাম ৷ খলীফা বললেন, “হে আসলাম! এখানে একটি কাফেলা রয়েছে ৷
কাফেলার সদস্যদেরকে নিয়ে রাত সংক্ষিপ্ত হয়ে গিয়েছে অর্থাৎ রাত তাদের জন্যে প্রতিকুল
অবস্থা সৃষ্টি করেছে ৷ কাজেই, তুমি তাদের কাছে আমাকে নিয়ে চল ৷ আমরা তাদের কাছে
গমন করলাম ৷ দেখলাম একজন মহিলা, তার সাথে রয়েছে কতগুলো শিশু সন্তান, চুলায় একটি
ডেগও বসানো রয়েছে ৷ মহিলার শিশুগুলাে খাদ্যের জন্যে কাদছিল ৷ খলীফা বললেন,
আসৃ-সালামু আলাইকুম হে আলোর সাথীগণ ৷মফ্লি৷ বললেন, ওয়া অন্মোইকুমুসৃসালাম ৷
খলীফা বললেন, তাদেরকে আমার নিকটে নিয়ে আসুন ৷ মহিলা বলল, “আপনি দয়া করে
তি৩ রে এগিয়ে আসুন ৷ তিনি এগিয়ে আসলেন এবং বললেন, “তোমাদের অবস্থা কি? মহিলা
বলল, “রাতে র ঠাণ্ডা আমাদেরকে কষ্ট দিচ্ছে ৷” তিনি বললেন, শিশু-সন্তানদের অবন্থ৷ কি, তারা
কেন কাদছেঃ মহিলা বলল, তারা ক্ষুধা র জ্বালায় কাদছে ৷” খলীফা বললেন, চুলায় উপর কি?’
মহিলা বলল, পানি গরম হচ্ছে, আর এর দ্বারা আমি তাদেরকে ব্যস্ত রাখছি যাতে তারা ঘুমিয়ে
পড়ে ৷ খলীফা হযরত উমর (রা) ও আমাদের মাঝে মহান আল্লাহ ইনসাফ করবেন ৷
মহিলার কথা শুনে উমর (রা) ক্রন্দন করলেন এবং আটা রাখার ঘরে প্রত্যাবর্তন করলেন ৷
এক বস্তা আটা ও এক পাত্র ঘি বের করলেন এবং বললেন, “ হে আসলাম ! এগুলো আমার পিঠে
উঠিয়ে দাও ৷” আমি বললাম, “আমিই আপনার পক্ষ থেকে বহন করছি ৷” তিনি বললেন,
“তুমি কি কিয়ামতের দিন আমার বোঝা বন্ ন করবেঃ” এরপর তিনি তা নিজে পিঠে উঠালেন ৷
আমি মহিলাটির কাছে গেলাম ৷ খলীফা পিঠ থেকে বোঝা নামালেন ৷ কিছু আটা বের করে
ডেগে রাখলেন এবং তাতে কিছু ঘি মিশালেন ৷ চুলায় আগুন ধৃরালেন এবং আগুন ধরাবারকালে
ফু দেয়ার সময় কিছুক্ষণের জন্যে ঘেড়ায়া ও দাড়ি একাকার হয়ে যায় ৷ তারপর তিনি ড়েগটি চুলা
থেকে নামালেন এবং মইিলাকে বললেন, “আমার কাছে একটি বাসন নিয়ে আস ৷ একটি বাসন
আনা হলো ৷ তিনি খাবার দিয়ে বাসনটি পুর্ণ করলেন ও খাওয়ার জন্যে শিশুদের সমনে
রাখলেন এবৎ বললেন, “তোমরা সকলে খা ও ৷ শিশুরা থেল এবং আত্মতৃপ্তি বোধ ক্যাল ৷ মহিলা
খলীফার জন্যে দু আ করতে লাগল কিন্তু (স৩ তাকে চিনে না ৷ শিশুরা ঘুমানাে পর্যন্ত খলীফা
সেখানে অবস্থান করলেন ৷ তারপর তাদের য ৷বভীয় খরচের ব্যবস্থা করে তিনি সেখান থেকে
বিদায় গ্রহণ করলেন ৷ এরপর তিনি আমার দিকে মুখ নিঃা৷লেন এবং বললেন, হে আসলাম!
ক্ষুধা তাদেরকে অদ্ভি৷ ৫রথেছে এবং কাদতে বাধ্য কক্লোছ ৷”
কথিত আছে যে, একদিন হযরত আলী ইবন আবু তালিব (রা) হযরত উমর (রা) কে
দেখলেন যে,৩ তিনি মদীনায় বাইরে দৌড়াচ্ছেন ৷ আলী (রা) তাকে বললেন, “হে আমীরুল
মুমিনীন ! কোথায় যাচ্ছেন?” তিনি বললেন, সাদকার উটগুলাে হতে একটি উট পালিয়ে গেছে ৷
আর আমি এটাকে খোজ করছি ৷ তিনি বললেন, “আপনার পরের খলীফাদের জন্যে অসুবিধা
সৃষ্টি করলেন ৷”
কথিত আছে যে, একদিন খলীফা হযরত উমর (রা) একটি বালিকাংক ক্ষুধায় র্কাপতে
দেখলেন ৷ তিনি জিজ্ঞেস করলেন, এটা কে ন্’ আবদুল্লাহ ইবন উমর (রা)-এর কন্যা বললেন,
আল-ৰিদায়া — ৩২
إِلَيْهِمْ. فَأَتَيْنَاهُمْ فَإِذَا امْرَأَةٌ مَعَهَا صِبْيَانُ لَهَا، وَقِدْرٌ مَنْصُوبَةٌ عَلَى النَّارِ، وَصِبْيَانُهَا يَتَضَاغَوْنَ فَقَالَ عُمَرُ: السَّلَامُ عَلَيْكُمْ يَا أَصْحَابَ الضَّوْءِ. قَالَتْ: وَعَلَيْكَ السَّلَامُ. قَالَ: أَدْنُو؟ قَالَتْ: ادْنُ أَوْ دَعْ. فَدَنَا فَقَالَ: مَا بَالُكُمْ؟ قَالَتْ: قَصَّرَ بِنَا اللَّيْلُ وَالْبَرْدُ. قَالَ: فَمَا بَالُ هَؤُلَاءِ الصِّبْيَةِ يَتَضَاغَوْنَ؟ قَالَتْ: مِنَ الْجُوعِ. فَقَالَ: وَأَيُّ شَيْءٍ عَلَى النَّارِ؟ قَالَتْ: مَاءٌ أُعَلِّلُهُمْ بِهِ حَتَّى يَنَامُوا، اللَّهُ بَيْنَنَا وَبَيْنَ عُمَرَ! فَبَكَى عُمَرُ وَرَجَعَ يُهَرْوِلُ إِلَى دَارِ الدَّقِيقِ، فَأَخْرَجَ عِدْلًا مِنْ دَقِيقٍ وَجِرَابَ شَحْمٍ، وَقَالَ: يَا أَسْلَمُ احْمِلْهُ عَلَى ظَهْرِي. فَقُلْتُ: أَنَا أَحْمِلُهُ عَنْكَ. فَقَالَ: أَنْتَ تَحْمِلُ وِزْرِي يَوْمَ الْقِيَامَةِ! فَحَمَلَهُ عَلَى ظَهْرِهِ وَانْطَلَقْنَا إِلَى الْمَرْأَةِ، فَأَلْقَى عَنْ ظَهْرِهِ وَأَخْرَجَ مِنَ الدَّقِيقِ فِي الْقِدْرِ، وَأَلْقَى عَلَيْهِ مِنَ الشَّحْمِ، وَجَعَلَ يَنْفُخُ تَحْتَ الْقِدْرِ وَالدُّخَّانُ يَتَخَلَّلُ لِحْيَتَهُ سَاعَةً، ثُمَّ أَنْزَلَهَا عَنِ النَّارِ وَقَالَ: آتِنِي بِصَحْفَةٍ. فَأُتِيَ بِهَا، فَغَرَفَ فِيهَا، ثُمَّ جَعَلَهَا بَيْنَ يَدَيِ الصِّبْيَانِ، وَقَالَ: كُلُوا. فَأَكَلُوا حَتَّى شَبِعُوا - وَالْمَرْأَةُ تَدْعُو لَهُ وَهِيَ لَا تَعْرِفُهُ - فَلَمْ يَزَلْ عِنْدَهُمْ حَتَّى نَامَ الصِّغَارُ، ثُمَّ أَوْصَلَهُمْ بِنَفَقَةٍ وَانْصَرَفَ فَقَالَ: يَا أَسْلَمُ، الْجُوعُ الَّذِي أَسْهَرَهُمْ وَأَبْكَاهُمْ.
وَقِيلَ إِنَّ عَلِيَّ بْنَ أَبِي طَالِبٍ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، رَأَى عُمَرَ وَهُوَ يَعْدُو إِلَى ظَاهِرِ الْمَدِينَةِ فَقَالَ لَهُ: إِلَى أَيْنَ يَا أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ؟ فَقَالَ: قَدْ نَدَّ بَعِيرٌ مِنْ إِبِلِ الصَّدَقَةِ فَأَنَا
পৃষ্ঠা - ৫৬৮৪
أَطْلُبُهُ. فَقَالَ: قَدْ أَتْعَبْتَ الْخُلَفَاءَ مِنْ بَعْدِكَ! وَقِيلَ: إِنَّهُ رَأَى جَارِيَةً تَتَمَايَلُ مِنَ الْجُوعِ فَقَالَ: مَنْ هَذِهِ؟ فَقَالَتِ ابْنَةُ عَبْدِ اللَّهِ: هَذِهِ ابْنَتِي. قَالَ: فَمَا بَالُهَا؟ فَقَالَتْ: إِنَّكَ تَحْبِسُ عَنَّا مَا فِي يَدِكَ فَيُصِيبُنَا مَا تَرَى. فَقَالَ: يَا عَبْدَ اللَّهِ بَيْنِي وَبَيْنَكُمْ كِتَابُ اللَّهِ، وَاللَّهِ مَا أُعْطِيكُمْ إِلَّا مَا فَرَضَ اللَّهُ لَكُمْ، أَتُرِيدُونَ مِنِّي أَنْ أُعْطِيَكُمْ مَا لَيْسَ لَكُمْ فَأَعُودَ خَائِنًا!
وَقَالَ الْوَاقِدِيُّ: حَدَّثَنَا أَبُو حَرْزَةَ يَعْقُوبُ بْنُ مُجَاهِدٍ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ إِبْرَاهِيمَ، عَنْ أَبِي عَمْرٍو قَالَ: «قُلْتُ لِعَائِشَةَ: مَنْ سَمَّى عُمَرَ الْفَارُوقَ؟ قَالَتِ: النَّبِيُّ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ» .
أَمِيرُ الْمُؤْمِنِينَ، وَأَوَّلُ مَنْ حَيَّاهُ بِهَا الْمُغِيرَةُ بْنُ شُعْبَةَ، وَقِيلَ: غَيْرُهُ. وَاللَّهُ أَعْلَمُ.
وَقَالَ ابْنُ جَرِيرٍ: حَدَّثَنِي أَحْمَدُ بْنُ عَبْدِ الصَّمَدِ الْأَنْصَارِيُّ، حَدَّثَتْنِي أُمُّ عَمْرٍو بِنْتُ حَسَّانَ الْكُوفِيَّةُ - وَكَانَ قَدْ أَتَى عَلَيْهَا مِائَةٌ وَثَلَاثُونَ سَنَةً - عَنْ أَبِيهَا، قَالَ: لَمَّا وَلِيَ عُمَرُ قَالُوا: يَا خَلِيفَةَ خَلِيفَةِ رَسُولِ اللَّهِ. فَقَالَ عُمَرُ: هَذَا أَمْرٌ يَطُولُ بَلْ أَنْتُمُ الْمُؤْمِنُونَ وَأَنَا أَمِيرُكُمْ. فَسُمِّيَ أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ.
وَمُلَخَّصُ ذَلِكَ أَنَّ عُمَرَ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، لَمَّا فَرَغَ مِنَ الْحَجِّ سَنَةَ ثَلَاثٍ
পৃষ্ঠা - ৫৬৮৫
এটা আমার মেয়ে ৷ খলীফা বললেন, এর কিহয়েছে ৷’ তিনি বললেন, “আপনার ইখতিয়ারে
যা আছে তা আমাদের থেকে উঠিয়ে দেওয়া ও বন্ধ করে দেওয়ার আমাদের এ দশা হয়েছে ৷
বল্যার পিতা আবদুল্পাহ্ (রা)-কে উদ্দেশ্য করে খলীফা বললেন, “হে আবদুল্লাহ! ণ্তামাদের ও
আমার মাঝে রয়েছে আল্লাহর কিতাব ৷ আল্লাহ্র শপথ ! আল্লাহ্ তাআলা ণ্তামাদের জ্যন্য যা
নির্ধারণ করে দিয়েছেন তা-ই আমি তােমাদেরকে প্রদান করছি ৷ তোমরা কি তাই; যে, যা
তোমাদের জন্যে নয় তা আমি তােমাদেরকে দান করি ?” তাহলে তো আমি খিয়ানতকারী
হিসেবে পরিগণিত ৩হব ৷ উপরোক্ত ঘটনাটি আল্লামা যুহরী হতে বর্ণিত ৷
আল্লামা ওয়াকিদী (র) আবু আমর (বা) হতে বর্ণনা করেন ৷ তিনি বলেন, “একদিন
আমি আয়িশা (রা) এর কাছে জিজ্ঞেস করলাম ৷ হযরত উমর ফারুক (রা) কে আমীরুল
মুমিনীন উপাধি কে দিয়েছেন ৷ হযরত আয়িশ্বা সিদ্দীকা (রা) বললেন, “রড়াসুলুল্পাহ্সাঃ৷ ”
তিনি বললেন, হ্যা উমর (রা) মু’মিনগণের আমীরই বটে ৷ এ উপাধিতে প্রথম তাকে যিনি
অভিনন্দন জ্ঞাপন করেছেন তিনি হলেন মুপীরা ইবন শুবাহ (রা) ৷ আবার কেউ কেউ বলেন
অন্য কেউ ৷ মহান আল্লাহ অধিক পরিজ্ঞাত
ইবন জারীৱ (র) ১৩০ বছর বয়স্কা উষ্মে আমর বিনত হাসান আল-কুফী হতে তার
পিতার মাধ্যমে বর্ণনা করেন ৷ তিনি বলেন, “হযরত উমর (রা) যখন খলীফা নির্বাচিত হন
সাহবায়ে কিরাম তাকে ইয়া খালীফাতা রাসুলুল্লাহ অর্থাৎ “হে আল্লাহ্র রাসুলের খলীফা” বলে
সম্বোধন করেন ৷ তখন উমর (রা) বলেন, “এটাতাে অনেক বড় কথা বরং তোমরা মুমিন আর
আমি তোমাদের আমীর ৷ তখন থেকে তার নাম রাখা হয় আমীরুল মু মিনীন ৷
২৩ হিজরীতে উমর (রা) যখন হজ্জ আদায় করলেন ও আবতাহ নামক স্থানে অবতরণ
করেন, তখন তিনি মহান আল্পাহ্র কাছে দু আ করেন ও ফরিয়াদ করে বলেন যে, তার বয়স
বেশি হয়ে গিয়েছে ৷ তিনি দুর্বল হয়ে পড়েছেন ৷ প্রজাবর্গের সং খ্যা বেড়ে গেছে ৷ তইি কর্তব্যে
অবহেলার ভয় করছেন ৷ তিনি মহান আল্লাহ্র কাছে দরখাস্ত করেন যেন তার কাছে তাকে
নিয়ে নেন ৷ আর নবী ল্লে এর শহরে শাহাদত প্রদানে তিনি যেন তাকে ধন্য করেন ৷ সহীহ
হাদীসে প্রমাণিত হয়েছে যে, তিনি দুআর মধ্যে বলতেন, “হে আল্লাহ! আমি তোমার পথে
শাহাদত কামনা করি ৷ তোমার রাসুলের শহরে মৃত্যুবরণ করতে চাই ৷ আল্লাহ্ তাআলা তার এ
দুআ কবুল করেন এবং মদীনা মুনাওয়ারাতে শাহাদতের মাধ্যমে তার দুটি আবেদনই একত্রে
সংযোজিত হয় ৷ এরুপ সৌভাগ্য একটি অতি বিরল বস্তু ৷ আল্লাহ তাআলা যা চান তা অভিনয়
সুক্ষ্মভাবে সম্পন্ন করে নেন ৷
রোম নিবাসী অপ্লিপুজক বংশোদ্ভুত আবুলুলু ফীরোয নামক একটি গোলাম তাকে দুইদিকে
ধারাল খঞ্জর দ্বারা হঠাৎ আঘাত করে ৷ তিনি তখন মসজিদের মিহরাবে ফজরের সালাত আদায়
করছিলেন ৷ দিনটি ছিল বুধবার ৷ বছরের যুলহাজ্জাহ্ মাসের বাকি ছিল মাত্র চারদিন ৷ তাকে যে
তিনটি আঘাত কব্রেছিল ৷ কেউ কেউ বলেন, “ছয়টি আঘাত করেছিল, তন্মধ্যে একটি ফ্লি
নাভীর নিচে ৷ তাতে উদরের আবরক ঝিল্লি কেটে যায় ও তিনি দণ্ডায়মান অবস্থা থেকে নিচে
ঢলে পড়লেন ৷’ আবদুর রহমান ইবন আউফ (রা) ইমামতির জন্যে তার স্থলে র্দাড়ালেন ৷
কাফিরটি তার খঞ্জরসহ প্ৰত্যাৰ্র্ভন্ করল ও যাকে সামনে পেল তাকেই আঘাত করল ৷ এভাবে
وَعِشْرِينَ وَنَزَلَ بِالْأَبْطَحِ دَعَا اللَّهَ، عَزَّ وَجَلَّ وَشَكَا إِلَيْهِ أَنَّهُ قَدْ كَبِرَتْ سِنُّهُ وَضَعُفَتْ قُوَّتُهُ، وَانْتَشَرَتْ رَعِيَّتُهُ وَخَافَ مِنَ التَّقْصِيرِ، وَسَأَلَ اللَّهَ أَنْ يَقْبِضَهُ إِلَيْهِ، وَأَنْ يَمُنَّ عَلَيْهِ بِالشَّهَادَةِ فِي بَلَدِ النَّبِيِّ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، كَمَا ثَبَتَ عَنْهُ فِي " الصَّحِيحِ " أَنَّهُ كَانَ يَقُولُ: اللَّهُمَّ إِنِّي أَسْأَلُكَ شَهَادَةً فِي سَبِيلِكَ، وَمَوْتًا فِي بَلَدِ رَسُولِكَ. فَاسْتَجَابَ اللَّهُ لَهُ هَذَا الدُّعَاءَ، وَجَمَعَ لَهُ بَيْنَ هَذَيْنَ الْأَمْرَيْنِ؛ الشَّهَادَةِ فِي الْمَدِينَةِ النَّبَوِيَّةِ. وَهَذَا عَزِيزٌ جِدًّا، وَلَكِنَّ اللَّهَ لَطِيفٌ لِمَا يَشَاءُ، تَبَارَكَ وَتَعَالَى. فَاتَّفَقَ لَهُ أَنْ ضَرَبَهُ أَبُو لُؤْلُؤَةَ فَيْرُوزُ الْمَجُوسِيُّ الْأَصْلِ، الرُّومِيُّ الدَّارِ، وَهُوَ قَائِمٌ يُصَلِّي فِي الْمِحْرَابِ صَلَاةَ الصُّبْحِ مِنْ يَوْمِ الْأَرْبِعَاءِ، لِأَرْبَعٍ بَقِينَ مِنْ ذِي الْحِجَّةِ مِنْ هَذِهِ السَّنَةِ بِخِنْجَرٍ ذَاتِ طَرَفَيْنِ، فَضَرَبَهُ ثَلَاثَ ضَرَبَاتٍ، وَقِيلَ: سِتَّ ضَرَبَاتٍ. إِحْدَاهُنَّ تَحْتَ سُرَّتِهِ قَطَعَتِ الصِّفَاقَ فَخَرَّ مِنْ قَامَتِهِ، وَاسْتَخْلَفَ عَبْدَ الرَّحْمَنِ بْنَ عَوْفٍ، وَرَجَعَ الْعِلْجُ بِخِنْجَرِهِ لَا يَمُرُّ بِأَحَدٍ إِلَّا ضَرَبَهُ، حَتَّى ضَرَبَ ثَلَاثَةَ عَشَرَ رَجُلًا مَاتَ مِنْهُمْ سِتَّةٌ، فَأَلْقَى عَلَيْهِ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عَوْفٍ بُرْنُسًا فَانْتَحَرَ نَفْسَهُ، لَعَنَهُ اللَّهُ، وَحُمِلَ عُمَرُ إِلَى مَنْزِلِهِ وَالدَّمُ يَسِيلُ مَنْ جُرْحِهِ - وَذَلِكَ قَبْلَ طُلُوعِ الشَّمْسِ - فَجَعَلَ يُفِيقُ ثُمَّ يُغْمَى عَلَيْهِ، ثُمَّ يُذَكِّرُونَهُ بِالصَّلَاةِ فَيُفِيقُ وَيَقُولُ: نَعَمْ، وَلَا حَظَّ فِي الْإِسْلَامِ لِمَنْ تَرَكَهَا. ثُمَّ صَلَّى فِي الْوَقْتِ، ثُمَّ سَأَلَ عَمَّنْ قَتَلَهُ مَنْ هُوَ؟ فَقَالُوا لَهُ أَبُو لُؤْلُؤَةَ غُلَامُ الْمُغِيرَةِ بْنِ شُعْبَةَ. فَقَالَ: الْحَمْدُ لِلَّهِ الَّذِي لَمْ يَجْعَلْ مَنِيَّتِي عَلَى يَدَيْ رَجُلٍ يَدَّعِي الْإِيمَانَ، وَلَمْ يَسْجُدْ لِلَّهِ سَجْدَةً. ثُمَّ قَالَ: قَبَّحَهُ اللَّهُ، لَقَدْ كُنَّا
পৃষ্ঠা - ৫৬৮৬
সে ১৩ জনকে আঘাত করল ৷ তন্মধ্যে ৬ জন মারা গেল ৷ আবদুল্লাহ ইবন আউফ (রা) তার
উপর বুর্মুস (আরব ও মুরদের পরিধেয় মস্তকাবরণ যুক্ত ঢিলেঢালা পরিচ্ছদ) নিক্ষেপ করেন, ,
তাতে সে আটকা পড়ে যায় এবং সে নিজেকে হত্যা করে ৷ উমর (রা) কে তার বাড়িতে নেওয়া
হয় ৷ তার জখমী থেকে রক্ত ঝরজ্জি ৷ আর এ ঘটনাটি ছিল সুর্যোদয়ের পুর্বের ৷ একবার তিনি
চেতনা পান আবার অচেতন হয়ে যান ৷
উপস্থিত লোকেরা তাকে সালাতের কথা স্মরণ করিয়েহ্নে৷ তখন তিনি চেতনা ফিরে পান
এবং বলেন, হ্যা, রে এ সালাতকে ছেড়ে দেবে তার ইসলামে কোন অংশ নেই ৷ তারপর
সময়ের মধ্যে তিনি সালাত আদায় করেন এবং জিজ্ঞেস করলেন, কে তাকে হত্যা করেছে ৷
উপস্থিত জনতা বললেন, যে ছিল আবু লুলু, মুগীরা ইবন শুবাহ (রা)-এর গোলাম ৷ একথা শুনে
তিনি বললেন, “আল্লাহর সমস্ত প্ৰশ্াৎসা যিনি আমার মৃত্যু এমন ৷লাকের মাধ্যমে করলে নি যে
ঈমানের দাবি করে অথচ আল্লাহর দরবারে একটি সিজদাও করে না ৷” তারপর তিনি বলেন,
“আল্লাহ তাকে কুৎসিত করুন ৷ আমরা তাকে সৎকাজের পরামর্শ দিয়েছিলাম ৷ মুগীরা (বা)
তার উপর প্রত্যহ দুই দিরহাম কর ধার্য করেছিলেন ৷ তারপর তিনি উমর (রা) এর কাছে
আবেদন করেছিলেন যেন তিনি তার উপর আরোপিত কর বৃদ্ধি করে দেন ৷ কেননা, সে ছিল
কাঠমিন্তি, খােদাইকার ও কামার ৷
কাজেই হযরত উমর (রা) প্রতিমাসে একশ’ দিরহাম পর্যন্ত তার প্রতি আরোপিত কর বৃদ্ধি
করলেন ৷ তিনি তাকে আরো বলেন, “আমি জ নঙে পেয়েছি তুমি নাকি এমন চাকা তৈরি
করতে পায় যা বায়ু দ্বারা চলে ৷’ ’আবু লুলু বলল, আল্লাহর শপথ! আমি তোমার জন্যে এমন
এক চাকা তৈরি করব যা নিয়ে লোকজন প্রাচ্য ও পাশ্চাত্যে আংলাচনামুখর থাকবে ৷’ তখন
সময় ছিল মঙ্গলবার বিকাল বেলা ৷ আর সে তাকে আঘাত করেছিল বুধবার ভোরে, যুল-হাজ্জাহ্
মাসের ২৬ তারিখ ৷ হযরত উমর (রা) ওসীয়ত করলেন যেন তার মৃত্যুর পর খিলাফক্কতর
নির্বাচনের বিষয়টি ছয় সদস্য বিশিষ্ট একটি পরামর্শ সভার উপর ন্যস্ত করা হয় ৷ এ ছয়জরুনর
প্রতি রাসুলুল্লাহ্মোঃতার জীবদ্দশায় সন্তুষ্ট ছিলেন ৷ তারা হলেন
হযরত উসমান (বা), হযরত আলী (বা), হযরত তাগ্রা (বা), হযরত যুবাইর (রা),
হযরত আবদুর রহমান ইবন আউফ (বা) ও হযরত সাদ ইবন আবু ওয়াক্কাস (রা৷) ৷ তিনি
হযরত সাঈদ ইবন যক্ট্রয়িদ ইবন আমর ইবন নুফাইল আল-আদভী (রা)-কে তাদ্যো মধ্যে
উল্লেখ করেন নি ৷ কেননা, তিনি ছিলেন তার গোত্রের দো! ৷ আর খিলাফতেরুব্ধির্ব্যচনের
ব্যাপারে গোত্রীয় প্রভাবের তিনি আশংকা করেছিলেন ৷ স্ফোণের মধ্যে হতে যারা তার পরে
তার স্থলাভিষিক্ত হবেন তাদেরকে তাদের মর্যাদার স্তর অনুযায়ী জংকল্যাণ সম্পাদনের ওসীয়ত
করে যান ৷
জখমী হবার তিনদিন পরে তিনি মৃত্যুমুঠখ পতিত হন এবং রবিবার দিন ২৪ হিজরীর
মুহররমের ১লা তারিখ রাসুলুল্লাহ্স্পা এর হুজরায় হযরত আবু বকর সিদ্দীক (রা) এর পার্শে
হযরত আয়িশা সিদ্দীকা (রা) এর অনুমতিক্রমে তাকে দাফন করা হয় ৷ আর ঐদিন আমীরুল
মু মিনীন হযরত ৩উসমান ইবন আফ্ফান (রা) এর খিলাফত আরম্ভ হয় ৷
أَمَرْنَا بِهِ مَعْرُوفًا.
وَكَانَ الْمُغِيرَةُ قَدْ ضَرَبَ عَلَيْهِ فِي كُلِّ يَوْمٍ دِرْهَمَيْنِ، ثُمَّ سَأَلَ مِنْ عُمَرَ أَنْ يَزِيدَ فِي خَرَاجِهِ فَإِنَّهُ نَجَّارٌ نَقَّاشٌ حَدَّادٌ، فَزَادَ فِي خَرَاجِهِ إِلَى مِائَةٍ فِي كُلِّ شَهْرٍ، وَقَالَ لَهُ: لَقَدْ بَلَغَنِي أَنَّكَ تُحْسِنُ أَنْ تَعْمَلَ رَحًا تَدُورُ بِالْهَوَاءِ. فَقَالَ أَبُو لُؤْلُؤَةَ أَمَا وَاللَّهِ لَأَعْمَلَنَّ لَكَ رَحًا يَتَحَدَّثُ بِهَا النَّاسُ فِي الْمَشَارِقِ وَالْمَغَارِبِ - وَكَانَ هَذَا يَوْمَ الثُّلَاثَاءِ عَشِيَّةً - وَطَعَنَهُ صَبِيحَةَ الْأَرْبِعَاءَ لِأَرْبَعٍ بَقِينَ مِنْ ذِي الْحِجَّةِ.
وَأَوْصَى عُمَرُ أَنْ يَكُونَ الْأَمْرُ شُورَى بَعْدَهُ فِي سِتَّةٍ مِمَّنْ تُوُفِّيَ رَسُولُ اللَّهِ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَهُوَ عَنْهُمْ رَاضٍ؛ وَهُمْ عُثْمَانُ وَعَلِيٌّ وَطَلْحَةُ وَالزُّبَيْرُ وَعَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ عَوْفٍ وَسَعْدُ بْنُ أَبِي وَقَّاصٍ، وَلَمْ يَذْكُرْ سَعِيدَ بْنَ زَيْدِ بْنِ عَمْرِو بْنِ نُفَيْلٍ الْعَدَوِيَّ فِيهِمْ ; لِكَوْنِهِ مِنْ قَبِيلَتِهِ، خَشْيَةَ أَنْ يُرَاعَى فِي الْإِمَارَةِ بِسَبَبِهِ، وَأَوْصَى مَنْ يُسْتَخْلَفُ بَعْدَهُ بِالنَّاسِ خَيْرًا عَلَى طَبَقَاتِهِمْ وَمَرَاتِبِهِمْ.
وَمَاتَ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ بَعْدَ ثَلَاثٍ، وَدُفِنَ يَوْمَ الْأَحَدِ مُسْتَهَلَّ الْمُحَرَّمِ مِنْ سَنَةِ أَرْبَعٍ وَعِشْرِينَ بِالْحُجْرَةِ النَّبَوِيَّةِ إِلَى جَانِبِ الصِّدِّيقِ، عَنْ إِذْنِ أُمِّ الْمُؤْمِنِينَ عَائِشَةَ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهَا، فِي ذَلِكَ، وَفِي ذَلِكَ الْيَوْمِ حَكَمَ أَمِيرُ الْمُؤْمِنِينَ عُثْمَانُ بْنُ عَفَّانَ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ.
قَالَ الْوَاقِدِيُّ: حَدَّثَنِي أَبُو بَكْرِ بْنُ إِسْمَاعِيلَ بْنِ مُحَمَّدِ بْنِ سَعْدٍ، عَنْ أَبِيهِ قَالَ: طُعِنَ عُمَرُ يَوْمَ الْأَرْبِعَاءِ لِأَرْبَعِ لَيَالٍ بَقِينَ مِنْ ذِي الْحِجَّةِ سَنَةَ ثَلَاثٍ وَعِشْرِينَ، وَدُفِنَ يَوْمَ الْأَحَدِ صَبَاحَ هِلَالِ الْمُحَرَّمِ سَنَةَ أَرْبَعٍ وَعِشْرِينَ فَكَانَتْ وِلَايَتُهُ عَشْرَ سِنِينَ
পৃষ্ঠা - ৫৬৮৭
وَخَمْسَةَ أَشْهُرٍ وَأَحَدًا وَعِشْرِينَ يَوْمًا، وَبُويِعَ لِعُثْمَانَ يَوْمَ الِاثْنَيْنِ لِثَلَاثٍ مَضَيْنَ مِنَ الْمُحَرَّمِ. قَالَ: فَذَكَرْتُ ذَلِكَ لِعُثْمَانَ الْأَخْنَسِيِّ، فَقَالَ: مَا أُرَاكَ إِلَّا وَهِلْتَ، تُوُفِّيَ عُمَرُ لِأَرْبَعِ لَيَالٍ بَقِينَ مِنْ ذِي الْحِجَّةِ، وَبُويِعَ لِعُثْمَانَ لِلَيْلَةٍ بَقِيَتْ مِنْ ذِي الْحِجَّةِ، فَاسْتَقْبَلَ بِخِلَافَتِهِ الْمُحَرَّمَ سَنَةَ أَرْبَعٍ وَعِشْرِينَ.
وَقَالَ أَبُو مَعْشَرٍ: قُتِلَ عُمَرُ لِأَرْبَعٍ بَقِينَ مِنْ ذِي الْحِجَّةِ تَمَامَ سَنَةِ ثَلَاثٍ وَعِشْرِينَ، وَكَانَتْ خِلَافَتُهُ عَشْرَ سِنِينَ وَسِتَّةَ أَشْهُرٍ وَأَرْبَعَةَ أَيَّامٍ، وَبُويِعَ عُثْمَانُ بْنُ عَفَّانَ.
وَقَالَ ابْنُ جَرِيرٍ: حُدِّثْتُ عَنْ هِشَامِ بْنِ مُحَمَّدٍ، قَالَ: قُتِلَ عُمَرُ لِثَلَاثٍ بَقِينَ مِنْ ذِي الْحِجَّةِ سَنَةَ ثَلَاثٍ وَعِشْرِينَ، فَكَانَتْ خِلَافَتُهُ عَشْرَ سِنِينَ وَسِتَّةَ أَشْهُرٍ وَأَرْبَعَةَ أَيَّامٍ.
وَقَالَ سَيْفٌ، عَنْ خُلَيْدِ بْنِ ذَفَرَةَ وَمُجَالِدٍ قَالَا: اسْتُخْلِفَ عُثْمَانُ لِثَلَاثٍ مِنَ الْمُحَرَّمِ، فَخَرَجَ فَصَلَّى بِالنَّاسِ صَلَاةَ الْعَصْرِ.
وَقَالَ عَلِيُّ بْنُ مُحَمَّدٍ الْمَدَائِنِيُّ، عَنْ شَرِيكٍ، عَنِ الْأَعْمَشِ - أَوْ جَابِرٍ الْجُعْفِيِّ - عَنْ عَوْفِ بْنِ مَالِكٍ الْأَشْجَعِيِّ وَعَامِرِ بْنِ أَبِي مُحَمَّدٍ، عَنْ أَشْيَاخٍ مِنْ
পৃষ্ঠা - ৫৬৮৮
আল্লামা ওয়াকিদী (র) আবু বকর ইবন ইসমইিল ইবন মুহাম্মদ ইবন সাদ (র) হতে তার
পিতার মাধ্যমে বর্ণনা করেন যে, ২৩ হিজরীর যুলহাজ্জাহ্ মাসের : দিন বাকি থাকতে,বুধৰার
দিন হযরত উমর (রা) আঘাতপ্রাপ্ত হন এবং রবিবার দিন ২৪ হিজরীর মুহররমের ১লা তারিখ
তাকে দাফন করা হয় ৷ কাজেই তার খিলাফতের সময়কাল ছিল ১০ বছর ৫ মাস ২১ দিন ৷
হযরত উসমান (রা)-ষ্এর হাতে সোমবার দিন বাইয়াত গ্রহণ করা হয় ৷ আর তা ছিল মুহররমের
তিন তারিখ
বর্ণনাকারী বলেন, এ তথ্যটি আমি উসমান আল-আখনাসের কাছে উপস্থাপন করলাম ৷
তখন তিনি বললেন, “আমার ধারণা তুমি ভুল করেছ ৷ সঠিক তথ্য হলো এই যে, যুলহাজ্জাহ্
মাসের চার রাত বাকী থাকা অবস্থায় হযরত উমর (রা) ইনতিকাল করেন ৷ আরযুল হাজ্জাহ্
মাসের এক রাত বাকি থাকতে হযরত উসমান (রা)-এর হাতে বাইয়াত গ্রহণ করা হয় ৷
কাজেই, ২৪ হিজরীর মুহররম মাসের ১লা তারিখ হতে হযরত উসমান (রা) এর খিলাফত শুরু
হয় ৷
আল্লামা মাশার (র) বলেন, “২৩ হিজরীর সমাপ্তিকালে যুলহাজ্জ মাসের চারদিন বাকি
থাকতে হযরত উমর (রা) শহীদ হন ৷ আর তার খিলাফতের সময়কাল ছিল ১০ বছর ৬ মাস :
দিন ৷ তারপর হযরত উসমান ইবন আফ্ফান (রা)-এর হাতে বাইয়াত গ্রহণ করা হয় ৷
আল্লামা ইবন জারীর (র) হিশাম ইবন মুহাম্মদ (র) হতে বর্ণনা করেন ৷ তিনি বলেন, “২৩
হিজরীর যুলহাজ্জাহ্ মাসের তিনদিন বাকি থাকতে হযরত উমর (রা) শহীদ হন ৷ তাই তীর
খিলাফাতের সময়কাল ছিল ১০ বছর ৬ মাস : দিন ৷ আল্লামা সাইফ (র) খালিদ ইবন ওফরাহ
ও মুজালিদ (র) হতে বর্ণনা করেন ৷ তারা দুজনেই বলেন, মুহররমের তিন তারিখ হযরত
উসমান (রা)-কে খলীফা নির্বাচন করা হয় ৷ তারপর তিনি ঘর থেকে বের হলেন ও ণ্লাকজনকে
নিয়ে সালাতে আসর আদায় করেন ৷ আলী ইবন মুহাম্মদ আল-মাদারিনী আয-যুহরী হতে বর্ণনা
করেন ৷ তিনি বলেন, বুধবারে হযরত উমর (রা) কে আঘাত করা হয় এবং তা ছিল যুলহাজ্জাহ্
মাসের সাতদিন বাকি ৷ তবে প্রথম অভিমতটি জ্জি প্রসিদ্ধ ৷
হযরত উমর (না)-এর আকৃতি ও বৈশিষ্ট্য
তিনি আকারে খুব লম্বা, মাথায় টকে, স্বভাব কঠোর প্রকৃতির ৷ আর্থিক সচ্ছল ৷ চোখ দুটির
বর্ণ খুবই কালো ৷ গায়েররংবুসর ৷ কেউ কেউ বলেন, তিনি অত্যন্ত লালচে সাদা ৷ সাদা
ঝকঝকে দাতের অধিকারী ৷ মেহেদী দ্বারা দাড়ি চুল রংর্গীন করতেন ৷ তার বয়স সম্পর্কে দশটি
মতামত প্রচলিত রয়েছে :
ইবন জারীর (র) ইবন উমর (বা) হতে বর্ণনা করেন ৷ তিনি বলেন, উমর ইবন
খাত্তাব (রা) যখন শহীদ হন তখন তার বয়স ৫৫ বছর ৷ আল্লামা দারাওয়ারদী ও ইবন উমর
(বা) হতে অনুরুপ বর্ণনা করেন ৷ আল্লামা আবদুর রায্যাক (র)ও ইমাম যুহরী (র) থেকে
অনুরুপ বর্ণনা করেন ৷ আল্লামা আহমদ (র) ও সালিম ইবন আবদুল্লাহ ইবন উমর (র) হতে
অনুরুপ বর্ণনা করেন ৷
قَوْمِهِ، وَعُثْمَانُ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، قَالُوا: طُعِنَ عُمَرُ يَوْمَ الْأَرْبِعَاءِ لِسَبْعٍ بَقِينَ مِنْ ذِي الْحِجَّةِ. قَالَ: وَقَالَ غَيْرُهُمْ: لِسِتٍّ بَقِينَ مِنْ ذِي الْحِجَّةِ.
وَالْقَوْلُ الْأَوَّلُ هُوَ الْأَشْهَرُ، وَاللَّهُ سُبْحَانَهُ وَتَعَالَى أَعْلَمُ.
[صِفَةُ عُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ]
صِفَتُهُ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ
كَانَ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ رَجُلًا طِوَالًا أَصْلَعَ، أَعْسَرَ أَيْسَرَ، أَحْوَرَ الْعَيْنَيْنِ، آدَمَ اللَّوْنِ، وَقِيلَ: كَانَ أَبْيَضَ شَدِيدَ الْبَيَاضِ تَعْلُوهُ حُمْرَةٌ، أَشْنَبَ الْأَسْنَانِ، وَكَانَ يُصَفِّرُ لِحْيَتَهُ، وَيُرَجِّلُ رَأْسَهُ بِالْحِنَّاءِ.
وَاخْتُلِفَ فِي مِقْدَارِ سِنِّهِ يَوْمَ مَاتَ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، عَلَى أَقْوَالٍ عِدَّتُهَا عَشْرَةٌ فَقَالَ ابْنُ جَرِيرٍ: حَدَّثَنَا زَيْدُ بْنُ أَخْزَمَ، ثَنَا أَبُو قُتَيْبَةَ، عَنْ جَرِيرِ بْنِ حَازِمٍ، عَنْ أَيُّوبَ، عَنْ نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ قَالَ: قُتِلَ عُمَرُ بْنُ الْخَطَّابِ وَهُوَ ابْنُ خَمْسٍ وَخَمْسِينَ سَنَةً. وَرَوَاهُ الدَّرَاوَرْدِيُّ عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ، عَنْ نَافِعٍ،
পৃষ্ঠা - ৫৬৮৯
عَنِ ابْنِ عُمَرَ. وَقَالَهُ عَبْدُ الرَّزَّاقِ، عَنِ ابْنِ جُرَيْجٍ، عَنِ الزُّهْرِيِّ. وَرَوَاهُ أَحْمَدُ، عَنْ هُشَيْمٍ، عَنْ عَلِيِّ بْنِ زَيْدٍ، عَنْ سَالِمِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ.
وَعَنْ نَافِعٍ رِوَايَةٌ أُخْرَى: سِتٌّ وَخَمْسُونَ سَنَةً. وَثَالِثَةٌ: تِسْعٌ وَخَمْسُونَ.
قَالَ ابْنُ جَرِيرٍ: وَقَالَ آخَرُونَ: كَانَ عُمُرُهُ ثَلَاثًا وَخَمْسِينَ سَنَةً، حُدِّثْتُ بِذَلِكَ عَنْ هِشَامِ بْنِ مُحَمَّدٍ. ثُمَّ رُوِيَ عَنْ عَامِرٍ الشَّعْبِيِّ أَنَّهُ تُوُفِّيَ وَلَهُ ثَلَاثٌ وَسِتُّونَ سَنَةً. قُلْتُ: وَقَدْ تَقَدَّمَ فِي عُمُرِ الصِّدِّيقِ مِثْلُهُ. وَرُوِيَ عَنْ قَتَادَةَ أَنَّهُ قَالَ: تُوُفِّيَ عُمَرُ وَهُوَ ابْنُ إِحْدَى وَسِتِّينَ سَنَةً.
وَعَنِ ابْنِ عُمَرَ وَالزُّهْرِيِّ: خَمْسٌ وَسِتُّونَ سَنَةً. وَعَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ: سِتٌّ وَسِتُّونَ. وَرَوَى ابْنُ جَرِيرٍ، عَنْ أَسْلَمَ مَوْلَى عُمَرَ أَنَّهُ قَالَ: تُوُفِّيَ وَهُوَ ابْنُ سِتِّينَ سَنَةً. قَالَ الْوَاقِدِيُّ: وَهَذَا أَثْبَتُ الْأَقَاوِيلِ عِنْدَنَا.
পৃষ্ঠা - ৫৬৯০
ইমাম নাফি (র) হতে অন্য এক বর্ণনায় ৫৬ বছর উল্লেখ করা হয়েছিল ৷ ইবন জারীর
বলেন, অন্যরা বলছেন, তার বয়স ছিল ৫৩ বছর ৷ এ সম্পর্কে হিশাম ইবন মুহাম্মদ (র) থেকেও
আমার কাছে বর্ণনা এসেছে ৷ তারপর আমির আশ-শাবী (র) হতে বর্ণিত রয়েছে যে, তিনি ৬৩
বছর বয়সে শাহাদত লাভ করেন ৷
ইমাম ইবন কাসীর (র) বলেন, হযরত আব্ বকর সিদ্দীক (বা) এর বয়স সম্পর্কেও
অনুরুপ মতভেদ বর্ণনা করা হয়েছে ৷
হযরত কাতাদাহ (র) হতে বর্ণিত আছে ৷ তিনি বলেন, ৬১ বছর বয়সে হযরত উমর (রা)
ইনতিকাল করেন ৷ ইবন উমর (রা) এবং আয-যুহরী (র) হতে ৬৫ বছর বয়সের বর্ণনা
রয়েছে ৷
ইবন আব্বাস (বা) হতে বর্ণিত আছে যে ৬৬ বছর বয়সে হযরত উমর (রা) শাহাদত
লাভ করেন ৷
ইবন জা ৷রীর (র) হযরত উমর (রা) এর আযাদকৃত গোলাম আসলাম (রা) থেকে বর্ণনা
করেন ৷ তিনি বলেন, হযরত উমর (বা) ৬০ বছর বয়সে শাহাদত লাভ করেন ৷ আল্লামা
ওয়াকিদী (র) বলেন, এ মতামতটি আমাদের কাছে বেশি গ্রহণীয় ৷
আল্লাম৷ আল-মাদায়িনী (র) বলেন, হযরত উমর (বা) ৫৭ বছর বয়সে শাহাদত লাভ
করেন ৷
হযরত উমর (রা) এর শ্রী ও সন্তান-সন্ততিগণের বিবরণ
আল্লাম৷ আল ওয়৷ ৷কিদী ও ইবনুল কা ৷লবী (র) এবং অন্যরা বলেন৪ জাহিলিয়াতের যুগে
হযরত উমর (রা) হযরত ৩উসমান ইবন মায্উন (রা) এর ভগ্নি যয়নাব বিনত মাযউনকে বিয়ে
করেন ৷ তার গর্ভে তিনজন ছেলেমেয়ে জন্ম নেয় ৷ তারা হলেন০ : আবদুল্লাহ (রা), আবদুর
রহমান আল আকরার (রা) ও হামসা (রা) ৷ তিনি মুলইিকা বিনত জারওয়ালকে বিয়ে করেন ;া
তবে গর্ভে জন্ম নেন উবাইদৃল্লাহ (রা) ৷ হুদাইবিয়াৱ সন্ধির সময় তিনি তাকে তালাক দেন ৷
আল্লামা আল মাদায়িনী বলেন, এরপর তাকে আবুল জাহাম ইবন হুযাইফ৷ বিয়ে করেন ৷
আল্লামা ওয়াকিদী (র) বলেন, “তিনি হলেন উষ্মে কুলসুম বিনত জারওয়াল ৷ তার গর্ভে জ্জা
নেন উবাইদুল্লাহ ও, যায়িদ আলআসগর ৷ আল্লামা আল-মাদায়িনী (র) বলেন, তিনি
কুরাইবাহ-বিনত আবু উমাইয়াই আল-মাখযুমীকে বিয়ে করেন ৷ হুদাইবিয়াব নন্ধিব্র সময়
তাদের মধ্যে বিবাহ বিচ্ছেদ হয় ৷ এরপর তাকে বিয়ে করেন আবদুর রহমান ইবন আবু বকর
(রা) ৷
ইতিহাসবিদগণ বলেন, তিনি উম্মে হাকীম বিনত আল-হারিস ইবন হিশামকে বিয়ে করেন ৷
আর তা হচ্ছে সিরিয়ার তার স্বামী নিহত হওয়ার পর ৷৩ তার গর্ভে জন্ম নেয় ফাতিম৷ ৷ আল্লামা
আল-মাদায়িনী (র) বলেন, এরপর তিনি তাকে তালাক দেন ৷ আবার কেউ কেউ বলেন, তাকে
তালাক দেননি ৷ ইতিহাসকিংগণ আরো বলেন, তিনি আউস গোত্রের জামীলা বিনত আসিম
ইবন সাবিত আবুল আফলাহকে বিয়ে করেন ৷ এরপর তিনি আতিকা বিনত যায়িদ ইবন আমর
ইবন নুফাইলকে বিয়ে করেন ৷ এরপুর্বে তিনি আবদুল্লাহ ইবন আবু ঘুলইিকার অধীনে ছিলেন ৷
وَقَالَ الْمَدَائِنِيُّ: تُوُفِّيَ عُمَرُ وَهُوَ ابْنُ سَبْعٍ وَخَمْسِينَ سَنَةً.
[ذِكْرُ زَوْجَاتِهِ وَأَبْنَائِهِ وَبَنَاتِهِ]
قَالَ الْوَاقِدِيُّ وَابْنُ الْكَلْبِيِّ وَغَيْرُهُمَا: تَزَوَّجَ عُمَرُ فِي الْجَاهِلِيَّةِ زَيْنَبَ بِنْتَ مَظْعُونٍ أُخْتَ عُثْمَانَ بْنِ مَظْعُونٍ، فَوَلَدَتْ لَهُ عَبْدَ اللَّهِ وَعَبْدَ الرَّحْمَنِ الْأَكْبَرَ وَحَفْصَةَ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمْ.
وَتَزَوَّجَ مُلَيْكَةَ بِنْتَ جَرْوَلٍ، فَوَلَدَتْ لَهُ عُبَيْدَ اللَّهِ، فَطَلَّقَهَا فِي الْهُدْنَةِ، فَخَلَفَ عَلَيْهَا أَبُو الْجَهْمِ بْنُ حُذَيْفَةَ. قَالَهُ الْمَدَائِنِيُّ. وَقَالَ الْوَاقِدِيُّ: هِيَ أُمُّ كُلْثُومٍ بِنْتُ جَرْوَلٍ، فَوَلَدَتْ لَهُ عُبَيْدَ اللَّهِ وَزَيْدًا الْأَصْغَرَ.
قَالَ الْمَدَائِنِيُّ: وَتَزَوَّجَ قُرَيْبَةَ بِنْتَ أَبِي أُمَيَّةَ الْمَخْزُومِيِّ فَفَارَقَهَا فِي الْهُدْنَةِ، فَتَزَوَّجَهَا بَعْدَهُ عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ أَبِي بَكْرٍ.
قَالُوا: وَتَزَوَّجَ أُمَّ حَكِيمِ بِنْتَ الْحَارِثِ بْنِ هِشَامٍ بَعْدَ زَوْجِهَا - حِينَ قُتِلَ فِي الشَّامِ - فَوَلَدَتْ لَهُ فَاطِمَةَ ثُمَّ طَلَّقَهَا. قَالَ الْمَدَائِنِيُّ: وَقِيلَ: لَمْ يُطَلِّقْهَا.
قَالُوا: تَزَوَّجَ جَمِيلَةَ أُخْتَ عَاصِمِ بْنِ ثَابِتِ بْنِ أَبِي
পৃষ্ঠা - ৫৬৯১
যখন উমর (রা) শাহাদত প্রাপ্ত হন আয-যুবইির ইবনুল আওয়াম (রা) তাকে বিয়ে করেন ৷ বলা
হয়ে থাকে যে, তিনিই তার ছেলে আইয়ামের মাতা ৷ মহান আল্লাহ অধিক পরিজ্ঞাত ৷
আল্লাম৷ মাদায়নী (র) বলেন, তিনি আবু বকর সিদ্দীক (রা)এর কন্যা উম্মে কুলসুমের
কাছে বিয়ের প্রস্তাব দেন ৷ তিনি ছিলেন অপ্রাপ্ত বয়স্কা ৷ এর মধ্যে যোগাযোগ স্থাপন করেন
হযরত আয়িশা সিদ্দীকা (রা) ৷ তখন উষ্মে কুলসুম বলেন, আমার এ বিয়ের কোন প্রয়োজন
নেই ৷ হযরত আয়েশা (রা) বলেন, “তুমি কি আমীরুল মুমিনীনকে অগাহ্য করছ৷ তিনি বলেন,
“ছুা৷ ৷ কেননা, তিনি সাদাদিধে জীবন যাপন করেন ৷ তখন হযরত আয়েশা (রা) আমর ইবনুল
আস (রা) এর কাছে লোক পাঠালেন ৷ তিনি তাকে এ উষ্মে কুলসুম হতে বিরত রাখেন এবং
আলী ইবন তালিব (রা) ও হযরত ফাতিম৷ বিনত রাসুলুল্লাহ্মোঃ এৱ কন্যা উম্মে কুলসুমের
প্রতি তাকে আকৃষ্ট করলেন এবং বললেন রাসুলুল্লাহ্ ন্ল পাং এর কারণে তুমি তার সাথে সম্পর্ক
গড়ে তােল ৷ তখন তিনি আলী (রা)-এর কাছে উষ্মে কুলসুমের বিয়ের প্রস্তাব পোপ করেন ৷
হযরত আলী (বা) উষ্মে কুলসুমকে হযরত উমর (রা)-এর কাছে বিয়ে দেন ৷ উমর (রা) চল্লিশ
-হাজার ল্লিহাম মােহর আদায় করেন ৷ তার গর্ভেজন্ম নেন যায়িদ (র) ও রোকেয়া (র) ৷
ইতিহাসবিদগণ উল্লেখ করেন যে, হযরত উমর (রা) ইয়ামানের লাহীয়া নামে এক
মহিলাকে বিয়ে করেন ৷ তীর গর্ভে জন্ম নেন আবদুর রহমান আল-আসগর ৷ আবার কেউ কেউ
বলেন, আবদুর রহমান আল-আওসাত ) আল্লামা আল-ওয়াকিদী বলেন, “তিনি দাসী ছিলেন ৷
তিনি তার শ্রী ছিলেন না ৷”
ইতিহাসবিদগণ বলেন, হযরত উমর (রা)-এর কা ছে ফুকইিয়৷ নামে এক দাসী ছিল ৷ তার
গর্ভে জন্ম নেয় যয়নাব (র) ৷ আল্পামা আল-ওয়াকিদী (র) বলেন, “হযরত উমর (রা)-এর
কনিষ্ঠতম সন্তান ছিলেন তিনি ৷ আল্লাম৷ আল ওয়াকিদী (র) আরো বলেন, হযরত উমর (রা)
উষ্মে আবান বিনত উতবাহ ইবন শইিবাহ-এর কাছে বিয়ের প্রস্তাব দেন ৷ বিন্দু তিনি তা
প্রত্যাখ্যান করেন এবং বলেন, আমি আশা করি তিনি তার দরজা বন্ধ করে দিবেন, এরুপ
কল্যাণ থেকে বিরত থাকবেন, ৰিষণ্ন অবস্থায় ঘরে প্রবেশ বল্মবেন ও অনুরুপ অবস্থার ঘর থেকে
বের হবেন ৷ অর্থাৎ তার বিয়ের মিঃা-ভাবনা তিনি বাদ দিবেন ৷
আল্পাম৷ ইবন কাসীর (র) বলেন, হযরত উমর (রড়া)-এর তেরটি সন্তান ছিল ৷ তারা হলেনঃ
যায়িদ অন্য-আকবর, যায়িদ আল-আসগর, আসিম, আবদুল্লাহ, আবদুল রহমান আলআকবর,
আবদুর রহমান আল-আওসাত ৷ আয-যুরইির ইবন বিকার বলেন, তিনিই আবু শাহ্মাহ্ ৷
আবদুর রহমনৈআল-আসগরে, উবইিদুল্লাহ, আইয়ায, হাফস৷ (রা), বোকইিয়া, যয়নাব ও
ফাতিম৷ (রা) ৷
তার মোট শ্রীর সং খ্খা৷ সাত, যাদেরকে তিনি জাহিলিয়াতের যুগে ও ইসলামী যুগে বিয়ে
করেন এবং যাদেরকে তল্যেক দেন ও তারা তাকে রেখে ইনতিকাল করেন ৷ তারা হলেনং
জামীলাহ বিনতে আসিম ইবন সাধিত ইবন অলে-আফ্ফাহে, যয়নাব বিনত মাম্নৈ, আতিকাহ
বিনত যায়িদ ইবন আমর ইবন ৰুফাইল, কুরাইবাহ বিনত আবু উমইিয়া, মুলইিকাহ বিনত
আরওয়াল, উষ্মে হা কীম বিনতে আল হারিস ইবন হিশাম, উষ্মে কুপ্সসুম বিনত আলী ইবন আবু
তালিব, অন্য এক উষ্মে কুলসুম তার নাম মুলইিকাহ বিনত জারওয়াল ৷ তার ছিল দুটি দামী,
الْأَفْلَحِ مِنَ الْأَوْسِ.
وَتَزَوَّجَ عَاتِكَةَ بِنْتَ زَيْدِ بْنِ عَمْرِو بْنِ نُفَيْلٍ، وَكَانَتْ قَبْلَهُ عِنْدَ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي بَكْرٍ، وَلَمَّا قُتِلَ عُمَرُ تَزَوَّجَهَا بَعْدَهُ الزُّبَيْرُ بْنُ الْعَوَّامِ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمْ. وَيُقَالُ: هِيَ أُمُّ ابْنِهِ عِيَاضٍ. فَاللَّهُ أَعْلَمُ.
قَالَ الْمَدَائِنِيُّ: وَكَانَ قَدْ خَطَبَ أُمَّ كُلْثُومٍ بِنْتَ أَبِي بَكْرٍ الصِّدِّيقِ وَهِيَ صَغِيرَةٌ وَرَاسَلٌ فِيهَا عَائِشَةَ، فَقَالَتْ أُمُّ كُلْثُومٍ: لَا حَاجَةَ لِي فِيهِ. فَقَالَتْ عَائِشَةُ: أَتَرْغَبِينَ عَنْ أَمِيرِ الْمُؤْمِنِينَ؟ قَالَتْ: نَعَمْ إِنَّهُ خَشِنُ الْعَيْشِ. فَأَرْسَلَتْ عَائِشَةُ إِلَى عَمْرِو بْنِ الْعَاصِ فَصَدَّهُ عَنْهَا، وَدَلَّهُ عَلَى أُمِّ كُلْثُومٍ بِنْتِ عَلِيِّ بْنِ أَبِي طَالِبٍ، وَمِنْ فَاطِمَةَ بِنْتِ رَسُولِ اللَّهِ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَقَالَ: تَعْلَقُ مِنْهَا بِسَبَبٍ مِنْ رَسُولِ اللَّهِ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ. فَخَطَبَهَا مِنْ عَلِيٍّ فَزَوَّجَهُ إِيَّاهَا، فَأَصْدَقَهَا عُمَرُ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ أَرْبَعِينَ أَلْفًا، فَوَلَدَتْ لَهُ زَيْدًا وَرُقَيَّةَ.
قَالُوا: وَتَزَوَّجَ لُهَيَّةَ - امْرَأَةً مِنَ الْيَمَنِ - فَوَلَدَتْ لَهُ عَبْدَ الرَّحْمَنِ الْأَصْغَرَ. وَقِيلَ: الْأَوْسَطَ. وَقَالَ الْوَاقِدِيُّ: هِيَ أُمُّ وَلَدٍ وَلَيْسَتْ بِزَوْجَةٍ. قَالُوا وَكَانَتْ عِنْدَهُ فُكَيْهَةُ أُمُّ وَلَدٍ، فَوَلَدَتْ لَهُ زَيْنَبَ. قَالَ الْوَاقِدِيُّ: وَهِيَ أَصْغَرُ وَلَدِهِ.
পৃষ্ঠা - ৫৬৯২
قَالَ الْوَاقِدِيُّ: وَخَطَبَ أُمَّ أَبَانَ بِنْتَ عُتْبَةَ بْنِ رَبِيعَةَ، فَكَرِهَتْهُ، وَقَالَتْ: يُغْلِقُ بَابَهُ، وَيَمْنَعُ خَيْرَهُ، وَيَدْخُلُ عَابِسًا، وَيَخْرُجُ عَابِسًا.
قُلْتُ: فَجُمْلَةُ أَوْلَادِهِ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ وَأَرْضَاهُ، ثَلَاثَةَ عَشَرَ وَلَدًا ; وَهُمْ زَيْدٌ الْأَكْبَرُ وَزَيْدٌ الْأَصْغَرُ، وَعَاصِمٌ، وَعَبْدُ اللَّهِ وَعَبْدُ الرَّحْمَنِ الْأَكْبَرُ، وَعَبْدُ الرَّحْمَنِ الْأَوْسَطُ - قَالَ الزُّبَيْرُ بْنُ بَكَّارٍ: وَهُوَ أَبُو شَحْمَةَ - وَعَبْدُ الرَّحْمَنِ الْأَصْغَرُ، وَعُبَيْدُ اللَّهِ، وَعِيَاضٌ، وَحَفْصَةُ، وَرُقَيَّةُ، وَزَيْنَبُ، وَفَاطِمَةُ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمْ.
وَمَجْمُوعُ نِسَائِهِ اللَّاتِي تَزَوَّجَهُنَّ فِي الْجَاهِلِيَّةِ وَالْإِسْلَامِ مِمَّنْ طَلَّقَهُنَّ أَوْ مَاتَ عَنْهُنَّ سَبْعٌ، وَهُنَّ جَمِيلَةُ أُخْتُ عَاصِمِ بْنِ ثَابِتِ بْنِ الْأَفْلَحِ، وَزَيْنَبُ بِنْتُ مَظْعُونٍ، وَعَاتِكَةُ بِنْتُ زَيْدِ بْنِ عَمْرِو بْنِ نُفَيْلٍ، وَقُرَيْبَةُ بِنْتُ أَبِي أُمَيَّةَ، وَمُلَيْكَةُ بِنْتُ جَرْوَلٍ، وَأُمُّ حَكِيمِ بِنْتُ الْحَارِثِ بْنِ هِشَامٍ، وَأُمُّ كُلْثُومٍ بِنْتُ عَلِيِّ بْنِ أَبِي طَالِبٍ، وَأُمُّ كُلْثُومٍ أُخْرَى وَهِيَ مُلَيْكَةُ بِنْتُ جَرْوَلٍ.
وَكَانَتْ لَهُ أَمَتَانِ لَهُ مِنْهُمَا أَوْلَادٌ؛ وَهُمَا فُكَيْهَةُ وَلُهَيَّةُ، وَقَدِ اخْتُلِفَ فِي لُهَيَّةَ هَذِهِ فَقَالَ بَعْضُهُمْ: كَانَتْ أُمَّ وَلَدٍ. وَقَالَ بَعْضُهُمْ: كَانَ أَصْلُهَا مِنَ الْيَمَنِ وَتَزَوَّجَهَا أَمِيرُ الْمُؤْمِنِينَ عُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ، فَاللَّهُ أَعْلَمُ.
পৃষ্ঠা - ৫৬৯৩
তাদের থেকেও তীর সন্তান ছিল ৷ তারা হলেন ফুকইিহা ও লাহীয়া ৷ এ লাহীয়া সম্বন্ধে মতভেদ
রয়েছে ৷ কেউ কেউ বলেন, তিনি ছিলেন দায়ী (উষ্মে ওয়ালাদ) ৷” আবার কেউ কেউ বলেন,
তিনি ছিলেন মুলত ইয়ামানের অধিবাসী ৷ তাকে আমীরপ্স মু’মিনীন উমর ইবনুল খাত্তাব (রা)
বিয়ে করেন ৷ আল্লাহ তাআলা অধিক পরিজ্ঞাত ৷
হযরত উমর (রা)-এর প্রতি উত্সর্গকৃত কিছু শ্যেকণ র্পোর বিবরণ
আলী ইবন মুহাম্মদ আল মাদায়িনী (র) আল মুপীরা ইবন শুবাহ (রা) হতে বর্ণনা
করেন ৷ তিনি বলেন, যখন হযরত উমর (রা) শাহাদত লাভ করেন আবু থাইসামার কন্যা
হযরত উমর (রা) এর জন্যে ক্রন্দন করেন ও বলেন, তােমার জন্যে আর্তনাদ করছি, হে উমর
(রা)! যিনি কপটতাকে দুর করে সেজাে রাস্তা ও সঠিক পন্থা প্রতিষ্ঠিত করেছেন ৷ আল্লাহ্,
রাসুল ও বান্দার সাথে কৃত চুক্তি বা ওয়াদা পরিপুর্ণ করেছেন ৷ ফিৎনা ও ফাসাদের মুলোৎপাটন
করেছেন ৷ সঠিক নিয়মনীতি উদ্ভাবন ও পুনরুদ্ধার করেছেন ৷ আল্পাহ্ভীতির পবিত্র বস্ত্র নিঃয়
দুনিয়া ত্যাগ করেছেন এবং যাবতীয় দোষক্রঢি হতে মুক্তি অর্জন করেছেন ৷
বর্ণনাকারী বলেন, আলী ইবন আবু তালিব (রা) বলেন, “আল্লাহ্র শপথ, তুমি সত্য
বলেছ ৷ দুনিয়ার কল্যাণ নিয়ে তিনি বিদায় হয়েছেন এবং দুনিয়ার অকল্যাণ থেকে মুক্তি লাভ
করেছেন ৷ আল্পহুহ্র শপথ, উপরোক্ত কথাগুলো শুধু কথার কথা নয় ৷ তার গুণে মুগ্ধ হয়ে
এগুলো বলতে যে বাধ্য হয়েছিল ৷
হযরত উমর (রা)-এর ত্রী আতিকাহ বিনত যায়িদ ইবন আমর ইবন নুফাইল তার স্বামী
সম্পর্কে বলেন, “ফীরোয আমাকে মানসিক যন্ত্রণড়ায় পতিত করেছে৷ তার ষড়যন্ত্র উপনীত
হয়েছে এমন উজ্জ্বল নক্ষত্রের উপর যিনি আল্পাহ্র কিতড়াবের অনুসারী, আল্লাহ্র সমীপে অনুনয়
বিনয়ক্যরী, অনাথ ও অধমদের প্রতি যিনি অপরিসীর্য দয়ালু, দৃশমনের ক্ষেত্রে কঠোর , প্রাকৃতিক
দুর্যোগে পতিত জনমানব গোষ্ঠীর বিশ্বস্ত ভ্রাতা ও বন্ধু, উচ্চ বংশ মর্যাদা ও মান-মর্ষাদার
অধিকারী ৷ তিনি যখন কোন কিছু বলতেন তীর কাজ কখনও তার কথার বিপরীত হতো না ৷
কল্যাণকর কার্যাদি সম্পাদনের ক্ষেত্রে তিনি ছিলেন অগ্রগামী ৷ আর তিনি ক্রুদ্ধ দৃষ্টি নিক্ষেপকারী
হািগ্যেত্ব ৷ ,
ৰু , তিনি আরো বলেন : ক্রন্দনরত অশ্রুসিক্ত নয়ন, মহামান্য ইমামের জন্যে অশ্রু ঝরাতে
বিরক্তি বোধ করে না ৷ পারসিক গোলামের মাধ্যমে আগত মৃত্যু আমাদেরকে যুদ্ধ ও হক্কজ্জর
মৌসুমে মানসিক যস্ত্রণা দিয়েছে ৷ ইমাম ছিলেন মানুষের জন্যে আশ্রয়স্থুল ৷ কালের চক্রে পতিত
দৃন্ৰীরজন্যতিনিংহিলেনসাহায্যকাবীড়াযুদ্ধওপ্রাকৃতিকদৃর্যোগে পতিত লোকদের“জন্য তিনি
ছিলেন বৃষ্টিধারার ন্যায় ৷ দুর্যোগ ও বিপদে পতিত লেড়াকদেরকে বলে দাও যে, তোমরা মরে
যাও ৷ কেননা, মৃত্যু তোমাদের আশ্রয়স্থল্ ৷ মহামান্য ইমামকে নৃত্যুবৎ তৃষ্ণার পিয়ালা পান
করিয়েছে ৷
, একজন মুসলিম মহিলা হযরত উমর (রড়া)-এর মৃত্যুতে ক্রন্দনকালে বলেছিলেন, “পাড়ার
মহিলারা তোমার হারিয়ে যাবার জন্যে অচিরেই ক্রন্দন করবে ৷ তারা আহত লোকদের ন্যায়ই
ক্রন্দন করতে থাকবে , ৷ তারা দীনারের ন্যায় পুতঃপবিত্র চেহারাকে আচড় দিতে থাকবে ৷ আর
সুখ-শান্তির পর তারা দুঃখের পোশাক পরিধান করে থাকবে ৷
[ذِكْرُ بَعْضِ مَا رُثِيَ بِهِ]
قَالَ عَلِيُّ بْنُ مُحَمَّدٍ الْمَدَائِنِيُّ، عَنِ ابْنِ دَابٍ وَسَعِيدِ بْنِ خَالِدٍ، عَنْ صَالِحِ بْنِ كَيْسَانَ، عَنِ الْمُغِيرَةِ بْنِ شُعْبَةَ قَالَ: لَمَّا مَاتَ عُمَرُ بَكَتْهُ ابْنَةُ أَبِي حَثْمَةَ فَقَالَتْ: وَاعُمَرَاهُ! أَقَامَ الْأَوْدَ، وَأَبْرَأَ الْعَمَدَ، أَمَاتَ الْفِتَنَ، وَأَحْيَا السُّنَنَ، خَرَجَ نَقِيَّ الثَّوْبِ، بَرِيئًا مِنَ الْعَيْبِ. قَالَ: فَقَالَ عَلِيُّ بْنُ أَبِي طَالِبٍ: وَاللَّهِ لَقَدْ صَدَقَتْ، ذَهَبَ بِخَيْرِهَا، وَنَجَا مِنْ شَرِّهَا، أَمَا وَاللَّهِ مَا قَالَتْ وَلَكِنْ قُوِّلَتْ. قَالَ: وَقَالَتْ عَاتِكَةُ بِنْتُ زَيْدِ بْنِ عَمْرِو بْنِ نُفَيْلٍ فِي زَوْجِهَا عُمَرَ:
فَجَعَنِي فَيْرُوزُ لَا دَرَّ دَرُّهُ ... بِأَبْيَضَ تَالٍ لِلْكِتَابِ مُنِيبِ
رَءُوفٍ عَلَى الْأَدْنَى غَلِيظٍ عَلَى الْعِدَى ... أَخِي ثِقَةٍ فِي النَّائِبَاتِ مُجِيبِ
مَتَى مَا يَقُلْ لَا يُكْذِبِ الْقَوْلَ فِعْلُهُ ... سَرِيعٍ إِلَى الْخَيْرَاتِ غَيْرِ قَطُوبِ
وَقَالَتْ أَيْضًا:
পৃষ্ঠা - ৫৬৯৪
ইবন আবীর (র) উমর ইবন খাত্তাব (রা) এর জন্যে রচিত একটি দীর্ঘ জীবন-কথা উল্লেখ
করেন ৷ অনুরুপভাবে ইবনুল জওসীও তার বৈশিষ্ট্য সম্বলিত একটি বিরাট জীবন-কথা বর্ণনা
করেন ৷ আমাদের ওস্তাদ হাফিজ আবু আবদুল্লাহ আবৃ-যাহাবীও তার ইতিহাসে হযরত উমর
(রা)-এর একটি দীর্ঘ জীবনী উল্লেখ করেন ৷ হযরত উমর (রা) এর জীবনী সম্পর্কে বিভিন্ন
লোকের মন্তব্যও আমি একটি পৃথক গ্রন্থে একত্রিত করেছি ৷
হযরত উমর (বা) হতে বর্ণিত নির্দেশাবলী ফিকাহর অধ্যায় হিসেবে বড় একটি গ্রন্থে
ত্পৃহীত করা হয়েছে ৷
আল্লামা ইবন জারীর (র) বলেন, “এ বছরেই কাতাদাহ ইবন আন-নুমান (রা) ইনতিকাল
করেন ৷ এ বছরেই আমীর মুয়াবীয়া (রা) আস-সা ৷য়িফার যুদ্ধ করেন ও বিজয় করতে করতে
আমুরীয়া পর্যন্ত পৌছে যান ৷ তার সাথে যে সব সাহাবায়ে কিরাম ছিলেন তারা হলেনঃ উবাদাহ
ইবন আসসামিত (রা), আবুআয়ুব (রা), আবুযর (বা), শাদৃদাদ ইবন আউস (রা) ৷ এবছরেই
আমীর মুয়াবীয়া (বা) সন্ধির মাধ্যমে আসকালান জয়লাভ করেন ৷
বর্ণনাকারী বলেন, এ বছরেই কুফার কাষীর পদে শুরইিহ (বা) এবং বসরার কাযী পদে
কাব ইবন সাওয়ার (রা)-কে নিয়োগ দেওয়া হয় ৷ তবে মাসৃয়ার আয-যুৰাইরী (র) উল্লেখ
করেন যে,“ ইমাম মালিক (ব) ইমাম আয-যুহরী (র) হতে বর্ণনা করেছেন যে, আবু বকর
সিদ্দীক (রা) ও উমর (রা)এর যুগে কোন কাষীর পদ ছিল না ৷ আমবিদর ওস্তাদ আবু
আবদুল্লাহ আয-যাহাবী তার রচিত ইতিহাসে বলেন, ২৩ হিজরী সালে ছিল সারীয়াহ ইবন
যুনাইম (রা) এর ঘটনা ৷ এ বছরেই কিরমান বিজয় হয়েছিল ৷ তার আমীর ছিলেন সুহাইল ইবন
আদী (র) ৷ এ সনেই সিত্তিন্তোন বিজয় হয়েছিল ৷ তার আমীর ছিলেন আসিম ইবন আমর (র) ৷
এ সালেই মাক্রান বিজয় হয়েছিল ৷ তার আমীর ছিলেন আলহাকাম ইবন আবুল আন (র) ,
উসমান (র)-এর ভাই ৷ এটা ছিল পাহাড়িয়া অঞ্চ ল ৷ এ সালেই আবু মুসা আল আশয়ারী (বা)
ইস্পাহড়ানের শহরগুলাে জয়লাভ করেন ও ইস্পাহান থেকে প্রত্যাবর্তন করেন ৷ এ সালে মারা
মৃত্যুমুখে পতিত হন তাদের মধ্যে অন্যতম হলেন কাতাদাহ ইবন আন-নুমান আল-আনসারী,
আল-আউসী আয-যাফরী (রা) ৷
তিনি ছিলেন মায়ের দিক্ দিয়ে আবু সাঈদ আল-খুদরী (রা) এর ভাই ৷ তিনি আবু সাঈদ
(রা) থেকে বয়সে বড় ছিলেন ৷ তিনি বদরের যুদ্ধে অংশ্যাহণ করেন ৷ তিনি উহুদ যুদ্ধেও
অংশ্যাহ্ণ কঃৱনএ-প্ণ্এ যুদ্ধে তার একটি চোখ নষ্ট হয়ে যায়, এমনকি তা স্বীয়ন্থান থেকে বের
হয়ে পড়ালের উপর এসে পড়ে ৷ তখন রাসুলুল্লাহ্ফ্লো নিজ হাতে চোখটি যথাস্থানে রেখে দেন শ্
এবং চোখটি সম্পুর্ণ সুস্থ হয়ে যায় ৷ তিনি ভীরন্দাজদের মধ্যে অন্যতম ৷ হযরত উমর (রা) যখন দু
সিরিয়ার অভিযান পরিচালনা করেন তখন তিনি ঐ অভিযানের অগ্রগামী সৈন্যদের একজন
সদস্য ছিলেন ৷ ,প্রসিদ্ধ মতে তিনি এ বছরেই ৬৫ বছর বয়সে ইনৃতিকাল করেন এবং হযরত
উমর (বা) তার কবরে অবতরণ করেন ৷ কেউ কেউ বলেন, এর আগের বছর তিনি ইনতিকাল
করেন ৷ উমর (রা)-এয় খিলাফতকালে যারা ইনতিকাল করেছেন তাদের কয়েক জনের নাম
নিম্নে উল্লেখ করা হলো ৷
عَيْنُ جُودِي بِعَبْرَةٍ وَنَحِيبِ ... لَا تَمَلِّي عَلَى الْإِمَامِ النَّجِيبِ
فَجَعَتْنَا الْمَنُونُ بِالْفَارِسِ الْمُعْ ... لِمِ يَوْمَ الْهِيَاجِ وَالتَّلْبِيبِ
عِصْمَةِ النَّاسِ وَالْمُعِينِ عَلَى الدَّهْ ... رِ وَغَيْثِ الْمُنْتَابِ وَالْمَحْرُوبِ
قُلْ لِأَهْلِ السَّرَّاءِ وَالْبُؤْسِ مُوتُوا ... قَدْ سَقَتْهُ الْمَنُونُ كَأْسَ شَعُوبِ
وَقَالَتِ امْرَأَةٌ مِنَ الْمُسْلِمِينَ تَبْكِيهِ:
سَيَبْكِيكَ نِسَاءُ الْحَ ... يِّ يَبْكِينَ شَجِيَّاتِ
وَيَخْمِشْنَ وُجُوهًا كَالدَّنَا ... نِيرِ نَقِيَّاتِ
وَيَلْبَسْنَ ثِيَابَ الْحُزْ ... نِ بَعْدَ الْقَصَبِيَّاتِ
وَقَدْ ذَكَرَ ابْنُ جَرِيرٍ تَرْجَمَةً طَوِيلَةً لِعُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ، وَكَذَلِكَ أَطَالَ ابْنُ
পৃষ্ঠা - ৫৬৯৫
الْجَوْزِيِّ فِي " سِيرَتِهِ "، وَشَيْخُنَا الْحَافِظُ أَبُو عَبْدِ اللَّهِ الذَّهَبِيُّ فِي تَارِيخِهِ، وَقَدْ جَمَعْنَا مُتَفَرِّقَاتِ كَلَامِ النَّاسِ فِي مُجَلَّدٍ مُفْرَدٍ، وَأَفْرَدْنَا لِمَا أَسْنَدَهُ. وَرُوِيَ عَنْهُ مِنَ الْأَحْكَامِ مُجَلَّدٌ آخَرُ كَبِيرٌ مُرَتَّبًا عَلَى أَبْوَابِ الْفِقْهِ. وَلِلَّهِ الْحَمْدُ.
قَالَ ابْنُ جَرِيرٍ: وَفِي هَذِهِ السَّنَةِ تُوُفِّيَ قَتَادَةُ بْنُ النُّعْمَانِ، وَفِيهَا غَزَا مُعَاوِيَةُ الصَّائِفَةَ حَتَّى بَلَغَ عَمُّورِيَّةَ وَمَعَهُ مِنَ الصَّحَابَةِ عُبَادَةُ بْنُ الصَّامِتِ، وَأَبُو أَيُّوبَ، وَأَبُو ذَرٍّ، وَشَدَّادُ بْنُ أَوْسٍ، وَفِيهَا فَتَحَ مُعَاوِيَةُ عَسْقَلَانَ صُلْحًا. قَالَ: وَفِيهَا كَانَ عَلَى قَضَاءِ الْكُوفَةِ شُرَيْحٌ، وَعَلَى قَضَاءِ الْبَصْرَةِ كَعْبُ بْنُ سُورٍ. قَالَ: وَأَمَّا مُصْعَبٌ الزُّبَيْرِيُّ فَإِنَّهُ ذَكَرَ أَنَّ مَالِكًا رَوَى عَنِ الزُّهْرِيِّ أَنَّ أَبَا بَكْرٍ وَعُمَرَ لَمْ يَكُنْ لَهُمَا قَاضٍ.
وَقَالَ شَيْخُنَا أَبُو عَبْدِ اللَّهِ الذَّهَبِيُّ فِي " تَارِيخِهِ " فِي سَنَةِ ثَلَاثٍ وَعِشْرِينَ: فِيهَا كَانَتْ قِصَّةُ سَارِيَةَ بْنِ زُنَيْمٍ، وَفِيهَا كَانَ فَتْحُ كِرْمَانَ وَأَمِيرُهَا سُهَيْلُ بْنُ عَدِيٍّ، وَفِيهَا فُتِحَتْ سِجِسْتَانُ وَأَمِيرُهَا عَاصِمُ بْنُ عَمْرٍو. وَفِيهَا فُتِحَتْ مَكْرَانُ وَأَمِيرُهَا الْحَكَمُ بْنُ أَبِي الْعَاصِ - أَخُو عُثْمَانَ - وَهِيَ مِنْ بِلَادِ الْجَبَلِ، وَفِيهَا
পৃষ্ঠা - ৫৬৯৬
আল-আকর৷ ইবন হাবিস (বা)
তার পুর্ণ নাম আল আকরা ইবন হাসিব ইবন ইকাল ইবন মুহাম্মদ ইবন সুফিয়ান ইবন
মুজাশি ইবন দাবিম ইবন মালিক ইবন হানযালা ইবন মালিক ইবন যায়িদ ইবন মানাত ইবন
তামীম আততামীমী আল-মুজাশিয়ী (রা) ৷ ইবন দারীদ (র) বলেন, “তার নাম ছিল ফিরাস
ইবন হাবিস ৷ আকরা বলে উপাধি দেওয়া হয়েছিল ৷ কেননা, তার মাথায় ছিল টাক ৷ তিনি
ছিলেন সর্দারদের মধ্যে অন্যতম ৷ বনু তামীমের প্রতিনিধির সাথে তিনি বাসুলুল্লাহ ষ্লাংণ্ এব
দরবারে আগমন করেছিলেন ৷ আর তিনিই রাসুলুল্লাহ্ এর ঘরের পেছন হতে এ বলে
উভৈচ্চ৪স্বরে ডেকে ছিলেন, হে মুহাম্মদ! আমার প্রশংসা শোভন ও আমার নিন্দা অশোভন ৷ তিনি
রাসুলুল্লাহ্ড্রে ব্লুক একদিন দেখলেন যে, তিনি হযরত ইমাম হাসান (রা)-ব্লুক চুমু যাচ্ছেন,
তখন তিনি রাসুলুল্লাহ্ন্ন্- ট্রু ব্লুক বললেন, “আপনি কি ভাবে চুমু খাচ্ছেনঃ আল্লাহ্র শপথ ৷
আমার দশটি সন্তান রয়েছে কখনও তাদের মধ্য হতে একজনকেও আমি চুমু খাইনি ৷”
রাসুলুল্লাহ্ফ্লো বলেন, যে ব্লুমব্লুহরবানী করে না তার প্রতি মেব্লুহরবানী করা হয় না ৷ ,
অন্য বর্ণনায় রয়েছে যে, রাসুলুল্লাহ্ছুআংট্রু ইরশাদ করেন, এ চুমু না দেওয়ার জন্য যদি
আল্লাহ তাআলা তোমার অন্তর থেকে মেহেরবানী ছিনিয়ে নিয়ে যান তাহলে আমার করার কিছু
নেই ৷ হুনাইব্লুনর যুদ্ধে রাসুলুল্লাহ্ফ্তে যে সব নতুন মুসলমানকে পর্যাপ্ত পরিমাণে উপচৌকন
দিয়েছিলেন তাদের মধ্যেও তিনি ছিলেন অন্যতম ৷ তাকে রাসুলুল্লাহ্ক্রো একশ উট দিয়েছিলেন ৷
অনুরুপভাবে উইয়াইনাহ ইবন হাসান আল ফাজারী (রা)কেও উট দিয়েছিলেন ৷ আর আব্বাস
ইবন মিরদাস (রা) কে দিয়েছিলেন ৫০টি উট ৷ এ প্রেক্ষিতে আব্বাস ইবন মিরদাস (রা)
বলেন, আমার এবং আবিদের গনীমব্লু৩ র মালের পরিমাণ কি উইয়াইনাহ এবং আকবার
গণিমতের মাব্লুলর থেকে কম দিচ্ছেন : অথচ হাসান এবং হাবিস কোন মজলিসেই ৷মরদাস হতে
শ্রেষ্ঠত্বের অধিকারী ছিলেন না ৷ আমিও তাদের চেয়ে কম মর্যাদার ছিলাম না ৷ আজকের দিন
যাকে নিম্ন পর্যায়ের বিবেচনা করা হবে তাকে ভবিয্যতেও উচ্চ পর্যায়ের বিবেচনা করা হবে না ৷
রাসুলুল্লাহ্ ;মোঃন্তাব্লুক বললেন, তুমি নাকি বলেছ, “আমার এবং আবিদের গনীমতের মাব্লুলর
পরিমাণ কি উইয়াইনাহ এবং আকরা-এর গনীমব্লুর্তর মালের থেকে কম দিচ্ছেন ? এ হাদীসটি
বুখারী শরীব্লুফ বর্ণিত হয়েছে ৷
আল্লামা আস-সুহেলী (র) বলেন, “রাসুলুল্লাহ্ল্যাংট্রুউইয়াইনাহ (রা) এর পুর্বে আকরা’
(রা) এর নাম উল্লেখ করেছেন ৷ কেননা আকরা (রা) ছিলেন উইয়ইিনাহ (রা) এর থেকে
উত্তম ৷ রাসুলুল্লাহ্ লোঃদু-এর পরে আকরা (রা) ধর্মান্তর হন নাই, কিত্তু উইয়াইনাহ ধর্মান্তরিত
হয়েছিলেন এবং তৃলইিহা এর হাতে বাইয়াত গ্রহণ করেছিলেন ও তাকে সত্য বলে মনে
করেছিলেন ৷ তারপর তিনি আবার ইসলামে ফেরত আসেন ৷ বস্তুত আকরা (রা) ছিলেন একজন
বাধ্যপত সর্দার ৷ ইরাক ভুখণ্ডে সংঘটিত ঘটনাসমুহে হযরত খালিদ (রা)-এর সাথে তিনি
উপস্থিত ছিলেন ৷ আম্বার যুদ্ধের দিন তিনি অগ্রগামী সৈন্যদের অন্তর্ভুক্ত ছিলেন ৷ তিনি উমর
(রা) এর খিলাফতকালে ইনতিকাল করেন বলে আমার ওস্তাদ উল্লেখ করেছেন ৷ আল-গাবাহ
নামক কিভাবে ইবনুল আমীর (র) উল্লেখ করেন যে, আবদুল্লাহ ইবন আমির (রা)৩ তাকে একটি
رَجَعَ أَبُو مُوسَى الْأَشْعَرِيُّ مِنْ بِلَادِ أَصْبَهَانَ وَقَدِ افْتَتَحَ بِلَادَهَا، وَفِيهَا غَزَا مُعَاوِيَةُ الصَّائِفَةَ حَتَّى بَلَغَ عَمُّورِيَّةَ.
ثُمَّ ذَكَرَ وَفَاةَ مَنْ مَاتَ فِيهَا، فَمِنْهُمْ:
قَتَادَةُ بْنُ النُّعْمَانِ الْأَنْصَارِيُّ الْأَوْسِيُّ الظَّفَرِيُّ، أَخُو أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ لِأُمِّهِ، وَقَتَادَةُ أَكْبَرُ مِنْهُ، شَهِدَ بَدْرًا، وَأُصِيبَتْ عَيْنُهُ فِي يَوْمِ أُحُدٍ حَتَّى وَقَعَتْ عَلَى خَدِّهِ، فَرَدَّهَا رَسُولُ اللَّهِ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَصَارَتْ أَحْسَنَ عَيْنَيْهِ. وَكَانَ مِنَ الرُّمَاةِ الْمَذْكُورِينَ، وَكَانَ عَلَى مُقَدِّمَةِ عُمَرَ حِينَ قَدِمَ إِلَى الشَّامِ. تُوُفِّيَ فِي هَذِهِ السَّنَةِ عَلَى الْمَشْهُورِ عَنْ خَمْسٍ وَسِتِّينَ سَنَةً، وَنَزَلَ عُمَرُ فِي قَبْرِهِ. وَقِيلَ: إِنَّهُ تُوُفِّيَ فِي الَّتِي قَبْلَهَا.
ثُمَّ ذَكَرَ تَرْجَمَةَ عُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ، فَأَطَالَ فِيهَا وَأَكْثَرَ وَأَطْنَبَ وَأَطْيَبَ، وَأَتَى بِمَقَاصِدَ كَثِيرَةٍ مُهِمَّةٍ، وَفَوَائِدَ جَمَّةٍ، وَأَشْيَاءَ حَسَنَةٍ، فَأَثَابَهُ اللَّهُ الْجَنَّةَ. ثُمَّ قَالَ
[ذِكْرُ مَنْ تُوُفِّيَ فِي خِلَافَةِ عُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ]
ِ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ
الْأَقْرَعُ بْنُ حَابِسِ بْنِ عِقَالِ بْنِ مُحَمَّدِ بْنِ سُفْيَانَ بْنِ مُجَاشِعِ بْنِ دَارِمِ بْنِ مَالِكِ بْنِ حَنْظَلَةَ بْنِ مَالِكِ بْنِ زَيْدِ مَنَاةَ بْنِ تَمِيمٍ التَّمِيمِيُّ الْمُجَاشِعِيُّ. قَالَ ابْنُ دُرَيْدٍ: وَاسْمُهُ فِرَاسُ بْنُ حَابِسٍ، وَلُقِّبَ بِالْأَقْرَعِ لِقَرْعٍ فِي رَأْسِهِ. وَكَانَ أَحَدَ
পৃষ্ঠা - ৫৬৯৭
সেনাবাহিনীর প্রধান করে আল জুরজানের দিকে প্রেরণ করেন ৷ তিনি শহীদ হন ও তার সাথীরা
সকলে শহীদ হন ৷ আর এ ঘটনা ছিল উসমান (রা)-এর আমলের ৷
হবার ইবন আস-মানযার (বা)
তার পুর্ণ নাম ছিল আবুআমর কিংবা আবু উমর হুৰাব ইবন আল মানযাৱ ইবন আল জুয়ুহ
ইবন যায়িদ ইবন হারাম ইবন কাব ইবন পানাম ইবন কাব ইবন সালামাহ আল আনসারী
আল-খাবৃরাব্জী আস-সালামী ৷ তাকে বুদ্ধিজীবী বলা হতো ৷ কেননা, বদরের যুদ্ধের দিন তিনিই
ইংগিত করেছিলেন যে, রাসুলুল্লাহ্ ষ্ন্ণ্ঘ্নে যেন সম্প্রদায়ের সাথে ঘেষে থাকেন এবং তিনি কেশ্ৰীয়
সেনাবাহিনীর সদস্যদের ব্যতীত অন্যদের প্রতি বিশেষভাবে লক্ষ্য রাখেন ৷ তিনি তার এ
পরামর্শে সঠিক ছিলেন বলে পরে বিবেচিত হন ৷ তার উক্তির সত্যতা প্রমাণে ফেরেশতা নাযিল
হয় ৷ সাকীফাহর দিন খলীফ৷ নির্বাচন প্রসঙ্গে তিনি বলেছিলেন, “আমি এটার মুল ও কষ্টিপাথর
বিশেষ ও সম্মানিত সংমিশ্রণ মাত্র ৷ আমাদের আনসারদের মধ্য হতে একজন ও তোমাদের
মুহাজিরদের মধ্য হতে একজন আমীর করা যেতে পারে ৷ কিংষ্কৃ আবু বকর সিদ্দীক (রা) ও ৰু
সাহাবায়ে কিরাম এ মতের বিরোধিতা করেন ৷ ন্
উতব৷ ইবন মাসউদ আল-হাসালী
তার সহেড়াদর ভ্রাতা আবদুল্পাহ্ (বা) এর সাথে তিনি হাবশা হিজরত করেছিলেন ৷ উহুদৰু
এবং এর পরের যুদ্ধগুলােতে৩ তিনি অংশগ্রহণ করেছিলেন ৷ ইমাম আষ্-যুহরী বলেন, আবদৃল্লাহ্ট্রু
তার থেকে বড় ফকীহ ছিলেন না ৷ কিন্তু তিনি আবদুল্লাহ্র পুর্বেইি মারা যান ৷ বিশুদ্ধমতে তিনিদ্বু
উমর (রা) এর আমলে ইনতিকাল করেন ৷ কেউ কেউ বলেন “আমির মুয়াবীয়৷ (রা) এরই
আমলে ৪৪ হিজরীতে তিনি ইনতিকাল করেন ৷
রাবীয়াহ ইবন আল-হারিস ইবন আবদুল মুত্তালিব (রা)
ওার কুনিয়াত আবুআরওয়া ৷ উপাধি আল-হাশিমী ৷ তিনি বদর যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন নি ৷
তিনি তার চাচা আব্বাস (রা) হতে বয়সে বড় ছিলেন ৷ আর যুৰাইর (রা) বলেন, তিনি তার দুই
ভাই নওফল ও আবুসুফিয়ানের পুর্বে হযরত উমর (রা) এর আমলে ইনতিক৷ ৷ল করেন ৷
আল কামাহ ইবন আলাসাহ
তার পুর্ণ নাম আল কামাহ ইবন আলাসাহ ইবন আউফ ইবন আল-আহওয়াস ইবন জাফা
ইবন কিলাব ইবন রাবীয়াহ ইবন আমির ইবন সাসাহ আল-আমিরী আল-কিলাবী ৷ তিনি
পবিত্র মক্কা বিজয়ের বছর ইসলাম গ্রহণ করেন এবং হুনইিন যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন ৷ ইসলামের
প্রতি অন্যদের ন্যায় তাকেও আকৃষ্ট করার জন্যে ১০০০ি উট প্রদান করা হয়েছিল ৷ তিনি
তিহামাহ অঞ্চলে বসবাস করতেন ৷ তিনি ছিলেন অত্যন্ত ড্ড ও সকলের শ্রদ্ধাভাজন ব্যক্কি;ব্লু
আবু বকর সিদ্দীক (রা)-এর আমলে তিনি ইসলাম ধর্ম প্রত্যাখ্যান করেন ৷ আবু বকর সি
(বা) তার বিরুদ্ধে একটি ক্ষুদ্র সেনাদল প্রেরণ করেন ৷ তিনি পরাজিত হন ৷ তারপর
আবার ইসলাম গ্রহণ করেন এবং উত্তম ইসলামের অধিকারী হন ৷ হযরত উমর (রা)
আমলে তিনি একটি প্রতিনিধি দলের প্রধান হিসেবে হযরত উমর (রা)-এর কাছে
করেন ৷ দামেশকে তার মিরাসের জন্যে তিনি তথায় আগমন করেন ৷ কথিত আছে যে,
الرُّؤَسَاءِ، قَدِمَ عَلَى رَسُولِ اللَّهِ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، مَعَ وَفْدِ بَنِي تَمِيمٍ، وَهُوَ الَّذِي نَادَى مِنْ وَرَاءِ الْحُجُرَاتِ: يَا مُحَمَّدُ إِنَّ مَدْحِي زَيْنٌ، وَذَمِّي شَيْنٌ. وَهُوَ الْقَائِلُ - وَقَدْ رَأَى رَسُولَ اللَّهِ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، يُقَبِّلُ الْحَسَنَ - أَتُقَبِّلُهُ؟ ! وَاللَّهِ إِنَّ لِي عَشَرَةً مِنَ الْوَلَدِ مَا قَبَّلْتُ وَاحِدًا مِنْهُمْ. فَقَالَ: «مَنْ لَا يَرْحَمُ لَا يُرْحَمُ.» وَفِي رِوَايَةٍ: «مَا أَمْلِكُ أَنْ نَزَعَ اللَّهُ الرَّحْمَةَ مِنْ قَلْبِكَ» . وَكَانَ مِمَّنْ تَأَلَّفَهُ رَسُولُ اللَّهِ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَأَعْطَاهُ يَوْمَ حُنَيْنٍ مِائَةً مِنَ الْإِبِلِ، وَكَذَلِكَ لِعُيَيْنَةَ بْنِ حِصْنٍ الْفَزَارِيِّ، وَأَعْطَى عَبَّاسَ بْنَ مِرْدَاسٍ خَمْسِينَ مِنَ الْإِبِلِ فَقَالَ:
أَتَجْعَلُ نَهْبِي وَنَهْبَ الْعُبَيْ ... دِ بَيْنَ عُيَيْنَةَ وَالْأَقْرَعِ
فَمَا كَانَ حِصْنٌ وَلَا حَابِسٌ ... يَفُوقَانِ مِرْدَاسَ فِي مَجْمَعِ
وَمَا كُنْتُ دُونَ امْرِئٍ مِنْهُمَا ... وَمَنْ تَخْفِضِ الْيَوْمَ لَا يُرْفَعِ
فَقَالَ لَهُ رَسُولُ اللَّهِ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، " أَنْتَ الْقَائِلُ:
أَتَجْعَلُ نَهْبِي وَنَهْبَ الْعُبَيْ ... دِ بَيْنَ الْأَقْرَعِ وَعُيَيْنَةَ
পৃষ্ঠা - ৫৬৯৮
رَوَاهُ الْبُخَارِيُّ.
قَالَ السُّهَيْلِيُّ: إِنَّمَا قَدَّمَ رَسُولُ اللَّهِ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، ذِكْرَ الْأَقْرَعِ قَبْلَ عُيَيْنَةَ؛ لِأَنَّ الْأَقْرَعَ كَانَ خَيْرًا مِنْ عُيَيْنَةَ، وَلِهَذَا لَمْ يَرْتَدَّ بَعْدَ النَّبِيِّ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، كَمَا ارْتَدَّ عُيَيْنَةُ، فَبَايَعَ طُلَيْحَةَ وَصَدَّقَهُ، ثُمَّ عَادَ.
وَالْمَقْصُودُ أَنَّ الْأَقْرَعَ كَانَ سَيِّدًا مُطَاعًا، وَشَهِدَ مَعَ خَالِدٍ وَقَائِعَهُ بِأَرْضِ الْعِرَاقِ، وَكَانَ عَلَى مُقَدِّمَتِهِ يَوْمَ الْأَنْبَارِ. ذَكَرَهُ شَيْخُنَا فِي مَنْ تُوُفِّيَ فِي خِلَافَةِ عُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ. وَالَّذِي ذَكَرَهُ ابْنُ الْأَثِيرِ فِي " الْغَابَةِ " أَنَّهُ اسْتَعْمَلَهُ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عَامِرٍ عَلَى جَيْشٍ وَسَيَّرَهُ إِلَى الْجُوزَجَانِ فَقُتِلَ وَقُتِلُوا جَمِيعًا، وَذَلِكَ فِي خِلَافَةِ عُثْمَانَ، كَمَا سَيَأْتِي إِنْ شَاءَ اللَّهُ تَعَالَى.
حُبَابُ بْنُ الْمُنْذِرِ بْنِ الْجَمُوحِ بْنِ زَيْدِ بْنِ حَرَامِ بْنِ كَعْبِ بْنِ غَنْمِ بْنِ كَعْبِ بْنِ سَلَمَةَ. أَبُو عُمَرَ، وَيُقَالُ أَبُو عَمْرٍو الْأَنْصَارِيُّ الْخَزْرَجِيُّ السُّلَمِيُّ. وَيُقَالُ لَهُ: ذُو الرَّأْيِ. لِأَنَّهُ أَشَارَ يَوْمَ بَدْرٍ أَنْ يَنْزِلَ رَسُولُ اللَّهِ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، عَلَى أَدْنَى مَاءٍ يَكُونُ إِلَى الْقَوْمِ، وَأَنْ يُغَوِّرَ مَا وَرَاءَهُمْ مِنَ الْقُلُبِ، فَأَصَابَ فِي هَذَا الرَّأْيِ، وَنَزَلَ
পৃষ্ঠা - ৫৬৯৯
(বা) তবে আমীর নিযুক্ত করে হ্বানে প্রেরণ করেন এবং তথায় তিনি ইনতিকাল করেন ৷ তিনি
একজন বামনের খোজে রওয়ানা হন যাতে তার প্রশংসা করতে পারেন ৷ কিন্তু সেখানে পৌছার
কয়েক রাত পুর্বে তিনি ইনতিকাল করেন ৷ মৃত্যুকালে তিনি বলেন, যদি আমি তোমার সাথে
সুস্থ সরল অবস্থায় মোলাকাত করতে পারতাম তাহলে আমার মধ্যে ও তোমার সচ্ছলতার মধ্যে
অল্প কয়েক রাত পার্থক্য থাকত ৷ অর্থাৎ তার থেকে তিনি প্রচুর সম্পদ নিয়ে নিতেন ৷
আলকামাহ ইবন মুজাযিয (বা)
তার পুর্ণ নাম আলকামড়াহ ইবন মুজযিয ইবন আল আওয়ার ইবন জাদাহ ইবন মুয়ায ইবন
আতওয়ারাহ ইবন আমর ইবন মুদলিজ আল-কিনানী সাল মুজলিজী (রা) ৷ তিনি ছিলেন
কয়েকটি ক্ষুদ্র সৈন্যদলের প্রধানদের অন্যতম ৷ তবে তার মধ্যে ছিল একটু রসিকত৷ ৷ একবার
তাকে একটি ক্ষুদ্রসৈন্যদলের প্রধান করে প্রেরণ করা হলো ৷ তিনি অগ্নি প্রজ্বলিত করলেন এবং
তার সাথীদেরকে এ অগ্নিতে প্রবেশ ৷করার জন্যে নির্দেশ দিলেন ৷ বিন্দু তারা নির্দেশ পালনে
বিরত রইলেন ৷ রাসুলুল্লাহ্ন্পুত্ত্ব;বলেন, যদি তারা এ অগ্নিতে প্রবেশ করত তাহলে তারা কোন
দিনও এ অগ্নি হতে বের হয়ে আসতে পারত না’ ৷ বাসুলল্লাহজ্যো বলেন নেক কাজেই শুধু
আনুগত্য ৷’ আল কামাহ ছিলেন অত ৷ত দানশীল ও প্রশংসার পাত্র ৷ তার মৃত্যুর পর জাওয়াসুল
আযরী শোকণাথায় বলেন, নিশ্চয়ই সালাম ও সমস্ত উত্তম অড়িবাদন ইবন মুজযিয এর প্রতি
সকাল ও সন্ধ্যড়ায় প্রেরণ করা হয়ে থাকে ৷
উয়াইম ইবন সায়িদাহ (রা)
র্তার পুর্ণ নাম আবু আবদুর রহমান উমাইম ইবন সড়ায়িদাহ ইবন আবিস আল-আনসারী
আল-আউশী ৷ তিনি বনু অড়ামর ইবন আউফের একজন সদস্য ৷ তিনি আকাবার শপথে উপস্থিত
ছিলেন ৷ বদর ও পরবর্তী যুদ্ধগুলোতে অং হণ করেন ৷ পানি দ্বারা পবিত্রত৷ অর্জন সম্পর্কে
তার বর্ণিত একটি হাদীস রয়েছে ৷ আহমদ ও ইবন মাজাহ-এ হাদীসটি উল্লেখ রয়েছে ৷ ইবন
আবদুল বার্ব (র) বলেন, তিনি রাসুলুল্লাহ্ম্;;শ্ণ্ষ্ন্ট্ট এর জীবদ্দশায় ইনতিকাল করেন ৷ কেউ কেউ
বলেন, হযরত উমর (রা)-এর খিলাফত আমলে তিনি ইনতিকাল করেন ৷ তিনি নিজের
কবরস্থানে দাড়িয়ে বলেছিলেন, কারো শক্তি নেই যে, বলবে আমি এ কবরের বাসিন্দা হতে
উত্তম ৷ কেননা, রাসুলুল্লাহ্ মোঃ এর কোন ঝাণ্ডা উত্তোলিত হলে তিনি তার নিচে গিয়ে
দণ্ডায়মান হতেন ৷ ইবন আবু আসিম এ আসর হাদীসটি বর্ণনা করেন ৷ যেমন ইবনুল আসীরও
তার নিজস্ব সুত্রে উত্থাপন করেছেন ৷
গইিলান ইবন সালামাহ আস সাকফী (বা)
পবিত্র মক্কা বিজয়ের বছর৩ তিনি ইসলাম গ্রহণ করেন ৷ তার ছিল ১ :জন শ্রী ৷ রাসুলুল্পাহ্
মোঃ র্তাকে চারজন শ্রী রাখার জন্যে অনুমতি দিলেন ৷ ইসলামের পুর্বে তিনি কিসরার শাহী
দরবারে একটি প্রতিনিধি দলের এধান ইিস্যেব আগমন করেছিলেন ৷ কিসরা তায়িফে তার
জন্যে একটি প্রাসাদ তৈরির নির্দেশ দেন ৷ কিসরা তাকে জিজ্ঞেস করেছিলেন, “তোমার কোন
সন্তানঢি তোমার কাছে অত্যধিক প্রিয় ?” সে বলল, “ছোট শিশু যখন বড় হয় রােগী যখন সুস্থ
হয়, অনুপস্থিত ব্যক্তি (পর্যটক) যখন ঘরে ফিরে আসে ৷” কিসরা তাকে বললেন, “এটা তুমি
الْمَلَكُ بِتَصْدِيقِهِ. وَأَمَّا قَوْلُهُ يَوْمَ السَّقِيفَةِ أَنَا جَذِيلُهَا الْمُحَكَّكُ، وَعُذَيْقُهَا الْمُرَجَّبُ، مِنَّا أَمِيرٌ وَمِنْكُمْ أَمِيرٌ. فَقَدْ رَدَّهُ عَلَيْهِ الصِّدِّيقُ وَالصَّحَابَةُ.
رَبِيعَةُ بْنُ الْحَارِثِ بْنِ عَبْدِ الْمُطِّلِبِ الْهَاشِمِيُّ، ابْنُ عَمِّ رَسُولِ اللَّهِ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ،
عُتْبَةُ بْنُ مَسْعُودٍ الْهُذَلِيُّ، هَاجَرَ مَعَ أَخِيهِ لِأَبَوَيْهِ عَبْدِ اللَّهِ إِلَى الْحَبَشَةِ، وَشَهِدَ أُحُدًا وَمَا بَعْدَهَا. قَالَ الزُّهْرِيُّ: مَا كَانَ عَبْدُ اللَّهِ بِأَفْقَهَ مِنْهُ، وَلَكِنْ مَاتَ عُتْبَةُ قَبْلَهُ. وَتُوُفِّيَ زَمَنَ عُمَرَ عَلَى الصَّحِيحِ. وَيُقَالُ: فِي زَمَنِ مُعَاوِيَةَ سَنَةَ أَرْبَعٍ وَأَرْبَعِينَ.
عَلْقَمَةُ بْنُ عُلَاثَةَ بْنِ عَوْفِ بْنِ الْأَحْوَصِ بْنِ جَعْفَرِ بْنِ كِلَابِ بْنِ رَبِيعَةَ بْنِ عَامِرِ بْنِ صَعْصَعَةَ الْعَامِرِيُّ الْكِلَابِيُّ، أَسْلَمَ عَامَ الْفَتْحِ، وَشَهِدَ حُنَيْنًا، وَأُعْطِيَ يَوْمَئِذٍ مِائَةً مِنَ الْإِبِلِ تَأْلِيفًا لِقَلْبِهِ، وَكَانَ يَكُونُ بِتِهَامَةَ، وَكَانَ شَرِيفًا مُطَاعًا فِي قَوْمِهِ، وَقَدِ ارْتَدَّ أَيَّامَ الصِّدِّيقِ؛ فَبَعَثَ إِلَيْهِ سَرِيَّةً؛ فَانْهَزَمَ ثُمَّ أَسْلَمَ وَحَسُنَ إِسْلَامُهُ، وَوَفَدَ عَلَى عُمَرَ فِي خِلَافَتِهِ وَقَدِمَ دِمَشْقَ فِي طَلَبِ مِيرَاثٍ لَهُ، وَيُقَالُ: اسْتَعْمَلَهُ عُمَرُ عَلَى حَوْرَانَ فَمَاتَ بِهَا. وَقَدْ كَانَ الْحُطَيْئَةُ قَصَدَهُ لِيَمْتَدِحَهُ فَمَاتَ قَبْلَ مَقْدَمِهِ بِلَيَالٍ فَقَالَ:
পৃষ্ঠা - ৫৭০০
কোথায় পেলে ?” এটইি বিপদের কথা ৷ তারপর তিনি প্রশ্ন করলেন, তোমার খাবার কাি উত্তরে
সে বলল, “আমার খাবার হলো আল-বির্ব বা পুণ্য ৷ তখন তিনি বললেন, হ্যা, এ পুণের
খেজুর কিৎবা দুধের খাবার নয় ৷”
মামার ইবন আল;হাব্লিস (বা)
তার পুর্ণ নাম : মামার ইবন আল-হারিস ইবন হাবীব ইবন ওহ্লাব ইবন হুযাফাহ ইবন
জামহ আলকারাশী আল-জামহী, হাতির ও হিতাৰের ভাই ৷ তাদের মায়ের নাম ফাইলাহ
ৰিনত মড়াযউন ৷ তিনি উসমান ইবন মাযউনের ভগ্নি ৷ রাসুলুল্লাহ্ক্রোদারুল আরকামে প্রবেশের
পুর্বে মামার ইসলাম গ্রহণ করেছিলেন এবং বদর ও পরবর্তী যুদ্ধগুলোতে তিনি অংশ নেন ৷
রাসুলুল্লাহ্ ঘ্নে তার ও মুয়ায ইবন আফরার মাঝে ভ্রাতৃতৃ বন্ধনে আবদ্ধ করে দেন ৷
মাইসারাহ ইবন মাসরুক আল-আবাসী (বা)
তিনি ছিলেন একজন সৎ ও চরিত্রবান উস্তাদ ৷ কেউ কেউ বলেন, “তিনি ছিলেন একজন
সাহাবী ৷ তিনি ইয়ারমুক যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন ৷ তিনি ছয় হাজার সৈন্যের আমীর হিসেবে
বোমে প্রবেশ করেন ৷ তার ছিল প্রচণ্ড সাহস ৷ তিনি যুদ্ধ করেন, শত্রুদের কয়েদী করেন ও
গনীমত অর্জন করেন ৷ আর এটা ছিল ২০ হিজরীর ঘটনা ৷ তিনি আবু উবায়দা (বা) হতে বর্ণনা
করেন ৷ হযরত উমর (রা)-এর আযাদকৃত গোলাম, আসলাম তার থেকে বর্ণনা করেন ৷ ইবনুল
আসীর (র) আল-গাবাহ নামক কিভাবে এ সম্বন্ধে কিছু উল্লেখ করেননি ৷
ওয়াকিদ ইবন আবদুল্লাহ (রা)
তার পুর্ণ নাম ওয়াকিদ ইবন আবদুল্লাহ ইবন আবদ মানাফ ইবন উরাইন আল-হান্যালী
আল-ইয়ার বুয়ী (রা ) ৷ বনু আদী ইবন কাব-এর মিত্র ৷ রাসুলুল্পাহ্লোঃ এর দারুল আরকামে
প্রবেশের পুর্বে তিনি ইসলাম গ্রহণ করেন ৷ বদর ও এরপর অন্যান্য যুদ্ধে তিনি অংশ্যাহণ
করেন ৷ রড়াসুলুল্লাহ্লোঃ তার মধ্যে ও বশর ইবন আল-বারাহ ইবন মারুরণ্এর মধ্যে ভ্রাতৃত্বের
বন্ধনে আবদ্ধ করে দেন ৷ তিনি ছিলেন প্রথম ব্যক্তি যিনি মহান আল্লাহর পথে বাতনে নাখলায়ে
আবদৃল্লাহ্ ইবন জাহাশের সংগী হয়ে যুদ্ধ করেন ৷ আমর ইবন আল হড়াদরামী (মুশরিক) এ যুদ্ধে
নিহত হয় ৷ ওয়াকিদ ইবন আবদুল্লাহ (রা) হযরত উমর (রা)-এর আমলে ইনতিকাল করেন ৷
আবু খারাপ আল-হড়াষামী আশ-শায়ির (বা)
তার নাম খুওয়ইিলিদ ইবন মুৰ্বাহ (বা) ৷ তিনি দৌড়ে ঘোড়ার সাথে প্রতিযোগিতা ৰু
করতেন ৷ তিনি জাহিলিয়াতের যুগে ছিলেন গুপ্তঘাতক ৷ তারপর তিনি ইসলাম কবুল করেন ও ন্
উত্তম ইসলামের অধিকারী হন ৷ হযরত উমর (রা১-এর যুদ্ধে তিনি ইনতিকাল করেন ৷ একবার
হত্তজ্জর মৌসুমে তার কাছে হাব্জীগণ আসলেন ৷ তিনি তাদের জন্য পানি সরবরাহ করতেন ৷
একদিন হঠাৎ তাকে একটি সর্প দংশন করে ৷ তিনি তাদের কাছে পানি দিয়ে প্রত্যাবতনি করেন
এবং তারেদকে রান্নার সরঞ্জাম, একটি বকরী ও একটি ছুাডি প্রদান করেন ৷ কিত্তু তাদেরকে
তিনি তার ঘটনা সম্পর্কে অবগত করান নি ৷ সকালে দেখা গেল তিনি মারা গেছেন ৷ তারা
তাকে দাফন করলেন ৷ আল্লামা ইবন আবদুল বার ও আল্লামা ইবন আসীর সাহাবাদের নামেৰৰু
তালিকায় তার নাম উল্লেখ করেন ৷ প্রকাশ্যত তার কোন আতিথেয়তড়ার প্রমাণ নেই ৷ তিৰিৰু
فَمَا كَانَ بَيْنِي لَوْ لَقِيتُكَ سَالِمًا ... وَبَيْنَ الْغِنَى إِلَّا لَيَالٍ قَلَائِلُ
عَلْقَمَةُ بْنُ مُجَزِّزِ بْنِ الْأَعْوَرِ بْنِ جَعْدَةَ بْنِ مُعَاذِ بْنِ عُتْوَارَةَ بْنِ عَمْرِو بْنِ مُدْلِجٍ الْكِنَانِيُّ الْمُدْلِجِيُّ، أَحَدُ أُمَرَاءِ رَسُولِ اللَّهِ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، عَلَى بَعْضِ السَّرَايَا، فَأَجَّجَ نَارًا وَأَمَرَ أَصْحَابَهُ أَنْ يَدْخُلُوا فِيهَا فَامْتَنَعُوا، فَقَالَ النَّبِيُّ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «لَوْ دَخَلُوا فِيهَا مَا خَرَجُوا مِنْهَا» . وَقَالَ: «إِنَّمَا الطَّاعَةُ فِي الْمَعْرُوفِ» . وَقَدْ كَانَ عَلْقَمَةُ جَوَادًا مُمَدَّحًا، رَثَاهُ جَوَّاسٌ الْعُذْرِيُّ فَقَالَ:
إِنَّ السَّلَامَ وَحُسْنَ كُلِّ تَحِيَّةٍ ... تَغْدُو عَلَى ابْنِ مُجَزِّزٍ وَتَرُوحُ
عُوَيْمُ بْنُ سَاعِدَةَ بْنِ عَائِشٍ أَبُو عَبْدِ الرَّحْمَنِ الْأَنْصَارِيُّ الْأَوْسِيُّ، أَحَدُ بَنِي عَمْرِو بْنِ عَوْفٍ، شَهِدَ الْعَقَبَةَ وَبَدْرًا وَمَا بَعْدَهَا، لَهُ حَدِيثٌ عِنْدَ أَحْمَدَ وَابْنِ مَاجَهْ فِي الِاسْتِنْجَاءِ بِالْمَاءِ. قَالَ ابْنُ عَبْدِ الْبَرِّ: تُوُفِّيَ فِي حَيَاةِ النَّبِيِّ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ،
পৃষ্ঠা - ৫৭০১
وَقِيلَ: فِي خِلَافَةِ عُمَرَ. وَقَالَ وَهُوَ وَاقِفٌ عَلَى قَبْرِهِ: لَا يَسْتَطِيعُ أَحَدٌ أَنْ يَقُولَ: أَنَا خَيْرٌ مِنْ صَاحِبِ هَذَا الْقَبْرِ، مَا نُصِبَتْ رَايَةٌ لِلنَّبِيِّ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، إِلَّا وَهُوَ وَاقِفٌ تَحْتَهَا. وَقَدْ رَوَى هَذَا الْأَثَرَ ابْنُ أَبِي عَاصِمٍ، كَمَا أَوْرَدَهُ ابْنُ الْأَثِيرِ مِنْ طَرِيقِهِ.
غَيْلَانُ بْنُ سَلَمَةَ الثَّقَفِيُّ، أَسْلَمَ عَامَ الْفَتْحِ عَلَى عَشْرِ نِسْوَةٍ، فَأَمَرَهُ رَسُولُ اللَّهِ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، أَنْ يَخْتَارَ مِنْهُنَّ أَرْبَعًا. وَقَدْ وَفَدَ قَبْلَ الْإِسْلَامِ عَلَى كِسْرَى فَأَمَرَهُ أَنْ يَبْنِيَ لَهُ قَصْرًا بِالطَّائِفِ. وَقَدْ سَأَلَهُ كِسْرَى: أَيُّ وَلَدِكَ أَحَبُّ إِلَيْكَ؟ قَالَ: الصَّغِيرُ حَتَّى يَكْبُرَ، وَالْمَرِيضُ حَتَّى يَبْرَأَ، وَالْغَائِبُ حَتَّى يَقْدَمَ. فَقَالَ لَهُ كِسْرَى: أَنَّى لَكَ هَذَا! هَذَا كَلَامُ الْحُكَمَاءِ! قَالَ: فَمَا غِذَاؤُكَ؟ قَالَ: الْبُرُّ. قَالَ: نَعَمْ هَذَا مِنَ الْبُرِّ لَا مِنَ التَّمْرِ وَاللَّبَنِ.
مَعْمَرُ بْنُ الْحَارِثِ بْنِ حَبِيبِ بْنِ وَهْبِ بْنِ حُذَافَةَ بْنِ جُمَحَ الْقُرَشِيُّ الْجُمَحِيُّ، أَخُو حَاطِبٍ وَحَطَّابٍ، أُمُّهُمْ قُتَيْلَةُ بِنْتُ مَظْعُونٍ، أُخْتُ عُثْمَانَ بْنِ مَظْعُونٍ. أَسْلَمَ مَعْمَرٌ قَبْلَ دُخُولِ دَارِ الْأَرْقَمِ، وَشَهِدَ بَدْرًا وَمَا بَعْدَهَا، وَآخَى رَسُولُ اللَّهِ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، بَيْنَهُ وَبَيْنَ مُعَاذِ بْنِ عَفْرَاءَ.
পৃষ্ঠা - ৫৭০২
রাসুলুল্লাহ্ল্যাং এর যামানায় ইসলাম গ্রহণ করেন ৷ তিনি ছিলেন একজন মুখদারাম অর্থাৎ
জাহিলিয়াত এবং ইসলাম দৃই যুগেই তিনি বসবাস করেছেন ৷ মহান আল্লা ইে অধিক পরিজ্ঞাত
আবু লাইলা আবদুর রহমান ইবন কা ব (বা)
তার পুর্ণ নাম আবু লইিলা আবদুর রহমান ইবন কাব ইবন আমর আল-আনসারী ৷ তিনি
উহুদ যুদ্ধে ও পরবর্তী যুদ্ধগুলোভে অংশগ্রহণ করেন ৷ তবে তিনি তাবুক যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন
নইি ৷ দারিদ্রতার কারণে তিনি উক্ত যুদ্ধে অংশগ্রহণ করতে পারেন নাই ৷ তিনি ছিলেন বিখ্যাত
ক্রানকারী ও অনুশ্যেচনাকারীদের একজন ৷
হযরত সাওদাহ বিনত যামআহ (বা)
তার পুর্ণ নাম উম্মুল মু’মিনীন হযরত সাওদাহ্ বিনত যামআহ আল কারাশীয়ড়াহ্
আল-আমিরিয়াহ (রা) ৷ হযরত খাদীজা (রা)-এর পর তিনি ছিলেন রাসুলুল্লাহ্, মোঃ ;এর প্রথমা
শ্রী ৷ তিনি ছিলেন অত্যন্ত বোযাদার ও ইবাদতগুযার ৷ কথিত আছে যে, তিনি ছিলেন কঠোর
মেজাজের ৷ তিনি অত দ্রন্ত বৃদ্ধ হয়ে গিয়েছিলেন ৷ রড়াসুলুল্লাহ্£শ্মর্তাৰুক পৃথক করে দিতে ইচ্ছা
পোষণ করলেন তখন তিনি বললেন, “হে আল্লাহর রাসুলশ্নো আপনি আমাকে দয়া করে
পৃথক করে দেবেন না ৷ আমার নির্ধারিত দিনটি হযরত আয়েশা সিদ্দীকা (রা)-এর জন্যে আমি
দান করলাম ৷ তারপর রাসুলুল্লাহ্ ন্হুক্ট্র তাকে থাকতে দিলেন এবং একথার উপরে তিনি তার
সাথে আপোস করলেন ৷ এ সম্পর্কে আল্লাহ্ তাআলা সুরায়ে নিসা : ১২৮ নং আয়াত এ
ইরশাদ করেন :
৷ ;,া,
মোঃ
অর্থাৎ কোন শ্রী যদি তার স্বামীর দৃর্ব্যবহার ও উপেক্ষার আশংকা করে তবে তারা আপন
নিষ্পত্তি করতে চাইলে তাদের কোন দোষ নাই এবং আপস নিষ্পত্তি শ্রেয় ৷ হযরত আয়েশা
সিদ্দীকা (রা) বসু ন, “এ আয়াত সাওদাহ বিনত যামআহ (রা) এর ক্ষেত্রে অবতীর্ণ হয় ৷ তিনি
উমর ইবনুল খাত্তাব (রা)-এর আমলে ইনতিকাল করেন ৷
হিন্দ বিনত উতবা (বা)
কথিত আছে যে, তিনি হযরত উমর (রা) এর আমলে ইনতিকাল করেন ৷ কেউ কেউ
বলেন, এর পুর্বে তিনি ইনতিকাল করেন ৷
مَيْسَرَةُ بْنُ مَسْرُوقٍ الْعَبْسِيُّ
شَيْخٌ صَالِحٌ، قِيلَ: إِنَّهُ صَحَابِيٌّ. شَهِدَ الْيَرْمُوكَ وَدَخَلَ الرُّومَ أَمِيرًا عَلَى جَيْشٍ سِتَّةِ آلَافٍ، وَكَانَتْ لَهُ هِمَّةٌ عَالِيَةٌ، فَقَتَلَ وَسَبَى وَغَنِمَ، وَذَلِكَ فِي سَنَةِ عِشْرِينَ. وَرَوَى عَنْ أَبِي عُبَيْدَةَ، وَعَنْهُ أَسْلَمُ مَوْلَى عُمَرَ. لَمْ يَذْكُرْهُ ابْنُ الْأَثِيرِ فِي " الْغَابَةِ ".
وَاقِدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَبْدِ مَنَافِ بْنِ عَرِينٍ الْحَنْظَلِيُّ الْيَرْبُوعِيُّ، حَلِيفُ بَنِي عَدِيِّ بْنِ كَعْبٍ، أَسْلَمَ قَبْلَ دَارِ الْأَرْقَمِ، وَشَهِدَ بَدْرًا وَمَا بَعْدَهَا، وَآخَى رَسُولُ اللَّهِ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، بَيْنَهُ وَبَيْنَ بِشْرِ بْنِ الْبَرَاءِ بْنِ مَعْرُورٍ، وَهُوَ أَوَّلُ مَنْ قَتَلَ فِي سَبِيلِ اللَّهِ، عَزَّ وَجَلَّ، بِبَطْنِ نَخْلَةَ مَعَ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ جَحْشٍ حِينَ قَتَلَ عَمْرَو بْنَ الْحَضْرَمِيِّ. تُوُفِّيَ فِي خِلَافَةِ عُمَرَ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ.
أَبُو خِرَاشٍ الْهُذَلِيُّ الشَّاعِرُ وَاسْمُهُ خُوَيْلِدُ بْنُ مُرَّةَ، كَانَ يَسْبِقُ الْخَيْلَ عَلَى قَدَمَيْهِ، وَكَانَ فَتَّاكًا فِي الْجَاهِلِيَّةِ، ثُمَّ أَسْلَمَ وَحَسُنَ إِسْلَامُهُ، وَتُوُفِّيَ فِي زَمَنِ عُمَرَ. أَتَاهُ حُجَّاجٌ، فَذَهَبَ يَأْتِيهِمْ بِمَاءٍ فَنَهَشَتْهُ حَيَّةٌ فَرَجَعَ إِلَيْهِمْ بِالْمَاءِ، وَأَعْطَاهُمْ شَاةً وَقِدَرًا وَلَمْ يُعْلِمْهُمْ بِمَا جَرَى لَهُ، فَأَصْبَحَ فَمَاتَ فَدَفَنُوهُ. ذَكَرَهُ ابْنُ عَبْدِ الْبَرِّ، وَابْنُ الْأَثِيرِ فِي أَسْمَاءِ الصَّحَابَةِ. وَالظَّاهِرُ أَنَّهُ لَيْسَتْ لَهُ وِفَادَةٌ، وَإِنَّمَا أَسْلَمُ فِي حَيَاةِ
পৃষ্ঠা - ৫৭০৩
النَّبِيِّ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَهُوَ مُخَضْرَمٌ. وَاللَّهُ أَعْلَمُ.
أَبُو لَيْلَى عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ كَعْبِ بْنِ عَمْرٍو الْأَنْصَارِيُّ، شَهِدَ أُحُدًا وَمَا بَعْدَهَا إِلَّا تَبُوكَ فَإِنَّهُ تَخَلَّفَ لِعُذْرِ الْفَقْرِ، وَهُوَ أَحَدُ الْبَكَّائِينَ الْمَذْكُورِينَ.
سَوْدَةُ بِنْتُ زَمْعَةَ الْقُرَشِيَّةُ الْعَامِرِيَّةُ أُمُّ الْمُؤْمِنِينَ، أَوَّلُ مَنْ دَخَلَ بِهَا رَسُولُ اللَّهِ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، بَعْدَ خَدِيجَةَ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهَا، وَكَانَتْ صَوَّامَةً قَوَّامَةً. وَيُقَالُ: كَانَ فِي خُلُقِهَا حِدَّةٌ. وَقَدْ كَبِرَتْ فَأَرَادَ رَسُولُ اللَّهِ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، أَنْ يُفَارِقَهَا - وَيُقَالُ: بَلْ فَارَقَهَا - فَقَالَتْ: يَا رَسُولَ اللَّهِ لَا تُفَارِقُنِي وَأَنَا أَجْعَلُ يَوْمِي لِعَائِشَةَ. فَتَرَكَهَا رَسُولُ اللَّهِ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَصَالَحَهَا عَلَى ذَلِكَ. وَفِي ذَلِكَ أَنْزَلَ اللَّهُ، عَزَّ وَجَلَّ: {وَإِنِ امْرَأَةٌ خَافَتْ مِنْ بَعْلِهَا نُشُوزًا أَوْ إِعْرَاضًا فَلَا جُنَاحَ عَلَيْهِمَا أَنْ يُصْلِحَا بَيْنَهُمَا صُلْحًا وَالصُّلْحُ خَيْرٌ} [النساء: 128] الْآيَةَ [النِّسَاءِ: 128] . قَالَتْ عَائِشَةُ: نَزَلَتْ فِي سَوْدَةَ بِنْتِ زَمْعَةَ. تُوُفِّيَتْ فِي خِلَافَةِ عُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ
هِنْدُ بْنُ عُتْبَةَ، يُقَالُ: مَاتَتْ فِي خِلَافَةِ عُمَرَ. وَقِيلَ: تُوُفِّيَتْ قَبْلَ ذَلِكَ. كَمَا تَقَدَّمَ. فَاللَّهُ أَعْلَمُ.