ثم دخلت سنة إحدى وعشرين
পৃষ্ঠা - ৫৬০৭
এটা ছিল একটি অত্যন্ত বড় ঘটনা ৷ তার পদমর্ষাদা ছিল অতি উফ্তে এবং এটা অত্যন্ত
তথ্যবহুলও বটে ৷ মুসলমড়ানগণ তার নাম দিয়েছিল ৰু ম্রা ৷ ৰু ;১ বিজয়সমুহের বিজয় অত্যন্ত
বড় বিজয় :
আল্লামা ইবন ইসহাক ও আল্লামা ওয়াকিদী বলেন : ২১ হিজরীভে নিহাওয়ান্দের ঘটনা
ঘটেছিল ৷ সইিফ (র) বলেন : উক্ত ঘটনাটি ১৭ হিজরীভে ঘটেছিল ৷ আবার কেউ কেউ বলেন
১৯ হিজরীভে ৷ মহান আল্লাহ অধিক পরিজ্ঞাত ৷
আল্লামা ইবন কাসীর (র) বলেন : আমার ওস্তাদ আবু জাফর মুহাম্মদ ইবন জারীর (র) ২১
হিজরীভে এ ঘটনাটি বর্ণনা করেছেন বিধায় আমিও এখানেই ঘটনাটি বর্ণনা করলাম তবে
বিভিন্ন ইতিহাসবিদের বর্ণনাগুলো এক জায়গায় সুবিন্যস্ত করা হলো ৷ আল্লামা সইিফ ও অন্যরা
বলেন : এ ঘটনাটির প্রেক্ষাপট হলো : মুসলমানগণ যখন পারস্য সাম্রাজ্যের আহওয়ায নামক
স্থানটি জয়লাভ করেন এবং শত্রু সৈন্যদের হাই কমন্ডোক বাতিল ঘোষণা করেন ৷ সম্রাটের
রাজধানীকে অন্যান্য প্রাদেশিক হেড কােয়ার্টারগুলােসহ দখল করে নেন ৷ প্রধান প্রধান শহর,
বিভাগ ও এলাকাণ্ডালাতে প্রাধান্য বিস্তার করেন তখন পারস্যবাসিগণ অত্যন্ত রাগাম্বিত হয়ে
পড়ে ৷ তাদের সম্রাট ইয়াযদগিরদ একটার পর একটা শহর ছেড়ে পিছু হটতে হটতে
ইস্পাহানের প্রতন্তর এলাকা পর্যন্ত গিয়ে পৌছেন ৷ তিনি তাদেরকে ঘুসলমড়ানদের বিরুদ্ধে
সর্বশেষ মরণপণ হামলা করার জন্যে উৎসাহিত করেন ৷ কিন্তু তিনি তার পরিবার-পরিজন,
সম্প্রদায়ের লোকজন ও সহায় সম্পদ নিয়ে অবস্থান করছিলেন ৷ তিনি নিহড়াওয়ান্দ ও পার্শ্ববর্তী
পাহাড় ও শহর এলাকাসমুহে পত্র লিখেন ৷ তাতে তারা সকলে একত্রিত হন এবং নিজেদের
মধ্যে যোগাযোগ প্রতিষ্ঠা করেন ৷ ফলত তারা বিরাট বাহিনী প্রতিষ্ঠার কাজটি সমাপ্ত করেন যা
পুর্বে তারা এরুপ করতে পারেননি ৷ হযরত মাস (বা) হযরত উমর (রা) এর কাছে এ সংবাদ
জানিয়ে পত্র লিথলেন ৷
অন্যদিকে ইতিমধ্যে কুফাবাসিগণ হযরত সাদ (রা)-এর বিরুদ্ধে সংগ্রাম শুরু করল ৷
প্রতিটি জিনিস সম্পর্কে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হলো এমনকি তারা বলতে লাগল যে,
তিনি উত্তমরুপ সালাতও আদায় করেন না ৷ এসব অভিযোগ নিয়ে যে লোকটি প্রধান হিসেবে
সৎপামে লিপ্ত হয়েছিল তার নাম আল-জার্বাহ ইবন সিনান আল-আসাদী ৷ আর তার সাথে ছিল
একটি দল ৷ তারা সকলে মিলে হযরত উমর (রা)-এর কাছে আগমন করল ও অভিযোগ পেশ
করল ৷ হযরত উমর (রা) তাদেরকে বলেন, “যেসব খারাপ তোমরা তোমাদের কাছে আছে
বলে মনে করছ এর উপর ভিত্তি করে তোমরা তার বিরুদ্ধে এমন সময় সংগ্রাম করছ যখন সে
[ثُمَّ دَخَلَتْ سَنَةُ إِحْدَى وَعِشْرِينَ]
[وَقْعَةُ نَهَاوَنْدَ]
فَفِيهَا كَانَتْ وَقْعَةُ نَهَاوَنْدَ وَفَتْحُهَا عَلَى الْمَشْهُورِ، وَهِيَ وَقْعَةٌ عَظِيمَةٌ جِدًّا لَهَا شَأْنٌ رَفِيعٌ وَنَبَأٌ عَجِيبٌ، وَكَانَ الْمُسْلِمُونَ يُسَمُّونَهَا فَتْحَ الْفُتُوحِ.
قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ وَالْوَاقِدِيُّ: كَانَتْ وَقْعَةُ نَهَاوَنْدَ فِي سَنَةِ إِحْدَى وَعِشْرِينَ. وَقَالَ سَيْفٌ: كَانَتْ فِي سَنَةِ سَبْعَ عَشْرَةَ. وَقِيلَ: فِي سَنَةِ تِسْعَ عَشْرَةَ. فَاللَّهُ أَعْلَمُ.
وَإِنَّمَا سَاقَ أَبُو جَعْفَرِ بْنُ جَرِيرٍ قِصَّتَهَا فِي هَذِهِ السَّنَةِ فَتَبِعْنَاهُ فِي ذَلِكَ، وَجَمَعْنَا كَلَامَ هَؤُلَاءِ الْأَئِمَّةِ فِي هَذَا الشَّأْنِ سِيَاقًا وَاحِدًا، حَتَّى دَخَلَ سِيَاقُ بَعْضِهِمْ فِي بَعْضٍ. قَالَ سَيْفٌ وَغَيْرُهُ: وَكَانَ الَّذِي هَاجَ هَذِهِ الْوَقْعَةَ أَنَّ الْمُسْلِمِينَ لَمَّا افْتَتَحُوا الْأَهْوَازَ، وَمَنَعُوا جَيْشَ الْعَلَاءِ مِنْ أَيْدِيهِمْ، وَاسْتَوْلَوْا عَلَى دَارِ الْمَلِكِ الْقَدِيمِ مِنْ إِصْطَخْرَ مَعَ مَا حَازُوا مِنْ دَارِ مَمْلَكَتِهِمْ حَدِيثًا، وَهِيَ الْمَدَائِنُ وَأَخَذُوا تِلْكَ الْمَدَائِنَ وَالْأَقَالِيمَ وَالْكُوَرَ وَالْبُلْدَانَ الْكَثِيرَةَ، فَحَمُوا عِنْدَ ذَلِكَ، وَاسْتَجَاشَهُمْ يَزْدَجِرْدُ الَّذِي تَقَهْقَرَ مِنْ بَلَدٍ إِلَى بَلَدٍ، حَتَّى صَارَ إِلَى أَصْبَهَانَ مُبْعَدًا طَرِيدًا، لَكِنَّهُ فِي أُسْرَةٍ مِنْ قَوْمِهِ وَأَهْلِهِ وَمَالِهِ، فَكَتَبَ إِلَى نَاحِيَةِ نَهَاوَنْدَ وَمَا وَالَاهَا مِنَ الْجِبَالِ وَالْبُلْدَانِ، فَتَجَمَّعُوا وَتَرَاسَلُوا حَتَّى كَمُلَ لَهُمْ مِنَ الْجُنُودِ مَا لَمْ يَجْتَمِعْ لَهُمْ قَبْلَ
পৃষ্ঠা - ৫৬০৮
মহান আল্লাহ্র দৃশমনদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার জন্যে প্রস্তুতি নিচ্ছে ৷ শত্রুরা তোমাদের বিরুদ্ধে
একত্রিত হয়েছে তবে এটা তোমাদের ব্যাপারে লক্ষ্য করার ক্ষেত্রে কোন ৰিব্ল সৃষ্টি করবে না ৷ ”
তারপর তিনি মুহাম্মদ ইবন মাসলামাকে কর্মচারীদের দুত হিসেবে অভিযােৰুগর তদন্তের জন্যে
প্রেরণ করেন ৷
মুহাম্মদ ইবন মাসলামা যখন কুফা আগমন করেন তখন তিনি কুফার বিভিন্ন গোত্র,
পরিবারপরিজন ও মসজিদসমুহে ঘেড়াজ-খবর নেন ৷ দেখা গেল আল জাৰ্বাহ ইবন সিনানের
পক্ষের লোক ব্যতীত প্রত্যেকেই সা’দ (রা)- এর প্রশংসা করেন ৷ আল-জার্বাহ ইবন সিনানের
নােষ্কেৰা চুপ করে থাকে কোন খারাপও বলেন না কিংবা কোন প্রশংসাও করে না ৷ মুহাম্মদ
ইবন মাসলামা বনু আবস পর্যন্ত পৌছেন ৷ তখন আবু সাদাহ উসামাহ ইবন কাতাদাহ নামী
এক ব্যক্তি তার দিকে এগিয়ে আসে এবং বলে : আমাকে যখন জিজ্ঞেস করছেন তাহলে শুনুন
সাদ গনীমতের মাল সমান হারে বণ্টন করেন না, প্রজাদের মাঝে ইনসাফ করেন না এবং ক্ষুদ্র
সৈন্যদল প্রেরণ করে যুদ্ধ করেন না ৷ সাদ (বা) তার জন্যে অভিশাপ প্রদান করেন, এবং বলেন
হে আল্লহ্৷ এ ব্যক্তি বা বলছে তা মিথ্যে ৷ লোক দেখানো এবং কুখ্যাতি ছড়ানাের লক্ষে সে
এরুপ করেছে, তাকে অন্ধ করে দাও, তার উর নিউরশীল পরিজনের সংখ্যা বৃদ্ধি করে দাও এবং
ফেতনা ফ্যাসাদের গোমরাহিতে লিপ্ত করে দাও ৷ তারপর সে অন্ধ হয়ে গেল, তার কাছে ১ :টি
অবিবাহিত কন্যা জমা হয়ে পড়ল এবং যখন সে কোন শ্রীলােকের কথা শুনত সে তার দিকে
এগিয়ে যেত, তাকে খোজ করত ও হেড়াচট থেয়েপড়ত ৷ বর্ণনাকারী বলেন, এটা ছিল মহান
ব্যক্তি সা’দ (রা)-এর অভিশাপ ৷ পুনরায় হযরত সা’দ (রা) আল-জার্বাহ ও তার দলের
লোকদের প্রতি অভিশাপ দিলেন ৷ এরপর জানা গেল যে, তাদের প্রত্যেকের গায়ে উকুন দেখা
দিয়েছে এবং তাদের সম্পাদ মুসীবত অবতীর্ণ হয়েছে ৷ তারপর মুহাম্মদ ইবন মাসলামা (রা) , এ
সময়ে কুফাবাসীদেরকে নিহাওয়ান্দবাসীদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার জন্যে উমর ইবন আল-খাত্তাব
(রা)-এর পক্ষে আহ্বান জানান ৷ এরপর সাদ, মুহাম্মদ ইবন মাসলামা, আল-জাৰ্বাহ্ ও তার
দলের লোকজন হযরত উমর (রা)-এর কাছে আগমন করলেন ৷
হযরত উমর (রা) মুহাম্মদ ইবন মাসলামা (রা)-ণ্ক জিজ্ঞেস করলেন যে, কেমন করে তিনি
সালাত আদায় করেন ৷ তিনি তখন তাকে সংবাদ দিলেন যে, তিনি প্রথম দুরাকআতে সালাত
কিরাত দীর্ঘ করেন এবং শেষ দু রাকআতে সালাতকিরাত সংক্ষিপ্ত করেন ৷ তারা এ কথা
বলতেও ইতস্তত করে নাই যে, তিনি সালাতে রাসুলুল্পাহ্:হুগ্,ঞ্জএর অনুসরণ করেননি ৷ হযরত
উমর (রা) তখন হযরত সাদ (রা)-কে বলেন : হে আবু ইসহাক৷ তোমার সম্বন্ধেও এরুপ
ধারণা, এ প্রসঙ্গে তোমার বক্তব্য কি ? এ ব্যাপারে হযরত সাদ (রা) বলেন, আমি মুসলমান
হঘ্নেছি ৫নং মুসলমান হিসেবে; এক ক্ষুদ্র সৈন্যদল অভিযানে গাছের পাতা ব্যতীত আমাদের
খাবার কিছুই ছিল না এমনকি পরবর্তিতে আমাদের পালের ভিতরের অংশ আহত হয়ে
গিয়েছিল; আমিই প্রথম ব্যক্তি যে মহান আল্লাহ্ৱ পথে প্রথম তীর পরিচালনা করে; রাসুসুল্লাহ্
-ষ্ শ্ ণ্ৰ্ শুধু আমার ক্ষেত্রে তার পিতা ও মাতাকে উল্লেখ করেছিলেন ৷ আমার পুর্বে অন্য কারো
ক্ষেত্রে এরুপ করেননি ৷ তারপর বনু আসাদ বলছে যে, সে উত্তমরুপে সালাত আদায় করে না ৷
অন্য এক বর্ণনায় রয়েছে যে, তিনি বলেছেন যে , ইসলাম সম্পর্কে আমাকে কপট আখ্যায়িত
ذَلِكَ. فَبَعَثَ سَعْدٌ إِلَى عُمَرَ يُعْلِمُهُ بِذَلِكَ، وَثَارَ أَهْلُ الْكُوفَةِ عَلَى سَعْدٍ فِي غُبُونِ هَذَا الْحَالِ. فَشَكَوْهُ فِي كُلِّ شَيْءٍ حَتَّى قَالُوا: لَا يُحْسِنُ يُصَلِّي. وَكَانَ الَّذِي نَهَضَ بِهَذِهِ الشَّكْوَى رَجُلٌ يُقَالُ لَهُ: الْجَرَّاحُ بْنُ سِنَانٍ الْأَسَدِيُّ. فِي نَفَرٍ مَعَهُ، فَلَمَّا ذَهَبُوا إِلَى عُمَرَ فَشَكَوْهُ إِلَيْهِ. قَالَ لَهُمْ عُمَرُ: مِنَ الدَّلِيلِ عَلَى شَرِّكُمْ نُهُوضُكُمْ فِي هَذَا الْحَالِ عَلَيْهِ، وَهُوَ مُسْتَعِدٌّ لِقِتَالِ أَعْدَاءِ اللَّهِ، وَقَدْ أَجْمَعُوا لَكُمْ، وَمَعَ هَذَا لَا يَمْنَعُنِي أَنْ أَنْظُرَ فِي أَمْرِكُمْ. ثُمَّ بَعَثَ مُحَمَّدَ بْنَ مَسْلَمَةَ - وَكَانَ رَسُولَ الْعُمَّالِ - فَلَمَّا قَدِمَ مُحَمَّدُ بْنُ مَسْلَمَةَ الْكُوفَةَ طَافَ عَلَى الْقَبَائِلِ وَالْعَشَائِرِ وَالْمَسَاجِدِ بِالْكُوفَةِ، فَكُلٌّ يُثْنِي عَلَى سَعْدٍ خَيْرًا إِلَّا نَاحِيَةَ الْجَرَّاحِ بْنِ سِنَانَ، فَإِنَّهُمْ سَكَتُوا، فَلَمْ يَذُمُّوا وَلَمْ يَشْكُرُوا، حَتَّى انْتَهَى إِلَى بَنِي عَبْسٍ، فَقَامَ رَجُلٌ يُقَالُ لَهُ: أَبُو سَعْدَةَ أُسَامَةُ بْنُ قَتَادَةَ. فَقَالَ: أَمَّا إِذْ نَشَدْتَنَا، فَإِنَّ سَعْدًا لَا يَقْسِمُ بِالسَّوِيَّةِ، وَلَا يَعْدِلُ فِي الرَّعِيَّةِ، وَلَا يَغْزُو فِي السَّرِيَّةِ. فَدَعَا عَلَيْهِ سَعْدٌ، فَقَالَ: اللَّهُمَّ إِنْ كَانَ قَالَهَا كَذِبًا وَرِيَاءً وَسُمْعَةً، فَأَعْمِ بَصَرَهُ، وَأَكْثِرْ عِيَالَهُ، وَعَرِّضْهُ لِمُضِلَّاتِ الْفِتَنِ. فَعَمِيَ وَاجْتَمَعَ عِنْدَهُ عَشْرُ بَنَاتٍ، وَكَانَ يَسْمَعُ بِالْمَرْأَةِ فَلَا يَزَالُ حَتَّى يَأْتِيَهَا فَيَجُسَّهَا، فَإِذَا عُثِرَ عَلَيْهِ قَالَ: دَعْوَةُ سَعْدٍ الرَّجُلِ الْمُبَارَكِ. ثُمَّ دَعَا سَعْدٌ عَلَى الْجَرَّاحِ وَأَصْحَابِهِ، فَكُلٌّ أَصَابَتْهُ قَارِعَةٌ فِي جَسَدِهِ، وَمُصِيبَةٌ فِي مَالِهِ بَعْدَ ذَلِكَ. وَاسْتَنْفَرَ مُحَمَّدُ بْنُ مَسْلَمَةَ أَهْلَ الْكُوفَةِ لِغَزْوِ أَهْلِ نَهَاوَنْدَ فِي غُبُونِ ذَلِكَ عَنْ أَمْرِ عُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ. ثُمَّ سَارَ سَعْدٌ وَمُحَمَّدُ بْنُ مَسْلَمَةَ وَالْجَرَّاحُ وَأَصْحَابُهُ
পৃষ্ঠা - ৫৬০৯
করেছে ৷ যদি তইি হয় তখন আমি ক্ষতিগ্রস্ত হব এবং আমার আমল বিনষ্ট হয়ে যাবে ৷ তারপর
হযরত উমর (রা) সাদ (রা)-কে বললেন, আপনি কাকে কুফায় আপনার স্থলাভিষিক্ত করতে
চানা তখন তিনি বললেন : “আবদুল্লাহ ইবন আবদুল্লাহ ইবন উতবানকে ৷
হযরত উমর (রা) পরবর্তিতে তাকে কুফায় হযরত সাদ (রা)-এর স্থলাভিষিক্ত তথা
প্রতিনিধি হিসেবে বহাল রাখেন ৷ তিনি ছিলেন বয়সে প্রবীণ এবং মর্ষাদাবান সাহাবীদের
অন্তর্ভুক্ত ও আনসাবের বসু হুবাল-এর মিত্র ৷ অক্ষমতা বা কােনপ্রকার দুর্নীতির অভিযোগ
ব্যডীতই হযরত সা’দ (রা) বরখাস্ত অবস্থায় জীবন অতিবাহিত করেন এবং মিথ্যা
অভিযােগকারীদের প্রতি হুমকি স্বরুপ বিরাজ করেন ৷ আদর প্রতি মারাত্মক ধরনের ক্ষতির
সম্ভাবনা থাকা সত্বেও তিনি তাদের কোন প্রকার ক্ষতি করেননি ৷ এ ভয়ে যে, মুসলমানদের
আমীরের বিরুদ্ধে তারা হয়ত কোন প্রকার অনাহ্রত অভিযোগ ভুলে অশান্তি সৃষ্টি করতে পারে ৷
অন্যদিকে পারস্যবাসিগণ দৃরদুরম্ভে থেকে আগমন করে নিহাওয়ান্দে একত্রিত হয় ৷ তাদের
এক লাখ পঞ্চাশ হাজার যোদ্ধা একত্রিত হয় ৷ তাদের নেতা ছিল ফীরযান ৷ তাকে বানদার
অথবা মুল হাজির কিংবা ভ্রাওয়ালা বলা হতো ৷ তারা নিজেদের মধ্যে পরস্পর তর্জনগর্জ্য৷ শুরু
করেছিল এবং বলতে লাগল : নিশ্চয়ই যে মুহাম্মদ আরবে আগমন করলেন তিনি আমাদের
দেশের বিরুদ্ধে কিছু বল্মলেন না ৷ তার পরে যিনি স্থলাভিষিক্ত হলেন হযরত আবু বকর, তিনিও
আমাদের সাম্রাজ্যে কোন প্রকার হস্তক্ষেপ করলেন না কিন্তু উমর ইবনুল খাত্তাব-এর রাজত্ব
দীর্ঘদিন হওয়ায় যে আমাদের ইয্যত-হুরমত বিনষ্ট করছে এবং আমাদের শহরগুলোকে দখল
করে নিচ্ছে ৷ এটা করেই সে ক্ষম্ভে হয়নি, যে আমাদের ভুখণ্ডে এসে আমাদের বিরুদ্ধে লড়েছে ৷
যে আমাদের রাজধানী হস্তগত করেছে এখন যে তােমাদেরকে দেশ থেকে বহিষ্কার করা ব্যতীত
ক্ষাম্ভ হবে না ৷ কাংচ্ছ তোমরা সকলে ওয়াদাবদ্ধ হও এবং দৃঢ় সিদ্ধান্ত গ্রহণ কর যে, তোমরা
কুফা ও বসরা আক্রমণ করবে এবং উমরকে তার দেশ থেকে বহিষ্কার করবে ৷ শত্রু সৈন্যরা
সকলে দৃঢ় সিদ্ধান্ত নিল এবং মুসলমানদের উপর হামলা চালাবার জন্যে একটি চুক্তিনামা প্রণয়ন
করল ৷ হযরত সাদ (বা) এ সম্পর্কে হযরত উমর (না)-এর কাছে পত্র লিখলেন, ইতোমধ্যে
হযরত সাদ (রা) দায়িতুচ্যুত থাকায় তিনি উমর (রা)-এর সাথে সাক্ষাত করে পারস্যবাসীদের
প্রস্তুতি ও তাদের লক্ষ্যবন্তু সম্বন্ধে খলীফাকে অবগত করালেন ৷ আর তারা যে এক লাখ পঞ্চাশ
হাজার যোদ্ধা ঐক্যবদ্ধ হয়েছে তাও অবগত করালেন ৷
অন্যদিকে কুফা হতে আবদুল্লাহ ইবন আবদুল্লাহ ইবন উতবানেৱ লিতি পত্র কারীরব ইবন
যুফর আল-আবদীর মাধ্যমে হযরত উমর (রা) এর কাছে এ মর্মে এসে পৌছে যে,
পারস্যবাসীরা একত্রিত হয়েছে এবং তারা ইসলাম ও মুসলমানদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার জন্যে
ঐক্যবদ্ধ হয়েছে এবং এ মর্মে নিজেদের মধ্যে পরস্পর তর্জনগত্তনি শুরু করেছে ৷ আবদুল্লাহ
ইবন উতবান লিখেন যে, হে আমীরুল মু’মিনীন ! আমাদের জন্যে উচিত তাদের প্রতি দৃষ্টি
দেওয়া এবং তারা যে আমাদের দেশের প্রতি কুমতলব পোষণ করছে তার একটি বিহিত ব্যবস্থা
করা ৷ হযরত উমর (রা) পত্র-বাহককে জিজ্ঞেস করলেন ও “তোমার নাম কি ?” উত্তরে তিনি
বলেন, আমার নাম কারীব ৷ হযরত উমর (রা) বলেন : কার ছেলে? উত্তরে বলেন :
“ষুফারের ণ্ছলে ৷ হযরত উমর (রা) এ দুটো নাম শুনে শুভ লক্ষণ মনে করলেন এবং বললেন
حَتَّى جَاءُوا عُمَرَ، فَسَأَلَهُ عُمَرُ: كَيْفَ يُصَلِّي؟ فَأَخْبَرَهُ أَنَّهُ يَطُولُ فِي الْأُولَيَيْنِ وَيُخَفِّفُ فِي الْأُخْرَيَيْنِ، وَمَا آلُو مَا اقْتَدَيْتُ بِهِ مِنْ صَلَاةِ رَسُولِ اللَّهِ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ. فَقَالَ لَهُ عُمَرُ: ذَاكَ الظَّنُّ بِكَ يَا أَبَا إِسْحَاقَ. وَقَالَ سَعْدٌ فِي هَذِهِ الْقَضِيَّةِ: لَقَدْ أَسْلَمْتُ خَامِسَ خَمْسَةٍ، وَلَقَدْ كُنَّا وَمَا لَنَا طَعَامٌ إِلَّا وَرَقُ الْحُبْلَةِ حَتَّى تَقَرَّحَتْ أَشْدَاقُنَا، وَإِنِّي لَأَوَّلُ رَجُلٍ رَمَى بِسَهْمٍ فِي سَبِيلِ اللَّهِ، وَلَقَدْ جَمَعَ لِي رَسُولُ اللَّهِ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، يَوْمَ أُحُدٍ أَبَوَيْهِ وَمَا جَمَعَهُمَا لِأَحَدٍ قَبْلِي، ثُمَّ أَصْبَحَتْ بَنُو أَسَدٍ يَقُولُونَ: لَا يُحْسِنُ يُصَلِّي. وَفِي رِوَايَةٍ: تُعَزِّرُنِي عَلَى الْإِسْلَامِ، لَقَدْ خِبْتُ إِذًا وَضَلَّ عَمَلِي. ثُمَّ قَالَ عُمَرُ لِسَعْدٍ: مَنِ اسْتَخْلَفْتَ عَلَى الْكُوفَةِ؟ فَقَالَ: عَبْدَ اللَّهِ بْنَ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عِتْبَانَ. فَأَقَرَّهُ عُمَرُ عَلَى نِيَابَتِهِ الْكُوفَةَ - وَكَانَ شَيْخًا كَبِيرًا مِنْ أَشْرَافِ الصَّحَابَةِ، حَلِيفًا لِبَنِي الْحُبْلَى مِنَ الْأَنْصَارِ - وَاسْتَمَرَّ سَعْدٌ مَعْزُولًا مِنْ غَيْرِ عَجْزٍ وَلَا خِيَانَةٍ، وَتَهَدَّدَ أُولَئِكَ النَّفَرَ، وَكَادَ يُوقِعُ بِهِمْ بَأْسًا، ثُمَّ تَرَكَ ذَلِكَ خَوْفًا مِنْ أَنْ لَا يَشْكُوَ أَحَدٌ أَمِيرًا.
وَالْمَقْصُودُ أَنَّ أَهْلَ فَارِسَ اجْتَمَعُوا مِنْ كُلِّ فَجٍّ عَمِيقٍ بِأَرْضِ نَهَاوَنْدَ حَتَّى اجْتَمَعَ مِنْهُمْ مِائَةُ أَلْفٍ وَخَمْسُونَ أَلْفَ مُقَاتِلٍ، وَعَلَيْهِمُ الْفَيْرُزَانُ، وَيُقَالُ: بُنْدَارٌ. وَيُقَالُ: ذُو الْحَاجِبِ. وَتَذَامَرُوا فِيمَا بَيْنَهُمْ وَقَالُوا: إِنَّ مُحَمَّدًا الَّذِي جَاءَ الْعَرَبَ لَمْ يَتَعَرَّضْ لِبِلَادِنَا، وَلَا أَبُو بَكْرٍ الَّذِي قَامَ بَعْدَهُ تَعَرَّضُ لَنَا فِي دَارِ مُلْكِنَا، وَإِنَّ عُمَرَ بْنَ الْخَطَّابِ هَذَا لَمَّا طَالَ مُلْكُهُ انْتَهَكَ حُرْمَتَنَا وَأَخَذَ بِلَادَنَا، وَلَمْ يَكْفِهِ ذَلِكَ حَتَّى أَغْزَانَا فِي عُقْرِ دَارِنَا، وَأَخَذَ بَيْتَ الْمَمْلَكَةِ، وَلَيْسَ بِمُنْتَهٍ حَتَّى يُخْرِجَكُمْ مِنْ
পৃষ্ঠা - ৫৬১০
ৰু র্চুও ,fl; অর্থাৎ বিজয় নিকটে ৷ তারপর তিনি আদেশ করলেন সালাত কায়েমের উদ্দেশ্যে
যেন আমান দেওয়া হয় ৷ জনগণ একত্রিত হলেন ৷ আর এ ব্যাপারে যিনি সর্বপ্রথম মসজিদে
প্রবেশ করেন তিনি হলেন হযরত সা ’দ (বা) ইবন আবু ওক্কাস ৷
সর্বপ্রথম হযরত সাদ (রা)-কে পেয়ে খলীফা এটাকে শুভ লক্ষণ মনে করতে লাগলেন ৷
হযরত উমর (রা) মিম্বরে আরোহণ করলেন ৷ ণ্লাকজন জমায়েত হলেন ৷ তিনি বললেন,
“আজকে এমন একটি দিন, তারপর বহু দিন আসবে ৷ সাবধান ! আমি একটি কাজ করার ইচ্ছা
পোষণ করেছি তোমরা এটা গুন ৷ প্রতি উত্তর কর ৷ সংক্ষিপ্ত উত্তর দাও ৷ নিজেদের মধ্যে বিবাদ
করবে না ৷ করলে তোমরা সাহস হারাবে এবং তোমাদের শক্তি বিলুপ্ত হয়ে ৷ আমার অভিমত
হলো যে, আমি আমার পুর্বসুরির পথ অনুসরণ করব ৷ আমি এ দুইটি শহরের মধ্যন্থলে অবস্থান
নিব ৷ তাই দোকজনকে যুদ্ধের জন্যে আহ্বান কর ৷ আমি তাদের মধ্যে একটি চাদরের ভুমিকা
পালন করব এবং আল্লাহ্ তাআলা তাদেরকে বিজয় দান করবেন ৷ তারপর উসমান (রা) , আলী
(রা), তালহা (রা) , যুবাইর (রা), আবদুর রহমান ইবন আউফ্ (রা)-এর ন্যায় বুদ্ধিজীকািণ
নিজ নিজ অভিমত ও যুক্তি পেশ করলেন ৷ তারা সকলে মিলে একথার উপর একমত হলেন যে,
খলীফা পবিত্র মদীনা থেকে বের হয়ে গিয়ে শত্রুর মুকাবিল৷ করবে না তিনি বরং সৈন্যদল
পাঠাৰেন এবং তাদেরকে নিজের বুদ্ধিমত্তা ও দুআর মাধ্যমে দিক নির্দেশনা প্রদান করবেন ৷ এ
ব্যাপারে হযরত আলী (বা) যে সৃচিভিত মতামত পেশ করলেন তাহলো নিম্নরুপ
হযরত আলী (রা) বলেন, “হে আর্মীরুল মু’মিনীন! আলোচ্য বিষয়টির “জয় পরাজয়
অধিক সৈন্য সং খ্যা ও কম সং থ্যার উপর ভিত্তি করে রচিত হয়নি যে দীসের আবির্ভাব ঘটেছে,
আল্লাহ্ তাআলা তার সেনাবাহিনীকে ইয়যতসমান দান করেছেন এবং ওয়ারিশ তাদের মাধ্যমে
সাহায্য সহায়তা দান করেছেন ৷ ফলে মহান আল্লাহর দীন বর্তমান অবস্থায় পৌছেছে ৷ আমরা
এখন আল্লাহ্ তাআলার দেওয়া ওয়াদা অংগীকার সম্পাদনের দায়িত্বে নিয়োজিত রয়েছি ৷ প্রকৃত
পক্ষে আল্লাহ্ তাআলাই তড়াৱ ওয়াদা অংগীকারকে পুর্ণ করবেন ৷ তার সেনাবাহিনীকে সাহায্য
করবেন ৷ হে আমীরুল মুমিনীন ! মুসলমানদের মধ্যে আপনার অবস্থান হলো একজন সংগঠকের
ন্যায় যিনি মালার গুটি একত্রিত করেন ও সুতড়ায় পেথে নেন ৷ যদি মালা ছিড়ে যায় এবং
ওটিগুলো বিক্ষিপ্ত হয়ে যায় তাহলে এগুলোকে আর কখনও সুশৃগ্রলভাবে একত্রিত করা যাবে
না ৷ আরবরা যদিও পুর্বে সংখ্যায় কম ছিল এখন তারা ইসলামের বদৌলতে সংখ্যায় অনেক ৷
কাজেই আপনি আপনার স্থানে অবস্থান করুন ৷ কুফাবাসীদের নিকট পত্র লিখুন ৷ তারা
আরবদের মধ্যে বেশি জ্ঞানী ও তারা আরবদের সর্দার ৷ তাদের তিন ভাগের দৃই ভাগ যেন যুদ্ধে
যায় ৷ আর এক ভাগ বাসস্থানে অবস্থান করে ৷ বসরা বাসীদেরকে লিখুন তারা যেন তাদেরকে
সাহায্য সহায়তা করেন ৷
উসমান (রা) নিজের কথায় ইফীত করেন যে, খলীফা যেন সেনাবাহিনীতে ইয়ামান ও
সিরিয়া থেকেও সাহায্য গ্রহণ করেন ৷ আর বসরা ও কুফার মধ্যবর্তী স্থানে অবস্থান নেওয়ার
উমর (রা)এর অভিমতটি তিনি সমর্থন করেন ৷ কিন্তু আলী (বা) কারা ও কুফার মধ্যবর্তি
স্থানে অবস্থান নেওয়ার অভিমতটির বিরোধিতা করেন যেমন পুর্বেও তা বর্ণনা করা হয়েছে ৷
তিনি উসমান (রা)এর সিরিয়াৰাসীদের সাহায্য সহায়তা করার অভিমতটির এজন্যে বিরোধিতা
بِلَادِكُمْ. فَتَعَاهَدُوا وَتَعَاقَدُوا عَلَى أَنْ يَقْصِدُوا الْبَصْرَةَ وَالْكُوفَةَ ثُمَّ يَشْغَلُوا عُمَرَ عَنْ بِلَادِهِ، وَتَوَاثَقُوا مِنْ أَنْفُسِهِمْ وَكَتَبُوا بِذَلِكَ عَلَيْهِمْ كِتَابًا. فَلَمَّا كَتَبَ سَعْدٌ بِذَلِكَ إِلَى عُمَرَ - وَكَانَ عَزَلَ سَعْدًا فِي غُبُونِ ذَلِكَ - شَافَهَ سَعْدٌ عُمَرَ بِمَا تَمَالَئُوا عَلَيْهِ وَقَصَدُوا إِلَيْهِ، وَأَنَّهُ قَدِ اجْتَمَعَ مِنْهُمْ مِائَةٌ وَخَمْسُونَ أَلْفًا. وَجَاءَ كِتَابُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عِتْبَانَ مِنَ الْكُوفَةِ إِلَى عُمَرَ مَعَ قَرِيبِ بْنِ ظَفَرٍ الْعَبْدِيِّ، بِأَنَّهُمْ قَدِ اجْتَمَعُوا، وَهُمْ مُتَحَرِّقُونَ مُتَذَامِرُونَ عَلَى الْإِسْلَامِ وَأَهْلِهِ، وَأَنَّ الْمَصْلَحَةَ يَا أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ أَنْ نَقْصِدَهُمْ فَنُعَالِجَهُمْ عَمَّا هَمُّوا بِهِ وَعَزَمُوا عَلَيْهِ مِنَ الْمَسِيرِ إِلَى بِلَادِنَا. فَقَالَ عُمَرُ لِحَامِلِ الْكِتَابِ: مَا اسْمُكَ؟ قَالَ: قَرِيبٌ. قَالَ: ابْنُ مَنْ؟ قَالَ: ابْنُ ظَفَرٍ. فَتَفَاءَلَ عُمَرُ بِذَلِكَ، وَقَالَ: ظَفَرٌ قَرِيبٌ. ثُمَّ أَمَرَ فَنُودِيَ: الصَّلَاةُ جَامِعَةٌ. فَاجْتَمَعَ النَّاسُ، وَكَانَ أَوَّلَ مَنْ دَخَلَ الْمَسْجِدَ لِذَلِكَ سَعْدُ بْنُ أَبِي وَقَّاصٍ، فَتَفَاءَلَ عُمَرُ أَيْضًا بِسَعْدٍ، فَصَعِدَ عُمَرُ الْمِنْبَرَ حَتَّى اجْتَمَعَ النَّاسُ فَقَالَ: إِنَّ هَذَا يَوْمٌ لَهُ مَا بَعْدَهُ مِنَ الْأَيَّامِ، أَلَا وَإِنِّي قَدْ هَمَمْتُ بِأَمْرٍ فَاسْمَعُوا وَأَجِيبُوا وَأَوْجِزُوا، وَلَا تَنَازَعُوا فَتَفْشَلُوا وَتَذْهَبَ رِيحُكُمْ، إِنِّي قَدْ رَأَيْتُ أَنْ أَسِيرَ بِمَنْ قِبَلِي حَتَّى أَنْزِلَ مَنْزِلًا وَسَطًا بَيْنَ هَذَيْنَ الْمِصْرَيْنِ فَأَسْتَنْفِرَ النَّاسَ، ثُمَّ أَكُونَ لَهُمْ رِدْءًا حَتَّى يَفْتَحَ اللَّهُ عَلَيْهِمْ. فَقَامَ عُثْمَانُ وَعَلِيٌّ وَطَلْحَةُ وَالزُّبَيْرُ وَعَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ عَوْفٍ فِي رِجَالٍ مِنْ أَهْلِ الرَّأْيِ، فَتَكَلَّمَ كُلٌّ مِنْهُمْ بِانْفِرَادِهِ فَأَحْسَنَ وَأَجَادَ، وَاتَّفَقَ رَأْيُهُمْ عَلَى أَنْ لَا يَسِيرَ مِنَ الْمَدِينَةِ وَلَكِنْ يَبْعَثُ الْبُعُوثَ
পৃষ্ঠা - ৫৬১১
وَيَحْضُرُهُمْ بِرَأْيِهِ وَدُعَائِهِ. وَكَانَ مِنْ كَلَامِ عَلِيٍّ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، أَنْ قَالَ: يَا أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ، إِنَّ هَذَا الْأَمْرَ لَمْ يَكُنْ نَصْرُهُ وَلَا خِذْلَانُهُ بِكَثْرَةٍ وَلَا قِلَّةٍ، هُوَ دِينُهُ الَّذِي أَظْهَرَ، وَجُنْدُهُ الَّذِي أَعَزَّ، وَأَمَدَّهُ بِالْمَلَائِكَةِ، حَتَّى بَلَغَ مَا بَلَغَ، فَنَحْنُ عَلَى مَوْعُودٍ مِنَ اللَّهِ، وَاللَّهُ مُنْجِزٌ وَعْدَهِ، وَنَاصِرٌ جُنْدَهُ، وَمَكَانُكَ مِنْهُمْ يَا أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ مَكَانُ النِّظَامِ مِنَ الْخَرَزِ يَجْمَعُهُ وَيُمْسِكُهُ، فَإِذَا انْحَلَّ تَفَرَّقَ مَا فِيهِ وَذَهَبَ، ثُمَّ لَمْ يَجْتَمِعْ بِحَذَافِيرِهِ أَبَدًا، وَالْعَرَبُ الْيَوْمَ وَإِنْ كَانُوا قَلِيلًا فَهُمْ كَثِيرٌ عَزِيزٌ بِالْإِسْلَامِ، فَأَقِمْ مَكَانَكَ وَاكْتُبْ إِلَى أَهْلِ الْكُوفَةِ فَهُمْ أَعْلَامُ الْعَرَبِ وَرُؤَسَاؤُهُمْ، فَلْيَذْهَبْ مِنْهُمُ الثُّلُثَانِ وَيُقِيمُ الثُّلُثُ، وَاكْتُبْ إِلَى أَهْلِ الْبَصْرَةِ يَمُدُّونَهُمْ أَيْضًا. وَكَانَ عُثْمَانُ قَدْ أَشَارَ فِي كَلَامِهِ بِأَنْ يَمُدَّهُمْ فِي جُيُوشٍ مِنْ أَهْلِ الْيَمَنِ وَالشَّامِ. وَوَافَقَ عُمَرُ عَلَى الذَّهَابِ بِنَفْسِهِ إِلَى مَا بَيْنَ الْبَصْرَةِ وَالْكُوفَةِ. فَرَدَّ عَلِيٌّ عَلَى عُثْمَانَ فِي مُوَافَقَتِهِ عَلَى الذَّهَابِ إِلَى مَا بَيْنَ الْبَصْرَةِ وَالْكُوفَةِ، كَمَا تَقَدَّمَ، وَرَدَّ رَأْيَ عُثْمَانَ فِيمَا أَشَارَ بِهِ مِنِ اسْتِمْدَادِ أَهْلِ الشَّامِ خَوْفًا عَلَى بِلَادِهِمْ - إِذَا قَلَّ جُيُوشُهَا - مِنَ الرُّومِ، وَمِنْ أَهْلِ الْيَمَنِ خَوْفًا عَلَى بِلَادِهِمْ مِنَ الْحَبَشَةِ. فَأَعْجَبَ عُمَرَ قَوْلُ عَلِيٍّ وَسُرَّ بِهِ - وَكَانَ عُمَرُ إِذَا اسْتَشَارَ أَحَدًا لَا يُبْرِمُ أَمْرًا حَتَّى يُشَاوِرَ الْعَبَّاسَ - فَلَمَّا أَعْجَبَهُ كَلَامُ الصَّحَابَةِ فِي هَذَا الْمَقَامِ، عَرَضَهُ عَلَى الْعَبَّاسِ، فَقَالَ: يَا أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ خَفِّضْ عَلَيْكَ، فَإِنَّمَا اجْتَمَعَ هَؤُلَاءِ الْفُرْسُ لِنِقْمَةٍ. يَعْنِي: تَنْزِلُ عَلَيْهِمْ. ثُمَّ قَالَ عُمَرُ:
পৃষ্ঠা - ৫৬১২
করেন যে, তাদের সৈন্য সংখ্যা কম হয়ে গেলে তারা রোমানদের হমকির সম্মুখীন হবে ৷
অনুরুপভাবে ইয়ামানবাসীদের সাহায্য-সহায়তা করার অভিমতঢির এজন্যে বিরোধিতা করেন
যে, তাদের সৈন্যসংথ্যা কম হয়ে গেলে তারা হাবশীদের হুমকির সম্মুখীন হয়ে পড়বে ৷ হযরত
উমর (রা) হযরত আলী (রা) এর কথা পছন্দ করলেন এবং খুশি হলেন ৷
আর হযরত উমর (রা) যখন কারো থেকে পরামর্শ গ্রহণ করতেন তখন বিষয়টি সম্পর্কে
চুড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার পুর্বে হযরত আব্বাস (বা) হতে পরামর্শ নিতেন ৷ এ ব্যাপারে যখন
সাহাবাদের কথাবার্তা হযরত উমর (রা)-এর মনঃপুত হলো তিনি তা হযরত আব্বাস (রা)-এর
খিদমতে পেশ করেন ৷ আব্বাস (বা) বলেন : হে আমীরুল মু’মিনীনা আপনি একটু
ধীরস্থিরভাবে কাজ করুন ৷ কেননা, পারস্যবাসী তাদের প্রতিপত্তি ও ঘৃণামিশ্রিত ক্রোধের
প্রতিকারের জন্যে একত্রিত হয়েছে ৷ তারপর উমর (রা) বলেন, আপনারা ইংগিত করুন, কাকে
সেনাপতি নির্বাচন করা যায় ৷ আমার মতে সেনাপতি হবেন তিনি, যে যুদ্ধ বিশারদ হিসেবে
প্রথম স্থান অধিকার করে আছে এবং তাকে অবশ্যই ইরাকী কিৎবা উচ্চ পদস্থ খিতাবধারী হতে
হবে ৷ তারা বললেন, হে আমীরুল মু’মিনীন ! আপনি আপনার সৈন্যদের ব্যাপারে অধিক জ্ঞাত ৷
তখন তিনি বললেন, আগামীড়াত যখন সেনাবাহিনীর মহড়া চলবে তখন আল্লাহ্ব শপথ তাদের
মধ্যে সবচেয়ে বেশি বয়স্ক তিনিই প্রথম হিসেবে বিবেচিত হবেন ৷ তারা বললেন; “তিনি কে ?
হে আমীরুল মু’মিনীন ৷ তিনি বলেন, তিনি হলেন আন-নুমান ইবন মুকরিন ৷ তারা বললেন,
“হ্যা তিনিই একাজের যোগ্য ৷” আন-নুমান হযরত উমর (রা)-এর নিকট একটি পত্র
লিখেছিলেন ৷ তিনি ছিলেন একটি ব্যাটেলিয়নের প্রধানই তিনি অনুরোধ করেছিলেন তাংক যেন
বর্তমান পদবী হতে অব্যাহতি দিয়ে নিহাওয়ান্দবাসীদের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্যে নিয়োগপত্র
দেওয়া হয় ৷ তাই হযরত উমর (বা) তার আবেদনে সাড়া দেন এবং তাকে এ কাজের জন্যে
নিয়োগ প্রদান করেন ৷
তারপর হযরত উমর (রা) হুযইিফা (রা)-এর কাছে পত্র লিখেন, তিনি যেন কুফা থেকে
সৈন্য নিয়ে আগমন করেন এবং আবু মুসা (রা)-এর কাছে পত্র লিখেন, তিনি যেন বসরা থেকে
সৈন্য নিয়ে আগমন করেন ৷ বসরায় অবস্থানরত আনৃ-নুমান (রা)-কে পত্র লিখেন-তিনি যেন
তথায় অবস্থানরত সৈন্যদেরকে নিয়ে নিহড়াওয়ান্দ অভিমুখে রওয়ানা হন ৷ আর তিনি আরো
লিখেন, যখন সেনাবাহিনীর সকল সদস্য একত্রিত হবেন তখন প্রতেকে আমীর তার
সেনাবাহিনীকে নিয়ে প্রধান সেনাপতির আয়ত্তে থাকবেন ৷ আর তিনি হলেন আন-নু’মান ইবন
মুকরিন ৷ তিনি যদি শহীদ হন তাহলে সেনাপতি হবেন হুযইিফা ইবনুল ইয়সােন (রা) ৷ আর
তিনি যদি শহীদ হন তাহলে সেনপতি হবেন জারীর ইবন আবদুল্লাহ (রা) ৷ আর তিনি যদি
শহীদ হন তাহলে সেনাপতি হবেন কাইস ইবন মাকশুহ ৷ আবার কাইস ইবন মাকশুহ যদি
শহীদ হন তাহলে অমুক ৷ এরপর অমুক ৷ এভাবে তিনি সাতজনের নাম উল্লেখ করেন ৷ তাদের
মধ্যে একজন হলেন আল-মুগীরাহ ইবন শুবাহ ৷ কেউ কেউ বলেন : তাদের মধ্যে তার নাম
উল্লেখ করেননি ৷ মহান আল্লাহ অধিক পরিজ্ঞাত ৷
পত্রটি ছিল নিম্নরুপ : মহান দাতা ও দয়ালু আল্লাহ্ তাআলার নামে ৷ মুমিনদের আমীর
আল্লাহ্র বড়ান্দা, উমর হতে আন-নুমান ইবন মুকরিন এর প্রতি, সালামুন আলাইকুম ৷ আমি
أَشِيرُوا عَلَيَّ بِمَنْ أُوَلِّيهِ أَمْرَ الْحَرْبِ، وَلْيَكُنْ عِرَاقِيًّا. فَقَالُوا: أَنْتَ أَبْصَرُ بِجُنْدِكَ يَا أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ. فَقَالَ: أَمَا وَاللَّهِ لَأُوَلِّيَنَّ رَجُلًا يَكُونُ أَوَّلَ الْأَسِنَّةِ إِذَا لَقِيَهَا غَدًا. قَالُوا: مَنْ يَا أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ؟ قَالَ: النُّعْمَانُ بْنُ مُقَرِّنٍ. فَقَالُوا: هُوَ لَهَا. وَكَانَ النُّعْمَانُ قَدْ كَتَبَ إِلَى عُمَرَ وَهُوَ نَائِبٌ عَلَى كَسْكَرَ، وَسَأَلَهُ أَنْ يَعْزِلَهُ عَنْهَا وَيُوَلِّيَهُ قِتَالَ أَهْلِ نَهَاوَنْدَ، فَلِهَذَا أَجَابَهُ إِلَى ذَلِكَ وَعَيَّنَهُ لَهُ. ثُمَّ كَتَبَ عُمَرُ إِلَى حُذَيْفَةَ أَنْ يَسِيرَ مِنَ الْكُوفَةِ بِجُنُودٍ مِنْهَا، وَكَتَبَ إِلَى أَبِي مُوسَى أَنْ يَسِيرَ بِجُنُودِ الْبَصْرَةِ، وَكَتَبَ إِلَى النُّعْمَانِ - وَكَانَ بِالْبَصْرَةِ - أَنْ يَسِيرَ بِمَنْ هُنَاكَ مِنَ الْجُنُودِ إِلَى نَهَاوَنْدَ، وَإِذَا اجْتَمَعَ النَّاسُ فَكُلُّ أَمِيرٍ عَلَى جَيْشِهِ، وَالْأَمِيرُ عَلَى النَّاسِ كُلِّهِمْ النُّعْمَانُ بْنُ مُقَرِّنٍ، فَإِذَا قُتِلَ فَحُذَيْفَةُ بْنُ الْيَمَانِ، فَإِذَا قُتِلَ فَجَرِيرُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ، فَإِذَا قُتِلَ فَقَيْسُ بْنُ مَكْشُوحٍ، فَإِنْ قُتِلَ قَيْسٌ فَفُلَانٌ ثُمَّ فُلَانٌ. حَتَّى عَدَّ سَبْعَةً، أَحَدُهُمُ الْمُغِيرَةُ بْنُ شُعْبَةَ. وَقِيلَ: لَمْ يُسَمَّ فِيهِمْ. فَاللَّهُ أَعْلَمُ.
وَصُورَةُ الْكِتَابِ: بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَنِ الرَّحِيمِ مِنْ عَبْدِ اللَّهِ عُمَرَ أَمِيرِ الْمُؤْمِنِينَ، إِلَى النُّعْمَانِ بْنِ مُقَرِّنٍ، سَلَامٌ عَلَيْكَ، فَإِنِّي أَحْمَدُ إِلَيْكَ اللَّهَ الَّذِي لَا إِلَهَ إِلَّا هُوَ، أَمَّا بَعْدُ، فَإِنَّهُ قَدْ بَلَغَنِي أَنَّ جُمُوعًا مِنَ الْأَعَاجِمِ كَثِيرَةً قَدْ جَمَعُوا لَكُمْ بِمَدِينَةِ نَهَاوَنْدَ، فَإِذَا أَتَاكَ كِتَابِي هَذَا فَسِرْ بِأَمْرِ اللَّهِ وَبِعَوْنِ اللَّهِ وَبِنَصْرِ اللَّهِ، وَبِمَنْ مَعَكَ مِنَ الْمُسْلِمِينَ، وَلَا تُوطِئْهُمْ وَعْرًا فَتُؤْذِيَهُمْ، وَلَا تَمْنَعْهُمْ حَقَّهُمْ فَتُكَفِّرَهُمْ، وَلَا تُدْخِلْهُمْ غَيْضَةً، فَإِنَّ رَجُلًا مِنَ الْمُسْلِمِينَ أَحَبُّ إِلَيَّ مِنْ مِائَةِ
পৃষ্ঠা - ৫৬১৩
তোমার কাছে মহান আল্লাহ্র প্রশৃৎসা করছি যিনি ব্যতীত অন্য কোন ইলাহ নেই ৷ মহান
আল্লাহ্র প্রশংসার পর সমাচার এই যে, আমার কাছে সংবাদ পৌছেহে যে, অনারবদের একটি
বিরটি দল তোমাদের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্যে নিহাওয়ান্দ শহরে একত্রিত হয়েছে ৷ আমার এ
পত্রটি যখন তোমার কাছে পৌছবে তখন তুমি মহান আল্লাহ্র হুকুম ও মহান আল্লাহর সাহায্য
সহায়তার কথা স্মরণ করে তোমার সাথে যে সব মুসলমান রয়েছে তাদেরকে নিয়ে রওয়ানা হয়ে
যাবে ৷ সেনাবাহিনীর সদস্যদের সাথে কঠোর ব্যবহার করবে না, তাহলে তুমি তাদেরকে কষ্ট
দেবে ৷ তাচদঃষ্কে তাদের অধিকার থেকে বঞ্চিত করবে না; তাহলে ৷তড়াদেরকে তুমি অকৃতজ্ঞতরু
হতে বাধ্য করবে ৷ আর তাদের ণ্ক্রাধাম্বিত করবে না ৷ কেননা, একজন মুসলিম আমার কাছে
এক লাখ দীনার থেকেও অধিক প্রিয় ৷ তোমার উপর শান্তি বর্নিত হোক ৷ তুমি বরাবর পথ
চলতে থাক যতক্ষণ না মাহ বা পানির কুয়া পর্বত পৌছবে ৷ আমি কুফাবাসীদের কাছে পত্র
লিখেছি তারা তোমার সাথে ওখানে মিলিত হয়ে ৷ তোমার সৈন্যরা সকলে যখন একত্রিত হয়ে
তখন তােমরাফিরযান ও ফিরযানের সাথে একত্রিত হওয়া দেড় লাখ পারসাবাসী ও অন্যান্য
অনারব সৈন্যদের উদ্দেশ্যে রওয়ানা হয়ে যাবে ৷ যে আল্লাহ্র মহান ক্ষমতা ব্যতীত অন্যের
ক্ষমতা গ্রহণযোগ্য নয় তার কাছে সাহায্য প্রার্থাং৷ করবে ও তাকেই বেশি বেশি করে স্মরণ
করবে ৷ হযরত উমর (রা) কুফার ভারপ্রাপ্ত আমীর আবদুল্পাহ্ ইবন আবদুল্লাহ-এর নিকট পত্র
লিখেন যাতে তিনি সৈন্যদেরকে সাহায্য করেন ৷ তাদেরকে নিহাওয়ান্দ প্রেরণ করেন ৷ আর
তাদের আমীর হবেন হুযাইফা ইবন আল-ইয়ামান এবং তিনি আন-নুমড়ান ইবন মুকরিনের কাছে
পৌছবেন ও তার কর্তৃতু মেনে নবেন ৷ আনৃ-নুমান ইবন মুকরিন শহীদ হলে হুযাইফা
সেনাপতির দায়িত্ব গ্রহণ করবেন ৷ যদি তিনি শহীদ হন তাহলে নুয়াইম ইবন মুকরিন দায়িতৃ
পালন করবেন ৷ আর আস সায়িব ইবন আল-আকরা গনীমত বণ্টনের দায়িত্বে নিয়োজিত
থাকবেন ৷ হুযাইফা বিরটি সেনাবাহিনী নিয়ে আননুমান ইবন মুকরিনের প্রতি রওয়ানা হন
যাতে তারা সাহেব অথবা পানির কুয়ার কাছে তার সাথে মিলিত হতে পারেন ৷ হুযইিফার সাথে
ইরাকের নেতাদের একটি বিরটি দল সম্পৃক্ত হন ৷ আর প্রত্যেকটি ঝুকিপুর্ণ স্থানে যােদ্ধাদের
কিছু সংখ্যককে পাহারাদার হিসেবে নিয়োজিত করেন ৷ মুলত তারা পুর্ণ সতর্কতার ব্যবস্থা
অবলম্বন করেন ৷ তারপর তারা আন-নুমান বিন মুকরিনের কাছে প্রভৃতির জায়গায় পৌছেন ৷
হুযাইফা ইবন আলইয়ামান আন-নুমানের কাছে হযরত উমর (রা)-এর পত্র হস্তান্তর করেন ৷
পত্রে এ অভিযান সম্পর্কে প্রয়োজনীয় দিক নির্দেশনা লিপিবদ্ধ ছিল ৷
ইমাম আশ-শাবী (র) হতে সাইফ্ কতৃকি বর্ণিত প্রতিবেদন অনুযায়ী ত্রিশ হাজার মুসলিম
যােদ্ধার একটি বিরটি বাহিনী পরিপুর্ণ হয়ে গেল ৷ তাদের মধ্যে ছিলেন প্রবীণ সাহাবীদের একটি
দল এবং আরব সর্দারদের বিরটি একটি অংশ ৷ তাদের মধ্যে আবদুল্লাহ ইবন উমর (রা) জারীর
ইবন আবদুল্লাহ আল-বাজালী (রা), হুযইিফা ইবন আল-ইয়ামান (রা), মুগীরাহ ইবন শুবাহ
(বা) , আমর ইবন মা’দী কারাব আয-ষুবইিদী (রা), ভৃলাইহাহ্ ইবন খুওয়ালিদ আল-আসাদী
(র), কাইস ইবন মাকসুহ আল-মুরাদী প্রমুখ অন্যতম ৷ লোকজন নিহাওয়ান্দের দিকে আগমন
শুরু করল ৷ শত্রু সৈন্য ও সেনাপতির অবস্থান ও যাবতীয় খবরাখবর সম্বন্ধে অবগতি অর্জনের
মান্য মুসলিম সেনাপতি আন-নুমান ইবন মুকরিন তিনজন অ্যাদৃতের মাধ্যমে তিনটি অগ্রগামী
লান-বিদায়া ২৬
أَلْفِ دِينَارٍ، وَالسَّلَامُ عَلَيْكَ، فَسِرْ فِي وَجْهِكَ ذَلِكَ حَتَّى تَأْتِيَ مَاهَ، فَإِنِّي قَدْ كَتَبْتُ إِلَى أَهْلِ الْكُوفَةِ أَنْ يُوَافُوكَ بِهَا، فَإِذَا اجْتَمَعَ إِلَيْكَ جُنُودُكَ فَسِرْ إِلَى الْفَيْرُزَانِ وَمَنْ يَجْتَمِعُ مَعَهُ مِنَ الْأَعَاجِمِ مِنْ أَهْلِ فَارِسَ وَغَيْرِهِمْ، وَاسْتَنْصِرُوا اللَّهَ، وَأَكْثِرُوا مِنْ: لَا حَوْلَ وَلَا قُوَّةَ إِلَّا بِاللَّهِ.
وَكَتَبَ عُمَرُ إِلَى نَائِبِ الْكُوفَةِ - عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ - أَنْ يُعَيِّنَ جَيْشًا وَيَبْعَثَهُمْ إِلَى نَهَاوَنْدَ، وَلْيَكُنِ الْأَمِيرَ عَلَيْهِمْ حُذَيْفَةُ بْنُ الْيَمَانِ حَتَّى يَنْتَهِيَ إِلَى النُّعْمَانِ بْنِ مُقَرِّنٍ، فَإِنْ قُتِلَ النُّعْمَانُ فَحُذَيْفَةُ، فَإِنْ قُتِلَ فَنُعَيْمُ بْنُ مُقَرِّنٍ، وَوَلِّ السَّائِبَ بْنَ الْأَقْرَعِ قَسْمَ الْغَنَائِمِ. فَسَارَ حُذَيْفَةُ فِي جَيْشٍ كَثِيفٍ نَحْوَ النُّعْمَانِ بْنِ مُقَرِّنٍ لِيُوَافُوهُ بِمَاهَ، وَسَارَ مَعَ حُذَيْفَةَ خَلْقٌ كَثِيرٌ مِنْ أُمَرَاءِ الْعِرَاقِ، وَقَدْ أَرْصَدَ فِي كُلِّ كُورَةٍ مَا يَكْفِيهَا مِنَ الْمُقَاتِلَةِ، وَجَعَلَ الْحَرَسَ فِي كُلِّ نَاحِيَةٍ، وَاحْتَاطُوا احْتِيَاطًا عَظِيمًا، ثُمَّ انْتَهَوْا إِلَى النُّعْمَانِ بْنِ مُقَرِّنٍ حَيْثُ اتَّعَدُوا، فَدَفَعَ حُذَيْفَةُ بْنُ الْيَمَانِ إِلَى النُّعْمَانِ كِتَابَ عُمَرَ، وَفِيهِ الْأَمْرُ لَهُ بِمَا يَعْتَمِدُهُ فِي هَذِهِ الْوَقْعَةِ. فَكَمُلَ جَيْشُ الْمُسْلِمِينَ فِي ثَلَاثِينَ أَلْفًا مِنَ الْمُقَاتِلَةِ. فِيمَا رَوَاهُ سَيْفٌ، عَنِ الشَّعْبِيِّ، فِيهِمْ مِنْ سَادَاتِ الصَّحَابَةِ وَرُءُوسِ الْعَرَبِ خَلْقٌ كَثِيرٌ وَجَمٌّ غَفِيرٌ؛ مِنْهُمْ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عُمَرَ أَمِيرِ الْمُؤْمِنِينَ، وَجَرِيرُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ الْبَجَلِيُّ، وَحُذَيْفَةُ بْنُ الْيَمَانِ، وَالْمُغِيرَةُ بْنُ شُعْبَةَ، وَعَمْرُو بْنُ مَعْدِيكَرِبَ الزُّبَيْدِيُّ، وَطُلَيْحَةُ بْنُ خُوَيْلِدٍ الْأَسَدِيُّ، وَقَيْسُ بْنُ
পৃষ্ঠা - ৫৬১৪
দল প্রেরণ করেন ৷ তারা হলেন তৃলাইহাহ, আমর ইবন মাদী কারাব অন্য-যুর্বইিদী ও আমর
ইবন আবু সালামাহ, আমর ইবন আবু সালামাহ্কে আমর ইবন সাৰীও বলা হয়ে থাকে
অগ্রেপামী দলটি একদিন একরাত ভ্রমণ করল ৷ তারপর আমর ইবন সাবী ফেরত আসালন ৷
তাকে জিজ্ঞেস করা হলো, কেন তুমি ফিরে এসেছ?
উত্তরে তিনি বলেন : আমি অনারবদের দেশে বহু বছর ছিলাম তাদের দেশের প্রসিদ্ধ ও
অপ্রসিদ্ধ স্থানসমুহে আমি যুদ্ধ পরিচালনা করেছি ৷ এরপর আমর ইবন সাদী কারাবও ফিরে
আসবেন এবং বললেন; আমি কাউকে দেখতে পেলাম না তবে আমাদের পথে আমাদের ধরা
পড়ার আশংকা অনুভব করলাম ৷ তৃলাইহাহ এগিয়ে গেলেন এবং অন্য দুজনের ফিরে আসার
ব্যাপারটির প্ৰতি কোন গুরুত্ব আরোপ করলেন না ৷ তারপর তিনি প্রায় তেব পারসাং বা ৪২
মাইল পথ অতিক্রম করেন ও নিহাওয়ান্দ পৌছে যান ৷ অনারবদের মধ্যে প্রবেশ করে যান এবং
কান্বিক্ষত খবরাখবর সম্বন্ধে অবগতি অর্জন করেন ও পুনরায় আন-নুমানের কাছে চলে আসেন ৷
তার কাছে যাবতীয় সংবাদ পরিবেশন করেন ৷ আর তিনি সেনাপতি আন-নুমান ও তার
নিহাওয়ান্দ পৌছার ব্যাপারে কোন প্রকার অপ্রিয় বন্তু বা ঘটনার সম্মুখীন হবার আশংকা করেন
না বলেও জানালেন ৷ তাই আন-নুমান বিভিন্ন শ্রেণীর সেনাবাহিনীর সমন্বয়ে অগ্রসর হলেন ৷
তার অগ্রভাগে রাখন্সেন নুয়াইম ইবন মুকরিনকে ৷ সেনাবাহিনীর ডান ও বাম বাহুতে রাখলেন
যথাক্রমে হুযাইফা ও সাওয়িদ ইবন মুকারিনকে ৷ বিচ্ছিন্ন দলের প্রধান রাখলেন আল কাকা
ইবন আমরকে এবং সেনাবাহিনীর পশ্চাদ ভাগে রাখলেন মুজাশি ইবন মাসুদকে ৷ সমগ্র
সেনাবাহিনী এমনিভাবে পারস্যবাসীদের নিকট পৌছল ৷
পারস্য সেনাবাহিনরি সেনাপতি ছিলেন ফিরযান ৷ তার সাথে ঐসব সৈন্যও সম্পৃক্ত ছিল
যারা পুর্ববর্তী দিনগুলােতে সংঘটিত কাদেসিয়ার যুদ্ধে অংশগ্রহণ করতে পারে নইি ৷ উপস্থিত
এক লাখ পঞ্চাশ হাজার সেনাবাহিনীর সেনাপতি ছিলেন ফিরযান ৷ যখন দুটো সেনাদল পরস্পর
আক্রমণ করার জন্যে মুখোমুখি হয় তখন মুসলিম সেনাপতি আননুমান নিজের সৈন্যদেরকে
নিয়ে তিনবার তাকবীর ধ্বনি দেন ৷ তাতে অনারব সৈন্যরা অত্যন্ত ভীতসস্ত্রস্ত হয়ে পড়ে ৷
আননুমান দণ্ডায়মান থেকে সকল সৈন্য সদস্যকে তাদের বহনকৃত বোঝা নামাতে নির্দেশ
দিলেন ৷ সকলে তাদের বোঝা নিচে নামাল এর্ধৎ নিজ নিজ তাবু তৈরিতে ব্যস্ত হয়ে পড়ল ৷
আন-নুমানের জন্যে প্রস্তুত র্তাবুটি অত্যন্ত বড় করে তৈরি করা হলো ৷ ১৪জন দক্ষ ও প্রবীণ
সৈনিক এ র্তাবু তৈরির কাজে মগ্ন হলেন ৷ তারা হলেন ১ হুযইিফা ইবন অন্যেইয়ামান (রা) , ২
উতবাহ ইবন আমর (বা), ৩ আলমুপী রাহ ইবন শুবাহ (বা), : বাশীর ইবন আল
খাসাসিয়াহ (বা), ৫ হানষালাহ আল-কাতিব (বা), ৬ ইবনুল হবার (বা), ৭ রিবয়ী ইবৃর্বৃ
আমির (বা), ৮ আমির ইবন মাতার (বা), ৯ আবীর ইবন আবদুল্লাহ আন-হমইিরী (বা), ১ :দ্বু
জারীর ইবন আবদুল্লাহ আদ-বজােলী (বা), ১ ১ আল-আকরা ইবন আবদুল্লাহ আলহুমাইর্বৃ
(বা), ১ ২ আলআশয়াস ইবন কাইস আন-কিন্দী (বা) , ১৩ সাঈদ ইবন কাইব্
আল-হামাদানী (বা), ১৪ ওরইিল ইবন হাজার (রা) ৷ দ্বু
এ র্তাবুর থেকে বড় তাবু আর ইরাকে দেখা যায়নি ৷ বোঝাগুলো নামানাের পর
আন-নুমান তাদেরকে যুদ্ধ পরিচর্লেনা করার প্রস্তুতি গ্রহণের নির্দেপ দেন ৷ দিনটি ছিল বুধবার
مَكْشُوحٍ الْمُرَادِيُّ. فَسَارَ النَّاسُ نَحْوَ نَهَاوَنْدَ، وَبَعَثَ النُّعْمَانُ بْنُ مُقَرِّنٍ الْأَمِيرُ بَيْنَ يَدَيْهِ طَلِيعَةً ثَلَاثَةً؛ وَهُمْ: طُلَيْحَةُ، وَعَمْرُو بْنُ مَعْدِيكَرِبَ الزُّبَيْدِيُّ، وَعَمْرُو بْنُ أَبِي سَلْمَى، وَيُقَالُ لَهُ: عَمْرُو بْنُ ثُبَيٍّ أَيْضًا، لِيَكْشِفُوا لَهُ خَبَرَ الْقَوْمِ وَمَا هُمْ عَلَيْهِ. فَسَارَتِ الطَّلِيعَةُ يَوْمًا وَلَيْلَةً فَرَجَعَ عَمْرُو بْنُ ثُبَيٍّ، فَقِيلَ لَهُ: مَا رَجَعَكَ؟ فَقَالَ: كُنْتُ فِي أَرْضِ الْعَجَمِ، وَقَتَلَتْ أَرْضٌ جَاهِلَهَا، وَقَتَلَ أَرْضًا عَالِمُهَا. ثُمَّ رَجَعَ بَعْدَهُ عَمْرُو بْنُ مَعْدِيكَرِبَ، وَقَالَ: لَمْ نَرَ أَحَدًا، وَخِفْتُ أَنْ يُؤْخَذَ عَلَيْنَا بِالطَّرِيقِ. وَنَفَذَ طُلَيْحَةُ وَلَمْ يَحْفِلْ بِرُجُوعِهِمَا، فَسَارَ بَعْدَ ذَلِكَ نَحْوًا مِنْ بِضْعَةَ عَشَرَ فَرْسَخًا حَتَّى انْتَهَى إِلَى نَهَاوَنْدَ وَدَخَلَ فِي الْعَجَمِ وَعَلِمَ مِنْ أَخْبَارِهِمْ مَا أَحَبَّ، ثُمَّ رَجَعَ إِلَى النُّعْمَانِ فَأَخْبَرَهُ بِذَلِكَ، وَأَنَّهُ لَيْسَ بَيْنَهُ وَبَيْنَ نَهَاوَنْدَ شَيْءٌ يَكْرَهُهُ.
فَسَارَ النُّعْمَانُ عَلَى تَعْبِئَتِهِ وَعَلَى الْمُقَدِّمَةِ نُعَيْمُ بْنُ مُقَرِّنٍ، وَعَلَى الْمُجَنَّبَتَيْنِ حُذَيْفَةُ وَسُوَيْدُ بْنُ مُقَرِّنٍ، وَعَلَى الْمُجَرَّدَةِ الْقَعْقَاعُ بْنُ عَمْرٍو، وَعَلَى السَّاقَةِ مُجَاشِعُ بْنُ مَسْعُودٍ، حَتَّى انْتَهَوْا إِلَى الْفُرْسِ وَعَلَيْهِمُ الْفَيْرُزَانُ، وَمَعَهُ مِنَ الْجَيْشِ كُلُّ مَنْ غَابَ عَنِ الْقَادِسِيَّةِ فِي تِلْكَ الْأَيَّامِ الْمُتَقَدِّمَةِ، وَهُوَ فِي مِائَةٍ وَخَمْسِينَ أَلْفًا. فَلَمَّا تَرَاءَا الْجَمْعَانِ كَبَّرَ النُّعْمَانُ وَكَبَّرَ الْمُسْلِمُونَ ثَلَاثَ تَكْبِيرَاتٍ، فَزُلْزِلَتِ الْأَعَاجِمُ وَرُعِبُوا مِنْ ذَلِكَ رُعْبًا شَدِيدًا، ثُمَّ أَمَرَ النُّعْمَانُ بِحَطِّ الْأَثْقَالِ وَهُوَ وَاقِفٌ، فَحَطَّ النَّاسُ أَثْقَالَهُمْ، وَتَرَكُوا رِحَالَهُمْ، وَضَرَبُوا خِيَامَهُمْ وَقُبَابَهُمْ، وَضُرِبَتْ خَيْمَةٌ
পৃষ্ঠা - ৫৬১৫
لِلنُّعْمَانِ عَظِيمَةٌ، وَكَانَ الَّذِينَ ضَرَبُوا أَرْبَعَةَ عَشَرَ مِنْ أَشْرَافِ الْجَيْشِ؛ وَهُمْ حُذَيْفَةُ بْنُ الْيَمَانِ، وَعُتْبَةُ بْنُ عَمْرٍو، وَالْمُغِيرَةُ بْنُ شُعْبَةَ، وَبَشِيرُ بْنُ الْخَصَاصِيَةِ، وَحَنْظَلَةُ الْكَاتِبُ، وَابْنُ الْهَوْبَرِ، وَرِبْعِيُّ بْنُ عَامِرٍ، وَعَامِرُ بْنُ مَطَرٍ، وَجَرِيرُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ الْحِمْيَرِيُّ، وَجَرِيرُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ الْبَجَلِيُّ، وَالْأَقْرَعُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ الْحِمْيَرِيُّ، وَالْأَشْعَثُ بْنُ قَيْسٍ الْكِنْدِيُّ، وَسَعِيدُ بْنُ قَيْسٍ الْهَمْدَانِيُّ، وَوَائِلُ بْنُ حُجْرٍ، فَلَمْ يُرَ بِالْعِرَاقِ خَيْمَةٌ عَظِيمَةٌ أَعْظَمَ مِنْ بِنَاءِ هَذِهِ الْخَيْمَةِ. وَحِينَ حَطُّوا الْأَثْقَالَ أَمَرَ النُّعْمَانُ بِالْقِتَالِ، وَكَانَ يَوْمَ الْأَرْبِعَاءَ، فَاقْتَتَلُوا ذَلِكَ الْيَوْمَ وَالَّذِي بَعْدَهُ وَالْحَرْبُ سِجَالٌ، فَلَمَّا كَانَ يَوْمُ الْجُمُعَةِ انْحَجَزُوا فِي حِصْنِهِمْ، وَحَاصَرَهُمُ الْمُسْلِمُونَ فَأَقَامُوا عَلَيْهِمْ مَا شَاءَ اللَّهُ، وَالْأَعَاجِمُ يَخْرُجُونَ إِذَا أَرَادُوا وَيَرْجِعُونَ إِلَى حُصُونِهِمْ إِذَا أَرَادُوا. وَقَدْ بَعَثَ أَمِيرُ الْفُرْسِ يَطْلُبُ رَجُلًا مِنَ الْمُسْلِمِينَ لِيُكَلِّمَهُ، فَذَهَبَ إِلَيْهِ الْمُغِيرَةُ بْنُ شُعْبَةَ، فَذَكَرَ مِنْ عَظَمَةِ مَا رَآهُ عَلَيْهِ مِنْ لُبْسِهِ وَمَجْلِسِهِ، وَفِيمَا خَاطَبَهُ بِهِ مِنَ الْكَلَامِ فِي احْتِقَارِ الْعَرَبِ وَاسْتِهَانَتِهِ بِهِمْ، وَأَنَّهُمْ كَانُوا أَطْوَلَ النَّاسِ جُوعًا، وَأَقَلَّهُمْ دَارًا وَقَدْرًا، وَقَالَ: مَا يَمْنَعُ هَؤُلَاءِ الْأَسَاوِرَةِ حَوْلِي أَنْ يَنْتَظِمُوكُمْ بِالنُّشَّابِ إِلَّا تَنَجُّسًا مِنْ جِيَفِكُمْ، فَإِنْ تَذْهَبُوا نُخَلِّ عَنْكُمْ، وَإِنْ تَأْبَوْا نُزِرْكُمْ مُصَارِعَكُمْ. قَالَ: فَتَشَهَّدْتُ وَحَمِدْتُ اللَّهَ، وَقُلْتُ: لَقَدْ كُنَّا أَسْوَأَ حَالًا مِمَّا ذَكَرْتَ، حَتَّى بَعَثَ اللَّهُ رَسُولَهُ فَوَعَدَنَا النَّصْرَ فِي
পৃষ্ঠা - ৫৬১৬
এদিন যুদ্ধ হলো ৷ তারপর দিনও যুদ্ধ হলো ৷ ফলাফল ছিল আধা-আধি ৷ যখন জুমার দিন
আগমন করল তখন তারা তাদের দৃর্গে অবস্থান নিল ৷ আর মুসলমানেরা তাদেরকে অবরোধ
করে ণ্ফ্লল ৷ এ অবরোধ মহান আল্লাহ্র যত দিন ইচ্ছে ততদিন স্থায়ী হলো ৷ তবে অনারবপণ
যখন ইচ্ছে তাদের দুর্গ হতে বাইরে যেতে পারত ৷ আবার যখন ইচ্ছে তারা তাদের দৃর্গে ফেরত
আসতে পারত ৷ পারস্যবাসীদের সেনাপতি ফিরযান মুসলমানদের মধ্য হতে একজন লোককে
চেয়ে পাঠান যার সাথে তিনি কথা বলবেন ৷ তার কাছে তখন একজন মুসলিম বুদ্ধিজীবী হযরত
মুপীরা ইবন শুবাহ (রা) গমন করে ৷
তিনি ফিরে এসে ফিরযানের বিরটি মজলিস ও সুন্দর পোশাকাদির ভুয়সী প্রশংসা করেন ৷
তবে আরবদের সম্বন্ধে অমুসলিম সেনাপতি যে সব অবমাননাকর কথা বলেছেন ও মন্তব্য
করেছেন তারও তিনি বিস্তারিত বর্ণনা পেশ করেন ৷ তিনি উল্লেখ করেন যে, আরবরা সবচেয়ে
বেশি ক্ষুধার্ত জাতি ছিল এবং তাদের মান-মর্ষাদা বিশ্বের দরবারে অত্যন্ত তৃচ্ছ ছিল ৷ তিনি
আরো বলেন, আমার আশেপাশে বসরার পুরাতন জাতির যে দলটি অবস্থান করছে তারা
মুসলমানদেরকে তীর নিক্ষেপের মাধ্যমে তাদের মাথাগুলো দিয়ে হার র্গাথতে পারে কিন্তু
তাদের মৃত দেহগুলো দাফন বল্পার ঝামেলার জন্যে তারা তা থেকে বিরত রয়েছে ৷ তিনি আরো
বলেন, হে মুসলমানরা! যদি তোমরা এখন চলে যাও আমরা তােমাদেরকে তোমাদের চলে
যাবার পথ সুগম করে দােবা ৷ আর যদি তোমরা প্রত্যাবর্তন করতে চাও তাহলে আমরা
তোমাদের সাথে তোমাদের মৃত্যুস্থানে তথা যুদ্ধক্ষেত্রে মােলাকাত করব ৷ হযরত মুপীরা ইবন
শুবাহ (রা) বলেন : আমি তাশাহ্হুদ পাঠ করলাম এবং মহান আল্লাহ্র প্রশংসা করলাম ৷
তারপর বললাম : তুমি আমাদের যে অবস্থায় কথা বলছ তার থেকে আরো বেশি শ্যেচনীয়
অবস্থা আমাদের ছিল ৷ এরপর আল্লাহ্ তাআলা তার রাসুলুল্লাহত্রু কে আমাদের মাঝে
প্রেরণ করেন এবং আমাদেরকে দুনিয়ার সাহায্য করার ও আখিরাতে কল্যাণ প্রদানের অংগীকার
করেন ৷ আমাদের মাঝে রাসুলুল্লাহড্রে-কে প্রেরণের পর হতে আমরা আমাদের মাঝে আল্লাহ্
তড়াআলার সাহায্য প্রত্যক্ষ করে আসছি ৷ এখন আমরা তোমাদের দেশে এসেছি, আমরা কখনও
এখান থেকে খালি হাতে ফেরত যাব না যতক্ষণ না আমরা তোমাদের দেশের উপর এবং
তোমাদের অধীনে যা কিছু আছে তার উপর কর্তৃত্ব অর্জন না করতে পারি ৷ অন্যথায় আমরা
তোমাদের দেশেই মৃত্যুবরণ করবো ৷ তখন অমুসলিম সেনাপতি বললেন : জেনে রেখো,
অন্ধলোকই শুধু তোমাদের মনে যা আছে তা সত্য বলে মনে করতে পারে ৷
এরুপ অবস্থা যখন মুসলমানদের উপর দীর্ঘ্যয়িত হলো তখন আন;নুমান ইবন মুকরিন“
বর্তমানে সেনাবাহিনীর মধ্যে বিদ্যমান বুদ্ধিজীবীদেরকে এক জায়গায় জমায়েত হবার জন্যে
আমন্ত্রণ করলেন এবং এ ব্যাপারে তাদের পরামর্শ আহ্বান করলেন ৷ কিভাবে শত্রুদের সাথে
আচরণ করা যায় যাতে তাদের সাথে চুড়ান্ত মুকাৰিলা করা যায় ৷ মুশরিকপণ ঐক্যবদ্ধ অবস্থায়
বিরাজ করছে ৷ এ ব্যাপারে আমর ইবন আবু সালামাহ প্রথম কথা বললেন ৷ এখানে যারা
রয়েছেন তাদের মধ্যে তিনি হলেন বয়সে সবচেয়ে বড় ৷ তিনি বললেন : “মুশরিকগণ যে
অবস্থায় রয়েছে তাদেরকে এ অবস্থায় থাকতে দিলে তাদের জন্যে এটা হাব তাদের কাছে যা
চাওয়া হচ্ছে তার থেকে অধিক ক্ষতিকর এবং মুসলিমদের জন্যে হাব স্থায়ী উপকার ৷ সকলেই
الدُّنْيَا، وَالْجَنَّةَ فِي الْآخِرَةِ، وَمَا زِلْنَا نَتَعَرَّفُ مِنْ رَبِّنَا النَّصْرَ مُنْذُ بَعَثَ اللَّهُ رَسُولَهُ إِلَيْنَا، وَقَدْ جِئْنَاكُمْ فِي بِلَادِكُمْ، وَإِنَّا لَنْ نَرْجِعَ إِلَى ذَلِكَ الشَّقَاءِ أَبَدًا حَتَّى نَغْلِبَكُمْ عَلَى بِلَادِكُمْ وَمَا فِي أَيْدِيكُمْ، أَوْ نُقْتَلَ بِأَرْضِكُمْ. فَقَالَ: أَمَا وَاللَّهِ، إِنَّ الْأَعْوَرَ لَقَدْ صَدَقَكُمْ مَا فِي نَفْسِهِ.
فَلَمَّا طَالَ عَلَى الْمُسْلِمِينَ هَذَا الْحَالُ وَاسْتَمَرَّ، جَمَعَ النُّعْمَانُ بْنُ مُقَرِّنٍ أَهْلَ الرَّأْيِ مِنَ الْجَيْشِ، وَاشْتَوَرُوا فِي ذَلِكَ، وَكَيْفَ يَكُونُ مِنْ أَمْرِهِمْ حَتَّى يَتَوَاجَهُوا هُمْ وَالْمُشْرِكُونَ فِي صَعِيدٍ وَاحِدٍ. فَتَكَلَّمَ عَمْرُو بْنُ أَبِي سُلْمَى أَوَّلًا - وَهُوَ أَسُنُّ مَنْ كَانَ هُنَاكَ - فَقَالَ: إِنَّ بَقَاءَهُمْ عَلَى مَا هُمْ عَلَيْهِ أَضَرُّ عَلَيْهِمْ مِنَ الَّذِي يَطْلُبُهُ مِنْهُمْ وَأَبْقَى عَلَى الْمُسْلِمِينَ. فَرَدَّ الْجَمِيعُ عَلَيْهِ وَقَالُوا: إِنَّا لَعَلَى يَقِينٍ مِنْ إِظْهَارِ دِينِنَا، وَإِنْجَازِ مَوْعُودِ اللَّهِ لَنَا. وَتَكَلَّمَ عَمْرُو بْنُ مَعْدِيكَرِبَ فَقَالَ: نَاهِدْهُمْ وَكَاثِرْهُمْ وَلَا تَخَفْهُمْ. فَرَدُّوا جَمِيعًا عَلَيْهِ وَقَالُوا: إِنَّمَا يُنَاطِحُ بِنَا الْجُدْرَانَ، وَالْجُدْرَانُ أَعْوَانٌ لَهُمْ عَلَيْنَا. وَتَكَلَّمَ طُلَيْحَةُ الْأَسَدِيُّ فَقَالَ: إِنَّهُمَا لَمْ يُصِيبَا، وَإِنِّي أَرَى أَنْ تَبْعَثَ سَرِيَّةً فَتَحْدِقَ بِهِمْ وَيُنَاوِشُوهُمْ بِالْقِتَالِ وَيُحْمِشُوهُمْ، فَإِذَا بَرَزُوا إِلَيْهِمْ فَلْيَفِرُّوا إِلَيْنَا هِرَابًا بَيْنَ أَيْدِيهِمْ، فَإِذَا اسْتَطْرَدُوا وَرَاءَهُمْ وَانْتَهَوْا إِلَيْنَا، عَزَمْنَا أَيْضًا عَلَى الْفِرَارِ كُلُّنَا، فَإِنَّهُمْ حِينَئِذٍ لَا يَشُكُّونَ فِي الْهَزِيمَةِ فَيَخْرُجُونَ مِنْ حُصُونِهِمْ عَنْ بَكْرَةِ أَبِيهِمْ، فَإِذَا تَكَامَلَ خُرُوجُهُمْ رَجَعْنَا إِلَيْهِمْ فَجَالَدْنَاهُمْ
পৃষ্ঠা - ৫৬১৭
তার এ কথার প্রতিবাদ করলেন এবং বলতে লাণলেন : “আমরা আমাদের দীনের বিজয় সম্বন্ধে
সুনিশ্চিত এবং আল্লাহ তাআলা আমাদের প্রতি যা অংগীকাৱ করেছেন তা পুর্ণ হওয়ার
ব্যাপারেও আমরা দৃঢ় প্রতিজ্ঞ ৷ এরপর আমর ইবন সাদী কারাব কথা বললেন ৷ তিনি বললেনঃ০
তাদেরকে উত্তেজিত করুন এবং তাদের স খ্যা বৃদ্ধি হতে ৩দিন ৷ আর তাদেরকে ভয় করার
কোন প্রয়োজন নেই ৷ সকলে এ অভিমতেরও প্রতিবাদ জানালেন এবং বললেন৪ দুর্গের
দেওয়ান আমাদের প্রতি বাধার সৃষ্টি করছে এবং আমাদের বিরুদ্ধে তাদেরকে সাহায্য করে
যাচ্ছে ৷ কাজেই, বক্তার কথার বাস্তবায়ন ফলপ্ৰসু হবে না ৷
তৃলাইহা আল-আসড়াদী তখন কথা বললেন ৷ তিনি বললেন ও “তারা দুজন ঠিক বলেন নি ৷
আমার অভিমত হলো, একটি ক্ষুদ্র সৈন্যদল প্রেরণ করা হোক যারা শত্রুদের দৃষ্টি কেড়ে নেবে
এবং তাদের প্রতি যুদ্ধের জন্যে প্রচণ্ড হামলা চালাবে ও তাদেরকে যুদ্ধের প্রতি ণ্জ্যারশোরে
প্ররােচিত করবে ৷ ফলে যখন শ্াত্রুৰ্৷ ক্ষুদ্র সৈন্যদলের প্ৰতি হামলা করার জন্যে ময়দানের দিকে
বের হয়ে আসবে তখন যেন তারা আমাদের প্রতি ৩দ্রুত পলায়ন করে ৷ যখন শক্রদল তাদের
পিছু পিছু সজােরে দৌড়াতে থাকবে তখন যেন৩ তারা আমাদের দিকে ধাৰিত হতে থাকে এবং
আমাদেরও উচিত যেন আমরাও সকলে দ্রুত পলায়ন করি ৷ তখন তারা আমাদের পরাজয়ের
বিষয়ে কোন প্রকার সন্দেহ পোষণ করবে না এবং তাদের সকলেই দুর্গ থেকে বের হয়ে
আসলে ৷ যখন তাদের বের হয়ে যাবার পর্বঢি শেষ হয়ে যাবে তখন আমরা তাদের প্রতি
প্রত্যাবর্তন করব এবং তাদের প্রতি তলোয়ারের মাধ্যমে হামলা চালানো ৷ আর আল্লাহ তা আলা
আমাদের মধ্যে সুস্পষ্ট মীমা০ না করে দেবেন ৷ এ অতিম৩ টি সকলে পছন্দ করলেন এবং
সেনাপতি আন-নুমান বিক্ষিপ্ত সেনাদলের প্রধান আল-কা কা ইব ন আমরকে নির্দেশ দিলেন
তার দলটি যেন শহরে গমন করে ও দুর্গবাসীদের অবরোধ করে রাখে ৷ দুর্গবাসীরা যখন তাদের
প্রতি বের হয়ে আসবে তখন যেন শত্রুর সামনে দিয়ে তারা পলায়ন করে ৷ আল-কাকা নির্দেশ
পালন করলেন ৷ যখন শত্রু সৈন্যদল তাদের দুর্গ থেকে বের হয়ে আসল তখন আল-কাকা
তার সাথীদের নিয়ে পশ্চাদপসারণ করলেন, এরপর আরো পশ্চাদপসাৱণ করলেন এবং আরো
পচাদপসারণ করলেন ৷ তখন অনারবপণ এটাকে বড় একটি সুযোগ মনে করল এবং ভুলাইহা
যা ধারণা করেছিলেন তাই তারা করল ৷ তারা বলতে লাগল আস, জনদি আস ৷ তারপর তারা
সকলে দুর্গসমুহ হতে বের হয়ে আসল ৷ যােদ্ধাদের মধ্যে আর কেউ বাকি রইল না শুধুমাত্র
দারােয়ানরাই দরজার কর্তব্যৱত রইল ৷ এমনকি পরে তারাও তাদের সৈন্যদের সাথে
মহাসমাংরাঃহ যোগ দিল ৷
আর এদিকে আন-নুমান সেনাপতি, নিজেদের সেনাবাহিনীকে নতিম্য়্ রাখার কাজে ব্যস্ত fl
ছিলেন ৷ এটা ছিল জুমার দিনের সকাল বেলায় ঘটনা ৷ মুসলিম সৈন্যপণ শত্রুদেব আঘাত করার
জন্যে ইচ্ছে পোষণ কঃলেন কিভু আন-নুমান তাদেরকে নিষেধ করেন এবং তাদেরকে আদেশ
দিলেন যেন সুর্য চলে পড়ার পুর্বে হামলা করা না হয়, তখন বাতাস প্রবাহিত হতে থাকবে এব-
আল্লাহর সাহায্য অবতীর্ণ হতে থাকবে ৷ রাসুলুল্লাহজাে ও এ সময়ে হামলা করতেন ৷ সৈন্যর
হামলা করার জন্যে আন-নুমানকে চাপ দিতে লাগল ৷ কিন্তু তিনি তা করলেন না ৷ তিনি ছিলেনন্
দৃঢ়চিত্তের অধিকারী ৷ যখন সর্য চলে পড়ন তিনি মুসলমানদের নিয়ে সালাত আদায় করলেন
حَتَّى يَقْضِيَ اللَّهُ بَيْنَنَا. فَاسْتَجَادَ النَّاسُ هَذَا الرَّأْيَ.
وَأَمَّرَ النُّعْمَانُ عَلَى الْمُجَرَّدَةِ الْقَعْقَاعَ بْنَ عَمْرٍو، وَأَمَرَهُمْ أَنْ يَذْهَبُوا إِلَى الْبَلَدِ فَيُحَاصِرُوهُمْ وَحْدَهُمْ وَيَهْرُبُوا بَيْنَ أَيْدِيهِمْ إِذَا بَرَزُوا إِلَيْهِمْ. فَفَعَلَ الْقَعْقَاعُ ذَلِكَ، فَلَمَّا بَرَزُوا مِنْ حُصُونِهِمْ نَكَصَ الْقَعْقَاعُ بِمَنْ مَعَهُ، ثُمَّ نَكَصَ، ثُمَّ نَكَصَ، فَاغْتَنَمَهَا الْأَعَاجِمُ، فَفَعَلُوا مَا ظَنَّ طُلَيْحَةُ، وَقَالُوا: هِيَ هِيَ. فَخَرَجُوا بِأَجْمَعِهِمْ وَلَمْ يَبْقَ بِالْبَلَدِ مِنَ الْمُقَاتِلَةِ إِلَّا مَنْ يَحْفَظُ لَهُمُ الْأَبْوَابَ، حَتَّى انْتَهَوْا إِلَى الْجَيْشِ، وَالنُّعْمَانُ بْنُ مُقَرِّنٍ عَلَى تَعْبِئَتِهِ، وَذَلِكَ فِي صَدْرِ نَهَارِ جُمُعَةٍ، فَعَزَمَ النَّاسُ عَلَى مُصَادَمَتِهِمْ، فَنَهَاهُمُ النُّعْمَانُ وَأَمَرَهُمْ أَنْ لَا يُقَاتِلُوا حَتَّى تَزُولَ الشَّمْسُ، وَتَهُبَّ الْأَرْوَاحُ، وَيَنْزِلَ النَّصْرُ، كَمَا كَانَ رَسُولُ اللَّهِ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، يَفْعَلُ. وَأَلَحَّ النَّاسُ عَلَى النُّعْمَانِ فِي الْحَمْلَةِ، فَلَمْ يَفْعَلْ - وَكَانَ رَجُلًا ثَابِتًا - فَلَمَّا كَانَ الزَّوَالُ، صَلَّى بِالْمُسْلِمِينَ، ثُمَّ رَكِبَ بِرْذَوْنًا لَهُ أَحَوَى قَرِيبًا مِنَ الْأَرْضِ، فَجَعَلَ يَقِفُ عَلَى كُلِّ رَايَةٍ وَيَحُثُّهُمْ عَلَى الصَّبْرِ وَيَأْمُرُهُمْ بِالثَّبَاتِ، وَيُقَدِّمُ إِلَى الْمُسْلِمِينَ أَنَّهُ يُكَبِّرُ الْأُولَى فَيَتَأَهَّبُ النَّاسُ لِلْحَمْلَةِ، وَيُكَبِّرُ الثَّانِيَةَ فَلَا يَبْقَى لِأَحَدٍ أُهْبَةٌ، ثُمَّ الثَّالِثَةَ وَمَعَهَا الْحَمْلَةُ الصَّادِقَةُ. ثُمَّ رَجَعَ إِلَى مَوْقِفِهِ، وَتَعَبَّتِ الْفُرْسُ تَعْبِئَةً عَظِيمَةً، وَاصْطَفُّوا صُفُوفًا هَائِلَةً، فِي عَدَدٍ وَعُدَدٍ لَمْ يُرَ مِثْلُهُ، وَقَدْ تَغَلْغَلَ كَثِيرٌ مِنْهُمْ بَعْضُهُمْ فِي بَعْضٍ، وَأَلْقَوْا حَسَكَ الْحَدِيدِ وَرَاءَ ظُهُورِهِمْ حَتَّى لَا يُمْكِنَهُمُ الْهَرَبُ وَلَا الْفِرَارُ وَلَا التَّحَيُّزُ. ثُمَّ إِنَّ النُّعْمَانَ بْنَ مُقَرِّنٍ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، كَبَّرَ الْأُولَى وَهَزَّ الرَّايَةَ فَتَأَهَّبَ النَّاسُ لِلْحَمْلَةِ، ثُمَّ كَبَّرَ الثَّانِيَةَ وَهَزَّ الرَّايَةَ فَتَأَهَّبُوا أَيْضًا، ثُمَّ كَبَّرَ الثَّالِثَةَ وَحَمَلَ وَحَمَلَ النَّاسُ عَلَى الْمُشْرِكِينَ، وَجَعَلَتْ رَايَةُ النُّعْمَانِ تَنْقَضُّ نَحْوَ الْفُرْسِ كَانْقِضَاضِ الْعُقَابِ عَلَى
পৃষ্ঠা - ৫৬১৮
তার ভুমির কাছাকাছি নিচু একটি ধুসর রংয়ের ঘোড়ার উপর আরোহণ করলেন ৷ তিনি প্রতিটি
দলের পতাকার কাছে গিয়ে র্দাড়ালেন এবং তাদেরকে ধৈর্য ধরার জন্যে উৎসাহিত করলেন ও
সুদৃঢ় থাকার জান্যনির্দেগ দিলেন ; মুসলমানদেরকে আগাম বলে রাখলেন যে, তিনি যখন
প্রথম তাকবীর বলবেন তখন হামলার জন্যে সকলেই প্রস্তুতি গ্রহণ করবেন ৷ তিনি যখন দ্বিতীয়
বার তাকবীর বলবেন তখন কারো জন্যে কোন প্রকার তৈরি অসম্পুর্ণ থাকবে না ৷ তারপর তিনি
তৃতীয় বারের মত তাকবীর বলবেন ৷ তখন শুরু হবে প্রকৃত হামলা ৷ তারপর তিনি তার স্থানে
ফিরে গেলেন ৷
পারস্যবাসীরাও সৈন্যদেরকে অত্যন্ত গতিময় করলেন, সৃৰিন্যস্ত করলেন এবং
সেনাড়াবাহিনী সংখ্যায় ও সাজ সরঞ্জামে এত ভয়ঙ্কর কাতারবব্দি হন-কেউ কোন দিন এরুপ
দেখেনি ৷ ক্রমে ক্রমে ও অলক্ষে কেউ কেউ কারো কারো মধ্যে অনুপ্রবেশ বন্মতে লাগল ৷
তাদের পিঠের পিছনে লৌহবেড়ি স্থাপন করা হয়েছিল যাতে তাদের পক্ষে স্থানচ্যুত হওয়া কিংবা
পলায়ন করা সম্ভব না হয় ৷ তারপর আন-নুমান ইবন মুকরিন (রা) প্রথম তাকবীর বললেন এবং
পতাকা নাড়লেন ৷ মুসলিম বাহিনী তখন হামলার জন্যে তৈরী হলেন ৷ এরপর দ্বিতীয় বার
তাকবীর বললেন ও পতাকা নাড়লেন ৷ এবার মুসলিম বাহিনী প্রস্তুতি সম্পন্ন করলেন ৷ তারপর
তৃভীয়বার তাকবীর বললেন ও তিনি খােদ হামলা করলেন এবং অন্যান্য লোকজনও
মুশরিকদের উপর প্রচণ্ড হামলা চালালেন ৷ আন-নুমান (রা)-এর পতাকা পারস্যবাসীদের উপর
হঠাৎ এমনভাবে হামলা করতে লাগল যেমন বাজপগ্রি তার শিকারের প্রতি হঠাৎ আক্রমণ
চালায় ৷ তারপর তারা তলােয়ার হাতে নিয়ে এমন যুদ্ধ শুরু করল যেরুপ যুদ্ধ পুর্বে অনুষ্ঠিত
ঘটনাগুলাের মধ্যে কোন ঘটনায় সংঘটিত হয় নাই ৷ আর এরুপ ঘটনার কথা আজ পর্যন্ত কেউ
শুনেনি ৷ সুর্য ঢলে পড়ার সময় হতে রাতের অন্ধকার ঘনিয়ে আসার সময় পর্যন্ত এত মুশরিক
নিহত হয়েছিল যে, তাদের রক্তে মাঠ ভরে গিয়েছিল এমনকি ভারবাহী ও যুদ্ধের কাজে
নিয়োজিত পশুগুলো স্বাভাবিক প্রবণতা পরিত্যাগ করতে বাধ্য হলো ৷ কথিত আছে যে,
সেনাপতি আন-নুমান (রা)-এর ঘোড়া রক্তে পিজ্জি খেয়ে পড়ে যায় তাতে আন-নুমান নিচে
পড়ে যান এবং একটি তীর এসে তার কােমর বিদ্ধ করে ও তিনি শহীদ হন ৷ তার ভাই সাওয়ীদ
ব্যতীত অন্য কেউ তার মৃত্যুর কথা টের পায়নি ৷ কেউ কেউ বলেন, “তার ভাই নুয়াইম শুধুমাত্র
টের পেয়েছিলেন ৷ আবার কেউ কেউ বলেন, তার তাই তার কাপড় দ্বারা তাকে ঢেকে
রেখেছিলেন এবং মৃত্যুর সংবাদও গোপন রেখেছিলেন ৷
আর হুযইিকাইবন আল-ইয়ামানের (রা) কাছে পতাকাটি হস্তান্তর করেছিলেন ৷ হুযাইফা
(রা) ও নিজের ভাই নুয়াইমকে তার স্থানে স্থলাভিষিক্ত করে শাহাদত বরণ করেন এবং
জয়-পরাজয়ের অবস্থা পরিষ্কার না হওয়া পর্যন্ত ফুসলমানদের পরাজয়ের ভয়ে তার মৃত্যুর কথা
গোপন রাখার জন্যেও তিনি বলেছিলেন ৷ যখন রাতের অন্ধকার নেমে আসল মুশরিকপণ
পরাজিত হয়ে পলায়ন করতে লাগল এবং মুসলমানগণও তাদেরকে ধাওয়া কঃাতে লাগল ৷
কাফিরগণ তাদের ত্রিশ হাজার সৈন্যকে যুদ্ধক্ষেত্রে ও শহরের বিভিন্ন উপত্যকার শিকল দিয়ে
বেধে রেখেছিল যাতে তারা পালিয়ে যেতে না পারে এবং তাদের পাশে পরিখা খনন করে
ব্রেখেছিল ৷ যখন তারা পরাজিত হলো তখন তারা এসব পরিখায় নিক্ষিপ্ত হতে লাগল ৷ এসব
الْفَرِيسَةِ حَتَّى تُصَافَحُوا بِالسُّيُوفِ، فَاقْتَتَلُوا قِتَالًا لَمْ يُعْهَدْ مِثْلُهُ فِي مَوْقِفٍ مِنَ الْمَوَاقِفِ الْمُتَقَدِّمَةِ، وَلَا سَمِعَ السَّامِعُونَ بِوَقْعَةٍ مِثْلِهَا، قُتِلَ مِنَ الْمُشْرِكِينَ مَا بَيْنَ الزَّوَالِ إِلَى الظَّلَامِ مِنَ الْقَتْلَى مَا طَبَّقَ وَجْهَ الْأَرْضِ دَمًا، بِحَيْثُ إِنَّ الدَّوَابَّ كَانَتْ تَطْبَعُ فِيهِ، حَتَّى قِيلَ: إِنَّ الْأَمِيرَ النُّعْمَانَ بْنَ مُقَرِّنٍ زَلَقَ بِهِ حِصَانُهُ فِي ذَلِكَ الدَّمِ، فَوَقَعَ وَجَاءَهُ سَهْمٌ فِي خَاصِرَتِهِ فَقَتَلَهُ، وَلَمْ يَشْعُرْ بِهِ أَحَدٌ سِوَى أَخِيهِ سُوَيْدٍ، وَقِيلَ: نُعَيْمٍ. وَقِيلَ: غَطَّاهُ بِثَوْبِهِ، وَأَخْفَى مَوْتَهُ، وَدَفَعَ الرَّايَةَ إِلَى حُذَيْفَةَ بْنِ الْيَمَانِ. فَأَقَامَ حُذَيْفَةُ أَخَاهُ نُعَيْمًا مَكَانَهُ، وَأَمَرَ بِكَتْمِ مَوْتِهِ حَتَّى يَنْفَصِلَ الْحَالُ، لِئَلَّا يَنْهَزِمَ النَّاسُ. فَلَمَّا أَظْلَمَ اللَّيْلُ انْهَزَمَ الْمُشْرِكُونَ مُدْبِرِينَ وَتَبِعَهُمُ الْمُسْلِمُونَ - وَكَانَ الْكُفَّارُ قَدْ قَرَنُوا مِنْهُمْ ثَلَاثِينَ أَلْفًا بِالسَّلَاسِلِ وَحَفَرُوا حَوْلَهُمْ خَنْدَقًا، فَلَمَّا انْهَزَمُوا وَقَعُوا فِي الْخَنْدَقِ وَفِي تِلْكَ الْأَوْدِيَةِ نَحْوَ مِائَةِ أَلْفٍ - وَجَعَلُوا يَتَسَاقَطُونَ فِي أَوْدِيَةِ بِلَادِهِمْ، فَهَلَكَ مِنْهُمْ بَشَرٌ كَثِيرٌ نَحْوَ مِائَةِ أَلْفٍ أَوْ يَزِيدُونَ، سِوَى مَنْ قُتِلَ فِي الْمَعْرَكَةِ، وَلَمْ يُفْلِتْ مِنْهُمْ إِلَّا الشَّرِيدُ. وَكَانَ الْفَيْرُزَانُ أَمِيرُهُمْ قَدْ صُرِعَ فِي الْمَعْرَكَةِ فَانْفَلَتَ وَانْهَزَمَ، وَاتَّبَعَهُ نُعَيْمُ بْنُ مُقَرِّنٍ، وَقَدَّمَ الْقَعْقَاعَ بَيْنَ يَدَيْهِ، وَقَصَدَ الْفَيْرُزَانُ هَمَذَانَ، فَلَحِقَهُ الْقَعْقَاعُ وَأَدْرَكَهُ عِنْدَ ثَنِيَّةِ هَمَذَانَ، وَقَدْ أَقْبَلُ مِنْهَا بِغَالٌ كَثِيرٌ وَحُمُرٌ تَحْمِلُ عَسَلًا، فَلَمْ يَسْتَطِعِ الْفَيْرُزَانُ صُعُودَهَا مِنْهُمْ، وَذَلِكَ لِحِينِهِ فَتَرَجَّلَ وَتَوَقَّلَ فِي الْجَبَلِ فَأَتْبَعَهُ الْقَعْقَاعُ حَتَّى قَتَلَهُ. وَقَالَ الْمُسْلِمُونَ يَوْمَئِذٍ: إِنَّ لِلَّهِ جُنُودًا مِنْ عَسَلٍ. ثُمَّ غَنِمُوا ذَلِكَ الْعَسَلَ وَمَا خَالَطَهُ مِنَ الْأَحْمَالِ. وَسُمِّيَتْ تِلْكَ الثَّنِيَّةُ ثَنِيَّةَ الْعَسَلِ.
পৃষ্ঠা - ৫৬১৯
ثُمَّ لَحِقَ الْقَعْقَاعُ بَقِيَّةَ الْمُنْهَزِمِينَ مِنْهُمْ إِلَى هَمَذَانَ، وَحَاصَرَهَا وَحَوَى مَا حَوْلَهَا، فَنَزَلَ إِلَيْهِ صَاحِبُهَا - وَهُوَ خُسْرَوْ شُنُومُ - فَصَالَحَهُ عَلَيْهَا. ثُمَّ رَجَعَ الْقَعْقَاعُ إِلَى حُذَيْفَةَ وَمَنْ مَعَهُ مِنَ الْمُسْلِمِينَ وَقَدْ دَخَلُوا بَعْدَ الْوَقْعَةِ نَهَاوَنْدَ عَنْوَةً، وَقَدْ جَمَعُوا الْأَسْلَابَ وَالْمَغَانِمَ إِلَى صَاحِبِ الْأَقْبَاضِ وَهُوَ السَّائِبُ بْنُ الْأَقْرَعِ. وَلَمَّا سَمِعَ أَهْلُ مَاهَ بِخَبَرِ أَهْلِ هَمَذَانَ، بَعَثُوا إِلَى حُذَيْفَةَ وَأَخَذُوا لَهُمْ مِنْهُ الْأَمَانَ. وَجَاءَ رَجُلٌ يُقَالُ لَهُ: الْهِرْبَذُ - وَهُوَ صَاحِبُ نَارِهِمْ - فَسَأَلَ مِنْ حُذَيْفَةَ الْأَمَانَ وَيَدْفَعُ إِلَيْهِمْ وَدِيعَةً عِنْدَهُ لِكِسْرَى ادَّخَرَهَا لِنَوَائِبِ الزَّمَانِ، فَأَمَّنَهُ حُذَيْفَةُ، وَجَاءَ ذَلِكَ الرَّجُلُ بِسَفَطَيْنِ مَمْلُوءَتَيْنِ جَوْهَرًا ثَمِينًا لَا يُقَوَّمُ، غَيْرَ أَنَّ الْمُسْلِمِينَ لَمْ يَعْبَئُوا بِهِ، وَاتَّفَقَ رَأْيُهُمْ عَلَى بَعْثِهِ لِعُمَرَ خَاصَّةً، وَأَرْسَلُوهُ صُحْبَةَ الْأَخْمَاسِ وَالسَّبْيِ، صُحْبَةَ السَّائِبِ بْنِ الْأَقْرَعِ، وَأَرْسَلَ قَبْلَهُ بِالْفَتْحِ مَعَ طَرِيفِ بْنِ سَهْمٍ، ثُمَّ قَسَمَ حُذَيْفَةُ بَقِيَّةَ الْغَنِيمَةِ فِي الْغَانِمِينَ، وَرَضَخَ وَنَفَلَ لِذَوِي النَّجَدَاتِ، وَقَسَمَ لِمَنْ كَانَ قَدْ أَرْصَدَ مِنَ الْجُيُوشِ لِحِفْظِ ظُهُورِ الْمُسْلِمِينَ مِنْ وَرَائِهِمْ، وَمَنْ كَانَ رِدْءًا لَهُمْ، وَمَنْسُوبًا إِلَيْهِمْ.
وَأَمَّا أَمِيرُ الْمُؤْمِنِينَ فَإِنَّهُ كَانَ يَدْعُو اللَّهَ لَيْلًا وَنَهَارًا لَهُمْ، دُعَاءَ الْحَوَامِلِ الْمُقْرِبَاتِ، وَابْتِهَالَ ذَوِي الضَّرُورَاتِ، وَقَدِ اسْتَبْطَأَ الْخَبَرَ عَنْهُمْ، فَبَيْنَا رَجُلٌ مِنَ الْمُسْلِمِينَ ظَاهِرَ الْمَدِينَةِ إِذَا هُوَ بِرَاكِبٍ، فَسَأَلَهُ مِنْ أَيْنَ أَقْبَلَ؟ فَقَالَ: مِنْ نَهَاوَنْدَ. فَقَالَ: مَا فَعَلَ النَّاسُ؟ قَالَ: فَتَحَ اللَّهُ عَلَيْهِمْ وَقُتِلَ الْأَمِيرُ، وَغَنِمَ الْمُسْلِمُونَ غَنِيمَةً
পৃষ্ঠা - ৫৬২০
উপত্যকায় তাদের এক লাখের অধিক সৈন্য প্রাণ হারাল ৷ যুদ্ধক্ষেত্রে যারা নিহত হয়েছিল
তাদের হিসাব জ্যিভাবে দেখানো হয়েছে ৷ তাদের মধ্যে ৰাকিগুলো ব্যতীত আর কেউ রক্ষা
পায়নি ৷ ফিরযান ছিলেন তাদের সেনাপতি, যুদ্ধক্ষেত্রে যে পর্বুদস্ত হয়েছিল এবং পরাজয় বরণ
করেন যে পলায়ন করেছিল ৷ নুয়াইম ইবন মুকরিন তাকে ধওয়া করল ৷ আল কাকা তার
সামনে এগিয়ে এল ৷ ফিরযান হামাদান চলে যাবার ইচ্ছে করল ৷ কিন্তু আল-কাকা তাকে
ধাওয়া করল ও হামাদানের গিরিপথ বা টিলার কাছে তাকে পেয়ে গেল ৷ ঐ গিরিপথ দিয়ে বহু
খচ্চর ও সারা মধু বহন করে আসছিল ৷ ফিরযান এগুলোতে চড়বার চেষ্টা করল ফিন্তু শক্তি গেল
না ৷ আর এটা হচ্ছে তার দৃর্বলতড়ার জঃন্য ৷ সে পায়ে ছুাটতে চেষ্টা করল কিত্তু সে পাহাড়ে
আটকিয়ে গেল ৷ আল কাকা তাকে সুযোগ মত পেয়ে হত্যা করল ৷ ঐদিন মুসলমানগণ বলতে
লাগল, মধুর মধ্যেও আল্লাহর সৈন্য সামম্ভ রয়েছে ৷ তারপর তারা এ মধু ও মধুর সাথে যেসব
বোঝা ছিল তা গনীমত হিসেবে প্রাপ্ত হলো ৷
এ টিলা বা গিরিপথকে তারা বুা;৷ ৷ ধ্ ষ্ বা মধুর গিরিপথ নাম দিয়েছিল ৷ তারপর
আল-কাকা’ পরাজিত সৈন্যদের বাকি অংশের সড়াথে হামাদানে মিলিত হন ৷ তাদেরকে অবরোধ
করেন এবং হামাদানের আশেপাশের এলাকা সব দখল করে নেন ৷ হামাদানের শাসনকর্তা
খাসার শানুয আল-কাকা-এর কাছে আগমন করলেন ও তার সাথে সন্ধি স্থাপন করলেন ৷
তারপর আলকাকা তার সাথে যেসব মুসলমান ছিলেন তাদেরকে নিয়ে হুষাইফার কাছে
প্রত্যাবর্তন করেন ৷ এ ঘটনার পর তারা নিহাওয়ান্দে বিজয়ীর বেশে প্রবেশ করেন ৷ তারা
আস-সায়িব ইবন আল আকরা (রা)এর কাছে যাবতীয় পরিত্যক্ত সম্পদ ও গনীমতের মাল
জমা করেন ৷ মাহের বাসিন্দারা যখন হামাদানের বাসিন্দাদের খবর শুনলেন তারা হযরত
হুযইিফা (রা)-এর কাছে লোক প্রেরণ করেন এবং তাদের জন্যে নিরাপত্তার ব্যবস্থা করেন ৷
হারনাদ নামী এক ব্যক্তি আগমন করল ৷ সে ছিল পরেস্যবাসীদের অগ্নিকুণ্ডের তত্ত্বাবধায়ক,
সেও হযরত হুযাইফা (রা)-এর কাছে নিরাপত্তার আবেদন করল ৷ পারস্যের সম্রাট কিসরার কিছু
ণচ্ছিত সম্পদ তার কাছে ছিল ৷ যে তা হুযইিফাহ (রা)- এর কাপে হস্তান্তর করে ৷ সম্রাট দৃর্দিনের
কথা চিন্তা করে এ ফাণ্ড জমা করেছিলেন ৷ হযাইফা (রা) তাকে নিরাপত্তা দান করেন ৷ এ
ব্যক্তিটি মুল্যবান পাথরে পরিপুর্ণ দুটি ঝুড়ি হুযইিফাহ (রা)-কে প্রদান করে ৷ মুসলমানগণ বিক্ষ্ম
এ সম্পদ নিয়ে কোন প্রকার চিম্ভাই করেনি ৷ তারা সকলে মিলে একমত হয়েছে যে, এটা
শুধুমাত্র হযরত উমর (রা)এর জন্যে প্রেরণ করা হবে ৷ তারা তার কাছে পঞ্চমাংশের বাকি
অংশসহ এবংআসসাষিধ্হইহুৰ্নপ্লো(বা)ৰুএর মাধ্যমে কয়েদীদের প্রেরণ করেন ৷ এর
পুর্বে তারীফ ইবন সাহামকে বিজয়ের সংবাদ নিয়ে প্রেরণ করেছিলেন ৷ তারপর হুযাইফা (রা)
গনীমতের বাকি অংশ গনীমতের দাবিদারদেৱ মধ্যে বন্টন করলেন এবং অতিরিক্ত বা নকল
সাহায্যের হকদারদের মধ্যে দান করলেন ৷
মুসলমানদের হেফাজত করার উদ্দেশ্যে যে সব সৈন্য ওৎ পেতে পাহারায় ছিল তাদেরকেও
দান করলেন ৷ যারা তাদেরও সাহায্যকারী ছিলেন, তাদের সাথে ছিলেন, তাদেরকেও দান
করলেন ৷ আমীক্যা মু’মিনীন রাত ও দিন তাদের জন্যে মহান আল্লাহর কাছে এমনভাবে অনুনয়
বিনয় ও কাকুতি মিনতি সহকারে দুআ করছিলেন যেমন প্রসব অত্যাসন্ন গর্ভধারিণী এবং
عَظِيمَةً، أَصَابَ الْفَارِسُ سِتَّةَ آلَافٍ، وَالرَّاجِلُ أَلْفَانِ. ثُمَّ فَاتَهُ وَقَدِمَ ذَلِكَ الرَّجُلِ الْمَدِينَةَ، فَأَخْبَرَهُ النَّاسُ وَشَاعَ الْخَبَرُ حَتَّى بَلَغَ أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ فَطَلَبَهُ فَسَأَلَهُ عَمَّنْ أَخْبَرَهُ، فَقَالَ: رَاكِبٌ. فَقَالَ: إِنَّهُ لَمْ يَجِئْنِي، وَإِنَّمَا هُوَ رَجُلٌ مِنَ الْجِنِّ، وَهُوَ بَرِيدُهُمْ، وَاسْمُهُ عُثَيْمٌ.
ثُمَّ قَدِمَ طَرِيفٌ بِالْفَتْحِ بَعْدَ ذَلِكَ بِأَيَّامٍ، وَلَيْسَ مَعَهُ سِوَى الْفَتْحِ، فَسَأَلَهُ عُمَرُ عَمَّنْ قَتَلَ النُّعْمَانَ فَلَمْ يَكُنْ مَعَهُ عِلْمٌ، حَتَّى قَدِمَ الَّذِينَ مَعَهُمُ الْأَخْمَاسُ فَأَخْبَرُوا بِالْأَمْرِ عَلَى جَلِيَّتِهِ، فَإِذَا ذَلِكَ الْجِنِّيُّ قَدْ شَهِدَ الْوَقْعَةَ وَرَجَعَ سَرِيعًا إِلَى قَوْمِهِ نَذِيرًا. وَلَمَّا أُخْبِرَ عُمَرَ بِمَقْتَلِ النُّعْمَانِ بَكَى وَسَأَلَ السَّائِبَ عَمَّنْ قُتِلَ مِنَ الْمُسْلِمِينَ فَقَالَ: فُلَانٌ وَفُلَانٌ وَفُلَانٌ. لِأَعْيَانِ النَّاسِ وَأَشْرَافِهِمْ. ثُمَّ قَالَ: وَآخَرُونَ مِنْ أَفْنَادِ النَّاسِ مِمَّنْ لَا يَعْرِفُهُمْ أَمِيرُ الْمُؤْمِنِينَ. فَجَعَلَ عُمَرُ يَبْكِي وَيَقُولُ: وَمَا ضَرَّهُمْ أَنْ لَا يَعْرِفَهُمْ أَمِيرُ الْمُؤْمِنِينَ! لَكِنَّ اللَّهَ يَعْرِفُهُمْ وَقَدْ أَكْرَمَهُمْ بِالشَّهَادَةِ، وَمَا يَصْنَعُونَ بِمَعْرِفَةِ عُمَرَ. ثُمَّ أَمَرَ بِقِسْمَةِ الْخُمْسِ عَلَى عَادَتِهِ، وَحُمِلَتْ ذَانِكَ السَّفَطَانِ إِلَى مَنْزِلِ عُمَرَ، وَرَجَعَتِ الرُّسُلُ. فَلَمَّا أَصْبَحَ عُمَرُ طَلَبَهُمْ فَلَمْ يَجِدْهُمْ، فَأَرْسَلَ فِي إِثْرِهِمُ الْبُرُدَ فَمَا لَحِقَهُمُ الْبَرِيدُ إِلَّا بِالْكُوفَةِ.
قَالَ السَّائِبُ بْنُ الْأَقْرَعِ: فَلَمَّا أَنَخْتُ بَعِيرِي بِالْكُوفَةِ، أَنَاخَ الْبَرِيدُ بَعِيرَهُ عَلَى عُرْقُوبِ بَعِيرِي، وَقَالَ: أَجِبْ أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ. فَقُلْتُ: لِمَاذَا؟ فَقَالَ: لَا أَدْرِي. فَرَجَعْنَا عَلَى إِثْرِنَا حَتَّى انْتَهَيْتُ إِلَيْهِ. قَالَ: مَالِي وَلَكَ يَا ابْنَ أُمِّ السَّائِبِ، بَلْ مَا لِابْنِ أُمِّ السَّائِبِ وَمَالِي. قَالَ: فَقُلْتُ: وَمَا ذَاكَ يَا أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ؟ فَقَالَ:
পৃষ্ঠা - ৫৬২১
দুর্যোগে পতিত বিপদগ্রস্ত ব্যক্তি মহান আল্লাহর দরবারে অনুনয় বিনয় ও কাকুতি মিনতি
সহকারে দুআ করে থাকেন ৷ তাদের পক্ষ থেকে খলীফার কাছে খবর পৌছতে দেরি হয় ৷
একজন মুসলমান শহরের বাইরে একজন আরোহীকে দেখতে পান ৷ তিনি তাকে জিজ্ঞেস
করবেন, আপনি কোথা থেকে এসেছেন ?” তিনি বললেন, “নিহাওয়ান্দ থেকে ৷” আবার
জিজ্ঞেস করলেন, “মুসলমানগণ তপায় কি করেছেন ৷” তিনি বললেন, আল্লাহ তাআলা
মুসলমানদেরকে বিজয় দান করেছেন তবে সেনাপতি নিহত হয়েছেন ৷ মুসলমানপণ বিপুল
ণনীমত অর্জন করেছেন ৷ অশ্বারোহীপণ জনপ্ৰতি ৬ হাজার দীনার ও পদাতিক জনপ্ৰতি
দু’হাজার দীনার পেয়েছেন ৷ তারপর তিনি হারিয়ে যান ৷ মুসলিম ব্যক্তিঢি শহরে এসে
সোকজনাক এ সংবাদ পরিবেশন করেন ৷ খবর ছড়িয়ে গেল এমনকি খলীফার কাছেও এ খবর
পৌহল৷ খলীফা ঐ বক্তিটিকে তলব করলেন এবং জিজ্ঞেস করলেন,কে তাকে এ খবর
দিয়েছে ?
তিনি বললেন, “একজন আরোহী ৷ খলীফা বললেন সে তো আর আসবে না, সে ছিল
একজন জিন, তােমাদেরকে সংবাদ পরিবেশন করেছে, তার নাম উসইিম’ ৷ কয়েক দিন পর
তারীফ নামী এক ব্যক্তি ৰিজ্যয়র সংবাদ নিয়ে আগমন করল ৷ তার কাছে বিজয়ের সংবাদ
ব্যতীত আর কিছু ছিল না ৷ খলীফা তাকে জিজ্ঞেস করলেন, আননুমান (রা)কে কে হত্যা
করেছে? কিন্তু এ ব্যাপারে তার কোন কিছু জানা ছিল না ৷ যাদের সাথে পঞ্চমাংশের সম্পদ ছিল
তারা খলীফাকে সঠিক সংবাদ পরিবেশন করলেন ৷ খলীফা উমর (রা)-ণ্ক যখন আন-নুমান
(রা)-এর শহীদ হওয়ার ব্যাপারটি সম্বন্ধে সংবাদ দেওয়া হয়, তখন তিনি তার জন্যে ক্রন্দন
করেন ৷ তিনি আস-সায়িব (রা)-কে ঐসব মুসলমান সম্বন্ধে জিজ্ঞাসাবাদ করেন যারা যুদ্ধে শহীদ
হয়েছেন ৷ আস-সায়িব (বা) বলেন : “অমুক, অমুক, অমুক সম্রান্ত ও সাধারণ ব্যক্তিবর্গ শহীদ
হয়েছেন ৷
আস-সায়িব (বা) আরো বলেন : “অন্যান্য ণ্লাকয্যাদরাক আর্মীরুল মুযিনীন চিনেন না
তাদের জন্যেও তিনি ক্রান করেন এবং বলেন, “তাদের কি কোন ক্ষতি আছে যদি আমীরুল
মুমিনীন তাদেরকে না চিনে ৷ তবে আল্লাহ্ তা’আলা তাদেরকে চিনেন এবং তাদেরকে শাহাদত
দানের মাধ্যমে মহা সম্মানিত করেছেন ৷ উমর (রা)-এর চেনা দিয়ে তাদের কি কাজ হবে ৷
তারপর তিনি নিয়মানুযায়ী খুমৃছ বণ্টন করার আদেশ দেন ৷ উপরোক্ত দুটো ঝুড়ি উমর
(রা)-এর ঘরে পৌছিয়ে দেওয়া হলো এবং প্রেরকপণ ফেরত চলে আসলেন ৷ ভোরবেলা উমর
(রা) তাদেরকে খোজ করলেন ৷ কিন্তু তাদেরকে পাওয়া গেল না ৷ আদর পিছনে দুত প্রেরণ
করলেন ৷ দুত তাদেরকে কুফায় পেলেন ৷
আস-সায়িব ইবন আল-আকরা (রা) বলেন, “আমি যখন কুফায় আমার উটকে বসালড়াম,
দুতটি আমার উটের পেছনে তার উটটি বসাল এবং বলল : তুমি আমীরুল মুমিনীনের প্ৰতি
উত্তর দাও ৷ আমি বললাম, কেন : তিনি বললেন, আমি জানি না ৷ এরপর আমি আবার ফেরত
আসলাম এবং খলীফার সাথে সাক্ষাৎ করলাম ৷ তিনি বললেন, হে উম্মুস সায়িব তনয়! তোমার
ও আমার কি হলো ?” আমি বললাম এটা কি : হে আমীরুল মু’মিনীন!” তিনি বললেন,
আফসােস ও আল্লাহর শপথ, আমি গত রাতে রাত যাপন করলাম, যে রাতে তুমি বের হয়ে
وَيْحَكَ، وَاللَّهِ إِنْ هُوَ إِلَّا أَنْ نِمْتُ فِي اللَّيْلَةِ الَّتِي خَرَجْتَ فِيهَا، فَبَاتَتْ مَلَائِكَةُ اللَّهِ تَسْحَبُنِي إِلَى ذَيْنِكَ السَّفَطَيْنِ وَهُمَا يَشْتَعِلَانِ نَارًا، يَقُولُونَ: لَنَكْوِيَنَّكَ بِهِمَا. فَأَقُولُ: إِنِّي سَأَقْسِمُهُمَا بَيْنَ الْمُسْلِمِينَ. فَاذْهَبْ بِهِمَا لَا أَبَا لَكَ فَبِعْهُمَا فَاقْسِمْهُمَا فِي أُعْطِيَّةِ الْمُسْلِمِينَ وَأَرْزَاقِهِمْ، فَإِنَّهُمْ لَا يَدْرُونَ مَا وُهِبُوا وَلَمْ تَدْرِ أَنْتَ مَعَهُمْ. قَالَ السَّائِبُ: فَأَخَذَتْهُمَا حَتَّى جِئْتُ بِهِمَا مَسْجِدَ الْكُوفَةِ وَغَشِيَتْنِي التُّجَّارُ، فَابْتَاعَهُمَا مِنِّي عَمْرُو بْنُ حُرَيْثٍ الْمَخْزُومِيُّ بِأَلْفَيْ أَلْفٍ، ثُمَّ خَرَجَ بِهِمَا إِلَى أَرْضِ الْأَعَاجِمِ فَبَاعَهُمَا بِأَرْبَعَةِ آلَافِ أَلْفٍ، فَمَا زَالَ أَكْثَرَ أَهْلِ الْكُوفَةِ مَالًا بَعْدَ ذَلِكَ.
قَالَ سَيْفٌ: ثُمَّ قَسَمَ ثَمَنَهُمَا بَيْنَ الْغَانِمِينَ، فَنَالَ كُلُّ فَارِسٍ أَرْبَعَةَ آلَافِ دِرْهَمٍ مِنْ ثَمَنِ السَّفَطَيْنِ.
قَالَ الشَّعْبِيُّ: وَحَصَلَ لِلْفَارِسِ مِنْ أَصْلِ الْغَنِيمَةِ سِتَّةُ آلَافٍ، وَلِلرَّاجِلِ أَلْفَانِ، وَكَانَ الْمُسْلِمُونَ ثَلَاثِينَ أَلْفًا
قَالَ: وَافْتُتِحَتْ نَهَاوَنْدُ فِي أَوَّلِ سَنَةِ تِسْعَ عَشْرَةَ لِسَبْعِ سِنِينَ مِنْ إِمَارَةِ عُمَرَ. رَوَاهُ سَيْفٌ، عَنْ عَمْرِو بْنِ مُحَمَّدٍ عَنْهُ.
وَبِهِ عَنِ الشَّعْبِيِّ قَالَ: لَمَّا قُدِمَ بِسَبْيِ نَهَاوَنْدَ إِلَى الْمَدِينَةِ جَعَلَ أَبُو لُؤْلُؤَةَ - فَيْرُوزُ غُلَامُ الْمُغِيرَةِ بْنِ شُعْبَةَ - لَا يَلْقَى مِنْهُمْ صَغِيرًا إِلَّا مَسَحَ رَأَسَهُ وَبَكَى، وَقَالَ: أَكَلَ عُمَرُ كَبِدِي. وَكَانَ أَصْلُ أَبِي لُؤْلُؤَةَ مِنْ نَهَاوَنْدَ فَأَسَرَتْهُ الرُّومُ أَيَّامَ فَارِسَ،
পৃষ্ঠা - ৫৬২২
গেলে, মহান আল্লাহর ফেরেশতাপণ রাতে আগমন করলেন এবং আমাকে এ দুটো ঝুড়ির দিকে
টানছেন আর বলছেন, অড়ামরা, তোমাকে এ দুটো দ্বারা দাগ দিব আর এ দুটো ঝুড়ি হতে অগ্নি
স্ফুলিঙ্গ বের হজ্জি ৷ তাই আমি বলছি, আমি এগুলোকে মুসলমানদের মধ্যে বণ্টন করে দেব ৷
ভুমি এ দুটো ঝুড়ি নিয়ে যাও এবং এগুলোকে বিক্রি করে দাও ৷ তারপর এগুলোকে আমি
মুসলমানদের মধ্যে খাদ্য ও অনুদান হিসেবে বণ্টন করে দেব ৷ তারা এবং তৃমিও জান না কি
পরিমাণ সম্পদ দান করা হয়েছে ৷
আস-সায়িব (রা) বলেন, “আমি এ দুভৈটা ঝুড়ি নিয়ে কুফার মসজিদে আসলাম ৷
বফোস্বীরু আমাকে ঘিরে ফেলল এবং অড়ামর ইবন হুরইিস আল-মাখযােসী ২০ লক্ষ দিরহামের
বিনিময়ে আমার কাছ থেকে তা খরিদ করে নিল ৷ আমার এগুলো নিয়ে অনারবদের দেখে যে
চলে গেল এবং এগুলোকে ৪০ লক্ষ দিরহামের বিনিময়ে বিক্রি করল ৷ তারপর কুফাবাসীদের
অধিকাংশই ঐশ্বর্যবানে পরিণত হলো ৷”
আল্লামা সইিফ (র) বলেন, “তারপর হযরত উমর (রা) গাজীদের মধ্যে এ দুটো ঝুড়ির
মুল্যযান অর্থ বণ্টন করে দ্যো ৷ প্রত্যেক অশ্বারােহী পেলেন চার হাজার দিরহাম ৷
আল্লামা আশ-শাবী বলেন, “প্রত্যেক অশ্বারোহী সৈন্য মুল গনীমত হতে ৬ হাজার দিরহাম,
প্রত্যেক পদাতিক সৈন্য ২ হাজার দিরহাম এবং অন্যান্য মুসলিম সৈন্য পেলেন ত্রিশ হাজার
দিরহাম ৷
আল্লামা লাইফ, আমর ইবন মুহাম্মদ হতে বর্ণনা করেন ও বলেন, “হযরত উমর (রা)-এর
খিলাফতের ৭ বছরের সময় ১৯ হিজরীর প্রথম দিকে নিহাওয়ান্দ বিজয় হয় ৷” আল্লামা
আশা-শাবী বলেন, “নিহাওয়ান্দের কয়েদীরা যখন মদীনায় ’আগমন করে তখন মুগীরা ইবন
শুবাহ (রা)-এর গোলাম আবু লুলু ফিরুয প্রত্যেকটি শিশু কয়েদীর মাথা মুছে দেয় ও ক্রন্দন
করে এবং বলে, উমর আমার কলিজা খেয়ে ফেলেছে ৷ আবু লুলুর মুল বাড়ি ছিল নিহাওয়ান্দে ৷
পারস্যদের যুগে রােমানরা তাকে কয়েদ করেছিল ৷ এরপর মুসলমানরা তাকে কয়েদ করেছে ৷
তারপর যেখানে সে কয়েদী হয়েছে সেখানে সেভাবে সে পরিচিত হয়েছে ৷ ইতিহাসবিদগণ
বলেন, এ ঘটনার পর অনারবদের আর কোন কর্তৃছুই প্রতিষ্ঠিত হয়নি ৷ এ ঘটনায় যারা
ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন তাদেরকে হযরত উমর (বা) তাদের প্রতি সম্মান প্রদর্শন ও মর্যাদার স্বীকৃতি
স্বরুপ দু’হাজার দিরহাম অনুদান দিয়েছিলেন ৷ এ বছরেই মুসলমানগণ নিহাওয়ান্দেৱ পর
ণ্-ণ্ইপোহানের জইি শহরকেপ্ বহু রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ ও দীর্ঘ আলোচনার পর জয়লাভ করেন ৷ তারা
মুসলমানদের সাথে সন্ধি করেন এবং আবদুল্লাহ ইবন আবদুল্লাহ তাদ্যোকে একটি নিরাপত্তা ও
সন্ধিনামা লিপিবদ্ধ করে দ্যো ৷ তাদের মধ্য থেকে কিত্তু ত্রিশজন কিরমানে পলায়ন করে চলে
যায় ৷ তারা মুসলমানদের সাথে সন্ধি করে নইি ৷
কেউ কেউ বলেন, যিনি ইস্পড়াহান জয় করেছেন তিনি হলেন আন-নুমান ইবন মুকরিন এবং
তিনি তথায় শহীদ হন ৷ অগ্নিপুত্তক্যেদর দু’ভ্রাওয়ালা আমীর ঘোড়া থেকে পড়ে যায় ও তার পেট
ফেটে যায় ৷ তাতে তার মৃত্যু হয় ৷ আর তার সাথীগণ গােচনীয়ভাবে পরাজিত হয় ৷ শুদ্ধ মতে
ণ্যিনি ইস্পাহান জয়লাভ করেন তিনি হলেন আবদুল্লাহ ইবন আবদুল্লাহ ইবন উতবান ৷ যিনি
وَأَسَرَتْهُ الْمُسْلِمُونَ بَعْدُ، فَنُسِبَ إِلَى حَيْثُ سُبِيَ.
قَالُوا: وَلَمْ تَقُمْ لِلْأَعَاجِمِ بَعْدَ هَذِهِ الْوَقْعَةِ قَائِمَةٌ. وَأَلْحَقَ عُمَرُ الَّذِينَ أَبْلَوْا فِيهَا فِي أَلْفَيْنِ تَشْرِيفًا لَهُمْ وَإِظْهَارًا لِشَأْنِهِمْ.
وَفِي هَذِهِ السَّنَةِ افْتَتَحَ الْمُسْلِمُونَ أَيْضًا بَعْدَ نَهَاوَنْدَ مَدِينَةَ جَيٍّ - وَهِيَ مَدِينَةُ أَصْبَهَانَ - بَعْدَ قِتَالٍ كَثِيرٍ وَأُمُورٍ طَوِيلَةٍ، فَصَالَحُوا الْمُسْلِمِينَ، وَكَتَبَ لَهُمْ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ كِتَابَ أَمَانٍ وَصُلْحٍ، وَفَرَّ مِنْهُمْ ثَلَاثُونَ نَفَرًا إِلَى كِرْمَانَ لَمْ يُصَالِحُوا الْمُسْلِمِينَ. وَقِيلَ: إِنَّ الَّذِي فَتَحَ أَصْبَهَانَ هُوَ النُّعْمَانُ بْنُ مُقَرِّنٍ وَأَنَّهُ قُتِلَ بِهَا، وَوَقَعَ أَمِيرُ الْمَجُوسِ وَهُوَ ذُو الْحَاجِبَيْنِ عَنْ فَرَسِهِ فَانْشَقَّ بَطْنُهُ وَمَاتَ وَانْهَزَمَ أَصْحَابُهُ. وَالصَّحِيحُ أَنَّ الَّذِي فَتَحَ أَصْبَهَانَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عِتْبَانَ، الَّذِي كَانَ نَائِبَ الْكُوفَةِ.
وَفِيهَا افْتَتَحَ أَبُو مُوسَى قُمَّ وَقَاشَانَ، وَافْتَتَحَ سُهَيْلُ بْنُ عَدِيٍّ مَدِينَةَ كِرْمَانَ.
وَذَكَرَ ابْنُ جَرِيرٍ، عَنِ الْوَاقِدِيِّ، أَنَّ عَمْرَو بْنَ الْعَاصِ سَارَ فِي جَيْشٍ مَعَهُ إِلَى أَنْطَابُلُسَ - قَالَ: وَهِيَ بَرْقَةُ - فَافْتَتَحَهَا صُلْحًا عَلَى ثَلَاثَةَ عَشَرَ أَلْفِ دِينَارٍ فِي كُلِّ سَنَةٍ.
قَالَ: وَفِيهَا بَعَثَ عَمْرُو بْنُ الْعَاصِ عُقْبَةَ بْنَ نَافِعٍ الْفِهْرِيَّ إِلَى زَوِيلَةَ فَفَتَحَهَا
পৃষ্ঠা - ৫৬২৩
بِصُلْحٍ، وَصَارَ مَا بَيْنَ بَرْقَةَ إِلَى زَوِيلَةَ سِلْمًا لِلْمُسْلِمِينَ.
قَالَ: وَفِيهَا وَلَّى عُمَرُ عَمَّارَ بْنَ يَاسِرٍ عَلَى الْكُوفَةِ بَدَلَ زِيَادِ بْنِ حَنْظَلَةَ الَّذِي وَلَّاهُ بَعْدَ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عِتْبَانَ، وَجَعَلَ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ مَسْعُودٍ عَلَى بَيْتِ الْمَالِ، فَاشْتَكَى أَهْلُ الْكُوفَةِ مِنْ عَمَّارٍ، فَاسْتَعْفَى عَمَّارٌ مِنْ عُمَرَ، فَعَزَلَهُ وَوَلَّى جُبَيْرَ بْنَ مُطْعِمٍ، وَأَمَرَهُ أَنْ لَا يُعْلِمَ أَحَدًا. وَبَعَثَ الْمُغِيرَةُ بْنُ شُعْبَةَ امْرَأَتَهُ إِلَى امْرَأَةِ جُبَيْرٍ يَعْرِضُ عَلَيْهَا طَعَامًا لِلسَّفَرِ، فَقَالَتْ: اذْهَبِي فَائْتِينِي بِهِ. فَذَهَبَ الْمُغِيرَةُ إِلَى عُمَرَ فَقَالَ: بَارَكَ اللَّهُ يَا أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ فِي مَنْ وَلَّيْتَ عَلَى الْكُوفَةِ. فَقَالَ: وَمَا ذَاكَ؟ وَبَعَثَ إِلَى جُبَيْرِ بْنِ مُطْعِمٍ، فَعَزَلَهُ وَوَلَّى الْمُغِيرَةَ بْنَ شُعْبَةَ ثَانِيَةً، فَلَمْ يَزَلْ عَلَيْهَا حَتَّى مَاتَ عُمَرُ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمْ.
قَالَ: وَفِيهَا حَجَّ عُمَرُ وَاسْتَخْلَفَ عَلَى الْمَدِينَةِ زَيْدَ بْنَ ثَابِتٍ، وَكَانَ عُمَّالَهُ عَلَى الْبُلْدَانِ الْمُتَقَدِّمُونَ فِي السَّنَةِ الَّتِي قَبِلَهَا سِوَى الْكُوفَةِ.
قَالَ الْوَاقِدِيُّ: وَفِيهَا تُوُفِّيَ خَالِدُ بْنُ الْوَلِيدِ بِحِمْصَ، وَأَوْصَى إِلَى عُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ وَقَالَ غَيْرُهُ: تُوُفِّيَ سَنَةَ ثَلَاثٍ وَعِشْرِينَ. وَقِيلَ: بِالْمَدِينَةِ. وَالْأَوَّلُ أَصَحُّ.
وَقَالَ غَيْرُهُ: وَفِيهَا تُوُفِّيَ الْعَلَاءُ بْنُ الْحَضْرَمِيِّ فَوَلَّى عُمَرُ مَكَانَهُ أَبَا هُرَيْرَةَ. وَقَدْ قِيلَ: إِنَّ الْعَلَاءَ تُوُفِّيَ قَبْلَ هَذَا. كَمَا تَقَدَّمَ. وَاللَّهُ أَعْلَمُ.
পৃষ্ঠা - ৫৬২৪
কুফায় ভারপ্রাপ্ত আমীর ছিলেন ৷ আর এ বছরেই হযরত আবু মুসা আশয়ারী (রা) কুম ও
কাশান শহর জয়লাভ করেন এবং সুহইিল ইবন আদী কিরমান শহর জয় করেন ৷
আল্লামা ওয়াকিদী হতে ইবন জারীর উল্লেখ করেন যে, আমর ইবনুল আস (বা)
সেনাবাহিনী নিয়ে তারাবলুসের দিকে অগ্নসর হন ৷ এটাকে বুরাকাহও বলা হয় ৷ তিনি এটাকে
প্রতি বছর (তর হাজার দীনার আদায় সাপেক্ষে সন্ধিপত্রের মাধ্যমে জয়লাভ করেন ৷
আল্লাম৷ ওয়াকিদী বলেন, “এ বছরেই আমর ইবনুল আস (রা) উকবা ইবন নাফি আল
ফিহরীকে যাৰিলাহ প্রেরণ করেন ৷ তিনি সন্ধিনামার ভিত্তিতে এটাকে জয়লাভ করেন ৷ এর
ফলে বুরাকাহ হতে যাৰিলাহ পর্যন্ত মুসলমানদের শাস্তি ভুমিতে পরিণত হয় ৷ তিনি আরো
বলেন, “আবদুল্লাহ ইবন আবদুল্লাহ্ ইবন উতবানের পর যিয়াদ ইবন হানৃযালাকে কুফায় আমীর
নিয়োগ করা হয় ৷ আর এ বছরেই তার পরিবর্তে আমার ইবন ইয়াসার (রা)-কে হযরত উমর
(রা) কুফায় আমীর নিযুক্ত করেন আর আবদুল্লাহ ইবন মাসুদ (রা)-কে বায়তুলমালের দায়িত্ব
অর্পণ করেন ৷ কুফাবাসিগণ আম্মারের বিরুদ্ধে অভিযোগ পেশ করেন ৷ ফলে আমার ইস্তফা
দেন ৷ হযরত উমর (রা) তাকে অব্যাহতি দিয়ে যুবইির ইবন মুতয়াম (রা)-কে আমীর নিযুক্ত
করেন ৷ পুনরায় যুবইির ইবন মুতয়ামকে অব্যাহতি দিয়ে মুগীরা ইবন শুবাহ (রা)-কে
দ্বিতীয়বার আমীর নিযুক্ত করেন ৷ হযরত উমর (রা)-এর মৃত্যু পর্যন্ত তিনি এ পদে বহাল
থাকেন ৷
আল্লামা ওয়াকিদী (র) বলেন : এ বছরেই হযরত উমর (রা) হজ্জ পালন করেন এবং
যায়িদ ইবন সাধিত (রা)-কে মদীনায় প্রতিনিধি হিসেবে রেখে যান ৷ কুফা ব্যতীত অন্যান্য
শহরের কর্যচারীবৃন্দ পুরানো পদে উমর (রা)-এর মৃত্যুর বছর পর্যন্ত বহাল থাকেন ৷ ’ আল্লামা
ওয়াকিদী (র) আরো বলেন, “এ বছরেই হিম্স নগরীতে হযরত খালিদ ইবন ওয়ালীদ
ইনতিকাল করেন ও তিনি উমর ইবনুল খাত্তাব (রা) কে ওসীয়ত করে যান ৷ অন্যরা বলেন, ২৩
হিজরীতে তিনি ইনতিকাল করেন ৷ আবার কেউ কেউ বলেন : মদীনায় ইনতিকাল করেন ৷
প্রথম অতিমতটি বিশুদ্ধ ৷ অন্যরা বলেনং এ বছরেই আল-আলা ইবন আল-হাদরড়ামী ইনতিকাল
করেন ৷ উমর (বা) তার পরিবর্তে হযরত আবুহ্ ব্য়রা (বা) যে আমীর নিযুক্ত করেন ৷ আবার
কেউ কেউ বলেনঃ আল-আলা এর পুর্বে ইনতিকাল করেন ৷
আল্লামা ওয়াকিদী হতে ইবন আবীর বর্ণনা করেন ও বলেন এ বছর দামেশকের আমীর
ছিলেন উমইির ইবন সাঈদ ৷ তিনি হিমৃস, হুরান, কানসাবীন এবং আলজোরিয়ারও আমীর
ছিলেন ৷ আমীর মুয়াবীযা (রা) আল-বলকা, আল জর্ডান প্যালেস্টাইন, সাওয়াইল, ইন৩ ৷কীয়াহ
ও অন্যান্য শহরের আমীর ছিলেন ৷
২১ হিজরীতে যারা ইনতিকাল করেছেন তাদের বিবরণ
খান্সিদ ইবন ওয়াণিদ (বা)
তার পুর্ণ নাম খালিদ ইবন আল-ওয়ালিদ ইবন আল-মুপীরা ইবন আবদুল্লাহ ইবন উমর
ইবনমাখবুম আল-কারাশী আল-মাখবুমী ৷ কুনিয়াত আবু সুলাইমান ৷ উপাধি সাইফুল্লাহ ৷
সুপ্রসিদ্ধ বাহাদুরস্তুদ্যা তিনি ছিলেন অন্যতম ৷ জ্বাহিলিয়তের যুন্থগ কিৎবা ইসলামের যুগে কখনও
আল-ৰিদায়া — ২৭
وَقَالَ ابْنُ جَرِيرٍ فِيمَا حَكَاهُ عَنِ الْوَاقِدِيُّ: وَكَانَ أَمِيرَ دِمَشْقَ فِي هَذِهِ السَّنَةِ عُمَيْرُ بْنُ سَعِيدٍ، وَهُوَ أَيْضًا عَلَى حِمْصَ وَحَوْرَانَ وَقِنَّسْرِينَ وَالْجَزِيرَةِ، وَكَانَ مُعَاوِيَةُ عَلَى الْبَلْقَاءِ وَالْأُرْدُنِّ، وَفِلَسْطِينَ، وَالسَّوَاحِلِ وَأَنْطَاكِيَةَ وَغَيْرِ ذَلِكَ.
[ذِكْرُ مَنْ تُوُفِّيَ فِي هَذِهِ السَّنَةِ]
ِ أَعْنِي سَنَةَ إِحْدَى وَعِشْرِينَ خَالِدُ بْنُ الْوَلِيدِ
ابْنُ الْمُغِيرَةِ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ بْنِ مَخْزُومٍ الْقُرَشِيُّ، أَبُو سُلَيْمَانَ الْمَخْزُومِيُّ، سَيْفُ اللَّهِ، أَحَدُ الشُّجْعَانِ الْمَشْهُورِينَ، لَمْ يُقْهَرْ فِي جَاهِلِيَّةٍ وَلَا إِسْلَامٍ. وَأُمُّهُ عَصْمَاءُ بِنْتُ الْحَارِثِ، أُخْتُ لُبَابَةَ بِنْتِ الْحَارِثِ، وَأُخْتُ مَيْمُونَةَ بِنْتِ الْحَارِثِ أُمِّ الْمُؤْمِنِينَ.
قَالَ الْوَاقِدِيُّ: أَسْلَمَ أَوَّلَ يَوْمٍ مِنْ صَفَرٍ سَنَةَ ثَمَانٍ، وَشَهِدَ مُؤْتَةَ وَانْتَهَتْ إِلَيْهِ الْإِمَارَةُ يَوْمَئِذٍ عَنْ غَيْرِ إِمْرَةٍ، فَقَاتَلَ يَوْمَئِذٍ قِتَالًا شَدِيدًا لَمْ يُرَ مِثْلُهُ، انْدَقَّتْ فِي
পৃষ্ঠা - ৫৬২৫
পরাজয় বরণ করেননি ৷ তবে মায়ের নাম আসমা বিনত আল-হারিস ৷ লুবাবাহ বিনত
আল-হারি স ও উঘুল মৃমিনীন মাইমুনাহ বিনত আল-হারিসের তগ্নি ৷
আল্লামা ওয়াকিদী (র) বলেন, “তিনি ৮ম হিত্তরীির সফর মাসের প্রথম তারিখ ইসলাম
গ্রহণ করেন ৷ মুতার যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন ৷ সেনাপতির নিয়োগপ্রাপ্ত হওয়া ব্যতীত তিনি
সেনাপতির দায়িত্ব পালন করার সুযোগ পান ৷ ঐদিন তিনি এত ভীষণ যুদ্ধ করেন যা কেউ
কোন দিন দেখেনি ৷ তার হাতে নয়টি তলোয়াৱ ভেঙ্গে যায় ৷ আর তীর হাতে শুধুমাত্র ইয়ামানী
একটি তলোয়াৱ টিকে থাকে ৷ রাসুলুল্লাহ্গ্লুটু রশাদ করেন, “যায়িদ (রা) ঝাণ্ডা গ্রহণ করে
ও শাহাদতপ্রাপ্ত হয় ৷ তারপর জাফর (রা) ঝাণ্ডা গ্রহণ করে ও শাহাদত প্ৰড়াপ্ত হয় ৷ এরপর
আবদুল্লাহ ইবন রাওয়াহা (রা) ঝাণ্ডা গ্রহণ করে শাহাদতপ্রাপ্ত হয় ৷ তারপর আল্লাহর
তলোয়ারসমুহ্ হতে একটি তলোয়াৱ ঝাণ্ডা গ্রহণ করে এবং আল্লাহ তাআলা তার হাতেই বিজয়
দান করেন ৷
বর্ণিত রয়েছে ইয়ারমুক যুদ্ধের দিন খালিদ (রা)-এর টুপি নিচে পড়ে যায় ৷ আর তিনি
ছিলেন যুদ্ধে রত ৷ পরে তিনি এটার খোজে অত্যন্ত ব্যস্ত হয়ে পড়েন ৷ তাকে এ ব্যাপারে মৃদু
ভহ্সনা করা হয় তখন তিনি বলেন, এটার মধ্যে রাসুলুল্লাহ্ম্চ্প্হুৰু এর মাথা মুবারকের
অগ্রভাগের কিছু মুবারক চুল ছিল ৷ আর এগুলো যতদিন যুদ্ধে আমার সাথে ছিল এগুলোর
বদৌলতে আমি জয়লাভ করেছি ৷ ইমাম আহমদ (র) সংকলিত মুসনাদে, আলু ওয়ালীদ ইবন
মুসলিম ও ওয়াহশী ইবন হাবৃব এর মাধ্যমে হযরত আবু বকর সিদ্দীক (রা) হতে বর্ণিত রয়েছে
যে, তিনি যখন খালিদ (রা)-কে ইসলাম ধর্ম ত্যাগীদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার জন্যে নির্দেশ দেন,
তখন তিনি বলেন, আমি রাসুলুল্লাহ্ড়ো ণ্ক বলতে শুনেছি ৷ তিনি বলেন, মহান আল্লাহর
বান্দা ও কুটুম্ব খালিদ ইবন আল ওয়ালিদ (রা) অত্যন্ত ভাল লোক ৷ আর খালিদ ইবন
অড়াল-ওয়ালিদ (রা) আল্লাহর তলোয়ারসমুহের একটি তলোয়াৱ ৷ এটাকে আল্লাহ তাআলা
কাফির ও মুনাফিকদের বিরুদ্ধে উন্মুক্ত রেখেছেন ৷
ইমাম আহমদ (র) আবদুল মালিক ইবন উমাইর (র) হতে বর্ণনা করেন ৷ তিনি
বলেন, হযরত উমর (রা) যখন আবু উবাইদা (রা)-কে সিরিয়ার আমীর নিযুক্ত করেন এবং
খালিদ ইবন আল ওয়ালীদ (রা)-কে বরখাস্ত করেন, তখন খালিদ (রা) বলেন, “তোমাদের
কাছে মুসলিম উম্মাহর আমীন (বিশ্বস্ত ব্যক্তি)-কে প্রেরণ করা হয়েছে ৷ আমি রাসুলুল্পাহগ্লুষ্ঠু;ৰু
-ণ্ক বলতে শুনেছি ৷ তিনি বলেন, “এ উষ্মড়াহর আমীন (বিশ্বস্ত ব্যক্তি) হলেন আবু উবাইদা
ইবনুল জাৰ্বাহ ৷” তখন আবুউবাইদা (রা) বলেন, “আমি রাসুলুল্লাহ্লোঃ কে বলতে শুনেছি ৷
তিনি বলেন, “খালিদ (রা) আল্লাহর তলোয়াৱ সমুহের মধ্য হতে একটি তলোয়াৱ এবং অতি
উত্তম আত্মীয় যুবক ৷ ”
ইবন আসাকির (র) বিভিন্ন সাহাবীর মাধ্যমে বিজ্যি সুত্রে বর্ণনা করেন ৷ সহীহ বুখারীতে
উল্লেখ রয়েছে ৷ খালিদ (রা) এর যাকাত ঠিকমত আদায় না করার অভিযোগের প্ৰতি উত্তরে
রাসুলুল্লাহমোঃ বলেন, “তবে খালিদ, তোমরা খালিদের উপর ত্তনুেম করছ ৷ কেননা, সে তার
যুদ্ধ বর্মগুলো আল্লাহর রাস্তায় ওয়াকফ করে দিয়েছে ৷ আর নিজেকেও আল্লাহর পথে বিলিয়ে
দিয়েছে ৷” র ড়াসুলুল্লাহ্ড়ো এর জীবদ্দশায় তিনি পবিত্র মক্কা বিজয়ে ও হুনাইনের যুদ্ধে
يَدِهِ تِسْعَةُ أَسْيَافٍ، وَلَمْ تَثْبُتْ فِي يَدِهِ إِلَّا صَفِيحَةٌ يَمَانِيَةٌ. وَقَدْ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «أَخَذَ الرَّايَةَ زَيْدٌ فَأُصِيبَ، ثُمَّ أَخَذَهَا جَعْفَرٌ فَأُصِيبَ، ثُمَّ أَخَذَهَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ رَوَاحَةَ فَأُصِيبَ، ثُمَّ أَخَذَهَا سَيْفٌ مِنْ سُيُوفِ اللَّهِ فَفَتَحَ اللَّهُ عَلَى يَدَيْهِ»
وَقَدْ رُوِيَ أَنَّ خَالِدًا سَقَطَتْ قَلَنْسُوَتُهُ يَوْمَ الْيَرْمُوكِ وَهُوَ فِي الْحَرْبِ، فَجَعَلَ يَسْتَحِثُّ فِي طَلَبِهَا، فَعُوتِبَ فِي ذَلِكَ، فَقَالَ: إِنَّ فِيهَا شَيْئًا مِنْ شَعْرِ نَاصِيَةِ رَسُولِ اللَّهِ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَإِنَّهَا مَا كَانَتْ مَعِيَ فِي مَوْقِفٍ إِلَّا نُصِرْتُ بِهَا.
وَقَدْ رُوِّينَا فِي " مُسْنَدِ أَحْمَدَ " مِنْ طَرِيقِ الْوَلِيدِ بْنِ مُسْلِمٍ، عَنْ وَحْشِيِّ بْنِ حَرْبٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ جَدِّهِ وَحْشِيِّ بْنِ حَرْبٍ، عَنْ أَبِي بَكْرٍ الصِّدِّيقِ، أَنَّهُ لَمَّا أَمَّرَ خَالِدًا عَلَى حَرْبِ أَهْلِ الرِّدَّةِ قَالَ: سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، يَقُولُ: «فَنِعْمَ عَبْدُ اللَّهِ وَأَخُو الْعَشِيرَةِ خَالِدُ بْنُ الْوَلِيدِ، سَيْفٌ مِنْ سُيُوفِ اللَّهِ، سَلَّهُ اللَّهُ عَلَى الْكُفَّارِ وَالْمُنَافِقِينَ»
وَقَالَ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا حُسَيْنٌ الْجُعْفِيُّ، عَنْ زَائِدَةَ، عَنْ عَبْدِ الْمَلِكِ بْنِ عُمَيْرٍ، قَالَ: اسْتَعْمَلَ عُمَرُ بْنُ الْخَطَّابِ أَبَا عُبَيْدَةَ عَلَى الشَّامِ وَعَزَلَ خَالِدَ بْنَ
পৃষ্ঠা - ৫৬২৬
الْوَلِيدِ، فَقَالَ خَالِدٌ: بَعَثَ عَلَيْكُمْ أَمِينَ هَذِهِ الْأُمَّةِ، سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، يَقُولُ: «أَمِينُ هَذِهِ الْأُمَّةِ أَبُو عُبَيْدَةَ بْنُ الْجَرَّاحِ» فَقَالَ أَبُو عُبَيْدَةَ: سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، يَقُولُ: ( «خَالِدٌ سَيْفٌ مِنْ سُيُوفِ اللَّهِ، نِعْمَ فَتَى الْعَشِيرَةِ» . وَقَدْ أَوْرَدَهُ ابْنُ عَسَاكِرَ مِنْ حَدِيثِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي أَوْفَى، وَأَبِي هُرَيْرَةَ، وَمِنْ طُرُقٍ مُرْسَلَةٍ يُقَوِّي بَعْضُهَا بَعْضًا.
وَفِي الصَّحِيحِ: «وَأَمَّا خَالِدٌ فَإِنَّكُمْ تَظْلِمُونَ خَالِدًا، وَقَدِ احْتَبَسَ أَدْرَاعَهُ وَأَعْتَادَهُ فِي سَبِيلِ اللَّهِ» ".
وَشَهِدَ الْفَتْحَ، وَشَهِدَ حُنَيْنًا، وَغَزَا بَنِي جَذِيمَةَ أَمِيرًا فِي حَيَاتِهِ، عَلَيْهِ الصَّلَاةُ وَالسَّلَامُ، وَاخْتُلِفَ فِي شُهُودِهِ خَيْبَرَ. وَقَدْ دَخَلَ مَكَّةَ يَوْمَئِذٍ أَمِيرًا عَلَى طَائِفَةٍ مِنَ الْجَيْشِ، وَقَتَلَ خَلْقًا كَثِيرًا مِنْ قُرَيْشٍ، كَمَا قَدَّمْنَا ذَلِكَ مَبْسُوطًا فِي مَوْضِعِهِ، وَلِلَّهِ الْحَمْدُ وَالْمِنَّةُ. وَبَعَثَهُ رَسُولُ اللَّهِ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، إِلَى الْعُزَّى - وَكَانَتْ لِهَوَازِنَ - فَكَسَرَ أَنْفَهَا أَوَّلًا، ثُمَّ دَعْثَرَهَا وَجَعَلَ يَقُولُ:
يَا عُزَّ كُفْرَانَكِ لَا سُبْحَانَكِ ... إِنِّي رَأَيْتُ اللَّهَ قَدْ أَهَانَكِ
ثُمَّ حَرَّقَهَا.
পৃষ্ঠা - ৫৬২৭
অংশগ্রহণ করেন ৷ আর বনু জুযাইমার বিরুদ্ধে সেনাপতি হিসেবে যুদ্ধ করেছেন ৷ তার খায়বার
যুদ্ধে অংশগ্রহণ সম্পর্কে মতভেদ রয়েছে ৷ পবিত্র মক্কা বিজয়ের সময় তিনি সেনাবাহিনীর
একাংশের সেনাপতি হিসাবে পবিত্র মক্কায় প্রবেশ করেন ৷ আর কুরাইশ বংশের বহুলােককে
তিনি হত্যা করেন ৷ রাসুলুল্লাহ্,স্পাখ খালিদ (রা) কে আল-উজ্জার প্রতি প্রেরণ করেন ৷ আর
আলউজ্জা ছিল বনু হাওয়াযিনের দেবী ৷ হযরত খালিদ (রা) প্রথমত তার মাথা ভেঙ্গে দেয় ৷
তারপর তার দেহসর্বস্ব ভেঙ্গে ফেলে ৷ এ প্রসংগে তিনি বলেনঃ
ৰু৷ ;াট্রুদ্বুহ্র প্রুষ্টুছুাঠু
অর্থাৎ হে উজ্জা ৷ তোমার প্ৰতি ঘৃণা পোষণ করছি, তোমার পবিত্রতা বর্ণনা করছি না ৷ আমি
বুঝতে পেয়েছি যে আল্লাহ্ তাআলা তোমাকে অপমানিত করবেন ৷ তারপর তিনি এটাকে
পুড়িয়ে দিলেন ৷
রাসুলুল্লাহ্দ্বুক্ট্র এর ইনতিকালের পর আবু বকর সিদ্দীক (রা) তাকে ইসলাম ত্যাগী ও
যাকাত আদায়ে অস্বীকৃতি ৩জ্ঞপেনকারীদের বিরুদ্ধে জিহাদ করার জন্যে প্রেরণ করেন ৷ তিনি তা
কঠোর হস্তে দমন করেন ৷ তারপর ইরাকের দিকে তিনি মনোযোগ দিলেন ৷৩ তারপর তিনি
সিরিয়ার আগমন করলেন ৷ তিনি এসব অভিযানে এত সম্মান ও সফলতা অর্জন করেন যে,
এগুলো সম্বন্ধে অবগত হলে অন্তর ঠাণ্ডা হয়ে যায়, চোখ জুড়িয়ে যায় এবং কানে শুনলে অত্যন্ত
তৃপ্তি পাওয়া যায় ৷৩ তারপর উমর (রা)৩ তাকে সেনাপতির পদ থেকে বরখাস্ত করেন এবং আবু
উবাইদা (রা) কে উক্ত পদে অধিষ্ঠিত করেন ৷ তবে খালিদ (রা) £-ক যুদ্ধের পরামর্শদাতা
হিসাবে সেনাবাহিনীতে বহাল রাখেন ৷ তিনি ৷রাগশয্যায় মৃতু ভ্যু হওয়া পর্যন্ত সিরিয়ায়ই অবস্থান
করেন ৷
আবদুর রহমান ইবন আবু যিনাদ (র)-এর মাধ্যমে আল্লামা ওয়াকিদী বর্ণনা করেন যে,
যখন খালিদ (রা)-এর মৃত্যু নিকটবর্তী হয় তখন তিনি র্কাদতে থাকেন ও বলেন, “আমি অমুক
অমুক যুদ্ধে অংশ্যাহণ করেছি ৷ আমার শরীরে এক বিঘত জায়গাও বাকি নেই যেখানে কোন
তরবারির কিৎব৷ বর্শার অথবা তীরের আঘাত নেই ৷ আর এখন আমি আমার ব্লোগশয্যায় একটি
উটের ন্যায় স্বাভাবিকভাবে মৃত্যুবরণ করছি ৷ দুর্বলদের চোখ যেন না ঘুমায় ৷ অর্থাৎ সকলকে
সতর্ক থাকা প্রয়োজন বলে আমি বিশ্বাস রাখি ৷
আবু ইয়ালা (র) কইিস (ব) হতে বর্ণনা করেন ৷ তিনি বলেন ৪খালিদ ইবন
আল-ওয়ালীদ (বা) বলেন, “যে রাতে আমার কাছে কোন নববধুর আগমন ঘটেছে কিত্ব৷ যে
রাতে আমাকে সন্তান হওয়ার সুসংবাদ প্রদান করা হয়েছে ঐ রাত থেকে অধিক প্রিয় নয়, যে
রাতে মুহাজির যােদ্ধাগণ কোন একটি সারীয়া বা ক্ষুদ্র সৈন্যদল প্রেরণের প্রস্তুতি নিচ্ছে, কেননা
তারা প্রভ্যুষে শত্রুর মুকাবিলা করবে ৷”
আবু বকর ইবন আইয়াশ খইিসামা (র) হতে বর্ণনা করেন ৷ তিনি বলেন, “এক
বোতল মর্দ নিয়ে একটি লোক খালিদ (রা)-এর কাছে আগমন করেন ৷ তখন খালিদ (রা)
বলেন : হে আল্লাহ্৷ এটাকে মধুতে পরিণত করে দাও ৷ অমনি মদ মধুতে রুপান্তরিত হয়ে
গেল ৷” এ হাদীসটি বিভিন্ন সুত্রে বর্ণিত হয়েছে ৷ এক সুত্রে বলা হয়েছে যে,এক ব্যক্তি খালিদ
وَقَدِ اسْتَعْمَلَهُ الصِّدِّيقُ بَعْدَ رَسُولِ اللَّهِ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، عَلَى قِتَالِ أَهْلِ الرِّدَّةِ وَمَانِعِي الزَّكَاةِ، فَشَفَى وَاشْتَفَى. ثُمَّ وَجَّهَهُ إِلَى الْعِرَاقِ ثُمَّ إِلَى الشَّامِ، فَكَانَتْ لَهُ مِنَ الْمَقَامَاتِ مَا ذَكَرْنَاهَا مِمَّا تَقَرُّ بِهَا الْقُلُوبُ وَالْعُيُونُ، وَتَتَشَنَّفُ بِهَا الْأَسْمَاعُ. ثُمَّ عَزَلَهُ عُمَرُ عَنْهَا وَوَلَّى أَبَا عُبَيْدَةَ وَأَبْقَاهُ مُسْتَشَارًا فِي الْحَرْبِ، وَلَمْ يَزَلْ بِالشَّامِ حَتَّى مَاتَ عَلَى فِرَاشِهِ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ.
وَقَدْ رَوَى الْوَاقِدِيُّ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ أَبِي الزِّنَادِ، عَنْ أَبِيهِ قَالَ: لَمَّا حَضَرَتْ خَالِدًا الْوَفَاةُ بَكَى، ثُمَّ قَالَ: لَقَدْ حَضَرْتُ كَذَا وَكَذَا زَحْفًا، وَمَا فِي جَسَدِي شِبْرٌ إِلَّا وَفِيهِ ضَرْبَةٌ بِسَيْفٍ، أَوْ طَعْنَةٌ بِرُمْحٍ، أَوْ رَمْيَةٌ بِسَهْمٍ، وَهَا أَنَا أَمُوتُ عَلَى فِرَاشِي حَتْفَ أَنْفِي كَمَا يَمُوتُ الْبَعِيرُ، فَلَا نَامَتْ أَعْيُنُ الْجُبَنَاءِ.
وَقَالَ أَبُو يَعْلَى: ثَنَا شُرَيْحُ بْنُ يُونُسَ، ثَنَا يَحْيَى بْنُ زَكَرِيَّا، عَنْ إِسْمَاعِيلَ بْنِ أَبِي خَالِدٍ، عَنْ قَيْسٍ قَالَ: قَالَ خَالِدُ بْنُ الْوَلِيدِ: مَا لَيْلَةٌ تُهْدَى إِلَيَّ فِيهَا عَرُوسٌ، أَوْ أُبَشَّرُ فِيهَا بِغُلَامٍ، بِأَحَبَّ إِلَيَّ مِنْ لَيْلَةٍ شَدِيدَةِ الْجَلِيدِ فِي سَرِيَّةٍ مِنَ الْمُهَاجِرِينَ أُصَبِّحُ بِهِمُ الْعَدُوَّ.
পৃষ্ঠা - ৫৬২৮
وَقَالَ أَبُو بَكْرِ بْنُ عَيَّاشٍ، عَنِ الْأَعْمَشِ، عَنْ خَيْثَمَةَ قَالَ: أُتِيَ خَالِدٌ بِرَجُلٍ مَعَهُ زِقُّ خَمْرٍ، فَقَالَ: اللَّهُمَّ اجْعَلْهُ عَسَلًا. فَصَارَ عَسَلًا. وَلَهُ طُرُقٌ، وَفِي بَعْضِهَا: مَرَّ عَلَيْهِ رَجُلٌ مَعَهُ زِقُّ خَمْرٍ، فَقَالَ لَهُ خَالِدٌ: مَا هَذَا؟ قَالَ: خَلٌّ. فَقَالَ: اللَّهُمَّ اجْعَلْهُ خَلًّا. فَلَمَّا رَجَعَ إِلَى أَصْحَابِهِ قَالَ: جِئْتُكُمْ بِخَمْرٍ لَمْ تَشْرَبِ الْعَرَبُ مِثْلَهُ. ثُمَّ فَتَحَهُ فَإِذَا هُوَ خَلٌّ، فَقَالَ: أَصَابَتْهُ وَاللَّهِ دَعْوَةُ خَالِدٍ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ.
وَقَالَ حَمَّادُ بْنُ سَلَمَةَ، عَنْ ثُمَامَةَ، عَنْ أَنَسٍ قَالَ: الْتَقَى خَالِدٌ عَدُوًّا لَهُ، فَوَلَّى عَنْهُ الْمُسْلِمُونَ مُدْبِرِينَ وَثَبَتَ هُوَ وَأَخِي الْبَرَاءُ بْنُ مَالِكٍ، وَكُنْتُ بَيْنَهُمَا وَاقِفًا، قَالَ: فَنَكَسَ خَالِدٌ رَأْسَهُ سَاعَةً إِلَى الْأَرْضِ، ثُمَّ رَفَعَ رَأْسَهُ إِلَى السَّمَاءِ سَاعَةً - قَالَ: وَكَذَلِكَ كَانَ يَفْعَلُ إِذَا أَصَابَهُ مِثْلُ هَذَا - ثُمَّ قَالَ لِأَخِي الْبَرَاءِ: قُمْ. فَرَكِبَا، وَاخْتَطَبَ خَالِدٌ مَنْ مَعَهُ مِنَ الْمُسْلِمِينَ، وَقَالَ: مَا هُوَ إِلَّا الْجَنَّةُ، وَمَا إِلَى الْمَدِينَةِ سَبِيلٌ. ثُمَّ حَمَلَ بِهِمْ فَهَزَمَ الْمُشْرِكِينَ.
وَقَدْ حَكَى مَالِكٌ، عَنْ عُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ أَنَّهُ قَالَ لِأَبِي بَكْرٍ: اكْتُبْ إِلَى
পৃষ্ঠা - ৫৬২৯
(রা)-৫ক অতিক্রম করছিলেন তার সাথে ছিল এক পাত্র কিংবা এক বোতল মদ ৷ খালিদ (রা)
প্রশ্ন করলেন, এটা কি : সে বলল, মধু তিনি বললেন, “হে আল্লাহ্ এটাকে সিরকা করে দাও ৷
সে যখন তার সাথীদের কাছে প্রত্যাবর্তন করল তখন সে বলল, আমি তোমাদের জন্যে এত
ভাল মদ এসেছি যা আববরা কােনদিনও পান করেনি ৷ এরপর সে পাত্র কিৎবা বােতলের মুখ
খুলল এবং৫ দেখল যে, এটা সিরকাম্ন ৷ তখন সে বলল, “আল্লাহর শপথ! এতে খালিদ (রা) এর
অভিশাপ লেগেছে ৷”
হাম্মাদ ইবন সালামাহ (র) আনাস (বা) হতে বর্ণনা করেন ৷ তিনি বলেন, একবার
খালিদ (রা) তার একজন শত্রুর সাথে সাক্ষাৎ করল ৷ মুসলমানগণ পরাজিত হয়ে তার থেকে
মুখ ফিরিয়ে নিল ৷ কিন্তু খালিদ (রা) ও আল-বারা ইবন মালিক-এর এক ভাই অটল রইলেন ৷
আর তাদের দু’জনেব মাঝে আমি দণ্ডায়মান ছিলাম ৷ খালিদ (বা) তার মাথা নিচু করলেন ও
মাটির দিকে ঘস্টাখানেক তাকিয়ে রইলেন ৷ তারপর মাথা উঠালেন ৫বং আকাশের দিকে ঘন্টা
খানেক তাকিয়ে রইলেন ৷ আর এরকম পরিস্থিতির শিকার হলে তিনি সব সময়ে এরুপ
করতেন ৷ তারপর তিনি আল-বারার ভাইকে বললেন, “প্রস্তুত হও ৷” দু’জন নওয়াব হলেন
এবং যে সব মুসলমান তার সাথে ছিলেন তাদেরকে সম্বোধন করে খালিদ (রা) বললেন,
জান্নাত ব্যতীত এটা আর কিছুই নয় ৷ পবিত্র মদীনায় প্রত্যাবর্ভনের কোন সুযোগ নেই ৷”
তারপর তিনি তাদেরকে আক্রমণ করলেন এবং মুশরিকদেরকে পরাজিত করলেন ৷
মালিক (র) উমর ইবন আল খাত্তাব (বা) হতে বর্ণনা করেন ৷ তিনি আবু বকর (রা) কে
বললেন, খালিদ (রা) কে তুমি পত্র লিখে জানিয়ে দাও, সে যেন তোমার অনুমতি ব্যতীত কোন
বকরী কিংবা উট কাউকে প্রদান না করে ৷ আবু বকর (রা) খালিদ (বা) এর কাছে অনুরুপ পত্র
লিখলেন ৷ খালিদ (রা) প্রতিউত্তরে খলীফা আবু বকর সিদ্দীক (রা)-৫ক লিখলেন ৷ তুমি আমার
আমলের ক্ষেত্রে কোন প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করবে না ৷ আর যদি কর তাহলে তোমার ব্যাপার
নিয়ে তুমি থাকবে ৷ অর্থাৎ আমার সাথে ৫৩ ড়ামার কোন সম্পর্ক থাকবে না ৷ এ পত্রের প্রেক্ষিতে
হযরত উমর (রা) তাকে বরখাস্ত করার ইং গিত করলেন ৷ আবু বকর (রা) তখন বললেন,
“খালিদ (রা) এর পরিবর্তে ৩৫ক কাজ করবে ? উমর (রা) বললেন, আমি করব ৷’ তিনি
বললেনং তৃমিষ্ এরপর উমর (রা) প্রস্তুতি নিলেন ৷ তারপর কতিপয় সাহাবায়ে কিরাম
খলীফার নিকট আগমন করলেন এবং উমর (রা)-৫ক মদীনায় ও খালিদ (রা)-৫ক সিরিয়ার
বলবৎ রাখার জন্যে ইংগিত করলেন ৷ আর খলীফা তাই করলেন ৷ যখন উমর (রা) খলীফা হন
তিনি খালিদ (রা)-এর কাছে অনুরুপ পত্র লিখলেন এবং খালিদ (রা)ও অনুরুপ প্রতিউত্তর প্রদান
করলেন ৷ উমর (রা) তাকে বরখাস্ত করলেন এবং বললেন, যে ব্যাপারে আবু বকর (রা)-৫ক
নির্দেশ দেওয়ার জন্যে আল্লাহ্ তাআলা আমাকে তওফিক ৫দননি তা আমি নিজেই জারি করব ৷
ইমাম বুখারী (র) তার কিতাব আত-তারীখ,-এ ও অন্যান্য ইয়াসার ইবন সৃমাই
আল-বারনী (ব)-এর মাধ্যমে বর্ণনা করেন ৷ তিনি বলেন : খালিদ (রা) এর অব্যাহতি সম্পর্কে
জাবীয়া নামক স্থানে হযরত উমর (রা)-এর দুঃখ প্রকাশকালে তাকে বলতে শুনেছি ৷ তিনি
বলেন, আমি তাকে এ সম্পদ মুহাজিব অনাথদের জন্যে সংরক্ষণ করার নির্দেশ প্রদান
করেছিলাম কিন্তু যে সাধারণ অভাবপ্রস্ত, ধনী ও বাকপটুদের মধ্যে বণ্টন করে ৫ফলেছে ৷
خَالِدٍ أَنْ لَا يُعْطِيَ شَاةً وَلَا بَعِيرًا إِلَّا بِأَمْرِكَ. فَكَتَبَ أَبُو بَكْرٍ إِلَى خَالِدٍ بِذَلِكَ، فَكَتَبَ إِلَيْهِ خَالِدٌ: إِمَّا أَنْ تَدَعَنِي وَعَمَلِي، وَإِلَّا فَشَأْنَكَ بِعَمَلِكَ. فَأَشَارَ عَلَيْهِ عُمَرُ بِعَزْلِهِ، فَقَالَ أَبُو بَكْرٍ: مَنْ يُجْزِي عَنِّي جَزَاةَ خَالِدٍ؟ قَالَ عُمَرُ: أَنَا. قَالَ: فَأَنْتَ. فَتَجَهَّزَ عُمَرُ حَتَّى أُنِيخَتِ الظَّهْرُ فِي الدَّارِ، ثُمَّ جَاءَ الصَّحَابَةُ فَأَشَارُوا عَلَى الصِّدِّيقِ بِإِبْقَاءِ عُمَرَ بِالْمَدِينَةِ وَإِبْقَاءِ خَالِدٍ بِالشَّامِ، فَلَمَّا وَلِيَ عُمَرُ كَتَبَ إِلَى خَالِدٍ بِذَلِكَ، فَكَتَبَ إِلَيْهِ خَالِدٌ بِمِثْلِ ذَلِكَ، فَعَزَلَهُ، وَقَالَ: مَا كَانَ اللَّهُ لِيَرَانِيَ آمُرُ أَبَا بَكْرٍ بِشَيْءٍ لَا أُنْفِذُهُ أَنَا.
وَقَدْ رَوَى الْبُخَارِيُّ فِي " التَّارِيخِ "، وَغَيْرِهِ، مِنْ طَرِيقِ عَلِيِّ بْنِ رَبَاحٍ، عَنْ نَاشِرَةَ بْنِ سُمَيٍّ الْيَزَنِيِّ قَالَ: سَمِعْتُ عُمَرَ يَعْتَذِرُ إِلَى النَّاسِ بِالْجَابِيَةِ مِنْ عَزْلِ خَالِدٍ، فَقَالَ: أَمَرْتُهُ أَنْ يَحْبِسَ هَذَا الْمَالَ عَلَى ضَعَفَةِ الْمُهَاجِرِينَ، فَأَعْطَاهُ ذَا الْبَأْسِ، وَذَا الشَّرَفِ وَاللِّسَانِ، وَأَمَّرْتُ أَبَا عُبَيْدَةَ. فَقَالَ أَبُو عَمْرِو بْنُ حَفْصِ بْنِ
পৃষ্ঠা - ৫৬৩০
এজন্যে আমি আবু উবাইদা (রা)-কে আমীর নিযুক্ত করেছি ৷” তখন আবু আমর ইবন হাফস
ইবন আল-মুপীরা বলেন, হে উমর ৷ (রা) তোমার দুঃখ প্রকাশ সঠিক হয়নি ৷ যাকে রাসুলুল্লাহ্
হ্র’প্ষ্ষ্ ,ৰু আমীর নিযুক্ত করেছেন তাকে তুমি অব্যাহতি দিয়েছ, যে ঝাণ্ডা রাসুলুল্লাহ্স্লেউত্তোলন
করেছেন তুমি তা অবনত করেছ, যে তলোয়ার আল্লাহ্ তাআলা কােষমুক্ত রেখেছেন তুমি তা
কােষযুক্ত করে দিলে ৷ আর তুমি আত্মীয়তার বন্ধন ছিন্ন করছ এবং তুমি তোমার মামাতো
ভইিয়ের সাথে হিংসা করছ ৷” তখন উমর (রা) বলেন, তুমি আমার নিকট-আত্মীয় ৷ এটা সত্য
যে, বয়সের অপরিপকৃতা তোমার চাচাভো ভইিয়ের মধ্যে ক্রোধ উদ্রেক করে থাকে ৷
আল্লামা ওয়াকিদী, মুহাম্মদ ইবন সাঈদ ও অন্যরা বলেন : হযরত খালিদ ইবন ওয়ালীদ
(রা) হিম্সৃ শহর থেকে এক মাইল দুরবর্তি জায়গায় ২১ হিজরীতে ইনতিকাল করেন এবং
ইনতিকলের সময় উমর ইবন আল খাত্তাব (রা)-কে ওসীয়ত করেন ৷ আল্লামা দাহীম ও অন্যরা
বলেন, “তিনি মদীনায় ইনতিকাল করেন ৷ প্রথম অভিমতটিই বিশুদ্ধ ৷ উমর (রা)-এর ভহ্সনা
সম্বন্ধেও পুর্বে উল্লেখ করা হয়েছে ৷ খালিদ (রা) আল-আশৃয়াস ইবন কাইসকে দশ হাজার
দিরহাম প্রদান করেছিলেন ৷ এজন্যে উমর (রা) খালিদ (রা)-কে ভব্লুসনা করেন এবং তার
সম্পদ থেকে বিশ হাজার দিরহাম আদায় করেন ৷ পুর্বে খালিদ (রা)-এর প্ৰতি উমর (রা)-এর
ভহ্সনার কথা আরো উল্লেখ করা হয়েছে ৷ খালিদ (রা)-এর হাম্মামে প্রবেশ করা ও (মদ হারাম
হবার পুর্বে) মদের সাথে লেব্রে ফুলের নির্যাস মিশ্রিত করে শরীরে মাথার অভিযোগে উমর (রা)
তাকে অভিযুক্ত করেন ৷ উত্তরে খালিদ (রা) এসব ধুয়ে-যুছে ফেলার কথা ব্যক্ত করেন ৷
খালিদ (বা) হতে বর্ণিত রয়েছে যে, তিনি তার একজন শ্ৰীকে তালাক দেন ও বলেন, আমি
তাকে কোন সন্দেহের কারণে তালাক দেই নইি ৷ তবে, সে আমার কাছে থাকাকালীন রুগ্ন
হয়নি (মাসিক হয়নি) ৷ তার শরীরেও এ রুগ্নতার কোন চিহ্ন দেখা যায়নি, তার মাথা কিংবা
শরীরে যে কোন অংশে তার প্রতিফলনের ছাপ পড়েনি ৷
আল্পামা সইিফ (র) এবং অন্যরাও বর্ণনা করেন, “উমর (রা) যখন খালিদ (রা)-কে সিরিয়া
থেকে এবং আল-মুসান্না ইবন হারিসা (রা)-কে ইরাক থেকে অব্যাহতি দেন তখন তিনি বলেন,
আমি তাদের এ দৃজনকে এজন্যে অব্যাহতি দিয়েছি তাহলে জনগণ বুঝতে পারবে যে, তারা
এ দৃজনই ইসলামের সাহায্য করেননি বরং আল্লাহ্ তাআলইি ইসলামের সাহায্য করেছেন এবং
তিনিই সমস্ত শক্তির উৎস ৷”
আল্লামা সাইফ (র) আরো বংনাি করেন হযরত উমর (রা) যখন খালিদ (রা)-কে
কুনসারীন হতে অব্যাহতি দেন ও যা কিছু তার থেকে নেওয়া সম্ভব ছিল তা নিয়ে নেন তখন
তিনি বলেন : তুমি আমার কাছে সম্মানের অধিকারী এবং তুমি আমার কাছে অতি প্রিয় ৷ আর
এর পর হতে এমন কোন আচরণ আমি তোমার সাথে করব না যা তোমার খারাপ লাগবে ৷
আল-আসমায়ী (র) ইমাম আশ-শারী (র) হতে বর্ণনা করেন ৷ তিনি বলেন, “উমর
(রা) ও খালিদ (রা) যখন যুবক ছিলেন একবার তাদের মধ্যে সংঘর্ষ বেধে যায় ৷ খালিদ (মা)
ছিলেন উমর (রা)-এর মামাতো ভইি ৷ খালিদ (রা) উমর (রা)-এর পায়ের নলি ভেঙ্গে দেয় ৷
তারপর চিকিৎসা করা হয় ও ভাল হয়ে যায় ৷ আর এটইি তাদের মধ্যে শত্রুতার কারণ বলে
অনেকের ধারণা ৷
الْمُغِيرَةِ: مَا اعْتَذَرْتَ يَا عُمَرُ، لَقَدْ نَزَعْتَ عَامِلًا اسْتَعْمَلَهُ رَسُولُ اللَّهِ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَوَضَعْتَ لِوَاءً رَفَعَهُ رَسُولُ اللَّهِ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَأَغْمَدْتَ سَيْفًا سَلَّهُ اللَّهُ، وَلَقَدْ قَطَعْتَ الرَّحِمَ، وَحَسَدْتَ ابْنَ الْعَمِّ. فَقَالَ عُمَرُ: إِنَّكَ قَرِيبُ الْقَرَابَةِ، حَدِيثُ السِّنِّ، مُغْضَبٌ فِي ابْنِ عَمِّكَ.
قَالَ الْوَاقِدِيُّ، وَمُحَمَّدُ بْنُ سَعْدٍ، وَغَيْرُ وَاحِدٍ: مَاتَ سَنَةَ إِحْدَى وَعِشْرِينَ بَقَرْيَةٍ عَلَى مِيلٍ مِنْ حِمْصَ، وَأَوْصَى إِلَى عُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ وَقَالَ دُحَيْمٌ وَغَيْرُهُ: مَاتَ بِالْمَدِينَةِ. وَالصَّحِيحُ الْأَوَّلُ.
وَقَدَّمْنَا فِيمَا سَلَفَ تَعْزِيرَ عُمَرَ لَهُ حِينَ أَعْطَى الْأَشْعَثَ بْنَ قَيْسٍ عَشَرَةَ آلَافٍ، وَأَخْذَهُ مِنْ مَالِهِ عِشْرِينَ أَلْفًا أَيْضًا. وَقَدَّمْنَا عَتْبَهُ عَلَيْهِ لِدُخُولِهِ الْحَمَّامَ وَتَدَلُّكِهُ بَعْدَ النُّورَةِ بِدَقِيقِ عُصْفُرٍ مَعْجُونٍ بِخَمْرٍ، وَاعْتِذَارَ خَالِدٍ إِلَيْهِ بِأَنَّهُ صَارَ غَسُولًا.
وَرُوِّينَا عَنْ خَالِدٍ أَنَّهُ طَلَّقَ امْرَأَةً مِنْ نِسَائِهِ وَقَالَ: إِنِّي لَمْ أُطَلِّقْهَا عَنْ رِيبَةٍ، وَلَكِنَّهَا لَمْ تَمْرَضْ عِنْدِي وَلَمْ يُصِبْهَا شَيْءٌ فِي بَدَنِهَا وَلَا رَأْسِهَا، وَلَا فِي شَيْءٍ
পৃষ্ঠা - ৫৬৩১
مِنْ جَسَدِهَا.
وَرَوَى سَيْفٌ وَغَيْرُهُ أَنَّ عُمَرَ قَالَ حِينَ عَزَلَ خَالِدًا عَنِ الشَّامِ، وَالْمُثَنَّى بْنَ حَارِثَةَ عَنِ الْعِرَاقِ. إِنَّمَا عَزَلْتُهُمَا لِيَعْلَمَ النَّاسُ أَنَّ اللَّهَ نَصَرَ الدِّينَ لَا يَنْصُرُهُمَا، وَأَنَّ الْقُوَّةَ لِلَّهِ جَمِيعًا.
وَرَوَى سَيْفٌ أَيْضًا أَنَّ عُمَرَ قَالَ حِينَ عَزَلَ خَالِدًا عَنْ قِنَّسْرِينَ وَأَخَذَ مِنْهُ مَا أَخَذَ: إِنَّكَ عَلَيَّ لِكَرِيمٌ، وَإِنَّكَ عِنْدِي لِعَزِيزٌ، وَلَنْ يَصِلَ إِلَيْكَ مِنِّي أَمْرٌ تَكْرَهُهُ بَعْدَ ذَلِكَ.
وَقَدْ قَالَ الْأَصْمَعِيُّ، عَنْ سَلَمَةَ عَنْ بِلَالٍ، عَنْ مُجَالِدٍ، عَنِ الشَّعْبِيِّ قَالَ: اصْطَرَعَ عُمَرُ وَخَالِدٌ وَهُمَا غُلَامَانِ - وَكَانَ خَالِدٌ ابْنَ خَالِ عُمَرَ - فَكَسَرَ خَالِدٌ سَاقَ عُمَرَ، فَعُولِجَتْ وَجُبِرَتْ، وَكَانَ ذَلِكَ سَبَبَ الْعَدَاوَةِ بَيْنَهُمَا.
وَقَالَ الْأَصْمَعِيُّ، عَنِ ابْنِ عَوْنٍ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ سِيرِينَ قَالَ: دَخَلَ خَالِدٌ عَلَى عُمَرَ وَعَلَيْهِ قَمِيصُ حَرِيرٍ، فَقَالَ عُمَرُ: مَا هَذَا يَا خَالِدُ؟ فَقَالَ:
পৃষ্ঠা - ৫৬৩২
আল আসমায়ী (র) মুহাম্মদ ইবন সীরীন হতেও বর্ণনা করেন ৷ তিনি বলেন,
“একবার খালিদ (রা) উমর (রা)-এর কাছে আগমন করেন ৷ তিনি একটি ব্লেশমী জামা পরিধান
করেছিলেন ৷ উমর (রা) বলেন : এটা কি? হে খালিদ! খালিদ (রা) বলেন, “এটাতে কোন
ক্ষতি নেই হে আমীরুল মুমিনীন! আবদুর রহমান ইবন আউফ্ (বা) কি এরুপ জামা পরিধান
করেন নি?” তখন তিনি বলন, “তুমি কি ইবন আউফের মত? ইবন আউফের জন্যে যা প্রাযাজ্য
তাকি তোমার জন্যেও প্রযোজ্য? আমি চাই যারা ঘরে আছে তারা প্রত্যেকেই যেন তার সামনে
অবস্থিত আমার অংশটুকু আকড়িয়ে ধরে ৷” মুহাম্মদ ইবন সীরীন (র) বলেন, “তারা সকলে
মিলে জামাটিকে ছিড়ে ফেলল ৷ আর তার কোন কিছুই বাকি রইল না ৷”
আবদুল্লাহ ইবন আল-মৃবারক (র) আবু ওয়াবিল (বা) হতে বর্ণনা করেন ৷ তিনি
বলেন, যখন খালিদ ইবন ওয়ালীদ (রা)-এর মৃত্যু আসন্ন তখন তিনি বলেন, “আমি মহান
আল্লাহ্র রাহে শাহাদত কামনা করেছিলাম কিন্তু আমি আমার ভাগ্যের কারণে বিছানায়
মৃত্যুবরণ করছি ৷ লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ৷ এর পর ঐ রাত থেকে কোন আমল আমার কাছে অধিক
প্রিয় নয়, যে রাতটি যাপনকালে আমি যুদ্ধের ঢাল সংগ্রহে ব্যস্ত থাকি এবং যতক্ষণ না আমি
কাফিরদের উপর সাড়াশি আক্রমণ পরিচালনা করি ৷ আর সকাল পর্যন্ত আকাশ বৃষ্টি বর্ষণের
মাধ্যমে আমাকে স্বাগত জানাতে থাকে ৷ ” তারপর তিনি বলেন, “যখন আমি মরে যাব তখন
তোমরা আমার হাতিয়ার ও ঘোড়াঢিকে মহান আল্লাহ্র রাস্তায় দান করে দেবে ৷ ’ যখন তিনি
ইনতিকাল করেন উমর (বা) তার জানাযায় বের হলেন ৷ বর্ণনাকারী এ প্রসঙ্গে হযরত উমর
(রা)-এর বাণীটি উল্লেখ করেন ৷ তিনি বলেছিলেন, “ওয়ালীদের বংশের স্তীলোকদের প্ৰতি
কোন বিধি-নিষেধ নেই, তারা খালিদ (রা)-এর জন্যে অশ্রুপাত করবে যতক্ষণ না এটা নাকা ও
লাকলাকার আকার ধারণ না করে ৷ ” ইবনুল মুখতার বর্ণনাকারী বলেন, নাকা হচ্ছে মাথায় মাটি
নিক্ষেপ করা এবং লাকলাকা হচ্ছে উভৈচ্চ€হারে ক্রন্দন করা ৷
ইমাম বুখারী (র) তীর সহীহ কিতাবের মধ্যে তালীক হিসেবে বর্ণনা করতে গিয়ে বলেন,
“উমর (রা) বলেছেন, তাদেরকে আবু সুলাইমান (খালিদ) (রা)-এর জন্যে ক্রন্দন করতে
অনুমতি দেওয়া হলো যতক্ষণ না এটা নাকা’ ও লাকলাকা হয় ৷
মুহাম্মদ ইবন সাদ (রা) শাকীক ইবন সালামাহ (রা) থেকে বর্ণনা করেন ৷ তিনি
বলেন, “যখন খালিদ ইবন ওয়ালীদ (রা) ইনতিকাল করেন বনু আল-মুপীরার শ্রীলোকেরা
খালিদ (রা)-এর ঘরে একত্রিত হন এবং খালিদ (রা)-এর জন্যে ক্রন্দন করতে থাকেন ৷ উমর
(রা)-কে জানানো হলো যে, তারা খালিদ (রা)-এর ঘরে একত্রিত হয়েছে এবং তার জন্যে তারা
কান্নকােটি করছে ৷ তারা আপনাকে এমন কিছু শুনাতে বদ্ধপরিকর যা আপনি খারাপ মনে
করেন ৷ তাই আপনি তাদের কাছে লোক প্রেরণ করেন এবং তাদেরকে এরুপ করতে নিষেধ
করুন ৷ তখন উমর (রা) বলেন, “তাদের উপর কৌন বিধি-নিষেধ নেই তারা আবু সুলাইমানের
জন্যে অশ্রুপাত করতে পারবে যতক্ষণ না তার মধ্যে নাকা’ কিংবা লাকলাকা’ না হয় ৷ নাকা
হচ্ছে মাথায় মাটি নিক্ষেপ করা এবং লাকলাকা হচ্ছে উভৈচ্চ৪স্বরে ক্রন্দন করা ৷ ইমাম বুখারী (র)
তীর আত-তারীখ ( ৰুদ্ভুৰু , গ্র ৷) গ্রন্থে আল-আমাশের মাধ্যমে অনুরুপ হাদীস বর্ণনা করেছেন ৷
وَمَا بَأْسُهُ يَا أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ، أَلَيْسَ قَدْ لَبِسَهُ عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ عَوْفٍ؟ فَقَالَ: وَأَنْتَ مِثْلُ ابْنِ عَوْفٍ! وَلَكَ مِثْلُ مَا لِابْنِ عَوْفٍ! عَزَمْتُ عَلَى مَنْ بِالْبَيْتِ إِلَّا أَخَذَ كُلُّ وَاحِدٍ مِنْهُمْ بِطَائِفَةٍ مِمَّا يَلِيهِ. قَالَ: فَمَزَّقُوهُ حَتَّى لَمَّ يَبْقَ مِنْهُ شَيْءٌ.
وَقَالَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ الْمُبَارَكِ، عَنْ حَمَّادِ بْنِ زَيْدٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ الْمُخْتَارِ، عَنْ عَاصِمِ بْنِ بَهْدَلَةَ، عَنْ أَبِي وَائِلٍ - ثُمَّ شَكَّ حَمَّادٌ فِي أَبِي وَائِلٍ - قَالَ: لَمَّا حَضَرَتْ خَالِدَ بْنَ الْوَلِيدِ الْوَفَاةُ قَالَ: لَقَدْ طَلَبْتُ الْقَتْلَ فِي مَظَانِّهِ فَلَمْ يُقَدَّرْ لِي إِلَّا أَنْ أَمُوتَ عَلَى فِرَاشِي، وَمَا مِنْ عَمَلِي شَيْءٌ أَرْجَى عِنْدِي بَعْدَ لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ، مِنْ لَيْلَةٍ بِتُّهَا وَأَنَا مُتَتَرِّسٌ وَالسَّمَاءُ تَهُلُّنِي نَنْتَظِرُ الصُّبْحَ، حَتَّى نُغِيرَ عَلَى الْكُفَّارِ. ثُمَّ قَالَ: إِذَا أَنَا مِتُّ فَانْظُرُوا إِلَى سِلَاحِي وَفَرَسِي فَاجْعَلُوهُ عُدَّةً فِي سَبِيلِ اللَّهِ. فَلَمَّا تُوُفِّيَ خَرَجَ عُمَرُ عَلَى جِنَازَتِهِ، فَذَكَرَ قَوْلَهُ: مَا عَلَى نِسَاءِ آلِ الْوَلِيدِ أَنْ يَسْفَحْنَ عَلَى خَالِدٍ مِنْ دُمُوعِهِنَّ، مَا لَمْ يَكُنْ نَقْعًا أَوْ لَقْلَقَةً. قَالَ ابْنُ الْمُخْتَارِ: النَّقْعُ: التُّرَابُ عَلَى الرَّأْسِ، وَاللَّقْلَقَةُ: الصَّوْتُ. وَقَدْ عَلَّقَ الْبُخَارِيُّ فِي " صَحِيحِهِ " بَعْضَ هَذَا فَقَالَ: وَقَالَ عُمَرُ: دَعْهُنَّ يَبْكِينَ عَلَى أَبِي سُلَيْمَانَ، مَا لَمْ يَكُنْ نَقْعٌ أَوْ لَقْلَقَةٌ. وَالنَّقْعُ: التُّرَابُ عَلَى الرَّأْسِ، وَاللَّقْلَقَةُ: الصَّوْتُ.
পৃষ্ঠা - ৫৬৩৩
وَقَالَ مُحَمَّدُ بْنُ سَعْدٍ: أَنَا وَكِيعٌ وَأَبُو مُعَاوِيَةَ وَعَبْدُ اللَّهِ بْنُ نُمَيْرٍ قَالُوا: حَدَّثَنَا الْأَعْمَشُ، عَنْ شَقِيقِ بْنِ سَلَمَةَ قَالَ: لَمَّا مَاتَ خَالِدُ بْنُ الْوَلِيدِ اجْتَمَعَ نِسْوَةُ بَنِي الْمُغِيرَةِ فِي دَارِ خَالِدٍ يَبْكِينَ عَلَيْهِ، فَقِيلَ لِعُمَرَ: إِنَّهُنَّ قَدِ اجْتَمَعْنَ فِي دَارِ خَالِدٍ، وَهُنَّ خُلَقَاءُ أَنْ يُسْمِعْنَكَ بَعْضَ مَا تَكْرَهُ، فَأَرْسِلْ إِلَيْهِنَّ فَانْهَهُنَّ. فَقَالَ عُمَرُ: وَمَا عَلَيْهِنَّ أَنْ يُرِقْنَ مِنْ دُمُوعِهِنَّ عَلَى أَبِي سُلَيْمَانَ، مَا لَمْ يَكُنْ نَقْعًا أَوْ لَقْلَقَةً. وَرَوَاهُ الْبُخَارِيُّ فِي " التَّارِيخِ " مِنْ حَدِيثِ الْأَعْمَشِ بِنَحْوِهِ.
وَقَالَ إِسْحَاقُ بْنُ بِشْرٍ: وَقَالَ مُحَمَّدٌ: مَاتَ خَالِدُ بْنُ الْوَلِيدِ بِالْمَدِينَةِ فَخَرَجَ عُمَرُ فِي جِنَازَتِهِ وَإِذَا أُمُّهُ تَنْدُبُهُ وَتَقُولُ:
أَنْتَ خَيْرٌ مِنْ أَلْفِ أَلْفٍ مِنَ الْقَوْ ... مِ إِذَا مَا كَبَتْ وُجُوهُ الرِّجَالِ
فَقَالَ عُمَرُ: صَدَقْتِ، إِنْ كَانَ لَكَذَلِكَ.
وَقَالَ سَيْفُ بْنُ عُمَرَ، عَنْ مُبَشِّرٍ، عَنْ سَالِمٍ قَالَ: فَأَقَامَ خَالِدٌ فِي
পৃষ্ঠা - ৫৬৩৪
ইসহাক ইবন বাশার ও মুহাম্মদ বলেন, “খালিদ ইবন ওয়াদীল (রা) পবিত্র মদীনায়
ইনতিকাল করেন ৷ ৷ উমর (বা) তার জানাযায় বের হলেন ৷ তখন খালিদ (রা)-এর মাতা তার
ত্সা করতেগ্ গিয়ে বলেন, “হাজার হাজার সম্প্রদায় হতেও তুমি উত্তম যখন মানুষের চেহারা
পালঢিয়ে যায় ৷ অর্থাৎ মৃত ট্রুামুখে পতিত হয় ৷ উমর (রা) বলেন, “আপনি সত্য বলেছেন,
আল্লাহর শপথ সে এরকমই ছিল ৷
আল্পামা সাইফ ইবন উমর (র) সালিম (বা) হতে বর্ণনা করেন ৷ তিনি বলেন,
“খালিদ (বা) মদীনায় অবস্থান করতে লাগলেন ৷ যখন উমর (রা) অনুভব করতে লাগলেন যে
তার প্রতি জনগণের যে একটি ভ্রান্ত ধারণার ব্যাপারে তিনি ভয় করছিলেন তা ক্রমশ হান
পাচ্ছে, তখন হজ্জ থেকে আসার পর তিনি তাকে আমীর নিযুক্ত করার ইচ্ছে পোষণ করেন ৷
ন্ খালিদ (রা) এরপর অসুস্থ হয়ে পড়ালন ৷ আর এ সময় মায়ের সাথে সাক্ষাৎ করার জন্যতিনি
ছিলেন পবিত্র মদীনায় বাইরে ৷ যাকে তিনি বলেন, “আমাকে আমার হিজরতের স্থানে নিয়ে
যাও ৷ তখন তিনি তাকে নিয়ে মদীনায় আগমন করলেন ও সেবা-শুশ্রাষা করলেন ৷ উমর (র )
হজ্জ থেকে ফেরার পথে তিন দিনের রান্তার মাথায় তার সাথে মােলাকাত হওয়ায় প্রশ্ন
করেছিলেন ৷ কোন জরুরী স বাদ আছে কাি খালিদ (বা) উত্তরে বলেছিলেন, “নিজকেত ৷রী
মনে হচ্ছে অর্থাৎ অসুস্থ বোধ হচ্ছে ৷
পবিত্র মদীনা পৌছার পর এক রাতে তিনি তিনবার পড়শী খালিদ (রা) এর খোজ খবর
নেন ৷ যখন তিনি ইনতিকাল করেন উমর (রা) সং বাদ পাওয়ার পর তার জন্যে ব্যখিত হন€
ইন্ন৷ লিল্লাহে ওয়া ইন্ন৷ ইলাহি রাজিউন (চু,,ঝুৰুশু৷ ৷ ;া, <া৷ , ৷) পাঠ করেন ৷ আর
দাফন কাফলের ব্যবস্থ৷ সম্পন্ন হওয়া পর্যন্ত তার খোজ খবর নিতে থাকেন ৷ যারা ক্রন্দনকারিগী
ছিলেন তারা প্রাণভরে ক্রন্দন করলেন ৷ উমর (রা) কে বলা হলো,তু মি কি তাদের ক্রন্দন শুনছ
না? তাদেরকে কেন বাধা দিচ্ছ না? উমর (রা) বললেন, “কুৰইিশের মহিলাদের জন্যে ক্রন্দন
করার অনুমতি দেওয়া হয়েছে যতক্ষণ না নাকাও লাকলাকা’ হবে ৷ “অর্থাৎ যদি তারা মাথায়
মাটি ছিটাবার মত গর্হিত কাজ না করে এবং উভৈচ্চঘ্রস্বরে ত্রুন্দন না করে, তাহলে তাদের আবু
সুলাইমানের জন্যে অশ্রুপাত করার অনুমতি ৩রয়েছে ৷ উমর (রা) যখন তার জানাযায় বের
হলেন তখন একজন সম্মানিত ৷ মহিলাকে ক্রন্দনরত অবস্থায় দেখলেন যিনি বলছিলেন,
সােকজনের চেহারা যখন পাল্টিয়ে যায় অর্থাৎ তারা ইনতিকাল করে ৩ খন তাদের মত হাজার
হাজার লোক থেকে তুমি অধিক ভাল ৷ তারা সাহসী আর তুমি আবু আশবাল (সিংহ শাবকদের
পিতা) সিংহরুপী দামার ইবন জাহান থেকেও তুমি বেশি সাহসী ৷ র্তারা খুবই দানশীল ৷ আর
তুমি পাহাড়-পর্বত সমুহে প্লাৰিত বন্যা থেকেও বেশি ব্যাপক এবং দ্রুতগামী দানশীল ৷ উমর
(রা) বললেন, “এ ভদ্র মহিলাটি কে ? উত্তরে বলা হলো, তার মা’ তিনি বললেন, “তিনি কি
তার মা ? অন্যথায় তার জন্যে তিন দিনের গােকের অনুমতি দেওয়া হয়েছে ৷ হযরত উমর
(রা) জানার জন্যে প্রশ্ন করলেন, খালিদ (রা)-এর শোক শেষে কুরাইশ মহিলাদের কান্না
থেমেছেঃ বর্ণনাকারী বলেন, তারপর উমর (বা) তার আগমন ও একরাতে তিনবার অসুস্থ
প্রত্যিবশীর ঘোজ-খবর নেওয়ার প্রক্রিয়াটি নিজের জীবনে আরো অনুশীলন করেন ৷ করি
গােকতাপের বর্ণনায় মন্তব্য করেন :
الْمَدِينَةِ حَتَّى إِذَا ظَنَّ عُمَرُ أَنْ قَدْ سَبَكَهُ وَبَصَّرَ النَّاسَ، حَجَّ وَقَدْ عَزَمَ عَلَى تَوْلِيَتِهِ، وَاشْتَكَى خَالِدٌ بَعْدُ وَهُوَ خَارِجٌ مِنَ الْمَدِينَةِ زَائِرًا لِأُمِّهِ، فَقَالَ لَهَا: أَحْدِرُونِي إِلَى مُهَاجِرِي. فَقَدِمَتْ بِهِ الْمَدِينَةَ وَمَرَّضَتْهُ، فَلَمَّا ثَقُلَ وَأَظَلَّ قُدُومُ عُمَرَ، لَقِيَهُ لَاقٍ عَلَى مَسِيرَةِ ثَلَاثٍ صَادِرًا عَنْ حَجِّهِ، فَقَالَ لَهُ عُمَرُ: مَهْيَمْ؟ فَقَالَ: خَالِدُ بْنُ الْوَلِيدِ ثَقِيلٌ لِمَا بِهِ. فَطَوَى ثَلَاثًا فِي لَيْلَةٍ، فَأَدْرَكَهُ حِينَ قَضَى، فَرَقَّ عَلَيْهِ وَاسْتَرْجَعَ، وَجَلَسَ بِبَابِهِ حَتَّى جُهِّزَ، وَبَكَتْهُ الْبَوَاكِي، فَقِيلَ لِعُمَرَ: أَلَا تَسْمَعُ، أَلَا تَنْهَاهُنَّ؟ فَقَالَ: وَمَا عَلَى نِسَاءِ قُرَيْشٍ أَنْ يَبْكِينَ أَبَا سُلَيْمَانَ، مَا لَمْ يَكُنْ نَقْعٌ وَلَا لَقْلَقَةٌ. فَلَمَّا خَرَجَ لِجِنَازَتِهِ رَأَى عُمَرَ امْرَأَةً مُحْتَزِمَةً تَبْكِيهِ وَتَقُولُ:
أَنْتَ خَيْرٌ مِنْ أَلْفِ أَلْفٍ مِنَ النَّا ... سِ إِذَا مَا كَبَتْ وُجُوهُ الرِّجَالِ
أَشُجَاعٌ فَأَنْتَ أَشْجَعُ مِنْ لَيْ ... ثِ عَرِينٍ جَهْمٍ أَبِي أَشْبَالِ
পৃষ্ঠা - ৫৬৩৫
সয়ব্যথায় বাধিত অনুশোচনাকারিগণ তাদের উপর অবতীর্ণ মুসীবতের প্রেক্ষিতে ক্রন্দনে
রত রয়েছেন কিন্তু যারা পাহাড়ের ন্যায় অবিচল ও অনড়, র্তারা ক্রন্দন করেন না ৷ যাদের জন্যে
হে ক্রন্দনকারী তুমি র্কাদছ তারা স্বর্ণ ও পঞ্চাশ হতে একশ পর্যন্ত বিরাট বিরাট উটের চেয়েও
অধিক মুল্যবান ৷ তারা এতই অনুলচারত্ন যে, তাদের পরবর্তি সম্প্রদায় তাদের মর্যাদার পৌছার
আকাআ করেছিল কিন্তু তারা তাদের পরিপুর্ণতার উৎসগুলোর নিকটেও পৌছতে পারেনি ৷
অন্য এক বর্ণনায় রয়েছে যে, উমর (রা) খালিদ (রা) এর মাঝে বলেছিলেন, আপনি কি
খালিদ (রা) কি০ বা খালিদ (রা) এর পুরস্কারকে ক্রন্দন করে খর্ব করতে চানঃ উত্তরে তিনি
বলেন, আমি তোমার কাছে চইি যে, তুমি স্বীয় হাত, রং দ্বারা র০ :ত্গীন করার আগ পর্যন্ত এ
ব্যাপারে আমার কাছে কোন ব্যাখ্যা দাবি করবে না ৷ অর্থাৎ এ ব্যাপারে তোমার কোন প্রশ্ন আমি
পছন্দ করি না ৷ উপরোক্ত সকল বর্ণনা খালিদ (রা)-এর মৃত্যু মদীনায় সংঘটিত হয়েছে বলে
প্রমাণ করে ৷ আর এটা সমর্থন করছেন দাহীম, আবদুর রহমান ইবন ইব্রাহীম আদ-দামেশকী ৷
কিন্তু জমল্ র ইতিহাসবিদদের মতামত হচ্ছে, “তিনি ২১ হিজরীতে হিমসৃ নামক শহরে
ইনতিক৷ ৷ল করেন ৷ এসব ইতিহাসবিদের মধ্যে রয়েছেন আল্লামা ওয়াকিদী, তার লেখক মুহাম্মদ
ইবন সাদ, আবু উবাইদ আল-কাসিম ইবন সালাম, ইব্রাহীম ইবন আলমানযার, মুহাম্মদ
ইবন আবদুল্লাহ ইবন নুমাইর , আবু আবদুল্লাহ আল-উস্ফরী, মুসা ইবন আযুব, আবু সুলাইমান
ইবন আবু মুহাম্মদ ও অন্যান্য ৷
আল্লামা ওয়াকিদী আরো বলেন, হযরত খালিদ (রা) উমর (রা)-কে ওসীয়ত করেছিলেন ৷
মুহাম্মদ ইবন সাদ, ওয়াকিদী ও অন্যান্য ইতিহাসবিদের থেকে বর্ণনা করেন ৷ তারা বলেন,
উমর (রা) খালিদ (রা) কে বরখাস্ত করার পর খালিদ (রা) মদীনা আগমন করেন এবং উমরা
করেন ৷ তারপরে সিরিয়ার ফিরে যান ৷ তিনি ২১ হিজরীতে ইনতিকাল করার পুর্ব মুহ্রর্ত পর্যন্ত
তথয়ে অবস্থান করেন ৷
আল্লামা ওয়কিদী বর্ণনা করেন, “একবার উমর (রা) কয়েকজন হাজী সাহেবকে মসজিদে
কুবায় সালাত আদায় করতে দেখলেন ৷ তিনি তাদেরকে জিজ্ঞেস করেন, আপনারা সিরিয়ার
কােন্ জায়গা থেকে এসেছেন? তারা বললেন, ইিম্স শহর থেকে ৷” তিনি বললেন
আপনাদের কাছে কি কোন সংবাদ আছে ?৩ তারা বললেন, হ্যা, খালিদ ইবন ওয়ালীদ (রা)
ইনতিকাল করেছেন ৷ বর্ণনাকারী বলেন, হযরত উমর (রা) ইন্নালিল্লাহে ওয়া ইন্না ইলইিহি
রাত্তিউিন পাঠ করলেন এবং বললেন, আল্লাহর শপথ ৷ তিনি ছিলেন দৃশমনের মুকাবিলায়
প্ৰতিরােধক ও পবিত্র চরিত্ররান ৷ তখন আলী (রা) তাকে বললেন, “তাহলে তুমি তাকে কেন
বরখাস্ত করলো উত্তরে তিনি বললেন, “মর্যাদাবান ও বকেপটু লোকদের জন্যে সম্পদ ব্যয়
করার ৷ অন্য এক বর্ণনায় আছে, উমর (রা) আলী (রা)-কে বলেছেন “আমার থেকে যা কিছু
হয়েছে তার জন্যে আমি লজ্জিত
মুহাম্মদ ইবন সাদ কাইস ইবন আবু হাযিম হতে বর্ণনা করেন ৷ তিনি বলেন, যখন
খালিদ ইবন ওয়ালীদ (রা) ইনতিকাল করেন তখন উমর (রা) বলেন, “আবু সুলায়মান
(রা)-কে আল্লাহ্ রহম করুন ৷ আমরা তার সম্বন্ধে অনেক কিছু সন্দেহ করেছিলাম বিন্দু তার
মধ্যে এগুলো ছিল না ৷” জুয়ইিরিয়া নাফি হতে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন-যখন খালিদ (রা)
أَجَوَادٌ فَأَنْتَ أَجْوَدُ مِنْ سَيْ
لِ دِيَاسٍ يَسِيلُ بَيْنَ الْجِبَالِ
فَقَالَ عُمَرُ: مَنْ هَذِهِ؟ فَقِيلَ: أُمُّهُ. فَقَالَ: أُمُّهُ، وَالْإِلَهِ - ثَلَاثًا - هَلْ قَامَتِ النِّسَاءُ عَنْ مِثْلِ خَالِدٍ! قَالَ: فَكَانَ عُمَرُ يَتَمَثَّلُ فِي طَيِّهِ تِلْكَ الثَّلَاثَ فِي لَيْلَةٍ وَفِي قُدُومِهِ:
تُبَكِّي مَا وَصَلْتَ بِهِ النَّدَامَى ... وَلَا تَبْكِي فَوَارِسَ كَالْجِبَالِ
أُولَئِكَ إِنْ بَكَيْتَ أَشَدُّ فَقْدًا ... مِنَ الْأَذْهَابِ وَالْعَكَرِ الْجَلَالِ
تَمَنَّى بَعْدَهُمْ قَوْمٌ مَدَاهُمْ ... فَلَمْ يَدْنُوا لَأَسْبَابِ الْكَمَالِ
وَفِي رِوَايَةٍ أَنَّ عُمَرَ قَالَ لِأُمِّ خَالِدٍ: أَخَالِدًا وَأَجْرَهُ تَرْزَئِينَ! عَزَمْتُ عَلَيْكِ أَنْ لَا تَبِيتِي حَتَّى تَسْوَدَّ يَدَاكِ مِنَ الْخِضَابِ.
পৃষ্ঠা - ৫৬৩৬
وَهَذَا كُلُّهُ مِمَّا يَقْتَضِي مَوْتَهُ بِالْمَدِينَةِ النَّبَوِيَّةِ، وَإِلَيْهِ ذَهَبَ دُحَيْمٌ عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ إِبْرَاهِيمَ الدِّمَشْقِيُّ، وَلَكِنَّ الْمَشْهُورَ عَنِ الْجُمْهُورِ؛ وَهُمُ الْوَاقِدِيُّ، وَكَاتِبُهُ مُحَمَّدُ بْنُ سَعْدٍ، وَأَبُو عُبَيْدٍ الْقَاسِمُ بْنُ سَلَّامٍ، وَإِبْرَاهِيمُ بْنُ الْمُنْذِرِ، وَمُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ نُمَيْرٍ، وَأَبُو عَمْرٍو الْعُصْفُرِيُّ، وَمُوسَى بْنُ أَيُّوبَ، وَأَبُو سُلَيْمَانَ بْنُ أَبِي مُحَمَّدٍ، وَغَيْرُهُمْ، أَنَّهُ مَاتَ بِحِمْصَ سَنَةَ إِحْدَى وَعِشْرِينَ. زَادَ الْوَاقِدِيُّ: وَأَوْصَى إِلَى عُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ وَقَدْ رَوَى مُحَمَّدُ بْنُ سَعْدٍ، عَنِ الْوَاقِدِيِّ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ أَبِي الزِّنَادِ وَغَيْرِهِ، قَالُوا: قَدِمَ خَالِدٌ الْمَدِينَةَ بَعْدَ مَا عَزَلَهُ عُمَرُ، فَاعْتَمَرَ ثُمَّ رَجَعَ إِلَى الشَّامِ فَلَمْ يَزَلْ بِهَا حَتَّى مَاتَ فِي سَنَةِ إِحْدَى وَعِشْرِينَ.
وَرَوَى الْوَاقِدِيُّ أَنَّ عُمَرَ رَأَى حُجَّاجًا يُصَلُّونَ بِمَسْجِدِ قُبَاءَ. فَقَالَ: أَيْنَ نَزَلْتُمْ بِالشَّامِ؟ قَالُوا: بِحِمْصَ. قَالَ: فَهَلْ مِنْ مُغَرِّبَةِ خَبَرٍ؟ قَالُوا: نَعَمْ، مَاتَ خَالِدُ بْنُ الْوَلِيدِ قَالَ: فَاسْتَرْجَعَ عُمَرُ وَقَالَ: كَانَ وَاللَّهِ سَدَّادًا لِنُحُورِ الْعَدُوِّ، مَيْمُونَ النَّقِيبَةِ. فَقَالَ لَهُ عَلِيٌّ: فَلِمَ عَزَلْتَهُ؟ قَالَ: لِبَذْلِهِ الْمَالَ لِذَوِي الشَّرَفِ وَاللِّسَانِ. وَفِي رِوَايَةٍ
পৃষ্ঠা - ৫৬৩৭
ইনৃতিকাল করেন তখন তার কাছে শুধুমাত্র তার একটি ঘোড়া, একটি সোলাম ও একটি
হাতিয়ার পাওয়া গিয়েছিল ৷
আন-কাব্জী আন-মাআফা ইবন যাকারিয়া আল-হারীরী আবু আ’লী আল-হারনামী
হতে বর্ণনা করেন ৷ তিনি বলেন, “হিসাম ইবন আল-মুহতারী বনু মাখযােমের কিছু সংখ্যক
লোক সহকারে হযরত উমর ইবন আল খাত্তাব (রা)-এর কাছে আগমন করেন ৷ উমর (রা)
তাকে বলেন, হে হিসড়াম ! খালিদ (রা) সম্বন্ধে রচিত তোমার কবিতাটি আমাকে এববাের শুনাও ৷
তখন তিনি তা তাকে শুনালেন ৷ হযরত উমর (রা) বলেন, তুমি আবু সুলইিমান (রা)-এর
প্রশংসা বর্ণনায় ত্রুটি করেছ ৷ কেননা, তিনি শিবৃক ও শির্কের প্রতি আশ্রয় গ্রহণকারীকে
অবমাননা করতে পছন্দ করতেন যদিও তার হিংসুবেরাে তাকে মহান আল্লাহর অসন্তুষ্টির শিকার
করতে চেষ্টা করতেন ৷ তারপর উমর (রা) বলেন, “বনু তামীমের ভাইয়ের রচিত কবিতার
জন্যে মহান আল্লাহ তাকে ধ্বংস করুন ৷” কবিতাটি ছিল নিম্নরুপ :
যিনি চলে গেছেন তার মােকাবিলায় যিনি দুনিয়ার জীবিত থাকবেন তাকে বলে দাও সে
যেন আখিরাতের জন্যে তৈরি হয় ৷ সে যেন মৃত্যুর কাছাকাছি বিচরণ করছে ৷ আমার মৃত্যুর পর
যারা জীবিত থাকবে তাদের জীবন আমার জন্যে কোন উপকারে আসবে না ৷ আর যে আমার
পুর্বে মৃত্যুবরণ করেছে তার মৃত্যু আমার জন্যে চিরস্থায়ী মঙ্গল বহন করে আনবে না ৷
অতঃপর উমর (রা) বলেন, “আবু সুলাইমানকে আল্লাহ তা আলা রহম করুন ৷ তার জন্যে
আল্লাহ্ তা আলার দরবারে তথা আখিরাতে যে নিয়ামত মওজুদ রয়েছে তা তার দুনিয়ার
নিয়ামত হতে উত্তম ৷ তিনি যখন মৃত্যুবরণ করেন তখন তিনি ছিলেন সৌভাগ্যান ৷ তিনি
প্ৰশংসনীয় জীবন যাপন করেছেন তার যুগকে তা স্বীকার করতে দেখি নাই ৷
তুলাইহা ইবন খুওয়ইিন্সিদ
তার পুর্ণ নাম তৃলইিহা ইবন খুওয়ইিলিদ ইবন নওফল ইবন নাদ লাহ ইবন আল-আশতার
ইবন জড়াহওয়ান ইবন ফাক্য়ান ইবন তারীফ ইবন উমর ইবন কায়ীর ইবন আল-হারিস ইবন
সালাবাহ ইবন দাউদ ইবন আসাদ ইবন খুযাইমাহ আল-আসাদী আন-ফাকয়ানী ৷ তিনি
ঘুশরিকদের পক্ষ হতে যারা খব্দবেৰ যুদ্ধে যোগদান করেছিল তাদের মধ্যে ছিলেন অন্যতম ৷
তারপর ৯ম হিজরীতে ইসলাম গ্রহণ করে ৷ পবিত্র মদীনায় রাসুলুল্লাহ্মোঃ এর কাছে আগমন
করে ৷ রাসুলুল্লাহ্ ট্ট এর ইনতিকালের পর আবুবকঃ৷ সিদ্দীক (রা) এর আমলে মুরতাদ হয়ে
যায় এবং নবুয়তের দাবি করেন ৷
ইবন আসাকির বর্ণনা করেন যে, সে রাসুলুল্লাহ্জাে-এর জীবদ্দশায় নবুয়তের দাবি করে
এবং তার পুত্র খায়াল রাসুলুল্লাহ্জ্জ-এর কাছে আগমন করে ৷ রাসুলুল্পাহ্ক্রোতাকে জিজ্ঞেস
করেন, তোমার বাপের কাছে না আসে তার নাম কি? উত্তরে সে বলল, তিনি হলেন সাদের
অধিকারী-তিনি মিথ্যা বলেন না, বিশ্বাস ভঙ্গ করেন না এবং তিনি যেরুপ আছেন ঐরুপ অন্য
কেউ হতে পারেন না ৷ রাসুলুল্লাহ্মোঃ মনে মনে বলেন, যে বড় মর্যাদার অধিকারী একজন
ফিরিশতার নাম উল্লেখ করেছে ৷ তারপর রাসুলুল্লাহ্মোঃতার ছেলেকে বলেন, আল্লাহ্ তোমার
ধ্বংস করুন শাহাদত যেন তোমার জন্যে হারাম করে দেন ৷ সে যেমনি এসেছিল রাসুলুল্লাহ্
স্রতাকে এভাবে ফেরত পাঠালেন ৷
২৮
أَنَّ عُمَرَ قَالَ لِعَلِيٍّ: نَدِمْتُ عَلَى مَا كَانَ مِنِّي.
وَقَالَ مُحَمَّدُ بْنُ سَعْدٍ: أَخْبَرَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ الزُّبَيْرِ الْحُمَيْدِيُّ، ثَنَا سُفْيَانُ بْنُ عُيَيْنَةَ، ثَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ أَبِي خَالِدٍ، قَالَ: سَمِعْتُ قَيْسَ بْنَ أَبِي حَازِمٍ يَقُولُ: لَمَّا مَاتَ خَالِدُ بْنُ الْوَلِيدِ قَالَ عُمَرُ: رَحِمَ اللَّهُ أَبَا سُلَيْمَانَ، لَقَدْ كُنَّا نَظُنُّ بِهِ أُمُورًا مَا كَانَتْ. وَقَالَ جُوَيْرِيَةُ عَنْ نَافِعٍ قَالَ: لَمَّا مَاتَ خَالِدٌ لَمْ يُوجَدْ لَهُ إِلَّا فَرَسُهُ وَغُلَامُهُ وَسِلَاحُهُ، فَقَالَ عُمَرُ: رَحِمَ اللَّهُ أَبَا سُلَيْمَانَ، إِنْ كُنَّا لَنَظُنُّهُ عَلَى غَيْرِ هَذَا.
وَقَالَ الْقَاضِي الْمُعَافَى بْنُ زَكَرِيَّا الْجَرِيرِيُّ: ثَنَا أَحْمَدُ بْنُ الْعَبَّاسِ الْعَسْكَرِيُّ، ثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ أَبِي سَعْدٍ، حَدَّثَنِي عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ حَمْزَةَ اللَّخْمِيُّ، ثَنَا أَبُو عَلِيٍّ الْحِرْمَازِيُّ قَالَ: دَخَلَ هِشَامُ بْنُ الْبَخْتَرِيِّ فِي نَاسٍ مِنْ بَنِي مَخْزُومٍ عَلَى عُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ، فَقَالَ لَهُ: يَا هِشَامُ، أَنْشِدْنِي شِعْرَكَ فِي خَالِدٍ. فَأَنْشَدُهُ، فَقَالَ: قَصَّرْتَ فِي الثَّنَاءِ عَلَى أَبِي سُلَيْمَانَ، رَحِمَهُ اللَّهُ، إِنَّهُ كَانَ لِيُحِبُّ أَنْ يُذِلَّ
পৃষ্ঠা - ৫৬৩৮
الشِّرْكَ وَأَهْلَهُ، وَإِنْ كَانَ الشَّامِتُ بِهِ لَمُتَعَرِّضًا لِمَقْتِ اللَّهِ. ثُمَّ قَالَ عُمَرُ: قَاتَلَ اللَّهُ أَخَا بَنِي تَمِيمٍ مَا أَشْعَرَهُ:
فَقُلْ لِلَّذِي يَبْقَى خِلَافَ الَّذِي مَضَى ... تَهَيَّأْ لِأُخْرَى مِثْلِهَا فَكَأَنْ قَدِ
فَمَا عَيْشُ مَنْ قَدْ عَاشَ بَعْدِي بِنَافِعِي ... وَلَا مَوْتُ مَنْ قَدْ مَاتَ يَوْمًا بِمُخْلِدِي
ثُمَّ قَالَ عُمَرُ: رَحِمَ اللَّهُ أَبَا سُلَيْمَانَ، مَا عِنْدَ اللَّهِ خَيْرٌ لَهُ مِمَّا كَانَ فِيهِ، وَلَقَدْ مَاتَ فَقِيدًا، وَعَاشَ حَمِيدًا، وَلَكِنْ رَأَيْتُ الدَّهْرَ لَيْسَ بِقَابِلٍ.
طُلَيْحَةُ بْنُ خُوَيْلِدٍ
ابْنُ نَوْفَلِ بْنِ نَضْلَةَ بْنِ الْأَشْتَرِ بْنِ حَجْوَانَ بْنِ فَقْعَسِ بْنِ طَرِيفِ بْنِ عَمْرِو بْنِ قُعَيْنِ بْنِ الْحَارِثِ بْنِ ثَعْلَبَةَ بْنِ دُودَانَ بْنِ أَسَدِ بْنِ
পৃষ্ঠা - ৫৬৩৯
হযরত আবু বকর (রা)-এর আমলে সংঘটিত রিদ্দারযুদ্ধে থায়ালকে হত্যা করা হয় ৷
উকাশাহ ইবন মুহসিন (র) তাকে হত্যা করেন ৷ এরপর তৃলইিহা উকাশাহ (র)-কে হত্যা
করে ৷ মুসলমানদের সাথে তার অনেক ঘটনাই ঘটে ৷ তারপর আল্লাহ্ তাআলা তাকে খালিদ
ইবন ওয়ালীদ (রা)-এর হাতে অপমানিত করেন ৷ তার সৈন্যদল ছত্রভঙ্গ হয়ে গেল ও পলায়ন
করল ৷ তিনি সিরিয়ার প্রবেশ করেন এবং আসে জুফনাহ-এ অবতরণ করেন ৷ লজ্জার কারণে
আবু বকর সিদ্দীক (রা)-এর ইনতিকাল পর্যন্ত তিনি তথায় অবস্থান করেন ৷ তারপর তিনি
পুনরায় ইসলাম গ্রহণ করেন এবং উমরা পালন করেন ৷ পরে এসে হযরত উমর (রা)-এর কাছে
আত্মসমর্পণ করেন ৷
হযরত উমর (রা) তাকে বলেন, আমার কাছ থেকে তুমি দুরে চলে যাও ৷ কেননা, তুমি ন্
দু’জন সৎলোকেৱ হত্যাকারী ৷ একজন হলেন উকাশাহ ইবন মুহসিন এবং অন্যজন হলেন
সাবিত ইবন আক্রাম ৷ তখন তিনি বলেন, হে আমীরুল মুমিনীন ! তারা দুজন ব্যক্তি
যাদেরকে আল্লাহ তাআলা আমার হাতে সম্মান প্রদান করেছেন ৷ তাদের হাতে আমাকে
অপমান করেন নি ৷ তখন উমর (রা) তড়ারকথা পছন্দ করেন এবং তার প্রতি সন্তুষ্ট হন ৷ তিনি
আমীরদের কাছে লিখবেন যেন তৃলাইহা তাদেরকে পরামর্শ দান করেন ৷ তবে যেন তাকে
কোন প্রকার নেতৃত্ব দান করা না হয় ৷ তারপর তিনি জিহাদ করার জন্যে সিরিয়ার ফিরে
আসেন ৷ এরপর ইয়ারমুক ও অন্যান্য যুদ্ধে তিনি অংশ্যাহণ করেন ৷ যেমন, কাদেসিয়া ও
পারস্যবাসীদের বিরুদ্ধে সংঘটিত নিহাওয়ান্দের যুদ্ধ ৷ তিনি ছিলেন প্রসিদ্ধ ও খ্যাতিমান
বাহাদৃরদের অন্যতম ৷ এসব ঘটনার পর তিনি উত্তম ইসলামের অধিকারী হন ৷ মুহাম্মদ ইবন
সাদ র্তাকে চতুর্থ স্তরের সাহাবীদের মধ্যে গণ্য করেন ৷ তিনি বলেন, তাকে তার কঠোরতা,
সমরদক্ষতা ও বাহাদুরীর কারণে এক হাজার অশ্বারোহীর সমান গণ্য করা হতো ৷
আবু নসর ইবন মাকুলা বলেন, তিনি ইসলাম গ্রহণ করেন ৷ এরপর ইসলাম প্রত্যাখ্যান
করেন ৷ পুনরায় ইসলাম গ্রহণ করেন এবং উত্তম ইসলামের অধিকারী হন ৷ আর তাকে এক
হাজার অশ্বারােহী সৈন্যের সমতুল্য মনে করা হতো ৷ তার ইসলাম প্রত্যাখ্যান ও নবুয়তের দাবি
করার সময় মুসলমানগণ তার সাথীদের বিরুদ্ধে যে যুদ্ধ করেছে এ সম্পর্কে রচিত তার
কয়েকটি পংক্তি নিচে উল্লেখ করা হলো ৷ তিনি বলেন, এসব লোক সম্বন্ধে তোমাদের কি
ধারণা : যাদের বিরুদ্ধে তোমরা যুদ্ধ করছ তারা মুসলমান না হলেও তারা কি মানুষ নন?
যাদের বহু ছেলে মেয়ে ও মহিলা রয়েছে তাদেরকে যদি যুদ্ধের সরঞ্জাম সরবরাহ করা হয়
তাহলে তারা থায়ালকে হত্যা করার জন্যে এগিয়ে যাবে না ৷ কেননা, আমি তাদের শত্রুপক্ষের
বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার লক্ষে তাদের জন্যে এমন একটি দলকে প্রস্তুত রেখেছি যারা বার বার
হামলা করে শত্রুদেরকে ছত্রাকের ন্যায় কচুকাটা করে দেবে ৷ এ দলটিকে তুমি এক সময়
দেখবে সমরাস্ত্র নিয়ে সুরক্ষিত দল হিসেবে প্ৰদশ্নীিতে রয়েহ্নো; আবার এক সময়ে ণ্দখবে
কোন প্রকার শান শওকত প্রদর্শন না করে তারা ছুদ্মৰেশে রয়েছে ৷ আবার একদিন তাদেরকে
মহা সমারােহে ঝলমল করতে দেখবে ৷ আবার একদিন দেখবে পবিত্র মদীনায় আশেপাশের
শহরতলিতে বিশ্রামে রত ৷ বিকাল বেলায় যুদ্ধের ময়দানে আমি ইবন আকরাম ও অন্ধ
উকাশাহকে হত্যা করি ৷
خُزَيْمَةَ، الْأَسَدِيُّ الْفَقْعَسِيُّ، كَانَ مِمَّنْ شَهِدَ الْخَنْدَقَ مِنْ نَاحِيَةِ الْمُشْرِكِينَ، ثُمَّ أَسْلَمَ سَنَةَ تِسْعٍ، وَوَفَدَ عَلَى رَسُولِ اللَّهِ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، إِلَى الْمَدِينَةِ، ثُمَّ ارْتَدَّ بَعْدَ وَفَاةِ رَسُولِ اللَّهِ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فِي أَيَّامِ الصِّدِّيقِ، وَادَّعَى النُّبُوَّةَ كَمَا تَقَدَّمَ. وَرَوَى ابْنُ عَسَاكِرَ أَنَّهُ ادَّعَى النُّبُوَّةَ فِي حَيَاةِ رَسُولِ اللَّهِ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَأَنَّ ابْنَهُ حِبَالًا قَدِمَ عَلَى رَسُولِ اللَّهِ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَسَأَلَهُ: " مَا اسْمُ الَّذِي يَأْتِي إِلَى أَبِيكَ؟ ". فَقَالَ: ذُو النُّونِ الَّذِي لَا يَكْذِبُ وَلَا يَخُونُ، وَلَا يَكُونُ كَمَا يَكُونُ. فَقَالَ: " لَقَدْ سَمَّى مَلَكًا عَظِيمَ الشَّأْنِ ". ثُمَّ قَالَ لِابْنِهِ: " قَتَلَكَ اللَّهُ وَحَرَمَكَ الشَّهَادَةَ ". وَرَدَّهُ كَمَا جَاءَ، فَقُتِلَ حِبَالٌ فِي الرِّدَّةِ فِي بَعْضِ الْوَقَائِعِ، قَتَلَهُ عُكَّاشَةُ بْنُ مِحْصَنٍ ثُمَّ قَتَلَ طُلَيْحَةُ عُكَّاشَةَ، وَلَهُ مَعَ الْمُسْلِمِينَ وَقَائِعُ. ثُمَّ خَذَلَهُ اللَّهُ عَلَى يَدَيْ خَالِدِ بْنِ الْوَلِيدِ وَتَفَرَّقَ جُنْدُهُ، فَهَرَبَ حَتَّى دَخَلَ الشَّامَ، فَنَزَلَ عَلَى آلِ جَفْنَةَ، فَأَقَامَ عِنْدَهُمْ حَتَّى مَاتَ الصِّدِّيقُ - حَيَاءً مِنْهُ - ثُمَّ رَجَعَ إِلَى الْإِسْلَامِ وَاعْتَمَرَ، ثُمَّ جَاءَ يُسَلِّمُ عَلَى عُمَرَ فَقَالَ لَهُ: اغْرُبْ عَنِّي فَإِنَّكَ قَاتِلُ الرَّجُلَيْنِ الصَّالِحَيْنِ؛ عُكَّاشَةَ بْنِ مِحْصَنٍ وَثَابِتِ بْنِ أَقْرَمَ. فَقَالَ: يَا أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ، هُمَا رَجُلَانِ أَكْرَمَهُمَا اللَّهُ عَلَى يَدَيَّ وَلَمْ يُهِنِّي بِأَيْدِيهِمَا. فَأَعْجَبَ عُمَرَ كَلَامُهُ وَرَضِيَ عَنْهُ، وَكَتَبَ لَهُ بِالْوَصَاةِ إِلَى الْأُمَرَاءِ أَنْ يُشَاوَرَ وَلَا يُوَلَّى شَيْئًا مِنَ الْأَمْرِ، ثُمَّ عَادَ إِلَى الشَّامِ مُجَاهِدًا، فَشَهِدَ الْيَرْمُوكَ وَبَعْضَ حُرُوبٍ، كَالْقَادِسِيَّةِ
পৃষ্ঠা - ৫৬৪০
আল্লামা সাইফ (র) জাবির ইবন আবদুল্পাহ্ (রা) হতে বর্ণনা করেন ৷ তিনি বলেন,
আল্লাহ্র শপথ ৷ যিনি ব্যতীত অন্য কোন ইলাহ নেই ৷ কাদেসিয়ার যুদ্ধে অৎশগ্রহণকারীদের
মধ্যে এমন কাউকে দেখি নইি যে আখিরাতের সাথে দৃনিয়াও চায় ৷ আমরা তিন ব্যক্তিকে
সন্দেহ করেছিলাম কিন্তু , তাদের মধ্যে আমানত ও পরহেযপারীৱ এতো অভাব দেখি নইি যেরুপ
আমরা মনে করেছিলাম ৷ তারা হলেন, তুলইিহা ইবন খুওয়ালিদ আল-আসাদী, আমর ইবন
মাদীকারাব ও কইিস ইবন মাকশুহ ৷ ইবন আসাকির বলেন, আবুল হুসাইন মুহাম্মদ ইবন
আহমদ ইবন আল-ফারান আল ওরীক উল্লেখ করেছেন যে, ২১ হিজরীতে নিহাওয়ান্দ যুদ্ধে
আনৃ-নুমান ইবন ঘুকরিন ও আমর ইবন মাদীকারাব (রা)-এর সাথে ভৃলইিহা (রা) শাহাদত
লাভ করেন ৷
আমর ইবন মাদী কারাব (রা)
তার পুর্ণ নামও আবু সাওর আমর ইবন মাদীকারাব ইবন আবদুল্লাহ্ ইবন আমর ইবন
আসিম ইবন আমর ইবন যুবইিদ আল-আসগার ইবন রাবীয়াহ ইবন সালামাহ ইবন মাযিন
ইবন রাবীয়াহ ইবন সইিবাহ যুবইিদ আল-আকৰার ইবন আল-হাবিস ইবন দু’ ফ ইবন সা’ দ
আল-আশীরাহ ইবন মায্হড়াজ অড়ায-যুবাইদী আল মাযাহিজী ৷ তিনি অশ্বারােহী খ্যাতিসম্পন্ন
বাহাদুর ষোদ্ধাদের অন্যতম ৷ ৯ম হিজরীতে রাসুলুল্লা পুষ্হু;খ ট্রু এর কাছে আগমন করেন ৷ আবার
কেউ কেউ বলেন, “ ১ :ম হিজরীতে মুরা দের প্রতিনিধি দলে ছিলেন ৷
কেউ কেউ বলেন, তার সম্প্রদায়ের যুবাইদের প্রতিনিধি দলে ছিলেন তিনি ৷ তিনি
আল-আসওয়াদ আল-আনাসীর সাথে ইসলামকে প্রত্যাখ্যান করেছিলেন ৷ খালিদ ইবন সায়ীদ
ইবনুল আসকে তাকে দমনের জন্যে প্রেরণ করা হয় ৷ তাদের মধ্যে যুদ্ধ হয় ৷ খালিদ ইবন
সায়ীদ তার কাধে তলোয়ার মারেন কিন্তু তিনি ও তার সম্প্রদায় যুদ্ধ ক্ষেত্র থেকে পলায়ন করে ৷
তার বাকানাে যায় না এরুপ তলােয়ারটি খালিদ (রা) গনীমত হিসেবে হস্তগত করেন ৷ তারপর
তাকে বন্দী করেন এবং আবু বকর সিদ্দীক (রা)-এর কাছে প্রেরণ করেন ৷ তিনি তাকে সতর্ক
করেন, ভহ্সনা করেন এবং তওবা বা অনুশোচনা করতে বলেন ৷ তখন তিনি তওবা করেন
এবং এরপর উত্তম ইসলামের অধিকারী হন ৷ তারপর তাকে সিরিয়ার প্রেরণ করা হয় ৷ তিনি
ইয়ারমুকের যুদ্ধে অং শগ্রহণ করেন ৷ পরে উমর (রা) তাকে সা দ (রা) এর নিকট যেতে বলেন
এবং আমীরদের কাছে পত্র লিখেন যাতে তিনি তাদেরকে পরামর্শ প্রদান করেন ৷ কোন নেতৃত্ব
যেন তাকে দেওয়া না হয় ৷ এভাবে আল্লাহ্ তাআলা তার মাধ্যমে ইসলাম ও মুসলমানাদরকে
উপকৃত করেন এবং তিনি কাদেসিয়ার যুদ্ধে কাষিৰদের জন্যে বিপর্যয় সৃষ্টি করেন ৷
কেউ কেউ বলেন, তিনি কাদেসিয়ার শহীদ হন ৷ আবার কেউ কেউ বলেন, “তিনি
নিহাওরান্দে শহীদ হন ৷ আবার কেউ কেউ বলেন, রােযা নামী একটি গ্রামে তিনি তৃষ্ণার্ত
অবস্থায় মারা যান ৷ আর এসব ঘটনা ঘটে ২১ হিজরীতে ৷ তার সম্প্রদায়ের যারা তার জন্যে
গােকগাথা প্রণয়ন করেছেন তাদের একজন বলেনং অশ্বারোহীরা যেদিন বারুযা গ্রাম আক্রমণ
করেন সেদিন তারা ঐ গ্রামে এক ব্যক্তিকে ছেড়ে আসে যিনি ভীরু নন এবং অদক্ষও নন ৷
কাজেই যুবাইদকে বরং মাযহাজ গোত্রের সকলকে বলে দাও তোমরা আবু সাওরকে হ বিষেছ
যিনি ছিলেন যুদ্ধের সেরা সৈনিক ও সর্দার ৷
وَنَهَاوَنْدَ الْفُرْسِ، وَكَانَ مِنَ الشُّجْعَانِ الْمَذْكُورِينَ، وَالْأَبْطَالِ الْمَشْهُورِينَ، وَقَدْ حَسُنَ إِسْلَامُهُ بَعْدَ هَذَا كُلِّهِ.
وَذَكَرَهُ مُحَمَّدُ بْنُ سَعْدٍ فِي الطَّبَقَةِ الرَّابِعَةِ مِنَ الصَّحَابَةِ، وَقَالَ: كَانَ يُعَدُّ بِأَلْفِ فَارِسٍ؛ لِشِدَّتِهِ وَشَجَاعَتِهِ وَبَصَرِهِ بِالْحَرْبِ. وَقَالَ أَبُو نَصْرِ بْنُ مَاكُولَا: أَسْلَمَ ثُمَّ ارْتَدَّ ثُمَّ أَسْلَمَ وَحَسُنَ إِسْلَامُهُ، وَكَانَ يُعْدَلُ بِأَلْفِ فَارِسٍ.
وَمِنْ شِعْرِهِ أَيَّامَ رِدَّتِهِ وَادِّعَائِهِ النُّبُوَّةَ فِي قَتْلِ الْمُسْلِمِينَ أَصْحَابُهُ:
فَمَا ظَنُّكُمْ بِالْقَوْمِ إِذْ تَقْتُلُونَهُمْ ... أَلَيْسُوا وَإِنْ لَمْ يُسْلِمُوا بِرِجَالِ
فَإِنْ تَكُ أَذْوَادٌ أُصِبْنَ وَنِسْوَةٌ ... فَلَمْ يَذْهَبُوا فِرْغًا بِقَتْلِ حِبَالِ
نَصَبْتُ لَهُمْ صَدْرَ الْحِمَالَةِ إِنَّهَا ... مُعَاوِدَةٌ قَتْلَ الْكُمَاةِ نَزَالِ
فَيَوْمًا تَرَاهَا فِي الْجَلَالِ مَصُونَةً ... وَيَوْمًا تَرَاهَا غَيْرَ ذَاتِ جَلَالِ
পৃষ্ঠা - ৫৬৪১
وَيَوْمًا تُضِيءُ الْمَشْرِفِيَّةُ نَحْوَهَا ... وَيَوْمًا تَرَاهَا فِي ظِلَالِ عَوَالِي
عَشِيَّةَ غَادَرْتُ ابْنَ أَقْرَمَ ثَاوِيًا ... وَعُكَّاشَةَ الْغُنْمِيَّ عِنْدَ مَجَالِ
وَقَالَ سَيْفُ بْنُ عُمَرَ، عَنْ مُبَشِّرِ بْنِ الْفُضَيْلِ، عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ قَالَ: بِاللَّهِ الَّذِي لَا إِلَهَ إِلَّا هُوَ، مَا اطَّلَعْنَا عَلَى أَحَدٍ مِنْ أَهْلِ الْقَادِسِيَّةِ يُرِيدُ الدُّنْيَا مَعَ الْآخِرَةِ، وَلَقَدِ اتَّهَمْنَا ثَلَاثَةَ نَفَرٍ، فَمَا رَأَيْنَا كَمَا هَجَمْنَا عَلَيْهِ مِنْ أَمَانَتِهِمْ وَزُهْدِهِمْ؛ طُلَيْحَةُ بْنُ خُوَيْلِدٍ، وَعَمْرُو بْنُ مَعْدِيكَرِبَ، وَقَيْسُ بْنُ الْمَكْشُوحِ.
قَالَ ابْنُ عَسَاكِرَ: ذَكَرَ أَبُو الْحَسَنِ مُحَمَّدُ بْنُ أَحْمَدَ بْنِ الْقَوَّاسِ الْوَرَّاقُ، أَنَّ طُلَيْحَةَ اسْتُشْهِدَ بِنَهَاوَنْدَ سَنَةَ إِحْدَى وَعِشْرِينَ مَعَ النُّعْمَانِ بْنِ مُقَرِّنٍ، وَعَمْرِو بْنِ مَعْدِيكَرِبَ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمْ.
عَمْرُو بْنُ مَعْدِيكَرِبَ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرِو بْنِ عُصْمِ بْنِ عَمْرِو بْنِ
পৃষ্ঠা - ৫৬৪২
আমর ইবন মাদীকারাব (রা) ছিলেন দক্ষ কবিদের অন্যতম ৷ তার রচিত কবিতার কিছু
অংশ নিম্নে প্রদত্ত হলো ৷
আমি আমার সামান্য প্রস্তুতি, শক্তি ও বর্শার (অদ্রের) দৈন্যের নিন্দা জ্ঞাপন করছি ৷ আর
প্রতিটি সহজ সরল বিষয়কে জটিল আকার রুপদানকারীর সমালোচনা করছি ৷ আমি নিজকে
ডত্সনা করছি এজন্যে আমি আমার যৌবন শেষ করে দিচ্ছি ৷ আর্ত্যা৷দকারীৱ প্রতি সাহসী ব্যক্তি
বর্গের সমভিব্যহারে আমি আমার অপর্যাপ্ত প্রতিউওরের সমালোচনা করছি ৷ ফলে আমার শরীর
দুর্বলহয়ে যায় ৷ আমি আমার গর্দানকে তলোয়ার বহন করার কাজ থেকে বিরত রাখছি ৷
সম্প্রদায়ের ধৈর্য শেষ হওয়ার পরও আমার ধৈর্ষ বাকি থেকে যায় ৷ ৷ আর আমার সম্প্রদায়ের
পাথেয় শেষ হবার পুর্বে আমার পাথেয় শেষ হয়ে যায় ৷ কাইস আমার সাথে সাক্ষাৎ করার
আকাড্ডা করছে আমিও তাকে ভালবাসি ৷ আমার ভালবাসার গভীরতইি বা কোথায় ৷ নির্বোধ
ব্যক্তিদের মধ্যে যে আমার দুঃখ প্ৰকাশকে গ্রহণ করবে না সে আমার উদ্দেশ্য জানার জন্যে
নিজে নিজে লক্ষ্যবিহীন ঘুরে বেড়াবে ৷ আমি চাই তার হায়াত আর সে চায় আমার মৃত্যু ৷ করি
সর্বশেষে বলেন : তোমার দুঃখ প্রকাশকে যে গ্রহণ করে সে তোমার বন্ধু ৷
তার থেকে তালবীয়া পাঠ সম্বন্ধে একটি হাদীস বর্ণিত আছে ৷ তার থেকে শুরাহবীল ইবন
আল কাকা বর্ণনা করেন ৷ তিনি বলেন, আমরা জাহিলীয়াতের যুগে যখন তালবীয়া পাঠ
করতাম তখন বলতাম : তোমার কাছে উপস্থিত, সম্মানার্থে তোমার কাছে ওযর পেশ করছি
এটা যুবাইদ৷ তোমার কাছে এসেছে অনুগত হয়ে ৷ তাদেরকে নিয়ে এসেছে টেরা চোখ বিশিষ্ট
ক্ষীণকায় উট্রিগুলাে ৷ এগুলো অতিক্রম করে এসেছে উচু;নিচু ভুখণ্ড, পাহাড়, পর্বত ও খোলা
জায়গা ৷ তারপর এগুলো মুর্তিগুলোকে পালি ও নির্জনে ছেড়ে আসল ৷ “আসর (রা) বলেন,
এখন আমরা তালবীয়া নিম্নরুপ পাঠ করে থাকি যা আমাদেরকে রাসুলুল্লাহ্তাঃ শিক্ষা দিয়েছেনঃ
হে আল্লাহ্ ৷ তোমার কাছে আমি উপস্থিত, তোমার কাছে আমি উপস্থিত, তোমার কোন শরীক
নইি, তোমার কাছে আমি উপস্থিত ৷ নিশ্চয়ই প্রশংসা ও নিয়ামত এবং কর্তৃতু তােমারই ৷
তোমার কোন শরীক নাই ৷
আল-আ লা ইবন আলহাদ্রামী (বা)
তিনি ছিলেন রাসুলুল্লাহ্ফ্লোৰু এর পক্ষ থেকে বাহরাইনের আমীর ৷ রাসুলুল্পাহ্-ক্তে এর
ইনতিকালের পর আবু বকর সিদ্দীক (রা) ও উমর (রা) তাকে উক্ত পদে বলবৎ রাখেন ৷ পুর্বে
ন্;:ৰুট্যাং করা হয়েছে যে, তিনি ১৪ হিজরীতে ইনতিকাল করেন ৷ ইতিহাসবিদদের মধ্যে কেউ
কেউ বলেন যে, তিনি ২১ হিজরী পর্যন্ত হায়াত পেয়েছেন ৷ উমর (না) তাকে বাহরাইন থেকে
অব্যাহতি দিয়েছিলেন এবং আবু হুরায়রা (রা)-কে তার স্থলাভিষিক্ত করেছিলেন ৷ উমর (রা)
র্তাকে কুফার আমীর নিযুক্ত করেছিলেন ৷ ক্লিত্তু হজ্জ থেকে প্রত্যাবর্তনকালে কুফা পৌছার পুর্বে
তিনি ইনতিকাল করেন ৷ পুর্বেও এ ব্যাপারে উল্লেখ করা হয়েছে ৷ মহান আল্লাহ্ অধিক জ্ঞাত ৷
আল্পামা ইবন কাসীর (র) বলেন ;ভ্ট্রুইও৷ ৷ ৰুৰুাট্র নামক কিভাবে তার বিবরণ আমি উল্লেখ
করেছি ৷ পানির উপর সৈন্যসামন্ত নিয়ে পরিভ্রমর্ণসহ অন্যান্য অলৌকিক ঘটনাও উক্ত কিভাবে
উল্লেখ করা হয়েছে ৷
زُبَيْدٍ الْأَصْغَرِ - وَهُوَ مُنَبِّهُ - بْنُ رَبِيعَةَ بْنِ سَلَمَةَ بْنِ مَازِنَ بْنِ رَبِيعَةَ بْنِ مُنَبِّهِ بْنِ زُبَيْدٍ الْأَكْبَرِ بْنِ الْحَارِثِ بْنِ صَعْبِ بْنِ سَعْدِ الْعَشِيرَةِ بْنِ مُذْحِجٍ، الزُّبَيْدِيُّ الْمُذْحِجِيُّ، أَبُو ثَوْرٍ، أَحَدُ الْفُرْسَانِ الْمَشَاهِيرِ الْأَبْطَالِ، وَالشُّجْعَانِ الْمَذَاكِيرِ، قَدِمَ عَلَى رَسُولِ اللَّهِ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، سَنَةَ تِسْعٍ، وَقِيلَ: عَشْرٍ. مَعَ وَفْدِ مُرَادٍ، وَقِيلَ: فِي وَفْدِ مُرَادٍ، وَقِيلَ: فِي وَفْدِ زُبَيْدٍ قَوْمِهِ. وَقَدِ ارْتَدَّ مَعَ الْأَسْوَدِ الْعَنْسِيِّ، فَسَارَ إِلَيْهِ خَالِدُ بْنُ سَعِيدِ بْنِ الْعَاصِ، فَقَاتَلَهُ فَضَرَبَهُ خَالِدُ بْنُ سَعِيدٍ بِالسَّيْفِ عَلَى عَاتِقِهِ فَهَرَبَ وَقَوْمُهُ، وَقَدِ اسْتَلَبَ خَالِدٌ سَيْفَهُ الصَّمْصَامَةَ، ثُمَّ أُسِرَ وَدُفِعَ إِلَى أَبِي بَكْرٍ فَأَنَّبَهُ وَعَاتَبَهُ وَاسْتَتَابَهُ، فَتَابَ وَأَنَابَ وَحَسُنَ إِسْلَامُهُ بَعْدَ ذَلِكَ، فَسَيَّرَهُ إِلَى الشَّامِ، فَشَهِدَ الْيَرْمُوكَ، ثُمَّ أَمَرَهُ عُمَرُ بِالْمَسِيرِ إِلَى سَعْدٍ، وَكَتَبَ بِالْوَصَاةِ بِهِ، وَأَنْ يُشَاوَرَ وَلَا يُوَلَّى شَيْئًا، فَنَفَعَ اللَّهُ بِهِ الْإِسْلَامَ وَأَهْلَهُ، وَأَبْلَى بَلَاءً حَسَنًا يَوْمَ الْقَادِسِيَّةِ. وَقِيلَ: إِنَّهُ قُتِلَ بِهَا. وَقِيلَ: بِنَهَاوَنْدَ. وَقِيلَ: مَاتَ عَطَشًا فِي بَعْضِ الْقُرَى، يُقَالُ لَهَا: رَوْذَةُ. فَاللَّهُ أَعْلَمُ. وَذَلِكَ كُلُّهُ سَنَةَ إِحْدَى
পৃষ্ঠা - ৫৬৪৩
وَعِشْرِينَ، فَقَالَ بَعْضُ مَنْ رَثَاهُ مَنْ قَوْمِهِ:
لَقَدْ غَادَرَ الرُّكْبَانُ يَوْمَ تَحَمَّلُوا ... بِرَوْذَةَ شَخْصًا لَا جَبَانًا وَلَا غَمْرَا
فَقُلْ لِزُبَيْدٍ بَلْ لِمُذْحِجَ كُلِّهَا ... رُزِئْتُمْ أَبَا ثَوْرٍ قَرِيعَكُمُ عَمْرَا
وَكَانَ عَمْرُو بْنُ مَعْدِيكَرِبَ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، مِنَ الشُّعَرَاءِ الْمُجِيدِينَ، فَمِنْ شِعْرِهِ:
أَعَاذِلَ عُدَّتِي بَدَنِي وَرُمْحِي ... وَكُلُّ مُقَلَّصٍ سَلِسِ الْقِيَادِ
أَعَاذِلَ إِنَّمَا أَفْنَى شَبَابِي ... إِجَابَتِيَ الصَّرِيخَ إِلَى الْمُنَادِي
مَعَ الْأَبْطَالِ حَتَّى سَلَّ جِسْمِي ... وَأَقْرَحَ عَاتِقِي حَمْلُ النِّجَادِ
وَيَبْقَى بَعْدَ حِلْمِ الْقَوْمِ حِلْمِي ... وَيَفْنَى قَبْلَ زَادِ الْقَوْمِ زَادِي
পৃষ্ঠা - ৫৬৪৪
আন-নুমান ইৰ্ন মুকরিন ইৰ্ন আয়িয আন-মাযানী (বা)
তিনি ছিলেন নিহাওয়ান্দ যুদ্ধের আমীর ও একজন মর্যাদাবান সাহাবী ৷ তিনি তার সম্প্রদায়
মুযইিনা গোত্রের চারশ আরােহী নিয়ে রাসুলুল্লাহ্মোঃ এর কাছে আগমন করেন ৷ তারপর তিনি
বসরায় বসবাস করেন ৷ হযরত উমর (যা) তাকে সৈন্যদের সেনাপতি হিসেবে নিহাওয়ান্দ
প্রেরণ করেন ৷ এরপর আল্লাহ্ তাআলা তার হাতে বিরাট বিজয় দান করেন ৷ ঐসব শহরে
প্রতিপত্তি স্থাপনের তওফীক আল্লাহ্ তাকে প্রদান করেন এবং ঐসব এলাকার জনগণকে তার
বশীভৃত করেছেন ৷ কিয়ামত পর্যন্ত তথায় মুসলমানদের প্রভাব বিস্তার করে দেন ৷ তাকে
আল্লাহ্ তাআলা দুনিয়া ও আখিরাতের সফলতা দান করেন এবং তার ন্প্রিয়ও একমাত্র কাম্য
মহান আল্পাহ্র পথে শাহাদত দান করেন ৷ আল্লাহ্ তাআলা তার মহা পবিত্র কুরআনুল করীমে
অন্যদের মধ্যে তার সম্বন্ধেও ইরশাদ করেন ৷
া
া
fl : ণ্
া
অর্থাৎ আল্লাহ মুমিনদের নিকট হতে তাদের জীবন ও সম্পদ ক্রয় করে নিয়েছেন; তাদের
জন্য জান্নাত-এর বিনিময়ে ৷ তারা আল্লাহ্র পথে সংগ্রাম করে, নিধন করে ও নিহত হয় ৷
তাওরাত, ইঞ্জিন ও কুরআনে এ সম্বন্ধে তাদের দৃঢ় প্রতিশ্রুতি রয়েছে ৷ নিজ প্রতিজ্ঞা পালনে
আল্লাহ্ অপেক্ষা প্গ্রেষ্ঠতর কে আছে ? তোমরা যে সওদা করেছ সে সওদার জন্য আনন্দ কর
এবং ঐটাই মহাসাফল্য ৷ (সুরায়ে তাওবা : ১১১)
تَمَنَّى أَنْ يُلَاقِينِي قُيَيْسٌ ... وَدِدْتُ وَأَيْنَمَا مِنِّي وِدَادِي
فَمَنْ ذَا عَاذِرِي مِنْ ذِي سَفَاهٍ ... يَرُودُ بِنَفْسِهِ شَرَّ الْمَرَادِ
أُرِيدُ حَيَاتَهُ وَيُرِيدُ قَتْلِي ... عَذِيرَكَ مِنْ خَلِيلِكَ مِنْ مُرَادِ
لَهُ حَدِيثٌ وَاحِدٌ فِي التَّلْبِيَةِ رَوَاهُ شَرَاحِيلُ بْنُ الْقَعْقَاعِ عَنْهُ، قَالَ: كُنَّا نَقُولُ فِي الْجَاهِلِيَّةِ إِذَا لَبَّيْنَا:
لَبَّيْكَ تَعْظِيمًا إِلَيْكَ عُذْرَا ... هَذِي زُبَيْدٌ قَدْ أَتَتْكَ قَسْرَا
تَعْدُو بِهَا مُضَمَّرَاتٌ شَزْرَا ... يَقْطَعْنَ خَبْتًا وَجِبَالًا وَعْرًا
قَدْ تَرَكُوا الْأَوْثَانَ خِلْوًا صِفْرَا
قَالَ عَمْرٌو: فَنَحْنُ نَقُولُ الْآنَ وَلِلَّهِ الْحَمْدُ كَمَا عَلَّمَنَا رَسُولُ اللَّهِ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: لَبَّيْكَ اللَّهُمَّ لَبَّيْكَ، لَبَّيْكَ لَا شَرِيكَ لَكَ لَبَّيْكَ، إِنَّ الْحَمْدَ وَالنِّعْمَةَ لَكَ وَالْمُلْكَ، لَا شَرِيكَ لَكَ.
পৃষ্ঠা - ৫৬৪৫
الْعَلَاءُ بْنُ الْحَضْرَمِيِّ، أَمِيرُ الْبَحْرَيْنِ لِرَسُولِ اللَّهِ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَأَقَرَّهُ عَلَيْهَا أَبُو بَكْرٍ ثُمَّ عُمَرُ. تَقَدَّمَ أَنَّهُ تُوُفِّيَ سَنَةَ أَرْبَعَ عَشْرَةَ. وَمِنْهُمْ مَنْ يَقُولُ: إِنَّهُ تَأَخَّرَ إِلَى سَنَةِ إِحْدَى وَعِشْرِينَ. وَعَزَلَهُ عُمَرُ عَنِ الْبَحْرَيْنِ وَوَلَّى مَكَانَهُ أَبَا هُرَيْرَةَ، وَأَمَّرَهُ عُمَرُ عَلَى الْكُوفَةِ فَمَاتَ قَبْلَ أَنْ يَصِلَ إِلَيْهَا مُنْصَرَفَهُ مِنَ الْحَجِّ. كَمَا قَدَّمْنَا ذَلِكَ. وَاللَّهُ أَعْلَمُ. وَقَدْ ذَكَرْنَا فِي دَلَائِلَ النُّبُوَّةِ قَصَّتْهُ فِي سَيْرِهِ بِجَيْشِهِ عَلَى وَجْهِ الْمَاءِ وَمَا جَرَى لَهُ مِنْ خَرْقِ الْعَادَاتِ. وَلِلَّهِ الْحَمْدُ.
النُّعْمَانُ بْنُ مُقَرِّنِ بْنِ عَائِذٍ الْمُزَنِيُّ، أَمِيرُ وَقْعَةِ نَهَاوَنْدَ، صَحَابِيٌّ جَلِيلُ الْقَدْرِ، قَدِمَ مَعَ قَوْمِهِ مِنْ مُزَيْنَةَ فِي أَرْبَعِمِائَةِ رَاكِبٍ، ثُمَّ سَكَنَ الْبَصْرَةَ، وَبَعَثَهُ الْفَارُوقُ أَمِيرًا عَلَى الْجُنُودِ إِلَى نَهَاوَنْدَ، فَفَتَحَ اللَّهُ عَلَى يَدَيْهِ فَتْحًا عَظِيمًا، وَمَكَّنَ اللَّهُ لَهُ فِي تِلْكَ الْبِلَادِ، وَمَكَّنَهُ مِنْ رِقَابِ أُولَئِكَ الْعِبَادِ، وَمَكَّنَ بِهِ لِلْمُسْلِمِينَ هُنَالِكَ إِلَى يَوْمِ التَّنَادِ، وَمَنَحَهُ النَّصْرَ فِي الدُّنْيَا وَيَوْمَ يَقُومُ الْأَشْهَادُ، وَأَتَاحَ لَهُ بَعْدَمَا أَرَاهُ مَا أَحَبَّ شَهَادَةً عَظِيمَةً، وَذَلِكَ غَايَةُ الْمُرَادِ، فَكَانَ مِمَّنْ قَالَ اللَّهُ تَعَالَى فِي حَقِّهِ فِي كِتَابِهِ الْمُبِينِ وَهُوَ صِرَاطُهُ الْمُسْتَقِيمُ: {إِنَّ اللَّهَ اشْتَرَى مِنَ الْمُؤْمِنِينَ أَنْفُسَهُمْ وَأَمْوَالَهُمْ بِأَنَّ لَهُمُ الْجَنَّةَ يُقَاتِلُونَ فِي سَبِيلِ اللَّهِ فَيَقْتُلُونَ وَيُقْتَلُونَ وَعْدًا عَلَيْهِ حَقًّا فِي التَّوْرَاةِ وَالْإِنْجِيلِ وَالْقُرْآنِ وَمَنْ أَوْفَى بِعَهْدِهِ مِنَ اللَّهِ فَاسْتَبْشِرُوا بِبَيْعِكُمُ الَّذِي بَايَعْتُمْ بِهِ وَذَلِكَ هُوَ الْفَوْزُ الْعَظِيمُ} [التوبة: 111] . [التَّوْبَةِ: 111]