আল বিদায়া ওয়া আন্নিহায়া

ثم دخلت سنة سبع عشرة

পৃষ্ঠা - ৫৫৩০

হিজরী ১৭ সাল

’ এই সনের মুহাররম মাসে হযরত সাদ ’ইবনঃ আবী ওয়াক্কাস (রা) মাদাইন থেকে কুফায়
চলে যান ৷ কারণ এই সময়ে সাহাবিগ ণ মাদাইনে রােপাক্রাম্ভ হয়ে পড়েন ৷ তাদের শরীরের রং
বিবর্ণ হয়ে যায় ৷ শরীর হয়ে পড়ে দুর্বল ৷ ওখানকার মশা-মাছি ও ধুলাে-বালির কারণে তা
হয়েছিল ৷ হযরত সাদ (রা) বিষয়টি খলীফা উমর (রা)কে জানালেন ৷ খলীফা লিখলেন যে,
যে স্থানটি উট বসবাসের উপযোগী নয় সে স্থান আরব লোকদের জন্যেও বসবাসের উপযুক্ত
নয় ৷ হযরত মাস (বা) হুযায়ফা সালমান ইবন যিয়াদ (রা)-ফে প্রেরণ করলেন মুসলমানদের
বসবাসের উপযোগী স্থান খুজে বের করার জন্যে ৷ খুজতে খুজতে তারা কুফা গিয়ে পৌছলেন ৷
র্তারা দেখলেন যে, ওখানটা কংকর ও লাল বালিময় জায়গা ৷ জায়গাটি তাদের পছন্দ হয় ৷
তারা সেখানে তিনটি যাজক নিবাস দেখতে পান ৷ ১ হ্বকা ইবন নুমান যাজক নিবাস, ২ উস্ম
আমর যাজক নিবাস এবং ৩ সিলসিলা যাজক নিবাস ৷

এগুলোর মাধ্যমে কুফার পরিবেশ ও পরিস্থিতি সম্পর্কে র্তারা অবগত হলেন ৷ র্তারা সেখানে
অবতরণ করে নামায আদায় করলেন ৷ তাদের প্রত্যেকে বললেন, “হে আল্লাহ, আসমান ও
আসমানের ছায়ায় অবস্থিত সবকিছুর মালিক ! পৃথিবী ও পৃথিবীতে অবস্থিত সবকিছুর মালিক !
বায়ু ও বাযুতে ভাসমান সবকিছুর মালিক ! নক্ষত্ররাজি ও অস্তমান সবকিছুর মালিক ! সমুদ্র ও
রহমান সবকিছুর মালিক! শয়তানগুলো ও তাদের মাধ্যমে পথভ্রষ্ট সবগুলাের মালিক ৷ হে
সুরাখানা ও মদ্যপদের মালিক ! এই কুফাতে আমাদের জন্যে বরকত নাযিল করুন এবং এটিকে
আমাদের স্থায়ী বাসস্থানরুপে মঞ্জুর করুন ৷

এরপর তরাে হযরত সাদ (রা)-কে এ বিষয়ে অবহিত করেন ৷ হযরত মাস (বা) সকলকে
কুফা পমনের নির্দেশ দিলেন ৷ এই বছর মুহারব্ম মাসে তিনি কুফায় গিয়ে পৌছলেন ৷ সেখানে
সর্বপ্রথম যে গৃহ তৈরী করা হলো তা হলো একটি মসজিদ ৷ হযরত সাদ (রা) সেখানে দাড়িয়ে

৷ জনৈব্রুপ্দ্রক্ষ তীরন্দাজকে তীর ছেড্রোরনিঃর্দশ্বদািলনাসে মসজিদ থেকে চারদিকে তীর ছুড়ল ৷

যেখানে তার তীর পড়েছে সেখানে লোকজন বাড়িঘর তৈরি করেছে ৷ মসজিদের মিহরাবের
পেছনের দিকে তিনি একটি প্রাসাদ নির্মাণ করলেন প্রশাসনিক কার্যালয় ও রাষ্টীয় কােষাপার
হিসেবে ব্যবহারের জন্যে ৷ লোকজন প্রথমে তাদের ঘর-ৰাড়ি তৈরি করেছেন রীশ ও কাঠ
দিয়ে ৷ বছরের মাঝামাঝি একটি সময়ে ওই ঘরগুলো আঃনে পুড়ে যায় ৷ তারপর খলীফা উমর
(রা)-এর অনুমোদন নিয়ে তারা ইট দ্বারা ঘর তৈরি করেন ৷ তবে তিনি এই শর্তে অনুমতি
দিয়েছিলেন যে, অপচয় ও সীমালংঘন যেন না হয় ৷

সেনাপতি সাদ (রা) অন্যান্য গোত্র ও শাসনকর্তাদেরকে সংবাদ পাঠালেন কুফা আগমনের
জন্যে ৷ তারা এলেন ৷ তিনি তাদেরকে সেখানে বসবাসের অনুমতি দিলেন ৷ হযরত মাস (বা)


[ثُمَّ دَخَلَتْ سَنَةُ سَبْعَ عَشْرَةَ] [اخْتِطَاطُ الْكُوفَةِ وَبِنَاءُ الْمَسْجِدِ بِهَا] فِي الْمُحَرَّمِ مِنْهَا انْتَقَلَ سَعْدُ بْنُ أَبِي وَقَّاصٍ مِنَ الْمَدَائِنِ إِلَى الْكُوفَةِ ; وَذَلِكَ أَنَّ الصَّحَابَةَ اسْتَوْخَمُوا الْمَدَائِنَ، وَتَغَيَّرَتْ أَلْوَانُهُمْ، وَضَعُفَتْ أَبْدَانُهُمْ ; لِكَثْرَةِ ذُبَابِهَا وَغُبَارِهَا، فَكَتَبَ سَعْدٌ إِلَى عُمَرَ فِي ذَلِكَ، فَكَتَبَ عُمَرُ: إِنَّ الْعَرَبَ لَا تَصْلُحُ إِلَّا حَيْثُ يُوَافِقُ إِبِلَهَا. فَبَعَثَ سَعْدٌ حُذَيْفَةَ وَسَلْمَانَ يَرْتَادَانِ لِلْمُسْلِمِينَ مَنْزِلًا مُنَاسِبًا يَصْلُحُ لِإِقَامَتِهِمْ، فَمَرَّا عَلَى أَرْضِ الْكُوفَةِ وَهِيَ حَصْبَاءُ فِي رَمْلَةٍ حَمْرَاءَ، فَأَعْجَبَتْهُمَا، وَوَجَدَا هُنَالِكَ ثَلَاثَ دَيْرَاتٍ: دَيْرُ حُرَقَةَ بِنْتِ النُّعْمَانِ، وَدَيْرُ أُمِّ عَمْرٍو، وَدَيْرُ سِلْسِلَةَ. وَبَيْنَ ذَلِكَ خِصَاصٌ خِلَالَ هَذِهِ الْكُوفَةِ. فَنَزَلًا فَصَلَّيَا هُنَالِكَ، وَقَالَ كُلُّ وَاحِدٍ مِنْهُمَا: اللَّهُمَّ رَبَّ السَّمَاءِ وَمَا أَظَلَّتْ، وَرَبَّ الْأَرْضِ وَمَا أَقَلَّتْ، وَالرِّيحِ وَمَا ذَرَتْ، وَالنُّجُومِ وَمَا هَوَتْ، وَالْبِحَارِ وَمَا جَرَتْ، وَالشَّيَاطِينِ وَمَا أَضَلَّتْ، وَالْخِصَاصِ وَمَا أَجَنَّتْ، بَارِكْ لَنَا فِي هَذِهِ الْكُوفَةِ وَاجْعَلْهَا مَنْزِلَ ثَبَاتٍ. ثُمَّ كَتَبَا إِلَى سَعْدٍ بِالْخَبَرِ، فَأَمَرَ سَعْدٌ بِاخْتِطَاطِ الْكُوفَةِ وَسَارَ إِلَيْهَا فِي أَوَّلِ هَذِهِ السَّنَةِ فِي مُحَرَّمِهَا، فَكَانَ أَوَّلَ بِنَاءٍ وُضِعَ فِيهَا الْمَسْجِدُ. وَأَمَرَ سَعْدٌ رَجُلًا رَامِيًا شَدِيدَ الرَّمْيِ، فَرَمَى مِنَ الْمَسْجِدِ إِلَى الْأَرْبَعِ جِهَاتٍ، فَحَيْثُ سَقَطَ سَهْمُهُ بَنَى النَّاسُ مَنَازِلَهُمْ، وَعَمَّرَ قَصْرًا تِلْقَاءَ مِحْرَابِ الْمَسْجِدِ لِلْإِمَارَةِ وَبَيْتَ
পৃষ্ঠা - ৫৫৩১


আবুহিয়াজকে১ নির্দেশ দিলেন ণ্লাকজানর ঘর-বাড়ি বানানোর ব্যবস্থা করে দেয়ার জন্যে ৷
তবে ঘর-বাড়ি এভাবে বানাতে হবে যেন প্রধান সড়কের জন্যে ৪০ হাত জায়গা ছেড়ে দেয়া
হয় ৷ আর উপপ্রধান সড়কগুলোর জন্যে যথাক্রাম ৩০ ও ২০ হাত করে জায়গা রাখা হয় ৷
গলিপখের জন্যে ছাড়তে হবে ৭ হাত করে৷ বাজারের পাশে একটি প্রাসাদ নির্মাণ করা হয়
হযরত সা দের বাসস্থান হিসেবে ৷ বিক্ষ্ম বাজারে আসা লোকজনের ভৈহ চৈ ও গুঞ্জনের কারণে
তিনি স্পষ্টভাবে কথা বলতে ও শুনতে পারতেন ন ৷ এজন্যে তিনি নিজের দরজা বন্ধ করে
রাখতেন এবং বলতেন, আহ্! শব্দ থেমে যাও, থেমে যাও ৷
সেনাপতি সা দ (রা) এর দরজা বন্ধ করে রাখার বিষয়টি খলীফা উমর (রা) অবগত হন ৷

তিনি মুহাম্মদ ইবন মাসলামাকে এ নির্দেশ দিয়ে পাঠান যে, কুফা গিয়ে আগুন জ্বালানাের ব্যবস্থা
করবে ৷ কাঠ সংগ্রহ করবে এবৎঅ আগুন প্রজ্বলিত করে না দের প্রাসাদের দরজা পুড়িয়ে ফেলবে ৷

তারপর সোজা মদীনায় ফিরে আসবে ৷ মুহাম্মদ ইবন মাসলামা কুফায় এলেন এবং খলীফার
নির্দেশ অনুযায়ী যা যা করার তা করলেন ৷ হযরত সা দ (রা) ণ্ক নির্দেশ দিয়ে গেলেন যেন
মানুষকে তার নিকট প্রবেশে বাধা না দেন ৷ দরজা বন্ধ না করেন এবং দরজায় কোন প্রহরী না
রাখেন, যে জনসাধারণকে তার নিকট যেতে বাধা দিয়ে ৷ হযরত সাদ (রা) সব কিছু মেনে
নিলেন ৷ মুহাম্মদ ইবন মাসলামাকে কিছু উপহার দিতে চাইলেন ৷ তিনি তা গ্রহণ করলেন না ৷
মদীনায় ফিরে এলেন ৷ এরপর হযরত সাদ (রা) শাসনকর্তা হিসেবে ৩হু বছর কুফায় ছিলেন ৷

তারপর কোন প্রকারের অক্ষমত৷ কিৎব৷ দােষের কারণ ব্যভীইে খলীফা উমর (রা)ত ওাকে ওই
পদ থেকে অপসারণ করেন ৷

আবুউবায়দ৷ (রা) : ব্লোমানগণ কর্তৃক হিম্সে তার অবরুদ্ধ
থাকা এবং খলীফ৷ উমর (রা) এর সিরিয়া আগমন

সেনাপতি আবু উবায়দ৷ (বা) হিমৃসে তার সেনাদলসহ অবস্থান করছিলেন ৷ ইতিমধ্যে
রােমানগণ সিদ্ধান্ত নিল ড়াদেরকেত অবরুদ্ধ করে রাখার ৷ জাযীরার অধিৰাসিগণ এবং
আশেপাশে লোকদেরকে তারা এ ব্যাপারে প্ররোঢিত ও উত্তেজিত করে তুলেছিল ৷ তারা আবু
উবায়দ৷ (রা)-এর উদ্দেশ্য এগুচ্ছিল ৷ সেনাপতি আবু উবায়দা (রা) হযরত খালিদ ইবন
ওয়ালীদের সাহায্য কামনা করলেন, ৷ তিনি সাহায্য করার জন্যে কিন্নাসিরীন থেকে এসে
পৌছলেন ৷ খলীফ৷ উমর (রা) কেও বিষয়টি জানানো হলো ৷ হযরত আবু উবায়দা (বা) তার
সাথী মুসলমানদের সাথে পরামর্শ করলেন, সরাসরি রোমানদের প্রতিরোধ করবেন, না শহরে
অবস্থান করে আত্মরক্ষামুলক ব্যবস্থা নিবেন, যতক্ষণ না কেন্দ্র থেকে খলীফার নির্দেশ থাকে ৷
হযরত খালিদ (বা) ব্যতীত প্রায় সকলেই আত্মরক্ষামুলক ব্যবস্থা নেয়ার পক্ষে মত প্রকাশ
করলেন ৷ তিনি অভিমত ব্যক্ত করলেন সম্মুখ যুদ্ধের পক্ষে ৷ হযরত আবু উবায়দা (রা) খালিদ
(রা)-এর পরামর্শ গ্রহণ না করে অন্যদের প্রস্তাব গ্রহণ করলেন এবং হিমস নগরীর অভ্যন্তরে
অবস্থান নিয়ে আত্মরক্ষামুলক ব্যবস্থা গ্রহণ করলেন ৷ ণ্রামানগণ চারদিক থেকে তাদেরকে ঘিরে



১ তার নাম ছিল অন্মর ইবন মালিক ইবন জানাহা ৷


الْمَالِ، فَكَانَ أَوَّلَ مَا بَنَوُا الْمَنَازِلُ بِالْقَصَبِ فَاحْتَرَقَتْ فِي أَثْنَاءِ السَّنَةِ، فَبَنَوْهَا بِاللَّبِنِ عَنْ أَمْرِ عُمَرَ، بِشَرْطِ أَنْ لَا يُسْرِفُوا وَلَا يُجَاوِزُوا الْحَدَّ. وَبَعَثَ سَعْدٌ إِلَى الْأُمَرَاءِ وَالْقَبَائِلِ فَقَدِمُوا عَلَيْهِ، فَأَنْزَلَهُمُ الْكُوفَةَ وَأَمَرَ سَعْدٌ أَبَا هَيَّاجٍ الْمُوَكَّلَ بِإِنْزَالِ النَّاسِ فِيهَا بِأَنْ يُعَمِّرُوا وَيَدَعُوا لِلطَّرِيقِ الْمُنْهَجِ وُسْعَ أَرْبَعِينَ ذِرَاعًا، وَلِمَا دُونَ ذَلِكَ ثَلَاثِينَ أَوْ عِشْرِينَ ذِرَاعًا، وَلِلْأَزِقَّةِ سَبْعَةَ أَذْرُعٍ. وَبُنِيَ لِسَعْدٍ قَصْرٌ قَرِيبٌ مِنَ السُّوقِ، فَكَانَتْ غَوْغَاءُ النَّاسِ تَمْنَعُ سَعْدًا مِنَ الْحَدِيثِ، فَكَانَ يُغْلِقُ بَابَهُ، وَيَقُولُ: سَكِّنِ الصُّوَيْتَ. فَلَمَّا بَلَغَتْ هَذِهِ الْكَلِمَةُ عُمَرَ بْنَ الْخَطَّابِ بَعَثَ مُحَمَّدَ بْنَ مُسَلَّمَةَ، فَأَمَرَهُ إِذَا انْتَهَى إِلَى الْكُوفَةِ أَنْ يَقْدَحَ زِنَادَهُ وَيَجْمَعَ حَطَبًا وَيَحْرِقَ بَابَ الْقَصْرِ، ثُمَّ يَرْجِعَ مِنْ فَوْرِهِ. فَلَمَّا انْتَهَى إِلَى الْكُوفَةِ فَعَلَ مَا أَمَرَهُ بِهِ عُمَرُ، وَأَمَرَ سَعْدًا أَنْ لَا يُغْلِقَ بَابَهُ عَنِ النَّاسِ، وَلَا يَجْعَلَ عَلَى بَابِهِ أَحَدًا يَمْنَعُ النَّاسَ عَنْهُ، فَامْتَثَلَ ذَلِكَ سَعْدٌ، وَعَرَضَ عَلَى مُحَمَّدِ بْنِ مُسَلَّمَةَ شَيْئًا مِنَ الْمَالِ فَامْتَنَعَ مِنْ قَبُولِهِ، وَرَجَعَ إِلَى الْمَدِينَةِ. وَاسْتَمَرَّ سَعْدٌ بَعْدَ ذَلِكَ فِي الْكُوفَةِ ثَلَاثَ سِنِينَ وَنِصْفًا، حَتَّى عَزَلَهُ عَنْهَا عُمَرُ، مِنْ غَيْرِ عَجْزٍ وَلَا خِيَانَةٍ. [قِصَّةُ أَبِي عُبَيْدَةَ وَحَصْرِ الرُّومِ لَهُ بِحِمْصَ وَقُدُومِ عُمَرَ إِلَى الشَّامِ أَيْضًا لِيَنْصُرَهُ] وَذَلِكَ أَنَّ جَمْعًا مِنَ الرُّومِ عَزَمُوا عَلَى حِصَارِ أَبِي عُبَيْدَةَ بِحِمْصَ، وَاسْتَجَاشُوا بِأَهْلِ الْجَزِيرَةِ وَخَلْقٍ مِمَّنْ هُنَالِكَ، وَقَصَدُوا أَبَا عُبَيْدَةَ، فَبَعَثَ أَبُو
পৃষ্ঠা - ৫৫৩২
عُبَيْدَةَ إِلَى خَالِدٍ ; فَقَدِمَ عَلَيْهِ مِنْ قِنَّسْرِينَ وَكَتَبَ إِلَى عُمَرَ بِذَلِكَ، وَاسْتَشَارَ أَبُو عُبَيْدَةَ الْمُسْلِمِينَ فِي أَنْ يُنَاجِزَ الرُّومَ، أَوْ يَتَحَصَّنَ بِالْبَلَدِ حَتَّى يَجِيءَ أَمْرُ عُمَرَ؟ فَكُلُّهُمْ أَشَارَ بِالتَّحَصُّنِ إِلَّا خَالِدًا فَإِنَّهُ أَشَارَ بِمُنَاجَزَتِهِمْ، فَعَصَاهُ وَأَطَاعَهُمْ. وَتَحَصَّنَ بِحِمْصَ وَأَحَاطَ بِهِ الرُّومُ، وَكُلُّ بَلَدٍ مِنْ بُلْدَانِ الشَّامِ مَشْغُولٌ أَهْلُهُ عَنْهُ بِأَمْرِهِمْ، وَلَوْ تَرَكُوا مَا هُمْ فِيهِ وَأَقْبَلُوا إِلَى حِمْصَ لَانَخْرَمَ النِّظَامُ فِي الشَّامِ كُلِّهِ. وَكَتَبَ عُمَرُ إِلَى سَعْدٍ أَنْ يَنْدُبَ النَّاسَ مَعَ الْقَعْقَاعِ بْنِ عَمْرٍو، وَيُسَيِّرَهُمْ إِلَى حِمْصَ مِنْ يَوْمِ يَقْدَمُ عَلَيْهِ الْكِتَابُ نَجْدَةً لِأَبِي عُبَيْدَةَ فَإِنَّهُ مَحْصُورٌ. وَكَتَبَ إِلَيْهِ أَنْ يُجَهِّزَ جَيْشًا إِلَى أَهْلِ الْجَزِيرَةِ الَّذِينَ مَالَئُوا الرُّومَ عَلَى حِصَارِ أَبِي عُبَيْدَةَ، وَيَكُونَ أَمِيرَ الْجَيْشِ إِلَى الْجَزِيرَةِ عِيَاضُ بْنُ غَنْمٍ فَخَرَجَ الْجَيْشَانِ مَعًا مِنَ الْكُوفَةِ ; الْقَعْقَاعُ فِي أَرْبَعَةِ آلَافٍ نَحْوَ حِمْصَ لِنَجْدَةِ أَبِي عُبَيْدَةَ، وَخَرَجَ عُمَرُ بِنَفْسِهِ مِنَ الْمَدِينَةِ لِيَنْصُرَ أَبَا عُبَيْدَةَ، فَبَلَغَ الْجَابِيَةَ. وَقِيلَ: إِنَّمَا بَلَغَ سَرْغَ. قَالَهُ ابْنُ إِسْحَاقَ وَهُوَ أَشْبَهُ. وَاللَّهُ أَعْلَمُ. فَلَمَّا بَلَغَ أَهْلَ الْجَزِيرَةِ الَّذِينَ مَعَ الرُّومِ عَلَى حِمْصَ أَنَّ الْجَيْشَ قَدْ طَرَقَ بِلَادَهُمْ، انْشَمَرُوا إِلَى بِلَادِهِمْ، وَفَارَقُوا الرُّومَ، وَسَمِعَتِ الرُّومُ بِقُدُومِ أَمِيرِ الْمُؤْمِنِينَ عُمَرَ لِنُصْرَةِ نَائِبِهِ عَلَيْهِمْ، فَضَعُفَ جَانِبُهُمْ جِدًّا. وَأَشَارَ خَالِدٌ عَلَى أَبِي عُبَيْدَةَ بِأَنْ يَبْرُزَ إِلَيْهِمْ لِيُقَاتِلَهُمْ، فَفَعَلَ ذَلِكَ أَبُو عُبَيْدَةَ، فَفَتَحَ اللَّهُ عَلَيْهِ وَنَصَرَهُ، وَهُزِمَتِ الرُّومُ هَزِيمَةً فَظِيعَةً، وَذَلِكَ قَبْلَ وُرُودِ عُمَرَ عَلَيْهِمْ، وَقَبْلَ وُصُولِ الْأَمْدَادِ إِلَيْهِمْ بِثَلَاثِ لَيَالٍ. فَكَتَبَ أَبُو عُبَيْدَةَ إِلَى عُمَرَ وَهُوَ بِالْجَابِيَةِ يُخْبِرُهُ بِالْفَتْحِ، وَأَنَّ الْمَدَدَ وَصَلَ إِلَيْهِمْ بَعْدَ ثَلَاثِ لَيَالٍ، وَسَأَلَهُ هَلْ يُدْخِلُهُمْ فِي الْقَسْمِ مَعَهُمْ مِمَّا أَفَاءَ اللَّهُ عَلَيْهِمْ؟ فَجَاءَ الْجَوَابُ بِأَنْ يُدْخِلَهُمْ مَعَهُمْ فِي الْغَنِيمَةِ، فَإِنَّ الْعَدُوَّ إِنَّمَا ضَعُفَ وَإِنَّمَا انْشَمَرَ عَنْهُ الْمَدَدُ مِنْ خَوْفِهِمْ مِنْهُمْ، فَأَشْرَكَهُمْ أَبُو عُبَيْدَةَ فِي الْغَنِيمَةِ. وَقَالَ عُمَرُ:
পৃষ্ঠা - ৫৫৩৩


ফেলল ৷ ওদিকে সিরিয়ার বিভিন্ন শহরে অবস্থানরত মুসলিম সৈনিকগণ নিজ নিজ শহরের
আইন-শৃৎখলা ও প্রশাসন স্বাভাবিক রাখতে ব্যস্ত থাকায় আবু উবায়দা (রা)-কে সাহায্য করতে
পারছিলেন না ৷ তারা যদি ওই সময়ে নিজ নিজ শহর ছেড়ে চলে আসতেন তাহলে সমগ্র
সিরিয়ার প্রশাসনে বিশৃত্খলা ও বিপর্যয় সৃষ্টি হতো ৷

খলীফা উমর (রা) সেনাপতি সা দ (রা) কে লিখলেন কাকা ইবন আমরের নেতৃত্ছু
একটি বাহিনী গঠন করতে এবং এই চিঠি প্া৷ওয়া মাত্রই তাদেরকে হিমৃসে’ প্রেরণ করতে

তারা সেখানে অবিলম্বে আবু উবায়দা (রা) কে সাহায্য করতে শুরু করবে ৷ খলীফা আরো

লিখলেন যে, জাষীরার অধিবাসিগণ আবু উবায়দা (রা) এর বিরুদ্ধে রোমানদেরকে সাহায্য
করেছে ৷ সুতরাং ওদেরকে সমুচিত শিক্ষা দেয়ার জন্যে আরো একটি বাহিনী প্রেরণ করতে
হবে ৷ সেই বাহিনীর প্রধান হবেন ইয়ায ইবন গনোম ৷ উভয় দল কুফ৷ থেকে যাত্রা করল ৷ চার
হাজার সৈন্যের বাহিনী নিয়ে কাকা যাত্রা করলেন আবু উবায়দা (রা) কে সাহায্য করার
জন্যে ৷ মদীনা শরীফ থেকে খলীফা উমর (রা) নিজে ক ন্ক সৈন্য নিয়ে যাত্রা করলেন আবু
উবায়দ৷ (রা)-এর সাহায্যার্থে ৷ তিনি জ্যাবয়া এসে পৌছলেন ৷ মতাতরে সারাত এলে
পৌছলেন ৷ দ্বিতীয় অভিমত ঐতিহাসিক ইবন ইসহাকের ৷ এ অভিমত অধিকতর গ্রহণযেগো ৷
আল্পাহ্ ভাল জানেন ৷

ইতিমধ্যে জাযীরার অধিবাসিগণ জোন যায় যে রোমানদেরকে সহযোগিতা করার অপরাধে
তাদের উপর আক্রমণ করার জন্যে মুসলিম সেনাবাহিনী এগিয়ে আসছে ৷ তখন তারা অবরোধ
ছেড়ে নিজ নিজ শহরে চলে যায় ৷ রোমানদেরকে রেখেই তারা ওই স্থান ত্যাগ করে ৷ ওদািক
রোমানগণ জেনে যায় যে, নিজ প্রতিনিধিকে সাহায্য করার জন্যে স্বয়ং খলীফা সেনাদল নািয়
যাত্রা করেছেন ৷ তখন তাদের মন-মানসিকতড়া দুর্বল হয়ে পড়ে ৷ তারা ভয় পেয়ে যায় ৷ হযরত
খালিদ (রা) আবু উবায়দা (রা) কে পরামর্শ দিলেন অবিলম্বে রোমানদের উপর আক্রমণ করার
জন্যে ৷ আবু উবায়দা (রা)ত তাই করলেন ৷ আল্লাহ তা জানা তাদেরকে সাহায্য করলেন এবং
বিজয় দান করলেন ৷ রোমানগণ গোচনীয়ভ্যবে পরাজিত হয় ৷ হযরত মর (রা) ওখানে
পৌছার এবং প্রেরিত সাহাষ্যসহ সেখানে মিলিত হবার তিনদিন পুর্বে বিজয় অর্জিত হয়ে যায় ৷
হযরত উমর (রা) জাবিয়াতে অবস্থান করছিলেন ৷ সেনাপতি আবু উবায়দা (বা) খলীফাকে
লিখলেন যে, প্রেরিত সেনা সাহায্য এখানে পৌছার তিনদিন পুর্বেই বিজয় অর্জিত হয়ে যায় ৷
এখন সাহায্য-দলকে গনীমতের ভাগ দেয়৷ হবে কিনা ৷ খলীফার পক্ষ থেকে উত্তর এল যে হা
ওদেরকে গনীমাত ন্র অংশীদার করতে হবে ৷ কারণ এই সাহায্য-দল যাত্রা করেছে শুনেই শত্রু
পক্ষ দুর্বল হয়ে পড়ে এবং ভীত তসস্ত্রস্ত হয়ে অবরোধ স্থান ত্যাগ করে ৷ ফলে আবু উবায়দা (রা)
সাহায্য-দলকেও বিধিমত গনীমতের মাল প্রদান করেন ৷ হযরত ৩উমর (বা) বললেন, মহান
আল্লাহ কুফাবাসীদেরকে দয়া করুন, তারা তাদের ভুখণ্ড রক্ষা করে এবং অন্যান্য নগরবড়াসীকে
সহযোগিতা করে ৷

জাষীরা বিজয়
ইবন জারীর বলেন, সায়ফ ইবন উমরের বর্ণনা অনুযায়ী এই হিজরী সনে জাষীরা জয় হয় ৷
তবে ইবন জারীর (র) বলেন, এই বিজয় অর্জিত হয় এই বছর যিলহজ্জ মাসে ৷ এদিক থেকে


جَزَى اللَّهُ أَهْلَ الْكُوفَةِ خَيْرًا، يَحْمُونَ حَوْزَتَهُمْ وَيَمُدُّونَ أَهْلَ الْأَمْصَارِ. [فَتْحُ الْجَزِيرَةِ] قَالَ ابْنُ جَرِيرٍ وَفِي هَذِهِ السَّنَةِ فُتِحَتِ الْجَزِيرَةُ، فِيمَا قَالَهُ سَيْفُ بْنُ عُمَرَ. قَالَ ابْنُ جَرِيرٍ فِي ذِي الْحِجَّةِ مِنْ سَنَةِ سَبْعَ عَشْرَةَ. فَوَافَقَ سَيْفَ بْنَ عُمَرَ فِي كَوْنِهَا فِي هَذِهِ السَّنَةِ. وَقَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ كَانَ ذَلِكَ فِي سَنَةِ تِسْعَ عَشْرَةَ. سَارَ إِلَيْهَا عِيَاضُ بْنُ غَنْمٍ، وَفِي صُحْبَتِهِ أَبُو مُوسَى الْأَشْعَرِيُّ، وَعُمَرُ بْنُ سَعْدِ بْنِ أَبِي وَقَّاصٍ، وَهُوَ غُلَامٌ صَغِيرُ السِّنِّ لَيْسَ إِلَيْهِ مِنَ الْأَمْرِ شَيْءٌ، وَعُثْمَانُ بْنُ أَبِي الْعَاصِ، فَنَزَلَ الرُّهَا فَصَالَحَهُ أَهْلُهَا عَلَى الْجِزْيَةِ، وَصَالَحَتْ حَرَّانُ عَلَى ذَلِكَ. ثُمَّ بَعَثَ أَبَا مُوسَى الْأَشْعَرِيَّ إِلَى نَصِيبِينَ وَعُمَرَ بْنَ سَعْدٍ إِلَى رَأْسِ الْعَيْنِ وَسَارَ بِنَفْسِهِ إِلَى دَارَا، فَافْتُتِحَتْ هَذِهِ الْبُلْدَانُ، وَبَعَثَ عُثْمَانَ بْنَ أَبِي الْعَاصِ إِلَى إِرْمِينِيَةَ، فَكَانَ عِنْدَهَا شَيْءٌ مِنْ قِتَالٍ، قُتِلَ فِيهِ صَفْوَانُ بْنُ الْمُعَطَّلِ السُّلَمِيُّ شَهِيدًا. ثُمَّ صَالَحَهُمْ عُثْمَانُ بْنُ أَبِي الْعَاصِ عَلَى الْجِزْيَةِ، عَلَى كُلِّ أَهْلِ بَيْتٍ دِينَارٌ. وَقَالَ سَيْفٌ فِي رِوَايَتِهِ: جَاءَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عِتْبَانَ، فَسَلَكَ عَلَى دَجْلَةَ حَتَّى انْتَهَى إِلَى الْمَوْصِلِ فَعَبَرَ إِلَى بَلَدٍ حَتَّى انْتَهَى إِلَى نَصِيبِينَ، فَلَقُوهُ
পৃষ্ঠা - ৫৫৩৪


তিনি সায়ফ ইবন উমরের সাথে ঐকমত্য পোষণ করেন যে, এই বছর জাযীরা বিজিত হয়েছে ৷
ইবন ইসহাক বলেন, এই বিজয় এসেছে ১৯ হিজরী সালে ৷ জাযীরা জয়ের উদ্দেশ্যে যাত্রা
করেন ইয়ায ইবন গানাম ৷ তার সহযোগিতায় ছিলেন হযরত আবু মুসা আশআরী (বা) এবং
উমর ১ ইবন সাদ ইবন আবী ওয়াক্কাস ৷ ইনি ছিলেন অল্পবয়সী বালক ৷ যুদ্ধের কোন বড় দায়িত্ব
তার হাতে ছিল না ৷ তাদের সাথে ছিলেন উসমান ইবন আবুল আস ৷ তারা রাহা’ নামক স্থানে
গিয়ে শিবির স্থাপন করেন ৷ সেখানকার লোক জিয্য়া কর প্রদানের শরুত সন্ধি চুক্তি সম্পাদন
করে ৷ হাররান’ শহরের লোকেরাও একই শর্তে সন্ধি করে ৷ এরপর আবু মুসা আশ আরী
(রা)-কে প্রেরণ করা হয় নসীবীনের উদ্দেশ্যে ৷ উমর ইবন সাদকে প্রেরণ করা হয় রাসুল
আয়ন’-এর উদ্দেশ্যে ৷ আর ইয়ায ইবন গনোম নিজে যাত্রা করেন দারা’ অঞ্চলের উদ্দেশ্যে ৷
এসব শহর তারা জয় করে নেন ৷ উসমান ইবন আরিল আসকে পাঠানো হয় আরমিনিয়ার
উদ্দেশ্যে ৷ সেখানে সামান্য যুদ্ধ হয় ৷ ওই যুদ্ধে সাফওয়ান ইবন মুআত্তাল সুলামী শহীদ হন ৷
এরপর জিয্য়া কর প্রদানের শতে তারা উসমান ইবন আরিল আসের সাথে সন্ধি চুক্তি স্বাক্ষর
করে ৷ সমঝোতা হয় যে, প্রতি পরিবার এক দীনার বা স্বর্ণমুদ্র৷ করে জিযয়া কর পরিশোধ
ক্যাবে ৷
সায়ফ বলেন, আবদুল্লাহ্ ইবন আবদুল্লাহ ইবন পাসৃসান যাত্রা করে ঘুসেল পৌছেন ৷
তারপর যেতে যেতে নসীবীন পর্যন্ত অগ্রসর হন ৷ সেখানকার অধিবাসিগণ সন্ধি স্থাপনের প্রস্তাব
দেয় ৷ অতঃপর রিকা অধিবাসিগণ যে শত সন্ধি স্থাপন করেছে তারাও সেই শরু৩ সন্ধি চুক্তি
সম্পাদন করে ৷ তিনি জাযীরার নেতৃস্থানীয় আরব থ্রিস্টানদেরকে মদীনায় খলীফ৷ উমর (রা) এর
নিকট পাঠিয়ে দেন ৷ খলীফা উমর (রা) ওদেরকে বললেন, তোমরা জিয্য়া কর প্রদান কর ৷
ওরা বলল, না, আপনি বরং আমাদেরকে আমাদের নিরাপদ স্থানে পৌছিয়ে দিন ৷ আপনি যদি
আমাদের উপর জিয্য়া কর ধার্য করেন তাহলে আমরা রোম দেশে চলে যাব, ওদের সাথে
মিলিত হব ৷ আরব হিসেবে আমাদেরকে অপমান করা হচ্ছে ৷ হযরত উমর (রা) বললেন,
ইসলাম গ্রহণ না করেও তামর৷ নিজেরা নিজেদেরকে অপমানিত করেছ, তোমাদের মুলনীতির
উন্টে৷ কাজ করেছ ৷ এখন (ত ৷মরা অবশ্যই নত ৩হয়ে জিয্য়া কর প্রদান করবে ৷ আর যদি
তোমরা রোম দেশে পালিয়ে যাও তাহলে তােমাদেরকে ধরে আমার জন্যে আমি সেনা অভিযান
প্রেরণ করব ৷ তারপর তোমাদের বন্দী করে নিয়ে আসব ৷ তারা বলল, তবে আপনি আমাদের
থেকে কিছু অর্থ সম্পদ গ্রহণ করবেন বিন্দু তা জিযয়া কর’ নামে নয় ৷ খলীফা বললেন
“আমরা জিঘৃয়া কব শ্ নামেই তা গ্রহণ-করব তােমরাদেয়ারসময় যে নামেই দাও না কেন ? শ্
তখন হযরত আলী ইবন আবী তালিব (রা) বললেন, “হযরত সা দ (বা) কি তাদের উপর
দ্বিগুণ সাদকা ধার্য করেন নি ? খলীফা বললেন, হ্যা, তাইতো, তারপর হযরত আলী (রা)-এৱ
বক্তব্য মনোযোগ সহকারে শুনলেন এবং আরব খ্রিস্টানদের প্রস্তাব মেনে নিলেন ৷
ইবন জারীর (র) বলেন, এই বছর অর্থাৎ ১৭ হিজরী সালে হযরত উমর (রা) সিরিয়া
আগমন করেছিলেন ৷ তিনি সারা এসে পৌছেন ৷ মুহাম্মদ ইবন ইসহাক তাই বলেছেন ৷ সায়ফ
ইবন উমর বলেছেন যে, খলীফা জাবিয়৷ এসে পৌছেন ৷ আমি বলি, প্রসিদ্ধ অভিমত হচ্ছে৩ তিনি



১ ওয়াকিদীর মতে তার নাম ছিল উমায়ৱ ইবন সাদ ইবন উবায়দ ৷


بِالصُّلْحِ وَصَنَعُوا كَمَا صَنَعَ أَهْلُ الرَّقَّةِ. وَبَعَثَ إِلَى عُمَرَ بِرُءُوسِ النَّصَارَى مِنْ عَرَبِ أَهْلِ الْجَزِيرَةِ فَقَالَ لَهُمْ عُمَرُ: أَدُّوا الْجِزْيَةَ. فَقَالُوا: أَبْلِغْنَا مَأْمَنَنَا، فَوَاللَّهِ لَئِنْ وَضَعْتَ عَلَيْنَا الْجِزْيَةَ لَنَدْخُلَنَّ أَرْضَ الرُّومِ، وَاللَّهِ لَتَفْضَحُنَا مِنْ بَيْنِ الْعَرَبِ. فَقَالَ لَهُمْ: أَنْتُمْ فَضَحْتُمْ أَنْفُسَكُمْ، وَخَالَفْتُمْ أُمَّتَكُمْ، وَوَاللَّهِ لَتُؤَدُّنَّ الْجِزْيَةَ وَأَنْتُمْ صَغَرَةٌ قَمَأَةٌ، وَلَئِنْ هَرَبْتُمْ إِلَى الرُّومِ لَأَكْتُبَنَّ فِيكُمْ، ثُمَّ لَأَسْبِيَنَّكُمْ. قَالُوا: فَخُذْ مِنَّا شَيْئًا وَلَا تُسَمِّيهِ جِزْيَةً. فَقَالَ: أَمَّا نَحْنُ فَنُسَمِّيهِ جِزْيَةً، وَأَمَّا أَنْتُمْ فَسَمُّوْهُ مَا شِئْتُمْ. فَقَالَ لَهُ عَلِيُّ بْنُ أَبِي طَالِبٍ أَلَمْ يُضْعِفُ عَلَيْهِمْ سَعْدٌ الصَّدَقَةَ؟ قَالَ: بَلَى. وَأَصْغَى إِلَيْهِ وَرَضِيَ بِهِ مِنْهُمْ. قَالَ ابْنُ جَرِيرٍ وَفِي هَذِهِ السَّنَةِ قَدِمَ عُمَرُ بْنُ الْخَطَّابِ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، إِلَى الشَّامِ فَوَصَلَ إِلَى سَرْغَ، فِي قَوْلِ مُحَمَّدِ بْنِ إِسْحَاقَ. وَقَالَ سَيْفٌ: وَصَلَ إِلَى الْجَابِيَةِ. قُلْتُ: وَالْأَشْهَرُ أَنَّهُ وَصَلَ سَرْغَ. وَقَدْ تَلَقَّاهُ أُمَرَاءُ الْأَجْنَادِ: أَبُو عُبَيْدَةَ، وَيَزِيدُ بْنُ أَبِي سُفْيَانَ، وَخَالِدُ بْنُ الْوَلِيدِ، إِلَى سَرْغَ، فَأَخْبَرُوهُ أَنَّ الْوَبَاءَ قَدْ وَقَعَ بِالشَّامِ، فَاسْتَشَارَ عُمَرُ الْمُهَاجِرِينَ وَالْأَنْصَارَ فَاخْتَلَفُوا عَلَيْهِ، فَمِنْ قَائِلٍ يَقُولُ: أَنْتَ قَدْ جِئْتَ لِأَمْرٍ فَلَا تَرْجِعْ عَنْهُ. وَمِنْ قَائِلٍ يَقُولُ: لَا نَرَى أَنْ تَقْدَمَ بِوُجُوهِ أَصْحَابِ رَسُولِ اللَّهِ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، عَلَى هَذَا الْوَبَاءِ. فَيُقَالُ: إِنَّ عُمَرَ أَمَرَ النَّاسِ بِالرُّجُوعِ مِنَ الْغَدِ. فَقَالَ أَبُو عُبَيْدَةَ: أَفِرَارًا مَنْ قَدَرِ اللَّهِ؟ قَالَ: نَعَمْ، نَفِرُّ مَنْ قَدَرِ اللَّهِ إِلَى قَدَرِ اللَّهِ،
পৃষ্ঠা - ৫৫৩৫


সারা এসে পৌছেন ৷ মুসলিম সেনাধ্যক্ষগণ সেখানে খলীফার সাথে সক্ষোত করেন ৷ তাদের
মধ্যে ছিলেন আবু উবায়দা (রা), ইয়াযীদ ইবন আবী সুফয়ান (রা), খালিদ ইবন ওয়ালীদ (রা)
প্রমুখ ৷ র্তারা খলীফাকে জানান যে, এখন সিরিয়ার মহামারী রোগের প্ৰাদুর্ডাব ঘটেছে ৷ খলীফা
উমর (বা) এ বিষয়ে মুহাজির ও আনসার সাহাবীগণের সাথে পরামর্শ করলেন ৷ তারা ভিন্ন ভিন্ন
মত প্রকাশ করলেন ৷ কেউ বললেন, আপনি একটি বিশেষ লক্ষ্য নিয়ে এদিকে এসেছেন, এখন
ফিরে যাওয়া উচিত হবে না ৷ অন্য কেউ বললেন যে, সাহাৰী (রা)গণকে সাথে নিয়ে মহামারী
রোগের মুখোমুখি হওয়া আমরা ভাল মনে করি না ৷ বর্ণিত আছে যে, হযরত উমর (রা) এ
যাত্রার মদীনায় ফিরে যাবার সিদ্ধান্ত নিলেন এবং পরের দিনই মদীনায় ফেরত যাত্রার নির্দেশ
দিলেন ৷ তখন আবু উবায়দা (রা) বললেন, আল্পাহ্র তাকদীর ও নির্ধারিত বিষয়” থেকে
পালিয়ে যাচ্ছেন ঙ্ক’ খলীফা উত্তরে বললেন, এক তাকদীর থেকে অন্য তাকদীরে ফিরে যাচ্ছি’ ৷
তিনি আরো বললেন, আচ্ছা দেখুন তাে, আপনি যদি এমন দুটো ভুমির ড়ানকট অবতরণ করেন,
যার একটি উর্বর অন্যটি অনুর্বর ৷ সেখানে আপনি যদি উর্বরটিতে পও চরান তাও আল্লাহর
তাকদীর অনুযায়ী আর যদি অনুর্বরটিতে পশু চরান তাও আল্লাহ্র তাকদীর অনুযায়ী, তাই নয়
কি ৷’ তারপর খলীফা বললেন, “হে আবু উবায়দা (বা) এ মন্তব্যটি আপনি না করে অন্য কেউ
করলে হয়ত মানাত ৷ ’

ইবন ইসহাক তার বর্ণনায় বলেছেন, অবশ্য এটি সহীহ বুখারীতেও আছে যে, আবদুর
রহমান ইবন আওফ (বা) কোন কারণে সেখানে অনুপস্থিত ছিলেন ৷ তিনি যখন এলেন তখন
বললেন, “এ বিষয়ে আমার নিকট কিছু থ্যত আছে ৷ আমি রাসুলুল্লাহ্র্চু;, পােণ্ন্ কে বলতে শুনেছি
যে,৩ তিনি বলেছিলেন-
১াষ্ ৷ট্র ৷


(যখন তোমরা শুনতে পারে যে, কোন দেশে মহামারী রােগের প্রাদুর্ভাব ঘটেছে তখন
তোমরা ওই দেশে যেও না ৷ আর যখন দেখবে যে, তুমি যেখানে অবস্থান করহু সেখানে
মহামারীর প্রাদুর্ভাব ঘটেছে তাহলে সেখান থেকে পালিয়ে যেও না ৷) এ হাদীস শুনে খলীফা
উমর (রা) মহান আল্লাহর প্রশংসা করলেন ৷ কারণ হাদীসটি তার অভিমতের অনুকুল হয়েছে ৷
এরপর তিনি সাথী-সঙ্গীদেরকে নিয়ে মদীনা যাত্রা করলেন ৷

ইমাম আহমদ (র) বলেন ওয়াকী সাদ ইবন মালিক ইবন আবী ওয়াক্কাস, খুযায়মা
ইবন ছাবিত, ও উসামা ইবন যায়দ সকলে বলেছেন যে, রাসুলুল্লাহ্ ট্টর্চুশ্ষ্ষ্ষ্হুণ্; বলেছেন-

— ষ্ fl ষ্


ষ্


এই প্লেগ ব্লোগ হলো শাস্তির অবগ্রিষ্টিাং শ ৷ তোমাদের পুর্ববর্তী এক সম্প্রদায়েকে দেয়া
শাস্তির অবগ্রিষ্টিাত্শ শহ্লাে তোমাদের উপর আগত এই প্লেগ রোগ ৷ যখন এমন কোন স্থানে এই

রোগের প্রাদৃর্ভাব ঘটে যেখানে তোমরা আবন্থান করছ, তাহলে ওই ব্লোগ থেকে বাচার জন্যে


أَرَأَيْتَ لَوْ هَبَطْتَ وَادِيًا ذَا عُدْوَتَيْنِ ; إِحْدَاهُمَا مُخْصِبَةٌ وَالْأُخْرَى مُجْدِبَةٌ، فَإِنْ رَعَيْتَ الْخِصْبَةَ رَعَيْتَهَا بِقَدَرِ اللَّهِ، وَإِنْ أَنْتَ رَعَيْتَ الْجَدْبَةَ رَعَيْتَهَا بِقَدَرِ اللَّهِ. ثُمَّ قَالَ: لَوْ غَيْرُكَ يَقُولُهَا يَا أَبَا عُبَيْدَةَ قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ فِي رِوَايَتِهِ - وَهُوَ فِي " صَحِيحِ الْبُخَارِيِّ ": وَكَانَ عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ عَوْفٍ مُتَغَيِّبًا فِي بَعْضِ شَأْنِهِ، فَلَمَّا قَدِمَ قَالَ: إِنَّ عِنْدِي مِنْ ذَلِكَ عِلْمًا، سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، يَقُولُ: «إِذَا سَمِعْتُمْ بِهِ بِأَرْضٍ، فَلَا تَقْدَمُوا عَلَيْهِ، وَإِذَا وَقَعَ بِأَرْضٍ وَأَنْتُمْ فِيهَا لَا تَخْرُجُوا فِرَارًا مِنْهُ» فَحَمِدَ اللَّهَ عُمَرُ - يَعْنِي لِكَوْنِهِ وَافَقَ رَأْيَهُ - وَرَجَعَ بِالنَّاسِ. وَقَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: ثَنَا وَكِيعٌ، ثَنَا سُفْيَانُ بْنُ حَبِيبِ بْنِ أَبِي ثَابِتٍ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ بْنِ سَعْدٍ، عَنْ سَعْدِ بْنِ مَالِكِ بْنِ أَبِي وَقَّاصٍ، وَخُزَيْمَةَ بْنِ ثَابِتٍ، وَأُسَامَةَ بْنِ زَيْدٍ، قَالُوا: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «إِنَّ هَذَا الطَّاعُونَ رِجْزٌ وَبَقِيَّةُ عَذَابٍ عُذِّبَ بِهِ قَوْمٌ قَبْلَكُمْ، فَإِذَا وَقَعَ بِأَرْضٍ أَنْتُمْ بِهَا فَلَا تَخْرُجُوا مِنْهَا فِرَارًا مِنْهُ، وَإِذَا سَمِعْتُمْ بِهِ بِأَرْضٍ فَلَا تَدْخُلُوا عَلَيْهِ» وَرَوَاهُ الْإِمَامُ أَحْمَدُ أَيْضًا، مِنْ حَدِيثِ سَعِيدِ بْنِ الْمُسَيَّبِ، وَيَحْيَى بْنِ سَعْدٍ، عَنْ سَعْدِ بْنِ أَبِي وَقَّاصٍ بِهِ.
পৃষ্ঠা - ৫৫৩৬


ওই স্থান ত্যাগ করো না ৷ আর যখন শুনবে যে, অন্য কোন জনপদে এই রোগের প্রাদুর্ভাব
ঘটেছে তখন ওই জ্যাপদে ৫৩ ৷মর৷ যেও না” ৷ ইমাম আহমদ (র) এটি সাঈদ ইবন মুসায়া৷ব
(বা) এবং ইয়াহয়া ইবন সাঈদ সুত্রে সা দ ইবন আবী ওয়াক্কাস (বা) থেকেও বর্ণনা করেছেন ৷

সায়ফ ইবন উমর বলেছেন, সিরিয়াতে মহামারী রোগের প্রাদুর্ভাব ঘটেছিল এই সনে অর্থাৎ
১ ৭ হিজরী সনের মুহাররম মাসে ৷ তারপর এটি সরে গিয়েছিল ৷ সড়ায়ফ মনে করতেন যে, এই
মহামারী হলো প্রসিদ্ধ “তাউন-ই আমওয়াস” বা আমওয়াসের প্লেগ মহামারী” ৷ যে রোগে
বহু সেনাপতি ও নেতৃস্থানীয় মুসলমানের মৃত্যু হয়েছিল ৷ অবশ্য সায়ফ যা মনে করতেন আসল
ঘটনা তা নয় ৷ কারণ আমওয়াসে প্লেগ রোগের প্রদুর্ভাব ঘটেছিল এর পরের বছর ৷ আমরা
শিগগিরই তা আলোচনা করব ৷

সড়ায়ফ ইবন উমর আরো উল্লেখ করেছেন যে, আমীরুল মু’মিনীন হযরত উমর (রা)
সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন যে, তিনি সশরীরে শহরগুলাে ঘুরে দেখবেন, শাসনকর্তাদের সাথে সাক্ষাত
করবেন, তাদের কাজকর্মের ভালমন্দ স্বচক্ষে দেখবেন ৷ তার যাত্রার প্রাক্কালে সাহাবিগণ জ্যি
ভিন্ন মত প্রকাশ করলেন ৷ কেউ বললেন, আগে ইরাক চলুন আর কেউ বললেন, আগে সিরিয়া
চলুন ৷ হযরত উমর (রা) প্রথমে সিরিয়া যাবার সিদ্ধান্ত নিলেন ৷ কারণ ওখানে “তাউন ই-
আমওয়াস” বা আমওয়াসের প্লেগ মহামারীতে বাবা মারা গেলেন তাদের ত্যাজ্য সম্পত্তি বণ্টনে
জটিলতা সৃষ্টি হয়েছিল ৷ এটি নিরসনের জন্যে তিনি প্রথমে সিরিয়া যাবার সিদ্ধান্ত নিলেন ৷
এতে বোঝা যায় যে, হযরত উমর (রা) সিরিয়া এসেছিলেন “তাউন-ই-আমওয়াসের” পর ৷
অথচ “তাউন-ই-আমওয়াসের” প্রাদুর্ভাব ঘটেছিল ১৮ হিজরী সালে ৷ সুতরাং এটা বলা হবে
যে, তার এই যাত্রায় সিরিয়ার আগমন ১৮ হিজরীর পর অন্য একবার আগমন ৷ সারা’ পর্যন্ত
এসে ফিরে যাওয়ার আগমন নয় ৷ আল্লাহ্ ভাল জানেন ৷

আবু উছমান, আবু হারিছাহ্, ও রাবী ইবন নুমান থেকে সায়ফ্ বর্ণনা করেন যে, তারা
বলেছেন, খলীফা উমর (রা) বলেছিলেন, সিরিয়াতে মারা যাওয়া মানুষগুলাের ত্যজ্যে সম্পত্তি
বিনষ্ট হচ্ছে, তইি আমি প্রথমে সিরিয়া যাব, সেখানে ত্যাজ্য সম্পত্তিগুলাে বণ্টন করব এবং
আমার পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করব ৷ তারপর আমি বিভিন্ন শহরে যাব ৷ শহরবাসী ও
শাসনকর্তাদের নিকট আমার পরিকল্পনা পেশ করব ৷

বর্ণনাকারিগণ বলেন, হযরত উমর (রা) সিরিয়া এসেছিলেন চার বার ৷ ১৬ হিজরী সালে
দৃ’বার, ১ ৭ হিজরী সালে দৃ’বার ৷ ১ ৭ হিজরী সালের ১ম বার তিনি সিরিয়ার প্রবেশ করেন নি ৷
এতে সায়ফের দেয়া তথ্যের সমর্থন পাওয়া যায় যে, আমওয়াসের প্লেগ মহামারী” প্রাদুর্ভাব
ঘটেছিল ১ ৭ হিজরী সালে ৷ কিভু মুহাম্মদ ইবন ইসহাক, আবুমাশার ও অন্যরা তার বিরোধিতা
করে বলেছেন যে, আমওয়াসের £প্লগ মহামারীর প্রাদুর্ভাব ঘটেছে ১৮ হিজরী সালে ৷ এই
মহ্ামারী বোগে হযরত আবু উবায়দ৷ (রা), মু আয (বা), ইয়াযীদ ইবন আবী সুফয়ান ও
অন্যান্য নেতৃস্থানীয় আরব বাক্তিগণ মারা যান ৷ এর বিস্তাবিত বিবরণ অবিলম্বে আসবে
ইনুশাঅাল্পাহ্ ৷

আল-ৰিদায়া — ১৯


قَالَ سَيْفُ بْنُ عُمَرَ: كَانَ الْوَبَاءُ قَدْ وَقَعَ بِالشَّامِ فِي الْمُحَرَّمِ مِنْ هَذِهِ السَّنَةِ وَصَفَرٍ ثُمَّ ارْتَفَعَ. وَكَأَنَّ سَيْفًا يَعْتَقِدُ أَنَّ هَذَا الْوَبَاءَ هُوَ طَاعُونُ عَمَوَاسَ الَّذِي هَلَكَ فِيهِ خَلْقٌ مِنَ الْأُمَرَاءِ وَوُجُوهِ الْمُسْلِمِينَ. وَلَيْسَ الْأَمْرُ كَمَا زَعَمَ، بَلْ طَاعُونُ عَمَوَاسَ مِنَ السَّنَةِ الْمُسْتَقْبَلَةِ بَعْدَ هَذِهِ، كَمَا سَنُبَيِّنُهُ، إِنْ شَاءَ اللَّهُ تَعَالَى. وَذَكَرَ سَيْفُ بْنُ عُمَرَ أَنَّ أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ عُمَرَ كَانَ قَدْ عَزَمَ عَلَى أَنْ يَطُوفَ الْبُلْدَانَ، وَيَزُورَ الْأُمَرَاءَ، وَيَنْظُرَ فِيمَا اعْتَمَدُوهُ وَمَا آثَرُوا مِنَ الْخَيْرِ، فَاخْتَلَفَ عَلَيْهِ الصَّحَابَةُ ; فَمِنْ قَائِلٍ يَقُولُ: ابْدَأْ بِالْعِرَاقِ. وَمِنْ قَائِلٍ يَقُولُ: بِالشَّامِ. فَعَزَمَ عُمَرُ عَلَى قُدُومِ الشَّامِ لِأَجْلِ قَسْمِ مَوَارِيثِ مَنْ مَاتَ مِنَ الْمُسْلِمِينَ فِي طَاعُونِ عَمَوَاسَ فَإِنَّهُ أَشْكَلَ قَسْمُهَا عَلَى الْمُسْلِمِينَ بِالشَّامِ، فَعَزَمَ عَلَى ذَلِكَ. وَهَذَا يَقْتَضِي أَنَّ عُمَرَ عَزَمَ عَلَى قُدُومِ الشَّامِ بَعْدَ طَاعُونِ عَمَوَاسَ وَقَدْ كَانَ الطَّاعُونُ فِي سَنَةِ ثَمَانِي عَشْرَةَ كَمَا سَيَأْتِي، فَهُوَ قُدُومٌ آخَرُ غَيْرُ قُدُومِ سَرْغَ، وَاللَّهُ أَعْلَمُ. قَالَ سَيْفٌ عَنْ أَبِي عُثْمَانَ وَأَبِي حَارِثَةَ، وَالرَّبِيعِ بْنِ النُّعْمَانِ، قَالُوا: قَالَ عُمَرُ: ضَاعَتْ مَوَارِيثُ النَّاسِ بِالشَّامِ، أَبْدَأُ بِهَا فَأُقَسِّمُ الْمَوَارِيثَ، وَأُقِيمُ لَهُمْ مَا فِي نَفْسِي، ثُمَّ أَرْجِعُ فَأَتَقَلَّبُ فِي الْبِلَادِ وَأَنْبِذُ إِلَيْهِمْ أَمْرِي. قَالُوا: فَأَتَى عُمَرُ الشَّامَ أَرْبَعَ مَرَّاتٍ ; مَرَّتَيْنِ فِي سَنَةِ سِتَّ عَشْرَةَ، وَمَرَّتَيْنِ فِي سَنَةِ سَبْعَ عَشْرَةَ، وَلَمْ يَدْخُلْهَا فِي الْأُولَى مِنَ الْأُخْرَيَيْنِ. وَهَذَا يَقْتَضِي مَا ذَكَرْنَاهُ عَنْ سَيْفٍ، أَنَّهُ يَقُولُ بِكَوْنِ طَاعُونِ عَمَوَاسَ فِي سَنَةِ سَبْعَ عَشْرَةَ. وَقَدْ خَالَفَهُ مُحَمَّدُ بْنُ إِسْحَاقَ، وَأَبُو
পৃষ্ঠা - ৫৫৩৭
مَعْشَرٍ، وَغَيْرُ وَاحِدٍ، فَذَهَبُوا إِلَى أَنَّهُ كَانَ فِي سَنَةِ ثَمَانِي عَشْرَةَ. وَفِيهِ تُوُفِّيَ أَبُو عُبَيْدَةَ، وَمُعَاذٌ، وَيَزِيدُ بْنُ أَبِي سُفْيَانَ، وَغَيْرُهُمْ مِنَ الْأَعْيَانِ، عَلَى مَا سَيَأْتِي تَفْصِيلُهُ، إِنْ شَاءَ اللَّهُ تَعَالَى. [ذِكْرُ شَيْءٍ مِنْ أَخْبَارِ طَاعُونَ عَمَوَاسَ] الَّذِي تُوُفِّيَ فِيهِ أَبُو عُبَيْدَةَ، وَمُعَاذٌ وَيَزِيدُ بْنُ أَبِي سُفْيَانَ، وَغَيْرُهُمْ مِنْ أَشْرَافِ الصَّحَابَةِ وَغَيْرِهِمْ. أَوْرَدَهُ ابْنُ جَرِيرٍ فِي هَذِهِ السَّنَةِ. قَالَ مُحَمَّدُ بْنُ إِسْحَاقَ، عَنْ شُعْبَةَ، عَنِ الْمُخَارِقِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ الْبَجَلِيِّ، عَنْ طَارِقِ بْنِ شِهَابٍ الْبَجَلِيِّ قَالَ: أَتَيْنَا أَبَا مُوسَى وَهُوَ فِي دَارِهِ بِالْكُوفَةِ لِنَتَحَدَّثَ عِنْدَهُ، فَلَمَّا جَلَسْنَا قَالَ: لَا تَحِفُّوا، فَقَدْ أُصِيبَ فِي الدَّارِ إِنْسَانٌ بِهَذَا السَّقَمِ، وَلَا عَلَيْكُمْ أَنْ تَنَزَّهُوا عَنْ هَذِهِ الْقَرْيَةِ، فَتَخْرُجُوا فِي فَسِيحِ بِلَادِكُمْ وَنُزَهِهَا حَتَّى يَرْتَفِعَ هَذَا الْبَلَاءُ، فَإِنِّي سَأُخْبِرُكُمْ بِمَا يُكْرَهُ مِمَّا يُتَّقَى، مِنْ ذَلِكَ أَنْ يَظُنَّ مَنْ خَرَجَ أَنَّهُ لَوْ أَقَامَ مَاتَ، وَيَظُنُّ مَنْ أَقَامَ فَأَصَابَهُ ذَلِكَ أَنَّهُ لَوْ خَرَجَ لَمْ يُصِبْهُ، فَإِذَا لَمْ يَظُنَّ ذَلِكَ هَذَا الْمَرْءُ الْمُسْلِمُ، فَلَا عَلَيْهِ أَنْ يَخْرُجَ وَأَنْ يَتَنَزَّهَ عَنْهُ، إِنِّي كُنْتُ مَعَ أَبِي عُبَيْدَةَ بْنِ الْجَرَّاحِ بِالشَّامِ عَامَ طَاعُونِ عَمَوَاسَ فَلَمَّا اشْتَعَلَ الْوَجَعُ وَبَلَغَ ذَلِكَ عُمَرَ، كَتَبَ
পৃষ্ঠা - ৫৫৩৮


পথে ৷ হযরত উমর (রা) পাল্টা চিঠি লিখলেন, আবু উবায়দা (রা) এর নিকট সালামুন
আলইিকা, পর সংবাদ এই, আপনি লোকজন নিয়ে একটু নীচু অঞ্চলে অবস্থান করছেন, আপনি
তাদেরকে নিয়ে এবার উচু ওণ্রাগমুক্ত অঞ্চলে চলে আসুন ৷’
আবু মুসা (বা) বলেন, খলীফার চিঠি পেয়ে তিনি আমাকে ডাকলেন এবং বললেন, এই
দেখুন খলীফার চিঠি এসেছে, তাতে কি লেখা আছে তা তো ৫দখছেনই ৷ আপনি বেরিয়ে পড়ুন,
লোকজনের জন্যে উপযুক্ত জায়গা খোজ করুন ৷ আমি ওদেরকে নিয়ে আপনার পেছনে পেছনে
আসর ৷ আবু মুসা (রা) বলেন, আমি জায়গার খোজে বের হবার জন্যে প্রথমে আমার বাড়িতে
পেলাম ৷ সেখানে দেখতে পেলাম আমার শ্রী অসুস্থ ৷ ৫প্নগে আক্রান্ত হয়ে গিয়েছে ৷ আমি আবু
উবায়দা (রা)-এর নিকট গেলাম এবং বললাম, আল্লাহ্র কসম, আমার ঘরে রোগের প্রকোপ
শুরু হয়ে গিয়েছে ৷ আবু উবায়দা (বা) বললেন, সম্ভবত ৫প্লগ রোগে আক্রান্ত হয়েছে ? আমি
বললাম তাই ৷ তিনি একটি উট আনতে বললেন তাতে সওয়ার হবার জন্যে ৷ তিনি সওয়ার
হচ্ছিলেন ৷ পা-দানিতে পা রাখার সাথে সাথে উবায়দা (রা) প্লেগে আক্রান্ত হয়ে পড়েন ৷ তিনি
বললেন, আল্লাহর কসম, আমি তো প্লেগে আক্রান্ত হয়ে পড়েছি ৷ এরপর তিনি সাথী
৫লাকদেরকে নিয়ে যাত্রা করলেন এবং জাবিয়া এসে শিবির স্থাপন করলেন ৷ এখানে আগমনের
পর রোগের প্রাদুর্ভাব কেটে যায় ৷ রোগের প্ৰকোপ বন্ধ হয়ে যায় ৷
মুহাম্মদ ইবন ইসহাক বর্ণনা করেছেন আবান ইবন সালিহ সুত্রে শাহর ইবন হাওশাব
থেকে তিনি তার সম্প্রদায়ের রাবাহ্ নামের এক লোক থেকে ৷ ৫লাকঢি তার বাবার মৃত্যুর পর
তার মায়ের দেখাশোনা করত ৷ সে আমওয়াসের ৫প্লগ রোগের সময় সেখানে ছিল ৷ ৫স বলেছে
৫য,যখন ৫প্নপ রোগ মহামারী রুপ ধারণ করল, এই রোগের প্ৰকােপ আশংকাজনকভাবে বেড়ে
গেল তখন সেনাপতি আবু উবায়দা (রা) জনসাধারণের উদ্দেশ্যে এক ভাষণ দান করলেন ৷
তিনি বললেন, ৫হ লোক সকল! এই রোগ তোমাদের প্রতি তোমাদের প্রতিপালকের দয়া ৷ এটি
তোমাদের প্ৰতি তোমাদের নবীর দুআর ফলশ্রুতি এবং তোমাদের পুর্বে নেককার লোকদের
মৃত্যুর বাহন ৷ তিনি আল্লাহ্র দরবারে দুআ করেছিলেন যেন এই রোগ ভোগ করে তিনি তার
সুফল অত্তনি করতে পারেন ৷ তারপর তিনি ৫প্নগে আক্রান্ত হলেন এবং মৃত্যুবরণ করলেন ৷
তিনি হযরত মুআয ইবনটীবাল (রা)-৫ক তার স্থলাভিষিক্ত করে গেলে ন ৷
একদিন হযরত মুআয (রা) জনগণের উদ্দেশ্যে এক ভাষণ দিলেন ৷ তিনি বললেন, লোক
সকল! এই রোগ তােমা৫দ্যা প্রতি তোমাদের প্ৰতিপালকের দয়া ৷ এটি তোমাদের নবী কবীম
ল্যাং ,এর দু আর ফলশ্রু তি এবং তোমাদের আগে আগে ৫নককার লোকদের মৃত্যুর বাহন ৷’
হযরত মু আয আল্লাহর নিকট প্রার্থনা করেছিলেন যেন এই রোগের কিছু সুফ্ফা তার পরিবারের
লোকেরা অন্তনি করতে পারে ৷ একদিন তার পুত্র আবদুর রহমান ৫প্লগে আক্রান্ত হয় এবং মারা
যায় ৷ তারপর হযরত মু আর তার নিজের জন্যে দু অ৷ করলেন যেন এই রোগের সুযম্স৩ তিনিও
পান ৷ একদিন তার হাতের তালুতে ৫প্নগ দেখা দেয় ৷ আমি তাকে দেখেছি ৫য,৩ তিনি যুদ্ধ নয়নে
৫সদিকে তাকাচ্ছেন আর ন্ত ই তালুতে ,চুমু খেয়ে বলছেন, ৫ তামার বিনিময়ে দুনিয়ার কিছুই
আমার কাছে পছন্দনীয় নয় ৷ এক পর্যায়ে তার মৃত্যু হয় ৷


إِلَى أَبِي عُبَيْدَةَ لِيَسْتَخْرِجَهُ مِنْهُ. أَنْ سَلَامٌ عَلَيْكَ، أَمَّا بَعْدُ، فَإِنَّهُ قَدْ عَرَضَتْ لِي إِلَيْكَ حَاجَةٌ أُرِيدُ أَنْ أَشَافِهَكَ بِهَا، فَعَزَمْتُ عَلَيْكَ إِذَا نَظَرْتَ فِي كِتَابِي هَذَا أَنْ لَا تَضَعَهُ مِنْ يَدِكَ حَتَّى تُقْبِلَ إِلَيَّ. قَالَ: فَعَرَفَ أَبُو عُبَيْدَةَ أَنَّهُ إِنَّمَا أَرَادَ أَنْ يَسْتَخْرِجَهُ مِنَ الْوَبَاءِ. فَقَالَ: يَغْفِرُ اللَّهُ لِأَمِيرِ الْمُؤْمِنِينَ! ثُمَّ كَتَبَ إِلَيْهِ: يَا أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ، إِنِّي قَدْ عَرَفْتُ حَاجَتَكَ إِلَيَّ، وَإِنِّي فِي جُنْدٍ مِنَ الْمُسْلِمِينَ لَا أَجِدُ بِنَفْسَيْ رَغْبَةً عَنْهُمْ، فَلَسْتُ أُرِيدُ فِرَاقَهُمْ حَتَّى يَقْضِيَ اللَّهُ فِيَّ وَفِيهِمْ أَمْرَهُ وَقَضَاءَهُ، فَخَلِّنِي مِنْ عَزِيمَتِكَ يَا أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ، وَدَعْنِي فِي جُنْدِي. فَلَمَّا قَرَأَ عُمَرُ الْكِتَابَ بَكَى، فَقَالَ النَّاسُ: يَا أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ أَمَاتَ أَبُو عُبَيْدَةَ؟ قَالَ: لَا، وَكَأَنْ قَدْ. قَالَ: ثُمَّ كَتَبَ إِلَيْهِ: سَلَامٌ عَلَيْكَ، أَمَّا بَعْدُ، فَإِنَّكَ أَنْزَلْتَ النَّاسَ أَرْضًا غَمِقَةً، فَارْفَعْهُمْ إِلَى أَرْضٍ مُرْتَفِعَةٍ نَزِهَةٍ. قَالَ أَبُو مُوسَى: فَلَمَّا أَتَاهُ كِتَابُهُ دَعَانِي فَقَالَ: يَا أَبَا مُوسَى، إِنَّ كِتَابَ أَمِيرِ الْمُؤْمِنِينَ قَدْ جَاءَنِي بِمَا تَرَى، فَاخْرُجْ فَارْتَدْ لِلنَّاسِ مَنْزِلًا حَتَّى أَتْبَعَكَ بِهِمْ، فَرَجَعْتُ إِلَى مَنْزِلِي لِأَرْتَحِلَ، فَوَجَدْتُ صَاحِبَتِي قَدْ أُصِيبَتْ، فَرَجَعْتُ إِلَيْهِ فَقُلْتُ: وَاللَّهِ لَقَدْ كَانَ فِي أَهْلِي حَدَثٌ. فَقَالَ لَعَلَّ صَاحِبَتَكَ قَدْ أُصِيبَتْ؟ قُلْتُ: نَعَمْ. فَأَمَرَ بِبَعِيرِهِ فَرُحِّلَ لَهُ، فَلَمَّا وَضَعَ رِجْلَهُ فِي غَرْزِهِ طُعِنَ، فَقَالَ: وَاللَّهِ لَقَدْ أُصِبْتُ. ثُمَّ سَارَ بِالنَّاسِ حَتَّى نَزَلَ الْجَابِيَةَ، وَرُفِعَ عَنِ النَّاسِ الْوَبَاءُ. وَقَالَ مُحَمَّدُ بْنُ إِسْحَاقَ، عَنْ أَبَانَ بْنِ صَالِحٍ، عَنْ شَهْرِ بْنِ حَوْشَبٍ، عَنْ
পৃষ্ঠা - ৫৫৩৯


হযরত মুআয (রা১,মৃভ্যুকাংল আমর ইবনুল আস (রা)-ণ্ক তার স্থলাভিষিক্ত রেখে যান ৷
তিনি একদিন জনগণের উদ্দেশ্যে এক ভাষণ দিলেন ৷ তিনি বললেন, “হে লোক সকল! এই
রোগের যখন প্রাদুর্ভাব হয় তখন আগুনের ন্যায় লেলিহান শিখা ছড়িয়ে জ্বলতে থাকে ৷ সুতরাং
তখন তোমরা পাহাড়ে গিয়ে তা থেকে,আত্মরক্ষা কর ৷ তখন আবু ওয়াইল হুযালী প্রতিবাদ
করে বললেন, আল্লাহ্র কসম, আপনি কথাটি ঠিক বলেন নি, আপনি রাসুলুল্লাহ্লোঃএৱ
সাহচর্য পেয়েছেন বটে কিন্তু আপনি আমার এই শাখার চেয়েও নিকৃষ্ট ৷’ তখন আমর ইবনুল
আস বললেন, আপনি যা বললেন আমি তার প্রতৃত্তের দিব না আর আল্লাহর কসম, আমরা
এখানে থাকর না ৷ বর্ণনাকারী বলেন, তারপর তিনি ওই স্থান ত্যাগ করেন ৷ লোকজনও সেখান
থেকে বেরিয়ে যায় ৷ তারা বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে পড়ে ৷ এদিকে আল্লাহ তা জানা ওই রোগ
তাদের থেকে তুলে নেন ৷

বর্ণনাকারী বলেন, আমর ইবনুল আস (রা)-এর এই অভিমত ও পদক্ষেপ খলীফা উমর
(রা)-এর নিকট পৌছেছে কিন্তু তিনি এটিকে অপছন্দ করেন নি ৷

ইবন ইসহক বলেন, হযরত আবু উবাদয়া (রা) এবং হযরত ইয়াষীদ ইবন আবু সুফয়ান
(রা)-এর মৃত্যু সংবাদ শোনার পর খলীফা উমর (রা) মুআবিয়া (রা) কে দামেশকের
সেনাধ্যক্ষ ও খাজনা সংগ্রহের দায়িত্ব দিলেন আর শুরাহৰীল ইবন হড়াসানাকে জর্ডানের
সেনাধ্যক্ষ ও খাজনা সংগ্রহের দায়িত্ব দিলেন ৷

সায়ফ ইবন উমর তার শায়খদের উদ্ধৃতি দিয়ে বলেছেন যে, তারা বলেছেন অড়ামওয়াস
অঞ্চলে প্লেগ হামারী রোগের প্রাদুর্ভাব ঘটেছিল দৃ ’বার ৷ তখন এত ভীতিকর অবস্থার সৃষ্টি
হয়েছিল যা ইতিপুর্বে কখনো দেখা যায়নি ৷ এগুলো দীর্ঘদিন স্থায়ী ছিল ৷ তাতে বহু লোকের
মৃত্যু হয় ৷ এমন পরিস্থিতি ৩সৃষ্টি হয় যে, শত্রুগণ মুসলমানদের উপর আক্রমণ চালাতে সাহসী
হয়ে উঠে ৷ এ ব্ৰ ঘুসলযান৩ ভীতসন্ত্রস্ত ও শংকিত হয়ে পড়েন ৷

আমি বলি, এজন্যে খলীফা উমর (রা) ওই রোগের বিপদ কেটে যাওয়ার পর নিজে সিরিয়া
আঃসন এবং মৃত লোকদের ত্যাজ্য সম্পত্তি নিয়মমত বণ্টন করে দেন ৷ কারণ শাসনকর্তাদের
জন্যে এটি খুব জটিল বলে বিবেচিত হয়েছিল ৷ খলীফার আগমনে জনগণের মন-মানসিকতা
চাঙ্গা ও শান্তিপুর্ণ হয়ে উঠে ৷ পক্ষান্তরে শত্রুপক্ষ ভয়ে গুঢিয়ে যায় ৷ মুসলমানদের উপর
আক্রমণের পরিকল্পনা ত্যাগ করে ৷ সকল প্রশং সা মহান আল্লাহর ৷

১৭ হিজরী সনের শেষ দিকে আমওয়াস-মহামারীর পর হযরত উমর (রা)-এর সিরিয়া
আগমনের ঘটনা উল্লেখ করার পর সায়ফ বলেছেন যে, তারপর খলীফা উমর (রা) মদীনা ফিরে
যাবার সিদ্ধান্ত নিলেন ৷ একই বছর যিলহজ্জ মাসে খলীফা যখন মদীনায় ফিরে যাওয়ার ইচ্ছা
করলেন তখন তিনি জনগণের উদ্দেশ্যে একটি ভাষণ দিলেন ৷ তিনি মহান আল্লাহর প্রশংসা ও
গুণগান করার পর বললেন, শুনে নিন, আমাকে আপনাদের দায়িত্বশীল করা হয়েছে ৷ মহান
আল্লাহ্ আমাকে আপনাদের যে কাজের দায়িত্ব দিয়েছেন আমি তা পালন করে গেলাম ৷ আমরা
আপনাদের যুদ্ধলব্ধ সম্পদ বৃদ্ধি করেছি, আপনাদের বাসস্থান ও যুদ্ধক্ষেত্র বিন্তুত করেছি ৷
আমাদের যা শিক্ষা ও জ্ঞান ছিল তা আপনাদের নিকট পৌছিয়েছে ৷ আপনাদের জন্যে
সেনাবাহিনী গঠন করে দিয়েছি ৷ আপনাদের জীবন যাত্রার সচ্ছলতার ব্যবস্থা করেছি,


رَابَةَ - رَجُلٍ مِنْ قَوْمِهِ، وَكَانَ قَدْ خَلَفَ عَلَى أُمِّهِ بَعْدَ أَبِيهِ، وَكَانَ قَدْ شَهِدَ طَاعُونَ عَمَوَاسَ - قَالَ: لَمَّا اشْتَغَلَ الْوَجَعُ، قَامَ أَبُو عُبَيْدَةَ فِي النَّاسِ خَطِيبًا فَقَالَ: أَيُّهَا النَّاسُ، إِنَّ هَذَا الْوَجَعَ رَحْمَةٌ بِكُمْ، وَدَعْوَةُ نَبِيِّكُمْ، وَمَوْتُ الصَّالِحِينَ قَبْلَكُمْ، وَإِنَّ أَبَا عُبَيْدَةَ يَسْأَلُ اللَّهَ أَنْ يَقْسِمَ لِأَبِي عُبَيْدَةَ حَظَّهُ. فَطُعِنَ فَمَاتَ، وَاسْتَخْلَفَ عَلَى النَّاسِ مُعَاذَ بْنَ جَبَلٍ، فَقَامَ خَطِيبًا بَعْدَهُ، فَقَالَ: أَيُّهَا النَّاسُ، إِنَّ هَذَا الْوَجَعَ رَحْمَةٌ بِكُمْ، وَدَعْوَةُ نَبِيِّكُمْ، وَمَوْتُ الصَّالِحِينَ قَبْلَكُمْ، وَإِنَّ مُعَاذًا يَسْأَلُ اللَّهَ أَنْ يَقْسِمَ لِآلِ مُعَاذٍ حَقَّهُمْ. فَطُعِنَ ابْنُهُ عَبْدُ الرَّحْمَنِ، فَمَاتَ، ثُمَّ قَامَ فَدَعَا لِنَفْسِهِ، فَطُعِنَ فِي رَاحَتِهِ، فَلَقَدْ رَأَيْتُهُ يَنْظُرُ إِلَيْهَا ثُمَّ يَقْلِبُ ظَهْرَ كَفِّهِ ثُمَّ يَقُولُ: مَا أُحِبُّ أَنَّ لِي بِمَا فِيكِ شَيْئًا مِنَ الدُّنْيَا. فَلَمَّا مَاتَ اسْتُخْلِفَ عَلَى النَّاسِ عَمْرُو بْنُ الْعَاصِ، فَقَامَ فِيهِمْ خَطِيبًا فَقَالَ: أَيُّهَا النَّاسُ، إِنَّ هَذَا الْوَجَعَ إِذَا وَقَعَ فَإِنَّمَا يَشْتَعِلُ اشْتِعَالَ النَّارِ، فَتَحَصَّنُوا مِنْهُ فِي الْجِبَالِ. فَقَالَ أَبُو وَائِلَةَ الْهُذَلِيُّ: كَذَبْتَ، وَاللَّهِ لَقَدْ صَحِبْتُ رَسُولَ اللَّهِ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَأَنْتَ شَرٌّ مِنْ حِمَارِي هَذَا. فَقَالَ: وَاللَّهِ مَا أَرُدُّ عَلَيْكَ مَا تَقُولُ، وَايْمُ اللَّهِ لَا نُقِيمُ عَلَيْهِ. قَالَ: ثُمَّ خَرَجَ وَخَرَجَ النَّاسُ فَتَفَرَّقُوا وَدَفَعَهُ اللَّهُ عَنْهُمْ. قَالَ: فَبَلَغَ ذَلِكَ عُمَرَ بْنَ الْخَطَّابِ مِنْ رَأَى عَمْرِو بْنِ الْعَاصِ، فَوَاللَّهِ مَا كَرِهَهُ. قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ وَلَمَّا انْتَهَى إِلَى عُمَرَ مُصَابُ أَبِي عُبَيْدَةَ وَيَزِيدَ بْنِ أَبِي سُفْيَانَ، أَمَّرَ مُعَاوِيَةَ عَلَى جُنْدِ دِمَشْقَ وَخَرَاجِهَا، وَأَمَّرَ شُرَحْبِيلَ بْنَ حَسَنَةَ عَلَى
পৃষ্ঠা - ৫৫৪০


আপনাদের বসবাসের ব্যবন্থাদ্বুৰুরেছি ৷ আপনাদের জন্যে পর্যাপ্ত যুদ্ধলব্ধ সম্পদের ব্যবস্থা করেছি
অথচ আপনারা সিরিয়ার যুদ্ধ করেননি ৷ আমরা আপনাদের খাদ্যের ব্যবস্থা করেছি ৷ আপনাদের
জন্যে রডীয় অনুদানের ব্যবস্থা করেছি ৷ আপনাদের কারো নিকট যদি এমন কিছু জানা থাকে
যা বাস্তবায়ন ও আমল করা দরকার তা আমাদেরকে জানাবেন ৷ আমরা তা বাস্তবায়ন করব
ইনশাআল্লাহ্, লা হাওলা ওয়ালা কুওয়াতা ইল্লা বিল্লাহ ৷ তখন নামড়াষের সময় হলো ৷ লোকজন
বলল, আমীরুল মু’মিনীন! যদি , হযরত বিলাল (রা)-কে নির্দেশ দিতেন আযান দেবার জন্যে,
তবে খুশি হতাম ৷ তিনি বিলাল (রা) কে নির্দেশ দিলেন ৷ হযরত বিলাল (রা) আযান
দিচ্ছিলেন ৷ রাসুলুল্লাহ্মোঃ মোঃ-এর সাহচর্য পেয়েছেন এমন সকল সাহাবী হযরত বিলালের আযান
শুনে আকুলভাবে কাদতে থাকেন ৷ চোখের পানিতে দাড়ি ভিজিয়ে দেন ৷ সবচাইতে বেশি
কেদেছেন হযরত উমর (রা) ৷ যারা রাসুলুল্লাহ্মোঃ ,,-কে দেখেননি সাহাবীদের কান্না দেখে আর
রাসুলুল্লাহ্ মোঃ এর কথা স্মরণ করে তারাও কেদে কেদে বুক৩ ভিজিয়েছে ৷

ইবন জারীর (র) সায়ফ ইবন উমর সুত্রে আবু মুজালিদ থেকে বর্ণনা করেছেন যে, এই
বছর অর্থাৎ ১৭ হিজবী সালে খলীফা উমর (রা) খালিদ ইবন ওয়ালীদের গোসলখানা বিষয়ক
কাজঢির প্রতিবাদ জানান ৷ খালিদ ইবন ওয়ালীদ গোসলখানায় গিয়ে পাথরে হাত ঘসে মদ
মিশ্রিত সাবান ব্যবহার করতেন ৷ এ প্রসঙ্গে হযরত উমর (রা) চিঠিতে লিখলেন যে, আল্লাহ্
তড়াআলা মদের জাহের ও বাতেন প্রকাশ্য ও অপ্ৰকাশ্যরুপ দৃ’টোই হারাম করেছেন ৷ যেমন
হারাম করেছেন পাপের জাহের ও বাতেন প্রকাশ্য ও অপ্ৰকাশ্য রুপ ৷ তিনি মদ স্পর্শ করাও
হারাম করেছেন ৷ সুতরাং শরীরের কোন অংশে যেন মদের ছেড়ায়া না লাগে ৷ এ কাজ যদি
করেও থাকেন তবে পুনরায় তা করবেন না ৷ উত্তরে হযরত খালিদ (রা) লিখলেন, আমরা
প্রথমত পরিশোধনের মাধ্যমে মদের অস্তিত্ব বিনাশ করে দিই ৷ তারপর সেটি মদ হিসেবে নয়
বরং ঘোয়ার উপকরণ হিসেবে বেরিয়ে আসে ৷ জবাবে খলীফা উমর (রা) বললেন, আমি ধারণা
করছি যে, মুগীরার বংশধরেরা অন্যায়কর্মে লিপ্ত হয়ে পড়েছে, আহ্ ! মহান আল্লাহ্ যেন
ওদেরকে এই কাজের উপর মৃত্যু না দেন ৷ ফলশ্রুতিতে খালিদ তা পরিহার করেন ৷ সায়ফ
বলেন, ওই বছর অর্থাৎ ১ ৭ হিত্তরীি সনে বসরা নগরীতে প্লেগ রোগের প্রাদুর্ভাব ঘটে ৷ তাতে বহু
লোকের প্রাণহানি ঘাট,ণ্ ধ্ মানুষ মারা যায় ৷ আল্লাহ্ তা আল৷ তাদের প্ৰতি দয়া করুন ৷

বর্ণনাকারী বলেন, আপন পরিবারের ৭০ জন লোক নিয়ে হারিছ ইবন হিশাম বসরা থেকে
সিরিয়ার উদ্দেশ্যে যাত্রা করেছিলেন ৷ পথে প্রেগে আক্রান্ত হয়ে মাত্র : জন ছাড়া বাকি সকলের
মৃত্যু হয় ৷ এ প্রসঙ্গে মুহাজির ইবন খালিদ নিম্নের কবিতা আবৃত্তি করেছেন :


যে ব্যক্তি সিরিয়ার বসবাস করবে সে ওখানে ভয়ভীতি পাবে ৷ সিরিয়া আমাদেরকে ধ্বংস

ন্া৷ ব্বলেও আসলে সেটি বড় কষ্টের স্থান ৷

সিরিয়া ধ্বংস করে দিয়েছে বনু রীত ৷ গোত্রের অশ্বাৰরাহীদেরকে ৷ ওরা ছিল নওজােয়ান ৷

তখনো পৌফ কাটেনি ৷


جُنْدِ الْأُرْدُنِّ وَخَرَاجِهَا. وَقَالَ سَيْفُ بْنُ عُمَرَ عَنْ شُيُوخِهِ قَالُوا: لَمَّا كَانَ طَاعُونُ عَمَوَاسَ وَوَقَعَ مَرَّتَيْنِ لَمْ يُرَ مِثْلُهُمَا، وَطَالَ مُكْثُهُ، وَفَنِيَ خَلْقٌ كَثِيرٌ مِنَ النَّاسِ، حَتَّى طَمِعَ الْعَدُوُّ، وَتَخَوَّفَتْ قُلُوبُ الْمُسْلِمِينَ لِذَلِكَ. قُلْتُ: وَلِهَذَا قَدِمَ عُمَرُ بَعْدَ ذَلِكَ إِلَى الشَّامِ فَقَسَّمَ مَوَارِيثَ الَّذِينَ مَاتُوا لَمَّا أَشْكَلَ أَمْرُهَا عَلَى الْأُمَرَاءِ، وَطَابَتْ قُلُوبُ النَّاسِ بِقُدُومِهِ، وَانْقَمَعَتِ الْأَعْدَاءُ مِنْ كُلِّ جَانِبٍ لِمَجِيئِهِ إِلَى الشَّامِ وَلِلَّهِ الْحَمْدُ وَالْمِنَّةُ. قَالَ: سَيْفٌ وَأَصَابَ أَهْلَ الْبَصْرَةِ تِلْكَ السَّنَةِ طَاعُونٌ أَيْضًا، فَمَاتَ بَشَرٌ كَثِيرٌ وَجَمٌّ غَفِيرٌ، رَحِمَهُمُ اللَّهُ، وَرَضِيَ عَنْهُمْ أَجْمَعِينَ. قَالُوا: وَخَرَجَ الْحَارِثُ بْنُ هِشَامٍ فِي سَبْعِينَ مِنْ أَهْلِهِ إِلَى الشَّامِ فَلَمْ يَرْجِعُ مِنْهُمْ إِلَّا أَرْبَعَةٌ، فَقَالَ الْمُهَاجِرُ بْنُ خَالِدٍ فِي ذَلِكَ: مَنْ يَسْكُنِ الشَّامَ يُعَرَّسْ بِهِ ... وَالشَّامُ إِنْ لَمْ يُفْنِنَا كَارِبُ أَفْنَى بَنِي رَيْطَةَ فُرْسَانُهُمْ ... عِشْرُونَ لَمْ يُقْصَصْ لَهُمْ شَارِبُ وَمِنْ بَنِي أَعْمَامِهِمْ مِثْلَهُمْ ... لِمِثْلِ هَذَا يَعْجَبُ الْعَاجِبُ طَعْنًا وَطَاعُونًا مَنَايَاهُمُ ... ذَلِكَ مَا خَطَّ لَنَا الْكَاتِبُ وَقَالَ سَيْفٌ - بَعْدَ ذِكْرِهِ قُدُومَ عُمَرَ بَعْدَ طَاعُونِ عَمَوَاسَ فِي آخِرِ سَنَةِ سَبْعَ
পৃষ্ঠা - ৫৫৪১
عَشْرَةَ - قَالَ: فَلَمَّا أَرَادَ الْقُفُولَ إِلَى الْمَدِينَةِ فِي ذِي الْحِجَّةِ مِنْهَا، خَطَبَ النَّاسَ فَحَمِدَ اللَّهَ وَأَثْنَى عَلَيْهِ، ثُمَّ قَالَ: أَلَا إِنِّي قَدْ وُلِّيتُ عَلَيْكُمْ وَقَضَيْتُ الَّذِي عَلَيَّ فِي الَّذِي وَلَّانِي اللَّهُ مِنْ أَمْرِكُمْ إِنْ شَاءَ اللَّهُ، فَبَسَطْنَا بَيْنَكُمْ فَيْأَكُمْ وَمَنَازِلَكُمْ وَمَغَازِيكُمْ، وَأَبْلَغْنَاكُمْ مَا لَدَيْنَا، فَجَنَّدْنَا لَكُمُ الْجُنُودَ، وَهَيَّأْنَا لَكُمُ الْفُرُوجَ، وَبَوَّأْنَا لَكُمْ، وَوَسَّعْنَا عَلَيْكُمْ مَا بَلَغَ فَيْئُكُمْ وَمَا قَاتَلْتُمْ عَلَيْهِ مِنْ شَامِكُمْ، وَسَمَّيْنَا لَكُمْ أَطَعِمَاتِكُمْ، وَأَمَرْنَا لَكُمْ بِأُعْطِيَّاتِكُمْ وَأَرْزَاقِكُمْ وَمَغَانِمِكُمْ، فَمَنْ عَلِمَ شَيْئًا يَنْبَغِي الْعَمَلُ بِهِ فَلْيُعْلِمْنَا نَعْمَلْ بِهِ إِنْ شَاءَ اللَّهُ، وَلَا قُوَّةَ إِلَّا بِاللَّهِ. قَالَ: وَحَضَرَتِ الصَّلَاةُ فَقَالَ النَّاسُ: لَوْ أَمَرْتَ بِلَالًا فَأَذَّنَ! فَأَمَرَهُ فَأَذَّنَ، فَلَمْ يَبْقَ أَحَدٌ كَانَ أَدْرَكَ رَسُولَ اللَّهِ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَبِلَالٌ يُؤَذِّنُ إِلَّا بَكَى حَتَّى بَلَّ لِحْيَتَهُ، وَعُمَرُ أَشَدُّهُمْ بُكَاءً، وَبَكَى مَنْ لَمْ يُدْرِكْهُ لِبُكَائِهِمْ وَلِذِكْرِهِ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ. وَذَكَرَ ابْنُ جَرِيرٍ فِي هَذِهِ السَّنَةِ، مِنْ طَرِيقِ سَيْفِ بْنِ عُمَرَ عَنْ أَبِي الْمُجَالِدِ، أَنَّ عُمَرَ بْنَ الْخَطَّابِ بَعَثَ يُنْكِرُ عَلَى خَالِدِ بْنِ الْوَلِيدِ فِي دُخُولِهِ إِلَى الْحَمَّامِ، وَتَدُلِّكِهِ بَعْدَ النُّورَةِ بِعُصْفُرٍ مَعْجُونٍ بِخَمْرٍ، فَقَالَ فِي كِتَابِهِ: «إِنَّ اللَّهَ قَدْ حَرَّمَ ظَاهِرَ الْخَمْرِ وَبَاطِنَهُ، كَمَا حَرَّمَ ظَاهِرَ الْإِثْمِ وَبَاطِنَهُ، وَقَدْ حَرَّمَ مَسَّ الْخَمْرِ فَلَا تُمِسُّوهَا أَجْسَادَكُمْ فَإِنَّهَا نَجَسٌ، فَإِنْ فَعَلْتُمْ فَلَا تَعُودُوا» . فَكَتَبَ إِلَيْهِ خَالِدٌ: إِنَّا قَتَلْنَاهَا فَعَادَتْ غَسُولًا غَيْرَ خَمْرٍ. فَكَتَبَ إِلَيْهِ عُمَرُ: إِنِّي أَظُنُّ أَنَّ آلَ الْمُغِيرَةِ قَدِ ابْتُلُوا بِالْجَفَاءِ، فَلَا أَمَاتَكُمُ اللَّهُ عَلَيْهِ. فَانْتَهَى لِذَلِكَ.
পৃষ্ঠা - ৫৫৪২


ষ্ ৷


ওদের চাচাতো ভাইদের মধ্য থেকেও সমসংখ্যক অশ্বারোহীকে ওই সিরিয়া ধ্বংস করেছে ৷
আশ্চর্য হওয়ার ব্যক্তি এ জাতীয় ঘটনায় আশ্চর্য হয়ে থাকে ৷

× × ন্ ×


ওরা মারা গেছে ওখানে- কেউ ৩রবারির আঘাতে আর কেউ প্লেগ রোগে আক্রান্ত হয়ে ৷
এভাবে তাদের মৃত্যু হয়েছিল ৷ এটি ছিল আমাদের জন্যে মহা শক্তিযান আল্লাহ্র লিখন !

এই বছরের অস্বাভাবিক ঘটনা

কিন্নাসরীন থেকে হযরত খালিদের অপসারণ
ইবন জারীর বলেন, এই বছরই অর্থাৎ ১৭ হিজরী সনে হযরত খালিদ ইবন ওয়ালীদ (বা)
এবং ইয়ায ইবন গানাম রোমান পার্বত্য এলাকায় অগ্রসর হন এবং সেখানকার অধিবাসীদের
উপর আক্রমণ করেন ৷ র্তারা বহু গনীমতের মাল অর্জন করেন এবং বহু লোককে বন্দী করেন ৷
আর উসমান, অ৷ বু হারিছা, রাবী ও আবু মুজালিদ সুত্রে সায়ফ থেকে বর্ণনা করেন যে,
তারা বলেছেন হযরত খঃালিদ (রা) যখন গ্রীষ্মকালীন রোম ৷ন ষুদ্ধণেষে বিপুল পরিমাণ
ধন সন্ন্ন্দে নিয়ে ফিরে এলেন, তখন দলে দলে ণ্লাকজন তার নিকট উপস্থিত হয় এবং তার
নিকট সাহায্য ও অনুদান প্রার্থনা করে ৷ যারা৩ তার নিকট এসেছিল তাদের একজন ছিলেন
আশআছ ইবন করেন ৷ হযরত খালিদ র্তাকে ১০ হাজার দিরহামের অনুদান প্রদান করেন ৷ এই
ত্বাদ পৌছে যায় খলীফা উমার (রা) এর নিকট ৷ তিনি সেনাপতি আবু উবায়দা (রা) কে
নির্দেশ ৷দেন খ্যলিদ (রা) কে দাড় করিয়ে তার পাগড়ি ও টুপি খুলে নিয়ে ওই পাপড়ি দ্বারা
তাকে বোধ র খতে এবং এই ১০ হাজার মুদ্রা কােথেকে দিয়েছেন তা জিজ্ঞেস করতে ৷ তিনি
যদি নিজ ব্যাক্তগত সাল থেকে তা দিয়ে থাকেন তবে৩ তা অপচয় আর যদি যুদ্ধলব্ধ মাল থেকে
দেয়া হয় তাহলে তা খিয়ানত ও দুর্নীতি ৷ এরপর তাকে ওই পদ থেকে অপসারণ করবেন ৷
খলীফার নির্দেশ মুতাবিক আবু উবায়দা (রা) হযরত খালিদ (রা)-ণ্ক ডেকে আনলেন ৷
আবু উবায়দা (রা) মিম্বরে উঠলেন ৷ খালিদ (রা)-ফে মিম্বরের সম্মুখে র্দাড় করালেন ৷ হযরত
বিলাল (বা) এবং চিঠি নিয়ে আগত বাহক দৃ’জনে খলীফার নির্দেশ মুতাবিক তার পাগড়িষ্টুপি
থোলাসহ যা যা করার করলেন ৷ সেনাপতি আর উবায়দ৷ (রা) নীরবে সব দেখলেন ৷ কিছুই-
বললেন না ৷ তারপর তিনি ফিরে থেকে নেমে এলেন এবং তার অনিচ্ছা সত্বেও যা তাকে করতে
হয়েছে তার জন্যে খালিদ (রা)-এর নিকট ক্ষমা চাইলেন ৷ ওযর পেশ করলেন ৷ হযরত খালিদ
(বা) তার ওযর গ্রহণ করলেন ৷ তিনি বুঝে নিলেন যে, আবু উবায়দা (রা) স্বেচ্ছায় তা
করেননি ৷ এরপর খালিদ (রা) কিন্নাসৃরীন গমন করলেন ৷ ওখানকার লোকজনের উদ্দেশ্যে
বিদায়ী ভাষণ দিয়ে ওখান থেকে চলে এলেন ৷ পরিবার-পরিজন নিয়ে তিনি হিম্স এসে
পৌছলেন ৷ সেখানেও জনগণের উদ্দেশ্যে ভাষণ দিয়ে বিদায় নিলেন ৷ এবার তিনি মদীনায়
উদ্দেশ্যে যাত্রা করলেন ৷ হযরত খালিদ (রা) খলীফা উমর (রা)-এর দরবারে উপস্থিত হবার
পর খলীফা কাবর নিম্নোক্ত কবিতা আবৃত্তি করেনং :


[كَائِنَةٌ غَرِيبَةٌ فِيهَا عُزِلَ خَالِدٌ عَنْ قِنَّسْرِينَ أَيْضًا] قَالَ ابْنُ جَرِيرٍ وَفِي هَذِهِ السَّنَةِ أَدْرَبَ خَالِدُ بْنُ الْوَلِيدِ وَعِيَاضُ بْنُ غَنْمٍ، أَيْ سَلَكَا دَرْبَ الرُّومِ وَأَغَارَا عَلَيْهِمْ، فَغَنِمُوا أَمْوَالًا عَظِيمَةً وَسَبَيَا كَثِيرًا. ثُمَّ رُوِيَ مِنْ طَرِيقِ سَيْفٍ، عَنْ أَبِي عُثْمَانَ وَأَبِي حَارِثَةَ وَالرَّبِيعِ وَأَبِي الْمُجَالِدِ، قَالُوا: لَمَّا رَجَعَ خَالِدٌ وَمَعَهُ أَمْوَالٌ جَزِيلَةٌ مِنَ الصَّائِفَةِ، انْتَجَعَهُ النَّاسُ يَبْتَغُونَ رِفْدَهُ وَنَائِلَهُ، فَكَانَ مِمَّنْ دَخَلَ عَلَيْهِ الْأَشْعَثُ بْنُ قَيْسٍ، فَأَجَازَهُ بِعَشَرَةِ آلَافٍ، فَلَمَّا بَلَغَ ذَلِكَ عُمَرَ كَتَبَ إِلَى أَبِي عُبَيْدَةَ يَأْمُرُهُ أَنْ يُقِيمَ خَالِدًا، وَيَكْشِفَ عِمَامَتَهُ، وَيَنْزِعَ عَنْهُ قَلَنْسُوَتَهُ، وَيُقَيِّدَهُ بِعِمَامَتِهِ، وَيَسْأَلَهُ عَنْ هَذِهِ الْعَشْرَةِ آلَافٍ، إِنْ كَانَ أَجَازَهَا الْأَشْعَثَ مِنْ مَالِهِ فَهُوَ سَرَفٌ، وَإِنْ كَانَ مِنْ مَالِ الصَّائِفَةِ فَهِيَ خِيَانَةٌ، ثُمَّ اعْزِلْهُ عَنْ عَمَلِهِ. فَطَلَبَ أَبُو عُبَيْدَةَ خَالِدًا، وَصَعِدَ أَبُو عُبَيْدَةَ الْمِنْبَرَ، وَأُقِيمَ خَالِدٌ بَيْنَ يَدَيِ الْمِنْبَرِ، وَقَامَ إِلَيْهِ بِلَالٌ فَفَعَلَ بِهِ مَا أَمَرَ بِهِ عُمَرُ بْنُ الْخَطَّابِ هُوَ وَالْبَرِيدِيُّ الَّذِي قَدِمَ بِالْكِتَابِ. هَذَا وَأَبُو عُبَيْدَةَ سَاكِتٌ لَا يَتَكَلَّمُ، ثُمَّ نَزَلَ أَبُو عُبَيْدَةَ وَاعْتَذَرَ إِلَى خَالِدٍ مِمَّا كَانَ بِغَيْرِ اخْتِيَارِهِ وَإِرَادَتِهِ ; فَعَذَرَهُ خَالِدٌ، وَعَرَفَ أَنَّهُ لَا قَصْدَ لَهُ فِي ذَلِكَ. ثُمَّ سَارَ خَالِدٌ إِلَى قِنَّسْرِينَ فَخَطَبَ أَهْلَ الْبَلَدِ وَوَدَّعَهُمْ، وَسَارَ بِأَهْلِهِ إِلَى حِمْصَ فَخَطَبَهُمْ أَيْضًا وَوَدَّعَهُمْ وَسَارَ إِلَى الْمَدِينَةِ فَلَمَّا دَخَلَ خَالِدٌ عَلَى عُمَرَ أَنْشَدَ عُمَرُ قَوْلَ الشَّاعِرِ
পৃষ্ঠা - ৫৫৪৩



আপনি এমন কাজ করেছেন বা কখনো কেউ করেনি ৷ লোকজন যা করে তার উপরে মহান
আল্লাহ কর্মবিধায়ক আছেন ৷

এরপর খলীফাও তাকে অনুদান হিসেবে দেয়৷ ১০ হাজার দিরহামের উৎস সম্পর্কে জিজ্ঞেস
করলেন ৷ তিনি বললেন, এটি আমি দিয়েছি আমার প্রাপ্য যুদ্ধলব্ধ মালামাল থেকে ৷ খলীফা
বললেন, এখন আপনার নিকট ৬০ হাজার দিরহামের অতিরিক্ত যা থাকবে তা আপনি পাবেন ৷
তারপর তার সাথে থাকা মালামাল ও আসবাবপত্রের মুল্য নির্ধারণ করা হলো ৷

হযরত উমর (রা) বিশ হাজার দিরহাম গ্রহণ করলেন ৷৩ তারপর খলীফা বললেন, আপনি
আমার নিকট অত্যন্ত শ্রদ্ধাভাজন ৷ আপনি আমার পরম প্রিয় মানুষ ৷ আমি আশা করি এরপর
থেকে আপনি আমার কোন দায়িত্বে থাকবেন না ৷ ’ অপর বর্ণনায় খালিদ বললেন, আর আমাকে
কোন দােষারোপ করতে পারবেন না ৷

সায়ফ আবদুল্লাহ্ থেকে আদী ইবন সাহ্ল থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন, খলীফা

উমর (রা) সকল শহরে-নগরে বার্তা পাঠিয়ে দিলেন যে, আমি কোন অসন্তুষ্টি কিৎব৷ ৷খয়ানতের
কারণে খালিদ (রা) ণ্ক বরখাস্ত করিনি ৷ তবে কথা হলাে৩ তাকে উপলক্ষ করে সাধারণ মানুষ
বিভ্রান্তিতে পড়ছে ৷ তাই আমি এটা জানিয়ে দিতে চাইলাম যে, সবাই জানুক সর্বকাজের
কর্যবিধায়ক মহান আল্লাহ্ ৷ ’

এরপর সায়ফ মুবাশৃশির সুত্রে সালিম থেকে বর্ণনা করেছেন যে, হযরত খড়ালিদ (রা) যথ্যা
খলীফ৷ উমরের নিকট উপস্থিত হলেন তখন খলীফা উপরোক্ত মন্তব্য করেছিলেন ৷

ওয়াকিদী বলেন, এই বছর রজব মাসে হযরত উমর (রা) উমরাহ্ আদায় করেন ৷ তিনি
মসজিদৃল হারামে কিছু নির্মাণগত সং স্কার করেন ৷ হারম শরীফের সীমানা খুটিগুলাে নতুনভ ৷বে
তৈরির নির্দেশ প্রদান করেন ৷ এ কাজের দায়িত্ব দেন মাখরামা ইবন নাওফাল, আয ৷র ইবন
আবৃদ আওফ, হুওয়াইতিব ইবন আবদুল উঘৃযা, সাঈদ ইবন ইয়ারবু প্রমুখ ব্যক্তিকে ৷

ওয়াকিদী বলেন, কাহীর ইবন আব্দুল্পাহ্ত তার দাদা থেকে বর্ণনা করেন যে, ১ ৭ হিজরীতে
হযরত উমর (রা) উমরাহ্ করতে মক্কা আগমন করেন ৷ রাস্তার জলাশয়ের মালিকর৷ মক্কাও
মদীনায় মধ্যবর্তী স্থাননমুহে মনযিল তৈরির অনুমতি চান ৷ পুর্বে সে সব স্থানে কোন ঘর ছিল
না ৷ খলীফ৷ অনুমতি দিয়ে বলেন, তবে পথচারী মুসলিমদেরকে ছায়া ও পানির ব্যাপারে
অগ্রাধিকার দিতে হবে ৷

ওয়াকিদী বলেন, এই বছর অর্থাৎ ১ ৭ হিজরী সালে খলীফা উমর ইবন খাত্তাব (রা) হযরত
ফাতিমা (রা)-এর ঔরসজাত হযরত আলী (রা)-এর কন্যা উম্মু কুলসুমকে বিয়ে করেন ৷
যুলকাদ৷ মাসে তাদের বাসর হয় ৷ “সীরাতে উমর ওয়া মুসনাদহী” গ্রন্থে আমরা এই বিয়ের
বর্ণনা উল্লেখ করেছি ৷ এই বিয়েতে দেনমাহ্র ধার্য হয়েছিল ৪০ হাজার দিরহাম ৷ খলীফ৷ উমর
(রা) বলেছিলেন, আমি উম্মু কুলসুমকে বিয়ে করেছি শুধু এজন্যে যে, রাসুলুল্লাহমোঃবল্যেছন :

ঠেৰু)
(কিয়ামতের দিন সকল মাধ্যম ও বংশীয় সম্পর্ক বিচ্ছিন্ন হয়ে যাবে একমাত্র আমার মাধ্যম
ও আমার বংশীয় সম্পর্ক ব্যতীত ৷)


صَنَعْتَ فَلَمْ يَصْنَعْ كَصُنْعِكَ صَانِعُ ... وَمَا يَصْنَعُ الْأَقْوَامُ فَاللَّهُ صَانِعُ ثُمَّ سَأَلَهُ: مَنْ أَيْنَ هَذَا الْيَسَارُ الَّذِي تُجِيزُ مِنْهُ بِعَشَرَةِ آلَافٍ؟ فَقَالَ: مِنَ الْأَنْفَالِ وَالسُّهْمَانِ. قَالَ: فَمَا زَادَ عَلَى السِّتِّينَ أَلْفًا فَلَكَ. ثُمَّ قَوَّمَ أَمْوَالَهُ وَعُرُوضَهُ وَأَخَذَ مِنْهُ عِشْرِينَ أَلْفًا، ثُمَّ قَالَ: وَاللَّهِ إِنَّكَ عَلَيَّ لَكَرِيمٌ، وَإِنَّكَ إِلَيَّ لَحَبِيبٌ، وَلَنْ تَعْمَلَ لِي بَعْدَ الْيَوْمِ عَلَى شَيْءٍ. وَقَالَ سَيْفٌ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ عَنِ الْمُسْتَوْرِدِ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَدِيِّ بْنِ سَهْلٍ قَالَ: كَتَبَ عُمَرُ إِلَى الْأَمْصَارِ: إِنِّي لَمْ أَعْزِلْ خَالِدًا عَنْ سُخْطَةٍ وَلَا خِيَانَةٍ، وَلَكِنَّ النَّاسَ فُتِنُوا بِهِ، فَأَحْبَبْتُ أَنْ يَعْلَمُوا أَنَّ اللَّهَ هُوَ الصَّانِعُ. ثُمَّ رَوَاهُ سَيْفٌ عَنْ مُبَشِّرٍ، عَنْ سَالِمٍ قَالَ: لَمَّا قَدِمَ خَالِدٌ عَلَى عُمَرَ. فَذَكَرَ مِثْلَهُ. قَالَ الْوَاقِدِيُّ: وَفِي هَذِهِ السَّنَةِ اعْتَمَرَ عُمَرُ فِي رَجَبٍ مِنْهَا، وَعَمَّرَ فِي الْمَسْجِدِ الْحَرَامِ، وَأَمَرَ بِتَجْدِيدِ أَنْصَابِ الْحَرَمِ، أَمَرَ بِذَلِكَ لِمَخْرَمَةَ بْنِ نَوْفَلٍ، وَأَزْهَرَ بْنِ عَبْدِ عَوْفٍ، وَحُوَيْطِبِ بْنِ عَبْدِ الْعُزَّى، وَسَعِيدِ بْنِ يَرْبُوعٍ. قَالَ الْوَاقِدِيُّ: وَحَدَّثَنِي كَثِيرُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ الْمُزَنِيُّ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ جَدِّهِ قَالَ: قَدِمْنَا مَعَ عُمَرَ مَكَّةَ فِي عُمْرَةٍ سَنَةَ سَبْعَ عَشْرَةَ، فَمَرَّ بِالطَّرِيقِ فَكَلَّمَهُ
পৃষ্ঠা - ৫৫৪৪


ওয়াকিদী বলেছেন, এই বছর খলীফা উমর (রা) আবু মুসা আশআরীকে বসরার
শাসনকর্তা নিযুক্ত করেন এবং অবিলম্বে মুপীরা ইবন শুবাকে খলীফার দরবারে ফেরত
পাঠানোর নিদের্শি দেন ৷ এই ঘটনা ঘটেছিল রবিউল আউয়াল মাসে ৷ আবু বাকরা, শিবল ইবন
মাৰাদ বুজালী, নাফি ইবন উবায়দ ও বিমান মুগীরার বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দেন ৷

ওয়াকিদী সায়ফ এই ঘটনার উল্লেখ করেছেন ৷ যা সংক্ষেপে এই : তখন উম্মু জামীল বিনত
আফকাম নামের এক মহিলা ছিল ৷ সে ছিল বনু আমির ইবন সাসাআ গোত্রের যেয়ে ৷ কেউ
বলেছেন, বনু হেলাল গোত্রের মেয়ে ৷ তার স্বামী ছিল ছাকীফগোত্রের লোক ৷ তাকে রেখে
স্বামী মারা যায় ৷ নেতৃস্থানীয় ও স্দ্ভুান্ত লোকদের ন্তীদের নিকট গিয়ে গিয়ে গল্প-গুজব করা তার“
অভ্যাসে পরিণত হয়েছিল ৷ তখন বসরার শাসনকর্তা ছিলেন মুপীরা ইবন শুবা (রা) ৷ ওই
মহিলা র্তার বাড়িতেও যেত ৷ মুগীরার ঘর ছিল আবু বাকরা-এর ঘরুবৃর মুখোমুখি ৷ উভয় ঘরের
মধ্যখড়ানে ছিল একটি রাস্তা ৷ আবু বাকরা-এর “ঘরের দেয়ালে একটি ছোট জানালা ছিল যা দিয়ে
মুগীরার ঘরের একটি জানালা স্পষ্ট দেখা যেত ৷ দীর্ঘদিন যাবত মুপীরা ও আবু বাকরার মাঝে
ছিল দ্বন্দু ও ৰিদ্বেষ ৷ একদিনের ঘটনা ৷ আবু বাকরা তীর ঘরে অবস্থান করছিলেন ৷ ঘরের
উপরের তলায় তিনি কয়েকজন লোকের সাথে কথা বলছিলেন ৷ হঠাৎ দমকা হাওয়া এসে তীর
ঘরের জানালার কপাট খুলে দেয় ৷ তিনি র্দাড়ালেন কপটি বন্ধ করার জন্যে ৷ ওই জানালার মধ্য
দিয়ে তিনি দেখতে ণ্;পলেন যে, মুগীরা এক মহিলার বুকের উপর ও তার দুপায়ের মাঝখানে



উপুড় হয়ে আছেন ৷ তিনি ওই মহিলার সাথে সহৰাস করে যাচ্ছেন ৷ আবু বাকরা তীর
সাথীদেরকে ডেকে বললেন, আসুন, আসুন আপনাদের শাসনকর্তাকে দেখুন ৷ তিনি উম্মু
জামীলের সাথে ব্যভিচার করছেন ৷ র্তারা দাড়িয়ে দেখলেন যে মুগীরা সত্যিই ওই মহিলার
সাথে সঙ্গম করছেন ৷ তারা আবু বাকরাকে বলল, আপনি কীভাবে চিনলেন যে, মহিলাটি উম্মু
জামীল ওদের দৃজনের মাথা তো অন্যদিকে? আবু বাকরা বললেন, অপেক্ষা করুন ৷ রতিক্রিয়া
শেষে মহিলাটি র্দড়ােল ৷ এবার তাকে দেখিয়ে আবু বাকরা বললেন, এটি উম্মু জামীল ৷ তাদের
ধারণা যে, তারা উম্মু জামীলকে চিন্যেছ ৷

গোসলশেষে মুগীরা বের হলেন নাষায়ে ইমামতি করার জন্যে ৷ তখনই আবু বাকরা
দাড়িয়ে তাকে বাধা দিলেন এবং পুরো ঘটনা খলীফা উমর (রা)-কে লিখে জানালেন ৷

খলীফা আবু মুসা আশআরী (রা)-কে বসরার শাসনকর্তা নিয়োগ করে পাঠালেন এবং
মুগীরাকে অপসারণ করলেন ৷ আবু মুসা (রা) বসরা এলেন ৷ তিনি আল বারদ-এ পৌছলেন ৷
আবু মুসা (রা) কে দেখে মুগীরা বললেন, ইনি ব্যবসায়ী হিসেবেও নয়, পর্যটক হিসেবেও নয়
বরং শাসনকর্তা হিসেবে খলীফার দেয়া চিঠি মুগীরাকে হস্তান্তর করলেন ৷ এটি একটি সংক্ষিপ্ত
চিঠি ৷ তাতে লেখা ছিল, পর সমাচড়ার, আমার নিকট একটি গুরুতর অভিযোগ এসেছে ৷ আমি
আবু মুসা (রা) কে শাসনকর্তারুপে প্রেরণ করলাম ৷ সরকারী সকল দায়িত্ব আবু মুসা (রা)-কে
বুঝিয়ে দিয়ে যথড়াশীঘ্র খলীফার দরবারে উপস্থিত হোন ৷ খলীফা একই চিঠিতে বসরার
অধিবাসীদেরকে লিখলেন, “আমি আপনাদের শাসনকর্তারুপে আবু মুসা আশআরী (রা) কে
নিয়োগ দিয়েছি ৷ তিনি আপনাদের শক্তিমানদের হাত থেকে দুর্বলের অধিকার রক্ষা করবেন ৷
আপনাদেরকে সাথে নিয়ে শত্রুর মুকাবিলা করবেন ৷ আপনাদের দীনের হেফাজত করবেন ৷


أَهْلُ الْمِيَاهِ أَنْ يَبْنُوا مَنَازِلَ بَيْنَ مَكَّةَ وَالْمَدِينَةِ - وَلَمْ يَكُنْ قَبْلَ ذَلِكَ بِنَاءٌ - فَأَذِنَ لَهُمْ وَشَرَطَ عَلَيْهِمْ أَنَّ ابْنَ السَّبِيلِ أَحَقُّ بِالظِّلِّ وَالْمَاءِ. قَالَ الْوَاقِدِيُّ: وَفِيهَا تَزَوَّجَ عُمَرُ بِأُمِّ كُلْثُومٍ بِنْتِ عَلِيِّ بْنِ أَبِي طَالِبٍ، مِنْ فَاطِمَةَ بِنْتِ رَسُولِ اللَّهِ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَدَخَلَ بِهَا فِي ذِي الْقَعْدَةِ. وَقَدْ ذَكَرْنَا فِي " سِيرَةِ عُمَرَ " وَ " مُسْنَدِهِ " صِفَةَ تَزْوِيجِهِ بِهَا، وَأَنَّهُ أَمْهَرَهَا أَرْبَعِينَ الْفًا، وَقَالَ: إِنَّمَا تَزَوَّجْتُهَا لِقَوْلِ رَسُولِ اللَّهِ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «كُلُّ سَبَبٍ وَنَسَبٍ فَإِنَّهُ يَنْقَطِعُ يَوْمَ الْقِيَامَةِ إِلَّا سَبَبِي وَنَسَبِي» قَالَ: وَفِي هَذِهِ السَّنَةِ وَلَّى عُمَرُ أَبَا مُوسَى الْأَشْعَرِيَّ الْبَصْرَةَ وَأَمَرَهُ أَنْ يُشْخِصَ إِلَيْهِ الْمُغِيرَةَ بْنَ شُعْبَةَ فِي رَبِيعٍ الْأَوَّلِ فَشَهِدَ عَلَيْهِ - فِيمَا حَدَّثَنِي مَعْمَرٌ، عَنِ الزَّهْرِيِّ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ الْمُسَيَّبِ - أَبُو بَكْرَةَ، وَشِبْلُ بْنُ مَعْبَدٍ الْبَجَلِيُّ، وَنَافِعُ بْنُ كَلَدَةَ، وَزِيَادٌ. ثُمَّ ذَكَرَ الْوَاقِدِيُّ وَسَيْفٌ هَذِهِ الْقِصَّةَ، وَمُلَخَّصُهَا أَنَّ امْرَأَةً كَانَ يُقَالُ لَهَا: أُمُّ جَمِيلٍ بِنْتُ الْأَفْقَمِ، مِنْ نِسَاءِ بَنِي عَامِرِ بْنِ صَعْصَعَةَ، وَيُقَالُ: مِنْ نِسَاءِ بَنِي هِلَالٍ. وَكَانَ زَوْجُهَا مِنْ ثَقِيفٍ قَدْ تُوُفِّيَ عَنْهَا، وَكَانَتْ تَغْشَى نِسَاءَ الْأُمَرَاءِ وَالْأَشْرَافِ، وَكَانَتْ تَدْخُلُ عَلَى بَيْتِ الْمُغِيرَةِ بْنِ شُعْبَةَ وَهُوَ أَمِيرُ الْبَصْرَةِ وَكَانَتْ دَارُ الْمُغِيرَةِ تُجَاهَ دَارِ أَبِي بَكْرَةَ وَكَانَ بَيْنَهُمَا الطَّرِيقُ، وَفِي
পৃষ্ঠা - ৫৫৪৫


আপনাদের জন্যে যুদ্ধলব্ধ মালামালের আয়োজন করবেন এবং তা আপনাদের মাঝে বণ্টন
করবেন ৷ মুগীরা আকীলা নামে তার তায়েফ বংকৃ শোদ্ভুত একটি ক্রীতদাসী আবুমুসা (রা) কে
উপহার দিয়ে বললেন, আমি এটাকে আপনার জন্যে পছন্দ করেছি ৷ মেয়েটি খুব সুন্দরী ও
চালাৰু ছিল ৷

মুগীরা এবং যারা তার বিরুদ্ধে সাক্ষী তারা খলীফার দরবারের উদ্দেশ্যে যাত্রা করলেন ৷
সাক্ষী হিসেবে যাত্রা করলেন আবু বাকরা, নাফি ইবন কালদাহ, যিয়াদ ইবন উমাইয়৷ এবং
শিব্ল ইবন মা বাদ বাজালী ৷৩ তারা খলীফা উমর (রা) এরদুেরবারে উপস্থিত হলেন ৷ তিনি ন্
উভয় পক্ষকে একত্রিত করলেন ৷ মুগীরা বললেন, আমীরুল মুমিনীন! ওই গোলামদেরকে
জিজ্ঞেস করুন ওরা আমাকে কোন অবস্থায় দেখেছে ? আমি কি ওদের মুখোমুখি ছিলাম, না
ওদেরকে পেছনে রেখেছিলাম ? ওরা মহিলাটি কেমন করে দেখল এবং চিংল ? ওরা যদি আমার
মুখোমুখি থেকে থাকে তাহলে তারা পর্দা না করে থাকল কেমন করে ? আর যদি ওরা আমার
পেছনে থেকে থাকে তাহলে আমার ঘরে আমার ন্তীর সাথে আমার মিলন দেখা তাদের জন্যে
বৈধ হলো কেমন করে ? আল্পাহ্র কলম, আমি আমারই স্তীর সাথে সভ্রুবাস করছিলাম ৷ আমার
ত্রীর সাথে উম্মু জামীলের কিছুটা সামঞ্জস্য আছে বটে ৷

এবার খলীফা উমর (রা) প্রথমে আবুবাকরা (রা)-কে জেরা করছিলেন ৷ আবু বাকরা
সাক্ষ্য দিয়ে বললেন যে, তিনি মুগীরাকে দেখেছেন উমু জামীলের দুপায়ের মধ্যখানে, তিনি
সুরমাদানািত সুরমাকাঠির ন্যায় ঢুকাচ্ছিলেন আর বের করছিলেন ৷ খলীফা বললেন, আপনি
ওদের দু’জনকে কােনৃ অবস্থায় দেখলেন, আপনার প্রতি মুখ ফেরানাে অবস্থায়, নাকি পিঠ
ফেরানাে অবস্থায় ? আবু বাকরা বললেন, ওরা দু’জন আমার দিকে পিঠ দিয়ে রেখেছিল ৷
খলীফা বললেন, তাহলে আপনি মহিলার মাথা ও মুখ নিশ্চিত চিনলেন কী করে ? আবু বাকরা
বললেন, আমি উপরে উঠে তা দেখেছি ৷

এরপর খলীফা শিব্ল ইবন মাবদ্যেক ডাকলেন ৷ তিনিও আবুবাকরা-এর ন্যায় সাক্ষ্য
দিলেন ৷ খলীফা বললেন, ওরা দৃজঃ কি আপনার মুখোমুখি ছিল, না পিঠ ফেরানাে ছিল ?
শিব্ল বললেন, ওরা আমার মুখোমুখি ছিল ৷ নব্রফিও সাক্ষ্য দিলেন আবুবাকরা এর সাক্ষোর
ন্যায় ৷ যিয়াদের সাক্ষ্য জ্যি ওদের মত হলো না ৷ যিয়াদ বললেন, আমি মুগীরাকে দেখেছি
জনৈকা মহিলার দুপায়ের মাঝখানে বসা অবস্থায় ৷ আমি দু’টো রঙিন পা দেখেছি ৷ সে পা
দৃটো নড়াচড়৷ করছিল ৷ আমি দৃাটা উন্মুক্ত নি৩ ন্ম্ব দেখেছি ৷ আমি চরম উত্তেজনাকর শব্দ
শুনেছি ৷ খলীফা বললেন, আপনি কি সৃরমাদানিতে সুরমাকাঠি ঢকান্মের মত ৩দেখেছেন ? যিয়াদ
বললেন, না ভেমনটি দেখিনি ৷ খলীফা বললেন, আপনি কি ওই মইিলাকে চিনাতন ? যিয়াদ
বললেন, না, তবে তার মত মনে হয়েছিল ৷ খলীফ৷ বললেন, ঠিক আছে আপনি সরে র্দাড়ান ৷

বর্ণিত আছে যে, এ সময়ে হযরত উমর (রা) তাকবীর ধ্বনি দিয়ে উঠলেন, তারপর
নিশ্চিতভাবে মুগীরার ব্যভিচার প্রমাণ করতে না পারার এই তিনজনকে অপবাদের শাস্তিস্বরুপ
ৰেত্রাঘাতের নির্দোণ দেন ৷ প্রসঙ্গত খলীফা উমর (বা) এই আয়াত তিলাওয়াত করেন , ,াট্রুষ্)
যেহেতু তারা সাক্ষ্য উপস্থিত করেনি
যে কারণে তারা আল্লাহর বিধানৈ মিথ্যাবাদী ৷ (সুরা নুর ২৪ণ্ণ্ ১৩)

আলবিদায়া ২০


دَارِ أَبِي بَكْرَةَ كُوَّةٌ تُشْرِفُ عَلَى كُوَّةٍ فِي دَارِ الْمُغِيرَةِ، وَكَانَ لَا يَزَالُ بَيْنَ الْمُغِيرَةِ وَبَيْنَ أَبِي بَكْرَةَ شَنَآنٌ، فَبَيْنَمَا أَبُو بَكْرَةَ فِي دَارِهِ وَعِنْدَهُ جَمَاعَةٌ يَتَحَدَّثُونَ فِي الْعُلِّيَّةِ، إِذْ فَتَحَتِ الرِّيحُ بَابَ الْكُوَّةِ، فَقَامَ أَبُو بَكْرَةَ لِيُغْلِقَهَا، فَإِذَا كُوَّةُ الْمُغِيرَةِ مَفْتُوحَةٌ، وَإِذَا هُوَ عَلَى صَدْرِ امْرَأَةٍ وَبَيْنَ رِجْلَيْهَا، وَهُوَ يُجَامِعُهَا، فَقَالَ أَبُو بَكْرَةَ لِأَصْحَابِهِ: تَعَالَوْا فَانْظُرُوا إِلَى أَمِيرِكُمْ يَزْنِي بِأُمِّ جَمِيلٍ. فَقَامُوا فَنَظَرُوا إِلَيْهِ وَهُوَ يُجَامِعُ تِلْكَ الْمَرْأَةَ، فَقَالُوا لِأَبِي بَكْرَةَ: وَمَنْ أَيْنَ قُلْتَ إِنَّهَا أُمُّ جَمِيلٍ؟ وَكَانَ رَأْسَاهُمَا مِنَ الْجَانِبِ الْآخَرِ، فَقَالَ: انْتَظِرُوا. فَلَمَّا فَرَغَا قَامَتِ الْمَرْأَةُ، فَقَالَ أَبُو بَكْرَةَ: هَذِهِ أُمُّ جَمِيلٍ. فَعَرَفُوهَا فِيمَا يَظُنُّونَ، فَلَمَّا خَرَجَ الْمُغِيرَةُ - وَقَدِ اغْتَسَلَ - لِيُصَلِّيَ بِالنَّاسِ مَنَعَهُ أَبُو بَكْرَةَ أَنْ يَتَقَدَّمَ. وَكَتَبُوا إِلَى عُمَرَ فِي ذَلِكَ، فَوَلَّى عُمَرُ أَبَا مُوسَى الْأَشْعَرِيَّ أَمِيرًا عَلَى الْبَصْرَةِ وَعَزَلَ الْمُغِيرَةَ، فَسَارَ إِلَى الْبَصْرَةِ فَنَزَلَ بِالْمِرْبَدِ، فَقَالَ الْمُغِيرَةُ: وَاللَّهِ مَا جَاءَ أَبُو مُوسَى تَاجِرًا وَلَا زَائِرًا وَلَا جَاءَ إِلَّا أَمِيرًا. ثُمَّ قَدِمَ أَبُو مُوسَى عَلَى النَّاسِ، وَنَاوَلَ الْمُغِيرَةَ كِتَابًا مِنْ عُمَرَ، هُوَ أَوْجَزُ كِتَابٍ، فِيهِ: أَمَّا بَعْدُ، فَإِنَّهُ بَلَغَنِي نَبَأٌ عَظِيمٌ، فَبَعَثْتُ أَبَا مُوسَى أَمِيرًا، فَسَلِّمْ مَا فِي يَدَيْكَ، وَالْعَجَلَ. وَكَتَبَ إِلَى أَهْلِ الْبَصْرَةِ إِنِّي قَدْ وَلَّيْتُ عَلَيْكُمْ أَبَا مُوسَى لِيَأْخُذَ مِنْ قَوِيِّكُمْ لِضَعِيفِكُمْ، وَلِيُقَاتِلَ بِكُمْ عَدُوَّكُمْ، وَلِيَدْفَعَ عَنْ دِينِكُمْ، وَلِيَجْبِيَ لَكُمْ فَيْئَكُمْ، ثُمَّ يَقْسِمَهُ فِيكُمْ. وَأَهْدَى الْمُغِيرَةُ لِأَبِي مُوسَى جَارِيَةً مِنْ مُوَلَّدَاتِ الطَّائِفِ تُسَمَّى عَقِيلَةَ، وَقَالَ: إِنِّي رَضِيتُهَا لَكَ. وَكَانَتْ فَارِهَةً. وَارْتَحَلَ الْمُغِيرَةُ
পৃষ্ঠা - ৫৫৪৬
وَالَّذِينَ شَهِدُوا عَلَيْهِ إِلَى عُمَرَ، وَهُمْ أَبُو بَكْرَةَ، وَنَافِعُ بْنُ كَلَدَةَ، وَزِيَادُ بْنُ أَبِيهِ، وَشِبْلُ بْنُ مَعْبَدٍ الْبَجَلِيُّ، فَلَمَّا قَدِمُوا عَلَى عُمَرَ جَمَعَ بَيْنَهُمْ وَبَيْنَ الْمُغِيرَةِ، فَقَالَ الْمُغِيرَةُ: سَلْ هَؤُلَاءِ الْأَعْبُدَ كَيْفَ رَأَوْنِي ; مُسْتَقْبِلَهُمْ أَوْ مُسْتَدْبِرَهُمْ؟ وَكَيْفَ رَأَوُا الْمَرْأَةَ أَوْ عَرَفُوهَا؟ فَإِنْ كَانُوا مُسْتَقْبِلِيَّ، فَكَيْفَ لَمْ يَسْتَتِرُوا! أَوْ مُسْتَدْبِرِيَّ، فَكَيْفَ اسْتَحَلُّوا النَّظَرَ فِي مَنْزِلِي عَلَى امْرَأَتِي! وَاللَّهِ مَا أَتَيْتُ إِلَّا امْرَأَتِي. وَكَانَتْ شَبَهَهَا. فَبَدَأَ عُمَرُ بِأَبِي بَكْرَةَ، فَشَهِدَ عَلَيْهِ أَنَّهُ رَآهُ بَيْنَ رِجْلَيْ أُمِّ جَمِيلٍ، وَهُوَ يُدْخِلُهُ وَيُخْرِجُهُ كَالْمِيلِ فِي الْمُكْحُلَةِ. قَالَ: كَيْفَ رَأَيْتَهُمَا؟ قَالَ: مُسْتَدْبِرَهُمَا. قَالَ: فَكَيْفَ اسْتَثْبَتَّ رَأْسَهَا؟ قَالَ: تَحَامَلْتُ. ثُمَّ دَعَا شِبْلَ بْنَ مَعْبَدٍ فَشَهِدَ بِمِثْلِ ذَلِكَ، فَقَالَ: اسْتَقْبَلْتَهُمَا أَمِ اسْتَدْبَرْتَهُمَا؟ قَالَ: اسْتَقْبَلْتُهُمَا. وَشَهِدَ نَافِعٌ بِمِثْلِ شَهَادَةِ أَبِي بَكْرَةَ، وَلَمْ يَشْهَدْ زِيَادٌ بِمِثْلِ شَهَادَتِهِمْ، قَالَ: رَأَيْتُهُ جَالِسًا بَيْنَ رِجْلَيِ امْرَأَةٍ، فَرَأَيْتُ قَدَمَيْنِ مَخْضُوبَتَيْنِ يَخْفِقَانِ، وَاسْتَيْنِ مَكْشُوفَتَيْنِ، وَسَمِعْتُ حَفَزَانًا شَدِيدًا. قَالَ: هَلْ رَأَيْتَ كَالْمِيلِ فِي الْمُكْحُلَةِ؟ قَالَ: لَا. قَالَ: فَهَلْ تَعْرِفُ الْمَرْأَةَ؟ قَالَ: لَا، وَلَكِنْ أُشَبِّهُهَا. قَالَ: فَتَنَحَّ. وَرُوِيَ أَنَّ عُمَرَ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، كَبَّرَ عِنْدَ ذَلِكَ ثُمَّ أَمَرَ بِالثَّلَاثَةِ فَجُلِدُوا الْحَدَّ، وَهُوَ يَقْرَأُ قَوْلَهُ تَعَالَى:
পৃষ্ঠা - ৫৫৪৭


এবার মুগীরা বললেন, ,আমীরুল মুমিনীন! এই গোলামদেৱ হাত থেকে আপনি আমাকে
মুক্তি দিন ৷ খলীফা বললেন, চুপ থাকুন ৷ আল্লাহ চিরদিনের জন্যে আপনার মুখ বন্ধ করে দিন ৷
আল্লাহর কসম! যদি সাক্ষ্য পুর্ণ হতো তবে আপনার পাথর দ্বারা আমি আপনাকে হত্যা
করতাম ৷

আহওয়ায, মানাযির ও নাহার তায়রী বিজয়
ইবন জাবীর (র) বলেছেন, এই বিজয় অর্জিত হয়েছে এই বছরে অর্থাৎ ১ ৭ হিজরী সনে ৷
কেউ কেউ বলেছেন, এই বিজয় এস্যেছ ১৬ হিজরী সনে ৷ ইবন জারীর উল্লেখ করেছেন নায়ক
সুত্রে তার শায়খদের থেকে যে পারসিক সেনাপতি হুবমুযান কাদেসিয়া যুদ্ধ শেষে পালিয়ে এসে
এ শহরগুলােতে প্রাধান্য বিস্তার করে ৷ যে এগুলো নিয়ন্ত্রণ করতে থাকে ৷ তার বিরুদ্ধে যুদ্ধ
করার জন্যে বসরা থেকে আবু মুসা আশআরী একদল সৈন্য প্রেরণ করলেন আর উতবা ইবন
গাযওয়ান কুফা থেকে একদল সৈন্য প্রেরণ করেন ৷ মহান আল্লাহ ওই সৈনিকদেরকে হুরমুযান
ও তার বাহিনীর বিরুদ্ধে বিজয় প্রদান করেন ৷ দাজলা হতে দাজীল পর্যন্ত বিস্তীর্ণ এলাকা তারা
দখল করে নেন ৷ তারা শত্রুসৈন্য থেকে বহু গনীমতের মাল অর্জন করেন এবং ইচ্ছামত শত্রু
পক্ষকে হত্যা করেছেন ৷ এরপর সমঝোতা ও সন্ধি চুক্তির মাধ্যমে অবশিষ্ট শহরওলাের দখল
বুঝে নেয়ার প্রস্তাব আসে ৷ সেনাপতি দুজন এ বিষয়ে উতবা ইবন ণাযওয়ানের সাথে পরামর্শ
করেন এবং সন্ধি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয় ৷ গনীমতের ছু অংশ এবং বিজয়ের সুসত্বাদ প্রেরণ করেন
থলীফার নিকট ৷ তিনি একটি প্রতিনিধি দলও খলীফার নিকট প্রেরণ করেন ৷ ওই দলে আহ্নাফ
ইবন কায়সও ছিলেন ৷ আহনাফের কথাবার্তা ও আচারআচরণে খলীফা মুগ্ধ হয়েছিলেন ৷ তিনি
উতবাকে গুরুত্বপুর্ণ কাজে আহনাফের সাথে পরামর্শ করতে এবং তার মতামতের সহযোগিতা
নিতে উপদেশ দিলেন ৷
এরপর হুরযুযান তার অঙ্গীকার ও চুক্তি ভঙ্গ করে এবং কুর্দী জাতি-গোষ্ঠীর সাহায্য কামনা

করে ৷ সে নিজে প্রভাবিত হয় ৷ শয়তান তার কাজকে তার প্রতি সুশোভিত করে তোলে ৷
এদিকে মুসলমান সৈন্যগণ হুরমুযানের মুকাবিলা করার জন্যে বের হয় ৷ ওদের বিরুদ্ধে মুসলিম
সৈন্যগণ বিজয়ী হয় ৷ বহু পারসিক সৈন্যকে তারা হত্যা করে ৷ ওদের হাতে ও দখলে থাকা
তৃসতার পর্যন্ত সবগুলো শহর ও রাজ্যের দখল ওদের হাত থেকে ছিনিয়ে নেয়া হয় ৷ হুরমুযান
পরাজিত হয়ে তৃসতার পালিয়ে যায় এবং সেখানে আত্মরক্ষা করে ৷ মুসলমানগণ বিজয়ের
সংবাদ জানালেন খলীফা উমর (রা)-এর নিকট ৷ এ উপলক্ষে সাহাবী কবি,আসওয়াদ ইবন
নারী এই কবিতা আবৃত্তি করেছেন :



আপনার জীবনের কসর্ম আমার পুর্ব পুরুষপণ কােনকিছুই বিনষ্ট করেন নি ৷ তারা বরং
আনুগত্যশীলদের সবকিছু সংরক্ষণ ও নিরাপদ রেখেছেন ৷

াটুছুাট্রুা
আমার পুর্ব পুরুষের বংশধরেরা তাদের প্রতিপালকের আনুগত্য করেছে ৷ অন্য একদল তীর
অবাধ হয়েছে এবং ধ্বংসকারীদের দলে গিয়ে আল্লাহর বিধান ধ্বংস করেছে ৷


{فَإِذْ لَمْ يَأْتُوا بِالشُّهَدَاءِ فَأُولَئِكَ عِنْدَ اللَّهِ هُمُ الْكَاذِبُونَ} [النور: 13] . فَقَالَ الْمُغِيرَةُ: اشْفِنِي مِنَ الْأَعْبُدِ. قَالَ: اسْكُتْ أَسْكَتَ اللَّهُ نَأْمَتَكَ، وَاللَّهِ لَوْ تَمَّتِ الشَّهَادَةُ لَرَجَمْتُكَ بِأَحْجَارِكَ. [فَتْحُ الْأَهْوَازِ وَمَنَاذِرَ وَنَهْرِ تِيرَى] قَالَ ابْنُ جَرِيرٍ كَانَ فِي هَذِهِ السَّنَةِ. وَقِيلَ: فِي سَنَةِ سِتَّ عَشْرَةَ. ثُمَّ رَوَى مِنْ طَرِيقِ سَيْفٍ عَنْ شُيُوخِهِ أَنَّ الْهُرْمُزَانَ كَانَ قَدْ تَغَلَّبَ عَلَى هَذِهِ الْأَقَالِيمِ. وَكَانَ مِمَّنْ فَرَّ يَوْمَ الْقَادِسِيَّةِ مِنَ الْفُرْسِ، فَجَهَّزَ أَبُو مُوسَى مِنَ الْبَصْرَةِ وَعُتْبَةُ بْنُ غَزْوَانَ مِنَ الْكُوفَةِ جَيْشَيْنِ لِقِتَالِهِ، فَنَصَرَهُمُ اللَّهُ عَلَيْهِ، وَأَخَذُوا مِنْهُ مَا بَيْنَ دِجْلَةَ إِلَى دُجَيْلٍ وَغَنِمُوا مِنْ جَيْشِهِ مَا أَرَادُوا، وَقَتَلُوا مَنْ أَرَادُوا، ثُمَّ صَانَعَهُمْ وَطَلَبَ مُصَالَحَتَهُمْ عَنْ بَقِيَّةِ بِلَادِهِ، فَشَاوَرَا فِي ذَلِكَ عُتْبَةَ بْنَ غَزْوَانَ فَصَالَحَهُ، وَبَعَثَ بِالْأَخْمَاسِ وَالْبِشَارَةِ إِلَى عُمَرَ، وَبَعَثَ وَفْدًا فِيهِمُ الْأَحْنَفُ بْنُ قَيْسٍ، فَأُعْجِبَ عُمَرُ بِهِ، وَحَظِيَ عِنْدَهُ، وَكَتَبَ إِلَى عُتْبَةَ يُوصِيهِ بِهِ، وَيَأْمُرُهُ بِمُشَاوَرَتِهِ وَالِاسْتِعَانَةِ بِرَأْيِهِ. ثُمَّ نَقَضَ الْهُرْمُزَانُ الْعَهْدَ وَالصُّلْحَ، وَاسْتَعَانَ بِطَائِفَةٍ مِنَ الْأَكْرَادِ، وَغَرَّتْهُ نَفْسُهُ، وَحَسَّنَ لَهُ الشَّيْطَانُ عَمَلَهُ فِي ذَلِكَ، فَبَرَزَ إِلَيْهِ الْمُسْلِمُونَ فَنُصِرُوا عَلَيْهِ، وَقَتَلُوا مِنْ جَيْشِهِ جَمًّا غَفِيرًا، وَخَلْقًا كَثِيرًا، وَاسْتَلَبُوا مِنْهُ مَا بِيَدِهِ
পৃষ্ঠা - ৫৫৪৮
مِنَ الْأَقَالِيمِ وَالْبُلْدَانِ إِلَى تُسْتَرَ فَتَحَصَّنَ بِهَا، وَبَعَثُوا إِلَى عُمَرَ بِذَلِكَ. وَقَدْ قَالَ الْأُسُودُ بْنُ سَرِيعٍ فِي ذَلِكَ، وَكَانَ صَحَابِيًّا، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ: لَعَمْرُكَ مَا أَضَاعَ بَنُو أَبِينَا ... وَلَكِنْ حَافَظُوا فِي مَنْ يُطِيعُ أَطَاعُوا رَبَّهُمْ وَعَصَاهُ قَوْمٌ أَضَاعُوا ... أَمْرَهُ فِي مَنْ يُضِيعُ مَجُوسٌ لَا يُنَهْنِهُهَا كِتَابٌ فَلَاقَوْا ... كَبَّةً فِيهَا قُبُوعُ وَوَلَّى الْهُرْمُزَانُ عَلَى جَوَادٍ ... سَرِيعِ الشَّدِّ يَثْفِنُهُ الْجَمِيعُ وَخَلَّى سُرَّةَ الْأَهْوَازِ كَرْهًا ... غَدَاةَ الْجِسْرِ إِذْ نَجَمَ الرَّبِيعُ وَقَالَ حُرْقُوصُ بْنُ زُهَيْرٍ السَّعْدِيُّ، وَكَانَ صَحَابِيًّا أَيْضًا: غَلَبْنَا الْهُرْمُزَانَ عَلَى بِلَادٍ ... لَهَا فِي كُلِّ نَاحِيَةٍ ذَخَائِرْ سَوَاءٌ بَرُّهُمْ وَالْبَحْرُ فِيهَا ... إِذَا صَارَتْ نَوَاحِيهَا بَوَاكِرْ لَهَا بَحْرٌ يَعُجُّ بِجَانِبَيْهِ ... جَعَافِرُ لَا يَزَالُ لَهَا زَوَاخِرْ
পৃষ্ঠা - ৫৫৪৯


)

ওরা অগ্নি উপাসক ৷ তাদের প্রতি কোন কিতাব নাযিল হয়নি ৷ তারা এমন এক আক্রমণের
মুখোমুখি হয়েছে যা তাদের পা-মাথা এক করে দিয়েছে ৷

৷ ’

!ঠুহুঠুট্রুয় ৷ ন্াট্রুট্রু
ওরা হুরমুযানাক প্রবল আক্রমণকারী দ্রুতগামী অশ্বাবরাহীদের সেনাপতি বানিয়েছিল ৷ কিন্তু
ঐক্যবদ্ধ মুসলিম আক্রমণে সে শক্তিহীন ও নিষ্প্রাণ হয়ে পড়েছে ৷

র্দু;১
সে অনিচ্ছা সত্বেও আহওয়াযের উর্বয় ভুমি ছেড়ে চলে গিয়েছে ৷ সেতুর যুদ্ধের দিনের
সকাল বেলা যখন বসন্তকালের নক্ষত্র উদিত হয়েছিল ৷
হারকুস ইবন যুহায়র সাদী সাহাবী করি নিম্নের কবিতা আবৃত্তি করেছেন :
আমরা হুরমুযানের উপর বিজয় লাভ করেছি ৷ আমরা জয় করেছি এমন সব শহর-নগর

যেগুলোর সকল প্রান্তে সম্পদ আর সম্পদে ভরপুর ৷
এন্নুা ৰুঠু
ধন-সষ্পদের প্রাচুর্যে ওদের স্থুলভাগ যেমন জলভাগও তেমন ৷ যখন তার আশপাশ নতুন
ফল-ফসলে ভরে উঠে ৷

কো

ওখানে একটি সমুদ্র আছে ৷ তার দু দিকে প্রবাহিত হয়েছে ছোট ছোট নদী, নদীর তীরে
কচি সবুজ চোখ জুড়ানাে উদ্ভিদ জন্যে সর্বদা ৷

প্রথম বার তুসতার জয় সন্ধিৱ মাধ্যমে

ইবন জারীর বলেন, সায়ফের বর্ণনানুসারে এই বিজয় অর্জিত হয় এই বছরে অর্থাৎ হিজরী
১৭ সালে ৷ অন্যরা বলেছেন, হিজরী ১৬ সালে ৷ কেউ কেউ বলেছেন, হিজরী ১৯ সালে ৷
এরপর ইবন জারীর বিজয়ের ঘটনা উল্লেখ করেছেন ৷ তিনি সায়ফ থেকে মুহাম্মদ, তালহা,
মুহাল্লাব ও আমর সুত্রে উল্লেখ করেন যে, তারা বলেছেন হারকুস ইবন যুহায়র আহওয়ায শহর
জয় করলেন৷ পারস্য সেনাপতি হুরমুযান সম্মুপ্নের-দিকে পালিয়ে গেল ৷ তিনি হুরমুযানের
পশ্চাদ্ধাবনের জন্যে মুআবিয়ার পুত্র জুযকে পাঠালেন ৷ এটি করেছেন খলীফার নির্দেশ
মুতাবিক ৷ জুয ধাওয়া করলেন হুরমুযানকে ৷ হুরমুযান গিয়ে পৌছল রাম হুরমুযান নামক স্থানে
এবং ওখানে সে আত্মরক্ষামুলক ব্যবস্থা নিল ৷ জুয কিন্তু তার নাগাল পেতে ব্যর্থ হন ৷ তারপর
জুয ওইসব শহর, রাজ্য ও জনপদে প্রবল সৈন্য সমাবেশ করলেন ৷ সেখানকার অধিবাসীদের
উপর জিয্য়া কর ধার্য করলেন ৷ সেখানকার আবাদযােগ্য জমিগুলোতে চাষাব্যদের ব্যবস্থা
করলেন ৷ অনাবাদী ও পতিত জমিণ্ডালাতে পানি সেচের জন্যে খাল খনন করে সেগুলোকে
আবাদযােণ্য করে তৃললেন ৷ ফলে ভুমিগুলো চুড়ান্ত পর্যায়ে উর্বরতা ও উৎপাদন শক্তি সম্পন্ন
হয়ে উঠল ৷


[فَتْحُ تُسْتَرَ، الْمَرَّةُ الْأُولَى صُلْحًا] قَالَ ابْنُ جَرِيرٍ كَانَ ذَلِكَ فِي هَذِهِ السَّنَةِ، فِي قَوْلِ سَيْفٍ وَرِوَايَتِهِ، وَقَالَ غَيْرُهُ: فِي سَنَةِ سِتَّ عَشْرَةَ، وَقَالَ غَيْرُهُ: كَانَ فِي سَنَةِ تِسْعَ عَشْرَةَ. ثُمَّ قَالَ ابْنُ جَرِيرٍ ذِكْرُ الْخَبَرِ عَنْ فَتْحِهَا. ثُمَّ سَاقَ مِنْ طَرِيقِ سَيْفٍ، عَنْ مُحَمَّدٍ وَطَلْحَةَ وَالْمُهَلَّبِ وَعَمْرٍو، قَالُوا: لَمَّا افْتَتَحَ حُرْقُوصُ بْنُ زُهَيْرٍ سُوقَ الْأَهْوَازِ وَفَرَّ الْهُرْمُزَانُ بَيْنَ يَدَيْهِ، فَبَعَثَ فِي إِثْرِهِ جَزْءَ بْنَ مُعَاوِيَةَ - وَذَلِكَ عَنْ كِتَابِ عُمَرَ بِذَلِكَ - فَمَا زَالَ جَزْءٌ يَتْبَعُهُ حَتَّى انْتَهَى إِلَى رَامَهُرْمُزَ فَتَحَصَّنَ الْهُرْمُزَانُ فِي بِلَادِهَا، وَأَعْجَزَ جَزْءًا تَطَلُّبُهُ، وَاسْتَحْوَذَ جَزْءٌ عَلَى تِلْكَ الْبِلَادِ وَالْأَقَالِيمِ وَالْأَرَاضِي، فَضَرَبَ الْجِزْيَةَ عَلَى أَهْلِهَا، وَعَمَّرَ عَامِرَهَا، وَشَقَّ الْأَنْهَارَ إِلَى خَرَابِهَا وَمَوَاتِهَا، فَصَارَتْ فِي غَايَةِ الْعِمَارَةِ وَالْجَوْدَةِ. وَلَمَّا رَأَى الْهُرْمُزَانُ ضِيقَ بِلَادِهِ عَلَيْهِ بِمُجَاوَرَةِ الْمُسْلِمِينَ، طَلَبَ مِنْ جَزْءِ بْنِ مُعَاوِيَةَ الْمُصَالَحَةَ، فَكَتَبَ إِلَى حُرْقُوصٍ، فَكَتَبَ حُرْقُوصٌ إِلَى عُتْبَةَ بْنِ غَزْوَانَ، وَكَتَبَ عُتْبَةُ إِلَى عُمَرَ فِي ذَلِكَ. فَجَاءَ الْكِتَابُ الْعُمَرِيُّ بِالْمُصَالَحَةِ عَلَى رَامَهُرْمُزَ وَتُسْتَرَ وَجُنْدَيْسَابُورَ، وَمَدَائِنَ أُخَرَ مَعَ ذَلِكَ. فَوَقَعَ الصُّلْحُ عَلَى ذَلِكَ، كَمَا أَمَرَ بِهِ عُمَرُ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ.
পৃষ্ঠা - ৫৫৫০


হুরমুযান দেখতে পায় যে, মুসলমানদের সার্বক্ষণিক অবস্থানের কারণে ওই স্থানে বসবাস
করা তার জন্যে কষ্টকর হয়ে উঠেছে ৷ তখন সে মুসলিম সেনাপতি জুষ্ ইবন মুআবিয়ার নিকট
সন্ধির প্রস্তাব দেয় ৷ জুয এই প্রস্তাবের কথা জানান তার উর্ধ্বতন সেনাপতি হারকুসকে ৷ হারকুস
বিষয়টি জানান তার উর্ধ্বতন সেনাপতি উতবা ইবন পাযওয়ানকে ৷ উতবা বিষয়টি জানান
খলীফা উমর (রা)-কে ৷ খলীফা উমর (রা) উত্তরে লিখলেন, রাম হুরমুয, তৃসতর , জুন্দি সাবুর ,
ও অন্য শহরগুলাে মুসলমানদের দখলে ছেড়ে দিয়ে এই শর্তে সন্ধিচুক্তি সম্পাদন করা যায় ৷
তারপর খলীফা উমর (রা)-এর পরামর্শ অনুযায়ী উল্লেখিত শর্তে সন্ধিচুক্তি সম্পাদন করা হয় ৷

বাহরাইন অঞ্চলের শহরগুলো জয় করার জন্যে যুদ্ধ

এ বিষয়ে সায়ফ সুত্রে ইবন জারীর উল্লেখ করেছেন যে, হযরত আবু বকর সিদ্দীক
(রা)এর শাসনামলে বাহরাইনের শাসনকর্তা ছিলেন আলা ইবন হাযরামী ৷ হযরত উমর (রা)
এক পর্যায়ে তাকে অপসারণ করে কৃদাম ইবন মাযউন্যক শাসনকর্তা নিয়োগ করেন ৷ এরপর
আবার আলা ইবন হাযরামীকে ওই পদে নিয়োগ দেন ৷ মুলত অলো ইবন হাযরামী (রা) এবং
সাদ ইবন আবী ওয়াক্কাস (রা)-এর মাঝে প্রতিদ্বস্থিতা ও প্রতিযোগিতা ছিল ৷ হযরত সাদ ইবন
আবী ওয়াক্কাস (রা) যখন কাদেসিয়া যুদ্ধে জয়লাভ করে পারস্য সম্রাটকে তার বাড়ি থেকে
তাড়িয়ে দেন, সাওয়াদ ও তার আশেপাশের অঞ্চল দখল করে আসা ইবন হাযরামীর
বাহরাইন জয় অপেক্ষা বড় বিজয় অর্জা৷ করেন তখন আলা ইবন হাযরামী চাইলেন পারসিকদের
বিরুদ্ধে এমন একটি বিজয় অর্জন করবেন যা হযরত সাদ (ৱা)-এর বিজয় থেকে বড় হবে ৷

তিনি পারসিকদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার জন্যে লোকজনকে আহ্বান জানালেন ৷ তার
শাসনাধীন এলাকার লোকজন তার ডাকে সাড়া দেয় ৷ তিনি ওদেরকে কয়েকটি ইউনিটে বিভক্ত
করেন ৷ এক ইউনিটের দায়িত্ব দেন জারুদ ইবন মুআল্পাকে, এক ইউনিটের দায়িত্ব দেন
সওয়ড়ার ইবন হন্মোমকে ৷ এক ইউনিটের দায়িত্ব দেন খুলায়দ ইবন মুনষির ইবন সাবীকে ৷ এই
খুলায়দ ছিলেন প্রধান সেনাপতি ৷ তারা পারস্যের উদ্দেশ্যে সমুদ্র যাত্রা করলেন ৷ এ অভিযানে
খলীফা উমর (রা)-এর পুৰ্বানুমতি ছিল না ৷ ব্যক্তিগতভাবে হযরত উমর (বা) এ অভিযানের
বিরুদ্ধে ছিলেন ৷ কারণ রাসুলুল্পাহ্লোঃ নিজে এবং প্রথম খলীফা আবু বকর (রা) কেউই
মুসলমানদেরকে নৌপথের অভিযানে প্রেরণ করেন নি ৷

বন্তুত মুসলিম সৈন্যপণ বাহরাইন অতিক্রম করে পারস্যে গিয়ে পৌছে ৷ তারা ইসতাখার
গিয়ে অবস্থান নেয় ৷ পারসিকগণ মুসলমানদের নৌযানগুলো এবং মুসলিম সৈন্যদের মাঝখানে
অতরায় সৃষ্টি করে ৷ সেনাপতি খুলায়দ ইবন মুনষির মুসলমানদের উদ্দেশ্যে এক জ্বালাময়ী
ভাষণ দিয়ে বললেন, হে লোক সকল ! ওরা তো তাদের এই আচরণের মাধ্যমে তোমাদের
বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার ইঙ্গিত দিচ্ছে ৷ আর তােমরাও তো এসেছ যুদ্ধ করতে ৷ সুতরাং মহান
আল্লাহর নিকট সাহায্য চাও এবং ওদের বিরুদ্ধে লড়াই শুরু কর ৷ কারণ ওই নৌযান ও এই
ভুমি তারাই পাবে যারা যুদ্ধে জয়ী হয়ে ৷ তোমরা ধৈর্য ও নামাষের মাধ্যমে সাহায্য কামনা কর ৷
এটি কঠিন হলেও খােদাভীরুদের জন্যে কঠিন নয় ৷ লোকজন তার আহ্বানে সাড়া দিল ৷ তীরা
যােহরের নামায আদায় করলেন ৷ তারপর ওদের উপর আক্রমণ করলে প্রচণ্ড যুদ্ধ সংঘটিত হয়
তাউস নামক স্থানে ৷ এরপর খুলায়দ মুসলমানদেরকে নির্দেশ দিলেন ৷ তারা পদাতিক বাহিনী


[ذِكْرُ غَزْوِ بِلَادِ فَارِسَ مِنْ نَاحِيَةِ الْبَحْرِينِ] ِ وَذَلِكَ فِي هَذِهِ السَّنَةِ فِيمَا حَكَاهُ ابْنُ جَرِيرٍ عَنْ سَيْفٍ وَذَلِكَ أَنَّ الْعَلَاءَ بْنَ الْحَضْرَمِيِّ كَانَ عَلَى الْبَحْرَيْنِ فِي أَيَّامِ الصِّدِّيقِ، فَلَمَّا كَانَ عُمَرُ عَزَلَهُ عَنْهَا وَوَلَّاهَا لِقُدَامَةَ بْنِ مَظْعُونٍ، ثُمَّ أَعَادَ الْعَلَاءَ بْنَ الْحَضْرَمِيِّ إِلَيْهَا، وَكَانَ الْعَلَاءُ بْنُ الْحَضْرَمِيِّ يُبَارِي سَعْدَ بْنَ أَبِي وَقَّاصٍ، فَلَمَّا افْتَتَحَ سَعْدٌ الْقَادِسِيَّةَ وَأَزَاحَ كِسْرَى عَنْ دَارِهِ، وَأَخَذَ حُدُودَ مَا يَلِي السَّوَادَ وَاسْتَعْلَى، وَجَاءَ بِأَعْظَمَ مِمَّا جَاءَ بِهِ الْعَلَاءُ مِنْ نَاحِيَةِ الْبَحْرَيْنِ فَأَحَبَّ الْعَلَاءُ أَنْ يَفْعَلَ فِعْلًا فِي فَارِسَ نَظِيرَ مَا فَعَلَهُ سَعْدٌ فِيهِمْ، فَنَدَبَ النَّاسَ إِلَى حَرْبِهِمْ؛ فَاسْتَجَابَ لَهُ أَهْلُ بِلَادِهِ، فَجَزَّأَهُمْ أَجْزَاءً، فَعَلَى فِرْقَةٍ الْجَارُودُ بْنُ الْمُعَلَّى، وَعَلَى الْأُخْرَى السَّوَّارُ بْنُ هَمَّامٍ، وَعَلَى الْأُخْرَى خُلَيْدُ بْنُ الْمُنْذِرِ بْنِ سَاوَى، وَخُلَيْدٌ هُوَ أَمِيرُ الْجَمَاعَةِ. فَحَمَلَهُمْ فِي الْبَحْرِ إِلَى فَارِسَ وَذَلِكَ بِغَيْرِ إِذْنِ عُمَرَ لَهُ فِي ذَلِكَ - وَكَانَ عُمَرُ يَكْرَهُ ذَلِكَ؛ لِأَنَّ رَسُولَ اللَّهِ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَلَا أَبَا بَكْرٍ أَغْزَيَا فِيهِ الْمُسْلِمِينَ - فَعَبَرَتْ
পৃষ্ঠা - ৫৫৫১


হিসেবে অগ্রসর হয় এবং চরম ধৈর্যের সাথে যুদ্ধ চালিয়ে যায় ৷ এরপর৩ তারা পারসিকদের
বিরুদ্ধে বিজয় লাভ করে ৷ বহু মুশরিককে তারা সেদিন হত্যা করে ৷ এতে অসং খ্য লোক নিহত
হয় ৷
এরপর মুসলিম বাহিনী বসরার উদ্দেশ্যে যাত্রা করে ৷ নদীতে তাদেরকে নিয়ে নৌযান ডুবে
যায়, তীরে ওঠার কোন অবলম্বন তারা পায়নি ৷ ইসতাখার অধিবাসীদের একজন শাহরাফ বরং
মুসলমানদের সকল পথ বন্ধ করে দিয়েছিল ৷ তইি মুসলমানগণ পুনরায় সংঘবদ্ধ হয় এবং শত্রু
থােক নিজেদেরকে রক্ষা করে ৷

আল৷ ইবন হাযরামী (রা) এর পারস্য অভিযান ও তার পরবর্তী সকল কার্যক্রম সম্বন্ধে
খলীফা অবহিত হন ৷ শুনে তিনি ক্ষুব্ধ হন আল৷ ইবন হাযরড়ামীর প্রতি ৷ লোক পাঠিয়ে তিনি
তাকে পদচ্যুত করেন এবং শাস্তির ধমক দেন ৷ বস্তুত খলীফা তাকে এমন এক নির্দেশ দেন যা
পালন করা তার জন্যে কষ্টকর ও কঠিন বটে আর তা হলো তার প্ৰতিদ্বন্থী হযরত সা দ ইবন
আবী ওয়াক্কাস (রা) এর অধীনে কাজ করা ৷ খলীফা বললেন, আপনি সা দ ইবন আবী
ওয়াক্কাসের নিকট গিয়ে পৌছুন ৷ অতএব তার সাথে থাকা মুসলমানদেরকে নিয়ে তিনি হযরত
সা দ (রা) এর সাথে মিলিত হবার জন্যে যাত্রা করেন ৷

এদিকে খলীফা উমর (রা) উতবা ইবন গাযওয়ানকে লিখলেন যে, আলা ইবন হাযরামী
(রা) একদল সৈনিক নিয়ে অভিযানে বের হয়েছিল ৷ তাতে আমার অনুমোদন ছিল না ৷ আমার
মনে হয়-তড়াতে মহান আল্লাহ্ও রাজী ছিলেন না ৷ পারসিকগণ ওই সেনাদলকে আটক করে
ব্লেখেছে ৷ আমার আশংকা, ওরা কোন সাহায্য না পেলে পরাজিত হয়ে এবং পারসিকদেরড়া হাতে
ধ্বংস হয়ে য়াবে ৷ আপনি৩াড়াতাড়ি লোকজন নিয়ে ওদের সাহায্যের জন্য বেরিয়ে পড়ুন ৷ ওরা
নিশ্চিহ্ন হবার আগে ওদের নিকট গিয়ে পৌছুন ৷ খলীফার নির্দেশ পেয়ে উতবা জনগণকে
অভিযা ৷নে অংশগ্নহণের আহ্বান জানালেন ৷ তিনি খলীফার প্ত্রের উদ্ধৃতি দিলেন ৷ ৷নতৃন্থানীয় ও
সাহসী ব্যক্তিবর্গসহ অনেক লোক তার আহ্বানে সাড়া দিলেন ৷ শীর্ষস্থানীয় লোকদের মধ্যে
ছিলেন হাশমী ইবন আবী ওয়াক্কাস, আসিম ইবন আমর, আরফাজ৷ ইবন হারহামা, হুযায়ফা
ইবন মুহসিন, আহনাফ ইবন করেন ৷ সব মিলিয়ে প্রায় ১২ হাজার সৈন্য একত্রিত হয় ৷
অভিযানের সেনাধ্যক্ষ নিয়োজিত হয় আবু সাবরা ইবন আবু রুহম ৷ তারা খচ্চরে চড়ে যাত্রা
করলেন ৷ তারা যাচ্ছিলেন নদীর তীর ধরে, উপকুলীয় পথে ৷ কেউ বাধা দেয়নি ৷ যেতে যেতে
তারা তাউস গিয়ে পৌছেন ৷ ওখানেই আলা ইবন হাযরামী ও পারসিকদের মধ্যে যুদ্ধ সংঘটিত
হয়েছিল ৷ তারা গিয়ে দেখেন ওখানে খুলায়দ ইবন মুনযির ও তার সাথী কতক মুসলমান
অবরুদ্ধ হয়ে আছেন ৷ শত্রুগ্যা চারদিক থেকে তাদেরকে ঘিরে ণ্রখেছে ৷ তাদেরকে সমুলে
ধ্বংস করে দেয়ার জন্যে পারসিকগণ তাদের আশেপাশের গোত্রগুলােকে সহযোগিতা করার
আহ্বান জানায় ৷ মুশরিকদের প্রস্তুতি প্রায় পরিপুর্ণ হয়ে গিয়েছিল ৷ শুধু আক্রমণ শুরু করাটা
বাকি ছিল ৷ এই মুহুর্তে আবু সাবরার নেতৃত্বে মুসলিম সহযোগী বাহিনী ওখানে গিয়ে পৌছে ৷
এমন একটি সাহায্য বাহিনীর ভীষণ প্রয়োজন ছিল অবরুদ্ধ মুসলমানদের জন্যে ৷ যুসলমানগণ
সর্বশক্তি দিয়ে মুশরিকদের উপর আক্রমণ করে ৷ আবুসাবরার বাহিনী শ্াত্রুদেরকে ছত্রভঙ্গ করে
দেয় ৷ ওদের বহু লোক নিহত হয় ৷ যুসল্মানগণ শত্রুদের অনেক ধন-সষ্পদ দখল করে নেয় ৷


تِلْكَ الْجُنُودُ مِنَ الْبَحْرَيْنِ إِلَى فَارِسَ فَخَرَجُوا مِنْ عِنْدِ إِصْطَخْرَ، فَحَالَتْ فَارِسُ بَيْنَهُمْ وَبَيْنَ سُفُنِهِمْ، فَقَامَ فِي النَّاسِ خُلَيْدُ بْنُ الْمُنْذِرِ، فَقَالَ: أَيُّهَا النَّاسُ، إِنَّمَا أَرَادَ هَؤُلَاءِ الْقَوْمُ بِصَنِيعِهِمْ هَذَا مُحَارَبَتَكُمْ، وَأَنْتُمْ إِنَّمَا جِئْتُمْ لِمُحَارَبَتِهِمْ، فَاسْتَعِينُوا بِاللَّهِ وَقَاتِلُوهُمْ، فَإِنَّمَا الْأَرْضُ وَالسُّفُنُ لِمَنْ غَلَبَ: {وَاسْتَعِينُوا بِالصَّبْرِ وَالصَّلَاةِ وَإِنَّهَا لَكَبِيرَةٌ إِلَّا عَلَى الْخَاشِعِينَ} [البقرة: 45] . فَأَجَابُوهُ إِلَى ذَلِكَ فَصَلُّوا الظُّهْرَ ثُمَّ نَاهَدُوهُمْ، فَاقْتَتَلُوا قِتَالًا شَدِيدًا فِي مَكَانٍ مِنَ الْأَرْضِ يُدْعَى طَاوُسَ، ثُمَّ أَمَرَ خُلَيْدٌ الْمُسْلِمِينَ فَتَرَجَّلُوا، وَقَاتَلُوا فَصَبَرُوا، ثُمَّ ظَفِرُوا، فَقَتَلُوا فَارِسَ مَقْتَلَةً لَمْ يُقْتَلُوا قَبْلَهَا مِثْلَهَا، ثُمَّ خَرَجُوا يُرِيدُونَ الْبَصْرَةَ فَغَرِقَتْ بِهِمْ سُفُنُهُمْ، وَلَمْ يَجِدُوا إِلَى الرُّجُوعِ فِي الْبَحْرِ سَبِيلًا، وَوَجَدُوا شَهْرَكَ فِي أَهْلِ إِصْطَخْرَ قَدْ أَخَذُوا عَلَى الْمُسْلِمِينَ بِالطُّرُقِ، فَعَسْكَرُوا وَامْتَنَعُوا مِنَ الْعَدُوِّ. وَلَمَّا بَلَغَ عُمَرَ صُنْعُ الْعَلَاءِ بْنِ الْحَضْرَمِيِّ، اشْتَدَّ غَضَبُهُ عَلَيْهِ، وَبَعَثَ إِلَيْهِ، فَعَزَلَهُ وَتَوَعَّدَهُ، وَأَمَرَهُ بِأَثْقَلِ الْأَشْيَاءِ عَلَيْهِ، وَأَبْغَضِ الْوُجُوهِ إِلَيْهِ، فَقَالَ: الْحَقْ بِسَعْدِ بْنِ أَبِي وَقَّاصٍ فِي مَنْ قِبَلَكَ، فَخَرَجَ الْعَلَاءُ إِلَى سَعْدِ بْنِ أَبِي وَقَّاصٍ مُضَافًا إِلَيْهِ، وَكَتَبَ عُمَرُ إِلَى عُتْبَةَ بْنِ غَزْوَانَ: إِنَّ الْعَلَاءَ بْنَ الْحَضْرَمِيِّ خَرَجَ بِجَيْشٍ فَأَقْطَعَهُمْ أَهْلُ فَارِسَ، وَعَصَانِي، وَأَظُنُّهُ لَمْ يُرِدِ اللَّهَ بِذَلِكَ، فَخَشِيتُ عَلَيْهِمْ أَنْ لَا يُنْصَرُوا، أَنْ يُغْلَبُوا وَيُنْشَبُوا، فَانْدُبْ إِلَيْهِمُ النَّاسَ، وَاضْمُمْهُمْ إِلَيْكَ مِنْ قَبْلِ أَنْ يُجْتَاحُوا. فَنَدَبَ عُتْبَةُ الْمُسْلِمِينَ
পৃষ্ঠা - ৫৫৫২
وَأَخْبَرَهُمْ بِكِتَابِ عُمَرَ إِلَيْهِ فِي ذَلِكَ، فَانْتَدَبَ جَمَاعَةٌ مِنَ الْأُمَرَاءِ الْأَبْطَالِ، مِنْهُمْ هَاشِمُ بْنُ عُتْبَةَ بْنِ أَبِي وَقَّاصٍ، وَعَاصِمُ بْنُ عَمْرٍو، وَعَرْفَجَةُ بْنُ هَرْثَمَةُ، وَحُذَيْفَةُ بْنُ مِحْصَنٍ، وَالْأَحْنَفُ بْنُ قَيْسٍ، وَغَيْرُهُمْ، فِي اثْنَيْ عَشَرَ الْفًا، وَعَلَى الْجَمِيعِ أَبُو سَبْرَةَ بْنُ أَبِي رُهْمٍ. فَخَرَجُوا عَلَى الْبِغَالِ يَجْنُبُونَ الْخَيْلَ سِرَاعًا، فَسَارُوا عَلَى السَّاحِلِ لَا يَلْقَوْنَ أَحَدًا، حَتَّى انْتَهَوْا إِلَى مَوْضِعِ الْوَقْعَةِ الَّتِي كَانَتْ بَيْنَ الْمُسْلِمِينَ مِنْ أَصْحَابِ الْعَلَاءِ وَبَيْنَ أَهْلِ فَارِسَ بِالْمَكَانِ الْمُسَمَّى بِطَاوُسَ، وَإِذَا خُلَيْدُ بْنُ الْمُنْذِرِ وَمَنْ مَعَهُ مِنَ الْمُسْلِمِينَ مَحْصُورُونَ، قَدْ أَحَاطَ بِهِمُ الْعَدُوُّ مِنْ كُلِّ جَانِبٍ، وَقَدْ تَدَاعَتْ عَلَيْهِمْ تِلْكَ الْأُمَمُ مِنْ كُلِّ وَجْهٍ، وَقَدْ تَكَامَلَتْ أَمْدَادُ الْمُشْرِكِينَ، وَلَمْ يَبْقَ إِلَّا الْقِتَالُ، فَقَدِمَ الْمُسْلِمُونَ إِلَيْهِمْ فِي أَحْوَجِ مَا هُمْ فِيهِ إِلَيْهِمْ، فَالْتَقَوْا مَعَ الْمُشْرِكِينَ رَأْسًا، فَكَسَرَ أَبُو سَبْرَةَ الْمُشْرِكِينَ كَسْرَةً عَظِيمَةً، وَقَتَلَ مِنْهُمْ مَقْتَلَةً عَظِيمَةً جِدًّا، وَأَخَذَ مِنْهُمْ أَمْوَالًا جَزِيلَةً بَاهِرَةً، وَاسْتَنْقَذَ خُلَيْدًا وَمَنْ مَعَهُ مِنَ الْمُسْلِمِينَ مِنْ أَيْدِيهِمْ، وَأَعَزَّ اللَّهُ بِهِ الْإِسْلَامَ وَأَهْلَهُ، وَدَمَغَ الشِّرْكَ وَذَلَّهُ، وَلِلَّهِ الْحَمْدُ وَالْمِنَّةُ، ثُمَّ عَادُوا إِلَى عُتْبَةَ بْنِ غَزْوَانَ إِلَى الْبَصْرَةِ. وَلَمَّا اسْتَكْمَلَ عُتْبَةُ فَتْحَ تِلْكَ النَّاحِيَةِ، اسْتَأْذَنَ عُمَرَ فِي الْحَجِّ فَأَذِنَ لَهُ، فَسَارَ
পৃষ্ঠা - ৫৫৫৩


অবরুদ্ধ খুলায়দ ও তার সার্থী মুসলমানদেরকে মুক্ত করে ৷ মহান আল্লাহ এভাবে ইসলাম ও
মুসলমানদের মর্যাদা বৃদ্ধি করেন এবং শিরক ও মুশবিকদেরকে লাঞ্ছিত ও অপমানিত করেন ৷
সকল প্রশং সা মহান আল্লাহর ৷

এরপর সকল মুসলমান বসরার উতবা ইবন গড়াযওয়ানের নিকট ফিরে আসেন ৷ ওই
অঞ্চলে বিজয় সম্পন্ন করার পর উতবা ইবন গাযওয়ান খলীফার নিকট হভ্রুজ্জ যাবার অনুমতি
প্রার্থনা করেন ৷ খলীফা তাকে অনুমতি দেন ৷ তিনি হজ্যের জন্যে যাত্রা করেন ৷ বসরার
শাসনকর্তার দায়িত্ব দেন আবু সাবরা ইবন আবু রুহমকে ৷ হধ্জ্জ গিয়ে উতবা সাক্ষাত করেন
খলীফ্ার সাথে ৷ খলীফার নিকট তিনি শাসনকর্তার দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি চেয়েছিলেন ৷
খলীফা তা মঞ্জুর করেন নি ৷ বরং কসম দিয়ে বলেছিলেন যে, অবশ্যই পুর্ব দায়িত্বে ফিরে যেতে
হবে ৷ উতবা আল্লাহ্র দরবারে দুঅ৷ করেছিলেন ৷ বাতন-ই-নাখলাতে তার ওফাত হয় ৷ তখন
তিনি হজ্জ শেষে ফিরে যাচ্ছিলেন ৷ তার মৃত্যুতে খলীফা উমর (রা) দারুণভ্যবে মর্মাহত হন ৷
এবং তার প্রশংসা করেন ৷ এরপর বন্যা ও এর নিকটবর্তী অঞ্চলে শাসনকর্তার দায়িত্ব দেন
মুগীরা ইবন শুবাকে ৷ মুগীরা ওই বছরের বাকি সময় এবং তার পরবর্তী সময় শাসনকর্তার
দায়িত্ব পালন করেন ৷ এই মেয়াদে কোন অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি ৷ এই সময় শান্তি বিরাজমান
ছিল ৷ এরপর উম্মু জামীল নামের মহিলা সম্পর্কিং আবু বাকরার অভিযোগ ও সে সম্পর্কিত
ঘটনা ঘটে ৷ যা আমরা ইতিপুর্বে উল্লেখ করেছি ৷ এই প্রেক্ষাপটে খলীফা মুগীরা (রা) কে
বরখাস্ত করে হযরত আবু মুসা আশ আরী (রা) কে বসরার শাসনকর্তা নিয়োগ করেন ৷

দ্বিতীয়বার তুসতার জয়, হুরমুযান বন্দী ও
খলীফা উমর (রা)এর দরবারে প্রেরণ

ইবন জারীর বলেন, এ ঘটনা ঘটেছে এই হিজরী সালে অর্থাৎ ১৭ হিজরী সালে ৷ সায়ফ
ইবন উমর তায়মী তইি বলেছেন ৷ এর কারণ ছিল এই যে, পারস্য সম্রাট ইয়াযদগিরদ
পারস্যবাসীদেরকে মুসলমানদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার জন্যে নিয়মিত প্ররোচন৷ দিয়ে যাজ্জি ৷
সে ওদেরকে ভয় দেখাচ্ছিল যে, ওরা যদি যুদ্ধ না করে তাহলে আরব রাজাগণ তাদের উপর
আক্রমণ করবে, তাদের অবরুদ্ধ করে হত্যা করবে ৷ যে এ মর্মে আহওয়ায অধিবাসী ও পারস্য
অধিবাসীদেরকে চিঠি লিখে ৷ তাতে তারা এবং মুসলমানদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার জন্যে প্ররোচির্ত
হয় এবং যুদ্ধের জন্যে অঙ্গীকারাবদ্ধ হয় ৷ তার৷ প্রথমত বসরার অভিযান চালানোর সিদ্ধান্ত
নেয় ৷

এই সব বাদ খলীফা উমর (রা) এর দরবারে পৌছে ৷ তিনি কুফ্ায় হযরত সাদ (রা)-কে
লিখলেন ণ্য়, একটি বিশাল বাহিনী খুব তাড়াতাড়ি নু মান ইবন মুকাররিন-এর সেনাপতিত্বে
আহওয়াযে প্রেরণ করুন ৷ ওরা দ্রুত হুরমুযানের বাহিনীর মুকাবিলা করবে ৷ খলীফা ওই
সেনাদলে কয়েজাে শীর্বৃস্থুানীয় সাহসী যােদ্ধাকে অন্তর্ভুক্ত করার নির্দেশ দেন ৷ খলীফা ওদের
নাম উল্লেখ করে দেন ৷ তারা হলেন জারীর ইবন আবদুরাহ্ বাজালী, জ্বারীর ইবন আবদৃল্লাহ্
হিমইয়ারী, নু মান ইবন মুকাররিন, সুওয়াইদ ইবন মুকাররিন, আবদুল্লাহ ইবন যু সাহমাইন
প্রমুখ ৷


إِلَى الْحَجِّ، وَاسْتَخْلَفَ عَلَى الْبَصْرَةِ أَبَا سَبْرَةَ بْنَ أَبِي رُهْمٍ، وَاجْتَمَعَ بِعُمَرَ فِي الْمَوْسِمِ، وَسَأَلَهُ أَنْ يُقِيلَهُ فَلَمْ يَفْعَلْ، وَأَقْسَمَ عَلَيْهِ عُمَرُ لَيَرْجِعَنَّ إِلَى عَمَلِهِ. فَدَعَا عُتْبَةُ اللَّهَ، عَزَّ وَجَلَّ فَمَاتَ بِبَطْنِ نَخْلَةَ، وَهُوَ مُنْصَرِفٌ مِنَ الْحَجِّ، فَتَأَسَّفَ عَلَيْهِ عُمَرُ، وَأَثْنَى عَلَيْهِ خَيْرًا، وَوَلَّى بَعْدَهُ بِالْبَصْرَةِ الْمُغِيرَةَ بْنَ شُعْبَةَ، فَوَلِيَهَا بَقِيَّةَ تِلْكَ السَّنَةِ وَالَّتِي تَلِيهَا، لَمْ يَقَعْ فِي زَمَانِهِ حَدَثٌ، وَكَانَ مَرْزُوقَ السَّلَامَةِ فِي عَمَلِهِ. ثُمَّ وَقَعَ الْكَلَامُ فِي تِلْكَ الْمَرْأَةِ مِنْ أَبِي بَكْرَةَ، فَكَانَ أَمْرُهُ مَا قَدَّمْنَا. ثُمَّ بَعَثَ إِلَيْهَا أَبَا مُوسَى الْأَشْعَرِيَّ وَالِيًا عَلَيْهَا، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمْ. [ذِكْرُ فَتْحِ تُسْتَرَ ثَانِيَةً عَنْوَةً وَالسُّوسِ وَرَامَهُرْمُزَ وَأَسْرِ الْهُرْمُزَانِ وَبَعْثِهِ إِلَى عُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ] ِ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ قَالَ ابْنُ جَرِيرٍ كَانَ ذَلِكَ فِي هَذِهِ السَّنَةِ فِي رِوَايَةِ سَيْفِ بْنِ عُمَرَ التَّمِيمِيِّ. وَكَانَ سَبَبُ ذَلِكَ أَنَّ يَزْدَجِرْدَ كَانَ يُحَرِّضُ أَهْلَ فَارِسَ فِي كُلِّ وَقْتٍ وَيُؤَنِّبُهُمْ بِمَلْكِ الْعَرَبِ بِلَادَهُمْ وَقَصْدِهِمْ إِيَّاهُمْ فِي حُصُونِهِمْ، فَكَتَبَ إِلَى أَهْلِ الْأَهْوَازِ وَأَهْلِ فَارِسَ ; فَتَحَرَّكُوا وَتَعَاهَدُوا وَتَعَاقَدُوا عَلَى حَرْبِ الْمُسْلِمِينَ، وَأَنْ يَقْصِدُوا الْبَصْرَةَ. وَبَلَغَ الْخَبَرُ إِلَى عُمَرَ؛ فَكَتَبَ إِلَى سَعْدٍ وَهُوَ بِالْكُوفَةِ: أَنِ ابْعَثْ جُنْدًا كَثِيفًا إِلَى
পৃষ্ঠা - ৫৫৫৪


খলীফা উমর (রা) বসরার শাসনকর্তা আবু মুসা আশআরী (রা) কে সুহায়ল ইবন আদীর
নেতৃত্বে একটি বিশাল বাহিনী আহওয়ায়ে প্রেরণ করার জন্যে পত্র লিখলেন ৷ ওই বাহিনীতে
যেন বারা ইবন মালিক, আসিম ইবন আমর, মাজ্বযাহ ইবন হাওর, কাব ইবন হাওর,
আরফাজা ইবন হারছামা, হুযায়ফা ইবন মহসিন, আবদুর রহমান ইবন সাহ্ল, হুসায়ন ইবন
মাবাদ প্রমুখ ব্যক্তি অন্তর্ভুক্ত থাকেন ৷ কুফা থেকে প্রেরিত এবং বসরা থেকে প্রেরিত উভয়
বাহিনীর প্রধান সেনাধ্যক্ষ থাকবেন আবু সাবরা ইবন আবু রুহম ৷ পরবর্তীতে যে কোন
সাহায্যকারী বাহিনীও র্তারই অধিনায়কত্বে কাজ করবে ৷

কুফা থেকে প্রেরিত বাহিনী নিয়ে নুমান ইবন মুকাররিন অগ্রসর হলেন ৷ তিনি বসরা
বাহিনী আসার আগে হুরমুযানের অবস্থান ক্ষেত্র রাম হুরমুয পৌছে যান ৷ হুরমুযান তার
সেনাবাহিনী নিয়ে বেরিয়ে আসে যুদ্ধের জন্যে এবং ইতিপুর্বে সম্পাদির্তসন্ধিচুক্তি ভঙ্গ করে ৷
হুরমুযান অবিলম্বে নুমান বাহিনীর উপর আক্রমণ চালায় ৷ যে মনে করেছিল পারস্য বাহিনীর
সাহায্য সে পাবে এবং বসরার মুসলিম বাহিনী এসে পৌছার আগেই নুমানের কুফা বাহিনীকে
পরাস্ত করে দিয়ে ৷ আরবাল নামক স্থানে নুমান বাহিনী ও হুরমুযান বাহিনী যুদ্ধে লিপ্ত হয় ৷
সেখানে প্রচণ্ড যুদ্ধ সংঘটিত হয় ৷ শেষ পর্যন্ত হ্বমুযান পরাজয়বরণ করে এবং তৃসতার পালিয়ে
যায় ৷ সে রাম হুরমুয ছেড়ে চলে যায় ৷ এভাবে শক্তি প্রয়ােগে নুমান রাম হ্বমুয দখল করেন
এবং সেখানকার ধ্ন-সম্পদ ও অস্ত্রশস্ত্র যুদ্ধলব্ধ মান হিসেবে হস্তগত করেন ৷ হুরমুযানের
বিরুদ্ধে কুফা বাহিনীর বিজয়ের সংবাদ বসরার পৌছে এবং হুরমুযানের তৃসতার পালিয়ে যাবার
সংৰাদও তারা অবগত হয় ৷ ফলে তারা তৃসতারের উদ্দেশ্যে যাত্রা করে ৷ পথে তারা কুফা
বাহিনীর সাথে মিলিত হয় ৷ কুফা ও বসরার সম্মিলিত বাহিনী তৃসতার অববরাধ্ করে ৷ সম্মিলিত
বাহিনীর অধিনায়কত্বে থাকেন আবু সাবরা ৷ অবশ্য হুরমুযান ও তৃসতার ব্যাপক ও বিশাল
সেনাবাহিনীর সমাবেশ ঘটায় ৷ শত্রু বাহিনীর এই বিশাল সমাবেশের সংবাদ খলীফাকে জানিয়ে
মুসলিম অধিনায়ক অতিরিক্ত সেনা সাহায্য কামান করেন ৷

খলীফা উমর (রা) আবু মুসা আশআরী (বা)কে অতিরিক্ত সৈন্যসহ অগ্রসর হবার নির্দেশ
দেন ৷ আবু মুসা আশআরী (বা) তখনও বসরার শাসনকর্তার দায়িত্ব পালন করছিলেন ৷
খলীফাৱ নির্দেশে তিনি সেনাদল নিয়ে যাত্রা করেন ৷ সম্মিলিত বাহিনীর সাথে যোগ দেন তিনি ৷
সম্মিলিত বাহিনীর প্রধান হিসেবে দায়িত্ব অব্যাহত রাখেন আবু সাবরা ৷ তারা কয়েক মাস পর্যন্ত
অবরোধ করে রাখে হুরমুযান বাহিনীকে ৷ মাঝে মাঝে প্রচণ্ড যুদ্ধ চলতে থাকে ৷ ৰারা ইবন
মালিক একাইএকদিনে ১০<হু শত্রু সৈন্যকে হত্যা করেন ৷ এটি ট্রুছুল অন্যান্য দিনের হিসাবের
অতিরিক্ত ৷ বারা ইবন মালিক হলেন আনাস ইবন মালিকের ভাই ৷ কাব ইবন হাওর, মুজযাহ
ইবন হাওর, আবু ইয়ামামা প্রমুখ বসরা বাহিনীর লোকজন অনুরুপভাবে শতাধিক করে
শত্রু-সেনা খতম করেন ৷ কুফা বাহিনীর হাবীব ইবন কুররা, রিবৃঈ ইবন আমির, আমির ইবন
আবুআসওয়াদ প্রমুখ যােদ্ধাও প্রত্যেকে শতাধিক করে শত্রু সৈন্য ধ্বংস করেন ৷ ইতিমধ্যে বেশ
কয়েকদিন সম্মুখ যুদ্ধ অনুষ্ঠিত হয় ৷ শেষের দিকে মুসলমানগণ হযরত যারা ইবন মালিক
(রা)-কে বললেন, হে বারা৷ আপনার প্রতিপালককে কসম দিয়ে বলুন আমাদের পক্ষে শত্রু
সেনাদেরকে পরাজিত করে দিতে ৷ হযরত বারা ইবন মালিক ছিলেন এমন ব্যক্তি র্যার দৃআ


الْأَهْوَازِ مَعَ النُّعْمَانِ بْنِ مُقَرِّنٍ، وَعَجِّلْ، وَلْيَكُونُوا بِإِزَاءِ الْهُرْمُزَانِ وَسَمَّى رِجَالًا مِنَ الشُّجْعَانِ الْأَعْيَانِ الْأُمَرَاءِ، يَكُونُونَ فِي هَذَا الْجَيْشِ؛ مِنْهُمْ جَرِيرُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ الْبَجَلِيُّ، وَجَرِيرُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ الْحِمْيَرِيُّ، وَسُوَيْدُ بْنُ مُقَرِّنٍ، وَعَبْدُ اللَّهِ بْنُ ذِي السَّهْمَيْنِ. وَكَتَبَ عُمَرُ إِلَى أَبِي مُوسَى وَهُوَ بِالْبَصْرَةِ: أَنِ ابْعَثْ إِلَى الْأَهْوَازِ جُنْدًا كَثِيفًا، وَأَمِّرْ عَلَيْهِمْ سُهَيْلَ بْنَ عَدِيٍّ، وَلْيَكُنْ مَعَهُ الْبَرَاءُ بْنُ مَالِكٍ، وَعَاصِمُ بْنُ عَمْرٍو، وَمَجْزَأَةُ بْنُ ثَوْرٍ، وَكَعْبُ بْنُ سُورٍ، وَعَرْفَجَةُ بْنُ هَرْثَمَةَ، وَحُذَيْفَةُ بْنُ مِحْصَنٍ، وَعَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ سَهْلٍ، وَالْحُصَيْنُ بْنُ مَعْبَدٍ، وَلْيَكُنْ عَلَى أَهْلِ الْكُوفَةِ وَأَهْلِ الْبَصْرَةِ جَمِيعًا أَبُو سَبْرَةَ بْنُ أَبِي رُهْمٍ، وَعَلَى كُلِّ مَنْ أَتَاهُ مِنَ الْمَدَدِ. قَالُوا: فَسَارَ النُّعْمَانُ بْنُ مُقَرِّنٍ بِجَيْشِ الْكُوفَةِ فَسَبَقَ الْبَصْرِيِّينَ، فَانْتَهَى إِلَى رَامَهُرْمُزَ وَبِهَا الْهُرْمُزَانُ، فَخَرَجَ إِلَيْهِ الْهُرْمُزَانُ فِي جُنْدِهِ، وَنَقَضَ الْعَهْدَ بَيْنَهُ وَبَيْنَ الْمُسْلِمِينَ، فَبَادَرَهُ طَمَعًا أَنْ يَقْتَطِعَهُ قَبْلَ مَجِيءِ أَصْحَابِهِ مِنْ أَهْلِ الْبَصْرَةِ رَجَاءَ أَنْ يَنْصُرَ أَهْلَ فَارِسَ فَالْتَقَى مَعَهُ النُّعْمَانُ بْنُ مُقَرِّنٍ بِأَرْبُكَ، فَاقْتَتَلَا قِتَالًا شَدِيدًا، فَهُزِمَ الْهُرْمُزَانُ وَفَرَّ إِلَى تَسْتُرَ وَتَرَكَ رَامَهُرْمُزَ فَتَسَلَّمَهَا النُّعْمَانُ عَنْوَةً وَأَخَذَ مَا فِيهَا
পৃষ্ঠা - ৫৫৫৫


কবুল হয় ৷ তিনি দুআ করে বললেন, “হে আল্লাহ ! আমাদের পক্ষে শত্রুদেরকে পরাজিত করে
দিন ৷ আর আমাকে শহীদ হিসেবে মঞ্জুর ক র নিন” ৷

তারপর মুসলমানপণ শত্রুদেরকে পরাজিত করলেন ৷ তাদেরকে ওদের পরিবার মধ্যে
ঢুকিয়ে দিলেন ৷ ওদের উপর চড়াও হলো ৷ মুশরিকপণ ওদের শহরে আশ্রয় নিল এবং সেখানে
সুরক্ষার ব্যবস্থা নিল ৷ কিত্তু সেখানে তাদের জীবনযাত্রা সংরুন্টময় হয়ে উঠল ৷ ওদের একজন
সেখান থেকে বেরিয়ে এসে হযরত আবু মুসা (রা) এর নিকট নিরাপত্তা প্রার্থনা করে ৷ তিনি
তাকে নিরাপত্তা দেন ৷ তারপর তাকে পাঠান মুসলমানদেরকে (করার ভেতরে প্রবেশের পথ
দেখানোর জন্যে ৷ মুলত পানি প্রবেশের নাল৷ দিয়ে ওই দুর্গের মধ্যে প্রবেশ করা যেত ৷ সে ওই
পথ দেখিয়ে দেয় ৷ ণ্সনাপতিগণ তাদের সৈন্যদেরকে ৫ড্ডরে প্রবেশের জন্যে আহ্বান জানান ৷
কত সাহসী বীর সৈনিক এগিয়ে আসে ৷ তারা ছুাসের ন্যায় পানির ভেতর দিয়ে শহরের
অভ্যন্তরে প্রবেশ করে ৷ এটি ছিল রাতের বেলায় ঘটনা ৷ কথিত আছে যে, সর্বপ্রথম ভেতরে
প্রবেশ করেছিলেন আবদুঃা৷হ্ ইবন মুগাফ্ফাল মৃযানী ৷ ওরা প্রহরীদের নিকট এসে ওদের ঘুম
পাড়িয়ে নেন এবং সবগুলো দরজা খুলে দেন ৷ মুসলমান সৈন্যগণ গগনবিদারী-নারায়ে
তাকবীর’ ধ্বনি দিয়ে ভেতরে প্রবেশ করেন ৷ ফজরের সময় থেকে দিনের প্রথম প্রহর পর্যন্ত এই
প্রক্রিয়া চলতে থাকে ৷ সেদিন তারা সময় মত ফজরের নামায আদায় করেন নি ৷ বরং
সুর্যোদয়ের পর আদায় করেছেন ৷

ইমাম বুখারী (র) হযরত ৩আনাস (রা) সুত্রে তা ই উদ্ধৃত করেছেন ৷ হযরত আনাস (রা)
বলেছেন, আমি তৃসতার বিজয়ের সময় উপস্থিত ছিলাম ৷ এ বিজয় ঘটেছিল ফজরের নামাষের
সময় ৷ মুসলিম সৈন্যপণ বিজয় অর্জনের প্রচেষ্টায় ব্যস্ত ছিলেন ৷ ফলে সুর্য উদয়ের আগে
ফজরের নামায আদায় করতে পারেননি ৷ সুর্যোদয়ের পরে তা আদায় করেছেন ৷ কিত্তু ওই
নামাষের বিনিময়ে লাল লাল বড় বড় উট পাওয়াও আমার নিকট পছন্দনীয় ছিল না ৷ এই
হাদীস দ্বারা ইমাম বুখারী (র) মাকহুল ও আওযাঈ (র)-এর পক্ষে দলীল উপস্থাপন করেছেন
যে, যুদ্ধের ওযরের কারণে নির্ধারিত ওয়াক্ত থেকে নামায বিলম্বিত করা জায়েয ৷ ইমাম বুখারী
(র) ও ওই অতিমতের দিকে ঝুকেছেন ৷ এ প্রসঙ্গে তিনি খন্দকের যুদ্ধের ঘটনা উল্লেখ

করেছেন ৷ তখন বাসুলুল্লাহল্যাং বলেছিলেন এ ৷

, ; ণ্;, , ণ্,, টু ওরা আমাদেরকে মধ্যম নামায থেকে বিরত রেখেছে ৷ আল্লাহ্ ওদের
কবরগুলো ও ঘরগুলো আগুনে ভরে দিন ৷) ৷ তিনি আরো প্রমাণ উপস্থাপন করেছেন যে, বানু


কুরাযযা খুন্ধেয়’ন্সি রড্রোাহ ল্যাং বলেছিলেন হৃ১ ১৷ ৷ ,ণ্;’৷ ৷ ণ্ষুর্চু ৰু ১ ৷ ,াৰুা)
রুা; ,ও তোমাদের কেউ যেন বানু কুরায়য৷ গোত্রের এলাকায় না গিয়ে আসরের নামায না
পড়ে) ৷ ফলে কেউ কেউ পথে আর নামায পড়েন নি ৷ বরং বানু কুরায়য৷ এলাকায় গিয়ে
সুর্ষাস্তের পর আসরের নামায আদায় করেছেন ৷ এই রিলন্বের কারণে রাসুলুল্লাহ্মোঃ কাউকে
দোষারােপ করেননি মন্দ বলেন নি ৷ মক্কা বিজয় অভিযান অধ্যায়ে আমরা এই মাসআলা
বিস্তারিত আলোচনা করেছি ৷

মােদ্দাকথা মুসলমানদের হাতে শহরের পতন ঘটায় পর পারস্য সৈনাপতি হ্রমুযান দুর্গে
আশ্রয় নিয়েছিল ৷ তার সেনাদলের কিছু নেতৃস্থানীয় ব্যক্তিও তার সাথে ছিল ৷ মুসলমানগণ


مِنَ الْحَوَاصِلِ وَالذَّخَائِرِ وَالسِّلَاحِ وَالْعُدَدِ. وَلَمَّا وَصَلَ الْخَبَرُ إِلَى أَهْلِ الْبَصْرَةِ بِمَا صَنَعَ الْكُوفِيُّونَ بِالْهُرْمُزَانِ، وَأَنَّهُ قَدْ فَرَّ فَلَجَأَ إِلَى تَسْتُرَ سَارُوا إِلَيْهَا، وَلَحِقَهُمْ أَهْلُ الْكُوفَةِ حَتَّى أَحَاطُوا بِهَا فَحَاصَرُوهَا جَمِيعًا، وَعَلَى الْجَمِيعِ أَبُو سَبْرَةَ، فَوَجَدُوا الْهُرْمُزَانَ قَدْ حَشَدَ بِهَا خَلْقًا كَثِيرًا، وَجَمًّا غَفِيرًا. وَكَتَبُوا إِلَى عُمَرَ فِي ذَلِكَ وَسَأَلُوهُ أَنْ يُمِدَّهُمْ، فَكَتَبَ إِلَى أَبِي مُوسَى أَنْ يَسِيرَ إِلَيْهِمْ؛ فَسَارَ إِلَيْهِمْ، وَكَانَ أَمِيرَ أَهْلِ الْبَصْرَةِ وَاسْتَمَرَّ أَبُو سَبْرَةَ عَلَى الْإِمْرَةِ عَلَى جَمِيعِ أَهْلِ الْكُوفَةِ وَالْبَصْرَةِ، فَحَاصَرَهُمْ أَشْهُرًا، وَكَثُرَ الْقَتْلُ مِنَ الْفَرِيقَيْنِ، وَقَتَلَ الْبَرَاءُ بْنُ مَالِكٍ أَخُو أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ يَوْمَئِذٍ مِائَةً مُبَارَزَةً سِوَى مَنْ قَتَلَ غَيْرَ ذَلِكَ، وَكَذَلِكَ فَعَلَ كَعْبُ بْنُ سُورٍ، وَمَجْزَأَةُ بْنُ ثَوْرٍ، وَأَبُو تَمِيمَةَ، وَغَيْرُهُمْ مِنْ أَهْلِ الْبَصْرَةِ، وَكَذَلِكَ أَهْلُ الْكُوفَةِ قَتَلَ مِنْهُمْ جَمَاعَةٌ مِائَةً مُبَارَزَةً، كَحَبِيبِ بْنِ قُرَّةَ، وَرِبْعِيِّ بْنِ عَامِرٍ، وَعَامِرِ بْنِ عَبْدِ الْأَسْوَدِ، وَقَدْ تَزَاحَفُوا أَيَّامًا مُتَعَدِّدَةً، حَتَّى إِذَا كَانَ فِي آخِرِ زَحْفٍ، قَالَ الْمُسْلِمُونَ لِلْبَرَاءِ بْنِ مَالِكٍ - وَكَانَ مُجَابَ الدَّعْوَةِ -: يَا بَرَاءُ، أَقْسِمْ عَلَى رَبِّكَ لَيَهْزِمَنَّهُمْ لَنَا. فَقَالَ: اللَّهُمَّ اهْزِمْهُمْ لَنَا، وَاسْتَشْهِدْنِي. قَالَ: فَهَزَمَهُمُ الْمُسْلِمُونَ حَتَّى أَدْخَلُوهُمْ خَنَادِقَهُمْ وَاقْتَحَمُوهَا عَلَيْهِمْ، وَلَجَأَ الْمُشْرِكُونَ إِلَى الْبَلَدِ فَتَحَصَّنُوا بِهِ، وَقَدْ ضَاقَتْ
পৃষ্ঠা - ৫৫৫৬
بِهِمُ الْبَلَدُ، وَطَلَبَ رَجُلٌ مِنْ أَهْلِ الْبَلَدِ الْأَمَانَ مِنْ أَبِي مُوسَى فَأَمَّنَهُ، فَبَعَثَ يَدُلُّ الْمُسْلِمِينَ عَلَى مَكَانٍ يَدْخُلُونَ مِنْهُ إِلَى الْبَلَدِ، وَهُوَ مِنْ مَدْخَلِ الْمَاءِ إِلَيْهَا، فَنَدَبَ الْأُمَرَاءُ النَّاسَ إِلَى ذَلِكَ، فَانْتَدَبَ لِذَلِكَ رِجَالٌ مِنَ الشُّجْعَانِ وَالْأَبْطَالِ، وَجَاءُوا فَدَخَلُوا مَعَ الْمَاءِ - كَالْبَطِّ - إِلَى الْبَلَدِ، وَذَلِكَ فِي اللَّيْلِ، فَيُقَالُ: كَانَ أَوَّلَ مَنْ دَخَلَهَا مِنَ الْمُسْلِمِينَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مُغَفَّلٍ الْمُزَنِيُّ، وَجَاءُوا إِلَى الْبَوَّابِينَ فَأَنَامُوهُمْ وَفَتَحُوا الْأَبْوَابَ، وَكَبَّرَ الْمُسْلِمُونَ فَدَخَلُوا الْبَلَدَ، وَذَلِكَ فِي وَقْتِ الْفَجْرِ إِلَى أَنْ تَعَالَى النَّهَارُ، وَلَمْ يُصَلُّوا الصُّبْحَ يَوْمَئِذٍ إِلَّا بَعْدَ طُلُوعِ الشَّمْسِ، كَمَا حَكَاهُ الْبُخَارِيُّ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ قَالَ: شَهِدْتُ فَتْحَ تُسْتَرَ وَذَلِكَ عِنْدَ إِضَاءَةِ الْفَجْرِ، فَاشْتَغَلَ النَّاسُ بِالْفَتْحِ، فَمَا صَلَّوُا الصُّبْحَ إِلَّا بَعْدَ طُلُوعِ الشَّمْسِ، فَمَا أُحِبُّ أَنَّ لِي بِتِلْكَ الصَّلَاةِ حُمْرَ النَّعَمِ. احْتَجَّ بِذَلِكَ الْبُخَارِيُّ لِمَكْحُولٍ وَالْأَوْزَاعِيِّ فِي ذَهَابِهِمَا إِلَى جَوَازِ تَأْخِيرِ الصَّلَاةِ لِعُذْرِ الْقِتَالِ. وَجَنَحَ إِلَيْهِ الْبُخَارِيُّ، وَاسْتَدَلَّ بِقِصَّةِ الْخَنْدَقِ فِي قَوْلِهِ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «شَغَلُونَا عَنِ الصَّلَاةِ الْوُسْطَى، مَلَأَ اللَّهُ قُبُورَهُمْ وَبُيُوتَهُمْ نَارًا» وَبِقَوْلِهِ يَوْمَ بَنِي قُرَيْظَةَ: «لَا يُصَلِّيَنَّ أَحَدٌ مِنْكُمُ الْعَصْرَ إِلَّا فِي بَنِي
পৃষ্ঠা - ৫৫৫৭


কঠিনভ্যবে তাকে অবরোধ করে ফেলেন ৷ এখন হয়ত তার মৃত্যু, না হয় অবরোধকারী
মুসলমানদের মৃত্যু ৷ তৃতীয় কোন বিকল্প নেই এমন পরিস্থিতি ৷ ইতিমধ্যে তাদের হাতে বারা
ইবন মালিক ও ঘুজযাহ্ ইবন ছাওর শহীদ হন ৷ এ পর্যায়ে হুরমুযান বলল, আমার সাথে একটি
থলে আছে ৷ তাতে ১ :০টি তীর আছে ৷ তোমাদের যে কেউ আমার দিকে অগ্রসর হলে আমি

তাকে লক্ষ্য করে একটি তীর নিক্ষেপ করব তাতে তার মৃত্যু হবে ৷ আমার একটি ভীরও
লক্ষ্যচ্যুত হবে না ৷ একে একে তোমাদের একশত লোক হত্যা করার পর তোমরা আমাকে
হত্যা করতে পারবে ৷ সুতরাং তোমাদের একশত লোক নিহত হবার পর আমাকে বন্দী করে
তোমাদের কতটুকু লাভ হবে ’ মুসলমানগণ বললেন, তবে তুমি কি করতে চাও ? সে বলল,
আমি চইি যে, তে ৷মরা আমাকে নিরাপত্তা দাও, আমি তোমাদের নিকট আত্মসমর্পণ করব ৷
এরপর তোমরা আমাকে খলীফা উমর ইবন খাত্তাবের নিকট নিয়ে যাবে ৷৩ তারপর তিনি যা
ব্যবস্থা সেন নিবেন ৷ মুসলমানগণ তার প্রস্তাবে রাজী হলো ৷ সে তার তীর ধনুক মাটিতে রেখে
দিল ৷ মুসলমানগণ তাকে বন্দী করে নিরাপত্তা রক্ষীদের ত্ত্বতাবধানে খলীফার নিকট প্রেরণ
করলেন ৷ ওখানে যত ধনসম্পদ ও সোনা-দান৷ ছিল গ্ ৷নীমত্রুণ্ ড্র মাল হিসেবে মুসলিম ভৈসন্যগণ
তা হস্তগত করলেন এবং বিধি মৃ৩ তাবিক ষ্ট৫ ৎশ নিজেদের মধ্যে বণ্টন করে নিলেন ৷ তাদের
প্রত্যেক অশ্বারোহী খেলেন ৩০০০ দিরহাম ৷ আর প্রতেকে পদাতিক সেনা পেলেন এক ১০০০
দিরহাম করে ৷

সুইস (সুস) বিজয়
একদল সৈনা নিয়ে আবু সাবরা যাত্রা করলেন ৷ সাথে গেলেন আবু মুসা আশআরী (রা) ও

নুমান ইবন মুকড়াররিন ৷ সাথে নিয়ে গেলেন পারস্য সেনাপতি হুরযুযানকে ৷ তারা পলাতক
পারসিক সৈন্যদের খোজ করছিলেন ৷ যেতে যেতে তারা গিয়ে পৌছলেন সুইস হরে ৷ তারা
শহরটি ঘিরে ফেললেন ৷ বিষয়টি জানিয়ে আবু সাবরা খলীফা উমরের নিকট পত্র লিখলেন :
খলীফা উত্তরে লিখলেন যে,আবু মুসা আশআরী (বা) যেন বসরায় ফিরে যান ৷ খলীফা উমর
(রা) যিরর ইবন আবদুল্লাহ ইবন কালীর আকীমী সাহাবীকে জুনৃদিসাবুর এর দিকে অভিযান
চালানোর নির্দেশ দেন ৷ যিরর যাত্রা করেন ৷ এরপর সেনাপতি আবুসাবরা গনীমতের মালের প্লু৫

ৎশ এবং বন্দী হুরমুযানসহ একটি প্রতিনিধি দল খলীফার দরবারে প্রেরণ করেন ৷ ওই দলে
হযরত আনাস ইবন মালিক ও আহনাফ ইবন কায়স অন্তর্ভুক্ত ছিলেন ৷ মদীনায় নিকটবর্তী স্থানে
উপস্থিত হয়ে সেনাপতি হুরমুযান তার রাজকীয় পোশাক পরিবর্ত্যনর অনুমতি চায় ৷ তারপর সে
তার রেশমী ও স্বর্ণ খচিত ইয়াকুত ও মুত্তো জড়ানাে জামা-কাপড় পরিধান করে ৷ ওই অবস্থায়
তারা মদীনায় প্রবেশ করেন ৷ তারা খলীফার বাসগৃহে আসেন ৷ বাড়িতে তিনি আছেন কিনা তা
জিজ্ঞেস করেন ৷ বলা হলো যে , কুফা থেকে লোকজন আসবে বলে তিনি মসজিদে গিয়েছেন ৷
তারা মসজিদে গেলেন কিন্তু মসজিদে কাউকে দেখলেন না ৷ তইি তারা ফিরে আসছিলেন ৷
কতক শিশু রাস্তায় খেলা করছিল ৷ তাদেরকে জ্যিজ্ঞস করার তারা বলল যে, খলীফা মসজিদ্দেই
আহ্নে৷ ৷ তিনি ঘুমােচ্ছেন টুপিকে বালিশ বানিয়ে ৷ প্রতিনিধি দল পুনরায় মসজিদে গেলেন ৷
তারা দেখতে পলেন যে, ইতিপুর্বে আগত প্রতিনিধি দলের সা খে সাক্ষাত করার জন্যে৩ তিনি যে
টুপি পরিধান করেছিলেন সেটিকে বালিশ বানিয়ে তিনি ঘুমােরুচ্ছা ৷ মসজিদে তিনি ছাড়া অন্য
কেউ ছিল না ৷ তার ২১চাবুকটি তার ৷তে আটকানাে ছিল ৷



قُرَيْظَةَ» فَأَخَّرَهَا فَرِيقٌ مِنَ النَّاسِ إِلَى بَعْدِ غُرُوبِ الشَّمْسِ، وَلَمْ يُعَنِّفْهُمْ. وَقَدْ تَكَلَّمْنَا عَلَى ذَلِكَ فِي غَزْوَةِ الْفَتْحِ. وَالْمَقْصُودُ أَنَّ الْهُرْمُزَانَ لَمَّا فُتِحَ الْبَلَدُ لَجَأَ إِلَى الْقَلْعَةِ فَتَبِعَهُ جَمَاعَةٌ مِنَ الْأَبْطَالِ مِمَّنْ ذَكَرْنَا وَغَيْرُهُمْ، فَلَمَّا حَصَرُوهُ فِي مَكَانٍ مِنَ الْقَلْعَةِ وَلَمْ يَبْقَ إِلَّا تَلَفُهُ أَوْ تَلَفُهُمْ، قَالَ لَهُمْ بَعْدَ مَا قَتَلَ الْبَرَاءَ بْنَ مَالِكٍ وَمَجْزَأَةَ بْنَ ثَوْرٍ، رَحِمَهُمَا اللَّهُ: إِنَّ مَعِيَ جَعْبَةً فِيهَا مِائَةُ سَهْمٍ، وَإِنَّهُ لَا يَتَقَدَّمُ إِلَيَّ أَحَدٌ مِنْكُمْ إِلَّا رَمَيْتُهُ بِسَهْمٍ فَقَتَلْتُهُ، وَلَا يَسْقُطُ لِي سَهْمٌ إِلَّا فِي رَجُلٍ مِنْكُمْ، فَمَاذَا يَنْفَعُكُمْ إِنْ أَسَرْتُمُونِي بَعْدَمَا قَتَلْتُ مِنْكُمْ مِائَةَ رَجُلٍ؟ قَالُوا: فَمَاذَا تُرِيدُ؟ قَالَ: تُؤَمِّنُونِي حَتَّى أُسَلِّمَكُمْ يَدِي فَتَذْهَبُوا بِي إِلَى عُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ فَيَحْكُمَ فِيَّ بِمَا يَشَاءُ. فَأَجَابُوهُ إِلَى ذَلِكَ، فَأَلْقَى قَوْسَهُ وَنُشَّابَهُ وَأَسَرُوهُ، فَشُدُّوهُ وِثَاقًا وَأَرْصَدُوهُ لِيَبْعَثُوهُ إِلَى أَمِيرِ الْمُؤْمِنِينَ عُمَرَ، ثُمَّ تَسَلَّمُوا مَا فِي الْبَلَدِ مِنَ الْأَمْوَالِ وَالْحَوَاصِلِ، فَاقْتَسَمُوا أَرْبَعَةَ أَخْمَاسِهِ، فَنَالَ كُلُّ فَارِسٍ ثَلَاثَةَ آلَافٍ وَكُلُّ رَاجِلٍ أَلْفَ دِرْهَمٍ. [فَتْحُ السُّوسِ] ثُمَّ رَكِبَ أَبُو سَبْرَةَ فِي طَائِفَةٍ مِنَ الْجَيْشِ وَمَعَهُ أَبُو مُوسَى الْأَشْعَرِيُّ وَالنُّعْمَانُ بْنُ مُقَرِّنٍ، وَاسْتَصْحَبُوا مَعَهُمُ الْهُرْمُزَانَ، وَسَارُوا فِي طَلَبِ الْمُنْهَزِمِينَ مِنَ الْفُرْسِ
পৃষ্ঠা - ৫৫৫৮


হুরমুযান বলল, খলীফা উমর কোথায় ৷ বলা হলো, এই যে, তিনি ৷’ সবাই কথা
বলছিল, খুব নিম্নস্বরে যাতে খলীফা জেগে না উঠেন ৷ তার ঘুমের ব্যাঘাত না হয় ৷ হ্বমুযান
বলছিল-তাহলে তার দারোয়ান, নিরাপত্তা য়ক্ষী এগুলো কোথায় ৷’ লোকজন বলল, র্তার
কোন দারােয়ান ও নিরাপত্তা রক্ষী নেই ৷ তার কোন সচিবও নেই, দফতরও যেই ৷ হ্বমৃযান
বলল, তাহলে তার নবী হওয়ইি উচিত ছিল ৷ ’ বলা হলো যে, তিনি নবী হননি বটে কিত্তু কাজ
করেন নৰীদের কাজ ৷ আস্তে আস্তে লোকজনের সংখ্যা বেড়ে গেল ৷ হযরত উমর (রা) ঘুম
থেকে জেগে উঠলেন ৷ সোজা হয়ে বললেন ৷

তারপর হুরমুযানের দিকে তাকিয়ে বললেন, এ কি হুরমুযান ৷’ লোকজন বলল, ছুক্লড়া,
তাই ৷’ তিনি হুরমুযান ও তার বহু মুল্যবান পােশাকের কথা চিন্তা করলেন ৷ তারপর বললেন,
আমি জাহান্নামের আগুন থেকে আল্লাহর নিকট আশ্রয় কামনা করছি ৷ আমি আল্লাহ্র সাহায্য
কামনা করছি ৷ তারপর তিনি বললেন, সকল প্রশংসা মহান আল্লাহ্র যিনি ইসলাম দ্বারা এই
ব্যক্তিও তার মত অন্যদেরকে অবনত করেছেন ৷ হে মুসলিমগণাসু সুদৃঢ়ভাবে এই দীন পালন
কর ৷ তা আকড়ে ধরে রাখ ৷ তোমরা তোমাদের নবীর পথে আসর হও ৷ দুনিয়া ও পার্থিব
জীবন যেন তােমাদেরকে দাস্তিক ও অহংকারী করে না তোলে ৷ কারণ দুনিয়া হলো
গাদ্দার-বেওফা-বিশ্বাসঘাতক ৷ প্রতিনিধি দল বলল, আমীরুল মু’মিনীন৷ এই লোক হুরমুযান,
আহওয়াষের রাজা তার সাথে আলাপ করুন ৷ ’ খলীফা বললেন, “না যতক্ষণ তার দেহে এসব
অহংকারী সাজসজ্জা থাকবে ততক্ষণ আমি তার সাথে কথা বলব না ৷” তইি তারা সকল
সাজ-সজ্জা খুলে তাকে সাধারণ পোশাক পরিয়ে দিল ৷

খলীফা বললেন, হুরমুযান! গাদ্দারী-চুক্তি ভঙ্গের পরিণাম এবং আল্লাহ্র বিধানের পরিণতি
কেমন বুঝলে ৷ সে বলল, হে উমর! যখন জাহেলী যুগ ছিল তখন আমাদের আর আপনাদের
মাঝখানে কোন বাধা ছিল না ৷ আমরা আপনাদের উপর বিজয়ী ছিলাম ৷ প্রাধান্য বিস্তারকারী
ছিলাম ৷ তখন আল্লাহ্ আমাদের পক্ষেও ছিলেন না, আপনাদের পক্ষেও ছিলেন না, এখন
অ গ্রাল্পাহ্ আপনাদের পক্ষে তাই আপনারা আমাদের উপর জয়ী হয়েছেন ৷ ’ উমর (রা) বললেন,
জাহেলী যুগেত্বে তোমরা আমাদের উপর জয়ী হয়েছিলে তোমাদের ঐক্য ও আমাদের বিভেদের
কারণে ৷ তারপর খলীফা বললেন, এক্ষাণ তোমার বারবার চুক্তি ভঙ্গের যুক্তি কী ৷’ হুরমুযান
বলল, আমি তাে আশংকা করছি যে, আমার বক্তব্য শেষ করার আগেই আপনি আমাকে মেরে
ফেলবেন ৷ ’ অভয় দিয়ে খলীফা বললেন “না সে ভয় করো না ৷

হুরমুযান পানি পান করতে চইিল ৷ একটি ৷;মোটা পাত্রে তার জন্যে প নি নিয়ে আসা হলো ৷
সে বলল, আমি যদি পিপাসায় মরেও যইি তবু এই মোটা পাত্রে তাে আমি পানি পান করতে
পারব না ৷ তারপর তার পছন্দমত একটি পাত্রে পানি আনা হলো ৷ সে পাত্র হাতে নিল ৷ তার
হাত বাপছিল ৷ সে বলল, আমি ভয় পাচ্ছি যে, পানি পান করা অবস্থায় আমাকে হত্যা করা
হবে ৷’ খলীফা বললেন, সে ভয় করে৷ না ৷ পানি পান করে নাও ৷ ’ সে পানি পান করল ৷
খলীফা বললেন, ওকে আরো পানি দাও ৷ হত্যা এবং তৃষ্ণা দুটো এক সাথে যেন তার উপর
কার্যকর না হয় ৷ সে বলল, না পানির আর প্রয়োজন নেই ৷ পানি পানের মাধ্যমে আমি


حَتَّى نَزَلُوا عَلَى السُّوسِ فَأَحَاطُوا بِهَا. وَكَتَبَ أَبُو سَبْرَةَ إِلَى عُمَرَ فَجَاءَ الْكِتَابُ بِأَنْ يَرْجِعَ أَبُو مُوسَى إِلَى الْبَصْرَةِ وَأَمَّرَ عُمَرُ زِرَّ بْنَ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ كُلَيْبٍ الْفُقَيْمِيَّ - وَهُوَ صَحَابِيٌّ - أَنْ يَسِيرَ إِلَى جُنْدَيْسَابُورَ، فَسَارَ، ثُمَّ بَعَثَ أَبُو سَبْرَةَ بِالْخُمْسِ وَبِالْهُرْمُزَانِ مَعَ وَفْدٍ فِيهِمْ أَنَسُ بْنُ مَالِكٍ وَالْأَحْنَفُ بْنُ قَيْسٍ، فَلَمَّا اقْتَرَبُوا مِنَ الْمَدِينَةِ هَيَّئُوا الْهُرْمُزَانَ بِلُبْسِهِ الَّذِي كَانَ يَلْبَسُهُ مِنَ الدِّيبَاجِ وَالذَّهَبِ الْمُكَلَّلِ بِالْيَاقُوتِ وَاللَّآلِئِ، ثُمَّ دَخَلُوا الْمَدِينَةَ وَهُوَ كَذَلِكَ، فَتَيَمَّمُوا بِهِ مَنْزِلَ أَمِيرِ الْمُؤْمِنِينَ، فَسَأَلُوا عَنْهُ فَقَالُوا: إِنَّهُ ذَهَبَ إِلَى الْمَسْجِدِ بِسَبَبِ وَفْدٍ مِنَ الْكُوفَةِ. فَجَاءُوا الْمَسْجِدَ فَلَمْ يَرَوْا أَحَدًا فَرَجَعُوا، فَإِذَا غِلْمَانٌ يَلْعَبُونَ فَسَأَلُوهُمْ عَنْهُ، فَقَالُوا: إِنَّهُ نَائِمٌ فِي الْمَسْجِدِ مُتَوَسِّدًا بُرْنُسًا لَهُ. فَرَجَعُوا إِلَى الْمَسْجِدِ فَإِذَا هُوَ مُتَوَسِّدٌ بُرْنُسًا لَهُ كَانَ قَدْ لَبِسَهُ لِلْوَفْدِ، فَلَمَّا انْصَرَفُوا عَنْهُ تَوَسَّدَ الْبُرْنُسَ وَنَامَ وَلَيْسَ فِي الْمَسْجِدِ غَيْرُهُ، وَالدِّرَّةُ مُعَلَّقَةٌ فِي يَدِهِ. فَقَالَ الْهُرْمُزَانُ أَيْنَ عُمَرُ؟ فَقَالُوا: هُوَ ذَا. وَجَعَلَ النَّاسُ يَخْفِضُونَ أَصْوَاتَهُمْ لِئَلَّا يُنَبِّهُوهُ، وَجَعَلَ الْهُرْمُزَانُ يَقُولُ: وَأَيْنَ حُجَّابُهُ، أَيْنَ حَرَسُهُ؟ فَقَالُوا: لَيْسَ لَهُ حُجَّابٌ وَلَا حَرَسٌ، وَلَا كَاتِبٌ وَلَا دِيوَانٌ. فَقَالَ: يَنْبَغِي أَنْ يَكُونَ نَبِيًّا. فَقَالُوا: بَلْ يَعْمَلُ عَمَلَ الْأَنْبِيَاءِ. وَكَبَّرَ النَّاسُ، فَاسْتَيْقَظَ عُمَرُ بِالْجَلَبَةِ فَاسْتَوَى جَالِسًا، ثُمَّ نَظَرَ إِلَى الْهُرْمُزَانِ، فَقَالَ: الْهُرْمُزَانُ؟ قَالُوا: نَعَمْ. فَتَأَمَّلَهُ وَتَأَمَّلَ مَا عَلَيْهِ، ثُمَّ قَالَ: أَعُوذُ بِاللَّهِ مِنَ النَّارِ، وَأَسْتَعِينُ بِاللَّهِ. ثُمَّ قَالَ: الْحَمْدُ لِلَّهِ الَّذِي أَذَلَّ بِالْإِسْلَامِ هَذَا وَأَشْيَاعَهُ، يَا مَعْشَرَ الْمُسْلِمِينَ تَمَسَّكُوا بِهَذَا الدِّينِ، وَاهْتَدَوْا بِهَدْيِ نَبِيِّكُمْ، وَلَا تُبْطِرَنَّكُمُ الدُّنْيَا فَإِنَّهَا غَرَّارَةٌ. فَقَالَ لَهُ الْوَفْدُ:
পৃষ্ঠা - ৫৫৫৯


(চয়েছিলাম কিছুটা বন্ধুত্বের পরিবেশ সৃষ্টি করতে ৷ উমর (রা) বললেন, আমি তাে এখন
তোমাকে হত্যা করব

সে বলল, না, আপনি এখন তা পারবেন না, কারণ আপনি আমাকে নিরাপত্তা দিয়েছেন ৷
খলীফা বললেন, না তো তুমি মিথ্যা বলছ, আমি তোমাকে নিরাপত্তা চ্ছিনি’ ৷ হযরত আনাস
(বা) বললেন, হ্যা, আমিরুল মুমিনীন! সে তো সত্য বলেছে ৷ খলীফা বললেন, আনাসা দুঃখ
তোমার জন্যে আমি কি এমন ঘাতককে নিরাপত্তা দিতে পারি যে বাবা এবং মুজযাহ্কে খুন
করেছে ৷ আনসাে তুমি যা বলেছ তা থেকে নিজেকে ৰ্বাচাবার জন্যে প্রমাণউপস্থিত কর নতুবা
তৃমিও শাস্তি ভোগ করবে ৷ আনাস (রা) বললেন, আমিরুল মু’মিনীন ! আপনি ন্তাে ওকে অভয়
দিয়ে বলেছিলেন, “ভয় করো না তোমার বক্তব্য শেষ না হওয়া পর্যন্ত তোমার কোন ক্ষতি ৩করা
হবে না ৷” আপনি এও বলেছেন যে, “তোমার পানি পান শেষ না হওয়া পর্যন্ত তোমার ক্ষতি
করা হবে না ৷ পাশে যারা ছিল তারাও এ বক্তব্য সমর্থন করল ৷

এবার খলীফা মুখোমুখি হলেন হুরমুযানের এবং বললেন, তুমি আমার সাথে প্রতারণা
করেছ ৷ আল্পাহ্র কসম, ইসলাম কবুল না করা পর্যন্ত আমি তোমাকে ছাড়ব না” ৷ তখন
হুরমুযান ইসলাম গ্রহণ করল“ ৷ খলীফা তার জন্যে দু হাজার দিরহাম ভাতা মঞ্জুর করলেন এবং
মদীনায় বসবাসের ব্যবস্থা করে দিলেন ৷

এক বর্ণনায় এসেছে যে, হযরত উমর (রা) ও হুরমুযানের মাঝে দোভাষীর দায়িত্ব পালন
করেছিলেন মুপীরা ইবন শু বা (রড়া) ৷ উমর (রা) হুরমুযানকে বলেছিলেন, তৃমি কোন দেশের
লোক :’ সে বলেছিল মােহরজানের লোক ৷ খলীফা বললেন, তোমার আত্মপক্ষ সমর্থনে যুক্তি
পেশ কর ৷ সে বলল, জীবিত মানুষ হিসেবে কথা বলব, না নিজেকে মৃত মানুষ জ্ঞান করাে’
খলীফা বললেন, জীবিত জ্ঞানেই কথা বল’ ৷ সে বলল, “এই যে, আপনি আমাকে নিরাপত্তা
দিলেন ৷ ’ খলীফা বললেন, তুমি তাে আমার সাথে প্রতারণা করেছ ৷ ইসলাম কবুল না করা
পর্যন্ত আমি তোমার বক্তব্য গ্রহণ করব না ৷ তারপর সে ইসলাম গ্রহণ করে ৷ খলীফা তার জন্যে
দুই হাজার দিরহাম ভাতা মঞ্জুর করেন এবং মদীনায় বসবাসের ব্যবস্থা করে দেন ৷ এরপর
যায়দ আসেন ৷ তিনিও দোভাষীর ভুমিকা পালন করেন ৷

আমি বলি, ইসলাম গ্রহণের পর থেকে হুরমুযান অত্যন্ত সুন্দরতাবে ইসলামের বিধি-বিধান
পালন করেন ৷ হযরত উমর (রা)-এর নিহত হবার পুর্ব পর্যন্ত তিনি উমর (রা)-এর সাথে
সাথেই থাকতেন ৷ এক পর্যায়ে হযরত উমর (রা) আবুলুলু-এর হাতে শাহাদতবরণ হন ৷ কেউ
কেউ আবুলুলু-এর সাথে হুরমুযান ও জাফীনার গোপন ষড়যগ্রের ফলে খলীফা নিহত হন বলে
হরমুযানকে অভিযুক্ত করা হয় পরবর্তীতে উবায়দুল্লাহ্ ইবন উমর (রা) হুরমুযান এবং
জাফীনাকে হত্যা করেন ৷ এর বিস্তারিত বিবরণ পরে আসবে ৷ বর্ণিত আছে যে, উবায়দুল্লাহ্
যখন হুরসুষানকে হত্যার জন্যে তরবারি উচু করেন তখন হ্বমুযানউচৈষ্কস্বরে বলে উঠে ,“লা
ইলাহা ইল্লাল্লাহ্” আর জ্যফীনা তার মুখে আঘাত করেছিল ৷

মােদ্দাকথা হযরত উমর (রা) মুসলমানদের জন্যে অনারব শহর-নগর পর্যন্ত সাম্রাজ্যের
বিস্তার নিষিদ্ধ করে দিয়েছিলেন ৷ কারণ অনারব লোকদের ব্যাপারে তিনি শংকিত ছিলেন ৷ বিক্ষ্ম
ন্নাহনাফ ইবন কায়স তাকে বােঝালেন যে, পরিস্থিতির চাহিদা হলো নতুন নতুন বিজয় অর্জনের


هَذَا مَلِكُ الْأَهْوَازِ فَكَلِّمْهُ. فَقَالَ: لَا؛ حَتَّى لَا يَبْقَى عَلَيْهِ مِنْ حِلْيَتِهِ شَيْءٌ. فَفَعَلُوا ذَلِكَ وَأَلْبَسُوهُ ثَوْبًا صَفِيقًا، فَقَالَ عُمَرُ: هَيَّ يَا هُرْمُزَانُ! كَيْفَ رَأَيْتَ وَبَالَ الْغَدْرِ وَعَاقِبَةَ أَمْرِ اللَّهِ؟ فَقَالَ: يَا عُمَرُ، إِنَّا وَإِيَّاكُمْ فِي الْجَاهِلِيَّةِ كَانَ اللَّهُ قَدْ خَلَّى بَيْنَنَا وَبَيْنَكُمْ فَغَلَبْنَاكُمْ، إِذْ لَمْ يَكُنْ مَعَنَا وَلَا مَعَكُمْ، فَلَمَّا كَانَ مَعَكُمْ غَلَبْتُمُونَا. فَقَالَ عُمَرُ: إِنَّمَا غَلَبْتُمُونَا فِي الْجَاهِلِيَّةِ بِاجْتِمَاعِكُمْ وَتَفَرُّقِنَا. ثُمَّ قَالَ عُمَرُ: مَا عُذْرُكَ وَمَا حُجَّتُكَ فِي انْتِقَاضِكَ مَرَّةً بَعْدَ مَرَّةٍ؟ فَقَالَ: أَخَافُ أَنْ تَقْتُلَنِي قَبْلَ أَنْ أُخْبِرَكَ. قَالَ: لَا تَخَفْ ذَلِكَ. وَاسْتَسْقَى الْهُرْمُزَانُ مَاءً، فَأُتِيَ بِهِ فِي قَدَحٍ غَلِيظٍ، فَقَالَ: لَوْ مُتُّ عَطَشًا لَمْ أَسْتَطِعْ أَنْ أَشْرَبَ فِي هَذَا. فَأُتِيَ بِهِ فِي قَدَحٍ آخَرَ يَرْضَاهُ، فَلَمَّا أَخَذَهُ جَعَلَتْ يَدُهُ تَرْعَدُ، وَقَالَ: إِنِّي أَخَافُ أَنْ أُقْتَلَ وَأَنَا أَشْرَبُ. فَقَالَ عُمَرُ: لَا بَأْسَ عَلَيْكَ حَتَّى تَشْرَبَهُ. فَأَكْفَأَهُ، فَقَالَ عُمَرُ: أَعِيدُوهُ عَلَيْهِ، وَلَا تَجْمَعُوا عَلَيْهِ الْقَتْلَ وَالْعَطَشَ. فَقَالَ: لَا حَاجَةَ لِي فِي الْمَاءِ، إِنَّمَا أَرَدْتُ أَنْ أَسْتَأْنِسَ بِهِ. فَقَالَ لَهُ عُمَرُ: إِنِّي قَاتِلُكَ. فَقَالَ: إِنَّكَ أَمَّنْتَنِي. قَالَ: كَذَبْتَ. فَقَالَ أَنَسٌ: صَدَقَ يَا أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ. فَقَالَ عُمَرُ: وَيْحَكَ يَا أَنَسُ، أَنَا أُؤَمِّنُ قَاتِلَ مَجْزَأَةَ وَالْبَرَاءِ لَتَأْتِيَنِّي بِمَخْرَجٍ أَوْ لَأُعَاقِبَنَّكَ. قَالَ: قُلْتَ: لَا بَأْسَ عَلَيْكَ حَتَّى تُخْبِرَنِي. وَقُلْتَ: لَا بَأْسَ عَلَيْكَ حَتَّى تَشْرَبَهُ. وَقَالَ لَهُ مَنْ حَوْلَهُ مِثْلَ ذَلِكَ. فَأَقْبَلَ عَلَى الْهُرْمُزَانِ،
পৃষ্ঠা - ৫৫৬০


মাধ্যমে মুসলিম সাম্রাজ্য বিস্তার করা ৷ কারণ সম্রাট ইয়ায়দগির্দ মুসলমানদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ
করার জন্যে তার অনুসারীদেরকে বরাবর প্রারাচনা দিয়ে যাচ্ছে ৷ ওদেরকে যদি সমুলে উৎখাত
করা না যায় তাহলে তারা ইসলাম ধ্বংস করা ও মুসলিম রাজ্যগুলো দখল করার লোভ করবে ৷
আহনাফ ইবন কায়সের যুক্তি খলীফার পছন্দ হয় এবং তিনি যুক্তিটি সঠিক বলে বিবেচনা
করেন ৷ তারপর মুসলিম সৈন্যদেরকে অনারব রাজ্য জয় করে মুসলিম সাম্রাজ্য সম্প্রসারিত
করার অনুমতি দিলেন ৷ এই প্রেক্ষিতে মুসলমানগণ বহু রজ্যে জয় করেন ৷ সকল প্রশংসা মহান
আল্লাহর ৷ অধিকাৎশ রাজ্য জয় হয় হিজরী ১৮ সালে ৷ তার বিবরণ শিগৃগিরই আসবে
ইনশাআল্লাহ্ ৷
আমরা আবার সুইস, জুন্দি সাবুর ও নিহাওয়ান্দ বিজয়ের আলোচনায় যাচ্ছি ৷ ইতিপুর্বে
আমরা আলোচনা করেছি যে, আবু সাবরা তার সাথে থাকা শীর্ষস্থানীয় ব্যক্তিবর্গ ও একদল
সৈনিক নিয়ে তুসতার থেকে সুইস অভিমুখে যাত্রা করেন ৷ এক পর্যায়ে তারা সেখানে গিয়ে
পৌছেন ৷ উভয় পক্ষে তুমুল যুদ্ধ হয় ৷ ওই যুদ্ধে দুপক্ষেরই বহু লোক হতাহত হয় ৷ এক সময়
ওই দেশের বিজ্ঞজনেরা উপরে উঠে বলল, হে মুসলযানগণ৷ আপনারা লাগাতার এই শহর
অবরোধ করে রাখবেন না ৷ কারণ আমাদের এই শহরের প্রবীণ লোকদের মুখ থেকে আমরা
বংশ পরম্পরড়ায় যা শুনে এসেছি তা আমরা প্রাধান্য দিই ৷ আর তা হলো দইজ্জাল নিজে কিংবা
যে দলের সাথে দাজ্জাল থাকবে যে দল ছাড়া অন্য £ন্টে এই শহর জয় করতে পারবে না ৷
ঘটনাক্রমে আবু মুসা আশআরী (রা)-এর দলে সাফ ইবন সায়াদ ছিল ৷ আবু মুসা (বা)
অবরোধকারীদের সহযোগিতার জন্যে তাকে পাঠালেন ৷ সে ওদের দুর্গের দরজায় এসে এমন
একটি লাথি মোরছিল যে, লোহার শিকল-চেইন সব ছিড়ে ছিন্নবিচ্ছিন্ন হয়ে যায় ৷ তালুাগুলো
ভেঙ্গে ছিটকে পড়ে ৷ মুসলমানগণ দলে দলে শহরের মধ্যে ঢুকে পড়েন এবং যাকে পেয়েছেন
তাকেই কতল করেছেন ৷ শেষ পর্যন্ত তারা নিরাপত্তা লাভ ও সন্ধি চুক্তির প্রস্তাব দেয় ৷
মুসলমত্ত্বনগণ প্রস্তাব গ্রহণ করেন ৷ তখন সুইস শহরের রাজা ছিলশাহ্বিয়ার, সে ছিল
হুরমুযানের ভাই ৷ মুসলমানগণ সুইস নগরীতে আধিপত্য বিস্তার করেন ৷ এটি পৃথিবীতে একটি
সুপ্রাচীন নগরী ৷ কেউ কেউ বলেছেন যে, এটি পৃথিবীর সর্বপ্রথম শহর ৷ আল্লাহ্ই ভাল
জানেন ৷
ইবন জারীর (র) বলেন, মুসলমানগণ সুইস নগরীতে দানিয়ালের কবর খুজে পেয়েছিলেন ৷
সেনাপতি আবু সাবরাহ জুনদি সাবুর চলে যাবার পর আবু মুসা (রা) সুইস নগরীতে আসেন ৷
তিনি দানিয়েলের বিষয়টি খলীফহ্বকে লিখে জানান ৷ উত্তরে খলীফা লিখলেন যে, ওকে দাফন
করে দাও এবং তার কবরের স্থানটি মানুষের নিকট অজ্ঞাত রাখে ৷ আবু মুসা (রা) তাই
করলেন ৷ সীরাত-ই-উমর গ্রন্থের মধ্যে আমরা বিষয়টি বিস্তারিত আলোচনা করেছি ৷
ইবন জারীর বলেছেন যে, ক্লারো কারো মতে সুইস, ও বাম হুরমুয বিজয় এবং হ্বমুযানের
তুসতার থেকে খলীফার দরবারে উপস্থিতি এসব ঘটনা ঘটেছে ২০ হিজরী সনে ৷ আল্লাহ ভাল
জানেন ৷
খলীফা উমর (রা) চিঠির মাধ্যমে নির্দেশ দিয়েছিলেন যে, নুমান ইবন মুকাররিন ,
নিহাওয়ান্দের উদ্দেশ্যে অভিযান পরিচালনা করবেন ৷ নির্দেশ অনুযায়ী তিনি যাত্রা করলেন ৷


فَقَالَ: خَدَعْتَنِي، وَاللَّهِ لَا أَنْخَدِعُ إِلَّا أَنْ تُسْلِمَ، فَأَسْلَمَ، فَفَرَضَ لَهُ فِي أَلْفَيْنِ وَأَنْزَلَهُ الْمَدِينَةَ. وَفِي رِوَايَةٍ أَنَّ التَّرْجُمَانَ بَيْنَ عُمَرَ وَبَيْنَ الْهُرْمُزَانِ كَانَ الْمُغِيرَةَ بْنَ شُعْبَةَ، فَقَالَ لَهُ عُمَرُ: قُلْ لَهُ: مِنْ أَيِّ أَرْضٍ أَنْتَ؟ فَقَالَ: مِهْرِجَانِيٌّ. قَالَ: تَكَلَّمْ بِحُجَّتِكَ. فَقَالَ: أَكَلَامُ حَيٍّ أَمْ مَيِّتٍ؟ قَالَ: بَلْ كَلَامُ حَيٍّ. فَقَالَ: قَدْ أَمَّنْتَنِي. فَقَالَ: خَدَعْتَنِي وَلَا أَقْبَلُ ذَلِكَ إِلَّا أَنْ تُسْلِمَ. فَأَسْلَمَ فَفَرَضَ لَهُ أَلْفَيْنِ وَأَنْزَلَهُ الْمَدِينَةَ. ثُمَّ جَاءَ زَيْدٌ فَتَرْجَمَ بَيْنَهُمَا أَيْضًا. قُلْتُ: وَقَدْ حَسُنَ إِسْلَامُ الْهُرْمُزَانِ، وَكَانَ لَا يُفَارِقُ عُمَرَ حَتَّى قُتِلَ عُمَرُ، فَاتَّهَمَهُ بَعْضُ النَّاسِ بِمُمَالَأَةِ أَبِي لُؤْلُؤَةَ هُوَ وَجُفَيْنَةُ، فَقَتَلَ عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ عُمَرَ الْهُرْمُزَانَ وَجُفَيْنَةَ، عَلَى مَا سَيَأْتِي تَفْصِيلُهُ. وَقَدْ رُوِّينَا أَنَّ الْهُرْمُزَانَ لَمَّا عَلَاهُ عُبَيْدُ اللَّهِ بِالسَّيْفِ قَالَ: لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ وَأَمَّا جُفَيْنَةُ فَصَلَّبَ عَلَى وَجْهِهِ. وَالْمَقْصُودُ أَنَّ عُمَرَ كَانَ يَحْجُرُ عَلَى الْمُسْلِمِينَ أَنْ يَتَوَسَّعُوا فِي بِلَادِ الْعَجَمِ؛ خَوْفًا عَلَيْهِمْ مِنَ الْعَجَمِ، حَتَّى أَشَارَ عَلَيْهِ الْأَحْنَفُ بْنُ قَيْسٍ بِأَنَّ الْمَصْلَحَةَ تَقْتَضِي تَوَسُّعَهُمْ فِي الْفُتُوحَاتِ، فَإِنَّ الْمَلِكَ يَزْدَجِرْدَ لَا يَزَالُ يَسْتَحِثُّهُمْ عَلَى قِتَالِ الْمُسْلِمِينَ، وَإِنْ لَمْ يُسْتَأْصَلْ سَاقُ الْعَجَمِ وَإِلَّا طَمِعُوا فِي الْإِسْلَامِ
পৃষ্ঠা - ৫৫৬১


নিহাওয়ান্দ পৌছার পুর্বে তারা মাহ নামের এক সুবিশাল নগরীতে গিয়ে পৌছলেন ৷ তারা ওই
নগরী জয় করলেন ৷ তারপর নিহাওয়ান্দ গিয়ে সেটি দখল করলেন ৷

আমি বলি, প্রসিদ্ধ অভিমত হলো নিহাওয়ান্দ বিজয়ের ঘটনা ঘটেছিল ২১ হিজরী সনে ৷
তার বর্ণনা অচিরেই আসবে ইনশাআল্লাহ্ ৷ এটি একটি বিরাট ঘটনা ৷ এটি একটি বিশাল ,
বিজয়, এক বিস্ময়কর ইতিহাস ৷

যিব্র ইবন আবদুল্লাহ ফরকীমী জুনৃদী-সাবুর নগর অধিকার করেন এবং এই অঞ্চলের
অন্যান্য শহরে-নগরে মুসলমানদের জোরালো কর্ত্যছু প্রতিষ্ঠা করেন ৷

এদিকে মুসলমানদের একের পর এক রাজ্য জয়ে অস্থির হয়ে সম্রাট ইয়াযদপিরদ এক স্থান
থেকে অন্য স্থানে পালিয়ে বেড়াচ্ছিল ৷ এক পর্যায়ে সে ইস্পাহানে বসবাস করতে শুরু করে ৷
তার শীর্ষস্থানীয় সাথীদের প্রায় ৩০০ জনের একটি দলও তার সাথে সাথে দেশ থেকে দেশান্তরে
পালিয়ে বেড়াচ্ছিল ৷ ওদের নেত ৷ ছিল সিয়াহ ৷ ইতিমধ্যে মুসলমানগণ তুসতার ও ইসতাখার
জয় করে নেন ৷ একদিন সিয়াহ তার সহচরদেরকে বলল, ওই যে মুসলিম সম্প্রদায় তারা এক
সময়ে অনেক অপমান ও লাঞ্চুনা সহ্য করেছিল ৷ এখন তো তারা প্রাচীন রাজা-বড়াদশাহদের
সকল শহর নগর ও রাজ্য দখল করে নিচ্ছে ৷ যে কোন শত্রুপক্ষের বিরুদ্ধে যুদ্ধে তারা
প্রতিপক্ষকে অনায়াসে পরাজিত করে চলেছে ৷ আল্লাহর কসম! এটি কোন বাতিল ও অসত
মতবাদ নয় ৷ বস্তুত তার অন্তরে ইসলামের প্রতি আকর্ষণ সৃষ্টি হয়েছিল ৷ ইসলামের গুরুতৃও
মাহাত্ম্য তার অম্ভরে স্থান করে নিয়েছিল ৷ তার সাথিগণ বলল, আপনার কথার সাথে আমরা
একমত ৷ ইতিমধ্যে আম্মার ইবন ইয়াসির ওদেরকে আল্লাহর প্রতি আহ্বান জানিয়ে লোক
পাঠালেন ৷ তারা হযরত আবু মুসা আশআরী (রা)-এর নিকট ইসলাম গ্রহণে সম্মতি জানিয়ে
লোক পাঠান ৷ আবু মুসা (বা) তাদের ঘটনা খলীফাকে জানালেন ৷ খলীফা ওদের প্রস্তাব গ্রহণ
এবং ওদের প্রত্যেকের জন্যে দুহাজার করে ভাতা মঞ্জুরের নির্দেশ দেন ৷ এদের মধ্যে ছয়জনের
জন্যে ২৫০০ দিরহড়াম করে ভাতা মঞ্জুর করা হয় ৷ তারপর তীরা সকলে সুন্দর ও পরিপুর্ণভারে
ইসলামের বিধানাবলী পালন করেন ৷

নিজেদের গোত্রভুক্ত অগ্নি উপাসকদের বিরুদ্ধে একটি যুদ্ধ পরিচালনার ক্ষোভ তাদের মনে
গুমরে মরছিল ৷ একদিন তারা স্বগােত্রীয় অগ্নি উপাসকদের একটি দুর্গ অবরোধ করে ৷ কিন্তু
দুর্গটি ছিল খুবই সুরক্ষিত ৷ কােনক্রমেই তারা ভেতরে প্রবেশ করতে সক্ষম হচ্ছিল না ৷ তাদের
একজন নিজের জামা-কাপড়ে রক্ত মেখে রাতের বেলা নিজেকে দুর্গের দরজায় ফেলে রাখে ৷
দুর্গের অভ্যম্ভরস্থু লোকেরা তাকে দেখে মনে করল যে, এই তো আমাদের লোক ৷ তার ভেতরে
প্রবেশের জন্যে তারা দুর্গের দরজা খুলে দেয় ৷ সুযোগ পেয়ে অবিলম্বে সে দারােয়ানের উপর
আক্রমণ করে তাকে হত্যা করে ৷ ইতিমধ্যে তার অবগ্রিষ্টি সাথিগণ সেখানে গিয়ে পৌছে ৷ সে
তাদের জন্যে দরজা খুলে দেয়৷ সকলে ভেতরে প্রবেশ করে এবং যত অগ্নি উপাসককে
পেয়েছে সকলকে হত্যা করেছে ৷ এমন আশ্চর্যজনক ঘটনাবলী সেখানে ঘটেছে ৷ মহান আল্লাহ
যাকে চান সরল পথের দিশা প্রদান করেন ৷

ইবন জারীর উল্লেখ করেছেন যে, পারসিকদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে ওদের দেশ জয় করে
মুসলিম সাম্রাজ্য সম্প্রসারিত করার জন্যে খলীফা উমর (রা) ইরাকে ও খুরাসানে নিজ হাতে


وَأَهْلِهِ، فَاسْتَحْسَنَ عُمَرُ ذَلِكَ مِنْهُ وَصَوَّبَهُ، وَأَذِنَ لِلْمُسْلِمِينَ فِي التَّوَسُّعِ فِي بِلَادِ الْعَجَمِ، فَفَتَحُوا بِسَبَبِ ذَلِكَ شَيْئًا كَثِيرًا، وَلِلَّهِ الْحَمْدُ. وَأَكْثَرُ ذَلِكَ وَقَعَ فِي سَنَةِ ثَمَانِي عَشْرَةَ، كَمَا سَيَأْتِي بَيَانُهُ فِيهَا. ثُمَّ نَعُودُ إِلَى فَتْحِ السُّوسِ وَجُنْدَيْسَابُورَ وَفَتْحِ نَهَاوَنْدَ فِي قَوْلِ سَيْفٍ، كَانَ قَدْ تَقَدَّمَ أَنَّ أَبَا سَبْرَةَ سَارَ بِمَنْ مَعَهُ مِنْ عِلْيَةِ الْأُمَرَاءِ مِنْ تُسْتَرَ إِلَى السُّوسِ فَنَازَلَهَا حِينًا، وَقُتِلَ مِنَ الْفَرِيقَيْنِ خَلْقٌ كَثِيرٌ، فَأَشْرَفَ عَلَيْهِ عُلَمَاءُ أَهْلِهَا فَقَالُوا: يَا مَعْشَرَ الْمُسْلِمِينَ، لَا تَتْعَبُوا فِي حِصَارِ هَذَا الْبَلَدِ فَإِنَّا نَأْثُرُ فِيمَا نَرْوِيهِ عَنْ قُدَمَائِنَا مِنْ أَهْلِ هَذَا الْبَلَدِ أَنَّهُ لَا يَفْتَحُهُ إِلَّا الدَّجَّالُ أَوْ قَوْمٌ مَعَهُمُ الدَّجَّالُ. وَاتَّفَقَ أَنَّهُ كَانَ فِي جَيْشِ أَبِي مُوسَى الْأَشْعَرِيِّ صَافُ بْنُ صَيَّادٍ، فَأَرْسَلَهُ أَبُو مُوسَى فِي مَنْ يُحَاصِرُ، فَجَاءَ إِلَى الْبَابِ فَدَقَّهُ بِرِجْلِهِ، فَتَقَطَّعَتِ السَّلَاسِلُ، وَتَكَسَّرَتِ الْأَغْلَاقُ، وَدَخَلَ الْمُسْلِمُونَ الْبَلَدَ فَقَتَلُوا مَنْ وَجَدُوا حَتَّى نَادَوْا بِالْأَمَانِ وَدَعَوْا إِلَى الصُّلْحِ، فَأَجَابُوهُمْ إِلَى ذَلِكَ، وَكَانَ عَلَى السُّوسِ شَهْرِيَارُ أَخُو الْهُرْمُزَانِ، فَاسْتَحْوَذَ الْمُسْلِمُونَ عَلَى السُّوسِ، وَهُوَ بَلَدٌ قَدِيمُ الْعِمَارَةِ فِي الْأَرْضِ، يُقَالُ: إِنَّهُ أَوَّلُ بَلَدٍ وُضِعَ عَلَى وَجْهِ الْأَرْضِ. وَاللَّهُ أَعْلَمُ. وَذَكَرَ ابْنُ جَرِيرٍ أَنَّهُمْ وَجَدُوا قَبْرَ دَانْيَالَ بِالسُّوسِ، وَأَنَّ أَبَا مُوسَى لَمَّا أَقَامَ
পৃষ্ঠা - ৫৫৬২


মুসলিম বাহিনীর বড় বড় পতাকা বেধে দিয়েছিলেন ৷ এই পরামর্শ দিয়েছিলেন আহনাফ ইবন
কায়স ৷ এই প্রেক্ষিতে পরবর্তী বছরে অর্থাৎ ১৮ হিজরী সনে বহু বিজয় সংঘটিত হয় ৷ বহু দেশ,
রাজ্য ও শহর-নগর মুসলমানদের অধিকারে আসে ৷ আমরা শিগগিরই সেগুলো বর্ণনা করব ৷
ইনৃশাআল্লাহ্, সকল প্রশংসা মহান আল্লাহর ৷

ইবন জারীর বলেন, এই বছর অর্থাৎ ১৭ হিজরী সনে আমীরুল মু’মিনীন খলীফা উমর
ইব ন খাত্তাব (রা) নিজে আমীরুল হজ্জ হয়ে লোকজন নিয়ে হজ্জ সম্পাদন করেন ৷ তার হত্তজ্জ
যাবার সময়ে বিভিন্ন রাজেদ্র র্তারাই শাসনকর্তা ছিলেন যারা পুর্ববর্তী বছরের হরুজ্জর সময়
শাসনকর্তা ছিলেন ৷ তবে শুধু বসরাতে মুগীরাৱ পরিবর্তে আবু মুসা আশআরী শাসনকর্তার
দায়িত্ব পালন করেছিলেন ৷

আমি বলি, এই বছরে কতক নামজাদা লোকের ওফাত হয় ৷ কিন্তু তাদের ওফাতের সন
সম্পর্কে দ্বিমত আছে ৷ কেউ কেউ বলেছেন, তারা এর পুববর্তী বছর মারা গেছেন, কেউ কেউ
বলেছেন র্তারা এর পুর্ববর্তী বছর মারা গেছেন ৷ কেউ বল্যেছা, পরবর্তী বছর মারা গেছেন ৷
আমরা যথাস্থানে তাদের কথা উল্লেন্৷ করব ৷ আল্লাহ্ ভাল জানেন ৷


بِهَا بَعْدَ مُضِيِّ أَبِي سَبْرَةَ إِلَى جُنْدَيْسَابُورَ، كَتَبَ إِلَى عُمَرَ فِي أَمْرِهِ، فَكَتَبَ إِلَيْهِ أَنْ يَدْفِنَهُ وَأَنْ يُغَيِّبَ عَنِ النَّاسِ مَوْضِعَ قَبْرِهِ، فَفَعَلَ. وَقَدْ بَسَطْنَا ذَلِكَ فِي " سِيرَةِ عُمَرَ " وَلِلَّهِ الْحَمْدُ. قَالَ ابْنُ جَرِيرٍ وَقَالَ بَعْضُهُمْ: إِنَّ فَتْحَ السُّوسِ وَرَامَهُرْمُزَ وَتَسْيِيرَ الْهُرْمُزَانِ مِنْ تُسْتَرَ إِلَى عُمَرَ، فِي سَنَةِ عِشْرِينَ. وَاللَّهُ أَعْلَمُ. وَكَانَ الْكِتَابُ الْعُمَرِيُّ قَدْ وَرَدَ بِأَنَّ النُّعْمَانَ بْنَ مُقَرِّنٍ يَذْهَبُ إِلَى أَهْلِ نَهَاوَنْدَ فَسَارَ إِلَيْهَا فَمَرَّ بِمَاةَ - بَلْدَةٍ كَبِيرَةٍ قَبْلَهَا - فَافْتَتَحَهَا ثُمَّ ذَهَبَ إِلَى نَهَاوَنْدَ فَفَتَحَهَا. وَلِلَّهِ الْحَمْدُ قُلْتُ: الْمَشْهُورُ أَنَّ فَتْحَ نَهَاوَنْدَ إِنَّمَا وَقَعَ فِي سَنَةِ إِحْدَى وَعِشْرِينَ، كَمَا سَيَأْتِي فِيهَا بَيَانُ ذَلِكَ، وَهِيَ وَقْعَةٌ عَظِيمَةٌ، وَفَتْحٌ كَبِيرٌ، وَخَبَرٌ غَرِيبٌ، وَنَبَأٌ عَجِيبٌ. وَفَتَحَ زِرُّ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ الْفُقَيْمِيُّ مَدِينَةَ جُنْدَيْسَابُورَ، فَاسْتَوْسَقَتْ تِلْكَ الْبِلَادُ لِلْمُسْلِمِينَ. هَذَا وَقَدْ تَحَوَّلَ يَزْدَجِرْدُ مِنْ بَلَدٍ إِلَى بَلَدٍ، حَتَّى انْتَهَى أَمْرُهُ إِلَى الْإِقَامَةِ بِأَصْبَهَانَ، وَقَدْ كَانَ صَرَفَ طَائِفَةً مِنْ أَشْرَافِ أَصْحَابِهِ قَرِيبًا مِنْ ثَلَاثِمِائَةٍ مِنَ الْعُظَمَاءِ عَلَيْهِمْ رَجُلٌ يُقَالُ لَهُ: سِيَاهُ. فَكَانُوا يَفِرُّونَ مِنَ الْمُسْلِمِينَ مِنْ بَلَدٍ إِلَى بَلَدٍ، حَتَّى فَتَحَ الْمُسْلِمُونَ تُسْتَرَ وَإِصْطَخْرَ، فَقَالَ سِيَاهُ لِأَصْحَابِهِ: إِنَّ هَؤُلَاءِ بَعْدَ الشَّقَاءِ وَالذِّلَّةِ مَلَكُوا أَمَاكِنَ الْمُلُوكِ الْأَقْدَمِينَ، وَلَا يَلْقَوْنَ جُنْدًا إِلَّا كَسَرُوهُ، وَاللَّهِ مَا هَذَا عَنْ بَاطِلٍ. وَدَخَلَ فِي قَلْبِهِ الْإِسْلَامُ وَعَظَمَتُهُ، فَقَالُوا لَهُ: نَحْنُ تَبَعٌ لَكَ. وَبَعَثَ عَمَّارُ بْنُ
পৃষ্ঠা - ৫৫৬৩
يَاسِرٍ فِي غُبُونِ ذَلِكَ يَدْعُوهُمْ إِلَى اللَّهِ، فَأَرْسَلُوا إِلَى أَبِي مُوسَى الْأَشْعَرِيِّ بِإِسْلَامِهِمْ، وَكَتَبَ فِيهِمْ إِلَى عُمَرَ فِي ذَلِكَ، فَأَمَرَهُ أَنْ يَفْرِضَ لَهُمْ فِي أَلْفَيْنِ أَلْفَيْنِ، وَفَرَضَ لِسِتَّةٍ مِنْهُمْ فِي أَلْفَيْنِ وَخَمْسِمِائَةٍ، وَحَسُنَ إِسْلَامُهُمْ. وَكَانَ لَهُمْ نِكَايَةٌ عَظِيمَةٌ فِي قِتَالِ قَوْمِهِمْ، حَتَّى بَلَغَ مِنْ أَمْرِهِمْ أَنَّهُمْ حَاصَرُوا حِصْنًا فَامْتَنَعَ عَلَيْهِمْ، فَجَاءَ أَحَدُهُمْ فَرَمَى بِنَفْسِهِ فِي اللَّيْلِ عَلَى بَابِ الْحِصْنِ وَضَمَّخَ ثِيَابَهُ بِدَمٍ، فَلَمَّا نَظَرُوا إِلَيْهِ حَسِبُوا أَنَّهُ مِنْهُمْ، فَفَتَحُوا لَهُ بَابَ الْحِصْنِ لِيُؤْوُوهُ، فَثَارَ إِلَى الْبَوَّابِ فَقَتَلَهُ، وَجَاءَ بَقِيَّةُ أَصْحَابِهِ فَفَتَحُوا ذَلِكَ الْحِصْنَ، وَقَتَلُوا مَنْ فِيهِ مِنَ الْمَجُوسِ. إِلَى غَيْرِ ذَلِكَ مِنَ الْأُمُورِ الْعَجِيبَةِ، وَاللَّهُ يَهْدِي مَنْ يَشَاءُ إِلَى صِرَاطٍ مُسْتَقِيمٍ. وَذَكَرَ ابْنُ جَرِيرٍ أَنَّ عُمَرَ بْنَ الْخَطَّابِ عَقَدَ الْأَلْوِيَةِ وَالرَّايَاتِ الْكَثِيرَةَ فِي بِلَادِ خُرَاسَانَ وَالْعِرَاقِ لِغَزْوِ الْفُرْسِ وَالتَّوَسُّعِ فِي بِلَادِهِمْ، كَمَا أَشَارَ عَلَيْهِ بِذَلِكَ الْأَحْنَفُ بْنُ قَيْسٍ، فَحَصَلَ بِسَبَبِ ذَلِكَ فُتُوحَاتٌ كَثِيرَةٌ فِي السَّنَةِ الْمُسْتَقْبَلَةِ بَعْدَهَا، كَمَا سَنُبَيِّنُهُ وَنُنَبِّهُ عَلَيْهِ. وَلِلَّهِ الْحَمْدُ وَالْمِنَّةُ. قَالَ: وَحَجَّ بِالنَّاسِ فِي هَذِهِ السَّنَةِ أَمِيرُ الْمُؤْمِنِينَ عُمَرُ بْنُ الْخَطَّابِ ثُمَّ ذَكَرَ نُوَّابَهُ عَلَى الْبِلَادِ، وَهُمْ مَنْ ذَكَرَ فِي السَّنَةِ قَبْلَهَا غَيْرَ الْمُغِيرَةِ، فَإِنَّ عَلَى الْبَصْرَةِ بَدَلَهُ أَبَا مُوسَى الْأَشْعَرِيَّ قُلْتُ: وَقَدْ تُوُفِّيَ فِي هَذِهِ السَّنَةِ أَقْوَامٌ، قِيلَ: إِنَّهُمْ تُوُفُّوا قَبْلَهَا. وَقَدْ ذَكَرْنَاهُمْ. وَقِيلَ: فِيمَا بَعْدَهَا. وَسَيَأْتِي ذِكْرُهُمْ فِي أَمَاكِنِهِمْ. وَاللَّهُ تَعَالَى أَعْلَمُ.