আল বিদায়া ওয়া আন্নিহায়া

ثم دخلت سنة ست عشرة

পৃষ্ঠা - ৫৫০১

১৬ হিজরী সাল

এই হিজরী সনের যখন আগমন ঘটল তখন হযরত সাদ ইবন আবী ওয়ড়াক্কাস (বা)
নাহারশীর শহরে অবস্থান করছিলেন ৷ পারস্য সম্রাটের দু’টো নামকরা শহরের এটি একটি ৷
এটি দাজলা নদীর পশ্চিম তীরে অবস্থিত ৷ ১৫ হিজরী সনের যুলহাজ্জ মাসে তিনি এই শহরে
আগমন করেন ৷ তিনি ওখানে থাকা অবস্থায় ১৬ হিজরী সন শুরু হয় ৷ তিনি তার সেনা অভিযান
ও চারিদিকে অশ্বারোহী বাহিনী প্রেরণ অব্যাহত রাখেন ৷ কিন্তু ণ্কানখানে কোন শত্রু সৈন্যের
অস্তিত্ব খুজে পাওয়া যায়নি ৷ বরং মুসলিম সৈন্যরা এক লাখের মত কৃষক ধরে নিয়ে আসে এবং
তাদেরকে বন্দী করে রাখে ৷ খলীফা উমর (রা)-এর নিকট চিঠি লিখে জানতে চাওয়া হয় যে,
এদের ব্যাপারে কী সিদ্ধান্ত নেয়া যায় ৷ খলীফা উমর (রা) লিখলেন যে, যারা নিরীহ কৃষক
আপনাদের বিরুদ্ধে কোন শক্রকে সাহায্য করেনি, নিজ শহরে অবস্থান করছিল তারা নিরাপত্তা
পাবে ৷ আর যারা পালিয়ে গিয়েছিল আপনারা খুজে খুজে ধরে নিয়ে এসেছেন তারাও নিরাপত্তা
পাবে ৷ এরপর সেনপতি সাদ (রা) ওদেরকে ইসলাম গ্রহণের আবেদন জানিয়ে ছেড়ে দিলেন ৷
ওরা ইসলাম গ্রহণ করেনি বরং জিয্য়া কর দিতে রাজী হয়েছিল ৷ ফলে দাজলা নদীর পশ্চিম
তীর থেকে আরব ভুমি পর্যন্ত যত কৃষক ছিল সকলে জিযয়দ্ব করের আওতায় এসে গেল ৷

কিন্তু নাহড়ারশীর শহর জয় করতে গিয়ে সাদ (বা) ভীষণ প্রতিরোধের সম্মুখীন হন ৷
সেনাপতি সাদ ওই অভিযানে হযরত সালমান ফারসী (রা)-কে প্রেরণ করেছিলেন সেনাপতি
হিসেবে ৷ তিনি ওদেরকে আল্লাহর পথে আমার আহ্বান জানান ৷ অন্যথায় জিয্য়া কর প্রদানে
নতুবা যুদ্ধের জন্যে প্রস্তুত হতে বলেন ৷ ওরা যুদ্ধ ছাড়া অন্য প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে ৷
মুসলমানদের আক্রমণ প্রতিহত করার জন্যে তারা কামান জাতীয় ক্ষেপণাস্ত্র ও অন্যান্য সমরাস্ত্র
নিয়োজিত করে ৷ সেনাপতি সড়াদ (রা) ওদের মুকাবিলায় মুসলমানদেরকে কতক কামান জাতীয়
ক্ষেপণাস্ত্র তৈরির নির্দেশ দেন ৷ নির্দেশ মুতাবিক ২০টি কামান তৈরি করা হয় ৷ এগুলো
নাহারশীর এর দিকে তাক করে বসানো হয় ৷ মুসলমানগণ ওই নগরের অধিবাসীদের বিরুদ্ধে
কঠোর অবরোধ আরোপ করে ৷ অন্যদিকে ওরাও দৃঢ় প্রত্যয় নিয়ে যুদ্ধে লিপ্ত হয় ৷ তারা দুর্গ
থেকে বেরিয়ে এসে যুদ্ধ পরিচালনা করে আবার দুর্গে ঢুকে পড়ে ৷ তারা কলম করে বলেছিল
যে, কখনো তারা পালিয়ে যাবে না ৷ আল্লাহ তাআলা ওদেরকে মিখ্যাবাদী বানিয়েছেন ৷ তারা
পালিয়ে গিয়েছিল ৷ যুহরা ইবন হাবিয়্যাহ তাদেরকে পরাজিত কারন ৷ ওদের একটি তীর এসে
তার গায়ে লেগেছিল ৷ এরপর প্রচণ্ড আক্রমণ চালিয়ে তিনি বহু পারসিককে হত্যা করেন ৷ তারা
সকলে পালিয়ে গিয়ে শহরের মধ্যে আশ্রয় নেয় ৷ মুসলমানগণ সেখানে তাদেরকে অবরুদ্ধ করে
রাখেন কঠিনভাবে ৷ এক পর্যায়ে খাদ্যের অভাবে তারা কুকুর-বিড়াল যেতে শুরু করে ৷ হঠাৎ
ওদের এক লোক মুসলমানদের নিকট বেরিয়ে আসে ৷ এসে বলে আমাদের রাজা তােমাদেরকে


[ثُمَّ دَخَلَتْ سَنَةُ سِتَّ عَشْرَةَ] [قُدُومُ سَعْدِ بْنِ أَبِي وَقَّاصٍ مَنَازِلَ مَدِينَةِ بَهُرَسِيرَ، وَهِيَ إِحْدَى مُدُنِ كِسْرَى] بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَنِ الرَّحِيمِ ثُمَّ دَخَلَتْ سَنَةُ سِتَّ عَشْرَةَ اسْتَهَلَّتْ هَذِهِ السَّنَةُ وَسَعْدُ بْنُ أَبِي وَقَّاصٍ مُنَازِلٌ مَدِينَةَ بَهُرَسِيرَ، وَهِيَ إِحْدَى مَدِينَتَيْ كِسْرَى مِمَّا يَلِي دِجْلَةَ مِنَ الْغَرْبِ، وَكَانَ قُدُومُ سَعْدٍ إِلَيْهَا فِي ذِي الْحِجَّةِ مِنْ سَنَةِ خَمْسَ عَشْرَةَ، وَاسْتَهَلَّتْ هَذِهِ السَّنَةُ وَهُوَ نَازِلٌ عِنْدَهَا، وَقَدْ بَعَثَ السَّرَايَا وَالْخُيُولَ فِي كُلِّ وَجْهٍ، فَلَمْ يَجِدُوا وَاحِدًا مِنَ الْجُنْدِ، بَلْ جَمَعُوا مِنَ الْفَلَّاحِينَ مِائَةَ الْفٍ، فَحُبِسُوا حَتَّى كَتَبَ إِلَى عُمَرَ مَا يَفْعَلُ بِهِمْ، فَكَتَبَ إِلَيْهِ عُمَرُ: إِنَّ مَنْ كَانَ مِنَ الْفَلَّاحِينَ لَمْ يُعِنْ عَلَيْكُمْ، وَهُوَ مُقِيمٌ بِبَلَدِهِ، فَهُوَ أَمَانُهُ، وَمَنْ هَرَبَ فَأَدْرَكْتُمُوهُ فَشَأْنُكُمْ بِهِ. فَأَطْلَقَهُمْ سَعْدٌ بَعْدَ مَا دَعَاهُمْ إِلَى الْإِسْلَامِ، فَأَبَوْا إِلَّا الْجِزْيَةَ، وَلَمْ يَبْقَ مِنْ غَرْبِيِّ دِجْلَةَ إِلَى أَرْضِ الْعَرَبِ أَحَدٌ مِنَ الْفَلَّاحِينَ إِلَّا تَحْتَ الْجِزْيَةِ وَالْخَرَاجِ. وَامْتَنَعَتْ بَهُرَسِيرَ مِنْ سَعْدٍ أَشَدَّ الِامْتِنَاعِ، وَقَدْ بَعَثَ إِلَيْهِمْ سَعْدٌ سَلْمَانَ
পৃষ্ঠা - ৫৫০২


বলেছেন যে, তোমরা কি এই শর্তে সন্ধি চুক্তি করার যে, দাজলা থেকে আমাদের পাহাড় পর্যন্ত
এলাকা আমাদের নিয়ন্ত্রণে থাকবে আর তোমাদের আশ পাশের এলাকা দাজলা থেকে
তোমাদের পাহাড় পর্যন্ত তোমাদের দখলে থাকবে? তাতে কি তোমাদের তৃষ্ণা মিটবে না, পেট
ভরবে না৷ আল্লাহ্ ণ্তামাদের পেট ভর্তি না করুন ৷ তার কথা শুনে হঠাৎ মুসলিম শিবির থেকে
আবু মুকাররিন আল আসওয়াদ ইবন কুতবাহ নামের এক লোক বেরিয়ে পাড়া এবং আল্পাহ্
তাআলা তার মুখ দিয়ে এমন কথা বের করে দেন যা তিনি নিজেই বুঝতে পারেননি ওদেরকে
কী বলেছেন ৷ বক্তব্য শেষে তিনি শিৰিরে ফিরে আসেন ৷ আর আমরা দেখতে পাচ্ছিলাম সকল
পারসিক নাহারশীর নগর ছেড়ে মাদাইনের উদ্দেশ্যে চলে যাচ্ছে ৷

আমাদের লোকজন আবু মুকাররিনকে বলল, আপনি ওদেরকে কী বলেছেন যে, ওরা
স্বেচ্ছায় চলে যাচ্ছে ? তিনি বললেন, সেই মহান সভার কসম যিনি মুহামদছুরুহু কে সত্যসহ
প্রেরণ করেছেন , ওদেরকে আমি কি বলেছি তা আমি নিজেও জানি না তবে আমি নিশ্চিত ছিলাম
যে, আমি যা বলেছি শান্তভাবে বলেছি এবং আমি আস্থাবান ছিলাম যে, আমি কল্যাণকর কথা
বলেছি ৷ আমাদের লোকজন একের পর এক এসে র্তাকে এর রহস্য জিজ্ঞেস করছিল ৷ হযরত
সাদ (রা) নিজে উপস্থিত হয়েছিলেন আবু মুকাররিনের র্তাবুতে ৷ তিনি বললেন, আবু
মুকাররিন! আপনি তখন কী বলেছেন যে, ওরা সবাই দল বেধে পালাতে শুরু করল ? আবু
মুকাররিন উত্তরে কসম করে বললেন যে, তিনি কি বলেছেন তা নিজেও জানেন না ৷ সেনাপতি
লাল (বা) এরপর মুসলিম সৈনিকদেরকে শহরে প্রবেশ করতে এবং শত্রুপক্ষের স্থাপিত কামান
ও অন্যান্য অস্ত্রশস্ত্র দখল করে নিতে নির্দেশ দিলেন ৷ এই পরিস্থিতিতে শহরের মধ্য থেকে এক
লোক নিরাপত্তা প্রার্থনা করল ৷ আমরা তাকে নিরাপত্তা দিলাম ৷ এরপর সেই লোক চিৎকার করে
জানিয়ে দিল যে, এখন শহরের মধ্যে কেউই নেই ৷ মুসলিম সৈন্যগণ প্রাচীর টপকিয়ে শহরে
প্রবেশ করে ৷ কিন্তু শহরের মধ্যে কাউকেই পায়নি ৷ ওরা সকলে পালিয়ে গিয়ে মাদাইনে আশ্রয়
নিয়েছিল ৷ এটি ছিল এই বছর অর্থাৎ ১৬ হিজরী সালের সফর মাসের ঘটনা ৷ পরে আমরা ওই
লোককে এবং কয়েকজন বন্দীকে জিজ্ঞেস করেছিলাম যে , কেন ওরা পালিয়ে গিয়েছিল ? উত্তরে
তারা বলেছিল যে, আমাদের সম্রাট আপনাদের নিকট সন্ধির প্রস্তাব পাঠিয়েছিলেন ৷ তখনই
আপনাদের ল্যেকটি বলেছিল যে, “আমরা যতক্ষণ পর্যন্ত কুন্থী-এর লেবুর সাথে আফ্রীযীন
ফুলের মধু মিশিয়ে না খাব ততক্ষণ তোমাদের সাথে আমাদের কোন সন্ধি হবে না ৷ এ উত্তর
শুনে আমাদের সম্রাট বলল, হায় হায়! ওদের মুখে ফেরেশতারা কথা বলছে ! আরবদের পক্ষে
ফেরেশতাপণ আমাদ্যেদুকে উত্তর দিচ্ছে আমাদের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করছে ৷ তংক্ষণাৎ সম্রাট
নির্দেশ দিলেন সেখান থেকে মাদাইন চলে যাবার জ নাে ৷ আর এই সুত্রে সকল পারসিক নৌকা
যােপে নাহ্রশীর ত্যাগ করে মাদাইন চলে যায় ৷ উভয় শহরের মাঝে দাজলা নদীর ব্যবধান
মাত্র ৷ মাদাইন শহরটি সেখান থেকে খুব বেশি দুরত্বের হবে না ৷

মুসলিম সৈনিকপণ নাহ্রশীর’ প্রবেশ করে মাদাইনের শ্বেত প্রাসাদ দেখতে পেল ৷ সেটি
সেই সম্রাটের শ্বেত প্রাসাদ রাসুলুল্লাহ্গ্লুহ্রব্লু সম্পর্কে বলেছিলেন যে, অবিলম্বে মহান আল্লাহ্
এইসব প্রাসাদ-অট্টালিকা আমার উম্মতের জন্যে জয় করে দিবেন ৷ এই ঘটনা ঘটেছিল সুব্হে
নাদিকের কাছাকাছি সময়ে ৷ বন্তুত সেদিন ভোরে মুসলমানদের মধ্যে যে ব্যক্তি সর্বপ্রথম ওই

ম্বাল-ৰিদায়া ১৬


الْفَارِسِيَّ فَدَعَاهُمْ إِلَى اللَّهِ، عَزَّ وَجَلَّ، أَوِ الْجِزْيَةِ أَوِ الْمُقَاتَلَةِ، فَأَبَوْا إِلَّا الْمُقَاتَلَةَ وَالْعِصْيَانَ، وَنَصَبُوا الْمَجَانِيقَ وَالدَّبَّابَاتِ، وَأَمَرَ سَعْدٌ بِعَمَلِ الْمَجَانِيقِ، فَعُمِلَتْ عِشْرُونَ مَنْجَنِيقًا، وَنُصِبَتْ عَلَى بَهُرَسِيرَ، وَاشْتَدَّ الْحِصَارُ وَكَانَ أَهْلُ بَهُرَسِيرَ يَخْرُجُونَ فَيُقَاتِلُونَ قِتَالًا شَدِيدًا، وَيَحْلِفُونَ أَنْ لَا يَفِرُّوا أَبَدًا، فَأَكْذَبَهُمُ اللَّهُ، وَهَزَمَهُمْ زُهْرَةُ بْنُ حَوِيَّةَ بَعْدَ مَا أَصَابَهُ سَهْمٌ، وَقَتَلَ بَعْدَ مُصَابِهِ بِهِ كَثِيرًا مِنَ الْفُرْسِ، وَفَرُّوا بَيْنَ يَدَيْهِ، وَلَجَئُوا إِلَى بَلَدِهِمْ، فَكَانُوا يُحَاصَرُونَ فِيهِ أَشَدَّ الْحِصَارِ، وَقَدِ انْحَصَرَ أَهْلُ الْبَلَدِ حَتَّى أَكَلُوا الْكِلَابَ وَالسَّنَانِيرَ. وَقَدْ أَشْرَفَ رَجُلٌ مِنْهُمْ عَلَى الْمُسْلِمِينَ فَقَالَ: يَقُولُ لَكُمُ الْمَلِكُ: هَلْ لَكَمَ إِلَى الْمُصَالَحَةِ عَلَى أَنَّ لَنَا مَا يَلِينَا مَنْ دِجْلَةَ إِلَى جَبَلِنَا وَلَكُمْ مَا يَلِيكُمْ مِنْ دِجْلَةَ إِلَى جَبَلِكُمْ، أَمَا شَبِعْتُمْ! لَا أَشْبَعَ اللَّهُ بُطُونَكُمْ. قَالَ: فَبَدَرَ النَّاسَ رَجُلٌ، يُقَالُ لَهُ: أَبُو مُفَزِّرٍ الْأَسْوَدُ بْنُ قُطْبَةَ، فَأَنْطَقَهُ اللَّهُ بِكَلَامٍ لَمْ يَدْرِ مَا قَالَ لَهُمْ، قَالَ: فَرَجَعَ الرَّجُلُ وَرَأَيْنَاهُمْ يَقْطَعُونَ مِنْ بَهُرَسِيرَ إِلَى الْمَدَائِنِ. فَقَالَ النَّاسُ لِأَبِي مُفَزِّرٍ: مَا قُلْتَ لَهُمْ؟ فَقَالَ: وَالَّذِي بَعَثَ مُحَمَّدًا بِالْحَقِّ مَا أَدْرِي مَا قُلْتُ لَهُمْ، إِلَّا أَنَّ عَلَيَّ سَكِينَةً، وَأَنَا
পৃষ্ঠা - ৫৫০৩
أَرْجُو أَنْ أَكُونَ قَدْ أُنْطِقْتُ بِالَّذِي هُوَ خَيْرٌ. وَجَعَلَ النَّاسُ يَنْتَابُونَهُ، يَسْأَلُونَهُ عَنْ ذَلِكَ، وَكَانَ فِي مَنْ سَأَلَهُ سَعْدُ بْنُ أَبِي وَقَّاصٍ، وَجَاءَهُ سَعْدٌ إِلَى مَنْزِلِهِ فَقَالَ: يَا أَبَا مُفَرِّزٍ مَا قُلْتَ؟ فَوَاللَّهِ إِنَّهُمْ هُرَّابٌ. فَحَلَفَ لَهُ أَنَّهُ لَا يَدْرِي مَا قَالَ. فَنَادَى سَعْدٌ فِي النَّاسِ وَنَهَدَ بِهِمْ إِلَى الْبَلَدِ، وَالْمَجَانِيقُ تَضْرِبُ فِي الْبَلَدِ، فَنَادَى رَجُلٌ مِنَ الْبَلَدِ بِالْأَمَانِ فَآمَنَّاهُ، فَقَالَ: وَاللَّهِ مَا بِالْبَلَدِ أَحَدٌ. فَتَسَوَّرَ النَّاسُ السُّورَ، فَمَا وَجَدْنَا فِيهَا أَحَدًا إِلَّا قَدْ هَرَبُوا إِلَى الْمَدَائِنِ. وَذَلِكَ فِي شَهْرِ صَفَرٍ مِنْ هَذِهِ السَّنَةِ. فَسَأَلْنَا ذَلِكَ الرَّجُلَ وَأُنَاسًا مَنَ الْأُسَارَى فِيهَا لِأَيِّ شَيْءٍ هَرَبُوا؟ قَالُوا: بَعَثَ الْمَلِكُ إِلَيْكُمْ يَعْرِضُ عَلَيْكُمُ الصُّلْحَ، فَأَجَابَهُ ذَلِكَ الرَّجُلُ بِأَنَّهُ لَا يَكُونُ بَيْنَكُمْ وَبَيْنَهُمْ صُلْحٌ أَبَدًا، حَتَّى نَأْكُلَ عَسَلَ أَفَرَنْدِينَ بِأُتْرُجِّ كُوثَى. فَقَالَ الْمَلِكُ: يَا وَيْلَاهُ، إِنَّ الْمَلَائِكَةَ لَتَتَكَلَّمُ عَلَى أَلْسِنَتِهِمْ، تَرُدُّ عَلَيْنَا وَتُجِيبُنَا عَنِ الْعَرَبِ. ثُمَّ أَمَرَ النَّاسَ بِالرَّحِيلِ مِنْ هُنَاكَ إِلَى الْمَدَائِنِ فَجَازُوا فِي السُّفُنِ مِنْهَا إِلَيْهَا، وَبَيْنَهُمَا دِجْلَةُ، وَهِيَ قَرِيبَةٌ مِنْهَا جِدًّا.
পৃষ্ঠা - ৫৫০৪


প্রাসাদ দেখেছিলেন তিনি হলেন দিরার ইবনুল খাত্তাব ৷ তিনি দেখেই বললেন আল্লাহ আকবর ৷
এ যে পারস্য সম্রাটের শ্বেত প্রাসাদ ৷ এটি তাে তা ই যেটি সম্পর্কে আল্লাহ তা আলাও তার
রাসুল আমাদেরকে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন ৷ সবার দৃষ্টি৩ তার দিকে নিবদ্ধ ৷ এরপর সকলে ফজর
পর্যন্ত তাকবীর ধ্বনি দিতে থাকেন ৷

মাদাইন বিজয়

হযরত সাদ নাহারশীর জয় করার পর ওখানে অবস্থান করছিলেন ৷ মুলত নাহারশীরে
কো ন প্ৰতিরোধকারী শত্রুও পাওয়া যায়নি ৷ আর পনীমতের মাল বা যুদ্ধলব্ধ মালামালও পাওয়া
যায়নি ৷ শত্রুপক্ষ সবকিছু নিয়ে মাদা ইন পালিয়ে গিয়েছিল ৷ তারা মাদাইন যাবার সময় নৌকায়
করে গিয়েছিল ৷ তারপর সবগুলো নৌকা নদীর ওপাড়ে বেধে রেখেছিল ৷ সেনাপতি সা দ নদী
পাড়ি দেয়ার জন্যে কোন নৌকাই খুজে পেলেন না, নতুনভাবে নৌকা জোগাড় করাও ছিল
কষ্টসাধ্য ৷ তখন দাজলা নদী পানিতে ফুলেকেপে আছে ৷ কানায় কানায় ভরা ওই নদী, পানির
রং ছিল কালো ৷ তাতে ঢেউয়ের পর ঢেউয়ে ফেনা সৃষ্টি হচ্ছিল ৷ ইতিমধ্যে সেনাপতি সাদ (রা)

ত্বাদ পেলেন যে, পারস্য সম্রাট ইযায়দগির্দ সকল ধনসম্পদ নিয়ে হুলওয়ান চলে যাবার প্রস্তুতি

নিচ্ছে ৷ তাকে এও জানানো হলো যে, তিনদিনের মধ্যে ওদেরকে ধরতে না পারলে তারা
মালামালসহ পালিয়ে যাবে ৷ এই পরিস্থিতিতে হযরত সাদ (রা) দাজলা নদীর তীরে
মুসলমানদের উদ্দেশ্যে একটি ভাষণ দিলেন ৷ মহান আল্লাহ্র প্রশংসা ও গুণগান করার পর
তিনি বললেন, আপনাদের শত্রুরা এই নদীর কারণে পার পেয়ে গেল ৷ আপনাদের আক্রমণ
থেকে রক্ষা পেয়ে গেল ৷ আপনারা ওদের নিকট পৌছতে পারছেন না ৷ কিন্তু ওদের দখলে
নৌকাগুলাে থাকার কারণে ওরা যখন ইচ্ছা আপনাদের নিকট আসতে পারবে এবং আক্রমণ
চালিয়ে ফিরে যেতে পারবে ৷ অবশ্য এখন আপনাদের পেছনের দিক থেকে শত্রুর কোন ভয়
নেই ৷ আমি মনে করি শত্রুর আক্রমণে দুনিয়া থেকে নিশ্চিহ্ন হবার আগেই শত্রুর বিরুদ্ধে জিহাদ
শুরু করা উচিত ৷ আর আমি এই নদী পার হবার সিদ্ধান্ত নিয়েছি ৷, সকলে তার সাথে একাত্মতা
ঘোষণা করে বলল যে, মহান আল্লাহ্ আপনার এবং আমাদেরকে এই সিদ্ধান্ত নেয়ার তাওফীক
দিয়েছেন ৷ আপনি তাই করুন ৷ তখন তিনি আহ্বান জানালেন নদী পার হতে আগ্রহী সাহসী
মুজা ৷হিদদের ৷ তিনি বললেন সবার আগে কে এই দুঃসাহসিক কাজের সুচনা করতে পারবে যে
নদী পার হয়ে ওই পায়ের ঘাট নিজেদের দখলে নিয়ে নিবে যাতে অন্যান্য মুজাহিদ ওখানে গিয়ে
নিরাপদে তীরে উঠতে পারে : ন্

আসিম ইবন আমর এবং প্রায় ছয়শ দুসোহসী মুজ৷ ৷হিদ তার আহ্বানে সাড়া দিলেন ৷ তিনি ণ্
আসিম ইবন আমিরকে তাদের দলনে৩ ৷ মনোনীত করলেন ৷ পুর্ণ প্রস্তুতি নিয়ে এই দলটি নদীর:
তীরে দাড়ান ৷ দলপতি আসিম বললেন, আমার সাথে আপনাদের মধ্য থেকে কে যাবেন যাতে
আমরা আগে গিয়ে ওপারের ঘাট দখলে নিতে পারি ? উল্লিখিত ছয়শ সাহসী মুজাহিদের মধ্য
থেকে ষাটজন তার সাথে যেতে প্রস্তুত হলেন ৷ নদীর অপর পাড়ে তখনও পারসিক শত্রুগণ
দাড়িয়ে আছে ৷ এপাড়ে মুসলিম মুজাহিদগণ পানিতে নামতে একটু ইতস্তত করছিলেন ৷ জনৈক
মুসলমান সম্মুখে অগ্রসর হয়ে বললেন, আরে এই পানি কোটাকে আপনারা ভয় পাচ্ছেন ?


وَلَمَّا دَخَلَ الْمُسْلِمُونَ بَهُرَسِيرَ فِي اللَّيْلِ، لَاحَ لَهُمُ الْقَصْرُ الْأَبْيَضُ مِنَ الْمَدَائِنِ وَهُوَ قَصْرُ الْمَلِكِ الَّذِي ذَكَرَهُ رَسُولُ اللَّهِ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، أَنَّهُ سَيَفْتَحُهُ اللَّهُ عَلَى أُمَّتِهِ، وَذَلِكَ قُرَيْبَ الصَّبَاحِ، فَكَانَ أَوَّلَ مَنْ رَآهُ مِنَ الْمُسْلِمِينَ ضِرَارُ بْنُ الْخَطَّابِ، فَقَالَ: اللَّهُ أَكْبَرُ، أَبْيَضُ كِسْرَى، هَذَا مَا وَعَدَنَا اللَّهُ وَرَسُولُهُ. وَنَظَرَ النَّاسُ إِلَيْهِ فَتَابَعُوا التَّكْبِيرَ إِلَى الصُّبْحِ. [ذِكْرُ فَتْحِ الْمَدَائِنِ الَّتِي هِيَ مُسْتَقَرُّ مُلْكِ كِسْرَى] لَمَّا فَتَحَ سَعْدٌ بَهُرَسِيرَ وَاسْتَقَرَّ بِهَا، وَذَلِكَ فِي صَفَرٍ، لَمْ يَجِدْ فِيهَا أَحَدًا وَلَا شَيْئًا مِمَّا يُغْنَمُ، بَلْ قَدْ تَحَوَّلُوا بِكَمَالِهِمْ إِلَى الْمَدَائِنِ وَرَكِبُوا السُّفُنَ، وَضَمُّوا السُّفُنَ إِلَيْهِمْ، وَلَمْ يَجِدْ سَعْدٌ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، شَيْئًا مِنَ السُّفُنِ، وَتَعَذَّرَ عَلَيْهِ تَحْصِيلُ شَيْءٍ مِنْهَا بِالْكُلِّيَّةِ، وَقَدْ زَادَتْ دِجْلَةُ زِيَادَةً عَظِيمَةً، وَاسْوَدَّ مَاؤُهَا، وَرَمَتْ بِالزَّبَدِ مِنْ كَثْرَةِ الْمَاءِ بِهَا، وَأُخْبِرَ سَعْدٌ، بِأَنَّ كِسْرَى يَزْدَجِرْدَ عَازِمٌ
পৃষ্ঠা - ৫৫০৫


তারপর তিনি কুরআন মজীদের এই আয়াত তিলাওয়াত করলেন-

ন্ ষ্ :

,

আল্লাহর অনুমতি ব্যভীত কারো মৃত্যু হতে ৩পাব্রে না, যেহেতু মেয়াদ অবধারিত ৷ (সুরা-
৩, আলে ইমরান : ১৪৫) ৷

একথা বলে তিনি নিজে ঘোড়া নিয়ে নদীতে বাপিয়ে পড়েন, অবিলম্বে অন্যরাও নদীতে
বাপিয়ে পড়েন ৷ ৬০ জনের এই দল দৃতাগে বিভক্ত হয় ৷ এক ভাগে নর ঘোড়ার সওয়ারিগণ
অপরভাগে মাদী ঘোড়ার সওয়ারিগণ ৷ অপরণাড়খেকেতার৷ যখন দেখল যে,” এরা ঘোড়াসহ
পানির উপর ভাসছে তখন তারা ব্যঙ্গস্বরে চিৎকার করে বলছিল, পাগল পাগল,
উন্মাদ-উন্মাদ’ ৷ তারপর তারা নিজেদের মধ্যে বলাবলি করল যে, তোমরা তো কোন মানুষের
বিরুদ্ধে যুদ্ধ করছ না তে ৷মরা যুদ্ধ করছ ওই জিনগুলাের বিরুদ্ধে ৷ তারা তুরিত গতিতে তাদের
অশ্বরোহীদেরকে পানিতে নামিয়ে দিল যাতে মুসলিমদেরকে নদীতে বাধা দেয় ৷ যাতে তারা এ
পাড়ে উঠতে না পারে ৷ মুসলিম দলপা৩ আসিম ইবন আমর তার সাথীদেরকে নির্দেশ দিলেন
ওদেরকে লক্ষ্য করে ভীর নিক্ষেপ করার৬ জন্যে এবং তারা যেন শত্রু পক্ষের ঘোড়াগুলোর চোখ
লক্ষ্য করে তীর ছুডেন ৷৩ র্তার৷ তাই করলেন ৷৩ ভীরের আঘাতে শত্রুপক্ষীয় ঘোড়াগুলোর চোখ
খসে পড়ল ৷ তারা ঘোড়াগুলোকে পানিতে ধরে রাখতে পারল না, বরং মুসলমানদের আগে
আগে ওই ঘোড়াগুলে৷ তীরে ফিরে গেল ৷

আসিম ও তার সাথিগণ ওদের পিছু ধাওয়৷ করলেন এবং ওদের সবাইকে নদীর ওপার
থেকে তাড়িয়ে দিলেন ৷ তারা ওপারের দখল নিলেন ৷ এবার ছয়শ জনের অবিশিষ্ট মুজাহিদগণ
পানিতে নেমে পড়লেন এবং ওপারে গিয়ে আসিম ও তার সাথীদের সাথে মিলিত হলেন ৷
সকলে মিলে পারসিকদের উপর আক্রমণ করে ওদেরকে ওই তীর থেকে তাড়িয়ে দিলেন ৷ নদী
অতিক্রমকারী ১ম দলটির নাম দেয়া হলো “কাতীবাহ আল অড়াহওয়াল আর ২য দলটির নাম
দেয়৷ হলো কাভীবাহ্-আল খারছা ৷ ১ম দলের দলপতি ছিলেন আসিম ৷ ২য় দলের দলপতি
ছিলেন কাকা ইবন আমর ৷ এতসব ঘটনা ঘটছিল সেনাধ্যক্ষ সাদ ও অন্যান্য মুসলিম
মুজাহিদ নদী তীরে দাড়িয়ে তা দেখছিলেন ৷ তারা যখন দেখতে পেলেন যে, নদীর অপর ভীর
এখন নিরাপদ তখন তারা হযরত সা দের নিদ্যেশ নদীতে নেমে পড়লেন ৷ নদীতে অবতরণের

সময় সকলকে এই তাসবীহ পাঠ করার নির্দেশ দিলেন সেনাপতি সা দ (রা)া

’ ’ ’ ! ; শ্ শ্

ট্রনু;ষ্

৷ ষ্গ্র ৷ ন্এা৷ম্

(আমরা আল্লাহর সাহায্য কামনা করছি ৷ আমরা ভরসা রাখি তার উপর ৷ মহান আল্লাহ্

আমাদের জন্যে যথেষ্ট ৷ তিনি কত উত্তম কর্ম বিধায়ক ৷ মহান ও সর্বোচ্চ আল্লাহ্র দেয়৷ শক্তি
সামর্থ্য ব্যতীত আমাদের কোন শক্তি নেই) ৷

এরপর হযরত সাদ (রা) নিজে ঘোড়া নিয়ে নদীতে নেমে পড়লেন ৷ সকল মুজাহিদ নেমে

পড়ল খরস্রোত৷ দাজলার উত্তাল পানিতে ৷ কেউই অবশিষ্ট রইল না ৷ তারা স্থলপথে যেমন পথ

অতিক্রম করতে ন, ঠিক তেমনি অনায়াসে নিশ্চিত্তে অগৈ পানি অতিক্রম করতে লাগলেন ৷

; ,


عَلَى أَخْذِ الْأَمْوَالِ وَالْأَمْتِعَةِ مِنَ الْمَدَائِنِ إِلَى حُلْوَانَ وَأَنَّكَ إِنْ لَمْ تُدْرِكْهُ قَبْلَ ثَلَاثٍ، فَاتَ عَلَيْكَ وَتَفَارَطَ الْأَمْرُ، فَخَطَبَ سَعْدٌ الْمُسْلِمِينَ عَلَى شَاطِئِ دِجْلَةَ، فَحَمِدَ اللَّهَ وَأَثْنَى عَلَيْهِ، وَقَالَ: إِنَّ عَدُوَّكُمْ قَدِ اعْتَصَمَ مِنْكُمْ بِهَذَا الْبَحْرِ ; فَلَا تَخْلُصُونَ إِلَيْهِ مَعَهُ، وَهُمْ يَخْلُصُونَ إِلَيْكُمْ إِذَا شَاءُوا فَيُنَاوِشُونَكُمْ فِي سُفُنِهِمْ، وَلَيْسَ وَرَاءَكُمْ شَيْءٌ تَخَافُونَ أَنْ تُؤْتَوْا مِنْهُ، وَقَدْ رَأَيْتُ أَنْ تُبَادِرُوا جِهَادَ الْعَدُوِّ بِنِيَّاتِكُمْ قَبْلَ أَنْ تَحْصُرَكُمُ الدُّنْيَا، أَلَا إِنِّي قَدْ عَزَمْتُ عَلَى قَطْعِ هَذَا الْبَحْرِ إِلَيْهِمْ. فَقَالُوا جَمِيعًا: عَزَمَ اللَّهُ لَنَا وَلَكَ عَلَى الرُّشْدِ، فَافْعَلْ. فَعِنْدَ ذَلِكَ نَدَبَ سَعْدٌ النَّاسَ إِلَى الْعُبُورِ، وَيَقُولُ: مَنْ يَبْدَأُ فَيَحْمِي لَنَا الْفِرَاضَ - يَعْنِي ثُغْرَةَ الْمَخَاضَةِ مِنَ النَّاحِيَةِ الْأُخْرَى - لِيَجُوزَ النَّاسُ إِلَيْهِمْ آمِنِينَ. فَانْتَدَبَ عَاصِمُ بْنُ عَمْرٍو وَذَوُو الْبَأْسِ مِنَ النَّاسِ، قَرِيبٌ مِنْ سِتِّمِائَةٍ، فَأَمَّرَ سَعْدٌ عَلَيْهِمْ عَاصِمَ بْنَ عَمْرٍو، فَوَقَفُوا عَلَى حَافَّةِ دِجْلَةَ، فَقَالَ عَاصِمٌ: مَنْ يُنْتَدَبُ مَعِي لِنَكُونَ قَبْلَ النَّاسِ دُخُولًا فِي هَذَا الْبَحْرِ، فَنَحْمِيَ الْفِرَاضَ مِنَ الْجَانِبِ الْآخَرِ؟ فَانْتَدَبَ لَهُ سِتُّونَ مِنَ الشُّجْعَانِ الْمَذْكُورِينَ ; وَالْأَعَاجِمُ وُقُوفٌ صُفُوفًا مِنَ الْجَانِبِ الْآخَرِ؟ فَتَقَدَّمَ رَجُلٌ مِنَ الْمُسْلِمِينَ وَقَدْ أَحْجَمَ النَّاسُ عَنِ الْخَوْضِ فِي دِجْلَةَ، فَقَالَ: أَتَخَافُونَ مِنْ هَذِهِ
পৃষ্ঠা - ৫৫০৬
النُّطْفَةِ؟ ثُمَّ تَلَا قَوْلَهُ تَعَالَى {وَمَا كَانَ لِنَفْسٍ أَنْ تَمُوتَ إِلَّا بِإِذْنِ اللَّهِ كِتَابًا مُؤَجَّلًا} [آل عمران: 145] [آلِ عِمْرَانَ 145] . ثُمَّ أَقْحَمَ فَرَسَهُ فِيهَا وَاقْتَحَمَ النَّاسُ، وَقَدِ افْتَرَقَ السِّتُّونَ فِرْقَتَيْنِ: أَصْحَابُ الْخَيْلِ الذُّكُورِ، وَأَصْحَابُ الْخَيْلِ الْإِنَاثِ، فَلَمَّا رَآهُمُ الْفُرْسُ يَطْفُونَ عَلَى وَجْهِ الْمَاءِ قَالُوا: دِيوَانَا دِيوَانَا. يَقُولُونَ: مَجَانِينُ مَجَانِينُ. ثُمَّ قَالُوا: وَاللَّهِ مَا تُقَاتِلُونَ إِنْسًا بَلْ تُقَاتِلُونَ جِنًّا. ثُمَّ أَرْسَلُوا فُرْسَانًا مِنْهُمْ فِي الْمَاءِ يَلْتَقُونَ أَوَّلَ الْمُسْلِمِينَ لِيَمْنَعُوهُمْ مِنَ الْخُرُوجِ مِنَ الْمَاءِ، فَأَمَرَ عَاصِمُ بْنُ عَمْرٍو أَصْحَابَهُ أَنْ يَشْرَعُوا لَهُمُ الرِّمَاحَ وَيَتَوَخَّوُا الْأَعْيُنَ، فَفَعَلُوا ذَلِكَ بِالْفُرْسِ فَقَلَعُوا عُيُونَ خُيُولِهِمْ، فَرَجَعُوا أَمَامَ الْمُسْلِمِينَ لَا يَمْلِكُونَ كَفَّ خُيُولِهِمْ حَتَّى خَرَجُوا مِنَ الْمَاءِ، وَاتَّبَعَهُمْ عَاصِمٌ وَأَصْحَابُهُ فَسَاقُوا وَرَاءَهُمْ حَتَّى طَرَدُوهُمْ عَنِ الْجَانِبِ الْآخَرِ، وَوَقَفُوا عَلَى حَافَّةِ الدِّجْلَةِ مِنَ الْجَانِبِ الْآخَرِ، وَنَزَلَ بَقِيَّةُ أَصْحَابِ عَاصِمٍ مِنِ السِّتِّمِائَةِ فِي دِجْلَةَ، فَخَاضُوهَا، حَتَّى وَصَلُوا إِلَى أَصْحَابِهِمْ مِنَ الْجَانِبِ الْآخَرِ، فَقَاتَلُوا مَعَ أَصْحَابِهِمْ حَتَّى نَفَوُا الْفُرْسَ عَنْ ذَلِكَ الْجَانِبِ. وَكَانُوا يُسَمُّونَ الْكَتِيبَةَ الْأُولَى كَتِيبَةَ الْأَهْوَالِ، وَأَمِيرُهَا عَاصِمُ بْنُ عَمْرٍو، وَالْكَتِيبَةَ الثَّانِيَةَ الْكَتِيبَةَ الْخَرْسَاءَ، وَأَمِيرُهَا الْقَعْقَاعُ بْنُ عَمْرٍو. وَهَذَا كُلُّهُ وَسَعْدٌ
পৃষ্ঠা - ৫৫০৭


তীদের উপস্থিতিতে নদীর দৃ’কুল ভরে গেল ৷ তবে গেল পুরো নদী ৷ অশ্বারােহী ও পদাতিক
সৈনিকদের কারণে দাজলা নদীর পানি তখন দেখা যাচ্ছিল না ৷ নদীতে শুধু মানুষ আর মানুষ ৷
ঘোড়া আর ঘোড়া ৷ স্থলপথে তীরা যেমন পল্প-গুজব ও কথাবার্তা বলতেন পানিতে র্সাতরে
সাতরেও তীরা কথাবার্তা বলছিলেন ৷ নিরাপত্তা সম্পর্কে সুদৃঢ় আস্থা ও বিশ্বাসের কারণে তীরা
এমনটি করতে পেয়েছিলেন ৷ মহান আল্লাহর ওয়াদা ও তীর সাহায্য প্রাপ্তির প্রতি অৰিচল
বিশ্বাস তীদের এরুপ নিভীকি করে তৃলেছিল ৷ তাদের সেনাপতি হযরত সাদ ইবন আৰী
ওয়াক্কাস (রা) হ্রতা জাম্রাতেরসুসংবাদপ্রাপ্ত ছিলেন ৷ রাসুলুল্লাহ্ফুম্বুদ্বু এর ওফাত হয়েছে এ
অবস্থায় যে, তিনি সাদ ইবন আবী ওয়াক্কাস (রা)-এর প্রতি সন্তুষ্ট ছিলেন ৷ রাসুলুল্লাহ্দ্বুট্রুদ্বুর্টু
হযরত হে
আল্লাহ আপনি তীর দৃআ কবুল করবেন এবং তীর নিক্ষিপ্ত তীর লক্ষ্যভেদী করবেন” ৷

এটি নিশ্চিত যে, ওই দিন তীর ওই সেনাদলের জন্যে হযরত সাদ শান্তি, নিরাপত্তা ও
সাহায্যের দুআ করেছিলেন ৷ তিনি তীর সৈনিকদেরকে সেদিন নদীতে নিক্ষেপ করেছিলেন ৷
মহান আল্লাহ ওদেরকে লক্ষ্যন্থলে পৌছিয়ে দিয়েছেন এবং নিরাপদ রেখেছেন ৷ সেদিন একজন
সৈনিকও তীব্র খরস্রোতে হারিয়ে যায়নি ৷ শুধুমাত্র পারকাদা আল বারিকী নামের একজন লোক
তার ঘোড়ার পিঠ থেকে পড়ে গিয়েছিল ৷ তৎক্ষণাং কাকা ইবন আমর ওই ঘোড়ার লাগান
টেনে ধরেন এবং অন্য হাতে ওই লোকের হাত ধরে রাখেন ৷ ফলে লােকটি নিজ ঘোড়ার পিঠে
পুনরায় উঠে বসে ৷ সেও সাহসী ও দক্ষ লোক ছিল ৷ তখন সে বলেছিল, কাকা ইবন
আমরের মত সন্তান জন্ম দিতে অন্য মায়েরা অক্ষম ৷ ওই নদী অতিক্রম অভিযানে মুসলমানদের
সামান্য মালপত্রও হারায়নি ৷ শুধু মালিক ইবন আমির নামে একজন লোকের একটি কাঠের
পেয়ালা ঢেউয়ের ধাক্কায় হাতছাড়া হয়ে গিয়েছিল ৷

সে তখনি আল্লাহর দরবারে ন্ট্রুা৷

শ্

:,:£:; হে আল্লাহ আমার সাথীদের মধ্যে আমার এমন পরিণতি যেন না হয় যে, আমার
মালটি হারিয়ে যাবে ৷” পরে ঢেউয়ের ধাক্কায় তীর পেয়ালাটি ঠিক সেই ঘাটে গিয়ে পৌছে
যেখানে তাদের তীরে ওঠার কথা ৷ তীর সাথিগণ ওই পেয়ালা তুলে দেয় এবং তীর নিকট
ফেরত দেয় ৷

পরিস্থিতি এমন,ম্রগ্নকব্লন্ছিল,াষ্য় কোন ঘোড়া যদি র্সাতরাতে র্সাতরাতে ক্লান্ত ও অক্ষম হয়ে
পড়ত তখনই আল্লাহ তাআলা পানির মধ্যে ওই ঘোড়ার জন্যে একটি উচু মাটির ব্যবস্থা করে
দিতেন ৷ ঘোড়াটি সেখানে র্দাড়াত ৷ বিশ্রাম নিত এবং পুনরায় যাত্রা করত ৷ এমনও দেখা গেছে
যে, কোন কোন ঘোড়া ওই গভীর অগৈ নদী পার হয়ে এসেছে কিন্তু তার বুক পর্যন্ত পানি
পৌছেনি ৷

বন্তুত এই দিনটি ছিল বড় গুরুত্বপুর্ণ দিন ৷ খুবই বিপজ্জনক দিন এবং এক বিরল ও
অতুলনীয় দিন ৷ রাসুলুল্লাহ্ড্ডা এর মুজিযা প্রকাশের দিন ৷ সেইদিনে মহান আল্লাহ রাসুলুল্লাহ্
মোঃ এর সাহাবীদেরকে উপলক্ষ করে এমন ঘটনা ঘটালেন বা কখনো ওই সব অঞ্চলে দেখা
যায়নি ৷ শুধু ওই সব অঞ্চলে নয় পৃথিবীর কোথাও এমন ঘটনা পরিলক্ষিত হয়নি ৷ অবশ্য


وَالْمُسْلِمُونَ يَنْظُرُونَ إِلَى مَا يَصْنَعُ هَؤُلَاءِ الْفُرْسَانُ بِالْفُرْسِ، وَسَعْدٌ وَاقِفٌ عَلَى شَاطِئِ دِجْلَةَ. ثُمَّ نَزَلَ سَعْدٌ بِبَقِيَّةِ الْجَيْشِ، وَذَلِكَ حِينَ نَظَرُوا إِلَى الْجَانِبِ الْآخَرِ وَقَدْ تَحَصَّنَ بِمَنْ حَصَلَ فِيهِ مِنَ الْفُرْسَانِ الْمُسْلِمِينَ، وَقَدْ أَمَرَ سَعْدٌ الْمُسْلِمِينَ عِنْدَ دُخُولِ الْمَاءِ أَنْ يَقُولُوا: نَسْتَعِينُ بِاللَّهِ، وَنَتَوَكَّلُ عَلَيْهِ، حَسْبُنَا اللَّهُ وَنِعْمَ الْوَكِيلُ، وَلَا حَوْلَ وَلَا قُوَّةَ إِلَّا بِاللَّهِ الْعَلِيِّ الْعَظِيمِ. ثُمَّ اقْتَحَمَ بِفَرَسِهِ دِجْلَةَ، وَاقْتَحَمَ النَّاسُ لَمْ يَتَخَلَّفْ عَنْهُ أَحَدٌ فَسَارُوا فِيهَا كَأَنَّمَا يَسِيرُونَ عَلَى وَجْهِ الْأَرْضِ، حَتَّى مَلَأُوا مَا بَيْنَ الْجَانِبَيْنِ، فَلَا يُرَى وَجْهُ الْمَاءِ مِنَ الْفُرْسَانِ وَالرَّجَّالَةِ، وَجَعَلَ النَّاسُ يَتَحَدَّثُونَ عَلَى وَجْهِ الْمَاءِ كَمَا يَتَحَدَّثُونَ عَلَى وَجْهِ الْأَرْضِ ; وَذَلِكَ لِمَا حَصَلَ لَهُمْ مِنَ الطُّمَأْنِينَةِ وَالْأَمْنِ، وَالْوُثُوقِ بِأَمْرِ اللَّهِ وَوَعْدِهِ وَنَصْرِهِ، وَتَأْيِيدِهِ، وَلِأَنَّ أَمِيرَهُمْ سَعْدَ بْنَ أَبِي وَقَّاصٍ أَحَدُ الْعَشْرَةِ الْمَشْهُودِ لَهُمْ بِالْجَنَّةِ، وَقَدْ تُوُفِّيَ رَسُولُ اللَّهِ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَهُوَ عَنْهُ رَاضٍ، وَدَعَا لَهُ، فَقَالَ: «اللَّهُمَّ أَجِبْ دَعْوَتَهُ وَسَدِّدْ رَمْيَتَهُ» وَالْمَقْطُوعُ بِهِ أَنَّ سَعْدًا دَعَا لِجَيْشِهِ هَذَا فِي هَذَا الْيَوْمِ بِالسَّلَامَةِ وَالنَّصْرِ، وَقَدْ رَمَى بِهِمْ فِي هَذَا الْيَمِّ، فَسَدَّدَهُمُ اللَّهُ وَسَلَّمَهُمْ، فَلَمْ يُفْقَدْ مِنَ الْمُسْلِمِينَ رَجُلٌ وَاحِدٌ، غَيْرَ أَنَّ رَجُلًا وَاحِدًا يُقَالُ لَهُ: غَرْقَدَةُ الْبَارِقِيُّ، ذَلَّ عَنْ فَرَسٍ لَهُ شَقْرَاءَ، فَأَخَذَ الْقَعْقَاعُ بْنُ عَمْرٍو بِلِجَامِهَا، وَأَخْذَ بِيَدِ الرَّجُلِ حَتَّى عَدَلَهُ عَلَى فَرَسِهِ، وَكَانَ مِنَ الشُّجْعَانِ، فَقَالَ: عَجَزَ النِّسَاءُ أَنْ يَلِدْنَ مِثْلَ الْقَعْقَاعِ بْنِ عَمْرٍو. وَلَمْ يُعْدَمْ
পৃষ্ঠা - ৫৫০৮


ইতিপুর্বে উল্লেখিত আলা ইবন হাযৱামী ঘটনাটিও এমনতর ব্যতিক্রমী ছিল ৷ এই ঘটনা সেই
ঘটনা থেকে অধিকতর গুরুত্বপুর্ণ ও আশ্চর্যজনক ৷ কারণ এখানকার সৈন্যসংখ্যা ওখানকার
সৈন্যসংখ্যা থেকে বহুগুণ বেশি ছিল ৷
ঐতিহাসিকগণ বলেন, দাজ্যাব্ নদী পার হবার সময় হযরত সাদ (রা)-এর একান্ত সাথী
ছিলেন হযরত সালমান ফারসী (রা) ৷ হযরত সাদ তখন বলছিলেন

আমাদের জন্যে আল্লাহ্ই যথেষ্ট ৷ তিনি কত উত্তম কর্মবিধায়ক ! আল্লাহর কসম, মহান
আল্লাহ্ নিশ্চয়ই তার বন্ধুকে সাহায্য করবেন ৷ তার দীনকে জয়ী করবেন এবং তার শক্রকে
পরাজিত করবেন যদি সৈন্যদলের মধ্যে কোন,সত্যদ্রোহী না থাকে এবং যদি পুণ্যের উপর
প্রাধান্য পড়ায় তেমন পাপ না থাকে ৷ তখন হযরত সালমান (রা) বললেন, দীন-ই-ইসলাম এমন
যোগ্যতা রাখে যে, তার অনুসারীদের জন্যে জলভাগ অনুগত হয়ে যাবে যেমন অনুগত হয়ে যায়
স্থলভাগ ৷ সেই মহান সভার কসম যার হাতে আমি সালমানের প্রাণ ! এই মুজাহিদ বাহিনী যেমন
দলবদ্ধভাবে পানিতে নেমেছে ঠিক তেমনি দলবদ্ধভাবে তীরে গিয়ে উঠবে ৷ বন্তুত পানিতে
অবস্থান করে হযরত সালমান (বা) যা বলেছিলেন বাস্তবে তা-ই ঘটেছে ৷ সকল সৈনিক তীরে
গিয়ে উঠেছেন ৷ র্তাদের একজনও পানিতে ডুবে মরেননি কিংবা নিখোজ হননি ৷
মুজাহিদগণ অপর তীরে উঠে সুস্থির হলেন ৷ র্তাদের ঘোড়াগুলো বিজয়ের ডাক ছাড়ছিল
আর ৫কশর ঝাড়া দিচ্ছিল ৷ এরপর তারা পারসিকদের পিছু ধাওয়া করে, মাদাইনে প্রবেশ
করেন ৷ কিন্তু শহরের মধ্যে কাউকেই তারা খুজে পায়নি ৷ বরং পারস্য সম্রাট তার
পরিবার-পরিজন ও সাধ্যমত ম্যলপত্র নিয়ে ওখান থেকে পালিয়ে যায় ৷ সে বহু পশু, সম্পদ,
জামা-কাপড়,অত্রসবাবপত্র, তৈজসপত্র ও মহামুল্যবান তৈল সামগ্রী রেখে যায় ৷ তার কােষাগারে
তখন প্রায় তিন লক্ষ কোটি স্বর্ণমুদ্র৷ ছিল ৷ মুসলিম সৈন্যগণ সেখান থেকে যতদুর সম্ভব স্বর্ণস্ড্রা
গ্রহণ করেছিল আর অবশিষ্টগুৰলা ফেলে রেখেছিল ৷ তারা বা এনেছিল মুল সম্পদ্যে৷ প্রায় অর্ধেক
ছিল ৷ ওই নগরে সর্বপ্রথম প্রবেশ করেছিল “কাতীবাহ্ আল আহওয়াল” নামের মুসলিম
সেনাদল ৷ এরপর “কাতীৰাহ্ আল খারসা” ৷ তারা নগরীর অলি গলিতে শত্রু সৈন্য খুজেছে কিছু!
কাউকে পয়েনি ৷ তাদের মনে কোন ভয়ও জ্যি না ৷ চ্ছি শ্বেত প্রাসাদ সলাংর্ফ তাদের শংকা
ছিল ৷ কারণ সেটি ছিল একটি সুরক্ষিত দুর্গ ৷ সেখানে যুদ্ধরজে শত্রু সৈন্য লুকিয়ে থাকার সমুহ
সব্ক্তাবনা ছিল ৷
হযরত মাস (বা) সকল সৈন্য নিয়ে নগরে প্রবেশ করলেন ৷ শ্বেত প্রাসাদের বাইরে দাড়িয়ে
ষ্ক রত সালমান (রা)-এর মাধ্যমে তিনি তিন দিন পর্যন্ত প্রাসাদের লোকজনকে বেরিয়ে আসার
:শুঙ্ঘান জানালেন ৷ বিক্ষ্ম ভেতর থেকে কোন সাড়া-শব্দ এল না ৷ তৃভীর দিনে মুসলিম সৈন্য
ন্ মোঃ ভেতরে প্রবেশ করে ৷ হযরত সাব্দ সেখানে অবস্থান করেন এবং শাহী আস্তানাকে
নামাৰের জায়গা হিসেবে ঘোষণা করেন ৷ ওই শাহী প্রাসাদে প্রবেশের সময় তিনি এই আয়াত
জািওরাত করছিলেন-


لِلْمُسْلِمِينَ شَيْءٌ مِنْ أَمْتِعَتِهِمْ غَيْرَ قَدَحٍ مِنْ خَشَبٍ لِرَجُلٍ يُقَالُ لَهُ: مَالِكُ بْنُ عَامِرٍ. كَانَتْ عَلَاقَتُهُ رَثَّةً، فَأَخَذَهُ الْمَوْجُ، فَدَعَا صَاحِبُهُ اللَّهَ، عَزَّ وَجَلَّ، وَقَالَ: اللَّهُمَّ لَا تَجْعَلْنِي مِنْ بَيْنِهِمْ يَذْهَبُ مَتَاعِي. فَرَدَّهُ الْمَوْجُ إِلَى الْجَانِبِ الَّذِي يَقْصِدُونَهُ، فَأَخَذَهُ النَّاسُ ثُمَّ رَدُّوهُ عَلَى صَاحِبِهِ بِعَيْنِهِ. وَكَانَ الْفَرَسُ إِذَا أَعْيَا وَهُوَ فِي الْمَاءِ، يُقَيِّضُ اللَّهُ لَهُ مِثْلَ النَّشْزِ الْمُرْتَفِعِ، فَيَقِفُ عَلَيْهِ فَيَسْتَرِيحُ، وَحَتَّى إِنَّ بَعْضَ الْخَيْلِ لَيَسِيرُ وَمَا يَصِلُ الْمَاءُ إِلَى حِزَامِهَا، وَكَانَ يَوْمًا عَظِيمًا، وَأَمْرًا هَائِلًا، وَخَطْبًا جَلِيلًا، وَخَارِقًا بَاهِرًا، وَمُعْجِزَةً لِرَسُولِ اللَّهِ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، خَلَقَهَا اللَّهُ لِأَصْحَابِهِ، لَمْ يُرَ مِثْلُهَا فِي تِلْكَ الْبِلَادِ، وَلَا فِي بُقْعَةٍ مِنَ الْبِقَاعِ سِوَى قَضِيَّةِ الْعَلَاءِ بْنِ الْحَضْرَمِيِّ الْمُتَقَدِّمَةِ، بَلْ هَذَا أَجَلُّ وَأَعْظَمُ ; فَإِنَّ هَذَا الْجَيْشَ كَانَ أَضْعَافَ ذَلِكَ. قَالُوا: وَكَانَ الَّذِي يُسَايِرُ سَعْدَ بْنَ أَبِي وَقَّاصٍ فِي الْمَاءِ سَلْمَانُ الْفَارِسِيُّ فَجَعَلَ سَعْدٌ يَقُولُ: حَسْبُنَا اللَّهُ وَنِعْمَ الْوَكِيلُ، وَاللَّهِ لَيَنْصُرَنَّ اللَّهُ وَلِيَّهُ، وَلَيُظْهِرَنَّ اللَّهُ دِينَهُ، وَلَيَهْزِمَنَ اللَّهُ عَدُوَّهُ، إِنْ لَمْ يَكُنْ فِي الْجَيْشِ بَغْيٌ أَوْ ذُنُوبٌ تَغْلِبُ الْحَسَنَاتِ. فَقَالَ لَهُ سَلْمَانُ: إِنَّ الْإِسْلَامَ جَدِيدٌ، ذُلِّلَتْ لَهُمْ وَاللَّهِ الْبُحُورُ، كَمَا ذُلِّلَ لَهُمُ الْبَرُّ، أَمَا وَالَّذِي نَفْسُ سَلْمَانَ بِيَدِهِ لَيَخْرُجُنَّ مِنْهُ أَفْوَاجًا كَمَا دَخَلُوا أَفْوَاجًا. فَخَرَجُوا مِنْهُ كَمَا قَالَ سَلْمَانُ، لَمْ يَغْرَقْ مِنْهُمْ أَحَدٌ، وَلَمْ يَفْقِدُوا شَيْئًا. وَلَمَّا اسْتَقَلَّ الْمُسْلِمُونَ عَلَى وَجْهِ الْأَرْضِ، خَرَجَتِ الْخُيُولُ تَنْفُضُ أَعْرَافَهَا صَاهِلَةً، فَسَاقُوا وَرَاءَ الْأَعَاجِمِ حَتَّى دَخَلُوا الْمَدَائِنَ فَلَمْ يَجِدُوا بِهَا أَحَدًا، بَلْ قَدْ أَخَذَ كِسْرَى أَهْلَهُ وَمَا قَدَرُوا عَلَيْهِ مِنَ الْأَمْوَالِ وَالْأَمْتِعَةِ وَالْحَوَاصِلِ، وَتَرَكُوا مَا
পৃষ্ঠা - ৫৫০৯
عَجَزُوا عَنْهُ مِنَ الْأَنْعَا مِ، وَالثِّيَابِ، وَالْمَتَاعِ، وَالْآنِيَةِ، وَالْأَلْطَافِ، وَالْأَدْهَانِ، مَا لَا يُدْرَى قِيمَتُهُ. وَكَانَ فِي خِزَانَةِ كِسْرَى ثَلَاثَةُ آلَافِ أَلْفِ أَلْفِ أَلْفِ دِينَارٍ، ثَلَاثَ مَرَّاتٍ، فَأَخَذُوا مِنْ ذَلِكَ مَا قَدَرُوا عَلَيْهِ، وَتَرَكُوا مَا عَجَزُوا عَنْهُ، وَهُوَ مِقْدَارُ النِّصْفِ مِنْ ذَلِكَ أَوْ مَا يُقَارِبُهُ. فَكَانَ أَوَّلَ مَنْ دَخَلَ الْمَدَائِنَ كَتِيبَةُ الْأَهْوَالِ، ثُمَّ الْكَتِيبَةُ الْخَرْسَاءُ، فَأَخَذُوا فِي سِكَكِهَا لَا يَلْقَوْنَ أَحَدًا وَلَا يَخْشَوْنَهُ، غَيْرَ الْقَصْرِ الْأَبْيَضِ، فَفِيهِ مُقَاتِلَةٌ، وَهُوَ مُحَصَّنٌ. فَلَمَّا جَاءَ سَعْدٌ بِالْجَيْشِ، دَعَا أَهْلَ الْقَصْرِ الْأَبْيَضِ ثَلَاثَةَ أَيَّامٍ، عَلَى لِسَانِ سَلْمَانَ الْفَارِسِيِّ، فَلَمَّا كَانَ الْيَوْمُ الثَّالِثُ نَزَلُوا مِنْهُ، وَسَكَنَهُ سَعْدٌ وَاتَّخَذَ الْإِيوَانَ مُصَلَّى، وَحِينَ دَخَلَهُ تَلَا قَوْلَهُ تَعَالَى {كَمْ تَرَكُوا مِنْ جَنَّاتٍ وَعُيُونٍ وَزُرُوعٍ وَمَقَامٍ كَرِيمٍ وَنَعْمَةٍ كَانُوا فِيهَا فَاكِهِينَ كَذَلِكَ وَأَوْرَثْنَاهَا قَوْمًا آخَرِينَ} [الدخان: 25] [الدُّخَانِ 25 - 28] . ثُمَّ تَقَدَّمَ إِلَى صَدْرِهِ فَصَلَّى ثَمَانِ رَكَعَاتٍ صَلَاةَ الْفَتْحِ، وَذَكَرَ سَيْفٌ فِي رِوَايَتِهِ أَنَّهُ صَلَّاهَا بِتَسْلِيمَةٍ وَاحِدَةٍ، وَأَنَّهُ جَمَعَ بِالْإِيوَانِ، فِي صَفَرٍ مِنْ هَذِهِ السَّنَةِ، فَكَانَتْ أَوَّلَ جُمُعَةٍ جُمِعَتْ بِالْعِرَاقِ ; وَذَلِكَ لِأَنَّ سَعْدًا نَوَى الْإِقَامَةَ بِهَا، وَبَعَثَ إِلَى الْعِيَالَاتِ فَأَنْزَلَهُمُ دُورَ الْمَدَائِنِ وَاسْتَوْطَنُوهَا، حَتَّى فَتَحُوا جَلُولَاءَ وَتَكْرِيتَ وَالْمَوْصِلَ، ثُمَّ تَحَوَّلُوا إِلَى الْكُوفَةِ بَعْدَ ذَلِكَ، كَمَا سَنَذْكُرُهُ.
পৃষ্ঠা - ৫৫১০

১ও
তারা পশ্চাতে রেখে গিয়েছে উদ্যান ও প্রস্রবণ ৷ কত শস্যক্ষেত ও সুরম্য প্রাসাদ ৷ কত
বিলাস উপকরণ যা ওদেরকে আনন্দ দিত ৷ এরুপই ঘটেছিল এবং আমি এই সমুদয়ের
উত্তরাধিকারী করেছিলাম ভিন্ন সম্প্রদায়কে ৷ (সুরা ৪৪ , দৃখান : ২৫-২৮)
এরপর তিনি সম্মুখে অগ্রসর হলেন এবং আট রাকআত বিজয়ের গোকরানা নামায আদায়
করলেন ৷ সায়ফ ইবন উমর তার বর্ণনায় উল্লেখ করেছেন যে, তিনি এক সালামে ওই নামায
আদায় করেন ৷ এই বছরের সফর মাসে তিনি শড়াহী দফতরে জুমুআর নামায আদায় করেন ৷
এটি হলো ইরাকে অনুষ্ঠিত সর্বপ্রথম জুমুআর নামায ৷ কারণ সেনাপতি মাস (বা) ওখানে
ইকামত বা অবস্থান করার নিয়ত করেছিলেন ৷ বিভিন্ন গোত্র ও অঞ্চলে তিনি সেনা অভিযান
প্রেরণ করেছিলেন ৷ এই সুত্রে জালুলা, তিকরিত ও মুসেল জয় হয় ৷ এরপর তারা কুফার
উদ্দেশ্যে যাত্রা করেন ৷ এ বিষয়ে আমরা পরবর্তীতে আলোচনা করব ৷ এরপর তিনি পারসিক
সম্রাটের সন্ধানে সেনা অভিযান প্রেরণ করেন ৷ একদল শত্রুসেনা তাদের মুখোমুখি হয় ৷
মুসলিম সেনাবাহিনী ওদেরকে হত্যা করে, তাদেরকে বিচ্ছিন্ন করে দেয় এবং তাদের নিকট
থেকে প্রচুর মালামাল ছিনিয়ে নেয় ৷ মুসলমানগণ যা নিয়ে আসেন তার অধিকাংশ ছিল পারস্য
সম্রাটের জামা-কাপড়, শিরস্রাণ ও গহনা ৷ সেনাপতি সাদ (বা) সেখানকার আসবাপত্র ও
উপহার-উপচৌকন সংগ্রহ করতে থাকেন ৷ এগুলো এত বেশি ছিল যে, তার মুল্য নির্ধারণ,
গণনা করণ এবং বিবরণ প্রদান কােনটিই সম্ভব ছিল না ৷
আমরা ইতিপুর্বে বর্ণনা করেছি যে, শড়াহী দফতরে র্কাচের তৈরি অনেকগুলো মুর্তি ছিল ৷
হযরত সাদ একটির দিকে তাকিয়ে দেখলেন যে, সেটির হাত দ্বারা একদিকে ইঙ্গিত করা
হচ্ছে ৷ তিনি বললেন যে, এটির এরুপ নির্মাণের পেছনে নিশ্চয়ই কোন উদ্দেশ্য আছে ৷ তিনি
ওই অঙ্গুলির অনুসরণে অ্যাসর হলেন ৷ অবিলম্বে তিনি সন্ধান পেলেন পুর্ববর্তী সম্রাটদেৱ বিশাল
বিশাল ধন-সম্পদের ৷ তিনি সেখান থেকে বহু মালামাল, ধন-রত্ন ও হীরা-জহ্রত বের করে
আনলেন ৷ অন্য মুসলিম সৈন্যরা প্রচুর ধন-রতু ওখান থেকে সংগ্রহ করলেন ৷ এমন ধনরত্ন
দুনিয়াতে কেউ দেখেনি ৷ এর মধ্যে ছিল সম্রাটের মুকুট ৷ এটি মণি-মুক্তা ও হীরা-জহরত দ্বারা
মােড়ানাে ও অলংকৃত জ্জি ৷ দেখলে চোখে র্ধাধা লেগে যায় ৷ এমনিভাবে সম্রাটের কােমরবন্দ,
তার তরবারি, বাহুবন্দ, জুব্বা-কাবা এবং দরবারের ফ্রাশ ও বিছানাসমুহ হস্তগত হয় ৷ ওই
একটি ফরাশ ছিল ৬০ ×৬০ গজ ৷ এটি ছিল স্বর্ণ, মণি-মুক্তা ও মহামুল্যবান হীরার তৈরি ৷ তাতে
ছিল পুর্ববর্তী সকল সম্রাটের ছবি ৷ আরো ছিল পারস্য দেশের নদ-নদী, দুর্গ-কিল্লা, রাজ্য-রাষ্ট্র ,
ধন-সষ্পদ এবং ফল-ফসলের চিত্র ৷
সম্রাট সিংহাসনে আসন গ্রহণ করত এবং নীচের দিক থেকে মুকুটের মধ্যে মাথা ঢুকিয়ে
দিত ৷ তার মুকুট থাকত স্বর্ণের শিকলে ঝুলন্ত ৷ কারণ ঘুকুটটি এত ভারী ছিল যে, সম্রাট তা
মাথায় বহন ক্যাতে পারত না ৷ তাই যথানিরমে সম্রাট সিংহাসনে বসত এবং বসত মুকুটটির
সরাসরি নিচে ৷ তারপর মুকুটের তলদেশ দিয়ে মাথা ঢুকিয়ে দিত ৷ স্বর্ণের শিকল তাে


ثُمَّ أَرْسَلَ السَّرَايَا فِي إِثْرِ كِسْرَى يَزْدَجِرْدَ، فَلَحِقَ بِهِمْ طَائِفَةٌ فَقَتَلُوهُمْ وَشَرَّدُوهُمْ، وَاسْتَلَبُوا مِنْهُمْ أَمْوَالًا عَظِيمَةً، أَكْثَرُهَا مِنْ مَلَابِسِ كِسْرَى وَتَاجِهِ وَحُلِيِّهِ. وَشَرَعَ سَعْدٌ فِي تَحْصِيلٍ مَا هُنَالِكَ مِنَ الْأَمْوَالِ وَالْحَوَاصِلِ وَالتُّحَفِ، مِمَّا لَا يُقَوَّمُ وَلَا يُحَدُّ وَلَا يُوصَفُ ; كَثْرَةً وَعَظَمَةً. وَقَدْ رُوِّينَا أَنَّهُ كَانَ هُنَاكَ تَمَاثِيلُ مِنْ جِصٍّ، فَنَظَرَ سَعْدٌ إِلَى أَحَدِهَا وَإِذَا هُوَ يُشِيرُ بِأُصْبُعِهِ إِلَى مَكَانٍ، فَقَالَ سَعْدٌ: إِنَّ هَذَا لَمْ يُوضَعْ هَكَذَا سُدًى. فَأَخَذُوا مَا يُسَامِتُ أُصْبُعَهُ، فَوَجَدُوا قُبَالَتَهَا كَنْزًا عَظِيمًا مِنْ كُنُوزِ الْأَكَاسِرَةِ الْأَوَائِلِ، فَأَخْرَجُوا مِنْهُ أَمْوَالًا عَظِيمَةً جَزِيلَةً، وَحَوَاصِلَ بَاهِرَةً، وَتُحَفًا فَاخِرَةً. وَاسْتَحْوَذَ الْمُسْلِمُونَ عَلَى مَا هُنَالِكَ أَجْمَعَ، مِمَّا لَمْ يَرَ أَحَدٌ فِي الدُّنْيَا أَعْجَبَ مِنْهُ. وَكَانَ فِي جُمْلَةِ ذَلِكَ تَاجُ كِسْرَى وَهُوَ مُكَلَّلٌ بِالْجَوَاهِرِ النَّفِيسَةِ الَّتِي تُحَيِّرُ الْأَبْصَارَ، وَمِنْطَقَتُهُ كَذَلِكَ، وَسَيْفُهُ وَسِوَارَاهُ وَقَبَاؤُهُ، وَبِسَاطُ إِيوَانِهِ، وَكَانَ مُرَبَّعًا، سِتُّونَ ذِرَاعًا فِي مِثْلِهَا، مِنْ كُلِّ جَانِبٍ، وَالْبِسَاطُ مِثْلُهُ سَوَاءٌ، وَهُوَ مَنْسُوجٌ بِالذَّهَبِ وَاللَّآلِئِ وَالْجَوَاهِرِ الثَّمِينَةِ، وَفِيهِ مُصَوَّرُ جَمِيعِ مَمَالِكِ كِسْرَى ; بِلَادُهُ بِأَنْهَارِهَا وَقِلَاعِهَا وَأَقَالِيمِهَا وَكُوَرِهَا، وَصِفَةُ الزُّرُوعِ وَالْأَشْجَارِ الَّتِي فِي بِلَادِهِ. فَكَانَ إِذَا جَلَسَ عَلَى كُرْسِيِّ مَمْلَكَتِهِ، وَدَخَلَ تَحْتَ تَاجِهِ، وَتَاجُهُ مُعَلَّقٌ بِسَلَاسِلِ
পৃষ্ঠা - ৫৫১১


মুকুটটিকে প্রয়োজন অনুপাতে উরুর্ধ্ব ধরে রাখত ৷ সিংহাসনে আরোহণ ও মুকুর্ট পরিধান এর
সবকিছু হতো পর্দারমধ্যে ৷ পুর্ণ প্রন্তুতির পর পর্দা উঠে গেলে তাৎক্ষণিক সকল আমীর-উমারা
তাকে সিজ়দা করত ৷ তার পরিধানে থাকত কোমরবন্দ, দুখানা বাজুবন্দ, তরবারি, স্বর্ণে
মোড়ানাে শাহী জামা ৷ এরপর সম্রাট একে একে সকল শহর-নগরের সংবাদ নিত ৷ কােনৃ গ্রামে
কে শাসক, ওই গ্রাম কোন সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে কিনা তার খোজ-খবরও নিত ৷ তারপর অন্য
গ্রাম সম্পর্কে জিজ্ঞেস করত ৷ এভাবে সে তার অধীনস্থ শহর ও জনপদের খোজ-খবর নিত ৷
অবহেলায় ছেড়ে দিত না কোন গ্রড়ামকে ৷ রাজত্বের অবস্থান ও চিত্র স্মরণ রাখার জন্যে এই
বিছানা তার সম্মুখে বিছিয়ে রাখা হতো ৷ রাজনৈতিক দৃষ্টিকোণ থেকে এটি ছিল বেশ ভাল
পদক্ষেপ ৷

এরপর আল্লাহ্র বিধান কার্যকর হলো ৷ ওই রাজ্য-সাম্রাজ্য ও এলাকা-অঞ্চল থেকে তার
দখল রহিত হলো ৷ মুসলমানগণ প্রচণ্ড শক্তিতে সে সবের মালিকানা লাভ করলেন ৷
পারসিকদের সকল দম্ভ-অহংকার ধুলােয় মিশে পেল ৷ মহান আল্লাহ সুস্পষ্টভাবে
মুসলমানদেরকে এগুলোর মালিক বানিয়ে দিলেন ৷ সকল প্রশংসা মহান আল্লাহর ৷

সেনাপতি সাদ ইবন আবী ওয়াক্কাস (রা) সংগৃহীত ও দখলীকৃত মালামাল সংরক্ষণের
দায়িত্ব দিলেন আমর ইবন আমর ইবন মুকাররিনকে ৷ তিনি সর্বপ্রথম শ্বেতপ্রাসাদ ও শাহী
প্রাসাদে যে মালামাল ছিল সেগুলো হস্তগত করলেন ৷ মাদাইনের গৃহগুলাে এবং শাহী দফতরে
যা পেলেন তাও হস্তগত করলেন ৷ যুহরাহ ইবন হাবিয়ক্লাহ্ এর সহসেনাকর্মীগণের পক্ষ থেকে যা
জমা হলো তাও হস্তগত করলেন ৷ যুহরাহ্ সেনাপতি যা জমা দিয়েছিলেন তার মধ্যে ছিল একটি
খচ্চর ৷ সেটি তিনি পারসিকদের থেকে ছিনিয়ে নিয়েছিলেন ৷

পারসিক সৈন্যরা অনেকগুলো তরবারির সাহায্যে ওই খচ্চরটিকে পহােরা দিচ্ছিল ৷
সেনাপতি যুহরা বললেন, নিশ্চয়ই এ খচ্চরের মধ্যে কোন রহস্য আছে ৷ তিনি ওদের হাত থেকে
সেটি ছিনিয়ে এনে সংগৃহীত মালামালের মধ্যে শামিল করে দিলেন ৷ দেখা গেল দুই খচ্চরের
পিঠে দুটো থলি রয়েছে ৷ তার মধ্যে ছিল পারস্য সম্রাটের জামা-কাপড়, গহনা ও শাহী
পোশাক ৷ অন্য একটি খচ্চর তিনি ছিনিয়ে এসেছিলেন, ওই খচ্চরের পিঠেও দুটো থলে ছিল ৷
ওই থলেতে সম্রাটের মুকুট ও অন্যান্য দ্ৰব্যসামগ্রী ছিল ৷ ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র অভিযানে গিয়ে সৈনিকপণ
এগুলো শত্রুদের থেকে ছিনিয়ে এনেছিল এবং সংগৃহীত মালামালের মধ্যে জমা রেখেছিল ৷
তারা বা জমা দিয়েছিল তাও ছিল প্রচুর সম্পদ ৷ তার অধিকাৎশ ছিল সম্রাটের আসবাবপত্র,
তৈজস সামগ্রী এবং মুল্যবান মালামাল ৷ পারসিক সৈনিকপণ এগুলো নিয়ে পালিয়ে যাচ্ছিল ৷
বিলু মুসলমানগণ তাদেরকে ধরে ফেলেন এবং মালপত্র ছিনিয়ে সেন ৷ পারসিকগণ ভীষণ ভারী
হবার কারণে সম্রাটের বিছানাগুলো নেয়ার চেষ্টা করেনি এবং একই কারণে সাধারণ মালামালও
ন্মেনি ৷ মুসলিমগণ ওইসব ঘরে প্রবেশ করে দেখেন যে, ঘরের ছাদ পর্যন্ত থরে থরে সাজানো
স্বর্শ্ব-রৌপাের থালা-বাসন পড়ে রয়েছে ৷ তারা অনেক সুগন্ধি কপুর সামগ্রী পরিত্যক্ত অবস্থায়
গ্ান ৷ তারা মনে করেছিলেন সেগুলো লবণ ৷ কেউ কেউ রুটির আটার মধ্যে সেগুলো মিশ্রিতও
করেছিলেন ৷ পরে খেতে গিয়ে তিক্ততা অনুভব করলেন ৷ অবশেষে বিষয়টি পরিষ্কার জানা গেল
যে, ওগুলো লবণ নয় কপুর ৷


الذَّهَبِ ; لِأَنَّهُ كَانَ لَا يَسْتَطِيعُ أَنْ يُقِلَّهُ عَلَى رَأْسِهِ لِثِقَلِهِ، بَلْ كَانَ يَجِيءُ فَيَجْلِسُ تَحْتَهُ، ثُمَّ يُدْخِلُ رَأْسَهُ تَحْتَ التَّاجِ، وَالسَّلَاسِلُ الذَّهَبُ تَحْمِلُهُ عَنْهُ، وَهُوَ يَسْتُرُهُ حَالَ لُبْسِهِ، فَإِذَا رُفِعَ الْحِجَابُ عَنْهُ، خَرَّتْ لَهُ الْأُمَرَاءُ سُجُودًا، وَعَلَيْهِ الْمِنْطَقَةُ وَالسِّوَارَانِ وَالسَّيْفُ وَالْقَبَاءُ الْمُرَصَّعُ بِالْجَوَاهِرِ، فَيَنْظُرُ فِي الْبُلْدَانِ وَاحِدَةً وَاحِدَةً، فَيَسْأَلُ عَنْهَا، وَمَنْ فِيهَا مِنَ النُّوَّابِ، وَهَلْ حَدَثَ فِيهَا شَيْءٌ مِنَ الْأَحْدَاثِ؟ فَيُخْبِرُهُ بِذَلِكَ وُلَاةُ الْأُمُورِ بَيْنَ يَدَيْهِ، ثُمَّ يَنْتَقِلُ إِلَى الْأُخْرَى، وَهَكَذَا حَتَّى يَسْأَلَ عَنْ أَحْوَالِ بِلَادِهِ فِي كُلِّ وَقْتٍ، لَا يُهْمِلُ أَمْرَ الْمَمْلَكَةِ، وَقَدْ وَضَعُوا هَذَا الْبِسَاطَ بَيْنَ يَدَيْهِ، تَذْكَارًا لَهُ بِشَأْنِ الْمَمَالِكِ، وَهُوَ اصْطِلَاحٌ جَيِّدٌ مِنْهُمْ فِي أَمْرِ السِّيَاسَةِ. فَلَمَّا جَاءَ قَدَرُ اللَّهِ، زَالَتْ تِلْكَ الْأَيْدِي عَنْ تِلْكَ الْمَمَالِكِ وَالْأَرَاضِي، وَتَسَلَّمَهَا الْمُسْلِمُونَ مِنْ أَيْدِيهِمْ قَسْرًا، وَكَسَرُوا شَوْكَتَهُمْ عَنْهَا، وَأَخَذُوهَا بِأَمْرِ اللَّهِ صَافِيَةً ضَافِيَةً، وَلِلَّهِ الْحَمْدُ وَالْمِنَّةُ. وَقَدْ جَعَلَ سَعْدُ بْنُ أَبِي وَقَّاصٍ عَلَى الْأَقْبَاضِ عَمْرَو بْنَ عَمْرِو بْنِ مُقَرِّنٍ، فَكَانَ أَوَّلُ مَا حَصَّلَ مَا كَانَ فِي الْقَصْرِ الْأَبْيَضِ، وَمَنَازِلِ كِسْرَى، وَسَائِرِ دُورِ الْمَدَائِنِ وَمَا كَانَ بِالْإِيوَانِ مِمَّا ذَكَرْنَا، وَمَا يَفِدُ مِنَ السَّرَايَا الَّذِينَ فِي صُحْبَةِ زُهْرَةَ بْنِ حَوِيَّةَ، وَكَانَ فِيمَا رَدَّ زُهْرَةُ بَغْلٌ كَانَ قَدْ أَدْرَكَهُ وَغَصَبَهُ مِنَ الْفُرْسِ،
পৃষ্ঠা - ৫৫১২
وَكَانَتْ تَحُوطُهُ بِالسُّيُوفِ، فَاسْتَنْقَذَهُ مِنْهُمْ، وَقَالَ: إِنَّ لِهَذَا لَشَأْنًا. فَرَدَّهُ إِلَى الْأَقْبَاضِ، وَإِذَا عَلَيْهِ سَفَطَانِ فِيهِمَا ثِيَابُ كِسْرَى وَحُلِيُّهُ، وَلُبْسُهُ الَّذِي كَانَ يَلْبَسُهُ عَلَى السَّرِيرِ كَمَا ذَكَرْنَا، وَبَغْلٌ آخَرُ عَلَيْهِ تَاجُهُ الَّذِي ذَكَرْنَا فِي سَفَطَيْنِ أَيْضًا، رُدَّا مِنَ الطَّرِيقِ مِمَّا اسْتَلَبَهُ أَصْحَابُ السَّرَايَا. وَكَانَ فِيمَا رَدَّتِ السَّرَايَا أَمْوَالٌ عَظِيمَةٌ وَفِيهَا أَكْثَرُ أَثَاثِ كِسْرَى، وَأَمْتِعَتُهُ وَالْأَشْيَاءُ النَّفِيسَةُ الَّتِي اسْتَصْحَبُوهَا مَعَهُمْ، فَلَحِقَهُمُ الْمُسْلِمُونَ فَاسْتَلَبُوهَا مِنْهُمْ. وَلَمْ تَقْدِرِ الْفُرْسُ عَلَى حَمْلِ الْبِسَاطِ لِثِقَلِهِ عَلَيْهِمْ، وَلَا حَمْلِ الْأَمْوَالِ لِكَثْرَتِهَا ; فَإِنَّهُ كَانَ الْمُسْلِمُونَ يَجِيئُونَ بَعْضَ تِلْكَ الدُّورِ فَيَجِدُونَ الْبَيْتَ مَلَآنًا إِلَى أَعْلَاهُ مِنْ أَوَانِي الذَّهَبِ وَالْفِضَّةِ، وَيَجِدُونَ مِنَ الْكَافُورِ شَيْئًا كَثِيرًا، فَيَحْسَبُونَهُ مِلْحًا، وَرُبَّمَا اسْتَعْمَلَهُ بَعْضُهُمْ فِي الْعَجِينِ فَوَجَدُوهُ مُرًّا، حَتَّى تَبَيَّنُوا أَمْرَهُ. فَتَحَصَّلَ الْفَيْءُ عَلَى أَمْرٍ عَظِيمٍ مِنَ الْأَمْوَالِ، وَشَرَعَ سَعْدٌ فَخَمَّسَهُ، وَأَمَرَ سَلْمَانَ بْنَ رَبِيعَةَ الْبَاهِلِيَّ فَقَسَمَ الْأَرْبَعَةَ الْأَخْمَاسَ بَيْنَ الْغَانِمِينَ، فَحَصَلَ لِكُلٍّ وَاحِدٍ مِنَ الْفُرْسَانِ اثْنَا عَشَرَ أَلْفًا، وَكَانُوا كُلُّهُمْ فُرْسَانًا، وَمَعَ بَعْضِهِمْ جَنَائِبُ. وَاسْتَوْهَبَ سَعْدٌ أَرْبَعَةَ أَخْمَاسِ الْبِسَاطِ وَلُبْسَ كِسْرَى مِنَ الْمُسْلِمِينَ ; لِيَبْعَثَهُ إِلَى عُمَرَ وَالْمُسْلِمِينَ بِالْمَدِينَةِ لِيَنْظُرُوا إِلَيْهِ، وَيَتَعَجَّبُوا مِنْهُ، فَطَيَّبُوا لَهُ ذَلِكَ وَأَذِنُوا فِيهِ، فَبَعَثَهُ سَعْدٌ إِلَى عُمَرَ مَعَ الْخُمْسِ مَعَ بَشِيرِ بْنِ الْخَصَاصِيَةِ، وَكَانَ
পৃষ্ঠা - ৫৫১৩


বন্তুত ওই অভিযানে ফইি বা যুদ্ধবিহীন অর্জিত মালামালের পরিমাণ বহু বৃদ্ধি পেল ৷
সেনাপতি সাদ (রা) ওই মালামাল ৫ ভাগে বিভক্ত করে ৷ বিধি মুতাবিক ছু অংশ বায়তৃল মালের
জন্যে রেখে ছু অংশ মুজাহিদদের মধ্যে বণ্টনের ব্যবস্থা নেন ৷ তিনি এগুলো বণ্টনের দায়িত্ব দেন
হযরত সালমান ফারসীকে ৷ তিনি ব্লু অংশ মুজাহিদদের মধ্যে বণ্টন করে দেন ৷ তাতে প্রত্যেক
অশ্বারোহী পেয়েছিল ১২ হাজার মুদ্রা করে ৷ অবশ্য এই অভিযানে সকল মুজাহিদ ছিল
অশ্বারোহী ৷ কারো কারো নিকট নিজস্ব ঘোড়া ছিল না বরং অন্য থেকে নেয়া ঘোড়া ছিল ৷
সেনাপতি সাদ চাইলেন যে, শাহী বিছানা ও সম্রাটের জামা পেশ্যেকগুল্যে ভাগ না করে, না
কেটে আস্ত যেন খলীফার দরবারে প্রেরণ করা হয় যাতে খলীফা নিজে এবং স্থানীয় ঘুসলমানগণ
এই নজরকাড়া আশ্চর্যজনক বন্তুগুলাে দেখতে পান ৷ এজন্যে তিনি বিছানা ও জামা-কাপড়ে
প্রাপ্য নিজ নিজ অংশ বায়তৃল মালের জন্যে দান করে দেয়ার অনুরোধ জানালেন সকল
মুজাহিদকে ৷ সকলে সানন্দে এই প্রস্তাব গ্রহণ করল এবং আস্ত মদীনায় পাঠানোর অনুমতি
দিল ৷ সেনাপতি সাদ (বা) বাশীর ইবন খৃসােসিয়্যাহ-এর মাধ্যমে হু-, অংশ গনীমতের মন্ল এবং
শাহী ফরাশ ও সম্রাটের জামা-কাপড় মদীনায় খলীফার নিকট পাঠিয়ে দিলেন ৷ অবশ্য ইতিপুর্বে
হালীস ইবন ফুলান আসাদীর মাধ্যমে খলীফা বিজয়ের সংবাদ অবগত হন ৷

বর্ণিত আছে যে, খলীফা উমর (রা) ওগুলো দেখে বলেছিলেন, আমাদের লোকেরা এসব
প্রেরণ করেছে আমানতদার লোকদের নিকট ৷ ’ তখন হযরত আলী (বা) বললেন, আপনি পবিত্র
থেকেছেন তাই আপনার প্ৰজারাও পবিত্র থেকেছে ৷ আপনি যদি হালাল-হারাম বিবেচনা না
করে যা পেতেন তাই নিতেন তাহলে আপনার প্রজারাও তা-ই করত ৷ এরপর খলীফা উমর
(রা) ওগুলো স্থানীয় মুসলমানদের মধ্যে বণ্টন করে দেন ৷ এই সুত্রে হযরত আলী (রা) ওই
বিছানার একটি টুকরা পেয়েছিলেন ৷ সেটি তিনি ২০ হাজার দিরহামে বিক্রি করেছিলেন ৷

সায়ফ ইবন উমর উল্লেখ করেছেন যে, হযরত উমর (বা) একটি কাঠ দাড় করিয়ে সম্রাটের
পেশোক তাকে পরিয়ে দিয়েছিলেন যাতে মানুষ দেখতে পায় যে, এই সহজ-সজ্জার মধ্যে কেমন
অহংকার সৃষ্টি হয় এবং এই ধ্বংসশীল দুনিয়াড়ে কেমন চাকচিক্য ও চমক সৃষ্টি করা যায় ৷
আমরা আলোচনা করেছি যে, হযরত উমর (রা) সম্রাটের পােশাকগুলাে বনু মুদলাজ গোত্রের
আমীর সুরাকা ইবন মালিক ইবন জুশাম (রা)-ফে দিয়েছিলেন ব্যবহার করার জন্যে, পরিধান
করার জন্যে ৷

হাফিজ আবু বকর বায়হাকী তার “দালাইলুন নুবুওয়াত” গ্রন্থে উল্লেখ করেছেন যে,

আবদুল্লাহ ইবন ইউসুফ ইস্পাহানী বলেছেন হাসান থেকে বর্ণিত যে, উমর ইবন খাত্তার
(রা)-এর নিকট পারস্য সম্রাটের শাহী পোশাক আনয়ন করা হলো ৷ সেটি তার সম্মুখে রাখা
হলো ৷ সেখানে অল্যাংন্যর মধ্যে সুরাকা ইবন মালিক ইবন জুশাম ছিলেন ৷ সম্রটি কিসরা ইবন
হুরমুষের দৃটো বাজুবন্দ সুরাকাকে দেয়া হলো ৷ তিনি সেই দুটে৷ পরিধান করলেন ৷ সেগুলো
তার র্কাধ পর্যন্ত পৌছে পেল ৷ সুরাকার পরিধানে এ দুটো বাজুবন্দ দেখে খলীফা উমর (রা)
বললেন, সকল প্রশংসা মহান আল্লাহ্র যিনি পারস্য সম্রাটের বাজুবন্দ এনে পরিয়ে দিলেন বানু
মুদলাজের বেদুঈন লোক সুরাকা ইবন মালিক ইবন জুশামের হাতে ৷ বায়হাকী এরুপই
বর্ণনা করেছেন ৷


الَّذِي بَشَّرَ بِالْفَتْحِ قَبْلَهُ حُلَيْسُ بْنُ فُلَانٍ الْأَسَدِيُّ، فَرُوِّينَا أَنَّ عُمَرَ لَمَّا نَظَرَ إِلَى ذَلِكَ قَالَ: إِنَّ قَوْمًا أَدَّوْا هَذَا لَأُمَنَاءُ. فَقَالَ لَهُ عَلِيُّ بْنُ أَبِي طَالِبٍ: إِنَّكَ عَفَفْتَ فَعَفَّتْ رَعِيَّتُكَ، وَلَوْ رَتَعْتَ لَرَتَعَتْ. ثُمَّ قَسَّمَ عُمَرُ ذَلِكَ فِي الْمُسْلِمِينَ، فَأَصَابَ عَلِيًّا قِطْعَةٌ مِنَ الْبِسَاطِ فَبَاعَهَا بِعِشْرِينَ أَلْفًا. وَقَدْ ذَكَرَ سَيْفُ بْنُ عُمَرَ، أَنَّ عُمَرَ بْنَ الْخَطَّابِ أَلْبَسَ ثِيَابَ كِسْرَى لِخَشَبَةٍ، وَنَصَبَهَا أَمَامَهُ، لِيُرِيَ النَّاسَ مَا فِي هَذِهِ الزِّينَةِ مِنَ الْعَجَبِ، وَمَا عَلَيْهَا مِنْ زَهْرَةِ الْحَيَاةِ الدُّنْيَا الْفَانِيَةِ. وَقَدْ رُوِّينَا أَنَّ عُمَرَ أَلْبَسَ ثِيَابَ كِسْرَى لِسُرَاقَةَ بْنَ مَالِكِ بْنِ جُعْشُمٍ، أَمِيرِ بَنِي مُدْلِجٍ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ. قَالَ الْحَافِظُ أَبُو بَكْرٍ الْبَيْهَقِيُّ فِي " دَلَائِلِ النُّبُوَّةِ ": أَخْبَرَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ يُوسُفَ الْأَصْبَهَانِيُّ ثَنَا أَبُو سَعِيدِ بْنُ الْأَعْرَابِيِّ، قَالَ: وَجَدْتُ فِي كِتَابِي بِخَطِّ يَدِي عَنْ أَبِي دَاوُدَ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عُبَيْدٍ، حَدَّثَنَا حَمَّادٌ، ثَنَا يُونُسُ، عَنِ الْحَسَنِ، أَنَّ عُمَرَ بْنَ الْخَطَّابِ أُتِيَ بِفَرْوَةِ كِسْرَى فَوُضِعَتْ بَيْنَ يَدَيْهِ وَفِي الْقَوْمِ سُرَاقَةُ بْنُ مَالِكِ بْنِ جُعْشُمٍ، قَالَ: فَأَلْقَى إِلَيْهِ سِوَارَيْ كِسْرَى بْنِ هُرْمُزَ فَجَعَلَهُمَا فِي يَدَيْهِ، فَبَلَغَا مَنْكِبَيْهِ، فَلَمَّا رَآهُمَا فِي يَدَيْ سُرَاقَةَ قَالَ: الْحَمْدُ لِلَّهِ، سِوَارَيْ كِسْرَى بْنِ هُرْمُزَ فِي يَدَيْ سُرَاقَةَ بْنِ مَالِكِ بْنِ جُعْشُمٍ، أَعْرَابِيٍّ مِنْ بَنِي مُدْلِجٍ. وَذَكَرَ الْحَدِيثَ. هَكَذَا سَاقَهُ الْبَيْهَقِيُّ. ثُمَّ حَكَى عَنِ الشَّافِعِيِّ أَنَّهُ قَالَ:
পৃষ্ঠা - ৫৫১৪


ইমাম শাফিঈ (র) থেকে বর্ণিত ৷ তিনি বলেছেন, হযরত উমর (রা) বাজুবন্দ দৃটো
সুরাকার হাতে পরিয়ে দিলেন ৷ এজন্য “যে, রড়াসুলুল্লাহ্হুর্দুঢু একদিন সুরাকার হাতের দিকে
তাকিয়ে বলেছিলেন, “আমি তোমাকে দেখছি যেন তোমার দৃ’বাহুতে পারস্য সম্রাটের বাজুবন্দ
পরিধান করানো ৷ ” শাফিঈ (র) বলেন, সুরাকার হাতে সম্রাটের বাজুবন্দ পরিয়ে দিয়ে হযরত
উমর (রা) বলেছিলেন, হে সুরাকা ! তুমি বল, “আল্লাহ আকবার ৷ সুরাকা বললেন, “আল্লাহ
আকবার” এরপর খলীফা বললেন, তৃমি বল, সকল প্রশংসা মহান আল্লাহ্র যিনি পারস্য
সম্রাটের বাজুবন্দ দৃটো খুলে এনে ৰানু মুদলাজ গোত্রের বেদুঈন লোক সুরাকার হাতে প্যায়ে
দিলেন ৷
হায়ছাম ইবন আদী বলেন, উসামা ইবন যায়েদ লায়হী বর্ণনা করেছেন কাসিম ইবন
মুহাম্মদ ইবন আবী বকর থেকে ৷ তিনি বলেছেন, কাদেসিয়া যুদ্ধের প্রাক্কালে সা“দ ইবন অড়াবী
ওয়াক্কাস খলীফা উমর (রা)-এর নিকট পারস্য সম্রাটের রাজকীয় কোট, তার তরবারি , বাজুবন্দ,
কোমরবন্দ, পায়জামা, জামা, মুকুট ও মােজা জোড়া পাঠায় ৷ এগুলো পেয়ে হযরত উমর (রা)
উপস্থিত সকলের মুখের দিকে তাকালেন ৷ সকলের মধ্যে দৈহিক বিশালত্বের বিবেচনায় সুরাকা
ইবন মালিক ইবন জুশাম ছিলেন শ্রেষ্ঠ ব্যক্তি ৷ খলীফা বললেন, সুরাকা! র্দশ্বড়াগু এগুলো
পরিধান কর ৷ সুরাকা বললেন, আমিও আশাবাদী ছিলাম পরিধান করার জন্যে ৷ আমি দাড়িয়ে
তা পরিধান করে নিলাম ৷ খলীফা বললেন, পেছনে ফিরে র্দাড়াও ৷ আমি পেছনে ফিরে
র্দড়োলাম ৷ তিনি বললেন সড়ামনের দিকে মুখ করে র্দাড়াও, আমি তাই করলাম : তারপর
খলীফা বললেন, বাহ্বা, বাহ্বা, বানু মুদলাজের একজন বেদুঈন লোক, তার দেহে শোভা
পাচ্ছে পারস্য সম্রাটের রাজকীয় কোট, পায়জামা, তরবারি, কোমরবন্দ, মুকুট ও মােজড়া
জোড়া ৷ তারপর খলীফা বললেন, হে সুরাকা ! এমন একদিন ছিল যে, পারস্য সম্রাট ও তার
পরিবারের এই সব মালামাল যদি তোমার পরিধানে থাকত তবে তা হতো তোমার জন্যে এবং
তোমার সম্প্রদায়ের জন্যে পরম মর্যাদা ও গৌরবের ৷ এখন আর সেইদিন নেই ৷ এগুলো খুলে
ফেল ৷ সুরাকা তা খুলে ফেললেন ৷
এরপর খলীফা উমর ইবন খাত্তাব (রা) বললেন, হে আল্লাহ্! আপনি আপনার নবী ও
রাসুল মুহাম্মদ মোঃ কে এগুলো থেকে বিরত রেখেছেন অথচ তিনি আপনার নিকট আমার
চাইতে বহু বেশি প্রিয় ও সম্মানিত ছিলেন ৷ আপনি খলীফা আবু বকর (রা)-কে এগুলো থেকে
বিরত রেখেছেন ৷ তিনি আপনার নিকট আমার চইিতে অধিক প্রিয় ছিলেন, অধিক সম্মড়া ত
ছিলেন ৷ এখন আপনি আমাকে এগুলো দিয়েছেন ৷ হে আল্লাহ্ ! আপনি যদি আমাকে ফিতনার
ষ্;ালে আটকানাের জন্যে এগুলো দিয়ে থাকেন তাহলে এগুলো থেকে আমি আপনার আশ্রয়
ৰ্ন্ামনা করছি ৷ এরপর খলীফা র্কাদতে শুরু করলেন ৷ র্কাদছেন তাে র্কাদছেনই ৷ উপস্থিত
হ্রাৰ্রে তাকে শান্ত করলেন সান্তুনা দিলেন ৷ তারপর তিনি হযরত আবদুর রহমান ইবন
স্কো বললেন, আমি আপনাকে কসম দিচ্ছি এখন থেকে স্যাম হবার আগে আগে আপণ্
ত্ত্বষ্ষ্গাে বিক্রি করে প্রাপ্য মুল্য যথানিয়মে মানুষদের মধ্যে বণ্টন করে দিন ৷
সায়ফ ইবন উমর তামীমী বলেছেন যে, ওই সবজামা-কাপড়, হীরা-জহরতের সাথে
ম্বটো তরবারি এবং আরো কতগুলো তরবারি হযরত উমর (রা)-এর নিকট উপস্থিত করা

ত্মহৃৰিদারা ১৭


وَإِنَّمَا أَلْبَسَهُمَا سُرَاقَةَ ; لِأَنَّ رَسُولَ اللَّهِ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، قَالَ لِسُرَاقَةَ وَنَظَرَ إِلَى ذِرَاعَيْهِ: «كَأَنِّي بِكَ وَقَدْ لَبِسْتَ سِوَارَيْ كِسْرَى» قَالَ الشَّافِعِيُّ: وَقَدْ قَالَ عُمَرُ لِسُرَاقَةَ حِينَ أَلْبَسَهُ سِوَارَيْ كِسْرَى: قُلِ اللَّهُ أَكْبَرُ. فَقَالَ: اللَّهُ أَكْبَرُ. ثُمَّ قَالَ: قُلِ: الْحَمْدُ لِلَّهِ الَّذِي سَلَبَهُمَا كِسْرَى بْنَ هُرْمُزَ وَأَلْبَسَهُمَا سُرَاقَةَ بْنَ مَالِكٍ أَعْرَابِيًّا مِنْ بَنِي مُدْلِجٍ. وَقَالَ الْهَيْثَمُ بْنُ عَدِيٍّ أَخْبَرَنَا أُسَامَةُ بْنُ زَيْدٍ اللَّيْثِيُّ، ثَنَا الْقَاسِمُ بْنُ مُحَمَّدِ بْنِ أَبِي بَكْرٍ، قَالَ: بَعَثَ سَعْدُ بْنُ أَبِي وَقَّاصٍ، أَيَّامَ الْقَادِسِيَّةِ إِلَى عُمَرَ بِقَبَاءِ كِسْرَى وَسَيْفِهِ وَمِنْطَقَتِهِ وَسِوَارَيْهِ وَسَرَاوِيلِهِ وَقَمِيصِهِ وَتَاجِهِ وَخُفَّيْهِ، قَالَ: فَنَظَرَ عُمَرُ فِي وُجُوهِ الْقَوْمِ، فَكَانَ أَجْسَمَهُمْ وَأَبَدْنَهُمْ قَامَةً سُرَاقَةُ بْنُ مَالِكِ بْنِ جُعْشُمٍ، فَقَالَ: يَا سُرَاقُ قُمْ فَالْبَسْ. قَالَ سُرَاقَةُ: فَطَمِعْتُ فِيهِ فَقُمْتُ فَلَبِسْتُ. فَقَالَ: أُدَبِرْ. فَأَدْبَرْتُ، ثُمَّ قَالَ: أَقْبِلْ. فَأَقْبَلْتُ، ثُمَّ قَالَ: بَخٍ بَخٍ، أُعَيْرَابِيٌّ مِنْ بَنِي مُدْلِجٍ عَلَيْهِ قَبَاءُ كِسْرَى وَسَرَاوِيلُهُ وَسَيْفُهُ وَمِنْطَقَتُهُ وَتَاجُهُ وَخُفَّاهُ، رُبَّ يَوْمٍ يَا سُرَاقُ بْنَ مَالِكٍ، لَوْ كَانَ عَلَيْكَ فِيهِ هَذَا مِنْ مَتَاعِ كِسْرَى وَآلِ كِسْرَى، كَانَ شَرَفًا لَكَ وَلِقَوْمِكَ، انْزِعْ. فَنَزَعْتُ، فَقَالَ: اللَّهُمَّ إِنَّكَ مَنَعْتَ هَذَا رَسُولَكَ وَنَبِيَّكَ، وَكَانَ أَحَبَّ إِلَيْكَ مِنِّي، وَأَكْرَمَ عَلَيْكَ مِنِّي، وَمَنَعْتَهُ أَبَا بَكْرٍ، وَكَانَ أَحَبَّ إِلَيْكَ مِنِّي،
পৃষ্ঠা - ৫৫১৫
وَأَكْرَمَ عَلَيْكَ مِنِّي، وَأَعْطَيْتَنِيهِ، فَأَعُوذُ بِكَ أَنْ تَكُونَ أَعْطَيْتَنِيهِ لِتَمْكُرَ بِي. ثُمَّ بَكَى حَتَّى رَحِمَهُ مَنْ كَانَ عِنْدَهُ. ثُمَّ قَالَ لِعَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ عَوْفٍ: أَقْسَمْتُ عَلَيْكَ لَمَا بِعْتَهُ ثُمَّ قَسَّمْتَهُ قَبْلَ أَنْ تُمْسِيَ. وَذَكَرَ سَيْفُ بْنُ عُمَرَ التَّمِيمِيُّ أَنَّ عُمَرَ حِينَ مَلَكَ تِلْكَ الْمَلَابِسَ وَالْجَوَاهِرَ، جِيءَ بِسَيْفِ كِسْرَى وَمَعَهُ عِدَّةُ سُيُوفٍ ; مِنْهَا سَيْفُ النُّعْمَانِ بْنِ الْمُنْذِرِ نَائِبِ كِسْرَى عَلَى الْحِيرَةِ وَأَنَّ عُمَرَ قَالَ: الْحَمْدُ لِلَّهِ الَّذِي جَعَلَ سَيْفَ كِسْرَى فِيمَا يَضُرُّهُ وَلَا يَنْفَعُهُ. ثُمَّ قَالَ: إِنَّ قَوْمًا أَدَّوْا هَذَا لَذَوُوا أَمَانَةٍ. ثُمَّ قَالَ: إِنَّ كِسْرَى لَمْ يَزِدْ عَلَى أَنْ تَشَاغَلَ بِمَا أَوُتِيَ عَنْ آخِرَتِهِ، فَجَمَعَ لِزَوْجِ امْرَأَتِهِ أَوْ زَوْجِ ابْنَتِهِ، وَلَمْ يُقَدِّمْ لِنَفْسِهِ، وَلَوْ قَدَّمَ لِنَفْسِهِ وَوَضَعَ الْفُضُولَ مَوَاضِعَهَا لَحَصَلَ لَهُ. وَقَدْ قَالَ بَعْضُ الْمُسْلِمِينَ، وَهُوَ أَبُو بُجَيْدٍ نَافِعُ بْنُ الْأَسْوَدِ، فِي ذَلِكَ: وَأَمَلْنَا عَلَى الْمَدَائِنِ خَيْلًا ... بَحْرُهَا مِثْلُ بَرِّهِنَّ أَرِيضَا فَانْتَثَلْنَا خَزَائِنَ الْمَرْءِ كِسْرَى ... يَوْمَ وَلَّوْا وَحَاصَ مِنَّا جَرِيضَا
পৃষ্ঠা - ৫৫১৬


হয় ৷ তরবারিগুলোর মধ্যে একটি ছিল হীরা রাজ্যে সম্রাটের পক্ষে নিযুক্ত শাসনকর্তা নুমান
ইবন মুনযিরের ৷ তখন হযরত উমর (রা) বলেছিলেন, “সকল প্রশংসা মহান আল্লাহ্র যিনি
পারস্য সম্রাটের তরবারিকে তার জন্যে ক্ষতিকর করেছেন, যেটি তার কোন কল্যাণে আসেনি ৷
তারপর তিনি বললেন, আমাদের মুজাহিদগণ এগুলো প্রেরণ করেছে আমান৩ দার ও বিশ্বস্ত
লোকদের নিকট ৷ তিনি আরো বললেন, সম্রাট এসব ধন-সম্পদ পেয়ে পরকাল থেকে উদাসীন
থাকা ব্যতীত কিইে করতে পারেনি ৷ সেগুলো সঞ্চয় করেছিল তার ত্রীর স্বামীর জন্যে অথবা
তার কন্যার স্বামীর জন্যে ৷ সে তার নিজের পরকালীন কল্যাণের জন্যে কিছুই করেনি ৷ সে যদি
তার নিজের পরকালীন কলা৷ণের জন্যে কিছু সঞ্চয় করত এবং অতিরিক্ত ধন-সম্পদ যথান্থানে
ব্যয় করত তাহলে সে তা পেত ৷ এ সম্পর্কে জনৈক মুসলিম করি আবু নুজায়দ নাফি ইবন
আসওয়াদ বলেছেন :
আমাদের লক্ষ্য ছিল যে, আমরা মাদাইন জয় করার জন্যে অশ্বদল পাঠাব ৷ আমাদের ওই
অশ্বদলের জন্যে স্থলভাগ-জলভাগ দুটোই সমান, দুটোই কল্যাণকর ৷

আমরা প্;ারস্য সম্রাটের সকল ধনৈশ্বর্য দখল করে নিয়েছি ৷ যেদিন তারা পালিয়ে গিয়েছে
অম্রাদেব্র ভয়ে ৷ পালিয়েছে দুঃখ বেদনা ভরা মন নিয়ে ৷

জালুলার যুদ্ধ

পরস৷ সম্রাট ইয়ায্দপির্দের ইবন শাহারিয়৷ ৷র মাদাইন থেকে পালিয়ে হুলওয়ানের উদ্দোশা
যাত্রা করল ৷ সে পথিমধ্যে স্থানীয় বিভিন্ন শহর ও গোত্রের লোকজন একত্র করে সেনাদল
পুনর্গঠনের তৎপরতা চালায় ৷ ফলে সেখানে পারসিকদের একটি বিশাল বাহিনী গড়ে ওঠে ৷
সম্রাট ইয়াযদাগরদ তাদের সেনাপতি নিযুক্ত করে মাহরানকে ৷ ওদেরকে ওখানে রেখে সম্রাট
ইয়াযদগির্দ হুলওয়ান গিয়ে পৌছে ৷ এই সেনাবাহিনী মুসলিম সেনাবাহিনী ও পারস্য সম্রাটের
সাথে বেবিকেড হিসেবে জালুলা নামক স্থানে অবস্থান নেয় ৷ ওরা জালুলার চারদিকে বড় বড়
পরিখ৷ তৈরি করে ৷ বহু সৈন্যের বিশাল বাহিনী নিয়ে এবং অবরুদ্ধ থাকা অবস্থায় জীবন
ধারণের জন্যে প্রয়োজনীয় আসবাবপত্র নিয়ে তারা সেখানে বসবাস করতে থাকে ৷ মুসলিম
সেনাপতি হযরত সাদ ইবন আবু ওয়াক্কাস (রা) খলীফা উমর (রা) কে এ সংবাদ অবহিত
করেন ৷ খলীফ৷ তাকে লিখেন যে, সা দ নিজে মাদাইনে থাকবেন ৷৩ তার তাতিজ৷ হাশিম ইবন
উত বাকে সেনাপতি নিযুক্ত করে একটি সেনাদল সম্রাট ইয়ায্দপির্দের উদ্দেশ্যে প্রেরণ করবেন ৷
ওই বাহিনীর সম্মুখে থাকবে কা কা ইবন আমর, ডান বাহুতে সা দ ইবন মালিক ৷ বাম বাহুতে
তার ভাই আমর ইবন মালিক ৷ মুল দলের দায়িত্বে আমর ইবন মুররাহ্ জুহানী ৷ খলীফার

নির্দোশ সেনাপতি সাদ (রা) তইি করলেন ৷
প্রায় ১২ হাজার সৈন্যের এক বিশাল বাহিনী তার তাতিজ৷ হাশিম ইবন উতবার নেতৃত্বে
সম্রাট ইয়াযদগির্দের উদ্দেশেব্রু প্রেরণ করলেন ৷ ওই বাহিনীতে নেতৃস্থানীয় মুহাজিরগণ,
আনসারগণ এবং আরব মুসলমানগণ ছিলেন ৷ এই অভিযান প্রেরণ করা হয় এই হিজরী সনের


[وَقْعَةُ جَلُولَاءَ] لَمَّا سَارَ كِسْرَى وَهُوَ يَزْدَجِرْدُ بْنُ شَهْرِيَارَ مِنَ الْمَدَائِنِ هَارِبًا إِلَى حُلْوَانَ شَرَعَ فِي أَثْنَاءِ الطَّرِيقِ فِي جَمْعِ رِجَالٍ وَأَعْوَانٍ وَجُنُودٍ، مِنَ الْبُلْدَانِ الَّتِي هُنَاكَ، فَاجْتَمَعَ إِلَيْهِ خَلْقٌ كَثِيرٌ، وَجَمٌّ غَفِيرٌ مِنَ الْفُرْسِ، وَأَمَّرَ عَلَى الْجَمِيعِ مِهْرَانَ، وَسَارَ كِسْرَى إِلَى حُلْوَانَ، وَأَقَامَ الْجَمْعُ الَّذِي جَمَعَهُ بَيْنَهُ وَبَيْنَ الْمُسْلِمِينَ فِي جَلُولَاءَ، وَاحْتَفَرُوا خَنْدَقًا عَظِيمًا حَوْلَهَا، وَأَقَامُوا بِهَا فِي الْعَدَدِ وَالْعُدَدِ وَآلَاتِ الْحِصَارِ، فَكَتَبَ سَعْدٌ إِلَى عُمَرَ يُخْبِرُهُ بِذَلِكَ، فَكَتَبَ إِلَيْهِ عُمَرُ، أَنْ يُقِيمَ هُوَ بِالْمَدَائِنِ، وَيَبْعَثَ ابْنَ أَخِيهِ هَاشِمَ بْنَ عُتْبَةَ أَمِيرًا عَلَى الْجَيْشِ الَّذِي يَبْعَثُهُ إِلَى كِسْرَى، وَيَكُونَ عَلَى الْمُقَدِّمَةِ الْقَعْقَاعُ بْنُ عَمْرٍو، وَعَلَى الْمَيْمَنَةِ سِعْرُ بْنُ مَالِكٍ، وَعَلَى الْمَيْسَرَةِ أَخُوهُ عُمَرُ بْنُ مَالِكٍ، وَعَلَى السَّاقَةِ عَمْرُو بْنُ مُرَّةَ الْجُهَنِيُّ. فَفَعَلَ سَعْدٌ ذَلِكَ، وَبَعَثَ مَعَ ابْنِ أَخِيهِ جَيْشًا كَثِيفًا يُقَارِبُ اثْنَيْ عَشَرَ الْفًا، مِنْ سَادَاتِ الْمُسْلِمِينَ وَوُجُوهِ الْمُهَاجِرِينَ وَالْأَنْصَارِ، وَرُءُوسِ الْعَرَبِ. وَذَلِكَ فِي صَفَرٍ مِنْ هَذِهِ السَّنَةِ، بَعْدَ فَرَاغِهِمْ مِنْ أَمْرِ الْمَدَائِنِ فَسَارُوا حَتَّى انْتَهَوْا إِلَى الْمَجُوسِ وَهُمْ بِجَلُولَاءَ قَدْ خَنْدَقُوا عَلَيْهِمْ، فَحَاصَرَهُمْ هَاشِمُ بْنُ عُتْبَةَ، وَكَانُوا يَخْرُجُونَ مِنْ بَلَدِهِمْ لِلْقِتَالِ فِي كُلِّ
পৃষ্ঠা - ৫৫১৭


অর্থাৎ ১৬ হিজরী সনের সফর মাসে মাদাইন যুদ্ধের পরে ৷ সেনাদল যাত্রা করল ৷ তারা অগ্নি
উপাসক পারসিকদের নিকট গিয়ে পৌছল ৷ ওরা ছিল জালুলা নামক স্থানে ৷ তাদের চারদিক
ছিল সদ্য খননকৃত পরিখাসমুহ ৷ হাশিম ইবন উতবা ওদেরকে অবরুদ্ধ করলেন ৷ ন্ওরাও
সার্বক্ষণিক শহর থেকে বের হয়ে যুদ্ধ করত ৷ এত প্ৰচগু যুদ্ধ হতো যা ইতিপুর্বে শোনা মায়নি ৷
সম্রাট ইয়াযদগির্দ ওদের নিকট নিয়মিত সেনা সাহায্য পাঠান ৷ মুসলিম সেনাপতি সাব্দও একের
পর এক অতিরিক্ত সেনাদল পাঠাচ্ছিলেন হাশিম ইবন উতবড়ার সাহায্যার্থে ৷ যুদ্ধ উত্তেজনাকর
রুপ নিল ৷ কঠিন আঘাত প্ৰতিঘাত চলল ৷ যুদ্ধের আওণ্ৰু দাউ আউ করে জ্বলরুত লাগল ৷
সেনরুপ্াতি হাশিম সৈনিকদের উদ্দেশ্যে একাধিকবার ভাষণ দিলেন ৷ তিনি তাদেরকে আল্লাহ্র
উপর ভরসা রাখার এবং কঠিন যুর্দ্ধ পরিচালনায় উৎসা ত করলেন ৷ এদিকে পারসিকপণও
প্রতিশ্রুতিবন্ধ হলো এবং আ গুন ছুয়ে শপথ নিল যে, আরবদের নিশ্চিহ্ন না করে তারা এই ন্থন্যে
ত্যাগ করবে না ৷
যুদ্ধের শেষ দিন জয়-পরাজয় সাবাস্ত হবার দিনও উভয়পক্ষ ভোর থেকে প্রৰুভি নিয়েছিল ৷
প্রচণ্ড যুদ্ধ চলল ৷ এমন যুদ্ধ ইতিপুর্বে হয়নি ৷ এক পর্যায়ে উভয়পক্ষের বর্শা ফুউৰু: য় রুপ ৷
শেষ হয়ে গেল ৷ তারা তরবারি ও কুঠার ব্যবহার শুরু করল ৷ ইতিমদু;ধদ্র যে হরের নক্ষ্মৰুক্ষুহুব
সময় হয়ে গেল ৷ মুসলমড়ানগণ ইশারায়ইঙ্গিতে নামায আদায় করে নিলেন ৷ পারসিকদের প্রহ;ম
দল পেছনে গিয়ে নতুন দল সম্মুখে এল ৷ এসময় কাকা ইবন অমর মুসলমানদের উদ্দেশ্যে
বললেন হে মুসলিম সৈন্যদল ! আপনারা যা দেখছেন তা কি আপন্নহ্বদর ভীত কররুছ?
মুসলিম সৈন্যরা বলল, “তা তো বটে ৷’ আমরা পরিশ্রমের পর পরিশ্রম করছি তার শ্ত্রু দ্সন্হৃভ্রুরণ্;
বিশ্রাম নিচ্ছে ৷ তিনি বললেন, এবার আমরা ওদর উপর প্রচগুড্যাব হামলা করব ৷ ওদেরকে
কাবু করার জ্যন্য আপ্রাণ চেষ্টা করব ৷ যতক্ষণ না আল্লাহ্ আমাদের এবং তাদের মাঝে ফয়সৰ্লদ্
করে দেন ৷ আপনারা সকলে এবার ওদের উপর একযোগে একসাথে সম্মিলিত আক্রমণ
চালাবেন ৷ ওদের রক্ষাব্যুহ ভেদ করে আমরা ওদের সাথে মিশে যাব এবং কাছে থেকে মাবব ৷
কাকা ইবন আমর আক্রমণ চালালেন ৷ সকল মুসলিম সৈন্য একযোগে আক্রমণ চালাল ৷
কাকা হামলা চালালেন প্রচণ্ড সাহসী বীর অশ্বারোহীর একটি দল সাথে নিয়ে ৷ তিনি
শক্রপহ্মের পরিখার ম;খে গিয়ে পৌছলেন ৷
ইতিমধ্যে রাতের অন্ধকার নেমে এল ৷ তার অবশিষ্ট সাথিপণ সাধারণ সৈনিকদের মাঝে
রয়ে গেল ৷ তারা যুদ্ধ চালাতে ইতস্তত করছিল রাত নেমে আমার কারণে ৷ সেদিন সাহসী
সৈন্যদের মধ্যে তুলায়হা আসাদী, আমর ইবন মাদীকারাব যুবড়ায়দী কায়স ইবন মাকসুহ এবং
ছদ্রর ইবন আদী প্রমুখ ছিলেন ৷ রাতের অন্ধকারে কাকা কোথায় গিয়ে পৌক্রুছছেন কী
ৰুরছেন তা তারা জানতেন না ৷ তবে তারা জেনেছেন জনৈক ঘোরণাকারীর ঘোষণার মাধ্যমে ৷
ক্রো বলেন, হে ঘুসলিমগণ ৷ তোমরা কোথায় ? এই যে, তামাদের সেনাপতি শত্রু সৈন্যের
মোঃ দরজায় দাড়িয়ে আছেন ৷ ’ অগ্নি উপাসক পারসিক সৈন্যরা এই ঘোষণা শুনে প্াৰিখা
শু স্লেৰু পালাতে শুরু করে ৷ এদিকে কাকা এর অবস্থানে পৌছার জন্যে মুসলমান সৈনপেণ শত্রু
£ব্ক্তষ্টনীর উপর আক্রমণ চালাতে থাকে ৷ তারা এগিয়ে গিয়ে দেখে কা’ক৷ ওদের খঃন্দকের
ন্ষ্ন্র ৷ তিনি দরজা দখল করে আছেন ৷ পারসিক সৈন্যপণ যত তাড়াতাড়ি সম্ভব পালৰুত্রুচ্ছ
; র্ক্সহু পচ্লন্থচ্ছে ৷ দুসলমানণণ চারদিক থেকে ওদেরকে ঘিরে ফেলে ৷ ওদেরকে ধরার জানা


(গ্


وَقْتٍ، فَيُقَاتِلُونَ قِتَالًا لَمْ يُسْمَعْ بِمِثْلِهِ. وَجَعَلَ كِسْرَى يَبْعَثُ إِلَيْهِمُ الْأَمْدَادَ، وَكَذَلِكَ سَعْدٌ يَبْعَثُ الْمَدَدَ إِلَى ابْنِ أَخِيهِ، مَرَّةً بَعْدَ أُخْرَى. وَحَمِيَ الْقِتَالُ، وَاشْتَدَّ النِّزَالُ، وَاضْطَرَمَتْ نَارُ الْحَرْبِ، وَقَامَ فِي النَّاسِ هَاشِمٌ فَخَطَبَهُمْ غَيْرَ مَرَّةٍ، فَحَرَّضَهُمْ عَلَى الْقِتَالِ، وَالتَّوَكُّلِ عَلَى اللَّهِ. وَقَدْ تَعَاقَدَتِ الْفُرْسُ وَتَعَاهَدَتْ، وَحَلَفُوا بِالنَّارِ أَنْ لَا يَفِرُّوا أَبَدًا حَتَّى يُفْنُوا الْعَرَبَ. فَلَمَّا كَانَ الْمَوْقِفُ الْأَخِيرُ، وَهُوَ يَوْمُ الْفَيْصَلِ وَالْفُرْقَانِ، تَوَاقَفُوا مِنْ أَوَّلِ النَّهَارِ، فَاقْتَتَلُوا قِتَالًا شَدِيدًا لَمْ يُعْهَدْ مِثْلُهُ، حَتَّى فَنِيَ النُّشَّابُ مِنَ الطَّرَفَيْنِ، وَتَقَصَّفَتِ الرِّمَاحُ مِنْ هَؤُلَاءِ وَمِنْ هَؤُلَاءِ، وَصَارُوا إِلَى السُّيُوفِ وَالطَّبَرْزِينَاتِ، وَحَانَتْ صَلَاةُ الظُّهْرِ فَصَلَّى الْمُسْلِمُونَ إِيمَاءً، وَذَهَبَتْ فِرْقَةُ الْمَجُوسِ وَجَاءَتْ مَكَانَهَا أُخْرَى، فَقَامَ الْقَعْقَاعُ بْنُ عَمْرٍو فِي الْمُسْلِمِينَ فَقَالَ: أَهَالَكُمْ مَا رَأَيْتُمْ أَيُّهَا الْمُسْلِمُونَ؟ قَالُوا: نَعَمْ إِنَّا كَالُّونَ وَهُمْ مُرِيحُونَ. فَقَالَ: بَلْ إِنَّا حَامِلُونَ عَلَيْهِمْ، وَمُجِدُّونَ فِي طَلَبِهِمْ حَتَّى يَحْكُمَ اللَّهُ بَيْنَنَا، فَاحْمِلُوا عَلَيْهِمْ حَمْلَةَ رَجُلٍ وَاحِدٍ حَتَّى نُخَالِطَهُمْ. فَحَمَلَ وَحَمَلَ النَّاسُ، فَأَمَّا الْقَعْقَاعُ فَإِنَّهُ صَمَّمَ الْحَمَلَةَ فِي جَمَاعَةٍ مِنَ الْفُرْسَانِ وَالْأَبْطَالِ وَالشُّجْعَانِ، حَتَّى انْتَهَى إِلَى بَابِ الْخَنْدَقِ، وَأَقْبَلَ اللَّيْلُ بِظَلَامِهِ، وَجَالَتْ بَقِيَّةُ الْأَبْطَالِ بِمَنْ مَعَهُمْ فِي النَّاسِ، وَجَعَلُوا يَأْخُذُونَ فِي التَّحَاجُزِ مِنْ أَجْلِ إِقْبَالِ اللَّيْلِ، وَفِي الْأَبْطَالِ يَوْمَئِذٍ طُلَيْحَةُ الْأَسَدِيُّ، وَعَمْرُو بْنُ مَعْدِيكَرِبَ، وَقَيْسُ بْنُ مَكْشُوحٍ، وَحُجْرُ بْنُ عَدِيٍّ، وَلَمْ يَعْلَمُوا بِمَا صَنَعَهُ الْقَعْقَاعُ فِي ظُلْمَةِ اللَّيْلِ، وَلَمْ
পৃষ্ঠা - ৫৫১৮


সকল চৌকিতে পাহারা দেয় ৷ ওই যুদ্ধের ময়দানে প্রায় এক লাখ পারসিক সৈন্য নিহত হয় ৷
নিহতদের লাশে ভুমির উপরিভাপ ঢাকা পড়ে যায় ৷ এজন্যে ওই এলাকার নাম জালুলা অর্থাৎ
আচ্ছাদিত রাখা হয়েছে ৷

মুসলমনগণ মাদাইনে যে পরিমাণ শত্রু সম্পদ হস্তগত করেছিলেন এই যুদ্ধেও প্রায় যে
পরিমাণ শত্রু সম্পদ অত্তনি করেন ৷ যে কয়জন পারসিক সৈন্য পালিয়ে গিয়ে সম্রাট
ইয়ায্দগির্দের কাছে পৌছেছিল ওদেরকে ধ্বংস করার জন্যে সেনাপতি হাশিম ইবন উতবা
কাকা ইবন আমরকে প্রেরণ করেন ৷ কাকা ইবন আমব শত্রুর খোজে অগ্রসর হন ৷ তড়ারা
পারসিক সেনাপতি মাহরানকৈ পলায়ন চেষ্টারত অবস্থায় ধরে ফেলেন ৷ তারপর কাকা ইবন
আমর তাকে হত্যা করেন ৷ পারসিকদের অন্য একজন সেনাপতি ফীরুযান মুসলমানদের হাত
থেকে বেচে পালিয়ে যায় ৷ অনেক পারসিক সৈন্য বন্দী হয় ৷ তাদেরকে হাশিম ইবন উতবার
নিকট প্রেরণ করা হয়, মুসলমানগণ বহু পশু-প্রাণী দখল করে নেয় ৷ হাশিম ইবন উতবা
গনীমতের মালামাল তার চাচা প্রধান সেনাপতি সাদ (রা)-এর নিকট প্রেরণ করেন ৷ সেনাপতি
সাদ বিধি মুতাবিক সেগুলো প্রাপকদের মধ্যে বণ্টন করে দেন ৷

শাবী বলেন, জালুলা-এর যুদ্ধে প্রাপ্ত মালামালের মুল্য ছিল প্রায় তিন কোটি দিরহাম ৷ তার
হু, অংশ ছিল ৬০ লক্ষ দিরহাম প্রায় ৷ অন্যরা বলেছেন যে, প্রত্যেক সৈন্য মাদাইন যুদ্ধে যে
পরিমাণ গনীমতের মাল পেয়েছিল জালুলার যুদ্ধেও প্রায় যে পরিমাণ মালামাল পেয়েছিল ৷
অর্থাৎ প্রত্যেক অশ্বারােহী পেয়েছিল ১২ হাজার মুদ্রা করে ৷ কেউ কেউ বলেছেন, প্রত্যেক
অশ্বারােহী যোদ্ধা পেয়েছিলেন ৯ হাজার দিরহাম ও নয়টি করে পশু ৷ এগুলো সংগ্রহ ও বণ্টনের
দায়িত্বে ছিলেন হযরত সালমান ফারসী (রা) ৷ এরপর সেনাপতি সাদ (রা) মালামাল,
দাস-দাসী ও জীব-জন্তুর হ্র৫ অংশ যিয়াদ ইবন আবু সুফয়ান, কুদাআ ইবন আমর এবং আবু
মুকাররিন আসাদীর মাধ্যমে খলীফা উমর (রা)-এর নিকট প্রেরণ করেন ৷ তারা খলীফার
দরবারে উপস্থিত হলেন ৷

খলিফা উমর (রা) যিয়াদ ইবন আবু সুফয়ানের নিকট যুদ্ধের বিবরণ শুনতে চইিলেন ৷
যিয়াদ সবিন্তারে ওই বিবরণ পেশ করলেন ৷ যিয়াদ খুব বিশুদ্ধভাষী ও বান্সী লোক ছিলেন ৷ তার
উপস্থাপনা ও বিবরণ খলীফার বেশ পছন্দ হয় ৷ তিনি চাইলেন যে, মদীনায় মুসলমানগণ
যিয়াদের মুখে যুদ্ধের বিবরণ শুনুক ৷ খলীফা ষিয়াদকে ডেকে বললেন, “তুমি আমাকে যেভাবে
ওই বিবরণ শুনিয়েছ উপস্থিত লোকজনকে কি তা শুনাতে পারবে ? যিয়াদ বললেন, হে
আমীরুল মু’মিনীন! হ্যা পারব ৷ কারণ এই জগতে একমাত্র আপনিই আমার সবচেয়ে বেশি
ভরের মানুষ ৷ আপনার নিকট যখন বিবরণ দিতে পেয়েছি তখন অন্যের নিকট পারব না কেনঃ’
যিয়াদ সবার সম্মুখে র্দাড়ালেন এবং যুদ্ধের বর্ণনা দিলেন ৷ তিনি অত্যন্ত বিশুদ্ধ ও শ্রুতিমধুর
ভাষায় নিহতের সংখ্যা, গনীমতের মালামালের পরিমাণসহ পুরো বৃত্তান্ত পেশ করলেন ৷ তখন
হযরত উমর (রা) বলেন, নিশ্চয়ই- এই লোক বিশুদ্ধ ভাষী ব্যক্তি ৷ তখন যিয়াদ বললেন,
আমাদের সৈন্যগণ বিজয় লাভের মাধ্যমে আমাদের জিহ্বা মুক্ত করে দিয়েছে ৷ সাহসের সাথে
কথা বলার সুযোগ করে দিয়েছে ৷ এরপর খলীফা উমর (রা) কসম করে বললেন যে, এই
মালামাল যেন বণ্টনের পুর্বে কেউ গৃহে না ঢোকে ৷


يَشْعُرُوا بِذَلِكَ، لَوْلَا مُنَادِيهِ يُنَادِي: أَيْنَ أَيُّهَا الْمُسْلِمُونَ! هَذَا أَمِيرُكُمْ عَلَى بَابِ خَنْدَقِهِمْ. فَلَمَّا سَمِعَ ذَلِكَ الْمَجُوسُ فَرُّوا، وَحَمَلَ الْمُسْلِمُونَ نَحْوَ الْقَعْقَاعِ بْنِ عَمْرٍو، فَإِذَا هُوَ عَلَى بَابِ الْخَنْدَقِ قَدْ مَلَكَهُ عَلَيْهِمْ، وَهَرَبَتِ الْفُرْسُ كُلَّ مَهْرَبٍ، وَأَخَذَهُمُ الْمُسْلِمُونَ مِنْ كُلِّ وَجْهٍ، وَقَعَدُوا لَهُمْ كُلَّ مَرْصَدٍ، فَقُتِلَ مِنْهُمْ فِي ذَلِكَ الْمَوْقِفِ مِائَةُ أَلْفٍ، حَتَّى جَلَّلُوا وَجْهَ الْأَرْضِ بِالْقَتْلَى، فَلِذَلِكَ سُمِّيَتْ جَلُولَاءَ. وَغَنِمُوا مِنَ الْأَمْوَالِ وَالسِّلَاحِ وَالذَّهَبِ وَالْفِضَّةِ قَرِيبًا مِمَّا غَنِمُوا مِنَ الْمَدَائِنِ قَبْلَهَا وَبَعَثَ هَاشِمُ بْنُ عُتْبَةَ الْقَعْقَاعَ بْنَ عَمْرٍو فِي إِثْرِ مَنِ انْهَزَمَ مِنْهُمْ وَرَاءَ كِسْرَى، فَسَاقَ خَلْفَهُمْ حَتَّى أَدْرَكَ مِهْرَانَ مُنْهَزِمًا، فَقَتَلَهُ الْقَعْقَاعُ بْنُ عَمْرٍو، وَأَفْلَتَهُمُ الْفَيْرُزَانُ فَاسْتَمَرَّ مُنْهَزِمًا، وَأَسَرَ سَبَايَا كَثِيرَةً بَعَثَ بِهَا إِلَى هَاشِمِ بْنِ عُتْبَةَ، وَغَنِمُوا دَوَابَّ كَثِيرَةً جِدًّا. ثُمَّ بَعَثَ هَاشِمٌ بِالْغَنَائِمِ وَالْأَمْوَالِ إِلَى عَمِّهِ سَعْدِ بْنِ أَبِي وَقَّاصٍ، فَنَفَلَ سَعْدٌ ذَوِي النَّجْدَةِ، ثُمَّ أَمَرَ بِقَسْمِ ذَلِكَ عَلَى الْغَانِمِينَ. قَالَ الشَّعْبِيُّ: كَانَ الْمَالُ الْمُتَحَصَّلُ مِنْ وَقْعَةِ جَلُولَاءَ ثَلَاثِينَ أَلْفَ أَلْفٍ، وَكَانَ خُمُسُهُ سِتَّةَ آلَافِ أَلْفٍ. وَقَالَ غَيْرُهُ: كَانَ الَّذِي أَصَابَ كُلُّ فَارِسٍ يَوْمَ جَلُولَاءَ نَظِيرَ مَا حَصَلَ لَهُ يَوْمَ الْمَدَائِنِ. يَعْنِي اثْنَيْ عَشَرَ أَلْفًا لِكُلِّ فَارِسٍ. وَقِيلَ: أَصَابَ كُلُّ فَارِسٍ تِسْعَةَ آلَافٍ وَتِسْعَ دَوَابٍّ.
পৃষ্ঠা - ৫৫১৯


বন্তুত আবদুল্লাহ ইবন আরকাম ও আবদুর রহমান ইবন আওফ সারারাত মসজিদের মধ্যে
ওই মালামাল পাহারায় রেখেছেন ৷ ভোরে ফজরের নামাষের পর এবং সুর্যোদয়ের পরে খলীফা
উমর (রা) লোকজন নিয়ে ওই মালামালের নিকট আসেন ৷ তার নির্দেশে ওগুলোর পর্দা সরিয়ে
ফেলা হয় ৷ মহামুল্যবান, ইয়াকুত, যবরজাদ, (চুনী পান্না, গোমেদ) হলুদ সোনা ও শ্বেতরুপা
দেখে হযরত উমর (রা) কেদে ফেলালন ৷ হযরত আবদুর রহমান ইবন আওফ (রা) বললেন,
আমীরুল যু’মিনীন! বগদছেন কেনঃ এটাভাে গােকরগুজারী করার স্থান ও পরিবেশ ৷ হযরত
উমর (রা) বললেন, আল্লাহ্র কসম ৷ আমি তো সেজন্যে কাদছি না ৷ আমি র্কাদছি এজন্যে যে,
আল্লাহ তাআলা যে সম্প্রদায়কে এই বিলাস-ব্যসন দিয়েছেন সেই সম্প্রদায় নিজেদের মধ্যে
হিং সা বিদ্বেষে লিপ্ত হয়েছে ৷ আর যাদের মধ্যে হিংসা জন্মেছে তারা পরস্পর যুদ্ধ-কািহে৫ লিপ্ত
হয়ে গিয়েছে ৷ এরপর তিনি এ মালামাল বণ্টন করে দিয়েছেন যেমন বন্টন করেছিলেন
কাদোসয়া যুদ্ধে অজিতি মালামাল ৷

সায়ফ ইবন উমর তার শায়খের উদ্ধৃতি দিয়ে বলেছেন, জালুলার যুদ্ধ সংঘটিত হয়েছে ১৬
হিজরী সনের যুলকদাে মাসে ৷ মাদাইনের যুদ্ধ ও জালুলার যুদ্ধে ব্যবধান ছিল ৯ মাসের ৷ সায়ফ
থেকে বর্ণিত এই বর্ণনায় জমি ও জমির খাজনা সম্পর্ক ইবন জারীর কিছু বিরুপ আলোচনা
করেছেন ৷ এ বিষয়ের আলোচনার উপযুক্ত স্থান হলো “আহকাম বা বিধান” বিষয়ক অধ্যায় ৷

জালুলা যুদ্ধ সম্পর্কে হাশিম ইবন উতবা নিম্নের কবিতা আবৃত্তি করেছেন :
জালুলার যুদ্ধ , রুস্তমের বিরুদ্ধে যুদ্ধ এবং কুফা বিজয়ের যুদ্ধ ৷
ষ্ণ্১ইএ হ্ৰু>ছুট্র
মুহাররাম মাসের যুদ্ধ এবং এগুলোর মাঝে সংঘটিত যুদ্ধগুলো ৷
এ সবগুলো যুদ্ধ তাে আমার চুলগুলো পাকিয়ে দিয়েছে ৷ সেগুলোতে এখন বার্ধক্য ৷
সেগুলো যেন ইহরাম শরীফের ছুপ্যম ঘাস ৷
এ প্রসঙ্গে আবু নুজায়দ বলেন :
জালুলার প্রচণ্ড যুদ্ধে আমাদের ভৈসনর৷ শত্রুপক্ষেৰ সৈন্যদের উপর আক্রমণ করেছে জংলী
সিংহের ন্যায় ৷
চুৰুৰু১ট্রুর
আমাদের সৈন্যরা ঐক্যবদ্ধ পারসিক সৈন্যদেরকে ছত্রভঙ্গ করে দিয়েছে ৷ তারপর পানিতে
মিশিয়ে দিয়েছে ৷ ওই নাপাক অগ্নি উপাসক লাশ ও দেহগুলোর জন্যে ধ্বংস ও ব্যর্থত৷ ৷

র্দ্র ! ৷ ৷



وَكَانَ الَّذِي وَلِيَ قَسْمَ ذَلِكَ بَيْنَ الْمُسْلِمِينَ وَتَحْصِيلَهُ سَلْمَانُ بْنُ رَبِيعَةَ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ. ثُمَّ بَعَثَ سَعْدٌ بِالْأَخْمَاسِ مِنَ الْمَالِ وَالرَّقِيقِ وَالدَّوَابِّ مَعَ زِيَادِ بْنِ أَبِي سُفْيَانَ، وَقُضَاعِيِّ بْنِ عَمْرٍو، وَأَبِي مُفَزِّرٍ الْأَسْوَدِ. فَلَمَّا قَدِمُوا عَلَى عُمَرَ سَأَلَ عُمَرُ زِيَادَ بْنَ أَبِي سُفْيَانَ عَنْ كَيْفِيَّةِ الْوَقْعَةِ، فَذَكَرَهَا لَهُ، وَكَانَ زِيَادٌ فَصِيحًا، فَأَعْجَبَ إِيرَادُهُ لَهَا عُمَرَ بْنَ الْخَطَّابِ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، وَأَحَبَّ أَنْ يَسْمَعَ الْمُسْلِمُونَ مِنْهُ ذَلِكَ، فَقَالَ لَهُ: أَتَسْتَطِيعُ أَنْ تَخْطُبَ النَّاسَ بِمَا أَخْبَرْتَنِي بِهِ؟ قَالَ: نَعَمْ يَا أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ، إِنَّهُ لَيْسَ أَحَدٌ عَلَى وَجْهِ الْأَرْضِ أَهِيبَ عِنْدِي مِنْكَ، فَكَيْفَ لَا أَقْوَى عَلَى هَذَا مَعَ غَيْرِكَ؟ فَقَامَ فِي النَّاسِ فَقَصَّ عَلَيْهِمْ خَبَرَ الْوَقْعَةِ، وَكَمْ قَتَلُوا، وَكَمْ غَنِمُوا، بِعِبَارَةٍ عَظِيمَةٍ بَلِيغَةٍ، فَقَالَ عُمَرُ: إِنَّ هَذَا لَهُوَ الْخَطِيبُ الْمِصْقَعُ. يَعْنِي الْفَصِيحَ. فَقَالَ زِيَادٌ: إِنَّ جُنْدَنَا أَطْلَقُوا بِالْفِعَالِ لِسَانَنَا. ثُمَّ حَلَفَ عُمَرُ بْنُ الْخَطَّابِ أَنْ لَا يُجِنَّ هَذَا الْمَالَ الَّذِي جَاءُوا بِهِ سَقْفٌ حَتَّى يَقْسِمَهُ، فَبَاتَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ أَرْقَمَ وَعَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ عَوْفٍ يَحْرُسَانِهِ فِي الْمَسْجِدِ، فَلَمَّا أَصْبَحَ جَاءَ عُمَرُ فِي النَّاسِ، بَعْدَ مَا صَلَّى الْغَدَاةَ وَطَلَعَتِ الشَّمْسُ، فَأَمَرَ فَكَشَفَ عَنْهُ جَلَابِيبَهُ، فَلَمَّا نَظَرَ إِلَى يَاقُوتِهِ وَزَبَرْجَدِهِ وَذَهَبِهِ الْأَصْفَرِ وَفِضَّتِهِ الْبَيْضَاءِ بَكَى عُمَرُ، فَقَالَ لَهُ عَبْدُ الرَّحْمَنِ: مَا يُبْكِيكَ يَا أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ؟ فَوَاللَّهِ إِنَّ هَذَا لِمَوْطِنُ شُكْرٍ. فَقَالَ عُمَرُ: وَاللَّهِ مَا ذَاكَ يُبْكِينِي، وَتَاللَّهَ مَا أَعْطَى اللَّهُ هَذَا قَوْمًا إِلَّا تَحَاسَدُوا وَتَبَاغَضُوا، وَلَا تَحَاسَدُوا إِلَّا أُلْقِيَ بَأْسُهُمْ بَيْنَهُمْ. ثُمَّ قَسَمَهُ كَمَا قَسَمَ أَمْوَالَ الْقَادِسِيَّةِ.
পৃষ্ঠা - ৫৫২০
وَرَوَى سَيْفُ بْنُ عُمَرَ عَنْ شُيُوخِهِ أَنَّهُمْ قَالُوا: وَكَانَ فَتْحُ جَلُولَاءَ فِي ذِي الْقِعْدَةِ مِنْ سَنَةِ سِتَّ عَشْرَةَ، وَكَانَ بَيْنَهُ وَبَيْنَ فَتْحِ الْمَدَائِنِ تِسْعَةُ أَشْهُرٍ. وَقَدْ تَكَلَّمَ ابْنُ جَرِيرٍ هَاهُنَا فِيمَا رَوَاهُ عَنْ سَيْفٍ، عَلَى مَا يَتَعَلَّقُ بِأَرْضِ السَّوَادِ وَخَرَاجِهَا، وَمَوْضِعُ تَحْرِيرِ ذَلِكَ كِتَابُ " الْأَحْكَامِ ". وَقَدْ قَالَ هَاشِمُ بْنُ عُتْبَةَ فِي يَوْمِ جَلُولَاءَ: يَوْمُ جَلُولَاءَ وَيَوْمُ رُسْتُمْ ... وَيَوْمُ زَحْفِ الْكُوفَةِ الْمُقَدَّمْ وَيَوْمُ عَرْضِ النَّهْرِ الْمُحَرَّمْ ... وَأَيَّامٌ خَلَتْ مِنْ شَهْرٍ صُرَّمْ شَيَّبْنَ أَصْدُغِي فَهُنَّ هُرَّمْ ... مِثْلُ ثُغَامِ الْبَلَدِ الْمُحَرَّمْ وَقَالَ أَبُو بُجَيْدٍ فِي ذَلِكَ:
পৃষ্ঠা - ৫৫২১
وَيَوْمُ جَلُولَاءَ الْوَقِيعَةِ أَصْبَحَتْ ... كَتَائِبُنَا تَرْدِي بِأُسْدٍ عَوَابِسِ فَضَضْتُ جُمُوعَ الْفُرْسِ ثُمَّ أَنَمْتُهُمْ ... فَتَبًّا لِأَجْسَادِ الْمَجُوسِ النَّجَائِسِ وَأَفْلَتَهُنَّ الْفَيْرُزَانُ بِجَرْعَةٍ وَمِهْرَانُ ... أَرْدَتْ يَوْمَ حَزِّ الْقَوَانِسِ أَقَامُوا بِدَارٍ لِلْمَنِيَّةِ مَوْعِدُ ... وَلِلتُّرْبِ تَحْثُوهَا خَجُوجُ الرَّوَامِسِ [ذِكْرُ فَتْحِ حُلْوَانَ] وَلَمَّا انْقَضَتِ الْوَقْعَةُ، أَقَامَ هَاشِمُ بْنُ عُتْبَةَ بِجَلُولَاءَ عَنْ أَمْرِ عُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ - فِي كِتَابِهِ إِلَى سَعْدٍ - وَتَقَدَّمَ الْقَعْقَاعُ بْنُ عَمْرٍو إِلَى حُلْوَانَ عَنْ أَمْرِ عُمَرَ أَيْضًا ; لِيَكُونَ رِدْءًا لِلْمُسْلِمِينَ هُنَالِكَ، وَمُرَابِطًا لِكِسْرَى حَيْثُ هَرَبَ. فَسَارَ كَمَا قَدَّمْنَا وَأَدْرَكَ أَمِيرَ الْوَقْعَةِ، وَهُوَ مِهْرَانُ الرَّازِيُّ، فَقَتَلَهُ وَهَرَبَ مِنْهُ الْفَيْرُزَانُ، فَلَمَّا وَصَلَ إِلَى كِسْرَى وَأَخْبَرَهُ بِمَا كَانَ مِنْ أَمْرِ جَلُولَاءَ وَمَا جَرَى عَلَى الْفُرْسِ بَعْدَهُ، وَكَيْفَ قُتِلَ مِنْهُمْ مِائَةُ أَلْفٍ، وَأُدْرِكَ مِهْرَانُ فَقُتِلَ، هَرَبَ عِنْدَ ذَلِكَ كِسْرَى مِنْ حُلْوَانَ إِلَى الرَّيِّ وَاسْتَنَابَ عَلَى حُلْوَانَ أَمِيرًا يُقَالُ لَهُ:
পৃষ্ঠা - ৫৫২২


পারসিক সেনাপতি ফীরুযান এবং মাহরান আমাদের সৈন্যবাইিনী ও অশ্বদলাকধ্বছুসব্লুবছুাবৃ
দিতৈ চেয়েজ্জি ৷ কিন্তু তা পারেনি ৷ ৰু



মুলত ওই পারসিকগণ দাডি য়েছিল মৃত্যুর দৃয়াবে ৷ মৃত্যু ছিল প্রর্তিশ্রুত ৷ আর তারা
র্দাড়িয়েছিল মাটির নিকট ৷ কবরের বাতাস তাদেরকে ওই মাটি দ্বারা ঢেকে দেয়ার জনা
বইছিল ৷

হুলওয়ানের যুদ্ধ

জালুলায় যুদ্ধ শেষ হবার পর খলীফা উমর (রা) এর নির্দেশে হিশাম ইবন উতবা
জালুলাভে অবস্থান করতে থাকেন ৷ আর কা কা“ ইবন আমর অগ্রসর হন হুলওয়ানের উদ্দেশ্যে ৷
তিনিও অগ্রসর হয়েছিলেন খলীফার নির্দোশ ৷ উদ্দেশ্য ছিল পলাতক সম্রাটের বোজ করা এবং
ওদিককার মুসলমানদের শক্তি বৃদ্ধি করা ৷ সেনাপতি কাকা অগ্রসর হলেন ৷ পথে তিনি
পলাতক পারসিক সেনাপতি মাহরান রাযীর নাগাল পান এবং তাকে হত্যা করেন ৷ ফীরুযান
পালিয়ে যায় ৷ ফীরুযান সম্রাটের নিকট গিয়ে পৌছে এবং জালুলায় তাদের ৪খজনক
পরাজয়ের সংবাদ সম্রাটকে জানায় ৷ যুদ্ধ পরবর্তী পারসিকদের করুণ দশা, তাদের লক্ষ
সৈনিকের প্রাণহানি, মাহরানের নিহত হওয়া সব কিছু সে সম্রাটকে অবহিত করে ৷ এসব শুনে
সম্রাট হুলওয়ান ছেডে রায় দেশে পালিয়ে যায় ৷ যাবার বেলায় খসরুশনুস নামের এক
ব্যক্তিকে ওয়ানেবত্বগ শাসনক৩ ৷ নিয়োগ করে ৷ মুসালম সেনাপতি কা “ক৷ ইবন আমর তো
খসরুশনৃসের যুকাবিলা করার জন্যে এগিয়ে যাচ্ছিন্নুলন ৷ হুলওয়ানেৱ বাইরে এক জায়গায় খসরু
এসে কাকা-এর মুখোমুখি হয় ৷ সেখানে উভয় পক্ষে ভীষণ যুদ্ধ হয় ৷ আল্লাহ্ তাআলা
ঘৃসলমানদেবকে স৷ হায্যও বিজয় দান করেন ৷ খসরুশনুস পরাজিত হয় ৷ কা কা তার সেনাদল
ায়ে ছনওয়ান ৷গয়ে পৌছেন ৷ তিনি এবং র্তার সেনাদল বীর বিক্রমে হুলওয়ানে প্রবেশ করে ৷
তারা প্রচুর যুদ্ধ লব্ধ মানত্ত্বমাসগ্র হংা করে এবং সেখানে বসবাসের ব্যবস্থা করে ৷

মুসলিম সেনাদল সেখান :থকে চারাদকে বেরিয়ে প ৩৷ বিভিন্ন গ্রাম ও জনপদে গিয়ে
তাদেরকে আল্লাহর পথে দ৷ ন্য়াত দি:হ্; ণ্ থ কে ৷ নতুবা জিযুহ্ ৷৷ প্রদান সেন নিতে বলে ৷ ওরা
জিঘৃয়৷ কর প্রদানটাই মেনে নেন ৷ বস্তুত তারা সেখানেই বসবাস করতে থাকে এবং বিধর্মীদের
হুহুত্ন্যে জিযুয়৷ কর নির্ধারণ করে দেয়৷ হয় ৷

কাকা তারপর সেখানেই থেকে যান ৷ পরবর্তীতে হযরত সাদ (রা) মাদাইন থেকে কুফা
চলে গেলেন ৷ কাকা (রা)ও সেখানে গিয়ে সেনাপতি সাদের সাথে মিলিত হলেন ৷ এই
বিষয়টি আমরা অচিরেই আলোচনা করব ইনশাআল্লাহ্ ৷

তিকবীত ও মুসেল বিজয়

সেনাপতি সাদ ইবন আবী ওয়াক্কাস (বা) মাদাইন জয় করলেন ৷ এরপর তিনি সংবাদ
পেলেন যে, মুসেলের অধিবাসীগণ ইনতাক নামের এক কাফিরের নে৩ ট্রুত্বে তিকরীত’ নামক
স্থানে সৈন্য সমাবেশ করেছে ৷ সেনাপতি সা দ (রা) জালুলায় যুদ্ধে জয়লাভের স বাদ এবং
তিকরীতে শত্রু সৈন্যদের সমবেত হবার সংবাদ খলীফা উমর (রা) কে জানালেন ৷ জালুলা


خُسْرَوْ شُنُومُ. فَتَقَدَّمَ إِلَيْهِ الْقَعْقَاعُ بْنُ عَمْرٍو، وَبَرَزَ إِلَيْهِ خُسْرَوْ شُنُومُ إِلَى مَكَانٍ خَارِجٍ مِنْ حُلْوَانَ فَاقْتَتَلُوا هُنَاكَ قِتَالًا شَدِيدًا، ثُمَّ فَتَحَ اللَّهُ وَنَصَرَ الْمُسْلِمِينَ وَانْهَزَمَ خُسْرَوْ شُنُومُ، وَسَاقَ الْقَعْقَاعُ إِلَى حُلْوَانَ فَتَسَلَّمَهَا، وَدَخَلَهَا الْمُسْلِمُونَ فَغَنِمُوا وَسَبَوْا، وَأَقَامُوا بِهَا، وَضَرَبُوا الْجِزْيَةَ عَلَى مَنْ حَوْلَهَا مِنَ الْكُوَرِ وَالْأَقَالِيمِ، بَعْدَمَا دُعُوا إِلَى الدُّخُولِ فِي الْإِسْلَامِ، فَأَبَوْا إِلَّا الْجِزْيَةَ. فَلَمْ يَزَلِ الْقَعْقَاعُ بِهَا حَتَّى تَحَوَّلَ سَعْدٌ مِنَ الْمَدَائِنِ إِلَى الْكُوفَةِ فَسَارَ إِلَيْهِ، كَمَا سَنَذْكُرُهُ إِنْ شَاءَ اللَّهُ تَعَالَى [فَتْحُ تَكْرِيتَ وَالْمَوْصِلِ] لَمَّا افْتَتَحَ سَعْدٌ الْمَدَائِنَ بَلَغَهُ أَنَّ أَهْلَ الْمَوْصِلِ قَدِ اجْتَمَعُوا بِتَكْرِيتَ عَلَى رَجُلٍ مِنَ الْكَفَرَةِ، يُقَالُ لَهُ: الْأَنْطَاقُ. فَكَتَبَ إِلَى عُمَرَ بِأَمْرِ جَلُولَاءَ وَاجْتِمَاعِ الْفُرْسِ بِهَا، وَبِأَمْرِ أَهْلِ الْمَوْصِلِ فَتَقَدَّمَ مَا ذَكَرْنَاهُ مِنْ كِتَابِ عُمَرَ فِي أَهْلِ جَلُولَاءَ وَمَا كَانَ مِنْ أَمْرِهَا. وَكَتَبَ عُمَرُ فِي قَضِيَّةِ أَهْلِ الْمَوْصِلِ الَّذِينَ قَدِ اجْتَمَعُوا بِتَكْرِيتَ عَلَى الْأَنْطَاقِ أَنْ يُعَيِّنَ جَيْشًا لِحَرْبِهِمْ، وَيُؤَمِّرَ عَلَيْهِ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ الْمُعْتَمِّ، وَأَنْ يَجْعَلَ عَلَى
পৃষ্ঠা - ৫৫২৩


সম্পর্কে হযরত উমর (রা) এর নির্দোানামা সম্পর্কে আমরা ইতিপুর্বে আলোচনা করেছি ৷
ইনতাকের নেতৃত্বে তিকরীত ৩অঞ্চলে কাফিরদের সৈন্য সমাবেশ সম্পর্কে খলীফা লিখলেন যে,
ওখানে অভিযান প্রেরণের জন্যে একদল সৈন্য বেছে নিন ৷ আর৩ তাদের সেনাপতি নিযুক্ত করুন
আবদুল্লাহ ইবন মু৩ তামকে ৷ অগ্রবাহিনীর দায়িত্বে থাকবেন রিবঈ ইবন আককাল গড়াষী ৷ ডান
বাহুর দায়িত্বে হারিছ ইবন হিসাব যুহলী ৷ বাম বাহুর দায়িত্বে ফুরাত ইবন হইিয়ান আজালী ৷
মুল দলের দায়িত্বে হানী ইবন কায়স ৷ অশ্বারোহী বাহিনীর অধিনায়ক থাকবেন আরফাজাহ্
ইবন হারছামাহ্ ৷

৫০০০ সৈন্যের বাহিনী নিয়ে আবদুল্লাহ ইবন মুতাম মাদাইন থেকে যাত্রা করলেন ৷ ৪দিন
পথ চলার পর তিনি তিকরীত এসে পৌছেন ৷ শত্রু সেনাপতি ইনতাক সেখানে রোমান,
শাহারিজী, আরব খ্রিস্টান, ইয়াদ, তাগলিব ও নামির গােত্রসহ বহুগােত্র ও সম্প্রদায়ের
মানুষদেরকে নিয়ে একটি বিশাল বাহনী তৈরি করে ৷ তারা শহরের চারদিকে নিরাপত্তা বেণ্টনীর
ব্যবস্থা করে ৷

মুসলিম সেনাপতি আবদুল্লাহ ইবন মুতাম ওদেরকে চারদিক থেকে ঘিরে ফেলেন ৷ তিনি
ওই শহর অবরোধ করেন ৷ : :দিন পর্যন্ত ওই অবরোধ স্থায়ী হয় ৷ এই মৈয়াদে তারা প্রায় ২ :
বার মুসলিম সৈন্যদের উপর চোরাগােপ্তা হামলা চালায় ৷ কিন্তু প্রতিবারেই তারা ব্যর্থ হয় ৷

তাদের লােকবল নষ্ট হয় ৷ পর্যায়ক্রমে তাদের অবস্থান দুর্বল হয়ে পড়ে ৷ সাহস কমে যায় ৷

রোমান সৈন্যগণ নৌকায় মালামাল ভর্তি করে শহর ছেড়ে পালিয়ে যাবার সিদ্ধান্ত নেয় ৷

সেনাপতি আবদুল্লাহ ইবন মুতাম স্থানীয় গোত্রসমুহ ও সম্প্রদায়ওলাের নিকট এই বলে
লোক পাঠিয়ে দিলেন যে আমরা এই শহরের অভ্যন্তরে প্রবেশ করব তোমরা ৷মাদেরকে
সহযোগিতা কর ৷ তার আহ্বানে সাড়া দিয়ে তারা সাহায্যের প্রতিশ্রুতি দিল ৷ তিনি তাদের
নিকট সংবাদ পাঠালেন যে, প্রদত্ত প্রতিশ্রুতিতে যদি তোমরা স৩ বােদী হও তবে তোমরা সান্কা

ষ্শ্ব ¢fl ষ্

দাও যে, আল্লাহ ব্যতীত কোন ইলাহ্ নেই, মৃহাম্মদশু:;; আল্লাহর রাসুল আর রাসুলুল্লাহ্ট্রুটু ,’গুক্ট্র
আল্লাহর পক্ষ থেকে যা এসেছেন তা সত্য বল মেনে নাও ৷ দু৩ তগণ সেনাপতির নিকট উপস্থিত
হলো এবং তাকে জানলে যে, তারা ইসলাম গ্রহণ করেছে ৷ সেনাপতি পুনরায় এই বলে দৃও ন্
পাঠালেন যে, তামরা যদি সতাবাদী হও তবে আমরা যখন তাকবীর ধ্বনি দিব এবং রাতের
বেলা শহর আক্রমণ করব তখন তোমরা নৌকায় দরজাগুলাে বন্ধ করে রাখবে, ওদের কেউই
যেন নৌকায় উঠতে না পারে সে ব্যবস্থা করবে ৷ আর যাদেরকে পার ওই শত্রুদেরকে হত্যা

করবে ৷ ,
সেনাপতি আবদুল্লাহ ইবন মুতাম তার সাথীদেরকে নিয়ে শহর আক্রমণ করলেন ৷ তারা
গগন বিদারী তাকবীর ধ্বনি দিলেন-একযোগে এককণ্ঠে এবং শহরে হামলা চালালেন ৷ তাদের
তাকবীর ধ্বনি শুনে অন্যদিক থেকে বেদুঈনরাও তাকবীর ধ্বনি দেয় ৷ সবদিক থেকে তাকবীর
ধ্বনি শুনে শহরবাসীগণ হ৩ তচকিত ও উৎকষ্ঠিত হয়ে পড়ে ৷ তারা দাজলা নদীর কাছাকাছি
দরজাগুলো দিয়ে বেরিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে ৷ কিত্তু ইয়াদ তাপলিব ও নামির৷ গোত্রের বেদৃঈন
লোকেরা ওদেরকে আটক করে এবং দ্রুত হত্যা করতে শুরু করে ৷ সেনাপতি আবদুল্লাহ ইবন
মুতাম অন্য দরজা দিয়ে শহরে ঢোকেন ৷ তারা শহর অভ্যন্তরে যাবেইি পেয়েছেন তাকেই খুন


مُقَدِّمَتِهِ رِبْعِيَّ بْنَ الْأَفْكَلِ الْعَنَزِيَّ، وَعَلَى الْمَيْمَنَةِ الْحَارِثَ بْنَ حَسَّانَ الذُّهْلِيَّ، وَعَلَى الْمَيْسَرَةِ فُرَاتَ بْنَ حَيَّانَ الْعِجْلِيَّ، وَعَلَى السَّاقَةِ هَانِئَ بْنَ قَيْسٍ، وَعَلَى الْخَيْلِ عَرْفَجَةَ بْنَ هَرْثَمَةَ. فَفَصَلَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ الْمُعْتَمِّ فِي خَمْسَةِ آلَافٍ مِنَ الْمَدَائِنِ فَسَارَ فِي أَرْبَعٍ حَتَّى نَزَلَ بِتَكْرِيتَ عَلَى الْأَنْطَاقِ، وَقَدِ اجْتَمَعَ إِلَيْهِ جَمَاعَةٌ مِنَ الرُّومِ، وَمِنَ الشَّهَارِجَةِ، وَمِنْ نَصَارَى الْعَرَبِ، مِنْ إِيَادٍ وَتَغْلِبَ وَالنَّمِرِ، وَقَدْ خَنْدَقُوا بِتَكْرِيتَ، فَحَاصَرَهُمْ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ الْمُعْتَمِّ أَرْبَعِينَ يَوْمًا، وَزَاحَفُوهُ فِي هَذِهِ الْمُدَّةِ أَرْبَعًا وَعِشْرِينَ مَرَّةً، مَا مِنْ مَرَّةٍ إِلَّا وَيَنْتَصِرُ عَلَيْهِمْ، وَيَفُلُّ جُمُوعَهُمْ، فَضَعُفَ جَأْشُهُمْ، وَعَزَمَتِ الرُّومُ عَلَى الذَّهَابِ فِي السُّفُنِ بِأَمْوَالِهِمْ، وَرَاسَلَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ الْمُعْتَمِّ مَنْ هُنَالِكَ مِنَ الْأَعْرَابِ، فَدَعَاهُمْ إِلَى الدُّخُولِ مَعَهُ فِي النُّصْرَةِ عَلَى أَهْلِ الْبَلَدِ، فَجَاءَتِ الْقُصَّادُ إِلَيْهِ عَنْهُمْ بِالْإِجَابَةِ إِلَى ذَلِكَ، فَأَرْسَلَ إِلَيْهِمْ: إِنْ كُنْتُمْ صَادِقِينَ فِيمَا قُلْتُمْ، فَاشْهَدُوا أَنْ لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ، وَأَنَّ مُحَمَّدًا رَسُولُ اللَّهِ، وَأَقِرُّوا بِمَا جَاءَ مِنْ عِنْدِ اللَّهِ. فَرَجَعَتِ الْقُصَّادُ إِلَيْهِ بِأَنَّهُمْ قَدْ أَسْلَمُوا، فَبَعَثَ إِلَيْهِمْ: إِنْ كُنْتُمْ صَادِقِينَ، فَإِذَا كَبَّرْنَا وَحَمَلْنَا عَلَى الْبَلَدِ اللَّيْلَةَ، فَأَمْسِكُوا عَلَيْنَا أَبْوَابَ السُّفُنِ، وَامْنَعُوهُمْ أَنْ يَرْكَبُوا فِيهَا، وَاقْتُلُوا مِنْهُمْ مَنْ قَدَرْتُمْ عَلَى قَتْلِهِ. ثُمَّ شَدَّ عَبْدُ اللَّهِ وَأَصْحَابُهُ، وَكَبَّرُوا تَكْبِيرَةَ رَجُلٍ وَاحِدٍ، وَحَمَلُوا عَلَى الْبَلَدِ، فَكَبَّرَتِ الْأَعْرَابُ مِنَ النَّاحِيَةِ الْأُخْرَى، فَحَارَ أَهْلُ الْبَلَدِ، وَأَخَذُوا فِي الْخُرُوجِ مِنَ الْأَبْوَابِ الَّتِي تَلِي
পৃষ্ঠা - ৫৫২৪
دِجْلَةَ، فَتَلَقَّتْهُمْ إِيَادٌ وَالنَّمِرُ وَتَغْلِبُ، فَقَتَلُوهُمْ قَتْلًا ذَرِيعًا، وَجَاءَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ الْمُعْتَمِّ بِأَصْحَابِهِ مِنَ الْأَبْوَابِ الْأُخَرِ، فَقَتَلَ جَمِيعَ أَهْلِ الْبَلَدِ عَنْ بَكْرَةِ أَبِيهِمْ، وَلَمْ يَسْلَمْ إِلَّا مَنْ أَسْلَمِ مِنَ الْأَعْرَابِ مِنْ إِيَادٍ وَتَغْلِبَ وَالنَّمِرِ، وَقَدْ كَانَ عُمَرُ عَهِدَ فِي كِتَابِهِ أَنْ إِذَا نُصِرُوا عَلَى أَهْلِ تَكْرِيتَ أَنْ يَبْعَثُوا رِبْعِيَّ بْنَ الْأَفْكَلِ إِلَى الْحِصْنَيْنِ، وَهِيَ الْمَوْصِلُ سَرِيعًا فَسَارَ إِلَيْهَا - كَمَا أَمَرَ عُمَرُ - وَمَعَهُ سَرِيَّةٌ كَثِيرَةٌ، وَجَمَاعَةٌ مِنَ الْأَبْطَالِ، فَسَارَ إِلَيْهَا حَتَّى فَجَأَهَا قَبْلَ وُصُولِ الْأَخْبَارِ إِلَيْهَا، فَمَا كَانَ إِلَّا أَنْ وَاقَفَهَا حَتَّى أَجَابُوا إِلَى الْمُصَالَحَةِ، فَضُرِبَتْ عَلَيْهِمُ الذِّمَّةُ عَنْ يَدٍ وَهُمْ صَاغِرُونَ. ثُمَّ اقْتُسِمَتِ الْأَمْوَالُ الَّتِي تَحَصَّلَتْ مِنْ تَكْرِيتَ فَبَلَغَ سَهْمُ الْفَارِسِ ثَلَاثَةَ آلَافٍ، وَسَهْمُ الرَّاجِلِ أَلْفَ دِرْهَمٍ. وَبَعَثُوا بِالْأَخْمَاسِ مَعَ فُرَاتِ بْنِ حَيَّانَ، وَبِالْفَتْحِ مَعَ الْحَارِثِ بْنِ حَسَّانَ وَوَلِيَ إِمْرَةَ حَرْبِ الْمَوْصِلِ رِبْعِيُّ بْنُ الْأَفْكَلِ، وَوَلِيَ الْخَرَاجَ بِهَا عَرْفَجَةُ بْنُ هَرْثَمَةَ. [فَتْحُ مَاسَبَذَانَ مِنْ أَرْضِ الْعِرَاقَ] لَمَّا رَجَعَ هَاشِمُ بْنُ عُتْبَةَ مِنْ جَلُولَاءَ إِلَى الْمَدَائِنِ بَلَغَ سَعْدًا أَنَّ آذِينَ بْنَ
পৃষ্ঠা - ৫৫২৫


করােছুন ৷ বিআি গোত্রের স্থানীয় বেদুঈন লোকদের যা রা ইসলাম গ্রহণ করেছে শুধু তারা
নিরাপদ থেকেছে ৷
হযরত সা দ ইবন আবী ওয়াক্কাসের নিকট লিখিত পত্রে হযরত উমর (রা) নির্দেশ

দিয়েছিলেন যে, মুসলিম সৈনিক-গণ যদি তিকরীত জয় করতে পারে তবে রিবঈ ইবন
আফ্ফানকে দ্রুত মুসেল পাঠিয়ে দিতে হবে ৷ বন্তুত তিকরীত জয়ের পর খলীফার নির্দেশ
অনুসারে রিবঈ’ মুসেলের উদ্দেশ্যে যাত্রা করেন ৷ তীর সাথে ছিল বহু সাধারণ সৈন্য এবং
একদল সাহসী ও বীর যোদ্ধা ৷ মুসেলের অধিবাসিগণ কিছু জানার আগেই র্তারা মুসেল পৌছে

যান ৷ নিয়ম মাফিক ঈমান আনয়ন অথবা জিবৃয়া করের প্রস্তাব পেয়ে তারা জিঘৃয়া কর প্রদানের
শর্তে সন্ধি চুক্তি সম্পাদন করে ৷ আত্মসমর্পণ করে তারা মুসলমানদের বশ্য৩ ৷ স্বীকার করে৷ ধ্
এরপর তিকরীতে অর্জিত গনীমতের মাল বন্টন করা হয় ৷ প্রতিজন অশ্বারোহী পায় তিন হাজার
মুদ্রা আর প্রতিজন পদাতিক পায় এক হাজার মুদ্রা করে ৷ দ্ভু অংশ খলীফার নিকট পাঠানো হয়
ফুরাত ইবন হাইয়ানের মাধ্যমে ৷ বিজয়ের সংবাদ নিয়ে যান হারিছ ইবন হাসৃসান ৷ মুসেলে
যুদ্ধের দায়িৎ পান রিবৃঈ ইবন আফ্ফান ৷ আর র্জিছুয়া কর সংগ্রহ ও খলীফার দরবারে
প্রেরণের ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে থাকেন আরকাহা ইবন হারছামা ৷

ইরাকের মাসিবযান’ বিজয়

হাশিম ইবন উতবা জালুলা বিজয়ের পর মাদাইন ফিরে আসেন ৷ তখন সেনাপতি সাদ
(রা) খবর পান যে, আযীন ইবন হুরমুযান মুসলমানদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার জন্যে
পারসিকদেরকে নিয়ে একটি সেনাদল গঠন করেছে ৷ তিনি বিষয়টি খলীফা উমর (রা)ণ্ক
অবহিত করেন ৷ খলীফা র্তাকে লিখেন যে, আপনি দিরার ইবন খাত্তাবের অধিনায়কত্বে একদল
সৈনিক পাঠিয়ে দিন আযীনকে মুকাবিলা করার জন্যে ৷ নির্দেশ মুত তাবিক একদল সৈন্য নিয়ে
দিরার ইবন খাত্তাব মাদাইন থেকে আষীনের উদ্দেশ্যে যাত্রা করেন ৷ অগ্রবাহিনীর দায়িত্বে
ছিলেন ইবন হুযায়ল আসাদী ৷ ইবন হুযায়ল এগিয়ে গেলেন ৷ সেনাপতি দিরার পৌছার আগেই
ইবন হুযায়ল আযীনের মুখোমুখি হন ৷ প্রচণ্ড আক্রমণে তিনি আযীন বাহনীকে ছত্রভঙ্গ করে
আযীন ইবন হুবমুযানকে গ্রেপ্তার করেন ৷ তার সাথী অনেক সৈন্যও গ্রেপ্তার হয় ৷ ইবন হুযায়লের
নির্দোশ তার সম্মুখে আযীনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয় ৷ পলায়নরত পারসিকদের পেছনে
অভিযানে চলে ৷ ওদেরকে ধাওয়া করে মুসলমানপণ মাসিবযান শহরে এসে পৌছেন ৷ এটি হ্নিা
একটি বড় শহর ৷ শক্তি প্রয়ােগে তারা এটি দখল করেন ৷ শহরের অধিবাসিগণ পাহাড়ের গুহায়
এবং পর্বত শৃঙ্গে গিয়ে আশ্রয় নেয় ৷ তাদেরকে মুসলমানদের পক্ষ থেকে নেমে আসার আহ্বান
জানানো হয় ৷ তারা নেমে আসে ৷ যারা ইসলাম গ্রহণে অসম্মতি প্রকাশ করে তাদের উপর
জিয্য়া কর ধার্য করা হয় ৷ খলীফার প্রতিনিধি হিসেবে ইবন হুযায়ল সেখানে অবস্থান করেন ৷
এক পর্যায়ে সেনাপতি সা দ মাদাইন থেকে কুফায় গিয়ে পৌছেন ৷

কিরর্কীসিয়্যাহ ও হীত বিজয়

ইবন জারীর ও অন্যরা বলেছেন, হাশিম ইবন উতবা জালুলা থেকে মাদাইন ফিরে এলেন ৷
হিরাক্লিয়াস যখন কিন্নাসরীন শহরে অবস্থানরত ছিল তখন জাষীরার অধিবাসিগণ হযরত
উবায়দা ও খালিদ (রা)-এর বিরুদ্ধে হিমসের অধিবাসীদেরকে সাহায্য করেছিল ৷ এবার তারা


الْهُرْمُزَانِ قَدْ حَمَلَ طَائِفَةً مِنَ الْفُرْسِ، فَكَتَبَ إِلَى عُمَرَ فِي ذَلِكَ، فَكَتَبَ إِلَيْهِ أَنِ ابْعَثْ جَيْشًا، وَأَمِّرْ عَلَيْهِمْ ضِرَارَ بْنَ الْخَطَّابِ فَخَرَجَ ضِرَارٌ فِي جَيْشٍ مَنَ الْمَدَائِنِ وَعَلَى مُقَدِّمَتِهِ ابْنُ الْهُذَيْلِ الْأَسَدِيُّ، فَتَقَدَّمَ ابْنُ الْهُذَيْلِ بَيْنَ يَدَيِ الْجَيْشِ، فَالْتَقَى مَعَ آذِينَ وَأَصْحَابِهِ قَبْلَ وُصُولِ ضِرَارٍ إِلَيْهِ، فَكَسَرَ ابْنُ الْهُذَيْلِ طَائِفَةَ الْفُرْسِ، وَأُسِرَ آذينُ بْنُ الْهُرْمُزَانِ، وَفَرَّ عَنْهُ أَصْحَابُهُ، وَأَمَرَ ابْنُ الْهُذَيْلِ فَضُرِبَ عُنُقُ آذِينَ بَيْنَ يَدَيْهِ، وَسَاقَ وَرَاءَ الْمُنْهَزِمِينَ حَتَّى انْتَهَى إِلَى مَاسَبَذَانَ - وَهِيَ مَدِينَةٌ كَبِيرَةٌ - فَأَخَذَهَا عَنْوَةً، وَهَرَبَ أَهْلُهَا فِي رُءُوسِ الشِّعَابِ وَالْجِبَالِ، فَدَعَاهُمْ فَاسْتَجَابُوا لَهُ، وَضَرَبَ عَلَى مَنْ لَمْ يُسْلِمِ الْجِزْيَةَ، وَأَقَامَ نَائِبًا عَلَيْهَا حَتَّى تَحَوَّلَ سَعْدٌ مِنَ الْمَدَائِنِ إِلَى الْكُوفَةِ كَمَا سَيَأْتِي. [فَتْحُ قِرْقِيسِيَاءَ وَهِيتَ فِي هَذِهِ السَّنَةِ] قَالَ ابْنُ جَرِيرٍ وَغَيْرُهُ: لَمَّا رَجَعَ هَاشِمٌ مِنْ جَلُولَاءَ إِلَى الْمَدَائِنِ وَكَانَ أَهْلُ الْجَزِيرَةِ قَدْ أَمَدُّوا أَهْلَ حِمْصَ عَلَى قِتَالِ أَبِي عُبَيْدَةَ وَخَالِدٍ - لَمَّا كَانَ هِرَقْلُ بِقِنَّسْرِينَ - وَاجْتَمَعَ أَهْلُ الْجَزِيرَةِ فِي مَدِينَةِ هِيتَ كَتَبَ سَعْدٌ إِلَى عُمَرَ فِي ذَلِكَ، فَكَتَبَ إِلَيْهِ أَنْ يَبْعَثَ إِلَيْهِمْ جَيْشًا، وَأَنْ يُؤَمِّرَ عَلَيْهِمْ عُمَرَ بْنَ مَالِكِ بْنِ عُتْبَةَ بْنِ نَوْفَلِ بْنِ عَبْدِ مَنَافٍ، فَسَارَ فِي مَنْ مَعَهُ مِنَ الْمُسْلِمِينَ إِلَى هِيتَ فَوَجَدَهُمْ قَدْ خَنْدَقُوا عَلَيْهِمْ، فَحَاصَرَهُمْ حِينًا فَلَمْ يَظْفَرْ بِهِمْ، فَسَارَ فِي طَائِفَةٍ مِنْ أَصْحَابِهِ،
পৃষ্ঠা - ৫৫২৬


হীত শহরে সমবেত হয়েছিল ৷ সেনাপতি সাদ (রা) বিষয়টি খলীফা উমর (রা)-কে অবহিত
করলেন ৷ খলীফা ওদের বিরুদ্ধে সৈন্য প্রেরণ করার জন্য লিখলেন এবং উমর ইবন মালিক
ইবন উতবা ইবন নাওফাল ইবন আবৃদ মানাফকে যেন ওই বাহিনীর সেনাপতি নিযুক্ত করা
হয় ৷ সেনাপতি উমর ইবন মালিক সেনাদল নিম্নে হীত্ব শহরের উদ্দেশ্যে যাত্রা করেন ৷ তিনি
গিয়ে দেখেন যে, ওরা শহরের চারদিকে পরিখা খনন করে রের্টখছে ৷ তিনি বেশ কিছু সময়
ওদেরকে অবরুদ্ধ করে রাখেন ৷ কিন্তু তখনও বিজয় লাভ করতে পারেন নি ৷ এরপর তিনি
হারিছ ইবন ইয়াষীদকে অবরোধ চালিয়ে যাওয়ার দায়িত্ব দিয়ে নিজে কিরকীসিয়্যা নগরীর
উদ্দেশ্যে চলে যান ৷ তিনি শক্তি প্রয়ােগে কিরকীসিয়্যা দখল করে নেন ৷ সেখানকার অধিবাসিগণ
জিয্য়া প্রদানে রাজী হয় ৷ তিনি হীতে অবস্থানকারী তার প্রতিনিধি হারিছ ইবন ইয়াষীদকে
লিখলেন যে, ওরা যদি সমঝোতায় ও সন্ধিতে না আসে তাহলে পরিথার বাইরে কতগুলো
পরিখা খনন করবে এবং সেগুলোর দরজা রাখবে নিজেদের সুবিধা মত ৷ অবরুদ্ধ হীতবাসিগণ
এই পরিকল্পনার কথা অবগত হয় এবং স্বেচ্ছায় সন্ধিচুক্তি সম্পাদনে রাজী হয় ৷

আমাদের শায়খ আবু আবদুল্লাহ হাফিজ যাহাবী বলেছেন যে, এই হিজরী সনে অর্থাৎ ১৬
হিজরী সনে ইয়ারমুকের যুদ্ধ শেষে সেনাপতি আবুউবায়দা (রা) আমর ইবনুল আস (রা)-কে
কিন্নাসিরীন পাঠিয়েছিলেন ৷ তিনি সেখানে হালাব, মানবাজ ও ইনতাকিয়্যার অধিবাসীদের সাথে
জিয্য়া কর প্রদানের শর্তে সন্ধি চুক্তি সম্পাদন করেন এবং কিন্নাসিরীনের সবগুলো শহর ও
জনপদ তিনি শক্তি প্রয়োগে জয় করেন ৷ হাফিজ যাহাবী আরো উল্লেখ করেছেন যে, এই বছরই
ইয়ায ইবন গানাম মারুজ এবং রুহা শহর জয় করেন ৷

ইবন কালবী উল্লেখ করেছেন যে, এই হিজরী সনে অর্থাৎ ১৬ হিজরী সনে সেনাপতি আবু
উবায়দা (বা) জেরুযালেম অবরোধ করেন ৷ তার বাহিনীর অগ্রশাখার দায়িত্বে ছিলেন হযরত
খালিদ ইবন ওয়ালীদ (রা) ৷ জেরুযালেমবাসিগণ প্রস্তাব দিয়েছিল যে, স্বয়ং খলীফা উমর (রা)
জেরুযালেম আসবেন এবং তাদের সাথে সন্ধিপত্রে নিজে স্বাক্ষর করবেন ৷ আবু উবায়দা (রা)
প্রস্তাবটি হযরত উমর (রা)-কে লিখে জানালেন ৷ খলীফা নিজে জেরুযালেম এলেন এবং সন্ধি
চুক্তি সম্পাদন করলেন ৷ কয়েকদিন তিনি সেখানে অবস্থান করলেন ৷ তারপর মদীনায় ফিরে
গেলেন ৷ ইতিপুর্বে আমরা উল্লেখ করেছি যে, এ ঘটনা ঘটেছিল পুর্ববর্তী বছর অর্থাৎ ইিজ্যধী ১৫
সনে ৷ আল্লাহ্ ভাল জানেন ৷

ওয়াকিদী বলেছেন, এই বছরেই হযরত উমর (রা) রাবযো’ অঞ্চলত্বেমুসলযানদের অশ্ব
চারণভুমিরুপে সংরক্ষণের ব্যবস্থা করেন ৷ এই বছর খলীফা উমর (রা) আবু মিহজান
ছাকাফীকে “রাজি” এলাকায়১ নির্বাসনে পাঠান ৷ এই বছরেই আবদুল্লাহ ইবন উমর (রা) আবু
উবায়দের কন্যা সাফিয়্যাকে বিয়ে করেন ৷ আমি বলি সাফিয়্যার পিতা আবু উবায়দ সেতুর যুদ্ধে
শহীদ হন ৷ তিনি ওই অভিযানে সেনাধ্যক্ষ ছিলেন ৷ সাফিয়্যা হলেন পরবভীকািলে ইরাকের
শাসনকর্তা মুখতার ইবন আবু উবায়দের বোন ৷ তিনি একজন পুণ্যবডী মহিলা ছিলেন ৷ তার
ভাই (মৃখতার) ছিল একাধারে পাপাচারী ও কাফির ৷



১ ইষামান সাগরের একটি দ্বীপ ৷
আল-বিদায়া ১৮


وَاسْتَخْلَفَ عَلَى مُحَاصَرَةِ هِيتَ الْحَارِثَ بْنَ يَزِيدَ، فَرَاغَ عُمَرُ بْنُ مَالِكٍ إِلَى قِرْقِيسِيَاءَ، فَأَخَذَهَا عَنْوَةً، وَأَنَابُوا إِلَى بَذْلِ الْجِزْيَةِ، وَكَتَبَ إِلَى نَائِبِهِ عَلَى هِيتَ إِنْ لَمْ يُصَالِحُوا، أَنْ يَحْفِرَ مِنْ وَرَاءِ خَنْدَقِهِمْ خَنْدَقًا، وَيَجْعَلَ لَهُ أَبْوَابًا مِنْ نَاحِيَتِهِ. فَلَمَّا بَلَغَهُمْ ذَلِكَ أَنَابُوا إِلَى الْمُصَالَحَةِ. قَالَ شَيْخُنَا أَبُو عَبْدِ اللَّهِ الْحَافِظُ الذَّهَبِيُّ: وَفِي هَذِهِ السَّنَةِ بَعَثَ أَبُو عُبَيْدَةَ عَمْرَو بْنَ الْعَاصِ بَعْدَ فَرَاغِهِ مِنَ الْيَرْمُوكِ إِلَى قِنَّسْرِينَ فَصَالَحَ أَهْلَ حَلَبَ وَمَنْبِجَ، وَأَنْطَاكِيَةَ، عَلَى الْجِزْيَةِ، وَفَتَحَ سَائِرَ بِلَادِ قِنَّسْرِينَ عَنْوَةً. قَالَ: وَفِيهَا افْتُتِحَتْ سَرُوجُ وَالرُّهَا عَلَى يَدَيْ عِيَاضِ بْنِ غَنْمٍ قَالَ: وَفِيهَا فِيمَا ذَكَرَ ابْنُ الْكَلْبِيِّ سَارَ أَبُو عُبَيْدَةَ وَعَلَى مُقَدِّمَتِهِ خَالِدُ بْنُ الْوَلِيدِ، فَحَاصَرَ إِيلِيَاءَ فَسَأَلُوا الصُّلْحَ عَلَى أَنْ يَقْدَمَ عُمَرُ فَيُصَالِحَهُمْ عَلَى ذَلِكَ، فَكَتَبَ أَبُو عُبَيْدَةَ إِلَى عُمَرَ، فَقَدِمَ حَتَّى صَالَحَهُمْ، وَأَقَامَ أَيَّامًا ثُمَّ رَجَعَ إِلَى الْمَدِينَةِ. قُلْتُ: قَدْ تَقَدَّمَ هَذَا فِيمَا قَبْلَ هَذِهِ السَّنَةِ، وَاللَّهُ أَعْلَمُ. قَالَ الْوَاقِدِيُّ: وَفِي هَذِهِ السَّنَةِ حَمَى عُمَرُ الرَّبَذَةَ لِخَيْلِ الْمُسْلِمِينَ، وَفِيهَا غَرَّبَ عُمَرُ أَبَا مِحْجَنٍ الثَّقَفِيَّ إِلَى بَاضِعٍ، وَفِيهَا تَزَوَّجَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عُمَرَ صَفِيَّةَ
পৃষ্ঠা - ৫৫২৭


ওয়াকিদী বলেন, এই বছরেই হযরত উমর লোকজনকে নিয়ে হজ্জ আদায় করেন ৷ হভ্রুজ্জর
প্রাক্কালে তিনি মদীনায় শাসনভার দিয়ে যান যায়দ ইবন ছাবিতের হাতে ৷ মক্কায় দায়িত্বশীল
ছিলেন আত্তাব ৷ সিরিয়ার আবুউৰায়দা, ইরাকের দায়িত্বে ছিলেন হযরত সাদ (বা) ৷ তায়েফে
উসমান ইবন আবুল আস ৷ ইয়ামানে ইয়ালা ইবন উমাইয়া ৷ ইয়ামামা ও বাহরইিনে আলা ইবন
হাযরামী ৷ ওমানে হুযায়ফা ইবন যুহসান ৷ বসরাতে মুগীরা ইবন শুবা (রা) ৷ মুসেলে রিবঈ
ইবন আফকাল ৷ আর জাযীরাতে দায়িত্বশীল ছিলেন ইয়ায ইবন গনোম আশআরী ৷

ওয়াকিদী বলেন, এইহিজরী সনের অর্থাৎ ১৬ হিজরী সনের রবিউল আউয়াল মাসে উমর
ইবন খাত্তাব (রা) হিজরী সন প্রচলনের ব্যবস্থা করেন ৷ তিনিই সর্বপ্রথম হিজরী সন প্রচলনের
ব্যবস্থা করেন ৷ আমি বলি, এই সন পরিচালনার কারণ ও রহস্য আমরা উমর জীবনী গ্রন্থে
উল্লেখ করেছি ৷ সেটি হলো, একদিন হযরত উমর (রা)-এর নিকট একটি দলীল উপস্থিত করা
হলো ৷ সেঢিতে লেখা ছিল যে, আগামী শাবান মাসে অমুক ব্যক্তি অমুক ব্যজ্যি নিকট ঋণের
টাকা প্রাপ্যা হবে ৷ হযরত উমর (রা) জিজ্ঞেস করলেন, দলীলে উল্লেখিত শাবান মাস বলতে
কোন নাম বুঝানো হয়েছে ? চলতি বছরের শাৰান মাস না গত বছরের শাবান মাস নাকি
পরবর্তী বছরে শাবান মাস ? এরপর তিনি লোকজনকে ডেকে দরবারে উপস্থিত করে বললেন,
তোমরা এমন এবল্টা বিষয় নির্ধারিত কর যাতে মানুষ ঋণ প্রাপ্তির সঠিক সময় জানতে পারে ৷
কেউ কেউ বললযে, পারসিকদের ন্যায় রাজাদের সিংহাসনে আরোহণের হিসাবে আমরা
তারিখ গণনা শুরু করতে পারি ৷ ওদের নিয়ম ছিল যে, এক রাজার মৃত্যুর পর নতুন রাজা
সিংহাসনে আরোহণ করলে তখন থেকে নতুন বছর শুরু হতো ৷ উপস্থিত লোকজন এটি পছন্দ
করেনি ৷

কেউ কেউ বলল, রােমানগণ যখন সেকান্দর (র)-এর সিংহাসনে অবস্থানের সময় থেকে
তারিখ গণনা করে যাচ্ছে তখন আমরাও সেভাবে গণনা করে যইি ৷ কণ্ঠভােটে এই প্রস্তাব নাকচ
হয়ে যায় ৷ কেউ কেউ বললেন, রাসুলুল্পাহইইদ্বুহু এর জন্মের সময় থেকে সাল গণনা করা
হোক ৷ কেউ কেউ বললেন, নবুওয়াত প্রাপ্তির দিন থেকে তারিখ লেখা শুরু করা যায় ৷
ইতিমধ্যে হযরত আলী (বা) এবং অন্যরা প্রস্তাব করলেন যে, রাসুলুল্লাহ্ হুর্দুছুষ্ এর মক্কা থেকে
মদীনায় যাবার দিন থেকে হিজরী সাল গণনা করা যায় ৷ কারণ এই ঘটনা সবার জানা ৷ তা
ছাড়া রাসুলুল্লাহ্ন্ধুভ্রু,ট্র এর জন্ম ও নবুওয়াত প্রাপ্তির সময়ের তুলনায় এটি অধিকতর প্রসিদ্ধ ৷
হযরত উমর (বা) এবং সাইবািগণ এই প্রস্তাব ভাল মনে করলেন ৷ তারপর হযরত উমর (রা)
নিদের্শ দিলেন যে, রাসুলুল্লাহ্ হুপ্ পু এর হিজরতের তারিখ থেকে আরবী হিজরী সন গণনা করা
হবে ৷ ওই বছরের মুহাররম মাস থেকে বছর গণনা করা শুরু হয় ৷

সুহায়লী প্রমুখ থেকে বর্ণিত আছে যে, ইমাম মালিক (রা)এর অভিমত হলো, হিজরতের
বছরের রবিউল আউয়াল মাস থেকেই বছরের সুচনা ৷ কারণ ওই মানেই রাসুলুল্লাহ্ স্কুদ্বুদ্বু- ছুদ্বু
মদীনায় এসেছিলেন ৷ কিন্তু অধিকাংশ উলামা-ই-কিরামের মতে, বছরের শুরু হলো মুহাররম
মাস ৷ কারণ এটি অধিকতর সুসংহত উপায় এবং তাহলে মাসগুলাে সম্বন্ধে কোন দ্বিধা-দ্বন্দু

থাকে না ৷ কারণ আরবী চান্দ্র মাসের প্রথম মাস মুহাররম ৷


بِنْتَ أَبِي عُبَيْدٍ. قُلْتُ: الَّذِي قُتِلَ يَوْمَ الْجِسْرِ، وَكَانَ أَمِيرَ السَّرِيَّةِ، وَهِيَ أُخْتُ الْمُخْتَارِ بْنِ أَبِي عُبَيْدٍ، أَمِيرِ الْعِرَاقِ فِيمَا بَعْدُ، وَكَانَتِ امْرَأَةً صَالِحَةً، وَكَانَ أَخُوهَا فَاجِرًا، وَكَافِرًا أَيْضًا. قَالَ الْوَاقِدِيُّ: وَفِيهَا حَجَّ عُمَرُ بِالنَّاسِ، وَاسْتَخْلَفَ عَلَى الْمَدِينَةِ زَيْدَ بْنَ ثَابِتٍ. قَالَ: وَكَانَ نَائِبَهُ عَلَى مَكَّةَ عَتَّابٌ، وَعَلَى الشَّامِ أَبُو عُبَيْدَةَ، وَعَلَى الْعِرَاقِ سَعْدٌ، وَعَلَى الطَّائِفِ عُثْمَانُ بْنُ أَبِي الْعَاصِ، وَعَلَى الْيَمَنِ يَعْلَى بْنُ أُمَيَّةَ، وَعَلَى الْيَمَامَةِ وَالْبَحْرَيْنِ الْعَلَاءُ بْنُ الْحَضْرَمِيِّ، وَعَلَى عُمَانَ حُذَيْفَةُ بْنُ مِحْصَنٍ، وَعَلَى الْبَصْرَةِ الْمُغِيرَةُ بْنُ شُعْبَةَ، وَعَلَى الْمَوْصِلِ رِبْعِيُّ بْنُ الْأَفْكَلِ، وَعَلَى الْجَزِيرَةِ عِيَاضُ بْنُ غَنْمٍ الْأَشْعَرِيُّ. قَالَ الْوَاقِدِيُّ: وَفِي رَبِيعٍ الْأَوَّلِ مِنْ هَذِهِ السَّنَةِ - أَعْنِي سَنَةَ سِتَّ عَشْرَةَ - كَتَبَ عُمَرُ بْنُ الْخَطَّابِ التَّأْرِيخَ، وَهُوَ أَوَّلُ مَنْ كَتَبَهُ. قُلْتُ: قَدْ ذَكَرْنَا سَبَبَهُ فِي " سِيرَةِ عُمَرَ "، وَذَلِكَ أَنَّهُ رُفِعَ إِلَى عُمَرَ صَكٌّ مَكْتُوبٌ لِرَجُلٍ عَلَى آخَرَ بِدَيْنٍ يَحِلُّ عَلَيْهِ فِي شَعْبَانَ، فَقَالَ: أَيُّ شَعْبَانَ؟ أَمِنْ هَذِهِ السَّنَةِ أَمِ الَّتِي قَبْلَهَا، أَمِ الَّتِي بَعْدَهَا؟ ثُمَّ جَمَعَ النَّاسَ فَقَالَ: ضَعُوا لِلنَّاسِ شَيْئًا يَعْرِفُونَ بِهِ حُلُولَ دُيُونِهِمْ. فَيُقَالُ: إِنَّهُمْ أَرَادَ بَعْضُهُمْ أَنْ يُؤَرِّخُوا كَمَا تُؤَرِّخُ الْفُرْسُ بِمُلُوكِهِمْ، كُلَّمَا هَلَكَ مَلِكٌ أَرَّخُوا مِنْ تَارِيخِ وِلَايَةِ الَّذِي بَعْدَهُ، فَكَرِهُوا ذَلِكَ. وَمِنْهُمْ مَنْ قَالَ: أَرِّخُوا
পৃষ্ঠা - ৫৫২৮


এই বছরই অর্থাৎ ১৬ হিজরী সনে রাসুলুল্লাহ্গ্লু :-এর পুত্র হযরত ইবরাহীম (রা) এর
মাতা মারিয়া কিবতিয়্যা (রা) ইনতিকাল করেন ৷ তার ওফাত হয় মুহাররম মাসে ৷ ওয়াকিদী
ইবন জারীর ও অন্যান্য ঐতিহাসিক তইি বলেছেন ৷ তীর জানাযায় ইমামাত করেছেন হযরত
উমর ইবন খাস্তাব (বা) ৷ তার জানাযায় বহু দোকেরুবু-উপন্থিতিঃ ব্যবস্থা করা হয়েছিল ৷
জান্নাতুল বাকীতে তাকে দাফন করা হয ৷ তিনি মারিয়া কিবতিয়্যা (রা) ৷ আলেকজাদ্রিয়ার
রাজ! জুরায়জ ইবন মীনা অন্যান্য উপচৌকনের সাথে তাকে ও রাসুলুল্লাহ্ৰুগ্নে;:ণ্ণ্ক উপহার
দিয়েছিল ৷ রাসুলুল্লাহ্ট্ট -হুট্রু,ৰু এই উপহার গ্রহণ করেছিলেন ৷ তার সাথে তার বোন শীরীনও
উপহার হিসেবে রাসুলুল্লাহ্ন্ফুৰুর্টু এর নিকট এসেছিল ৷ তিনি শীরীনকে নিজে না রেখে হাসৃসান
ইবন ছাবিতকে দিয়ে দিয়েছিলেন ৷ শীরীনের ঘরে হযরত হাসৃসানের পুত্র আবদুর রহমানের
জন্ম হয় ৷ কেউ কেউ বলেছেন যে, রাজা মুকাওকিস ওই দৃই দাসীর সাথে আরো দু’জন দাসী
প্রদান করেছিলেন ৷ এমন হতে পারে যে, ওই দুজন দাসী মারিয়া (রা) ও শীরীন (রা)-এর
সেবিকা হয়ে এসেছিল ৷ তাদের সাথে একজন খাসী করা ক্রীতদাসও দেয়া হয়েছিল, তার নাম
ছিল মাবুর ৷ এর সাথে ছিল একটি উজ্জ্বল রংয়ের খচ্চর ৷ সেটির নাম ছিল দুলদৃল ৷
আলেকজাদ্রিয়ায় তৈরি এক জোড়া রেশমী জামাও উপহার দেয়া হয়েছিল ৷ এসব উপহার
রাসুলুল্লাহ্ন্;;হৃঙ্কে এর নিকট এসেছিল ৮ম হিজরী সনে ৷ হযরত মারিয়া (রা) এর গর্ভে রাসুলুল্লাহ্
£§£:£ এর পুত্র ইব্রাহীম (রা) এর জন্ম হয় ৷ তিনি ২০ মাস জীবিত ছিলেন ৷ রাসুলুল্লাহ্ ইন্দ্বুই
-এর ওফাতের ঠিক এক বছর পুর্বে ইব্রাহীম (রা) এর মৃত্যু হয় ৷ তার মৃত্যুতে রাসুলুল্লাহ্ দ্বু;ণ্;ছু
খুব দুঃখ পেয়েছিলেন এবং কেদেছিলেন ৷ তিনি বলেছিলেন চোখ অশ্রু বিসর্জন দিচ্ছে, অন্তর
ব্যথিত হচ্ছে, তবে মুখে আমরা এমন কিছু বলছি না যাতে আল্লাহ্ সত্তুষ্ট নন ৷ হে পুত্র
ইব্রাহীম ! তোমার মৃত্যুতে আমরা নিশ্চয়ই ব্যথিত, গােকাহত ৷ এ ঘটনা ঘটেছিল ১ :ম হিজরী
সনে ৷ হযরত মারিয়া কিবতিয়্যা (রা) পুণ্যবভী সুন্দরী ও কল্যাণময়ী মহিলা ছিলেন ৷ রাসুলুল্লাহ্
র্তাকে খুব ভালবাসতেন ৷ তিনি মিষ্টি রংয়ের রুপবতী ছিলেন ৷ হযরত ইব্রাহীম (আ) এর
সহধর্মিণী হাজেরা (আ)-এর ঢেহারার সাথে তার চেহারার মিল ছিল ৷ কারণ দৃজনেই মিসরের
মেয়ে ছিলেন ৷ তিনি ছিলেন রাসুলুল্পাহ্ব্লুটুদ্বু;-এর একান্ত আলাপচারিতার পাত্রী আর উনি ছিলেন
ইব্রাহীম (আ) এর একান্ত আলাপচা ৷বি৩ ৷র পাত্রী ৷


بِتَارِيخِ الرُّومِ مِنْ زَمَانِ إِسْكَنْدَرَ. فَكَرِهُوا ذَلِكَ، وَلِطُولِهِ أَيْضًا. وَقَالَ قَائِلُونَ: أَرِّخُوا مِنْ مَوْلِدِ رَسُولِ اللَّهِ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ. وَقَالَ آخَرُونَ: مِنْ مَبْعَثِهِ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ. وَأَشَارَ عَلِيُّ بْنُ أَبِي طَالِبٍ وَآخَرُونَ أَنْ يُؤَرَّخَ مِنْ هِجْرَتِهِ مِنْ مَكَّةَ إِلَى الْمَدِينَةِ ; لِظُهُورِهِ لِكُلِّ أَحَدٍ فَإِنَّهُ أَظْهَرُ مِنَ الْمَوْلِدِ وَالْمَبْعَثِ. فَاسْتَحْسَنَ ذَلِكَ عُمَرُ وَالصَّحَابَةُ، فَأَمَرَ عُمَرُ أَنْ يُؤَرَّخَ مِنْ هِجْرَةِ رَسُولِ اللَّهِ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ. وَأَرَّخُوا مِنْ أَوَّلِ تِلْكَ السَّنَةِ مِنْ مُحَرَّمِهَا. وَعِنْدَ مَالِكٍ، رَحِمَهُ اللَّهُ، فِيمَا حَكَاهُ عَنْهُ السُّهَيْلِيُّ وَغَيْرُهُ أَنَّ أَوَّلَ السَّنَةِ مِنْ رَبِيعٍ الْأَوَّلِ لِقُدُومِهِ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، إِلَى الْمَدِينَةَ فِيهِ. وَالْجُمْهُورُ عَلَى أَنَّ أَوَّلَ السَّنَةِ مِنَ الْمُحَرَّمِ ; لِأَنَّهُ أَضْبَطُ، لِئَلَّا تَخْتَلِفَ الشُّهُورُ، فَإِنَّ الْمُحَرَّمَ أَوَّلُ السَّنَةِ الْهِلَالِيَّةِ الْعَرَبِيَّةِ. وَفِي هَذِهِ السَّنَةِ - أَعْنِي سَنَةَ سِتَّ عَشْرَةَ - تُوُفِّيَتْ مَارِيَةُ أُمُّ إِبْرَاهِيمَ ابْنِ رَسُولِ اللَّهِ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَذَلِكَ فِي الْمُحَرَّمِ مِنْهَا، فِيمَا ذَكَرَهُ الْوَاقِدِيُّ وَابْنُ جَرِيرٍ وَغَيْرُ وَاحِدٍ، وَصَلَّى عَلَيْهَا عُمَرُ بْنُ الْخَطَّابِ، وَكَانَ يَجْمَعُ النَّاسَ لِشُهُودِ جِنَازَتِهَا، وَدُفِنَتْ بِالْبَقِيعِ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهَا وَأَرْضَاهَا. وَهِيَ مَارِيَةُ الْقِبْطِيَّةُ، أَهْدَاهَا صَاحِبُ إِسْكَنْدَرِيَّةَ - وَهُوَ جُرَيْجُ بْنُ مِينَا - فِي جُمْلَةِ تُحَفٍ وَهَدَايَا لِرَسُولِ اللَّهِ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَقَبِلَ ذَلِكَ مِنْهُ، وَكَانَ مَعَهَا أُخْتُهَا سِيرِينُ الَّتِي وَهَبَهَا رَسُولُ اللَّهِ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، لِحَسَّانَ بْنِ ثَابِتٍ، فَوَلَدَتْ لَهُ ابْنَهُ عَبْدَ الرَّحْمَنِ بْنَ حَسَّانَ. وَيُقَالُ: أَهْدَى الْمُقَوْقِسُ مَعَهُمَا جَارِيَتَيْنِ أُخْرَيَيْنِ. فَيُحْتَمَلُ أَنَّهُمَا كَانَتَا خَادِمَتَيْنِ لِمَارِيَةَ وَسِيرِينَ. وَأَهْدَى
পৃষ্ঠা - ৫৫২৯
مَعَهُنَّ غُلَامًا خَصِيًّا اسْمُهُ مَأْبُورٌ، وَأَهْدَى مَعَ ذَلِكَ بَغْلَةً شَهْبَاءَ اسْمُهَا الدُّلْدُلُ، وَأَهْدَى حُلَّةَ حَرِيرٍ مِنْ عَمَلِ الْإِسْكَنْدَرِيَّةِ. وَكَانَ قُدُومُ هَذِهِ الْهَدِيَّةِ فِي سَنَةِ ثَمَانٍ. فَحَمَلَتْ مَارِيَةُ مِنْ رَسُولِ اللَّهِ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، بِإِبْرَاهِيمَ، عَلَيْهِ السَّلَامُ، فَعَاشَ عِشْرِينَ شَهْرًا، وَمَاتَ قَبْلَ أَبِيهِ رَسُولِ اللَّهِ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، بِسَنَةٍ سَوَاءٍ، وَقَدْ حَزِنَ عَلَيْهِ رَسُولُ اللَّهِ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَبَكَى عَلَيْهِ وَقَالَ: «تَدْمَعُ الْعَيْنُ، وَيَحْزَنُ الْقَلْبُ، وَلَا نَقُولُ إِلَّا مَا يُرْضِي رَبَّنَا، وَإِنَّا بِكَ يَا إِبْرَاهِيمُ لَمَحْزُونُونَ» . وَقَدْ تَقَدَّمَ ذَلِكَ فِي سَنَةِ عَشْرٍ. وَكَانَتْ مَارِيَةُ هَذِهِ مِنَ الصَّالِحَاتِ الْخَيِّرَاتِ الْحِسَانِ، وَقَدْ حَظِيَتْ عِنْدَ رَسُولِ اللَّهِ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَأُعْجِبَ بِهَا، وَكَانَتْ جَمِيلَةً مُلَّاحَةً، أَيْ حُلْوَةً وَهِيَ تُشَابِهُ هَاجَرَ سُرِّيَّةَ الْخَلِيلِ، فَإِنَّ كُلًّا مِنْهُمَا مِنْ دِيَارِ مِصْرَ وَتَسَرَّاهَا نَبِيٌّ كَرِيمٌ، وَخَلِيلٌ جَلِيلٌ، عَلَيْهِمَا السَّلَامُ.