سنة خمس عشرة
وقعة أجنادين
পৃষ্ঠা - ৫৪৮১
মহান অশ্রোহ্র দেয়া শতি সামর্থ্য ব্যতীত আমাদের কোন শক্তি নেই ৷ মহান আল্লাহ্
আমাদের পাল্নকর্তা, আমাদের ভরসা, আমাদ্যো আশা এবং তিনি আমাদের প্রভু ৷ কত উংাম
সেই প্রভু কত উত্তম সেই সাহায্যকারী ৷
মু আৰিয়া যাত্রা করলেন কায়সারিয়্যার অভিমুখে ৷ তিনি সেখানে গিয়ে পৌছলেন ৷ ওই
শহর অবরেধ্ করলেন ৷ সেখানকার নাগরিক ও অধিবাসিগণ একাধিকবার মুসলিম
অবরােধ্কারীদের উপর হামলা করে ৷ শেষ পর্যন্ত উভয় পক্ষে ভয়াবহ যুদ্ধ সংঘটিত হয় ৷
ৰুআৰিরা (রা) ওদের উপর চুড়ম্ভে ও কঠোরতম আঘাত হান্নন ৷ তিনি বিজয়ের জন্যে অবিরাম
স্টো চপােন ৷ অবশেবে আল্লাহ্ তাঅলাে মুসলমানদেরকে বিজয় দান করেন ৷ ওই যুদ্ধে প্রায়
৮০ হাজার শত্রু সৈন্য নিহত হয় ৷ যারা যুদ্ধ হোড় পালিয়েছে তারাসহ মোট সংখ্যা ছিল প্রায়
ঞ পান ৷ সেনাপতি মুআবিয়া বিধি মুতাবিক গনীমেতর > অংশ এবং বিজয়ের সংবাদ
পঠোণেন আমীরষ্প মু ’মিনীন খলীফা উমর (রা) এর নিকট ৷
ইবন জারীৱ বলেন, ওই বছরই খলীফা উমর (রা) আমর ইবনুল আস (না)-কে নির্দেশ
আি জেরযক্রোৰ অভিযানে যেতে এবং সেখানকার শাসনকর্তার সাথে যুদ্ধ করতে ৷ তিনি
যাত্রা করলেন ৷ তারা রামাল্লার নিকট একদল রোমান সৈন্যের মুখোমুখি হলেন ৷ ফলে
আজনাদায়নের যুদ্ধ সংঘটিত হয় ৷
আঅনাদায় নের যুদ্ধ
হযরত উমর (রা)-এর নির্দেশ অনুযায়ী সেনাপতি আমর ইবনুল আস তার বাহিনী নিয়ে
জেরুযালেম অভিযানে যাত্রা করেন ৷ সৈন্যদলের ডান বাহুর নেতৃত্বে ছিলেন তার পুত্র আবদ্যু;শহ্
ইবন আমর ৷ বাম বাহুর দায়িত্বে জুনাদা ইবন তামীম মালিকী, তিনি মাসিক ইবন কিনন্না
গোত্রের লোক ৷ তার সাথে ছিলেন শুরাহ্বীল ইবন হাসানা ৷ জর্ডানের শাসনভার দিয়েছিলেন
আবু আওয়ার সুশামীর হাতে ৷ র্তার৷ রামাদ্বু৷ পৌহলেন ৷ সেখানে আরতাবুনের নেতৃত্বাধীন
একদল রোমান সৈন্য তাদের মুখোমুখি হয় ৷ আরতাবুন ছিল রংয়ের দিক থেকে সকল
রােমানের মধ্যে সবচাইতে কালো আর কর্মের দিক থেকে সবচেয়ে নিষ্ঠুর ৷ সে রামাল্লাতে
বিশাল একদল সৈন্য এবং জেরুযালেমে বিশাল একদল সৈন্য নিয়োজিত করে ব্লেখেছিন ৷
মুসলিম সেনাপতি আমর ইৰ্নুল আস খশীফা উমর (না)-কে এ বিষয়ে অবহিত করলেন ৷
আমম্নের চিঠি ণ্যেয় খলীফা উমর (রা) বললেন, আমরা আরবের আরতাবুনকে পাঠিয়েছি
রোমান আরতাবুনকে শায়েস্তা করার জন্যে ৷ সুতরাং ভেবে দেখ কিভবে বিজয় অর্জন করা
যায় ৷ সেনাপতি আমর ইৰ্নুল আসৃ আলকামা ইবন হাকীম কিরাসী এবং মাসরুক ইবন বিলাল
আকীকে প্রেরণ করলেন জেরুযালেমে অবস্থানরত রোমান সেনাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ বলার জন্যে ৷
আবু আইয়ুব মাণির্কীকে প্রেরণ করলেন রামাল্পায় অবস্থানরত রোমানদের বিরুদ্ধে ৷ সেখানে
রোমান সেনাপতি হিল তষোরুক ৷ আবু আইয়ুব মালেকী ওদেরকে ওখানেই ব্যতিৰাস্ত
ব্লেখেছিলেন যাতে তারা আমর ইবনুল আয় ও তার সৈনিকদের নিকট আসতে না পারে ৷
খলীফার পক্ষ থেকে অতিরিক্ত সৈন্য সাহায্য এলে তিনি তার একদল পাঠাতেন বারতুল
মুকাদ্দাসের দিকে আর একদল পাঠাতেন রামাল্লার দিকে ৷ আমর নিজে অবস্থান করছিলেন
আজনাদায়নে আরতাবুঢোর মুকাৰিলায় ৷ তিনি সরাসরি আরতাবুনের সাথে কথাও বলতে
[وَقْعَةُ أَجْنَادِينَ]
وَذَلِكَ أَنَّهُ سَارَ بِجَيْشِهِ وَعَلَى مَيْمَنَتِهِ ابْنُهُ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عَمْرٍو، وَعَلَى مَيْسَرَتِهِ جُنَادَةُ بْنُ تَمِيمٍ الْمَالِكِيُّ ; مِنْ بَنِي مَالِكِ بْنِ كِنَانَةَ، وَمَعَهُ شُرَحْبِيلُ ابْنُ حَسَنَةَ، وَاسْتَخْلَفَ عَلَى الْأُرْدُنِّ أَبَا الْأَعْوَرِ السَّلَمِيَّ، فَلَمَّا وَصَلَ إِلَى الرَّمْلَةِ وَجَدَ عِنْدَهَا جَمْعًا مِنَ الرُّومِ عَلَيْهِمُ الْأَرْطَبُونُ، وَكَانَ أَدْهَى الرُّومِ وَأَبْعَدَهَا غَوْرًا، وَأَنْكَاهَا فِعْلًا، وَقَدْ كَانَ وَضَعَ بِالرَّمْلَةِ جُنْدًا عَظِيمًا وَبِإِيلِيَاءَ جُنْدًا عَظِيمًا، فَكَتَبَ عَمْرٌو إِلَى عُمَرَ بِالْخَبَرِ، فَلَمَّا جَاءَهُ كِتَابُ عَمْرٍو قَالَ: قَدْ رَمَيْنَا أَرْطَبُونَ الرُّومِ بِأَرْطَبُونِ الْعَرَبِ، فَانْظُرُوا عَمَّا تَنْفَرِجُ. وَبَعَثَ عَمْرُو بْنُ الْعَاصِ عَلْقَمَةَ بْنَ حَكِيمٍ الْفَرَّاسِيَّ، وَمَسْرُوقَ بْنَ فُلَانٍ الْعَكِّيَّ عَلَى قِتَالِ أَهْلِ إِيلِيَاءَ، وَأَبَا أَيُّوبٍ الْمَالِكِيَّ إِلَى الرَّمْلَةِ وَعَلَيْهَا التَّذَارِقُ، فَكَانُوا بِإِزَائِهِمْ ; لِيَشْغَلُوهُمْ عَنْ عَمْرِو بْنِ الْعَاصِ وَجَيْشِهِ، وَجَعَلَ عَمْرٌو كُلَّمَا قَدِمَ عَلَيْهِ أَمْدَادٌ مِنْ جِهَةِ عُمَرَ يَبْعَثُ مِنْهُمْ طَائِفَةً إِلَى هَؤُلَاءِ وَطَائِفَةً إِلَى هَؤُلَاءِ، وَأَقَامَ عَمْرٌو عَلَى أَجْنَادِينَ لَا يَقْدِرُ مِنَ الْأَرْطَبُونِ عَلَى سَقْطَةٍ وَلَا تَشْفِيهِ الرُّسُلُ، فَوَلِيَهُ بِنَفْسِهِ، فَدَخَلَ عَلَيْهِ كَأَنَّهُ رَسُولٌ، فَأَبْلَغَهُ مَا يُرِيدُ وَسَمِعَ كَلَامَهُ وَتَأَمَّلَ حُصُونَهُ حَتَّى عَرَفَ مَا أَرَادَ، وَقَالَ الْأَرْطَبُونُ فِي نَفْسِهِ: وَاللَّهِ إِنَّ هَذَا لَعَمْرٌو، أَوْ إِنَّهُ الَّذِي يَأْخُذُ عَمْرٌو بِرَأْيِهِ، وَمَا كُنْتُ لِأُصِيبَ الْقَوْمَ بِأَمْرٍ هُوَ أَعْظَمُ مِنْ قَتْلِهِ. فَدَعَا حَرَسِيًّا فَسَارَّهُ فَأَمَرَهُ بِقَتْلِهِ. فَقَالَ: اذْهَبْ فَقُمْ فِي مَكَانِ كَذَا وَكَذَا، فَإِذَا مَرَّ بِكَ فَاقْتُلْهُ. فَفَطِنَ عَمْرُو بْنُ الْعَاصِ، فَقَالَ لِلْأَرْطَبُونِ: أَيُّهَا
পৃষ্ঠা - ৫৪৮২
আপনি ইতিমধ্যেই জোনছেন, আমি এই শহর জয় করবই ৷ আপনি আমার চিঠিখানা আপনার
সভাসদ ও উপদেষ্টাদের সম্মুখে পাঠ করবেন ৷ চিঠি পেয়ে আরতাবুন তইি করল ৷ তার মত্রী ও
উপদেষ্টাদেরকে ডেকে তাদের সামনে চিঠিটি পাঠ করল ৷ তারা আরতাবুনকে বলল, আপনি
কীভাবে বুঝলেন যে, উনি এই নগর জয়ের মহানায়ক নয় ঙ্কশ্-আরতাবুন বলল, এই শহর
বিজয়ের মহানায়ক হবেন এমন এক ব্যক্তি যার নাম তিন অক্ষর বিশিষ্ট ৷ প্রেরিত দুত ফিরে এল
আমর (রা)-এর নিকট এবং ওদের ক্যথাপকথন র্তাকে জানলে ৷
সেনাপতি আমর ইবনুল আস সাহায্য চেয়ে খলীফা উমর (রা)-এর নিকট চিঠি লিখলেন ৷
তিনি লিখলেন যে, আমি প্রচণ্ড যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছি ৷ তবে কতক শহরের বিজয় আপনার জন্যে
রেখে দিয়েছি ৷ এখন আপনার সিদ্ধান্তে যা হয় ৷ চিঠি পেয়ে হযরত উমর (রা) বুঝে নিলেন যে,
কোন বিষয় নিশ্চিত না জেনে আমর এই কথা বলেন নি ৷ তাই হযরত উমর (রা) বায়তৃল
মুকাদ্দাস জয় করার উদ্দেশ্যে সিরিয়া প্রবেশের সিদ্ধান্ত নিলেন ৷ অচিরেই আমরা এই ঘটনা
বিস্তারিত আলোচনা করব ৷
আপন শায়খদের উদ্ধৃতি দিয়ে সায়ফ ইবন উমর বলেছেন যে, হযরত উমর (রা) চারবার
সিরিয়া প্রবেশ করেছেন ৷ প্রথমবারে তিনি প্রবেশ করেছেন ঘেড়ােয় সওয়ার হয়ে বায়তৃল
মুকাদ্দাস জয় করার জন্যে ৷ দ্বিতীয়বার প্রবেশ করেছেন উটের পিঠে চড়ে ৷ তৃভীয়বার সারা
পর্যন্ত গিয়ে ফিরে এসেছিলেন ৷ তখন সেখানে মহামারী প্লেগ রোগের প্রাদুর্ভাব ঘটেছিল ৷
চতুর্থবার প্রবেশ করেছিলেন পাধার পিঠে সওয়ার হয়ে ৷ সায়ফ ইবন উমর থেকে ইবন জারীর
এরুপই বর্ণনা করেছেন ৷
الْأَمِيرُ، إِنِّي قَدْ سَمِعْتُ كَلَامَكَ وَسَمِعْتَ كَلَامِي، وَإِنِّي وَاحِدٌ مِنْ عَشَرَةٍ بَعَثَنَا عُمَرُ بْنُ الْخَطَّابِ ; لِنَكُونَ مَعَ هَذَا الْوَالِي؛ لِنَشْهَدَ أُمُورَهُ، وَقَدْ أَحْبَبْتُ أَنْ آتِيَكَ بِهِمْ ; لِيَسْمَعُوا كَلَامَكَ، وَيَرَوْا مَا رَأَيْتُ. فَقَالَ الْأَرْطَبُونُ: نَعَمْ، فَاذْهَبْ فَائْتِنِي بِهِمْ. وَدَعَا رَجُلًا فَسَارَّهُ فَقَالَ: اذْهَبْ إِلَى فُلَانٍ فَرُدَّهُ. وَقَامَ عَمْرٌو فَذَهَبَ إِلَى جَيْشِهِ، ثُمَّ تَحَقَّقَ الْأَرْطَبُونُ أَنَّهُ عَمْرُو بْنُ الْعَاصِ. فَقَالَ: خَدَعَنِي الرَّجُلُ، هَذَا وَاللَّهِ أَدْهَى الْعَرَبِ. وَبَلَغَتْ عُمَرَ بْنَ الْخَطَّابِ فَقَالَ: غَلَبَهُ عَمْرٌو، لِلَّهِ دَرُّ عَمْرٍو. ثُمَّ نَاهَضَهُ عَمْرٌو، فَاقْتَتَلُوا بِأَجْنَادِينَ قِتَالًا عَظِيمًا كَقِتَالِ الْيَرْمُوكِ حَتَّى كَثُرَتِ الْقَتْلَى بَيْنَهُمْ، ثُمَّ اجْتَمَعَتْ بَقِيَّةُ الْجُيُوشِ إِلَى عَمْرِو بْنِ الْعَاصِ، وَذَلِكَ حِينَ أَعْيَاهُمْ صَاحِبُ إِيلِيَاءَ وَتَحَصَّنَ مِنْهُمْ بِالْبَلَدِ، وَكَثُرَ جَيْشُهُ، فَكَتَبَ أَرْطَبُونُ إِلَى عَمْرٍو بِأَنَّكَ صَدِيقِي وَنَظِيرِي، أَنْتَ فِي قَوْمِكَ مِثْلِي فِي قَوْمِي، وَاللَّهِ لَا تَفْتَحُ مِنْ فِلَسْطِينَ شَيْئًا بَعْدَ أَجْنَادِينَ، فَارْجِعْ وَلَا تُغَرَّ ; فَتَلْقَى مِثْلَ مَا لَقِيَ الَّذِي قَبْلَكَ مِنَ الْهَزِيمَةِ. فَدَعَا عَمْرٌو رَجُلًا يَتَكَلَّمُ بِالرُّومِيَّةِ فَبَعَثَهُ إِلَى أَرْطَبُونَ وَقَالَ: اسْمَعْ مَا يَقُولُ لَكَ، ثُمَّ ارْجِعْ فَأَخْبِرْنِي. وَكَتَبَ إِلَيْهِ مَعَهُ: جَاءَنِي كِتَابُكَ وَأَنْتَ نَظِيرِي وَمِثْلِي فِي قَوْمِكَ، لَوْ أَخْطَأَتْكَ خَصْلَةٌ تَجَاهَلْتَ فَضِيلَتِي، وَقَدْ عَلِمْتَ أَنِّي صَاحِبُ فَتْحِ هَذِهِ الْبِلَادِ، وَاقْرَأْ كِتَابِي هَذَا بِمَحْضَرٍ مِنْ أَصْحَابِكَ وَوُزَرَائِكَ. فَلَمَّا وَصَلَهُ الْكِتَابُ جَمَعَ وُزَرَاءَهُ، وَقَرَأَ عَلَيْهِمُ الْكِتَابَ، فَقَالُوا لِلْأَرْطَبُونِ: مِنْ أَيْنَ عَلِمْتَ أَنَّهُ لَيْسَ بِصَاحِبِ فَتْحِ هَذِهِ الْبِلَادِ؟ فَقَالَ: صَاحِبُهَا رَجُلٌ اسْمُهُ عَلَى ثَلَاثَةِ أَحْرُفٍ. فَرَجَعَ الرَّسُولُ إِلَى عَمْرٍو فَأَخْبَرَهُ بِمَا قَالَ، فَكَتَبَ