আল বিদায়া ওয়া আন্নিহায়া

قصة موسى الكليم عليه الصلاة والسلام

قصته مع فرعون وقومه

পৃষ্ঠা - ৫৪৮

মূসা কালীমুল্লাহ্ (আ) এর বিবরণ

তিনি হচ্ছেন মূসা ইবন ইমরান ইবন কাহিছ ইবন আযির ইবন লাওয়ী ইবন ইয়াকূব ইবন
ইসহাক ইবন ইবরাহীম (আ) ৷
আল্লাহ্ তা'আলা কুরআনুল করীমের বিভিন্ন জায়গায় সংক্ষেপে ও বিস্তারিতভারে মুসা (আ) এর ঘটনা বর্ণনা করেছেন ৷ সংশ্লিষ্ট আয়াতের তাফসীর বর্ণনাকালে তাফসীরের কিতাবে আমি তা বিস্তারিত বর্ণনা করেছি ৷ এখানে মুসা (আ )-এর ঘটনার আদ্যোপাম্ভ কিতাব ও সুন্নতের আলোকে আমি বর্ণনা করতে চেষ্টা করব ইনশাআল্লাহ্ ৷ ইসরাঈলী বর্ণনাসমুহ থেকে এ সম্পর্কে যে সব বর্ণনা প্ৰসিদ্ধি লাভ করেছে এবং আমাদের পুর্ববর্তী উলামায়ে কিরামও এগুলো বর্ণনা করেছেন তা এখানে পেশ করব ৷
আল্লাহ্ তা আলা ইরশাদ করেন  :


অর্থাৎ-স্মরণ কর, এ কিতাবে উল্লেখিত মূসার কথা, যে ছিল বিশুদ্ধচিত এবং সে ছিল রাসুল ও নবী৷ তাকে আমি অহ্বান করেছিলাম তুর পর্বতের দক্ষিণ দিক হতে এবং আমি অন্তরংগ আলাপে তাকে নৈকট্যদান করেছিলাম ৷ আমি নিজ অনুগ্রহে তাকে দিলাম তার তাই হারুনকে নবীরুপে৷ (সুরা মরিয়ম : ৫২)

আল্লাহ্ তাআলা ইরশাদ করেন:



[قِصَّةُ مُوسَى الْكَلِيمِ عَلَيْهِ الصَّلَاةُ وَالسَّلَامُ] [قِصَّتُهُ مَعَ فِرْعَوْنَ وَقَوْمِهِ] ذِكْرُ قِصَّةِ مُوسَى الْكَلِيمِ، عَلَيْهِ الصَّلَاةُ وَالسَّلَامُ وَهُوَ مُوسَى بْنُ عِمْرَانَ بْنِ قَاهِثَ بْنِ عَازِرَ بْنِ لَاوِي بْنِ يَعْقُوبَ بْنِ إِسْحَاقَ بْنِ إِبْرَاهِيمَ، عَلَيْهِمُ السَّلَامُ، قَالَ اللَّهُ تَعَالَى: {وَاذْكُرْ فِي الْكِتَابِ مُوسَى إِنَّهُ كَانَ مُخْلَصًا وَكَانَ رَسُولًا نَبِيًّا - وَنَادَيْنَاهُ مِنْ جَانِبِ الطُّورِ الْأَيْمَنِ وَقَرَّبْنَاهُ نَجِيًّا - وَوَهَبْنَا لَهُ مِنْ رَحْمَتِنَا أَخَاهُ هَارُونَ نَبِيًّا} [مريم: 51 - 53] [مَرْيَمَ 51 - 53] . ذَكَرَهُ بِالرِّسَالَةِ وَالنُّبُوَّةِ وَالْإِخْلَاصِ وَالتَّكْلِيمِ وَالتَّقْرِيبِ، وَمَنَّ عَلَيْهِ بِأَنْ جَعَلَ أَخَاهُ هَارُونَ نَبِيًّا وَقَدْ ذَكَرَهُ اللَّهُ تَعَالَى فِي مَوَاضِعَ كَثِيرَةٍ مُتَفَرِّقَةٍ مِنَ الْقُرْآنِ، وَذَكَرَ قِصَّتَهُ فِي مَوَاضِعَ مُتَعَدِّدَةٍ مَبْسُوطَةٍ، وَمُتَوَسِّطَةٍ، وَمُخْتَصَرَةٍ، وَقَدْ تَكَلَّمْنَا عَلَى ذَلِكَ كُلِّهِ فِي مَوَاضِعِهِ مِنَ " التَّفْسِيرِ " وَسَنُورِدُ سِيرَتَهُ هَاهُنَا، مِنِ ابْتِدَائِهَا إِلَى آخِرِهَا مِنَ الْكِتَابِ وَالسَّنَةِ، وَمَا وَرَدَ فِي الْآثَارِ الْمَنْقُولَةِ مِنَ الْإِسْرَائِيلِيَّاتِ، الَّتِي ذَكَرَهَا السَّلَفُ وَغَيْرُهُمْ، إِنْ شَاءَ اللَّهُ، وَبِهِ الثِّقَةُ وَعَلَيْهِ التُّكْلَانُ. قَالَ اللَّهُ تَعَالَى: {طسم - تِلْكَ آيَاتُ الْكِتَابِ الْمُبِينِ - نَتْلُوا عَلَيْكَ مِنْ نَبَأِ مُوسَى وَفِرْعَوْنَ بِالْحَقِّ لِقَوْمٍ يُؤْمِنُونَ - إِنَّ فِرْعَوْنَ عَلَا فِي الْأَرْضِ وَجَعَلَ أَهْلَهَا شِيَعًا يَسْتَضْعِفُ طَائِفَةً مِنْهُمْ يُذَبِّحُ أَبْنَاءَهُمْ وَيَسْتَحْيِي نِسَاءَهُمْ إِنَّهُ كَانَ مِنَ الْمُفْسِدِينَ - وَنُرِيدُ أَنْ نَمُنَّ عَلَى الَّذِينَ اسْتُضْعِفُوا فِي الْأَرْضِ وَنَجْعَلَهُمْ أَئِمَّةً وَنَجْعَلَهُمُ الْوَارِثِينَ - وَنُمَكِّنَ لَهُمْ فِي الْأَرْضِ وَنُرِيَ فِرْعَوْنَ وَهَامَانَ وَجُنُودَهُمَا مِنْهُمْ مَا كَانُوا يَحْذَرُونَ} [القصص: 1 - 6] [الْقِصَصِ 1 - 6] . يَذْكُرُ تَعَالَى مُلَخَّصَ الْقِصَّةِ ثُمَّ يَبْسُطُهَا بَعْدَ هَذَا، فَذَكَرَ أَنَّهُ سُبْحَانَهُ يَتْلُو عَلَى نَبِيِّهِ خَبَرَ مُوسَى وَفِرْعَوْنَ بِالْحَقِّ ; أَيْ بِالصِّدْقِ الَّذِي كَأَنَّ سَامِعَهُ مُشَاهِدٌ لِلْأَمْرِ مُعَايِنٌ لَهُ {إِنَّ فِرْعَوْنَ عَلَا فِي الْأَرْضِ وَجَعَلَ أَهْلَهَا شِيَعًا} [القصص: 4] أَيْ ; تَجَبَّرَ وَعَتَا، وَطَغَى وَبَغَى، وَآثَرَ الْحَيَاةَ الدُّنْيَا وَأَعْرَضَ عَنْ طَاعَةِ الرَّبِّ الْأَعْلَى. {وَجَعَلَ أَهْلَهَا شِيَعًا} [القصص: 4] أَيْ ; قَسَّمَ رَعِيَّتَهُ إِلَى أَقْسَامٍ وَفِرَقٍ وَأَنْوَاعٍ {يَسْتَضْعِفُ طَائِفَةً مِنْهُمْ} [القصص: 4] وَهُمْ شَعْبُ بَنِي إِسْرَائِيلَ، الَّذِينَ هُمْ مِنْ سُلَالَةِ نَبِيِّ اللَّهِ يَعْقُوبَ بْنِ إِسْحَاقَ بْنِ إِبْرَاهِيمَ خَلِيلِ اللَّهِ. وَكَانُوا إِذْ ذَاكَ خِيَارَ أَهْلِ الْأَرْضِ، وَقَدْ سَلَّطَ اللَّهُ عَلَيْهِمْ هَذَا الْمَلِكَ الظَّالِمَ الْغَاشِمَ الْكَافِرَ الْفَاجِرَ، يَسْتَعْبِدُهُمْ وَيَسْتَخْدِمُهُمْ فِي أَخَسِّ الصَّنَائِعِ وَالْحِرَفِ، وَأَرْدَئِهَا، وَأَدْنَاهَا، وَمَعَ هَذَا {يُذَبِّحُ أَبْنَاءَهُمْ وَيَسْتَحْيِي نِسَاءَهُمْ إِنَّهُ كَانَ مِنَ الْمُفْسِدِينَ} [القصص: 4] وَكَانَ الْحَامِلُ لَهُ عَلَى هَذَا الصَّنِيعِ الْقَبِيحِ، أَنَّ بَنِي إِسْرَائِيلَ كَانُوا يَتَدَارَسُونَ فِيمَا بَيْنَهُمْ مَا كَانُوا يَأْثُرُونَهُ عَنْ إِبْرَاهِيمَ الْخَلِيلِ، عَلَيْهِ السَّلَامُ، مِنْ أَنَّهُ سَيَخْرُجُ مِنْ ذُرِّيَّتِهِ غُلَامٌ يَكُونُ هَلَاكُ مَلِكِ مِصْرَ عَلَى يَدَيْهِ، وَذَلِكَ، وَاللَّهُ أَعْلَمُ، حِينَ جَرَى عَلَى سَارَّةَ امْرَأَةِ الْخَلِيلِ مِنْ مَلِكِ مِصْرَ، مِنْ إِرَادَتِهِ إِيَّاهَا عَلَى السُّوءِ، وَعِصْمَةِ اللَّهِ لَهَا.
পৃষ্ঠা - ৫৪৯


ইসরাঈলের কোন ক্ষতি করল না ৷ ফিরআউন জেগে উঠে ভীত সন্ত্রস্ত হয়ে পড়ল ৷ জ্যোতিযী ও
জাদুকরদেরকে সমবেত করল এবং স্বপ্নের ব্যাখ্যা জ নতে চাইল ৷৩ তারা তখন বলল এই যুবক

বনী ইসরাঈল বংশে জন্মগ্রহণ করবে এবং৩ তারই হাতে মিসররাসী ধ্বং স হবে ৷ এ কারণেই

ফিরআউন বনী ইসরাঈলের পুত্রগণকে হত্যা করতে এবংন নারীদের জীবিত রাখতে নির্দেশ দিল ৷

এই জন্যেই আল্লাহ্ তাআল৷ ইরশাদ করেন, আমি ইচ্ছা করলাম, সে দেশে যাদেরকে হীনবল

করা হয়েছিল, তাদের প্রতি অনুগ্রহ করতে; তাদেরকে নেতৃতু দান করতে ও দেশের অধিকারী

করতে; এবং তাদেরকে দেশে ক্ষমতায় প্রতিষ্ঠিত করতে, আর ফিরআউন, হামান ও তাদের
বাহিনীকে তা দেখিয়ে দিতে ,যা এদের নিকট তারা আশঙ্কা করত ৷

অর্থাৎ বনী ইসরাঈলকে হীনবল করা হয়েছিল ৷ আল্লাহ্ত তা জানার প্রতিশ্রুতি হচ্ছে যে
তিনি শিগগিরই হীনবলকে শক্তিশালী করবেন, পরাভুত তকে বিজয়ী করবেন এবং অবনমিতকে
শক্তিমান করবেন ৷ ইতিহাস সাক্ষ্য দেয় যে, সবকিছুই বনী ইসরাঈলের ক্ষেত্রে অক্ষরে অক্ষরে

বাস্তবায়িত হয়েছিল ৷ এ প্রসঙ্গে আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেন


ছুপ্রুড্রুন্ণ্ষ্দ্বু ৷ ণ্ষ্ট্রপু ৷ ৷এএে৷ )



অর্থাৎ-যে সম্প্রদায়কে দুর্বল গণ্য করা হত৩ তাদেরকে আমি আমার কল্যাণপ্রাপ্ত রাজেব্রর পুর্ব
ও পশ্চিমের উত্তরাধিকারী করি; এবং বনী ইসরাঈল সমন্ধে তোমার প্ৰতিপালকের শুভ বাণী
সাত্য পরিণত হল যেহেতু তারা ধৈর্যধা রণ করেছিল ৷ (সুরা আরাফ : ১৩৭)

আল্লাহ তাআলা অন্যত্র ইরশাদ করেন০ :

খ্যাঃ ণ্ব্লু

শ্রোর্চুাট্র

অর্থ্যাৎ-তার৷ পশ্চাতে রেখে গিয়েছিল কত উদ্যান ও প্রস্রবণ, কত শস্যক্ষেত্র ও সুরম্য
প্রাসাদ, কত বিলড়াস উপকরণ, যা তাদের আনন্দ দিত এরুপই ঘটেছিল এবং আমি এই সষুদয়ের
উত্তরাধিকারী করেছিলাম ভিন্ন সম্প্রদায়কে ৷ (সুরা দৃখান : ২৫) অর্থাৎ বনী ইসরাঈলকে ৷ এ
সম্বন্ধে অন্যত্র আরো বিস্তারিত বর্ণনা করা হবে ইনশাআল্লাহ্ ৷

মােটকথা , ফিরআউন সম্ভাব্য সবরকম সতর্কতা অবলম্বন করল যাতে মুসা (আ) দৃনিয়াতে
না আসতে পারে ৷ যে এমন কিছু সংখ্যক পুরুষ ও ত্রীকে নিযুক্ত করল যাতে তারা রাজে৷ ঘুরে
ঘুরে পর্ভবভী নারীদের সন্ধান করে ও তাদের প্রসবের নির্ধারিত সময় সম্বন্ধে অবগত হয় ৷ আর
যখনই কোন গর্ভবতী নারী পুত্র সন্তান প্রসব করত, তখনই এসব হত্যাকারী তাদেরকে হত্যা
করে ফেলত ৷
তাবীদের ভাষ্য হচ্ছে এই যে, ফিরআউন পুত্র-সন্তানদেরকে এ উদ্দেশ্যে হত্যা করার
হুকুম দিত যাতে বনী ইসরাঈলের শান-শওকতহ্রাস পেয়ে যায় ৷


وَكَانَتْ هَذِهِ الْبِشَارَةُ مَشْهُورَةً فِي بَنِي إِسْرَائِيلَ، فَتَحَدَّثَ بِهَا الْقِبْطُ فِيمَا بَيْنَهُمْ، وَوَصَلَتْ إِلَى فِرْعَوْنَ فِي مَجْلِسِ مُسَامَرَتِهِ مَعَ أُمَرَائِهِ وَأَسَاوِرَتِهِ وَهُمْ يَسْمُرُونَ عِنْدَهُ، فَأَمَرَ عِنْدَ ذَلِكَ بِقَتْلِ أَبْنَاءِ بَنِي إِسْرَائِيلَ ; حَذَرًا مِنْ وُجُودِ هَذَا الْغُلَامِ، وَلَنْ يُغْنِيَ حَذَرٌ مِنْ قَدَرٍ. وَذَكَرَ السُّدِّيُّ عَنْ أَبِي صَالِحٍ، وَأَبِي مَالِكٍ، عَنْ ابْنِ عَبَّاسٍ، وَعَنْ مُرَّةَ، عَنِ ابْنِ مَسْعُودٍ، وَعَنْ أُنَاسٍ مِنَ الصَّحَابَةِ أَنَّ فِرْعَوْنَ رَأَى فِي مَنَامِهِ كَأَنَّ نَارًا قَدْ أَقْبَلَتْ مِنْ نَحْوِ بَيْتِ الْمَقْدِسِ فَأَحْرَقَتْ دَوْرَ مِصْرَ وَجَمِيعَ الْقِبْطِ، وَلَمْ تَضُرَّ بَنِي إِسْرَائِيلَ، فَلَمَّا اسْتَيْقَظَ هَالَهُ ذَلِكَ فَجَمَعَ الْكَهَنَةَ وَالْحُزَاةَ وَالسَّحَرَةَ وَسَأَلَهُمْ عَنْ ذَلِكَ، فَقَالَ لَهُ الْكَهَنَةُ: هَذَا غُلَامٌ يُولَدُ مِنْ بَنِي إِسْرَائِيلَ، يَكُونُ سَبَبَ هَلَاكِ أَهْلِ مِصْرَ عَلَى يَدَيْهِ. فَلِهَذَا أَمَرَ بِقَتْلِ الْغِلْمَانِ وَتَرْكِ النِّسْوَانِ. وَلِهَذَا قَالَ اللَّهُ تَعَالَى: {وَنُرِيدُ أَنْ نَمُنَّ عَلَى الَّذِينَ اسْتُضْعِفُوا فِي الْأَرْضِ} [القصص: 5] وَهُمْ بَنُو إِسْرَائِيلَ {وَنَجْعَلَهُمْ أَئِمَّةً وَنَجْعَلَهُمُ الْوَارِثِينَ} [القصص: 5] أَيِ ; الَّذِينَ يَئُولُ مُلْكُ مِصْرَ وَبِلَادُهَا إِلَيْهِمْ {وَنُمَكِّنَ لَهُمْ فِي الْأَرْضِ وَنُرِيَ فِرْعَوْنَ وَهَامَانَ وَجُنُودَهُمَا مِنْهُمْ مَا كَانُوا يَحْذَرُونَ} [القصص: 6] أَيْ ; سَنَجْعَلُ الضَّعِيفَ قَوِيًّا، وَالْمَقْهُورَ قَاهِرًا، وَالذَّلِيلَ عَزِيزًا. وَقَدْ جَرَى هَذَا كُلُّهُ لِبَنِي إِسْرَائِيلَ ; كَمَا قَالَ
পৃষ্ঠা - ৫৫০


সুতরাং কিবভীরা যখন তাদের উপর অ ধিপ তা বিস্তার করতে প্রয়াস পাবে কিৎব৷ তাদের
সাথে যুদ্ধ করবে তখন তারা তা প্রতিরোধ করতে সমর্থ হবে না ৷

এ ভাষাটি গ্রহণযোগ্য নয় ৷ কেননা, তাদের পুত্র-সন্তানদের এরুপ হত্যা করার হুকুম দেয়া
হয়েছিল মুসা (আ) এর নবুওতপ্রাপ্তির পর, জন্মলগ্রে নয় ৷

( যেমন আল্লাহ তা জানা বলেন :
ধ্র্মর্চু ৷ হুৰুর্দুার্চু,া৷ ৷ র্চুর্চুট্র৷ ৷টুপু হু৷ ৷;পুঢুষ্ এে;ণ্ ;শ্ণ্ এন্এ শুর্বৃ ! ; র্চুর্দুৰু
ন্)

অর্থাৎ-ত ৷রপর মুসা আমার নিকট হতে সত্য নিয়ে তাদের নিকট উপস্থিত হলে তারা
বলল, মুসার প্রতি যারা ঈমান এসেছে তাদের পুত্র সন্তানদেরকে হত্যা কর এবং তাদের
নারীদেরকে জীবিত রাখ ৷ (সুরা মুমিনং ২৫) আর এজন্যেই বনী ইসরাঈল মুসা (আ) কে
বলেছিল : é”; শ্ন৷ ৷টুা৷স্ত
অর্থাৎ-আমাদের নিকট ৫তামার আমার পুর্বে আমরা নির্যাতিত হয়েছি এবং তোমার আমার
পরেও ৷ (সুরা আ রাফং : ১২৯)

সুতরাং বিশুদ্ধ অভিমত তহচ্ছে এই যে মুসা (আ) এর দুনিয়ার আগমন ৫ঠকাবার জন্যেই
ফিরআউন বনী ইসর৷ ঈলের পুত্র-সত্তানদের প্রথমে হত তা৷ করার নির্দেশ দিয়েছিল ৷ত তাকদীর যেন
বলছিল, ৫হ বিপুল সেনাবাহিনীর অধিকারী! পরম ক্ষমতা ও রাজত্বের অধিপতি বিধায় অহৎকারী
পরাক্রমশালী সম্রাট ! ঐ অপ্রতিদ্বন্দী, অপ্ৰতিহত এবং অবিচল মহাশক্তির অধিকারী সিদ্ধান্ত
নিয়েছেন যে, যেই সন্তানটি থেকে পবিত্র ণেব আশায়, অগণিত, অসং খ্য নিষ্পাপ পুত্র সন্তান
তুমি হত্যা করছ সেই সন্তান ৫তামাব ঘরেই প্ৰতিপালিত হবে, তোমার ঘরেই সে লালিত পালিত
হবে, তোমার ঘরেই তোমার খাদ্য খেয়ে ও পানীয় পান করে বড় হয়ে উঠবে, তুমিই তাকে
পালক-পুত্র হিসেবে গ্রহণ করবে ও তাকে লালন করবে অথচ তুমি এ রহস্য উদ্ঘাটন করতে
সক্ষম হবে না ৷ অবশেষে তার হাতেই তোমার দুনিয়া ও আখিরাত সর্বস্ব বিনাশ হয়ে যাবে ৷
কারণ সে যা কিছু প্রকাশ্য সত্য নিয়ে আসবে তুমি তার বিরোধিতা করবে, এবং তার কাছে যে
ওহী নাযিল হবে, তুমি তা মিথ্যা প্রতিপন্ন করবে এটা এজন্য যাতে ভুমি এবং ৫প টা জগদ্বাসী
জানতে পারে যে, নভোমণ্ডল ও ভুমণ্ডলের প্ৰতিপালক যা ইচ্ছা তা আঞ্জাম দিয়ে থাকেন, তিনিই
মহাপরাক্রমশালী একচ্ছএ ক্ষমত তার অধিকারী ও তার শক্তি ও ইচ্ছাকে কেউ প্রতিহত করতে
পারে না

একাধিক তাফসীরকার এরুপ বর্ণনা করেছেন কিবভীরা ফিরআউনের কাছে এমর্মে
অভিযোগ করে যে, বনী ইসরাঈলের পৃত্র-সম্ভান হত্যা করার কারণে তাদের সৎখ্যাহ্রাস পেয়ে
যাচ্ছে এবং তারা আশঙ্কা করতে বাধ্য হচ্ছে যে, ছোটদেরকে হত্যা করার কারণে বড়দের
সংখ্যাও ক্রমশ হ্রাস পেতে থাকবে ৷ ফলে কিবভীদেরকে ঐ সব নিকৃষ্ট কাজ করতে হবে
যেগুলো বনী ইসরাঈল করতে বাধ্য ছিল ৷ এরুপ অভিযোগ ফিরআউনের কাছে পৌছার পর
ফিরআউন এক বছর পর পর পুত্র-সম্ভানদের হত্যা করতে নির্দেশ দিল ৷৩ তাফসীরক৷ রগণ উল্লেখ
করেন, যে বছর পুত্র-সত্তানদের হত্যা না করার কথা সেই বছর হারুন (আ) জন্মগ্রহণ করেন ৷
অন্যদিকে যে বছরে পুত্র-সম্ভানদের হত্যা করার কথা যে বছরে মুসা (আ) জন্মগ্রহণ করেন ৷


تَعَالَى: {وَأَوْرَثْنَا الْقَوْمَ الَّذِينَ كَانُوا يُسْتَضْعَفُونَ مَشَارِقَ الْأَرْضِ وَمَغَارِبَهَا الَّتِي بَارَكْنَا فِيهَا وَتَمَّتْ كَلِمَةُ رَبِّكَ الْحُسْنَى عَلَى بَنِي إِسْرَائِيلَ بِمَا صَبَرُوا} [الأعراف: 137] وَقَالَ تَعَالَى: {فَأَخْرَجْنَاهُمْ مِنْ جَنَّاتٍ وَعُيُونٍ - وَكُنُوزٍ وَمَقَامٍ كَرِيمٍ - كَذَلِكَ وَأَوْرَثْنَاهَا بَنِي إِسْرَائِيلَ} [الشعراء: 57 - 59] [الشُّعَرَاءِ 57 - 59] . وَسَيَأْتِي تَفْصِيلُ ذَلِكَ فِي مَوْضِعِهِ إِنْ شَاءَ اللَّهُ تَعَالَى. وَالْمَقْصُودُ أَنَّ فِرْعَوْنَ احْتَرَزَ كُلَّ الِاحْتِرَازِ أَنْ لَا يُوجَدَ مُوسَى، حَتَّى جَعَلَ رِجَالًا وَقَوَابِلَ يَدُورُونَ عَلَى الْحَبَالَى، وَيَعْلَمُونَ مِيقَاتَ وَضْعِهِنَّ، فَلَا تَلِدُ امْرَأَةٌ ذَكَرًا إِلَّا ذَبَحَهُ أُولَئِكَ الذَّبَّاحُونَ مِنْ سَاعَتِهِ. وَعِنْدَ أَهْلِ الْكِتَابِ أَنَّهُ إِنَّمَا كَانَ يَأْمُرُ بِذَبْحِ الْغِلْمَانِ لِتَضْعُفَ شَوْكَةُ بَنِي إِسْرَائِيلَ، فَلَا يُقَاوِمُونَهُمْ إِذَا غَالَبُوهُمْ أَوْ قَاتَلُوهُمْ. وَفِي هَذَا نَظَرٌ، بَلْ هُوَ بَاطِلٌ، وَإِنَّمَا وَقَعَ هَذَا بَعْدَ بَعْثَةِ مُوسَى فَجَعَلَ يَقْتُلُ الْوِلْدَانَ، كَمَا قَالَ تَعَالَى: {فَلَمَّا جَاءَهُمْ بِالْحَقِّ مِنْ عِنْدِنَا قَالُوا اقْتُلُوا أَبْنَاءَ الَّذِينَ آمَنُوا مَعَهُ وَاسْتَحْيُوا نِسَاءَهُمْ} [غافر: 25] . وَلِهَذَا قَالَتْ بَنُو إِسْرَائِيلَ لِمُوسَى: {أُوذِينَا مِنْ قَبْلِ أَنْ تَأْتِيَنَا وَمِنْ بَعْدِ مَا جِئْتَنَا} [الأعراف: 129] . فَالصَّحِيحُ أَنَّ فِرْعَوْنَ إِنَّمَا أَمَرَ بِقَتْلِ الْغِلْمَانِ أَوَّلًا حَذَرًا مِنْ وُجُودِ مُوسَى عَلَيْهِ السَّلَامُ. هَذَا، وَالْقَدَرُ يَقُولُ: يَا أَيُّهَا الْمَلِكُ الْجَبَّارُ، الْمَغْرُورُ بِكَثْرَةِ جُنُودِهِ، وَسُلْطَةِ بَأْسِهِ وَاتِّسَاعِ سُلْطَانِهِ، قَدْ حَكَمَ الْعَظِيمُ الَّذِي لَا
পৃষ্ঠা - ৫৫১


সুতরাং মুসা (আ)এর আম্ম৷ মুসা (আ)-কে নিয়ে চিন্তিত হয়ে পড়লেন ৷ তাই তিনি
গর্ভবতী হওয়ার প্রথম দিন থেকে সাবধানত৷ অবলম্বন করতে লাগলেন এবং গর্ভের কথা প্রকাশ
হতে দিলেন না ৷ যখন তিনি সন্তান প্রসব করলেন, একটি সিন্দুক তৈরি করার জন্যে র্তাকে
ৎগােপনে নির্দেশ প্রদান করা হল ৷ তিনি সিন্দুকটিকে একটি রশি দিয়ে বেধে রাখলেন ৷ তীর
বাড়ি ছিল নীলনদের তীরে ৷ তিনি তার সন্তানকে দুধ পান করাতেন এবং যখনই কারো
আগমনের আশঙ্কা করতেন তাকে সিন্দুকে রেখে সিন্দুক সমেত তাকে নদীতে ভাসিয়ে দিতেন ৷
আর রশির এক প্রান্ত তিনি নিজে ধরে রাখতেন ৷ যখন শত্রুরা চলে যেত তখন তিনি তাকে

টেনে নিজের কাছে নিয়ে আসতেন ৷ আল্লাহ্ তাআ ৷লার বাণীং

; ৷ দ্বু


এ্যাঙ (;পুাহু ’ ৷ ব্রক্ট্রএৰুার্বৃঠু এ^এ৷ কু^শুাদ্বু ৷ক্ট্র ৷ ^দ্বু১১ খু)প্রু১া;প্রু র্বৃাএ

এৰুহ্র এের্দ্রষ্হ্রহ্রষ্স্ ব্লু)



é€


অর্থাৎ-মুসাব মায়ের অন্তরে আমি ইংগিতে নির্দেশ করলাম, “শিশুটিকে বুকের দুধ পান
করাতে থাক ৷” যখন ভুমি তার সম্পর্কে কোন আশঙ্কা করবে, তখন তাকে দরিয়ায় নিক্ষেপ
করবে এবং ভয় করবে না, দুঃখও করবে না ৷ আমি তাকে তোমার নিকট ফিরিয়ে দেব এব০
তাকে রাসুলদের একজন করব ৷ অবশেষে ফিরআউনের লোকজন তাকে উঠিয়ে নিল ৷ এর
পরিণাম৫ তা এই ছিল যে, সে তাদের শত্রু ও দু০খের কারণ হয়ে ৷ ফিরঅড়াউন, হামান ও তাদের
বাহিনী ছিল অপরাধী ৷ ফিরআউনের ত্রী বলল, এই শিশু আমার ও তোমার নয়ন গ্রীতিকর ৷
একে হত্যা করবে না, যে আমাদের উপকারে আসতে পারে ৷ আমরা তাকে সন্তান হিসেবেও
গ্রহণ করতে পারি ৷ প্রকৃতপক্ষে তারা এর পরিণাম বুঝতে পারেনি ৷ (সুরা কাসাস : ৭-৯)

মুসার মায়ের কাছে যে ওহী পাঠানো হয়েছিল, তা ছিল ইলহাম ও নির্দেশনা ৷ যেমন
আল্লাহ তা জানা ইরশাদ করেন০ :

৷ ৷ প্রুঠুদ্বুএি ৷ ক্কু৷ ৷ র্বৃাইর্চু ১ , ৷ ,

— ১এে১ এ;দ্বু এ£র্ন্ত ;§£$& ,এএ্যাও ;, প্রুষ্কেছুর্দু :প্রুন্ৰু;ন্ম্ ৮;শু
অর্থাৎ-৫৩ ৷মার প্রতিপালক মৌমাছিকে তার অম্ভরে ইং গিতে নির্দেশ দিয়েছেন, ঘর তৈরি
কর পাহাড়ে, পাছপালায় ও মানুষ যে ঘর তৈরি করে তাতে ৷ এরপর প্রত্যেক ফল থেকে কিছু
কিছু আহার কর এবং তোমার প্রতিপালকের সহজপথ অনুসরণ কর ৷ (সুরা সালে : ৬৮)
এ ওহী নবুওতের ওহী নয় ৷ ইবন হাযম (র) ও ইল্ম আকাইদ বিশারদগণের অনেকেই
এটাকে মনে করেন, কিদ্ভু বিশুদ্ধ অভিমত হল প্রথম অভিমতটিই ৷ আর এটিই আহলুস সুন্নাত
ওয়াল জামায়াতের মত বলে আবুল হাসান আল আশআরী (র) বর্ণনা করেছেন ৷

১,


يُغَالَبُ وَلَا يُمَانَعُ، وَلَا تُخَالَفُ أَقْدَارُهُ أَنَّ هَذَا الْمَوْلُودَ الَّذِي تَحْتَرِزُ مِنْهُ، وَقَدْ قَتَلْتَ بِسَبَبِهِ مِنَ النُّفُوسِ مَا لَا يُعَدُّ وَلَا يُحْصَى، لَا يَكُونُ مُرَبَّاهُ إِلَّا فِي دَارِكَ وَعَلَى فِرَاشِكَ، وَلَا يُغَذَّى إِلَّا بِطَعَامِكَ وَشَرَابِكَ فِي مَنْزِلِكَ، وَأَنْتَ الَّذِي تَتَبَنَّاهُ وَتُرَبِّيهِ وَتَتَعَدَّاهُ، وَلَا تَطَّلِعُ عَلَى سِرِّ مَعْنَاهُ، ثُمَّ يَكُونُ هَلَاكُكَ فِي دُنْيَاكَ وَأُخْرَاكَ عَلَى يَدَيْهِ ; لِمُخَالَفَتِكَ مَا جَاءَكَ بِهِ مِنَ الْحَقِّ الْمُبِينِ، وَتَكْذِيبِكَ مَا أُوحِيَ إِلَيْهِ، لِتَعْلَمَ أَنْتَ وَسَائِرُ الْخَلْقِ أَنَّ رَبَّ السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضِ هُوَ الْفَعَّالُ لِمَا يُرِيدُ، وَأَنَّهُ هُوَ الْقَوِيُّ الشَّدِيدُ، ذُو الْبَأْسِ الْعَظِيمِ، وَالْحَوَلِ وَالْقُوَّةِ وَالْمَشِيئَةِ، الَّتِي لَا مَرَدَّ لَهَا. وَقَدْ ذَكَرَ غَيْرُ وَاحِدٍ مِنَ الْمُفَسِّرِينَ، أَنَّ الْقِبْطَ شَكَوْا إِلَى فِرْعَوْنَ قِلَّةَ بَنِي إِسْرَائِيلَ، بِسَبَبِ قَتْلِ وِلْدَانِهِمُ الذُّكُورِ، وَخَشَوْا أَنْ تَتَفَانَى الْكِبَارُ مَعَ قَتْلِ الصِّغَارِ، فَيَصِيرُونَ هُمُ الَّذِينَ يَلُونَ مَا كَانَ يَلِيهِ بَنُو إِسْرَائِيلَ مِنَ الْأَعْمَالِ الشَّاقَّةِ، فَأَمَرَ فِرْعَوْنُ بِقَتْلِ الْأَبْنَاءِ عَامًا، وَأَنْ يُتْرَكُوا عَامًا، فَوُلِدَ هَارُونُ، عَلَيْهِ السَّلَامُ، فِي عَامِ الْمُسَامَحَةِ عَنْ قَتْلِ الْأَبْنَاءِ، وَوُلِدَ مُوسَى، عَلَيْهِ السَّلَامُ، فِي عَامِ قَتْلِهِمْ، فَضَاقَتْ أُمُّهُ بِهِ ذَرْعًا، وَاحْتَرَزَتْ مِنْ أَوَّلِ مَا حَبِلَتْ بِهِ، وَلَمْ يَكُنْ يَظْهَرُ عَلَيْهَا مَخَايِلُ الْحَبَلِ، فَلَمَّا وَضَعَتْ أُلْهِمَتْ أَنِ اتَّخَذَتْ لَهُ تَابُوتًا، فَرَبَطَتْهُ فِي حَبْلٍ، وَكَانَتْ دَارُهَا مُتَاخِمَةً لِلنِّيلِ، فَكَانَتْ تُرْضِعُهُ، فَإِذَا خَشِيَتْ مِنْ أَحَدٍ وَضَعَتْهُ فِي ذَلِكَ التَّابُوتِ فَأَرْسَلَتْهُ فِي الْبَحْرِ، وَأَمْسَكَتْ طَرَفَ الْحَبْلِ عِنْدَهَا،
পৃষ্ঠা - ৫৫২


সুহায়লী বলেছেন, মুসা (আ)-এর মায়ের নাম ছিল আয়ারেখ৷ ৷ আবার কেউ কেউ বলেন,
তার নাম ছিল আয়াযাখৃত ৷ মোদ্দাকথা হল, উপরোক্ত কাজের দিকনির্দেশনা তার অম্ভরে দেয়া
হয়েছিল ৷ তার অন্তরে ইলহাম করা হয়েছিল যে, তুমি ভয় করো না এবং দুঃখিত হয়াে না ৷
কেননা, যদিও সম্ভানটি তার হাতছাড়া হয়ে যায় ৷ আল্লাহ তাআলা তা শিগগিরই ফেরত
দেবেন ৷ আর আল্লাহ তাকে অচিরেই রাসুল হিসেবে মনোনীত করবেন ৷ তিনি আল্লাহ
তাআল ৷র কিতাবকে দুনিয়া এবং আখিরাতে সমুন্নত করবেন ৷ অতএব মুসা (আ) এর না তাই
করলেন যেভাবে তিনি আদিষ্ট হয়েছিলেন ৷ একদিন তিনি তাকে ছেড়ে ছিলেন কিংন্তু রশির প্রান্ত
নিজের কাছে আটকে রাখতে ভুলে পেলেন ৷ মুসা (আ) নীলনদের স্রোতে ভেসে গেলেন ৷
তারপর ফিরআউনের বাড়ির ঘাটে গিয়ে পৌছলেন ৷ ফিরআউনের লোকজন তাকে উঠিয়ে নিল ৷

এটার পরিণাম তো এই ছিল যে, তিনি তাদের শত্রু ও দুঃখের কারণ হবেন ৷

কেউ কেউ বলেন, পু,দ্বুইট্রু এর মধ্যে ণ্১৷ অক্ষরটি পবিণাম জ্ঞ৷ ৷পক ৷ এটি আয়াতাৎশের

ৰুা ধ্ ৷১ এর সাথে সম্পৃক্ত হলে এ অর্থই স্পষ্ট ৷ কিভৃ যদি বাক্যের মর্মার্থের সাথে তা স যুক্ত
হয়ে থাকে তাহলে ণ্১৷ ৫-ক অন্যান্য ণ্১৷ এ-র ন্যায় কারণ নির্দেশক বলে মনে করতে হবে ৷
তাতে বাক্যের মর্ম দাড়া বে ফিরআউনের লোকজন তাকে উঠিয়ে নেবার কারণ হয়ে দাড়িয়েছে
যাতে সে তাদের শত্রু কিৎব৷ দুঃখের কারণ হয়ে ৷ এ সন্তুাবনাটির সমর্থন মিলছে আয়াতে
উল্লেখিত ষ্০;া০াহু ৷ , ৷হ্র ৷ব্লু৫ৰুদ্বুটু;ৰুন্নুদ্বু ট্রু,াদ্বু ;ঠুদ্বুদ্বু,^১ র্দুক্ট্র ৷ আয়াতাংশ থেকে ৷

অর্থাৎ-ফিরআউন তার দুষ্ট উযীর হামান এবং তাদের অনুচরর৷ ভ্রান্তির মধ্যে ছিল তাই
তা ৷রা এই শান্তি ও হতাশার যোগ্য হয়ে পড়ে ৷

তাফসীরকারগণ আরো উল্লেখ করেন যে, দাসীর৷ ৷তাকে একটি বন্ধ সিন্দুকে দরিয়া থেকে
উদ্ধার করে কিন্তু তারা তা খুলতে সাহস পায়নি ৷৩ তারা ফিরআউনের শ্রী আসিযা (বা ) বিনতে
মুযাহিস ইবন আসাদ ইবন আর-রা ইয়ান ইবনৃল ওলীদ এর সামনে বন্ধ সিন্দুকটি রাখল ৷

এই ওলীদই ছিল ইউসুফ (আ)-এর যুগে মিসবের ফিরআউন ৷ তৎকালীন মিসবের
অধিপতিদের উপাধি ছিল ফিরআউন ৷ আবার কেউ কেউ বলেন, আসিযা ছিলেন বনী ইসরাঈল
ৎশীয় এবং মুসা (আ)-এর গোত্রের মহিলা ৷ আবার কেউ কেউ বলেন, তিনি ছিলেন মুসা
(আ)-এর ফুফু ৷ প্রসিদ্ধ ঐতিহাসিক সুহায় লীও এরুপ বর্ণনা করেছেন ৷ আল্লাহ তাআলাই অধিক
জ্ঞাত ৷
মারয়াম (বা) বিনতে ইমরানের ঘটনায় আসিযা (রা) এর গুণাবলী ও মাহাত্ম্য সম্পর্কে
বিস্তারিত আলোচনা করা হবে ৷ কিয়ামতে র দিন বেহেশতে রাসুলুল্লাহ (সা) এর শ্রীদের সাথে
তারা দৃইজনও অন্তর্ভুক্ত হলেন ৷
আসিযা যখন সিন্দুকটির দরজা থুললেন ও পর্দা হটালেন তখন দেখলেন মুসা (আ)-এর
চেহারা নবুওতের উজ্জ্বল নুরে ঝলমল করছে ৷ মুসা (আ) কে দেখামা ত্র আসিয়ার হৃদয়মন তার
প্রতি স্নেহমম৩ তার তার উঠল ৷ ফিরআউন আসার পর জিজ্ঞাসা করল ছেলেটি কে?’ এবং সে
তাকে যবেহ করার নির্দেশ দিল ৷ কিভু আসিযা ফিরআউনের কাছ থেকে তাকে চেয়ে নিলেন

এবং এভাবে তাকে ফিরআউনের কবল থেকে রক্ষা করলেন ৷ আসিযা বললেন ং ,&£ ০ট্রুও


فَإِذَا ذَهَبُوا اسْتَرْجَعَتْهُ إِلَيْهَا بِهِ. قَالَ اللَّهُ تَعَالَى: {وَأَوْحَيْنَا إِلَى أُمِّ مُوسَى أَنْ أَرْضِعِيهِ فَإِذَا خِفْتِ عَلَيْهِ فَأَلْقِيهِ فِي الْيَمِّ وَلَا تَخَافِي وَلَا تَحْزَنِي إِنَّا رَادُّوهُ إِلَيْكِ وَجَاعِلُوهُ مِنَ الْمُرْسَلِينَ - فَالْتَقَطَهُ آلُ فِرْعَوْنَ لِيَكُونَ لَهُمْ عَدُوًّا وَحَزَنًا إِنَّ فِرْعَوْنَ وَهَامَانَ وَجُنُودَهُمَا كَانُوا خَاطِئِينَ - وَقَالَتِ امْرَأَةُ فِرْعَوْنَ قُرَّةُ عَيْنٍ لِي وَلَكَ لَا تَقْتُلُوهُ عَسَى أَنْ يَنْفَعَنَا أَوْ نَتَّخِذَهُ وَلَدًا وَهُمْ لَا يَشْعُرُونَ} [القصص: 7 - 9] [الْقَصَصِ 7 - 9] . هَذَا الْوَحْيُ وَحَيُّ إِلْهَامٍ وَإِرْشَادٍ، كَمَا قَالَ تَعَالَى: {وَأَوْحَى رَبُّكَ إِلَى النَّحْلِ أَنِ اتَّخِذِي مِنَ الْجِبَالِ بُيُوتًا وَمِنَ الشَّجَرِ وَمِمَّا يَعْرِشُونَ - ثُمَّ كُلِي مِنْ كُلِ الثَّمَرَاتِ فَاسْلُكِي سُبُلَ رَبِّكِ ذُلُلًا} [النحل: 68 - 69] [النَّحْلِ: 68، 69] . وَلَيْسَ هُوَ بِوَحْيِ نُبُوَّةٍ ; كَمَا زَعَمَهُ ابْنُ حَزْمٍ، وَغَيْرُ وَاحِدٍ مِنَ الْمُتَكَلِّمِينَ، بَلِ الصَّحِيحُ الْأَوَّلُ، كَمَا حَكَاهُ أَبُو الْحَسَنِ الْأَشْعَرِيُّ عَنْ مَذْهَبِ أَهْلِ السُّنَّةِ وَالْجَمَاعَةِ. قَالَ السُّهَيْلِيُّ: وَاسْمُ أُمِّ مُوسَى يَاوِخُ وَقِيلَ: أَيَاذَخْتُ. وَالْمَقْصُودُ أَنَّهَا أُرْشِدَتْ إِلَى هَذَا الَّذِي ذَكَرْنَاهُ، وَأُلْقِيَ فِي خَلَدِهَا وَرُوعِهَا أَنْ لَا تَخَافِي وَلَا تَحْزَنِي، فَإِنَّهُ إِنْ ذَهَبَ فَإِنَّ اللَّهَ سَيَرُدُّهُ إِلَيْكِ، وَإِنَّ اللَّهَ سَيَجْعَلُهُ نَبِيًّا مُرْسَلًا، يُعْلِي كَلِمَتَهُ فِي الدُّنْيَا وَالْآخِرَةِ، فَكَانَتْ تَصْنَعُ مَا أُمِرَتْ بِهِ، فَأَرْسَلَتْهُ ذَاتَ يَوْمٍ، وَذَهَلَتْ أَنْ تَرْبُطَ طَرَفَ الْحَبْلِ عِنْدَهَا، فَذَهَبَ مَعَ النِّيلِ فَمَرَّ عَلَى
পৃষ্ঠা - ৫৫৩


¢ ’ :, অর্থাৎ এই শিশুঢি তে ৷মার ও আমার চোখ জুড়াবে ৷ ফিরআ উন বলল, এটা তোমার
জন্যে হতে পারে, কিন্তু আমার জন্যে নয় ৷ একে দিয়ে আমার কে নই প্রয়োজন নেই ৷ কথা


বাড় লে ৰিপত্তিই বাড়ে ৷ আসিয়া বলেছিলেনং : গ্ব্লুট্রু ৷ র্দে০; অর্থাৎ “যে আমাদের
উপকা ৷রে আসতে পারে ৷ ” আল্লাহ তা জানা তার যে আশা পুর্ণ করেছিলেন ৷ দুনিয়ার অ ৷ল্লাহ্

তা আলা তাকে মুসা (আ) এর দ্বারা হিদায়াত দান করেছেন এবং আখিরাতে তাকে মুসা

(আ) এর কারণে স্বীয় জ ন্না৷তে স্থান দেবেন ৷ আবার তিনি বলেছিলেনং : ওার্চু (;ং ’ ১

অর্থাৎ-“আমরা তাকে সন্তান হিসেবেও গ্রহণ করতে পারি ৷ ” তারা তাকে সন্তান হিসেবে গ্রহণ

#

করেছিলেন, কেননা তাদের কোন সন্তান ছিল না ৷ আল্লাহ তা জানা বলেন, র্বু fl“

$§$£;:’ অর্থাৎ তারা জানে না যে, তাকে সিন্দুক থেকে উঠিয়ে নেওয়ার জন্যে ফিরআউন

পরিবারকে নিযুক্ত করে আল্লাহ্ তা আলা ফিরআউন ও তার সৈন্যদের প্রতি কিরুপ মহা আমার

অবতীর্ণ করতে চেয়েছিলেন ৷ পরবর্তী আয়াতে ঘটনার পরবর্তী অংশ বর্ণনা করা হয়েছে ৷
আল্লাহ তা আল৷ ইরশাদ করেন০ :



é


খু ণ্ন্ন১দ্বু




র্বুষ্র্চু
অর্থ ৎ-মুসাব মায়ের হৃদয় অস্থির হয়ে পড়েছিল, যাতে সে আন্থাশীল হয় তজ্জন্য আমি
তার হৃদয়কে দৃঢ় করে না দিলে সে তার পরিচয় তে ৷ প্রকাশ করেই দিত ৷ সে মুসার বোনকে
বলল, এর পিছনে ফিছনে যাও ৷ সে তাদের অজ্ঞাতসারে দুর হতে তাকে দেখছিল ৷ পুর্ব থেকেই
আমি ধাত্রীর দৃধপানে৩ তাকে বিরত রেখেছিলাম ৷ মুসার বোন বলল, “তোমাদের কি আমি এমন
এক পরিবারের সন্ধান দেব, যারা তোমাদের হয়ে তাকে লালন পালন করবে এবং তার
মঙ্গলকামী হবে ৷” তারপর আমি তাকে ফেরত পাঠালাম তার মায়ের নিকট যাতে তার চোখ
জুড়ায়, সে দুঃখ না করে এবং বুঝতে পারে যে, আল্লাহর প্রতিশ্রুতি সত্য কিন্তু অধিকাৎশ
মানুষই তা জানে না ৷ (সুরা কাসাস : ১ : ১৩)

আব্দুল্লাহ্ ইবনে আব্বাস (বা) , মুজাহিদ (র), ইকরামা (র) , সায়ীদ ইবন জুবাইর (বা)
প্রমুখ বলেন, “মুসা (আ) এর মায়ের অন্তর দুনিয়ার অন্যান্য চিন্তা ছেড়ে দিয়ে শুধুমাত্র
মুসা (আ) কে নিয়ে চিন্তায় অস্থির ছিল ৷ আল্লাহ তা আলা যদি তাকে ধৈর্য দান না করতেন ও
তার হৃদয়ে দৃঢ়তা দান না করতেন তাহলে ব্যাপারটি তিনি প্রকাশ করে দিতেন এবং অন্যের
কাছে প্রকাশ্যে তার সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করে ফেলতেন ৷ তিনি তার বড় যেয়ে, মুসা (আ )-এর
বোনকে তার পেছনে পেছনে গিয়ে খবরাখবর নেয়ার জন্যে পাঠ লেন ৷ মুজাহিদ (র) বলেন,
যে দুর থেকে তাকে লক্ষ্য করছিল ৷ আর কাদা (র) বলেন, তিনি এমনভাবে তার প্রতি
লক্ষ্য করছিলেন যেন এ ব্যাপারে তার কোন আগ্রহ নেই ৷ এজন্যই আল্লাহ তা আলা বলেন,

আল-বিদায়া ওয়ান নিহায়া (১ম খণ্ড


دَارِ فِرْعَوْنَ {فَالْتَقَطَهُ آلُ فِرْعَوْنَ} [القصص: 8] قَالَ اللَّهُ تَعَالَى: {لِيَكُونَ لَهُمْ عَدُوًّا وَحَزَنًا} [القصص: 8] قَالَ بَعْضُهُمْ: هَذِهِ لَامُ الْعَاقِبَةِ. وَهُوَ ظَاهِرٌ إِنْ كَانَ مُتَعَلِّقًا بِقَوْلِهِ فَالْتَقَطَهُ وَأَمَّا إِنْ جُعِلَ مُتَعَلِّقًا بِمَضْمُونِ الْكَلَامِ ; وَهُوَ أَنَّ آلَ فِرْعَوْنَ قُيِّضُوا لِالْتِقَاطِهِ ; لِيَكُونَ لَهُمْ عَدُوًّا وَحَزَنًا، صَارَتِ اللَّامُ مُعَلِّلَةً لِغَيْرِهَا، وَاللَّهُ أَعْلَمُ. وَيُقَوِّي هَذَا التَّفْسِيرَ الثَّانِيَ قَوْلُهُ {إِنَّ فِرْعَوْنَ وَهَامَانَ} [القصص: 8] وَهُوَ الْوَزِيرُ السُّوءُ وَجُنُودَهُمَا الْمُتَابِعِينَ لَهُمَا كَانُوا خَاطِئِينَ أَيْ ; كَانُوا عَلَى خِلَافِ الصَّوَابِ، فَاسْتَحَقُّوا هَذِهِ الْعُقُوبَةَ وَالْحَسْرَةَ. وَذَكَرَ الْمُفَسِّرُونَ أَنَّ الْجَوَارِيَ الْتَقَطْنَهُ مِنَ الْبَحْرِ فِي تَابُوتٍ مُغْلَقٍ عَلَيْهِ، فَلَمْ يَتَجَاسَرْنَ عَلَى فَتْحِهِ، حَتَّى وَضَعْنَهُ بَيْنَ يَدَيِ امْرَأَةِ فِرْعَوْنَ ; آسِيَةَ بِنْتِ مُزَاحِمِ بْنِ عُبَيْدِ بْنِ الرَّيَّانِ بْنِ الْوَلِيدِ، الَّذِي كَانَ فِرْعَوْنَ مِصْرَ فِي زَمَنِ يُوسُفَ. وَقِيلَ: إِنَّهَا كَانَتْ مِنْ بَنِي إِسْرَائِيلَ مِنْ سِبْطِ مُوسَى. وَقِيلَ: بَلْ كَانَتْ عَمَّتَهُ. حَكَاهُ السُّهَيْلِيُّ. فَاللَّهُ أَعْلَمُ. وَسَيَأْتِي مَدْحُهَا وَالثَّنَاءُ عَلَيْهَا فِي قِصَّةِ مَرْيَمَ بِنْتِ عِمْرَانَ، وَأَنَّهُمَا يَكُونَانِ يَوْمَ الْقِيَامَةِ مِنْ أَزْوَاجِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي الْجَنَّةِ. فَلَمَّا فَتَحَتِ الْبَابَ وَكَشَفَتِ الْحِجَابَ، رَأَتْ وَجْهَهُ يَتَلَأْلَأُ بِتِلْكَ الْأَنْوَارِ النَّبَوِيَّةِ وَالْجَلَالَةِ الْمُوسَوِيَّةِ، فَلَمَّا رَأَتْهُ وَوَقَعَ نَظَرُهَا عَلَيْهِ أَحَبَّتْهُ حُبًّا شَدِيدًا، فَلَمَّا جَاءَ
পৃষ্ঠা - ৫৫৪


ড্রুটুটুঠুহুৰু § ৰুব্লুদ্বুটু তারা তা বুঝতে পারছিল না ৷ ’ ঘটনা হল এই, যখন ফিরআউনের ঘরে

মুসা (আ) এর থাকা সাবম্ভে হলো তখন ফিরআউনের লোকজন তাকে দুধ পান করাবার চেষ্টা
করল কিন্তু তিনি কারো বুকের দুধ গ্রহণ করলেন না বা অন্য কোন খাদ্যও গ্রহণ করলেন না ৷
তারা তার ব্যাপারে অত্যন্ত উদ্বিগ্ন হয়ে পড়ল এবং তাকে যে প্রকারেই হোক না কেন তারা যে
কোন খাদ্য খাওয়াতে চেষ্টা করল কিভু তারা তাতে ব্যর্থ হল ৷ যেমন আল্লাহ্ তাআল৷ বলেন :

“পুর্ব থেকেই আমি অন্যের বুকের দুধ গ্রহণ থেকে তাকে বিরত রেখেছিলাম ৷” তারা তাকে

যাত্রী ও অন্যান্য নারীসমেত বাজারে পাঠালো যাতে তারা এমন লোক খুজে বের করতে পারে,
যে তাকে দুধ পান করাতে সক্ষম হয় ৷ তারা তাকে নিয়ে ছিল ব্যস্ত এবং বাজারের লোকজনও
তাদের দিকে লক্ষ্য করে রয়েছে এমন সময় মুসা (আ) এর বোন মুসা (আ )-এর দিকে
তাক৷ লেন কিভু তিনিতাকে চিনেন বলে পরিচয় প্রকাশ করলেন না বরং বললেন০ :

র্চু, ^প্রু;ৰুশুাএ্ধ্পু
অর্থাৎ-৫ তামাদের কি আমি এমন এক পরিবারের সন্ধন দেব, যারা তোমাদের হয়ে

তাকে লালন পালন করবে এবং তার মঙ্গলকামী হবে ?

আবদুল্লাহ ইবন আব্বাস (বা ) বলেন, “মুসা (আ) এর বোন যখন তাদেরকে এরুপ বললেন
তখন তারা তাকে বলল, তুমি কেমন করে জান যে, তারা তার মঙ্গলকামী ও তার প্রতি
যেহেরবান হবে?৩ তিনি বললেনং : বাদশাহর যেগমের ছেলের উপকার সাধনে সকলেই আগ্রহী ৷
তখন তারা তাকে ছেড়ে দিল এবং তার সাথে তারা তাদের বাড়িতে গেল ৷ তখন মুসা ( আ ) এর
মা মুসা (আ) কে কোলে তুলে নিলেন ও তাকে নিজ বুকের দুধ খেতে দিলেন ৷ মুসা (অ )
মায়ের স্তন মুখে নিলেন, চুষতে আরম্ভ করলেন এবং দুধ পান করতে লাপলেন ৷ এতে তারা
সকলে অভীব খুশি হল ৷ এক ব্যক্তি এ সুসৎরাদ আসিয়াকে গিয়ে জানান ৷ তিনি মুসা (আ )-এব
মাকে তার নিজ মহলে ডেকে পাঠালেন এবং সেখানে অবস্থান করে তাকে উপকৃত করতে
আসিয়া (বা ) আহ্বান জানালেন ৷ কিন্তু মুসা (আ) এর না তাতে রাযী হলেন না বরং বললেন
আমার স্বামী ও ছেলে মেয়ে রয়েছে৩ তাই আমি তাদেরকে ছেড়ে মহলে থাকতে পারি না, তবে
আপনি যদি তাকে আমার নিকট পা ৷ঠিয়ে দেন তাহলে আমিও ৷ ৷কে দুধ পান করাতে পারি ৷ ৩ খণ্া
আসিয়া মুসা (আ) কে তার মায়ের সাথে যেতে দিলেন ৷ তিনি তার জন্যে বহু মুল্যবান
উপচৌকন দিলেন ও তার থােরপােশের জন্য ভাতা নির্ধারণ করে দিলেন ৷ মুসার ম৷ মুসা
(আ) কে নিয়ে নিজ ঘরে ফিরে গেলেন এবং এভাবে আল্লাহ৩ তা আল৷ পুনরায় মা ছেলের মিলন

ঘট৷ ৷লেন ৷ আল্লাহ তাআলা এ প্রসঙ্গে বলেন৪

ণ্ডে «fi ! ;প্রু , ৷ ণ্াধ্াপ্রু শু);ও ১া ; ৷ৰুৰু: ); ট্রু,র্বু ন্ৰুট্রুণ্৷ ন্নে৷ ৷ ণ্াগ্রা,এ

আমি তাকে তার মায়ের কাছে ফিরিয়ে দিলাম ৷ যাতে তার চো ৷খ জুড়ায়, সে দুঃখ না করে
এবং বুঝতে পারে যে, আল্লাহর প্রতিশ্রুতি ৩সতা ৷

মুসাজননীর কাছে মুসা (আ) কে ফেরত প্রদানের মাধ্যমে একটি প্রতিশ্রুতি এভাবে পুর্ণ
হল ৷ আর এটাই নবুওতের সুসৎবাদের সভ্যতার প্রমাণ হিসেবে রিবেচ্য ৷ এ প্রসঙ্গে আল্লাহ


তাআলা ইরশাদ করেন -)$ ’¢fi ১৷ ব্লু এ,ধু! র্চুট্রুষ্কৃপুড্রু অর্থাৎ-তাদের অধিকাৎশই এটা


فِرْعَوْنُ قَالَ: مَا هَذَا؟ وَأَمَرَ بِذَبْحِهِ، فَاسْتَوْهَبَتْهُ مِنْهُ وَدَفَعَتْ عَنْهُ، وَقَالَتْ: {قُرَّةُ عَيْنٍ لِي وَلَكَ} [القصص: 9] فَقَالَ لَهَا فِرْعَوْنُ: أَمَّا لَكِ فَنَعَمْ، وَأَمَّا لِي فَلَا. أَيْ ; لَا حَاجَةَ لِي بِهِ. وَالْبَلَاءُ مُوَكَّلٌ بِالْمَنْطِقِ. وَقَوْلُهَا: {عَسَى أَنْ يَنْفَعَنَا} [القصص: 9] وَقَدْ أَنَالَهَا اللَّهُ مَا رَجَتْ مِنَ النَّفْعِ ; أَمَّا فِي الدُّنْيَا فَهَدَاهَا اللَّهُ بِهِ، وَأَمَّا فِي الْآخِرَةِ فَأَسْكَنَهَا جَنَّتَهُ بِسَبَبِهِ {أَوْ نَتَّخِذَهُ وَلَدًا} [القصص: 9] وَذَلِكَ لِأَنَّهُمَا تَبَنَّيَاهُ ; لِأَنَّهُ لَمْ يَكُنْ يُولَدُ لَهُمَا وَلَدٌ. قَالَ اللَّهُ تَعَالَى: {وَهُمْ لَا يَشْعُرُونَ} [القصص: 9] أَيْ ; لَا يَدْرُونَ مَاذَا يُرِيدُ اللَّهُ بِهِمْ، أَنَّ قَيَّضَهُمْ لِالْتِقَاطِهِ، مِنَ النِّقْمَةِ الْعَظِيمَةِ بِفِرْعَوْنَ وَجُنُودِهِ. وَعِنْدَ أَهْلِ الْكِتَابِ أَنَّ الَّذِي الْتَقَطَتْ مُوسَى وَرَبَّتْهُ ابْنَةُ فِرْعَوْنَ، وَلَيْسَ لِامْرَأَتِهِ ذِكْرٌ بِالْكُلِّيَّةِ. وَهَذَا مِنْ غَلَطِهِمْ عَلَى كِتَابِ اللَّهِ، عَزَّ وَجَلَّ. قَالَ اللَّهُ تَعَالَى {وَأَصْبَحَ فُؤَادُ أُمِّ مُوسَى فَارِغًا إِنْ كَادَتْ لَتُبْدِي بِهِ لَوْلَا أَنْ رَبَطْنَا عَلَى قَلْبِهَا لِتَكُونَ مِنَ الْمُؤْمِنِينَ - وَقَالَتْ لِأُخْتِهِ قُصِّيهِ فَبَصُرَتْ بِهِ عَنْ جُنُبٍ وَهُمْ لَا يَشْعُرُونَ - وَحَرَّمْنَا عَلَيْهِ الْمَرَاضِعَ مِنْ قَبْلُ فَقَالَتْ هَلْ أَدُلُّكُمْ عَلَى أَهْلِ بَيْتٍ يَكْفُلُونَهُ لَكُمْ وَهُمْ لَهُ نَاصِحُونَ - فَرَدَدْنَاهُ إِلَى أُمِّهِ كَيْ تَقَرَّ عَيْنُهَا وَلَا تَحْزَنَ وَلِتَعْلَمَ أَنَّ وَعْدَ اللَّهِ حَقٌّ وَلَكِنَّ أَكْثَرَهُمْ لَا يَعْلَمُونَ} [القصص: 10 - 13] [الْقَصَصِ: 10 - 13] . قَالَ ابْنُ عَبَّاسٍ، وَمُجَاهِدٌ، وَعِكْرِمَةُ، وَسَعِيدُ بْنُ جُبَيْرٍ، وَأَبُو عُبَيْدَةَ، وَالْحَسَنُ، وَقَتَادَةُ، وَالضَّحَّاكُ، وَغَيْرُهُمْ: {وَأَصْبَحَ فُؤَادُ أُمِّ مُوسَى فَارِغًا} [القصص: 10] أَيْ ; مَنْ كُلِّ شَيْءٍ مِنْ أُمُورِ الدُّنْيَا إِلَّا مِنْ
পৃষ্ঠা - ৫৫৫


জানে না ৷ ’ যেই রাতে আল্লাহ তাআল লামুস৷ (আ) এর সাথে কথােপকথন করেন সেই রাতেও
এরুপ ইহসান প্রদর্শনের কথা আল্লাহ৩ তা ৷আলা উল্লেখ করেছেন ৷ আল্লাহ তাআলা এ প্রসঙ্গে
ইরশাদ করেন :


র্লিটুধ্প্াৰু,
চ্ছুহ্র ’§ পুদ্বুদ্বুঝুর্মু :ন্দ্বুপুর্চুপু ৷
““
অর্খাৎ এবং আমি তো তোমার প্রতি আরো একবার অনুগ্রহ করেছিলাম, যখন আমি
তোমার মাকে জানিয়েছিলাম যা ছিল জানাবার এই মর্মে যে, তুতমি তড়াকে সিন্দুকের মধ্যে রাখ
বপব এটাকে দবিয়ায় ভাসিয়ে দাও যাতে দরিয়৷ এটাকে তীরে ঠেলে দেয় এটাকে আমার
শত্রু ও তর রশত্রু নিয়ে যাবে ৷ আমি আমার নিকট হতে তোমার উপর ভালবাসা ঢেলে
দিয়েছিলাম৷ যা তে ৩তুমি আমার তত্ত্ব৷ ৷বধানে প্রতিপালিত হও ৷ (সুরা তা হা৪ ৩৭)
শেষোক্ত আয়াতাৎশের ব্যাখ্যায় কাতাদা (র) প্রমুখ তাফসীরকার বলেন, যাতে আমার
সামনে তুমি ভাল ভাল খাবার খেতে পার ও অতি উত্তম পোশাক পরতে পার ৷ আর এগুলো সব
আমার হেফাজত ও সংরক্ষণের দ্বারা সম্ভব হয়েছে, অন্য কারো এরুপ করার শক্তি, সামর্থ্য নেই ৷

আল্লাহ তাআলা আরও ইরশাদ করেনং :

; ৷





অর্থাৎ-যখন তে আমার কোন এসে রলল আমি কি তে আমাদেরকে বলে দেব কে এই শিশুর
তার নেবে? তখন আমি তোমাকে তোমার মায়ের নিকট ফিরিয়ে দিলাম যাতে তার চোখ জুড়ায়
এবং সে দুং খ না পড়ায়; এবং তুমি এক ব্যক্তিকে হত্যা করেছিলে; অতঃপর আমি তোমাকে
মনং পীড়৷ হতে মুক্তি দেই ৷ আমি৫ তামাকে বহু পরীক্ষা করেছি ৷ (সুরা তা হ-াং : ৪০)

পরীক্ষার ঘটনাসমুহ যথাস্থানে ইনশাআল্লাহ্ তুলে ধরা হবে ৷ আল্লাহ্ তা জানা ইরশাদ

করেন €

ব্লুপুষ্টু গ্রেদ্ভু


এএ্যাএ ’





أَمْرِ مُوسَى {إِنْ كَادَتْ لَتُبْدِي بِهِ} [القصص: 10] أَيْ ; لَتُظْهِرُ أَمْرَهُ وَتَسْأَلُ عَنْهُ جَهْرَةً. {لَوْلَا أَنْ رَبَطْنَا عَلَى قَلْبِهَا} [القصص: 10] أَيْ ; صَبَّرْنَاهَا وَثَبَّتْنَاهَا {لِتَكُونَ مِنَ الْمُؤْمِنِينَ وَقَالَتْ لِأُخْتِهِ} [القصص: 10] وَهِيَ ابْنَتُهَا الْكَبِيرَةُ: {قُصِّيهِ} [القصص: 11] أَيِ; اتَّبِعِي أَثَرَهُ وَاطْلُبِي لِي خَبَرَهُ {فَبَصُرَتْ بِهِ عَنْ جُنُبٍ} [القصص: 11] قَالَ مُجَاهِدٌ: عَنْ بُعْدٍ. وَقَالَ قَتَادَةُ: جَعَلَتْ تَنْظُرُ إِلَيْهِ وَكَأَنَّهَا لَا تُرِيدُهُ. وَلِهَذَا قَالَ تَعَالَى: {وَهُمْ لَا يَشْعُرُونَ} [القصص: 9] وَذَلِكَ لِأَنَّ مُوسَى، عَلَيْهِ السَّلَامُ، لَمَّا اسْتَقَرَّ بِدَارِ فِرْعَوْنَ أَرَادُوا أَنْ يُغَذُّوهُ بِرَضَاعَةٍ، فَلَمْ يَقْبَلْ ثَدْيًا وَلَا أَخَذَ طَعَامًا، فَحَارُوا فِي أَمْرِهِ وَاجْتَهَدُوا فِي ذَلِكَ، أَيْ عَلَى تَغْذِيَتِهِ بِكُلِّ مُمْكِنٍ فَلَمْ يَفْعَلْ، كَمَا قَالَ تَعَالَى: {وَحَرَّمْنَا عَلَيْهِ الْمَرَاضِعَ مِنْ قَبْلُ} [القصص: 12] فَأَرْسَلُوهُ مَعَ الْقَوَابِلِ وَالنِّسَاءِ إِلَى السُّوقِ ; لَعَلَّهُمْ يَجِدُونَ مَنْ يُوَافِقُ رَضَاعَتَهُ، فَبَيْنَمَا هُمْ وُقُوفٌ بِهِ وَالنَّاسُ عُكُوفٌ عَلَيْهِ، إِذْ بَصُرَتْ بِهِ أُخْتُهُ، فَلَمْ تُظْهِرْ أَنَّهَا تَعْرِفُهُ، بَلْ قَالَتْ: {هَلْ أَدُلُّكُمْ عَلَى أَهْلِ بَيْتٍ يَكْفُلُونَهُ لَكُمْ وَهُمْ لَهُ نَاصِحُونَ} [القصص: 12] قَالَ ابْنُ عَبَّاسٍ: لَمَّا قَالَتْ ذَلِكَ، قَالُوا لَهَا: مَا يُدْرِيكِ بِنُصْحِهِمْ وَشَفَقَتِهِمْ علَيْهِ؟ فَقَالَتْ: رَغْبَةً فِي صِهْرِ الْمَلِكِ، وَرَجَاءَ مَنْفَعَتِهِ. فَأَطْلَقُوهَا وَذَهَبُوا مَعَهَا إِلَى مَنْزِلِهِمْ، فَأَخَذَتْهُ أُمُّهُ، فَلَمَّا أَرْضَعَتْهُ الْتَقَمَ ثَدْيَهَا وَأَخَذَ يَمْتَصُّهُ وَيَرْتَضِعُهُ، فَفَرِحُوا بِذَلِكَ فَرَحًا شَدِيدًا، وَذَهَبَ الْبَشِيرُ إِلَى آسِيَةَ يُعْلِمُهَا بِذَلِكَ، فَاسْتَدْعَتْهَا إِلَى مَنْزِلِهَا، وَعَرَضَتْ عَلَيْهَا أَنْ تَكُونَ عِنْدَهَا، وَأَنَّ تُحْسِنَ إِلَيْهَا، فَأَبَتْ عَلَيْهَا وَقَالَتْ: إِنَّ لِي بَعْلًا وَأَوْلَادًا، وَلَسْتُ
পৃষ্ঠা - ৫৫৬


অর্থাৎ-যখন মুসা (আ) পুর্ণ যৌবনে উপনীত ও পরিণত বয়স্ক হল তখন আমি তাকে
হিকমত ও জ্ঞান দান করলাম; এইডা ৷বে আ ৷মি সৎ কর্মপরায়ণদেরকে পুরস্কার প্রদান করে থাকি ৷
সে নগরীতে প্রবেশ করল, যখন এর অধিবাসীরা ছিল অসত র্ক ৷ সেখানে সে দুটি লোককে
সংঘর্ষে লিপ্ত দেখল একজন তার নিজ দলের এবং অপরজন তার শত্রুদলের ৷ মুসা (আ) এর
দলের লোকটিতার শত্রু দলের লোকটির বিরুদ্ধে মুসা (আ) এর সাহায্য প্রার্থনা করল তখন
মুসা (আ) তাকে ঘুষি মারল; এভাবে সে তাকে হত্যা করে বসল ৷ মুসা (আ) বললেন, এটা
শয়তানের কাণ্ড ৷ সেতে৷ প্রকাশ্য শত্রু ও বিভ্রান্তকারী ৷ সে বলল, হে আমার প্রতিপালক ! আমি
তো আমার নিজের প্রতি জুলুম করেছি ৷ সুতরাং আমাকে ক্ষমা কর৷ তারপর তিনি তাকে ক্ষমা
করলেন ৷ তিনিণ্ তা ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু ৷ সে আরো বলল, হে আমার প্রতিপালক ৷ তুমি
যেহেতু আমার প্রতি অনুগ্রহ করেছ আমি কখনও অপরাধীদের সাহায্যকারী হব না ৷ (সুরা
কাসাস৪ ১৪ ১৭)

যখন আল্লাহ তা অ লা উল্লেখ করেন, তিনি তার মায়ের কাছে তাকে ফেরত দিয়ে তার

প্রতি ৩অনুগ্নহ ও দয়া করেছেনত তারপর তিনি উল্লেখ করতে শুরু করলেন যে যখন তিনি পুর্ণ

যৌবন লাভ করেন এবং শারীরিক গঠন ও চরিত্রে উৎকর্ষ মণ্ডিত হল এবং অধিকাৎশ উলড়ামার

মতে, যখন ৪০ বছর বয়সে উপনীত হন, তখন আল্লাহ তাআলা তাকে হিকমত ও নবুওতের

জ্ঞান দান করেন ৷ যে বিষয়ে তার মাতা বুক পুর্বেই আল্লাহ তা আল৷ সুসং বাদ প্রদান করেছিলেন ৷

যেমন আল্লাহ তা আলা বলেন : ৷

অর্থাৎ-“আমি তাকে তোমার নিকট ফেরত দেব এবং তাকে রাসুলদের একজন করব ৷
তারপর আল্লাহ তাআল৷ মুসা (আ)-এর মিসর থেকে বের হয়ে মাদায়ান শহরে গমন এবং
সেখানে নির্ধারিত মেয়াদ পর্যন্ত অবস্থানের কারণ বর্ণনা শুরু করেন এবং মুসা (আ) ও আল্লাহ
তাআলার মধ্যে যে সব কথোপকথন হয়েছে এবং আল্লাহ তাআল৷ র্তাকে যেরুপ মর্যাদা দান
করেছেন তার প্রতিও ইৎগিত করেছেন ৷ যার আলোচনা একটু পরেই আসছে ৷


আল্লাহ তাআলা ইরশাদ
অর্থাৎ সে নগরীতে প্রবেশ করল যখন তার অধিবাসীবৃন্দ ছিল অসতক” ৷

আবদুল্লাহ ইবন আব্বাস (বা) , সা ৷ঈদ ইবন জুবাইর (রা) , ইক্রিমা (র) , কাতাদ৷ ও সুদ্দী
(র) বলেন, তখন ছিল দুপুর বেলা ৷ অন্য এক সুত্রে বর্ণিত; আবদুল্লাহ ইবন আব্বাস (রা)
বলেছেন, এটা ছিল মাগরিব ও ইশার মধ্যবর্তী সময় ৷ সেখানে তিনি দু জনকে সং ৎঘর্ষে লিপ্ত
পেলেন একজন ছিল ইসরাঈলী এবং অন্যজন ছিল কিবতী ৷ আবদুল্লাহ ইবন আব্বাস (বা) ,
কাতাদ৷ (র) , সুদ্দী (ব) , মুহম্মদ ইবন ইসহাক (র) এ মত পোষণ করেন ৷ মুসা (আ) এর দলের
লোকটি শত্রু দলের লোকটির বিরুদ্ধে মুসা (আ)-এর সাহায্য প্রার্থনা করল ৷ বন্তুত
ফিরআউনের পালক-পুত্র হবার কারণে মিসরে মুসা (আ)-এর প্রতিপত্তি ছিল ৷ মুসা (আ)
ফিরআউনের পালক পুত্র হওয়ায় এবং৩ তার ঘরে লালিত পালিত ৩হওয়ায় বনী ইসরাঈলদেরও
সম্মান বৃদ্ধি পায় ৷ কেননা, তারা মুসা (আ) কে দুধ পান করিয়েছিল এ হিসাবে তারা ছিল মুসা
(আ) এর মামা গোত্রীয় ৷ যখন ইসর৷ ঈল বংশীয় লোকটি মুসা (আ) এর সাহায্য প্রার্থনা করল


أَقْدِرُ عَلَى هَذَا إِلَّا أَنْ تُرْسِلِيهِ مَعِي. فَأَرْسَلَتْهُ مَعَهَا، وَرَتَّبَتْ لَهَا رَوَاتِبَ، وَأَجْرَتْ عَلَيْهَا النَّفَقَاتِ وَالْكُسَاوى وَالْهِبَاتِ، فَرَجَعَتْ بِهِ تَحُوزُهُ إِلَى رَحْلِهَا، وَقَدْ جَمَعَ اللَّهُ شَمَلَهُ بِشَمْلِهَا، قَالَ اللَّهُ تَعَالَى {فَرَدَدْنَاهُ إِلَى أُمِّهِ كَيْ تَقَرَّ عَيْنُهَا وَلَا تَحْزَنَ وَلِتَعْلَمَ أَنَّ وَعْدَ اللَّهِ حَقٌّ} [القصص: 13] أَيْ ; كَمَا وَعَدْنَاهَا بِرَدِّهِ وَرِسَالَتِهِ، فَهَذَا رَدُّهُ، وَهُوَ دَلِيلٌ عَلَى صِدْقِ الْبِشَارَةِ بِرِسَالَتِهِ {وَلَكِنَّ أَكْثَرَهُمْ لَا يَعْلَمُونَ} [القصص: 13] . وَقَدِ امْتَنَّ اللَّهُ بِهَذَا عَلَى مُوسَى لَيْلَةَ كَلَّمَهُ، فَقَالَ لَهُ فِيمَا قَالَ لَهُ: {وَلَقَدْ مَنَنَّا عَلَيْكَ مَرَّةً أُخْرَى - إِذْ أَوْحَيْنَا إِلَى أُمِّكَ مَا يُوحَى - أَنِ اقْذِفِيهِ فِي التَّابُوتِ فَاقْذِفِيهِ فِي الْيَمِّ فَلْيُلْقِهِ الْيَمُّ بِالسَّاحِلِ يَأْخُذْهُ عَدُوٌّ لِي وَعَدُوٌّ لَهُ وَأَلْقَيْتُ عَلَيْكَ مَحَبَّةً مِنِّي} [طه: 37 - 39] [طه 37 - 39] . وَذَلِكَ أَنَّهُ لَا يَرَاهُ أَحَدٌ إِلَّا أَحَبَّهُ {وَلِتُصْنَعَ عَلَى عَيْنِي} [طه: 39] قَالَ قَتَادَةُ، وَغَيْرُ وَاحِدٍ مِنَ السَّلَفِ: أَيْ تُطْعَمَ وَتُرَفَّهَ وَتُغَذَّى بِأَطْيَبِ الْمَآكِلِ، وَتَلْبَسَ أَحْسَنَ الْمَلَابِسِ ; بِمَرْأًى مِنِّي، وَذَلِكَ كُلُّهُ بِحِفْظِي وَكَلَاءَتِي لَكَ فِيمَا صَنَعْتُ بِكَ وَلَكَ، وَقَدَّرْتُهُ مِنَ الْأُمُورِ الَّتِي لَا يَقْدِرُ عَلَيْهَا غَيْرِي {إِذْ تَمْشِي أُخْتُكَ فَتَقُولُ هَلْ أَدُلُّكُمْ عَلَى مَنْ يَكْفُلُهُ فَرَجَعْنَاكَ إِلَى أُمِّكَ كَيْ تَقَرَّ عَيْنُهَا وَلَا تَحْزَنَ وَقَتَلْتَ نَفْسًا فَنَجَّيْنَاكَ مِنَ الْغَمِّ وَفَتَنَّاكَ فُتُونًا} [طه: 40] . وَسَنُورِدُ حَدِيثَ الْفِتُونِ فِي مَوْضِعِهِ بَعْدَ هَذَا، إِنْ شَاءَ اللَّهُ تَعَالَى، وَبِهِ الثِّقَةُ وَعَلَيْهِ التُّكْلَانُ.
পৃষ্ঠা - ৫৫৭


তখন তিনিতার সাহায্যে এগিয়ে আসলেন ৷ মুজাহিদ (র) )$ § শব্দের ব্যাখ্যার বলেন,
এর অর্থ তিনি তাকে ঘুষি দিলেন ৷ কা৩াদ৷ (র) বলেন, তিনি তাকে লাঠি দিয়ে আঘাত

করলেন ৷ ফলে কিবতীটি মারা যায় ৷ আর এই কিবতীটি ছিল বা ৷ফির ও মুশবিক ৷ মুসা (আ)
তাকে প্রাণে বধ করতে চাননি, বরং তিনি তাকে সাবধান ও নিরস্ত্র করতে চেয়েছিলেন ৷

এতদসত্বেও মুসা (অইবললেন০ ং


প্ )

এা দ্ভু

প্শু


অর্থাৎ-মুসা বলল, “এটা শ ৷য়তা নের কাণ্ড ৷ সেতে ৷ প্রকাশ্য শত্রু ও বিভ্র ৷ন্তিকারী ৷ সে বলল,

হে আমার প্ৰতিপালক৷ আমি তো আমার নিজের প্রতি জুলুম করেছি, সুতরাং আমাকে ক্ষমা
কর ৷ তারপর তিনি তাকে ক্ষমা করলেন ৷ তিনি তাে ক্ষমাশীল, পরম দয়া লু ৷ সে আরো বলল,
হে আমার প্ৰতিপালক৷ তুমি যেহেতু আমার প্রতি অনুগ্রহ করেছ, (অর্থাৎ মর্যাদা ও প্ৰতিপত্তি
দিয়েছ) আমি কখনও অপরাধীদের সাহায্যকারী হব না ৷ তারপর ভী৩ সতর্ক অবস্থায় সেই
নগরীতে তার প্রভাত ৩হল ৷ হঠাৎ সে শুনতে পেল পুর্বদিন যে ব্যক্তি৩ তার সাহায্য চেয়েছিল, সে
তার সাহায্যের জন্য চিৎকার করছে ৷ মুসা তাকে বলল, মি তো ৷স্পষ্টই একজন বিভ্রা ৷ন্ত ব্যক্তি ৷
তারপর মুসা যখন উভয়ের শত্রুকে ধরতে উদ্যত হল, তখন সে ব্যক্তি বলে উঠল, হে মুসা
গতকাল তুমি যেমন একজনকে হ৩ ত্যা করেছ সেভাবে আমাকেও কি হত্যা করতে চ ৷চ্ছ৷ তুমি তো
পৃথিবীতে স্বেচ্ছাচারী হতে চাচ্ছ, শান্তি স্থ৷ ৷পনকাবী হতে চাও না? নগরীর দুর প্রান্ত হতে এক
ব্যক্তি ছুটে আসল ও বলল, হে মুসা! পারিষদবর্গ৫ তামাকে হত্যা করবার পরামর্শ করছে ৷
সুতরাং তুমি বাইরে চলে যাও, আমি তো তামার মঙ্গলকামী ৷৩ ভীতসতর্ক অবস্থায় সে সেখান
থেকে বের হয়ে পড়ল এবং বলল, “হে আমার প্রতিপ৷ ৷লক মি জা ৷লিম সম্প্রদায় হতে আমাকে
রক্ষা কর ৷” (কাসাসং : ১৫-২১)

বস্তুত আল্লাহ তাআ৷ল৷ জানিয়ে দিচ্ছেন যে, মুসা (আ ) মিসর শহরে ফিরআউন ও তার
পারিষদবর্গের ব্যাপারে ভীত সন্ত্রন্ত হয়ে পড়লেন ৷ পাছে তারা জেনে ফেলে যে, নিহত ব্যক্তির


{وَلَمَّا بَلَغَ أَشُدَّهُ وَاسْتَوَى آتَيْنَاهُ حُكْمًا وَعِلْمًا وَكَذَلِكَ نَجْزِي الْمُحْسِنِينَ - وَدَخَلَ الْمَدِينَةَ عَلَى حِينِ غَفْلَةٍ مِنْ أَهْلِهَا فَوَجَدَ فِيهَا رَجُلَيْنِ يَقْتَتِلَانِ هَذَا مِنْ شِيعَتِهِ وَهَذَا مِنْ عَدُوِّهِ فَاسْتَغَاثَهُ الَّذِي مِنْ شِيعَتِهِ عَلَى الَّذِي مِنْ عَدُوِّهِ فَوَكَزَهُ مُوسَى فَقَضَى عَلَيْهِ قَالَ هَذَا مِنْ عَمَلِ الشَّيْطَانِ إِنَّهُ عَدُوٌّ مُضِلٌّ مُبِينٌ - قَالَ رَبِّ إِنِّي ظَلَمْتُ نَفْسِي فَاغْفِرْ لِي فَغَفَرَ لَهُ إِنَّهُ هُوَ الْغَفُورُ الرَّحِيمُ - قَالَ رَبِّ بِمَا أَنْعَمْتَ عَلَيَّ فَلَنْ أَكُونَ ظَهِيرًا لِلْمُجْرِمِينَ} [القصص: 14 - 17] [الْقَصَصِ: 14 - 17] . لَمَّا ذَكَرَ تَعَالَى أَنَّهُ أَنْعَمَ عَلَى أُمِّهِ بِرَدِّهِ إِلَيْهَا، وَإِحْسَانِهِ بِذَلِكَ، وَامْتِنَانِهِ عَلَيْهَا، شَرَعَ فِي ذِكْرِ أَنَّهُ لَمَّا بَلَغَ أَشُدَّهُ وَاسْتَوَى ; وَهُوَ احْتِكَامُ الْخَلْقِ وَالْخُلُقِ، وَهُوَ سِنُّ الْأَرْبَعِينَ، فِي قَوْلِ الْأَكْثَرِينَ، آتَاهُ اللَّهُ حُكْمًا وَعِلْمًا ; وَهُوَ النُّبُوَّةُ وَالرِّسَالَةُ الَّتِي كَانَ بَشَّرَ بِهَا أُمَّهُ، حَيْثُ قَالَ: {إِنَّا رَادُّوهُ إِلَيْكِ وَجَاعِلُوهُ مِنَ الْمُرْسَلِينَ} [القصص: 7] ثُمَّ شَرَعَ فِي ذِكْرِ سَبَبِ خُرُوجِهِ مِنْ بِلَادِ مِصْرَ، وَذَهَابِهِ إِلَى أَرْضِ مَدْيَنَ وَإِقَامَتِهِ هُنَالِكَ، حَتَّى كَمَلَ الْأَجَلُ، وَانْقَضَى الْأَمَدُ، وَكَانَ مَا كَانَ مِنْ كَلَامِ اللَّهِ لَهُ، وَإِكْرَامِهِ بِمَا أَكْرَمَهُ بِهِ كَمَا سَيَأْتِي. قَالَ تَعَالَى: {وَدَخَلَ الْمَدِينَةَ عَلَى حِينِ غَفْلَةٍ مِنْ أَهْلِهَا} [القصص: 15] قَالَ ابْنُ عَبَّاسٍ، وَسَعِيدُ بْنُ جُبَيْرٍ، وَعِكْرِمَةُ، وَقَتَادَةُ، وَالسُّدِّيُّ: وَذَلِكَ نِصْفَ النَّهَارِ. وَفِي رِوَايَةٍ عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ: بَيْنَ الْعِشَائَيْنِ {فَوَجَدَ فِيهَا رَجُلَيْنِ يَقْتَتِلَانِ} [القصص: 15] أَيْ ; يَتَضَارَبَانِ وَيَتَهَاوَشَانِ {هَذَا مِنْ شِيعَتِهِ} [القصص: 15] أَيْ ; إِسْرَائِيلِيٌّ {وَهَذَا مِنْ عَدُوِّهِ} [القصص: 15] أَيْ ; قِبْطِيٌّ. قَالَهُ ابْنُ عَبَّاسٍ، وَقَتَادَةُ، وَالسُّدِّيُّ، وَمُحَمَّدُ بْنُ إِسْحَاقَ
পৃষ্ঠা - ৫৫৮


যে মামলাটি তাদের কাছে উত্থাপন করা হয়েছে৩ তাকে বনী ইসরাঈলের এক ব্যক্তির সাহায্যার্থে
মুসা (আ)-ই হত্যা করেছেন ৷ তা হলে তাদের ধারণা বদ্ধমুল হয়ে যাবে যে, মুসা (আ) বনী
ইসরাঈলেরই একজন ৷ এতে পরবর্তীতে বিরাট অনর্থ ঘটে যেতে ৩পারে ৷ এজন্যই তিনি ঐদিন
ভোরে এদিক ওদিকে সতর্ক দৃষ্টি রেখে চলড়াফেরা করছিলেন ৷ এমন সময় হঠাৎ তিনি শুনতে
পেলেন, আগের দিন যে ইসরাঈলীটির তিনি সাহায্য করেছিলেন ঐ ব্যক্তি আজওণ্ অন্য
একজনের সাথে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়ে মুসা (আ)-কে সাহায্যের জন্য আহ্বান করছে ৷ মুসা (আ)
তাকে তার ঝগড়াটে স্বভারের জন্য ভব্লুসনা করলেন এবং বললেন ভুমিতোম্পষ্টই একজন
বিভ্রান্ত ব্যক্তি ৷তারপর তিনি মুসা (আ) ও ইসরাঈলী ব্যক্তিটির শত্রু কিবভীটিকে আক্রমণ
করতে উদ্যত হলেন যাতে তিনি কিবভীটিকে প্রতিহত করতে পারেন এবং ইসরাঈলীকে তার
করল থেকে রক্ষা করতে পারেন ৷ তারপর তাকে তিনি আক্রমণের জন্য উদ্যত হলেন ও
কিবভীটির দিকে অগ্রসর হলেন ৷ তখন লোকটি বলে উঠল :





ধ্স্পো গ্রএব্লুা

হে মুসা! গতকাল তুমি যেমন একব্যক্তিকে হত্যা করেছ, সেভাবে আমাকেও কি হত্যা
করতে চাচ্ছ! তুমি তে ৷ পৃথিবীতে স্বেচ্ছাচ৷ ৷রী হতে চ ৷চ্ছ, শান্তি স্থাপনকা ৷রী হতে চাও না ৷

কেউ কেউ বলেন, এ উক্তিটি ইসরা ঈলীয়-যে মুসা (আ)-এর পুবদিনের ঘটনাটি সম্পর্কে
জ্ঞাত ছিল, সে যখন মুসা (আ) কে কিবভীটির দিকে অগ্রসর হতে (দখল তখন যে ধারণা
করল ,টুনিপ্ তার দিকেও আসবেন-কেননা, তিনি তাকে প্রথমেই এই বলে ভৎসন৷ করেছেন
যে, পু র্চু;দ্বু ধ্ছুপ্রুহু৷ র্মুা ৷ তুমি তো একজন বিভ্রান্ত লোক ৷ এজন্যেই সে মুসা (আ) কে এ
কথাটি বলে এবং পুর্বের দিন যে ঘটনা ঘটেছিল যে তা প্রকাশ করে দিল ৷ তখন কিবভী মুসা
(আ) কে ফিরআউনের দরবারে তলব করাণোর উদ্দেশ্যে চলে যায় ৷ তবে এ অভিমতটি শুধু এ
উক্তিকারীরই ৷ অন্য কেউ তা উল্লেখ করেননি ৷ এ উক্তিটি কিবতীঢিরও হতে পারে ৷ কেননা সে
যখন মুসা (আ)-কে তার দিকে অগ্রসর হতে (দখল, তাকে ভয় করতে লাগল এবং মুসা
(আ)-এর যেয়াজ থেকে ইসরাঈলী পক্ষে চরম প্রতিশোধের আশঙ্কা করে নিজ দুরদর্শিতার
আলোকে সে উপরোক্ত উক্তিটি করেছিল ৷ যেন সে বুঝতে পেয়েছিল যে, সম্ভবত এ ব্যক্তিটিই
গতকালের নিহত ব্যক্তিটির হত্যাকারী ৷ অথবা সে ইসরাঈলীটির মুসা (আ) এর কাছে
সাহায্যের প্রার্থনা করা থেকেই সে ব্যাপারটি তাচ করতে পেয়েছিল এবং উপরোক্ত বাক্যটি
বলেছিল ৷ আ ৷ল্লাহই মহা জ্ঞানী ৷

মুলত ফিরআউনের কাছে এই সংবাদ পৌছেছিল যে, মুসা (আ)-ই গতকালের খুনের জন্য
দায়ী ৷৩ তাই ফিরআউন মুসা (আ) কে গ্রেফতার করার জন্যে লোক পাঠাল, কিন্তু তারা মুসা
(আ) এর নিকট পৌছার পুর্বেই শহরের দুরবর্তী প্রান্ত থেকে সংক্ষিপ্তত র রাস্তা দিয়ে একজন
হিতাক৷ ভক্ষী মুসা (আ) এর নিকট পৌছে দরদমাখ৷ সুরে বললেন, হে মুসা (আ ) ফিরআউনের
পারিষদবর্গ আপনাকে হত্যা করার সলাপরামর্শ করছে ৷ কাল্কভা২ আপনি এখনই এই শহর থেকে
বের হয়ে পড়ুন ৷ আমি আপনার একজন হিতাকাভক্ষী অর্থাৎ আমি যা বলছি, সে ব্যাপারে ৷ মুসা


{فَاسْتَغَاثَهُ الَّذِي مِنْ شِيعَتِهِ عَلَى الَّذِي مِنْ عَدُوِّهِ} [القصص: 15] وَذَلِكَ أَنَّ مُوسَى، عَلَيْهِ السَّلَامُ، كَانَتْ لَهُ بِدِيَارِ مِصْرَ صَوْلَةٌ ; بِسَبَبِ نِسْبَتِهِ إِلَى تَبَنِّي فِرْعَوْنَ لَهُ وَتَرْبِيَتِهِ فِي بَيْتِهِ، وَكَانَتْ بَنُو إِسْرَائِيلَ قَدْ عَزُّوَا وَصَارَتْ لَهُمْ وَجَاهَةٌ، وَارْتَفَعَتْ رُءُوسُهُمْ بِسَبَبِ أَنَّهُمْ أَرْضَعُوهُ، وَهُمْ أَخْوَالُهُ، أَيْ مِنَ الرَّضَاعَةِ، فَلَمَّا اسْتَغَاثَ ذَلِكَ الْإِسْرَائِيلِيُّ مُوسَى، عَلَيْهِ السَّلَامُ، عَلَى ذَلِكَ الْقِبْطِيِّ، أَقْبَلَ إِلَيْهِ مُوسَى فَوَكَزَهُ قَالَ مُجَاهِدٌ: أَيْ طَعْنَهُ بِجُمْعِ كَفِّهِ. وَقَالَ قَتَادَةُ: بِعَصًا كَانَتْ مَعَهُ {فَقَضَى عَلَيْهِ} [القصص: 15] أَيْ ; فَمَاتَ مِنْهَا. وَقَدْ كَانَ ذَلِكَ الْقِبْطِيُّ كَافِرًا مُشْرِكًا بِاللَّهِ الْعَظِيمِ، وَلَمْ يُرِدْ مُوسَى قَتْلَهُ بِالْكُلِّيَّةِ، وَإِنَّمَا أَرَادَ زَجْرَهُ وَرَدْعَهُ، وَمَعَ هَذَا قَالَ مُوسَى {هَذَا مِنْ عَمَلِ الشَّيْطَانِ إِنَّهُ عَدُوٌّ مُضِلٌّ مُبِينٌ - قَالَ رَبِّ إِنِّي ظَلَمْتُ نَفْسِي فَاغْفِرْ لِي فَغَفَرَ لَهُ إِنَّهُ هُوَ الْغَفُورُ الرَّحِيمُ - قَالَ رَبِّ بِمَا أَنْعَمْتَ عَلَيَّ} [القصص: 15 - 17] أَيْ، مِنَ الْعِزِّ وَالْجَاهِ {فَلَنْ أَكُونَ ظَهِيرًا لِلْمُجْرِمِينَ} [القصص: 17] . {فَأَصْبَحَ فِي الْمَدِينَةِ خَائِفًا يَتَرَقَّبُ فَإِذَا الَّذِي اسْتَنْصَرَهُ بِالْأَمْسِ يَسْتَصْرِخُهُ قَالَ لَهُ مُوسَى إِنَّكَ لَغَوِيٌّ مُبِينٌ - فَلَمَّا أَنْ أَرَادَ أَنْ يَبْطِشَ بِالَّذِي هُوَ عَدُوٌّ لَهُمَا قَالَ يَا مُوسَى أَتُرِيدُ أَنْ تَقْتُلَنِي كَمَا قَتَلْتَ نَفْسًا بِالْأَمْسِ إِنْ تُرِيدُ إِلَّا أَنْ تَكُونَ جَبَّارًا فِي الْأَرْضِ وَمَا تُرِيدُ أَنْ تَكُونَ مِنَ الْمُصْلِحِينَ - وَجَاءَ رَجُلٌ مِنْ أَقْصَى الْمَدِينَةِ يَسْعَى قَالَ يَا مُوسَى إِنَّ الْمَلَأَ يَأْتَمِرُونَ بِكَ لِيَقْتُلُوكَ فَاخْرُجْ إِنِّي لَكَ مِنَ النَّاصِحِينَ - فَخَرَجَ مِنْهَا خَائِفًا يَتَرَقَّبُ قَالَ رَبِّ نَجِّنِي مِنَ الْقَوْمِ الظَّالِمِينَ} [القصص: 18 - 21] [الْقَصَصِ 18 - 21] . يُخْبِرُ تَعَالَى
পৃষ্ঠা - ৫৫৯


(আ) তাৎক্ষণিকভা ৷বে মিসর থেকে বের হয়ে পড়েন কিন্তু তিনি রাস্তাঘ ট চিনতে তন না তাই
বলতে থাকেন ন্পুদ্বু হে আমার প্ৰতিপালক আমাকে জ্যলিম
সম্প্রদায় থেকে রক্ষা করুন ৷

আল্লাহ তাআলা বলেন :


ণ্ডাবু১
,

fl )

অর্থাৎ যখন মুসা মাদায়ান অভিমুখে যাত্রা করল তখন বলল, আশা করি আমার
প্রতিপালক আমাকে সরলপথ প্রদর্শন করবেন ৷ যখন সে মাদায়ানের কুপের নিকট পৌছল ,
(দখল একদল লোক তাদের প্যাগুলোকে পানি পান করাচ্ছে এবং তাদের পিছনে দু’জন নারী
তাদের পশুগুলোকে আপলাচ্ছে ৷ মুসা (আ) বলল, (তামাদের কি ব্যাপার?’ তারা বললেন,
আমরা আমাদের পশুগুলোকে পানি পান করাতে পারি না, যতক্ষণ রাখালর৷ তাদের
পশুগুলোকে নিয়ে সরে না যায় ৷ আমাদের পিতা অতি বৃদ্ধ ৷ ’ মুসা (আ) তখন তাদের
পশুগুলােকে পানি পান করলে, তারপর তিনি ছায়ার নিচে আশ্রয় গ্রহণ করে বলল, হে আমার
প্রতিপালক তুমি আমার প্রতি যে অনুগ্রহ করবে আমি তার কাঙ্গাল ৷ (সুরা কাসাস : ২২ ২৪ )

উল্লেখিত আয়াতগুলােতে আল্লাহ তা আলা আপন বান্দা, রাসুল ও ক লীম মুসা (আ)-এর
মিসর থেকে বের হয়ে যাবার ঘটনা বর্ণনা করেছেন ৷ ফিরআউনের সম্প্রদায়ের কোন ব্যক্তি
তাকে দেখে ফেলে নাকি, এই ভয়ে চতুর্দিকে তাকাতে তাকাতে মুসা (আ) শহর থেকে বের
হয়ে পড়লেন, কিন্তু কোথায় যাবেন বা কােনৃ দিকে যাবেন তিনি কিছুই জানেন না ৷ তিনি
ইতিপুর্বে মিসর থেকে আর কোনদিন বের হননি ৷ যখন তিনি মাদায়ানে যাবার পথ ধরতে
পারলেন তখন তিনি বলে উঠলেন, আমি আশা করি আমার প্রতিপালক আমাকে সোজা রাস্তা
প্রদর্শন করবেন ৷ অর্থাৎ সম্ভবত আমি এবার মনযিলে মকসুদে পৌছতে পারব ৷ এভাবে বাস্তবে
ঘটেছিলওত ৷ই ৷ এ পথই তাকে মনযিলে মকসুদে পৌছায় ৷ কি যে মনযিলে মকসুদটি?
মাদায়ানে একটি কুয়৷ ছিল যার পানি সকলে পান করত ৷ মাদায়ান হলো সেই শহর যেখানে
আল্লাহ তাআল৷ আইকাহ’ বাসীদের ধ্বংস করেছিলেন আর তারা ছিল শুয়ায়র (আ )-এর
সম্প্রদায় ৷

উলামায়ে কিরামের একটি মত অনুযায়ী মুসা (আ)-এর যুগের পুর্বে তারা ধ্বংস হয়ে
গিয়েছিল ৷ যখন মুসা (আ) মাদায়ানের পানির কুপে পৌছলেন, সেখানে একদল লোক পেলেন
যারা তাদের পশুগুলোকে পানি পান করাচ্ছে এবং তাদের পেছনে দু’জন নারীকে পেলেন যারা
তাদের ছাগলগুলােকে আগলাচ্ছে, যাতে এগুলো সম্প্রদায়ের ছাগলগুলোর সাথে মিশে না যায় ৷


أَنَّ مُوسَى أَصْبَحَ بِمَدِينَةِ مِصْرَ خَائِفًا أَيْ مِنْ فِرْعَوْنَ وَمَلَئِهِ، أَنْ يَعْلَمُوا أَنَّ هَذَا الْقَتِيلَ الَّذِي رُفِعَ إِلَيْهِ أَمْرُهُ إِنَّمَا قَتَلَهُ مُوسَى فِي نُصْرَةِ رَجُلٍ مِنْ بَنِي إِسْرَائِيلَ، فَتَقْوَى ظُنُونُهُمْ أَنَّ مُوسَى مِنْهُمْ وَيَتَرَتَّبُ عَلَى ذَلِكَ أَمْرٌ عَظِيمٌ، فَصَارَ يَسِيرُ فِي الْمَدِينَةِ فِي صَبِيحَةِ ذَلِكَ الْيَوْمِ خَائِفًا يَتَرَقَّبُ أَيْ ; يَتَلَفَّتُ. فَبَيْنَمَا هُوَ كَذَلِكَ، إِذَا ذَلِكَ الرَّجُلُ الْإِسْرَائِيلِيُّ الَّذِي اسْتَنْصَرَهُ بِالْأَمْسِ يَسْتَصْرِخُهُ أَيْ ; يَصْرُخُ بِهِ، وَيَسْتَغِيثُهُ عَلَى آخَرَ قَدْ قَاتَلَهُ، فَعَنَّفَهُ مُوسَى وَلَامَهُ عَلَى كَثْرَةِ شَرِّهِ، وَمُخَاصَمَتِهِ، قَالَ لَهُ إِنَّكَ لَغَوِيٌّ مُبِينٌ ثُمَّ أَرَادَ أَنْ يَبْطِشَ بِذَلِكَ الْقِبْطِيِّ، الَّذِي هُوَ عَدُوٌّ لِمُوسَى وَلِلْإِسْرَائِيلِيِّ، فَيَرْدَعُهُ عَنْهُ وَيُخَلِّصُهُ مِنْهُ، فَلَمَّا عَزَمَ عَلَى ذَلِكَ وَأَقْبَلَ عَلَى الْقِبْطِيِّ {قَالَ يَا مُوسَى أَتُرِيدُ أَنْ تَقْتُلَنِي كَمَا قَتَلْتَ نَفْسًا بِالْأَمْسِ إِنْ تُرِيدُ إِلَّا أَنْ تَكُونَ جَبَّارًا فِي الْأَرْضِ وَمَا تُرِيدُ أَنْ تَكُونَ مِنَ الْمُصْلِحِينَ} [القصص: 19] . قَالَ بَعْضُهُمْ: إِنَّمَا قَالَ هَذَا الْكَلَامَ الْإِسْرَائِيلِيُّ الَّذِي اطَّلَعَ عَلَى مَا كَانَ صَنَعَ مُوسَى بِالْأَمْسِ، وَكَأَنَّهُ لَمَّا رَأَى مُوسَى مُقْبِلًا إِلَى الْقِبْطِيِّ، اعْتَقَدَ أَنَّهُ جَاءَ إِلَيْهِ لَمَّا عَنَّفَهُ قَبْلَ ذَلِكَ بِقَوْلِهِ {إِنَّكَ لَغَوِيٌّ مُبِينٌ} [القصص: 18] فَقَالَ مَا قَالَ لِمُوسَى، وَأَظْهَرَ الْأَمْرَ الَّذِي كَانَ وَقَعَ بِالْأَمْسِ، فَذَهَبَ الْقِبْطِيُّ فَاسْتَعْدَى فِرْعَوْنَ عَلَى مُوسَى. وَهَذَا الَّذِي لَمْ يَذْكُرْهُ كَثِيرٌ مِنَ النَّاسِ سِوَاهُ. وَيُحْتَمَلُ أَنَّ قَائِلَ هَذَا هُوَ الْقِبْطِيُّ، وَأَنَّهُ لَمَّا رَآهُ مُقْبِلًا إِلَيْهِ خَافَهُ ; وَرَأَى مِنْ سَجِيَّتِهِ انْتِصَارًا جَيِّدًا لِلْإِسْرَائِيلِيِّ، فَقَالَ مَا قَالَ مِنْ بَابِ الظَّنِّ وَالْفِرَاسَةِ، أَنَّ هَذَا لَعَلَّهُ قَاتِلُ ذَاكَ الْقَتِيلِ بِالْأَمْسِ، أَوْ لَعَلَّهُ فَهِمَ مِنْ كَلَامِ الْإِسْرَائِيلِيِّ، حِينَ اسْتَصْرَخَهُ عَلَيْهِ، مَا دَلَّهُ عَلَى هَذَا. وَاللَّهُ أَعْلَمُ. وَالْمَقْصُودُ أَنَّ فِرْعَوْنَ بَلَغَهُ أَنَّ مُوسَى هُوَ قَاتِلُ ذَلِكَ الْمَقْتُولِ بِالْأَمْسِ، فَأَرْسَلَ
পৃষ্ঠা - ৫৬০


কিতার্বীদের মতে, সেখানে সাতজ্যা নারী ছিল ৷ এটাও তাদের ভ্রান্ত ধারণা ৷ তারা সাতজন হতে
পারে তবে তাদের মধ্য হতে দু’জন পানি পান করাতে এসেছিল ৷ তাদের বর্ণনা বিশুদ্ধ হলেই
কেবল এ ধরনের সামঞ্জস্যসুচক উত্তর গ্রহণযোগ্য হতে পারে ৷ এটা স্পষ্ট যে, শুয়ায়ব (আ)-এর
কেবল দুটি কন্যাই ছিল ৷ মুসা (আ)-এর প্রশ্নের উত্তরে তারা বললেন, আমরা আমাদের
দৃর্বলতার জন্যে রাখালদের পানি পান করা বার পুর্বে আমরা আমাদের পানির কাছে পৌছাত
পারি না ৷ আর এসব পশু নিয়ে আমাদের আমার কারণ হচ্ছে আমাদের পিতার বৃদ্ধাবস্থ৷ ও
দৃর্বলত৷ ৷ তখন মুসা (আ) তাদের পশুগুলোকে পানি পান করালেন ৷
তাফসীরকারগণ বলেন, রাখালরা যখন তাদের জানােয়ারগুলাের পানি পান করানো শেষ
করত, তখন তারা কুয়ার মুখে একটি বড় ও তা ৷রী পাথর রেখে দিত ৷ তারপর এই দুই নারী
আসতেন এবং লোকজনের পশুগুলোর পানি পান করার পর যা উচ্ছিষ্ট থাকত তা হতে আপন
বকরীগুলোকে পানি পান করাতে তন ৷ কিন্তু আজ মুসা (আ) আসলেন এবং একাই পাথরটি
উঠালেন ৷ তারপর তিনি তাদেরকে ও তাদের বকরীগুলােকে পানি পান করালেন এবং পাথরটি
পুর্বের জায়গায় রেখে দিলেন ৷
আমীরুল মুমিনীন উমর (রা) বলেন, পাথরটি দশজনে উঠাতে পারত ৷ তিনি একবালতি
পানি উঠালেন এবং তাতে দুজনের প্রয়োজন মিটে যায় ৷ পুনরায় তিনি গাছের ছায়ায় ফিরে
গেলেন ৷ তাফসীরকারপণ বলেন, এটা সামার গাছের ছায়া ৷ ইবন জারীর তাবারী (র) ইবন
মাসউদ (বা) সুত্রে বর্ণনা করেন ৷ তিনি এই গাছটিকে সবুজ ও ছায়াদার দেখেছেন ৷ মুসা (আ)

বলেন, “হে আমার প্রতিপালক! আপনি আমার প্রতি যে অনুগ্নহই অবতীর্ণ করবেন আ তার
কাঙ্গাল ৷ ”

আবদুল্লাহ ইবন আব্বাস (বা) বলেন, মুসা (আ) মিসর থেকে মাদায়ান ভ্রমণকালে শাক-
সবজি ও গাছের পা৩ ৷ ব্যতীত ৩অন্য কিছু খেতে পাননি ৷ তার পারে তখন জুতা ছিল না ৷ জুতা
না থাকায় দুই পায়ের তলায় য়খম হয়ে গিয়েছিল ৷ তিনি গাছের ছায়ায় বললেন ৷ তিনি ছিলেন
সৃষ্টিকুলের মধ্যে আল্লাহ তা আলার মনোনীত ব্যক্তি ৷ অথচ ক্ষুধার কারণে তার পেট পিঠের
সাথে লেগে গিয়েছিল এবং তার দেহে এর প্রভাব দৃশ্যমান ছিল ৷ আর তখন তিনি এক টুকরো
থেজুরের পর্যন্ত মুখাপেক্ষী ছিলেন ৷ র্সশুহু দ্বুষ্ণ্ ,)ব্রে এ
আয়াত প্রসঙ্গে আত৷ ইবন সাইব (ব) র্বলেন ৪তিনি নারীদেরকে শুনিয়ে এ দুআটি
করেছিলেন ৷

আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেন০ ং
fl) ণ্
হ্রা;র্চু;;ব্লুর্চু৷ এৰু;; ’ ^ র্দু৷ ’ ৷ ;হৃপুাব্র ঙ্; ৷ ,:£ র্গেৰু;; ৷;;ষ্া মোঃা র্ভুঠু


স্পে; ৷ রুদ্বুন্র্চুপু ৷ ;,;






فِي طَلَبِهِ، وَسَبَقَهُمْ رَجُلٌ نَاصِحٌ مِنْ طَرِيقٍ أَقْرَبَ إِلَيْهِ، {وَجَاءَ رَجُلٌ مِنْ أَقْصَى الْمَدِينَةِ يَسْعَى} [القصص: 20] سَاعِيًا إِلَيْهِ مُشْفِقًا عَلَيْهِ فَقَالَ: {يَامُوسَى إِنَّ الْمَلَأَ يَأْتَمِرُونَ بِكَ لِيَقْتُلُوكَ فَاخْرُجْ} [القصص: 20] أَيْ ; مِنْ هَذِهِ الْبَلْدَةِ إِنِّي لَكَ مِنَ النَّاصِحِينَ أَيْ ; فِيمَا أَقُولُهُ لَكَ. قَالَ اللَّهُ تَعَالَى: {فَخَرَجَ مِنْهَا خَائِفًا يَتَرَقَّبُ} [القصص: 21] أَيْ ; فَخَرَجَ مِنْ مَدِينَةِ مِصْرَ مِنْ فَوْرِهِ، عَلَى وَجْهِهِ، لَا يَهْتَدِي إِلَى طَرِيقٍ وَلَا يَعْرِفُهُ، قَائِلًا: {رَبِّ نَجِّنِي مِنَ الْقَوْمِ الظَّالِمِينَ} [القصص: 21] . {وَلَمَّا تَوَجَّهَ تِلْقَاءَ مَدْيَنَ قَالَ عَسَى رَبِّي أَنْ يَهْدِيَنِي سَوَاءَ السَّبِيلِ - وَلَمَّا وَرَدَ مَاءَ مَدْيَنَ وَجَدَ عَلَيْهِ أُمَّةً مِنَ النَّاسِ يَسْقُونَ وَوَجَدَ مِنْ دُونِهِمُ امْرَأَتَيْنِ تَذُودَانِ قَالَ مَا خَطْبُكُمَا قَالَتَا لَا نَسْقِي حَتَّى يُصْدِرَ الرِّعَاءُ وَأَبُونَا شَيْخٌ كَبِيرٌ - فَسَقَى لَهُمَا ثُمَّ تَوَلَّى إِلَى الظِّلِّ فَقَالَ رَبِّ إِنِّي لِمَا أَنْزَلْتَ إِلَيَّ مِنْ خَيْرٍ فَقِيرٌ} [القصص: 22 - 24] [الْقَصَصِ: 22 - 24] . يُخْبِرُ تَعَالَى عَنْ خُرُوجِ عَبْدِهِ وَرَسُولِهِ وَكَلِيمِهِ مِنْ مِصْرَ خَائِفًا يَتَرَقَّبُ أَيْ ; يَتَلَفَّتُ خَشْيَةَ أَنْ يُدْرِكَهُ أَحَدٌ مِنْ قَوْمِ فِرْعَوْنَ، وَهُوَ لَا يَدْرِي أَيْنَ يَتَوَجَّهُ، وَلَا إِلَى أَيْنَ يَذْهَبُ، وَذَلِكَ لِأَنَّهُ لَمْ يَخْرُجْ مِنْ مِصْرَ قَبْلَهَا وَلَمَّا تَوَجَّهَ تِلْقَاءَ مَدْيَنَ أَيْ ; اتَّجَهَ لَهُ طَرِيقٌ يَذْهَبُ فِيهِ {قَالَ عَسَى رَبِّي أَنْ يَهْدِيَنِي سَوَاءَ السَّبِيلِ} [القصص: 22] أَيْ ; عَسَى أَنْ تَكُونَ هَذِهِ الطَّرِيقُ مُوَصِّلَةً إِلَى الْمَقْصُودِ. وَكَذَا وَقَعَ، أَوْصَلَتْهُ إِلَى مَقْصُودٍ، وَأَيُّ مَقْصُودٍ {وَلَمَّا وَرَدَ مَاءَ مَدْيَنَ} [القصص: 23] وَكَانَتْ بِئْرًا يَسْتَقُونَ مِنْهَا. وَمَدْيَنُ هِيَ الْمَدِينَةُ الَّتِي أَهْلَكَ اللَّهُ فِيهَا أَصْحَابَ الْأَيْكَةِ، وَهُمْ قَوْمُ شُعَيْبٍ عَلَيْهِ السَّلَامُ، وَقَدْ
পৃষ্ঠা - ৫৬১

,)
&

অর্থাৎ-নারী দ্বয়ের একজন শরমজনিত পারে তার নিকট আসল এবং বলল, “আমার পিতা
আপনাকে আমন্ত্রণ করেছেন, আমাদের জানােয়ারগুলোকে পানি পান করানোর পারিশ্রমিক
দেয়ার জন্য, তারপর মুসা (আ) তার নিকট এসে সমস্ত বৃত্তান্ত বর্ণনা করলে সে বলল, ভয়
করো না তুমি জালিম সম্প্রদায়ের কবল থেকে বেচে গিয়েছ ৷ত তাদের একজন বলল, হে পিতা!
তুমি একে মজুর নিযুক্ত কর, কারণ তোমার মজুর হিসেবে উত্তম হবে সেই ব্যক্তি যে শক্তিশালী,
বিশ্বস্ত ৷” সে মুসা (আ) কে বলল, আমি আমার এই কন্যাদ্বয়ের একজনকে তোমার সাথে বিয়ে
দিতে চাই এ শর্তে যে, তুমি অ ট বছর আমার কাজ করবে যদি তুমি দশবছর পুর্ণ কর, সে
তোমার ইচ্ছা ৷ আমি তোমাকে কষ্ট দিতে চাই না ৷ আল্লাহ ইচ্ছা করলে তুমি আমাকে সদাচারী
পাবে ৷ মুসা (আ) বলল, আমার ও আপনার মধ্যে এ চুচ্ছি রইল ৷ ’ এ দুটি মেয়াদের কোন
একটি আমি পুর্ণ করলে আমার বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ থাকবে না ৷ আমরা যে বিষয়ে কথা
বলছি আল্লাহ তার সাক্ষী ৷ (২৮ কাসাস : ২৫ ২৮)

মুসা (আ) গাছের ছায়ায় বসে যখন বললেন



তখন নারীদ্বয় তা শুনতে পান এবং তারা দু’জন তাদের পিতার কাছে গেলেন ৷ কথিত
আছে, তাদের এরুপ তৃরান্বিত প্রত্যাবর্তনে শুয়ায়ব (আ) তার কারণ জিজ্ঞেস করলেন ৷ তারা
যখন তাকে মুসা (আ)-এর ঘটনা সম্পর্কে জানালেন, তখন শুয়ায়ব (আ) তাদের একজনকে
মুসা (আ) কে ডেকে আনতে পাঠালেন ৷ তাদের একজন আযাদ নারীসুলভ শরম জড়িত পারে
তার নিকট আসলেন এবং বললেন, আমার পিতা পানি পান করানোর পাবিশ্রমিক দেয়ার জন্যে
আপনাকে ড ৷কছেন ৷ তিনি কথাটি স্পষ্ট করে বললেন, যাতে মুসা (আ) তার কথায় কােনরুপ
সন্দেহ না করেন ৷ এটা ছিল ত ৷র লজ্জা ও পবিত্র৩ ৷র পুংতাি র প্ৰমা ণ ৷ যখন মুসা (আ) শুয়ায়ব
(আ ) এর কাছে আগমন করলেন এবং তার মিসর ও ফিরআউন থেকে তার পলায়ন করে
আমার যাবতীয় ঘটনা শুয়ায়ব (আ)-এর কাছে বর্ণনা করলেন তখন তিনি তাকে বললেন,
তৃমি ভয় করে৷ না, তুমি জালিম সম্প্রদায়ের কর্তৃত্ব থেকে বের হয়ে এসেছ, এখন আর তুমি
তাদের বাজে নও ৷’

এই বৃদ্ধ কে? এ নিয়ে উলামায়ে কিরামের মধ্যে মততেদ রয়েছে ৷ কেউ কেউ বলেন,
“তিনি হচ্ছেন শুয়ায়ব (আ) ৷” এটাই অধিকাৎশ ব্যাথ্যাকারীর কাছে সুপ্রসিদ্ধ অভিমত ৷ হাসান
বসরী (র) ও মালিক ইবন আনাস (র) এ মত পোষণ করেন ৷ এ ব্যাপারে একটি হাদীসেও
সুস্পষ্ট বর্ণনা এসেছে ৷ তবে এর সনদে কিছু সন্দেহ রয়েছে ৷ অন্য একজন প্ৰকাশ্যভাবে বলেছেন
যে, শুয়ায়ব (আ) তার সম্প্রদায় ধ্বংস হবার পরও অনেকদিন জীবিত ছিলেন ৷ অতঃপর মুসা
(আ) তার যুগ পান এবং তীর কন্যাকে বিবাহ করেন ৷

আল-বিদায়া ওয়ান নিহায়া (১ম খমোঃমোঃজ্যেমোঃ০মোঃ

كَانَ هَلَاكُهُمْ قَبْلَ زَمَنِ مُوسَى، عَلَيْهِ السَّلَامُ، فِي أَحَدِ قَوْلَيِ الْعُلَمَاءِ. وَلَمَّا وَرَدَ الْمَاءَ الْمَذْكُورَ {وَجَدَ عَلَيْهِ أُمَّةً مِنَ النَّاسِ يَسْقُونَ وَوَجَدَ مِنْ دُونِهِمُ امْرَأتَيْنِ تَذُودَانِ} [القصص: 23] أَيْ ; تُكَفْكِفَانِ غَنَمَهُمَا أَنْ تَخْتَلِطَ بِغَنَمِ النَّاسِ. وَعِنْدَ أَهْلِ الْكِتَابِ، أَنَّهُنَّ كُنَّ سَبْعَ بَنَاتٍ. وَهَذَا أَيْضًا مِنَ الْغَلَطِ. وَلَعَلَّهُ كَانَ لَهُ سَبْعٌ، وَلَكِنْ إِنَّمَا كَانَ تَسْقِي اثْنَتَانِ مِنْهُنَّ. وَهَذَا الْجَمْعُ مُمْكِنٌ إِنْ كَانَ ذَلِكَ مَحْفُوظًا، وَإِلَّا فَالظَّاهِرُ أَنَّهُ لَمْ يَكُنْ لَهُ سِوَى بِنْتَيْنِ. {قَالَ مَا خَطْبُكُمَا قَالَتَا لَا نَسْقِي حَتَّى يُصْدِرَ الرِّعَاءُ وَأَبُونَا شَيْخٌ كَبِيرٌ} [القصص: 23] أَيْ ; لَا نَقْدِرُ عَلَى وِرْدِ الْمَاءِ إِلَّا بَعْدَ صُدُورِ الرِّعَاءِ ; لِضَعْفِنَا، وَسَبَبُ مُبَاشَرَتِنَا هَذِهِ الرَّعِيَّةَ ضَعْفُ أَبِينَا وَكِبَرُهُ. قَالَ اللَّهُ تَعَالَى: فَسَقَى لَهُمَا قَالَ الْمُفَسِّرُونَ: وَذَلِكَ أَنَّ الرِّعَاءَ كَانُوا إِذَا فَرَغُوا مِنْ وِرْدِهِمْ، وَضَعُوا عَلَى فَمِ الْبِئْرِ صَخْرَةً عَظِيمَةً، فَتَجِيءُ هَاتَانِ الْمَرْأَتَانِ فَيَشْرَعَانِ غَنَمَهُمَا فِي فَضْلِ أَغْنَامِ النَّاسِ، فَلَمَّا كَانَ ذَلِكَ الْيَوْمُ جَاءَ مُوسَى فَرَفْعَ تِلْكَ الصَّخْرَةِ وَحْدَهُ، ثُمَّ اسْتَقَى لَهُمَا، وَسَقَى غَنَمَهُمَا، ثُمَّ رَدَّ الصَّخْرَةَ كَمَا كَانَتْ. قَالَ أَمِيرُ الْمُؤْمِنِينَ عُمْرُ: وَكَانَ لَا يَرْفَعُهُ إِلَّا عَشَرَةٌ. وَإِنَّمَا اسْتَقَى ذَنُوبًا وَاحِدًا فَكَفَاهُمَا، ثُمَّ تَوَلَّى إِلَى الظِّلِّ. قَالُوا: وَكَانَ ظِلَّ شَجَرَةٍ مِنَ السَّمُرِ. وَرَوَى ابْنُ جَرِيرٍ،
পৃষ্ঠা - ৫৬২


ইবন আবু হাতিম (র) প্রমুখ হাসান বসরী (র) সুত্রে বর্ণনা করেন যে, মুসা (আ )-এর
ঘটনা সংশ্লিষ্ট এ ব্যক্তির নাম শুয়ায়ব, তিনি মাদায়ানে কুয়ার মালিক ছিলেন কিন্তু তিনি
মাদায়ানের নবী শুয়ায়ব নন ৷ আবার কেউ কেউ বলেন, তিনি হচ্ছেন শুয়ায়ব (আ) এর
তিভাজ৷ ৷ আবার কেউ কেউ বলেন, তিনি হচ্ছেন শুয়ায়ব (আ) এর চাচাত ভাই ৷ কেউ কেউ
বলেন,৩ তিনি ছিলেন শুয়াযবের সম্প্রদায়ের একজন মুমিন বান্দ৷ ৷ আবার কেউ কেউ বলেন,
তিনি হচ্ছেন একজন লোক যার নাম ইয়াসরুন ৷ কিতাবীদের গ্রন্থাদিাট্রুত এরুপ বিবরণ রয়েছে ৷
তাদের অন্য মতে, ইয়াসরুন ছিলেন একজন বড় ও জ্ঞানী জ্যোতিষী ৷ আবদুল্লাহ ইবন আব্বাস
(বা) ও আবু উবায়দা ইবন আবদুল্লাহ (র ) তার নাম ইয়াসরুন বলে উল্লেখ করেছেন ৷ আবু
উবায়দা আরো বলেন, তিনি ছিলেন শুয়ায়ব (আ )-এর ভাতিজা ৷ আবদুল্লাহ ইবন আব্বাস (র৷ )
এ বর্ণনায় বাড়িয়ে বলেন, তিনি ছিলেন মাদায়ানের লোক ৷

মােটকথা, যখন শুয়ায়ব (আ) মুসা (আ)-কে আতিথ্য ও আশ্রয় দান করলেন, তখন তিনি
তার সমস্ত কাহিনী শুয়ায়ব (আ)-এর কাছে বর্ণনা করলেন ৷ তখন শুয়ায়র (আ) তাকে সুসংরাদ
দিলেন যে, তিনি জ লিমদেব করল থেকে পরিত্রাণ লাভ করেছেন ৷ তখন দুই কন্যার একজন
তার পিতাকে বললেন, হে আমার পিতা তাকে পাৰিশ্রমিকের বিনিময়ে তোমার বকরী চরারার
জন্যে নিযুক্ত কর ৷ তারপর সে তার প্রশংসা করে বলল যে, মুসা (আ) শক্তিশালী এবং
আমানতদারও বটে ৷ উমর (রা), আবদুল্লাহ ইবন আব্বাস (রা), কাযী শুরায়হ (র), আবু
মালিক (র), ক৷ তাদা (র), মুহম্মদ ইবন ইসহাক (র) প্রমুখ বলেন, “শুয়ায়ব (আ) এর কন্যা
যখন মুসা (আ) সম্পর্কে এরুপ মন্তব্য করলেন, তখন তার পি৩ ৷ তাকে বললেন তুমিত
কেমন করে জানলে?” জবাবে তিনি বললেন, তিনি এমন একটি পাথর উত্তোলন করেছেন যা
উত্তোলন করতে দশজন লোকের প্রয়োজন ৷ আবার আমি যখন তার সাথে বাড়ি আসছিলাম
আমি তার সামনে পথ চলছিলাম, এক পর্যায়ে তিনি বললেন, “তুমি আমার পেছনে পেছনে চল,
আর যখন বিভিন্নস্ত রাস্ত ৷র মাথা দেখা দেবে তখন তুমি কঙ্কর নিক্ষেপের মাধ্যমে আমাকে পথ
নির্দেশ ৷করবে ৷”

আবদুল্লাহ ইবন মাসউদ (বা) বলেন, তিন ব্যক্তি সর্বাপেক্ষা অতি দুরদর্শিত তার পরিচয়
দিয়েছিলেন (১) ইউসুফ (আ) এর ক্রেতা যখন তিনি৩ তার শ্ৰীকে বলেছিলেন “সম্মান-
জনকভাবে তার থাকরার ব্যবস্থা কর ৷”

(২) মুসা (আ)-এর সঙ্গিনী-যখন তিনি বলেছিলেন, “হে আমার পিতা ! তুমি তাকে মজুর
নিযুক্ত কর, কারণ তোমার মজুর হিসেবে উত্তম হবে সেই ব্যক্তি যে শক্তিশালী ও বিশ্বস্ত ৷”

(৩) আবু বকর সিদ্দীক (রা) যখন তিনি উমর (রা) ইবন আল খাত্তাবকে খলীফা মনোনীত

করেন ৷ অতঃপর শুয়ায়ব (আ ) বলেন০ ং



;)ন্১াএে৷ ষ্ঠাং ৰুা৷৷ ণ্এে ন্প্রুা

ত্বে


عَنِ ابْنِ مَسْعُودٍ، أَنَّهُ رَآهَا خَضْرَاءَ تَرِفُّ. {فَقَالَ رَبِّ إِنِّي لِمَا أَنْزَلْتَ إِلَيَّ مِنْ خَيْرٍ فَقِيرٌ} [القصص: 24] . قَالَ ابْنُ عَبَّاسٍ: سَارَ مِنْ مِصْرَ إِلَى مَدْيَنَ، لَمْ يَأْكُلْ إِلَّا الْبَقْلَ وَوَرَقَ الشَّجَرِ، وَكَانَ حَافِيًا فَسَقَطَتْ نَعْلَا قَدَمَيْهِ مِنَ الْحَفَاءِ وَجَلَسَ فِي الظِّلِّ، وَهُوَ صَفْوَةُ اللَّهِ مِنْ خَلْقِهِ، وَإِنَّ بَطْنَهُ لَاصِقٌ بِظَهْرِهِ مِنَ الْجُوعِ، وَإِنَّ خُضْرَةَ الْبَقْلِ لَتُرَى مِنْ دَاخِلِ جَوْفِهِ، وَأَنَّهُ لَمُحْتَاجٌ إِلَى شِقِّ تَمْرَةٍ. قَالَ عَطَاءُ بْنُ السَّائِبِ: لَمَّا قَالَ: {رَبِّ إِنِّي لِمَا أَنْزَلْتَ إِلَيَّ مِنْ خَيْرٍ فَقِيرٌ} [القصص: 24] أَسْمَعَ الْمَرْأَةَ. {فَجَاءَتْهُ إِحْدَاهُمَا تَمْشِي عَلَى اسْتِحْيَاءٍ قَالَتْ إِنَّ أَبِي يَدْعُوكَ لِيَجْزِيَكَ أَجْرَ مَا سَقَيْتَ لَنَا فَلَمَّا جَاءَهُ وَقَصَّ عَلَيْهِ الْقَصَصَ قَالَ لَا تَخَفْ نَجَوْتَ مِنَ الْقَوْمِ الظَّالِمِينَ - قَالَتْ إِحْدَاهُمَا يَا أَبَتَ اسْتَأْجِرْهُ إِنَّ خَيْرَ مَنِ اسْتَأْجَرْتَ الْقَوِيُّ الْأَمِينُ - قَالَ إِنِّي أُرِيدُ أَنْ أُنْكِحَكَ إِحْدَى ابْنَتَيَّ هَاتَيْنِ عَلَى أَنْ تَأْجُرَنِي ثَمَانِيَ حِجَجٍ فَإِنْ أَتْمَمْتَ عَشْرًا فَمِنْ عِنْدِكَ وَمَا أُرِيدُ أَنْ أَشُقَّ عَلَيْكَ سَتَجِدُنِي إِنْ شَاءَ اللَّهُ مِنَ الصَّالِحِينَ - قَالَ ذَلِكَ بَيْنِي وَبَيْنَكَ أَيَّمَا الْأَجَلَيْنِ قَضَيْتُ فَلَا عُدْوَانَ عَلَيَّ وَاللَّهُ عَلَى مَا نَقُولُ وَكِيلٌ} [القصص: 25 - 28] [الْقَصَصِ: 25 - 28] . لَمَّا جَلَسَ مُوسَى، عَلَيْهِ السَّلَامُ، فِي الظِّلِّ، وَقَالَ: {رَبِّ إِنِّي لِمَا أَنْزَلْتَ إِلَيَّ مِنْ خَيْرٍ فَقِيرٌ} [القصص: 24] سَمِعَتْهُ الْمَرْأَتَانِ، فِيمَا قِيلَ، فَذَهَبَتَا إِلَى أَبِيهِمَا، فَيُقَالُ: إِنَّهُ اسْتَنْكَرَ سُرْعَةَ رُجُوعِهِمَا، فَأَخْبَرَتَاهُ مَا كَانَ مِنْ أَمْرِ مُوسَى عَلَيْهِ السَّلَامُ، فَأَمَرَ إِحْدَاهُمَا أَنْ تَذْهَبَ إِلَيْهِ فَتَدْعُوهُ {فَجَاءَتْهُ إِحْدَاهُمَا تَمْشِي عَلَى اسْتِحْيَاءٍ} [القصص: 25]
পৃষ্ঠা - ৫৬৩


অর্থাৎ যে বলল, “আমি আমার এই কন্যাদ্বয়ের একজনকে তোমার সাথে বিবাহ দিতে
চাই এই শর্তে যে, তুমি আট বছর আমার কাজ করবে, যদি তুমি দশ বছর পুর্ণ কর, সে
তোমার ইচ্ছা ৷ আমি তোমাকে কষ্ট দিতে চাই না ৷ আল্লাহ চাহে তো তুমি আমাকে সদাচারী
রুপে পাবে ৷ ”

উপরোক্ত আয়াত দ্বারা আবুহানীফা (র)-এর কিছু সংখ্যক অনুসারী দলীল পেশ করেন যে,
যদি কেউ বলে, আমি দুটি দাসের মধ্যে একটি, কিৎবা কাপড় দুটির একটি, অনুরুপভারে
অন্যান্য বস্তুর ক্ষেত্রেও দৃটির একটি বিক্রি করব তাহলে এরুপ বলা শুদ্ধ হবে ৷ কেননা, শুয়ায়ব

(আ) বলেছিলেন ষ্ঠে ব্লুন্;ৰুষ্! প্রুা) অর্থাৎ আমার এই কনড্রাদ্বয়ের একজনকে ৷ আসলে
এ যুক্তি যথার্থ নয়; কেননা, বিয়ের ক্ষেত্রটি হচ্ছে পরস্পর সম্মতির ব্যাপার, ব্যবসায়ের মত

লেনদেনের ব্যাপার নয় ৷ আল্লাহ তাআলাই সম্যক জ্ঞাত ৷

উপরোক্ত আয়াত দ্বারা ইমাম আহমদ (র)-এর অনুসারিগণ প্রচলিত প্রথা অনুসারে আহার
ও রাসন্থানের বিনিময়ে মজুর নিযুক্তির বৈধতার প্রমাণ বলে পেশ করেন ৷ ইবন মাজাহ্ (র) তার
সুনান’ গ্রন্থে )ন্ শ্নএ ১ও৷ ন্,াৰু অর্থাৎ শ্রমিক নিয়োগ শিরোনামে পেটেভাতে মজুর
নিযুক্তির বৈধতা প্রমাণার্থে যে হাদীস বর্ণনা করেছেন-এ হাদীসটিও প্রসঙ্গক্রমে তারা উল্লেখ
করেছেন ৷ উতবা ইবন নৃদৃর (রা) থেকে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন, একদিন আমরা রাসুল
(না)-এর দরবারে উপস্থিত ছিলাম ৷ রাসুল (সা) সুরা কাসাস পাঠ করলেন ৷ তিনি যখন মুসা
(আ)-এর ঘটনায় পৌছলেন তখন তিনি বললেন, নিশ্চয়ই মুসা (আ) আট বছর কিৎবা দশ
বছর পােটভাতে এবং চরিত্রের পবিত্রতা অক্ষুগ্ন রাখার জন্যে কাযিক শ্রম করেছেন ৷ তবে
হড়াদীসটি দুর্বল বিধায় এর দ্বারা দলীল পেশ করা যায় না ৷ অন্য এক সুত্রে ইবন আবু হাতিম (র)
এ হাদীসটি বংনাি করেছেন ৷ তারপর আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেন ৷;
, ৷
৮র্ন্ত এ£ৰু হাব্রে দ্বু ণ্শু ১ ও^ঘ্রৰু র্ন্তএে এ্যা ষ্,র্দুর্ম১১৷ প্রো এন্শুন্ব্লু ;ণ্ৰু^র্ন্ত এে১



অর্থাৎ-মুসা (আ) তার ভাবী শ্বশুরকে বলেন , আপনি যে চুক্তির কথা বলেছেন তাই স্থির
হল, তবে দুই মেয়াদের মধ্যে যে কোনটাই আমি পুর্ণ করব, আমার বিরুদ্ধে কোন অতািযাগ
থাকবে না ৷ আমরা যে বিষয়ে কথা বলছি আল্লাহ তার সাক্ষী ৷ এতদসত্বেও মুসা (আ) দুটির
মধ্যে দীর্ঘতমটি পুর্ণ করেন অর্থাৎ পুর্ণ ১০ বছর তিনি মজুরি করেন ৷

ইমাম বুখারী (র) সাঈদ ইবন জুবড়ায়র (রা ) সুত্রে বর্ননা করেন, তিনি বলেন, হীরার
অধিবাসী একজন ইহুদী আমাকে প্রশ্ন করল, র্দেগ্লু র্ত্যছু১দ্বু এএ১ ১৷ ! é ৷ অর্থাৎ মুসা (আ)
কোন মেয়াদটি পুরণ করেছিলেনঃ বললাম, আমি জানি না, তবে আরবের মহান শিক্ষিত
লোকটির কাছে জিজ্ঞাসা করব ৷ অতঃপর আবদুল্লাহ ইবন আব্বাস (রা)-এর নিকট এসে র্তাকে
এ সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করলাম ৷ তিনি বললেন, দৃ’টির মধ্যে যেটা অধিক ও বেশি পছন্দনীয়
সেটাই তিনি পুরণ করেছিলেন ৷ কেননা, আল্লাহর নবী যা বলেন তা অবশ্যই করেন ৷

ইমাম নাসাঈ (র)ও অন্য এক সুত্রে সাঈদ ইবন জুবায়র (রা) থেকে অনুরুপ বর্ণনা করেন ৷


أَيْ ; مَشْيَ الْحَرَائِرِ. قَالَ عُمْرُ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ: تَسْتُرُ وَجْهَهَا بِكُمِّ دِرْعِهَا {إِنَّ أَبِي يَدْعُوكَ لِيَجْزِيَكَ أَجْرَ مَا سَقَيْتَ لَنَا} [القصص: 25] صَرَّحَتْ لَهُ بِهَذَا ; لِئَلَّا يُوهِمَ كَلَامُهَا رِيبَةً، وَهَذَا مِنْ تَمَامِ حَيَائِهَا وَصِيَانَتِهَا. {فَلَمَّا جَاءَهُ وَقَصَّ عَلَيْهِ الْقَصَصَ} [القصص: 25] أَيْ ; وَأَخْبَرَهُ خَبَرَهُ، وَمَا كَانَ مَنْ أَمْرِهِ ; فِي خُرُوجِهِ مِنْ بِلَادِ مِصْرَ فِرَارًا مَنْ فِرَعَوْنِهَا، قَالَ لَهُ ذَلِكَ الشَّيْخُ: {لَا تَخَفْ نَجَوْتَ مِنَ الْقَوْمِ الظَّالِمِينَ} [القصص: 25] أَيْ ; خَرَجْتَ مِنْ سُلْطَانِهِمْ، فَلَسْتَ فِي دَوْلَتِهِمْ. وَقَدِ اخْتَلَفُوا فِي هَذَا الشَّيْخِ ; مَنْ هُوَ؟ فَقِيلَ: هُوَ شُعَيْبٌ، عَلَيْهِ السَّلَامُ. وَهَذَا هُوَ الْمَشْهُورُ عِنْدَ كَثِيرِينَ. وَمِمَّنْ نَصَّ عَلَيْهِ الْحَسَنُ الْبَصْرِيُّ، وَمَالِكُ بْنُ أَنَسٍ، وَجَاءَ مُصَرَّحًا بِهِ فِي حَدِيثٍ، وَلَكِنْ فِي إِسْنَادِهِ نَظَرٌ. وَصَرَّحَ طَائِفَةٌ بِأَنَّ شُعَيْبًا، عَلَيْهِ السَّلَامُ، عَاشَ عُمْرًا طَوِيلًا بَعْدَ هَلَاكِ قَوْمِهِ، حَتَّى أَدْرَكَهُ مُوسَى، عَلَيْهِ السَّلَامُ، وَتَزَوَّجَ بِابْنَتِهِ. وَرَوَى ابْنُ أَبِي حَاتِمٍ وَغَيْرُهُ، عَنِ الْحَسَنِ الْبَصْرِيِّ، أَنَّ صَاحِبَ مُوسَى، عَلَيْهِ السَّلَامُ، هَذَا اسْمُهُ شُعَيْبٌ، وَكَانَ سَيِّدَ الْمَاءِ، وَلَكِنْ لَيْسَ بِالنَّبِيِّ صَاحِبِ مَدْيَنَ. وَقِيلَ: إِنَّهُ ابْنُ أَخِي شُعَيْبٍ. وَقِيلَ: ابْنُ عَمِّهِ. وَقِيلَ: رَجُلٌ مُؤْمِنٌ مِنْ قَوْمِ شُعَيْبٍ. وَقِيلَ: رَجُلٌ
পৃষ্ঠা - ৫৬৪


ইবন জারীর তাবারী (র)ও অন্য এক সুত্রে আবদুল্লাহ ইবন আব্বাস (বা) হতে বর্ণনা
করেন ৷ তিনি বলেন, রড়াসুলুল্লাহ (সা) ইরশাদ করেন, “একদিন আমি জিবরাঈল (আ )-কে
জিজ্ঞাসা করলাম, “মুসা (আ) কোন যেয়াদটি পুর্ণ করেছিলেন? তখন তিনি বলেন, যেটা বেশি
পরিপুর্ণ সেটাই তিনি পুরণ করেছিলেন ৷ ” ইমাম আল বাযযার (র ) অন্য এক সুত্রে আবদুল্লাহ
ইবন আব্বাস (বা) হতে অনুরুপ বর্ণনা পেশ করেছেন ৷

ইমাম সানীদ (র) মুজাহিদ (র) সুত্রে বর্ণনা করেন, রাসুল( (সা) একদিন এ ব্যাপারে
জিবরা ঈল (আ) কে জিজ্ঞা ৷সা করলেন ৷ পুনরায় জিবরাঈল (আ)এ সম্বন্ধে ইসরাফীল (আ) কে
জিজ্ঞাসা করলেন ৷ ইসরাফীল (আ) মহান প্রতিপালক আল্লাহ তা আলাকে জিজ্ঞাসা করলেন ৷
তিনি বললেন, যেটি অধিক পরিপুর্ণ ও অধিক কল্যাণকর ৷

ইবন জারীর তাবারী (র)-ও অন্য এক সুত্রে বর্ণনা করেন যে, রাসুলুল্লাহ (সা) কে জিজ্ঞাসা
করা হয়েছিল যে, মুসা (আ) কোন যেয়াদটি পুরণ করেছিলেন ৷ রাসুলুল্লাহ (সা) বলেন, যেটা
অধিক পরিপুর্ণ সেটাই তিনি পুরণ করেছিলেন ৷ ইমাম আল রাযযড়ার (র) ও ইবন আবু হাতিম
(র) আবুযর (বা) সুত্রে বর্ণনা করেন ৷ তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ (না)-কে একদিন প্রশ্ন করা
হয়েছিল যে, মুসা (আ) কোন যেয়াদটি পুরণ করেছিলেন ৷ রাসুলুল্লাহ (সা) বলেন যেটা
অধিক পরিপুর্ণ ও অধিক কল্যাণকর ৷ তিনি বলেন, “যদি তোমাকে জিজ্ঞা ৷সা করা হয় যে, কোন
কন্যাটিকে মুসা (আ) বিয়ে করেছিলেন, তখন বলে দা ও, ছোট কন্যাটিকে” ৷

ইমাম আল বায্যার (র) ও ইবন আবু হাতিম (র) অন্য এক সুত্রে উতবা ইবন নুদর (বা)
হতে বর্ণনা করেন ৷ নিনি বলেন রাসুলুল্লাহ (সা) ইবশাদ করেন মুসা (আ ) জীবিকা নির্বাহ ও
চরিত্রের হেফাজতে র জন্যে মজুরি করেছেন ৷ এরপর তিনি যখন মেয়াদ পুরণ করেন তখন
রাসুলুল্লাহ (সা) কে জিজ্ঞাসা করা হল কোন মেয়াদটি ইয়া রাসুলাল্লাহা তখন রাসুলুল্লাহ (সা)
প্ৰতি উত্তরে বলেন, যেটি অধিক পরিপুর্ণ ও অধিক কল্যাণকর ৷

যখন মুসা (আ) শুয়ায়ব (আ) হতে বিদায় গ্রহণের ইচ্ছা করেন, তখন তিনি তার ত্রীকে
বলেন, তীর পিতার নিকট থেকে কিছু বকরী চেয়ে নিতে যাতে তারা এগুলে৷ দ্বারা জীবিকা
নির্বাহ করতে পারেন ৷৩ তাই এ বছর যতগুলাে বকরী মায়ের রংয়ের ভিন্ন বং এ জন্ম নিয়েছে
সেগুলি তাকে দান করলেন ৷ তার বকরীগুলো ছিলো কালো ও সুন্দর ৷ মুসা (আ) লাঠি নিয়ে
গেলেন এবং একদিক থেকে এগুলোকে পৃথক করলেন ৷ অতঃপর এগুলোকে পানির চৌবাচ্চার
কাছে নিয়ে গেলেন এবং পানি পান করালেন ৷ মুসা (আ) চৌবাচ্চার পাশে র্দাড়ালেন ৷ কিন্তু
একটি বকরীও পানি পান শেষ করে নিজ ইচ্ছার ছুটে আসল না ৷ যতক্ষণ না তিনি একটি একটি
করে মৃদু প্রহার করেন ৷ বর্ণনাকড়ারী বলেন, দুই-একটি ব্যতীত বকরীগুলো প্রতিটি যমজ, বকনা
এবং মায়ের রংয়ের অন্য রং-এর বাচ্চা জন্ম দেয় ৷ এগুলোর মধ্যে চওড়া বুক, লম্বা রাট , সংকীর্ণ
বুক, একেবারে ছোট বীট এবং হাতে ধরা যায় না এরুপ বীটের অধিকারী বকরী ছিল না ৷ অর্থাৎ
সবগুলোই সুস্বান্থের অধিকারী ছিল ৷ রাসুলুল্লাহ (সা) বলেছেন, যদি তোমরা সিরিয়া পৌছতে
পারতে তাহলে তোমরা এখনও ঐ জাতের বকরী দেখতে পেতে ৷ এসব বকরী হচ্ছে সামেরীয় ৷
এ হাদীসটি মরফু হওয়ার ব্যাপারে সন্দেহের অবকাশ রয়েছে ৷

ইবন জাবীর তাবারী (র) আনাস ইবনে মালিক (রা) সুত্রে বনাি করেন, তিনি বলেন, যখন
আল্লাহর নবী মুসা (আ) তার নিয়োগকর্তাকে যেয়াদপুর্তির কথা স্মরণ করিয়ে দিলেন, তখন


اسْمُهُ يَثْرُونُ. هَكَذَا هُوَ فِي كُتُبِ أَهْلِ الْكِتَابِ: يَثْرُونُ كَاهِنُ مَدْيَنَ. أَيْ ; كَبِيرُهَا وَعَالِمُهَا. قَالَ ابْنُ عَبَّاسٍ، وَأَبُو عُبَيْدَةَ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ: اسْمُهُ يَثْرُونُ. زَادَ أَبُو عُبَيْدَةَ: وَهُوَ ابْنُ أَخِي شُعَيْبٍ. زَادَ ابْنُ عَبَّاسٍ: صَاحِبُ مَدْيَنَ. وَالْمَقْصُودُ أَنَّهُ لَمَّا أَضَافَهُ وَأَكْرَمَ مَثْوَاهُ، وَقَصَّ عَلَيْهِ مَا كَانَ مِنْ أَمْرِهِ، بَشَّرَهُ بِأَنَّهُ قَدْ نَجَا، فَعِنْدَ ذَلِكَ قَالَتْ إِحْدَى الْبِنْتَيْنِ لِأَبِيهَا {يَا أَبَتِ اسْتَأْجِرْهُ} [القصص: 26] أَيْ; لِرَعْيِ غَنَمِكَ. ثُمَّ مَدَحَتْهُ بِأَنَّهُ قَوِيٌّ أَمِينٌ. قَالَ عُمْرُ، وَابْنُ عَبَّاسٍ، وَشُرَيْحٌ الْقَاضِي، وَأَبُو مَالِكٍ، وَقَتَادَةُ، وَمُحَمَّدُ بْنُ إِسْحَاقَ، وَغَيْرُ وَاحِدٍ: لَمَّا قَالَتْ ذَلِكَ قَالَ لَهَا أَبُوهَا: وَمَا عِلْمُكِ بِهَذَا؟ فَقَالَتْ: إِنَّهُ رَفَعَ صَخْرَةً لَا يُطِيقُ رَفْعَهَا إِلَّا عَشَرَةٌ، وَإِنَّهُ لَمَّا جِئْتُ مَعَهُ تَقَدَّمْتُ أَمَامَهُ، فَقَالَ: كُونِي مِنْ وَرَائِي، فَإِذَا اخْتَلَفَ الطَّرِيقُ فَاحْذِفِي لِي بِحَصَاةٍ أَعْلَمْ بِهَا كَيْفَ الطَّرِيقُ. قَالَ ابْنُ مَسْعُودٍ: أَفَرَسُ النَّاسِ ثَلَاثَةٌ; صَاحِبُ يُوسُفَ حِينَ قَالَ لِامْرَأَتِهِ: أَكْرِمِي مَثْوَاهُ وَصَاحِبَةُ مُوسَى حِينَ قَالَتْ: {يَاأَبَتِ اسْتَأْجِرْهُ إِنَّ خَيْرَ مَنِ اسْتَأْجَرْتَ الْقَوِيُّ الْأَمِينُ} [القصص: 26] وَأَبُو بَكْرٍ حِينَ اسْتَخْلَفَ عُمَرَ بْنَ الْخَطَّابِ {قَالَ إِنِّي أُرِيدُ أَنْ أُنْكِحَكَ إِحْدَى ابْنَتَيَّ هَاتَيْنِ عَلَى أَنْ تَأْجُرَنِي ثَمَانِيَ حِجَجٍ فَإِنْ أَتْمَمْتَ عَشْرًا فَمِنْ عِنْدِكَ وَمَا أُرِيدُ أَنْ أَشُقَّ عَلَيْكَ سَتَجِدُنِي إِنْ شَاءَ اللَّهُ مِنَ الصَّالِحِينَ} [القصص: 27] اسْتَدَلَّ بِهَذَا جَمَاعَةٌ مِنْ أَصْحَابِ أَبِي حَنِيفَةَ، رَحِمَهُ اللَّهُ، عَلَى صِحَّةِ مَا إِذَا بَاعَهُ أَحَدَ هَذَيْنِ الْعَبْدَيْنِ أَوِ الثَّوْبَيْنِ، وَنَحْوَ ذَلِكَ، أَنَّهُ يَصِحُّ; لِقَوْلِهِ: إِحْدَى ابْنَتَيَّ هَاتَيْنِ وَفِي هَذَا نَظَرٌ; لِأَنَّ هَذِهِ مُرَاوَضَةٌ لَا مُعَاقَدَةٌ.
পৃষ্ঠা - ৫৬৫


তিনি বললেন, প্ৰতিটি বকরীই তোমার, যা তার মায়ের রং-এ জন্ম নেবে ৷ মুসা (আ) মানুষের
একটি আকৃতি পানিতে দাড় করিয়ে রাখলেন যখন বকরীগুলাে মানুষের আকৃতি দেখল, ভয়
পেয়ে গেল এবং ছুটাছুটি করতে লাগল ৷ একটি ব্যতীত সবগুলোই চিত্রা বাচ্চা জন্ম দিল ৷ মুসা
(আ) ঐ বছরের সব বাচ্চা নিয়ে নিলেন ৷ এ বর্ণনাটির রাবীগং৷ বিশ্বস্ত ৷ অনুরুপ ঘটনা হযরত
ইয়াকুব (আ) সম্পর্কেও পুর্বে বর্ণিত আছে ৷ আল্লাহ সম্যক জ্ঞাত ৷ আল্লাহ্ তাআলার বাণীং


এে


ধ্এওষ্ঠিছু


ণ্ষুর্দুপু


ত্ষ্




র্জ


ষ্ঠাং খাং


ৰু ব্ল


মুসা (আ) যখন তার মেয়াদ পুর্ণ করবার পর সপরিবারে যাত্রা করল, তখন সে তুর
পর্বতের দিকে আগুন দেখতে পেল ৷ সে তার পরিবারবর্পকে বলল, তোমরা অপেক্ষা কর, আমি
আগুন দেখেছি ৷ সম্ভবত আমি সেখান থেকে তোমাদের জন্য খবর আনতে পারি অথবা এক খগু
জ্বলন্ত কাষ্ঠখগু আনতে পারি, যাতে তোমরা আগুন পােহাতে পার ৷ যখন মুসা (আ) আগুনের
নিকট পৌছুল, তখন উপত কোর দক্ষিণ পার্শে পবিত্র ভুমিস্থিত এক বৃক্ষের দিক হতে তাকে
আহ্বান করে বলা হল, হে মুসা! আমিই আল্লাহ, জগতসমুহের প্রতিপালক ৷ আরও বলা হল,
তৃমি তোমার লাঠি নিক্ষেপ কর, তারপর যখন সে এটাকে সাপের মত ছুটোছুটি করতে দেখল,
তখন পেছনের দিকে ছুটতে লাগল এবং ফিরে তাকা ল না ৷ তাকে বলা হল, হে মুসা ! সম্মুখে
আস-, ভয় করো না, তুমি তো নিরাপদ ৷ তোমার হাত তোমার বগলে রাখ, এটা বের হয়ে
আসবে শুভ্র সমুজ্জ্বল নির্দোষ হয়ে ৷ ভয় দুর করবার জন্য তোমার হাত দুটি নিজের দিকে চেপে
ধর ৷ এ দুটি তোমার প্রতিপালক প্রদত্ত প্রমাণ, ফিরআউন ওত তার পারিষদবর্গেব জন্য ৷ ওরা
তো সতাতাপী সম্প্রদায় ৷ (সুরা কাসাস০ : ২৯ ৩২)

পুর্বেই বলা হয়েছে যে, মুসা (আ) পুংতির মেয়াদ অর্থাৎ দশ বছর পুরণ করেছেন ৷
মুজাহিদ (র) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, প্রথম তিনি ১০ বছর পুবা করেন, পরে আরো দশ
বছর ৷ আয়াতে উল্লেখিত ন্ট্রু১ এা£ঠু এর অর্থ হচ্ছে, মুসা (আ)ত তার শ্বশুরের নিকট থেকে
সপরিবারে রওয়ানা হলেন ৷ একাধিক মুফা ৷সসির ও অন্যান্য উলামা বর্ণনা ৷কয়েন যে, মুসা (আ)
তার আ ৷ত্মীয় স্বজনের সাথে মুলাকা৩ তে র জন্য অত্যন্ত ব্যাকুল হয়ে উঠেন ৷ত তাই তিনি গোপনে
মিসরে গিয়ে তাদের সাথে দেখা করতে মনস্থু করলেন ৷ যখন তিনি সপরিবারে রওয়ানা হলেন


وَاللَّهُ أَعْلَمُ. وَاسْتَدَلَّ أَصْحَابُ أَحْمَدَ عَلَى صِحَّةِ الْإِيجَارِ بِالطُّعْمَةِ وَالْكُسْوَةِ، كَمَا جَرَتْ بِهِ الْعَادَةُ، وَاسْتَأْنَسُوا بِالْحَدِيثِ الَّذِي رَوَاهُ ابْنُ مَاجَهْ فِي " سُنَنِهِ " مُتَرْجَمًا فِي كِتَابِهِ " بَابُ اسْتِئْجَارِ الْأَجِيرِ عَلَى طَعَامِ بَطْنِهِ ": حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُصَفَّىالْحِمْصِيُّ، حَدَّثَنَا بَقِيَّةُ بْنُ الْوَلِيدِ، عَنْ مَسْلَمَةَ بْنِ عَلِيٍّ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ أَبِي أَيُّوبَ، عَنِ الْحَارِثِ بْنِ يَزِيدَ، عَنْ عَلِيِّ بْنِ رَبَاحٍ، قَالَ: سَمِعْتُ عُتْبَةَ بْنَ النُّدَّرِ يَقُولُ: كُنَّا عِنْدَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَقَرَأَ " {طسم} [القصص: 1] " حَتَّى إِذَا بَلَغَ قِصَّةَ مُوسَى قَالَ: «إِنَّ مُوسَى، عَلَيْهِ السَّلَامُ، آجَرَ نَفْسَهُ ثَمَانِيَ سِنِينَ، أَوْ عَشْرًا، عَلَى عِفَّةِ فَرْجِهِ وَطَعَامِ بَطْنِهِ» . وَهَذَا مِنْ هَذَا الْوَجْهِ لَا يَصِحُّ; لِأَنَّ مَسْلَمَةَ بْنَ عَلِيٍّ الْخُشَنِيَّ الدِّمَشْقِيَّ الْبَلَاطِيَّ ضَعِيفٌ عِنْدَ الْأَئِمَّةِ، لَا يُحْتَجُّ بِتَفَرُّدِهِ، وَلَكِنْ قَدْ رُوِيَ مِنْ وَجْهٍ آخَرَ; فَقَالَ ابْنُ أَبِي حَاتِمٍ: حَدَّثَنَا أَبُو زُرْعَةَ، حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ بُكَيْرٍ، حَدَّثَنِي ابْنُ لَهِيعَةَ، (ح) . وَحَدَّثَنَا أَبُو زُرْعَةَ حَدَّثَنَا صَفْوَانُ، حَدَّثَنَا الْوَلِيدُ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ لَهِيعَةَ، عَنِ الْحَارِثِ بْنِ يَزِيدَ الْحَضْرَمِيِّ، عَنْ عَلِيِّ بْنِ رَبَاحٍ اللَّخْمِيِّ، قَالَ: سَمِعْتُ عُتْبَةَ بْنَ النُّدَّرِ السُّلَمِيَّ، صَاحِبَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يُحَدِّثُ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ قَالَ: «إِنَّ مُوسَى، عَلَيْهِ السَّلَامُ، آجَرَ نَفْسَهُ لِعِفَّةِ فَرْجِهِ وَطُعْمَةِ بَطْنِهِ» .
পৃষ্ঠা - ৫৬৬


তখন তার সাথে ছিল বুছবুল মেয়ে ও বকরীর পাল ৷ যা তিনি তার অবস্থানকালে অর্জন

করেছিলেন ৷ ঐতিহাসিকগণ বলেন, ঘটনাচক্রে তার যাত্রার রাত টি ছিল অন্ধকার ও ঠাণ্ডা ৷ তারা

পথ হারিয়ে ফেলেছিলেন, পরিচিত রাস্তা খুজে পাচ্ছিলেন না ৷ চকমকি ঠুকে আগুন জ্বালাবার

চেষ্টা করেও তারা আগুন জ্বালড়াতে ব্যর্থ হন ৷ অন্ধকার ও ঠাণ্ডা তীব্র আকার ধারণ করল ৷ এ

অবস্থায় হঠাৎ তিনি দুবুর অগ্নিশি যা দেখতে পেলেন যা তুর পর্বতের এক অংশে প্রজ্বলিত ছিল ৷

এটা ছিল তুর পর্বতের পশ্চিমাংশ যা ছিল তবে ডান দিকে ৷ তিনি তার পরিবারবর্গকে বললেন,
তোমরা এখানে অপেক্ষা কর, আমি আগুন দেখতে পেবুয়ছি ৷ আল্লাহই ভাল জানেন ৷

সম্ভবত এ আগুন শুধু৩ তিনিই দেখেছেন অন্য কেউ দেবুখননি; কেননা এই আগুন প্রকৃত
পক্ষে নুর ছিল, যা সকলের দৃষ্টিগােচর হয় না ৷ তিনি তার পরিবারবর্গকে বললেন গ্রামি হয়ত
সেখান থেকে সঠিক রাস্তার সন্ধান পেতে পারব ৷ কিৎব৷ আগুনের কাষ্ঠখও নিয়ে আসবুব৷ যাতে
তোমরা আগুন পােহাতে পার ৷ সুরায়ে তা হার আয়াত দ্বারাও প্রমাণিত হয় যে তারা রাস্তা

হন্রিরুয় ফেলেছিলেন যেখানে অৰুল্লত্ত্বহ তা আলা ইরশন্দে করেন;: ং
) ,«

৷ ট্রুাপ্তদ্বু
অর্থ ৎ-মুসাব বৃও৷ ম্ভ তে ৷মার নিকট পৌবুছবুছ কি? যে যখন আগুন দেখল তখন তার
পরিবারবর্পবুক বলল, তে আমরা এখানে থাক, আমি আগুন দেখেছি ৷ সম্ভবত আমি তোমাদের জন্য
তা হতে কিছু জ্বলন্ত অঙ্গ৷ র নিয়ে আসতে পারব অথবা আ৷মি ৷র নিকট কোন পথনির্দেশ পাব ৷
(সুরা ১০)
এতে প্রমাণিত হয় যে, সেখানে অন্ধকার ছিল এবং তারা রাস্তা হারিয়ে ফেলেছিলেন ৷
অন্যত্র আল্লাহ তাআল৷ ইরশ ৷৷দ কবুরনং :


ণ্ড্রু ৷ ৷ ,;ছু মোঃ ন্ব্লুএ;প্রে ’ দ্বুা১ মোঃ ৷ ^ ; ৷ এইশু ১৷ ;’;§ খ্া৷দ্ব ১ ৷

অর্থাৎ-স্মরণ কর, সে সময়ের কথা যখন মুসা (আ) তার পবিবারবগকে ববুলছিল আমি
আগুন দেখেছি, সতৃর আমি সেখান থেকে তোমাদের জন্য কোন খবর আনব অথবা তোমাদের
জন্য আ নব জ্বলত অঙ্গার যাতে তোমরা আগুন পােহাতে পড়ার ৷ (সুরা নামল০ : ৭)
রাস্তবিকই তিনি তাদের নিকট সেখ৷ ৷ন থেকে সুসং বাদ নিয়ে এসেছিলেন, সে কী সুসং বাদ!
তিনি সেখানে উত্তম পথনির্দেশ পেয়েছিলেন, কী উত্তম পথনিবুর্দশ৷ তিনি সেখান থেকে নুর
নিয়ে এসেছিলেন, কী চমৎকার সে নুর! অন্য আয়াতে আল্লাহ তাআলা ইরশাদ কবুরন০ :

এে

অর্থাৎ-যখন মুসা (আ) আগুনের নিকট বুপীছল, তখন উপত্যকার দক্ষিণ পাবুর্শ্ব পবিত্র

ভুমিন্থিত এক বৃক্ষ হতে তাকে আহ্বান কবুর বলা হল, হে মুসা! আমিই আল্লাহ, জন্াতসমৃবুহর
প্রতিপালক ৷ (সুরা কাসাস : ৩০)


ثُمَّ قَالَ تَعَالَى: {ذَلِكَ بَيْنِي وَبَيْنَكَ أَيَّمَا الْأَجَلَيْنِ قَضَيْتُ فَلَا عُدْوَانَ عَلَيَّ وَاللَّهُ عَلَى مَا نَقُولُ وَكِيلٌ} [القصص: 28] . يَقُولُ: إِنَّ مُوسَى قَالَ لِصِهْرِهِ: الْأَمْرُ عَلَى مَا قُلْتَ، فَأَيُّهُمَا قَضَيْتُ فَلَا عُدْوَانَ عَلَيَّ، وَاللَّهُ عَلَى مَقَالَتِنَا سَامِعٌ وَشَاهِدٌ، وَوَكِيلٌ عَلِيَّ وَعَلَيْكَ. وَمَعَ هَذَا فَلَمْ يَقْضِ مُوسَى إِلَّا أَكْمَلَ الْأَجَلَيْنِ وَأَتَمَّهُمَا، وَهُوَ الْعَشْرُ سِنِينَ كَوَامِلَ تَامَّةً. قَالَ الْبُخَارِيُّ: حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ الرَّحِيمِ، حَدَّثَنَا سَعِيدُ بْنُ سُلَيْمَانَ، حَدَّثَنَا مَرْوَانُ بْنُ شُجَاعٍ، عَنْ سَالِمٍ الْأَفْطَسِ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ جُبَيْرٍ، قَالَ: سَأَلَنِي يَهُودِيٌّ مَنْ أَهْلِ الْحِيرَةِ: أَيَّ الْأَجَلَيْنِ قَضَى مُوسَى؟ فَقُلْتُ: لَا أَدْرِي، حَتَّى أَقْدِمَ عَلَى حَبْرِ الْعَرَبِ فَأَسْأَلَهُ. فَقَدِمْتُ، فَسَأَلْتُ ابْنَ عَبَّاسٍ، فَقَالَ: قَضَى أَكْثَرَهُمَا وَأَطْيَبَهُمَا، إِنَّ رَسُولَ اللَّهِ إِذَا قَالَ فَعَلَ. تَفَرَّدَ بِهِ الْبُخَارِيُّ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ. وَقَدْ رَوَاهُ النَّسَائِيُّ فِي حَدِيثِ الْفُتُونِ، كَمَا سَيَأْتِي مِنْ طَرِيقِ الْقَاسِمِ بْنِ أَبِي أَيُّوبَ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ جُبَيْرٍ بِهِ. وَقَدْ رَوَاهُ ابْنُ جَرِيرٍ عَنْ أَحْمَدَ بْنِ مُحَمَّدٍ الطُّوسِيِّ، وَابْنِ أَبِي حَاتِمٍ عَنْ أَبِيهِ، كِلَاهُمَا عَنِ الْحُمَيْدِيِّ، عَنْ سُفْيَانَ بْنِ عُيَيْنَةَ، حَدَّثَنِي إِبْرَاهِيمُ بْنُ يَحْيَى بْنِ أَبِي يَعْقُوبَ، عَنِ الْحَكَمِ بْنِ أَبَانٍ، عَنْ عِكْرِمَةَ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، قَالَ: «سَأَلْتُ جِبْرِيلَ: أَيَّ الْأَجَلَيْنِ قَضَى مُوسَى؟ قَالَ: أَتَمَّهُمَا وَأَكْمَلَهُمَا» وَإِبْرَاهِيمُ هَذَا غَيْرُ مَعْرُوفٍ إِلَّا
পৃষ্ঠা - ৫৬৭


অন্যত্র আল্লাহ তাআ লা ইরশ ৷ড়াদ করেন :

এ৷ ৷ গ্লুৰুা১ট্রু ৷ৰু;াপ্রু; ;,; টু,এে ৷ গো ;, ,দ্বুন্ট্রু ;, ৷ ;; ; ৰুঙ্ এে

অর্থাৎ-অতঃপর সে যখন র্তার নিকট আসল তখন ঘোষিত হল, ধন্য যারা রয়েছে এ
আলোর মধ্যে এবং যারা রয়েছে তার চতুষ্পার্শে, জগতসমুহের প্ৰতিপালক আল্লাহ পবিত্র ও
মহিমাম্বিত ৷ (সুরা সালে,, : ৮)

অর্থাৎ যিনি যা ইচ্ছা তা করেন এবং যা ইচ্ছা নির্দেশ করেন ৷ এরপর আল্লাহ তা জানা
বলেন হে মুসা৷ আমি তো আল্লাহ্
পরাক্রমশালী, প্রজ্ঞাময় ৷

সুরা তা-হায় আল্লাহ তাআ লা ইরশাদ করেন :
ন্ৰুাটু^৷ ৷১ শুাদ্বু ৷ মোঃ ৫া র্মুাপৃদ্বু ৷১ ৷ ৷ প্রুএঙুদ্বু ঙ্ ঙ্প্লুহ্র১ ৷র্চুষ্াষ্ট্র

é
র্দুাশুএ এা১৷ <ব্রে ৷ ৷র্দু৷ ^;১৷ ১দ্বু ট্রু র্চু ৷ ছুপ্রুএে এ্যাদ্বু,র্দু১৷ ৷র্চুাদ্বু হেশু ’ ) ট্টট্রু৷ ৷

র্চেস্পো

অতঃপর যখন সে আগুনের নিকট আসল তখল আহ্বান করে বলা হল, হে মুসা আমিই
তোমার প্রতিপালক ৷ অতএব তোমার পাদুক৷ খুলে ফেল, কারণ তুমি পবিত্র তৃওয়৷ উপত্যকায়
রয়েছ ৷ এবং আমিও” তামাকে মনোনীত করেছি ৷ অতএব, যা ওহী প্রেরণ করা হচ্ছে তুমি তা
মনোযোগের সাথে শুন ! আমিই আল্লাহ, আমি ছাড়া কো ন ইলা হ নেই ৷ অতএব, আমার ইবাদত
কর এবং আমার স্মরণার্থে সালাত কায়েম কর ৷ কিয়ামত অবশ্যম্ভাবী , আমি এটা গোপন রাখতে
চাই যাতে প্রত্যেকেই নিজ কর্মানুযায়ী ফল লাভ করতে পারে ৷ সুতরাং, যে ব্যক্তি কিয়ামতে
বিশ্বাস করে না ও নিজ প্রবৃত্তির অনুসরণ করে, সে যেন তোমাকে এটাতে বিশ্বাস স্থাপনে নিবৃত্ত
না করে, নিবৃত্ত হলেতু মি ধ্বং স হয়ে যাবে ৷ (সুরা তা ১ ১ ১৬)

প্রাচীন যুগের ও পরবডীকাি ৷লের একাধিক মুফাসসির বলেন, মুসা (আ) যে আগুন দেখলেন
তার কাছে পৌছতে তিনি মনস্থ করলেন ৷ সেখানে পৌছে সবুজ কাটা গাছে আগুনের লেলিহান
শিখ৷ দেখতে পেলেন ৷ এ আগুনের মধ্যকার সবকিছু দাউ দাউ করে জ্বলছে অথচ গাছের
শ্যামলিমা ক্রমেই বেড়ে চলেছিল ৷ অবাক হয়েও তিনি র্দাড়িয়ে রইলেন ৷ আর এই গাছটি ছিল
পশ্চিমদিকের পাহাড়ে তার ডানদিকে ৷ যেমন আল্লাহত ৩াআল৷ ইরশাদ করেন :

র্তু০ঠু


بِهَذَا الْحَدِيثِ. وَقَدْ رَوَاهُ الْبَزَّارُ عَنْ أَحْمَدَ بْنِ أَبَانٍ الْقُرَشِيِّ، عَنْ سُفْيَانَ بْنِ عُيَيْنَةَ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ بْنِ أَعْيَنَ، عَنِ الْحَكَمِ بْنِ أَبَانٍ، عَنْ عِكْرِمَةَ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَذَكَرَهُ. وَقَدْ رَوَاهُ سُنَيْدٌ عَنْ حَجَّاجٍ، عَنِ ابْنِ جُرَيْجٍ عَنْ مُجَاهِدٍ مُرْسَلًا، «أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ سَأَلَ عَنْ ذَلِكَ جِبْرِيلَ، فَسَأَلَ جِبْرِيلُ إِسْرَافِيلَ، فَسَأَلَ إِسْرَافِيلُ الرَّبَّ، عَزَّ وَجَلَّ، فَقَالَ: أَبَرَّهُمَا وَأَوْفَاهُمَا» وَبِنَحْوِهِ رَوَاهُ ابْنُ أَبِي حَاتِمٍ مِنْ حَدِيثِ يُوسُفَ بْنِ سَرْجٍ مُرْسَلًا. وَرَوَاهُ ابْنُ جَرِيرٍ مِنْ طَرِيقِ مُحَمَّدِ بْنِ كَعْبٍ، «أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ سُئِلَ: أَيَّ الْأَجَلَيْنِ قَضَى مُوسَى؟ قَالَ: أَوْفَاهُمَا وَأَتَمَّهُمَا» . وَقَدْ رَوَاهُ الْبَزَّارُ وَابْنُ أَبِي حَاتِمٍ، مِنْ حَدِيثِ عُوَيْدِ بْنِ أَبِي عِمْرَانَ الْجَوْنَيِّ - وَهُوَ ضَعِيفٌ - عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الصَّامِتِ، عَنْ أَبِي ذَرٍّ «أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، سُئِلَ: أَيَّ الْأَجَلَيْنِ قَضَى مُوسَى؟ قَالَ: أَوْفَاهُمَا وَأَبَرَّهُمَا» . قَالَ: «وَإِنْ سُئِلَ: أَيَّ الْمَرْأَتَيْنِ تَزَوَّجَ؟ فَقُلِ: الصُّغْرَى مِنْهُمَا» وَقَدْ رَوَاهُ الْبَزَّارُ وَابْنُ أَبِي حَاتِمٍ مِنْ طَرِيقِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ لَهِيعَةَ، عَنِ الْحَارِثِ بْنِ يَزِيدَ الْحَضْرَمِيِّ، عَنْ عَلِيِّ بْنِ رَبَاحٍ، عَنْ عُتْبَةَ بْنِ النُّدَّرِ، «أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، قَالَ: إِنَّ مُوسَى آجَرَ نَفْسَهُ بِعِفَّةِ فَرْجِهِ وَطَعَامِ
পৃষ্ঠা - ৫৬৮


মুসাকে যখন আমি বিধান দিয়েছিলাম তখন তুমি পশ্চিম প্রান্তে উপস্থিত ছিলে না এবং তুমি
প্রত্যক্ষদর্শীও ছিলে না ৷ (সুরা কাসাস৪ ৪৪)

মুসা (আ) যে উপত্যকায় ছিলেন তার নাম হচ্ছে ভুওয়৷ ৷ মুসা (আ) কিবলার দিকে মুখ
করে দীড়িয়েছিলেন ৷ আর এই গাছটি ছিল পশ্চিম পার্শে তার ডানদিকে ৷ সেখানে অবস্থিত
ভুওয়৷ নামক পবিত্র উপত্যকায় তার প্রতিপালক তাকে আহ্বান করলেন ৷ প্রথমত তিনি তাকে
ঐ পবিত্র স্থানটির সম্মানার্থে পাদুক৷ খুলে ফেলার নির্দেশ দিলেন এবং বিশেষ করে ঐ পবিত্র
রাতের সম্মানার্থে ৷

কিতাবীদের মতে, মুসা (আ) এই নুভ্রুররুতীব্রতার কারণে দৃষ্টিশক্তি লোপ পাওয়ার ভয়ে
ভীত-সন্ত্রস্ত হয়ে নিজের চেহারার উপর হাত রাখলেন ৷ অতঃপর আল্লাহ তাআলা তাকে
সম্বোধন করে বলেন, নিশ্চয়ই আমিই আল্লাহ, জগতসমুহের প্রতিপালক ৷ ’

ইরশাদ হচ্ছে :

^;র্দুা

অর্থাৎ আমি জগত তসমুহের প্রতিপা ৷,লক বিনি ব্যতীত অন্য কোন ইলাহ যেই ৷ শুধু তার
জন্যেই ইবাদত ও সালাত নির্ধারিত , অন্য কেউ এর যোগ্য নয় ৷ আর আমার স্মরণে সালাত
কায়েম কর ৷ ’ অতঃপর তিনি সংবাদ দেন যে , এই পৃথিবী স্থায়ী বাসস্থান নয় বরং স্থায়ী বাসস্থান
হচ্ছে কিয়ামত দিবসের পরের বাসস্থান যার অস্তিতু ও স্থায়িতৃ অবশন্তোবী, যাতে প্রত্যেকে নিজ
নিজ আমল অনুসারে ভাল ও মন্দ কর্মফল ভোগ করতে পারে ৷ এই আঘাতের মাধ্যমে উক্ত
বাসস্থান লাভের জন্য আমল করার এবং মাওলার নাফরমান ও প্রবৃত্তির পুজারী এবং অৰিশ্বাসী
বান্দাদের থেকে দুরে থাকার জন্যে মুসা (আ)-কে অনুপ্রাণিত করা হয়েছে ৷ অতঃপর তাকে
সম্বোধন করে বলা হয়েছে যে, আল্লাহ তাআলা সর্ববিষয়ে সর্বশক্তিমান ৷ যিনি কোন বস্তুর
সৃষ্টির পুর্বে নির্দেশ দেন হয়ে য়াও তখন তা হয়ে যায় ৷

অন্য আয়াতে আল্পাহ্ ইরশাদ করেন :

#
ছা ৷ এ্াগ্ শুা;

fl;

অর্থাৎ “হে মুসা! তোমার ডান হাতে এটা কী? অর্থাৎ এটা কি তে ৷মার লাঠি নয়, তোমার
কাছে আসার পর থেকে যা তোমার পরিচিত?’ তিনি বললেন, এটা আমার লাঠি যা আমি সম্যক
চিনি, এটাতে আমি ভর দেই এবং এটা দ্বারা আঘাত করে আমি আমার মেষপালের জন্য গাছের
পাতা ঝরিয়ে থাকি ৷ আর এটা আমার অন্যান্য কাজেও লাগে ৷’ আল্লাহ তাআলা বললেন, হে
মুসা! তুমি এটা নিক্ষেপ কর ৷ ’ অতঃপর তিনি এটা নিক্ষেপ করলেন, সঙ্গে সঙ্গে এটা সাপ হয়ে
ছুটতে লাগল ৷ ”
এটা একটি বিরাট অলৌকিক ব্যাপার এবং একটি অকাট্য প্রমাণ যে, যিনি মুসা (আ ) এর
সাথে কথা বলেছেন, তিনি যখন কো ন বস্তু সৃষ্টির পুর্বে বলেন $§ (হয়ে যাও) তখন তা হয়ে
যায়’ ৷ তিনি৩ ৷র ৷ইচ্ছা মুতাবিক কা জ আঞ্জাম দিয়ে থাকেন ৷


بَطْنِهِ. فَلَمَّا وَفَّى الْأَجَلَ. قِيلَ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، أَيَّ الْأَجَلَيْنِ؟ قَالَ: أَبَرَّهُمَا وَأَوْفَاهُمَا، فَلَمَّا أَرَادَ فِرَاقَ شُعَيْبٍ، أَمَرَ امْرَأَتَهُ أَنْ تَسْأَلَ أَبَاهَا أَنْ يُعْطِيَهَا مِنْ غَنَمِهِ مَا يَعِيشُونَ بِهِ، فَأَعْطَاهَا مَا وَلَدَتْ غَنَمُهُ مِنْ قَالِبِ لَوْنٍ مِنْ وَلَدِ ذَلِكَ الْعَامِ، وَكَانَتْ غَنَمُهُ سُودًا حِسَانًا، فَانْطَلَقَ مُوسَى، عَلَيْهِ السَّلَامُ، إِلَى عَصًا قَسَمَهَا مِنْ طَرَفِهَا، ثُمَّ وَضَعَهَا فِي أَدْنَى الْحَوْضِ، ثُمَّ أَوْرَدَهَا فَسَقَاهَا، وَوَقَفَ مُوسَى، عَلَيْهِ السَّلَامُ، بِإِزَاءِ الْحَوْضِ، فَلَمْ تَصْدُرْ مِنْهَا شَاةٌ إِلَّا ضَرَبَ جَنْبَهَا شَاةً شَاةً قَالَ: فَأَتْأَمَتْ وَأَثْلَثَتْ وَوَضَعَتْ كُلُّهَا قَوَالِبَ أَلْوَانٍ، إِلَّا شَاةً أَوْ شَاتَيْنِ; لَيْسَ فِيهَا فَشُوشٌ، وَلَا ضَبُوبٌ، وَلَا عَزُوزٌ، وَلَا ثَعُولٌ، وَلَا كَمْشَةٌ تَفُوتُ الْكَفَّ. قَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: لَوِ افْتَتَحْتُمُ الشَّامَ وَجَدْتُمْ بَقَايَا تِلْكَ الْغَنَمِ، وَهِيَ السَّامِرِيَّةُ» قَالَ ابْنُ لَهِيعَةَ: الْفَشُوشُ: وَاسِعَةُ الشَّخْبِ. وَالضَّبُوبُ: طَوِيلَةُ الضَّرْعِ تَجُرُّهُ. وَالْعَزُوزُ: ضَيِّقَةُ الشَّخْبِ. وَالثَّعُولُ: الصَّغِيرَةُ الضَّرْعِ كَالْحَلَمَتَيْنِ. وَالْكَمْشَةُ الَّتِي لَا يُحْكَمُ الْكَفُّ عَلَى ضَرْعِهَا لِصِغَرِهِ. وَفِي صِحَّةِ رَفْعِ هَذَا الْحَدِيثِ نَظَرٌ، وَقَدْ يَكُونُ مَوْقُوفًا، كَمَا قَالَ ابْنُ جَرِيرٍ: حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، حَدَّثَنَا مُعَاذُ بْنُ هِشَامٍ، حَدَّثَنَا أَبِي، عَنْ قَتَادَةَ، حَدَّثَنَا أَنَسُ بْنُ مَالِكٍ قَالَ: لَمَّا دَعَا نَبِيُّ اللَّهِ مُوسَى صَاحِبَهُ إِلَى الْأَجَلِ الَّذِي كَانَ بَيْنَهُمَا، قَالَ لَهُ صَاحِبُهُ: كُلُّ شَاةٍ وَلَدَتْ عَلَى لَوْنِهَا فَلَكَ وَلَدُهَا. فَعَمَدَ فَوَضَعَ خَيَالًا عَلَى الْمَاءِ، فَلَمَّا رَأَتِ الْخَيَالَ فَزِعَتْ، فَجَالَتْ جَوْلَةً، فَوَلَدْنَ كُلُّهُنَّ بُلْقًا إِلَّا شَاةً وَاحِدَةً،
পৃষ্ঠা - ৫৬৯


কিতাবীদের মতে, মিসরীয়দের মুসা (আ)-কে মিথ্যা প্রতিপন্ন করার আশঙ্কা থাকায় তার
সত্যতা প্রমাণের জন্যে মুসা (আ) আপন প্রতিপালকের কাছে কোন প্রমাণ প্রার্থনা করেন ৷ তখন
মহান প্রতিপালক তাকে বললেন তােমার হাতে এটা কী?’ তিনি বললেন, এটা আমার
লাঠি ৷ আল্লাহ৩ তা আলা বললেন, এটাকে ভুমিতে নিক্ষেপ কর ৷’ অতঃপর তিনি এটাকে
নিক্ষেপ করলেন, সঙ্গে সঙ্গে এটা সাপ হয়ে ছুটাছুটি করতে লাগল ৷ মুসা (আ) এটার সম্মুখ
থেকে পলায়ন করেন ৷ তখন মহান প্ৰতিপালক তাকে হাত বাড়াতে এবং এটার লেজে ধরতে
নির্দেশ দিলেন ৷ যখন তিনি এটাকে মযবুত করে ধরলেন তার হাতে সেটা পুর্বের মত লাঠি হয়ে
গেল ৷

সুরা কাসাসের (৩১) আয়াতে আল্লাহ তা জানা ইরশাদ করেন :

“ প্ন্এপ্রু;র্দুধ্এপ্রুষ্াএর্দুধ্র্দু’র্দুহুর্দুৰুক্ট্রম্এো

র্তৃ
অর্থাৎ-আরও বলা হল, ভুমি তোমার লাঠিটি নিক্ষেপ কর অতঃপর যখন সে এটাকে
সাপের মত ছুটাছুটি করতে দেখল তখন সে পিছনের দিকে ছুটতে লাগল এবং ফিরে তাকাল
না ৷ ’ অর্থাৎ লাঠিটি একটি বড় ভয়ংকর র্দাত বিশিষ্ট অজগরে পরিণত হল ৷ আবার এটা সাপের
মত দ্রুত ছুটাছুটি করতে লাগল, আয়াত্তে উল্লেখিত ;,হু শব্দটি ;,চু রুপেও ব্যবহৃত হয়ে
থাকে ৷ এটা খুবই সুক্ষ্ম জ্যি অতি চঞ্চল ও দ্রুতগতিসস্পন্ন ৷ কাজেই এটার মধ্যে স্থুলতা ও তীব্র
গতি লক্ষ্য করে মুসা (আ) পিছনে ছুটতে লাগলেন ৷ কেননা, মানবিক প্রকৃতিতে তিনি প্রকৃতস্থু
এবং মানবিক প্রকৃতিও তা ই চায় ৷ তিনি আর কোন দিকে দেখলেন না ৷ তখন তার প্রতিপালক
তাকে আহ্বান করলেন, হে মুসা! সামনে অগ্রসর হও, তুমি ভয় করবে না, তুমি নিরাপদ’ ৷
যখন মুসা (আ) ফিরে আসলেন, তখন আল্লাহ তাআলা তাকে সাপটি ধরার জন্যে নির্দেশ
দিলেন ৷ বললেন, “এটাকে ধর, ভয় করে৷ না, এটাকে আমি পুর্বাবন্থায় ফিরিয়ে দেব ৷ ’ কথিত
আছে, মুসা (আ) অত্যন্ত ভয় পেয়েছিলেন তাই তিনি পশমের কাপড়ের আস্তিনে নিজের হাত
রাখলেন ৷ অতঃপর নিজের হাত সাপের মুখে রাখলেন ৷ কিতাবীদের মতে, সাপের লেজে হাত
রেখেছিলেন, যখন তিনি এটাকে মজবুত করে ধরলেন, তখন এটা পুর্বের অবস্থায় ফিরে আসল
এবং দুই শাখাবিশিষ্ট পুর্বেকার লাঠিতে পরিণত হল ৷ সুতরাং মহাশক্তিশালী এবং দুই উদয়াচল
ও দুই অস্তাচলের নিয়ন্তা পাক পবিত্র ৷ অতঃপর আল্লাহ তাআলা তার হাত তার বগলে রাখার
নির্দেশ দিলেন ৷ এর পর তা বের করতে হুকুম দিলেন ৷ অকস্মাৎ তা চাদের মত শুভ্র-সমুজ্জ্বল
হয়ে চক্ চক্ করতে লাগল ৷ অথচ এটা কোন রোগের কারণ নয়, এটা শ্বেত রোগের কারণে
নয় বা অন্য কোন চর্মরোগের কারণেও নয় ৷

এজন্য আল্লাহ তা জানা এর পরের আয়াতে ইরশাদ করেন :
অর্থাৎ-তোমার হাত তোমার বগলে রাখ, এটা বের হয়ে আসবে শুভ্র-সমুজ্জ্বল নির্দোষ
হয়ে ৷ ভয় দুর করার জন্যে তোমার হাত দুটি নিজের দিকে চেপে ধর ৷ (সুরা কাসাস : ৩২)

অলে-বিদায়া ওয়ান নিহায়া (১ম খনীিপ্প্ঙুক্ট্রাজােণ্ডা২া০ণ্০প্নে

فَذَهَبَ بِأَوْلَادِهِنَّ ذَلِكَ الْعَامَ. وَهَذَا إِسْنَادٌ رِجَالُهُ ثِقَاتٌ. وَاللَّهُ أَعْلَمُ. وَقَدْ تَقَدَّمَ، عَنْ نَقْلِ أَهْلِ الْكِتَابِ، عَنْ يَعْقُوبَ عَلَيْهِ السَّلَامُ، حِينَ فَارَقَ خَالَهُ لَابَانَ، أَنَّهُ أَطْلَقَ لَهُ مَا يُوَلَدُ مِنْ غَنَمِهِ بُلْقًا، فَفَعَلَ نَحْوَ مَا ذُكِرَ عَنْ مُوسَى، عَلَيْهِ السَّلَامُ، فَاللَّهُ أَعْلَمُ. {فَلَمَّا قَضَى مُوسَى الْأَجَلَ وَسَارَ بِأَهْلِهِ آنَسَ مِنْ جَانِبٍ الطُّورِ نَارًا قَالَ لِأَهْلِهِ امْكُثُوا إِنِّي آنَسْتُ نَارًا لَعَلِّي آتِيكُمْ مِنْهَا بِخَبَرٍ أَوْ جَذْوَةٍ مِنَ النَّارِ لَعَلَّكُمْ تَصْطَلُونَ - فَلَمَّا أَتَاهَا نُودِيَ مِنْ شَاطِئِ الْوَادِي الْأَيْمَنِ فِي الْبُقْعَةِ الْمُبَارَكَةِ مِنَ الشَّجَرَةِ أَنْ يَا مُوسَى إِنِّي أَنَا اللَّهُ رَبُ الْعَالَمِينَ - وَأَنْ أَلْقِ عَصَاكَ فَلَمَّا رَآهَا تَهْتَزُّ كَأَنَّهَا جَانٌّ وَلَّى مُدْبِرًا وَلَمْ يُعَقِّبْ يَا مُوسَى أَقْبِلْ وَلَا تَخَفْ إِنَّكَ مِنَ الْآمِنِينَ - اسْلُكْ يَدَكَ فِي جَيْبِكَ تَخْرُجْ بَيْضَاءَ مِنْ غَيْرِ سُوءٍ وَاضْمُمْ إِلَيْكَ جَنَاحَكَ مِنَ الرَّهْبِ فَذَانِكَ بُرْهَانَانِ مِنْ رَبِّكَ إِلَى فِرْعَوْنَ وَمَلَئِهِ إِنَّهُمْ كَانُوا قَوْمًا فَاسِقِينَ} [القصص: 29 - 32] [الْقَصَصِ: 29 - 32] . تَقَدَّمَ أَنَّ مُوسَى قَضَى أَتَمَّ الْأَجَلَيْنِ وَأَكْمَلَهُمَا، وَقَدْ يُؤْخَذُ هَذَا مِنْ قَوْلِهِ: {فَلَمَّا قَضَى مُوسَى الْأَجَلَ} [القصص: 29] وَعَنْ مُجَاهِدٍ، أَنَّهُ أَكْمَلَ عَشْرًا، وَعَشْرًا بَعْدَهَا. وَقَوْلُهُ: وَسَارَ بِأَهْلِهِ أَيْ; مِنْ عِنْدِ صِهْرِهِ ذَاهِبًا، فِيمَا ذَكَرَهُ غَيْرُ وَاحِدٍ مِنَ الْمُفَسِّرِينَ وَغَيْرِهِمْ، أَنَّهُ اشْتَاقَ إِلَى أَهْلِهِ، فَقَصَدَ زِيَارَتَهُمْ بِبِلَادِ مِصْرَ، فِي صُورَةِ مُخْتَفٍ، فَلَمَّا سَارَ بِأَهْلِهِ، وَمَعَهُ وِلْدَانٌ مِنْهُمْ، وَغَنَمٌ قَدِ اسْتَفَادَهَا مُدَّةَ مُقَامِهِ. قَالُوا: وَاتَّفَقَ ذَلِكَ فِي لَيْلَةٍ مُظْلِمَةٍ بَارِدَةٍ، وَتَاهُوا فِي طَرِيقِهِمْ، فَلَمْ يَهْتَدُوا إِلَى
পৃষ্ঠা - ৫৭০


কেউ কেউ বলেন, এ আঘাতের অর্থ হচ্ছে, যখন তোমার ভয় করবে তোমার হাত তোমার
হৃৎপিণ্ডের উপর রাখবে, তাহলে প্ৰশান্তি লাভ করবে ৷ এ আমলটা যদিও বিশেষভাবে তার
জনােই ছিল কিভু এটার প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করলে তাতে যে বরকত হবে তা যথার্থ ৷ কেননা,
যে ব্যক্তি নবীদের অনুসরণের নিয়তে এটা আমল করবে সে উপকার পাবে ৷

আল্লাহ তাআলা সুরায়ে নামলে ইরশাদ করেনং :




অর্থাৎ এবং তোমার হাত তোমার বগলে রাখ ৷ এটা বের হয়ে আসবে শুভ্র নির্মল
অবস্থায় ৷ এটা ফিরআউন ও তার সম্প্রদায়ের নিকট আনীত নয়টি নিদর্শনের অন্তর্গত ৷ তারা
তো সত্যত্যাগী সম্প্রদায় ৷ (সুরা নড়ামৃল : ১২)

অন্য কথায় লাঠি ও হাত দৃটো নিদর্শন যেগুলোর দিকে ই ত করে আল্লাহ তাআলা

সুরায়ে কাসাসে ইরশাদ করেনং

র্ড


অর্থাৎ “এই দুটি তোমার প্রতিপালক প্রদত্ত প্রমাণ, ফিরআউন ও তার পারিষদবর্পের
জন্যে ৷ ওরা তো ছিল সত্যত্যাপী সম্প্রদায় ৷” (২৮৪ ৩২) এ দু টিব সাথে রয়েছে আরো
সাতটি ৷৩ তাহলে মোট হবে নয়টি নিদর্শন ৷

সুরায়ে বনী ইসরাঈলের আয়াতে আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেন০



(

া,^ট্রু;^;র্দু; ট্রু,টু£ঠু;ৰুা; র্চুা;ৰু;১৷ ^ ; ৷দ্বু পুরু:ার্বু;; ওে ,১( ; স্পো ৷ ’ ” ৰুা৷ ব্লুর্বুাট্রু,ণ্>
অর্থাৎ-তু মি বনী ইসরাঈলকে জিজ্ঞাসা করে দেখ আমি মুসাকে নয়টি স্পষ্ট নিদর্শন
দিয়েছিলাম ৷ যখন সে৩ তাদের নিকট এসেছিল, ফিরআউন তাকে বলেছিল, হে মুসা ৷৷ আমি মনে
করি, তুমি তো জাদৃগ্রস্ত ৷ মুসা বলেছিল, তৃমি অবশ্যই অবগত আছ যে, এই সমস্ত স্পষ্ট
নিদর্শন আকাশমণ্ডলী ও পৃথিবীর প্রতিপালকই অবতীর্ণ করেছেন প্রত্যক্ষ প্ৰমাণস্বরুপ ৷ (হ
ফিরআউন! আমি তো দেখছি৫ তামার ধ্বংস আসন্ন ৷ (সুরা বনী ইসরাঈলং ১০১ ১০২)

এই ঘটনা সুরায়ে আরাফের আয়াতে বিস্তারিত বর্ণিত হয়েছে ৷ আল্লাহ্ তা জানা ইরশাদ

গ্র ষ্)দ্বু১ৰুা
”(fl


السُّلُوكِ فِي الدَّرْبِ الْمَأْلُوفِ، وَجَعَلَ يُورِي زِنَادَهُ فَلَا يُوْرِي شَيْئًا، وَاشْتَدَّ الظَّلَامُ وَالْبَرَدُ، فَبَيْنَمَا هُوَ كَذَلِكَ إِذْ أَبْصَرَ عَنْ بُعْدٍ نَارًا تَأَجَّجُ فِي جَانِبِ الطُّورِ، وَهُوَ الْجَبَلُ الْغَرْبِيُّ مِنْهُ عَنْ يَمِينِهِ، فَقَالَ لِأَهْلِهِ: {امْكُثُوا إِنِّي آنَسْتُ نَارًا} [القصص: 29] وَكَأَنَّهُ - وَاللَّهُ أَعْلَمُ - رَآهَا دُونَهُمْ; لِأَنَّ هَذِهِ النَّارَ هِيَ نُورٌ فِي الْحَقِيقَةِ، وَلَا تَصْلُحُ رُؤْيَتُهَا لِكُلِّ أَحَدٍ {لَعَلِّي آتِيكُمْ مِنْهَا بِخَبَرٍ} [القصص: 29] أَيْ; لَعَلِّي أَسْتَعْلِمُ مِنْ عِنْدِهَا عَنِ الطَّرِيقِ {أَوْ جَذْوَةٍ مِنَ النَّارِ لَعَلَّكُمْ تَصْطَلُونَ} [القصص: 29] فَدَلَّ عَلَى أَنَّهُمْ كَانُوا قَدْ تَاهُوا عَنِ الطَّرِيقِ فِي لَيْلَةٍ بَارِدَةٍ وَمُظْلِمَةٍ; لِقَوْلِهِ فِي الْآيَةِ الْأُخْرَى: {وَهَلْ أَتَاكَ حَدِيثُ مُوسَى - إِذْ رَأَى نَارًا فَقَالَ لِأَهْلِهِ امْكُثُوا إِنِّي آنَسْتُ نَارًا لَعَلِّي آتِيكُمْ مِنْهَا بِقَبَسٍ أَوْ أَجِدُ عَلَى النَّارِ هُدًى} [طه: 9 - 10] [طه: 9، 10] . فَدَلَّ عَلَى وُجُودِ الظَّلَامِ، وَكَوْنِهِمْ تَاهُوا عَنِ الطَّرِيقِ. وَجَمَعَ الْكُلَّ فِي سُورَةِ " النَّمْلِ " فِي قَوْلِهِ تَعَالَى: إِذْ {قَالَ مُوسَى لِأَهْلِهِ إِنِّي آنَسْتُ نَارًا سَآتِيكُمْ مِنْهَا بِخَبَرٍ أَوْ آتِيكُمْ بِشِهَابٍ قَبَسٍ لَعَلَّكُمْ تَصْطَلُونَ} [النمل: 7] . وَقَدْ أَتَاهُمْ مِنْهَا بِخَبَرٍ، وَأَيُّ خَبَرٍ؟ وَوَجَدَ عِنْدَهَا هُدًى، وَأَيُّ هُدًى؟ وَاقْتَبَسَ مِنْهَا نُورًا، وَأَيُّ نُورٍ؟ . قَالَ اللَّهُ تَعَالَى: {فَلَمَّا أَتَاهَا نُودِيَ مِنْ شَاطِئِ الْوَادِي الْأَيْمَنِ فِي الْبُقْعَةِ الْمُبَارَكَةِ مِنَ الشَّجَرَةِ أَنْ يَا مُوسَى إِنِّي أَنَا اللَّهُ رَبُّ الْعَالَمِينَ} [القصص: 30] وَقَالَ تَعَالَى فِي " النَّمْلِ ": {فَلَمَّا جَاءَهَا نُودِيَ أَنْ بُورِكَ مَنْ فِي النَّارِ وَمَنْ حَوْلَهَا وَسُبْحَانَ اللَّهِ رَبِّ الْعَالَمِينَ} [النمل: 8] .
পৃষ্ঠা - ৫৭১






অর্থাৎ আমি তো ফিরআউনের অনুসারীদেরকে দুর্তিক্ষ ও ফল ফসলের ক্ষতি দ্বারা আক্রান্ত
করেছি যাতে তারা অনুধাবন করে ৷ যখন তাদের কোন কল্যাণ হত তারা বলত , এটা আমাদের
প্রাপ্য আর যখন তাদের কোন অকল্যাণ হত তখন তারা মুসা ও তার সঙ্গীদেরকে অলক্ষুণে গণ্য
করত; শোন, তাদের অকল্যাণ আল্লাহর নিয়স্ত্রণাধীন, কিন্তু তাদের অধিকাৎশ এটা জানে না ৷
তারা বলল, আমাদেরকে জাদু করবার জন্য তুমি যে কোন নিদর্শন আমাদের নিকট পেশ কর না
কেন, আমরা তোমাকে বিশ্বাস করব না ৷ অতঃপর আমি তাদেরকে প্নাবন পঙ্গপাল, উকুন ও
রক্ত দ্বারা ক্লিষ্ট করি ৷ এগুলো স্পষ্ট নিদর্শন কিন্তু তারা দাম্বিকই রয়ে গেল, আর তারা ছিল এক
অপরাধী সম্প্রদায় ৷ (সুরা আরাফ৪ ১৩০ ১৩৩)

এ সম্বন্ধে যথাস্থানে বিস্তারিত আলোচনা করা হবে ৷ এ নয়টি হল এমন নিদর্শন বা অন্য
দশটি নিদর্শনের থেকে ভিন্ন ৷ এ নয়টি নিদর্শন হল আল্লাহ তা আসার কুদরত সম্পর্কীয় আর
অন্য দশটি নিদর্শন আল্লাহ প্রদত্ত শরীয়ত বিষয়ক তার বাণী সম্পর্কীয় ৷ এ সম্বন্ধে এখানে এজন্য
উয়েখকরে দেয়৷ হল ৷ কেননা, অনেক বর্শনাকড়ারীই এ ব্যাপারে বিভ্রাস্তির শিকার হয়েছেন ৷
তারা ধারণা করে থাকেন যে, এ নয়টিই হয়ত উক্ত দশটির অন্তর্ভুক্ত ৷ সুরায়ে বনী ইসরাঈলের
শেষাৎশের তাফসীরে এ বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে ৷ বন্তুত আল্লাহ তাআলা যখন
মুসা (আ) কে ফিরআউনের কাছে যাবার জন্যে নির্দেশ দিলেন ৷

যেমন সুরায়ে কাসাসের আয়াতে ইরশাদ হচ্ছে

?
é» কু১ওট্র৮১ ট্রুণ্এঢ়ৰু
,


অর্থাৎ “মুসা (আ) বললেন, হে আমার প্রতিপালক ! আমি তো তাদের একজনকে হত্যা
করেছি ৷ ফলে আমি আশংকা করছি, তারা আমাকে হত্যা করবে ৷ আমার ভাই হারুন আমার
চাইতে অধিকতর বাথী ৷ অতএব, তাকে আমার সাহায্যকারীরুপে প্রেরণ কর, সে আমাকে
সমর্থন করবে ৷ আমি আশংকা করছি, তারা আমাকে মিথ্যাবাদী ঠাওরাবে ৷ আল্লাহ বললেন,
আমি তোমার ভাইয়ের দ্বারা তোমার বাহু শক্তিশালী করব এবং তোমাদের উভয়কে প্রাধান্য দান
করব ৷ তারা তোমাদের নিকট পৌছতে পারবে না ৷ তোমরা এবং তোমাদের অনুসারীরা আমার
নিদর্শন বলে তাদের উপর প্রবল হবে ৷” (সুরা কাসাস ৩৩-৫৫ )


أَيْ; سُبْحَانَ اللَّهِ الَّذِي يَفْعَلُ مَا يَشَاءُ وَيَحْكُمُ مَا يُرِيدُ. {يَامُوسَى إِنَّهُ أَنَا اللَّهُ الْعَزِيزُ الْحَكِيمُ} [النمل: 9] . وَقَالَ فِي سُورَةِ " طه ": {فَلَمَّا أَتَاهَا نُودِيَ يَا مُوسَى - إِنِّي أَنَا رَبُّكَ فَاخْلَعْ نَعْلَيْكَ إِنَّكَ بِالْوَادِي الْمُقَدَّسِ طُوًى - وَأَنَا اخْتَرْتُكَ فَاسْتَمِعْ لِمَا يُوحَى - إِنَّنِي أَنَا اللَّهُ لَا إِلَهَ إِلَّا أَنَا فَاعْبُدْنِي وَأَقِمِ الصَّلَاةَ لِذِكْرِي - إِنَّ السَّاعَةَ آتِيَةٌ أَكَادُ أُخْفِيهَا لِتُجْزَى كُلُّ نَفْسٍ بِمَا تَسْعَى - فَلَا يَصُدَّنَّكَ عَنْهَا مَنْ لَا يُؤْمِنُ بِهَا وَاتَّبَعَ هَوَاهُ فَتَرْدَى} [طه: 11 - 16] [طه: 11 - 16] . قَالَ غَيْرُ وَاحِدٍ مِنَ الْمُفَسِّرِينَ، مِنَ السَّلَفِ وَالْخَلَفِ: لَمَّا قَصَدَ مُوسَى إِلَى تِلْكَ النَّارِ الَّتِي رَآهَا، فَانْتَهَى إِلَيْهَا، وَجَدَهَا تَأَجَّجُ فِي شَجَرَةٍ خَضْرَاءَ مِنَ الْعَوْسَجِ، وَكُلُّ مَا لِتِلْكَ النَّارِ فِي اضْطِرَامٍ، وَكُلُّ مَا لِخُضْرَةِ تِلْكَ الشَّجَرَةِ فِي ازْدِيَادٍ، فَوَقَفَ مُتَعَجِّبًا، وَكَانَتْ تِلْكَ الشَّجَرَةُ فِي لِحْفِ جَبَلٍ غَرْبِيٍّ مِنْهُ عَنْ يَمِينِهِ; كَمَا قَالَ تَعَالَى {وَمَا كُنْتَ بِجَانِبِ الْغَرْبِيِّ إِذْ قَضَيْنَا إِلَى مُوسَى الْأَمْرَ وَمَا كُنْتَ مِنَ الشَّاهِدِينَ} [القصص: 44] . وَكَانَ مُوسَى فِي وَادٍ اسْمُهُ طُوًى، فَكَانَ مُوسَى مُسْتَقْبَلَ الْقِبْلَةِ، وَتِلْكَ الشَّجَرَةُ عَنْ يَمِينِهِ مِنْ نَاحِيَةِ الْغَرْبِ، فَنَادَاهُ رَبُّهُ بِالْوَادِ الْمُقَدَّسِ طُوًى، فَأُمِرَ أَوَّلًا بِخَلْعِ نَعْلَيْهِ; تَعْظِيمًا وَتَكْرِيمًا وَتَوْقِيرًا لِتِلْكَ الْبُقْعَةِ الْمُبَارَكَةِ، وَلَا سِيَّمَا فِي تِلْكَ اللَّيْلَةِ الْمُبَارَكَةِ. وَعِنْدَ أَهْلِ الْكِتَابِ أَنَّهُ وَضَعَ يَدَهُ عَلَى وَجْهِهِ مِنْ شِدَّةِ ذَلِكَ النُّورِ; مَهَابَةً لَهُ وَخَوْفًا عَلَى بَصَرِهِ.
পৃষ্ঠা - ৫৭২


ষ্হাসান বসরী (র) বলেন, নবীগণ ৷আল্লাহ তাআলার দরবারে প্রয়োজন মাফিক দরখাস্ত
করে থাকেন ৷ এ জন্য তার জিহ্বায় তার কিছুটা প্রভাব রয়েই যায় ৷ এজন্যে ফিরআউন বলত
যে, এটা মুসা (আ)-এর একটি বড় ঘোষ এবং এ জন্য মুসা (আ) নিজের বক্তব্য স্পষ্ট করে
বলতে পারে না; তার মনের কথা উত্তমরুপে বিশ্লেষণ করে প্রকাশ করতে পারে না ৷




)


অর্থাৎ-“আমার জন্যে করে দাও একজন সাহায্যকারী আমার স্বজনবর্গের মধ্য থেকে;
আমার ভাই হারুনকে; তার দ্বারা আমার শক্তি সুদৃঢ় কর ও তাকে আমার কার্যে অংশী কর ৷
যাতে আমরা তোমার পবিত্রতা ও মহিম৷ ঘোষণা করতে পারি প্রচুর এবং তোমাকে স্মরণ করতে
পারি অধিক ৷ তুমি তাে আমাদের সম্যক দ্রষ্ট৷ ৷ তিনি বললেন : হে মুসা! তুমি যা চেয়েছ
তোমাকে তা দেয়৷ হল ৷” (সুরা তা-হ৷ : ২৯-৩৬)

অন্য কথায় তুমি যা কিছুর আবেদন করেছ, আমি তা মঞ্জুর করেছি এবং তুমি যা কিছু
চেয়েছ তা তোমাকে দান করেছি ৷ আর এটা হয়েছে আপন প্রতিপালক আল্লাহ তাআলার
দরবারে তার বিশিষ্ট মর্যাদার কারণে ৷ তিনি তার ভাইয়ের প্রতি ওহী প্রেরণের জন্যে সুপারিশ
করার আল্লাহ তা” জানা তার প্রতি ওহী প্রেরণ করেন ৷ এটা একটা বড় মর্যাদা
যেমন সুরায়ে আহযাবে আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেন : ’ ^

অর্থাৎ-“আল্লাহর নিকট সে মর্যাদাবান ৷” (সুরা আহযাব : ৬৯)

সুরা মারয়ামের আয়াতে অল্লেৰুহ্ তাআলা ইরশাদ করেন০
,


অর্থাৎ “আমি নিজ অনুগ্রহে৩ তাকে দিলাম তার ভাই হারুনকে নবীরুপে ৷” (সুরা
মারয়াম৪ ৫৩)

একদা উম্মুল মুমিনীন আয়েশা সিদ্দীকা (বা) এক ব্যক্তিকে তার সম্প্রদায়ের লোকদের প্রশ্ন
করা শুনতে পেলেন ৷ আর তারা সকলে হজের জন্যে ভ্রমণরত ছিলেন ৷ প্রশ্নটি হলো, কোন; তাই
তার নিজের ভাইয়ের প্রতি সর্বাধিক ইহসান করেছেন ? সম্প্রদায়ের লোকেরা নীরব রইল, তখন
আয়েশা (বা) তার হাওদার পাশের লোকদের বললেন, তিনি ছিলেন মুসা (আ) ইবন ইমরান ৷
তিনি যখন আপন ভাইয়ের নবুওত প্রাপ্তির সুপারিশ করেন, তখন তা আল্লাহ তাআলার দরবারে
মঞ্জুর হয় এবং আল্লাহ তাআলা তার প্রতি ওহী নাযিল করেন ৷

তাই আল্লাহ্৩ তা জানা ইরশাদ করেন০ ং

গ্রস্ট্র দ্বুত্রৈ


ثُمَّ خَاطَبَهُ تَعَالَى كَمَا يَشَاءُ قَائِلًا لَهُ: {إِنِّي أَنَا اللَّهُ رَبُ الْعَالَمِينَ} [القصص: 30] إِنِّي أَنَا اللَّهُ لَا إِلَهَ إِلَّا أَنَا فَاعْبُدْنِي وَأَقِمِ الصَّلَاةَ لِذِكْرِي أَيْ; أَنَا اللَّهُ رَبُّ الْعَالَمِينَ، الَّذِي لَا إِلَهَ إِلَّا هُوَ الَّذِي لَا تَصْلُحُ الْعِبَادَةُ وَإِقَامَةُ الصَّلَاةِ إِلَّا لَهُ. ثُمَّ أَخْبَرَهُ أَنَّ هَذِهِ الدُّنْيَا لَيْسَتْ بِدَارِ قَرَارٍ، إِنَّمَا الدَّارُ الْبَاقِيَةُ يَوْمَ الْقِيَامَةِ، الَّتِي لَا بُدَّ مِنْ كَوْنِهَا وَوُجُودِهَا لِتُجْزَى كُلُّ نَفْسٍ بِمَا تَسْعَى أَيْ; مِنْ خَيْرٍ وَشَرٍّ. وَحَضَّهُ وَحَثَّهُ عَلَى الْعَمَلِ لَهَا وَمُجَانَبَةِ مَنْ لَا يُؤْمِنُ بِهَا مِمَّنْ عَصَى مَوْلَاهُ، وَاتَّبَعَ هَوَاهُ. ثُمَّ قَالَ لَهُ مُخَاطِبًا وَمُؤَانِسًا، وَمُبَيِّنًا لَهُ أَنَّهُ الْقَادِرُ عَلَى كُلِّ شَيْءِ الَّذِي يَقُولُ لِلشَّيْءِ: كُنْ. فَيَكُونُ: {وَمَا تِلْكَ بِيَمِينِكَ يَامُوسَى} [طه: 17] . أَيْ; أَمَّا هَذِهِ عَصَاكَ الَّتِي تَعْرِفُهَا مُنْذُ صَحِبْتَهَا؟ {قَالَ هِيَ عَصَايَ أَتَوَكَّأُ عَلَيْهَا وَأَهُشُّ بِهَا عَلَى غَنَمِي وَلِيَ فِيهَا مَئارِبُ أُخْرَى} [طه: 18] . أَيْ; بَلْ هَذِهِ عَصَايَ الَّتِي أَعْرِفُهَا وَأَتَحَقَّقُهَا {قَالَ أَلْقِهَا يَامُوسَى - فَأَلْقَاهَا فَإِذَا هِيَ حَيَّةٌ تَسْعَى} [طه: 19 - 20] [طه: 19، 20] . وَهَذَا خَارِقٌ عَظِيمٌ، وَبُرْهَانٌ قَاطِعٌ عَلَى أَنَّ الَّذِي يُكَلِّمُهُ هُوَ الَّذِي يَقُولُ لِلشَّيْءِ: كُنْ فَيَكُونُ. وَأَنَّهُ الْفَعَّالُ بِالِاخْتِيَارِ. وَعِنْدَ أَهْلِ الْكِتَابِ أَنَّهُ سَأَلَ بُرْهَانًا عَلَى صِدْقِهِ عِنْدَ مَنْ يُكَذِّبُهُ مِنْ أَهْلِ مِصْرَ، فَقَالَ لَهُ الرَّبُّ عَزَّ وَجَلَّ: مَا هَذِهِ الَّتِي فِي يَدِكَ؟ قَالَ: عَصَايَ. قَالَ: أَلْقِهَا إِلَى الْأَرْضِ فَأَلْقَاهَا فَإِذَا هِيَ حَيَّةٌ تَسْعَى فَهَرَبَ مُوسَى مِنْ قُدَّامِهَا، فَأَمَرَهُ الرَّبُّ، عَزَّ وَجَلَّ، أَنْ يَبْسُطَ يَدَهُ وَيَأْخُذَهَا بِذَنَبِهَا، فَلَمَّا اسْتَمْكَنَ مِنْهَا ارْتَدَّتْ عَصًا فِي يَدِهِ. وَقَدْ قَالَ اللَّهُ تَعَالَى فِي الْآيَةِ الْأُخْرَى: {وَأَنْ أَلْقِ عَصَاكَ فَلَمَّا رَآهَا تَهْتَزُّ كَأَنَّهَا جَانٌّ وَلَّى مُدْبِرًا وَلَمْ يُعَقِّبْ} [القصص: 31]
পৃষ্ঠা - ৫৭৩


আবার আল্লাহ তাআলা সুরা শুআরায় ইরশাদ করেন :

¥
§: ’ ’ ন্ ১মোঃ ;;’ পুরুমোঃ “’¢’ এর্য ^ণ্০র্যব্লু রু>ওএে ’ ) রুান্শ্ওষ্প্ :স্হ্রঠো
এ,

&
অর্থাৎ “স্মরণ কর, যখন তোমার প্রতিপালক মুসাকে ডেকে বললেন, তৃমি জালিম
সম্প্রদায়ের নিকট যাও ফিরআউন সম্প্রদায়ের নিকট; ওরা কি ভয় করে না৷ তখন সে
বলেছিল, হে আমার প্রতিপালক! আমি আশংকা করি যে, ওরা আমাকে আীকার করবে এবং
আমার হৃদয় সংকুচিত হয়ে পড়বে, আর জিহ্বা তাে সচল নয় ৷ সুতরাং হারুনের প্রতিও
প্রত্যাদেশ পাঠান! আমার বিরুদ্ধে৫ তা ওদের একটি অভিযোগ রয়েছে, আমি আশংকা করি
তারা আমাকে হত্যা করবে ৷ আল্লাহ বললেন, না, কখনই নয়; অতএব, তোমরা উভয়ে আমার
নিদর্শনসহ যাও, আমি তো তোমাদের সাথে রয়েছি শ্রবণকারী ৷ অতএব, ওোমরা উভয়ে
ফিরআউনের নিকট যাও এবং বল, আমরা তাে জগত তসমুহের প্রতিপালকের রাসুল, আর
আমাদের সাথে যেতে দাও বনী ইসরাঈলকে ৷ ফিরআউন বলল, আমরা কি তোমাকে শৈশবে
আমাদের মধ্যে লালন পালন করিনিঃ তুমি তো তোমার জীবনের বহু বছর আমাদের মধ্যে
কাটিয়েছা তুমি তোমার কর্ম যা করবার তা করেছ, তুমি অকৃতজ্ঞ ৷’ ’(সুরা শুআরা : ১০ ১৯)
যােদ্দাকথা,ত তারা দুইজন ফিরআউনের নিকট গমন করলেন এবং তাকে উপরোক্ত কথা
বললেন ৷ আর তাদেরকে যা কিছু সহকারে প্রেরণ করা হয়েছিল তার কাছে তারা তা পেশ
করলেন ৷ তারা তাকে এক ও অদ্বিভীয় আল্লাহ্র ইবাদতের প্রতি ৩আহ্বান করলেন ৷ তারা তাকে
বনী ইসরাঈলদের তার কত র্বৃতু ও নির্যাতন থেকে মুক্ত করার আহ্বান জানান ৷ যাতে তারা
যেখানেই ইচ্ছে গিয়ে আল্লাহর ইবাদত করতে, নিরংকুশভাবে আল্লাহ তা আলার একতুাীকার
করতে, আল্লাহ তাআলাকে একাগ্রচিত্তে ডাকতে এবং আপন প্রতিপালকের কাছে অনুনয় বিনয়
করে নিজেদের ভক্তি শ্রদ্ধা প্রকাশ করতে পা বেন ৷ কিন্তু এতে ফিরআউন দান্তিকতার আশ্রয় নিল
এবং জুলুম ও সীমালং ×ঘন করল; যে মুসা (আ)-এর দিকে তাচ্ছিলাের নজরে তাকাল এব×
বলতে লাগল, তুমি কি আমাদের মাঝে বাল্যকালে লালিত-পালিত হওনি৷ আমরা কি তোমাকে
আমাদের ঘরে পুত্রের মত লালন-পালন করিনিঃ তোমার প্রতি ইহসান করিনিঃ এবং একটি
নির্দিষ্ট ঘুহ্রর্ত পর্যন্ত তোমার প্রতি অনুগ্রহ করিনিঃ’ ফিরআউনের এই কথার দ্বারা বোঝা যায়, যে
ফিরআউনের কাছে মুসা (আ)-কে নবীরুপে প্রেরণ করা হয়েছিল এবং যে ফিরআউন থেকে মুসা
(আ) পলায়ন করেছিলেন, যে অভিন্ন ব্যক্তি ৷ কিন্তু কিতাবীরা মনে করে, যে ফিরআউনের নিকট


أَيْ; صَارَتْ حَيَّةً عَظِيمَةً لَهَا ضَخَامَةٌ هَائِلَةٌ، وَأَنْيَابٌ تَصْطَكُّ، وَهِيَ مَعَ ذَلِكَ فِي سُرْعَةِ حَرَكَةِ الْجَانِّ، وَهُوَ ضَرْبٌ مِنَ الْحَيَّاتِ يُقَالُ لَهُ: الْجَانُّ وَالْجَنَانُ. وَهُوَ لَطِيفٌ، وَلَكِنَّهُ سَرِيعُ الِاضْطِرَابِ وَالْحَرَكَةِ جِدًّا، فَهَذِهِ جَمَعَتِ الضَّخَامَةَ وَالسُّرْعَةَ الشَّدِيدَةَ فَلَمَّا عَايَنَهَا مُوسَى، عَلَيْهِ السَّلَامُ، وَلَّى مُدَبِّرًا أَيْ; هَارِبًا مِنْهَا; لِأَنَّ طَبِيعَتَهُ الْبَشَرِيَّةَ تَقْتَضِي ذَلِكَ وَلَمْ يُعَقِّبْ أَيْ; وَلَمْ يَلْتَفِتْ فَنَادَاهُ رَبُّهُ قَائِلًا لَهُ: {يَامُوسَى أَقْبِلْ وَلَا تَخَفْ إِنَّكَ مِنَ الْآمِنِينَ} [القصص: 31] فَلَمَّا رَجَعَ أَمَرَهُ اللَّهُ تَعَالَى أَنْ يُمْسِكَهَا قَالَ {خُذْهَا وَلَا تَخَفْ سَنُعِيدُهَا سِيرَتَهَا الْأُولَى} [طه: 21] فَيُقَالُ: إِنَّهُ هَابَهَا شَدِيدًا، فَوَضَعَ يَدَهُ فِي كُمِّ مِدْرَعَتِهِ، ثُمَّ وَضَعَ يَدَهُ فِي وَسَطِ فَمِهَا - وَعِنْدَ أَهْلِ الْكِتَابِ: بِذَنَبِهَا - فَلَمَّا اسْتَمْكَنَ مِنْهَا، إِذَا هِيَ قَدْ عَادَتْ كَمَا كَانَتْ عَصًا ذَاتَ شُعْبَتَيْنِ. فَسُبْحَانُ الْقَدِيرِ الْعَظِيمِ رَبِّ الْمَشْرِقَيْنِ وَالْمَغْرِبَيْنِ. ثُمَّ أَمَرَهُ تَعَالَى بِإِدْخَالِ يَدِهِ فِي جَيْبِهِ، ثُمَّ أَمَرَهُ بِنَزْعِهَا فَإِذَا هِيَ تَتَلَأْلَأُ كَالْقَمَرِ بَيَاضًا مِنْ غَيْرِ سُوءٍ أَيْ; مِنْ غَيْرِ بَرَصٍ وَلَا بَهَقٍ. وَلِهَذَا قَالَ: {اسْلُكْ يَدَكَ فِي جَيْبِكَ تَخْرُجْ بَيْضَاءَ مِنْ غَيْرِ سُوءٍ وَاضْمُمْ إِلَيْكَ جَنَاحَكَ مِنَ الرَّهْبِ} [القصص: 32] قِيلَ: مَعْنَاهُ إِذَا خِفْتَ فَضَعْ يَدَكَ عَلَى فُؤَادِكَ يَسْكُنْ جَأْشُكَ. وَهَذَا وَإِنْ كَانَ خَاصًّا بِهِ، إِلَّا أَنَّ بِبَرَكَةِ الْإِيمَانِ بِهِ حَقَّ الْإِيمَانِ يَنْتَفِعُ مَنِ اسْتَعْمَلَ ذَلِكَ عَلَى وَجْهِ الِاقْتِدَاءِ بِالْأَنْبِيَاءِ. وَقَالَ فِي سُورَةِ " النَّمْلِ ": {وَأَدْخِلْ يَدَكَ فِي جَيْبِكَ تَخْرُجْ بَيْضَاءَ مِنْ غَيْرِ سُوءٍ فِي تِسْعِ آيَاتٍ إِلَى فِرْعَوْنَ وَقَوْمِهِ إِنَّهُمْ كَانُوا قَوْمًا فَاسِقِينَ} [النمل: 12] .
পৃষ্ঠা - ৫৭৪


থেকে মুসা (আ) পলায়ন করেছিলেন তিনি মাদায়ানে অবস্থান কালেই সে মারা গিয়েছিল ৷ আর
যে ফিরআউনের কাছে মুসা (আ) কে নবীরুপে র্চুপ্ররণ করা হয়েছিল, সে ছিল অন্য লোক ৷
আয়াতাংশ র্চু, ,১া< ৷ ধ্ ; ৷ § র্দুহুৰু১ ;;fl’ ৷ মোঃ এ্যাদ্বু এর অর্থ হচ্ছে তুমি
কিবতী লোকটিকে হত্যা করেছ; আমাদের থেকে পলায়ন করেছ এবং আমাদের অনুগ্নহের প্ৰতি

অস্বীকৃতি জানিয়েছ ৷

মুসা (আ) প্রতি উত্তরে বলেন০ ং
অর্থাৎ মুসা বললেন, আমি তো এটা করেছিলাম তখন যখন আমি ছিলাম অজ্ঞ ৷’ অন্য
কথায়, আমার কাছে ওহী অবতীর্ণ হবার পুর্বে আমি এটা করেছিলাম ৷ অতঃপর আমি যখন
তোমাদের ভয়ে ভীত ছিলাম, তখন আমি তোমাদের নিকট হতে পলায়ন করলাম ৷ তারপর
আমার প্রতিপালক আমাকে জ্ঞানদান করেছেন এবং আমাকে রাসুলরুপে মনোনীত করেছেন ৷
(২৬ : ১৯-২১) মুসা (আ)-এর প্রতি ফিরআউনের লালন-পালন ও অনুগ্রহ করার উল্লেখের

জব ৷বে মুসা (আ) বলেনং :







>


অর্থাৎ আমার প্রতি তোমার যে অনৃগ্নহের কথা উল্লেখ করছত তা তাে এই যে, তুমি বনী
ইসরাঈলকে দাসে পরিণত করেছ ৷ তুমি যে উল্লেখ করেছ, তুমি আমার প্রতি অনুগ্রহ করেছ
অথচ আমি বনী ইসরাঈলের একজন; আর এর পরিবর্তে তুমি একটা গোটা সম্প্রদায়কে
সম্পুর্ণরুপে আপন কাজে নিযুক্ত রেখেছ এবং তাদেরকে তোমার থেদমত করার কাজে দাসে
পরিণত করে রেখেছ ৷ ফিরআউন বলল, জগতসমুহের প্রতিপালক আবার কী?’ মুসা বলল,
তিনি আকাশমণ্ডলী ও পৃথিবী এবং এদের মধ্যবর্তী সমস্ত কিছুর প্ৰতিপালক, যদি তোমরা
নিশ্চিত বিশ্বাসী হও ৷’ ফিরআউন তার পারিষদবর্পকে লক্ষ্য করে বলল, ভোমরা শুনছ তাে?
মুসা বলল, তিনি ওে আমাদের প্রতিপালক এবং তোমাদের পুর্ব পুরুষগণেরও প্রতিপালক ৷
ফিরআউন বলল, তােমাদের প্ৰতি প্রেরিত তোমাদের রাসুলঢি তো নিশ্চয়ই পাগল ৷’ মুসা
বলল, তিনি পুর্ব-পশ্চিমেব এবং এদের মধ্যবর্তী সমস্ত কিছুর প্রতিপালক যদি তোমরা বুঝতে ৷
(সুরা শুআরা : ২২-২৮)
ফিরআউন ও মুসা (আ)-এর মধ্যে যে সব কথোপকথন, যুক্তিতর্কেব অবতারণা ও
বাদ-প্রতিবাদ হয়েছিল এবং মুসা (আ) দুশ্চবিত্র ফিরআউনের বিরুদ্ধে যেসব বুদ্ধিবৃত্তিক ও


أَيْ; هَاتَانِ الْآيَتَانِ وَهُمَا الْعَصَا وَالْيَدُ، وَهُمَا الْبُرْهَانَانِ الْمُشَارُ إِلَيْهِمَا فِي قَوْلِهِ: {فَذَانِكَ بُرْهَانَانِ مِنْ رَبِّكَ إِلَى فِرْعَوْنَ وَمَلَئِهِ إِنَّهُمْ كَانُوا قَوْمًا فَاسِقِينَ} [القصص: 32] وَمَعَ ذَلِكَ سَبْعُ آيَاتٍ أُخَرُ فَذَلِكَ تِسْعُ آيَاتٍ بَيِّنَاتٍ وَهِيَ الْمَذْكُورَةُ فِي آخِرِ سُورَةِ " سُبْحَانَ " حَيْثُ يَقُولُ تَعَالَى: {وَلَقَدْ آتَيْنَا مُوسَى تِسْعَ آيَاتٍ بَيِّنَاتٍ فَاسْأَلْ بَنِي إِسْرَائِيلَ إِذْ جَاءَهُمْ فَقَالَ لَهُ فِرْعَوْنُ إِنِّي لَأَظُنُّكَ يَا مُوسَى مَسْحُورًا - قَالَ لَقَدْ عَلِمْتَ مَا أَنْزَلَ هَؤُلَاءِ إِلَّا رَبُّ السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضِ بَصَائِرَ وَإِنِّي لَأَظُنُّكَ يَا فِرْعَوْنُ مَثْبُورًا} [الإسراء: 101 - 102] [الْإِسْرَاءِ: 101، 102] . وَهِيَ الْمَبْسُوطَةُ فِي سُورَةِ " الْأَعْرَافِ " فِي قَوْلِهِ: {وَلَقَدْ أَخَذْنَا آلَ فِرْعَوْنَ بِالسِّنِينَ وَنَقْصٍ مِنَ الثَّمَرَاتِ لَعَلَّهُمْ يَذَّكَّرُونَ - فَإِذَا جَاءَتْهُمُ الْحَسَنَةُ قَالُوا لَنَا هَذِهِ وَإِنْ تُصِبْهُمْ سَيِّئَةٌ يَطَّيَّرُوا بِمُوسَى وَمَنْ مَعَهُ أَلَا إِنَّمَا طَائِرُهُمْ عِنْدَ اللَّهِ وَلَكِنَّ أَكْثَرَهُمْ لَا يَعْلَمُونَ - وَقَالُوا مَهْمَا تَأْتِنَا بِهِ مِنْ آيَةٍ لِتَسْحَرَنَا بِهَا فَمَا نَحْنُ لَكَ بِمُؤْمِنِينَ - فَأَرْسَلْنَا عَلَيْهِمُ الطُّوفَانَ وَالْجَرَادَ وَالْقُمَّلَ وَالضَّفَادِعَ وَالدَّمَ آيَاتٍ مُفَصَّلَاتٍ فَاسْتَكْبَرُوا وَكَانُوا قَوْمًا مُجْرِمِينَ} [الأعراف: 130 - 133] [الْأَعْرَافِ: 130 - 133] . كَمَا سَيَأْتِي الْكَلَامُ عَلَى ذَلِكَ فِي مَوْضِعِهِ. وَهَذِهِ التِّسْعُ الْآيَاتِ غَيْرُ الْعَشْرِ كَلِمَاتٍ; فَإِنَّ التِّسْعَ مِنْ آيَاتِ اللَّهِ الْقَدَرِيَّةِ، وَالْعَشْرَ مِنْ كَلِمَاتِهِ الشَّرْعِيَّةِ. وَإِنَّمَا نَبَّهْنَا عَلَى هَذَا; لِأَنَّهُ قَدِ اشْتَبَهَ أَمْرُهَا عَلَى بَعْضِ الرُّوَاةِ فَظَنَّ أَنَّ هَذِهِ هِيَ هَذِهِ، كَمَا قَرَّرْنَا ذَلِكَ فِي تَفْسِيرِ آخِرِ سُورَةِ بَنِي إِسْرَائِيلَ.
পৃষ্ঠা - ৫৭৫


দৃষ্টিগ্নাহ্য যুক্তি-প্রমাণের অবতারণা করছিলেন; আল্লাহ তাআলা তার উল্লেখ করেছেন এভাবে
যে, ফিরআউন মহান সৃষ্টিকর্তা আল্লাহ তাআলাকে অস্বীকার করেছিল এবং দাবি করেছিল যে,
সে নিজেই মড়াবুদ ও উপাস্য ৷ এ ব্যাপারে আল্লাহ তাআল৷ ইরশাদ করেন :


অর্থাৎ যে সকলকে সমবেত করল এবং উচ্চকণ্ঠে ঘোষণা করল, আমিই তোমাদের
শ্রেষ্ঠ প্রতিপালক ৷ ’ (সুরা নাযিআত : ২৩-২৪ )

অন্যত্র ইরশাদ করেছেন :

০;০^০গ্লু ;এান্ষ্ ^ ’ থ্রেশ্ন্ শুশু এ১ৰুএ “ র্দ্রত্রুাও :হুমোঃ মোঃ;

অর্থাৎ-“ফিরআউন বলল, হে পারিষদবর্গ! আমি ব্যতীত তোমাদের অন্য কোন ইলাহ আছে
বলে আমি জানি না ৷” (সুরা বানান ও ৩৮) উপরোক্ত বক্তব্য উচ্চারণকড়ালে সে জেনে-শুনেই
পােয়ার্তৃমি করেছে, কেননা সে সমকে জানতাে যে, সে নেহাত একটি দাস, আর আল্লাহই
হচ্ছেন সৃজনকর্তা, উদ্ভাবন কর্তা, রুপদাতা, প্রকৃত উপাস্য ৷

যেমন আল্লাহ তা জানা ইরশাদ করেন০



অর্থাৎ “তারা অন্যায় ও উদ্ধতভ৷ ৷বে নিদর্শনগুলো প্রত্যাখ্যান করল যদিও তাদের অন্তর
এগুলোকে সত্য বলে গ্রহণ করেছিল ৷ দেখ, বিপর্যয় সৃষ্টিকারীদের পরিণাম কি হয়েছিল?” (সুরা
নায্ল ও ১ : )

এজন্যেই সে মুসা (আ) এর রিসা ৷লাতকে অস্বীকার করতে গিয়ে এবং একথা প্রকাশ করতে
গিয়ে মুসা (আ) কে যে রিসালাত প্রদানকারী কোন প্রতিপালকই নেই-সে বলেছিল, ০ঠু
এেএ ৷£প্র ! ঠুঅর্থাৎ জগতসমুহের প্রতিপালক আবার কে? কেননা, তারা দৃ জন মুসা (অ )
ও হারুন (আ) তাকে বলেছিলেন, ক্রোষ্ত্র ! ণ্ডেএদ্বু অর্থাৎ নিশ্চয়ই আমরা
জগতসমুহের প্রতিপালকের প্রেরিত রাসুল ৷’ (সুরা শু আরা০ ১৬) যেন তাদের দৃজনকে
বলছিল, তোমরা ধারণা করছ যে, জগতসমুহের প্রতিপালক তােমাদেরকে প্রেরণ
করেছেন এরুপ প্রতিপালক আবার কে? জবাবে মুসা (আ) বলেছিলেন ৷ যেমন আল্লাহ্

তাআল৷ ইরশাদ করেছেন০ ং
ণ্গ্ fl’

ন্এএে শুট্ট০
অর্থাৎ জগতসমুহের প্রতিপা ৷লক এসব দৃশ্যমান আকাশমণ্ডলী ও পৃথিবীর এবং এগুলোর
মধ্যে যেসব সৃষ্টি বিদ্যমান রয়েছে যেমন মেঘ, বাতাস, বৃষ্টি, তৃণলত৷ , জীব-জন্তু ইত্যাদির সৃজন
কর্তা ৷ প্রতিটি বিশ্বাসী লোক জানে যে, এগুলি নিজে নিজে সৃষ্টি হয়নি, এদের একজন সৃষ্টিকর্তা
অবশ্যই আছেন আর তিনিই হচ্ছেন আল্লাহ তাআলা; তিনি ব্যতীত অন্য কোন উপাস্য নেই;
তিনিই জগতসমুহের প্রতিপালক ৷ ফিরআউন তার আশে-পাশে উপবিষ্ট উজির-নাজির ও


وَالْمَقْصُودُ أَنَّ اللَّهَ سُبْحَانَهُ لَمَّا أَمَرَ مُوسَى، عَلَيْهِ السَّلَامُ، بِالذَّهَابِ إِلَى فِرْعَوْنَ {قَالَ رَبِّ إِنِّي قَتَلْتُ مِنْهُمْ نَفْسًا فَأَخَافُ أَنْ يَقْتُلُونِ - وَأَخِي هَارُونُ هُوَ أَفْصَحُ مِنِّي لِسَانًا فَأَرْسِلْهُ مَعِيَ رِدْءًا يُصَدِّقُنِي إِنِّي أَخَافُ أَنْ يُكَذِّبُونِ - قَالَ سَنَشُدُّ عَضُدَكَ بِأَخِيكَ وَنَجْعَلُ لَكُمَا سُلْطَانًا فَلَا يَصِلُونَ إِلَيْكُمَا بِآيَاتِنَا أَنْتُمَا وَمَنِ اتَّبَعَكُمَا الْغَالِبُونَ} [القصص: 33 - 35] [الْقَصَصِ: 33 - 35] . يَقُولُ تَعَالَى مُخْبِرًا عَنْ عَبْدِهِ وَرَسُولِهِ وَكَلِيمِهِ مُوسَى، عَلَيْهِ السَّلَامُ، فِي جَوَابِهِ لِرَبِّهِ، عَزَّ وَجَلَّ، حِينَ أَمَرَهُ بِالذَّهَابِ إِلَى عَدُوِّهِ، الَّذِي خَرَجَ مِنْ دِيَارِ مِصْرَ فِرَارًا مِنْ سَطْوَتِهِ وَظُلْمِهِ، حِينَ كَانَ مِنْ أَمْرِهِ مَا كَانَ فِي قَتْلِ ذَلِكَ الْقِبْطِيِّ وَلِهَذَا {قَالَ رَبِّ إِنِّي قَتَلْتُ مِنْهُمْ نَفْسًا فَأَخَافُ أَنْ يَقْتُلُونِ - وَأَخِي هَارُونُ هُوَ أَفْصَحُ مِنِّي لِسَانًا فَأَرْسِلْهُ مَعِيَ رِدْءًا يُصَدِّقُنِي إِنِّي أَخَافُ أَنْ يُكَذِّبُونِ} [القصص: 33 - 34] أَيْ; اجْعَلْهُ مَعِي مُعِينًا وَرِدْءًا وَوَزِيرًا يُسَاعِدُنِي وَيُعِينُنِي عَلَى أَدَاءِ رِسَالَتِكَ إِلَيْهِمْ ; فَإِنَّهُ أَفْصَحُ مِنِّي لِسَانًا وَأَبْلَغُ بَيَانًا. قَالَ اللَّهُ تَعَالَى، مُجِيبًا لَهُ إِلَى سُؤَالِهِ: {سَنَشُدُّ عَضُدَكَ بِأَخِيكَ وَنَجْعَلُ لَكُمَا سُلْطَانًا} [القصص: 35] أَيْ; بُرْهَانًا {فَلَا يَصِلُونَ إِلَيْكُمَا بِآيَاتِنَا} [القصص: 35] أَيْ; فَلَا يَنَالُونَ مِنْكُمَا مَكْرُوهًا بِسَبَبِ قِيَامِكُمَا بِآيَاتِنَا. وَقِيلَ بِبَرَكَةِ آيَاتِنَا {أَنْتُمَا وَمَنِ اتَّبَعَكُمَا الْغَالِبُونَ} [القصص: 35] وَقَالَ فِي سُورَةِ " طه ": {اذْهَبْ إِلَى فِرْعَوْنَ إِنَّهُ طَغَى - قَالَ رَبِّ اشْرَحْ لِي صَدْرِي - وَيَسِّرْ لِي أَمْرِي - وَاحْلُلْ عُقْدَةً مِنْ لِسَانِي - يَفْقَهُوا قَوْلِي} [طه: 24 - 28] [طه: 24 - 28] . قِيلَ: إِنَّهُ أَصَابَهُ فِي لِسَانِهِ لُثْغَةٌ; بِسَبَبِ تِلْكَ الْجَمْرَةِ الَّتِي وَضَعَهَا عَلَى لِسَانِهِ، الَّتِي كَانَ فِرْعَوْنُ أَرَادَ اخْتِبَارَ عَقْلِهِ، حِينَ
পৃষ্ঠা - ৫৭৬


আমীর-উমারাকে মুসা (আ)-এর সুপ্রমাণিত রিসালাত অবমাননা এবং থােদ মুসা (আ) কে
ঠাট্টা বিদ্রুপ করার লক্ষে বলল, তােমর ব্যু কি মুসার অযৌক্তিক কথাবার্তা শুনছা মুসা (আ) তখন
তাদেরকে সম্বোধন করে বললেন ^ ;§ ’হ্রএাঠ্ :;§§ ^ “ ’ অর্থাৎ তিনি তােমাদেরকে
সৃষ্টি করেছেন এবং তোমাদের পুর্বে তোমাদের বাবা, দাদা ও অতীতের সমস্ত সম্প্রদায়কে সৃষ্টি
করেছেন; কেননা প্রত্যেকেই জ সে যে, সে নিজে নিজে সৃষ্টি হয়নি; তার পিতামাতা কেউই
নিজে নিজে সৃষ্টি হয়নি ৷ অন্য কথায়, সৃষ্টিকর্তা ব্যতীত কোন কিছুই সৃষ্টি হয়নি এবং
প্রতোককেই জগতসমুহের প্রতিপালক সৃষ্টি করেছেন ৷ এই দুটি ৰিষয়েরই নিম্নোক্ত আয়াতে
উল্লেখ করা হয়েছে : )
(ং<’; ^£ছুপু ;র্চুছুঠুর্দুপু ট্রু;র্দু ”fl“; ৷ ;ৰুর্চু ব্লুর্চুম্রা ৷ ,ষ্ ! ; ৷ ^ণ্,প্রুঠু ,শু

অর্থাৎ আমি ওদের জন্যে আমার নিদর্শনাবলী ব্যক্ত করব বিশ্বজগতে এবং ওদের
নিজেদের মধ্যে; ফলে ওদের নিকট সুস্পষ্ট হয়ে উঠবে যে, এটাই সত্য ৷ (সুরা হা-মীম
আস-সাজদা : ৫৩) এসব নিদর্শন সুস্পষ্ট হয়ে ওঠা সত্বেও ফিরাউন তার পাফিলতির নিদ্রা থেকে
জাগ্রত হল না এবং নিজেকে পথভ্রষ্টতা থেকে বের করল না বরং সে তারােচ্ছাচারিতা,
অবাধ্যতা ও পথভ্রষ্টতায় অটল রইল ৷ আর মন্তব্য করল :

()^ , ^ স্পোএে র্থাংঠ ;fi )ন্হ্রপুটুট্রুৰু,পুড্রু অর্থাৎ নিশ্চয়ই তেড়ামাদের কাছে
প্রেরিত রাসুলটি পাগল ৷

সে বলল, তিনি পুর্ব ও পশ্চিমের এব০ এগুলোর মধ্যবর্তী সব কিছুর প্রতিপালক যদি
তোমরা বুঝতে ৷ (সুরা শু আরা০ : ২৭ ২৮)

তিনিই এসব উজ্জ্বল নক্ষত্রকে অনুগত করেছেন এবং ঘুর্ণায়মান কক্ষপথে এগুলোকে
আবতিতি করছেন ৷ তিনিই অন্ধকার ও আলোর সৃষ্টিকর্তা, আকান্০ শমণ্ডলী ও পৃথিবীর প্রতিপালক
সুর্য, চন্দ্র, গ্রহ, উপগ্রহ, চলমান ও স্থিরত নরকারাজির সৃজনকর্তা; রাতকে অন্ধকার সমেত এবং
দিনকে আলো সমেত সৃষ্টিকারী; সবকিছু র্তারই অধীনে, নিয়ন্ত্রণে ও ইখতিয়ারে চলমান এবং
নিজ নিজ কক্ষপথে সস্তরণরত ৷ সব সময়ই একে অন্যকে অনুসরণ করছে এবং নিজ নিজ
কক্ষপথে ঘুরে চলেছে ৷ সুতরাং তিনিই মহান সৃষ্টিকর্তা, মালিক, নিজ ইচ্ছেমাফিক আপন
মাখলুকের কর্মকাণ্ডে হস্তক্ষেপকারী ৷ যখন ফিরআউনের বিরুদ্ধে দলীল-প্রমাণাদি পেশ করা হল,
তার সন্দেহ দুরীভুত হল এবং হঠকা বিতা ছাড়া তার কোন যুক্তিই অবশিষ্ট রইল না ৷ তখন সে

(জর-জবরদস্তি ও ক্ষম৩ তা প্ৰৰুয়রুগর ণ্কীশল গ্রহণ করল যেমন আয়াত তে উক্ত হয়েছেং :

অর্থাৎ ফিরআউন বলল, তুমি যদি আমার পরিবর্তে ৩অন্যকে ইলাহরুপে গ্রহণ কর আমি

তোমাকে অবশ্যই করোরুদ্ধ করে রাখব ৷ মুসা (আ) প্ৰতি উত্তরে বলেন, র্গের্দু এও; , এ ৷

( , র্বৃপ্ অর্থাৎ আমি তোমার নিকট স্পষ্ট কে ন নিদর্শন নিয়ে আসলেও ? ফিরআউন বলল,


’ “ ষ্শ্রো ৰু এে :;হ্রৰু, ! ৰু ধ্ন্এে অর্থাৎ তুমি যদি সত তাবাদী হও তবে তা উপস্থিত
কর ৷
আল-বিদায়া ওয়ান নিহায়া ( ১ম খদ্বু) ৭০-

أَخَذَ بِلِحْيَتِهِ وَهُوَ صَغِيرٌ، فَهَمَّ بِقَتْلِهِ، فَخَافَتْ عَلَيْهِ آسِيَةُ، وَقَالَتْ: إِنَّهُ طِفْلٌ. فَاخْتَبَرَهُ بِوَضْعِ تَمْرَةٍ وَجَمْرَةٍ بَيْنَ يَدَيْهِ، فَهَمَّ بِأَخْذِ التَّمْرَةِ، فَصَرَفَ الْمَلَكُ يَدَهُ إِلَى الْجَمْرَةِ، فَأَخَذَهَا، فَوَضَعَهَا عَلَى لِسَانِهِ، فَأَصَابَهُ لُثْغَةٌ بِسَبَبِهَا، فَسَأَلَ زَوَالَ بَعْضِهَا بِمِقْدَارِ مَا يَفْهَمُونَ قَوْلَهُ، وَلَمْ يَسْأَلْ زَوَالَهَا بِالْكُلِّيَّةِ. قَالَ الْحَسَنُ الْبَصْرِيُّ: وَالرُّسُلُ إِنَّمَا يَسْأَلُونَ بِحَسَبِ الْحَاجَةِ. وَلِهَذَا بَقِيَتْ فِي لِسَانِهِ بَقِيَّةٌ، وَلِهَذَا قَالَ فِرْعَوْنُ، قَبَّحَهُ اللَّهُ، فِيمَا زَعَمَ إِنَّهُ يَعِيبُ بِهِ الْكِلِيمَ: {وَلَا يَكَادُ يُبِينُ} [الزخرف: 52] . أَيْ; يُفْصِحُ عَنْ مُرَادِهِ، وَيُعَبِّرُ عَمَّا فِي ضَمِيرِهِ وَفُؤَادِهِ. ثُمَّ قَالَ مُوسَى، عَلَيْهِ السَّلَامُ: {وَاجْعَلْ لِي وَزِيرًا مِنْ أَهْلِي - هَارُونَ أَخِي - اشْدُدْ بِهِ أَزْرِي - وَأَشْرِكْهُ فِي أَمْرِي - كَيْ نُسَبِّحَكَ كَثِيرًا - وَنَذْكُرَكَ كَثِيرًا - إِنَّكَ كُنْتَ بِنَا بَصِيرًا - قَالَ قَدْ أُوتِيتَ سُؤْلَكَ يَا مُوسَى} [طه: 29 - 36] [طه: 29 - 36] . أَيْ; قَدْ أَجَبْنَاكَ إِلَى جَمِيعِ مَا سَأَلْتَ، وَأَعْطَيْنَاكَ الَّذِي طَلَبْتَ. وَهَذَا مِنْ وَجَاهَتِهِ عِنْدَ رَبِّهِ عَزَّ وَجَلَّ، حِينَ شَفَعَ أَنْ يُوحِيَ اللَّهُ إِلَى أَخِيهِ فَأَوْحَى إِلَيْهِ، وَهَذَا جَاهٌ عَظِيمٌ، قَالَ اللَّهُ تَعَالَى: وَكَانَ عِنْدَ اللَّهِ وَجِيهًا [الْأَحْزَابِ: 69] . وَقَالَ تَعَالَى: {وَوَهَبْنَا لَهُ مِنْ رَحْمَتِنَا أَخَاهُ هَارُونَ نَبِيًّا} [مريم: 53] . وَقَدْ سَمِعَتْ أُمُّ الْمُؤْمِنِينَ عَائِشَةُ رَجُلًا يَقُولُ لِأُنَاسٍ، وَهُمْ سَائِرُونَ فِي طَرِيقِ الْحَجِّ: أَيُّ أَخٍ أَمَنُّ عَلَى أَخِيهِ؟ فَسَكَتَ الْقَوْمُ، فَقَالَتْ عَائِشَةُ لِمَنْ حَوْلَ هَوْدَجِهَا: هُوَ مُوسَى بْنُ عِمْرَانَ حِينَ شَفَعَ فِي أَخِيهِ أَنْ يَكُونَ نَبِيًّا يُوحَى إِلَيْهِ. قَالَ اللَّهُ تَعَالَى: {وَوَهَبْنَا لَهُ مِنْ رَحْمَتِنَا أَخَاهُ هَارُونَ نَبِيًّا} [مريم: 53] .
পৃষ্ঠা - ৫৭৭


আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেনং :

ষ্পু

অর্থাৎ “অতঃপর মুসা তীর লাঠি নিক্ষেপ করলে তৎক্ষণাৎ তা এক সাক্ষাৎ অজগর হয়ে
গেল এবং মুসা হাত বের করল আর তৎক্ষণাৎ তা দর্শকদের দৃষ্টিতে শুভ্র উজ্জ্বল প্রতিভাত
হল ৷” (সুরা শুআরা : ২৮ ৩৩)

এ দৃটো স্পষ্ট নিদর্শা য়দ্দারা আল্লাহ তাআলা মুসা (আ) ওহারুন (আ) কে শক্তিশালী
করেছিলেন ৷ আর এ দু টো নিদর্শন হচ্ছে লাঠি ও হাত ৷ এগুলো দ্বারা আল্পাহ্ তা আলা বিরাট
অলৌকিক নিদর্শন প্রদর্শন করলেন যাতে সকল মানবীয় জ্ঞান ও দৃষ্টি মু জিযা দু টোর কাছে হার
মেনে গেল ৷ যখন তিনি হাত থেকে লাঠি নিক্ষেপ করলেন, তখন এটা বিরাট আকারের
অত্যাশ্চর্য মোটা ভয়ংকর ও বিস্ময়কর সাপে পরিণত হল ৷ এমনকি কথিত আছে যে, ফিরআউন
এটাকে দেখার পর এতই ভীত ও আতঙ্কগ্নস্ত হয়ে পড়ল যে, তৎক্ষণাৎ তার দাস্ত হতে লাগল;
একদিনেই তার চল্লিশ বার দাস্ত হল অথচ এর পুর্বে সে চল্লিশ দিনে একবার পায়খানায় যেত ৷
এখন অবস্থা বিপরীতে দাড় ল ৷ অনুরুপভা বে যখন মুসা (আ) তার নিজ হাত নিজ বগলে
রাখলেন এবং বের করলেন তখন তা র্চাদের একটি টুকরার ন্যায় সমুজ্জ্বল হয়ে বের হয়ে
আসল ৷ আর এমন আলো বিচ্ছুরিত করতে লাগল যা চোখকে একেবারে ঝল্সিয়ে দেয় ৷
পুনরায় যখন হাত বগলের মধ্যে স্থাপন করলেন, তখন তা পুর্বের অবস্থায় ফিরে আসল ৷ এসব
নিদর্শন দেখার পরও ফিরআউন এর থেকে কোনভাবেই উপকৃত হলো না ৷ বরং সে যে অবস্থায়
ছিল সে অবস্থায়ই রয়ে গেল ৷ সে প্রকাশ করতে লাগল যে, এসব জাদু ব্যতীত অন্য কিছু নয় ৷
তইি সে জাদুকরদের দ্বারা মুসা (আ)-এর ঘুকাৰিলা করতে ইচ্ছা পোষণ করল ৷ সুতরাং সে তার
রাজ্যের বিভিন্ন এলাকার সমস্ত জাদুকরের মাধ্যমে মুসা (আ)-কে মুকাবিলা করার ব্যবস্থা গ্রহণ
করল ৷ অতঃপর সে লোক পাঠাল যারা সমগ্র রাজের, তার প্রজাবর্গের, তার নিয়স্ত্রণাধীন
জাদুকরদের সমবেত করবে ৷ এ সম্পর্কে বিস্তারিত বর্ণনা নির্ধারিত জায়গায় পেশ করা হবে ৷
এতে ফিরআউন, তার পারিষদবর্গ, আমীর-উমারা ও অনুসারীদের কাছে আল্লাহ তাআলার
অসীম কুদরত , ক্ষমতা ও নিদর্শন প্রকাশ পেয়েছিল ৷

আল্লাহ্ তাআলা সুরা তা-হায় ইরশাদ করেন :


এে৷ এেশু ধ্ ১াপ্



وَقَالَ تَعَالَى فِي سُورَةِ " الشُّعَرَاءِ ": {وَإِذْ نَادَى رَبُّكَ مُوسَى أَنِ ائْتِ الْقَوْمَ الظَّالِمِينَ - قَوْمَ فِرْعَوْنَ أَلَا يَتَّقُونَ - قَالَ رَبِّ إِنِّي أَخَافُ أَنْ يُكَذِّبُونِ - وَيَضِيقُ صَدْرِي وَلَا يَنْطَلِقُ لِسَانِي فَأَرْسِلْ إِلَى هَارُونَ - وَلَهُمْ عَلَيَّ ذَنْبٌ فَأَخَافُ أَنْ يَقْتُلُونِ - قَالَ كَلَّا فَاذْهَبَا بِآيَاتِنَا إِنَّا مَعَكُمْ مُسْتَمِعُونَ - فَأْتِيَا فِرْعَوْنَ فَقُولَا إِنَّا رَسُولُ رَبِّ الْعَالَمِينَ - أَنْ أَرْسِلْ مَعَنَا بَنِي إِسْرَائِيلَ - قَالَ أَلَمْ نُرَبِّكَ فِينَا وَلِيدًا وَلَبِثْتَ فِينَا مِنْ عُمُرِكَ سِنِينَ - وَفَعَلْتَ فَعْلَتَكَ الَّتِي فَعَلْتَ وَأَنْتَ مِنَ الْكَافِرِينَ} [الشعراء: 10 - 19] [الشُّعَرَاءِ: 10 - 19] . تَقْدِيرُ الْكَلَامِ: فَأْتَيَاهُ فَقُولَا لَهُ ذَلِكَ وَبَلِّغَاهُ مَا أُرْسِلْتُمَا بِهِ مِنْ دَعْوَتِهِ إِلَى عِبَادَةِ اللَّهِ تَعَالَى وَحْدَهُ لَا شَرِيكَ لَهُ، وَأَنْ يَفُكَّ أُسَارَى بَنِي إِسْرَائِيلَ مِنْ قَبْضَتِهِ وَقَهْرِهِ وَسَطْوَتِهِ، وَيَتْرُكُهُمْ يَعْبُدُونَ رَبَّهُمْ حَيْثُ شَاءُوا، وَيَتَفَرَّغُونَ لِتَوْحِيدِهِ، وَدُعَائِهِ، وَالتَّضَرُّعِ لَدَيْهِ. فَتَكَبَّرَ فِرْعَوْنُ فِي نَفْسِهِ، وَعَتَا وَطَغَى، وَنَظَرَ إِلَى مُوسَى، عَلَيْهِ السَّلَامُ، بِعَيْنِ الِازْدِرَاءِ وَالتَّنَقُّصِ، قَائِلًا لَهُ: {أَلَمْ نُرَبِّكَ فِينَا وَلِيدًا وَلَبِثْتَ فِينَا مِنْ عُمُرِكَ سِنِينَ} [الشعراء: 18] أَيْ; أَمَا أَنْتَ الَّذِي رَبَّيْنَاهُ فِي مَنْزِلِنَا وَأَحْسَنَّا إِلَيْهِ، وَأَنْعَمْنَا عَلَيْهِ مُدَّةً مِنَ الدَّهْرِ؟ وَهَذَا يَدُلُّ عَلَى أَنَّ فِرْعَوْنَ الَّذِي بُعِثَ إِلَيْهِ هُوَ الَّذِي فَرَّ مِنْهُ، خِلَافًا لِمَا عِنْدَ أَهْلِ الْكِتَابِ مِنْ أَنَّ فِرْعَوْنَ الَّذِي فَرَّ مِنْهُ مَاتَ فِي مُدَّةِ مُقَامِهِ بِمَدْيَنَ، وَأَنَّ الَّذِي بُعِثَ إِلَيْهِ فِرْعَوْنُ آخَرُ. وَقَوْلُهُ: {وَفَعَلْتَ فَعْلَتَكَ الَّتِي فَعَلْتَ وَأَنْتَ مِنَ الْكَافِرِينَ} [الشعراء: 19] أَيْ; وَقَتَلْتَ الرَّجُلَ الْقِبْطِيَّ، وَفَرَرْتَ مِنَّا، وَجَحَدْتَ نِعْمَتَنَا
পৃষ্ঠা - ৫৭৮


অর্থাৎ অতঃপর তুমি কয়েক বছর মাদায়ানবাসীদের মধ্যে ছিলে, হে মুসা! এর পরে
তুমি নির্ধারিত সময়ে উপস্থিত হলে এবং আমি তোমাকে আমার নিজের জন্য প্রস্তুত করিয়ে
নিয়েছি ৷ ভুমি ও তোমার ভাই আমার নিদর্শনসহ যাত্রা কর এবং আমার স্মরণে শৈথিল্য করবে
না ৷ তোমরা দুজন কিংআউনের নিকট যাও, সে তো সীমালঙ্ঘন করেছে, তোমরা তার সাথে
নম্র কথা বলবে, হয়তো সে উপদেশ গ্রহণ করবে অথবা ভয় করবে ৷ তারা বলল, “হে আমাদের
প্ৰতিপালক ! আমরা আশঙ্কা করি যে আমাদের উপর বাড়াবাড়ি করবে অথবা অন্যায় আচরণে
সীমালঙ্ঘন করবে ৷’ ’তিনি বললেন, “তোমরা ভয় করবে না, আমিও তা তোমাদের সঙ্গে আছি,
আমি শুনি ও আমি দেখি ৷” (সুরা তা-হা : ৪ :-৪৬)

আস্লাহ্ তাআলা যে রাতে মুসা (আ)-এর প্ৰতি ওহী নাযিল করেন, তাকে নবুওত দান
করেন, নিজের কাছে ডেকে নিয়ে তার সাথে একান্তে কথা বলেন, যে রাতে মুসা (আ)-কে
সম্বোধন করে বলেন, “আমি তোমাকে প্রত্যক্ষ কবছিলাম যখন তুমি ফিরআউনের ঘরে ছিলে,
তুমি আমার হিফাযতে ও যত্নে ছিলে ৷ তারপর আমি তোমাকে মিসর ভুখণ্ড থেকে বের করে
আমার ইচ্ছা, কুদরত ও কৌশল মাফিক তোমাকে মাদায়ানে নিয়ে আসলাম ৷ সেখানে তুমি
কয়েক বছর অবস্থান করলে ৷ তারপর ভুমি নবুওতের নির্ধারিত সময়ে উপস্থিত হলে অর্থাৎ
আমার নির্ধারিত তাকদীর অনুযায়ী ৷ তোমাকে আমার কালাম ও রিসালাতের জন্যে আমি
মনোনীত করলাম ৷ সুতরাং ভুমি ও তোমার ভাই আমার নিদর্শনসহ যাত্রা কর আর যখন
তোমরা আমাকে স্মরণ করবে কিৎবা তোমাদের আহ্বান করা হবে তোমরা আমার স্মরণে
শৈখিল্য প্রদর্শন করবে না; কেননা, ফিরআউন্যেকসম্বোধন করার সময়, তার প্রতি উত্তর
প্রদানের সময়, তার প্রতি উপদেশ দানের সময় এবং তার সম্মুখে দলীল পেশ করার সময়
আমার স্মরণ তোমাদের বিজয় দানে সাহায্য করবে ৷ আবার কোন কোন হড়াদীসে এসেছে,
আল্লাহ্ তাআলা বলেছেন, আমার ঐ বান্দাই পরিপুর্ণ বান্দা যে তার প্রতিপক্ষের সাথে
মুকাবিলার সময়ও আমাকে স্মরণ করে ৷

যেমন আল্লাহ্ ৷তা আলা বলেনং :

গ্রখো

অর্থাৎ “হে মুমিনগণ! তোমরা যখন কোন দলের মুকাবিলা করবে তখন অবিচলিত
থাকবে এবং আল্লাহকে অধিক স্মরণ করবে যাতে ন্তুতামরা সফলকাম হও ৷ (সুরা
আনফাল ষ্ক : ৫)

তারপর আল্লাহ্ তাআলা নির্দেশ দিয়ে বলেন, “তোমরা দুইজনে ফিরআউনের কাছে যাত্রা
কর সে তো সীমালঙ্ঘন করেছে, তোমরা তার সাথে নম্র কথা বলবে, হয়তো সে উপদেশ গ্রহণ
করবে অথবা ভয় করবে ৷” (সুরা তা-হা : ৪৩)

ফিরআউনের কুফরী, জুলুম ও সীমালঙ্ঘনের ব্যাপারটি আল্লাহ্ তাআলার নিকট জ্ঞাত থাকা
সত্বেও তার সাথে নম্র কথা বলার নির্দেশ, মাখলুকের প্রতি আল্লাহ তাআলার পরম রহমত,
বরকত, যেহেরবানী, নম্রতা ও ধৈর্যশীলতার পরিচায়ক ৷ ফিরআউন ছিল তখনকার যুগে আল্লাহ


قَالَ {فَعَلْتُهَا إِذًا وَأَنَا مِنَ الضَّالِّينَ} [الشعراء: 20] أَيْ; قَبْلَ أَنْ يُوحَى إِلَى، وَيَنْزِلَ عَلَى {فَفَرَرْتُ مِنْكُمْ لَمَّا خِفْتُكُمْ فَوَهَبَ لِي رَبِّي حُكْمًا وَجَعَلَنِي مِنَ الْمُرْسَلِينَ} [الشعراء: 21] . ثُمَّ قَالَ مُجِيبًا لِفِرْعَوْنَ عَمَّا امْتَنَّ بِهِ عَلَيْهِ مِنَ التَّرْبِيَةِ وَالْإِحْسَانِ إِلَيْهِ {وَتِلْكَ نِعْمَةٌ تَمُنُّهَا عَلَيَّ أَنْ عَبَّدْتَ بَنِي إِسْرَائِيلَ} [الشعراء: 22] . أَيْ; وَهَذِهِ النِّعْمَةُ الَّتِي ذَكَرْتَ، مِنْ أَنَّكَ أَحْسَنْتَ إِلَيَّ، وَأَنَا رَجُلٌ وَاحِدٌ مِنْ بَنِي إِسْرَائِيلَ، تُقَابِلُ مَا اسْتَخْدَمْتَ هَذَا الشَّعْبَ الْعَظِيمَ بِكَمَالِهِ، وَاسْتَعْبَدْتَهُمْ فِي أَعْمَالِكَ وَخِدْمَتِكَ وَأَشْغَالِكَ. {قَالَ فِرْعَوْنُ وَمَا رَبُّ الْعَالَمِينَ - قَالَ رَبُّ السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضِ وَمَا بَيْنَهُمَا إِنْ كُنْتُمْ مُوقِنِينَ - قَالَ لِمَنْ حَوْلَهُ أَلَا تَسْتَمِعُونَ - قَالَ رَبُّكُمْ وَرَبُّ آبَائِكُمُ الْأَوَّلِينَ - قَالَ إِنَّ رَسُولَكُمُ الَّذِي أُرْسِلَ إِلَيْكُمْ لَمَجْنُونٌ - قَالَ رَبُّ الْمَشْرِقِ وَالْمَغْرِبِ وَمَا بَيْنَهُمَا إِنْ كُنْتُمْ تَعْقِلُونَ} [الشعراء: 23 - 28] [الشُّعَرَاءِ: 23 - 28] . يَذْكُرُ تَعَالَى مَا كَانَ بَيْنَ فِرْعَوْنَ وَمُوسَى، مِنَ الْمُقَاوَلَةِ وَالْمُحَاجَّةِ وَالْمُنَاظَرَةِ، وَمَا أَقَامَهُ الْكَلِيمُ عَلَى فِرْعَوْنَ اللَّئِيمِ مِنَ الْحُجَّةِ الْعَقْلِيَّةِ الْمَعْنَوِيَّةِ ثُمَّ الْحِسِّيَّةِ. وَذَلِكَ أَنَّ فِرْعَوْنَ، قَبَّحَهُ اللَّهُ، أَظْهَرَ جَحْدَ الصَّانِعِ تَبَارَكَ وَتَعَالَى، وَزَعَمَ أَنَّهُ الْإِلَهُ {فَحَشَرَ فَنَادَى - فَقَالَ أَنَا رَبُّكُمُ الْأَعْلَى} [النازعات: 23 - 24] [النَّازِعَاتِ: 23، 24] . وَقَالَ: {يَاأَيُّهَا الْمَلَأُ مَا عَلِمْتُ لَكُمْ مِنْ إِلَهٍ غَيْرِي} [القصص: 38] . وَهُوَ فِي هَذِهِ الْمَقَالَةِ مُعَانِدٌ،
পৃষ্ঠা - ৫৭৯


তাআলার নিকৃষ্টতম সৃষ্টি অথচ আল্লাহ্ তাআলা ঐ যমানড়ার শ্রেষ্ঠতম মনোনীত ব্যক্তিতুকে তার
হিদায়াতের জন্যে তার কাছে প্রেরণ করেন ৷ এতদসত্বেও তিনি মুসা (আ) ও হারুন (আ)-কে
নম্র ভাষায় তাকে আল্লাহর পথে আহ্বান করার জন্যে নির্দেশ দেন ৷ আবার তাদের দৃইজনকে
তার সাথে এমন ব্যবহার করার জন্যে নির্দেশ দেন, যেমনটি যার উপাদুদশ গ্রহণ কিত্বা ভয়
করার সম্ভাবনা আছে তার সাথে করা হয়ে থাকে ৷

আল্লাহ্ তাআলা র্তা ৷র রাসুল মুহাম্মদ (সা) কে সম্বোধন করে ইরশাদ করেন :

?

অর্থাৎ তুমি মানুষকে তোমার প্রতিপালকের পথে আহ্বান কর হিকমত ও সদুপদেশ
দ্বারা এবং তাদের সাথে তর্ক করবে উত্তম পস্থায় ৷ (সুরা নাহ্ল০ : ১২৫)

আল্লাহ্ তাআ ৷লা ইরশাদ করেন০ :

ন্দ্বু,গ্রা ৷ ৷ ,পুার্চের্তৃ § §
তোমরা উত্তম পন্থা ব্যতীত কিতাবীদের সাথে বিতর্ক করবে না তবে তাদের সাথে করতে
পার, যারা তাদের মধ্যে সীমালঙ্ঘনকারী ৷ (সুরা আনকাবুত৪ ৪৬)


হাসান বসরী (র) বলেনং : মোঃ ১ব্লুদ্বু এ ১দ্বু আয়াতাৎশের মাধ্যমে তার প্রতি
রেয়াত প্রদর্শনার্থে বলা হয়েছে তোমরা দুজনে তাকে বলবে, তোমার রয়েছেন একজন
প্রতিপালক, তোমার জন্যে রয়েছে মৃত্যুর পরে পুনরুথান এবং তোমার সামনে রয়েছে
বেহেশত-দোযখ ৷ ওহাব ইবন মুনড়াব্বিহ্ (র) বলেছেন, এর অর্থ হচ্ছে তোমরা দু’জন তাকে
বলে দাও, শান্তি ও ঘোষের তুলনায় আমি আল্লাহর ক্ষমা ও দয়ার অধিকতর নিকটবর্তী ৷ য়াযিদ
আর রাক্কাশী (র) এই আয়াতাৎশের ব্যাখ্যার বলেন, শত্রুর সাথে যিনি এরুপ বন্ধুতুপুর্ণ
ব্যবহারের উপদেশ দিচ্ছেন বন্ধুর সাথে কিরুপ ব্যবহার এবং তাকে কিরুপ আহ্বানের উপদেশ
দেবেন তা সহজেই অনুমেয় ৷ আল্লাহ্র বাণীং

তারা বলল : “হে আমাদের

প্রতিপালক ! আমরা আশঙ্কা করি যে আমাদের উপর বাড়াবাড়ি করবে অথবা অন্যায় আচরণে
সীমা লঙ্ঘন করবে ৷ (সুরা তা-হা : ৪৫)

এটা এজন্যে যে ফিরআউন ছিল অত্যাচড়ারী, অনমনীয়, শয়তান ও সীমালঙ্ঘনকারী; মিসরে
তার শক্তি ছিল দৃর্দম, সে ছিল অত্যন্ত প্রভাবশালী এবং বিরাট ক্ষমতা ও সৈন্য সামম্ভের
অধিকর্তা ৷ তইি মানবীয় চরিত্রের ধারক ও বাহক হিসেবে তারা দুজনই তার ব্যাপারে ভীত
হলেন এবং প্রকাশ্যত তাদের উপর যে হামলা করতে পারে এরুপ আশঙ্কা করছিলেন ৷ সুতরাং
আল্লাহ তাআলা তাদেরকে দৃঢ় থাকতে অনুপ্রাণিত করেন ৷ তিনিই সুউচ্চ, সুমহান ৷ তিনি
বলেন, “তোমরা ভয় করবে না, আমি তোমাদের সাথে রয়েছি; আমি শুনি ও আমি দেখি ৷
অন্য এক আয়াতেও বলেন, ষ্দ্বুপ্ক্ট্রর্মু:ক্ট্রন্র্চষ্ ’ ” “আমি তোমাদের সাথে শ্রবণকা ৷রী” ৷


يَعْلَمُ أَنَّهُ عَبْدٌ مَرْبُوبٌ، وَأَنَّ اللَّهَ هُوَ الْخَالِقُ الْبَارِئُ الْمُصَوِّرُ، الْإِلَهُ الْحَقُّ، كَمَا قَالَ تَعَالَى: {وَجَحَدُوا بِهَا وَاسْتَيْقَنَتْهَا أَنْفُسُهُمْ ظُلْمًا وَعُلُوًّا فَانْظُرْ كَيْفَ كَانَ عَاقِبَةُ الْمُفْسِدِينَ} [النمل: 14] . وَلِهَذَا قَالَ لِمُوسَى، عَلَيْهِ السَّلَامُ، عَلَى سَبِيلِ الْإِنْكَارِ لِرِسَالَتِهِ، وَالْإِظْهَارِ أَنَّهُ مَا ثَمَّ رَبٌّ أَرْسَلَهُ: {وَمَا رَبُّ الْعَالَمِينَ} [الشعراء: 23] . لِأَنَّهُمَا قَالَا لَهُ: {إِنَّا رَسُولُ رَبِّ الْعَالَمِينَ} [الشعراء: 16] فَكَأَنَّهُ يَقُولُ لَهُمَا: وَمَنْ رَبُّ الْعَالَمِينَ، الَّذِي تَزْعُمَانِ أَنَّهُ أَرْسَلَكُمَا وَابْتَعَثَكُمَا؟ فَأَجَابَهُ مُوسَى قَائِلًا: {رَبُّ السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضِ وَمَا بَيْنَهُمَا إِنْ كُنْتُمْ مُوقِنِينَ} [الشعراء: 24] . يَعْنِي رَبَّ الْعَالَمِينَ، خَالِقَ هَذِهِ السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضِ الْمُشَاهَدَةِ، وَمَا بَيْنَهُمَا مِنَ الْمَخْلُوقَاتِ الْمُتَجَدِّدَةِ; مِنَ السَّحَابِ وَالرِّيَاحِ وَالْمَطَرِ وَالنَّبَاتِ وَالْحَيَوَانَاتِ، الَّتِي يَعْلَمُ كُلُّ مُوقِنٍ أَنَّهَا لَمْ تَحْدُثْ بِأَنْفُسِهَا، وَلَا بُدَّ لَهَا مِنْ مُوجِدٍ وَمُحْدِثٍ وَخَالِقٍ، وَهُوَ اللَّهُ الَّذِي لَا إِلَهَ إِلَّا هُوَ رَبُّ الْعَالَمِينَ. قَالَ أَيْ; فِرْعَوْنُ لِمَنْ حَوْلَهُ مِنْ أُمَرَائِهِ، وَمَرَازِبَتِهِ وَوُزَرَائِهِ، عَلَى سَبِيلِ التَّهَكُّمِ وَالتَّنَقُّصِ لِمَا قَرَّرَهُ مُوسَى، عَلَيْهِ السَّلَامُ: أَلَّا تَسْتَمِعُونَ يَعْنِي كَلَامَهُ هَذَا. قَالَ مُوسَى مُخَاطِبًا لَهُ وَلَهُمْ: {رَبُّكُمْ وَرَبُّ آبَائِكُمُ الْأَوَّلِينَ} [الشعراء: 26] . أَيْ; هُوَ الَّذِي خَلَقَكُمْ وَالَّذِينَ مِنْ قَبْلِكُمْ; مِنَ الْآبَاءِ وَالْأَجْدَادِ وَالْقُرُونِ السَّالِفَةِ فِي الْآبَادِ، فَإِنَّ كُلَّ أَحَدٍ يَعْلَمُ أَنَّهُ لَمْ يَخْلُقْ نَفْسَهُ وَلَا أَبُوهُ وَلَا أُمُّهُ، وَلَمْ يَحْدُثْ مِنْ غَيْرِ مُحْدِثٍ، وَإِنَّمَا أَوْجَدَهُ وَخَلَقَهُ رَبُّ الْعَالَمِينَ. وَهَذَانِ الْمَقَامَانِ هُمَا
পৃষ্ঠা - ৫৮০

) ইরশাদ হচ্ছে
ণ্ধ্হু;“;; ১৷ , ();; ৷ ,;; ৷ ;; ৷;;শুঝু; ণুাট্রুঞে ৷ন্(এপুদ্বু র্শ্ব,;;ঠু fl §:,§é শুর্তুধ্রু

ছুণ্াদ্বুন্র্দুদ্বুর্মু;’;াহ্র ; ষ্াদ্বু ণ্া;ন্া৷ ;,৷ চুন্া৷
সুতরাং তোমরা তার নিকট যাও এবং বল, আমরা তোমার প্রতিপালকের রাসুল ৷ সুতরাং
আমাদের সাথে বনী ইসরাঈলকে যেতে দাও এবং তাদেরকে কষ্ট দিও না, আমরা তো তোমার
নিকট এসেছি তোমার প্রতিপালকের নিকট থেকে নিদর্শন এবং শান্তি তাদের প্রতি যারা অনুসরণ
করে সৎপথ ৷ আমাদের প্ৰতি ওহী প্রেরণ করা হয়েছে যে, শাস্তি তার জন্যে যে মিথ্যা আরোপ
করে ও মুখ ফিরিয়ে নেয় ৷ (সুরা তাধ্হা : ৪ ৭-৪ ৮)
উপরোক্ত আয়াতে আল্লাহ তাআলা উল্লেখ করেছেন যে , তিনি তাদের দৃজনকে নির্দেশ
দিলেন যাতে তারা ফিরআউনের নিকট যায় এবং তাকে এক অদ্বিতীয় আল্লাহ্ তাআলড়ার
ইবাদতের দিকে আহ্বান করেন ৷ আর বনী ইসরাঈলকে যেন সে তার কয়েদ ও নিয়ন্ত্রণ থেকে
মুক্তি দেয় ৷ এবং তাদেরকে যেন সে আর কষ্ট না দেয় ৷ তাদের সাথে যেতে যেন অনুমতি দেয়
এবং তাদেরকে তারা আরো বলেন, “আমরা ণ্তামার কাছে তোমার প্রতিপালকের তরফ থেকে
মহা নিদর্শন নিয়ে এসেছি ৷ আর তা হচ্ছে লাঠি ও হাতের মুজিযা ৷ শান্তি একমাত্র তাদেরই প্রতি
যায়৷ অনুসরণ করে সৎপথ ৷” সৎপথ অনুসারীদের সাথে শান্তিকে সম্পৃক্ত করার বর্ণনাঢি খুবই
চিত্তাকর্ষক ও তাৎপর্যপুর্ণ ৷ তারপর তারা তাকে অস্বীকৃতির মন্দ পরিণতি সম্পর্কে ছুশিয়ারি দিয়ে
বললেন, আমাদের কাছে ওহী এসেছে যে, শান্তি ঐ ব্যক্তির জন্যে যে সত্যকে অন্তর দিয়ে
অবিশ্বাস করে এবং কার্যতত ৷থেকে মুখ ফিরিয়ে নেয় ৷

সুদ্দী (র) প্রমুখ আলিম উল্লেখ করেছেন যে, মুসা (আ) যখন মাদায়ান থেকে প্রত্যাবর্তন
করে আপন মাতা ও ভাই হারুনের সাথে সাক্ষাৎ করেন, তখন তারা রাতের খাবার খাচ্ছিলেন ৷
খাবারের মধ্যে ছিল শ্া৷লষ্াম ৷ তিনি তাদের সাথে তা খেলেন ৷ তারপর তিনি বললেন, “হে
হারুন! আল্লাহ্ তাআল৷ আমাকে ও তোমাকে নির্দেশ দিয়েছেন যেন আমরা ফিরআউনকে
আল্লাহ তা জানার ইবাদণ্ডে তর দিকে আহ্বান করি ৷ সুতরাং তুমি আমার সাথে চল ৷ তখন তারা
দুজনেই ফিরআউনের মহলেৱ উদ্দেশে রওয়ান৷ হলেন ৷ তারা দরজা বন্ধ পেলেন ৷ মুসা (আ)
দারােয়ানদের বললেন, তোমরা ফিবআউনের কাছে সৎব বাদ নিয়ে যাও যে, আল্লাহ্র রাসুল তার
দরজায় উপস্থিত ৷ দারােয়ড়ানরা মুসা (আ) কে নিয়ে ঠাট্টা বিরুপ করতে লাগল ৷

কেউ কেউ বলেছেন, ফিরআউন তাদেরকে দীর্ঘক্ষণ পর প্রবেশ করার অনুমতি দিয়েছিল ৷
মুহাম্মদ ইবন ইসহড়াক (র) বলেন, দু বছর পর তাদেরকে ফিরআউন অনুমতি দিয়েছিল ৷
কেননা, কেউ অনুমতি আনার জন্যে যেতে সাহস পায়নি ৷ আল্লাহই সম্যক অবগত ৷ এরুপও
কথিত আছে যে, মুসা (আ) দরজায় দিকে অগ্রসর হয়ে লাঠি দ্বারা দরজায় আঘাত করেন ৷ এতে
ফিরআউন ভীষণ বিরত বোধ করল এবং তাদেরকে উপস্থিত করার জন্যে নির্দেশ দিল ৷ তারা
দু’জনেই তার সম্মুখে র্দাড়ড়ালেন এবং তাকে আল্লাহ তাআলার নির্দেশ মুতাবিক তার মহান
সত্তাব ইবাদতের প্রতি আহ্বান করলেন ৷


الْمَذْكُورَانِ فِي قَوْلِهِ تَعَالَى: {سَنُرِيهِمْ آيَاتِنَا فِي الْآفَاقِ وَفِي أَنْفُسِهِمْ حَتَّى يَتَبَيَّنَ لَهُمْ أَنَّهُ الْحَقُّ} [فصلت: 53] . وَمَعَ هَذَا كُلِّهِ لَمْ يَسْتَفِقْ فِرْعَوْنُ مِنْ رَقْدَتِهِ، وَلَا نَزَعَ عَنْ ضَلَالَتِهِ، بَلِ اسْتَمَرَّ عَلَى طُغْيَانِهِ وَعِنَادِهِ، وَكُفْرَانِهِ {قَالَ إِنَّ رَسُولَكُمُ الَّذِي أُرْسِلَ إِلَيْكُمْ لَمَجْنُونٌ - قَالَ رَبُّ الْمَشْرِقِ وَالْمَغْرِبِ وَمَا بَيْنَهُمَا إِنْ كُنْتُمْ تَعْقِلُونَ} [الشعراء: 27 - 28] [الشُّعَرَاءِ: 27، 28] . أَيْ; هُوَ الْمُسَخِّرُ لِهَذِهِ الْكَوَاكِبِ الزَّاهِرَةِ، الْمُسَيَّرُ لِلْأَفْلَاكِ الدَّائِرَةِ، خَالِقُ الظَّلَّامِ وَالضِّيَاءِ وَرَبُّ الْأَرْضِ وَالسَّمَاءِ، رَبُّ الْأَوَّلِينَ وَالْآخَرِينَ، خَالِقُ الشَّمْسِ وَالْقَمَرِ، وَالْكَوَاكِبِ السَّائِرَةِ وَالثَّوَابِتِ الْحَائِرَةِ، خَالِقُ اللَّيْلِ بِظَلَامِهِ وَالنَّهَارِ بِضِيَائِهِ، وَالْكُلُّ تَحْتَ قَهْرِهِ وَتَسْخِيرِهِ وَتَسْيِيرِهِ سَائِرُونَ، وَفِي فَلَكٍ يَسْبَحُونَ، يَتَعَاقَبُونَ فِي سَائِرِ الْأَوْقَاتِ وَيَدُورُونَ، فَهُوَ تَعَالَى الْخَالِقُ الْمَالِكُ الْمُتَصَرِّفُ فِي خَلْقِهِ بِمَا يَشَاءُ. فَلَمَّا قَامَتِ الْحُجَجُ عَلَى فِرْعَوْنَ وَانْقَطَعَتْ شُبَهُهُ وَلَمْ يَبْقَ لَهُ قَوْلٌ سِوَى الْعِنَادِ، عَدَلَ إِلَى اسْتِعْمَالِ سُلْطَانِهِ وَجَاهِهِ وَسَطْوَتِهِ، قَالَ: {قَالَ لَئِنِ اتَّخَذْتَ إِلَهًا غَيْرِي لَأَجْعَلَنَّكَ مِنَ الْمَسْجُونِينَ - قَالَ أَوَلَوْ جِئْتُكَ بِشَيْءٍ مُبِينٍ - قَالَ فَأْتِ بِهِ إِنْ كُنْتَ مِنَ الصَّادِقِينَ - فَأَلْقَى عَصَاهُ فَإِذَا هِيَ ثُعْبَانٌ مُبِينٌ - وَنَزَعَ يَدَهُ فَإِذَا هِيَ بَيْضَاءُ لِلنَّاظِرِينَ} [الشعراء: 29 - 33] [الشُّعَرَاءِ: 29 - 33] . وَهَذَانِ هُمَا الْبُرْهَانَانِ اللَّذَانِ أَيَّدَهُ اللَّهُ بِهِمَا، وَهَمَا الْعَصَا وَالْيَدُ. وَذَلِكَ مَقَامٌ أَظْهَرَ فِيهِ الْخَارِقَ الْعَظِيمَ، الَّذِي بَهَرَ بِهِ الْعُقُولَ وَالْأَبْصَارَ، حِينَ أَلْقَى عَصَاهُ فَإِذَا هِيَ ثُعْبَانٌ مُبِينٌ، أَيْ عَظِيمُ الشَّكْلِ، بَدِيعٌ فِي الضَّخَامَةِ وَالْهَوْلِ، وَالْمَنْظَرِ الْعَظِيمِ الْفَظِيعِ الْبَاهِرِ، حَتَّى قِيلَ: إِنَّ فِرْعَوْنَ
পৃষ্ঠা - ৫৮১


কিতাবীদের মতে আল্লাহ তা আলা মুসা (আ) কে বলেছিলেন, লাওয়ী ইবন ইয়৷ ৷কুব (আ)

-এর রং শধর হারুন (আ) অতি শিগগির আত্মপ্রকাশ করবেন এবং তোমার সাথে সাক্ষাৎ
করবেন ৷ আল্লাহ তা আলা মুসা (আ) কে নির্দেশ দিয়েছিলেন যেন তিনি নিজের সাথে বনী

ইরাঈলের নেতৃস্থানীয় ব্যক্তিদ্যোকে নিয়ে ফিরআউনের কাছে যান এবং আল্লাহ তাআলা তাকে
যা কিছু নিদর্শন প্রদান করেছেন ফিরআউনের কাছে তা যেন প্রকাশ করেন ৷ আল্লাহ তা আলা
মুসা (আ) কে বলেন, “শিগগিবই আমি তার অন্তর কঠিন করে দেব তাতে সে বনী ইসরাঈল
সম্প্রদায়কে যেতে দেবে না ৷ আমার অধিকাংশ নিদর্শন ও অ৩ ত্যাশ্চর্য বস্তুসমুহ মিসরে অবস্থিতা
আল্লাহ তা আলা হারুন (আ)-এর প্ৰতি ওহী পাঠালেন তিনি যেন তার ভাইয়ের দিকে অগ্রসর
হন এবং হোরাইর পর্বতের নিকটবর্তী প্রান্তরে তার সাথে সাক্ষাৎ করেন ৷ যখন তিনি সাক্ষাৎ
করেন তখন মুসা (আ) তাকে তার প্রতিপালকের নির্দেশের কথা অবহিত করলেন ৷ যখন তারা
দুজন মিসরে প্রবেশ করলেন, তখন তারা বনী ইসরাঈলের নেতৃস্থানীয় ব্যক্তিদেরকে সমবেত
করলেন এবং তাদেরকে সাথে নিয়ে ফিরআউনের কাছে গেলেন ৷ ফিরআউনেব কাছে আল্লাহ
তাআলার রিসালতের বাণী পৌছালে ফিরআউন বলল , আল্পাহ কে? আমি ভাবে তিনি না এবং
আমি বনী ইসরাঈলকে যেতে দেব না ৷ ’
সু আল্লাহ তা আলা ফিরআউন সম্পর্কে ইরশাদ করেন :

০ণ্ র্দুপুপুহু)^ৰু;র্দুাই

”’



মোঃ ডঃ
?«”
াস্াব্লু ৷ §
র্দুধ্শুরড্রুষ্টুহ্রমোঃ , ৷ ,



অর্থাৎ ফিরআউন বলল, হে মুসা! কে তোমাদের প্রতিপালকঃ মুসা বলল, আমাদের
প্রতিপালক তিনি যিনি প্রত্যেক বস্তুকে তার আকৃতি দান করেছেন, অতঃপর পথনির্দেশ
করেছেন ৷ ’ফিরআউনবলল, তাহলে অতীত যুগের লোকদের অবস্থা কী ন্ মুসা বলল এটার
জ্ঞান আমার প্রতিপালকের নিকট কিভাবে রয়েছে; আমার প্রতিপালক ভুল করেন না এবং
বিশৃতও হন না ৷ যিনি তোমাদের জন্য পৃথিবীকে করেছেন বিছ না এবং এতে করে দিয়েছেন
তোমাদের চলবার পথ, তিনি আকাশ থেকে বারি বর্ষণ করেন এবং আমি তা দ্বারা বিভিন্ন
প্রকারের উদ্ভিদ উৎপন্ন করি ৷ তোমরা আহার কর ও তোমাদের গবাদি পশু চরাও; অবশ্যই
এতে নিদর্শন রয়েছে বিৰেফ্সশ্যাদের জন্য ৷ আমি মাটি থেকে তােমাদেরকে সৃষ্টি করেছি,
তাতেই তােমাদেরষ্কে ফিরিয়ে দেব এবং তা থেকে আবার তোমাদেরকে বের করব ৷” (সুরা
আল্লাহ তাআ,ল৷ ফিরআউন সম্পর্কে সংবাদ দিচ্ছেন ৷ ফিরআউন মহান সৃষ্টিকর্তা আল্লাহ
তাঅড়ালার অন্তিতুকে অস্বীকার আে ৰ্সে, “ হে মুসা ৷ তোমার প্রতিপালকটি কো মুসা (আ)
পতিউত্তরে বলেন, আমাদের প্রতিপাশক সমগ্র মাখলুক সৃষ্টি করেছেন, তাদের আমল, রিযিক ও


لَمَّا شَاهَدَ ذَلِكَ وَعَايَنَهُ، أَخَذَهُ رُعْبٌ شَدِيدٌ، وَخَوْفٌ عَظِيمٌ، بِحَيْثُ إِنَّهُ حَصَلَ لَهُ إِسْهَالٌ عَظِيمٌ أَكْثَرَ مِنْ أَرْبَعِينَ مَرَّةً فِي يَوْمٍ وَاحِدٍ، وَكَانَ قَبْلَ ذَلِكَ لَا يَتَبَرَّزُ فِي كُلِّ أَرْبَعِينَ يَوْمًا إِلَّا مَرَّةً وَاحِدَةً، فَانْعَكَسَ عَلَيْهِ الْحَالُ. وَهَكَذَا لَمَّا أَدْخَلَ مُوسَى، عَلَيْهِ السَّلَامُ، يَدَهُ فِي جَيْبِهِ وَاسْتَخْرَجَهَا، أَخْرَجَهَا وَهِيَ كَفِلْقَةِ الْقَمَرِ، تَتَلَأْلَأُ نُورًا يَبْهَرُ الْأَبْصَارَ، فَإِذَا أَعَادَهَا إِلَى جَيْبِهِ رَجَعَتْ إِلَى صِفَتِهَا الْأُولَى، وَمَعَ هَذَا كُلِّهِ لَمْ يَنْتَفِعْ فِرْعَوْنُ، لَعَنَهُ اللَّهُ، بِشَيْءٍ مِنْ ذَلِكَ، بَلِ اسْتَمَرَّ عَلَى مَا هُوَ عَلَيْهِ، وَأَظْهَرَ أَنَّ هَذَا كُلَّهُ سِحْرٌ، وَأَرَادَ مُعَارَضَتَهُ بِالسَّحَرَةِ، فَأَرْسَلَ يَجْمَعُهُمْ مِنْ سَائِرِ مَمْلَكَتِهِ، وَمَنْ فِي رَعِيَّتِهِ وَتَحْتَ قَهْرِهِ وَدَوْلَتِهِ، كَمَا سَيَأْتِي بَسْطُهُ وَبَيَانُهُ فِي مَوْضِعِهِ; مِنْ إِظْهَارِ اللَّهِ الْحَقَّ الْمُبِينَ، وَالْحُجَّةَ الْبَاهِرَةَ الْقَاطِعَةَ عَلَى فِرْعَوْنَ وَمَلَئِهِ، وَأَهْلِ دَوْلَتِهِ وَمِلَّتِهِ، وَلِلَّهِ الْحَمْدُ وَالْمِنَّةُ. وَقَالَ تَعَالَى فِي سُورَةِ " طه ": {فَلَبِثْتَ سِنِينَ فِي أَهْلِ مَدْيَنَ ثُمَّ جِئْتَ عَلَى قَدَرٍ يَا مُوسَى - وَاصْطَنَعْتُكَ لِنَفْسِي - اذْهَبْ أَنْتَ وَأَخُوكَ بِآيَاتِي وَلَا تَنِيَا فِي ذِكْرِي - اذْهَبَا إِلَى فِرْعَوْنَ إِنَّهُ طَغَى - فَقُولَا لَهُ قَوْلًا لَيِّنًا لَعَلَّهُ يَتَذَكَّرُ أَوْ يَخْشَى - قَالَا رَبَّنَا إِنَّنَا نَخَافُ أَنْ يَفْرُطَ عَلَيْنَا أَوْ أَنْ يَطْغَى - قَالَ لَا تَخَافَا إِنَّنِي مَعَكُمَا أَسْمَعُ وَأَرَى} [طه: 40 - 46] [طه: 40 - 46] . يَقُولُ تَعَالَى مُخَاطِبًا لِمُوسَى، فِيمَا كَلَّمَهُ بِهِ لَيْلَةَ أَوْحَى إِلَيْهِ، وَأَنْعَمَ بِالنُّبُوَّةِ عَلَيْهِ، وَكَلَّمَهُ مِنْهُ إِلَيْهِ: قَدْ كُنْتُ مُشَاهِدًا لَكَ وَأَنْتَ فِي دَارِ فِرْعَوْنَ، وَأَنْتَ تَحْتَ كَنَفِي وَحِفْظِي وَلُطْفِي، ثُمَّ أَخْرَجْتُكَ مِنْ أَرْضِ مِصْرَ إِلَى أَرْضِ مَدْيَنَ بِمَشِيئَتِي وَقُدْرَتِي وَتَدْبِيرِي، فَلَبِثْتَ
পৃষ্ঠা - ৫৮২


মৃত্যুর সময় নির্ধা ৷রণ করেছেন ৷ আর এগুলো তার নিকট সংরক্ষিত কিভাবে বা লাওহে মাহকুয়ে
লিখে রেখেছেন ৷ অতঃপর প্রতিটি সৃষ্টিকেত তার জন্যে নির্ধারিত বিষয় বস্তুর প্রতি পথনির্দেশ
করেছেন ৷ প্রত্যেক মাখলুকের আমল আল্লাহ তা অ লাব পরিপুর্ণ ইল্ম, কুদরত ও তকদীর
অনুযায়ী ঘটে থাকে ৷

অন্য আয়াতে অনুরুপ ইরশাদ হচ্ছে :


অর্থাৎ তুমি তোমার সুমহান গ্রতিপালকের৷ না মের পবিত্রত৷ ও মহিমা ঘোষণা কর ৷ যিনি
সৃষ্টি করেন ও সুঠাম করেন এবং যিনি পরিমিত বিকাশ সাধন করেন ও (মাখলুককে) সেদিকে
পথনির্দেশ করেন ৷ (সুরা আলা : ১৩)

ফিরআউন মুসা (আ) কে বলেছিল, “যদি তে তামার প্রতিপালক সৃজনকর্তা, পরিমিত
বিকাশকারী, মাখলুককে তার নির্ধারিত পথে পথ প্রদর্শনকারী হয়ে থাকেন এবং তিনি ব্যতীত
অন্য কেউ ইবাদতের যোগ্য না হয়ে থাকেন, তবে পুর্বেকার যুগের লোকেরা কেন র্তাকে ছেড়ে
অন্যদের ইবাদত করল? তুমি তো জান, পুর্বেকার যুগের লোকেরা তারকারাজি ও দেব-দেবীকে
আল্লাহর সাথে শরীক করত, তাহলে পুর্বেকার গােত্রগুলোকে কেন তিনি তোমার উল্লিখিত সঠিক
পথে পরিচালনা করলেন না ? মুসা (আ) বললেন, তারা যদিও আল্লাহ ব্যতীত অন্যের
উপাসনা করেছে এটা তোমার পক্ষের বা আমার বিপক্ষের কোন দলীল হতে পারে না ৷ কেননা,
তারা তোমার ন্যায় মুর্ঘতার শিকার হয়ে যে সব অপকর্ম করেছে, কিতাবসমুহে তাদের ছোট বড়
সব আমলের কথা লিপিবদ্ধ রয়েছে ৷ এবং আমার মহান প্ৰতিপালক তাদের শাস্তিদান করবেন ৷
এক অণুপরিমাণ কারো উপর তিনি জুলুম করবেন না ৷ কেননা, বড়ান্দাদের সব আমলই তার
নিকট একটি লিপিতে লিপিবদ্ধ রয়েছে, কিছুই বাদ পড়বে না এবং আমার প্রতিপালক কিইে
বিস্মৃত হবেন না ৷ এরপর মুসা (আ) ফিরআউনের কাছে আল্লাহ তাআলার শ্রেষ্ঠতু , বন্তুসমুহ
সৃষ্টির শক্তি, ভুমিকে বিছানারুপ, আকাশকে ছাদরুগে সৃষ্টি করার শক্তি রয়েছে এর উল্লেখ
করেন ৷ বান্দা ও জীব জানােয়ারের রিযিকের জন্যে বাদল ও বৃষ্টিকে যে তিনি নিয়ন্ত্রণাধীনে
রেখেছেন এটাও তিনি উল্লেখ করেন ৷ আল্লাহ৩ তা আলার বাণী০ :
? ?

এর্চু,৷ “ণ্হ্রপুন্র্দ্রন্ন্া ৷প্রু;,াদ্বু ৷,৷দ্বু
তোমরা আহার কর ও গবাদি পশু চারণ কর অবশ্যই তাতে নিদর্শন রয়েছে সহজ-সরল
বিশুদ্ধ বিবেক ও সুস্থ প্রকৃতিসস্পন্ন লোকদের জন্যে ৷ সুতরাং আল্লাহ তাআলা তোমাদের ও
তোমাদের পুর্ব পুরুষদের সৃষ্টিকর্তা ৷

যেমন আল্লাহ তা জানা ইরশাদ করেন





@)


فِيهَا سِنِينَ ثُمَّ جِئْتَ عَلَى قَدَرٍ أَيْ; مِنِّي لِذَلِكَ، فَوَافَقَ ذَلِكَ تَقْدِيرِي وَتَسْيِيرِي وَاصْطَنَعَتْكَ لِنَفْسِي أَيْ; اصْطَفَيْتُكَ لِنَفْسِي بِرِسَالَتِي وَبِكَلَامِي {اذْهَبْ أَنْتَ وَأَخُوكَ بِآيَاتِي وَلَا تَنِيَا فِي ذِكْرِي} [طه: 42] يَعْنِي: وَلَا تَفْتُرَا فِي ذَكَرِي إِذْ قَدِمْتُمَا عَلَيْهِ، وَوَفَدْتُمَا إِلَيْهِ; فَإِنَّ ذَلِكَ عَوْنٌ لَكُمَا عَلَى مُخَاطَبَتِهِ وَمُجَاوَبَتِهِ، وَإِهْدَاءِ النَّصِيحَةِ إِلَيْهِ، وَإِقَامَةِ الْحُجَّةِ عَلَيْهِ. وَقَدْ جَاءَ فِي بَعْضِ الْأَحَادِيثِ: «يَقُولُ اللَّهُ تَعَالَى: إِنَّ عَبْدِي كُلَّ عَبْدِي الَّذِي يَذْكُرُنِي وَهُوَ مُلَاقٍ قِرْنَهُ» وَقَالَ تَعَالَى: {يَاأَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا إِذَا لَقِيتُمْ فِئَةً فَاثْبُتُوا وَاذْكُرُوا اللَّهَ كَثِيرًا لَعَلَّكُمْ تُفْلِحُونَ} [الأنفال: 45] . ثُمَّ قَالَ تَعَالَى: {اذْهَبَا إِلَى فِرْعَوْنَ إِنَّهُ طَغَى - فَقُولَا لَهُ قَوْلًا لَيِّنًا لَعَلَّهُ يَتَذَكَّرُ أَوْ يَخْشَى} [طه: 43 - 44] وَهَذَا مِنْ حِلْمِهِ تَعَالَى، وَكَرَمِهِ وَرَأْفَتِهِ وَرَحْمَتِهِ بِخَلْقِهِ، مَعَ عِلْمِهِ بِكُفْرِ فِرْعَوْنَ وَعُتُوِّهِ وَتَجَبُّرِهِ، وَهُوَ إِذْ ذَاكَ أَرْدَى خَلْقِهِ وَقَدْ بَعَثَ إِلَيْهِ صَفْوَتَهُ مِنْ خَلَقَهُ فِي ذَلِكَ الزَّمَانِ، وَمَعَ هَذَا يَقُولُ لَهُمَا وَيَأْمُرُهُمَا أَنْ يَدْعُوَاهُ إِلَيْهِ بِالَّتِي هِيَ أَحْسَنُ; بِرِفْقٍ وَلِينٍ، وَيُعَامِلَاهُ مُعَامَلَةَ مَنْ يَرْجُو أَنْ يَتَذَكَّرَ أَوْ يَخْشَى، كَمَا قَالَ تَعَالَى لِرَسُولِهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: {ادْعُ إِلَى سَبِيلِ رَبِّكَ بِالْحِكْمَةِ وَالْمَوْعِظَةِ الْحَسَنَةِ وَجَادِلْهُمْ بِالَّتِي هِيَ أَحْسَنُ} [النحل: 125] . وَقَالَ تَعَالَى: وَلَا تُجَادِلُوا أَهْلَ الْكِتَابِ إِلَّا بِالَّتِي هِيَ أَحْسَنُ إِلَّا الَّذِينَ ظَلَمُوا مِنْهُمُ الْآيَةَ [الْعَنْكَبُوتِ: 46] . قَالَ الْحَسَنُ الْبَصْرِيُّ: {فَقُولَا لَهُ قَوْلًا لَيِّنًا} [طه: 44] ;. أَعْذِرَا إِلَيْهِ، قَوْلًا لَهُ: إِنَّ لَكَ رَبًّا وَلَكَ مَعَادًا، وَإِنَّ بَيْنَ يَدَيْكَ جَنَّةً
পৃষ্ঠা - ৫৮৩


অর্থাৎ “হে মানুষ ! তোমরা তোমাদের সেই প্রতিপালকের ইবাদত কর , যিনি
তোমাদেরকে ও তোমাদের পুর্ববর্তীগণকে সৃষ্টি করেছেন যাতে তোমরা মুত্তাকী হতে পার, যিনি
পৃথিবীকে তোমাদের জন্য বিছানা ও আকাশকে ছাদ করেছেন এবং আকাশ থেকে পানি বর্ষণ
করে তা দিয়ে তোমাদের জীবিকার জন্য ফল-মুল উৎপাদন করেন ৷ সুতরাং তোমরা জেনেশুনে
কাউকেও আল্লাহর সমকক্ষ দাড় করিয়াে না ৷” (সুরা বাকারা : ২১ ২২)

এ আয়াতে বৃষ্টির মাধ্যমে ভুমিকে সজীব করা ও উদ্ভিদ জন্মানাের মাধ্যমে পৃথিবীকে
সুশোভিত করা দ্বারা মৃত্যুর পর পুরুথানের বিষয়টির দিকে ইঙ্গিত করা হয়েছে ৷ আল্লাহ
তা আলা এই প্রসঙ্গে ইরশাদ করেন, “মাটি থেকে আমিও আমাদের সৃষ্টি করেছি তাতেই
তােমাদেরকে ফিরিয়ে দেব এবং তা হতে পুনর্বার তোমাদেরকে বের করব ৷ ”

অনুরুপ সুরায়ে আরাফের ২৯ নং আয়াতে ইরশাদ হচ্ছে ট্রু, “,é;§’: ণ্হু ’$’ ($ অর্থাৎ-
তিনি যেভাবে প্রথমে তােমাদেরকে সৃষ্টি করেছেন তোমরা সেভাবে ফিরে আসবে ৷

অন্য আয়াতে ইরশাদ হচ্ছে০ ং
প্ণ্ )
স্পো


৷ গ্রা

অর্থ্যৎ তিনি সৃষ্টিকে অন্তিত্বে আনয়ন করেন, তারপর তিনি এটাকে সৃষ্টি করবেন পুনবার ,

এটা তার জন্য অতি সহজ ৷ আকাশমণ্ডলী ও পৃথিবীতে সর্বোচ্চ মর্যাদা তারই; এবং তিনিই
পরাক্রমশালী, প্রজ্ঞাময় ৷ (সুরা রুম : ২৭)

অন্য আয়াতে র্চশ্রোঅজ্যোহ তাআলা ইরশাদ করেন :

, ৷ এেট্রু
খৃ


আমি তো তাকে আমার সমস্ত নিদর্শন দেখিয়েছিলাম কিন্তু সে মিথ্যা আরোপ করেছে ও
অমান্য করেছে ৷ সে বলল, হে মুসা! তুমি কি আমাদের নিকট এসেছ তোমার জাদু দ্বারা
আমাদেরকে আমাদের দেশ হতে বের করে দেবার জন্যে? আমরাও অবশ্যই তোমার নিকট
উপস্থিত করব এটার অনুরুপ জাদু, সুতরাং আমাদের ও তোমার মধ্যে নির্ধারণ কর এক নির্দিষ্ট
সময় ও এক মধ্যবর্তী স্থান, যার ব্যতিক্রম আমরাও করব না এবং তৃমিও করবে না ৷ মুসা
বললেন, “তোমাদের নির্ধারিত সময় উৎসবের দিন এবং যেদিন পুর্বাহে জনগণকে সমবেত করা
হবে ৷’ (সুরা তা-হা : ৫৬-৫৯)

আল্লাহ্ তাআলা ফিরআউনের দুর্তাগ্য এবং আল্লাহ তাআলার নিদর্শনসমুহকে মিথ্যা
প্রতিপন্ন ও অমান্য করে সে যে পাপিষ্ঠতা ও নির্বুব্ধিতার পরিচয় দিয়েছে এর উল্লেখ করছেন ৷
ফিরআউন মুসা (আ)-কে বলেছিল যে, মুসা (আ) যা কিছু নিয়ে এসেছেন তার সবটাই জাদু ৷


وَنَارًا. وَقَالَ وَهْبُ بْنُ مُنَبِّهٍ: قُولَا لَهُ: إِنِّي إِلَيَّ الْعَفْوُ وَالْمَغْفِرَةُ أَقْرَبُ مِنِّي إِلَى الْغَضَبِ وَالْعُقُوبَةِ. وَقَالَ يَزِيدُ الرَّقَاشِيُّ عِنْدَ هَذِهِ الْآيَةِ: يَا مَنْ يَتَحَبَّبُ إِلَى مَنْ يُعَادِيهِ، فَكَيْفَ بِمَنْ يَتَوَلَّاهُ وَيُنَادِيهِ؟ {قَالَا رَبَّنَا إِنَّنَا نَخَافُ أَنْ يَفْرُطَ عَلَيْنَا أَوْ أَنْ يَطْغَى} [طه: 45] وَذَلِكَ أَنَّ فِرْعَوْنَ كَانَ جَبَّارًا عَنِيدًا، شَيْطَانًا مَرِيدًا، لَهُ سُلْطَانٌ فِي بِلَادِ مِصْرَ طَوِيلٌ عَرِيضٌ، وَجَاهٌ وَجُنُودٌ وَعَسَاكِرُ وَسَطْوَةٌ، فَهَابَاهُ مِنْ حَيْثُ الْبَشَرِيَّةُ، وَخَافَا أَنْ يَسْطُوَ عَلَيْهِمَا فِي بَادِئِ الْأَمْرِ، فَثَبَّتَهُمَا تَعَالَى، وَهُوَ الْعَلِيُّ الْأَعْلَى، فَقَالَ: {لَا تَخَافَا إِنَّنِي مَعَكُمَا أَسْمَعُ وَأَرَى} [طه: 46] ، كَمَا قَالَ فِي الْآيَةِ الْأُخْرَى: {إِنَّا مَعَكُمْ مُسْتَمِعُونَ - فَأْتِيَاهُ فَقُولَا إِنَّا رَسُولَا رَبِّكَ فَأَرْسِلْ مَعَنَا بَنِي إِسْرَائِيلَ وَلَا تُعَذِّبْهُمْ قَدْ جِئْنَاكَ بِآيَةٍ مِنْ رَبِّكَ وَالسَّلَامُ عَلَى مَنِ اتَّبَعَ الْهُدَى - إِنَّا قَدْ أُوحِيَ إِلَيْنَا أَنَّ الْعَذَابَ عَلَى مَنْ كَذَّبَ وَتَوَلَّى} [طه: 15 - 48] [طه: 47، 48] . يَذْكُرُ تَعَالَى أَنَّهُ أَمَرَهُمَا أَنْ يَذْهَبَا إِلَى فِرْعَوْنَ، فَيَدْعُوَاهُ إِلَى اللَّهِ تَعَالَى; أَنْ يَعْبُدَهُ وَحْدَهُ لَا شَرِيكَ لَهُ، وَأَنْ يُرْسِلَ مَعَهُمْ بَنِي إِسْرَائِيلَ، وَيُطْلِقَهُمْ مِنْ أَسْرِهِ وَقَهْرِهِ، وَلَا يُعَذِّبَهُمْ {قَدْ جِئْنَاكَ بِآيَةٍ مِنْ رَبِّكَ} [طه: 47] وَهُوَ الْبُرْهَانُ الْعَظِيمُ فِي الْعِصِيِّ وَالْيَدِ {وَالسَّلَامُ عَلَى مَنِ اتَّبَعَ الْهُدَى} [طه: 47] تَقْيِيدٌ مُفِيدٌ بَلِيغٌ عَظِيمٌ. ثُمَّ تَهَدَّدَاهُ وَتَوَعَّدَاهُ عَلَى التَّكْذِيبِ، فَقَالَا: {إِنَّا قَدْ أُوحِيَ إِلَيْنَا أَنَّ الْعَذَابَ عَلَى مَنْ كَذَّبَ وَتَوَلَّى} [طه: 48] أَيْ; كَذَّبَ بِالْحَقِّ بِقَلْبِهِ، وَتَوَلَّى عَنِ الْعَمَلِ بِقَالَبِهِ. وَقَدْ ذَكَرَ السُّدِّيُّ وَغَيْرُهُ، أَنَّهُ لَمَّا قَدِمَ مِنْ بِلَادِ مَدْيَنَ، دَخَلَ عَلَى أُمِّهِ
পৃষ্ঠা - ৫৮৪


কাজেই সেও এরুপ জাদু দ্বারা মুসা (আ) এর মুকাবিলা করবে ৷ অ৩ ৪পর মুকাবিলার জন্যে মুসা
(আ) ণ্ক সে একটি নির্দিষ্ট সময় ও স্থান নির্ধারণ করতে বলল ৷ আর মুসা (আ ) এরও উদ্দেশ্য
ছিল যাতে তিনি জনতার সামনে আল্লাহ তা আলার প্রদত্ত নিদর্শন, দলীল ও প্ৰমাণাদি প্রকাশ
করতে পারেন ৷ তাই তিনি বললেন, তােমাদের নির্ধারিত ৩সময় হচ্ছে তোমাদের উৎসবের দিন,
যেদিন তারা সাধারণত সমবেত হতো ৷ সেদিন দিনের প্রথমভাগে সুর্যের আলো প্রখর হবার
সময় জনগণকে সমবেত করা হবে, যাতে সত্য সুস্পষ্টভাবে জনগণের সামনে তুলে ধরা যায় ৷
এই মুকাবিল৷ রাতের বেলায় হবার জন্যে মুসা (আ) বলেননি, যাতে তাদের মধ্যে কোন সন্দেহ
উদয় না হয় এবং তাদের জন্যে সত্য ও অসত্য বোঝা অসম্ভব না হয়ে পড়ে ৷ বরং তিনি
চেয়েছেন যাতে এই মুক৷ ৷বিল৷ প্রকাশ্য দিবালোকে অনুষ্ঠিত হয় কেননা, তিনি তার প্রতিপালক
প্রদত্ত অতর্বৃষ্টি দ্বারা সুনিশ্চিত ছিলেন যে, এই মুকাবিলায় আল্লাহ তা “জানা নিজের নিদর্শন ও
দীনকে বিজয় মণ্ডিত করবেন যদিও কিবভীরা তা কােনমতেই মেনে নিতে পারবে না ৷

আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেন ৷



৭ >) ষ্হ্র
§ ) )



অর্থাৎ-“অতঃপর ফিরআউন উঠে গেল এবং পরে তার কৌশলসমুহ একত্র করল ও

তারপর আসল ৷ মুসা (আ) তাদেরকে বলল, দুর্তোপ তোমাদের ৷ তোমরা আল্লাহর প্রতি মিথ্যা

আরোপ করবে না ৷ করলে তিনি তােমাদেরকে শান্তি দ্বারা সমুলে ধ্বংস করবেন ৷ যে মিথ্যা

উদ্ভাবন করেছে সেই ব্যর্থ হয়েছে ৷ ওরা নিজেদের মধ্যে নিজেদের কর্ম সম্বন্ধে বিতর্ক করল এবং

ওরা গোপনে পরামর্শ করল ৷ ওরা বলল, এ দু’জন অবশ্যই জাদুকর, তারা চায় তাদের জাদু

দ্বারা তােমাদেরকে তোমাদের দেশ হতে বহিষ্কার করতে এবং তোমাদের উৎকৃষ্ট জীবন ব্যবস্থা

ধ্বংস করতে ৷ অতএব, তোমরা তোমাদের জাদু ক্রিয়া সংহত কর ৷ অতঃপর সারিবদ্ধ হয়ে
উপস্থিত হও এবং যে আজ জয়ী হয়ে সে সফল হবে ৷ (সুরা তা-হ৷ : ৬০ ৬৪ )

আল্লাহ তাআলা ফিরআউনের সত্যের বিরুদ্ধে মুকাবিলা করার প্রস্তুতি সম্বন্ধে বলেন যে,
ফিরআউন চলে গেল এবং তার রাজ্যের সমস্ত জাদুকরকে একত্র করল ৷ ঐ সময় মিসর দেশটি
জাদুকরে ভরপুর ছিল ৷ আর এ জাদুকররা ছিল তাদের পেশায় খুবই পটু ৷ প্রতিটি শহর ও
প্রতিটি স্থান থেকে সঞ্চাহ করে জাদুকরদেরকে সমবেত করা হল ৷ বন্তুত৩ ৩তাদের একটি বিরাট
দল সমবেত হল ৷ কেউ কেউ বলেন, যথা মুহাম্মদ ইবন কা ব (র) বলেন, “তারা ছিল সংখ্যায়
আশি হাজার ৷” কাসিম ইবন আবু বুরদা (র) বলেন, “তারা ছিল সংখ্যায় সত্তর জাহার ৷” সুদ্দী
(র) বলেন, “তাদের সংখ্যা ছিল ত্রিশ হাজার থেকে চল্লিশ হাজারের মধ্যে ৷ আবু উমামা (র)
বলেন “তারা ছিল উনিশ হাজার ৷ মুহাম্মদ ইবন ইসহাক (র) বলেন, “তারা ছিল পনের

আলবিদায়৷ ওয়ান নিহায়া (১ম খু,ণ্ডু,)প্লু,ক্কু,ক্রেগাে০জ্যো,

ঙু ——

ষ্
টু

وَأَخِيهِ هَارُونَ وَهُمَا يَتَعَشَّيَانِ مِنْ طَعَامٍ فِيهِ الطَّفَيْشَلُ; وَهُوَ اللِّفْتُ فَأَكَلَ مَعَهُمَا، ثُمَّ قَالَ يَا هَارُونُ، إِنَّ اللَّهَ أَمَرَنِي وَأَمَرَكَ أَنْ نَدْعُوَ فِرْعَوْنَ إِلَى عِبَادَتِهِ، فَقُمْ مَعِي. فَقَامَا يَقْصِدَانِ بَابَ فِرْعَوْنَ، فَإِذَا هُوَ مُغْلَقٌ، فَقَالَ مُوسَى لِلْبَوَّابِينَ وَالْحَجَبَةِ: أَعْلِمُوهُ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ بِالْبَابِ. فَجَعَلُوا يَسْخَرُونَ مِنْهُ وَيَسْتَهْزِئُونَ بِهِ. وَقَدْ زَعَمَ بَعْضُهُمْ أَنَّهُ لَمْ يُؤْذَنْ لَهُمَا عَلَيْهِ إِلَّا بَعْدَ حِينٍ طَوِيلٍ. وَقَالَ مُحَمَّدُ بْنُ إِسْحَاقَ: أَذِنَ لَهُمَا بَعْدَ سَنَتَيْنِ; لِأَنَّهُ لَمْ يَكُ أَحَدٌ يَتَجَاسَرُ عَلَى الِاسْتِئْذَانِ لَهُمَا. فَاللَّهُ أَعْلَمُ. وَيُقَالُ: إِنَّ مُوسَى تَقَدَّمَ إِلَى الْبَابِ فَطَرَقَهُ بِعَصَاهُ فَانْزَعَجَ فِرْعَوْنُ وَأَمَرَ بِإِحْضَارِهِمَا، فَوَقَفَا بَيْنَ يَدَيْهِ، فَدَعَوَاهُ إِلَى اللَّهِ، عَزَّ وَجَلَّ، كَمَا أَمَرَهُمَا. وَعِنْدَ أَهْلِ الْكِتَابِ أَنَّ اللَّهَ قَالَ لِمُوسَى، عَلَيْهِ السَّلَامُ: إِنَّ هَارُونَ اللَّاوِيَّ - يَعْنِي مِنْ نَسْلِ لَاوِي بْنِ يَعْقُوبَ - سَيَخْرُجُ وَيَتَلَقَّاكَ. وَأَمَرَهُ أَنْ يَأْخُذَ مَعَهُ مَشَايِخَ بَنِي إِسْرَائِيلَ إِلَى عِنْدِ فِرْعَوْنَ، وَأَمَرَهُ أَنْ يُظْهِرَ مَا آتَاهُ مِنَ الْآيَاتِ. وَقَالَ لَهُ: سَأُقْسِّي قَلْبَهُ فَلَا يُرْسِلُ الشَّعْبَ، وَأَكْثَرُ آيَاتِي وَأَعَاجِيبِي بِأَرْضِ مِصْرَ. وَأَوْحَى اللَّهُ إِلَى هَارُونَ أَنْ يَخْرُجَ إِلَى أَخِيهِ يَتَلَقَّاهُ بِالْبَرِّيَّةِ عِنْدَ جَبَلِ حُورِيبَ، فَلَمَّا تَلْقَاهُ أَخْبَرَهُ مُوسَى بِمَا أَمَرَهُ بِهِ رَبُّهُ، فَلَمَّا دَخَلَا مِصْرَ، جَمْعَا شُيُوخَ بَنِي إِسْرَائِيلَ، وَذَهَبَا إِلَى فِرْعَوْنَ، فَلَمَّا بَلَّغَاهُ رِسَالَةَ اللَّهِ قَالَ: مَنْ هُوَ اللَّهُ؟ لَا أَعْرِفُهُ، وَلَا أُرْسِلُ بَنِي إِسْرَائِيلَ. وَقَالَ اللَّهُ مُخْبِرًا عَنْ فِرْعَوْنَ:
পৃষ্ঠা - ৫৮৫


হাজার ৷” কা’ব আহবারেব মতে, তারা ছিল যার হাজার ৷ ইবন আবু হাতিম (র) আবদুল্লাহ
ইবন আব্বাস (রা) সুত্রে বর্ণনা করেন ৷ তিনি বলেন, “তারা ছিল সংখ্যায় সত্তরজন ৷” অন্য
সুত্রে আবদুল্লাহ ইবন আব্বাস (না) থেকে বর্ণিত ৷ তিনি বলেন, “তারা ছিল বনী ইসরাঈল
ৎশীয় চল্লিশজন ক্রীতদাস ৷ এদেরকে ফিরআউন তাদের গণকদেৱ কাছে যেতে নির্দেশ

দিয়েছিল এবং সেখানে জাদু শিক্ষা করার জন্যে হুকুম দিয়েছিল ৷ এই জন্যই তারা
আত্মসমর্পণের সময় বলেছিল , তুমি আমাদেরকে জাদু শিখতে বাধ্য করেছিলে ৷ ’ এই অভিমতটি
সন্দেহযুক্ত ৷

ফিরআউন, তার আমীর-উমারা, পারিষদবর্গ, সরকারী কর্মচারীবৃন্দ এবং নির্বিশেষে দেশের
সকলেই মাঠে হাযির হল ৷ কেননা, ফিরআউন তাদের মধ্যে ঘোষণা করেছিল তারা সকলে যেন
এই বিরাট মেলায় হাযির হয় ৷ তারা বের হয়ে পড়ল এবং বলাবলি করতে লাগল, জাদুকররা
যদি জিতে যায় তাহলে আমরা তাদেরই অনুসরণ করব ৷ মুসা (আ) জাদুকরদের দিকে অগ্রসর
হয়ে তাদেরকে উপদেশ দিলেন এবং আল্লাহ তাআলড়ার নিদর্শন ও দলীলাদির বিরুদ্ধে ভ্রান্ত জাদু
নিয়ে মুকাবিলায় অবতরণের জন্যে তাদেরকে তিরস্কারও করেন ৷ তিনি তাদেরকে বললেন,
“দুর্ভেড়াগ তোমাদের ! তোমরা আল্লাহর প্রতি মিথ্যা আরোপ করবে না ৷ করলে তিনি
তোমাদেরকে শান্তি দ্বারা সমুলে ধ্বংস করে দেবেন ৷ যে মিথ্যা উদ্ভাবন করেছে সেই ব্যর্থ
হয়েছে ৷ তারা নিজেদের মধ্যে নিজেদের কর্ম সম্বন্ধে বিতর্ক করল ৷” কেউ কেউ বলেন, তাদের
বিতর্কের অর্থ হচ্ছে, তাদের মধ্যে কেউ কেউ বলে, এটা নবীর কথা, জাদু নয় ৷ আবার কেউ
কেউ বলে, বরং সে-ই জাদুকর ৷ ’ আল্লাহ্ তাঅলােই সম্যক জ্ঞাত ৷

এ বিষয়ে এবং অন্যান্য বিষয় সম্বন্ধে তারা গোপনে সলাপরামর্শ করল এবং বলতে লাগল,
মুসা (আ) ও তার ভাই হারুন (আ) দুজনই বিজ্ঞ ও দক্ষ জাদুকর; তারা তাদের জাদুবিদ্যায়
অত্যন্ত সিদ্ধহস্ত ৷ তাদের উদ্দেশ্য হচ্ছে, তাদের ব্যাপারে যেন লোকজন সমবেত হয়, তারা
বাদশাহ ও তার পারিষদবর্গের উপর চড়াও হতে পারে, তোমাদের সামগ্রিকভাবে নির্মুল করে
দিতে পারে ৷ আর এ জাদুবিদ্যা দিয়ে যেন তারা তোমাদের উপর কর্তৃত্ব করতে পারে ৷ তারা
বলতে লাগল, তোমরা তোমাদের জাদু ক্রিয়া সংহত কর, অতঃপর সারিবদ্ধ হয়ে উপস্থিত হও
এবং যে আজ জয়ী হয়ে সে সফল হবে ৷ ’ প্রথম কথাটি তারা এজন্য বলল, যাতে তারা তাদের
কাছে প্রাপ্ত যাবতীয় ধরনের চেষ্টা, তদবীর, ছলচড়াতুরী, অন্যের প্রতি অপবাদ, জাদু ও
বৌকাবাজির আশ্রয় নেয় ৷ আফসেড়াস, অল্লোহর কসম, তাদের সমস্ত ধ্যান ধারণা ও যুক্তি-তর্ক
ছিল মিথ্যা ও ভ্রান্ত ৷ অপবাদ, জাদু ও ভিত্তিহীন যুক্তি-তর্ক কেমন করে এমন সব মু’জিযার
মুকাবিলা করতে পাংর , যেগুলো মহান আল্লাহ আপন বান্দা ও রাসুল মুসা (আ)-এর মাধ্যমে
প্রদর্শন করেছেন ৷ রাসুলকে এমন দলীল দ্বারা শক্তিশালী ও পুষ্ট করা হয়েছে, যার সামনে দৃষ্টি
ন্তিমিত হয়ে যায় এবং লোক হতবুদ্ধি হয়ে পড়ে ৷ ফিরআউন বলতে লাগল, তোমাদের কাছে যা
কিছু তদবীর জানা রয়েছে সব কিছু নিয়ে মাঠে নেমে পড় এবং একতাবদ্ধ হয়ে মুকাবিলা কর ৷ ’
অতঃপর তারা পরস্পরকে মুকাবিলার জন্যে অগ্রসর হতে অনুপ্রাণিত করতে লাগল ৷ কেননা,
ফিরআউন তাদেরকে পদমর্যাদা ও উপচৌকনের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল ৷ অবশ্যই শয়তানের
প্রতিশ্রুতি প্রতারণামুলক ৷


{قَالَ فَمَنْ رَبُّكُمَا يَا مُوسَى - قَالَ رَبُّنَا الَّذِي أَعْطَى كُلَّ شَيْءٍ خَلْقَهُ ثُمَّ هَدَى - قَالَ فَمَا بَالُ الْقُرُونِ الْأُولَى - قَالَ عِلْمُهَا عِنْدَ رَبِّي فِي كِتَابٍ لَا يَضِلُّ رَبِّي وَلَا يَنْسَى - الَّذِي جَعَلَ لَكُمُ الْأَرْضَ مَهْدًا وَسَلَكَ لَكُمْ فِيهَا سُبُلًا وَأَنْزَلَ مِنَ السَّمَاءِ مَاءً فَأَخْرَجْنَا بِهِ أَزْوَاجًا مِنْ نَبَاتٍ شَتَّى - كُلُوا وَارْعَوْا أَنْعَامَكُمْ إِنَّ فِي ذَلِكَ لَآيَاتٍ لِأُولِي النُّهَى - مِنْهَا خَلَقْنَاكُمْ وَفِيهَا نُعِيدُكُمْ وَمِنْهَا نُخْرِجُكُمْ تَارَةً أُخْرَى} [طه: 49 - 55] [طه: 49 - 55] . يَقُولُ تَعَالَى مُخْبِرًا عَنْ فِرْعَوْنَ أَنَّهُ أَنْكَرَ إِثْبَاتَ الصَّانِعِ تَعَالَى، قَائِلًا: {فَمَنْ رَبُّكُمَا يَا مُوسَى - قَالَ رَبُّنَا الَّذِي أَعْطَى كُلَ شَيْءٍ خَلْقَهُ ثُمَّ هَدَى} [طه: 49 - 50] أَيْ; هُوَ الَّذِي خَلَقَ الْخَلْقَ، وَقَدَّرَ لَهُمْ أَعْمَالًا وَأَرْزَاقًا وَآجَالًا، وَكَتَبَ ذَلِكَ عِنْدَهُ فِي كِتَابِهِ اللَّوْحِ الْمَحْفُوظِ، ثُمَّ هَدَى كُلَّ مَخْلُوقٍ إِلَى مَا قَدَّرَهُ لَهُ، فَطَابَقَ عِلْمَهُ فِيهِمْ عَلَى الْوَجْهِ الَّذِي قَدَّرَهُ وَعَلِمَهُ; لِكَمَالِ عِلْمِهِ وَقُدْرَتِهِ وَقَدَرِهِ. وَهَذِهِ الْآيَةُ كَقَوْلِهِ تَعَالَى: {سَبِّحِ اسْمَ رَبِّكَ الْأَعْلَى - الَّذِي خَلَقَ فَسَوَّى - وَالَّذِي قَدَّرَ فَهَدَى} [الأعلى: 1 - 3] [الْأَعْلَى: 1 - 3] . أَيْ; قَدَّرَ قَدَرًا وَهَدَى الْخَلَائِقَ إِلَيْهِ {قَالَ فَمَا بَالُ الْقُرُونِ الْأُولَى} [طه: 51] يَقُولُ فِرْعَوْنُ لِمُوسَى: فَإِذَا كَانَ رَبُّكَ هُوَ الْخَالِقُ الْمُقَدِّرُ، الْهَادِي الْخَلَائِقَ، لِمَا قَدَّرَهُ، وَهُوَ بِهَذِهِ الْمَثَابَةِ مِنْ أَنَّهُ لَا يَسْتَحِقُّ الْعِبَادَةَ سِوَاهُ، فَلِمَ عَبَدَ الْأَوَّلُونَ غَيْرَهُ وَأَشْرَكُوا بِهِ مِنَ الْكَوَاكِبِ وَالْأَنْدَادِ مَا قَدْ عَلِمْتَ؟ فَهَلَّا اهْتَدَى إِلَى مَا ذَكَرْتَهُ الْقُرُونُ الْأُولَى؟ {قَالَ عِلْمُهَا عِنْدَ رَبِّي فِي كِتَابٍ لَا يَضِلُّ رَبِّي وَلَا يَنْسَى} [طه: 52] أَيْ; هُمْ وَإِنْ عَبَدُوا غَيْرَهُ فَلَيْسَ ذَلِكَ بِحُجَّةٍ لَكَ، وَلَا يَدُلُّ عَلَى خِلَافِ مَا أَقُولُ; لِأَنَّهُمْ جَهَلَةٌ مِثْلُكَ، وَكُلُّ شَيْءٍ فَعَلُوهُ مُسْتَطَرٌ عَلَيْهِمْ فِي الزُّبُرِ مِنْ صَغِيرٍ وَكَبِيرٍ، وَسَيَجْزِيهِمْ عَلَى ذَلِكَ رَبِّي، عَزَّ وَجَلَّ، وَلَا يَظْلِمُ أَحَدًا مِثْقَالَ ذَرَّةٍ; لِأَنَّ جَمِيعَ أَفْعَالِ الْعِبَادِ مَكْتُوبَةٌ عِنْدَهُ فِي كِتَابٍ لَا يَضِلُّ عَنْهُ شَيْءٌ، وَلَا يَنْسَى رَبِّي شَيْئًا. ثُمَّ ذَكَرَ لَهُ عَظَمَةَ الرَّبِّ، وَقُدْرَتَهُ عَلَى خَلْقِ الْأَشْيَاءِ وَجَعْلَهُ الْأَرْضَ
পৃষ্ঠা - ৫৮৬


আল্লাহ তাআ লা ইরশাদ করেন ং

প্লু;ই;;প্১ র্দুধ্দ্বুা ৷
া;র্দু৷ ৷ ব্লুাদ্বুদ্বু ১াদ্বু ট্রুন্ৰু

৷ ’
ত্বে-শ্ মোঃ

অর্থাৎ-তারা বলল, হে মুসা! হয় তুমি নিক্ষেপ কর অথবা প্রথমে অড়ামরাই নিক্ষেপ করি ৷ ’
মুসা (আ) বলল, বরং তােমরাই নিক্ষেপ কর ৷ ’ তাদের জাদু প্রভাবে অকম্মাৎ মুসা (আ)-এর
মনে হল তাদের দড়ি ও লাঠিগুলো ছুটাছুটি করছে ৷ মুসা (আ) তার অম্ভরে কিছু ভীতি অনুভব
করল ৷ আমি বললাম, ভর করবে না, তুমিই হচ্ছে৷ প্রবল ৷ তোমার ডান হাতে যা রয়েছে তা
নিক্ষেপ কর; এটা ওরা যা করেছে তা গ্রাস করে ফেলবে ৷ ওরা যা করেছে তা তাে কেবল
জাদুকরের কৌশল ৷ জাদুকর যেখানেই আসুক , সফল হবে না ৷ ’ (সুরা তা-হা : ৬৫ ৬৯ )

জাদুকরর৷ যখন সারিবদ্ধ হল, মুসা (আ) তাদের সামনে গিয়ে র্দাড়ালেন ৷ তাঝুতথন মুসা
(আ)-কে বলল, হয় তুমি আমাদের আগে নিক্ষেপ কর, অথবা আমরা আগে নিক্ষেপ করি ৷ ’
মুসা (আ) বললেন, বরং তােমরাই প্রথম নিক্ষেপ কর ৷ ’ অতঃপর তারা দড়ি ও লাঠিগুলো
নিক্ষেপ বস্মার ঘোষণা দিল এবং পারদ ও বিভিন্ন যন্ত্রপাতি এগুলোতে স্থাপন করল ৷ আর এ
জন্যে দড়ি ও লাঠিগুলো দর্শকের চোখে মনে হচ্ছিল যেন নিজ ইচ্ছে মাফিক ছুটাছুটি করছে
অথচ এগুলো যস্তের জন্যেই নড়াচড়া করছিল ৷ এভাবে তারা মানুষের চােখকে জাদু করেছিল
এবং তাদের মনের মধ্যে ভীতির সঞ্চার করেছিল ৷ তারা তাদের দড়ি ও লাঠিগুলো নিক্ষেপ
করার সময় বলেছিল, ফিরআউনের মহা মর্যাদার শপথ ! আমরা বিজয়ী হবই ৷

আল্লাহ্ তাআ লা ইরশাদ করেন ং


যখন তারা নিক্ষেপ করল তখন তারা লোকের চোখে জাদু করল, তাদেরকে আতংকিত
করল এবং তারা এক বড় রকমের জাদু দেথাল ৷ ’ মুসা (আ) জনগণের জন্যে একটু ভীত হয়ে
পড়লেন ৷ তিনি আশং কা ককরতে লাগলেন যে, ওহী প্রাপ্তির পুর্বে তিনি তার হাতের লাঠি৷ ছ৷ ড়তে
পারছেন না, তইি লাঠি ছাড়া র পুর্বেই যদি জনগণ তাদের জাদুতে মুগ্ধ হয়ে প্রভাবিত হয়ে যায় ৷
আল্লাহ তা অ লা নির্দিষ্ট মুহুতে ন্লাঠি নিক্ষেপ করার জন্যে মুসা (আ) এর কাছে ওহী নাযিল
করেন ৷ মুসা (আ) তখন হাতের লাঠি নিক্ষেপ করলেন এবং বললেন ৷

যেমন আল্লাহ তা আ লা৷ অন্য আয়াতে ইরশাদ করেন :


র্দুপু;ঠুন্ছু১৷ ধ্র্চুাত্রর্চু, ৷ ’ <৷ ৷ কু;;প্ল৷ ৷ৰু; চ্;;; ; ১ ; প্রুণ্ এ্ঢস্



مِهَادًا، وَالسَّمَاءَ سَقْفًا مَحْفُوظًا، وَتَسْخِيرَهُ السَّحَابَ وَالْأَمْطَارَ لِرِزْقِ الْعِبَادِ وَدَوَابِّهِمْ وَأَنْعَامِهِمْ، كَمَا قَالَ: {كُلُوا وَارْعَوْا أَنْعَامَكُمْ إِنَّ فِي ذَلِكَ لَآيَاتٍ لِأُولِي النُّهَى} [طه: 54] أَيْ; لِذَوِي الْعُقُولِ الصَّحِيحَةِ الْمُسْتَقِيمَةِ وَالْفِطَرِ الْقَوِيمَةِ غَيْرِ السَّقِيمَةِ. فَهُوَ تَعَالَى الْخَالِقُ الرَّزَّاقُ. وَكَمَا قَالَ تَعَالَى: {يَا أَيُّهَا النَّاسُ اعْبُدُوا رَبَّكُمُ الَّذِي خَلَقَكُمْ وَالَّذِينَ مِنْ قَبْلِكُمْ لَعَلَّكُمْ تَتَّقُونَ - الَّذِي جَعَلَ لَكُمُ الْأَرْضَ فِرَاشًا وَالسَّمَاءَ بِنَاءً وَأَنْزَلَ مِنَ السَّمَاءِ مَاءً فَأَخْرَجَ بِهِ مِنَ الثَّمَرَاتِ رِزْقًا لَكُمْ فَلَا تَجْعَلُوا لِلَّهِ أَنْدَادًا وَأَنْتُمْ تَعْلَمُونَ} [البقرة: 21 - 22] [الْبَقَرَةِ: 21، 22] . وَلَمَّا ذَكَرَ إِحْيَاءَ الْأَرْضِ بِالْمَطَرِ، وَاهْتِزَازَهَا بِإِخْرَاجِ نَبَاتِهَا فِيهِ، نَبَّهَ بِهِ عَلَى الْمَعَادِ فَقَالَ: مِنْهَا أَيْ; مِنَ الْأَرْضِ {خَلَقْنَاكُمْ وَفِيهَا نُعِيدُكُمْ وَمِنْهَا نُخْرِجُكُمْ تَارَةً أُخْرَى} [طه: 55] كَمَا قَالَ تَعَالَى: {كَمَا بَدَأَكُمْ تَعُودُونَ} [الأعراف: 29] . وَقَالَ تَعَالَى: {وَهُوَ الَّذِي يَبْدَأُ الْخَلْقَ ثُمَّ يُعِيدُهُ وَهُوَ أَهْوَنُ عَلَيْهِ وَلَهُ الْمَثَلُ الْأَعْلَى فِي السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضِ وَهُوَ الْعَزِيزُ الْحَكِيمُ} [الروم: 27] . ثُمَّ قَالَ تَعَالَى: {وَلَقَدْ أَرَيْنَاهُ آيَاتِنَا كُلَّهَا فَكَذَّبَ وَأَبَى - قَالَ أَجِئْتَنَا لِتُخْرِجَنَا مِنْ أَرْضِنَا بِسِحْرِكَ يَا مُوسَى - فَلَنَأْتِيَنَّكَ بِسِحْرٍ مِثْلِهِ فَاجْعَلْ بَيْنَنَا وَبَيْنَكَ مَوْعِدًا لَا نُخْلِفُهُ نَحْنُ وَلَا أَنْتَ مَكَانًا سُوًى - قَالَ مَوْعِدُكُمْ يَوْمُ الزِّينَةِ وَأَنْ يُحْشَرَ النَّاسُ ضُحًى} [طه: 56 - 59] [طه: 56 - 59] . يُخْبِرُ تَعَالَى عَنْ شَقَاءِ فِرْعَوْنَ وَكَثْرَةِ جَهْلِهِ وَقِلَّةِ عَقْلِهِ فِي تَكْذِيبِهِ بِآيَاتِ اللَّهِ، وَاسْتِكْبَارِهِ عَنِ اتِّبَاعِهَا، وَقَوْلِهِ لِمُوسَى: إِنَّ هَذَا الَّذِي جِئْتَ بِهِ سِحْرٌ وَنَحْنُ نُعَارِضُكَ بِمِثْلِهِ. ثُمَّ طَلَبَ مِنْ مُوسَى
পৃষ্ঠা - ৫৮৭


অর্থাৎ “তোমরা যা এনেছ তা জাদু,অ ৷ল্লাহ্ তা অ ৷লা এটাকে শীইে অসার করে দেবেন ৷
আল্লাহ্ তা জানা অশান্তি সৃষ্টিকারীদের কর্ম সার্থক করেন না ৷ অপরাধীরা অপ্রীতিকর মনে
করলেও আল্লাহ্ তাআলা তার রাণী অনুযায়ী সত্যকে প্রতিষ্ঠিত করবেন ৷” (সুরা ইউনুস :
৮ ১ ৮ ২)
আল্লাহ তাআল৷ অন্যত্র ইরশাদ করেন :
গ্রএণ্ড্রর্টু শ্ং
৷ “¢§;§
ল্গুগ্লু;হু ;“;৷ ৷ পু,ৰুৰু৷ ৷ ,

এ এ এ এ

অর্থাৎ-মুসার প্রতি আমি প্রতাদেশ করলাম, তৃমিও তে ৷মার লাঠি নিক্ষেপ কর’ সহসা
এটা তাদের অলীক সৃষ্টিগুলােকে গ্রাস করতে লাগল ৷ ফলে সত্য প্রতিষ্ঠিত হল এবং তারা বা
করছিল তা মিথ্যা প্রতিপন্ন হল, সেখানে তারা পরাভুত হল ও লাঞ্ছিত হল এবং জাদুকররা
সিজদাবনত হল ৷ তারা বলল, আমরা ঈমান আনলাম জগতসমুহের প্রতিপালকের প্রতি যিনি
মুসা ও হ্ারুন এরও প্রতিপালক ৷ (সুরা আরাফ : ১ ১ ৭ ১ ২২)

একাধিক পুর্বসুরি আলিম উল্লেখ করেন যে, মুসা (আ) যখন আপন লাঠি নিক্ষেপ করলেন,
তখন তা পা, বড় গর্দান এবং ভয়ংকর ও ভীতিপ্রদ অবয়ববিশিষ্ট একটি বিরাট অজগরে পরিণত
হল ৷ জনতা এটাকে দেখে ভীত-সন্ত্রস্ত ও বিহ্বল হয়ে পড়ল এবং ছুটে পালাতে লাগল ৷ জনতা
অজগর দেখে যখন পিছনে সরে (গল, অজগর সম্মুখ পানে অগ্রসর হল এবং জাদুকরদের দড়ি
ও লাঠি দিয়ে তৈরি অলীক সৃষ্টিগুলােকে একে একে অতি ৩দ্রুত গ্রাস করতে লাগল ৷ জনতা
অজগরের প্রতি অবাক দৃষ্টিতে৩ ৩তাকিয়ে রইল ৷ অন্যদিকে জ ৷দৃকররা মুসা (আ) এর লাঠির কাও
দেখে অবাক হয়ে গেল এবং এমন একটি বিষয় সম্পর্কে জ্ঞানলাভ করল যা তাদের ধারণার
বাইরে ছিল, যা৩ ৷দের বিদ্যার ও পেশার আওতা র বাইরে ছিল ৷ এখন তারা স্পষ্টভ৷ ৷বে বুঝতে
ও জানতে পারল যে, মুসা (আ)-এর কর্মকাণ্ড ভিত্তিহীন জাদু নয়, অ,বাস্তব নয়, মায়া নয়, নিছক
ধারণা নয়, মিথ্যা নয়, অপবাদ নয়, পথভ্রষ্টতাও নয় বরং এটাই সত্য বা যথা ৷র্থ ৷ সত্য দ্বারা পুষ্ট
রাসুল ব্যতীত অন্য কোন ধারক ও বাহকের এরুপ অত ত্যাশ্চর্য প্রদর্শন করা আর কারো পক্ষেই
সম্ভব না ৷ এভাবে আল্লাহ তা আলা তাদের অন্তর থেকে অজ্ঞতার পর্দা দুর করে দিলেন এবং
তাদের অন্তরকে হিদায়াতের নুর দ্বারা আলোকিত করে দিলেন ৷ তাকে কাঠিন্য মুক্ত করে
দিলেন ৷ ফলে তারা তাদের প্রতিপালকের দিকে ঝুকে পড়ল এবং তার সন্তুষ্টির জন্যেই সিজদায়
নত হল ৷ তারা উপস্থিত জনতার পক্ষ থেকে কোন প্রকার শাস্তি বা নির্যাতনের আশংকা না করে
প্রকাশ্যভাত্ত বে উপস্থিত জনতাকে উদ্দেশ করে বলতে লাগল, “আমরা মুসা ও হারুন এর
প্রতিপা ৷লকের প্রতি বিশ্বাস ন্থ৷ পন করলাম ৷”


أَنَّ يُوَاعِدَهُ إِلَى وَقْتٍ مَعْلُومٍ وَمَكَانٍ مَعْلُومٍ، وَكَانَ هَذَا مِنْ أَكْبَرِ مَقَاصِدِ مُوسَى، عَلَيْهِ السَّلَامُ; أَنْ يُظْهِرَ آيَاتِ اللَّهِ وَحُجَجَهُ وَبَرَاهِينَهُ جَهْرَةً بِحَضْرَةِ النَّاسِ وَلِهَذَا قَالَ: {مَوْعِدُكُمْ يَوْمُ الزِّينَةِ} [طه: 59] وَكَانَ يَوْمَ عِيدٍ مِنْ أَعْيَادِهِمْ، وَمُجْتَمَعٍ لَهُمْ {وَأَنْ يُحْشَرَ النَّاسُ ضُحًى} [طه: 59] أَيْ; مِنْ أَوَّلِ النَّهَارِ، فِي وَقْتِ اشْتِدَادِ ضِيَاءِ الشَّمْسِ، فَيَكُونُ الْحَقُّ أَظْهَرَ وَأَجْلَى. وَلَمْ يَطْلُبْ أَنْ يَكُونَ ذَلِكَ لَيْلًا فِي ظَلَامٍ، كَيْمَا يُرَوِّجُ عَلَيْهِمْ مِحَالًا وَبَاطِلًا، بَلْ طَلَبَ أَنْ يَكُونَ نَهَارًا جَهْرَةً لِأَنَّهُ عَلَى بَصِيرَةٍ مِنْ رَبِّهِ، وَيَقِينٍ أَنَّ اللَّهَ سَيُظْهِرُ كَلِمَتَهُ وَدِينَهُ وَإِنْ رَغِمَتْ أُنُوفُ الْقِبْطِ. قَالَ اللَّهُ تَعَالَى: {فَتَوَلَّى فِرْعَوْنُ فَجَمَعَ كَيْدَهُ ثُمَّ أَتَى - قَالَ لَهُمْ مُوسَى وَيْلَكُمْ لَا تَفْتَرُوا عَلَى اللَّهِ كَذِبًا فَيُسْحِتَكُمْ بِعَذَابٍ وَقَدْ خَابَ مَنِ افْتَرَى - فَتَنَازَعُوا أَمْرَهُمْ بَيْنَهُمْ وَأَسَرُّوا النَّجْوَى - قَالُوا إِنْ هَذَانِ لَسَاحِرَانِ يُرِيدَانِ أَنْ يُخْرِجَاكُمْ مِنْ أَرْضِكُمْ بِسِحْرِهِمَا وَيَذْهَبَا بِطَرِيقَتِكُمُ الْمُثْلَى - فَأَجْمِعُوا كَيْدَكُمْ ثُمَّ ائْتُوا صَفًّا وَقَدْ أَفْلَحَ الْيَوْمَ مَنِ اسْتَعْلَى} [طه: 60 - 64] [طه: 60 - 64] . يُخْبِرُ تَعَالَى عَنْ فِرْعَوْنَ أَنَّهُ ذَهَبَ، فَجَمَعَ مَنْ كَانَ بِبِلَادِهِ مِنَ السَّحَرَةِ، وَكَانَتْ بِلَادُ مِصْرَ فِي ذَلِكَ الزَّمَانِ مَمْلُوءَةً سَحَرَةً، فُضَلَاءَ، فِي فَنِّهِمْ غَايَةٌ فَجَمَعُوا لَهُ مَنْ كُلِّ بَلَدٍ، وَمِنْ كُلِّ مَكَانٍ، فَاجْتَمَعَ مِنْهُمْ خُلُقٌ كَثِيرٌ وَجَمُّ غَفِيرٌ. فَقِيلَ: كَانُوا ثَمَانِينَ أَلْفًا. قَالَهُ مُحَمَّدُ بْنُ كَعْبٍ. وَقِيلَ: سَبْعِينَ أَلْفًا. قَالَهُ الْقَاسِمُ بْنُ أَبِي بَزَّةَ وَقَالَ السُّدِّيُّ: بِضْعَةً وَثَلَاثِينَ أَلْفًا. وَعَنْ أَبِي أُمَامَةَ: تِسْعَةَ عَشَرَ أَلْفًا. وَقَالَ
পৃষ্ঠা - ৫৮৮


আল্লাহ্ তাআল৷ ইরশ ৷৷দ করেনং :
ধ্৷ ট্রু;;;; ৷ (াঢ ’;,ঠুর্চু;ঠু;,ঠুঝুএে , ট্রুদ্বু; @ ৷ ৷,াঢ ৷ ;ঘু;পু; র্চু£পুএ ৷ ফ্রোএে
১াএ
এ ট্র;এি;


&
,;;দ্বুএে ৷;,,া;ণ্ ^;;এার্চু :;১; ৷ ৷ ,ৰুব্লুর্চু; র্টুন্£;ণ্ ”fl; ঠুাঠু:ছু; ;,৷ ,াএে




দ্বুাধ্ত্ষ্;ছুক্ট্রদ্বুর্বৃ১! ,;;ৰুঙ্কু,র্চুএে;,এো;,;; &;

é»; ৷ শুণুর্চু;


অর্থাৎ “তারপর জাদুকররা সিজদাবনত হল ও বলল, অড়ামরা হারুন ও মুসার

প্রতিপালকেব প্রতি ঈমান আনলাম ৷ ফিরআউন বলল৪ ,কী আমি তে তামাদেরকে অনুমতি
দেয়ার পুর্বেই তোমরা মুসাতে বিশ্বাস স্থাপন করলে ! দেখছি, সে তো তোমাদের প্রধান, সে
তোমাদেরকে জাদু শিক্ষা দিয়েছে ৷ সুতরাং আমি অবশ্যই তোমাদের হাত-পা বিপরীত দিক
থেকে কেটে ফেলব এবং আমি তােমাদেরকে খেজুর গাছের কাণ্ডে শুলবিদ্ধ করবই এবং তোমরা
অবশ্যই জ৷ নতে পারবে-আমাদের মধ্যে কার শাস্তি কঠােবত র ও অধিক স্থায়ী ৷ তারা বলল,
আমাদের নিকট যে স্পষ্ট নিদর্শন এসেছে৩ তার উপর এবং যিনি আমাদেরকে সৃষ্টি করেছেন তার
উপর তোমাকে আমরা কিছুরুআ প্রাধান্য দেব না; সুতরাং তুমি যা করতে চাও তা করতে পার ৷
তুমি তো কেবল এই পার্থিব জীবনের উপর কর্তৃৎ করতে পার ৷ আমরা নিশ্চয়ই আমাদের
প্রতিপালকের প্রতি ঈমান এনেছি, যাতে তিনি ক্ষমা করেন আমাদের অপরাধ এবং তুমি
আমাদেরকে যে জাদু করতে বাধ্য করেছ তাও ৷ আর আল্লাহ শ্রেষ্ঠ ও স্থায়ী, যে তার
প্রতিপালকের নিকট অপরাধী হয়ে উপস্থিত হয়ে তার জন্য তো রয়েছে জাহান্নাম, সেথায় সে
মরবেও না, বীচবেও না ৷ যারা তার নিকট উপস্থিত হয়ে মুমিন অবস্থায় সৎকর্ম সম্পাদন করে ,
তাদের জন্যে রয়েছে সমুচ্চ মর্যাদা স্থায়ী জ ন্নাত যাব পাদদেশে নদী প্রবাহিত, সেথায় তারা
স্থায়ী হবে এবং এই পুরস্কার তাদেরই, যারা পবিত্র ৷ (সুরা তা-হ৷ ং ৭০ ৭৬)

সাঈদ ইবন জুব৷ ৷ইর (বা), ইকরিমা, কাসিম ইবন আবু বুরদা, ৷আওযায়ী (র) প্রমুখ বলেন,
যখন জাদৃকরর৷ মুসা (আ) এর মুজিয৷ প্রত্যক্ষ করে সিজদায় অবনত হলেন তখন তারা
জান্নাতে তাদের বসবাসের জন্য তৈ রি ও তাদের অভ্যর্থনার জন্যে সৃসজ্জিত ও দালানকােঠা
অবলোকন করলেন আর এজন্যই তারা ফিরআউনেব ভয়ভীতি, শান্তি ও হুমকির প্রতি


مُحَمَّدُ بْنُ إِسْحَاقَ: خَمْسَةَ عَشَرَ أَلْفًا. وَقَالَ كَعْبُ الْأَحْبَارِ: كَانُوا اثْنَيْ عَشَرَ أَلْفًا. وَرَوَى ابْنُ أَبِي حَاتِمٍ عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ: كَانُوا سَبْعِينَ رَجُلًا. وَرَوَى عَنْهُ أَيْضًا أَنَّهُمْ كَانُوا أَرْبَعِينَ غُلَامًا مِنْ بَنِي إِسْرَائِيلَ أَمَرَهُمْ فِرْعَوْنُ أَنْ يَذْهَبُوا إِلَى الْعُرَفَاءِ، فَيَتَعَلَّمُوا السِّحْرَ. وَلِهَذَا قَالُوا: {وَمَا أَكْرَهْتَنَا عَلَيْهِ مِنَ السِّحْرِ وَاللَّهُ خَيْرٌ وَأَبْقَى} [طه: 73] وَفِي هَذَا نَظَرٌ. وَحَضَرَ فِرْعَوْنُ وَأُمَرَاؤُهُ وَأَهْلُ دَوْلَتِهِ وَأَهْلُ بَلَدِهِ عَنْ بَكْرَةِ أَبِيهِمْ; وَذَلِكَ أَنَّ فِرْعَوْنَ نَادَى فِيهِمْ أَنْ يَحْضُرُوا هَذَا الْمَوْقِفَ الْعَظِيمَ، فَخَرَجُوا وَهُمْ يَقُولُونَ: {لَعَلَّنَا نَتَّبِعُ السَّحَرَةَ إِنْ كَانُوا هُمُ الْغَالِبِينَ} [الشعراء: 40] . وَتَقَدَّمَ مُوسَى عَلَيْهِ السَّلَامُ إِلَى السَّحَرَةِ، فَوَعَظَهُمْ وَزَجَرَهُمْ عَنْ تَعَاطِي السِّحْرِ الْبَاطِلِ، الَّذِي فِيهِ مُعَارَضَةٌ لِآيَاتِ اللَّهِ وَحُجَجِهِ، فَقَالَ: {وَيْلَكُمْ لَا تَفْتَرُوا عَلَى اللَّهِ كَذِبًا فَيُسْحِتَكُمْ بِعَذَابٍ وَقَدْ خَابَ مَنِ افْتَرَى - فَتَنَازَعُوا أَمْرَهُمْ بَيْنَهُمْ} [طه: 61 - 62] قِيلَ: مَعْنَاهُ أَنَّهُمُ اخْتَلَفُوا فِيمَا بَيْنَهُمْ; فَقَائِلٌ يَقُولُ: هَذَا كَلَامُ نَبِيٍّ وَلَيْسَ بِسَاحِرٍ. وَقَائِلٌ مِنْهُمْ يَقُولُ: بَلْ هُوَ سَاحِرٌ. فَاللَّهُ أَعْلَمُ. وَأَسَرُّوا التَّنَاجِيَ بِهَذَا وَغَيْرِهِ قَالُوا {إِنْ هَذَانِ لَسَاحِرَانِ يُرِيدَانِ أَنْ يُخْرِجَاكُمْ مِنْ أَرْضِكُمْ بِسِحْرِهِمَا} [طه: 63] يَقُولُونَ: إِنَّ هَذَا وَأَخَاهُ هَارُونَ سَاحِرَانِ، عَلِيمَانِ، مُطْبِقَانِ مُتْقِنَانِ لِهَذِهِ الصِّنَاعَةِ، وَمُرَادُهُمْ أَنْ يَجْتَمِعَ النَّاسُ عَلَيْهِمَا، وَيَصُولَا عَلَى الْمَلِكِ وَحَاشِيَتِهِ، وَيَسْتَأْصِلَاكُمْ عَنْ آخِرِكُمْ، وَيَسْتَأْمِرَا عَلَيْكُمْ بِهَذِهِ الصِّنَاعَةِ
পৃষ্ঠা - ৫৮৯


ভ্রাক্ষেপমাত্র করলেন না ৷ ফিরআউন যখন দেখতে পেল, জাদুকররা মুসলমান হয়ে গেছে এবং
তারা মুসা (আ) ও হারুন (আ)-এর প্রচারিত বাণী লোকসমাজে সুন্দরভাবে উপস্থাপন করেছে,
সে ভীত হয়ে পড়ল এবং ভবিষ্যত আশংকায় দুশ্চিম্ভাপ্রস্ত হয়ে পড়ল ৷ এতে যে হতবিহ্বল হয়ে
আপন অস্তর্বৃষ্টি ও দৃষ্টিশক্তি হারিয়ে ফেলল ৷ তার মধ্যে ছিল শঠতা, বোকাবাজী, প্রতারণা,
পথভ্রষ্টত৷ ও জনগণকে আল্লাহর পথ থেকে বিরত রাখার সুনিপুণ কৌশল ৷ এজন্যই সে জনতার
উপস্থিতিতে জাদুকরদের বলল, কী আমি তোমাদেরকে অনুমতি দেয়ার পুর্বেই তোমরা মুসাতে
বিশ্বাস স্থাপন করলে!’ অর্থাৎ আমার প্রজাদের সামনে এরুপ জঘন্য কাজটি করার পুর্বে কেন
আমার সাথে পরামর্শ করলে না ৷ অতঃপর সে তাদেরকে ধম্কি দিল, শান্তির ভয় দেখাল এবং
মিথ্যা অপবাদ দিয়ে বলতে লাগল, নিশ্চয়ই সে তোমাদের প্র ধান ; সে-ই তোমাদেরকে
জাদৃশিক্ষা দিয়েছে ৷

অন্য আয়াতে ইরশাদ হয়েছে০ ং



;,;র্দু;;ন্ ৷,া; ৷ ৷ন্ঠু; ৷,ন্নু,ছুট্রুএ দ্বুর্দুট্রু;;া^ ৷ ;৷ ;,;;,ৰুহু ,ব্লু ;৷ ৷ ;; ;,া

অর্থাৎ-“ফিরআউন বলল, কী! আমি তোমাদেরকে অনুমতি দেয়ার পুর্বে তোমরা এটাতে
বিশ্বাস করলে? এ তো এক চক্রাত; তোমরা সজ্ঞানে এই চক্রাত করেছ নগরবাসীদেরকে এটা
হতে বহিষ্কারের জন্যে ৷ আচ্ছা, তোমরা শীঘ্রই এটার পরিণাম জানবে ৷” (সুরা আরাফ : ১২৩)

ফিরআউনের এ উক্তিটি একটি ভিত্তিহীন অপবাদ ব্যতীত কিছু নয় ৷ প্রতেকেটি বোধ-
শক্তিসষ্পন্ন লোকই জ সে যে, এটা ফিরআউনের কুফরী, মিথ্যাচারিতা ও প্রলাপ ছাড়া আর
কিছুই নয় বরং এরুপ কথা ছেলেমেয়েদের কাছেও গ্রহণযোগ্য নয় ৷ কেননা তার অমাতাবর্গ ও
অন্য সকলেরই জানা ছিল যে, মুসা (আ)-কে জাদুকররা কোনদিনও দেখেননি, তিনি কেমন
করে তাদের প্রধান হতে পারেলঃ যিনি তাদেরকে জাদৃশিক্ষা দিয়েছেনঃ এছাড়া তিনি তাদেরকে
একত্র করেননি এবং তাদের একত্রিত হবার বিষয়টিও তার কাছে জানা ছিল না, বরং ফিরআউন
তাদেরকে ডেকেছে এবং দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চল, গ্রাম-গঞ্জ, শহর নগর, মিসরের শহরত লি ও
বিভিন্ন জায়গা থেকে বাছাই করে তাদেরকে সে মুসা (আ) এর সামনে উপস্থাপন করেছে ৷

সুরা আরাফে আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেন :


টুা,;,, ৷;


হ্র;ন্ছু; ,১৷ ৷ ১া৷ <ৰুা৷ <া৷প্ৰপ্রুা; া,:;া১৷ ট্রু,৷ ষ্া; ট্র£ ;;;র্পো ’ ’ ,;র্চুা’াঠুপুা৷ § ঠু,ঝু




{فَأَجْمِعُوا كَيْدَكُمْ ثُمَّ ائْتُوا صَفًّا وَقَدْ أَفْلَحَ الْيَوْمَ مَنِ اسْتَعْلَى} [طه: 64] وَإِنَّمَا قَالُوا الْكَلَامَ الْأَوَّلَ لِيَتَدَبَّرُوا وَيَتَوَاصَوْا، وَيَأْتُوا بِجَمِيعِ مَا عِنْدَهُمْ مِنَ الْمَكِيدَةِ وَالْمَكْرِ وَالْخَدِيعَةِ وَالسِّحْرِ وَالْبُهْتَانِ. وَهَيْهَاتَ، كَذَبَتْ وَاللَّهِ الظُّنُونُ وَأَخْطَأَتِ الْآرَاءُ، أَنَّى يُعَارِضُ الْبُهْتَانُ وَالسِّحْرُ وَالْهَذَيَانُ خَوَارِقَ الْعَادَاتِ، الَّتِي أَجْرَاهَا الدَّيَّانُ عَلَى يَدَيْ عَبْدِهِ الْكَلِيمِ وَرَسُولِهِ الْكَرِيمِ، الْمُؤَيَّدِ بِالْبُرْهَانِ الَّذِي يَبْهَرُ الْأَبْصَارَ، وَتَحَارُ فِيهِ الْعُقُولُ وَالْأَذْهَانُ. وَقَوْلُهُمْ: {فَأَجْمِعُوا كَيْدَكُمْ} [طه: 64] أَيْ; جَمِيعَ مَا عِنْدَكُمْ، {ثُمَّ ائْتُوا صَفًّا} [طه: 64] أَيْ; جُمْلَةً وَاحِدَةً. ثُمَّ حَضَّ بَعْضُهُمْ بَعْضًا عَلَى التَّقَدُّمِ فِي هَذَا الْمَقَامِ; لِأَنَّ فِرْعَوْنَ كَانَ قَدْ وَعَدَهُمْ وَمَنَّاهُمْ، {وَمَا يَعِدُهُمُ الشَّيْطَانُ إِلَّا غُرُورًا} [النساء: 120] . {قَالُوا يَا مُوسَى إِمَّا أَنْ تُلْقِيَ وَإِمَّا أَنْ نَكُونَ أَوَّلَ مَنْ أَلْقَى - قَالَ بَلْ أَلْقُوا فَإِذَا حِبَالُهُمْ وَعِصِيُّهُمْ يُخَيَّلُ إِلَيْهِ مِنْ سِحْرِهِمْ أَنَّهَا تَسْعَى - فَأَوْجَسَ فِي نَفْسِهِ خِيفَةً مُوسَى - قُلْنَا لَا تَخَفْ إِنَّكَ أَنْتَ الْأَعْلَى} [طه: 65 - 68] وَأَلْقِ مَا فِي يَمِينِكَ تَلْقَفْ مَا صَنَعُوا إِنَّمَا صَنَعُوا كَيْدُ سَاحِرٍ وَلَا يُفْلِحُ السَّاحِرُ حَيْثُ أَتَى [طه: 65 - 69] . لَمَّا اصْطَفَّ السَّحَرَةُ وَوَقَفَ مُوسَى وَهَارُونُ، عَلَيْهِمَا السَّلَامُ، تُجَاهَهُمْ، قَالُوا لَهُ: إِمَّا أَنْ تُلْقِيَ قَبْلَنَا، وَإِمَّا أَنْ نُلْقِيَ قَبْلَكَ. قَالَ: بَلْ أَلْقُوا أَنْتُمْ. وَكَانُوا قَدْ عَمَدُوا إِلَى حِبَالٍ وَعِصِيٍّ فَأَوْدَعُوهَا الزِّئْبَقَ وَغَيْرِهِ مِنَ الْآلَاتِ الَّتِي تَضْطَرِبُ بِسَبَبِهَا تِلْكَ الْحِبَالُ وَالْعِصِيُّ اضْطِرَابًا يُخَيَّلُ لِلرَّائِي أَنَّهَا تَسْعَى
পৃষ্ঠা - ৫৯০











গ্লু,ঠুও;গ্লু, ৷ ঞাদ্ভু র্মুণ্ণ্ড্রএই গ্লু,৷ ঞ৷ ;;ট্রুরু;ঞশু ৷ ঞ ষ্ট্রু; ;ঞএ ৷ ট্রু,;পু ,;ও;া; ণ্;; পুঞ





া;;ঞ; ৷ ; ;;এে ৷ ;;া২প্ ” ^ ^ ৷ও ঞ প্রু!;; ; হ্র;; ৷ ; এও; ঞ ঞ
; ;ঞ;


এ“; , ৷ ; ণ্ব্লু; ;;

ঞদ্বু

অর্থাৎ “তাদের পর মুসাকে আমার নিদর্শনসহ ফিরআউন ও তার পাবিষদবশ্চেবি নিকট
পাঠাই, কিন্তু তারা এটা অস্বীকার করে ৷ বিপর্যয় সৃষ্টিকারীদের পবিণাম কি হয়েছিল তা লক্ষ্য
কর ৷ মুসা বলল, হে ফিরআউন! আমি তো জগতসমুহের প্রতিপালকের নিকট থেকে প্রেরিত ৷
এটা স্থির নিশ্চিত যে, আমি আল্লাহ সম্বন্ধে স৩ ত্য ব্যতীত বলব না; তোমাদের প্রতিপালকের
নিকট থেকে স্পষ্ট প্রমাণ আমি তোমাদের নিকট এসেছি সুতরাং বনী ইসরাঈলকে আমার সাথে
যেতে দাও ৷ ফিরআউন বলল, যদি তুমি কো ন নিদর্শন এনে থাক তবে তুমি স৩ ৷বাদী হলেত

পেশ কর ৷ তারপর মুসা তার লাঠি নিক্ষেপ করল এবং তৎক্ষণাৎ এটা এক সাক্ষাৎ অজগর হল ৷

ফিরআউন সম্প্রদায়ের প্রধানগণ বলল, এতে৷ একজন সুদক্ষ জাদুকর, এ ৫তামাদেরকে
৫তামাদের দেশ থেকে বহিষ্কার করতে চায় ৷ এখন তোমরা কী পরামর্শ দাও?

তারা বলল, তাকে ও তার ভাইকে কিঞ্চিৎ অবকাশ দাও এবং নগরে নগরে
সংগ্রাহকদেরকে পাঠাও, যেন তারা তোমার নিকট প্রতিটি সুদক্ষ জাদুকরকে উপস্থিত করে ৷
জাদুকরর৷ ফিরআউনের নিকট এসে বলল, আমরা যদি বিজয়ী হই তবে আমাদের জন্য পুরস্কার
থাকবে ৫তা?’ সে বলল, ভুব্রা, এবং তোমরা আমার সান্নিধ্য প্রাপ্তদেরও অন্তর্ভুক্ত হবে ৷ তারা
বলল, ৫হ মুসা ! তুমিই কি নিক্ষেপ করবে, না আমরাই নিক্ষেপ করব? ’ সে বলল, ;৫তড়ামরাই


بِاخْتِيَارِهَا، وَإِنَّمَا تَتَحَرَّكُ بِسَبَبِ ذَلِكَ، فَعِنْدَ ذَلِكَ سَحَرُوا أَعْيُنَ النَّاسِ وَاسْتَرْهَبُوهُمْ، وَأَلْقَوْا حِبَالَهُمْ وَعِصِيَّهُمْ وَهُمْ يَقُولُونَ: {بِعِزَّةِ فِرْعَوْنَ إِنَّا لَنَحْنُ الْغَالِبُونَ} [الشعراء: 44] . قَالَ اللَّهُ تَعَالَى: {فَلَمَّا أَلْقَوْا سَحَرُوا أَعْيُنَ النَّاسِ وَاسْتَرْهَبُوهُمْ وَجَاءُوا بِسِحْرٍ عَظِيمٍ} [الأعراف: 116] . وَقَالَ تَعَالَى: {فَإِذَا حِبَالُهُمْ وَعِصِيُّهُمْ يُخَيَّلُ إِلَيْهِ مِنْ سِحْرِهِمْ أَنَّهَا تَسْعَى - فَأَوْجَسَ فِي نَفْسِهِ خِيفَةً مُوسَى} [طه: 66 - 67] أَيْ; خَافَ عَلَى النَّاسِ أَنْ يَفْتَتِنُوا بِسِحْرِهِمْ وَمِحَالِهِمْ قَبْلَ أَنْ يُلْقِيَ مَا فِي يَدِهِ، فَإِنَّهُ لَا يَضَعُ شَيْئًا قَبْلَ أَنْ يُؤْمَرَ، فَأَوْحَى اللَّهُ إِلَيْهِ فِي السَّاعَةِ الرَّاهِنَةِ: {لَا تَخَفْ إِنَّكَ أَنْتَ الْأَعْلَى - وَأَلْقِ مَا فِي يَمِينِكَ تَلْقَفْ مَا صَنَعُوا إِنَّمَا صَنَعُوا كَيْدُ سَاحِرٍ وَلَا يُفْلِحُ السَّاحِرُ حَيْثُ أَتَى} [طه: 68 - 69] فَعِنْدَ ذَلِكَ أَلْقَى مُوسَى عَصَاهُ وَقَالَ: {مَا جِئْتُمْ بِهِ السِّحْرُ إِنَّ اللَّهَ سَيُبْطِلُهُ إِنَّ اللَّهَ لَا يُصْلِحُ عَمَلَ الْمُفْسِدِينَ - وَيُحِقُّ اللَّهُ الْحَقَّ بِكَلِمَاتِهِ وَلَوْ كَرِهَ الْمُجْرِمُونَ} [يونس: 81 - 82] [يُونُسَ: 81، 82] . وَقَالَ تَعَالَى: {فَأَلْقَى مُوسَى عَصَاهُ فَإِذَا هِيَ تَلْقَفُ مَا يَأْفِكُونَ} [الشعراء: 45] . {فَوَقَعَ الْحَقُّ وَبَطَلَ مَا كَانُوا يَعْمَلُونَ - فَغُلِبُوا هُنَالِكَ وَانْقَلَبُوا صَاغِرِينَ - وَأُلْقِيَ السَّحَرَةُ سَاجِدِينَ - قَالُوا آمَنَّا بِرَبِّ الْعَالَمِينَ - رَبِّ مُوسَى وَهَارُونَ} [الأعراف: 118 - 122] [الْأَعْرَافِ: 118 - 122] . وَذَلِكَ أَنَّ مُوسَى عَلَيْهِ السَّلَامُ، لَمَّا تَقَدَّمَ وَأَلْقَاهَا صَارَتْ حَيَّةً عَظِيمَةً ذَاتَ قَوَائِمَ - فِيمَا ذَكَرَهُ غَيْرُ وَاحِدٍ مِنْ عُلَمَاءِ السَّلَفِ - وَعُنُقٍ عَظِيمٍ، وَشَكْلٍ هَائِلٍ مُزْعِجٍ، بِحَيْثُ إِنَّ النَّاسَ انْحَازُوا مِنْهَا، وَهَرَبُوا سِرَاعًا، وَتَأَخَّرُوا عَنْ مَكَانِهَا وَأَقْبَلَتْ هِيَ عَلَى مَا أَلْقَوْهُ مِنَ الْحِبَالِ وَالْعِصِيِّ، فَجَعَلَتْ تَلَقَّفَهُ وَاحِدًا وَاحِدًا، فِي أَسْرَعِ مَا يَكُونُ مِنَ الْحَرَكَةِ،
পৃষ্ঠা - ৫৯১


নিক্ষেপ কর’ যখন তারা নিক্ষেপ করল তখন তারা লোকের চোখে জাদু করল; তাদেরকে
আতৎকিত করল এবং৩ তারা এক বড় রকমের জাদু দেখাল ৷ আমি মুসার প্রতি প্রত্যাদেশ
করলাম, তৃমিও তোমার লাঠি নিক্ষেপ কর, সহসা এটা তাদের অলীক সৃষ্টিগুলােকে গ্রাস করতে
লাগল ৷ ফলে সত্য প্রতিষ্ঠিত হল এবং তারা বা করছিল তা মিথ্যা প্রতিপন্ন হল ৷ সেখানে তারা
পরাভুত হল ও লাঞ্ছিত হল এবং জাদুকররা সিজদার্বনত হল ৷ তারা বলল, আমরা ঈমান
আনলাম জগতসমুহের প্রতিপালকের প্রতি — যিনি মুসা ও হ রুন এরও প্রতিপালক ৷
ফিরআউন বলল, কী! আমি তােমাদেরকে অনুমতি দেয়ার পুর্বে তে তামরা এটাতে বিশ্বাস
করলে? এটা তো এক চক্রাম্ভ ৷ তোমরা সজ্ঞানে এ চক্রাম্ভ করেছ নগরবাসীদের নগর থেকে
বহিষ্কারের জন্যে ৷ আচ্ছা, তোমরা শীঘ্রই এটার পরিণাম জানবে ৷ আমি তো তোমাদের হাত-পা
বিপরীত দিক থেকে কর্তন করবই, তারপর তোমাদের সকলেরই শুলবিদ্ধও করব ৷ তারা বলল
৪ আমরা আমাদের প্রতিপালকের নিকট ফিরে যাব ৷ তুমি তো আমাদেরকে শাস্তি দান করছ শুধু
এজন্য যে , আমরা আমাদের প্রতিপালকের নিদর্শনে ঈমান এসেছি ৷ যখন এটা আমাদের নিকট
এসেছে ৷ হে আমাদের প্রতিপালক৷ আমাদেরকে ধৈর্যদান কর এবং মুসলমানরুপে আমাদের
মৃত্যু ঘটাও ৷ (সুরা আরাফ ১০৩-১২৬)

আল্লাহ তাআলা সুরা ইউনুসে ইরশাদ করেন০ ং

;,ন্টুাৰু;, ধ্;,>পু ,,গ্লু



াদ্বুট্রুর্বৃহ্র;ঠুঢুপ্









দ্বুামোঃধ্া৷পুড্রুাটু ^শুএোধ্ ’ৰুর্মুট্প্রু’ ,ট্রুপ্রুপ্রু (াব্রোদ্বুব্লিামোঃ


স্পেন্


অর্থাৎ — “পরে আমার নিদর্শনসহ মুসা ও হারুনকে ফিরআউন ও তার পারিষদবর্পের নিকট
প্রেরণ করি ৷ কিন্তু ওরা অহংকার করে এবং ওরা ছিল অপরাধী সম্প্রদায় ৷ তারপর যখন ওদের
কাছে আমার নিকট হতে সত্য এল তখন ওরা বলল, এটা তো নিশ্চয়ই স্পষ্ট জাদু ৷ মুসা
বলল, সভ্য যখন তোমাদের নিকট আসল, তখন সে সম্পর্কে তোমরা এরুপ বলছ? এটা কি
জাদুঃ জাদুকররা তো সফলকাম হয় না ৷’ ওরা বলল, আমরা আমাদের পিতৃপুরুষপণকে যাতে
পেয়েছি তুমি কি তা থেকে আমাদেরকে বিচ্যুত করবার জন্যে আমাদের নিকট এসেছ এবং
যাতে দেশে তোমাদের দুজনের প্রতিপত্তি হয় এজন্য? আমরা তোমাদের প্রতি বিশ্বাসী নই ৷


وَالنَّاسُ يَنْظُرُونَ إِلَيْهَا، وَيَتَعَجَّبُونَ مِنْهَا. وَأَمَّا السَّحَرَةُ فَإِنَّهُمْ رَأَوْا مَا هَالَهُمْ وَحَيَّرَهُمْ فِي أَمْرِهِمْ، وَاطَّلَعُوا عَلَى أَمْرٍ لَمْ يَكُنْ فِي خَلَدِهِمْ وَلَا بَالِهِمْ، وَلَا يَدْخُلُ تَحْتَ صِنَاعَاتِهِمْ وَأَشْغَالِهِمْ، فَعِنْدَ ذَلِكَ وَهُنَالِكَ تَحَقَّقُوا بِمَا عِنْدَهُمْ مِنَ الْعِلْمِ أَنَّ هَذَا لَيْسَ بِسِحْرٍ، وَلَا شَعْبَذَةٍ، وَلَا مِحَالٍ وَلَا خَيَالٍ وَلَا زُورٍ وَلَا بُهْتَانٍ وَلَا ضَلَالٍ، بَلْ حَقٌّ لَا يَقْدِرُ عَلَيْهِ إِلَّا الْحَقُّ الَّذِي ابْتَعَثَ هَذَا الْمُؤَيَّدَ بِهِ بِالْحَقِّ، وَكَشَفَ اللَّهُ عَنْ قُلُوبِهِمْ غِشَاوَةَ الْغَفْلَةِ، وَأَنَارَهَا بِمَا خَلَقَ فِيهَا مِنَ الْهُدَى وَأَزَاحَ عَنْهَا الْقَسْوَةَ، وَأَنَابُوا إِلَى رَبِّهِمْ، وَخَرُّوا لَهُ سَاجِدِينَ، وَقَالُوا جَهْرَةً لِلْحَاضِرِينَ، وَلَمْ يَخْشَوْا عُقُوبَةً وَلَا بَلْوَى: آمَنَّا بِرَبِّ مُوسَى وَهَارُونَ. كَمَا قَالَ تَعَالَى: {فَأُلْقِيَ السَّحَرَةُ سُجَّدًا قَالُوا آمَنَّا بِرَبِّ هَارُونَ وَمُوسَى - قَالَ آمَنْتُمْ لَهُ قَبْلَ أَنْ آذَنَ لَكُمْ إِنَّهُ لَكَبِيرُكُمُ الَّذِي عَلَّمَكُمُ السِّحْرَ فَلَأُقَطِّعَنَّ أَيْدِيَكُمْ وَأَرْجُلَكُمْ مِنْ خِلَافٍ وَلَأُصَلِّبَنَّكُمْ فِي جُذُوعِ النَّخْلِ وَلَتَعْلَمُنَّ أَيُّنَا أَشَدُّ عَذَابًا وَأَبْقَى - قَالُوا لَنْ نُؤْثِرَكَ عَلَى مَا جَاءَنَا مِنَ الْبَيِّنَاتِ وَالَّذِي فَطَرَنَا فَاقْضِ مَا أَنْتَ قَاضٍ إِنَّمَا تَقْضِي هَذِهِ الْحَيَاةَ الدُّنْيَا - إِنَّا آمَنَّا بِرَبِّنَا لِيَغْفِرَ لَنَا خَطَايَانَا وَمَا أَكْرَهْتَنَا عَلَيْهِ مِنَ السِّحْرِ وَاللَّهُ خَيْرٌ وَأَبْقَى - إِنَّهُ مَنْ يَأْتِ رَبَّهُ مُجْرِمًا فَإِنَّ لَهُ جَهَنَّمَ لَا يَمُوتُ فِيهَا وَلَا يَحْيَى - وَمَنْ يَأْتِهِ مُؤْمِنًا قَدْ عَمِلَ الصَّالِحَاتِ فَأُولَئِكَ لَهُمُ الدَّرَجَاتُ الْعُلَى - جَنَّاتُ عَدْنٍ تَجْرِي مِنْ تَحْتِهَا الْأَنْهَارُ خَالِدِينَ فِيهَا وَذَلِكَ جَزَاءُ مَنْ تَزَكَّى} [طه: 70 - 76] قَالَ سَعِيدُ بْنُ جُبَيْرٍ، وَعِكْرِمَةُ، وَالْقَاسِمُ بْنُ أَبِي بَزَّةَ وَالْأَوْزَاعِيُّ، وَغَيْرُهُمْ: لَمَّا سَجَدَ السَّحَرَةُ، رَأَوْا مَنَازِلَهُمْ وَقُصُورَهُمْ فِي
পৃষ্ঠা - ৫৯২


ফিরআউন বলল, তােমরা আমার নিকট সকল সুদক্ষ জাদুকরকে নিয়ে এস ৷ তারপর যখন
জাদুকররা এল তখন তাদেরকে মুসা বলল, তােমাদের যা নিক্ষেপ করার তা নিক্ষেপ কর ৷ ’
যখন তারা নিক্ষেপ করল, তখন মুসা বলল, তােমরা যা কিছু এনেছ তা জাদু, আল্লাহ জাদৃকে
অসার করে দেবেন ৷ আল্লাহ অশান্তি সৃষ্টিকারীদেরকর্ম সার্থক করেন না ৷ অপরাধীরা অপ্রীতিকর
মনে করলেও আল্লাহ তার বাণী অনুযায়ী সত্যকে প্রতিষ্ঠিত করবেন ৷ ’ (সুরা ইউনুস : ৭৫ ৮২)

আল্লাহ তাআল৷ সুরা শুআরায় মুসা (আ) ও ফিরআউন সম্পর্কিত ঘটনা বর্ণনার্থে

ইরশাদ করেন :

দু
(
ষ্টুজ্যো প্ৰন্নে৷ এ৮ষ্

ঘ্রও; এ^,এ এের্দ্র,;,;া; ;াপু;;৷ ; ’ ৷,পু ৰুা৯া,ধ্ইশু,৷ ৷া,ছুএে ;,, ,প্ট্রু;র্দু fl

;; ৷ ত্বপু;দ্বু,
হৈান্

^ণ্র্দ্র;; ঙ,পু;;৷ ৷
াট্রু;এ @ ;,^,দ্বু;; ট্রু;; ৷ র্তু০ :,:;fi ৷ ঠু;ট্রুন্; ণ্প্৷ ; ও ;,র্দু;;প্রো ৷ ;,;া৷; ণ্ব্লু; ৷ ,

শু;৷ ৷,পুিাঢ ৷ট্রিএেৰুার্চু;ঠু

র্টগ্র

৷ শ্মি

ণ্হ্রা; , , দুবু;;;৷ ,;;;ন্থশ্ব ;,, ;া; ,;;; ,ইপু৷ ৷ ’ ;ত্র“াছুদ্বু,^;;ব্লুা


fl ৷ “ ^ ’ চ্যে৷ ৷ ১ ৷ ,;;৯ ১! ৷ টুা৷:; ;,;;;; ৷ ণ্ব্লুট্রু;াপু;?র্শ্বট্রুর্চু ন্ব্লু ন্শু১র্দুণ্; ;,;


অর্থাৎ ফিরঅ৷ উন বলল, তুমি (হে মুসা) যদি আমার পরিবর্তে অন্যকে ইলাহরুপে গ্রহণ

কর আমি তোমাকে অবশ্যই কারারুদ্ধ করব ৷ ’ মুসা বলল, আমি তোমার নিকট স্পষ্ট কোন

নিদর্শন আনয়ন করলেওন্’ ফিরআউন বলল, তৃমি যদি সত্যবাদী হও তবে তা উপস্থিত কর ৷

তারপর মুসা (আ)৩ তার লাঠি নিক্ষেপ করলে তৎক্ষণাৎ তা এক সাক্ষাৎ অজগর হল এবং মুসা

হাত বের করল আর তৎক্ষণাৎ তা দর্শকদের দৃষ্টিতে শুভ্র ও উজ্জ্বল প্ৰতিভাত ৩হল ৷ ফিরআউন

আল-বিদায়া ওয়ান নিহায়া (১ম খণ্ড) ৭২-


الْجَنَّةِ تُهَيَّأُ لَهُمْ، وَتُزَخْرَفُ لِقُدُومِهِمْ، وَلِهَذَا لَمْ يَلْتَفِتُوا إِلَى تَهْوِيلِ فِرْعَوْنَ، وَتَهْدِيدِهِ وَوَعِيدِهِ. وَذَلِكَ لِأَنَّ فِرْعَوْنَ لَمَّا رَأَى هَؤُلَاءِ السَّحَرَةَ قَدْ أَسْلَمُوا وَأَشْهَرُوا ذِكْرَ مُوسَى وَهَارُونَ فِي النَّاسِ عَلَى هَذِهِ الصِّفَةِ الْجَمِيلَةِ، أَفْزَعَهُ ذَلِكَ، وَرَأَى أَمْرًا بَهَرَهُ، وَأَعْمَى بَصِيرَتَهُ وَبَصَرَهُ، وَكَانَ فِيهِ كَيْدٌ وَمَكْرٌ وَخِدَاعٌ، وَصَنْعَةٌ بَلِيغَةٌ فِي الصَّدِّ عَنْ سَبِيلِ اللَّهِ، فَقَالَ مُخَاطِبًا لِلسَّحَرَةِ بِحَضْرَةِ النَّاسِ: {آمَنْتُمْ لَهُ قَبْلَ أَنْ آذَنَ لَكُمْ} [طه: 71] أَيْ; هَلَّا شَاوَرْتُمُونِي فِيمَا صَنَعْتُمْ مِنَ الْأَمْرِ الْفَظِيعِ بِحَضْرَةِ رَعِيَّتِي. ثُمَّ تَهَدَّدَ وَتَوَعَّدَ، وَأَبْرَقَ وَأَرْعَدَ، وَكَذَبَ فَأَبْعَدَ، قَائِلًا: {إِنَّهُ لَكَبِيرُكُمُ الَّذِي عَلَّمَكُمُ السِّحْرَ} [طه: 71] وَقَالَ فِي الْآيَةِ الْأُخْرَى: إِنَّ {هَذَا لَمَكْرٌ مَكَرْتُمُوهُ فِي الْمَدِينَةِ لِتُخْرِجُوا مِنْهَا أَهْلَهَا فَسَوْفَ تَعْلَمُونَ} [الأعراف: 123] . وَهَذَا الَّذِي قَالَهُ مِنَ الْبُهْتَانِ الَّذِي يَعْلَمُ كُلُّ فَرْدٍ عَاقِلٍ مَا فِيهِ مِنَ الْكُفْرِ وَالْكَذِبِ وَالْهَذَيَانِ، بَلْ لَا يَرُوجُ مَثَلَهُ عَلَى الصِّبْيَانِ; فَإِنَّ النَّاسَ كُلَّهُمْ، مِنْ أَهْلِ دَوْلَتِهِ وَغَيْرِهِمْ، يَعْلَمُونَ أَنَّ مُوسَى لَمْ يَرَهُ هَؤُلَاءِ يَوْمًا مِنَ الدَّهْرِ، فَكَيْفَ يَكُونُ كَبِيرَهُمُ الَّذِي عَلَّمَهُمُ السِّحْرَ؟! ثُمَّ هُوَ لَمْ يَجْمَعْهُمْ وَلَا عِلْمَ بِاجْتِمَاعِهِمْ، حَتَّى كَانَ فِرْعَوْنُ هُوَ الَّذِي اسْتَدْعَاهُمْ وَاجْتَبَاهُمْ مِنْ كُلِّ فَجٍّ عَمِيقٍ وَوَادٍ سَحِيقٍ، وَمِنْ حَوَاضِرِ بِلَادِ مِصْرَ وَالْأَطْرَافِ، وَمِنَ الْمُدُنِ وَالْأَرْيَافِ. قَالَ اللَّهُ تَعَالَى فِي سُورَةِ " الْأَعْرَافِ "
পৃষ্ঠা - ৫৯৩


তার পারিষদবর্গকে বলল, এতে৷ এক সুদক্ষ জাদুকর ৷ এ তোমাদেরকে তোমাদের দেশ হতে
তার জাদুবলেবহিষ্কার করতে চায় ৷ এখন তোমরা কি করতে বল? ’ ওরা বলল, তাকে ও তার
ভাইকে কিছুটা অবকাশ দাও এবং নগরে নগরে সংগ্রাহকদেরকে পাঠাও যেন তারা তোমার
নিকট প্রতিটি সুদক্ষ জাদুকর উপস্থিত করে ৷’ তারপর এক নির্ধারিত দিনে নির্দিষ্ট সময়ে
জাদুকরদেরকে একত্র করা হল এবং লোকদেরকে বলা হল, তোমরাও সমবেত হচ্ছ কি?’ যেন
আমরা জাদুকরদের অনুসরণ করতে পারি, যদি ওরা বিজয়ী হয় ৷ তারপর জাদুকররা এসে
ফিরআউনকে বলল, আমরা যদি বিজয়ী হই আমাদের জন্য পুরস্কার থাকবে তো?’ ফিরআউন
বলল, হীা, তখন তোমরা অবশ্যই আমার ঘনিষ্ঠদের শামিল হবে ৷ ’ মৃস৷ তাদেরকে বলল,
তোমাদের যা নিক্ষেপ করার তা নিক্ষেপ কর ৷’ তারপর তারা তাদের রশি ও লাঠি নিক্ষেপ
করল এবং ওরা বলল, ফিরআউনের ইঘৃযতের শপথ ! আমরাই বিজয়ী হব ৷ ’ তারপর মুসা তার
লাঠি নিক্ষেপ করল; সহসা এটা তাদের অলীক সৃষ্টিগুলোকে গ্রাস করতে লাগল ৷ তখন
জাদুকররা সিজদাবনত হয়ে পড়ল এবং বলল, আমরা ঈমান আনয়ন করলাম জগতসমুহের
প্রতিপালকের প্রতি; যিনি মুসা ও হারুন এরও প্রতিপালক ৷ ’ ফিরআউন বলল, কী! আমি
তোমাদেরকে অনুমতি দেয়ার পুর্বেই তোমরা এটাতে বিশ্বাস করলে? সে ই তো তোমাদের
প্রধান, যে তোমাদেরকে জাদু শিক্ষা দিয়েছে ৷ শীঘ্রই তোমরা এটার পরিণড়াম জানবে ৷ আমি
অবশ্যই তোমাদের হাত এবং তোমাদের পা বিপরীত দিক হতে কর্তন করব এবং তোমাদের
সকলকে শুলবিদ্ধ করবই ৷ ’ ওরা বলল, কোন ক্ষতি নেই, আমরা আমাদের প্রতিপালকের নিকট
প্রত্যাবর্তন করব ৷ আমরা আশা করি যে, আমাদের প্রতিপালক আমাদের অপরাধ মার্জনা
করবেন; কারণ আমরা মুমিনদের মধ্যে অগ্রণী ৷ (সুরা ওআরা : ২৯-৫ ১ )

মােদ্দাকথা হল এই যে, ফিরআউন নিশ্চয়ই জাদুকরদেরকে এ কথা বলে যে, মুসা (আ)
ছিলেন তাদের প্রধান যিনি তাদের জাদু শিক্ষা দিয়েছেন ৷ এক্ষেত্রে ফিরআউন মিথ্যা বলেছে,
অপবাদ দিয়েছে এবং চরম পর্যায়ের কুফরী করেছে ৷ ফিরআউনের মুসা (আ ) এর প্রতি অপবাদ
সর্বজনবিদিত ৷ নিম্নে বর্ণিত আয়াতাহুশসমুহের মাধ্যমে বিজ্ঞমহলের নিকট ফিরআউনের ধৃষ্টতা

ও মুহতাি সুস্পষ্টভ৷ বে ধরা পড়েছে ৷ যেমন আয়াতাংশ
০া


“এটা একটা চক্রান্ত, এই চক্র ন্তের মাধ্যমে তোমরা নগরবাসীদেরকে তাদের ভিটামাটি
থেকে উৎখাতের চেষ্টা করছ; অচিরেই তোমরা জানতে পারবে ৷ এবং তার উক্তি : আমি
তোমাদের ডান হাত ও বাম পা কিৎবা বাম হাত ও ডান পা কর্তন করে দেব ৷ আর তোমাদের
সকলকে শুলবিদ্ধ করব যাতে তোমরা অন্যদের জন্যে শিক্ষণীয় হয়ে থাকবে ৷ রাজোর অন্য
কো ন ব্যক্তি ভবিষ্যতে এরুপ করার যেন আর সাহস না পায় ৷ এ জন্যেই ফিরআউন বলেছিল

তোমাদেরকে খেজুর গাছের কাণ্ডে শুলবিদ্ধ করব ৷ কেননা তা সবচ ইং উচু এবং সবচাইতে

চুবশি দৃষ্টিগ্নাহ্য ৷’ সে আরও বলেছিল, তোমরা বুঝতে পারবে যে, আমাদের মধ্যে দৃনিয়াতে কে
বেশি কঠোর স্থায়ী শান্তিদাতা ৷ মুমিন জাদুকরগণ বলেছিলেন, আমাদের কাছে যেসব নিদর্শন
ও অকাট্য প্রমাণাদি এসেছে ও আমাদের অম্ভরে স্থান নিয়েছে এগুলোকে ছেড়ে আমরা
কােনদিনও তোমার আনুগত্য করব না ৷ ’


{ثُمَّ بَعَثْنَا مِنْ بَعْدِهِمْ مُوسَى بِآيَاتِنَا إِلَى فِرْعَوْنَ وَمَلَئِهِ فَظَلَمُوا بِهَا فَانْظُرْ كَيْفَ كَانَ عَاقِبَةُ الْمُفْسِدِينَ - وَقَالَ مُوسَى يَا فِرْعَوْنُ إِنِّي رَسُولٌ مِنْ رَبِّ الْعَالَمِينَ - حَقِيقٌ عَلَى أَنْ لَا أَقُولَ عَلَى اللَّهِ إِلَّا الْحَقَّ قَدْ جِئْتُكُمْ بِبَيِّنَةٍ مِنْ رَبِّكُمْ فَأَرْسِلْ مَعِيَ بَنِي إِسْرَائِيلَ - قَالَ إِنْ كُنْتَ جِئْتَ بِآيَةٍ فَأْتِ بِهَا إِنْ كُنْتَ مِنَ الصَّادِقِينَ - فَأَلْقَى عَصَاهُ فَإِذَا هِيَ ثُعْبَانٌ مُبِينٌ - وَنَزَعَ يَدَهُ فَإِذَا هِيَ بَيْضَاءُ لِلنَّاظِرِينَ - قَالَ الْمَلَأُ مِنْ قَوْمِ فِرْعَوْنَ إِنَّ هَذَا لَسَاحِرٌ عَلِيمٌ - يُرِيدُ أَنْ يُخْرِجَكُمْ مِنْ أَرْضِكُمْ فَمَاذَا تَأْمُرُونَ - قَالُوا أَرْجِهْ وَأَخَاهُ وَأَرْسِلْ فِي الْمَدَائِنِ حَاشِرِينَ - يَأْتُوكَ بِكُلِ سَاحِرٍ عَلِيمٍ - وَجَاءَ السَّحَرَةُ فِرْعَوْنَ قَالُوا إِنَّ لَنَا لَأَجْرًا إِنْ كُنَّا نَحْنُ الْغَالِبِينَ - قَالَ نَعَمْ وَإِنَّكُمْ لَمِنَ الْمُقَرَّبِينَ - قَالُوا يَا مُوسَى إِمَّا أَنْ تُلْقِيَ وَإِمَّا أَنْ نَكُونَ نَحْنُ الْمُلْقِينَ - قَالَ أَلْقُوا فَلَمَّا أَلْقَوْا سَحَرُوا أَعْيُنَ النَّاسِ وَاسْتَرْهَبُوهُمْ وَجَاءُوا بِسِحْرٍ عَظِيمٍ - وَأَوْحَيْنَا إِلَى مُوسَى أَنْ أَلْقِ عَصَاكَ فَإِذَا هِيَ تَلْقَفُ مَا يَأْفِكُونَ - فَوَقَعَ الْحَقُّ وَبَطَلَ مَا كَانُوا يَعْمَلُونَ - فَغُلِبُوا هُنَالِكَ وَانْقَلَبُوا صَاغِرِينَ - وَأُلْقِيَ السَّحَرَةُ سَاجِدِينَ - قَالُوا آمَنَّا بِرَبِ الْعَالَمِينَ - رَبِّ مُوسَى وَهَارُونَ - قَالَ فِرْعَوْنُ آمَنْتُمْ بِهِ قَبْلَ أَنْ آذَنَ لَكُمْ إِنَّ هَذَا لَمَكْرٌ مَكَرْتُمُوهُ فِي الْمَدِينَةِ لِتُخْرِجُوا مِنْهَا أَهْلَهَا فَسَوْفَ تَعْلَمُونَ - لَأُقَطِّعَنَّ أَيْدِيَكُمْ وَأَرْجُلَكُمْ مِنْ خِلَافٍ ثُمَّ لَأُصَلِّبَنَّكُمْ أَجْمَعِينَ - قَالُوا إِنَّا إِلَى رَبِّنَا مُنْقَلِبُونَ - وَمَا تَنْقِمُ مِنَّا إِلَّا أَنْ آمَنَّا بِآيَاتِ رَبِّنَا لَمَّا جَاءَتْنَا رَبَّنَا أَفْرِغْ عَلَيْنَا صَبْرًا وَتَوَفَّنَا مُسْلِمِينَ} [الأعراف: 103 - 126] [الْأَعْرَافِ: 103 - 126] . وَقَالَ تَعَالَى فِي سُورَةِ " يُونُسَ ":
পৃষ্ঠা - ৫৯৪


আয়াতাৎশ fi) ! ¢ ;; §— এর ওয়াও সম্পর্কে কেউ কেউ বলেন, এটা পুর্ববর্তী
বাকেক্রর সাথে সৎযুক্তকারী অব্যয় ৷ আবার কেউ কেউ বলেন, এখানে এই অক্ষরটি শপথ
অর্থবােধক ৷

মুমিন জাদুকরগণ ফিরআউনকে আরো বললেন, তুমি যা পার তা কর; তোমার আদেশ
তো শুধুমাত্র এই পার্থিব জীবনেই চলতে পারে ৷ তবে যখন আমরা এই নশ্বর জগত ছেড়ে
আখিরাতে চলে যাব তখন ঐ সত্তার আদেশ বলবৎ থাকবে যার প্রতি আমরা বিশ্বাস স্থাপন
করছি এবং আমরা যার প্রেরিত রাসুলগণের অনুসরণ করছি ৷ ন্

তারা আরো বললেন ং

চুঠা
ব্লুট্রুাদ্বু

অর্থাৎ আমরা আমাদের প্রতিপালকের প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করেছি যাতে তিনি আমাদের
যাবতীয় অন্যায় অপরাধ ও তুমি যে আমাদেরকে জোর জবরদস্তি করে জাদু করতে বাধ্য করেছ
সেই অন্যায় ক্ষমা করে দেন ৷ কেননা, আল্লাহ তা আলা কল্যাণময় এবং তুমি আমাদেরকে
সান্নিধ্য প্রদানের (পার্থিব জগতে) যে ওয়াদা অঙ্গীকা ৷র করেছ তার চেয়ে আল্লাহ তা আলা প্রদত্ত
সওয়াব অধিকতর কল্যাণকর ও অধিকতর স্থায়ী’ ৷ অন্য আয়াত ৎশে বলা হয়েছেং : মুমিন
জাদুকরগণ বলেছিলেন, আমাদের কোন ক্ষতি নেই, কেননা আমরা আমাদের প্রতিপালকের
নিকট ফিরে যাব ৷ আমরা আশা রাখি যে, আমাদের প্রতিপালক আমাদের কৃত পাপরাশি ও
অনড়াচারসমুহ ক্ষমা করে দেবেন ৷ আর আমরা কিবতীদের পুর্বেই মুসা (আ) ও হারুন (আ) এর
প্রতিপালকের প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করেছি বলে আমরা ঘোষিত হয় ৷ ’

তারা তাকে আরো বললেন :



সৌং
অর্থাৎ-তুমি তো আমাদেরকে শাস্তিদান করছো শুধু এ জন্য যে, আমরা আমাদের
প্রতিপালকের নিদর্শনে বিশ্বাস স্থাপন করেছি যখন এগুলো আমাদের কাছে এসেছে ৷ এছাড়া
আমাদের অন্য কোন অপরাধ নেই ৷ হে আমাদের প্রতিপালক পরাত্রুমশালী অত্যাচারী হিংস্র
শাসক, তাপুত ও শয়তান আমাদেরকে যে অসহনীয় শাস্তি প্রদান করছে তা সহ্য করার
আমাদেরকে ধৈর্য দাও এবৎ আমাদেরকে আত্মসমর্পণকারীরুপে মৃত্যু দান কর ৷
তং পর তারা তাকে উপদেশস্বরুপ মহান প্রতিপ৷ ৷লকের শাস্তির প্রতি ভীতি প্রদর্শন করে

বললেন : ট্রু ০পু১ ণ্াট্রুা৷

অর্থাৎ যেত তার প্রতিপা ৷লকের নিকট অপরাধী হয়ে উপস্থিত হয়ে তার জন্য তো রয়েছে

জা,হান্নাম সেখানে সে মররেও না, বাচরেও না ৷ ’ তারা বললেন, সুতরাং সাবধান তুমি যেন

এসব অপরাধীর অন্তর্ভুক্ত না হও ৷’ কিন্তু ফিরআউন তাদের উপদেশ অমান্য করে তাদের
অন্তর্ভুক্ত হয়ে পড়ে ৷


{ثُمَّ بَعَثْنَا مِنْ بَعْدِهِمْ مُوسَى وَهَارُونَ إِلَى فِرْعَوْنَ وَمَلَئِهِ بِآيَاتِنَا فَاسْتَكْبَرُوا وَكَانُوا قَوْمًا مُجْرِمِينَ - فَلَمَّا جَاءَهُمُ الْحَقُّ مِنْ عِنْدِنَا قَالُوا إِنَّ هَذَا لَسِحْرٌ مُبِينٌ - قَالَ مُوسَى أَتَقُولُونَ لِلْحَقِّ لَمَّا جَاءَكُمْ أَسِحْرٌ هَذَا وَلَا يُفْلِحُ السَّاحِرُونَ - قَالُوا أَجِئْتَنَا لِتَلْفِتَنَا عَمَّا وَجَدْنَا عَلَيْهِ آبَاءَنَا وَتَكُونَ لَكُمَا الْكِبْرِيَاءُ فِي الْأَرْضِ وَمَا نَحْنُ لَكُمَا بِمُؤْمِنِينَ - وَقَالَ فِرْعَوْنُ ائْتُونِي بِكُلِّ سَاحِرٍ عَلِيمٍ - فَلَمَّا جَاءَ السَّحَرَةُ قَالَ لَهُمْ مُوسَى أَلْقُوا مَا أَنْتُمْ مُلْقُونَ - فَلَمَّا أَلْقَوْا قَالَ مُوسَى مَا جِئْتُمْ بِهِ السِّحْرُ إِنَّ اللَّهَ سَيُبْطِلُهُ إِنَّ اللَّهَ لَا يُصْلِحُ عَمَلَ الْمُفْسِدِينَ - وَيُحِقُّ اللَّهُ الْحَقَّ بِكَلِمَاتِهِ وَلَوْ كَرِهَ الْمُجْرِمُونَ} [يونس: 75 - 82] [يُونُسَ: 75 - 82] . وَقَالَ تَعَالَى فِي سُورَةِ " الشُّعَرَاءِ " {قَالَ لَئِنِ اتَّخَذْتَ إِلَهًا غَيْرِي لَأَجْعَلَنَّكَ مِنَ الْمَسْجُونِينَ - قَالَ أَوَلَوْ جِئْتُكَ بِشَيْءٍ مُبِينٍ - قَالَ فَأْتِ بِهِ إِنْ كُنْتَ مِنَ الصَّادِقِينَ - فَأَلْقَى عَصَاهُ فَإِذَا هِيَ ثُعْبَانٌ مُبِينٌ - وَنَزَعَ يَدَهُ فَإِذَا هِيَ بَيْضَاءُ لِلنَّاظِرِينَ - قَالَ لِلْمَلَأِ حَوْلَهُ إِنَّ هَذَا لَسَاحِرٌ عَلِيمٌ - يُرِيدُ أَنْ يُخْرِجَكُمْ مِنْ أَرْضِكُمْ بِسِحْرِهِ فَمَاذَا تَأْمُرُونَ - قَالُوا أَرْجِهْ وَأَخَاهُ وَابْعَثْ فِي الْمَدَائِنِ حَاشِرِينَ - يَأْتُوكَ بِكُلِّ سَحَّارٍ عَلِيمٍ - فَجُمِعَ السَّحَرَةُ لِمِيقَاتِ يَوْمٍ مَعْلُومٍ - وَقِيلَ لِلنَّاسِ هَلْ أَنْتُمْ مُجْتَمِعُونَ - لَعَلَّنَا نَتَّبِعُ السَّحَرَةَ إِنْ كَانُوا هُمُ الْغَالِبِينَ - فَلَمَّا جَاءَ السَّحَرَةُ قَالُوا لِفِرْعَوْنَ أَئِنَّ لَنَا لَأَجْرًا إِنْ كُنَّا نَحْنُ الْغَالِبِينَ - قَالَ نَعَمْ وَإِنَّكُمْ إِذًا لَمِنَ الْمُقَرَّبِينَ - قَالَ لَهُمْ مُوسَى أَلْقُوا مَا أَنْتُمْ مُلْقُونَ - فَأَلْقَوْا حِبَالَهُمْ وَعِصِيَّهُمْ وَقَالُوا بِعِزَّةِ فِرْعَوْنَ إِنَّا لَنَحْنُ الْغَالِبُونَ - فَأَلْقَى مُوسَى عَصَاهُ فَإِذَا هِيَ تَلْقَفُ مَا يَأْفِكُونَ - فَأُلْقِيَ السَّحَرَةُ سَاجِدِينَ - قَالُوا آمَنَّا بِرَبِّ الْعَالَمِينَ - رَبِّ مُوسَى وَهَارُونَ} [الشعراء: 29 - 48] قَالَ {آمَنْتُمْ لَهُ قَبْلَ أَنْ آذَنَ لَكُمْ إِنَّهُ لَكَبِيرُكُمُ الَّذِي عَلَّمَكُمُ السِّحْرَ فَلَسَوْفَ تَعْلَمُونَ لَأُقَطِّعَنَّ أَيْدِيَكُمْ وَأَرْجُلَكُمْ مِنْ خِلَافٍ وَلَأُصَلِّبَنَّكُمْ أَجْمَعِينَ - قَالُوا لَا ضَيْرَ إِنَّا إِلَى رَبِّنَا مُنْقَلِبُونَ - إِنَّا نَطْمَعُ أَنْ يَغْفِرَ لَنَا رَبُّنَا خَطَايَانَا أَنْ كُنَّا أَوَّلَ الْمُؤْمِنِينَ} [الشعراء: 49 - 51] [الشُّعَرَاءِ: 29 - 51] .
পৃষ্ঠা - ৫৯৫


র্তারাতাকে আরো বললেনং :

ট্রুট্রুব্লুগ্লু১ ;,é, ন্৷ ১১ ণ্া৷১দ্বু ৷র্চু;ট্রুঙু(ড্রু পু এার্দু ঝুাধ্১া৷ ৷র্চুৰু;;হুএ পুন্ং ঞষ্ও ১’^ এে ন্

অর্থাৎ যারা তার নিকট উপস্থিত ৩হবে মু মিন অবস্থায় সৎকর্ম সম্পাদন করে তাদের

জন্যে রয়েছে সমুচ্চ মর্যাদা স্থায়ী জান্নাত যার পাদদেশে নদী প্রবাহিত, সেখানে তারা স্থায়ী
হবে এবং এই পুরস্কার তাদেরই যারা পবিত্র’ ৷ (সুরা ত ৷-হ৷ : ৭৫ ৭৬) ৷

সুতরাং তুমি এ দলের অন্তর্ভুক্ত হও ৷ কিন্তু ফিরআউন ও তার আমলের মধ্যে ভাপ্যলিপি
অন্তরায় হল যা ছিল অখণ্ডনীয় ও অপরিবব্জীয় ৷ মহাপরাক্রমশালী আল্লাহ তাআলা তার
দুষ্কর্মের জন্য আদেশ দিলেন যে, “অভিশপ্ত ফিরআউন জাহান্নামী, সে মর্মভুদ শাস্তি ভোগ
করবে, তার মাথার উপর গরম পানি ঢালা হবে এবং তাকে তাপমানিত, লাঞ্ছিত ও তিরস্কৃত
করার উদ্দেশ্যে বলা হবে জাহান্নামের আমার আস্বাদন কর তুমি তো ছিলে সম্মানিত
অভিজাত ৷” ৷(সুরা দৃখান০ ং ৪৯)

উপরোক্ত আয়াত তসমুহের পুর্বাপর দৃষ্টে প্রতীয়মান হয় যে, ফিরআউন মুমিন জাদৃকরদের
শুলবিদ্ধ করেছিল ও তাদের মর্যভুদ শাস্তি দিয়েছিল ৷ আল্লাহ তা আলা তাদের প্ৰতি প্রসন্ন হোন ৷
আবদুল্লাহ ইবন আব্বাস ও উবায়দ ইবন উমায়র (রা) বলেন, তারা দিনের প্রথম অংশে ছিলেন
জাদুকর ৷ আর দিনের ণ্শবাংশে পুণ্যবান শহীদ হিসেবে পরিগণিত হলেন ৷ উপরোক্ত উক্তির

সত্যতা ৰু প্রমাণিত হয়েছে মুমিন জাদুকরদের নিম্নোক্ত মুনাজাতেষ্

সৌং
অর্থাৎ হে আমাদের প্ৰতিপালক! আমাদেরকে ধৈর্যদান কর এবং মুসলিমরুপে আমাদের
মৃত্যু ঘটাও ! ’


وَالْمَقْصُودُ أَنَّ فِرْعَوْنَ كَذَّبَ وَافْتَرَى، وَكَفَرَ غَايَةَ الْكُفْرِ فِي قَوْلِهِ: {إِنَّهُ لَكَبِيرُكُمُ الَّذِي عَلَّمَكُمُ السِّحْرَ} [الشعراء: 49] وَأَتَى بِبُهْتَانٍ يَعْلَمُهُ الْعَالِمُونَ، بَلِ الْعَالَمُونَ فِي قَوْلِهِ: {إِنَّ هَذَا لَمَكْرٌ مَكَرْتُمُوهُ فِي الْمَدِينَةِ لِتُخْرِجُوا مِنْهَا أَهْلَهَا فَسَوْفَ تَعْلَمُونَ} [الأعراف: 123] وَقَوْلُهُ: {لَأُقَطِّعَنَّ أَيْدِيَكُمْ وَأَرْجُلَكُمْ مِنْ خِلَافٍ} [الشعراء: 49] يَعْنِي: يَقْطَعُ الْيَدَ الْيُمْنَى وَالرِّجْلَ الْيُسْرَى وَعَكْسَهُ، {وَلَأُصَلِّبَنَّكُمْ أَجْمَعِينَ} [الشعراء: 49] أَيْ; لَيَجْعَلُهُمْ مَثُلَةً وَنَكَالًا; لِئَلَّا يَقْتَدِيَ بِهِمْ أَحَدٌ مِنْ رَعِيَّتِهِ وَأَهْلِ مِلَّتِهِ، وَلِهَذَا قَالَ: {وَلَأُصَلِّبَنَّكُمْ فِي جُذُوعِ النَّخْلِ} [طه: 71] أَيْ; عَلَى جُذُوعِ النَّخْلِ; لِأَنَّهَا أَعْلَى وَأَشْهَرُ {وَلَتَعْلَمُنَّ أَيُّنَا أَشَدُّ عَذَابًا وَأَبْقَى} [طه: 71] يَعْنِي: فِي الدُّنْيَا قَالُوا {لَنْ نُؤْثِرَكَ عَلَى مَا جَاءَنَا مِنَ الْبَيِّنَاتِ} [طه: 72] أَيْ; لَنْ نُطِيعَكَ وَنَتْرُكَ مَا وَقَرَ فِي قُلُوبِنَا مِنَ الْبَيِّنَاتِ، وَالدَّلَائِلِ الْقَاطِعَاتِ، وَالَّذِي فَطَرَنَا قِيلَ: مَعْطُوفٌ. وَقِيلَ: قَسَمٌ {فَاقْضِ مَا أَنْتَ قَاضٍ} [طه: 72] أَيْ; فَافْعَلْ مَا قَدَرْتَ عَلَيْهِ {إِنَّمَا تَقْضِي هَذِهِ الْحَيَاةَ الدُّنْيَا} [طه: 72] أَيْ; إِنَّمَا حُكْمُكَ عَلَيْنَا فِي هَذِهِ الْحَيَاةِ الدُّنْيَا، فَإِذَا انْتَقَلْنَا مِنْهَا إِلَى الدَّارِ الْآخِرَةِ، صِرْنَا إِلَى حُكْمِ الَّذِي أَسْلَمْنَا لَهُ وَاتَّبَعْنَا رُسُلَهُ {إِنَّا آمَنَّا بِرَبِّنَا لِيَغْفِرَ لَنَا خَطَايَانَا وَمَا أَكْرَهْتَنَا عَلَيْهِ مِنَ السِّحْرِ وَاللَّهُ خَيْرٌ وَأَبْقَى} [طه: 73] . أَيْ; وَثَوَابُهُ خَيْرٌ مِمَّا وَعَدَتْنَا بِهِ مِنَ التَّقْرِيبِ وَالتَّرْغِيبِ، وَأَبْقَى أَيْ; وَأَدْوَمُ مِنْ هَذِهِ الدَّارِ الْفَانِيَةِ. وَفِي الْآيَةِ الْأُخْرَى: قَالُوا {لَا ضَيْرَ إِنَّا إِلَى رَبِّنَا مُنْقَلِبُونَ - إِنَّا نَطْمَعُ أَنْ يَغْفِرَ لَنَا رَبُّنَا خَطَايَانَا} [الشعراء: 50 - 51]