আল বিদায়া ওয়া আন্নিহায়া

سنة خمس عشرة

وقعة قنسرين

পৃষ্ঠা - ৫৪৭৮


তার প্রতিপক্ষ শানৃসকে হত্যা করেন এবং ওদেরকে খাওয়া করতে করতে হিম্স নগরীতে নিয়ে
যান ৷ ওখানে তারা স্থানীয় অধিবাসীদেরকে অবরুদ্ধ করে রাখেন ৷

হিম্সের প্রথম যুদ্ধ

পরাজিত রোমানদেরকে তাড়া করে সেনাপতি অৰবু উৰায়দা (রা) হিম্স নগরীতে নিয়ে
যান ৷ তিনি ওই নগরীতে অবতরণ করে সেটি অবরোধ করেন ৷ খালিদ ইবন ওয়ালীদ (বা)
গিয়ে তার সাথে যোগ দেন ৷ তারা অবরোধ আংরা কঠিন করেন ৷ তখন প্রচণ্ড ঠাণ্ডা পড়ছিল ৷
নগরবাসিপণ এই আশায় ছিল যে, ঠাণ্ডায় অতিষ্ঠ হয়ে মুসলমানগণ অবারাধ তুৰুল চলে যাবে ৷
কিন্তু সাহাবীগণ পরম ধৈর্য অবলম্বন করলেন ৷ কেউ কেউ উল্লেখ করেছেন যে, কতক রোমান
ঠাঘার কারণে ফিরে গিয়েছিল কিভু সহোবীদের কেউ স্থান ত্যাগ করেন নি ৷ ঠাণ্ডায় রোমানদের
কারো কারো পা খসে পড়েছিল ৷ অথচ ওদের পা ছিল মােজার মধ্যে ৷ সাহাবীদ্যো পায়ে জুতা
ছাড়া অন্য কিছু ছিল না ৷ তা সত্বেও তাদের কারো পারে কোন সমস্যা হয়নি ৷ এমনকি কোন
আঙ্গুলেও নয় ৷ তারা অবরোধ চালিয়েই যাচ্ছিলেন ৷ এভাবে শীত মওসুম চলে গেল ৷ তারা
অবরোধ আরো কঠিন করলেন ৷ হিম্স অধিবাসীদের মুরববী স্থানীয় লোকজন মুসলমানদের
সাথে সন্ধি স্থাপনের প্রস্তাব দিয়েছিল ৷ কিন্তু সক্রিয় নাগরিকগণ তা গ্রহণ করেনি ৷ তারা
বলেছিল, আমরা সমঝোতায় যাব কেন ৷ আমাদের সম্রাটতাে আমাদের কাছেই অবস্থান
করছেন ৷ কথিত আছে যে, একদিন সাহাবীগণ এমন জোরে তাকবীর ধ্বনি দিয়েছিলেন যে,
তাতে পুরো শহর পর পর করে কেপে উঠেহ্নিৰু ৷ কতক প্রাচীর ফেটে গিয়েছিল ৷ এরপর আরেক
বার তাকবীর ধ্বনি দিয়েছিলেন তাতে কতক ষরবাড়ি ভেঙ্গেপড়েছিল ৷ এবার ওদের সাধারণ
নাগরিকপণ শীর্ষস্থানীয় ও সক্রিয় নাগরিকদের নিকট এসে বলল, আমাদের অবস্থা কি আপনারা
অবগত নন৷ আমাদের পক্ষ থেকে আপনারা সন্ধি করছেন না কেনা এরপর ওরা সেই সকল
শর্তে সন্ধি স্থাপন ও সমঝোতা চুক্তি সর্ম্পাদন করল, যে সকল শর্তে দামেশকের অধিবাসীপণ
সন্ধি করেছিল যে, অর্ধেক ঘরবাড়ি মুসলমানদের দখলে যাবে ৷ ভুমির খাজনা পরিশোধ করতে
হবে এবং ধনীগরীব অনুপাতে প্রত্যেককে জিয্য়া, কর পরিশোধ করতে হবে ৷ ওখানে প্রাপ্ত
গনীমতের হুন্ অংশ বিধি মুতাবিক খঙ্গীফার দরবারে পাঠিয়ে দিলেন সেনাপতি আবু উবায়দা
(বা) ৷ গনীমতের হুন্ অংশ এবং বিজয়ের সংবাদসহ খলীফার নিকট পাঠানো হলো আবদুল্লাহ্
ইবন মাসউদ (রা)-কে ৷ সেনাপতি আবু উৰায়দা (বা) বহু সৈন্যের সমবায়ে সেখানে একটি
সেনা ক্যাম্প স্থাপন করেন ৷ সৈনিকদের সাথে কয়েকজন সেনাপতিও নিযুক্ত করে দেন ৷ তারা
হলেন হযরত বিলাল (বা) এবং মিকদাদ (বা) ৷ আবু উৰায়দা (রা) খলীফাকে জানালেন যে,
রোমান সম্রটি হিরাক্লিয়াস জাযিরা অঞ্চলের পানি বন্ধ করে দিয়েছে ৷ তিনি এও জানালেন যে,
ষ্স্রাট কখনো বাহিরে বের হয় আবার কখনো লুকিয়ে থাকে ৷ হযরত উমর (রা) তাকে
আপাতত ওই শহরে থাকার নির্দেশ দিলেন ৷

ৰিদ্মাসরীনের যুদ্ধ
হিম্স অধিকারের পর আবু উবায়দা (বা) হযরত খালিদ ইবন ওয়ালীদকে কিন্নড়াসরীন
অব্বিানে প্রেরণ করেন ৷ তিনি সেখানে পৌছুলে স্থানীয় অধিবাসীগণ এবং আরব খ্রিন্টানপণ


[وَقْعَةُ قِنَّسْرِينَ] لَمَّا فَتَحَ أَبُو عُبَيْدَةَ حِمْصَ بَعَثَ خَالِدَ بْنَ الْوَلِيدِ إِلَى قِنَّسْرِينَ، فَلَمَّا جَاءَهَا ثَارَ إِلَيْهِ أَهْلُهَا وَمَنْ عِنْدَهُمْ مِنَ نَصَارَى الْعَرَبِ، فَقَاتَلَهُمْ خَالِدٌ فِيهَا قِتَالًا شَدِيدًا، وَقَتَلَ مِنْهُمْ خَلْقًا كَثِيرًا، فَأَمَّا مَنْ هُنَاكَ مِنَ الرُّومِ فَأَبَادَهُمْ، وَقَتَلَ أَمِيرَهُمْ مِينَاسَ، وَأَمَّا الْأَعْرَابُ فَإِنَّهُمُ اعْتَذَرُوا إِلَيْهِ بِأَنَّ هَذَا الْقِتَالَ لَمْ يَكُنْ عَنْ رَأْيِنَا، فَقَبِلَ مِنْهُمْ خَالِدٌ وَكَفَّ عَنْهُمْ، ثُمَّ خَلَصَ إِلَى الْبَلَدِ فَتَحَصَّنُوا فِيهِ، فَقَالَ لَهُمْ خَالِدٌ: إِنَّكُمْ لَوْ كُنْتُمْ فِي السَّحَابِ لَحَمَلَنَا اللَّهُ إِلَيْكُمْ أَوْ لَأَنْزَلَكُمْ إِلَيْنَا. وَلَمْ يَزَلْ بِهِمْ حَتَّى فَتَحَهَا اللَّهُ عَلَيْهِ، وَلِلَّهِ الْحَمْدُ. فَلَمَّا بَلَغَ عُمَرَ مَا صَنَعَهُ خَالِدٌ فِي هَذِهِ الْوَقْعَةِ قَالَ: يَرْحَمُ اللَّهُ أَبَا بَكْرٍ كَانَ أَعْلَمَ بِالرِّجَالِ مِنِّي، وَاللَّهِ إِنِّي لَمْ أَعْزِلْهُ عَنْ رِيبَةٍ، وَلَكِنْ خَشِيتُ أَنْ يُوكَلَ النَّاسُ إِلَيْهِ. وَفِي هَذِهِ السَّنَةِ تَقَهْقَرَ هِرَقْلُ بِجُنُودِهِ، وَارْتَحَلَ عَنْ بِلَادِ الشَّامِ إِلَى بِلَادِ الرُّومِ. هَكَذَا ذَكَرَهُ ابْنُ جَرِيرٍ عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ إِسْحَاقَ. قَالَ: وَقَالَ سَيْفٌ: كَانَ ذَلِكَ فِي سَنَةِ سِتَّ عَشْرَةَ قَالُوا: وَكَانَ هِرَقْلُ كُلَّمَا حَجَّ إِلَى بَيْتِ الْمَقْدِسِ، وَخَرَجَ مِنْهَا يَقُولُ: عَلَيْكِ السَّلَامُ يَا سُورِيَّةُ تَسْلِيمَ مُوَدِّعٍ لَمْ يَقْضِ مِنْكِ وَطَرَهُ وَهُوَ عَائِدٌ. فَلَمَّا عَزَمَ عَلَى الرَّحِيلِ مِنَ الشَّامِ وَبَلَغَ الرُّهَاءَ، طَلَبَ مِنْ أَهْلِهَا أَنْ يَصْحَبُوهُ إِلَى الرُّومِ، فَقَالُوا: إِنَّ بَقَاءَنَا هَا هُنَا أَنْفَعُ لَكَ مِنْ رَحِيلِنَا مَعَكَ. فَتَرَكَهُمْ، فَلَمَّا وَصَلَ
পৃষ্ঠা - ৫৪৭৯


তার বিরুদ্ধে যুদ্ধের জন্যে ণ্বৃরিয়ে আসে ৷ হযরত খালিদ (বা) ওদের বিরুদ্ধে প্রচণ্ড যুদ্ধ ;শুরু
করেন ৷ ওদের বহু লোক নিহত হয় ৷ সেখানে রোমান যারা ছিল তাদের সবাইকে হত্যা করা
হয় ৷ ওদের আমীর ও সেনাপতি মীতাস১ নিহত হয় ৷ এরপর গ্রাম্য ণ্বদুঈনপণ এসে আত্মসমর্পণ
করে এবং ভৃযর পুেশ করে বলে যে, এই যুদ্ধে আমাদের কোন সম্মতি ছিল না ৷ বরং খ্রিস্টানদের
প্ররােচনায় যুদ্ধ স ত্ঘটিত হয়েছে ৷ সেনাপতি খালিদ তাদের ওযর মঞ্জুর করেন এবং যুদ্ধ বন্ধ
করেন ৷ তিনি শহরে প্রবেশ করে নিরাপত্তার ব্যবস্থা করেন ৷ হযরত খালিদ (বা) ওদের উদ্দেশ্যে
বললেন, তােমরা যদি আকাশেও থাক তবে মহান আল্লাহ্ আমাদেরকে তোমাদের নিকট ভুলে
নিবেন অথবা তােমাদেরকে আমাদের নিকট নামিয়ে আসবেন ৷’ তিনি ওখানেই অবস্থান
করলেন ৷ শেষ পর্যন্ত পুরো কিন্নাসরীন মুসলমানদের অধিকারে আসে ৷ সকল প্রশংসা মহান

আল্লাহ্র ৷

এই যুদ্ধে হযরত খালিদের দুরদর্শিত৷ ও কৃতিত্বের সংবাদ খলীফা উমর (রা) অবগত হন ৷
তিনি বলেন, মহান আল্লাহ হযরত আবুবকরের প্রতি দয়া করুন ৷ তিনি মানুষ চিনতেন আমার
চাইতে বেশি ৷ আল্লাহর কসম কোন দোষ কিৎবা অপরাধের কারণে আমি খালিদকে বরখাস্ত
করেছিলাম তা নয় এবং আমি আশংকা করেছিলাম যে, মানুষ তার উপর নিভরিশীল না হয়ে

যায় ৷

এই বছরই অর্থাৎ ১৫ হিজরী সনে রোমান সম্রটি হিরাক্লিয়াস তার সৈন্য সামস্তসহ পিছু
হটে যায় ৷ সে সিরিয়া ছেড়ে বোমে চলে যায় ৷ ইবন জারীর মুহাম্মদ ইবন ইসহাক থেকে তাই
বণন৷ করেছেন ৷ কিন্তু সায়ফ ইবন উমারা বলেছেন, এ ঘটনা ঘটেছিল ১৬ হিজরী সালে ৷
ঐতিহাসিকগণ বলেন হিরাক্লিয়াস প্রতিবার বায়তৃল মুকাদ্দাসের৩ তীর্থ যা ত্র৷ শেষে যাবার সময়
বলত, তামার প্রতি সালাম হে সুরিয়া! সালাম এমন বিদায় গ্রহণকারীর পক্ষ থেকে তোমার
সম্পর্কে যার সব আশা এখনো পুর্ণ হয়নি ৷ সে আবার ফিরে আসবে” ৷ কিন্তু সে যখন সিরিয়া
ছেড়ে চলে যাবার সিদ্ধান্ত নিল এবং যাত্রাপথে রাহা’ পর্যন্ত ৷;পাছল তখন সেখানকার
অধিবাসীদেরকে তার সাথে চলে যাবার আহ্বান জ ৷নাল ৷ তারা বলল, আপনার সাথে যাবার
চাইতে আমরা এখানে থাকি তা আপনার জন্য বেশি কল্যাণকর হবে ৷ সে তাদেরকে রেখে চলে
গেল ৷ শামশান পৌছে সেখানকার উচু ভুমিতে আরােইণ করে, বায়তৃল মুকাদ্দাসের দিকে
তাকিয়ে সম্রাট বলল, হে সুরিয়া ! তোমার প্রতি সালাম ৷ আর দেখা হবে না ৷ তবে দুর থেকে
বিরহীর সালাম জানার ৷ কোন রোমান নির্ভয়ে আর তোমার যিয়ারতে আসবে না ৷ যতদিন না
তাতে শিশুঢির জন্ম হয় ৷ তবে আমি কামনা করি ওই শিশুঢির জন্ম না হোক ৷ কারণ তার
কর্মকাণ্ড ভাল হবে না ৷ রোমের প্রতি তার চুড়ান্ত আচরণ সভােষজনক হবে না ৷ এরপর
হিরাক্লিয়াস যাত্রা করে ৷ সে কনক্টানঢিনােপল গিয়ে অবতরণ করে এবং সেখানে রাজত্ব করতে
থাকে ৷ তার সাথে থাকা একজন বন্দী মুসলমানকে যে জিজ্ঞেস করে বলেছিল, “আচ্ছা বল তো,
ওই মুসলমানগণ কেমন মানুষ? বন্দী মুসলমানটি বললেন, আমি আপনাকে ওদের এমন বিবরণ
দেব যেন আপনি স্বচক্ষে তা দেখতে পাবেন ৷ ওরা দিনের বেলায় অশ্বারোহী মুজাহিদ আর
রাতের বেলা সংসার ত্যাপী ইৰাদতকারী ৷ তাদের জিম্মদোরীতে থাকা অন্যের মালামাল তারা



১ তাৰারীতে মীনাস বলা হয়েছে ৷


إِلَى شَمْشَاطَ وَعَلَا عَلَى شَرَفٍ هُنَالِكَ، الْتَفَتَ إِلَى نَحْوِ بَيْتِ الْمَقْدِسِ، وَقَالَ: عَلَيْكِ السَّلَامُ يَا سُورِيَّةُ سَلَامًا لَا اجْتِمَاعَ بَعْدَهُ، إِلَّا أَنْ أُسَلِّمَ عَلَيْكِ تَسْلِيمَ الْمُفَارِقِ، وَلَا يَعُودُ إِلَيْكِ رُومِيٌّ أَبَدًا إِلَّا خَائِفًا حَتَّى يُولَدَ الْمَوْلُودُ الْمَشْئُومُ، وَيَا لَيْتَهُ لَمْ يُولَدْ، مَا أَحْلَى فِعْلَهُ، وَأَمَرَّ عَاقِبَتَهُ عَلَى الرُّومِ! ثُمَّ سَارَ هِرَقْلُ حَتَّى نَزَلَ الْقُسْطَنْطِينِيَّةَ، وَاسْتَقَرَّ بِهَا مُلْكُهُ، وَقَدْ سَأَلَ رَجُلًا مِمَّنِ اتَّبَعَهُ كَانَ قَدْ أُسِرَ مَعَ الْمُسْلِمِينَ، فَقَالَ: أَخْبِرْنِي عَنْ هَؤُلَاءِ الْقَوْمِ. فَقَالَ: أُخْبِرُكَ كَأَنَّكَ تَنْظُرُ إِلَيْهِمْ ; هُمْ فُرْسَانٌ بِالنَّهَارِ، رُهْبَانٌ بِاللَّيْلِ، لَا يَأْكُلُونَ فِي ذِمَّتِهِمْ إِلَّا بِثَمَنٍ، وَلَا يَدْخُلُونَ إِلَّا بِسَلَامٍ، يَقِفُونَ عَلَى مَنْ حَارَبُوهُ حَتَّى يَأْتُوا عَلَيْهِ. فَقَالَ: لَئِنْ كُنْتَ صَدَقْتَنِي لَيَمْلِكُنَّ مَوْضِعَ قَدَمَيَّ هَاتَيْنِ. قُلْتُ: وَقَدْ حَاصَرَ الْمُسْلِمُونَ قُسْطَنْطِينِيَّةَ فِي زَمَانِ بَنِي أُمَيَّةَ، فَلَمْ يَمْلِكُوهَا وَلَكِنْ سَيَمْلِكُهَا الْمُسْلِمُونَ فِي آخِرِ الزَّمَانِ، كَمَا سَنُبَيِّنُهُ فِي كِتَابِ الْمَلَاحِمِ، وَذَلِكَ قَبْلَ خُرُوجِ الدَّجَّالِ بِقَلِيلٍ عَلَى مَا صِحَّتِ بِهِ الْأَحَادِيثُ عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي " صَحِيحِ مُسْلِمٍ " وَغَيْرِهِ مِنَ الْأَئِمَّةِ، وَلِلَّهِ الْحَمْدُ وَالْمِنَّةُ. وَقَدْ حَرَّمَ اللَّهُ عَلَى الرُّومِ أَنْ يَمْلِكُوا بِلَادَ الشَّامِ بِرُمَّتِهَا إِلَى آخِرِ الدَّهْرِ، كَمَا ثَبَتَ بِهِ الْحَدِيثُ فِي " الصَّحِيحَيْنِ " عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «إِذَا هَلَكَ كِسْرَى فَلَا كِسْرَى بَعْدَهُ، وَإِذَا هَلَكَ قَيْصَرُ فَلَا قَيْصَرَ بَعْدَهُ، وَالَّذِي نَفْسِي بِيَدِهِ لَتُنْفِقُنَّ كُنُوزَهُمَا فِي سَبِيلِ اللَّهِ عَزَّ وَجَلَّ» . وَقَدْ وَقَعَ مَا