سنة خمس عشرة
পৃষ্ঠা - ৫৪৭৬
১৫ হিজরী সন
ইবন জারীর বলেন, কারো কারো মতে ১৫ হিজৰী সনে সাদ ইবন আৰী ওয়াক্কার্স(রা)
কুফা নগরীর গোড়াপত্তন করেন ৷ ইবন ৰাকীলাহ্ নামের এক পােক র্তাৰেৰুভ্রা ওই স্থানের পথ
দেখায় ৷ সে সাদ ইৰ্ন আৰী ওয়াক্কাস (রা)-কে বলেছিম, আমি আপনাকে এমন একটি স্থান
দেখার যেটি জ্যাশেয় থেকে উচু এবং পাহাড়ী ভুমি থেকে নীচু ৷ তারপর সে তাকে এখনকার
কুফা নগরীর স্থানে নিয়ে যায় ৷
ইবন জারীর বলেন, এই বছর মারজুৰ কম যুদ্ধ সংঘটিত হয় ৷ এই যুদ্ধের পটভুমি এই যে,
আমীরুল মু’মিনীন খলীফা উমর ইবন খাত্তাবের নির্দেশ্যনুসারে আবু উবায়দা (রা) ও খালিদ
ইবন ওয়ালিদ ফিহ্ল যুদ্ধ শেষে হিম্সের উদ্দেশ্যে যাত্রা করেন ৷ সায়ফ ইবন উমর-এর বর্ণনায়
ইতিপুর্বে তা আলোচিত হয়েছে ৷ তারা দুজ়নে যাত্রা করে যুলকিলা নামক স্থানে পৌছো ৷
এদিকে হিরাক্লিয়াস তুযরা নামে তার এক সেনাপতিকে কতক সৈন্যসহ প্রেরণ করে ৷ তারা
মারজু দামেশৃক ও তার পশ্চিম প্রান্তে অবতরণ করে ৷ তখন শীতকাল ৷ সেনাপতি আবুউবায়দা
(রা) মারজুর রুম-এ অবতরণ করেন ৷ ওদিকে রোম থেকে শানুস নামের অন্য এক সেনাপতি
বহু সৈন্যের এক বিশাল বাহিনী নিয়ে এগিয়ে আসে ৷ আবু উবায়দা তাদেরকে রুখে র্দাড়ান ৷
তারা তৃযরার কথা ভুলে গিয়ে আবু উবায়দা (রা)-এর সাথে যুদ্ধে লিপ্ত হয় ৷ তুযরা যাত্রা
করেছিল দামেশ্কের উদ্দেশ্যে ৷ তার লক্ষ্য জ্যি দামেশৃকে অবতরণ এবং ইয়াযীদ ইবন আবু
সুফয়ানের নিকট থেকে দামেশৃকের কর্তৃত্ব ছিনিয়ে নেয়া ৷ খালিদ ইবন ওয়ালীদ তার পেছনে
ছুটলেন ৷ আর ইয়াযীদ ইবন আবী সুফয়ান তাকে মুকাবিলা করার জন্যে দামেশৃক থেকে বের
হলেন ৷
ইয়াযীদ ইবন আবী সুফয়ড়ানের সৈন্য এবং তৃযরার সৈন্য মুখোমুখি হয়ে প্রচণ্ড যুদ্ধ শুরু
করে ৷ যুদ্ধ চলছিল ৷ পেছন থেকে খালিদ গিয়ে তৃযরার বাহিনীর উপর আক্রমণ করেন ৷
পেছনের দিক থেকে তিনি ওদেরকে হত্যা করতে থাকেন ৷ আর সামনের দিক থেকে ইয়াযীদ
ওদেরকে আক্রমণে আক্রমণে ছত্রভঙ্গ করতে থাকেন ৷ শেষ পর্যন্ত ওদের সবাইকে হত্যা
করেন৷ দুপাশে থাকা এবং বিচ্ছিন্ন হয়ে পালিয়ে যাওয়া সৈন্যগণ ব্যতীত কেউই রেহাই
পায়নি ৷ হযরত খ্যলিদ নিজে রোমান সেনাপতি তৃযরাকে হত্যা করেন ৷ ওদের প্রচুর ধন-সম্পদ
গনীমত হিসেবে মুসলমানদের অধিকারে আসে ৷ উভয় সেনাপতি নিজ নিজ সৈন্যদের মাঝে
বিধি মুতাবিক তা বণ্টন করে দেন ৷ যুদ্ধশেষে ইয়াযীদ দামেশকে ফিরে যান আর খালিদ যাত্রা
করেন আবু উবায়দা (রা)-এর উদ্দেশ্যে ৷ তিনি দেখতে পেলেন যে, মারজুর রোম নামক স্থানে
আবু উবায়দা (রা) রোমান সেনাপতি শান্স-এর সাথে যুদ্ধ করছেন ৷ সেখানে উভয় পক্ষে প্রচণ্ড
যুদ্ধ হয় ৷ ওদের ঘোড়ার ক্ষুরাঘাতে জমি কেপে কেপে উঠছিল ৷ সেনাপতি আবু উবায়দা (রা)
[سَنَةُ خَمْسَ عَشْرَةَ]
[مَا وَقَعَ فِيهَا مِنَ الْأَحْدَاثِ]
ثُمَّ دَخَلَتْ سَنَةُ خَمْسَ عَشْرَةَ.
قَالَ ابْنُ جَرِيرٍ: قَالَ بَعْضُهُمْ: فِيهَا مَصَّرَ سَعْدُ بْنُ أَبِي وَقَّاصٍ الْكُوفَةَ، دَلَّهُمْ عَلَيْهَا ابْنُ بُقَيْلَةَ، قَالَ لِسَعْدٍ: أَدُلُّكَ عَلَى أَرْضٍ ارْتَفَعَتْ عَنِ الْبَقِّ، وَانْحَدَرَتْ عَنِ الْفَلَاةِ؟ فَدَلَّهُمْ عَلَى مَوْضِعِ الْكُوفَةِ الْيَوْمَ. قَالَ: وَفِيهَا كَانَتْ وَقْعَةُ مَرْجِ الرُّومِ ; وَذَلِكَ لَمَّا انْصَرَفَ أَبُو عُبَيْدَةَ وَخَالِدٌ مِنْ وَقْعَةِ فِحْلٍ قَاصِدِينَ إِلَى حِمْصَ، حَسَبَ مَا أَمَرَ بِهِ أَمِيرُ الْمُؤْمِنِينَ عُمَرُ بْنُ الْخَطَّابِ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، كَمَا تَقَدَّمَ فِي رِوَايَةِ سَيْفِ بْنِ عُمَرَ، فَسَارَا حَتَّى نَزَلَا عَلَى ذِي الْكَلَاعِ، فَبَعَثَ هِرَقْلُ بِطْرِيقًا يُقَالُ لَهُ: تُوذَرَا. فِي جَيْشٍ مَعَهُ. فَنَزَلَ بِمَرْجِ دِمَشْقَ وَغَرْبِيِّهَا، وَقَدْ هَجَمَ الشِّتَاءُ، فَبَدَأَ أَبُو عُبَيْدَةَ بِمَرْجِ الرُّومِ، وَجَاءَ أَمِيرٌ آخَرُ مِنَ الرُّومِ يُقَالُ لَهُ: شَنَسُ. وَعَسْكَرٌ مَعَهُ كَثِيفٌ، فَنَازَلَهُ أَبُو عُبَيْدَةَ فَاشْتَغَلُوا بِهِ عَنْ تُوذَرَا، فَسَارَ تُوذَرَا نَحْوَ دِمَشْقَ لِيُنَازِلَهَا وَيَنْتَزِعَهَا مِنْ يَدِ يَزِيدَ بْنِ أَبِي سُفْيَانَ، فَأَتْبَعُهُ خَالِدُ بْنُ الْوَلِيدِ، وَبَرَزَ إِلَيْهِ يَزِيدُ بْنُ أَبِي سُفْيَانَ مِنْ دِمَشْقَ، فَاقْتَتَلُوا، وَجَاءَ خَالِدٌ وَهُمْ فِي الْمَعْرَكَةِ فَجَعَلَ يُقَتِّلُهُمْ مِنْ وَرَائِهِمْ، وَيَزِيدُ يُقَصِّلُ فِيهِمْ مِنْ أَمَامِهِمْ، حَتَّى أَنَامُوهُمْ وَلَمْ يُفْلِتْ مِنْهُمْ إِلَّا الشَّارِدُ، وَقَتَلَ خَالِدٌ تُوذَرَا، وَأَخَذُوا مِنَ الرُّومِ أَمْوَالًا عَظِيمَةً فَاقْتَسَمَاهَا، وَرَجَعَ يَزِيدُ إِلَى دِمَشْقَ وَانْصَرَفَ خَالِدٌ إِلَى أَبِي عُبَيْدَةَ، فَوَجَدَهُ قَدْ وَاقَعَ شَنَسَ بِمَرْجِ الرُّومِ، فَقَتَلَهُمْ فِيهِ مَقْتَلَةً عَظِيمَةً حَتَّى أَنْتَنَتِ الْأَرْضُ مِنْ زَهَمِهِمْ، وَقَتَلَ أَبُو عُبَيْدَةَ شَنَسَ، وَرَكِبُوا أَكْتَافَهُمْ إِلَى حِمْصَ، فَنَزَلَ عَلَيْهَا يُحَاصِرُهَا.
পৃষ্ঠা - ৫৪৭৭
[وَقْعَةُ حِمْصَ الْأُولَى]
لَمَّا وَصَلَ أَبُو عُبَيْدَةَ فِي اتِّبَاعِهِ الرُّومَ الْمُنْهَزِمِينَ إِلَى حِمْصَ، نَزَلَ حَوْلَهَا يُحَاصِرُهَا، وَلَحِقَهُ خَالِدُ بْنُ الْوَلِيدِ، فَحَاصَرُوهَا حِصَارًا شَدِيدًا، وَذَلِكَ فِي زَمَنِ الْبَرْدِ الشَّدِيدِ، وَصَابَرَ أَهْلُ الْبَلَدِ ; رَجَاءَ أَنْ يَصْرِفَهُمْ عَنْهُمْ شِدَّةُ الْبَرْدِ، وَصَبَرَ الصَّحَابَةُ صَبْرًا عَظِيمًا، بِحَيْثُ إِنَّهُ ذَكَرَ غَيْرُ وَاحِدٍ أَنَّ مِنَ الرُّومِ مَنْ كَانَ يَرْجِعُ وَقَدْ سَقَطَتْ رِجْلُهُ وَهِيَ فِي الْخُفِّ، وَالصَّحَابَةُ لَيْسَ فِي أَرْجُلِهِمْ شَيْءٌ سِوَى النِّعَالِ، وَمَعَ هَذَا لَمْ يُصَبْ مِنْهُمْ قَدَمٌ وَلَا أُصْبُعٌ أَيْضًا، وَلَمْ يَزَالُوا كَذَلِكَ حَتَّى انْسَلَخَ فَصْلُ الشِّتَاءِ فَاشْتَدَّ الْحِصَارُ، وَأَشَارَ بَعْضُ كِبَارِ أَهْلِ حِمْصَ عَلَيْهِمْ بِالْمُصَالَحَةِ، فَأَبَوْا عَلَيْهِ ذَلِكَ وَقَالُوا: أَنُصَالِحُ وَالْمَلِكُ مِنَّا قَرِيبٌ؟ فَيُقَالُ: إِنَّ الصَّحَابَةَ كَبَّرُوا فِي بَعْضِ الْأَيَّامِ تَكْبِيرَةً ارْتَجَّتْ مِنْهَا الْمَدِينَةُ حَتَّى تَفَطَّرَتْ مِنْهَا بَعْضُ الْجُدْرَانِ، ثُمَّ تَكْبِيرَةً أُخْرَى فَسَقَطَتْ بَعْضُ الدُّورِ، فَجَاءَتْ عَامَّتُهُمْ إِلَى خَاصَّتِهِمْ فَقَالُوا: أَلَا تَنْظُرُونَ إِلَى مَا نَزَلْ بِنَا، وَمَا نَحْنُ فِيهِ؟ أَلَا تُصَالِحُونَ الْقَوْمَ عَنَّا؟ قَالَ: فَصَالَحُوهُمْ عَلَى مَا صَالَحُوا عَلَيْهِ أَهْلَ دِمَشْقَ ; عَلَى نِصْفِ الْمَنَازِلِ، وَضَرْبِ الْخَرَاجِ عَلَى الْأَرَاضِي، وَأَخْذِ الْجِزْيَةِ عَلَى الرِّقَابِ بِحَسَبِ الْغِنَى وَالْفَقْرِ، وَبَعَثَ أَبُو عُبَيْدَةَ بِالْأَخْمَاسِ وَالْبِشَارَةِ إِلَى عُمَرَ مَعَ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مَسْعُودٍ. وَأَنْزَلَ أَبُو عُبَيْدَةَ بِحِمْصَ جَيْشًا كَثِيفًا يَكُونُ بِهَا، مَعَ جَمَاعَةٍ مِنَ الْأُمَرَاءِ مِنْهُمْ بِلَالٌ وَالْمِقْدَادُ، وَكَتَبَ أَبُو عُبَيْدَةَ إِلَى عُمَرَ يُخْبِرُهُ بِأَنَّ هِرَقْلَ قَدْ قَطَعَ الْمَاءَ إِلَى الْجَزِيرَةِ، وَأَنَّهُ يَظْهَرُ تَارَةً وَيَخْفَى أُخْرَى. فَبَعَثَ إِلَيْهِ عُمَرُ يَأْمُرُهُ بِالْمُقَامِ بِبَلَدِهِ.
পৃষ্ঠা - ৫৪৭৮
তার প্রতিপক্ষ শানৃসকে হত্যা করেন এবং ওদেরকে খাওয়া করতে করতে হিম্স নগরীতে নিয়ে
যান ৷ ওখানে তারা স্থানীয় অধিবাসীদেরকে অবরুদ্ধ করে রাখেন ৷
হিম্সের প্রথম যুদ্ধ
পরাজিত রোমানদেরকে তাড়া করে সেনাপতি অৰবু উৰায়দা (রা) হিম্স নগরীতে নিয়ে
যান ৷ তিনি ওই নগরীতে অবতরণ করে সেটি অবরোধ করেন ৷ খালিদ ইবন ওয়ালীদ (বা)
গিয়ে তার সাথে যোগ দেন ৷ তারা অবরোধ আংরা কঠিন করেন ৷ তখন প্রচণ্ড ঠাণ্ডা পড়ছিল ৷
নগরবাসিপণ এই আশায় ছিল যে, ঠাণ্ডায় অতিষ্ঠ হয়ে মুসলমানগণ অবারাধ তুৰুল চলে যাবে ৷
কিন্তু সাহাবীগণ পরম ধৈর্য অবলম্বন করলেন ৷ কেউ কেউ উল্লেখ করেছেন যে, কতক রোমান
ঠাঘার কারণে ফিরে গিয়েছিল কিভু সহোবীদের কেউ স্থান ত্যাগ করেন নি ৷ ঠাণ্ডায় রোমানদের
কারো কারো পা খসে পড়েছিল ৷ অথচ ওদের পা ছিল মােজার মধ্যে ৷ সাহাবীদ্যো পায়ে জুতা
ছাড়া অন্য কিছু ছিল না ৷ তা সত্বেও তাদের কারো পারে কোন সমস্যা হয়নি ৷ এমনকি কোন
আঙ্গুলেও নয় ৷ তারা অবরোধ চালিয়েই যাচ্ছিলেন ৷ এভাবে শীত মওসুম চলে গেল ৷ তারা
অবরোধ আরো কঠিন করলেন ৷ হিম্স অধিবাসীদের মুরববী স্থানীয় লোকজন মুসলমানদের
সাথে সন্ধি স্থাপনের প্রস্তাব দিয়েছিল ৷ কিন্তু সক্রিয় নাগরিকগণ তা গ্রহণ করেনি ৷ তারা
বলেছিল, আমরা সমঝোতায় যাব কেন ৷ আমাদের সম্রাটতাে আমাদের কাছেই অবস্থান
করছেন ৷ কথিত আছে যে, একদিন সাহাবীগণ এমন জোরে তাকবীর ধ্বনি দিয়েছিলেন যে,
তাতে পুরো শহর পর পর করে কেপে উঠেহ্নিৰু ৷ কতক প্রাচীর ফেটে গিয়েছিল ৷ এরপর আরেক
বার তাকবীর ধ্বনি দিয়েছিলেন তাতে কতক ষরবাড়ি ভেঙ্গেপড়েছিল ৷ এবার ওদের সাধারণ
নাগরিকপণ শীর্ষস্থানীয় ও সক্রিয় নাগরিকদের নিকট এসে বলল, আমাদের অবস্থা কি আপনারা
অবগত নন৷ আমাদের পক্ষ থেকে আপনারা সন্ধি করছেন না কেনা এরপর ওরা সেই সকল
শর্তে সন্ধি স্থাপন ও সমঝোতা চুক্তি সর্ম্পাদন করল, যে সকল শর্তে দামেশকের অধিবাসীপণ
সন্ধি করেছিল যে, অর্ধেক ঘরবাড়ি মুসলমানদের দখলে যাবে ৷ ভুমির খাজনা পরিশোধ করতে
হবে এবং ধনীগরীব অনুপাতে প্রত্যেককে জিয্য়া, কর পরিশোধ করতে হবে ৷ ওখানে প্রাপ্ত
গনীমতের হুন্ অংশ বিধি মুতাবিক খঙ্গীফার দরবারে পাঠিয়ে দিলেন সেনাপতি আবু উবায়দা
(বা) ৷ গনীমতের হুন্ অংশ এবং বিজয়ের সংবাদসহ খলীফার নিকট পাঠানো হলো আবদুল্লাহ্
ইবন মাসউদ (রা)-কে ৷ সেনাপতি আবু উৰায়দা (বা) বহু সৈন্যের সমবায়ে সেখানে একটি
সেনা ক্যাম্প স্থাপন করেন ৷ সৈনিকদের সাথে কয়েকজন সেনাপতিও নিযুক্ত করে দেন ৷ তারা
হলেন হযরত বিলাল (বা) এবং মিকদাদ (বা) ৷ আবু উৰায়দা (রা) খলীফাকে জানালেন যে,
রোমান সম্রটি হিরাক্লিয়াস জাযিরা অঞ্চলের পানি বন্ধ করে দিয়েছে ৷ তিনি এও জানালেন যে,
ষ্স্রাট কখনো বাহিরে বের হয় আবার কখনো লুকিয়ে থাকে ৷ হযরত উমর (রা) তাকে
আপাতত ওই শহরে থাকার নির্দেশ দিলেন ৷
ৰিদ্মাসরীনের যুদ্ধ
হিম্স অধিকারের পর আবু উবায়দা (বা) হযরত খালিদ ইবন ওয়ালীদকে কিন্নড়াসরীন
অব্বিানে প্রেরণ করেন ৷ তিনি সেখানে পৌছুলে স্থানীয় অধিবাসীগণ এবং আরব খ্রিন্টানপণ
[وَقْعَةُ قِنَّسْرِينَ]
لَمَّا فَتَحَ أَبُو عُبَيْدَةَ حِمْصَ بَعَثَ خَالِدَ بْنَ الْوَلِيدِ إِلَى قِنَّسْرِينَ، فَلَمَّا جَاءَهَا ثَارَ إِلَيْهِ أَهْلُهَا وَمَنْ عِنْدَهُمْ مِنَ نَصَارَى الْعَرَبِ، فَقَاتَلَهُمْ خَالِدٌ فِيهَا قِتَالًا شَدِيدًا، وَقَتَلَ مِنْهُمْ خَلْقًا كَثِيرًا، فَأَمَّا مَنْ هُنَاكَ مِنَ الرُّومِ فَأَبَادَهُمْ، وَقَتَلَ أَمِيرَهُمْ مِينَاسَ، وَأَمَّا الْأَعْرَابُ فَإِنَّهُمُ اعْتَذَرُوا إِلَيْهِ بِأَنَّ هَذَا الْقِتَالَ لَمْ يَكُنْ عَنْ رَأْيِنَا، فَقَبِلَ مِنْهُمْ خَالِدٌ وَكَفَّ عَنْهُمْ، ثُمَّ خَلَصَ إِلَى الْبَلَدِ فَتَحَصَّنُوا فِيهِ، فَقَالَ لَهُمْ خَالِدٌ: إِنَّكُمْ لَوْ كُنْتُمْ فِي السَّحَابِ لَحَمَلَنَا اللَّهُ إِلَيْكُمْ أَوْ لَأَنْزَلَكُمْ إِلَيْنَا. وَلَمْ يَزَلْ بِهِمْ حَتَّى فَتَحَهَا اللَّهُ عَلَيْهِ، وَلِلَّهِ الْحَمْدُ. فَلَمَّا بَلَغَ عُمَرَ مَا صَنَعَهُ خَالِدٌ فِي هَذِهِ الْوَقْعَةِ قَالَ: يَرْحَمُ اللَّهُ أَبَا بَكْرٍ كَانَ أَعْلَمَ بِالرِّجَالِ مِنِّي، وَاللَّهِ إِنِّي لَمْ أَعْزِلْهُ عَنْ رِيبَةٍ، وَلَكِنْ خَشِيتُ أَنْ يُوكَلَ النَّاسُ إِلَيْهِ.
وَفِي هَذِهِ السَّنَةِ تَقَهْقَرَ هِرَقْلُ بِجُنُودِهِ، وَارْتَحَلَ عَنْ بِلَادِ الشَّامِ إِلَى بِلَادِ الرُّومِ. هَكَذَا ذَكَرَهُ ابْنُ جَرِيرٍ عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ إِسْحَاقَ. قَالَ: وَقَالَ سَيْفٌ: كَانَ ذَلِكَ فِي سَنَةِ سِتَّ عَشْرَةَ قَالُوا: وَكَانَ هِرَقْلُ كُلَّمَا حَجَّ إِلَى بَيْتِ الْمَقْدِسِ، وَخَرَجَ مِنْهَا يَقُولُ: عَلَيْكِ السَّلَامُ يَا سُورِيَّةُ تَسْلِيمَ مُوَدِّعٍ لَمْ يَقْضِ مِنْكِ وَطَرَهُ وَهُوَ عَائِدٌ. فَلَمَّا عَزَمَ عَلَى الرَّحِيلِ مِنَ الشَّامِ وَبَلَغَ الرُّهَاءَ، طَلَبَ مِنْ أَهْلِهَا أَنْ يَصْحَبُوهُ إِلَى الرُّومِ، فَقَالُوا: إِنَّ بَقَاءَنَا هَا هُنَا أَنْفَعُ لَكَ مِنْ رَحِيلِنَا مَعَكَ. فَتَرَكَهُمْ، فَلَمَّا وَصَلَ
পৃষ্ঠা - ৫৪৭৯
তার বিরুদ্ধে যুদ্ধের জন্যে ণ্বৃরিয়ে আসে ৷ হযরত খালিদ (বা) ওদের বিরুদ্ধে প্রচণ্ড যুদ্ধ ;শুরু
করেন ৷ ওদের বহু লোক নিহত হয় ৷ সেখানে রোমান যারা ছিল তাদের সবাইকে হত্যা করা
হয় ৷ ওদের আমীর ও সেনাপতি মীতাস১ নিহত হয় ৷ এরপর গ্রাম্য ণ্বদুঈনপণ এসে আত্মসমর্পণ
করে এবং ভৃযর পুেশ করে বলে যে, এই যুদ্ধে আমাদের কোন সম্মতি ছিল না ৷ বরং খ্রিস্টানদের
প্ররােচনায় যুদ্ধ স ত্ঘটিত হয়েছে ৷ সেনাপতি খালিদ তাদের ওযর মঞ্জুর করেন এবং যুদ্ধ বন্ধ
করেন ৷ তিনি শহরে প্রবেশ করে নিরাপত্তার ব্যবস্থা করেন ৷ হযরত খালিদ (বা) ওদের উদ্দেশ্যে
বললেন, তােমরা যদি আকাশেও থাক তবে মহান আল্লাহ্ আমাদেরকে তোমাদের নিকট ভুলে
নিবেন অথবা তােমাদেরকে আমাদের নিকট নামিয়ে আসবেন ৷’ তিনি ওখানেই অবস্থান
করলেন ৷ শেষ পর্যন্ত পুরো কিন্নাসরীন মুসলমানদের অধিকারে আসে ৷ সকল প্রশংসা মহান
আল্লাহ্র ৷
এই যুদ্ধে হযরত খালিদের দুরদর্শিত৷ ও কৃতিত্বের সংবাদ খলীফা উমর (রা) অবগত হন ৷
তিনি বলেন, মহান আল্লাহ হযরত আবুবকরের প্রতি দয়া করুন ৷ তিনি মানুষ চিনতেন আমার
চাইতে বেশি ৷ আল্লাহর কসম কোন দোষ কিৎবা অপরাধের কারণে আমি খালিদকে বরখাস্ত
করেছিলাম তা নয় এবং আমি আশংকা করেছিলাম যে, মানুষ তার উপর নিভরিশীল না হয়ে
যায় ৷
এই বছরই অর্থাৎ ১৫ হিজরী সনে রোমান সম্রটি হিরাক্লিয়াস তার সৈন্য সামস্তসহ পিছু
হটে যায় ৷ সে সিরিয়া ছেড়ে বোমে চলে যায় ৷ ইবন জারীর মুহাম্মদ ইবন ইসহাক থেকে তাই
বণন৷ করেছেন ৷ কিন্তু সায়ফ ইবন উমারা বলেছেন, এ ঘটনা ঘটেছিল ১৬ হিজরী সালে ৷
ঐতিহাসিকগণ বলেন হিরাক্লিয়াস প্রতিবার বায়তৃল মুকাদ্দাসের৩ তীর্থ যা ত্র৷ শেষে যাবার সময়
বলত, তামার প্রতি সালাম হে সুরিয়া! সালাম এমন বিদায় গ্রহণকারীর পক্ষ থেকে তোমার
সম্পর্কে যার সব আশা এখনো পুর্ণ হয়নি ৷ সে আবার ফিরে আসবে” ৷ কিন্তু সে যখন সিরিয়া
ছেড়ে চলে যাবার সিদ্ধান্ত নিল এবং যাত্রাপথে রাহা’ পর্যন্ত ৷;পাছল তখন সেখানকার
অধিবাসীদেরকে তার সাথে চলে যাবার আহ্বান জ ৷নাল ৷ তারা বলল, আপনার সাথে যাবার
চাইতে আমরা এখানে থাকি তা আপনার জন্য বেশি কল্যাণকর হবে ৷ সে তাদেরকে রেখে চলে
গেল ৷ শামশান পৌছে সেখানকার উচু ভুমিতে আরােইণ করে, বায়তৃল মুকাদ্দাসের দিকে
তাকিয়ে সম্রাট বলল, হে সুরিয়া ! তোমার প্রতি সালাম ৷ আর দেখা হবে না ৷ তবে দুর থেকে
বিরহীর সালাম জানার ৷ কোন রোমান নির্ভয়ে আর তোমার যিয়ারতে আসবে না ৷ যতদিন না
তাতে শিশুঢির জন্ম হয় ৷ তবে আমি কামনা করি ওই শিশুঢির জন্ম না হোক ৷ কারণ তার
কর্মকাণ্ড ভাল হবে না ৷ রোমের প্রতি তার চুড়ান্ত আচরণ সভােষজনক হবে না ৷ এরপর
হিরাক্লিয়াস যাত্রা করে ৷ সে কনক্টানঢিনােপল গিয়ে অবতরণ করে এবং সেখানে রাজত্ব করতে
থাকে ৷ তার সাথে থাকা একজন বন্দী মুসলমানকে যে জিজ্ঞেস করে বলেছিল, “আচ্ছা বল তো,
ওই মুসলমানগণ কেমন মানুষ? বন্দী মুসলমানটি বললেন, আমি আপনাকে ওদের এমন বিবরণ
দেব যেন আপনি স্বচক্ষে তা দেখতে পাবেন ৷ ওরা দিনের বেলায় অশ্বারোহী মুজাহিদ আর
রাতের বেলা সংসার ত্যাপী ইৰাদতকারী ৷ তাদের জিম্মদোরীতে থাকা অন্যের মালামাল তারা
১ তাৰারীতে মীনাস বলা হয়েছে ৷
إِلَى شَمْشَاطَ وَعَلَا عَلَى شَرَفٍ هُنَالِكَ، الْتَفَتَ إِلَى نَحْوِ بَيْتِ الْمَقْدِسِ، وَقَالَ: عَلَيْكِ السَّلَامُ يَا سُورِيَّةُ سَلَامًا لَا اجْتِمَاعَ بَعْدَهُ، إِلَّا أَنْ أُسَلِّمَ عَلَيْكِ تَسْلِيمَ الْمُفَارِقِ، وَلَا يَعُودُ إِلَيْكِ رُومِيٌّ أَبَدًا إِلَّا خَائِفًا حَتَّى يُولَدَ الْمَوْلُودُ الْمَشْئُومُ، وَيَا لَيْتَهُ لَمْ يُولَدْ، مَا أَحْلَى فِعْلَهُ، وَأَمَرَّ عَاقِبَتَهُ عَلَى الرُّومِ! ثُمَّ سَارَ هِرَقْلُ حَتَّى نَزَلَ الْقُسْطَنْطِينِيَّةَ، وَاسْتَقَرَّ بِهَا مُلْكُهُ، وَقَدْ سَأَلَ رَجُلًا مِمَّنِ اتَّبَعَهُ كَانَ قَدْ أُسِرَ مَعَ الْمُسْلِمِينَ، فَقَالَ: أَخْبِرْنِي عَنْ هَؤُلَاءِ الْقَوْمِ. فَقَالَ: أُخْبِرُكَ كَأَنَّكَ تَنْظُرُ إِلَيْهِمْ ; هُمْ فُرْسَانٌ بِالنَّهَارِ، رُهْبَانٌ بِاللَّيْلِ، لَا يَأْكُلُونَ فِي ذِمَّتِهِمْ إِلَّا بِثَمَنٍ، وَلَا يَدْخُلُونَ إِلَّا بِسَلَامٍ، يَقِفُونَ عَلَى مَنْ حَارَبُوهُ حَتَّى يَأْتُوا عَلَيْهِ. فَقَالَ: لَئِنْ كُنْتَ صَدَقْتَنِي لَيَمْلِكُنَّ مَوْضِعَ قَدَمَيَّ هَاتَيْنِ.
قُلْتُ: وَقَدْ حَاصَرَ الْمُسْلِمُونَ قُسْطَنْطِينِيَّةَ فِي زَمَانِ بَنِي أُمَيَّةَ، فَلَمْ يَمْلِكُوهَا وَلَكِنْ سَيَمْلِكُهَا الْمُسْلِمُونَ فِي آخِرِ الزَّمَانِ، كَمَا سَنُبَيِّنُهُ فِي كِتَابِ الْمَلَاحِمِ، وَذَلِكَ قَبْلَ خُرُوجِ الدَّجَّالِ بِقَلِيلٍ عَلَى مَا صِحَّتِ بِهِ الْأَحَادِيثُ عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي " صَحِيحِ مُسْلِمٍ " وَغَيْرِهِ مِنَ الْأَئِمَّةِ، وَلِلَّهِ الْحَمْدُ وَالْمِنَّةُ.
وَقَدْ حَرَّمَ اللَّهُ عَلَى الرُّومِ أَنْ يَمْلِكُوا بِلَادَ الشَّامِ بِرُمَّتِهَا إِلَى آخِرِ الدَّهْرِ، كَمَا ثَبَتَ بِهِ الْحَدِيثُ فِي " الصَّحِيحَيْنِ " عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «إِذَا هَلَكَ كِسْرَى فَلَا كِسْرَى بَعْدَهُ، وَإِذَا هَلَكَ قَيْصَرُ فَلَا قَيْصَرَ بَعْدَهُ، وَالَّذِي نَفْسِي بِيَدِهِ لَتُنْفِقُنَّ كُنُوزَهُمَا فِي سَبِيلِ اللَّهِ عَزَّ وَجَلَّ» . وَقَدْ وَقَعَ مَا
পৃষ্ঠা - ৫৪৮০
বিনামুল্যে ভক্ষণ করে না ৷ কোন স্থানে৩ তারা বিশৃত্খলা ও অশাত্তি নিয়ে প্রবেশ করবে না ৷
যুদ্ধবাজ প্রতিপক্ষের জন্যে তারা অপেক্ষা করে, যতক্ষণ না প্রতিপক্ষ তাদের নিকট উপ
হয়ে যুদ্ধের সুচনা করে ৷ এসব শুনে হিরাক্লিয়াস বলেছিল, তুমি যা বলেছ তা যদি সত্য
হয় তাহলে আমার পায়ের নিচের এই স্থানটিও তারা দখল করে নিয়ে ৷ তারা এটিরও অধিকারী
হবে ৷
আমি বলি, উমাইয়৷ শাসনামলে মুসলমানগণ কনক্টানৃটিনােপল অবরৈাধ করেছিলেন ৷ কিন্তু
সেটি জয় করতে পারেন নি ৷ অবশ্য পরবর্তী যুগে তারা এটি অধিকার করে নিয়ে ইনশাআল্লাহ ৷
৩কি ৷ব আল ঘুলাহিম’ গ্রন্থে আমরা এই বিষয়ে আলোচনা করব ৷ এই জয় আসবে দাজ্জাল
আগমন করার সামান্য পুর্বে ৷ এ বিষয়ে রাসুলুল্লাহ্মোঃ ; থেকে বিশুদ্ধ হাদীসসমুহ বর্ণিত ৩হয়েছে ৷
সহীহ মুসলিম ও অন্যান্য গ্রন্থে এগুলো উদ্ধৃত আছে ৷ সকল প্রশংসা মহান আল্লাহ্র ৷
কোনকালেই রোমানরা আর পুর্ণ সিরিয়া অধিকার করতে পারবে না ৷ সমগ্র সিরিয়া
পুনঃদখল করা আল্লাহ্ তাআলা রোমানদের জন্যে হারাম করে দিয়েছেন ৷ এ প্রসঙ্গে সহীহ
বুখারী ও সহীহ মুসলিম গ্রন্থে উদ্ধৃত আছে যে, আবু হুরায়রা (বা) থেকে বর্ণিত, তিনি
বলেচ্ছেন , রাসুলুল্লাহ্ড্রেবলেছেন-
;;fl এ£ণ্ড্র ৷ট্রা
; ষ্ —
পারস্য সম্রাট ধ্বংস হলে এমন দাের্দগু প্রতাপশালী পারস্য সম্রাট আর জন্ম নিয়ে না ৷
রোমান সম্রাট ধ্বংস হবে এমন দাের্দণ্ড প্ৰতাপশালী রোমান সম্রাট আর জন্য নিয়ে না ৷ যে মহান
সভার হাতে আমার প্রাণ তার কসম করে বলছি, ওদের সকল ধন সম্পদ ও সঞ্চয় মহান
আল্লাহ্র পথে ব্যয়িত হবে ৷ বন্তুত বাসুলুল্পাহ মোঃ যা বলেছেন তা ঘর্টেছেই, যেমনটি আমরা
দেখেছি এবং এটা নিশ্চিত যে, আরো ঘটবে ৷ সিরিয়ার কখনো রোমান সাম্রাজ্য পুনঃপ্রতিষ্ঠিত
হবে না ৷ কারণ কায়সার’ শব্দ দ্বারা আরবগণ বুঝে থাকে একই সাথে রোম ও সিরিয়ার
শাসনকর্তা ৷ সুতরাং কোন ব্যক্তি একই সাথে রোমান শহর নগর ও সিরিয়ার শাসন ক্ষমতা
কুক্ষিগত করবে সে সুযোগ আর ফিরে আসবে না ৷
কায়সারিয়্যার যুদ্ধ
ইবন জারীর বলেন, এই বছর খলীফা উমর (রা) মুআবিয়া ইবন আবী সুফয়ালাক
কায়সারিয়্যা অভিযানের সেনাপতি নিয়োগ করেন ৷৩ তার নিকট প্রেরিত চিঠিতে খলীফা লিখেন
যে, আমি আপনাকে কায়সারিয়্যা অভিযানের সেনাপতির দায়িত্ব দিয়েছি ৷ আপনি সেখানে গমন
ব্বন্ন এবং ওদের বিরুদ্ধে আল্লাহর সাহায্য প্রার্থনা করুন ৷ আর বেশি বেশি করে এই কণেমা
পাঠ
ৰুা
র্চ!ষ্ ন্ শ্াশ্ ণ্শ্প্ শ্ষ্শ্
أَخْبَرَ بِهِ، صَلَوَاتُ اللَّهِ وَسَلَامُهُ عَلَيْهِ، كَمَا رَأَيْتَ، وَسَيَكُونُ مَا أَخْبَرَ بِهِ جَزْمًا، لَا يَعُودُ مُلْكُ الْقَيَاصِرَةِ إِلَى الشَّامِ أَبَدًا ; لِأَنَّ قَيْصَرَ عَلَمُ جِنْسٍ عِنْدَ الْعَرَبِ يُطْلَقُ عَلَى كُلِّ مَنْ مَلَكَ الشَّامَ مَعَ بِلَادِ الرُّومِ. فَهَذَا لَا يَعُودُ لَهُمْ أَبَدًا.
[وَقْعَةُ قَيْسَارِيَّةَ]
قَالَ ابْنُ جَرِيرٍ وَفِي هَذِهِ السَّنَةِ أَمَرَ عُمَرُ مُعَاوِيَةَ بْنَ أَبِي سُفْيَانَ عَلَى قَيْسَارِيَّةَ، وَكَتَبَ إِلَيْهِ: أَمَّا بَعْدُ، فَقَدْ وَلَّيْتُكَ قَيْسَارِيَّةَ، فَسِرْ إِلَيْهَا وَاسْتَنْصِرِ اللَّهَ عَلَيْهِمْ، وَأَكْثِرْ مِنْ قَوْلِ: لَا حَوْلَ وَلَا قُوَّةَ إِلَّا بِاللَّهِ الْعَلِيِّ الْعَظِيمِ، اللَّهُ رَبُّنَا وَثِقَتُنَا، وَرَجَاؤُنَا وَمَوْلَانَا، فَنِعَمَ الْمَوْلَى وَنِعْمَ النَّصِيرُ. فَسَارَ إِلَيْهَا فَحَاصَرَهَا، وَزَاحَفَهُ أَهْلُهَا مَرَّاتٍ عَدِيدَةً، وَكَانَ آخِرَهَا وَقْعَةً أَنْ قَاتَلُوا قِتَالًا عَظِيمًا، وَصَمَّمَ عَلَيْهِمْ مُعَاوِيَةُ، وَاجْتَهَدَ فِي الْقِتَالِ حَتَّى فَتَحَ اللَّهُ عَلَيْهِ، فَمَا انْفَصَلَ الْحَالُ حَتَّى قُتِلَ مِنْهُمْ نَحْوًا مِنْ ثَمَانِينَ أَلْفًا، وَكَمَّلَ الْمِائَةَ الْأَلْفِ مِنَ الَّذِينَ انْهَزَمُوا عَنِ الْمَعْرَكَةِ، وَبَعَثَ بِالْفَتْحِ وَالْأَخْمَاسِ إِلَى أَمِيرِ الْمُؤْمِنِينَ عُمَرَ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ.
قَالَ ابْنُ جَرِيرٍ: وَفِيهَا كَتَبَ عُمَرُ بْنُ الْخَطَّابِ إِلَى عَمْرِو بْنِ الْعَاصِ بِالْمَسِيرِ إِلَى إِيلِيَاءَ، وَمُنَاجَزَةِ صَاحِبِهَا، فَاجْتَازَ فِي طَرِيقِهِ عِنْدَ الرَّمْلَةِ بِطَائِفَةٍ مِنَ الرُّومِ، فَكَانَتْ:
পৃষ্ঠা - ৫৪৮১
মহান অশ্রোহ্র দেয়া শতি সামর্থ্য ব্যতীত আমাদের কোন শক্তি নেই ৷ মহান আল্লাহ্
আমাদের পাল্নকর্তা, আমাদের ভরসা, আমাদ্যো আশা এবং তিনি আমাদের প্রভু ৷ কত উংাম
সেই প্রভু কত উত্তম সেই সাহায্যকারী ৷
মু আৰিয়া যাত্রা করলেন কায়সারিয়্যার অভিমুখে ৷ তিনি সেখানে গিয়ে পৌছলেন ৷ ওই
শহর অবরেধ্ করলেন ৷ সেখানকার নাগরিক ও অধিবাসিগণ একাধিকবার মুসলিম
অবরােধ্কারীদের উপর হামলা করে ৷ শেষ পর্যন্ত উভয় পক্ষে ভয়াবহ যুদ্ধ সংঘটিত হয় ৷
ৰুআৰিরা (রা) ওদের উপর চুড়ম্ভে ও কঠোরতম আঘাত হান্নন ৷ তিনি বিজয়ের জন্যে অবিরাম
স্টো চপােন ৷ অবশেবে আল্লাহ্ তাঅলাে মুসলমানদেরকে বিজয় দান করেন ৷ ওই যুদ্ধে প্রায়
৮০ হাজার শত্রু সৈন্য নিহত হয় ৷ যারা যুদ্ধ হোড় পালিয়েছে তারাসহ মোট সংখ্যা ছিল প্রায়
ঞ পান ৷ সেনাপতি মুআবিয়া বিধি মুতাবিক গনীমেতর > অংশ এবং বিজয়ের সংবাদ
পঠোণেন আমীরষ্প মু ’মিনীন খলীফা উমর (রা) এর নিকট ৷
ইবন জারীৱ বলেন, ওই বছরই খলীফা উমর (রা) আমর ইবনুল আস (না)-কে নির্দেশ
আি জেরযক্রোৰ অভিযানে যেতে এবং সেখানকার শাসনকর্তার সাথে যুদ্ধ করতে ৷ তিনি
যাত্রা করলেন ৷ তারা রামাল্লার নিকট একদল রোমান সৈন্যের মুখোমুখি হলেন ৷ ফলে
আজনাদায়নের যুদ্ধ সংঘটিত হয় ৷
আঅনাদায় নের যুদ্ধ
হযরত উমর (রা)-এর নির্দেশ অনুযায়ী সেনাপতি আমর ইবনুল আস তার বাহিনী নিয়ে
জেরুযালেম অভিযানে যাত্রা করেন ৷ সৈন্যদলের ডান বাহুর নেতৃত্বে ছিলেন তার পুত্র আবদ্যু;শহ্
ইবন আমর ৷ বাম বাহুর দায়িত্বে জুনাদা ইবন তামীম মালিকী, তিনি মাসিক ইবন কিনন্না
গোত্রের লোক ৷ তার সাথে ছিলেন শুরাহ্বীল ইবন হাসানা ৷ জর্ডানের শাসনভার দিয়েছিলেন
আবু আওয়ার সুশামীর হাতে ৷ র্তার৷ রামাদ্বু৷ পৌহলেন ৷ সেখানে আরতাবুনের নেতৃত্বাধীন
একদল রোমান সৈন্য তাদের মুখোমুখি হয় ৷ আরতাবুন ছিল রংয়ের দিক থেকে সকল
রােমানের মধ্যে সবচাইতে কালো আর কর্মের দিক থেকে সবচেয়ে নিষ্ঠুর ৷ সে রামাল্লাতে
বিশাল একদল সৈন্য এবং জেরুযালেমে বিশাল একদল সৈন্য নিয়োজিত করে ব্লেখেছিন ৷
মুসলিম সেনাপতি আমর ইৰ্নুল আস খশীফা উমর (না)-কে এ বিষয়ে অবহিত করলেন ৷
আমম্নের চিঠি ণ্যেয় খলীফা উমর (রা) বললেন, আমরা আরবের আরতাবুনকে পাঠিয়েছি
রোমান আরতাবুনকে শায়েস্তা করার জন্যে ৷ সুতরাং ভেবে দেখ কিভবে বিজয় অর্জন করা
যায় ৷ সেনাপতি আমর ইৰ্নুল আসৃ আলকামা ইবন হাকীম কিরাসী এবং মাসরুক ইবন বিলাল
আকীকে প্রেরণ করলেন জেরুযালেমে অবস্থানরত রোমান সেনাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ বলার জন্যে ৷
আবু আইয়ুব মাণির্কীকে প্রেরণ করলেন রামাল্পায় অবস্থানরত রোমানদের বিরুদ্ধে ৷ সেখানে
রোমান সেনাপতি হিল তষোরুক ৷ আবু আইয়ুব মালেকী ওদেরকে ওখানেই ব্যতিৰাস্ত
ব্লেখেছিলেন যাতে তারা আমর ইবনুল আয় ও তার সৈনিকদের নিকট আসতে না পারে ৷
খলীফার পক্ষ থেকে অতিরিক্ত সৈন্য সাহায্য এলে তিনি তার একদল পাঠাতেন বারতুল
মুকাদ্দাসের দিকে আর একদল পাঠাতেন রামাল্লার দিকে ৷ আমর নিজে অবস্থান করছিলেন
আজনাদায়নে আরতাবুঢোর মুকাৰিলায় ৷ তিনি সরাসরি আরতাবুনের সাথে কথাও বলতে
[وَقْعَةُ أَجْنَادِينَ]
وَذَلِكَ أَنَّهُ سَارَ بِجَيْشِهِ وَعَلَى مَيْمَنَتِهِ ابْنُهُ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عَمْرٍو، وَعَلَى مَيْسَرَتِهِ جُنَادَةُ بْنُ تَمِيمٍ الْمَالِكِيُّ ; مِنْ بَنِي مَالِكِ بْنِ كِنَانَةَ، وَمَعَهُ شُرَحْبِيلُ ابْنُ حَسَنَةَ، وَاسْتَخْلَفَ عَلَى الْأُرْدُنِّ أَبَا الْأَعْوَرِ السَّلَمِيَّ، فَلَمَّا وَصَلَ إِلَى الرَّمْلَةِ وَجَدَ عِنْدَهَا جَمْعًا مِنَ الرُّومِ عَلَيْهِمُ الْأَرْطَبُونُ، وَكَانَ أَدْهَى الرُّومِ وَأَبْعَدَهَا غَوْرًا، وَأَنْكَاهَا فِعْلًا، وَقَدْ كَانَ وَضَعَ بِالرَّمْلَةِ جُنْدًا عَظِيمًا وَبِإِيلِيَاءَ جُنْدًا عَظِيمًا، فَكَتَبَ عَمْرٌو إِلَى عُمَرَ بِالْخَبَرِ، فَلَمَّا جَاءَهُ كِتَابُ عَمْرٍو قَالَ: قَدْ رَمَيْنَا أَرْطَبُونَ الرُّومِ بِأَرْطَبُونِ الْعَرَبِ، فَانْظُرُوا عَمَّا تَنْفَرِجُ. وَبَعَثَ عَمْرُو بْنُ الْعَاصِ عَلْقَمَةَ بْنَ حَكِيمٍ الْفَرَّاسِيَّ، وَمَسْرُوقَ بْنَ فُلَانٍ الْعَكِّيَّ عَلَى قِتَالِ أَهْلِ إِيلِيَاءَ، وَأَبَا أَيُّوبٍ الْمَالِكِيَّ إِلَى الرَّمْلَةِ وَعَلَيْهَا التَّذَارِقُ، فَكَانُوا بِإِزَائِهِمْ ; لِيَشْغَلُوهُمْ عَنْ عَمْرِو بْنِ الْعَاصِ وَجَيْشِهِ، وَجَعَلَ عَمْرٌو كُلَّمَا قَدِمَ عَلَيْهِ أَمْدَادٌ مِنْ جِهَةِ عُمَرَ يَبْعَثُ مِنْهُمْ طَائِفَةً إِلَى هَؤُلَاءِ وَطَائِفَةً إِلَى هَؤُلَاءِ، وَأَقَامَ عَمْرٌو عَلَى أَجْنَادِينَ لَا يَقْدِرُ مِنَ الْأَرْطَبُونِ عَلَى سَقْطَةٍ وَلَا تَشْفِيهِ الرُّسُلُ، فَوَلِيَهُ بِنَفْسِهِ، فَدَخَلَ عَلَيْهِ كَأَنَّهُ رَسُولٌ، فَأَبْلَغَهُ مَا يُرِيدُ وَسَمِعَ كَلَامَهُ وَتَأَمَّلَ حُصُونَهُ حَتَّى عَرَفَ مَا أَرَادَ، وَقَالَ الْأَرْطَبُونُ فِي نَفْسِهِ: وَاللَّهِ إِنَّ هَذَا لَعَمْرٌو، أَوْ إِنَّهُ الَّذِي يَأْخُذُ عَمْرٌو بِرَأْيِهِ، وَمَا كُنْتُ لِأُصِيبَ الْقَوْمَ بِأَمْرٍ هُوَ أَعْظَمُ مِنْ قَتْلِهِ. فَدَعَا حَرَسِيًّا فَسَارَّهُ فَأَمَرَهُ بِقَتْلِهِ. فَقَالَ: اذْهَبْ فَقُمْ فِي مَكَانِ كَذَا وَكَذَا، فَإِذَا مَرَّ بِكَ فَاقْتُلْهُ. فَفَطِنَ عَمْرُو بْنُ الْعَاصِ، فَقَالَ لِلْأَرْطَبُونِ: أَيُّهَا
পৃষ্ঠা - ৫৪৮২
আপনি ইতিমধ্যেই জোনছেন, আমি এই শহর জয় করবই ৷ আপনি আমার চিঠিখানা আপনার
সভাসদ ও উপদেষ্টাদের সম্মুখে পাঠ করবেন ৷ চিঠি পেয়ে আরতাবুন তইি করল ৷ তার মত্রী ও
উপদেষ্টাদেরকে ডেকে তাদের সামনে চিঠিটি পাঠ করল ৷ তারা আরতাবুনকে বলল, আপনি
কীভাবে বুঝলেন যে, উনি এই নগর জয়ের মহানায়ক নয় ঙ্কশ্-আরতাবুন বলল, এই শহর
বিজয়ের মহানায়ক হবেন এমন এক ব্যক্তি যার নাম তিন অক্ষর বিশিষ্ট ৷ প্রেরিত দুত ফিরে এল
আমর (রা)-এর নিকট এবং ওদের ক্যথাপকথন র্তাকে জানলে ৷
সেনাপতি আমর ইবনুল আস সাহায্য চেয়ে খলীফা উমর (রা)-এর নিকট চিঠি লিখলেন ৷
তিনি লিখলেন যে, আমি প্রচণ্ড যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছি ৷ তবে কতক শহরের বিজয় আপনার জন্যে
রেখে দিয়েছি ৷ এখন আপনার সিদ্ধান্তে যা হয় ৷ চিঠি পেয়ে হযরত উমর (রা) বুঝে নিলেন যে,
কোন বিষয় নিশ্চিত না জেনে আমর এই কথা বলেন নি ৷ তাই হযরত উমর (রা) বায়তৃল
মুকাদ্দাস জয় করার উদ্দেশ্যে সিরিয়া প্রবেশের সিদ্ধান্ত নিলেন ৷ অচিরেই আমরা এই ঘটনা
বিস্তারিত আলোচনা করব ৷
আপন শায়খদের উদ্ধৃতি দিয়ে সায়ফ ইবন উমর বলেছেন যে, হযরত উমর (রা) চারবার
সিরিয়া প্রবেশ করেছেন ৷ প্রথমবারে তিনি প্রবেশ করেছেন ঘেড়ােয় সওয়ার হয়ে বায়তৃল
মুকাদ্দাস জয় করার জন্যে ৷ দ্বিতীয়বার প্রবেশ করেছেন উটের পিঠে চড়ে ৷ তৃভীয়বার সারা
পর্যন্ত গিয়ে ফিরে এসেছিলেন ৷ তখন সেখানে মহামারী প্লেগ রোগের প্রাদুর্ভাব ঘটেছিল ৷
চতুর্থবার প্রবেশ করেছিলেন পাধার পিঠে সওয়ার হয়ে ৷ সায়ফ ইবন উমর থেকে ইবন জারীর
এরুপই বর্ণনা করেছেন ৷
الْأَمِيرُ، إِنِّي قَدْ سَمِعْتُ كَلَامَكَ وَسَمِعْتَ كَلَامِي، وَإِنِّي وَاحِدٌ مِنْ عَشَرَةٍ بَعَثَنَا عُمَرُ بْنُ الْخَطَّابِ ; لِنَكُونَ مَعَ هَذَا الْوَالِي؛ لِنَشْهَدَ أُمُورَهُ، وَقَدْ أَحْبَبْتُ أَنْ آتِيَكَ بِهِمْ ; لِيَسْمَعُوا كَلَامَكَ، وَيَرَوْا مَا رَأَيْتُ. فَقَالَ الْأَرْطَبُونُ: نَعَمْ، فَاذْهَبْ فَائْتِنِي بِهِمْ. وَدَعَا رَجُلًا فَسَارَّهُ فَقَالَ: اذْهَبْ إِلَى فُلَانٍ فَرُدَّهُ. وَقَامَ عَمْرٌو فَذَهَبَ إِلَى جَيْشِهِ، ثُمَّ تَحَقَّقَ الْأَرْطَبُونُ أَنَّهُ عَمْرُو بْنُ الْعَاصِ. فَقَالَ: خَدَعَنِي الرَّجُلُ، هَذَا وَاللَّهِ أَدْهَى الْعَرَبِ. وَبَلَغَتْ عُمَرَ بْنَ الْخَطَّابِ فَقَالَ: غَلَبَهُ عَمْرٌو، لِلَّهِ دَرُّ عَمْرٍو. ثُمَّ نَاهَضَهُ عَمْرٌو، فَاقْتَتَلُوا بِأَجْنَادِينَ قِتَالًا عَظِيمًا كَقِتَالِ الْيَرْمُوكِ حَتَّى كَثُرَتِ الْقَتْلَى بَيْنَهُمْ، ثُمَّ اجْتَمَعَتْ بَقِيَّةُ الْجُيُوشِ إِلَى عَمْرِو بْنِ الْعَاصِ، وَذَلِكَ حِينَ أَعْيَاهُمْ صَاحِبُ إِيلِيَاءَ وَتَحَصَّنَ مِنْهُمْ بِالْبَلَدِ، وَكَثُرَ جَيْشُهُ، فَكَتَبَ أَرْطَبُونُ إِلَى عَمْرٍو بِأَنَّكَ صَدِيقِي وَنَظِيرِي، أَنْتَ فِي قَوْمِكَ مِثْلِي فِي قَوْمِي، وَاللَّهِ لَا تَفْتَحُ مِنْ فِلَسْطِينَ شَيْئًا بَعْدَ أَجْنَادِينَ، فَارْجِعْ وَلَا تُغَرَّ ; فَتَلْقَى مِثْلَ مَا لَقِيَ الَّذِي قَبْلَكَ مِنَ الْهَزِيمَةِ. فَدَعَا عَمْرٌو رَجُلًا يَتَكَلَّمُ بِالرُّومِيَّةِ فَبَعَثَهُ إِلَى أَرْطَبُونَ وَقَالَ: اسْمَعْ مَا يَقُولُ لَكَ، ثُمَّ ارْجِعْ فَأَخْبِرْنِي. وَكَتَبَ إِلَيْهِ مَعَهُ: جَاءَنِي كِتَابُكَ وَأَنْتَ نَظِيرِي وَمِثْلِي فِي قَوْمِكَ، لَوْ أَخْطَأَتْكَ خَصْلَةٌ تَجَاهَلْتَ فَضِيلَتِي، وَقَدْ عَلِمْتَ أَنِّي صَاحِبُ فَتْحِ هَذِهِ الْبِلَادِ، وَاقْرَأْ كِتَابِي هَذَا بِمَحْضَرٍ مِنْ أَصْحَابِكَ وَوُزَرَائِكَ. فَلَمَّا وَصَلَهُ الْكِتَابُ جَمَعَ وُزَرَاءَهُ، وَقَرَأَ عَلَيْهِمُ الْكِتَابَ، فَقَالُوا لِلْأَرْطَبُونِ: مِنْ أَيْنَ عَلِمْتَ أَنَّهُ لَيْسَ بِصَاحِبِ فَتْحِ هَذِهِ الْبِلَادِ؟ فَقَالَ: صَاحِبُهَا رَجُلٌ اسْمُهُ عَلَى ثَلَاثَةِ أَحْرُفٍ. فَرَجَعَ الرَّسُولُ إِلَى عَمْرٍو فَأَخْبَرَهُ بِمَا قَالَ، فَكَتَبَ
পৃষ্ঠা - ৫৪৮৩
হযরত উমর ইবন খাত্তাব (রা)-এর হাতে
বয়েতৃল মুকাদ্দাস বিজয়
আবু জাফর ইবনজারীর উল্লেখ করেছেন যে, এ ঘটনা ঘটেছে ১৫ হিজরী সনে ৷ তিনি
এটি বর্ণনা করেছেন সায়ফ ইবন উমর থেকে ৷ তিনি এবং অন্যরা এ প্রসঙ্গে যা উল্লেখ করেছেন
তার সারমর্য এই যে, সেনাপতি আবু উবায়দা দামেশক অভিযান শেষ করেন ৷ তারপর তিনি
জেরুযালেমের অধিবাসীদেরকে আল্লাহ্র পথে এবং ইসলামের পথে আমার আহ্বান জানিয়ে
পত্র লিখেন ৷ তিনি লিখেন যে, হয় ইসলাম গ্রহণ করবে অথবা জিয্য়া কর প্রদান করবে অথবা
যুদ্ধের জন্যে প্রস্তুত হয়ে ৷ তারা তীর আহ্বানে সাড়া দিতে অস্বীকার করে ৷ তিনি তার সেনাদল
নিয়ে ওদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার উদ্দেশ্যে যাত্রা করেন ৷ দামেশৃকের শাসনভার দিয়ে যান সাঈদ
ইবন যায়দকে ৷ তিনি বায়তৃল মুকাদ্দাস অবরোধ করেন ৷ সেখানে খ্রিস্টানদের জীবন যাত্রা
সংকটময় হয়ে ওঠে ৷ তারপর তারা চুক্তি সম্পাদনে রাজী হয় এই শর্তে যে, স্বয়ং আমীরুল
মৃ’মিনীন খলীফা উমর ইবন খাত্তাব (রা) এসে সন্ধিপত্র সম্পাদন করবেন ৷ সেনাপতি আবু
উবায়দা এই সংবাদ খলীফাকে জানান ৷ খলীফা তার উপদেষ্টাদের সাথে পরামর্শ করেন ৷ এ
প্রসঙ্গে হযরত উসমান বললেন, স্বয়ং খলীফা ওখানে যাওয়ার দরকার নেই ৷ তাহলেই ওরা
চরমভাবে অপমানিত হবে ৷ হযরত আলী (রা) খলীফার যাবার পক্ষে মত প্রকাশ করলেন ৷
তাহলে অবরোধ আরােপকারী মুসলিম সৈন্যদের কষ্ট লাঘব হবে এবং সহজে ওই শহর জয়
করা যাবে ৷ খলীফা উমর (রা) হযরত আলী (রা)-এর পরামর্শ গ্রহণ করলেন ৷ সৈন্য-সামম্ভ
নিয়ে তিনি জেরুযালেমের উদ্দেশ্যে যাত্রা করলেন ৷ মদীনায় শাসনভার দিয়ে গেলেন হযরত
আলী (রা)-এর হাতে ৷ তার আগে আগে যাচ্ছিলেন হযরত আব্বাস ইবন আবদুল মুত্তালিব ৷
খলীফা সিরিয়া পৌছলে সেনাপতি আবু উবায়দা ও অন্যান্য শীর্ষস্থানীয় সেনাপতিপণ তার
সাথে সাক্ষাত করেন ৷ তাদের মধ্যে ছিলেন খালিদ ইবন ওয়ালীদ এবং ইয়াযীদ ইবন আবু
সৃফয়ান ৷ আবু উবায়দা পারে হেটে যাচ্ছিলেন; উমর (রা)ও পায়ে হেটে যাচ্ছিলেন ৷ আবু
উবায়দা (বা) হযরত উমর (রা)-এর হাতে চুমু খেতে চাচ্ছিলেন তখন হযরত উমর (রা) আবু
রৈায়দার কদমবুচি অর্থাৎ পায়ে চুমু খেতে চাইলেন ৷ আবুউৰায়দা (বা) তা দিলেন না ৷ উমর
(ক্স)-ও তীর হাতে চুমু খেতে দিলেন না ৷ খলীফা উমর (রা) সম্মুখে অগ্রসর হয়ে বায়তুল
মুৰ্দ্দোসের খ্রিস্টানদের সাথে সন্ধি চুক্তি সম্পাদন করলেন এবং শর্ত করলেন যে, তিন দিনের
মধ্যে সকল রোমান নাগরিক বায়তৃল মুকাদ্দাস ছেড়ে চলে যাবে ৷ এরপর তিনি বায়তৃল
মুশ্নদ্দাসে প্ৰরেশ করলেন ৷ প্রবেশ করলেন সেই দরজা দিয়ে, মিরাজের রাতে রাসুলুল্পাহ্ল্লী
ণ্ৰ্ন্সে দিয়ে প্রবশে করেছিলেন ৷
عَمْرٌو إِلَى عُمَرَ يَسْتَمِدُّهُ وَيَقُولُ لَهُ: إِنِّي أُعَالِجُ حَرْبًا كَئُودًا صَدُومًا، وَبِلَادًا ادُّخِرَتْ لَكَ، فَرَأْيَكَ. فَلَمَّا وَصَلَ الْكِتَابُ إِلَى عُمَرَ عِلْمَ أَنَّ عَمْرًا لَمْ يَقُلْ ذَلِكَ إِلَّا لِأَمْرٍ عَلِمَهُ، فَعَزَمَ عُمَرُ عَلَى الدُّخُولِ إِلَى الشَّامِ لِفَتْحِ بَيْتِ الْمَقْدِسِ كَمَا سَنَذْكُرُ تَفْصِيلَهُ.
قَالَ سَيْفُ بْنُ عُمَرَ عَنْ شُيُوخِهِ: وَقَدْ دَخَلَ عُمَرُ الشَّامَ أَرْبَعَ مَرَّاتٍ ; الْأُولَى كَانَ رَاكِبًا فَرَسًا حِينَ فَتَحَ بَيْتَ الْمَقْدِسِ، وَالثَّانِيَةَ عَلَى بَعِيرٍ، وَالثَّالِثَةَ وَصَلَ إِلَى سَرْعٍ، ثُمَّ رَجَعَ لِأَجْلِ مَا وَقَعَ بِالشَّامِ مِنَ الْوَبَاءِ، وَالرَّابِعَةَ دَخَلَهَا عَلَى حِمَارٍ. هَكَذَا نَقَلَهُ ابْنُ جَرِيرٍ عَنْهُ.
[فَتْحُ بَيْتِ الْمَقْدِسِ]
ِ عَلَى يَدَيْ عُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ.
ذَكَرَهُ أَبُو جَعْفَرِ بْنُ جَرِيرٍ فِي هَذِهِ السَّنَةِ عَنْ رِوَايَةِ سَيْفِ بْنِ عُمَرَ، وَمُلَخَّصُ مَا ذَكَرَهُ، هُوَ وَغَيْرُهُ، أَنَّ أَبَا عُبَيْدَةَ لَمَّا فَرَغَ مِنْ دِمَشْقَ، كَتَبَ إِلَى أَهْلِ إِيلِيَاءَ يَدْعُوهُمْ إِلَى اللَّهِ وَإِلَى الْإِسْلَامِ، أَوْ يَبْذُلُونَ الْجِزْيَةَ أَوْ يُؤْذَنُونَ بِحَرْبٍ. فَأَبَوْا أَنْ يُجِيبُوا إِلَى مَا دَعَاهُمْ إِلَيْهِ. فَرَكِبَ إِلَيْهِمْ فِي جُنُودِهِ، وَاسْتَخْلَفَ عَلَى دِمَشْقَ سَعِيدَ بْنَ زَيْدٍ، ثُمَّ حَاصَرَ بَيْتَ الْمَقْدِسِ وَضَيَّقَ عَلَيْهِمْ حَتَّى أَجَابُوا إِلَى الصُّلْحِ بِشَرْطِ أَنْ يَقْدَمَ إِلَيْهِمْ أَمِيرُ الْمُؤْمِنِينَ عُمَرُ بْنُ الْخَطَّابِ. فَكَتَبَ إِلَيْهِ أَبُو عُبَيْدَةَ بِذَلِكَ فَاسْتَشَارَ عُمَرُ النَّاسَ فِي ذَلِكَ، فَأَشَارَ عُثْمَانُ بْنُ عَفَّانَ بِأَنْ لَا يَرْكَبَ إِلَيْهِمْ ; لِيَكُونَ أَحْقَرَ
পৃষ্ঠা - ৫৪৮৪
কেউ কেউ বলেছেন যে , ৰায়তৃল মুকাদ্দাসে প্রবেশের সময় তিনি তালৰিয়া পাঠ
করেছিলেন ৷ ভেতরে গিয়ে দউিদ (আ)-এর মিহ্রাৰের পার্যে তাহিয়্যাতুল মসজিদ নামায
আদায় করলেন ৷ পরের দিন ফজরের নামায মুসলমানৰ্:দরাক সাথে নিয়ে জামাঅড়াতের সাথে
আদায় করলেন ৷ প্রথম রাকআতে পাঠ করলেন সুরা সাদ ( ,ণ্) ৷ তাতে তিনি তিলাওয়াতে
সিজদা আদায় করলেন ৷ তার সাথে মুসলমানগণও সিজদায়ে তিলাওয়াত আদায় করলেন ৷
দ্বিতীয় রাকআংত সুরা বনী ইসরাঈল পাঠ করলেন ৷ এরপর তিনি সাখরা বা বিশেষ পাথরের
নিকট এলেন ৷ কাব আল আহৰার (রা) থেকে তিনি ওই স্থান সম্পর্কে জোন নিয়েছিলেন ৷
আর (না) এই ইঙ্গিতও দিয়েছিলেন যেন তিনি মসজিদটি ওই পাথরের পেছনে তৈরি করেন ৷
হযরত উমর (রা) বললেন, ইয়াহুদী ধর্ম তো শেষ হয়ে গিয়েছে ৷ তারপর বায়তৃল মুকাদ্দাসের
সম্মুখে মসজিদ নির্মাণ করলেন ৷ এখন সেটি উমরী মসজিদ নামে পরিচিত ৷ এরপর তিনি
সাখরা বা বিশেষ পাথর থেকে মাটি সরাতে লাগলেন ৷ নিজ চাদর ও জানাতে করে তিনি মাটি
বয়ে নিয়ে যাচ্ছিলেন ৷ তার সাথে মুসলমানগণও মাটি সরানােরা কাজে শরীক হয় ৷
জর্ডানবাসীকে অবশিষ্ট মাটি সরানোর কাজে নিয়োজিত করা হয় ৷ বোমানগণ ওই পাথরের
স্থানকে ময়লার ডাক্টবিন বানিয়েছিল ৷ কারণ ওই পাথর ছিল ইয়াহুদীদের কেবলা ৷ এমনকি
ঋতৃমততী খ্রিস্টান মহিলাপণ তাদের রক্তমাখা কাপড় এনে ওখানে ফেলে যেত ৷ এটি ছিল
প্রতিশোধমুলক ব্যবস্থা ৷ কারণ ইয়াহুদীগণ আল কামামা নামক স্থানটিকে এভাবে ডাক্টবিন
বানিয়েছিল ৷ কামামা হলো সেই স্থান যেখানে ইয়াহুদীগণ ঈসা (আ) ভেবে তার অনুরুপ এক
ব্যক্তিকে ক্রুশবিদ্ধ করেছিল ৷ ওই ব্যক্তির করবে তারা ময়লা ও ণ্নাংরা বস্তু নিক্ষেপ করত ৷
এজন্যে ওই স্থানটি আল-কামামড়া নামে প্রসিদ্ধি লাভ করে ৷ পরবর্তীতে খ্রিক্টানগণ সেখানে যে
গির্জা বানিয়েছিল সেটির নাম দিয়েছিল আল কামামা গির্জা ৷
হিরাক্লিয়াস যখন জেরুযালেমে অবস্থান করহ্নিশ্ব তখন তার নিকট রাসুলুল্লাহ্লোঃ এর চিঠি
এসে পৌছেছিল ৷ সে তখন খ্রিস্টানদের অপকর্মের বিরুদ্ধে ওদেরকে নসীহত করে ৷ ওরা তখন
ব্যাপকহাংর ময়লা-আবর্জ্য৷ ফেপ্ছিণ সাখরা বা বিশেষ পাথরটির উপর ৷ এমনকি ওই ময়লার
ডিপো দাউদ (আ)-এর মিহরাব পর্বত পৌছে যায় ৷ তখন ইিরাক্লিয়াস বলেছিন, এই ময়লা
আবর্জ্যড়া নিক্ষেপের কারণে তোমরা খুন হবার নিহত হবার যোগ্য ৷ এর দ্বারা তোমরা এই
মসজিদের অবমাননা করছ ৷ ইয়াহ্ইয়া ইবন যাকারিয়া (আ)-এর খুনের অপরাধে যেমন বনী
ইসরাঈল নিহত হয়েছিল, এই অপরাধে তোমরা নিশ্চয় খুন হবে ৷ এরপর হিরাক্লিয়াস এই
ময়লা আবর্জনা অপসারণের জন্যে নির্দেশ দিয়েছিলেন ৷ তারা অপসারণ শুরু করেছিল ৷ ১ৎ অংশ
অপসারণের পরই মুসলমানগণ বায়তুল্ল মুকদ্দোস জয় করে নেয় ৷ এরপর খলীফা উমার ইবন
খাত্তাব (রা) ওগুলো অপসারণ করেন ৷ হাফিজ বাহাউদ্দীন ইবন হাফিজ আবুল কাসিম ইবন
আসাকিৱ তার “আল মুখতাস্কা ফী ফাদইিণিস মাসজিদিস্ আকসা গ্রন্থে এই সকল হাদীস
সনদ ও মতনসহ বিস্তারিত উল্লেখ করেছেন ৷
আপন সনদে সায়ফ উল্লেখ করেছেন যে, উমর (রা) মদীনা থেকে একটি ঘোড়ার আরোহণ
করেছিলেন যাতে তাড়াতাড়ি যাওয়া যায় ৷ তার অবর্তমানে মদীনায় শাসনভার দিয়ে যান হযরত
আলী (না)-এর হাতে ৷ তিনি দ্রুত অগ্রসর হয়ে জাবিয়া গিয়ে পৌহ্নেরু ৷ তিনি সেখানে অবতরণ
لَهُمْ وَأَرْغَمَ لِأُنُوفِهِمْ، وَأَشَارَ عَلِيُّ بْنُ أَبِي طَالِبٍ بِالْمَسِيرِ إِلَيْهِمْ ; لِيَكُونَ أَخَفَّ وَطْأَةً عَلَى الْمُسْلِمِينَ فِي حِصَارِهِمْ بَيْنَهُمْ، فَهَوِيَ مَا قَالَ عَلِيٌّ وَلَمْ يَهْوَ مَا قَالَ عُثْمَانُ. وَسَارَ بِالْجُيُوشِ نَحْوَهُمْ، وَاسْتَخْلَفَ عَلَى الْمَدِينَةِ عَلِيَّ بْنَ أَبِي طَالِبٍ، وَسَارَ الْعَبَّاسُ بْنُ عَبْدِ الْمُطَّلِبِ عَلَى مُقَدِّمَتِهِ، فَلَمَّا وَصَلَ إِلَى الشَّامِ تَلَقَّاهُ أَبُو عُبَيْدَةَ وَرُءُوسُ الْأُمَرَاءِ كَخَالِدِ بْنِ الْوَلِيدِ، وَيَزِيدَ بْنِ أَبِي سُفْيَانَ، فَتَرَجَّلَ أَبُو عُبَيْدَةَ وَتَرَجَّلَ عُمَرُ، فَأَشَارَ أَبُو عُبَيْدَةَ لِيُقَبِّلَ يَدَ عُمَرَ، فَهَمَّ عُمَرُ بِتَقْبِيلِ رِجْلِ أَبِي عُبَيْدَةَ، فَكَفَّ أَبُو عُبَيْدَةَ، فَكَفَّ عُمَرُ. ثُمَّ سَارَ حَتَّى صَالَحَ نَصَارَى بَيْتِ الْمَقْدِسِ، وَاشْتَرَطَ عَلَيْهِمْ إِجْلَاءَ الرُّومِ إِلَى ثَلَاثٍ، ثُمَّ دَخَلَهَا إِذْ دَخَلَ الْمَسْجِدَ مِنَ الْبَابِ الَّذِي دَخَلَ مِنْهُ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَيْلَةَ الْإِسْرَاءِ. وَيُقَالُ: إِنَّهُ لَبَّى حِينَ دَخَلَ بَيْتَ الْمَقْدِسِ، فَصَلَّى فِيهِ تَحِيَّةَ الْمَسْجِدِ بِمِحْرَابِ دَاوُدَ، وَصَلَّى بِالْمُسْلِمِينَ فِيهِ صَلَاةَ الْغَدَاةِ مِنَ الْغَدِ، فَقَرَأَ فِي الْأَوْلَى بِسُورَةِ " ص " وَسَجَدَ فِيهَا وَالْمُسْلِمُونَ مَعَهُ، وَفِي الثَّانِيَةِ بِسُورَةِ " بَنِي إِسْرَائِيلَ " ثُمَّ جَاءَ إِلَى الصَّخْرَةِ فَاسْتَدَلَّ عَلَى مَكَانِهَا مِنْ كَعْبِ الْأَحْبَارِ، وَأَشَارَ عَلَيْهِ كَعْبٌ أَنْ يَجْعَلَ الْمَسْجِدَ مِنْ وَرَائِهِ، فَقَالَ: ضَاهَيْتَ الْيَهُودِيَّةَ. ثُمَّ جَعَلَ الْمَسْجِدَ فِي قِبْلِيِّ بَيْتِ الْمَقْدِسِ، وَهُوَ الْعُمَرِيُّ الْيَوْمَ، ثُمَّ نَقَلَ التُّرَابَ عَنِ الصَّخْرَةِ فِي طَرَفِ رِدَائِهِ وَقَبَائِهِ، وَنَقَلَ الْمُسْلِمُونَ مَعَهُ فِي ذَلِكَ. وَسَخَّرَ أَهْلَ الْأُرْدُنِّ فِي نَقْلِ بَقِيَّتِهَا، وَقَدْ كَانَتِ الرُّومُ جَعَلُوا الصَّخْرَةَ مَزْبَلَةً ; لِأَنَّهَا قِبْلَةَ الْيَهُودِ، حَتَّى إِنَّ الْمَرْأَةَ كَانَتْ تُرْسِلُ خِرْقَةَ حَيْضَتِهَا مِنْ دَاخِلِ الْحَوْزِ لِتُلْقَى فِي الصَّخْرَةِ، وَذَلِكَ مُكَافَأَةً لِمَا كَانَتِ الْيَهُودُ عَامَلَتْ بِهِ الْقُمَامَةَ، وَهِيَ الْمَكَانُ الَّذِي كَانَتِ الْيَهُودُ صَلَبُوا فِيهِ الْمَصْلُوبَ، فَجَعَلُوا يُلْقُونَ عَلَى قَبْرِهِ الْقُمَامَةَ، فَلِأَجْلِ ذَلِكَ سُمِّيَ ذَلِكَ الْمَوْضِعُ الْقُمَامَةَ، وَانْسَحَبَ الِاسْمُ عَلَى الْكَنِيسَةِ الَّتِي بَنَاهَا
পৃষ্ঠা - ৫৪৮৫
করেন এবং জ্বাৰিয়াতে একটি দীর্ঘ, গুরুত্বপুর্ণ ও সুন্দর ভাষণ প্রদান করেন ৷ তাতে তিনি
ন্ বলেনঃ “হে লোক সকল ! তোমাদের ভেতরটা পরিশুদ্ধ কর তাতে বাহিরটা পরিশুদ্ধ হয়ে যাবে ৷
তোমরা আণিরাতের কদ্যাণের জন্যে কাজ কর তাতে তোমাদের দুনিয়ার কাজ সম্পাদিত হয়ে
যাবে ৷ জেনে রাখ, এমন কোন এক ব্যক্তিও নেই যার থেকে আদম পর্যন্ত কোন পিতা বেচে
আছে এবং যার মাঝে ও আল্লাহর মাঝে কোন সুসষ্পর্ক নেই ৷ সুতরাং যে ব্যক্তি জান্নাতের পথ
পেতে চায়সে যেন দনবদ্ধ থাকে৷ কারণ কেউ একা থাকলে শয়তান তাকে যতটুকু বিভ্রান্ত
ৰল্মতে পারে দু’জন এক সাথে থাকলে ততটুকু পারে না ৷ কোন পুরুষ যদি কোন মহিলার সাথে
নির্জনে সাক্ষাত করে সেখানে তৃতীরজন হিসেবে শয়তান থাকে ৷ যার সৎক্কাজ তাকে খুশি করে
এবং অসৎ কাজ তাকে অসন্তুষ্ট করে সে ঈমানদার ও মুমিন ৷” মুলত যেটি একটি দীর্ঘ ভাষণ ৷
আমরা সংক্ষেপে এতটুকু উল্লেখ করলাম ৷
এরপর খলীফা উমর (রা) জাবিয়ার অধিবাসীদের সাথে সন্ধি চুক্তি স্থাপন করেন এবং
বায়তুল মুকাদ্দাসের উদ্দেশ্যে যাত্রা করেন ৷ আজনাদের সেনাপতিদেরকে তিনি লিখিত নির্দেশ
দিলেন যাতে তারা নির্ধারিত তারিখে জাৰিয়ায় একত্রিত হয় ৷ ওই দিন সকল সেনাপতি
জাবিয়ায় এসে উপস্থিত হয় ৷ সবার আগে তার সাথে সাক্ষাত করে ইয়াযীদ ইবন আবু খুকরান
(রা), তারপর আবুউৰায়দা (রা), তারপর খালিদ ইবন ওয়ালীদ (রা) ৷ তারা তাদের অশ্বারোহী
সৈন্যদেরকে সাথে নিয়ে এসেছিলেন ৷ তাদের শরীরে রেশর্মী পোশাক চমকাচ্ছিল্ ৷ হযরত উমর
ক্ষুব্ধ হলেন ব্লেশমী পোশাক দেখে ৷ তিনি তাদেরকে দুরে সরিয়ে দিতে চাইলেন ৷ র্তারা ওযর
পেশ করে বললেন যে, তাদের দেহে এখনও যুদ্ধ পোশাক বিদ্যমান ৷ যুদ্ধ পোশাক হিসেবে
তাদের ব্লেশমী বস্ত্রও পরিধান করতে হয় ৷ এই ব্যাখ্যা পেয়ে তিনি শান্ত হন ৷ নিজ নিজ দায়িত্বে
অন্যকে স্থলাভিষিক্ত নিয়োগ করে সকল সেনাপতি সেখানে সমবেত হয় ৷ অবশ্য আমর ইবনুল
আস এবং শুরাহ্ৰীল আসতে পারেন নি ৷ কারণ তারা আজনাদায়নে রোমান সেনাপতি
আরতাবুনকে প্রতিরোধ করছিলেন ৷ হযরত উমর (রা) জাবিরাঙ্গ ছিলেন ৷ হঠাৎ দেখা গেল
সশস্ত্র একদল রোমান নাগরিক তার দিকে আসছে ৷ তাদের সবার হাতে খাপ খোলা তালায়ার ৷
মুসলমান সৈন্যগণ অস্ত্র হাতে ওদেরকে মুকাৰিলা করার জন্যে অগ্রসর হহািলন ৷ খলীফা
বললেন, প্ৰতািরাধের প্রয়োজন নেই ৷ ওরা নিরাপত্তা পাবার জন্যে আসছে ৷ লোকজন ওদের
নিকট গেল ৷ দেখা গেল যে, ওরা বায়তুল মুকাদ্দাসের প্রহরী ৷ আমীরুল মুমিনীন হযরত উমর
(রা)-এর আগমন সংবাদ পেয়ে তার নিকট এসেছে নিরাপত্তা কামনা ও সন্ধি চুক্তি সম্পাদনের
জন্যে ৷ হযরত উমর (রা) তাদেরকে নিরাপত্তা দিলেন এবং একটিণ্সন্ধি চুক্তি স্বাক্ষর করলেন ৷
তাদের উপর জিয্য়া কর ধার্য করা হলো এবং আরো কিছু শর্ত আরোপ করা হলো ৷ ইবন
জারীৱ (বা) ওই শর্তগুলে৷ উল্লেখ করেছেন ৷ সন্ধিপত্রে সাক্ষী হিসেবে স্বাক্ষর করলেন খালিদ
ইবন ওয়ালীদ, আমর ইবনুল আস, আবদুর রহামন ইবন আওফ এবং মুআবিয়া ইবন আবু
সুফয়ান ৷ মুআবিয়া নিজে সন্ধিপত্র রচনা করেছিলেন ৷ এই ঘটনা ঘটেছিল ১৫ হিজরী সনে ৷
এরপর লুদ্দ-অধিৰাসী এবং ওই এলাকার জ্যাসাধারণের জন্যে অপর একটি সন্ধিচুক্তি সম্পাদন
করেন ৷ ওদের উপর জিয্য়া কর ধার্য করেন ৷ ৫জ্জষালেম অধিবাসীদের জন্যে যে সকল শর্ত
নির্ধারণ করা হয়েজ্যি এরাও ওই শতেরি অত্তর্তুক্ত হলো ৷
النَّصَارَى هُنَالِكَ. وَقَدْ كَانَ هِرَقْلُ حِينَ جَاءَهُ الْكِتَابُ النَّبَوِيُّ وَهُوَ بِإِيلِيَاءَ، وَعَظَ النَّصَارَى فِيمَا كَانُوا قَدْ بَالَغُوا فِي إِلْقَاءِ الْكُنَاسَةِ عَلَى الصَّخْرَةِ حَتَّى وَصَلَتْ إِلَى مِحْرَابِ دَاوُدَ، قَالَ لَهُمْ: إِنَّكُمْ لَخَلِيقٌ أَنْ تُقْتَلُوا عَلَى هَذِهِ الْكُنَاسَةِ مِمَّا امْتَهَنْتُمْ هَذَا الْمَسْجِدَ، كَمَا قُتِلَتْ بَنُو إِسْرَائِيلَ عَلَى دَمِ يَحْيَى بْنِ زَكَرِيَّا. ثُمَّ أُمِرُوا بِإِزَالَتِهَا، فَشَرَعُوا فِي ذَلِكَ، فَمَا أَزَالُوا ثُلُثَهَا حَتَّى فَتَحَهَا الْمُسْلِمُونَ فَأَزَالَهَا عُمَرُ بْنُ الْخَطَّابِ. وَقَدِ اسْتَقْصَى هَذَا كُلَّهُ بِأَسَانِيدِهِ وَمُتُونِهِ الْحَافِظُ بَهَاءُ الدِّينِ ابْنُ الْحَافِظِ أَبِي الْقَاسِمِ بْنِ عَسَاكِرَ فِي كِتَابِهِ " الْمُسْتَقْصَى فِي فَضَائِلِ الْمَسْجِدِ الْأَقْصَى ".
وَذَكَرَ سَيْفٌ فِي سِيَاقِهِ أَنَّ عُمَرَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، رَكِبَ مِنَ الْمَدِينَةِ عَلَى فَرَسٍ ; لِيُسْرِعَ السَّيْرَ بَعْدَمَا اسْتَخْلَفَ عَلَيْهَا عَلِيَّ بْنَ أَبِي طَالِبٍ، فَسَارَ حَتَّى قَدِمَ الْجَابِيَةَ، فَنَزَلَ بِهَا وَخَطَبَ بِالْجَابِيَةِ خُطْبَةً طَوِيلَةً بَلِيغَةً، مِنْهَا: أَيُّهَا النَّاسُ، أَصْلِحُوا سَرَائِرَكُمْ تَصْلُحْ عَلَانِيَتُكُمْ، وَاعْمَلُوا لِآخِرَتِكُمْ تُكْفَوْا أَمْرَ دُنْيَاكُمْ، وَاعْلَمُوا أَنَّ رَجُلًا لَيْسَ بَيْنَهُ وَبَيْنَ آدَمَ أَبٌ حَيٌّ وَلَا بَيْنَهُ وَبَيْنَ اللَّهِ هَوَادَةٌ، فَمَنْ أَرَادَ لَحْبَ وَجْهِ الْجَنَّةِ فَلْيَلْزَمِ الْجَمَاعَةَ ; فَإِنَّ الشَّيْطَانَ مَعَ الْوَاحِدِ، وَهُوَ مَعَ الِاثْنَيْنِ أَبْعَدُ، وَلَا يَخْلُوَنَّ أَحَدُكُمْ بِامْرَأَةٍ ; فَإِنَّ الشَّيْطَانَ ثَالِثُهُمَا، وَمَنْ سَرَّتْهُ حَسَنَتُهُ وَسَاءَتْهُ سَيِّئَتُهُ فَهُوَ مُؤْمِنٌ. وَهِيَ خُطْبَةٌ طَوِيلَةٌ اخْتَصَرْنَاهَا. ثُمَّ صَالَحَ عُمَرُ أَهْلَ الْجَابِيَةِ وَرَحَلَ إِلَى بَيْتِ الْمَقْدِسِ.
পৃষ্ঠা - ৫৪৮৬
وَقَدْ كَتَبَ إِلَى أُمَرَاءِ الْأَجْنَادِ أَنْ يُوَافُوهُ فِي الْيَوْمِ الْفُلَانِيِّ إِلَى الْجَابِيَةِ، فَتَوَافَوْا أَجْمَعُونَ فِي ذَلِكَ الْيَوْمِ إِلَى الْجَابِيَةِ، فَكَانَ أَوَّلَ مَنْ تَلَقَّاهُ يَزِيدُ بْنُ أَبِي سُفْيَانَ، ثُمَّ أَبُو عُبَيْدَةَ، ثُمَّ خَالِدُ بْنُ الْوَلِيدِ فِي خُيُولِ الْمُسْلِمِينَ وَعَلَيْهِمْ يَلَامِقُ الدِّيبَاجِ، فَسَارَ إِلَيْهِمْ عُمَرُ لِيَحْصِبَهُمْ، فَاعْتَذَرُوا إِلَيْهِ بِأَنَّ عَلَيْهِمُ السِّلَاحَ، وَأَنَّهُمْ يَحْتَاجُونَ إِلَيْهِ فِي حُرُوبِهِمْ، فَسَكَتَ عَنْهُمْ وَاجْتَمَعَ الْأُمَرَاءُ كُلُّهُمْ بَعْدَمَا اسْتَخْلَفُوا عَلَى أَعْمَالِهِمْ سِوَى عَمْرِو بْنِ الْعَاصِ وَشُرَحْبِيلَ فَإِنَّهُمَا مُوَافِقَانِ الْأَرْطَبُونَ بِأَجْنَادِينَ، فَبَيْنَمَا عُمَرُ فِي الْجَابِيَةِ إِذَا بِكُرْدُوسٍ مِنَ الرُّومِ بِأَيْدِيهِمْ سُيُوفٌ مُسَلَّلَةٌ، فَسَارَ إِلَيْهِمُ الْمُسْلِمُونَ بِالسِّلَاحِ، فَقَالَ عُمَرُ: إِنَّ هَؤُلَاءِ قَوْمٌ يَسْتَأْمِنُونَ. فَسَارُوا نَحْوَهُمْ، فَإِذَا هُمْ جُنْدٌ مِنْ بَيْتِ الْمَقْدِسِ يَطْلُبُونَ الْأَمَانَ وَالصُّلْحَ مِنْ أَمِيرِ الْمُؤْمِنِينَ حِينَ سَمِعُوا بِقُدُومِهِ، فَأَجَابَهُمْ عُمَرُ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، إِلَى مَا سَأَلُوا، وَكَتَبَ لَهُمْ كِتَابَ أَمَانٍ وَمُصَالَحَةٍ، وَضَرَبَ عَلَيْهِمُ الْجِزْيَةَ، وَاشْتَرَطَ عَلَيْهِمْ شُرُوطًا ذَكَرَهَا ابْنُ جَرِيرٍ، وَشَهِدَ فِي الْكِتَابِ خَالِدُ بْنُ الْوَلِيدِ، وَعَمْرُو بْنُ الْعَاصِ، وَعَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ عَوْفٍ، وَمُعَاوِيَةُ بْنُ أَبِي سُفْيَانَ، وَهُوَ كَاتِبُ الْكِتَابِ، وَذَلِكَ فِي سَنَةِ خَمْسَ عَشْرَةَ.
ثُمَّ كَتَبَ لِأَهْلِ لُدٍّ وَمَنْ هُنَالِكَ مِنَ النَّاسِ كِتَابًا آخَرَ، وَضَرَبَ عَلَيْهِمُ الْجِزْيَةَ، وَدَخَلُوا فِيمَا صَالَحَ عَلَيْهِ أَهْلَ إِيلِيَاءَ. وَفَرَّ الْأَرْطَبُونُ إِلَى بِلَادِ مِصْرَ، فَكَانَ بِهَا حَتَّى فَتَحَهَا عَمْرُو بْنُ الْعَاصِ، ثُمَّ فَرَّ إِلَى الْبَحْرِ، فَكَانَ يَلِي بَعْضَ السَّرَايَا الَّذِينَ يُقَاتِلُونَ الْمُسْلِمِينَ، فَظَفِرَ بِهِ رَجُلٌ مِنْ قَيْسٍ، فَقَطَعَ يَدَ الْقَيْسِيِّ، وَقَتَلَهُ الْقَيْسِيُّ، وَقَالَ فِي ذَلِكَ:
فَإِنْ يَكُنْ أَرْطَبُونُ الرُّومِ أَفْسَدَهَا ... فَإِنَّ فِيهَا بِحَمْدِ اللَّهِ مُنْتَفَعَا
পৃষ্ঠা - ৫৪৮৭
রোমান সেনাপতি আরতাবুন মিসর পালিয়ে গেল ৷ সে ওখানেই অবস্থান করতে লাগল ৷
এক পর্যায়ে মুসলিম সেনাপতি আমর ইবনুল আস মিসর জয় করেন ৷ তখন আরতাবুন মিসর
ছেড়ে সমুদ্রের দিকে চলে যায় ৷ মাঝে মাঝে যে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র সেনাদল প্রেরণ করত মুসলমানদের
বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার জন্যে ৷ হঠাৎ একদিন কায়স গোত্রীয় লোক এক সেনাপতি আরতাবুনকে
ধরে ফেলে ৷ সে কায়সী লোকঢির হাত কেটে ফেলে ৷ আর কায়সী লোকটি তাকে খুন করে
ফেলে ৷ এ সম্পর্কে কায়সী লোকটি বলেছিল £
রোমান আরতাবুন যদিও বা রোমান সমােজ্যকে বিপর্যম্ভ করেছে, তবুও আল্লাহ্র গােকর
এখন সেখানে কল্যাণময় পরিস্থিতি বিরাজ করছে ৷
৷হ্রাষ্দ্বু ব্লাচু ,৷ ৷ব্লুৰুৰু ;ব্র,ঢু; এে১ ,ট্রু)৷ ৷ হু,,পুা ড়ুদৃ চু,া,
আরতাবুন সেনাপতি রোমান সাম্রাজ্যকে বিচ্ছিন্ন করে রেখেছিল বটে ৷ এখন আমি তার
দেহের ছিন্ন-ভিন্ন, খণ্ড-বিখণ্ড অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ সেখানে রেখে এসেছি ৷
রামাল্লা ও এর আশপাশের নগরসমুহের অধিবাসিগণ যখন সন্ধিচুক্তি সম্পাদন করল তখন
সেনাপতি আমর ইবনুল আস (বা) এবং শুরাহ্বীল জাবিয়া এসে পৌছেন ৷ র্তারা এসে দেখতে
পান যে, খলীফা সওয়ারীতে আরোহণ করেছেন ৷ খলীফার কাছাকাছি এসে পৌছে র্তারা
খলীফার দৃ’হীটুতে চুমু খান ৷ খলীফা একসাথে তাদের দুজনকে বুকে জড়িয়ে ধরেন, কােলাকুলি
করেন ৷
সায়ফ বলেন, এরপর খলীফা জাবিয়া থেকে বায়তৃল মুকাদ্দাসের উদ্দেশ্যে যাত্রা করেন ৷
তার ঘোড়া দ্রুত আঃসর হচ্ছিল ৷ তারা তীর নিকট একটি খচ্ছর হাজির করে ৷ তিনি তাতে
আরোহণ করেন ৷ সেটি তাকে নিয়ে লাফালাফি করতে থাকে ৷ তিনি নেমে যান এবং সেটির
মুখে থাপ্পড় মেরে বললেন, ভোকে প্রশিক্ষণ দিয়েছে মুলত আল্লাহ্, তাকে কোন প্রশিক্ষণ
দেননি, এটি তাে অহংকারী আচরণ ৷ এরপর থেকে আগে পরে কখনো তিনি আর খচ্চরের
পিঠে চড়েন নি ৷ বন্তুত জেরুযালেম ও এর আশপাশের অঞ্চল এভাবে হযরত উমর (রা)-এর
হাতে জয় হয় ৷ আজনাদায়ন বিজিত হয় হযরত অমের ইবনুল আসের হাতে ৷ কায়সারিয়্যা
বিজিত হয় মুআবিয়ার (রা)-এর হাতে ৷ সায়ফ ইবন উমর এরুপই বর্ণনা করেছেন ৷ কতক
ঐতিহাসিক তার সাথে দ্বিমত পোষণ করেছেন বটে ৷ তারা বলেছেন, বায়তৃল মুকাদ্দাস বিজিত
হয়েছে ১৬ হিজরী সালে ৷
মুহাম্মদ ইবন আইয বর্ণনা করেছেন, ওয়ালীদ ইবন মুসলিম সুত্রে উসমড়ান ইবন হাসান
ইবন আলান থেকে যে, ইয়াযীদ ইবন উবায়দা বলেছেন, ১৬ হিজরী সনে বায়তৃল মুকাদ্দাস
বিজিত হয় ৷ ওই সালেই খলীফা উমর (রা) জাবিয়ায় এসেছিলেন ৷ আবু যুরআহ দামেশকী
বর্ণনা করেছেন দাহীম সুত্রে ওয়ালীদ ইবন মুসলিম থেকে ৷ তিনি বলেছেন যে, এরপর খলীফা
১ ৭ হিজরী সালে পুনরায় বায়তৃল মুকাদ্দাস এসেছিলেন এবং সারা থেকে ফিরে গিয়েছিলেন ৷
তারপর পুনরায় এসেছিলেন ১৮ হিজরী সালে, তখন সেনাপতিগণ সকলে তার নিকট উপস্থিত
হয়ে তাদের নিকট সঞ্চিত গনীমতে র মাল তার সম্মুখে পেশ করেছিলেন ৷ তিনি ওগুলো বিধি
মুতাবিক বন্টন করে দিয়েছিলেন ৷ সেনানিবাস স্থাপন করেছিলেন এবং নতুন নতুন শহর প্রতিষ্ঠা
করেছিলেন ৷ তারপর মদীনায় ফিরে গিয়েছিলেন ৷
وَإِنْ يَكُنْ أَرْطَبُونُ الرُّومِ قَطَّعَهَا
فَقَدْ تَرَكْتُ بِهَا أَوْصَالَهُ قِطَعَا.
وَلَمَّا صَالَحَ أَهْلَ الرَّمْلَةِ وَتِلْكَ الْبِلَادَ، أَقْبَلَ عَمْرُو بْنُ الْعَاصِ وَشُرَحْبِيلُ ابْنُ حَسَنَةَ حَتَّى قَدِمَا الْجَابِيَةَ، فَوَجَدَا أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ عُمَرُ بْنُ الْخَطَّابِ رَاكِبًا، فَلَمَّا اقْتَرَبَا مِنْهُ أَكَبَّا عَلَى رُكْبَتَيْهِ فَقَبَّلَاهَا وَاعْتَنَقَهُمَا عُمَرُ مَعًا، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمْ.
قَالَ سَيْفٌ: ثُمَّ سَارَ عُمَرُ إِلَى بَيْتِ الْمَقْدِسِ مِنَ الْجَابِيَةِ، وَقَدْ تَوَجَّى فَرَسُهُ، فَأَتَوْهُ بِبِرْذَوْنٍ، فَرَكِبَهُ فَجَعَلَ يُهَمْلِجُ بِهِ، فَنَزَلَ عَنْهُ وَضَرَبَ وَجْهَهُ، وَقَالَ: لَا عَلَّمَ اللَّهُ مَنْ عَلَّمَكَ، هَذَا مِنَ الْخُيَلَاءِ. ثُمَّ لَمْ يَرْكَبْ بِرْذَوْنًا قَبْلَهُ وَلَا بَعْدَهُ، فَفُتِحَتْ إِيلِيَاءُ وَأَرْضُهَا عَلَى يَدَيْهِ مَا خَلَا أَجْنَادِينَ فَعَلَى يَدَيْ عَمْرٍو، وَقَيْسَارِيَّةَ فَعَلَى يَدَيْ مُعَاوِيَةَ. هَذَا سِيَاقُ سَيْفِ بْنِ عُمَرَ، وَقَدْ خَالَفَهُ غَيْرُهُ مِنْ أَئِمَّةِ السِّيَرِ، فَذَهَبُوا إِلَى أَنَّ فَتْحَ بَيْتِ الْمَقْدِسِ كَانَ فِي سَنَةِ سِتَّ عَشْرَةَ.
قَالَ مُحَمَّدُ بْنُ عَائِذٍ عَنِ الْوَلِيدِ بْنِ مُسْلِمٍ، عَنْ عُثْمَانَ بْنِ حِصْنِ بْنِ عَلَّاقٍ قَالَ: قَالَ يَزِيدُ بْنُ عُبَيْدَةَ: فُتِحَتْ بَيْتُ الْمَقْدِسِ سَنَةَ سِتَّ عَشْرَةَ، وَفِيهَا قَدِمَ عُمَرُ بْنُ الْخَطَّابِ الْجَابِيَةَ. .
وَقَالَ أَبُو زُرْعَةَ الدِّمَشْقِيُّ عَنْ دُحَيْمٍ، عَنِ الْوَلِيدِ بْنِ مُسْلِمٍ قَالَ: ثُمَّ عَادَ فِي سَنَةِ سَبْعَ عَشْرَةَ، فَرَجَعَ مِنْ سَرْعٍ، ثُمَّ قَدِمَ سَنَةَ ثَمَانِيَ عَشْرَةَ، فَاجْتَمَعَ إِلَيْهِ
পৃষ্ঠা - ৫৪৮৮
ইয়াকুব ইবন সৃফয়ান বলেন, এরপর জাবিয়া ও ৰায়তৃল মুকাদ্দাস বিজয়ের ঘটনা ঘটে ৷
এটি হলো ১৬ হিজরী সালের ঘটনা ৷ আবু মাশার বলেন, এরপর ঘটেছিল আমওয়াস ও
জাবিয়৷ বিজয়ের ঘটনা ১৬ হিজরী সালে ৷ তারপর ১৭ হিজরী সালে সারা বিজয়ের ঘটনা ৷
তারপর ১৮ হিজরী সালে রামাদা বিজয়ের ঘটনা ৷ তিনি আরো বলেন যে, এই হিজরীতে
আমওয়াস অঞ্চলে মহামারীরুপে প্লেগ রোগের প্রাদুর্ভাব ঘটেছিল ৷ উপরোক্ত মন্তব্যের ব্যাখ্যার
বলা হয়েছে যে, ১৬ হিজর্বীতে আমওয়াস নামে প্রসিদ্ধ শহরটি বিজয় হয় ৷ আর ওই শহরের
সাথে সং শ্লিষ্ট মহামারী ব্লোগ ৫প্ন₹গর প্রাদুর্ভাব ঘটেছিল ১৮ হিজরী সালে ৷ এ সম্পর্কে শীঘ্রই
আলোচনা হবে ৷
আবু মিখনাফ বলেন, খলীফা উমর (রা) সিরিয়া আগমন করে যখন দামেশৃকের শ্যামল
উদ্যান, জলাশয়, বিশাল বিশাল অট্টালিকা চোখ র্ধাধানাে শহর ও বাগ-বাগিচা দেখলেন, তখন
এই আয়াত তিলাওয়াত করলেন :
৷ ; ব্লু
é
ওরা পশ্চাতে রেখে গিয়েছিল কত উদ্যান ও ঝর্ণা কত শস্যক্ষেত্র ও সুরম্য প্রাসাদ কত
বিলাস উপকরণ যা ওদেরকে আনন্দ দিত ৷ এরুপই ঘটেছিল এবং আমি এই সমুদয়ের
উত্তরাধিকারী বানিয়েছিলাম ভিন্ন সম্প্রদায়কে ৷ (সুরা ৪৪ , দৃখান : ২৫ ২৮)
এরপর প্রসঙ্গক্রমে হযরত উমর (রা) করি নাবিখার নিম্নের কবিতাটি আবৃত্তি করেছিলেন :
এে
ওরা দুজন যুগের দুই নওজোয়ান ৷ তাদেরকে কেন্দ্র করে যুগ আবর্তিত হয় ৷ তারা হলো
রাত ও দিন ৷ একটির পর একটি আসা-যাওয়৷ করে ৷
ঈর্ষা নিয়ে যখন তারা কোন গোত্রের উপর দিয়ে যায় তখন তার ওই গোত্রে অবস্থান নেয়
তারপর এক পর্যায়ে ওই গোত্রভুক্ত লোকজন ৰিপদের সম্মুখীন হয় ৷
উপরোক্ত মন্তব্য দ্বারা বাহ্যত মনে হবে যে, খলীফা উমর (রা) দামেশৃকে প্রবেশ
ৰদরছিলেন ৷ আসলে বাস্তবতা তা নয় ৷ কেউই একথা উল্লেখ করেনি যে, তিনবার সিরিয়া
ৰ্াপমনের কোন একবার তিনি দামেশৃকে প্রবেশ করেছেন ৷ তার প্রথম আগমন তো আমরা
ম্পোচনইি করছি ৷ এই যাত্রায় তিনি জাবিয়া থেকে ৰায়তৃল মুকাদ্দাস পিয়েছেন ৷ সায়ফ ও
তা-ই উল্লেখ করেছেন ৷ আল্লাহ্ ভাল জানেন ৷
হ্নিং ওযুাকিদী বলেন, সিরিয়ার অধিবাসী নয় এমন লোকজন বলেছে যে, খলীফা উমর (রা)
ম্পো প্রবেশ করেছেন দু বার ৷ তৃভীয়বার সারা থেকে ফিরে এসেছেন ৷ সেটি হলো ১৭
ছুব্রিজ্জী সনের ঘটনা ৷ তারা বলেন, ভীয়বারতৃ দামেশৃক এবং হিম্স নগরীতে প্রবেশ
ৰু স্টো ৷ বিন্তু ওয়াকিদী এই মন্তব্য প্রত্যাখ্যান করেছেন ৷
الْأُمَرَاءُ، وَسَلَّمُوا إِلَيْهِ مَا اجْتَمَعَ عِنْدَهُمْ مِنَ الْأَمْوَالِ فَقَسَمَهَا وَجَنَّدَ الْأَجْنَادَ وَمَصَّرَ الْأَمْصَارَ ثُمَّ عَادَ إِلَى الْمَدِينَةِ.
وَقَالَ يَعْقُوبُ بْنُ سُفْيَانَ: ثُمَّ كَانَ فَتْحُ الْجَابِيَةِ وَبَيْتِ الْمَقْدِسِ سَنَةَ سِتَّ عَشْرَةَ. وَقَالَ أَبُو مَعْشَرٍ: ثُمَّ كَانَ عَمَوَاسُ وَالْجَابِيَةُ فِي سَنَةِ سِتَّ عَشْرَةَ ثُمَّ كَانَتْ سَرْعٌ فِي سَنَةِ سَبْعَ عَشْرَةَ، ثُمَّ كَانَ عَامُ الرَّمَادَةِ فِي سَنَةِ ثَمَانِيَ عَشْرَةَ. قَالَ: وَكَانَ فِيهَا طَاعُونُ عَمَوَاسَ. يَعْنِي فَتْحَ الْبَلْدَةِ الْمَعْرُوفَةِ بِعَمَوَاسَ، فَأَمَّا الطَّاعُونُ الْمَنْسُوبُ إِلَيْهَا، فَكَانَ فِي سَنَةِ ثَمَانِيَ عَشْرَةَ. كَمَا سَيَأْتِي قَرِيبًا، إِنْ شَاءَ اللَّهُ تَعَالَى.
قَالَ أَبُو مِخْنَفٍ: لَمَّا قَدِمَ عُمَرُ الشَّامَ فَرَأَى غُوطَةَ دِمَشْقَ، وَنَظَرَ إِلَى الْمَدِينَةِ وَالْقُصُورِ وَالْبَسَاتِينِ تَلَا قَوْلَهُ تَعَالَى: {كَمْ تَرَكُوا مِنْ جَنَّاتٍ وَعُيُونٍ وَزُرُوعٍ وَمَقَامٍ كَرِيمٍ وَنَعْمَةٍ كَانُوا فِيهَا فَاكِهِينَ كَذَلِكَ وَأَوْرَثْنَاهَا قَوْمًا آخَرِينَ} [الدخان: 25]
[الدُّخَانِ: 25 - 28] . ثُمَّ أَنْشَدَ قَوْلَ النَّابِغَةِ:.
هُمَا فَتَيَا دَهْرٍ يَكُرُّ عَلَيْهِمَا ... نَهَارٌ وَلَيْلٌ يَلْحَقَانِ التَّوَالِيَا
إِذَا مَا هُمَا مَرَّا بِحَيٍّ بِغِبْطَةٍ ... أَنَاخَا بِهِمْ حَتَّى يُلَاقُوا الدَّوَاهِيَا
وَهَذَا يَقْتَضِي بَادِيَ الرَّأْيِ أَنَّهُ دَخَلَ دِمَشْقَ، وَلَيْسَ كَذَلِكَ، فَإِنَّهُ لَمْ يَنْقُلْ أَحَدٌ أَنَّهُ دَخَلَهَا فِي شَيْءٍ مِنْ قَدَمَاتِهِ الثَّلَاثِ إِلَى الشَّامِ ; أَمَّا الْأُولَى، وَهِيَ هَذِهِ، فَإِنَّهُ
পৃষ্ঠা - ৫৪৮৯
আমি বলি, খলীফা উমর (রা) ইসলাম গ্রহণের পুর্বে জাহিলী যুগে দামেশৃক গিয়েছিলেন
বটে ৷ কিন্তু ইসলাম গ্রহণের পর দামেশৃক গিয়েছেন তেমন কোন তথ্য পাওয়া যায় না ৷ এই
বিষয়টি আমরা তার সীরাত গ্রন্থে আলোচনা করেছি ৷ আমরা বর্ণনা করেছি যে, হযরত উমর
(রা) বায়তৃল মুকাদ্দাসে প্রবেশ করে কাব ইবন আহবার (রা)-কে জ্যিজ্ঞস করেছিলেন, বিশেষ
পাথর বা “সাখরার” অবস্থান সম্পর্কে ৷ উত্তরে কাব (রা) বলেছিলেন, আমিরুল মু’মিনীন!
আপনি “ওয়াদী জাহান্নাম নামে পরিচিত স্থুানটুকু থেকে এত এত গজ মেপে যাবেন তারপরের
স্থানে “সাখরা” বা বিশেষ পাথরটির অবস্থান ৷ লোকজন তত গজ মেপে গিয়ে সাখরার অবস্থান
নির্ণয় করে ৷ সাখরা খুজে পায় ৷ খ্রিন্টানগণ ওই স্থানটিকে ময়লার ডিপো বানিয়ে জ্যি ৷ যেমন
ইয়াহুদীরা নাসাৱাদের পবিত্র স্থান আলকুমামাহ্কে ময়লার ডিগাে বানিয়েছিল ৷ কুমামা হলো যে
স্থান যেখানে হযরত ঈসা (আ) এর আকৃতিপ্রাপ্ত লোকটিকে ক্রুশবিদ্ধ করে হত্যা করা হয়েকাি ৷
ইয়াহুদী ও নাসারাগণ মনে করেছিল যে, ওই ব্যক্তি ঈসা (আ) ! তারা এ সম্পর্কে পুরোপুরি
ভুলের মধ্যে রয়েছে ৷ মহান আল্লাহ্ কুরআনের সুস্পষ্ট আয়াত দ্বারা তা নাকচ করে দিয়েহ্নেগ্ ৷
মোদ্দাকথা রাসুলুল্লাহ্শ্ঘ্নে এর নবুওয়াত প্রাপ্তির ৩০০ বছর পুর্ব থেকে খ্রিক্টানগণ যখন
ৰায়তুল মুকাদ্দাসের কর্তৃত্ব অর্জন করে, তখন তারা আল-কুমামাহ্” নামক স্থানটিকে পরিষ্কার
করে নেয় এবং সেখানে “হাইলা গির্জা নির্মাণ করে ৷ রাজা কনক্টানটিনােপলের মাতা ওই গির্জা
নির্মাণ করেন ৷ রাজার মায়ের নাম ছিল হায়লানাহ্ হিরানিয়্যাহ বুনদুকিয়্যাহ্ ৷ সে তার পুত্রকে
আদেশ দিল-সে যেন ঈসা (আ)-এর অন্য স্থানে বেথেলহাম’ তৈরি করে, আর মাতা নিজে
তাদের ধর্ম বিশ্বাস অনুযায়ী তার কবরের উপর হাইলা গির্জা নির্মাণ করে ৷ অর্থাৎ তারাও
প্রতিশোধ হিসেবে ইয়াহুদীদের কিবলাকে ময়লার ডিপােতে পরিণত করে ৷
হযরত উমর (রা) যখন বায়তৃল মুকাদ্দাস জয় করলেন এবং সাখরার অবস্থান সম্পর্কে
নিশ্চিত হলেন তখন সাখরার উপর দ্ভুপীকৃত ময়লা-আবর্জনা সরানোর নির্দেশ দিলেন ৷ কথিত
আছে যে, হযরত উমর (বা) নিজের চাদরে ভরে নিজে ময়লা সরিয়েছেন ৷ তারপর হযরত কাব
(রা)-কে জিজ্ঞেস করলেন-মসজিদ স্থাপন করবেন কােনৃ জায়গায় ৷ কাব পরামর্শ দািরছিলেন
সাখরার পেছনে নির্মাণের ৷ খলীফা উমর (বা) তার বুকে হাত মেরে বললেন, হে কাব ! ইয়াহুদী
যুগের তো অবসান ঘটেছে ৷ আমরা এখন ওই ধর্মের পক্ষে কাজ করব কেন ৷ শেষ পর্যন্ত
খলীফা নির্দেশ দিলেন বয়েতুল মুকাদ্দাসের সম্মুখে মসজিদ নির্মাণ করার জন্যে ৷
ইমাম আহমদ (র) বলেন, আসওয়াদ ইবন আমির আবু শুআয়ব থেকে বর্ণিত যে, উমর
ইবন খাত্তাব (রা) জাবিয়ায় অবস্থান করেছেন তারপর বায়তৃল মুকাদ্দাস জয় করেছেন ৷ তিনি
বলেন যে, ইবন সালামা বলেছেন, আবু সিনান বর্ণনা করেছেন উবায়দ ইবন আছম সুত্রে ৷ তিনি
বলেছেন, আমি ৰুশ্যুনছি উমর ইবন খাত্তাব (রা) কার (রা)-ণ্ক বলেছেন, বলুন তো আমি কোনৃ
স্থানে নামায পভৃব৷ কার বললেন, আপনি যদি আমার পরামর্শ গ্রহণ করেন তবে সা খরার
পেছনে নামায পড়ুন তাহলে পুরো বাযতুল মুকাদ্দাস আপনার সম্মুখে থাকবে ৷ হযরত উমর
(রা) বললেন, “ইয়াহুদী ধর্মের তো অবসান হয়েছে, না-আমি বরং সেখানেই নামায পড়ব,
যেখানে ৱাসুলুল্লাহ্জ্জ নিজে নামায পড়েছেন ৷ তারপর তিনি বড়ায়তুল মুকাদ্দাসের মধ্যে
কিবলার দিকে অর্থাৎ সামনের দিকে অগ্রসর হলেন এবং সেখানে নামায পড়লেন ৷ তারপর তার
€০া৷া
سَارَ مِنَ الْجَابِيَةِ إِلَى بَيْتِ الْمَقْدِسِ، كَمَا ذَكَرَ سَيْفٌ وَغَيْرُهُ. وَاللَّهُ أَعْلَمُ.
وَقَالَ الْوَاقِدِيُّ: أَمَّا رِوَايَةُ أَهْلِ الشَّامِ أَنَّ عُمَرَ دَخَلَ الشَّامَ مَرَّتَيْنِ، وَرَجَعَ الثَّالِثَةَ مِنْ سَرْعٍ، فَلَيْسَ بِمَعْرُوفٍ، وَإِنَّمَا قَدِمَ مَرَّةً وَاحِدَةً عَامَ الْجَابِيَةِ حِينَ صَالَحَ أَهْلَ بَيْتِ الْمَقْدِسِ سَنَةَ سِتَّ عَشْرَةَ، وَرَجَعَ مِنْ سَرْعٍ سَنَةَ سَبْعَ عَشْرَةَ، وَهُمْ يَقُولُونَ: دَخَلَ فِي الثَّالِثَةِ دِمَشْقَ وَحِمْصَ، وَأَنْكَرَ الْوَاقِدِيُّ ذَلِكَ.
قُلْتُ: وَلَا يُعْرَفُ أَنَّهُ دَخَلَ دِمَشْقَ إِلَّا فِي الْجَاهِلِيَّةِ قَبْلَ إِسْلَامِهِ كَمَا بَسَطْنَا ذَلِكَ فِي " سِيرَتِهِ ".
وَقَدْ رُوِّينَا أَنَّ عُمَرَ حِينَ دَخَلَ بَيْتَ الْمَقْدِسِ سَأَلَ كَعْبَ الْأَحْبَارِ، عَنْ مَكَانِ الصَّخْرَةِ، فَقَالَ: يَا أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ، أَذْرِعْ مِنَ الْحَائِطِ الَّذِي يَلِي وَادِي جَهَنَّمَ، كَذَا وَكَذَا ذِرَاعًا فَهِيَ ثَمَّ. فَذَرَعُوا فَوَجَدُوهَا وَقَدِ اتَّخَذَهَا النَّصَارَى مَزْبَلَةً كَمَا فَعَلَتِ الْيَهُودُ بِمَكَانِ الْقُمَامَةِ، وَهُوَ الْمَكَانُ الَّذِي صُلِبَ فِيهِ الْمَصْلُوبُ الَّذِي شُبِّهَ بِعِيسَى، فَاعْتَقَدَتِ النَّصَارَى وَالْيَهُودُ أَنَّهُ الْمَسِيحُ، وَقَدْ كَذَبُوا فِي اعْتِقَادِهِمْ هَذَا كَمَا نَصَّ اللَّهُ تَعَالَى عَلَى خَطَإِهِمْ فِي ذَلِكَ.
وَالْمَقْصُودُ أَنَّ النَّصَارَى لَمَّا حَكَمُوا عَلَى بَيْتِ الْمَقْدِسِ قَبْلَ الْبِعْثَةِ بِنَحْوٍ مِنْ ثَلَاثِمِائَةِ سَنَةٍ، طَهَّرُوا مَكَانَ الْقُمَامَةِ، وَاتَّخَذُوهُ كَنِيسَةً هَائِلَةً بَنَتْهَا أَمُّ الْمَلِكِ
পৃষ্ঠা - ৫৪৯০
قُسْطَنْطِينَ بَانِي الْمَدِينَةِ الْمَنْسُوبَةِ إِلَيْهِ، وَاسْمُ أُمِّهِ هَيْلَانَةُ الْحَرَّانِيَّةُ الْفُنْدُقَانِيَّةُ، وَأَمَرَتِ ابْنَهَا فَبَنَى لِلنَّصَارَى بَيْتَ لَحْمٍ عَلَى مَوْضِعِ الْمِيلَادِ، وَبَنَتْ هِيَ عَلَى مَوْضِعِ الْقَبْرِ، فِيمَا يَزْعُمُونَ. وَالْغَرَضُ أَنَّهُمُ اتَّخَذُوا مَكَانَ قِبْلَةِ الْيَهُودِ مَزْبَلَةً أَيْضًا، فِي مُقَابَلَةِ مَا صَنَعُوا فِي قَدِيمِ الزَّمَانِ وَحَدِيثِهِ، فَلَمَّا فَتَحَ عُمَرُ بَيْتَ الْمَقْدِسِ، وَتَحَقَّقَ مَوْضِعَ الصَّخْرَةِ، أَمَرَ بِإِزَالَةِ مَا عَلَيْهَا مِنَ الْكُنَاسَةِ حَتَّى قِيلَ: إِنَّهُ كَنَسَهَا بِرِدَائِهِ ثُمَّ اسْتَشَارَ كَعْبًا أَيْنَ يَضَعُ الْمَسْجِدَ؟ فَأَشَارَ عَلَيْهِ بِأَنْ يَجْعَلَهُ مِنْ وَرَاءِ الصَّخْرَةِ، فَضَرَبَ فِي صَدْرِهِ، وَقَالَ: يَا ابْنَ أُمِّ كَعْبٍ، ضَارَعْتَ الْيَهُودِيَّةَ، وَأَمَرَ بِبِنَائِهِ فِي مُقَدَّمِ بَيْتِ الْمَقْدِسِ.
قَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا أَسْوَدُ بْنُ عَامِرٍ، ثَنَا حَمَّادُ بْنُ سَلَمَةَ، عَنْ أَبِي سِنَانٍ، عَنْ عُبَيْدِ بْنِ آدَمَ وَأَبِي مَرْيَمَ وَأَبِي شُعَيْبٍ، أَنَّ عُمَرَ بْنَ الْخَطَّابِ كَانَ بِالْجَابِيَةِ، فَذَكَرَ فَتَحَ بَيْتِ الْمَقْدِسِ. قَالَ: قَالَ ابْنُ سَلَمَةَ: فَحَدَّثَنِي أَبُو سِنَانٍ، عَنْ عُبَيْدِ بْنِ آدَمَ، سَمِعْتُ عُمَرَ يَقُولُ لِكَعْبٍ: أَيْنَ تُرَى أَنْ أَصَلِّيَ؟ قَالَ: إِنْ أَخَذْتَ عَنِّي صَلَّيْتَ خَلْفَ الصَّخْرَةِ، فَكَانَتِ الْقُدْسُ كُلُّهَا بَيْنَ يَدَيْكَ. فَقَالَ عُمَرُ: ضَاهَيْتَ الْيَهُودِيَّةَ، لَا وَلَكِنْ أُصَلِّي حَيْثُ صَلَّى رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ. فَتَقَدَّمَ إِلَى الْقِبْلَةِ فَصَلَّى، ثُمَّ جَاءَ فَبَسَطَ رِدَاءَهُ وَكَنَسَ الْكُنَاسَةَ فِي رِدَائِهِ وَكَنَسَ النَّاسُ. وَهَذَا إِسْنَادٌ جَيِّدٌ اخْتَارَهُ الْحَافِظُ ضِيَاءُ الدِّينِ الْمَقْدِسِيُّ فِي كِتَابِهِ " الْمُسْتَخْرَجِ ". وَقَدْ تَكَلَّمْنَا عَلَى رِجَالِهِ فِي كِتَابِنَا الَّذِي أَفْرَدْنَاهُ فِي مُسْنَدِ عُمَرَ، مَا
পৃষ্ঠা - ৫৪৯১
চাদর বিছিয়ে সাখরা থেকে ময়লা-আবত্তনাি সরিয়ে নিতে লাপলেন ৷ লোকজনও তা পরিষ্কার
করতে লেগে গেল ৷ এটি একটি উত্তম সনদ ৷ হাফিজ যিয়াউদ্দীন মুকাদ্দেসী তার
আলমুসতাখরাজ গ্রন্থে এটি উদ্ধৃত করেছেন ৷ মুসনাদই উমর নামে আমাদের লিখিত গ্রন্থে
আমরা এই সনদের বংনািকারীদের সম্পর্কে পর্যালোচনা করেছি ৷ তাছাড়া তিনি যে সব মারকু
হাদীস বর্ণনা করেছেন আর তার থেকে যে সব হাদীস বর্ণিত হয়েছে সেগুলোকে ফিক্হ শাত্রের
অধ্যায় অনুযায়ী সন্নিবেশিত করেছি ৷ সকল প্রশংসা মহান আল্লাহর ৷
সায়ফ ইবন উমর তার শায়খদের সুত্রে সড়ালিম থেকে বর্ণনা করেন ৷ তিনি বলেছেন
হযরত উমর (রা) দামেশৃকে প্রবেশ করলেন, তখন দামেশকের জনৈক ইয়াহুদী তার নিকট
এসে বলল, আনৃসালামু আলায়কা ইয়া ফারুক আপনি জেরুযালেম অধিপতি ৷ আল্লাহর কসম ,
আল্লাহ্ আপনার হাতে জেরুযালেমের বিজয় না দেয়৷ পর্যন্ত আপনি ফিরে যাবেন না ৷
ইমাম আহমদ উমর ইবনখাত্তাবের মুক্ত করা ক্রীতদাস আসলাম থেকে বর্ণনা করেন যে,
একবার হযরত উমর (বা) এক কুরায়শী ব্যবসায়ী কাফেলার সাথে দামেশৃক এসেছিলেন ৷
ব্যবসায়ী কাফের্লড়া ফিরতি যাত্রা করেছিল ৷ ব্যক্তিগত কাজে হযরত উমর (রা) পেছনে পড়ে
গিয়েছিলেন ৷ তিনি শহরে অবস্থান করছিলেন হঠাৎ এক সৈন্য এসে তার ঘাত্ণ্ চেপে ধরে ৷
নিজেকে ছাড়িয়ে নেবার জন্যে তিনি যথাসাধ্য চেষ্টা করেন কিন্তু তিনি তা পারেন নি ৷ সৈনিকটি
তাকে একটি গৃহের মধ্যে নিয়ে যায় ৷ সেখানে একটি কুঠড়ার, একটি ঝাভু, একটি ঝুড়ি এবং
কতগুলো মাটি ছিল ৷ সে উমর (রা)কে বলল, এগুলো এখান থেকে ওখানে নিয়ে যাবে ৷ সে
দরজা বন্ধ করে চলে গেল ৷ ফিরে এল দুপুর বেলা ৷
উমর (রা) বলেন, আমি চিন্তিত মনে বসে থেকেছিলাম ৷ সে আমাকে যা বলেছিল তা
কিইে আমি করিনি ৷ সে এসে আমাকে বলল, তুমি কাজটা করনি কেনঃ সে আমার মাথায়
থাপ্পড় মারল ৷ আমি কুঠড়ার নিয়ে তাকে আঘাত করি ৷ যে মারা যায় ৷ আমি সোজা ঘর থেকে
বেরিয়ে আসি ৷ আমি পৌছি এক ধর্মযাজকের আস্তানায় ৷ সেখানে বাইরে বসে থাকি সন্ধ্যা
পর্যন্ত ৷ ধর্মযাজক আমাকে দেখতে পায় ৷ সে নিচে নেমে আসে এবং আমাকে ভেতরে নিয়ে
খাদ্য-পানীয় দেয় ৷ সে আমাকে গভীরভাবে দেখতে থাকে ৷ আমার অবস্থা সম্পর্কে জিজ্ঞেস
করে ৷ আমি বললড়াম, আমার সাথী-সঙ্গীকে আমি হারিয়ে ফেলেছি ৷ সে বলল, তৃমি তো ভয়ার্ত
চোখে তাকাচ্ছ ৷ সে সুক্ষ্ম দৃষ্টিতে আমাকে পর্যবেক্ষণ করতে থাকে ৷ তারপর আমাকে বলল, খৃন্ট
ধর্মাবলম্বীরা বিশ্বাস করে যে, আমি ওদের কিতাব সম্পর্কে সর্বাধিক জ্ঞানী ব্যক্তি ৷ আর আমি
দেখতে পাচ্ছি যে, তৃমিই যে ব্যক্তি যে আমাদেরকে এই শহর থেকে বহিষ্কার করবে ৷ তুমি কি
আমার জন্যে আমার এই আন্তানার জন্যে একটি নিরাপত্তা সার্টিফিকেট লিখে দিবে ? আমি
বললড়াম, ওহে যাজক আপনি আমাকে ভুল বুঝেছেন ৷ আপনার উপলব্ধি সঠিক নয় ৷ কিন্তু সে
নাছোড়বান্দা, শেষ পর্যন্ত তার ইচ্ছামত তাকে আমি আমার পক্ষ থেকে একটি নিরাপত্তা সনদ
স্বাক্ষর করে দিই ৷ আমার বিদায় নেবার সময় সে আমাকে বাহন হিসেবে একটি গাধী দেয় এবং
বলে যে, তুমি এটিতে চড়ে তোমার সাথীদেরকে খুজে নাও ৷ ওদের সাক্ষাত পেলে এটি একক্ষী
ছেড়ে দিয়ে তাতে তার কোন ক্ষতি হবে না ৷ কারণ সকল এলাকার ল্যেকই এটিকে চিনে এবং
সম্মান করে ৷ আমি তার কথা মত কাজ করলাম ৷
আলৰিদায়া — ১৫
رَوَاهُ مِنَ الْأَحَادِيثِ الْمَرْفُوعَةِ، وَمَا رُوِيَ عَنْهُ مِنَ الْآثَارِ الْمَوْقُوفَةِ مُبَوَّبًا عَلَى أَبْوَابِ الْفِقْهِ، وَلِلَّهِ الْحَمْدُ وَالْمِنَّةُ.
وَقَدْ رَوَى سَيْفُ بْنُ عُمَرَ، عَنْ شُيُوخِهِ، عَنْ سَالِمٍ قَالَ: لَمَّا دَخَلَ عُمَرُ الشَّامَ تَلَقَّاهُ رَجُلٌ مِنْ يَهُودِ دِمَشْقَ، فَقَالَ: السَّلَامُ عَلَيْكَ يَا فَارُوقُ، أَنْتَ صَاحِبُ إِيلِيَاءَ، لَا هَا اللَّهِ لَا تَرْجِعْ حَتَّى يَفْتَحَ اللَّهُ عَلَيْكَ إِيلِيَاءَ.
وَقَدْ رَوَى أَحْمَدُ بْنُ مَرْوَانَ الدِّينَوَرِيُّ عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ عَبْدِ الْعَزِيزِ، عَنْ أَبِيهِ، عَنِ الْهَيْثَمِ بْنِ عَدِيٍّ، عَنْ أُسَامَةَ بْنِ زَيْدِ بْنِ أَسْلَمَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ جَدِّهِ أَسْلَمَ مَوْلَى عُمَرَ، عَنْ عُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ، أَنَّهُ قَدِمَ دِمَشْقَ فِي تُجَّارٍ مِنْ قُرَيْشٍ فَلَمَّا خَرَجُوا تَخَلَّفَ عُمَرُ لِبَعْضِ حَاجَتِهِ فَبَيْنَمَا هُوَ فِي الْبَلَدِ إِذَا هُوَ بِبِطْرِيقٍ يَأْخُذُ بِعُنُقِهِ، فَذَهَبَ يُنَازِعُهُ فَلَمْ يَقْدِرْ، فَأَدْخَلَهُ دَارًا فِيهَا تُرَابٌ وَفَأْسٌ وَمِجْرَفَةٌ وَزِنْبِيلٌ، وَقَالَ لَهُ: حَوِّلْ هَذَا مِنْ هَا هُنَا إِلَى هَا هُنَا. وَغَلَّقَ عَلَيْهِ الْبَابَ وَانْصَرَفَ، فَلَمْ يَجِئْ إِلَى نِصْفِ النَّهَارِ. قَالَ: وَجَلَسْتُ مُفَكِّرًا، وَلَمْ أَفْعَلْ مِمَّا قَالَ لِي شَيْئًا. فَلَمَّا جَاءَ قَالَ: مَا لَكَ لَمْ تَفْعَلْ؟ وَلَكَمَنِي فِي رَأْسِي بِيَدِهِ، قَالَ: فَأَخَذْتُ الْفَأْسَ فَضَرَبْتُهُ بِهَا فَقَتَلْتُهُ، وَخَرَجْتُ عَلَى وَجْهِي فَجِئْتُ دَيْرًا لِرَاهِبٍ، فَجَلَسْتُ عِنْدَهُ مِنَ الْعَشِيِّ، فَأَشْرَفَ عَلَيَّ، فَنَزَلَ وَأَدْخَلَنِي الدَّيْرَ فَأَطْعَمَنِي وَسَقَانِي، وَأَتْحَفَنِي، وَجَعَلَ يُحَقِّقُ النَّظَرَ فِيَّ، وَسَأَلَنِي عَنْ أَمْرِي، فَقُلْتُ: إِنِّي أَضْلَلْتُ عَنْ أَصْحَابِي. فَقَالَ: إِنَّكَ
পৃষ্ঠা - ৫৪৯২
বায়তৃল মুকাদ্দাস বিজয়ের জন্যে যখন হযরত উমর (রা) জেরুযালেম এসে জাবিয়াতে
অবস্থান করছিলেন তখন ওই নিরাপত্তা সনদ নিয়ে ওই খ্রিষ্টান যাজক তার সাথে সাক্ষ্যত করে ৷
হযরত উমর (রা) তার সনদ কার্যকর ও আইনসম্মত হবার ঘোষণা দেন ৷ তবে শর্ত দেন যে,
ওখানে যেসব মুসলমান যাবে তাদের যেহমানদারী করতে হবে, আপ্যায়নের ব্যবস্থা করতে
হবে ৷ আর তাদেরকে তাদের গম্ভব্য পথ চিনিয়ে দিতে হবে ৷ ইবন আসাকির ও অন্যরা এটি
বর্ণনা করেছেন ৷ ঐতিহাসিক ইবন আসাকির ইয়াহ্ইয়া ইবন উবায়দিল্লাহ ইবন উসামা
কুরায়শীর জীবনী বণ্নাি প্রসঙ্গে যায়েদ ইবন আসলাম সুত্রে একটি দীর্ঘ ও আশ্চর্যজনক হাদীস
উল্লেখ করেছেন ৷ সেই হাদীসের একটি অংশ হলো এই হাদীস ৷ হযরত উমর (রা) কর্তৃক
সিরিয়ার খ্রিস্টানদের জন্যে নির্ধারিত শর্তগুলো আমরা আমাদের “আল আহকাম” গ্রন্থে
বিস্তারিতভাবে উল্লেখ করেছি ৷ সকল প্রশংসা মহান আল্লাহর ৷ জাবিয়াতে প্রদত্ত হযরত উমরের
ভাষণটি হুবহু সনদসহ আমরা মুসনাদ-ই-উমর’ গ্রন্থে উল্লেখ করেছি ৷ তার সিরিয়া প্ৰৰেশকালে
বিনয় ও ন্ম্নত৷ প্রকাৰশর ঘটনা আমরা তার জীবনী গ্রহুন্থ পৃথকভাবে উল্লেখ করেছি ৷
আবু বকর ইবন আবীদ দৃনয়া আবু গালিয়া শামী থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন,
উমর ইবন খাত্তাব (বা) জেরুযালেম আগমনের পথে জাবিয়া এসে উপস্থিত হন একটি ছাই
রঙের উটের পিঠে নওয়াব হয়ে ৷ রােদের তীব্রতায় তার মাথার খোলা চুলগুলো ঝলমল
করছিল ৷ তার মাথায় টুপিও ছিল না, পাগড়িও নয় ৷ উটের পিঠের দৃ’পাশে তার পা দৃ’টো
বুলেছিল ৷ উটের পিঠে বিছানা হিসেবে রেখেছিলেন একটি পশমী কাপড় ৷ যখন উটের পিঠে
চঢ়তেন তখন সেটি বসার বিছানা হিসেবে ব্যবহার করতেন আর যখন উটের পিঠ থেকে
নামতেন তখন এটিকে বিছানা বানিয়ে তার উপর ঘৃমাতেন ৷ তার সওয়ারীর গদি হিসেবে ছিল
মোটা কাপড়ের তৈরি একটি খােল যা ছিল গাছের ছালে ভর্তি ৷ সওয়ারীর পিঠে উঠলে সেটি
ব্যবহার করতেন হেলান দেয়ার গদি হিসেবে আর ঘুমানাের সময় সেটি ব্যবহার করতেন বালিশ
হিসেবে ৷ র্তার পরিধানে ছিল তালি লাগানো এবং এক পাশ ছেড়া একটি তুলার তৈরি জামা ৷
তিনি বললেন, এখানকার ণ্নতাকে ডেকে নিয়ে আস ৷ লোকজন স্থানীয় নেতা জালমুস’কে
ডেকে আমল ৷ খলীফা বললেন, তাড়াতাড়ি আমার জামাটি ধুয়ে সেলাইয়ের ব্যবস্থা করে দাও ৷
ততক্ষণের জন্যে আমাকে একটি জামা কিৎরা কাপড় ধার দাও ৷ তখন কাতানের তৈরি একটি
জামা তার নিকট আনা হলো ৷ তিনি বললেন এটি কি’? বলা হয় এটি কাতান ৷ তিনি বললেন,
কাতান কাি লোকজন তাকে কাতান কাপড়ের বর্ণনা দিল ৷ তখনই তিনি নিজের জামা খুলে
দিলেন ৷ তা ধোত করে তালি লাগিয়ে তার নিকট উপস্থিত করা হলো ৷ তৎক্ষণাং তিনি ওদের
জামা খুলে নিজের জামা পরিধান করলেন ৷
গোত্রপ্রধান জালমুস বলল, “আপনি আরবের রাজা, এই দেশে এই পরিবেশে উটের পিঠে
চড়ার প্রচলন নেই ৷ আপনি যদি এই জামা ছেড়ে অন্য কোন জামা পরিধান করতেন এবং উট
ছেড়ে খচ্চরে চড়তেন তাতে রোমানদের মধ্যে আপনার প্রতি শ্রদ্ধা ও প্রভাব বৃদ্ধি পেত ৷ উত্তরে
খলীফা বললেন, আমরা এমন একটি সম্প্রদায় আল্লাহ্ তাআলা ইসলামের মাধ্যমে আমাদেরকে
সম্মানিত করেছেন ৷ আল্লাহ্র পরিবর্তে আমরা অন্য কিছু চইি না ৷ তবুও একটি খচ্চর নিয়ে
আসা হলো ৷ সেটির পিঠে একটি ঢ়াদর বিছিয়ে দেয়া হলো ৷ কোন গদি ছিল না সেটির পিঠে
আর না ছিল পাদানী ৷ খলীফা সেটির পিঠে চড়ে বললেন ৷ পরক্ষণেই বললেন, খামাও,
لَتَنْظُرُ بِعَيْنِ خَائِفٍ. وَجَعَلَ يَتَوَسَّمُنِي، ثُمَّ قَالَ: لَقَدْ عَلِمَ أَهْلُ دِينِ النَّصْرَانِيَّةِ أَنِّي أَعْلَمُهُمْ بِكِتَابِهِمْ، وَإِنِّي لَأُرَاكَ الَّذِي تُخْرِجُنَا مِنْ بِلَادِنَا هَذِهِ، فَهَلْ لَكَ أَنْ تَكْتُبَ لِي كِتَابَ أَمَانٍ عَلَى دَيْرِي هَذَا؟ فَقُلْتُ: يَا هَذَا، لَقَدْ ذَهَبْتَ غَيْرَ مَذْهَبٍ. فَلَمْ يَزَلْ بِي حَتَّى كَتَبْتُ لَهُ صَحِيفَةً بِمَا طَلَبَ مِنِّي، فَلَمَّا كَانَ وَقْتُ الِانْصِرَافِ أَعْطَانِي أَتَانًا، فَقَالَ لِيَ: ارْكَبْهَا، فَإِذَا وَصَلْتَ إِلَى أَصْحَابِكَ فَابْعَثْ إِلَيَّ بِهَا وَحْدَهَا فَإِنَّهَا لَا تَمُرُّ بِدَيْرٍ إِلَّا أَكْرَمُوهَا. فَفَعَلْتُ مَا أَمَرَنِي بِهِ، فَلَمَّا قَدِمَ عُمَرُ لِفَتْحِ بَيْتِ الْمَقْدِسِ أَتَاهُ ذَلِكَ الرَّاهِبُ وَهُوَ بِالْجَابِيَةِ بِتِلْكَ الصَّحِيفَةِ، فَأَمْضَاهَا لَهُ عُمَرُ، وَاشْتَرَطَ عَلَيْهِ ضِيَافَةَ مَنْ يَمُرُّ بِهِ مِنَ الْمُسْلِمِينَ، وَأَنْ يُرْشِدَهُمْ إِلَى الطَّرِيقِ. رَوَاهُ ابْنُ عَسَاكِرَ وَغَيْرُهُ. وَقَدْ سَاقَهُ ابْنُ عَسَاكِرَ مِنْ طَرِيقٍ أُخْرَى فِي تَرْجَمَةِ يَحْيَى بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أُسَامَةَ الْقُرَشِيِّ الْبَلْقَاوِيِّ، عَنْ زَيْدِ بْنِ أَسْلَمَ، عَنْ أَبِيهِ، فَذَكَرَ حَدِيثًا طَوِيلًا عَجِيبًا، هَذَا بَعْضُهُ. وَقَدْ ذَكَرْنَا الشُّرُوطَ الْعُمَرِيَّةَ عَلَى نَصَارَى الشَّامِ مُطَوَّلًا فِي كِتَابِنَا " الْأَحْكَامِ " وَأَفْرَدْنَا لَهُ مُصَنَّفًا عَلَى حِدَةٍ، وَلِلَّهِ الْحَمْدُ وَالْمِنَّةُ.
وَقَدْ ذَكَرْنَا خُطْبَتَهُ فِي الْجَابِيَةِ بِأَلْفَاظِهَا وَأَسَانِيدِهَا فِي الْكِتَابِ الَّذِي أَفْرَدْنَاهُ لِمُسْنَدِ عُمَرَ، وَذَكَرْنَا تَوَاضُعَهُ فِي دُخُولِهِ الشَّامَ فِي السِّيرَةِ الَّتِي أَفْرَدْنَاهَا لَهُ.
وَقَالَ أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي الدُّنْيَا: حَدَّثَنِي الرَّبِيعُ بْنُ ثَعْلَبٍ، نَا أَبُو إِسْمَاعِيلَ الْمُؤَدِّبُ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مُسْلِمِ بْنِ هُرْمُزَ الْمَكِّيِّ، عَنْ أَبِي الْعَالِيَةِ الشَّامِيِّ قَالَ:
পৃষ্ঠা - ৫৪৯৩
থামাও ৷ মানুষ শয়তানের পিঠে সওয়ার হয় তা ইতিপুর্বে আমি দেখিনি ৷ এখন দেখলাম ৷ ’
অতএব তিনি ওই খচ্চরের পিঠ থেকে নেমে তার উটের পিঠে চড়লেন ৷
ইসমাঈল ইবন মুহাম্মদ আল সাফফার বলেছেন, সাদান ইবন নাসর তারিক ইবন
শিহাব থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন, হযরত উমর (রা) যখন সিরিয়া এলেন, তখন
তার বাহন হিসেবে একটি গর্জাত্তী উটনী হাজির করা হয় ৷ তিনি তার উট থেকে নেমে এলেন ৷
সোজা দৃটো খুলে নিলেন ৷ তারপর পানিতে নেমে গেলেন ৷ সাথে তার উটটিও পানিতে নেমে
যায় ৷ সেনাপতি আবু উবায়দা (রা) বললেন, হে আমীরুল মৃ’মিনীন! এই নগরবাসীর সম্মুখে
আপনি যা করেছেন তা বড় বেমানান বটে ৷ আপনি এই এই কাজ করলেন, খলীফা উমর (রা)
আবু উবায়দার বুকে মৃদু আঘাত করে বললেন, হে আবু উবায়দা ! এমন মন্তব্য আপনি ছাড়া
অন্য কারো মুখে হয়তো বা মনোয় ৷ এক সময় আপনারা হেয়, তৃচ্ছ, লাঞ্ছিত ও নগণ্য সংখ্যক
লোক ছিলেন ৷ তারপর ইসলামের মাধ্যমে আল্লাহ তড়াআলা আপনাদেরকে সম্মানিত করেছেন ৷
এরপর যদি আল্লাহর পথ ব্যতীত অন্য কোন পথে ইঘৃযত ও সম্মান লাভের চেষ্টা করেন তবে
আল্লাহ আপনাদেরকে লাঞ্ছিত ও অপমানিত করবেন ৷
ইবন জারীর বলেন, এই বছরেই অর্থাৎ ১৫ হিজরী সনে যুসলমান ও পারসিকদের মধ্যে
একাধিক যুদ্ধ ও সংঘর্ষ হয়েছে ৷ এটি বর্ণনা করেছেন সায়ফ ইবন উমর ৷ ইবন ইসহড়াক ও
ওয়াকিদী বলেছেন, এসব ঘটনা ঘটেছিল ১৬ হিজরী সনে ৷ এরপর ইবন জারীর কয়েকটি
ঘটনার উল্লেখ করেছেন ৷ তার একটি হলো উমর ইবন খাত্তাব (রা) সেনাপতি সাদ ইবন আবী
ওয়াক্কাস (বা)-কে মাদাইন অভিমুখে অভিযান পরিচালনার নির্দেশ দিলেন ৷ এই নির্দেশ দিলেন
যে, বহু অশ্বের প্রহরী বাহিনীর তত্ত্বাবধানে নারী ও পােষ্যদেরকে আকীক নামক স্থানে রেখে
যেতে হবে ৷
সেনাপতি মাস (বা) কাদেসিয়া যুদ্ধ শে ষ করে মাদাইন অভিমুখে যাত্রা করেন ৷ সৈনিকদের
অগ্রবর্তী দলের দায়িত্ব দিলেন যুহরা ইবন হুওয়ড়াইয়াকে ৷ এরপর একেকজন সেনাপতির
তত্ত্বাবধানে এক এক ডিভিশন সৈন্য পাঠাতে লাগলেন ৷ সর্বশেষ সেনাপতি সাদ নিজেই একটি
বিশাল বাহিনী নিয়ে যাত্রা করলেন ৷ ওই দিকে খালিদ ইবন উরফাতাহ্-এর স্থলে হাশিম ইবন
উতবা ইবন আবু ওয়াক্কাসকে শাসনকর্তা নিযুক্ত করা হলো ৷ খালিদ ইবনউরফাতাহ্ অভিযানে
শরীক হলেন ৷ একটি বিশাল অশ্ব বাহিনী নিয়ে মুসলমানগণ যাত্রা শুরু করেন ৷ তাদের সাথে
প্রচুর অস্ত্রশস্ত্র মজুদ ছিল ৷ অভিযান শুরু হয়েছিল চলতি বছরের শাওয়াল মাসের কয়েকদিন
বাকি থাকতে ৷ তম্বরা কুফায় গিয়ে অবতরণ করেন ৷ সবার আগে মাদইিসের উদ্দেশেড়া যাত্রা
করলেন যুহরাহ ৷ একদল পারসিক সৈন্যসহ সেনাপতি ইয়াসবৃহারী তার গতিরােধ করে ৷
মুসলিম সেনাপতি যুহরাহ ওদেরকে পরাজিত করেন ৷ পারসিকগণ পরাজিত হয়ে ব্যৰিলন
পালিয়ে যায় ৷ কাদেসিয়ার যুদ্ধে পরাজিত হবার পর বহু পারসিক সৈন্য ব্যবিলনে গিয়ে সমবেত
হয় ৷ সেখানে তারা সৎখ্যাধিক্য হয়ে প্রচুর শক্তি সঞ্চয় করে ৷ ফীরুযানকে তারা সেনাপতি
নিযুক্ত করে ৷ ’
মুসলিম সেনাপতি যুহরাহ পরাজিত পারসিক সৈনিকদের ব্যৰিলনে সমবেত হওয়া এবং যুদ্ধ
প্রভৃতির কথা হযরত সাদ ইবন আবী ওয়াক্কাসকে জানান ৷ হযরত সাদ ব্যাপক যুদ্ধ প্রস্তুতি
قَدِمَ عُمَرُ بْنُ الْخَطَّابِ الْجَابِيَةَ عَلَى طَرِيقِ إِيلِيَاءَ عَلَى جَمَلٍ أَوْرَقَ تَلُوحُ صَلْعَتُهُ لِلشَّمْسِ، لَيْسَ عَلَيْهِ قَلَنْسُوَةٌ وَلَا عِمَامَةٌ، تَصْطَفِقُ رِجْلَاهُ بَيْنَ شُعْبَتِي الرَّحْلِ بِلَا رِكَابٍ، وِطَاؤُهُ كِسَاءٌ أَنْبِجَانِيٌّ ذُو صُوفٍ، هُوَ وِطَاؤُهُ إِذَا رَكِبَ، وَفِرَاشُهُ إِذَا نَزَلَ، حَقِيبَتُهُ نَمِرَةٌ أَوْ شَمْلَةٌ مَحْشُوَّةٌ لِيفًا، هِيَ حَقِيبَتُهُ إِذَا رَكِبَ، وَوِسَادَتُهُ إِذَا نَزَلَ، وَعَلَيْهِ قَمِيصٌ مِنْ كَرَابِيسَ قَدْ دَسِمَ وَتَخَرَّقَ جَيْبُهُ. فَقَالَ: ادْعُوا لِي رَأْسَ الْقَوْمِ. فَدَعَوْا لَهُ الْجَلَوْمَسَ، فَقَالَ: اغْسِلُوا قَمِيصِي وَخَيِّطُوهُ، وَأَعِيرُونِي قَمِيصًا أَوْ ثَوْبًا، فَأُتِيَ بِقَمِيصِ كَتَّانٍ فَقَالَ: مَا هَذَا؟ قَالُوا: كَتَّانٌ. قَالَ: وَمَا الْكَتَّانُ؟ فَأَخْبَرُوهُ، فَنَزَعَ قَمِيصَهُ فَغُسِلَ وَرُقِّعَ، وَأُتِيَ بِهِ، فَنَزْعَ قَمِيصَهُمْ وَلَبِسَ قَمِيصَهُ. فَقَالَ لَهُ الْجَلَوْمَسُ: أَنْتَ مِلْكُ الْعَرَبِ، وَهَذِهِ بِلَادٌ لَا تَصْلُحُ بِهَا الْإِبِلُ. فَأُتِيَ بِبِرْذَوْنٍ فَطُرِحَ عَلَيْهِ قَطِيفَةٌ بِلَا سَرْجٍ وَلَا رَحْلٍ، فَرَكِبَهُ فَقَالَ: احْبِسُوا احْبِسُوا، مَا كُنْتُ أَظُنُّ النَّاسَ يَرْكَبُونَ الشَّيْطَانَ قَبْلَ هَذَا، هَاتُوا جَمَلِي. فَأُتِيَ بِجَمَلِهِ فَرَكِبَهُ.
পৃষ্ঠা - ৫৪৯৪
وَقَالَ إِسْمَاعِيلُ بْنُ مُحَمَّدٍ الصَّفَّارُ: حَدَّثَنَا سَعْدَانُ بْنُ نَصْرٍ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ عَنْ أَيُّوبَ الطَّائِيِّ، عَنْ قَيْسِ بْنِ مُسْلِمٍ، عَنْ طَارِقِ بْنِ شِهَابٍ قَالَ: لَمَّا قَدِمَ عُمَرُ الشَّامَ عَرَضَتْ لَهُ مَخَاضَةٌ، فَنَزَلَ عَنْ بَعِيرِهِ وَنَزَعَ مُوقَيْهِ، فَأَمْسَكَهُمَا بِيَدِهِ وَخَاضَ الْمَاءَ وَمَعَهُ بَعِيرُهُ، فَقَالَ لَهُ أَبُو عُبَيْدَةَ: قَدْ صَنَعْتَ الْيَوْمَ صَنِيعًا عَظِيمًا عِنْدَ أَهْلِ الْأَرْضِ ; صَنَعْتَ كَذَا وَكَذَا. قَالَ: فَصَكَّ فِي صَدْرِهِ، وَقَالَ: أَوْهِ، لَوْ غَيْرُكَ يَقُولُهَا يَا أَبَا عُبَيْدَةَ! إِنَّكُمْ كُنْتُمْ أَذَلَّ النَّاسِ وَأَحْقَرَ النَّاسِ وَأَقَلَّ النَّاسِ، فَأَعَزَّكُمُ اللَّهُ بِالْإِسْلَامِ، فَمَهْمَا تَطْلُبُوا الْعِزَّ بِغَيْرِهِ يُذِلَّكُمُ اللَّهُ.
قَالَ ابْنُ جَرِيرٍ: وَفِي هَذِهِ السَّنَةِ - أَعْنِي سَنَةَ خَمْسَ عَشْرَةَ - كَانَتْ بَيْنَ الْمُسْلِمِينَ وَفَارِسَ وَقَعَاتٌ فِي قَوْلِ سَيْفِ بْنِ عُمَرَ.
وَقَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ وَالْوَاقِدِيُّ: إِنَّمَا كَانَ ذَلِكَ فِي سَنَةِ سِتَّ عَشْرَةَ. ثُمَّ ذَكَرَ ابْنُ جَرِيرٍ وَقَعَاتٍ كَثِيرَةً كَانَتْ بَيْنَهُمْ، وَذَلِكَ حِينَ بَعَثَ عُمَرُ بْنُ الْخَطَّابِ إِلَى سَعْدِ بْنِ أَبِي وَقَّاصٍ يَأْمُرُهُ بِالْمَسِيرِ إِلَى الْمَدَائِنِ، وَأَنْ يُخَلِّفَ النِّسَاءَ وَالْعِيَالَ بِالْعَقِيقِ فِي خَيْلٍ كَثِيرَةٍ كَثِيفَةٍ، فَلَمَّا تَفَرَّغَ سَعْدٌ مِنْ أَمْرِ الْقَادِسِيَّةِ بَعَثَ عَلَى الْمُقَدِّمَةِ زُهْرَةَ بْنَ حَوِيَّةَ، ثُمَّ أَتْبَعَهُ بِالْأُمَرَاءِ وَاحِدًا بَعْدَ وَاحِدٍ، ثُمَّ سَارَ فِي الْجُيُوشِ، وَقَدْ جَعَلَ هَاشِمَ بْنَ عُتْبَةَ بْنِ أَبِي وَقَّاصٍ عَلَى خِلَافَتِهِ مَكَانَ خَالِدِ بْنِ عُرْفُطَةَ، وَجَعَلَ خَالِدًا هَذَا عَلَى السَّاقَةِ، فَسَارُوا فِي خُيُولٍ عَظِيمَةٍ، وَسِلَاحٍ كَثِيرٍ، وَذَلِكَ
পৃষ্ঠা - ৫৪৯৫
নিয়ে ব্যবিলনের উদ্দেশ্যে যাত্রা করেন ৷ ব্যবিলনের প্রবেশমুখে পারসিক সেনাপতি ফীরুযান
মুসলমানদেরকে বাধা দেয় ৷ উভয় পক্ষে যুদ্ধ হয় ৷ এক নিযিষেই মুসলমানপণ পরাজিত করে
দেয় পারসিকদেরকে ৷ তারা দৃড়াগে বিভক্ত হয়ে পালিয়ে যায় ৷ একদ্যা চলে যায় মাদাইনের
দিকে, আরেকদল পালিয়ে যায় নিহাওয়ান্দের দিকে ৷ হযরত সাদ কয়েকদিন ব্যৰিলান অবস্থান
করেন ৷ এরপর সেখান থেকে মাদাইনের উদ্দেশ্যে যাত্রা করেন ৷ অপর একদল পারসিক সৈন্য
তার গতিরোধ করে ৷ সেখানে ভীষণ যুদ্ধ হয় ৷ ওরা নিজেদের সেনাপতি শাহরিয়ারকে মাঠে
পাঠায় ৷ সে তার সাথে যুদ্ধের আহ্বান জানায় ৷
বনী তামীমের জনৈক সাহসী মুসলিম ব্যক্তি আবু নাবাতা নাইল আরাব্জী শাহরিয়ারের
সাথে যুদ্ধ করার জন্যে বের হন ৷ কিছু সময় উভয়ে তীর নিক্ষেপ করে ৷ তারপর তীর ফেলে
দিয়ে তরবারি পরিচালনা করে ৷ এরপর একেবারে মুখোমুখি হয়ে যায় এবং দু’জনেই ঘোড়া
থেকে নিচে পড়ে যায় ৷ শাহরিয়ার পড়ে আবু নাবাতা-এর বুকের উপর ৷ সে আবু নাৰাতাকে
জবাই করার জন্যে একটি খঞ্জর বের করে ৷ হঠাৎ তার হাতের আঙ্গুল ঢুকে যায় আবু
নাবাতা-এর মুখের মধ্যে ৷ তিনি প্রচণ্ড শক্তিতে ওইআঙ্গুল কামড়ে ধরেন ৷ শাহরিয়ার লক্ষ্যভ্রষ্ট
হয় ৷ নিজেকে ছাড়িয়ে নিতে চেষ্টা করে ৷ কৌশলে আবু নাবাতা খঞ্জরটি হাতে নেন এবং ওই
খঞ্জর দিয়েই শাহরিয়ারকে জবাই করে দেন ৷ তিনি তার ঘোড়া, বাজুবন্দ ও অন্ত্রশস্ত্র হস্তগত
করেন ৷ শাহরিয়ারের করুণ মৃত্যু দেখে তার সৈনিকগণ পালিয়ে যায় ৷ সেনাপতি সাদ আবু
নাবাতাকে কসম দিয়ে বলেছেন যেন যুদ্ধের সময় তিনি শাহরিয়ারের অস্ত্রশস্ত্র ও বাজুবন্দ
পরিধান করেন এবং তার ঘোড়ায় চড়ে যুদ্ধের ময়দানে যান ৷ বাস্তবিকই আবু নাবাতা তাই
করতেন ৷
ঐতিহাসিকগণ বলেন, তিনিই প্রথম ব্যক্তি যিনি ইরাকে সর্বপ্রথম বাজুরন্দ পরিধান করেন ৷
এই যুদ্ধ হয়েছিল কুহী নামক স্থানে ৷ র্তারা সেই স্থান পরিদর্শন করেন যেখানে হযরত ইব্রাহীম
(আ)-কে আটক রাখা হয়েছিল ৷ র্তারা ইব্রাহীম (আ) ও অন্য নবীগণের প্রতি দরুদ পাঠ
করেন ৷ আর এই আয়াত তিলাওয়াত মানুষের
মধ্যে আমি এই দিনগুলোর পর্যায়ক্রমে আবর্তন যটইি ৷ (সুরা-৩,আলে ইমরান : ১৪ছু১)
নাহারশীরের১ যুদ্ধ
সেনাপতি সাদ ইবন আৰী ওয়াক্কাস (বা) যুহরাকে প্রেরণ করলেন সম্মুখ পানে
নাহারশীরের উদ্দেশ্যে ৷ তিনি সম্মুখে অগ্নসর হলেন ৷ সাবাত পৌছার পর পারসিক সেনাপতি
শীরযায তার সাথে সন্ধির প্রভাব নিয়ে সাক্ষাত করে এই শর্তে যে, তারা জিয্য়া কর প্রদান
করবে ৷ যুহরা প্রস্তাবটি প্রধান সেনাপতি সাদ (রা)-এর নিকট পাঠালেন ৷ হযরত সাদ (বা) তা
মঞ্জুর করলেন ৷ হযরত সঙ্গে তার বাহিনী নিয়ে অগ্রসর হলেন ৷ তিনি মাযলামই সাবাত নামে
এক জায়গায় গিয়ে পৌছলেন ৷ তিনি সেখানে একটি বিশাল পারসিক বাহিনীর খোজ পেলেন ৷
ওরা ওই বাহিনীর নাম ব্লেখেছিল বুরান’ ৷ ওরা প্রতিদিন কসম করত যে, আমরা যতদিন বেচে
আছি ততদিন পারসিক সাম্রাজ্যের যেন পতন না ঘটে ৷ ওদের সাথে পারসিক সম্রাটের পাঠানেমু
১ আরবীতে স্থানটির নাম ৰাহার সীর বলে উল্লেখ রয়েছে ৷
لِأَيَّامٍ بَقِينَ مِنْ شَوَّالٍ مِنْ هَذِهِ السَّنَةِ، فَنَزَلُوا الْكُوفَةَ، وَارْتَحَلَ زُهْرَةُ بَيْنَ أَيْدِيهِمْ نَحْوَ الْمَدَائِنِ، فَلَقِيَهُ بِهَا بُصْبُهْرَى فِي جَيْشٍ مِنْ فَارِسَ، فَهَزَمَهُمْ زُهْرَةُ، وَذَهَبَتِ الْفُرْسُ فِي هَزِيمَتِهِمْ إِلَى بَابِلَ، وَبِهَا جَمْعٌ كَثِيرٌ مِمَّنِ انْهَزَمَ يَوْمَ الْقَادِسِيَّةِ، قَدْ جَعَلُوا عَلَيْهِمُ الْفَيْرُزَانَ، فَبَعَثَ زُهْرَةُ إِلَى سَعْدٍ، فَأَعْلَمَهُ بِاجْتِمَاعِ الْمُنْهَزِمِينَ بِبَابِلَ، فَسَارَ سَعْدٌ بِالْجُيُوشِ إِلَى بَابِلَ، فَتَقَابَلَ هُوَ وَالْفَيْرُزَانُ عِنْدَ بَابِلَ فَهَزَمَهُمْ كَأَسْرَعِ مِنْ لَفَّةِ الرِّدَاءِ، وَانْهَزَمُوا بَيْنَ يَدَيْهِ فِرْقَتَيْنِ، فَفِرْقَةٌ ذَهَبَتْ إِلَى الْمَدَائِنِ، وَأُخْرَى سَارَتْ إِلَى نَهَاوَنْدَ، وَأَقَامَ سَعْدٌ بِبَابِلَ أَيَّامًا، ثُمَّ سَارَ مِنْهَا نَحْوَ الْمَدَائِنِ فَلَقُوا جَمْعًا آخَرَ مِنَ الْفُرْسِ، فَاقْتَتَلُوا قِتَالًا شَدِيدًا وَبَارَزُوا أَمِيرَ الْفُرْسِ، وَهُوَ شَهْرِيَارُ، فَبَرَزَ إِلَيْهِ رَجُلٌ مِنَ الْمُسْلِمِينَ يُقَالُ لَهُ: نَايِلٌ الْأَعْرَجِيُّ أَبُو نُبَاتَةَ مِنْ شُجْعَانِ بَنِي تَمِيمٍ فَتَجَاوَلَا سَاعَةً بِالرِّمَاحِ، ثُمَّ أَلْقَيَاهَا فَانْتَضَيَا سَيْفَيْهِمَا وَتَصَاوَلَا بِهِمَا، ثُمَّ تَعَانَقَا وَسَقَطَا عَنْ فَرَسَيْهِمَا إِلَى الْأَرْضِ، فَوَقَعَ شَهْرِيَارُ عَلَى صَدْرِ أَبِي نُبَاتَةَ، وَأَخْرَجَ خِنْجَرًا لِيَذْبَحَهُ بِهَا، فَوَقَعَتْ أُصْبُعُهُ فِي فَمِ أَبِي نُبَاتَةَ فَقَضَمَهَا حَتَّى شَغَلَهُ عَنْ نَفْسِهِ، وَأَخَذَ الْخِنْجَرَ فَذَبَحَ شَهْرِيَارَ بِهَا وَأَخَذَ فَرَسَهُ وَسِوَارَيْهِ وَسَلَبَهُ، وَانْكَشَفَ أَصْحَابُهُ فَهُزِمُوا، فَأَقْسَمَ سَعْدٌ عَلَى نَايِلٍ لَيَلْبَسُ سِوَارَيْ شَهْرِيَارَ وَسِلَاحَهُ، وَلَيَرْكَبَنَّ فَرَسَهُ إِذَا كَانَ حَرْبٌ، فَكَانَ يَفْعَلُ ذَلِكَ، قَالُوا: وَكَانَ أَوَّلَ مَنْ تَسَوَّرَ بِالْعِرَاقِ. وَذَلِكَ بِمَكَانٍ يُقَالُ لَهُ كُوثَى. وَزَارَ الْمَكَانَ الَّذِي حُبِسَ فِيهِ الْخَلِيلُ، وَصَلَّى عَلَيْهِ وَعَلَى سَائِرِ الْأَنْبِيَاءِ، وَقَرَأَ: {وَتِلْكَ الْأَيَّامُ نُدَاوِلُهَا بَيْنَ النَّاسِ} [آل عمران: 140] الْآيَةَ [آلِ عِمْرَانَ: 140] .
[وَقْعَةُ بَهُرَسِيرَ]
قَالُوا: ثُمَّ قَدَّمَ سَعْدٌ زُهْرَةَ بَيْنَ يَدَيْهِ مِنْ كُوثَى إِلَى بَهُرَسِيرَ، فَمَضَى إِلَى
পৃষ্ঠা - ৫৪৯৬
একটি বিরাট সিংহ ছিল ৷ সিংহটির নাম ছিল ঘুকাররিত ৷ সেটিকে তারা মুসলমানদের চলাচল
পথে বেধে রেখেছিল ৷ হযরত সাদের ভ্যতিজা ওই সিংহটির উদ্দেশ্যে যাত্রা করলেন ৷ তার
তাতিজার নাম ছিল হাশিম ইবন উতবা ৷ এই যুদ্ধে তিনি গিয়ে সিংহটিকে হত্যা করে ফেলেন ৷
সবাই তাকিয়ে দেখছিল ৷ সেদিন থেকে তীর তরবারির নাম রাখা হয় মাভীন’ ৷ সেদিন
সেনাপতি সাদ ইবন আবী ওয়াক্কাস (রা) হাশিমের মাথা চুম্বন করেছিলেন ৷ আর হাথিং
সাদের কদমবৃসি করেছিলেন-পায়ে চুমু থেয়েছিলেন ৷ হাশিম পারসিকদের উপর বীর বিক্রমে
আক্রমণ পরিচালনা করেন ৷ তিনি তাদেরকে পেছনে সরিয়ে দেন, পরাস্ত করেন ৷
তিনি মহান আল্লাহর এই রাণী তিলাওয়াত করছিলেন-
তোমরা কি পুর্বে শপথ করে বলতে না যে, তোমাদের পতন নেইঃ (সুরা ১ : , ইবৃরইৰুদ্
৪ ৪৪) ৷ রাতের বেলা মুসলমানগণ ওখান থেকে যাত্রা করেন এবং নাহারশীর’ অঞ্চলে অবতরণ
করে র্তাবু স্থাপন করেন ৷ র্তারা যখনই কোন স্থানে যাত্রাবিরতি করতেন তখনই তহ্মহী
বলতেন ৷ এভাবে র্তারা হযরত সাদের সাথে মিলিত হন ৷ তারা সেখানে দৃমাস অরস্থন্
করেছিলেন ৷ তৃতীয় মাসও শুরু হয়ে গিয়েছিল ৷ ১৫ হিজরী সালও তখন শেষ ৷
ইবন জারীর (র) বলেছেন যে, এই সালে অর্থাৎ ১৫ হিজরী সালে হযরত উমর (রা
আমীরুল হাজ্জ হয়ে জনসাধারণকে সাথে নিয়ে হজ্জ সম্পাদন করেন ৷ ওই সময়টুকুক্রুত মক্কর
শাসনকর্তা ছিলেন আত্তাব ইবন আসীদ, সিরিয়ার শাসনকর্তা ছিলেন আবু উবায়দা কুৰু :-
ইরাকে ছিলেন হযরত সাদ (রা), তায়েফে ছিলেন ইয়ালাহ্ ইবন উমাইয়া, বাহরাহুন :
ইয়ামামাতে উসমান ইবন আবীল অড়াস, ওমানে হুযায়ফা ইবন মুহসিন ৷
আমি বলি ইয়ারমুকের যুদ্ধ সংঘটিত হয়েছিল ১৫ হিজরী সালের রজব মাসে ৰু এই
অভিমত পেশ করেন লায়ছ ইবন সাদ, ইবন লাহ্য়াআ, আবু মাশার, ওয়ালীদ ইবন মুসলিম
ইয়াষীদ ইবন উবড়ায়দা, খলীফা ইবন থায়য়াত, ইবন কালবী, মুহাম্মদ ইবন অড়াইয ইবন
অহ্বসাকির এবং আমাদের শায়খ হাফিজ আবু আবদুল্লাহ যাহাবী ৷ অন্যদিকে সায়ফ ইবন উর
আবু জাফর ই ন জারীর উল্লেখ করেছেন যে, ইয়ারমুকের যুদ্ধ হয়েছিল ১৩ হিজরী সনে ৷ ইবন
জারীরের অনুসরণে আমরা ১৩ হিজরীর ঘটনায় ইয়ারমুকের যুদ্ধ আলোচনা করেছি ৷ অনুরুপ
কহুদেসিয়া যুদ্ধ সম্পর্কে কেউ কেউ বলেছেন যে, এটি ১৫ হিজরী সনের শেষ দিকে সষ্ঘর্টিভ্র
হয়েছে ৷ আমাদের শায়খ হাফিজ যাহাবী সেই অভিমত গ্রহণ করেছেন ৷ প্রসিদ্ধ অভিন্ডে হলে
ৰ্ৰদেসিয়া যুদ্ধ সংঘটিত হয়েছে ১৪ হিজরী সনে ৷ ইতিপুর্বে আমরা তা আলোচনা করেছি ৷
১৫ হিজরী সনে যীরা ইনতিকাল করেন
আরবী অক্ষরের ক্রমানুসারে তাদের তালিকা ও
১ সাদ ইবন উবাদা আনসারী খাযরাজী (রা) ৷ র্তার এই সনে মৃত্যুবরণ করা সন্ষ্প্র্ক
জ্ঞে ইতিহড়াসবিদের বক্তব্য ইতিপুর্বে আমরা আলোচনা করেছি ৷
২ মাস ইবন উবায়দ আবু যায়দ আনসারী আওসী (রা) ৷ তিনি কাদেসিয়ার যুদ্ধে শহীদ
প্স্ fl! ষ্ষ্ষ্
হন ৷ কেউ বলেছেন, তিনি আবু যায়দ কারী ৷ রাসুলুল্লাহ্ ন্ণু;ণ্ড্রএর যুগে যে চারজন পুর্ণ কুরভ্রন
ষ্
الْمُقَدِّمَةِ، وَقَدْ تَلَقَّاهُ شِيرْزَاذُ إِلَى سَابَاطَ بِالصُّلْحِ وَالْجِزْيَةِ، فَبَعَثَهُ إِلَى سَعْدٍ فَأَمْضَاهُ، وَوَصَلَ سَعْدٌ بِالْجُنُودِ إِلَى مَكَانٍ يُقَالُ لَهُ: مُظْلِمُ سَابَاطَ، فَوَجَدُوا هُنَالِكَ كَتَائِبَ كَثِيرَةً لِكِسْرَى يُسَمُّونَهَا بُورَانَ، وَهُمْ يُقْسِمُونَ كُلَّ يَوْمٍ: لَا يَزُولُ مُلْكُ فَارِسَ مَا عِشْنَا. وَمَعَهُمْ أَسَدٌ كَبِيرٌ لِكِسْرَى يُقَالُ لَهُ: الْمُقَرَّطُ. قَدْ أَرْصَدُوهُ فِي طَرِيقِ الْمُسْلِمِينَ، فَتَقَدَّمَ إِلَيْهِ ابْنُ أَخِي سَعْدٍ، وَهُوَ هَاشِمُ بْنُ عُتْبَةَ، فَقَتَلَ الْأَسَدَ وَالنَّاسُ يَنْظُرُونَ، وَسُمِّيَ يَوْمَئِذٍ سَيْفُهُ الْمَتِينَ، وَقَبَّلَ سَعْدٌ يَوْمَئِذٍ رَأَسَ هَاشِمٍ، وَقَبَّلَ هَاشِمٌ قَدَمَ سَعْدٍ، وَحَمَلَ هَاشِمٌ عَلَى الْفُرْسِ، فَأَزَالَهُمْ عَنْ أَمَاكِنِهِمْ وَهَزَمَهُمْ وَهُوَ يَتْلُو قَوْلَهُ تَعَالَى: {أَوَلَمْ تَكُونُوا أَقْسَمْتُمْ مِنْ قَبْلُ مَا لَكُمْ مِنْ زَوَالٍ} [إبراهيم: 44] . فَلَمَّا كَانَ اللَّيْلُ ارْتَحَلَ الْمُسْلِمُونَ وَنَزَلُوا بَهُرَسِيرَ، فَجَعَلُوا كُلَّمَا وَقَفُوا كَبَّرُوا، وَكَذَلِكَ حَتَّى كَانَ آخِرُهُمْ مَعَ سَعْدٍ، فَأَقَامُوا بِهَا شَهْرَيْنِ، وَدَخَلُوا فِي الثَّالِثِ وَفَرَغَتِ السَّنَةُ.
قَالَ ابْنُ جَرِيرٍ: وَفِيهَا حَجَّ بِالنَّاسِ عُمَرُ، وَكَانَ عَامِلَهُ فِيهَا عَلَى مَكَّةَ عَتَّابُ بْنُ أَسِيدٍ، وَعَلَى الشَّامِ أَبُو عُبَيْدَةَ، وَعَلَى الْكُوفَةِ وَالْعِرَاقِ سَعْدٌ، وَعَلَى الطَّائِفِ يَعْلَى بْنُ أُمَيَّةَ، وَعَلَى الْبَحْرَيْنِ وَالْيَمَامَةِ عُثْمَانُ بْنُ أَبِي الْعَاصِ، وَعَلَى عُمَانَ حُذَيْفَةُ بْنُ مِحْصَنٍ.
قُلْتُ: وَكَانَتْ وَقْعَةُ الْيَرْمُوكِ فِي سَنَةِ خَمْسَ عَشْرَةَ فِي رَجَبٍ مِنْهَا، عِنْدَ اللَّيْثِ بْنِ سَعْدٍ وَابْنِ لَهِيعَةَ وَأَبِي مَعْشَرٍ وَالْوَلِيدِ بْنِ مُسْلِمٍ وَيَزِيدَ بْنِ عُبَيْدَةَ وَخَلِيفَةَ بْنِ خَيَّاطٍ وَابْنِ الْكَلْبِيِّ وَمُحَمَّدِ بْنِ عَائِذٍ وَابْنِ عَسَاكِرَ وَشَيْخِنَا أَبِي عَبْدِ اللَّهِ
পৃষ্ঠা - ৫৪৯৭
الذَّهَبِيِّ الْحَافِظِ. وَأَمَّا سَيْفُ بْنُ عُمَرَ وَأَبُو جَعْفَرِ بْنُ جَرِيرٍ، فَذَكَرُوا وَقْعَةَ الْيَرْمُوكِ فِي سَنَةِ ثَلَاثَ عَشْرَةَ، وَقَدْ قَدَّمْنَا ذِكْرَهَا هُنَالِكَ تَبَعًا لِابْنِ جَرِيرٍ. وَهَكَذَا وَقْعَةُ الْقَادِسِيَّةِ عِنْدَ بَعْضِ الْحُفَّاظِ أَنَّهَا كَانَتْ فِي أَوَاخِرِ هَذِهِ السَّنَةِ سَنَةِ خَمْسَ عَشْرَةَ، وَتَبِعَهُمْ فِي ذَلِكَ شَيْخُنَا الْحَافِظُ الذَّهَبِيُّ، وَالْمَشْهُورُ أَنَّهَا كَانَتْ فِي سَنَةِ أَرْبَعَ عَشْرَةَ كَمَا تَقَدَّمَ.
ثُمَّ ذَكَرَ شَيْخُنَا الذَّهَبِيُّ مَنْ تُوُفِّيَ هَذِهِ السَّنَةَ مُرَتَّبِينَ عَلَى الْحُرُوفِ.
سَعْدُ بْنُ عُبَادَةَ الْأَنْصَارِيُّ الْخَزْرَجِيُّ، وَهُوَ أَحَدُ أَقْوَالِ الْمُؤَرِّخِينَ، وَقَدْ تَقَدَّمَ.
سَعْدُ بْنُ عُبَيْدِ بْنِ النُّعْمَانِ أَبُو زَيْدٍ الْأَنْصَارِيُّ الْأَوْسِيُّ، قُتِلَ بِالْقَادِسِيَّةِ، وَيُقَالُ: إِنَّهُ أَبُو زَيْدٍ الْقَارِيُّ. أَحَدُ الْأَرْبَعَةِ الَّذِينَ جَمَعُوا الْقُرْآنَ عَلَى عَهْدِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَأَنْكَرَ آخَرُونَ ذَلِكَ، وَيُقَالُ: إِنَّهُ وَالِدُ عُمَيْرِ بْنِ سَعْدٍ الزَّاهِدِ أَمِيرِ حِمْصَ. وَذَكَرَ مُحَمَّدُ بْنُ سَعْدٍ وَفَاتَهُ بِالْقَادِسِيَّةِ وَقَالَ: كَانَتْ فِي سَنَةِ سِتَّ عَشْرَةَ، وَاللَّهُ أَعْلَمُ.
سُهَيْلُ بْنُ عَمْرِو بْنِ عَبْدِ شَمْسِ بْنِ عَبْدِ وُدِّ بْنِ نَصْرِ بْنِ مَالِكِ بْنِ حِسْلِ بْنِ عَامِرِ بْنِ لُؤَيٍّ، أَبُو يَزِيدَ الْعَامِرِيُّ، أَحَدُ خُطَبَاءِ قُرَيْشٍ وَأَشْرَافِهِمْ، أَسْلَمَ
পৃষ্ঠা - ৫৪৯৮
সংরক্ষণ করেছিলেন র্তাদের একজন ৷ অন্যরা তা অস্বীকার করােছা ৷ কেউ কেউ বলেছেন যে,
তিনি হিমৃস-এর শাসনকর্তা, উমায়র-এর পিতা ৷ মুহাম্মদ ইবন সাদ উল্লেখ করেছেন যে, তার
মৃত্যু হয়েছিল কাদেসিয়া যুদ্ধে ৷ তিনি এও বলেছেন যে, কাদেসিয়ার যুদ্ধ সংঘটিত হয়েছিল ১৬
হিজরী সনে ৷ আল্লাহ্ ভাল জানেন ৷
৩ সৃহড়ায়ল ইবন আমর ইবন আব্দ শামৃস ইবন আবৃদ উদ্ ইবন নাসর ইবন হাসাল ইবন
আমির ইবন লুওয়াই, আবু যায়দ অড়ামিরী (রা) ৷ তিনি কুরায়শ বংশের সুপ্রসিদ্ধ বক্তা ও সব্রাম্ভ
ব্যক্তি ৷ মক্কা বিজয়ের দিবসে ইসলাম গ্রহণ করেন ৷ ইসলামের বিধি-বিধান পালন করেছেন
সুন্দরভাবে ৷ তিনি অত্যন্ত রুচিশীল, দানবীর, বিশুদ্ধভাষী এবং নামায, বোযা, সাদাকা, কুরআন
তিলাওয়াত ও আল্লাহ্র ভয়ে প্রচুর ক্রন্দনকারী ছিলেন ৷ বলা হয়ে থাকে যে, তিনি এত বেশি
নামায-বোমা করতেন যে তার দেহের রং পরিবর্তন হয়ে গিয়েছিল ৷ হুদায়বিয়ার সন্ধি সম্পাদনে
র্তার সক্রিয় ও গ্রহণযোগ্য ভুমিকা ছিল ৷ ৱাসুলুল্লাহ্মোঃ এর ইনতিকালের পর তিনি মক্কায়
এমন একটি ওজম্বী ও গুরুত্বপুর্ণ ভাষণ দিয়েছিলেন যা লোকজনকে ইসলামের উপর সুদৃঢ়
থাকতে সাহায্য করেছিল ৷ এ উপলক্ষে তার ভাষণ মদীনাতে দেয়া হযরত আবু বকর (রা)-এর
ভাষণের সমপর্ষায়ের ছিল ৷ এরপর তিনি যুদ্ধ করার উদ্দেশ্যে একদল মৃজাহিদের সাথে সিরিয়া
অভিমুখে যাত্রা করেন ৷ তিনি ইয়ারঘুকের যুদ্ধে অংশ নেন ৷ একটি সেনা ডিভিশনের তিনি
দায়িত্বশীল ছিলেন ৷ কথিত আছে যে, তিনি ওই যুদ্ধে শহীদ হয়েছেন ৷ ঐতিহাসিক ওয়াকিদী ও
শাফিঈ (র) বলেন, তিনি প্লেগ রোগে আক্রান্ত হয়ে আমওয়াসে ইনতিকদ্বল করেন ৷
৪ আমির ইবন মালিক ইবন উহায়ব যুহরী (র) ৷ তিনি সাদ ইবন আবী ওয়াক্কাস
(রা)-এর তাই ৷ তিনি আবিসিনিয়ায় হিজরত করেছিলেন ৷ তিনিই আবু উৰায়দা (রা)-এর
সেনাপতি নিয়োগ ও হযরত খালিদের অপসারণ বিষয়ক খলীফা উমর (রা)-এর চিঠিটি আবু
উবায়দা (রা) এর নিকট নিয়ে এসেছিলেন ৷ ইয়ারমুকের যুদ্ধে তিনি শহীদ হন ৷
৫ আবদুল্লাহ্ ইবন সুফয়ান ইবন আবদুল আসাদ মাখযুমী (বা) ৷ প্ৰথা৷ত সাহাবী ৷ র্তার
চাচা আবু সালামা ইবন আবদুল আমাদের সাথে আবিসিনিয়ায় হিজরত করেছিলেন ৷ আমর
ইবন দীনার তার থেকে হাদীস বর্ণনা করেছেন ম্নকাতি’ বা সনদ বিচ্ছিন্ন পদ্ধতিতে ৷ কারণ
তিনি ইয়ারমৃকের যুদ্ধে শহীদ হয়েছিলেন ৷
৬ আবদুর রহমান ইবন আওয়াম (রা) ৷ যুবায়র ইবন আওয়াম (রা)-এর ভাই ৷ মুশরিক
অবস্থায় বদরের যুদ্ধে উপস্থিত হয়েছিলেন ৷ তারপর ইসলাম গ্রহণ করেন ৷ এক বর্ণনা অনুযায়ী
ইয়ারমুকের যুদ্ধে শহীদ হয়েছেন ৷
৭ উতবা ইবন গাযওয়ান (রা) ৷ এক বর্ণনা অনুযায়ী তিনি ইয়ারঘুকের যুদ্ধে শহীদ হন ৷
৮ ইকরিমা ইবন আবী জাহ্ল , (রা) ৷ এক বর্ণনা অনুযায়ী ইয়ারমুকের যুদ্ধে শহীদ হন ৷
৯ আমর ইবন উম্মি মড়াকতুম (রা) ৷ কাদেসিয়ার যুদ্ধে শহীদ হন ৷ ইতিপুর্বে তার বিষয়ে
আলোচনা হয়েছে ৷ কেউ বলেছেন যে, তিনি মদীনায় ফিরে এসেছিলেন ৷
১ : আমর ইবন তােফায়ল ইবন আমর ৷ ইতিপুর্বে তীর বিষয়ে আংলাচনা হয়েছে ৷
১ ১ আমির ইবন আবী রাবিআ ৷ ইতিপুর্বে তার বিষয়ে আলোচনা হয়েছে ৷
يَوْمَ الْفَتْحِ وَحَسُنَ إِسْلَامُهُ، وَكَانَ سَمْحًا جَوَّادًا فَصِيحًا، كَثِيرَ الصَّلَاةِ وَالصَّوْمِ وَالصَّدَقَةِ وَقِرَاءَةِ الْقُرْآنِ وَالْبُكَاءِ. وَيُقَالُ: إِنَّهُ قَامَ وَصَامَ حَتَّى شَحَبَ لَوْنُهُ. وَلَهُ سَعْيٌ مَشْكُورٌ فِي صُلْحِ الْحُدَيْبِيَةِ، وَلَمَّا مَاتَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ خَطَبَ النَّاسَ بِمَكَّةَ خُطْبَةً عَظِيمَةً تُثَبِّتُ النَّاسَ عَلَى الْإِسْلَامِ، وَكَانَتْ خُطْبَتُهُ بِمَكَّةَ قَرِيبًا مِنْ خُطْبَةِ الصِّدِّيقِ بِالْمَدِينَةِ، ثُمَّ خَرَجَ فِي جَمَاعَةٍ إِلَى الشَّامِ مُجَاهِدًا، فَحَضَرَ الْيَرْمُوكَ وَكَانَ أَمِيرًا عَلَى بَعْضِ الْكَرَادِيسِ، وَيُقَالُ: إِنَّهُ اسْتُشْهِدَ يَوْمَئِذٍ. وَقَالَ الْوَاقِدِيُّ وَالشَّافِعِيُّ: تُوفِّيَ بِطَاعُونِ عَمَوَاسَ.
عَامِرُ بْنُ مَالِكِ بْنِ أُهَيْبٍ الزُّهْرِيُّ، أَخُو سَعْدِ بْنِ أَبِي وَقَّاصٍ، هَاجَرَ إِلَى الْحَبَشَةِ، وَهُوَ الَّذِي قَدِمَ بِكِتَابِ عُمَرَ إِلَى أَبِي عُبَيْدَةَ بِوِلَايَتِهِ عَلَى الشَّامِ وَعَزْلِ خَالِدٍ عَنْهَا، اسْتُشْهِدَ يَوْمَ الْيَرْمُوكِ.
عَبْدُ اللَّهِ بْنُ سُفْيَانَ بْنِ عَبْدِ الْأَسَدِ الْمَخْزُومِيُّ، صَحَابِيٌّ هَاجَرَ إِلَى الْحَبَشَةِ مَعَ عَمِّهِ أَبِي سَلَمَةَ بْنِ عَبْدِ الْأَسَدِ. رَوَى عَنْهُ عَمْرُو بْنُ دِينَارٍ مُنْقَطِعًا ; لِأَنَّهُ قُتِلَ يَوْمَ الْيَرْمُوكِ.
عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ الْعَوَّامِ، أَخُو الزُّبَيْرِ بْنِ الْعَوَّامِ، حَضَرَ بَدْرًا مُشْرِكًا ثُمَّ أَسْلَمَ وَاسْتُشْهِدَ يَوْمَ الْيَرْمُوكِ فِي قَوْلٍ.
عُتْبَةُ بْنُ غَزْوَانَ، تُوُفِّيَ فِيهَا فِي قَوْلٍ.
عِكْرِمَةُ بْنُ أَبِي جَهْلٍ، اسْتُشْهِدَ بِالْيَرْمُوكِ فِي قَوْلٍ.
পৃষ্ঠা - ৫৪৯৯
১ ২ কিরাস ইবন নাদর ইবন হারিছ ৷ তিনি ইয়ারমুকের যুদ্ধে শহীদ হয়েছেন বলে কেউ
কেউ মন্তব্য করেছেন ৷
১৩ কায়স ইবন আদী ইবন সা দ ইবন সাহম (রা) ৷ আবিসিনিয়ায় হিজরত করেন ৷
ইয়ারমুকের যুদ্ধে শহীদ হয়েছেন ৷
১৪ কায়স ইবন আবী সাসাআহ্ ৷
১৫ আমর ইবন যায়দ ইবন আওফ আনসারী মাযানী (বা) ৷ তিনি আকাবার শপথে এবং
বদরের যুদ্ধে অংশ নিয়েছিলেন ৷ ইয়ারমুকের যুদ্ধে সেনাবাহিনীর একটি ডিভিশনের সেনাপতির
দায়িত্ব পালন করেন ৷ ওই দিন তিনি শহীদ হন ৷৩ র্তার বর্ণিত একটি হাদীস এই আমি বাংলায়
ণ্গ্শ্ক্সষ্ম্নে
ইয়া রাসুলাল্লাহষ্ণ্প্শ্ণ্ষ্ ! কয়দিনে আমি কুরআন পাঠ শেষ করব ? বাসুলুল্লাহহ্র:;; বললেন ১৫
দিনে ৷ হাদীস শেষ পর্যম্ভ৷ আমাদের শায়খ আবু আবদুল্লাহ যাহাৰী বলেছেন, তাতে এ কথার
প্রমাণ পাওয়া যায় যে, রাসুলুল্লাহ্ন্ত্নল্লু; এর যুগে হারা পুর্ণ কুরআন সংরক্ষণ করেছিলেন
আলোচ্য আমর ইবন যায়দ র্তাদের একজন ৷
১৬ নাসীর ইবন হারিছ ইবন আলকামা ইবন কালদাহ ইবন আবদ্ মানাফ ইবন আবৃদ দার
ইবন কুসইি কুরায়শী , আবদারী (রা) ৷ তিনি ইসলাম গ্রহণ করেছেন মক্কা বিজয়ের বছর ৷ তিনি
কুরায়শের জ্ঞানী ব্যক্তিদের অন্যতম ছিলেন ৷ হুনায়নের যুদ্ধে রাসুলুল্লাহ্ছুর্দুদ্বুপ্লুর্তাকে একশটি উট
প্রদান করেছিলেন ৷ তিনি তা গ্রহণ স্থগিত রেখেছিলেন এবং বলেছিলেন, ইসলাম গ্রহণের
ণ্ ঙ্কোষ্ষ্ ৷ষ্
বিনিময়ে আমি ঘুষ সেব না ৷ রাসুলুল্লাহ্ষ্ম্পোষ্ বললেন, আল্লাহর কসম এটি তুমি না চেয়েছ না
৩ গ্যেণ্ষ্
প্ন্নাগ্ নো
দাবি করেছ, এটি বরং রাসুলুল্লাহচ্ত্তু;ড়ু এর তরফ থেকে তোমার জন্যে হাদিয়া ৷ এরপর তিনি
তা গ্রহণ করেন ৷ তীর ইসলামী জীবন উন্নতমানের ছিল ৷ ইয়ারমুকের যুদ্ধে৩ তিনি শহীদ হন ৷
১ ৭ নাওফাল ইবনহ ৷৷রছ ইবন আবদিল মৃত্তালিব (রা) ৷ রাসুলুল্লাহ্গ্লুক্ট্রষ্টু-এর চাচাত তা
আবদুল মুত্তালিবের বংশ ৷ধরদের মধ্যে যারা ইসলাম গ্রহণ করেন তাদের মধ্যে তিনি বয়ােজ্যেষ্ঠৰু
বদর যুদ্ধের দিন মুসলমানদের হাতে বন্দী কুরায়শীদের মধ্যে তিনি ছিলেন ৷ আব্বাস (রা)
যুক্তিপণ দিয়ে তাকে মুক্ত করে নেন ৷ কথিত আছে যে, তিনি খন্দক যুদ্ধের সময়ে হিজরত করে
মদীনায় গিয়েছিলেনএ বং বহুদায়বিয়ার সন্ধি ও মক্কা বিজয় অভিযানে অংশ নিয়েছেন ৷ হুনায়ন
যুদ্ধে তিন হাজা তীর সরবরাহ করেন ৷ তিনি রাসুলুল্লাহ্মোঃ কে সাহায্য করেছেন ৷ সেদিন
তিনি নিজে যুদ্ধ-মবদ ৷ন ছেড়ে ঘাননি ৷ ১৫ হিজরী সনে তার ওফাত হয় ৷ কেউ বলেছেন ২০
হিজরী সনে ৷ আল্লাহ ৷লভ জানেন ৷ তার ওফাত ৩হয় মদীনা শরীফে ৷ খলীফ৷ উমর (বা) তার
জানাযায় ইমামতি করেন এবং তার লাশের সাথে কবরস্থানে যান ৷ জান্নাতুল বাকীতে র্তাকে
দাফন করা হয় ৷ একাধিক যােপ্যও মর্যাদাবান ছেলে মেয়ে তিনি রেখে নিয়েছেন ৷
৮হিশাম ইবন আস (রা) ৷ আমর ইবনুল আসের ভাই ৷ তার সম্পর্কে পুর্বে আলোচনা
হয়েছে ৷ ইবন স৷ দ বলেছেন, ইয়৷ ৷রমুকের ঘুদ্ধে৩ তিনি শহীদ হন ৷
عَمْرُو بْنُ أُمِّ مَكْتُومٍ، اسْتُشْهِدَ يَوْمَ الْقَادِسِيَّةِ، وَقَدْ تَقَدَّمَ، وَيُقَالُ: بَلْ رَجَعَ إِلَى الْمَدِينَةِ.
عَمْرُو بْنُ الطُّفَيْلِ بْنِ عَمْرٍو، تَقَدَّمَ.
عَيَّاشُ بْنُ أَبِي رَبِيعَةَ، تَقَدَّمَ.
فِرَاسُ بْنُ النَّضْرِ بْنِ الْحَارِثِ، يُقَالُ: اسْتُشْهِدَ يَوْمَ الْيَرْمُوكِ.
قَيْسُ بْنُ عَدِيِّ بْنِ سَعْدِ بْنِ سَهْمٍ، مِنْ مُهَاجِرَةِ الْحَبَشَةِ، قُتِلَ بِالْيَرْمُوكِ.
قَيْسُ بْنُ أَبِي صَعْصَعَةَ عَمْرِو بْنِ زَيْدِ بْنِ عَوْفٍ الْأَنْصَارِيُّ الْمَازِنِيُّ، شَهِدَ الْعَقَبَةَ وَبَدْرًا، وَكَانَ أَحَدَ أُمَرَاءِ الْكَرَادِيسِ يَوْمَ الْيَرْمُوكِ، وَقُتِلَ يَوْمَئِذٍ، وَلَهُ حَدِيثٌ، قَالَ: «قُلْتُ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، فِي كَمْ أَقْرَأُ الْقُرْآنَ؟ قَالَ: " فِي خَمْسَ عَشْرَةَ» . الْحَدِيثَ. قَالَ شَيْخُنَا أَبُو عَبْدِ اللَّهِ الذَّهَبِيُّ: فَفِيهِ دَلِيلٌ عَلَى أَنَّهُ مِمَّنْ جَمَعَ الْقُرْآنَ فِي عَهْدِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ.
نُضَيْرُ بْنُ الْحَارِثِ بْنِ عَلْقَمَةَ بْنِ كَلَدَةَ بْنِ عَبْدِ مَنَافِ بْنِ عَبْدِ الدَّارِ بْنِ قُصَيٍّ الْقُرَشِيُّ الْعَبْدَرِيُّ، أَسْلَمَ عَامَ الْفَتْحِ، وَكَانَ مِنْ عُلَمَاءِ قُرَيْشٍ، وَأَعْطَاهُ رَسُولُ
পৃষ্ঠা - ৫৫০০
اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَوْمَ حُنَيْنٍ مِائَةً مِنَ الْإِبِلِ، فَتَوَقَّفَ فِي أَخْذِهَا وَقَالَ: لَا أَرْتَشِي عَلَى الْإِسْلَامِ. ثُمَّ قَالَ: وَاللَّهِ مَا طَلَبْتُهَا وَلَا سَأَلْتُهَا، وَهِيَ عَطِيَّةٌ مِنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ. فَأَخَذَهَا وَحَسُنَ إِسْلَامُهُ، وَاسْتُشْهِدَ يَوْمَ الْيَرْمُوكِ.
نَوْفَلُ بْنُ الْحَارِثِ بْنِ عَبْدِ الْمُطَّلِبِ، ابْنُ عَمِّ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، كَانَ أَسَنَّ مَنْ أَسْلَمَ مِنْ بَنِي عَبْدِ الْمُطَّلِبِ، وَكَانَ مِمَّنْ أُسِرَ يَوْمَ بَدْرٍ، فَفَدَاهُ الْعَبَّاسُ، وَيُقَالُ: إِنَّهُ هَاجَرَ أَيَّامَ الْخَنْدَقِ، وَشَهِدَ الْحُدَيْبِيَةَ وَالْفَتْحَ، وَأَعَانَ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَوْمَ حُنَيْنٍ بِثَلَاثَةِ آلَافِ رُمْحٍ، وَثَبَتَ يَوْمَئِذٍ، وَتُوُفِّيَ سَنَةَ خَمْسَ عَشْرَةَ، وَقِيلَ: سَنَةَ عِشْرِينَ. وَاللَّهُ أَعْلَمُ. تُوفِي بِالْمَدِينَةِ، وَصَلَّى عَلَيْهِ عُمَرُ، وَمَشَى فِي جِنَازَتِهِ وَدُفِنَ بِالْبَقِيعِ، وَخَلَّفَ عِدَّةَ أَوْلَادٍ فُضَلَاءَ وَأَكَابِرَ.
هِشَامُ بْنُ الْعَاصِ، أَخُو عَمْرِو بْنِ الْعَاصِ،، تَقَدَّمَ، وَقَالَ ابْنُ سَعْدٍ: قُتِلَ يَوْمَ الْيَرْمُوكِ.