سنة خمس عشرة
ما وقع فيها من الأحداث
পৃষ্ঠা - ৫৪৭৬
১৫ হিজরী সন
ইবন জারীর বলেন, কারো কারো মতে ১৫ হিজৰী সনে সাদ ইবন আৰী ওয়াক্কার্স(রা)
কুফা নগরীর গোড়াপত্তন করেন ৷ ইবন ৰাকীলাহ্ নামের এক পােক র্তাৰেৰুভ্রা ওই স্থানের পথ
দেখায় ৷ সে সাদ ইৰ্ন আৰী ওয়াক্কাস (রা)-কে বলেছিম, আমি আপনাকে এমন একটি স্থান
দেখার যেটি জ্যাশেয় থেকে উচু এবং পাহাড়ী ভুমি থেকে নীচু ৷ তারপর সে তাকে এখনকার
কুফা নগরীর স্থানে নিয়ে যায় ৷
ইবন জারীর বলেন, এই বছর মারজুৰ কম যুদ্ধ সংঘটিত হয় ৷ এই যুদ্ধের পটভুমি এই যে,
আমীরুল মু’মিনীন খলীফা উমর ইবন খাত্তাবের নির্দেশ্যনুসারে আবু উবায়দা (রা) ও খালিদ
ইবন ওয়ালিদ ফিহ্ল যুদ্ধ শেষে হিম্সের উদ্দেশ্যে যাত্রা করেন ৷ সায়ফ ইবন উমর-এর বর্ণনায়
ইতিপুর্বে তা আলোচিত হয়েছে ৷ তারা দুজ়নে যাত্রা করে যুলকিলা নামক স্থানে পৌছো ৷
এদিকে হিরাক্লিয়াস তুযরা নামে তার এক সেনাপতিকে কতক সৈন্যসহ প্রেরণ করে ৷ তারা
মারজু দামেশৃক ও তার পশ্চিম প্রান্তে অবতরণ করে ৷ তখন শীতকাল ৷ সেনাপতি আবুউবায়দা
(রা) মারজুর রুম-এ অবতরণ করেন ৷ ওদিকে রোম থেকে শানুস নামের অন্য এক সেনাপতি
বহু সৈন্যের এক বিশাল বাহিনী নিয়ে এগিয়ে আসে ৷ আবু উবায়দা তাদেরকে রুখে র্দাড়ান ৷
তারা তৃযরার কথা ভুলে গিয়ে আবু উবায়দা (রা)-এর সাথে যুদ্ধে লিপ্ত হয় ৷ তুযরা যাত্রা
করেছিল দামেশ্কের উদ্দেশ্যে ৷ তার লক্ষ্য জ্যি দামেশৃকে অবতরণ এবং ইয়াযীদ ইবন আবু
সুফয়ানের নিকট থেকে দামেশৃকের কর্তৃত্ব ছিনিয়ে নেয়া ৷ খালিদ ইবন ওয়ালীদ তার পেছনে
ছুটলেন ৷ আর ইয়াযীদ ইবন আবী সুফয়ান তাকে মুকাবিলা করার জন্যে দামেশৃক থেকে বের
হলেন ৷
ইয়াযীদ ইবন আবী সুফয়ড়ানের সৈন্য এবং তৃযরার সৈন্য মুখোমুখি হয়ে প্রচণ্ড যুদ্ধ শুরু
করে ৷ যুদ্ধ চলছিল ৷ পেছন থেকে খালিদ গিয়ে তৃযরার বাহিনীর উপর আক্রমণ করেন ৷
পেছনের দিক থেকে তিনি ওদেরকে হত্যা করতে থাকেন ৷ আর সামনের দিক থেকে ইয়াযীদ
ওদেরকে আক্রমণে আক্রমণে ছত্রভঙ্গ করতে থাকেন ৷ শেষ পর্যন্ত ওদের সবাইকে হত্যা
করেন৷ দুপাশে থাকা এবং বিচ্ছিন্ন হয়ে পালিয়ে যাওয়া সৈন্যগণ ব্যতীত কেউই রেহাই
পায়নি ৷ হযরত খ্যলিদ নিজে রোমান সেনাপতি তৃযরাকে হত্যা করেন ৷ ওদের প্রচুর ধন-সম্পদ
গনীমত হিসেবে মুসলমানদের অধিকারে আসে ৷ উভয় সেনাপতি নিজ নিজ সৈন্যদের মাঝে
বিধি মুতাবিক তা বণ্টন করে দেন ৷ যুদ্ধশেষে ইয়াযীদ দামেশকে ফিরে যান আর খালিদ যাত্রা
করেন আবু উবায়দা (রা)-এর উদ্দেশ্যে ৷ তিনি দেখতে পেলেন যে, মারজুর রোম নামক স্থানে
আবু উবায়দা (রা) রোমান সেনাপতি শান্স-এর সাথে যুদ্ধ করছেন ৷ সেখানে উভয় পক্ষে প্রচণ্ড
যুদ্ধ হয় ৷ ওদের ঘোড়ার ক্ষুরাঘাতে জমি কেপে কেপে উঠছিল ৷ সেনাপতি আবু উবায়দা (রা)
[سَنَةُ خَمْسَ عَشْرَةَ]
[مَا وَقَعَ فِيهَا مِنَ الْأَحْدَاثِ]
ثُمَّ دَخَلَتْ سَنَةُ خَمْسَ عَشْرَةَ.
قَالَ ابْنُ جَرِيرٍ: قَالَ بَعْضُهُمْ: فِيهَا مَصَّرَ سَعْدُ بْنُ أَبِي وَقَّاصٍ الْكُوفَةَ، دَلَّهُمْ عَلَيْهَا ابْنُ بُقَيْلَةَ، قَالَ لِسَعْدٍ: أَدُلُّكَ عَلَى أَرْضٍ ارْتَفَعَتْ عَنِ الْبَقِّ، وَانْحَدَرَتْ عَنِ الْفَلَاةِ؟ فَدَلَّهُمْ عَلَى مَوْضِعِ الْكُوفَةِ الْيَوْمَ. قَالَ: وَفِيهَا كَانَتْ وَقْعَةُ مَرْجِ الرُّومِ ; وَذَلِكَ لَمَّا انْصَرَفَ أَبُو عُبَيْدَةَ وَخَالِدٌ مِنْ وَقْعَةِ فِحْلٍ قَاصِدِينَ إِلَى حِمْصَ، حَسَبَ مَا أَمَرَ بِهِ أَمِيرُ الْمُؤْمِنِينَ عُمَرُ بْنُ الْخَطَّابِ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، كَمَا تَقَدَّمَ فِي رِوَايَةِ سَيْفِ بْنِ عُمَرَ، فَسَارَا حَتَّى نَزَلَا عَلَى ذِي الْكَلَاعِ، فَبَعَثَ هِرَقْلُ بِطْرِيقًا يُقَالُ لَهُ: تُوذَرَا. فِي جَيْشٍ مَعَهُ. فَنَزَلَ بِمَرْجِ دِمَشْقَ وَغَرْبِيِّهَا، وَقَدْ هَجَمَ الشِّتَاءُ، فَبَدَأَ أَبُو عُبَيْدَةَ بِمَرْجِ الرُّومِ، وَجَاءَ أَمِيرٌ آخَرُ مِنَ الرُّومِ يُقَالُ لَهُ: شَنَسُ. وَعَسْكَرٌ مَعَهُ كَثِيفٌ، فَنَازَلَهُ أَبُو عُبَيْدَةَ فَاشْتَغَلُوا بِهِ عَنْ تُوذَرَا، فَسَارَ تُوذَرَا نَحْوَ دِمَشْقَ لِيُنَازِلَهَا وَيَنْتَزِعَهَا مِنْ يَدِ يَزِيدَ بْنِ أَبِي سُفْيَانَ، فَأَتْبَعُهُ خَالِدُ بْنُ الْوَلِيدِ، وَبَرَزَ إِلَيْهِ يَزِيدُ بْنُ أَبِي سُفْيَانَ مِنْ دِمَشْقَ، فَاقْتَتَلُوا، وَجَاءَ خَالِدٌ وَهُمْ فِي الْمَعْرَكَةِ فَجَعَلَ يُقَتِّلُهُمْ مِنْ وَرَائِهِمْ، وَيَزِيدُ يُقَصِّلُ فِيهِمْ مِنْ أَمَامِهِمْ، حَتَّى أَنَامُوهُمْ وَلَمْ يُفْلِتْ مِنْهُمْ إِلَّا الشَّارِدُ، وَقَتَلَ خَالِدٌ تُوذَرَا، وَأَخَذُوا مِنَ الرُّومِ أَمْوَالًا عَظِيمَةً فَاقْتَسَمَاهَا، وَرَجَعَ يَزِيدُ إِلَى دِمَشْقَ وَانْصَرَفَ خَالِدٌ إِلَى أَبِي عُبَيْدَةَ، فَوَجَدَهُ قَدْ وَاقَعَ شَنَسَ بِمَرْجِ الرُّومِ، فَقَتَلَهُمْ فِيهِ مَقْتَلَةً عَظِيمَةً حَتَّى أَنْتَنَتِ الْأَرْضُ مِنْ زَهَمِهِمْ، وَقَتَلَ أَبُو عُبَيْدَةَ شَنَسَ، وَرَكِبُوا أَكْتَافَهُمْ إِلَى حِمْصَ، فَنَزَلَ عَلَيْهَا يُحَاصِرُهَا.