আল বিদায়া ওয়া আন্নিহায়া

سنة أربع عشرة من الهجرة

পৃষ্ঠা - ৫৪৪১

হিজরী ১৪ সন

এই হিজরী সনের সুচনাকালে হযরত উমর (রা) মুসলমানদের সাথে ইরাকীদের উদ্ধত
আচরণের মুকাবিলায় বলিষ্ঠ ভুমিকা পালন করতে তাদেরকে উৎসাহিত করছিলেন, তাদেরকে
উদাত্ত আহ্বান জানাচ্ছিলেন ৷ ইতিমধ্যেই “সেতুর যুদ্ধে সেনাপতি আবু উবায়দের নিহত
হওয়া, পারসিকরা মোটামুটি গুছিয়ে ওঠা এবং রাজপরিবারের সন্তান রাজপুত্র ইয়াযদগির্দকে
স্খাট বানিয়ে তার নেতৃত্বে ঐকাবদ্ধ ও সুসংগঠিত হবার সংবাদ খলীফার নিকট পৌছে ৷ তিনি
আরো অবহিত হন যে, ইরাকের নগরবাসিগণ মুসলমানদের সাথে তাদের সম্পাদিত চুক্তিগুলো
ভঙ্গ করেছে এবং প্রতিশ্রুতি ও অঙ্গীকার প্রত্যাহার করেছে ৷ তারা মুসলমনােদরকে নির্যাতন
করতে শুরু করে এবং মুসলিম শাসকদেরকে বহিষ্কার করতে শুরু করে ৷ এ পরিস্থিতিতে খলীফা
নয় (বা) ইরাকে অবস্থানকারী সৈন্যদেরকে লিখিত নির্দেশ দেন যে, তারা যেন ইরাকের মুল
শহর থেকে সর শহরতলি তথা শহরের প্রান্তে-প্রান্তে গিয়ে অবস্থান নেয় ৷
ইবন জারীর (র) বলেন, এই সনের ১লা মুহড়াররম হযরত উমর (রা) বিশাল এক
সেনা ন্হিনী নিয়ে মদীনা থেকে যাত্রা করেন ৷ সারার নামক ণ্ক জলাপয়ের নিকট গিয়ে তরা
যাত্রা বিরতি করেন ৷ ইরাকীদের বিরুদ্ধে যুদ্ধে সশরীরে অংশ্যাহ্ণের প্রত্যয় নিয়ে খঃলীফা উমর
(রা) সেখানে যুদ্ধ প্রস্তুতি শুরু করেন ৷ মদীনায় শাসনভার দিয়ে যান হযরত আলী (রা)এর
হাতে ৷ হযরত ওসমান (রা)সহ নেতৃস্থানীয় সাহাবীগণ খলীফার সাথে ছিলেন ৷ নিজের উদ্দেশ্য
সম্পর্কে তার ত করার জন্যে তিনি সাহাবীগণের উপস্থিতিতে এক পরামর্শ সভার ব্যবস্থা
করেন ৷ সভার দাওয়াত দিতে গিয়ে বলা হয় আসৃসালাতু জামিআতৃন-নাৰুমাযের জামাত
অনুষ্ঠিত হবে ৷ ,
ইতিমধ্যে মদীনায় হযরত আলী (রা)-কে দাওয়াত দেয়া হয় ৷ তিনি আসেন মদীনা থেকে ৷
সকলে মিলে উদ্ভুত পরিস্থিতি ও তামুকাবিল৷ করার বিষয়ে পরামর্শ করেন ৷ আবদুর রহনা

ইবন আওফ (রা) ব্যতীত সকলে একমত হন যে, খলীফা স্বয়ং ইরাক যুদ্ধে অংশ নিবেন ৷ কিন্তু
হযরত আবদুর রহমান ইবন আওফ (বা) বললেন, “আমি আশংকা করছি আল্লাহ-না করুন
যদি যুদ্ধে আপনি নিহত হন তাহলে সকল অঞ্চলের মুসলমান মানসিকভাবে দুর্বল হয়ে পড়বে,
সামগ্রিকভাবে হতাশা নেমে আসবে তাদের ম₹ধ্য ৷ আমি মনে করি আপনার হলে অন্য কাউকে
সেনাপতির দায়িত্ব দিয়ে আপনি মদীনায় ফিরে যান ৷ তার প্রস্তাব খলীফার মধ্যে প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি
করে ৷ তখনও সকলে সেখানে উপস্থিত ৷ তারা আবদুর রহ ত্ত্বন ইবন আওফ (রা)-এর প্রস্তাব
সঠিক বলে সিদ্ধান্ত নেন ৷ খলীফড়া বললেন, তবে আপনি ( ন্াপতি হিসেবে করে নাম প্রস্তাব
করেন ? কাকে আমরা সেনাপতি হিসেবে ইরাক পাঠাতে পারিঃ’ আবদুর রহমান ইবন আওফ
(রা ) বললেন, উপযুক্ত লোক আমি পেয়ে পেছি ৷ যে সেই লোকঃ খলীফা জিজ্ঞেস করলেন ৷


[سَنَةُ أَرْبَعَ عَشْرَةَ مِنَ الْهِجْرَةِ] [مَا وَقَعَ فِيهَا مِنَ الْأَحْدَاثِ] بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَنِ الرَّحِيمِ سَنَةُ أَرْبَعَ عَشْرَةَ مِنَ الْهِجْرَةِ. اسْتَهَلَّتْ هَذِهِ السَّنَةُ، وَالْخَلِيفَةُ عُمَرُ بْنُ الْخَطَّابِ، يَحُثُّ النَّاسَ وَيُحَرِّضُهُمْ عَلَى جِهَادِ أَهْلِ الْعِرَاقِ ; وَذَلِكَ لِمَا بَلَغَهُ مِنْ قَتْلِ أَبِي عُبَيْدٍ يَوْمَ الْجِسْرِ، وَانْتِظَامِ شَمْلِ الْفُرْسِ، وَاجْتِمَاعِ أَمْرِهِمْ عَلَى يَزْدَجِرْدَ الَّذِي أَقَامُوهُ مِنْ بَيْتِ الْمَلِكِ، وَنَقْضِ أَهْلِ الذِّمَّةِ بِالْعِرَاقِ عُهُودَهُمْ، وَنَبْذِهِمُ الْمَوَاثِيقَ الَّتِي كَانَتْ عَلَيْهِمْ، وَآذَوُا الْمُسْلِمِينَ وَأَخْرَجُوا الْعُمَّالَ مِنْ بَيْنِ أَظْهُرِهِمْ، وَقَدْ كَتَبَ عُمَرُ إِلَى مَنْ هُنَالِكَ مِنَ الْجَيْشِ أَنْ يَتَبَرَّزُوا مِنْ بَيْنِ أَظْهُرِهِمْ إِلَى أَطْرَافِ الْبِلَادِ. قَالَ ابْنُ جَرِيرٍ، رَحِمَهُ اللَّهُ: وَرَكِبَ عُمَرُ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ فِي أَوَّلِ يَوْمٍ مِنَ الْمُحَرَّمِ هَذِهِ السَّنَةَ فِي الْجُيُوشِ مِنَ الْمَدِينَةِ، فَنَزَلَ عَلَى مَاءٍ يُقَالُ لَهُ: صِرَارٌ. فَعَسْكَرَ بِهِ عَازِمًا عَلَى غَزْوِ الْعِرَاقِ بِنَفْسِهِ، وَاسْتَخْلَفَ عَلَى الْمَدِينَةِ عَلِيَّ بْنَ أَبِي طَالِبٍ، وَاسْتَصْحَبَ مَعَهُ عُثْمَانَ بْنَ عَفَّانَ وِسَادَاتِ الصَّحَابَةِ، ثُمَّ عَقَدَ مَجْلِسًا لِاسْتِشَارَةِ الصَّحَابَةِ فِيمَا عَزَمَ عَلَيْهِ، وَنُودِيَ: إِنَّ الصَّلَاةَ جَامِعَةٌ. وَقَدْ أَرْسَلَ إِلَى عَلِيٍّ، فَقَدِمَ مِنَ الْمَدِينَةِ، ثُمَّ اسْتَشَارَهُمْ، فَكُلُّهُمْ وَافَقَهُ عَلَى الذَّهَابِ إِلَى الْعِرَاقِ، إِلَّا عَبْدَ الرَّحْمَنِ بْنَ عَوْفٍ، فَإِنَّهُ قَالَ لَهُ: إِنِّي أَخْشَى إِنْ كُسِرْتَ أَنْ تُضْعِفَ الْمُسْلِمِينَ فِي سَائِرِ أَقْطَارِ الْأَرْضِ، وَإِنِّي أَرَى أَنْ تَبْعَثَ رَجُلًا، وَتَرْجِعَ أَنْتَ إِلَى الْمَدِينَةِ. فَأَرْفَأَ عُمَرُ
পৃষ্ঠা - ৫৪৪২


তিনি বললেন, সেই লোক হলেন আক্রমণে সিংহ-পুরুষ সাদ ইবন মালিক যুহরী (রা) ৷ খলীফা
এই প্রস্তাব পছন্দ করলেন ৷ ডেকে পাঠালেন হযরত সাদকে ৷ ইরাক অভিযানে সেনাধ্যক্ষ
নিয়োগ করলেন তাকে এবং উপদেশ সুত্রে বললেন, হে সাদ ইবন উহায়ব৷ আপনি রাসুলুল্লাহ্
র্চু ক্ষান্ণ্রুএর মাতুল গােত্রীয় ও তার সাহাৰী এই মর্যাদা যেন আপনাকে মহান আল্লাহ সম্পর্কে
ঘোকায় না ফেলে ৷ কারণ আল্লাহ তা জানা মন্দ দ্বারা মন্দ মােচন করেন না ৷ বরং ভাল দ্বারা
মন্দ মােচন করেন ৷ একমাত্র পুর্ণ আনুগত্য ব্যতীত মহান আল্লাহর সাথে কারো কোন ব শীয়
সম্পর্ক নেই ৷ আল্লাহ্র দৃষ্টিতে অভিজাত ও সাধারণ সকল মানুষ সমান ৷ আল্লাহ সকলের
মালিক, সবাই তার বান্দ৷ ৷ সততা গুণে তাদের মর্যাদার তারতম্য হয় ৷ আনুগত্যের মাধ্যমে
তারা আল্লাহর নিয়ামত অর্জন করে ৷
রাসুলুল্লাহ্ছুক্ট্র এর নবুওয়াত প্রাপ্তি থেকে শুরু করে আমাদের থেকে তার বিদায় গ্রহণ
পর্যন্ত তার নীতিমালা আপনি পর্যালোচনা করে তার অনুসরণ করবেন অবশ্যই ৷ কারণ মুলতও
প্রকৃত কর্ম৩াই ৷ এটি আমার পক্ষ থেকে আপনার জন্যে উপদেশ ৷ আপনি যদি তা থেকে মুখ
ফিরিয়ে নেন এবং তা বর্জন করেন তবে আপনার সকল কর্ম বিনষ্ট হবে এবং আপনি
ক্ষতিগ্রস্তদের দলভুক্ত হবেন ৷ উভয়ে পৃথক হবার পুর্বক্ষণে খলীফা বললেন, আপনি একটি
কঠিন পরিস্থিতির মুখোমুখি হবেন ৷ ওই বিপদে আপনাকে ধৈর্যধারণ করত ৩হবে ৷ শুধুই
ধৈর্যধারণ করতে হবে ৷ মহান আল্লাহ্র পুর্ণ ভয় অন্তরে পোষণ করুন ৷ জেনে রাখুন, দুটো
বিষয়ে মহান আল্লাহ্র ভয় রাখতে হয় ৷ তার আনুগত্যে এবং তার অবাধ্যতা বর্জনে ৷ দুনিয়াকে
অবজ্ঞা করে আথিরাতের মহবব্ভৈত যে তার আনুগত্য করেছে সেটিই প্রকৃত আনুগত্য ৷ দুনিয়ার
মহব্বতে আখিরাতের অবজ্ঞায় যে তার অৰ্াধ্য হয়েছে সেটিই প্রকৃত অবাধ্যত৷ ৷ অন্তরসমুহের
কিছু হাকীকত ও সত্য উপলব্ধি করার ক্ষমতা আছে ৷ আল্লাহ তাআলা সেগুলো সৃষ্টি করে
দেন ৷ গোপনীয়তা ও প্রকাশ্য সেগুলোর অন্তভুক্তি ৷ প্রকাশ্য হলো সত্যের অনুসরণে তার
প্রশংসাকারী ও সমালোর্চনাকারী তার নিকট সমান ৷ আর গোপনটি উপলব্ধি করা যায় তার
অন্তর থেকে মুখের মাধ্যমে হিকমত ও প্রজ্ঞা প্রকাশের মাধ্যমে, তার প্রতি পণ-মানুষের
মহব্বতের মাধ্যমে এবং মানুষের প্রতি তার মহব্বতের মাধ্যমে ৷ সুতরাংম ৷নুষের প্ৰতি মন্ ব্বত
স্থাপনে কমতিও কার্পণ্য করবেন না ৷ সকল নবী মানুষের মহব্বত প্রাপ্তি কামনা করেছেন ৷
ল্লআা৩হ্ ৩াআল৷ যখন কাউকে ভ ৷লবাছুসন তখন তাকে সকলের ভালবাসার পাত্র বানিয়ে দেন ৷
আর তিনি কাউকে ঘৃণা করলে তাকে সকলের ঘৃণার পাত্র বানিয়ে দেন ৷ সুতরাং মানুষের নিকট
আপনার অবস্থানের নিরিখে আল্লাহ্র নিকট আপনার অবস্থান মুল্যায়ন করুন ৷
ঐতিহাসিকগণ বলেন, এরপর ৪০০০ সৈন্য নিয়ে হযরত সাদ (রা) ইরাক অভিমুখে যাত্রা
করেন ৷ তন্মধ্যে ৩০০০ সৈন্য ছিল ইয়ামানের অধিবাসী আ র ১০০০ সৈন্য অন্যান্য অঞ্চল ও
গোত্রের ৷ কারো মতে ওই অভিযানে সৈন্য সং খ্যা ছিল ৬০০০ ৷ হযরত উমর (রা) সিরার
থেকে আ ওয়াস পর্যন্ত তাদেরকে এগিয়ে দেন ৷ সেখানে সৈনিকদের উদ্দেশ্যে ভাষণ দান করে
তিনি বললেন, মহান আল্লাহ্ আপনাদের জন্যে উদাহরণ বর্ণনা করেছেন এবং আপনাদের জন্য
বাণী প্রদান করেছেন যাতে অন্তরগুলো জীবন্ত হয় ৷ কারণ মহান আল্লাহ্ যতক্ষণ পর্যন্ত বক্ষে
থাকা অন্তর জীবিত না করেন তত ক্ষণ পর্যন্ত তা মৃর্তই থাকে ৷ যে যতটুকু জ্ঞান অর্জন করেছে


وَالنَّاسُ عِنْدَ ذَلِكَ، وَاسْتَصْوَبُوا رَأْيَ ابْنِ عَوْفٍ. فَقَالَ عُمَرُ: فَمَنْ تَرَى أَنْ نَبْعَثَ إِلَى الْعِرَاقِ؟ فَقَالَ: قَدْ وَجَدْتُهُ. قَالَ: وَمَنْ هُوَ؟ قَالَ: الْأَسَدُ فِي بَرَاثِنِهِ سَعْدُ بْنُ مَالِكٍ الزُّهْرِيُّ. فَاسْتَجَادَ قَوْلَهُ وَأَرْسَلَ إِلَى سَعْدٍ، فَأَمَّرَهُ عَلَى الْعِرَاقِ، وَأَوْصَاهُ فَقَالَ: يَا سَعْدَ بَنِي وُهَيْبٍ، لَا يَغُرَّنَّكَ مِنَ اللَّهِ أَنْ قِيلَ: خَالُ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَصَاحِبُهُ. فَإِنَّ اللَّهَ لَا يَمْحُو السَّيِّئَ بِالسَّيِّئِ، وَلَكِنْ يَمْحُو السَّيِّئَ بِالْحَسَنِ، وَإِنَّ اللَّهَ لَيْسَ بَيْنَهُ وَبَيْنَ أَحَدٍ نَسَبٌ إِلَّا بِطَاعَتِهِ، فَالنَّاسُ شَرِيفُهُمْ وَوَضِيعُهُمْ فِي ذَاتِ اللَّهِ سَوَاءٌ ; اللَّهُ رَبُّهُمْ، وَهُمْ عِبَادُهُ، يَتَفَاضَلُونَ بِالْعَافِيَةِ وَيُدْرِكُونَ مَا عِنْدَ اللَّهِ بِالطَّاعَةِ، فَانْظُرِ الْأَمْرَ الَّذِي رَأَيْتَ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مُنْذُ بُعِثَ إِلَى أَنْ فَارَقَنَا فَالْزَمْهُ ; فَإِنَّهُ الْأَمْرُ، هَذِهِ عِظَتِي إِيَّاكَ، إِنْ تَرَكْتَهَا وَرَغِبْتَ عَنْهَا حَبِطَ عَمَلُكَ وَكُنْتَ مِنَ الْخَاسِرِينَ. وَلَمَّا أَرَادَ فِرَاقَهُ قَالَ لَهُ: إِنَّكَ سَتُقْدِمُ عَلَى أَمْرٍ شَدِيدٍ، فَالصَّبْرَ الصَّبْرَ عَلَى مَا أَصَابَكَ وَنَابَكَ تُجْمَعْ لَكَ خَشْيَةُ اللَّهِ، وَاعْلَمْ أَنَّ خَشْيَةَ اللَّهِ تَجْتَمِعُ فِي أَمْرَيْنِ ; فِي طَاعَتِهِ وَاجْتِنَابِ مَعْصِيَتِهِ، وَإِنَّمَا طَاعَةُ مَنْ أَطَاعَهُ بِبُغْضِ الدُّنْيَا وَحُبِّ الْآخِرَةِ، وَإِنَّمَا عِصْيَانُ مَنْ عَصَاهُ بِحُبِّ الدُّنْيَا وَبُغْضِ الْآخِرَةِ، وَلِلْقُلُوبِ حَقَائِقُ يُنْشِئُهَا اللَّهُ إِنْشَاءً، مِنْهَا السِّرُّ وَمِنْهَا الْعَلَانِيَةُ ; فَأَمَّا الْعَلَانِيَةُ فَأَنْ يَكُونَ حَامِدُهُ وَذَامُّهُ فِي الْحَقِّ سَوَاءً، وَأَمَّا السِّرُّ فَيُعْرَفُ بِظُهُورِ الْحِكْمَةِ مِنْ قَلْبِهِ عَلَى لِسَانِهِ، وَبِمَحِبَّةِ النَّاسِ، فَلَا تَزْهَدْ فِي التَّحَبُّبِ، فَإِنَّ النَّبِيِّينَ قَدْ سَأَلُوا مَحَبَّتَهُمْ، وَإِنَّ اللَّهَ إِذَا أَحَبَّ عَبْدًا حَبَّبَهُ، وَإِذَا أَبْغَضَ عَبْدًا بَغَّضَهُ، فَاعْتَبِرْ مَنْزِلَتَكَ عِنْدَ اللَّهِ بِمَنْزِلَتِكَ عِنْدَ النَّاسِ. قَالُوا: فَسَارَ سَعْدٌ نَحْوَ الْعِرَاقِ فِي أَرْبَعَةِ آلَافٍ ; ثَلَاثَةِ آلَافٍ
পৃষ্ঠা - ৫৪৪৩


তা দ্বারা কল্যাণ অর্জ্য৷ করা দরকার ৷ কারণ ন্যায়পরায়ণ৩ ড়ার কতক চিহ্ন ও ক৩ ক সৌন্দর্য
রয়েছে ৷ চিহ্নগুলেড়া হলো লজ্জা, দানশীল৩া, বিনয় ও নম্র৩ তা, আর সৌন্দর্য হলো দয়া ও
করুণ৷ ৷ মহান আল্লাহ সকল বিষয়ের জন্যে দরজা সৃষ্টি করেছেন ৷ সকল দরজা খোলার চাবি
সহজলভ্য করে দিয়েছেন ৷ ন্যায়পরায়ণতার দরজা হলো বিবেচনা-শক্তি ও শিক্ষা গ্রহণ, আর
তার চাৰি হলো সংযম ও আত্মনিয়ন্ত্রণ ৷ শিক্ষা গ্রহণ হলো মৃত্যুর কথা স্মরণ করা এবং
ধন-সম্পদ প্রেরণ করে তার৩ জন্যে প্রস্তুতি নেয়া ৷ সংযম হলো সত্য গ্রহণকারীর নিকট হতে
সত্য মর্জন করা এবং সংসার ধর্ম পালনের জন্যে ঠিক য৩ তর্টুকু পাখিব বস্তু দরকার ততটুকুতে

৩ষ্ট থাকা ৷ প্রয়ো জ্বন পরিম ৷ণ বস্তু যাকে তুষ্ট করতে না পারে কোন কিছুই তাকে তৃপ্ত করতে
পারবে না ৷ আাম আপনাদের মাঝে ও আল্লাহর মাঝে দুত ও প্রতিনিধি ৷ আমার মাঝে ও
আল্লাহর মাঝে কোন দুত নেই ৷ মহান আল্লাহ্ আমাকে দা ত দিয়েছেন যাতে তার নিকট
কারো আহাজারি করতে না হয় ৷ সুতরাং আপনাদের দুঃখ-কষ্টের কথা আমাকে জানাবেন ৷
কেউ যদি সরাসরি আমার নিকট আসতে সক্ষম না হয় তাহলে এমন কারো নিকট পেশ করবে
য তা আমার নিরন্ট পৌছিয়ে দিবে ৷ তাহলে বিনাকষ্টে আমরা তার অধিকার তাকে ফিরিয়ে
দিব ৷

এরপর হযরত নাদ (বা) ইরাকের উদ্দেশ্যে যাত্রা করলেন ৷ অবশিষ্ট ঘুসলমানদেরকে
সাথে নিয়ে হযরত উমর (রা) মদীনায় ফিরে এলেন ৷ হযরত সাদ যারুদ নদীর নিকট
পৌছলেন ৷ অপর সেনাপতি হযরত ঘৃছান্ন৷ ইবনহারিছা তার নিকট এসে পৌছার মাত্র অল্প
দুরতৃ ছিল ৷ উতয়ে মিলিত হবার পরম আগ্নহ ছিল উভয়ের মধ্যে ৷ ন্ রএই মধ্যে হযরত মুছান্না
(রা) এর ক্ষত হ্ থেকে রক্ত ঝবতে শুরু করে ৷ সেতুর যুদ্ধে তিনি ওই যখমও আঘা তপ্রাপ্ত
হয়েছিলেন ৷ পখেই৩ র ওফাত হয় ৷ মহান আল্লাহ তার প্ৰতি ৩নস্তুষ্ট হোন ৷ তার ইনা৩কালের
পর সেনাপতি পদে৩ জ্বর স্থলাভিষিক্ত হলেন বাশীর ইবন খানাসিয়্যাহ্ ৷ তর নৃত্য সংবাদ শুনে
হযরত সাদ (রা) ভীর৩ লনাে দৃআ করলেন এবং তার প্রতি ভালবাসার নিদশন স্বরুপ তার
বিধবা শ্রী সাল প্া-কে বিয়ে করলেন ৷ হযরত সা দ (বা) ইরাকে মুসলিম সৈন্য শিবিরে গিয়ে
পৌছলেন ৷ ওখানকার সকল নেতৃত্ব ও কর্তৃত্ব তার হাতে সমপিত হয় ৷ সকল আরব নেতা ও
সেনাপতি তার অধীনস্থ হয় ৷ এদিকে অতিরিক্ত সৈন্যদল পাঠিয়ে খলীফ৷ উমর (না) তাকে
সাহায্য করেন ৷ ফলে কাদেসিয়া যুদ্ধের দিনে তার অধীনস্থ সৈন্যস সংখ্যা ৩০,০০০ গিয়ে
পৌছে ৷ কারো মতে তখন সৈন্য ছিল ৩৬,০০০ ৷ হযরত ৩উমর (রা) মন্তব্য করলেন যে, আমি
অবশ্য আরব নেতৃতু দ্বারা অনারব রাজা-বাদশাহদেরকে আক্রমণ করব ৷ তিনি সেনাপতি
সাদকে লিখিত নির্দেশ দিলেন যে, তিনি অধ্৪স্তন সেনাপতিদেরকে যেন প্রতেকে গোত্রের
সেনাপতিতু প্রদান করেন এবং প্রতি দশজনে একজন করে তত্ত্বাবধায়ক নিযুক্ত করেন ৷ আর
তাদের সবাইকে কাদেসিয়া প্রান্তরে যুদ্ধের জন্যে উপস্থিত করেন ৷ হযরত সাদ (রা)৩ তা
করলেন ৷ তত্ত্ব বধায়কদের দায়িত্ব বুঝিয়ে দিলেন ৷ প্রত্যেক গােত্রে সেনাপতি নিয়োগ করলেন
এবং প্রতিটি সেনা শাখায় পৃথক পৃথক দায়িত্বশীল নিযুক্ত করলেন ৷ মুল শাখা, অগ্র বাহিনী,
পার্শ্ববাহিনী, পশ্চাৎ দল, পদাতিক ও অশ্বারােহী সকল বাহিনীর জন্যে যোগ্য পরিচালক নির্ধারিত
করে দিলেন ৷ যেমনটি আযীরুল মু’মিনীন হযরত উমর (রা) নির্দেশ দিয়েছিলেন ৷


مِنْ أَهْلِ الْيَمَنِ، وَأَلْفٍ مِنْ سَائِرِ النَّاسِ. وَقِيلَ: فِي سِتَّةِ آلَافٍ. وَشَيَّعَهُمْ عُمَرُ مِنْ صِرَارٍ إِلَى الْأَعْوَصِ، وَقَامَ عُمَرُ فِي النَّاسِ خَطِيبًا هُنَالِكَ فَقَالَ: إِنَّ اللَّهَ إِنَّمَا ضَرَبَ لَكُمُ الْأَمْثَالَ، وَصَرَفَ لَكُمُ الْقَوْلَ لِيُحْيِيَ بِهِ الْقُلُوبَ، فَإِنَّ الْقُلُوبَ مَيِّتَةٌ فِي صُدُورِهَا حَتَّى يُحْيِيَهَا اللَّهُ، مَنْ عَلِمَ شَيْئًا فَلْيَنْتَفِعْ بِهِ، فَإِنَّ لِلْعَدْلِ أَمَارَاتٌ وَتَبَاشِيرُ ; فَأَمَّا الْأَمَارَاتُ فَالْحَيَاءُ وَالسَّخَاءُ وَالْهَيْنُ وَاللَّيْنُ، وَأَمَّا التَّبَاشِيرُ فَالرَّحْمَةُ، وَقَدْ جَعَلَ اللَّهُ لِكُلِّ أَمَرٍ بَابًا، وَيَسَّرَ لِكُلِّ بَابٍ مِفْتَاحًا ; فَبَابُ الْعَدْلِ الِاعْتِبَارُ، وَمِفْتَاحُهُ الزُّهْدُ، وَالِاعْتِبَارُ ذِكْرُ الْمَوْتِ وَالِاسْتِعْدَادُ بِتَقْدِيمِ الْأَعْمَالِ، وَالزُّهْدُ أَخْذُ الْحَقِّ مِنْ كُلِّ أَحَدٍ قِبَلَهُ حَقٌّ وَالِاكْتِفَاءُ بِمَا يَكْفِيهِ مِنَ الْكَفَافِ، فَإِنَّ مَنْ لَمْ يَكْفِهِ الْكَفَافُ لَمْ يُغْنِهِ شَيْءٌ، إِنِّي بَيْنَكُمْ وَبَيْنَ اللَّهِ، وَلَيْسَ بَيْنِي وَبَيْنَهُ أَحَدٌ، وَإِنَّ اللَّهَ قَدْ أَلْزَمَنِي دَفْعَ الدُّعَاءِ عَنْهُ، فَأَنْهُوا شَكَاتَكُمْ إِلَيْنَا، فَمَنْ لَمْ يَسْتَطِعْ فَإِلَى مَنْ يُبَلِّغُنَاهَا نَأْخُذْ لَهُ الْحَقَّ غَيْرَ مُتَعْتَعٍ. ثُمَّ سَارَ سَعْدٌ إِلَى الْعِرَاقِ، وَرَجَعَ عُمَرُ بِمَنْ مَعَهُ مِنَ الْمُسْلِمِينَ إِلَى الْمَدِينَةِ، وَلَمَّا انْتَهَى سَعْدٌ إِلَى نَهْرِ زَرُودَ، وَلَمْ يَبْقَ بَيْنَهُ وَبَيْنَ أَنْ يَجْتَمِعَ بِالْمُثَنَّى بْنِ حَارِثَةَ إِلَّا الْيَسِيرُ، وَكُلٌّ مِنْهُمَا مُشْتَاقٌ إِلَى صَاحِبِهِ، انْتَقَضَ جُرْحُ الْمُثَنَّى بْنِ حَارِثَةَ الَّذِي كَانَ جُرِحَهُ يَوْمَ الْجِسْرِ، فَمَاتَ رَحِمَهُ اللَّهُ وَرَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، وَاسْتَخْلَفَ عَلَى الْجَيْشِ بَشِيرَ بْنَ الْخَصَاصِيَةِ، وَلَمَّا بَلَغَ سَعْدًا مَوْتُهُ تَرَحَّمَ عَلَيْهِ وَتَزَوَّجَ زَوْجَتَهُ سَلْمَى، وَلَمَّا وَصَلَ سَعْدٌ إِلَى مَحَلَّةِ الْجُيُوشِ انْتَهَتْ إِلَيْهِ رِيَاسَتُهَا وَإِمْرَتُهَا، وَلَمْ يَبْقَ
পৃষ্ঠা - ৫৪৪৪


ঐতিহাসিক সড়ায়ফ তার শায়খদের উদ্ধৃতি দিয়ে বলেছেন যে, তারা বলেছেন খলীফা উমর
(রা) বিচারক পদে হযরত আবদুর রহমান ইবন রাবীআ বাহিনী যুননুনকে নিয়োগ দিলেন ৷
রা৷ষ্ট্রর সামরিক বিভাগ ও সরকারী মালামাল বণ্টানর দায়িত্বও দিলেন তাকে ৷ জনসংযোগ ও
দীনি দাওয়াত বিভাগের দায়িতু দিলেন হযরত সালমান ফারসী (রা)-ণ্ক ৷ লেখক ও সচিব
হিসেবে নিয়োগ করলেন যিয়াদ ইবন আবু সুফিয়ানকে ৷ ঐতিহাসিকগণ বলেছেন, ওই যুদ্ধে
প্রায় তিনশ দশ জনের অধিক সাহাবী (রা) উপস্থিত ছিলেন ৷ র্তাদের মধ্যে সত্তরের অধিক
হলেন বদর যুদ্ধে অংশগ্রহণক৷ ৷রী সাহাবী ৷ প্রায় সা ৷তশ ছিলেন সাহাবী পুত্র (রা) ৷ হযরত ৩উমর
(রা) তাড়াতা৷ড় কাদেসিয়া অভিমুখে যাত্রা করার নির্দেশ দিলেন সৰ্বাধিনায়ক সা দকে ৷
কাদেসিয়৷ ছিল জাহিলী যুগে পারসিকদের প্রধান প্রবেশ পথ ৷

খলীফা আরো নির্দেশ দিলেন যে, মুসলিম সেনাগণ যেন পাথর ও বালুময় স্থানের মাঝখানে
অবস্থান (নয় ৷ তারা যেন পারসিকদের চলাচলের রাস্তা ও সকল পথ আগলে থাকে ৷ আর
শত্রুসৈন্যের প্ৰতি আবলা,স্ব প্রচণ্ড আক্রমণ চালায় ৷ ওদের সং খ্যাধিক্য এবং যুদ্ধ প্রন্তুতিকে
মোটেই ভয় করবেন না ৷ কারণ ওরা প্র৩ ৷রক ও ধোকাবাজ জাতি ৷ আপনারা যদি ধৈর্যধারণ
করেন, ভাল কাজ করেন, আমানত ও , বিশ্বস্ততার সাথে দয়িতু পালনের নিয়ত করেন তাহলে
আমি আশা করছি যে, ওদের বিরুদ্ধে আপনারা জয়ী হবেন এবং ওরা এমন ছত্রভঙ্গ ও বিচ্ছিন্ন
হয়ে পড়বে যে, কখনো আর একত্রিত ও ঐক্যবদ্ধ হতে পারবে না ৷ ওদের অন্তর ওদের সাথে
থাকবে না ৷ আর যদি দ্রুত আক্রমণ সম্ভব না হয় তবে আপাতত পেছনে গিয়ে পাথুরে অঞ্চলে
অবস্থান নিন ৷ কারণ পাথুরে এলাকায় অবস্থান নেয়ার সাহস আছে আপনাদের ৷ ওরা কিন্তু
পাথুরে এলাকাকৃক ভয় পায় ৷ তেমন স্থানে যুদ্ধে অনভিজ্ঞ ৷ এক পর্যায়ে আল্লাহ্ তাআল্ম
আপনাদেরকে বিজয় দান করবেন এবং ওদের উপর পাল্টা আক্রমণের সুযোগ দিবেন ৷ খলীফা
উমর (রা) সেনাধ্যক্ষ সাদকে আত্ম সমালোচনা ও সৈনিকদেরকে উপদেশ দেয়ার নির্দেশ
দিলেন ৷ তিনি তাদেরকে পরিচ্ছন্ন নিয়ত ও ধৈর্য অবলম্বনের নির্দেশ দিলেন ৷ আর নিয়ত
অনুপ তে আল্লাহ্র সাহায্য আসে ৷ নিষ্ঠ৷ অনুপাতে নওয়াব আসে ৷ আল্লাহর নিকট নিরাপত্তা
কামনা করেন ৷ বেশি বেশি করে “লা হাওল৷ ওয়ালা কুওয়া৩ তা ইল্লা বিল্লাহিল আলিয়িদ্রল

াষীম পাঠ করুন ৷ সৈন্যদের সকল অবস্থা ও বিবরণ আমাকে লিখে জানাবেন ৷ আপনারা

কোথায় থাকছেন, শত্রুগণ কোথায় থাকছে-সবকিছু অবহিত করবেন ৷ আপনার চিঠির মাধ্যমে
আপনাদের অবস্থা আমাকে এমনভাবে জানাবেন যেন আর্মি আপনাদেরকেস্বচক্ষে দেখছি ৷
আপনাদের সকল বিষয় আমার নিকট উন্মুক্ত রাখবেন ৷ আল্লাহ্কে ভয় করুন, কোন বিষয়
ঝুলিয়ে রাখবেন না

জেনে রাখুন যে, আল্লাহ্ তা ৷আলা এই বিষয়টি আপনার প্ৰতি ন্যস্ত করেছেন ৷ এর বিকল্প
কিছু নেই ৷ সত তর্ক থাকুন এই দায়িত্ব যেন আপনার নিকট থেকে প্রত্যাহার করতে না হয়
এবং এ কাজের জন্যে আপনাদেরকে বাদ দিয়ে অন্য কাউকে নিযুক্ত করতে না হয় ৷ হযরত
সা দ ওই স্থানেরও ওভুমির বিস্তারিত বিবরণ খলীকাংক লিখিতভাবে জানালেন যেন খলীফা
স্বচক্ষে তা দেখছেন ৷ তিনি এটাও লিখলেন যে, শত্রুপক্ষ পারসিকগণ তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ
করার জন্যে রুস্তম ও তার সমপর্যায়ের লোকদেরকে নিযুক্ত করেছে ৷ ওরা আমাদেরকে খুজছে,

ষ্া-ৰিদায়া — ১ :


بِالْعِرَاقِ أَمِيرٌ مِنْ سَادَاتِ الْعَرَبِ إِلَّا تَحْتَ أَمْرِهِ، وَأَمَدَّهُ عُمَرُ بِأَمْدَادٍ أُخَرَ حَتَّى اجْتَمَعَ مَعَهُ يَوْمَ الْقَادِسِيَّةِ ثَلَاثُونَ أَلْفًا، وَقِيلَ: سِتَّةٌ وَثَلَاثُونَ. وَقَالَ عُمَرُ: وَاللَّهِ لَأَرْمِيَنَّ مُلُوكَ الْعَجَمِ بِمُلُوكِ الْعَرَبِ. وَكَتَبَ إِلَى سَعْدٍ أَنْ يَجْعَلَ الْأُمَرَاءَ عَلَى الْقَبَائِلِ، وَالْعُرَفَاءَ عَلَى كُلِّ عَشَرَةٍ عَرِيفًا عَلَى الْجُيُوشِ، وَأَنْ يُوَاعِدَهُمْ إِلَى الْقَادِسِيَّةِ، فَفَعَلَ ذَلِكَ سَعْدٌ ; عَرَّفَ الْعَرْفَاءَ، وَأَمَّرَ عَلَى الْقَبَائِلِ، وَوَلَّى عَلَى الطَّلَائِعِ، وَالْمُقَدِّمَاتِ، وَالْمُجَنِّبَاتِ وَالسَّاقَاتِ، وَالرَّجَّالَةِ، وَالرُّكْبَانِ، كَمَا أَمَرَ أَمِيرُ الْمُؤْمِنِينَ عُمَرُ. قَالَ سَيْفٌ بِإِسْنَادِهِ عَنْ مَشَايِخِهِ قَالُوا: وَجَعَلَ عُمَرُ عَلَى قَضَاءِ النَّاسِ عَبْدَ الرَّحْمَنِ بْنَ رَبِيعَةَ الْبَاهِلِيَّ ذَا النُّورِ، وَجَعَلَ إِلَيْهِ الْأَقْبَاضَ وَقِسْمَةَ الْفَيْءِ، وَجَعَلَ دَاعِيَةَ النَّاسِ وَقَاصَّهُمْ سَلْمَانَ الْفَارِسِيَّ، وَجَعَلَ الْكَاتِبَ زِيَادَ بْنَ أَبِي سُفْيَانَ. قَالُوا: وَكَانَ فِي هَذَا الْجَيْشِ كُلِّهُ مِنَ الصَّحَابَةِ ثَلَاثُمِائَةٍ وَبِضْعَةَ عَشَرَ صَحَابِيًّا، مِنْهُمْ بِضْعَةٌ وَسَبْعُونَ بَدْرِيًّا، وَكَانَ فِيهِ سَبْعُمِائَةٍ مِنْ أَبْنَاءِ الصَّحَابَةِ، رِضَى اللَّهِ عَنْهُمْ. وَبَعَثَ عُمَرُ كِتَابَهُ إِلَى سَعْدٍ يَأْمُرُهُ بِالْمُبَادَرَةِ إِلَى الْقَادِسِيَّةِ، وَالْقَادِسِيَّةُ بَابُ فَارِسَ فِي الْجَاهِلِيَّةِ، وَأَنْ يَكُونَ مَنْزِلُهُ بَيْنَ الْحَجَرِ وَالْمَدَرِ، وَأَنْ يَأْخُذَ الطُّرُقَ وَالْمَسَالِكَ عَلَى فَارِسَ، وَأَنْ يَبْدُرُوهُمْ بِالضَّرْبِ وَالشِّدَّةِ، وَلَا يَهُولَنَّكَ كَثْرَةُ عَدَدِهِمْ وَعُدَدِهِمْ،
পৃষ্ঠা - ৫৪৪৫
فَإِنَّهُمْ قَوْمٌ خَدَعَةٌ مَكَرَةٌ، فَإِنْ أَنْتُمْ صَبَرْتُمْ لِعَدُوِّكُمْ وَاحْتَسَبْتُمْ لِقِتَالِهِ وَنَوَيْتُمُ الْأَمَانَةَ رَجَوْتُ أَنْ تُنْصَرُوا عَلَيْهِمْ، ثُمَّ لَمْ يَجْتَمِعْ لَهُمْ شَمْلُهُمْ أَبَدًا، إِلَّا أَنْ يَجْتَمِعُوا وَلَيْسَتْ مَعَهُمْ قُلُوبُهُمْ، وَإِنْ كَانَتِ الْأُخْرَى فَارْجِعُوا إِلَى مَا وَرَاءَكُمْ حَتَّى تَصِلُوا إِلَى الْحَجَرِ فَإِنَّكُمْ عَلَيْهِ أَجْرَأُ، وَإِنَّهُمْ عَنْهُ أَجْبَنُ وَبِهِ أَجْهَلُ، حَتَّى يَأْتِيَ اللَّهُ بِالْفَتْحِ عَلَيْهِمْ وَيَرُدَّ لَكُمُ الْكَرَةَ، وَأَمَرَهُ بِمُحَاسَبَةِ نَفْسِهِ وَمَوْعِظَةِ جَيْشِهِ، وَأَمَرَهُمْ بِالنِّيَّةِ الْحَسَنَةِ وَالصَّبْرِ، فَإِنَّ النَّصْرَ يَأْتِي مِنَ اللَّهِ عَلَى قَدْرِ النِّيَّةِ، وَالْأَجْرَ عَلَى قَدْرِ الْحِسْبَةِ، وَسَلُوا اللَّهَ الْعَافِيَةَ، وَأَكْثِرُوا مِنْ قَوْلِ: لَا حَوْلَ وَلَا قُوَّةَ إِلَّا بِاللَّهِ. وَاكْتُبْ إِلَيَّ بِجَمِيعِ أَحْوَالِكُمْ وَتَفَاصِيلِهَا، وَكَيْفَ تَنْزِلُونَ وَأَيْنَ يَكُونُ مِنْكُمْ عَدُوُّكُمْ، وَاجْعَلْنِي بِكُتُبِكَ إِلَيَّ كَأَنِّي أَنْظُرُ إِلَيْكُمْ، وَاجْعَلْنِي مِنْ أَمَرِكُمْ عَلَى الْجَلِيَّةِ، وَخَفِ اللَّهَ وَارْجُهُ وَلَا تَدِلَّ بِشَيْءٍ، وَاعْلَمْ أَنَّ اللَّهَ قَدْ تَوَكَّلَ لِهَذَا الْأَمْرِ بِمَا لَا خُلْفَ لَهُ، فَاحْذَرْ أَنْ يَصْرِفَهُ عَنْكَ وَيَسْتَبْدِلَ بِكُمْ غَيْرَكُمْ. فَكَتَبَ إِلَيْهِ سَعْدٌ يَصِفُ لَهُ كَيْفِيَّةَ تِلْكَ الْمَنَازِلِ وَالْأَرَاضِي بِحَيْثُ كَأَنَّهُ يُشَاهِدُهَا، وَكَتَبَ إِلَيْهِ يُخْبِرُهُ بِأَنَّ الْفُرْسَ قَدْ جَرَّدُوا لِحَرْبِهِ رُسْتُمَ وَأَمْثَالَهُ، فَهُمْ يَطْلُبُونَنَا وَنَحْنُ نَطْلُبُهُمْ، وَأَمْرُ اللَّهِ بَعْدُ مَاضٍ، وَقَضَاؤُهُ مُسَلَّمٌ لَنَا إِلَى مَا قَدَّرَ لَنَا وَعَلَيْنَا، فَنَسْأَلُ اللَّهَ خَيْرَ الْقَضَاءِ وَخَيْرَ الْقَدْرِ فِي عَافِيَةٍ.
পৃষ্ঠা - ৫৪৪৬


আমরা ওদেরকে খুজছি ৷ অবিলম্বে আল্পাহ্র নির্দেশ কার্যকর হবে ৷ তার সিদ্ধান্ত বাস্তবায়িত
হবে ৷ আমাদের পক্ষে-বিপক্ষে তার ফায়সালা মােন নিতে হবে ৷ আমরা আল্পাহ্র নিকট
নিরাপত্তাসহ কল্যাণময় ফয়সালার জন্যে প্রার্থনা করছি ৷

হযরত উমর (রা) তাকে জবাবে লিখলেন, আপনার চিঠি পেয়েছি ৷ সকল বিষয় অবগত
হয়েছি ৷ আপনি যখন শত্রুর মুকাবিলা করবেন এবং মহান আল্লাহ আপনাদেরকে ওদের পিঠে
আঘাতের সুযোগ দিবেন মুলত৩ তাই হবে ইনশাআল্লাহ্ ৷ কারণ আমার অম্ভরে এই তার
জন্মেছে যে, অবিলম্বে এবং নিশ্চিতভাবে আপনারা ওদেরকে পরাজিত করবেন ৷ এতে কিন্তু
কোন সন্দেহ পোষণ করবেন না ৷ যা হোক আপনারা যখন ওদেরকে পরাজিত করবেন তখন
শক্তি প্রয়োগ ও আক্রমণে আক্রমণে ওদেরকে জর্জরিত করে মাদাইন দখল করে নিবেন ৷ এর
আগে ক্ষান্ত হবেন না কিন্তু ৷ আর মাদাইন নগরের পতন আপনাদের হাতে ঘটবে ইনশাআল্লাহ্ ৷
খলীফা উমর (রা) খাসভা বে সেনাপতি সাদ (রড়া)এর জন্যে এবং সাধারণভাবে তীর ও সকল
মুজা ৷হিদের জন্যে দৃ আ করতে লাপলেন ৷

মুসলিম বাহিনী উযায়ব’ নামক স্থানে পৌছার পর শেরযাদ ইবন অড়ারাযাৰিয়্যাহ্ এর
নেতৃত্বাধীন একদল পারসিক সৈন্য মুসলমানদের মুখোমুখি হয় ৷ মুসলমানগণ তাৎক্ষণিক শ্
আক্রমণে ওদেরকে পরাজিত করে প্রচুর মালামাল হস্তপত করে ৷ সেনাপতি সা দ (রা) প্রাপ্ত
মালামাল ষ্টু অংশ রাদ্রীয় কােষাগারের জন্যে রেখে § অংশ মুজাহিদদের মধ্যে বণ্টন করে
দেন ৷ এতে মুসলমান সৈনিকণণ খুব খুশি হয় ৷ এই জয়কে তারা বড় বিজয়ের শুভ
পুর্বাভা সরুপে মনে করে ৷ সেনাপতি সা দ (রা) ৷দেরর্ত সাথে থাকা মহিলাদের নিরাপত্তার জন্যে ,;
একটি আলাদা সেনাদল তৈরি করেন ৷ ওই সেনাবহরের ও নিরাপত্তা রক্ষার দায়িত্বে ছিলেন ,
গালিব ইবন অড়াবদুল্লাহ্ লায়হী ৷

কাদেসিয়ার যুদ্ধ

এরপর সেনাপতি সাদ (রা) সেনাবাহিনী নিয়ে অগ্রসর হয়ে কাদেসিয়ড়ায় র্তাবু স্থাপন
করেন ৷ তিনি তার সৈন্যদের ছোট ছোট দল গঠন করে বিভিন্ন স্থানে প্রেরণ করেন ৷ তিনি
সেখানে একমাস অবস্থান করলেন কিন্তু পারসিক কোন সেনাবাহিনীর নাগাল পাননি ৷ বিষয়টি
তিনি মদীনা শরীফে খলীফা উমর (রা) কে জানালেন ৷ এদিকে র্তার প্রেরিত ক্ষুদ্র সেনাদলগুলাে
বিভিন্ন স্থান থেকে রসদপত্র ও খাদ্যদ্রব্য ছিনিয়ে নিয়ে আসতে শুরু করে ৷ মুসলিম সৈন্যদের
লুটপাট ওত্রন্দী করার-জ্বালায় অতিষ্ঠ হয়ে শহরতলির পারসিক প্রজাগণ সম্রাট ইয়াযদগিরদ এর
নিকট সমবেত হয় ৷ তারা সম্রাটকে বলে যে, হয় আপনারা আমাদেরকে রক্ষা করবেন নতুবা
আমরা আমাদের হাতে যা আছে তার সবকিছুসহ দৃর্গগুলো মুসলমানদেরকে দিয়ে দিব ৷ শেষ
পর্যন্ত পারসিকগণ এ বিষয়ে একমত হলো যে, মহাবীর রুস্তমকে সেনাপতি করে পারসিক
বাহিনীকে মুসলমানদের বিরুদ্ধে প্রেরণ করা হবে ৷ সম্রাট ইয়াযদ্পিরদ রুস্তমকে ডেকে
পাঠালেন ৷ তাকে সেনাদলের সর্বাধিনায়ক নিযুক্ত করলেন ৷ রুস্তম ওই পদ গ্রহণে সবিনরে
অস্বীকৃতি জনােয় এবং বলে যে, যুদ্ধকৌশলে এটি উপযুক্ত সিদ্ধান্ত নয় ৷ এক সাথে বিশাল
শত্রুসেনা ধ্বংস করে দেয়ার চাইতে আরবদের বিরুদ্ধে বারবার সৈন্যদল প্রেরণ করা ওদের
জন্য অধিক দৃরুহ কাজ বলে আমি মনে করি ৷ সম্রাট কিন্তু এটি ছাড়া অন্য প্রস্তাবে রাজী ন


وَكَتَبَ إِلَيْهِ عُمَرُ: قَدْ جَاءَنِي كِتَابُكَ وَفَهِمْتُهُ، فَإِذَا لَقِيتَ عَدُوَّكَ وَمَنَحَكَ اللَّهُ أَدْبَارَهُمْ، فَإِنَّهُ قَدْ أُلْقِيَ فِي رَوْعِي أَنَّكُمْ سَتَهْزِمُونَهُمْ، فَلَا تَشُكَّنَّ فِي ذَلِكَ، فَإِذَا هَزَمْتَهُمْ فَلَا تَنْزِعْ عَنْهُمْ حَتَّى تَقْتَحِمَ عَلَيْهِمُ الْمَدَائِنَ ; فَإِنَّهُ خَرَابُهَا، إِنْ شَاءَ اللَّهُ. وَجَعَلَ عُمَرُ يَدْعُو لِسَعْدٍ خَاصَّةً وَلَهُ وَلِلْمُسْلِمِينَ عَامَّةً. وَلَمَّا بَلَغَ سَعْدٌ الْعُذَيْبَ اعْتَرَضَ الْمُسْلِمِينَ جَيْشٌ لِلْفُرْسِ مَعَ شِيرْزَاذَ بْنِ آزَاذَوَيْهِ، فَغَنِمُوا مِمَّا مَعَهُ شَيْئًا كَثِيرًا، وَوَقَعَ مِنْهُمْ مَوْقِعًا كَبِيرًا، فَخَمَّسَهَا سَعْدٌ، وَقَسَمَ أَرْبَعَةَ أَخْمَاسِهَا فِي النَّاسِ، وَاسْتَبْشَرَ النَّاسُ بِذَلِكَ وَفَرِحُوا وَتَفَاءَلُوا، وَأَفْرَدَ سَعْدٌ سَرِيَّةً تَكُونُ حِيَاطَةً لِمَنْ مَعَهُمْ مِنَ الْحَرِيمِ، عَلَى هَذِهِ السَّرِيَّةِ غَالِبُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ اللَّيْثِيُّ. [غَزْوَةُ الْقَادِسِيَّةُ] [تَجْهِيزُ رُسْتُمَ لِلْخُرُوجِ لِسَعْدٍ] فَصْلٌ فِي غَزْوَةِ الْقَادِسِيَّةِ. ثُمَّ سَارَ سَعْدٌ فَنَزَلَ الْقَادِسِيَّةَ، وَبَثَّ سَرَايَاهُ وَأَقَامَ بِهَا شَهْرًا لَمْ يَرَ أَحَدًا مِنَ الْفُرْسِ، فَكَتَبَ إِلَى عُمَرَ بِذَلِكَ، وَالسَّرَايَا تَأْتِي بِالْمِيرَةِ مِنْ كُلِّ مَكَانٍ، فَعَجَّتْ رَعَايَا الْفُرْسِ مِنْ أَطْرَافِ بِلَادِهِمْ إِلَى يَزْدَجِرْدَ مِنَ الَّذِي يَلْقَوْنَ مِنَ الْمُسْلِمِينَ مِنَ النَّهْبِ وَالسِّبَاءِ. وَقَالُوا: إِنْ لَمْ تُنْجِدُونَا وَإِلَّا أَعْطَيْنَا مَا بِأَيْدِينَا وَسَلَّمْنَا إِلَيْهِمُ الْحُصُونَ. وَاجْتَمَعَ رَأْيُ الْفُرْسِ عَلَى إِرْسَالِ رُسْتُمَ إِلَيْهِمْ، فَبَعَثَ إِلَيْهِ يَزْدَجِرْدُ، فَأَمَّرَهُ عَلَى الْجَيْشِ، فَاسْتَعْفَى رُسْتُمُ مِنْ ذَلِكَ وَقَالَ: إِنَّ هَذَا لَيْسَ بِرَأْيٍ فِي الْحَرْبِ، إِنَّ إِرْسَالَ الْجُيُوشِ بَعْدَ الْجُيُوشِ أَشَدُّ عَلَى الْعَرَبِ مِنْ أَنْ يَكْسِرُوا جَيْشًا كَثِيفًا مَرَّةً وَاحِدَةً. فَأَبَى الْمَلِكُ إِلَّا ذَلِكَ، فَتَجَهَّزَ رُسْتُمُ لِلْخُرُوجِ، ثُمَّ بَعَثَ سَعْدٌ
পৃষ্ঠা - ৫৪৪৭


থাকায় শেষ পর্যন্ত অভিযানে বের হবার জন্যে রুস্তম প্রস্তুত হয় ৷ মুসলিম সেনাপতি সাদ
গোয়েন্দা পা ঠালেন হীরা ও সালুবায় ৷৩ তাকে জানানো হলো যে, পারস্য স্ম্নাট মহাবীর কঃমকে
সেনাপতি নিয়োগ করেছেন এই যুদ্ধের জন্যে এবং বহু সেনা দ্বারা তার শক্তি বৃদ্ধি করেছে ৷
পরিস্থিতি তিনি খলীফা উমর (রা)-কে লিখে জানালেন ৷ হযরত উমর (রা) জবাবে লিখলেন,
ওদের পক্ষ থেকে কোন কিছুই যেন আপনাকে দুশ্চিডাঃাস্ত করতে না পারে ৷ ওদের শক্তিমত্তাও
যেন আপনাকে ভীত-শংকিত না করে ৷ আপনি আল্লাহর সাহায্য কামনা করুন এবং তীর উপর
তাওয়াক্কুল রাখুন ৷ একজন দুরদর্শী ও বিচক্ষণ ব্যক্তিকে সম্রাট ইয়াযদ্গিরদ-এর নিকট পাঠান
এজঃন্য যে, সে সম্রাটকে ইসলামের দাওয়াত দািব ৷ কারণ ওদেরকে দাওয়াত দেয়াটাকে মহান
আল্লাহ ওদের জন্যে লাঞ্চুন৷ এবং ওদের বিরুদ্ধে মুসলমানদের বিজয়ের উসিলা করে দিবেন ৷
প্রতিদিন আমাকে সংবাদ জানাবেন ৷

রল্ডম তার সৈন্যসামন্ত নিয়ে মুসলমানদের কাছাকাছি এসে গেল ৷ সে সাবাত’ নামক
স্থানে তাবু ফেলল ৷ সেনাপতি সা দ হযরত ৩উমর (বা) যে লিখবেন যে রুস্তম সাবাত’ এ
সৈন্য সমাবেশ ঘটিয়েছে ৷ প্রচুর হাভী ঘো ড়৷ সে সাথে এনেছে ৷ যে আমাদের বিরুদ্ধে পুর্ণ
প্রস্তুতি নিয়ে অবস্থান করছে ৷ এ মুহ্রতে ৩আমি সবচেয়ে গুরুত্বপুর্ণ মনে করছি ওদের বিরুদ্ধে
আল্লাহর সাহায্য কামনা ও তার উপর০ তাওয়াক্কুল করা ৷ তিনি আরো লিখলেন যে, রুস্তম তার
সেনাবাহিনীকে পুর্ণাঙ্গভাবে প্রস্তুত করে রেখেছে ৷ অগ্রবাহিনীর সেনাপতি নিযুক্ত করেছে
জালিনুসকে ৷ এই বাহিনীর সৈন্য সংখ্যা চল্লিশ হাজার ৷ ডান পার্শ্ব বাহিনীর দায়িতৃ দিয়েছে
হরমুযানকে ৷ বাম বাহিনীর দায়িত্বশীল করেছে মাহরান ইবন বা হরামকে ৷ এই বাহিনীর সৈন্য
ছিল ৬০, :০০ ৷ পশ্চ৷ ত বাহিনীর সেনাপতি নিযুক্ত হয়েছে বুনদৃ রান ৷ এই বাহিনী গঠিত হয়
২০ :০০ সৈন্য সমন্বয়ে ৷ অতএব, মুল সৈন্য সং খ্যা ছিল ৮০ :০০ ৷ সায়ফ ও অন্যরা তাই
বলেছেন ৷ এক বর্ণনায় আছে যে, রুম্ভমের সৈন্য স খ্যা ছিল এক লাখ বিশ হাজার ওদের
পেছনে ছিল আরে আশি হাজার ৷ ওদের সাথে ৩৩টি হড়াভী ছিল ৷ একটি হাতী ছিল সাদা ৷
ওটি ছিল সাবৃরের ৷ এটি ছিল সবচেয়ে বড় ৷ এটি সবার সম্মুখে ছিল ৷ ওই হাতীঢি তার খুব
প্রিয় ছিল ৷

মুসলিম সেনাপতি সা দ একদল নেতৃস্থানীয় লোক প্রেরণ করেন ৷ তাদের মধ্যে ছিলেন
নু মান ইবন মুর মররিন, ফুরাত ইবন হাবৃবান, হানযালা ইবন রাবী তাঘীমী, আ৩ ৷বিদ ইবন
হাজির, আশআছ ইবন কায়স, মুগীরা ইবন শু বা, আমর ইবন মা দীকারার তারা সকলে মিলে

রুস্তমকে মহান আল্লাহ র দিকে আহ্বানকান্রন ৷ রল্ডম তাদেরকে বলল, আপনারা আমার নিকট

কেন এসেছেন ? :ারা বললেন, আমরা এসেছি আল্লাহর দেয়৷ প্রতিশ্রুতি৷ ব ৷স্তবায়নের জন্যে ৷
তিনি তোমাদের শহর নগর ছিনিয়ে নিয়ে, তোমাদের নারী ও শিশুদেরকে বন্দী করে এবং
তোমাদের ধন-স ৷তৃলে নিয়ে আমাদের হাতে সমর্পণ করবেন ৷ ওই প্রতিশ্রুতি ৩পুরণ হবে তা
আমরা নিশ্চিতভাবে বিশ্বাস করি ৷

সেনাপতি রুস্তম একটি স্বপ্ন দেখেছিল ৷ সে দেখেছিল যে, এক ফেরেশত৷ আকাশ থেকে
নাযিল হলো ৷ ওই ফেরেশ৩ ৷ পারসিকদের সকল অস্ত্রশস্তে সীলযোহর মেরে র ৷সুলুল্পাহ্;-আঃম্পু এর
হাতে সমর্পণ করল ৷ রাসুলুল্লাহ্মোঃ ওই অন্ত্রশস্ত্র হস্তান্তর করলেন হযরত উমর (রা) এর
নিকট ৷


كَاشِفًا إِلَى الْحِيرَةِ، وَإِلَى صَلُوبَا، فَأَتَاهُ الْخَبَرُ بِأَنَّ الْمَلِكَ قَدْ أَمَّرَ عَلَى الْحَرْبِ رُسْتُمَ بْنَ الْفَرُّخْزَاذِ الْأَرْمَنِيَّ، وَأَمَدَهُ بِالْعَسَاكِرِ، فَكَتَبَ سَعْدٌ إِلَى عُمَرَ بِذَلِكَ، فَكَتَبَ إِلَيْهِ عُمَرُ: لَا يَكْرَبَنَّكَ مَا يَأْتِيكَ عَنْهُمْ، وَلَا مَا يَأْتُونَكَ بِهِ، وَاسْتَعِنْ بِاللَّهِ وَتَوَكَّلْ عَلَيْهِ، وَابْعَثْ إِلَيْهِ رِجَالًا مِنْ أَهْلِ النَّظَرِ وَالرَّأْيِ وَالْجَلَدِ يَدْعُونَهُ، فَإِنَّ اللَّهَ جَاعِلٌ دُعَاءَهُمْ تَوْهِينًا لَهُمْ وَفَلْجًا عَلَيْهِمْ، وَاكْتُبْ إِلَيَّ فِي كُلِّ يَوْمٍ. وَلَمَّا اقْتَرَبَ رُسْتُمُ بِجُيُوشِهِ وَعَسْكَرَ بِسَابَاطَ كَتَبَ سَعْدٌ إِلَى عُمَرَ يَقُولُ: إِنَّ رُسْتُمَ قَدْ عَسْكَرَ بِسَابَاطَ، وَجَرَّ الْخُيُولَ وَالْفُيُولَ وَزَحَفَ عَلَيْنَا بِهَا، وَلَيْسَ شَيْءٌ أَهَمَّ عِنْدِي وَلَا أَكْثَرَ ذِكْرًا مِنِّي لِمَا أَحْبَبْتُ أَنْ أَكُونَ عَلَيْهِ مِنَ الِاسْتِعَانَةِ وَالتَّوَكُّلِ. وَعَبَّأَ رُسْتُمُ، فَجَعَلَ عَلَى الْمُقَدِّمَةِ - وَهِيَ أَرْبَعُونَ أَلْفًا - الْجَالِنُوسَ، وَعَلَى الْمَيْمَنَةِ الْهُرْمُزَانَ، وَعَلَى الْمَيْسَرَةِ مِهْرَانَ بْنَ بَهْرَامَ، وَذَلِكَ سِتُّونَ أَلْفًا وَعَلَى السَّاقَةِ الْبَنْدَرَانَ فِي عِشْرِينَ أَلْفًا، فَالْجَيْشُ كُلُّهُ ثَمَانُونَ أَلْفًا، فِيمَا ذَكَرَهُ سَيْفٌ وَغَيْرُهُ. وَفِي رِوَايَةٍ: كَانَ رُسْتُمُ فِي مِائَةِ أَلْفٍ وَعِشْرِينَ أَلْفًا، يَتْبَعُهَا ثَمَانُونَ أَلْفًا وَكَانَ مَعَهُ ثَلَاثَةٌ وَثَلَاثُونَ فِيلًا، مِنْهَا فِيلٌ أَبْيَضُ كَانَ لِسَابُورَ، فَهُوَ أَعْظَمُهَا وَأَقْدَمُهَا، وَكَانَتِ الْفِيَلَةُ تَأْلَفُهُ. ثُمَّ بَعَثَ سَعْدٌ جَمَاعَةٌ مِنَ السَّادَاتِ مِنْهُمْ، النُّعْمَانُ بْنُ مُقَرِّنٍ، وَفُرَاتُ بْنُ
পৃষ্ঠা - ৫৪৪৮


সায়ফ ইবৃ ন উমর বর্ণনা করেছেন যে, সেনাপতি সাদের মুখোমুখি হওয়া ও যুদ্ধ শুরু
করার জন্যে রন্স্তম দীর্ঘ সময় নিয়েছে ৷ মাদাইন থেকে বের হওয়া থেকে কা ৷দেসিয়ায় যুদ্ধ শুরু
করা পর্যন্ত যে চার মাস সময় অতিবাহিত করেছে ৷ এতে তার উদ্দেশ্য ছিল যে, ধৈয্যহার৷ ও
বিরক্ত সেনাপতি সা দ তার সঙ্গী দেরকে নিয়ে ফিরে যাবেন ৷ বন্তুত পারস্য সম্রাটের পক্ষ থেকে
তাণাদা না এলে সে আদৌ যুদ্ধে জড়াত না ৷ কারণ তার বিশ্বাস ছিল যে, এই যুদ্ধে
মুসলমানদের জয় হবে এবং পারসিকদের বিরুদ্ধে মুসলমানদের নিকট মহান আল্লাহ্র সাহায্য
আসবে ৷ তার দেখা স্বপ্ন, পরিস্থিতির মুল্যায়ন, মুসলমনাদেৰু পক্ষ থেকে শোনা বক্তব্য এবং
একজন দক্ষ জ্যোতিষ হিসেবে নক্ষত্ররাজির অবস্থান পর্যালোচনার মাধ্যমে তার মনে এই বিশ্বাস
জন্য নেয় ৷

রুস্তমের সেনাবাহিনী সেনাপতি সাদের কাছাকাছি আসার পর তিনি শ্াত্রুপক্ষ সম্বন্ধে
স্পষ্ট ধারণা লাভ করতে চাইলেন ৷ এই সুত্রে তিনি একজন গুপ্তচর প্রেরপ করলেন শত্রুপক্ষের
কোন এক ব্যক্তিকে তার নিকট উপস্থিত করার জন্যে ৷ ওই গুপ্তচর ছিলেন তৃলায়হা আসাদী ৷
তৃলায়হা একবার নিজেকে নবীরুপে দাবি করেছিলেন পরে তাওবা করেন ৷ হারিছ তার
সাথীদেরকে নিয়ে এগিয়ে গিয়ে আবার ফেরত এসেছিলেন ৷ সেনাপতি সা দ কর্তৃক প্রেরিত হয়ে
তৃলায়হা শত্রুপক্ষের সেনাদল ও সারিতে ঢুকে পড়েন ৷ তিনি হাজার হাজার সৈন্যের ভেতরে
গিয়ে পৌছেন ৷ সুযোগ বুঝে ওদের নেতৃস্থানীয় বহু লোককে হত্যা করেন ৷ ওদের একজনকে
বন্দী করে নিয়ে আসেন ৷ সেনাপতি সাদের নিকট তিনি এমনভাবে ওকে নিয়ে আসেন যে,ওর
কিছুই করার ছিল না ৷ সেনাপতি সাদ তার নিকট শত্রুদলের সার্বিক অবস্থা জানতে চাইলেন ৷
সে তৃলায়হার বীরৎ ও সাহসিকতার বর্ণনা দিতে লাগল ৷ সা দ বললেন ওই বর্ণনা নয়, রুস্তম
সম্পর্কে বল ৷ সে বলল, এক লাখ বিশ হাজার সৈন্য নিয়ে রুস্তম যুদ্ধের জন্যে প্রস্তুত হয়ে
আছে ৷ আরো সমসং খ্যক সৈন্য তার পেছনে আছে সাহায্যের জন্যে ৷ অবশ ৷ওই লোক তখনই
ইসলাম গ্রহণ করে ৷ আল্লাহ্ তাকে দয়া করুন ৷

আপন শায়খদের উদ্ধৃতি ৩দিয়ে সায়ফ বলেছেন, উভয় পক্ষ মুখোমুখি হবার পর পারস্য
সেনাপতি রুস্তম মুসলিম সেনাপতি সা দ এর নিকট এ মর্মে সংব বাদ পাঠাল যে, তিনি যেন
একজন বিচক্ষণ, বুদ্ধিমান ও জ্ঞানী লেকে তার নিকট পাঠান, সে তার সাথে একান্ত আলাপে
মিলিত হয়ে ৷ কিছু বিষয় জানতে চাইবে ৷ মুসলমানদের পক্ষ থেকে প্রেরণ করা হলো মুগীরা
-ইবন শুরা (রা)-কে ৷ মুগীর৷ (রা) কঃমের নিকট এসে পৌছলেন ৷ রুস্তম বলতে লাগল,
আপনারা আমাদের প্রতিবেশী ৷ আমরা আপনাদের সাথেণ্ ত ৷ সদাচরণই করি ৷ আপনাদের
দুঃখ-কষ্ট দুর করে থাকি ৷ আপনারা বরং নিজ দেশে ফিরে যান ৷ ব্যবসায় বাণিজ্য উপলক্ষে
আপনারা আমাদের (দশে আসতে চাইলে আমরা বাধা দিব না ৷ উত্তরে হযরত মুগীর৷ (রা)
বললেন, আমাদের কামনা তাে দুনিয়ার স্বার্থ নয় ৷ আমাদের চাওয়া-পাওয়া হলো আখিরাত ও
পরকালীন কল্যাণ ৷ মহান আল্লাহ্ আমাদের নিকট একজন রাসুল পাঠিয়েছেন এবং তাকে
বলেছেন, আমি এই লােকগুলোকে কর্তৃতুশীল ও ক্ষমতাশালী করে দিলাম ওই সব লোকের
বিরুদ্ধে যারা আমার দীন মানে না ৷ এদের দ্বারা আমি ওদের বিরুদ্ধে প্রতািশাধ্ নিব ৷ এরা
যতদিন আমার সত্যের স্বীকৃতিতে অবিচল থাকবে ততদিন আমি এদেরকে বিজয়ী করে যার ৷


حَيَّانَ، وَحَنْظَلَةُ بْنُ الرَّبِيعَ التَّمِيمِيُّ، وَعُطَارِدُ بْنُ حَاجِبٍ، وَالْأَشْعَثُ بْنُ قَيْسٍ، وَالْمُغِيرَةُ بْنُ شُعْبَةَ، وَعَمْرُو بْنُ مَعْدِيكَرِبَ، يَدْعُونَ رُسْتُمَ إِلَى اللَّهِ عَزَّ وَجَلَّ، فَقَالَ لَهُمْ رُسْتُمُ: مَا أَقْدَمَكُمْ؟ فَقَالُوا: جِئْنَا لِمَوْعُودِ اللَّهِ إِيَّانَا ; أَخْذِ بِلَادِكُمْ وَسَبْيِ نِسَائِكُمْ وَأَبْنَائِكُمْ وَأَخْذِ أَمْوَالِكُمْ، فَنَحْنُ عَلَى يَقِينٍ مِنْ ذَلِكَ. وَقَدْ رَأَى رُسْتُمُ فِي مَنَامِهِ كَأَنَّ مَلَكًا نَزَلَ مِنَ السَّمَاءِ، فَخَتَمَ عَلَى سِلَاحِ الْفُرْسِ كُلِّهِ، وَدَفَعَهُ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَدَفَعَهُ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِلَى عُمَرَ. وَذَكَرَ سَيْفُ بْنُ عُمَرَ، أَنَّ رُسْتُمَ طَاوَلَ سَعْدًا فِي اللِّقَاءِ حَتَّى كَانَ بَيْنَ خُرُوجِهِ مِنَ الْمَدَائِنِ وَمُلْتَقَاهُ سَعْدًا بِالْقَادِسِيَّةِ أَرْبَعَةَ أَشْهُرٍ، كُلُّ ذَلِكَ لَعَلَّهُ يَضْجَرُ سَعْدًا وَمَنْ مَعَهُ لِيَرْجِعُوا، وَلَوْلَا أَنَّ الْمَلِكَ اسْتَعْجَلَهُ مَا الْتَقَاهُ ; لِمَا يَعْلَمُ مِنْ غَلَبَةِ الْمُسْلِمِينَ لَهُمْ وَنَصْرِهِمْ عَلَيْهِمْ، لِمَا رَأَى فِي مَنَامِهِ، وَلِمَا يَتَوَسَّمُهُ، وَلِمَا سَمِعَ مِنْهُمْ، وَلِمَا عِنْدَهُ مِنْ عَلَمِ النُّجُومِ الَّذِي يَعْتَقِدُ صِحَّتَهُ فِي نَفْسِهِ ; لِمَا لَهُ مِنَ الْمُمَارَسَةِ لِهَذَا الْفَنِّ. وَلَمَّا دَنَا جَيْشُ رُسْتُمَ مِنْ سَعْدٍ، أَحَبَّ سَعْدٌ أَنْ يَطَّلِعَ عَلَى أَخْبَارِهِمْ عَلَى الْجَلِيَّةِ، فَبَعَثَ سَرِيَّةً لِتَأْتِيَهُ بِرَجُلٍ مِنَ الْفُرْسِ، وَكَانَ فِي السَرِيَّةِ طُلَيْحَةُ الْأَسَدِيُّ الَّذِي كَانَ ادَّعَى النُّبُوَّةَ ثُمَّ تَابَ، وَتَقَدَّمَ الْحَارِثُ مَعَ أَصْحَابِهِ حَتَّى رَجَعُوا، فَلَمَّا بَعَثَ سَعْدٌ السَّرِيَّةَ اخْتَرَقَ طُلَيْحَةُ الْجُيُوشَ وَالصُّفُوفَ، وَتَخَطَّى الْأُلُوفَ، وَقَتَلَ جَمَاعَةٌ مِنَ الْأَبْطَالِ حَتَّى أَسَرَ أَحَدَهُمْ، وَجَاءَ بِهِ لَا يَمْلِكُ مِنْ نَفْسِهِ شَيْئًا، فَسَأَلَهُ سَعْدٌ عَنِ الْقَوْمِ، فَجَعَلَ يَصِفُ شَجَاعَةَ طُلَيْحَةَ، فَقَالَ: دَعْنَا مِنْ هَذَا وَأَخْبِرْنَا عَنْ رُسْتُمَ. فَقَالَ: هُوَ فِي مِائَةِ أَلْفٍ وَعِشْرِينَ أَلْفًا، وَيَتْبَعُهَا مِثْلُهَا. وَأَسْلَمَ
পৃষ্ঠা - ৫৪৪৯


এটি সত্য দীন ৷ যে ব্যক্তি এই দীন প্রত্যাখ্যান করবে সে লাঞ্ছিত হবে ৷ যে ব্যক্তি এই দীন
শত্তভােবে ধরে রাখার যে সম্মানী ও বিজয়ী হয়ে ৷

রুস্তম বলল, ওই দীনের পরিচয় দিন ৷ মুগীরা (রা) বললেন, “ওই দীনের মুল স্তম্ভ হলো
সাক্ষ্য দেয়৷ যে, আল্লাহ্ ব্যতীত কোন ইলাহ্ নেই এবং মুহাষ্মদক্রো আল্লাহ্র প্রেরিত রাসুল ৷
আর তিনি আল্লাহ্র পক্ষ থেকে যা এন্যেছন, তা সত্য বলে স্বীকার করা ৷ রল্ডম বলল, বাহ্ কত
চমৎকার কথা এটি ! আর কিছু আছে ? মুগীরা (রা) বললেন, আছে ৷ আর তাহলো মানুষকে
মানুষের পােলাযি থেকে বের করে আল্লাহ্র গোলামিতে নিয়ে যাওয়া ৷ রুস্তম বলল, বেশ, ভাল
তো ৷ আরো কিছু ? মুগীরা (বা) বললেন, সকল মানুষ হযরত আদম (আ)-এর সন্তান ৷ সুতরাং
তারা সহোদর ভাই ৷ সে বলল, “বেশ, ভালই তাে’ ৷ এরপর রুস্তম বলল, আচ্ছা বলুন তো
আমরা যদি আপনাদের দীনে প্রবেশ করি, আপনাদের দীন গ্রহণ করি তাহলে কি আপনারা
আমাদের এলাকা ছেড়ে চলে যাবেন ৷’ হযরত মুগীরা (রা) বললেন, ইা,ংআল্লাহ্র কসম তইি
করব এবং এরপর ব্যবসা-বাণিজ্য কিংবা অন্য কোন প্রয়োজন ছাড়া আপনাদের দেশের কাছেও
আসব না ৷’ রুস্তম বলল, এটি ওতাে চমৎকার কথা ৷ হযরত মুগীরা (রা) ফিরে এলেন ৷
রুস্তম তার দলের শীর্ষস্থানীয় লোকদেরকে ডেকে ইসলামে প্রবেশ করা এবং ইসলাম ধর্ম গ্রহণ
করা সম্পর্কে পরামর্শ করল ৷ তারা এই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করল এবং ইসলাম গ্রহণে অস্বীকৃতি
জানলে ৷ অবশেষে আল্লাহ তা আলা ওদেরকে অপমানিত ও লাঞ্ছিত করলেন ৷

এরপর সেনাপতি রুস্তমের অনুরোধে সা দ (রা) অন্য একজন প্রতিনিধি প্রেরণ করলেন ৷
তিনি হলেন, রিবৃঈ ইবন আমির ৷ তিনি রুস্তমের নিকট গেলেন, তার লোকেরা মজলিস
সাজিয়েছিল সোনালি গদি ও রেশমী চাদর দিয়ে, থরে থরে ঝুলিয়ে ছিল মহামুল্যবান মণিমুক্তো
ও নয়নকাড়া সাজ-সজ্জায় ৷ তার মাথায় ছিল মুকুট ৷ সে বসে ছিল স্বর্ণ-নির্মিত সিংহাসনে,
মুসলিম প্রতিনিধি রিব্ঈ ইবন আমির সেখানে প্রবেশ করেছিলেন পুরাতন পোশাক, তরবারি,
চাল ও ছোট একটি ঘোড়া নিয়ে, তিনি ঘোড়ার পিঠেই ছিলেন ৷

ঘোড়া গিয়ে রুস্তমের সুসজ্জিত বিছানা মাড়ায়, রিবৃঈ ঘোড়া থেকে ওখানে অবতরণ
করেন ৷ একটি গদির সাথে সেটিকে রাধেন ৷ হাতে অস্ত্র, পবিধানে বর্ম এবং মাথায় শিরস্ত্রাণ
নিয়ে তিনি রুস্তমের দিকে এগিয়ে যান ৷ রুন্তুমের ণ্লাকজন তাংক বলল, অস্ত্র রেখে দিন ৷’
তিনি বললেন, আমি স্বেচ্ছায় এখানে আসিনি ৷ আমাকে ডেকেছ বলে এসেছি ৷ আমাকে এভাবে
থাকতে দিলে থাকর নতুবা ফিরে যাব ৷ ’

রুস্তম বলল, তাকে আসতে দাও ৷’ বর্শায় ভর করে গদির উপর দিয়ে তিনি অপ্রসুব
হচ্ছিলেন ৷ বর্শার আঘাতে অনেক গদি ছিড়ে যায় ৷ ওরা বলল, আপনাদের নিকট কী এসেছে?’
তিনি বললেন, মহান আল্লাহ্ আমাদেরকে প্রেরণ করেছেন ৷ তিনি যাদেরকে চান আমরা
তাদেরকে মানুষের পােলাযি থেকে বের করে আল্লাহ্র গোলামিতে নিয়ে যাই ৷ দুনিয়ার
সংকীর্ণত৷ থেকে তার বিশালত্বে নিয়ে যইি ৷ অন্যান্য ধর্মের হুকুম ও অত্যাচার থেকে বের করে
ইসলামের ন্যায় বিচারের দিকে নিয়ে যইি ৷ মহান আল্লাহ্ তার দীন সহকারে আমাদেরকে প্রেরণ
করেছেন তার সৃষ্টি জগতে র প্রতি যাতে আমরা ওদেরকে তার দিকে ডাকি ৷ যারা আমাদের
দাওয়াত গ্রহণ করবে আমরা ৷দেরত ওই অবস্থা মেনে নিয়ে ফিরে যাব ৷ আর যারা ওই দাওয়াত


الرَّجُلُ مِنْ فَوْرِهِ. رَحِمَهُ اللَّهُ. قَالَ سَيْفٌ عَنْ شُيُوخِهِ: وَلَمَّا تَوَاجَهَ الْجَيْشَانِ بَعَثَ رُسْتُمُ إِلَى سَعْدٍ أَنْ يَبْعَثَ إِلَيْهِ بِرَجُلٍ عَاقِلٍ عَالِمٍ بِمَا أَسْأَلُهُ عَنْهُ. فَبَعَثَ إِلَيْهِ الْمُغِيرَةُ بْنُ شُعْبَةَ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، فَلَمَّا قَدِمَ عَلَيْهِ جَعَلَ رُسْتُمُ يَقُولُ لَهُ: إِنَّكُمْ جِيرَانُنَا وَكُنَّا نُحْسِنُ إِلَيْكُمْ وَنَكُفُّ الْأَذَى عَنْكُمْ، فَارْجِعُوا إِلَى بِلَادِكُمْ وَلَا نَمْنَعُ تُجَّارَكُمْ مِنَ الدُّخُولِ إِلَى بِلَادِنَا. فَقَالَ لَهُ الْمُغِيرَةُ: إِنَّا لَيْسَ طَلَبُنَا الدُّنْيَا، وَإِنَّمَا هَمُّنَا وَطَلَبُنَا الْآخِرَةُ، وَقَدْ بَعَثَ اللَّهُ إِلَيْنَا رَسُولًا قَالَ لَهُ: إِنِّي قَدْ سَلَّطْتُ هَذِهِ الطَّائِفَةَ عَلَى مَنْ لَمْ يَدِنْ بِدِينِي، فَأَنَا مُنْتَقِمٌ بِهِمْ مِنْهُمْ، وَأَجْعَلُ لَهُمُ الْغَلَبَةَ مَا دَامُوا مُقِرِّينَ بِهِ، وَهُوَ دِينُ الْحَقِّ لَا يَرْغَبُ عَنْهُ أَحَدٌ إِلَّا ذَلَّ، وَلَا يَعْتَصِمُ بِهِ إِلَّا عَزَّ. فَقَالَ لَهُ رُسْتُمُ: فَمَا هُوَ؟ فَقَالَ: أَمَّا عَمُودُهُ الَّذِي لَا يَصْلُحُ شَيْءٌ مِنْهُ إِلَّا بِهِ، فَشَهَادَةُ أَنْ لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ وَأَنَّ مُحَمَّدًا رَسُولُ اللَّهِ، وَالْإِقْرَارُ بِمَا جَاءَ مِنْ عِنْدِ اللَّهِ. فَقَالَ: مَا أَحْسَنَ هَذَا! وَأَيُّ شَيْءٍ أَيْضًا؟ قَالَ: وَإِخْرَاجُ الْعِبَادِ مِنْ عِبَادَةِ الْعِبَادِ إِلَى عِبَادَةِ اللَّهِ. قَالَ: وَحَسَنٌ أَيْضًا، وَأَيُّ شَيْءٍ أَيْضًا؟ قَالَ: وَالنَّاسُ بَنُو آدَمَ، فَهُمْ إِخْوَةٌ لِأَبٍ وَأُمٍّ. قَالَ: وَحَسَنٌ أَيْضًا، ثُمَّ قَالَ رُسْتُمُ: أَرَأَيْتَ إِنْ دَخَلْنَا فِي دِينِكُمْ، أَتَرْجِعُونَ عَنْ بِلَادِنَا؟ قَالَ: إِي وَاللَّهِ، ثُمَّ لَا نَقْرَبُ بِلَادَكُمْ إِلَّا فِي تِجَارَةٍ أَوْ حَاجَةٍ. قَالَ: وَحَسَنٌ أَيْضًا. قَالَ: وَلَمَّا خَرَجَ الْمُغِيرَةُ مِنْ عِنْدِهِ ذَاكَرَ رُسْتُمُ رُؤَسَاءَ قَوْمِهِ فِي الْإِسْلَامِ، فَأَنِفُوا مِنْ ذَلِكَ وَأَبَوْا أَنْ يَدْخُلُوا فِيهِ، قَبَّحَهُمُ اللَّهُ وَأَخْزَاهُمْ، وَقَدْ فَعَلَ. قَالُوا: ثُمَّ بَعَثَ إِلَيْهِ سَعْدٌ رَسُولًا آخَرَ بِطَلَبِهِ، وَهُوَ رِبْعِيُّ بْنُ عَامِرٍ، فَدَخَلَ عَلَيْهِ
পৃষ্ঠা - ৫৪৫০


ও আহবান গ্রহণ করবে না আমরা অবিরাম ওদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে যাব ৷ আল্লাহ্র প্রতিশ্রুত
বিষয় অর্জন না করা পর্যন্ত আমরা যুদ্ধ করেই যাব ৷ ওরা বলল, আল্লাহ্র প্রতিশ্রুত বিষয়
বলতে কী বুঝাচ্ছেন ৷’ তিনি বললেন, তা হলো সত্য প্রতা৷খ্যানকারীর বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে শহীদ
হয়ে জান্নাত লাভ করা অথবা জীবিত থেকে বিজয় অর্জন করা ৷’

রুস্তম বলল, আপনাদের বক্তব্য আমি শুনেছি ৷ আমাদেরকে কি একটু সময় দিবেন যাতে
আমরা আরেকটু চিন্তা করতে পারি, আপনারাও পুনরায় চিন্তা করে দেখতে পারেন ৷’ তিনি
বললেন, “হীা, কয়দিন সময় চান ৷ একদিন না দৃদিন ৷ রুস্তম বলল, না, তা নয় আমরা বরং
এমন একটা সময় অবকাশ চাচ্ছি যাতে আমরা আমাদের বুদ্ধিজীবী ও বিবেকবা,ন লোকদের
সাথে পরামর্শ করি ৷ ’ তিনি বললেন, শক্রর মুখোমুখি হবার পর তিনদিনের বেশি অবকাশ
দেয়ার নিয়ম তাে রাসুলুল্লাহ্ন্ধুশুস্কুব্লেখে যাননি ৷ সুতরাং আপনি নিজের জন্যে এবং আপনার
ণ্লাকজনের জন্যে বিষয়টি ভেবে দেখুন এবং নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে তিনটি থেকে যে কোন
একটি গ্রহণ করুন ৷’
রুস্তম বলল, আপনি কি আপনার সম্প্রদায়ের নেতা৷’ রিবঈ বললেন, না আমি নেতা নই ৷
তবে মুসলমান সম্প্রদায় একই দেহের ন্যায় ৷ ওদের নিম্নস্তরের লোক উচ্চস্তরের লোকদের
মাধ্যমে মুক্তি লাভ করে ৷ ’
বাস্তবিকই রল্ডম তার সম্প্রদায়ের শীর্ষস্থানীয় লোকদের সা ৷থে পরামর্শ বৈঠকে বসে ৷ ওদের
উদ্দেশ্যে সে বলল, এই ব্যক্তির বক্তব্য অপেক্ষা অধিক মর্ষাদাময় ও অধিক গ্রহণযোগ্য কথা কি
আপনারা কােনদিন শুনেছেনা’ তারা বলল, “আপনি ওসব কথার প্রতি আকৃষ্ট হন এবং এই ,
কুকুরের কারণে নিজের ধর্ম ত্যাগ করুন তা থেকে আমরা আল্লাহর আশ্রয় কামনা করছি ৷
আপনি কি ওর জামা-কাপড় দে খেননি ৷ ’ যে বলল, না ৷ তোমরা জামা-কাপড় দেখবে না বরং
তার অভিমত, বক্তব্য ও চরিত্র দেখ ৷ আরবগণ জামা-কাপড় ও খাবার-দাবারকেস্ফুচ্ছ জ্ঞান
করে ৷ তারা নিজেদের ইয্যত ও বংশ মর্যাদা রক্ষা করে ৷
দ্বিতীয় দিন তারা অন্য একজন লোক চেয়ে পাঠায় ৷ সেনাপতি যদি এ ব পাঠালেন
হুযায়ফা ইবন মিহসানকে ৷ তিনি তাই বললেন যা রিবঈ বলেছিলেন ৷৩ ততীয় দিনে তারা অন্য
একজন লোক চেয়ে পাঠায় ৷ এবার প্রেরণ করা হলো মুগীরা ইবন শু বাকে ৷ তিনি অত্যন্ত
সুন্দরভাবে দীর্ঘ বক্তব্য পেশ করলেন ৷ এবার মুগীরা (রা)-এর উদ্দেশ্যে সেনাপতি রুস্তম বলল,
আমাদের দেশে তোমাদের প্রবেশ হলো মধু দেখা মাছির ন্যায় ৷ মাছি বলছিল, যে আমাকে
মধুর নিকট পৌছিয়ে দিতে পারবে আমি তাকে দৃ’দিরহড়াম প্রদান করব ৷ যখন সে মধুতে পড়ে
গেল, মধুর মধ্যে ডুবে গেল ৷ এবার খুজতে লাগল এমন কাউকে যে তাকে ওখান থেকে উদ্ধার
করবে ৷ কিন্তু কাউকেই সে খুজে গেল না ৷ চিৎকার করে বলতে লাগল, কে আছ যে আমাকে
উদ্ধার করবে, আমি তাকে চার দিরহাম প্রদান করব ৷ রুস্তম আরো বলল, তােমাদের দৃষ্টান্ত
হলো একটি দুর্বল শেয়ালের ন্যায় ৷ খেয়াল আঙ্গুর বাগানের একটি গর্ভে ঢুকেছিল ৷ দৃর্কা৷ ও
রুগ্ন দেখে বাগানওয়ালা সেটির প্রতি দয়া দেখাল এবং বাগানে থাকতে দিল ৷ খেয়ে খেয়ে সেটি
যৰুখৃন মােট-সোট৷ ও হৃষ্টপুষ্ট হলো তখন বাগানের অনেক কিছু নষ্ট করে ফেলল ৷ মালিক
সেটিকে মেরে ফেলার জন্যে তার লোকজন ও ছেলেপিলে নিয়ে উপস্থিত হলো ৷ বিপদ বুঝতে


وَقَدْ زَيَّنُوا مَجْلِسَهُ بِالنَّمَارِقِ الْمُذَهَّبَةِ وَالزَّرَابِيِّ الْحَرِيرِ، وَأَظْهَرَ الْيَوَاقِيتَ وَاللَّآلِئَ الثَّمِينَةَ، وَالزِّينَةَ الْعَظِيمَةَ، وَعَلَيْهِ تَاجُهُ، وَغَيْرُ ذَلِكَ مِنَ الْأَمْتِعَةِ الثَّمِينَةِ، وَقَدْ جَلَسَ عَلَى سَرِيرٍ مِنْ ذَهَبٍ، وَدَخَلَ رِبْعِيٌّ بِثِيَابٍ صَفِيقَةٍ وَسَيْفٍ وَتُرْسٍ وَفَرَسٍ قَصِيرَةٍ، وَلَمْ يَزَلْ رَاكِبَهَا حَتَّى دَاسَ بِهَا عَلَى طَرَفِ الْبُسَاطِ، ثُمَّ نَزَلَ وَرَبَطَهَا بِبَعْضِ تِلْكَ الْوَسَائِدِ، وَأَقْبَلَ وَعَلَيْهِ سِلَاحُهُ وَدِرْعُهُ وَبَيْضَةٌ عَلَى رَأْسِهِ، فَقَالُوا لَهُ: ضَعْ سِلَاحَكَ. فَقَالَ: إِنِّي لَمْ آتِكُمْ، وَإِنَّمَا جِئْتُكُمْ حِينَ دَعَوْتُمُونِي، فَإِنْ تَرَكْتُمُونِي هَكَذَا وَإِلَّا رَجَعْتُ. فَقَالَ رُسْتُمُ: ائْذَنُوا لَهُ. فَأَقْبَلَ يَتَوَكَّأُ عَلَى رُمْحِهِ فَوْقَ النَّمَارِقِ فَخَرَّقَ عَامَّتَهَا، فَقَالُوا لَهُ: مَا جَاءَ بِكُمْ؟ فَقَالَ: اللَّهُ ابْتَعَثْنَا لِنُخْرِجَ مَنْ شَاءَ مِنْ عِبَادَةِ الْعِبَادِ إِلَى عِبَادَةِ اللَّهِ، وَمِنْ ضِيقِ الدُّنْيَا إِلَى سِعَتِهَا، وَمِنْ جَوْرِ الْأَدْيَانِ إِلَى عَدْلِ الْإِسْلَامِ، فَأَرْسَلَنَا بِدِينِهِ إِلَى خَلْقِهِ لِنَدْعُوَهُمْ إِلَيْهِ، فَمَنْ قَبِلَ ذَلِكَ قَبِلْنَا مِنْهُ وَرَجَعْنَا عَنْهُ، وَمَنْ أَبَى قَاتَلْنَاهُ أَبَدًا حَتَّى نُفْضِيَ إِلَى مَوْعُودِ اللَّهِ. قَالُوا: وَمَا مَوْعُودُ اللَّهِ؟ قَالَ: الْجَنَّةُ لِمَنْ مَاتَ عَلَى قِتَالِ مَنْ أَبَى، وَالظَّفَرُ لِمَنْ بَقِيَ. فَقَالَ رُسْتُمُ: قَدْ سَمِعْتُ مَقَالَتَكُمْ، فَهَلْ لَكَمَ أَنْ تُؤَخِّرُوا هَذَا الْأَمْرَ حَتَّى نَنْظُرَ فِيهِ وَتَنْظُرُوا؟ قَالَ: نَعَمْ، كَمْ أَحَبُّ إِلَيْكُمْ؟ أَيَوْمًا أَوْ يَوْمَيْنِ؟ قَالَ: لَا، بَلْ حَتَّى نُكَاتِبَ أَهْلَ رَأْيِنَا وَرُؤَسَاءَ قَوْمِنَا. فَقَالَ: مَا سَنَّ لَنَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنْ نُؤَخِّرَ الْأَعْدَاءَ عِنْدَ اللِّقَاءِ أَكْثَرَ مِنْ ثَلَاثٍ، فَانْظُرْ فِي أَمْرِكَ وَأَمْرِهِمْ، وَاخْتَرْ وَاحِدَةً مِنْ ثَلَاثٍ بَعْدَ الْأَجَلِ. فَقَالَ: أَسَيِّدُهُمُ أَنْتَ؟ قَالَ: لَا، وَلَكِنَّ الْمُسْلِمُونَ كَالْجَسَدِ الْوَاحِدِ يُجِيرُ أَدْنَاهُمْ عَلَى أَعْلَاهُمْ. فَاجْتَمَعَ رُسْتُمُ بِرُؤَسَاءِ قَوْمِهِ، فَقَالَ: هَلْ رَأَيْتُمْ قَطُّ أَعَزَّ وَأَرْجَحَ مِنْ كَلَامِ هَذَا الرَّجُلِ؟ فَقَالُوا: مَعَاذَ اللَّهِ أَنَّ تَمِيلَ إِلَى شَيْءٍ مِنْ هَذَا وَتَدَعَ دِينَكَ لِهَذَا الْكَلْبِ! أَمَا تَرَى إِلَى ثِيَابِهِ؟ ! فَقَالَ: وَيْلَكُمْ لَا تَنْظُرُوا إِلَى
পৃষ্ঠা - ৫৪৫১


পেরে সেটি পালাতে চেষ্টা করল ৷ কিন্তু শরীর মোটা হয়ে যাওয়ায় গর্ত থেকে বের হতে পারল
না ৷ অবশেষে প্রহারে প্রহারে তার মৃত্যু হয় ৷ এভাবেই তোমরা মুসলমানেরা আমাদের দেশ
থেকে বের হয়ে ৷

এরপর রুস্তম রাগে পর পর করছিল আর ঘুরপাক খাচ্ছিল ৷ সে সুর্যের কসম করে বলেছিল,
আণামীকাল আমি অবশ্যই তোমাদেরকে হত্যা করব ৷ মুগীরা (রা) বললেন, ঠিক আছে,
অতিসতুয় তুমি বাস্তবতা বুঝতে পারবে ৷ এরপর মুগীরা (রা) এর উদ্দেশ্যে রল্ডম বলল, আমি
তোমাদের প্রত্যেকের জন্যে বস্ত্র উপহার এবং তোমাদের সেনাপতির জন্যে এক হাজার স্বর্ণ
মুদ্রা, পোশাক ও বাহন প্রদানের নির্দেশ দিয়েছি ৷ সুতরাং সে সব নিয়ে আমাদের দেশ ছেড়ে
চলে যাও ৷ মুগীরা (রা) বললেন, তোমাদের সম্রাট কাপুরুষ এবং তোমাদের শক্তি দুর্বল তা
জানার পরও কি আমরা তোমাদেরকে অক্ষত রেখে চলে যাব ? আমরা বহুদিন তোমাদের দেশে
থাকর ৷ তোমাদেরকে পদানত ও লাঞ্ছিত করে তোমাদের থেকে জিষ্য়৷ কর উশুল করব ৷
অবিলম্বে বাধ্য হয়ে৫ তোমরা আমাদের ক্রীতদাসে পরিণত হয়ে ৷ মুগীরা (রা) এর এ কথা শুনে
সেনাপতি রুস্তম রা গে ফেটে পড়ে এবং পায়চারি করতে থাকে ৷

ইবন জারীর বলেন, মুহাম্মদ ইবন আবদুল্লাহ্ ইবন সাফওয়ান ছাকাফী আবু ওয়ইিল
বলেছেন সাদ এলেন ৷ তিনি কাদেসিয়ায় অবস্থান নিলেন ৷ তার সাথে ছিল মুসলিম সৈন্যদল ৷
তবে আমার মনে হয় আমাদের সংখ্যা ৭৮ হাজারের বেশি ছিল না ৷ মুশরিকদের সৈন্য ছিল
প্রায় ৩০ :০০ ৷ ওরা আমাদেরকে বলল, তােমাদের না আছে জনশক্তি আর না আছে অস্ত্র বল,
তোমরা কেন এসেছ ? তোমরা বরং আরবে ফিরে যাও ৷’ সেনাপতি সা দ বললেন, আমরা তাে
ফিরে যাওয়ার লোক নই ৷ আমাদের যুদ্ধাস্ত্র হিসেবে তীর বর্শা দেখে ওরা হাসাহাসি করছিল ৷
আর বলছিল, পরাজয়-পরাজয়, মুসলমানদের জন্যে পরাজয় ৷ ওরা আমাদেরকে সুত৷ তৈরির
চরকার সাথে তুলনা করছিল ৷ আমরা ফিরে যেতে অস্বীকৃতি জানালে তারা বলল, তোমাদের
একজন বুদ্ধিমান লোক আমাদের নিকট পাঠাও, তোমাদের উদ্দেশ্য কি তা যেন আমাদের নিকট
ব্যাখ্যা করতে পারে ৷ ’ মুগীরা ইবন শুব৷ বললেন, আমি তার ব্যাখ্যা দিব ৷ তিনি ওদের নিকট
গেলেন ৷ রুস্তমের প্যাশই সিংহাসনে বললেন ৷ তার এই বেপরোয়া আচরণ দেখে ওরা সবাই
চিৎকার করে ওঠে ৷ তিনি বললেন, বন্তুত এই কাজে আমার কোন মর্যাদা বৃদ্ধি পাবে না আর
রল্ডমের মর্যাদা কমবে না ৷ রুস্তম বলল, ইা৷, ইনি সত্য বলেছেন ৷

আচ্ছু৷ আপনারা কােনৃ উদ্দেশ্যে আমাদের এখানে এসেছেন ণ্ মুগীরা (বা) বললেন,
একসময় আমরা ছিলাম একটি মন্দ ও গোমরাহ্ জাতি, ৷ তারপর আল্লাহ্ তাআলা আামাদের
প্রতি একজন নবী পাঠালেন ৷ ওই নবীর মাধ্যমে তিনি আমাদেরকে হিদায়াত দান করলেন, তার
মাধ্যমে আমাদেরকে জীবিকা দান করলেন, আল্লাহ্ আমাদেরকে যা দিয়েছেন তার একটি হলো
শস্য ৷ এই শহরে যা উৎপন্ন হয় ৷ আমরা যখন সেটি খেলাম এবংআমাদের পরিবার-পবিজনকে
ম্ওয়ালাম তখন তারা বলল, না, আমাদের আর তর সইছে না, আমাদেরকে ওই শহরে নিয়ে
ৰ্ওে ৷ আমরা পেট ভরে ওই শস্য খাব ৷ রুস্তম বলল, তাহলে আমরা কিন্তু তোমাদেরকে
কল করব ৷ ’ মুগীরা (রা) বললেন, তােমরা যদি আমাদেরকে কতল কর তবে আমরা জান্নাতে
প্রবেশ বল্মব ৷ আর আমরা যদি তেমাদেরকে কতল করি তবে তোমরা প্রবেশ ক্যাবে জাহান্নামে


الثِّيَابِ، وَانْظُرُوا إِلَى الرَّأْيِ وَالْكَلَامِ وَالسِّيرَةِ، إِنَّ الْعَرَبَ يَسْتَخِفُّونَ بِالثِّيَابِ وَالْمَأْكَلِ، وَيَصُونُونَ الْأَحْسَابَ. ثُمَّ بَعَثُوا يَطْلُبُونَ فِي الْيَوْمِ الثَّانِي رَجُلًا، فَبُعِثَ إِلَيْهِمْ حُذَيْفَةُ بْنُ مِحْصَنٍ، فَتَكَلَّمَ نَحْوَ مَا قَالَ رِبْعِيٌّ. وَفِي الْيَوْمِ الثَّالِثِ الْمُغِيرَةُ بْنُ شُعْبَةَ، فَتَكَلَّمَ بِكَلَامٍ حَسَنٍ طَوِيلٍ، قَالَ فِيهِ رُسْتُمُ لِلْمُغِيرَةِ: إِنَّمَا مَثَلُكُمْ فِي دُخُولِكُمْ أَرْضَنَا كَمَثَلِ الذُّبَابِ رَأَى الْعَسَلَ فَقَالَ: مَنْ يُوصِلُنِي إِلَيْهِ وَلَهُ دِرْهَمَانِ؟ فَلَمَّا سَقَطَ عَلَيْهِ غَرِقَ فِيهِ، فَجَعَلَ يَطْلُبَ الْخَلَاصَ فَلَا يَجِدُهُ، وَجَعَلَ يَقُولُ: مَنْ يُخَلِّصُنِي وَلَهُ أَرْبَعَةُ دَرَاهِمَ؟ وَمَثَلُكُمْ كَمَثَلِ ثَعْلَبٍ ضَعِيفٍ دَخَلَ جُحْرًا فِي كَرْمٍ، فَلَمَّا رَآهُ صَاحِبُ الْكَرْمِ ضَعِيفًا رَحِمَهُ فَتَرَكَهُ، فَلَمَّا سَمِنَ أَفْسَدَ شَيْئًا كَثِيرًا فَجَاءَ بِجَيْشِهِ، وَاسْتَعَانَ عَلَيْهِ بِغِلْمَانِهِ، فَذَهَبَ لِيَخْرُجَ فَلَمْ يَسْتَطِعْ لِسِمَنِهِ، فَضَرَبَهُ حَتَّى قَتَلَهُ، فَهَكَذَا تَخْرُجُونَ مِنْ بِلَادِنَا. ثُمَّ اسْتَشَاطَ غَضَبًا، وَأَقْسَمَ بِالشَّمْسِ لَأَقْتُلَنَّكُمْ غَدًا. فَقَالَ الْمُغِيرَةُ: سَتَعْلَمُ. ثُمَّ قَالَ رُسْتُمُ لِلْمُغِيرَةِ: قَدْ أَمَرْتُ لَكُمْ بِكِسْوَةٍ، وَلِأَمِيرِكُمْ بِأَلْفِ دِينَارٍ وَكِسْوَةٍ وَمَرْكُوبٍ وَتَنْصَرِفُونَ عَنَّا. فَقَالَ الْمُغِيرَةُ: أَبْعَدَ أَنْ أَوْهَنَّا مُلْكَكُمْ وَضَعَّفْنَا عِزَّكُمْ؟ ! وَلَنَا مُدَّةٌ نَحْوَ بِلَادِكُمْ، وَنَأْخُذُ الْجِزْيَةَ مِنْكُمْ عَنْ يَدٍ وَأَنْتُمْ صَاغِرُونَ، وَسَتَصِيرُونَ لَنَا عَبِيدًا عَلَى رَغْمِكُمْ. فَلَمَّا قَالَ ذَلِكَ اسْتَشَاطَ غَضَبًا. وَقَالَ ابْنُ جَرِيرٍ حَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ صَفْوَانَ الثَّقَفِيُّ، ثَنَا أُمَيَّةُ بْنُ خَالِدٍ، ثَنَا أَبُو عَوَانَةَ، عَنْ حُصَيْنِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، قَالَ: قَالَ أَبُو وَائِلٍ: جَاءَ سَعْدٌ حَتَّى نَزَلَ الْقَادِسِيَّةَ وَمَعَهُ النَّاسُ. قَالَ: لَا أَدْرِي لَعَلَّنَا لَا نَزِيدُ عَلَى سَبْعَةِ
পৃষ্ঠা - ৫৪৫২


এবং তোমরা জিযয়৷ কর পরিশোধ করবে ৷’ মুগীরা (রা) জিঘৃয়৷ কর প্রদানের কথা উল্লেখ
করার সাথে সাপুেতারা প্রচণ্ড শব্দে চিৎকার দিয়ে উঠল এবং বলল, আমাদের মাঝে আর
তোমাদের মাঝে কোন সন্ধি হবে না ৷’ মুপীর৷ (রা) বললেন তাহলে কি যুদ্ধের জন্যে তোমরা
আমাদের চৌহদ্দিতে যাবে, না আমরা তোমাদের নিকট আসর : রল্ডম বলল, আমরা বরং
তোমাদের নিকট যাব ৷’ মুসলমানগণ পেছনে সরে এল ৷ পারসিকগণ মুসলমানদের চৌহদ্দিতে
গেল ৷ মুসলমানগণ পারসিকদের উপর প্রচণ্ড হামলা চালাল এবং ওদেরকে পরাজিত করে
ছাড়ল ৷
ঐতিহাসিক সায়ফ বলেন, সেদিন সেনাপতি সাদ ইরক আল-নিস৷ (সায়াটিকা) রোগে
আক্রান্ত ছিলেন ৷ তিনি সৈনিকদের উদ্দোশ্য ভায়ণ দিয়েছিলেন ৷ ভাষণে তিনি এই আয়াত পাঠ
করলেন ং

ব্লু


আমি উপদেশের পর কিভাবে লিখে দিয়েছি যে, আমার যোগ্যতাসম্পন্ন বান্দা গণ পৃথিবীর
অধিকারী হবে ৷ (সুরা ২১, আম্বিয়া৪ ১০৫) ৷ তিনি লোকজন সাথে নিয়ে জামাতের সাথে
জোহরের নামায আদায় করলেন ৷ এরপর চারবার তাকবীর বললেন ৷ তিনি সকলকে “লাহাওলা
ওয়াল কুওয়াত৷ ইল্লা বিল্লাহিল আলিয়িল আষীম” বলার নির্দেশ দেয়ার পর সকলে একযোগে
পারসিকদের উপর হামলা করল ৷ ওদেরকে পিছু হটিরে দিতে, হত্যা করতে এবং ওদেরকে
ধরার জন্যে সকল প্রবেশ পথে প্রহরা দেওয়ার জান্য তিনি নির্দেশ দিলেন ৷ ওদের কাউকে
কাউকে এমন স্থানে অবরুদ্ধ করে রাখার নির্দেশ দিলেন যাতে ওরা খাদ্যাড্যাব কুকুর বিড়ালের
গোশত যেতে বাধ্য হয় ৷ ওদের কোন আক্রমণকারীকে মুসলমানগণ অক্ষত ফেরত যেতে
দেননি ৷ অগ্রসর হতে হতে সেনাপতি সা দ নিহ৷ ৷বন্দ গিয়ে পৌছলেন ৷ শত্রুদের অধিকাং শ তখন
মাদাইনে আশ্রয় নিয়েছিল ৷ মুসলমানগণ মাদাইনের প্রবেশ পথসমুহে ওদেরকে পাকড়াও
করলেন ৷

যুদ্ধ শুরুর পুর্বে সেনাপতি সাদ তার পক্ষ থেকে একটি প্রতিনিধি দল পাঠিয়েছিলেন
পারস্য সম্রাট কিসরার নিকট ৷ যাতে তারা তাকে আল্লাহর পথে আসার দাওয়াত দেয় ৷ তারা
সম্রাটের সাথে সাক্ষাতের অনুমতি চায় ৷ তাদেরকে অনুমতি দেয়া হয় ৷

নগরের অধিবাসিগণ মুসলিম প্রতিনিধিদলের চেহারা-সুব্রত দেখে আশ্চর্য হয়ে তাদেরকে
দেখতে বের হয় ৷ তারা অবাক হয়ে লক্ষ্য করে যে, এ সব লোকের র্কাধে চাদর, হাতে চাবুক,
পায়ে জুতা ৷ তাদের ঘোড়াগুলো দুর্বল ও ক্ষীণ ৷ দীর্ঘপথ চলার কারণে ওদের পাগুলাে
ক্ষত-বিক্ষত ৷ শহরবাসিগণ বিস্মিত হয়ে এই প্রতিনিধিকে দেখতে থাকে ৷ তারা ভাবতে থাকে
যে, নিজেদের বহু সংখ্যক সৈন্য-সামম্ভ ও ব্যাপক রণ প্রভৃতির মুখে এই ক্ষীণ দুর্বল লোকেরা
কী করে টিকে থাকবাে

মুসলিম প্রতিনিধিদল সম্রাট ইয়ায্গিরদ এর সাথে সাক্ষাতে র অনুমতি চায় ৷ সম্রাট
তাদেরকে অনুমতি দেয় ৷ সে তাদেরকে তার সম্মুখে বসড়ায়৷ সম্রাট ইয়াযগিরদ ছিল একজন

হ অহংকারী ও দান্তিক ব্যক্তি ৷ সে ৷ছল বেআদব ৷ সে ঘুসলমানদেরাক তাদের জামা-কাপড়ের নাম


آلَافٍ أَوْ ثَمَانِيَةِ آلَافٍ، بَيْنَ ذَلِكَ، وَالْمُشْرِكُونَ ثَلَاثُونَ أَلْفًا وَنَحْوَ ذَلِكَ، فَقَالُوا: لَا يَدَ لَكُمْ وَلَا قُوَّةَ وَلَا سِلَاحَ، مَا جَاءَ بِكُمْ؟ ارْجِعُوا. قَالَ: قُلْنَا: مَا نَحْنُ بِرَاجِعِينَ. فَكَانُوا يَضْحَكُونَ مِنْ نَبْلِنَا، وَيَقُولُونَ: دُوكْ دُوكْ. وَشَبَّهُونَا بِالْمَغَازِلِ. فَلَمَّا أَبَيْنَا عَلَيْهِمْ أَنْ نَرْجِعَ. قَالُوا: ابْعَثُوا إِلَيْنَا رَجُلًا مِنْكُمْ عَاقِلًا يُبَيِّنُ لَنَا مَا جَاءَ بِكُمْ. فَقَالَ الْمُغِيرَةُ بْنُ شُعْبَةَ: أَنَا. فَعَبَرَ إِلَيْهِمْ فَقَعَدَ مَعَ رُسْتُمَ عَلَى السَّرِيرِ فَنَخَرُوا وَصَاحُوا، فَقَالَ: إِنَّ هَذَا لَمْ يَزِدْنِي رِفْعَةً وَلَمْ يُنْقِصْ صَاحِبَكُمْ. فَقَالَ رُسْتُمُ: صَدَقَ، مَا جَاءَ بِكُمْ؟ فَقَالَ: إِنَّا كُنَّا قَوْمًا فِي شَرٍّ وَضَلَالَةٍ، فَبَعَثَ اللَّهُ فِينَا نَبِيًّا، فَهَدَانَا اللَّهُ بِهِ وَرَزَقَنَا عَلَى يَدَيْهِ، فَكَانَ فِيمَا رَزَقَنَا حَبَّةٌ تَنْبُتُ بِهَذَا الْبَلَدِ، فَلَمَّا أَكَلْنَاهَا وَأَطْعَمْنَاهَا أَهْلِينَا، قَالُوا: لَا صَبْرَ لَنَا عَنْهَا، أَنْزِلُونَا هَذِهِ الْأَرْضَ حَتَّى نَأْكُلَ مِنْ هَذِهِ الْحَبَّةِ. فَقَالَ رُسْتُمُ: إِذَنْ نَقْتُلُكُمْ. قَالَ: إِنْ قَتَلْتُمُونَا دَخَلْنَا الْجَنَّةَ، وَإِنْ قَتَلْنَاكُمْ دَخَلْتُمُ النَّارَ، أَوْ أَدَّيْتُمُ الْجِزْيَةَ. قَالَ: فَلَمَّا قَالَ: أَوْ أَدَّيْتُمُ الْجِزْيَةَ. نَخَرُوا وَصَاحُوا وَقَالُوا: لَا صُلْحَ بَيْنَنَا وَبَيْنَكُمْ. فَقَالَ الْمُغِيرَةُ: تَعْبُرُونَ إِلَيْنَا أَوْ نَعْبُرُ إِلَيْكُمْ؟ فَقَالَ رُسْتُمُ: بَلْ نَعْبُرُ إِلَيْكُمْ. فَاسْتَأْخَرَ الْمُسْلِمُونَ حَتَّى عَبَرُوا، فَحَمَلُوا عَلَيْهِمْ فَهَزَمُوهُمْ. وَذَكَرَ سَيْفٌ أَنَّ سَعْدًا كَانَ بِهِ عِرْقُ النَّسَا يَوْمَئِذٍ، وَأَنَّهُ خَطَبَ النَّاسَ وَتَلَى قَوْلَهُ تَعَالَى: {وَلَقَدْ كَتَبْنَا فِي الزَّبُورِ مِنْ بَعْدِ الذِّكْرِ أَنَّ الْأَرْضَ يَرِثُهَا عِبَادِيَ الصَّالِحُونَ} [الأنبياء: 105] . وَصَلَّى بِالنَّاسِ الظَّهْرَ، ثُمَّ كَبَّرَ أَرْبَعًا،
পৃষ্ঠা - ৫৪৫৩


জিজ্ঞেস করে ৷ চাদর, জুতা এবং চাবুক সম্পর্কে যে মুসলমানদেরকে জিজ্ঞেস করে ৷ তারা
যখনই এক একটি বস্তুর নাম বলছিল সম্রাট তাতে তার বিজয়ের শুভ ইঙ্গিত গ্রহণ করছিল ৷
মহান আল্লাহ সম্রাটের ওই শুভ ইঙ্গিত বুমেরাং করে তার মাথায় নিক্ষেপ করেন ৷
সম্রাট বলল, তােমরা এ অঞ্চলে এসেছ কী উদ্দেশ্যে ? তােমারা কি মনে করেছ যে, আমরা
আমাদের ব্যক্তিগত কাজে লিপ্ত থাকলে তোমরা আমাদের উপর আক্রমণ করে আমাদেরকে
পরাজিত করবে ৷ উত্তরে নুমান ইবন মুকাররিন বললেন, মহান আল্লাহ আমাদের প্রতি দয়া
করেছেন ৷ তিনি আমাদের প্রতি একজন রাসুল প্রেরণ করেছেন ৷ ওই রাসুল আমাদেরকে ভাল
কাজে পথ প্রদর্শন করতেন এবং তা বাস্তবায়নে নির্দেশ দিতেন ৷ তিনি আমাদেরকে মন্দ ও
অকল্যাণকর বিষয়গুলে৷ চিহ্নিত করে দিতেন এবং ওইগুলো থেকে বিরত রাখতে ন ৷ তিনি
আমাদেরকে প্রতিশ্রুতি দিতেন যে, যারা তার ডাকে সাড়া দিয়ে তারা দুনিয়া ও আখিরা ৷৩ উভয়
জগতের বন্দাণ লাভ করবে ৷ তিনি যে পােত্রকেই এ দিকে আহ্বান করেছেন যে গোত্রই
দু’ভাগে বিভক্ত হয়ে গিয়েছে ৷ এক দল তার নৈকট্য লাভ করেছে আর অন্যদল তার থেকে দুরে
সরে গিয়েছে ৷ উচ্চ পর্যায়ের নিবেদিত প্রাণ ব্যক্তির ই মাত্র তার অনুসরণ করেছে ৷ যত দিন
আল্লাহ চেয়েছেন ততদিন ওই রাসুল আমাদের মাঝে এভাবে থেকেছেন ৷ তারপর মহান আল্লাহ
ওই রাসুলকে নির্দেশ দিলেন তার বিরােধিতাকারী আরবিদেরকে বাধা দেবার জন্যে ৷ ওদের
বিরুদ্ধে প্রতিরোধ পড়ার জন্যে ৷ সত্য বিরোধী আরব সম্প্রদায়কে প্রতিরোধের মাধ্যমে এই
অভিযান শুরু ও কে আল্লাহ তা জানা এই নির্দেশ দান করলেন ৷ রাসুল,; তাই করলেন ৷
আরবগণ ইসলামে প্রবেশ করল দুভ ৩াবে ৷ কতক প্রবেশ করল বাধ্য হয়ে, অনিচ্ছা সত্বেও ৷ ফলে
তারা ঈর্ষা বোধ করছিল ৷ আর কতক ইসলামে দীক্ষিত হলো স্বতঃস্ফুর্তভড়াবে ৷ ফলে তাদের
ঈমানী শক্তি ও স্বতঃকুর্ত আবেগ আরো বৃদ্ধি পেল ৷
আমরা ইতোপুর্বে নিজেদের মধ্যে শত্রুতা ও বিদ্বেষের জীবন অতিবাহিত করছিলাম ৷
৪খদৈন্য ও সংকট আমাদের নিত্যসহচর ছিল ৷ ইসলামে প্রবেশের পর আমরা সকলে তার
আনীত বিষয় ইসলামের মর্যাদা ও কল্যাণ উপলব্ধি করলাম ৷ তিনি আমাদেরকে নির্দো৷ দিলেন
আমরা যেন আমাদের প্রতিবেশী লোকদের নিকট যাই এবং তাদেরকে ইনসাফ ও
ন্যায়পরায়ণর্বৃতার দাওয়াত দিই আহ্বান জানাই ৷ সেই সুত্রে আমরা আপনাদের এই অঞ্চলে
এসেছি আপনাদেরকে আমাদের ওই কাজ্জিত দীন, দীন-ই ইসলামের প্ৰতি আহ্বান জানাচ্ছি ৷
এই দীন ভালকে ভালরুপে চিহ্নিত করে, মন্দকে মন্দরুপে ৷ আপনারা যদি ওই দীন গ্রহণে
র্ক্সস্বীকৃতি জানান তবে আপনাদের জন্যে অকল্যাণ অপেক্ষা করছে ৷ আর তা হলো জিয্য়া কর
পরিশোধ করতে হবে মুসলমানদের সরকারী কােষাপারে-বায়তৃল মালে ৷ আর তাতে
ন্বম্বীকৃতি জানালে যুদ্ধ সুনিশ্চিত ৷ আর যদি আপনারা আমাদের দীন গ্রহণ করেন তবে আমরা
ৰ্ স্নাদের মধ্যে আল্লাহর ৰিতাব রেখে চলে যান ৷ আপনাদেরকে আমরা আল্লাহর কিতাবের
ৰ্দ্বুগ্ারী বানাব যে, ওই কিতাব অনুযায়ী আপনারা সকল বিধান কার্যকর করবেন ৷ আমরা
;:ছুটুঢ় যাব ৷ আপনাদের শহর নগর নিয়ে আপনারা থাকবেন ৷ আপনারা যদি জিষ্য়া কর দিতে
শ্ হ্নষ্ক তবে আমরা তা গ্রহণ করব এবং আপনাদের নিরাপত্তার ব্যবস্থা করব ৷ যদি তাও না
ব্ক্তব্লিৰচ্ৰে আমরা আপনাদের বিরুদ্ধে য়ুদ্ধ করব ৷

ৰ্গ্-ৰিদাৱা — ১১


وَحَمَلُوا بَعْدَ أَنْ أَمَرَهُمْ أَنْ يَقُولُوا: لَا حَوْلَ وَلَا قُوَّةَ إِلَّا بِاللَّهِ. ثُمَّ ذَكَرَ الْحَدِيثَ فِي طَرْدِهِمْ إِيَّاهُمْ، وَقَتْلِهِمْ لَهُمْ، وَقُعُودِهِمْ لَهُمْ كُلَّ مَرْصَدٍ، وَحَصْرِهِمْ لِبَعْضِهِمْ فِي بَعْضِ الْأَمَاكِنِ حَتَّى أَكَلُوا الْكِلَابَ وَالسَّنَانِيرَ، وَمَا رُدَّ شَارِدُهُمْ حَتَّى وَصَلَ إِلَى نَهَاوَنْدَ، وَلَجَأَ أَكْثَرُهُمْ إِلَى الْمَدَائِنِ وَلَحِقَهُمُ الْمُسْلِمُونَ إِلَى أَبْوَابِهَا، وَكَانَ سَعْدٌ قَدْ بَعَثَ طَائِفَةً مِنْ أَصْحَابِهِ إِلَى كِسْرَى يَدْعُونَهُ إِلَى اللَّهِ قَبْلَ الْوَقْعَةِ، فَاسْتَأْذَنُوا عَلَى كِسْرَى، فَأَذِنَ لَهُمْ، وَخَرَجَ أَهْلُ الْبَلَدِ يَنْظُرُونَ إِلَى أَشْكَالِهِمْ، وَأَرْدَيَتِهِمْ عَلَى عَوَاتِقِهِمْ، وَسِيَاطِهِمْ بِأَيْدِيهِمْ، وَالنِّعَالِ فِي أَرْجُلِهِمْ، وَخُيُولِهِمُ الضَّعِيفَةِ، وَخَبْطِهَا الْأَرْضَ بِأَرْجُلِهَا، وَجَعَلُوا يَتَعَجَّبُونَ مِنْهُمْ غَايَةَ الْعَجَبِ، كَيْفَ مِثْلُ هَؤُلَاءِ يَقْهَرُونَ جُيُوشَهُمْ مَعَ كَثْرَةِ عَدَدِهَا وَعُدَدِهَا. وَلَمَّا اسْتَأْذَنُوا عَلَى الْمَلِكِ يَزْدَجِرْدَ أَذِنَ لَهُمْ وَأَجْلَسَهُمْ بَيْنَ يَدَيْهِ، وَكَانَ مُتَكَبِّرًا قَلِيلَ الْأَدَبِ، ثُمَّ جَعَلَ يَسْأَلُهُمْ عَنْ مَلَابِسِهِمْ هَذِهِ مَا اسْمُهَا ; عَنِ الْأَرْدِيَةِ، وَالنِّعَالِ، وَالسِّيَاطِ، ثُمَّ كُلَّمَا قَالُوا لَهُ شَيْئًا مِنْ ذَلِكَ تَفَاءَلَ، فَرَدَّ اللَّهُ فَأْلَهَ عَلَى رَأْسِهِ. ثُمَّ قَالَ لَهُمْ: مَا الَّذِي أَقْدَمَكُمْ هَذِهِ الْبِلَادَ؟ أَظْنَنْتُمْ أَنَّا لَمَّا تَشَاغَلْنَا بِأَنْفُسِنَا اجْتَرَأْتُمْ عَلَيْنَا؟ ! فَقَالَ لَهُ النُّعْمَانُ بْنُ مُقَرِّنٍ: إِنَّ اللَّهَ رَحِمَنَا فَأَرْسَلَ إِلَيْنَا رَسُولًا يَدُلُّنَا عَلَى الْخَيْرِ وَيَأْمُرُنَا بِهِ، وَيُعَرِّفُنَا الشَّرَّ وَيَنْهَانَا عَنْهُ، وَوَعَدَنَا عَلَى إِجَابَتِهِ خَيْرَ الدُّنْيَا وَالْآخِرَةِ، فَلَمْ يَدْعُ إِلَى ذَلِكَ قَبِيلَةً إِلَّا صَارُوا فِرْقَتَيْنِ ; فِرْقَةً تُقَارِبُهُ وَفِرْقَةً تُبَاعِدُهُ، وَلَا يَدْخُلُ مَعَهُ فِي دِينِهِ إِلَّا الْخَوَاصُّ، فَمَكَثَ بِذَلِكَ مَا شَاءَ اللَّهُ أَنْ يَمْكُثَ، ثُمَّ أُمِرَ أَنْ يَنْبِذَ إِلَى مَنْ خَالَفَهُ مِنَ الْعَرَبِ وَيَبْدَأَ بِهِمْ، فَفَعَلَ،
পৃষ্ঠা - ৫৪৫৪


এবার সম্রাট ইয়াঘৃদগিরদ কথা বলল ৷ সে বলল, তােমাদের চেয়ে অধিক হতভাগ্য স্বল্প
থেকে এবং মন্দ কোন জাতি পৃথিবীতে আছে বলে আমার জানা নেই ৷ আমরা তোমাদের
প্রাতঃরাশের ব্যবস্থা করব তাতে তোমরা আমাদের অবস্থা সম্পর্কে জেনে যাবে ৷ পারসিকগণ
তোমাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করবে না ৷ তােমরাও যেন ওদের বিরুদ্ধে যুদ্ধে জড়িয়ে না পড় ৷
তোমাদের সৈন্য সংখ্যা অধিক হলেও তাতে যেন তোমরা প্রতারিত না হও ৷ আর যদি
অভাব-অনটনের কারণেই তোমরা এখানে এসে থাক:তাহলে তােমাংদর খাদ্যণ্দ্রভৈব্য সচ্ছাত৷ না
আশা পর্যন্ত আমরা তোমাদের খাদ্যের ব্যবস্থা করব ৷ তোমাদের মুখ উজ্জ্বল করব ৷
তােমাদেরকে জামা-কাপড় দিব ৷ তোমাদের জন্যে একজন প্রশাসক নিয়োগ করব, যে
তোমাদের প্রতি হবে সহানুভুতিশীল ও দয়র্দ্রচিত্ত ৷
সম্রাটের কথা শুনে সকলে নীরব থাকল ৷ মুপীরা ইবন শুবা উঠে র্দাড়ালেন ৷ তিনি
বললেন, রাজন’ ! এরা সকলে আরবের শীর্ষস্থানীয় ব্যক্তিবর্গ ৷ তড়ারা সন্নাত লোক ৷ কোন সন্নাম্ভ
লোকের মুখে মুখে জবাব দিতে তারা লজ্জাবােধ্ করেন ৷ সম্মানিত লোকেরাই সম্মানিত
লোকদের কদর করে ৷ মর্যাদাবান লোকেরাই অপর মর্যাদাবান লোকের দাবির প্রতি সম্মান
দেখায় ৷ র্তারা যে উদ্দেশ্যে এসেছেন তার সবটুকু আপনাকে বলা হয়নি ৷ আর আপনি যা
বলেছেন তার সবটা তরাে গ্রহণ করেন নি ৷ তাতে তারা সার দেননি ৷ তারা সুন্দর আচরণ
করেছেন ৷ তাদের মত লোকেরা এরুপ সুন্দর আচরণই করে থাকেন ৷ সম্রাট! আপনি আমাকে
সুযোগ দিলে আমি আমাদের আগমনের উদ্দেশ্য সম্পর্কে কথা বলব, তারা আমার বক্তব্য সমর্থন
করবেন ৷ আমার বক্তব্য সঠিক বলে সাক্ষ্য দিবেন ৷ বন্তুত আপনি আমাদের এমন কিছু বিবরণ
দিয়েছেন যে সম্পর্কে আপনার কোন জ্ঞান নেই ৷ আপনি বলেছেন, আমরা খুব মন্দ লোক ৷
মুলত ইতিপুর্বে আমরা যে অবস্থায় ছিলাম তা অত্যন্ত মন্দ অবস্থা ছিল বটে ৷ আপনি বলেছেন
আমরা ক্ষুধার্ত সম্প্রদায় ৷ মুলত তাই ছিল ৷ আমাদের ক্ষুধার সাথে কোন ক্ষুধার তুলনা ছিল না ৷
আমরা তখন পােকা-মাকড় ও জীবজন্তু ভক্ষণ করতাম ৷ আমরা ৰিচ্ছু থেতাম ৷ সাপ থেতাম ৷
এগুলোকে আমরা খাদ্যরুপে বিবেচনা করতাম ৷ আমাদের বাড়ীঘরের কথা বলেহ্নেৰ্ আপনি ৷
বস্তুত গোটা পৃথিবীই আমাদের বাড়ি-ঘর ৷ আপনি আমাদের জামা-কপড় সম্পর্কে কটুক্তি
করেছেন ৷ আমাদের উট ও বকরীর পশম থেকে তৈরি ৰ্স্ত্র ব্যতীত আমরা অন্য কিছু পরিধান
করতাম না ৷ আমাদের ধর্ম ছিল তখন পরস্পর খুনােখুনি ৷ একের উপর অন্যের অত্যাচার ও
সীমালংঘন ৷ নিজের খাবারে ভাগ বসাৰে এই ভয়ে আমাদের কন্যা সস্তানকে আমরা জীবন্ত
কবর দিতাম ৷ আপনি আমাদের যে অবস্থার বর্ণনা দিয়েছেন পুর্বে আমরা যে অবস্থায় ছিলাম
বটে ৷ কিত্তু পরবর্তীতে আমরা যে অবস্থায় পৌছেছি তা আমার মুখে শুনুন ৷ আল্পাহ্ তাআলা
একজন লোককে রাসুলরুপে আমাদের নিকট পাঠালেন ৷ আমরা তার বংশ-বুনিয়াদ চিনি ৷ তার
চেহারা চিনি এবং তার জন্মন্থানও চিনি ৷ বন্তুত তার জন্মভুমি সর্বোত্তম জন্মভুমি ৷ তীর
বংশ-বুনিয়াদ আমাদের সকলের বংশ অপেক্ষা শ্রেষ্ঠতর ৷ তার পরিবার আমাদের সকলের
চইিতে উত্তম পরিবার ৷ তার গোত্র আমাদের সকল গোত্র অপেক্ষা শ্রেষ্ঠ গোত্র ৷ আমরা যে
সময়ে নিকৃষ্টতম অবস্থায় ছিলাম সে সময়েও তিনি ব্যক্তিগতভাবে আমাদের সকলের চাইতে
ভালো ছিলেন ৷ তিনি ছিলেন আমাদ্যে৷ সকলের মধ্যে অধিক সত্যবাদী, ধৈর্যশীল ৷


فَدَخَلُوا مَعَهُ جَمِيعًا عَلَى وَجْهَيْنِ ; مَكْرُوهٍ عَلَيْهِ فَاغْتَبَطَ، وَطَائِعٍ أَتَاهُ فَازْدَادَ، فَعَرَفْنَا جَمِيعًا فَضْلَ مَا جَاءَ بِهِ عَلَى الَّذِي كُنَّا عَلَيْهِ مِنَ الْعَدَاوَةِ وَالضِّيقِ، وَأَمَرَنَا أَنْ نَبْدَأَ بِمَنْ يَلِينَا مِنَ الْأُمَمِ فَنَدْعُوَهُمْ إِلَى الْإِنْصَافِ، فَنَحْنُ نَدْعُوكُمْ إِلَى دِينِنَا، وَهُوَ دِينٌ حَسَّنَ الْحَسَنَ وَقَبَّحَ الْقَبِيحَ كُلَّهُ، فَإِنْ أَبَيْتُمْ فَأَمْرٌ مِنَ الشَّرِّ هُوَ أَهْوَنُ مِنْ آخَرَ شَرٍّ مِنْهُ ; الْجِزَاءُ، فَإِنْ أَبَيْتُمْ فَالْمُنَاجَزَةُ، وَإِنْ أَجَبْتُمْ إِلَى دِينِنَا خَلَّفْنَا فِيكُمْ كِتَابَ اللَّهِ، وَأَقَمْنَاكُمْ عَلَيْهِ عَلَى أَنْ تَحْكُمُوا بِأَحْكَامِهِ وَنَرْجِعَ عَنْكُمْ، وَشَأْنَكُمْ وَبِلَادَكُمْ، وَإِنِ اتَّقَيْتُمُونَا بِالْجِزَيِ قَبِلْنَا وَمَنَعْنَاكُمْ، وَإِلَّا قَاتَلْنَاكُمْ. قَالَ: فَتَكَلَّمَ يَزْدَجِرْدُ فَقَالَ: إِنِّي لَا أَعْلَمُ فِي الْأَرْضِ أَمَّةً كَانَتْ أَشْقَى وَلَا أَقَلَّ عَدَدًا وَلَا أَسْوَأَ ذَاتِ بَيْنٍ مِنْكُمْ، قَدْ كُنَّا نُوَكِّلُ بِكُمْ قُرَى الضَّوَاحِي فَيَكْفُونَاكُمْ، لَا تَغْزُوكُمْ فَارِسُ وَلَا تَطْمَعُونَ أَنْ تَقُومُوا لَهُمْ، فَإِنْ كَانَ عَدَدُكُمْ كَثُرَ فَلَا يُغْرُنَّكُمْ مِنَّا، وَإِنْ كَانَ الْجَهْدُ دَعَاكُمْ فَرَضْنَا لَكُمْ قُوتًا إِلَى خِصْبِكُمْ، وَأَكْرَمْنَا وُجُوهَكُمْ وَكَسَوْنَاكُمْ، وَمَلَّكْنَا عَلَيْكُمْ مَلِكًا يَرْفُقُ بِكُمْ. فَأَسْكَتَ الْقَوْمُ، فَقَامَ الْمُغِيرَةُ بْنُ زُرَارَةَ فَقَالَ: أَيُّهَا الْمَلِكُ، إِنَّ هَؤُلَاءِ رُءُوسُ الْعَرَبِ وَوُجُوهُهُمْ، وَهُمْ أَشْرَافٌ يَسْتَحْيُونَ مِنَ الْأَشْرَافِ، وَإِنَّمَا يُكْرِمُ الْأَشْرَافَ الْأَشْرَافُ، وَيُعَظِّمُ حُقُوقَ الْأَشْرَافِ الْأَشْرَافُ، وَلَيْسَ كُلُّ مَا أُرْسِلُوا لَهُ جَمَعُوهُ لَكَ، وَلَا كُلُّ مَا تَكَلَّمْتَ بِهِ
পৃষ্ঠা - ৫৪৫৫


তিনি আমাদেরকে সণ্পুত্যর পথে আহ্বান করলেন ৷ কেউই র্তার আহ্বানে সাও ৷ দিল না ৷
তিনি একের পর এক ;ভকে ফ্লো তলাগলেন ৷ তিনিও বলা;হ্ কলন আ মরাও বাগু<লাম ৷ ৷ ষ্াণ্া
চ্: দ্র৷ বলছিলেন আমরা জকে মিথ্যাবাদী আখ্যায়িত করাছুলাম ৷ তিনি আমাদের মর্যাদা বৃদ্ধি
করতে চাইলেন আমরা পিছু হটতে চাইলাম ৷ তিনি যা যা বলছিলেন তার সবই বাস্তর ৷ৰি ৩
হচ্ছিল ৷ এক সময় মহান আল্লাহ্ আমাদের অম্ভার র্ত:ক সত্য রাল £নান নেয়ার তার সৃষ্টি করে

দিলেন ৷ তার অনুসরণ করার মান্র্শক৩ ৷ তৈ’র্সি র কদুরমি ৷ ৷ণ্লন ৷ ৩৷ ন্৩াৰুরা৷দর জান৷ ধ্াম্মে
আল্লাহ্ ও আমাদের মাঝে সেতু বন্ধন রুপে স্বীকৃতি পেলেন ৷ তিাণ্৷ আমাদেরাক যা বল:তন তা
মুলত আল্লাহ্র কথা ৷ তিনি যা নির্দেশ দিতেন তা আল্লাহ্রই ৷নর্দেশ ৷ ৷তান আমাদেরকে
বললেন যে, তােমাদের প্রতিপালক বদ্বশ্রছন, ৷ল্লাহ্ একক ৷ আমার কোন শৰীক ও
সমকক্ষ নেই ! যখন ৷কছুই ছিল না ৩ শুখাংা৷ৰুব ছিলাম ৷ অমি বা৩ ত অন্য সব ৷কছুই
একদিন ধ্বংস হভ্রুহ্া করে ৷ আমি সব কিছু শু :ষ্ট ম্ করেছি ৷ ৷৷ কছু আমারই নিকটাম সুর
আসা,ব৷ আমার র মত তােমর্ল্ডহ্দ ত্বাম্পো;নৃ ত্তদ্বুট্টে ট্টাই এই ব্য৷ ণ্ন্ণ্;ক আমি€তাম৷ার ন্নকট
রানুলরুপে (এষ্রা৷ শ্ষ্ণ্,শ্ন্ বদুঢ তিনি (ক ণ্ মা৷ন্২ :ক এমন একটি পাথর দিশ৷ দেন যে পথে

মস্থুপ্দরয়ুক নুত্ত্বৰ্-শ্র
ন্ ষ্ষ্ণ্া

ৰু

ৰ্শ্প খ্শ্৷ ষ্

ঙ্ঘহ্৷ ন্া৩৷ হৃ£ছু হৈ ন্ৰু ৷৷য়ে চণ্ ণ্প্ হ্প ৷



ষ্দ্

প্রপ্যারুৰ্ প্রন্ণ্“ ন্ণ্ব্ এরহু £স্কৃষ্ৰুছুহৃংৰু কর ৷শ্নহ ৷৷ধ্ ৰুররু-ন্< ৷ (৩াণৰু ৰুত্আবে ণন্ ৰুাণ্;ন্৷ ৷ষ্শ্রাপ্;া



ষ্
র্দুব্:;ার্দ্রাণ রন্রর ৷ণ্ম্রত্ষ্(ণ্,; ,ণ্ হৃরুণ্ান্ ৷’ণ্ন্ৰুৰুা’ ৷ণ্ঝুল্ন্৷ শ্ক্কইাণ্ ণ্ৰু ৷ স্ব;া ,;;ক্;ব্লুণ্াৰু রুর দ্হু৩ স্বীকৃতি
:া৷ণাস্বে ৰুশুান্ৰুরু৷ ন্ার্শস্ ধ্ষ্বৃৰুধী ণ্া’ন্প্াম্ঠু ধ্দৃৰুইৰুধ্ ৷ শ্া৷হ্ ৰু-ষ্ান্াদুার ধ্ষ্রু) ৰুষ্খ্ ষুৰুৰুণ্া ত্ষ্াঙ্কুধ্ণ্ন্াবাৰু

করে ৷

, ৷



(তদ্বমান্ৰুলর হুন্ারু৷ টুম্ভি রক্যেব তন্দঃারুক ন্ৰুষ্ংপ্প্ন্প্ই ৷ণ্;া’ম৭ ণ্াত্রুাত্পুক্টার্ণে ট ৰুহু হে ছো
এ ৷ন ৷পনারজ্ব ৷ ৷ এ ৷ এ ন্:নিঃ হতে ভ্র:ারশ্ন্র এত্তি তানগত্য প্ৰকাশ্ ৷ ণ্দ্ণ্াহা৷ কব এব্দড়ান;

করুন ৷ অথবা যুদ্ধের ৷-৷রুন্ ৷৷এন্তুতহ্ হো

পথে নিয়ে আসুন ৷

সম্রাট ইয়ামদপিরদ বলল, আম,র সামনে আপ্ৰুণ্র্নি এতসব কথা বললেন ?’ হয় ত মুপীরা

(বা) জবাবে বললেন, শ্ষ্ব সাথে যিনি কথার লাছন আমি তার সাথে কথা বলেছি মাত্র ৷
হন্য কেউ আমার সাথে কথা বললে আমি তাকে ৷হুডে আপনার সাথে কথা বলতাম না ৷ সম্রাট
বলল, দুত ও প্রতিনিধিদলাক হত্যা করার রাতি নেই, না হলে আমি আপনাদের সবাইকে
ণ্াৰ খুন করে ফেলতাম ৷ এখন আমার নি ষ্ আপনাদের কিছু চাওয়া-পাওয়ার নেই ৷ সে তার
ন্ ষ্ষ্ব্ক্তদেব্কে বলল, এক ঝুড়ি মাটি নিয়ে এস এবং ঝুড়িঢি ওদের সবশ্চয়ে সম্মানী ব্যক্তির
ন্ষ্ৰ্াম্র তুলে দাও ৷ তারপর তাদেরকে তাড়িার মাদাইন £ রকে (বর করে দাও ৷ আর হে
মোঃ দল আপনারা আপনাদের সেনাপতির নিকট ফিরে৷ গিয়ে বলুন যে, আমি মহাবীর
স্কো পাঠাচ্ছি ৷ (ল ওই সেনাপা৩ ও তার সকল সৈন্য-সাম ত্তকে কাদেসিয়ার গর্ভে দাফন


أَجَابُوكَ عَنْهُ، وَقَدْ أَحْسَنُوا، وَلَا يَحْسُنُ بِمِثِلِهِمْ إِلَّا ذَلِكَ، فَجَاوِبْنِي فَأَكُونَ أَنَا الَّذِي أُبَلِّغُكَ وَيَشْهَدُونَ عَلَى ذَلِكَ ; إِنَّكَ قَدْ وَصَفْتَنَا صِفَةً لَمْ تَكُنْ بِهَا عَالِمًا، فَأَمَّا مَا ذَكَرْتَ مِنْ سُوءِ الْحَالِ، فَمَا كَانَ أَسْوَأُ حَالًا مِنَّا، وَأَمَّا جُوعُنَا فَلَمْ يَكُنْ يُشْبِهُ الْجُوعَ ; كُنَّا نَأْكُلُ الْخَنَافِسَ وَالْجِعْلَانَ وَالْعَقَارِبَ وَالْحَيَّاتِ وَنَرَى ذَلِكَ طَعَامَنَا، وَأَمَّا الْمَنَازِلُ فَإِنَّمَا هِيَ ظَهْرُ الْأَرْضِ، وَلَا نَلْبَسُ إِلَّا مَا غَزَلْنَا مِنْ أَوْبَارِ الْإِبِلِ وَأَشْعَارِ الْغَنَمِ، دِينُنَا أَنْ يَقْتُلَ بَعْضُنَا بَعْضًا، وَأَنْ يُغِيرَ بَعْضُنَا عَلَى بَعْضٍ، وَإِنْ كَانَ أَحَدُنَا لَيَدْفِنُ ابْنَتَهُ وَهَى حَيَّةٌ ; كَرَاهِيَةَ أَنْ تَأْكُلَ مِنْ طَعَامِهِ، فَكَانَتْ حَالُنَا قَبْلَ الْيَوْمِ عَلَى مَا ذَكَرْتُ لَكَ، فَبَعَثَ اللَّهُ إِلَيْنَا رَجُلًا مَعْرُوفًا ; نَعْرِفُ نَسَبَهُ، وَنَعْرِفُ وَجْهَهُ وَمَوْلِدَهُ، فَأَرْضُهُ خَيْرُ أَرْضِنَا، وَحَسَبُهُ خَيْرُ أَحْسَابِنَا، وَبَيْتُهُ خَيْرُ بُيُوتِنَا، وَقَبِيلَتُهُ خَيْرُ قَبَائِلِنَا، وَهُوَ نَفْسُهُ كَانَ خَيْرُنَا فِي الْحَالِ الَّتِي كَانَ فِيهَا أَصْدَقَنَا وَأَحْلَمَنَا، فَدَعَانَا إِلَى أَمْرٍ فَلَمْ يُجِبْهُ أَحَدٌ أَوَّلَ مِنْ تِرْبٍ كَانَ لَهُ وَكَانَ الْخَلِيفَةَ مِنْ بَعْدِهِ، فَقَالَ وَقُلْنَا، وَصَدَقَ وَكَذَبْنَا، وَزَادَ وَنَقَصْنَا فَلَمْ يَقُلْ شَيْئًا إِلَّا كَانَ، فَقَذَفَ اللَّهُ فِي قُلُوبِنَا التَّصْدِيقَ لَهُ وَاتِّبَاعَهُ، فَصَارَ فِيمَا بَيْنَنَا وَبَيْنَ رَبِّ الْعَالَمِينَ، فَمَا قَالَ لَنَا فَهُوَ قَوْلُ اللَّهِ، وَمَا أَمَرَنَا فَهُوَ أَمْرُ اللَّهِ، فَقَالَ لَنَا: إِنَّ رَبَّكُمْ يَقُولُ: أَنَا اللَّهُ وَحْدِي لَا شَرِيكَ لِي، كُنْتُ إِذْ لَمْ يَكُنْ شَيْءٌ، وَكُلُّ شَيْءٍ هَالِكٌ إِلَّا وَجْهِي، وَأَنَا خَلَقْتُ كُلَّ شَيْءٍ وَإِلَيَّ يَصِيرُ كُلُّ شَيْءٍ، وَإِنَّ رَحْمَتِي أَدْرَكَتْكُمْ، فَبَعَثْتُ إِلَيْكُمْ هَذَا الرَّجُلَ لِأَدُلَّكُمْ عَلَى السَّبِيلِ الَّتِي أُنْجِيكُمْ بِهَا بَعْدَ الْمَوْتِ مِنْ عَذَابِي، وَلِأُحِلَّكُمْ دَارِي دَارَ السَّلَامِ. فَنَشْهَدُ عَلَيْهِ أَنَّهُ جَاءَ بِالْحَقِّ مِنْ عِنْدِ الْحَقِّ. وَقَالَ: مَنْ تَابَعَكُمْ
পৃষ্ঠা - ৫৪৫৬


করে তারপর ফিরে আসবে ৷ সে আপনাদের সকলকে লাঞ্ছিত ও অপমানিত করে ছাড়বে ৷
তারপর সে আপনাদের দেশে যাবে ৷ সাবেক সেনাপতি সাবুর যেভাবে আপনাদের
নাগরিকদেরকে নির্যাতন করেছিল রুস্তম তার চেয়ে আরো কঠিন নির্যাতন করবে ৷ ’

এরপর সম্রাট বলল, আপনাংদর মধ্যে সর্বাধিক সম্মানিত কে ৷ সবাই নীরব থাকলেন ৷
পুর্ব ঘোষণা অনুযায়ী মাটির ঝুড়ি গ্রহণ করার জান্য আসিম ইবন অড়ামর বললেন, আমি সৰ্বাধিক
ব্যক্তি ৷ আমি তাদের নেতা, মাটি আমার মাথায় দিন ৷ সম্রাট বলল, তার বক্তব্য কি
সঠিক ৷ মুসলিম প্রতিনিধি দল বলল, ইড়া, তাই ৷ সে মাটির ঝুড়ি তুলে দিল তার ঘাড়ে ৷ আসিম
(রা) মাটির বোঝা র্কাধে নিয়ে শাহী ভবন ও নিরাপত্তা ফটকসমুহ অতিক্রম করে নিজ সওয়ারীর
নিকট এলেন ৷ সেটির উপর রাখলেন মাটি, তারপর দ্রুত গতিতে ছুটলেন সেনাপতি সাদ
(রা)-এর সাথে দেখা করার জন্যে ৷ প্রতিনিধি দলও তার সাথে ছিল ৷ কিন্তু তিনি সকলের
আগে সেনাপতি সাদের নিকট চলে আসেন ৷ কুদায়স দরজায় এসে সেনাপতির সাথে সাক্ষাত
করে তিনি বললেন, যে মহান সেনাপতি, যুদ্ধ-বিজয়ের সুসংবাদ গ্রহণ করুন ৷ ইনশাআল্লাহ্
বিজয় আমাদের হবেই ৷ তিনি গিয়ে মাটিগুলো একটি পাথরের উপর রেখে ফিরে এলেন
সেনাপতির নিকট ৷ তবে সকল বৃত্তান্ত জানালেন ৷ সেনাপতি বললেন, সকলে সুসংবাদ নিন ৷
আল্লাহ্র কসম, মহান আল্লাহ্ আমাদেরকে ওদের রাজ্যের চাবি দিয়েই দিয়েছেন ৷ ’ এই মাটি
গ্রহণকে র্তারা পারস দেশের কর্তৃছু গ্রহণের শুভ সুচনা রুপে মনে করলেন ৷ সেদিন থেকে
ক্রমান্বয়ে ঘুসলিমসৈন্যদের সাহস, মনােবল ও আত্মমর্যাদা বৃদ্ধি পেতে লাগল ৷ আর পারসিক
সৈন্যদের মধ্যে ডীরুতা, দুর্বলতা ও সাহসহীনতা বৃদ্ধি পেতে থাকল ৷ রুস্তম সাক্ষাত করল
সম্রাট ইয়াঘৃদপিরদের সাথে এবং মুসলমানদের ক্রমােন্নতির কারণ জানতে চাইল ৷ ন্ব্রোট তাকে
মুসলিম প্রতিনিধিদের জ্ঞান, বুদ্ধিমত্তা ও জবাবের তীক্ষ্ণত৷ সম্পর্কে অবহিত করল ৷ এ : জামাল
যে, তারা তাদের অভীষ্ট লক্ষে পৌছে যেতে পারবে ৷ প্রতিনিধি দলের সর্বাধিক সম্মানিত
ব্যক্তির মাথায় মাটির বোঝা চাপিয়ে দেয়া এবং এর মাধ্যমে তাকে বোকা বানানোর ঘটনাও
সম্রাট রুস্তমকে অবহিত করল ৷ সম্রাট বলল, ওই লোক ইচ্ছা করলে আমার অজ্যম্ভে অন্য
কাউকে মাটির বোঝা নেয়ার জন্যে মনোনীত করে নিজে ৰ্বাচতে পারত ৷ রুন্তম বলল, আহ্ ৷
সােতা বোকা নয়, আর সে ওদের সর্বাধিক সম্মানিত ব্যক্তিও নয় ৷ সে ঢেয়েছে মাটির বোঝা
নিজের কাধে নিয়ে অন্যদেরকে রক্ষা করতে ৷ তার আসল ঘটনা হলো, মাটি নিয়ে তো তারা
প্রকারান্তরে আমাদের দেশের চাৰিগুলো নিয়ে গিয়েছে ৷ সেনাপতি রুস্তম জোাতির্বিদ ছিল ৷
তৎক্ষণাং সে একজন লোক পাঠাল মুসলিম প্রতিনিধি দলের পেছনে ৷ তাকে বলল, যদি ওই
মাটি পাও তবে তা ফিরিয়ে আসবে এবং তাতে আমরা ক্ষতি পুষিয়ে নিতে পারব ৷ আর যদি
ওই মাটি নিয়ে তারা তাদের সেনাপতির নিকট পৌছে যায় তাহলে নিশ্চিত যে, তারা আমাদের
দেশ দখল করে নিয়ে ৷
রুস্তমের পাঠানো লেড়াকটি দ্রুত এগিয়ে গেল মুসলিম প্রতিনিধি দলের খোজে ৷ সে
তাদেরকে নাগাল পায়নি ৷ বরং মাটি নিয়ে তারা আগেই সেনাপতি সাদের নিকট পৌছে
গিয়েছিলেন ৷ তাতে পারসিকগণ কুযাত্রা অনুভব করে ৷ তারা সম্রাটের বিরুদ্ধে ভীষণ অসন্তোষ
প্রকাশ করে ৷ সম্রাটের এই কাজকে তারা নির্বুদ্ধিতার পরিচায়করুপে গ্রহণ করে ৷


عَلَى هَذَا فَلَهُ مَا لَكَمَ وَعَلَيْهِ مَا عَلَيْكُمْ، وَمَنْ أَبَى فَاعْرِضُوا عَلَيْهِ الْجِزْيَةَ، ثُمَّ امْنَعُوهُ مِمَّا تَمْنَعُونَ مِنْهُ أَنْفُسَكُمْ، وَمَنْ أَبَى فَقَاتِلُوهُ، فَأَنَا الْحَكَمُ بَيْنَكُمْ، فَمَنْ قُتِلَ مِنْكُمْ أَدْخَلْتُهُ جَنَّتِي، وَمَنْ بَقِيَ مِنْكُمْ أَعْقَبْتُهُ النَّصْرَ عَلَى مَنْ نَاوَأَهُ. فَاخْتَرْ إِنْ شِئْتَ الْجِزْيَةَ، وَأَنْتَ صَاغِرٌ، وَإِنْ شِئْتَ فَالسَّيْفَ، أَوْ تُسْلِمُ فَتُنَجِّيَ نَفْسَكَ. فَقَالَ يَزْدَجِرْدُ: اسْتَقْبَلْتَنِي بِمِثْلِ هَذَا؟ ! فَقَالَ: مَا اسْتَقْبَلْتُ إِلَّا مَنْ كَلَّمَنِي، وَلَوْ كَلَّمَنِي غَيْرُكَ لَمْ أَسْتَقْبِلْكَ بِهِ. فَقَالَ: لَوْلَا أَنَّ الرُّسُلَ لَا تُقْتَلُ لَقَتَلْتُكُمْ، لَا شَيْءَ لَكُمْ عِنْدِي. وَقَالَ: ائْتُونِي بِوَقْرٍ مِنْ تُرَابٍ، فَاحْمِلُوهُ عَلَى أَشْرَفِ هَؤُلَاءِ، ثُمَّ سُوقُوهُ حَتَّى يَخْرُجَ مِنْ أَبْيَاتِ الْمَدَائِنِ، ارْجِعُوا إِلَى صَاحِبِكُمْ فَأَعْلِمُوهُ أَنِّي مُرْسِلٌ إِلَيْهِ رُسْتُمَ حَتَّى يَدْفِنَهُ وَجُنْدَهُ فِي خَنْدَقِ الْقَادِسِيَّةِ وَيُنَكِّلَ بِهِ وَبِكُمْ مِنْ بَعْدُ، ثُمَّ أُورِدُهُ بِلَادَكُمْ حَتَّى أَشْغَلَكُمْ فِي أَنْفُسِكُمْ بِأَشَدَّ مِمَّا نَالَكُمْ مِنْ سَابُورَ. ثُمَّ قَالَ: مَنْ أَشْرَفُكُمْ؟ فَسَكَتَ الْقَوْمُ، فَقَالَ عَاصِمُ بْنُ عَمْرٍو، وَافْتَاتَ لِيَأْخُذَ التُّرَابَ: أَنَا أَشْرَفُهُمْ، أَنَا سَيِّدُ هَؤُلَاءِ، فَحَمِّلْنِيهِ. فَقَالَ: أَكَذَاكَ؟ قَالُوا: نَعَمْ. فَحَمَلَهُ عَلَى عُنُقِهِ فَخَرَجَ بِهِ مِنَ الْإِيوَانِ وَالدَّارِ حَتَّى أَتَى رَاحِلَتَهُ، فَحَمَلَهُ عَلَيْهَا ثُمَّ انْجَذَبَ فِي السَّيْرِ فَأَتَوْا بِهِ سَعْدًا، وَسَبَقَهُمْ عَاصِمٌ، فَمَرَّ بِبَابِ قُدَيْسٍ فَطَوَاهُ فَقَالَ: بَشِّرُوا الْأَمِيرَ بِالظَّفَرِ، ظَفِرْنَا إِنْ شَاءَ اللَّهُ تَعَالَى. ثُمَّ مَضَى حَتَّى جَعَلَ التُّرَابَ فِي الْحِجْرِ، ثُمَّ رَجَعَ فَدَخَلَ عَلَى سَعْدٍ فَأَخْبَرَهُ الْخَبَرَ. فَقَالَ: أَبْشِرُوا فَقَدْ وَاللَّهِ أَعْطَانَا اللَّهُ أَقَالِيدَ مُلْكِهِمْ. وَتَفَاءَلُوا بِذَلِكَ أَخْذَ بِلَادِهِمْ، ثُمَّ لَمْ
পৃষ্ঠা - ৫৪৫৭
يَزَلْ أَمْرُ الصَّحَابَةِ يَزْدَادُ فِي كُلِّ يَوْمٍ عُلُوًّا وَشَرَفًا وَرِفْعَةً، وَيَنْحَطُّ أَمْرَ الْفُرْسِ سُفْلًا وَذُلًّا وَوَهَنًا. وَلَمَّا رَجَعَ رُسْتُمُ إِلَى الْمَلِكِ يَسْأَلُهُ عَنْ حَالِ مَنْ رَأَى مِنَ الْمُسْلِمِينَ، فَذَكَرَ لَهُ عَقْلَهُمْ وَفَصَاحَتَهُمْ وَحِدَّةَ جَوَابِهِمْ، وَأَنَّهُمْ يَرُومُونَ أَمْرًا يُوشِكُ أَنْ يُدْرِكُوهُ، وَذَكَرَ لَهُ مَا أَمَرَ بِهِ أَشْرَفَهُمْ مِنْ حَمْلِ التُّرَابِ، وَأَنَّهُ اسْتَحْمَقَ أَشْرَفَهُمْ فِي حَمْلِهِ التُّرَابَ عَلَى رَأْسِهِ، وَلَوْ شَاءَ اتَّقَى بِغَيْرِهِ وَأَنَا لَا أَشْعُرُ. فَقَالَ لَهُ رُسْتُمُ: إِنَّهُ لَيْسَ بِأَحْمَقَ وَلَيْسَ هُوَ بِأَشْرَفِهِمْ، إِنَّمَا أَرَادَ أَنْ يَفْتَدِيَ قَوْمَهُ بِنَفْسِهِ، وَلَكِنْ وَاللَّهِ ذَهَبُوا بِمَفَاتِيحِ أَرْضِنَا. وَكَانَ رُسْتُمُ مُنَجِّمًا، ثُمَّ أَرْسَلَ رَجُلًا وَرَاءَهُمْ، وَقَالَ: إِنْ أَدْرَكَ التُّرَابَ فَرَدَّهُ تَدَارَكْنَا أَمْرَنَا، وَإِنْ ذَهَبُوا بِهِ إِلَى أَمِيرِهِمْ غَلَبُونَا عَلَى أَرْضِنَا. قَالَ: فَسَاقَ وَرَاءَهُمْ فَلَمْ يُدْرِكْهُمْ، بَلْ سَبَقُوهُ إِلَى سَعْدٍ بِالتُّرَابِ. وَسَاءَ ذَلِكَ فَارِسَ وَغَضِبُوا مِنْ ذَلِكَ أَشَدَّ الْغَضَبِ، وَاسْتَهْجَنُوا رَأْيَ الْمَلِكِ. [سَعْدٌ يَمْرَضُ فِي الْقَادِسِيَّةِ] فَصْلٌ سَعْدٌ يَمْرَضُ فِي الْقَادِسِيَّةِ. كَانَتْ وَقْعَةُ الْقَادِسِيَّةِ وَقْعَةٌ عَظِيمَةٌ لَمْ يَكُنْ بِالْعِرَاقِ أَعْجَبُ مِنْهَا ; وَذَلِكَ أَنَّهُ لَمَّا تَوَاجَهَ الصَّفَّانِ كَانَ سَعْدٌ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، قَدْ أَصَابَهُ عِرْقُ النَّسَا، وَدَمَامِلُ فِي جَسَدِهِ، فَهُوَ لَا يَسْتَطِيعُ الرُّكُوبَ وَإِنَّمَا هُوَ فِي قَصْرٍ مُتَّكِئٍ عَلَى صَدْرِهِ فَوْقَ وِسَادَةٍ، وَهُوَ يَنْظُرُ إِلَى الْجَيْشِ وَيُدَبِّرُ أَمْرَهُ، وَقَدْ جَعَلَ أَمْرَ الْحَرْبِ إِلَى خَالِدِ بْنِ
পৃষ্ঠা - ৫৪৫৮


অধ্যায় : কাদেসিয়ার যুদ্ধ ছিল এক বিশাল যুদ্ধ ৷ এমন যুদ্ধ ইরাকে ইতিপুর্বে সংঘটিত
হয়নি ৷ উভয় পক্ষ মুখোমুখি হলো ৷ মুসলিম সেনাপতি সাদ অসুস্থ ছিলেন ৷ ইরকুন-নিসা’
রোগে আক্রান্ত ছিলেন তিনি ৷ তার শরীরে কোড়া উঠেছিল ৷ তিনি সওয়ারীতে আরোহণ করতে
পারছিলেন না ৷ তিনি একটি সুউচ্চ প্রাসাদের মধ্যে রালিশের উপর বসে বুকে ভর দিয়ে অবস্থান
করছিলেন ৷ সেখান থােক তিনি সৈন্যদের উপর নজর রাখছিলেন এবং যুদ্ধের কৌশল প্রণয়ন
বল্মছিলেন ৷ মাঠ পর্যায়ের দায়িত্ব দিয়েছিলেন খালিদ ইবন উরফাতাহ্কে ৷ সেনাবাহিনীর ডান
বাহুর দায়িত্বে ছিলেন জারীর ইবন আবদুল্লাহ বজােলা ৷ বাম বাহুর দায়িত্বে কায়স ইবন
মাকশুহ ৷ কায়স ও মুগীরা ইবন শুবা (রা) দু’জনে সাদ-এর সাহড়ায্যার্থে সিরিয়া থেকে
এসেছিলেন ৷ তারা ইয়ারমুকের যুদ্ধে অংশ নিয়েছিলেন ৷ সেনাপতি আবু উবায়দা (বা)
তাদেরকে সাদ এর সাহায্যার্থে প্রেরণ করেন ৷

ইবন ইসহড়াক বলেন, কাদেসিয়ার যুদ্ধে মুসলিম সৈন্য সংখ্যা ছিল সাত থেকে আট হাজার ৷
অন্যদিকে ল্ডেমের সেনাবাহিনী ছিল ৬০ হাজার সৈন্য বিশিষ্ট ৷ সেনাপতি সাদ সবাইকে নিয়ে
জামআেতের সাথে জোহরের নামায আদায় করলেন ৷ তারপর সৈন্যদের উদ্দেশ্যে বক্তৃতা
দিলেন ৷ তিনি তাদেরকে উপদেশ দিলেন, উৎসাহিত করলেন ৷ তিনি এ আয়াত তিলাওয়াত
করলেন :


আমি উপদেশের পর কিতাবে লিখে দিয়েছি যে, আমার যােপ্যতাসম্পন্ন বান্দাগণ পৃথিবীর
অধিকারী হবে ৷ (সুরা-১ ৭, আম্বিয়া : ১০৫)

কারিগণ এ উপলক্ষে জিহর্দদ বিষয়ক সুরা ও আয়াতসমুহ তিলাওয়াত করলেন ৷ এরপর
হযরত সাদ (বা) : বার তাকবীর উচ্চারণ করলেন ৷ চতুর্থ তাকবীরের পর মুসলিম বাহিনী
শত্রু সৈন্যের উপর হামলা করে ৷ উভয় পক্ষে প্রচণ্ড যুদ্ধ চলতে থাকে ৷ এমতাবস্থায় রাত হয়ে
যায় ৷ ফলে আপাতত যুদ্ধ মুলতবি হয়ে যায় ৷ ইতিমধ্যে উভয় পক্ষে বহুলোক হতাহত হয় ৷
পরদিন পুনরায় তারা নিজ নিজ অবস্থানে দীড়ায় এবং যুদ্ধ শুরু হয় ৷ দিনভর যুদ্ধের পর
রাতেরও অনেকটা সময় যুদ্ধ চলে ৷ পরের দিন ভোরে তারা পুনরায় নিজ নিজ স্থানে অবস্থান
নেয় এবং তৃতীয় দিনের যুদ্ধ শুরু হয় ৷ রাত পর্যন্ত যুদ্ধ চলে ৷ এ রাতের নাম
লায়লা-আল-হারীর বা হারীরের রাত ৷ : র্থ দিন সকালে প্রচণ্ড যুদ্ধ শুরু হয় ৷ আরবী ঘোড়ার
ন্ বিপরীতে পারসিকদের হাতীর উপস্থিতির কারণে মুসলমানগণ ভীষণ অসুবিধায় পড়েন ৷ আরব
ঘোড়াণ্ডালা হাতীর ভয়ে পালিয়ে যাবার চেষ্টা করে ৷ তাই মুসলমানগণ হড়াভী ও হাতীর
অ্যারাহীদেরকে ধ্বংস করতে শুরু করেন ৷ তারা হাতীর চোখ খুলে নিয়ে অন্ধ করে দিতে
থাকেন ৷ এই যুদ্ধে কত সাহসী মুসলিম নেতা তাদের শৌর্যবীর্য ও বীরত্বের অপুর্ব সাক্ষর
রাখলেন ৷ তারা হলেন ভুলায়হা আসাদী, আমর ইবন মাদীকারাব, কাকা ইবন আসর, জারীর
ইবন আবদুল্লাহ বাজালী, দিরার ইবন খাত্তাব, খালিদইবন উরফাতাহ্ ও তাদের মত অনদ্র
কভেকসৈন্যবৃন্দ ৷

এই দিন অর্থাৎ যুদ্ধের : র্থ দিবস কাদেসিয়া দিবস হিসেবে প্রসিদ্ধি পেয়েছে ৷ এটি ছিল ১৪
হিজরী সনের ২রা মুহাররম ৷ সায়ফ ইবন উমর তাই বলেছেন ৷ ওই কাদেসিয়া দিবসের সন্ধ্যায়


عُرْفُطَةَ، وَجَعَلَ عَلَى الْمَيْمَنَةِ جَرِيرَ بْنَ عَبْدِ اللَّهِ الْبَجَلِيَّ، وَعَلَى الْمَيْسَرَةِ قَيْسَ بْنَ مَكْشُوحٍ وَكَانَ قَيْسٌ وَالْمُغِيرَةُ بْنُ شُعْبَةَ قَدْ قَدِمَا عَلَى سَعْدٍ مَدَدًا مِنْ عِنْدِ أَبِي عُبَيْدَةَ مِنَ الشَّامِ بَعْدَمَا شَهِدَا وَقْعَةَ الْيَرْمُوكِ. وَزَعَمَ ابْنُ إِسْحَاقَ أَنَّ الْمُسْلِمِينَ كَانُوا مَا بَيْنَ السَّبْعَةِ آلَافٍ إِلَى الثَّمَانِيَةِ آلَافٍ، وَأَنَّ رُسْتُمَ كَانَ فِي سِتِّينَ أَلْفًا، فَصَلَّى سَعْدٌ بِالنَّاسِ الظَّهْرَ، ثُمَّ خَطَبَ النَّاسَ فَوَعَظَهُمْ وَحَثَّهُمْ وَتَلَا قَوْلَهُ تَعَالَى: {وَلَقَدْ كَتَبْنَا فِي الزَّبُورِ مِنْ بَعْدِ الذِّكْرِ أَنَّ الْأَرْضَ يَرِثُهَا عِبَادِيَ الصَّالِحُونَ} [الأنبياء: 105] . وَقَرَأَ الْقُرَّاءُ آيَاتِ الْجِهَادِ وَسُوَرَهُ، ثُمَّ كَبَّرَ سَعْدٌ أَرْبَعًا، ثُمَّ حَمَلُوا بَعْدَ الرَّابِعَةِ، فَاقْتَتَلُوا حَتَّى كَانَ اللَّيْلُ، فَتَحَاجَزُوا، وَقَدْ قُتِلَ مِنَ الْفَرِيقَيْنِ بَشَرٌ كَثِيرٌ، ثُمَّ أَصْبَحُوا إِلَى مَوَاقِفِهِمْ، فَاقْتَتَلُوا يَوْمَهُمْ ذَلِكَ وَعَامَّةَ لَيْلَتِهِمْ، ثُمَّ أَصْبَحُوا كَمَا أَمْسَوْا عَلَى مَوَاقِفِهِمْ، فَاقْتَتَلُوا حَتَّى أَمْسَوْا، ثُمَّ اقْتَتَلُوا فِي الْيَوْمِ الثَّالِثِ كَذَلِكَ، وَأَمْسَتْ هَذِهِ اللَّيْلَةُ تُسَمَّى لَيْلَةَ الْهَرِيرِ، فَلَمَّا أَصْبَحَ الْيَوْمُ الرَّابِعُ اقْتَتَلُوا قِتَالًا شَدِيدًا، وَقَدْ قَاسَوْا مِنَ الْفِيَلَةِ بِالنِّسْبَةِ إِلَى الْخُيُولِ الْعَرَبِيَّةِ بِسَبَبِ نُفْرَتِهَا مِنْهَا، أَمْرًا بَلِيغًا، وَقَدْ أَبَادَ الصَّحَابَةُ الْفِيَلَةَ وَمَنْ عَلَيْهَا، وَقَلَعُوا عُيُونَهَا، وَأَبْلَى جَمَاعَةٌ مِنَ الشُّجْعَانِ فِي هَذِهِ الْأَيَّامِ مِثْلُ طُلَيْحَةَ الْأَسَدِيِّ، وَعَمْرِو بْنِ مَعْدِيكَرِبَ، وَالْقَعْقَاعِ بْنِ عَمْرٍو، وَجَرِيرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ الْبَجَلِيِّ، وَضِرَارِ بْنِ الْخَطَّابِ، وَخَالِدِ بْنِ عُرْفُطَةَ وَأَشْكَالِهِمْ وَأَضْرَابِهِمْ، فَلَمَّا كَانَ وَقْتُ الزَّوَالِ مِنْ هَذَا الْيَوْمِ - وَيُسَمَّى يَوْمَ الْقَادِسِيَّةِ، وَكَانَ
পৃষ্ঠা - ৫৪৫৯


, প্রচণ্ড ঝঞাৰায়ু প্রৰাইিত্ব হতে থাকে ৷ পারসিকদের র্তাবুগুলোর খুটি উৎপাটিত হয়ে যায় ৷
তাবুগুলো উড়ে দুরে বহু দুরে গিয়ে পড়ে ৷ রম্মামর রাজকীয় আসন উল্টে যায় ৷ সে তাড়াতাড়ি
তার খচ্চরের পিঠে চড়ে পালাতে থাকে ৷ কিন্তু মুসলমানদের হাতে ধরা পড়ে যায় ৷ তারা তাকে
হত্যা করেন ৷ পারসিকদের অগ্রবাইিনীর দায়িত্বশীল জালীনুসকেও মুসলমানগণ হত্যা করেন ৷
পারসিকগণ সর্ববিবেচনায় সম্পুর্ণভাবে পরাজিত হয় ৷ সকল প্রশংসা, মহান আল্লাহর ৷
মুসলমানগণ ওদের পিছু ধাওয়৷ করেন ৷ সেদিন মুসলমানগণ প্রায় ৩০ হাজার পারসিক

সৈনিককে হত্যা করেন ৷ ইতিপুর্বে যুদ্ধের ময়দানে ওদের দশ হাজার সৈন্য নিহত হয় ৷ তার
পুর্বেও প্রায় সমসৎখ্যক পারসিক সৈন্য নিহত হয় ৷ ণ্শষদিন ও তার পুর্বের দিনগুলােতে

সর্বমোট প্রায় দু হাজার পাচশ মুসলিম মুজাহিদ শহীদ হন৷ (আল্লাহ তাদের প্রতি দয়া করুন ৷)

মুসলমানগণ পরাজিত পারসিক সৈন্যদেরকে ধাওয়া করে ৷ ওদেরকে ধাওয়া করতে করতে

মুসলমানগণ রাজধানীতে গিয়ে পৌছেন ৷ ওটা হলো মাদইিন শহর ৷ ওখানেই ছিল রাজপ্রাসাদ ৷

রাজকীয় কার্যালয় ৷ ইতিপুর্বে কতক মুসলিম নেতাকে ওই প্রাসাদে ডেকে নেয়া হয়েছিল ৷ এ

সম্পর্কে আমরা পুর্বে আলোচনা করেছি ৷ কাদেসিয়ার যুদ্ধে মুসলমানগণ যুদ্ধলব্ধ মালামাল

হিসবে এত বেশি ধ্ন-সষ্পদ ও অন্ত্রশস্ত্র লাভ করেন যা প্রায় সীমাহীন গণনাতীত ৷ বিধি
, মুতাবিক বায়তুল র্ষালের জন্যে ১ ৫অংশ রেখে বাকি মালামাল সৈনিকদের৷ ম ৷ঝে বণ্টন করে দেয়া
হয় ৷ গনীমতে র ৫অংশ এবং বিজয়ের সুসৎৰাদ পাঠানো হয় মদীনায় খলীফার নিকট ৷ খলীফা
উমর ইবন ধ্াত্তাব (বা) নিয়মিত কাদেসিয়া যুদ্ধের খােজ খবর নিতেন ৷ ওইদিক থেকে আসা

সকল আরোহী ও যন্ত্রীর নিকট তিনি সংবাদ জানতে চাইতেন ৷ এই বিষয়ে সংবাদ জানার

জন্যে কোন কোন সময় তিনি মদীনা থেকে বের হয়ে ইরাক সীমান্তের কাছাকাছি চলে যেতেন ৷
এভাবে একদিন তিনি এক অশ্বারোহীর সাক্ষাত পেলেন ৷ দুর থেকে ন্াকে উজ্জ্বল দেখাচ্ছিল ৷

হযরত উমর (রা)৩ তার মুখোমুখি হলেন এবং যুদ্ধের সংবাদ ৷জজ্ঞেস করলেন সে বলল, মহান

আল্লাহ্ মুসলমানদেরকে কাদেসিয়ার বিজয় দার্ব করেছেন ৷ তারা বহু গনীমত অর্জন করেছেন ৷
ওই আগন্তুক হযরত উমর (রা) কে চিনতে পারেনি ৷ যে সওয়াৰীতে চড়ে খলীফার সাথে কথা

বলছিল আর ণ্ডলাফা তার সওয়ারীর পাশে পাশে পায়ে হোট যাচ্ছিলেন ৷ দৃ জনে যখন মদীনায়

নিকটবর্তী হলেন তখন জনসাধারণ খলীফাকে “আমীরুল মু’ সিনীন সম্বোধন করে অভিবাদন

জানাচ্ছিল ৷ তাতে আগদ্ভুক বুঝে নিল যে, ইনি স্বয়ং খলীফা উমর (রা) ৷ আগন্তুক বলল, হে

আমীরুল মু’মিনীন ! আল্লাহ্ আপনাকে দয়া করুন ৷ আপনি যে খলীন্ ৷ তা আমাকে জানান নি

কেন : খলীফা বললেন, ভাই! তাতে তোমার কোন অসুবিধা হবে না ৷

ইতিপুর্বে আলোচিত হয়েছে যে, সেনাপতি সাদ ছিলেন অসুস্থ ৷ তার শরীরে কোড়া ছিল ৷
আর তিনি ইবক-আন-নেসা রোগে ভুগছিলেন ৷ অভিজ্ঞ চিকিৎসকগণ র্তাকে যুদ্ধ অভিযানে অংশ
নিতে বারণ করেছেন ৷ তবে তিনি একটি প্রাসাদের চুড়ায় বসে সৈনিকদের সুবিধা-অসুবিধা
পর্যালোচনা করছিলেন ৷ তা সত্বেও তিনি ওই প্রাসাদের দরজা বন্ধ করতেন না ৷ এটি র্তার
সাহসের প্রমাপ ৷ পরিস্থিতি এমন ছিল যে, কোন পারসিক যুদ্ধের ময়দান থেকে পালাতে গেলে
অন্যান্য পারসিকগণ তাকে ধরে ফেলত ৷ তারপর সে আর রক্ষা পেত না ৷


يَوْمَ الِاثْنَيْنِ مِنَ الْمُحَرَّمِ سَنَةَ أَرْبَعَ عَشْرَةَ، كَمَا قَالَهُ سَيْفُ بْنُ عُمَرَ التَّمِيمِيُّ - هَبَّتْ رِيحٌ شَدِيدَةٌ فَرَفَعَتْ خِيَامَ الْفُرْسِ عَنْ أَمَاكِنِهَا، وَأَلْقَتْ سَرِيرَ رُسْتُمَ الَّذِي هُوَ مَنْصُوبٌ لَهُ، فَبَادَرَ فَرَكِبَ بِغَلَّتِهِ وَهَرَبَ، فَأَدْرَكَهُ الْمُسْلِمُونَ فَقَتَلُوهُ، وَقَتَلُوا الْجَالِنُوسَ مُقَدِّمَ الطَّلَائِعِ الْفَارِسِيَّةِ، وَانْهَزَمَتِ الْفُرْسُ - وَلِلَّهِ الْحَمْدُ وَالْمِنَّةُ - عَنْ بَكْرَةِ أَبِيهِمْ، وَلَحِقَهُمُ الْمُسْلِمُونَ فِي أَقْفَائِهِمْ، فَقُتِلَ يَوْمَئِذٍ الْمُسَلْسَلُونَ بِكَمَالِهِمْ، وَكَانُوا ثَلَاثِينَ أَلْفًا، وَقُتِلَ فِي الْمَعْرَكَةِ عَشَرَةَ آلَافٍ، وَقَتَلُوا قَبْلَ ذَلِكَ قَرِيبًا مِنْ ذَلِكَ، وَقُتِلَ مِنَ الْمُسْلِمِينَ فِي هَذَا الْيَوْمِ وَمَا قَبْلَهِ مِنَ الْأَيَّامِ أَلْفَانِ وَخَمْسُمِائَةٍ، رَحِمَهُمُ اللَّهُ. وَسَاقَ الْمُسْلِمُونَ خَلْفَهُمُ الْمُنْهَزِمِينَ حَتَّى دَخَلُوا وَرَاءَهُمْ مَدِينَةَ الْمَلِكِ، وَهِيَ الْمَدَائِنُ الَّتِي فِيهَا الْإِيوَانُ الْكِسْرَوِيُّ، وَقَدْ أَذِنَ لِمَنْ ذَكَرَنَا عَلَيْهِ، فَكَانَ مِنْهُمْ إِلَيْهِ مَا قَدَّمْنَا. وَقَدْ غَنِمَ الْمُسْلِمُونَ مِنْ وَقْعَةِ الْقَادِسِيَّةِ هَذِهِ مِنَ الْأَمْوَالِ وَالسِّلَاحِ مَا لَا يُحَدُّ وَلَا يُوَصَفُ كَثْرَةً، فَحُصِّلَتِ الْغَنَائِمُ بَعْدَ صَرْفِ الْأَسْلَابِ، وَخُمِّسَتْ وَبُعِثَ بِالْخُمُسِ وَالْبِشَارَةِ إِلَى أَمِيرِ الْمُؤْمِنِينَ عُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ. وَقَدْ كَانَ عُمَرُ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، يَسْتَخْبِرُ عَنْ أَمْرِ الْقَادِسِيَّةِ كُلَّ مَنْ لَقِيَهُ مِنَ الرُّكْبَانِ وَيَخْرُجُ مِنَ الْمَدِينَةِ إِلَى نَاحِيَةِ الْعِرَاقِ يَسْتَنْشِقُ الْخَبَرَ، فَبَيْنَمَا هُوَ ذَاتَ يَوْمٍ مِنَ الْأَيَّامِ إِذَا هُوَ بِرَاكِبٍ يَلُوحُ مِنْ بُعْدٍ، فَاسْتَقْبَلَهُ عُمَرُ فَاسْتَخْبَرَهُ، فَقَالَ لَهُ: فَتَحَ اللَّهُ عَلَى الْمُسْلِمِينَ بِالْقَادِسِيَّةِ، وَغَنِمُوا غَنَائِمَ كَثِيرَةً. وَجَعَلَ يُحَدِّثُهُ، وَهُوَ لَا يَعْرِفُ عُمَرَ، وَعُمَرُ مَاشٍ تَحْتَ رَاحِلَتِهِ، فَلَمَّا اقْتَرَبَا مِنَ الْمَدِينَةِ جَعَلَ النَّاسُ يُحَيُّونَ عُمَرَ بِالْإِمَارَةِ، فَعَرَفَ الرَّجُلُ عُمَرَ فَقَالَ: يَرْحَمُكَ اللَّهُ يَا أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ، هَلَّا أَعْلَمْتَنِي
পৃষ্ঠা - ৫৪৬০


ওই প্রাসাদে সেনাপতি সাদের সাথে তার শ্রী সালমা ৰিনত হাফস অবস্থান করছিলেন ৷
সালমা হলেন মুছান্ন৷ ইবন হ বিছাব সাবেক শ্রী ৷ মুছান্ন৷ নিহত হবার পর সাদ র্তাকে বিয়ে
করেন ৷ সেদিন ক৩ ক মুসলিম অশ্বারােহী পালিয়ে যেতে চাইলে সালমা অস্থির হয়ে উঠেন এবং
বলে উঠেন, “আহ্ মুছান্না৷ আজ আমার মুছান্ন৷ কাছে নেই ৷ এতে সেনাপতি সা দ ক্ষেপে যান
এবং শ্রীকে চপেটাঘাত করেন ৷ সালমা বলল, হয়ে, আত্মমর্যাদা এবং কাপুরুষ৩ তা ? অর্থাৎ
যুদ্ধের সময় সা দ ঘরে বসে রয়েছেন বলে শ্রী তাকে লজ্জা দিল ৷ মুলত এটি সালমার
বাড়াবাড়ি ৷ কারণ সেই তে৷ সবচেয়ে বেশি জানত যে, সেনাপতি সা দ অসুস্থ, রোণাক্রান্ত ৷
রোগের কারণেই তিনি যুদ্ধের মাঠে যেতে পারছিলেন না ৷

যে প্রাসব্বদে সা দ ছিলেন ওই প্রাসাদেই তার কাছাকাছি একজন শরাবখোর লোক বন্দী
ছিল ৷ মদ পান করার কারণে তাকে কয়েকবার দোররা মারা হয়েছিল ৷ কিন্তু তাতে নিবৃত্ত না
হওয়ায় শেষে তাকে বন্দী করে রাখা হয়েছে ৷ ইতিপুর্বে প্রায় সাতবার তাকে দােররা মারা
হয়েছিল ৷ সেনাপতি সাদ ওই লোককে প্রাসাদে বন্দী করে রাখতে নির্দেশ দিয়েছিলেন ৷ সে
যখন দেথল শত্রুবাহিনী প্রাসাদের চারদিকে ঘুরাঘুরি করছে তখন সে নিম্নের কবিতা আবৃত্তি
করল ৷ সে নিজে একজন সাহসী বীর ছিল বটে ৰু’

৪খ পাবার জন্যে তো এটুকুই যথেষ্ট যে , আমার মত যুবকের সম্মুখে শত্রুপক্ষের অশ্বদল
ঘোরাঘুরি করছে ৷ আর আমি শিকলাবদ্ধ হয়ে বন্দী হয়ে পড়ে রয়েছি ৷ “শত্রুর উপর আক্রমণ
করতে পারছি না ৷

ণ্ ; : ’ ৷


আমি এমন অবস্থায় আছি যে, দ৷ ড়াতে গেলে লোহার শিকল আমাকে দাড়াতে অক্ষম করে
দেয় ৷ আমি পড়ে রয়েছি মেঝেতে ৷



আমার বহু রন-সম্পদ ও ভাই-বেরাদর ছিল, এখন তারা আমাকে একাকী অবস্থায়
ব্লেখেছে ৷ আমার কোন ভাই বেরাদর নেই ৷

এরপর সে সা দের ক্রী৩ দাসী যাবরাকে অনুরোধ করল তাকে শৃগ্রল মুক্ত করে না দের
ঘোড়াটি ধার দিতে ৷ সে ওই ঘোড়ার চড়ে শত্রুর বিরুদ্ধে যুদ্ধ করবে ৷ সে কসম করে বলেছিল
যে, দিন শেষে যে অবশ্যই ফিরে আসবে এবং স্বেচ্ছায় বন্দীখানায় প্রবেশ করবে বন্দীতৃ বরণ
করে লিখে ৷ ক্রীতদাসী যাবরা তাকে ছেড়ে দেয় ৷ সে সেনাপতি সাদের ঘোড়ার চড়ে বেরিয়ে
পড়ে এবং প্রচগুভাৰে যুদ্ধ চালিয়ে যায় ৷ এদিকে সেনাপতি সাদ যুদ্ধ ময়দানে তার ঘোড়াটি
দেখতে পাচ্ছিলেন ৷ তিনি সেটি চেনা-অচেনার দ্বন্মে পড়ে গেলেন আবার ঘোড়ার পিঠে আরােহী
ব্যত্যিক বন্দী আবু মিহজানের মত মনে হচ্ছিল ৷ কিন্তু তাও নিশ্চিত হতে পারছিলেন না ৷
ফ্তে সে ছিল বন্দী ৷ দিন শেষে আবু মিহজান ফিরে আসে ৷ শিকলে পা ঢুকিয়ে বন্দীৎ বরণ
ৰ্ৰে নেয় ৷ সাদ প্রাসাদ থেকে নিচে নেমে এলেন ৷ তিনি দেখতে পলেন যে, ঘোড়ার শরীর


أَنَّكَ الْخَلِيفَةُ؟ فَقَالَ: لَا حَرَجَ عَلَيْكَ يَا أَخِي. وَقَدْ تَقَدَّمَ أَنَّ سَعْدًا، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، كَانَ بِهِ قُرُوحٌ وَعِرْقُ النَّسَا، فَمَنَعَهُ مِنْ شُهُودِ الْقِتَالِ، لَكِنَّهُ جَالِسٌ فِي رَأْسِ الْقَصْرِ يَنْظُرُ فِي مَصَالِحِ الْجَيْشِ، وَكَانَ مَعَ ذَلِكَ لَا يُغْلِقُ عَلَيْهِ بَابَ الْقَصْرِ ; لِشَجَاعَتِهِ، وَلَوْ فَرَّ النَّاسُ لَأَخَذَتْهُ الْفُرْسُ قَبْضًا بِالْيَدِ، لَا يَمْتَنِعُ مِنْهُمْ، وَعِنْدَهُ امْرَأَتُهُ سَلْمَى بِنْتُ حَفْصٍ الَّتِي كَانَتْ قَبْلَهُ عِنْدَ الْمُثَنَّى بْنِ حَارِثَةَ، فَلَمَّا فَرَّ بَعْضُ الْخَيْلِ يَوْمَئِذٍ فَزِعَتْ وَقَالَتْ: وَامُثَنَّيَاهْ، وَلَا مُثَنَّى لِيَ الْيَوْمَ. فَغَضِبَ سَعْدٌ مِنْ ذَلِكَ وَلَطَمَ وَجْهَهَا، فَقَالَتْ: أَغَيْرَةً وَجُبْنًا؟ يَعْنِي أَنَّهَا تُعَيِّرُهُ بِجُلُوسِهِ فِي الْقَصْرِ يَوْمَ الْحَرْبِ، وَهَذَا عِنَادٌ مِنْهَا، فَإِنَّهَا أَعْلَمُ النَّاسِ بِعُذْرِهِ، وَمَا هُوَ فِيهِ مِنَ الْمَرَضِ الْمَانِعِ مِنْ ذَلِكَ. وَكَانَ عِنْدَهُ فِي الْقَصْرِ رَجُلٌ مَسْجُونٌ عَلَى الشَّرَابِ، كَانَ قَدْ حُدَّ فِيهِ مَرَّاتٍ مُتَعَدِّدَةً يُقَالُ: سَبْعَ مَرَّاتٍ. فَأَمَرَ بِهِ سَعْدٌ فَقُيِّدَ وَأُودِعَ الْقَصْرَ، فَلَمَّا رَأَى الْخُيُولَ تَجُوُلُ حَوْلَ حِمَى الْقَصْرِ، وَكَانَ مِنَ الشُّجْعَانِ الْأَبْطَالِ، قَالَ: كَفَى حَزَنًا أَنْ تُدْحَمَ الْخَيْلُ بِالْقَنَا ... وَأُتْرَكَ مَشْدُودًا عَلِيَّ وَثَاقِيَا إِذَا قُمْتُ عَنَّانِي الْحَدِيدُ وَأُغْلِقَتْ ... مَصَارِيعُ مِنْ دُونِي تَصُمُّ الْمُنَادِيَا وَقَدْ كُنْتُ ذَا مَالٍ كَثِيرٍ وَإِخْوَةٍ ... وَقَدْ تَرَكُونِي مُفْرَدًا لَا أَخَا لِيَا ثُمَّ سَأَلَ مِنْ زَبْرَاءَ أُمِّ وَلَدِ سَعْدٍ أَنْ تُطْلِقَهُ وَتُعِيرَهُ فَرَسَ سَعْدٍ، وَحَلَفَ لَهَا أَنَّهُ
পৃষ্ঠা - ৫৪৬১


থেকে যায় ঝরছে ৷ তিনি জিজ্ঞেস করলেন, ব্যাপার কি ৷ তাকে বন্দী আবু মিহজানের ঘটনা
অবহিত করা হলো ৷ তিনি তাতে খুশি হলেন এবং আবু মিহজানকে ছেড়ে দিলেন ৷ (আল্লাহ
তাআলা তাদের উভয়ের প্রতি খুশি হোন ৷)

এ প্রসঙ্গে হয়রত সাদের দিকে ইঙ্গিত করে জনৈক মুসলিম ব্যক্তি নিম্নের কবিতা আবৃত্তি
করে :

’ — ৷ — ’ : # শ্

(

আমরা যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছি ৷ শেষ পর্যন্ত মহান আল্লাহ্র সাহায্য এল ৷ সেনাপতি সা দ কিন্তু

কাদেসিয়ার প্রবেশ পথে নিরাপদে অবস্থান করছিলেন ৷

যুদ্ধ জয় করে আমরা র্তাবুতে ফিরে এলাম ৷ এসে দেখি বহু মহিলা বিধবা হয়ে গিয়েছে ৷
কিন্তু সাদের কোন ন্তী-ই বিধবা হয়নি

কথিত আছে যে, সেনাপতি সা দ জনসমক্ষে এসে৩ তীর উরু ও নিতা,ম্ব ঘোড়া ও জখমের
কথা উল্লেখ করে নিজের অক্ষমতার কথা জানিয়ে দেন ৷ জনসাধারণ তার এই ওযর ও অক্ষমতা
মেনে নেয় ৷ বাণত আ ছ যে, উপরোক্ত পংক্তি দু টো যে করি আবৃত্তি করেছে সা দ তা জন্যে
বদ দৃআ করে বলেছিলেন, হে আল্লাহ্! সে যদি আপন বক্তাব্য মিথ্যাবাদী হয়ে থাকে অথবা
মানুষের দৃষ্টি আকর্ষণ মানৃষকে শোনানাে ও মিথ্যাবাদিতার আশ্রয় নিয়ে যে এটি বলে থাকে
তবে আর্পা “ ন্ন্ব্ হাৰু € জিহ্বা কেটে দিন্ ৷’ হঠাৎ দেখা গেল ওই হুলাক দুটো সারির মাঝে
পাআিহ্ল একটি ভীর উড়ে এসে তার জিহ্বায় আঘাত কন্াল ৷ ৷রত জিহ্বা ছিড়ে পেল ৷ সে
শ্ণ্ৰু কথা বলতে পারছি-ন না ৷ এভাবে তার মৃত্যু হয় ৷ সায়ফ ইবন উমর এটি আবদুল মালিক
ইবন উমরের সুত্রে ক বীবা ইবন জাবির থেকে বর্ণনা করেছেন ৷ সায়ফ ইবৃণ্৷ উমর ৷মকদাম
ইবন ওরায়হ হবিহী স্, ত্রে তার পিতা থেকে বর্ণনা করেছেন যে, জারীর ইবন আবদুল্লাহ বাজালী
ানম্নের কবিতা ন্সাবৃাত্ত করেছিল :

ান্ ৷

আমি জারার, আমার উপনাম আবু আমর ৷ মহান আল্লাহ্ আমাদেরকে কাদেসিয়৷ যুদ্ধে
বিজয় দিয়েছেন ৷ আমাদের সেনাপতি সা দ এই যুদ্ধে প্রাসাদে বসে থেকেছিলেন ৷

এই কবিতা প্ৰত্যুত্তরে সা দ তার প্রাসাদ থেকে বের হয়ে নিম্নের কাব৩ ৷ আবৃত্তি করেন :

শ্ ষ্শ্

৷ র্গে ৷
বুজায়লার প্রশংসা পাওয়া আমার কাম্য নয় ৷ তবে আমি কামনা করি ত ৷র৷ যে ন হিসাবের
দিনে যুদ্ধের সওয়াব ও বিনিময় অর্জন করেন ৷

ওদের অশ্বারোহীগণ আমাদের দক্ষ ও অভিজ্ঞ অশ্বারোহীদের মুখোমুখি হয়েছিল,
পারাসকগণপ্ এ্চণ্ড মায়ের মধ্যে পড়ে গিয়েছিল ৷
ষ্১ট্রুপ্ ব্লু


يَرْجِعُ آخِرَ النَّهَارِ، فَيَضَعُ رِجْلَهُ فِي الْقَيْدِ، فَأَطْلَقَتْهُ، وَرَكِبَ فَرَسَ سَعْدٍ وَخَرَجَ فَقَاتَلَ قِتَالًا شَدِيدًا، وَجَعَلَ سَعْدٌ يَنْظُرُ إِلَى فَرَسِهِ فَيَعْرِفُهَا وَيُنْكِرُهَا، وَيُشَبِّهُهُ بِأَبِي مِحْجَنٍ، وَلَكِنْ يَشُكُّ لِظَنِّهِ أَنَّهُ فِي الْقَصْرِ مُوثَقٌ، فَلَمَّا كَانَ آخِرُ النَّهَارِ رَجَعَ فَوَضَعَ رِجْلَهُ فِي قَيْدِهَا، وَنَزَلَ سَعْدٌ فَوَجَدَ فَرَسَهُ يَعْرِقُ فَقَالَ: مَا هَذَا؟ فَذَكَرُوا لَهُ قِصَّةَ أَبِي مِحْجَنٍ، فَرْضِيَ عَنْهُ وَأَطْلَقُهُ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا. وَقَدْ قَالَ رَجُلٌ مِنَ الْمُسْلِمِينَ فِي سَعْدٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ: نُقَاتِلُ حَتَّى أَنْزَلَ اللَّهُ نَصْرَهُ ... وَسَعْدٌ بِبَابِ الْقَادِسِيَّةِ مُعْصِمُ فَأُبْنَا وَقَدْ آمَتْ نِسَاءٌ كَثِيرَةٌ ... وَنِسْوَةُ سَعْدٍ لَيْسَ فِيهِنَّ أَيِّمُ فَيُقَالُ: إِنَّ سَعْدًا نَزَلَ إِلَى النَّاسِ، فَاعْتَذَرَ إِلَيْهِمْ بِمَا فِيهِ مِنَ الْقُرُوحِ فِي فَخِذَيْهِ وَأَلْيَتَيْهِ، فَعَذَرَهُ النَّاسُ. وَذَكَرُوا أَنَّهُ دَعَا عَلَى قَائِلِ هَذَيْنِ الْبَيْتَيْنِ وَقَالَ: اللَّهُمَّ إِنْ كَانَ كَاذِبًا أَوْ قَالَ الَّذِي قَالَ رِيَاءً وَسُمْعَةً وَكَذِبًا فَاقْطَعْ لِسَانَهُ وَيَدَهُ. فَجَاءَهُ سَهْمٌ وَهُوَ وَاقِفٌ بَيْنَ الصَّفَّيْنِ، فَوَقَعَ فِي لِسَانِهِ فَبَطَلَ شِقُّهُ، فَلَمْ يَتَكَلَّمْ حَتَّى مَاتَ. رَوَاهُ سَيْفٌ عَنْ عَبْدِ الْمَلِكِ بْنِ عُمَيْرٍ، عَنْ قَبِيصَةَ بْنِ جَابِرٍ، فَذَكَرَهُ. وَقَالَ سَيْفٌ عَنِ الْمِقْدَامِ بْنِ شُرَيْحٍ الْحَارِثِيِّ، عَنْ أَبِيهِ قَالَ: قَالَ جَرِيرُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ الْبَجَلِيُّ: أَنَا جَرِيرٌ كُنْيَتِي أَبُو عَمِرْو ... قَدْ فَتَحَ اللَّهُ وَسَعْدٌ فِي الْقَصِرْ فَأَشْرَفَ سَعْدٌ مِنْ قَصْرِهِ وَقَالَ: وَمَا أَرْجُو بَجِيلَةَ غَيْرَ أَنِّي ... أُؤَمِّلُ أَجْرَهَا يَوْمَ الْحِسَابِ وَقَدْ لَقِيَتْ خُيُولُهُمْ خُيُولًا ... وَقَدْ وَقَعَ الْفَوَارِسُ فِي الضِّرَابِ
পৃষ্ঠা - ৫৪৬২


ওদের এলাকায় এমন সব ঘোড়া প্রবেশ করেক্কি৷ সৌন্দর্য ও চমৎকারিত্বে মনে হচ্ছিল
ওগুলো যেন বড় বড় উট ৷
অবশ্য কা “কা ইবন আমরের সৈন্যদল যদি না থাকত আর তারা যদি পারসিকদের উপর
প্রচণ্ড হামলা না চালাত তাহলে ওরা মুসলিম সওয়ারীদের মধ্যে ঢুকে গিয়ে ক্ষতিসাধন করত ৷


এা১ ১াটুট্রুাগ্লু

কাকা ইবন আমরের আক্রমণ না থাকলে তোমরা হতে৬ ভীতসস্ত্রস্ত ৷ তোমাদের সেনাৰুা
মাছির বাকের ন্যায় বিক্ষিপ্ত ও পালিয়ে যেত ৷

মুহাম্মদ ইবন ইসহাক বর্ণনা করেছেন ইসমাঈল ইবন আবী খালিদ সুত্রে কায়স ইবন
আৰী হাযিম বাজালী থেকে ৷ কায়স ইবন আবী হাযিম বাজালী কাদেসিয়ার যুদ্ধে অংশ
নিয়েছিলেন ৷ তিনি বলেছেন, আমার সাথে ছাকীফ গোত্রের একজন লোক ছিল ৷ সে ইসলাম
ধর্ম ত্যাগ করে পারসিকদের দলে চলে যায় ৷ সে গিয়ে ওদেরকে সংবাদ দেয় যে, বুজায়লী
যেখানে নেতৃত্ব দিচ্ছে সেখানে মুসলমানদের সৈন্য সংখ্যা ও শক্তি অপেক্ষাকৃত কম ৷ বর্ণনাকারী
বলেন যে, আমরা ছিলাম মোট সৈন্য সংখ্যার মাত্র টু অংশ ৷ সংবাদ পেয়ে পারসিকদের পক্ষ
থেকে যােলটি হাতী আমাদের দিকে অগ্রসর হয় ওরা আমাদের ঘোড়াগুলাের পায়ের নিচে
লোহার পেরেক ছিটিয়ে দিতে থাকে ৷ আর দ্রীর নিক্ষেপে আমাদেরকে ক্ষত-ৰিক্ষত করে দিতে
থাকে ওরা ৷রত্তী নিক্ষেপ করছিল বৃষ্টির ন্যায় ৷ ওদের ঘোড়াগুলােকে তারা পরস্পর কাছাকাছি
করে রেখেছিল যাতে সেগুলো পালিয়ে না যায় ৷

বর্ণনাকারী বলেন, আমর ইবন মাদীকারাব যুবায়দী আমাদের পাশ দিয়ে যাচ্ছিলেন ৷ তিনি
বললেন, হে মুহাজিরপণ! আপনারা সিংহের রুপ ধারণ করুন ৷ কারণ পারসিকগণ হলো
পাঠা-বকরীর ন্যায় ৷ ওদের দেহে লৌহ বর্মের সাথে সাথে হাতে ছিল বাজুবন্দ ৷ বাজুবন্দে হাত
ঢাকা থাকার কারণে মুসলিমদের বিক্ষিপ্ত তীর ওদের দেহে আঘাত করতে পারত না ৷ আমরা
বললাম, হে আবু ছাওর ! ওই যে একজন পারসিক সৈন্য তার থেকে সাবধান! সৈনিকটি আবু
ছাওরের উদ্দেশ্যে এগুচ্ছিল ৷ সে আবু ছাওরের উদ্দেশ্যে তীর নিক্ষেপ করে ৷ আবু ছাওর ঢাল
দ্বারা তা প্রতিহত করেন ৷ আমর এসে ওই পারসিক সৈন্যের উপর হামলা করেন এবং ওকে
চেপে ধরে জবাই করে হত্যা করেন ৷ এরপর তার দুটো স্বর্ণের বাজুবন্দ, একটি কােমরবন্দ এবং
রেশমের একটি জুব্বা ছিনিঃয় নেই: ৷ বংনািকারী বলেন, তখন মুসলমান সৈন্য ছিল ছয় কিৎৰাণ্
সাত হাজার ৷ মহান আল্লাহর ইচ্ছার রুস্তমকে হ৩ ভাড়া করা হলো ৷ তাকে হত্যা করেছিল হিলাল
ইবনড়া অ লড়াকামাহ্ তায়মী নামে এক লোক ৷ রুস্তম নিজে তীর নিক্ষেপ করেছিল হিলালের প্রতি ৷
ওই তীর গিয়ে পড়ে হিলালের পায়ে ৷ প্রতি আক্রমণে হিলাল আক্রমণ চালায় রুস্তমের উপর ৷
সে রল্ডমকে হত্যা করে তার মাথা কেটে নেয় ৷

এ ঘটনা দেখে পারসিকগণ পেছনের দিকে পালাতে শুরু করে, মুসলমানগণ ওদেরকে
ধাওয়া করে হত্যা করতে থাকেন ৷ এক পর্যায়ে তারা এক জায়গায় অনেক পারসিককে খুজে
পান ৷ ওরা ওখানে আরাম-আয়েশে অবস্থান করছিল ৷ ওরা সেখানে আনন্দে মাতোয়ারা হয়ে

বাল-বিদায়া — ১২


وَقَدْ دَلَفَتْ بِعَرْصَتِهِمْ فُيُولٌ كَأَنَّ زُهَاءَهَا إِبِلُ الْجِرَابِ ... فَلَوْلَا جَمْعُ قَعْقَاعِ بْنِ عَمْرٍو وَحَمَّالٍ لَلَجُّوا فِي الرِّكَابِ ... وَلَوْلَا ذَاكَ أُلْفِيتُمْ رَعَاعًا تَسِيلُ جُمُوعُكُمْ مِثْلَ الذُّبَابِ وَقَدْ رَوَى مُحَمَّدُ بْنُ إِسْحَاقَ عَنْ إِسْمَاعِيلَ بْنِ أَبِي خَالِدٍ، عَنْ قَيْسِ بْنِ أَبِي حَازِمٍ الْبَجَلِيِّ - وَكَانَ مِمَّنْ شَهِدَ الْقَادِسِيَّةَ - قَالَ: كَانَ مَعَنَا رَجُلٌ مِنْ ثَقِيفٍ، فَلَحِقَ بِالْفُرْسِ مُرْتَدًّا، فَأَخْبَرَهُمْ أَنَّ بَأْسَ النَّاسِ فِي الْجَانِبِ الَّذِي فِيهِ بَجِيلَةُ. قَالَ: وَكُنَّا رُبُعَ النَّاسِ. قَالَ: فَوَجَّهُوا إِلَيْنَا سِتَّةَ عَشَرَ فِيلًا، وَجَعَلُوا يُلْقُونَ تَحْتَ أَرْجُلِ خُيُولِنَا حَسَكَ الْحَدِيدِ، وَيَرْشُقُونَنَا بِالنُّشَّابِ، فَلَكَأَنَّهُ الْمَطَرُ، وَقَرَنُوا خُيُولَهُمْ بَعْضَهَا إِلَى بَعْضٍ ; لِئَلَّا يَفِرُّوا. قَالَ: وَكَانَ عَمْرُو بْنُ مَعْدِيكَرِبَ الزُّبَيْدِيُّ يَمُرُّ بِنَا فَيَقُولُ: يَا مَعْشَرَ الْمُهَاجِرِينَ، كُونُوا أُسُودًا، فَإِنَّمَا الْفَارِسِيُّ تَيْسٌ. قَالَ: وَكَانَ فِيهِمْ أُسْوَارٌ لَا تَكَادُ تَسْقُطُ لَهُ نُشَّابَةٌ، فَقُلْنَا لَهُ: يَا أَبَا ثَوْرٍ، اتَّقِ ذَاكَ الْفَارِسِيَّ ; فَإِنَّهُ لَا تَسْقُطُ لَهُ نُشَّابَةٌ، فَتَوَجَّهَ إِلَيْهِ، وَرَمَاهُ الْفَارِسِيُّ بِنُشَّابَةٍ فَأَصَابَ تُرْسَهُ، وَحَمَلَ عَلَيْهِ عَمْرٌو، فَاعْتَنَقَهُ فَذَبَحَهُ، فَاسْتَلَبَهُ سُوَارَيْنِ مِنْ ذَهَبٍ، وَمِنْطَقَةً مِنْ ذَهَبٍ، وَيَلْمَقًا مِنْ دِيبَاجٍ. قَالَ: وَكَانَ الْمُسْلِمُونَ سِتَّةَ آلَافٍ أَوْ سَبْعَةَ آلَافٍ، فَقَتَلَ اللَّهُ
পৃষ্ঠা - ৫৪৬৩


ছিল ৷ কেউ কেউ মদ পান করে মাতাল হয়ে পড়েছিল ৷ মুসলমানগণ হঠাৎ ওদের উপর
আক্রমণ করে বলেন ৷ বহুসং খ্যক পারসিক সৈন্যকে তারা ওখানে হত্যা করেন ৷ সেখানে
পারসিক সেনাপতি জালীনুসও নিহত হয় ৷ যুহরা ইবন হুওয়ইিযাহ্ তামীমী তাকে হত্যা করে ৷
মুসলমানগণ ওদের তাড়া করছেন তো কবছেনই ৷ যেখ্যনেই ওদেরকে পাওয়া যা ৷চ্ছিল সেখানেই
হত্যা করছিলেন ৷ আর শয়তানের দল ও অগ্নিপুজারীদেরকে করছিলেন লাঞ্ছিত ও অপমানিত ৷
মুসলমানগণ এই যুদ্ধে এত বেশি ধন-সম্পদ ও মালামাল পারসিকদের নিকট থেকে ছিনিয়ে
নিয়েছিলেন বা আর পাল্লায় ও নিক্তিতে মাপা যাচ্ছিল না ৷ এমনকি এত ঘোড়া তারা ভাগে
পেয়েছিলেন যে, একে অন্যকে বলছিল সাদা ৷ঘোড়া নিয়ে হলুদ ঘোড়া কে বিনিময় করবে ৷
র্তারা পারসিকদেরকে ধাওয়৷ করতে করতে ফোরাত নদী পার হয়ে মাদাইন এবং জালুলাও
অধিকার করে নেন ৷ এ বিষয়ে বিস্তারিত বিবরণ অচিরেই আসবে ইনশাআল্ল,াহ্ ৷
সায়ফ ইবন উমর সুলায়মান ইবন বাশীর সুত্রে হাম্মাম ইবন হারিছ নাখঈ-এর শ্রী উম্মু
কাহীর থেকে বর্ণনা করেছে ৷ উম্মু কাহীর বলেছেন যে, আমরা আমাদের স্বামীদের সাথে সাদের
নেতৃত্বে কাদেসিয়৷ যুদ্ধে অংশ নিয়েছিলাম ৷ যুদ্ধ যখন শেষ হলো তখন আমরা আমাদের
জামা-কাপড় শক্তভাবে বেধে লাঠি হাতে আমাঢ র হতাহত ৩লােকদের নিকট গেলাম ৷ মুসলমান
লোকদেরকে আমরা পা ৷নি পান করালাম এবং তুলে নিয়ে এলাম ৷ আর মুশরিকদেরকে আমরা
হত্যা করলাম ৷ আমাদের সাথে শিশু-কিশোররা ছিল ৷ ওদেরকে আমরা লাগিয়ে দিলাম নিহত
মুশরিকদের অস্ত্রশস্ত্র ও লৌহবর্ম খুলে নিতে ৷ যাতে মুসলিম মহিলাদেরকে নিহত মুশরিক
পুরুষদের সতর ও গোপন স্থান দেখতে না হয় ৷
সায়ফ তার সনদে তীর শায়খদের উদ্ধৃতি দিয়ে বলেছেন যে, তারা বলেছেন সেনাপতি
সাদ (রা) বিজয়ের সংবাদ জানিয়ে খলীফা উমর (রা) এর নিকট পত্র পাঠিয়েছিলেন ৷ ওই
পত্রে মুসলিম শহীদের সং খ্য৷ এবং নিহত কাফিরদের স খ্যাও উব্রেখ করেছিলেন ৷ সাদ ইবন
উমায়লা ফাযারী ছিলেন ওই পত্রের বাহক ৷ পত্রটি ছিল এইং পর সমাচার মহান আল্লাহ্
পারসিকদের বিরুদ্ধে আমাদেরকে সাহায্য করেছেন ৷ প্রচণ্ড যুদ্ধের পর ওদের পুর্ববর্তীদের ন্যায়
ওদের বিরুদ্ধে আল্পাহ্ তা আলা আমাদেরকে বিজয় দান করেছেন ৷ ওরা এত অধিক স খ্যক
সৈন্য ও অস্ত্রশস্ত্র মুসলমানদের বিরুদ্ধে সমবেত করেছিল, যা ইতে তাপুর্বে কেউ দেখেনি ৷ কিন্তু
তাতে আল্লাহ্ তা জানা ওদেরকে কোন কল্যাণ দেননি, বরং ওরা ওই অস্ত্রশস্ত্র ও মালামাল রেখে
ণ্ণাণিয়েছে ৷ মহান আল্লাহ্ ওগুলো মুসলমলোঃদৱরুন্হাতে দিয়ে দিয়েছেন ৷ মুসলমানগণ ওদেরকে
নদীপথে, বনে-ৰাদাড়ে এবং পার্বত্য পথে ধাওয়৷ করেছেন ৷ যুদ্ধে সাদ ইবন উবায়দ কারী,
অমুক অমুক নিহত হয়েছেন এবং এমন বহু মুসলমান নিহত হয়েছেন যা একমাত্র আল্লাহ
তাআলা জানেন ৷ তাদের সম্পর্কে তাে তিনিই সম্পুর্ণ ওয়াকিফহাল ৷ মুসলিম মুজাহিদগণ
রাতের বেলা মৌমাছিৱ গুঞ্জনের ন্যায় গুণ গুণ করে কুরআন মজীদ তিলাওয়াত করতেন ৷ আর
দিনের বেলায় তারা সিংহের রুপ ধারণ করতেন, যে সিংহের কোন তৃলন৷ হয় না ৷ যার
পরপারে চলে গিয়োছন ওার৷ জীবিতদের চাইতে শাহাদাত বরণের বিশেষ মর্যাদা ব্যতীত অন
কোন অতিরিক্ত মর্যাদা লাভ করতে পারেন নি ৷ কারণ জীবিতদের জন্যে শাহাদাত বরণ মজ্জ্ব

হয়নি শুধু এতটুকু পার্থক্য ৷


رُسْتُمَ، وَكَانَ الَّذِي قَتَلَهُ رَجُلٌ يُقَالُ لَهُ: هِلَالُ بْنُ عُلَّفَةَ التَّيْمِيُّ. رَمَاهُ رُسْتُمُ بِنُشَّابَةٍ، فَأَصَابَ قَدَمَهُ، وَحَمَلَ عَلَيْهِ هِلَالٌ فَقَتَلَهُ وَاحْتَزَّ رَأْسَهُ، وَوَلَّتِ الْفُرْسُ، فَأَتْبَعَهُمُ الْمُسْلِمُونَ يُقَتِّلُونَهُمْ، فَأَدْرَكُوهُمْ فِي مَكَانٍ قَدْ نَزَلُوا فِيهِ وَاطْمَأَنُّوا، فَبَيْنَمَا هُمْ سُكَارَى قَدْ شَرِبُوا وَلَعِبُوا إِذْ هَجَمَ عَلَيْهِمُ الْمُسْلِمُونَ، فَقَتَلُوا مِنْهُمْ مَقْتَلَةً عَظِيمَةً، وَقُتِلَ هُنَالِكَ الْجَالِنُوسُ، قَتَلَهُ زُهْرَةُ بْنُ حَوِيَّةَ التَّمِيمِيُّ، ثُمَّ سَارُوا خَلْفَهُمْ فَكُلَّمَا تَوَاجَهَ الْفَرِيقَانِ نَصَرَ اللَّهُ حِزْبَ الرَّحْمَنِ، وَخَذَلَ حِزْبَ الشَّيْطَانِ وَعَبَدَةَ النِّيرَانِ، وَاحْتَازَ الْمُسْلِمُونَ مِنَ الْأَمْوَالِ مَا يَعْجَزُ عَنْ حَصْرِهِ مِيزَانٌ وَقَبَّانٌ، حَتَّى إِنَّ مِنْهُمْ مَنْ يَقُولُ: مَنْ يُقَايِضُ بَيْضَاءَ بِصَفْرَاءَ. لِكَثْرَةِ مَا غَنِمُوا مِنَ الْفُرْسَانِ. وَلَمْ يَزَالُوا يَتْبَعُونَهُمْ حَتَّى جَازُوا الْفُرَاتَ وَرَاءَهُمْ، وَفَتَحُوا الْمَدَائِنَ وَجَلُولَاءَ، عَلَى مَا سَيَأْتِي تَفْصِيلُهُ فِي مَوْضِعِهِ، إِنْ شَاءَ اللَّهُ تَعَالَى وَبِهِ الثِّقَةُ. وَقَالَ سَيْفُ بْنُ عُمَرَ عَنْ سُلَيْمَانَ بْنِ بَشِيرٍ، عَنْ أُمِّ كَثِيرٍ امْرَأَةِ هَمَّامِ بْنِ الْحَارِثِ النَّخَعِيِّ قَالَتْ: شَهِدْنَا الْقَادِسِيَّةَ مَعَ سَعْدٍ مَعَ أَزْوَاجِنَا، فَلَمَّا أَتَانَا أَنْ قَدْ فُرِغَ مِنَ النَّاسِ، شَدَدْنَا عَلَيْنَا ثِيَابَنَا وَأَخَذْنَا الْهَرَاوَى، ثُمَّ أَتَيْنَا الْقَتْلَى، فَمَنْ كَانَ مِنَ الْمُسْلِمِينَ سَقَيْنَاهُ وَرَفَعْنَاهُ، وَمَنْ كَانَ مِنَ الْمُشْرِكِينَ أَجْهَزْنَا عَلَيْهِ، وَمَعَنَا الصِّبْيَانُ فَنُوَلِّيهِمْ ذَلِكَ. تَعْنِي اسْتِلَابَهُمْ ; لِئَلَّا يَكْشِفْنَ عَنْ عَوْرَاتِ الرِّجَالِ. وَقَالَ سَيْفٌ بِأَسَانِيدِهِ عَنْ شُيُوخِهِ قَالُوا: وَكَتَبَ سَعْدٌ إِلَى عُمَرَ يُخْبِرُهُ بِالْفَتْحِ
পৃষ্ঠা - ৫৪৬৪


বর্ণিত আছে যে, খলীফাউমর (রা) কাদেসিয়ার যুদ্ধে বিজয় লাভের এই সুসংৰাদ মিম্বরে
দাড়িয়ে লোকজনব্লুক জানালেন ৷ এরপর তিনি তাদেরকে বললেন, এখন আমাদের প্রত্যেকের
যে সচ্ছলতা ও সামর্থ্য আছে আমি মনে করি তাতে আমাদের সকল অভাব পুরণ হয়ে যাবে ৷
যদি তাতে সকল অভাব পুরণ না হয় তাহলে আমরা কৃচ্চুতা সাধন করব ৷ যাতে পর্যাপ্ত
পরিমাণের পরিসীমাতে আমরা সকলে সমান হয়ে যেতে পারি ৷ আমি আশা করছি যে,
আপনাদের কল্যাণ সাধন সম্পর্কে আমার অস্তরে যে মনোভাব ও মানসিকতা আছে তা আপনারা
জেনে নিবেন ৷ আমি কাজ ছাড়া আপনাদেরকে অন্য কিছু শিক্ষা দেব না ৷ আমি আপনাদের
রাজ৷ নই যে, আপনাদের সাথে ক্রীতদাসেরন্যায় আচরণ করব ৷ আমি বরং আল্লাহ্রবান্দা ৷
তিনি এই আমানত আমাকে দিয়েছেন ৷ আমি যদি আপনাদেরকে এটি ফেরত দিয়ে আমি
আপনাদের অনুসরণ করি আর তাতে আপনারা নিজ নিজ ঘরে বসে বিনাশ্রমে তৃপ্তির সাথে
পানাহার করতে পারেন তবে আমি নিজেকে ধন্য মনে করব ৷ আর যদি ওই আমানত আমি
বহন করি আর আপনাদেরকে আমার বাড়ির দিকে লাইন ধরতে বলি তবে আমি নিজেকে
দুর্ভাগ৷ বলে গণ্য করব ৷ তাতে আ ৷মি অল্পই খুশি হব আর ভীষণভাবে দীর্ঘকাল ধরে দুঃখ পাব ৷
কারণ আমি তখন তা ফেরতও দিতে পারব না ঠিকমত রাখতেও পারব না ৷ এমন অবস্থা থেকে
আমি মুক্তি চাই ৷

সায়ফ তড়ার শায়খদের উদ্ধৃতি দিয়ে বলেছেন যে, তারা বলেছেন উযায়ব থেকে
আদন ই-আবয়ান পর্যন্ত সকল আরব কাদেসিয়া যুদ্ধের ফলাফলের প্রতীক্ষায় ছিল ৷ তারা মনে
করেছিল যে, এই যুদ্ধে বিজয়ী হলে তাদের রাজত্ব থাকবে আর পরাজিত হলে তাদের রাজত্বের
পতন ঘটবে ৷ প্রব্লুতাক শহরবাসী নিজেদের পক্ষ থেকে দুত পাঠিব্লুয়ছিল খবর সংগ্রহের জন্যে ৷
তারপর মুসলমানগণ যখন বিজয়ী হলেন তখন সবার আগে জিনগণ শহরের আনাচে-কানাচে
এই সুসংৰাদ ছড়িয়ে দিল ৷ মানুষ দুতদের পুর্বেই তারা সমগ্র অঞ্চলে এই সংবাদ প্রচার করে
দিল ৷ জনৈক মহিলা রাব্লুও র বেলা সানাআর পর্বত শৃঙ্গে নিম্নের কবিতা আবৃত্তি করেছিল ং

আমাদের পক্ষ থেকে ইকরিমা বিনত খালিদকে অভিনন্দন জানিয়ে দাও ৷ পরিমাণে কম
হলেও খাটি ও নির্ডেজাল বস্তু উত্তম সম্বল ৷

আমার পক্ষ থেকে সুর্যকে অজ্যিন্দন জানিয়ে দিও তার উদয়ের সময় ৷ আমার পক্ষ থেকে
অজািন্দন জানিয়ে দিও প্রত্যেক শিরস্ত্রাণ পরিহিত সৈনিককে ৷



আমার পক্ষে নাখঈ সম্প্রদায় তোমাকে অভিনন্দন জানড়াচ্ছে ৷ তারা সকলে গৌরবর্ণ উজ্জ্বল
মুখ ৷ তারা মুহাম্মদনোং এর প্রতি ঈমান এনেছে ৷

শ্শ্০ষ্ # শ্ণ্ষ্ : #
তারা পারস্য সম্রাটের বিরুদ্ধে র্দাড়িয়েছিল ৷ তার সৈন্যদেরকে তারা আক্রমণ করেছে

দুধারি ভারতীয় তরবারি দ্বারা ৷


وَبِعِدَّةِ مَنْ قَتَلُوا مِنَ الْمُشْرِكِينَ، وَبِعِدَّةِ مَنْ قُتِلَ مِنَ الْمُسْلِمِينَ، وَبَعَثَ بِالْكِتَابِ مَعَ سَعْدِ بْنِ عُمَيْلَةَ الْفَزَّارِيِّ، وَصُورَتُهُ: أَمَّا بَعْدُ، فَإِنَّ اللَّهَ نَصَرَنَا عَلَى أَهْلِ فَارِسَ، وَمَنَحَهُمْ سَنَنَ مَنْ كَانَ قَبْلَهُمْ مِنْ أَهْلِ دِينِهِمْ بَعْدَ قِتَالٍ طَوِيلٍ، وَزِلْزَالٍ شَدِيدٍ، وَقَدْ لَقُوا الْمُسْلِمِينَ بِعِدَّةٍ لَمْ يَرَ الرَّاءُونَ مِثْلَ زُهَائِهَا، فَلَمْ يَنْفَعْهُمُ اللَّهُ بِذَلِكَ بَلْ سُلِبُوهُ، وَنَقَلَهُ عَنْهُمْ إِلَى الْمُسْلِمِينَ، وَأَتْبَعَهُمُ الْمُسْلِمُونَ عَلَى الْأَنْهَارِ، وَصُفُوفِ الْآجَامِ، وَفِي الْفِجَاحِ، وَأُصِيبَ مِنَ الْمُسْلِمِينَ سَعْدُ بْنُ عُبَيْدِ الْقَارِّيُّ وَفُلَانٌ وَفُلَانٌ، وَرِجَالٌ مِنَ الْمُسْلِمِينَ لَا يَعْلَمُهُمْ إِلَّا اللَّهُ، فَإِنَّهُ بِهِمْ عَالِمٌ، كَانُوا يُدَوُّونَ بِالْقُرْآنِ إِذَا جَنَّ عَلَيْهِمُ اللَّيْلُ كَدَوِيِّ النَّحْلِ، وَهُمْ آسَادٌ فِي النَّهَارِ لَا تُشْبِهُهُمُ الْأُسُودُ، وَلَمْ يُفَضُلْ مَنْ مَضَى مِنْهُمْ مَنْ بَقِيَ إِلَّا بِفَضْلِ الشَّهَادَةِ إِذَا لَمْ تُكْتَبُ لَهُمْ. فَيُقَالُ: إِنَّ عُمَرَ قَرَأَ هَذِهِ الْبِشَارَةَ عَلَى النَّاسِ فَوْقَ الْمِنْبَرِ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمْ. ثُمَّ قَالَ عُمَرُ لِلنَّاسِ: إِنِّي حَرِيصٌ عَلَى أَنْ لَا أَرَى حَاجَةً إِلَّا سَدَدْتُهَا مَا اتَّسَعَ بَعْضُنَا لِبَعْضٍ، فَإِذَا عَجَزَ ذَلِكَ عَنَّا تَأَسَّيْنَا فِي عَيْشِنَا حَتَّى نَسْتَوِيَ فِي الْكَفَافِ، وَلَوَدِدْتُ أَنَّكُمْ عَلِمْتُمْ مِنْ نَفْسِي مِثْلَ الَّذِي وَقَعَ فِيهَا لَكُمْ، وَلَسْتُ مُعْلِمَكُمْ إِلَّا بِالْعَمَلِ، إِنِّي وَاللَّهِ لَسْتُ بِمَلِكٍ فَأَسْتَعْبِدَكُمْ، وَلَكِنِّي عَبْدُ اللَّهِ، عَرَضَ عَلَيَّ الْأَمَانَةَ، فَإِنْ أَبَيْتُهَا وَرَدَدْتُهَا عَلَيْكُمْ وَاتَّبَعْتُكُمْ حَتَّى تَشْبَعُوا فِي بُيُوتِكُمْ وَتَرْوَوْا سَعِدْتُ بِكُمْ، وَإِنْ أَنَا حَمَلْتُهَا وَاسْتَتْبَعْتُهَا إِلَى بَيْتِي شَقِيتُ بِكُمْ، فَفَرِحْتُ
পৃষ্ঠা - ৫৪৬৫


যুদ্ধে আহ্বানকারীর আহ্বান শুনলে তারা যুদ্ধে উপস্থিত হয়ে উৎপাটিত ঘন কালো জৎলী
বৃক্ষের ন্যায় মৃত ও নিহতের সারি সৃষ্টি করে দেয় ৷
ইয়ামামার অধিবাসিগণ জনৈক পথিক বা বলতে শুনেছিল ৷ সে নিম্নের কবি৩ ৷ আবৃত্তি করে
যাচ্ছিল ?
যুদ্ধের দিন সকালে সম্মানিত লোকদের মধ্যে আমি বনু তামীম গোত্রের লোকদেরকে
পেয়েছি ৷ ওদের অধিকাংশই বীর পুরুষ ও সাহসী ৷

৩ ষ্

ওরা গভীর অন্ধকারাচ্ছন্ন রাতে এগিয়ে গিয়েছে শত্রু সেনাদের উদ্দেশ্যে ৷ যাদেরকে তারা
দক্ষতাও অভিজ্ঞ৩ ৷য় উট পাখির ন্যায় মনে করত ৷

×

শ্নধ্স্থুও১

ওরা এগিয়ে গিয়েছে এমন সৈন্যদলের বিরুদ্ধে যারা ছিল পারস্য সম্রাটের জন্যে সমুদ্রের
ন্যায় ৷ এবং বনের সিংহের ন্যায়, দৃঢ়তা ও স্থিরতড়ায় তুমি তাদেরকে পর্বত মনে করবে ৷

ওদের অপেক্ষায় আছে কাদেসিয়াতে শত্রু সেনাদল গৌরব ও অহংকার নিয়ে ৷ আরো
অপেক্ষায় আছে খায়ফায়ন অঞ্চলে দীর্ঘদিন যাবত ৷

; ; , এ এ ০ , শ্ শ্ ব্লু


ওরা হাত কাটা, লম্বা লম্বা নলা বিশিষ্ট নওজােয়ান ৷ তারা পুর্ণবয়স্ক যােদ্ধাদের মুকাবিলা
করে ৷

ঐতিহাসিকগণ বলেন, আরবের সর্বত্র এ ধরনের সংবাদ শোনা গিয়েছে ৷ ওদিকে খালিদ
ইবন ওয়ালীদ ইতিপুর্বে ইরাক জয় করে, ওদেরকে যে চুক্তিবদ্ধ করেছিলেন ইতিমধ্যে তারা
সকলেই চুক্তি ভেঙ্গে ফেলেছিল ৷ একমাত্র বানকিযা ও বারিসমার অধিবাসী ব্যতীত
লোঃএব অধিবাসীগণও চুক্তি রক্ষা করেছিল ৷ কাদেসিয়ার যুদ্ধে মুসলমানদের বিজয় লাভের
পর চুক্তি ভঙ্গকারী সকলে পুনরায় চুক্তিতে ফিরে আসে ৷ তারা দাবি করে যে, পারসিকগণ চুক্তি
ভঙ্গ করতে তাদেরকে বাধ্য করেছিল এবং ওদের থেকে খাজনা নিয়ে গিয়েছিল ৷ মুসলমানগণ
ওদেরকে আকৃষ্ট করার জন্যে ওদের যুক্তি গ্রহণ করেন এবং তা সত্য বলে মেনে নেন ৷
আমাদের কিতাব “আল আহকামুল কবীরে” আমরা গ্রাম্য অধিবাসীদের বিধান আলোচনা করা
ইনশাআল্লাহ্ ৷ ইবন ইসহাক ও অন্যরা এ অভিমত ব্যক্ত করেছেন যে, কাদেসিয়া যুদ্ধ সংঘটিত
হয়েছে ১৫ হিজরীতে ৩৷ ওয়াকিদী বলেছেন ১৬ হিজরীতে ৷ সায়ফ ইবন উমর ও একদল
ঐতিহাসিক বলেছেন ১৪ হিজরীতে স৩ ঘটিত হয়েছে ৷ ইবন জারীরও ১৪ হিজরীতে সংঘটিত
হবার কথা বলেছেন ৷ আল্লাহ্ই ভাল জানেন ৷


قَلِيلًا وَحَزِنَتْ طَوِيلًا، فَبَقِيتُ لَا أُقَالُ وَلَا أُرَدُّ فَأُسْتَعْتَبَ. وَقَالَ سَيْفٌ عَنْ شُيُوخِهِ قَالُوا: وَكَانَتِ الْعَرَبُ مِنَ الْعُذَيْبِ إِلَى عَدَنِ أَبْيَنَ يَتَرَبَّصُونَ وَقْعَةَ الْقَادِسِيَّةَ هَذِهِ، يَرَوْنَ أَنَّ ثَبَاتَ مُلْكِهِمْ وَزَوَالَهُ بِهَا، وَقَدْ بَعَثَ أَهْلُ كُلِّ بَلْدَةٍ قَاصِدًا يَكْشِفُ مَا يَكُونُ مِنْ خَبِرِهِمْ، فَلَمَّا كَانَ مَا كَانَ مِنَ الْفَتْحِ سَبَقَتِ الْجِنُّ بِالْبِشَارَةِ إِلَى أَقْصَى الْبِلَادِ قَبْلَ رُسُلِ الْإِنْسِ، فَسُمِعَتِ امْرَأَةٌ لَيْلًا بِصَنْعَاءَ عَلَى رَأْسِ جَبَلٍ وَهِيَ تَقُولُ: فَحُيِّيتِ عَنَّا عِكْرِمَ ابْنَةَ خَالِدٍ ... وَمَا خَيْرُ زَادٍ بِالْقَلِيلِ الْمُصَرِّدِ وَحَيَّتْكِ عَنِّي الشَّمْسُ عِنْدَ طُلُوعِهَا ... وَحَيَّاكِ عَنِّي كُلُّ نَاجٍ مُفَرَّدِ وَحَيَّتْكِ عَنِّي عُصْبَةٌ نَخَعِيَّةٌ ... حِسَانُ الْوُجُوهِ آمَنُوا بِمُحَمَّدِ أَقَامُوا لِكِسْرَى يَضْرِبُونَ جُنُودَهُ ... بِكُلِّ رَقِيقِ الشَّفْرَتَيْنِ مُهَنَّدِ إِذَا ثَوَّبَ الدَّاعِي أَنَاخُوا بِكَلْكَلٍ ... مِنَ الْمَوْتِ مُسْوَدِّ الْغَيَاطِلِ أَجْرَدِ قَالُوا: وَسَمِعَ أَهْلُ الْيَمَامَةِ مُجْتَازًا يُغَنِّي بِهَذِهِ الْأَبْيَاتِ: وَجَدْنَا الْأَكْثَرِينَ بَنِي تَمِيمٍ ... غَدَاةَ الرَّوْعِ أَكْثَرَهُمْ رِجَالَا هُمُ سَارُوا بِأَرْعَنَ مُكْفَهِرٍّ ... إِلَى لَجَبٍ فَزَرَّتْهُمْ رِعَالَا بُحُورٌ لِلْأَكَاسِرِ مِنْ رِجَالٍ ... كَأُسْدِ الْغَابِ تَحْسَبُهُمْ جِبَالَا
পৃষ্ঠা - ৫৪৬৬


ইবন জারীর এবং ওয়াকিদী বলেছেন যে, ১৪ হিজ্জীতে খলীফা উমর ইবন খাত্তাব (বা)
লোকজনকে উবাই ইবন কাবের ইমামতিতে জামাআতের সাথে তারাৰীহ্-এর নামায আদায়ের
ব্যবস্থা করে দেন ৷ এটি ছিল ১৪ হিজরীর রমযান মাংস ৷ তিনি সকল শহরে রমযান মাসে
তারাবীহ-এর নামায জামাআভে আদায় করার লিখিত নির্দেশ পাঠিয়েছিলেন ৷

ইবন জারীর বলেন, এই হিজরী:সনে খলীফা উমর ইবন খাত্তাব (রা) উতৰা ইবন
পাযওয়ানকে বসরা পাঠিয়েছিলেন ৷ উতৰা নিজে এবং তার সাথী মুসলমানগণ সকলে মিলিত
হয়ে যেন মাদাইনে ও তার আশেপাশে অবস্থানকারী অবশিষ্ট পারসিকদেরকে শেষ করে দেন
তিনি ওই নির্দেশ দিয়েছিলেন ৷ এটি ঐতিহাসিক মাদইির্নীএর বর্ণনা ৷

সায়ফ ইবন উমর মনে করেন যে, ১৬ হিজরী সনের রবিউল আউয়াল-রবিউল সানী
ঋতৃতে বসরা শহর প্রতিষ্ঠিত হয় ৷ আর উতৰা ইবন পাযওয়ান মাদাইন থেকে বসরা
গিয়েছিলেন জালুলা ও তিকরীতে যুদ্ধের পর ৷ জালুলা ও তিকরীত যুদ্ধ শেষ হবার পর
সেনাপতি সাদ খলীফা উমরের নির্দেশে উতৰা ইবন পাযওয়ানকে বসরা প্রেরণ করেন ৷ মহান
আল্লাহ্ তাদের সকলের প্রতি সন্তুষ্ট হোন ৷ আবু মিখনাফ বর্ণনা করেছেন মুজালিদ সুত্রে শাবী

(র) থেকে যে, উমর (বা) তিনি শতাধিক যােদ্ধাসহ উতৰা ইবন গাযওয়ানকে বসরা প্রেরণ
করেন ৷ আরো আরব বেদুঈন যোগ দেয়ার ফলে তাদের সংখ্যা পাচশোতে পুর্ণ হয় ৷ ১৪ হিজরী
সনের রবিউল আউয়াল মাসে তিনি বসরায় গিয়ে পৌছেন ৷ সেকালে বসরায় নাম ছিল
হিন্দতুমি ৷ সেটি ছিল কঠিন শ্বেত পাথরের দেশ ৷ তিনি তার সাথীদের থাকার জন্যে একটি
উপযুক্ত স্থান খুজছিলেন ৷ এক পর্যায়ে তারা ছোটপুল এলাকায় এসে পেবৈছন ৷ সেখানে তারা
একটি বৃক্ষ-বন ও বাড়ম্ভ বাশঝাড় দেখতে পান ৷ তারা সেখানে অবতরণ করেন এবং তড়াবু
তৈরি করেন ৷ ফোরাত অধিপতি তার চার হাজার অশ্বারোহী নিয়ে তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে
আসে ৷ মধ্যাহ্নের পর উতৰা তার মুখোমুখি হন ৷ তিনি প্রতিপক্ষের উপর আক্রমণ চালানোর
জন্যে তার সঙ্গীদেরকে নির্দেশ দেন ৷ তারা ওদের উপর আক্রমণ করেন ৷ সকল পারসিক
সৈন্যকে র্তারা হত্যা করেন ৷ ফোরাত অধিপতি রাজাকে র্তারা বন্দী করেন ৷ এ পর্যায়ে উতৰা
তার সঙ্গীদের উদ্দেশ্যে ভাষণ প্রদান করেন ৷ ভাষণে তিনি বলেন, দুনিয়া তো শেষ হয়ে যাবার
অনুমতি নিয়ে নিয়েছে ৷ সেটি ৰিদায়ের পথে চলেছে ৷ এখন তার আয়ুষ্কাল মাত্র পাত্রে থাকা
অবশিষ্ট পানির ন্যায় ৷ আপনারা এই দুনিয়া ছেড়ে চিরস্থায়ী জগতে স্থানান্তরিত হবেন ৷ সুতরাং
এখানে যে অবস্থায় আছেন তার চইিতে উত্তম সম্বল নিয়ে স্থানান্তরিত হোন ৷

আমাকে জানানো হয়েছে যে, জাহান্নামের তীর থেকে যদি একটি পাথর ভেতরে নিক্ষেপ
করা হয় তবে তার গভীরে গিয়ে পৌছতে ৭০ বছর লাগবে ৷ ওই জাহান্নাম তো মানুষ দ্বারা ভর্তি
করা হয়ে এতে আপনারা কি অবাক হচ্ছেন : আমার নিকট আরো আলাের্চনা করা হয়েছে যে,
জান্নাতের দরজার দৃ’কপাটের মধ্যবর্তী ব্যবধান হবে ৪০ বছরের পথ ৷ এমন একদিন আসবে
যা ভয়ংকর ও ভয়ানক ৷ একবার আমি সাতজনের মধ্যে সপ্তম ছিলাম ৷ আমি রাসুলুল্পাহ্

স্রএর সাথে ছিলাম ৷ সামুরাহ বৃক্ষের পাতা ছাড়া আমাদের নিকট কোন খাদ্য-সামগ্রী ছিল
না৷ ওই পৃড়াতা খেতে খেতে আমাদের ঠেটি কোট গিয়েছিল ৷ চােয়ালে ঘা হয়ে গিয়েছিল ৷ আমি
একটি চাদর কুড়িয়ে পেয়েছিলাম ৷ আমি আর সাদ দৃ’জনে সেটি ভাগ করে নিয়েছিলাম ৷


تَرَكْنَ لَهُمْ بِقَادِسَ عِزَّ فَخْرٍ وَبِالْخَيْفَيْنِ أَيَّامًا طِوَالَا ... مُقَطَّعَةً أَكُفُّهُمُ وَسُوقٌ بِمُرْدٍ حَيْثُ قَابَلَتِ الرَّجَّالَا قَالُوا: وَسُمِعَ ذَلِكَ فِي سَائِرِ بِلَادِ الْعَرَبِ. وَقَدْ كَانَتْ بِلَادُ الْعِرَاقِ بِكَامِلِهَا الَّتِي فَتَحَهَا خَالِدٌ نَقَضَتِ الْعُهُودَ وَالذِّمَمَ وَالْمَوَاثِيقَ الَّتِي كَانُوا أَعْطَوْهَا خَالِدًا سِوَى أَهْلِ بَانِقْيَا وَبَارُوسْمَا وَأَهْلِ أُلَّيْسٍ الْآخِرَةِ، ثُمَّ عَادَ الْجَمِيعُ بَعْدَ هَذِهِ الْوَاقِعَةِ الَّتِي أَوْرَدْنَاهَا، وَادَّعَوْا أَنَّ الْفُرْسَ أَجْبَرُوهُمْ عَلَى نَقْضِ الْعُهُودِ، وَأَخَذُوا مِنْهُمُ الْخَرَاجَ وَغَيْرَ ذَلِكَ. فَصَدَّقُوهُمْ فِي ذَلِكَ ; تَأَلُّفًا لِقُلُوبِهِمْ، وَسَنَذْكُرُ حُكْمَ أَهْلِ السَّوَادِ فِي كِتَابِنَا " الْأَحْكَامِ الْكَبِيرِ " إِنْ شَاءَ اللَّهُ تَعَالَى. وَقَدْ ذَهَبَ ابْنُ إِسْحَاقَ وَغَيْرُهُ إِلَى أَنَّ وَقْعَةَ الْقَادِسِيَّةِ كَانَتْ فِي سَنَةِ خَمْسَ عَشْرَةَ. وَزَعَمَ الْوَاقِدِيُّ أَنَّهَا كَانَتْ فِي سَنَةِ سِتَّ عَشْرَةَ. وَأَمَّا سَيْفُ بْنُ عُمَرَ وَجَمَاعَةٌ فَذَكَرُوهَا فِي سَنَةِ أَرْبَعَ عَشْرَةَ، وَفِيهَا ذَكَرَهَا ابْنُ جَرِيرٍ. فَاللَّهُ أَعْلَمُ. قَالَ ابْنُ جَرِيرٍ وَالْوَاقِدِيُّ: وَفِي سَنَةِ أَرْبَعَ عَشْرَةَ جَمَعَ عُمَرُ بْنُ الْخَطَّابِ النَّاسَ عَلَى أُبَيِّ بْنِ كَعْبٍ فِي التَّرَاوِيحِ، وَذَلِكَ فِي شَهْرِ رَمَضَانَ مِنْهَا، وَكَتَبَ إِلَى سَائِرِ الْأَمْصَارِ يَأْمُرُهُمْ بِالِاجْتِمَاعِ فِي قِيَامِ شَهْرِ رَمَضَانَ.
পৃষ্ঠা - ৫৪৬৭


আমাদের সেই স্যতজনের প্রতিজনই এখন কোন না কোন শহরের শাসনকর্তা নিয়ােজি
আছেন ৷ আমাদের পরে তারা মানুষ সম্পর্কে আরো অনেক অভিজ্ঞতা অর্জন করেন ৷ এই
হাদীসঢি প্রায় এভাবে সহীহ মুসলিম গ্রন্থে উল্লিখিত হয়েছে ৷

আলী ইবন মুহাম্মদ মাদাইনী বর্ণনা করেছেন যে, খলীফাই ৬মর (রা) উ৩ বা ইবন
গড়াযওয়ানকে যখন বসর৷ পাঠাচ্ছিলেন তপন তাকে লিখেছিলেন, “৫ হউতবা৷ আড়াম আপনাকে
হিন্দ ভুামব প্রশাসক নিযুক্ত করছি ৷ যেটি একটি শত্রুর ভিগাে ৷ ওখানে আমাদের বহু শত্রু
রয়েছে ৷ আমি আশা করছি যে, মহান আল্লাহ আপনাকে রক্ষা করবেন ৷ শত্রুর বিরুদ্ধে
আপনাকে সাহায্য করবেন ৷ আমি আনা ইবন হাযরামীর নিকট লিখোছগ্র আংৰুাজ্যহ্ ইবন
হারছামাহ্কে পাঠিয়ে আপনাকে সহযোগিতা করার জন্যে ৷ আরকাজাহ্ আপনার নিকট এলে
তার সাথে পরামর্শ করবেন এবং তাকে কাছে টেনে নিবেন ৷ মহান আল্লাহর পথে লোকজনকে
ডাকবেন ৷ যে আল্লাহর পথে আসতে অস্বীকার করার তাকে অনুগত হয়ে জিঘৃয়৷ কর দিতে
বলবেন ৷ অন্যথায় তরৰারি হবে মীমাংসাকাবী ৷ আপনাকে যে দায়িত্ব দেয়৷ হয়েছে তা পালনে
ন্স্পহ ভয় করবেন ৷ সতর্ক থাকবেন আপনার প্ৰবৃাত্ত যেন অ পনার অন্ <হ্কহ্বরের দিকে টেনে
নাি: ন্৷ যায় ৷ তাহলে আপনার অ্যাখরাত নষ্ট হবে ৷
মনে রাখবেন, আপনি রাসুলুল্পাহহ্রহৃনুএর সাহচর্য পেয়েছেন ৷ লাঞ্চুনাও শ্প্ণ্ণ্া৷ষ্ন্ৰ্ পর সৎ:ত্ত্বনঃ
লাভ করেছেন ৷ দুর্বল থাকার পর শক্তিশালী হয়েছেন ৷ এখন আপান একজন স্পাতান্ষ্
প্রশাসক ৷ আনুগত্যপ্রাপ্ত রাজা ৷ তআপনি যা বলেন ত৷ শ্রবণ করা হয় ৷ আপনার নির্দেশ পালন

(৭া

প্রাপ্য (ব্লকে উপরে তুলে দেয় এর যাপ্৷ সোই ষ্ হ্ র৷ শ্শ্াপনার ত: ৷নন্থদের ণ্উন্ন্ দন্তু করা নয়
পাপ থেকে যেমন বাচিয়ে রাখেন নি৷ জকে তেমনি নি আম৩ ন্ ও ৰিলাঢি ৩ ৷ ৷পুপকে ণ্ ৷ শ্ ;৷ র? ৷ত
হবে ৷ আপনার জন্যে আমার অধিকতর ভয় সেটি, যে ক্রমে ক্রমে দুনিয়া আপনাকে ভ্রহ্,-ন্দ্বু ন্ ণ্ণ্;র
নেয় এবং আপনাকে প্রভাবিত করে ৷ যদি আপনি প্রণ্ ভ্রাবিত হন ২লে৩৷ এমন পড়া পক্তৃন্ ণ্ণ্, যে
একবারে জাহান্নামের গভীরে গিয়ে পােছবেন ৷ আমি আমাকে এবং আপন৷ ক তা থেকে রক্ষা
করার জন্যে ম হান আল্লাহর আশ্রয় কামনা করছি ৷ মানুষ খুব দ্রুত আল্লাহর পথে অগ্রসর
হয়েছে ৷ এক পর্যায়ে তাদের সম্মুখে পার্থিব ধন-সম্পদ ভোপবিলাস তুলে ধরা হলো ৷ এবার
তারা দুনিয়া কামনা করল ৷ আল্লাহ তাদেরকে ফিরিয়ে দিলেন ৷ আপনি দুনিয়া পাওয়ার ইচ্ছা
করবেন না ৷ জালিমদের বাসস্থান থেকে আপনি নিজেকে রক্ষা করুন ৷

এই সনের রজব কিৎব৷ শা বান মাসে উ৩ বা (রা) উবুল্লা অক্রো জয় করেন ৷ এই সনেত
ওফাত হয় ৷ র্ত ৷র ইনতিকালের পর খলীফা উমর (রা) তদন্থলে ম গীব৷ ইবন শু বাকে বসরার
শাসনকর্তা নিয়োগ করেন ৷ দু বছর তিনি এই দায়িৎ পালন করেন ৷ এরপর কথিত অভিযোগে
তিনি অভিযুক্ত হন ৷ খলীফা র্তাকে অপসারণ করেন এবং হযরত আবু মুসা আশআরী (রা)-কে
শাসনকর্তা নিয়োগ করেন ৷

এই বছরই খলীফা নিজে এবং তার সাথে আরো কতক লোক মিলে খলীফাপুত্র
উবায়দৃল্লাহ্কে মদপানের অপরাধে বেত্রাঘাত করেন ৷ এই বছরই মদ পাশের অপরাধে আবু
যিহজান একে একে সাতবার শাস্তি ভোগ করেন ৷ তার সাথে রাবীআ ইবন উমইিয়া ইবন


قَالَ ابْنُ جَرِيرٍ: وَفِيهَا بَعَثَ عُمَرُ بْنُ الْخَطَّابِ عُتْبَةَ بْنَ غَزْوَانَ إِلَى الْبَصْرَةِ، وَأَمَرَهُ أَنْ يَنْزِلَ بِهَا بِمَنْ مَعَهُ مِنَ الْمُسْلِمِينَ، وَقَطْعِ مَادَّةِ أَهْلِ فَارِسَ عَنِ الَّذِينَ بِالْمَدَائِنِ وَنَوَاحِيهَا مِنْهُمْ، فِي قَوْلِ الْمَدَائِنِيِّ. وَرِوَايَتُهُ قَالَ: وَزَعَمَ سَيْفٌ أَنَّ الْبَصْرَةَ إِنَّمَا مُصِّرَتْ فِي رَبِيعٍ مِنْ سَنَةِ سِتَّ عَشْرَةَ، وَأَنَّ عُتْبَةَ بْنَ غَزْوَانَ إِنَّمَا خَرَجَ إِلَى الْبَصْرَةِ مِنَ الْمَدَائِنِ بَعْدَ فَرَاغِ سَعْدٍ مِنْ جَلُولَاءَ وَتَكْرِيتَ، وَجَّهَهُ إِلَيْهَا سَعْدٌ بِأَمْرِ عُمَرَ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمْ. وَقَالَ أَبُو مِخْنَفٍ عَنْ مَجَالِدٍ، عَنِ الشَّعْبِيِّ: إِنَّ عُمَرَ بَعَثَ عُتْبَةَ بْنَ غَزْوَانَ إِلَى أَرْضِ الْبَصْرَةِ فِي ثَلَاثِمِائَةٍ وَبِضْعَةَ عَشَرَ رَجُلًا، وَسَارَ إِلَيْهِ مِنَ الْأَعْرَابِ مَا كَمَّلَ مَعَهُ خَمْسَمِائَةٍ، فَنَزَلَهَا فِي رَبِيعٍ الْأَوَّلِ سَنَةَ أَرْبَعَ عَشْرَةَ، وَالْبَصْرَةُ يَوْمَئِذٍ تُدْعَى أَرْضَ الْهِنْدِ، فِيهَا حِجَارَةٌ بِيضُ خَشِنَةٌ، وَجَعَلَ يَرْتَادُ لَهُمْ مَنْزِلًا حَتَّى جَاءُوا حِيَالَ الْجِسْرِ الصَّغِيرِ، فَإِذَا فِيهِ حَلَفٌ وَقَصَبٌ نَابِتٌ فَنَزَلُوا، فَرَكِبَ إِلَيْهِمْ صَاحِبُ الْفُرَاتِ فِي أَرْبَعَةِ آلَافِ أُسْوَارٍ، فَالْتَقَاهُ عُتْبَةُ بَعْدَمَا زَالَتِ الشَّمْسُ، وَأَمَرَ أَصْحَابَهُ فَحَمَلُوا عَلَيْهِمْ فَقَتَلُوا الْفُرْسَ عَنْ آخِرِهِمْ، وَأَسَرُوا صَاحِبَ الْفُرَاتِ، وَقَامَ عُتْبَةُ خَطِيبًا فَقَالَ فِي خُطْبَتِهِ: إِنَّ الدُّنْيَا قَدْ آذَنَتْ بِصُرْمٍ، وَوَلَّتْ حَذَّاءَ، وَلَمْ يَبْقَ مِنْهَا إِلَّا صُبَابَةٌ كَصُبَابَةِ الْإِنَاءِ، وَإِنَّكُمْ مُنْتَقِلُونَ مِنْهَا إِلَى دَارِ الْقَرَارِ، فَانْتَقِلُوا بِخَيْرِ مَا
পৃষ্ঠা - ৫৪৬৮
بِحَضْرَتِكُمْ، فَقَدْ ذُكِرَ لِي لَوْ أَنَّ صَخْرَةً أُلْقِيَتْ مِنْ شَفِيرِ جَهَنَّمَ هَوَتْ سَبْعِينَ خَرِيفًا وَلَتَمْلَأْنَّهُ، أَوَعَجِبْتُمْ؟ ! وَلَقَدْ ذُكِرَ لِي أَنَّ مَا بَيْنَ مِصْرَاعَيْنِ مِنْ مَصَارِيعِ الْجَنَّةِ مَسِيرَةَ أَرْبَعِينَ عَامًا، وَلَيَأْتِينَ عَلَيْهِ يَوْمٌ وَهُوَ كَظِيظٌ مِنَ الزِّحَامِ، وَلَقَدْ رَأَيْتُنِي وَأَنَا سَابِعُ سَبْعَةٍ، وَأَنَا مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَا لَنَا طَعَامٌ إِلَّا وَرَقُ السَّمُرِ، حَتَّى تَقَرَّحَتْ أَشْدَاقُنَا، وَالْتَقَطْتُ بُرْدَةً فَشَقَقْتُهَا بَيْنِي وَبَيْنَ سَعْدٍ فَمَا مِنَّا مِنْ أُولَئِكَ السَّبْعَةِ مِنْ أَحَدٍ إِلَّا هُوَ أَمِيرٌ عَلَى مِصْرٍ مِنَ الْأَمْصَارِ، وَسَتُجَرِّبُونَ النَّاسَ بَعْدَنَا. وَهَذَا الْحَدِيثُ فِي " صَحِيحِ مُسْلِمٍ " بِنَحْوٍ مِنْ هَذَا السِّيَاقِ. وَرَوَى عَلِيُّ بْنُ مُحَمَّدٍ الْمَدَائِنِيُّ، أَنَّ عُمَرَ كَتَبَ إِلَى عُتْبَةَ بْنِ غَزْوَانَ حِينَ وَجَّهَهُ إِلَى الْبَصْرَةِ: يَا عُتْبَةُ إِنِّي اسْتَعْمَلْتُكَ عَلَى أَرْضِ الْهِنْدِ، وَهِيَ حَوْمَةٌ مِنْ حَوْمَةِ الْعَدُوِّ، وَأَرْجُو أَنْ يَكْفِيَكَ اللَّهُ مَا حَوْلَهَا، وَأَنْ يُعِينَكَ عَلَيْهَا، وَقَدْ كَتَبْتُ إِلَى الْعَلَاءِ بْنِ الْحَضْرَمِيِّ يُمِدُّكَ بِعَرْفَجَةَ بْنِ هَرْثَمَةَ، فَإِذَا قَدِمَ عَلَيْكَ فَاسْتَشِرْهُ وَقَرِّبْهُ، وَادْعُ إِلَى اللَّهِ، فَمَنْ أَجَابَكَ فَاقْبَلْ مِنْهُ وَمَنْ أَبَى فَالْجِزْيَةُ عَنْ صِغَارٍ وَذِلَّةٍ، وَإِلَّا فَالسَّيْفُ فِي غَيْرِ هَوَادَةٍ، وَاتَّقِ اللَّهَ فِيمَا وُلِّيتَ، وَإِيَّاكَ أَنْ تُنَازِعَكَ نَفْسُكَ إِلَى كِبْرٍ فَتُفْسِدَ عَلَيْكَ آخِرَتَكِ، وَقَدْ صَحِبْتَ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَعَزَزْتَ بِهِ بَعْدَ الذِّلَّةِ، وَقَوِيتَ بِهِ بَعْدَ الضَّعْفِ، حَتَّى صِرْتَ أَمِيرًا مُسَلَّطًا، وَمَلِكًا مُطَاعًا، تَقُولُ فَيُسْمَعُ مِنْكَ، وَتَأْمُرُ فَيُطَاعُ أَمْرُكَ، فَيَا لَهَا نِعْمَةٍ إِنْ لَمْ تَرْقَ فَوْقَ قَدْرِكَ وَتَبْطَرْ عَلَى مَنْ دُونَكَ، احْتَفِظْ مِنَ النِّعْمَةِ احْتِفَاظَكَ مِنَ الْمَعْصِيَةِ، وَلَهِيَ أَخْوَفُهُمَا عِنْدِي عَلَيْكَ أَنْ تَسْتَدْرِجَكَ وَتَخْدَعَكَ فَتَسْقُطَ سَقْطَةً فَتَصِيرَ بِهَا إِلَى جَهَنَّمَ،
পৃষ্ঠা - ৫৪৬৯


খালফও শাস্তি ভোগ করেন ৷ এই বছরেই সা দ ইবন আবী ওয়াক্কাস কুফ্৷ নগরীতে পদার্পণ
করেন ৷ হযরত উমর ইবন খাত্তাব (রা) এই বছর জনসাধারণকে সাথে নিয়ে নিজে আমীরুল
হজ্জ হয়ে হজ্জ সম্পাদন করেন ৷ তখন মক্কার শাসনকর্তা ছিলেন আত্তাব ইবন আসীদ, সিরিয়ায়
আবুউবায়দা, বাহরায়নে উসমান ইবন আরিল আস, মতান্তার সেখানে আলি ইবন হাষরামী,
ইরাকে সাল এবং ওমানে শাসনকর্তা ছিলেন হুযায়ফা ইবন হাসান ৷

১৪ র্মুইজৰী সালে যে সকল প্রুসিদ্ধ লোক ইন্তিকাল করেন

এক বর্ণনায় আছে যে, ১ সা দ ইবন উৰাদ৷ (রা) এই হিজরী সালে ইন্তিকাল করেন ৷
বিশুদ্ধ ম৩ ৷নুযায়ী তার ওফাত হয়েছে ১৩ হিজরী সালে ৷ ২ উতবা ইবন গাযওয়ান ইবন জাবিব
ইবন হাযৱ আল মুযানী (রা) ৷ তিনি আব্দ শামস গোত্রের মিত্র ছিলেন ৷ বদর যুদ্ধে উপস্থিত
ছিলেন ৷ রাসুলুল্লাহ্মোঃ , এর সাহাবী ছিলেন ৷ রাসুলুল্লাহ্ , এর নবুওয়াত প্রাপ্তির এক বছর
পর তিনি ইসলাম গ্রহণ করেন ৷ যে ইিস্যেব তিনি প্রথম ধাপে ইসলাম গ্রহণকারীদের অন্তর্ভুক্ত ৷
তিনি আৰিসিনিয়ায় হিজরত করেন ৷ হযরত উমরের শাসনামলে তার নির্দেশে তিনি সর্বপ্রথম
বসরায় গমন করেন ৷ তার বহু মর্যাদা ও সম্মানজনক অবস্থানের স্বীকৃতি রয়েছে ৷ ১৪ হিজরী
সনে তার ওফাত হয় ৷ কারো মতে, ১৫ হিজরী, কারো মতে ১ ৭ হিজরী এবং কারো মতে ২০
হিজরী সনে তার ওফাত হয় ৷ আল্লাহ্ই ভাল জানেন ৷ তার বয়স ৫০ বছর অতিক্রম করেছিল ৷
কেউ বলেছেন, তিনি ৬০ বছর বয়সে পৌছেছিলেন ৷ ৩ আমর ইবন উম্মে মাকতৃম (রা) অন্ধ
সাহাবী ৷ কারো মতে তার নাম ছিল আবদুল্লাহ ৷

মুহাজির সাহাবী, মুস আর ইবন উমায়রের পর রাসুলুল্লাহ্:নোং , এর পুর্বে তিনি মক্কা থেকে
মদীনায় হিজরত করেন ৷ তিনি লোকদেরকে কুরআন শিক্ষা দিতেন ৷ রাসুলুল্লাহ্ ন্ধুষ্ন্শ্ ট্রু
একাধিকবার তড়াকে মদীনায় শাসনকর্তা নিয়োগ করেছিলেন ৷ কেউ বলেছেন, ১৩ বার তিনি এই
দায়িত্ব পেয়েছিলেন ৷ হযরত উমর (রা)-এর শাসনামলে সেনাপতি সাদ-এর সাথে তিনি
কাদেসিয়৷ যুদ্ধে অংশ্যাহণ করেছিলেন ৷ কথিত আছে যে, তিনি ওই যুদ্ধে শহীদ হয়েছেন ৷
কারো মতে, তিনি মদীনা ফিরে এসেছিলেন এবং সেখানে তার ওফাত হয় ৷ আল্লাহ্ ভাল
জানেন ৷ : মুছান্ন৷ ইবন হারিছা ইবন সালামা ইবন দামদাম ইবন সাদ ইবন মুররাহ ইবন
ষুহল ইবন শায়বান শায়বানী (রা) ৷ তিনি ইরাকে হযরত খালিদের উপ-প্রধান প্রশাসক ছিলেন ৷
সেতু যুদ্ধে আবু উবায়দের নিহত হবার পর তিনি সেনাপতির দায়িত্ব গ্রহণ করেন ৷ তিনি
মুসলিম সৈনিকঃদর, ব্যাপারে সুষ্ঠু পরিকল্পনা গ্রহণ করেন:এবংতাদেরাক সেদিন পারসিকদের ,
কাল থেকে উদ্ধার করে আনেন ৷ তিনি অন্যতম দক্ষ ঘোড়-সওয়ার নেতা ছিলেন ৷ তিনি হযরত
ৰ্াবু বকর সিদ্দীক (রা)-এর নিকট গিয়ে তাকে ইরাক আক্রমণে উদ্বুদ্ধ করেন ৷ তার
ইঃতিকালের পর সা দ ইবন আবী ওয়াক্কাস (রা) তার বিধবা ত্রীকে বিয়ে করেন ৷ (মহান
ন্:ষ্ ষ্ৱাহ্ তাদের দুজনের প্রতি সত্তুষ্ট হোন) ৷ ইবন আহীর তার আর গাবাহ গ্রন্থে সাহাবীদের

-ৰুন্ষ্ৰ্র তালিকায় তার নাম উল্লেখ করেছেন ৷

৫ আবুযায়দ আনসারী আল নাজ্বজারী (রা) ৷ রাসুলুল্লাহ্ন্;ণ্শ্ষ্,ষ্টুএর যুগে যে ৪জন আনসারী

গ্হেরীি ক্যুআন মব্জীদ সংরক্ষণ করেছিলেন তিনি ণ্র্তীদের অন্যতম ৷ হযরত আনাস ইবন


أُعِيذُكَ بِاللَّهِ وَنَفْسِي مِنْ ذَلِكَ، إِنَّ النَّاسَ أَسْرَعُوا إِلَى اللَّهِ حَتَّى رُفِعَتْ لَهُمُ الدُّنْيَا فَأَرَادُوهَا، فَأَرِدِ اللَّهَ وَلَا تُرِدِ الدُّنْيَا، وَاتَّقِ مَصَارِعَ الظَّالِمِينَ. وَقَدْ فَتَحَ عُتْبَةُ الْأُبُلَّةَ فِي رَجَبٍ أَوْ شَعْبَانَ مِنْ هَذِهِ السَّنَةِ، وَلَمَّا مَاتَ عُتْبَةُ بْنُ غَزْوَانَ فِي هَذِهِ السَّنَةِ اسْتَعْمَلَ عُمَرُ عَلَى الْبَصْرَةِ الْمُغِيرَةَ بْنَ شُعْبَةَ سَنَتَيْنِ، فَلَمَّا رُمِيَ بِمَا رُمِيَ بِهِ عَزَلَهُ وَوَلَّى عَلَيْهَا أَبَا مُوسَى الْأَشْعَرِيَّ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمْ. وَفِي هَذِهِ السَّنَةِ ضَرَبَ عُمَرُ بْنُ الْخَطَّابِ ابْنَهُ عُبَيْدَ اللَّهِ فِي الشَّرَابِ هُوَ وَجَمَاعَةٌ مَعَهُ، وَفِيهَا ضَرَبَ أَبَا مِحْجَنٍ الثَّقَفِيَّ فِي الشَّرَابِ أَيْضًا سَبْعَ مَرَّاتٍ، وَضَرَبَ مَعَهُ رَبِيعَةَ بْنَ أُمَيَّةَ بْنِ خَلَفٍ. وَفِيهَا نَزَلَ سَعْدُ بْنُ أَبِي وَقَّاصٍ بِ الْكُوفَةِ. وَحَجَّ بِالنَّاسِ فِي هَذِهِ السَّنَةِ عُمَرُ بْنُ الْخَطَّابِ. قَالَ: وَكَانَ بِمَكَّةَ عَتَّابُ بْنُ أَسِيدٍ، وَبِالشَّامِ أَبُو عُبَيْدَةَ، وَبِالْبَحْرَيْنِ عُثْمَانُ بْنُ أَبِي الْعَاصِ، وَقِيلَ: الْعَلَاءُ بْنُ الْحَضْرَمِيِّ. وَعَلَى الْعِرَاقِ سَعْدٌ، وَعَلَى عُمَانَ حُذَيْفَةُ بْنُ مِحْصَنٍ. [مَنْ تُوُفِّيَ فِي هَذَا الْعَامِ مِنَ الْمَشَاهِيرِ وَالْأَعْيَانِ] ذِكْرُ مَنْ تُوُفِّيَ فِي هَذَا الْعَامِ مِنَ الْمَشَاهِيرِ وَالْأَعْيَانِ. فَفِيهَا تُوُفِّيَ سَعْدُ بْنُ عُبَادَةَ فِي قَوْلٍ، وَالصَّحِيحُ فِي الَّتِي قَبْلَهَا. وَاللَّهُ أَعْلَمُ. وَفِيهَا تُوُفِّيَ عُتْبَةُ بْنُ غَزْوَانَ بْنِ جَابِرِ بْنِ وُهَيْبٍ الْمَازِنِيُّ، حَلِيفُ بَنِي عَبْدِ شَمْسٍ، صَحَابِيٌّ بَدْرِيٌّ، وَأَسْلَمَ قَدِيمًا بَعْدَ سَنَةٍ، وَهَاجَرَ إِلَى أَرْضِ الْحَبَشَةِ، وَهُوَ أَوَّلُ مَنِ اخْتَطَّ الْبَصْرَةَ عَنْ أَمْرِ عُمَرَ، وَإِمْرَتُهُ لَهُ عَلَى ذَلِكَ كَمَا تَقَدَّمَ، وَلَهُ فَضَائِلُ
পৃষ্ঠা - ৫৪৭০


মালিকের হাদীস দ্বারা তা প্রমাণিত হয় ৷ ৪জন আনসারী সাহাবী হলেন মুআয ইবন জ্যবাল
(রা) , উবইি ইবন কাব (বা) , যায়দ ইবন ছড়াবিত (রা) ও আবু যায়দ (রা) ৷ আনাস (রা)
বলেছেন যে, আবু যায়দ আমার চাচা হন ৷ কালবী বলেছেন যে, এই আবু যায়দ-এর নাম কায়স
ইবন সাকান ইবন কায়স ইবন যাউরা ইবন হাযম ইবন জুনদৃব ইবন পানাম ইবন আদী ইবন
নাজ্বজার ৷ তিনি বদর যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছিলেন ৷ মুসা ইবন উকবা বলেন, আবু যায়দ (রা)
, আবুউবায়দের সেতুর যুদ্ধে শহীদ হন ৷ মুসা ইবন উকবার মতে, সেতুর যুদ্ধ সংঘটিত হয়েছিল
১৪ হিজরী সালে ৷ কেউ কেউ বলেছেন যে, আবু যায়দ নামে যিনি কুরআন সংরক্ষণ করেছিলেন
তিনি হলেন সাদ ইবন উবায়দ (রা) ৷ আনাস ইবন মালিক (রা) থেকে কাতদাের বর্ণিত হাদীস
দ্বারা ওদের বক্তব্য প্রত্যাথ্যাত হয় ৷
আনাস ইবন মালিক বলেছেন, আওস ও খাযরাজ গেত্রে একদিন নিজ নিজ গোত্রের গৌবর
ও সম্মান বর্ণনা করতে বসেছিল ৷ আওস গোত্র বসেছিল, আমাদের মধ্যে ছিলেন পাসীলুল
মালাইকা’ বা ফিরিশতাদের গোসল পাওয়ার অধিকারী হানযালাহ্ ইবন আবী আমির ৷ আমাদের
মধ্যে ছিলেন আসীন ইবন ছাবিত ইবন আবু আফলাহ্ বিশেষ ভ্রমর এসে যার লাশ রক্ষা
করেছিল ৷ আমাদের মধ্যে ছিলেন সাদ ইবন মুআয (রা) যার মৃত্যুতে আল্লাহর আরশ
কেপেছিল ৷ আমাদের মধ্যে আছেন খুযায়মা ইবন ছাবিত যার একার সাক্ষ্য দৃ’জনের সাক্ষেব্লর
সমান ৷
উত্তরে খাযরাজ গোত্র বসেছিল, আমাদের মধ্যে আছেন সেই চার ব্যক্তি যারা রাসুলুল্লাহ্
মোঃ এর যুগে কুরআন সংরক্ষণ করেছিলেন ৷ তারা হলেন উবাই (রা), যায়দ ইবন ছাবিত
(বা) , মুঅড়ায (রা) ও আবুযায়দ (রা) ৷
৬ আবু উবায়দ ইবন মাসউদ ইবন আমর ছাকাফী (রা) ৷ তিনি ইরাকের সেনাপতি
মুখতাব ইবন আবু উবায়দ-এর পিতা ৷ তিনি আবদুল্লাহ ইবন উমর (রা)-এর শ্রী সাফিয়্যার
পিতা ৷ রড়াসুলুল্লাহ্হ্রশুহুনুদ্বুএ্যায় জীবদ্দশায় তিনি ইসলাম গ্রহণ কারন ৷ শায়খ আবু উমর ইবন
আবদুল বার র্তাকে সাহাবী তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করেছেন ৷ শায়খ হাফিজ আবদুল্লাহ যাহাবী
বলেছেন যে, আবু উবায়দের বর্ণিত দৃ’একটি হাদীস থাকতেও পারে তা অসম্ভব নয় ৷
৭ আবু কুহাফা (রা) ৷ তিনি প্রথম খলীফা হযরত আবু বকর সিদ্দীক (রা)-এর পিতা ৷
হযরত আবু বকর সিদ্দীক (রা)-এর বংশ পরিচয় হলো আবদুল্লাহ ইবন আবী কুহড়াফা উসমান
ইবন আমির ইবন সাখর ইবন কাব ইবন সাদ ইবন তায়ম ইবন মুররাহ্ ইবন কাব ইবন
লুওয়াই ইবন গালিব ৷ হযরত আবু কুহাফা (রা) ইসলাম গ্রহণ করেন মক্কা বিজয়ের বছর ৷
ইসলাম গ্রহণ করার পর হযরত আবু বকর সিদ্দীক (রা) তাকে ধরে ধরে রাসুলুল্লাহ্মোঃ এর
দরবারে এসে হাজির করেন ৷ রাসুলুল্লাহ্দ্বুআে ’ বললেন, “আহ্ ৷ বৃদ্ধ ণ্লাকটিকে নিজ গৃহে রেখে
দিলেন না ফেন৷ প্রয়োজনে আমরা তার নিকট যেতাম ৷ হযরত আবু বকর সিদ্দীক (রা)এর
সষ্মানার্থে তিনি একথা বলেছিলেন ৷ উত্তরে আবু বকর (রা) বললেন, ইয়া রাসুলাল্লাহ্ড়াে !
বরং আপনার নিকট আসাটা তার অধিক জরুরী ৷ রাসুলুল্লাহ্সাঃআবু কুহাফা (রা)-কে তার
সম্মুখে বসালেন ৷ আবু কুহাফা (রা)-এর চুল থেকে শনের ন্যায় সাদা হয়ে গিয়েছিল ৷
রাসুলুল্পাহ্ড়োতার জন্যে দুআ করলেন এবং বললেন যে, কোন কিছু ব্যবহার করে সাদা চুল


وَمَآثِرُ، وَتُوُفِّيَ سَنَةَ أَرْبَعَ عَشْرَةَ، وَقِيلَ: سَنَةَ خَمْسَ عَشْرَةَ. وَقِيلَ: سَنَةَ سَبْعَ عَشْرَةَ. وَقِيلَ: سَنَةَ عِشْرِينَ. فَاللَّهُ أَعْلَمُ. وَقَدْ جَاوَزَ الْخَمْسِينَ. وَقِيلَ: بَلَغَ سِتِّينَ سَنَةً، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ. عَمْرُو بْنُ أُمِّ مَكْتُومٍ الْأَعْمَى، وَيُقَالُ: اسْمُهُ عَبْدُ اللَّهِ. صَحَابِيٌّ مُهَاجِرٌ، هَاجَرَ بَعْدَ مُصْعَبِ بْنِ عُمَيْرٍ قَبْلَ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَكَانَ يُقْرِئُ النَّاسَ الْقُرْآنَ، وَقَدِ اسْتَخْلَفَهُ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَلَى الْمَدِينَةِ غَيْرَ مَرَّةٍ، فَيُقَالُ: ثَلَاثَ عَشْرَةَ مَرَّةً. وَشَهِدَ الْقَادِسِيَّةَ مَعَ سَعْدٍ زَمَنَ عُمَرَ، فَيُقَالُ: إِنَّهُ قُتِلَ بِهَا شَهِيدًا. وَيُقَالُ: إِنَّهُ رَجَعَ إِلَى الْمَدِينَةِ وَتُوفِي بِهَا. فَاللَّهُ أَعْلَمُ. الْمُثَنَّى بْنُ حَارِثَةَ بْنِ سَلَمَةَ بْنِ ضَمْضَمِ بْنِ سَعْدِ بْنِ مُرَّةَ بْنِ ذُهْلِ بْنِ شَيْبَانَ الشَّيْبَانِيُّ، نَائِبُ خَالِدٍ عَلَى الْعِرَاقِ، وَهُوَ الَّذِي صَارَتْ إِلَيْهِ الْإِمْرَةُ بَعْدَ أَبِي عُبَيْدٍ يَوْمَ الْجِسْرِ، فَدَارَى بِالْمُسْلِمِينَ حَتَّى خَلَّصَهُمْ مِنَ الْفُرْسِ يَوْمَئِذٍ، وَكَانَ أَحَدَ الْفُرْسَانِ الْأَبْطَالِ، وَهُوَ الَّذِي رَكِبَ إِلَى الصِّدِّيقِ فَحَرَّضَهُ عَلَى غَزْوِ الْعِرَاقِ، وَلَمَّا تُوُفِّيَ تَزَوَّجَ سَعْدُ بْنُ أَبِي وَقَّاصٍ بِامْرَأَتِهِ سَلْمَى بِنْتِ حَفْصٍ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا وَأَرْضَاهُمَا وَقَدْ ذَكَرَهُ ابْنُ الْأَثِيرِ فِي كِتَابِهِ " الْغَابَةِ فِي أَسْمَاءِ الصَّحَابَةِ ". أَبُو زَيْدٍ الْأَنْصَارِيُّ النَّجَّارِيُّ، أَحَدُ الْقُرَّاءِ الْأَرْبَعَةِ الَّذِينَ حَفِظُوا الْقُرْآنَ مَنِ الْأَنْصَارِ فِي عَهْدِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، كَمَا ثَبَتَ ذَلِكَ فِي حَدِيثِ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، وَهُمْ: مُعَاذُ بْنُ جَبَلٍ، وَأُبَيُّ بْنُ كَعْبٍ، وَزَيْدُ بْنُ ثَابِتٍ، وَأَبُو زَيْدٍ. قَالَ أَنَسٌ:
পৃষ্ঠা - ৫৪৭১
শো

০০ না প্রায় :

আল-বিদায়া ওয়ান নিহয়ো ৯ ৭

পরিবর্তন করে ফেলবেন ৷ তবে কালো করবেন না ৷ রাসুলুল্লাহ্ড্রা এর ইনতিকাণের পর
হযরত আবু বকর (বা) খলীফা হলেন ৷ তখন আবু কুহাফা (রা) মক্কায় অবস্থান করছিলেন ৷
পুত্রের খলীফা হবার কথা তাকে জানানো হলো ৷ তিনি বললেন, ৰানু হাশিম ও ৰানু মাখবুম
গোত্র কি তা মেনে নিয়েছে ? বলা হলো, হ্যা তারা মােন নিয়েছে ৷ তিনি বললেন-

ছুাট্া
এটি মহান আল্লাহর অনুগ্রহ ৷ যাকে ইচ্ছা তাকে তিনি তা দান করেন ৷ ’ এরপর পিতার
জীবদ্দশায় হযরর্ত আবু বকর (রা)-এর ইনতিকাল হয় ৷ তারপর ১৪ হিজরী সালের রজব মাসে
মতান্তার মুহাররম মাসে মক্কায় আবু কুহাফা (রা)-এর ওফাত হয় ৷ তার বয়স হয়েছিল ৭৪
বছর ৷ মহান আল্লাহ র্তাকে দয়া করুন এবং তাকে মর্যাদাপুর্ণ বাসস্থান দান করুন ৷

১৪ হিজরী সালে শহোদতবরণকারী

শায়খ আবু আবদুল্লাহ সাহাবী ১ : হিজরী সালে শাহাদাত বরণকারী লোকদের নাম আরবী
অক্ষরের ক্রমানুসারে লিপিবদ্ধ করেছেন ৷ আর তা হলো : ১ আওস ইবন আওস ইবন
আতীক ৷ তিনি সেতুর যুদ্ধে শহীদ হন ৷ ২ বাশীর ইবন আব্বাস ইবন ইয়াযীদ যাফারী উহুদী
(রা) ৷ তিনি কাতড়াদা ইবন নুমড়ানের চাচাত ভইি ৷ তিনি প্রখ্যাত ঘোড়সওয়ারী হিসেবে পরিচিত
ছিলেন ৷ তার ঘোড়ার নাম ছিল হাওয়া’ ৷ ৩ ছাবিত ইবন আতীক (বা) তিনি ৰানু আমর ইবন
মাবয়ুল গোত্রের লোক ৷ তিনি রাসুলুল্লাহ্ত্দ্বুদ্বু এর সাহাবী ছিলেন ৷ তিনি সেতুর যুদ্ধে শহীদ
হন ৷ : ছালাবাহ ইবন আমর ইবন মুহসিন নাজ্জারী বদরী (রা) ৷ তিনি সেতুর যুদ্ধে শহীদ
হন ৷ ৫ হারিছ ইবন আতীক ইবন নুমান নাজ্জারী (বা) ৷ তিনি উহুদ যুদ্ধে অংশ নিয়েছিলেন ৷
সেতুর যুদ্ধে শহীদ হন ৷ ৬ হারিছ ইবন মাসউদ ইবন আবদাহ্ আনসারী সাহাবী (রা) ৷ তিনিও
সেতুর যুদ্ধে শহীদ হন ৷ ৭ হারিছ ইবন আদী ইবন মালিক আনসারী (রা) ৷ তিনি উহুদ যুদ্ধে

অংশ নিয়েছিলেন ৷ সেতুর যুদ্ধে শহীদ হন ৷ ৮ খালিদ ইবন সাঈদ ইবন আস (রা) ৷ কথিত

আছে যে, মারজুয সাফর যুদ্ধে তিনি নিহত হন ৷ এক বর্ণনা অনুযায়ী মারজুয সাফর যুদ্ধ
সংঘটিত হয়েছিল ১৪ হিজরী সনে ৷ ৯ খুযায়মা ইবনআওস আশাহালী ৷ তিনি সেতুর যুদ্ধে
শহীদ হন ৷ ১ : রাবীআ ইবন হারিছ ইবন আবদুস মুত্তালিব ৷ ইবন কানি র্তারা ওফাতের
তারিখ ১৪ হিজরীতে বলে মন্তব্য করেছেন ৷ ১ ১ যায়দ ইবন সৃরাকা, তিনি সেতুর যুদ্ধে শহীদ
হন ৷ ১ ২ সাদ ইবন সালামা ইবন ওয়াক্স আশহালী ৷ ১৩ এক বর্ণনা অনুযায়ী সাদ ইবন
রৈাদা (রা) ৷ ১ : সালমা ইবন আসলাম ইবন হুরায়শ ৷ তিনি সেতুর যুদ্ধে শহীদ হন ৷ ১ ৫
দামর৷ ইবন পাবয়াহ ৷ তিনি শহীদ হয়েছেন সেতুর যুদ্ধে ৷ ১৬ আব্বাদ, ১ ৭ আবদুল্লাহ ১৮
ৰ্বদুর রহমান ৷ র্তারা সকলের মুরী ইবন কায়যী-এর পুত্র ৷ তারা সেতুর যুদ্ধে শহীদ
ম্নো ৷ ১৯ আবদুল্লাহ ইবন সা-সাআহ ইবন ওয়াহ্ব আনসারী নাজ্জারী ৷ ’ তিনি উহুদ এবং
ধ্া৷ পরবর্তী যুদ্ধসমুহে অংশগ্রহণ করেছেন ৷ আল গাবাহ’ গ্রন্থে ইবনুল আহীর উল্লেখ করেছেন
গুধ্, তিনি সেতুর যুদ্ধে শহীদ হয়েছেন ৷ ২০ উতৰা ইবন গাযওয়ান (রা) ৷ ইতিপুর্বে তার
স্পর্কে আলোচনা হয়েছে ৷ ২ ১ উকৰা ২২ আবদুল্লাহ ৷ র্তারা দৃজনে ভাই ৷ তাদের পিতা

ৰ্া!ৰী ইবন কায়সের সাথে তারা সেতুর যুদ্ধে অংশ নিয়েছিলেন এবং দৃ’ভইি সেদিন শহীদ

১৩


أَحَدُ عُمُومَتِي. قَالَ الْكَلْبِيُّ: وَاسْمُ أَبِي زَيْدٍ هَذَا قَيْسُ بْنُ السَّكَنِ بْنِ قَيْسِ بْنِ زَعُورَاءَ بْنِ حَرَامِ بْنِ جُنْدُبِ بْنِ غَنْمِ بْنِ عَدِيِّ بْنِ النَّجَّارِ، شَهِدَ بَدْرًا. قَالَ مُوسَى بْنُ عُقْبَةَ: وَاسْتُشْهِدَ يَوْمَ جِسْرِ أَبِي عُبَيْدٍ. وَهِيَ عِنْدَهُ فِي سَنَةِ أَرْبَعَ عَشْرَةَ. وَقَالَ بَعْضُ النَّاسِ: أَبُو زَيْدٍ الَّذِي جَمَعَ الْقُرْآنَ سَعْدُ بْنُ عُبَيْدٍ. وَرَدُّوا هَذَا بِرِوَايَةِ قَتَادَةَ عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ قَالَ: افْتَخَرَتِ الْأَوْسُ وَالْخَزْرَجُ. فَقَالَتِ الْأَوْسُ: مِنَّا غَسِيلُ الْمَلَائِكَةِ حَنْظَلَةُ بْنُ أَبِي عَامِرٍ، وَمِنَّا الَّذِي حَمَتْهُ الدَّبْرُ عَاصِمُ بْنُ ثَابِتِ بْنِ أَبِي الْأَقْلَحِ، وَمِنَّا الَّذِي اهْتَزَّ لَهُ عَرْشُ الرَّحْمَنِ سَعْدُ بْنُ مُعَاذٍ، وَمِنَّا الَّذِي جُعِلَتْ شَهَادَتُهُ شَهَادَةَ رَجُلَيْنِ خُزَيْمَةُ بْنُ ثَابِتٍ. فَقَالَتِ الْخَزْرَجُ: مِنَّا أَرْبَعَةٌ جَمَعُوا الْقُرْآنَ عَلَى عَهْدِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ; أُبَيٌّ، وَزَيْدُ بْنُ ثَابِتٍ، وَمُعَاذٌ، وَأَبُو زَيْدٍ. رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمْ أَجْمَعِينَ. أَبُو عُبَيْدِ بْنُ مَسْعُودِ بْنِ عَمْرٍو الثَّقَفِيُّ، وَالِدُ الْمُخْتَارِ بْنِ أَبِي عُبَيْدٍ أَمِيرِ الْعِرَاقِ، وَوَالِدُ صَفِيَّةَ امْرَأَةِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ، أَسْلَمَ أَبُو عُبَيْدٍ فِي حَيَاةِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَذَكَرَهُ الشَّيْخُ أَبُو عُمَرَ بْنُ عَبْدِ الْبَرِّ فِي الصَّحَابَةِ. قَالَ شَيْخُنَا الْحَافِظُ أَبُو عَبْدِ اللَّهِ الذَّهَبِيُّ: وَلَا يَبْعُدُ أَنْ يَكُونَ لَهُ رِوَايَةٌ. وَاللَّهُ أَعْلَمُ.
পৃষ্ঠা - ৫৪৭২
أَبُو قُحَافَةَ وَالِدُ الصِّدِّيقِ، وَاسْمُ أَبِي بَكْرٍ الصِّدِّيقِ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ أَبِي قُحَافَةَ عُثْمَانَ بْنِ عَامِرِ بْنِ صَخْرِ بْنِ كَعْبِ بْنِ سَعْدِ بْنِ تَيْمِ بْنِ مُرَّةَ بْنِ كَعْبِ بْنِ لُؤَيِّ بْنِ غَالِبٍ، أَسْلَمَ أَبُو قُحَافَةَ عَامَ الْفَتْحِ، فَجَاءَ بِهِ الصِّدِّيقُ يَقُودُهُ إِلَى النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ: «هَلَّا أَقْرَرْتُمُ الشَّيْخَ فِي بَيْتِهِ حَتَّى كُنَّا نَحْنُ نَأْتِيهِ» . تَكْرِمَةً لِأَبِي بَكْرٍ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، فَقَالَ: بَلْ هُوَ أَحَقُّ بِالسَّعْيِ إِلَيْكَ يَا رَسُولَ اللَّهِ، فَأَجْلَسَهُ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بَيْنَ يَدَيْهِ، وَرَأْسُهُ كَالثَّغَامَةِ بَيَاضًا، وَدَعَا لَهُ، وَقَالَ: «غَيِّرُوا هَذَا الشَّيْبَ بِشَيْءٍ، وَجَنِّبُوهُ السَّوَادَ» . وَلَمَّا تُوُفِّيَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَصَارَتِ الْخِلَافَةُ إِلَى الصِّدِّيقِ، أَخْبَرَهُ الْمُسْلِمُونَ بِذَلِكَ وَهُوَ بِمَكَّةَ، فَقَالَ: وَأَقَرَّتْ بِذَلِكَ بَنُو هَاشِمٍ وَبَنُو مَخْزُومٍ؟ قَالُوا: نَعَمْ. قَالَ: ذَلِكَ فَضْلُ اللَّهِ يُؤْتِيهِ مَنْ يَشَاءُ. ثُمَّ أُصِيبَ بِابْنِهِ الصِّدِّيقِ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، ثُمَّ تُوُفِّيَ أَبُو قُحَافَةَ فِي مُحَرَّمٍ، وَقِيلَ: فِي رَجَبٍ سَنَةَ أَرْبَعَ عَشْرَةَ بِمَكَّةَ. عَنْ أَرْبَعٍ وَتِسْعِينَ سَنَةً، رَحِمَهُ اللَّهُ وَأَكْرَمَ مَثْوَاهُ. وَمِمَّنْ ذَكَرَ شَيْخُنَا أَبُو عَبْدِ اللَّهِ الذَّهَبِيُّ مِنَ الْمُسْتَشْهَدِينَ فِي هَذِهِ السَّنَةِ مُرَتَّبِينَ عَلَى الْحُرُوفِ: أَوْسُ بْنُ أَوْسِ بْنِ عَتِيكٍ. قُتِلَ يَوْمَ الْجِسْرِ. بَشِيرُ بْنُ عَنْبَسِ بْنِ يَزِيدَ الظُّفَرِيُّ أُحُدِيٌّ، وَهُوَ ابْنُ عَمِّ قَتَادَةَ بْنِ النُّعْمَانِ، وَيُعْرَفُ بِفَارِسِ الْحَوَّاءِ ; اسْمِ فَرَسِهِ. ثَابِتُ بْنُ عَتِيكٍ، مِنْ بَنِي عَمْرِو بْنِ مَبْذُولٍ، صَحَابِيٌّ، قُتِلَ يَوْمَ الْجِسْرِ. ثَعْلَبَةُ بْنُ عَمْرِو
পৃষ্ঠা - ৫৪৭৩


হয়েছেন ৷ ২৩ আল৷ ইবন হাযরামী ৷ এক বর্ণনা অনুযায়ী তিনি এই সনে ইনতিকাল
করেছেন ৷ কেউ কেউ বলেছেন, বরং এর পরবর্তী বছর অর্থাৎ ১৫ হিজরী সনে তিনি ইনতিকাল
করেছেন ৷ এ বিষয়ের আলোচনা পরে আসবে ৷ ২৪ আমর ইবন আবু য়ুসর ৷ তিনি সেতুর
যুদ্ধের শহীদ হন ৷ ২৫ কায়স ইবন সাকান আবু যায়দ আনসারী (রা) ৷ ইতিপুর্বে তার সম্পর্কে
আলোচনা হয়েছে ৷ ২৬ মুছান্ন৷ ইবন হারিছ৷ শায়ৰানী ৷ এই বছরেই তার ওফাত হয় ৷ ২৭
নাফি ইবন গায়লান, সেতুর যুদ্ধে তিনি শহীদ; হন ৷ ২৮ নাওফল ইবন হারিছ ইবন আবদুল
যুত্তালিব (রা) ৷ তিনি তার চাচা আব্বাস (রা)-এর চাইতে বয়সে বড় ছিলেন ৷ কেউ বলেছেন;
তিনি এই বছর ইনতিকাল করেছেন ৷ কিন্তু প্রসিদ্ধ অভিমত হলো তিনি পুর্বে ইনতিকাল
করেছেন ৷ ২৯ ওয়াজিদ ইবন আবদৃল্পাহ্ তিনি শহীদ১ হয়েছেন ৷

৩০ ইয়াযীদ ইবন কায়স ইবন খাতীম আনসারী যাফারী (রা) ৷ তিনি উহুদ ও পরবর্তী
যুদ্ধসমুহে অ শ নিয়েছেন ৷ সেতুর যুদ্ধে শহীদ হয়েছেন ৷ উহুদ যুদ্ধে তার দেহে বহু আঘাত
লেগেছিল ৷ বহু ক্ষরু তর সৃষ্টি হয়েছিল ৷ তার পি৩ ৷ প্রসিদ্ধ কবি ছিলেন ৷ ৩ ১ আবু উবায়দ ইবন
মাসউদ ছাকাফী ৷ সেতু যুদ্ধের প্রধান সেনাপতি ৩৷ ওই সেতুর নিকট তিনি শহীদ হয়েছিলেন
বলে তার নামে ওই সেতু পরিচিত হয়েছে এবং ওই যুদ্ধকে আবু উবায়দের সেতুর যুদ্ধ বলা
হয়ে থাকে ৷ শত্রুপক্ষের হাতি তাকে পা দিয়ে ঘিরে ফেলে ৷ প্রথমে তিনি নিজ তরবারি দ্বারা ওই
হাতির ৎ: ড় কোট ফেলেছিলেন ৷ ৩২ আবু কুহাফা তায়মী (রা)-হযরত আবু বকর সিদ্দীক
(রা)-এর পিতা ৷ এই বছর তার ওফাত হয় ৷ ৩৩ হিনদা বিনত উতবা ইবন রাবীআ ইবন
আবদ শামস ইবন উমাইয়া আল উমাবিয়্যাহ ৷ মুআবিয়া ইবন আবী সুফয়ানের মাতা ৷ তিনি
কুরায়শী নেত্রীস্থুানীয় মহিলাদের একজন ছিলেন ৷ বুদ্ধি বিবেচনা ও নেতৃতৃগুণে৩ তিনি মহিলাদের
মধ্যে বিশেষ স্থান দখল করেখ্ন্নিয়েছিলেন ৷৩ তার স্বামী আবুসুফয়ানের সাথে যুশরিকদের পক্ষে
তিনি উহুদ যুদ্ধে অংশ নিয়েছিলেন ৷ মুসলিম হত্যার সেদিন তিনি ছিলেন অতি উৎসাহী ৷ হযরত
হামযা (বা) শহীদ হওয়ার পর হিনৃদা তার নাক, কান ও অন্যান্য অঙ্গ কর্তন করে ৷ তার কলিজা
মুখে পুরে চিবাতে থাকে ৷ কিত্তু গিলতে পারেনি ৷ হযরত হামযা (বা) বদর যুদ্ধে ইিনৃদার বাবা
ও ভাইকে হত্যা করেছিলেন ৷ সব কিছুর পর মক্কা বিজয়ের বছর হিনদা ইসলাম গ্রহণ করেন
এবং পরবর্তীতে সুন্দরভাবে ইসলামের বিধি-বিধান পালন করেন ৷ তার স্বামী আবু সুফয়ানের
ইসলাম গ্রহণের এক রাত পর তিনি ইসলাম গ্রহণ করেন ৷

বায়আত করার জন্যে রাসুলুল্লাহ্ন্দ্বুন্হৃএর দরবারে যাবার পুর্বে তিনি স্বামীর অনুমতি
চাইলেন ৷ আবু সুফয়ান বললেন, তুমি তো গতকালও এটি অস্বীকার করতে, প্রত্যাখ্যান
করতে ৷ হিনদা বললেন, এ রাতের পুর্বে অন্য কোন রাতে এই মসজিদে এমন পরিপুর্ণতাবে
আল্লাহ্র ইবাদত করতে আমি কাউকে দেখিনি ৷ আল্লাহ্র কসম ! ওরা সারা রাত নামায পড়ে
পড়ে কাটিয়েছে ৷ আবু সুফয়ান বললেন, তুমি তাে অনেক দোষ ত্রুটি করেছ, সুতরাং রাসুলুল্লাহ্

ন্:;ন্শু এর দরবারে একা যেত না ৷ হিনদা তখন হযরত উসমান ইবন আফ্ফান (রা) কিংবা
আপন সহােদর আবু হুযায়ফা ইবন উতবাকে সাথে নিয়ে রাসুলুল্লাহ্মোঃ -এর দরবারে উপস্থিত



১ মুল গ্রন্থে র্ফাকা রয়েছে ৷ ইসাৰা গ্রন্থে আছে, তিনি উমর (রা)এর খিলাফতকালের প্রথম দিকে ইনতিকাল
করেন ৷


بْنِ مِحْصَنٍ النَّجَّارِيُّ بَدْرِيٌّ، قَتِلَ يَوْمَئِذٍ. الْحَارِثُ بْنُ عَتِيكِ بْنِ النُّعْمَانِ النَّجَّارِيُّ، شَهِدَ أُحُدًا، قُتِلَ يَوْمَئِذٍ. الْحَارِثُ بْنُ مَسْعُودِ بْنِ عَبْدَةَ، صَحَابِيٌّ أَنْصَارِيٌّ، قُتِلَ يَوْمَئِذٍ. الْحَارِثُ بْنُ عَدِيِّ بْنِ مَالِكٍ، أَنْصَارِيُّ أُحُدِيُّ، قُتِلَ يَوْمَئِذٍ. خَالِدُ بْنُ سَعِيدِ بْنِ الْعَاصِ، قِيلَ: إِنَّهُ اسْتُشْهِدَ يَوْمَ مَرْجِ الصُّفَّرِ، وَكَانَ فِي سَنَةِ أَرْبَعَ عَشْرَةَ فِي قَوْلٍ. خُزَيْمَةُ بْنُ أَوْسٍ الْأَشْهَلِيُّ، قُتِلَ يَوْمَ الْجِسْرِ. رَبِيعَةُ بْنُ الْحَارِثِ بْنِ عَبْدِ الْمُطَّلِبِ، أَرَّخَ وَفَاتَهُ فِي هَذِهِ السَّنَةِ ابْنُ قَانِعٍ. زَيْدُ بْنُ سُرَاقَةَ، يَوْمَ الْجِسْرِ. سَعْدُ بْنُ سَلَامَةَ بْنِ وَقْشٍ الْأَشْهَلِيُّ. سَعْدُ بْنُ عُبَادَةَ، فِي قَوْلٍ. سَلَمَةُ بْنُ أَسْلَمَ بْنِ حَرِيشٍ، يَوْمَ الْجِسْرِ. سَلَمَةُ بْنُ هِشَامٍ، يَوْمَ مَرْجِ الصُّفَّرِ وَقَدْ كَانَ فِي سَنَةِ أَرْبَعَ عَشْرَةَ فِي قَوْلٍ. سَلِيطُ بْنُ قَيْسِ بْنِ عَمْرٍو الْأَنْصَارِيُّ، يَوْمَ الْجِسْرِ. ضَمْرَةُ بْنُ غَزِيَّةَ، يَوْمَ الْجِسْرِ. عَبَّادٌ وَعَبْدُ اللَّهِ وَعَبْدُ الرَّحْمَنِ بَنُو مِرْبَعِ بْنِ قَيْظِيِّ، قُتِلُوا يَوْمَئِذٍ. عَبْدُ اللَّهِ بْنُ صَعْصَعَةَ بْنِ وَهْبٍ الْأَنْصَارِيُّ النَّجَّارِيُّ، شَهِدَ أُحُدًا وَمَا بَعْدَهَا. قَالَ ابْنُ الْأَثِيرِ فِي " الْغَابَةِ ": وَقُتِلَ يَوْمَ الْجِسْرِ. عُتْبَةُ بْنُ غَزْوَانَ، تَقَدَّمَ. عُقْبَةُ وَأَخُوهُ عَبْدُ اللَّهِ، حَضَرَا الْجِسْرَ مَعَ أَبِيهِمَا قِيظِيِّ بْنِ قَيْسٍ، وَقُتِلَا يَوْمَئِذٍ. الْعَلَاءُ بْنُ الْحَضْرَمِيِّ، تُوُفِّيَ فِي هَذِهِ السَّنَةِ فِي قَوْلٍ، وَقِيلَ: بَعْدَهَا. وَسَيَأْتِي. عُمَرُ بْنُ أَبِي الْيَسَرِ، قُتِلَ يَوْمَ الْجِسْرِ. قَيْسُ بْنُ السَّكَنِ أَبُو زَيْدٍ الْأَنْصَارِيُّ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، تَقَدَّمَ. الْمُثَنَّى بْنُ حَارِثَةَ الشَّيْبَانِيُّ، تُوُفِّيَ فِي هَذِهِ السَّنَةِ،
পৃষ্ঠা - ৫৪৭৪


হলো নেকাব পরিধান করে, মুখ ঢেকে ৷ অন্যান্য মহিলার সাথে যখন রত্বসুলুল্লড়াহ্ন্”শু র্তাকেও
বায়আত করছিলেন, রদ্বসুলুল্লাহ্ঙ্কঠুক্ষ্ণবে বলছিরুলন যে, অঙ্গীকার কর যে, আল্লাহ র সাথে কোন
বস্তুকে শরীক করবে না , চুরি করবে না এবং ব্যভিচার করবে না ৷ হঠাৎ হিনৃদা বলে উঠল যে,
স্বাধীন মহিলা কি কোন সময় ব্যভিচার করো রাসুলুল্পাহ্ হৃহুঢুস্র: যখন বললেন, “তোমরা
তোমাদের সন্তানদেরকে হত্যা করবে না ৷” তখন হিনৃদা বলে উঠল, তড়াদেরকে আমরা ছোট
বেলায় লালন-পালন করেছি এখন বড় হবার পর কি হত্যা করতে পারিঃ’ একথা শুনে রাসুলুল্লাহ্
স্রমুচকি হাসলেন ৷

বায়আত প্রসঙ্গে আল্লাহ্র বাণী উদ্ধৃত করে রাসুলুল্লাহ্মোঃবলছিলেন যে, “তারা সজ্ঞানে
কোন অপবাদ রচনা করে রটাবে না এবং আপনার অবাধ্য হবে না ৷” এতটুকু বলার পর হিনৃদা
বলে উঠলেন, অবাধ্য হবে না সৎকার্যে ৷ ’ রাসুলুল্লাহমোঃ বললেন০ ং হ্যা, সৎকার্যে ৷ হিনদার
এই সকল বক্তব্য তার বাগাি৩ ড়া ও বুদ্ধিমত্তার সাক্ষ্য বহন করে ৷ তিনি রাসুলুল্লাহ্খ্যাঃ এর
উদ্দেশ্যে বললেন, আল্লাহর কলম হে মুহাম্মদমোঃ ! দুনিয়াতে র্তাবুবাসীদের মধ্যে আপনার
জ বাসী ধ্বংস ও লাঞ্ছিত হোক তার চাইতে প্রিয় কিছু আমার নিকট ছিল না ৷ আর এখন
দুনিয়ার র্তাবুবাসীদের মধ্যে আপনার র্তাবুবাসীগণ সম্মানী, মর্যাদাবান ও ণ্ন্নত হোক তার
চাইতে প্রিয় কিছু আমার নিকট :নই ৷ ” বাসুলুল্লাহফাং ষ্ বললেন মহান আল্লাহ র কসম ব্যাপার
সে রকমই হয় ৷

হিনৃদা ভরংাপোষণে জ্জি স্বামীর কাপণ্য সম্পর্কে রাসুলুল্লাহ্ব্লুৰুন্ড্রু এর নিকট ৩৷ ৷ ৩যােগ পেশ
করেছিলেন ৷ রাসুলুল্লাহ:;রুষ্টুহুউত্যাক সততার সাথে তার নিজের এবং সন্তানদের ভরণ-পােষণের
সমপবিমাণ অর্থ স্বামীর অনুমড়াত ব্য৩ ঠীত তার সম্পদ থেকে নিয়ে নেয়ার অনুমতি দিয়েছিলেন ৷
ফ্যাকহ্ ইবন মুগীরার সাথে সংঘটিত তার ঘটনা অত্যন্ত প্রসিদ্ধ ৷

হিন্দা পরব৩ ত ইয়ারমৃকের যুদ্ধে অংশ্যাহণ করেছিলেন তার স্বামী আবু সুফয়ানের
সঙ্গে ৷ ১৪ হিজরী সনের যে দিনে হযরত আবু কুহাফা (রা) ইনতিকাল করেন সেদিনই হিনদার
ইনতিকাল হয় ৷ তিনি আবুসুকুয়ানের পুত্র মুআৰিয়া (রা)-এর মাতা ৷


رَحِمَهُ اللَّهُ، وَقَدْ تَقَدَّمَ. نَافِعُ بْنُ غَيْلَانَ قُتِلَ يَوْمَئِذٍ. نَوْفَلُ بْنُ الْحَارِثِ بْنِ عَبْدِ الْمُطَّلِبِ، وَكَانَ أَسَنَّ مِنْ عَمِّهِ الْعَبَّاسِ، قِيلَ: إِنَّهُ تُوُفِّيَ فِي هَذِهِ السَّنَةِ. وَالْمَشْهُورُ قَبْلَهَا كَمَا تَقَدَّمَ. وَاقَدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ، قُتِلَ يَوْمَ. . . يَزِيدُ بْنُ قَيْسِ بْنِ الْخَطِيمِ الْأَنْصَارِيُّ الظُّفَرِيُّ، شَهِدَ أُحُدًا وَمَا بَعْدَهَا، قُتِلَ يَوْمَ الْجِسْرِ. وَقَدْ أَصَابَهُ يَوْمَ أُحُدٍ جِرَاحَاتٌ كَثِيرَةٌ، وَكَانَ أَبُوهُ شَاعِرًا مَشْهُورًا. أَبُو عُبَيْدِ بْنُ مَسْعُودٍ الثَّقَفِيُّ، أَمِيرُ يَوْمِ الْجِسْرِ، وَبِهِ عُرِفَ ; لِقَتْلِهِ عِنْدَهُ، تَخَبَّطَهُ الْفِيلُ حَتَّى قَتَلَهُ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، بَعْدَمَا قَطَعَ بِسَيْفِهِ خُرْطُومَهُ كَمَا تَقَدَّمَ. أَبُو قُحَافَةَ التَّيْمِيُّ وَالِدُ أَبِي بَكْرٍ الصِّدِّيقُ، تُوُفِّيَ فِي هَذِهِ السَّنَةِ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ. هِنْدُ بِنْتُ عُتْبَةَ بْنِ رَبِيعَةَ بْنِ عَبْدِ شَمْسِ بْنِ أُمَيَّةَ الْأُمَوِيَّةُ، وَالِدَةُ مُعَاوِيَةَ بْنِ أَبِي سُفْيَانَ، وَكَانَتْ مِنْ سَيِّدَاتِ نِسَاءِ قُرَيْشٍ، ذَاتَ رَأْيٍ وَدَهَاءٍ وَرِيَاسَةٍ فِي قَوْمِهَا، وَقَدْ شَهِدَتْ يَوْمَ أُحُدٍ مَعَ زَوْجِهَا، وَكَانَ لَهَا تَحْرِيضٌ عَلَى قَتْلِ الْمُسْلِمِينَ يَوْمَئِذٍ، وَلَمَّا قُتِلَ حَمْزَةُ مَثَّلَتْ بِهِ، وَأَخَذَتْ مِنْ كَبِدِهِ فَلَاكَتْهَا، فَلَمْ تَسْتَطِعْ إِسَاغَتَهَا ; لِأَنَّهُ كَانَ قَدْ قَتَلَ أَبَاهَا وَأَخَاهَا يَوْمَ بَدْرٍ، ثُمَّ بَعْدَ ذَلِكَ كُلِّهِ أَسَلَمَتْ - وَحَسُنَ إِسْلَامُهَا - عَامَ الْفَتْحِ بَعْدَ زَوْجِهَا بِلَيْلَةٍ، وَلَمَّا أَرَادَتِ الذَّهَابَ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لِتُبَايِعَهُ اسْتَأْذَنَتْ أَبَا سُفْيَانَ، فَقَالَ لَهَا: قَدْ كُنْتِ بِالْأَمْسِ مُكَذِّبَةً بِهَذَا الْأَمْرِ. فَقَالَتْ: وَاللَّهِ مَا رَأَيْتُ اللَّهَ عُبِدَ حَقَّ عِبَادَتِهِ بِهَذَا الْمَسْجِدِ قَبْلَ هَذِهِ اللَّيْلَةِ، وَاللَّهِ لَقَدْ بَاتُوا لَيْلَهُمْ كُلُّهُمْ يُصَلُّونَ فِيهِ. فَقَالَ لَهَا: إِنَّكِ قَدْ فَعَلْتِ مَا فَعَلْتِ فَلَا تَذْهَبِي وَحْدَكِ. فَذَهَبَتْ إِلَى عُثْمَانَ بْنِ عَفَّانَ - وَيُقَالُ:
পৃষ্ঠা - ৫৪৭৫
إِلَى أَخِيهَا أَبِي حُذَيْفَةَ بْنِ عُتْبَةَ - فَذَهَبَ مَعَهَا، فَدَخَلَتْ وَهِيَ مُتَنَقِّبَةً، فَلَمَّا بَايَعَهَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَعَ غَيْرِهَا مِنَ النِّسَاءِ قَالَ: «عَلَى أَنْ لَا تُشْرِكْنَ بِاللَّهِ شَيْئًا وَلَا تَسْرِقْنَ وَلَا تَزْنِينَ " فَقَالَتْ: أَوَتَزْنِي الْحُرَّةُ؟ وَلَا يَقْتُلْنَ أَوْلَادَهُنَّ قَالَتْ: قَدْ رَبَّيْنَاهُمْ صِغَارًا فَقَتَلْتَهُمْ كِبَارًا. فَتَبَسَّمَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: وَلَا يَأْتِينَ بِبُهْتَانٍ يَفْتَرِينَهُ بَيْنَ أَيْدِيهِنَّ وَأَرْجُلِهِنَّ وَلَا يَعْصِينَكَ فَبَادَرَتْ وَقَالَتْ: فِي مَعْرُوفٍ. فَقَالَ: فِي مَعْرُوفٍ» . وَهَذَا مِنْ فَصَاحَتِهَا وَحَزْمِهَا، وَقَدْ قَالَتْ لِرَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: وَاللَّهِ يَا مُحَمَّدُ مَا كَانَ عَلَى ظَهْرِ الْأَرْضِ أَهْلُ خِبَاءٍ أَحَبَّ إِلَيَّ مِنْ أَنْ يَذِلُّوا مِنْ أَهْلِ خِبَاءِكَ، فَقَدْ وَاللَّهِ أَصْبَحَ الْيَوْمَ وَمَا عَلَى ظَهْرِ الْأَرْضِ مِنْ أَهْلِ خِبَاءٍ أَحَبَّ إِلَيَّ مِنْ أَنْ يَعِزُّوا مِنْ أَهْلِ خِبَاءِكَ. فَقَالَ: وَكَذَلِكَ وَالَّذِي نَفْسِي بِيَدِهِ. وَشَكَتْ مِنْ شُحِّ أَبِي سُفْيَانَ، فَأَمَرَهَا أَنْ تَأْخُذَ مَا يَكْفِيهَا وَيَكْفِي بَنِيهَا بِالْمَعْرُوفِ. وَقِصَّتُهَا مَعَ الْفَاكِهِ بْنِ الْمُغِيرَةِ مَشْهُورَةٌ، وَقَدْ شَهِدَتِ الْيَرْمُوكَ مَعَ زَوْجِهَا، وَمَاتَتْ يَوْمَ مَاتَ أَبُو قُحَافَةَ فِي سَنَةِ أَرْبَعَ عَشْرَةَ.