আল বিদায়া ওয়া আন্নিহায়া

سنة ثلاث عشرة من الهجرة

পৃষ্ঠা - ৫৩৬৯
দয়াময় পরম দয়ালু আল্লাহ্র নামে

১৩ হিজরী সাল

এই বছরের শুরুতেই হযরত আবু বকর সিদ্দীক (বা) সৈন্য প্রস্তুত করছিলেন সিরিয়ার
অভিযান পরিচালনা করার জন্যে ৷ এটি তীর হজ্জ সম্পাদন করে ফিরে আসার পরের কার্যক্রম ৷
তিনি সৈন্য প্রস্তুত করছিলেন ৷

এই আয়াতের অনুসরণে আল্লাহ্ তা'আলা বলেছেন



হে মুমিনগণ কাফিরদের মধ্যে যারা তোমাদের নিকটবর্তী তাদের সাথে যুদ্ধ কর এবং ওরা
তোমাদের মধ্যে কঠোরতা দেখক জেনেরাখ  আল্লাহ মৃত্তাফীদের সাথে আছেন ৷ (সুরা ৯,
তাওবা : ১২৩)
আল্লাহ তা’আলা আরো বলেছেন-


“যাদের প্ৰতি কিতাব অবতীর্ণ হয়েছে তাদের মধ্যে যারা আল্লাহে ঈমান আগে না ও
পরকালেও নয় এবং আল্লাহ্ ও তার রাসুল যা নিষিদ্ধ করেছেন তা নিষিদ্ধ করে না এবং সত্য
দীন অনুসরণ করে না, তাদের সাথে যুদ্ধ করবে যে পর্যন্ত না তারা নত হয়ে নিজ হাতে-
জিযয়া-কর দেয় ৷ (সুরা ৯, তাওবাং ২৯)
হযরত আবু বকর (রা) এর এই সৈন্য সমাবেশ রাসুলুল্লাহ্(সঃ)  এর কর্মের অনুসরণও
বটে ৷ কারণ তাবুক যুদ্ধে তিনি সিরিয়ার বিরুদ্ধে সৈন্য সমাবেশ করেহ্যিলন ৷ এই মাত্রায় প্রচণ্ড
খাদ্যাভাব এবং তীব্র গরম ও দাবদাহ সত্বেও রাসুলুল্লাহ্(সঃ) তাবুক পর্যন্ত গিয়ে পৌছেছিলেন ৷
(অবশ্য শেষ পর্যন্ত ওখানে যুদ্ধ হয়নি) ৷ রাসুলুল্লাহ্(সঃ) দলবলসহ মদীনায় ফিরে আসেন ৷
এরপর তার ইনতিকালের পূর্বক্ষণে উসামা ইবন যায়দ (রাঃ)-কে সিরিয়া অভিমুখে প্রেরণ


[سَنَةُ ثَلَاثَ عَشْرَةَ مِنَ الْهِجْرَةِ] [مَا وَقَعَ فِيهَا مِنَ الْأَحْدَاثِ] اسْتَهَلَّتْ هَذِهِ السَّنَةُ وَالصِّدِّيقُ عَازِمٌ عَلَى جَمْعِ الْجُنُودِ ; لِيَبْعَثَهُمْ إِلَى الشَّامِ، وَذَلِكَ بَعْدَ مَرْجِعِهِ مِنَ الْحَجِّ، وَذَلِكَ عَمَلًا بِقَوْلِهِ تَعَالَى: {يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا قَاتِلُوا الَّذِينَ يَلُونَكُمْ مِنَ الْكُفَّارِ وَلْيَجِدُوا فِيكُمْ غِلْظَةً وَاعْلَمُوا أَنَّ اللَّهَ مَعَ الْمُتَّقِينَ} [التوبة: 123] . وَبِقَوْلِهِ تَعَالَى: {قَاتِلُوا الَّذِينَ لَا يُؤْمِنُونَ بِاللَّهِ وَلَا بِالْيَوْمِ الْآخِرِ} [التوبة: 29] الْآيَةَ [التَّوْبَةِ: 29] . وَاقْتِدَاءً بِرَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ; فَإِنَّهُ جَمَعَ الْمُسْلِمِينَ لِغَزْوِ الشَّامِ وَذَلِكَ عَامَ تَبُوكَ، حَتَّى وَصَلَهَا فِي حَرٍّ شَدِيدٍ وَجَهْدٍ، فَرَجَعَ عَامَهُ ذَلِكَ، ثُمَّ بَعَثَ قِبَلَ مُؤْتَةَ أُسَامَةَ بْنَ زَيْدٍ مَوْلَاهُ ; لِيَغْزُوَ تُخُومَ الشَّامِ، كَمَا تَقَدَّمَ، وَلَمَّا فَرَغَ الصِّدِّيقُ مِنْ أَمْرِ جَزِيرَةِ الْعَرَبِ بَسَطَ يَمِينَهُ إِلَى الْعِرَاقِ، فَبَعَثَ إِلَيْهَا خَالِدَ بْنَ الْوَلِيدِ، ثُمَّ أَرَادَ أَنْ يَبْعَثَ إِلَى الشَّامِ كَمَا بَعَثَ إِلَى الْعِرَاقِ، فَشَرَعَ فِي جَمْعِ الْأُمَرَاءِ فِي أَمَاكِنَ مُتَفَرِّقَةٍ مِنْ جَزِيرَةِ الْعَرَبِ. وَكَانَ قَدِ اسْتَعْمَلَ عَمْرَو بْنَ الْعَاصِ عَلَى صَدَقَاتِ قُضَاعَةَ، مَعَهُ الْوَلِيدُ بْنُ عُقْبَةَ فِيهِمْ، فَكَتَبَ إِلَيْهِ يَسْتَنْفِرُهُ إِلَى الشَّامِ: إِنِّي كُنْتُ قَدْ رَدَدْتُكَ عَلَى الْعَمَلِ الَّذِي وَلَّاكَهُ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَرَّةً، وَسَمَّاهُ لَكَ أُخْرَى، وَقَدْ أَحْبَبْتُ، أَبَا عَبْدِ اللَّهِ، أَنْ أُفَرِّغَكَ لِمَا هُوَ خَيْرٌ لَكَ فِي حَيَاتِكَ وَمَعَادِكَ مِنْهُ، إِلَّا أَنْ يَكُونَ الَّذِي أَنْتَ فِيهِ أَحَبَّ إِلَيْكَ. فَكَتَبَ إِلَيْهِ عَمْرُو بْنُ الْعَاصِ: إِنِّي سَهْمٌ مِنْ سِهَامِ الْإِسْلَامِ، وَأَنْتَ فَعَبْدُ اللَّهِ الرَّامِي بِهَا، وَالْجَامِعُ لَهَا، فَانْظُرْ أَشَدَّهَا وَأَخْشَاهَا فَارْمِ بِي فِيهَا. وَكَتَبَ إِلَى الْوَلِيدِ بْنِ عُقْبَةَ 542
পৃষ্ঠা - ৫৩৭০


করেছিলেন মুজাহিদ বাহিনীসহ ৷ উসামা ইবন যায়দ (রা) বাসুলুল্লড়াহ্ন্;:::ব্লুট্রুগু এর অড়াযাদকৃত দাস
ছিলেন ৷

আরব ভুখণ্ড সম্পর্কিত ঝামেলা শেষ করে হযরত আবু বকর সিদ্দীক (রা) ইরাকের প্ৰতি
মনোযোগ দিলেন ৷ খালিদ ইবন ওয়ালীদের সেনাপতিত্বে তিনি একটি বাহিনী ইরাকের উদ্দেশ্যে
প্রেরণ করলেন ৷ এরপর সিরিয়ার দিকে অভিযান প্রেরণের সৎকল্প করলেন ৷ আরবের বিভিন্ন
স্থান থেকে তিনি সেনাপতিদেরকে সমবেত করতে শুরু করলে আমর ইবনুল আস (রা)-কে
তিনি কুযাআ অঞ্চলে সাদাকাই উশুল করার জন্যে নিযুক্ত করেছিলেন ৷ তার সাথে ছিলেন
ওয়ালীদ ইবন উকবা ৷ সিরিয়ার উদ্দেশ্যে অগ্রসর হওয়ার জন্যে আমর ইবনুল অন্স (বা) যে
খলীফ৷ নির্দেশ দিলেন ৷ ৰু
ং দ্বুইৰ্ষ্র (রা) লিখলেন, “বাসৃলুল্লাহজ্যো আপনাকে এক সময় যে কাজের দায়িত্ব
দিয়েছিলেন আমি আপনাকে ওই কা ৷জেরই দ৷ ৷য়িতৃ দিয়েছিলাম, আপনার সহযোগী হিসেবে অন্য
একজনের নামও ঘোষণা করেছিলাম ৷ তবে ণ্,ন্থ রু আবু আবদুল্লাহ আমি এখন আপনাকে এমন
এক কাজে নিয়োজিত করতে চাচ্ছি যা আপনার জন্যে ইহকাল ও পরকালে অধিকতর
কল্যাণময় হবে ৷ অবশ্য আপনি এখন যে দায়িত্বে আছেন সেটি যদি আপনার নিকট অধিক প্রিয়
হয় তার সেটা আপনার ইচ্ছা, আমি জবরদস্তি করব না ৷” উত্তয়ে আমর ইব্ৰুল আস (রা)
লিথলেনষ্ “আমি ইসলামের একটি তীর, আপনি আল্লাহর পক্ষ থেকে ওই তীর নিক্ষেপের
দায়ি ছুশীল ৷ সুতরাং যে ন্থা ন৩ ভীর নিক্ষেপ অধিক জরুরী এবং যেখানে পরিস্থিতি গুরুতর
আমি৩ র্ণীর’ কে আপনি সেখানে নিক্ষেপ করুন ৷”

হযরত আবু বকর (রা) ওয়া ৷লীদ ইবন উকবাকেও এ মমে চিঠি লিখলেন৷ তিনিও অনুরুপ
উত্তর দিলেন ৷ তারা দু জলে মদীনার ফিরে এলেন ৷৩ তার পরিধানে ছিল রেশমী জুব্বা ৷ এটি
দেখে হযরত উমর (রা) রেগে গেলেন ৷ তিনি উপস্থিত লোকজনকে ওই জুব্বা খুলে আগুনে
পুড়িয়ে ফেলার জন্যে নির্দেশ দিলেন ৷ এরু৩ তখালিদ ইবন সা ৷ঈদ ক্ষুব্ধ হয়ে উঠলেন এবং হযরত
আলী (বা) কে বললেন “হে হাসানের পিতা! হে আবৃদ মানাঃফর বং শধর আপনর৷ কী শাসন
ক্ষমতা গ্রহণে অক্ষম হয়ে পড়লেন ?” হযরত আলী (বা) উত্তরে বললেন, তুমি কি এটিকে
শাসন ক্ষমতা গ্রহণে জয় পরাজয় মনে কর, না কি ৷খলাফত মনে করা খ৷ লিদব:লেন, মুলত
এই পদের জন্যে আপনাদের চাইতে সঠিক উপযুক্ত কেউ নেই ৷ হযরত উমর (রা) খাগিদকে
বললেন, “চুপ কর, আল্পাহ্ তোমার মুখ ফাঢিয়ে দিন ৷ তুমি একজন মিথ্যাবাদী ৷ বানিয়ে
বানিয়ে মিথ্যা কথা বলছ আর নিজেরই সর্বনাশ করছ ৷ ” হযরত উমর (রা) আবু বকর (রা) কে
এই ঘটনা জানালেন ৷ কিন্তু তাতে তীর মধ্যে কােন বিরুপ প্রতিক্রিয়া হলো না ৷

পরিকল্পনা মুতাবিক কাম্য সেনাবাহিনী হযরত আবু বকর (রা) এর নিকট উপস্থিত হলাো
তিনি তাদের উদ্দেশ্যে ভাষণ দিতেষ্ গিয়ে আল্লাহর যথোপযুক্ত প্রশংসা করলেন ৷ তারপর
মানুষকে জিহাদ্বে উদ্বুদ্ধ করে বললেন, ”প্রত্যেক কর্মের জন্যে সুবিন্যস্ত পরিকল্পনা দরকার ৷
যারা ওই পরিকল্পনা বাস্তবায়িত করতে পারে তারা হয় সফলকাম ৷ যে ব্যক্তি আল্লাহর সত্তুষ্টির
জন্যে কাজ করবে আল্লাহ্ তার জন্যে পর্যাপ্ত ব্যবস্থা করবেন ৷ প্রত্যেককেই সুদৃঢ় মনােবলও
অটুট সৎ কল্প রাখতে হবে ৷ কারণ সুদৃঢ় মনােবল সর্বাপেক্ষা কার্যকর ৷ সাবধান যার ঈমান নেই




بِمِثْلِ ذَلِكَ، وَرَدَّ عَلَيْهِ مِثْلَهُ، وَأَقْبَلَا - بَعْدَمَا اسْتَخْلَفَا فِي عَمَلِهِمَا - إِلَى الْمَدِينَةِ. وَقَدِمَ خَالِدُ بْنُ سَعِيدِ بْنِ الْعَاصِ مِنَ الْيَمَنِ، فَدَخَلَ الْمَدِينَةَ وَعَلَيْهِ جُبَّةُ دِيبَاجٍ، فَلَمَّا رَآهَا عُمَرُ عَلَيْهِ أَمَرَ مَنْ هُنَاكَ مِنَ النَّاسِ بِتَمْزِيقِهَا عَنْهُ، فَغَضِبَ خَالِدُ بْنُ سَعِيدٍ، وَقَالَ لِعَلِيِّ بْنِ أَبِي طَالِبٍ: يَا أَبَا الْحَسَنِ، أَغُلِبْتُمْ يَا بَنِي عَبْدِ مَنَافٍ عَنِ الْإِمْرَةِ؟ فَقَالَ لَهُ عَلِيٌّ: أَمُغَالَبَةً تَرَاهَا أَمْ خِلَافَةً؟ فَقَالَ: لَا يُغَالِبُ عَلَى هَذَا الْأَمْرِ أَوْلَى مِنْكُمْ. فَقَالَ لَهُ عُمَرُ بْنُ الْخَطَّابِ: اسْكُتْ فَضَّ اللَّهُ فَاكَ، وَاللَّهِ لَا تَزَالُ كَاذِبًا تَخُوضُ فِيمَا قُلْتَ، ثُمَّ لَا تَضُرُّ إِلَّا نَفْسَكَ، وَأَبْلَغَهَا عُمَرُ أَبَا بَكْرٍ، فَلَمْ يَتَأَثَّرْ لَهَا أَبُو بَكْرٍ، وَلَمَّا اجْتَمَعَ عِنْدَ الصِّدِّيقِ مِنَ الْجُيُوشِ مَا أَرَادَ، قَامَ فِي النَّاسِ خَطِيبًا، فَأَثْنَى عَلَى اللَّهِ بِمَا هُوَ أَهْلُهُ، ثُمَّ حَثَّ النَّاسَ عَلَى الْجِهَادِ فَقَالَ: أَلَا لِكُلِّ أَمْرٍ جَوَامِعُ، فَمَنْ بَلَغَهَا فَهِيَ حَسْبُهُ، وَمَنْ عَمِلَ لِلَّهِ كَفَاهُ اللَّهُ، عَلَيْكُمْ بِالْجِدِّ وَالْقَصْدِ، فَإِنَّ الْقَصْدَ أَبْلَغُ، أَلَا إِنَّهُ لَا دِينَ لِأَحَدٍ لَا إِيمَانَ لَهُ، وَلَا إِيمَانَ لِمَنْ لَا حِسْبَةَ لَهُ، وَلَا عَمَلَ لِمَنْ لَا نِيَّةَ لَهُ، أَلَا وَإِنَّ فِي كِتَابِ اللَّهِ مِنَ الثَّوَابِ عَلَى الْجِهَادِ فِي سَبِيلِ اللَّهِ لَمَا يَنْبَغِي لِلْمُسْلِمِ أَنْ يُحِبَّ أَنْ يُخَصَّ بِهِ، هِيَ التِّجَارَةُ الَّتِي دَلَّ اللَّهُ عَلَيْهَا، وَنَجَّى بِهَا مِنَ الْخِزْيِ، وَأَلْحَقَ بِهَا الْكَرَامَةَ. ثُمَّ شَرَعَ الصِّدِّيقُ فِي تَوْلِيَةِ الْأُمَرَاءِ، وَعَقْدِ الْأَلْوِيَةِ وَالرَّايَاتِ، فَيُقَالُ: إِنْ أَوَّلَ لِوَاءٍ عَقَدَهُ لِخَالِدِ بْنِ سَعِيدِ بْنِ الْعَاصِ، فَجَاءَ عُمَرُ بْنُ الْخَطَّابِ فَثَنَاهُ عَنْهُ وَذَكَّرَهُ بِمَا قَالَ، فَلَمْ يَتَأَثَّرْ بِهِ الصِّدِّيقُ كَمَا تَأَثَّرَ بِهِ عُمَرُ، بَلْ عَزَلَهُ عَنِ الشَّامِ وَوَلَّاهُ أَرْضَ
পৃষ্ঠা - ৫৩৭১


তার দীনও (নই, আর যার মধ্যে আল্লাহ্ভীতি ৫নই তার মধ্যে ঈমান নেই, যার নিয়ত ও সং কল্প
(নই তার কার্য বিবেচন্যাযাগ্য নয় ৷ সাবধান! আল্লাহর কিভাবে আল্লাহর পথে লড়াই করার এত
সাওয়াব ও পুরস্কার বর্ণনা করা হয়েছে যে, প্রত্যেক মুসলিমের ওই জিহাদে অংশ গ্রহণ করাকে
প্রিয় মনে করা উচিত ৷ জিহাদই মুক্তি, ও নাজাতের পথ ৷ আল্লাহ্তা-ই বলেছেন ৷ জিহাদের
মাধ্যমে লাঞ্চুনা থেকে মুক্তি লাভ করা যায় এবং জিহাদের মাধ্যমেই দুনিয়া ও আখিরাতের
মর্যাদা ও সম্মান অর্জিত হয় ৷”
এরপর হযরত আবু বকর সিদ্দীক (রা) সেনাপতিদের দায়িত্ব বুঝিয়ে দেয়৷ এবং পতাক ৷
রেখে দেয়া শুরু করলেন ৷ কথিত আছে যে,৩ তিনি সর্বপ্রথম খালিদ ইবন সাঈদ ইবন আসের
পতাকা বেধে দিয়েছেন ৷ হযরত ৩উমর (রা) এসে খালিদের পুর্ব বক্তব্য উল্লেখ করে তাকে বাদ
তচাইলেন ৷ কিন্তু হযরত আবুবকর (রা) তাতে তে মন বিচলিত হননি যেমন বিচলিত
হভৃয়ছিলেন হযরত ৩উমর (রা) ৷ হযরত আবুবকর (রা) এতট্রুকু করেছিলেন যে, তাকে সিরিয়ার
দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দিয়ে তায়মা অঞ্চলের দ য়িহু দিয়েছিলেন যে, পরবর্তী নির্দেশ না
দেয়া পর্যন্ত, তার সাথী সৈন্য-সামম্ভসহ ওখানেই থাকতে হবে ৷
এরপর তিনি ইয়াষীদ ইবন আবু সুফয়ানের পতাকা বেধে দেন ৷ এই দলে বহু লোক
ছিল ৷ নেতৃস্থানীয় ব্যক্তিদের মধ্যে সুহায়ল ইবন আমর এবং তার সমসাময়িক মকী লোকগণ
ছিলেন ৷ তিনি ওই দলের সাথে কিছুদুর অগ্রসর হলেন ৷ দলপতি ইয়াষীদ ও দলভুক্ত সৈনিকদের
প্রতি খলীফার গভীর আস্থা ছিল ৷ সেই আলোকে তিনি ওদেরকে উপদেশ দিলেন ৷ তাকে
দামেশকের দ যি দিলেন ৷ এরপর খঃলীফা আবু বকর সিদ্দীক (রা) আবু উবায়দা ইবনুল
জাররাহ ও তার সাথীদের পতাকা বেধে দিলেন ৷ উপদেশ দিতে দিতে তিনি পায়ে হেটে তাদের
সাথে কিছুটা অগ্রসর হলেন ৷ আবু উবায়দা ইবনুল জাররাহ (রা)-কে হিম্স’ অঞ্চলের দা ৷য়িতৃ
দিলেন ৷ আমর ইবনুল আসের নেতৃত্বে একদল সৈন্য পাঠালেন ফিলিস্তিনের দিকে ৷ প্রত্যেক
দলপতিকে এ নির্দেশ দিলেন যে, ওদের কেউ যেন অন্যজনের পথে অপ্রসর না হয় ৷ কারণ এর
মধ্যে বহু কল্যাণ রয়েছে ৷ এই ক্ষেত্রে হযরত আবু বকর সিদ্দীক (রা) আল্লাহর নবী হযরত
ইয়৷ ৷কুবের নীতি ৩তানুসরণ করেছেন ৷ হযরত ইয়াকুব (আ)৩ তার পৃত্রদেরকে বলেছিলেন ;


শ্শ্শ্শ্শ্শ্ ন্ণ্ ! ৷ ৷

হে আমার পুত্রগণ তোমরা এক দরজা দিয়ে প্রবেশ করো না, ভিন্ন ভিন্ন দরজা দিয়ে প্রবেশ
করবে ৷ আল্লাহর বিধানের বিরুদ্ধে আমি তে ড়ামাদের জন্যে কিছু করতে পারি না ৷ বিধান
আল্লাহ্রই ৷ আমি তারই উপর নির্ভর করি এবং যারা নির্ভর করতে চায় তারা আল্পাহ্রই উপর
নির্জ্য করুক ৷ (সুরা ১ ২, ইউসুফং : ৬৭)
বন্তুত ইয়াষীদ ইবন আবু সুফিয়ান তাবুকের পথে যাত্রা করলেন ৷ নিজ শায়খদের উদ্ধৃতি
দিয়ে মাদইিনী বলেছেন যে, তাদের মতে, হযরত আবু বকর (বা) এই সেনাদল প্রেরণ
করেছিলেন ১৩ হিজরীর শুরুতে ৷


تَيْمَاءَ يَكُونُ بِهَا فِيمَنْ مَعَهُ مِنَ الْمُسْلِمِينَ حَتَّى يَأْتِيَهُ أَمْرُهُ. ثُمَّ عَقَدَ لِوَاءَ يَزِيدَ بْنِ أَبِي سُفْيَانَ، وَمَعَهُ جُمْهُورُ النَّاسِ، وَمَعَهُ سُهَيْلُ بْنُ عَمْرٍو وَأَشْبَاهُهُ مِنْ أَهْلِ مَكَّةَ، وَخَرَجَ مَعَهُ مَاشِيًا يُوصِيهِ بِمَا اعْتَمَدَهُ فِي حَرْبِهِ وَمَنْ مَعَهُ مِنَ الْمُسْلِمِينَ، وَجَعَلَ لَهُ دِمَشْقَ. وَبَعَثَ أَبَا عُبَيْدَةَ بْنِ الْجَرَّاحِ عَلَى جُنْدٍ آخَرَ، وَخَرَجَ مَعَهُ مَاشِيًا يُوصِيهِ، وَجَعَلَ لَهُ نِيَابَةَ حِمْصَ. وَبَعَثَ عَمْرَو بْنَ الْعَاصِ وَمَعَهُ جُنْدٌ آخَرُ، وَجَعَلَهُ عَلَى فِلَسْطِينَ. وَأَمَرَ كُلَّ أَمِيرٍ أَنْ يَسْلُكَ طَرِيقًا غَيْرَ طَرِيقِ الْآخَرِ ; لِمَا لَحَظَ فِي ذَلِكَ مِنَ الْمَصَالِحِ، وَكَانَ الصِّدِّيقُ اقْتَدَى فِي ذَلِكَ بِنَبِيِّ اللَّهِ يَعْقُوبَ حِينَ قَالَ لِبَنِيهِ: {يَا بَنِيَّ لَا تَدْخُلُوا مِنْ بَابٍ وَاحِدٍ وَادْخُلُوا مِنْ أَبْوَابٍ مُتَفَرِّقَةٍ وَمَا أُغْنِي عَنْكُمْ مِنَ اللَّهِ مِنْ شَيْءٍ إِنِ الْحُكْمُ إِلَّا لِلَّهِ عَلَيْهِ تَوَكَّلْتُ وَعَلَيْهِ فَلْيَتَوَكَّلِ الْمُتَوَكِّلُونَ} [يوسف: 67] . فَكَانَ سُلُوكُ يَزِيدَ بْنِ أَبِي سُفْيَانَ عَلَى تَبُوكَ. قَالَ الْمَدَائِنِيُّ بِإِسْنَادِهِ عَنْ شُيُوخِهِ، قَالُوا: وَكَانَ بَعْثُ أَبِي بَكْرٍ هَذِهِ الْجُيُوشَ فِي أَوَّلِ سَنَةِ ثَلَاثَ عَشْرَةَ. قَالَ مُحَمَّدُ بْنُ إِسْحَاقَ، عَنْ صَالِحِ بْنِ كَيْسَانَ: خَرَجَ أَبُو بَكْرٍ مَاشِيًا وَيَزِيدُ بْنُ أَبِي سُفْيَانَ رَاكِبًا، فَجَعَلَ يُوصِيهِ، فَلَمَّا فَرَغَ قَالَ: أُقْرِئُكَ السَّلَامَ وَأَسْتَوْدِعُكَ اللَّهَ. ثُمَّ انْصَرَفَ وَمَضَى يَزِيدُ فَأَخَذَ التَّبُوكِيَّةَ، ثُمَّ تَبِعَهُ شُرَحْبِيلُ ابْنُ حَسَنَةَ، ثُمَّ أَبُو عُبَيْدَةَ مَدَدًا لَهُمَا، فَسَلَكُوا ذَلِكَ الطَّرِيقَ، وَخَرَجَ عَمْرُو بْنُ الْعَاصِ حَتَّى نَزَلَ الْعَرَبَاتِ مِنْ أَرْضِ الشَّامِ وَيُقَالُ: إِنَّ يَزِيدَ بْنَ أَبِي سُفْيَانَ نَزَلَ الْبَلْقَاءَ أَوَّلًا، وَنَزَلَ شُرَحْبِيلُ بِالْأُرْدُنِّ، وَيُقَالُ: بِبُصْرَى. وَنَزَلَ أَبُو عُبَيْدَةَ بِالْجَابِيَةِ، وَجَعَلَ
পৃষ্ঠা - ৫৩৭২


মুহাম্মদ ইবন ইসহাক বলেছেন সালিহ্ ইবন কায়সান থেকে যে, হযরত আবু বকর (বা)
পায়ে হীটছিলেন আর ইয়াষীদ ইবন আবু সুফিয়ান অগ্রসর হচ্ছিলেন সওয়ারীতে আরোহণ
করে ৷ তিনি অনবরত উপদেশ দিচ্ছিলেন ইয়াষীদকে ৷ সবশেষে তিনি বললেন, আমি তোমাকে
সালাম জানাচ্ছি এবং তোমাকে আল্পাহ্র নিকট সােপর্দ করছি ৷ হযরত আবু বকর (বা) ফিরে
এলেন ৷ ইয়াষীদ দ্রুত অশ্ব চালিয়ে এগিয়ে গেলেন ৷ এরপর ইয়াযীদের সাহড়ায্যার্থে বের হলেন
শুরড়াহ্বীল ইবন হাসানাহ্ (বা) এবং আবু উবায়দাহ্ (রা) বের হলেন তাদের দুজনের সহায়তার
জন্যে ৷ র্তারা ভিন্ন পথে অগ্রসর হলেন ৷ আমর ইবনুল আস যাত্রা করে সিরিয়ার আল
আরামাত’ নামক স্থানে গিয়ে যাত্রা বিরতি করেন ৷

কেউ কেউ বলেছেন যে, ইয়াষীদ ইবন আবু সুফিয়ান প্রথমে অবতরণ করেছিলেন বালকী
অঞ্চলে ৷ শুরাহ্ৰীল র্তাবু খটিড়ালেন ডানে কেউ বলেছেন যে, শুরাহ্বীল শিবির স্থাপন
করেছিলেন বুসরা নগরীতে ৷ আবু উবায়দা (বা) গিয়ে পৌছলেন জাবিয়া অঞ্চলে ৷ খলীফা
হযরত সিদ্দীক-ই-আকবর (রা) দলে দলে সৈন্য প্রেরণ করে তাদেরকে সাহায্য করছিলেন ৷
পরবর্তীতে পাঠানোসৈন্যদেরকে তিনি নির্দেশ দিয়েছিলেন যে, ওরা যেন ওদের পছন্দমত যে
কোন সেনাপতির সাথে যোগ দেয় ৷ বর্ণিত আছে যে, ৰালকা’ অঞ্চল অতিক্রম করার সময়
আবু উবায়দাহ্ (রা) স্থানীয় লোকদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেন৷ শেষ পর্যন্ত ওরা সন্ধি স্থাপন করে ৷
সিরিয়া অঞ্চলে এটি প্রথম সন্ধি চুক্তি ৷

সিরিয়া অঞ্চলে সর্বপ্রথম সংঘটিত যুদ্ধ সম্পর্কে বলা হয় যে, রোমান সৈন্যগণ ফিলিস্তিনী
এলাকা আল আরয়াহতে সমবেত হয়েছিল ৷ মুসলিম সেনাপতি আবু উসামা (রা) বাহিনী
অ্যাসর হলেন ওদেরকে মুকাব্লিলা করার জন্যে ৷ তার সাথে ছিল একদল মুসলিম সৈনিক ৷
ব্লোমানদেরকে পরাজিত ও হত্যা করে মুসলমানপর্ণ অনেক ধন-সম্পদ লাভ করেন ৷
মুসলমানগণ শত্রুপক্ষের জ্যনক প্রসিদ্ধ নেতাকে হত্যা করেন ৷ এরপর ওই অঞ্চলে সংঘটিত হয়
আরজ আস সাফরা’-এর যুদ্ধ ৷ ওই যুদ্ধে খালিদ ইবন সাঈদ ইবন আস সহ বহু মুসলমান প্
শহীদ হন ৷ কারো কারো মনে মার্জ আল সাফরা’ যুদ্ধে খালিদের পুত্র নিহত হয়েছিলেন ৷
খালিদ নিজে যুদ্ধ ক্ষেত্র থেকে পালিয়ে হিজায অঞ্চলে গিয়ে প্রাণ রক্ষা করেছিলেন : আল্লাহ ভাল
জানেন ৷ এটি ইবন জারীর (র)-এর বর্ণনা ৷

ইবন জারীর (র) বলেন, খালিদ ইবন সাঈদ তায়মা’ পৌছলেন ৷ আরব খ্রিক্টানসহ বিপুল

ৎখ্যক রোমান সৈন্য তার মুকাৰিলা করার জন্যে প্রস্তুত হয় ৷ গায়রা, তানুখ, বানু কালব,
মুলায়হ, লাখম ও জুযাম এবং গাসৃসান প্রমুখ আরব গোত্রের বহু খ্রিষ্টান শত্রু বহিনীত্তে যোগ
দিয়েছিল ৷ খালিদ ইবন সাঈদ তাদেরকে প্রতিহত করার জন্যে এগিয়ে গেলেন ৷ তিনি কাছে
গিয়ে পৌছতেই তারা ছত্রভঙ্গ হয়ে পালিয়ে পেল ৷ ওদের মধ্য থেকে বহু লোক ইসলাম গ্রহণ
করল ৷ খালিদ ইবন সাঈদ খলীফা সিদ্দীক-ই-আকবর (রা)-এর নিকট বিজয়ের সুসংৰাদ
পাঠালেন ৷ তিনি র্তাকে ফিরে না এলে সম্মুখের দিকে এগিয়ে যাবার নির্দেশ দিলেন ৷ ওয়ালীদ
ইবন উকবা, ইকরামা ইবন আবু জাহ্লও একদল সৈনিক পাঠিয়ে খলীফা তার শক্তি বৃদ্ধি
করলেন ৷ তিনি যেতে যেতে ঈলিচুয়হ্ব’-এর কাছাকাছি পৌছে পেলেন ৷ সেখানে তিনি রোমান
বাহিনীর সাথে সম্মুখ যুদ্ধে অবতীর্ণ হন ৷ ওই রোমান সেনাপতির নাম ছিল মাহান’ ৷ খালিদ


الصِّدِّيقُ يُمِدُّهُمْ بِالْجُيُوشِ، وَأَمَرَ كُلَّ وَاحِدٍ مِنْهُمْ أَنْ يَنْضَافَ إِلَى مَنْ أَحَبَّ مِنَ الْأُمَرَاءِ. وَيُقَالُ: إِنَّ أَبَا عُبَيْدَةَ لَمَّا مَرَّ بِمَآبَ مِنْ أَرْضِ الْبَلْقَاءِ قَاتَلَهُمْ حَتَّى صَالَحُوهُ، وَكَانَ أَوَّلَ صُلْحٍ وَقَعَ بِالشَّامِ. وَيُقَالُ: إِنَّ أَوَّلَ حَرْبٍ وَقَعَ بِالشَّامِ أَنَّ الرُّومَ اجْتَمَعُوا بِمَكَانٍ يُقَالُ لَهُ: الْعَرَبَةُ. مِنْ أَرْضِ فِلَسْطِينَ، فَوَجَّهَ إِلَيْهِمْ يَزِيدُ أَبَا أُمَامَةَ فِي سَرِيَّةٍ فَقَتَلَهُمْ وَغَنِمَ مِنْهُمْ، وَقَتَلَ مِنْهُمْ بِطْرِيقًا عَظِيمًا. ثُمَّ كَانَتْ بَعْدَ هَذِهِ وَقْعَةُ مَرْجِ الصُّفَّرِ، اسْتُشْهِدَ فِيهَا خَالِدُ بْنُ سَعِيدِ بْنِ الْعَاصِ وَجَمَاعَةٌ مِنَ الْمُسْلِمِينَ. وَيُقَالُ: إِنَّ الَّذِي اسْتُشْهِدَ فِي مَرْجِ الصُّفَّرِ ابْنٌ لِخَالِدِ بْنِ سَعِيدٍ. وَأَمَّا هُوَ فَفَرَّ حَتَّى انْحَازَ إِلَى أَرْضِ الْحِجَازِ. فَاللَّهُ أَعْلَمُ. حَكَاهُ ابْنُ جَرِيرٍ. قَالَ ابْنُ جَرِيرٍ: وَلَمَّا انْتَهَى خَالِدُ بْنُ سَعِيدٍ إِلَى تَيْمَاءَ اجْتَمَعَ لَهُ جُنُودٌ مِنَ الرُّومِ فِي جَمْعٍ كَثِيرٍ مِنْ نَصَارَى الْعَرَبِ ; مِنْ بَهْرَاءَ، وَتَنُوخَ، وَبَنِي كَلْبٍ، وَسَلِيحٍ، وَلَخْمٍ، وَجُذَامَ، وَغَسَّانَ، فَتَقَدَّمَ إِلَيْهِمْ خَالِدُ بْنُ سَعِيدٍ، فَلَمَّا اقْتَرَبَ مِنْهُمْ تَفَرَّقُوا عَنْهُ وَدَخَلَ كَثِيرٌ مِنْهُمْ فِي الْإِسْلَامِ، وَبَعَثَ إِلَى الصِّدِّيقِ يُعَلِمُهُ بِمَا وَقَعَ مِنَ الْفَتْحِ، فَأَمَرَهُ الصِّدِّيقُ أَنْ يَتَقَدَّمَ وَلَا يُحْجِمَ، وَأَمَدَّهُ بِالْوَلِيدِ بْنِ عُقْبَةَ وَعِكْرِمَةَ بْنِ أَبِي جَهْلٍ، وَجَمَاعَةٍ، فَسَارَ إِلَى قَرِيبٍ مِنْ آبِلَ، فَالْتَقَى هُوَ وَأَمِيرٌ مَنِ الرُّومِ
পৃষ্ঠা - ৫৩৭৩


তাকে পরাজিত করেন ৷ সে দামেশকে পালিয়ে যায় ৷ পেছন ধাওয়৷ করে দামেশকে পৌছে
খালিদ ইবন সাঈদ মাহানের নিকট এসে যান ৷ শত্রুপক্ষের নিকট জিঘৃয়া কর দাবি করেন ৷
মুসলিম সৈন্যগণ মারজ আস সাফরা’ অঞ্চলে পৌছে যায় ৷ মাহড়ানের সৈন্যপণ মুসলমানদের
উপর পাল্টা আক্রমণ করে ৷ মাহান নিজে যুদ্ধে অংশ নেয় ৷ খালিদ ইবন সাঈদ পালিয়ে যান ৷
তিনি যুল মারওয়া’তে আসতে পারেন নি ৷ রোমান সৈনিকগণ প্রচণ্ড আক্রমণ পরিচালনা করে
মুসলিম সেনাবাহিনীর উপর ৷ তারা বিজয় লাভ করে ৷ অশ্বারোহী মুসলিম সৈনিকগণ পালিয়ে
যায় ৷ ইকরামা ইবন আবু জাহ্ল দৃঢ়ভ ৩াবে অবস্থান করেন ৷ তিনি সিরিয়া থেকে সামান্য কিল্ ছুদুর
পিছিয়ে আসেন ৷ যে সকল মুসলিম সৈনিক পালিয়ে আসছিল তিনি তাদেরকে আশ্রয়ও
বিশ্রামের ব্যবস্থা করছিলেন ৷ শুরাহ্বীল ইবন হাসানাহ্ (রা) ইরাকে অবস্থানরত খালিদ ইবন
ওয়ালীদের নিকট থেকে মদীনায় খলীফার নিকট ফিরে আসেন ৷ খলীফা তাকে সংশ্লিষ্ট
সৈনিকদের সেনাপতি মনোনীত করে সিরিয়ার দিকে পাঠিয়ে দেন ৷ যুল মারওয়াতে খালিদের
সৈনিকদের নিকট যখন তিনি পৌছেন তখন পলাতক সবলে সৈনিক তার সাথে যোগ দেয় ৷
এরপর কতক লোক হযরত আবু বকর সিদ্দীক (রা)-এর নিকট একত্রিত হয় ৷ তিনি মু আৰিয়া-
ইবন আবু সুফিয়ানকে ওদের সেনাপতি মনোনীত করেন এবং তার সহােদর ইয়াষীদ ইবন আবু
সুফয়ানের সহযোগিতার জন্যে প্রেরণ করেন ৷ তিনি খালিদ ইবন সাঈদের পাশ দিয়ে যাবার
সময় যুল মারওয়৷ তে অবস্থানকারী অন্যান্য সৈনিককে সাথে নিয়ে নেন এবং সিরিয়ার উদ্দেশ্যে
যাত্রা করেন ৷ এরপর হযরত আবু বকর সিদ্দীক (রা) খালিদ ইবন সাঈদকে মদীনায় প্রবেশের
অনুমতি দেন ৷ তিনি বলেন যে, খালিদ সম্পর্কে উমর (রা) অধিক অবগত ছিলেন ৷

ইয়ারমুকের যুদ্ধ

সায়ফ ইবন উমরের মতে এই বছরের দামেশক বিজয়ের পুর্বে এই যুদ্ধ সংঘটিত হয় ৷
আবু জাফর ইবন জারীর তাবারী (র) এই মত সমর্থন করেছেন ৷ অন্যদিকে ইয়াযীদ ইবন আবু
উবায়দাহ্, ওয়ালীদ, ইবন লাহিআ, লায়ছ ও আবু মাশার প্রমুখের সুত্রে ইবন আসাকির (র)
উল্লেখ করেছেন যে, এই যুদ্ধ সংঘটিত হয়েছিল ১৫ হিজরী সনে দামেশৃক বিজয়ের পর ৷
মুহাম্মদ ইবন ইসহাকের বর্ণনায় এটি সংঘটিত হয়েছে ১৫ হিজরী সনের রজব মাসে ৷ খিয়াতের
পুত্র খলীফা ইবন কালবী সুত্রে বলেন যে, ইয়ারমুকের যুদ্ধ সংঘটিত হয়েছিল ১৫ হিজরী সনের
৫ই রজব সােমবারে ৷ ইবন আসাকির মন্তব্য করেছেন যে, এই অভিমত অধিকতর বিশুদ্ধ ৷
সায়ফ (রা) বলেছেন যে, এটি সংঘটিত হয়েছে ১৩ হিজরী সনে দামেশৃক বিজয়ের পুর্বে, অন্য
কেউ তাকে এ বিষয়ে সমর্থন করেনি ৷

আমি বলি, ব্যাংক ও অন্যদের এসব বক্তব্য উদ্ধৃতি করা হয়েছে ইবন জারীর ও অন্যান্যের
অনুসরণে ৷ ইবন জারীর (র) বলেছেন, এই মুসলিম সেনাবাহিনী যখন সিরিয়া অভিমুখে যাত্রা
করে তখন রােমানগণ ৰিচলিত হয়ে পড়ে এবং ডীতসন্ত্রস্ত হয়ে যায় ৷ রোমান সম্রাট
হিরাক্লিয়াসকে তারা ঘটনার বিস্তারিত বিবরণ জানায় ৷ হিরাক্লিয়াস তখন হিমৃস রাজ্যে অবস্থান
করছিলেন ৷ বলা হয় যে, ওই বছর সম্রাট বায়তু ল মুকাদ্দাসের হজ্জ পালন করেন ৷ মুসলিম
অভিযানের সৎব বাদ শুনে সম্রাট বললেন যে, ওরা নতুন ধর্মের অনুসারী ৷ ওদেরকে প্রতিহত
করার শক্তি কারো নেই ৷ তোমরা আমার কথা গোন ৷ তোমরা এই মর্মে ওদের সাথে সন্ধি করে

আল-ৰিদায়া ¥ ৩


يُقَالُ لَهُ: بَاهَانُ. فَكَسَرَهُ، وَلَجَأَ بَاهَانُ إِلَى دِمَشْقَ، فَلَحِقَهُ خَالِدُ بْنُ سَعِيدٍ، وَبَادَرَ الْجُيُوشَ إِلَى نَحْوِ دِمَشْقَ وَطَلَبَ الْحُظْوَةَ، فَوَصَلُوا إِلَى مَرْجِ الصُّفَّرِ فَانْطَوَتْ عَلَيْهِ مَسَالِحُ بَاهَانَ، وَأَخَذُوا عَلَيْهِمُ الطَّرِيقَ، وَزَحَفَ بَاهَانُ، فَفَرَّ خَالِدُ بْنُ سَعِيدٍ، فَلَمْ يَرِدْ إِلَى ذِي الْمَرْوَةِ، وَاسْتَحْوَذَ الرُّومُ عَلَى جَيْشِهِمْ إِلَّا مَنْ فَرَّ عَلَى الْخَيْلِ، وَثَبَتَ عِكْرِمَةُ بْنُ أَبِي جَهْلٍ، وَقَدْ تَقَهْقَرَ عَنِ الشَّامِ قَرِيبًا، وَبَقِيَ رِدْءًا لِمَنْ نَفَرَ إِلَيْهِ، وَأَقْبَلَ شُرَحْبِيلُ ابْنُ حَسَنَةَ مِنَ الْعِرَاقِ ; مِنْ عِنْدِ خَالِدِ بْنِ الْوَلِيدِ إِلَى الصِّدِّيقِ، فَأَمَّرَهُ عَلَى جَيْشٍ وَبَعَثَهُ إِلَى الشَّامِ فَلَمَّا مَرَّ بِخَالِدِ بْنِ سَعِيدٍ بِذِي الْمَرْوَةِ، أَخَذَ جُمْهُورَ أَصْحَابِهِ الَّذِينَ هَرَبُوا مَعَهُ إِلَى ذِي الْمَرْوَةِ، ثُمَّ اجْتَمَعَ عِنْدَ الصِّدِّيقِ طَائِفَةٌ مِنَ النَّاسِ، فَأَمَّرَ عَلَيْهِمْ مُعَاوِيَةَ بْنَ أَبِي سُفْيَانَ، وَأَرْسَلَهُ وَرَاءَ أَخِيهِ يَزِيدَ بْنِ أَبِي سُفْيَانَ، وَلَمَّا مَرَّ بِخَالِدِ بْنِ سَعِيدٍ أَخَذَ مَنْ كَانَ بَقِيَ مَعَهُ بِذِي الْمَرْوَةِ إِلَى الشَّامِ، ثُمَّ أَذِنَ الصِّدِّيقُ لِخَالِدِ بْنِ سَعِيدٍ فِي الدُّخُولِ إِلَى الْمَدِينَةِ وَقَالَ: كَانَ عُمَرُ أَعْلَمَ بِخَالِدٍ. [وَقْعَةُ الْيَرْمُوكِ] عَلَى مَا ذَكَرَهُ سَيْفُ بْنُ عُمَرَ فِي هَذِهِ السَّنَةِ قَبْلَ فَتْحِ دِمَشْقَ، وَتَبِعَهُ عَلَى ذَلِكَ، أَبُو جَعْفَرِ بْنُ جَرِيرٍ، رَحِمَهُ اللَّهُ. وَأَمَّا الْحَافِظُ ابْنُ عَسَاكِرَ، رَحِمَهُ اللَّهُ، فَإِنَّهُ نَقَلَ
পৃষ্ঠা - ৫৩৭৪


নাও যে, সিরিয়ার মোট করের হু অংশ তোমরা ওদেরকে দিয়ে দিবে ৷ আর রোমান পর্বত
এককভাবে তোমাদের থাকবে ৷ তোমরা এই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করলে ওরা তোমাদের নিকট
থেকে সিরিয়া ছিনিয়ে নিয়ে এবং রোমান পর্বতে তোমাদের যাতায়াত সংকটময় করে তৃলবে ৷
এ কথা শুনে তারা জংলী গাধার ন্যায় চিৎকার দিয়ে উঠে ৷ ইহকালীন ও পরকালীন কল্যাণ
সম্পর্কে অজ্ঞতা এবং যুদ্ধ সম্পর্কে অনভিজ্ঞতার কারণে তারা এরুপ চিৎকার দিয়েই থাকে ৷ এটা
হলো তাদের অভ্যাস ৷

এ সময় হিরাক্লিয়াস অবস্থান করছিলেন হিমৃস-এ ৷ তিনি রোমান সৈন্য নিয়ে অভিযানে বের
হবার নির্দেশ দিলেন ৷ তার নির্দেশ ছিল প্রত্যেক মুসলিম সেনাপতির মুকাবিলায় রোমান
সেনাপতিদের তত্ত্বাবধানে বিশাল বিশাল রোমান বাহিনী প্রস্তুত থাকতে হবে ৷ বন্তুত মুসলিম
সেনাপতি আমর ইবন আসকে মুকাবিলা করার জন্যে তিনি তার সহােদর ভাই তাযারুক’-কে
৯০ হাজার সৈন্যের বিশাল বাহনীসহ পাঠান ৷ জুরজাহ্ ইবন বুযীহাকে প্রেরণ করেন ইয়াযীদ
ইবন আবু সুফয়ানের মুকাবিলা করার জন্যে ৷ তার সাথে ছিল ৫০ থেকে ৬০ হাজার সৈন্য ৷
তার সেনাপতি দারাকিসকে পাঠালেন মুসলিম সেনাপতি শুরাহবীল ইবন হাসানাহ্ এর বিরুদ্ধে ৷
লাকীকার মতান্তরে তার নাম লাকী কালানকে পাঠালেন আবু উবায়দা (রা)-কে মুকাবিলা করার
জন্যে ৷ তার সাথে ছিল ৬০ হাজার সৈন্যের বিশাল বাহিনী ৷ রােমনরা বলেছিল আল্লাহর
কসম, আমরা আবু বকর (বা) কে এত ব্যস্ত ও অস্থির করে রাখব যে, তিনি আমাদের বিরুদ্ধে
অশ্ববা ড়াহিনী প্রেরণের সুযােগই পাবেন না ৷

এই অভিযানে মুসলমানদের সৈন্য স ৰ্খ্যা ছিল সর্বমোট ২১ হাজার ৷ অবশ্য এই সংখ্যা
ছিল ইকরিমা ইবন আবু জাহলের সাথে থাকা সৈন্য ব্যতীত ৷ ইকরিমা অবস্থান করছিলেন
সিরিয়ার এক প্রান্তরে ৷ তার সাথে ছিল ছয় হাজার মুসলিম সৈন্য ৷ তিনি অবস্থান করছিলেন
যুদ্ধরত বাহিনীর সহযোগী-বাহিনী নিয়ে ৷ মুসলিম সেনাপতিগণ রোমানদের ব্যাপক যুদ্ধ প্রস্তুতি
ও বিশাল সেনাবাহিনী সম্পর্কে খলীফা আবু বকর (রা) কে জানালেন ৷ তিনি নির্দেশ দিয়ে
লিখলেন, আপনারা সবাই একত্রিত ৩হয়ে একটি মাত্র বাহিনী হন ৷ তারপর মুশরিকদের মুকাবিলা
করুন ৷ আপনারা আল্লাহ্র সাহায্যকারী ৷ যারা আল্লাহ্কে সাহায্য করে তিনি তাদের সাহায্য
করেন ৷ আর বাবা তাকে অস্বীকার করে তিনি তাদেরকে অপমানিত ও লাঞ্ছিত করেন ৷
আপনাদের সৈন্য সংখ্যাকে কম বলা যায় না ৷ তার কথা হলো পাপাচারিতা ও অন্যায় থেকে
সকলকে যুক্ত থাকতে হবে ৷ আর সবাই নিজ নিজ সঙ্গীদের সাথে মিলিত হবে ৷
সিদ্দীক-ই-আকবর (রা) বললেন, আল্লাহ্র কসম সেনাপতি খালিদ ইবন ওয়ালীদকে নিয়োজিত
করে খ্রিক্টানদেরকে আমি শয়তানের কুমন্ত্রণা থেকে দুরে সরিয়ে রাখব ৷ তিনি খালিদ (রা)-কে
ইরাক ছেড়ে সৈন্য-সামন্তসহ সিরিয়া চলে যেতে এবং সেখানে যারা আছে তাদের ৫ নতৃতু গ্রহণ
করতে পত্র লিখলেন ৷ তিনি এও লিখলেন সে, যুদ্ধ শেষে তিনি পুনরায় ইরাক ফিরে এসে
নির্ধারিত দায়িত্ব পালন করবেন ৷

মুসলিম সেনাপতিদের এক বাহিনীতে সমবেত হওয়ার বিষয়ে খলীফার নির্দোশর কথা
হিরাক্লিয়াস অবগত হলো ৷ তিনিও তার বাহিনীসমুহকে এক বাহিনীতে সমবেত হবার নির্দেশ
দেন ৷ তিনি এ নির্দেশও দেন যে, তারা যেন এমন একন্থানে অবস্থান নেয় যেখানে ময়দান


عَنْ يَزِيدَ بْنِ عُبَيْدَةَ وَالْوَلِيدِ وَابْنِ لَهِيعَةَ وَاللَّيْثِ وَأَبِي مَعْشَرٍ، أَنَّهَا كَانَتْ فِي سَنَةِ خَمْسَ عَشْرَةَ بَعْدَ فَتْحِ دِمَشْقَ. وَقَالَ مُحَمَّدُ بْنُ إِسْحَاقَ: كَانَتْ فِي رَجَبٍ سَنَةَ خَمْسَ عَشْرَةَ. وَقَالَ خَلِيفَةُ بْنُ خَيَّاطٍ: قَالَ ابْنُ الْكَلْبِيِّ: كَانَتْ وَقْعَةُ الْيَرْمُوكِ يَوْمَ الِاثْنَيْنِ لِخَمْسٍ مَضَيْنَ مِنْ رَجَبٍ سَنَةَ خَمْسَ عَشْرَةَ. قَالَ ابْنُ عَسَاكِرَ: وَهَذَا هُوَ الْمَحْفُوظُ، وَمَا قَالَهُ سَيْفٌ مِنْ أَنَّهَا قَبْلَ فَتْحِ دِمَشْقَ سَنَةَ ثَلَاثَ عَشْرَةَ، فَلَمْ يُتَابَعْ عَلَيْهِ. قُلْتُ: وَهَذَا ذِكْرُ سِيَاقِ سَيْفٍ وَغَيْرِهِ عَلَى مَا أَوْرَدَهُ ابْنُ جَرِيرٍ وَغَيْرُهُ، قَالُوا: وَلَمَّا تَوَجَّهَتْ هَذِهِ الْجُيُوشُ نَحْوَ الشَّامِ أَفْزَعَ ذَلِكَ الرُّومَ وَخَافُوا خَوْفًا شَدِيدًا، وَكَتَبُوا إِلَى هِرَقْلَ يُعْلِمُونَهُ بِمَا كَانَ مِنَ الْأَمْرِ، فَيُقَالُ: إِنَّهُ كَانَ يَوْمَئِذٍ بِحِمْصَ. وَيُقَالُ: بَلْ كَانَ حَجَّ عَامَهُ ذَلِكَ إِلَى بَيْتِ الْمَقْدِسِ. فَلَمَّا انْتَهَى إِلَيْهِ الْخَبَرُ قَالَ لَهُمْ: وَيَحَكُمْ! إِنَّ هَؤُلَاءِ أَهْلُ دِينٍ جَدِيدٍ، وَإِنَّهُمْ لَا قِبَلَ لِأَحَدٍ بِهِمْ، فَأَطِيعُونِي وَصَالِحُوهُمْ بِمَا تُصَالِحُونَهُمْ عَلَى نِصْفِ خَرَاجِ الشَّامِ، وَيَبْقَى لَكُمْ جِبَالُ الرُّومِ، وَإِنْ أَنْتُمْ أَبَيْتُمْ ذَلِكَ، أَخَذُوا مِنْكُمُ الشَّامَ وَضَيَّقُوا عَلَيْكُمْ جِبَالَ الرُّومِ. فَنَخَرُوا مِنْ ذَلِكَ نَخْرَةَ حُمُرِ الْوَحْشِ، كَمَا هِيَ عَادَاتُهُمْ فِي قِلَّةِ الْمَعْرِفَةِ، وَالرَّأْيِ بِالْحَرْبِ وَالنُّصْرَةِ فِي الدِّينِ وَالدُّنْيَا، فَعِنْدَ ذَلِكَ سَارَ إِلَى حِمْصَ، وَأَمَرَ هِرَقْلُ بِخُرُوجِ الْجُيُوشِ الرُّومِيَّةِ صُحْبَةَ الْأُمَرَاءِ، فِي مُقَابَلَةِ كُلِّ أَمِيرٍ مِنَ الْمُسْلِمِينَ
পৃষ্ঠা - ৫৩৭৫


বিন্তুত, অবতরণ স্থল প্রশস্ত কিন্তু পালানাের পথ সংকীর্ণ ৷ রোমান বাহিনীর সেনাপতি ছিল তার
ভাই তযােরুক ৷ অগ্রবাহিনীর অধিনায়ক জু রজাহ্ ৷ দৃপড়ার্শ্ব বাহিনীর অধিনায়ক মাহান ও
দারাকিম ৷ মধ্য বাহিনীর অধিনায়ক কায়কালান ৷

মুহাম্মদ ইবন অইিয বলেছেন, আবদুল আ লা সুত্রে সাঈদ ইবন আবদুল আযীয থেকে যে,
ইয়ারমুক যুদ্ধে মুসলমানদের সৈন্য ছিল চব্বিশ হাজার ৷ সেনাপতি ছিলেন আবু উবায়দাহ্ ৷
রোমানদের সৈন্য ছিল এক লক্ষ বিশ হাজার ৷ ওদের সেনাপতি মাহান ও সাকলাব ৷

ইবন ইসহাকও অনুরুপ উল্লেখ করেছেন যে, সেদিন রোমানদের সেনাপতি ছিল সাকলাব
খাসী ৷ তার অধীনে ছিল এক লাখ সৈন্য ৷ সম্মুখ বাহিনীর অধিনায়ক ছিল জুরজাঘৃ ৷ তার অধীনে
ছিল ১২ হাজার আর্মেনীয় সৈন্য ৷ আরব খ্রিস্টানদের নেতৃত্বে ছিল জাবালাহ্ ইবন আয়হাম ৷
তারা ছিল সংখ্যায় ১২ হাজার ৷ মুসলিমদের মোট সৈন্য সংখ্যা ছিল ২৪ হাজার মাত্র ৷
মুসলমানপণ তা সত্বেও প্রচণ্ড যুদ্ধ করে রোমানদের বিরুদ্ধে ৷ পুরুষ যােদ্ধাদের সমর্থনে মুসলিম
মইিলারাও যুদ্ধে অংশ নেন এবং প্রচণ্ড যুদ্ধ চালিয়ে যান ৷

ওয়ালীদ আবদুর রহমান ইবন জুৰায়র থেকে বর্ণিত যে, মাহান আরমানীর নেতৃত্বে
রোমান সম্রাট হিরাক্লিয়াস দুই লাখ সৈন্য প্রেরণ করেন ৷ সায়ক বলেন, রোমানগণ অগ্রসর
হলো ৷ ইয়ারমুকের নিকটবর্তী ওয়াকওয়াসা নামক স্থানে এসে তারা শিবির স্থাপন করে ৷ ওই
ময়দানে তারা পরিখ৷ খনন করে ৷ অতিরিক্ত সৈন্য সাহায্য চেয়ে এবং ইয়ারমুকে খ্রিস্টান সৈন্য
সমাবেশের সংবাদ জানিয়ে সড়াহাবিগণ খলীফার নিকট দুত পাঠান ৷ খলীফা এই মর্মে খালিদ
ইবন ওয়ালীদকে চিঠি লিখবেন যে, তিনি যেন ইরাকে অন্য কাউকে দায়িত্ব বুঝিয়ে দিয়ে নিজে
সেনাবাহিনীসহ দ্রুত ৩সিরিয়া গিয়ে পৌছেন ৷ ওখানে গিয়ে তিনিই হবেন যুদ্ধের সর্বাধিনায়ক ৷
তিনি মুছান্ন৷ ইবন হা ৷রিছাকে ইরাকের শাসনকর্তা নিযুক্ত করে দ্রুত ৩সিরিয়ার পথে যাত্রা করেন ৷
তার সাথে ছিল নয় হাজার পাচশ মুসলিম সৈন্য ৷ রাফি ইবন উমায়রা তাঈ হলো পথপ্রদর্শক ৷
সে অগ্রসর হতে লাগল পাহাড়ী পথে ৷ তারা এসে পৌছলেন কারাকির’ অঞ্চলে ৷ পথপ্রদর্শক
রাফি এমন পথে চলছিল যে পথে ইতোপুর্বে কেউ আসেনি ৷ তারা পাহাড়-পর্বত, মরুভুমি,
ধু-ধু ময়দান, পাছ-পাছড়া বিহীন বিরান ভুমি অতিক্রম করে যাচ্ছিলেন ৷ কখনো পাহাড়ের
চুড়ায়, কখনো সমতল ভুমি পার হচ্ছিলেন তারা ৷ রাফি তাদেরকে এমন পথে নিয়ে এস্যেছ
যেখানে শুধু পানিবিহীন মরু প্রড়ান্তর ৷ উটগুলো হয়ে পড়ে তৃ ষ্ণার্ত ৷ র্তারা উটকে বার বার পানি
পান করিয়ে নেন ৷ তারপর সেগুলোর নিচের ঠোট কেটে মুখ বেধে ফেলা হয় যাতে সে মুখ
নাড়াচাড়া ও পেটের কিছু মুখে আনতে না পারে ৷ এগুলােৰক সাথে নিয়েই র্তারা পথ চলতে
লাগলেন ৷ যেতে যেতে যখন এমন স্থানে পৌছলেন যে, সেখানে কোন পানি নেই ৷ তখন তারা
এই উট জবইি করে সেগুলোর পেটে রক্ষিত পানি পান করলেন ৷

কথিত আছে যে, কোন জায়গায় পানি পাওয়া গেলে ওই পানি তারা তাদের
ঘোড়াগুলােকেও ভালভাবে পান করিয়েছেন ৷ আর পানিবিহীন স্থানে আসার পর ওই ঘোড়া
জবইি করে পেটে রক্ষিত পানি বের করে, পান করেছেন এবং ওগুলাের গোশত থেয়েছেন ৷
অবশেষে তারা সিরিয়া এসে পৌছলেন ৷ আলহাম্দুলিল্লাহ্৷ পড়াচদিনের একটানা সফরের পর
তারা এখানে এলেন ৷ তাদমুর অঞ্চল দিয়ে তারা রোমানদের উপর চড়াও হলেন ৷ তাদমুরের


جَيْشٌ كَثِيفٌ، فَبَعَثَ إِلَى عَمْرِو بْنِ الْعَاصِ أَخَاهُ لِأَبَوَيْهِ تَذَارِقَ فِي تِسْعِينَ أَلْفًا مِنَ الْمُقَاتِلَةِ، وَبَعَثَ جَرَجَةَ بْنَ تُوذْرَا إِلَى نَاحِيَةِ يَزِيدَ بْنِ أَبِي سُفْيَانَ، فَعَسْكَرَ بِإِزَائِهِ، وَبَعَثَ الدُّرَاقِصَ إِلَى شُرَحْبِيلَ ابْنِ حَسَنَةَ، وَبَعَثَ الْقَيْقَارَ - وَيُقَالُ: الْقَيْقَلَانُ. قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: وَهُوَ حَصِيُّ هِرَقْلَ - ابْنَ نَسْطُورِسَ، فِي سِتِّينَ أَلْفًا إِلَى أَبِي عُبَيْدَةَ بْنِ الْجَرَّاحِ. وَقَالَتِ الرُّومُ: وَاللَّهِ لَنَشْغَلَنَّ أَبَا بَكْرٍ عَنْ أَنْ يُورِدَ الْخُيُولَ إِلَى أَرْضِنَا. وَجَمِيعُ عَسَاكِرِ الْمُسْلِمِينَ أَحَدٌ وَعِشْرُونَ أَلْفًا سِوَى الْجَيْشِ الَّذِي مَعَ عِكْرِمَةَ بْنِ أَبِي جَهْلٍ، وَكَانَ وَاقِفًا فِي طَرَفِ الشَّامِ رِدْءًا لِلنَّاسِ فِي سِتَّةِ آلَافٍ، فَكَتَبَ الْأُمَرَاءُ إِلَى أَبِي بَكْرٍ وَعُمَرَ يُعْلِمُونَهُمَا بِمَا وَقَعَ مِنَ الْأَمْرِ الْعَظِيمِ، فَكَتَبَ إِلَيْهِمْ أَنْ يَجْتَمِعُوا فَيَكُونُوا جُنْدًا وَاحِدًا، وَالْقَوْا جُنُودَ الْمُشْرِكِينَ، فَأَنْتُمْ أَعْوَانُ اللَّهِ، وَاللَّهُ نَاصِرٌ مَنْ نَصَرَهُ، وَخَاذِلٌ مَنْ كَفَرَهُ، وَلَنْ يُؤْتَى مِثْلُكُمْ عَنْ قِلَّةٍ، وَلَكِنْ مِنْ تِلْقَاءِ الذُّنُوبِ، فَاحْتَرِسُوا مِنْهَا، وَلْيُصَلِّ كُلُّ رَجُلٍ مِنْكُمْ بِأَصْحَابِهِ. وَقَالَ الصِّدِّيقُ: وَاللَّهِ لَأَشْغَلَنَّ النَّصَارَى عَنْ وَسَاوِسَ الشَّيْطَانِ بَخَالِدِ بْنِ الْوَلِيدِ. وَبَعَثَ إِلَيْهِ وَهُوَ بِالْعِرَاقِ لِيَقْدَمَ إِلَى الشَّامِ، فَيَكُونَ الْأَمِيرَ عَلَى مَنْ بِهِ، فَإِذَا فَرَغَ عَادَ إِلَى عَمَلِهِ بِالْعِرَاقِ. فَكَانَ مَا سَنَذْكُرُهُ. وَلَمَّا بَلَغَ هِرَقْلَ مَا أَمَرَ بِهِ الصِّدِّيقُ أُمَرَاءَهُ مِنَ الِاجْتِمَاعِ، بَعَثَ إِلَى أُمَرَائِهِ أَنْ يَجْتَمِعُوا أَيْضًا، وَأَنْ يَنْزِلُوا
পৃষ্ঠা - ৫৩৭৬


অধিবাসিগণ আত্মসমর্পণ করেন এবং সন্ধি স্থাপন করে ৷ আযরা’ অঞ্চল অতিক্রমের সময়
সেখানকার ধন-সম্পদ সৎ হ বৈধ ঘোষণা করা হয় ৷ ফলে মুসলিম সৈন্যরা পাসৃসানী শত্রুদের
প্রচুর ধ্ন-সম্পদ করায়ত্ত করে নেয় ৷ তারা দামেশকের পুর্ব প্রান্ত দিয়ে বের হন ৷ তারপর যেতে
যেতে বুসরা গিয়ে পৌছলেন ৷ সেখানে গিয়ে দেখতে পেলেন যে, সাহাবা-ই-কিরাম ওখানে
শত্রুর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে লিপ্ত ৷ খালিদ ইবন ওয়ালীদ (রা) সেখানে পৌছার পর এলাকাবাসী
তার সাথে সন্ধি স্থাপন করে এবং ওই অঞ্চল তার নিকট হস্তান্তর করে ৷ সিরিয়া এটিই প্রথম
বিজিত শহর ৷ গাসৃসান গোত্রের ধ্ন-সম্পদ যা মুসলিম সৈন্যদের অধিকার করেছিল
নিয়মানুযায়ী তার ষ্টু অংশ হযরত খালিদ (রা) খলীফা সিদ্দীক-ই-আকবার (রা)-এর নিকট
পাঠিয়ে দিয়েছিলেন ৫বিলাল ইবন হারিছ মুযানীর মাধ্যমে ৷
এরপর হযরত খালিদ, আবু উবায়দা, মুরছাদ ও শুরাহ্বীল (রা) প্রমুখ সেনাপতি ৩হযরত
অড়ামর ইবন আস (রা) এর সাহাযার্থে এগিয়ে গেলেন ৷ মা ওয়ারের আর্বা অঞ্চলে রোমান
সৈন্যরা আমর ইবন আস (রা)-এর বিরুদ্ধে যুদ্ধ প্রস্তুতি নিচ্ছিল ৷ অবশেষে আজনাদায়ন’ যুদ্ধ
সংঘটিত হয় ৷ হযরত খালিদ (রা)-এর ওই অভিযানে অংশগ্রহণকারী জনৈক মুসলিম মুজাহিদ
এ সম্পর্কে নিম্নের কবিতা আবৃত্তি করেছেন :
পথ প্রদর্শনকারী রাফি-এর দুটো চোখ আল্পাহ্র জন্যে উৎসর্গ হোক, কীভাবে সে পথ
চিনল ? সদলবলে উর্টেটড়ে কারাকির থেকে নাওয়৷ গিয়ে পৌছল ?
মাত্র পাচ দিলেই খালিদ এই পথ অতিক্রম করেছেন ৷ এই পথ এমন দুর্গম ও কঠিন ছিল
যে, চলতে গিয়ে সৈনিকগণ কেদে ফেল্যেছ ৷ আমার জানা মতে, এই পথে ইতিপুর্বে কোন
মানব সন্তান যাতায়াত করেনি ৷
এই যাত্রায় জনৈক আরব দলনেতা খা লিদকে বলেছিলেন, ভোরবেলা যদি আপনি অমুক
গাছের নিকট পৌছতে পারেন তবে আপনিও প্রাণে বাচবেন, আপনার সঙ্গী-সাথিগণও বেচে
যাবে ৷ অন্যথায় দলবলসহ আপনি ধ্বংস হয়ে যাবেন ৷ হযরত ৩খালিদ তার সাথীদেরকে নিয়ে
দ্রুত থেকে দ্রুততর গতিতে যাত্রা করলেন এবং ভোরবেলা ওই গাছের নিকট পৌছে গেলেন ৷
সেনাপতি খালিদ (রা) বললেন, “নেতৃস্থানীয় ব্যক্তিবর্পের প্রশংসা করা হয় ভোরবেলা-
এরপর এটি একটি প্রবাদ বাক্যে পরিণত হলো ৷ তিনিই সর্বপ্রথম এ বাক্য উচ্চারণ করেছিলেন ৷
পুর্ববর্তী বর্ণনার উপসংহার স্বরুপ সায়ফ ইবন উমর এবং আবু নাহীফ প্রমুখ বলেছেন যে,
সেনাপতিগণসহ রোমান সৈন্যগণ ওয়াকওয়াসায়’ সমবেত হলো ৷ মুসলমানগণও তাদের
অবস্থান হল থেকে বের হন এবং রোমানদের কাছাকাছি এসে এমন এক রাস্তায় অবস্থান গ্রহণ
করেন যে, ওই রাস্তা ব্যতীত রোমানদের বের হওয়ার কোন রাস্তা ছিল না ৷ এ প্রেক্ষিতে আমর
ইবন আস উইচ্চ৪স্বরে ঘোষণা দিয়ে বললেন, হে লোক সকল! সবাই সুসংবাদ নিন ৷ আল্লাহ্র
কসম, ণ্রামানগণ অবরুদ্ধ হয়ে পড়েছে ৷ আর অবরুদ্ধ ব্যক্তি খুব কমই কল্যাণ লাভ করে ৷


بِالْجَيْشِ مَنْزِلًا وَاسِعَ الْعَطَنِ، وَاسِعَ الْمَطْرَدِ، ضَيِّقَ الْمَهْرَبِ، وَعَلَى النَّاسِ أَخُوهُ تَذَارِقُ، وَعَلَى الْمُقَدِّمَةِ جَرَجَةُ، وَعَلَى الْمُجَنِّبَتَيْنِ بَاهَانُ وَالدُّرَاقِصُ، وَعَلَى الْحَرْبِ الْقَيْقَلَانُ. . وَقَالَ مُحَمَّدُ بْنُ عَائِذٍ عَنْ عَبْدِ الْأَعْلَى، عَنْ سَعِيدِ بْنِ عَبْدِ الْعَزِيزِ: إِنَّ الْمُسْلِمِينَ كَانُوا أَرْبَعَةً وَعِشْرِينَ أَلْفًا، وَعَلَيْهِمْ أَبُو عُبَيْدَةَ، وَالرُّومُ كَانُوا عِشْرِينَ وَمِائَةَ أَلْفٍ، عَلَيْهِمْ بَاهَانُ وَسُقْلَابُ، يَوْمَ الْيَرْمُوكِ. وَكَذَا ذَكَرَ ابْنُ إِسْحَاقَ أَنَّ سُقْلَابَ الْحَصِيَّ كَانَ عَلَى الرُّومِ يَوْمَئِذٍ فِي مِائَةِ أَلْفٍ، وَعَلَى الْمُقَدِّمَةِ جَرَجَةُ مِنْ أَرْمِينِيَّةَ فِي اثْنَيْ عَشَرَ أَلْفًا، وَمِنَ الْمُسْتَعْرِبَةِ اثْنَا عَشَرَ أَلْفًا عَلَيْهِمْ جَبَلَةُ بْنُ الْأَيْهَمِ، وَالْمُسْلِمُونَ فِي أَرْبَعَةٍ وَعِشْرِينَ أَلْفًا، فَقَاتَلُوا قِتَالًا شَدِيدًا، حَتَّى قَاتَلَتِ النِّسَاءُ مِنْ وَرَائِهِمْ أَشَدَّ الْقِتَالِ. وَقَالَ الْوَلِيدُ، عَنْ صَفْوَانَ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ جُبَيْرٍ قَالَ: بَعَثَ هِرَقْلُ مِائَتَيْ أَلْفٍ، عَلَيْهِمْ بَاهَانُ الْأَرْمَنِيُّ. قَالَ سَيْفٌ: فَسَارَتِ الرُّومُ فَنَزَلُوا الْوَاقُوصَةَ قَرِيبًا مِنَ الْيَرْمُوكِ، وَصَارَ الْوَادِي خَنْدَقًا عَلَيْهِمْ، وَبَعَثَ الصَّحَابَةُ إِلَى الصِّدِّيقِ يَسْتَمِدُّونَهُ، وَيُعْلِمُونَهُ بِمَا اجْتَمَعَ مِنْ
পৃষ্ঠা - ৫৩৭৭


কথিত আছে যে, রোমানদের প্রতি অভিযান পরিচালনার নীতি ও কৌশল সম্পর্কে যখন
সাহাবীগণ পরামর্শ করছিলেন তখন সমরনেতাগণও সেখানে উপস্থিত হলেন ৷ এক পর্যায়ে
সেখানে উপস্থিত হলেন আবু সুফিয়ান ৷ তিনি বললেন, আমি ধারণা করতাম না যে, আমি এমন
আযু পাব যে, যুদ্ধের জন্যে প্রস্তুত এমন কোন শত্রুবাহিনীর মুখোমুখি হব অথচ ওদের বিরুদ্ধে
যুদ্ধে হাজির হতে পারব না৷ এরপর তিনি পরামর্শ দিলেন যে, পুরো মুজাহিদ বাহিনীকে তিন
ভাগে ভাগ করা হোক ৷ তারপর ৩অৎশ সবার আগে যাত্রা করে রোমানদের মুখোমুখি কোন
জায়গায় অবস্থান নিয়ে ৷ তারপর ৩অৎশ সৈন্যের ২য় দলটি মালপত্র এবং মহিলাদেরকে নিয়ে
অগ্রসর হবে ৷ খালিদ (রা) এর নেতৃত্বে অপর ই৩ ৎশ অপেক্ষা করতে থাকবে ৷ আপাতত
অগ্রসর হবে না ৷ মালপত্র ও মহিলাসহ ২য় দল ১ম দলের সাথে মিলিত হয়েছে এমন তথ্য
নিশ্চিত হয়ে খালিদ (রা)৩ তার সাথী সৈন্যদেরকে নিয়ে অগ্রসর হবেন ৷ তার বাহিনী নিয়ে তিনি
শিবির স্থাপন করবেন সম৩ ল ভুমি ও উন্মুক্ত ময়দান পেছনে রেখে ৷ যাতে বাহির থেকে
সাহায্য-সামগী ও রসদপত্র তাদের নিকট পৌছা নাে যায় ৷ বন্তুত আবুসুফিয়ান (বা) যে পরামশ
দিয়েছেন মুসলিম নেতৃত্ব তা ই গ্রহণ করেছেন ৷ ওই পরামর্শ খুবই উত্তম ছিল ৷

ওয়ালীদ উল্লেখ করেছেন সাফওয়ান সুত্রে আবদুর রহমান ইবন জুবায়র থেকে ৷ তিনি
বলেছেন যে, রোমানগণ অবস্থান করেছিল দিয়ার-ই-আইযুব ও ইয়ারমুকের মধ্যবর্তী স্থানে ৷
আর মুসলমড়ানগণ অবস্থান নিয়েছিল অন্য প্রান্তে নদীর পাশে ৷ আযরুআত অঞ্চলকে তারা
পেছনে রেখেছিল যাতে ওই পথে মদীনা থেকে তাদের নিকট সাহায্য পৌছতে পারে ৷

কেউ কেউ বলেন যে খালিদ (বা) ওখানে এসেছিলেন পরে ৷ প্রথমে সাহাবা-ই-কিরাম
(রা) রোমানদের মুখোমুখি অবস্থান নিয়ে ওদেরকে অবরুদ্ধ করে রাখেন ৷ পুরো রবিউল
আউয়াল মাস অবরোধ চলতে থাকে ৷ ওই মাস যখন শেষ হয় এবং এ সকল আক্রমণের
সম্ভাবনা দেখা দেয় তখন তারা অতিরিক্ত সাহায্য চেয়ে খলীফার নিকট দুত পাঠান ৷ খলীফা
সিদ্দীক-ই-আকবর (রা) বললেন, ওই দায়িত্ব পালনের জন্যে খালিদ আছে ৷ তিনি সিরিয়া
যাবার জন্যে খালিদকে নির্দেশ দেন ৷ এরপর রবিউল আখির মাসে হযরত খালিদ (রা) সিরিহ:হ্
গিয়ে মুল মুসলিম বাহিনীর সাথে যোগ দেন ৷ এদিকে খালিদ (রা) মুসলিম বাহিনীর সাথে
মিলিত হন আর ওদিকে রোমানদের সাহায্যে এগিয়ে আসে সেনাপতি মাহান’ ৷ তার সাথে ছিল
খ্রিষ্টান পাদ্বী, সন্না৷সী ও বায়তৃল মুকাদ্দাসের সেবাবয়তগণ ৷ খ্রিস্ট ধর্মের রক্ষা ও বিজয়ের জন্যে
তারা খ্রিষ্টান সেনাবাহিনীকে উত্তেজিত ও উৎসাহিত করছিল ৷ অবশেষে রোমান সৈন্য সংখ্যা
গিয়ে দাড়৷ য় দু লাখ চল্লিশ হাজারে ৷৩ তাদের মধ্যে ৮০ হাজার হলো লোহার শিকলও রশিতে
বাধা ৷ ৮০ হাজার অশ্বা রাহী এবৎ ৮০ হাজার পদাতিক ৷ সায়ফ বলেন, যারা শিকলে বাধা ছিল
তাদের প্রতি দশজন এক শিকলে বাধা ছিল যাতে তারা যুদ্ধ ছেড়ে পালিয়ে যেতে না পারে ৷
এরুপ বাধা সৈন্যের সং থ্যা ছিল ত্রিশ হাজার ৷ আল্পাহ্ ভাল জানেন ৷

সায়ফ বলেন, এক পর্যায়ে সাথী সৈন্যদেরকে নিয়ে ইকরামা এসে যোগ দিলেন মুসলিম
বাহিনীর সাথে ৷ ফলে সাহাবীদের সৈন্য সংখ্যা ৩৬ হাজার থেকে ৪০ হাজারে উন্নীত হলো ৷

ইবন ইসহাক এবৎ মাদাইনী অনুরুপ অভিমত প্রকাশ করেছেন যে, আজনাদায়ন’ যুদ্ধ
সংঘটিত হয়েছিল ইয়ারমুক যুদ্ধের পুর্বে ৷ ১৩ হিজরী সনের জুমড়াদাল উলা মাসের দুদিন


جَيْشِ الرُّومِ بِالْيَرْمُوكِ، فَكَتَبَ الصِّدِّيقُ عِنْدَ ذَلِكَ إِلَى خَالِدِ بْنِ الْوَلِيدِ أَنْ يَسْتَنِيبَ عَلَى الْعِرَاقِ، وَأَنْ يَقْفِلَ بِمَنْ مَعَهُ إِلَى الشَّامِ فَإِذَا وَصَلَ إِلَيْهِمْ فَهُوَ الْأَمِيرُ عَلَيْهِمْ. فَاسْتَنَابَ الْمُثَنَّى بْنَ حَارِثَةَ عَلَى الْعِرَاقِ، فَسَارَ خَالِدٌ مُسْرِعًا فِي تِسْعَةِ آلَافٍ - وَيُقَالُ: ثَمَانِمِائَةٍ، أَوْ خَمْسُمِائَةٍ - وَدَلِيلُهُ رَافِعُ بْنُ عُمَيْرَةَ الطَّائِيُّ، فَأَخَذَ بِهِ عَلَى السَّمَاوَةِ، حَتَّى انْتَهَى إِلَى قُرَاقِرَ، وَسَلَكَ بِهِ أَرَاضِيَ لَمْ يَسْلُكْهَا قَبْلَهُ أَحَدٌ، فَاجْتَابَ الْبَرَارِيَّ وَالْقِفَارَ، وَقَطَعَ الْأَوْدِيَةِ، وَتَصَعَّدَ عَلَى الْجِبَالِ، وَسَارَ فِي غَيْرِ مَهْيَعٍ، وَجَعَلَ رَافِعٌ يَدُلُّهُمْ فِي مَسِيرِهِمْ عَلَى الطَّرِيقِ وَهُوَ أَرْمَدُ، وَعَطَّشَ النُّوقَ وَسَقَاهَا الْمَاءَ عَلَلًا بَعْدَ نَهَلٍ، وَقَطَعَ مَشَافِرَهَا وَكَعَمَهَا حَتَّى لَا تَجْتَرَّ، وَخَلَّ أَدْبَارَهَا، وَاسْتَاقَهَا مَعَهُ، فَلَمَّا فَقَدُوا الْمَاءَ نَحَرَهَا فَشَرِبُوا مَا فِي أَجْوَافِهَا مِنَ الْمَاءِ، وَيُقَالُ: بَلْ سَقَاهُ الْخَيْلَ وَشَرِبُوا مَا كَانَتْ تَحْمِلُهُ مِنَ الْمَاءِ وَأَكَلُوا لُحُومَهَا، وَوَصَلَ، وَلِلَّهِ الْحَمْدُ وَالْمِنَّةُ، فِي خَمْسَةِ أَيَّامٍ، فَخَرَجَ عَلَى الرُّومِ مِنْ نَاحِيَةِ تَدْمُرَ، فَصَالَحَ أَهْلَ تَدْمُرَ وَأَرَكَ، وَلَمَّا مَرَّ بِعَذْرَاءَ أَبَاحَهَا وَغَنِمَ لِغَسَّانَ أَمْوَالًا عَظِيمَةً، وَخَرَجَ مِنْ شَرْقِيِّ دِمَشْقَ، ثُمَّ سَارَ حَتَّى وَصَلَ إِلَى قَنَاةِ بُصْرَى، فَوَجَدَ الصَّحَابَةَ مُحَاصِرِيهَا، فَصَالَحَهُ صَاحِبُهَا وَسَلَّمَهَا إِلَيْهِ، فَكَانَتْ أَوَّلَ مَدِينَةٍ
পৃষ্ঠা - ৫৩৭৮


অবশিষ্ট থাকতে আজনাদায়ন যুদ্ধ সংঘটিত হয় ৷ ওই যুদ্ধে বহু সাহাবী শহীদ হন ৷ শেষ পর্যন্ত
রোমানদের পরাজয় ঘটে ৷ বিজয়ী হয় মুসলমানগণ ৷ রোমান সেনাপতি কায়কালান ওই যুদ্ধে
নিহত হয় ৷

সেনাপতি কায়কালান একজন গুপ্তচর পাঠিয়েছিল মুসলমানদের অবস্থা জানার জন্যে ৷
গুপ্তচর সােকটি ছিল আরব খ্রিস্টান ৷ গুপ্তচর গোপনে মুসলমানদের অবস্থান দেখে এসে তাকে
বলে যে, আমি দেখলাম, ওরা এমন এক সম্প্রদায় রাতড্যা ইবাদত-বন্দেগী করে আর দিনভর
ঘোড়ার চড়ে যুদ্ধ করে ৷ আল্লাহর কসম ! ওদের কোন রাজপুত্রও যদি চুরি করে তবে তারা তার
হাত কেটে দেয় ৷ রাজপুত্রও যদি ব্যভিচড়ারে লিপ্ত হয় তবে তারা পাথর নিক্ষেপে ওকে হত্যা
করে ৷ একথা শুনে সেনাপতি কায়কালান বলল, আল্লাহ্র কসম ! তোমার বক্তব্য যদি সত্য হয়
তবে দুনিয়ার অভ্যম্ভর তার বহির্ভাগের চেয়ে ভাল ৷ পৃথিবীর পেট তার পিঠের চেয়ে উত্তম ৷ ’

সায়ফ ইবন উমর বলেন, খালিদ ইবন ওয়ালীদ (রা) এসে মুসলিম সৈন্যদের বিভিন্ন শাখায়
বিভক্ত দেখতে পান ৷ আবুউবায়দা ও আমর ইবন আসের নেতৃত্বাধীন সৈন্যগণকে পেলেন
একদিকে আর ইয়াযীদ ও শুরাহবীলের নেতৃত্বাধীন সৈন্যগণকে পেলেন একদিকে ৷ হযরত
খালিদ দাড়িয়ে সবাইকে লক্ষ্য করে খুতবা দিলেন ৷ তিনি সকলকে এক দলে অম্ভভুক্তি হবার
নির্দেশ দিলেন ৷ বিভক্ত ও বিচ্ছিন্ন হতে নিষেধ করলেন ৷ সবাই সমবেত ও একদলে অন্তর্ভুক্ত
হলো এবং শাক্রর বিরুদ্ধে সারিবদ্ধ হলো ৷ এটি হলো জুমাদাল উখরা মাসের প্রথম দিকের
ঘটনা ৷ হযরত খালিদ (বা) বক্তৃতার জন্যে দাড়িয়ে আল্লাহর প্রশংসা করলেন ৷ তার গুণপান
করলেন ৷ তারপর বললেন, এটি আল্লাহর দিনগুলাের মধ্যে একটি উল্লেখযোগ্য দিন ৷ এই দিনে
পর্ব করাও উচিত নয়, সীমালং ৎঘন করাও সমীচীন নয় ৷ খাটি নিয়তে আপনারা জিন্ ড়াদ করুন ৷
একমাত্র আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্যে কাজ করুন ৷ আজকের এই দিন পরবর্তী দিনগুলোর জন্যে
মাইল ফলক ৷ আজ যদি আমরা ওদেরকে পরাজিত করতে পারি তবে ভবিষ্যতে আমরা
ওদেরকে পরাজিত করেই যাব ৷ আর আজ যদি ওরা আমাদেরকে পরাজিত করে তাহলে আমরা
পরবর্তীতে ওদের বিরুদ্ধে জয়ী হতে পারব না ৷ সুতরাং আসুন আমরা পালাক্রমে নেতৃত্বের
দায়িত্ব পালন করি ৷ আমাদের কেউ আজ নেতা হয়ে, কেউ পরের দিন ৷ আর কেউ নেতা হবে
তারও পরের দিন ৷ এভাবে আপনাদের সকলে নেতৃত্বের আসনে আসীন হবেন ৷ আজকের
জন্যে সকলে নেতৃত্ব আমার নিকট হস্তান্তর করুন ৷ সকলে তাকে নেতৃত্ব হস্তান্তর করলেন ৷

সবাই ধারণা করেছিল যে, এই যুদ্ধ অনেক দীর্ঘস্থায়ী হবে ৷

ব্লোমানগণ পুর্ণ প্রস্তুতি ও সতর্কতা সহকারে বের হলো ৷ এমন প্রস্তুতি ইতিপুর্বে তারা
কখনো নেয়নি ৷ হযরত খালিদ ইবন ওয়ালীদ (রা)-ও এমন প্রস্তুতি ও সতর্কতা সহকারে বের
হলেন যা ইতিপুর্বে কখনো দেখা যায়নি ৷ তিনি সেনাবাহিনীকে ৩৬ থেকে ৪০টি গ্রুপে বিভক্ত
করে বের হলেন ৷ প্রতি গ্রুপে সৈনিক সং খ্যা ছিল এক হাজার ৷ প্রতি হাজারে একজন করে
সেনাপতি ৷ মুল বাহিনীর সেনাপতিত্বে নিয়োজিত করলেন আবুউবায়দাহ্ (রা)-কে ৷ ডান বাহু
বা ডান দিকের বাহিনীর অধিনায়কতৃ দেন আমর ইবন আস (রা)-ণ্ক এবং তার সহযোগী
হিসেবে নিয়োজিত করেন শুরাহবীল (রা)-কে ৷ বাম বাহু বা বাম দিকের বাহিনীর সেনাপতিতু
দিলেন ইয়াষীদ ইবন আবী সুফিয়ান (না)-কে ৷ প্রত্যেক বড় গ্রুপের জন্যে পৃথক পৃথক


فُتِحَتْ مَنِ الشَّامِ. وَلِلَّهِ الْحَمْدُ. وَبَعَثَ خَالِدٌ بِأَخْمَاسِ مَا غَنِمَ مِنْ غَسَّانَ مَعَ بِلَالِ بْنِ الْحَارِثِ الْمُزَنِيِّ إِلَى الصِّدِّيقِ، ثُمَّ سَارَ خَالِدٌ وَأَبُو عُبَيْدَةَ وَيَزِيدُ وَشُرَحْبِيلُ إِلَى عَمْرِو بْنِ الْعَاصِ، وَقَدْ قَصَدَهُ الرُّومُ بِأَرْضِ الْعَرَبَاتِ مِنَ الْغَوْرِ فَكَانَتْ وَاقِعَةُ أَجْنَادِينَ، وَقَدْ قَالَ رَجُلٌ مِنَ الْمُسْلِمِينَ فِي مَسِيرِهِمْ هَذَا مَعَ خَالِدٍ: لِلَّهِ عَيْنَا رَافِعٍ أَنَّى اهْتَدَى ... فَوَّزَ مِنْ قُرَاقِرٍ إِلَى سُوَى خَمْسًا إِذَا مَا سَارَهَا الْجَيْشُ بَكَى ... مَا سَارَهَا قَبْلَكَ إِنْسِيٌّ أَرَى وَقَدْ كَانَ بَعْضُ الْعَرَبِ قَالَ لَهُ فِي هَذَا الْمَسِيرِ: إِنْ أَنْتَ أَصْبَحَتْ عِنْدَ الشَّجَرَةِ الْفُلَانِيَّةِ، نَجَوْتَ أَنْتَ وَمَنْ مَعَكَ، وَإِنْ لَمْ تُدْرِكْهَا هَلَكْتَ أَنْتَ وَمَنْ مَعَكَ. فَسَارَ خَالِدٌ بِمَنْ مَعَهُ وَسَرَوْا سَرْوَةً عَظِيمَةً، فَأَصْبَحُوا عِنْدَهَا، فَقَالَ خَالِدٌ: عِنْدَ الصَّبَاحِ يَحْمَدُ الْقَوْمُ السُّرَى. فَأَرْسَلَهَا مَثَلًا، وَهُوَ أَوَّلُ مَنْ قَالَهَا، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ. قَالَ غَيْرُ ابْنِ إِسْحَاقَ كَسَيْفِ بْنِ عُمَرَ وَأَبِي مِخْنَفٍ وَغَيْرِهِمَا فِي تَكْمِيلِ السِّيَاقِ الْأَوَّلِ: حِينَ اجْتَمَعَتِ الرُّومُ مَعَ أُمَرَائِهَا بِالْوَاقُوصَةِ، وَانْتَقَلَ الصَّحَابَةُ مِنْ مَنْزِلِهِمُ الَّذِي كَانُوا فِيهِ فَنَزَلُوا قَرِيبًا مِنَ الرُّومِ فِي طَرِيقِهِمُ الَّذِي لَيْسَ لَهُمْ طَرِيقٌ غَيْرُهُ، فَقَالَ عَمْرُو بْنُ الْعَاصِ: أَبْشِرُوا أَيُّهَا النَّاسُ، فَقَدْ حُصِرَتْ وَاللَّهِ الرُّومُ،
পৃষ্ঠা - ৫৩৭৯
وَقَلَّمَا جَاءَ مَحْصُورٌ بِخَيْرٍ. وَيُقَالُ: إِنَّ الصَّحَابَةَ لَمَّا اجْتَمَعُوا لِلْمَشُورَةِ فِي كَيْفِيَّةِ الْمَسِيرِ إِلَى الرُّومِ، جَلَسَ الْأُمَرَاءُ لِذَلِكَ، فَجَاءَ أَبُو سُفْيَانَ فَقَالَ: مَا كُنْتُ أَظُنُّ أَنِّي أُعَمَّرُ حَتَّى أُدْرِكَ قَوْمًا يَجْتَمِعُونَ لِحَرْبٍ وَلَا أَحْضُرُهُمْ. ثُمَّ أَشَارَ أَنْ يَتَجَزَّأَ الْجَيْشُ ثَلَاثَةَ أَجْزَاءٍ، فَيَسِيرُ ثُلْثُهُ فَيَنْزِلُونَ تُجَاهَ الرُّومِ، ثُمَّ تَسِيرُ الْأَثْقَالُ وَالذَّرَارِيُّ فِي الثُّلْثِ الْآخَرِ، وَيَتَأَخَّرُ خَالِدٌ بِالثُّلْثِ الْآخِرِ، حَتَّى إِذَا وَصَلَتِ الْأَثْقَالُ إِلَى أُولَئِكَ سَارَ بَعَدَهُمْ، وَنَزَلُوا فِي مَكَانٍ تَكُونُ الْبَرِّيَّةُ مِنْ وَرَاءِ ظُهُورِهِمْ ; لِيَصِلَ إِلَيْهِمُ الْبُرُدُ وَالْمَدَدُ. فَامْتَثَلُوا مَا أَشَارَ بِهِ، وَنِعْمَ الرَّأْيُ هُوَ. وَذَكَرَ الْوَلِيدُ عَنْ صَفْوَانَ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ جُبَيْرٍ، أَنَّ الرُّومَ نَزَلُوا فِيمَا بَيْنَ دَيْرِ أَيُّوبَ وَالْيَرْمُوكَ، وَنَزَلَ الْمُسْلِمُونَ مِنْ وَرَاءِ النَّهْرِ مِنَ الْجَانِبِ الْآخَرِ، وَأَذْرِعَاتُ خَلْفَهُمْ ; لِيَصِلَ إِلَيْهِمُ الْمَدَدُ مِنَ الْمَدِينَةِ. وَيُقَالُ: إِنَّ خَالِدًا إِنَّمَا قَدِمَ عَلَيْهِمْ بَعْدَمَا نَزَلَ الصَّحَابَةُ تُجَاهَ الرُّومِ، بَعْدَمَا صَابَرُوهُمْ وَحَاصَرُوهُمْ شَهْرَ رَبِيعٍ الْأَوَّلِ بِكَمَالِهِ، فَلَمَّا انْسَلَخَ وَأَمْكَنَ الْقِتَالُ لِقِلَّةِ الْمَاءِ، بَعَثُوا إِلَى الصِّدِّيقِ يَسْتَمِدُّونَهُ، فَقَالَ: خَالِدٌ لَهَا. فَبَعَثَ إِلَى خَالِدٍ، فَقَدِمَ عَلَيْهِمْ فِي رَبِيعٍ الْآخِرِ، فَعِنْدَ وُصُولِ خَالِدٍ إِلَيْهِمْ أَقْبَلَ بَاهَانُ مَدَدًا لِلرُّومِ، وَمَعَهُ الْقَسَاقِسَةُ، وَالشَّمَامِسَةُ وَالرُّهْبَانُ، يَحُثُّونَهُمْ وَيُحَرِّضُونَهُمْ عَلَى الْقِتَالِ لِنَصْرِ دِينِ النَّصْرَانِيَّةِ، فَتَكَامَلَ جَيْشُ الرُّومِ أَرْبَعِينَ وَمِائَتَيْ أَلْفٍ ; ثَمَانُونَ أَلْفَ مُسَلْسَلٍ بِالْحَدِيدِ وَالْحِبَالِ، وَثَمَانُونَ أَلْفَ فَارِسٍ وَثَمَانُونَ أَلْفَ رَاجِلٍ.
পৃষ্ঠা - ৫৩৮০


সেনাপতি নিয়োগ দিলেন ৷ একটি দলের অধিনায়ক কুবাব ইবন আশীম এবং অপর একটি
দলের অধিনায়ক নিয়োগ করেন আবদুল্লাহ ইবন মাসউদ (রা) কে ৷ বিচারক নিযুক্ত করলেন
আবু দারদা (রা) কে ৷ সৈনিকদের উপদেশ দাতা ও উৎ সাহ দানকারী ছিলেন আবু সুফিয়ান
ইবন হারব ৷ কুরআন৩ তিলাওয়াতকারী দিলেন মিকদাদ ইবন আসওয়াদ (বা) কে ৷ তিনি
এখানে-ওখানে গিয়ে গিয়ে সৈনিকদের নিকট সুরা আনফাল ও জিহাদের আয়াতগুলো
তিলাওয়াত করছিলেন ৷
ইসহাক ইবন ইয়াসার আপন সনদে বর্ণনা করেছেন যে, সেদিন সেনাবাহিনীর চার বাহুতে
চারজন সেনাপতি দ ৷য়িতৃ পালন করেছিলেন ৷৩ তারা হলেন আবু উবায়দাহ, আমর ইবন আস,
শুরাহ্বীল ইবন হাসানাহ্ এবং ইয়াযীদ ইবন আবী সুফিয়ান (রা) ৷ মুজাহিদপণ নিজ নিজ
পতাকা অনুসরণ করে যাত্রা করলেন ৷ সেনাবাহিনীর ডান বাহুতে ৩অধিনায়ক ছিলেন মুআয ইবন
জাবাল (রা) ৷ বাম বাহুতে নাফাছা হ্ ইবন উসামা ক্লিনানী ৷ পদাতিক বাহিনীর অধিনায়ক হাশিম
ইবন উতবা ইবন আবু ওয়াক্কাস এবং সশ্বারোহী বাহিনীর অধিনায়ক ছিলেন খালিদ ইবন
ওয়ালীদ (রা) ৷ তিনি ছিলেন যুদ্ধের মুল পরিকল্পনাকারী ও উপদেষ্টা ৷৩ তার সিদ্ধান্তে সকলে
সন্তুষ্ট ছিল
প্রচণ্ড বীরতু, অহংকা ৷র ও গৌরব প্রদর্শন করে রোমান বাহিনী ময়দানে নেমে এল ৷ সমতল
ও পার্বত্য সকল স্থান জুড়ে ওই দিক অন্ধকার করে তারা এগুতে লাগল ৷ তারা যেন কালো
মেঘ ৷ উভৈতঃস্বরে হাক ডাক দিতে দিতে তারা অগ্রসর হচ্ছিল ৷ তাদের ধর্মযাজকগণ ইনজীল
পাঠ করছিল এবং ওদেরকে যুদ্ধের জন্যে উত্তেজিত করছিল ৷ হযরত খালিদ (রা) অশ্বারোহী
বাহিনীর নে৩ ট্রুতু নিয়ে সেনাবাহিনীর সম্মুখে ছিলেন ৷ হঠাৎ তিনি ঘোড়৷ ছুটিয়ে আবু উবায়দা
(রা)এর নিকট পেলেন ৷ তাকে বললেন, আমি একটি পরামর্শ দিতে চাই ৷ আবু উবায়দা
বললেন, আল্লাহ যে নির্দেশ গিয়েছেন তা আমাদেরকে বলুন, আমরা তা শুনব ও মানব ৷
খালিদ (রা) বললেন, ওই শত্রুপক্ষে র উপর একটি প্রচণ্ড আক্রমণ পরিচালনা করা জরুরী ৷
যে আক্রমণ সামলাতে তারা অক্ষম হয়ে পড়বে ৷ তবে আমি আমাদের সেনাবাহিনীর ভাল ও
বাম বাহু সম্পর্কে শংকিৎ ৷ আমি মনে করি, আমার অশ্বারােহী বাহিনীকে দৃ’ভাগে বিভক্ত করে
ডান বাহু ও বাম বাহুর পেছনে নিয়ে যাই ৷ তাহলে মুল সেনাবাহিনী অক্ষম হয়ে পড়লে
অশ্বারােহী বাহিনী ওদেরকে সাহায্য ,করবে ৷ আবু উবায়দা (বা) বললেন, আপনার অভিমত
অতি উত্তম ৷ তারপর হযরত খালিদ (বা) সেনাবাহিনীর ডান বাহুর পেছনে অশ্বারােহী বাহিনীর
এক অংশের নেতৃত্বে থাকলেন আর অশ্বারোহী বাহিনীর অপর অংশের নেতৃত্ব দিলেন কায়স
ইবন হুরায়রাকে ৷ তিনি আবু উবায়দা (রা) কে নির্দেশ দিলেন মুল বাহিনী থেকে সরেণ্ গিয়ে
পুরো সেনাবাহিনীর পেছনে গিয়ে অবস্থান নিতে ৷ যাতে কোন সৈন্য পালিয়ে যেতে চাইলে
র্তাকে দেখে লজ্জা পায় এবং যুদ্ধে ফিরে আসে ৷ আবুউবায়দাতার স্থলে মুল বাহিনীতে সাঈদ
ইবন যায়দ (রা)-কে দায়িত্ব দিলেন ৷ সাঈদ ইবন যায়দ ছিলেন আশারায়ে মুবাশশারা বা
জান্নাতের সুসংবাদপ্রাপ্ত দশজনের একজন ৷ ঘোড়া ছুটিয়ে সর্ব্যধিনায়ক খালিদ (রা)
সেনাবাহিনীর পেছনে অবস্থানকারী মহিলাদের নিকট এলেন ৷ ওদের নিকট কতক তরবারি, বর্ম
ও অন্যান্য অস্ত্রশস্ত্র ছিল ৷ মহিলাদেরকে তিনি বললেন, যদি তোমরা কোন সৈন্যকে দেখতে পাও


وَقِيلَ: بَلْ كَانَ الَّذِينَ تَسَلْسَلُوا - كُلُّ عَشَرَةٍ فِي سِلْسِلَةٍ ; لِئَلَّا يَفِرُّوا - ثَلَاثِينَ أَلْفًا. فَاللَّهُ أَعْلَمُ. قَالَ سَيْفٌ: وَقَدِمَ عِكْرِمَةُ بِمَنْ مَعَهُ مِنَ الْجُيُوشِ، فَتَكَامَلَ جَيْشُ الصَّحَابَةِ سِتَّةً وَثَلَاثِينَ أَلْفًا إِلَى الْأَرْبَعِينَ أَلْفًا. وَعِنْدَ ابْنِ إِسْحَاقَ وَالْمَدَائِنِيِّ أَيْضًا أَنَّ وَقْعَةَ أَجْنَادِينَ قَبْلَ وَقْعَةِ الْيَرْمُوكِ وَكَانَتْ وَاقِعَةُ أَجْنَادِينَ لِلَيْلَتَيْنِ بَقِيَتَا مِنْ جُمَادَى الْأُولَى سَنَةَ ثَلَاثَ عَشْرَةَ، وَقُتِلَ بِهَا بَشَرٌ كَثِيرٌ مِنَ الصَّحَابَةِ، وَهُزِمَ الرُّومُ وَقُتِلَ أَمِيرُهُمُ الْقَيْقَلَانُ. وَكَانَ قَدْ بَعَثَ رَجُلًا مِنْ نَصَارَى الْعَرَبِ يَجُسُّ لَهُ أَمْرَ الصَّحَابَةِ، فَلَمَّا رَجَعَ إِلَيْهِ قَالَ: وَجَدْتُ قَوْمًا رُهْبَانًا بِاللَّيْلِ فُرْسَانًا بِالنَّهَارِ، وَاللَّهِ لَوْ سَرَقَ فِيهِمُ ابْنُ مَلِكِهِمْ قَطَعُوهُ، أَوْ زَنَى لَرَجَمُوهُ. فَقَالَ لَهُ الْقَيْقَلَانُ: وَاللَّهِ لَئِنْ كُنْتَ صَادِقًا لَبَطْنُ الْأَرْضِ خَيْرٌ مِنْ ظَهْرِهَا. وَقَالَ سَيْفُ بْنُ عُمَرَ فِي سِيَاقِهِ: وَوَجَدَ خَالِدٌ الْجُيُوشَ مُتَفَرِّقَةً فَجَيْشُ أَبِي عُبَيْدَةَ وَعَمْرُو بْنُ الْعَاصِ نَاحِيَةً، وَجَيْشُ يَزِيدَ وَشُرَحْبِيلَ نَاحِيَةً، فَقَامَ خَالِدٌ فِي النَّاسِ خَطِيبًا، فَأَمَرَهُمْ بِالِاجْتِمَاعِ وَنَهَاهُمْ عَنِ التَّفَرُّقِ وَالِاخْتِلَافِ، فَاجْتَمَعَ النَّاسُ وَتَصَافُّوا مَعَ عَدُوِّهِمْ فِي أَوَّلِ جُمَادَى الْآخِرَةِ، وَقَامَ خَالِدُ بْنُ الْوَلِيدِ فِي النَّاسِ، فَحَمِدَ اللَّهَ وَأَثْنَى عَلَيْهِ وَقَالَ: إِنَّ هَذَا يَوْمٌ مِنْ أَيَّامِ اللَّهِ، لَا يَنْبَغِي فِيهِ الْفَخْرُ وَلَا
পৃষ্ঠা - ৫৩৮১


যে, সে যুদ্ধের ময়দান ছেড়ে পালিয়ে যাচ্ছে তবে তোমরা ওকে খুন করে ফেলবে ৷ এরপর
হযরত খালিদ নিজ স্থানে ফিরে এলেন ৷

উভয় দল মুখোমুখি হলো ৷ দু দলই যুদ্ধের আহ্বান জানাল ৷ তখন হযরত আবু উবায়দা
(রা) উপদেশ দিতে গিয়ে মুসলমানদের বললেন, হে আল্লাহর বান্দাগণ৷ আপনারা আল্লাহ্কে
সাহায্য করুন, আল্লাহ্ আপনাদেরকে সাহায্য করবেন এবং আপনাদেরকে স্থির ও অৰিচল
রাখবেন ৷ হে মুসলিমগণ ! ধৈর্য অবলম্বন করুন, কারণ ধৈর্য হলো কুফরী থেকে মুক্তির উপায়,
প্রতিপালকের সভুষ্টি লাভের মাধ্যম এবং অপমান ও লজ্জা দমনকারী ৷ আপনারা সারি ত্যাগ
করবেন না ৷ সাধারণ অবস্থায় ওদের দিকে এক কদমও অগ্রসর হবেন না ৷ প্রথমে নিজেরা
যুদ্ধের সুচনা করবেন না ৷ শত্রুর লক্ষ্য করে তীর তাক করে থাকবেন ৷ ঢাল দ্বারা আত্মরক্ষা
করবেন ৷ অবশ্যই নির্বাক ও নীরব থাকবেন ৷ মনে মনে আল্লাহর যিক্র করবেন ৷ আমার
নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত, এভাবে থাকবেন ৷

বর্ণনাকারীগণ বলেন, মুআয ইবন জাবাল (রা) সম্মুখে এলেন ৷ তিনি মুসলিম
সেনাবাহিনীকে উপদেশ দিয়ে বলতে লাগলেন, হে কুরআন অনুসারী লোকজন কিতাব
রক্ষাকারী মানুষগণষ্ স৩ তা হিদায়াত্৩ র সাহাষ্যকারিগণ ৷ জেনে রাখুন, শুধু কামনা ও বাসনা
দিয়ে আল্লাহর রহমত ও জান্নাত পাওয়া যায় না ৷ সতাবাদী ও সত্যায়র্নকারী ছাড়া অন্য কাউকে
আল্লাহ তা জানা তার মাগফিরাত ও প্রশস্ত রহমত দান করেন না ৷ আপনারা কি শুনেন নি?
আল্লাহ তা আল৷ তো বলেছেন ং






ণ্ ;

,
তোমাদের মধ্যে যারা ঈমান আসে ও সৎকর্ম করে আল্লাহ তাদেরকে প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন যে,
তিনি তাদেরকে পৃথিবীতে প্রতিনিধিত্ব দান করবেনই যেমন তিনি দান করেছিলেন তাদের
পুর্ববর্তীদেরকে ৷ এবং তিনি অবশ্যই তাদের জন্যে সুদৃঢ় করবেন তাদের দীনকে যা তিনি
তাদের জন্যে মনোনীত করেছেন ৷ এবং তাদেরকে ভয়ভীতির পরিবর্তে অবশ্যই নিরাপত্তা প্রদান
করবেন ৷ তারা আমার ইবাদত করবে, আমার কোন শৰীক করবে না ৷ তারপর যারা অকৃতজ্ঞ
হয়ে তারা (তা সত্যতা৷গী ৷ (সুরা ২৪ , নুর : ৫৫)
আল্লাহ আপনাদেরকে অনুগ্রহ করুন ৷ আপনারা শত্রুর মুকাবিলায় পালিয়ে যাচ্ছেন এমনটি
আল্লাহর নজরে পড়বে বলে লজ্জা করুন ৷ আপনারা সকলেই তাে তার কর্তৃতুাধীন ৷ তিনি ছাড়া
কোন আশ্র য় নেই, তিনি ব্যতীত কোন শক্তিদাত৷ নেই ৷
আমর ইবন আস বলেন, হে মুসলিম জনতা! দৃষ্টি অবনত রেখো ৷ সওয়ারীতে বস
মজবুতভাবে ৷ তীর তাক করে থেকাে ৷ ওরা তােমাদের উপর হামলা করলে ওদেরকে একটু
সুযোগ দিয়ে ঘিরে ৷ ওরা যখন তোমাদের বর্শার নাগালে এসে যাবে তখন সিংহের ন্যায় বাপিয়ে


الْبَغْيُ، أَخْلِصُوا جِهَادَكُمْ وَأَرِيدُوا اللَّهَ بِعَمَلِكُمْ، وَإِنَّ هَذَا يَوْمٌ لَهُ مَا بَعْدَهُ، إِنْ رَدَدْنَاهُمُ الْيَوْمَ إِلَى خَنْدَقِهِمْ فَلَا نَزَالُ نَرُدُّهُمْ، وَإِنْ هَزَمُونَا لَا نُفْلِحُ بَعْدَهَا أَبَدًا، فَتَعَالَوْا فَلْنَتَعَاوَرِ الْإِمَارَةَ، فَلْيَكُنْ عَلَيْهَا بَعْضُنَا الْيَوْمَ، وَالْآخَرُ غَدًا، وَالْآخَرُ بَعْدَ غَدٍ، حَتَّى يَتَأَمَّرَ كُلُّكُمْ، وَدَعُونِي الْيَوْمَ أَلِيكُمْ. فَأَمَّرُوهُ عَلَيْهِمْ، وَهُمْ يَظُنُّونَ أَنَّ الْأَمْرَ يَطُولُ جِدًّا، فَخَرَجَتِ الرُّومُ فِي تَعْبِئَةٍ لَمْ يُرَ مِثْلُهَا قَطُّ، وَخَرَجَ خَالِدٌ فِي تَعْبِئَةٍ لَمْ تُعَبِّهَا الْعَرَبُ قَبْلَ ذَلِكَ ; فَخَرَجَ فِي سِتَّةٍ وَثَلَاثِينَ كُرْدُوسًا إِلَى الْأَرْبَعِينَ، كُلُّ كُرْدُوسٍ أَلْفُ رَجُلٍ عَلَيْهِمْ أَمِيرٌ، وَجَعَلَ أَبَا عُبَيْدَةَ فِي الْقَلْبِ، وَعَلَى الْمَيْمَنَةِ عَمْرُو بْنُ الْعَاصِ وَمَعَهُ شُرَحْبِيلَ ابْنَ حَسَنَةَ، وَعَلَى الْمَيْسَرَةِ يَزِيدَ بْنَ أَبِي سُفْيَانَ، وَأَمَّرَ عَلَى كُلِّ كُرْدُوسٍ أَمِيرًا، وَعَلَى الطَّلَائِعِ قُبَاثَ بْنَ أَشْيَمَ، وَعَلَى الْأَقْبَاضِ عَبْدَ اللَّهِ بْنِ مَسْعُودٍ، وَالْقَاضِي يَوْمَئِذٍ أَبُو الدَّرْدَاءِ، وَقَاصُّهُمُ الَّذِي يَعِظُهُمْ وَيَحُثُّهُمْ عَلَى الْقِتَالِ أَبُو سُفْيَانَ بْنُ حَرْبٍ، وَقَارِئُهُمِ الَّذِي يَدُورُ عَلَى النَّاسِ فَيَقْرَأُ سُورَةَ " الْأَنْفَالِ " وَآيَاتِ الْجِهَادِ الْمِقْدَادُ بْنُ الْأَسْوَدِ. وَذَكَرَ إِسْحَاقُ بْنُ بِشْرٍ بِإِسْنَادِهِ، أَنَّ أُمَرَاءَ الْأَرْبَاعِ يَوْمَئِذٍ كَانُوا أَرْبَعَةً ; أَبُو عُبَيْدَةَ، وَعَمْرُو بْنُ الْعَاصِ، وَشُرَحْبِيلُ ابْنُ حَسَنَةَ، وَيَزِيدُ بْنُ أَبِي سُفْيَانَ، وَخَرَجَ النَّاسُ عَلَى رَايَاتِهِمْ، وَعَلَى الْمَيْمَنَةِ مُعَاذُ بْنُ جَبَلٍ، وَعَلَى الْمَيْسَرَةِ قُبَاثُ بْنُ أَشْيَمَ
পৃষ্ঠা - ৫৩৮২


পড়বে ওদের উপর ৷ কসম সেই মহান সত্তার যিনি সতবােদিতা পছন্দ করেন এবং তাতে
পুরস্কৃত করেন ৷ যিনি মিথ্যাবাদিতাকে ঘৃণা করেন ৷ যিনি শ্সৎকর্মের প্ৰতিদান সৎকর্য দিয়েই
প্রদান-করেন ৷ আমি শুনেছি মুসলমানগণ এই দেশ জয় করবে ৷ প্রত্যেক কাফিরের উপর বিজয়ী
হবে ৷ প্রতিটি প্রাসাদ দখল করবে ৷ সুতরাং শত্রুপক্ষের বিশাল সমাবেশ ও সংখ্যাধিক্যে তোমরা
ভীত হয়ো না, ভয় পেয়ো না ৷ এটা নিশ্চিত যে, তোমরা যদি য়থোচিত হামলী চালাতে পার
তবে ওরা উড়ে যাবে, পালিয়ে যাবে ডাহুকের ৰাচ্চার ন্যায় ৷

আবুসুফিয়ান বললেন, হে মুসলিমগণ৷ আপনারা আরব জাতি ৷ এখন, আপনারা অবস্থান
করছেন অনারব অঞ্চলে ৷ তবে পরিবার-পরিজন থেকে এখন আপনারা বিচ্ছিন্ন ৷ মুসলিম শহর
নগর থেকে এবং আমীরুল মু’মিনীন-খলীফা থেকে এখন আপনারা দুরে, বহু দুরে ৷ এখন
আপনারা শত্রুদের মুখোমুখি ৷ শত্রু সংখ্যা বহু বেশি ৷ আপনাদের প্রতি ওরা ক্ষ্যাপা ,
মহাক্ষ্যড়াপা ৷ ইতেড়াপুর্বে আপনারা ওদের দেশে এসে ওদের পরিবার-পরিজনের নিকট এসে
ওদের মালের ক্ষতি করেছেন , ওদের উপর আক্রমণ করেছেন ৷ মনে রাখবেন, সততা ও নিষ্ঠার
সাথে ওদের মুকাবিলা না করলে এবং বিপদসঙ্কুল স্থানে ধৈর্য না ধরলে আল্লাহ্ৰুআপনাদেরকে
ওদের হাত থেকে মুক্তি দিবেন না ৷ এবং তিনি আপনাদের প্রতি সন্তুষ্টও হবেন না ৷ মনে
রাখবেন এটিই চিরাচরিত নিয়ম ৷ আপনাদের জন্মভুমি আপনাদের নিকট থেকে অনেক দুরে ৷
আমীরুল মু’মিনীন-খলীফা এবং মুসলিম জনগণ আর আপনাদের মাঝে রয়েছে বহু মাঠ-প্রান্তর
পাহাড়-পর্বতের ব্যবধান ৷ এখানে ধৈর্য ও আল্লাহ্র দেয়া প্রতিশ্রুতি পুরণের আশা ব্যতীত কোন
আশ্রয় ও রক্ষান্থল নেই ৷ আল্লাহ্ই সর্বোত্তম সাহায্যকারী ৷ আপনারা নিজ নিজ তরবারির
সাহায্যে আত্মরক্ষা করুন ৷ একে অন্যকে সাহায্য করুন ৷ এটি যেন আপনার জন্যে দুর্গ ও
নিরাপত্তা-স্থান হয় ৷ এরপর আবু সুফিয়ান (রা) পেলেন মহিলাদের নিকট ৷ ওদেরকে ঘোষ ও
নসীহত করলেন ৷ তারপর ফিরে এসে ডেকে ডেকে বললেন, হে মুসলিম জনতা ৷ উপস্থিত হয়ে
গিয়েছে যা আপনারা দেখতে পাচ্ছেন ৷ এই যে, রাসুলুল্লাহ্য়ুদইদ্বু ও জান্নাত আপনাদের সম্মুখে ৷
শয়তান ও জাহান্নাম আপনাদের পেছনের দিকে ৷ তারপর আবু সুফিয়ান স্বস্থানে ফিরে পেলেন ৷

সেদিন আবু হুরায়রা (রা)-ও নােকদেরকে উপদেশ দিয়েছেন ৷ তিনি বলছিলেন ,
মুসলিমগণ! দ্রুত অগ্রসর হোন আয়তলোচনা হুরদের প্ৰতি এবং আপন প্ৰতিপালক্যে৷ সান্নিধ্য
অর্জনের প্রতি, নিআমডে ভরপুর জান্নড়াতের প্রতি ৷ এখানে আপনারা আপনাদের প্ৰতিপালকের
যত প্রিয় স্থানে অবস্থান করছেন অন্য কোন স্থানে তা হয় না ৷ জেনে রাখুন, ধৈর্যশীলদের জন্যে
তাদের মর্যাদা রয়েছেই ৷

সায়ফ ইবন উমর তার শায়খদের সনদ উল্লেখ করে বলেছেন যে, ঐতিহাসিকদের অভিমত
যে, ওই মুসলিম সেনাবাহিনীতে এক হাজার সাহাৰী ছিলেন এবং তাদের একশ ছিলেন যারা
বদর যুদ্ধে অংশ নিয়েছিলেন ৷ আবু সুফিয়ান সৈন্যদের সকল ডিভিশনে গিয়ে গিয়ে বলছিলেন,
আল্লাহ্, আল্লাহ্ হে সৈনিকগণ ৷ তোমরা আরবদের প্রতিনিধি এবং ইসলামের সাহায্যকারী ৷ ওরা
খ্রিস্টানদের প্রতিনিধি এবং শিরকবাদের সাহায্যকারী ৷ হে আল্পাহ্ ! আপনার দিনগুলোর মধ্যে
আজকের এই দিন খুবই গুরুত্বপুর্ণ ৷ হে আল্লাহ্ ৷ আপনার বড়ান্দাদের উপর আপনার সাহায্য
নাযিল করুন ৷

আল-বিদায়া — :


الْكِنَانِيُّ، وَعَلَى الرَّجَّالَةِ هَاشِمُ بْنُ عُتْبَةَ بْنِ أَبِي وَقَّاصِ، وَعَلَى الْخَيَّالَةِ خَالِدُ بْنُ الْوَلِيدِ وَهُوَ الْمُشِيرُ فِي الْحَرْبِ الَّذِي يَصْدُرُ النَّاسُ كُلُّهُمْ عَنْ رَأْيِهِ. وَلَمَّا أَقْبَلَتِ الرُّومُ فِي خُيَلَائِهَا وَفَخْرِهَا قَدْ سَدَّتْ أَقْطَارَ تِلْكَ الْبُقْعَةِ سَهْلِهَا وَوَعْرِهَا، كَأَنَّهُمْ غَمَامَةٌ سَوْدَاءُ يَصِيحُونَ بِأَصْوَاتٍ مُرْتَفِعَةٍ، وَرُهْبَانُهُمْ يَتْلُونَ الْإِنْجِيلَ وَيُحِثُّونَهُمْ عَلَى الْقِتَالِ، وَكَانَ خَالِدٌ فِي الْخَيْلِ بَيْنَ يَدَيِ الْجَيْشِ، فَسَاقَ بِفَرَسِهِ إِلَى أَبِي عُبَيْدَةَ، فَقَالَ لَهُ: إِنِّي مُشِيرٌ بِأَمْرٍ. فَقَالَ: قُلْ مَا أَرَاكَ اللَّهُ، أَسْمَعْ لَكَ وَأُطِعْ. فَقَالَ لَهُ خَالِدٌ: إِنَّ هَؤُلَاءِ الْقَوْمَ لَا بُدَّ لَهُمْ مِنْ حَمْلَةٍ عَظِيمَةٍ لَا مَحِيدَ لَهُمْ عَنْهَا، وَإِنِّي أَخْشَى عَلَى الْمَيْمَنَةِ وَالْمَيْسَرَةِ، وَقَدْ رَأَيْتُ أَنْ أُفَرِّقَ الْخَيْلَ فِرْقَتَيْنِ وَأَجْعَلَهَا مِنْ وَرَاءِ الْمَيْمَنَةِ وَالْمَيْسَرَةِ، حَتَّى إِذَا صَدَمُوهُمْ كَانُوا لَهُمْ رِدْءًا مِنْ وَرَائِهِمْ. فَقَالَ لَهُ: نِعْمَ مَا رَأَيْتَ. فَكَانَ خَالِدٌ فِي أَحَدِ الْخَيَلِينَ مِنْ وَرَاءِ الْمَيْمَنَةِ، وَجَعَلَ قَيْسَ بْنَ هُبَيْرَةَ فِي الْخَيْلِ الْأُخْرَى، وَأَمَرَ أَبَا عُبَيْدَةَ أَنْ يَتَأَخَّرَ عَنِ الْقَلْبِ إِلَى وَرَاءِ الْجَيْشِ كُلِّهِ ; لِكَيْ إِذَا رَآهُ الْمُنْهَزِمُ اسْتَحْيَى مِنْهُ، وَرَجَعَ إِلَى الْقِتَالِ، فَجَعَلَ أَبُو عُبَيْدَةَ مَكَانَهُ فِي الْقَلْبِ سَعِيدَ بْنَ زَيْدٍ الْعَدَوِيَّ أَحَدَ الْعَشْرَةِ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمْ، وَسَاقَ خَالِدٌ إِلَى النِّسَاءِ مِنْ وَرَاءِ الْجَيْشِ، وَمَعَهُنَّ عَدَدٌ مِنَ السُّيُوفِ وَغَيْرِهَا، فَقَالَ لَهُنَّ: مَنْ رَأَيْتُمُوهُ مُولِّيًا فَاقْتُلْنَهُ. ثُمَّ رَجَعَ إِلَى مَوْقِفِهِ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ. وَلَمَّا تَرَاءَى الْجَمْعَانِ وَتَبَارَزَ الْفَرِيقَانِ، وَعَظَ أَبُو عُبَيْدَةَ الْمُسْلِمِينَ فَقَالَ: عِبَادَ اللَّهِ، انْصُرُوا اللَّهَ يَنْصُرْكُمْ وَيُثَبِّتْ أَقْدَامَكُمْ، يَا مَعْشَرَ الْمُسْلِمِينَ، اصْبِرُوا ; فَإِنَّ
পৃষ্ঠা - ৫৩৮৩


ঐতিহাসিকপণ বলেন, খালিদইব ন ওয়ালীদ যখন ইরাক থেকে এখানে এলেন তখন
জনৈক আরব খ্রিষ্টান খালিদ ইবন ওয়ালীদকে বলেছিলেন, হার ! ব্লোমানপণ সংখ্যায় কত
বেশি! আর মুসলমানপণ কত কম! হযরত থালিদ (রা) তাকে বললেন, তুমি কি আমাকে
রোমানদের সংখ্যাধিক্য দ্বারা ভয় দেখাচ্ছ ৷ মনে রেখ, আল্লাহর সাহায্য পেলে কম সংখ্যক
সৈন্য বেশি সংখ্যক সৈন্যে পরিণত হয় আর লাস্থনা ও অবমাননা এসে গোলে বহু সংখ্যক
সৈন্যও কম সংখ্যার ন্যায় হয়ে যায় ৷ জয় পরাজয় সৈন্য সংখ্যার উপর নির্ভর করে না ৷ আমি
কামনা করছি যে, আশকার যদি তার ব্যাথ৷ থেকে মুক্ত হয়ে এখানে আসতে পারত ৷ আর ওই
শত্রুরা যদি স০ ×থ্যাধিক্য সত্বেও দুর্বল হয়ে যেত ৷ মুলত আশকার এর ঘোড়া তাকে আহত করে
দিয়েছে এবং তিনি ইরাক ছেড়ে আসতে অপারগ হয়ে পড়েছেন ৷

মুসলিম ও রোমান সৈন্যগণ যখন মুখোমুখি তখন মুসলমানদের পক্ষ থেকে এগিয়ে গেলেন
আবু উবায়দা ও ইয়াষীদ ইবন আবু সুফিয়ান (রা) ৷ র্তাদের সাথে ছিলেন দিরার ইবন
আয়ওয়ার, হারিছ ইবন হিশাম এবং আবু জানদাল ইবন সুহায়ল ৷ রোমানদের নিকট গিয়ে র্তারা

ডাক দিয়ে বললেন, আমরা তোমাদের সেনাপতির সাথে সাক্ষাত করতে এবং কথা বলতে চাই ৷

ওরা তাদেরকে সেনাপতি তাযারুক’ এর নিকট যাবার অনুমতি দিল ৷৩ তারা সেখানে০ গিয়ে
দেখলেন, তাযারুক বসে আছে ব্লেশমের তৈরি এক তাবুর মধ্যে ৷ র্তারা বললেন এমন স্থানে
প্রবেশ করা আমরা বৈধ মনে করি না ৷ সে৩ তাদের জন্যে বাইরে রেশমের বিছানা বিছিয়ে দেয়ার
নির্দেশ দিল ৷ সাহাবা-ই-কিরাম (রা) বললেন, আমরা এটির উপর বসব না ৷ তারপর
সাহাবা ই কিরামের পছন্দমত স্থানে তাযা রুক’ র্তাদের সাথে আলোচনায় বসল এবং উভয় পক্ষ
সন্ধি স্থাপনে রাজী হলো ৷ ওদেরকে আল্লাহর প্রতি আহ্বান জানিয়ে সাহারা -ই কিরাম (রা)
ওখান থেকে ফিরে এলেন ৷ কিন্তু তারা এই দাওয়াত গ্রহ ন্ করল না ৷

ওয়ালীদ ইবন মুসলিম উল্লেখ করেছেন যে, মাহান খালিদ (রা) কে তলব করেছিল উভয়
পক্ষের মাঝখানে এসে আলোচনায় অংশ নিতে ৷ যে মাহান ও রাগিব (রা) দুজনে আলোচনা
করে এমন সিদ্ধান্ত নিবেন যা উভয় দলের জন্যে কল্যাণকর হবে ৷ দু’জনে আলোচনায়
বসলেন৷ মাহান বলল, আমরা জানি যে, অভাব-অনটন ও দুর্ভিক্ষ আপনাদেরকে এ কাজে
ঠেলে দিয়েছে ৷ সুতরাং আসুন আমরা এ বিষয়ে চুক্তিবদ্ধ হই যে, আমরা আপনাদের প্রত্যেক
ব্যক্তিকে দশ দিনার, কিছু জামা-কাপড় ও খাদ্য প্রদান করব আর আপনারা তা নিয়ে দেশে
ফিরে যাবেন ৷ আগামী বছরও আমরা আপনাদের জন্যে অনুরুপ দান-দক্ষিণ৷ প্রেরণ করব ৷
খালিদ (রা) বললেন, আপনি যা বলেছেন মুলত আমরা সেজন্যে বের হইনি ৷ আমরা বর০ বের
হয়েছি এজন্যে যে, আমরা রক্ত-পিপাসু জাতি ৷ আর আমরা জানতে পেয়েছি যে, রোমানদের
রক্ত খুব ভাল ও মজাদার ৷ আমরা ওই রক্ত পান করার জন্যে এসেছি ৷

মাহান বলল, হার এটা তো সে কথইি আরবদের সম্পর্কে যা আমরা বলাবলি করতাম ৷
এরপর খালিদ (রা) এগিয়ে গেলেন ইকরিমা ইবন আবু জাহ্লেৱ নিকট এবং বাবা ইবন
আমরের নিকট ৷ তারা দু জনে মুল বাহিনীর দু পাশে দায়িত্রত ছিলেন ৷ তিনি তাদেরকে যুদ্ধ
শুরুর নির্দেশ দিলেন ৷ তারা অবিলম্বে রণ-সঙ্গীত গেয়ে ঐ শত্রু পক্ষকে দ্বন্দ্ব যুদ্ধের আহ্বান
জানান ৷ উভয় পক্ষের সাহসী যােদ্ধাগণ বেরিয়ে এল এবং সাহসিকতার সাথে পায়চারি করতে


الصَّبْرَ مَنْجَاةٌ مِنَ الْكُفْرِ، وَمَرْضَاةٌ لِلرَّبِّ، وَمَدْحَضَةٌ لِلْعَارِ، وَلَا تَبْرَحُوا مَصَافَّكُمْ، وَلَا تَخْطُوا إِلَيْهِمْ خُطْوَةً، وَلَا تَبْدَأُوهُمْ بِالْقِتَالِ، وَأَشْرِعُوا الرِّمَاحَ وَاسْتَتِرُوا بِالدَّرَقِ، وَالْزَمُوا الصَّمْتَ إِلَّا مِنْ ذِكْرِ اللَّهِ فِي أَنْفُسِكُمْ، حَتَّى آمُرَكُمْ إِنْ شَاءَ اللَّهُ تَعَالَى. قَالُوا: وَخَرَجَ مُعَاذُ بْنُ جَبَلٍ عَلَى النَّاسِ، فَجَعَلَ يُذَكِّرُهُمْ وَيَقُولُ: يَا أَهْلَ الْقُرْآنِ وَمُسْتَحْفِظِي الْكِتَابِ، وَأَنْصَارَ الْهُدَى وَالْحَقِّ، إِنَّ رَحْمَةَ اللَّهِ لَا تُنَالُ وَجَنَّتَهُ لَا تُدْخَلُ بِالْأَمَانِيِّ، وَلَا يُؤْتِي اللَّهُ الْمَغْفِرَةَ وَالرَّحْمَةَ الْوَاسِعَةَ إِلَّا الصَّادِقَ الْمُصَدِّقَ، أَلَمْ تَسْمَعُوا لِقَوْلِ اللَّهِ: {وَعَدَ اللَّهُ الَّذِينَ آمَنُوا مِنْكُمْ وَعَمِلُوا الصَّالِحَاتِ} [النور: 55] الْآيَةَ [النُّورِ: 55] . فَاسْتَحْيُوا، رَحِمَكُمُ اللَّهُ، مِنْ رَبِّكُمْ أَنْ يَرَاكُمْ فُرَّارًا مِنْ عَدُّوِّكُمْ وَأَنْتُمْ فِي قَبْضَتِهِ، وَلَيْسَ لَكُمْ مُلْتَحَدٌ مِنْ دُونِهِ، وَلَا عِزٌّ بِغَيْرِهِ. وَقَالَ عَمْرُو بْنُ الْعَاصِ: يَا أَيُّهَا الْمُسْلِمُونَ، غُضُّوا الْأَبْصَارَ، وَاجْثُوَا عَلَى الرُّكَبِ، وَأَشْرِعُوا الرِّمَاحَ، فَإِذَا حَمَلُوا عَلَيْكُمْ فَأَمْهِلُوهُمْ، حَتَّى إِذَا رَكِبُوا أَطْرَافَ الْأَسِنَّةِ فَثِبُوا إِلَيْهِمْ وَثْبَةَ الْأَسَدِ، فَوَالَّذِي يَرْضَى الصِّدْقَ وَيُثِيبُ عَلَيْهِ، وَيَمْقُتُ الْكَذِبَ، وَيَجْزِي بِالْإِحْسَانِ إِحْسَانًا، لَقَدْ سَمِعْتُ أَنَّ الْمُسْلِمِينَ سَيَفْتَحُونَهَا كَفْرًا كَفْرًا، وَقَصْرًا قَصْرًا، فَلَا يَهُولَنَّكُمْ جُمُوعُهُمْ وَلَا عَدَدُهُمْ، فَإِنَّكُمْ لَوْ صَدَقْتُمُوهُمُ الشَّدَّ تَطَايَرُوا تَطَايُرَ أَوْلَادِ الْحَجَلِ وَقَالَ أَبُو سُفْيَانَ: يَا مَعْشَرَ الْمُسْلِمِينَ، أَنْتُمُ الْعَرَبُ، وَقَدْ أَصْبَحْتُمْ فِي دَارِ الْعَجَمِ مُنْقَطِعِينَ عَنِ الْأَهْلِ، نَائِينَ عَنْ أَمِيرِ الْمُؤْمِنِينَ وَأَمْدَادِ الْمُسْلِمِينَ، وَقَدْ وَاللَّهِ أَصْبَحْتُمْ بِإِزَاءِ عَدُوٍّ كَثِيرٍ عَدَدُهُ، شَدِيدٌ عَلَيْكُمْ حَنَقُهُ، وَقَدْ وَتِرْتُمُوهُمْ فِي أَنْفُسِهِمْ
পৃষ্ঠা - ৫৩৮৪


লাগল ৷ যুদ্ধ তীব্রতা গেল এবং প্রচণ্ড যুদ্ধ শুরু হয়ে গেল ৷ একদল দুঃ সাহসী বীর যোদ্ধা
সহকারে হযরত খালিদ সারির সম্মুখে অবস্থান নিলেন ৷ উভয় পক্ষের বীর যােদ্ধাগণ পরস্পর
হামলা ও আক্রমণ চালাচ্ছি ল ৷ তিনি দাড়িয়ে-দাড়িয়ে তা পর্যবেক্ষণ করছিলেন এবং তার পক্ষের
প্রত্যেক সেনা ইউনিটকে গুরুত্বপুর্ণ দিক নির্দেশনা দিয়ে যাচ্ছিলেন ৷ তিনি অত্যন্ত বিচক্ষণতার
সাথে যুদ্ধের যথোচিত পরিকল্পনা গ্রহণ করছিলেন ৷
ইসহাক ইবন বাশীর সাঈদ ইবন আবদুল আযীয সুত্রে এবং তিনি দামেশকের প্রাচীন
শায়খদের থেকে বর্ণনা করেছেন ৷ তার৷ বলেছেন, এরপর রোমান সেনাপতি মাহান যুদ্ধের
ময়দানে বেরিয়ে এল ৷ এদিক থেকে বের হলেন সেনাপতি আবু উবায়দাহ্ তিনি মুসলিম
বাহিনীর ডান বাহ্ব সেনাপতি নিযুক্ত করেছিলেন মুআয ইবন জাবাল (রা)-কে ৷ বাম বাহ্ব
সেনাপতি কুবাব ইবন আশীম কিনানী ৷ পদাতিক ডিভিশনের সেনাধ্যক্ষ হাশিম ইবন উতবা
ইবন আবী ওয়াক্কাস এবং অশ্বারোহী বাহিনীর অধিনায়ক ছিলেন খালিদ ইবন ওয়ালীদ ৷
সৈন্যগণ নিজ নিজ পতাকা অনুসরণ করে যুদ্ধে নেমে পড়ল ৷ আবুউবায়দাহ্ (রা) মুসলমানদের
নিকট যাচ্ছিলেন আর তাদেরকে ডেকে বলছিলেন, হে আল্লাহ্র বন্দোগণ ! আপনারা আল্লাহকে
সাহায্য করুন, তিনি আপনাদেরকে সাহায্য করবেন এবং আপনাদ্দেরকে অৰিচল রাখবেন ৷ হে
মুসলিম সম্প্রদায় ৷ ধৈর্য অবলম্বন করুন ৷ ধৈর্য হলো কুফরী থেকে মুক্তির পথ ৷ প্রতি পালকের
সন্তুষ্টি লাভের উপায় এবং লজ্জা ও অপমান দুরীকরণের মাধ্যম ৷ আপনারা নিজ নিজ সারিতে
স্থির থাকুন ৷ শত্রুর দিকে পা বাড়াবেন না ৷ নিজেরা যুদ্ধের সুচনা করবেন না ৷ তীরগুলাে
সাজিয়ে প্রস্তুত থাকুন ৷ ঢাল দিয়ে নিজেদেরকে আড়াল করে রাখুন ৷ নীরবতা অবলম্বন করুন ৷
অবশ্য আল্লাহর যিক্র তাে করবেনই ৷
মুআয ইবন জাবাল (রা) বেরিয়ে এলেন ৷ তিনি উপদেশ দিয়ে বলছিলেন, হে কুরআন
পন্থিগণ ! আল্লাহ্র কিতাবের হিফাজতকারিগণ , হিদায়াত ও সত্যের সাহাষ্যকারিগণ , শুধু কামনা
ও আকাভক্ষা দ্বারা জান্নাত ও রহমত পাওয়া যায় না, সত্যবাদী ও সত্যায়নকারী ব্যতীত অন্য
কাউকে আল্লাহ্ তা আলা মাগরিফরাত ও তার বিন্তুত রহমত দান করেন না ৷ আপনারা কি
মহান আল্লাহ্র বাণী শোনেন নিঃ আল্লাহ্ তা“ জানা বলেছেন

৷ ;,


ষ্ষ্ষ্ষ্ষ্ষ্ ষ্ :

ছুাএগ্লু!ষ্
চুগ্লুক্রো ণ্১

তোমাদের মধ্যে যারা ঈমান আসে ও সৎকর্ম করে আল্লাহর তাদেরকে প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন

যে, তিনি তাদেরকে পৃথিবীতে প্রতিনিধিৎ দান করবেনই, যেমন তিনি প্রতিনিধিত্ব দান
করেছিলেন তাদের পুর্ববর্তীদেরকে এবং তিনি অবশ্যই তাদের জন্যে সুদৃঢ় করবেন তাদের
দীনকে যা তিনি তাদের জন্যে মনোনীত করেছেন ৷ এবং তাদের ভয়-ভীতির পরিবর্তে

তাদেরকে অবশ্যই নিরাপত্তা দান করবেন ৷ তারা আমার ইবাদত করবে আমার কোন শ্বরীক
বল্মবে না ৷ অতঃপর যারা অকৃতজ্ঞ হবে তারা তো সত্যত্যাগী ৷ (সুরা ২৪-, নুর : ৫৫)


وَبِلَادِهِمْ وَنِسَائِهِمْ، وَاللَّهِ لَا يُنَجِّيكُمْ مِنْ هَؤُلَاءِ الْقَوْمِ، وَلَا يُبْلَغُ بِكُمْ رِضْوَانَ اللَّهِ غَدًا، إِلَّا بِصِدْقِ اللِّقَاءِ وَالصَّبْرِ فِي الْمَوَاطِنِ الْمَكْرُوهَةِ، أَلَا وَإِنَّهَا سُنَّةٌ لَازِمَةٌ، وَإِنَّ الْأَرْضَ وَرَاءَكُمْ، بَيْنَكُمْ وَبَيْنَ أَمِيرِ الْمُؤْمِنِينَ وَجَمَاعَةِ الْمُسْلِمِينَ صَحَارَى وَبَرَارِيُّ، لَيْسَ لِأَحَدٍ فِيهَا مَعْقِلٌ وَلَا مَعْدِلٌ إِلَّا الصَّبْرُ وَرَجَاءُ مَا وَعَدَ اللَّهُ، فَهُوَ خَيْرُ مُعَوَّلٍ، فَامْتَنِعُوا بِسُيُوفِكُمْ وَتَعَاوَنُوا، وَلْتَكُنْ هِيَ الْحُصُونُ. ثُمَّ ذَهَبَ إِلَى النِّسَاءِ فَوَصَّاهُنَّ، ثُمَّ عَادَ فَنَادَى: يَا مَعَاشِرَ أَهْلِ الْإِسْلَامِ، حَضَرَ مَا تَرَوْنَ فَهَذَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَالْجَنَّةُ أَمَامَكُمْ، وَالشَّيْطَانُ وَالنَّارُ خَلْفَكُمْ. ثُمَّ سَارَ إِلَى مَوْقِفِهِ، رَحِمَهُ اللَّهُ. وَقَدْ وَعَظَ النَّاسَ أَبُو هُرَيْرَةَ أَيْضًا فَجَعَلَ يَقُولُ: سَارِعُوا إِلَى الْحُورِ الْعِينِ، وَجِوَارِ رَبِّكُمْ، عَزَّ وَجَلَّ، فِي جَنَّاتِ النَّعِيمِ، مَا أَنْتُمْ إِلَى رَبِّكُمْ فِي مَوْطِنٍ أَحَبَّ إِلَيْهِ مِنْكُمْ فِي مِثْلِ هَذَا الْمَوْطِنِ، أَلَا وَإِنَّ لِلصَّابِرِينَ فَضْلَهُمْ. قَالَ سَيْفُ بْنُ عُمَرَ بِإِسْنَادِهِ عَنْ شُيُوخِهِ: إِنَّهُمْ قَالُوا: كَانَ فِي ذَلِكَ الْجَمْعِ أَلْفُ رَجُلٍ مِنَ الصَّحَابَةِ ; مِنْهُمْ مِائَةٌ مِنْ أَهْلِ بَدْرٍ. وَجَعَلَ أَبُو سُفْيَانَ يَقِفُ عَلَى كُلِّ كُرْدُوسٍ وَيَقُولُ: اللَّهَ اللَّهَ، إِنَّكُمْ دَارَةُ الْعَرَبِ وَأَنْصَارُ الْإِسْلَامِ، وَإِنَّهُمْ دَارَةُ الرُّومِ وَأَنْصَارُ الشِّرْكِ، اللَّهُمَّ إِنَّ هَذَا يَوْمٌ مِنْ أَيَّامِكَ، اللَّهُمَّ أَنْزِلْ نَصْرَكَ عَلَى عِبَادِكَ. قَالُوا: وَلَمَّا أَقْبَلَ خَالِدٌ مِنَ الْعِرَاقِ قَالَ رَجُلٌ مِنْ نَصَارَى الْعَرَبِ لِخَالِدِ بْنِ الْوَلِيدِ: مَا أَكْثَرَ الرُّومَ وَأَقَلَّ الْمُسْلِمِينَ! فَقَالَ خَالِدٌ: وَيْلَكَ، أَتُخَوِّفُنِي بِالرُّومِ؟
পৃষ্ঠা - ৫৩৮৫
إِنَّمَا تَكْثُرُ الْجُنُودُ بِالنَّصْرِ، وَتَقِلُّ بِالْخِذْلَانِ لَا بِعَدَدِ الرِّجَالِ، وَاللَّهِ لَوَدِدْتُ أَنَّ الْأَشْقَرَ بَرَاءٌ مِنْ تَوَجِّيهِ وَأَنَّهُمْ أَضْعَفُوا فِي الْعَدَدِ. وَكَانَ فَرَسُهُ قَدْ حَفِيَ وَاشْتَكَى فِي مَجِيئِهِ مِنَ الْعِرَاقِ. وَلَمَّا تَقَارَبَ النَّاسُ تَقَدَّمَ أَبُو عُبَيْدَةَ وَيَزِيدُ بْنُ أَبِي سُفْيَانَ، وَمَعَهُمَا ضِرَارُ بْنُ الْأَزْوَرِ، وَالْحَارِثُ بْنُ هِشَامٍ، وَأَبُو جَنْدَلِ بْنُ سُهَيْلٍ، وَنَادَوْا: إِنَّمَا نُرِيدُ أَمِيرَكُمْ لِنَجْتَمِعَ بِهِ. فَأُذِنَ لَهُمْ فِي الدُّخُولِ عَلَى تَذَارِقَ، وَإِذَا هُوَ جَالَسٌ فِي خَيْمَةٍ مِنْ حَرِيرٍ، فَقَالَ الصَّحَابَةُ: لَا نَسْتَحِلُّ دُخُولَهَا. فَأَمَرَ لَهُمْ بِفُرُشٍ ; بُسُطٍ مِنْ حَرِيرٍ، فَقَالُوا: وَلَا نَجْلِسُ عَلَى هَذِهِ. فَجَلَسَ مَعَهُمْ حَيْثُ أَحَبُّوا، وَتَرَاضَوْا عَلَى الصُّلْحِ، وَرَجَعَ عَنْهُمُ الصَّحَابَةُ بَعْدَمَا دَعَوْهُمْ إِلَى اللَّهِ عَزَّ وَجَلَّ، فَلَمْ يَتِمَّ ذَلِكَ. وَذَكَرَ الْوَلِيدُ بْنُ مُسْلِمٍ أَنَّ بَاهَانَ طَلَبَ خَالِدًا ; لِيَبْرُزَ إِلَيْهِ فِيمَا بَيْنَ الصَّفَّيْنِ، فَيَجْتَمِعَا فِي مَصْلَحَةٍ لَهُمْ، فَقَالَ بَاهَانُ: إِنَّا قَدْ عَلِمْنَا أَنَّ مَا أَخْرَجَكُمْ مِنْ بِلَادِكُمُ الْجَهْدَ وَالْجُوعَ، فَهَلُمُّوا إِلَى أَنْ أُعْطِيَ كُلَّ رَجُلٍ مِنْكُمْ عَشَرَةَ دَنَانِيرَ وَكِسْوَةً وَطَعَامًا، وَتَرْجِعُونَ إِلَى بِلَادِكُمْ، فَإِذَا كَانَ مِنَ الْعَامِ الْمُقْبِلِ بَعَثْنَا لَكُمْ بِمِثْلِهَا. فَقَالَ خَالِدٌ: إِنَّهُ لَمْ يُخْرِجْنَا مِنْ بِلَادِنَا مَا ذَكَرْتَ، غَيْرَ أَنَّا قَوْمٌ نَشْرَبُ الدِّمَاءَ، وَأَنَّهُ بَلَغَنَا أَنَّهُ لَا دَمَ أَطْيَبُ مِنْ دَمِ الرُّومِ، فَجِئْنَا لِذَلِكَ. فَقَالَ أَصْحَابُ بَاهَانَ: هَذَا وَاللَّهِ مَا كُنَّا نُحَدَّثُ بِهِ عَنِ الْعَرَبِ. قَالُوا: ثُمَّ تَقَدَّمَ خَالِدٌ إِلَى عِكْرِمَةَ بْنِ أَبِي جَهْلٍ وَالْقَعْقَاعِ بْنِ عَمْرٍو - وَهُمَا
পৃষ্ঠা - ৫৩৮৬


আল্লাহ আপনাদেরকে দয়া করুন ৷ আপনারা এটাকে লজ্জাকর মনে করুন যে, শত্রুর
মুকাবিলায় আপনারা পালিয়ে যাচ্ছেন আল্লাহ তেমনঢি দেখবেন ৷ আপনারা তো তারই
অধীনস্থ ৷ তিনি ব্যতীত আপনাদের কোন আশ্রয়ন্থল নেই ৷

সেনাপতি আমর ইবন আস মুজাহিদদের সম্মুখে পায়চারি করছিলেন আর বলছিলেন, হে
মুসলিমগণ দৃষ্টি অবনত রাখুন ৷ সওয়ারীতে দৃঢ়ভা বে বসুন ৷ তীর ও বর্শা প্রস্তুত করে ওদের
দিকে তাক করে রাখুন ৷ ওরা আপনাদের ওপর হামলা করলে আপনারা ওদেরকে অবকাশ
দিবেন ৷ ওরা যখন আপনাদের বর্শার নাপালে পৌছে যাবে তখন ওদের উপর ঝাপি য়ে পড়বেন
সিংহের ন্যায় ৷ সেই মহান সত্তার কলম! যিনি স৩ বােদিতা পছন্দ করেন এবং সত্যবাদিতার
পুরস্কার দেন ৷ যিনি মিথ্যাবাদিতাকে ধ্বৎ স করেন এবং উত্তম কর্মের বিনিময়ে উত্তম প্রতিদান
দান করেন ৷ আমি শুনেছি মুসলিমগণ এই অঞ্চল জয় করবে শীঘ্রই ৷ প্রতিটি কাফিরকে তারা
পরাস্ত করবে এবং প্রতিটি দালান-কোঠা দখল করবে ৷ সুতরাৎ শত্রুসেনাদের এই সমাবেশ ও

ৎথ্যাধিক্যে যেন আপনারা ভয় না পান ৷ কারণ আপনারা যদি খালিস নিয়তে ওদের উপ র

সজােরে হামলা করেন তাহলে ওরা ডাহুকের ছানার ন্যায় পালিয়ে প্রাণ বাচাবে ৷ ,

এরপর কথা বললেন আবু সুফিয়ান ৷ তিনি সুন্দর সুন্দর কথা বলেছেন এবং দীর্ঘ বক্তৃতার
মাধ্যমে ঘুসলমানদেরকে উৎসাহিত করেছেন ৷ সেনাসদস্যদের মুখোমুখি হয়ে তিনি বললেন, হে
ইসলাম অনুসারী ব্যক্তিবর্গ ৷ আপনারা যা দেখছেন তাভাে উপস্থিত রয়েছেই ৷ এই যে,
রাসুলুল্পাহ্ৰু,গা;চ্,ব্দু এবং জান্নাত আপনাদের সম্মুখেই ৷ শয়তান ও জ্যহান্নাম রয়েছে আপনাদের
পেছনে ৷ তিনি মহিলাদেরকেও উৎসাহিত করলেন ৷ তাদেরকে বললেন যে, কাউকে যুদ্ধের
ময়দান থেকে পালিয়ে যেতে দেখলে এই পাথর ও লাঠি দিয়ে তোমরা ওকে মারবে, যতক্ষণ না
সে যুদ্ধ ময়দানে ফেরত না যায় ৷

সৰ্বাধিনায়ক খালিদ (বা) নির্দেশ দিলেন যে, সাঈদ ইবন যায়দ মুল বাহিনীতে থাকবেন ৷
আবুউবায়দা (রা) থাকবেন সকলের পেছনে ৷ পলায়নকারীদের তিনি ফেরত পাঠাবেন ৷ খালিদ
(রা) অশ্বারোহী বাহিনীকে দৃ’তাগে বিভক্ত করলেন ৷ এক ভাগ নিয়োজিত করলেন ডান পার্শ্ব
বাহিনীর পেছনে আর অপর ভাগ থাকল বাম পার্শ্ব বাহিনীর পেছনে ৷ যাতে মানুষ পালিয়ে যেতে
না পারে ৷ আর অশ্বারােহী যেন সাধারণ বাহিনীর পেছনে থেকে তাদেরকে সাহায্য করতে
পারে ৷ তার সাথীগণ যুদ্ধ পরিকল্পনায় তাকে সমর্থন দিয়ে বললেন, আল্লাহ্ আপনাকে যেমন ষ্
বুঝিয়ে দেন আপনি তেমন করে চালিয়ে যান ৷ ক্রুশ চিহ্ন উধের্ব তুলে বো মানগণ অ্যাসর হলো ৷

তারা বজ্রনিনাদের ন্যায় শব্দ ও চিৎকার করছিল ৷ ধর্মযাজক ও পণ্ডিতগণ তাদের যুদ্ধের জন্যে

উৎসাহিত করছিল ৷ সৈন্য স ণ্যা ও যুদ্ধ প্রন্তুতিতে তারা এত উন্নত ছিল যে, তা ইতিপুর্বে
কখনো দেখা যায়নি ৷ মহান আল্লাহ্ই সাহায্যকারী এবং তার উপরই নির্ভবতা ৷

ইয়ারমুক যুদ্ধে বাবা ছিলেন তাদের একজন হযরত যুৰায়র ইবন আওয়াম (রা) ৷ সেখানে
উপস্থিত সকল সাহারীর মধ্যে তিনি ছিলেন সর্বোত্তম ৷ তিনি দক্ষ অশ্বারােহী ও সাহসী যোদ্ধা
ছিলেন ৷

সেদিন কতক মুসলিম নেতা তার নিকট একত্রিত হয়ে তাকে বলল, আপনি শত্রুর উপর
হামলা চালাচ্ছেন না কেনা তাহলে আমরা আপনার সাথে একযোগে ওদের উপর হামলা


عَلَى مُجَنِّبَتَيِ الْقَلْبِ - أَنْ يُنْشِئَا الْقِتَالَ، فَبَدَرَا يَرْتَجِزَانِ وَدَعَوْا إِلَى الْبِرَازِ، وَتَنَازَلَ الْأَبْطَالُ، وَتَجَاوَلُوا وَحَمِيَ الْحَرْبُ، وَقَامَتْ عَلَى سَاقٍ، هَذَا وَخَالِدٌ مَعَهُ كُرْدُوسٌ مِنَ الْحُمَاةِ الشُّجْعَانِ الْأَبْطَالِ بَيْنَ يَدَيِ الصُّفُوفِ، وَالْأَبْطَالُ يَتَصَاوَلُونَ مِنَ الْفَرِيقَيْنِ بَيْنَ يَدَيْهِ، وَهُوَ يَنْظُرُ وَيَبْعَثُ إِلَى كُلِّ قَوْمٍ مِنْ أَصْحَابِهِ بِمَا يَعْتَمِدُونَهُ مِنَ الْأَفَاعِيلِ، وَيُدَبِّرُ أَمْرَ الْحَرْبِ أَتَمَّ تَدْبِيرٍ. وَقَالَ إِسْحَاقُ بْنُ بِشْرٍ عَنْ سَعِيدِ بْنِ عَبْدِ الْعَزِيزِ، عَنْ قُدَمَاءِ مَشَايِخِ دِمَشْقَ قَالُوا: ثُمَّ زَحَفَ بَاهَانُ فَخَرَجَ أَبُو عُبَيْدَةَ وَقَدْ جَعَلَ عَلَى الْمَيْمَنَةِ مُعَاذَ بْنَ جَبَلٍ، وَعَلَى الْمَيْسَرَةِ قُبَاثَ بْنَ أَشْيَمَ الْكِنَانِيَّ، وَعَلَى الرَّجَّالَةِ هَاشِمَ بْنَ عُتْبَةَ بْنِ أَبِي وَقَّاصٍ، وَعَلَى الْخَيْلِ خَالِدَ بْنَ الْوَلِيدِ، وَخَرَجَ النَّاسُ عَلَى رَايَاتِهِمْ وَسَارَ أَبُو عُبَيْدَةَ بِالْمُسْلِمِينَ وَهُوَ يَقُولُ: عِبَادَ اللَّهِ، انْصُرُوا اللَّهَ يَنْصُرْكُمْ وَيُثَبِّتْ أَقْدَامَكُمْ، يَا مَعْشَرَ الْمُسْلِمِينَ اصْبِرُوا، وَصَابِرُوا، فَإِنَّ الصَّبْرَ مَنْجَاةٌ مِنَ الْكُفْرِ، وَمَرْضَاةٌ لِلرَّبِّ، وَمَدْحَضَةٌ لِلْعَارِ، وَلَا تَبْرَحُوا مَصَافَّكُمْ، وَلَا تَخْطُوا إِلَيْهِمْ خُطْوَةً، وَلَا تَبْدَأُوهُمْ بِالْقِتَالِ، وَأَشْرِعُوا الرِّمَاحَ وَاسْتَتِرُوا بِالدَّرَقِ وَالْزَمُوا الصَّمْتَ إِلَّا مِنْ ذِكْرِ اللَّهِ وَخَرَجَ مُعَاذُ بْنُ جَبَلٍ، فَجَعَلَ يُذَكِّرُهُمْ وَيَقُولُ: يَا أَهْلَ الْقُرْآنِ، وَمُسْتَحْفِظِي الْكِتَابِ، وَأَنْصَارَ الْهُدَى وَالْحَقِّ، إِنَّ رَحْمَةَ اللَّهِ لَا تُنَالُ، وَجَنَّتَهُ لَا تُدْخَلُ بِالْأَمَانِيِّ، وَلَا يُؤْتِي اللَّهُ الْمَغْفِرَةَ وَالرَّحْمَةَ الْوَاسِعَةَ إِلَّا الصَّادِقَ الْمُصَدِّقَ، أَلَمْ تَسْمَعُوا لِقَوْلِ اللَّهِ عَزَّ وَجَلَّ: {وَعَدَ اللَّهُ الَّذِينَ آمَنُوا مِنْكُمْ وَعَمِلُوا الصَّالِحَاتِ} [النور: 55]
পৃষ্ঠা - ৫৩৮৭


চালাতাম ৷ তিনি বললেন, আপনারা তো স্থির থাকতে পারবেন না ৷ ওরা বলল, “অবশ্যই
আমরা স্থির থাকতে পারব ৷’ তারপর তিনি শত্রুপক্ষের উপর হামলা করলেন ৷ সাথী নেতারাও
হামলা করলেন ৷ রোমানদের মুখোমুখি হবার পর তার সাথীগণ ফিরে এলে আর তিনি এগিয়ে
গেলেন ৷ তরবারি পরিচালনা করতে করতে তিনি রোমানদের সারি র্কাক করে সোজা অন্যদিক
দিয়ে বেরিয়ে গেলেন এবং তার সাথীদের নিকট ফিরে এলেন ৷ তার সাথীগণ পুনরায় তার
নিকট আসেন ৷ তারা প্রথমে যেমন বলেছিল পুনরায় তেমনি বলল ৷ দ্বিতীয়বারেও তারা
প্রথমবারের অনুরুপ আচরণ করল সেদিন তিনি তার দৃ’র্কাধে দৃ’টো আঘাত পুেয়েছিলেন ৷ এক
বর্ণনায় আছে যে, তিনি একটি আঘাত পেয়েছিলেন ৷ আমরা যা উল্লেখ করেছি এই মর্মের
হাদীস ইমাম বুখারী (র) তার সহীহ্ গ্রন্থে উল্লেখ করেছেন ৷

এই যুদ্ধে হযরত মু আয ইবন জাবাল (বা) যখনই খ্রিষ্টান যাজক ও পাদ্রীদের শব্দ শুনতেন
তখনই বলতেনশ্
ছু১ট্রুন্,পুাট্র৷ এ ১এট্ট ণ্ণ্র্মো

এেট্রুদ্বু;৷ ৷

“হে আল্লাহ্৷ ওদের পা টলটলায়মান করে দিন ৷ ওদের অম্ভার ভয় সঞ্চার করে দিন ৷
আমাদের উপর শাস্তি নাযিল করুন ৷ আমাদেরকে তাকওয়ার উপর অবিচল থাকতে দিন ৷
শত্রুর মুখোমুখি হওয়াকে আমাদের নিকট পছন্দনীয় করে দিন এবং আপনার ফায়সালায় রাজী
ও সন্তুষ্ট থাকার তাওফীক দিন ৷”

থ্রিক্টান সেনাপতি মাহান বেরিয়ে এল ৷ তার বাম বাহু সৈন্যের সেনাপতি দাবারীজান-কে
সে মুসলমানদের উপর আক্রমণের নির্দেশ দিল ৷ আল্পাহ্র এই দৃশমন ওদের মধ্যে ভাল
উপাসনাকারী ছিল ৷ সে মুসলিম সেনাদলের ডান বাহুর উপর আক্রমণ করল ৷ ওখানে ছিল
আয্দ, মুযহাজ, হদােরা-মাওতপ্ ও খড়াওলান গোত্রের সৈন্যগ্যা ৷ তারা খ্রিস্টানদের আক্রমণ
প্রতিহত করল এবং ত্মাল্লাহ্র দৃশমনদেরকে রুখে দিল ৷ এরপর পাহাড়ের ন্যায় রোমান সৈন্যগণ
মুসলমানদের উপর হামলা করে ৷ মুসলিম সৈন্যগণ ডান বাহু থেকে সরে গিয়ে মুল সেনাদলের
সাথে মিলিত হয় ৷ শত্রুপক্ষের কিছু লোক মুল দল অতিক্রা করে মুসলিমদের মধ্যে ঢুকে
পড়ে ৷ মুসলমানগ৭ নিজ নিজ পতাকার ছত্রছায়ায় বীর বিক্রমে যুদ্ধ চালিয়ে যেতে থাকে ৷
এরপর উভয় পক্ষ পণর্বুদ্ধ আহ্বান করে ৷ একে অপরের উপর আক্রমণ চালাতে থাকে ৷ শেষ
পর্যন্ত মুসলমানগণ তাদের সমুখস্থ রোমান সৈন্যদেরকে হঢিয়ে দেয় এবং দলছুট্ র্লোকদের
সাথে মিলিত হতে বাধা দেয় ৷ ওদিকে মুসলিম সৈন্যদের মধ্য থেকে অস্থির ও অধৈর্য সৈন্যগণ
যুদ্ধ ময়দান থেকে পালিয়ে যেতে চাইলে অপেক্ষমাণ মইিলাগণ ওদেরকে পাথর নিক্ষেপ করে ও
কাঠ দিয়ে প্ৰহার শুরু করে ৷ এ সময়ে খাওলাহ্ বিনৃত ছালাবাহ নিম্নের কবিতা আবৃত্তি করেন :

” শ্শ্


হে পলাতক ব্যক্তি তুমি পালাচ্ছ সতী-সাধবী মহিলাদেরকে ফেলে রেখে ৷ জেনে রহ্বখ,
অবিলম্বে তুমি ওদেরকে খ্রিস্টানদের হাতে বন্দী দেখতে পাবে ৷


إِلَى آخِرِ الْآيَةِ [النُّورِ: 55] . فَاسْتَحْيُوا، رَحِمَكُمُ اللَّهُ، مِنْ رَبِّكُمْ أَنْ يَرَاكُمْ فُرَّارًا مِنْ عَدُّوِّكُمْ، وَأَنْتُمْ فِي قَبْضَتِهِ، وَلَيْسَ لَكُمْ مُلْتَحَدٌ مِنْ دُونِهِ. وَسَارَ عَمْرُو بْنُ الْعَاصِ فِي النَّاسِ وَهُوَ يَقُولُ: أَيُّهَا الْمُسْلِمُونَ، غُضُّوا الْأَبْصَارَ، وَاجْثُوا عَلَى الرُّكَبِ، وَأَشْرِعُوا الرِّمَاحَ، فَإِذَا حَمَلُوا عَلَيْكُمْ فَأَمْهِلُوهُمْ، حَتَّى إِذَا رَكِبُوا أَطْرَافَ الْأَسِنَّةِ فَثِبُوا وَثْبَةَ الْأَسَدِ، فَوَالَّذِي يَرْضَى الصِّدْقَ وَيُثِيبُ عَلَيْهِ، وَيَمْقُتُ الْكَذِبَ، وَيَجْزِي الْإِحْسَانَ إِحْسَانًا، لَقَدْ سَمِعْتُ أَنَّ الْمُسْلِمِينَ سَيَفْتَحُونَهَا كَفْرًا كَفْرًا، وَقَصْرًا قَصْرًا، فَلَا يَهُولَنَّكُمْ جُمُوعُهُمْ وَلَا عَدَدُهُمْ، فَإِنَّكُمْ لَوْ صَدَقْتُمُوهُمُ الشَّدَّ لَتَطَايَرُوا تَطَايُرَ أَوْلَادِ الْحَجَلِ. ثُمَّ تَكَلَّمَ أَبُو سُفْيَانَ فَأَحْسَنَ وَحَثَّ عَلَى الْقِتَالِ، فَأَبْلَغَ فِي كَلَامٍ طَوِيلٍ ثُمَّ قَالَ حِينَ تَوَاجَهَ النَّاسُ: يَا مَعْشَرَ أَهْلِ الْإِسْلَامِ، حَضَرَ مَا تَرَوْنَ، فَهَذَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَالْجَنَّةُ أَمَامَكُمْ، وَالشَّيْطَانُ وَالنَّارُ خَلْفَكُمْ. وَحَرَّضَ أَبُو سُفْيَانَ النِّسَاءَ فَقَالَ: مَنْ رَأَيْتُنَّهُ فَارًّا فَاضْرِبْنَهُ بِهَذِهِ الْأَحْجَارِ وَالْعِصِيِّ حَتَّى يَرْجِعَ. وَأَشَارَ خَالِدٌ أَنْ يَقِفَ فِي الْقَلْبِ سَعِيدُ بْنُ زَيْدٍ، وَأَنْ يَكُونَ أَبُو عُبَيْدَةَ مِنْ وَرَاءِ النَّاسِ لِيَرُدَّ الْمُنْهَزِمَ، وَقَسَمَ خَالِدٌ الْخَيْلَ قِسْمَيْنِ ; فَجَعَلَ فِرْقَةً وَرَاءَ الْمَيْمَنَةِ، وَفِرْقَةً وَرَاءَ الْمَيْسَرَةِ ; لِئَلَّا يَفِرَّ النَّاسُ وَلِيَكُونُوا رِدْءًا لَهُمْ مِنْ وَرَائِهِمْ، فَقَالَ لَهُ أَصْحَابُهُ: افْعَلْ مَا أَرَاكَ اللَّهُ. وَامْتَثَلُوا مَا أَشَارَ بِهِ خَالِدٌ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، وَأَقْبَلَتِ الرُّومُ رَافِعَةً صُلْبَانَهَا، وَلَهُمْ أَصْوَاتٌ مُزْعِجَةٌ كَالرَّعْدِ، وَالْقَسَاقِسَةُ وَالْبَطَارِقَةُ تُحَرِّضُهُمْ عَلَى الْقِتَالِ، وَهُمْ فِي عَدَدٍ وَعُدَدٍ لَمْ يُرَ مِثْلُهُ. فَاللَّهُ الْمُسْتَعَانُ وَعَلَيْهِ التُّكْلَانُ. وَقَدْ كَانَ فِيمَنْ شَهِدَ الْيَرْمُوكَ الزُّبَيْرُ بْنُ الْعَوَّامِ، وَهُوَ أَفْضَلُ مَنْ هُنَاكَ مِنَ الصَّحَابَةِ، وَكَانَ مِنْ فُرْسَانِ النَّاسِ وَشُجْعَانِهِمْ، فَاجْتَمَعَ إِلَيْهِ جَمَاعَةٌ مِنَ الْأَبْطَالِ يَوْمَئِذٍ فَقَالُوا: أَلَا تَحْمِلُ فَنَحْمِلَ مَعَكَ؟ فَقَالَ: إِنَّكُمْ لَا تَثْبُتُونَ. فَقَالُوا:
পৃষ্ঠা - ৫৩৮৮


ৰুাটু
এই বুদ্ধিমতী বিচক্ষণ ও পছন্দের মহিলাদেরকে তোমরা আর দেখতে পাবে না ৷ বর্ণনাকারী
বলেন, তারপর সবাই স্ব-স্ব স্থানে ফিরে যায় ৷
সায়ফ ইবন উমর আবু উসমান পাসৃসানী সুত্রে তার পিতা থেকে বর্ণনা করেছেন, তার পিতা
বলেছেন যে, ইয়ারমুক যুদ্ধের দিন ইকরিমা ইবন আবু জা হল বলেছিলেন, রাসুলুল্লাহ্মোঃ-এ
বিরুদ্ধে আমি বহু যুদ্ধ করেছি আর হে খ্রিক্টানগণ তোমাদের মুকাৰিলায় আজ আমি পালিয়ে
যাব ? তারপর তিনি ঘোষণা দিলেন, কে আছু মৃত্যুবরণের জন্যে শপথ করতে পার ?’ তার
আহ্বানে তার চাচা হারিছ এবং দিরার ইব্র্নআযওয়ার সহ প্রায় চারশ নেতৃস্থানীয় অশ্বারােহী
মুজাহিদ শহীদ হবার জন্যে শপথ করেন ৷ তারা সবাই হযরত খালিদ (রা) এর তীব্র সম্মুখে
অবস্থান নিয়ে শত্রুর বিরুদ্ধে প্রচণ্ড যুদ্ধে লিপ্ত হন ৷ তাদের সকলে আহত হন ৷ অনেকেই
শাহাদাতবরণ করেন ৷ শাহাদাত বরণকারীদের অন্যতম হলেন দিরার ইবন আয়ওয়ার (রা) ৷
ওয়াকিদী ও অন্যান্য ঐতিহাসিক বলেছেন যে, তারা যখন আহত হয়ে মাটিতে লুঢিয়ে
পড়েছিলেন তখন তারা পানি চেয়েছিলেন ৷ কিছু পরিমাণ পানি সেখানে আনা হলো ৷ তাদের
একজনের নিকট পানি আনা হলে অন্য একজন সেদিকে তাকিয়েছিলেন ৷ তাই প্রথমজন
বললেন, পানি আগে তাকে দিন ৷’ তার নিকট পানি আনা হলে অন্য একজন সেদিকে
তাকিয়েছিলেন ৷ ফলে দ্বিতীয়জন পানি পান না করে বললেন, অমুককে দিন ৷ ’ এভাবে তারা
একে অন্যের নিকট পানি পাঠাতে লাপলেন ৷ অবশেষে সকলে মারা গেলেন ৷ কেউই পানি পান
করলেন না ৷ (আল্লাহ তাদের প্রতি সভুষ্ট হোন) ৷ বর্ণিত আছে যে, ইয়ারমুক যুদ্ধের দিন
সর্বপ্রথম শহীদ হয়েছিলেন যে ব্যক্তি তিনি হযরত আবু উবায়দাহ্ (রা) এর নিকট উপস্থিত
হয়েছিলেন ৷ তারপর আবু উবায়দাহ্কে বললেন, আমি আমার লক্ষ্য হাসিলের জন্যে পুর্ণ
প্রস্তুতি নিয়ে এসেছি ৷ আপনি রাসুলুল্লাহ্মোঃ এর প্রতি কি কোন স বাদ পড়াঠড়াবেন : তার সাথে
কি আপনার কোন প্রয়োজন আছে ? আবু উবায়দাহ্ (রা) বললেন, হ্যা, আছে ৷ আপনি
রাসুলুল্লাহ্খ্যাঃ কে আমার সালাম জানাবেন আর বলবেন, ইয়া রাসুলাল্লাহ্! আমাদের
প্রতিপালক আমাদেরকে যে ওয়াদা ও প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন আমরা তার সবগুলেইি সত্য ও
সঠিক পেয়েছি’ ৷
বর্ণনাকারী বলেন, এরপর ওই লোক সামনের দিকে এগিয়ে গেলেন এবং যুদ্ধ করতে
করতে শহীদ হয়ে গেলেন ৷ সেদিন প্রত্যেক দল নিজ নিজ পতাকার অধীনে অবিচল থাকে ৷
রােমানগণ তখন ঘুরপাক খাচ্ছিল ৷ যেন তারা যাতাকল ৷ ইয়ারমুকের যুদ্ধের দিনে ইতস্তত
বিক্ষিপ্ত মগজ, ছড়ানাে ছিটানাে হাতের কবৃজি ও উড়ত্ত হাতের তালু ছাড়া কিছুই দেখা যায়নি ৷
হযরত খালিদ (বা) তার ঘ্রথী অশ্বারোহীদেরকে নিয়ে শত্রু সৈন্যের বাম বাহুর উপর আক্রমণ
চালালেন ৷ ওরা ইতিপুর্বে মুসলিম সৈন্যদের ডান বাহুর উপর আক্রমণ করেছিল ৷ তারা ওদের
বাম বাহুকে আক্রমণে আক্রমণে অস্থির করে মুল সৈন্যদলে মিশিয়ে দিলেন ৷ এই হামলার প্রায়
ছয় হাজার রোমান সৈন্য নিহত হয় ৷ তারপর হযরত খালিদ (বা) বলেন, তখন শত্রুপক্ষের আর
ধৈর্য ও শক্তি নেই ৷ আমি আশা করছি যে, আল্লাহ ত৷ আলা ওদের ঘাড়গুলো তােমাদেরকে দান
করবেন ৷’ অর্থাৎ অবিলম্বে তোমরা ওদের উপর বিজয়ী হয়ে ৷ তিনি মুখোমুখি হলেন শত্রু


بَلَى. فَحَمَلَ وَحَمَلُوا، فَلَمَّا وَاجَهُوا صُفُوفَ الرُّومِ أَحْجَمُوا وَأَقْدَمَ هُوَ ; فَاخْتَرَقَ صُفُوفَ الرُّومِ حَتَّى خَرَجَ مِنَ الْجَانِبِ الْآخَرِ وَعَادَ إِلَى أَصْحَابِهِ، ثُمَّ جَاءُوا إِلَيْهِ مَرَّةً ثَانِيَةً، فَفَعَلَ كَمَا فَعَلَ فِي الْأُولَى، وَجُرِحَ يَوْمَئِذٍ جُرْحَيْنِ بَيْنَ كَتِفَيْهِ. وَفِي رِوَايَةٍ: جُرْحٌ. وَقَدْ رَوَى الْبُخَارِيُّ مَعْنَى مَا ذَكَرْنَاهُ فِي " صَحِيحِهِ ". وَجَعَلَ مُعَاذُ بْنُ جَبَلٍ كَلَّمَا سَمِعَ أَصْوَاتَ الْقِسِّيسِينَ وَالرُّهْبَانِ يَقُولُ: اللَّهُمَّ زَلْزِلْ أَقْدَامَهُمْ، وَأَرْعِبْ قُلُوبَهُمْ، وَأَنْزِلْ عَلَيْنَا السَّكِينَةَ، وَأَلْزِمْنَا كَلِمَةَ التَّقْوَى، وَحَبِّبْ إِلَيْنَا اللِّقَاءَ، وَرَضِّنَا بِالْقَضَاءِ. وَخَرَجَ بَاهَانُ فَأَمَرَ صَاحِبَ الْمَيْسَرَةِ، وَهُوَ الذَّرْبِيجَانُ، وَكَانَ عَدُوُّ اللَّهِ مُتَنَسِّكًا فِيهِمْ، فَحَمَلَ عَلَى الْمَيْمَنَةِ، وَفِيهَا الْأَزْدُ وَمَذْحِجٌ وَحَضْرَمَوْتُ وَخَوْلَانُ، فَثَبَتُوا حَتَّى صَدَقُوا أَعْدَاءَ اللَّهِ، ثُمَّ رَكِبَهُمْ مِنَ الرُّومِ أَمْثَالُ الْجِبَالِ، فَزَالَ الْمُسْلِمُونَ مِنَ الْمَيْمَنَةِ إِلَى نَاحِيَةِ الْقَلْبِ، وَانْكَشَفَتْ طَائِفَةٌ مِنَ النَّاسِ إِلَى الْعَسْكَرِ، وَثَبَتَ صَدْرٌ مِنَ الْمُسْلِمِينَ عَظِيمٌ يُقَاتِلُونَ تَحْتَ رَايَاتِهِمْ، وَانْكَشَفَتْ زُبَيْدٌ، ثُمَّ تَنَادَوْا فَتَرَاجَعُوا وَحَمَلُوا حَتَّى نَهْنَهُوا مَنْ أَمَامَهُمْ مِنَ الرُّومِ، وَأَشْغَلُوهُمْ عَنِ اتِّبَاعِ مَنِ انْكَشَفَ مِنَ النَّاسِ، وَاسْتَقْبَلَ النِّسَاءُ مَنِ انْهَزَمَ مِنْ سَرَعَانِ النَّاسِ يَضْرِبْنَهُمْ بِالْخَشَبِ وَالْحِجَارَةِ، وَجَعَلَتْ خَوْلَةُ بِنْتُ ثَعْلَبَةَ تَقُولُ: يَا هَارِبًا عَنْ نِسْوَةٍ تَقِيَّاتْ ... فَعَنْ قَلِيلٍ مَا تَرَى سَبِيَّاتْ وَلَا حَظِيَّاتٍ وَلَا رَضِيَّاتْ قَالَ: فَتَرَاجَعَ النَّاسُ إِلَى مَوَاقِفِهِمْ.
পৃষ্ঠা - ৫৩৮৯


সৈন্যের ৷ তার সাথী একশ’ অশ্বারােহীকে নিয়ে প্রায়; এক লাখ শত্রু সৈন্যের উপর আক্রমণ
করলেন ৷ যেদিকেই আক্রমণ করছিলেন সেদিকেই শত্রু সৈন্যদেরকে খতম করে এগিয়ে
যাচ্ছিলেন ৷ সকল মুসলমান সেদিন একযোগে এক সাথে ওদের উপর হামলা চালিয়েছিল ৷
হামলা প্রতিহত করতে না পেরে ওরা পিছু হটতে থাকে ৷ মুসলমানপণ ওদেরকে তাড়িয়ে নিয়ে
যায় ৷ ওরা পরাজিত হয় ৷

বর্ণিত আছে যে, উভয় পক্ষে প্রচণ্ড যুদ্ধ লেছিল ৷ প্রত্যেক পক্ষের নেতৃস্থানীয় ব্যক্তিগণ
বীর-বিক্রমে আক্রমণ-প্রতি আক্রমণ চালাচ্ছিল ৷ তখনই আরব থেকে এক পত্ররাহকন্আসে ৷ সে
খালিদ ইবন ওয়ালীদের নিকট খলীফার পত্র হস্তান্তর করে ৷ খালিদ বললেন, খবর কী ? পত্রে
কী সংবা দ রয়েছে ? পত্রবাহক একান্তে গিয়ে খালিদ (না)-কে জানালেন যে, হযরত আবু বকর
সিদ্দীক (রা) ইন্তিকাল করেছেন ৷ হযরত উমর (রা) খলীফা নিযুক্ত হয়েছেন ৷ এই
সেনাবাহিনীর প্রধান সেনাপতি হিসেবে খলীফা আপনার স্থলে আবু উবায়দা আমির ইবনুল
জাবৃরাহ (রা)-কে নিয়োগ করেছেন ৷ হযরত খালিদ (রা) বৃহত্তর স্বার্থে এই সংবাদ গোপন
রাখলেন ৷ এটি সর্বসমক্ষে প্রকাশ করলেন না ৷ এই আশংকায় যে, তাহলে সৈনিকদের মধ্যে
দুর্বলতা ও হতাশা সৃষ্টি হতে পারে ৷ তিনি সােকজনকে গুলিয়ে পত্রৰাহককে বললেন, আপনি
খুব ভাল কাজ করেছেন ৷ তিনি চিঠিখানা গ্রহণ করলেন এবং নিজের ঝুড়িতে রাখলেন এবং
পুর্বের ন্যায় আক্রমণ পরিচালনা ও যুদ্ধ পরিকল্পনায় মনোযোগ দিলেন ৷ পত্রবাহক ঘুনাজ্জামাহ্
ইবন যানীমকে তার পাশে রাখলেন ৷ ইবন জারীর আপন সনদে এরুপই উল্লেখ করেছেন ৷

ঐতিহাসকিগণ বলেন, এক পর্যায়ে রোমান সৈন্য দলের অন্যতম সেনাপতি জুরজা বেরিয়ে
এসে হযরত খালিদ (রা)-এর সাথে কথা বলার প্রস্তাব দিল ৷ হযরত খালিদ (বা) তার নিকট
গেলেন ৷ উভয়ের ঘোড়ার র্কাধ মিলে গেল, দুজন খুব কাছাকাছি হয়ে গেলেন ৷ জুরজা বলল,
হে খালিদ! আপনি আমার সাথে সত্য কথা বলবেন, মিথ্যা নয় ৷ কারণ স্বাধীন ও সাহসী ব্যক্তি
মিথ্যা কথা বলে না ৷ আমার সাথে প্রতারণা করবেন না ৷ কারণ সঘ্রান্ত ব্যক্তি প্রতারণা করে না ৷
বলুন তো, আল্লাহ তাআলা কি আপনাদের নবীর নিকট আকাশ থেকে কোন তরবারি নাযিল
করেছিলেন যে, নবী নিজে ওই তরবারি আপনাকে হস্তান্তর করেছেন ৷ আর ওই তরবারি আপনি
যার উপর চালান সে-ই পরাজিত হয় পরাস্ত হয় ৷ হযরত খালিদ (রা) বললেন, না, তা তাে
নয় ৷ আল্লাহ তাআলা সরাসরি কোন তরবারি নাযিল করেননি ৷ জুরজা বলল, তাহলে
আপনাকে সায়ফুল্লাহ্ আল্লাহর তরবারি বলা হয় কেন ? ’ উত্তরে খালিদ (বা) বললেন, আল্লাহ
তাআলা আমাদের নিকট তার নবীকে প্রেরণ করেছেন ৷ তিনি আমাদেরকে আল্লাহর পথে
ড়েকেছেন, আমরা সকলে তার নিকট থেকে পালিয়েছিলাম এবং দুরে বহু দুরে সরে
সিরেছিলাম ৷ এরপর আমাদের মধ্য থেকে কেউ কেউ তাকে সত্য বলে মেনে নেয় এবং তার
শ্বষুসরণ করে ৷ আমাদের কতকর্তীকে প্রত্যাখ্যান করে এবং তার থেকে বহু দুরে চলে যায় ৷
ষ্াষি হ্নিা৷ম তাদের দলে যারা তাকে প্রত্যাখ্যান করেছে এবং দুরে সরে গিয়েছে ৷ তারপর
আল্লাহ তাআলা আমাদের অন্তর ও কপাল চেপে ধরলেন এবং তীর মাধ্যমে আমাদেরকে
হিদায়াত ও সত্য পথ দেখিয়েছেন ৷ আমরা তার হাতে বড়ায়আত করেছি ৷ তার অনুসরণের
অঙ্গীকার করেছি ৷ রাসুলুল্লাহ্ড্রা আমাকে উদ্দেশ্য করে বললেন, “তুমি আল্লাহর একটি


وَقَالَ سَيْفُ بْنُ عُمَرَ، عَنْ أَبِي عُثْمَانَ الْغَسَّانِيِّ، عَنْ أَبِيهِ قَالَ: قَالَ عِكْرِمَةُ بْنُ أَبِي جَهْلٍ: يَوْمَ الْيَرْمُوكِ قَاتَلْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي مَوَاطِنَ وَأَفِرُّ مِنْكُمُ الْيَوْمَ؟ ! ثُمَّ نَادَى: مَنْ يُبَايِعُ عَلَى الْمَوْتِ؟ فَبَايَعَهُ عَمُّهُ الْحَارِثُ بْنُ هِشَامٍ، وَضِرَارُ بْنُ الْأَزْوَرِ فِي أَرْبَعِمِائَةٍ مِنْ وُجُوهِ الْمُسْلِمِينَ وَفُرْسَانِهِمْ، فَقَاتَلُوا قُدَّامَ فُسْطَاطِ خَالِدٍ حَتَّى أُثْبِتُوا جَمِيعًا جِرَاحًا، وَقُتِلَ مِنْهُمْ خَلْقٌ، مِنْهُمْ ضِرَارُ بْنُ الْأَزْوَرِ، رِضَى اللَّهِ عَنْهُمْ. وَقَدْ ذَكَرَ الْوَاقِدِيُّ وَغَيْرُهُ، أَنَّهُمْ لَمَّا صُرِعُوا مِنَ الْجِرَاحِ اسْتَسْقَوْا مَاءً، فَجِيءَ إِلَيْهِمْ بِشَرْبَةِ مَاءٍ، فَلَمَّا قُرِّبَتْ إِلَى أَحَدِهِمْ نَظَرَ إِلَيْهِ الْآخَرُ، فَقَالَ: ادْفَعْهَا إِلَيْهِ. فَلَمَّا دُفِعَتْ إِلَيْهِ نَظَرَ إِلَيْهِ الْآخَرُ، فَقَالَ: ادْفَعْهَا إِلَيْهِ. فَتَدَافَعُوهَا بَيْنَهُمْ، مِنْ وَاحِدٍ إِلَى وَاحِدٍ حَتَّى مَاتُوا جَمِيعًا، وَلَمْ يَشْرَبْهَا أَحَدٌ مِنْهُمْ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمْ أَجْمَعِينَ. وَيُقَالُ: إِنَّ أَوَّلَ مَنْ قُتِلَ مِنَ الْمُسْلِمِينَ يَوْمَئِذٍ شَهِيدًا رَجُلٌ جَاءَ إِلَى أَبِي عُبَيْدَةَ فَقَالَ: إِنِّي قَدْ تَهَيَّأْتُ لِأَمْرِي، فَهَلْ لَكَ مِنْ حَاجَةٍ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ؟ قَالَ: نَعَمْ، تُقْرِأُهُ عَنِّي السَّلَامَ وَتَقُولُ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، إِنَّا قَدْ وَجَدْنَا مَا وَعَدَنَا رَبُّنَا حَقًّا. قَالَ: فَتَقَدَّمَ هَذَا الرَّجُلُ فَقَاتَلَ حَتَّى قُتِلَ، رَحِمَهُ اللَّهُ. قَالُوا: وَثَبَتَ كُلُّ قَوْمٍ عَلَى رَايَتِهِمْ حَتَّى صَارَتِ الرُّومُ تَدُورُ كَأَنَّهَا الرَّحَى، فَلَمْ يُرَ يَوْمَ الْيَرْمُوكِ أَكْثَرَ قِحْفًا سَاقِطًا وَمِعْصَمًا نَادِرًا، وَكَفًّا طَائِرَةً، مِنْ
পৃষ্ঠা - ৫৩৯০


তরবাবি, এই খোলা তরবারি আল্লাহ তাআলা মুশরিকদের উপর নিয়োজিত করে দিয়েছেন ৷
তিনি আমাকে সাহায্য করার জন্যে মহান আল্লাহর দরবারে দু আ করলেন ৷ এই প্রেক্ষাপটে
আমি সায়ফুল্লাহ্ বা আল্লাহর তরবারি নামে আখ্যায়িত হয়েছি ৷ আর আমি মুশরিকদের জন্যে
সর্বাধিক কঠোর ব্যক্তি ৷
জুরজা বলল, খালিদা আপনারা কোন বিষয়ের দিকে মানুষকে ডাকেন ? তিনি বললেন,
আমরা ডাকি এই বিষয়ে সাক্ষ্য দেয়ার জন্যে যে, আল্লাহ ব্যতীত কোন ইলাহ্ নেই আর মুহাম্মদ
:::: তার বান্দা ও রাসুল এবং এ বিষয়ে স্বীকৃতি তদিবে যে, মুহ ম্মদ মোঃ আল্লাহ তাআলার পক্ষ
থেকে যা নিয়ে এসেছেন তা সত তা ৷ জুরজা বলল, যদি কেউ আপনাদের আহ্বানে সাড়া না দেয়
তার কী অবস্থা হবে ৷ খালিদ বললেন,ত তাহলে সে জিষিয়া কর দিবে এবং বিনিময়ে আমরা
তার জানমালের নিরাপত্তার ব্যবস্থা করব ৷ সে বলল, যদি ওই ব্যক্তি জিষিয়া কর দিতে
অস্বীকৃতি জানায় তাহলে কী হবে ? হযরত খালিদ (রা) বললেন, তাহলে আমরা তার বিরুদ্ধে
যুদ্ধের ঘোষণা দিব এবং তার বিরুদ্ধে যুদ্ধ করব ৷ সে বলল, আজকের এই মুহুা৩ যদি কেউ
আপনাদের ডাকে সাড়া দেয় এবং ইসলামে প্রবেশ করেত তাহলে তার কি অবস্থা হবে ? হযরত
খালিদ (রা) বললেন তাহলে আল্লাহর দেয়৷ বিধান অনুসারে সে এবং আমরা সকলের অবস্থান
এক হয়ে যাবে ৷ সে আমাদের সমমর্যাদার হয়ে যাবে ৷ আশরাফআতরাফ উচু-নীচ ও
পুর্ববর্তী পরবর্তী সব একই মর্যাদার অধিকারী ৷ জুরজা বলল, যে ব্যক্তি আজ ইসলাম গ্রহণ
করবে আপনাদের দলভুক্ত হবে তার আর আপনাদের সওয়াব ও পুণ৷ কি এক সমান হবো
তিনি বললেন হ্যা, তা ই, তবে সে আরো উত্তম পুণ্য পাবে ৷ সে বলল, ওই ব্যক্তি কীভাবে
আপনাদের সমান হবে অথচ ইসলাম গ্রহণে আপনারা তার চেয়ে অ্যাবর্তী ও পুরাতন ৷ খালিদ
(রা) বললেন, আমরা ইসলাম গ্রহণ করেছি বাধ্য হয়ে ৷ তারপর আমরা নবী মোঃএর হাতে
বায়আত করেছি যখন তিনি জীবিত ছিলেন ৷ তার কাছে আসমান থেকে সংবাদ আসত ৷ তিনি
আমাদেরকে কুরআনের আলোকে বিভিন্ন বিষয় জানাতেন ৷ তিনি আমাদেরকে বিভিন্ন নিদর্শন ও
ঘু জিয৷ দেখাতেন ৷ আমরা যা দেখেছি কেউ তা দেখলে এবং আমরা যা শুনেছি তা কেউ শুনলে
সে ইসলাম গ্রহণ ও বায়আত সম্পাদনে সে বাধ্য হয়ে পড়ে ৷ ইসলাম গ্রহণ ও বায়আত সম্পাদন
তার কর্তব্য হয়ে যায় ৷ আমরা যা হচক্ষে দেখেছি আপনারা ওে ৷ তা দেখেন নি ৷ আমরা যে সব
আশ্চর্যজনক ঘটনা ও প্রমাণাদি শুনেছি আপনারা তা শুনেন নি ৷ তসাত্ত্বও আপনাদের কেউ যদি
র্খা টি নিয়তে-স্বচ্ছ বিশ্বাসে এই ইসলামে প্রবেশ করে সে আমাদের চাইতে উত্তম হবে না বা
কেন ৷ প্ প্
জুরজা বলল, আল্লাহর কসম দিয়ে বলছি, আপনি আমার নিকট সত্য বলেছেন তো ৷

প্রতারণা করেন নি তাে ? হযরত ৩খালিদ (বা) বললেন, আল্লাহর কসম৷ আমি আপনার নিকট
সত্য বলেছি এবং আল্লাহ সম্পর্কে আপনি যা জিজ্ঞেস করেছেন, আমি যা বলেছি সে সম্পর্কে
আল্লাহ অবগত আছেন ৷ তখনি জুরজা তার ঢাল উল্টিয়ে ধরেন এবং হযরত খালিদ (রা)-এর
দিকে ঝুকে প ড়েন ৷ জুরজা বলেন, আপনি আমাকে ইসলাম শিখিয়ে দিন ৷ হযরত খালিদ
জুরজাকে নিয়ে নিজ তাবুতে যান ৷ মশক থেকে পানি ঢেলে তাকে ওবুকরিয়ে দেন এবং তাকে
নিয়ে হযরত খালিদ (রা) দু রাকআত নামায আদায় করেন, জুরজা হযরত খালিদ (রা)-এর
সঙ্গে বাবার সাথে সাথে রােমানগণ মুসলমানদের উপর আক্রমণ করে ৷ জুরজা-এর গমনকে
তারা মনে করেছিল তাদের পক্ষে ওটা আক্রমণস্বরুপ ৷ হঠাৎ আক্রমণে তারা ঘুসলমানদেরকে


ذَلِكَ الْمَوْطِنِ، ثُمَّ حَمَلَ خَالِدٌ بِمَنْ مَعَهُ مِنَ الْخَيَّالَةِ عَلَى الْمَيْسَرَةِ الَّتِي حَمَلَتْ عَلَى مَيْمَنَةِ الْمُسْلِمِينَ فَأَزَالُوهُمْ إِلَى الْقَلْبِ، فَقَتَلَ فِي حَمْلَتِهِ هَذِهِ سِتَّةَ آلَافٍ مِنْهُمْ، ثُمَّ قَالَ: وَالَّذِي نَفْسِي بِيَدِهِ لَمْ يَبْقَ عِنْدَهُمْ مِنَ الصَّبْرِ وَالْجَلَدِ غَيْرَ مَا رَأَيْتُمْ، وَإِنِّي لَأَرْجُوَ أَنْ يَمْنَحَكُمُ اللَّهُ أَكْتَافَهُمْ. ثُمَّ اعْتَرَضَهُمْ فَحَمَلَ بِمِائَةِ فَارِسٍ مَعَهُ عَلَى نَحْوٍ مِنْ مِائَةِ أَلْفٍ. فَمَا وَصَلَ إِلَيْهِمْ حَتَّى انْفَضَّ جَمْعُهُمْ، وَحَمَلَ الْمُسْلِمُونَ عَلَيْهِمْ حَمْلَةَ رَجُلٍ وَاحِدٍ فَانْكَشَفُوا وَتَبِعَهُمُ الْمُسْلِمُونَ لَا يَمْتَنِعُونَ مِنْهُمْ. قَالُوا: وَبَيْنَمَا هُمْ فِي جَوْلَةِ الْحَرْبِ وَحَوْمَةِ الْوَغَى، وَالْأَبْطَالُ يَتَصَاوَلُونَ مِنْ كُلِّ جَانِبٍ، إِذْ قَدِمَ الْبَرِيدُ مِنْ نَحْوِ الْحِجَازِ، فَدُفِعَ إِلَى خَالِدِ بْنِ الْوَلِيدِ فَقَالَ لَهُ: مَا الْخَبَرُ؟ فَقَالَ لَهُ، فِيمَا بَيْنَهُ وَبَيْنَهُ: إِنَّ الصِّدِّيقَ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، قَدْ تُوُفِّيَ، وَاسْتُخْلِفَ عُمَرَ، فَاسْتَنَابَ عَلَى الْجُيُوشِ أَبَا عُبَيْدَةَ عَامِرَ بْنَ الْجَرَّاحِ. فَأَسَرَّهَا خَالِدٌ، وَلَمْ يُبْدِ ذَلِكَ لِلنَّاسِ ; لِئَلَّا يَحْصُلَ ضَعْفٌ وَوَهَنٌ فِي تِلْكَ الْحَالِ، وَقَالَ لَهُ وَالنَّاسُ يَسْمَعُونَ: أَحْسَنْتَ. وَأَخَذَ مِنْهُ الْكِتَابَ فَوَضَعَهُ فِي كِنَانَتِهِ، وَاشْتَغَلَ بِمَا كَانَ فِيهِ مِنْ تَدْبِيرِ الْحَرْبِ وَالْمُقَاتِلَةِ، وَأَوْقَفَ الرَّسُولَ الَّذِي جَاءَ بِالْكِتَابِ - وَهُوَ مَحْمِيَةُ بْنُ زُنَيْمٍ - إِلَى جَانِبِهِ. كَذَا ذَكَرَهُ ابْنُ جَرِيرٍ بِأَسَانِيدِهِ. قَالُوا: وَخَرَجَ جَرَجَةُ أَحَدُ الْأُمَرَاءِ الْكِبَارِ مِنَ الصَّفِّ، وَاسْتَدْعَى خَالِدَ بْنَ الْوَلِيدِ فَجَاءَ إِلَيْهِ حَتَّى اخْتَلَفَتْ أَعْنَاقُ فَرَسَيْهِمَا، فَقَالَ جَرَجَةُ: يَا خَالِدُ، أَخْبِرْنِي فَاصْدُقْنِي وَلَا تَكْذِبْنِي، فَإِنَّ الْحُرَّ لَا يَكْذِبُ، وَلَا تُخَادِعْنِي، فَإِنَّ الْكَرِيمَ لَا يُخَادِعُ الْمُسْتَرْسِلَ بِاللَّهِ، هَلْ أَنْزَلَ اللَّهُ عَلَى نَبِيِّكُمْ سَيْفًا مِنَ السَّمَاءِ فَأَعْطَاكَهُ فَلَا تَسُلُّهُ
পৃষ্ঠা - ৫৩৯১
عَلَى أَحَدٍ إِلَّا هَزَمْتَهُمْ؟ قَالَ: لَا. قَالَ: فَبِمَ سُمِّيتَ سَيْفَ اللَّهِ؟ قَالَ: إِنَّ اللَّهَ بَعَثَ فِينَا نَبِيَّهُ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَدَعَانَا فَنَفَرْنَا مِنْهُ وَنَأَيْنَا عَنْهُ جَمِيعًا، ثُمَّ إِنَّ بَعْضَنَا صَدَّقَهُ وَتَابَعَهُ، وَبَعْضَنَا كَذَّبَهُ وَبَاعَدَهُ، فَكُنْتُ فِيمَنْ كَذَّبَهُ وَبَاعَدَهُ، ثُمَّ إِنَّ اللَّهَ أَخَذَ بِقُلُوبِنَا وَنَوَاصِينَا فَهَدَانَا بِهِ وَبَايَعْنَاهُ، فَقَالَ لِي: «أَنْتَ سَيْفٌ مِنْ سُيُوفِ اللَّهِ سَلَّهُ اللَّهُ عَلَى الْمُشْرِكِينَ» . وَدَعَا لِي بِالنَّصْرِ، فَسُمِّيتُ سَيْفَ اللَّهِ بِذَلِكَ، فَأَنَا مِنْ أَشَدِّ الْمُسْلِمِينَ عَلَى الْمُشْرِكِينَ. فَقَالَ جَرْجَةُ: يَا خَالِدُ، إِلَامَ تَدْعُونَ؟ قَالَ: إِلَى شَهَادَةِ أَنْ لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ، وَأَنَّ مُحَمَّدًا عَبْدُهُ وَرَسُولُهُ، وَالْإِقْرَارِ بِمَا جَاءَ بِهِ مِنْ عِنْدِ اللَّهِ، عَزَّ وَجَلَّ. قَالَ: فَمَنْ لَمْ يُجِبْكُمْ؟ قَالَ: فَالْجِزْيَةُ وَنَمْنَعُهُمْ. قَالَ: فَإِنْ لَمْ يُعْطِهَا؟ قَالَ: نُؤْذِنُهُ بِالْحَرْبِ ثُمَّ نُقَاتِلُهُ. قَالَ: فَمَا مَنْزِلَةُ مَنْ يُجِيبُكُمْ وَيَدْخُلُ فِي هَذَا الْأَمْرِ الْيَوْمَ؟ قَالَ: مَنْزِلَتُنَا وَاحِدَةٌ فِيمَا افْتَرَضَ اللَّهُ عَلَيْنَا، شَرِيفُنَا وَوَضِيعُنَا وَأَوَّلُنَا وَآخِرُنَا. قَالَ جَرَجَةُ: فَلِمَنْ دَخَلَ فِيكُمُ الْيَوْمَ مِنَ الْأَجْرِ مِثْلُ مَا لَكَمَ مِنَ الْأَجْرِ وَالذُّخْرِ؟ قَالَ: نَعَمْ، وَأَفْضَلُ. قَالَ: وَكَيْفَ يُسَاوِيكُمْ وَقَدْ سَبَقْتُمُوهُ؟ فَقَالَ خَالِدٌ: إِنَّا دَخَلْنَا فِي هَذَا الْأَمْرِ وَبَايَعْنَا نَبِيَّنَا صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَهُوَ حَيٌّ بَيْنَ أَظْهُرِنَا تَأْتِيهِ أَخْبَارُ السَّمَاءِ، وَيُخْبِرُنَا بِالْكُتُبِ وَيُرِينَا الْآيَاتِ، وَحُقَّ لِمَنْ رَأَى مَا رَأَيْنَا وَسَمِعَ مَا سَمِعْنَا أَنْ يُسْلِمَ وَيُبَايِعَ، وَإِنَّكُمْ أَنْتُمْ لَمْ تَرَوْا مَا رَأَيْنَا، وَلَمْ تَسْمَعُوا مَا سَمِعْنَا مِنَ الْعَجَائِبِ وَالْحُجَجِ، فَمَنْ دَخَلَ فِي هَذَا الْأَمْرِ مِنْكُمْ بِحَقِيقَةٍ وَنِيَّةٍ كَانَ أَفْضَلَ مِنَّا. فَقَالَ جَرَجَةُ: بِاللَّهِ لَقَدْ صَدَقْتَنِي وَلَمْ تُخَادِعْنِي؟ قَالَ: بِاللَّهِ لَقَدْ صَدَقْتُكَ، وَإِنَّ
পৃষ্ঠা - ৫৩৯২


পিছু সরিয়ে দেয় ৷ তবে বিশেষ রক্ষী বাহিনীকে পারেনি ৷ ওখানে নেতৃত্বে ছিলেন ইকরিমা ইবন
আবু জাহ্ল এবং হারিছ ইবন হিশাম ৷ হযরত খৃালিদ সওয়ারীতে উঠে এগিয়ে গেলেন ৷ তার
সাথে ছিলেন জ্বাজা ৷ রোমান সৈন্যগণ তখন মুসলিম সৈন্যদের ভেতরে ঢুকে গিয়েছে ৷
হযরত খালিদের উপস্থিতিতে মুসলিম সৈন্যগণ ংণ্াৰ্স্পৰ্ ডাকাডাকি করে পাল্টা আক্রমণ
চালায় ৷ রোমানগণ নিজ নিজ অবস্থানে ফিরে যায় ৷ হযরত খালিদ (বা) মুসলিম সৈন্যদের নিয়ে
প্রচণ্ড আক্রমণ চালান ৷ তরবারি’-তরবচারতে সংঘর্ষ শুরু হয় ৷ দুপুর থেকে সুর্যান্তের পুর্বক্ষণ
পর্যন্ত হযরত খালিদ ও জুরজা প্রচণ্ড আক্রমণ অব্যাহত রাখেন ৷ মুসলমানগণ জোহর ও
আসরের নামায আদায় করলেন ইশারায় ৷ জুরজা (র) আহত হলেন এবং শহীদ হলেন ৷ খালিদ
(রা)-এর সাথে উক্ত দৃ’রাকআত ব্যতীত তিনি আর নামায পড়তে পারলেন না ৷ রোমানপণ
ছত্রভঙ্গ হয়ে পড়ল ৷ মুল সৈন্যদল নিয়ে হযরত খালিদ অগ্রসর হলেন ৷ তিনি শত্রু সৈন্য খতম
করে করে রোমানদের মাঝখানে গিয়ে পৌছলেন, তখন রোমানদের সকল অশ্বারােহী পালিয়ে
যায়, মুসলমানপণ নিজেদের ঘোড়া নিয়ে ওদেরকে তাড়া করেন ৷ শেষ পর্যন্ত ওরা সকলে
পালিয়ে যায় ৷ সেদিন মাগরিব ও ইশার নামায বিলম্বিত হয় ৷ বিজয় অর্জনের পর এই দু নামায
আদায় করা হয় ৷ হযরত খালিদ (রা) রোমানদের একটি কাফেলার দিকে এগিয়ে যান ৷ ওরা
ছিল পদাতিক বাহিনী ৷ তিনি তাদের সবাইকে হত্যা করলেন ৷ একজনও অবশিষ্ট রাখেন নি ৷
তাদের পতিত লাশগুলােকে মনে হচ্ছিল ভেঙ্গে পড়া প্রাচীর, ওদের যে সকল অশ্বড়ারোহী পালিয়ে
গিয়েছিল মুসলমানণণ ওদের পেছনে ছুটলেন ৷ হযরত খালিদ ৰীরবিক্রমে ওদের পরিখা
এলাকায় প্রবেশ করলেন ৷
বেচে যাওয়া ণ্রামানগণ রাতের অন্ধকারে ওয়াক ওয়াসায়’ গিয়ে পৌছে ৷ একই রশিতে
ৰীধা কয়েদিদেরকে যখন সরিয়ে নেয়া হচ্ছিল তখন একজন পরিখার মধ্যে পড়ে গেলে তার
সাথে যারা ছিল তারাও পড়ে যাচ্ছিল ৷ ইবন জারীর ও অন্যরা বলেছেন যে, ওইদিন পরিখার
মধ্যে পড়ে ওদের এক লাখ বিশ হাজার সৈন্য নিহত হয়েছিল ৷ এগুলো হলো যুদ্ধ ক্ষেত্রে
নিহতদের অতিরিক্ত ৷ ইয়ারমুক যুদ্ধের এই দিনে মুসলিম মহিলাগণও যুদ্ধ করেছেন ৷ তারা বহু
রোমান সৈন্যকে হত্যা করেছেন ৷ মুসলিম সৈন্যদের মধ্যে যারা পালিয়ে যেতে চেয়েছিল
মহিলাগণ ওদেরকেও প্রহার করেছেন আর বলেছেন, আমাদেরকে নাস্তিকদের হাতে ছেড়ে
তোমরা কোথায় যাচ্ছ :’ ওদের ধমক শুনে কোন মুসলমান সৈন্যই পালাতে পারেনি ৷ বরং যুদ্ধ
ক্ষেত্রে ফিরে এসেছে ৷ —
কায়কালান নিজে এবং বড় বড় রোমান নেতৃবৃন্দ জমকালো শিরত্রাণ ও মুকুট পরিধান করে
বীরত্বের সাথে বের হয় ৷ তারা বলেছিল যে, খ্রিস্ট ধর্ম যদি আমরা রক্ষা করতে না পারি তাহলে
খ্রিক্ট ধর্মে অবিচল থেকে মরে যাওয়ইি ভাল ৷ অবিলম্বে মুসর্লমানগণ তাদের উপর আক্রমণ করে
এবং সকলকে হত্যা করে ৷ ঐতিহাসিকগণ বলেন যে, ওই দিন তিন হাজার মুসলমান শহীদ
হয়েছিলেন ৷ তাদের মধ্যে ছিলেন ইকরিমা (রা) , তার পুত্র আমর, সালড়ামা ইবন হিশাম, অড়ামর
ইবন সাঈদ, আবান ইবন সাঈদ ৷ খালিদ ইবন সাঈদ যুদ্ধে অবিচল ছিলেন তবে শেষ পর্যন্ত
তার পরিণতি কি হয়েছে তা জানা যায়নি ৷ ওই যুদ্ধে আরো শহীদ হয়েছেন দিরার ইবন
আযওয়ার, হিশাম ইবন অসে, আমর ইবন তুফায়ল ইবন আমর দাওসী ৷ ইয়ামামা যুদ্ধের দিনে

আলবিদয়ো — ৫


اللَّهَ وَلِيُّ مَا سَأَلَتْ عَنْهُ. فَعِنْدَ ذَلِكَ قَلَبَ جَرَجَةُ التُّرْسَ وَمَالَ مَعَ خَالِدٍ، وَقَالَ: عَلِّمْنِي الْإِسْلَامَ. فَمَالَ بِهِ خَالِدٌ إِلَى فُسْطَاطِهِ، فَشَنَّ عَلَيْهِ قِرْبَةً مِنْ مَاءٍ، ثُمَّ صَلَّى بِهِ رَكْعَتَيْنِ، وَحَمَلَتِ الرُّومُ مَعَ انْقِلَابِهِ إِلَى خَالِدٍ وَهُمْ يَرَوْنَ أَنَّهَا مِنْهُ حَمْلَةٌ، فَأَزَالُوا الْمُسْلِمِينَ عَنْ مَوَاقِفِهِمْ إِلَّا الْمُحَامِيَةَ، عَلَيْهِمْ عِكْرِمَةُ بْنُ أَبِي جَهْلٍ وَالْحَارِثُ بْنُ هِشَامٍ، فَرَكِبَ خَالِدٌ وَجَرَجَةُ مَعَهُ، وَالرُّومُ خِلَالَ الْمُسْلِمِينَ، فَتَنَادَى النَّاسُ وَثَابُوا وَتَرَاجَعَتِ الرُّومُ إِلَى مَوَاقِفِهِمْ، وَزَحَفَ خَالِدٌ بِالْمُسْلِمِينَ حَتَّى تَصَافَحُوا بِالسُّيُوفِ، فَضَرَبَ فِيهِمْ خَالِدٌ وَجَرَجَةُ مِنْ لَدُنِ ارْتِفَاعِ النَّهَارِ إِلَى جُنُوحِ الشَّمْسِ لِلْغُرُوبِ، وَصَلَّى الْمُسْلِمُونَ صَلَاةَ الظُّهْرِ وَصَلَاةَ الْعَصْرِ إِيمَاءً، وَأُصِيبَ جَرَجَةُ، رَحِمَهُ اللَّهُ وَلَمْ يُصَلِّ لِلَّهِ إِلَّا تِلْكَ الرَّكْعَتَيْنِ مَعَ خَالِدٍ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا، وَتَضَعْضَعَتِ الرُّومُ عِنْدَ ذَلِكَ، ثُمَّ نَهَدَ خَالِدٌ بِالْقَلْبِ حَتَّى صَارَ فِي وَسَطِ خُيُولِ الرُّومِ، فَعِنْدَ ذَلِكَ هَرَبَتْ خَيَّالَتُهُمْ، وَاشْتَدَّتْ بِهِمْ فِي تِلْكَ الصَّحْرَاءِ، وَأَفْرَجَ الْمُسْلِمُونَ بِخُيُولِهِمْ حَتَّى ذَهَبُوا، وَأَخَّرَ النَّاسُ صَلَاتَيِ الْعِشَاءِ حَتَّى اسْتَقَرَّ الْفَتْحُ وَعَمَدَ خَالِدٌ إِلَى رَجْلِ الرُّومِ - وَهُمُ الرَّجَّالَةُ - فَفَصَلُوهُمْ عَنْ آخِرِهِمْ، حَتَّى صَارُوا كَأَنَّهُمْ حَائِطٌ قَدْ هُدِمَ، ثُمَّ تَبِعُوا مَنْ فَرَّ مِنَ الْخَيَّالَةِ، وَاقْتَحَمَ خَالِدٌ عَلَيْهِمْ خَنْدَقَهُمْ، وَجَاءَ الرُّومُ فِي ظَلَامِ اللَّيْلِ إِلَى الْوَاقُوصَةِ، فَجَعَلَ الَّذِينَ تَسَلْسَلُوا وَقَيَّدُوا بَعْضَهُمْ بِبَعْضٍ إِذَا سَقَطَ وَاحِدٍ مِنْهُمْ سَقَطَ الَّذِينَ مَعَهُ. قَالَ ابْنُ جَرِيرٍ وَغَيْرُهُ: فَسَقَطَ فِيهَا وَقُتِلَ عِنْدَهَا مِائَةُ أَلْفٍ وَعِشْرُونَ أَلْفًا سِوَى مَنْ قُتِلَ فِي الْمَعْرَكَةِ.
পৃষ্ঠা - ৫৩৯৩


তার বাবা যে স্বপ্ন দেখেছিলেন আল্লাহ তাআলা ওই স্বপ্ন বাস্তবায়িত করে দিলেন ৷ ওই দিন বহু
লোক ক্ষতিগ্রস্ত হয়ােছে ৷ সেদিন আমর ইবন অড়াসসহ চারজন পরাজিত হয়ে পেছনে চলে
যাচ্ছিলেন ৷ পেছনে অবস্থানকারী মহিলাদের নিকট আসার পর মহিলাগণ তাদেরকে ধমক দেয়
ও তিরস্কার করে ৷ ফলে তারা মুল যুদ্ধক্ষেত্রে ফিরে যান ৷ শুরাহ্ৰীল ইবন হাসান৷ এবং তার
সাথীরাও পালিয়ে যাচ্ছিলেন ৷ পরবর্তীতে তারা ফিরে আসেন যুদ্ধক্ষেত্রে, যখন তাদের সেনাপতি

তাদেরকে নসীহত করেন উপদেশ দেন ৷ তাদের সেনাপতি উপদেশ দানকালে কুরআন
মজীদের এই আয়াতের উদ্ধৃতি ৫দনং

৷ ৰুএপু ৷


১দ্দৌ ৷
আল্লাহ মু ’মিনদের নিকট হতে তাদের জীবন ও সম্পদ ক্রয় করে নিয়েছেন, তাদের জন্যে
জান্নাত আছে এর বিনিময়ে ৷ তারা আল্লাহর পথে স ৎগ্ৰাম করে, নিধন করে ও নিহত হয় ৷
তাওরাত, ইনৃজীল ও কুরআনে এই সম্পর্কে তাদের দৃঢ় প্রতিশ্রুতি ৩রয়েছে ৷ নিজ প্রতিজ্ঞা পালনে
আল্লাহ অপেক্ষা শ্রেষ্ঠতর কে আছে : তে আমরা যে সওদা করেছ সেই সওদার জন্যে আনন্দ কর
এবং সেটিই মহাসাফল্য ৷ (সুরা ৯, তাওবা ১১১)
ইয়াযীদ ইবন আবু সুফিয়ান ওই যুদ্ধে সুদৃঢ় এবং অবিচল ছিলেন ৷ তিনি সেদিন ভীষণ যুদ্ধ
করেছেন, তার বাবা সেদিন তার নিকট গিয়ে বলেছিলেন, ণ্পুত্র! অবশ্যই আল্লাহর তাকওয়া
অবলম্ব করবে এবং ধৈর্যধারণ করবে ৷ কারণ এখন এই ময়দানে এমন কোন মুসলমান নেই, যে
যুদ্ধ দ্বারা পরিবেষ্টিত নয় ৷ তাহলে তুমি সহ তোমার মত অন্যান্য দায়িত্বশীল নেতাদের কী
ভুমিকা পালন করা দরকার ? তারা-ই তো ধৈর্যধারণ ও উপদেশ গ্রহণে অধিকতর উপযুক্ত ৷
সুতরাং হে পুত্র! আল্পাহ্কে ভয় কর ৷ আর সওয়াব অর্জন, যুদ্ধে ধৈর্যধারণ এবং শত্রুর বিরুদ্ধে
দৃসোহসী অভিযান পরিচালনায় তোমার কোন সাথী যেন তোমার চেয়ে অধিক উদ্যমী ও
অগ্রগামী হতে না পারে ৷ ইয়াযীদ বললেন, ইনশাআল্পাহ্, আমি তা করব ৷’ সেদিন তিনি প্রচণ্ড
যুদ্ধ চালিয়েছিলেন ৷ তিনি মুল বাহিনীর একপাশে দায়িত্ব পালনকারী ছিলেন ৷
সাঈদ ইবন মুসায়্যাব৩ তার পিতা থেকে বর্ণনা করেছেন, তিনি বলেছেন যে, ইয়ারমুক
দিবসে প্রচণ্ড হৈ-চৈ, ভৈররৈ শব্দ সৃষ্টি হয়েছিল ৷ তখন আমরা একটি আহ্বান শুনলাম ৷ ওই
আহ্বান প্রায় সকল মুসলিম সেনা শুনেছে ৷ বলা হচ্ছিল, ওহে আল্লাহর সাহায্য; নিকটবর্তী হও ৷
ওহে মুসলিম সৈন্য বাহিনী স্থির থাক, অবিচল থাক ৷ বর্ণনাকারী বলেন, আমি তাকিয়ে দেখলাম
ওই আহ্বানকারী হলেন আবু সুফিয়ান ৷ তিনি তার পুত্র ইয়াষীদের পতাকার নিচেশ্ অবস্থান
করছিলেন ৷
ন্ হযরত খালিদ (রা) ওই রাত পুরোটাই অতিবাহিত করেছেন তাযারুক’-এর র্তীৰুতে
তাযারুক হলো হিরাক্লিয়াসের ভাই ৷ সকল রোমান সৈন্যের সে ছিল সর্বাধিনায়ক, পলায়নকারী


وَقَدْ قَاتَلَ نِسَاءُ الْمُسْلِمِينَ فِي هَذَا الْيَوْمِ، وَقَتَلُوا خَلْقًا كَثِيرًا مِنَ الرُّومِ. وَكُنَّ يَضْرِبْنَ مَنِ انْهَزَمَ مِنَ الْمُسْلِمِينَ وَيَقُلْنَ: أَيْنَ تَذْهَبُونَ وَتَدَعُونَنَا لِلْعُلُوجِ؟ ! فَإِذَا زَجَرْنَهُمْ لَا يَمْلِكُ أَحَدٌ نَفْسَهُ حَتَّى يَرْجِعَ إِلَى الْقِتَالِ. قَالَ: وَتَجَلَّلَ الْقَيْقَلَانُ وَأَشْرَافٌ مِنْ قَوْمِهِ مِنَ الرُّومِ بِبَرَانِسِهِمْ، وَقَالُوا: إِذَا لَمْ نَقْدِرْ عَلَى نَصْرِ دِينِ النَّصْرَانِيَّةِ، فَلْنَمُتْ عَلَى دِينِهِمْ. فَجَاءَ الْمُسْلِمُونَ فَقَتَلُوهُمْ عَنْ آخِرِهِمْ. قَالُوا: وَقُتِلَ فِي هَذَا الْيَوْمِ مِنَ الْمُسْلِمِينَ ثَلَاثَةُ آلَافٍ؛ مِنْهُمْ عِكْرِمَةُ وَابْنُهُ عَمْرٌو، وَسَلَمَةُ بْنُ هِشَامٍ، وَعَمْرُو بْنُ سَعِيدٍ، وَأَبَانُ بْنُ سَعِيدٍ - وَأُثْبِتَ خَالِدُ بْنُ سَعِيدٍ فَلَا يُدْرَى أَيْنَ ذَهَبَ، وَضِرَارُ بْنُ الْأَزْوَرِ - وَهِشَامُ بْنُ الْعَاصِ وَعَمْرُو بْنُ الطُّفَيْلِ بْنِ عَمْرٍو الدَّوْسِيُّ، وَحَقَّقَ اللَّهُ رُؤْيَا أَبِيهِ يَوْمَ الْيَمَامَةِ. وَقَدِ انْكَشَفَ فِي هَذَا الْيَوْمِ جَمَاعَةٌ مِنَ النَّاسِ ; انْهَزَمَ عَمْرُو بْنُ الْعَاصِ فِي أَرْبَعَةٍ، حَتَّى وَصَلُوا إِلَى النِّسَاءِ، ثُمَّ رَجَعُوا حِينَ زَجَرَهُمُ النِّسَاءُ، وَانْكَشَفَ شُرَحْبِيلُ ابْنُ حَسَنَةَ وَأَصْحَابُهُ، ثُمَّ تَرَاجَعُوا حِينَ وَعَظَهُمُ الْأَمِيرُ بِقَوْلِهِ تَعَالَى: {إِنَّ اللَّهَ اشْتَرَى مِنَ الْمُؤْمِنِينَ أَنْفُسَهُمْ وَأَمْوَالَهُمْ} [التوبة: 111] الْآيَةَ [التَّوْبَةِ: 111] . وَثَبَتَ يَوْمَئِذٍ يَزِيدُ بْنُ أَبِي سُفْيَانَ، وَقَاتَلَ قِتَالًا شَدِيدًا، وَذَلِكَ أَنَّ أَبَاهُ مَرَّ بِهِ فَقَالَ
পৃষ্ঠা - ৫৩৯৪


রোমান সৈন্যদের সাথে সর্বাধিনায়ক তাযারুকও পলায়ন করেছিল ৷ মুসলিম অশ্বারােহী সৈ-ণ্ারড়া
হযরত থালিদ (রা) এর র্তাবুর সম্মুখে বীরদর্পে টহল দিচ্ছিল ৷ ওইপথে যাতায়াতকারী সকল
রোমান সৈন্যকে তারা হত্যা করছিল ৷ ভোর পর্যন্ত তারা এভাবে অভিযান পরিচালনা করে ৷
শেষ পর্যন্ত তাযারুক নিহত হয় ৷ তার ৩০টি র্তাবু ও ৩০টি বিলাসবহুল আসন ছিল ৷ ওই
সবগুলোর বিছানাপত্র ছিল রেশমের তৈরি ৷ সকাল বেলা মুসলমান সৈন্যগণ গনীমতের মাল
সংগ্রহে লিপ্ত হয় ৷ প্রচুর ধনসষ্ন্াদ তারা হস্তপত করেন ৷ ইতিমধ্যে হযরত খালিদ (রা)
তাদেরকে হযরত আবু বকর সিদ্দীক (রা)-এর ওফাতের সংবাদ জানান ৷ খলীফা আবু বকর
(রা)-এর ইনৃতিকালে তারা যে ব্যথিত ও মর্মাহত হয়েছে গনীমতলব্ধ বহু ধন-সম্পদ প্রাপ্তির
আনন্দ ওই ব্যথাকে দুর করতে পারেনি ৷ বন্তুত হযরত আবু বকর (রড়া)-এর স্থলে আল্লাহ
তাআলা তাদের জন্যে হযরত উমর (রা)-কে মনোনীত করে দিয়েছেন এই ছিল সান্তুনা ৷
হযরত আবু বকর (রা)-এর বিদায় ব্যথায় মুসলমানগণ যখন , শ্যেকাহত্বত তখন হযরত
থালিদ (রা) বললেন, সকল প্রশংসা মহান আল্লাহ্র যিনি হযরত আবু রকরের জন্যে মৃত্যুর
ফায়সালা করে দিয়েছেন ৷ তিনি আমার নিকট হযরত উমর অপেক্ষা অধিকতর প্রিয় ছিলেন
এবং সকল প্রশংসা মহান আল্লাহ্র, যিনি হযরত উমর (রা)-কে শাসনকর্তারুপে মনোনীত ,
করেছেন ৷ হযরত উমর (বা) আমার নিকট আবু বকর (রা)-এর অপেক্ষা কম প্রিয় ছিলেন ৷
এখন তাকে ভালবাসা অত্ত্বল্লাহ্ তাআলা আমার জন্যে বাধ্যতামুলক করে দিয়েছেন ৷
রোমানদের মধ্যে যারা পালিয়ে গিয়েছিল সেনাপতি থালিদ (রা) তাদেরকে ধাওয়া
করলেন ৷ ওদেরকে তাড়া করতে করতে তিনি দামেশৃক পর্যন্ত গিয়ে পৌছলেন ৷ দামেশকের
অধিবাসীগণ তার নিকট এসে উপস্থিত হয় ৷ তারা বলল, আমরা কি আমাদের অঙ্গীকার ও
সন্ধির উপর বিদ্যমান নেই? হযরত খালিদ (রা) বললেন, “হয়; তা তাে আছই ৷ ’ এরপর তিনি
রোমানদেরকে তাড়িয়ে নিয়ে ছানিয়াতৃল উকাব পর্যন্ত পৌছেন ৷ তিনি ওদের বহু লোককে
ওখানে হত্যা করেন ৷ তারপর তিনি ওদের পেছনে যেতে যেতে হিমৃস পর্যন্ত পৌছে যান ৰু
সেখানকার অধিবাসিগণ তার নিকট উপস্থিত হয় ৷ তিনি ওদের সাথে সন্ধি চুক্তি স্থাপন করেন ;:
যেমন সন্ধি স্থাপন করেছিলেন দামেশৃকের অবিশ্বাসীদের সাথে ৷ অন্যদিকে সেনাপতি আবু
উৰায়দা ইয়াস ইবন গানবামকেপ্প্রেরণ করেন রোমানদের তাড়া করতে ৷ ইয়ায ইবন গানাম
ওদেরকে তাড়া করতে করতে মালতিয়া পর্যন্ত পৌছেন এবং তাদের সাথে সন্ধির চুক্তিতে
আবদ্ধ হন ৷ পরে তিনি ফিরে যান ৷ রােমানগণ পালিয়ে গিয়ে হিরাক্লিয়াস-এর নিকট এ সংবাদ
দিলে তিনি সেনাবাহিনী মালতিয়াকে জ্বালিয়ে দেয়ার নির্দেশ দেন ৷ হিরাক্লিয়াস তখন অবন্থন্নঃ
ৰুৰুছিলেন হিম্ন অঞ্চলে ৷ মুসলমানগণ তখনো ওদেরকে তাড়া করছিলেন এবং হত্যা ও বন্দী
ৰ্দুব্ৰ তাদের ধন-সম্পদ হস্তগত করছিলেন ৷ হিরাক্লিয়াসের নিকট এই সংবাদ পৌছে ৷ তিনি
রুিস ছেড়ে চলে যান ৷ হিন্দ-এর দখল ছেড়ে দিয়ে তিনি এটিকে মুসলমানদের আক্রমণ থেকে
প্লিক রক্ষা করার উপায় হিসেবে গণ্য করেছিলেন ৷ হিরাক্লিয়াস বলেছিলেন, সিরিয়া আর
ক্ষ সিরিয়া নেই ৷ আর অশুভ সিরিয়ার নন্তানরা রোমানদের জন্যে দুর্ভোপ বয়ে এসেছে ৷

ইয়ারমুক যুদ্ধের দিনে যে সকল কবিতা আবৃত্তি করা হয়েছে তার একটি হলো কাকা ইবন
মোঃ কবিতা ৷ তিনি বলেছেন :


لَهُ: يَا بُنَيَّ، عَلَيْكَ بِتَقْوَى اللَّهِ وَالصَّبْرِ ; فَإِنَّهُ لَيْسَ رَجُلٌ بِهَذَا الْوَادِي مِنَ الْمُسْلِمِينَ إِلَّا مَحْفُوفًا بِالْقِتَالِ، فَكَيْفَ بِكَ وَبِأَشْبَاهِكَ الَّذِينَ وُلُّوا أُمُورَ الْمُسْلِمِينَ؟ أُولَئِكَ أَحَقُّ النَّاسِ بِالصَّبْرِ وَالنَّصِيحَةِ، فَاتَّقِ اللَّهَ يَا بُنَيَّ، وَلَا يَكُونَنَّ أَحَدٌ مِنْ أَصْحَابِكَ بَأَرْغَبَ فِي الْأَجْرِ وَالصَّبْرِ فِي الْحَرْبِ، وَلَا أَجْرَأَ عَلَى عَدُوِّ الْإِسْلَامِ مِنْكَ، فَقَالَ: أَفْعَلُ إِنْ شَاءَ اللَّهُ. فَقَاتَلَ يَوْمَئِذٍ قِتَالًا شَدِيدًا، وَكَانَ مِنْ نَاحِيَةِ الْقَلْبِ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ. وَقَالَ سَعِيدُ بْنُ الْمُسَيِّبِ، عَنْ أَبِيهِ قَالَ: هَدَأَتِ الْأَصْوَاتُ يَوْمَ الْيَرْمُوكِ فَسَمِعْنَا صَوْتًا يَكَادُ يَمْلَأُ الْعَسْكَرَ يَقُولُ: يَا نَصْرَ اللَّهِ اقْتَرِبْ، الثَّبَاتَ الثَّبَاتَ يَا مَعْشَرَ الْمُسْلِمِينَ. قَالَ: فَنَظَرْنَا فَإِذَا هُوَ أَبُو سُفْيَانَ تَحْتَ رَايَةِ ابْنِهِ يَزِيدَ. . وَأَكْمَلَ خَالِدٌ لَيْلَتَهُ فِي خَيْمَةِ تَذَارِقَ أَخِي هِرَقْلَ، وَهُوَ أَمِيرُ الرُّومِ كُلِّهِمْ يَوْمَئِذٍ، هَرَبَ فِيمَنْ هَرَبَ، وَبَاتَتِ الْخُيُولُ تَجُولُ نَحْوَ خَيْمَةِ خَالِدٍ يَقْتُلُونَ مَنْ مَرَّ بِهِمْ مِنَ الرُّومِ حَتَّى أَصْبَحُوا، وَقُتِلَ تَذَارِقُ، وَكَانَ لَهُ ثَلَاثُونَ سُرَادِقًا وَثَلَاثُونَ رُوَاقًا مِنْ دِيبَاجٍ بِمَا فِيهَا مِنَ الْفُرُشِ وَالْحَرِيرِ، فَلَمَّا كَانَ الصَّبَاحُ حَازُوا مَا كَانَ هُنَالِكَ مِنَ الْغَنَائِمِ، وَمَا فَرِحُوا بِمَا وَجَدُوا بِقَدْرِ حُزْنِهِمْ عَلَى الصِّدِّيقِ حِينَ أَعْلَمَهُمْ خَالِدٌ بِذَلِكَ، وَلَكِنْ عَوَّضَهُمُ اللَّهُ بِالْفَارُوقِ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ. وَقَالَ خَالِدٌ حِينَ عَزَّى الْمُسْلِمِينَ فِي الصِّدِّيقِ: الْحَمْدُ لِلَّهِ الَّذِي قَضَى عَلَى أَبِي بَكْرٍ بِالْمَوْتِ وَكَانَ أَحَبَّ إِلَيَّ مِنْ عُمَرَ، وَالْحَمْدُ لِلَّهِ الَّذِي وَلَّى عُمَرَ وَكَانَ أَبْغَضَ إِلَيَّ مِنْ أَبِي بَكْرٍ، وَأَلْزَمَنِي حُبَّهُ.
পৃষ্ঠা - ৫৩৯৫


তুমি কি আমাদেরকে দেখনি যে, আমরা ইয়ারমুক যুদ্ধে জয়ী হয়েছি ৷ যেমন জয়ী
হয়েছিলাম ইরাক যুদ্ধে ৷

৷া,;গ্র
মাদায়েন-এর রাজ্যগুলো আমরা জয় করেছি ৷ সুদক্ষ অশ্ববাছিনী দিয়ে আমরা মারজ-আল
সাফর’ এলাকাও জয় করেছি ৷
ইতিপুর্বে আমরা বুসরা জয় করেছি ৷ সেটি ছিল কাক রঙের হাবশীদের দখলে ৷

০ :

আমাদেরকে বাধা দেয়ার জন্যে র্দাড়িয়েছিল যারা আমরা তাদের সকলকে হত্যা করেছি ৷

ভীক্ষ্ণধার তরবারির মাধ্যমে ওদেরক নিশ্চিহ্ন করে দেয়ার মত সাহসী যোদ্ধা আছে আমাদের
মধ্যে ৷

০ :

আমরা রামানদেরকে হত্যা করেছি ৷ ইয়ারমুকর যুদ্ধে ওরা সামান্যতমণ্ড প্রতিরোধ সৃষ্টি
করতে পারেনি ৷

fi ’


ওরা যখন ওয়াকওয়াস অঞ্চলে পর্বের সাথে ঘোরাঘুরি করছিল তখন সুভীক্ষ্ণ তরবারির
আঘাতে আমরা ওদের সমাবশক ছত্রভঙ্গ করে দিই ৷

ওই ভোরে তারা মাটিতে লুটিয়ে পডেছিল ৷ তারপর তারা এমন এক পরিস্থিতিতে
পৌছেছিল, যার স্বাদ খুব৩ তিক্ত ৷
ইয়ারমুক যুদ্ধের দিন আসওয়াদ ইবন মুকাররিন তামীমী নিম্নের কবিতা আবৃত্তি করেজ্জিং





× : —

এই যুদ্ধে আমর ইবন আস বলেছিলেন ং

০ — : —

যুদ্ধের জন্যে যোগ্য সম্প্রদায় হলো লাখম ও জুযাম সম্প্রদায় ৷ আমরা আর রামানগণ
মারজ’ নামক স্থানে মুখোমুখি তরবারি বিনিময় করছি ৷


وَقَدِ اتَّبَعَ خَالِدٌ مَنِ انْهَزَمَ مِنَ الرُّومِ حَتَّى وَصَلَ إِلَى دِمَشْقَ، فَخَرَجَ إِلَيْهِ أَهْلُهَا فَقَالُوا: نَحْنُ عَلَى عَهْدِنَا وَصُلْحِنَا؟ قَالَ: نَعَمْ. ثُمَّ اتَّبَعَهُمْ إِلَى ثَنِيَّةِ الْعُقَابِ، فَقَتَلَ مِنْهُمْ خَلْقًا كَثِيرًا، ثُمَّ سَاقَ وَرَاءَهُمْ إِلَى حِمْصَ، فَخَرَجَ إِلَيْهِ أَهْلُهَا فَصَالَحَهُمْ كَمَا صَالَحَ أَهْلُ دِمَشْقَ، وَبَعَثَ أَبُو عُبَيْدَةَ عِيَاضَ بْنَ غَنْمٍ وَرَاءَهُمْ أَيْضًا، فَسَاقَ حَتَّى وَصَلَ مَلَطْيَةَ فَصَالَحَهُ أَهْلُهَا وَرَجَعَ، فَلَمَّا بَلَغَ هِرَقْلَ ذَلِكَ بَعَثَ إِلَى مُقَاتِلِيهَا فَحَضَرُوا بَيْنَ يَدَيْهِ، وَأَمَرَ بِمَلَطْيَةَ فَحُرِقَتْ، وَانْتَهَتِ الرُّومُ مُنْهَزِمَةً إِلَى هِرَقْلَ وَهُوَ بِحِمْصَ، وَالْمُسْلِمُونَ فِي آثَارِهِمْ يَقْتُلُونَ وَيَأْسِرُونَ وَيَغْنَمُونَ، فَلَمَّا وَصَلَ الْخَبَرُ إِلَى هِرَقْلَ ارْتَحَلَ مِنْ حِمْصَ، وَجَعَلَهَا بَيْنَهُ وَبَيْنَ الْمُسْلِمِينَ، وَتَرَّسَ بِهَا، وَقَالَ هِرَقْلُ: أَمَّا الشَّامُ فَلَا شَامَ، وَوَيْلٌ لِلرُّومِ مِنَ الْمَوْلُودِ الْمَشْئُومِ. وَمِمَّا قِيلَ مِنَ الْأَشْعَارِ فِي يَوْمِ الْيَرْمُوكِ قَوْلُ الْقَعْقَاعِ بْنِ عَمْرٍو: أَلَمْ تَرَنَا عَلَى الْيَرْمُوكِ فُزْنَا ... كَمَا فُزْنَا بِأَيَّامِ الْعِرَاقِ فَتَحْنَا قَبْلَهَا بُصْرَى وَكَانَتْ ... مُحَرَّمَةَ الْجَنَابِ لَدَى الْبُعَاقِ وَعَذْرَاءَ الْمَدَائِنِ قَدْ فَتَحْنَا ... وَمَرَجَ الصُّفَّرَيْنِ عَلَى الْعِتَاقِ قَتَلْنَا مَنْ أَقَامَ لَنَا وَفِينَا ... نِهَابُهُمُ بِأَسْيَافٍ رِقَاقِ قَتَلْنَا الرُّومَ حَتَّى مَا تُسَاوِي ... عَلَى الْيَرْمُوكِ ثُفْرُوقَ الْوِرَاقِ
পৃষ্ঠা - ৫৩৯৬

াট্রুট্রুটুছুঠু ছু,র্চুপ্

ওরা ওখানে ফিরে এলেও আমরা ওদের সাথে সহ অবস্থান মেনে বের না ৷ বরং ওদের
পলায়নকারী সৈন্যদেরকে আমরা প্রচণ্ড তরবাবি-আঘাতে ধ্বংস করে দিব ৷

আহমদ ইবন মারওয়ান মালিকী তার নিয়মিত বৈঠকে বর্ণনা করেছেন যে, আবু ইসমাঈল
তিরমিষী আবু ইসহাক থােক বর্ণিত ৷ তিনি বলেছেন, রাসুলুল্লাহ্পু, এর সাহাবিগণ এমন
ছিলেন যে , তাদের মুকাবিলায় দত্ত ৷য়মান শত্রুগণ আক্রমণের মুখে সামান্য সময়ও টিকে থাকতে
পারত না ৷ এক সময় হিরাক্লিয়াস অবন্থ ন করছিলেন ইনতাকিয়া গ্রামে ৷ তখন রােমানগণ
পরাজিত হয়ে তার নিকট এসে একত্রিত ৩হয় ৷ তিনি তাদেরকে বলেছিলেন, তােদের সর্বনাশ
হোক! বলভাে, যারা তােমাদেরকে হত্যা করেছে, তোমাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে বিজয়ী হচ্ছে
ওরা কি তোমাদের মত মানুষ নয় ? ওরা বলল, হীড়া মানুষই তাে ৷ তিনি বললেন, সংহুখ্যায় ওরা
বেশি না তোমরা ?’ ওরা বলল, বরং আমরইি বেশি ৷ সর্বক্ষে’ত্রে আমাদের সংখ্যা ওদের চেয়ে
বহুগুণ বেশি ৷ তিনি বললেন তাহলে কী হলো যে, তোমরা একের পর এক পরাজয় বরণ
করছ? তখন ওদের জনৈক প্রধান ও বিজ্ঞ লোক বলেছিল, আমাদের পরাজয় আর ওদের বিজয়
এজন্যে যে, ওরা রাতভর ইরাদত-বন্দেগী করে আর দিনভর রোযা রাখে ৷ ওরা প্রতিশ্রুতি পালন
করে, সৎ কাজের নির্দেশ দেয় ৷ অসৎ কাজে ধারণ করে, নিজেদের মধ্যে ইনসাফ ও ন্যায়
বিচার প্রতিষ্ঠা করে ৷ অন্যদিকে আমরা রোমানগণ মদ পান করি, ব্যভিচারে লিপ্ত হই, হারামষ্ শ্ন্
অবৈধ কাজ কবি, অঙ্গীকড়ার৩ ভঙ্গ করি, রাগাম্বিত হই এবং জুলুম বেইনসাফী করি ৷ আল্লাহর
অপছন্দ বিষয় বাস্তবায়নের নির্দেশ দিই ৷ আল্লাহ যাতে সন্তুষ্ট তা থেকে নিজেরাও বিরত থাকি
অন্যকেও বিরত রাখি ৷ আর আমরা পৃথিবীতে বিপর্যয় ও অশান্তি সৃষ্টি করি ৷ এ প্রেক্ষিতে
হিরাক্লিয়াস বললেন, আপনি আমাকে ঠিক থ্যটিইত দিয়েছেন ৷

ওয়ালীদ ইবন মুসলিম বলেছেন, ইয়াহ্য়া ইবন ইয়াহ্য়া পাসৃসানীর বর্ণনা শুনেছেন এমন
জনৈক ব্যক্তি আমাকে জানিয়েছেন যে , ইয়াহ্য়া ইবন ইয়াহ্য়া গাস্সানী তার সম্প্রদায়ের দুজন
লোক থােক বর্ণনা করেছেন যে , মুসলমানগণ যখন জর্ডানের এক প্রান্তে এসে পৌছলেন তখন
আমরা দুজনে নিজেদের মধ্যে আলোচনা করলাম যে, অবিলম্বে দামেশৃক অবরোধ করা হবে ৷
তাই অবন্থরাধ করার পুর্বে আমরা অন্যত্র চলে যাচ্ছিলাম ৷ এমন সময় দামেশকের খ্রিস্টান শাসক
আমাদেরকে ডেকে পাঠায় ৷ আমরা দু জনতার নিকট যাই ৷ সে বলল, আপনারা কি আরব
লোক ?’ আমরা বললাম, হ্যা, তাই’ ৷ সে বলল, আপনারা খ্রিস্টান ৷ আমরা বললাম, হ্যা’ ৷
সে বলল, আপনাদের দু’জনের একজন সদ্যাগত মুসলমান লোকদের নিকট গিয়ে গোপন তথ্য
নিয়ে আসবেন ৷ ওদের জীবনাচার ও মতাদর্শ সম্পর্কে গোপনে জেনে নিবেন ৷ অন্যজন নিজ
সাথীৱ মালপত্র রক্ষা করবেন ৷ আমাদের একজন তাই করল ৷ সে কিছুক্ষণ মুসলমানদের নিকট
অবস্থান করে শাসকের নিকট ফিরে আসল ৷ ওদের তথ্য সম্পর্কে যে বলল, আমি ফিরে এসেছি
এমন একদল লোকের নিকট থেকে যারা হালকা-পাতলা দেহ বিশিষ্ট ৷ ৫তজী অশ্বে আরোহণে
ৰ্ত্যস্ত ৷ রাতের বেলায় তারা ইবাদতকারী, দিনের বেলায় অশ্বরোহী ৷ তারা নিজেরা বর্শা তৈরি
করে এবং যার দেয় ৷ তারা নিজেরা তীর বানায় ৷ ওরা এত উভৈতঃস্বরে কুরআন পাঠ ও যিক্র ,
করে যে, আপনি যদি যেখানে আপনার সাথীকে কোন কথা বলেন ওদের শব্দের কারণে সে


فَضَضْنَا جَمْعَهُمْ لَمَّا اسْتَحَالُوا عَلَى الْوَاقُوصِ بِالْبُتْرِ الرِّقَاقِ ... غَدَاةَ تَهَافَتُوا فِيهَا فَصَارُوا إِلَى أَمْرٍ يُعَضِّلُ بِالذَّوَاقِ وَقَالَ الْأَسْوَدُ أَبُو مُفَزِّرٍ التَّمِيمِيُّ: وَكَمْ قَدْ أَغَرْنَا غَارَةً بَعْدَ غَارَةٍ ... وَيَوْمًا وَيَوْمًا قَدْ كَشَفْنَا أَهَاوِلَهْ وَلَوْلَا رِجَالٌ كَانَ حَشْوُ غَنِيمَةٍ ... لَدَى مَأْقَطٍ رَجَّتْ عَلَيْنَا أَوَائِلُهْ لَقِينَاهُمُ الْيَرْمُوكَ لَمَّا تَضَايَقَتْ ... بِمَنْ حَلَّ بِالْيَرْمُوكِ مِنْهُ حَمَائِلُهْ فَلَا يَعْدَمَنْ مِنَّا هِرَقْلُ كَتَائِبًا ... إِذَا رَامَهَا رَامَ الَّذِي لَا يُحَاوِلُهْ وَقَالَ عَمْرُو بْنُ الْعَاصِ: الْقَوْمُ لَخْمٌ وَجُذَامٌ فِي الْحَرِبْ ... وَنَحْنُ وَالرُّومُ بِمَرْجٍ نَضْطَرِبْ فَإِنْ يَعُودُوا بَعْدَهَا لَا نَصْطَحِبْ ... بَلْ نَعْصِبُ الْفُرَّارَ بِالضَّرْبِ الْكَلِبْ وَرَوَى أَحْمَدُ بْنُ مَرْوَانَ الْمَالِكِيُّ فِي " الْمُجَالَسَةِ " ثَنَا أَبُو إِسْمَاعِيلَ التِّرْمِذِيُّ، ثَنَا مُعَاوِيَةُ بْنُ عَمْرٍو، عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ: كَانَ أَصْحَابُ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَا
পৃষ্ঠা - ৫৩৯৭
يَثْبُتُ لَهُمُ الْعَدُوُّ فُوَاقَ نَاقَةٍ عِنْدَ اللِّقَاءِ. فَقَالَ هِرَقْلُ وَهُوَ عَلَى أَنْطَاكِيَةَ لَمَّا قَدِمَتْ مُنْهَزِمَةُ الرُّومِ: وَيَلَكُمُ! أَخْبِرُونِي عَنْ هَؤُلَاءِ الْقَوْمِ الَّذِينَ يُقَاتِلُونَكُمْ، أَلَيْسُوا هُمْ بَشَرًا مِثْلَكُمْ؟ ! قَالُوا: بَلَى. قَالَ: فَأَنْتُمْ أَكْثَرُ أَمْ هُمْ؟ قَالُوا: بَلْ نَحْنُ أَكْثَرُ مِنْهُمْ أَضْعَافًا فِي كُلِّ مَوْطِنٍ. قَالَ: فَمَا بَالُكُمْ تَنْهَزِمُونَ كُلَّمَا لَقِيتُمُوهُمْ؟ ! فَقَالَ شَيْخٌ مِنْ عُظَمَائِهِمْ: مِنْ أَجْلِ أَنَّهُمْ يَقُومُونَ اللَّيْلَ، وَيَصُومُونَ النَّهَارَ، وَيُوفُونَ بِالْعَهْدِ، وَيَأْمُرُونَ بِالْمَعْرُوفِ، وَيَنْهَوْنَ عَنِ الْمُنْكَرِ، وَيَتَنَاصَفُونَ بَيْنَهُمْ، وَمِنْ أَجْلِ أَنَّا نَشْرَبُ الْخَمْرَ، وَنَزْنِي، وَنَرْكَبُ الْحَرَامَ، وَنَنْقُضُ الْعَهْدَ، وَنَغْصَبُ، وَنَظْلِمُ، وَنَأْمُرُ بِمَا يُسْخِطُ اللَّهَ، وَنَنْهَى عَمَّا يُرْضِي اللَّهَ، وَنُفْسِدُ فِي الْأَرْضِ. فَقَالَ: أَنْتَ صَدَقْتَنِي. وَقَالَ الْوَلِيدُ بْنُ مُسْلِمٍ: أَخْبَرَنِي مَنْ سَمِعَ يَحْيَى بْنَ يَحْيَى الْغَسَّانِيَّ يُحَدِّثُ عَنْ رَجُلَيْنِ مِنْ قَوْمِهِ، قَالَا: لَمَّا نَزَلَ الْمُسْلِمُونَ بِنَاحِيَةِ الْأُرْدُنِّ تَحَدَّثْنَا بَيْنَنَا أَنَّ دِمَشْقَ سَتُحَاصَرُ، فَذَهَبْنَا نَتَسَوَّقُ مِنْهَا قَبْلَ ذَلِكَ، فَبَيْنَا نَحْنُ فِيهَا إِذْ أَرْسَلَ إِلَيْنَا بِطْرِيقُهَا فَجِئْنَاهُ فَقَالَ: أَنْتُمَا مِنَ الْعَرَبِ؟ قُلْنَا: نَعَمْ. قَالَ: وَعَلَى النَّصْرَانِيَّةِ؟ قُلْنَا: نَعَمْ. فَقَالَ: لِيَذْهَبْ أَحَدُكُمَا فَلْيَتَجَسَّسْ لَنَا عَنْ هَؤُلَاءِ الْقَوْمِ وَرَأْيِهِمْ، وَلِيَثْبُتِ الْآخَرُ عَلَى مَتَاعِ صَاحِبِهِ. فَفَعَلَ ذَلِكَ أَحَدُنَا، فَلَبِثَ مَلِيًّا ثُمَّ جَاءَهُ فَقَالَ: جِئْتُكَ مِنْ عِنْدِ رِجَالٍ دِقَاقْ، يَرْكَبُونَ خُيُولًا عِتَاقْ، أَمَّا اللَّيْلُ فَرُهْبَانْ، وَأَمَّا النَّهَارُ فَفُرْسَانْ، يَرِيشُونَ النَّبْلَ وَيَبْرُونَهَا، وَيُثَقِّفُونَ الْقَنَا، لَوْ حَدَّثْتَ جَلِيسَكَ حَدِيثًا مَا فَهِمَهُ عَنْكَ ; لِمَا عَلَا مِنْ أَصْوَاتِهِمْ بِالْقُرْآنِ وَالذِّكْرِ. قَالَ: فَالْتَفَتَ إِلَى أَصْحَابِهِ وَقَالَ: أَتَاكُمْ مِنْهُمْ مَا لَا طَاقَةَ لَكُمْ بِهِ.
পৃষ্ঠা - ৫৩৯৮


আপনার কথা শুনতে পাবে না ৷ একথা শুনে শাসক তার সাথীদেরকে বলল, (তামাদের উপর
আক্রমণ করার জন্যে এমন কতক লোক এসেছে যাদেরকে প্রতিরোধ করার শক্তি তোমাদের ণ্
নেই ৷

ইয়ারমুক যুদ্ধের পর সিরিয়ার শাসনভার খালিদ (বা)
হ্তে আবু উৰায়দা (রা)-এর নিকট হস্তান্তর

আবু উৰায়দা (রা)-এর সিরিয়ার শাসনভার গ্রহণের পর, তাকে সর্বপ্রথম
আমীর-আল-উমারা ৩পাধিতে ভুষিত করা হয় ৷

ইতিপুর্বে আলোচিত হয়েছে যে, হযরত আবু বকর সিদ্দীক (রা)-এর ওফাতের সংবাদ
নিয়ে বাহক এসেছিল ৷ তখন মুসলমানগণ রোমানদের বিরুদ্ধে ইয়ারমুক যুদ্ধের জন্যে
সারিবদ্ধভাবে র্দাড়িয়েছিলেন ৷ হযরত খালিদ (রা) এ সংবাদ মুসলমানদের নিকট থেকে গোপন
রেখেছিলেন, যাতে তাদের মধ্যে দুর্বলতা ও হতাশা সৃষ্টি না হয় ৷ পরদিন সকালবেলা তিনি
মুসলমল্দোদরাক এ সংবাদ জানান এবং ওদেরকে যা বলার তা বলেন ৷ এরপর হযরত আবু
উৰায়দা সেনাপতি হিসেবে গনীমত তথা যুদ্ধলব্ধ মালামাল সংগ্রহ করতে থাকেন ৷ তিনি বিধি
মুতাৰিক ওই মালামালের ব্লু৫ ৎশ রড়াষ্টের জন্যে ও অন্যান্য অংশ বণ্টানর ব্যবস্থা করেন ৷
অংশ মালামাল ও বিজয় সংবাদ নিয়ে তিনি কুবাব বা কুবাছ ইবন আশয়ামাক খলীফা উমর
(রা) এর নিকট পা০ড়ান’ তারপর সকল সৈন্য-সামতকে দামেশক অভিমুখে যাত্রার নির্দেশ দেন ৷
তারা যাত্রা করে মারজ আল সাফর নামক স্থানে অবতরণ করেন ৷ সেনাপতি আবু উৰায়দা
(রা) সংবাদ সংগ্রহের জন্যে আবুউমামা বাহিনীকে দু’জন লোকসহ প্রেরণ করেন ৷

আবু উমমো (রা) বলেন, আমি যাত্রা করলাম ৷ কিছু দুর অগ্রসর হবার পর আমি
দ্বিতীয়জনকে নির্দেশ দিলাম ৷ যে ওখানে লুকিয়ে রইল ৷ (সম্ভবত এ স্থানে কিছু বিবরণ বাদ
পড়েছে) আমি একাই অগ্রসর হলাম ৷ যেতে যেতে আমি শহরের প্রধান ফটকের নিকট পৌছি ৷
রাতের বেলা বলে ফটক বন্ধ ছিল ৷ ওখানে কে উ ছিল না ৷ আমি সেখানে নেমে পড়লাম ৷
আমার বর্শাটি মাটিতে পেড়ে রাখলাম ৷ আমার ঘোড়ার লাগড়াম খুলে নিলাম ৷ আসবাবপত্র
রশিতে ঝুলিয়ে আমি ঘুমিয়ে পড়ি ৷ ভোরবেলড়া আমি জেগে উঠি এবং ওবু করে ফজরের নামায
আদায় করি ৷ হঠাৎ শুনতে পাই যে, ফটকে শব্দ হচ্ছে ৷ দরজা খোলার সাথে সাথে আমি
দারােয়ানের উপর হামলা করি ৷ তাকে ভীরৰিদ্ধ করে হত্যা করি ৷ এরপর আমি ফ্লেরত আসতে
থাকি ৷ ওদের গোয়েন্দা দল আমার পেছন পেছন আসতে থাকে ৷ পথে আত্মগোপনকারী আমার

সাথীর নিকট যখন আমরা এসে পৌছি তখন ওদের ণ্লাকেরা বুঝে নিয়েছে যে, এই লোক

আমার পক্ষে আত্মগােপনকারী লোক এবং তখন তারা ভয়ে ফিরে যায় ৷ আমরা অগ্রসর হলাম ৷
পথে লুকিয়ে থাকা আমাদের অপর সাথীকে আমরা তুলে নিলাম ৷ আমি সেনাপতি আবুউবায়দা
(রা)-এর নিকট এসে যা যা দেখেছি তার সব বললাম ৷ আবু উৰায়দা (রা) তখন দামেশক
সম্পর্কে দিক নির্দেশনা সম্বলিত হযরত উমর (রা)-এর পত্রখানা দেখতে লাগলেন ৷ চিঠিতে
নির্দেশ ছিল দামেশক অভিমুখে অগ্রসর হবার ৷ সকলে সেদিকে অগ্রসর হলো এবং দামেশক
অবরোধ করে রাখল ৷

বাসীর ইবন কাব (রা)-ণ্ক ইয়ারমুকের শাসনকর্তা নিযুক্ত করে দিলেন হযরত আবু
উৰায়দা (বা) ৷ বাসীরের সাথে একদল অশ্বারােহী নিযুক্ত করে দিলেন ৷



[انْتِقَالُ إِمْرَةِ الشَّامِ مِنْ خَالِدٍ إِلَى أَبِي عُبَيْدَةَ] َ فِي الدَّوْلَةِ الْعُمَرِيَّةِ وَذَلِكَ بَعْدَ وَقْعَةِ الْيَرْمُوكِ وَصَيْرُورَةِ الْإِمْرَةِ بِالشَّامِ إِلَى أَبِي عُبَيْدَةَ فَكَانَ أَبُو عُبَيْدَةَ أَوَّلَ مَنْ سُمِّيَ أَمِيرَ الْأُمَرَاءِ. قَدْ تَقَدَّمَ أَنَّ الْبَرِيدَ قَدِمَ بِمَوْتِ الصِّدِّيقِ وَالْمُسْلِمُونَ مُصَافُّو الرُّومِ يَوْمَ الْيَرْمُوكِ، وَأَنَّ خَالِدًا كَتَمَ ذَلِكَ عَنِ الْمُسْلِمِينَ ; لِئَلَّا يَقَعَ وَهَنٌ، فَلَمَّا أَصْبَحُوا أَجْلَى لَهُمُ الْأَمْرَ، وَقَالَ مَا قَالَ، ثُمَّ شَرَعَ أَبُو عُبَيْدَةَ فِي جَمْعِ الْغَنِيمَةِ وَتَخْمِيسِهَا، وَبَعَثَ بِالْفَتْحِ وَالْخُمُسِ مَعَ قُبَاثِ بْنِ أَشْيَمَ إِلَى الْحِجَازِ، ثُمَّ نُودِيَ بِالرَّحِيلِ إِلَى دِمَشْقَ، فَسَارُوا حَتَّى نَزَلُوا مَرْجَ الصُّفَّرِ، وَبَعَثَ أَبُو عُبَيْدَةَ بَيْنَ يَدَيْهِ طَلِيعَةً أَبَا أُمَامَةَ الْبَاهِلِيَّ، وَمَعَهُ رَجُلَانِ مِنْ أَصْحَابِهِ. قَالَ أَبُو أُمَامَةَ: فَسِرْتُ، فَلَمَّا كَانَ بِبَعْضِ الطَّرِيقِ أَمَرْتُ الْوَاحِدَ، فَكَمَنَ هُنَاكَ، وَسِرْتُ أَنَا وَالْآخَرُ، فَلَمَّا كَانَ بِبَعْضِ الطَّرِيقِ أَمَرْتُ الْآخَرَ فَكَمَنَ هُنَاكَ، ثُمَّ سِرْتُ أَنَا وَحْدِي حَتَّى جِئْتُ بَابَ الْبَلَدِ وَهُوَ مُغْلَقٌ فِي اللَّيْلِ، وَلَيْسَ هُنَاكَ أَحَدٌ فَنَزَلْتُ وَغَرَزْتُ رُمْحِي بِالْأَرْضِ، وَنَزَعْتُ لِجَامَ فَرَسِي، وَعَلَّقْتُ عَلَيْهِ مِخْلَاتَهُ وَنَمْتُ، فَلَمَّا أَصْبَحَ الصَّبَاحُ قُمْتُ فَتَوَضَّأْتُ وَصَلَّيْتُ الْفَجْرَ، فَإِذَا بَابُ الْمَدِينَةِ يُقَعْقِعُ،
পৃষ্ঠা - ৫৩৯৯


হযরত খালিদের লিবিয়ার চলে আসার পর ইরাকে যা ঘটেছে
পারসিকদের রাজা ও ত ৷র পুত্র উতয়ে নিহত হবার পর ওরা শাহবিয়ার১ ইবন আবৃদশীর
ইবন শাহ্রিয়ারকে রাজা মনোনয়নে একমত ৩হয় ৷ ওদের নিকট থেকে হযরত খালিদের চলে
যাওয়াকে তারা সুবর্ণ সুযোগ হিসেবে গ্রহণ করে ৷ মুসলমানদেরকে পরাভুত করার জন্যে তারা
হযরত খালিদের স্থলাভিষিক্ত সেনাপতি ৩মুছান্নার বিরুদ্ধে এক বিশাল সৈন্যবাহিনী প্রেরণ করে ৷
ওই বাহিনীর সৈন্য সং থ্যা ছিল দশ হাজার ৷ সেনাপতি নিযুক্ত হয়েছিল হরমুয ইবন হাদবিয়্যাহ ৷
শাহবিয়ার মুসলিম সেনাপতি মুছান্নাকে লিখেছিল যে, পারসিকদের মধ্যে জং লী স্বভাবের
একদল সৈনিক আমি তে ৷মার বিরুদ্ধে প্রেরণ করেছি ৷ ওরা মুলত ৩মুরপী ও শুকর চরানাে লোক ৷
তোমাদের মুকাবিলার জন্যে আমরা নিজেরা আসর না ৷ ওদেরকেই পাঠালাম ৷
তার পত্রের উত্তরে মুসলিম অধিনায়ক হযরত ঘুছান্ন৷ (রা) লিখলেন ৷ মুছান্নার পক্ষ থেকে
শাহ্রিয়ারের প্রতি, তুমি দু চরিত্রের যে কোন এক চবিত্রবান তো হবেই ৷ তুমি হয়ত
ন্ সতাদ্রোহী ৷ যদি তাই হও তবে তা তোমার জন্যে অকল্যাণ আর আমাদের জন্যে কল্যাণকর ৷
অথবা তুমি মিথ্যাবাদী ৷ যদি তইি হও৩ তবে জোন ব্লেখ, আল্লাহর নিকট জঘন ৷ শান্তি ভোপকারী
ও লাঞ্চুনাময় মিথ্যাবাদী হলো মিথ্যাবাদী-রার্জা বাদশাহগণ ৷ আমাদের মনে হচ্ছে যে যোদ্ধা
হিসেবে ওই রাখালদেরব্লুক প্রেরণ করতে তুমি বাধ্য হয়েছ ৷ সকল প্ৰশংস৷ মহান আল্লাহর, যিনি
তোমার ষড়যন্ত্রও ওচক্রাতকে মুরগীপালক ও শুকর রাখালের প্ৰতি ন্যস্ত করেছেনা
বর্ণনাকারী বলেন, এই চিঠি পেয়ে পারসিকগণ অস্থির ও অশান্ত হয়ে ওঠে ওই চিঠি

শাহ্রিয়ারের বুদ্ধি-বিবেককে তারা অপরিপকৃ ও অপবিণামদর্ণীরুপে জ্ঞান করে৷ মুসলিম
অধিনায়ক মুছান্ন৷ তার সৈনাবাহিনী নিয়ে হাররা থেকে ব্যাবলন গমন করেন ৷ আদওয়া তুস
সুরাতুল উলা এর নিকটবর্তী একটি স্থানে উভয় পক্ষের সেনাবাহিনী মুখোমুখি হয় ৷ সেখানে
ৎঘটিত হয় প্রচণ্ড যুদ্ধ ৷ মুসলমানদের অশ্বগুলোকে ছত্রতঙ্গ করার জন্যে ওরা সারির মধ্যে
একটি হাতি ছেড়ে দেয় ৷ মুসলিম অধিনায়ক ঘুছান্ন৷ নিজেই ওই হাতির উপর আক্রমণ চালান
এবং সেটিকে হত্যা করেন ৷ সেনাপতির নিদ্যেশ মুসলমানগণ ওদের উপর তীব্র আক্রমণ
পরিচালনা করে ৷ অতঃপর পারসিকদের পরাজয় ও পলায়ন ছাড়া সেখানে অন্য কিছু দেখা
যায়নি ৷ মুসলমানপণ ওদেরকে অতি দ্রুত হত্যা করতে থাকেন ৷ মুসলমানপণ ওদের নিকট
থেকে প্রচুর গনীমাতর মাল অর্জ্য করেন ৷ অ৩ তান্ত করুণ অবস্থায় পারসিকগণ পলায়ন করে
মাদাইন গিয়ে আশ্রয় নেয় ৷ তারা সেখানে গিয়ে দেখতে পায় যে, ওদের রাজা মারা গেছে ৷
এবার তারা কিসরার কন্যা বুরান বিনৃত আবরবীয (পারতেন) কে সিংহাসনে বসার, সে দেশে
ইনসাফ প্রতিষ্ঠা করে ৷ সুন্দর আদর্শে দেশ পরিচালনা করে ৷ এক বৎসর সাত মাস সে
শাসনকার্য পরিচালনা করে ৷
এরপর তার মৃত্যু হয় ৷ এরপর ওরা বুরানের বোন আযরমীদখত যিনান-এর হাতে শাসন
ক্ষমতা প্রদান করে ৷ সে দেশে নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করতে সক্ষম হয়নি ৷ ফলে জনগণ তাকে বাদ
দিয়ে সাবুর ইবন শাহ্বিয়ারকে রাজা মনোনীত করে ৷ ফারখাযায ইবন বুনদুওয়ানকে তারা

১ তাবারীর বর্ণনা মতে শাহরবরায ৷




فَلَمَّا فُتِحَ حَمَلْتُ عَلَى الْبَوَّابِ فَطَعَنْتُهُ بِالرُّمْحِ فَقَتَلْتُهُ، ثُمَّ رَجَعْتُ وَالطَّلَبُ وَرَائِي، فَلَمَّا انْتَهَيْنَا إِلَى الرَّجُلِ الَّذِي فِي الطَّرِيقِ مِنْ أَصْحَابِي ظَنُّوا أَنَّهُ كَمِينٌ فَرَجَعُوا عَنِّي، ثُمَّ سِرْنَا حَتَّى أَخَذْنَا الْآخَرَ، وَجِئْتُ إِلَى أَبِي عُبَيْدَةَ فَأَخْبَرْتُهُ بِمَا رَأَيْتُ، فَأَقَامَ أَبُو عُبَيْدَةَ يَنْتَظِرُ كِتَابَ عُمَرَ فِيمَا يَعْتَمِدُهُ مِنْ أَمْرِ دِمَشْقَ، فَجَاءَهُ الْكِتَابُ يَأْمُرُهُ بِالْمَسِيرِ إِلَيْهَا، فَسَارُوا إِلَيْهَا حَتَّى أَحَاطُوا بِهَا، وَاسْتَخْلَفَ أَبُو عُبَيْدَةَ عَلَى الْيَرْمُوكِ بَشِيرَ بْنَ كَعْبٍ، فِي خَيْلٍ هُنَاكَ. [وَقْعَةٌ جَرَتْ بِالْعِرَاقِ بَعْدَ مَجِيءِ خَالِدٍ إِلَى الشَّامِ] وَذَلِكَ أَنَّ أَهْلَ فَارِسَ اجْتَمَعُوا بَعْدَ مَقْتَلِ مَلِكِهِمْ وَابْنِهِ عَلَى تَمْلِيكِ شَهْرِيَارَ بْنِ أَرْدَشِيرَ بْنِ شَهْرِيَارَ، وَاسْتَغْنَمُوا غَيْبَةَ خَالِدٍ عَنْهُمْ، فَبَعَثُوا إِلَى نَائِبِهِ الْمُثَنَّى بْنِ حَارِثَةَ جَيْشًا كَثِيفًا نَحْوًا مِنْ عَشَرَةِ آلَافٍ، عَلَيْهِمْ هُرْمُزُ بْنُ جَاذَوَيْهِ، وَكَتَبَ شَهْرِيَارُ إِلَى الْمُثَنَّى: إِنِّي قَدْ بَعَثْتُ إِلَيْكَ جُنْدًا مِنْ وَحْشِ أَهْلِ فَارِسَ، إِنَّمَا هُمْ رُعَاةُ الدَّجَاجِ وَالْخَنَازِيرِ، وَلَسْتُ أُقَاتِلُكَ إِلَّا بِهِمْ. فَكَتَبَ إِلَيْهِ الْمُثَنَّى: مِنَ الْمُثَنَّى إِلَى شَهْرِيَارَ، إِنَّمَا أَنْتَ أَحَدُ رَجُلَيْنِ ; إِمَّا بَاغٍ فَذَلِكَ شَرٌّ لَكَ وَخَيْرٌ لَنَا، وَإِمَّا كَاذِبٌ فَأَعْظَمُ الْكَاذِبِينَ عُقُوبَةً وَفَضِيحَةً عِنْدَ اللَّهِ فِي النَّاسِ الْمُلُوكُ، وَأَمَّا الَّذِي يَدُلُّنَا عَلَيْهِ الرَّأْيُ فَإِنَّكُمْ إِنَّمَا اضْطُرِرْتُمْ إِلَيْهِمْ، فَالْحَمْدُ لِلَّهِ الَّذِي رَدَّ كَيْدَكُمْ إِلَى رُعَاةِ الدَّجَاجِ
পৃষ্ঠা - ৫৪০০


রাজার অভিভাবক নিযুক্ত করে ৷ রাজা সাবুর কিসরার কন্যাও সাবেক রাণী আযরমীদখতের
সঙ্গে তারঅভিভাবকের ফারখাযায ইবন বুনদুওয়ানের বিয়ের ব্যবস্থা করেন ৷ রাজকন্যার তা
পছন্দ হয়নি ৷ সে বলেজ্জি, ওই ফারখাযায তো আমাদের গোলাম মাত্র ৷ বাসর রাতেই বাণীর
লোকেরা কারখাযাযকে হত্যা করে ৷ এরপর ঘাতকচক্র রাজা সাবুর এর নিকট যায় এবং তাকে
হত্যা করে ৷ তারা ক্ষমতাচ্যুত রাণী আযারমীদখতকে পুবরায় সিংহাসনে বসায় ওই মহিলাকে
ক্ষমতায় বসিয়ে পারসিকগণ প্রচুর ক্রীড়া কৌতুক ও আমােদ-আহলাসে লিপ্ত হয় ৷ শেষ পর্যন্ত
ওরা ওই মহিলাকেই শাসন ক্ষমতয় বসায় ৷ রাসুলুল্লাহ্ £:: বলেছিলেন-

ণ্

ছুট্রাপ্রুট্৷ ণ্ট্রুণ্১ণ্ষ্৷ ৷টুৰু ণ্,ও ৫া৷ ;া

“যারা কোন মহিলাকে তাদের কাজের দায়িত্বশীল ও নেতা ৷নর্বড়াচন করে সেই সম্প্রদায়

কখনো ধ্ সর্ফলকাম হবে না ৷ যে ঘটনা আমরা এখানে উল্লেখ করেছি সেটি সম্পর্কে আবদাহ্

ইবন তাবীব সাদী নির্দম্নর কবিতা আবৃত্তি করেছে ৷ আবদাহ্ ইৰ্ন তাবীব সাদী মুলত ওখানে

গিয়েছিল তার এক স্ত্রার কারণে ৷ ওই মহিলা স্বা দশট্র ত্যাগ করে দ্নেও গিয়েছিল ৷ এই সুত্রে

আবদচ্ছে ব্যবলনেব এই ঘটনায় হাজির হয় ৷ শেষ পর্যন্ত ওই যদি না তাকে নিরাশ করে ৷ ফলে
সে গ্রামে ফিরে যায় এবং বলে :

fl ’ ৷

ব্লুটুষ্টু ৰুাট্রুছু ৰুা৷
বিক্রুচ্ছদের পর খাওলার সাথে সম্পর্ক কি পুনঃস্থাপিত হবে, ম্যাক তুমি তার থেকে বিচ্ছিন্ন
হয়ে দুরে বহু দুরে অবস্থান করবে ৷

“ ৷

প্রেমিক প্রেমিকার জন্যে এমন কিছু স্মৃা৩ময় দিবস থ কে বা স্মরণযো গ্য ৷ পৃথক হওয়ার
পুর্বেকা র এদিক সেদিক যাওয়া ব্যাথ্যাসাপেক্ষ ৷




প্রেমিকা খাওলা এসে পৌছোছ এমন এক গোত্রে যাদের সাথে সে চুক্তিবদ্ধ হয়েছে ৷ ওই
গোত্রের অবস্থান শহর৩ লিতে ৷ সেখানে রয়েছে প্রচুর মােরগ ও হাতির প্া৷ল ৷

১১’ণ্ ন্ান্ৰু
ওরা অনারবদের মাথায় আঘাত হানে ভােরাবলা ৷ ওদের মধ্যে আছে সুদক্ষ অশ্বারােহী
যোদ্ধা, ওরা পা-পিছলানাে লোকও নয়, ঢালতলােয়ার বিহীন ঘোদ্ধাৎ ন্হুন্ ৷

মুসলিম অধিনায়ক মুছান্ন৷ কতৃকি নিহত হ বিব ঘটনা“ ৬ল্পেখ করে করি ফারাযদাক তার
কবিতার বলেছেনং

ৰু ৷ ৰু১ঠু ন্টু
হাতি ৩হ্য৩ হ্যাকারী মুছান্নার ঘর তো ব্যবিলন রাজ্যে ৷ কারণ বাবিলনের রাজ্ঞতু ও শাসনভার
অশ্বারোহীদের হাতেই থাকে ৷ এদিকে সেনাপতি ৩মুছান্ন৷ খলীফ৷ সিদ্দীকইআকবর (রা) এর


وَالْخَنَازِيرِ. قَالَ: فَجَزِعَ أَهْلُ فَارِسَ مِنْ هَذَا الْكِتَابِ، وَلَامُوا شَهْرِيَارَ عَلَى كِتَابِهِ إِلَيْهِ وَاسْتَهْجَنُوا رَأْيَهُ، وَسَارَ الْمُثَنَّى مِنَ الْحَرَّةِ إِلَى بَابِلَ، وَلَمَّا الْتَقَى الْمُثَنَّى وَجَيْشَهُمْ بِمَكَانٍ عِنْدَ عُدْوَةِ الصَّرَاةِ الْأُولَى، اقْتَتَلُوا قِتَالًا شَدِيدًا جِدًّا، وَأَرْسَلَ الْفُرْسُ فِيلًا بَيْنَ صُفُوفِ الْخَيْلِ لِيُفَرِّقَ خُيُولَ الْمُسْلِمِينَ، فَحَمَلَ عَلَيْهِ أَمِيرُ الْمُسْلِمِينَ الْمُثَنَّى بْنُ حَارِثَةَ فَقَتَلَهُ، وَأَمَرَ الْمُسْلِمِينَ فَحَمَلُوا، فَلَمْ تَكُنْ إِلَّا هَزِيمَةُ الْفُرْسِ، فَقَتَلُوهُمْ قَتْلًا ذَرِيعًا، وَغَنِمُوا مِنْهُمْ مَالًا عَظِيمًا، وَفَّرَتِ الْفُرْسُ حَتَّى انْتَهَوْا إِلَى الْمَدَائِنِ فِي شَرِّ حَالَةٍ، وَوَجَدُوا الْمَلِكَ قَدْ مَاتَ، فَمَلَّكُوا عَلَيْهِمُ ابْنَةَ كِسْرَى بُورَانَ بِنْتَ أَبَرْوِيزَ، فَأَقَامَتِ الْعَدْلَ، وَأَحْسَنَتِ السِّيرَةَ، فَأَقَامَتْ سَنَةً وَسَبْعَةَ شُهُورٍ، ثُمَّ مَاتَتْ، فَمَلَّكُوا عَلَيْهِمْ أُخْتَهَا آزَرْمِيدُخْتَ زَنَانَ، فَلَمْ يَنْتَظِمْ لَهُمْ أَمْرٌ، فَمَلَّكُوا عَلَيْهِمْ سَابُورَ بْنَ شَهْرِيَارَ، وَجَعَلُوا أَمْرَهُ إِلَى الْفَرُّخْزَاذِ بْنِ الْبِنْدَوَانِ، فَزَوَّجَهُ سَابُورُ بِابْنَةِ كِسْرَى آزَرْمِيدُخْتَ، فَكَرِهَتْ ذَلِكَ وَقَالَتْ: إِنَّمَا هَذَا عَبْدٌ مِنْ عَبِيدِنَا. فَلَمَّا كَانَ لَيْلَةُ عُرْسِهَا عَلَيْهِ هَمُّوا إِلَيْهِ فَقَتَلُوهُ، ثُمَّ سَارُوا إِلَى سَابُورَ فَقَتَلُوهُ أَيْضًا، وَمَلَّكُوا عَلَيْهِمْ هَذِهِ الْمَرْأَةَ، وَهِيَ آزَرْمِيدُخْتُ ابْنَةُ كِسْرَى، وَلَعِبَتْ فَارِسُ بِمُلْكِهَا لَعِبًا كَثِيرًا، وَآخِرُ مَا اسْتَقَرَّ أَمْرُهُمْ عَلَيْهِ فِي هَذِهِ السَّنَةِ أَنْ مَلَّكُوا امْرَأَةً، وَقَدْ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «لَنْ يُفْلِحَ قَوْمٌ وَلَّوْا أَمْرَهُمُ امْرَأَةً» . وَفِي هَذِهِ الْوَقْعَةِ الَّتِي ذَكَرْنَا يَقُولُ عَبْدَةُ بْنُ الطَّبِيبِ السَّعْدِيُّ، وَكَانَ قَدْ هَاجَرَ لِمُهَاجَرَةِ حَلِيلَةٍ لَهُ حَتَّى شَهِدَ وَقْعَةَ بَابِلَ هَذِهِ، فَلَمَّا آيَسَتْهُ رَجَعَ إِلَى الْبَادِيَةِ وَقَالَ:.
পৃষ্ঠা - ৫৪০১


ঘোজ-খবর পাচ্ছিলেন না দীর্ঘদিন যাবত ৷ কারণ সিরিয়ার অভিযান এবং ইয়ারমুকের যুদ্ধ নিয়ে
তিনি খুবই ব্যস্ত ছিলেন ৷ এদিকটা মোটামুটি গুছিয়ে নিয়ে তিনি সশরীরে যাত্রা করলেন খলীফা
আবু বকর সিদ্দীক (রা)-এয় সাথে দেখা করার জন্য ৷ যাত্রার পুর্বে তিনি সাময়িকভাবে বাশীর
ইবন খাসাসিয়্যাকে ইরাকের শাসনভার এবং সাঈদ ইবন মুররড়া আজালীকে মাসালিহ-এর
শাসনভার হস্তান্তর করেন ৷ মুছান্ন৷ যখন মদীনায় এসে পৌছলেন তখন হযরত সিদ্দীক ই-
আকবর (রা) গুরুতর অসুস্থ ৷ এটি তার অস্তিম মুহুত ৷ ইতিমধ্যে তিনি পরবর্তী খলীফারুপে
হযরত উমর (রা) কে মনোনীত করে ফোলছেন ৷ হযরত ঘুছান্ন৷ (রা) কে দেখতে পেয়ে হযরত
আবু বকর (রা) হযরত উমর (রা)-কে ডেকে বললেন, আমার মৃত্যুর পর অবিলম্বে আপনি
মুছান্নার সাথে সেনাবাহিনী পাঠাবেন ইরাকীদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার জন্যে ৷ আর আমাদের
সেনাপতিদের হাতে যদি আল্পাহ্ তা আলা সিরিয়ার বিজয় দেন তবে খালিদকে ইরাকে পাঠিয়ে
দিবেন ৷ কারণ ইরাকে যুদ্ধ পরিচালনায় তিনি অধিকতর দক্ষ ও অভিজ্ঞ ৷

হযরত আবুবকর সিদ্দীক (রা) এর ইনতিকালের পর দ্বিতীয় খলীফা উমর (রা) ইরাকের
জিন্ ড়াদে অংশগ্রহচংার জন্যে ঘুসলমানদেরাক আহ্বান জানালেন ৷ কারণ খালিদ ইবন ওয়া ৷লীদের
প্ৰস্থানের পর সেখানে যুদ্ধ পরিচালনায় সক্ষম লোকের স খ্যা ছিল কম ৷ জিহাদের আহ্বানে
সাড়া দিলেন বহু লোক ৷ খলীফা উমর (রা ) আবুউবাযদা ইবন মাসউদ (রা)-কে অধিনায়ক
নিযুক্ত করলেন ৷ আবু উবাযদ৷ ইবন মাসউদ ছিলেন সাহসী যুবক বীর ৷ যুদ্ধের কলাকৌশল
তার খুব ভালই জানা ছিল ৷ হযরত আবু বকর সিদ্দীক (রা)-এর খিলাফতের শেষ পর্ব ও হযরত
উমরের খিলফোতর সুচনা পর্বে ইরাকের পরিস্থিতি এরকমই ছিল ৷


هَلْ حَبْلُ خَوْلَةَ بَعْدَ الْبَيْنِ مَوْصُولُ ... أَمْ أَنْتَ عَنْهَا بَعِيدُ الدَّارِ مَشْغُولُ وَلِلْأَحِبَّةِ أَيَّامٌ تَذَكَّرُهَا ... وَلِلنَّوَى قَبْلَ يَوْمِ الْبَيْنِ تَأْوِيلُ حَلَّتْ خُوَيْلَةُ فِي حَيٍّ عَهِدْتُهُمُ ... دُونَ الْمَدِينَةِ فِيهَا الدِّيكُ وَالْفِيلُ يُقَارِعُونَ رُءُوسَ الْعُجْمِ ضَاحِيَةً ... مِنْهُمْ فَوَارِسُ لَا عُزْلٌ وَلَا مِيلُ وَقَدْ قَالَ الْفَرَزْدَقُ فِي شِعْرِهِ يَذْكُرُ قَتْلَ الْمُثَنَّى ذَلِكَ الْفِيلَ: وَبَيْتُ الْمُثَنَّى قَاتِلِ الْفِيلِ عَنْوَةً ... بِبَابِلَ إِذْ فِي فَارِسٍ مُلْكُ بَابِلِ ثُمَّ إِنَّ الْمُثَنَّى بْنَ حَارِثَةَ اسْتَبْطَأَ أَخْبَارَ الصِّدِّيقِ لِتَشَاغُلِهِ بِأَهْلِ الشَّامِ، وَمَا فِيهِ مِنْ حَرْبِ الْيَرْمُوكِ الْمُتَقَدِّمِ ذَكَرُهُ، فَسَارَ الْمُثَنَّى نَفْسُهُ إِلَى الصِّدِّيقِ، وَاسْتَنَابَ عَلَى الْعِرَاقِ بَشِيرَ بْنَ الْخَصَاصِيَةِ، وَعَلَى الْمَسَالِحِ سَعِيدَ بْنَ مُرَّةَ الْعِجْلِيَّ، فَلَمَّا انْتَهَى الْمُثَنَّى إِلَى الْمَدِينَةِ وَجَدَ الصِّدِّيقَ فِي آخِرِ مَرَضِ الْمَوْتِ، وَقَدْ عَهِدَ إِلَى عُمَرَ بْنِ الْخِطَابِ، وَلَمَّا رَأَى الصِّدِّيقُ الْمُثَنَّى قَالَ لِعُمَرَ: إِذَا أَنَا مُتُّ فَلَا تُمْسِيَنَّ حَتَّى تَنْدُبَ النَّاسَ لِحَرْبِ أَهْلِ الْعِرَاقِ مَعَ الْمُثَنَّى، وَإِذَا فَتَحَ اللَّهُ عَلَى أُمَرَاءِنَا بِالشَّامِ فَارْدُدْ أَصْحَابَ خَالِدٍ إِلَى الْعِرَاقِ، فَإِنَّهُمْ أَعْلَمُ بِحَرْبِهِ. فَلَمَّا مَاتَ الصِّدِّيقُ نَدَبَ عُمَرُ الْمُسْلِمِينَ إِلَى الْجِهَادِ بِأَرْضِ الْعِرَاقِ ; لِقِلَّةِ مَنْ بَقِيَ فِيهِ مِنَ الْمُقَاتِلَةِ بَعْدَ خَالِدِ بْنِ الْوَلِيدِ، فَانْتَدَبَ خَلْقٌ، وَأَمَّرَ عَلَيْهِمْ أَبَا عُبَيْدِ بْنَ مَسْعُودٍ، وَكَانَ شَابًّا شُجَاعًا خَبِيرًا بِالْحَرْبِ وَالْمَكِيدَةِ. وَهَذَا آخِرُ مَا يَتَعَلَّقُ بِخَبَرِ الْعِرَاقِ إِلَى آخَرِ أَيَّامِ الصِّدِّيقِ وَأَوَّلِ دَوْلَةِ الْفَارُوقِ.
পৃষ্ঠা - ৫৪০২

হযরত উমর (রা) এর খিলাফত লাভ

সোমবার বিকেলে হযরত আবু বকর সিদ্দীক (রা)-এর ওফাত হয়, কারো মতে তার
ওফাত হয় মাপরিবের পর, ওই রাতে র্তাকে দাফন করা হয় ৷ হিজরী তেব সনের জুমাদাল
উখরা মাসের আটদিন অবশিষ্ট থাকতে তর ইনৃতিকাল হয় ৷ ১৫ দিন যাবত তিনি অসুস্থ
ছিলেন ৷ অসুস্থতার এই মেয়াদে তার অবর্তমানে হযরত উমর (রা) নামাযের ইমামতি
করেছিলেন ৷ এই যেয়াদেই তিনি পরবর্তী খলীফা হিসেবে হযরত উমর (রা)-এর মনােয়ন
চুড়ান্ত করেন ৷ এই অঙ্গীকারপত্র লিখেছিলেন হযরত উসমান (বা) ৷ এটি মুসলমান আম
জনতার সামনে পাঠ করা হয় ৷ সবাই স্বীকার করে নেন এবং হযরত উমর (রা)-এর খলীফা
মনোনয়ন সকলে মেনে নেন এবং তারা তার প্রতি আনুগত্য প্রকাশ ও তার নির্দেশ পালনের
অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন৷ হযরত আবু বকর (রা) এর খিলাফতকার্ল ছিল ২ বছর ৩ মাস ৷
ইনতিক৷ ৷লের সময় তার বয়স হয়েছিল ৬৩ বছর ৷ রাসুলুল্লাহ্ৰুহুষ্;দ্বু ও ৬৩ বছর বয়সে ইন্তিকাল
করেছেন ৷ তাদের দু জন জীবন ও আযুর ক্ষেত্রে যেমন কাছাকা ৷ছি ছিলেন মাটিতে তথা কবরেও
তারা দু’জন পাশাপাশি অবস্থান করছেন ৷ আল্লাহ তাআলা হযরত সিদ্দীক-ই-আকবরের প্ৰতি
সন্তুষ্ট হন এবং তাকে সন্তুষ্ট করুনা

মুহাম্মদ ইবন সা দ আবু কৃতন আমর ইবন হায়ছাম সুত্রে রাবী ইবন৷ হা সসান থেকে বর্ণনা
করেন যে, তিনি বলেছেন, হযরত আবু বকর (রা) এর আৎটির উপর লেখাছিল fl&fl ;;;
ণ্াএ ৷ আল্লাহ্ তা জানা কতই না শক্তিমান৷ অবশ্য এই বর্ণনাটি অপরিচিত ৷ হযরত আবু বকর
সিদ্দীক (রা) এর জীবন-চরিত , তার বর্ণনা করা হাদীস এবৎ৩ ওার থেকে বর্ণিত বিধি বিধানগুলাে
আমরা একটি পুর্ণ খণ্ডে সন্নিবেশিত করেছি ৷ সকল প্রশংসা মহান আল্লাহর ৷

হযরত আবু বকর (রা)-এর পর পুর্ণতা সহকারে শাসন পরিচালনার দায়িত্ব নিলেন
আমীরুল মুমিনীন হযরত উমর ফারুক (রা) ৷ তিনিই সর্বপ্রথম আমীরুল মু’মিনীন উপাধিতে
ভুষিত হলেন ৷ সর্বপ্রথম তাকে আমীরুল মু’মিনীন সম্বোধন করেন মুপীর৷ ইবন ভাষা (বা)
মতান্তরে অন্য কেউ তা করেছে ৷ হযরত উমর (রা)-এর জীবন-চরিত বিষয়ক একটি পুর্ণ ও
পৃথক গ্রন্থে আমরা ওই বিষয়টি আলোচনা করেছি ৷৩ তীর বর্ণনা করা হাদীসগুলাে এবং তার
দেয়৷ মস্তব্যগুলে৷ বিভিন্ন অধ্যায়ে সাজিয়ে আমরা অন্য একটি গ্রন্থে লিপিবদ্ধ করেছি ৷ সকল
প্রশংসা মহান আল্লাহ্র ৷

খলীফা উমর (রা) হযরত আবু বকর সিদ্দিক (রা)-এর ওফাতের সংবাদ জানিয়ে চিঠি
পাঠালেন সিরিয়ার অবস্থানরত সেনাপতিদের নিকট ৷ চিঠি নিয়ে গেলেন শাদ্দাদ ইবন আওস
এবং মুহাম্মদ ইবন জুরায়জ ৷ পত্রবাহক দু’জন যখন সেখানে পৌছলেন তখন মুসলিম
সেনাবাহিনী ইয়ারমুক যুদ্ধের দিনে রোমান সৈন্যদের মুকাবিলা করার জন্যে সারিবদ্ধ ও পুর্ণ


[خِلَافَةُ عُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ وَأَرْضَاهُ] [بِدَايَةُ خِلَافَتِهِ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ] كَانَتْ وَفَاةُ الصِّدِّيقِ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، فِي يَوْمِ الِاثْنَيْنِ عَشِيَّةً. وَقِيلَ: بَعْدَ الْمَغْرِبِ. وَدُفِنَ مِنْ لَيْلَتِهِ، وَذَلِكَ لِثَمَانٍ بَقِينَ مِنْ جُمَادَى الْآخِرَةِ سَنَةَ ثَلَاثَ عَشْرَةَ، بَعْدَ مَرَضٍ خَمْسَةَ عَشَرَ يَوْمًا. وَكَانَ عُمَرُ بْنُ الْخَطَّابِ يُصَلِّي عَنْهُ فِيهَا بِالْمُسْلِمِينَ، وَفِي أَثْنَاءِ هَذَا الْمَرَضِ عَهِدَ بِالْأَمْرِ مِنْ بَعْدِهِ إِلَى عُمَرَ بْنِ الْخِطَابِ، وَكَانَ الَّذِي كَتَبَ الْعَهْدَ عُثْمَانُ بْنُ عَفَّانِ، وَقُرِئَ عَلَى الْمُسْلِمِينَ فَأَقَرُّوا بِهِ وَسَمِعُوا لَهُ وَأَطَاعُوا، فَكَانَتْ خِلَافَةُ الصِّدِّيقِ سَنَتَيْنِ وَثَلَاثَةَ أَشْهُرٍ وَعَشَرَةَ أَيَّامٍ. وَقِيلَ: وَعِشْرِينَ يَوْمًا. وَقِيلَ: سَنَتَيْنِ وَأَرْبَعَةَ أَشْهُرٍ. وَكَانَ عُمُرُهُ يَوْمَ تُوُفِّيَ ثَلَاثًا وَسِتِّينَ سَنَةً، لِلسِّنِّ الَّذِي تُوُفِّيَ فِيهِ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَقَدْ جَمَعَ اللَّهُ بَيْنَهُمَا فِي التُّرْبَةِ كَمَا جَمَعَ بَيْنَهُمَا فِي الْحَيَاةِ، فَرَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ وَأَرْضَاهُ. قَالَ مُحَمَّدُ بْنُ سَعْدٍ، عَنْ أَبِي قَطَنٍ عَمْرِو بْنِ الْهَيْثَمِ، عَنِ الرَّبِيعِ، عَنْ حِبَّانَ الصَّائِغِ قَالَ: كَانَ نَقْشُ خَاتَمِ أَبِي بَكْرٍ: نِعْمَ الْقَادِرُ اللَّهُ. وَهَذَا غَرِيبٌ، وَقَدْ ذَكَرْنَا تَرْجَمَةَ الصِّدِّيقِ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، وَسِيرَتَهُ وَأَيَّامَهُ، وَمَا رَوَى مِنَ الْأَحَادِيثِ، وَمَا رُوِيَ عَنْهُ مِنَ الْأَحْكَامِ، فِي مُجَلَّدٍ، وَلِلَّهِ الْحَمْدُ وَالْمِنَّةُ.
পৃষ্ঠা - ৫৪০৩


প্রস্তুত ছিল ৷ এটি আমরা পুর্বে উল্লেখ করেছি ৷ ওই চিঠিতে হযরত উমর (রা) আবু উবায়দা
(রা)-কে সর্বাধিনায়ক নিয়োগ ও খালিদ (রা)-ণ্ক অধিনায়কত্বের দায়িত্ব থেকে বরখাস্তের
আদেশ দেন ৷ সালামা উল্লেখ করেছেন, মুহাম্মদ ইবন ইসহাক বলেছেন যে, হযরত খালিদ (রা)
সম্বন্ধে কিছু আপত্তিকর তথ্য হযরত উমর (রা)-এর গোচরীতুত হওয়ায় তিনি তাকে বরখাস্ত
করেন ৷ মালিক ইবন নুওয়ইিরা-এর ঘটনা এবং যুদ্ধে হযরত খালিদের প্রতি গণ-আন্থা ইত্যাদি
বিষয়ও তার বরখান্তে ভুমিকা পালন করে ৷ হযরত উমর (রা) শাসনভার গ্রহণের পর সর্বপ্রথম
যে কাজটি করেন তাহলো খালিদ (রা)-কে অপসারণ করা ৷ তিনি মন্তব্য করেছেন যে, আমার
অন্য কোন কাজ এর সমতুল্য হবে না ৷
উমর (রা) আবু উবায়দা (রা)-কে লিখলেন যে, খালিদ যদি সংশ্লিষ্ট বিষয়ে নিজেকে
মিথ্যাবড়াদী বলে স্বীকার করে তবে সে যেমনটি আছে সেনাপতিরুপে তেমনটি থাকবে ৷ আর
যদি নিজেকে মিথ্যাবাদীরুপে স্বীকৃতি না দেয় তাহলে সে বরখাস্ত ও অপসারিত হবে ৷ তখন
আপনি তার পাগড়ি খুলে নিবেন এবং তার মালামাল দৃ’ভাগ করে এক ভাগ সরকারী তহবিলে
নিয়ে নিবেন ৷ আবু উবায়দা (রা) খলীফার নির্দোশর কথা খালিদ (রা)-কে জানালেন ৷ খালিদ
(রা) বললেন, তবে একটু সময় দিন আমি আমার বোনের সাথে পরামর্শ করে দেখি ৷ তিনি
আপন বোন ফাতিমার নিকট গেলেন ৷
ফাতিমা তখন হারিছ ইবন হিশামের স্তী, তিনি তার সাথে পরামর্শ করলেন ৷ তার মতামত
চাইলেন ৷ তিনি বললেন, খলীফা উমর তো মুলত তোমাকে পছন্দ করেন না ৷ আজ তৃ টুন্
নিজেকে মিথ্যাবাদীরুপে স্বীকৃতি দিলে অবিলম্বে তিনি তোমাকে বরখাস্ত করবেনই ৷ হযরত
খালিদ (রা) বললেন, হীা, তা ঘটে,-আল্লাহর কসম ! তুমি ঠিকই বলেছ ৷ সঙ্গত কারণে হযরত
খালিদ অপসারিত হলেন ৷ নবনিযুক্ত সেনাপতি আবু উবায়দা (রা) খলীফার নির্দেশ মুতাবিক
খালিদ (রা)-এর মালামাল দৃ’ভাগ করে এক ভাগ সরকারী তহবিলে নিয়ে গেলেন ৷ এমনকি
তার দুটো জুতাের মধ্যে একটি জুতা নিয়ে নাম আর একটি খালিদ (রা)-এর জন্যে রেখে যান ৷
খালিদ (রা) বলছিলেন, খলীফার প্রতি আনুগত্য প্রদর্শন করছি তার নির্দেশ মেনে নিচ্ছি ৷ ’
ইবন জারীর (র) বর্ণনা করেছেন সালিহ ইবন কায়সান থেকে যে, তিনি বলেছেন, হযরত
উমর (রা) খিলাফতের দাযিতৃ গ্রহণের পর আবুউবায়দা (রা)-কে যে চিঠি লিখেন তাতে হযরত
খালিদের অপসারণ এবং আবু উবায়দা (রা)-এর নিয়ােগের বিষয়টি ছিল ৷ ওই পত্রে খলীফা
লিখেছেন, আমি আপনাকে আল্লাহ্র তাকওয়া অর্জনের আহ্বান জানাচ্ছি ৷ আল্লাহ্প্চিরদিন
থাকবেন আর সবকিছু ধ্বংস হয়ে যাবে ৷ যিনি আমাদেরকে গোমরাহি থেকে হিদায়াতে
এসেছেন, অন্ধকার থেকে আলোতে এসেছেন ৷ আমি আপনাকে সে সকল,সৈড়ান্যর সেনাপতি
পদে নিয়োগ করলাম খালিদ যাদের সেনাপতি ছিলেন ৷ যথাযথভাবে আপনি ওদের দেখাশোনা
করুন ৷ নিজ কর্তব্য পালন করুন ৷ নিছক গনীমতের আশায় মুসলিম সৈন্যদেরকে মৃত্যুর মুখে
ঠেলে দিবেন না ৷ কোন স্থান সম্পার্ক বিস্তারিত ধোজ-খবর না নিয়ে এবং সেখানকার পরিবেশ
সম্বন্ধে অবগত না হয়ে সেনাবাহনীকে ওই স্থানে নিয়ে শিবির স্থাপন করবেন না ৷ অধিক সংখ্যক
সদস্য ব্যতীত কোন অভিযানে লোক পাঠাবেন না ৷ মুসলমানদেরকে অযথা মৃত্যুর মুখে ঠেলে
দেয়া থেকে আপনি নিজেকে রক্ষা করবেন ৷ মহান আল্পাহ্ আপনার দ্বারা আমাদের পরীক্ষা


فَقَامَ بِالْأَمْرِ مِنْ بَعْدِهِ أَتَمَّ الْقِيَامِ الْفَارُوقُ أَمِيرُ الْمُؤْمِنِينَ عُمَرُ بْنُ الْخِطَابِ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، وَهُوَ أَوَّلُ مَنْ سُمِّيَ بِأَمِيرِ الْمُؤْمِنِينَ، وَكَانَ أَوَّلَ مَنْ حَيَّاهُ بِهَا الْمُغِيرَةُ بْنُ شُعْبَةَ، وَقِيلَ: غَيْرُهُ. كَمَا بَسَطْنَا ذَلِكَ فِي تَرْجَمَةِ عُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ وَسِيرَتِهِ الَّتِي أَفْرَدْنَاهَا فِي مُجَلَّدٍ، وَمَسْنَدِهِ وَالْآثَارِ الْمَرْوِيَّةِ، مُرَتَّبًا عَلَى الْأَبْوَابِ فِي مُجَلَّدٍ آخَرَ، وَلِلَّهِ الْحَمْدُ. وَقَدْ كَتَبَ بِوَفَاةِ الصِّدِّيقِ إِلَى أُمَرَاءِ الشَّامِ مَعَ شَدَّادِ بْنِ أَوْسٍ، وَمَحْمِيَةَ بْنِ جَزْءٍ، فَوَصَلَا وَالنَّاسُ مُصَافُّونَ جُيُوشَ الرُّومِ يَوْمَ الْيَرْمُوكِ، كَمَا قَدَّمْنَا، وَقَدْ أَمَّرَ عُمَرُ عَلَى الْجُيُوشِ أَبَا عُبَيْدَةَ، وَعَزَلَ خَالِدَ بْنَ الْوَلِيدِ. وَذَكَرَ سَلَمَةُ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ إِسْحَاقَ، أَنَّ عُمَرَ إِنَّمَا عَزَلَ خَالِدًا لِكَلَامٍ بَلَغَهُ عَنْهُ، وَلِمَا كَانَ مِنْ أَمْرِ مَالِكِ بْنِ نُوَيْرَةَ، وَمَا كَانَ يَعْتَمِدُهُ فِي حَرْبِهِ، فَلَمَّا وُلِّيَ عُمَرُ كَانَ أَوَّلَ مَا تَكَلَّمَ بِهِ أَنْ عَزَلَ خَالِدًا، وَقَالَ: لَا يَلِي لِي عَمَلًا أَبَدًا. وَكَتَبَ عُمَرُ إِلَى أَبِي عُبَيْدَةَ: إِنْ أَكْذَبَ خَالِدٌ نَفْسَهُ فَهُوَ أَمِيرٌ عَلَى مَا كَانَ عَلَيْهِ، وَإِنْ لَمْ يُكْذِبْ نَفْسَهُ فَهُوَ مَعْزُولٌ، فَانْزِعْ عِمَامَتَهُ عَنْ رَأْسِهِ وَقَاسِمْهُ مَالَهُ نِصْفَيْنِ. فَلَمَّا قَالَ أَبُو عُبَيْدَةَ ذَلِكَ لِخَالِدٍ قَالَ لَهُ خَالِدٌ: أَمْهِلْنِي حَتَّى أَسْتَشِيرَ أُخْتِي، فَذَهَبَ إِلَى أُخْتِهِ فَاطِمَةَ، وَكَانَتْ تَحْتَ الْحَارِثِ بْنِ هِشَامٍ، فَاسْتَشَارَهَا فِي ذَلِكَ فَقَالَتْ لَهُ: إِنَّ عُمَرَ لَا يُحِبُّكَ أَبَدًا، وَإِنَّهُ سَيَعْزِلُكَ وَإِنْ أَكْذَبْتَ نَفْسَكَ. فَقَالَ لَهَا: صَدَقَتِ وَاللَّهِ. فَقَاسَمَهُ أَبُو عُبَيْدَةَ حَتَّى أَخَذَ إِحْدَى نَعْلَيْهِ وَتَرَكَ لَهُ الْآخَرَ، وَخَالِدٌ يَقُولُ:
পৃষ্ঠা - ৫৪০৪
سَمْعًا وَطَاعَةً لِأَمِيرِ الْمُؤْمِنِينَ. وَقَدْ رَوَى ابْنُ جَرِيرٍ، عَنْ صَالِحِ بْنِ كَيْسَانَ أَنَّهُ قَالَ: كَانَ أَوَّلَ كِتَابٍ كَتَبَهُ عُمَرُ إِلَى أَبِي عُبَيْدَةَ حِينَ وَلَّاهُ وَعَزَلَ خَالِدًا، أَنْ قَالَ: وَأُوصِيكَ بِتَقْوَى اللَّهِ الَّذِي يَبْقَى وَيَفْنَى مَا سِوَاهُ، الَّذِي هَدَانَا مِنَ الضَّلَالَةِ، وَأَخْرَجَنَا مِنَ الظُّلُمَاتِ إِلَى النُّورِ، وَقَدِ اسْتَعْمَلْتُكَ عَلَى جُنْدِ خَالِدِ بْنِ الْوَلِيدِ، فَقُمْ بِأَمْرِهِمُ الَّذِي يَحِقُّ عَلَيْكَ، لَا تُقَدِّمِ الْمُسْلِمِينَ إِلَى هَلَكَةٍ رَجَاءَ غَنِيمَةٍ، وَلَا تُنْزِلْهُمْ مَنْزِلًا قَبْلَ أَنْ تَسْتَرِيدَهُ لَهُمْ، وَتَعْلَمَ كَيْفَ مَأْتَاهُ، وَلَا تَبْعَثْ سَرِيَّةً إِلَّا فِي كَثْفٍ مِنَ النَّاسِ، وَإِيَّاكَ وَإِلْقَاءَ الْمُسْلِمِينَ فِي الْهَلَكَةِ، وَقَدْ أَبْلَاكَ اللَّهُ بِي وَأَبْلَانِي بِكَ، فَغُضَّ بَصَرَكَ عَنِ الدُّنْيَا، وَأَلْهِ قَلْبَكَ عَنْهَا، وَإِيَّاكَ أَنْ تُهْلِكَكَ كَمَا أَهْلَكَتْ مَنْ كَانَ قَبْلَكَ، فَقَدْ رَأَيْتَ مَصَارِعَهُمْ. وَأَمَرَهُمْ بِالْمَسِيرِ إِلَى دِمَشْقَ، وَذَلِكَ بَعْدَمَا بَلَغَهُ الْخَبَرُ بِفَتْحِ الْيَرْمُوكِ وَجَاءَتْهُ بِهِ الْبِشَارَةُ، وَحُمِلَ الْخُمُسُ إِلَيْهِ. وَقَدْ ذَكَرَ ابْنُ إِسْحَاقَ أَنَّ الصَّحَابَةَ قَاتَلُوا بَعْدَ الْيَرْمُوكِ بِأَجْنَادِينَ، ثُمَّ بِفِحْلٍ مِنْ أَرْضِ الْغَوْرِ قَرِيبًا مِنْ بَيْسَانَ بِمَكَانٍ يُقَالُ لَهُ: الرَّدْغَةُ. سُمِّيَ بِذَلِكَ لِكَثْرَةِ مَا لَقُوا مِنَ الْأَوْحَالِ فِيهَا، ثُمَّ لَمَّا فَرَّتِ الرُّومُ مِنْ هَذِهِ الْوَقْعَةِ أَلْجَأُوهُمْ إِلَى دِمَشْقَ، فَقَصَدُوهُمْ فِيهَا فَأَغْلَقُوهَا عَلَيْهِمْ، وَأَحَاطَ بِهَا الصَّحَابَةُ. قَالَ: وَحِينَئِذٍ جَاءَتِ الْإِمَارَةُ لِأَبِي عُبَيْدَةَ مِنْ جِهَةِ عُمَرَ، وَعُزِلَ خَالِدٌ. وَهَذَا الَّذِي ذَكَرَهُ ابْنُ إِسْحَاقَ
পৃষ্ঠা - ৫৪০৫


করবেন এবং আমার দ্বারা আপনাকে পরীক্ষা করবেন ৷ পার্থিব স্বার্থ থেকে দৃষ্টি ফিরিয়ে
রাখবেন ৷ অম্ভরকে তা থেকে উদাসীন রাখুন ৷ আপনার পুর্ববর্তী লোকগণ যেমন ক্ষতিগ্রস্ত
হয়েছে তেমন ক্ষতি ও ধ্বংস থেকে নিজেকে ৰ্বাচিয়ে রাখবেন ৷ ওদের ধ্বংসস্থান তো আপনি
দেখেছেন ৷

খলীফা তাদেরকে নির্দেশ দিলেন দামেশক অভিমুখে যাত্রা করার জন্যে ৷ হযরত উমর
(রা)-এর পক্ষ থেকে এই চিঠি ও নির্দেশ জারি করা হয়েছিল ইয়ারমুক যুদ্ধ বিজয়ের সংবাদ
প্রাপ্তি ও গনীমতের ই৫ অংশ খলীফার দরবারে জমা হবার পর ৷

ইবন ইসহাক উল্লেখ করেছেন যে, ইয়ারমুক যুদ্ধে বিজয়ী হবার পর সাহারা-ই-কিরাম (রা)
আজনাদায়ন’ যুদ্ধে অংশ নেন ৷ তারপর তারা অংশ নেন ফিহ্ল’ যুদ্ধে ৷ ফিহ্ল হচ্ছে গাওর
অঞ্চলে বীসান-এর নিকটবর্তী রাদপাহ্ নামক স্থানের একটি এলাকা ৷ প্রচুর অড়াঠালো কাদামাটির
কারণে ওই স্থানের নাম রড়াদপাহ্ হয়েছে ৷ স্থানীয় অধিবাসীগণ ওই কাদামাঢি দিয়ে প্রাচীর তুলে
সাহাব-ই-কিরাম-এর গতিরোধ করেছিল ৷ র্তারা চারদিক থেকে ওই এলাকা ঘিরে ফেলেছিলেন ৷
বর্ণনাকারী বলেন, এসময়েই হযরত উমর (রা)-এর পক্ষ থেকে আবু উবায়দা (রা)-কে
সেনাপতি নিযুক্তির ও খালিদ (রা)-এর অপসারণের ফরমান আসে ৷ দামেশক অবরােধের
প্রাক্কালে আবু উবায়দা (রা)-কে সেনাপতি নিযুক্তির ফরমান আমার যে কথা ইবন ইসহাক
উল্লেখ করেছেন তা অতি মশহুর ও প্রসিদ্ধ কথা ৷

দামেশক বিজয়

সায়ফ ইবন উমর বলেন, আবু উবায়দা (বা) সৈন্য বাহিনী নিয়ে ইয়ারমুকে থেকে যাত্রা
করলেন ৷ তিনি মারজ সাকর’ নামক স্থানে এসে শিবির স্থাপন করলেন ৷ তার লক্ষ্য ছিল
দামেশক অবরোধ করা ৷ তখন তার নিকট সংবাদ এল যে, তার সাহায্যে হিমৃস থেকে
অতিরিক্ত সেনাবাহিনী আসছে ৷ তীর নিকট এই সংবাদও এল যে, ফিলিস্তিনের সিংহল নামক
স্থানে রোমানগণ একটি বিশাল সৈন্য বহর সমবেত করেছে ৷ তিনি একটু দ্বিধাপ্রস্ত ছিলেন যে,
প্রথমে কোন কাজটা করবেন ৷ তিনি এ বিষয়ে পরামর্শ চেয়ে খলী ফ৷ উমর (রা)-এর নিকট পত্র
পাঠালেন ৷ উত্তর এল, তিনি যেন প্রথমে দামেশকে অভিযান পরিচালনা করেন ৷ কারণ দামেশক
হলো সিরিয়ার দুর্গ ও রাজধানী ৷ খলীফা লিখলেন, দামেশকের জন্যে প্রস্তুত হন আর একদল
অশ্বারোহী ফিহ্ল অভিমুখে প্রেরণ করে ব্লোমানদেরকে বাধা দিন ৷ দামেশৃক বিজয়ের পুর্বে যদি
ওই অশ্ববাহিনীর হাতে আল্লাহ্ তাআলা ফিহ্লের বিজয় দান করেন তবে তড়াভাে আমাদের
কাম্যই ৷ আর ফিহ্ল বিজয়ের পুর্বে যদি আপনি দামেশৃক জয় করতে পারেন তাহলে দামেশকে
কাউকে আপনার স্থলাভিষিক্ত করে সৈন্য-সামস্তসহ আপনি ফিহ্ল অভিমুখে যাত্রা করবেন ৷ আর
ফিহ্ল জয় করার পর আপনি এবং খালিদ দৃ’জনেই হিমৃস অভিমুখে যাত্রা করবেন ৷ আমর আর
শুৱাহ্বীলকে জর্ডান আর ফিলিস্তিনের দায়িত্ব দিয়ে যাবেন ৷

বর্ণনাকারী বলেন, আবু উবায়দা (রা) দশজন সেনাপতি প্রেরণ করলেন ফিহ্ল অভিমুখে,
প্রত্যেক সেনাপতির অধীনে আরো পাচজন করে সেনাপতি দিলেন ৷ এদের অধীনে সাধারণ
সৈন্য তো ছিলই ৷ ওই অভিযানের প্রধান সেনাপতি নিযুক্ত করলেন সাহাবী আম্মারা ইবন


مِنْ مَجِيءِ الْإِمَارَةِ لِأَبِي عُبَيْدَةَ فِي حِصَارِ دِمَشْقَ هُوَ الْمَشْهُورُ. [فَتْحُ دِمَشْقَ] [كِتَابُ الصُّلْحِ إِلَى أَهْلِ دِمَشْقَ] ذِكْرُ فَتَحِ دِمَشْقَ. قَالَ سَيْفُ بْنُ عُمَرَ: لَمَّا ارْتَحَلَ أَبُو عُبَيْدَةَ مِنَ الْيَرْمُوكِ فَنَزَلَ بِالْجُنُودِ عَلَى مَرْجِ الصُّفَّرِ، وَهُوَ عَازِمٌ عَلَى حِصَارِ دِمَشْقَ إِذْ أَتَاهُ الْخَبَرُ بِقُدُومِ مَدَدٍ لَهُمْ مِنْ حِمْصَ، وَجَاءَهُ الْخَبَرُ بِأَنَّهُ قَدِ اجْتَمَعَ طَائِفَةٌ كَبِيرَةٌ مِنَ الرُّومِ بِفِحْلٍ مِنْ أَرْضِ فِلَسْطِينَ، وَهُوَ لَا يَدْرِي بِأَيِّ الْأَمْرَيْنِ يَبْدَأُ، فَكَتَبَ إِلَى عُمَرَ فِي ذَلِكَ، فَجَاءَ الْجَوَابُ أَنِ ابْدَأْ بِدِمَشْقَ فَإِنَّهَا حِصْنُ الشَّامِ وَبَيْتُ مَمْلَكَتِهِمْ، فَانْهَدْ لَهَا وَاشْغَلُوا عَنْكُمْ أَهْلَ فِحْلٍ بِخُيُولٍ تَكُونُ تِلْقَاءَهُمْ، فَإِنْ فَتَحَهَا اللَّهُ قَبْلَ دِمَشْقَ فَذَلِكَ الَّذِي نُحِبُّ، وَإِنْ فُتِحَتْ دِمَشْقُ قَبْلَهَا فَسِرْ أَنْتَ وَمَنْ مَعَكَ وَاسْتَخْلِفْ عَلَى دِمَشْقَ، فَإِذَا فَتَحَ اللَّهُ عَلَيْكُمْ فِحْلًا فَسِرْ أَنْتَ وَخَالِدٌ إِلَى حِمْصَ وَاتْرُكْ عَمْرًا وَشُرَحْبِيلَ عَلَى الْأُرْدُنِّ وَفِلَسْطِينَ. قَالَ: فَسَرَّحَ أَبُو عُبَيْدَةَ إِلَى فِحْلٍ عَشَرَةَ أُمَرَاءَ، مَعَ كُلِّ أَمِيرٍ خَمْسَةُ أُمَرَاءَ، وَعَلَى الْجَمِيعِ عُمَارَةُ بْنُ مَخْشِيٍّ، صَحَابِيٌّ، فَسَارُوا مِنْ مَرْجِ الصُّفَّرِ إِلَى فِحْلٍ، فَوَجَدُوا الرُّومَ هُنَالِكَ قَرِيبًا مِنْ ثَمَانِينَ أَلْفًا، وَقَدْ أَرْسَلُوا الْمِيَاهَ حَوْلَهُمْ حَتَّى أَرْدَغَتِ الْأَرْضُ، فَسَمَّوْا ذَلِكَ الْمَوْضِعَ الرَّدْغَةَ، وَفَتَحَهَا اللَّهُ عَلَى الْمُسْلِمِينَ، فَكَانَتْ أَوَّلَ حِصْنٍ فُتِحَ قَبِلَ دِمَشْقَ، عَلَى مَا سَيَأْتِي تَفْصِيلُهُ، وَلِلَّهِ الْحَمْدُ.
পৃষ্ঠা - ৫৪০৬


মুখৃশী-কে ৷ তারা মারজুস সাফর’ থেকে ফিহ্ল গিয়ে পৌছলেন ৷ তারা দেখতে পেলেন প্রায়
আশি হাজার রোমান সৈন্য সেখানে প্রস্তুতি নিয়ে আছে ৷ তাদের আশেপাশে তারা প্রচুর পানি
ছেড়ে দিয়েছিল যার ফলে ওই অঞ্চল নরম কাদায় পরিণত হয় ৷ এজন্যে ওই স্থানের নাম
হয়েছে রাদগাহ বা কর্দম অঞ্চল ৷ ওই অভিযানে আল্পাহ্ তাআলা মুসলমানদেরকে বিজয় দান
করেন ৷ দামেশক বিজয়ের পুরু র্ব এটিই মুসলমানদের প্রথম বিজিত দুর্গ ৷ সৰ্বাধিনায়ক আবু
উবায়দা (রা) একদল সৈন্য পাঠালেন যারা অবস্থান গ্রহণ করল দামেশক ও ফিলিস্তিনের
মাঝখানে ৷ ৰু
যুলকিলাএর নেতৃত্বে আরেক দল সৈন্য পাঠালেন দামেশৃক আর র্হিমসের মধ্যবর্তী অঞ্চলে
যাতে হিরাক্লিয়াসের পক্ষ থেকে শত্রু , সৈন্যের নিকট আগমনকারী সাহায্য দলকে তারা
প্রতিরোধ করতে পারে ৷ এরপর আবুউবায়দা (বা) তার দলবলসহ মারজুস সাফর ’ থেকে
দামেশক অভিমুখে যাত্রা করলেন ৷ খালিদ ইবন ওয়ালীদ ছিলেন মুল দলের দায়িত্বে ৷ আর আবু
উবায়দা ও আমর ইবন আন দু’পাশের দ্পুদলের দায়িত্বে ৷ অশ্বৰাহিনীর নেতৃত্বে ছিলেন ইয়ায
ইবন পানাম ৷ পদাতিক বাহিনীর নেতৃত্বে ছিলেন শুরাহ্বীল ইবন হাসানা (রা) ৷ তার৷ দামেশক
এসে পৌছলেন ৷ তখন দামেশকের প্রশাসক ছিল নিসতাস ইবন নাসতুস ৷ হযরত খালিদ (রা)
পুর্ব দরজায় অবস্থান নিলেন ৷ পাশে ছিল কায়সান দরজা, আবু উবায়দা থাকলেন সুবিশাল
জাবিয়া দরজায় নিকট ৷ ইষায়ীদ ইবন আবু সুফিয়ান থাকলেন ছোট জাবিয়৷ দরজায় নিকট ৷
আমর ইবন আস ও শুরাহবী ল ইবন হাসানাহ্ অবস্থান নিলেন শহরের অন্যান্য দরজায় নিকট ৷
তারা কামান ও তােপ প্রস্তুত করে রেখেছিলেন ৷ সৰ্বাধিনায়ক আবু উবায়দা (রা) হযরত আবু
দারদা (রা)-;ক কতক সেনাবাহিনীসহ বাহির এলাকায় নিয়োজিত করেছিলেন যাতে তারা সমগ্র
মুসলিম সেনাবাহিনীকে সাহায্য করতে পারে৷ অনুরুপ হিম্স-এর দিক থেকে আসন্ন শত্রু
সৈন্যদেরকে বাধা দেয়ার জন্যে যে মুসলিম সৈন্যবাহিনী নিয়োজিত ছিল ওদেরকেও যেন তারা
সাহায্য করতে পারে ৷

বন্তুত তারা দামেশক অবরোধ করে রাখেন একাদিক্রমে ৭০ দিন ৭০ রাত ৷ মতান্তরে
অবরোধ চলেছিল : মাস ৷ কারো মতে ৬ মাস ৷ কেউ বলেছেন ১৪ মাস ৷ আল্লাহ্ই ভাল
জানেন ৷

দামেশকের অধিবাসিপণ নিজেদের আত্মরক্ষার জন্যে পুর্ণ প্রস্তুতি ও আপ্রাণ চেষ্টা করেছে ৷
ওদের সম্রটি হিরাক্লিয়াসের নিকট তারা সাহায্য চেয়ে লোক পাঠিরেছে ৷ সম্রাট তখন অবস্থান
করছিল স্থিমৃস নগরীতে ৷ সেনাপতি যুলকিলা-এর বাধার মুখে হিরাল্লিসের পক্ষ থেকে কোন
সাহায্য তাদের নিকট আসতে পারেনি ৷ সর্বাধিনারক আবু উবায়দা (বা) যুলকিলা-কে কতক
সৈনিকসহ নিয়োজিত করেছিলেন দামেশৃক ও হিমসৃ নগরীর মাঝপথে ৷ যাতে হিরাক্লিয়াসের
পক্ষ থেকে দামেশৃক অধিবাসীদের নিকট কোন সাহায্য চাইলে তাতে বাধা দেন ৷ মুলত
হরেছেও তইি ৷ দিনের বেলা তো নয়ই রাতেও কোন সাহায্য আসতে পারেনি ৷ ওরা যখন
নিশ্চিত হলো যে, হিরাক্লিয়াসের পক্ষ থেকে কোন সাহায্য তাদের নিকট আসছে না এবং
আসবে না তখন তারা ভীষণভাবে হতাশ, সাহসহারা ও দুর্বল হয়ে পড়ল ৷ পক্ষান্তরে
মুসলমানগণ অধিকতর সাহসী ও শক্তিশালী হয়ে উঠলেন এবং তাদ্যেঙ্ক অবরোধ কঠিন থেকে


وَبَعَثَ أَبُو عُبَيْدَةَ جَيْشًا يَكُونُ بَيْنَ دِمَشْقَ وَبَيْنَ فِلَسْطِينَ، وَبَعَثَ ذَا الْكَلَاعِ فِي جَيْشٍ يَكُونُ بَيْنَ دِمَشْقَ وَبَيْنَ حِمْصَ ; لِيَرُدَّ مَنْ يَرِدُ إِلَيْهِمْ مِنَ الْمَدَدِ مِنْ جِهَةِ هِرَقْلَ، ثُمَّ سَارَ أَبُو عُبَيْدَةَ مِنْ مَرْجِ الصُّفَّرِ قَاصِدًا دِمَشْقَ، وَقَدْ جَعَلَ خَالِدَ بْنَ الْوَلِيدِ فِي الْقَلْبِ، وَرَكِبَ أَبُو عُبَيْدَةَ وَعَمْرُو بْنُ الْعَاصِ فِي الْمُجَنِّبَتَيْنِ، وَعَلَى الْخَيْلِ عِيَاضُ بْنُ غَنْمٍ،، وَعَلَى الرَّجَّالَةِ شُرَحْبِيلُ ابْنُ حَسَنَةَ، فَقَدِمُوا دِمَشْقَ وَعَلَيْهَا نِسْطَاسُ بْنُ نَسْطُورَسَ، فَنَزَلَ خَالِدُ بْنُ الْوَلِيدِ عَلَى الْبَابِ الشَّرْقِيِّ وَإِلَيْهِ بَابُ كَيْسَانَ أَيْضًا، وَنَزَلَ أَبُو عُبَيْدَةَ عَلَى بَابِ الْجَابِيَةِ الْكَبِيرِ، وَنَزَلَ يَزِيدُ بْنُ أَبِي سُفْيَانَ عَلَى بَابِ الْجَابِيَةِ الصَّغِيرِ، وَنَزَلَ عَمْرُو بْنُ الْعَاصِ وَشُرَحْبِيلُ ابْنُ حَسَنَةَ عَلَى بَقِيَّةِ أَبْوَابِ الْبَلَدِ، وَنَصَبُوا الْمَجَانِيقَ وَالدَّبَّابَاتِ وَقَدْ أَرْصَدَ أَبُو عُبَيْدَةَ أَبَا الدَّرْدَاءِ عَلَى جَيْشٍ بِبَرْزَةَ يَكُونُونَ رِدْءًا لَهُ، وَكَذَا الَّذِي بَيْنَهُ وَبَيْنَ حِمْصَ، وَحَاصَرُوهَا حِصَارًا شَدِيدًا سَبْعِينَ لَيْلَةً، وَقِيلَ: أَرْبَعَةَ أَشْهُرٍ. وَقِيلَ: سِتَّةَ أَشْهُرٍ. وَقِيلَ: أَرْبَعَةَ عَشَرَ شَهْرًا. فَاللَّهُ أَعْلَمُ. وَأَهْلُ دِمَشْقَ مُمْتَنِعُونَ مِنْهُمْ غَايَةَ الِامْتِنَاعِ، وَيُرْسِلُونَ إِلَى مَلِكِهِمْ هِرَقْلَ وَهُوَ مُقِيمٌ بِحِمْصَ يَطْلُبُونَ مِنْهُ الْمَدَدَ، فَلَا يُمْكِنُ وُصُولُ الْمَدَدِ إِلَيْهِمْ مِنْ ذِي الْكَلَاعِ الَّذِي قَدْ أَرْصَدَهُ أَبُو عُبَيْدَةَ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ بَيْنَ دِمَشْقَ وَبَيْنَ حِمْصَ - عَنْ دِمَشْقَ لَيْلَةً - فَلَمَّا أَيْقَنَ أَهْلُ دِمَشْقَ أَنَّهُ لَا يَصِلُ
পৃষ্ঠা - ৫৪০৭


কঠিনতর হলো ৷ এক পর্যায়ে শীত মওসুম এসে গেল ৷ প্রচণ্ড ঠাণ্ডা শুরু হলো ৷ সেখানে অবস্থান
এবং যুদ্ধ পরিচালনা দু’টোই কষ্টকর হয়ে উঠল ৷ এমন এক ক্রান্তিলগ্রে সর্বোচ্চ সুমহান আল্লাহ্
তাআল৷ একটি বিশেষ পরিস্থিতি সৃষ্টি করে দিলেন ৷ ওই সময়েই একরাতে ওদের জনৈক
সেনাপতির একটি ছেলে জন্য নেয় ৷ এক রাতে সে এই উপলক্ষে ভোজের আয়োজন করে ৷
সকলে ইচ্ছা মত ভুড়িভােজন করে এবং পরে পানীয় পান করে ৷ রাতে ওরা ওখানেই অবস্থান
করে ৷ অতিরিক্ত খাবার দাবার পানাহার ও ক্লান্তিতে তারা ওখানে ঘুমিয়ে পড়ে ৷ তাদের
পাহারার স্থান এবং নির্ধারিত দায়িত্বের কথা রেমালুম ভুলে গিয়ে তারা ওখানে নাক তাকিয়ে
ঘুমাতে থাকে ৷ সেনাপতি খালিদ ইবন ওয়ালীদ (বা) তা উপলব্ধি করেছিলেন ৷ কারণ তিনি
নিজেও ঘুমাতেন না, তার অধীনস্থ অন্য কাউকেও ঘুমাতে দিতেন না ৷ বরং দিনে-রাতে
ন্ সার্বক্ষণিক তিনি অত্যন্ত স৩ র্কতার সাথে শত্রুবাহিনীর পতিবিধি লক্ষ্য করতেন ৷ তা দ্বারা তার
কিছু গুপ্তচর ও গোয়েন্দা ছিল যারা সকাল ন্ধ্য৷ যুদ্ধের পরিস্থিতি তাকে জানাত ৷

হযরত খালিদ (রা) যখন ওই রাতে দুর্গের ভেতর থেকে আগুন শিখা লক্ষ্য করলেন এবং
প্রাচীরের উপর পাহারা দিতে যুদ্ধ করতে কেউ আসছে না তখন তিনি রশি দিয়ে নই বানালেন ৷
তারপর তিনি নিজে এবং তার নেতৃস্থানীয় সাথী যেমন কাকা ইবন আমর ও মাযউর ইবন
আদীকে নিয়ে প্রস্তুত হলেন ৷ তার অধীনস্থসৈন্যদেরকে ফটকের কাছে এসে প্রস্তুত রাখলেন ৷
তাদেরকে নির্দেশ দিয়ে বললেন, প্রাচীরের উপর আমাদের তাকবীর ধ্বনি শোনার সাথে সাথে
তোমরা আমাদের নিকট উঠে আসবে ৷ তিনি এবং তার সাথিগণ এগিয়ে গেলেন ৷ প ৷লায় ভীরের
থলি নিয়ে সা৩ ন্রিয়ে তারা পরিখা পার হলেন ৷ র্তারা মইগুলে৷ স্থাপন করলেন ৷ মইয়ের
উপরিভা গ স্থাপন করলেন প্রাচীরের উপরিভাগে আর নিম্নতাপ স্থাপন করলেন পরিখার বইিরে ৷
তারা সিড়ি বেয়ে উপরে উঠলেন ৷ প্রাচীরের উপর দাড়িয়ে তারা সজাে রে ও উভৈচ্চ৪স্বরে তাকবির
ধ্বনি দিলেন ৷ সাথে সাথে অপেক্ষমাণ মুসলিম সৈনিকপণ দৌড়ে এসে মই যেয়ে প্রাচীরে উঠে
পেল ৷ হযরত খালিদ ও তার সাহসী সাথিগণ কালবিলম্ব না করে প্রাচীরের উপর থেকে বাপিয়ে
পড়লেন প্রহরীদের উপর ৷ ওদেরকে র্তারা হত্যা করলেন ৷ তিনি ও তার সাথিগণ তরবারির
আঘাতে দরজার সকল তালা কােট ফেললেন এবং প্রবল আক্রমণে দরজাওলো খুলে
ফেললেন ৷ হযরত খালিদের অনুপ্যমী বাহিনী পুর্ব দরজা দিয়ে ভেতরে প্রবেশ করে ৷ নগরের
অধিবাসিগণ তাকবির ধ্বনি শুনে হতচকিত হয়ে দৌড়াদৌড়ি শুরু করে দেয় ৷ প্রত্যেক দল
তাদের নির্দিষ্ট স্থানে নিয়ে পৌছে ৷ প্রকৃত ঘটনা তাদের কারো জানা ছিল না ৷ পুর্ব দরজার
দায়িত্বে ছিল যারা তারা সেদিকে এগিয়ে আমার সাথে সাথে খালিদ বাহিনী তাদেরকে হত্যা
করছিল ৷

বীরবিক্রাম এবং আক্রমণাত্মকভাবে সেনাপতি খালিদ নগরে প্রবেশ করেন ৷ তিনি যাকেই
সম্মুখে পাচ্ছিলেন হত্যা করছিলেন ৷ প্রত্যেক দরজা র পাহারার নিয়োজিত রোমান প্রহরীগণ ওই
দরজার বাহিরে নিয়োজিত মুসলিম সেনাপতির নিকট সন্ধির প্রস্তাব পাঠাল ৷ মুসলিম
সেনাপতিগণ সন্ধি প্রস্তাব গ্রহণ করলেন ৷ ইতিপুর্বে মুসলমানগণ ওদেরকে বিতর্কে অবতীর্ণ
হবার আহবান জানিয়ে-ছিলেন কিভু ওরা তাতে সাড়া দেয়নি ৷ এবং ওরা প্রস্তাব ষ্ায়েছে
মুসলমানগণ তা গ্রহণ করেছেন ৷ হযরত খালিদ (রা) কি সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, কােনৃ ব্যবস্থা গ্রহণ


إِلَيْهِمْ مَدَدٌ أَبْلَسُوا وَفَشِلُوا وَضَعُفُوا، وَقَوِيَ الْمُسْلِمُونَ وَاشْتَدَّ حِصَارُهُمْ، وَجَاءَ فَصْلُ الشِّتَاءِ وَاشْتَدَّ الْبَرْدُ وَعَسُرَ الْحَالُ وَعَسُرَ الْقِتَالُ، فَقَدَّرَ اللَّهُ الْكَبِيرُ الْمُتَعَالِي، ذُو الْعِزَّةِ وَالْجَلَالِ، أَنْ وُلِدَ لِبِطْرِيقِ دِمَشْقَ مَوْلُودٌ فِي تِلْكَ اللَّيَالِي، فَصَنَعَ لَهُمْ طَعَامًا وَسَقَاهُمْ بَعْدَهُ شَرَابًا، وَبَاتُوا عِنْدَهُ فِي وَلِيمَتِهِ قَدْ أَكَلُوا وَشَرِبُوا وَتَعِبُوا، فَنَامُوا عَنْ مَوَاقِفِهِمْ، وَاشْتَغَلُوا عَنْ أَمَاكِنِهِمْ، وَفَطِنَ لِذَلِكَ أَمِيرُ الْحَرْبِ خَالِدُ بْنُ الْوَلِيدِ، فَإِنَّهُ كَانَ لَا يَنَامُ، وَلَا يَتْرُكُ أَحَدًا يَنَامُ، بَلْ مُرَاصِدٌ لَهُمْ لَيْلًا وَنَهَارًا، وَلَهُ عُيُونٌ وَقُصَّادٌ يَرْفَعُونَ إِلَيْهِ أَحْوَالَ الْمُقَاتِلَةِ صَبَاحًا وَمَسَاءً، فَلَمَّا رَأَى خَمْدَةَ تِلْكَ اللَّيْلَةِ، وَأَنَّهُ لَا يُقَاتِلُ عَلَى السُّورِ أَحَدٌ، كَانَ قَدْ أَعَدَّ سَلَالِيمَ مِنْ حِبَالٍ، فَجَاءَ هُوَ وَأَصْحَابُهُ مِنَ الصَّنَادِيدِ الْأَبْطَالِ، مِثْلَ الْقَعْقَاعِ بْنِ عَمْرٍو وَمَذْعُورِ بْنِ عَدِيٍّ، وَقَدْ أَحْضَرَ جَيْشَهُ عِنْدَ الْبَابِ، وَقَالَ لَهُمْ: إِذَا سَمِعْتُمْ تَكْبِيرَنَا فَوْقَ السُّورِ فَارْقَوْا إِلَيْنَا. ثُمَّ نَهَدَ هُوَ وَأَصْحَابُهُ فَقَطَعُوا الْخَنْدَقَ سِبَاحَةً بِقِرَبٍ فِي أَعْنَاقِهِمْ، ثُمَّ نَصَبُوا تِلْكَ السَّلَالِمَ وَأَثْبَتُوا أَعَالِيهَا بِالشُّرُفَاتِ، وَأَكَّدُوا أَسَافِلَهَا خَارِجَ الْخَنْدَقِ، وَصَعِدُوا فِيهَا، فَلَمَّا اسْتَوَوْا عَلَى السُّورِ رَفَعُوا أَصْوَاتَهُمْ بِالتَّكْبِيرِ، وَجَاءَ الْمُسْلِمُونَ فَصَعِدُوا فِي تِلْكَ السَّلَالِمِ وَانْحَدَرَ خَالِدٌ وَأَصْحَابُهُ الشُّجْعَانُ مِنَ السُّورِ إِلَى الْبَوَّابِينَ فَقَتَلُوهُمْ، وَقَطَعَ خَالِدٌ وَأَصْحَابُهُ أَغَالِيقَ الْبَابِ بِالسُّيُوفِ وَفَتَحُوا الْبَابَ، فَدَخَلَ الْجَيْشُ الْخَالِدِيُّ مِنَ الْبَابِ الشَّرْقِيِّ، وَلَمَّا سَمِعَ أَهْلُ الْبَلَدِ التَّكْبِيرَ ثَارُوا، وَذَهَبَ كُلُّ فَرِيقٍ إِلَى أَمَاكِنِهِمْ مِنَ السُّورِ، لَا يَدْرُونَ مَا الْخَبَرُ، فَجَعَلَ كُلَّمَا قَدِمَ أَحَدٌ مِنْ أَصْحَابِ الْبَابِ الشَّرْقِيِّ قَتَلَهُ أَصْحَابُ خَالِدٍ، وَدَخَلَ خَالِدٌ الْبَلْدَةَ عَنْوَةً، فَقَتَلَ مَنْ
পৃষ্ঠা - ৫৪০৮
وَجَدَهُ، وَذَهَبَ أَهْلُ كُلِّ بَابٍ فَسَأَلُوا مِنْ أَمِيرِهِمُ الَّذِي عِنْدَ الْبَابِ مِنْ خَارِجٍ الصُّلْحَ - وَقَدْ كَانَ الْمُسْلِمُونَ دَعَوْهُمْ إِلَى الْمُشَاطَرَةِ فَيَأْبَوْنَ عَلَيْهِمْ - فَلَمَّا دَعَوْهُمْ إِلَى ذَلِكَ أَجَابُوهُمْ، وَلَمْ يَعْلَمْ بَقِيَّةُ الصَّحَابَةِ مَا صَنَعَ خَالِدٌ، وَدَخَلَ الْمُسْلِمُونَ مِنْ كُلِّ جَانِبٍ وَبَابٍ، فَوَجَدُوا خَالِدًا وَهُوَ يَقْتُلُ مَنْ وَجَدَهُ، فَقَالُوا لَهُ: إِنَّا قَدْ أَمَّنَّاهُمْ. فَقَالَ: إِنِّي فَتَحْتُهَا عَنْوَةً. وَالْتَقَتَ الْأُمَرَاءُ فِي وَسَطِ الْبَلَدِ عِنْدَ كَنِيسَةِ الْمِقْسِلَّاطِ بِالْقُرْبِ مِنْ دَرْبِ الرَّيْحَانِ الْيَوْمَ. هَكَذَا ذَكَرَهُ سَيْفُ بْنُ عُمَرَ وَغَيْرُهُ، وَهُوَ الْمَشْهُورُ أَنَّ خَالِدًا فَتَحَ الْبَابَ قَسْرًا. وَقَالَ آخَرُونَ: بَلِ الَّذِي فَتَحَهَا عَنْوَةً أَبُو عُبَيْدَةَ، وَقِيلَ: يَزِيدُ بْنُ أَبِي سُفْيَانَ، وَخَالِدٌ صَالَحَ أَهْلَ الْبَلَدِ. فَعَكَسُوا الْمَشْهُورَ الْمَعْرُوفَ. وَاللَّهُ أَعْلَمُ. وَقَدِ اخْتَلَفَ الصَّحَابَةُ، فَقَالَ قَائِلُونَ: هِيَ صُلْحٌ. يَعْنِي عَلَى مَا صَالَحَهُمُ الْأَمِيرُ فِي نَفْسِ الْأَمْرِ، وَهُوَ أَبُو عُبَيْدَةَ. وَقَالَ آخَرُونَ: بَلْ هِيَ عَنْوَةٌ. لِأَنَّ خَالِدًا افْتَتَحَهَا بِالسَّيْفِ أَوَّلًا كَمَا ذَكَرْنَا، فَلَمَّا أَحَسُّوا بِذَلِكَ ذَهَبُوا إِلَى بَقِيَّةِ الْأُمَرَاءِ، وَمِنْهُمْ أَبُو عُبَيْدَةَ فَصَالَحُوهُمْ، فَاتَّفَقُوا فِيمَا بَيْنَهُمْ عَلَى أَنْ جَعَلُوا نِصْفَهَا صُلْحًا وَنِصْفَهَا عَنْوَةً، فَمَلَكَ أَهْلُهَا نِصْفَ مَا كَانَ بِأَيْدِيهِمْ وَأُقِرُّوا عَلَيْهِ، وَاسْتَقَرَّتْ يَدُ الصَّحَابَةِ عَلَى النِّصْفِ. وَيُقَوِّي هَذَا مَا ذَكَرَهُ سَيْفُ بْنُ عُمَرَ مِنْ أَنَّ الصَّحَابَةَ كَانُوا يَطْلُبُونَ إِلَيْهِمْ أَنْ يُصَالِحُوهُمْ عَلَى الْمُشَاطَرَةِ فَيَأْبَوْنَ، فَلَمَّا أَحَسُّوا بِالْيَأْسِ أَنَابُوا إِلَى مَا كَانَتِ الصَّحَابَةُ دَعَوْهُمْ إِلَيْهِ فَبَادَرُوا إِلَى إِجَابَتِهِمْ. وَلَمْ يَعْلَمِ الصَّحَابَةُ بِمَا كَانَ مِنْ خَالِدٍ إِلَيْهِمْ. وَاللَّهُ أَعْلَمُ.
পৃষ্ঠা - ৫৪০৯


করোছা অবশিষ্ট মুসলমানগণ তা তাৎক্ষণিক অবগত ছিলেন না ৷ তাই র্তারা সন্ধির প্রস্তাব
মেনে নিয়েছিলেন ৷ এবার মুসলমানগণ প্রত্যেক দিক ও দরজা দিয়ে প্রবেশ করতে শুরু করেন ৷
তারা দেখতে পেলেন যে, হযরত খালিদ (রা) রোমানদের যাকেই পাচ্ছেন তাকেই হত্যা
বৰাছা৷ অন্যান্য মুসলিম সেনাপতি বললেন, আমরা তো ওদেরকে নিরাপত্তা দিয়েছি ৷ খালিদ
(রা) বললেন, আমি এই নগর জয় করেছি যুদ্ধ করে, সগ্রোম করে, শক্তি প্রয়োগ করে ৷ তারপর
সকল সেনাপতি একত্রিত হলেন শহরের মধ্যস্থাল মুকসিলাতের গির্জার ৷ সেটি ছিল এখনকার
রায়হান সেনানিবাসের কাছে ৷ সায়ফ ইবন উমর ও অন্যরা এরুপই বর্ণনা করেছেন যে, হযরত
খালিদ (রা) শক্তিপ্রয়ােগে এবং যুদ্ধ করে ওই দরজা জয় করেছেন এবং এটিই প্রসিদ্ধ অভিমত ৷
অন্যরা বলেছেন যে, শক্তিপ্রায়াগে দামেশৃক জয় করেছেন আবু উবায়দা (রা) ৷ কেউ বলেছেন,
ইয়াযীদ ইবন আবী সুফিয়ান জয় করেছেন, আবার কারো মতে খালিদ (রা) সেটা জয় করেছেন
সন্ধির মাধ্যমে ৷ এ মন্তব্য প্রসিদ্ধ অভিমতের সম্পুর্ণ বিপরীত বটে ৷ অল্লোহ্ই ভাল জানেন ৷
এ বিষয়ে সাহাবড়া-ই-কিরাম (রা) ভিন্ন জ্যি মত পোষণ করেছেন ৷ কেউ বলেছেন
সেনাপতি আবু উবায়দা সন্ধি স্থাপনের মাধ্যমে জয় করেছেন ৷ অন্যরা বলেছেন শক্তিপ্রয়ােপে
জয় করেছেন ৷ কারণ সর্বপ্রথম তরবারির আক্রমণ দ্বারা তিনি বিজয়ের সুচনা করেন ৷ হযরত
খালিদের প্রবল আক্রমণের কথা উপলব্ধি করার পর ওরা অন্যান্য সেনাপতির নিকট যায় ৷ ওই
সেনাপতিদের সাথে আর উবায়দা (রা)-ও ছিলেন ৷ তারপর সন্ধি স্থাপিত হয় ৷ বন্তুত তারা
একমত হয়েছেন যে, দামেশৃক নগরীর অর্ধেক বিজিত হয়েছে শক্তি প্রয়োগের মাধ্যমে আর
অর্ধেক বিজিত হয়েছে সন্ধি স্থাপনের মাধ্যমে ৷ এজন্যে ওখানকার অধিবাসিগণ ওদের
ধন-সম্পদের অর্ধেকের মালিক থেকে গেল আর তারা ওখানে বসবাসের অধিকারও পেল ৷ আর
অবশিষ্ট অর্ধেকের মালিক হলেন সাহারা-ইকিরাম তথা মুসলিম মুজাহিদগণ ৷ সায়ফ ইবন
উমরেব মন্তব্য উপরোক্ত অভিমতকে সমর্থন ও শক্তি (জাপায় ৷ সায়ফ ইবন উমর মন্তব্য
করেছেন যে, সাহারা-ই-কিংাম (রা) ওই খ্রিক্টানদ্যে৷ নিকট সন্ধি স্থাপনের প্রস্তাব দিয়েছিলেন ৷
কিভৃতারা তখন তা প্রত্যাখ্যান করেছিল আর এখন যখন তারা বিজয় অর্জন ও সম্রাটের পক্ষ
থেকে সাহায্য আসা সম্বন্ধে নিরাশ হয়ে পড়ল তখন তারা সাহাবীদের দেয়া প্রস্তাবের প্রতি ছুটে
চলল এবং অবিলম্বে ওই প্রস্তাবে সাড়া দিল তা গ্রহণ করে নিল ৷ ইতিপুর্বে হযরত খালিদের
নেয়া সিদ্ধান্ত ও ব্যবস্থা সম্পর্কে অন্যান্য সাহাবী অবগত ছিলেন না ৷ আল্লাহ্ ভাল জানেন ৷
এজন্যে দামেশৃকের সর্ববৃহৎ গির্জা ইউহানা গির্জার অর্ধেক মাত্র সাহারা-ই-কিরাম দখলে
নিয়েছিলেন এবং সেটির পুর্ব অংশে মসজিদ নির্মাণ করেছিলেন ৷ আরপশ্চিম অর্ধেক ওদেৱই
থাকল ৷ ওটা ওদের গির্জা হিসেবেই থাকল ৷ ওই গির্জার অর্ধেকের সাথে আরো ১৪টি গির্জা
সাহারা-ই-কিরাম স্থানীয় রোমানদের জন্যে ছোড় দিয়েছিলেন ৷ উক্ত ইউহানা গির্জা এখন
দামেশকের জামে মসজিদ হিসেবে পরিচিত ৷ সেনাপতি খড়ালিদ ইবন ওয়ালীদ এ বিষয়ে ওদের
সাং লিখিত চুক্তি করেন ৷ সাক্ষী হিসেবে ওই চুক্তিপত্রে স্বাক্ষর করেন আবু উবায়দা, আমর
,ইবন আস, ইয়াযীদ এবং শুরাহ্ৰীল (রা) ৷ ওইসব গির্জার একটি হলো মুকসিলাতের গির্জা ৷
দ্যমেশৃক বিজয়ের পর নেতৃস্থানীয় সাহবাে-ই-কিরাম ওখানে সমবেত হয়েছিলেন ৷ একটি বড়
বাজারের উপকণ্ঠে ওই গির্জা নির্মিত হয়েছিল ৷ সাবুনীন বাজারে দৃশ্যমান সেতুটি ওই গির্জার


وَلِهَذَا أَخَذَ الصَّحَابَةُ نِصْفَ الْكَنِيسَةِ الْعُظْمَى الَّتِي كَانَتْ بِدِمَشْقَ، وَتُعْرَفُ بِكَنِيسَةِ يُوحَنَّا، فَاتَّخَذُوا الْجَانِبَ الشَّرْقِيَّ مِنْهَا مَسْجِدًا، وَأَبْقَوْا لَهُمُ النِّصْفَ الْغَرْبِيَّ كَنِيسَةً، وَقَدْ أَبْقَوْا لَهُمْ مَعَ ذَلِكَ أَرْبَعَ عَشْرَةَ كَنِيسَةً أُخْرَى مَعَ نِصْفِ الْكَنِيسَةِ الْمَعْرُوفَةِ بِيُوحَنَّا، وَالَّتِي هِيَ جَامِعُ دِمَشْقَ الْيَوْمَ، وَقَدْ كَتَبَ لَهُمْ بِذَلِكَ خَالِدُ بْنُ الْوَلِيدِ كِتَابًا، وَكَتَبَ فِيهِ شَهَادَتَهُ أَبُو عُبَيْدَةَ وَعَمْرُو بْنُ الْعَاصِ وَيَزِيدُ وَشُرَحْبِيلُ ; إِحْدَاهَا كَنِيسَةُ الْمِقْسِلَّاطِ الَّتِي اجْتَمَعَ عِنْدَهَا أُمَرَاءُ الصَّحَابَةِ، وَكَانَتْ مَبْنِيَّةً عَلَى ظَهْرِ السُّوقِ الْكَبِيرِ، وَهَذِهِ الْقَنَاطِرُ الْمُشَاهَدَةُ فِي سُوقِ الصَّابُونِيِّينَ مِنْ بَقِيَّةِ الْقَنَاطِرِ الَّتِي كَانَتْ تَحْتَهَا، ثُمَّ بَادَتْ فِيمَا بَعْدُ، وَأُخِذَتْ حِجَارَتُهَا فِي الْعِمَارَاتِ. الثَّانِيَةُ: كَنِيسَةٌ كَانَتْ فِي رَأْسِ دَرْبِ الْقُرَشِيِّينَ، وَكَانَتْ صَغِيرَةً. قَالَ الْحَافِظُ ابْنُ عَسَاكِرَ: وَبَعْضُهَا بَاقٍ إِلَى الْيَوْمِ، وَقَدْ تَشَعَّثَتْ. الثَّالِثَةُ: كَانَتْ بِدَارِ الْبِطِّيخِ الْعَتِيقَةِ. قُلْتُ: وَهِيَ دَاخِلُ الْبَلَدِ بِقُرْبِ الْكُوشَكِ، وَأَظُنُّهَا هِيَ الْمَسْجِدُ الَّذِي قِبَلَ هَذَا الْمَكَانِ الْمَذْكُورِ، فَإِنَّهَا خَرِبَتْ مِنْ دَهْرٍ. وَاللَّهُ أَعْلَمُ. الرَّابِعَةُ: كَانَتْ بِدَرْبِ بَنِي نَصْرٍ بَيْنَ دَرْبِ الْحَبَّالِينَ وَدَرْبِ التَّمِيمِيِّ. قَالَ الْحَافِظُ ابْنُ عَسَاكِرَ: وَقَدْ أَدْرَكْتُ بَعْضَ بُنْيَانِهَا، وَقَدْ خَرِبَ أَكْثَرُهَا. الْخَامِسَةُ: كَنِيسَةُ بُولِصَ. قَالَ ابْنُ عَسَاكِرَ: وَكَانَتْ غَرْبِيَّ الْقَيْسَارِيَّةِ الْفَخْرِيَّةِ، وَقَدْ أَدْرَكْتُ مِنْ بُنْيَانِهَا بَعْضَ أَسَاسِ الْحَنْيَةِ. السَّادِسَةُ: كَانَتْ فِي مَوْضِعِ دَارِ الْوَكَالَةِ، وَتُعَرَفُ الْيَوْمَ بِكَنِيسَةِ الْقَلَانِسِيِّينَ. قُلْتُ: وَالْقَلَانِسِيِّينَ هِيَ الْخَوَّاصِينَ الْيَوْمَ. السَّابِعَةُ: الَّتِي بِدَرْبِ السَّقِيلِ الْيَوْمَ، وَتُعْرَفُ بِكَنِيسَةِ حُمَيْدِ بْنِ دُرَّةَ سَابِقًا ; لِأَنَّ هَذَا الدَّرْبَ كَانَ إِقْطَاعًا لَهُ، وَهُوَ حُمَيْدُ بْنُ عَمْرِو بْنِ مُسَاحِقٍ الْقُرَشِيُّ الْعَامِرِيُّ، وَدُرَّةُ أُمُّهُ، وَهِيَ
পৃষ্ঠা - ৫৪১০


পাদদেশে অবস্থিত সেতুর ধ্ৎসাবশেষ ৷ পরবর্তীতে ওই সেতু নষ্ট হয়ে যায় এবং পাথরগুলো
ইমরাত নির্মাণের জন্যে নিয়ে যাওয়া হয় ৷ দ্বিতীয়টি হলো কারশীল সেন্যনিবাসের মাথায় ৷ এটি
ছিল অপেক্ষাকৃত ক্ষুদ্র ৷
হাফিজ ইবন আসাকির বলেন, সেটির কিছু অংশ এখনো অবশিষ্ট আছে ৷ তবে তা শ্ৰীহীন
ও ভাঙ্গা চাের৷ ৷ তৃতীয়টি ছিল বাভীখ আল আতীকা মহল্পায় ৷ আমি বলি সেটি ছিল নগরীর
অভ্যন্তরে কাউশেক এর নিকটে ৷ আমি মনে করি ওখানে ইতিপুর্বে যে মসজিদটি ছিল সেটিই
ওই গির্জার স্থলাভিষিক্ত হয়েছিল ৷ কালপরিত্রুমায় ওই গির্জা ধ্বংস হয়ে যায় ৷ আল্লাহ্ ভাল
জানেন ৷
ওদেরকে ছেড়ে দেয়া : র্থ গির্জা হলো বানু নাসর ফটকের গির্জা ৷ এটি হাবালীন ফটক ও
তামীমী ফটকের মধ্যবর্তী স্থানে অবস্থিত ছিল ৷ হাফিজ ইবন আসাকির বলেন, সেটির
ৎসবেঃশষ আমি দেখেছি ৷ তবে এর অধিকাংশ বিনষ্ট হয়ে গিয়েছিল ৷ ৫ম গির্জাটি ছিল পুলিশ
গির্জা ৷ ইবন আসাকির বলেছেন, এটি ছিল কায়মারিয়া-আল ফাখরিয়্যার পশ্চিম প্রান্তে
অবস্থিত ৷ সেটির ভবনের কতক ক্াত হয়ে যাওয়া স্তম্ভ আমি দেখতে পেয়েছি ৷ ৬ষ্ঠ গির্জা ছিল
উকিল ভবনের পাশে ৷ সেটি এখন কিলানসীন গির্জা নামে পরিচিত ৷ আমি বলি কিলানসীন
হলো এ যুগের হাওয়াহীন ৷ ৭ম গির্জা হলো এখনকার সাকীল ফটকের পাশে অবস্থিত গির্জা ৷
পুর্বে এটি হুমায়দ ইবন দাররাহ্ এর গির্জা নামে পরিচিত ছিল ৷ কারণ এই এলাকা তার
মালিকানায় ছিল ৷ তিনি হলেন, হুমায়দ ইবন আমর ইবন মুসাহিক কুরাশী আমিরী ৷ দাররাহ
তার মায়ের নাম ৷ তিনি হলেন দাররাহ বিনত হাশিম ইবন উতবা ইবন ৱাবীআ, তার বাবা
হলেন মুআবিয়া এর মামা ৷ এই ফটকটি তিনি নিজের নামে বরাদ্দ করে রেখেছিলেন ৷৩ তাই
গির্জাটি তার নামে পরিচিতি লাভ করেছে ৷ হুমায়দ ইবন ছাররা মুসলমান ছিলেন ৷ এই গির্জা
ব্যভীত ওদের অন্য কোন গির্জা অবশিষ্ট নেই ৷ এটিরও অধিকাংশ স্থান নষ্ট হয়ে গিয়েছে ৷
ইয়াকুবিয়্যাহ্ অঞ্চলে ওদের একটি গির্জা আছে ৷ সেটি খৃালিদের জমিদারী ও তালহা ইবন
আযিরের ফটকের মাঝে তৃম৷ দরজার অভ্যন্তরে ৷ এই খালিদ হলো খালিদ ইবন উসায়দ ইবন
আবী ঈসৃ ৷ এটি ৮ম গির্জা ৷ ইয়াকুবী সম্প্রদায়ের অন্য একটি গির্জা ছিল ত ৷নাবী ফটক ও আলী
বাজারের মধ্যখানে ৷ ইবন আসাকির বলেন, ওই গির্জার কিছু প্রাচীর এখনও অবশিষ্ট আছে ৷
মুল গির্জা অনেক আগে নষ্ট হয়ে গিয়েছে ৷ এটি ৯ম গির্জা ৷ ওদের দখলে থাকা ১ :ম গির্জা
হলো ঘুসাল্লাবাহ্ গির্জা ৷ হাফিজ ইবন আসাকির বলেন, সেটি এখনও অবশিষ্ট আছে ৷ সেটি পুর্ব
দরজা ও তুমা দরজার মধ্যবর্তী প্রাচীরের কাছাকাছি নীবতানএর নিকটে অবস্থিত ৷ এখনকার
লোকজন ওই স্থানকে নীবতন-এর পরিবর্তে নীভুন’ বলে ৷ ইবন আসাকির বলেন, সেটিরও
অধিকাংশ বিনষ্ট হয়ে গিয়েছে ৷ হাফিজ ইবন আসাকিরএর মৃত্যুর ৫৮০ বছর পর বায়তৃল
মুকাদ্দাস বিজেতা সালাহ্উদ্দীন-এর হাতে ওই গির্জা ধবৃৎস ও সম্পুর্ণ বিনষ্ট হয়ে যায় ৷
ওদের ১ ১তম গির্জা হলো মারয়াম গির্জা ৷ এটি পুর্ব দরজার ভেতরে ছিল ৷ ইবন আসাকির
(র) বলেন, ওদের হাতে যে গির্জাগুলাে ছিল, সেগুলোর মধ্যে এটি অন্যতম বড় গির্জা ৷ আমি
বলি, তার মৃত্যুর দীর্ঘদিন পর বাদশাহ যাইির রুকনুদ্দীন বায়বারস বুন্দুকদারী-এর শাসনামলে
এই গির্জা ধ্বংস হয় ৷ এ বিষয়ে একটু পরে আলোচনা হবে ৷


دُرَّةُ بِنْتُ أَبِي هَاشِمِ بْنِ عُتْبَةَ بْنِ رَبِيعَةَ، فَأَبُوهَا خَالُ مُعَاوِيَةَ. وَكَانَ قَدْ أُقْطِعُ هَذَا الدَّرْبَ فَنُسِبَتْ هَذِهِ الْكَنِيسَةُ إِلَيْهِ، وَكَانَ مُسَلِمًا، وَلَمْ يَبْقَ لَهُمُ الْيَوْمَ سِوَاهَا، وَقَدْ خَرِبَ أَكْثَرُهَا. وَلِلْيَعْقُوبِيَّةِ مِنْهُمْ كَنِيسَةٌ دَاخِلَ بَابِ تُومَا بَيْنَ رَحْبَةِ خَالِدٍ - وَهُوَ خَالِدُ بْنُ أَسِيدِ بْنِ أَبِي الْعِيصِ - وَبَيْنَ دَرْبِ طَلْحَةَ بْنِ عَمْرِو بْنِ مُرَّةَ الْجُهَنِيِّ، وَهِيَ الْكَنِيسَةُ الثَّامِنَةُ، وَكَانَتْ لِلْيَعْقُوبِيِّينِ كَنِيسَةٌ أُخْرَى فِيمَا بَيْنَ السُّوسِيِّ وَسُوقِ عَلِيٍّ. قَالَ ابْنُ عَسَاكِرَ: قَدْ بَقِيَ مِنْ بِنَائِهَا بَعْضُهُ، وَقَدْ خَرِبَتْ مُنْذُ دَهْرٍ. وَهَى الْكَنِيسَةُ التَّاسِعَةُ. وَأَمَّا الْعَاشِرَةُ فَهِيَ الْكَنِيسَةُ الْمُصَلَّبَةُ، قَالَ الْحَافِظُ ابْنُ عَسَاكِرَ: وَهِيَ بَاقِيَةٌ إِلَى الْيَوْمِ بَيْنَ الْبَابِ الشَّرْقِيِّ وَبَابِ تُومَا بِقُرْبِ النَّيْبَطُنِ عِنْدَ السُّورِ. وَالنَّاسُ الْيَوْمَ يَقُولُونَ: النَّيْبَطُونُ. قَالَ ابْنُ عَسَاكِرَ: وَقَدْ خَرِبَ أَكْثَرُهَا. هَكَذَا قَالَ، وَقَدْ خَرِبَتْ هَذِهِ الْكَنِيسَةُ وَهُدِمَتْ فِي أَيَّامِ صَلَاحِ الدِّينِ فَاتِحِ الْقُدْسِ بَعْدَ الثَّمَانِينَ وَخَمْسِمِائَةٍ بَعْدِ مَوْتِ الْحَافِظِ ابْنِ عَسَاكِرَ، رَحِمَهُ اللَّهُ. الْحَادِيَةَ عَشْرَةَ: كَنِيسَةُ مَرْيَمَ دَاخِلَ الْبَابِ الشَّرْقِيِّ. قَالَ ابْنُ عَسَاكِرَ: وَهَى مِنْ أَكْبَرِ مَا بَقِيَ بِأَيْدِيهِمْ. قُلْتُ: ثُمَّ خَرِبَتْ بَعْدَ مَوْتِهِ بِدَهْرٍ فِي أَيَّامِ الْمَلِكِ الظَّاهِرِ رُكْنِ الدِّينِ بِيبَرْسَ الْبُنْدِقْدَارِيِّ، عَلَى مَا سَيَأْتِي بَيَانُهُ. الثَّانِيَةَ عَشْرَةَ: كَنِيسَةُ الْيَهُودِ الَّتِي بِأَيْدِيهِمِ الْيَوْمَ فِي حَارَتِهِمْ، وَمَحَلُّهَا مَعْرُوفٌ بِالْقُرْبِ مِنَ الْحَيْرِ وَتُسَمِّيهِ النَّاسُ الْيَوْمَ بُسْتَانَ الْقِطِّ، وَكَانَتْ لَهُمْ كَنِيسَةٌ فِي دَرْبِ الْبَلَاغَةِ، لَمْ تَكُنْ دَاخِلَةً فِي
পৃষ্ঠা - ৫৪১১


ওদের হাতে থাকা ১২তম গির্জা হলো ইয়াহুদীদের গির্জা ৷ এখনও ওদের মরু অঞ্চলে সেটি
তাদের দখলে আছে ৷ আলজাবর-এর নিকট এটি অবস্থিত ৷ ওই ন্থানকে এখন লোকে বুসতান
আলকাত’ বলে ৷ আল বালাগা ফটকেও ওদের একটি গির্জা জ্যি ৷ সেটি সন্ধির অন্তর্ভুক্ত ছিল
না ৷ পরবর্তীতে সেটি ভেঙ্গে ফেলা হয়েছিল ৷ ওখানে ইবন সাহ্রওয়ার্দী,মসজির্দ নামে একটি
প্রসিদ্ধ মসজিদ নির্মাণ করা হয়েছে ৷ ওই এলাকাকে এখন খোষশাযুরী’ ফটক বলে ডাকে ৷
আমি বলি, ওদের একটি নবনির্মিত গির্জাও ভেঙ্গে ফেলা হয়েছিল ৷ ইবন আসাকির কিৎবা অন্য
কোন ঐতিহাসিক কেউই ওই গির্জার কথা উল্লেখ করেননি ৷ ৭১৭ হিজরী সনের দিকে সেটি
ভাঙ্গা হয় ৷ মুররাহ্-এর সামিরা গির্জার কথাও ইবন আসাকির উল্লেখ করেননি ৷ এরপর ইবন
আসাকির বলেছেন যে, খ্রিস্টানদের একটি নব নির্মিত গির্জা হলো যেটি আবু জাফর মনসুর
নির্মাণ করেছেন ৷ পরবতীতির্ত সেটি ধ্বংস হয়ে গিয়েছে এবং সেটিকে মসজিদে পরিণত করা
হয়েছে ৷ সেটি জানিক’ মসজিদ ও অ!বুইয়ামানের মসজিদ নামে পরিচিত ৷ ওদের নব নির্মিত
গির্জাগুলোর দুটো হলো আব্বাদ-এর গির্জা ৷ এর একটি হলো ইবন মাশিলীর বাড়ীর নিকটে ৷
সেটি মসজিদে রুপান্তরিত হয়েছে ৷ দ্বিতীয়টি নাক্কাসীন ফটকের মাথায় ৷ সেটিও মসজিদে
রুপান্তরিত হয়েছে ৷ হাফিজ ইবন আসাকির দামেশকী-এর বর্ণনা এখানে শেষ ৷

আমি বলি, সায়ফ ইবন উমরের বর্ণনা থেকে অনুমান করা যায় যে, দামেশক বিজিত
হয়েছে ১৩ হিজরী সালে ৷ বিন্দু জমহুর তথা অধিকাংশ জ্ঞানীজনের ন্যায় সায়ফ ইবন উমরও
স্পষ্ট উল্লেখ করেছেন যে, দামেশক বিজিত হয়েছে ১৪ হিজরী সালের রজর্বমাসের মাঝামাঝি
সময়ে ৷ হাফিজ ইবন আসাকির-ইয়াযীদ ইবন উবায়দা সুত্রে বর্ণিত, তিনি বলেছেন যে, দাশেক
বিজিত হয়েছে ১৪ হিজরী সালে ৷ সাঈদ ইবন আবদুল আষীয, আবু মাশার, মুহাম্মদ ইবন
ইসহাক, মামার , আপন শায়খ যেকে উমাবী ইব নুল কালবী, খলীফা ইবন খায়য়াত এবং আবু
উবায়দ কাসিম ইবন সাল্লাম প্রমুখ বর্ণনা করেছেন যে, দামেশক বিজয়ের ঘটনা ঘটেছিল ১৪
হিজরী সালে ৷ সাঈদ ইবন আবদুল আষীয, আবু মাশার এবং উমাবী প্রমুখ এতটুকু অতিরিক্ত
বলেছেন যে, তার এক বছর পর ইয়ারমুক যুদ্ধ সংঘটিত হয়েছে ৷ কেউ কেউ বলেছেন যে, ১৪
হিজরী সালের শাওয়াল মাসে দামেশক বিজিত হয়েছে ৷ খলীফা বলেছেন যে, রজব, শাবান,
রমযান ও শাওয়াল মাস ওদেরকে অবরুদ্ধ করে রেখেছিলেন মুসলিম সেনাপতি আবু উবায়দা ৷
এরপর যুলকাদাহ্ মাসে সন্ধি চুক্তি সম্পাদিত হয় ৷ উমাবী তার মাপাষী গ্রন্থে লিখেছেন যে,
আক্ষাদােয়ন যুদ্ধ সংঘটিত হয়েছিল ১৩ হিজরীর জুমাদাল উলা মাসে আর ফিহ্ল যুদ্ধ সংঘটিত
হয়েছিল ওই বছর যুলকাদা মাসে, আর দামেশক যুদ্ধ সংঘটিত হয় ১৪ হিজরী সালে ৷ দাহীম
বলেছেন ওয়ালীদ থেকে যে উমাবী আমার নিকট বর্ণনা করেছেন যে, ফিহ্ল ও আজনাদায়ন
যুদ্ধ সংঘটিত হয়েছিল হযরত আবু বকর (রা)-এর খিলাফতকালে ৷ এরপর মুসলমানগণ
দামেশক অভিমুখে যাত্রা করে ৷ ১৩ হিজরী সনের র জব সালে তারা দামেশকে অবতরণ করেন,
অর্থাৎ ১৪ হিজরী সালেই তারা দামেশক জয় করেন ৷ ইয়ারমুকের যুদ্ধ জ্যি ১৫ হিজরীতে,
হযরত উমর (রা) বয়েতুল মুকাদ্দাসে গমন করেন“ ১৬ হিজরী সনে ৷

অলে-বিদ্ময়া — ৭


الْعَهْدِ، فَهُدِمَتْ فِيمَا بَعْدُ، وَجُعِلَ مَكَانَهَا الْمَسْجِدُ الْمَعْرُوفُ بِمَسْجِدِ ابْنَ الشَّهْرُزُورِيِّ، وَالنَّاسُ الْيَوْمَ يَقُولُونَ: دَرْبُ الشَّاذُورِيِّ. قُلْتُ: وَقَدْ أُخْرِبَتْ لَهُمْ كَنِيسَةٌ كَانُوا قَدْ أَحْدَثُوهَا لَمْ يَذْكُرْهَا أَحَدٌ مِنْ عُلَمَاءِ التَّارِيخِ، لَا ابْنُ عَسَاكِرَ وَلَا غَيْرُهُ، وَكَانَ إِخْرَابُهَا فِي حُدُودِ سَنَةِ سَبْعَ عَشْرَةَ وَسَبْعِمِائَةٍ، وَلَمْ يَتَعَرَّضِ الْحَافِظُ ابْنُ عَسَاكِرَ لِذِكْرِ كَنِيسَةِ السَّامِرَةِ بِمَرَّةٍ. ثُمَّ قَالَ ابْنُ عَسَاكِرَ: وَمِمَّا أَحْدَثَ - يَعْنِي النَّصَارَى - كَنِيسَةً بَنَاهَا أَبُو جَعْفَرٍ الْمَنْصُورُ لِبَنِي قُطَيْطَا فِي الْفَوْرَنْقِ عِنْدَ قَنَاةِ صَالِحٍ قَرِيبًا مِنْ دَارِ بَهَادُرْآصَ الْيَوْمَ، وَقَدْ أُخْرِبَتْ فِيمَا بَعْدُ، وَجُعِلَتْ مَسْجِدًا يُعَرَفُ بِمَسْجِدِ الْجَيْنِيقِ، وَهُوَ مَسْجِدُ أَبِي الْيَمَنِ. قَالَ: وَمِمَّا أُحْدِثَ كَنِيسَتَا الْعُبَّادِ ; إِحْدَاهُمَا عِنْدَ دَارِ ابْنِ الْمَاشَكِيِّ، وَقَدْ جُعِلَتْ مَسْجِدًا، وَالْأُخْرَى الَّتِي فِي رَأْسِ دَرْبِ النَّقَّاشِينَ، وَقَدْ جُعِلَتْ مَسْجِدًا. انْتَهَى مَا ذَكَرَهُ الْحَافِظُ ابْنُ عَسَاكِرَ الدِّمَشْقِيُّ، رَحِمَهُ اللَّهُ. قُلْتُ: وَظَاهِرُ سِيَاقِ سَيْفَ بْنَ عُمَرَ يَقْتَضِي أَنَّ فَتْحَ دِمَشْقَ وَقَعَ فِي سَنَةِ ثَلَاثَ عَشْرَةَ، وَلَكِنْ نَصَّ سَيْفٌ عَلَى مَا نَصَّ عَلَيْهِ الْجُمْهُورُ مِنْ أَنَّهَا فُتِحَتْ فِي نِصْفِ رَجَبٍ سَنَةَ أَرْبَعَ عَشْرَةَ. وَكَذَا حَكَاهُ الْحَافِظُ ابْنُ عَسَاكِرَ مِنْ طَرِيقِ مُحَمَّدِ
পৃষ্ঠা - ৫৪১২
بْنِ عَائِذٍ الْقُرَشِيِّ الدِّمَشْقِيِّ، عَنِ الْوَلِيدِ بْنِ مُسْلِمٍ، عَنْ عُثْمَانَ بْنِ حِصْنِ بْنِ عَلَّاقٍ، عَنْ يَزِيدَ بْنِ عُبَيْدَةَ، قَالَ: فُتِحَتْ دِمَشْقُ سَنَةَ أَرْبَعَ عَشْرَةَ. وَرَوَاهُ دُحَيْمٌ، عَنِ الْوَلِيدِ، قَالَ: سَمِعْتُ أَشْيَاخًا يَقُولُونَ: إِنَّ دِمَشْقَ فُتِحَتْ سَنَةَ أَرْبَعَ عَشْرَةَ. وَهَكَذَا قَالَ سَعِيدُ بْنُ عَبْدِ الْعَزِيزِ وَأَبُو مَعْشَرٍ وَمُحَمَّدُ بْنُ إِسْحَاقَ وَمَعْمَرٌ وَالْأُمَوِيُّ - وَحَكَاهُ عَنْ مَشَايِخِهِ - وَابْنُ الْكَلْبِيِّ وَخَلِيفَةُ بْنُ خَيَّاطٍ وَأَبُو عُبَيْدٍ الْقَاسِمُ بْنُ سَلَّامٍ ; أَنَّ فَتْحَ دِمَشْقَ كَانَ فِي سَنَةِ أَرْبَعَ عَشْرَةَ. وَزَادَ سَعِيدُ بْنُ عَبْدِ الْعَزِيزِ وَأَبُو مَعْشَرٍ وَالْأُمَوِيُّ: وَكَانَتِ الْيَرْمُوكُ بَعْدَهَا بِسَنَةٍ. وَقَالَ بَعْضُهُمْ: بَلْ كَانَ فَتْحُهَا فِي شَوَّالٍ سَنَةَ أَرْبَعَ عَشْرَةَ. وَقَالَ خَلِيفَةُ: حَاصَرَهُمْ أَبُو عُبَيْدَةَ فِي رَجَبٍ وَشَعْبَانَ وَرَمَضَانَ وَشَوَّالٍ، وَتَمَّ الصُّلْحُ فِي ذِي الْقِعْدَةِ. وَقَالَ الْأُمَوِيُّ فِي " مُغَازِيهِ ": كَانَتْ وَقْعَةُ أَجْنَادِينَ فِي جُمَادَى الْأُولَى، وَوَقْعَةُ فِحْلٍ فِي ذِي الْقِعْدَةِ مِنْ سَنَةِ ثَلَاثَ عَشْرَةَ. يَعْنِي: وَوَقْعَةُ دِمَشْقَ سَنَةَ أَرْبَعَ عَشْرَةَ. وَقَالَ دُحَيْمٌ عَنِ الْوَلِيدِ: حَدَّثَنِي الْأُمَوِيُّ أَنَّ وَقْعَةَ فِحْلٍ وَأَجْنَادِينَ كَانَتْ فِي خِلَافَةِ أَبِي بَكْرٍ، ثُمَّ مَضَى الْمُسْلِمُونَ إِلَى دِمَشْقَ، فَنَزَلُوا عَلَيْهَا فِي رَجَبٍ سَنَةَ ثَلَاثَ عَشْرَةَ. يَعْنِي فَفَتَحُوهَا فِي سَنَةِ أَرْبَعَ عَشْرَةَ. وَكَانَتِ الْيَرْمُوكُ سَنَةَ خَمْسَ عَشْرَةَ، وَقَدِمَ عُمَرُ إِلَى بَيْتِ الْمَقْدِسِ سَنَةَ سِتَّ عَشْرَةَ.
পৃষ্ঠা - ৫৪১৩

অধ্যায় ৪দামেশ্ক শক্তি প্ৰয়োগে
না সন্ধির মাধ্যমে বিজিত হয় ?

দামেশক শক্তি প্রয়োগ ও যুদ্ধের মাধ্যমে বিজিত হলো, নাকি সন্ধির মাধ্যমে এ বিষয়ে
উলামা ই কিরাম ভিন্ন ভিন্ন মত প্রকাশ করেছেন ৷ অধিকাংশ উলামা ই-কিরামের অভিমত এই
যে, সেটি সন্ধির মাধ্যমে বিজিত হয়েছে ৷ কারণ তারা সন্দিহান যে, সেটি যুদ্ধের মাধ্যমে বিজিত
হবার পর রোমানগণ সন্ধি স্থাপনে বাধ্য হয়েছে, নাকি পুরোটাই সন্ধির মাধ্যমে বিজিত হয়েছে,
নাকি পুরোটাই শক্তি প্রয়ােগে বিজিত হয়েছে, এ পরিস্থিতিতে উলামা-ই-কিরাম সতর্কতা সুত্রে
সিদ্ধান্ত দিয়েছেন যে, সেটি সন্ধির মাধ্যমে বিজিত হয়েছে বলে গণ্য হবে ৷

কেউ কেউ বলেন যে, এর অর্ধেক বিজয় এসেছে যুদ্ধের ফলে আর অর্ধেক বিজয় এসেছে
সন্ধির ফলে, এ বক্তব্য এসেছে সাহারা-ই-কিরামের একটি কাজের দৃষ্টিকোণ থেকে ৷ দামেশক
বিজয়ের পর তারা খ্রিস্টানদের সর্ববৃহৎ উপাসনালয় বড় গির্জার’ অর্ধেক নিজেরা দখলে
নিয়েছিলেন আর বাকি অর্ধেক খ্রিস্টানদের জন্যে ছেড়ে দিয়েছিলেন ৷ আল্লাহ্ ভাল জানেন ৷
এর পরের আলোচনা হলো মুসলমানদের পক্ষে সন্ধিপত্র তৈরি ও তাতে স্বাক্ষর করেছেন
আবু উবায়দা (বা) ৷ এটিই প্রসিদ্ধ ও বাস্তরসম্মত অভিমত ৷ কারণ ইতিপুর্বে খালিদ (রা)
সেনাপতির পদ থেকে অপসারিত হয়েছেন ৷ কিন্তু কেউ কেউ বলেছেন যে, ওই সন্ধিপত্র তৈরি
ও তাতে স্বাক্ষর করেছেন হযরত খালিদ ইবন ওয়ালীদ (বা) ৷ সেনাপতি আবু উবায়দা (বা)
খালিদ (রা)-কে ওই দায়িত্ব প্রদান করেছিলেন ৷ আল্লাহ্ ভাল জানেন ৷
ঐতিহাসিক আবু হুযায়ফা ইসহাক ইবন বিশর উল্লেখ করেছেন যে, দামেশক বিজিত হবার
পুর্বে হযরত আবু বকর সিদ্দীক (রা)-এর ইন্তিকাল হয় ৷ পলীফা উমর (রা) হযরত সিদ্দীক-ই-
আকবরের ইনৃতিকালের শোক সং ংবাদ আবু উবড়ায়দা (রা) ও যুদ্ধে অংশগ্রহণকারী
মুসলমা নদেরকে জানান ৷ তিনি আবু উবায়দাকে সিরিয়ার অবস্থানকারী সৈনিকদের দায়িত্ব দেন
এবং যুদ্ধ কৌশল সম্পর্কে খালিদ (রা) এর সঙ্গে পরামর্শ করার নির্দেশ দেন ৷ চিঠি আবু
উবায়দার হস্তগত হবার পর তিনি নিজে তা গোপন রাখেন ৷ হযরত খালিদ (রা) কেও তা
জানাননি ৷ এ প্রায় ২০ দিন পর দামেশক জয় করা হয় ৷ তখন তিনি খালিদ (রা)-কে ঘটনা
জানান ৷ হযরত খালিদ (রা) বললেন, এতদিন জানান নি কেন? আল্লাহ্ আপনাকে দয়া করুন ৷
আবু উবায়দা (বা) বললেন, যুদ্ধের গতি থেমে যাক, আমাদের অগ্রযাত্রা বাধাগ্নস্ত হোক তা
আমি চাইনি বলে ৷ আমি তাে পার্থিব কীর্তি ও খ্যাতি চান না ৷ আমি দুনিয়া পাওয়ার জন্যে কাজ
করি না, যা আপনার দৃষ্টিগােচর হচ্ছে তার সবই তো একদিন ধ্বংস ও বিনাশ হবে ৷ আমরা
সকলে ভাই ভাই ৷ আপন ভাই সাথে থাকলে কারো ইহকালীন ও পরকালীন ক্ষতি হয় না ৷


[دِمَشْقُ هَلْ فُتِحَتْ صُلْحًا أَوْ عَنْوَةً] فَصْلٌ دِمَشْقُ ; هَلْ فُتِحَتْ صُلْحًا أَوْ عَنْوَةً. وَاخْتَلَفَ الْعُلَمَاءُ فِي دِمَشْقَ ; هَلْ فُتِحَتْ صُلْحًا أَوْ عَنْوَةً؟ فَأَكْثَرُ الْعُلَمَاءِ عَلَى أَنَّهُ اسْتَقَرَّ أَمْرُهَا عَلَى الصُّلْحِ ; لِأَنَّهُمْ شَكُّوا فِي الْمُتَقَدِّمِ عَلَى الْآخَرِ ; أَفُتِحَتْ عَنْوَةً ثُمَّ عَدَلَ الرُّومُ إِلَى الْمُصَالَحَةِ، أَوْ فُتِحَتْ صُلْحًا وَاتَّفَقَ الِاسْتِيلَاءُ مِنَ الْجَانِبِ الْآخَرِ قَسْرًا؟ فَلَمَّا شَكُّوا فِي ذَلِكَ جَعَلُوهَا صُلْحًا احْتِيَاطًا. وَقِيلَ: بَلْ جُعِلَ نِصْفُهَا صُلْحًا وَنِصْفُهَا عَنْوَةً. وَهَذَا الْقَوْلُ قَدْ يَظْهَرُ مِنْ صُنْعِ الصَّحَابَةِ فِي الْكَنِيسَةِ الْعُظْمَى الَّتِي كَانَتْ أَكْبَرَ مَعَابِدِهِمْ، حِينَ أَخَذُوا نِصْفَهَا وَتَرَكُوا لَهُمْ نَصْفَهَا. وَاللَّهُ أَعْلَمُ. ثُمَّ قِيلَ: إِنَّ أَبَا عُبَيْدَةَ هُوَ الَّذِي كَتَبَ لَهُمْ كِتَابَ الصُّلْحِ، وَهَذَا هُوَ الْأَنْسَبُ وَالْأَشْهَرُ، فَإِنَّ خَالِدًا كَانَ قَدْ عُزِلَ عَنِ الْإِمْرَةِ. وَقِيلَ: بَلِ الَّذِي كَتَبَ لَهُمُ الصُّلْحَ خَالِدُ بْنُ الْوَلِيدِ، وَلَكِنْ أَقَرَّهُ عَلَى ذَلِكَ أَبُو عُبَيْدَةَ. فَاللَّهُ أَعْلَمُ. وَذَكَرَ أَبُو حُذَيْفَةَ إِسْحَاقُ بْنُ بِشْرٍ أَنَّ الصِّدِّيقَ تُوُفِّيَ قَبْلَ فَتْحِ دِمَشْقَ، وَأَنَّ عُمَرَ كَتَبَ إِلَى أَبِي عُبَيْدَةَ يُعَزِّيهِ وَالْمُسْلِمِينَ فِي الصِّدِّيقِ، وَأَنَّهُ قَدِ اسْتَنَابَهُ عَلَى مَنْ بِالشَّامِ، وَأَمَرَهُ أَنْ يَسْتَشِيرَ خَالِدًا فِي الْحَرْبِ، فَلَمَّا وَصَلَ الْكِتَابُ إِلَى أَبِي عُبَيْدَةَ كَتَمَهُ مِنْ خَالِدٍ حَتَّى فُتِحَتْ دِمَشْقُ بِنَحْوٍ مِنْ عِشْرِينَ لَيْلَةً، فَقَالَ لَهُ خَالِدٌ: يَرْحَمُكَ اللَّهُ، مَا مَنَعَكَ أَنْ تُعْلِمَنِي حِينَ جَاءَكَ؟ فَقَالَ: إِنِّي كَرِهْتُ أَنْ أَكْسِرَ عَلَيْكَ حَرْبَكَ، وَمَا سُلْطَانُ الدُّنْيَا أُرِيدُ، وَلَا لِلدُّنْيَا أَعْمَلُ، وَمَا تَرَى سَيَصِيرُ إِلَى زَوَالٍ وَانْقِطَاعٍ، وَإِنَّمَا نَحْنُ إِخْوَانٌ، وَمَا يَضُرُّ الرَّجُلَ أَنْ يَلِيَهُ أَخُوهُ فِي دِينِهِ وَلَا دُنْيَاهُ.
পৃষ্ঠা - ৫৪১৪


এ প্রসঙ্গে ইয়াকুব ইবন সুফিয়ান ফাসাবী য৷ উল্লেখ করেছেন তা অত্যন্ত অড়াশ্চর্যজনক
বাট ৷ তিনি বলেছেন, হিশাম আবু উছমান সানআনী শারাহীল ইবন মারহুাদ বলেছেন,
হযরত আবু বকর সিদ্দীক (রা) খালিদ ইবন ওয়ালীদ (রা)-কে পাঠিয়েছিলেন ইয়ামামা
অধিবাসীদের নিকট আর ইয়াযীদ ইবন আবু সুফিয়ানকে পাঠিয়েছিলেন সিরিয়ার ৷ বর্ণনাকারী
বলেন, এরপর খালিদ বললেন ৷ এরপর বর্ণনড়াকরী বলেন যে, ইতিমধ্যে হযরত আবু
বকর (রা) ইনতিকাল করেন এবং হযরত উমর (রা) খলীফা নিযুক্ত হন ৷ তিনি আবু উবায়দা
(রা)-কে সিরিয়ার প্রেরণ করেন ৷ আবু উবায়দা (রা) দামেশক আসেন ৷ তিনি থলীফার নিকট
অতিরিক্ত সৈন্য সাহায্য চান ৷ খলীফা উমর (রা) থালিদ (রা)-কে লিখেন যে, তিনি যেন
সিরিয়ার আবু উবায়দা (রা)-এর সাথে মিলিত হন ৷ হযরত খালিদ (রা) ইরাক থেকে সিরিয়া
গিয়ে পৌছেন ৷ বন্তুত এই বর্ণনা ও তথ্য চুড়ান্তভাবে সমর্থনহীন ৷ কারণ এতে কোন সন্দেহ নেই
যে, স্বয়ং খলীফা আবু বকর (রা) আবু উবায়দা ও অন্যান্য সেনাপতিকে সিরিয়ার
পাঠিয়েছিলেন ৷ আর তিনিই খালিদ (রা)ষ্টু কে লিখেছিলেন তিনি যেন ইরাক থেকে সিরিয়ার
যান ওখানকার মুসলিম সৈন্যদের সাহায্যার্থে এবং তিনি ওদের সেনাপতিৎ গ্রহণ করেন ৷
তারপর হযরত খালিদ (রা) এর হা ৷তেই অল্লিড়াহ্ তা আলা সমগ্র সিরিয়ার বিজয় দান করেন ৷
বিষয়টি অবিলম্বে আলোচনা করব ইনৃশাআল্লাহ্ ৷

মুহাম্মদ ইবন আইয বলেন, ওয়ালীদ ইবন মুসলিম বলেছেন সাকওয়ড়ান ইবন অড়ামর বর্ণনা
করেছেন, আবদুর রহমান ইবন জুবায়র ইবন নুফায়ব থেকে যে, দামেশক জয় করার পর
মুসলিম সৈন্যগণ সেনাপতি আবু উবায়দাকে খলীফা আবু বকর (রা)-এর নিকট প্রেরণ করেন
ৰিজয়েরসুসংবাদ বহনকারীহিসেবে ৷ তিনি মদীনা এলেন ৷ তখন আবু বকর সিদ্দীক (রা)-এর

ওফাত হয় ৷ হযরত উমর খলীফার মসনদে বসেন ৷ আবু উবায়দা (রা)-এর উপর অন্য কেউ
আমীর ও সেনাপতি হবে হযরত উমর (বা) তা অত্যন্ত গুরুতর মনে করলেন ৷ তিনি আবু
উবায়দা (রা)-কে একদল লোকের সেনাপতিরুপে নিয়োগ দিলেন ৷ যথাসময়ে তিনি দামেশক
ফিরে গেলেন ৷ তবে দেখে তার সাথিগণ আনন্দে বলে উঠল, সুস্বাগতম, র্যাকে আমরা
ৰাব্ক্তবািহক হিসেবে প্রেরণ করেছিলাম তিনি আমীর ও সেনাপতিরুপে ফিরে এসেছেন ৷

লায়ছ, ইবন লাহ্য়াআ, শুরায়ন্, মুফাদ্দাল অন্যরা ইয়াযীদ ইবন আবীর উকবা ইবন
আমির (রা) থেকে বর্ণনা করেছেন ৷ তিনি বলেছেন যে, আবুউঃবায়দা (রা) র্তাকে দামেশক
ৰিদরের সংবাদ সহকারে মদীনায় প্রেরণ করেন ৷ তিনি বলেন, আমি জুমআর দিন হযরত উমর

(ব্ক্তহু)-এব্র নিকট এসে পৌছলাম ৷ তিনি আমাকে বললেন, কতদিনযড়াবত পায়ের মেজাে খুলছ

ম্৷ ণ্ আমি বললাম, গত জুমাবার থেকে আজ জুমাবার পর্যন্ত ৷ তিনি বললেন, সুন্নত মুতাবিক

ৰ্ক্ষ্মব্ক্ত করেছ বর্টে ৷

ক্ষ্মস্তুহ (র) বলেন, আমরা এই অভিমআ পোষণ করি ৷ অর্থাৎ মুসাফিরের জন্যে মােজা

ঙ্কশুস্ৰ্দ্যার কোন নির্ধারিত মুদ্দত বা মেয়াদ নেই ৷ বরং মুসাফির ব্যক্তি যত ন্দিন ইচ্ছা পড়া না
মোঃ উপর মসেহ করে যেতে পারবে ৷ ইমাম শাফিঈ (র) এর পুর্বতন অভিমতও তাই ৷
গ্হ্মদ ও আবু দাউদ (র) উবইি ইবন আম্মারা সুত্রে রাসুলুল্লাহ্ট্রু থেকে অনুরুপ বর্ণনা

ক্ষ্মক্ষ্ম ৷ ম্বম্হ্ব তথা অধিকাংশ উলামা ই কিরাম অনুসরণ করেন ইমাম মুসলিম (রা) কর্তৃক


وَمِنْ أَعْجَبِ مَا يُذْكَرُ هَا هُنَا مَا رَوَاهُ يَعْقُوبُ بْنُ سُفْيَانَ الْفَسَوِيُّ، حَدَّثَنَا هِشَامُ بْنُ عَمَّارٍ، ثَنَا عَبْدُ الْمَلِكِ بْنُ مُحَمَّدٍ، ثَنَا رَاشِدُ بْنُ دَاوُدَ الصَّنْعَانِيُّ، حَدَّثَنِي أَبُو عُثْمَانَ الصَّنْعَانِيُّ شَرَاحِيلُ بْنُ مَرْثَدٍ، قَالَ: بَعَثَ أَبُو بَكْرٍ خَالِدَ بْنَ الْوَلِيدِ إِلَى أَهْلِ الْيَمَامَةِ، وَبَعَثَ يَزِيدَ بْنَ أَبِي سُفْيَانَ إِلَى الشَّامِ. فَذَكَرَ الرَّاوِي قِتَالَ خَالِدٍ لِأَهْلِ الْيَمَامَةِ إِلَى أَنْ قَالَ: وَمَاتَ أَبُو بَكْرٍ وَاسْتَخْلَفَ عُمَرَ، فَبَعَثَ أَبَا عُبَيْدَةَ إِلَى الشَّامِ فَقَدِمَ دِمَشْقَ فَاسْتَمَدَّ أَبُو عُبَيْدَةَ عُمَرَ، فَكَتَبَ عُمَرُ إِلَى خَالِدِ بْنِ الْوَلِيدِ أَنْ يَسِيرَ إِلَى أَبِي عُبَيْدَةَ بِالشَّامِ فَذَكَرَ مَسِيرَ خَالِدٍ مِنَ الْعِرَاقِ إِلَى الشَّامِ كَمَا تَقَدَّمَ. وَهَذَا غَرِيبٌ جِدًّا، فَإِنَّ الَّذِي لَا يُشَكُّ فِيهِ أَنَّ الصِّدِّيقَ هُوَ الَّذِي بَعَثَ أَبَا عُبَيْدَةَ وَغَيْرَهُ مِنَ الْأُمَرَاءِ إِلَى الشَّامِ، وَهُوَ الَّذِي كَتَبَ إِلَى خَالِدِ بْنِ الْوَلِيدِ أَنْ يَقَدَمَ مِنَ الْعِرَاقِ إِلَى الشَّامِ لِيَكُونَ مَدَدًا لِمَنْ بِهِ وَأَمِيرًا عَلَيْهِمْ، فَفَتَحَ اللَّهُ تَعَالَى عَلَيْهِ وَعَلَى يَدَيْهِ جَمِيعَ الشَّامِ عَلَى مَا سَنَذْكُرُهُ إِنْ شَاءَ اللَّهُ تَعَالَى. وَقَالَ مُحَمَّدُ بْنُ عَائِذٍ: قَالَ الْوَلِيدُ بْنُ مُسْلِمٍ: أَخْبَرَنِي صَفْوَانُ بْنُ عَمْرٍو، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ جُبَيْرِ بْنِ نُفَيْرٍ، أَنَّ الْمُسْلِمِينَ لَمَّا افْتَتَحُوا مَدِينَةَ دِمَشْقَ بَعَثُوا أَبَا عُبَيْدَةَ بْنَ الْجَرَّاحِ وَافِدًا إِلَى أَبِي بَكْرٍ بَشِيرًا بِالْفَتْحِ، فَقَدِمَ الْمَدِينَةَ فَوَجَدَ أَبَا بَكْرٍ قَدْ تُوُفِّيَ، وَاسْتَخْلَفَ عُمَرَ بْنَ الْخِطَابِ، فَأَعْظَمَ أَنْ يَتَأَمَّرَ أَحَدٌ مِنَ الصَّحَابَةِ عَلَيْهِ، فَوَلَّاهُ جَمَاعَةَ النَّاسِ فَقَدِمَ عَلَيْهِمْ فَقَالُوا: مَرْحَبًا بِمَنْ بَعَثْنَاهُ بَرِيدًا فَقَدِمَ عَلَيْنَا أَمِيرًا. وَقَدْ رَوَى اللَّيْثُ وَابْنُ لَهِيعَةَ وَحَيْوَةُ بْنُ شُرَيْحٍ وَمُفَضَّلُ بْنُ فَضَالَةَ وَعَمْرُو بْنُ
পৃষ্ঠা - ৫৪১৫


উদ্ধৃত হযরত আলী (রা)-এর হাদীসের ৷ হযরত আলী (রা) থেকে মােজ৷ মসেহ করার বিধান
সম্পর্কে বর্ণিত আছে যে, মােজ৷ মসেহর মুদ্দত বা মেয়াদ মুসাফিরের জন্যে তিন দিন তিন রাত
আর মুর্কীম বা স্থানীয় লোকের জন্য একদিন এক রাত ৷ কেউ কেউ মুসাফিরের ক্ষেত্রে
বার্তাবাহক এবং বার্তাবাহক নয় এই দৃষ্টিকোণ থেকে ভিন্ন জ্যি বিধান সাব্যস্ত করেন ৷ তারা
বলেন যে, মুসাফির যদি বার্তাবাহক হয় তাহলে তার মোজা মসেহর জন্যে কোন মেয়াদ থাকবে
না ৷ আর অন্যদের জন্যে নির্দিষ্ট মেয়াদ প্রযোজ্য হবে ৷ উকৰা (রা) ও হযরত আলী (রা)-এর
হাদীস দ্বারা তারা প্রমাণ উপস্থাপিত করেন ৷ আল্লাহ্ই ভাল জানেন ৷

এরপর হযরত আবু উবায়দা (রা) হযরত খালিদ ইবন ওয়ালীদর্কে পাঠালে ন ৷ বিকা’
অঞ্চলে ৷ যুদ্ধ করে তিনি ওই অঞ্চল জয় করেন ৷ তিনি অপর একটি সেনা অভিযান প্রেরণ
করেন ৷ মীসনুনের এক কুয়াের নিকট তারা রোমানদের মুখোমুখি হয় ৷ সেখানে
রোমান-অধিনায়ক ছিল সিনান নামের এক লোক ৷ বৈরুতে র পাহাড়ী অঞ্চল থেকে তারা দ্রুত
গতিতে এসে মুসলমানদের উপর ঝাপিয়ে পড়ে ৷ ওই দিন বহু মুসলমান শহীদ হন ৷ এর ফলে
ওই কুয়াের নাম হয় শহীদী কুয়াে’ ৷ সেনাপতি ৩আবু উবায়দা (রা) হযরত আবু বকর সিদ্দীক
(রা) এর পুর্ব প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী ইয়াযীদ ইবন আবুসুফিয়ানকে দামেশকের শাসনকর্তা নিয়োগ
করেন ৷ ইয়াযীদ তখন দিহ্য়া ইবন খালীফকে একদল সৈন্যসহ তাদমুর প্রেরণ করেন
ওখানকার পরিবেশ উন্নয়নের জন্যে ৷ ৷ তিনি আবু যাহরা কুশায়রীকে প্রেরণ করেন বাছানিয়াহ
ও হুরান অঞ্চলে ৷ ওখানকার অধিবাসীপণ সন্ধি সম্পাদন করে ৷

আবু উবায়দা কাসিম ইবন সাল্লাম বলেন, হযরত খালিদ (রা) দামেশৃক জয় করেছেন সন্ধি
ও সমঝোতার মাধ্যমে ৷ অনুরুপভাবে সিরিয়ার সকল নগর ও শহর সমঝোতার মাধ্যমে জয়
করা হয়েছে ৷ জমি ও ভু-সম্পত্তিগুলো অবশ্য বিজিত হয়েছে ইয়াযীদ ইবন আবু সুফিয়ান,
শুরাহবীল ইবন হাসানা এবং আবু উবায়দা (রা)-এর হাতে ৷

ওয়ালীদ ইবন মুসলিম বলেন, দামেশকের একাধিক বয়স্ক ও বিজ্ঞজন আমাদের
জানিয়েছেন যে, আমরা দামেশকে অবরুদ্ধ ছিলাম ৷ হঠাৎ সালামী পর্বত থেকে ব্লেশযী বস্তে
মুখাবৃত একদল অশ্বরোহী প্রচণ্ড গতিতে এগিয়ে আসে মুসলমানদের দিকে ৷ মুসলমানগণ বীর
যিক্রমে ঝাপিয়ে পড়ে ওদের উপর ৷ বায়ত লাহ্য়া এবং ওই পর্বতের মাঝখানে উভয় পক্ষ যুদ্ধে
লিপ্ত হয় ৷ মুসলমানগণ ওদেরকেপরাজিত করেন এবং হিমৃস দরজার দিকে গড়িরে নিয়ে যান ৷
হিম্স অধিবাসীগণ এই অবস্থা প্রত্যক্ষ করে ৷ তারা মনে করেছিল যে, মুসলমানগণ দামেশক
জয় করে নিয়েছে ৷ তারা প্রস্তাব পাঠায় যে, দামেশকের অধিবাসীপণ যে নিয়মে সমঝোতা ও
সন্ধি স্থাপন করেছে আমরাও তাই করতে চাই ৷ তারপর মুসলমানদের সাথে ওরা সন্ধি স্থাপন
করে ৷

খালী ফা ইবন খায়য়াত বলেন, আবদুল্লাহ ইবন মুগীরা তার পিতা থেকে আমার নিকট

হাদীস বর্ণনা করেছেন ৷ তিনি বলেছেন, শুরাহবীল ইবন হাসানা (রা) ত ৷রারিয়্যা ব্যতীত পুরো
জর্দান জয় করেছেন যুদ্ধের মাধ্যমে ও শক্তি প্ৰয়ােগে ৷ তারাবিয়্যাএর অধিৰাসীগণ তার সাথে
সমঝোতা ও সন্ধি স্থাপন করেন ৷ ইবন কালবী অনুরুপ বলেছেন ৷ তারা দুজনেই বলেছেন যে,
সর্বাধিনায়ক হযরত আবুউবায়দা (রা) হযরত থালিদ (রা)-কে প্রেরণ করেছিলেন ৷ তিনি বিক্কা


الْحَارِثِ وَغَيْرُ وَاحِدٍ، عَنْ يَزِيدَ بْنِ أَبِي حَبِيبٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الْحَكَمِ، عَنْ عَلِيِّ بْنِ رَبَاحٍ، عَنْ عُقْبَةَ بْنِ عَامِرٍ، أَنَّهُ بَعَثَهُ أَبُو عُبَيْدَةَ بَرِيدًا بِفَتْحِ دِمَشْقَ. قَالَ: فَقَدِمْتُ عَلَى عُمَرَ يَوْمَ الْجُمُعَةِ فَقَالَ لِي: مُنْذُ كَمْ لَمْ تَنْزِعْ خُفَّيْكَ؟ فَقُلْتُ: مِنْ يَوْمِ الْجُمُعَةِ وَهَذَا يَوْمُ الْجُمُعَةِ. فَقَالَ: أَصَبْتَ السُّنَّةَ. قَالَ اللَّيْثُ: وَبِهِ نَأْخُذُ. يَعْنِي أَنَّ الْمَسْحَ عَلَى الْخُفَّيْنِ لِلْمُسَافِرِ لَا يَتَأَقَّتْ، بَلْ لَهُ أَنْ يَمْسَحَ عَلَيْهِمَا مَا شَاءَ، وَإِلَيْهِ ذَهَبَ الشَّافِعِيُّ فِي الْقَدِيمِ. وَقَدْ رَوَى أَحْمَدُ وَأَبُو دَاوُدَ عَنْ أُبَيِّ بْنِ عُمَارَةَ مَرْفُوعًا مِثْلَ هَذَا، وَالْجُمْهُورُ عَلَى مَا رَوَاهُ مُسْلِمٌ عَنْ عَلِيٍّ فِي تَأْقِيتِ الْمَسْحِ ; لِلْمُسَافِرِ ثَلَاثَةُ أَيَّامٍ وَلَيَالِيهِنَّ، وَلِلْمُقِيمِ يَوْمٌ وَلَيْلَةٌ. وَمِنَ النَّاسِ مَنْ فَصَلَ بَيْنَ الْبَرِيدِ وَمَنْ فِي مَعْنَاهُ وَغَيْرِهِ، فَقَالَ فِي الْأَوَّلِ: لَا يَتَأَقَّتُ. وَفِيمَا عَدَاهُ: يَتَأَقَّتُ ; لِحَدِيثِ عُقْبَةَ وَحَدِيثِ عَلِيٍّ. وَاللَّهُ أَعْلَمُ. [فَتْحُ الْبِقَاعِ] فَصْلٌ فَتْحُ الْبِقَاعِ. ثُمَّ إِنَّ أَبَا عُبَيْدَةَ بَعَثَ خَالِدَ بْنَ الْوَلِيدِ إِلَى الْبِقَاعِ فَفَتَحَهُ بِالسَّيْفِ، وَبَعَثَ سَرِيَّةً فَالْتَقَوْا مَعَ الرُّومِ بِعَيْنِ مَيْسَنُونَ، وَعَلَى الرُّومِ رَجُلٌ يُقَالُ لَهُ: سِنَانٌ. تَحَدَّرَ عَلَى الْمُسْلِمِينَ مِنْ عَقَبَةِ بَيْرُوتَ، فَقُتِلَ مِنَ الْمُسْلِمِينَ يَوْمَئِذٍ جَمَاعَةٌ مِنَ
পৃষ্ঠা - ৫৪১৬
الشُّهَدَاءِ، فَكَانُوا يُسَمُّونَ عَيْنَ مَيْسَنُونَ عَيْنَ الشُّهَدَاءِ. وَاسْتَخْلَفَ أَبُو عُبَيْدَةَ عَلَى دِمَشْقَ يَزِيدَ بْنَ أَبِي سُفْيَانَ، كَمَا وَعَدَهُ بِهَا الصِّدِّيقُ، وَبَعَثَ يَزِيدُ دِحْيَةَ بْنَ خَلِيفَةَ إِلَى تَدْمُرَ فِي سَرِيَّةٍ لِيُمَهِّدُوا أَمْرَهَا، وَبَعَثَ أَبَا الزَّهْرَاءِ الْقُشَيْرِيَّ إِلَى الْبَثَنِيَّةِ وَحَوْرَانَ فَصَالَحَ أَهْلَهَا. قَالَ أَبُو عُبَيْدٍ الْقَاسِمُ بْنُ سَلَّامٍ، رَحِمَهُ اللَّهُ: افْتَتَحَ خَالِدٌ دِمَشْقَ صُلْحًا، وَهَكَذَا سَائِرُ مُدُنِ الشَّامِ كَانَتْ صُلْحًا دُونَ أَرْضِهَا، فَعَلَى يَدَيْ يَزِيدَ بْنِ أَبِي سُفْيَانَ وَشُرَحْبِيلَ ابْنِ حَسَنَةَ وَأَبِي عُبَيْدَةَ. وَقَالَ الْوَلِيدُ بْنُ مُسْلِمٍ: أَخْبَرَنِي غَيْرُ وَاحِدٍ مِنْ شُيُوخِ دِمَشْقَ أَنَّ الْمُسْلِمِينَ بَيْنَمَا هُمْ عَلَى حِصَارِ دِمَشْقَ إِذْ أَقْبَلَتْ خَيْلٌ مِنْ عَقَبَةِ السَّلَمِيَّةِ مُخَمَّرَةٌ بِالْحَرِيرِ، فَثَارَ إِلَيْهِمُ الْمُسْلِمُونَ، فَالْتَقَوْا فِيمَا بَيْنَ بَيْتِ لَهْيَا وَالْعَقَبَةِ الَّتِي أَقْبَلُوا مِنْهَا، فَهَزَمُوهُمْ وَطَرَدُوهُمْ إِلَى أَبْوَابِ حِمْصَ، فَلَمَّا رَأَى أَهْلُ حِمْصَ ذَلِكَ ظَنُّوا أَنَّهُمْ قَدْ فَتَحُوا دِمَشْقَ، فَقَالَ لَهُمْ أَهْلُ حِمْصَ: إِنَّا نُصَالِحُكُمْ عَلَى مَا صَالَحْتُمْ عَلَيْهِ أَهْلَ دِمَشْقَ. فَفَعَلُوا. وَقَالَ خَلِيفَةُ بْنُ خَيَّاطٍ: حَدَّثَنِي عَبْدُ اللَّهِ بْنُ الْمُغِيرَةِ، عَنْ أَبِيهِ قَالَ: افْتَتَحَ شُرَحْبِيلُ ابْنُ حَسَنَةَ الْأُرْدُنَّ كُلَّهَا عَنْوَةً مَا خَلَا طَبَرِيَّةَ، فَإِنَّ أَهْلَهَا صَالَحُوهُ. وَهَكَذَا قَالَ ابْنُ الْكَلْبِيِّ. وَقَالَا: بَعَثَ أَبُو عُبَيْدَةَ خَالِدًا فَغَلَبَ عَلَى أَرْضِ الْبِقَاعِ وَصَالَحَهُ أَهَلُ بَعْلَبَكَّ وَكَتَبَ لَهُمْ كِتَابًا، وَقَالَ ابْنُ الْمُغِيرَةِ عَنْ أَبِيهِ: وَصَالَحَهُمْ عَلَى
পৃষ্ঠা - ৫৪১৭


অঞ্চল জয় করেন ৷ বাআলা বান্ধের অধিবাসীগণ তার সাথে সন্ধি স্থাপন করে ৷ তিনি তাদের
জন্যে একটি চুক্তিপত্র ও নির্দেশনামা তৈরি করেছেন ৷ ইবনুল মুগীরা তার পিতা থেকে বর্ণনা
করেছেন যে, হযরত খালিদ এই শর্তে ওদের সাথে সন্ধি স্থাপন করেন যে, ওদের ঘরবাড়ি ও
উপাসনালয়গুলাে অর্ধেক অর্ধেক হারে মুসলমানদের অধিকারে আসবে এবং তাদের জিঘৃয়াকর
রহিত হবে ৷ ইবন ইসহাক ও অন্যরা বলেন যে, ১৪ হিজরী সনের যুলকড়াদা মাসে সেনাপতি
আবু উবায়দা (রা) এর হাতে সমঝোতা ও সন্ধির মাধ্যমে হিম্স ও বআেলা বাক্কা রাজ্য জয়
করা হয় ৷ কারো কারো মতে এই জয় সংঘটিত হয় ১৫ হিজরী সনে ৷

ফিহ্ল-এর যুদ্ধ
অধিকাংশ ইতিহাসবিদ উল্লেখ করেছেন যে, দামেশক বিজয়ের পুর্বে ফিহ্লের যুদ্ধ
সংঘটিত হয়েছে ৷ তবে ইমাম আবু জাফর ইবন জারীর বলেছেন যে, সেটি স ঘটিত হয়েছে
দামেশক বিজয়ের পর, সায়ফ ইবন উমরের বর্ণনাও তা সমর্থন করে ৷ সড়ায়ফ ইবন উমর আবু
উছমান ইয়াযীদ ইবন উসায়দ গাসৃসানী ও আবু হারিছ কায়সী থেকে বর্ণনা করেছেন ৷ র্তারা
দু জলে বলেছেন যে মুসলিম সৈন্যগণ ইয়াযীদ ইবন আবুসুফিয়ান (রা) ণ্ক তার অশ্বরোহীসহ
দামেশকে রেখে সম্মুখে অগ্রসর হয় ৷ তারা অগ্ৰাভিযান চালায় ফিহ্ল রাজ্যের উদ্দেশ্যে ৷ তখন
গাওর অঞ্চলে অবস্থানকারী মুসলিম সৈন্যদের সেনাপতি ছিলেন শুরাহ্বীল ইবন হাসানা (রা) ৷
এই অভিযানে হযরত আবু উবায়দা (রা) অংশ নেন, তিনি সম্মুখ বাহিনীর দায়িতৃ দেন খালিদ
ইবন ওয়ালীদ (রা)-কে ৷ ডান পার্শ্বস্থু বাহিনীর দায়িত্বে আবুউবায়দা এবং বাম পড়ার্শের বাহিনীর
দায়িত্বে ছিলেন আময় ইবন আস (বা) ৷ অশ্বারোহী বাহিনীর দায়িত্ব ঢিরোর ইবন আয়ওয়ার এবং
পদাতিক বাহিনীর দায়িত্বে ছিলেন ইয়ড়ায ইবন পানাম ৷ র্তারা ফিহ্ল গিয়ে পৌছলেন ৷ সেটি
গাওর অঞ্চলের একটি শহর ৷ রোমানগণ বীসান এসে জড়ো হয় ৷ ওরা সেখানকার সব পানি
সকল জমিতে ছেড়ে দেয় ৷ পানিতে জমিগুলাে সয়লাব হয়ে যায় ৷
মুসলিম সৈন্য ও রোমান সৈন্যদের মাঝে অস্তরায় হয়ে দাড়ায় ওই পানিসি ক্ত জমিগুলাে ৷

মুসলিমগণ রোমানদের এই কুটকৌশল ও প্রতারণামুলক কার্যক্রম খলীফা উমর (রা)-এর
পােচরীভুত করেন ৷ তারা এও জানান যে, মুসলমানগণ বেশ ভাল অবস্থানে আছে এবং পুর্ণ

প্রস্তুতি নিয়ে আছে ৷ এই যুদ্ধে সেনাপতি ছিলেন শুরাহ্বীল ইবন হাসানা (রা) ৷ দিনে-রাতে
তিনি ভীষণ পরিশ্রম করছিলেন ৷ রোমানগণ মনে করেছিল যে, মুসলমানগণ অসতর্কও উদা সীন
হয়ে আছে ৷ হঠাৎ আক্রমণে পরাভুত করার লক্ষে! একরাতে তারা মুসলমানদের উপর হামলা
চালায় ৷ তখন রোমানদের সেনাপতি ছিল সাকলাব ইবন মিখরাক ৷ তারা মুসলমানদের উপর
হঠাৎ আক্রমণ করে ৷ একযোগে পাল্টা আক্রমণ চালায় মুসলমানগণ তাদের উপর ৷ কারণ
মুসলমার্লগণ সার্বক্ষণিক সতর্ক ও প্রস্তুত ছিলেন ৷ উভয় পক্ষে সকাল পর্যন্ত এবং ওই দিন সন্ধ্যা
পর্যন্ত প্রচণ্ড লড়ইি চলল ৷ রাতের গভীর অন্ধকার নেমে আমার সাথে সাথে রােমানগণ পালিয়ে
যায় ৷ ওদের সেনাপতি সাকলাব নিহত হয় ৷ মুসলমানগণ ওদের ঘাড়ে আক্রমণ করতে থাকে ৷
পালাতে পালাতে ওরা ওই জলরাশিতে গিয়ে পড়ে মুসলমানদের বিরুদ্ধে তারা যা তৈরি
করেছিল ৷ আল্লাহ তাআলা তাদেরকে ওই জলরাশিতে ডুবিয়ে মারেন ৷


أَنْصَافِ مَنَازِلِهِمْ وَكَنَائِسِهِمْ، وَوَضْعِ الْخَرَاجِ. وَقَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ وَغَيْرُهُ: وَفِي سَنَةِ أَرْبَعَ عَشْرَةَ فُتِحَتْ حِمْصُ وَبَعْلَبَكُّ صُلْحًا عَلَى يَدَيْ أَبِي عُبَيْدَةَ فِي ذِي الْقِعْدَةِ. قَالَ خَلِيفَةُ: وَيُقَالُ فِي سَنَةِ خَمْسَ عَشْرَةَ. [وَقْعَةُ فِحْلٍ] ٍ، بِكَسْرِ الْفَاءِ، قِيلَ: وَالْحَاءُ. وَالصَّحِيحُ تَسْكِينُهَا. وَقَدْ ذَكَرَهَا كَثِيرٌ مِنْ عُلَمَاءِ السِّيَرِ قَبْلَ فَتْحِ دِمَشْقَ، وَإِنَّمَا ذَكَرَهَا الْإِمَامُ أَبُو جَعْفَرِ بْنُ جَرِيرٍ بَعْدَ فَتْحِ دِمَشْقَ، وَتَبِعَ فِي ذَلِكَ سِيَاقَ سَيْفِ بْنِ عُمَرَ، فِيمَا رَوَاهُ عَنْ أَبِي عُثْمَانَ يَزِيدَ بْنِ أَسِيدٍ الْغَسَّانِيِّ وَأَبِي حَارِثَةَ الْعَبْشَمِيِّ قَالَا: خَلَّفَ النَّاسُ يَزِيدَ بْنَ أَبِي سُفْيَانَ فِي خَيْلِهِ فِي دِمَشْقَ، وَسَارُوا نَحْوَ فِحْلٍ، وَعَلَى النَّاسِ الَّذِينَ هُمْ بِالْغَوْرِ شُرَحْبِيلُ ابْنُ حَسَنَةَ، وَسَارَ أَبُو عُبَيْدَةَ وَقَدْ جَعَلَ عَلَى الْمُقَدِّمَةِ خَالِدَ بْنَ الْوَلِيدِ، وَأَبُو عُبَيْدَةَ عَلَى الْمَيْمَنَةِ، وَعَمْرُو بْنُ الْعَاصِ عَلَى الْمَيْسَرَةِ، وَعَلَى الْخَيْلِ ضِرَارُ بْنُ الْأَزْوَرِ، وَعَلَى الرَّجَّالَةِ عِيَاضُ بْنُ غَنْمٍ، فَوَصَلُوا إِلَى فِحْلٍ، وَهِيَ بَلْدَةٌ بِالْغَوْرِ، وَقَدِ انْحَازَ الرُّومُ إِلَى بَيْسَانَ، وَأَرْسَلُوا مِيَاهَ تِلْكَ الْأَرَاضِي عَلَى مَا هُنَالِكَ مِنَ الْأَرَاضِي، فَحَالَ بَيْنَهُمْ وَبَيْنَ الْمُسْلِمِينَ، وَأَرْسَلَ الْمُسْلِمُونَ إِلَى عُمَرَ يُخْبِرُونَهُ بِمَا
পৃষ্ঠা - ৫৪১৮


সেদিন ওদের প্রায় ৮০ হাজার লোক নিহত হয় ৷ যারা পালিয়ে গিয়েছিল শুধু তারাই প্রাগে
বেচেছে ৷ মুসলমানগণ গনীমত হিসেবে ওদের বহু মালামাল ও ধন-সম্পদ অধিকার করেন ৷
এরপর খলীফা উমর (রা)-এর নির্দো৷ মুতাবিক হযরত আবু উবায়দা (বা) ও খালিদ (রা)
নিজেদের সেনাবাহিনী নিয়েই হিমৃস অভিমুখে যাত্রা করেন ৷ সেনাপতি আবু উবায়দা (রা)
জর্ডানে শুরাহবীল ইবন হাসানাকে শাসনের দায়িত্ব দিয়ে যান ৷ শুরাহবীল এবং আমর ইবন
অসে যাত্রা করেন বীসান’ এর দিকে ৷ র্তারা বীসান অবরাে ধ করেন ৷ সেখানকার অধিবাসীগণ
যুদ্ধের জন্যে বের হয় ৷ সংঘটিত হয় প্রচণ্ড যুদ্ধ ৷ এরপর তারা সন্ধি স্থাপন করে ৷ যেমন
করেছিল দামেশক অধিবাসীগণ ৷ ওরাহ্বীল ইবন হাসানা তাদের ভুমি ও স্থাবর সর্ম্পত্তিত্তে
জিযিয়া কর আরোপ করেন ৷ আবু আওয়ার সুলামী তড়াবারিয়্যা অধিবাসীদের ব্যাপারে অনুরুপ
ব্যবস্থা গ্রহণ করেন ৷

ইরাকে সংঘটিত যুদ্ধ

আমরা আগেই উল্লেখ করেছি যে, হযরত খালিদ (রা) ইরাক থেকে সিরিয়ার উদ্দেশ্যে
যাত্রা করার পর মুছান্নড়া (রা) ইরাকে রয়ে গেলেন ৷ হযরত খালিদ (বা) যাত্রা করেছিলেন এক
বিশাল সেনাদল নিয়ে ৷ কারো তে, সৈন্যসংখ্যা ছিল নয় হাজার ৷ কেউ বলেছেন তার সাথে ,
যাত্রা করা সৈন্য ছিল তিন রুশ্-াব্ৰ ৷ কারো মতে সাতশ ৷ কেউ বলেছেন আরো কম ৷ তবে সবাই
একমত যে, ইরাকে অবস্থানকারী বড় বড় যোদ্ধা ও নেতৃস্থানীয় সৈনিকগণ তার সাথে যাত্রা
করেছিলেন ৷ অবশিষ্ট সৈনাসহ মুছান্না (রা) ইরাকে রয়ে মোঃলন ৷ তার সাথে থাকা সৈন্য ছিল
নিতান্ত কম ৷ অন্যদিকে পারসিকদের আক্রমণের আশংকা ছিল খুব বেশি ৷ ওদের রাজস্ব-রাণী
পারবর্তানর ঝামেলা না থাকলে তারা অবশ্যই আক্রমণ করত ৷ খলীফা আবু বকর সিদ্দীক
(রক্ত)-এর পক্ষ থেকে দীর্ঘদিন যাবত মুছান্ন৷ (রা)-এর নিকট কোন সংবাদ যাচ্ছিল না ৷ তাই
তিনি মদীনার উদ্দেশ্যে যাত্রা করলেন ৷ তিনি এসে দেখলেন, হযরত সিদ্দীক-ইআকবর তখন
জীবন সারাহ্নে ৷ তনি খলীফড়াকে ইরাক পরিস্থিতি জানালেন ৷ খলীফা সিদ্দীক-ই-আকবর (বা)
হযরত উমর (রা)কে অসিয়ত করলেন তিনি যেন জনসাধারণকে ইরাক যুদ্ধে অংশ্যাহণের
আহ্বান জানান ৷ হযরত লিদ্দীক-ই-আকবর (রা) ইন তিকাল করলেন ৷ মঙ্গলবার রাতে তাকে
দাফন করা হলো ৷ পরদিন ভোরে উমর (রা) লোকজনকে ইরাক যুদ্ধে অংশ্যাহণেয় আহ্বান
জানালেন ৷ যুদ্ধে অংশগ্রহণের জন্যে উৎসাহিত করলেন ৷ এর নওয়াব ও পুরস্কার সম্পর্কেও
জানালেন ৷ কিন্তু কেউই তার আহ্বানে সাড়া দিল না ৷ কারণ পারসিকদের শক্তির দাপট এবং
যুদ্ধ-ভৈনপুগ্যের প্রেক্ষিতে কেউই ওদের বিরুদ্ধে যুদ্ধে যেতে চাইত না ৷ তিনি দ্বিতীয় এবং তৃতীয়
দিন্শু যুদ্ধে অংশ, নেবার আহ্বান জানান ৷ কেউই কিন্তু সাড়া দেয়নি ৷ সেনাপতি মুছান্না (রা)
বক্তব্য রাখলেন ৷ হযরত খালিদ (রা)-এর হাতে ইরাকের একটি বিরাট অংশে আল্লাহ্ তাআলা
মুসলমানদেরকে বিজয় দান করেছেন তিনি তা উল্লেখ করলেন ৷ ওখানে যে সকল ধন-সম্পদ ও
মালামাল মুসলমানদের হস্তপত হয়েছে তাও তিনি সকলকে অবহিত করলেন জ্যি তৃতীয়
দিনের আহ্বানেও কেউ সাড়া দেয়নি ৷ চতুর্থ দিনের আহ্বানের পর সর্বপ্রথম সাড়া দেন এবং

যুদ্ধে যেতে সম্মতি দেন আবু উবায়দ ইবন মন্সউদ ছাকাফী ৷ এরপর একের পর এক লোকজন
সাড়া দিতে শুরু করেন ;


هُمْ فِيهِ مِنْ مُصَابَرَةِ عَدُوِّهِمْ، وَمَا صَنَعَهُ الرُّومُ مِنْ تِلْكَ الْمَكِيدَةِ، إِلَّا أَنَّ الْمُسْلِمِينَ فِي عَيْشٍ رَغِيدٍ وَمَدَدٍ كَثِيرٍ، وَهُمْ عَلَى أُهْبَةٍ مِنْ أَمْرِهِمْ، وَأَمِيرُ هَذَا الْحَرْبِ شُرَحْبِيلُ ابْنُ حَسَنَةَ، وَهُوَ لَا يَبِيتُ وَلَا يُصْبِحُ إِلَّا عَلَى تَعْبِئَةٍ، وَظَنَّ الرُّومُ أَنَّ الْمُسْلِمِينَ عَلَى غِرَّةٍ، فَرَكِبُوا فِي بَعْضِ اللَّيَالِي لِيُبَيِّتُوهُمْ، وَعَلَى الرُّومِ سِقْلَابُ بْنُ مِخْرَاقَ، فَهَجَمُوا عَلَى الْمُسْلِمِينَ فَنَهَضُوا إِلَيْهِمْ نَهْضَةَ رَجُلٍ وَاحِدٍ ; لِأَنَّهُمْ عَلَى أُهْبَةٍ دَائِمًا، فَقَاتَلُوهُمْ حَتَّى الصَّبَاحِ وَذَلِكَ الْيَوْمَ بِكَمَالِهِ إِلَى اللَّيْلِ، فَلَمَّا أَظْلَمَ اللَّيْلُ فَرَّ الرُّومُ وَقُتِلَ أَمِيرُهُمْ سِقْلَابُ، وَرَكِبَ الْمُسْلِمُونَ أَكْتَافَهُمْ وَأَسْلَمَتْهُمْ هَزِيمَتُهُمْ إِلَى ذَلِكَ الْوَحْلِ الَّذِي كَانُوا قَدْ كَادُوا بِهِ الْمُسْلِمِينَ، فَغَرَّقَهُمُ اللَّهُ فِيهِ، وَقَتَلَ مِنْهُمُ الْمُسْلِمُونَ بِأَطْرَافِ الرِّمَاحِ مَا قَارَبَ الثَّمَانِينَ أَلْفًا، لَمْ يَنْجُ مِنْهُمْ إِلَّا الشَّرِيدُ، وَغَنِمُوا مِنْهُمْ شَيْئًا كَثِيرًا وَمَالًا جَزِيلًا، وَانْصَرَفَ أَبُو عُبَيْدَةَ وَخَالِدٌ بِمَنْ مَعَهُمَا مِنَ الْجُيُوشِ نَحْوَ حِمْصَ، كَمَا أَمَرَ أَمِيرُ الْمُؤْمِنِينَ عُمَرُ بْنُ الْخِطَابِ، وَاسْتَخْلَفَ أَبُو عُبَيْدَةَ عَلَى الْأُرْدُنِّ شُرَحْبِيلَ ابْنَ حَسَنَةَ، فَسَارَ شُرَحْبِيلُ وَمَعَهُ عَمْرُو بْنُ الْعَاصِ، فَحَاصَرَ بَيْسَانَ، فَخَرَجُوا إِلَيْهِ فَقَتَلَ مِنْهُمْ مَقْتَلَةً عَظِيمَةً، ثُمَّ صَالَحُوهُ عَلَى مِثْلِ مَا صَالَحَتْ عَلَيْهِ دِمَشْقُ، وَضَرَبَ عَلَيْهِمُ الْجِزْيَةَ، وَالْخَرَاجَ عَلَى أَرَاضِيهِمْ، وَكَذَلِكَ فَعَلَ أَبُو الْأَعْوَرِ السَّلَمِيُّ بِأَهْلِ طَبَرِيَّةَ سَوَاءً. [مَا وَقَعَ بِأَرْضِ الْعِرَاقِ] فَصْلٌ فِيمَا وَقَعَ بِأَرْضِ الْعِرَاقِ فِي هَذِهِ الْمُدَّةِ مِنَ الْقِتَالِ. قَدْ قَدَّمْنَا أَنَّ الْمُثَنَّى بْنَ حَارِثَةَ لَمَّا سَارَ خَالِدٌ مِنَ الْعِرَاقِ بِمَنْ صَحِبَهُ إِلَى
পৃষ্ঠা - ৫৪১৯
الشَّامِ - وَقَدْ قِيلَ: إِنَّهُ سَارَ بِتِسْعَةِ آلَافٍ. وَقِيلَ: بِثَلَاثَةِ آلَافٍ. وَقِيلَ: بِسَبْعِمِائَةٍ. وَقِيلَ: بِأَقَلَّ. إِلَّا أَنَّهُمْ صَنَادِيدُ جَيْشِ الْعِرَاقِ - فَأَقَامَ الْمُثَنَّى بِمَنْ بَقِيَ، فَاسْتَقَلَّ عَدَدَهُمْ، وَخَافَ مِنْ سَطْوَةِ الْفُرْسِ لَوْلَا اشْتِغَالُهُمْ بِتَبْدِيلِ مُلُوكِهِمْ وَمَلِكَاتِهِمْ، وَاسْتَبْطَأَ الْمُثَنَّى خَبَرَ الصِّدِّيقِ، فَسَارَ إِلَى الْمَدِينَةِ فَوَجْدَ الصِّدِّيقَ فِي السِّيَاقِ، فَأَخْبَرَهُ بِأَمْرِ الْعِرَاقِ، فَأَوْصَى الصِّدِّيقُ عُمَرَ أَنْ يَنْدُبَ النَّاسَ لِقِتَالِ أَهْلِ الْعِرَاقِ، فَلَمَّا مَاتَ الصِّدِّيقُ وَدُفِنَ لَيْلَةَ الثُّلَاثَاءِ، أَصْبَحَ عُمَرُ فَنَدَبَ النَّاسَ وَحَثَّهُمْ عَلَى قِتَالِ أَهْلِ الْعِرَاقِ، وَحَرَّضَهُمْ وَرَغَّبَهُمْ فِي الثَّوَابِ عَلَى ذَلِكَ، فَلَمْ يَقُمْ أَحَدٌ ; لِأَنَّ النَّاسَ كَانُوا يَكْرَهُونَ قِتَالَ الْفُرْسِ ; لِقُوَّةِ سَطْوَتِهِمْ، وَشِدَّةِ قِتَالِهِمْ، ثُمَّ نَدَبَهُمْ فِي الْيَوْمِ الثَّانِي وَالثَّالِثِ، فَلَمْ يَقُمْ أَحَدٌ وَتَكَلَّمَ الْمُثَنَّى بْنُ حَارِثَةَ فَأَحْسَنَ، وَأَخْبَرَهُمْ بِمَا فَتَحَ اللَّهُ تَعَالَى عَلَى يَدَيْ خَالِدٍ مِنْ مُعْظَمِ أَرْضِ الْعِرَاقِ، وَمَا لَهُمْ هُنَالِكَ مِنَ الْأَمْوَالِ وَالْأَمْلَاكِ وَالْأَمْتِعَةِ وَالزَّادِ، فَلَمْ يَقُمْ أَحَدٌ فِي الْيَوْمِ الثَّالِثِ، فَلَمَّا كَانَ الْيَوْمُ الرَّابِعُ كَانَ أَوَّلَ مَنِ انْتَدَبَ مِنَ الْمُسْلِمِينَ أَبُو عُبَيْدَةَ بْنُ مَسْعُودٍ الثَّقَفِيُّ، ثُمَّ تَتَابَعَ النَّاسُ فِي الْإِجَابَةِ، وَأَمَرَ عُمَرُ طَائِفَةً مِنْ أَهْلِ الْمَدِينَةِ، وَأَمَّرَ عَلَى الْجَمِيعِ أَبَا عُبَيْدٍ هَذَا، وَلَمْ يَكُنْ صَحَابِيًّا، فَقِيلَ لِعُمَرَ: هَلَّا أَمَرْتَ عَلَيْهِمْ رَجُلًا مِنَ الصَّحَابَةِ؟ فَقَالَ: إِنَّمَا أُؤَمِّرُ أَوَّلَ مَنِ اسْتَجَابَ، إِنَّكُمْ إِنَّمَا سَبَقْتُمُ النَّاسَ بِنُصْرَةِ هَذَا الدِّينِ، وَإِنَّ هَذَا هُوَ الَّذِي اسْتَجَابَ قَبْلَكُمْ. ثُمَّ دَعَاهُ فَوَصَّاهُ فِي خَاصَّةِ نَفْسِهِ بِتَقْوَى اللَّهِ وَبِمَنْ مَعَهُ مِنَ
পৃষ্ঠা - ৫৪২০


মদীনায় একাধিক ব্যক্তিকে খলীফা উমর (রা) সেনাপতি নিযুক্ত করেন ৷ সবার উপরে
সেনাপতির দায়িত্ব দেন এই আবু উবায়দ ইবন মাসউদ ছাকাফীকে ৷ তিনি কিত্তু সাহাবী ছিলেন
না ৷ কেউ কেউ হযরত উমর (রা)-কে জিজ্ঞেস করলেন যে, কোন সাহাবীকে আপনি প্রধান
সেনাপতি নিযুক্ত করলেন না কেন ? তিনি বললেন, সর্বপ্রথম যে সাড়া দিয়েছে আমি তাকেই
প্রধান সেনপতি নিযুক্ত করেছি ৷ আপনারা তাে দীনের সাহায্যে সবার আগে এগিয়ে এসেছেন ৷
আর এই ঘটনায় এই লোক আপনাদের সবার আগে এগিয়ে এসেছে ৷ সবার আগে সাড়া
দিয়েছে ৷ এরপর খলীফা উমর (রা) আবু উবায়দা ইবন মাসউদ ছাকাফীকে ডেকে ব্যক্তিগত
ব্যাপারে থােদাভীতি ও তাকওয়া অবলম্বন ও সাথী মুসলিম সৈন্যদের কল্যাণ কামনার উপদেশ
দিলেন ৷ সকল কাজে সাহাবীদের সাথে পরামর্শ করার নির্দেশ দিলেন ৷ সালীত ইবন বাশীরের
সাথেও পরামর্শ করার কথা বললেন ৷ কারণ সালীত ইবন বাশীরের রয়েছে যুদ্ধ সম্বন্ধে বাস্তব
অভিজ্ঞতা ৷ তিনি সরাসরি বহু যুদ্ধে অংশ্যাহণ করেছিলেন ৷ বন্তুত মুসলমানদের এই সেনাদল
ইরাকের উদ্দেশ্যে যাত্রা করে ৷ তাদের সংখ্যা সাত হাজার ৷

খলীফা উমর (রা) হযরত আবু উবায়দা (র)-কে লিখলেন, খালিদ (রা)-এর সাথে যে
সবলে সৈন্য ইরাক থেকে এসেছে ওদেরকে যেন পুনরায় ইরাকে পাঠিয়ে দেন ৷ তিনি দশ হাজার
সৈন্যের একটি বাহিনী প্রস্তুত করলেন ৷ হাশিম ইবন উতবাকে নেতা মনোনীত করে তার
তত্ত্বাবধানে ওই সেনাবাহিনী ইরাকে প্রেরণ করেন ৷ ওদিকে জারীর ইবন আবদুল্লাহ বাজালীর
নেতৃত্বে চার হাজার সৈন্যের একটি বিশাল বাহিনী হযরত উমর (রা) ইরাকে প্রেরণ করেনা
জারীর ইবন আবদুল্লাহ তার বাহিনী নিয়ে কুফা পৌছেন ৷ সেখানে হারকারান আল
মাদার”-এর সাথে র্তার যুদ্ধ হয় ৷ যুদ্ধে হারকারান নিহত হয় এবং তার সেনাবাহিনী পরাজিত
হয় ৷ ওদের অধিকাৎশই দজলা নদীতে ডুবে মারা যায় ৷ মুসলিম বাহিনী ইরাক গিয়ে পৌছে ৷
তখন পারসিকগণ তাদের রাজা-রাণী মনোনয়ন ও অপসারণ নিয়ে ব্যস্ত ছিল ৷ অবশেষে রাণী
আযার মীদাখৃত কে হত্যা করে তারা বুরান বিনৃত কিসরাকে ক্ষমতায় বসায় ৷ রাণী বুরান
রুস্তম ইবন ফারাখযায নাভ্রুময় এক সাহসী বীর যােদ্ধার নিকট দশ বছরের জন্যে রাজত্ব হস্তান্তর
করে এই শর্তে যে, সে যুদ্ধ পরিচালনা করবে ৷ এরপর রাজত্ব ফিরে আসবে কিসরার
বংশধরদের নিকট ৷ রুস্তম তা মেনে নেয় ৷ এই রুস্তম ছিল একজন ণ্জ্যাতির্বিদ ৷ জোতিষ্ক ও
জ্যেড়াতির্বিদ্যা সম্পর্কে তার ছিল পর্যাপ্ত জ্ঞান ৷ একদিন তাকে বলা হয়েছিল-আপনি জানতেন
’ যে, এই রাজত্ব আর পুর্ণতা পাবে না-স্থায়ী হবে না ৷ তবু এটি গ্রহণে কািস আপনাকে
উৎসাহিত করল ? তিনি বলেলেন, উনােভ-লালসা এবং মর্যাদা লাভের উচ্চাকাহ্মে৷ আমাকে এটি
গ্রহণে উৎসাহিত করেছে ৷ ’

নামারিকের যুদ্ধ

সেনাপতি ল্ডেম জাবান নামের এক ব্যক্তিকে সেনাপতির দায়িত্ব প্রদান করত মুসলমানদের
বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার জন্যে প্রেরণ করেছিল ৷ তার দু’পাশে দায়িতৃপ্রাপ্ত ছিল হাশনাস মাহ্ ও
মারদান শাহ নামের দুজন লোক ৷ মারদান শাহ্ ছিল সেনাপতি রাঃমের জ্যি ঘনিষ্ঠ ব্যক্তি ৷
তারা নামারিক নামক স্থানে সেনাপতি আবু উবায়দ-এর মুখোমুখি হয় ৷ নামারিক হলো হীরা ও
কাদেসিয়া নগরীর মধ্যবর্তী একটি স্থান ৷ মুসলিম অশ্বারোহী বাহিনীর দায়িত্বে তখন হযরত


الْمُسْلِمَيْنِ خَيْرًا، وَأَمَرَهُ أَنْ يَسْتَشِيرَ أَصْحَابَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَأَنْ يَسْتَشِيرَ سَلِيطَ بْنَ قَيْسٍ ; فَإِنَّهُ رَجُلٌ بَاشَرَ الْحُرُوبَ، فَسَارَ الْمُسْلِمُونَ إِلَى أَرْضِ الْعِرَاقِ، وَهُمْ سَبْعَةُ آلَافِ رَجُلٍ وَكَتَبَ عُمَرُ إِلَى أَبِي عُبَيْدَةَ أَنْ يُرْسِلَ مَنْ كَانَ بِالْعِرَاقِ مِمَّنْ قَدِمَ مَعَ خَالِدٍ إِلَى الْعِرَاقِ، فَجَهَّزَ عَشَرَةَ آلَافٍ، عَلَيْهِمْ هَاشِمُ بْنُ عُتْبَةَ، وَأَرْسَلَ عُمَرُ جَرِيرَ بْنَ عَبْدِ اللَّهِ الْبَجَلِيَّ فِي أَرْبَعَةِ آلَافٍ إِلَى الْعِرَاقِ فَقَدِمَ الْكُوفَةَ ثُمَّ خَرَجَ مِنْهَا فَوَاقَعَ هِرَقْرَانَ الْمَدَارَ فَقَتَلَهُ وَانْهَزَمَ جَيْشُهُ، وَغَرِقَ أَكْثَرُهُمْ فِي دِجْلَةَ فَلَمَّا وَصَلَ النَّاسُ إِلَى الْعِرَاقِ وَجَدُوا الْفُرْسَ مُضْطَرِبِينَ فِي مُلْكِهِمْ، وَآخِرُ مَا اسْتَقَرَّ عَلَيْهِ أَمْرُهُمْ أَنْ مَلَّكُوا عَلَيْهِمْ بُورَانَ بِنْتَ كِسْرَى بَعْدَمَا قَتَلُوا الَّتِي كَانَتْ قَبْلَهَا آزَرْمِيدُخْتَ، وَفَوَّضَتْ بُورَانُ أَمْرَ الْمُلْكِ عَشْرَ سِنِينَ إِلَى رَجُلٍ مِنْهُمْ يُقَالُ لَهُ: رُسْتُمُ بْنُ فَرُّخْزَاذَ. عَلَى أَنْ يَقُومَ بِأَمْرِ الْحَرْبِ، ثُمَّ يَصِيرُ الْمُلْكُ إِلَى آلِ كِسْرَى، فَقَبِلَ ذَلِكَ. وَكَانَ رُسْتُمُ هَذَا مُنَجِّمًا يَعْرِفُ النُّجُومَ وَعِلْمَهَا جَيِّدًا، فَقِيلَ لَهُ: مَا حَمَلَكَ عَلَى هَذَا؟ يَعْنُونَ وَأَنْتَ تَعْلَمُ أَنَّ هَذَا الْأَمْرَ لَا يَتِمُّ لَكَ، فَقَالَ: الطَّمَعُ وَحُبُّ الشَّرَفِ. [وَقْعَةُ النَّمَارِقِ] بَعَثَ رُسْتُمُ أَمِيرًا يُقَالُ لَهُ: جَابَانُ. وَعَلَى مُجَنِّبَتَيْهِ رَجُلَانِ يُقَالُ لِأَحَدِهِمَا:
পৃষ্ঠা - ৫৪২১


মুছান্ন৷ ইবন হারিছু৷ ৷ বাম বাহিনীর দায়িত্বে আমর ইবন হায়ছাম ৷ ওখানে উভয়পক্ষে প্রচণ্ড যুদ্ধ
হয় ৷ আল্লাহ্ তাআলা পারসিকদেরকে পরাজিত করে দেন ৷ জাবান ও মারদান শাহ
মুসলমানদের হাতে বন্দী হয় ৷ যে মুসলিম সৈনিক মারদান শাহকে বন্দী করেছিল সে নিজেই
মারদান শাহকে হত্যা করে ফেলে ৷ আর জাবান গ্রেপ্তার হয়ে প্রতারণার আশ্রয় নেয় ৷ ফলে যে
ব্যক্তি তাকে বন্দী করেছিল ণ্স জাবানকে ছেড়ে দেয় ৷ কিংন্থ অন্য মুসলমানরা তাকে আটক করে
রাখেন ৷ ছেড়ে দিতে অস্বীকার করেন ৷ তারা বলেন এই যে, প্রধান সেনাপতি ৩৷ তারা তাকে
নিয়ে আসেন সর্বাধিনাহ্ছুক হযরত আবু উবায়দ-এর নিকট ৷ ওরা তাকে বলেছিল যে, জাবানকে
হত্যা করুন ৷ কারণ সে শক্র-সৈন্যের প্রধান ব্যক্তি ৷ আবু উবায়দ বললেন, যে যদি সেনাধ্যক্ষও
হয় তবুও আমি ওকে হত্যা করব না ৷ কারণ আমাদেরই আনক মুসলমান তাকে নিরাপত্তা
দিয়েছিল ৷
এরপর আবু উবায়দ পরাজিত পারসিক সৈনিকদেরকে তাড়া করতে বের হলেন ৷ ওরা

তখন কাসৃকম্বুর মহলে গিয়ে আশ্রয় নিয়েছিল ৷ ওখানকার শাসক ছিল কিসরা এর খালাত ভাই
তার নাম নারসী ৷ সে ওদেরকে প্রস্তুত ৩করল আবু উবায়দ এর ঘুকাবিলা করার জন্যে ৷ তিনি
ওদের উপর আক্রমণ করলেন প্রচওভাবে ৷ ওরা পরাজিত হলো ৷ বহু মালামাল ও খাদ্যদ্রব্য
মুসলমানদের ত ৷ কারে এল ৷ সকল প্রশংসা মহান আল্লাহর : যুদ্ধে প্রাপ্ত খাদ্যদ্রব্য ও
মালামালের হু অংশ নিয়মানুযায়ী মদীনায় খলীফ৷ উমর ইবন খাত্তাব (রা) এর নিকট পাঠিয়ে
দেয়া হলো ষ্ ওই যুদ্ধ সম্পর্কে জনৈক মুসলমান নিম্নের কৰি৩ ৷ আবৃত্তি করেছিল ং

ট্রুব্লুন্;:এ
আমার জিন্দেগীর কসম ৷ আমার জীবন অভ সহজ ও নিষ্কণ্টক নয় ৷ নামারিকের
অধিবাসিগণ ভোর বেলা যিল্লভী ও অপ মানের বোঝা নিয়ে উ ছে ৷

৷ ,

এ র্দু£এন্ৰুন্
ওরা লাঞ্ছিরু ৩ ও অপমানিত হয়েছে এমন কতক লোকেরন্ন্ষ্ খ্া৩ ৩যারা হিজরত করেছে তাদের
প্রতিপালকের উদ্দেশ্যে ৷ এরা নামাবিক বাসীদেরকে পদদলিত ও অপদস্ত করেছে দিরনা ও
বারিকের মধ্যবর্তী স্থানে ৷


আমরা ওদেরকে হত্যা করেছি ৷ হত্যা করেছি তাদারুকের পথে হাওয়ানী ও মার্জ
মুছাল্লাহের মধ্যবর্তী স্থানে ৷

উভয়পক্ষস য্যের্ষ লিপ্ত হয়েছিল কাসকার আর সাফাতিয়্যাহ্-এর মধ্যবর্তী স্থানে ৷ ওদের
ডান পার্শের সেনড়াদলের দায়িত্বে ছিল নারসী ৷ আর বাম পার্ণের সেনাদলের দায়িত্বে ছিল তা
মামাত ভাই বানদাবিয়্যাহ ও ৰায়রাবিয়্যাহ ৷ ওদের পিতার নাম নিযাম ৷ এদিকে রুস্তম
জালীনুসের নেতৃত্বে একটি সুসজ্জিত দল পাঠিয়েছিল ৷ এ সংবাদ অবগত হয়ে আবু উবায়দ
তৃরিত গতিতে নারসী-এৱ উপর আক্রমণ করেন ৷ জালীনুসের বাহিনী ওদের সাথে মিলিত
হবার আগেই তিনি এই আক্রমণ করেন ৷ আবু উবায়দ৷ (রা) ও নারসীর মধ্যে সেখানে প্ৰচওা


جِشْنِسُ مَاهْ. وَيُقَالُ لِلْآخَرِ: مَرْدَانْ شَاهْ. وَهُوَ حَصِيُّ أَمِيرِ حَاجِبِ الْفُرْسِ، فَالْتَقَوْا مَعَ أَبِي عُبَيْدٍ بِمَكَانٍ يُقَالُ لَهُ: النَّمَارِقُ. بَيْنَ الْحِيرَةِ وَالْقَادِسِيَّةِ، وَعَلَى الْخَيْلِ الْمُثَنَّى بْنُ حَارِثَةَ، وَعَلَى الْمَيْسَرَةِ عَمْرُو بْنُ الْهَيْثَمِ، فَاقْتَتَلُوا هُنَالِكَ قِتَالًا شَدِيدًا، وَهَزَمَ اللَّهُ الْفُرْسَ، وَأُسِرَ جَابَانُ وَمَرْدَانْ شَاهْ. فَأَمَّا مَرْدَانْ شَاهْ فَإِنَّهُ قَتَلَهُ الَّذِي أَسَرَهُ، وَأَمَّا جَابَانُ فَإِنَّهُ خَدَعَ الَّذِي أَسَرَهُ حَتَّى أَطْلَقَهُ، فَأَمْسَكَهُ الْمُسْلِمُونَ وَأَبَوْا أَنْ يُطْلِقُوهُ، وَقَالُوا: إِنَّ هَذَا هُوَ الْأَمِيرُ. وَجَاءُوا بِهِ إِلَى أَبِي عُبَيْدٍ، فَقَالُوا: اقْتُلْهُ، فَإِنَّهُ الْأَمِيرُ. فَقَالَ: وَإِنْ كَانَ الْأَمِيرَ، فَإِنِّي لَا أَقْتُلُهُ وَقَدْ أَمَّنَهُ رَجُلٌ مِنَ الْمُسْلِمِينَ. ثُمَّ رَكِبَ أَبُو عُبَيْدٍ فِي آثَارِ مَنِ انْهَزَمَ مِنْهُمْ، وَقَدْ لَجَأُوا إِلَى مَدِينَةِ كَسْكَرَ الَّتِي لِابْنِ خَالَةِ كِسْرَى، وَاسْمُهُ نَرْسِي، فَوَازَرَهُمْ نَرْسِي عَلَى قِتَالِ أَبِي عُبَيْدٍ، فَقَهَرَهُمْ أَبُو عُبَيْدٍ، وَغَنِمَ مِنْهُمْ شَيْئًا كَثِيرًا وَأَطْعِمَاتٍ كَثِيرَةٍ جِدًّا، وَلِلَّهِ الْحَمْدُ. وَبَعَثَ بِخُمُسِ مَا غَنِمَ مِنَ الْمَالِ وَالطَّعَامِ إِلَى عُمَرِ بْنِ الْخَطَّابِ بِالْمَدِينَةِ، وَقَدْ قَالَ فِي ذَلِكَ رَجُلٌ مِنَ الْمُسْلِمِينَ: لَعَمْرِي وَمَا عُمْرِي عَلَيَّ بِهَيِّنٍ ... لَقَدْ صُبِّحَتْ بِالْخِزْيِ أَهْلُ النَّمَارِقِ بِأَيْدِي رِجَالٍ هَاجَرُوا نَحْوَ رَبِّهِمْ ... يَجُوسُونَهُمْ مَا بَيْنَ دُرْتَا وَبَارِقِ قَتَلْنَاهُمْ مَا بَيْنَ مَرْجِ مُسَلِّحٍ وَبَيْنَ الْهَوَافِي مِنْ طَرِيقِ الْبَذَارِقِ
পৃষ্ঠা - ৫৪২২


যুদ্ধ হয় ৷ পারসিকগণ পরাজিত হয় এবং নারসী পালিয়ে যায় ৷ ওদািক বারুসমা’ নামক স্থানে
জালীনুসের সাথে আবু উবায়দা (রা)-এর যুদ্ধ হয় ৷ যুদ্ধে জালীনুস পরাজিত হয়ে মাদাইনে
পালিয়ে যায় ৷ নারসীও মাদাইনে গিয়ে পৌছে ৷ হযরত আবু উবড়ায়দা (রা) হযরত মুছান্না
(রা)-কে এবং অন্যান্য সেনাদলকে নাহ্র জুর ও অন্যান্য সীমান্তের দিকে প্রেরণ করেন ৷ তারা
অবস্থাভেদে শক্তি প্রয়োগ ও সন্ধির মাধ্যমে ওই সব স্থান জয় করেন এবং স্থানীয় অধিবাসীদের
উপর জিয্য়া কর নির্ধারণ করেন ৷ তারা বহু মালামাল যুদ্ধ বিজয়ী মান হিসেবে লাভ করে ৷

সকল প্রশংসা আল্লাহ্ তা আলার ৷ জবোনের সাহায্যে এসেছিল জালীনুস ৷ মুসলমানগণ
তাকে চরমভ্যবে পরাস্ত করেন ৷ এবং তার সৈন্য-সামত্ত ও মালপত্র গনীমতের মালরুপে
মুসলমানগণ হস্তগত করেন ৷ জালীনুস লাঞ্ছিত ও অপমানিত হয়ে নিজ সম্প্রদায়ের নিকট ফিরে
যায় ৷

আবু উৰায়দা এর সেতুর যুদ্ধ, মুসলিম প্রধান সেনাপতি
ও বহু মুসলিম সৈনিকের শাহাদাত
মুসলমানদের হাতে খােচনীয়ভ্যবে পরাজিত হয়ে পারসিক সেনাধ্যক্ষ জালীনুস পালিয়ে
প্রাণ বাচিয়েছিল ৷ সে নিজ সম্প্রদায়ের নিকট ফিরে যাওয়ার পর ওরা প্রচওভাবে ক্ষুব্ধ হয় ৷
পারসিকগণ সমবেত হয় মহাবীর রুস্তমের নিকট ৷ সে মুসলমানদের বিরুদ্ধে বিশাল এক
সেনাদল প্রেরণ করে ৷ এদের সেনাপতি ছিল রাহমান হাদাবিয়্যাহ্ ৷ সে তার হাতে তুলে দিল
অড়াফরীদৃনের পতাকা ৷ এটির নাম দুরফাশ কবিয়ানও বটে ৷ পারসিকগণ ওই পতাকা দ্বারা
বরকত ও শুভষাত্রা কামনা করত ৷ ওরা নিজেদের সাথে কিসরার পতাকাও বহন করে নিয়ে
যায় ৷ এই পতাকা ছিল চিতা বাঘের চামড়ার তৈরি ৷ পতাকাটির প্রস্থ ছিল আট হাত ৷ ওরা
মুসলমানদের নিকট এসে পৌছে ৷ উভয় পক্ষের মাঝে একটি নদী ছিল ৷ সেখানে ছিল একটি
সেতু ৷ পারসিকগণ প্রস্তাব দিল যে, হয়ত তোমরা সেতু পার হয়ে আমাদের নিকট আস, নতুবা
আমরা সেতু পার হয়ে তোমাদের নিকট যাব ৷ মুসলমানগণ র্তাদের সেনাপতি আবু উবায়দকে
বলল, ওদেরকে বলুন আমাদের নিকট আসতে ৷ সেনাপতি বললেন, আমরা মৃত্যুর ব্যাপারে যত
নির্তীক ওরা ততটা নিউকি নয় ৷ এই বলে তিনি সেতু পেরিয়ে নিজ সৈন্যসহ ওদের নিকট
পৌছে গেলেন ৷ সং ৎকীর্ণ এক জায়গায় সকলে সমবেত হলো ৷ উভয় পক্ষে সেখানে ভীষণ যুদ্ধ
হয় ৷ ইতিপুর্বে এমন যুদ্ধ দেখা যায়নি ৷
মুসলমান সৈন্যের সং ৎখ্যা ছিল প্রায় দশ হাজার, পারসিকগণ সাথে করে বড় বড় বহু হাতী
নিয়ে এসেছিল ৷ ওইগুলেড়ার পিঠে ছিল প্রচণ্ড শব্দ সৃষ্টিকারী ঘণ্টা, হাতীগুলাে দাড়িয়েছিল যাতে
মুসলমানদের ঘোড়াগুলাে হাতী দেখে আর প্রচণ্ড শব্দ শুনে ভয় পায় ৷ তারা মুসলমানদের উপর
হামলা চালায় ৷ বস্তুত বিশাল বিশাল হাতী দেখে এবং প্রচণ্ড ঘণ্টাধ্বনি শুনে মুসলমানদের
ঘোড়াগুলাে ভয়ে পালিয়ে যেতে থাকে ৷ শক্তিপ্রয়োগে মাত্র অল্প সং ৎখ্যক ঘোড়াকে ধরে রাখা
হয় ৷ অন্যদিকে মুসলমানগণ যখন ওদের উপর আক্রমণে অগ্রসর হতে চায় তখন হাতীর ভয়ে
তাদের ঘোড়াগুলো সামনে এগুতে চায় না ৷ তাছাড়া প্রচণ্ড তীর নিক্ষেপে পারসিকগণ সেগুলো
রক্তাক্ত করে ফেলে ৷ ফলে বহু মৃসলমানকে তারা হত্যা করে ফেলে ৷ পক্ষাম্ভরে মুসলমানগণও
প্রায় ছয় হাজার শত্রু হত্যা করেন ৷ আবু উবায়দ (রা) মুসলমানদেরকে নির্দেশ দিলেন যেন




فَالْتَقَوْا بِمَكَانٍ بَيْنَ كَسْكَرَ وَالسَّقَاطِيَةِ، وَعَلَى مَيْمَنَةِ نَرْسِي وَمَيْسَرَتِهِ ابْنَا خَالِهِ بِنَدَوَيْهِ وَتِيرَوَيْهِ أَوْلَادُ بِسْطَامَ، وَكَانَ رُسْتُمُ قَدْ جَهَّزَ الْجُيُوشَ مَعَ الْجَالِنُوسِ، فَلَمَّا بَلَغَ أَبُو عُبَيْدٍ ذَلِكَ أَعْجَلَ نَرْسِي بِالْقِتَالِ قَبْلَ وُصُولِهِمْ، فَاقْتَتَلُوا قِتَالًا شَدِيدًا، فَانْهَزَمَتِ الْفُرْسُ وَهَرَبَ نَرْسِي وَالْجَالِنُوسُ إِلَى الْمَدَائِنِ بَعْدَ وَقْعَةٍ جَرَتْ مِنْ أَبِي عُبَيْدٍ مَعَ الْجَالِنُوسِ بِمَكَانٍ يُقَالُ لَهُ: بَارُوسْمَا. فَبَعَثَ أَبُو عُبَيْدٍ الْمُثَنَّى بْنَ حَارِثَةَ وَسَرَايَا أُخَرَ إِلَى مَا تَاخَمَ تِلْكَ النَّاحِيَةَ كَنَهْرِ جَوْبَرَ وَنَحْوِهَا، فَفَتَحَهَا صُلْحًا وَقَهْرًا، وَضَرَبُوا الْجِزْيَةَ وَالْخَرَاجَ، وَغَنِمُوا الْأَمْوَالَ الْجَزِيلَةَ، وَلِلَّهِ الْحَمْدُ وَالْمِنَّةُ، وَكَسَرُوا الْجَالِنُوسَ الَّذِي جَاءَ لِنُصْرَةِ جَابَانَ، وَغَنِمُوا جَيْشَهُ وَأَمْوَالَهُ، وَكَرَّ هَارِبًا إِلَى قَوْمِهِ حَقِيرًا ذَلِيلًا. [وَقْعَةُ جِسْرِ أَبِي عُبَيْدٍ] ٍ الَّتِي قُتِلَ فِيهَا أَمِيرُ الْمُسْلِمِينَ وَخَلْقٌ كَثِيرٌ مِنْهُمْ، فَإِنَّا لِلَّهِ وَإِنَّا إِلَيْهِ رَاجِعُونَ لَمَّا رَجَعَ الْجَالِنُوسُ هَارِبًا مِمَّا لَقِيَ مِنَ الْمُسْلِمِينَ تَذَامَرَتِ الْفُرْسُ بَيْنَهُمْ وَاجْتَمَعُوا إِلَى رُسْتُمَ، فَأَرْسَلَ جَيْشًا كَثِيفًا عَلَيْهِمْ ذُو الْحَاجِبِ بَهْمَنُ جَاذَوَيْهِ، وَأَعْطَاهُ
পৃষ্ঠা - ৫৪২৩


প্রথমে হাতীগুলােকে হত্যা করা হয় ৷ ফলে মুসলমানপণ হাতীগুলােকে ঘিরে ফেলেন এবং
সবগুলােকে হত্যা করে ফেলেন ৷ পারসিকগণ একটি সুবিশালদেহী সাদা হাতীকে সামনে ঠেলে
দেয় ৷ সেটি হত্যা করার জন্যে সেনাপতি আবু উবায়দ সামনে অগ্রসর হন ৷ তিনি তরবারির
আঘাত হানেন হাতীঢির উপর ৷ হাতীর শুড় কেটে যায় ৷ হাতী মাতাল ও বিক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে এবং
ভয়ংকর একটি চিৎকার দিয়ে সেনাপতি আবু উবায়দ (রা)-এর উপর বাপিয়ে পড়ে ৷ দৃপায়ে
তাকে দলিত-মথিত করে ফেলে ৷ তিনি মারা যান ৷ হাতীটি তার দেহের উপর দাড়িয়ে থাকে ৷

আবুউবায়দর্তার অবর্তা৷নে মাকে সেনাপতির দায়িত্ব দিয়েছিলেন তিনি এসে হাতীর উপর
আক্রমণ করলেন ৷ হাতীটি র্তাকেও মেরে ফেলে ৷ এরপর তার পরবর্তী দায়িত্ব প্রাপ্ত সেনাপতি
এসে হামলা করলেন ৷ হাতীটি তাকেও মেরে ফেল ল ৷ এরপর তার পরবর্তী সেনাপতি, এরপর
তার পরবর্তী সেনাপতি ৷ এভাবে আবুউবায়দের মনোনীত সাতজন সেনাপতি নিহত হন ৷ এরা
সকলে ছিলেন ছার্কীফ গোত্রের লোক ৷ এরপর সেনাপতি আবু উবায়দের অসিয়ত অনুযায়ী
সেনাপতির দায়িত্ব পান মুছান্ন৷ ইবন হারিছা ৷ সেনাপতি আবু উবায়দ (রা)-এর শ্রী দাওমা ঠিক
এরুপ স্বপ্ন দেখেছিলেন যা হুবহু বাস্তবায়িত হলো ৷ এসব ঘটনায় মুসলমানপণ সাহস হড়ারড়া হয়ে
গেলেন ৷ বাকি থাকল শুধু পারসিকদের বিজয় ৷ মুসলমানপণ দুর্বল ও কিৎকর্তব্যবিমুঢ় হয়ে
পড়েন ৷ সকলে পেছনে পালাতে শুরু করে ৷ পারসিকগণ ওদেরকে তাড়া করতে থাকে; ওরা বহু
মুসলমানকে হত্যা করে , মুসলমানপণ বিক্ষিপ্ত ও পরস্পর বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় ৷ তারা সেতু পর্যন্ত
আসে ৷ কেউ কেউ সেতু পার হয়ে আসে ৷ এরই মধ্যে ভেঙ্গে যায় ওই সেতু ৷ ফলে ওপাড়ে
যারা ছিল পারসিকগণ তাদেরকে আটক করে ফেলে ৷ সেখানেও তারা বহু মুসলমানকে হত্যা
করে ৷ প্রায় চার হাজার মুসলমান ফোরাত নদীতে ডুবে মারা যান ৷ ইন্ন৷ লিল্লাহি ওয়া ইন্না
ইলাইহি রাজিউন ৷ সেনাপতি মুহুান্ন৷ ইবন হারিছা সেতুর উপর এসে দীড়ালেন ৷ সেই সেতু
যেটি অতিক্রম করে তারা ওপারে গিয়েছিলেন ৷ পরাজিত হয়ে কেউ কেউ ফোরাত নদীতে ঝাপ
দিয়েছিল এবং ডুবে গিয়েছিল ৷

সেতুর উপর র্দাড়িয়ে সেনাপতি মুছান্নড়া ডেকে ডেকে বললেন, হে লোকসকল ৷ শান্ত হোন,
স্থির হোন, আমি সেতুর মুখে দাড়িয়ে আছি ৷ আপনাদের সকলে পড়ার না হওয়া পর্যন্ত আমি
সেতু পার হব না ৷ সকল মুসলমান সেতু পার হলো ৷ এরপর মুছান্না (রা) সেতু পড়ার হয়ে ওদের
নিকট পেলেন ৷ তিনি এবং সাহসী সৈনিকপণ পাহারা দিতে লাগলেন ৷ উপস্থিত অধিকাংশ
মুসলমান ছিলেন আহত, রক্তাক্ত ও ক্ষত-বিক্ষত ৷ কতক মুসলমান বনে-জঙ্গলে চলে যায় ৷ শেষ
পর্যন্ত তাদের পস্তব্য জানা যায়নি ৷ ওদের কতক ভীতসন্ত্রস্ত হয়ে মদীনা শরীফ ফিরে আসে ৷
এই দুঃখজনক পরাজয়ের সংবাদ মদীনায় খলীফার নিকট নিয়ে আসেন আবদুল্লাহ্ ইবন যাযদ
ইবন আসিম মুযানী ৷ তিনি এসে দেখেন খলীফা উমর ইবন খাত্তাব (রা) মিম্বরে আছেন ৷
খলীফা বললেন, হে আবদুল্লাহ্ ইবন যায়দ, কী সংবাদ ৷ আবদুল্লাহ বললেন, নিশ্চিত সংবাদ
এনেছি আপনার নিকট ৷ এরপর মিন্বরে খলীফার নিকট গেলেন ৷ এবং কানে কানে প্রকৃত ঘটনা
জানালেন ৷ কেউ কেউ বলেছেন যে, যুদ্ধ-পরাজয়ের সংবাদ সর্বপ্রথম য়লীফার নিকট নিয়ে
আসেন আবদুল্লাহ ইবন ইয়াষীদ ইবন হুসায়ন হুতামী ৷ আরাছু ভাল জানেন ৷


رَايَةَ أَفْرِيدُونَ، وَتُسَمَّى دِرَفْشَ كَابْيَانَ، وَكَانَتِ الْفُرْسُ تَتَيَمَّنُ بِهَا، وَحَمَلُوا مَعَهُمْ رَايَةَ كِسْرَى، وَكَانَتْ مِنْ جُلُودِ النُّمُورِ، عَرْضُهَا ثَمَانِيَةُ أَذْرُعٍ، فَوَصَلُوا إِلَى الْمُسْلِمِينَ وَبَيْنَهُمُ النَّهْرُ، وَعَلَيْهِ جِسْرٌ، فَأَرْسَلُوا: إِمَّا أَنْ تَعْبُرُوا إِلَيْنَا وَإِمَّا أَنْ نُعْبُرَ إِلَيْكُمْ. فَقَالَ الْمُسْلِمُونَ لِأَمِيرِهِمْ أَبِي عُبَيْدٍ: مُرْهُمْ فَلْيَعْبُرُوا هُمْ إِلَيْنَا. فَقَالَ: مَا هُمْ بِأَجْرَأَ عَلَى الْمَوْتِ مِنَّا. ثُمَّ اقْتَحَمَ إِلَيْهِمْ، فَاجْتَمَعُوا فِي مَكَانٍ ضَيِّقٍ فَالْتَقَوْا هُنَالِكَ، فَاقْتَتَلُوا قِتَالًا شَدِيدًا لَمْ يُعْهَدْ مِثْلُهُ، وَالْمُسْلِمُونَ فِي نَحْوٍ مِنْ عَشَرَةِ آلَافٍ، وَقَدْ جَاءَتِ الْفُرْسُ مَعَهُمْ بِأَفْيِلَةٍ كَثِيرَةٍ، عَلَيْهَا الْجَلَاجِلُ وَالنَّخْلُ قَائِمَةً لِتَذْعَرَ خُيُولَ الْمُسْلِمِينَ، فَجَعَلُوا كُلَّمَا حَمَلُوا عَلَى الْمُسْلِمِينَ فَرَّتْ خُيُولُهُمْ مِنَ الْفِيَلَةِ، وَمِمَّا تَسْمَعُ مِنَ الْجَلَاجِلِ الَّتِي عَلَيْهَا، وَلَا يَثْبُتُ مِنْهَا إِلَّا الْقَلِيلُ عَلَى قَسْرٍ، وَإِذَا حَمَلَ الْمُسْلِمُونَ عَلَيْهِمْ لَا تُقْدِمُ خُيُولُهُمْ عَلَى الْفِيَلَةِ، وَرَشَقَتْهُمُ الْفُرْسُ بِالنَّبْلِ، فَنَالُوا مِنْهُمْ خَلْقًا كَثِيرًا، وَقَتَلَ الْمُسْلِمُونَ مِنْهُمْ مَعَ ذَلِكَ سِتَّةَ آلَافٍ، وَأَمَرَ أَبُو عُبَيْدٍ الْمُسْلِمِينَ أَنْ يَقْتُلُوا الْفِيَلَةَ أَوَّلًا، فَاحْتَوَشُوهَا فَقَتَلُوهَا عَنْ آخِرِهَا، وَقَدْ قَدَّمَتِ الْفُرْسُ بَيْنَ أَيْدِيهِمْ فِيلًا عَظِيمًا أَبْيَضَ، فَتَقَدَّمَ إِلَيْهِ أَبُو عُبَيْدٍ فَضَرْبَهُ بِالسَّيْفِ فَقَطَعَ زَلُّومَهُ، فَحَمِيَ الْفِيلُ وَصَاحَ صَيْحَةً هَائِلَةً وَحَمَلَ عَلَيْهِ، فَتَخَبَّطَهُ بِرِجْلِهِ فَقَتَلَهُ وَوَقَفَ فَوْقَهُ، فَحَمَلَ عَلَى الْفِيلِ خَلِيفَةُ أَبِي عُبَيْدٍ الَّذِي كَانَ أَوْصَى أَنْ يَكُونَ أَمِيرًا بَعْدَهُ فَقُتِلَ، ثُمَّ آخَرُ، ثُمَّ آخَرُ، حَتَّى قُتِلَ سَبْعَةٌ مِنْ ثَقِيفٍ كَانَ قَدْ نَصَّ أَبُو عُبَيْدٍ عَلَيْهِمْ وَاحِدًا بَعْدَ وَاحِدٍ، ثُمَّ صَارَتْ إِلَى الْمُثَنَّى بْنِ حَارِثَةَ بِمُقْتَضَى الْوَصِيَّةِ أَيْضًا، وَقَدْ كَانَتْ دَوْمَةُ امْرَأَةُ أَبِي عُبَيْدٍ رَأَتْ مَنَامًا يَدُلُّ عَلَى مَا وَقَعَ سَوَاءً بِسَوَاءٍ، فَلَمَّا رَأَى الْمُسْلِمُونَ ذَلِكَ
পৃষ্ঠা - ৫৪২৪
وَهَنُوا عِنْدَ ذَلِكَ، وَلَمْ يَكُنْ بَقِيَ إِلَّا الظَّفَرُ بِالْفُرْسِ، وَضَعُفَ أَمْرُهُمْ، وَذَهَبَتْ رِيحُهُمْ، وَوَلَّوْا مُدْبِرِينَ، وَسَاقَتِ الْفُرْسُ خَلْفَهُمْ يَقْتُلُونَ بَشَرًا كَثِيرًا، وَانْكَشَفَ النَّاسُ، فَكَانَ أَمْرًا بَلِيغًا، وَجَاءُوا إِلَى الْجِسْرِ، فَمَرَّ بَعْضُ النَّاسِ، ثُمَّ انْكَسَرَ الْجِسْرُ، فَتَحَكَّمَ فِيمَنْ وَرَاءَهُ الْفُرْسُ، فَقَتَلُوا مِنَ الْمُسْلِمِينَ، وَغَرِقَ فِي الْفُرَاتِ نَحْوٌ مِنْ أَرْبَعَةِ آلَافٍ. فَإِنَّا لِلَّهِ وَإِنَّا إِلَيْهِ رَاجِعُونَ، وَسَارَ الْمُثَنَّى بْنُ حَارِثَةَ، فَوَقَفَ عِنْدَ الْجِسْرِ الَّذِي جَاءُوا مِنْهُ، وَكَانَ النَّاسُ لَمَّا انْهَزَمُوا جَعَلَ بَعْضُهُمْ يُلْقِي بِنَفْسِهِ فِي الْفُرَاتِ فَيَغْرَقُ، فَنَادَى الْمُثَنَّى: أَيُّهَا النَّاسُ، عَلَى هِينَتِكُمْ، فَإِنِّي وَاقِفٌ عَلَى فَمِ الْجِسْرِ لَا أَجُوزُهُ حَتَّى لَا يَبْقَى مِنْكُمْ أَحَدٌ هَا هُنَا. فَلَمَّا عَدَّى النَّاسُ إِلَى النَّاحِيَةِ الْأُخْرَى سَارَ الْمُثَنَّى فَنَزَلَ بِهِمْ أَوَّلَ مَنْزِلٍ، وَقَامَ يَحْرُسُهُمْ هُوَ وَشُجْعَانُ الْمُسْلِمِينَ، وَقَدْ جُرِحَ أَكْثَرُهُمْ وَأُثْخِنُوا، وَمِنَ النَّاسِ مَنْ ذَهَبَ فِي الْبَرِّيَّةِ لَا يُدْرَى أَيْنَ ذَهَبَ، وَمِنْهُمْ مَنْ رَجَعَ إِلَى الْمَدِينَةِ النَّبَوِيَّةِ مَذْعُورًا، وَذَهَبَ بِالْخَبَرِ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ زَيْدِ بْنِ عَاصِمٍ الْمَازِنِيُّ إِلَى عُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ، فَوَجَدَهُ عَلَى الْمِنْبَرِ، فَقَالَ لَهُ عُمَرُ: مَا وَرَاءَكَ يَا عَبْدَ اللَّهِ بْنَ زَيْدٍ؟ فَقَالَ: أَتَاكَ الْخَبَرُ الْيَقِينُ يَا أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ. ثُمَّ صَعِدَ إِلَيْهِ الْمِنْبَرُ فَأَخْبَرَهُ الْخَبَرَ سِرًّا، وَيُقَالُ: كَانَ أَوَّلَ مَنْ قَدِمَ بِخَبَرِ النَّاسِ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ يَزِيدَ بْنِ الْحُصَيْنِ الْخَطْمِيُّ. فَاللَّهُ أَعْلَمُ - قَالَ سَيْفُ بْنُ عُمَرَ: وَكَانَتْ هَذِهِ الْوَقْعَةُ فِي شَعْبَانَ مِنْ سَنَةِ ثَلَاثَ عَشْرَةَ بَعْدَ الْيَرْمُوكِ بِأَرْبَعِينَ يَوْمًا. فَاللَّهُ أَعْلَمُ - وَتَرَاجَعَ الْمُسْلِمُونَ بَعْضُهُمْ إِلَى بَعْضٍ، وَكَانَ مِنْهُمْ مَنْ فَرَّ إِلَى الْمَدِينَةِ، فَلَمْ يُؤَنِّبْ عُمَرُ النَّاسَ، بَلْ قَالَ: أَنَا فِئَتُكُمْ. وَأَشْغَلَ اللَّهُ الْمَجُوسَ بِأَمْرِ مَلِكِهِمْ ; وَذَلِكَ أَنَّ أَهْلَ الْمَدَائِنِ عَدَوْا عَلَى رُسْتُمَ فَخَلَعُوهُ، ثُمَّ وَلَّوْهُ، وَأَضَافُوا إِلَيْهِ الْفَيْرُزَانَ، وَاخْتَلَفُوا عَلَى فِرْقَتَيْنِ،
পৃষ্ঠা - ৫৪২৫


সায়ফ ইবন উমর বলেন, এ ঘটনা ঘটেছিল ১৩ হিজরী সনের শাৰান মাসে ইয়ারমুক
যুদ্ধের : :দিন পর ৷ মুসলমানগণ ছড়িয়ে-ছিটিয়ে গিয়েছিলেন ৷ তারপর দলবদ্ধ হয়েছিলেন ৷
তাদের কেউ কেউ মদীনায় ফিরে এসেছিলেন ৷ হযরত উমর (রা) কাউকে তিরস্কার করেন
নি মন্দ বলেন নি ৷ বরং তিনি বলেছেন, আমি আপনাদের অন্তর্ভুক্ত ৷

এরপর আল্লাহ্ তাআলা ওই অগ্রিপুজারীদেরকে নিজেদের মধ্যে অতর্দঙ্কন্দু ব্যস্ত রাখেন ৷
মাদায়েনবাসিগণ রাঃমের বিরুদ্ধে অবস্থান নেয় এবং তাকে পদচ্যুত করে ৷ পরে তাকে পুনরায়
দায়িত্ব দেয় এবং তার সাথে ফীবুজানকেও ক্ষমতা প্রদান করে ৷ শেষে অ্যাৰু,দৃটুভড়াগে বিভক্ত
হয়ে যায় ৷ পারসিকগণ মাদায়েনের উদ্দেশ্যে যাত্রা করে ৷ পথে হযরত মুছান্না (রা)-এর
নেতৃত্বাধীন একদল মুসলিম সৈনিকের মুখোমুখি হয় তারা ৷ দুই পারসিক সেনাপতি নিজেদের
সেনাবাহিনী নিয়ে মুসলিম সেনাপতি মুছান্না (রা)এর বিরুদ্ধে যুদ্ধে লিপ্ত হয় ৷ তিনি ওদের
দু’জনকে এবং ওদের সাথে থাকা বহু পারসিককে বন্দী করেন এবং হত্যা করেন ৷ এরপর
সেনাপতি মুছান্না ইরাকে অবস্থানরত মুসলিম সেনাপতিদের সাহায্য চেয়ে লোক পাঠালেন ৷ ওরা
তার নিকট সাহায্য পাঠাল ৷ মদীনা থেকে খলীফা উমর (বা) তার নিকট প্রচুর সাহায্য পাঠান ৷
ওই সাহায্য দলে ছিলেন জারীর ইবন আবদুল্লাহ বাজালী ও তার পুর্ণ গোত্র ৷ শীর্ষস্থানীয় অন্যান্য
মুসলিম নেতৃবৃন্দও সেই দলে ছিল ৷ ফলে এবারকার সৈন্য ৎথ্যা অনেক বৃদ্ধি পায় ৷

বুওয়ায়র-এর বুদ্ধ : পারসিকদের উপর মুসলমানদের প্রতিশোধমু গ্রহণ

মুসলমানদের রণপ্রন্তুতির কথা পারসিক সেনাপতিগণ অবগত হলো ৷ মুসলিম সেনাপতি
মুছান্না (রা)-এর অধীন বিশাল সৈন্য বাহনীর কথাও তারা জানতে পারে ৷ এদেরকে প্রতিরোধ
করার জন্যে তারা মিহরানের সেনাপতিত্বে একটি বিশাল সেনাদল প্রেরণ করে ৷ উভয়পক্ষ
বুওয়ায়ব নামক স্থানে মুখোমুখি হয় ৷ বুওয়ায়ব হলো কুফার নিকটবর্তী একটি স্থান ৷ উভয়
পক্ষের মাঝে ছিল ফোরাত নদী ৷ পারসিকগণ বলল, “হয় তােমরান্নদী পার হয়ে আমাদের
নিকট আস নইলে আমরা নদী অতিক্রম করে তোমাদের নিকট যাব ৷ ’ মুসলমানগণ বললেন,
তােমরাই নদী পার হয়ে আস ৷ ’ তারা নদী পার হয়ে এল ৷ তারপর উভয় পক্ষ যুদ্ধের জন্যে
প্রস্তুত হয়ে থাকল ৷ এটি রমযান মাসের ঘটনা ৷ সেনাপতি মুছান্ন৷ মুসলিম সৈনিকদেৱকে রােযা
না রাখার কথা বললেন ৷ সকলে রােযা ছেড়ে দিল ৷ যাতে যুদ্ধে শক্তি পায়, সৈন্যগণ প্রস্তুত ৷
সেনাপতি মুছান্না প্রত্যেক গোত্রের সেনাপতিদের পতাকা ঘুরে ঘুরে পরিদর্শন করতে লাগলেন
এবং তাদেরকে জিহাদে উৎসাহ দিয়ে ধৈর্য ও নীরবতা অবলম্বনের উপদেশ দিচ্ছিলেন ৷ ওই যুদ্ধে
নিজ গােত্রসহ জারীর ইবন আবদুল্লাহ্ বাজালী এবং বহু শীর্ষস্থানীয় মুসলিম নেতৃবৃন্দ ছিলেন ৷
ওদের উদ্দেশ্যে মুছান্না বললেন, আমি তিনবার আল্লাহ আকবর বলব ৷ তাতে সকলে প্রস্তুত হয়ে
যাবে ৷ আমি চতুর্থ বার আল্লাহ আকবর বলার সাথে সাথে শত্রুপক্ষের উপর আক্রমর্ণকরবে ৷
জবাবে সকলে তার নির্দেশ নানা ও র্তারপ্রতি অড়ানুগতেক্তর ঘোষণা দিল ৷ কিত্তু তাহৃা ১ম
তাকৰীরের সাথে সাথে পারসিকগণ হামলা চালায় মুসলমানদের উপর ৷ তারা ঘিরে ফেলে
মুসলিম সৈন্যদেরকে ৷ উভয়পক্ষে প্রচণ্ড যুদ্ধ হয় ৷ সেনাপতি মুছান্ন৷ একটি সারিতে কিছুটা ত্রুটি
লক্ষ্য করেন ৷ তিনি সেখানে একজন লোক পাঠালেন ৷ সে ওই সারির লোকদেরকে বলছিল,


فَرَكِبَ الْفُرْسُ إِلَى الْمَدَائِنِ، وَلَحِقَهُمُ الْمُثَنَّى بْنُ حَارِثَةَ فِي نَفَرٍ مِنَ الْمُسْلِمِينَ، فَعَارَضَهُ أَمِيرَانِ مِنْ أُمَرَائِهِمْ فِي جَيْشِهِمْ، فَأَسَرُهُمَا وَأَسَرَ مَعَهُمَا بَشَرًا كَثِيرًا، فَضَرَبَ أَعْنَاقَهُمْ، ثُمَّ أَرْسَلَ الْمُثَنَّى إِلَى مَنْ بِالْعِرَاقِ مِنْ أُمَرَاءِ الْمُسْلِمِينَ يَسْتَمِدُّهُمْ، فَبَعَثُوا إِلَيْهِ بِالْأَمْدَادِ، وَبَعَثَ إِلَيْهِ عُمَرُ بْنُ الْخَطَّابِ بِمَدَدٍ كَثِيرٍ، فِيهِمْ جَرِيرُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ الْبَجَلِيُّ فِي قَوْمِهِ بَجِيلَةَ بِكَمَالِهَا، وَغَيْرُهُ مِنْ سَادَاتِ الْمُسْلِمِينَ، حَتَّى كَثُرَ جَيْشُهُ. [وَقْعَةُ الْبُوَيْبِ الَّتِي اقْتَصَّ فِيهَا الْمُسْلِمُونَ مِنَ الْفُرْسِ] فَلَمَّا سَمِعَ أُمَرَاءُ الْفُرْسِ بِكَثْرَةِ جُيُوشِ الْمُثَنَّى، بَعَثُوا إِلَيْهِ جَيْشًا آخَرَ مَعَ رَجُلٍ يُقَالُ لَهُ: مِهْرَانُ. فَتَوَافَوْا هُمْ وَإِيَّاهُمْ بِمَكَانٍ يُقَالُ لَهُ: الْبُوَيْبُ. قَرِيبٌ مِنْ مَكَانِ الْكُوفَةِ الْيَوْمَ، وَبَيْنَهُمَا الْفُرَاتُ، فَقَالُوا: إِمَّا أَنْ تَعْبُرُوا إِلَيْنَا أَوْ نُعْبَرَ إِلَيْكُمْ. فَقَالَ الْمُسْلِمُونَ: بَلِ اعْبُرُوا إِلَيْنَا. فَعَبَرَتِ الْفُرْسُ إِلَيْهِمْ فَتَوَاقَفُوا، وَذَلِكَ فِي شَهْرِ رَمَضَانَ، فَعَزَمَ الْمُثَنَّى عَلَى الْمُسْلِمِينَ فِي الْفِطْرِ، فَأَفْطَرُوا عَنْ آخِرِهِمْ لِيَكُونَ أَقْوَى لَهُمْ، وَعَبَّى الْجَيْشَ، وَجَعَلَ يَمُرُّ عَلَى كُلِّ رَايَةٍ مِنْ رَايَاتِ الْأُمَرَاءِ عَلَى الْقَبَائِلِ وَيَعِظُهُمْ وَيَحُثُّهُمْ عَلَى الْجِهَادِ وَالصَّبْرِ وَالصَّمْتِ وَالثَّبَاتِ، وَفِي الْقَوْمِ جَرِيرُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ الْبَجَلِيُّ فِي بَجِيلَةَ، وَجَمَاعَةٌ مِنْ سَادَاتِ الْمُسْلِمِينَ، وَقَالَ الْمُثَنَّى لَهُمْ: إِنِّي مُكَبِّرٌ ثَلَاثَ تَكْبِيرَاتٍ فَتَهَيَّئُوا، فَإِذَا كَبَّرْتُ الرَّابِعَةَ فَاحْمِلُوا. فَقَابَلُوا قَوْلَهُ بِالسَّمْعِ وَالطَّاعَةِ وَالْقَبُولِ. فَلَمَّا كَبَّرَ أَوَّلَ تَكْبِيرَةٍ عَاجَلَتْهُمُ الْفُرْسُ فَحَمَلُوا حَتَّى
পৃষ্ঠা - ৫৪২৬


সেনাপতি তােমাদেরকে সালাম জানিয়েছেন আর বলেছেন যে, আজ আরবদেরকে অপমানিত
করো না বরং সুশৃগ্রল থাক ৷ নিয়মমত যুদ্ধ চালাও ৷’

ওই গোত্র ছিল বানু আজাল গোত্র ৷ মুসলমানদের পক্ষ থেকে আনুগত্য ও হৃদ্যতা দেখে
মুছান্না খুশি হলেন এবং এ সৎব বাদ দিয়ে লোক পাঠালেন যে, হে মুসলিমগণ! যুদ্ধ ও জিহাদ তো
আপনাদের নিয়মিত কার্যক্রম ৷ আপনারা আল্লাহ্কে সাহায্য করুন আল্লাহ আপনাদেরকে
সাহায্য করবেন ৷ সেনাপতি মুছাস্লা ও অন্যান্য মুসলিম সাহায্য ও বিজয়ের জন্যে আল্লাহর
নিকট প্রার্থনা করছিলেন ৷ দীর্ঘক্ষণ যুদ্ধ চলার পর মুছান্না তার কতক সাহসী অনুসারীকে
একত্রিত করে পেছনের দিক পাহারায় নিয়োজিত করলেন ৷ তিনি নিজে পত্রু-ন্সেনাধ্যক্ষ
মিহরানের উপর আক্রমণ করলেন ৷ মিহরানকে তার স্থান থেকে সরিয়ে দিলেন ৷ মিছুরান তার
সৈনিকদের ডান পার্শ্বস্থু দলে ঢুকে গেল ৷ বানুতাগলিব গোত্রের জনৈক খ্রিস্টান বালক মিহরানের
উপর আক্রমণ করে এবং তাকে হত্যা করে ঘোড়ার চড়ে বসে ৷ সায়ফ ইবন উমর এরুপ বর্ণনা
করেছেন ৷ শ্
মুহাম্মদ ইবন ইসহাক বলেছেন যে, মিহরানের উপর প্রথম আক্রমণ করেছিল মুনযির ইবন
হাসৃসান ইবন দিরার দাবঘী ৷ তিনি তাকে মারাত্মকভাবে আহত করে ৷ এরপর জারীর ইবন
আবদুল্লাহ ৰাজালী তার মাথা কেটে সেন ৷ তার বর্ম ও অস্ত্রশস্ত্র তারা দু’জনে ভাগ করে নেন ৷
জারীর নিলেন অস্ত্রশস্ত্র আর মুনযির নিলেন কােমরবন্দ ও ভীরের ঝুলি ৷ সেনাপতির হত্যাকাণ্ড
দেখে অগ্নিপুজক পারসিকগণ পালাতে শুরু করে৷ মুসলমানপণ ওদের ঘাড়ে আঘাত করে
ওদেরকে ধরাশায়ী করতে থাকেন ৷ মুছান্না ইবন হারিছা এগিয়ে গিয়ে সেতুর উপর অবস্থান
গ্রহণ করেন ৷ যাতে পারসিকপণ সেতু অতিক্রম করে পালাংত না পারে ৷ আর তাতে
মুসলমানপণ ওদেরকে হত্যা করার সুযোগ পায় ৷ সেদিনের অবশিষ্ট সময়, ওই রাত এবং পরের
দিলেও রাত অবধি মুসলমানগণ ওদেরকে খুজে খুজে হত্যা করতে থাকেন ৷ কথিত আছে যে,
ওই যুদ্ধে প্রায় এক লাখ পারসিক সৈন্য অংস্ত্রর আঘাতে ও পানিতে ডুবে মারা যায় ৷
মুসলমানদের পক্ষেও অনেক নেতৃস্থানীয় ব্যক্তি ওই যুদ্ধে শহীদ হন ৷ এই ঘটনায় পারসিকদের
পর্ব ও অহৎ কার ধুলোয় মিশে যায় ৷ তারা চরমভাবে লাঞ্ছিত হয় ৷ মুসলিম সৈনিকপণ কােরাত
ও দজলা নদীর মধ্যবর্তী বিস্তীর্ণ পারস্য এলাকাতে লুটতরাজ চালায় ৷ তারা প্রচুর ধন-সষ্পদ
হস্তগত করে ৷ বুওয়ার যুদ্ধের পর আরো বহু ঘটনা ঘটেছে যা বিস্তারিত উল্লেখ করলে অনেক
দীর্ঘ হয়ে যাবে ৷ ইরাকের এই যুদ্ধ সিরিয়ার ইয়ারমুকের যুদ্ধের মত হলো ৷
এই যুদ্ধ সম্পর্কে আওয়ার শানী আবদী নিম্নের কবিতা আবৃত্তি করে মুসলিম বীরৎ ও
পারসিকদের হত্যাকাণ্ডের বিবরণ তুলে ধ্রেনং :

, , ৷ শ্



ণ্ , , ,



غَالَقُوهُمْ، وَاقْتَتَلُوا قِتَالًا شَدِيدًا، وَرَكَدَتِ الْحَرْبُ، وَرَأَى الْمُثَنَّى فِي بَعْضِ صُفُوفِهِ خَلَلًا، فَبَعَثَ إِلَيْهِمْ رَجُلًا يَقُولُ: الْأَمِيرُ يَقْرَأُ عَلَيْكُمُ السَّلَامَ وَيَقُولُ لَكُمْ: لَا تَفْضَحُوا الْمُسْلِمِينَ الْيَوْمَ. فَاعْتَدَلُوا، فَلَمَّا رَأَى ذَلِكَ مِنْهُمْ - وَهُمْ بَنُو عِجْلٍ - أَعْجَبَهُ وَضَحِكَ، وَبَعَثَ إِلَيْهِمْ يَقُولُ: يَا مَعْشَرَ الْمُسْلِمِينَ، عَادَاتِكُمْ، انْصُرُوا اللَّهَ يَنْصُرْكُمْ. وَجَعَلَ الْمُثَنَّى وَالْمُسْلِمُونَ يَدْعُونَ اللَّهَ بِالظَّفَرِ وَالنَّصْرِ، فَلَمَّا طَالَتْ مُدَّةُ الْحَرْبِ جَمَعَ الْمُثَنَّى جَمَاعَةً مِنْ أَصْحَابِهِ الْأَبْطَالِ يَحْمُونَ ظَهْرَهُ، وَحَمَلَ عَلَى مِهْرَانَ فَأَزَالَهُ عَنْ مَوْضِعِهِ حَتَّى دَخَلَ الْمَيْمَنَةَ، وَحَمَلَ غُلَامٌ مِنْ بَنِي تَغْلِبَ نَصْرَانِيٌّ فَقَتَلَ مِهْرَانَ وَرَكِبَ فَرَسَهُ. كَذَا ذَكَرَهُ سَيْفُ بْنُ عُمَرَ. وَقَالَ مُحَمَّدُ بْنُ إِسْحَاقَ: بَلْ حَمَلَ عَلَيْهِ الْمُنْذِرُ بْنُ حَسَّانَ بْنِ ضِرَارٍ الضَّبِّيُّ فَطَعَنَهُ، وَاحْتَزَّ رَأْسَهُ جَرِيرُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ الْبَجَلِيُّ، وَاخْتَصَمَا فِي سَلْبِهِ، فَأَخَذَ جَرِيرٌ السِّلَاحَ، وَأَخَذَ الْمُنْذِرُ مِنْطَقَتَهُ، وَهَرَبَتِ الْمَجُوسُ وَرَكِبَ الْمُسْلِمُونَ أَكْتَافَهُمْ يَقْصِلُونَهُمْ قَصْلًا، وَسَبَقَ الْمُثَنَّى بْنُ حَارِثَةَ إِلَى الْجِسْرِ فَوَقَفَ عَلَيْهِ لِيَمْنَعَ الْفُرْسَ مِنَ الْجَوَازِ عَلَيْهِ لِيَتَمَكَّنَ مِنْهُمُ الْمُسْلِمُونَ، فَرَكِبُوا أَكْتَافَهُمْ بَقِيَّةَ ذَلِكَ الْيَوْمِ وَتِلْكَ اللَّيْلَةَ، وَمِنَ الْغَدِ إِلَى اللَّيْلِ، فَيُقَالُ: إِنَّهُ قُتِلَ مِنْهُمْ يَوْمَئِذٍ وَغَرِقَ قَرِيبٌ مِنْ مِائَةِ أَلْفٍ. وَلِلَّهِ الْحَمْدُ وَالْمِنَّةُ. وَغَنِمَ الْمُسْلِمُونَ مَالًا جَزِيلًا وَطَعَامًا كَثِيرًا، وَبَعَثُوا بِالْبِشَارَةِ وَالْأَخْمَاسِ إِلَى عُمَرَ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ. وَقَدْ قُتِلَ مِنْ سَادَاتِ الْمُسْلِمِينَ فِي
পৃষ্ঠা - ৫৪২৭
هَذَا الْيَوْمِ بَشْرٌ كَثِيرٌ أَيْضًا، وَذَلَّتْ لِهَذِهِ الْوَقْعَةِ رِقَابُ الْفُرْسِ، وَتَمَكَّنَ الصَّحَابَةُ مِنَ الْغَارَاتِ فِي بِلَادِهِمْ فِيمَا بَيْنَ الْفُرَاتِ وَدِجْلَةَ، فَغَنِمُوا شَيْئًا عَظِيمًا لَا يُمْكِنُ حَصْرُهُ، وَجَرَتْ أُمُورٌ يَطُولُ ذِكْرُهَا بَعْدَ يَوْمِ الْبُوَيْبِ، وَكَانَتْ هَذِهِ الْوَقْعَةُ بِالْعِرَاقِ نَظِيرَ الْيَرْمُوكِ بِالشَّامِ. وَقَدْ قَالَ الْأَعْوَرُ الشَّنِّيُّ الْعَبْدِيُّ فِي ذَلِكَ: هَاجَتْ لِأَعْوَرَ دَارُ الْحَيِّ أَحْزَانَا ... وَاسْتَبْدَلَتْ بَعْدَ عَبَدِ الْقَيْسِ خَفَّانَا وَقَدْ أَرَانَا بِهَا وَالشَّمْلُ مُجْتَمِعٌ ... إِذْ بِالنُّخَيْلَةِ قَتْلَى جُنْدِ مِهْرَانَا إِذْ كَانَ سَارَ الْمُثَنَّى بِالْخُيُولِ لَهُمْ ... فَقَتَّلَ الزَّحْفَ مِنْ فُرْسٍ وَجِيلَانَا سَمَا لِمِهْرَانَ وَالْجَيْشِ الَّذِي مَعَهُ ... حَتَّى أَبَادَهُمُ مَثْنَى وَوُحْدَانَا [بَعْثُ عُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ سَعْدَ بْنَ أَبِي وَقَّاصٍ عَلَى الْعِرَاقِ] فَصْلٌ بَعْثُ عُمَرَ بْنِ الْخِطَابِ سَعْدَ بْنَ أَبِي وَقَّاصٍ عَلَى الْعِرَاقِ. ثُمَّ بَعَثَ أَمِيرُ الْمُؤْمِنِينَ عُمَرُ بْنُ الْخَطَّابِ سَعْدَ بْنَ أَبِي وَقَّاصٍ الزُّهْرِيَّ أَحَدَ الْعَشَرَةِ، فِي سِتَّةِ آلَافٍ أَمِيرًا عَلَى الْعِرَاقِ، وَكَتَبَ إِلَى جَرِيرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ وَالْمُثَنَّى بْنِ حَارِثَةَ أَنْ يَكُونَا تَبَعًا لَهُ، وَأَنْ يَسْمَعَا لَهُ وَيُطِيعَا، فَلَمَّا وَصَلَ إِلَى الْعِرَاقِ كَانَا مَعَهُ، وَكَانَا قَدْ تَنَازَعَا الْإِمْرَةَ، فَالْمُثَنَّى يَقُولُ لِجَرِيرٍ: إِنَّمَا بَعَثَكَ أَمِيرُ الْمُؤْمِنِينَ مَدَدًا لِي. وَيَقُولُ جَرِيرٌ: إِنَّمَا بَعَثَنِي أَمِيرًا عَلَيْكَ. فَلَمَّا قَدِمَ سَعْدٌ عَلَى إِمْرَةِ الْعِرَاقِ انْقَطَعَ نِزَاعُهُمَا. قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: وَتُوُفِّيَ الْمُثَنَّى بْنُ حَارِثَةَ فِي هَذِهِ السَّنَةِ. كَذَا قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ. وَالصَّحِيحُ أَنَّ بَعْثَ عُمَرَ سَعْدًا إِنَّمَا كَانَ فِي أَوَّلِ سَنَةِ أَرْبَعَ عَشْرَةَ كَمَا سَيَأْتِي.
পৃষ্ঠা - ৫৪২৮


অধ্যায় : এরপর খলীবণ উমর ইবন খাত্তাব (রা) ইরাকের সেনাপতি হিসেবে সাদ ইবন
আৰী ওয়াক্কাস যুহরী (রা)-কে প্রেরণ করলেন ৷ তিনি জান্নাতের সুসংবাদপ্রাপ্ত দশজৰের
একজন ৷ তার সাথে ছিল ছয় হাজার সৈনিক ৷ খলীফা উমর (রা) জারীর ইবন আবদুল্লাহ্ এবং
যুছান্ন৷ ইবন হারিছার নিক্ট লিখলেন তারা দৃ’জনে যেন সাদ (রা)-এর নেতৃত্ব মেনে নেন ৷
তারা যেন তার নির্দেশ শোনেন ৷ তার প্ৰতি অনুগত হন ৷ সাদ (রা) ইরাক পৌছলেন ৷ তারা-
দুজনে তার সহযোগী হলেন ৷ ইতিপুর্বে মুছান্না ও আবীর (রা) নিজেদের মধ্যে মতবিরােধে
লিপ্ত ছিলেন ৷ মুছান্না জারীরকে বলেছিলেন যে, খশীফা তো আপনাকে প্রেরণ করেছেন আমার
সাহায্যের জ্যা ৷ সুতরাং এখানকার মুল আমীর ও সেনাপতি আমি ণ্ ৷ আর জারীর বলহািলন ন্ যে ,
খলীফা আমাকে আপনার উপর আমীর ও সেনাপতি রুপে প্রেরণ করেছো ৷ সেনাপতি হিসেবে
হযরত সাদ (রা)এর ইরাক আগমনের ফলে তাদের দুজনের বিবাদ মীমাংসা হয়ে যায় ৷ ইবন
ইসহাক বলেন, এই বছর মুছান্না (বা) ইনুতিকাল করেন ৷ বিশুদ্ধ অভিমত হলো উমর (রা) সাদ
(না)-কে ইরাক প্রেরণ করেছিলেন ১৪ ইিজরী সনের প্রথম দিকে ৷

মতবিরোধের পর পারসিকদের সম্রাট হিসেবে ইয়ায্দগিরদকে মতনানয়ন১

শীরীন এক সময় পারসিক সম্রটিদের যত বংশধর ছিল সকলকে শ্বেত প্রাসাদে একত্র
করেছিল ৷ তারপর নির্দেশ দিয়েছিল এদের মধ্যে পুরুষ যারা আছে তাদের সকলকে হত্যা করে
ফেল ৷ শ্বেত প্রাসাদে উপস্থিত রাজকীয় লোকদের মধ্যে ইয়ায্দগিরদ-এর মাও ছিল ৷ তার সাথে
ছিল পুত্র ইয়ায্দগিরদ ৷ সে তখন অল্প বয়ষ্ক, যা তার ছেলেকে তার মামার কাছে পাঠিয়ে দেয়ার
প্রতিশ্রুতি দেয় ৷ মামারা এসে ইয়াযদগিরদকে তাদের দেশে নিয়ে যায় ৷ বুওয়াবে যা ঘটায়
তাতো ঘটেছে ৷ বহু পারসিক মুসলমানদের হাতে নিহত হয় ৷ মুসলমানগণ ওদের উপর চড়াও
হয় ৷ ওদের বিরুদ্ধে বিজয় হয় এবং ওদের শহর-নগর ও গ্রাম দখল করে নেয় ৷ এরপর
পারসিকণণ শুনতে পেল যে, উমর (রা)-এর পক্ষ থেকে নতুন সেনাপতি হিসেবে সাদ (রা)
ইরাকে আসছেন ৷ এই প্রেক্ষাপটে পারসিকগণ এক পরামর্শ সভায় মিলিত হয় ৷ ওদের দুই
প্রধান সেনাপতি রল্ডম ও ফীরুজানকেও তারা ওই সভায় উপস্থিত রাখে ৷ পরিস্থিতি পর্যালোচনা
প্রসঙ্গে তারা নিজেদের মধ্যে উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় করে এবং ক্ষোভ ও ঘৃণা প্রকাশ করে ৷ এরপর
তারা উপদেশমুলক কথাবার্তা বলে এবং সেনাপতিদ্বয়কে এই বলে শাসিয়ে দেয় যে, যথোচিত
ও যথাযােগ্য কৌশলে যুদ্ধ চালাতে না পারলে আমরা তোমাদের দুজনকেই খুন করে যেসব
এবং তােমাদেরকে খুন করে আমরা মনের ক্ষোভ নিরসন করব ৷ এরপর তারা সিদ্ধান্ত নিল যে ,
তারা সম্রাট বংশের সকল মহিলার খোজ নিবে এবং ওদের কারো নিকট পুত্র সন্তান থাকলে
তাকে রাজা মনোনীত করবে ৷ তারা খুজতে শুরু করে ৷ সম্রাট বংশীয় কোন মহিলাকে পেলে
তারা জিজ্ঞেস করে তার পুত্র সন্তান আছে কিনা, সন্তান থাকলে হত্যার ভয়ে মায়েরা বলতে
পারে যে, তাদের কোন পুত্র সন্তান নেই ৷ তারা খুজতেই থাকে ৷ এক পর্যায়ে তারা ইয়ায্দগিরদ
এর মায়ের সন্ধান পড়ায় ৷ তারাপুত্র সহ তাকে নিয়ে আসে এবং ইয়াযদগিরদকে রাজা মনোনীত
করে ৷ তখন তার বয়স ২১ বছুর ৷ তার পিতা ছিল শাহরিয়ার ইবন কিসরা ৷ তারা রাণী



১ এধ্ানে মুল গ্রন্থের ফটোকপির ছাপার আপ-পিছ রয়েছে ৷ তবে এতে তথ্যের ব্যাপারে ণ্হ্রষের হয়নি ৷


[اجْتِمَاعُ الْفُرْسِ عَلَى يَزْدَجِرْدَ] ذِكْرُ اجْتِمَاعِ الْفُرْسِ عَلَى يَزْدَجِرْدَ بَعْدَ اخْتِلَافِهِمْ وَاضْطِرَابِهِمْ ثُمَّ اجْتَمَعَتْ كَلِمَتُهُمْ. كَانَ شِيِرِينُ قَدْ جَمَعَ آلَ كِسْرَى فِي الْقَصْرِ الْأَبْيَضِ، وَأَمَرَ بِقَتْلِ ذُكْرَانِهِمْ كُلِّهِمْ، وَكَانَتْ أُمُّ يَزْدَجِرْدَ فِيهِمْ وَمَعَهَا ابْنُهَا وَهُوَ صَغِيرٌ، فَوَاعَدَتْ أَخْوَالَهُ، فَجَاءُوا فَأَخَذُوهُ مِنْهَا وَذَهَبُوا إِلَى بِلَادِهِمْ، فَلَمَّا وَقَعَ مَا وَقَعَ يَوْمَ الْبُوَيْبِ وَقُتِلَ مَنْ قُتِلَ مِنْهُمْ كَمَا ذَكَرْنَا، وَرَكِبَ الْمُسْلِمُونَ أَكْتَافَهُمْ وَانْتَصَرُوا عَلَيْهِمْ وَعَلَى أَخْذِ بُلْدَانِهِمْ وَمَحَالِّهِمْ وَأَقَالِيمِهِمْ، ثُمَّ سَمِعُوا بِقُدُومِ سَعْدِ بْنِ أَبِي وَقَّاصٍ مِنْ جِهَةِ عُمَرَ، اجْتَمَعُوا فِيمَا بَيْنَهُمْ وَأَحْضَرُوا الْأَمِيرَيْنِ الْكَبِيرَيْنِ فِيهِمْ، وَهُمَا رُسْتُمُ وَالْفَيْرُزَانُ، فَتَذَامَرُوا فِيمَا بَيْنَهُمْ وَتَوَاصَوْا، وَقَالُوا لَهُمَا: لَئِنْ لَمْ تَقُومَا بِالْحَرْبِ كَمَا يَنْبَغِي لَنَقْتُلَنَّكُمَا وَنَشْتَفِي بِكُمَا. ثُمَّ رَأَوْا فِيمَا بَيْنَهُمْ أَنْ يَبْعَثُوا خَلْفَ نِسَاءِ كِسْرَى مِنْ كُلِّ فَجٍّ وَمِنْ كُلِّ بُقْعَةٍ، فَمَنْ كَانَ لَهَا وَلَدٌ مِنْ آلِ كِسْرَى مَلَّكُوهُ عَلَيْهِمْ، فَجَعَلُوا إِذَا أَتَوْا بِالْمَرْأَةِ عَاقَبُوهَا: هَلْ لَهَا وَلَدٌ، وَهِيَ تُنْكِرُ ذَلِكَ خَوْفًا عَلَى وَلَدِهَا إِنْ كَانَ لَهَا وَلَدٌ، فَلَمْ يَزَالُوا حَتَّى دُلُّوا عَلَى أُمِّ يَزْدَجِرْدَ، فَأَحْضَرُوهَا وَأَحْضَرُوا وَلَدَهَا فَمَلَّكُوهُ عَلَيْهِمْ، وَهُوَ ابْنُ إِحْدَى وَعِشْرِينَ سَنَةً، وَهُوَ مِنْ وَلَدِ شَهْرِيَارَ بْنِ كِسْرَى، وَعَزَلُوا بُورَانَ، وَاسْتَوْسَقَتِ الْمَمَالِكُ لَهُ، وَاجْتَمَعُوا عَلَيْهِ وَفَرِحُوا بِهِ، وَقَامُوا بَيْنَ يَدَيْهِ بِالنَّصْرِ أَتَمَّ قِيَامٍ، وَاسْتَفْحَلَ أَمْرُهُ فِيهِمْ، وَقَوِيَتْ شَوْكَتُهُمْ بِهِ، وَبَعَثُوا إِلَى الْأَقَالِيمِ وَالرَّسَاتِيقِ، فَخَلَعُوا الطَّاعَةَ لِلصَّحَابَةِ وَنَقَضُوا عُهُودَهُمْ
পৃষ্ঠা - ৫৪২৯


বিশেষত আবুউবায়দ-এর সেতুর যুদ্ধের পর বুওয়াৰের যুদ্ধে জয়ে তার ভুমিকা স্বর্ণাক্ষরে
লিখিত থাকবে ৷ ওই যুদ্ধে তরৰারির আঘাত ও ফোরাত নদীতে ডুবে প্রায় এক লাখ পারসিক
সৈন্য মারা যায় ৷ অধিকাৎশ ঐতিহাসিক এই তথ্য সমর্থন করেন ৷ কথিত আছে যে, ১৪ হিজরী
পর্যন্ত এই যুদ্ধ প্রলন্বিত হয়েছিল ৷ এই বিষয়ে আরো বর্ণনা পরে আসবে ৷ কারো কারো মতে,
এই হিজরী সনে খলীফা উমর ইবন খাত্তাব (রা) সদলবলে হজ্জ আদায় করেন ৷ অবশ্য কারো
কারো মতে, এই বছর খলীফা হজ্জ করেননি বরং আবদুর রহমান ইবন অড়াওফ্ (রা) লোকজন
নিয়ে হজ্জ আদায় করেছেন ৷ এই বছরেই খলীফা উমর ইবন খাত্তাব আরব গোত্রগুলোকে ইরাক
ও সিরিয়ার যুদ্ধে অংশ নেবারআহ্বানজানান ৷ ফলে প্রত্যেক স্থান্৷ ও প্রান্ত থেকে তারা মদীনায়
আসে ৷ খলীফা তাদের সবল্মক ইরাক ও সিরিয়ার পাঠিয়ে দেন ৷

ইবন ইসহাকের বর্ণনা অনুযায়ী এই সনে জুমাদাল উলা মাসের ৩ তারিখ শনিবার
“আজনাদায়ন” যুদ্ধ সংঘটিত হয়, ওয়াকিদীও তাই বলেছেন ৷ এই যুদ্ধ হয়েছিল রামাল্লা ও
জাসরায়ন এর মধ্যবর্তী স্থানে ৷ তাতে রোমানদের সর্বাধিনায়ক ছিল কায়কালান আর
মুসলমানদের সেনাধ্যক্ষ হযরত আমর ইবন আস (রা) ৷ মুসলিম সৈন্য সং খ্যা ছিল ২০, :০০ ৷
কায়কালান ওই যুদ্ধে নিহত হয় ৷ রোমানগণ পরাজিত হয় ৷ তাদের বহু সং খ্যক সৈন্য নিহত
হয় ৷ মুসলমানদের মধ্য থেকেও একদল মুজাহিদ শহীদ হন ৷ শহীদগণের মধ্যে আছেন হিশাম
ইবন আস, ফাদাল ইবন আব্বাস, আবান ইবন সাঈদ, তার দুই ভইি খালিদ ও আমর, নুআয়ম
ইবন আবদুল্লাহ্ ইবন নাহ্হাম, তােফায়ল ইবন আমর দাওসী, আবদুল্লাহ ইবন আমর দাওসী,
দিরার ইবন আযওয়াৱ, ইকরিমা ইবন আবু জাহ্ল , তার চাচা সালামা ইবন হিশাম, হাববার
ইবন সৃফিয়ান, সাখর ইবন নাসর, তামীম ইবন হারিছ ইবন কায়স এবং সাঈদ ইবন হারিছ
ইবন কায়স (রা) প্রমুখ ৷

মুহম্মদৃ ইবন সা’দ বলেন, সেদিন হুলায়ব ইবন আমর এবং তার মাতা আরওয়া বিনৃত
আবদুল মুত্তালিব নিহত হন ৷ আরওয়া ছিলেন রাসুলুল্পাহ্মোঃ এর ফুফু ৷ সেদিন আরো যারা
নিহত হয়েছিলেন তাদের মধ্যে আছেন আবদুল্লাহ ইবন যুবায়র ইবন আবদুল মুত্তালিব ৷
ওয়াকিদীর বর্ণনা অনুযায়ী তখন আবদুল্লাহ্র বয়স ছিল ৩০ বছর ৷ তার থেকে বর্ণিত কোন
হাদীস নেই ৷ ৷ হ্নাড়ায়ন যুদ্ধে যারা যুদ্ধ মাঠে অটল ও স্থির ছিলেন তিনি তাদের অন্যতম ৷ ইবন
জারীর বলেছেন যে, ওই যুদ্ধে উছমান ইবন তালহা ইবন আবু তালহা এবং হারিছ ইবন আওস
ইবন আতীক (রা) নিহত হয়েছেন ৷ খলীফা ইবন যায়য়াতের বর্ণনা অনুযায়ী এই হিজরী সনে
মারজুস সাফর’ যুদ্ধ সংঘটিত হয় ৷ জুমদােল উলা মাসের ১২ দিন বাকি থাকতে এই যুদ্ধ
সংঘটিত হয় ৷ তাতে মুসলিমদের অধিনায়ক ছিলেন খালিদ ইবন সাঈদ ইবন আস ৷ তিনি
সেদিন নিহত হন ৷ কারো মতে তার ভাই আমর এবং মতান্তরে তার পুত্র ওই যুদ্ধে নিহত
হয়েছিল ৷ আল্পাহ্ ভাল জানেন ৷

ইবন ইসহাক বলেন, এই যুদ্ধে ণ্রামানাদর সেনাপতি ছিল কাসকাত ৷ রোমানদের বহু
লোক নিহত হয়েছিল ৷ সেদিন এমন হয়েছিল যে, ওদের রক্তের স্রোতে র্যাতা ঘুরতে পারত ৷
বিশুদ্ধ অভিমত এই যে, মাবজুস-সাফর যুদ্ধ সংঘটিত হয়েহ্নিব্ ১৪ হিজরীর শুরুর দিকে ৷ এ
বিষয়ে অবিলম্বে আলোচনা হবে ৷


وَذِمَمَهُمْ، وَبَعَثَ الصَّحَابَةُ إِلَى عُمَرَ بِالْخَبَرِ، فَأَمَرَهُمْ عُمَرُ أَنْ يَتَبَرَّزُوا مِنْ بَيْنِ ظَهْرَانَيْهِمْ وَلْيَكُونُوا عَلَى أَطْرَافِ الْبِلَادِ حَوْلَهُمْ عَلَى الْمِيَاهِ، وَأَنْ تَكُونَ كُلُّ قَبِيلَةٍ تَنْظُرُ إِلَى الْأُخْرَى بِحَيْثُ إِذَا حَدَثَ حَدَثٌ عَلَى قَبِيلَةٍ لَا يَخْفَى أَمْرُهَا عَلَى جِيرَانِهِمْ. وَتَفَاقَمَ الْحَالُ جِدًّا، وَذَلِكَ فِي ذِي الْقِعْدَةِ مِنْ سَنَةِ ثَلَاثَ عَشْرَةَ. وَقَدْ حَجَّ بِالنَّاسِ عُمَرُ فِي هَذِهِ السَّنَةِ. وَقِيلَ: بَلْ حَجَّ بِهِمْ عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ عَوْفٍ وَلَمْ يَحُجَّ عُمَرُ هَذِهِ السَّنَةَ. وَاللَّهُ أَعْلَمُ. [مَا وَقَعَ فِي هَذِهِ السَّنَةِ أَعْنِي سَنَةَ ثَلَاثَ عَشْرَةَ مِنَ الْحَوَادِثِ] ذِكْرُ مَا وَقَعَ فِي هَذِهِ السَّنَةِ أَعْنِي سَنَةَ ثَلَاثَ عَشْرَةَ مِنَ الْحَوَادِثِ إِجْمَالًا، وَمَنْ تُوُفِّيَ فِيهَا مِنَ الْأَعْيَانِ. كَانَتْ فِيهَا وَقَائِعُ تَقَدَّمَ تَفْصِيلُهَا بِبِلَادِ الْعِرَاقِ عَلَى يَدَيْ خَالِدِ بْنِ الْوَلِيدِ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ ; فُتِحَتْ فِيهَا الْحِيرَةُ وَالْأَنْبَارُ وَغَيْرُهُمَا مِنَ الْأَمْصَارِ، وَفِيهَا سَارَ خَالِدُ بْنُ الْوَلِيدِ مِنَ الْعِرَاقِ إِلَى الشَّامِ، عَلَى الْمَشْهُورِ. وَفِيهَا كَانَتْ وَقْعَةُ الْيَرْمُوكِ فِي قَوْلِ سَيْفِ بْنِ عُمَرَ وَاخْتِيَارِ ابْنِ جَرِيرٍ،، وَقُتِلَ بِهَا مَنْ قُتِلَ مِنَ الْأَعْيَانِ مِمَّنْ يَطُولُ ذِكْرُهُمْ وَتَرَاجِمُهُمْ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمْ أَجْمَعِينَ. وَفِيهَا تُوُفِّيَ أَبُو بَكْرٍ الصِّدِّيقُ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، وَقَدْ أَفْرَدْنَا سِيرَتَهُ فِي مُجَلَّدٍ، وَلِلَّهِ الْحَمْدُ.
পৃষ্ঠা - ৫৪৩০
وَفِيهَا وَلِيَ عُمَرُ بْنُ الْخَطَّابِ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، يَوْمَ الثُّلَاثَاءِ لِثَمَانٍ بَقِينَ مِنْ جُمَادَى الْآخِرَةِ مِنْهَا، فَوَلَّى قَضَاءَ الْمَدِينَةِ عَلِيَّ بْنَ أَبِي طَالِبٍ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، وَاسْتَنَابَ عَلَى الشَّامِ أَبَا عُبَيْدَةَ عَامِرَ بْنَ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الْجَرَّاحِ الْفِهْرِيَّ، وَعَزَلَ عَنْهَا خَالِدَ بْنَ الْوَلِيدِ الْمَخْزُومِيَّ، وَأَبْقَاهُ عَلَى شُورَى الْحَرْبِ. وَفِيهَا فُتِحَتْ بُصْرَى صُلْحًا، وَهِيَ أَوَّلُ مَدِينَةٍ فُتِحَتْ مَنِ الشَّامِ. وَفِيهَا فُتِحَتْ دِمَشْقُ فِي قَوْلِ سَيْفٍ وَغَيْرِهِ، كَمَا قَدَّمْنَا. وَاسْتُنِيبَ فِيهَا يَزِيدُ بْنُ أَبِي سُفْيَانَ، فَهُوَ أَوَّلُ مَنْ وَلِيَهَا مِنْ أُمَرَاءَ الْمُسْلِمِينَ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمْ. وَفِيهَا كَانَتْ وَقْعَةُ فِحْلٍ مِنْ أَرْضِ الْغَوْرِ وَقُتِلَ بِهَا جَمَاعَةٌ مِنَ الصَّحَابَةِ وَغَيْرُهُمْ. وَفِيهَا كَانَتْ وَقْعَةُ جِسْرِ أَبِي عُبَيْدٍ، فَقُتِلَ فِيهَا أَرْبَعَةُ آلَافٍ مِنَ الْمُسْلِمِينَ ; مِنْهُمْ أَمِيرُهُمْ أَبُو عُبَيْدِ بْنُ مَسْعُودٍ الثَّقَفِيُّ، وَهُوَ وَالِدُ صَفِيَّةَ امْرَأَةِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ، وَكَانَتِ امْرَأَةً صَالِحَةً، رَحِمَهُمَا اللَّهُ، وَوَالِدُ الْمُخْتَارِ بْنِ أَبِي عُبَيْدٍ كَذَّابِ ثَقِيفٍ، وَقَدْ كَانَ نَائِبًا عَلَى الْعِرَاقِ فِي بَعْضِ وَقَعَاتِ الْعِرَاقِ كَمَا سَيَأْتِي. وَفِيهَا تُوُفِّيَ الْمُثَنَّى بْنُ حَارِثَةَ فِي قَوْلِ ابْنِ إِسْحَاقَ، وَقَدْ كَانَ نَائِبًا عَلَى الْعِرَاقِ ; اسْتَخْلَفَهُ خَالِدُ بْنُ الْوَلِيدِ حِينَ سَارَ إِلَى الشَّامِ، وَقَدْ شَهِدَ مَوَاقِفَ مَشْهُورَةً، وَلَهُ أَيَّامٌ مَذْكُورَةٌ، وَلَا سِيَّمَا يَوْمَ الْبُوَيْبِ بَعْدَ جِسْرِ أَبِي عُبَيْدٍ، قُتِلَ فِيهِ مِنَ الْفُرْسِ وَغَرِقَ بِالْفُرَاتِ قَرِيبٌ مِنْ مِائَةِ أَلْفٍ، وَالَّذِي عَلَيْهِ الْجُمْهُورُ أَنَّهُ بَقِيَ إِلَى سَنَةِ أَرْبَعَ عَشْرَةَ، كَمَا سَيَأْتِي بَيَانُهُ.
পৃষ্ঠা - ৫৪৩১
وَفِيهَا حَجَّ بِالنَّاسِ عُمَرُ بْنُ الْخَطَّابِ فِي قَوْلِ بَعْضِهِمْ، وَقِيلَ: بَلْ حَجَّ عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ عَوْفٍ. وَفِيهَا اسْتَنْفَرَ عُمَرُ قَبَائِلَ الْعَرَبِ لِغَزْوِ الْعِرَاقِ وَالشَّامِ، فَأَقْبَلُوا مِنْ كُلِّ النَّوَاحِي، فَرَمَى بِهِمُ الشَّامَ وَالْعِرَاقَ. وَفِيهَا كَانَتْ وَقْعَةُ أَجْنَادِينَ فِي قَوْلِ ابْنِ إِسْحَاقَ يَوْمَ السَّبْتِ لِثَلَاثٍ بَقِينَ مِنْ جُمَادَى الْأُولَى مِنْهَا، وَكَذَا عِنْدَ الْوَاقِدِيِّ، فِيمَا بَيْنَ الرَّمْلَةِ وَبَيْتِ جَبْرِينَ، وَعَلَى الرُّومِ الْقَيْقَلَانُ، وَأَمِيرُ الْمُسْلِمِينَ عَمْرُو بْنُ الْعَاصِ، وَهُوَ فِي عِشْرِينَ أَلْفًا فِي قَوْلٍ، فَقُتِلَ الْقَيْقَلَانُ وَانْهَزَمَتِ الرُّومُ، وَقُتِلَ مِنْهُمْ خَلْقٌ كَثِيرٌ، وَاسْتُشْهِدَ مِنَ الْمُسْلِمِينَ أَيْضًا جَمَاعَةٌ ; مِنْهُمْ هِشَامُ بْنُ الْعَاصِ وَالْفَضْلُ بْنُ الْعَبَّاسِ، وَأَبَانُ بْنُ سَعِيدٍ وَأَخَوَاهُ خَالِدٌ وَعَمْرٌو، وَنُعَيْمُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ النَّحَّامِ، وَالطُّفَيْلُ بْنُ عَمْرٍو وَعَبْدُ اللَّهِ بْنُ عَمْرٍو الدَّوْسِيَّانِ، وَضِرَارُ بْنُ الْأَزْوَرِ، وَعِكْرِمَةُ بْنُ أَبِي جَهْلٍ، وَعَمُّهُ سَلَمَةُ بْنُ هِشَامٍ، وَهَبَّارُ بْنُ سُفْيَانَ، وَصَخْرُ بْنُ نَصْرٍ، وَتَمِيمٌ وَسَعِيدٌ ابْنَا الْحَارِثِ بْنِ قَيْسٍ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمْ. وَقَالَ مُحَمَّدُ بْنُ سَعْدٍ: قُتِلَ يَوْمَئِذٍ طُلَيْبُ بْنُ عُمَيْرٍ وَأُمُّهُ أَرْوَى بِنْتُ عَبْدِ الْمُطَّلِبِ عَمَّةُ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ. وَمِمَّنْ قُتِلَ يَوْمَئِذٍ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ الزُّبَيْرِ بْنِ عَبْدِ الْمُطَّلِبِ، وَكَانَ عُمُرُهُ يَوْمَئِذٍ ثَلَاثِينَ سَنَةً، فِيمَا ذَكَرَهُ الْوَاقِدِيُّ، قَالَ: وَلَمْ يَكُنْ
পৃষ্ঠা - ৫৪৩২


হিজরী ১৩ সালে যারা ইনতিকাল করেছেন : আরবী অক্ষরের ক্রমানুসারে তাদের নাম
উল্লেখ করা হল : হাফিজ যাহাবী এরুপ উল্লেখ করেছেন :
১ আবাস ইবন সাঈদ ইবনুল আস ইবন উমাইয়া উমাবী আবু ওয়ালীদ মকী (রা) উচু
স্তরের যাহাবী ৷ হুদায়বিয়া সন্ধির দিবসে তিনি হযরত উসমড়ান (রড়া)-কে আশ্রয় দিয়েছিলেন ৷
যার ফলে হযরত উনমান (রা) রাসুলুল্লাহ্ড্রে এর বার্তা কুরায়শদের নিকট পৌছানাের জন্যে
মক্কায় প্রবেশ করতে পেরেছিরুশ্ ন ৷ তার ভইি খালিদ ও আমর প্রথম যুগের মুসলমান ছিলেন ৷
এবং আরিসিয়ায় হিজরত করে ছিলেন ৷ আবিসিনিয়া থােক ফিরে এসে তাকে ইসলাম গ্রহণের
আহ্বান জানান ৷ এ পর্যায়ে তিনি ইসলাম গ্রহণ করেন ৷ এরপর র্তারা তিন ভাই মক্কা ত্যাগ করে
মদীনা যাত্রা করেন ৷ তারা রাসুলুল্লাহ্মোঃএর সাথে মিলিত হন ৷ তখন মুসলমানগ ণ খায়বার
জয় করেন ৷ হিজরী নয় সালে রাসুলুল্পাহ্ড্রে আলোচ্য যাহাবী আবান ইবন সাঈদ (রা)-কে
বাহরইিনের প্রশাসক নিয়োগ করেন ৷ আজনাদায়ন-এর যুদ্ধে তিনি শহীদ হন ৷

২ রাসুলুল্লাহ্ স্কুর্দুক্ট্র এর আযাদকৃত ক্রীতদাস আনাসাহ্ (রা) ৷ প্রসিদ্ধ অভিমত হলো ইনি
বদর যুদ্ধে শহীদ হয়েছেন ৷ ইমাম বুখারী ও অন্যরা তইি বলেছেন ৷ ওয়াকিদী বিজ্ঞজনদের সুত্রে
উল্লেখ করেছেন যে, আনাসাহ্ (রা) উহুদ যুদ্ধে অংশ নিয়েছিলেন এবং এরপর বহুদিন জীবিত
ছিলেন ৷ ওয়াকিদী বলেন, ইবন আবুয যিনাদ আমাকে মুহাম্মদ ইবন ইউসুফ সুত্রে জানিয়েছেন
যে, হযরত আনাসাহ্ (রা) ইনতিকাল করেছেন হযরত আবু বকর সিদ্দীক (বা) এর
শাসনামলে ৷ তার উপনাম আবুমাসরুহ ৷ যুহরী বলেন যে, আনাসাহ্ (রা) রাসুলুল্লাহ্ফ্লো এর
দরজায় দাড়িয়ে দর্শনার্থীদের জন্যে অনুমতি এনে দিতেন ৷

৩ তামীম ইবন হারিছ ইবন কায়স সাহমী (বা) : তার ভাই কায়স ইবর্নহারিছ সাহ্মী
(রা) ৷ র্তারা দুজন উচু দরের যাহাবী ছিলেন ৷ দৃজনেই আবিসিনিয়ায় হিজরত করেছিলেন ৷
দুজনেই আজনড়াদায়ন যুদ্ধে শহীদ হয়েছেন ৷ ৫ হারিছ ইবন আওস ইবন আতীক (রা) ৷ তিনি
আবিসিনিয়ায় হিজরতকারীদের একজন ৷ আজনড়াদায়নের যুদ্ধে তিনি শহীদ হন ৷
, ৬ খালিদ ইবন সাঈদ ইবনুল আস উমাবী (বা) প্রথম যুগের মুসলমান ৷ আবিসিনিয়ায়

হিজরত করেছেন ৷ ১০ বছরের অধিককাল সেখানে অবস্থান করেছিলেন ৷ বলা হয়ে থাকে যে ,
রাসুলুল্লাহ্স্লে এর পক্ষ থেকে তিনি সানাআ-এর প্রশাসক নিযুক্ত হয়েছিলেন ৷ কতক বিজয়
অভিযানে হযরত আবু বকর সিদ্দীক (বা) তাকে সেনাপতিরুপে প্রেরণ করেছিলেন ৷ এ বিষয়ে
পুর্বে আলোচনা করা হয়েছে ৷ কেউ বলেছেন তিনি মারজুস-সাফর যুদ্ধে নিহত হয়েছেন ৷ কেউ
বলেছেন তিনি যুদ্ধ থেকে পালিয়ে এসেছিলেন ৷ খলীফা আবু বকর সিদ্দীক (বা) শান্তিস্বরুপন্
,তাকে মদীনায় ঢুকতে দেননি ৷ ফলে তিনি একমাস বাইরে অবস্থান করছিলেন ৷ শেষ পর্যন্ত
মদীনায় প্রবেশের অনুমতি দিলেন ৷ কেউ কেউ বলেন যে, আসলাম র্তাকে হত্যা করেছিল ৷ সে
বলেছিল, আমি যখন তাকে হত্যা করি তখন একটি আলোর ঝলকানি আকাশের দিকে উঠে
যায় ৷

৭ সাদ ইবন উবাদা ইবন দালীম ইবন হারিছা ইবন আবু খুযন্য়মা (রা) ৷ কেউ বলেছেন,
হারিছা ইবন খুযায়মা ইবন ছালাবা ইবন তরীিক ইবন খাযরাজ ইবন সাইদা ইবন কাব ইবন
খাযরাজ আনসারী খাযরাজী ৷ তিনি খাযরাজ গোত্রের নেতা ৷ উপনাম আবু ছাবিত ৷ মতান্তরে
আল-বিদায়া — ৯


لَهُ رِوَايَةٌ. وَكَانَ مِمَّنْ صَبَرَ يَوْمَ حُنَيْنٍ. قَالَ ابْنُ جَرِيرٍ: وَقُتِلَ يَوْمَئِذٍ عُثْمَانُ بْنُ طَلْحَةَ بْنِ أَبِي طَلْحَةَ، وَالْحَارِثُ بْنُ أَوْسِ بْنِ عَتِيكٍ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمْ. وَفِيهَا كَانَتْ وَقْعَةُ مَرْجِ الصُّفَّرِ فِي قَوْلِ خَلِيفَةَ بْنِ خَيَّاطٍ، وَذَلِكَ لِثِنْتَيْ عِشْرَةَ بَقِيَتْ مِنْ جُمَادَى الْأُولَى، وَأَمِيرُ النَّاسِ خَالِدُ بْنُ سَعِيدِ بْنِ الْعَاصِ، فَقُتِلَ يَوْمَئِذٍ، وَقِيلَ: إِنَّمَا قُتِلَ أَخُوهُ عَمْرٌو. وَقِيلَ: ابْنُهُ. فَاللَّهُ أَعْلَمُ. قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ وَكَانَ أَمِيرُ الرُّومِ قَلْقَطَ، فَقُتِلَ مِنَ الرُّومِ مَقْتَلَةٌ عَظِيمَةٌ حَتَّى جَرَتْ طَاحُونٌ هُنَاكَ مِنْ دِمَائِهِمْ. وَالصَّحِيحُ أَنَّ وَقْعَةَ مَرْجِ الصُّفَّرِ فِي أَوَّلِ سَنَةِ أَرْبَعَ عَشْرَةَ كَمَا سَيَأْتِي. [الْمُتَوَفَّوْنَ فِي هَذِهِ السَّنَةِ] ذِكْرُ الْمُتَوَفَّيْنَ فِي هَذِهِ السَّنَةِ مُرَتَّبِينَ عَلَى الْحُرُوفِ كَمَا ذَكَرَهُمْ شَيْخُنَا الْحَافِظُ الذَّهَبِيُّ فِي تَارِيخِهِ: أَبَانُ بْنُ سَعِيدِ بْنِ الْعَاصِ بْنِ أُمَيَّةَ الْأُمَوِيُّ أَبُو الْوَلِيدِ الْمَكِّيُّ، صَحَابِيٌّ
পৃষ্ঠা - ৫৪৩৩


আবু কায়স ৷ উচুমানের সাহাবী ৷ তিনি আকাবার শপণে অংশগ্রহণকারী একজন সদস্য ৷ তিনি
বদর যুদ্ধে অশেগ্রহণ করেছিলেন ৷ উরওয়া ও মুসা ইবন উকবা তাই বলেছেন ৷ ইমাম বুখারী ও
ইবন মাকুলা তা সমর্থন করেছেন ৷ ইবন আসাকিৱ ইবন আব্বাস (রা) থেকে বর্ণনা
করেছেন যে, বদর যুদ্ধে মুহাজিরদের পতাকা জ্জি আলী (না)-এর হাতে আর আনসারদের
পতাকা ছিলে সাদ ইবন উবাদা (রা)-এর হাতে ৷

আমি বলি, প্রসিদ্ধ অভিমত হলো যে, এই ঘটনা ঘটেছিল মক্কা বিজয় অভিযানে ৷ আল্লাহ্
ভাল জানেন ৷ ঐতিহাসিক ওয়াকিদী বলেন, সা’দ ইবন উমদা (রা) বদর যুদ্ধে অংশ নেননি ৷
কারণ যুদ্ধে যাবার পুর্ণ প্রস্তুতি গ্রহণ করার পর তাকে সাথে কামড় দিয়েছিল ৷ ফলে তিনি যুদ্ধে
যেতে পারেন নি ৷ রাসুলুল্লাহ্ ত্রুর্তার জন্যে গনীমতের অংশ এবং সওয়াবের ঘোষণা
দিয়েছিলেন ৷ উহুদ ও পরবর্তী ঘুদ্ধগুলােতে তিনি অংশ নিয়েছেন ৷ খলীফ৷ ইবন খায়য়াত তাই
বলেছেন ৷ তার একটি বড় গামলা জ্জি ৷ ওই গামলায় গোশত ও রুটি ভর্তি করে রাসুলুল্লাহ্
স্র এর সাথে সাথে থাকতেন ৷ রাসুলুল্লাহ্ মোঃ যখন তার সহধর্মিণীগণের কক্ষে যেতেন
হযরত সা’দ (রা) তীর সাথে যেতেন ৷ গামলায় আবার কখনো দৃধ্ণ্রুটি, কখনো ঘি-রুটি আর
কখনো সির্কা ও তেল থাকত ৷ প্রতিদিন গভীর রাতে তিনি ডেকে ডেকে বলতেন “কেউ
যেহমান হবেন কি ?” তিনি খুব সুন্দর আরবী লিখতে পারতেন ৷ ভাল তীর নিক্ষেপ করতে ও
সাতার দিতে জানতেন ৷ এ সকল কাজে দক্ষ ও অভিজ্ঞ হিসেবে তার নাম-ডাক ও খ্যাতি ছিল ৷
আবু উমর ইবন আবদুল বাবৃ ও অন্য ঐতিহাসিকগণ বলেছেন যে, তিনি আবু বকর সিদ্দীক
(রা)-এর হাতে বায়আত করা থেকে বিরত ছিলেন এবং সিরিয়া চলে গিয়েছিলেন ৷ অতঃপর
আবু বকর সিদ্দীক (রা)-এর খিলাফতকালে ১৩ হিজরী সনে হড়াওরানের একটি গ্রামে তিনি
ইনৃতিকাল করেন ৷ ইবন ইসহাক মড়াদইিনী ও খলীফা এই তথ্য উল্লেখ করেছেন ৷ কারো কারো
মতে, হযরত উমর ং(রা) এর শাসনামলের প্রথম দিকে তার ইন্তিকাল হয় ৷ কেউ বলেছেন ১৪
হিজরীতে; কেউ বলেছেন ১৫ হিজরীতে এবং কালাস ও ইবন বকর বলেছেন ১৬ হিজরী সনে
তার ওফাত হয় ৷

আমি বলি যে, হযরত আবু বকর সিদ্দীক (রা)-এর বায়আত সম্পর্কে আমরা মুসনাদ-ই
আহমদে বর্ণিত বর্ণনা উল্লেখ করেছি যে, সিদ্দীক-ইষ্আকৰার (বা) যা বলেছিলেন, “খলীফা
হবে কুরায়শ , বৎশ থেকে” একথা হযরত সাদ (রা) মেনে নিয়েছিলেন ৷ হযরত সাদ (রা)
সিরিয়ার ইনৃতিকাল করেছেন, এটি হলো প্রকৃত ও নিশ্চিত তথ্য ৷ কিন্তু প্রসিদ্ধ অভিমত হলো,
তিনি হাওরান্বে ইনৃতিকাল করেছেন৷ মুহাম্মদ ইবন আইয দামেশকী বর্ণনা করেছেন আবদুল
আলা সুত্রে সাঈদ ইবন আবদুল আযীয থেকে ৷ তিনি বলেছেন, সিরিয়ার প্রথম বিজিত শহর
হলো বুসরা ৷ হযরত সাদ (রা) ওখানেই মারা যান ৷ আমাদের যুগের অনেক বিজ্ঞজনের মতে
দামেশকের গড়াওতাহ’ নামক স্থানের একটি গ্রামে তাকে দাফন করা হয়, ওই গ্রামের নাম
মানী হা ৷ সেখানকার তার কবরটি প্রসিদ্ধ ৷ ইবন আসাকিৱ হযরত সাদের জীবনী বর্ণনায় ওই
কবরের কথা উল্লেখ করেন নি ৷ আল্লাহ্ই ভাল জ র্দ্রনেন ৷

ইবন আবদিল বার্ বলেছেন, এতে কোন দ্বিমত নেই যে, হযরত সাদ (রা)-কে তীর
পােসলখানায় মৃত পাওয়া গেছে ৷ তার শরীর নীল হয়ে গিয়েছিল ৷ তার মৃত্যু সম্পর্কে কেউ


جَلِيلٌ، وَهُوَ الَّذِي أَجَارَ عُثْمَانَ بْنَ عَفَّانَ يَوْمَ الْحُدَيْبِيَةِ حَتَّى دَخَلَ مَكَّةَ لِأَدَاءِ رِسَالَةِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، أَسْلَمَ بَعْدَ مَرْجِعِ أَخَوَيْهِ مَنِ الْحَبَشَةِ ; خَالِدٌ وَعَمْرٌو، فَدَعَوَاهُ إِلَى الْإِسْلَامِ فَأَجَابَهُمَا، وَسَارُوا فَوَجَدُوا رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَدْ فَتَحَ خَيْبَرَ، وَقَدِ اسْتَعْمَلَهُ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ سَنَةَ تِسْعٍ عَلَى الْبَحْرِينِ وَقُتِلَ بِأَجْنَادِينَ. أَنَسَةُ مَوْلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: الْمَشْهُورُ أَنَّهُ قُتِلَ بِبَدْرٍ فِيمَا ذَكَرَهُ الْبُخَارِيُّ وَغَيْرُهُ. وَزَعَمَ الْوَاقِدِيُّ فِيمَا نَقَلَهُ عَنْ أَهْلِ الْعِلْمِ أَنَّهُ شَهِدَ أُحُدًا، وَأَنَّهُ بَقِيَ بَعْدَ ذَلِكَ زَمَانًا قَالَ: وَحَدَّثَنِي ابْنُ أَبِي الزِّنَادِ عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ يُوسُفَ، أَنَّ أَنَسَةَ مَاتَ فِي خِلَافَةِ أَبِي بَكْرٍ الصِّدِّيقِ، وَكَانَ يُكَنَّى أَبَا مَسْرُوحٍ. وَقَالَ الزُّهْرِيُّ: كَانَ يَأْذَنُ لِلنَّاسِ عَلَى النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ. تَمِيمُ بْنُ الْحَارِثِ بْنِ قَيْسٍ السَّهْمِيُّ وَأَخُوهُ سَعِيدٌ ; صَحَابِيَّانِ جَلِيلَانِ هَاجَرَا إِلَى الْحَبَشَةِ، وَقُتِلَا بِأَجْنَادِينَ. الْحَارِثُ بْنُ أَوْسِ بْنِ عَتِيكٍ، مِنْ مُهَاجِرَةِ الْحَبَشَةِ، قُتِلَ بِأَجْنَادِينَ.
পৃষ্ঠা - ৫৪৩৪
خَالِدُ بْنُ سَعِيدِ بْنِ الْعَاصِ الْأُمَوِيُّ، مِنَ السَّابِقِينَ الْأَوَّلِينَ، مِمَّنْ هَاجَرَ إِلَى الْحَبَشَةِ، وَأَقَامَ بِهَا بِضْعَ عَشْرَةَ سَنَةً، وَيُقَالُ: إِنَّهُ كَانَ عَلَى صَنْعَاءَ مِنْ جِهَةِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَأَمَّرَهُ الصِّدِّيقُ عَلَى بَعْضِ الْفُتُوحَاتِ كَمَا تَقَدَّمَ، قُتِلَ يَوْمَ مَرْجِ الصُّفَّرِ فِي قَوْلٍ، وَقِيلَ: بَلْ هَرَبَ فَلَمْ يُمَكِّنْهُ الصِّدِّيقُ مِنْ دُخُولِ الْمَدِينَةِ تَعْزِيرًا لَهُ، فَأَقَامَ شَهْرًا فِي بَعْضِ ظَوَاهِرِهَا حَتَّى أَذِنَ لَهُ. وَيُقَالُ: إِنَّ الَّذِي قَتَلَهُ أَسْلَمَ، وَقَالَ: رَأَيْتُ لَهُ حِينَ قَتَلْتُهُ نُورًا سَاطِعًا إِلَى السَّمَاءِ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ. سَعْدُ بْنُ عُبَادَةَ بْنِ دُلَيْمِ بْنِ حَارِثَةَ بْنِ أَبِي حَزِيمَةَ - وَيُقَالُ: حَارِثَةُ بْنُ حَرَامِ بْنِ حَزِيمَةَ - بْنِ ثَعْلَبَةَ بْنِ طَرِيفِ بْنِ الْخَزْرَجِ بْنِ سَاعِدَةَ بْنِ كَعْبِ بْنِ الْخَزْرَجِ، الْأَنْصَارِيُّ الْخَزْرَجِيُّ سَيِّدُهُمُ، أَبُو ثَابِتٍ وَيُقَالُ: أَبُو قَيْسٍ. صَحَابِيٌّ جَلِيلٌ، كَانَ أَحَدَ النُّقَبَاءِ لَيْلَةَ الْعَقَبَةِ، وَشَهِدَ بَدْرًا فِي قَوْلِ عُرْوَةَ وَمُوسَى بْنِ عُقْبَةَ وَالْبُخَارِيِّ وَابْنِ مَاكُولَا. وَرَوَى ابْنُ عَسَاكِرَ مِنْ طَرِيقِ حَجَّاجِ بْنِ أَرْطَاةَ، عَنِ الْحَكَمِ، عَنْ مِقْسَمٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ أَنَّ رَايَةَ الْمُهَاجِرِينَ يَوْمَ بَدْرٍ كَانَتْ مَعَ عَلِيٍّ، وَرَايَةَ الْأَنْصَارِ كَانَتْ مَعَ سَعْدِ بْنِ عُبَادَةَ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا. قُلْتُ: وَالْمَشْهُورُ أَنَّ هَذَا كَانَ يَوْمَ الْفَتْحِ. وَاللَّهُ أَعْلَمُ.
পৃষ্ঠা - ৫৪৩৫


অবহিত হয়নি যতক্ষণ না একটি কবিতা শ্যুনছে ৷ এক পর্যায়ে তার৷ শুনতে পান যে, নেপধ্যে
কে যেন বলছে

৷ ;

ঞ্জো

খাষরাজ গোত্রের নে৩ ৷ সা দ ইবন উবাদাকে আমরা হত্যা করেছি ৷ আমরা তার প্রতি তীর
নিক্ষেপ করেছি ৷ ওই তীর তার কলিজা ও অন্তর ভেদ করেছে ৷

ইবন জুরায়জ বলেন, আমি শুনেছি হযরত আত৷ বলছিলেন যে, সাদ ইবন উবাদা (রা)
সম্পর্কে জিনগণ এ দৃ’টো পংক্তি উচ্চারণ করেছে ৷ হযরত মাস (বা) রাসুলুল্লাহ্মোঃ এর
অনেক হাদীস বর্ণনা করেছেন ৷ প্রচণ্ড আত্মমর্যাদাবােধসম্পন্ন ও গভীর ব্যক্তি ছিলেন তিনি ৷ তিনি
কুমারী ব্যতীত কোন মেয়েকে বিয়ে করেন নি ৷ যে মইিলাকে তিনি তালাক দিয়েছেন তাকে
বিয়ে করার ধৃষ্টত তা কেউ দেখাতে পারেনি ৷ কথিত আছে যে, মদীনা থেকে বের হবার সময়
তিনি তার সমুদয় ধন-সম্পদ তার দৃই পুত্রের নামে বণ্টন করে দেন ৷ তার ইনৃতিকালের পর
আরেকটি পুত্রসত্তান জন্য নেয় ৷ হযরত আবু বকর ও উমর (বা) তার পুত্র কায়স এর নিকট
উপস্থিত হন ৷ নব প্রসুত ভাইকে নিজেদের সাথে সম্পত্তির অংশীদার হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করার
নির্দেশ দেন দু জনে ৷ কায়স বললেন, আমার বাবা মা দ যা করে গিয়েছেন আমি তা ভঙ্গ করব
না , বরং আমার অংশ আমি আমার নব প্রসুত ভাইকে দিয়ে দিব ৷

৮ সালামা ইবন হিশাম ইবন মুগীরা (রা) আবু জাহলের ভাই ৷ সালামা (বা) প্রথম যুগে
ঈমান আনয়র্লকারীদের অন্ততুক্ত ছিলেন ৷ তিনি আবিসিনিয়ায় হিজরত করেছেন ৷ ওখান থেকে
ফেরার পর র্ত ৷র ভাইয়েরা তাকে আটকে রাখে ৷ ক্ষুধা-তৃ তষ্ণায় কষ্ট দেয় ৷ রাসুলুল্লাহ্ন্ন্দণ্স্পোতার

জন্যে দাড়িয়ে দাড়িয়ে দু আ করছিলেন ৷ তার সাথী অন্য দুর্বল মুসলমানদের জন্যেও রাসুলুল্লাহ্

শ্রল্ন্ষ্ট্রদুেঅ৷ করেছিলেন ৷ একদিন তিনি ভাইদের কৌনী থেকে চুপিসারে বেরিয়ে গেলেন এবং
মদীনায় গিয়ে রাসুলুল্লাহ্হ্মথাং এর সাথে মিলিত হলেন ৷ এটা হলো খন্দক যুদ্ধের পরের ঘটনা ৷
এরপর থেকে তিনি মদীনায় রাসুলুহৃা৷হ্ট্টমোঃ -এর সাথেই ছিলেন ৷ তিনি আজনাদায়ন যুদ্ধে অংশ
নেন এবং ওই যুদ্ধে শাহাদাত বরণ করেন ৷

৯ দিরার ইবন আযওয়ার আসাদী ৷ তিনি একজন প্রসিদ্ধ ঘোড় সওয়ার ও খ্যাতিমান
নেতাদের একজন ছিলেন ৷ তার বহু উজ্জ্বল কৃতিত্ব রয়েছে ৷ বহু প্রশংসনীয় কর্মকাণ্ড রয়েছে
তার ৷ ঐতিহাসিক মুসা ইবন উকব৷ ও উরওয়৷ বলেছেন যে, দিরার ইবন আযওয়াব
আজনাদায়ন’ যুদ্ধে শহীদ হয়েছেন ৷ “দুধ দােহন করার সময় স্তনের কিছু দুধ রেখে দেয়া
মুস্তাহ১াব” বিষয়ে তা বথেন্ক বর্ণিত একটি হাদীস রয়েছে ৷

তৃলায়ব ইবন উমায়র ইবন ওয়াহ্ব ইবন কাহীর ইবন হিনদ ইবন কুসাই কুরাশী,

মবােদী০ (রা) ৷ তার মা হলেন আবদুল মুত্তালিবের কন্যা এবং রাসুলুল্লাহ্মোঃ এর ফুফু ৷ তৃলায়ব
ধথম যুগে ইসলাম গ্রহণ করেন ৷ আবিসিনিয়ায় দ্বিতীয় বার হিজরত করার সময় তিনি হিজরত
করেছিলেন ৷ তিনি বদর যুদ্ধে অংশ নিয়েছিলেন ৷ ইবন ইসহাক, ওয়াকিদী ও ইবন বাক্কার
তাই বলেছেন ৷ বলা হয় যে, মুশরিকদের উপর সর্বপ্রথম দৈহিক আক্রমণ করেন তিনি ৷ ঘটনা
হ্বলন্শ্আবু জাহ্ল একদিন রাসুলুল্লাহ্;ক্রো-কে পালি দিয়েছিল ৷ তখন উটের পশমে পাকানাে


وَقَالَ الْوَاقِدِيُّ: لَمْ يَشْهَدْهَا ; لِأَنَّهُ نَهْسَتُهُ حَيَّةٌ، فَشَغَلَتْهُ عَنْهَا بَعْدَ أَنْ تَجَهَّزَ لَهَا، فَضَرَبَ لَهُ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِسَهْمِهِ وَأَجْرِهِ، وَشَهِدَ أُحُدًا وَمَا بَعْدَهَا. وَكَذَا قَالَ خَلِيفَةُ بْنُ خَيَّاطٍ. وَكَانَتْ لَهُ جَفْنَةٌ تَدُورُ مَعَ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ حَيْثُ دَارَ مِنْ بُيُوتِ نِسَائِهِ بِلَحْمٍ وَثَرِيدٍ، أَوْ لَبَنٍ وَخُبْزٍ، أَوْ خُبْزٍ وَسَمْنٍ، أَوْ بِخَلٍّ وَزَيْتٍ، وَكَانَ يُنَادِي عِنْدَ أُطُمِهِ كُلَّ لَيْلَةٍ لِمَنْ أَرَادَ الْقِرَى، وَكَانَ يُحْسِنُ الْكِتَابَةَ بِالْعَرَبِيِّ وَالرَّمْيِ وَالسِّبَاحَةِ، وَكَانَ يُسَمَّى مَنْ أَحْسَنَ ذَلِكَ كَامِلًا، وَقَدْ ذَكَرَ أَبُو عُمَرَ بْنُ عَبْدِ الْبَرِّ مَا ذَكَرَهُ غَيْرُ وَاحِدٍ مِنْ عُلَمَاءِ التَّارِيخِ أَنَّهُ تَخَلَّفَ عَنْ بَيْعَةِ الصِّدِّيقِ حَتَّى خَرَجَ إِلَى الشَّامِ. فَمَاتَ بِقَرْيَةٍ مِنْ حَوْرَانَ سَنَةَ ثَلَاثَ عَشْرَةَ فِي خِلَافَةِ الصِّدِّيقِ. قَالَهُ ابْنُ إِسْحَاقَ وَالْمَدَائِنِيُّ وَخَلِيفَةُ. قَالَ: وَقِيلَ: فِي أَوَّلِ خِلَافَةِ عُمَرَ. وَقِيلَ: سَنَةَ أَرْبَعَ عَشْرَةَ. وَقِيلَ: سَنَةَ خَمْسَ عَشْرَةَ. وَقَالَ الْفَلَّاسُ وَابْنُ بُكَيْرٍ: سَنَةَ سِتَّ عَشْرَةَ. قُلْتُ: أَمَّا بَيْعَةُ الصِّدِّيقِ، فَقَدْ رُوِّينَا فِي " مُسْنَدِ الْإِمَامِ أَحْمَدَ " أَنَّهُ سَلَّمَ لِلصَّدِيقِ مَا قَالَهُ مِنْ أَنَّ الْخُلَفَاءَ مِنْ قُرَيْشٍ. وَأَمَّا مَوْتُهُ بِأَرْضِ الشَّامِ فَمُحَقَّقٌ، وَالْمَشْهُورُ أَنَّهُ بِحَوْرَانَ.
পৃষ্ঠা - ৫৪৩৬
قَالَ مُحَمَّدُ بْنُ عَائِذٍ الدِّمَشْقِيُّ، عَنْ عَبْدِ الْأَعْلَى، عَنْ سَعِيدِ بْنِ عَبْدِ الْعَزِيزِ، أَنَّهُ قَالَ: أَوَّلُ مَدِينَةٍ فُتِحَتْ مِنَ الشَّامِ بُصْرَى، وَبِهَا تُوُفِّيَ سَعْدُ بْنُ عُبَادَةَ. وَعِنْدَ كَثِيرٍ مِنْ أَهْلِ زَمَانِنَا أَنَّهُ دُفِنَ بِقَرْيَةٍ مِنْ غُوطَةِ دِمَشْقَ يُقَالُ لَهَا: الْمَنِيحَةُ. وَبِهَا قَبْرٌ مَشْهُورٌ بِهِ. وَلَمْ أَرَ الْحَافِظَ ابْنَ عَسَاكِرَ تَعَرَّضَ لِذَكَرِ هَذَا الْقَبْرِ فِي تَرْجَمَتِهِ بِالْكُلِّيَّةِ. فَاللَّهُ أَعْلَمُ. قَالَ ابْنُ عَبْدُ الْبَرِّ: وَلَمْ يَخْتَلِفُوا أَنَّهُ وُجِدَ مَيِّتًا فِي مُغْتَسَلِهِ وَقَدِ اخْضَرَّ جَسَدُهُ، وَلَمْ يَشْعُرُوا بِمَوْتِهِ حَتَّى سَمِعُوا قَائِلًا يَقُولُ:. قَتَلْنَا سَيِّدَ الْخَزْرَ ... جِ سَعْدَ بْنَ عِبَادَهْ رَمَيْنَاهُ بِسَهْمَيْنِ ... فَلَمْ نُخْطِ فُؤَادَهْ قَالَ ابْنُ جُرَيْجٍ: سَمِعْتُ عَطَاءً يَقُولُ: سَمِعْتُ أَنَّ الْجِنَّ قَالُوا فِي سَعْدِ بْنِ عُبَادَةَ هَذَيْنِ الْبَيْتَيْنِ. لَهُ عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَحَادِيثُ، وَكَانَ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، مِنْ أَشَدِّ النَّاسِ غَيْرَةً، مَا تَزَوَّجَ امْرَأَةً إِلَّا بِكْرًا، وَلَا طَلَّقَ امْرَأَةً فَتَجَاسَرَ أَحَدٌ أَنْ يَخْطِبَهَا بَعْدَهُ. وَقَدْ رُوِيَ أَنَّهُ لَمَّا خَرَجَ مِنَ الْمَدِينَةِ قَسَمَ مَالَهُ بَيْنَ بَنِيهِ، فَلَمَّا تُوُفِّيَ وُلِدَ لَهُ وَلَدٌ، فَجَاءَ أَبُو بَكْرٍ وَعُمَرُ إِلَى ابْنِهِ قَيْسِ بْنِ سَعْدٍ، فَأَمَرَاهُ أَنْ يُدْخِلَ هَذَا مَعَهُمْ، فَقَالَ: إِنِّي لَا أُغَيِّرُ مَا صَنَعَ سَعْدٌ، وَلَكِنَّ نَصِيبِي لِهَذَا الْوَلَدِ.
পৃষ্ঠা - ৫৪৩৭


একটি রশি দিয়ে তিনি আবু জাহ্লকে প্রহার করেন ৷ আজনাদায়নের যুদ্ধে তিনি শহীদ হন
তিনি দীর্ঘ জীবন পেয়েছিলেন ৷ তিনি বার্ধক্যে পৌছে গিয়েছিলেন ৷

১ ১ আবদুল্লাহ ইবন যুবায়র ইবন আবদুল মুত্তালিব ইবন হাশিম কুরায়শী, হাশিমী (রা)
রাসুলুল্লাহ্জ্যে এর চাচাত ভইি, খ্যাতিমান নেতা এবং প্রসিদ্ধ বীর ছিলেন ৷ আজনাদায়নের
যুদ্ধে দশজন রোমান নেতৃস্থানীয় যোদ্ধাকে সম্মুখ যুদ্ধে হত্যা করার পর শত্রুর আঘাতে তিনি
নিহত হন ৷ তিনি ৩০ বছরে সামান্য বেশি আযু পেয়েছিলেন ৷

১ ২ আবদুল্লাহ ইবন আমর দাওসী ৷ আজনাদায়নের যুদ্ধে নিহত হন ৷ ইনি খুব বেশি
পরিচিত লোক ছিলেন না ৷

১৩ উসমান ইবন তালহ৷ আবদারী হুজাবী ৷ কারো কারো মতে ৩আজনাদায়নের যুদ্ধে তিনি
নিহত হয়েছেন ৷ বিশুদ্ধ অভিমত হলো ৪০ হিজরী পর্যন্ত তিনি জীবিত ছিলেন ৷

১ : আত্তাব ইবন আসীদ ইবন আবু ঈস ইবন উম৷ ইয়াউমাবী ৷ উপনাম আবু আবদুর
রহমান ৷ রাসুলুল্লাহ্মোঃ এর পক্ষ থেকে মক্কার প্রকৃা৷সক নিযুক্তৃ হয়েছিলেন ৷ মক্কা বিজয়ের
দিনে রাসুলুল্লাহ্মোঃ , র্তাকে ওই পদে নিযুক্ত করেন ৷ তখন তীর বয়স মাত্র ২০ বছর ৷
বছরই তিনি আমীর-আল-হাজ্জ হয়ে লোকজন নিয়ে হজ্জ আদায় করেন ৷ রাসুলুল্লাহ্শ্নোএর
পর হযরত আবু বকর (বা) তবে ওই পদে বহাল রাখেন ৷ তার ইনৃতিকাল হয় মক্কাতে ৷ কেউ
কেউ বলেছেন যে, হযরত আবু বকর (না)-এর ওফাতের দিলেই তীর যেতে হয় ৷ তীর একটি
হাদীস রয়েছে ৷ সুনান সংকলনকারী ইমাম চতুষ্টয় ওই হাদীস উদ্ধৃত করেছেন ৷

১ ৫ ইকরিমা ইবন আবু জাহ্ল আমর ইবন হিমাম ইবন মুগীরা ইবন আবদুল্লাহ ইবন উমর
ইবন মাখযুম ৷ উপনাম আবু উছমান, কুরায়শী মাখবুমী ৷ পিতার ন্যায় তিনিও জাহেলী যুগে
নেতা ছিলেন ৷ মক্কা বিজয়ের বছর তিনি ইসলাম গ্রহণ করেন ৷ প্রথমে তিনি মক্কা থেকে পালিয়ে
গিয়েছিলেন ৷ ত বপব সত্যের নিকট ফিরে এসে ইসলাম গ্রহণ করেন ৷ সিদ্দীক-ই-আকবর
(রা) এর শাসনামলে ইয়ামনের ধর্ম৩ ৷৷গী ও মুর৩ ৷দদেরকে শায়েস্তা করার জন্যে ইকরিমা
(রা) কে প্রশাসকরুপে প্রেরণ করা হয় ৷ তিনি মুর৩ তাদদেরকে পরাজিত করেছিলেন ৷ এরপর
তিনি সিরিয়া এলেন ৷ এ সময়ে তিনি সেনাধ্যক্ষের দায়িতৃ পালন করছিলেন ৷ বলা হয় যে,
ইসলাম গ্রহণ করার পর হতে মৃত্যু পর্যন্ত কেউ তাকে গুনাহ ও পাপ করতে দেখেনি তিনি
কুরআন শবীফে চুমু খেতে ন ৷ অধিক কান্নাকাটি করতেন এবং বলতেন যে, আমার
প্রতিপালকের বাণী, আমার প্রতিপালকের বাণী ৷ এই বর্ণনার দ্বারা ইমাম আহমদ (র) প্রমাণ
পেশ করেন যে, কুরআন শবীফে চুমু খাওয়া জাইয ও শরীয়তসম্মত ৷ ইমাম শাফিঈ (র)
বলেছেন, হযরত ইকরামা (রা) ইসলাম গ্রহণের পর সকল পরীক্ষায় প্রশংসনীয়ভাবে উত্তীর্ণ
হয়েছেন ৷ উরওয়া (রা) বলেন যে, হযরত ইকরামা (রা) £আজনাদায়নের’ যুদ্ধে নিহত হন ৷
কারো মতে তিনি নিহত হন ইয়ারযুকের যুদ্ধে ৷ মৃত্যুর পর গণনা করে দেখা গিয়েছে যে,
তরবারির আঘাত ও তীরের আঘাত মিলিয়ে তীর দেহে ৭০ এর অধিক ক্ষতচিহ্ন রয়েছে ৷

১৬ ফাদল ইবন আব্বাস ইবন আবদুল যুত্তা ৷লিব, কারো কারো মতে ৩এই বছর র্তার মৃত্যু
হয় ৷ কিন্তু বিশুদ্ধ অভিমত হলো ১৮ হিজরী সন পর্যন্ত তিনি জীবিত ছিইলন ৷


سَلَمَةُ بْنُ هِشَامِ بْنِ الْمُغِيرَةِ. أَخُو أَبِي جَهْلِ بْنِ هِشَامٍ، أَسْلَمَ سَلَمَةُ قَدِيمًا وَهَاجَرَ إِلَى الْحَبَشَةِ، فَلَمَّا رَجَعَ مِنْهَا حَبَسَهُ أَخُوهُ وَأَجَاعَهُ، فَكَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَدْعُو لَهُ فِي الْقُنُوتِ وَلِجَمَاعَةٍ مَعَهُ مِنَ الْمُسْتَضْعَفِينَ. ثُمَّ انْسَلَّ فَلَحِقَ بِرَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِالْمَدِينَةِ بَعْدَ الْخَنْدَقِ، وَكَانَ مَعَهُ بِهَا، وَقَدْ شَهِدَ أَجْنَادِينَ وَقُتِلَ بِهَا، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ. ضِرَارُ بْنُ الْأَزْوَرِ الْأَسَدِيُّ، كَانَ مِنَ الْفُرْسَانِ الْمَشْهُورِينَ، وَالْأَبْطَالِ الْمَذْكُورِينَ، لَهُ مَوَاقِفٌ مَشْهُودَةٌ، وَأَحْوَالٌ مَحْمُودَةٌ. ذَكَرَ عُرْوَةُ وَمُوسَى بْنُ عُقْبَةَ أَنَّهُ قُتِلَ بِأَجْنَادِينَ. لَهُ حَدِيثٌ فِي اسْتِحْبَابِ إِبْقَاءِ شَيْءٍ مِنَ اللَّبَنِ فِي الضَّرْعِ عِنْدَ الْحَلْبِ. طُلَيْبُ بْنُ عُمَيْرِ بْنِ وَهْبِ بْنِ كَثِيرِ بْنِ عَبْدِ بْنِ قُصَيٍّ الْقُرَشِيِّ الْعَبْدِيِّ، أُمُّهُ أَرْوَى بِنْتُ عَبْدِ الْمُطَّلِبِ عَمَّةُ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، أَسْلَمَ قَدِيمًا وَهَاجَرَ إِلَى الْحَبَشَةِ الْهِجْرَةَ الثَّانِيَةَ، وَشَهِدَ بَدْرًا. قَالَهُ ابْنُ إِسْحَاقَ وَالْوَاقِدِيُّ وَالزَّبِيرُ بْنُ بَكَّارٍ. وَيُقَالُ: إِنَّهُ أَوَّلُ مَنْ ضَرَبَ مُشْرِكًا. وَذَلِكَ أَنَّ أَبَا جَهْلٍ سَبَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَضَرَبَهُ طُلَيْبٌ بَلَحْيِ جَمَلٍ فَشَجَّهُ. اسْتُشْهِدَ طُلَيْبٌ بِأَجْنَادِينَ وَقَدْ شَاخَ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ. عَبْدُ اللَّهِ بْنُ الزُّبَيْرِ بْنِ عَبْدِ الْمُطَّلِبِ بْنِ هَاشِمٍ الْقُرَشِيُّ الْهَاشِمِيُّ، ابْنُ عَمِّ
পৃষ্ঠা - ৫৪৩৮
النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، كَانَ مِنَ الْأَبْطَالِ الْمَذْكُورِينَ وَالشُّجْعَانِ الْمَشْهُورِينَ، قُتِلَ يَوْمَ أَجْنَادِينَ بَعْدَمَا قَتَلَ عَشَرَةً مِنَ الرُّومِ مُبَارَزَةً، كُلُّهُمْ بِطَارِقَةٌ أَبْطَالٌ. وَلَهُ مِنَ الْعُمُرِ يَوْمَئِذٍ بِضْعٌ وَثَلَاثُونَ سَنَةً. عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عَمْرٍو الدَّوْسِيُّ، قُتِلَ بِأَجْنَادِينَ. وَلَيْسَ هَذَا الرَّجُلُ مَعْرُوفًا. عُثْمَانُ بْنُ طَلْحَةَ الْعَبْدَرِيُّ الْحَجَبِيُّ، قِيلَ: إِنَّهُ قُتِلَ بِأَجْنَادِينَ. وَالصَّحِيحُ أَنَّهُ تَأَخَّرَ إِلَى مَا بَعْدَ الْأَرْبَعِينَ. عَتَّابُ بْنُ أَسِيدِ بْنِ أَبِي الْعِيصِ بْنِ أُمَيَّةَ الْأُمَوِيُّ. أَبُو عَبْدِ الرَّحْمَنِ، أَمِيرُ مَكَّةَ نِيَابَةً عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، اسْتَعْمَلَهُ عَلَيْهَا عَامَ الْفَتْحِ وَلَهُ مِنَ الْعُمُرِ عِشْرُونَ سَنَةً، فَحَجَّ بِالنَّاسِ عَامَئِذٍ، وَاسْتَنَابَهُ عَلَيْهَا أَبُو بَكْرٍ بَعْدَهُ عَلَيْهِ الصَّلَاةُ وَالسَّلَامُ، وَكَانَتْ وَفَاتُهُ بِمَكَّةَ، قِيلَ: يَوْمَ تُوُفِّيَ أَبُو بَكْرٍ. رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا. لَهُ حَدِيثٌ وَاحِدٌ. رَوَاهُ أَهْلُ السُّنَنِ الْأَرْبَعَةِ. عِكْرِمَةُ بْنُ أَبِي جَهْلٍ عَمْرِو بْنِ هِشَامِ بْنِ الْمُغِيرَةِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ بْنِ مَخْزُومٍ، أَبُو عُثْمَانَ الْقُرَشِيُّ الْمَخْزُومِيُّ، كَانَ مِنْ سَادَاتِ الْجَاهِلِيَّةِ كَأَبِيهِ، ثُمَّ أَسْلَمَ عَامَ الْفَتْحِ بَعْدَمَا فَرَّ، ثُمَّ رَجَعَ إِلَى الْحَقِّ، وَاسْتَعْمَلَهُ الصِّدِّيقُ عَلَى عُمَانَ حِينَ ارْتَدُّوا، فَظَفِرَ بِهِمْ، كَمَا تَقَدَّمَ، ثُمَّ قَدِمَ الشَّامَ وَكَانَ أَمِيرًا عَلَى بَعْضِ الْكَرَادِيسِ،
পৃষ্ঠা - ৫৪৩৯


১ ৭ নুআয়ম ইবন আবদুল্লাহ ইবন নাহ্হাম ৷ তিনি বানু অড়াদী গোত্রের লোক ৷ তিনি প্রথম
যুগে ইসলাম গ্রহণকারীদের অন্যতম ৷ হযরত উমর (রা)-এর ইসলাম গ্রহণের পুর্বে তিনি
ইসলাম গ্রহণ করেন ৷৩ তবে হুদায়বিয়ার সন্ধির পুর্ব পর্যন্ত হিজরত করার সুযোগ হয়নি ৷৩া
এজন্যে যে, তিনি তার আত্মীয়-স্বজনদের প্রতি সদাচরণকারী ও তাদের কল্যাণকড়ামী ছিলেন ৷
তইি কুরায়শের লোকেরা তাকে বলেছিল যে, তুমি যে কোন ধর্মের অনুপামী হয়ে আমাদের
মাঝে থাকতে পড়ার ৷ আল্লাহ্র কসম! কেউ যদি তোমাকে কষ্ট দেয় তবে তোমাকে রক্ষার জন্যে
আমরা প্রাণ দিতে ৩প্রন্তুত ৷ বস্তুত আজনাদায়নের যুদ্ধে৩ তিনি নিহত হন ৷ কেউ কেউ বলেছেন
তিনি নিহত হয়েছেন ইয়ারযুকের যুদ্ধে ৷

১৮ হারবার ইবন আসওয়াদ ইবন আসাদ আবু আসওয়াদ কুরড়ায়শী আসড়াদী ৷
রাসুল-তনয়া হযরত যায়নড়াব (রা) যখন মক্কা থেকে মদীনায় উদ্দেশ্যে যাত্রা করেছিলেন তখন
এই লোক তার সওয়ারীর গায়ে আঘাত করেছিল ৷ আ র ওই সওয়ারী হযরত যায়নাব (আঃ কে
মাটিতে ফেলে দিয়েছিল ৷ পরবর্তীতে তিনি ইসলাম গ্রহণ করেন এবং ইসলাম গ্রহণের পর
সুন্দরভাবে ইসলামের বিধি বিধান পালন করেন ৷ আজনাদায়নের যুদ্ধে৩ তিনি নিহত হন ৷

১৯ হুবাব ইবন সুফিয়ান ইবন আবদুল আসওয়াদ মাখয়ুমী ৷ তিনি উম্মু সালামা (রা) এর
ভাতিজা ৷ প্রথম যুগেই ইসলাম গ্রহণ করেন ৷ আবিসিনিয়ায় হিজরত করেছিলেন ৷ বিশুদ্ধ
অভিমত হলো আজনাদায়নের যুদ্ধে তিনি শাহাদাত বরণ করেন ৷ কারো কারো মতে
বির-ই-মাউনা’র ঘটনায় তিনি শহীদ হন ৷ আল্লাহ্ই ভাল জানেন ৷

২০ হিশাম ইবনুল আস ইবন ওয়াইল সড়াহমী ৷ তিনি আমর ইবনুল আস এর ভাই ৷ ইমাম
তিরমিষী (র) বর্ণনা করেছেন যে, রাসুলুল্লাহ্ মোঃব্লু বলেছেন গ্লু,াটুটুঠু ওোট্রু ৷ ; ৷ আস-এর
দু পুত্রই মু’মিন ৷ উভয়ের মধ্যে হিশাম ইসলাম গ্রহণ করেছিলেন আমরের পুর্বেএবং তিনি

, আবিসিনিয়ায় হিজরত করেছিলেন ৷ সেখান থেকে মক্কায় ফিরে আসার পর মক্কায় আটকা
পড়েন ৷ তারপর খন্দকের যুদ্ধের পর মদীনায় হিজরত করেন ৷ হযরত আবু বকর সিদ্দীক (রা)
তাকে দুত হিসেবে রোমান সম্রাটের নিকট প্রেরণ করেছিলেন ৷ তিনি দক্ষ ঘোড় সওয়ার

ছিলেন ৷ আজনাদায়নের যুদ্ধে তিনি নিহত হন ৷ কারো কারো মতে তিনি নিহত হন ইয়ারযুকের

যুদ্ধে ৷ প্রথম অভিমত সঠিক ৷ আল্লাহ্ই ভাল জানেন ৷

২১ ১৩ হিজরী সনে হযরত আবু বকর সিদ্দীক (রা) ইন্তিকাল করেন ৷ ইতিপুর্বে তা
আলোচিত হয়েছে ৷ তার জীবনী আমরা একটি পৃথক ও পুর্ণাঙ্গ গ্রন্থ বর্ণনা করেছি ৷ সকল
প্রশংসা মহান আল্লাহর ৷


وَيُقَالُ: إِنَّهُ لَا يُعْرَفُ لَهُ ذَنْبٌ بَعْدَمَا أَسْلَمَ. وَكَانَ يُقَبِّلُ الْمُصْحَفَ وَيَبْكِي وَيَقُولُ: كَلَامُ رَبِّي كَلَامُ رَبِّي. احْتَجَّ بِهَذَا الْإِمَامُ أَحْمَدُ عَلَى جَوَازِ تَقْبِيلِ الْمُصْحَفِ وَمَشْرُوعِيَّتِهِ. وَقَالَ الشَّافِعِيُّ: كَانَ عِكْرِمَةُ مَحْمُودَ الْبَلَاءِ فِي الْإِسْلَامِ. قَالَ عُرْوَةُ: قُتِلَ بِأَجْنَادِينَ. وَقَالَ غَيْرُهُ: بِالْيَرْمُوكِ بَعْدَمَا وُجِدَ بِهِ بِضْعٌ وَسَبْعُونَ مَا بَيْنَ ضَرْبَةٍ وَطَعْنَةٍ. رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ. الْفَضْلُ بْنُ الْعَبَّاسِ بْنِ عَبْدِ الْمُطَّلِبِ، قِيلَ: إِنَّهُ تُوُفِّيَ فِي هَذِهِ السَّنَةِ. وَالصَّحِيحُ أَنَّهُ تَأَخَّرَ إِلَى سَنَةِ ثَمَانِيَ عَشْرَةَ. نُعَيْمُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ النَّحَّامُ، أَحَدُ بَنِي عَدِيٍّ، أَسْلَمَ قَدِيمًا قَبْلَ عُمَرَ، وَلَمْ يَتَهَيَّأْ لَهُ هِجْرَةٌ إِلَى مَا بَعْدِ الْحُدَيْبِيَةِ ; وَذَلِكَ لِأَنَّهُ كَانَ فِيهِ بِرٌّ بِأَقَارِبِهِ، فَقَالَتْ لَهُ قُرَيْشٌ: أَقِمْ عِنْدَنَا عَلَى أَيِّ دِينٍ شِئْتَ، فَوَاللَّهِ لَا يَتَعَرَّضُكَ أَحَدٌ إِلَّا ذَهَبَتْ أَنْفُسُنَا دُونَكَ. اسْتُشْهِدَ يَوْمَ أَجْنَادِينَ، وَقِيلَ: يَوْمَ الْيَرْمُوكِ. رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ. هَبَّارُ بْنُ الْأَسْوَدِ بْنِ أَسَدٍ. أَبُو الْأَسْوَدِ الْقُرَشِيُّ الْأَسَدِيُّ، هَذَا الرَّجُلُ كَانَ قَدْ طَعَنَ رَاحِلَةَ زَيْنَبَ بِنْتِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَوْمَ خَرَجَتْ مِنْ مَكَّةَ حَتَّى أَسْقَطَتْ، ثُمَّ أَسْلَمَ بَعْدُ فَحَسُنَ إِسْلَامُهُ، وَقُتِلَ بِأَجْنَادِينَ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ.
পৃষ্ঠা - ৫৪৪০
هَبَّارُ بْنُ سُفْيَانَ بْنِ عَبْدِ الْأَسَدِ الْمَخْزُومِيُّ. ابْنُ أَخِي أَبِي سَلَمَةَ. أَسْلَمَ قَدِيمًا وَهَاجَرَ إِلَى الْحَبَشَةِ، وَاسْتُشْهِدَ يَوْمَ أَجْنَادِينَ عَلَى الصَّحِيحِ، وَقِيلَ: قُتِلَ يَوْمَ مُؤْتَةَ. وَاللَّهُ أَعْلَمُ. هِشَامُ بْنُ الْعَاصِ بْنِ وَائِلٍ السَّهْمِيُّ، أَخُو عَمْرِو بْنِ الْعَاصِ، رَوَى التِّرْمِذِيُّ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «ابْنَا الْعَاصِ مُؤْمِنَانِ» . وَقَدْ أَسْلَمَ هِشَامٌ قَبْلَ عَمْرٍو.، وَهَاجَرَ إِلَى الْحَبَشَةِ، فَلَمَّا رَجَعَ مِنْهَا احْتَبَسَ بِمَكَّةَ، ثُمَّ هَاجَرَ بَعْدَ الْخَنْدَقِ، وَقَدْ أَرْسَلَهُ الصِّدِّيقُ إِلَى مَلِكِ الرُّومِ، وَكَانَ مِنَ الْفُرْسَانِ. وَقُتِلَ بِأَجْنَادِينَ، وَقِيلَ: بِالْيَرْمُوكِ. وَالْأَوَّلُ أَصَحُّ. وَاللَّهُ أَعْلَمُ. أَبُو بَكْرٍ الصِّدِّيقُ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، تَقَدَّمَ، وَلَهُ تَرْجَمَةٌ مُفْرَدَةٌ، وَلِلَّهِ الْحَمْدُ.