سنة ثنتي عشرة من الهجرة النبوية
পৃষ্ঠা - ৫৩৩৮
উপরে উল্লেখ করা হয়েছে, অবশিষ্ট মুহাজিরদের নাম নিম্নে দেওয়া হল : ১ মালিক ইবন
আমর বনু গানামের মিত্র, মুহাজির বদরী; ২ ইয়ড়াযীদ ইবন রুকায়শ ইবন রাবাব আল আসাদী
বদরী ; ৩ হাকাম ইবন সাঈদ ইবনুল আস ইবন উমায়্যা আল উমাবী; : হাসান ইবন মালিক
ইবন বৃহায়না আবদুল্লাহ ইবন মালিক আল আঘৃদী এর ভাই, বনুল মুত্তালিব ইবন আবদি
মানাফের মিত্র ; ৫ আমির ইবনুল বিক্র আল লায়হী, ইবন আদী বদরীর মিত্র; ৬ মালিক
ইবন রাবীআ , বনু আবদি শামস এর মিত্র; ৭ আবু উমায়্যা সাফওয়ান ইবন উমায়্যা ইবন
আমর ; ৮ ইয়াযীদ ইবন আওস, বনু আবদিদ্-দার এর মিত্র ; ৯ হায়টী, ভিন্ন নাম মুআল্লা
ইবন হারিছা ছাকাফী; ১০ হাবীব ইবন উসড়ায়দ ইবন হড়ারিছাহ ছাকাফী; ১ ১ ওলীদ ইবন
আবদি শাম্স আল মাখবুমী; ১২ আবদুল্লাহ ইবন আমর ইবন বুজরা আদাবী ; ১৩ আবু
কায়স ইবনুল হারিছ ইবন কায়স আস-সাহ্মী, হাবশাহ৷ হিজরাতকারী; ১৪ আবদুল্লাহ ইবনুল
হারিছ ইবন কায়স; ১৫ আবদুল্লাহ ইবন মাখরামা ইবন আবাদিল উয্যা ইবন আবু কারন
ইবন আবদে উদৃ ইবন নাসৃর আল আমিরী, প্রথম যুগের মুহাজির, বদরসহ সকল যুদ্ধে
অংশ্চাহণকারী ও ইয়ামামার যুদ্ধে শাহাদাত বরণকারী; ১৬ আমর ইবন আওস ইবন সাদ
ইবন আবু সারা আল আমিরী ; ১ ৭ সুলায়ত ইবন আমর আল আমিরী ; ১৮ রাবীআ ইবন
আবী খারাশা আমিরী ; ১৯ আবদুল্লাহ ইবনুল হারিছ ইবন রাযা আল-আমিরী ৷
ঐ যুদ্ধে আনসায়দের মধ্যকার যারা শহীদ হয়েছিলেন
কিছু সংখ্যক প্রসিদ্ধ আনসারদের নাম বৃত্তান্তসহ পুর্বেই উল্লেক করা হয়েছে ৷ র্তারা ব্যতীত
আরও কতিপয় আনসারের নাম নিম্নে উল্লেখ করা হলো ৷ যথা : ১ উমারা ইবন হায্ম ইবন
যায়দ ইবন লাওযান আন-নাজুরী, তিনি ছিলেন আমর ইবন হাযমের ভাই ৷ মক্কা বিজয়কালে
গোত্রীয় পতাকা তারই হাতে ছিল ৷ বদরের যুদ্ধেও তিনি অংশ্যাহণ করেছিলেন ৷ ইয়ামামার
যুদ্ধে শহীদ হন; ২ উক্বা ইবন আমির ইবন নারী ইবন যায়দ ইবন হারাম আস-সুলামী ৷
তিনি প্রথম দফায় আকাবায় শপথকারীদের অন্যতম ৷ বদর এবং পরবর্তী সকল যুদ্ধে তিনি
অংশগ্রহণ করেন; ৩ ছাৰিত ইবন হাযাল, বনু সালিম ইবন আওফ গোত্রভুক্ত ৷ কারও মতে
তিনি ছিলেন বদরী সাহাবী; : আবু আকীল ইবন আবদিল্লাহ ইবন ছালাবা, ইনি ছিলেন
জাহজাবী গোত্রের লোক ৷ বদর এবং পরবর্তী যুদ্ধসমুহে তিনি শরীক ছিলেন ৷ ইয়ামামার যুদ্ধে
গমন করেন, একটি তীর হঠাৎ এসে তার শরীরে বিদ্ধ হয় ৷ তিনি তা টেনে বের করে পুনরায়
তরবারী নিয়ে যুদ্ধে বাড়াপিয়ে পড়েন এবং শহীদ হয়ে যান ৷ ঐ দিন তিনি দৃশমনদের
তীর-তরবারির আঘাতে আঘাতে জর্জরিত হয়ে মাটিয়ে লুটিয়ে পড়েছিলেন; ৫ আবদুল্লাহ ইবন
আতীক ; ৬ রাফি ইবন সাহ্ল; ৭ হাজির ইবন যায়দ আল আশহালী; ৮ সাহ্ল ইবন আদী;
৯ মালিক ইবন আওস; ১০ আমর ইবন আওস; ১ ১ তালহা ইবন উতবা, বনু জাহজাবী
গোত্রের; ১ ২ রাবাহ, হারিছ এর আযাদকৃত গোলাম; ১৩ মাআন ইবন আদী; ১৪ জ্বয-ইনি
জাহ্জায গোত্রের শাখাগােত্র মালিক ইবন আমির এর অন্তর্ভুক্ত; ১৫ ওয়ারাকা ইবন ইয়াস
ইবন আমর আল খাযরাজী বদরী; ১৬ মারওয়ান ইবন আব্বাস; ১৭ আমির ইবন ছাৰিত;
১৮ বিশর ইবন আবদুল্লাহ আল খায়রাজী; ১৯ কুলায়ব ইবন তামীম; ২০ আবদুল্লাহ ইবন
ইতৃবান; ২১ ইয়াস ইবন ওদীআয; ২২ উসায়দ ইবন য়ারবু; ২৩ সাদ ইবন হারিছা; ২৪
[سَنَةُ ثِنْتَيْ عَشْرَةَ مِنَ الْهِجْرَةِ النَّبَوِيَّةِ]
[مَا وَقَعَ فِيهَا مِنَ الْأَحْدَاثِ]
بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَنِ الرَّحِيمِ سَنَةُ ثِنْتَيْ عَشْرَةَ مِنَ الْهِجْرَةِ النَّبَوِيَّةِ.
اسْتَهَلَّتْ هَذِهِ السَّنَةُ وَجُيُوشُ الصِّدِّيقِ وَأُمَرَاؤُهُ الَّذِينَ بَعَثَهُمْ لِقِتَالِ أَهْلِ الرِّدَّةِ جَوَّالُونَ فِي الْبِلَادِ يَمِينًا وَشِمَالًا ; لِتَمْهِيدِ قَوَاعِدِ الْإِسْلَامِ وَقِتَالِ الطُّغَاةِ مِنَ الْأَنَامِ، حَتَّى رُدَّ شَارِدُ الدِّينِ بَعْدَ ذَهَابِهِ، وَرَجَعَ الْحَقُّ إِلَى نِصَابِهِ، وَتَمَهَّدَتْ جَزِيرَةُ الْعَرَبِ، وَصَارَ الْبَعِيدُ الْأَقْصَى كَالْقَرِيبِ الْأَدْنَى.
وَقَدْ قَالَ جَمَاعَةٌ مِنْ عُلَمَاءِ السِّيَرِ وَالتَّوَارِيخِ: إِنَّ وَقْعَةَ الْيَمَامَةِ كَانَتْ فِي رَبِيعٍ الْأَوَّلِ مِنْ هَذِهِ السَّنَةِ. وَقِيلَ: إِنَّهَا كَانَتْ فِي أَوَاخِرِ الَّتِي قَبْلَهَا. وَالْجَمْعُ بَيْنَ الْقَوْلَيْنِ أَنَّ ابْتِدَاءَهَا كَانَ فِي السَّنَةِ الْمَاضِيَةِ، وَانْتِهَاءَهَا وَقَعَ فِي هَذِهِ السَّنَةِ الْآتِيَةِ، فَعَلَى قَوْلِ الْأَوَّلِينَ يَنْبَغِي أَنْ تُنْقَلُ تَرَاجِمُ مَنْ ذَكَرْنَا أَنَّهُ قُتِلَ فِي الْيَمَامَةِ إِلَى هَذِهِ السَّنَةِ، وَعَلَى الْقَوْلِ الْآخَرِ يَنْبَغِي أَنْ يُذْكَرُوا فِي السَّنَةِ الْمَاضِيَةِ كَمَا ذَكَرْنَاهُ ; لِاحْتِمَالِ أَنَّهُمْ قُتِلُوا فِي الْمَاضِيَةِ، وَمُبَادَرَةً إِلَى اسْتِيفَاءِ تَرَاجِمِهِمْ قَبْلَ أَنْ يُذْكَرُوا مَعَ مَنْ قُتِلَ بِالشَّامِ وَالْعِرَاقِ فِي هَذِهِ السَّنَةِ، عَلَى مَا سَنَذْكُرُ إِنْ شَاءَ اللَّهُ، وَبِهِ الثِّقَةُ وَعَلَيْهِ التُّكْلَانُ.
পৃষ্ঠা - ৫৩৩৯
সড়াহ্ল ইবন হামৃমান; ২৫ মুহাসিন ইবন হুমড়ায়র; ২৬ সালমা ইবন মাসউদ, ভিন্ন মতে
মাসউদ ইবন সিনান; ২৭ দামরা ইবন ইয়ায; ২৮ আবদুল্লাহ ইবন উনায়স; ২৯ আবু হাব্বা
ইবন পাযিয়া আল-মাযিনী; ৩০ খাবৃবাব ইবন যায়দ; ৩ ১ হাবীব ইবন আমর ইবন মিহসান;
৩২ ছাবিত ইবন খালিদ; ৩৩ ফারওয়৷ ইবন নুমান; ৩৪ আ-ইয ইবন মইিস; ৩৫ ইয়াযীদ
ইবন ছাবিত ইবন যাহ্হড়াক, যায়দ ইবন ছাবিতের ভাই ৷ খলীফা ইবন হান্নাত বলেছেন,
ইয়ামামার যুদ্ধে আনসড়ার ও মুহাজির মিলে মোট আটান্ন জন শাহাদত বরণ করেন ৷ অবপ্টি
চারশ’ পঞ্চাশজন অন্যান্য মুসলমান শহীদ হন ৷ পক্ষান্তরে, এই ইয়ামামার যুদ্ধে এবং এর
সুচানায় যে সকল স্থানে মুসলমান ও কাফিরদের সং ঘর্ষ হয় তাতে কাফির ও মুশরিকদের
সর্বমোট পঞ্চাশ হাজার লোক নিহত হয় ৷ এদের মধ্যে সর্বাধিক প্রসিদ্ধ ছিল দুজন ভণ্ড নবী ৷
এরা হচ্ছে আসওদ আনাসী ও মুসায়লামা ইবন হাবীব ৷
আসওদ আনাসী এর প্রকৃত নাম ছিল আবহাল৷ ইবন কাব ইবন গাওছ ৷ সে প্রথমে
সাতশ’ সৈন্য নিয়ে ইয়ামানের কাহাফ খাবান থেকে আত্মপ্রকাশ করে ৷ এক মাসের মধ্যে যে
গোটা ইয়ামান দখল করে নেয় ৷ তার সাথে একটি শয়তান থাকতো এবং সে তাকে কুমন্ত্রণা
দিয়ে যেতাে ৷ কিন্তু অধিক প্রয়োজনের মুহুর্তে সে তার সাথে বিশ্বাস ঘাতকতা করে তিন বা
চার মাস অতিবাহিত না হতে তই কতিপয় সত্যপন্থী নেতার হাতে সে নিহত হয় ৷ তারা হলেনং
১ দাজওয়ে আল-ফা ৷রিসী, ২ ফীরুয আদ-দায়লামী ও ৩ কায়স ইবন মাকশুহ্ আল-মুরাদী ৷
রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর ইনতিকালের কয়েক দিন আগে মতাম্ভার এক দিন পুর্বে এগার হিজরীর
রবীউল আওয়ালে সে নিহত হয় ৷ আল্লাহ তার রাসুলকে এ হত্যাকাণ্ড সম্পর্কে যে রাত্রেই
অবহিত করেছিলেন, যা পুর্বেই আলোচনা করা হয়েছে ৷
মুসায়লামা ইবন হাবীব আল ইয়ামামী আল কাযযাব
মুসায়লামা একবার তার গোত্র বনু হানীফার কতিপয় সােকসহ একটি প্রতিনিধি দলের
নেতৃত্ব দিয়ে মদীনায় রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর দরবারে আগমন করে ৷ রাসুলুল্লাহ্ (না) তার
আগমন সম্পর্কে অবগত হন ৷ তিনি শুনতে পান যে, মুসায়লাম৷ বলেছে, মুহাম্মদ যদি আমাকে
তার স্থলাভিষিক্ত করেন, নতবে আমি তার আনুগত্য করবং : গ্লু,প্রু fl ১৷ ৷া; ,৷ ,াশু , ৷
৷া তখন রাসুলুল্লাহ্ (সা) বলেছিলেন, তুমি যদি আমার হাতের এই শুকনা
খেজুরের শুকনো ডালটিও চাও, তাও আমি তোমাকে দেবাে নাং া,৷ ৷ ৷াধ্১ ,এ;,পু
ব্&াৰু ৷ ৷প্ ষ্দ্বু গ্লু,, ,ন্পু, যদি তুমি মুখ ফিরিয়ে চলে যাও তবে-আল্লাহ্ তোমাকে
ংস করে দেবেন ৷ আমি যে একটি স্বপ্ন দেখেছিলাম, তোমার মধ্যে৩ তার প্রতিফলন দেখতে
পাচ্ছি ৷ ইতিপুর্বে রাসুলুল্লাহ্ (সা) স্বপ্ন দেখেছিলেন যে, তার হস্তদ্বয়ে দুটি স্বর্ণের বালা শোভা
পাচ্ছে ৷ স্বপ্নের মধ্যেই আল্লাহ্ তাকে আদেশ করলেন বালায় উপর কুক দিতে ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা)
কুক দিলেন ৷ সাথে সাথেই বালা দু ’টো উবে গেল ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর ব্যাখ্যা করলেন যে,
দু’ জন মিথুব্রক নবীর আবির্ভাব য়টবে ৷৩ তাদের একজ্যা হল সানআর অধিবাসী (আসওদ) আর
একজন ইয়ামামার অধিবাসী (মুসায়লামা) ৷ বাস্তবে তাই হল, কেননা, তারাও নিশ্চিহ্ন হয়ে
যায় এবং তাদের কতৃতৃও উবে যায় ৷ আসওদকে তার ঘরেই জবাই করে হত্যা করা হয় ৷ আর
মুসায়লামাকে ওয়াহশী বর্শা দ্বারা আঘাত ৩করে আহত করেন, যেমনটি আহত করা হয় উটকে
— ৬ ৫
وَقَدْ قِيلَ: إِنَّ وَقْعَةَ جُوَاثَى وَعُمَانَ وَمَهْرَةَ، وَمَا كَانَ مِنَ الْوَقَائِعِ الَّتِي أَشَرْنَا إِلَيْهَا إِنَّمَا كَانَتْ فِي سَنَةِ ثِنْتَيْ عَشْرَةَ.
وَفِيهَا كَانَ قَتْلُ الْمُلُوكِ الْأَرْبَعَةِ ; جَمْدٌ، وَمِخْوَسٌ، وَأَبْضَعَةُ، وَمِشْرَحٌ، وَأُخْتُهُمْ الْعَمَرَّدَةُ، الَّذِينَ وَرَدَ الْحَدِيثُ فِي " مُسْنَدِ أَحْمَدَ " بِلَعْنِهِمْ، وَكَانَ الَّذِي قَتَلَهُمْ زِيَادُ بْنُ لَبِيدٍ الْأَنْصَارِيُّ.
[جُيُوشُ الصِّدِّيقِ وَأُمَرَاؤُهُ الَّذِينَ بَعَثَهُمْ لِقِتَالِ أَهْلِ الرِّدَّةِ]
[بَعْثُ خَالِدِ بْنِ الْوَلِيدِ إِلَى الْعِرَاقِ]
لَمَّا فَرَغَ خَالِدُ بْنُ الْوَلِيدِ مِنَ الْيَمَامَةِ، بَعَثَ إِلَيْهِ الصِّدِّيقُ أَنْ يَسِيرَ إِلَى الْعِرَاقِ، وَأَنْ يَبْدَأَ بِفَرْجِ الْهِنْدِ، وَهِيَ الْأُبُلَّةُ، وَيَأْتِي الْعِرَاقَ مِنْ أَعَالِيهَا، وَأَنْ يَتَأَلَّفَ النَّاسَ وَيَدْعُوَهُمْ إِلَى اللَّهِ، عَزَّ وَجَلَّ، فَإِنْ أَجَابُوا وَإِلَّا أَخَذَ مِنْهُمُ الْجِزْيَةَ، فَإِنِ امْتَنَعُوا مِنْ ذَلِكَ كُلِّهِ قَاتَلَهُمْ فِي اللَّهِ، وَأَمَرَهُ أَنْ لَا يُكْرِهَ أَحَدًا عَلَى الْمَسِيرِ مَعَهُ، وَلَا يَسْتَعِينَ بِمَنِ ارْتَدَّ عَنِ الْإِسْلَامِ، وَإِنْ كَانَ قَدْ عَادَ إِلَيْهِ، وَأَمَرَهُ أَنْ يَسْتَصْحِبَ كُلَّ امْرِئٍ مَرَّ بِهِ مِنَ الْمُسْلِمِينَ، وَشَرَعَ أَبُو بَكْرٍ فِي تَجْهِيزِ السَّرَايَا وَالْبُعُوثِ وَالْجُيُوشِ إِمْدَادًا لِخَالِدٍ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ.
قَالَ الْوَاقِدِيُّ: اخْتُلِفَ فِي خَالِدٍ، فَقَائِلٌ يَقُولُ: مَضَى مِنْ وَجْهِهِ ذَلِكَ مِنَ
পৃষ্ঠা - ৫৩৪০
এবং আবু দুজানা তরবারি দ্বারা তার মাথা দ্বিখণ্ডিত করে দেন ৷ আর এ হত্যাকাণ্ড ঘভৈট তার
নিজের ঘরেই, যে ঘর ছিল সেই বাগিচার মধ্যে যাকে মৃত্যুর ৰাগিচা (শুটুঠুএ ৷ ’বছু গ্পু) বলে
আখ্যায়িত করা হতো ৷ নিহত মুজাআ ইবন মুরারা খালিদ ইবন ওলীদকে দেখিয়ে দিয়ে
বলেছিলেন, এই হল সেই মৃসায়লামার লাশ ৷ তার মরদেহ দেখতে খয়রি রং কিংবা গেরুয়া রং
এর উটের ন্যায় দেখাচ্ছিল ৷ কথিত আছে যে, মৃত্যুকালে মুসায়লামার বয়স ছিল একশ’ চল্লিশ
বছর ৷ মুসায়লামাকে হত্যা করার পুর্বে তার দুই উযীর ও উপদেষ্টাকেও হত্যা করা হয় ৷ তাদের
একজন হল মিহকাম ইবন তৃফায়ল, যার উপাধি ছিল মিহ্কামুল ইয়ামামা ৷ সে যখন তার
দলবলকে হাতিয়ার প্রস্তুত করার নির্দেশ দিচ্ছিল তখন আবদুর রহমান ইবন আবী বকর তীরের
আঘাতে তাকে হত্যা করেন ৷ অপরজন হল নাহার ইবন উনফুওয়াহ্, যাকে ডাকা হত রাজাল
ইবন উনফুওয়াহ্ নামে ৷ সে প্রথমে ইসলাম গ্রহণ করে, কিন্তু পরে মুরতাদ হয়ে মুসায়লামাকে
সত্য নবী বলে সাক্ষ্য দেয় ৷ হযরত যায়দ ইবন খাত্তাব রাজালকে হত্যা করে পরে নিজেও
শাহাদাতের পেয়ালা পান করেন ৷ বুখারী ও অন্যান্য হাদীস গ্রন্থে বর্ণিত হয়েছে যে, মুসায়লামা
রাসুলুল্লাহ (না)-এর নিকট এক পত্র লিখেছিল ৷ পত্রের পাঠ ছিল নিম্নরুপ :
”fl ৷ ন্নে৷ ,
কোন কোন বর্ণনায় আছে
;,ড়ুা: ণ্,: , অর্থাৎ : এই চিঠি আল্লাহর রাসুল (?) মুসায়লামার পক্ষ থেকে আল্লাহর
রাসুল মুহাম্মাদের নিকট ৷ আপনার উপর শান্তি বর্ষিত হোক ৷ পর সমাচার এই যে, নুবুওয়াতী
বিষয়ে আমাকে আপনার শরীক করা হয়েছে ৷ সুতরাং; শহর এলাকায় আপনি নবী, আর
গ্রামাঞ্চলে আমি নবী ৷ কিংবা জ্যি বর্ণনামতে দেশের অর্ধেক আপনার অধীনে, বাকি অর্ধেক
থাকবে আমার নিয়ন্ত্রণে ৷ কিন্তু কুরায়শ জাতিটি বড়ই সীমালংঘনকারী জাতি ৷ এর উত্তরে
রাসুলুল্লাহ (সা) লিখেন ং
অর্থাৎ আল্লাহর নামে, যিনি পরম দয়াময় ও করুণাময় ৷ আল্লাহর রাসুল মুহাম্মদের পক্ষ
থেকে মিথুকে মুসায়লামার নিকট ৷ শাস্তি বর্ধিত হোক ঐ ব্যক্তির উপরে, যে হিদায়াতের পথ
অবলম্বন করে ৷ পর সংবাদ এই যে, রাজ্যের প্রকৃত মালিক আল্লাহ ৷ নিজ বান্দাদের মধ্য থেকে
যাকে চান, তাকেই এর ক্ষমতা প্রদান করেন ৷ তবে পরকালের শুভ ফল কেবল মুত্তাকীদের
জন্যেই নির্ধারিত ৷
পুর্বে আমরা মুসায়লামার সেই সব জঘন্য ও হাস্যকর উক্তিহামুহ উল্লেখ করেছি,
যেগুলােকে সে আল্লাহ প্রদত্ত ও হী বলে দাবি করত ৷ আল্লাহ এ সব থেকে পবিত্র ৷ রাসুলুল্লাহ্
(সা) এর ইনতিকালের পর মুসায়লামা দেখল, এইতো সুযোগ, সে নিজেকে একচ্ছত্র নবী বলে
الْيَمَامَةِ إِلَى الْعِرَاقِ. وَقَائِلٌ يَقُولُ: رَجَعَ مِنَ الْيَمَامَةِ إِلَى الْمَدِينَةِ، ثُمَّ سَارَ إِلَى الْعِرَاقِ مِنَ الْمَدِينَةِ، فَمَرَّ عَلَى طَرِيقِ الْكُوفَةِ حَتَّى انْتَهَى إِلَى الْحِيرَةِ. قُلْتُ: وَالْمَشْهُورُ الْأَوَّلُ.
وَقَدْ ذَكَرَ الْمَدَائِنِيُّ بِإِسْنَادِهِ أَنَّ خَالِدًا تَوَجَّهَ إِلَى الْعِرَاقِ فِي الْمُحَرَّمِ سَنَةَ اثْنَتَيْ عَشْرَةَ، فَجَعَلَ طَرِيقَهُ الْبَصْرَةَ وَفِيهَا قُطْبَةُ بْنُ قَتَادَةَ، وَعَلَى الْكُوفَةِ الْمُثَنَّى بْنُ حَارِثَةَ الشَّيْبَانِيُّ.
وَقَالَ مُحَمَّدُ بْنُ إِسْحَاقَ عَنْ صَالِحِ بْنِ كَيْسَانَ: إِنَّ أَبَا بَكْرٍ كَتَبَ إِلَى خَالِدٍ أَنْ يَسِيرَ إِلَى الْعِرَاقِ، فَمَضَى خَالِدٌ يُرِيدُ الْعِرَاقَ حَتَّى نَزَلَ بِقُرَيَّاتٍ مِنَ السَّوَادِ يُقَالُ لَهَا: بَانِقْيَا، وَبَارُوسْمَا، وَأُلَّيْسٌ وَصَاحِبُهَا جَابَانُ، فَصَالَحَهُ أَهْلُهَا.
قُلْتُ: وَقَدْ قَتَلَ مِنْهُمُ الْمُسْلِمُونَ قَبْلَ الصُّلْحِ خَلْقًا كَثِيرًا، وَكَانَ الصُّلْحُ عَلَى أَلْفِ دِرْهَمٍ، وَقِيلَ: دِينَارٍ. فِي رَجَبٍ، وَكَانَ الَّذِي صَالَحَهُ بُصْبُهْرَى بْنُ صَلُوبَا، وَيُقَالُ: صَلُوبَا بْنُ بُصْبُهْرَى. فَقَبِلَ مِنْهُمْ خَالِدٌ، وَكَتَبَ
পৃষ্ঠা - ৫৩৪১
لَهُمْ كِتَابًا، ثُمَّ أَقْبَلَ حَتَّى نَزَلَ الْحِيرَةَ، فَخَرَجَ إِلَيْهِ أَشْرَافُهَا مَعَ قَبِيصَةَ بْنِ إِيَاسِ بْنِ حَيَّةَ الطَّائِيِّ، وَكَانَ أَمَّرَهُ عَلَيْهَا كِسْرَى بَعْدَ النُّعْمَانِ بْنِ الْمُنْذِرِ، فَقَالَ لَهُمْ خَالِدٌ: أَدْعُوكُمْ إِلَى اللَّهِ وَإِلَى الْإِسْلَامِ، فَإِنْ أَجَبْتُمْ إِلَيْهِ فَأَنْتُمْ مِنَ الْمُسْلِمِينَ، لَكُمْ مَا لَهُمْ وَعَلَيْكُمْ مَا عَلَيْهِمْ، فَإِنْ أَبَيْتُمْ فَالْجِزْيَةُ، فَإِنْ أَبَيْتُمُ الْجِزْيَةَ فَقَدْ أَتَيْتُكُمْ بِأَقْوَامٍ هُمْ أَحْرَصُ عَلَى الْمَوْتِ مِنْكُمْ عَلَى الْحَيَاةِ ; جَاهَدْنَاكُمْ حَتَّى يَحْكُمَ اللَّهُ بَيْنَنَا وَبَيْنَكُمْ. فَقَالَ لَهُ قَبِيصَةُ: مَا لَنَا بِحَرْبِكَ مِنْ حَاجَةٍ، بَلْ نُقِيمُ عَلَى دِينِنَا وَنُعْطِيكُمُ الْجِزْيَةَ. فَقَالَ لَهُمْ خَالِدٌ: تَبًّا لَكُمْ! إِنَّ الْكُفْرَ فَلَاةٌ مُضِلَّةٌ، فَأَحْمَقُ الْعَرَبِ مَنْ سَلَكَهَا، فَلَقِيَهُ مِنْهُمْ رَجُلَانِ ; أَحَدُهُمَا عَرَبِيٌّ وَالْآخَرُ أَعْجَمِيٌّ، فَتَرَكَهُ وَاسْتَدَلَّ بِالْعَجَمِيِّ. ثُمَّ صَالَحَهُمْ عَلَى تِسْعِينَ أَلْفًا. وَفِي رِوَايَةٍ: مِائَتَيْ أَلْفِ دِرْهَمٍ. فَكَانَتْ أَوَّلَ جِزْيَةٍ أُخِذَتْ مِنَ الْعِرَاقِ وَحُمِلَتْ إِلَى الْمَدِينَةِ هِيَ وَالْقُرَيَّاتُ قَبْلَهَا الَّتِي صَالَحَ عَلَيْهَا ابْنُ صَلُوبَا.
قُلْتُ: وَقَدْ كَانَ مَعَ نَائِبِ كِسْرَى عَلَى الْحِيرَةِ مِمَّنْ وَفَدَ إِلَى خَالِدٍ عَبْدُ الْمَسِيحِ بْنُ عَمْرِو بْنِ حَيَّانَ بْنِ بُقَيْلَةَ، وَكَانَ مِنْ نَصَارَى الْعَرَبِ، فَقَالَ لَهُ خَالِدٌ: مِنْ أَيْنَ أَثَرُكَ؟ قَالَ: مِنْ ظَهْرِ أَبِي. قَالَ: وَمِنْ أَيْنَ خَرَجْتَ؟ قَالَ: مِنْ بَطْنِ أُمِّي. قَالَ: وَيَحَكَ! عَلَى أَيِّ شَيْءٍ أَنْتَ؟ قَالَ: عَلَى الْأَرْضِ. قَالَ: وَيْلَكَ! وَفِي أَيِّ شَيْءٍ أَنْتَ؟ قَالَ: فِي ثِيَابِي. قَالَ: وَيَحَكَ! تَعْقِلُ؟ ! قَالَ: نَعَمْ
পৃষ্ঠা - ৫৩৪২
আখ্যায়িত করল ৷ তার সম্প্রদায়ের লোকজন ছিল মুর্থ, তাই সহজেই তারা মুসায়লামার
আনুগত্য কবুল করল মুসায়লামা বলত ং
অর্থ : হে নারী ! ঢোল হাতে নাও আর খেলা কর এবং এই নবীর গুনাগুণ বর্ণনা কর ৷ বনু
হাশিমেৱ নবী বিদায় নিয়েছে এবং বনুইয়ারাবের নবী আত্মপ্রকাশ করেছে ৷
কিন্তু বেশি দিন অতীত হলনা ৷ রাসুলের ইনতিকালের অল্পদিন পরেই আল্লাহ্ তার এক
তরবারি পাঠিয়ে দিলেন এবং যমদুত নিযুক্ত করলেন, যে তার পেট কেড়ে দিল ৷ মস্তক দ্বিখণ্ডিত
করল এবং অতি তাড়াতাড়ি আল্লাহ্ সে অতিশপ্ত আত্মাকে অগ্নিকুণ্ডে নিক্ষেপ করলেন ৷ আল্লাহ্র
, ণ্
৷ ,
গ্লু,,াপ্রুছুক্ট্র
অর্থাৎ ও ঐ ব্যক্তির চেয়ে বড় যালিম আর রেংহহ্বব, যে আল্লাহর উপর মিথ্যা আরোপ করে,
কিংবা বলে যে, আমার নিকট ওহী পাঠান হয়েছে; অথচ তার নিকট কিছুই পাঠান হয়নি ৷ আর
যে ব্যক্তি বলে, আমি এমন বাণী নাযিল করব, যেমন বাণী আল্লাহ্ নাযিল করেন ৷ আপনি যদি
জানেন, ঐ সব যালিমরা যখন মৃত্যু যস্ত্রণায় ছটযল্ট করতে থাকে এবং ফেরেশতাগণ হাত
বাড়িয়ে দিয়ে বলতে থ্যাক-নিজেদেব রুহকে নিজেরাই বের করে দাও ৷ আজ তােমাভৈদরকে
অবমাননাকর শাস্তি দেওয়া হবে ৷ কারণ, তোমরা আল্পাহ্র উপরে অসত্য আরোপ করেছিলে
এবং তার আয়াতসমুহ থেকে নাস্তিকতা দেখিয়ে ফিরে গিয়েছিলে (৬ আনআম : ৯৩) ৷
মুসায়লামা, আসওদ ও তার অনুসারীরা উপরোক্ত শাস্তির উপযুক্ত কেন্দ্র ৷
হিজরী দ্বাদশ বছর
এমন এক পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে দ্বাদশ বছরের সুচনা হল যখন খলীফা হযরত আবু বকর
(রা)-এর প্রেরিত সৈন্য বাহিনী মুরতাদদের দমন করার উদ্দেশ্যে দেশের এক প্রান্ত থেকে আর
এক প্রান্ত পর্যন্ত চষে বেড়াচ্ছিল ৷ যাবতীয় বিদ্রোহী শক্তিকে নির্মুল করে দিয়ে ইসলামের
ভিত্তিসমুহকে সুদৃঢ় করার কাজে এ বাহিনী নিরলস প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছিল ৷ ফলে দীনের হৃত
গৌরব ফিরে এল এবং সত্য পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হল ৷ জাযীরাতৃল আরবের দুরের ও কাছের এলাকা
পুর্ণ নিয়ন্ত্রণে এসে গেল ৷ একদল ঐতিহাসিক ও সীরাত বিশারদের মতে ইয়ামামার ঘটনা এ
বছরের রবীউল আওয়ালে সংঘটিত হয়েছে ৷ কিত্তু অন্য এক দলের মতে, পুর্ববর্তী বছরের
শেষের দিকে এটা সংঘটিত হয় ৷ উভয় মতের সমন্বয় এভাবে হতে পারে যে, আগের বছরের
শেষের দিকে যুদ্ধ আরম্ভ হয় এবং এ বছরের প্রথম দিকে শেষ হয় ৷ এই কারণে আমরা
وَأُقَيِّدُ. قَالَ: إِنَّمَا أَسْأَلُكَ. قَالَ: وَأَنَا أُجِيبُكَ. قَالَ: أَسِلْمٌ أَنْتَ أَمْ حَرْبٌ؟ قَالَ: بَلْ سِلْمٌ. قَالَ: فَمَا هَذِهِ الْحُصُونُ الَّتِي أَرَى؟ قَالَ: بَنَيْنَاهَا لِلسَّفِيهِ نَحْبِسُهُ حَتَّى يَجِيءَ الْحَلِيمُ فَيَنْهَاهُ. ثُمَّ دَعَاهُمْ إِلَى الْإِسْلَامِ أَوِ الْجِزْيَةِ أَوِ الْقِتَالِ، فَأَجَابُوا إِلَى الْجِزْيَةِ بِتِسْعِينَ أَوْ مِائَتَيْ أَلْفٍ، كَمَا تَقَدَّمَ.
ثُمَّ بَعَثَ خَالِدُ بْنُ الْوَلِيدِ كِتَابًا إِلَى أُمَرَاءِ كِسْرَى بِالْمَدَائِنِ وَمَرَازِبَتِهِ وَوُزَرَائِهِ، كَمَا قَالَ هِشَامُ بْنُ الْكَلْبِيِّ عَنْ أَبِي مِخْنَفٍ، عَنْ مَجَالِدٍ، عَنِ الشَّعْبِيِّ قَالَ: أَقْرَأَنِي بَنُو بُقَيْلَةَ كِتَابَ خَالِدِ بْنِ الْوَلِيدِ إِلَى أَهْلِ الْمَدَائِنِ: مِنْ خَالِدِ بْنِ الْوَلِيدِ إِلَى مَرَازِبَةِ أَهْلِ فَارِسَ، سَلَامٌ عَلَى مَنِ اتَّبَعَ الْهُدَى، أَمَّا بَعْدُ، فَالْحَمْدُ لِلَّهِ الَّذِي فَضَّ خَدَمَتَكُمْ وَسَلَبَ مُلْكَكُمْ، وَوَهَّنَ كَيْدَكُمْ، وَإِنَّهُ مَنْ صَلَّى صَلَاتَنَا وَاسْتَقْبَلَ قِبْلَتَنَا وَأَكَلَ ذَبِيحَتَنَا فَذَلِكَ الْمُسْلِمُ الَّذِي لَهُ مَا لَنَا وَعَلَيْهِ مَا عَلَيْنَا، أَمَّا بَعْدُ، فَإِذَا جَاءَكُمْ كِتَابِي فَابْعَثُوا إِلَيَّ بِالرُّهُنِ، وَاعْتَقِدُوا مِنِّي الذِّمَّةَ، وَإِلَّا فَوَالَّذِي لَا إِلَهَ غَيْرُهُ لَأَبْعَثَنَّ إِلَيْكُمْ قَوْمًا يُحِبُّونَ الْمَوْتَ كَمَا تُحِبُّونَ أَنْتُمُ الْحَيَاةَ. فَلَمَّا قَرَأُوا الْكِتَابَ أَخَذُوا يَتَعَجَّبُونَ.
وَقَالَ سَيْفُ بْنُ عُمَرَ عَنْ طَلْحَةَ الْأَعْلَمِ، عَنِ الْمُغِيرَةِ بْنِ عُتَيْبَةَ، وَكَانَ قَاضِي أَهْلِ الْكُوفَةِ، قَالَ: فَرَّقَ خَالِدٌ مَخْرَجَهُ مِنَ الْيَمَامَةِ إِلَى الْعِرَاقِ، جُنْدَهُ ثَلَاثَ فِرَقٍ، وَلَمْ يَحْمِلْهُمْ عَلَى طَرِيقٍ وَاحِدَةٍ، فَسَرَّحَ الْمُثَنَّى قَبْلَهُ بِيَوْمَيْنِ وَدَلِيلُهُ ظَفَرٌ،
পৃষ্ঠা - ৫৩৪৩
নিহত দের এক দলের উল্লেখ ১১ হিজরীতে করেছি ৷ কেননা, হতে পারে তারা ঐ বছরে নিতহ
হয়েছেন ৷ বৃহত্তর সিরিয়া এবং ইরাকে যারা নিহত হয়েছেন তাদের উল্লেখ জীবনীসহ আমরা এ
বছরের আলোচনায় উল্লেখ করব ইনশা আল্লাহ ৷ কোন কোন গ্রন্থকার লিখেছেন যে, জুওয়াছা ,
ওমান, মাহ্রাসহ বিভিন্ন অঞ্চলে সংঘটিত সেই সকল ঘটনা, যার প্রতি আমরা ইতিপুর্বে ইঙ্গিত
দিয়ে এসেছি, এগুলো দ্বাদশ হিজরীতে সংঘটিত হয়েছিল ৷ তাছাড়া চারজন বাদশাহ হামুদ,
মাহ্রাস, আবদাআ ও মুশাররাহ্ এ বছরেই নিহত হয় ৷ যিয়াদ ইবন লবীদ আনসারী তাদেরকে
হত্যা করেন ৷ মুসনাদে আহমদে এ বিষয়ে হাদীস বর্ণিত হয়েছে ৷
খালিদ ইবন ওলীদের ইরাক অভিযান
ইয়ামামার যুদ্ধের পর খলীফা আবু বকর সিদ্দীক (রা) খালিদ ইবন ওলীদকে ইরাক
অভিমুখে প্রেরণ করেন ৷ তিনি তাকে ফারজুল হিন্দ অর্থাৎ উবুল্লা দেয় যাত্রা শুরুর আদেশ দেন
এবং তাকে সেখান থেকে ইরাকে উচু এলাকা দিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দেন ৷ খলীফা আরো
নির্দেশ দেন যে, জনসাধারণের সাথে কোমল ব্যবহার করতে হবে এবং তাদেরকে আল্লাহর
আনুগত্যের দিকে আহবান জানাতে হবে ৷ যদি তারা তা মেনে নেয় তাহলে তো ভাল, আর যদি
না মানে, তাহলে জিযিয়া কর দিতে বলবে ৷ কিন্তু যদি জিযিয়া দিতে অস্বীকার করে তবে
তাদের বিরুদ্ধে লড়াই করবেন ৷ তিনি আরও নির্দেশ দেন যে, এই অভিযানে সাথে যাওয়ার
জন্যে কাউকে যেন তিনি বাধ্য না করেন, আর যে একবার মুরতাদ হয়েছে তাকে যেন না নেন,
যদিও সে পুনরায় ইসলামে ফিরে এসে থাকে ৷ খলীফা বলে দেন যে, স্বেচ্ছায় যে কোন
মুসলমান যেতে চাইলে তাকে যেন সাথে নেয়া হয় ৷ এরপর খলীফা খালিদের সাহায্যার্থে সৈন্য
ৎগ্রহে আত্মনিয়োগ করেন ৷ ওয়াকিদী বলেন, খালিদের এই অভিযানে গমন প্রসঙ্গে
ঐতিহাসিকদের বর্ণনায় পার্থক্য আছে; কেউ বলেছেন, তিনি ইয়ামামা থেকেই ইরাকে চলে
যান; আবার কেউ বলেছেন, তিনি ইয়ামামা থেকে মদীনায় প্রত্যাবর্তন করেন, পরে মদীনা
থেকে ইরাকে যান ৷ যাওয়ার পথে তিনি কুফ৷ হয়ে হীরায় পৌছেন ৷ আমার মতে, প্রথম
মতটইি প্রসিদ্ধ ৷
মাদাইনী সনদ উল্লেখ করে বলেন, দ্বাদশ হিজরীর মুহাররম মাসে খালিদ ইরাক অভিমুখে
রওয়ানা হন এবং বসরার পথ ধরে সম্মুখে অগ্রসর হন ৷ তখন বসরার শাসনকর্তা ছিলেন কুতবা
ইবন কাতাদা, আর কুফার শাসক ছিলেন মুছান্ন৷ ইবন হারিছা আশ-শায়বানী ৷ মুহাম্মদ ইবন
ইসহাক সালিহ ইবন কায়সানের উদ্ধৃতি দিয়ে বলেন,খলীফ৷ আবু বকর খালিদকে ইরাকে
যাওয়ার জন্যে লিখিত নির্দেশ পাঠান ৷ নির্দেশ পেয়ে খালিদ ইরাক অভিমুখে যাত্রা করেন ৷ পথে
তিনি সাওয়াদ অঞ্চলের বান্নিকিয়া ও বারুসামা অবতরণ করেন ৷ হাবান ছিল ঐ এলাকার
শাসক ৷ সেখানকার অধিবাসীরা খালিদের সাথে সন্ধিচুক্তি সম্পাদন করে ৷ তবে সন্ধি চুক্তি
হওয়ার পুর্বে মুসলমানরা বিপুল সংখ্যক লোককে হত্যা করেন ৷ রজব মাসে সম্পাদিত এই চুক্তি
হয়েছিল এক হাজার দিরহা ম, ভিন্নমতে এক হাজার দীন৷ ৷র প্রদানের স্বার্থে ৷ চুক্তিনামায় স্বাক্ষর
করে তাদের পক্ষ থেকে বুসবুহ্রী ইবন সালুবা ৷ কেউ কেউত ৷র নাম লিখেছেন সালুবা ইবন
বুসবুহ্রী ৷ খালিদ তাদের সন্ধি প্রস্তাব গ্রহণ করেন ও লিখিত ভাবে দিয়ে দেন ৷ অতঃপর সম্মুখে
অগ্রসর হয়ে খালিদ হীরায় অবতরণ করেন ৷ হীরায় শাসনকতা কুবায়সা ইবন ইয়াস ইবন হায়্যা
وَسَرَّحَ عَدِيَّ بْنَ حَاتِمٍ وَعَاصِمَ بْنَ عَمْرٍو وَدَلِيلَاهُمَا مَالِكُ بْنُ عَبَّادٍ وَسَالِمُ بْنُ نَصْرٍ، أَحَدُهُمَا قَبْلَ صَاحِبِهِ بِيَوْمٍ، وَخَرَجَ خَالِدٌ - يَعْنِي فِي آخِرِهِمْ - وَدَلِيلُهُ رَافِعٌ، فَوَاعَدَهُمْ جَمِيعًا الْحَفِيرَ لِيَجْتَمِعُوا بِهِ، وَيُصَادِمُوا عَدُوَّهُمْ، وَكَانَ فَرْجُ الْهِنْدِ أَعْظَمَ فُرُوجِ فَارِسَ شَأْنًا وَأَشَدَّهَا شَوْكَةً، وَكَانَ صَاحِبُهُ يُحَارِبُ الْعَرَبَ فِي الْبَرِّ، وَالْهِنْدَ فِي الْبَحْرِ، وَهُوَ هُرْمُزُ، فَكَتَبَ إِلَيْهِ خَالِدٌ، فَبَعَثَ هُرْمُزُ بِكِتَابِ خَالِدٍ إِلَى شِيرَى بْنِ كِسْرَى، وَأَرْدَشِيرَ بْنِ شِيرَى، وَجَمَعَ هُرْمُزُ وَهُوَ نَائِبُ كِسْرَى، جُمُوعًا كَثِيرَةً، وَسَارَ بِهِمْ إِلَى كَاظِمَةَ، وَعَلَى مُجَنِّبَتَيْهِ قُبَاذُ وَأَنُوشَجَانُ - وَهُمَا مِنْ بَيْتِ الْمَلِكِ - وَقَدْ تَقَرَّنَ الْجَيْشُ فِي السَّلَاسِلِ ; لِئَلَّا يَفِرُّوا، وَكَانَ هُرْمُزُ هَذَا مِنْ أَخْبَثِ النَّاسِ طَوِيَّةً وَأَشَدِّهِمْ كُفْرًا، وَكَانَ شَرِيفًا فِي الْفُرْسِ، وَكَانَ الرَّجُلُ كُلَّمَا ازْدَادَ شَرَفًا زَادَ فِي حِلْيَتِهِ، فَكَانَتْ قَلَنْسُوَةُ هُرْمُزَ بِمِائَةِ أَلْفٍ، وَقَدِمَ خَالِدٌ وَمَنْ مَعَهُ مِنَ الْجَيْشِ، وَهُمْ ثَمَانِيَةَ عَشَرَ أَلْفًا فَنَزَلَ تُجَاهَهُمْ عَلَى غَيْرِ مَاءٍ، فَشَكَى إِلَيْهِ أَصْحَابُهُ ذَلِكَ، فَقَالَ: جَالِدُوهُمْ حَتَّى تُجْلُوهُمْ عَنِ الْمَاءِ، فَإِنَّ اللَّهَ جَاعِلُ الْمَاءِ لِأَصْبَرِ الطَّائِفَتَيْنِ. فَلَمَّا اسْتَقَرَّ بِالْمُسْلِمِينَ الْمَنْزِلُ وَهُمْ رُكْبَانٌ عَلَى خُيُولِهِمْ، بَعَثَ اللَّهُ سَحَابَةً فَأَمْطَرَتْهُمْ حَتَّى صَارَ لَهُمْ غُدْرَانٌ مِنْ مَاءٍ، فَقَوِيَ الْمُسْلِمُونَ بِذَلِكَ، وَفَرِحُوا فَرَحًا شَدِيدًا، فَلَمَّا تَوَاجَهَ الصَّفَّانِ وَتَقَابَلَ الْفَرِيقَانِ،
পৃষ্ঠা - ৫৩৪৪
تَرَجَّلَ هُرْمُزُ وَدَعَا إِلَى الْبِرَازِ، فَتَرَجَّلَ خَالِدٌ وَتَقَدَّمَ إِلَى هُرْمُزَ، فَاخْتَلَفَا ضَرْبَتَيْنِ وَاحْتَضَنَهُ خَالِدٌ، وَجَاءَتْ حَامِيَةُ هُرْمُزَ فَمَا شَغَلَهُ عَنْ قَتْلِهِ، وَحَمَلَ الْقَعْقَاعُ بْنُ عَمْرٍو عَلَى حَامِيَةِ هُرْمُزَ فَأَنَامُوهُمْ، وَانْهَزَمَ أَهْلُ فَارِسَ، وَرَكِبَ الْمُسْلِمُونَ أَكْتَافَهُمْ إِلَى اللَّيْلِ، وَاسْتَحْوَذَ خَالِدٌ عَلَى أَمْتِعَتِهِمْ وَسِلَاحِهِمْ، فَبَلَغَ وِقْرَ أَلْفِ بَعِيرٍ، وَسُمِّيَتْ هَذِهِ الْغَزْوَةُ ذَاتَ السَّلَاسِلِ ; لِكَثْرَةِ مَنْ سُلْسِلَ بِهَا مِنْ فُرْسَانِ فَارِسَ، وَأَفْلَتَ قُبَاذُ وَأَنُوشَجَانُ. وَلَمَّا رَجَعَ الطَّلَبُ نَادَى مُنَادِي خَالِدٍ بِالرَّحِيلِ، فَسَارَ بِالنَّاسِ وَتَبِعَتْهُ الْأَثْقَالُ حَتَّى نَزَلَ بِمَوْضِعِ الْجِسْرِ الْأَعْظَمِ مِنَ الْبَصْرَةِ الْيَوْمَ، وَبَعَثَ بِالْفَتْحِ وَالْبِشَارَةِ وَالْخُمُسِ، مَعَ زِرِّ بْنِ كُلَيْبٍ، إِلَى الصِّدِّيقِ، وَبَعَثَ مَعَهُ بِفِيلٍ، فَلَمَّا رَآهُ نِسْوَةُ أَهْلِ الْمَدِينَةِ جَعَلْنَ يَقُلْنَ: أَمِنْ خَلْقِ اللَّهِ هَذَا أَمْ شَيْءٌ مَصْنُوعٌ؟ ! فَرَدَّهُ الصِّدِّيقُ مَعَ زِرٍّ، وَبَعَثَ أَبُو بَكْرٍ لَمَّا بَلَغَهُ الْخَبَرُ إِلَى خَالِدٍ، فَنَفَّلَهُ سَلْبَ هُرْمُزَ، وَكَانَتْ قَلَنْسُوَتُهُ بِمِائَةِ أَلْفٍ، وَكَانَتْ مُرَصَّعَةً بِالْجَوْهَرِ، وَبَعَثَ خَالِدٌ الْأُمَرَاءَ يَمِينًا وَشِمَالًا يُحَاصِرُونَ حُصُونًا هُنَالِكَ، فَفَتَحُوهَا عَنْوَةً وَصُلْحًا، وَأَخَذُوا مِنْهَا أَمْوَالًا جَمَّةً، وَلَمْ يَكُنْ خَالِدٌ يَتَعَرَّضُ لِلْفَلَّاحِينَ - مَنْ لَمْ يُقَاتِلْ مِنْهُمْ - وَلَا لِأَوْلَادِهِمْ، بَلْ لِلْمُقَاتِلَةِ مِنْ أَهْلِ فَارِسَ.
ثُمَّ كَانَتْ وَقْعَةُ الْمَذَارِ فِي صَفَرٍ مِنْ هَذِهِ السَّنَةِ. وَيُقَالُ لَهَا: وَقْعَةُ الثَّنْيِ. وَهُوَ النَّهْرُ. قَالَ ابْنُ جَرِيرٍ: وَيَوْمَئِذٍ قَالَ النَّاسُ: صَفَرُ الْأَصْفَارِ، فِيهِ يُقْتَلُ كُلُّ جَبَّارٍ،
পৃষ্ঠা - ৫৩৪৫
তাশী স্থানীয় নেতৃবৃন্দ ও প্রভাবশালী ব্যক্তিদের নিয়ে খালিদের সাথে সাক্ষাৎ করে ৷ নুমান ইবন
মুনযিরের পরে পারস্য সম্রাট কিসরা কুবায়সাকে তথায় শাসক হিসেবে নিযুক্ত করেছিল ৷
খালিদ তাদেরকে বললেন, আমি সর্বপ্রথম তোমাদেরকে আল্লাহর আনুগত্য ও ইসলামের পথ
অবলম্বন করার আহবান জানাই, যদি মেনে নাও তাহলে মুসলমানদের অন্তর্ভুক্ত হয়ে যাবে ৷
তারা বা পাবে তােমরাও তাই পারে; তাদের উপর যা বর্তাবে তোমাদের উপরও তাই বর্তারে ৷
যদি এতে সম্মত না হও তবে জিযয়া কর দিতে হবে, যদি জিবৃয়া দিতে অস্বীকার কর তবে শুনে
রেখো, এমন এক জাতি তোমাদের কাছে এসেছে যাদের অবস্থা এই যে, বেচে থাকার জন্যে
তোমরা যেই পরিমাণ আগ্রহী, মরে যাওয়ার জন্যে তারা তার চাইতে বেশি লোভী ৷ অর্থাৎ
আমরা তোমাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে অবতীর্ণ হন এবং চুড়ান্ত ফয়সালা না হওয়া পর্যন্ত ক্ষান্ত হব
ন ৷
কুবায়সা বলল, আমরা যুদ্ধ চাই না, বরং আমরা আমাদের ধর্ম নিয়ে থাকর আর
আপনাদেরকে জিযয়া কর দেবাে :
খালিদ তাদেরকে বললেন, আফসেড়াস হয় তোমাদের জন্যে যে, নিজেদের ধ্বংসের পথটাই
বেছে নিলে ৷ কারণ কুফর হল ধ্বংসের প্রশস্ত ময়দান, সুতরাং আরবের নির্বোধতম ব্যক্তি সেই,
যে ঐ ময়দানে চলাচল করে ৷ এরপর খালিদের সাথে দুই ব্যক্তি সাক্ষাৎ করে; একজন আরবী,
অন্যজন আজমী ৷ খালিদ আরবীকে ছেড়ে দেন এবং আজমীর সাথে কথা বলেন ৷ আলোচনা
শেষে তারা বার্ষিক নব্বই হাজার, অন্য বর্ণনামতে দুই লক্ষ দিরহাম জিযিয়া দেবে এ শর্তে
খালিদ চুক্তি করেন ৷ এটাই ছিল ইরাক থেকে আদায় করে মদীনায় প্রেরিত সর্ব প্রথম জিযিয়া
এবং ইতিপুর্বে আবু সালুবার সাথে সম্পাদিত চুক্তি থেকে প্রাপ্ত জিযিয়া ৷ আমি বলি, হীরায়
কিসরা সরকারের নিয়ােগকৃত প্রশাসকের সাথে যে প্রতিনিধি দলটি খালিদের নিকট এসেছিল
তাদের মধ্যে একজনের নাম আমর ইবন আবদুল মাসীহ ইবন হিব্বান ইবন বাকীলাহ্১ ৷ সে
জ্যি একজন আরব খৃষ্টান ৷ খালিদ তাকে জিজ্ঞেস করেন, তোমার অন্তিতৃ কােখেকে হয়েছে?
সে বলল, আমার পিতার পৃষ্ঠদেশ থেকে ৷ খালিদ বললেন, তুমি কোথা থেকে বের হয়েছো?
সে বলল, আমার মায়ের গেট থেকে ৷ খালিদ বললেন, আফসােস, তুমি কোন জিনিসের উপর
আছ? সে বলল, মাটির উপরে আছি ৷ খালিদ বললেন, আফসােস, তুমি কোন জিনিসের মধ্যে
আছ? সে বলল, আমার কাপড়ের মধ্যে ৷ খালিদ বললেন, রে নির্বোধা বুদ্ধিওদ্ধি আছে?
(ৰুদ্বুট্রুগ্ট্রু)২ সে বলল, জী হী ৷ বেড়িও লাগাই ৷ খালিদ বললেন, আমি তোমাকে প্রশ্ন করেছি
(রহস্য করছি না) সে বলল, আমিও তো উত্তর দিচ্ছি ৷ খালিদ বললেন, তুমি শাস্তি চাও না কি
যুদ্ধ? সে বলল, বরং শাস্তিই চাই ৷ খালিদ বললেন, তবে ঐ দুর্গগুলাে কি জন্যে-যেগুলাে আমি
দেখতে পাচ্ছি? সে বলল, এগুলো আমরা নির্বোধদের জন্যে তৈরী করেছি, এর মধ্যে তাদেরকে
আবদ্ধ করে রাখি, যখন বিরেকবান হয় তখন আর রাখা হয় না ৷ তারপর খালিদ তাদেরকে হয়
ইসলাম গ্রহণ, না হয় জিযয়া প্রদান, না হয় যুদ্ধ করার জন্যে আহবান জানান ৷ তারা নব্বই
১ তাবারীতে তার নাম আবদুল মাসীহ ইবন আমর বাকীলাহ্ এসেছে ৷
২ আরবীতে এ শব্দটির আরেক অর্থ বাধা ৷ ’
عَلَى مَجْمَعِ الْأَنْهَارِ. وَكَانَ سَبَبَهَا أَنَّ هُرْمُزَ كَانَ قَدْ كَتَبَ إِلَى أَرْدَشِيرَ وَشِيرَى بِقَدُومِ خَالِدٍ نَحْوَهُ مِنَ الْيَمَامَةِ، فَبَعَثَ إِلَيْهِ كِسْرَى بِمَدَدٍ مَعَ أَمِيرٍ يُقَالُ لَهُ: قَارَنُ بْنُ قِرْيَانِسَ. فَلَمْ يَصِلْ إِلَى هُرْمُزَ حَتَّى كَانَ مِنْ أَمْرِهِ مَعَ خَالِدٍ مَا تَقَدَّمَ، وَفَرَّ مَنْ فَرَّ مِنَ الْفُرْسِ، فَتَلَقَّاهُمْ قَارَنُ، فَالْتَفُّوا عَلَيْهِ فَتَذَامَرُوا وَاتَّفَقُوا عَلَى الْعَوْدِ إِلَى خَالِدٍ، فَسَارُوا إِلَى مَوْضِعٍ يُقَالُ لَهُ: الْمَذَارُ. وَعَلَى مُجَنِّبَتَيْ قَارَنَ قُبَاذُ وَأَنُوشَجَانُ، فَلَمَّا انْتَهَى الْخَبَرُ إِلَى خَالِدٍ، قَسَمَ مَا كَانَ مَعَهُ مِنْ أَرْبَعَةِ أَخْمَاسٍ غَنِيمَةً يَوْمَ ذَاتِ السَّلَاسِلِ، وَأَرْسَلَ إِلَى الصِّدِّيقِ بِخَبَرِهِ مَعَ الْوَلِيدِ بْنِ عُقْبَةَ، وَسَارَ خَالِدٌ بِمَنْ مَعَهُ مِنَ الْجُيُوشِ حَتَّى نَزَلَ عَلَى الْمَذَارِ، وَهُوَ عَلَى تَعْبِئَتِهِ، فَاقْتَتَلُوا قِتَالَ حَنَقٍ وَحَفِيظَةٍ، وَخَرَجَ قَارَنُ يَدْعُو إِلَى الْبِرَازِ، فَبَرَزَ إِلَيْهِ خَالِدٌ، وَابْتَدَرَهُ الشُّجْعَانُ مِنَ الْأُمَرَاءِ، فَقَتَلَ مَعْقِلُ بْنُ الْأَعْشَى بْنِ النَّبَّاشِ قَارَنَ، وَقَتَلَ عَدِيُّ بْنُ حَاتِمٍ قُبَاذَ، وَقَتَلَ عَاصِمٌ أَنُوشَجَانَ، وَفَّرَّتِ الْفُرْسُ، وَرَكِبَهُمُ الْمُسْلِمُونَ فِي ظُهُورِهِمْ، فَقَتَلُوا مِنْهُمْ يَوْمَئِذٍ ثَلَاثِينَ أَلْفًا، وَغَرِقَ كَثِيرٌ مِنْهُمْ فِي الْأَنْهَارِ وَالْمِيَاهِ، وَأَقَامَ خَالِدٌ بِالْمَذَارِ، وَسَلَّمَ الْأَسْلَابَ إِلَى مَنْ قَتَلَ - وَكَانَ قَارَنُ قَدِ انْتَهَى شَرَفُهُ فِي أَبْنَاءِ فَارِسَ - وَجَمَعَ بَقِيَّةَ الْغَنِيمَةِ وَخَمَّسَهَا، وَبَعَثَ بِالْخُمُسِ وَالْفَتْحِ وَالْبِشَارَةِ إِلَى الصِّدِّيقِ، مَعَ سَعِيدِ بْنِ النُّعْمَانِ، أَخِي بَنِي عَدِيِّ بْنِ كَعْبٍ، وَأَقَامَ خَالِدٌ هُنَاكَ حَتَّى قَسَمَ أَرْبَعَةَ الْأَخْمَاسِ وَسَبَى ذَرَارِيَّ مَنْ حَضَرَهُ مِنَ الْمُقَاتِلَةِ، دُونَ الْفَلَّاحِينَ ; فَإِنَّهُ أَقَرَّهُمْ بِالْجِزْيَةِ، وَكَانَ فِي هَذَا السَّبْيِ حَبِيبٌ أَبُو الْحَسَنِ الْبَصْرِيُّ، وَكَانَ نَصْرَانِيًّا، وَمَافِنَّةُ مَوْلَى عُثْمَانَ، وَأَبُو زِيَادٍ مَوْلَى الْمُغِيرَةِ بْنِ شُعْبَةَ. ثُمَّ أَمَّرَ عَلَى الْجُنْدِ سَعِيدَ بْنَ النُّعْمَانِ وَعَلَى الْجِزْيَةِ سُوَيْدَ بْنَ مُقَرِّنٍ، وَأَمَرَهُ أَنْ يَنْزِلَ الْحَفِيرَ ; لِيَجْبِيَ إِلَيْهِ
পৃষ্ঠা - ৫৩৪৬
হাজার মতাম্ভরে দুই লাখ দিরহাম জিযিয়া প্রদানে সম্মত হয় ৷ তারপর খালিদ ইবন ওলীদ
পারস্য সম্রাটের নিয়োগকৃত মাদাইনের ওযীর ও ণ্নতৃবৃন্দকে উদ্দেশ্য করে একটি পত্র লিখেন ৷
হিশাম ইবন কালবী শাবী থেকে বর্ণিত ৷ শাবী বলেন, মাদাইন বাসীদের উদ্দেশ্যে খালিদ
ইবন ওলীদের লিখিত সেই পত্রটি বনু বাকীলার লোকেরা আমাকে পড়িয়ে শুনিয়েছে ৷ পত্রের
পাঠ ছিল নিম্নরুপ ং
৷ ষ্;ন্ষ্
ণ্;১৷ ১১ন্১;
অর্থাৎ : খালিদ ইবন ওলীদের নিকট থেকে পারস্যের সমস্ত সর্দারদের নিকট প্রেরিত ৷
যারা সত্য ংাথের অনুসারী, তাদের উপর শান্তি বর্ষিত হোক! পর সমাচার, যাবতীয় প্রশংসা
সেই আল্লাহ্র, যিনি তোমাদের সেবকদেরকে ছিন্নভিন্ন করে দিয়েছেন ৷ তোমাদের সম্রাটকে
তুলে নিয়েছেন এবং তোমাদের ষড়যস্ত্রকে ন স্যাৎ করে দিয়েছেন ৷ তবে যে কেউ আমাদের
কিবলাকে নিজের কিবলা বানড়াবে এবং আমাদের জবাই করা পশুর গোশত আহার করবে তবে
সে মুসলিম জামাআতের অন্তর্ভুক্ত হবে ৷ আমরা যা পাব, সেও তা পাবে; আমাদের উপর যা
বর্তাবে তার উপরও তইিবর্তাবে ৷ এরপর এপত্র যখন তোমাদের নিকট পৌছবে তখন আমার
কাছে বন্ধক স্বরুপ কিছু পাঠিয়ে দিয়ে আমার থেকে নিরাপত্তা লিখিয়ে নেবে ৷ অন্যথায় সেই
সত্তার কসম, যিনি ব্যতীত অন্য কোন ইলাহ নেই, তোমাদের প্ৰতি এক বাহিনী পাঠাব, যারা
মৃত্যুকে যেইরুপ পছন্দ করে, যেইরুপ তোমরা কর বেচে থাকাকে” ৷
চিঠি পড়ে তারা অবাক ও বিস্ময় বোধ করতে লাগল ৷ সায়ফ ইবন উমর কুফার
কাযী মুগীরা ইবন উয়ায়না সুত্রে বর্ণনা করেন, খালিদ ইবন ওলীদ ইয়ামামা থেকে ইরাক
যাওয়ার পথে সৈন্য বাহিনীকে ত্বিন ভাগে বিভক্ত করেন এবইি পথ দিয়ে তাদেরকে পাঠাননি ৷
সুতরাং যফরকে পথপ্রদর্শক্ নিযুক্ত করে মুছান্নার বাহিনীকে দৃইদিন পুর্বে প্রেরণ করেন ৷ তারপর
আদী ইবন হাতিম ও আনিস ইবন আমরের বাহিনীকে পাঠান ৷ এদের পথপ্রদর্শক নিযুক্ত করেন
মালিক ইবন আব্বাদ ও সালিম ইবন নাসরকে ৷ এদের এক জনকে অন্য জন থেকে এক দিনের
আগ পাছ করে প্রেরণ করেন ৷ খালিদ ইবন ওলীদ আসেন সবার শেষে এবং তিনি পথপ্রদর্শানর
জন্যে রাখেন রাফিকে ৷ সকল বাহিনীকে আল-হাফীর’ নামক স্থানে সমবেত হয়ে দৃশমনের
মুকাবিলা করার নির্দেশ দেন ৷ পারস্যের সীমান্ত এলাকার মধ্যে ফারজুল হিনৃদ’ ছিল সর্ব বৃহৎ ৷
এ এলাকার লোকজন ছিল অত্যন্ত শক্তিশালী ও যুদ্ধবাজ ৷ এখানকার জলে ও স্থলে যুদ্ধের
দায়িত্ব ছিল হুরমুষের উপর ৷ খালিদ তইি হুরমুষের নিকট পত্র লেখেন ৷ হুরমুয খালিদের
পত্রখানা শীরী ইবন কিস্রা এবং আরদাশীর ইবন শীরীর নিকট পাঠিয়ে দেয় ৷ কিসরার
الْأَمْوَالَ، وَأَقَامَ خَالِدٌ يَتَحَسَّسُ الْأَخْبَارَ عَنِ الْأَعْدَاءِ.
ثُمَّ كَانَ أَمْرُ الْوَلَجَةِ فِي صَفَرٍ أَيْضًا مِنْ هَذِهِ السَّنَةِ، فِيمَا ذَكَرَهُ ابْنُ جَرِيرٍ، وَذَلِكَ لِأَنَّهُ لَمَّا انْتَهَى الْخَبَرُ بِمَا كَانَ بِالْمَذَارِ مِنْ قَتْلِ قَارَنَ وَأَصْحَابِهِ، إِلَى أَرْدَشِيرَ، وَهُوَ مَلِكُ الْفُرْسِ يَوْمَئِذٍ، بَعَثَ أَمِيرًا شُجَاعًا يُقَالُ لَهُ: الْأَنْدَرْزَغَرُ. وَكَانَ مِنْ أَبْنَاءِ السَّوَادِ، وُلِدَ بِالْمَدَائِنِ وَنَشَأَ بِهَا، وَأَمَدَّهُ بِجَيْشٍ آخَرَ مَعَ أَمِيرٍ يُقَالُ لَهُ: بَهْمَنُ جَاذَوَيْهِ. فَسَارُوا حَتَّى بَلَغُوا مَكَانًا يُقَالُ لَهُ: الْوَلَجَةُ. فَسَمِعَ بِهِمْ خَالِدٌ فَسَارَ بِمَنْ مَعَهُ مِنَ الْجُنُودِ، وَوَصَّى مَنِ اسْتَخْلَفَهُ هُنَالِكَ بِالْحَذَرِ وَقِلَّةِ الْغَفْلَةِ، فَنَازَلَ أَنْدَرْزَغَرَ وَمَنْ تَأَشَّبَ مَعَهُ، وَاجْتَمَعَ عِنْدَهُ بِالْوَلَجَةِ، فَاقْتَتَلُوا قِتَالًا شَدِيدًا هُوَ أَشَدُّ مِمَّا قَبْلَهُ، حَتَّى ظَنَّ الْفَرِيقَانِ أَنَّ الصَّبْرَ قَدْ فَرَغَ، وَاسْتَبْطَأَ كَمِينَهُ ; الَّذِي كَانَ قَدْ أَرْصَدَهُمْ وَرَاءَهُ فِي مَوْضِعَيْنِ، فَمَا كَانَ إِلَّا يَسِيرٌ حَتَّى خَرَجَ الْكَمِينَانِ مِنْ هَا هُنَا وَهَا هُنَا، فَفَرَّتْ صُفُوفُ الْأَعَاجِمِ، فَأَخَذَهُمْ خَالِدٌ مِنْ أَمَامِهِمْ، وَالْكَمِينَانِ مِنْ وَرَائِهِمْ، فَلَمْ يَعْرِفْ رَجُلٌ مِنْهُمْ مَقْتَلَ صَاحَبِهِ، وَهَرَبَ الْأَنْدَرْزَغَرُ مِنَ الْوَقْعَةِ فَمَاتَ عَطَشًا، وَقَامَ خَالِدٌ فِي النَّاسِ خَطِيبًا فَرَغَّبَهُمْ فِي بِلَادِ الْأَعَاجِمِ، وَزَهَّدَهُمْ فِي بِلَادِ الْعَرَبِ، وَقَالَ: أَلَا تَرَوْنَ مَا هَا هُنَا مِنَ الْأَطْعِمَاتِ؟ وَبِاللَّهِ لَوْ لَمْ يَلْزَمْنَا الْجِهَادُ فِي سَبِيلِ
পৃষ্ঠা - ৫৩৪৭
اللَّهِ وَالدُّعَاءُ إِلَى الْإِسْلَامِ، وَلَمْ يَكُنْ إِلَّا الْمَعَاشُ، لَكَانَ الرَّأْيُ أَنْ نُقَاتِلَ عَلَى هَذَا الرِّيفِ حَتَّى نَكُونَ أَوْلَى بِهِ، وَنُوَلِّيَ الْجُوعَ وَالْإِقْلَالَ مَنْ تَوَلَّاهُ مِمَّنِ اثَّاقَلَ عَمَّا أَنْتُمْ عَلَيْهِ. ثُمَّ خَمَّسَ الْغَنِيمَةَ، وَقَسَمَ أَرْبَعَةَ أَخْمَاسِهَا بَيْنَ الْغَانِمِينَ، وَبَعَثَ الْخُمُسَ إِلَى الصِّدِّيقِ، وَأَسَرَ مَنْ أَسَرَ مِنْ ذَرَارِيِّ الْمُقَاتِلَةِ، وَأَقَرَّ الْفَلَّاحِينَ بِالْجِزْيَةِ.
وَقَالَ سَيْفُ بْنُ عُمَرَ عَنْ عَمْرٍو، عَنِ الشَّعْبِيِّ قَالَ: بَارَزَ خَالِدٌ يَوْمَ الْوَلَجَةِ رَجُلًا مِنَ الْأَعَاجِمِ يَعْدِلُ بِأَلْفِ رَجُلٍ، فَقَتَلَهُ، ثُمَّ اتَّكَأَ عَلَيْهِ وَأُتِيَ بِغَدَائِهِ فَأَكَلَهُ وَهُوَ مُتَّكِئٌ عَلَيْهِ. يَعْنِي بَيْنَ الصَّفَّيْنِ.
ثُمَّ كَانَتْ وَقْعَةُ أُلَّيْسٍ فِي صَفَرٍ أَيْضًا، وَذَلِكَ أَنَّ خَالِدًا كَانَ قَدْ قَتَلَ يَوْمَ الْوَلَجَةِ طَائِفَةً مِنْ بَكْرِ بْنِ وَائِلٍ، مِنْ نَصَارَى الْعَرَبِ مِمَّنْ كَانَ مَعَ الْفُرْسِ، فَاجْتَمَعَ عَشَائِرُهُمْ، وَأَشَدُّهُمْ حَنَقًا عَبْدُ الْأَسْوَدِ الْعِجْلِيُّ، وَكَانَ قَدْ قُتِلَ لَهُ ابْنٌ بِالْأَمْسِ، فَكَاتَبُوا الْأَعَاجِمَ فَأَرْسَلَ إِلَيْهِمْ أَرْدَشِيرُ جَيْشًا مَدَدًا، فَاجْتَمَعُوا بِمَكَانٍ يُقَالُ لَهُ: أُلَّيْسٍ. فَبَيْنَمَا هُمْ قَدْ نَصَبُوا لَهُمْ سِمَاطًا فِيهِ طَعَامٌ يُرِيدُونَ أَكْلَهُ، إِذْ غَافَلَهُمْ خَالِدٌ بِجَيْشِهِ، فَلَمَّا رَأَوْهُ أَشَارَ مَنْ أَشَارَ مِنْهُمْ بِأَكْلِ الطَّعَامِ وَعَدَمِ الِاعْتِنَاءِ بِخَالِدٍ، وَقَالَ أَمِيرُ كِسْرَى، وَاسْمُهُ جَابَانُ: بَلْ نَنْهَضُ إِلَيْهِ. فَلَمْ يَسْمَعُوا مِنْهُ. فَلَمَّا نَزَلَ خَالِدٌ تَقَدَّمَ بَيْنَ يَدَيْ جَيْشِهِ وَنَادَى بِأَعْلَى صَوْتِهِ لِشُجْعَانِ مَنْ هُنَالِكَ مِنَ
পৃষ্ঠা - ৫৩৪৮
প্রতিনিধি হুরমুয এক বিশাল বাহিনী সংগ্রহ করে কাজিমার নিকট পৌছল ৷ তার দুই বাহুতে
জ্যি বাদশাহ্ পরিবারের দুই ব্যক্তি কুব্বাদ ও আনু-শৃজান ৷ সৈন্যদেরকে সে শিকল দ্বারা বেধে
রাখে যাতে পলায়ন করতে না পারে ৷ এই হুরমুয ছিল অত্যন্ত দুষ্ট প্রকৃতির লোক ও গৌড়া
কাফির ৷ পারস্যবাসীদের মধ্যে তার বিশেষ মর্যাদা ছিল ৷ আর সমাজে যার যত মর্যাদা বৃদ্ধি
পায় তার জকেজমক ততই বৃদ্দি পায় ৷ তইি হুরমুযের মুকুটের মুল্য ছিল এক লাখ দিরহাম ৷
খালিদ আঠার হাজার সৈন্যসহ পানি শুন্য এক স্থানে অবতরণ করেন ৷ সৈন্যরা পানির
অভিযোগ করলে তিনি বলেন, তোমরা ওদেরকে তলোয়ার দ্বারা আঘাত হানাে, তাহলে তোমরা
ওদেরকে জলাশয় থেকে তাড়িয়ে দিতে পারবে ৷ কারণ, আল্লাহ্ তাআলা দু-দলের মধ্যে অধিক
ধৈর্যশীলদের পক্ষে থাকেন ৷ মুসলমানরা তাদের মঞ্জিলে পৌছে ঘোড়ার উপর থেকে অবতরণের
পুর্বেই আল্লাহ্ তাআলা বৃষ্টি বর্ষণ করলেন ৷ ফলে দুইটি পুকুর পানিতে পুর্ণ হয়ে যায় ৷ পানি
পেয়ে মুসলমানরা শক্তিশালী হয়ে উঠলেন এবং অত্যন্ত আনন্দিত হলেন ৷ এরপর উভয় পক্ষ
মুখোমুখি যুদ্ধে লিপ্ত হয় ৷ কিন্তু যুদ্ধে টিকতে না পেরে হুরমুয বাহন থেকে নিচে নেমে পায়ে
হেটে গিয়ে খালিদকে অবতরণ করার আহবান জানায় ৷ সুতরাং খালিদ অবতরণ করে পায়ে
হেটে হুরমুযের নিকট আসেন এবং উভয়ের মধ্যে মল্লযুদ্ধ আরম্ভ হয় ৷ খালিদ হুরমুযকে নিজের
আয়ত্বে নিয়ে এসে হত্যা করেন ৷ হুরমুযের সাহায্যার্থে তার লোকজন এগিয়ে আসে; বিৎ ওরা
তাকে হত্যা থেকে নিবৃত্ত করতে পারেনি ৷ কাকা ইবন উমর হুরমুযের সাহায্যকারীদের উপর
আক্রমন চালান এবং তাদেরকে চিরনিদ্রড়ায় শায়িত করেন ৷
পারস্য বাহিনী শোচনীয়ভাবে পরাজিত হল ৷ মুসলিম বাহিনী জয়লাভ করে রাত যাপন
করার জন্যে শিবিরে প্রত্যবতনি করল ৷ খালিদ শত্রুবাহিনীর হাতিয়ার ও মাল সম্পদ হস্তগত
করেন ৷ তিনি এক হাজার উট গনীমত হিসেবে লাভ করেন ৷ পারস্য বাহিনীর অধিকাৎশ
অশ্বারােহী সৈন্যরা শৃৎখলে আবদ্ধ থাকায় এই যুদ্ধকে শৃত্খলের যুদ্ধ বা যাতুস সালাসিল বলে
অভিহিত করা হয় ৷ কুব্বায় ও আনু-শৃজান যুদ্ধে পরাজিত হয় ৷ সৈন্য সামন্ত প্রত্যাবর্তন করার
পর খালিদের ঘোষণাকারী সেখান থেকে রওয়ানা হয়ে পড়ার জন্যে ঘোষণা দেয় ৷ সুতরাং
লোকজন ও মালামালসহ খালিদ বর্তমান বসরার বিশাল সেতুর নিকট এসে উপনীত হন ৷
এখান থেকে যুদ্ধের বিজয় সংবাদ ও একটি হাতি বোঝইি করে গনীমাতের পঞ্চমাংশ যির ইবন
কুলায়বের মাধ্যমে খলীফার নিকট প্রেরণ করেন ৷ মদীনায় মহিলাগণ এ দেখে বলাবলি করতে
লাগলেন যে, এটা কি আল্লাহ্র সৃষ্টি, নাকি কৃত্রিমভাবে তৈরী? খলীফা এ সংবাদ শুনে যির এর
মাধ্যমে তা খালিদের নিকট ফেরত পাঠান ৷ খলিফা সঠিক সংবাদ অবগত হয়ে হুরমুযের
পরিত্যক্ত অস্ত্রসন্তার ও মুকুটসহ ও পরিধেয় বস্ত্র খালিদকে দান করেন ৷ তার মুকুটের মুল্য ছিল
এক লক্ষ দিরহাম ৷ মুকুটটি মণি মুক্তা খচিত ছিল ৷
তারপর খালিদ তার সেনাপতিদেরকে ভাবে ও বামে চতৃর্দিকে ছড়িয়ে দেন ৷ তারা এলাকার
সমস্ত দুর্গ অবরোধ করে যুদ্ধ বা সন্ধির মাধ্যমে করায়তু করেন এবং বিপুল পরিমাণ গনীমত
সংগ্রহ“ করেন ৷ খালিদ এ যুদ্ধে কোন কৃষক বা তাদের সন্তানদেরকে হত্যা করেননি, যারা যুদ্ধ
থেকে বিরত ছিল ৷ বরং কেবলমাত্র যুদ্ধর্ত সৈন্যদের সাথে মুকাবিলা করেন ৷ এরপর এ
বছরের সফর মাসে মাষার এর যুদ্ধ সংঘটিত হয় ৷ একে ছানীর যুদ্ধ’ কিৎবা নাহারের যুদ্ধ’ও
বলা হয় ৷ ইবন জারীর বলেন, ঐ দিন লোকজন বলাবলি করেছিল যে, এ মাস হল
الْأَعْرَابِ: أَيْنَ فُلَانٌ، أَيْنَ فُلَانٌ؟ فَكُلُّهُمْ نَكَلُوا عَنْهُ إِلَّا رَجُلًا يُقَالُ لَهُ: مَالِكُ بْنُ قَيْسٍ، مِنْ بَنِي جِذْرَةَ، فَإِنَّهُ بَرَزَ إِلَيْهِ، فَقَالَ لَهُ خَالِدٌ: يَا ابْنَ الْخَبِيثَةِ، مَا جَرَّأَكَ عَلَيَّ مِنْ بَيْنِهِمْ وَلَيْسَ فِيكَ وَفَاءٌ؟ ! فَضَرَبَهُ فَقَتَلَهُ. وَنَفَرَتِ الْأَعَاجِمُ عَنِ الطَّعَامِ، وَقَامُوا إِلَى السِّلَاحِ، فَاقْتَتَلُوا قِتَالًا شَدِيدًا جِدًّا، وَالْمُشْرِكُونَ يَرْقُبُونَ قُدُومَ بَهْمَنَ مَدَدًا مِنْ جِهَةِ الْمَلِكِ إِلَيْهِمْ، فَهُمْ فِي قُوَّةٍ وَشِدَّةٍ وَكَلَبٍ فِي الْقِتَالِ، وَصَبَرَ الْمُسْلِمُونَ صَبْرًا بَلِيغًا، وَقَالَ خَالِدٌ: اللَّهُمَّ لَكَ عَلَيَّ إِنْ مَنَحْتَنَا أَكْتَافَهُمْ أَنْ لَا أَسْتَبْقِيَ مِنْهُمْ أَحَدًا أَقْدِرُ عَلَيْهِ حَتَّى أُجْرِيَ نَهْرَهُمْ بِدِمَائِهِمْ. ثُمَّ إِنَّ اللَّهَ، عَزَّ وَجَلَّ، مَنَحَ الْمُسْلِمِينَ أَكْتَافَهُمْ، فَنَادَى مُنَادِي خَالِدٍ: الْأَسْرَ، الْأَسْرَ، لَا تَقْتُلُوا إِلَّا مَنِ امْتَنَعَ مِنَ الْأَسْرِ. فَأَقْبَلَتِ الْخُيُولُ بِهِمْ أَفْوَاجًا يُسَاقُونَ سَوْقًا، وَقَدْ وَكَّلَ بِهِمْ رِجَالًا يَضْرِبُونَ أَعْنَاقَهُمْ فِي النَّهْرِ، فَفَعَلَ ذَلِكَ بِهِمْ خَالِدٌ يَوْمًا وَلَيْلَةً، وَيَطْلُبُهُمْ فِي الْغَدِ وَمِنْ بَعْدِ الْغَدِ، وَكُلَّمَا حَضَرَ مِنْهُمْ أَحَدٌ ضُرِبَتْ عُنُقُهُ فِي النَّهْرِ، وَقَدْ صَرَفَ مَاءَ النَّهْرِ إِلَى مَوْضِعٍ آخَرَ، فَقَالَ لَهُ بَعْضُ الْأُمَرَاءِ: إِنَّ النَّهْرَ لَا يَجْرِي بِدِمَائِهِمْ حَتَّى تُرْسِلَ الْمَاءَ عَلَى الدَّمِ فَيَجْرِيَ مَعَهُ، فَتُبِرَّ يَمِينَكَ. فَأَرْسَلَهُ فَسَالَ النَّهْرُ دَمًا عَبِيطًا، فَلِذَلِكَ سُمِّيَ نَهْرَ الدَّمِ، إِلَى الْيَوْمِ، فَدَارَتِ الطَّوَاحِينُ بِذَلِكَ الْمَاءِ الْمُخْتَلِطِ بِالدَّمِ الْعَبِيطِ مَا كَفَى الْعَسْكَرَ بِكَمَالِهِ ثَلَاثَةَ أَيَّامٍ، وَبَلَغَ عَدَدُ الْقَتْلَى سَبْعِينَ أَلْفًا، وَلَمَّا هَزَمَ خَالِدٌ الْجَيْشَ وَرَجَعَ مَنْ رَجَعَ مِنَ النَّاسِ، عَدَلَ خَالِدٌ إِلَى الطَّعَامِ الَّذِي كَانُوا
পৃষ্ঠা - ৫৩৪৯
قَدْ وَضَعُوهُ لِيَأْكُلُوهُ، فَقَالَ لِلْمُسْلِمِينَ: هَذَا نَفَلٌ فَانْزِلُوا فَكُلُوا. فَنَزَلَ النَّاسُ فَأَكَلُوا عِشَاءً. وَقَدْ جَعَلَ الْأَعَاجِمُ عَلَى طَعَامِهِمْ جَرْدَقًا كَثِيرًا، فَجَعَلَ مَنْ يَرَاهُ مِنْ أَهْلِ الْبَادِيَةِ مِنَ الْأَعْرَابِ يَقُولُونَ: مَا هَذِهِ الرُّقَعُ؟ يَحْسَبُونَهَا ثِيَابًا. فَيَقُولُ لَهُمْ مَنْ يَعْرِفُ ذَلِكَ مِنْ أَهْلِ الْأَرْيَافِ وَالْمُدُنِ: أَمَا سَمِعْتُمْ بِرَقِيقِ الْعَيْشِ؟ قَالُوا: بَلَى. قَالُوا: فَهَذَا رَقِيقُ الْعَيْشِ. فَسَمَّوْهُ يَوْمَئِذٍ رُقَاقًا، وَإِنَّمَا كَانَتِ الْعَرَبُ تُسَمِّيهِ الْقَرْنَ.
وَقَدْ قَالَ سَيْفُ بْنُ عُمَرَ عَنْ عَمْرِو بْنِ مُحَمَّدٍ، عَنِ الشَّعْبِيِّ، عَمَّنْ حَدَّثَ عَنْ خَالِدٍ، «أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ نَفَّلَ النَّاسَ يَوْمَ خَيْبَرَ الْخُبْزَ وَالطَّبِيخَ وَالشِّوَاءَ وَمَا أَكَلُوا غَيْرَ ذَلِكَ، غَيْرَ مُتَأَثِّلِيهِ» .
وَكَانَ كُلُّ مَنْ قُتِلَ بِهَذِهِ الْوَقْعَةِ يَوْمَ أُلَّيْسٍ مِنْ بَلْدَةٍ يُقَالُ لَهَا: أَمْغِيشَيَا. فَعَدَلَ إِلَيْهَا خَالِدٌ وَأَمَرَ بِخَرَابِهَا، وَاسْتَوْلَى عَلَى مَا بِهَا، فَوَجَدُوا فِيهَا مَغْنَمًا عَظِيمًا، فَقَسَمَ بَيْنَ الْغَانِمِينَ فَأَصَابَ الْفَارِسُ بَعْدَ النَّفْلِ أَلْفًا وَخَمْسَمِائَةٍ، غَيْرَ مَا تَهَيَّأَ لَهُ مِمَّا قَبْلَهُ. وَبَعَثَ خَالِدٌ إِلَى الصِّدِّيقِ بِالْبِشَارَةِ وَالْفَتْحِ وَالْخُمُسِ مِنَ الْأَمْوَالِ وَالسَّبْيِ مَعَ رَجُلٍ يُقَالُ لَهُ: جَنْدَلٌ. مِنْ بَنِي عِجْلٍ، وَكَانَ دَلِيلًا صَارِمًا، فَلَمَّا بَلَّغَ الصِّدِّيقَ الرِّسَالَةَ، وَأَدَّى الْأَمَانَةَ، أَثْنَى عَلَيْهِ وَأَجَازَهُ جَارِيَةً مِنَ السَّبْيِ، وَقَالَ
পৃষ্ঠা - ৫৩৫০
সফ্রুল-আসফার, যতসব যালিম বাদশাহ্ এ মাসে নদীর মোহনায় নিহত হবে, এ বলার কারণ
এই যে, হুরমুয এর আগে খালিদের আগমন সম্পর্কে তথ্য দিয়ে আরদশীর ও শীরীর নিকট
এক পত্র লিখেছিল ৷ পত্র পেয়ে কিসরা হুরমুষের সাহায্যার্থে কারিন ইবন কারয়ানিস নামক
আমীরের নেতৃত্বে সৈন্য বাহিনী প্রেরণ করে ৷ কিন্তু এ বাহিনী হুরমুষের নিকট পৌছার পুর্বেই
খালিদের সাথে হুরমুষের যুদ্ধ বেধে যায়-যার বর্ণনা একটু পুবেই দেয়া হয়েছে ৷ যুদ্ধক্ষেত্র থেকে
অশ্ব বাহিনীর যারা পলায়ন করতে সমর্থ হয়, তাদের সাথে পথে কারিনের সাক্ষাৎ হয় ৷
পলায়নরত সকলেই কারিনের পাশে একত্রিত হয় এবং পুনরায় খালিদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার
জন্যে পরস্পরকে উত্তেজিত করে ৷ সুতরাং তরাে এসে মাযার’ নামক স্থানে পৌছে ৷ কারিনের
বাহিনীর দুই বাহুতে থাকে কুব্বাদ ও আনুশৃজান ৷ এ সংবাদ খালিদ ইবন ওলীদের নিকট পৌছে
যায় ৷ তিনি দ্রুত যাতুস সালাসিলেয় গনীমত বন্টন করেন ৷ ৰু ৎশ সৈন্যদের মধ্যে ভাগ করেন
এবং ছু অংশ ওলীদ ইবন উক্বার দায়িত্বে দিয়ে এবং উপস্থিত সংবাদ জানিয়ে খলীফার নিকট
প্রেরণ করেন ৷ অবশিষ্ট সৈন্যদেরকে সাথে নিয়ে তিনি মাযারে গিয়ে অবতরণ করেন ৷ এখানে
উভয় পক্ষে তুমুল যুদ্ধ হয় ৷ কারিন মল্লযুদ্ধের জন্যে আহবান জানায় ৷ সুতরাং খালিদ অপর বীর
যােদ্ধাসহ মল্পযুদ্ধের জন্যে এগিয়ে আসেন ৷ যুদ্ধে মাকাল ইবনুল-আশ ইবন নাব্বাশ কারিনকে,
আদী ইবন হাতিম কুব্বাদকে এবং আসিম আনুশৃজানকে হত্যা করেন ৷ বাকি অশ্ব বাহিনী
যুদ্ধক্ষেত্র থেকে পলায়ন শুরু করে ৷ মুসলিম বাহিনী তাদের পশ্চাদ্ধাবন করে প্রায় ত্রিশ হাজার
সৈন্যকে ঐ দিনেই হত্যা করে ৷ তাদের অধিকাত্শই নদীর মধ্যে ও পানিতে ডুবে মরে ৷ খালিদ
মাযারে অবস্থান করতে থাকেন ৷ নিহত ব্যক্তিদের সঙ্গের হাতিয়ার, পোশাক ইত্যাদি তাদের
হত্যাকারীদেরকে অর্পণ করেন ৷ পারস্যবাসীদের মধ্যে কারিনের স্থান ছিল অতি উচ্চ ৷,
গনীমতের মালামাল পড়াচ ভাগ করে একভাগ বনু আদী ইবন কাবের সাঈদ ইবন নুমানের
মাধ্যমে বিজয় বার্তাসহ খলীফার নিকট মদীনায় পাঠিয়ে দেন ৷ অবশিষ্ট চার ভাগ সৈন্যদের
মাঝে বন্টন করে দেন ৷ যারা মুসলমানদের বিরুদ্ধে লড়াই করেছিল তাদের সন্তান ও
নারীদেরকেও গনীমতের মান হিসেবে বন্টন করা হয় ৷ তবে কৃষকদের উপর কোন হস্তক্ষেপ
করা হয়নি ৷ বরং জিযিয়ার বিনিময়ে তাদেরকে থাকার অধিকার দেওয়া হয় ৷ এই বন্দীরদের
মধ্যে হাসান বসরীর পিতা হাবীবও ছিলেন ৷ তিনি খৃষ্টান ধর্মের অনুসারী ছিলেন ৷ উসমানের
আযাদকৃতত দাস মা-ফান্নাহ ও মুগীরাহ্ ইবন শুরার আযাদকৃত দাস আবু যিয়াদও এই
বন্দীদের অন্তর্ভুক্ত ছিলেন ৷ এরপর খালিদ সৈন্যদের দায়িতৃ সাঈদ ইবন নুমানের উপর এবং
জিয্য়া কর আদায়ের দায়িত্ব সওয়ায়দ ইবন মুকার্বিনের উপর ন্যস্ত করেন ৷ সুওয়ায়দকে হাফীর’
নামক স্থানে থাকার জন্য তিনি নির্দেশ দেন, যাতে জিযিয়া প্রভৃতির দ্রসম্ভার সহজে সেখানে
আনা যায় ৷ আর খালিদ নিজে শত্রুদের গোপন তথ্য সংগ্রহ করার কাজে তৎপর হন ৷
এরপর আসে ওলাজার যুদ্ধ ৷ তাও এই সালের সফর মাসে সংঘটিত হয় বলে ইবন জারীর
বর্ণনা করেছেন ৷ অর্থাৎ মাযারের যুদ্ধে কারিন ও তার দলবলের যে অবস্থা হয়, সে সংবাদ যখন
তৎকালীন পারস্য সম্রাট আরদ শীর এর নিকট পৌছল, তখন তিনি কৃষ্ণাঙ্গ বীর সেনাপতি
আনযার যাগরেকে প্রেরণ করেন ৷ আনযার সাওয়ড়াদের মাদাইনে জন্ম গ্রহণ করেন এবং
সেখানেই লালিত-পালিত হন ৷ আনযারকে সাহায্য করার জন্য বাহ্মান জাযাওয়াহ্র নেতৃত্বে
আরও একটি বাহিনী পাঠান ৷ এই সম্মিলিত বাহিনী নিয়ে সেদিকে রওয়ানা হন এবং সেখানে
الصِّدِّيقُ: يَا مَعْشَرَ قُرَيْشٍ، إِنَّ أَسَدَكُمْ قَدْ عَدَا عَلَى الْأَسَدِ، فَغَلَبَهُ عَلَى خَرَاذِيلِهِ، عَجَزَتِ النِّسَاءُ أَنْ تَلِدْنَ مِثْلَ خَالِدِ بْنِ الْوَلِيدِ. ثُمَّ جَرَتْ أُمُورٌ طَوِيلَةٌ لِخَالِدٍ فِي أَمَاكِنَ مُتَعَدِّدَةٍ يُمَلُّ سَمَاعُهَا، وَهُوَ مَعَ ذَلِكَ لَا يَكِلُّ وَلَا يَمَلُّ وَلَا يَهِنُ وَلَا يَحْزَنُ، بَلْ كُلُّ مَا لَهُ فِي قُوَّةٍ وَصَرَامَةٍ وَشِدَّةٍ وَشَهَامَةٍ، وَمِثْلُ هَذَا إِنَّمَا خَلَقَهُ اللَّهُ، عَزَّ وَجَلَّ، عِزًّا لِلْإِسْلَامِ وَأَهْلِهِ، وَذُلًّا لِلْكُفْرِ وَشَتَاتَ شَمْلِهِ.
[خَالِدٌ يُحَاصِرُ الْخَوَرْنَقَ وَالسَّدِيرَ وَالنَّجَفَ]
فَصْلٌ خَالِدٌ يُحَاصِرُ الْخَوَرْنَقَ وَالسَّدِيرَ وَالنَّجَفَ.
ثُمَّ سَارَ خَالِدٌ فَنَزَلَ الْخَوَرْنَقَ وَالسَّدِيرَ وَالنَّجَفَ، وَبَثَّ سَرَايَاهُ هَا هُنَا وَهَا هُنَا، يُحَاصِرُونَ الْحُصُونَ مِنَ الْحِيرَةِ، وَيَسْتَنْزِلُونَ أَهْلَهَا قَسْرًا وَقَهْرًا، وَصُلْحًا وَيُسْرًا، وَكَانَ فِي جُمْلَةِ مَنْ نَزَلَ بِالصُّلْحِ قَوْمٌ مِنْ نَصَارَى الْعَرَبِ، فِيهِمُ ابْنُ بُقَيْلَةَ الْمُتَقَدِّمُ ذِكْرُهُ، وَكَتَبَ لِأَهْلِ الْحِيرَةِ كِتَابَ أَمَانٍ، فَكَانَ الَّذِي رَاوَضَهُ عَلَيْهِ عَمْرُو بْنُ عَبْدِ الْمَسِيحِ بْنِ بُقَيْلَةَ، وَوَجَدَ خَالِدٌ مَعَهُ كِيسًا، فَقَالَ: مَا فِي هَذَا؟ - وَفَتَحَهُ خَالِدٌ فَوَجَدَ فِيهِ شَيْئًا - فَقَالَ ابْنُ بُقَيْلَةَ: هُوَ سُمُّ سَاعَةٍ. فَقَالَ: وَلِمَ اسْتَصْحَبْتَهُ مَعَكَ؟ فَقَالَ: حَتَّى إِذَا رَأَيْتُ مَكْرُوهًا فِي قَوْمِي أَكَلْتُهُ، فَالْمَوْتُ
পৃষ্ঠা - ৫৩৫১
নিযুক্ত র্তার প্রতিনিধিকে সাবধান থাকার জন্য নির্দেশ দেন ৷ অচিরেই মুসলিম বাহিনী আনযার
যাগারের বাহিনীর কাছে এসে উপস্থিত হয় ৷ উভয় পক্ষের মধ্যে যুদ্ধ আরম্ভ হয়ে যায় ৷ এ যুদ্ধ
ছিল পুর্বের যুদ্ধগুলো থেকে আরও প্রচণ্ড ৷ ধৈর্যের বাধ উভয় দলেরই ভেঙ্গে যাচ্ছিল ৷ জয়
পরাজয় অনিশ্চিত হয়ে পড়ে ৷ অতর্কিত আক্রমন করার জন্য খালিদের রেখে আসা বাহিনী দুটি
এসে পৌছতে বিলম্ব করছিল ৷ অল্প পরেই তারা যুদ্ধ ক্ষেত্রে এসে পৌছে যায় এবং ইে দিক
থেকে আক্রমণ শুরু করে ৷
তখন পারস্য বাহিনী রণে অংশ দিয়ে পালাতে শুরু করে ৷ সম্মুখ দিক থেকে খালিদের
বাহিনী এবং পশ্চাৎ দিক থেকে অতর্কিত আক্রমণকারী বাহিনী আক্রমন করতে থাকে ৷ কে
কার শত্রু তা নির্ণয় করা কঠিন হয়ে দাড়ায় ৷ আনযার যাগার ঘটনাস্থল ত্যাগ করার সময়
পিপাসায় কাতর হয়ে মারা যায় ৷ খালিদ ইবন ওলীদ মুসলিম সৈন্যদের মধ্যে দাড়িয়ে ভাষণ
দান করেন ৷ সৈনিকদেরকে তিনি অনারব দেশের প্রতি আকৃষ্ট হতে এবং আরব দেশের মমতা
ত্যাগ করতে উদ্বুদ্ধ করেন ৷ তিনি বলেন, তোমরা কি দেখতে পাচ্ছ না, এখানে খাদ্যের কত
ছড়াছড়ি? আল্লাহ্র কসম, আমরা যদি আল্লাহ্র পথে জিহাদ চালিয়ে যাই এবং ইসলামের
দিকে মানুষকে ডাকতে থাকি, তা হলে আমাদের জীৰিকার ব্যবস্থা হয়ে যাবে ৷ আমার মত
হল, শস্য-শ্যামল এই দেশে আমরা যুদ্ধ চালিয়ে যাবো ৷ এদেশের অধিকারী আমরাই হব, ক্ষুধা
ন্ ও দারিদ্র দুর হয়ে যাবে এবং অলসদের হাত থেকে তোমাদের হাতে তা অর্পিত হবে ৷ তারপর
গনীমত পাচ ভাগ করে চার ভাপ সৈন্যদের মধ্যে বন্টন করেন এবং এক ভাগ খলীফার নিকট
পাঠিয়ে দেন ৷ শত্রু যােদ্ধাদের সন্তান ও শ্রীদেরকে বন্দী করেন এবং কৃষকদের জিযিয়ার
বিনিময়ে স্বস্থানে বহাল রাখেন ৷ সায়ফ ইবন উমর শাবী থেকে বর্ণনা করেন, ওয়ালাজার
যুদ্ধে খালিদ এমন এক আজমী ব্যক্তির সাথে মল্লযুদ্ধ করেন, যে হাজার লোকের মুকাবিলা
করার শক্তি রাখতো ৷ কিন্তু খালিদ তাকে হত্যা করেন এবং দুই পক্ষের মধ্যবর্তী স্থানে তার
দেহের সাথে ঠেস দিয়ে বসে নাশৃতা করেন ৷
দ্বাদশ হিজরীর এই সফর মাসে উল্লায়সের যুদ্ধ নামে আরও একটি যুদ্ধ সংঘটিত হয় ৰু
ঘটনার বিবরণে জানা যায় যে, ওয়ালাজার যুদ্ধে রক্র ইবন ওয়াইল গোত্রের কয়েক ব্যক্তি
খালিদের হাতে মারা যায় ৷ বক্র আরবের একটি খ্রিষ্টান গোত্র ৷ পারস্য বাহিনীর পক্ষে এরা
যুদ্ধ করতে এসেছিল ৷ নিহতদের গোত্রের লোকেরা এর প্রতিশোধ গ্রহণের জন্য ঐক্যবদ্ধ হয় ৷
আবদুল আসওদ ছিল এ ব্যাপারে সর্বাধিক ক্ষুব্ধ ৷ কারণ, ইতিপুর্বে তার এক পুত্রও নিহত
হয়েছিল ৷ এ কারণে বনু বকর পারস্য সম্রাটের নিকট প্রতিশোধ গ্রহণার্থে একটি পত্র লেখে ৷
সম্রাট আরদশীর তাদের সাহায্যার্থে একটি সৈন্য বাহিনী প্রেরণ করেন ৷ তারা ঐ বাহিনীসহ
উল্লায়স’ নামক স্থানে সমবেত হয় ৷ সৈন্যরা খাদ্য গ্রহণের উদ্দেশ্যে দস্তরখানে রাখা খাদ্যদ্রব্য
সামনে রেখে বসে ৷ খালিদ তার বাহিনী নিয়ে এমন একটি সুযোগের সন্ধান করছিলেন ৷
খালিদকে দেখেও ওদের দলের একজন বলল, আপনারা আহার করুন ! খালিদের চিন্তা করবেন
না ! অপর দিকে কিসরার সেনাপতি বলল, আমাদের বরং উচিত হবে খাদ্য চিন্তা পরিত্যাগ
করে প্রতিরোধে যত্নবান হওয়া ৷ কিন্তু তার কথায় কেউ কর্ণপাত করল না ৷ খালিদ এ সময়
বাহন থেকে অবতরণ করে সৈন্যদের সম্মুখে এসে উচ্চস্বরে আহ্বান করলেন, হে অমুক! হে
— ৬৬
أَحَبُّ إِلَيَّ مِنْ ذَلِكَ. فَأَخَذَهُ خَالِدٌ فِي يَدِهِ وَقَالَ: إِنَّهُ لَنْ تَمُوتَ نَفْسٌ حَتَّى تَأْتِيَ عَلَى أَجَلِهَا. ثُمَّ قَالَ: بِسْمِ اللَّهِ خَيْرِ الْأَسْمَاءِ، رَبِّ الْأَرْضِ وَالسَّمَاءِ، الَّذِي لَيْسَ يَضُرُّ مَعَ اسْمِهِ دَاءٌ، الرَّحْمَنِ الرَّحِيمِ. قَالَ: وَأَهْوَى إِلَيْهِ الْأُمَرَاءُ ; لِيَمْنَعُوهُ مِنْهُ فَبَادَرَهُمْ فَابْتَلَعَهُ، فَلَمَّا رَأَى ذَلِكَ ابْنُ بُقَيْلَةَ قَالَ: وَاللَّهِ يَا مَعْشَرَ الْعَرَبِ لَتَمْلِكُنَّ مَا أَرَدْتُمْ مَا دَامَ مِنْكُمْ أَحَدٌ. ثُمَّ الْتَفَتَ إِلَى أَهْلِ الْحِيرَةِ فَقَالَ: لَمْ أَرَ كَالْيَوْمِ أَوْضَحَ إِقْبَالًا مِنْ هَذَا. ثُمَّ دَعَاهُمْ وَسَأَلُوا خَالِدًا الصُّلْحَ، فَصَالَحَهُمْ، وَكَتَبَ لَهُمْ كِتَابًا بِالصُّلْحِ، وَأَخَذَ مِنْهُمْ أَرْبَعَمِائَةِ أَلْفِ دِرْهَمٍ عَاجِلَةً، وَلَمْ يَكُنْ صَالَحَهُمْ حَتَّى سَلَّمُوا كَرَامَةَ بِنْتَ عَبْدِ الْمَسِيحِ إِلَى رَجُلٍ مِنَ الصَّحَابَةِ يُقَالُ لَهُ: شُوَيْلٌ. وَذَلِكَ أَنَّهُ «لَمَّا ذَكَرَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قُصُورَ» الْحِيرَةِ كَأَنَّ شُرَفَهَا أَنْيَابُ الْكِلَابِ، فَقَالَ لَهُ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، هَبْ لِيَ ابْنَةَ بُقَيْلَةَ. فَقَالَ: " هِيَ لَكَ ". فَلَمَّا فُتِحَتِ ادَّعَاهَا شُوَيْلٌ، وَشَهِدَ لَهُ اثْنَانِ مِنَ الصَّحَابَةِ، فَامْتَنَعُوا مِنْ تَسْلِيمِهَا إِلَيْهِ وَقَالُوا: مَا تُرِيدُ إِلَى امْرَأَةٍ ابْنَةِ ثَمَانِينَ سَنَةً؟ فَقَالَتْ لِقَوْمِهَا: ادْفَعُونِي إِلَيْهِ فَإِنِّي سَأَفْتَدِي مِنْهُ، وَإِنَّهُ قَدْ رَآنِي وَأَنَا شَابَّةٌ. فَسُلِّمَتْ إِلَيْهِ، فَلَمَّا خَلَا بِهَا قَالَتْ: مَا تُرِيدُ إِلَى امْرَأَةٍ ابْنَةِ ثَمَانِينَ سَنَةً؟ وَأَنَا أَفْتَدِي مِنْكَ فَاحْكُمْ بِمَا أَرَدْتَ. فَقَالَ: وَاللَّهِ لَا أَفْدِيكِ بِأَقَلَّ مِنْ عَشْرِ مِائَةٍ. فَاسْتَكْثَرَتْهَا خَدِيعَةً مِنْهَا، ثُمَّ أَتَتْ قَوْمَهَا فَأَحْضَرُوا لَهُ أَلْفَ دِرْهَمٍ، وَلَامَهُ النَّاسُ وَقَالُوا: لَوْ طَلَبْتَ أَكْثَرَ مِنْ مِائَةِ أَلْفٍ لَدَفَعُوهَا إِلَيْكَ. فَقَالَ: وَهَلْ عَدَدٌ أَكْثَرُ مِنْ عَشْرِ مِائَةٍ؟ وَذَهَبَ إِلَى خَالِدٍ وَقَالَ: إِنَّمَا أَرَدْتُ أَكْثَرَ الْعَدَدِ. فَقَالَ خَالِدٌ: أَرَدْتَ أَمْرًا وَأَرَادَ اللَّهُ غَيْرَهُ، وَإِنَّا نَحْكُمُ بِظَاهِرِ قَوْلِكَ، وَنِيَّتُكَ عِنْدَ اللَّهِ، كَاذِبًا
পৃষ্ঠা - ৫৩৫২
অমুক ! বেরিয়ে এসো! কিন্তু শত্র ৰুপক্ষের কেউ উঠল না ৷ নিজ নিজ জায়গায় বসে থাকল;
কেবল মালিক ইবন কায়স নামক বনী জায়রার এক ব্যক্তি মল্লযুদ্ধের জন্য অগ্রসর হল ৷ খালিদ
তাকে বললেন, ওহে অধম ! সমগ্র বাহিনীর মধ্য থেকে তৃই-ইপ্ উঠে আমার সাহস পেলি ? জ্যি
তোর বিশ্বস্ততা বলে কিছু নেই ৷ এরপর খালিদ একটি মাত্র আঘাতে তাকে হত্যা করেন ৷ এ
দৃশ্য দেখে পারস্য বাহিনী আহার ছেড়ে দিয়ে হাতিয়ার হাতে তুলে নিল এবং মুসলিম বাহিনীর
সাথে প্রচণ্ড যুদ্ধে লিপ্ত হল ৷ মুশরিক শত্রুরা বাহমানের প্রতীক্ষা করহ্নিা-যাকে সম্রাট এদের
সাহায্যার্থে প্রেরণ করেছিলেন ৷ সে আশায় এরা শক্তি, সাহস ও যুদ্ধ উন্মাদনা নিয়ে লড়ইি
চালিয়ে যাচ্ছিল ৷
মুসলমানরা এখানে ধৈর্যের পরাকাষ্ঠা প্রদর্শন করেন ৷ খালিদ আল্লাহর নিকট দুআ
করলেন, হে আল্পাহ্! আমাদেরকে সাহায্য করা সম্পুর্ণ আপনারই ইখতিয়ার ৷ দয়া করে
দৃশমনদের উপর আমাদেরকে বিজয় দান করলে আমরা তাদেরকে সম্পুর্ণরুপে নিশ্চিহ্ন করব,
একজনকেও জীবিত রাখব না ৷ তাদের রক্ত দিয়ে এখানকার নদীতে রক্তের বন্যা বইয়ে দেবাে ৷
তারপর আল্লাহ মুসলমানদের প্রতি অনুগ্রহ করলেন, তাদেরকে শক্তি দান করে শত্রুদের বিরুদ্ধে
জয়ী করলেন ৷ খালিদের ঘোষণাকারী যুদ্ধের ময়দানে ঘোষণা দেন যে, বন্দী কর, বন্দী কর; যে,
ব্যক্তি বন্দী হতে অস্বীকার করবে কেবল তাকেই হত্যা করবে ৷ সুতরাং অশ্বারোহী বাহিনী
শত্রুদের পিছনে ধাওয়া করে নিয়ে যেতে থাকে এবং এক এক দলের জন্য ভিন্ন ভিন্ন লোক
প্ নিয়োগ করা হয়, যারা তাদেরকে হত্যা করে নদীতে ফেলে দেয়ার কাজে ব্যস্ত থাকে ৷
একাধারে তিন দিন পর্যন্ত এ হত্যাকাণ্ড চলতে থাকে ৷ যাকেই আনা হত তাভ্রুইে হত্যা করে
নদীতে ফেলা হত ৷ রক্তের চাপে পানি দুরে চলে যায় ৷ এক মুসলিম সেনাপতি খালিদকে
বললেন, নিহতদের রক্ত জমটি হয়ে নদীর প্রবাহ রুদ্ধ হয়ে গেছে; রক্তের উপর পানি না ঢাললে
প্রবাহিত হয়ে না এবং আপনার শপথও (রক্ত বন্যা প্রবাহিত করা) পুরণ হবে না ৷
খালিদ তাই করলেন; ফলে তাজা রক্ত নদী দিয়ে প্রবাহিত হতে থাকল ৷ এই কারণে
বর্তমান কালে ঐ নদীকে নাহ্রুদ-দাম’ বা রক্ত নদী বলে অভিহিত করা হয় ৷ সত্তর হাজার
লোক এখানে নিহত হয় ৷ শত্রু বাহিনীকে পরাস্ত করার পর শিবিরে প্রত্যাবর্তনকারী
লোকদেরকে সম্বোধন করে খালিদ বললেন, ওরা খাদ্যসম্ভার পরিত্যাগ করে গেছে, এটা
গনীমত; তোমরা ওগুলো আহার কর ৷ সুতরাং রাত্রের খাবার হিসেবে সকলে তা খেয়ে নেন ৷
পারস্যের লোকেরা দস্তারখানার উপর যে খাদ্যসম্ভার রেখে গিয়েকাি তা ছিল অত্যন্ত উৎকৃষ্ট
মানের ৷ আরব বেদৃইনরা তাদের চাপাতি রুটি দেখে বলে উঠে, এগুলো কি কাপড় না কি ?
শহর ও নগরের লোকেরা যারা এগুলো চিনত তারা ওদেরকে বলে, তোমরা কি বিলাসীপুর্ণ
জীবন যাপনের কথা শুননি ? তারা বলল, হী, শুনেছি ৷ তখন বলে দেয়া হল, এটাই সেই
বিলাসপুর্ণ জীবন যাত্রার নমুনা ৷ ঐ দিন থেকেই আরবরা এ খাদ্যের নাম রাখে রুকাক’ ৷
অবশ্য আরবরা একে বলত আলউদ’ ৷
সায়ফ ইবন উমর, শাবী খালিদ ইবন ওয়ালীদ সুত্রে বর্ণনা করেন, রাসুলুল্পাহ্ (সা)
খায়বারের যুদ্ধে সৈনিকদেরকে কেবল রুটি, তরমুজ ও ভুনা পােশত খেতে দিয়েছিলেন, তার
বাড়তি কিছু দেননি ৷ উল্লায়সের এই যুদ্ধে যারা নিহত হয়েছিল তাদের অধিকাৎশ লোকই ছিল
আমগীশিয়া’ শহরের অধিবাসী ৷ এ কারণে খালিদ ঐ শহরকে বিধ্বস্ত করার নির্দেশ দেন ৷
كُنْتَ أَمْ صَادِقًا.
وَقَالَ سَيْفُ بْنُ عُمَرَ، عَنْ عَمْرِو بْنِ مُحَمَّدٍ، عَنِ الشَّعْبِيِّ: لَمَّا افْتَتَحَ خَالِدٌ الْحِيرَةَ صَلَّى ثَمَانِيَ رَكَعَاتٍ بِتَسْلِيمَةٍ وَاحِدَةٍ. وَقَدْ قَالَ الْقَعْقَاعُ بْنُ عَمْرٍو فِي هَذِهِ الْأَيَّامِ وَمَنْ قُتِلَ مِنَ الْمُسْلِمِينَ بِهَا وَأَيَّامِ الرِّدَّةِ:
سَقَى اللَّهُ قَتْلَى بِالْفُرَاتِ مُقِيمَةً ... وَأُخْرَى بِأَثْبَاجِ النِّجَافِ الْكَوَانِفِ
وَنَحْنُ وَطِئْنَا بِالْكَوَاظِمِ
هُرْمُزًا
وَبِالثِّنْيِ قَرْنَيْ
قَارَنٍ
بَالْجَوَارِفِ
وَيَوْمَ أَحَطْنَا بِالْقُصُورِ تَتَابَعَتْ ... عَلَى
الْحِيرَةِ الرَّوْحَاءُ إِحْدَى الْمَصَارِفِ
حَطَطْنَاهُمُ مِنْهَا وَقَدْ كَانَ عَرْشُهُمْ ... يَمِيلُ بِهِمْ فِعْلَ الْجَبَانِ الْمُخَالِفِ
رَمَيْنَا عَلَيْهِمْ بِالْقَبُولِ وَقَدْ رَأَوْا ... غَبُوقَ الْمَنَايَا حَوْلَ تِلْكَ الْمَحَارِفِ
صَبِيحَةَ قَالُوا نَحْنُ قَوْمٌ تَنَزَّلُوا ... إِلَى الرِّيفِ مِنْ أَرْضِ الْعُرَيْبِ الْمَقَانِفِ
وَقَدْ قَدِمَ جَرِيرُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ الْبَجَلِيُّ عَلَى خَالِدِ بْنِ الْوَلِيدِ وَهُوَ بِالْحِيرَةِ بَعْدَ الْوَقَعَاتِ الْمُتَعَدِّدَةِ، وَالْغَنَائِمِ الْمُتَقَدِّمِ ذِكْرُهَا، وَلَمْ يَحْضُرْ شَيْئًا مِنْهَا ; وَذَلِكَ لِأَنَّهُ كَانَ قَدْ بَعَثَهُ الصِّدِّيقُ مَعَ خَالِدِ بْنِ سَعِيدِ بْنِ الْعَاصِ إِلَى الشَّامِ، فَاسْتَأْذَنَ خَالِدَ بْنَ سَعِيدٍ فِي الرُّجُوعِ إِلَى الصِّدِّيقِ ; لِيَجْمَعَ لَهُ قَوْمَهُ مِنْ بَجِيلَةَ فَيَكُونُوا مَعَهُ، فَلَمَّا قَدِمَ
পৃষ্ঠা - ৫৩৫৩
عَلَى الصِّدِّيقِ فَسَأَلَهُ ذَلِكَ، غَضِبَ الصِّدِّيقُ وَقَالَ: أَتَيْتَنِي لِتَشْغَلَنِي عَمَّا هُوَ أَرْضَى لِلَّهِ مِنَ الَّذِي تَدْعُونِي إِلَيْهِ. ثُمَّ سَيَّرَهُ الصِّدِّيقُ إِلَى خَالِدِ بْنِ الْوَلِيدِ بِالْعِرَاقِ.
قَالَ سَيْفٌ بِأَسَانِيدِهِ: ثُمَّ جَاءَ ابْنُ صَلُوبَا فَصَالَحَ خَالِدًا عَلَى بَانِقْيَا وَبَارُوسْمَا وَمَا حَوْلَ ذَلِكَ عَلَى عَشَرَةِ آلَافِ دِينَارٍ، وَجَاءَهُ دَهَاقِينُ تِلْكَ الْبِلَادِ فَصَالَحُوهُ عَلَى بُلْدَانِهِمْ وَأَهَالِيهِمْ، كَمَا صَالَحَ أَهْلُ الْحِيرَةِ عَلَى الْحِيرَةِ، وَاتَّفَقَ فِي تِلْكَ الْأَيَّامِ - الَّتِي كَانَ خَالِدٌ قَدْ تَمَكَّنَ بِأَطْرَافِ الْعِرَاقِ، وَاسْتَحْوَذَ عَلَى الْحِيرَةِ وَتِلْكَ الْبُلْدَانِ وَأَوْقَعَ بِأَهْلِ أُلَّيْسٍ وَالثِّنْيِ وَمَا بَعْدَهَا بِفَارِسَ وَمَنْ تَأَشَّبَ مَعَهُمْ، مَا أَوْقَعَ مِنَ الْقَتْلِ الْفَظِيعِ فِي فُرْسَانِهِمْ - أَنْ عَدَتْ فَارِسُ عَلَى مَلِكِهِمُ الْأَكْبَرِ أَرْدَشِيرَ وَابْنِهِ شِيرَى، فَقَتَلُوهُمَا وَقَتَلُوا كُلَّ مَنْ يَنْتَسِبُ إِلَيْهِمَا، وَبَقِيَتِ الْفُرْسُ حَائِرِينَ لِمَنْ يُوَلُّونَهُ أَمْرَهُمْ؟ وَاخْتَلَفُوا فِيمَا بَيْنَهُمْ، غَيْرَ أَنَّهُمْ قَدْ جَهَّزُوا جُيُوشًا تَكُونُ حَائِلَةً بَيْنَ خَالِدٍ وَبَيْنَ الْمَدَائِنِ الَّتِي فِيهَا إِيوَانُ كِسْرَى وَسَرِيرُ مَمْلَكَتِهِ، فَحِينَئِذٍ كَتَبَ خَالِدٌ إِلَى مَنْ هُنَالِكَ مِنَ الْمَرَازِبَةِ وَالْأُمَرَاءِ وَالْوُزَرَاءِ وَالدَّوْلَةِ، يَدْعُوهُمْ إِلَى اللَّهِ وَإِلَى الدُّخُولِ فِي دِينِ الْإِسْلَامِ ; لِيَثْبُتَ مُلْكُهُمْ عَلَيْهِمْ، وَإِلَّا فَلْيَدْفَعُوا الْجِزْيَةَ، وَإِلَّا فَلْيَعْلَمُوا وَلْيَسْتَعِدُّوا لِقُدُومِهِ عَلَيْهِمْ بِقَوْمٍ يُحِبُّونَ الْمَوْتَ كَمَا يُحِبُّونَ هُمُ الْحَيَاةَ، فَجَعَلُوا يَعْجَبُونَ مِنْ جُرْأَةِ خَالِدٍ وَشَجَاعَتِهِ، وَيَسْخَرُونَ مِنْ ذَلِكَ لِحَمَاقَتِهِمْ
পৃষ্ঠা - ৫৩৫৪
অতঃপর সেখান থেকে বিপুল পরিমাণ গনীমত লাভ করেন ৷ এবং যােদ্ধাদের মধ্যে বন্টন
করেন ৷ এতে গনীমতের ভাগ ছাড়াও প্রত্যেক অশ্বারােহী এক হাজার পড়াচ শত দিরহাম করে
পায় ৷ পুর্ববর্তী যুদ্ধের গনীমত সভার ছিল তার অতিরিক্ত ৷ এরপর বনুআজালের জানদাল নামক
এক ব্যক্তির মাধ্যমে যুদ্ধের বিজয় সংবাদ ও গনীমতের মাল ও বন্দীদের খলীফার নিকট প্রেরণ
করেন ৷ জানদাল ছিল একজন অভিজ্ঞ পথ প্রদর্শক ৷ সে যখন খলীফার নিকট খালিদের পত্র ও
আমানত পৌছিয়ে দেয়, তখন খলীফা তাকে ধন্যবাদ জানান ও একটি দাসী উপহার দেন ৷
খলীফা ঘোষণা দেন, হে কুরায়শ সম্প্রদায় ৷ তোমাদের সিংহ অন্য সিংহের উপর জয়ী হয়েছে
এবং তাকে ছিন্নভিন্ন করে দিয়েছে ৷ বর্ত্যাত্বন কালের মহিলা আর একজন খালিদ ইবন ওলীদ
প্রসবে ব্যর্থ হয়েছে ৷ এরপরও বিভিন্ন রণক্ষেত্রে সেনাপতি খালিদের ব্যাপক তৎপরতা অব্যাহত
থাকে, যার বর্ণনা অতি দীর্ঘ ৷ কিন্তু এতদ্সত্বেও খালিদের মধ্যে কোন রকম দুর্বলতা,
শিথিলতা, বিরক্তি ও দুঃল্লি৷ দেখা দেয়নি, বরং অধিকতর তেজ, শক্তি, সাহস ও গৌর্য-বীর্যের
পরিচয় তার মধ্যে দেখা যায় ৷ এরুপ হওয়ার কারণ এটাই বুঝে আসে যে, আল্লাহ্ তাকে
বানিয়েছিলেন ইসলাম ও মুসলমানদের মর্যাদা বৃদ্ধি করতে এবং কাফিরী শক্তিকে চুর্ণ-বিচুর্ণ
করতে ৷
খালিদের অন্যান্য অভিযান
তারপর খালিদ সসৈন্যে নাজফ এর খুওয়ারনিক ও সাদীরে গমন করেন এবং সেখানে
পৌছে সৈন্যদেরকে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র বাহিনীতে বিভক্ত করে চতুর্দিকে ছড়িয়ে দেন ৷ তারা হীরার বিভিন্ন
দুর্গ অবরোধ করে এবং কোন কােনটির অধিবাসীদেরকে জোর পুর্বক ও শক্তি বলে আর কোন
কােনটির অধিবাসীদেরকে সন্ধি সুত্রে ও সহজে বশ করেন ৷ সন্ধির মাধ্যমে যাদেরকে বশ করা
হয় আদর মধ্যে একটি দল আরবের খ্রিষ্টান সম্প্রদায় ৷ তাদের নেতা ছিল পুর্বোল্লিখিত ইবন
বুকায়লা ৷ হীরাবাসীদেরকে খালিদ নিরাপত্তা পত্র লিখে দেন ৷ সন্ধির ব্যাপারে যে ব্যক্তি অগ্রণী
ভুমিকা পালন করে সে হল আমর ইবন আবদুল মাসীহ্ ইবন বুকায়লা ৷ খালিদ তার নিকট
একটা থলে দেখতে পান ৷ তিনি জিজ্ঞেস করেন, এর মধ্যে কী আছে? খালিদ নািজ্জী থলেটি
খুলেন এবং কিছু একটা জিনিস দেখতে পান ৷ ইবন বুকায়লা জানলে, ওটা মারাত্মক বিষ ৷
খালিদ জিজ্ঞেস করলেন, তুমি এটা সঙ্গে রেখেছ কেন ? ইবন বুকায়লা বলল, রেখেছি এ
কারণে যে, আমি যখন নিজ সম্প্রদায়ের দুরবস্থা দেখতে পাব তখন এটা খেয়ে ফেলব ৷ কেননা,
এমন অবস্থা দেখার চোয় মরে যাওয়াটাই আমার নিকট অধিকতর প্রিয় ৷ খালিদ তারপর এ
বিষর্টুকু হাতে তুলে নিলেন এবং বললেন, কোন মানুষ নির্ধারিত সময়ের পুর্বে কখনও মরে যায়
না ৷ এরপর তিনি পড়লেন :
,ধ্ন্ব্লে ১১এে৬ন্১
ব্লুট্রু ১ষ্টুফু ৷ ;,’প্রুছুটুা৷ ’; ৷ৰুা
আল্লাহ্র নামে আরম্ভ করছি ৷ তার নাম সকল নামের চেয়ে উত্তম ৷ তিনি আসমান ও
যমীনের প্রতিপালক ৷ যার নামের বরকতে কোন রোগ কিছু মাত্র ক্ষতি করতে পারে না ৷ তিনি
পরম করুণাময় ও দয়ালু ৷
وَرُعُونَةٍ بِهِمْ فِي أَنْفُسِهِمْ، وَقَدْ أَقَامَ خَالِدٌ هُنَالِكَ بَعْدَ صُلْحِ الْحِيرَةِ سَنَةً يَتَرَدَّدُ فِي بِلَادِ فَارِسَ هَا هُنَا وَهَا هُنَا، وَيُوقِعُ بِأَهْلِهَا مِنَ الْبَأْسِ الشَّدِيدِ، وَالسَّطْوَةِ الْبَاهِرَةِ، مَا يُبْهِرُ الْأَبْصَارَ لِمَنْ شَاهَدَ ذَلِكَ، وَيُشَنِّفُ أَسْمَاعَ مَنْ بَلَغَهُ ذَلِكَ، وَيُحَيِّرُ الْعُقُولَ لِمَنْ تَدَبَّرَهُ.
[غَزْوَةُ ذَاتِ الْعُيُونِ]
فَتْحُ خَالِدٍ لِلْأَنْبَارِ، وَتُسَمَّى هَذِهِ الْغَزْوَةُ ذَاتَ الْعُيُونِ.
رَكِبَ خَالِدٌ فِي جُيُوشِهِ، فَسَارَ حَتَّى انْتَهَى إِلَى الْأَنْبَارِ وَعَلَيْهَا رَجُلٌ مِنْ أَعْقَلِ الْفُرْسِ وَأَسْوَدِهِمْ فِي أَنْفُسِهِمْ، يُقَالُ لَهُ: شِيرْزَاذُ. فَأَحَاطَ بِهَا خَالِدٌ وَعَلَيْهَا خَنْدَقٌ وَحَوْلَهُ أَعْرَابٌ مِنْ قَوْمِهِمْ عَلَى دِينِهِمْ، وَاجْتَمَعَ مَعَهُمْ أَهْلُ أَرْضِهِمْ، فَمَانَعُوا خَالِدًا أَنْ يَصِلَ إِلَى الْخَنْدَقِ، فَضَرَبَ مَعَهُمْ رَأْسًا، وَلَمَّا تَوَاجَهَ الْفَرِيقَانِ أَمَرَ خَالِدٌ أَصْحَابَهُ فَرَشَقُوهُمْ بِالنِّبَالِ حَتَّى فَقَئُوا مِنْهُمْ أَلْفَ عَيْنٍ، فَتَصَايَحَ النَّاسُ: ذَهَبَتْ عُيُونُ أَهْلِ الْأَنْبَارِ. فَسُمِّيَتْ هَذِهِ الْغَزْوَةُ ذَاتَ الْعُيُونِ، فَرَاسَلَ شِيرْزَاذُ خَالِدًا فِي الصُّلْحِ، فَاشْتَرَطَ خَالِدٌ أُمُورًا امْتَنَعَ شِيرْزَاذُ مِنْ قَبُولِهَا، فَتَقَدَّمَ خَالِدٌ إِلَى الْخَنْدَقِ فَاسْتَدْعَى بِرَذِيِّ الْأَمْوَالِ مِنَ الْإِبِلِ فَذَبَحَهَا حَتَّى رَدَمَ الْخَنْدَقَ بِهَا، وَجَازَ هُوَ وَأَصْحَابَهُ فَوْقَهَا، فَلَمَّا رَأَى شِيرْزَاذُ ذَلِكَ أَجَابَ إِلَى الصُّلْحِ عَلَى الشُّرُوطِ الَّتِي اشْتَرَطَهَا خَالِدٌ، وَسَأَلَهُ أَنْ يَرُدَّهُ إِلَى مَأْمَنِهِ، فَوَفَّى لَهُ خَالِدٌ بِذَلِكَ،
পৃষ্ঠা - ৫৩৫৫
وَخَرَجَ شِيرْزَاذُ مِنَ الْأَنْبَارِ وَتَسَلَّمَهَا خَالِدٌ، فَنَزَلَهَا وَاطْمَأَنَّ بِهَا، وَتَعَلَّمَ الصَّحَابَةُ مِمَّنْ بِهَا مِنَ الْعَرَبِ الْكِتَابَةَ الْعَرَبِيَّةَ، وَكَانَ أُولَئِكَ الْعَرَبُ قَدْ تَعَلَّمُوهَا مِنْ عَرَبٍ قَبْلَهُمْ وَهُمْ بَنُو إِيَادٍ، كَانُوا بِهَا فِي زَمَانِ بُخْتَ نَصَّرَ حِينَ أَبَاحَ الْعِرَاقَ لِلْعَرَبِ، وَأَنْشَدُوا خَالِدًا قَوْلَ بَعْضِ إِيَادٍ يَمْتَدِحُ قَوْمَهُ:
قَوْمِي إِيَادٌ لَوْ أَنَّهُمْ أُمَمُ ... أَوْ لَوْ أَقَامُوا فَتُهْزَلَ النَّعَمُ
قَوْمٌ لَهُمْ بَاحَةُ الْعِرَاقِ إِذَا ... سَارُوا جَمِيعًا وَاللَّوْحُ وَالْقَلَمُ
ثُمَّ صَالَحَ خَالِدٌ أَهْلَ الْبَوَازِيجِ وَكَلْوَاذَى. قَالَ: ثُمَّ نَقَضَ أَهْلُ الْأَنْبَارِ وَمَنْ حَوْلَهُمْ عَهْدَهُمْ لَمَّا اضْطَرَبَتْ بَعْضُ الْأَحْوَالِ، وَلَمْ يَبْقَ عَلَى عَهْدِهِ سِوَى الْبَوَازِيجِ وَبَانِقْيَا.
قَالَ سَيْفُ بْنُ عُمَرَ عَنْ عَبْدِ الْعَزِيزِ بْنِ سِيَاهٍ، عَنْ حَبِيبِ بْنِ أَبِي ثَابِتٍ قَالَ: لَيْسَ لِأَحَدٍ مِنْ أَهْلِ السَّوَادِ عَقْدٌ قَبْلَ الْوَقْعَةِ إِلَّا بَنِي صَلُوبَا، وَهُمْ أَهْلُ الْحِيرَةِ وَكَلْوَاذَى وَقُرًى مِنْ قُرَى الْفُرَاتِ، حَتَّى غَدَرُوا، حَتَّى دُعُوا إِلَى الذِّمَّةِ بَعْدَمَا غَدَرُوا.
পৃষ্ঠা - ৫৩৫৬
তিনি যখন এ দুআ পাঠ করছিলেন, তখন সেনাপতিগণ তা ভক্ষণ করা থেকে বিরত
রাখার জন্য অ্যাসর হয় ৷ বিচ্ছু তাদের আসার আগেই তিনি অবলীলায় গিলে ফেলেন ৷ ইবন
বুকায়লা এ দৃশ্য দেখে বলে উঠল : হে আরব সম্প্রদায় ! তোমাদের মধ্যে এরুপ একজন লোকও
যদি বেচে থাকে, তা হলেও তোমাদের অভীষ্ট সিদ্ধ হবে ৷ এরপর তিনি হীরাবাসীদের উদ্দেশ্য
করে বললেন, আজকের ন্যায় বিস্ময়কর ঘটনা আমি জীবনে আর কখনও দেখিনি ৷ এরপর
তিনি সবাইকে ডেকে খালিদের নিকট সন্ধিৱ প্রস্তাব করলে খালিদ তা মঞ্জুর করে সন্ধিপত্র
লিখে দেন এবং নগদ চার লাখ দিরহাম তাদের থেকে গ্রহণ করেন ৷ খালিদ হীরাবাসীদের সাথে
ততক্ষণ পর্যন্ত সন্ধি করেননি যতক্ষণ না তারা কারমাতা বিনত আবদুল মাসীহ্কে শুওয়াইল১
নামক এক সাহাবীর নিকট হস্তান্তর করে ৷
ঘটনা হল, রাসুলুল্লাহ্ (সা) একবার হীরার দুর্গসমুহের আলোচনা করেন ৷ তখন তিনি বনু
কিলাব সর্দারদের মর্যাদার কথা উল্লেখ করেন ৷ তখন শুওয়াইল বলেছিলেন, ইয়া রাসুলাল্পাহ্!
বুকায়লার কন্যাকে আমাকে দান করুন ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) বললেন, হী, তাকে তােমাকেই দেয়া
হবে ৷ এখন যখন হীরা জয় হল, তখন শুওয়াইল বুকায়লার কন্যাকে দাবী করে বলেন এবং
দু’জন সাহাবী তার দাবির স্বপক্ষে সাক্ষ্য প্রদান করেন ৷ বিক্ষ্ম হীরাবাসীরা তাকে সোপর্দ করতে
অসম্মতি প্রকাশ করল এবং শুওয়াইলকে বলল, তুমি আশি বছরের এই বুড়িকে নিয়ে কী
করবে? বিক্ষ্ম মহিলাটি তার কওমকে বলল, আমাকে তার নিকট অর্পণ কর ৷ আমি মুক্তিপণ
দিয়ে চলে আসর ৷ সে আমাকে যুবতী অবস্থায় দেখেছিল ৷ এ কথার পর তাকে শুওয়াইলেব
নিকট অর্পণ করা হয় ৷ যখন সে একাত্তে তার সাথে মিলিত হল, তখন বলল, আশি বছরের
বুড়িকে দিয়ে আপনি কী করবেন ? বরং আমি আপনাকে মুক্তিপণ দিয়ে চলে যেতে চাই ৷ এখন
আপনার মর্জি ৷ শুওয়াইল বললেন, দেখ, আল্পাহ্র কসম, এক হাজার দিরহামের কমে আমি
তোমাকে ছাড়ব না, এক হাজার দিরহাম তার নিকট খুব বেশি মনে হল ৷ যাহোক, মহিলাটি
তার কওমের নিকট এসে বললে তারা এক হাজার দিরহাম পোপ করল ৷ বিক্ষ্ম মুসলমানরা
শুওয়াইলকে এই বলে তিরস্কার করল যে, তুমি এত কম চেয়েছ কেন? যদি এক লাখেরও
বেশি চাইতে তা হলে তাই তারা দিতে বাধ্য থাকত ৷ শুওয়াইল বললেন, দশ শতেব অধিকও
কোন সংখ্যা আছে নাকি ? এরপর তিনি খালিদের নিকট গিয়ে বললেন, আমি তো তার কাছে
সৰ্বাধিক পরিমাণ মুক্তিপণ চেয়েছি ৷ খালিদ বললেন, তুমি বলেছ এক সংখ্যা ৷ আর আল্পাহ্
বুঝবেন অন্য সংখ্যা, তা হয় না ৷ আমি ফয়সালা দেব, তার উপর যা তুমি উল্লেখ করেছ ৷
তোমার নিয়্যাতর ব্যাপার আল্পাহ্ই ভাল জানেন যে, তুমি সত্য বলছ, না মিথ্যা বলছ ৷
সায়ফ ইবন উমর শাবী সুত্রে বর্ণনা করেন, হীরা বিজয়ের পর খালিদ এক সালামে
আট রাকআত সালাত আদায় করেছিলেন ৷ করি আমব ইবনুল-কাকা এই ঘটনায় ও রিদ্দা
যুদ্ধের প্রাক্কালে যে সব মুসলমান শহীদ হয়েছিলেন, তাদের সম্পর্কে নিম্নের কবিতাটি আবৃত্তি
করেন :
এ্এ্াপ্রুও৷ ৷
১ বালাযুরী বলেন, বিশুদ্ধ মতে উক্ত সাহাবীর নাম ছিল নুরায়ম ইবন আওস আততায়ী ৷ ফুভুহুল বুলদান বাংলা
অনু, ই, যারা, ১৯৯৮, পৃ ২৪ ৭ ৷
وَقَالَ سَيْفٌ عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ قَيْسٍ: قُلْتُ لِلشَّعْبِيِّ: أُخِذَ السَّوَادُ عَنْوَةً؟ قَالَ: نَعَمْ، وَكُلُّ أَرْضٍ إِلَّا بَعْضَ الْقِلَاعِ وَالْحُصُونِ. قَالَ: بَعْضٌ صَالِحٌ وَبَعْضٌ غَالِبٌ. قُلْتُ: فَهَلْ لِأَهْلِ السَّوَادِ ذِمَّةٌ اعْتَقَدُوهَا قَبْلَ الْهَرَبِ؟ قَالَ: لَا، وَلَكِنَّهُمْ لَمَّا دُعُوا وَرَضُوا بِالْخَرَاجِ، وَأُخِذَ مِنْهُمْ، صَارُوا ذِمَّةً.
[وَقْعَةُ عَيْنِ التَّمْرِ]
لَمَّا اسْتَقَلَّ خَالِدٌ بِالْأَنْبَارِ اسْتَنَابَ عَلَيْهَا الزِّبْرِقَانَ بْنَ بَدْرٍ وَقَصَدَ عَيْنَ التَّمْرِ وَبِهَا يَوْمَئِذٍ مِهْرَانُ بْنُ بَهْرَامَ جُوبِينَ فِي جَمْعٍ عَظِيمٍ مِنَ الْعَجَمِ، وَحَوْلَهُمْ مِنَ الْأَعْرَابِ طَوَائِفُ مِنَ النَّمِرِ وَتَغْلِبَ وَإِيَادٍ وَمَنْ لَاقَاهُمْ، وَعَلَيْهِمْ عَقَّةُ بْنُ أَبِي عَقَّةَ، فَلَمَّا دَنَا خَالِدٌ، قَالَ عَقَّةُ لِمِهْرَانَ: إِنَّ الْعَرَبَ أَعْلَمُ بِقِتَالِ الْعَرَبِ، فَدَعْنَا وَخَالِدًا. فَقَالَ لَهُ: دُونَكُمْ وَإِيَّاهُمْ، وَإِنِ احْتَجْتُمْ إِلَيْنَا أَعَنَّاكُمْ. فَلَامَتِ الْعَجَمُ أَمِيرَهُمْ عَلَى هَذَا، فَقَالَ: دَعُوهُمْ، فَإِنْ غَلَبُوا خَالِدًا فَهُوَ لَكُمْ، وَإِنْ غُلِبُوا قَاتَلْنَا خَالِدًا وَقَدْ ضَعُفُوا وَنَحْنُ أَقْوِيَاءُ. فَاعْتَرَفُوا لَهُ بِفَضْلِ الرَّأْيِ عَلَيْهِمْ، وَسَارَ
পৃষ্ঠা - ৫৩৫৭
ণ্;১া১৬৬১
এএট্ট১এ-া
অর্থং আল্লাহ্৩ তার জান্নাভী শরাব পান করাবেন সেই সব শহীদদেরকে যার প্রাণ দান
করেছে ফুরাত নদীর কুলে এবং নিজাফ এর মধ্যবর্তী কাওয়ানিফ যুদ্ধে আমরা কাওয়াজিম যুদ্ধে
হুরযুযকে এবং ছানিয়ার যুদ্ধে জাওয়ড়ারিফ’ নামক স্থানে কারিন এর উভয় বাহুর সৈন্যকে
পদদলিত করেছি ৷ স্মরণীয় সেই দিনের কথা যেদিন আমরা হীরার রওহায় দুর্গসমুহ একের পর
এক অবরোধ করি ৷ সেদিন দুর্গের লোকদেরকে আমরা সেখান থেকে বহিষ্কার করে দিই ৷
তাদের নেতৃবর্গ জ বোনের ভুমিকার বিরোধিতা করেছিল ৷৩ তাদের আবেদন নিবেদনকে আমরা
প্রত্যাখান করি ৷ ফলে যেসব স্থানে তারা মৃত্যুর অন্ধকার প্রত্যক্ষ করে নেয় ৷ এ ঘটনা সংঘটিত
হয় সেই দিন প্রভাতকালে, যে দিন তারা দাবি করেছিল যে, আমরা এমন এক শ্রেণীর লোক,
যারা কঠিন কৃষি ভুমিকর্ষণ করে ৷
খালিদ ইবন ওলীদ বিভিন্ন ঘটনা সংঘটিত হবার পর যখন হীরার অবস্থান করছিলেন,
তখন জারীর ইবন আবদুল্পাহ্ আল-বাজালী (বা) তার নিকট আগমন করেন ৷ গনীমতের
আলোচনা পুর্বে করা হয়েছে ৷ কিন্তু সেখানে জারীর উপস্থিত হতে পারেননি ৷ কারণ খলীফা
জারীর ইবন আবদুল্লাহ্কে খালিদ ইবন সাঈদ ইবনুল অংশের সাথে সিরিয়ার প্রেরণ
করেছিলেন ৷ জারীর খালিদ ইবন সাঈদের নিকট থেকে অনুমতি নিয়ে মদীনায় আসেন এবং
খলীফা ৷র নিকট এ মমে অনুমতি চান যে, তিনি তার বাজিলা গোত্রের লোকদেরকে জড়ো করে
খালিদ ইবন সাঈদের সাহায্যার্থে নিয়ে যাবেন ৷ খলীফ৷ এতে ভীষণ রেগে গিয়ে বললেন, তুমি
যে প্রভাব নিয়ে এসেছ, তার চেয়ে যে ব্যবস্থা আল্লাহ্র নিকট অধিক পছন্দনীয়, তা থেকে তুমি
আমাকে সরিয়ে নিতে চাও ? তারপর তিনি তাকে খালিদ ইবন ওলীদের সাথে ইরাকে মিলিত
হবার নির্দেশ ৷দেন ৷
সায়ফ ইবন উমর সনদ উল্লেখ করে বলেন, ইবন সালুব৷ খালিদের সাথে বানিকিয়া’ ও
বিসমা’ এবং পার্শ্ববর্তী অঞ্চলের জন্য দশ হাজার দীনারের বিনিময়ে সন্ধি করেন ৷ ঐ সব
অঞ্চলের সর্দারগণ এসে তাদের দেশ ও জনগণের নিরাপত্তার স্বার্থে হীরার ন্যায় সন্ধি স্থাপন
করেন ৷ এই দিনগুলিতে খালিদ ইরাকের পার্শ্ববর্তী এলাকা অধিকার করেন ৷ হীরা ও তার
পার্শ্ববর্তী শহরসমুহু দখল করেন এবং উল্লায়স, ছানী ও পরবর্তী বহু ক্ষেত্রে পারস্য বাহিনীকে
যুদ্ধক্ষেত্রে পরাস্ত করেন ৷ যারা তাদের হয়ে যুদ্ধ করতে আসে তাদেরকেও পরাজিত করেন এবং
তাদেরকে হত্যা করেন ৷ তাদের প্রধান সম্রাট আরদশীর ও শীরীনকে হত্যা করেন, যারাই
তাদের সাথে সম্পর্ক রক্ষা করেছে তাদেরকেও হত্যা করা হয় ৷ অবশিষ্ট অশ্বারোহী বাহিনীর
خَالِدٌ وَتَلَقَّاهُ عَقَّةُ، فَلَمَّا تَوَاجَهُوا قَالَ خَالِدٌ لِمُجَنِّبَتَيْهِ: احْفَظُوا مَكَانَكُمْ فَإِنِّي حَامِلٌ. وَأَمَرَ حُمَاتَهُ أَنْ يَكُونُوا مِنْ وَرَائِهِ، وَحَمَلَ عَلَى عَقَّةَ وَهُوَ يُسَوِّي الصُّفُوفَ، فَاحْتَضَنَهُ وَأَسَرَهُ، وَانْهَزَمَ جَيْشُ عَقَّةَ مِنْ غَيْرِ قِتَالٍ، فَأَكْثَرُوا فِيهِمُ الْأَسْرَ، وَقَصَدَ خَالِدٌ حِصْنَ عَيْنِ التَّمْرِ، فَلَمَّا بَلَغَ مِهْرَانَ هَزِيمَةُ عَقَّةَ وَجَيْشِهِ، نَزَلَ مِنَ الْحِصْنِ وَهَرَبَ وَتَرَكَهُ، وَرَجَعَتْ فُلَّالُ نَصَارَى الْأَعْرَابِ إِلَى الْحِصْنِ، فَوَجَدُوهُ مَفْتُوحًا فَدَخَلُوهُ وَاحْتَمَوْا بِهِ، فَجَاءَ خَالِدٌ فَأَحَاطَ بِهِ، وَحَاصَرَهُمْ أَشَدَّ الْحِصَارِ، فَلَمَّا رَأَوْا ذَلِكَ سَأَلُوهُ الصُّلْحَ، فَأَبَى إِلَّا أَنْ يَنْزِلُوا عَلَى حُكْمِهِ، فَنَزَلُوا عَلَى حُكْمِ خَالِدٍ، فَجُعِلُوا فِي السَّلَاسِلِ وَتَسَلَّمَ الْحِصْنَ، ثُمَّ أَمَرَ فَضُرِبَتْ عُنُقُ عَقَّةَ، وَمَنْ كَانَ أُسِرَ مَعَهُ، وَالَّذِينَ نَزَلُوا عَلَى حُكْمِهِ أَيْضًا أَجْمَعِينَ، وَغَنِمَ جَمِيعَ مَا كَانَ فِي ذَلِكَ الْحِصْنِ، وَوَجَدَ فِي الْكَنِيسَةِ الَّتِي بِهِ أَرْبَعِينَ غُلَامًا يَتَعَلَّمُونَ الْإِنْجِيلَ، وَعَلَيْهِمْ بَابٌ مُغْلَقٌ، فَكَسَرَهُ خَالِدٌ وَفَرَّقَهُمْ فِي الْأُمَرَاءِ وَأَهْلِ الْغَنَاءِ، وَكَانَ فِيهِمْ حُمْرَانُ، صَارَ إِلَى عُثْمَانَ بْنِ عَفَّانَ مِنَ الْخُمُسِ، وَمِنْهُمْ سِيرِينُ وَالِدُ مُحَمَّدِ بْنِ سِيرِينَ، أَخَذَهُ أَنَسُ بْنُ مَالِكٍ، وَجَمَاعَةٌ آخَرُونَ مِنَ الْمَوَالِي الْمَشَاهِيرِ أَرَادَ اللَّهُ بِهِمْ وَبِذَرَارِيِّهِمْ خَيْرًا.
وَلَمَّا قَدِمَ الْوَلِيدُ بْنُ عُقْبَةَ عَلَى الصِّدِّيقِ بِالْخُمُسِ رَدَّهُ الصِّدِّيقُ إِلَى عِيَاضِ بْنِ غَنْمٍ مَدَدًا لَهُ وَهُوَ مُحَاصِرٌ دُومَةَ الْجَنْدَلِ، فَلَمَّا قَدِمَ عَلَيْهِ وَجَدَهُ فِي نَاحِيَةٍ مِنَ الْعِرَاقِ يُحَاصِرُ قَوْمًا وَهُمْ قَدْ أَخَذُوا عَلَيْهِ الطُّرُقَ، فَهُوَ مَحْصُورٌ أَيْضًا، فَقَالَ عِيَاضٌ
পৃষ্ঠা - ৫৩৫৮
সৈন্যরা উদভ্রান্তের ন্যায় ঘুরপড়াক যেতে থাকে, কে তাদের পরিচালনার দায়িত্ব নেবে ? তারা এ
ব্যাপারে পারস্পরিক দ্বস্থে লিপ্ত হয় ৷ অবশ্য পরে তারা একটি বিশাল বাহিনী গঠন করে
খালিদের মুকাবিলায় মাদইিনে অবস্থান নেয় যেখানে কিসরার রাজধানী ও সিংহাসন ছিল ৷
খালিদ তখন সেখানকার সর্দারবর্গ ও নেতৃবৃন্দের নিকট এই মর্মে পত্র লেখেন যে, তোমরা
আল্লাহ্কে মেনে নাও ৷ দীন ইসলাম কবুল কর ৷ তোমাদের রজ্যে তােমাদেরই থাকবে ৷ এতে
সম্মত না হলে জিয্য়া আদায় কর ৷ তাতেও যদি রাজী না হও তাহলে জেনে নাও এবং শুনে
রেখো, এমন এক বাহিনী তোমাদের নিকট প্রেরিত হবে, যারা মৃভ্যুকে এমনভাবে কামনা করে
যেমনভাবে কামনা কর তোমরা বেচে থাকতে ৷ এ পত্র পেয়ে তারা খালিদের অসীম সাহস ও
বীরৎ দেখে বিস্মিত হয় এবং নিজেদের দুর্বলতা ও অজ্ঞতার জন্যে নিজেদেরকে ধিক্কার দিতে
থাকে ৷ হীরার সন্ধি সম্পাদনের পর খালিদ এক বছর যাবত পারস্যের বিজ্যি শহরের উপর
আক্রমণ করতে থাকে ৷ তিনি তাদের বিরুদ্ধে এমন প্রচণ্ড ও দৃর্ধর্ষ আক্রমণ করেন যে, তা
দেখলে চোখ ঝলসে যায়, শুনলে কান বধিয় হয়ে যায় এবং চিন্তা করলে হতবুদ্ধি হতে হয় ৷
খালিদের আমার বিজয় : এই যুদ্ধের অপর নাম চক্ষু যুদ্ধ
আস্বার বিজয়ের উদ্দেশ্যে খালিদ তার সৈন্য বাহিনীকে নিয়ে সেখানে যান ৷ শীরযায নামক
জনৈক সময় বিশারদ তখন আম্বারের শাসনকর্তা ছিল ৷ খালিদ আমার শহর অবরোধ করে
রাখেন ৷ কিন্তু শহরের চারদিকে পরিখা খনন করে রাখা ছিল ৷ আম্বারের আশে পাশের আরব
সম্প্রদায় আপন ধর্মের উপর প্রতিষ্ঠিত ছিল ৷ স্থানীয় লোকজনও তাদের সাথে যোগ দিয়ে
খালিদকে খন্দকের কাছে যেতে বাধা প্রদান করে ৷ সুতরাং তিনি তাদের সাথে যুদ্ধে লিপ্ত হন ৷
উভয় দল যখন ঘোরতর যুদ্ধ চালায় তখন খালিদ তার বাহিনীকে শত্রুদের চোখ তাক করে
তীর ছুড়তে নির্দেশ দেন ৷ সৈন্যরা তাই করতে শুরু করল এবং এক হাজার লোকের চোখে
তীর বিদ্ধ করতে সমর্থ হয় ৷ এর ফলে শত্রুদলের মধ্যে আর্তনাদ শুরু হয়; তারা বলতে থাকে,
আম্বারবাসীদের চোখ সব চলে গেল ৷ এ কারণে এই যুদ্ধকে যাতৃল-উয়ুন’ বা চক্ষুর যুদ্ধ’ বলা
হয় ৷ ,
অবশেষে শীরযায খালিদের নিকট সন্ধির প্রস্তাব পাঠায় ৷ খালিদ সন্ধির জন্য এমন
কতগুলো শর্ত আরোপ করলেন যা শীরযায মঞ্জুর করতে অসম্মত হয় ৷ তারপর খালিদ পরিখার
নিকটবর্তী হয়ে নিকৃষ্ট জাতীয় উটসমুহ যবেহ করে খন্দকে ফেলাবার নির্দেশ দেন ৷ যবেহকৃত
উটের স্কুপে পরিখা ভরাট হয়ে গেলে সৈন্যদের নিয়ে খালিদ তা পার হয়ে যান ৷ এ অবস্থা
প্রত্যক্ষ করে শীরযায সেই সব শর্ত মেনে নিয়ে সন্ধি করতে সম্মত হয়, যেইসব শর্ত ইতিপুর্বে
খালিদ আরোপ করেছিলেন ৷ শীরযায নিরাপদ স্থানে চলে যাওয়ার আবেদন জানালে খালিদ তা
মঞ্জুর করেন ৷ এভাবে শীরযায আম্বার ত্যাগ করে চলে যায় এবং খালিদ নির্বিঘ্নে আম্বারের
কর্তৃত্ব গ্রহণ করেন ৷ সেখানে বসবাসকারী আরবদের নিকট থেকে সাহারা কিরামগণ আরবী
লিপির জ্ঞান লাভ করেন ৷ ঐ সব আরবগণ তাদের পুর্ববর্তী আরবগােত্র বনু ইয়াদ থেকে লেখার
কাজ শিখেছিল ৷ যে যুগে বুখতে নাসর ইরাকে আরবদের বসতি স্থাপন করার সুযোগ দেয়
তখন থেকে বনু ইবাদ এখানে বসবাস করে আসজ্জি ৷ এই বনু ইয়াদের জনৈক করি তার
لِلْوَلِيدِ: إِنَّ بَعْضَ الرَّأْيِ خَيْرٌ مِنْ جَيْشٍ كَثِيفٍ، مَاذَا تَرَى فِيمَا نَحْنُ فِيهِ؟ فَقَالَ لَهُ الْوَلِيدُ: اكْتُبْ إِلَى خَالِدٍ يُمِدُّكَ بِجَيْشٍ مِنْ عِنْدِهِ. فَكَتَبَ إِلَيْهِ يَسْتَمِدُّهُ فَقَدِمَ كِتَابُهُ عَلَى خَالِدٍ غِبَّ وَقْعَةِ عَيْنِ التَّمْرِ وَهُوَ يَسْتَغِيثُ بِهِ، فَكَتَبَ إِلَيْهِ: مِنْ خَالِدٍ إِلَى عِيَاضٍ، إِيَّاكَ أُرِيدُ
لَبِّثْ قَلِيلًا تَأْتِكَ الْحَلَائِبُ ... يَحْمِلْنَ آسَادًا عَلَيْهَا الْقَاشِبُ
كَتَائِبٌ تَتْبَعُهَا كَتَائِبُ
[خَبَرُ دُومَةِ الْجَنْدَلِ]
لَمَّا فَرَغَ خَالِدٌ مِنْ عَيْنِ التَّمْرِ قَصَدَ إِلَى دُومَةِ الْجَنْدَلِ وَاسْتَخْلَفَ عَلَى عَيْنِ التَّمْرِ عُوَيْمِرَ بْنَ الْكَاهِنِ الْأَسْلَمِيَّ، فَلَمَّا سَمِعَ أَهْلُ دُومَةِ الْجَنْدَلِ بِمَسِيرِهِ إِلَيْهِمْ، بَعَثُوا إِلَى أَحْزَابِهِمْ مِنْ بَهْرَاءَ وَتَنُوخَ وَكَلْبٍ وَغَسَّانَ وَالضَّجَاعِمِ، فَأَقْبَلُوا إِلَيْهِمْ وَعَلَى غَسَّانَ وَتَنُوخَ ابْنُ الْأَيْهَمِ، وَعَلَى الضَّجَاعِمِ ابْنُ الْحِدْرِجَانِ، وَجِمَاعُ النَّاسِ بِدُومَةَ إِلَى رَجُلَيْنِ ; أُكَيْدِرِ بْنِ عَبْدِ الْمَلِكِ، وَالْجُودِيِّ بْنِ رَبِيعَةَ، فَاخْتَلَفَا، فَقَالَ أُكَيْدِرٌ: أَنَا أَعْلَمُ النَّاسِ بِخَالِدٍ، لَا أَحَدَ أَيْمَنُ طَائِرًا مِنْهُ فِي حَرْبٍ وَلَا أَحَدُّ مِنْهُ، وَلَا يَرَى وَجْهَ خَالِدٍ قَوْمٌ أَبَدًا ; قَلُّوا أَمْ كَثُرُوا إِلَّا انْهَزَمُوا عَنْهُ، فَأَطِيعُونِي
পৃষ্ঠা - ৫৩৫৯
وَصَالِحُوا الْقَوْمَ. فَأَبَوْا عَلَيْهِ، فَقَالَ: لَنْ أُمَالِئَكُمْ عَلَى حَرْبِ خَالِدٍ. وَفَارَقَهُمْ، فَبَعَثَ إِلَيْهِ خَالِدٌ عَاصِمَ بْنَ عَمْرٍو فَعَارَضَهُ فَأَخَذَهُ، فَلَمَّا أَتَى بِهِ خَالِدًا أَمَرَ فَضُرِبَتْ عُنُقُهُ وَأَخَذَ مَا كَانَ مَعَهُ، ثُمَّ تَوَاجَهَ خَالِدٌ وَأَهْلُ دُومَةِ الْجَنْدَلِ وَعَلَيْهِمُ الْجُودِيُّ بْنُ رَبِيعَةَ، وَكُلُّ قَبِيلَةٍ مَعَ أَمِيرِهَا مِنَ الْأَعْرَابِ، وَجَعَلَ خَالِدٌ دُومَةَ بَيْنَهُ وَبَيْنَ جَيْشِ عِيَاضِ بْنِ غَنْمٍ، وَافْتَرَقَ جَيْشُ الْأَعْرَابِ فِرْقَتَيْنِ ; فِرْقَةً نَحْوَ خَالِدٍ، وَفِرْقَةً نَحْوَ عِيَاضٍ، وَحَمَلَ خَالِدٌ عَلَى مَنْ قِبَلَهُ، وَحَمَلَ عِيَاضٌ عَلَى أُولَئِكَ، فَأَسَرَ خَالِدٌ الْجُودِيَّ، وَأَسَرَ الْأَقْرَعُ بْنُ حَابِسٍ وَدِيعَةَ، وَفَّرَتِ الْأَعْرَابُ إِلَى الْحِصْنِ، فَمَلَأُوهُ وَبَقِيَ مِنْهُمْ خَلْقٌ ضَاقَ عَنْهُمْ، فَعَطَفَتْ بَنُو تَمِيمٍ عَلَى مَنْ هُوَ خَارِجَ الْحِصْنِ فَأَعْطَوْهُمْ مِيرَةً، فَنَجَا بَعْضُهُمْ، وَجَاءَ خَالِدٌ فَضَرَبَ أَعْنَاقَ مَنْ وَجَدَهُ خَارِجَ الْحِصْنِ، وَأَمَرَ بِضَرْبِ عُنُقِ الْجُودِيِّ وَمَنْ كَانَ مَعَهُ مِنَ الْأُسَارَى، إِلَّا أُسَارَى بَنِي كَلْبٍ ; فَإِنَّ عَاصِمَ بْنَ عَمْرٍو وَالْأَقْرَعَ بْنَ حَابِسٍ وَبَنِي تَمِيمٍ أَجَارُوهُمْ، فَقَالَ لَهُمْ خَالِدٌ: مَا لِي وَلَكُمْ، أَتَحْفَظُونَ أَمْرَ الْجَاهِلِيَّةِ وَتُضَيِّعُونَ أَمْرَ الْإِسْلَامِ؟ ! فَقَالَ لَهُ عَاصِمُ بْنُ عَمْرٍو: أَتَحْسُدُونَهُمُ الْعَافِيَةَ وَتُحَوِّزُونَهُمْ إِلَى الشَّيْطَانِ. ثُمَّ أَطَافَ خَالِدٌ بِالْبَابِ فَلَمْ يَزَلْ عَنْهُ حَتَّى اقْتَلَعَهُ، وَاقْتَحَمُوا الْحِصْنَ فَقَتَلُوا مَنْ فِيهِ مِنَ الْمُقَاتِلَةِ، وَسَبَوُا الذَّرَارِيَّ، فَتَبَايَعُوهُمْ بَيْنَهُمْ فِيمَنْ يَزِيدُ، وَاشْتَرَى خَالِدٌ يَوْمَئِذٍ ابْنَةَ الْجُودِيِّ، وَكَانَتْ مَوْصُوفَةً بِالْجَمَالِ، وَأَقَامَ بِدُومَةِ الْجَنْدَلِ، وَرَدَّ الْأَقْرَعَ إِلَى الْأَنْبَارِ، ثُمَّ رَجَعَ خَالِدٌ إِلَى الْحِيرَةِ، فَتَلَقَّاهُ أَهْلُهَا مِنْ أَهْلِ الْأَرْضِ بِالتَّقْلِيسِ،
পৃষ্ঠা - ৫৩৬০
গোত্রের প্রশংসায় একটি কবিতা রচনা করেছিল ৷ সেই কবিতা দিয়ে তারা খালিদের প্রশংসা
করে ৷ কবিতার কিছু অংশ এই :
অর্থ : আমার গোত্র বনুইয়াদ ৷ যদি তারা সংঘবদ্ধ না হত কিত্বা যদি তারা প্রতিষ্ঠিত হত
তাহলে পুর্ণ কুল দুর্বল হয়ে যেত ৷ তারা এমন এক জাতি, যারা ঐক্যবদ্ধভাবে ইরাকের ভুমিতে
পদার্পণ করার সময় খাতা কলম সংগে করে নিয়ে আসে ৷
এরপর খালিদ বাওয়াযীজ ও কালওয়াযীবাসীদেরকে দমন করেন ৷ সায়ফ ইবন উমর
বলেন, আমার ও তৎসংলগ্ন এলাকার জনগণের অবস্থা যখন পােচনীয় হয়ে আসে তখন তারা
সন্ধিচুক্তি ভঙ্গ করে ৷ বাওয়াযীজ ও বানকিয়া ব্যতীত আর ণ্কহই সন্ধির উপর অবিচল ছিল না ৷
সায়ফ হাবীব ইবন আবী ছাবিত থেকে বর্ণনা করেন, যুদ্ধ সংঘটিত হওয়ার পুর্বে ইরাকের
অধিবাসীদের কােনসন্ধিচুক্তি ছিল না ৷ কেবল মাত্র হীরার অধিবাসী বনু সালুবা ও কালওয়াযী
এবং ফুরাত নদীর অববাহিকার কয়েকটি জনপদের সাথে সন্ধিচুক্তি ছিল ৷ চুক্তি ভঙ্গ করার পর
তাদেরকে যিগী থাকার আহ্বান জানানো হয় ৷ সায়ফের বর্ণনা, মুহাম্মাদ ইবন কায়স বলেন,
আমি শাবীকে জিজ্ঞেস করি, কতিপয় দুর্গ ও কিল্লা ব্যতীত সড়াণ্ডয়াদসুহ সমগ্র এলাকা কি
জব্রদন্তীরসাথে দখল ক্যা হয়েছিল ? উত্তরে তিনি বলেন, কিছু সন্ধির মাধ্যমে এবং কিছু জোর
পুর্বক দখল করা হয়েছিল ৷ পুনরায় জিজ্ঞেস করলাম, সাওয়াদবাসীরা কি যুদ্ধের পুর্বে যিমযীতৃ
গ্রহণ করেছিল ? শাবী বলেন, না, তবে যখন তাদেরকে আহ্বান করা হয় এবং খারাজ দিতে
সম্মত হয় তখন তারা যিযীতে পরিণত হয়ে যায় ৷
আয়নুততামার’ অভিযান
আম্বারে ক্ষমতা প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর যারকান ইবন বদর এর উপর তথার দায়িত্ব দিয়ে
খালিদ আয়নুত-তামারের দিকে অগ্রসর হন ৷ মাহরান ইবন বাহরাম জুবীন বিশাল এক বাহিনী
নিয়ে এখানে অবস্থান কঃাজ্জি ৷ তামারের আশপাশের কতিপয় আরব কবীলা যথা তাগ্লিব,
ইয়াদ ইত্যাদি মাহরানের সাহায্যার্থে প্রস্তুত ছিল ৷ উক্কা ইবন আবী উক্কা ছিল এদের
সেনাপতি ৷ খালিদ আয়নুত তামারের সন্নিকটে পৌছলে উক্কা মাহরানকে বলল, আরবদের
বিরুদ্ধে আরবরাই যুদ্ধ করতে বেশি পারদর্শী ৷ সুতরাং খালিদের বিরুদ্ধে বুঝাপড়া করার জন্য
আমাকে ছেড়ে দিন ৷ মাহরান বলল, ঠিক আছে, তাই হোক ৷ তবে যদি প্রয়োজন মনে কর
তবে সাহায্যের জন্য আমরা প্রস্তুত আছি ৷ জ্যি এ প্রস্তাব মেনে নেয়ার জন্য অনারব সৈন্যরা
মাহরানকে ভর্তসনা করল ৷ মাহরান তাদেরকে বুঝাল, তোমরা এ বিষয়ে মাথা ঘামিয়ো না,
কেননা, এরা যদি থালিদকে পরাজিত করতে পারে, তাহলে সে বিজয় তো তােমাদেরই; আর
যদি এরা পরাজিত হয় তবে পরে আমরা খালিদের বিরুদ্ধে লড়ব এবং তখন মুসলমানরা হয়ে
পড়বে ক্লান্ত আর আমরা থাকর শক্তিশালী সরল ৷ মাহরানের যুক্তিপুর্ণ কথা সবইি স্বীকার করে
নিল ৷ এরপর খালিদ সম্মুখে অগ্রসর হয়ে উক্কার কাছাকাছি এলেন ৷ উভয় দল যখন মুখোমুখি
فَسَمِعَ رَجُلًا مِنْهُمْ يَقُولُ لِصَاحِبِهِ: مُرَّ بِنَا فَهَذَا يَوْمٌ فَرِحَ الشَّرُّ.
[وَقْعَتَيِ الْحُصَيْدِ وَالْمُصَيَّخِ]
خَبَرُ وَقْعَتَيِ الْحُصَيْدِ وَالْمُصَيَّخِ.
قَالَ سَيْفٌ عَنْ مُحَمَّدٍ وَطَلْحَةَ وَالْمُهْلَّبِ، قَالُوا: وَقَدْ كَانَ خَالِدٌ أَقَامَ بِدُومَةِ الْجَنْدَلِ، فَظَنَّ الْأَعَاجِمُ بِهِ، وَكَاتَبُوا عَرَبَ الْجَزِيرَةِ، فَاجْتَمَعُوا لِحَرْبِهِ، وَقَصَدُوا الْأَنْبَارَ يُرِيدُونَ انْتِزَاعَهَا مِنَ الزِّبْرِقَانِ، وَهُوَ نَائِبُ خَالِدٍ عَلَيْهَا، فَلَمَّا بَلَغَ ذَلِكَ الزِّبْرِقَانَ كَتَبَ إِلَى الْقَعْقَاعِ بْنِ عَمْرٍو نَائِبِ خَالِدٍ عَلَى لْحِيرَةِ، فَبَعَثَ الْقَعْقَاعُ أَعْبَدَ بْنَ فَدَكِيٍّ السَّعْدِيَّ، وَأَمَرَهُ بِالْحُصَيْدِ، وَبَعَثَ عُرْوَةَ بْنَ الْجَعْدِ الْبَارِقِيَّ وَأَمَرَهُ بِالْخَنَافِسِ، وَرَجَعَ خَالِدٌ مِنْ دُومَةَ إِلَى الْحِيرَةِ وَهُوَ عَازِمٌ عَلَى مُصَادَمَةِ أَهْلِ الْمَدَائِنِ مَحَلَّةِ كِسْرَى، لَكِنَّهُ يَكْرَهُ أَنْ يَفْعَلَ ذَلِكَ بِغَيْرِ إِذَنْ أَبِي بَكْرٍ الصِّدِّيقِ، وَشَغَلَهُ مَا قَدِ اجْتَمَعَ مِنْ جُيُوشِ الْأَعَاجِمِ مَعَ نَصَارَى الْأَعْرَابِ يُرِيدُونَ حَرْبَهُ، فَبَعَثَ الْقَعْقَاعَ بْنَ عَمْرٍو أَمِيرًا عَلَى النَّاسِ، فَالْتَقَوْا بِمَكَانٍ يُقَالُ لَهُ: الْحُصَيْدُ، وَعَلَى الْعَجَمِ رَجُلٌ مِنْهُمْ يُقَالُ لَهُ: رُوزَبَهْ. وَأَمَدَّهُ أَمِيرٌ آخَرُ يُقَالُ لَهُ: زَرْمِهْرُ. فَاقْتَتَلُوا قِتَالًا شَدِيدًا، وَهُزِمَ الْمُشْرِكُونَ، فَقَتَلَ مِنْهُمُ الْمُسْلِمُونَ خَلْقًا كَثِيرًا، وَقَتَلَ الْقَعْقَاعُ بِيَدِهِ زَرْمِهْرَ، وَقَتَلَ رَجُلٌ يُقَالُ لَهُ: عِصْمَةُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ الضَّبِّيُّ رُوزَبَهْ. وَغَنِمَ الْمُسْلِمُونَ شَيْئًا
পৃষ্ঠা - ৫৩৬১
তখন খালিদ তার দুই বাহুর সৈন্যদেরকে বললেন, তোমরা ওে তামাদের অবস্থানকে সুরক্ষিত
রেখো ৷ আমিই আক্রমণ করছি ৷ নিজের সাথীদেরকে বললেন, তোমরা আমার পশ্চাতে থাক ৷
উক্কা যেই মুহুর্তে সৈন্যদেরকে সারিবদ্ধ করছিল সেই মুহুর্তে খালিদ ঝটিকা আক্রমণ করে
তাকে বন্দী করে ফেলেন ৷ ফলে উক্কার সৈন্যরা বিনা যুদ্ধেই রণে ভঙ্গ দিয়ে পালাতে শুরু
করল ৷ মুসলমানরা পশ্চাদ্ধাবন করে অনেককেই বন্দী করেন ৷
এরপর খালিদ আয়নুত তামারের দুর্গ অবরোধ করতে তমনন্থ করেন ৷ ওদিকে উক্কা ও
তার সৈন্যদের পরাজয়ের সংবাদ শুনে মাহরান তয়ে দৃর্গ ত্যাগ করে পালিয়ে যায় ৷ পরাজিত
আরব থ্রিন্টানরা দৃর্গাভিমুখে প্রত্যাবর্তন করে দৃর্গদ্বার উন্মুক্ত দেখে ভিতরে প্রবেশ করে দরজা
বন্ধ করে দেয় ৷ খালিদ গিয়ে তাদেরকে কঠিনভাবে অবরোধ করে রাখেন ৷ অবস্থা বে গতিক
দেখে তারা সন্ধির প্রস্তাব দেয় ৷ কিন্তু খালিদ প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে বলেন, আমার কাছে
আত্মসমর্পণ কর ৷ বাধ্য হয়ে তারা খালিদের নির্দেশক্রমে আত্মসমর্পন করে ৷ মুসলমানরা তাদের
সবাইকে বন্দী করে দুর্গ অধিকার করেন ৷ এরপর খালিদের আদেশ অনুযায়ী প্রথমে উক্কার
গর্দান উড়িয়ে দেয়া হয়, তারপরে যারা তার সাথে বন্দী হয়েছিল এবং যারা খালিদের কাছে
আত্মসমর্পণ করেছিল তাদের সবাইকে হত্যা করা হয় ৷ দুর্গাভ্যম্ভরে যা কিছু পাওয়া যায় সব
কিছুই গনীমতের অন্তর্ভুক্ত করা হয় ৷
খালিদ একটি আবদ্ধ গির্জার চল্লিশ জন বালকের সন্ধান পান, যারা সেখানে ইনজিল
কিতাব শিক্ষা লাভ করছিল ৷ গির্জার তালা ভেঙ্গে খালিদ তাদেরকে বের করে আনেন এবং
সেনাপতি ও আমীরদের মধ্যে বন্টন করে দেন ৷ হযরত উসমান ইবন আফ্ফান খুমুস হিসেবে
হুমরানকে লাভ করেন ৷ মুহাম্মদ ইবন সীরীনের পিতা সীরীনকে আনাস ইবন মালিক গ্রহণ
করেন ৷ এ জাতীয় বেশ কিছু প্রসিদ্ধ মাওয়ালী বা মুক্ত গোলাম তাদের মধ্য থেকে হয়েছে,
যাদের সাথে এবং যাদের সন্তানদের সাথে উত্তম ব্যবহার করা হয় ৷ আয়নুততামারের গনীমত
নিয়ে ওলীদ ইবন উক্বা মদীনায় খলীফার নিকট পৌছলে খলীফা তা তগ্রহণ না করে ইয়াদ ইবন
গানামের সাহায্যার্থে পাঠিয়ে দেন ৷ ইয়াদ তখন দুমাতৃল-জানদাল’ অবরোধ করে রেখেছিলেন ৷
ওলীদ ফিরে এসে দেখেন ইয়াদ ইরাক উপকণ্ঠে একটি গােত্রকে অবরোধ করে রয়েছেন ৷ আর
তারাও ইয়াদের যাতায়াতের সকল পথ বন্ধ করে রেখেছে ৷ সুতরাং তিনিও তাদের দ্বারা
অবরুদ্ধ ৷ ইয়াদ ওলীদকে বললেন, দেখুন, একটা ভাল পরামর্শ বিরাট সৈন্য বাহিনী থেকেও
উত্তম হয়ে আমরা যে অবস্থায় আছি যে
অবস্থায় কি পরামর্শ দেন ? ওলীদ বলল, আপনি সাহায্য চেয়ে খালিদের নিকট পত্র লিখুন
সুতরাং তিনি খালিদের নিকট সাহায্য চেয়ে পত্র লেখেন ৷ পত্রখানা আয়নুত ত-তামারের ঘটনার
পর খালিদের নিকট পৌছালে তিনি ইয়াদকে লিখলেন০ ং “খালিদের থেকে ইয়াদের নিকট এ
চিঠি-আমি অবশ্যই তোমার সাহায্যার্থে আসৃছি ৷”
অর্থাৎ অল্প কিছুদিন ধৈর্য ধারণ কর ৷ দুগ্ধবর্তী উটনী ণ্ত ৷মার নিকট আসছে ৷ তারা মৃত্যু
বিষ বহন করে আনবে ৷ এক দলের পশ্চাতে আর একদল অব্যাহত ভাবে আসতে থাকবে ৷
كَثِيرًا، وَهَرَبَ مَنْ هَرَبَ مِنَ الْعَجَمِ، فَلَجَأُوا إِلَى مَكَانٍ يُقَالُ لَهُ: خَنَافِسُ. فَسَارَ إِلَيْهِمْ أَبُو لَيْلَى بْنُ فَدَكِيٍّ السَّعْدِيُّ، فَلَمَّا أَحَسُّوا بِذَلِكَ سَارُوا إِلَى الْمُصَيَّخِ، فَلَمَّا اسْتَقَرُّوا بِهَا بِمَنْ مَعَهُمْ مِنَ الْأَعَاجِمِ وَالْأَعْرَابِ قَصَدَهُمْ خَالِدُ بْنُ الْوَلِيدِ بِمَنْ مَعَهُ مِنَ الْجُنُودِ، وَقَسَّمَ الْجَيْشَ ثَلَاثَ فِرَقٍ، وَأَغَارَ عَلَيْهِمْ لَيْلًا وَهُمْ نَائِمُونَ فَأَنَامَهُمْ، وَلَمْ يُفْلِتْ مِنْهُمْ إِلَّا الْيَسِيرُ، فَمَا شُبِّهُوا إِلَّا بِغَنَمٍ مُصَرَّعَةٍ. وَقَدْ رَوَى ابْنُ جَرِيرٍ عَنْ عَدِيِّ بْنِ حَاتِمٍ قَالَ: انْتَهَيْنَا فِي هَذِهِ الْغَارَةِ إِلَى رَجُلٍ يُقَالُ لَهُ: حُرْقُوصُ بْنُ النُّعْمَانِ النَّمَرِيُّ. وَحَوْلَهُ بَنُوهُ وَبَنَاتُهُ وَامْرَأَتُهُ، وَقَدْ وَضَعَ لَهُمْ جَفْنَةً مِنْ خَمْرٍ وَهُمْ يَقُولُونَ: لَا أَحَدَ يَشْرَبُ هَذِهِ السَّاعَةَ، وَهَذِهِ جُيُوشُ خَالِدٍ قَدْ أَقْبَلَتْ؟ ! فَقَالَ لَهُمُ: اشْرَبُوا شُرْبَ وَدَاعٍ، فَمَا أَرَى أَنْ تَشْرَبُوا خَمْرًا بَعْدَهَا فَشَرِبُوا وَجَعَلَ يَقُولُ:
أَلَا فَاسْقِيَانِي قَبْلَ ثَائِرَةِ الْفَجْرِ ... لَعَلَّ مَنَايَانَا قَرِيبٌ وَلَا نَدْرِي
الْقَصِيدَةَ إِلَى آخِرِهَا. قَالَ: فَهَجَمَ النَّاسُ عَلَيْهِ، فَضَرَبَ رَجُلٌ رَأْسَهُ، فَإِذَا هُوَ فِي جَفْنَتِهِ، وَأُخِذَتْ بَنُوهُ وَبَنَاتُهُ وَامْرَأَتُهُ.
وَقَدْ قُتِلَ فِي هَذِهِ الْمَعْرَكَةِ رَجُلَانِ كَانَا قَدْ أَسْلَمَا وَمَعَهُمَا كِتَابٌ مِنَ الصِّدِّيقِ بِالْأَمَانِ، وَلَمْ يَعْلَمْ بِذَلِكَ الْمُسْلِمُونَ، وَهُمَا عَبْدُ الْعُزَّى بْنُ أَبِي رِهْمِ بْنِ قِرْوَاشٍ، قَتَلَهُ جَرِيرُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ الْبَجَلِيُّ، وَالْآخَرُ لَبِيدُ بْنُ جَرِيرٍ قَتَلَهُ بَعْضُ الْمُسْلِمِينَ، فَلَمَّا بَلَغَ خَبَرُهُمَا الصِّدِّيقَ وَدَاهُمَا، وَبَعَثَ بِالْوَصَاةِ بِأَوْلَادِهِمَا، وَتَكَلَّمَ عُمَرُ بْنُ
পৃষ্ঠা - ৫৩৬২
দুমাতুল জানদাল অভিযান
আয়নুত তামার জয় করার পর খালিদ সেখানে উআয়মির ইবনুল কাহিন আসলামীকে
দায়িত্ব দিয়ে দুমাণ্ডু ল জানদালের উদ্দেশ্যে রওয়ানা হন ৷ দুমাবাসীরা এ খবর শুনে তাদের
অনুগামী বাহরা তানুখ, কালব, পাসসান ও দাজাইম গোত্র সমুহের নিকট সংবাদ পাঠায় ৷
সঙ্গে সঙ্গে তারা হাজির হয়ে যায় ৷ ইবনুল আয়হামকে পাসসান ওত তানুখের সেনাপতি করা হয়
এবং দাজাইমের সেনাপতি করা হয় আল-হাদরিজানকে ৷ দুমায় সমবেত সম্মিলিত বাহিনীর
নেতৃত্ব দেয় দুইজন লোক ৷ একজনের নাম উকায়দির ইবন আবদুল মালিক; অপর জনের নাম
জাওদী ইবন রাবীআ ৷ উভয় দলপতির মধ্যে মত বিরোধ সৃষ্টি হয় ৷ উক৷ ৷য়দায়া বলল, খালিদ
সম্পর্কে সবার চেয়ে আমি ভাল জানি ৷ যুদ্ধক্ষেত্র থেকে নিরাপদে ফিরে আসা কারও পক্ষে সম্ভব
তার চেহারা দেখা কারও পক্ষে সম্ভব নয় ৷ দল ছোট হোক কি বড়, তার বিরুদ্ধে যুদ্ধ
করলে পরাজিত হওয়া ছাড়া কোন উপায় নেই ৷ অতএব, আমার কথা মেনে নাও এবং তাদের
সাথে সন্ধি কর ৷
কিন্তু উকায়দািরর কথা সকলেই প্রত্যাখ্যান করল ৷ তখন সে বলল, আমি তোমাদের
সাথে যুদ্ধ করতে যাব না এবং এ কথা বলেই সে দল ত্যাগ করে চলে গেল ৷ অতঃপর খালিদ
আসিম ইবন আমরকে তার নিকট পাঠালেন ৷ উকায়দির মুকাবিলা করতে যেয়ে আসিমের
হাতে বন্দী হয় ৷ খালিদের নিকট হাজির করা হলে৩ তিনি তাকে হত্যার নির্দেশ দেন এবং তার
সাথে যা কিছু ছিল তা নিয়ে নেওয়ার জন্য বলেন ৷ এরপর খালিদ ও দুমাবাসীরা যুদ্ধের জন্য
প্রস্তুতি গ্রহণ করে ৷ ওদের নেতা ছিল জুদী ইবন রবীআ ৷ শত্রুপক্ষের প্রত্যেক আরব গোত্র নিজ
নিজ গোত্রীয় আমীরের নেতৃত্বে যুদ্ধ করে ৷ খালিদ সমগ্র দুমা এলাকাকে দু টি ফ্রন্টে বিভক্ত
করেন ৷ একটিতে আয়াদ ইবন গানাম এবং আরেকটিতে তিনি নিজে নেতৃত্ব দেন ৷ আরব
মুশরিক সৈন্যরাও দুটি দলে ভাগ হয়ে একদল ইয়াদ এর মুকাবিলায় এবং অপর দল খালিদের
মুকাবিলায় অবস্থান নেয় ৷ সুতরাং খালিদ তার সম্মুখন্থ শত্রুদের উপর এবং ইয়াদ তার সম্মুখন্থ
সৈন্যদের উপর আক্রমণ চালান ৷ যুদ্ধের শুরুতেই জুদী খালিদের হাতে বন্দী হয় ৷ একই সাথে
আক্রা ইবন হাবিস অদীআকে বন্দী করেন ৷ আরব মুশরিকরা যুদ্ধ ক্ষেত্র থেকে পলায়ন করে ৷
তারা এক দুর্গে অবস্থান নেয় ৷ দুর্গ পরিপুর্ণ হয়ে গেলে কিছু সংখ্যক সৈন্য বাইরে থেকে যায় ৷
বনু তামীম এই বাইরে থাকা সৈন্যদের প্রতি সহানুভুতিশীল হয়ে কিছু থােরাক দিলে তাদের
কিছু সংখ্যক বেচে যায় ৷
পরে খালিদ এসে বাইরে অবস্থানকারী সৈন্যদের সবাইকে হত্যা করেন ৷ জুদী এবং তার
মায়ের বন্দীদেরকেও তিনি হত্যা করার নির্দেশ দেন ৷ তবে বনী কালবের বন্দীরা হত্যা
আদেশের আওতায় ছিল না ৷ কারণ আসিম ইবন আমর আক্রা ইবন হাবিস এবং বনু
তামীমের মুসলমানরা এদেরকে নিরাপত্তা দিয়ে ব্লেখেছিলেন ৷ খালিদ তাদেরকে বললেন, আমি
কি চইি, আর তোমরা কি করছ ? ণ্৩ ৷মরা কি জাহিলী যুগের প্রথাকে আকড়ে রাখবে এবং
ইসলামী নীতিকে বিসজ্যা দিতে চাও ? আসিম ইবন আমর বললেন, তাদের প্রতি ক্ষমা
— ৬ ৭
الْخِطَابِ فِي خَالِدٍ بِسَبَبِهِمَا، كَمَا تَكَلَّمَ فِيهِ بِسَبَبِ مَالِكِ بْنِ نُوَيْرَةَ، فَقَالَ لَهُ الصِّدِّيقُ: كَذَلِكَ يَلْقَى مَنْ سَاكَنَ أَهْلَ الْحَرْبِ فِي دِيَارِهِمْ. أَيِ: الذَّنْبُ لَهُمَا فِي مُجَاوَرَتِهِمَا الْمُشْرِكِينَ. وَهَذَا كَمَا فِي الْحَدِيثِ: «أَنَا بَرِيءٌ مِنْ كُلِّ مَنْ سَاكَنَ الْمُشْرِكَ فِي دَارِهِ» . وَفِي الْحَدِيثِ الْآخَرِ: «لَا تَتَرَاءَى نَارُهُمَا» . أَيْ لَا يَجْتَمِعُ الْمُسْلِمُونَ وَالْمُشْرِكُونَ فِي مَحَلَّةٍ وَاحِدَةٍ.
ثُمَّ كَانَتْ وَقْعَةُ الثِّنْيِ وَالزُّمَيْلِ، وَقَدْ بَيَّتُوهُمْ، فَقَتَلُوا مَنْ كَانَ هُنَالِكَ مِنَ الْأَعْرَابِ وَالْأَعَاجِمِ، فَلَمْ يُفْلِتُ مِنْهُمْ أَحَدٌ وَلَا انْبَعَثَ مُخْبِرٌ، ثُمَّ بَعَثَ خَالِدٌ بِالْخُمُسِ مِنَ الْأَمْوَالِ وَالسَّبْيِ إِلَى الصِّدِّيقِ، وَقَدِ اشْتَرَى عَلِيُّ بْنُ أَبِي طَالِبٍ مِنْ هَذَا السَّبْيِ جَارِيَةً مِنَ الْعَرَبِ، وَهِيَ ابْنَةُ رَبِيعَةَ بْنِ بُجَيْرٍ التَّغْلِبِيِّ، فَاسْتَوْلَدَهَا عُمَرَ وَرُقَيَّةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمْ أَجْمَعِينَ.
[وَقْعَةُ الْفِرَاضِ]
ثُمَّ سَارَ خَالِدٌ بِمَنْ مَعَهُ مِنَ الْمُسْلِمِينَ إِلَى وَقْعَةِ الْفِرَاضِ وَهِيَ تُخُومُ الشَّامِ وَالْعِرَاقِ وَالْجَزِيرَةِ، فَأَقَامَ هُنَالِكَ شَهْرَ رَمَضَانَ مُفْطِرًا ; لِشُغْلِهِ بِالْأَعْدَاءِ، وَلَمَّا بَلَغَ الرُّومَ أَمْرُ
পৃষ্ঠা - ৫৩৬৩
خَالِدٍ وَمَصِيرُهُ إِلَى قُرْبِ بِلَادِهِمْ، حَمُوا وَغَضِبُوا وَجَمَعُوا جُمُوعًا كَثِيرَةً، وَاسْتَمَدُّوا تَغْلِبَ وَإِيَادًا وَالنَّمِرَ، ثُمَّ نَاهَدُوا خَالِدًا، فَحَالَتِ الْفُرَاتُ بَيْنَهُمْ، فَقَالَتِ الرُّومُ لِخَالِدٍ: اعْبُرْ إِلَيْنَا. وَقَالَ خَالِدٌ لِلرُّومِ: بَلِ اعْبُرُوا أَنْتُمْ. فَعَبَرَتِ الرُّومُ إِلَيْهِمْ، وَذَلِكَ لِلنِّصْفِ مِنْ ذِي الْقِعْدَةِ سَنَةَ ثِنْتَيْ عَشْرَةَ، فَاقْتَتَلُوا هُنَالِكَ قِتَالًا عَظِيمًا بَلِيغًا، ثُمَّ هَزَمَ اللَّهُ جُمُوعَ الرُّومِ، وَتَمَكَّنَ الْمُسْلِمُونَ مِنْ أَقْفَائِهِمْ، فَقُتِلَ فِي هَذِهِ الْمَعْرَكَةِ مِائَةُ أَلْفٍ، وَأَقَامَ خَالِدٌ بَعْدَ ذَلِكَ بِالْفِرَاضِ عَشَرَةَ أَيَّامٍ، ثُمَّ أَذِنَ بِالْقُفُولِ إِلَى الْحِيرَةِ، لِخَمْسٍ بَقِينَ مِنْ ذِي الْقِعْدَةِ، وَأَمَرَ عَاصِمَ بْنَ عَمْرٍو أَنْ يَسِيرَ فِي الْمُقَدِّمَةِ، وَأَمَرَ شَجَرَةَ بْنَ الْأَعَزِّ أَنْ يَسِيرَ فِي السَّاقَةِ، وَأَظْهَرَ خَالِدٌ أَنَّهُ يَسِيرُ فِي السَّاقَةِ، وَسَارَ خَالِدٌ فِي عِدَّةٍ مِنْ أَصْحَابِهِ، وَقَصَدَ شَطْرَ الْمَسْجِدِ الْحَرَامِ، وَسَارَ إِلَى مَكَّةَ فِي طَرِيقٍ لَمْ تُسْلَكْ قَبْلَهُ قَطُّ، وَتَأَتَّى لَهُ فِي ذَلِكَ أَمْرٌ لَمْ يَقَعْ لِغَيْرِهِ، فَجَعَلَ يَسِيرُ مُعْتَسِفًا عَلَى غَيْرِ جَادَّةٍ، حَتَّى انْتَهَى إِلَى مَكَّةَ فَأَدْرَكَ الْحَجَّ فِي هَذِهِ السَّنَةِ، ثُمَّ عَادَ فَأَدْرَكَ آخِرَ السَّاقَةِ قَبْلَ أَنْ يَصِلُوا إِلَى الْحِيرَةِ، وَلَمْ يَعْلَمْ أَحَدٌ بِحَجِّ خَالِدٍ هَذِهِ السَّنَةَ إِلَّا الْقَلِيلُ مِنَ النَّاسِ مِمَّنْ كَانَ مَعَهُ، وَلَمْ يَعْلَمْ أَبُو بَكْرٍ الصِّدِّيقُ بِذَلِكَ أَيْضًا إِلَّا بَعْدَمَا رَجَعَ أَهْلُ الْحَجِّ مِنَ الْمَوْسِمِ، فَبَعَثَ يَعْتِبُ عَلَيْهِ فِي مُفَارَقَتِهِ الْجَيْشَ، وَكَانَتْ عُقُوبَتَهُ عِنْدَهُ أَنْ صَرَفَهُ مِنْ غَزْوِ الْعِرَاقِ إِلَى غَزْوِ الشَّامِ، وَقَالَ لَهُ فِيمَا كَتَبَ إِلَيْهِ يَقُولُ لَهُ: وَإِنَّ الْجُمُوعَ لَمْ تَشْجُ بِعَوْنِ اللَّهِ شَجْيَكَ، فَلْيَهْنِكَ أَبَا سُلَيْمَانَ النِّيَّةُ وَالْحُظْوَةُ، فَأَتْمِمْ يُتَمِّمِ اللَّهُ لَكَ، وَلَا يَدْخُلَنَّكَ عُجْبٌ فَتَخْسَرَ وَتُخْذَلَ، وَإِيَّاكَ أَنْ
পৃষ্ঠা - ৫৩৬৪
প্রদর্শনে সংকীর্ণ হওয়া ও তাদের উপর শয়তানের আধিপত্য সৃষ্টির কামনা করা সমীচীন হবে
না ৷ অতঃপর খালিদ দুর্গের চতুদািক প্রদক্ষিণ করে এর মুলৎপাটনের চিন্তা করতে থাকেন ৷
এক পর্যায়ে তিনি প্রচণ্ড আক্রমণ করে সদলবলে দুর্গাভ্যন্তরে প্রবশে করেন এবং যুদ্ধক্ষম
সকলকে হত্যা করেন ৷ (হলে-মেয়ে ও মহিলাদেরকে বন্দী করেন এবং নিলামে নিজেদের মধ্যে
বিক্রি করেন ৷ খালিদ ইবন ওলীদ জুদীর এক সুন্দরী কন্যাকে ক্রয় করেন ৷ দুমাতৃল জানদালে
কিছুদিন অবস্থান করার পর খালিদ আক্রা ইবন হাবিসকে আম্বারে পাঠিয়ে দিয়ে নিজে হীরায়
প্রত্যাবর্তন করেন ৷ যখন তিনি হীরায় পৌছেন তখন স্থানীয় লোকজন ঢেলে-তবলা বাজািয় গান
গাইতে গাইতে তাকে অভ্যর্থনা জানায় ৷ খালিদ শুনতে পান ওদের মধ্যে একজন লোক তার
সাথীকে বলছে :
অর্থ : আমাদের $fi§§ চল, কেননা আজকের দিনটি এমন যে, দুষ্কৃতিকারী ব্যক্তিও খুশি ৷
হাসীদ ও মুযায়্যাহ্ অভিযান
সায়ফ ইবন উমর বলেন, মুহাম্মদ, তালহা ও মুহাল্লিব বলেছেন, সেনাপতি খালিদ যখন
দুমাতৃল জানদালে অবস্থান করছিলেন তখন তথাকার অনারব সৈন্যরা জাযীরাভুল আরবের
মুশরিকদেরকে পত্রের মাধ্যমে খবর দিয়ে জড়ো করে এবং আমার শহরকে খালিদের নিযুক্ত
গভর্ণর যবরকানের দখল থেকে উদ্ধার করার পরিকল্পনা গ্রহণ করে ৷ এ সংবাদ হীরায় নিযুক্ত
খালিদের গভর্ণর কাকা ইবন আমরের নিকট পৌছিয়ে দেন ৷ কাকা সংবাদ পেয়েই আবাদ
ইবন ফাদড়াকী আস-সাদীকে হাসীদ’ এলাকায় এবং উরওয়া ইবন আরিল জাদ
আল-বারিকী-কে খানাফিস অঞ্চলে যাওয়ার নির্দেশ দেন ৷ এদিকে খালিদ মাদাইনে অভিযান
পরিচালনার উদ্দেশ্যে দুমাতৃল জানদাল ছেড়ে হীরায় গিয়ে উপস্থিত হন ৷ মাদইিন ছিল কিসরার
রাজধানী ৷ কিন্তু খলীফা হযরত আবু বকরের অনুমতি না নিয়ে তিনি মাদইিন যাওয়টো পছন্দ
করেননি ৷ কিন্তু খলীফা তখন অনারব মুশরিক ও আরব খ্রিস্টানদের সম্মিলিত এ বিশাল বাহিনীর
প্রতিরোধের চিন্তায় ব্যাকুল ছিলেন ৷
যা হোক, কাকা ইবন আমরকে তিনি সেনাধিনায়ক করে হাসীদ’ এলাকায় পাঠান ৷
অনারব বাহিনীর নেতৃত্বে ছিল পাসিয়ান সেনাপতি রােযবেহ’ এবং তাকে সাহায্য করছিল আর
একজন সেনাপতি যার নাম যরমহর’ ৷ মুসলমান ও মুশরিকদের মধ্যে ভীষণ যুদ্ধ সংঘটিত
হয় ৷ যুদ্ধে মুশরিকরা শোচনীয়ভাবে পরাজয় বরণ করে ৷ তাদের অধিকাত্শ সৈন্যই
মুসলমানদের হাতে নিহত হয় ৷ কাকা স্বহস্তে যরমহরকে হত্যা করেন ৷ ইসমাত ইবন
আবদুল্পাহ্ দাবৰী মুসলমান রোযবেহকে হত্যা করে ৷ বিপুল পরিমাণ গনীমত মুসলমানগণ লাভ
করে ৷ যুদ্ধের অবশিষ্ট শত্রু-সৈন্য পলায়ন করে খানাফিস নামক স্থানে আশ্রয় গ্রহণ করে ৷ আবু
লায়লা সংবাদ পেয়ে যে দিকে রওয়ানা হন ৷ কিন্তু শত্রুরা তা অনুভব করতে পেরে সেখান
থেকে মুযায়্যাহ নামক স্থানে চলে যায় ৷ সেখানে গিয়ে তারা আরব ও অনারব লোকদের নিয়ে
পুনরায় শক্তি সঞ্চয় করতে থাকে ৷ সংবাদ পেয়ে খালিদ ইবন ওলীদ তাদের প্রতিরোধ করার
জন্য সদলবলে অগ্রসর হন ৷ তিনি সৈন্য বাহিনীকে তিন ভাগ করেন ৷ রাত্রিকালে শত্রুরা যখন
تُدِلَّ بِعَمَلٍ، فَإِنَّ اللَّهَ لَهُ الْمَنُّ، وَهُوَ وَلِيُّ الْجَزَاءِ.
[مَا كَانَ مِنَ الْحَوَادِثِ فِي سَنَةِ ثِنْتَيْ عَشْرَةَ مِنَ الْهِجْرَةِ]
فَصْلٌ فِيمَا كَانَ مِنَ الْحَوَادِثِ فِي هَذِهِ السَّنَةِ.
فِيهَا أَمَرَ الصِّدِّيقُ زَيْدَ بْنَ ثَابِتٍ أَنْ يَجْمَعَ الْقُرْآنَ مَنِ اللِّخَافِ وَالْعُسُبِ وَصُدُورِ الرِّجَالِ، وَذَلِكَ بَعْدَ مَا اسْتَحَرَّ الْقَتْلُ فِي الْقُرَّاءِ يَوْمَ الْيَمَامَةِ كَمَا ثَبَتَ بِهِ الْحَدِيثُ فِي " صَحِيحِ الْبُخَارِيِّ ".
وَفِيهَا تَزَوَّجَ عَلِيُّ بْنُ أَبِي طَالِبٍ بِأُمَامَةَ بِنْتِ زَيْنَبَ بِنْتِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَهِيَ مِنْ أَبِي الْعَاصِ بْنِ الرَّبِيعِ بْنِ عَبْدِ شَمْسٍ الْأُمَوِيِّ، وَقَدْ تُوُفِّيَ أَبُوهَا فِي هَذَا الْعَامِ، وَهَذِهِ هِيَ الَّتِي كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَحْمِلُهَا فِي الصَّلَاةِ فَيَضَعُهَا إِذَا سَجَدَ وَيَرْفَعُهَا إِذَا قَامَ.
وَفِيهَا تَزَوَّجَ عُمَرُ بْنُ الْخَطَّابِ عَاتِكَةَ بِنْتَ زَيْدِ بْنِ عَمْرِو بْنِ نُفَيْلٍ، وَهِيَ ابْنَةُ عَمِّهِ، وَكَانَ لَهَا مُحِبًّا وَبِهَا مُعْجَبًا، وَكَانَ لَا يَمْنَعُهَا مِنَ الْخُرُوجِ إِلَى الصَّلَاةِ، وَيَكْرَهُ خُرُوجَهَا، فَجَلَسَ لَهَا ذَاتَ لَيْلَةٍ فِي الطَّرِيقِ فِي ظُلْمَةٍ، فَلَمَّا مَرَّتْ ضَرَبَ بِيَدِهِ عَلَى عَجُزِهَا، فَرَجَعَتْ إِلَى مَنْزِلِهَا وَلَمْ تَخْرُجْ بَعْدَ ذَلِكَ، وَقَدْ كَانَتْ قَبْلَهُ تَحْتَ أَخِيهِ
পৃষ্ঠা - ৫৩৬৫
زَيْدِ بْنِ الْخَطَّابِ فِيمَا قِيلَ، فَقُتِلَ عَنْهَا، وَكَانَتْ قَبْلَ زَيْدٍ تَحْتَ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي بَكْرٍ فَقُتِلَ عَنْهَا، وَلَمَّا مَاتَ عُمَرُ تَزَوَّجَهَا بَعْدَهُ الزُّبَيْرُ، فَلَمَّا قُتِلَ خَطَبَهَا عَلِيُّ بْنُ أَبِي طَالِبٍ فَقَالَتْ: إِنِّي أَرْغَبُ بِكَ عَنِ الْمَوْتِ. وَامْتَنَعَتْ مِنَ التَّزْوِيجِ حَتَّى مَاتَتْ.
وَفِيهَا اشْتَرَى عُمَرُ مَوْلَاهُ أَسْلَمَ، ثُمَّ صَارَ مِنْهُ أَنْ كَانَ أَحَدَ سَادَاتِ التَّابِعِينَ، وَابْنُهُ زَيْدُ بْنُ أَسْلَمَ أَحَدُ الثِّقَاتِ الرُّفَعَاءِ.
وَفِيهَا حَجَّ بِالنَّاسِ أَبُو بَكْرٍ الصِّدِّيقُ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، وَاسْتَخْلَفَ عَلَى الْمَدِينَةِ عُثْمَانَ بْنَ عَفَّانَ. رَوَاهُ ابْنُ إِسْحَاقَ عَنِ الْعَلَاءِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ يَعْقُوبَ مَوْلَى الْحُرَقَةِ، عَنْ رَجُلٍ مِنْ بَنِي سَهْمٍ، عَنْ أَبِي مَاجِدَةَ، قَالَ: حَجَّ بِنَا أَبُو بَكْرٍ فِي خِلَافَتِهِ سَنَةَ ثِنْتَيْ عَشْرَةَ. فَذَكَرَ حَدِيثًا فِي الْقِصَاصِ مِنْ قَطْعِ الْأُذُنِ، وَأَنَّ عُمَرَ حَكَمَ فِي ذَلِكَ بِأَمْرِ الصِّدِّيقِ.
قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: وَقَالَ بَعْضُ النَّاسِ: لَمْ يَحُجَّ أَبُو بَكْرٍ فِي خِلَافَتِهِ، وَإِنَّهُ بَعَثَ عَلَى الْمَوْسِمِ سَنَةَ ثِنْتَيْ عَشْرَةَ عُمَرَ بْنَ الْخَطَّابِ، أَوْ عَبْدَ الرَّحْمَنِ بْنَ عَوْفٍ.
[وَفَيَاتُ الْأَعْيَانِ فِي سَنَةِ ثِنْتَيْ عَشْرَةَ]
فَصْلٌ فِيمَنْ تُوُفِّيَ فِي هَذِهِ السَّنَةِ.
قَدْ قِيلَ: إِنَّ وَقْعَةَ الْيَمَامَةِ وَمَا بَعْدَهَا كَانَتْ فِي سَنَةِ ثِنْتَيْ عَشْرَةَ، فَلْيُذْكَرْ هَا هُنَا مَنْ تَقَدَّمَ ذِكْرُهُ فِي سَنَةِ إِحْدَى عَشْرَةَ مَنْ قُتِلَ بِالْيَمَامَةِ، وَمَا بَعْدَهَا، وَلَكِنَّ
পৃষ্ঠা - ৫৩৬৬
الْمَشْهُورَ مَا ذَكَرْنَاهُ.
وَمِمَّنْ تُوُفِّيَ فِي هَذِهِ السَّنَةِ بَشِيرُ بْنُ سَعْدِ بْنِ ثَعْلَبَةَ الْخَزْرَجِيُّ، وَالِدُ النُّعْمَانِ بْنِ بَشِيرٍ، شَهِدَ الْعَقَبَةَ الثَّانِيَةَ وَبَدْرًا وَمَا بَعْدَهَا، وَيُقَالُ: إِنَّهُ أَوَّلُ مَنْ أَسْلَمَ مِنَ الْأَنْصَارِ. وَهُوَ أَوَّلُ مَنْ بَايَعَ الصِّدِّيقَ يَوْمَ السَّقِيفَةِ مِنَ الْأَنْصَارِ، وَشَهِدَ مَعَ خَالِدٍ حُرُوبَهُ إِلَى أَنْ قُتِلَ بِعَيْنِ التَّمْرِ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ. رَوَى لَهُ النَّسَائِيُّ حَدِيثَ النُّحْلِ.
وَالصَّعْبُ بْنُ جَثَّامَةَ اللَّيْثِيُّ، أَخُو مُحَلَّمِ بْنِ جَثَّامَةَ، لَهُ عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَحَادِيثُ. قَالَ أَبُو حَاتِمٍ: هَاجَرَ، وَكَانَ يَنْزِلُ وَدَّانَ وَمَاتَ فِي خِلَافَةِ الصِّدِّيقِ.
أَبُو مَرْثَدٍ الْغَنَوِيُّ، وَاسْمُهُ كَنَّازُ بْنُ الْحُصَيْنِ - وَيُقَالُ: ابْنُ حُصَيْنِ - بْنِ يَرْبُوعِ بْنِ عَمْرِو بْنِ يَرْبُوعِ بْنِ خَرَشَةَ بْنِ سَعْدِ بْنِ طَرِيفِ بْنِ جَلَّانَ بْنِ غَنْمِ بْنِ غَنِيِّ بْنِ أَعْصُرَ بْنِ سَعْدِ بْنِ قَيْسِ بْنِ عَيْلَانَ بْنِ مُضَرَ بْنِ نِزَارٍ، أَبُو مَرْثَدٍ الْغَنَوِيُّ، شَهِدَ هُوَ وَابْنُهُ مَرْثَدٌ بَدْرًا، وَلَمْ يَشْهَدْهَا رَجُلٌ هُوَ وَابْنُهُ سِوَاهُمَا، وَاسْتُشْهِدَ ابْنُهُ مَرْثَدٌ يَوْمَ الرَّجِيعِ كَمَا تَقَدَّمَ، وَابْنُ ابْنِهِ أُنَيْسُ بْنُ مَرْثَدِ بْنِ أَبِي مَرْثَدٍ، لَهُ صُحْبَةٌ أَيْضًا، شَهِدَ الْفَتْحَ وَحُنَيْنًا، وَكَانَ عَيْنَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَوْمَ أَوْطَاسٍ،
পৃষ্ঠা - ৫৩৬৭
فَهُمْ ثَلَاثَةٌ نَسَقًا، وَقَدْ كَانَ أَبُو مَرْثَدٍ حَلِيفًا لِلْعَبَّاسِ بْنِ عَبْدِ الْمُطَّلِبِ، وَيُرْوَى لَهُ عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ حَدِيثٌ وَاحِدٌ أَنَّهُ قَالَ: «لَا تُصَلُّوا إِلَى الْقُبُورِ وَلَا تَجْلِسُوا إِلَيْهَا» . رَوَاهُ مُسْلِمٌ، وَأَبُو دَاوُدَ، وَالنَّسَائِيُّ، مِنْ طَرِيقِ وَاثِلَةَ بْنِ الْأَسْقَعِ عَنْهُ. قَالَ الْوَاقِدِيُّ: تُوُفِّيَ سَنَةَ ثِنْتَيْ عَشْرَةَ. زَادَ غَيْرُهُ: بِالشَّامِ. وَزَادَ غَيْرُهُ: عَنْ سِتٍّ وَسِتِّينَ سَنَةً. وَكَانَ رَجُلًا طَوِيلًا كَثِيرَ الشَّعْرِ. قُلْتُ: وَفِي قِبْلِيِّ دِمَشْقَ قَبْرٌ يُعَرَفُ بِقَبْرِ كَثِيرٍ، وَكَأَنَّهُ مِنْ تَصْحِيفِ بَعْضِ الْعَامَّةِ. وَالَّذِي قَرَأْتُهُ عَلَى قَبْرِهِ: هَذَا قَبْرُ كَنَّازِ بْنِ الْحُصَيْنِ صَاحِبِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ. وَرَأَيْتُ عَلَى ذَلِكَ الْمَكَانِ رَوْحًا وَجَلَالَةً، وَالْعَجَبُ أَنَّ الْحَافِظَ ابْنَ عَسَاكِرَ لَمْ يَذْكُرْهُ فِي " تَارِيخِ الشَّامِ ". فَاللَّهُ أَعْلَمُ.
وَمِمَّنْ تُوُفِّيَ فِي هَذِهِ السَّنَةِ أَبُو الْعَاصِ بْنُ الرَّبِيعِ بْنِ عَبْدِ الْعُزَّى بْنِ عَبْدِ شَمْسِ بْنِ عَبْدِ مَنَافِ بْنِ قُصَيٍّ الْقُرَشِيُّ الْعَبْشَمِيُّ، زَوْجُ أَكْبَرِ بَنَاتِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ زَيْنَبَ، وَكَانَ مُحْسِنًا إِلَيْهَا وَمُحِبًّا لَهَا، وَلَمَّا أَمَرَهُ الْمُشْرِكُونَ بِطَلَاقِهَا حِينَ بُعِثَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَبَى عَلَيْهِمْ ذَلِكَ، وَكَانَ ابْنَ أُخْتِ خَدِيجَةَ بِنْتِ خُوَيْلِدٍ، وَاسْمُ أُمِّهِ هَالَةُ، وَيُقَالُ: هِنْدُ بِنْتُ خُوَيْلِدٍ. وَاخْتُلِفَ فِي اسْمِهِ فَقِيلَ: لَقِيطٌ. وَهُوَ الْأَشْهَرُ، وَقِيلَ: مُهَشِّمٌ. وَقِيلَ: هُشَيْمٌ. وَقَدْ شَهِدَ بَدْرًا مِنْ نَاحِيَةِ الْكُفَّارِ فَأُسِرَ، فَجَاءَ أَخُوهُ عَمْرُو بْنُ الرَّبِيعِ لِيُفَادِيَهُ، وَأَحْضَرَ مَعَهُ الْفِدَاءَ قِلَادَةً كَانَتْ
পৃষ্ঠা - ৫৩৬৮
خَدِيجَةُ أَخْرَجَتْهَا مَعَ ابْنَتِهَا زَيْنَبَ حِينَ تَزَوَّجَ أَبُو الْعَاصِ بِهَا، فَلَمَّا رَآهَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ رَقَّ لَهَا رِقَّةً شَدِيدَةً، وَأَطْلَقَهُ بِسَبَبِهَا، وَاشْتَرَطَ عَلَيْهِ أَنْ يَبْعَثَ لَهُ زَيْنَبَ إِلَى الْمَدِينَةِ فَوَفَّى لَهُ بِذَلِكَ، وَاسْتَمَرَّ أَبُو الْعَاصِ عَلَى كُفْرِهِ بِمَكَّةَ إِلَى قُبَيْلِ الْفَتْحِ بِقَلِيلٍ، فَخَرَجَ فِي تِجَارَةٍ لِقُرَيْشٍ، فَاعْتَرَضَهُ زَيْدُ بْنُ حَارِثَةَ فِي سَرِيَّةٍ، فَقَتَلُوا جَمَاعَةً مِنْ أَصْحَابِهِ وَغَنِمُوا الْعِيرَ، وَفَرَّ أَبُو الْعَاصِ هَارِبًا إِلَى الْمَدِينَةِ، فَاسْتَجَارَ بِامْرَأَتِهِ زَيْنَبَ فَأَجَارَتْهُ، فَأَجَازَ رَسُولُ اللَّهِ جِوَارَهَا، وَرَدَّ عَلَيْهِ مَا كَانَ مَعَهُ مِنْ أَمْوَالِ قُرَيْشٍ، فَرَجَعَ بِهَا أَبُو الْعَاصِ إِلَيْهِمْ، وَرَدَّ كُلَّ مَالٍ إِلَى صَاحِبِهِ، ثُمَّ تَشَهَّدَ شَهَادَةَ الْحَقِّ وَهَاجَرَ إِلَى الْمَدِينَةِ، وَرَدَّ عَلَيْهِ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ زَيْنَبَ بِالنِّكَاحِ الْأَوَّلِ، وَكَانَ بَيْنَ فِرَاقِهَا لَهُ وَبَيْنَ اجْتِمَاعِهَا سِتُّ سِنِينَ، وَذَلِكَ بَعْدَ سَنَتَيْنِ مِنْ وَقْتِ تَحْرِيمِ الْمُسْلِمَاتِ عَلَى الْمُشْرِكِينَ فِي عُمْرَةِ الْحُدَيْبِيَةِ وَقِيلَ: إِنَّمَا رَدَّهَا عَلَيْهِ بِنِكَاحٍ جَدِيدٍ. فَاللَّهُ أَعْلَمُ. وَقَدْ وُلِدَ لَهُ مِنْ زَيْنَبَ عَلِيُّ بْنُ أَبِي الْعَاصِ، وَأُمَامَةُ بِنْتُ أَبِي الْعَاصِ، وَخَرَجَ مَعَ عَلِيٍّ إِلَى الْيَمَنِ حِينَ بَعَثَهُ إِلَيْهَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَكَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يُثْنِي عَلَيْهِ خَيْرًا فِي صَهَارَتِهِ، وَيَقُولُ: حَدَّثَنِي فَصَدَقَنِي، وَوَاعَدَنِي فَوَفَّى لِي. وَقَدْ تُوُفِّيَ فِي أَيَّامِ الصِّدِّيقِ سَنَةَ ثِنْتَيْ عَشْرَةَ. وَفِي هَذِهِ السَّنَةِ تَزَوَّجَ عَلِيُّ بْنُ أَبِي طَالِبٍ بِابْنَتِهِ أُمَامَةَ بِنْتِ أَبِي الْعَاصِ، بَعْدَ وَفَاةِ خَالَتِهَا فَاطِمَةَ، وَمَا أَدْرِي هَلْ كَانَ ذَلِكَ قَبْلَ وَفَاةِ أَبِيهَا أَبِي الْعَاصِ أَوْ بَعْدَهُ. فَاللَّهُ أَعْلَمُ.