আল বিদায়া ওয়া আন্নিহায়া

سنة إحدى عشرة من الهجرة

فصل: إيراد ما بقي علينا من متعلقات السيرة الشريفة

معجزات لرسول الله صلى الله عليه وسلم مماثلة لمعجزات جماعة من الأنبياء قبله

من معجزات النبي صلى الله عليه وسلم
পৃষ্ঠা - ৫২২৯

বললেন, ওকে আমার কাছে নিয়ে এস ৷ তখন আমি তাকে রাসুলুল্লাহ্ (সা) ও বাহনের
মাঝখানে রাখলাম ৷ এরপর ছেলেটি মুখ হা করিয়ে তিনি নিম্নের দু আটি পড়ে তিনবার কুক
দিলেন ৷ দোয়াটি এইচ (আল্লাহর নামে আরম্ভ
করছি, আমি আল্লাহর বান্দা, আল্লাহর দুশমন লাঞ্ছিত) ৷৩ তারপর ছেলেটিকে মহিলার কাছে
ফিরিয়ে দিলেন ৷ সাথে সাথেই হুছহুলটি ভাল হয়ে যায় এবং আর কখনও এমনটা হয়নি ৷ ইমাম
আহমদ ইয়াযীদ ইবন আব্বাস থেকে বর্ণনা করেন, জনৈকা মহিলা তার এক পুত্রহুক
নিয়ে রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর নিকট এসে বলল, ইয়া রাসুলাল্লাহ্! এই হুছহুলটির মধ্যে পাগলাষী
আছে ৷ যখন আমাদের খাওয়ার সময় হয় তখন তার পাগলাষী প্রকাশ পায় এবং খাদ্য নষ্ট করে
ফেলে ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) হুছহুলটির বুকে হাত বুলিয়ে দিলেন এবং তার পাগলাষী দুর হওয়ার
জন্যে দুআ করলেন ৷ ফলে হুছহুলঢি থেকে কাল দানার মত কিছু একটা বের হয়ে গেল এবং সে
আরােগ্য লাভ করল ৷ এই বর্ণনা নুত্রটি অত্যন্ত দুর্বল ৷ ফারকাদ নামক রাবী সমালোচিত ব্যক্তি,
যদিও তিনি বসরার একজন সুফী ব্যক্তি ৷৩ তবে পুর্বের বর্ণনা দ্বারা এই বর্ণনা শক্তিশালী হয়েছে,
যদিও ঘটনা উভয়টাই অভিন্ন ৷

আল্লামা বায্যার ফারকাদ সুত্রে সা দ ইবন আব্বাস থেকে বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ্ (সা)
মক্কায় থাকাকালে এক আনসার মহিলা এসে বললেন, ইয়া রাসুলাল্লাহ্! এই যে আমার উপর
ভৃত সওয়ার হয়েছে ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) বলেছিলেন, তুমি এ অবস্থার উপরে ধৈর্য ধারণ কর,
কিয়ামহুত র দিন তোমার কোন পাপ থাকবে না, হিসাবও দিতে হ৩বে না ৷ মহিলাটি বলল, যে
সত্তা আপনাকে র ৷সুলরুহুপ পাঠিহুয়ছেন তার কসম, আমি মৃত্যু পর্যন্ত ধৈর্য ধারণই করে যার ৷
এরপর মহিলাটি বললেন, আমার আশংকা হয় যদি ণ্ডু৩ আমাকে একাকী পায় ৷ রাসুলুল্লাহ্
(না) তার জন্য দু আ করলেন ৷ এরপর থেকে মহিলাটি যখনই অনুভব করতেন যে, ণ্ডু৩ আছর
করবে, তখনই কাবার গিলাফ ধরে দাড়িয়ে থাকতেন এবং বলহুতন, দুর হ ৷ তখন যে চলে
যেত ৷ এই বর্ণনা প্রমাণ করে যে, ফারকাদের বর্ণনা সঠিক ৷ কেননা এর সমর্থনে বুখারী ও
মুসলিমে আতা ইবন আবী রাবাহ্র রিওয়ায়াত থেকে পাওয়া যায় ৷ তিনি বলেন, হযরত ইবন
আব্বাস (রা) একদিন আমাকে বললেন, তুমি কি কোন জান্নাহুতর নারী দেখহুত চাও ৷ আমি
বললাম, জী হা ৷ তিনি বললেন, এই যে এই কাল মহিলাটি ৷ সে রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর কাছে
এসে জ নাম আমি হুবহুশ হয়ে পড়ে যাই এবং বিবস্ত্র হয়ে যাই, হুযুর, আমার জন্যে দু আ
করুন ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) বললেন, তুমি যদি পার ধৈর্য ধারণ কর, জান্নাত পাবে ৷ আর যদি চাও,

তামার জন্যে আরােগ্যের দু আ করব ৷ মহিলাটি বলল, না; বরং আমি ধৈর্য ধারণই করব ৷
তবে হুযুর, দুআ করুন যাতে আমি বিবস্ত্র না হই ৷ ইবন আব্বাস বলেন,রাসুলুল্লাহ্ (সা) তার
জন্যে দৃআ করলেন, এরপর সে আর কখনও বিবস্ত্র হয়নি ৷ এরপর ইমাম বুখারী মুহাম্মাদ
আত৷ থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি উম্মে যুফারকে বায়তৃল্লাহ্র প্রাচীরের কাছে অবস্থানরত
দেখেছেন, যে ছিল দীর্ঘদেহী ও কৃষ্ণকায় মহিলা ৷ হাফিয ইবনুল আহীর উসদুল গাবাহ্ ফী
আসমাইস সাহাবাহ্’ গ্রন্থে লিখেছেন, এই উম্মে যুফার ছিলেন হযরত থাদীজ৷ বিন্ত
খুওয়াইলিদের হুকশ বিন্যাসকারিণী ৷ তিনি দীর্ঘকাল বেচে ছিলেন ৷ এমন কি আত৷ ইবন আবী
রাবাহ তাকে দেখেছেন ৷

হযরত ঈসা (আ) আকমাহ’ অর্থাৎ জন্মান্ধ লোককে নিরাময় করতেন ৷ কারো মতে
আকমাহ্ বলা হয় সেই ব্যক্তিকে যে দিনে দেখেনা, কিন্তু রাত্রে দেখে; কেউ অন্য রকম


لَكَ " قَالَ: لَا، بَلِ ادْعُ اللَّهَ لِي. قَالَ: فَأَمَرَهُ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنْ يَتَوَضَّأَ وَأَنْ يُصَلِّيَ رَكْعَتَيْنِ وَأَنْ يَدْعُوَ بِهَذَا الدُّعَاءِ: اللَّهُمَّ إِنِّي أَسْأَلُكَ وَأَتَوَجَّهُ إِلَيْكَ بِنَبِيِّكَ مُحَمَّدٍ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ نَبِيِّ الرَّحْمَةِ، يَا مُحَمَّدُ، إِنِّي أَتَوَجَّهُ بِكَ إِلَى رَبِّي فِي حَاجَتِي هَذِهِ فَتُقْضَى. وَقَالَ فِي رِوَايَةِ عُثْمَانَ بْنِ عُمَرَ: اللَّهُمَّ فَشَفِّعْهُ فِيَّ. قَالَ: فَفَعَلَ الرَّجُلُ فَبَرَأَ» . وَرَوَاهُ التِّرْمِذِيُّ وَالنَّسَائِيُّ وَابْنُ مَاجَهْ مِنْ حَدِيثِ شُعْبَةَ، وَقَالَ: حَسَنٌ صَحِيحٌ غَرِيبٌ لَا نَعْرِفُهُ إِلَّا مِنْ حَدِيثِ أَبِي جَعْفَرٍ الْخَطْمِيِّ. وَقَدْ رَوَاهُ الْبَيْهَقِيُّ عَنِ الْحَاكِمِ بِسَنَدِهِ، إِلَى أَبِي جَعْفَرٍ الْخَطْمِيِّ، عَنْ أَبِي أُمَامَةَ بْنِ سَهْلِ بْنِ حُنَيْفٍ، عَنْ عَمِّهِ عُثْمَانَ بْنِ حُنَيْفٍ، فَذَكَرَ نَحْوَهُ، قَالَ عُثْمَانُ: فَوَاللَّهِ مَا تَفَرَّقْنَا وَلَا طَالَ الْحَدِيثُ بِنَا حَتَّى دَخَلَ الرَّجُلُ كَأَنْ لَمْ يَكُنْ بِهِ ضُرٌّ قَطُّ. [مِنْ مُعْجِزَاتِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ] قِصَّةٌ أُخْرَى قَالَ أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ: حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بِشْرٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْعَزِيزِ بْنُ عُمَرَ، حَدَّثَنِي رَجُلٌ مِنْ بَنِي سَلَامَانَ بْنِ سَعْدٍ، عَنْ أُمِّهِ أَنَّ خَالَهَا
পৃষ্ঠা - ৫২৩০
حَبِيبَ بْنَ فُوَيْكٍ، حَدَّثَهَا «أَنَّ أَبَاهُ خَرَجَ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَعَيْنَاهُ مُبْيَضَّتَانِ لَا يُبْصِرُ بِهِمَا شَيْئًا أَصْلًا، فَقَالَ لَهُ: " مَا أَصَابَكَ؟ " قَالَ: كُنْتُ أَمْرِي جَمَلًا لِي فَوَقَعَتْ رِجْلِي عَلَى بَيْضِ حَيَّةٍ، فَأُصِيبَ بَصَرِي. فَنَفَثَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي عَيْنَيْهِ فَأَبْصَرَ، فَرَأَيْتُهُ وَإِنَّهُ لَيُدْخِلُ الْخَيْطُ فِي الْإِبْرَةِ، وَإِنَّهُ لَابْنُ ثَمَانِينَ سَنَةً، وَإِنَّ عَيْنَيْهِ لَمُبْيَضَّتَانِ» . قَالَ الْبَيْهَقِيُّ: كَذَا فِي كِتَابِهِ، وَغَيْرُهُ يَقُولُ: حَبِيبُ بْنُ مُدْرِكٍ. وَثَبَتَ فِي " الصَّحِيحِ " «أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ نَفَثَ فِي عَيْنَيْ عَلِيٍّ يَوْمَ خَيْبَرَ، وَهُوَ أَرْمَدُ فَبَرَأَ مِنْ سَاعَتِهِ، ثُمَّ لَمْ تَرَمَدْ بَعْدَهَا أَبَدًا، وَمَسَحَ رِجْلَ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَتِيكٍ، وَقَدِ انْكَسَرَتْ رِجْلُهُ لَيْلَةَ قَتَلَ أَبَا رَافِعٍ تَاجِرَ أَهْلِ الْحِجَازِ الْخَيْبَرِيَّ، فَبَرَأَ مِنْ سَاعَتِهِ أَيْضًا. وَرَوَى الْبَيْهَقِيُّ» «أَنَّهُ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَسَحَ يَدَ مُحَمَّدِ بْنِ حَاطِبٍ، وَكَانَتْ قَدِ احْتَرَقَتْ بِالنَّارِ فَبَرَأَ مِنْ سَاعَتِهِ، وَمَسَحَ رِجْلَ سَلَمَةَ بْنِ الْأَكْوَعِ، وَقَدْ أُصِيبَتْ يَوْمَ خَيْبَرَ، فَبَرَأَتْ مِنْ سَاعَتِهَا، وَدَعَا لِسَعْدِ بْنِ أَبِي وَقَّاصٍ أَنْ يُشْفَى مِنْ مَرَضِهِ ذَلِكَ فَشُفِيَ» . وَرَوَى الْبَيْهَقِيُّ «أَنَّ عَمَّهُ أَبَا طَالِبٍ مَرِضَ، فَسَأَلَ مِنْهُ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ
পৃষ্ঠা - ৫২৩১

বলেছেন ৷ তাফসীরে আমরা এ বিষয়ে আলোচনা করেছি ৷ তিনি আব্বাস অর্থাৎ কুষ্ঠ রাের্গীকেও
ভাল করে দিতেন ৷ এ ব্যাপারে বলা যায় যে, উহুদ যুদ্ধের সময় শত্রুর বর্শাঘাতে হযরত
কাতাদা ইবন নুমানের চোখ গালের উপর ঝুলে পড়ার পর রাসুলুল্লাহ্ (সা) তা স্ব-স্থানে
পুনরায় স্থাপন করে দেন ৷ রাসুলেৱ পবিত্র হাতের স্পর্শে চক্ষু ও তার দর্শন শক্তি পুৰ্বাপেক্ষা বৃদ্ধি
পড়ায় ৷ মুহাম্মাদ ইবন ইসহাক ও অন্যান্য ঐতিহাসিকগণ এটা উল্লেখ করেছেন ৷ কাতাদা ইবন
নুমানের পৌত্র আসিম ইবন উমার ইবন কাতাদা হযরত উমর ইবন আবদুল আযীষের নিকট
গেলে তিনি তার পরিচয় জিজ্ঞেস করেন ৷ উত্তরে আসিম নিম্নের কবিতাটি পড়েন :

দ্দু,৷ ৷ ৷
আমি সেই ব্যক্তির সন্তান, যার চেহারার উপরে ঝুলে পড়েছিল তার চোখ ৷ পরে মুহাম্মদ
মুসতাফার হাতে তা সুন্দরভাবে পুনঃস্থাপিত হয় ৷ ফলে তার চোখ পুর্বে যে অবস্থায় ছিল যে
অবস্থায় পুনরায় চলে আসে, কতনা সুন্দর সে চোখ এবং কতনা সুন্দর সে পাল !
উত্তরে উমর ইবন আবদুল আযীয বলেন :
১া৷প্রুৰু৷ ৷ এ্যা
সেই মর্যাদা ও ঐতিহ্য এমন একটি দুধের পেয়ালা, যার সাথে পানি মিশ্রিত হয়ে পরে
পেশারে পরিণত হয়েছে ৷
অতঃপর উমর ইবন আবদুল আযীয তাকে বহু উপচৌকন প্রদান করেন ৷ দারা কৃতনী

বলেছেন, তার উভয় চােখই বের হয়েছিল এবং তা স্ব-স্থানে পুনঃস্থাপিত হয়েছিল ৷ তবে প্রথম
বর্ণনাই সঠিক ৷ ইবন ইসহাকও এ কথাই লিখেছেন ৷

রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর দুআয় এক অন্ধের দৃষ্টি লাভের ঘটনা

ইমাম আহমদ রাওহ ও উসমান ইবন উমর উসমান ইবন হানীফ থেকে বর্ণনা
করেন, এক অন্ধ রাসুলুল্পাহ্ (না)-এর নিকট এসে বলল, ইয়া রাসুলাল্পাহ্! আল্লাহ্র নিকট
আমার জন্যে দুআ করুন, তিনি যেন আমাকে নিরাময় করে দেন ৷ রাসুলুল্পাহ্ (সা) বললেন,
তৃমি যদি চাও, তবে এ ব্যাপারে বিলম্ব কর, তাহলে আখিরাতে তোমার জন্যে এটা কল্যাণকর
হবে; আর যদি চাও তাহলে আমি দুআ করব ৷ অন্ধটি বলল, বরং আমার জন্যে আল্লাহর নিকট
দুআই করুন ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) তাকে উয়ু কর, দু’রাকআত নামায পড়তে এবং এ দুআটি
পড়তে বললেন :

হে আল্পাহ্ ! আমি আপনার নিকট যাঞা করছি, আপনার রহমতের নবী মুহাম্মদ (সা)-এর
মাধ্যমে আপনার নিকট আবেদন করছি, আমার এ প্রয়োজনটুকু পুরণ করে দিন ৷


أَنْ يَدْعُوَ لَهُ رَبَّهُ أَنْ يُعَافِيَهُ فَدَعَا لَهُ فَشُفِيَ مِنْ مَرَضِهِ ذَلِكَ» . وَكَمْ لَهُ مِنْ مِثْلِهَا وَعَلَى مَسْلَكِهَا ; مِنْ إِبْرَاءِ آلَامٍ، وَإِزَالَةِ أَسْقَامٍ، مِمَّا يَطُولُ شَرْحُهُ وَبَسْطُهُ. وَقَدْ وَقَعَ فِي كَرَامَاتِ الْأَوْلِيَاءِ إِبْرَاءُ الْأَعْمَى بَعْدَ الدُّعَاءِ عَلَيْهِ بِالْعَمَى أَيْضًا، كَمَا رَوَاهُ الْحَافِظُ بْنُ عَسَاكِرَ مِنْ طَرِيقِ أَبِي سَعِيدِ بْنِ الْأَعْرَابِيِّ، عَنْ أَبِي دَاوُدَ، حَدَّثَنَا عُمَرُ بْنُ عُثْمَانَ، حَدَّثَنَا بَقِيَّةُ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ زِيَادٍ، عَنْ أَبِي مُسْلِمٍ، أَنَّ امْرَأَةً خَبَّبَتْ عَلَيْهِ امْرَأَتَهُ، فَدَعَا عَلَيْهَا فَذَهَبَ بَصَرُهَا، فَأَتَتْهُ فَقَالَتْ: يَا أَبَا مُسْلِمٍ، إِنِّي كُنْتُ فَعَلْتُ وَفَعَلْتُ، وَإِنِّي لَا أَعُودُ لِمِثْلِهَا. فَقَالَ: اللَّهُمَّ إِنْ كَانَتْ صَادِقَةً فَارْدُدْ عَلَيْهَا بَصَرَهَا. فَأَبْصَرَتْ. وَرَوَاهُ أَيْضًا مِنْ طَرِيقِ أَبِي بَكْرِ بْنِ أَبِي الدُّنْيَا: حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ وَاقَدٍ، حَدَّثَنَا ضَمْرَةُ، حَدَّثَنَا عَاصِمٌ، حَدَّثَنَا عُثْمَانُ بْنُ عَطَاءٍ قَالَ: كَانَ أَبُو مُسْلِمٍ الْخَوْلَانِيُّ إِذَا دَخَلَ مَنْزِلَهُ سَلَّمَ فَإِذَا بَلَغَ وَسَطَ الدَّارِ كَبَّرَ وَكَبَّرَتِ امْرَأَتُهُ، فَإِذَا دَخَلَ الْبَيْتَ كَبَّرَ وَكَبَّرَتِ امْرَأَتُهُ. قَالَ: فَيَدْخُلُ فَيَنْزِعُ رِدَاءَهُ وَحِذَاءَهُ وَتَأْتِيهِ بِطَعَامٍ فَيَأْكُلُ، فَجَاءَ ذَاتَ لَيْلَةٍ فَكَبَّرَ فَلَمْ تُجِبْهُ، ثُمَّ جَاءَ إِلَى بَابِ الْبَيْتِ، فَكَبَّرَ وَسَلَّمَ فَلَمْ تُجِبْهُ، وَإِذَا الْبَيْتُ لَيْسَ فِيهِ سِرَاجٌ، وَإِذَا هِيَ جَالِسَةٌ بِيَدِهَا عُودٌ فِي الْأَرْضِ تَنْكُتُ بِهِ، فَقَالَ
পৃষ্ঠা - ৫২৩২
لَهَا: مَا لَكِ؟ فَقَالَتِ: النَّاسُ بِخَيْرٍ وَأَنْتَ أَبُو مُسْلِمٍ، لَوْ أَتَيْتَ مُعَاوِيَةَ فَيَأْمُرُ لَنَا بِخَادِمٍ وَيُعْطِيكَ شَيْئًا تَعِيشُ بِهِ. فَقَالَ: اللَّهُمَّ مَنْ أَفْسَدَ عَلَيَّ أَهْلِي فَأَعْمِ بَصَرَهُ. قَالَ: وَكَانَتْ أَتَتْهَا امْرَأَةٌ فَقَالَتْ: أَنْتِ امْرَأَةُ أَبِي مُسْلِمٍ، لَوْ كَلَّمْتِ زَوْجَكِ لِيُكَلِّمَ مُعَاوِيَةَ لِيَخْدِمَكُمْ وَيُعْطِيَكُمْ. قَالَ: فَبَيْنَمَا هَذِهِ الْمَرْأَةُ فِي مَنْزِلِهَا وَالسِّرَاجِ يُزْهِرُ، إِذْ أَنْكَرَتْ بَصَرَهَا، فَقَالَتْ: سِرَاجُكُمْ طُفِئَ؟ قَالُوا: لَا. قَالَتْ: إِنَّا لِلَّهِ، أُذْهِبَ بَصَرِي. فَأَقْبَلَتْ كَمَا هِيَ إِلَى أَبِي مُسْلِمٍ، فَلَمْ تَزَلْ تُنَاشِدُهُ اللَّهَ وَتَطْلُبُ إِلَيْهِ، فَدَعَا اللَّهَ فَرَدَّ بَصَرَهَا، وَرَجَعَتِ امْرَأَتُهُ إِلَى حَالِهَا الَّتِي كَانَتْ عَلَيْهَا. وَأَمَّا قِصَّةُ الْمَائِدَةِ الَّتِي قَالَ اللَّهُ تَعَالَى: {إِذْ قَالَ الْحَوَارِيُّونَ يَا عِيسَى ابْنَ مَرْيَمَ هَلْ يَسْتَطِيعُ رَبُّكَ أَنْ يُنَزِّلَ عَلَيْنَا مَائِدَةً مِنَ السَّمَاءِ قَالَ اتَّقُوا اللَّهَ إِنْ كُنْتُمْ مُؤْمِنِينَ قَالُوا نُرِيدُ أَنْ نَأْكُلَ مِنْهَا وَتَطْمَئِنَّ قُلُوبُنَا وَنَعْلَمَ أَنْ قَدْ صَدَقْتَنَا وَنَكُونَ عَلَيْهَا مِنَ الشَّاهِدِينَ قَالَ عِيسَى ابْنُ مَرْيَمَ اللَّهُمَّ رَبَّنَا أَنْزِلْ عَلَيْنَا مَائِدَةً مِنَ السَّمَاءِ تَكُونُ لَنَا عِيدًا لِأَوَّلِنَا وَآخِرِنَا وَآيَةً مِنْكَ وَارْزُقْنَا وَأَنْتَ خَيْرُ الرَّازِقِينَ قَالَ اللَّهُ إِنِّي مُنَزِّلُهَا عَلَيْكُمْ فَمَنْ يَكْفُرْ بَعْدُ مِنْكُمْ فَإِنِّي أُعَذِّبُهُ عَذَابًا لَا أُعَذِّبُهُ أَحَدًا مِنَ الْعَالَمِينَ} [المائدة: 112] [الْمَائِدَةِ: 112 - 115] . وَقَدْ ذَكَرْنَا فِي " التَّفْسِيرِ " بَسْطَ ذَلِكَ وَاخْتِلَافَ الْمُفَسِّرِينَ فِيهَا ; هَلْ نَزَلَتْ أَمْ لَا، عَلَى قَوْلَيْنِ،
পৃষ্ঠা - ৫২৩৩


বলেছেন ৷ তাফসীরে আমরা এ বিষয়ে আলোচনা করেছি ৷ তিনি আবরাস অর্থাৎ কুষ্ঠ রোপীকেও
ভাল করে দিতেন ৷ এ ব্যাপারে বলা যায় যে, উহুদ যুদ্ধের সময় শত্রুর বর্শাঘাতে হযরত
কাতাদা ইবন নু’মানের চোখ গড়ালের উপর ঝুলে পড়ার পর রাসুলুল্লাহ্ (সা) তা স্ব-ন্থানে
পুনরায় স্থাপন করে দেন ৷ রাসুলের পবিত্র হাতের স্পর্শে চক্ষু ও তার দর্শন শক্তি পুর্বাপেক্ষা বৃদ্ধি
পায় ৷ মুহাম্মাদ ইবন ইসহাক ও অন্যান্য ঐতিহাসিকগণ এটা উল্লেখ করেছেন ৷ কাতাদা ইবন
নুমানের পৌত্র আসিম ইবন উমার ইবন কাতাদা হযরত উমর ইবন আবদুল আযীয়ের নিকট
গেলে তিনি তার পরিচয় জিজ্ঞেস করেন ৷ উত্তরে আসিম নিম্নের কবিতাটি পড়েন :

ড্,৷ ৷ ৷ ৷এ্া
আমি সেই ব্যক্তির সন্তান, যার ঢেহারার উপরে ঝুলে পড়েছিল তার চোখ ৷ পরে মুহাম্মদ
মুসতাফার হাতে তা সুন্দরভাবে পুনঃস্থাপিত হয় ৷ ফলে তার চোখ পুর্বে যে অবস্থায় ছিল যে
অবস্থায় পুনরায় চলে আসে, কতনা সুন্দর সে চোখ এবং কতনা সুন্দর সে পাল!
উত্তরে উমর ইবন আবদুল আযীয বলেন :
১া
সেই মর্যাদা ও ঐতিহ্য এমন একটি দুধের পেয়ালা, যার সাথে পানি মিশ্রিত হয়ে পরে
পেশাবে পরিণত হয়েছে ৷
অতঃপর উমর ইবন আবদুল আযীয তাকে বহু উপচৌকন প্রদান করেন ৷ দারা কুতনী

বলেছেন, তার উভয় চােখই বের হয়েছিল এবং তা স্ব-স্থানে পুনঃস্থাপিত হয়েছিল ৷ তবে প্রথম
বর্ণনইি সঠিক ৷ ইবন ইসহাকও এ কথইি লিখেছেন ৷

রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর দৃআয় এক অন্ধের দৃষ্টি লাতের ঘটনা

ইমাম আহমদ রাওহও উসমান ইবন উমর উসমান ইবন হানীফ থেকে বর্ণনা
করেন, এক অন্ধ রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর নিকট এসে বলল, ইয়া রাসুলাল্লাহ্ ! আল্লাহ্র নিকট
আমার জন্যে দুআ করুন, তিনি যেন আমাকে নিরাময় করে দেন ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) বললেন,
তুমি যদি চাও, তবে এ ব্যাপারে বিলম্ব কর, তাহলে আখিরাতে তোমার জন্যে এটা কল্যাণকর
হবে; আর যদি চাও তাহলে আমি দুআ করব ৷ অন্ধটি বলল, বরং আমার জন্যে আল্লাহর নিকট
দৃআই করুন ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) তাকে উয়ু কর, দৃরাকআত নামায পড়তে এবং এ দুআটি
পড়তে বললেন :
গোা
হে আল্লাহ! আমি আপনার নিকট যাঞা করছি, আপনার রহমতের নবী মুহাম্মদ (না)-এর
মাধ্যমে আপনার নিকট আবেদন করছি, আমার এ প্রয়োজনটুকু পুরণ করে দিন ৷


وَالْمَشْهُورُ عَنِ الْجُمْهُورِ أَنَّهَا نَزَلَتْ، وَاخْتُلِفَ فِيمَا كَانَ عَلَيْهَا مِنَ الطَّعَامِ عَلَى أَقْوَالِ، وَذَكَرَ أَهْلُ التَّارِيخِ أَنَّ مُوسَى بْنَ نُصَيْرٍ الَّذِي فَتَحَ الْبِلَادَ الْمَغْرِبِيَّةَ أَيَّامَ بَنِي أُمَيَّةَ وَجَدَ الْمَائِدَةَ، وَلَكِنْ قِيلَ: إِنَّهَا مَائِدَةُ سُلَيْمَانَ بْنِ دَاوُدَ مُرَصَّعَةٌ بِالْجَوَاهِرِ، وَهِيَ مِنْ ذَهَبٍ، فَأَرْسَلَ بِهَا إِلَى الْوَلِيدِ بْنِ عَبْدِ الْمَلِكِ، فَكَانَتْ عِنْدَهُ حَتَّى مَاتَ، فَتَسَلَّمَهَا أَخُوهُ سُلَيْمَانُ. وَقِيلَ: إِنَّهَا مَائِدَةُ عِيسَى. لَكِنْ يَبْعُدُ هَذَا أَنَّ النَّصَارَى لَا يَعْرِفُونَ الْمَائِدَةَ، كَمَا قَالَهُ غَيْرُ وَاحِدٍ مِنَ الْعُلَمَاءِ. وَاللَّهُ أَعْلَمُ. وَالْمَقْصُودُ أَنَّ الْمَائِدَةَ سَوَاءٌ كَانَتْ قَدْ نَزَلَتْ أَمْ لَمْ تَنْزِلْ، فَقَدْ كَانَتْ مَوَائِدُ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ تُمَدُّ مِنَ السَّمَاءِ، وَكَانُوا يَسْمَعُونَ تَسْبِيحَ الطَّعَامِ وَهُوَ يُؤْكَلُ بَيْنَ يَدَيْهِ، وَكَمْ قَدْ أَشْبَعَ مِنْ طَعَامٍ يَسِيرٍ أُلُوفًا وَمِئَاتٍ وَعَشَرَاتٍ بَعْدَ عَشَرَاتٍ صَلَوَاتُ اللَّهِ وَسَلَامُهُ عَلَيْهِ مَا تَعَاقَبَتِ الْأَوْقَاتُ، وَمَا دَامَتِ الْأَرْضُ وَالسَّمَاوَاتُ. هَذَا أَبُو مُسْلِمٍ الْخَوْلَانِيُّ قَدْ ذَكَرَ الْحَافِظُ ابْنُ عَسَاكِرَ فِي تَرْجَمَتِهِ مِنْ " تَارِيخِهِ " أَمْرًا عَجِيبًا وَشَأْنًا غَرِيبًا، حَيْثُ رُوِيَ مِنْ طَرِيقِ إِسْحَاقَ بْنِ نَجِيحٍ الْمَلْطِيِّ، عَنِ الْأَوْزَاعِيِّ قَالَ: أَتَى أَبَا مُسْلِمٍ الْخَوْلَانِيَّ نَفَرٌ مِنْ قَوْمِهِ فَقَالُوا: يَا أَبَا مُسْلِمٍ، أَمَا
পৃষ্ঠা - ৫২৩৪
تَشْتَاقُ إِلَى الْحَجِّ؟ قَالَ: بَلَى، لَوْ أَصَبْتُ لِي أَصْحَابًا. قَالَ فَقَالُوا: نَحْنُ أَصْحَابُكَ. قَالَ: لَسْتُمْ لِي بِأَصْحَابٍ، إِنَّمَا أَصْحَابِي قَوْمٌ لَا يُرِيدُونَ الزَّادَ وَلَا الْمَزَادَ. فَقَالُوا: سُبْحَانَ اللَّهِ، وَكَيْفَ يُسَافِرُ قَوْمٌ بِلَا زَادٍ وَلَا مَزَادٍ؟ ! قَالَ لَهُمْ: أَلَا تَرَوْنَ إِلَى الطَّيْرِ تَغْدُو وَتَرُوحُ بِلَا زَادٍ وَلَا مَزَادٍ، وَاللَّهُ يَرْزُقُهَا، وَهِيَ لَا تَبِيعُ وَلَا تَشْتَرِي، وَلَا تَحْرُثُ وَلَا تَزْرَعُ، وَاللَّهُ يَرْزُقُهَا؟ قَالَ: فَقَالُوا: فَإِنَّا نُسَافِرُ مَعَكَ. قَالَ: تَهَيَّئُوا عَلَى بَرَكَةِ اللَّهِ تَعَالَى. قَالَ: فَغَدَوْا مِنْ غُوطَةِ دِمَشْقَ، لَيْسَ مَعَهُمْ زَادٌ وَلَا مَزَادٌ، فَلَمَّا انْتَهَوْا إِلَى الْمَنْزِلِ قَالُوا: يَا أَبَا مُسْلِمٍ، طَعَامٌ لَنَا وَعَلَفٌ لِدَوَابِّنَا. قَالَ: فَقَالَ لَهُمْ: نَعَمْ. فَتَنَحَّى غَيْرَ بَعِيدٍ، فَتَسَنَّمَ مَسْجِدَ أَحْجَارٍ فَصَلَّى فِيهِ رَكْعَتَيْنِ، ثُمَّ جَثَا عَلَى رُكْبَتَيْهِ فَقَالَ: إِلَهِي، قَدْ تَعْلَمُ مَا أَخْرَجَنِي مِنْ مَنْزِلِي، وَإِنَّمَا خَرَجْتُ زَائِرًا لَكَ، وَقَدْ رَأَيْتُ الْبَخِيلَ مِنْ وَلَدِ آدَمَ تَنْزِلُ بِهِ الْعِصَابَةُ مِنَ النَّاسِ فَيُوسِعُهُمْ قِرًى، وَإِنَّا أَضْيَافُكَ وَزُوَّارُكَ، فَأَطْعِمْنَا وَاسْقِنَا، وَاعَلِفْ دَوَابَّنَا. قَالَ: فَأُتِيَ بِسُفْرَةٍ مُدَّتْ بَيْنَ أَيْدِيهِمْ، وَجِيءَ بِجَفْنَةٍ مِنْ ثَرِيدٍ تَبْخَرُ، وَجِيءَ بِقُلَّتَيْنِ مِنْ مَاءٍ، وَجِيءَ بِالْعَلَفِ لَا يَدْرُونَ مَنْ يَأْتِي بِهِ، فَلَمْ تَزَلْ تِلْكَ حَالُهُمْ مُنْذُ خَرَجُوا مِنْ عِنْدِ أَهَالِيهِمْ حَتَّى رَجَعُوا، لَا يَتَكَلَّفُونَ زَادًا وَلَا مَزَادًا. فَهَذِهِ حَالُ وَلِيٍّ مِنْ هَذِهِ الْأُمَّةِ، نَزَلَ عَلَيْهِ وَعَلَى أَصْحَابِهِ كُلَّ يَوْمٍ مَائِدَةٌ مَرَّتَيْنِ، مَعَ مَا يُضَافُ إِلَيْهَا مِنَ الْمَاءِ وَالْعَلُوفَةِ لِدَوَابِّ أَصْحَابِهِ، وَهَذَا اعْتِنَاءٌ عَظِيمٌ، وَإِنَّمَا نَالَ ذَلِكَ بِبَرَكَةِ مُتَابَعَتِهِ لِهَذَا النَّبِيِّ الْكَرِيمِ، عَلَيْهِ أَفْضَلُ الصَّلَاةِ وَالتَّسْلِيمِ.
পৃষ্ঠা - ৫২৩৫

রাবী উছমান ইবন উমরের বর্ণনায় এর সনদে আরো আছে ৰু,ও; মোঃ তাই আমার
ব্যাপারে তার সুপারিশ কবুল করুন! লোকটি সেরুপ করল এবং নিরর্টময় হয়ে গেল ৷ তিরমিযী
এ হাদীসটি বর্ণনা করে লিখেছেন, হাদীসটি হাসান, সহীহ্ ও গরীব ৷ আবু জাফর খাতমীর সুত্র
ব্যতীত আর কারো মাধ্যমে আমরা এটা শুনিনি ৷ বায়হাকী হাকিম থেকে ভিন্ন সনদে আবু
জাফর খাতমীর সুত্রে উসমান ইবন হানীফ থেকে অনুরুপ বর্ণনা উদ্ধৃত করেছেন ৷ উসমান
বলেছেন, আমরা তখনও মজলিস থেকে উঠে যইিনি, আলোচনাও দীর্ঘ হয়নি, ইতিমধ্যেই সে
লোকটি তথায় উপস্থিত হল, মনে হল যে কোনদিনই অন্ধ ছিল না ৷

আর একটি মুজিয়া

আবু বকর ইবন আবী শায়বা মুহাম্মদ ইবন বিশর হাবীব ইবন কুরায়ত সুত্রে বর্ণনা
করেন, তীর পিতা কুরায়ত রাসুলুল্লাহ্ (সা)এর খিদমতে উপস্থিত হন ৷ তার উভয় চোখ ছিল
সাদা, কিছুই দেখতে পেতেন না ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) বললেন, তোমার কী হয়েছে ? তিনি
বললেন, আমার র্কাধে বোঝা থাকা অবস্থায় আমার পা একটি সাদা সাপের উপর পতিত হয় ৷
ফলে আমার দৃষ্টিশক্তি চলে যায় ৷ নবী করীম (সা) তার দৃ’চােখে কুক দিলেন ৷ সাথে সাথে
তার দৃষ্টিশক্তি ফিরে এল ৷ হাবীব বলেন, আমি আমার পিতাকে দেখেছি, আশি বছর
বয়সকালেও তিনি পুইয়ের ছিদ্রে সৃতা প্রবেশ করাতেন, তখন তার চোখ সাদইি ছিল ৷ বায়হাকী
ও আরও কয়েকজন বর্ণনড়াকারী ঐ লোকটির নাম হাবীব ইবন মুদরিক বলেছেন ৷ সহীহ্
বুখারীতে বর্ণিত হয়েছে, খায়বরের যুদ্ধের সময় হযরত আলীর চক্ষু পীড়া হলে রাসুলুল্লাহ্ (সা)
তার চোখে কুক দেন, এরপর তিনি আর কখনও চোখের পীড়ায় ভুগেননি ৷ এ ছাড়া খায়বরের
হিজাব্জী ব্যবসায়ী আবু রাফি’কে যে রাত্রে হত্যা করা হয় সেই রাত্রে হত্যাকারী জাবির ইবন
আতীকের পা ভেঙ্গে যায় ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) তার পায়ের উপর হাত বুলিয়ে দেন ৷ সাথে সাথেই
পা সম্পুর্ণ ভাল হয়ে যায় ৷ বায়হাকী বর্ণনা করেছেন, মুহাম্মদ ইবন হাতিবের হাত আগুনে পুড়ে
গেলে রাসুলুল্লাহ্ (সা) পােড়া স্থানে হাত বুলিয়ে দেন এবং সাথে সাথেই হাত ভাল হয়ে যায় ৷
সালমা ইবন আক্ওয়ার এর পা খায়বর যুদ্ধে জখম হয় ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) ক্ষতস্থানে হাত বুলিয়ে
দেন, সঙ্গে সঙ্গে পা ভাল হয়ে যায় ৷ হযরত সাদ ইবন আবী ওয়াক্কাস (রা)-এৱ রোগ মুক্তির
জন্যে রাসুলুল্লাহ্ (সা) দৃআ করলে তিনি আরোগ্য লাভ করেন ৷ বায়হাকীর রিওয়ায়াতে আছে,
নবী করীম (সা)-এর চাচা আবু তালিব রোগে আক্রান্ত হয়ে ভাতিজাকে বলেছিলেন, তোমার
রবের নিকট আমার জন্যে একটু দৃআ কর ৷ তিনি দৃআ করলেন ৷ আবু তালিব আরোগ্য লাভ
করেন ৷ এ জাতীয় অসংখ্য উদাহরণ আছে যার বিবরণ দিতে গেলে গ্রন্থ দীর্যায়িত হয়ে যাবে ৷

আউলিয়া কিরামের বদ-দুআয় চক্ষু অন্ধ হওয়া এবং পরে দােয়ার সাহায্যে দৃষ্টিশক্তি ফিরে
পাওয়ার কিরামত সম্পর্কেও ঘটনা উদ্ধৃত আছে ৷ যেমন হাফিয ইবন আসাকির আবু সাঈদ সুত্রে
আবু মুসলিম থেকে বর্ণনা করেন, এক মহিলা আবু মুসলিমের শ্ৰীকে কু মন্ত্রণা দেয় ৷ আবু
মুসলিম ঐ মহিলাকে বদ দৃআ করেন ৷ ফলে সে অন্ধ হয়ে যায় ৷ পরে সে মহিলাটি এসে বলে
, হে আবু মুসলিম ! আমি অপরাধ করেছি যে জন্যে আপনিও যা করার করেছেন; আমি আর
কখনও এরুপ করব না ৷ আবু মুসলিম তখন দৃআ করলেন, হে আল্লাহ ! যদি সে সত্য বলে
থাকে তবে তাকে দৃষ্টি শক্তি ফিরিয়ে দিন ৷ ফলে পুনরায় সে দৃষ্টি শক্তি লাভ করে ৷ এ ঘটনা


وَأَمَّا قَوْلُهُ تَعَالَى عَنْ عِيسَى ابْنِ مَرْيَمَ، عَلَيْهِ السَّلَامُ، أَنَّهُ قَالَ لِبَنِي إِسْرَائِيلَ: {وَأُنَبِّئُكُمْ بِمَا تَأْكُلُونَ وَمَا تَدَّخِرُونَ فِي بُيُوتِكُمْ} [آل عمران: 49] الْآيَةَ [آلِ عِمْرَانَ: 49] . فَهَذَا سَهْلٌ يَسِيرٌ عَلَى الْأَنْبِيَاءِ، بَلْ وَعَلَى كَثِيرٍ مِنَ الْأَوْلِيَاءِ، وَقَدْ قَالَ يُوسُفُ نَبِيُّ اللَّهِ وَالصِّدِّيقُ لَذَيْنِكَ الْفَتَيَيْنِ الْمَحْبُوسَيْنِ مَعَهُ {لَا يَأْتِيكُمَا طَعَامٌ تُرْزَقَانِهِ إِلَّا نَبَّأْتُكُمَا بِتَأْوِيلِهِ قَبْلَ أَنْ يَأْتِيَكُمَا ذَلِكُمَا مِمَّا عَلَّمَنِي رَبِّي} [يوسف: 37] الْآيَةَ [يُوسُفَ: 37] . وَقَدْ أَخْبَرَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِالْأَخْبَارِ الْمَاضِيَةِ طِبْقَ مَا وَقَعَ، وَعَنِ الْأَخْبَارِ الْحَاضِرَةِ سَوَاءً بِسَوَاءٍ، كَمَا أَخْبَرَ عَنْ أَكْلِ الْأَرَضَةِ لِتِلْكَ الصَّحِيفَةِ الظَّالِمَةِ الَّتِي كَانَتْ بُطُونُ قُرَيْشٍ قَدْ تَمَالَأَتْ عَلَى مُقَاطَعَةِ بَنِي هَاشِمٍ وَبَنِي عَبْدِ الْمُطَّلِبِ حَتَّى يُسَلِّمُوا إِلَيْهِمْ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَكَتَبُوا بِذَلِكَ صَحِيفَةً وَعَلَّقُوهَا فِي سَقْفِ الْكَعْبَةِ، فَأَرْسَلَ اللَّهُ الْأَرَضَةَ، فَأَكَلَتْهَا إِلَّا مَوَاضِعِ اسْمِ اللَّهِ تَعَالَى، وَفِي رِوَايَةٍ: فَأَكَلَتِ اسْمَ اللَّهِ مِنْهَا تَنْزِيهًا لَهَا أَنْ تَكُونَ مَعَ الَّذِي فِيهَا مِنَ الظُّلْمِ وَالْعُدْوَانِ. فَأَخْبَرَ بِذَلِكَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَمَّهُ أَبَا طَالِبٍ وَهُمْ بِالشِّعْبِ، فَخَرَجَ إِلَيْهِمْ أَبُو طَالِبٍ، وَقَالَ لَهُمْ عَمَّا أَخْبَرَهُ بِهِ، فَقَالُوا: إِنْ كَانَ كَمَا قَالَ وَإِلَّا فَسَلِّمُوهُ إِلَيْنَا. فَقَالُوا: نَعَمْ. فَأَنْزَلُوا الصَّحِيفَةَ، فَوَجَدُوهَا كَمَا أَخْبَرَ عَنْهَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ سَوَاءً بِسَوَاءٍ، فَأَقْلَعَتْ بُطُونُ قُرَيْشٍ عَمَّا كَانُوا تَمَالَئُوا عَلَيْهِ لِبَنِي هَاشِمٍ وَبَنِي الْمُطَّلِبِ، وَهَدَى اللَّهُ بِذَلِكَ خَلْقًا كَثِيرًا، وَكَمْ لَهُ مِثْلُهَا، كَمَا تَقَدَّمَ بَسْطُهُ وَبَيَانُهُ
পৃষ্ঠা - ৫২৩৬
فِي مَوَاضِعَ مِنَ السِّيرَةِ وَغَيْرِهَا، وَلِلَّهِ الْحَمْدُ وَالْمِنَّةُ. وَفِي يَوْمِ بَدْرٍ لَمَّا طَلَبَ مِنَ الْعَبَّاسِ عَمَّهُ فِدَاءً ادَّعَى أَنَّهُ لَا مَالَ لَهُ، فَقَالَ لَهُ: " فَأَيْنَ الْمَالُ الَّذِي دَفَنْتَهُ أَنْتَ وَأُمُّ الْفَضْلِ تَحْتَ أُسْكُفَّةِ الْبَابِ، وَقُلْتَ لَهَا: إِنْ قُتِلْتُ فَهُوَ لِلصِّبْيَةِ؟ " فَقَالَ: وَاللَّهِ يَا رَسُولَ اللَّهِ، إِنَّ هَذَا شَيْءٌ لَمْ يَطَّلِعْ عَلَيْهِ غَيْرِي وَغَيْرُ أُمِّ الْفَضْلِ إِلَّا اللَّهَ عَزَّ وَجَلَّ. وَأَخْبَرَ بِمَوْتِ النَّجَاشِيِّ يَوْمَ مَاتَ وَهُوَ بِالْحَبَشَةِ، وَصَلَّى عَلَيْهِ، وَأَخْبَرَ عَنْ قَتْلِ الْأُمَرَاءِ يَوْمَ مُؤْتَةَ وَاحِدًا بَعْدَ وَاحِدٍ وَهُوَ عَلَى الْمِنْبَرِ، وَعَيْنَاهُ تَذْرِفَانِ، وَأَخْبَرَ عَنِ الْكِتَابِ الَّذِي أَرْسَلَ بِهِ حَاطِبُ بْنُ أَبِي بَلْتَعَةَ مَعَ سَارَّةَ مَوْلَاةِ بَنِي عَبْدِ الْمُطَّلِبِ، وَأَرْسَلَ فِي طَلَبِهَا عَلِيًّا وَالزُّبَيْرَ وَالْمِقْدَادَ، فَوَجَدُوهَا قَدْ جَعَلَتْهُ فِي عِقَاصِهَا، وَفِي رِوَايَةٍ: فِي حُجْزَتِهَا. وَقَدْ تَقَدَّمَ ذَلِكَ فِي غَزْوَةِ الْفَتْحِ، وَقَالَ لِأَمِيرَيْ كِسْرَى اللَّذَيْنِ بَعَثَ بِهِمَا نَائِبُ الْيَمَنِ لِكِسْرَى ; لِيَسْتَعْلِمَا أَمْرَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " إِنَّ رَبِّي قَدْ قَتَلَ اللَّيْلَةَ رَبَّكُمَا ". فَأَرَّخَا تِلْكَ اللَّيْلَةَ، فَإِذَا كِسْرَى قَدْ سَلَّطَ اللَّهُ عَلَيْهِ وَلَدَهُ فَقَتَلَهُ، فَأَسْلَمَا وَأَسْلَمَ بَاذَامُ نَائِبُ الْيَمَنِ، وَكَانَ سَبَبَ مُلْكِ الْيَمَنِ لِرَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ. وَأَمَّا إِخْبَارُهُ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَنِ الْغُيُوبِ الْمُسْتَقْبَلَةِ فَكَثِيرَةٌ جِدًّا - كَمَا تَقَدَّمَ بَسْطُ ذَلِكَ، وَسَيَأْتِي فِي أَثْنَاءِ التَّوَارِيخِ - فَيَقَعُ ذَلِكَ طِبْقَ مَا قَالَ سَوَاءً بِسَوَاءٍ. وَذَكَرَ ابْنُ حَامِدٍ فِي مُقَابَلَةِ سِيَاحَةِ عِيسَى، عَلَيْهِ الصَّلَاةُ وَالسَّلَامُ، كَثْرَةَ
পৃষ্ঠা - ৫২৩৭

ইবন আবদুদ দুনিয়া সুত্রে উছমান ইবন আতা থেকেও বর্ণিত হয়েছে ৷ আবু মুসলিম
খাওলানী যখন বাড়িতে প্রবেশ করতেন এবং বাড়ির মধ্যখড়ানে পৌছতেন তখন “আল্লাহ
আকবর ধ্বনি দিতেন ৷ সাথে সাথে তার শ্রীও আল্লাহ আকবর বলতেন ৷ যখন ঘরে ঢুকতেন
তখন পুনরায় আল্লাহ আকবর বলতেন এবং শ্রীও আল্লাহ আকবর বলতেন ৷ অতঃপর তিনি তার
চাদর ও জুতা খুলতেন ৷ শ্রী তার আহার্য নিয়ে আসতেন ৷ তিনি আহার করতেন ৷ এক রাত্রের
ঘটনা : তিনি বাড়িতে প্রবেশ করে আল্লাহ আকবর বললেন, কিন্তু শ্রী কোন উত্তর দিলেন না ৷
ঘরের দরজায় গিয়ে তাকবীর দিলেন, সালাম করলেন, কিন্তু ত্রীর পক্ষ থেকে কোন উত্তর এল
না ৷ ঘরে কোন বাতিও জ্বলছিল না ৷ তিনি দেখলেন শ্রীর হাতে একটা লাঠি তা দিয়ে তিনি
মাটি খুড়ছেন ৷ আবু মুসলিম বললেন, তোমার কী হয়েছে? শ্রী বললেন, লোক তো বেশ আছে,
আপনি যদি মুআবিয়া (রা)-এর কাছে যেতেন, তাহলে তিনি আমাদেরকে একটা খাদিম আর
আপনাকে কিছু ভাতাও দিতেন, যা দিয়ে আপনার জীবিকা চলতো ৷ তখন আবু মুসলিম দুআ
করলেন, হে আল্লাহ! যে আমার ত্রীকে ক্ষতি করেছে-তাকে আপনি অন্ধ করে দিন ৷ বর্ণনাকারী
বলেন, জনৈকা মহিলা আবু মুসলিমের ত্রীর নিকট আসা যাওয়া করত ৷ একদা সে আবু
মুসলিমের শ্ৰীকে বললাে, আপনি যদি আপনার স্বামীকে মুআবিয়ার সাথে আলাপ করতে
বলেন, তা হলে তিনি আপনাদের জন্যে খাদিমের ব্যবস্থা করে দেবেন এবং অর্থ কড়িও দান
করবেন ৷ বর্ণনাকারী বলেন (আবু মুসলিম যখন বদ দুআ করছিলেন) ঐ মহিলাটি তখন নিজ
ঘরে অবস্থান করছিল, তার ঘরে বাতি জ্বলছিল ৷ হঠাৎ সবকিছু অন্ধকার হয়ে গেল ৷ সে
জিজ্ঞেস করল, বাতি কি নিতে গেছে? সবাই বলল, না ৷ সে বলল, আল্লাহ্ আমার দৃষ্টি শক্তি
নিয়ে গেছেন, ঐ অবস্থায়ই সে আবুমুসলিমের নিকট এসে আল্লাহর দোহাই দিয়ে অনৃনয় বিনয়
করতে থাকে ৷ তখন আবু মুসলিম আল্লাহ্র নিকট দুআ করেন এবং সে পুনরায় দৃষ্টিশক্তি লাভ
করে ৷ আর আবু মুসলিমের শ্রীও স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসেন ৷

খাঞ্চা প্রসঙ্গ
ঈসা (আ)-এর উপরে খাদ্যভর্তি খাঞ্চা নাযিল প্রসঙ্গে আল্লাহর বাণী :
শ্ং শ্শ্০ শ্ র্চশ্শ্ )¢¢!:’ শ্শ্ষ্শ্ শ্ং : ণ্০ট্রু শ্শ্ষ্ শ্ং

“স্মরণ কর, যখন হাওয়ারীপণ বলেছিল, হে মারয়ড়াম-তনয় ঈসা! তোমার প্রতিপালক কি
আমাদের জন্যে আসমান থেকে খাদ্য পুর্ণ খাঞ্চা অবতরণ করতে সক্ষম? তিনি বলেছিলেন,
আল্লাহ্কে ভয় কর, যদি তোমরা মুমিন হও ৷ তারা বলেকাি, আমরা চাই যে, তা থেকে কিছু
থাব ও আমাদের অন্তর প্রশান্তি লাভ করবে ৷ আর জেনে নেব যে, আপনি আমাদের সত্য
বলেছেন ৷ আরও চাই যে, আমরা এর সাক্ষী হয়ে থাকর ৷ ঈসা ইবন মারয়ড়াম বললেন, হে
আল্লাহ আমাদের পালনকর্তা ! আমাদের জন্যে আসমান থেকে খাদ্যপুর্ণ খাঞ্চা অবতীর্ণ করুন ৷
তা আমাদের জন্যে অর্থাৎ, আমাদের পুর্ববর্তী ও পরবর্তী সবার জন্যে হবে আনন্দোৎসব স্বরুপ ,
এবং আপনার পক্ষ থেকে হবে একটি নিদর্শন ৷ আর আমাদেরকে জীবিকা দান করুন; আপনিই
তাে শ্রেষ্ঠ জীৰিকাদাতা ৷ আল্লাহ্ বললেন, নিশ্চয়ই আমি যে খাঞ্চা তোমাদের প্রতি প্রেরণ
করব ৷ তারপর তোমাদের মধ্যে যে কেউ এর প্রতি কুফ্রী করবে, তাকে আমি এমন শাস্তি
দেব, যে শাস্তি বিশ্বজগতের আর কাউকে দেবনা” (৫ মায়িদা : ১ ১ ২-১ ১৫ ) ৷

৫ ৬


جِهَادِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَفِي مُقَابَلَةِ زُهْدِ عِيسَى، عَلَيْهِ الصَّلَاةُ وَالسَّلَامُ، زَهَادَةَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَنْ كُنُوزِ الْأَرْضِ حِينَ عُرِضَتْ عَلَيْهِ فَأَبَاهَا، وَقَالَ: " «أَجُوعُ يَوْمًا وَأَشْبَعُ يَوْمًا» ". وَأَنَّهُ كَانَ لَهُ ثَلَاثَ عَشْرَةَ زَوْجَةً يَمْضِي عَلَيْهِنَّ الشَّهْرُ وَالشَّهْرَانِ لَا تُوقَدُ عِنْدَهُنَّ نَارٌ وَلَا مِصْبَاحٌ، إِنَّمَا هُوَ الْأَسْوَدَانِ ; التَّمْرُ وَالْمَاءُ، وَرُبَّمَا رَبَطَ عَلَى بَطْنِهِ الْحَجَرَ مِنَ الْجُوعِ، وَمَا شَبِعُوا مِنْ خُبْزِ بُرٍّ ثَلَاثَ لَيَالٍ تِبَاعًا، وَكَانَ فِرَاشُهُ مِنْ أَدَمٍ حَشْوُهُ لِيفٌ، وَرُبَّمَا اعْتَقَلَ الشَّاةَ لِيَحْلِبَهَا، وَرَقَّعَ ثَوْبَهُ، وَخَصَفَ نَعْلَهُ بِيَدِهِ الْكَرِيمَةِ، صَلَوَاتُ اللَّهِ وَسَلَامُهُ عَلَيْهِ، وَمَاتَ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَدِرْعُهُ مَرْهُونَةٌ عِنْدَ يَهُودِيٍّ عَلَى طَعَامٍ اشْتَرَاهُ لِأَهْلِهِ، هَذَا وَكَمْ آثَرَ بِآلَافٍ مُؤَلَّفَةٍ وَالْإِبِلِ وَالشَّاءِ وَالْغَنَائِمِ وَالْهَدَايَا عَلَى نَفْسِهِ وَأَهْلِهِ لِلْفُقَرَاءِ وَالْمَحَاوِيجِ وَالْأَرَامِلِ وَالْأَيْتَامِ وَالْأَسْرَى وَالْمَسَاكِينِ. وَذَكَرَ أَبُو نُعَيْمٍ فِي مُقَابَلَةِ تَبْشِيرِ الْمَلَائِكَةِ لِمَرْيَمَ الصِّدِّيقَةِ بِمَوْلِدِ عِيسَى، مَا بُشِّرَتْ بِهِ آمِنَةُ أُمُّ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ حِينَ حَمَلَتْ بِهِ فِي مَنَامِهَا، وَمَا قِيلَ لَهَا: إِنَّكِ قَدْ حَمَلْتِ بِسَيِّدِ هَذِهِ الْأُمَّةِ فَسَمِّيهِ مُحَمَّدًا. وَقَدْ بَسَطْنَا ذَلِكَ فِي الْمَوْلِدِ، كَمَا تَقَدَّمَ. وَقَدْ أَوْرَدَ الْحَافِظُ أَبُو نُعَيْمٍ هَا هُنَا حَدِيثًا غَرِيبًا مُطَوَّلًا بِالْمَوْلِدِ أَحْبَبْنَا أَنْ نَسُوقَهُ لِيَكُونَ الْخِتَامَ نَظِيرَ الِافْتِتَاحِ، وَبِاللَّهِ الْمُسْتَعَانُ، وَعَلَيْهِ التُّكْلَانُ، وَلِلَّهِ الْحَمْدُ. فَقَالَ: حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ أَحْمَدَ، حَدَّثَنَا حَفْصُ بْنُ عُمَرَ بْنِ
পৃষ্ঠা - ৫২৩৮
الصَّبَاحِ، حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ عَبْدِ اللَّهِ الْبَابِلِيُّ، أَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي مَرْيَمَ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ عُمَرَ الْأَنْصَارِيِّ، عَنْ أَبِيهِ قَالَ: قَالَ ابْنُ عَبَّاسٍ: فَكَانَ مِنْ دَلَالَاتِ حَمْلِ مُحَمَّدٍ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنَّ كُلَّ دَابَّةٍ كَانَتْ لِقُرَيْشٍ نَطَقَتْ تِلْكَ اللَّيْلَةَ وَقَالَتْ: حُمِلَ بِرَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَرَبِّ الْكَعْبَةِ، وَهُوَ أَمَانُ الدُّنْيَا وَسِرَاجُ أَهْلِهَا. وَلَمْ تَبْقَ كَاهِنَةٌ فِي قُرَيْشٍ وَلَا قَبِيلَةٌ مِنْ قَبَائِلِ الْعَرَبِ إِلَّا حُجِبَتْ عَنْ صَاحِبَتِهَا، وَانْتُزِعَ عِلْمُ الْكَهَنَةِ مِنْهَا، وَلَمْ يَبْقَ سَرِيرُ مَلِكٍ مِنْ مُلُوكِ الدُّنْيَا إِلَّا أَصْبَحَ مَنْكُوسًا، وَالْمَلِكُ مُخَرَّسًا لَا يَنْطِقُ يَوْمَهُ ذَلِكَ، وَمَرَّتْ وُحُوشُ الْمَشْرِقِ إِلَى وُحُوشِ الْمَغْرِبِ بِالْبِشَارَاتِ، وَكَذَلِكَ أَهْلُ الْبِحَارِ يُبَشِّرُ بَعْضُهُمْ بَعْضًا بِهِ، وَفِي كُلِّ شَهْرٍ مِنْ شُهُورِهِ نِدَاءٌ فِي الْأَرْضِ وَنِدَاءٌ فِي السَّمَاوَاتِ ; أَنْ أَبْشِرُوا فَقَدْ آنَ لِأَبِي الْقَاسِمِ أَنْ يَخْرُجَ إِلَى الْأَرْضِ مَيْمُونًا مُبَارَكًا. قَالَ: وَبَقِيَ فِي بَطْنِ أَمِّهِ تِسْعَةَ أَشْهُرٍ، وَهَلَكَ أَبُوهُ عَبْدُ اللَّهِ وَهُوَ فِي بَطْنِ أُمِّهِ، فَقَالَتِ الْمَلَائِكَةُ: إِلَهَنَا وَسَيِّدَنَا، بَقِيَ نَبِيُّكَ هَذَا يَتِيمًا. فَقَالَ اللَّهُ تَعَالَى لِلْمَلَائِكَةِ: أَنَا لَهُ وَلِيٌّ وَحَافِظٌ
পৃষ্ঠা - ৫২৩৯

তাফসীৱ গ্রন্থে এ বিষয়ে আমরা বিস্তারিত আলোচনা করেছি ৷ মায়িদা বা খাদ্য ভর্তি খাঞ্চা
নাযিল হয়েছিল কি না এ ব্যাপারে মুফাসসিরদের মধ্যে দ্বিমত রয়েছে ৷ কিভু অধিকাত্শের
মতে খাঞ্চা নাযিল হয়েছিল ৷ খাঞ্চার মধ্যে কি জাতীয় খাদ্য ছিল সে ব্যাপারে অনেকগুলি মত
পাওয়া যায় ৷ ঐতিহাসিকগণ লিখেছেন যে, উমাইয়া আমলে ইসলামী রান্থষ্ট্রর পশ্চিম অঞ্চলের
বিজয়ী সেনাপতি মুসা ইবন নুসায়র এই খাঞ্চাটির সন্ধান পান ৷ কিন্তু বলা হয়ে থাকে যে,
তা’ছিল হযরত সুলায়মান (আ)-এর তা’ছিল স্বর্ণ নিমিংচ এবং মণি মুক্তা খচিত ৷ সেনাপতি
মুসা তা পেয়ে খলীফা ওলীদ ইবন আবদুল মালিকের নিকট পাঠিয়ে দেন ৷ মৃত্যু পর্যন্ত খলীফার
অধিকারেই তা ছিল ৷ তারপর তা তার ভাই সুলায়মানের হস্তগত হয় ৷ কারও কারও মতে এটা
ছিল হযরত ঈসা (আ)-এর মায়িদা ৷ কিভু এর সম্ভাবনা খুবই কম ৷ ঈসা (আ)-এর মায়িদা
হয়ে থাকলে নাসারাগণের তা না চিনবার কোন কারণ থাকতে পারে না ৷ বহু আলিম এ
যুক্তিতে এই মত প্রত্যাথান করেছেন ৷ সে যইি হোক, এখানে আসল বস্তু হল ঈসা (আ)-এর
মায়িদা-চাই তা নাযিল হোক বা না হোক, তাতে কিছু যায় আসে না ৷ কিন্তু রাসুলুল্লাহ্
(সা)-এর জন্যে এ ধরনের বহু মায়িদা আকাশ থেকে অবতীর্ণ হয়েছে ৷ এমন কি রাসুলের
সম্মুখে খাদ্য খাওয়া হচ্ছে ৷ সে খাদ্য তাসবীহ্ পাঠ করেছে এবং লোকজন তাসবীহ্ পাঠের
আওয়াজও শুন্যেছন ৷ এমনও বহু সময় দেখা গেছে যে, সামান্য খাদ্যাব্যে দ্বারা শত-সহস্র লোক
তৃপ্তি সহকারে আহার করছে ৷

হাফিয ইবন আসাকির তার ইতিহাস গ্রন্থে ইসহাকের সুত্রে আওষায়ী থেকে আবু মুসলিম
খাওলানীর জীবনীতে লিখেছেন : আবু মুসলিমের নিকট তার কওমের কয়েক ব্যক্তি এসে
বলল, হে আবু মুসলিম ! আপনি কি হজে যেতে আগ্রহী? তিনি বললেন, হী, তবে যদি কিছু
সঙ্গী পেতাম ৷ তারা বলল, আমরাই আপনার সঙ্গী হব ৷ তিনি বললেন, তোমরা আমার সঙ্গী
হতে পড়ার না ৷ আমার সঙ্গী তাে তারাই হতে পারে যারা সাথে কোন পাথেয় নেবে না ৷ তারা
বলল, সুবহানাল্পাহ্৷ পাথেয় ব্যতীত লোকে কিভাবে সফর করতে পারে? তিনি তাদেরকে
বললেন, তোমরা কি দেখনা, পাখীরা সকালে বেরিয়ে যায়, সন্ধ্যায় ফিরে আসে ৷ কোন সম্বল
তাদের থাকে না? আল্লাহ্ তাদেরকে জীবিকা দান করেন ৷ তারা ক্রয় বিক্রয় করে না, ক্ষেত
খামারও করেনা, আল্লাহ্-ই তাদের জীবিকার ব্যবস্থা করে থাকেন ৷ তারা বলল, আমরা
আপনার সাথেই সফরে যাব ৷ তিনি বললেন, তা হলে তোমরা আল্লাহর বরকতের উপর ভরসা
কর ৷ তারপর তারা দামিশকের গুতা অঞ্চল থেকে সফরে বের হল ৷ এক মনযিল অতিক্রম
করার পর সঙ্গীরা বলল, হে আবু মুসলিম! আমাদের জন্যে খাদ্য এবং পশুদের জন্যে ঘাসের
প্রয়োজন ৷ তিনি বললেন, হী ৷ তারপর অল্প কিছুদুর অগ্রসর হয়ে তারা পাথর নিচিতি একটি
মসজিদে গেলেন এবং দৃরাকাআত সালাত আদায় করলেন ৷ তারপর উভয় ইাটু গেড়ে বসে
দুআ করলেন, হে আল্লড়াহ্! আপনি জানেন, আমরা কী উদ্দেশ্যে ঘর থেকে বের হয়েছি ৷
কেবলমাত্র আপনার হুকুম পালন করার জন্যেই আমরা আজ ঘরছাড়া হয়েছি ৷ আপনি জানেন,
কোন কৃপণ আদম সন্তানের বাড়িতে লোকজন গেলে সেও সকলকে যেহমানদারী করে থাকে ৷
আর আমরা আপনার যেহমান, আপনার ঘরের যিয়ারতকারী দল ৷ সুতরাং আপনি আমাদের
পানাহার ও আমাদের পশুগুলাের ঘাসের ব্যবস্থা করুন ৷ এরপর দেখা গেল, একখানা দংদ্ররথান
তাদের সম্মুখে লম্বা করে বিছানাে হয়েছে ৷ একটা বড় পেয়ালায় মাংশ মিশ্রিত রুটি আনা
হয়েছে, দু’টি মটকায় পানি রাখা হয়েছে এবং ঘাসও আনা হয়েছে ৷ কিন্তু তারা জানতেও


وَنَصِيرٌ، فَتَبَرَّكُوا بِمَوْلِدِهِ، فَمَوْلِدُهُ مَيْمُونٌ مُبَارَكٌ، وَفَتَحَ اللَّهُ لِمَوْلِدِهِ أَبْوَابَ السَّمَاءِ وَجَنَّاتِهِ، وَكَانَتْ آمِنَةُ تُحَدِّثُ عَنْ نَفْسِهَا وَتَقُولُ: أَتَانِي آتٍ حِينَ مَرَّ بِي مِنْ حَمْلِهِ سِتَّةُ أَشْهُرٍ، فَوَكَزَنِي بِرِجْلِهِ فِي الْمَنَامِ، وَقَالَ: يَا آمِنَةُ، إِنَّكِ حَمَلْتِ بِخَيْرِ الْعَالَمِينَ طُرًّا، فَإِذَا وَلِدْتِيهِ فَسَمِّيهِ مُحَمَّدًا، وَاكْتُمِي شَأْنَكِ. قَالَ: وَكَانَتْ تُحَدِّثُ عَنْ نَفْسِهَا وَتَقُولُ: لَقَدْ أَخَذَنِي مَا يَأْخُذُ النِّسَاءَ، وَلَمْ يَعْلَمْ بِي أَحَدٌ مِنَ الْقَوْمِ؛ ذَكَرٌ وَلَا أُنْثَى، وَإِنِّي لِوَحِيدَةٌ فِي الْمَنْزِلِ، وَعَبْدُ الْمُطَّلِبِ فِي طَوَافِهِ. قَالَتْ: فَسَمِعْتُ وَجْبَةً شَدِيدَةً، وَأَمْرًا عَظِيمًا، فَهَالَنِي ذَلِكَ، وَذَلِكَ يَوْمَ الِاثْنَيْنِ، فَرَأَيْتُ كَأَنَّ جَنَاحَ طَيْرٍ أَبْيَضَ قَدْ مُسِحَ عَلَى فُؤَادِي، فَذَهَبَ كُلُّ رُعْبٍ وَكُلُّ فَزَعٍ وَوَجَعٍ كُنْتُ أَجِدُ، ثُمَّ الْتَفَتُّ فَإِذَا أَنَا بِشَرْبَةٍ بَيْضَاءَ ظَنَنْتُهَا لَبَنًا، وَكُنْتُ عَطْشَى، فَتَنَاوَلْتُهَا فَشَرِبْتُهَا، فَأَضَاءَ مِنِّي نُورٌ عَالٍ، ثُمَّ رَأَيْتُ نِسْوَةً كَالنَّخْلِ الطِّوَالِ، كَأَنَّهُنَّ مِنْ بَنَاتِ عَبْدِ الْمُطَّلِبِ يُحْدِقْنَ بِي، فَبَيْنَا أَنَا أَعْجَبُ وَأَقُولُ: وَا غَوْثَاهْ، مِنْ أَيْنَ عَلِمْنَ بِي؟ وَاشْتَدَّ بِيَ الْأَمْرُ، وَأَنَا أَسْمَعُ الْوَجْبَةَ فِي كُلِّ سَاعَةٍ أَعْظَمَ وَأَهْوَلَ، وَإِذَا أَنَا بِدِيبَاجٍ أَبْيَضَ قَدْ مُدَّ بَيْنَ السَّمَاءِ وَالْأَرْضِ، وَإِذَا قَائِلٌ يَقُولُ: خُذُوهُ عَنْ أَعْيُنِ النَّاسِ. قَالَتْ: رَأَيْتُ رِجَالًا قَدْ وَقَفُوا فِي الْهَوَاءِ، بِأَيْدِيهِمْ أَبَارِيقُ فِضَّةٍ، وَأَنَا يَرْشَحُ مِنِّي عَرَقٌ كَالْجُمَانِ، أَطْيَبُ رِيحًا مِنَ الْمِسْكِ الْأَذْفَرِ، وَأَنَا أَقُولُ: يَا لَيْتَ عَبْدَ الْمُطَّلِبِ قَدْ دَخَلَ عَلَيَّ، وَعَبْدُ الْمُطَّلِبِ عَنِّي نَاءٍ.
পৃষ্ঠা - ৫২৪০
قَالَتْ: وَرَأَيْتُ قِطْعَةً مِنَ الطَّيْرِ قَدْ أَقْبَلَتْ مِنْ حَيْثُ لَا أَشْعُرُ حَتَّى غَطَّتْ حُجْرَتِي، مَنَاقِيرُهَا مِنَ الزُّمُرُّدِ، وَأَجْنِحَتُهَا مِنَ الْيَوَاقِيتِ، فَكَشَفَ اللَّهُ لِي عَنْ بِصَرِي، فَأَبْصَرْتُ مِنْ سَاعَتِي مَشَارِقَ الْأَرْضِ وَمَغَارِبَهَا، وَرَأَيْتُ ثَلَاثَةَ أَعْلَامٍ مَضْرُوبَاتٍ ; عَلَمٌ بِالْمَشْرِقِ، وَعَلَمٌ بِالْمَغْرِبِ، وَعَلَمٌ عَلَى ظَهْرِ الْكَعْبَةِ، فَأَخَذَنِي الْمَخَاضُ، وَاشْتَدَّ بِيَ الطَّلْقُ جِدًّا، فَكُنْتُ كَأَنِّي مُسْتَنِدَةٌ إِلَى أَرْكَانِ النِّسَاءِ، وَكَثُرْنَ عَلَيَّ حَتَّى كَأَنَّ الْأَيْدِيَ مَعِي فِي الْبَيْتِ، وَأَنَا لَا أَرَى شَيْئًا، فَوَلَدْتُ مُحَمَّدًا، فَلَمَّا خَرَجَ مِنْ بَطْنِي دُرْتُ فَنَظَرْتُ إِلَيْهِ، فَإِذَا أَنَا بِهِ سَاجِدٌ وَقَدْ رَفَعَ أُصْبُعَيْهِ كَالْمُتَضَرِّعِ الْمُبْتَهِلِ، ثُمَّ رَأَيْتُ سَحَابَةً بَيْضَاءَ قَدْ أَقْبَلَتْ مِنَ السَّمَاءِ تَنْزِلُ حَتَّى غَشِيَتْهُ، فَغُيِّبَ عَنْ عَيْنِي، فَسَمِعْتُ مُنَادِيًا يُنَادِي ; يَقُولُ: طُوفُوا بِمُحَمَّدٍ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ شَرْقَ الْأَرْضِ وَغَرْبَهَا، وَأَدْخِلُوهُ الْبِحَارَ كُلَّهَا ; لِيَعْرِفُوهُ بِاسْمِهِ وَنَعْتِهِ وَصُورَتِهِ، وَيَعْلَمُوا أَنَّهُ سُمِّيَ الْمَاحِي ; لَا يَبْقَى شَيْءٌ مِنَ الشِّرْكِ إِلَّا مُحِيَ بِهِ فِي زَمَنِهِ. قَالَتْ: ثُمَّ تَجَلَّتْ عَنْهُ فِي أَسْرَعِ وَقْتٍ، فَإِذَا أَنَا بِهِ مُدْرَجًا فِي ثَوْبِ صُوفٍ أَبْيَضَ، أَشَدَّ بَيَاضًا مِنَ اللَّبَنِ، وَتَحْتَهُ حَرِيرَةٌ خَضْرَاءُ، وَقَدْ قَبَضَ مُحَمَّدٌ ثَلَاثَةَ مَفَاتِيحَ مِنَ اللُّؤْلُؤِ الرَّطْبِ الْأَبْيَضِ، وَإِذَا قَائِلٌ يَقُولُ: قَبَضَ مُحَمَّدٌ عَلَى مَفَاتِيحِ النَّصْرِ، وَمَفَاتِيحِ الرِّيحِ، وَمَفَاتِيحِ النُّبُوَّةِ هَكَذَا أَوْرَدَهُ وَسَكْتَ
পৃষ্ঠা - ৫২৪১

পেলেন না যে কে এ সব এনে দিল ৷ এ ভাবেই বাড়ি থেকে বোরাবার পর থেকে ফিরে আসা
পর্যন্ত একই অবস্থা চলতে থাকে ৷ পাথেয়ের কোন প্রয়োজন তাদের দেখা দিল না ৷ এ হল এই
উম্মতের একজন ওলীর অবস্থা ৷ তার এবং তার সঙ্গীদের জন্যে প্রত্যহ দুবার খাদ্যভর্তি মায়িদা
নাযিল হয়েছে ৷ সেই সাথে পানি, ঘাস ও অন্যান্য আনুষঙ্গিক জিনিসও এসেছে ৷ এ একটা
বিরটি দান ৷ আর তা পাওয়া গেছে শেষ নবী মুহাম্মদ (সা) এবং তার অনুকরণ অনুসরণের
মাধ্যমে ৷

হযরত ঈসা ইবন মারয়াম (আ)-এর আর একটি বৈশিষ্ট্য ছিল এই যে, তিনি বনী
ইসরাঈলদেরকে বলেছিলেন :

০ , fl , , × : , , ৪ শ্ , , ণ্ শ্

অর্থাৎ, “তোমরা তোমাদের গৃহে যা আহার কর ও যা মওজুদ রাখ তা আমি তােমাদেরভৈক
বলে দেব” (৩ আলে ইমরান : ৪৯) ৷
এ বিষয়টা একজন নবীর জন্যে অত্যন্ত সাধারণ ব্যাপার ৷ বরং বহু ওলীর জীবনে এ জাতীয়

বিষয়ের প্রমাণ আছে ৷ হযরত ইউসুফ (আ)-এর সাথে আরও যে দুই যুবক কারারুদ্ধ হয়েহ্নির্শ,
তাদেরকে তিনি বলেছিলেন :

ব্লু শ্,ষ্ , শ্,ষ্শ্ ব্লু :শ্শ্০শ্শু : ষ্,ষ্ ন্ধ্রশ্ব্লু শ্ ষ্০,ষ্শ্,ষ্ ,, ,;¢-’, ,
১া


অর্থাৎ “তোমাদেরকে যে খাদ্য দেয়৷ হয় তা আসবার পুর্বে আমি তোমাদেরকে স্বপ্নের

তাৎপর্য জানিয়ে দেব ৷ আমি তোমাদেরকে যা বলব৩ তা আমার প্রতিপালক আমাকে শিখিয়ে
দিয়েছেন (১২ ইউসুফং : ৩৭) ৷

এদিকে রাসুলুল্লাহ্ (সা) অতীত কালের ঘটনা সম্পর্কে যে সব খবর দিয়েছেন সেগুলো

বাস্তব ঘটনার সঙ্গে পুর্ণ সামঞ্জস্যশীল ৷ আর বর্তমান ঘটনা সম্পর্কে যে সব খবর দিয়েছেন তা
সম্পুর্ণ সত্য ও বাস্তব সম্মত ৷ যেমন তিনি সংবাদ দিয়েছিলেন যে, উই পোকা কুরায়শদের
লিখিত বয়কট নামাটি খেয়ে ফেলেছে যা তারা এই মর্মে লিখেছিল যে, বনু হাশিম ও বনু
মুত্তালিব যতদিন পর্যন্ত মুহাম্মদ (সা)-কে তাদের হাতে সোপর্দ না করবে ততদিন তাদের সাথে
সম্পর্ক ছিন্নরাখা হবে ৷ তারা এই লিপিঢি কাবা ঘরের ছাদে ঝুলিয়ে রাখে ৷ আল্লাহ্ উই পোকা
পাঠিয়ে দেন ৷ তারা তা খেয়ে শেষ করে দেয়, কেবল সে সব স্থান বাদ রাখে যে সব স্থানে
আল্লাহ্র নাম লেখা ছিল ৷ এক বর্ণনা মতে উই পোকা কেবল আল্লাহ্র নাম লেখা স্থান্গুলি
খেয়েছিল ৷ কেননা, ঐ লিপিঢি ছিল যুলুম ও বিদেষমুলক-তাই এর সাথে আল্লাহ্র নাম থাকাটা
পছন্দ করা হয়নি ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) এ তথ্যটি চাচা আবু ৩৷ ৷লিবকে জানিয়ে দেন ৷ তখন তারা
ছিলেন গিরি সঙ্কটে অবরুদ্ধ ৷ তখন আবু৩ তালিব বের হয়ে কুরায়শদেরাক এ তথ্য জানিয়ে
দিলেন ৷৩ তারা বলল, মুহাম্মদ (সা) যা বলেছেন তা যদি সঠিক হয় তো ভাল, নচেৎ তাকে
আমাদের হাতে সোপর্দ করতে হবে ৷ আবু তা লিাব বললেন, হা ৷ এরপর কুরায়শরা লিপিঢি
নামিয়ে দেখল, রাসুলুল্লাহ্ (সা) যা বলেছেন৩ তা হুবহু সত্য ৷ তারপর কুরায়শ গোত্র বনুহাশিম
ও বনু যুত্তালিবের উপর থেকে বয়কট তুলে নেয় ৷ এর দ্বারা আল্লাহ্ বহু লোককে হিদায়াত দান


عَلَيْهِ، وَهُوَ غَرِيبٌ جِدًّا. وَقَالَ الشَّيْخُ جَمَالُ الدِّينِ أَبُو زَكَرِيَّا يَحْيَى بْنُ يُوسُفَ بْنِ يَحْيَى بْنِ مَنْصُورِ بْنِ عُمَرَ الْأَنْصَارِيُّ الصَّرْصَرِيُّ، الْمَادِحُ، الْمَاهِرُ، الْحَافِظُ لِلْأَحَادِيثِ وَاللُّغَةِ، ذُو الْمَحَبَّةِ الصَّادِقَةِ لِرَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَلِذَلِكَ يُشَبَّهُ فِي عَصْرِهِ بِحَسَّانَ بْنِ ثَابِتٍ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، فِي دِيوَانِهِ الْمَكْتُوبِ عَنْهُ فِي مَدِيحِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَقَدْ كَانَ ضَرِيرَ الْبَصَرِ، بَصِيرَ الْبَصِيرَةِ، وَكَانَتْ وَفَاتُهُ بِبَغْدَادَ فِي سَنَةِ سِتٍّ وَخَمْسِينَ وَسِتِّمِائَةٍ، قَتَلَهُ التَّتَارُ فِي كَائِنَةِ بَغْدَادَ، كَمَا سَيَأْتِي ذَلِكَ فِي مَوْضِعِهِ، فِي كِتَابِنَا هَذَا، إِنْ شَاءَ اللَّهُ تَعَالَى، وَبِهِ الثِّقَةُ، وَعَلَيْهِ التُّكْلَانُ. قَالَ فِي قَصِيدَتِهِ مِنْ حَرْفِ الْحَاءِ الْمُهْمَلَةِ مِنْ دِيوَانِهِ: مُحَمَّدٌ الْمَبْعُوثُ لِلنَّاسِ رَحْمَةً ... يُشَيِّدُ مَا أَوْهَى الضَّلَالُ وَيُصْلِحُ لَئِنْ سَبَّحَتْ صُمُّ الْجِبَالِ مُجِيبَةً ... لِدَاوُدَ أَوْ لَانَ الْحَدِيدُ الْمُصَفَّحُ فَإِنَّ الصُّخُورَ الصُّمَّ لَانَتْ بِكَفِّهِ ... وَإِنَّ الْحَصَا فِي كَفِّهِ لَيُسَبِّحُ وَإِنْ كَانَ مُوسَى أَنَبَعَ الْمَاءَ بِالْعَصَا ... فَمِنْ كَفِّهِ قَدْ أَصْبَحَ الْمَاءُ يَطْفَحُ وَإِنْ كَانَتِ الرِّيحُ الرَّخَاءُ مُطِيعَةً ... سُلَيْمَانَ لَا تَأْلُو تَرُوحُ وَتَسْرَحُ فَإِنَّ الصَّبَا كَانَتْ لِنَصْرِ نَبِيِّنَا ... وَرُعْبٌ عَلَى شَهْرٍ بِهِ الْخَصْمُ يَكْلَحُ
পৃষ্ঠা - ৫২৪২
وَإِنْ أُوتِيَ الْمُلْكَ الْعَظِيمَ وَسُخِّرَتْ لَهُ الْجِنُّ تَسْعَى فِي رِضَاهُ وَتَكْدَحُ ... فَإِنَّ مَفَاتِيحَ الْكُنُوزِ بِأَسْرِهَا أَتَتْهُ فَرَدَّ الزَّاهِدُ الْمُتَرَجِّحُ ... وَإِنْ كَانَ إِبْرَاهِيمُ أُعْطِيَ خُلَّةً وَمُوسَى بِتَكْلِيمٍ عَلَى الطُّورِ يُمْنَحُ ... فَهَذَا حَبِيبٌ بَلْ خَلِيلٌ مُكَلَّمٌ وَخُصِّصَ بِالرُّؤْيَا وَبِالْحَقِّ أَشْرَحُ ... وَخُصِّصَ بِالْحَوْضِ الْعَظِيمِ وَبِاللِّوَا وَيَشْفَعُ لِلْعَاصِينَ وَالنَّارُ تَلْفَحُ ... وَبِالْمَقْعَدِ الْأَعْلَى الْمُقَرَّبِ نَالَهُ عَطَاءٌ لِعَيْنَيْهِ أَقَرُّ وَأَفْرَحُ ... وَبِالرُّتْبَةِ الْعُلْيَا الْوَسِيلَةُ دُونَهَا مَرَاتِبُ أَرْبَابِ الْمَوَاهِبِ تَلْمَحُ ... وَلَهْوَ إِلَى الْجَنَّاتِ أَوَّلُ دَاخِلٍ لَهُ بَابُهَا قَبْلَ الْخَلَائِقِ يُفْتَحُ وَهَذَا آخِرُ مَا يَسَّرَ اللَّهُ جَمْعَهُ مِنَ الْإِخْبَارِ بِالْمُغَيَّبَاتِ الَّتِي وَقَعَتْ إِلَى زَمَانِنَا مِمَّا يَدْخُلُ فِي دَلَائِلِ النُّبُوَّةِ، وَاللَّهُ الْهَادِي، وَإِذَا فَرَغْنَا، إِنْ شَاءَ اللَّهُ، مِنْ إِيرَادِ الْحَادِثَاتِ مِنْ بَعْدِ مَوْتِهِ، عَلَيْهِ السَّلَامُ، إِلَى زَمَانِنَا، نُتْبِعُ ذَلِكَ بِذِكْرِ الْفِتَنِ وَالْمَلَاحِمِ الْوَاقِعَةِ فِي آخِرِ الزَّمَانِ، ثُمَّ نَسُوقُ بَعْدَ ذَلِكَ أَشْرَاطَ السَّاعَةِ، ثُمَّ نَذْكُرُ الْبَعْثَ وَالنُّشُورَ، ثُمَّ مَا يَقَعُ يَوْمَ الْقِيَامَةِ مِنَ الْأَهْوَالِ وَمَا فِيهِ مِنَ الْعَظَمَةِ، وَنَذْكُرُ الْحَوْضَ وَالْمِيزَانَ وَالصِّرَاطَ، ثُمَّ نَذْكُرُ صِفَةَ النَّارِ، ثُمَّ صِفَةَ الْجَنَّةِ.