আল বিদায়া ওয়া আন্নিহায়া

سنة إحدى عشرة من الهجرة

فصل: إيراد ما بقي علينا من متعلقات السيرة الشريفة

معجزات لرسول الله صلى الله عليه وسلم مماثلة لمعجزات جماعة من الأنبياء قبله

من كرامات الأتقياء
পৃষ্ঠা - ৫২২২

বিভিন্ন সময়ে রাসুলুল্লাহ্ (সা) বৃষ্টির জন্যে প্রার্থনা জানালে আল্লাহ্ তাআল৷ বায়ুকে সেখান
থেকে মেঘ তাড়িয়ে এনে প্রার্থিত স্থানে আল্লাহ্র নির্দেশক্রমে বৃষ্টি বর্ষণ করত ৷ আবু নুআয়ম
উল্লেখ করেছেন, যদি বলা হয়, বায়ুকে সুলায়মান (আ)-এর অধীন করে দেয়া হয়েছিল, ফলে
বায়ুর সাহায্যে তিনি বিভিন্ন দেশে যাতায়াত করতেন, সকালে এক মাসের পথ এবং বিকেলে
এক মাসের পথ অতিক্রম করতেন ৷ তবে আমরা বলব রাসুলুল্লাহ্ (না)-কে যা প্রদান করা
হয়েছে তা আরও বিরাট ও আরও ব্যাপক ৷ কেননা তিনি এক রাত্রে মক্কা থেকে বায়তৃল
মুকাদ্দাসে যান, যা ছিল এক মাসের দুরত্ব, সেখান থেকে উর্ধ্বজগতে গমন করেন, যা ছিল
পঞ্চাশ হাজার বছরের দুরতু ৷ এ সফর সমাপ্ত করতে সময় লেগেছিল রাত্রের মাত্র
এক-তৃতীয়াংশেরও কম ৷ তিনি এক আসমান থেকে অন্য আসমানে যান ৷ সেখানকার বিস্ময়কর
ব্যবস্থাপনা প্রত্যক্ষ করেন ৷ জান্নাত ও জাহান্নড়াম ঘুরে ঘুরে দেখেন ৷ সকল উম্মতের আমলনামা
সেখানে তাকে দেখান হয় ৷ নবীদের সাথে ও আসমানী ফেরেশতাদের সাথে সালাত আদায়
করেন ৷ সকল প্রকার পর্দা তার থেকে তুলে নেয়া হয়, একই রাত্রে এসব ঘটনা সংঘটিত হওয়া
অধিকতর বিস্ময়কর নয় কি?

এবার আমরা জিনকে হযরত সুলায়মান (আ)-এর অধীনস্থ করা সম্পর্কে আলোচনা করব ৷
অধীনস্থ জিনরা সুলায়মান (আ)-এর নির্দেশমত বিভিন্ন রকম কাজ করত ৷ যেমন প্রাসদি
নির্মাণ, ভাস্কর্য তৈরি, হাউযের ন্যায় বড় বড় পাত্র ও বৃহদাকার সুদৃঢ় ডেপ তৈরি করা ৷ এর
মুকাবিলায় আমরা বলতে পারি যে, আল্পাহ্ তাআলা তার মুকাররাব ফেরেশতা পাঠিয়ে নবী
মুহাম্মদ (না)-কে বহু ক্ষেত্রে সাহায্য করেছেন, যথা বদর, উহুদ, আহযাব, হুনায়ন ইত্যাদি যুদ্ধে
এবং অন্যান্য সময়ে ৷ আর এটা জিনকে বশ করার চাইতে অধিকতর গুরুতৃ ও বিস্ময়কর সম্মান
ও মর্ষাদাপুর্ণ ৷ এ বিষয়ে বিশদ আলোচনা আমরা আগেই যথান্থানে করে এসেছি ৷ ইবন
হড়ামিদও এ বিষয়ে তার কিভাবে উল্লেখ করেছেন ৷ বুখারী ও মুসলিম শরীফে শুবা আবুহুরড়ায়রা
(রা) সুত্রে বর্ণিত ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) বলেছেন, গত রাত্রে একটা দৃষ্ট জিন আমার প্রতি দৃষ্টি
নিক্ষেপ করে (অথবা অন্য শব্দে তিনি একথা বলেছেন) তার উদ্দেশ্য ছিল আমার নামাযে বিঘ্র
সৃষ্টি করা ৷ আল্লাহ্ আমাকে তার উপর আধিপত্য দেন ৷ তখন আমি চেয়েছিলাম যে, তাকে
মসজিদের কোন এক খুটির সাথে বেধে রাখি, যাতে সকালবেলা লোকজন তাকে দেখতে পায় ৷
এ সময়ে আমার ভাই সুলায়মান (আ)-এর একটি দুআর কথা স্মরণ পড়ে ৷ অর্থাৎ “হে আমার
প্ৰতিপালক ! আমাকে ক্ষমা করুন এবং আমাকে এমন রাজত্ব দিন, যা আমার পরে আর কারও
হবে না” ৷ রাবী বলেন, এরপর আল্লাহ্ সে জিনকে অপদস্থ করে তাড়িয়ে দেন ৷ এটা হল
বুখারীর বর্ণনা ৷ মুসলিম শরীফে আবুদ দারদা থেকে প্রায় এরুপই বর্ণিত হয়েছে ৷ মুসলিমের
শব্দ এরুপ : তারপর আমি তাকে ধরার ইচ্ছে করলাম ৷ আল্লাহ্র কসম , আমাদের তাই
সুলায়মান (আ)-এর প্রার্থনা যদি না থাকত, তাহলে সকালবেলা মদীনায় বালকরা তাকে নিয়ে
খেলা করত ৷ এ হাদীসই ইমাম আহমদ উত্তম সনদে হযরত আবু সাঈদ (রা) থেকে বর্ণনা
করেছেন ৷

রাসুলুল্লাহ্ (সা) একদা ফজরের নামাযের জন্যে র্দাড়ান ৷ তিনি তখন তার পিছনে ছিলেন ৷
নামাযে তার কিরাতে বিব্ল সৃষ্টি হয় ৷ নামায শেষে তিনি বললেন, তোমরা ইবলীসের সাথে
আমার অবস্থাটা দেখতে পেতে ৷ আমি হাত দিয়ে তাকে ধরে ফেলি এবং তার গলা চেপে ধরি ৷


إِلَى اللَّهِ تَعَالَى فَقَالَتِ: اللَّهُمَّ إِنَّكَ تَعْلَمُ أَنِّي أَسْلَمْتُ وَهَاجَرْتُ إِلَى رَسُولِكَ ; رَجَاءَ أَنْ تُغِيثَنِي عِنْدَ كُلِّ شِدَّةٍ وَرَخَاءٍ، فَلَا تُحَمِّلْنِي هَذِهِ الْمُصِيبَةَ الْيَوْمَ. قَالَ: فَكَشَفَ الرَّجُلُ عَنْ وَجْهِهِ وَقَعَدَ، وَمَا بَرِحْنَا حَتَّى أَكَلْنَا مَعَهُ. وَهَذِهِ الْقِصَّةُ قَدْ تَقَدَّمَ التَّنْبِيهُ عَلَيْهَا فِي دَلَائِلِ النُّبُوَّةِ، وَفِي ذِكْرِ مُعْجِزِ الطُّوفَانِ مَعَ قِصَّةِ الْعَلَاءِ بْنِ الْحَضْرَمِيِّ، وَهَذَا السِّيَاقُ الَّذِي أَوْرَدَهُ شَيْخُنَا ذَكَرَ بَعْضَهُ بِالْمَعْنَى، وَقَدْ رَوَاهُ أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي الدُّنْيَا، وَالْحَافِظُ أَبُو بَكْرٍ الْبَيْهَقِيُّ مِنْ غَيْرِ وَجْهٍ، عَنْ صَالِحِ بْنِ بَشِيرٍ الْمُرِّيِّ - أَحَدِ زُهَّادِ الْبَصْرَةِ وَعُبَّادِهَا وَفِي حَدِيثِهِ لِينٌ - عَنْ ثَابِتٍ، عَنْ أَنَسٍ، فَذَكَرَهُ. وَفِي رِوَايَةِ الْبَيْهَقِيِّ: أَنَّ أُمَّهُ كَانَتْ عَجُوزًا عَمْيَاءَ. ثُمَّ سَاقَهُ الْبَيْهَقِيُّ مِنْ طَرِيقِ عِيسَى بْنِ يُونُسَ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَوْنٍ، عَنْ أَنَسٍ، كَمَا تَقَدَّمَ، وَسِيَاقُهُ أَتَمُّ، وَفِيهِ أَنَّ ذَلِكَ كَانَ بِحَضْرَةِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَهَذَا بِإِسْنَادٍ رِجَالُهُ ثِقَاتٌ، وَلَكِنْ فِيهِ انْقِطَاعٌ بَيْنَ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَوْنٍ وَأَنَسٍ. وَاللَّهُ أَعْلَمُ. [مِنْ كَرَامَاتِ الْأَتْقِيَاءِ] قِصَّةٌ أُخْرَى. قَالَ الْحَسَنُ بْنُ عَرَفَةَ: حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ إِدْرِيسَ، عَنْ إِسْمَاعِيلَ بْنِ أَبِي خَالِدٍ، عَنْ أَبِي سَبْرَةَ النَّخَعِيِّ قَالَ: أَقْبَلُ رَجُلٌ مِنَ الْيَمَنِ، فَلَمَّا كَانَ فِي بَعْضِ الطَّرِيقِ نَفَقَ حِمَارُهُ، فَقَامَ فَتَوَضَّأَ، ثُمَّ صَلَّى رَكْعَتَيْنِ، ثُمَّ قَالَ: اللَّهُمَّ إِنِّي جِئْتُ
পৃষ্ঠা - ৫২২৩
مِنَ الدَّثِينَةِ مُجَاهِدًا فِي سَبِيلِكَ وَابْتِغَاءَ مَرْضَاتِكَ، وَأَنَا أَشْهَدُ أَنَّكَ تُحْيِي الْمَوْتَى وَتَبْعَثُ مَنْ فِي الْقُبُورِ، لَا تَجْعَلْ لِأَحَدٍ عَلَيَّ الْيَوْمَ مِنَّةً، أَطْلُبُ إِلَيْكَ الْيَوْمَ أَنْ تَبْعَثَ حِمَارِي. فَقَامَ الْحِمَارُ يَنْفُضُ أُذُنَيْهِ. قَالَ الْبَيْهَقِيُّ: هَذَا إِسْنَادٌ صَحِيحٌ. وَمِثْلُ هَذَا يَكُونُ كَرَامَةً لِصَاحِبِ الشَّرِيعَةِ. قَالَ الْبَيْهَقِيُّ: وَكَذَلِكَ رَوَاهُ مُحَمَّدُ بْنُ يَحْيَى الذُّهْلِيُّ، وَغَيْرُهُ عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ عُبَيْدٍ، عَنْ إِسْمَاعِيلَ بْنِ أَبِي خَالِدٍ، عَنِ الشَّعْبِيِّ. وَكَأَنَّهُ عِنْدَ إِسْمَاعِيلَ مِنَ الْوَجْهَيْنِ. وَاللَّهُ أَعْلَمُ. قُلْتُ: كَذَلِكَ رَوَاهُ ابْنُ أَبِي الدُّنْيَا مِنْ طَرِيقِ إِسْمَاعِيلَ، عَنِ الشَّعْبِيِّ فَذَكَرَهُ. قَالَ الشَّعْبِيُّ: فَأَنَا رَأَيْتُ الْحِمَارَ بِيعَ أَوْ يُبَاعُ فِي الْكُنَاسَةِ. يَعْنِي بِالْكُوفَةِ، وَقَدْ أَوْرَدَهَا ابْنُ أَبِي الدُّنْيَا مِنْ وَجْهٍ آخَرَ، وَأَنَّ ذَلِكَ كَانَ فِي زَمَنِ عُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ، وَقَدْ قَالَ بَعْضُ قَوْمِهِ فِي ذَلِكَ: وَمِنَّا الَّذِي أَحْيَا الْإِلَهُ حِمَارَهُ ... وَقَدْ مَاتَ مِنْهُ كُلُّ عُضْوٍ وَمَفْصِلِ وَأَمَّا قِصَّةُ زَيْدِ بْنِ خَارِجَةَ وَكَلَامُهُ بَعْدَ الْمَوْتِ، وَشَهَادَتُهُ لِلنَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَلِأَبِي بَكْرٍ وَعُمَرَ وَعُثْمَانَ بِالصِّدْقِ، فَمَشْهُورَةٌ مَرْوِيَّةٌ مِنْ وُجُوهٍ كَثِيرَةٍ صَحِيحَةٍ. قَالَ الْبُخَارِيُّ فِي " التَّارِيخِ الْكَبِيرِ ": زَيْدُ بْنُ خَارِجَةَ الْخَزْرَجِيُّ الْأَنْصَارِيُّ شَهِدَ بَدْرًا، وَتُوُفِّيَ زَمَنَ عُثْمَانَ، وَهُوَ الَّذِي تَكَلَّمَ بَعْدَ الْمَوْتِ. وَرَوَى الْحَاكِمُ فِي " مُسْتَدْرَكِهِ " وَالْبَيْهَقِيُّ فِي " دَلَائِلِهِ " وَصَحَّحَهُ، كَمَا تَقَدَّمَ مِنْ طَرِيقِ
পৃষ্ঠা - ৫২২৪

এক পর্যায়ে তার মুখের ঠাণ্ডা লালা আমার হাতের এই দুই আঙ্গুলে অনুভব করি অর্থাৎ বুড়াে
আঙ্গুল ও তার পাশের আঙ্গুল ৷ যদি আমার ভাই সুলায়মানের দুআ না থাকত, তাহলে
সকালবেলা মসজিদের কোন এক খুটির সাথে সে বীধা থাকত ৷ আর মদীনায় বালকরা তাকে
নিয়ে থেল-তামাশা করত ৷ সকল সহীহ্, হাসান ও মুসনাদ গ্রন্থে বর্ণিত হয়েছে ৷ রাসুলুল্লাহ্
(সা) বলেছেন, যখন রমযান মাসের আগমন হয়, তখন জান্নাতের সকল দ্বার খুলে দেয়া হয়,
দােযখের দরজাসমুহ বন্ধ রাখা হয় এবং শয়তানদেরকে শৃত্খলাবদ্ধ রাখা হয় ৷ এক বর্ণনায়
আছে যে, দুষ্ট জিনদেরকে আটক রাখা হয় ৷ এ হচ্ছে সেই বরকত, যা রমযানের সিয়াম ও
কিয়ামের ফলে রাসুলুল্লাহ্ (না)-কে দান করা হয়েছে ৷ সম্মুখে হযরত ঈসা (আ)-এর অন্ধ ও
কুষ্ঠ রোগীকে ভাল করে দেয়ার আলোচনায় দেখান হবে যে, রাসুলুল্পাহ্ (না)-এর দুআয়
একজন মুসলিম জিন রােগমুক্ত হয় এবং রাসুলের নির্দেশ পালনের উদ্দেশ্যে ও তার ভয়ে
জিনদের দল থেকে বের হয়ে আসে ৷ অন্য এক সময়ে আল্লাহ্ তাআলা একদল জিনকে
রাসুলুল্লাহ্ (সা)এর নিকট প্রেরণ করেন ৷ তারা কুরআন শ্রবণ করে ঈমান আঃন ও রাসুলুল্লাহ্
(না)-কে সত্য নবী বলে বিশ্বাস করে ৷ তারপর তারা নিজ কওমের নিকট ফিরে গিয়ে
তাদেরকে দীনে মুহাস্মদী কবুল করার আহ্বান জানায় এবং তার বিরুদ্ধাচরণ করার ব্যাপারে
তাদেরকে সতর্ক করে দেয় ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) যেহেতু মানুষ ও জিন উভয় জাতির নবী ছিলেন,
তাই বিপুল সংখ্যক জিন ঈমান গ্রহণ করে এবং একটি প্রতিনিধিদল রাসুলুল্লাহ্ (সা)এর
নিকট প্রেরণ করে যেমন আমরা আগেই বর্ণনা করে এসেছি ৷ তিনি তাদেরকে সুরা
আর-রাহমান পাঠ করে শুনান এবং তাদের মধ্যে থেকে যারা ঈমান পোষণ করবে তাদেরকে
জান্নাতের আর যারা কুফরীর পথ অবলম্বন করবে তাদেরকে জাহান্নামের সংবাদ জানিয়ে দেন ৷
তিনি জিনদের খাদ্য ও তাদের প্রাণীদের খাদ্য সম্পর্কে শরীআতের বিধানও বাতলে দেন ৷
এ থেকে বুঝা গেল যে, জিনদের জন্যে যা গুরুত্বপুর্ণ ও আবশ্যক তা তিনি তাদেরকে
সুস্পষ্টভাবে জানিয়ে দিয়েছেন ৷ আবু নুআয়ম লিখেছেন, একবার এক দৈত্য সাহাবাদের এক
কাফেলার খুরমা চুরি করে ৷ তারা দৈতদ্রটিকে ধরে রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর নিকট নিয়ে যেতে
চাইলেন ৷ বিন্দু সে কিছুতেই যেতে রাজি হচ্ছিল না ৷ তার ভয় হল যে, রাসুলের নিকট নিয়ে
গেলে তার হাত কাটা যাবে ৷ এর বিনিময়ে সে সাহাবাদেরকে শিখিয়ে দিল যে , আয়াতৃল কৃরসী
পাঠ করলে তার কাছে কোন শয়তান আসতে পারে না ৷ আমরা এর সনদ ও শব্দসহ তাফসীর
গ্রন্থে আয়াতৃল কুরসীর ব্যাখ্যা প্রসঙ্গে উল্লেখ করেছি ৷ আবু নুআয়ম এই প্রসঙ্গে বহু ক্ষেত্রে আবু
জাহলের কবল থেকে রাসুলুল্লাহ্ (না)-কে জিবরাঈলের সাহায্য করার কথা উল্লেখ করেছেন,
যার বিবরণ আমরা সীরাতৃন নবীতে উল্লেখ করেছি ৷ তিনি এ প্রসঙ্গে উহুদ যুদ্ধে রাসুলুল্পাহ্
(সা)-এর ডানে ও বামে থেকে জিবরাঈল ও মীকাঈলের সাহায্যের কথাও বর্ণনা করেছেন ৷
যদি বলা হয় যে, হযরত সুলায়মান (আ)-কে তার পিতার ন্যায় নবুওত ও বাদশাহী
একত্রে দান করা হয়েছিল, তবে আমরা বলব, যে রাসুলুল্লাহ্ (না)-কে আল্লাহ্ তাআলা নবুওত
ও বাদশাহী কিংবা তার পােলামী ও রিসালাতের যে কোন একটিকে বেছে নেয়ার ইখতিয়ার
দিয়েছিলেন : খুপ্রু, ৷াপ্রু এ ৷ ; ৷ৰুাৰু রাসুলুল্লাহ্ (সা) এ ব্যাপারে জিবরাঈলের নিকট
পরামর্শ চান ৷ জিবরাঈল বিনয় প্রকাশের দিকে ইংণিত করেন ৷ সুতরাং তিনি আল্লাহ্ পােলামী
ও রাসুল হওয়াকে পছন্দ করেন ৷ হযরত আয়েশা ও ইবন আব্বাস এ হাদীস বর্ণনা করেছেন ৷


الْقَعْنَبِيِّ، عَنْ سُلَيْمَانَ بْنِ بِلَالٍ، عَنْ يَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ الْأَنْصَارِيِّ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ الْمُسَيِّبِ أَنَّ زَيْدَ بْنَ خَارِجَةَ الْأَنْصَارِيَّ، ثُمَّ مِنْ بَنِي الْحَارِثِ بْنِ الْخَزْرَجِ، تُوُفِّيَ زَمَنَ عُثْمَانَ بْنَ عَفَّانَ فَسُجِّيَ فِي ثَوْبِهِ، ثُمَّ إِنَّهُمْ سَمِعُوا جَلْجَلَةً فِي صَدْرِهِ، ثُمَّ تَكَلَّمَ ثُمَّ قَالَ: أَحْمَدُ أَحْمَدُ فِي الْكِتَابِ الْأَوَّلِ، صَدَقَ صَدَقَ أَبُو بَكْرٍ الضَّعِيفُ فِي نَفْسِهِ، الْقَوِيُّ فِي أَمْرِ اللَّهِ، فِي الْكِتَابِ الْأَوَّلِ، صَدَقَ صَدَقَ، عُمَرُ بْنُ الْخَطَّابِ الْقَوِيُّ الْأَمِينُ، فِي الْكِتَابِ الْأَوَّلِ، صَدَقَ صَدَقَ، عُثْمَانُ بْنُ عَفَّانَ عَلَى مِنْهَاجِهِمْ، مَضَتْ أَرْبَعٌ وَبَقِيَتْ ثِنْتَانِ، أَتَتِ الْفِتَنُ وَأَكَلَ الشَّدِيدُ الضَّعِيفُ، وَقَامَتِ السَّاعَةُ، وَسَيَأْتِيكُمْ عَنْ جَيْشِكُمْ خَبَرُ بِئْرِ أَرِيسَ، وَمَا بِئْرُ أَرِيسَ. قَالَ يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ: قَالَ سَعِيدُ بْنُ الْمُسَيِّبِ: ثُمَّ هَلَكَ رَجُلٌ مِنْ بَنِي خَطْمَةَ فَسُجِّيَ بِثَوْبِهِ، فَسُمِعَ جَلْجَلَةٌ فِي صَدْرِهِ، ثُمَّ تَكَلَّمَ فَقَالَ: إِنَّ أَخَا بَنِي الْحَارِثِ بْنِ الْخَزْرَجِ صَدَقَ صَدَقَ. وَرَوَاهُ ابْنُ أَبِي الدُّنْيَا وَالْبَيْهَقِيُّ أَيْضًا مِنْ وَجْهٍ آخَرَ بِأَبْسَطَ مِنْ هَذَا وَأَطْوَلَ، وَصَحَّحَهُ الْبَيْهَقِيُّ. قَالَ: وَقَدْ رُوِيَ فِي التَّكَلُّمِ بَعْدَ الْمَوْتِ، عَنْ جَمَاعَةٍ بِأَسَانِيدَ صَحِيحَةٍ. وَاللَّهُ أَعْلَمُ. قُلْتُ: قَدْ ذَكَرْتُ فِي قِصَّةِ شَاةِ جَابِرٍ يَوْمَ الْخَنْدَقِ وَأَكْلِ الْأَلْفِ مِنْهَا وَمِنْ قَلِيلِ شَعِيرٍ، مَا تَقَدَّمَ. وَقَدْ أَوْرَدَ الْحَافِظُ مُحَمَّدُ بْنُ الْمُنْذِرِ الْمَعْرُوفُ بِ " شَكَّرَ "
পৃষ্ঠা - ৫২২৫
فِي كِتَابِهِ " الْغَرَائِبِ وَالْعَجَائِبِ " بِسَنَدِهِ، كَمَا سَبَقَ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ جَمَعَ عِظَامَهَا، ثُمَّ دَعَا اللَّهَ تَعَالَى فَعَادَتْ كَمَا كَانَتْ فَتَرَكَهَا فِي مَنْزِلِهِمْ. وَاللَّهُ أَعْلَمُ. قَالَ شَيْخُنَا: وَمِنْ مُعْجِزَاتِ عِيسَى الْإِبْرَاءُ مِنَ الْجُنُونِ، وَقَدْ أَبْرَأَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ. يَعْنِي مِنْ ذَلِكَ. هَذَا آخَرُ مَا وَجَدْتُهُ مِمَّا حَكَيْنَاهُ عَنْهُ. فَأَمَّا إِبْرَاءُ عِيسَى مِنَ الْجُنُونِ، فَمَا أَعْرِفُ فِيهِ نَقْلًا خَاصًّا، وَإِنَّمَا كَانَ يُبَرِئُ الْأَكْمَهَ وَالْأَبْرَصَ، وَالظَّاهِرُ: وَمِنْ جَمِيعِ الْعَاهَاتِ وَالْأَمْرَاضِ الْمُزْمِنَةِ. وَأَمَّا إِبْرَاءُ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِنَ الْجُنُونِ، فَقَدْ رَوَى الْإِمَامُ أَحْمَدُ وَالْحَافِظُ الْبَيْهَقِيُّ مِنْ غَيْرِ وَجْهٍ، عَنْ يَعْلَى بْنِ مُرَّةَ، «أَنَّ امْرَأَةً أَتَتْ بِابْنٍ لَهَا صَغِيرٍ بِهِ لَمَمٌ، مَا رَأَيْتُ لَمَمًا أَشَدَّ مِنْهُ، فَقَالَتْ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، ابْنِي هَذَا كَمَا تَرَى أَصَابَهُ بَلَاءٌ، وَأَصَابَنَا مِنْهُ بَلَاءٌ، يُؤْخَذُ فِي الْيَوْمِ مَا أَدْرِي كَمْ مَرَّةً. فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " نَاوِلِينِيهِ ". فَرَفَعَتْهُ إِلَيْهِ فَجَعَلَتْهُ بَيْنَهُ وَبَيْنَ وَاسِطَةِ الرَّحْلِ، ثُمَّ فَغَرَ فَاهُ وَنَفَثَ فِيهِ ثَلَاثًا، وَقَالَ: " بِسْمِ اللَّهِ، أَنَا عَبْدُ اللَّهِ، اخْسَأْ عَدُوَّ اللَّهِ ". ثُمَّ نَاوَلَهَا إِيَّاهُ. فَذَكَرَتْ أَنَّهُ بَرَأَ مِنْ سَاعَتِهِ وَمَا رَابَهُمْ مِنْهُ شَيْءٌ بَعْدَ ذَلِكَ» .
পৃষ্ঠা - ৫২২৬

এক পর্যায়ে তার মুখের ঠাণ্ডা লালা আমার হাতের এই দুই আঙ্গুলে অনুভব করি অর্থাৎ বুড়ো
আব্দুল ও তার পাশের আব্দুল ৷ যদি আমার ভাই সুলায়মানের দুআ না থাকত, তাহলে
সকালবেলা মসজিদের কোন এক খুটির সাথে সে বাধা থাকত ৷ আর মদীনায় বালকরা তাকে
নিয়ে থেল-তামাশা করত ৷ সকল সহীহ্, হাসান ও মুসনাদ গ্রন্থে বর্ণিত হয়েছে ৷ রাসুলুল্লাহ্
(সা) বলেছেন, যখন রমযান মাসের আগমন হয়, তখন জান্নাতের সকল দ্বার খুলে দেয়া হয়,
দোযখের দরজাসমুহ বন্ধ রাখা হয় এবং শয়তানদেরকে শৃত্খলাবদ্ধ রাখা হয় ৷ এক বর্ণনায়
আছে যে, দুষ্ট জিনদেরকে আটক রাখা হয় ৷ এ হচ্ছে সেই বরকত, যা রমযানের সিয়াম ও
কিয়ামের ফলে রাসুলুল্লাহ্ (সা)-কে দান করা হয়েছে ৷ সম্মুখে হযরত ঈসা (আ)-এর অন্ধ ও
কুষ্ঠ ব্লোগীকে ভাল করে দেয়ার আলোচনায় দেখান হবে যে, রাসুলুল্লাহ্ (সা)-এর দুআয়
একজন মুসলিম জিন রোগমুক্ত হয় এবং রাসুলের নির্দেশ পালনের উদ্দেশ্যে ও তার তার
জিনদের দল থােক বের হয়ে আসে ৷ অন্য এক সময়ে আল্পাহ্ তাআলা একদল জিনকে
রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর নিকট প্রেরণ করেন ৷ তারা কুরআন শ্রবণ করে ঈমান আসে ও রাসুলুল্লাহ্
(সা)-কে সত্য নবী বলে বিশ্বাস করে ৷ তারপর তারা নিজ কওমের নিকট ফিরে গিয়ে
তাদেরকে দীনে মুহাম্মদী কবুল করার আহ্বান আমার এবং তার বিরুদ্ধাচরণ করার ব্যাপারে
তাদেরকে সতর্ক করে দেয় ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) যেহেতু মানুষ ও জিন উভয় জাতির নবী ছিলেন,
তাই বিপুল সংখ্যক জিন ঈমান গ্রহণ করে এবং একটি প্রতিনিধি দল রাসুলুল্লাহ্ (সা)এর
নিকট প্রেরণ করে যেমন আমরা আগেই বর্ণনা করে এসেছি ৷ তিনি তাদেরকে সুরা
আর-রাহমান পাঠ করে শুনান এবং তাদের মধ্যে থেকে যারা ঈমান পোষণ করবে তাদেরকে
জান্নাতের আর যারা কুফরীর পথ অবলম্বন করবে তাদেরকে জাহান্নড়ামের সংবাদ জানিয়ে দেন ৷
তিনি জিনদের খাদ্য ও তাদের প্রাণীদের খাদ্য সম্পর্কে শয়ীআতের বিধানও বাতলে দেন ৷

এ থােক বুঝা গেল যে, জিনদের জন্যে যা গুরুতুপুর্ণ ও আবশ্যক তা তিনি তাদেরকে
সুস্পষ্টভাবে জানিয়ে দিয়েছেন ৷ আবু নুআয়ম লিখেছেন, একবার এক দৈত্য সাহাবাদের এক
কাফেলার খুরমা চুরি করে ৷ তারা দৈত্যটিকে ধরে রাসুলুল্লাহ্ (সা)-এর নিকট নিয়ে যেতে
চাইলেন ৷ বিন্দু সে কিছুতেই যেতে রাজি হচ্ছিল না ৷ তার ভয় হল যে, রাসুলের নিকট নিয়ে
গেলে তার হাত কাটা যাবে ৷ এর বিনিময়ে সে সাহাবাদেরকে শিখিয়ে দিল যে, আয়াতৃল কুরসী
পাঠ করলে তার কাছে কোন শয়তান আসতে পারে না ৷ আমরা এর সনদ ও শব্দসহ তাফসীর
গ্রন্থে আয়াতৃল কুরসীর ব্যাখ্যা প্রসঙ্গে উল্লেখ করেছি ৷ আবু নুআয়ম এই প্রসঙ্গে বহু ক্ষেত্রে আবু
জাহন্সের কবল থেকে রাসুলুল্লাহ্ (না)-কে জিবরাঈলের সাহায্য করার কথা উল্লেখ করেছেন,
যার বিবরণ আমরা সীরাতুন নবীতে উল্লেখ করেছি ৷ তিনি এ প্রসঙ্গে উহুদ যুদ্ধে রাসুলুল্পাহ্
(সা)এর ডানে ও বামে থেকে জিবরাঈল ও মীকাঈলের সাহায্যের কথাও বর্ণনা করেছেন ৷

যদি বলা হয় যে, হযরত সুলায়মান (আ)-কে তার পিতার ন্যায় নবুওত ও বাদশাহী
একত্রে দান করা হয়েছিল, তবে আমরা বলব, যে রাসুলুল্লাহ্ (না)-কে আল্লাহ তাআলা নবুওত
ও বাদশাহী কিংবা তার গোলামী ও রিসালাতের যে কোন একটিকে বেছে নেয়ার ইখতিয়ার
দিয়েছিলেন : রাসুলুল্লাহ্ (সা) এ ব্যাপারে জিবরাঈলের নিকট
পরামর্শ চান ৷ জিবরাঈল বিনয় প্রকাশের দিকে ইংগিত করেন ৷ সুতরাং তিনি আল্লাহ গোলামী
ও রাসুল হওয়াকে পছন্দ করেন ৷ হযরত আয়েশা ও ইবন আব্বাস এ হাদীস বর্ণনা করেছেন ৷


وَقَالَ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا يَزِيدُ، حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ سَلَمَةَ، عَنْ فَرْقَدٍ السَّبَخِيِّ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ جُبَيْرٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ «أَنَّ امْرَأَةً جَاءَتْ بِوَلَدِهَا إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَتْ: يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنَّ بِهِ لَمَمًا، وَإِنَّهُ يَأْخُذُهُ عِنْدَ طَعَامِنَا فَيُفْسِدُ عَلَيْنَا طَعَامَنَا. قَالَ: فَمَسَحَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ صَدْرَهُ، وَدَعَا لَهُ، فَثَعَّ ثَعَّةً، فَخَرَجَ مِنْهُ مِثْلُ الْجَرْوِ الْأَسْوَدِ يَسْعَى» . غَرِيبٌ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ، وَفَرْقَدٌ فِيهِ كَلَامٌ، وَإِنْ كَانَ مِنْ زُهَّادِ الْبَصْرَةِ، لَكِنْ مَا تَقَدَّمَ لَهُ شَاهِدٌ، وَإِنْ كَانَتِ الْقِصَّةُ وَاحِدَةً. وَاللَّهُ أَعْلَمُ. وَرَوَى الْبَزَّارُ مِنْ طَرِيقِ فَرْقَدٍ أَيْضًا، عَنْ سَعِيدٍ، «عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ قَالَ: كَانَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِمَكَّةَ فَجَاءَتْهُ امْرَأَةٌ مِنَ الْأَنْصَارِ فَقَالَتْ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، إِنَّ هَذَا الْخَبِيثَ قَدْ غَلَبَنِي. فَقَالَ لَهَا: " إِنْ تَصْبِرِي عَلَى مَا أَنْتَ عَلَيْهِ تَجِيئِي يَوْمَ الْقِيَامَةِ لَيْسَ عَلَيْكِ ذُنُوبٌ، وَلَا حِسَابٌ ". فَقَالَتْ: وَالَّذِي بَعَثَكَ بِالْحَقِّ لَأَصْبِرَنَّ حَتَّى أَلْقَى اللَّهَ. ثُمَّ قَالَتْ: إِنِّي أَخَافُ الْخَبِيثَ أَنْ يُجَرِّدَنِي. فَدَعَا لَهَا، وَكَانَتْ إِذَا خَشِيَتْ أَنْ يَأْتِيَهَا تَأْتِي أَسْتَارَ الْكَعْبَةِ فَتَعَلَّقُ بِهَا، وَتَقُولُ لَهُ: اخْسَأْ. فَيَذْهَبُ عَنْهَا» . وَهَذَا دَلِيلٌ عَلَى أَنَّ فَرْقَدًا قَدْ حَفِظَ، فَإِنَّ هَذَا لَهُ شَاهَدٌ فِي " صَحِيحِ الْبُخَارِيِّ وَمُسْلِمٍ " مِنْ حَدِيثِ عَطَاءِ بْنِ أَبِي رَبَاحٍ قَالَ: «قَالَ لِيَ ابْنُ عَبَّاسٍ: أَلَا
পৃষ্ঠা - ৫২২৭
أُرِيكَ امْرَأَةً مِنْ أَهْلِ الْجَنَّةِ؟ قُلْتُ: بَلَى. قَالَ: هَذِهِ السَّوْدَاءُ، أَتَتْ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَتْ: إِنِّي أُصْرَعُ وَأَتَكَشَّفُ، فَادْعُ اللَّهَ لِي. قَالَ: " إِنْ شِئْتِ صَبَرْتِ وَلَكِ الْجَنَّةُ، وَإِنْ شِئْتِ دَعَوْتُ اللَّهَ أَنْ يُعَافِيَكِ ". قَالَتْ: لَا، بَلْ أَصْبِرُ، فَادْعُ اللَّهَ أَنْ لَا أَتَكَشَّفَ. قَالَ: فَدَعَا لَهَا فَكَانَتْ لَا تَنْكَشِفُ» . ثُمَّ قَالَ الْبُخَارِيُّ: حَدَّثَنَا مُحَمَّدٌ، حَدَّثَنَا مَخْلَدٌ، عَنِ ابْنِ جُرَيْجٍ، قَالَ: أَخْبَرَنِي عَطَاءٌ أَنَّهُ رَأَى أُمَّ زُفَرَ تِلْكَ، امْرَأَةٌ طَوِيلَةٌ سَوْدَاءُ، عَلَى سِتْرِ الْكَعْبَةِ. وَذَكَرَ الْحَافِظُ بْنُ الْأَثِيرِ فِي كِتَابِهِ " الْغَابَةِ فِي أَسْمَاءِ الصَّحَابَةِ " أَنَّ أُمَّ زُفَرَ هَذِهِ كَانَتْ مَاشِطَةً لِخَدِيجَةَ بِنْتِ خُوَيْلِدٍ، وَأَنَّهَا عُمِّرَتْ حَتَّى رَآهَا عَطَاءُ بْنُ أَبِي رَبَاحٍ، رَحِمَهُمَا اللَّهُ تَعَالَى. وَأَمَّا إِبْرَاءُ عِيسَى الْأَكْمَهَ، وَهُوَ الَّذِي يُولَدُ أَعْمَى، وَقِيلَ: هُوَ الَّذِي لَا يُبْصِرُ فِي النَّهَارِ وَيُبْصِرُ فِي اللَّيْلِ، وَقِيلَ غَيْرُ ذَلِكَ، كَمَا بَسَطْنَا ذَلِكَ فِي " التَّفْسِيرِ " وَالْأَبْرَصُ الَّذِي بِهِ بَهَقٌ، فَقَدْ رَدَّ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَوْمَ أُحُدٍ عَيْنَ قَتَادَةَ بْنِ النُّعْمَانِ إِلَى مَوْضِعِهَا بَعْدَ مَا سَالَتْ عَلَى خَدِّهِ، فَأَخَذَهَا فِي " يَدِهِ الْكَرِيمَةِ " وَأَعَادَهَا إِلَى مَقَرِّهَا فَاسْتَمَرَّتْ بِجِمَالِهَا وَبَصَرِهَا، وَكَانَتْ أَحْسَنَ عَيْنَيْهِ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، وَصَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، كَمَا ذَكَرَ ذَلِكَ مُحَمَّدُ بْنُ إِسْحَاقَ بْنِ يَسَارٍ فِي " السِّيرَةِ " وَغَيْرُهُ، وَكَذَلِكَ بَسَطْنَاهُ ثَمَّ، وَلِلَّهِ الْحَمْدُ وَالْمِنَّةُ، وَقَدْ دَخَلَ بَعْضُ وَلَدِهِ، وَهُوَ