আল বিদায়া ওয়া আন্নিহায়া

باب ذكر أمم أهلكوا بعامة

পৃষ্ঠা - ৫২২
[بَابُ ذِكْرِ أُمَمٍ أُهْلِكُوا بِعَامَّةٍ] [أَصْحَابُ الرَّسِّ] وَذَلِكَ قَبْلَ نُزُولِ التَّوْرَاةِ ; بِدَلِيلِ قَوْلِهِ تَعَالَى {وَلَقَدْ آتَيْنَا مُوسَى الْكِتَابَ مِنْ بَعْدِ مَا أَهْلَكْنَا الْقُرُونَ الْأُولَى} [القصص: 43] . الْآيَةَ كَمَا رَوَاهُ ابْنُ جَرِيرٍ وَابْنُ أَبِي حَاتِمٍ وَالْبَزَّارُ مِنْ حَدِيثِ عَوْفٍ الْأَعْرَابِيِّ، عَنْ أَبِي نَضْرَةَ، عَنْ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ، قَالَ «مَا أَهْلَكَ اللَّهُ قَوْمًا بِعَذَابٍ مِنَ السَّمَاءِ أَوْ مِنَ الْأَرْضِ، بَعْدَ مَا أُنْزِلَتِ التَّوْرَاةُ عَلَى وَجْهِ الْأَرْضِ، غَيْرَ الْقَرْيَةِ الَّتِي مُسِخُوا قِرَدَةً» ; أَلَمْ تَرَ أَنَّ اللَّهَ تَعَالَى يَقُولُ {وَلَقَدْ آتَيْنَا مُوسَى الْكِتَابَ مِنْ بَعْدِ مَا أَهْلَكْنَا الْقُرُونَ الْأُولَى} [القصص: 43] وَرَفَعَهُ الْبَزَّارُ فِي رِوَايَةٍ لَهُ، وَالْأَشْبَهُ، وَاللَّهُ أَعْلَمُ، وَقْفُهُ، فَدَلَّ عَلَى أَنَّ كُلَّ أُمَّةٍ أُهْلِكَتْ بِعَامَّةٍ، قَبْلَ مُوسَى عَلَيْهِ السَّلَامُ. فَمِنْهُمْ: أَصْحَابُ الرَّسِّ، قَالَ اللَّهُ تَعَالَى، فِي سُورَةِ " الْفُرْقَانِ " {وَعَادًا وَثَمُودَ وَأَصْحَابَ الرَّسِّ وَقُرُونًا بَيْنَ ذَلِكَ كَثِيرًا - وَكُلًّا ضَرَبْنَا لَهُ الْأَمْثَالَ وَكُلًّا تَبَّرْنَا تَتْبِيرًا} [الفرقان: 38 - 39] [الْفُرْقَانِ: 38، 39] . وَقَالَ تَعَالَى، فِي سُورَةِ " ق " {كَذَّبَتْ قَبْلَهُمْ قَوْمُ نُوحٍ وَأَصْحَابُ الرَّسِّ وَثَمُودُ - وَعَادٌ وَفِرْعَوْنُ وَإِخْوَانُ لُوطٍ - وَأَصْحَابُ الْأَيْكَةِ وَقَوْمُ تُبَّعٍ كُلٌّ كَذَّبَ الرُّسُلَ فَحَقَ وَعِيدِ} [ق: 12 - 14] [ق: 12 - 14] .
পৃষ্ঠা - ৫২৩


রসুলগণকে মিথ্যাবাদী বলেছে ৷ ফলে তাদের উপর আমার শাস্তি আপতিত হয়েছে ৷ (সুরা
কৃাফ০ ং ১২-১৪ )

এ আয়াত ও এর পুর্বের আয়াত থেকে বোঝা যায় যে তারা সম্পুর্ণরুপে ধ্বংস ও নির্মুল
হয়েছে ৷ এ বক্তব্য দ্বারা ইবন জারীর (র) এর মতামত প্রত্যাখ্যাত হয়ে যায় ৷ কেননা, তার
মতে, উক্ত সম্প্রদায় হচ্ছে আসহড়াবুল উখদুদ বা অগ্নিকুণ্ডের অধিপতিরা যাদের কথা সুরা
বুরুজে বর্ণিত হয়েছে ৷ ইবন জারীৱ (র)-এর মতামত প্রত্যাখ্যাত হওয়ার কারণ এই যে, ইবন
ইসহাক (র)সহ এক দলের মতে, অগ্নিকুণ্ডের অধিপতিদের ঘটনা সংঘটিত হয়েছিল হযরত ঈসা
মাসীহ্ (আ)-এর পরে ৷ কিন্তু ইবন ইসহাকের এ মতও বিতর্কের উধের্ব নয় ৷ ইবন জারীর (বা)
বর্ণনা করেন, ইবন আব্বাস (বা) বলেন, আসহাবুর রসৃস হল ছামুদ জাতির জনপদসমুহেব মধ্য
হতে একটি জনপদের অধিবাসী ৷

হাফিজ ইবন আসাকির (র) তার ইতিহাস গ্রন্থের শুরুতেই দামেশকের প্রতিষ্ঠা প্রসঙ্গে
আবুল কাসিম আবদুল্লাহ ইবন আবদুল্লাহ ইবন জারদাদ প্রমুখের ইতিহাসের বরাত দিয়ে
লিখেছেন যে, আসহাবুর রসৃস হায়ুর নামক স্থানে বসবাস করত ৷ আল্লাহ তাদের মাঝে
হানৃযালা ইবন সাফওয়ড়ান (আ)-কে নবীরুপে প্রেরণ করেন ৷ কিন্তু তারা নবীকে মিথ্যাবাদী
সাব্যস্ত করে হত্যা করে ফেলে ৷ অতঃপর আদ ইবন আওস ইবন ইরাম ইবন নাম ইবন নুহ
আপন পুত্রকে নিয়ে রসৃস ছেড়ে চলে যান এবং আহ্কাফে গিয়ে অবস্থান করেন ৷ আল্লাহ
রসৃস-এর অধিবাসীদের ধ্বংস করেন ৷ তারা সমগ্র ইয়ামানে এবং অন্যান্য স্থানে বিক্ষিপ্ত হয়ে
যায় ৷ তাদেবই একজন জায়রুন ইবন সাদ ইবন আদ ইবন আওস ইবন ইরাম ইবন নাম ইবন
নুহ্ দামিশকে চলে যান এবং দামেশক নগরী প্রতিষ্ঠা করেন এবং এর নাম রাখেন জায়রুন ৷
এটাই সুউচ্চ প্রাসাদ নির্মিত ইরাম নগরী ৷ গোটা দামেশকে এই স্থানের চেয়ে অধিক পাথর
নির্মিত প্রাসাদ আর কোথাও ছিল না ৷ আল্লাহ হ্রদ ইবন আবদুল্লাহ ইবন রাবাহ্ ইবন খালিদ
ইবন হালুদ ইবন আদকে আদ জা ৷তির কাছে অর্থাৎ আহ্কাফে বসবাসকারী আদের ব শধরদের
কাছে প্রেরণ করেন ৷ কিন্তু তারা নবীকে মিথ্যাবাদী ঠাওরায় ৷ ফলে আল্লাহ তাদেরকে বিনাশ
করে দেন ৷ এ বর্ণনা থেকে প্রমাণিত হয় যে, আসহাবুর রস্স সম্প্রদায়ের আগমন হয়েছিল আদ
জাতির বহুযুগ পুর্বে ৷ অড়াল্লাহই সর্বজ্ঞ ৷

ইবন আবী হাতিম (র) ইবন আব্বাস (বা) সুত্রে বর্ণনা করেন যে, রসৃস আমার বাইজানের
একটি কুপের নাম ৷ ছাওরী ইকরিমা সুত্রে বর্ণনা করেন যে, রস্স একটি কুপ যার মধ্যে তারা
তাদের নবীকে দাফন করেছিল ৷ ইবন জুরায়জ ইকরিমড়ার উক্তি বর্ণনা করেছেন যে, আসহাবুর
রস্স ফাল্জ নামক স্থানে বসবাস করত ৷ তাদেরকে আসহাবে ইয়াসীনও বলা হয় ৷ কাতাদা
(র) বলেন, ফাল্জ ইয়ামামার একটি জনপদের নাম ৷ আমি বলতে চাই যে, ইকরিমড়ার মত
অনুযায়ী আসহাবুর রস্স যদি আসহাবু ইয়াসীন হয়, তবে তারা ব্যাপক আযাবে ধ্বংস হয়েছে ৷

আল্লাহ তাদের ঘটনা প্রসঙ্গে বলেনং :


এটা ছিল কেবলমাত্র একটি মহা নাদ, ফলে ওরা নিথর নিস্তব্ধ হয়ে গেল ৷ (ইয়াসীনং : ২৯)


وَهَذَا السِّيَاقُ وَالَّذِي قَبْلَهُ يَدُلُّ عَلَى أَنَّهُمْ أُهْلِكُوا، وَدُمِّرُوا، وَتُبِّرُوا، وَهُوَ الْهَلَاكُ. وَهَذَا يَرُدُّ اخْتِيَارَ ابْنِ جَرِيرٍ ; مِنْ أَنَّهُمْ أَصْحَابُ الْأُخْدُودِ، الَّذِينَ ذُكِرُوا فِي سُورَةِ " الْبُرُوجِ " ; لِأَنَّ أُولَئِكَ عِنْدَ ابْنِ إِسْحَاقَ وَجَمَاعَةٍ، كَانُوا بَعْدَ الْمَسِيحِ، عَلَيْهِ السَّلَامُ.، وَفِيهِ نَظَرٌ أَيْضًا. وَرَوَى ابْنُ جَرِيرٍ قَالَ: قَالَ ابْنُ عَبَّاسٍ: أَصْحَابُ الرَّسِّ أَهْلُ قَرْيَةٍ مِنْ قُرَى ثَمُودَ. وَقَدْ ذَكَرَ الْحَافِظُ الْكَبِيرُ أَبُو الْقَاسِمِ بْنُ عَسَاكِرَ فِي أَوَّلِ " تَارِيخِهِ "، عِنْدَ ذِكْرِ بِنَاءِ دِمَشْقَ عَنْ " تَارِيخِ " أَبِي الْقَاسِمِ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ خُرْدَاذَبَةَ، وَغَيْرِهِ، أَنَّ أَصْحَابَ الرَّسِّ كَانُوا بِحَضُورٍ، فَبَعْثَ اللَّهُ إِلَيْهِمْ نَبِيًّا يُقَالُ لَهُ: حَنْظَلَةُ بْنُ صَفْوَانَ. فَكَذَّبُوهُ وَقَتَلُوهُ، فَسَارَ عَادُ بْنُ عَوْصِ بْنِ إِرَمَ بْنِ سَامِ بْنِ نُوحٍ، بِوَلَدِهِ مِنَ الرَّسِّ، فَنَزَلَ الْأَحْقَافَ، وَأَهْلَكَ اللَّهُ أَصْحَابَ الرَّسِّ، وَانْتَشَرُوا فِي الْيَمَنِ كُلِّهَا، وَفَشَوْا مَعَ ذَلِكَ فِي الْأَرْضِ كُلِّهَا، حَتَّى نَزَلَ جَيْرُونُ بْنُ سَعْدِ بْنِ عَادِ بْنِ عَوْصِ بْنِ إِرَمَ بْنِ سَامِ بْنِ نُوحٍ دِمَشْقَ وَبَنَى مَدِينَتَهَا، وَسَمَّاهَا جَيْرُونَ وَهِيَ إِرَمُ ذَاتُ الْعِمَادِ، وَلَيْسَ أَعْمِدَةُ الْحِجَارَةِ فِي مَوْضِعٍ أَكْثَرَ مِنْهَا بِدِمَشْقَ، فَبَعَثَ اللَّهُ هُودَ بْنَ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ رَبَاحِ بْنِ خَالِدِ بْنِ الْخُلُودِ بْنِ
পৃষ্ঠা - ৫২৪


এদের ঘটনা রসৃস-এর ঘটনার পরে আলোচনা করা হবে ৷ পক্ষাম্ভরে এরা যদি আসহাবে
ইয়াসীন না হয়ে অন্য কোন সম্প্রদায় হয়ে থাঃক, যা স্পষ্টতই বোঝা যায় , তবে তারাও সমুলে
ধ্বংস হয়েছে ৷ সে যাই হোক না কেন, তা ইবন জারীরের মতের বিরোধী ৷ আবু বকর মুহাম্মদ
ইবন হাসান আন নরকাশ উল্লেখ করেছেন যে, আসহাবুর রসৃসদের একটি কুপ ছিল ৷ তারা যে
কুয়ায় পানি পান করত ও যমীনে সিঞ্চন করত ৷ তাদের একজন ন্যায়পরায়ণ উত্তম চরিত্রের
অধিকারী বাদশাহ ছিলেন ৷ বাদশাহ মারা গেলে তারা দারুণ মর্মাহত হয় ৷ কিছুদিন যাওয়ার
পর শয়তান ঐ বাদশাহর রুপ ধারণ করে তাদের কাছে আসে এবং বলে আমি মরিনি, বরং
কিছুদিনের জন্যে পায়ের হয়ে ছিলাম তোমরা কি কর তা দেখার জন্যে ৷ এতে তারা অত্যধিক
খুশী হল ৷ সে বলল, তোমরা তোমাদের ও আমার মাঝে একটি পর্দা টাঙ্গিয়ে দাও ৷ সেই সাথে
এ সংবাদও দিল যে, সে কখনো মরবে না ৷ অনেকেই তার এ কথা মনেপ্রাণে বিশ্বাস করল ৷
এভাবে তারা ফিৎনড়ায় পতিত হয় ৷ তারা তার ইবাদত-উপাসনা করতে শুরু করে ৷ আল্লাহ
এদের মধ্যে এক নবী প্রেরণ করেন ৷ নবী তাদেরকে জানান যে, এ হল শয়তান পর্দায়
আড়ালে থেকে যে মানুষের সাথে কথা বলে ৷ তিনি সবাইকে তার ইবাদত করতে নিষেধ করেন
এবং এক ও লা-শারীক আল্লাহর ইবাদত করার আদেশ দেন ৷

সুহায়লী (র) বলেন, ঐ নবীর কাছে ঘুমের মধ্যে আল্লাহ ওহী প্রেরণ করতেন ৷ তার নাম
ছিল হানজালা ইবন সাফওয়ান (আ) ৷ সম্প্রদায়ের লোকজন তার উপর আক্রমণ করে হত্যা
করে এবং তার লাশ কুপের মধ্যে ফেলে দেয় ৷ ফলে কুয়ার পানি শুকিয়ে যায় ৷ এলাকাবাসী
সুখে-স্বাচ্ছন্দে থাকা সত্বেও এ ঘটনার পর তারা পানির অভাবে পিপাসায় কাতর হয় ৷ তাদের
গাছপালা শুকিয়ে যায় , ফল-ফলাদি উৎপাদন বন্ধ হয়ে যায় ৷ বাড়িঘর বিনষ্ট হয় ৷ এভাবে তারা
সুখের পরে দুরবস্থায় পতিত হয়, সামাজিক ঐক্য ও সংহতি ছিন্নভিন্ন হয়ে যায় এবং অবশেষে
তারা পৃথিবী থেকে নিশ্চিহ্ন হয়ে যায় ৷ এখন তাদের বাড়িঘরে জিন-ভুত ও বন্য পশু বসবাস
করে ৷ সেখান থেক্ষেম্এখন ধ্বনিত হয় জিনের শৌ শৌ শব্দ, বাঘের গর্জন ও হায়েনার
আওয়াজ ৷

ইবন জারীর (র) মুহাম্মদ ইবন কাব আল কুরাজী (রা) থেকে বর্ণিত ৷ রাসুলুল্পাহ (সা)
বলেছেন, কিয়ামতে প্রথম যে ব্যক্তি জান্নাতে প্রবেশ করবে সে হবে একজন কৃষ্ণকায় লোক ৷
এই কৃষ্ণকায় লোকটি সংশ্লিষ্ট ঘটনা নিম্নরুপ : আল্লাহ তাআলা কোন এক জনপদে একজন
নবী প্রেরণ করেন ৷ জনপদের কোন লোকই নবীর উপর ঈমান আনল না ৷ কেবল ঐ কৃষ্ণকায়
লোকটি একাই ঈমান আনল ৷ এলাকাবাসী নবীর উপর অত্যাচার চালায় ৷ তারা একটি কুয়া
খনন করে নবীকে তার মধ্যে ফেলে দেয় এবং বিরাট এক পাথর দ্বারা ফুয়াটির মুখ বন্ধ করে
দেয় এবং এ অবস্থায় কৃষ্ণকায় লোকটি জঙ্গল থেকে কাঠ এনে বিক্রি করত ৷ বিক্রিলব্ধ টাকা
দ্বারা খাদ্য ও পানীয় ক্রয় করে ঐ কুয়ায় গিয়ে পাথর সরিয়ে নিয়ে নবীর কাছে খাদ্য পানীয়
নামিয়ে দিতেন এবং তারপরে পাথর দ্বারা মুখ বন্ধ করে রাথতেন ৷ পাথরটি উঠাতে ও নামাতে
আল্লাহ তাকে সাহায্য করতেন ৷ আল্লাহর যতদিন মঞ্জুর ছিল ততদিন এ অবস্থা অব্যাহত থাকে ৷
অতঃপর একদিন সে নিয়মানুযায়ী কাষ্ঠ সংগ্রহ করল এবং একত্র করে রশি দ্বারা র্বাধল ৷ যখন
তা উঠিয়ে আনার সংকল্প করল হঠাৎ সে তন্দ্রায় অড়াচ্ছন্ন হয়ে পড়ল ৷ সুতরাং অবসাদগ্রস্ত দেহে
আল-বিদায়া ওয়ান নিহায়া (১ম খণ্ড) ৬৪-


عَادٍ إِلَى عَادٍ - يَعْنِي أَوْلَادَ عَادٍ - بِالْأَحْقَافِ، فَكَذَّبُوهُ، وَأَهْلَكَهُمُ اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ. فَهَذَا يَقْتَضِي أَنَّ أَصْحَابَ الرَّسِّ قَبْلَ عَادٍ بِدُهُورٍ مُتَطَاوِلَةٍ. فَاللَّهُ أَعْلَمُ. وَرَوَى ابْنُ أَبِي حَاتِمٍ، عَنْ أَبِي بَكْرِ بْنِ أَبِي عَاصِمٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ شَبِيبِ بْنِ بِشْرٍ، عَنْ عِكْرِمَةَ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، قَالَ: الرَّسُّ بِئْرٌ بِأَذْرَبِيجَانَ. وَقَالَ الثَّوْرِيُّ، عَنْ أَبِي بُكَيْرٍ، عَنْ عِكْرِمَةَ، قَالَ: الرَّسُّ بِئْرٌ رَسُّوا فِيهَا نَبِيَّهُمْ. أَيْ ; دَفَنُوهُ فِيهَا. وَقَالَ ابْنُ جُرَيْجٍ قَالَ عِكْرِمَةُ: أَصْحَابُ الرَّسِّ بِفَلْجَ، وَهُمْ أَصْحَابُ يَاسِينَ. وَقَالَ قَتَادَةُ: فَلْجُ مِنْ قُرَى الْيَمَامَةِ. قُلْتُ: فَإِنْ كَانُوا أَصْحَابَ يَاسِينَ، كَمَا زَعَمَهُ عِكْرِمَةُ، فَقَدْ أُهْلِكُوا بِعَامَّةٍ، قَالَ اللَّهُ تَعَالَى فِي قِصَّتِهِمْ {إِنْ كَانَتْ إِلَّا صَيْحَةً وَاحِدَةً فَإِذَا هُمْ خَامِدُونَ} [يس: 29] . وَسَتَأْتِي قِصَّتُهُمْ بَعْدَ هَؤُلَاءِ. وَإِنْ كَانُوا غَيْرَهُمْ وَهُوَ الظَّاهِرُ فَقَدْ أُهْلِكُوا أَيْضًا وَتُبِّرُوا. وَعَلَى كُلِّ تَقْدِيرٍ فَيُنَافِي مَا ذَكَرَهُ ابْنُ جَرِيرٍ وَقَدْ ذَكَرَ أَبُو بَكْرٍ مُحَمَّدُ بْنُ الْحَسَنِ النَّقَّاشُ، أَنَّ أَصْحَابَ الرَّسِّ كَانَتْ لَهُمْ بِئْرٌ تَرْوِيهِمْ، وَتَكْفِي أَرْضَهُمْ جَمِيعَهَا، وَكَانَ لَهُمْ مَلَكٌ عَادِلٌ حَسَنُ السِّيرَةِ، فَلَمَّا مَاتَ وَجَدُوا عَلَيْهِ وَجْدًا عَظِيمًا، فَلَمَّا كَانَ بَعْدَ أَيَّامٍ تَصَوَّرَ لَهُمُ الشَّيْطَانُ فِي صُورَتِهِ، وَقَالَ: إِنِّي لَمْ أَمُتْ، وَلَكِنْ تَغَيَّبْتُ عَنْكُمْ حَتَّى أَرَى صَنِيعَكُمْ. فَفَرِحُوا أَشَدَّ الْفَرَحِ، وَأَمَرَ بِضَرْبِ حِجَابٍ بَيْنَهُمْ وَبَيْنَهُ، وَأَخْبَرَهُمْ أَنَّهُ لَا يَمُوتُ أَبَدًا،
পৃষ্ঠা - ৫২৫


সে ঘুমিয়ে গেল ৷ এদিকে আল্লাহ সাত বছর যাবত তার শ্রবণ শক্তি বন্ধ করে দেন ৷ ফলে সে
এক ঘুমে সাত বছর কাটিয়ে দেয় ৷ সাত বছর পর ঘুম ভাঙলে আড়মােড়া দিয়ে পাশ ফিরে
শোয় ৷ আল্লাহ আবারও সাত বছরের জন্যে তার শ্রবণ শক্তি বন্ধ রাখেন ৷

সাত বছর পর আবার তার ঘুম ভাঙে ৷ এবার সেকাষ্ঠের বোঝা বহন করে নিয়ে আসে ৷
যে মনে মনে ডাবল, আমি হয়ত দিনের কিছু সময় ঘুমিয়েছি ৷ বস্তিতে এসে সে পুর্বের ন্যায়
কাষ্ঠ বিক্রি করে খাদ্য পানীয় ক্রয় করে ৷ যে উক্ত খাদ্য-পানীয় নিয়ে সেই কুয়ার কাছে গেল ৷
কিন্তু তথায় সে কোন কুয়া দেখতে পেল না ৷ ঘটনা ছিল এই যে নবীকে কুয়ায় নিক্ষেপ করার
কিছুকাল পর এলাকাবাসী তাদের এ কর্মের পরিণতি চিন্তা করে এবং৩ তার কিছু আতা স ইঙ্গিত
পেয়ে নবীকে তারা কুয়া থেকে বের করে আগে ৷ তার প্রতি ঈমান আসে ও তীকে
সতবােদীরুপে গ্রহণ করে ৷ নবী তাদের কাছে ঐ কৃষ্ণকায় লোকটির খবর জিজ্ঞেস করেন ৷
তারা কৃষ্ণকায় ৫লা ৷কটির কো ন সং বাদ জানে না বলে আমার ৷ আল্লাহর ঐ নবী এরপর ইস্তিকাল
করেন ৷ নবীর ইন্তিকালের পর আল্লাহ উক্ত কৃষ্ণকায় লোকটিকে ঘুম থেকে জাগ্রত করেন ৷
রাসুলুল্লড়াহ (সা) বলেন, ঐ কৃষ্ণকায় লোকটিই সর্বপ্রথম জান্নাতে প্রবেশ করবে ৷ এ হাদীস
মুরসাল পর্যায়ের ৷ এতে কিছু সন্দেহের অবকাশ আছে ৷ ঘটনার বিস্তারিত বর্ণনা সম্ভবত মুহাম্মদ
ইবন কাব আল কুরাজি (র)-এর উক্তি ৷

ইবন জারীর (র) এ ঘটনা উল্লেখ করার পর নিজেই এর প্রতিবাদ করেছেন ৷ তিনি
বলেছেন, এই ঘটনা সংশ্লিষ্ট জনগােষ্ঠীকে কুরআনে বর্ণিত আসহাবুর রসস বলা ঠিক নয় ৷
কেননা কুরআনে বলা হয়েছে আসহাবুর বসসকে আল্লাহ ধ্বংস করেছেন ৷ পক্ষাম্ভরে এই
জনগোষ্ঠী পরবর্তীতে নবীর উপর ঈমান আনে ৷ কিন্তু ইবন জারীরের উক্ত দলীলের এই উত্তর
দেয়া যায় যে , হয়ত তাদের পিতৃ-পুরুষদেরকে আল্লাহ ধ্বংস করেছিলেন ৷ পরে তাদের সন্তানরা
কোন ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে নবীর প্রতি ঈমান আনয়ন করে ৷ ইবন জারীর (র) অতঃপর এই
মত পোষণ করেন যে, আসহাবুল উখদুদ (অগ্নিকুণ্ডের অধিপতিরা)-ই আসহাবুর রসৃস ৷ কিন্তু
তার এ মত অত্যন্ত দুর্বল ৷ দুর্বল হওয়ার কারণ আসহাবুল উখদুদের আলোচনায় উল্লেখ করা
হয়েছে ৷ অর্থাৎ আসহাবুল উখদুদ সম্পর্কে বলা হয়েছে যে, তারা তওবা না করলে আখিরাতেধ্
কঠোর শাস্তি ভোগ করবে, তাদের ধ্বংস হওয়ার কথা বলা হয়নি ৷ পক্ষান্তরে, আসহাবুর
বসৃস-এর ধ্বংস হওয়ার কথা কুরআনে স্পষ্টভাবে উল্লেখ করা হয়েছে ৷

নতুন নতুন বাংলায় ইসলাযীক বই ডাউনলোড করতে ইসলামী বই ওয়েব সাইট ভিজিট করুণ

ইয়ড়াসীন সুরার বর্ণিত জনপদবাসীর কাহিনী

আল্লাহর বা ৷ওণী



ণ্াপ্রু
এব্রে ৰু১ ৷ ভুধ্ ৰুএ ৷



فَصَدَّقَ بِهِ أَكْثَرُهُمْ، وَافْتَتَنُوا بِهِ، وَعَبَدُوهُ، فَبَعَثَ اللَّهُ فِيهِمْ نَبِيًّا، وَأَخْبَرَهُمْ أَنَّ هَذَا شَيْطَانٌ يُخَاطِبُهُمْ مِنْ وَرَاءِ الْحِجَابِ، وَنَهَاهُمْ عَنْ عِبَادَتِهِ، وَأَمَرَهُمْ بِعِبَادَةِ اللَّهِ وَحْدَهُ لَا شَرِيكَ لَهُ. قَالَ السُّهَيْلِيُّ: وَكَانَ يُوحَى إِلَيْهِ فِي النَّوْمِ، وَكَانَ اسْمُهُ حَنْظَلَةَ بْنَ صَفْوَانَ، فَعَدَوْا عَلَيْهِ فَقَتَلُوهُ، وَأَلْقَوْهُ فِي الْبِئْرِ، فَغَارَ مَاؤُهَا، وَعَطِشُوا بَعْدَ رَيِّهِمْ وَيَبِسَتْ أَشْجَارُهُمْ، وَانْقَطَعَتْ ثِمَارُهُمْ، وَخَرِبَتْ دِيَارُهُمْ، وَتَبَدَّلُوا بَعْدَ الْأُنْسِ بِالْوَحْشَةِ، وَبَعْدَ الِاجْتِمَاعِ بِالْفُرْقَةِ، وَهَلَكُوا عَنْ آخِرِهِمْ، وَسَكَنَ فِي مَسَاكِنِهِمُ الْجِنُّ وَالْوُحُوشُ، فَلَا يُسْمَعُ بِبِقَاعِهِمْ إِلَّا عَزِيفُ الْجِنِّ، وَزَئِيرُ الْأُسْدِ، وَصَوْتُ الضِّبَاعِ. فَأَمَّا مَا رَوَاهُ - أَعْنِي ابْنَ جَرِيرٍ - عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ حُمَيْدٍ، عَنْ سَلَمَةَ، عَنِ ابْنِ إِسْحَاقَ عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ كَعْبٍ الْقُرَظِيِّ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «إِنَّ أَوَّلَ النَّاسِ يَدْخُلُ الْجَنَّةَ يَوْمَ الْقِيَامَةِ الْعَبْدُ الْأَسْوَدُ; وَذَلِكَ أَنَّ اللَّهَ تَعَالَى بَعَثَ نَبِيًّا إِلَى أَهْلِ قَرْيَةٍ، فَلَمْ يُؤْمِنْ بِهِ مِنْ أَهْلِهَا إِلَّا ذَلِكَ الْأَسْوَدُ، ثُمَّ إِنَّ أَهْلَ الْقَرْيَةِ عَدَوْا عَلَى النَّبِيِّ، فَحَفَرُوا لَهُ بِئْرًا، فَأَلْقَوْهُ فِيهَا، ثُمَّ أَطْبَقُوا عَلَيْهِ بِحَجَرٍ أَصَمَّ» قَالَ: فَكَانَ ذَلِكَ الْعَبْدُ يَذْهَبُ فَيَحْتَطِبُ عَلَى ظَهْرِهِ، ثُمَّ يَأْتِي بِحَطَبِهِ فَيَبِيعُهُ، وَيَشْتَرِي بِهِ طَعَامًا وَشَرَابًا، ثُمَّ يَأْتِي بِهِ إِلَى ذَلِكَ الْبِئْرِ، فَيَرْفَعُ تِلْكَ الصَّخْرَةَ، وَيُعِينُهُ اللَّهُ عَلَيْهَا، وَيُدْلِي إِلَيْهِ طَعَامَهُ وَشَرَابَهُ، ثُمَّ يَرُدُّهَا كَمَا كَانَتْ. قَالَ: فَكَانَ كَذَلِكَ مَا شَاءَ اللَّهُ أَنْ يَكُونَ، ثُمَّ إِنَّهُ ذَهَبَ يَوْمًا يَحْتَطِبُ، كَمَا كَانَ يَصْنَعُ، فَجَمَعَ حَطَبَهُ وَحَزَمَ حُزْمَتَهُ وَفَرَغَ مِنْهَا، فَلَمَّا أَرَادَ أَنْ يَحْتَمِلَهَا، وَجَدَ
পৃষ্ঠা - ৫২৬




#


§

;, ,শুর্তৃহ্রদ্বু ৰু£প্রু ,
ট্রু,; ন্ন্ঝুশু র্দুএে শু১র্দুশু র্চু,ক্ট্রট্রুঠু“,শু; ধ্পু ৷ ,া ষ্ প্রুপু৷ § ’;£ ১৷ শু£ছু,
^ ; “ é; গ্লু;৷ হু,ধু,ঞে , ,পুহ্র,হ্রছুাদ্বুৰু£ন্^দ্বুহ্র ;,;পু র্দ্র ,দ্বুন্নুৰু দ্বুাহ্রহ্রগু ৷ ঈ,ও, দ্বু
এ “ প্রর্দুর শ্রোাপ্রুর্দুপুা(৷হুদ্বু ষ্,ন্দ্বুন্শুর্দুপ্হুকুন্,ন্ ঠুপুট্রশু৷ ^ ৷ ;,:é¢$
ঞদ্বু^;ার্দুৰুব্ল, দ্বু,;“’ ৷পু,ৰু ;,^,দ্বুদ্বু,এ্,প্লুগ্লু;হ্রপ্রু দ্বু,^”^বু;,,;পু

তাদের কাছে উপস্থিত কর এক জনপদের অধিবাসীদের দৃষ্টান্ত; তাদের কাছে তো এসেছিল
রসুলগণ ৷ যখন তাদের নিকট পাঠ লাম দু ’জন রসুল, কিন্তু তারা ওদেরকে মিথ্যারাদী বলল,
তখন অমি ওদেরকে শক্তিশালী করেছিলাম তৃতীয় একজন দ্বারা এবং ওরা ৷বলেছিল, আমরা

তা তোমাদের কাছে প্রেরিত হয়েছি ৷ ’ তারা বলল, তোমরা তো আমাদেরই মত মানুষ,

দয়াময় আল্লাহ তো কিছুই অবতীর্ণ করেননি ৷ তোমরা কেবল মিথ্যাই বলছ ৷ ’
তোমাদের কাছে প্রেরিত
হয়েছি ৷ স্পষ্টভাবে প্রচার করাই আমাদের দ ৷য়িতু’ ৷ তারা বলল, আমরা তোমাদের অমঙ্গলের
কারণ মনে করি, যদি তে ৷মরা বিরত না হও তোমাদেরকে অবশ্যই পাথরের আঘাতে হত্যা
করব এবং আমাদের পক্ষ হতে তোমাদের উপর মর্মন্তুদ শাস্তি অবশ্যই আপতিত হবে ৷’ ওরাপ্ণ্
বলল, তোমাদের অমঙ্গল তোমদেরই সাথে; এটা কি এ জন্যে যে, আমরা তোমড়াদেরকে
উপদেশ দিচ্ছি? বন্তুত তোমরা এক সীমালংঘনকারী সম্প্রদায় ৷ নগরীর প্রান্ত হতে এক ব্যক্তি
ছুটে আসল, সে বলল, হে আমার সম্পদায় ! রসুলগণের অনুসরণ কর ৷ অনুসরণ কর তাদের
যারা তোমাদের কাছে কোন প্রতিদান চায় না এবং যারা সৎপথ প্রাপ্ত ৷

আমার কি যুক্তি আছে যে, যিনি আমাকে সৃষ্টি করেছেন এবং যার কাছে তোমরা
প্রতাবর্তিত হবে আমি তার ইবাদত করব না ? আমি কি তার পরিবর্তে অন ইলাহ্ গ্রহণ করব
? দয়াময় আল্লাহ আমাকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে চাইলে ওদের সুপারিশ আমার কোন কাজে আসবে
না এক ওরা আমাকে উদ্ধার করতে ও পারবে না ৷ এরুপ করলে আমি অবশ্যই স্পষ্ট বিভ্রান্তিতে
পড়ব ৷ ’ আমি তো তোমাদের প্রতিপা ৷লকের উপর ঈমান এসেছি, অতএব তোমরা আমার কথা
শোন ৷’ তাকে বলা হল, জান্নাতে প্রবেশ কর ৷ ’ সে বলে উঠল, হায় ! আমার সম্প্রদায় যদি
জানতে পারত কি কারণে আমার প্রতিপালক আমাকে ক্ষমা করেছেন এবং আমাকে সম্মানিত





سِنَةً، فَاضْطَجَعَ يَنَامُ، فَضَرَبَ اللَّهُ عَلَى أُذُنِهِ سَبْعَ سِنِينَ نَائِمًا، ثُمَّ إِنَّهُ هَبَّ، فَتَمَطَّى وَتَحَوَّلَ لِشِقِّهِ الْآخَرِ فَاضْطَجَعَ، فَضَرَبَ اللَّهُ عَلَى أُذُنِهِ سَبْعَ سِنِينَ أُخْرَى، ثُمَّ إِنَّهُ هَبَّ، وَاحْتَمَلَ حُزْمَتَهُ، وَلَا يَحْسَبُ أَنَّهُ نَامَ إِلَّا سَاعَةً مِنْ نَهَارٍ، فَجَاءَ إِلَى الْقَرْيَةِ، فَبَاعَ حُزْمَتَهُ، ثُمَّ اشْتَرَى طَعَامًا وَشَرَابًا، كَمَا كَانَ يَصْنَعُ، ثُمَّ إِنَّهُ ذَهَبَ إِلَى الْحُفْرَةِ، إِلَى مَوْضِعِهَا الَّذِي كَانَتْ فِيهِ، فَالْتَمَسَهُ فَلَمْ يَجِدْهُ، وَقَدْ كَانَ بَدَا لِقَوْمِهِ فِيهِ بَدَاءٌ، فَاسْتَخْرَجُوهُ، وَآمَنُوا بِهِ وَصَدَّقُوهُ. قَالَ: فَكَانَ نَبِيُّهُمْ يَسْأَلُهُمْ عَنْ ذَلِكَ الْأَسْوَدِ: مَا فَعَلَ؟ فَيَقُولُونَ لَهُ: مَا نَدْرِي. حَتَّى قَبَضَ اللَّهُ النَّبِيَّ، عَلَيْهِ السَّلَامُ، وَأَهَبَّ الْأَسْوَدُ مِنْ نَوْمِهِ بَعْدَ ذَلِكَ. فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «إِنْ ذَلِكَ الْأَسْوَدَ لَأَوَّلُ مَنْ يَدْخُلُ الْجَنَّةَ» فَإِنَّهُ حَدِيثٌ مُرْسَلٌ، وَمَثَلُهُ فِيهِ نَظَرٌ، وَلَعَلَّ بَسْطَ قِصَّتِهِ مِنْ كَلَامِ مُحَمَّدِ بْنِ كَعْبٍ الْقُرَظِيِّ. وَاللَّهُ أَعْلَمُ، ثُمَّ قَدْ رَدَّهُ ابْنُ جَرِيرٍ نَفْسُهُ، وَقَالَ: لَا يَجُوزُ أَنْ يُحْمَلَ هَؤُلَاءِ عَلَى أَنَّهُمْ أَصْحَابُ الرَّسِّ الْمَذْكُورُونَ فِي الْقُرْآنِ. قَالَ: لِأَنَّ اللَّهَ أَخْبَرَ عَنْ أَصْحَابِ الرَّسِّ أَنَّهُ أَهْلَكَهُمْ، وَهَؤُلَاءِ قَدْ بَدَا لَهُمْ فَآمَنُوا بِنَبِيِّهِمْ، اللَّهُمَّ إِلَّا أَنْ يَكُونَ حَدَثَتْ لَهُمْ أَحْدَاثٌ، آمَنُوا بِالنَّبِيِّ بَعْدَ هَلَاكِ آبَائِهِمْ. وَاللَّهُ أَعْلَمُ. ثُمَّ اخْتَارَ أَنَّهُمْ أَصْحَابُ الْأُخْدُودِ، وَهُوَ ضَعِيفٌ; لِمَا تَقَدَّمَ وَلِمَا ذُكِرَ فِي قِصَّةِ أَصْحَابِ الْأُخْدُودِ، حَيْثُ تُوُعِّدُوا بِالْعَذَابِ فِي الْآخِرَةِ إِنْ لَمْ يَتُوبُوا، وَلَمْ يُذْكَرْ هَلَاكُهُمْ، وَقَدْ صُرِّحَ بِهَلَاكِ أَصْحَابِ الرَّسِّ. فَاللَّهُ أَعْلَمُ.
পৃষ্ঠা - ৫২৭
[قِصَّةُ قَوْمِ يس] وَهُمْ أَصْحَابُ الْقَرْيَةِ قَالَ اللَّهُ تَعَالَى {وَاضْرِبْ لَهُمْ مَثَلًا أَصْحَابَ الْقَرْيَةِ إِذْ جَاءَهَا الْمُرْسَلُونَ - إِذْ أَرْسَلْنَا إِلَيْهِمُ اثْنَيْنِ فَكَذَّبُوهُمَا فَعَزَّزْنَا بِثَالِثٍ فَقَالُوا إِنَّا إِلَيْكُمْ مُرْسَلُونَ - قَالُوا مَا أَنْتُمْ إِلَّا بَشَرٌ مِثْلُنَا وَمَا أَنْزَلَ الرَّحْمَنُ مِنْ شَيْءٍ إِنْ أَنْتُمْ إِلَّا تَكْذِبُونَ - قَالُوا رَبُّنَا يَعْلَمُ إِنَّا إِلَيْكُمْ لَمُرْسَلُونَ - وَمَا عَلَيْنَا إِلَّا الْبَلَاغُ الْمُبِينُ - قَالُوا إِنَّا تَطَيَّرْنَا بِكُمْ لَئِنْ لَمْ تَنْتَهُوا لَنَرْجُمَنَّكُمْ وَلَيَمَسَّنَّكُمْ مِنَّا عَذَابٌ أَلِيمٌ - قَالُوا طَائِرُكُمْ مَعَكُمْ أَئِنْ ذُكِّرْتُمْ بَلْ أَنْتُمْ قَوْمٌ مُسْرِفُونَ - وَجَاءَ مِنْ أَقْصَى الْمَدِينَةِ رَجُلٌ يَسْعَى قَالَ يَاقَوْمِ اتَّبِعُوا الْمُرْسَلِينَ - اتَّبِعُوا مَنْ لَا يَسْأَلُكُمْ أَجْرًا وَهُمْ مُهْتَدُونَ - وَمَا لِيَ لَا أَعْبُدُ الَّذِي فَطَرَنِي وَإِلَيْهِ تُرْجَعُونَ - أَأَتَّخِذُ مِنْ دُونِهِ آلِهَةً إِنْ يُرِدْنِ الرَّحْمَنُ بِضُرٍّ لَا تُغْنِ عَنِّي شَفَاعَتُهُمْ شَيْئًا وَلَا يُنْقِذُونِ - إِنِّي إِذًا لَفِي ضَلَالٍ مُبِينٍ - إِنِّي آمَنْتُ بِرَبِّكُمْ فَاسْمَعُونِ - قِيلَ ادْخُلِ الْجَنَّةَ قَالَ يَالَيْتَ قَوْمِي يَعْلَمُونَ - بِمَا غَفَرَ لِي رَبِّي وَجَعَلَنِي مِنَ الْمُكْرَمِينَ - وَمَا أَنْزَلْنَا عَلَى قَوْمِهِ مِنْ بَعْدِهِ مِنْ جُنْدٍ مِنَ السَّمَاءِ وَمَا كُنَّا مُنْزِلِينَ - إِنْ كَانَتْ إِلَّا صَيْحَةً وَاحِدَةً فَإِذَا هُمْ خَامِدُونَ} [يس: 13 - 29] [يس: 13 - 29] .
পৃষ্ঠা - ৫২৮


করেছেন ৷ ’ আমি তার মৃত্যুর পর তার সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে আকাশ হতে কোন বাহিনী প্রেরণ
করি নাই এবং প্রেরণের প্রয়োজনও ছিল না ৷ এটা ছিল কেবলমাত্র মহানাদ ৷ ফলে ওরা নিথর
নিস্তব্ধ হয়ে গেল ৷ (সুরা ইয়াসীন ং ১৩ ২৯)

পুর্বকালের ও পরবভীকািলের বহুসংখ্যক আলিমের মতে ,উক্ত জনপদটি ছিল এন্টিয়ক ৷
ইবন ইসহাক (র) একথা ইবন আব্বাস (রা) কা ব আল আহ্বার এবং ওহাব ইবন মুনাব্বিহ
(র) থেকে বর্ণনা করেছেন ৷ অনুরুপভড়াবে বুরায়দা ইবন হাসীব, ইকরিমা, কা৩ ৷দা, যুহরী (র)
প্রমুখ থেকেও এই মত ৩টি বর্ণিত হয়েছে ৷ ইবন ইসহাক হযরত ইবন আব্বাস (রা), কা ব ও
ওহাব থেকে বর্ণনা করেছেন যে, ঐ জনপদের এক বাদশাহ ছিল , নাম ইনভীখাস ইবন
ইনৃতীহাস ৷ সে ছিল মুর্তিপুজারী ৷ আল্লাহ তার প্রতি সাদিক, সাদুক ও শালুম নামক তিনজন
রাসুল প্রেরণ করেন ৷ বিত্ত্ব বাদশাহ তাদেরকে মিথ্যা প্রতিপন্ন করে ৷ এ থেকে স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে
যে, উল্লেখিত তিনজনই আল্লাহর প্রেরিত রাসুল ছিলেন ৷ বিত্ত্ব কাতাদা (ব)-এর মতে, র্তারা
তিনজন ছিলেন ঈস৷ মাসীহ্ (আ )-এর প্রেরিত দুত ৷ ইর্বৃনে জারীর (র)ও একথা শুআয়ব আল
জুব্বায়ী থেকে বর্ণনা করেছেন যে, উক্ত প্রেরিত তিনজনের প্রথম দুজনের নাম শামউন ও
ইউহান্ন৷ এ্যাবৎ৩ ততীয়জনের নাম বুলাস, আর উক্ত জনপদটি ছিল ইনত ৷কিয়৷ বা এন্টিয়ক ৷
এ মতটি অত্যধিক দুর্বল ৷ কেননা ঈসা মাসীহ্ যখন ইন৩ ৷কিয়ার অধিবাসীদের কাছে
তিনজন হাওয়ারী প্রেরণ করেন, তখন ঐ শহরের বাসিন্দারাই সে সময় সর্বপ্রথম মাসীহ্র প্রতি
ঈমান আসে ৷ এ কারণে ইনতাকিয়৷ শহরটি সেই চারটি শহরের অন্যতম, যে চারটি শহরে
নাসারাদের পীর্জা প্রতিষ্ঠিত ছিল ৷ শ ৷হরগুলো এই ইনত ৷কিয়া, কুদ্স আলেকজা জিয়া ও রুমিয়া
বা পরবর্তীকা ৷লের কনক্টান্টিনিপল ৷ এ চার শহরের কােনঢিই ধ্বং সপ্রাপ্ত হয়নি ৷ কিভু কুরআনে
বর্ণিত উক্ত জনপদের অধিবাসীরা ধ্বংসপ্রাপ্ত হয়েছিল ৷ যেমন তাদের কা ৷হিনীর শে ৷ষভাগে আছে,
জনপদবাসী যখন রাসুলগণের সমর্থন্াকারী লোকটিকে হত্যা করল, তখন আল্লাহ্ তাদেরকে
ৎস করে দিলেন : ;,৷ (সে ছিল একটি
মহানাদ যার আঘাতে তারা ৷নিথর নিস্তব্ধ হয়ে যায় ৷) কিন্তু যদি এরুপ ধারণা করা হয় যে,
কুরআনে বর্ণিত রাসুলকে প্রাচীন কালের কোন এক সময়ে ইনতাকিয়ায় পাঠানো হয়েছিল,
অধিবাসীরা তাদেরকে অস্বীকার করলে আল্লাহ্ তাদেরকে ধ্বং স করে দেয় ৷ পরবর্তীকালে
জনপদটি পুনরায় অ ৷বাদ হয় এবং মাসীহ্র আমলে প্রেরিত দুতগণের প্রতি তারা ঈমান আনে ৷
তবে এ ব্যাখ্যা অনুযায়ী উপরোক্ত জটিলতা থাকে না ৷ আল্লাহ্ই সর্বজ্ঞ ৷

কুরআনে বর্ণিত উক্ত ঘটনাকে মাসীহ্র প্রেরিত হাওয়ারীদের ঘটনা বলে অভিহিত করার
মতটি একান্তই দুর্ধল এর কারণ উপরে বলা হয়েছে ৷ তা ছাড়া এ ঘটনা সম্পর্কে কুরআনের

বক্তব্যের দিকে লক্ষ্য করলে স্পষ্টত বোঝা যায় যে, তারা ছিলেন আল্লাহ্র প্রেরিত রাসুল ৷
,<

আল্লাহ বলেনং : ১া;৩ fl; ,৯াটু (তুমি তাদের কাছে দৃষ্টান্ত বর্ণনা কর) অর্থাৎ হে
মুহাম্মদ! তোমার সম্প্রদায়ের কাছে বল হে মুহাম্মদ ^,ব্লুা ৷ পুা শু ’ ৷ (সেই জনপদের

অধিবাসীদের কথা) অর্থাৎ নগ ৷রবাসীদের কথা ৷

; ৷
পি পুি ; (যখন সেখানে রাসুলগণ আগমন করেছিল ৷ আ ৷মি তাদের কাছে দৃ’ জন রাসুল প্রেরণ


اشْتُهِرَ عَنْ كَثِيرٍ مِنَ السَّلَفِ وَالْخَلَفِ أَنَّ هَذِهِ الْقَرْيَةَ أَنْطَاكِيَةُ. رَوَاهُ ابْنُ إِسْحَاقَ فِيمَا بَلَّغَهُ عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، وَكَعْبِ الْأَحْبَارِ، وَوَهَبِ بْنِ مُنَبِّهٍ. وَكَذَا رُوِيَ عَنْ بُرَيْدَةَ بْنِ الْحُصَيْبِ، وَعِكْرِمَةَ، وَقَتَادَةَ، وَالزُّهْرِيِّ، وَغَيْرِهِمْ. قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ فِيمَا بَلَّغَهُ عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، وَكَعْبٍ، وَوَهْبٍ أَنَّهُمْ قَالُوا: وَكَانَ لَهَا مَلِكٌ اسْمُهُ أَنْطِيخَسُ بْنُ أَنْطِيحَسَ، وَكَانَ يَعْبُدُ الْأَصْنَامَ، فَبَعَثَ اللَّهُ إِلَيْهِ ثَلَاثَةً مِنَ الرُّسُلِ ; وَهُمْ صَادِقٌ، وَصَدُوقٌ، وَشَلُومُ، فَكَذَّبَهُمْ. وَهَذَا ظَاهِرٌ أَنَّهُمْ رُسُلٌ مِنَ اللَّهِ عَزَّ وَجَلَّ. وَزَعَمَ قَتَادَةُ أَنَّهُمْ كَانُوا رُسُلًا مِنَ الْمَسِيحِ. وَكَذَا قَالَ ابْنُ جُرَيْجٍ، عَنْ وَهَبِ بْنِ سُلَيْمَانَ، عَنْ شُعَيْبٍ الْجَبَائِيِّ: كَانَ اسْمُ الرَّسُولَيْنِ الْأَوَّلَيْنِ: شَمْعُونَ وَيُوحَنَّا، وَاسْمُ الثَّالِثِ بُولِسَ، وَالْقَرْيَةِ أَنْطَاكِيَةَ. وَهَذَا الْقَوْلُ ضَعِيفٌ جِدًّا ; لِأَنَّ أَهْلَ أَنْطَاكِيَةَ لَمَّا بَعَثَ إِلَيْهِمُ الْمَسِيحُ ثَلَاثَةً مِنَ الْحَوَارِيِّينَ، كَانُوا أَوَّلَ مَدِينَةٍ آمَنَتْ بِالْمَسِيحِ فِي ذَلِكَ الْوَقْتِ، وَلِهَذَا كَانَتْ إِحْدَى الْمُدُنِ الْأَرْبَعِ الَّتِي يَكُونُ فِيهَا بَطَارِقَةُ النَّصَارَى ; وَهُنَّ أَنْطَاكِيَةُ وَالْقُدْسُ وَإِسْكَنْدَرِيَّةُ، وَرُومِيَّةُ. ثُمَّ بَعْدَهَا إِلَى الْقُسْطَنْطِينِيَّةِ وَلَمْ يُهْلَكُوا، وَأَهْلُ هَذِهِ الْقَرْيَةِ الْمَذْكُورَةِ فِي الْقُرْآنِ أُهْلِكُوا،
পৃষ্ঠা - ৫২৯


করেছিলাম ৷ কিভু ওরা তাদেরকে মিথ্যা প্রতিপন্ন করল, তখন আমি তাদেরকে শক্তিশালী
করলাম তৃভীয় একজনের দ্বারা ৷)

অর্থাৎ ৩ভীয় একজনের দ্বারা পুর্বের দু জনকে বিসালাচ৩ তর ব্যাপারে সাহায্য করেছিলাম
fi, ,fifi; ছুণ্দ্বুট্রু;পু (fi ৷ট্রুপুএে (তারা সবাই বলল, আমরা ণ্তামাদের কাছে প্রেরিত
হয়েছি ৷) জনগণ রাসুলদের প্রত্যাখ্যান করল এই বলে যে, তোমরাও তো আমাদেরই মত
সাধারণ মানুষ ৷ পুর্ববর্তী কাফির জাতিসমুহও তাদের কাছে প্রেরিত নবীদেরকে এই একইভ৷ ৷বে
উত্তর দিত ৷ মানুষ আবার নবী হতে পারে, এটা ছিল তাদের কাছে এক অসম্ভব ব্যাপার ৷
রাসুলগণ তাদেরকে বলেন৪ আল্লাহ্ জানেন যে, আমরা তোমাদের কাছে প্রেরিত ৩রাসুল ৷ যদি
আমরা মিথ্যা দাবি করে থাকি, তবে তিনি আমাদেরকে কঠিন শাস্তি দেবেন ৷ ঘ্র মোঃ ৷শু;ট্রু
এে৷ ৰুশ্রোাপ্ল (স্পষ্টভাবে আল্লাহর কথা তোমাদের কাছে পৌছিয়ে দেয়াই আমাদের
দায়িত্ব ৷)
অর্থাৎ যে রাণী নিয়ে আমরা প্রেরিত হয়েছি তা তোমাদের জ নিয়ে দেয়াই আমাদের
দায়িত্ব ৷ তারপর আল্লাহ যাকে ইচ্ছা সুপথ দেখাবেন, যাকে ইচ্ছা পথভ্রষ্ট করবেন ৷ £ ৷ ৷ , ঙ
ণ্হ্র; £ঠুপ্;’র্দুণ্:; (তারা বলল, আমরা ৫৩ামাদের তাতে মনে করি) অর্থাৎ তোমরা যে পয়গাম
নিয়ে এসেছ তা আমরা অকল্যাণকর মনে করি ৷ ন্£রুব্লুদ্বুগ্লুপু৷ দ্বুছুশুখু; ,^পু ট্রু,পু (যদি
তোমরা বিরত না হও তবে অবশ্যই আমরা তোমাদের উপর পাথর বর্ষণ করব ৷)

অর্থাৎ কথার দ্বারা আঘাত করবো, কিংবা কার্যত হত্য ই করবো ৷ তবে পরের আয়াতটি
প্রথম অর্থেরই সমর্থন করে ৷ ভু^৷ ! ;া;: র্চু;র্ট মোঃ ’ (এবং আমাদের পক্ষ থেকে
তোমাদেরকে যস্ত্রণাদায়ক শান্তি র্ম্পর্শ করবে ৷) এ কথা দ্বারা তারা রাসুলগণকে হত্যার ও লাঞ্ছিত
করার হুমকি দেয়৷ ন্দ্বু;শু হু’ ন্কুট্রু;া ৷; ৷প্রুপুএে (রাসুলগণ বলল, তোমাদের অকল্যাণ
তোমাদেরই সাথে) অর্থাৎ তামাদের উপরই ৷ প্রত্যাবজ্যি হবে ৷ ন্;দ্বুছু১ , ৷ ; (এটা কি
এই কারণে যে, তোমাদেরকে সৎ উপদেশ দেওয়া হচ্ছে?) অর্থাৎ তোমাদেরকে আমরা
সত্য পথের উপদেশ ও যে দিকে আহ্বান জানাবার কারণেই কি তোমরা আমাদেরকে
হত্যার ও লাঞ্ছিত করার ভয় দেখাচ্ছ? পু,র্টু১,শুর্চুটুছু (§é ,^;শু^; ৷ (বরং তােমব ই এক
সীমালংঘনকারী সঘুদায়) ফলে না তোমরা সত্যকে গ্রহণ করছ আর না গ্রহণ করার ইচ্ছা
করছে৷ ৷ é ৷হ্রঠু ৷ (অতঃপর নগরীর প্রান্ত থেকে এক

ব্যক্তি ছুটে আসলাে ৷)
অর্থাৎ রাসুলগণকে সাহায্য করার ও তাদের প্রতি নিজের ঈমান প্রকাশ করার জন্যে ৷

ণ্-ট্রি

(সে বলল, হে আমার সম্প্রদায় ! তোমরা রাসুলগণের অনুকরণ করা অনুসরণ কর তাদের
যারা তোমাদের কাছে কোন প্রতিদান চায় না এবং যারা সৎপথ প্রাপ্ত’ ৷) অর্থাৎ তারা তো
তোমাদেরকে কেবল প্রকৃত সত্য গ্রহণের আহ্বান করেন ৷ এর কোন বিনিময় ও পারিশ্রমিক
কামনা করেন না ৷ অতঃপর তিনি তাদেরকে এক ও অদ্বিতীয় আল্লাহকে মেনে নেয়ার জন্যে


كَمَا قَالَ فِي آخِرِ قِصَّتِهَا بَعْدَ قَتْلِهِمْ صِدِّيقَ الْمُرْسَلِينَ {وَاضْرِبْ لَهُمْ مَثَلًا أَصْحَابَ الْقَرْيَةِ إِذْ جَاءَهَا الْمُرْسَلُونَ} [يس: 13] لَكِنْ إِنْ كَانَتِ الرُّسُلُ الثَّلَاثَةُ الْمَذْكُورُونَ فِي الْقُرْآنِ، بُعِثُوا إِلَى أَهْلِ أَنْطَاكِيَةَ قَدِيمًا، فَكَذَّبُوهُمْ وَأَهْلَكَهُمُ اللَّهُ ثُمَّ عُمِرَتْ بَعْدَ ذَلِكَ، فَلَمَّا كَانَ فِي زَمَنِ الْمَسِيحِ آمَنُوا بِرُسُلِهِ إِلَيْهِمْ، فَلَا يُمْنَعُ هَذَا. وَاللَّهُ أَعْلَمُ. فَأَمَّا الْقَوْلُ بِأَنَّ هَذِهِ الْقِصَّةَ الْمَذْكُورَةَ فِي الْقُرْآنِ هِيَ قِصَّةُ أَصْحَابِ الْمَسِيحِ، فَضَعِيفٌ ; لِمَا تَقَدَّمَ، وَلِأَنَّ ظَاهِرَ سِيَاقِ الْقُرْآنِ يَقْتَضِي أَنَّ هَؤُلَاءِ الرُّسُلَ مِنْ عِنْدِ اللَّهِ. قَالَ اللَّهُ تَعَالَى {وَاضْرِبْ لَهُمْ مَثَلًا} [يس: 13] يَعْنِي: لِقَوْمِكَ يَا مُحَمَّدُ {أَصْحَابَ الْقَرْيَةِ} [يس: 13] يَعْنِي الْمَدِينَةَ {إِذْ جَاءَهَا الْمُرْسَلُونَ إِذْ أَرْسَلْنَا إِلَيْهِمُ اثْنَيْنِ فَكَذَّبُوهُمَا فَعَزَّزْنَا بِثَالِثٍ} [يس: 13] أَيْ ; أَيَّدْنَاهُمَا بِثَالِثٍ فِي الرِّسَالَةِ {فَقَالُوا إِنَّا إِلَيْكُمْ مُرْسَلُونَ} [يس: 14] فَرَدُّوا عَلَيْهِمْ بِأَنَّهُمْ بَشَرٌ مِثْلُهُمْ، كَمَا قَالَتِ الْأُمَمُ الْكَافِرَةُ لِرُسُلِهِمْ، يَسْتَبْعِدُونَ أَنْ يَبْعَثَ اللَّهُ نَبِيًّا بَشَرِيًّا، فَأَجَابُوهُمْ بِأَنَّ اللَّهَ يَعْلَمُ أَنَّا رُسُلُهُ إِلَيْكُمْ، وَلَوْ كُنَّا كَذَّبَنَا عَلَيْهِ لَعَاقَبْنَا وَانْتَقَمَ مِنَّا أَشَدَّ الِانْتِقَامِ {وَمَا عَلَيْنَا إِلَّا الْبَلَاغُ الْمُبِينُ} [يس: 17] أَيْ; إِنَّمَا عَلَيْنَا، أَيْ نُبَلِّغُكُمْ مَا أُرْسِلْنَا بِهِ إِلَيْكُمْ، وَاللَّهُ هُوَ الَّذِي يَهْدِي مَنْ يَشَاءُ، وَيُضِلُّ مَنْ يَشَاءُ {قَالُوا إِنَّا تَطَيَّرْنَا بِكُمْ} [يس: 18] أَيْ ; تَشَاءَمْنَا بِمَا جِئْتُمُونَا بِهِ {لَئِنْ لَمْ تَنْتَهُوا لَنَرْجُمَنَّكُمْ} [يس: 18] قِيلَ بِالْمَقَالِ. وَقِيلَ بِالْفِعَالِ. وَيُؤَيِّدُ الْأَوَّلَ قَوْلُهُ {وَلَيَمَسَّنَّكُمْ مِنَّا عَذَابٌ أَلِيمٌ} [يس: 18] تَوَعَّدُوهُمْ بِالْقَتْلِ وَالْإِهَانَةِ. {قَالُوا طَائِرُكُمْ مَعَكُمْ} [يس: 19] أَيْ ; مَرْدُودٌ
পৃষ্ঠা - ৫৩০


আহ্বান করেন এবং এক আল্লাহ ব্যতীত অন্য সকলের ইবাদত উপাসনা ত্যাগ করার আবেদন
জানান ৷ যারা দুনিয়ায় বা আখিরাতে কোন উপকার করতে অক্ষম ৷

এরুপ করলে আমি অবশ্যই স্পষ্ট ভ্রান্তিতে পড়বাে ৷

অর্থাৎ যদি আমি এক আল্লাহর ইবাদত পরিত্যাগ করি এবং তার সাথে অন্যের ইবাদতও

করি ৷ অতংপর ঐ ব্যক্তি রাসুলগণকে সম্বোধন করে বললেন৪ ণ্ধুট্রুর্চু $fl ষ্ ৷


গ্রেম্ওন্ভ্রু (আমি তোমাদের রবের উপর ঈমান আনলাম, অতএব তোমরা আমার কথা
শোনা) কেউ এর অর্থ করেছেন এভাবে যে, আমার কথা মনোযোগ সহকারে গোন এবং আমার
ঈমান আনার ব্যাপারে তে তামরা তোমাদের রবের নিকট সাক্ষী দিও ৷ কিন্তু অন্যরা এর অর্থ
করেছেন এভাবে যে, হে আমার সম্প্রদায়ের লোকেরা! তোমরা শুনে রাখ, আমি আল্লাহর
রাসুলগণের প্রতি প্রকাশ্য ঈমান ঘোষণা করছি ৷ এ কথা বলার পরে সম্প্রদায়ের লোকেরা তাকে
হত্যা করে ৷ কারও কারও মতে, পাথর নিক্ষেপে; কারও কারও মতে, টুকরো টুকরো করে
আবার কারও কারও মতে, একযোগে সকলে তার উপর হামলা করে হত্যা করে ৷ ইবন ইসহাক
(র) ইব ন মাসউদ-এর বরাতে লিখেছেন যে, তারা র্তাকে পায়ে পিষে তার নাড়িভুড়ি বের করে
ফেলে ৷ ছাওরী (র) আবু মিজলাম (র) সুত্রে বর্ণনা করেন, ঐ ব্যক্তির নাম হাবীব ইবন মুরী ৷
তারপর কেউ বলেছেন, তিনি ছিলেন ছুতড়ার ৷ কেউ বলেছেন, রশি প্রস্তুতকারী; কারও কারও
মতে, তিনি ছিলেন জুতা প্রন্তুতকারী; কারও কারও মতে তিনি ছিলেন ধোপ৷ ৷ কথিত আছে যে,
তিনি তথাকার একটি গুহায় ইবাদতে রত থাকতেন ৷ আল্লাইে সর্বজ্ঞ ৷
ইবন আব্বাস (বা) বলেছেন, হাবীবুন নাজ্জার কুষ্ঠ রোগে আক্রান্ত হন ৷ তিনি অত্যন্ত
দানশীল ছিলেন ৷ তার সম্প্রদায়ের লোকেরা তাকে হত্যা করে ৷ এই জন্যে আল্লাহ বলেছেন
এে ! এ১; ! (তুমি জ ৷তন্নাগ্লু ৩প্রবেশ কর) অর্থাৎ সম্প্রদায়ের লোকেরা যখন তাকে হত্যা করল,
তখন আল্লাহ ত ৷কে জান্নাতে প্রবেশ করলে ৷ জান্নড়াতের শ্যামলিম৷ ও আনন্দ সন্তুার দেখে তিনি
বলে উঠলেনং :
এৰুন্ ^প্লুশ্রো ৷ (হায়, আমার সম্প্রদায় যদি জানত যে, আমার বব আমাকে ক্ষমা করে দিয়েছেন
বংসম্মানি৩ দের অন্তর্ভুক্ত করেছেন ৷) অর্থাৎ আমি যার প্রতি ঈমান এনেছিলাম, তারা যদি

তার প্রতি ঈমান আনত ফলে তারা যে পুরস্কা র লাভ করত, যে পুরস্কার আমি লাভ করেছি ৷

ইবন আব্বাস (বা) বলেন, ঐ ব্যক্তি তার জীবিত কালে তার সম্প্রদায়ের লোকদেরকে এই
বলে নসীহত করেন যে, (;পু;াদ্বুশু ৷ ৷প্রুৰুর্চুশু ৷ ওদ্বুও ৷(হে আমার সম্প্রদায়! তোমরা

রাসুলগণের অনুসরণ কর ৷ ) এবং মৃত্যুর পর এই বলে নসীহত করেন
হায়, আমার সম্প্রদায় যদি জ নতে পারত যে, কী কারণে আমার প্রতিপালক আমাকে
ক্ষমা করেছেন এবং আমাকে সম্মানিত করেছেন ৷ ’ ইবন আবী হাতিম (র) এটা বর্ণনা করেছেন ৷
অনুরুপভাবে কাতাদ৷ (র) বলেছেন, মুমিন যদি কারও সাথে সাক্ষাৎ করে, তবে অবশ্যই যেন
তাকে নসীহত করে ৷ আর আল্লাহর কোন অনুগ্রহ যদি সে দেখতে পায় তার যেন যে তা

গোপন না রাখে ৷



عَلَيْكُمْ أَإِنْ ذُكِّرْتُمْ أَيْ ; بِسَبَبِ أَنَّا ذَكَّرْنَاكُمْ بِالْهُدَى وَدَعَوْنَاكُمْ إِلَيْهِ، تَوَعَّدْتُمُونَا بِالْقَتْلِ وَالْإِهَانَةِ {بَلْ أَنْتُمْ قَوْمٌ مُسْرِفُونَ} [يس: 19] أَيْ ; لَا تَقْبَلُونَ الْحَقَّ، وَلَا تُرِيدُونَهُ. وَقَوْلُهُ تَعَالَى {وَجَاءَ مِنْ أَقْصَا الْمَدِينَةِ رَجُلٌ يَسْعَى} [يس: 20] يَعْنِي: لِنُصْرَةِ الرُّسُلِ، وَإِظْهَارِ الْإِيمَانِ بِهِمْ {قَالَ يَا قَوْمِ اتَّبِعُوا الْمُرْسَلِينَ اتَّبِعُوا مَنْ لَا يَسْأَلُكُمْ أَجْرًا وَهُمْ مُهْتَدُونَ} [يس: 20] أَيْ ; يَدْعُونَكُمْ إِلَى الْحَقِّ الْمَحْضِ، بِلَا أُجْرَةٍ وَلَا جِعَالَةٍ. ثُمَّ دَعَاهُمْ إِلَى عِبَادَةِ اللَّهِ وَحْدَهُ لَا شَرِيكَ لَهُ، وَنَهَاهُمْ عَنْ عِبَادَةِ مَا سِوَاهُ، مِمَّا لَا يَنْفَعُ شَيْئًا لَا فِي الدُّنْيَا وَلَا فِي الْآخِرَةِ {إِنِّي إِذًا لَفِي ضَلَالٍ مُبِينٍ} [يس: 24] أَيْ ; إِنْ تَرَكْتُ عِبَادَةَ اللَّهِ وَعَبَدْتُ سِوَاهُ. ثُمَّ قَالَ مُخَاطِبًا لِلرُّسُلِ {إِنِّي آمَنْتُ بِرَبِّكُمْ فَاسْمَعُونِ} [يس: 25] قِيلَ: فَاسْتَمِعُوا مَقَالَتِي، وَاشْهَدُوا لِي بِهَا عِنْدَ رَبِّكُمْ. وَقِيلَ: مَعْنَاهُ فَاسْمَعُوا يَا قَوْمِي إِيمَانِي بِرُسُلِ اللَّهِ جَهْرَةً. فَعِنْدَ ذَلِكَ قَتَلُوهُ. قِيلَ: رَجَمًا. وَقِيلَ: عَضًّا. وَقِيلَ: وَثَبُوا إِلَيْهِ وَثْبَةَ رَجُلٍ وَاحِدٍ فَقَتَلُوهُ. وَحَكَى ابْنُ إِسْحَاقَ عَنْ بَعْضِ أَصْحَابِهِ، عَنِ ابْنِ مَسْعُودٍ قَالَ: وَطِئُوهُ بِأَرْجُلِهِمْ حَتَّى أَخْرَجُوا قُصْبَهُ. وَقَدْ رَوَى الثَّوْرِيُّ، عَنْ عَاصِمٍ الْأَحْوَلِ، عَنْ أَبِي مِجْلَزٍ: كَانَ اسْمُ هَذَا الرَّجُلِ حَبِيبَ بْنَ مُرَى. ثُمَّ قِيلَ: كَانَ نَجَّارًا. وَقِيلَ: حَبَّالًا. وَقِيلَ: إِسْكَافًا. وَقِيلَ: قَصَّارًا. وَقِيلَ: كَانَ يَتَعَبَّدُ فِي غَارٍ هُنَاكَ. فَاللَّهُ أَعْلَمُ. وَعَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ: كَانَ حَبِيبٌ النَّجَّارُ قَدْ أَسْرَعَ فِيهِ الْجُذَامُ، وَكَانَ كَثِيرَ الصَّدَقَةِ، قَتَلَهُ قَوْمُهُ.
পৃষ্ঠা - ৫৩১

আল-বিদায়া ওয়ান নিহায়া ৫১১

হয়ে, আমার সম্প্রদায় যদি জানত যে, আল্লাহ আমাকে কী কারণে ক্ষমা করে দিয়েছেন ও
সম্মানিত করেছেন ৷ ’ আল্লাহর যে অনুগ্রহ ও করুণা সে প্রত্যক্ষ করেছে ও যে নিয়ামত সে ভোগ
করছে তার উপর যে আক্ষেপ করে বলছে যে, আল্লাহ যদি আমার সম্প্রদায়কে এ অবন্থাটা
জানিয়ে দিতেন তাহলে ক৩ই না উত্তম হত ’ কাতাদা (র) বলেছেন আল্লাহ তার এ আক্ষেপ
পুরণ করেননি ৷ তাকে হত্যা করার পর আল্লাহ তার সম্প্রদায়কে যে শাস্তি দেন তা হল এই৪

,ড্রুা (সে ছিল একটি মহানাদ ৷ অতঃপর
তারা নিথর নিস্তব্ধ হয়ে যায় ৷)
আল্লাহ বলেন :


আমি তার মৃত্যুর পর তার সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে আকাশ থেকে কে ন বাহিনী প্রেরণ করিনি
এবং প্রেরণের প্রয়োজনও ছিল না’ ৷ অর্থাৎ তাদেরকে শান্তি দা নের জন্যে আকাশ থেকে কোন
বাহিনী তাদের বিরুদ্ধে পাঠাবার প্রয়োজন আমার সেই ৷ ইবন ইসহাক (র) এরুপ অর্থ ইবন
মাসউদ (রা) থেকে বর্ণনা করেছেন ৷ মুজাহিদ ও কাতাদা (র) বলেছেন, তাদের বিরুদ্ধে কোন
সৈন্য পাঠান নাই, এর অর্থ অন্য কে ন রাসুল পাঠান নাই ৷ ইবন জারির (র) বলেন, প্রথম অহুইি
উত্তম ও অধিক শক্তিশালী ৷ এ কারণেই বলা হয়েছে -,§fi,;, র্দুহ্রর্চু; ঠুঅর্থাৎ তারা যখন
আমার রাসুলগণকে মিথ্যা সাব্যস্ত করেছে এবং আমার ওলী ও বন্ধুকে (অর্থাৎ, তভীয় ব্যক্তিকে)
হত্যা করেছে, তখন তাদের শান্তি দা নের জন্যে কোন বাহিনী পাঠা কোর কো ন প্রয়োজন আমার

ছিল না ৷ র্চুদ্বুর্দু ণ্^এ ৷শুার্ন্তা;র্দু-হুাট্রু; ^ ১া৷ ;এাহ্রষ্ট্রা ছিল শুধু একটি মহানাগ্র

যার ফলে তারা ধ্বংস হয়ে নিথর নিস্তব্ধ হয়ে গেল ৷)

মুফাসসিরগণ বলেছেন আল্লাহ তাদের বিরুদ্ধে জিবরাঈল (আ) কে পাঠান ৷ জিবরাঈল
(আ) তাদের নগর তােরণের চৌকাঠ দুটি ধরে একটি না এ চিৎকার ধ্বনি দেন ৷ ফলে নগরবাসী
স্তব্ধ হয়ে যায় ৷ অর্থাৎ তাদের কথাবার্তার আওয়াজ ও চলাফেরার গতি বন্ধ হয়ে নীরব নিস্তব্ধ
হয়ে যায়, পলকমারার মত একটি চক্ষুও অবশিষ্ট ছিল না ৷

উপরোক্ত আলোচনা থেকে এটাই প্রমাণিত হয় যে, আলোচ্য জনপদ ইনতাকিয়া নয় ৷
কেননা এরা আল্লাহর রাসুলগণকে আীকার করার ফলে ধ্বংস হয়ে যায় ৷ আর ইনাকিয়ার
অধিবাসীরা মাসীহ্র প্রেরিত হাওয়ারী দুতদের প্রতি ঈমান ও আনুগত্য প্ৰদশ্নি করে ৷ এ
কারণেই বলা হয়েছে যে, ইনাকিয়া ই প্রথম নগরী যেখানকার অধিবাসীরা ঈসা মাসীহ
(আ) এর উপর ঈমান এনেছিল ৷ তবে এ ক্ষেত্রে তাবারানী (র) ইবন আব্বাস (বা ) সুত্রে একটি
হাদীস বর্ণনা করেছেন যে, রসুলুল্পাহ (সা) বলেছেনং তিন লোক অগ্রগামী অর্থাৎ সকলের আগে
ঈমান এন্যেছ ৷ তন্মধ্যে মুসা (আ) এর প্রতি সর্বাগ্রে ঈমান আনেন ইউশা ইবন নুন; ঈসা
(আ)-এর উপর সর্বপ্রথম ঈমান আনেন সাহিবে ইয়াসীন অর্থাৎ সুরা ইয়াসীনে বর্ণিত লোকটি
এবং মুহাম্মদ (সা) এর প্রতি সর্বাগ্রে ঈমান আনেন আলী ইবন আবী তালিব ৷ এ হাদীসদু
প্রামাণ্য নয় ৷ কারণ এ হাদীসের অন্য ম বর্ণনাকারী হুসায়ন মুহাদ্দিসদের নিকট পরিত্যক্তটি ৷
তাছাড়া সে একজন চরমপন্থী শীআ ৷ সে একাই এ হাদীস বর্ণনা করেছে, অন্য কেউ বর্ণনা
করেননি ৷ এটা তার একান্তই দুর্বল হওয়ার প্রমাণ ৷ আাল্লাহই সর্বজ্ঞ ৷


وَلِهَذَا قَالَ تَعَالَى {ادْخُلِ الْجَنَّةَ} [يس: 26] يَعْنِي: لَمَّا قَتَلَهُ قَوْمُهُ أَدْخَلَهُ اللَّهُ الْجَنَّةَ، فَلَمَّا رَأَى مَا فِيهَا مِنَ النَّضْرَةِ وَالسُّرُورِ {قَالَ يَا لَيْتَ قَوْمِي يَعْلَمُونَ بِمَا غَفَرَ لِي رَبِّي وَجَعَلَنِي مِنَ الْمُكْرَمِينَ} [يس: 26] يَعْنِي: لِيُؤْمِنُوا بِمَا آمَنْتُ بِهِ، فَيَحْصُلَ لَهُمْ مَا حَصَلَ لِي. قَالَ ابْنُ عَبَّاسٍ: نَصَحَ قَوْمَهُ فِي حَيَاتِهِ {يَا قَوْمِ اتَّبِعُوا الْمُرْسَلِينَ} [يس: 20] وَبَعْدَ مَمَاتِهِ {يَا لَيْتَ قَوْمِي يَعْلَمُونَ بِمَا غَفَرَ لِي رَبِّي وَجَعَلَنِي مِنَ الْمُكْرَمِينَ} [يس: 26] رَوَاهُ ابْنُ أَبِي حَاتِمٍ. وَكَذَلِكَ قَالَ قَتَادَةُ: لَا تَلْقَى الْمُؤْمِنَ إِلَّا نَاصِحًا، لَا تَلْقَاهُ غَاشًّا، لَمَّا عَايَنَ مَا عَايَنَ مِنْ كَرَامَةِ اللَّهِ قَالَ: {يَا لَيْتَ قَوْمِي يَعْلَمُونَ بِمَا غَفَرَ لِي رَبِّي وَجَعَلَنِي مِنَ الْمُكْرَمِينَ} [يس: 26] تَمَنَّى عَلَى اللَّهِ أَنْ يَعْلَمَ قَوْمُهُ بِمَا عَايَنَ مِنْ كَرَامَةِ اللَّهِ وَمَا هَجَمَ عَلَيْهِ. قَالَ قَتَادَةُ فَلَا وَاللَّهِ، مَا عَاتَبَ اللَّهُ قَوْمَهُ بَعْدَ قَتْلِهِ {إِنْ كَانَتْ إِلَّا صَيْحَةً وَاحِدَةً فَإِذَا هُمْ خَامِدُونَ} [يس: 29] . وَقَوْلُهُ تَعَالَى {وَمَا أَنْزَلْنَا عَلَى قَوْمِهِ مِنْ بَعْدِهِ مِنْ جُنْدٍ مِنَ السَّمَاءِ وَمَا كُنَّا مُنْزِلِينَ} [يس: 28] أَيْ ; مَا احْتَجْنَا فِي الِانْتِقَامِ مِنْهُمْ إِلَى إِنْزَالِ جُنْدٍ مِنَ السَّمَاءِ عَلَيْهِمْ. هَذَا مَعْنَى مَا رَوَاهُ ابْنُ إِسْحَاقَ عَنْ بَعْضِ أَصْحَابِهِ، عَنِ ابْنِ مَسْعُودٍ. وَقَالَ مُجَاهِدٌ وَقَتَادَةُ: وَمَا أَنْزَلَ عَلَيْهِمْ جُنْدًا، أَيْ رِسَالَةً أُخْرَى. قَالَ ابْنُ جَرِيرٍ: وَالْأَوَّلُ أَوْلَى. قُلْتُ: وَأَقْوَى. وَلِهَذَا قَالَ {وَمَا كُنَّا مُنْزِلِينَ} [يس: 28]
পৃষ্ঠা - ৫৩২
أَيْ ; وَمَا كُنَّا نَحْتَاجُ فِي الِانْتِقَامِ إِلَى هَذَا، حِينَ كَذَّبُوا رُسُلنَا وَقَتَلُوا وَلِيَّنَا {إِنْ كَانَتْ إِلَّا صَيْحَةً وَاحِدَةً فَإِذَا هُمْ خَامِدُونَ} [يس: 29] . قَالَ الْمُفَسِّرُونَ: بَعَثَ اللَّهُ إِلَيْهِمْ جِبْرِيلَ، عَلَيْهِ السَّلَامُ، فَأَخَذَ بِعِضَادَتَيِ الْبَابِ الَّذِي لِبَلَدِهِمْ، ثُمَّ صَاحَ بِهِمْ صَيْحَةً وَاحِدَةً {فَإِذَا هُمْ خَامِدُونَ} [يس: 29] أَيْ ; قَدْ أُخْمِدَتْ أَصْوَاتُهُمْ، وَسَكَنَتْ حَرَكَاتُهُمْ، وَلَمْ يَبْقَ مِنْهُمْ عَيْنٌ تَطْرِفُ. وَهَذَا كُلُّهُ مِمَّا يَدُلُّ عَلَى أَنَّ هَذِهِ الْقَرْيَةَ لَيْسَتْ أَنْطَاكِيَةَ ; لِأَنَّ هَؤُلَاءِ أُهْلِكُوا بِتَكْذِيبِهِمْ رُسُلَ اللَّهِ إِلَيْهِمْ، وَأَهْلُ أَنْطَاكِيَةَ آمَنُوا، وَاتَّبَعُوا رُسُلَ الْمَسِيحِ مِنَ الْحَوَارِيِّينَ إِلَيْهِمْ ; فَلِهَذَا قِيلَ: إِنَّ أَنْطَاكِيَةَ أَوَّلُ مَدِينَةٍ آمَنَتْ بِالْمَسِيحِ. فَأَمَّا الْحَدِيثُ الَّذِي رَوَاهُ الطَّبَرَانِيُّ، مِنْ حَدِيثِ حُسَيْنٍ الْأَشْقَرِ، عَنْ سُفْيَانَ بْنِ عُيَيْنَةَ، عَنِ ابْنِ أَبِي نَجِيحٍ، عَنْ مُجَاهِدٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «السُّبَّقُ ثَلَاثَةٌ ; فَالسَّابِقُ إِلَى مُوسَى يُوشَعُ بْنُ نُونٍ، وَالسَّابِقُ إِلَى عِيسَى صَاحِبُ يس، وَالسَّابِقُ إِلَى مُحَمَّدٍ عَلِيُّ بْنُ أَبِي طَالِبٍ» فَإِنَّهُ حَدِيثٌ لَا يَثْبُتُ ; لِأَنَّ حُسَيْنًا هَذَا مَتْرُوكٌ، وَشِيعِيٌّ مِنَ الْغُلَاةِ، وَتَفَرُّدُهُ بِهَذَا مِمَّا يَدُلُّ عَلَى ضَعْفِهِ بِالْكُلِّيَّةِ. وَاللَّهُ أَعْلَمُ.