আল বিদায়া ওয়া আন্নিহায়া

سنة إحدى عشرة من الهجرة

فصل: إيراد ما بقي علينا من متعلقات السيرة الشريفة

معجزات لرسول الله صلى الله عليه وسلم مماثلة لمعجزات جماعة من الأنبياء قبله

ما أوتي داود عليه السلام
পৃষ্ঠা - ৫২০৪

দায়িতৃশীল মালিক ফেরেশতাদ্বয় মহানবী (সা)-কে সালাম করেন ৷ এগুলােই রাসুলুল্লাহ্
(না)-এর সম্মান, মর্যাদা বৃদ্ধি ও তার নাম ও আলোচনা ব্যাপক বিস্তার ও সুউচ্চ করার
তাৎপর্য ৷ পরবভীকািলের লোকদের নিকট রাসুলুল্লাহ্ (সা)-এর আলোচনা বিন্তুত ও স্মরণীয়
হওয়ার অর্থ তার দীন কিয়ামত পর্যন্ত অব্যাহত থাকা ৷ অন্যান্য সকল দীনকে রহিত করা,
সর্বকালে ও সর্বযুগে একমাত্র এ দীন বহাল থাকা রহিত না হওয়া ৷ শেষ নবীর উম্মতের মধ্য
থেকে একটি দল হক ও ন্যায়ের উপর সুপ্রতিষ্ঠিত থাকবে ৷ যারা তাদেরকে হেয় করার চেষ্টা
করবে কিৎবা তাদের বিরোধীতা করবে তারা ওদের কােনই ক্ষতি করতে পারবে না ৷ এ অবস্থা
কিয়ামত পর্যন্ত চলবে ৷ প্রত্যহ পীচবার উচু স্থান থেকে ৫ঘাষিত হচ্ছে :

এভাবে যে কোন বক্তা
তার বক্তৃতড়ায় অবশ্যই মুহাম্মদ (না)-এর নাম উচর্চারণ করে থাকে ৷ করি হাস্সান কত সুন্দর
বলেছেন :


হযরত মুহাম্মদ (না)-এর উপর আল্লাহ্ব পক্ষ থেকে দেয়া নবুওতের সমুজ্জ্বল মােহর তীর
সভ্যতার সাক্ষ্য বহন করছে ৷ আল্লাহ্ তাআলা নিজের নামের সাথে নবীর নামকে মিলিয়ে
দিয়েছেন ৷ মুআয্যিন পাচ ওয়াক্ত নামাযের পুর্বে আযানে তারই সাক্ষ্য দিয়ে থাকে ৷ আল্লাহ

নিজের নাম থেকে নবীর নাম বের করেছেন ৷ তাই তো বলা হয় যে, আরশের অধিপতি মাহমুদ
যায় এই নবী হলেন মুহাম্মদ ৷ আল্লামা সারসারী (র) বলেছেন :

,; ণ্৷ ৷

তুমি লক্ষ্য করেছ কি ? আমাদের আযান ও নামায ততক্ষণ পর্যন্ত শুদ্ধ হয় না যতক্ষণ না,
উভয়ের মধ্যে নবী মুহাম্মদ (না)-এর নাম বারবার উচ্চারিত হয় ৷

হযরত দাউদ (আ)-ফে যা কিছু প্রদান করা
হয়েছে সে সম্পর্কে আলোচনা
আল্লাহর বাণী :
১ ট্রক্ট্রাঠু ৷ ৷
“আর আমার শক্তিশালী রান্দা দাউদকে স্মরণ কর ৷ সে ছিল আমার প্রতি প্রত্যাবর্ত্যাশীল ৷
আমি পর্বতমালাকে তার অনুপামী করে দিয়েছিলাম ৷ তারা সকাল-সল্যায় তার সাথে পবিত্রতা

ঘোষণা করত ৷ আর পক্ষীকুলকেও, যারা তার কাছে সমবেত হত ৷ সবাই ছিল তার প্রতি
প্ৰত্যাবর্ভাশীল” (সাদ : ১ ৭ ১৯) ৷


الْحَقِّ، لَا يَضُرُّهُمْ مَنْ خَذَلَهُمْ وَلَا مَنْ خَالَفَهُمْ حَتَّى تَقُومَ السَّاعَةُ، وَالنِّدَاءُ بِالْأَذَانِ فِي كُلِّ يَوْمٍ خَمْسَ مَرَّاتٍ عَلَى كُلِّ مَكَانٍ مُرْتَفِعٍ مِنَ الْأَرْضِ: أَشْهَدُ أَنْ لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ وَأَشْهَدُ أَنَّ مُحَمَّدًا رَسُولُ اللَّهِ. وَهَكَذَا كُلُّ خَطِيبٍ يَخْطُبُ لَا بُدَّ أَنْ يَذْكُرَهُ فِي خُطْبَتِهِ، وَمَا أَحْسَنَ قَوْلَ حَسَّانَ. أَغَرُّ عَلَيْهِ لِلنُّبُوَةِ خَاتَمٌ ... مِنَ اللَّهِ مَشْهُودٌ يَلُوحُ وَيَشْهَدُ وَضَمَّ الْإِلَهُ اسْمَ النَّبِيِّ إِلَى اسْمِهِ ... إِذَا قَالَ فِي الْخَمْسِ الْمُؤَذِّنُ أَشْهَدُ وَشَقَّ لَهُ مِنَ اسْمِهِ لِيُجِلَّهُ ... فَذُو الْعَرْشِ مَحْمُودٌ وَهَذَا مُحَمَّدُ وَقَالَ الصَّرْصَرِيُّ، وَهُوَ حَسَّانُ وَقْتِهِ: لَا يَصِحُّ الْأَذَانُ فِي الْفَرْضِ إِلَّا ... بِاسْمِهِ الْعَذْبِ فِي الْفَمِ الْمَرْضِيِّ وَقَالَ أَيْضًا: أَلَمْ تَرَ أَنَّا لَا يَصِحُّ أَذَانُنَا ... وَلَا فَرْضُنَا إِنْ لَمْ نُكَرِّرْهُ فِيهِمَا [مَا أُوتِيَ دَاوُدُ عَلَيْهِ السَّلَامُ] الْقَوْلُ فِيمَا أُوتِيَ دَاوُدُ، عَلَيْهِ السَّلَامُ. قَالَ اللَّهُ تَعَالَى: {وَاذْكُرْ عَبْدَنَا دَاوُدَ ذَا الْأَيْدِ إِنَّهُ أَوَّابٌ إِنَّا سَخَّرْنَا الْجِبَالَ مَعَهُ يُسَبِّحْنَ بِالْعَشِيِّ وَالْإِشْرَاقِ وَالطَّيْرَ مَحْشُورَةً كُلٌّ لَهُ أَوَّابٌ} [ص: 17] [ص: 17 - 19] .
পৃষ্ঠা - ৫২০৫
وَقَالَ تَعَالَى: {وَلَقَدْ آتَيْنَا دَاوُدَ مِنَّا فَضْلًا يَا جِبَالُ أَوِّبِي مَعَهُ وَالطَّيْرَ وَأَلَنَّا لَهُ الْحَدِيدَ أَنِ اعْمَلْ سَابِغَاتٍ وَقَدِّرْ فِي السَّرْدِ وَاعْمَلُوا صَالِحًا إِنِّي بِمَا تَعْمَلُونَ بَصِيرٌ} [سبأ: 10] [سَبَأٍ: 10، 11] . وَقَدْ ذَكَرْنَا فِي قِصَّتِهِ، عَلَيْهِ السَّلَامُ، وَفِي " التَّفْسِيرِ " طِيبَ صَوْتِهِ، عَلَيْهِ السَّلَامُ، وَأَنَّ اللَّهَ تَعَالَى كَانَ قَدْ سَخَّرَ لَهُ الطَّيْرَ تُسَبِّحُ مَعَهُ، وَكَانَتِ الْجِبَالُ أَيْضًا تُجِيبُهُ وَتُسَبِّحُ مَعَهُ، وَكَانَ سَرِيعَ الْقِرَاءَةِ ; كَانَ يَأْمُرُ بِدَوَابِّهِ فَتُسْرَجُ فَيَقْرَأُ الزَّبُورَ بِمِقْدَارِ مَا يَفْرَغُ مِنْ شَأْنِهَا ثُمَّ يَرْكَبُ، وَكَانَ لَا يَأْكُلُ إِلَّا مِنْ كَسْبِ يَدِهِ، صَلَوَاتُ اللَّهِ وَسَلَامُهُ عَلَيْهِ، وَقَدْ كَانَ نَبِيُّنَا صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ حَسَنَ الصَّوْتِ طَيِّبَهُ ; بِتِلَاوَةِ الْقُرْآنِ. قَالَ جُبَيْرُ بْنُ مُطْعِمٍ: «قَرَأَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي الْمَغْرِبِ بِالتِّينِ وَالزَّيْتُونِ، فَمَا سَمِعْتُ صَوْتًا أَطْيَبَ مِنْ صَوْتِهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ» . وَكَانَ يَقْرَأُ تَرْتِيلًا كَمَا أَمَرَهُ اللَّهُ، عَزَّ وَجَلَّ، بِذَلِكَ. وَأَمَّا تَسْبِيحُ الطَّيْرِ مَعَ دَاوُدَ، فَتَسْبِيحُ الْجِبَالِ الصُّمِّ الْجَمَادِ أَعْجَبُ مِنْ ذَلِكَ، وَقَدْ تَقَدَّمَ فِي الْحَدِيثِ أَنِ الْحَصَا سَبَّحَ فِي كَفِّ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ. قَالَ ابْنُ حَامِدٍ: وَهَذَا حَدِيثٌ مَعْرُوفٌ مَشْهُورٌ. وَكَانَتِ الْأَحْجَارُ وَالْأَشْجَارُ وَالْمَدَرُ تُسَلِّمُ عَلَيْهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ.
পৃষ্ঠা - ৫২০৬
وَفِي " صَحِيحِ الْبُخَارِيِّ "، عَنِ ابْنِ مَسْعُودٍ قَالَ: «لَقَدْ كُنَّا نَسْمَعُ تَسْبِيحَ الطَّعَامِ وَهُوَ يُؤْكَلُ» . يَعْنِي بَيْنَ يَدَيِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ. وَكَلَّمَهُ ذِرَاعُ الشَّاةِ الْمَسْمُومَةِ، وَأَعْلَمَهُ بِمَا فِيهِ مِنَ السُّمِّ، وَشَهِدَتْ بِنُبُوَّتِهِ الْحَيَوَانَاتُ الْإِنْسِيَّةُ وَالْوَحْشِيَّةُ، وَالْجَمَادَاتُ أَيْضًا، كَمَا تَقَدَّمَ بَسْطُ ذَلِكَ كُلِّهِ، وَلَا شَكَّ أَنَّ صُدُورَ التَّسْبِيحِ مِنَ الْحَصَا الصِّغَارِ الصُّمِّ الَّتِي لَا تَجَاوِيفَ فِيهَا أَعْجَبُ مِنْ صُدُورِ ذَلِكَ مِنَ الْجِبَالِ، لِمَا فِيهَا مِنَ التَّجَاوِيفِ وَالْكُهُوفِ، فَإِنَّهَا وَمَا شَاكَلَهَا تُرَدِّدُ صَدَى الْأَصْوَاتِ الْعَالِيَةِ غَالِبًا، كَمَا كَانَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ الزُّبَيْرِ إِذَا خَطَبَ - وَهُوَ أَمِيرُ الْمُؤْمِنِينَ - بِالْحَرَمِ الشَّرِيفِ، تُجَاوِبُهُ الْجِبَالُ ; أَبُو قُبَيْسٍ وَزُرْزُرٌ، وَلَكِنْ مِنْ غَيْرِ تَسْبِيحٍ، فَإِنَّ ذَلِكَ مِنْ مُعْجِزَاتِ دَاوُدَ، عَلَيْهِ السَّلَامُ، وَمَعَ هَذَا فَتَسْبِيحُ الْحَصَا فِي كَفِّ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَأَبِي بَكْرٍ وَعُمَرَ وَعُثْمَانَ أَعْجَبُ. وَقَالَ أَبُو نُعَيْمٍ: فَإِنْ قِيلَ: سُخِّرَتْ لَهُ الطَّيْرُ. فَقَدْ سُخِّرَتْ لِرَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَعَ الطَّيْرِ الْبَهَائِمُ الْعَظِيمَةُ ; الْإِبِلُ فَمَا دُونَهَا، وَمَا هُوَ أَعْسَرُ وَأَصْعَبُ مِنَ الطَّيْرِ ; السِّبَاعُ الْعَادِيَّةُ الضَّارِيَةُ، تَتَهَيَّبُهُ وَتَنْقَادُ إِلَى طَاعَتِهِ ; كَالْبَعِيرِ الشَّارِدِ الَّذِي سَجَدَ لَهُ، وَالذِّئْبِ الَّذِي نَطَقَ بِنُبُوَّتِهِ وَالتَّصْدِيقِ بِدَعْوَتِهِ وَرِسَالَتِهِ. وَقَدْ تَقَدَّمَتْ أَسَانِيدُ ذَلِكَ كُلِّهِ.
পৃষ্ঠা - ৫২০৭


;;৷ ড়ুপু প্রু;৷ ৷ য়ুাশ্রোহু, ,; দ্রৰুা৷হু, ব্লু;; পু,,বু,৷ পুা; ৰু£ হুা;১ @, ;’;,া; £;ষ্কৃ;ন্ ড্রু;ত্রহু,
ঠছুশ্

“আমি দাউদের প্রতি অনুগ্রহ করেছিলাম এবং আদেশ করেকািস্বম, হে পর্বতমালা ! তোমরা
দাউদের সাথে আমার পবিত্রতড়া ঘোষণা কর এবং হে পক্ষীসকল! তােমরাও ৷ আমি তার জন্যে
লৌহকে নরম করেছিলাম এবং তাকে বলেছিলাম, পুর্ণমাপের বর্ম তৈরি কর এবং ওজনে
পরিমাণ রক্ষা কর এবং স ৎকর্য সম্পাদন কর ৷ তোমরা যা কিছু কর, আমি তার সম্যক দ্রষ্টা
(সারা : ১০-১১) ৷

তড়াফসীর গ্রন্থে আমরা দাউদ (আ)-এব বিস্তারিত কাহিনী বর্ণনা করেছি ৷ দাউদ (আ)-এর
কণ্ঠস্বর ছিল অতি সুমধুর ৷ আল্লাহ্ পক্ষীকুলকে তার অনুগত করেছিলেন ৷ তার সাথে পাখিরা
তাসবীহ পাঠ করত ৷ পবর্তমালাও তীর ডাকে সাড়া দিত এবং তাসবীহ পাঠ করত ৷ তিনি বেশি
বেশি যাবুর কিতাব পাঠ করতেন ৷ এমনকি সফরকালে পথিমধ্যে বাহনকে বিচরণ করার জন্যে
ছেড়ে দিতেন এবং যাবুর কিতাব একটা পরিমাণ মত পাঠ করে পুনরায় বাহনে আরোহণ
করতেন ৷ হযরত দাউদ (আ) সর্বদা নিজের পরিশ্রম দ্বারা অর্থ উপার্জনের মাধ্যমে জীবিকা
নির্বাহ করতেন ৷ অপর দিকে আমাদের নবী মুহাম্মদ (সা)-এব কণ্ঠস্বরও ছিল সুমধুর, যে মধুর
সুরে তিনি পবিত্র কুরআন তিলাওয়াত করতেন ৷ হযরত জুবায়র ইবন মুতইম বলেন, একবার
রাসুলুল্লাহ্ (সা) মাগরিবের নামায়ে সুরা ওয়াতভীন ওয়ায্যায়তৃন পাঠ করেন, এইরুপ মধুর সুর
আমি আর জীবনে শুনিনি ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) কুরআন মজীদ তারতীলের সাথে তিলাওয়াত
করতেন, যেভাবে আল্লাহ্ নির্দেশ করেছেন ৷ দাউদ (আ)-এব সাথে পক্ষীকুল তাসবীহ করত
তবে মুক পর্বতমালার তাসবীহ পাঠ করা তার চইিতে আশ্চর্যকর ৷ এক্ষেত্রে আমরা বলতে পারি
যে, রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর হাতে কঙ্করসমুহ তাসবীহ পাঠ করেছিল ৷ হাদীসে এভাবেই বর্ণিত
হয়েছে : <৷ ৷ ধ্াপ্রু, এ্< ষ্১ ৫“ ৷ ৰু৷ ৷ ;, ৷ ইবন হামিদ এ হাদীসকে মারুফ ও
মাশহুর বলে অভিহিত করেছেন ৷ এমনিভাবে পাথর, বৃক্ষ ও মাটির ঢেলা পর্যন্ত রাসুলুল্পাহ্
(না)-কে সালাম জানাত ৷ বুখারী শরীফে ইবন মাসউদ (রা) থেকে বর্ণিত হয়েছে ৷ রাসুলুল্লাহ্
(না)-এর সম্মুখে রাখা খাদ্যদ্রব্যকে আমরা তাসবীহ পাঠ করতে শুনেছি ৷ অন্য এক ঘটনায়
বকবীর বিষ মিশ্রিত রান রাসুলুল্লাহ্ (সা)-এব সাথে কথা বলেছিল এবং তাকে জানিয়ে
দিয়েছিল যে, আমার মধ্যে বিষ মিশ্রিত আছে ৷ গৃহ পালিত পশু, বন্যত্তস্থে এবং নিম্প্রাণ পাথর
ইত্যাদিও তার নবুওতের সাক্ষ্য দান করেছে ৷ এ প্ৰশন্সে বিস্তারিত আলোচনা পুর্বে হয়েছে ৷
এখন আমরা বলতে পারি যে, ক্ষুদ্র কঙ্কর থেকে তাসবীহ উচ্চারিত হওয়া পাহাড়-পর্বতের
তাসবীহ পাঠ থেকে অধিকতর আশ্চর্যজনক ৷ কেননা কঙ্করের কোন মুখ থাকে না ৷ কিন্তু
পাথরের মুখ ও গহ্বৱ থাকে ৷ কারণ, পাহাড়-পর্বত জাতীয় জিনিসের মধ্যে সাধারণত শব্দ
প্রতিধ্বনিত হয়ে থাকে ৷ মদীনায় আমীর হযরত আবদুল্লাহ ইবন যুবায়র বলেছেন, তিনি যখন
হারাম শরীফে ভাষণ দিতেন তখন পার্শ্ববর্তী আবু কুবায়স পর্বতে যে শব্দ প্রতিধ্বনিত হত ৷
তবে এতে তাসবীহ উচ্চারণ হত না ৷ কেননা, পাহাড়ের তাসবীহ পড়াটা ছিল দাউদ (আ)-এর
— ৫৪


وَأَمَّا أَكْلُ دَاوُدَ مِنْ كَسْبِ يَدِهِ، فَقَدْ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَأْكُلُ مِنْ كَسْبِهِ أَيْضًا، كَمَا كَانَ يَرْعَى غَنَمًا لِأَهْلِ مَكَّةَ عَلَى قَرَارِيطَ، وَقَالَ: «مَا مِنْ نَبِيٍّ إِلَّا وَقَدْ رَعَى الْغَنَمَ» . وَخَرَجَ إِلَى الشَّامِ فِي تِجَارَةٍ لِخَدِيجَةَ مُضَارَبَةً، وَقَالَ اللَّهُ تَعَالَى: {وَقَالُوا مَالِ هَذَا الرَّسُولِ يَأْكُلُ الطَّعَامَ وَيَمْشِي فِي الْأَسْوَاقِ لَوْلَا أُنْزِلَ إِلَيْهِ مَلَكٌ فَيَكُونَ مَعَهُ نَذِيرًا أَوْ يُلْقَى إِلَيْهِ كَنْزٌ أَوْ تَكُونُ لَهُ جَنَّةٌ يَأْكُلُ مِنْهَا وَقَالَ الظَّالِمُونَ إِنْ تَتَّبِعُونَ إِلَّا رَجُلًا مَسْحُورًا انْظُرْ كَيْفَ ضَرَبُوا لَكَ الْأَمْثَالَ فَضَلُّوا فَلَا يَسْتَطِيعُونَ سَبِيلًا} [الفرقان: 7] إِلَى قَوْلِهِ: {وَمَا أَرْسَلْنَا قَبْلَكَ مِنَ الْمُرْسَلِينَ إِلَّا إِنَّهُمْ لَيَأْكُلُونَ الطَّعَامَ وَيَمْشُونَ فِي الْأَسْوَاقِ} [الفرقان: 20] [الْفَرْقَانِ: 7 - 20] . أَيْ لِلتَّكَسُّبِ وَالتِّجَارَةِ طَلَبًا لِلرِّبْحِ الْحَلَالِ. ثُمَّ لَمَّا شَرَعَ اللَّهُ لَهُ الْجِهَادَ بِالْمَدِينَةِ، كَانَ يَأْكُلُ مِمَّا أَبَاحَ لَهُ مِنَ الْمَغَانِمِ الَّتِي لَمْ تُبَحْ لِنَبِيٍّ قَبْلَهُ، وَمِمَّا أَفَاءَ اللَّهُ عَلَيْهِ مِنْ أَمْوَالِ الْكُفَّارِ الَّتِي أُبِيحَتْ لَهُ دُونَ غَيْرِهِ. كَمَا جَاءَ فِي " الْمُسْنَدِ " وَ " التِّرْمِذِيِّ " عَنِ ابْنِ عُمَرَ قَالَ: «قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " بُعِثْتُ بِالسَّيْفِ بَيْنَ يَدَيِ السَّاعَةِ حَتَّى يُعْبَدَ اللَّهُ وَحْدَهُ لَا شَرِيكَ لَهُ، وَجُعِلَ رِزْقِي تَحْتَ ظِلِّ رُمْحِي، وَجُعِلَ الذِّلَّةُ وَالصَّغَارُ عَلَى مَنْ خَالَفَ أَمْرِي، وَمَنْ تَشَبَّهَ بِقَوْمٍ فَهُوَ مِنْهُمْ» . وَأَمَّا إِلَانَةُ الْحَدِيدِ لِدَاوُدَ، عَلَيْهِ السَّلَامُ، فَقَدْ كَانَ مِنَ الْمُعْجِزَاتِ الْبَاهِرَاتِ ; كَانَ الْحَدِيدُ يَلِينُ فِي يَدَيْهِ مِنْ غَيْرِ نَارٍ، كَمَا يَلِينُ الْعَجِينُ فِي يَدِهِ، فَكَانَ
পৃষ্ঠা - ৫২০৮
يَصْنَعُ مِنْهُ هَذِهِ الدُّرُوعَ الدَّاوُدِيَّةَ، وَهِيَ الزَّرَّدِيَّاتُ السَّابِغَاتُ، وَأَمَرَهُ اللَّهُ تَعَالَى بِكَيْفِيَّةِ عَمَلِهَا: {وَقَدِّرْ فِي السَّرْدِ} [سبأ: 11] . أَيْ أَلَّا تُدِقَّ الْمِسْمَارَ فَيَقْلَقَ، وَلَا تُغْلِّظْهُ فَيَفْصِمَ، كَمَا جَاءَ فِي الْبُخَارِيِّ. وَقَالَ تَعَالَى: {وَعَلَّمْنَاهُ صَنْعَةَ لَبُوسٍ لَكُمْ لِتُحْصِنَكُمْ مِنْ بَأْسِكُمْ فَهَلْ أَنْتُمْ شَاكِرُونَ} [الأنبياء: 80] . وَقَدْ قَالَ بَعْضُ الشُّعَرَاءِ فِي مُعْجِزَاتِ النُّبُوَّةِ: نَسْجُ دَاوُدَ مَا حَمَى صَاحِبَ الْغَا ... رِ وَكَانَ الْفَخَارُ لِلْعَنْكَبُوتِ وَالْمَقْصُودُ الْمُعْجِزُ فِي إِلَانَةِ الْحَدِيدِ، وَقَدْ تَقَدَّمَ فِي السِّيرَةِ عِنْدَ ذِكْرِ حَفْرِ الْخَنْدَقِ عَامَ الْأَحْزَابِ فِي سَنَةِ أَرْبَعٍ - وَقِيلَ: خَمْسٍ - أَنَّهُمْ عَرَضَتْ لَهُمْ كُدْيَةٌ، وَهِيَ الصَّخْرَةُ فِي الْأَرْضِ، فَلَمْ يَقْدِرُوا عَلَى كَسْرِهَا وَلَا شَيْءَ مِنْهَا، فَقَامَ إِلَيْهَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَقَدْ رَبَطَ حَجَرًا عَلَى بَطْنِهِ مِنْ شِدَّةِ الْجُوعِ، فَضَرَبَهَا ثَلَاثَ ضَرَبَاتٍ، لَمَعَتِ الْأُولَى حَتَّى أَضَاءَتْ لَهُ مِنْهَا قُصُورُ الشَّامِ وَبِالثَّانِيَةِ قُصُورُ فَارِسَ، وَبِالثَّالِثَةِ قُصُورُ صَنْعَاءَ، ثُمَّ انْثَالَتِ الصَّخْرَةُ كَأَنَّهَا كَثِيبٌ أَهْيَلُ مِنَ الرَّمْلِ، وَلَا شَكَّ أَنَّ لِينَ الصُّخُورِ الَّتِي لَا تَنْفَعِلُ وَلَا بِالنَّارِ أَعْجَبُ مِنْ لِينِ الْحَدِيدِ الَّذِي إِذَا حَمِيَ لَانَ، كَمَا قَالَ بَعْضُهُمْ:
পৃষ্ঠা - ৫২০৯
فَلَوْ أَنَّ مَا عَالَجْتُ لِينَ فُؤَادِهَا ... بِنَفْسِي لَلَانَ الْجَدْلُ وَالْجَنْدَلُ الصَّخْرُ فَلَوْ أَنَّ شَيْئًا أَشَدُّ قَسْوَةً مِنَ الصَّخْرِ لَذَكَرَهُ هَذَا الشَّاعِرُ الْمُبَالِغُ، وَقَالَ اللَّهُ تَعَالَى: {ثُمَّ قَسَتْ قُلُوبُكُمْ مِنْ بَعْدِ ذَلِكَ فَهِيَ كَالْحِجَارَةِ أَوْ أَشَدُّ قَسْوَةً} [البقرة: 74] الْآيَةَ [الْبَقَرَةِ: 74] . وَأَمَّا قَوْلُهُ تَعَالَى {قُلْ كُونُوا حِجَارَةً أَوْ حَدِيدًا أَوْ خَلْقًا مِمَّا يَكْبُرُ فِي صُدُورِكُمْ} [الإسراء: 50] [الْإِسْرَاءِ: 50، 51] ، فَذَاكَ التَّرَقِّي لِمَعْنًى آخَرَ ذُكِرَ فِي " التَّفْسِيرِ " وَحَاصِلُهُ أَنَّ الْحَدِيدَ أَشَدُّ امْتِنَاعًا فِي السَّاعَةِ الرَّاهِنَةِ مِنَ الْحَجَرِ مَا لَمْ يُعَالَجْ، فَإِذَا عُولِجَ انْفَعَلَ الْحَدِيدُ وَلَا يَنْفَعِلُ الْحَجَرُ. وَاللَّهُ أَعْلَمُ. وَقَالَ أَبُو نُعَيْمٍ: فَإِنْ قِيلَ: فَقَدْ لَيَّنَ اللَّهُ لِدَاوُدَ، عَلَيْهِ السَّلَامُ، الْحَدِيدَ حَتَّى سَرَدَ مِنْهُ الدُّرُوعَ السَّوَابِغَ. قِيلَ: لُيِّنَتْ لِمُحَمَّدٍ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ الْحِجَارَةَ وَصُمُّ الصُّخُورِ، فَعَادَتْ لَهُ غَارًا اسْتَتَرَ بِهِ مِنَ الْمُشْرِكِينَ يَوْمَ أُحُدٍ ; مَالَ بِرَأْسِهِ إِلَى الْجَبَلِ لِيُخْفِيَ شَخْصَهُ عَنْهُمْ، فَلَيَّنَ اللَّهُ لَهُ الْجَبَلَ حَتَّى أَدْخَلَ فِيهِ رَأْسَهُ، وَهَذَا أَعْجَبُ ; لِأَنَّ الْحَدِيدَ تُلَيِّنُهُ النَّارُ، وَلَمْ نَرَ النَّارَ تُلَيِّنُ الْحَجَرَ. قَالَ: وَذَلِكَ بَعْدُ ظَاهِرٌ بَاقٍ يَرَاهُ النَّاسُ. قَالَ: وَكَذَلِكَ فِي بَعْضِ شِعَابِ مَكَّةَ حَجَرٌ مِنْ جَبَلٍ أَصَمَّ، اسْتَرْوَحَ فِي صَلَاتِهِ إِلَيْهِ، فَلَانَ الْحَجَرُ لَهُ حَتَّى أَثَّرَ فِيهِ بِذِرَاعَيْهِ وَسَاعِدَيْهِ،
পৃষ্ঠা - ৫২১০


মুজিয৷ ৷৩ তা সত্বেও রাসুলুল্লাহ্ (সা) হযরত আবু বকর, উমর ও উসমান (রা) এর হাতের
মধ্যে পাথর কুচির তাসবীহ পড়া অধিক বিস্ময়কর ব্যাপার ৷

হযরত দাউদ (আ) নিজ হাতের উপার্জন দ্বারা জীবিকা নির্বাহ করতেন ৷ এ প্রসঙ্গে আমরা
বলতে পারি যে, রাসুলুল্লাহ্ (সা)ও নিজের হাতের কামাই দ্বারা জীবিকা নির্বাহ করতেন ৷
যেমন, তিনি মক্কাবাসীদের মেষ-বকরী কয়েকটি মুদ্রার বিনিময়ে মাঠে চরাতেন ৷ তিনি
বলতেন, এমন কোন নবী গত হননি, যিনি মেষ চরাননি : ¢;)ারড্রু ১৷ ৷ ১ ;ৰু ;
ণ্;৷ ৷ বিবি খাদীজার পক্ষে মুদারাবা পদ্ধতির (মুলধন একজনের এবং শ্রম অন্য জনের)
ব্যবসা উপলক্ষে তিনি সিরিয়া পর্যন্ত গিয়েছিলেন ৷ আল্লাহ্র বাণী :
া;৷ঢু;,
;া৷’ন্১

০ fi : ’



০ ’ :




ষ্ ঙুর্চুএে

“তারা বলে এ কেমন রাসুল, যে আহার করে এবং হাটেবাজারে চলাফেরা করে, তার
নিকট কোন ফেরেশ৩ ৷ কেন অবতীর্ণ করা হল না, যে তার সঙ্গে থাকত সতর্ককারীরুপে ৷
অথবা তাকে ধন ভাণ্ডার দেয়৷ হয় না কেন কিত্বা তার একটি বাগান নইি কেন, যা থেকে সে
আহার করতে পারত ? সীমালংঘনকারীরা আরও বলে, তোমরা তো এক যাদুগ্নস্ত ব্যক্তিরই
অনুসরণ করছ ৷ দেখ, তারা তোমার কী সব উপমা দেয়, তারা পথভ্রষ্ট হয়েছে ৷ তাই তারা
আর সঠিক পথ পাবে না ৷ তোমার পুর্বে আমি যেসব রাসুল প্রেরণ করেছি, তারা সকলেই
তো আহার করত ও হাটেবাজারে চলাফেরা করত” (ফুরকান : ৭-২০) ৷

অর্থাৎ তিনি হাটে-বাজারে যেতেন ও ব্যবসা-বাণিজ্য করতেন হালাল উপায়ে মুনাফা
অর্জনের জন্যে ৷ এরপর মদীনায় গেলে যখন জিহাদ আরম্ভ হয়, তখন থেকে তিনি কাফিরদের
থেকে প্রাপ্ত গনীমত ও ফায়’ লব্ধ দ্রব্যাদি আহার করতেন, যা ইতিপুর্বে কখনও হালাল ছিল
না ৷ কেবল রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর সময় থেকে তা হালাল করা হয় ৷ মুসনাদে আহমদ ও
তিরমিযী শরীফে হযরত ইবন উমর থেকে বর্ণিত হয়েছে; রাসুলুল্লাহ্ (সা) বলেছেন : আমাকে
আল্লাহ্ তরবারী দিয়ে পাঠিয়েছেন (অর্থাৎ যুদ্ধ দিয়ে) বা কিয়ামত পর্যন্ত অব্যাহত থাকবে ৷
যতক্ষণ না এক ও লা শরীক অ ৷ল্লাহ্র ইবাদত প্রতিষ্ঠিত হয় ৷ আর আমার রিয্ক রাখা হয়েছে
বর্শার ছায়াতলে ৷ আর আমার এ সুন্নাতে তর যারা বিরোধিতা করবে তাদের জন্যে রয়েছে লাঞ্চুনা
ও অবমাননা ৷ যে ব্যক্তি অন্য জাতির সাথে সাদৃশ্য রেখে চলবে সে তাদের লোক বলেই গণ্য

হবেং :

ণ্ষ্ £



وَذَلِكَ مَشْهُورٌ يَقْصِدُهُ الْحُجَّاجُ وَيَرَوْنَهُ، وَعَادَتِ الصَّخْرَةُ لَيْلَةَ أُسَرِيَ بِهِ كَهَيْئَةِ الْعَجِينِ، فَرَبَطَ بِهَا دَابَّتَهُ الْبَرَّاقَ، يَلْمَسُهُ النَّاسُ، إِلَى يَوْمِنَا هَذَا بَاقٍ. وَهَذَا الَّذِي أَشَارَ إِلَيْهِ مِنْ يَوْمِ أُحُدٍ وَبَعْضِ شِعَابِ مَكَّةَ غَرِيبٌ جِدًّا، وَلَعَلَّهُ قَدْ أَسْنَدَهُ هُوَ فِيمَا سَلَفَ، وَلَيْسَ ذَلِكَ بِمَعْرُوفٍ فِي السِّيَرِ الْمَشْهُورَةِ، وَأَمَّا رَبْطُ الدَّابَّةِ فِي الْحَجَرِ فَصَحِيحٌ، وَالَّذِي رَبَطَهَا جِبْرِيلُ كَمَا هُوَ فِي " صَحِيحِ مُسْلِمٍ " رَحِمَهُ اللَّهُ. وَأَمَّا قَوْلُهُ تَعَالَى: {وَآتَيْنَاهُ الْحِكْمَةَ وَفَصْلَ الْخِطَابِ} [ص: 20] . فَقَدْ كَانَتِ الْحِكْمَةُ الَّتِي أُوتِيَهَا مُحَمَّدٌ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَالشِّرْعَةُ الَّتِي شُرِعَتْ لَهُ أَكْمَلَ مِنْ كُلِّ حِكْمَةٍ وَشِرْعَةٍ كَانَتْ لِمَنْ قَبْلَهُ مِنَ الْأَنْبِيَاءِ، صَلَوَاتُ اللَّهِ عَلَيْهِ وَعَلَيْهِمْ أَجْمَعِينَ، فَإِنَّ اللَّهَ جَمَعَ لَهُ مَحَاسِنَ مَنْ كَانَ قَبْلَهُ، وَفَضَّلَهُ، وَأَكْمَلَ لَهُ وَآتَاهُ مَا لَمْ يُؤْتِ أَحَدًا قَبْلَهُ، وَقَدْ قَالَ صَلَوَاتُ اللَّهِ وَسَلَامُهُ عَلَيْهِ: «أُوتِيتُ جَوَامِعَ الْكَلِمِ، وَاخْتُصِرَتْ لِيَ الْحِكْمَةُ اخْتِصَارًا» . وَلَا شَكَّ أَنَّ الْعَرَبَ أَفْصَحُ الْأُمَمِ، وَكَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَفْصَحَهُمْ نُطْقًا، وَأَجْمَعَ لِكُلِّ خُلُقٍ جَمِيلٍ مُطْلَقًا.