আল বিদায়া ওয়া আন্নিহায়া

سنة إحدى عشرة من الهجرة

فصل: إيراد ما بقي علينا من متعلقات السيرة الشريفة

معجزات لرسول الله صلى الله عليه وسلم مماثلة لمعجزات جماعة من الأنبياء قبله

أعطي إدريس عليه السلام الرفعة
পৃষ্ঠা - ৫১৯৮


জন্যে সুর্য আটক হওয়ার বর্ণনা করেছেন আসমা বিনতে উমায়স ইবন সাঈদ, আবু হুরায়রা ও
স্বয়ং হযরত আলী ৷ কিন্তু সকল সুত্রেই এ হাদীসটি আংহণযোগ্য (মুনকার) ৷ আর যারা একে
সমর্থন করেছেন র্তারা হলেন আহমদ ইবন সালিহ আল মিসরী, আবু হাফস আত-তাহাবী,
কাযী ইয়ায এবং ইবনমাতহারসহ রাফিষী সম্প্রদায়ের অনেক আলিম ৷ কতিপয় হাফিযে হাদীস

এবং হাদীস হাচইিকারীদে ৱ মতে এ হাদীস প্রত্যাখ্যান ও যয়ীফ; যেমন আলী ইবনুল মাদীনা,
ইবরাহীম ইবন ইয়াকুব, তার শায়খ মুহাম্মদ ও ইয়ালা ইবন উবায়দ, আবু বকর মুহাম্মদ ইবন
হাতিম আল বুখারী, হাফিয ইবন আসাকির, শায়খ জামালুদ্দীন আবুল ফারজ ইবনুল জাওয়ী
তার মাওযুআত’ গ্রন্থে এ হাদীসটি উল্লেখ করেছেন ৷ হাফিয আবুল হাজ্জাজ আল মিয্ঘী ও
হাফিয আবু আবদুল্লাহ আয় যাহাবী সুস্প্ষ্টিভাবে একে মনগড়া হাদীস বলে আখ্যায়িত করেছেন ৷
ইউনুস ইবন বুকায়র যিয়াদাত গ্রন্থে লিখেছেন, সুর্য উদিত হওয়ার নির্ধারিত সময়ের পরে তা
উদিত হয়েছিল ৷ কিন্তু ইউনুস ব্যতীত অন্য কোন আলিম এ ধরনের রিওয়ায়াত বর্ণনা করেননি ৷
তাছাড়া নির্ধারিত সময়ের পরে উদিত হওয়া এমন জিনিস নয়, যা প্রত্যক্ষ করা যায় ৷ বিন্দু এর
চেয়েও অধিক অভিনব কথা বলেছেন ইবনুল মাতহার তার মিনহজে’ গ্রন্থে ৷ তিনি লিখেছেন,
হযরত আলীর জন্যে দুইবার সুর্যকে অস্ত যাওয়ার পর ফিরিয়ে দেওয়া হয় ৷ তার মধ্যে একবার
যা উপরে বর্ণিত হয়েছে ৷ দ্বিতীয়বারের ঘটনা সম্পর্কে লিখেছেন, হযরত আলী যখন বাবেলে
ফুরাত নদী অতিক্রম করার সং কল্প করেন, তখন তিনি একদল লোকসহ নিজে আসরের
সালাত আদায় করেন; কিন্তু অধিকাংশ লোকই সাথে পশু থাকার কারণে সালাত আদায় করতে
পারেননি ৷ সুতরাং এ ব্যাপারে তারা হযরত আলীকে অবহিত করলেন ৷ তিনি আল্লাহর নিকট
সুর্যকে ফিরিয়ে দেওয়ার জন্যে প্রার্থনা করেন ৷ সে মতে সুর্য পশ্চাত দিকে ফিরে আসে ৷ আবু
নুআয়ম হযরত মুসা (আ)-এ র পরে হযরত ইদরীস (আ)-এর উল্লেখ করেছেন ৷ অধিকাংশ
মুফাসৃসিরের মতে তিনি বনী ইসরাঈলের নবী ৷ কিন্তু মুহাম্মদ ইবন ইসহাক ইবন ইয়াসার এবং
কতিপয় বংশ পঞ্জিকায় বিজ্ঞ পণ্ডিতগণের মতে তিনি হযরত নুহ (আ)-এর পুর্বেকার নবী ৷
হযরত আদম (আ)-এর সাথে তার বংশ লতিক৷ মিলে যায়৷

হযরত ইদরীস (আ)-কে যা কিছু দেওয়া হয়েছিল

হযরত ইদরীস (আ) কে আল্লাহ যে সম্মান দান করেছেন সে সম্পর্কে তিনি কুরআনে
বলেছেন৪ ৷া ৷াণ্ হুাট্রু;া,, অর্থাৎ আমি তার মর্যাদাকে সমুন্নত করেছি ৷ এ ক্ষেত্রে
আমাদের কথা হল, হযরত মুহাম্মদ (সা)-কে এর চেয়ে অনেক বেশি শ্রেষ্ঠতৃ ও পুর্ণতা দান করা
হয়েছে ৷ কারণ আল্লাহ দুনিয়া ও আখিরাতে তার সুখ্যাতি বাড়িয়ে দিয়েছেন ৷ তিনি বলেছেনং
এ)হ্র১ এ £ট্রুৰুব্র ,, আমি তোমার খ্যাতি ৩সুউচ্চ মর্যাদার উন্নীত করেছি ৷ যে কোন খতীব,
সুপার্বিশকারী কি বা সালাত আদায়কারী ঐ নামের দ্বারাই ঘোষণা করে ১৷ ৷ এ ৷ ’১াপ্ ৷াধ্ ৷
এ ৷ র্দুাপ্রুঠু, ৷ ষ্ঠুং ৰুড্রুা’ ;ছু,;ট্রু;াঠু এ ৷ আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, আল্লাহ ছাড়া আর কোন
ইলাহ্ নেই এবং আরও সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, মুহাম্মদ (সা) আল্লাহর রাসুল ৷ আল্লাহ তার নামের
সাথে রাসুলের নাম একত্রিত করে দিয়েছেন ৷ এ ব্যবস্থা পৃথিবীর পুর্ব থেকে পশ্চিম প্রান্ত পর্যন্ত
সর্বত্রই বিদ্যমান ৷ ফরয সালাতে র জন্য এটা (আমান) কুঞ্জি বিশেষ ৷ ইবন লাহীআ আবু
সাঈদ থেকে বর্ণিত ৷ রনুেলুল্লাহ্ (সা) এ;£ ৷ এ ৷ট্রু;ট্র,, আয়াত প্রসঙ্গে বলেছেন, জিবরাঈস্


وَذَكَرَ أَبُو نُعَيْمٍ بَعْدَ مُوسَى إِدْرِيسَ، عَلَيْهِ السَّلَامُ، وَهُوَ عِنْدَ كَثِيرٍ مِنَ الْمُفَسِّرِينَ مِنْ أَنْبِيَاءِ بَنِي إِسْرَائِيلَ، وَعِنْدَ مُحَمَّدِ بْنِ إِسْحَاقَ بْنِ يَسَارٍ وَآخَرِينَ مِنْ عُلَمَاءِ النَّسَبِ قَبْلَ نُوحٍ، عَلَيْهِ السَّلَامُ، فِي عَمُودِ نَسَبِهِ إِلَى آدَمَ، عَلَيْهِ السَّلَامُ، كَمَا تَقَدَّمَ التَّنْبِيهُ عَلَى ذَلِكَ فَقَالَ: [أُعْطِيَ إِدْرِيسُ عَلَيْهِ السَّلَامُ الرِّفْعَةَ] الْقَوْلُ فِيمَا أُعْطِيَ إِدْرِيسُ، عَلَيْهِ السَّلَامُ مِنَ الرِّفْعَةِ الَّتِي نَوَّهَ اللَّهُ بِذِكْرِهَا فَقَالَ: {وَرَفَعْنَاهُ مَكَانًا عَلِيًّا} [مريم: 57] قَالَ: وَالْقَوْلُ فِيهِ أَنَّ نَبِيَّنَا مُحَمَّدًا صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أُعْطِي أَفْضَلَ وَأَكْمَلَ مِنْ ذَلِكَ ; لِأَنَّ اللَّهَ تَعَالَى رَفَعَ ذِكْرَهُ فِي الدُّنْيَا وَالْآخِرَةِ فَقَالَ: {وَرَفَعْنَا لَكَ ذِكْرَكَ} [الشرح: 4] . فَلَيْسَ خَطِيبٌ وَلَا شَفِيعٌ وَلَا صَاحِبُ صَلَاةٍ إِلَّا يُنَادِي بِهَا: أَشْهَدُ أَنْ لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ، وَأَشْهَدُ أَنَّ مُحَمَّدًا رَسُولُ اللَّهِ. فَقَرَنَ اللَّهُ اسْمَهُ بِاسْمِهِ فِي مَشَارِقِ الْأَرْضِ وَمَغَارِبِهَا، وَذَلِكَ مِفْتَاحًا لِلصَّلَاةِ الْمَفْرُوضَةِ، ثُمَّ أَوْرَدَ حَدِيثَ ابْنِ لَهِيعَةَ، عَنْ دَرَّاجٍ، عَنْ أَبِي الْهَيْثَمِ، عَنْ أَبِي سَعِيدٍ، «عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي قَوْلِهِ: {وَرَفَعْنَا لَكَ ذِكْرَكَ} [الشرح: 4] قَالَ: " قَالَ جِبْرِيلُ: قَالَ اللَّهُ: إِذَا ذُكِرْتُ ذُكِرْتَ» . وَرَوَاهُ ابْنُ
পৃষ্ঠা - ৫১৯৯


আমাকে জানিয়েছেন, আল্লাহ্ তাকে বলেছেন, আমাকে যখন স্মরণ করা হবে তখন (মুহাম্মদ)
আপনাকে স্মরণ করা হবেং ৰু;ন্টু£’;৷ : ,ং,$’; ৷ ৷ ৷ ইবন জারীর ও ইবন আবী আসিম দাররাজ
সুত্রে এ হাদীস বর্ণনা করেছেন ৷ আবু আহমদ মুহাম্মদ ইবন আহমদ আল গা৩ রীফী
আনাস ইবন মালিক থেকে বর্ণনা করেন ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) বলেছেন, আসমান ও যমীনের যেসব
বিষয়ে আল্লাহ্ আমাকে হুকুম করেছেন, তা সম্পন্ন করে যখন আমি অবসর হলাম তখন
বললাম, হে আল্লাহ্! আমার পুর্ববর্তী প্রত্যেক নবীকেই আপনি বিশেষ মর্যাদায় ভুষিত করেছেন;
ইবরাহীমকে খলীল’ বানিয়েছেন, মুসাকে আপনার সাথে সরাসরি কথা বলার সৌভাগ্য দান
করেছেন, দাউদের জন্যে পাহাড়কে অবুগত করে দিয়েছেন, , ঈসাকে মৃত লোককে জীবিত
করার শক্তি দান করেছেন, আমার জন্যে আপনি কী রেখেছেন : ংষ্পু ধ্এহু; ৷ব্র জবাবে
আল্পাহ্ তাআলা বললেন, আপনাকে আমি ঐ সবকিছুর চইিতে শ্রেষ্ঠ জিনিস দান করেছি অর্থাৎ
আমার নামের সাথে আপনার নাম সংযুক্ত করে দিয়েছি যখন আমার নাম উচ্চারণ করা হয়
তখন সেই সাথে আপনার নামও উচ্চারণ করা হয়ে থাকে৪ ৰু;)এ১ ৷৷ ৷ ,$; ৷ ৷া
আপনার উম্ম৩ কে গোটা মানব জাতির মধ্যে গ্রেষ্ঠতৃ দান করেছি ৷ তারা কুরআন পাঠ করে, যা
আমি অন্য কাউকে দেইনি; আর আমার আরশের ভাণ্ডার থেকে আপনাকে একটি কালিমা দান
করেছি, তাহল ধ্াপুড্রু ১৷ ৷ ওৰুশুট্র ৰুাট্রু ৰু প্রুঠ্ৰু৷ এই সনদের মধ্যে কিছুটা ত্রুটি থাকলেও আবুল
কাসিম ইর্বৃন আব্বাস থেকে এইরুপ কথইি মারকু৩ ভাবে বর্ণনা করেছেন ৷

আবু যুরআ দালইিলুন নবুওতে ভিন্ন সুত্রে বিচ্ছিন্ন সনদে বর্ণনা করেছেন ৷ বলেছেন, হিশাম
ইবন আমার দামিশকী আবু হুরায়রা ও আনাস ইবন মালিক থেকে মিরাজ রজনীর ঘটনা
বর্ণনা করেছেন৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) বলেন : ঐ রজনীতে আল্লাহ্ যখন আমাকে তার নিদর্শনাদি
দেখাচ্ছিলেন তখন এক পর্যায়ে আমি সুঘ্রাণ অনুভব করলাম ৷ আমি বললাম, ইয়৷ রব! আমার
অনুসারীদেরসহ এখানে আমার স্থান দিন! আল্লাহ্ বললেন, তোমাকে তাই দিবাে, যার ওয়াদা
আমি করেছি মাকামে মাহমুদ ৷ যেসব মু’মিন নয় ও নারী আমার সাথে কোন শরীক না করে
এবং যারা আমাকে ঋণ দেয় তাদেরকে আমি নিকটে রাখব, যে আমার উপর নির্ভর করবে তার
জন্যে আমি যথেষ্ট হবে৷ ৷ যে আমার বা ছে প্রার্থাংা করবে তাকে আমি দান করব ৷ত তার জীবিকা
হ্রাস করা হবে না ৷ যা সে কামনা করবে তা কমান হবে না ৷ তোমাকে যা দেয়ার ওয়াদ৷ করা
হয়েছে তা দেয়৷ হবে ৷ সুতরাং মুত্তাকীদের বাসস্থান কতইনা উত্তম ৷ আমি বললাম, সন্তুষ্ট
হয়েছি ৷ এরপর যখন সিদরাতৃল মুনতাহ৷ পর্যন্ত গেলাম, তখন আমি সিজদায় পড়ে পেলাম ৷
কিছুক্ষণ পর মাথা উঠিয়ে বললাম, হে রব! ইবরাহীমকে আপনি খলীল বানিয়েছেন, মুসার
সাথে সরাসরি কথা বলেছেন, দাউদকে যাবুর কিতাব দিয়েছেন এবং সুলায়মানকে বিশাল
রাজত্ব দান করেছেন : এ্ণ্ডু ৷ এ্ ৷
মর্যাদা দান করেছি ৷ আপনার উম্মতের জন্যে খুতবা (ভাষণ) দেওয়া জায়িয হবে না, যতক্ষণ না
এ সাক্ষ্য দেয় যে, আপনি আমার রাসুল ৷ আপনার উম্মতে র অস্তরকে সাক্ষাৎ কিতাব করে
বানিয়েছি ৷ আর সুরা বাকারার শেষ অংশট৷ আমার আরশের নিম্নদেশ থেকে দান করেছি ৷ রাবী
ইবন আনাস আবু হুরায়রা সুত্রে মিরাজ সম্পর্কে দীর্ঘ হাদীস বর্ণিত হয়েছে ৷ ইবন
জারীরও তার তাফসীর গ্রন্থে এ হাদীস উল্লেখ করেছেন ৷ আবু যুরআ এ বর্ণনার শেষে উল্লেখ


جَرِيرٍ وَابْنِ أَبِي حَاتِمٍ مِنْ طَرِيقِ دَرَّاجٍ. ثُمَّ قَالَ: حَدَّثَنَا أَبُو أَحْمَدَ مُحَمَّدُ بْنُ أَحْمَدَ الْغِطْرِيفِيُّ، حَدَّثَنَا مُوسَى بْنُ سَهْلٍ الْجَوْنِيُّ، حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ الْقَاسِمِ بْنِ بَهْرَامَ الْهِيتِيُّ، حَدَّثَنَا نَصْرُ بْنُ حَمَّادٍ، عَنْ عُثْمَانَ بْنِ عَطَاءٍ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «لَمَّا فَرَغْتُ مِمَّا أَمَرَنِي اللَّهُ تَعَالَى بِهِ مِنْ أَمْرِ السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضِ قَلْتُ: يَا رَبِّ إِنَّهُ لَمْ يَكُنْ نَبِيٌّ قَبْلِي إِلَّا قَدْ كَرَّمْتَهُ ; جَعَلْتَ إِبْرَاهِيمَ خَلِيلًا، وَمُوسَى كِلِيمًا، وَسَخَّرْتَ لِدَاوُدَ الْجِبَالَ، وَلِسُلَيْمَانَ الرِّيحَ وَالشَّيَاطِينِ، وَأَحْيَيْتَ لِعِيسَى الْمَوْتَى، فَمَا جَعَلْتَ لِي؟ قَالَ: أَوْ لَيْسَ قَدْ أَعْطَيْتُكَ أَفْضَلَ مِنْ ذَلِكَ كُلِّهِ، أَنْ لَا أُذْكَرَ إِلَّا ذُكِرْتَ مَعِي، وَجَعَلْتُ صُدُورَ أُمَّتِكَ أَنَاجِيلَ يَقْرَأُونَ الْقُرْآنَ ظَاهِرًا، وَلَمْ أُعْطِهَا أُمَّةً، وَأَنْزَلْتُ عَلَيْكَ كَلِمَةً مِنْ كُنُوزِ عَرْشِي: لَا حَوْلَ وَلَا قُوَّةَ إِلَّا بِاللَّهِ» . وَهَذَا إِسْنَادٌ فِيهِ غَرَابَةٌ، وَلَكِنْ أَوْرَدَ لَهُ شَاهِدًا مِنْ طَرِيقِ أَبِي الْقَاسِمِ ابْنِ بِنْتِ مَنِيعٍ الْبَغَوِيِّ، عَنْ سُلَيْمَانَ بْنِ دَاوُدَ الزَّهْرَانِيِّ، عَنْ حَمَّادِ بْنِ زَيْدٍ، عَنْ عَطَاءِ بْنِ السَّائِبِ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ جُبَيْرٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ مَرْفُوعًا بِنَحْوِهِ. وَقَدْ رَوَاهُ أَبُو زُرْعَةَ الرَّازِيُّ فِي كِتَابِ " دَلَائِلِ النُّبُوَّةِ " بِسِيَاقٍ آخَرَ، وَفِيهِ انْقِطَاعٌ، فَقَالَ: حَدَّثَنَا هِشَامُ بْنُ عُمَرَ الدِّمَشْقِيُّ، حَدَّثَنَا الْوَلِيدُ بْنُ مُسْلِمٍ، حَدَّثَنَا
পৃষ্ঠা - ৫২০০
شُعَيْبُ بْنُ رُزَيْقٍ، أَنَّهُ سَمِعَ عَطَاءً الْخُرَاسَانِيَّ يُحَدِّثُ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ وَأَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَنْ حَدِيثِ لَيْلَةِ أُسَرِيَ بِهِ، قَالَ: «فَأَرَانِي اللَّهُ مِنْ آيَاتِهِ فَوَجَدْتُ رِيحًا طَيِّبَةً فَقُلْتُ: مَا هَذَا يَا جِبْرِيلُ؟ قَالَ: هَذِهِ الْجَنَّةُ تَقُولُ: يَا رَبِّ ائْتِنِي بِأَهْلِي. قَالَ اللَّهُ تَعَالَى: أَنَا اللَّهُ لَا إِلَهَ إِلَّا أَنَا، لَكِ مَا وَعَدْتُكِ، كُلُّ مُؤْمِنٍ وَمُؤْمِنَةٍ لَمْ يَتَّخِذْ مِنْ دُونِي أَنْدَادًا، وَمَنْ أَقْرَضَنِي جَزَيْتُهُ، وَمَنْ تَوَكَّلَ عَلَيَّ كَفَيْتُهُ، وَمَنْ سَأَلَنِي أَعْطَيْتُهُ، وَلَا يَنْقُصُ نَفَقَتِي، وَلَا يَنْقُصُ مَا يَتَمَنَّى، لَكِ مَا وَعَدْتُكِ، فَنَعِمَ دَارُ الْمُتَّقِينَ أَنْتِ. قَالَتْ: رَضِيتُ. فَلَمَّا انْتَهَيْنَا إِلَى سِدْرَةِ الْمُنْتَهَى خَرَرْتُ سَاجِدًا، فَرَفَعْتُ رَأْسِي فَقُلْتُ: يَا رَبِّ، اتَّخَذْتَ إِبْرَاهِيمَ خَلِيلًا، وَكَلَّمْتَ مُوسَى تَكْلِيمًا، وَآتَيْتَ دَاوُدَ زَبُورًا، وَآتَيْتَ سُلَيْمَانَ مُلْكًا عَظِيمًا. قَالَ: فَإِنِّي قَدْ رَفَعْتُ لَكَ ذِكْرَكَ؛ تُذْكَرُ مَعِي إِذَا ذُكِرْتُ، وَلَا تَجُوزُ لِأُمَّتِكَ خُطْبَةٌ حَتَّى يَشْهَدُوا أَنَّكَ رَسُولِي، وَجَعَلْتُ قُلُوبَ أُمَّتِكَ أَنَاجِيلَ، وَآتَيْتُكَ خَوَاتِيمَ سُورَةِ الْبَقَرَةِ مِنْ تَحْتِ عَرْشِي» . ثُمَّ رَوَى مِنْ طَرِيقِ الرَّبِيعِ بْنِ أَنَسٍ، عَنْ أَبِي الْعَالِيَةِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ حَدِيثَ
পৃষ্ঠা - ৫২০১

করেছেন; তারপর রাসুলুল্লাহ (সা) নবীগণের রুহের সাথে সাক্ষাৎ করেন ৷ সকল রুহ আল্লাহ
তাআলার স্তুতি পাঠ করেন : ইবরাহীম (আ) বললেন, যাবতীয় প্রশংসা সেই আল্লাহর, যিনি
আমাকে তার খলীলরুপে গ্রহণ করেছেন, আমাকে বিশাল রাজত্ব দান করেছেন, জীবনে ও
মরণে আমাকে র্তার অনুগত বানিয়েছেন ৷ অগ্নিকুণ্ড থেকে পরিত্রাণ, দান করে তা আমার জন্যে
শীতল ও শান্তিদায়ক বানিয়ে দিয়েছেন ৷ এরপর হযরত মুসা (আ) আল্লাহর স্তুতি জ্ঞাপন করে
বললেন, সকল প্রশংসা একমাত্র সেই আল্লাহর, যিনি আমার সাথে সরাসরি কথা বলেছেন ৷
রিসালাতের দায়িত্ব পালন করার জন্যে ও কথা বলার জন্যে, আমাকে মনোনীত করেছেন ৷
আমার উপরে তাওরাত অবতীর্ণ করেছেন এবং আমার হাতে ফ্লিরআউনকে ধ্বংস করেছেন ৷
তারপর হযরত দাউদ (আ) আল্লাহর প্রশংসা করলেন : সকল প্রশংসা সেই মহান আল্লাহর,
যিনি আমাকে বাদশাহ বানিয়েছেন ৷ আমার উপরে যাবুর অবতীর্ণ করেছেন ৷ আমার জন্যে
লোহা নরম করে দিয়েছেন ৷ পাহাড় ও পাখিকে আমার অধীনে করে দিয়েছেন ৷ যারা আল্লাহর
তড়াসবীহ পাঠে রত থাকে এবং যিনি আমাকে সুক্ষ্ণ জ্ঞান ও বলিষ্ঠ ভাষণ দেওয়ার যোগ্যতা দান
করেছেন ৷ এরপর হযরত সুলড়ায়মান (আ) আল্লাহর প্রশংসা করে বললেন, সকল প্রশংসা সেই
আল্লাহর, যিনি বায়ু জিন ও ইনসানকে আমার হুকুমাধীন করে দিয়েছেন ৷ দুষ্ট জিনদেরকে
আমার অধীন করেছেন, যারা আমার ইচ্ছানুযায়ী তৈরি করত দুগ, ভাস্কর্য, হাউয সদৃশ
বৃহদাকার পাত্র এবং চুল্লির উপর স্থাপিত বিশাল ডেগ ৷ যিনি আমাকে পাখির ভাষা বুঝার শক্তি
দিয়েছেন ৷ আমার জন্যে প্রবাহিত করেছেন পিতলের ঝর্ণা ৷ আর আমাকে দান করেছেন এত
বড় বিশাল সাম্রাজ্য, যা আমার পরে আর কাউকে দেওয়া হবে না ৷

তারপর হযরত ঈসা (আ) আল্লাহর প্রশংসায় বললেন, যাবতীয় প্রশংসার অধিকারী সেই
মহান আল্লাহ, যিনি আমাকে তাওরাত ও ইনজািলর জ্ঞান দান করেছেন, তারই হুকুমে জন্মান্ধ
ও কুষ্ঠ রোগীকে নিরাময় করা এবং মৃতকে জীবিত করার শক্তি দিয়েছেন এবং আমাকে
উর্ধ্বাকাশে তুলে এসেছেন এবং বিতাড়িত শয়তান থেকে আমাকে আশ্রয় দিয়েছেন ৷ ফলে
আমার উপর শয়তানের কোন প্রভাব পড়তে পারে না ৷

এরপর য়ুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ (না) আল্লাহর প্রশংসা করলেন ৷ তিনি বললেন : সমস্ত
প্রশংসা সেই মহান আল্লাহর, যিনি আমাকে বিশ্ববাসীর জন্যে রহমত স্বরুপ প্রেরণ করেছেন,,
সকল মানবমণ্ডলীর জন্য সুসংবাদ দানকারী ও ভীতি প্রদর্শনকারী হিসেবে পাঠিয়েছেন ৷ আমার
উপরে ফুরকান নাযিল করেছেন, যাতে রয়েছে প্রতিটি বিষয়ের বিস্তারিত বর্ণনা ৷ আমার
উম্মতকে করেছেন উত্তম জাতি, মানবকুলের কল্যাণার্থে তাদের অভুদয়ঘটান হয়েছে ৷ আমার
উম্মতকে বানান হয়েছে মধ্যবর্তী জাতি ৷ আমার উম্মতকে করা হয়েছে আউয়াল ও আখেরী
উম্মত ৷ আমার বক্ষকে করা হয়েছে উন্মুক্ত প্রশস্ত ৷ আমার ভুল-ত্রুটিকে করা হয়েছে ক্ষমা এবং
আমার নামকে করা হয়েছে সমুন্নত ৷ আমাকে করা হয়েছে বিজয়ী এবং সর্বশেষ নবী ৷

ইবরাহীম (আ) বললেন, এ কারণেই মুহাম্মদ (না)-কে তোমাদের উপর শ্রেষ্ঠতু দান করা
হয়েছে ৷ ’

ইবরাহীম হাকিম ও বায়হাকীর পুর্বোক্ত হাদীসের; শেষে আবদুর রহমান ইবন ইয়াযীদ
সুত্রে হযরত উমর ইবন খড়াত্তাব থেকে মারকুভাবে উল্লেখ করেছেন ৷ হযরত আদম (আ)
বলেছিলেন ৷


الْإِسْرَاءِ بِطُولِهِ، كَمَا سُقْنَاهُ مِنْ طَرِيقِ ابْنِ جَرِيرٍ فِي " التَّفْسِيرِ ". وَقَالَ أَبُو زُرْعَةَ فِي سِيَاقِهِ: ثُمَّ لَقِيَ أَرْوَاحَ الْأَنْبِيَاءِ، عَلَيْهِمُ السَّلَامُ، فَأَثْنَوْا عَلَى رَبِّهِمْ، عَزَّ وَجَلَّ، فَقَالَ إِبْرَاهِيمُ: الْحَمْدُ لِلَّهِ الَّذِي اتَّخَذَنِي خَلِيلًا، وَأَعْطَانِي مُلْكًا عَظِيمًا، وَجَعَلَنِي أُمَّةً قَانِتًا لِلَّهِ يُؤْتَمُّ بِي، وَأَنْقَذَنِي مِنَ النَّارِ، وَجَعَلَهَا عَلَيَّ بَرْدًا وَسَلَامًا. ثُمَّ إِنَّ مُوسَى أَثْنَى عَلَى رَبِّهِ فَقَالَ: الْحَمْدُ لِلَّهِ الَّذِي كَلَّمَنِي تَكْلِيمًا، وَاصْطَفَانِي بِرِسَالَتِهِ وَبِكَلَامِهِ، وَقَرَّبَنِي نَجِيًّا، وَأَنْزَلَ عَلَيَّ التَّوْرَاةَ، وَجَعَلَ هَلَاكَ فِرْعَوْنَ عَلَى يَدَيَّ، وَنَجَاةَ بَنِي إِسْرَائِيلَ عَلَى يَدَيَّ. ثُمَّ إِنَّ دَاوُدَ أَثْنَى عَلَى رَبِّهِ فَقَالَ: الْحَمْدُ لِلَّهِ الَّذِي جَعَلَنِي مَلِكًا، وَأَنْزَلَ عَلَيَّ الزَّبُورَ، وَأَلَانَ لِيَ الْحَدِيدَ، وَسَخَّرَ لِيَ الْجِبَالَ يُسَبِّحْنَ مَعِي وَالطَّيْرَ، وَآتَانِيَ الْحِكْمَةَ وَفَصْلَ الْخِطَابِ. ثُمَّ إِنَّ سُلَيْمَانَ أَثْنَى عَلَى رَبِّهِ فَقَالَ: الْحَمْدُ لِلَّهِ الَّذِي سَخَّرَ لِيَ الرِّيَاحَ وَالْجِنَّ وَالْإِنْسَ، وَسَخَّرَ لِيَ الشَّيَاطِينَ يَعْمَلُونَ لِي مَا شِئْتُ مِنْ مَحَارِيبَ وَتَمَاثِيلَ وَجَفَانٍ كَالْجَوَابِ وَقُدُورٍ رَاسِيَاتٍ، وَعَلَّمَنِي مَنْطِقَ الطَّيْرِ، وَأَسَالَ لِي عَيْنَ الْقِطْرِ، وَأَعْطَانِي مُلْكًا لَا يَنْبَغِي لِأَحَدٍ مِنْ بَعْدِي. ثُمَّ إِنَّ عِيسَى، عَلَيْهِ السَّلَامُ، أَثْنَى عَلَى رَبِّهِ، عَزَّ وَجَلَّ، فَقَالَ: الْحَمْدُ لِلَّهِ الَّذِي عَلَّمَنِي التَّوْرَاةَ وَالْإِنْجِيلَ، وَجَعَلَنِي أُبْرِئُ الْأَكْمَهَ وَالْأَبْرَصَ وَأُحْيِي الْمَوْتَى بِإِذْنِ اللَّهِ، وَرَفَعَنِي وَطَهَّرَنِي مِنَ الَّذِينَ كَفَرُوا، وَأَعَاذَنِي مِنَ الشَّيْطَانِ الرَّجِيمِ، فَلَمْ يَكُنْ لِلشَّيْطَانِ عَلَيْنَا سَبِيلٌ. ثُمَّ إِنَّ مُحَمَّدًا صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَثْنَى عَلَى رَبِّهِ فَقَالَ: «كُلُّكُمْ أَثْنَى عَلَى رَبِّهِ، وَأَنَا مُثْنٍ عَلَى رَبِّي ; الْحَمْدُ لِلَّهِ الَّذِي أَرْسَلَنِي رَحْمَةً
পৃষ্ঠা - ৫২০২

হে আমার রব! মুহাম্মদ (সা)-এর ওসীলায় আপনার নিকট আমি ক্ষমা প্রার্থনা করছি
আমাকে মাফ করে দিন ৷ আল্লাহ্ বলেলেন, তুমি তাকে কী করে জানলে ? তাকে তো এখনও
সৃষ্টি করিনি ৷ আদম বললেন, আমি আরশের পায়ায় আপনার নামের সাথে মুহাম্মদের নাম
লেখা দেখেছি ৷ অর্থাৎ “লা-ইলাহ৷ ইল্লাল্লাহু মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ্” ৷ এ থেকে আমি বুঝতে
পেয়েছি যে, আপনার নামের সাথে যার নাম যোগ করেছেন তিনিই সমগ্ন সৃষ্টির মধ্যে আপনার
নিকট সবচেয়ে প্রিয় ৷ আল্লাহ্ বললেন, আদম! তুমি যথার্থই বলেছ, মুহাম্মদ না হলে আমি
তোমাকে বানাতাম না ৷

কতিপয় ইমাম বলেছেন, আল্লাহ তা জানা মুহাম্মদ (সা) এর যিকর বা স্মরণ সুউচ্চ
করেছেন এবং পুর্ববর্তী ও পরবর্তীদের নিকট নিজের নামের সাথে রাসুল (সা)-এর নাম মিলিয়ে
প্রকাশ করেছেন ৷ তীর সম্মান ও মর্যাদাও অনুরুপ বৃদ্ধি করেছেন ৷ কিয়ামত দিবসে র্তাকে
মাকামে মাহমুদ দান করবেন ৷ এ কারণে আগে পরের সকলেই ঈর্ষাবোধ করবেন এবং
সকলেই ঐ স্থানের জন্য লালায়িত হয়ে পড়বেন এমনকি হযরত ইবরাহীম (আ) ও ৷ মুসলিম
শয়ীফে উল্লেখিত এ বিষয়ের বর্ণনা আমরা পুর্বেও উল্লেখ করেছি এবং পরেও আলোচনা করা
হবে ৷ পুর্ব যুগে প্রাচীন জাতির নিকট রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর মর্যাদা ও তার নাম প্রকাশ সম্পর্কে
সহীহ্ বুখারী শরীফে হযরত ইবন আব্বাস (রা) থেকে বর্ণিত ৩হয়েছে ৷ আল্লাহ্ যখন কো ন নবী
প্রেরণ করেছেন, তার থােক এ প্রতিশ্রুতি নেয়া হয়েছে যে, তার জীবিত থাকা অবস্থায় যদি
মুহাম্মদ (সা) আবির্ভুত হন তাহলে অবশ্যই তার প্রতি ঈমান আনতে হবে, তার আনুগত্য
করতে হবে এবং তাকে সাহায্য করতে হবে ৷ আল্লাহ্ সেসব নবীদেরকে আরও নির্দেশ দিয়েছেন
যে, তারা তাদের উম্মতদের থেকেও অনুরুপ প্রতিশ্রুতি আদায় করবেন যে, যদি তাদের
জীবদ্দশায় মুহাম্মদ (সা) এর আবির্ভাব হয় তাহলে তারা তার উপর ঈমান আনবে ও তারই
আনুগত্য করবে :


পুর্ববর্তী সকল নবীদের নিকট হযরত মুহাম্মদ (সা)-এর আগমন সম্পর্কে এভাবে সুসংবাদ
জানান হয়েছে এবং বনী ইসরাঈলের সর্বশেষ নবী হযরত ঈসা (আ)-কেও এ সংবাদ জানান
হয় ৷ পুর্ব যুগের পীর মাশায়েখ ধর্ম জাযক ও গণকদের নিকটও রাসুলুল্লাহ্ (সা)-এ র আগমনের
শুভ বার্তা পৌছান হয় ৷ ইতিপুর্বে এ বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে ৷ মিরাজ (ইসরা)
রজনীতে রাসুল (না)-কে এক আসমান থেকে আর এক আসমানের দিকে উঠান হতে থাকে;
চতুর্থ আসমানে ইদরীস (আ)-কে তিনি সালাম করেন ৷ পঞ্চম আসমান পার হয়ে ষষ্ঠ
আসমানেগ্ গিয়ে হযরত মুসা (আ) কে সালাম জানান ৷ তারপর সপ্তম আসমানেগ্ গিয়ে বায়তৃল
মা মুরের নিকটে ইবরাহীম খলীলকে সালাম করেন ৷ এরপর সে স্থান অতিক্রম করে আরও
উপরে উঠে কলমের লেখার আওয়ায শুনতে পান ৷ তারপর সিদরাতৃল মুনতাহা পর্যন্ত গমন
করেন ৷ এ সফরে তিনি জান্নাত, জাহান্নাম এবং বড় বড় নিদর্শনাদি প্রত্যক্ষ করেন ৷ সকল
নবীদের সাথে নিয়ে সালাত আদায় করেন ৷ জান্নাতের দায়িতু শীল রিদওয়ান’ এবং জাহান্নামের


لِلْعَالَمِينَ، وَكَافَّةً لِلنَّاسِ بَشِيرًا وَنَذِيرًا، وَأَنْزَلَ عَلَيَّ الْفُرْقَانَ فِيهِ بَيَانُ كُلِّ شَيْءٍ، وَجَعَلَ أُمَّتَيْ خَيْرَ أُمَّةٍ أُخْرِجَتْ لِلنَّاسِ، وَجَعَلَ أُمَّتِي أُمَّةً وَسَطًا، وَجَعَلَ أُمَّتِي هُمُ الْأَوَّلِينَ وَهُمُ الْآخِرِينَ، وَشَرَحَ لِي صَدْرِي، وَوَضَعَ عَنِّي وِزْرِي، وَرَفَعَ لِي ذِكْرِي، وَجَعَلَنِي فَاتِحًا وَخَاتَمًا» . فَقَالَ إِبْرَاهِيمُ: بِهَذَا فَضَلَكُمْ مُحَمَّدٌ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ. ثُمَّ أَوْرَدَ أَبُو نُعَيْمٍ الْحَدِيثَ الْمُتَقَدِّمَ فِيمَا رَوَاهُ الْحَاكِمُ وَالْبَيْهَقِيُّ مِنْ طَرِيقِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ زَيْدِ بْنِ أَسْلَمَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ جَدِّهِ، عَنْ عُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ مَرْفُوعًا فِي قَوْلِ آدَمَ: " «يَا رَبِّ، أَسْأَلُكَ بِحَقِّ مُحَمَّدٍ لَمَّا غَفَرْتَ لِي. فَقَالَ اللَّهُ: وَمَا أَدْرَاكَ وَلَمْ أَخْلُقْهُ بَعْدُ؟ فَقَالَ: لِأَنِّي رَأَيْتُ مَكْتُوبًا مَعَ اسْمِكَ عَلَى سَاقِ الْعَرْشِ: لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ مُحَمَّدٌ رَسُولُ اللَّهِ. فَعَرَفْتُ أَنَّكَ لَمْ تَكُنْ تُضِيفُ إِلَى اسْمِكَ إِلَّا أَحَبَّ الْخَلْقِ إِلَيْكَ، فَقَالَ اللَّهُ: صَدَقْتَ يَا آدَمُ، وَلَوْلَا مُحَمَّدٌ مَا خَلَقْتُكَ» ". وَقَالَ بَعْضُ الْأَئِمَّةِ: رَفَعَ اللَّهُ ذِكْرَهُ، وَنَوَّهَ بِاسْمِهِ فِي الْأَوَّلِينَ وَالْآخِرِينَ، وَكَذَلِكَ يَرْفَعُ قَدْرَهُ وَيُقِيمُهُ مَقَامًا مَحْمُودًا يَوْمَ الْقِيَامَةِ، يَغْبِطُهُ بِهِ الْأَوَّلُونَ وَالْآخَرُونَ، وَيَرْغَبُ إِلَيْهِ الْخَلْقُ كُلُّهُمْ حَتَّى إِبْرَاهِيمُ الْخَلِيلُ، كَمَا وَرَدَ فِي " صَحِيحِ مُسْلِمٍ " فِيمَا سَلَفَ، وَسَيَأْتِي أَيْضًا.
পৃষ্ঠা - ৫২০৩
فَأَمَّا التَّنْوِيهُ بِذِكْرِهِ فِي الْأُمَمِ الْخَالِيَةِ، وَالْقُرُونِ السَّالِفَةِ، فَفِي " صَحِيحِ الْبُخَارِيِّ " وَغَيْرِهِ عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ قَالَ: مَا بَعَثَ اللَّهُ نَبِيًّا إِلَّا أَخَذَ عَلَيْهِ الْمِيثَاقَ لَئِنْ بُعِثَ مُحَمَّدٌ وَهُوَ حَيٌّ لَيُؤْمِنَنَّ بِهِ وَلَيَتَّبِعَنَّهُ وَلَيَنْصُرَنَّهُ، وَأَمَرَهُ أَنْ يَأْخُذَ عَلَى أُمَّتِهِ الْعَهْدَ وَالْمِيثَاقَ ; لَئِنْ بُعِثَ مُحَمَّدٌ وَهُمْ أَحْيَاءٌ لَيُؤْمِنُنَّ بِهِ وَلَيَتَّبِعُنَّهُ. وَقَدْ بَشَّرَتْ بِوُجُودِهِ الْأَنْبِيَاءُ حَتَّى كَانَ آخِرَ مَنْ بَشَّرَ بِهِ عِيسَى ابْنُ مَرْيَمَ خَاتَمُ أَنْبِيَاءِ بَنِي إِسْرَائِيلَ، وَكَذَلِكَ بَشَّرَتْ بِهِ الْأَحْبَارُ وَالرُّهْبَانُ وَالْكُهَّانُ، كَمَا قَدَّمْنَا ذَلِكَ مَبْسُوطًا، وَلَمَّا كَانَتْ لَيْلَةُ الْإِسْرَاءِ رُفِعَ مِنْ سَمَاءٍ إِلَى سَمَاءٍ حَتَّى سَلَّمَ عَلَى إِدْرِيسَ، عَلَيْهِ السَّلَامُ، وَهُوَ فِي السَّمَاءِ الرَّابِعَةِ، ثُمَّ جَاوَزَهُ إِلَى الْخَامِسَةِ، ثُمَّ إِلَى السَّادِسَةِ، فَسَلَّمَ عَلَى مُوسَى بِهَا، ثُمَّ جَاوَزَهُ إِلَى السَّابِعَةِ فَسَلَّمَ عَلَى إِبْرَاهِيمَ الْخَلِيلِ بِهَا عِنْدَ الْبَيْتِ الْمَعْمُورِ، ثُمَّ جَاوَزَ ذَلِكَ الْمَقَامَ، فَرُفِعَ لِمُسْتَوًى يُسْمَعُ فِيهِ صَرِيفُ الْأَقْلَامِ، وَجَاءَ سِدْرَةَ الْمُنْتَهَى، وَرَأَى الْجَنَّةَ وَالنَّارَ وَغَيْرَ ذَلِكَ مِنَ الْآيَاتِ الْكُبْرَى، وَصَلَّى بِالْأَنْبِيَاءِ، وَشَيَّعَهُ مِنْ كُلِّ سَمَاءٍ مُقَرَّبُوهَا، وَسَلَّمَ عَلَيْهِ رِضْوَانُ خَازِنُ الْجِنَانِ، وَمَالِكٌ خَازِنُ النَّارِ، فَهَذَا هُوَ الشَّرَفُ، وَهَذِهِ هِيَ الرِّفْعَةُ، وَهَذَا هُوَ التَّكْرِيمُ وَالتَّنْوِيهُ وَالْإِشْهَارُ وَالتَّقْدِيمُ وَالْعُلُوُّ وَالْعَظَمَةُ، صَلَوَاتُ اللَّهِ وَسَلَامُهُ عَلَيْهِ وَعَلَى سَائِرِ أَنْبِيَاءِ اللَّهِ أَجْمَعِينَ. وَأَمَّا رَفْعُ ذِكْرِهِ فِي الْآخِرِينَ، فَإِنَّ دِينَهُ بَاقٍ نَاسِخٌ لِكُلِّ دِينٍ، وَلَا يُنْسَخُ هُوَ أَبَدَ الْآبِدِينَ، وَدَهْرَ الدَّاهِرِينَ إِلَى يَوْمِ الدِّينِ، وَلَا تَزَالُ طَائِفَةٌ مِنْ أُمَّتِهِ ظَاهِرِينَ عَلَى