سنة إحدى عشرة من الهجرة
فصل: إيراد ما بقي علينا من متعلقات السيرة الشريفة
معجزات لرسول الله صلى الله عليه وسلم مماثلة لمعجزات جماعة من الأنبياء قبله
خبر أبي مسلم الخولاني لما جاء إلى دجلة
পৃষ্ঠা - ৫১৪৫
মুসলমানদের একটি পেয়াল৷ ব্যতীত আর কিছুই হারান যায়নি ৷ তাও ছিল ঘোড়ার জিনের
সাথে ঝুলস্ত ৷ আজমীদের সাথে যুদ্ধের ফলে বহু গনীমতের মাল মুসলমানদের অধিকারে আসে
এবং নিজেদের মধ্যে তারা তা বন্টন করে নেন ৷ র্তারা একে অপরকে বলতে লাগলেন, কে
আছে সোনার বদলে রুপার বিনিময় করবৈ? হযরত উমরের জীবনীতে ও তাফসীরেও আমরা এ
বিষয় আলোচনা করেছি যে, ঐ দিন দাজল৷ নদী সর্বপ্রথম অতিক্রম করেছিলেন আবু উবায়দা
নুফায়ঈ ৷ তিনি ছিলেন সেনাবাহিনীর আমীর এবং এ ঘটনা সংঘটিত হয়েছিল হযরত উমর
(রা)-এর শাসনামলে ৷ দাজলার দিকে তাকিয়ে তিনি নিম্নের আয়াতটি পাঠ করেন : ;াব্র ৷)
,হ্রাব্লু;হু র্চুা£,ব্ল এ ৷ ;,;, ৰু৷ ৷ ’;প্রুঠু ড্রু৷ ,৷ অর্থাৎ আল্লাহর অনুমতি ব্যতীত কারও মৃত্যু
হতে পারে না, যেহেতু তার ণ্ৰুময়াদ অবধারিত ৷ তিলাওয়াত শেষে আল্লাহর নামে ঘোড়ার চড়ে
পানি পার হন এবং সৈন্যরাও পার হয়ে যায় ৷ আজমীর৷ এ কার দেখে পাপল পাপল’ বলতে
থাকে ৷ তারপর তারা যুদ্ধ ক্ষেত্র থেকে ভয়ে পলায়ন করে ৷ মুসলমানগণ তাদেরকে হত্যা করে
ও প্রচুর পনীমত লাভ করে ৷
অনুরুপ আরও ঘটনা
বায়হাকী নিখেস্ফো, আবু মুসলিম খাওলানী একবার দাজলার তীরে উপনীত হন ৷ পানির
মধ্য থেকে একখন্ড শুকন৷ লাকড়ি তার দিকে উৎক্ষিপ্ত হয় ৷ তিনি তাতে আরোহণ করলে তা’
পানির উপর দিয়ে চলা আরম্ভ করে এবং তাকে তার সঙ্গীদের কাছে পৌছিয়ে দেয় ৷ তিনি
তাদেরকে জিজ্ঞেস করলেন, তোমাদের কোন আসবাবপত্র হারান গিয়েছে কি? তা হলে
আল্লাহর নিকট তার জন্য দু অ৷ করবো ৷ সহীহ্ সুত্রেই এ ঘটনা বর্ণিত হয়েছে ৷
, হাফিয আবুল কাসিমইবন আসাকির লিথ্যেছা, আবু আবদুল্লাহ ইবন আয়ুাব খাওলানী
যখন রোমানদের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালন৷ করেন তখন পথে এক নদীর সম্মুখীন হন ৷ তিনি
সৈন্যদেরকৈ বিস্মিল্লাহ্ বলে নদী পার হংধার নির্দেশ দিলে সবাই নির্দেশ পালন করে ৷ এতে
কারও বাহনের পায়ের ইাটুর বেশি পানিতে ভিজেনি ৷ নদী ’ অতিক্রম করার পর তিনি
লোকদেরকে বলেন, কারও কিছু পড়ে পেছেকাি৷ ? পড়ে থাকলে আমি তার দায়িত্ব নেবে৷ ৷
এক ব্যক্তি স্বেচ্ছায় একটি পুটলী নদীতে ফেলে দিয়েছিল ৷ সেবলল, আমার পুটলী নদীতে পড়ে
গেছে ৷ খাওলানী বললেন, আমার সাথে এস ৷ দেখা গেল তার যে পুটলী একটি ভাসমান
কাঠের সাথে আটকে রয়েছে ৷ তিনি সোকঢিকে বললেন, ওটা উঠিয়ে লও া
আবু দাউদও এ ঘটনা উল্লেখ করেছেন ৷ তারপর মুসা হুমায়দ সুত্রে লিখেছেন-৪ আবু
মুসলিম খাওলানী দাজলার তীরে উপস্থিত হন ৷ দাজলার স্রোতে কাঠ ভেসে আসছিল ৷ তিনি
সেখানে দাড়িয়ে আল্লংড়াহ্র গুণপান করেন এবং বনী ইসরাঈলদেয় সমুদ্র পার হওয়ার ঘটনা
উল্লেখ করেন ৷ এরপর তিনি বাহন নিয়ে পানিতে সামেন ৷ সঙ্গী সাথীরাও তাকে অনুসরণ করে ৷
পানির স্তর নিচু হয়ে যায় এবং সবাই নদী পার হয়ে যান ৷ অপর পারে উঠে তিনি সকলকে
বললেন, তোমাদের কোন জিনিস পড়ে গিয়ে থাকলে তা ফিরে পাবার জন্য আল্লাহর নিকট
দুআ কর ৷ এ ঘটনা ইবন আসাকির ভিন্ন সুত্রেও হুমায়দ থেকেবর্ণনা করেছেন ৷ তিনি বলেন
আমার , চাচার্ত ভাই বলেছে, আমি আকুমুসলিমের সৈন্য বাহিনীর সাথে এক অভিযানে প্ম্ন্
করি ৷ আমরা এক অপরিচিত গভীর নদীর কাছে এলাম ৷ এলাকাবাসীদের নিকট জিজ্ঞেস
— : ৯
وَاقْتَحَمَ الْجَيْشُ وَرَاءَهُ، وَلَمَّا نَظَرَ إِلَيْهِمُ الْأَعَاجِمُ يَفْعَلُونَ ذَلِكَ جَعَلُوا يَقُولُونَ: دِيوَانُ دِيوَانُ. أَيْ مَجَانِينُ مَجَانِينُ. ثُمَّ وَلَّوْا مُدَبِّرِينَ، فَقَتَلَهُمُ الْمُسْلِمُونَ وَغَنِمُوا مِنْهُمْ مَغَانِمَ كَثِيرَةً.
[خَبَرُ أَبِي مُسْلِمٍ الْخَوْلَانِيِّ لَمَّا جَاءَ إِلَى دِجْلَةَ]
قِصَّةٌ أُخْرَى شَبِيهَةٌ بِذَلِكَ.
رَوَى الْبَيْهَقِيُّ مِنْ طَرِيقِ أَبِي النَّضْرِ، عَنْ سُلَيْمَانَ بْنِ الْمُغِيرَةِ أَنَّ أَبَا مُسْلِمٍ الْخَوْلَانِيَّ جَاءَ إِلَى دِجْلَةَ وَهِيَ تَرْمِي الْخَشَبَ مِنْ مَدِّهَا، فَمَشَى عَلَى الْمَاءِ، وَالْتَفَتَ إِلَى أَصْحَابِهِ وَقَالَ: هَلْ تَفْقِدُونَ مِنْ مَتَاعِكُمْ شَيْئًا فَنَدْعُوَ اللَّهَ تَعَالَى؟ ثُمَّ قَالَ: هَذَا إِسْنَادٌ صَحِيحٌ.
قُلْتُ: وَقَدْ ذَكَرَ الْحَافِظُ الْكَبِيرُ أَبُو الْقَاسِمِ بْنُ عَسَاكِرَ فِي تَرْجَمَةِ أَبِي مُسْلِمٍ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ ثُوَبٍ الْخَوْلَانِيِّ هَذِهِ الْقِصَّةَ بِأَبْسَطَ مِنْ هَذَا، مِنْ طَرِيقِ بَقِيَّةَ بْنِ الْوَلِيدِ، حَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ زِيَادٍ، عَنْ أَبِي مُسْلِمٍ الْخَوْلَانِيِّ، أَنَّهُ كَانَ إِذَا غَزَا أَرْضَ الرُّومِ فَمَرُّوا بِنَهَرٍ قَالَ: أَجِيزُوا بِسْمِ اللَّهِ. قَالَ: وَيَمُرُّ بَيْنَ أَيْدِيهِمْ. قَالَ: فَيَمُرُّونَ بِالنَّهْرِ الْغَمْرِ فَرُبَّمَا لَمَّ يَبْلُغْ مِنَ الدَّوَابِّ إِلَّا إِلَى الرُّكَبِ، أَوْ
পৃষ্ঠা - ৫১৪৬
করলাম, পানি কম হয়ে কোন স্থানে? তারা জালাল, এখানে কোথাও পানি কম হবে না, তবে
ভাটির দিকে দুরাতের দুরত্বে পানি কম হবে ৷ তখন আবু মুসলিম বললেন, হে আল্লাহ্! আপনি
বনী-ইসরাঈলকে সমুদ্র পার করিয়েছিলেন, আমরাও আপনার বন্দো, আপনার পথেই রয়েছি ৷
সুতরাং আপনি আমাদেরকে আজ এ নদী পার করিয়ে দিন ৷ তারপর তিনি বললেন, বিসৃমিল্পাহ্
বলে তোমরা নদী পার হও ৷ আমার চাচাত ভাই বলেছে, আমি একটি ঘোড়ার উপর সওয়ার
ছিলাম, মনে মনে ভাবলাম-আবু মুসলিংমর ঘোড়ার পেছনে আমিই সৰ্বাগ্রে নদী অতিক্রম
করব ৷ আল্লাহ্ৱ কলম, সমস্ত সৈন্য নদী পার হয়ে গেল, কিন্তু ঘোড়ার পেটও পানিতে তিজেনি ৷
আবু মুসলিম মুসলমানদের উদ্দেশ্যে বললেন, তোমাদের কোন জিনিস যদি পড়ে গিয়ে তাকে,
তবে আল্পাহ্র নিকট দৃআ কর, তিনি তা’ ফেরত দেবেন ৷“
আউলিয়া কিরামের উল্লেখিত কারামতসমুহ প্রকারাস্তরে রাসুলুল্পাহ্ (না)-এরই মু’জিযা ৷
কারণ, ওলীগণ এসব কারামত লাভ করেছেন রাসুলেরই পরিপুর্ণ অনুসারী হওয়ার ফলে, র্তারই
বরকতে ৷ এর মাঝে দীনের সভ্যতার প্রমাণ নিহিত রয়েছে এবং মুসলমানদের আস্থা তাতে
বৃদ্ধি পায় ৷ এ কারামতগুলোর সাথে হযরত নুহ (আ)-এর পানির উপর অবস্থান ও হযরত মুসা
(আ)-এর সমুদ্র অতিক্রমের সাথে সাদৃশ্য রয়েছে ৷ বরং উভয় নবীর মুজিযার চাইতে এগুলো
অধিক আশ্চর্যজনক; কেননা, নুহ (আ)-এর প্লাবনৃ যদিও বিরাট ছিল; কিন্তু সেখানে বাহন ছিল
নৌকা ৷ আর এখানে কোন বাহন নেই ৷ অন্যদিকে মুসা (আ)-এৱ পানি ছিল স্থির, আর এখানে
স্রোতের পানির উপর দিয়ে গমন করা হয়েছে ৷ যা কিছু মানুষের চেষ্টা সাধ্যের বহির্ভুত, তা কম
হোক বা বেশি হোক, তাতে কিছু যায় আসে না ৷ কেননা, যে লোক গভীর ও তীব্র স্রোতের
উপর দিয়ে হেটে চলে: যায় এবং তার বাহনের ক্ষুর বা পেট পানিতে ভিজে না কিংবা পানি স্থির
হয়ে যায় চইি তা নদীতে হোক বা সমুদ্রে, তাতে কোন পার্থক্য নেই ৷ তেমনি পানি দৃইডাগে
বিভক্ত হওয়াতেও কোন পার্থক্য হয় না ৷ যেমন লোহিত সাগরের পানি দৃইভাগে বিভক্ত হয়ে
ডানে ও বামে পর্বতে র ন্যায় দাড়িয়েছিল এবং যারা দিকে মাটি বেরিয়ে গিয়ে পথের সৃষ্টি
হয়েছিল ৷ আর আল্লাহর প্রেরিত বাতাস এসে নিচের কাদা পানি শুকিয়ে দিয়েছিল ৷
বনী-ইসরাঈলদের ণ্ঘাড়াগুলোর পা কাদায় আটকে না গিয়ে সে পথে পার হয়ে যায় ৷ সাথে
সাথে ফির আউন তার সৈন্য সামস্ত নিয়ে ঐ পথে অগ্নসর হয়ং
ষ্ #
“অতঃপর সমুদ্র তাদেরকে সম্পুর্ণরুপে নিমজ্জিত করল ৷ এবং ফির আউন তার সম্প্রদায়কে
পথভ্রষ্ট করেছিল এবং সৎপথ দেখায়নি (২০৪ ৭৮) ৷
অর্থাৎ ফির আউন যখনই মুসা (আ) এর লোকদের পশ্চাদ্ধাবন করার জন্য সমুদ্রের মধ্যে ,
সৃষ্ট পথে অবতরণ করল তখন দু’ পাশে দাড়িয়ে থাকা পানি তাদের উপর ভেঙ্গে পড়ল ৷ ফলে
দলের সকলেই ডুবে মরল, একজনও উদ্ধার গেল না, যেমন বনী-ইসরাঈসের একজ্বনও
ভুবেনি ৷ এ ঘটনার মধ্যে বিরাট ও বহু সংখ্যক নিদর্শন আছে যা আমি তাফসীরে উল্লেখ
করেছি ৷
আলা ইবন হাষ্রামী আবু আবদুল্লাহ ছাকাফী ও আবু মুসলিম খাওলানীর নদীর স্রোতের
উপর দিয়ে পায়ে হেটে যাওয়া এবং কোন লোক বা জিনিসপত্রের ক্ষতি না হওয়ার কাহিনী
بَعْضِ ذَلِكَ، أَوْ قَرِيبًا مِنْ ذَلِكَ. قَالَ: فَإِذَا جَازُوا قَالَ لِلنَّاسِ: هَلْ ذَهَبَ لَكُمْ شَيْءٌ؟ مَنْ ذَهَبَ لَهُ شَيْءٌ فَأَنَا لَهُ ضَامِنٌ. قَالَ: فَأَلْقَى بَعْضُهُمْ مِخْلَاةً عَمْدًا، فَلَمَّا جَازُوا قَالَ الرَّجُلُ: مِخْلَاتِي وَقَعَتْ فِي النَّهْرِ. قَالَ لَهُ: اتْبَعْنِي. فَإِذَا الْمِخْلَاةُ قَدْ تَعَلَّقَتْ بِبَعْضِ أَعْوَادِ النَّهْرِ، فَقَالَ: خُذْهَا. وَقَدْ رَوَاهُ أَبُو دَاوُدَ - مِنْ طَرِيقِ ابْنِ الْأَعْرَابِيِّ عَنْهُ - عَنْ عَمْرِو بْنِ عُثْمَانَ، عَنْ بَقِيَّةَ بِهِ.
ثُمَّ قَالَ أَبُو دَاوُدَ: حَدَّثَنَا مُوسَى بْنُ إِسْمَاعِيلَ، حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ الْمُغِيرَةَ، عَنْ حُمَيْدٍ، أَنَّ أَبَا مُسْلِمٍ الْخَوْلَانِيَّ أَتَى عَلَى دِجْلَةَ وَهِيَ تَرْمِي بِالْخَشَبِ مِنْ مَدِّهَا، فَوَقَفَ عَلَيْهَا، ثُمَّ حَمِدَ اللَّهَ وَأَثْنَى عَلَيْهِ، وَذَكَرَ مَسِيرَ بَنِي إِسْرَائِيلَ فِي الْبَحْرِ، ثُمَّ لَهَزَ دَابَّتَهُ فَخَاضَتِ الْمَاءَ، وَتَبِعَهُ النَّاسُ حَتَّى قَطَعُوا، ثُمَّ قَالَ: هَلْ فَقَدْتُمْ شَيْئًا مِنْ مَتَاعِكُمْ فَأَدْعُوَ اللَّهَ أَنْ يَرُدَّهُ عَلَيَّ؟ .
وَقَدْ رَوَاهُ ابْنُ عَسَاكِرَ مِنْ طَرِيقٍ أُخْرَى، عَنْ عَبْدِ الْكَرِيمِ بْنِ رَشِيدٍ، عَنْ حُمَيْدِ بْنِ هِلَالٍ الْعَدَوِيِّ، حَدَّثَنِي ابْنُ عَمِّي؛ أَخِي أَبِي، قَالَ: خَرَجْتُ مَعَ أَبِي مُسْلِمٍ فِي جَيْشٍ، فَأَتَيْنَا عَلَى نَهْرٍ عَجَاجٍ مُنْكَرٍ، فَقُلْنَا لِأَهْلِ الْقَرْيَةِ: أَيْنَ الْمَخَاضَةُ؟ فَقَالُوا: مَا كَانَتْ هَا هُنَا مَخَاضَةٌ قَطُّ وَلَكِنَّ الْمَخَاضَةَ أَسْفَلَ مِنْكُمْ عَلَى لَيْلَتَيْنِ. فَقَالَ أَبُو مُسْلِمٍ: اللَّهُمَّ أَجَزْتَ بِبَنِي إِسْرَائِيلَ الْبَحْرَ، وَإِنَّا عِبَادُكَ وَفِي سَبِيلِكَ، فَأَجِزْنَا هَذَا النَّهْرَ الْيَوْمَ. ثُمَّ قَالَ: اعْبُرُوا بِسْمِ اللَّهِ. قَالَ ابْنُ عَمِّي: فَأَنَا عَلَى فَرَسٍ فَقُلْتُ:
পৃষ্ঠা - ৫১৪৭
لِأَقْذِفَنَّهُ أَوَّلَ النَّاسِ خَلْفَ فَرَسِهِ، وَكُنْتُ أَوَّلَ النَّاسِ قَذَفَ فَرَسَهُ خَلْفَ أَبِي مُسْلِمٍ، فَوَاللَّهِ مَا بَلَغَ الْمَاءُ بُطُونَ الْخَيْلِ حَتَّى عَبَرَ النَّاسُ كُلُّهُمْ، ثُمَّ وَقَفَ فَقَالَ: يَا مَعْشَرَ الْمُسْلِمِينَ، هَلْ ذَهَبَ لِأَحَدٍ مِنْكُمْ شَيْءٌ فَأَدْعُوَ اللَّهَ تَعَالَى أَنْ يَرُدَّهُ؟ .
فَهَذِهِ الْكَرَامَاتُ لِهَؤُلَاءِ الْأَوْلِيَاءِ هِيَ مِنْ مُعْجِزَاتِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، كَمَا تَقَدَّمَ تَقْرِيرُهُ ; لِأَنَّهُمْ إِنَّمَا نَالُوا ذَلِكَ بِبَرَكَةِ مُتَابَعَتِهِ، وَيُمْنِ سِفَارَتِهِ إِذْ فِيهَا حُجَّةٌ فِي الدِّينِ وَحَاجَةٌ أَكِيدَةٌ لِلْمُسْلِمِينَ، وَهِيَ مُشَابِهَةٌ لِمُعْجِزَةِ نُوحٍ، عَلَيْهِ السَّلَامُ، فِي مَسِيرِهِ فَوْقَ الْمَاءِ بِالسَّفِينَةِ الَّتِي أَمَرَهُ اللَّهُ تَعَالَى بِعَمَلِهَا، وَمُعْجِزَةِ مُوسَى، عَلَيْهِ السَّلَامُ، فِي فَلْقِ الْبَحْرِ، وَهَذِهِ فِيهَا مَا هُوَ أَعْجَبُ مِنْ ذَلِكَ، مِنْ جِهَةِ مَسِيرِهِمْ عَلَى مَتْنِ الْمَاءِ مِنْ غَيْرِ حَائِلٍ حَامِلٍ، وَمِنْ جِهَةِ أَنَّهُ مَاءٌ جَارٍ وَالسَّيْرُ عَلَيْهِ أَعْجَبُ مِنَ السَّيْرِ عَلَى الْمَاءِ الْقَارِّ الَّذِي يُجَازُ، وَإِنْ كَانَ مَاءُ الطُّوفَانِ أَطَمَّ وَأَعْظَمَ، فَهَذِهِ خَارِقٌ، وَالْخَارِقُ لَا فَرْقَ بَيْنَ قَلِيلِهِ وَكَثِيرِهِ، فَإِنَّ مَنْ سَلَكَ عَلَى وَجْهِ الْمَاءِ الْخِضَمِّ الْجَارِي الْعَجَاجِ، فَلَمْ يَبْتَلَّ مِنْهُ نِعَالُ خُيُولِهِمْ، أَوْ لَمْ يَصِلْ إِلَى بُطُونِهَا، فَلَا فَرْقَ فِي الْخَارِقِ بَيْنَ أَنْ يَكُونَ قَامَةً أَوْ أَلْفَ قَامَةٍ، أَوْ أَنْ يَكُونَ نَهْرًا أَوْ بَحْرًا، بَلْ كَوْنُهُ نَهْرًا عَجَاجًا كَالْبَرْقِ الْخَاطِفِ وَالسَّيْلِ الْجَارِفِ أَعْظَمُ وَأَغْرَبُ، وَكَذَلِكَ بِالنِّسْبَةِ إِلَى فَرْقِ الْبَحْرِ، وَهُوَ جَانِبُ بَحْرِ الْقُلْزُمِ، حَتَّى صَارَ كُلُّ فِرْقٍ كَالطَّوْدِ الْعَظِيمِ، أَيِ الْجَبَلِ الْكَبِيرِ، فَانْحَازَ الْمَاءُ يَمِينًا وَشِمَالًا حَتَّى بَدَتْ أَرْضُ الْبَحْرِ،
পৃষ্ঠা - ৫১৪৮
উল্লেখ করার উদ্দেশ্য এই যে, তারা ছিলেন আউলিয়া; একজন সাহাবী ও দুজন তাবিঈ ৷
এদের অবস্থা যখন এই, তাহলে রাসুল করীম (সা) যখন এরুপ পরিস্থিতির সম্মুখীন হবেন
তখন তার অবস্থাট৷ কি হতে পারে? যিনি সমস্ত নবীদের নেতা, সর্বশেষ নবী, মি’রাব্বজ্যা রাত্রে
যিনি ছিলেন নবীগণের ইমাম ও সম্মানার্দু ৷ কিয়ামত দিবসের একমাত্র খভীব, জান্নাতে সর্বোচ্চ
মর্যাদার অধিকারী, হাশরের ময়দানে প্রথম শাফাআতকারী, জাহান্নড়াম থেকে রক্ষা পেয়ে
সর্বাগ্রে জান্নাতে প্রবেশকারী ৷ কিতাবের শেবাংশে কিয়মতের বর্ণনায় আমরা এ সম্পর্কে বিশদ
আলোচনা করেছি ৷ রাসুল করীম (সা)এর নবুওত প্রমাণকারী মুজিযা ও মর্যাদা বৃদ্ধিকারী
মু জিযার বিবরণ আমরা পরে দেব ৷ এখানে আমরা নুহ (আ) এর মু ’জিযা সম্পর্কে আলোচনা
করছি ৷ আমার শায়খের আলোচনা এ পর্যতই শেষ ৷ অন্যরা আরও বিভিন্ন দিক নিয়ে এ বিষয়ে
আলোচনা করেছেন ৷ ণ্
হাফিয আবু নুআয়ম ইস্পাহানী দালাইলুন নবুওত গ্রন্থের (বা তিন খন্ডে সমাপ্ত) ৩৩ তম
পরিচ্ছেদে অন্যান্য নবীদের ফযীলত ও নিদর্শনের সাথে শেষ নবীর ফযীলত ও নিদর্শনের
তুলনামুলক আলোচনা করেছেন ৷ কেননা অন্যান্য নবীগণহ্রক যা কিছু দেয়৷ হয়েছে তার অনুরুপ
জিনিস শেষ নবীকে দেয়া হয়েছে ৷ প্রথম নবী হযরত নুহ (আ) তাকে প্রদত্ত নিদর্শন হল, যারা
তাকে অস্বীকার করেজ্জি, তাদের বিরুদ্ধে আল্লাহর শাস্তির প্রার্থনা মঞ্জুর ও তার ণ্ক্রাধ প্রশমন ৷
সুতরাং যারা তার উপর ঈমান এনে নৌকায় আরোহণ করেছিলেন তারা ব্যতীত ভু-পৃষ্ঠের
উপরের সমস্ত মানুষ ডুবে মারা যায় ৷ নিঃসন্দেহে এটা এক বিরাট নিদর্শন যে সম্পর্কে আল্লাহ
তাকে পুর্বাহ্নে অবহিত করেছিলেন ৷ অনুরুপ শেষ নবী হযরত মুহাম্মদ (সা) ণ্ক তার সম্প্রদায়
যখন প্ৰত্যাখান করে এবং কঠোর নির্যাতন করে, এমন কি সিজদারত অবস্থায় উক্বা ইবন
আবি র্মু আইত তার পািঠর উপর উটের নাড়িভুড়ি নিক্ষেপ করে, তখন রাসুলুল্লাহ্ (সা) প্রার্থনা
করেন, হে আল্লাহ কুরায়শ নেতাদের শান্তির তার আপনার উপর ছেড়ে দিলাম ৷ ইবন মাসউদ
(বা) থেকে বুখারীতে এ হাদীস বর্ণিত ৩হয়েছে, যেমনটি পুর্বেও উল্লেখিত হয়েছে ৷ কা বা ঘরের
নিকটেই-এ ঘটনা সংঘটিত হয় ৷ কুরায়র্শগণ এ কাগু১ দেখে হেসে ফেটে পড়ে এবং একে
অন্যের উপর গড়িয়ে পড়ে ৷ হযরত ফাতিমা (রা)-এ দৃশ্য দেখে দ্রুত এসে পিঠের উপর থেকে
তা সরিয়ে ফেলেন এবং কুরায়শদেরকে গালমন্দ করেন ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) সালাম ফিরিয়ে দৃই-
হাত তুলে পুজা করেন ও বলেন, হে আল্লাহ! কুরায়শ সর্দারদের শাস্তির তার আপনার উপর
ছেড়ে দিলাম ৷ তারপর তিনি এক এক জনের নাম উল্লেখ করে বলেন, হে আল্লাহ আবুজাহ্ল,
উতবা, শায়বা, ওলীদ ইবন উমায়্যা ইবন খালফ, উক্বা ইবন আবী মুআইত ও উমারা ইবন
ওলীদের বিচার আপনি করুন ৷ আবদুল্লাহ ইবন মাসউদ (রা) বলেন, সেই আল্লাহর কলম,
যিনি মুহাম্মদ (সা) ণ্ক সত্য নবীরুপে প্রেরণ করেছেন, ঐ সব কাফিরকে আমি বদর প্রান্তরে
মৃত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেছি ৷ পরে তাদেরাক (বদর প্রান্তরে অবস্থিত পুতিগন্ধময় প্রাচীন
কুয়োতে) নিক্ষেপ করা হয় ৷
এভাবে কুরায়শ বাহিনী যখন বিপুল সং খ্যায় অস্ত্র সজ্জিত হয়ে বদর প্রাম্ভরে উপনীত হয়,
তখন নবী করীম (না) হাত উঠিয়ে বলেন, হে আল্লাহ ৷ এই কুরায়শগণ দান্তিকতার সাথে
আপনার বিরুদ্ধে লড়াই করতে এসেছে, আপনার রাসুলের বিরোধিতা করে ও তাকে মিথ্যাবাদী
ঠাওরিয়ে ৷ হে আল্লাহ! আপনি ওদেরকে আগামীকাল পাকড়াও করুন ! এ যুদ্ধে তাদের,
وَأَرْسَلَ اللَّهُ عَلَيْهَا الرِّيحَ حَتَّى أَيْبَسَتْهَا، وَمَشَتِ الْخُيُولُ عَلَيْهَا بِلَا انْزِعَاجٍ، حَتَّى جَاوَزُوا، عَنْ آخِرِهِمْ وَأَقْبَلَ فِرْعَوْنُ بِجُنُودِهِ، فَغَشِيَهُمْ مِنَ الْيَمِّ مَا غَشِيَهُمْ، وَأَضَلَّ فِرْعَوْنُ قَوْمَهُ وَمَا هَدَى، وَذَلِكَ أَنَّهُمْ لَمَّا تَوَسَّطُوهُ وَهَمَّ أَوَّلُهُمْ بِالْخُرُوجِ مِنْهُ أَمَرَ اللَّهُ الْبَحْرَ، فَارْتَطَمَ عَلَيْهِمْ فَغَرِقُوا عَنْ آخِرِهِمْ، فَلَمْ يُفْلِتْ مِنْهُمْ أَحَدٌ كَمَا لَمْ يُفْقَدْ مِنْ بَنِي إِسْرَائِيلَ وَاحِدٌ، فَفِي ذَلِكَ آيَةٌ عَظِيمَةٌ بَلْ آيَاتٌ مُتَعَدِّدَاتٌ، كَمَا بَسَطْنَا ذَلِكَ فِي " التَّفْسِيرِ " وَلِلَّهِ الْحَمْدُ وَالْمِنَّةُ.
وَالْمَقْصُودُ أَنَّ مَا ذَكَرْنَاهُ مِنْ قِصَّةِ الْعَلَاءِ بْنِ الْحَضْرَمِيِّ وَأَبِي عُبَيْدٍ الثَّقَفِيِّ، وَأَبِي مُسْلِمٍ الْخَوْلَانِيِّ، مِنْ مَسِيرِهِمْ عَلَى تَيَّارِ الْمَاءِ الْجَارِي، فَلَمْ يُفْقَدْ مِنْهُمْ أَحَدٌ، وَلَمْ يَفْقِدُوا شَيْئًا مِنْ أَمْتِعَتِهِمْ، هَذَا وَهُمْ أَوْلِيَاءُ، مِنْهُمْ صَحَابِيٌّ وَتَابِعِيَّانِ، فَمَا الظَّنُّ أَنْ لَوِ احْتِيجَ إِلَى ذَلِكَ بِحَضْرَةِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ؟ ! سَيِّدِ الْأَنْبِيَاءِ وَخَاتَمِهِمْ، وَأَعْلَاهُمْ مَنْزِلَةً لَيْلَةَ الْإِسْرَاءِ، وَإِمَامِهِمْ لَيْلَتَئِذٍ بِبَيْتِ الْمَقْدِسِ الَّذِي هُوَ مَحَلُّ وِلَايَتِهِمْ، وَدَارُ بِدَايَتِهِمْ، وَخَطِيبِهِمْ يَوْمَ الْقِيَامَةِ، وَأَعْلَاهُمْ مَنْزِلَةً فِي الْجَنَّةِ، وَأَوَّلِ شَافِعٍ فِي الْمَحْشَرِ، وَفِي الْخُرُوجِ مِنَ النَّارِ، وَفِي دُخُولِهِ الْجَنَّةَ، وَفِي رَفْعِ الدَّرَجَاتِ بِهَا، كَمَا بَسَطْنَا أَقْسَامَ الشَّفَاعَةِ وَأَنْوَاعَهَا فِي آخِرِ الْكِتَابِ فِي أَهْوَالِ يَوْمِ الْقِيَامَةِ، وَبِاللَّهِ الْمُسْتَعَانُ. وَسَنَذْكُرُ فِي الْمُعْجِزَاتِ الْمُوسَوِيَّةِ مَا وَرَدَ مِنَ
পৃষ্ঠা - ৫১৪৯
নেতৃস্থানীয় সত্তর জন নিহত হয় ও সত্তর জন বন্দী হয় ৷ যদি আল্লাহ সেদিন ইংচ্ছ করতেন
তাহলে তাদেরকে সম্পুর্ণরুপে ধ্বং স করে দিতেন ৷ কিন্তু তিনি তার অসীম ধৈর্য ও নবীর
খাতিরে তাদেরকে বাচিয়ে রাখেন, যারা পরবতীকািলে ইসলাম গ্রহণ করবে বলে আল্লাহর জানা
জ্জি ৷
একবার রাসুলুল্লাহ্ (সা) আবু লাহাবের পুত্র উতবার প্রতি বদ দুআ দিয়ে বলেছিলেন, হে
আল্লাহ ৷ আপনি তার উপর সিরিয়ার একটা কুকুর ণ্ললিয়ে দিন! (তখন সে ব্যবসার উদ্দেশ্যে
সিরিয়া গিয়েছিল) ৷ বসুরা শহরের নিকট যারকা উপত্যকায় একটি সিংহের কবলে পড়ে সে
মারা যায় ৷ এরুপ ঘটনার আরও বহু দৃষ্টান্ত আছে ৷ যেমন হযরত ইউসুফ (আ),-এর সময় সাত
বছর যাবত ফসলহানি ঘটায় চরম দুর্তিক্ষ নেমে আসে ৷ লোক রক্ত, হাড় ও অন্যান্য অখাদ্য
ভক্ষণ করতে বাধ্য হয় ৷ অবশেষে তারা ইউসুফ (আ) এর অনুগ্রহ কামনা করে তিনি আল্লাহর
নিকট দু আ করলে বৃষ্টি হয় ও দুর্ভিক্ষ কেটে যায় ৷ ন্ ,
ফকীহ আবু মুহাম্মদ তার দালইিলুন নবুওয়ত গ্রন্থে নুহ (আ) কে প্রদত্ত ফযীলতের বর্ণনা
দিয়ে রাসুল করীম (সা) কে প্রদত্ত ফযীলত বর্ণনা করেছেন ৷ তার দ্বা রা রাসুল (সা)ষ্এর গ্রেষ্ঠতু
ও গৌরব প্রমাণিত হয় ৷ নুহ (আ) আপনজাতির নিকট যে বিধান নিয়ে এসেছিলেন তা যখন
তারা প্রত্যাখ্যান করল এবং নবীর প্রতি উপহাস বিরুপ ও নির্যাতন বৃদ্ধি পেল, তখন তিনি তার
স্বজাতির প্রতি বদ্ দু আ করে আল্লাহর নিকট প্রার্থনা করলেনং , , ১৷ ৷ ষ্া; ,াট্রু ১৷ শুঠু
)@ এ,ণ্াধু৷ ৷ ছু ,ন্“হে আমার প্রদিপালক ৷ পৃথিবীতে কাফিরদের মধ্য হতে কোন
গৃহবাসীকে অব্যাহতি দিওনা” ৷ আল্লাহ তার দু আ কবুল করলেন, তার জাতিকে পানিতে
ডুবিয়ে মারলেন, এমনকি নৌকায় যেসব প্রাণীকে নেয়া হয়েছিল সেগুলো ব্যতীত আর কোন
প্রাণীই বেচে থাকেনি ৷ এটা হযরত নুহ (আ)-এৱ একটি ফযীলত ৷ কারণ তার দুআ কবুল
হয়েছে এবং নিজ জাতি ধ্বংস হওয়ায় তার হৃদয় শান্তি পেয়েছে ৷ অপর দিকে রাসুলুল্লাহ
(সা)-কেও অনুরুপ ফযীলত দান করা হয়েছে ৷ কুরায়শরা যখন তাকে অমান্য করল এবং
উপহাস ও বিরুপ করতে লাগল, আল্লাহ তখন পাহাড়ের দায়িত্বশীল ফেরেশতাকে এই বলে
প্রেরণ করেন যে, আমার প্রিয় নবী তার জাতির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা ণ্নয়ায় জন্য তোমাকে যে
নির্দেশ দেন, যে নির্দেশ তুমি পালন করবে ৷ কিন্তু রাসুলুল্লাহ্ (সা) তার স্বজাতির
অত্যাচার নির্যাতনের মুকাবিলায় ধৈর্যঅবলম্বনের পথ বেছে নেন এবং তাদের জন্য হিদায়াতের
দু আ করেন ৷ নিঃসন্দেহে রাসুলের এ ভুমিকইি উত্তম ৷
ইতিপুর্বে তায়েফের ঘটনা সম্পর্কে আইশা (রা) এর হাদীস উল্লেখ করা হয়েছে ৷ তিনি
তায়েফ গিয়ে তায়েফ বাসীদেরকে ইসলামের দাওয়াত দেন ৷ তারা দাওয়াত তাে গ্রহণ ক্যালই
না, বরং তাকে নির্যাতন করে ৷ তিনি ফিরে আসেন ও চিন্তামগ্ন হন ৷ যখন কারনুছ ছাআলিবের
নিকটে পৌছাল তখন পাহাড়ের দায়িত্বশীল ফেরেশত৷ ডেকে বললেন, হে মুহাম্মদ! আপনার
জাতি আপনার সাথে যে ব্যবহার করেছে ও যে উত্তর দিয়েছে তা আপনার রব শুনেছেন ৷ তিনি
আপনার নিকট আমাকে পাঠিয়েছেন ৷ যে নির্দেশ আপনি দেবেন, তা আমি পালন করব ৷ যদি
আপনি চান তাহলে মক্কার উত্তর ও দক্ষিণের পাহাড়দ্বয়-অর্থাৎ জাবালে আবুকুবায়স ও যর্ চাপা
দিয়ে তাদেরকে পিষে ফেলি ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) বললেন, না, বরং আমি অপেক্ষা করব, হয়ত
তাদের বং৷ শে এমন লোক জন্ম নেবে, যারা শিবৃক করবে না ৷
الْمُعْجِزَاتِ الْمُحَمَّدِيَّةِ مَا هُوَ أَظْهَرُ وَأَبْهَرُ مِنْهَا، وَنَحْنُ الْآنُ فِيمَا يَتَعَلَّقُ بِمُعْجِزَاتِ نُوحٍ، عَلَيْهِ السَّلَامُ، وَلَمْ يَذْكُرْ شَيْخُنَا سِوَى مَا تَقَدَّمَ.
وَأَمَّا الْحَافِظُ أَبُو نُعَيْمٍ أَحْمَدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ الْأَصْبَهَانِيُّ فَإِنَّهُ قَالَ فِي آخِرِ كِتَابِهِ فِي " دَلَائِلِ النُّبُوَّةِ " وَهُوَ فِي مُجَلَّدَاتٍ ثَلَاثٍ: الْفَصْلُ الثَّالِثُ وَالثَّلَاثُونَ فِي ذِكْرِ مُوَازَاةِ الْأَنْبِيَاءِ فِي فَضَائِلِهِمْ بِفَضَائِلِ نَبِيِّنَا، وَمُقَابَلَةِ مَا أُوتُوا مِنَ الْآيَاتِ بِمَا أُوتِيَ. إِذْ أُوتِيَ مَا أُوتُوا وَشِبْهَهُ وَنَظِيرَهُ، فَكَانَ أَوَّلَ الرُّسُلِ نُوحٌ، عَلَيْهِ السَّلَامُ، وَآيَتُهُ الَّتِي أُوتِيَ شِفَاءُ غَيْظِهِ، وَإِجَابَةُ دَعْوَتِهِ فِي تَعْجِيلِ نِقْمَةِ اللَّهِ لِمُكَذِّبِيهِ، حَتَّى هَلَكَ مَنْ عَلَى بَسِيطِ الْأَرْضِ مِنْ صَامِتٍ وَنَاطِقٍ، إِلَّا مَنْ آمَنَ بِهِ وَدَخَلَ مَعَهُ سَفِينَتَهُ، وَلَعَمْرِي إِنَّهَا آيَةٌ جَلِيلَةٌ وَافَقَتْ سَابِقَ قَدَرِ اللَّهِ، وَمَا قَدْ عَلِمَهُ فِي إِهْلَاكِهِمْ، وَكَذَلِكَ نَبِيُّنَا صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَمَّا كَذَّبَهُ قَوْمُهُ وَبَالَغُوا فِي أَذِيَّتِهِ، وَالِاسْتِهَانَةِ بِمَنْزِلَتِهِ مِنَ اللَّهِ، عَزَّ وَجَلَّ، حَتَّى «أَلْقَى الشَّقِيُّ عُقْبَةُ بْنُ أَبِي مُعَيْطٍ سَلَا الْجَزُورِ عَلَى ظَهْرِهِ وَهُوَ سَاجِدٌ، فَقَالَ: اللَّهُمَّ عَلَيْكَ بِالْمَلَأِ مِنْ قُرَيْشٍ» . ثُمَّ سَاقَ الْحَدِيثَ عَنِ ابْنِ مَسْعُودٍ، كَمَا تَقَدَّمَ ذِكْرُنَا لَهُ فِي " صَحِيحِ الْبُخَارِيِّ " وَغَيْرِهِ فِي وَضْعِ الْمَلَأِ مِنْ قُرَيْشٍ عَلَى ظَهْرِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَهُوَ سَاجِدٌ عِنْدَ الْكَعْبَةِ سَلَا تِلْكَ الْجَزُورِ، وَاسْتِضْحَاكِهِمْ مِنْ ذَلِكَ، حَتَّى جَعَلَ بَعْضُهُمْ يَمِيلُ عَلَى بَعْضٍ مِنْ شِدَّةِ الضَّحِكِ، وَلَمْ يَزَلْ عَلَى ظَهْرِهِ حَتَّى جَاءَتْ فَاطِمَةُ ابْنَتُهُ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَطَرَحَتْهُ عَنْ ظَهْرِهِ،
পৃষ্ঠা - ৫১৫০
ثُمَّ أَقْبَلَتْ عَلَيْهِمْ فَسَبَّتْهُمْ، فَلَمَّا سَلَّمَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِنْ صَلَاتِهِ رَفَعَ يَدَيْهِ فَقَالَ: " «اللَّهُمَّ عَلَيْكَ بِالْمَلَأِ مِنْ قُرَيْشٍ» ". ثُمَّ سَمَّى فَقَالَ: " «اللَّهُمَّ عَلَيْكَ» بِأَبِي جَهْلِ بْنِ هِشَامٍ، وَعُتْبَةَ، وَشَيْبَةَ، وَالْوَلِيدِ بْنِ عُتْبَةَ، وَأُمَيَّةَ بْنِ خَلَفٍ، وَعُقْبَةَ بْنِ أَبِي مُعَيْطٍ، وَعُمَارَةَ بْنِ الْوَلِيدِ ". قَالَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مَسْعُودٍ فَوَالَّذِي بَعَثَهُ بِالْحَقِّ لَقَدْ رَأَيْتُهُمْ صَرْعَى يَوْمَ بَدْرٍ، ثُمَّ سُحِبُوا إِلَى الْقَلِيبِ، قَلِيبِ بَدْرٍ وَكَذَلِكَ لَمَّا أَقْبَلَتْ قُرَيْشٌ يَوْمَ بَدْرٍ فِي حَدِّهَا وَحَدِيدِهَا، فَحِينَ عَايَنَهُمْ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ رَافِعًا يَدَيْهِ: «اللَّهُمَّ هَذِهِ قُرَيْشٌ جَاءَتْكَ بِفَخْرِهَا وَخُيَلَائِهَا، تُحَادُّكَ وَتُكَذِّبُ رَسُولَكَ، اللَّهُمَّ أَحِنْهُمُ الْغَدَاةَ» . فَقُتِلَ مِنْ سَرَاتِهِمْ سَبْعُونَ، وَأُسِرَ مِنْ أَشْرَافِهِمْ سَبْعُونَ، وَلَوْ شَاءَ اللَّهُ لَاسْتَأْصَلَهُمْ عَنْ آخِرِهِمْ، وَلَكِنْ مِنْ حِلْمِهِ وَشَرَفِ نَبِيِّهِ أَبْقَى مِنْهُمْ مَنْ سَبَقَ فِي قَدَرِهِ أَنْ سَيُؤْمِنُ بِهِ وَبِرَسُولِهِ، صَلَوَاتُ اللَّهِ وَسَلَامُهُ عَلَيْهِ، وَقَدْ دَعَا عَلَى عُتْبَةَ بْنِ أَبِي لَهَبٍ أَنْ يُسَلِّطَ عَلَيْهِ كَلْبَهُ بِالشَّامِ، فَقَتَلَهُ الْأَسَدُ عِنْدَ وَادِي الزَّرْقَاءِ قِبَلَ مَدِينَةِ بُصْرَى. وَكَمْ لَهُ مِنْ مِثْلِهَا وَنَظِيرِهَا مَا سَلَفَ ذِكْرُنَا لَهُ وَمَا لَمْ نَذْكُرْهُ، وَكَذَلِكَ دَعَا عَلَى قُرَيْشٍ بِسَبْعٍ كَسَبْعِ يُوسُفَ فَقُحِطُوا حَتَّى أَكَلُوا الْعِلْهِزَ، وَهُوَ الدَّمُ بِالْوَبَرِ، وَأَكَلُوا الْعِظَامَ وَكُلَّ شَيْءٍ، ثُمَّ تَوَسَّلُوا إِلَى مَرَاحِمِهِ وَشَفَقَتِهِ وَرَأْفَتِهِ، فَدَعَا لَهُمْ، فَفَرَّجَ اللَّهُ
পৃষ্ঠা - ৫১৫১
হযরত নুহ (আ) এর নিম্নলিখিত দৃআর মুকাবিলায় হাফিয আবু নু অড়ায়ম ইসতিসৃকার
হাদীস উল্লেখ করেছেন ৷ আল্লাহর নিকট দৃ আর নুহ (আ) বলেছিলেনং
(তখন সে তার প্রতিপালককে আহ্বান করে বলেছিল, আমি তো অসহায়, অতএব, তুমি
প্রতিবিধান কর ৷ ফলে আমি উন্মুক্ত করে দিলাম আকাশের দ্বার প্রবল বারি বর্যণে ৷ এবং যমীন
থেকে উৎসারিত করলাম প্রস্রবণ; অতঃপর সকল পানি মিলিত হল এক পরিকল্পনা অনুসারে) ৷
ইসতিসকার হাদীস হযরত আনাস প্রমুখ থেকে বর্ণিত হয়েছে ৷ জনৈক বেদুইন রাসুলুল্লাহ্
(না)-এর নিকট এসে তাদের দারিদ্র ও বৃষ্টিহীনতার অভিযোগ জানিয়ে দৃআর আবেদন
জানায় ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) দু’হাত উপরে ভুলে দৃআ করলেন : হে আল্পাহ্, আমাদের জন্য বৃষ্টি
’ বর্ষণ করুন ! রাসুলুল্লাহ্ (সা) দৃআ শেষে মিম্বর থেকে অবতরণ করার পুর্বেই তার দাড়ি
মুবারকের উপর বৃষ্টির ফৌটা পড়া আরম্ভ হয়ে যায় ৷ উপস্থিত সাহাবীগণ সকলেই তা প্রত্যক্ষ
করেন ৷ একদা চাচা আবুতালিব রাসুলের প্রসঙ্গে কবিতার মাধ্যমে যে উক্তি করেছিলেন, আজ
তা বাস্তব হয়ে দেখা দিল ৷ আবু তালিরের কবিতা এই :
(অর্থ : যে এমন দীপ্তিময় চেহারার অধিকারী যে, তার চেহারার সৌজান্য বৃষ্টি কামনা
করা যেতে পারে ৷ ইয়াতীমদের তিনি আশ্রয় ও বিধবাদের জন্য নির্ভরস্থল ৷ হাশিম গোত্র তার
বদৌলতে শরণ মাগে, তারই বদৌলতে তারা অনুগ্রহ ও মর্যাদার অধিকারী হয়েছে) ৷
অনুরুপভাবে এমন স্থানেও তিনি বৃষ্টি কামনা করেছেন, যে স্থানে না দুর্ভিক্ষ ছিল, না খরা
ছিল ৷ বরং কেবল সাময়িকভাবে পানির সংকট হয়েছে ৷ সেখানে ঠিক যে পরিমাণ দরকার যে
পরিমাণ বৃষ্টি হয়েছেকমও নয়, বেশিও নয় ৷ এ অবস্থাটি অধিক সুক্ষ্ণ মুজিযা ৷ তা ছাড়া এ
পানি রহমত ও নিয়ামতের পানি ৷ পক্ষাম্ভরে নুহ (আ)-এর প্লাবনের পানি গযব ও শাস্তির পানি
ছিল ৷ কেবলরাসুলুল্লাহ্ (না)-ই নয় বরং হযরত উমর (রা) নবী করীম (না)-এর চাচা হযরত
আব্বাস (রা)-এর ররকতে বৃষ্টি কামনা করলে বৃষ্টি বর্ধিত হয়েছে ৷ তা ছাড়া যুগে যুগে ও দেশে
দেশে মুসলমানগণ বৃষ্টির জন্য ইসতিসৃকার নামায ও দৃআ করলে বৃষ্টি রর্ষিত হওয়ার বহু ঘটনা
বিদ্যমান আছে ৷ অমুসলিমরা এরুপ করলে তা কবুল হয় না এবং বৃষ্টিও বর্ধিত হয় না ৷
আবু নু অড়ায়ম বলেন, নুহ (আ) সাড়ে নয় শ’ বছর জীবিত ছিলেন ৷ এ দীর্ঘ সময়ে যারা
তার উপর ঈমান এসেছিলেন এবং নৌকায় আরোহণ করেছিলেন তাদের সংখ্যা নারী পুরুয
মিলিয়ে একশ’ও পুর্ণ হয়নি ৷ পক্ষাম্ভরে মাত্র বিশ বছর সময়কালে আমাদের নবীর উপর পুর্ব ও
পশ্চিমের প্রচুর লোক ঈমান আসে ৷ বিশ্বের পরাক্রমশালী রজো-বাদশাহগণ তার সম্মুখে নতি
স্বীকার করেন এবং নিজেদের রাজ্য হারাবার ভয়ে শংকিত থাকেন ৷ যেমন কায়সার ও কিসরা,
নাজাশী ইসলাম গ্রহণ করেন ও ইসলামের প্রতি অনুরাগ প্রকাশ করেন ৷ বাকি যারা ঈমান
عَنْهُمْ وَسُقُوُا الْغَيْثَ بِبَرَكَةِ دُعَائِهِ.
وَقَالَ الْإِمَامُ الْفَقِيهُ أَبُو مُحَمَّدِ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ حَامِدٍ فِي كِتَابِهِ " دَلَائِلِ النُّبُوَّةِ " وَهُوَ كِتَابٌ حَافِلٌ: ذِكْرُ مَا أُوتِيَ نُوحٌ، عَلَيْهِ السَّلَامُ، مِنَ الْفَضَائِلِ، وَبَيَانُ مَا أُوتِيَ مُحَمَّدٌ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِمَّا يُضَاهِي فَضَائِلَهُ وَيَزِيدُ عَلَيْهَا. قَالُوا: إِنَّ قَوْمَ نُوحٍ لَمَّا بَلَغُوا مِنْ أَذِيَّتِهِ وَالِاسْتِخْفَافِ بِهِ، وَتَرْكِ الْإِيمَانِ بِمَا جَاءَهُمْ بِهِ مِنْ عِنْدِ اللَّهِ دَعَا عَلَيْهِمْ فَقَالَ: {" رَبِّ لَا تَذَرْ عَلَى الْأَرْضِ مِنَ الْكَافِرِينَ دَيَّارًا "} [نوح: 26] . فَاسْتَجَابَ اللَّهُ دَعَوْتَهُ، وَغَرَّقَ قَوْمَهُ، حَتَّى لَمَّ يَسْلَمْ شَيْءٌ مِنَ الْحَيَوَانَاتِ وَالدَّوَابِّ إِلَّا مَنْ رَكِبَ السَّفِينَةَ، فَكَانَ ذَلِكَ فَضِيلَةً أُوتِيَهَا، إِذْ أُجِيبَتْ دَعْوَتُهُ، وَشُفِيَ صَدْرُهُ بِإِهْلَاكِ قَوْمِهِ. قُلْنَا: وَقَدْ أُوتِيَ مُحَمَّدٌ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِثْلَهُ حِينَ نَالَهُ مِنْ قُرَيْشٍ مَا نَالَهُ مِنَ التَّكْذِيبِ وَالِاسْتِخْفَافِ، فَأَنْزَلَ اللَّهُ إِلَيْهِ مَلِكَ الْجِبَالِ وَأَمَرَهُ بِطَاعَتِهِ فِيمَا يَأْمُرُهُ بِهِ مِنْ إِهْلَاكِ قَوْمِهِ، فَاخْتَارَ الصَّبْرَ عَلَى أَذِيَّتِهِمْ، وَالِابْتِهَالَ فِي الدُّعَاءِ لَهُمْ بِالْهِدَايَةِ. قُلْتُ: وَهَذَا حَسَنٌ، وَقَدْ تَقَدَّمَ الْحَدِيثُ بِذَلِكَ عَنْ عَائِشَةَ، عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي قِصَّةِ ذَهَابِهِ إِلَى الطَّائِفِ، فَدَعَاهُمْ فَآذَوْهُ، فَرَجَعَ وَهُوَ مَهْمُومٌ، فَلَمَّا كَانَ عِنْدَ قَرْنِ الثَّعَالِبِ نَادَاهُ مَلَكُ الْجِبَالِ فَقَالَ: يَا مُحَمَّدُ، إِنَّ رَبَّكَ قَدْ سَمِعَ قَوْلَ قَوْمِكَ وَمَا رَدُّوا عَلَيْكَ، وَقَدْ أَرْسَلَنِي إِلَيْكَ لِأَفْعَلَ مَا تَأْمُرُنِي بِهِ، فَإِنْ شِئْتَ أَطْبَقْتُ عَلَيْهِمُ الْأَخْشَبَيْنِ. يَعْنِي جَبَلَيْ مَكَّةَ اللَّذَيْنِ يَكْتَنِفَانِهَا جَنُوبًا وَشَامًا، وَهُمَا أَبُو قُبَيْسٍ وَزُرْزُرٌ، فَقَالَ " «بَلْ أَسْتَأْنِي بِهِمْ لَعَلَّ اللَّهَ أَنْ يُخْرِجَ مِنْ أَصْلَابِهِمْ مَنْ لَا يُشْرِكُ
পৃষ্ঠা - ৫১৫২
আনেনি তারা জিঘৃয়৷ কর দিয়ে আত্মরক্ষা করে ও বশ্যত৷ স্বীকার করে, যেমন নাজরান, হাজার,
আয়লা ও দুমার অধিবাসীগণ ৷ রাসুলের ব্যক্তিত্বের প্রভাব এক মাসের দৃরতু পর্যন্ত অনুভুত হত ৷
এটা আল্লাহ্রই সাহায্য ৷ বহু এলাকা ও দেশ তিনি এ স্বল্প সময়ে জয় করতে সমর্থ হন ৷ দলে
দলে লোক আল্লাহর দীনে প্রবেশ করে ৷ যেমন আল্লাহ বলেন :
া১া
“যখন আসবে আল্লাহর সাহায্য ও বিজয় এবং তুমি মানুষকে দলে দলে আল্লাহ্র দীনে
প্রবেশ করতে দেখবে (১ ১ : ১-৩) ৷
মােটকথা, রাসুলুল্পাহ্ (সা) এর ইনতিকাল পর্যন্ত মদীনা, খায়বর, মক্কা ও হাদ্রামাওত
এবং ইয়ামানের অধিকাংশ এলাকা বিজিত হয় ৷ ওফাতের সময় তিনি এক লাখ বা ততোধিক
সাহাব৷ রেখে যান ৷ জীবনের শেষ প্রান্তে এসে তিনি বিশ্বের রাজন্যবর্ণের নিকট আল্লাহ্র দীন
কবুল করার আমন্ত্রণ জানিয়ে পত্র দেন ৷ কেউ যে পত্রের অনুকুলে সাড়া দেয়, কেউ প্রতারণা ও
ধোকার আশ্রয় নেয়, আর ণ্কউব৷ তা’ প্রত্যাখ্যান করে লাঞ্ছিত হয় ৷ যেমন কিসরা ইবন হুরমুয
গর্ব ও অহংকার ভরে দীনের দাওয়াত প্রত্যাখ্যান করলে তার রাজ্য ছিন্নভিন্ন হয়ে পড়ে ৷ তারপর
রাসুলের খলীফাগণ অর্থাৎ হযরত আবু বকর, উমর, উছমান ও আলী (রা) পর্যায়ক্রমে গোটা
দেশ তথা পুর্ব ও পশ্চিম সাগরের মধ্যবর্তী সমস্ত অঞ্চল দখল করে নেন ৷ এক হাদীসে নবী
করীম (সা) বলেছেন : আমাকে স্বপ্নযােগে ভু-মন্ডল দেখান হয় ৷ পুর্ব ও পশ্চিমের সমস্ত এলাকা
আমি দেখতে পাই ৷ যে পরিমাণ স্থান আমাকে দেখান হয়েছে যে পর্যন্ত আমার উম্মতের
রাজ্যসীমা অচিরেই পৌছে যাবে ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) আরও বলেছেনঃ কায়সারের পতন হলে আর
কখনও এরুপ কায়সারের উত্থান হবে না এবং কিসরা ধ্বংস হলে আর কোন দিন এরুপ
কিসৃরার অস্তিত্ব ফিরে আসবে না ৷ যে সত্তার হাতে আমার জীবন, তার কন্যা, এমন সময়
আসবে, যখন ঐ দুই রাজ্যের সঞ্চিত ধন-রত্ন তোমরা আল্লাহর পথে বিলিয়ে দেবে :
’
বাস্তবে তাই অক্ষরে অক্ষরে প্রতিফলিত হয়েছে ৷ কনক্টান্টিনােপল ব্যতীত কায়সারের
সমগ্র অঞ্চল, কিসৃরার সমস্ত রাজ্য, পুর্বাঞ্চলের দেশসমুহ এবং মরক্কোর শেষ সীমা পর্যন্ত
মুসলমানদের কর্তৃতু প্রতিষ্ঠিত হয় ৷ এবং তা হয় হযরত উসমানের শাহাদত কাল অর্থাৎ ছত্রিশ
হিজরী সনের মধেইি ৷
নুহ (আ) মানুষকে দা ওয়াত দেন ৷ কিন্ত তারা কুফর, পাপাচার ও ভ্রষ্ট পথে দৃঢ় থাকে ৷
নবী তার দীন, রিসালাত ও আল্লাহ্র মর্যাদার জন্য তাদের প্রতি বদ-দু অ৷ করেন ৷ আল্লাহ্ তার
দুআ কবুল করেন ৷ তার ক্রোধেৱ জন্য তিনিও ক্রোধানিত হন এবং তারই কারণে শাস্তির
ব্যবস্থা করেন ৷ ফলে তার দাওয়াতের পরিণতি স্বরুপ সমগ্র বিশ্ববাসীর উপর শাস্তি নেমে আসে ৷
পক্ষান্তরে মুহাম্মদ (সা)এর দাওয়াত ও রিসালাতের ফল স্বরুপ সমগ্র বিশ্ববাসীর উপর রহমত,
বরকত ও শ্া৷ন্তি অবতীর্ণ হয় ৷ যারা ঈমান গ্রহণ করেন তারা নিরাপত্তা লাভ করেন এবং যারা
কুফর অবলম্বন করে তারা অপরাধী সাব্যস্ত হয় ৷
بِاللَّهِ شَيْئًا» ". وَقَدْ ذَكَرَ الْحَافِظُ أَبُو نُعَيْمٍ فِي مُقَابَلَةِ قَوْلِهِ تَعَالَى: {" فَدَعَا رَبَّهُ أَنِّي مَغْلُوبٌ فَانْتَصِرْ فَفَتَحْنَا أَبْوَابَ السَّمَاءِ بِمَاءٍ مُنْهَمِرٍ وَفَجَّرْنَا الْأَرْضَ عُيُونًا فَالْتَقَى الْمَاءُ عَلَى أَمْرٍ قَدْ قُدِرَ} [القمر: 10] " [الْقَمَرِ: 10 - 12] . أَحَادِيثَ الِاسْتِسْقَاءِ، عَنْ أَنَسٍ وَغَيْرِهِ، كَمَا تَقَدَّمَ ذِكْرُنَا لِذَلِكَ فِي دَلَائِلِ النُّبُوَّةِ قَرِيبًا أَنَّهُ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ سَأَلَهُ ذَلِكَ الْأَعْرَابِيُّ أَنْ يَدْعُوَ اللَّهَ لَهُمْ ; لِمَا بِهِمْ مِنَ الْجَدْبِ وَالْجُوعِ، فَرَفَعَ يَدَيْهِ فَقَالَ: " «اللَّهُمَّ اسْقِنَا، اللَّهُمَّ اسْقِنَا» ". فَمَا نَزَلَ عَنِ الْمِنْبَرِ حَتَّى رُئِيَ الْمَطَرُ يَتَحَادَرُ عَلَى لِحْيَتِهِ الْكَرِيمَةِ، صَلَوَاتُ اللَّهِ وَسَلَامُهُ عَلَيْهِ، فَاسْتَحْضَرَ مَنِ اسْتَحْضَرَ مِنَ الصَّحَابَةِ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمْ، قَوْلَ عَمِّهِ أَبِي طَالِبٍ فِيهِ:
وَأَبْيَضَ يُسْتَسْقَى الْغَمَامُ بِوَجْهِهِ ... ثِمَالَ الْيَتَامَى عِصْمَةً لِلْأَرَامِلِ
يَلُوذُ بِهِ الْهُلَّاكُ مِنْ آلِ هَاشِمٍ ... فُهُمْ عِنْدَهُ فِي نِعْمَةٍ وَفَوَاضِلِ
وَكَذَلِكَ اسْتَسْقَى فِي غَيْرِ مَا مَوْضِعٍ لِلْجَدْبِ وَالْعَطَشِ، فَيُجَابُ كَمَا يُرِيدُ عَلَى قَدْرِ الْحَاجَةِ الْمَائِيَّةِ، لَا أَزْيَدَ وَلَا أَنْقَصَ وَهَذَا أَبْلَغُ فِي الْمُعْجِزَةِ، وَأَيْضًا فَإِنَّ هَذَا مَاءُ رَحْمَةٍ وَنِعْمَةٍ، وَمَاءُ الطُّوفَانِ مَاءُ غَضَبٍ وَنِقْمَةٍ، وَأَيْضًا فَإِنَّ عُمَرَ بْنَ الْخَطَّابِ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، كَانَ يَسْتَسْقِي بِالْعَبَّاسِ عَمِّ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَيُسْقَوْنَ، وَكَذَلِكَ مَا زَالَ الْمُسْلِمُونَ فِي غَالِبِ الْأَزْمَانِ وَالْبُلْدَانِ يَسْتَسْقُونَ فَيُجَابُونَ فَيُسْقَوْنَ، وَلَا يُخَيَّبُونَ غَالِبًا وَلَا يَشْقَوْنَ، وَلِلَّهِ الْحَمْدُ.
পৃষ্ঠা - ৫১৫৩
قَالَ أَبُو نُعَيْمٍ: وَلَبِثَ نُوحٌ فِي قَوْمِهِ أَلْفَ سَنَةٍ إِلَّا خَمْسِينَ عَامًا، فَبَلَغَ جَمِيعُ مَنْ آمَنَ بِهِ رِجَالًا وَنِسَاءً، الَّذِينَ رَكِبُوا مَعَهُ سَفِينَتَهُ، دُونَ مِائَةِ نَفْسٍ، وَآمَنَ بِنَبِيِّنَا صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي مُدَّةِ عِشْرِينَ سَنَةً النَّاسُ شَرْقًا وَغَرْبًا، وَدَانَتْ لَهُ جَبَابِرَةُ الْأَرْضِ وَمُلُوكُهَا، وَخَافَتْ زَوَالَ مُلْكِهِمْ، كَكِسْرَى وَقَيْصَرَ، وَأَسْلَمَ النَّجَاشِيُّ وَالْأَقْيَالُ ; رَغْبَةً فِي دِينِ اللَّهِ، وَالْتَزَمَ مَنْ لَمْ يُؤْمِنْ بِهِ مِنْ عُظَمَاءِ الْأَرْضِ الْجِزْيَةَ وَالْإِتَاوَةَ عَنْ صَغَارٍ ; أَهْلُ نَجْرَانَ وَهَجَرُ، وَأَيْلَةُ وَأَكَيْدَرُ دُومَةَ، فَذَلُّوا لَهُ مُنْقَادِينَ ; لِمَا أَيَّدَهُ اللَّهُ بِهِ مِنَ الرُّعْبِ الَّذِي يَسِيرُ بَيْنَ يَدَيْهِ شَهْرًا، وَفَتَحَ الْفُتُوحَ، وَدَخَلَ النَّاسُ فِي دِينِ اللَّهِ أَفْوَاجًا، كَمَا قَالَ اللَّهُ تَعَالَى: {إِذَا جَاءَ نَصْرُ اللَّهِ وَالْفَتْحُ وَرَأَيْتَ النَّاسَ يَدْخُلُونَ فِي دِينِ اللَّهِ أَفْوَاجًا "} [النصر: 1]
[النَّصْرِ: 1، 2] .
قُلْتُ: مَاتَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَقَدْ فَتَحَ اللَّهُ لَهُ الْمَدِينَةَ وَخَيْبَرَ وَمَكَّةَ وَأَكْثَرَ الْيَمَنِ وَحَضْرَمَوْتَ، وَتُوُفِّيَ عَنْ مِائَةِ أَلْفِ صَحَابِيٍّ أَوْ يَزِيدُونَ، وَقَدْ كَتَبَ فِي آخِرِ حَيَاتِهِ الْكَرِيمَةِ إِلَى سَائِرِ مُلُوكِ الْأَرْضِ يَدْعُوهُمْ إِلَى اللَّهِ تَعَالَى، فَمِنْهُمْ مَنْ أَجَابَ وَمِنْهُمْ مَنْ تَوَقَّفَ، وَمِنْهُمْ مَنْ صَانَعَ وَدَارَى عَنْ نَفْسِهِ، وَمِنْهُمْ مَنْ تَكَبَّرَ فَخَابَ وَخَسِرَ، كَمَا فَعَلَ كِسْرَى بْنُ هُرْمُزَ حِينَ عَتَا وَبَغَى وَتَكَبَّرَ، فَمُزِّقَ مُلْكُهُ، وَتَفَرَّقَ جُنْدُهُ شَذَرَ مَذَرَ، ثُمَّ فَتَحَ خُلَفَاؤُهُ مِنْ بَعْدِهِ - أَبُو بَكْرٍ، ثُمَّ عُمَرُ، ثُمَّ عُثْمَانُ التَّالِي عَلَى الْأَثَرِ - مَشَارِقَ الْأَرْضِ وَمَغَارِبَهَا، مِنَ الْبَحْرِ
পৃষ্ঠা - ৫১৫৪
আল্লাহ্ বলেন “অর্থাৎ, আমি আপনাকে
বিশ্ববাসীর জন্য কেবল রহমত স্বরুপ প্রেরণ করেছি (২১ $ ১০৭) ৷
রাসুলুল্পাহ্ (সা) বলেছেন, ; ৷ারু দ্ব; , ৷ ৷ ৷;৷ (আমি শান্তি ও সু-পথ বৈ কিছু নই) ৷
ইবন আব্বাস (রা) থেকে বর্ণিত ৷ তিনি উক্ত আয়াত অর্থাৎ ¢;, ন্৷ ৷ গ্ৰা;া;,৷ ¢’,
ৰু;,ট্রু শ্রো এর ব্যাখ্যার বলেন ;; যে ব্যক্তি আল্লাহ্র প্রতি ও রাসুলের ওাতি ঈমান আসে যে
দুনিয়া ও আখিরাড়ে রহমতের অধিকারী হয়ে যায় ৷ আর যে ব্যক্তি আল্লাহ্ ও রাসুলের প্রতি
ঈমান আসে না, যে ব্যক্তি পুর্ব যুগের উম্মতের উপর পতিত হওয়া যে কোন একটি শাস্তির
যোগ্য এ দুনিয়াভ্রুআ হয়ে যায় ৷ আল্লাহ্র বাণী :
৷ ঢে৷ ৷ ,; ণ্পু ৷
“অর্থাৎ-তুমি কি ওদের প্রতি লক্ষ্য কর না যায়৷ আল্লাহর অনুগ্নহের বদলে অকৃতজ্ঞতা
প্রকাশ করে এবং তারা তাদের সম্প্রদায়কে নামিয়ে আনে ধ্বংসের ক্ষেত্রে” ( ১৪ : ২৮) ৷
ইবন আব্বাস (রা) বলেন, আয়াতে উল্লেখিত ব্লু অর্থ মুহাম্মদ (না) এবং ;-,: fl ’,
৷ ,$ এ৷ ৷ ধ্ ৷ট্রু, এর অর্থ কুরায়শের কাফিরর৷ ৷ অর্থাৎ যারাই র্তাছুক অবিশ্বাস করবে,
যে কোন যুগেই হোক না কেন, তারাই এ আয়াতের আওতায় পড়বে ৷ যেমন অপর আয়াতে
আল্লাহ্ বলেছেনং : : ষ্ট্রু “অর্থাৎ-অন্যান্য দলের
যারাই একে অস্বীকার করে আগুনই তাদের প্রতিশ্রুত স্থান (১ ১ ১ ৭) ৷
আবু নুআয়ম লিখেছেন, যদি প্রশ্ন করা হয় যে, আল্লাহ্ হযরত নুহ (আ) কে তার
গুণবাচক নাম দ্বারা নাম রেখেহ্নো, যেমন তিনি বলেছেনং : ৷ ,স্£ ৷ণ্ ষ্া£ ৫ ৷ “সে তো
ছিল পরম কৃতজ্ঞ বান্দা (১ ৭ : ৩) ৷
তবে এর উত্তরে বলা যায় যে, মুহাম্মদ (সা) কে আ ল্লাহ্ তার দু’টি গুণবাচক নাম দ্বারা
নাম রেখেছেন যেমনং : ৰুট্রু ন্ক্ট্র ,দ্বু) ট্রু দ্ভুট্রুদ্বুা “মুমিনদের প্রতি তিনি দয়ার্দু ও পরম
দয়ালু ( ৯৪ ১২৮) ৷
আল্লাহ্ অন্যান্য নবীগণকে তাদের নাম ধরে আহ্বান করেছেন, যেমন হে নুহ্ (’:ং,’;;),
হে ইব্রাহীম (ন্পু ৷ৰু,র্দুরু৷ ৷ট্রু) , হে মুসা ( ৰু,’ ) , হে দউিদ (টু;ট্র ৷ ৷টু ) , হে ইয়াহ্ইয়৷ ( ৷টু
পক্ষান্তরে মুহাম্মদ (সা)শ্ণ্ক
আহ্বান করেছেন এভাবে যে, হে রাসুল (ট্রুার্টু এ ৷ ৷চুট্রুা£ ), হে নবী ( টু৷ ৷ ঢুট্রুৰুট্রুাৰু), হে
কমলিওয়ালা ৷ এগুলি নিঃসন্দেহে
সম্মানসুচক উপাধি ৷
মুশরিকগণ অন্যান্য নবীদেরকে পাগল, নির্বোধ ইত্যাদি কট্রুক্তি করলে তার উত্তর নবীগণ
নিজেদের পক্ষ থেকেই দিতেন ব্লুট্রুট্রুন্াটু
ষ্ এএে ৷ ;, ট্রু, টুৰু) দুেহ্রাট্রু “হে আমার সম্প্রদায়, আমি নির্বোধ নই, বরং আমি
সমগ্র জগতের প্ৰতিপালকের রাসুল (৭ আরাফ : ৬৭) ৷
الْغَرْبِيِّ إِلَى الْبَحْرِ الشَّرْقِيِّ، كَمَا قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «إِنَّ اللَّهَ زَوَى لِيَ الْأَرْضَ فَرَأَيْتُ مَشَارِقَهَا وَمَغَارِبَهَا، وَسَيَبْلُغُ مُلْكُ أُمَّتِي مَا زُوِيَ لِي مِنْهَا» . وَقَالَ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «إِذَا هَلَكَ قَيْصَرُ فَلَا قَيْصَرَ بَعْدَهُ، وَإِذَا هَلَكَ كِسْرَى فَلَا كِسْرَى بَعْدَهُ، وَالَّذِي نَفْسِي بِيَدِهِ لَتُنْفَقَنَّ كُنُوزُهُمَا فِي سَبِيلِ اللَّهِ» . وَكَذَلِكَ وَقَعَ سَوَاءً بِسَوَاءٍ، فَقَدِ اسْتَوْسَقَتِ الْمَمَالِكُ الْإِسْلَامِيَّةُ عَلَى مُلْكِ قَيْصَرَ وَحَوَاصِلِهِ إِلَّا الْقُسْطَنْطِينِيَّةَ وَجَمِيعِ مَمَالِكِ كِسْرَى وَبِلَادِ الْمَشْرِقِ، وَإِلَى أَقْصَى بِلَادِ الْمَغْرِبِ، إِلَى أَنْ قُتِلَ عُثْمَانُ فِي سَنَةِ سِتٍّ وَثَلَاثِينَ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، وَقَبَّحَ قَاتِلِيهِ، فَكَمَا عَمَّتْ جَمِيعَ أَهْلِ الْأَرْضِ النِّقْمَةُ بِدَعْوَةِ نُوحٍ، عَلَيْهِ السَّلَامُ، لَمَّا رَأَى مَا هُمْ عَلَيْهِ مِنَ التَّمَادِي فِي الضَّلَالِ وَالْكُفْرِ وَالْفُجُورِ، فَدَعَا عَلَيْهِمْ ; غَضَبًا لِلَّهِ وَلِدِينِهِ وَرِسَالَتِهِ، فَاسْتَجَابَ اللَّهُ لَهُ، وَغَضِبَ لِغَضَبِهِ، وَانْتَقَمَ مِنْهُمْ بِسَبَبِهِ، كَذَلِكَ عَمَّتْ جَمِيعَ أَهْلِ الْأَرْضِ النِّعْمَةُ بِبَرَكَةِ رِسَالَةِ مُحَمَّدٍ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَدَعْوَتِهِ، فَآمَنَ مَنْ آمَنَ مِنَ النَّاسِ، وَقَامَتِ الْحُجَّةُ عَلَى مَنْ كَفَرَ مِنْهُمْ، كَمَا قَالَ تَعَالَى: {" وَمَا أَرْسَلْنَاكَ إِلَّا رَحْمَةً لِلْعَالَمِينَ "} [الأنبياء: 107] . وَكَمَا قَالَ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " «إِنَّمَا أَنَا رَحْمَةٌ مُهْدَاةٌ» ".
পৃষ্ঠা - ৫১৫৫
হযরত হুদ (আ)ও তার সম্প্রদায়কে ঠিক অনুরুপ উত্তর দিয়েছিলেন ৷ যিরআউন যখন
মুসা আমি তাে মনে
করি তুমি যাদুগ্নস্ত” ৷ তার উত্তরে মুসা (আ) বলেছিলেন
“তুমি অবশ্যই অবগত আছ যে, এই সমস্ত স্পষ্ট নিদর্শন আকশেমন্ডলী ও পৃথিবীর
প্ৰতিপালকই অবতীর্ণ করেছেন প্রত্যক্ষ প্রমাণ স্বরুপ ৷ হে ফির আউল! আমি তো দেখতে পাচ্ছি
তোমার ধ্বংস আসন্ন” (১৭ ইসরা০ ১০১, ১০২) ৷
পক্ষাতরে এ সব ক্ষেত্রে হযরত মুহাম্মদ (সা) এর ণ্বলায় আল্পাহ্ নিজেই তার নবীর পক্ষ
হয়ে মুশরিকদের উত্তর দিয়েছেন ৷ যেমন বলেছেন
ান্
ট্রু;া
ধ্
“ওরা বলে, ওহে যার প্রতি কুরআন অবতীর্ণ হয়েছে, তুমি তো নিশ্চয় উমাদ ৷ তুমি
সত্যবাদী হলে আমাদের নিকট ফেরেশতাগণকে উপস্থিত করছ না কেন”? (১৫ হিজর৪
া
পরবর্তীআয়াতে বলেছেন :
“আমি ণ্ফারশতাদেরাক প্রেরণ করি না যথার্থ কারণ ব্যতীত; ফেরেশতারা উপস্থিত হলে
ওরা আর তখন অবকাশ পাবে না ( ১৫ হিজর : ৮) ৷
অন্যত্র আল্লাহ্ বলেন : শ্
র্মশ্শ্ণ্শ্ণ্ষ্
ণ্এ ;১া
া
“তারা বলে, এগুলি তো সেকালের উপকথা, যা সেন্লিখিয়ে নিয়েছে; এগুলি সকাল-সন্ধ্যড়া
তার নিকট পাঠ করা হয় ৷ বল, এটা তিনিই অবতীর্ণ করেছেন যিনি আকাশমন্ডলী ও পৃথিবীর
সমুদয় রহস্য অবগত আছেন, তিনি ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু” (২৫ ফুরকানং : ৫) ৷
(
ণ্
“ওর৷ কি বলতে চায়, সে একজন কবি ? আমরা তার জন্য কালের বিপর্যয়ের অপেক্ষা
করছি ৷ বল্ তোমরা প্রতীক্ষা কর, আমিও তোমাদের সাথে প্ৰতীক্ষা করছি” (৬২ তুর :
৩০৩১)
০ ) ;, শ্
¢
وَقَالَ هِشَامُ بْنُ عَمَّارٍ فِي كِتَابِ " الْمَبْعَثِ ": حَدَّثَنِي عِيسَى بْنُ عَبْدِ اللَّهِ النُّعْمَانِيُّ، حَدَّثَنَا الْمَسْعُودِيُّ عَنْ سَعِيدِ بْنِ أَبِي سَعِيدٍ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ جُبَيْرٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ فِي قَوْلِهِ: {" وَمَا أَرْسَلْنَاكَ إِلَّا رَحْمَةً لِلْعَالَمِينَ "} [الأنبياء: 107] قَالَ: مَنْ آمَنَ بِاللَّهِ وَرُسُلِهِ تَمَّتْ لَهُ الرَّحْمَةُ فِي الدُّنْيَا وَالْآخِرَةِ، وَمَنْ لَمْ يُؤْمِنْ بِاللَّهِ وَرُسُلِهِ عُوفِيَ مِنْ تَعْجِيلِ مَا كَانَ يُصِيبُ الْأُمَمَ قَبْلَ ذَلِكَ مِنَ الْعَذَابِ وَالْفِتَنِ وَالْقَذْفِ وَالْخَسْفِ. وَقَالَ تَعَالَى: " {أَلَمْ تَرَ إِلَى الَّذِينَ بَدَّلُوا نِعْمَةَ اللَّهِ كُفْرًا وَأَحَلُّوا قَوْمَهُمْ دَارَ الْبَوَارِ "} [إبراهيم: 28] . قَالَ ابْنُ عَبَّاسٍ النِّعْمَةُ مُحَمَّدٌ، وَالَّذِينَ بَدَّلُوا نِعْمَةَ اللَّهِ كُفْرًا هُمْ كُفَّارُ قُرَيْشٍ. يَعْنِي: وَكَذَلِكَ كُلُّ مَنْ كَذَّبَ بِهِ مِنْ سَائِرِ النَّاسِ، كَمَا قَالَ تَعَالَى: {" وَمَنْ يَكْفُرْ بِهِ مِنَ الْأَحْزَابِ فَالنَّارُ مَوْعِدُهُ "} [هود: 17] .
قَالَ أَبُو نُعَيْمٍ: فَإِنْ قِيلَ: فَقَدْ سَمَّى اللَّهُ نُوحًا، عَلَيْهِ السَّلَامُ، بِاسْمٍ مِنْ أَسْمَائِهِ الْحُسْنَى فَقَالَ {" إِنَّهُ كَانَ عَبْدًا شَكُورًا "} [الإسراء: 3] . قُلْنَا: وَقَدْ سَمَّى اللَّهُ مُحَمَّدًا صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِاسْمَيْنِ مِنْ أَسْمَائِهِ فَقَالَ: {" بِالْمُؤْمِنِينَ رَءُوفٌ رَحِيمٌ "} [التوبة: 128] . قَالَ: وَقَدْ خَاطَبَ اللَّهُ الْأَنْبِيَاءَ بِأَسْمَائِهِمْ، يَا نُوحُ، يَا إِبْرَاهِيمُ، يَا مُوسَى، يَا دَاوُدُ، يَا يَحْيَى، يَا عِيسَى ابْنَ مَرْيَمَ. وَقَالَ مُخَاطِبًا لِمُحَمَّدٍ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " يَا أَيُّهَا الرَّسُولُ " " يَا أَيُّهَا النَّبِيُّ " {" يَا أَيُّهَا الْمُزَّمِّلُ " - " يَا أَيُّهَا الْمُدَّثِّرُ "} [المدثر: 1] وَذَلِكَ قَائِمٌ مَقَامَ الْكُنْيَةِ بِصِفَةِ الشَّرَفِ، وَلَمَّا نَسَبَ الْمُشْرِكُونَ أَنْبِيَاءَهُمْ إِلَى السَّفَهِ، وَالْجُنُونِ، كُلٌّ أَجَابَ عَنْ نَفْسِهِ ; قَالَ نُوحٌ " {يَاقَوْمِ لَيْسَ بِي ضَلَالَةٌ وَلَكِنِّي رَسُولٌ مِنْ رَبِّ الْعَالَمِينَ} [الأعراف: 61] " [الْأَعْرَافِ: 61]
পৃষ্ঠা - ৫১৫৬
وَكَذَا قَالَ هُودٌ، عَلَيْهِ السَّلَامُ، وَلَمَّا قَالَ فِرْعَوْنُ: {" وَإِنِّي لَأَظُنُّكَ يَا مُوسَى مَسْحُورًا "} [الإسراء: 101] . قَالَ مُوسَى: " {لَقَدْ عَلِمْتَ مَا أَنْزَلَ هَؤُلَاءِ إِلَّا رَبُّ السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضِ بَصَائِرَ وَإِنِّي لَأَظُنُّكَ يَافِرْعَوْنُ مَثْبُورًا "} [الإسراء: 102] . إِلَى أَمْثَالِ ذَلِكَ. وَأَمَّا مُحَمَّدٌ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَإِنَّ اللَّهَ تَعَالَى هُوَ الَّذِي يَتَوَلَّى جَوَابَهُمْ عَنْهُ بِنَفْسِهِ الْكَرِيمَةِ، كَمَا قَالَ: {" وَقَالُوا يَا أَيُّهَا الَّذِي نُزِّلَ عَلَيْهِ الذِّكْرُ إِنَّكَ لَمَجْنُونٌ لَوْ مَا تَأْتِينَا بِالْمَلَائِكَةِ إِنْ كُنْتَ مِنَ الصَّادِقِينَ "} [الحجر: 6] قَالَ اللَّهُ تَعَالَى: " {مَا نُنَزِّلُ الْمَلَائِكَةَ إِلَّا بِالْحَقِّ وَمَا كَانُوا إِذًا مُنْظَرِينَ "} [الحجر: 8]
[الْفُرْقَانِ: 5، 6] . {" أَمْ يَقُولُونَ شَاعِرٌ نَتَرَبَّصُ بِهِ رَيْبَ الْمَنُونِ قُلْ تَرَبَّصُوا فَإِنِّي مَعَكُمْ مِنَ الْمُتَرَبِّصِينَ "} [الطور: 30]
[الْحَاقَّةِ: 41 - 43] . {" وَإِنْ يَكَادُ الَّذِينَ كَفَرُوا لَيُزْلِقُونَكَ بِأَبْصَارِهِمْ لَمَّا سَمِعُوا الذِّكْرَ وَيَقُولُونَ إِنَّهُ لَمَجْنُونٌ "} [القلم: 51] قَالَ اللَّهُ تَعَالَى: {" وَمَا هُوَ إِلَّا ذِكْرٌ لِلْعَالَمِينَ "} [القلم: 52]
[الْقَلَمِ: 1 - 4] . وَقَالَ تَعَالَى: {" وَلَقَدْ نَعْلَمُ أَنَّهُمْ يَقُولُونَ إِنَّمَا يُعَلِّمُهُ بَشَرٌ لِسَانُ الَّذِي يُلْحِدُونَ إِلَيْهِ أَعْجَمِيٌّ وَهَذَا لِسَانٌ عَرَبِيٌّ مُبِينٌ "} [النحل: 103] .