سنة إحدى عشرة من الهجرة
فصل: إيراد ما بقي علينا من متعلقات السيرة الشريفة
معجزات لرسول الله صلى الله عليه وسلم مماثلة لمعجزات جماعة من الأنبياء قبله
خبر أول من اقتحم دجلة
পৃষ্ঠা - ৫১৪৪
উপরের কাপড় সরিয়ে দিল ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) ও মায়ের ইনতিকালের পরেও দীর্ঘদিন সে
জীবিত থাকে ৷
হযরত আনাস বলেন, এরপর হযরত উমর ইবন খাত্তাব (বা) আলা ইবন হায্রামির
নেতৃত্বে এক অভিযান প্রেরণ করেন৷ আনাস (বা) বলেন, আমিও সে অভিযানে অংশ গ্রহণ
করি ৷ যুদ্ধের স্থানে পৌছে দেখি শত্রুবাহিনী সে স্থান ত্যাগ করে চলে গেছে এবং পানির
উৎসসমুহ বন্ধ করে দিয়েছে ৷ তখন ছিল গ্রীষ্মকাল, প্রচণ্ড গরমে পিপাসায় আমরা কাতর হয়ে
পড়ি ৷ পশুগুলােরও একই অবস্থা ৷ সেদিন ছিল শুক্রবার ৷ সুর্য পশ্চিমে হেলে পেলে আলা ইবন
হড়াযরামী আমাদেরকে সাথে নিয়ে দু’রাকাআত সালাত আদায় করে আকাশ পানে হাত উত্তোলন
করেন ৷ আকাশে মেঘের চিহ্নও ছিল না ৷ হযরত আনাস বলেন, আল্লাহ্র কসম৷ হাযরামির
হাত নিচে না নামতেই শীতল বায়ু প্রবাহিত হল ৷ মেঘ পুঞ্জিভুত হল এবং সাথে সাথেই বৃষ্টি
বর্ধিত হল ৷ আমরা পানি পান করলাম, পশুদেরকে পান করালাম এবং সংরক্ষণ করে রাখলাম ৷
অতঃপর আমরা শত্রুদের দিকে অগ্রসর হলাম ৷ ইতিমধ্যে তারা এক দ্বীপে উঠার জন্য উপসাগর
পাড়ি দেয় ৷ আমাদের নেতা আলা হড়াযরামী উপসাগ্যরর তীরে দাড়িয়ে প্রার্থনা করলেন : হে
বিরাট, হে মহলে, হে ধৈর্যশীল, হে করুণাময় অতঃপর
বললেন, আল্লাহ্র নামে তোমরা সমুদ্র অতিক্রম কর ৷ আনাস (বা) বলেন, আমরা সমুদ্র পাড়ি
দিলাম; কিভু আমাদের পশুগুলোর পায়ের ক্ষুরও পানিতে ভিজলো না ৷ অল্পক্ষণ পরেই আমরা
দ্বীপের উপর শত্রুদেরকে ধরে ফেলি ৷ তাদের অনেককেহতদ্রড়া করি এবং অবশিষ্টদেরকে বন্দী
করি ৷ তারপর পুনরায় আমরা উপ-সার্গরের তীরে আমি এবং আমাদের আমীর পুর্বের ন্যায়
প্রার্থনা করেন ৷ সুতরাং আমরা উপসাগর সাওয়ার অবস্থায় পাড়ি দিই এবং আমাদের পশুগুলাের
পায়ের ক্ষুরও পানাি ত ভেজেনি ৷
এরপর হযরত আনাস ইবন মালিক (রা) আলা হায্রামির ইনতিকালের বর্ণনা দেন ৷
বলেন, র্তাকে এমন এক স্থানে দাফন করা হয় যে স্থানের মাটি দাফনের জন্য অনুপযুক্ত ছিল ৷
তাই ণ্লাকজন তার শবদেহ অন্যত্র সরিয়ে নেয়ার জন্য কবরের মাটি খুড়ল ৷ কিভু তার লাশ
পাওয়া গেল না ৷ অথচ কবরটি নুরের জ্যোতিতে চমকাচ্ছিল ৷ সুতরাং লোকজন পুনরায় কবরটি
মাটি দ্বারা ডরাট করে দিয়ে প্রত্যাবর্তন করল ৷ এই ঘটনায় মহিলার প্রার্থনায় পুত্রের জীবন
লাভের সাথে ঈসা (আ)-এর মুর্মুজিযা এবং আলা হায্রামির সাগর পাড়ি দেয়ার সাথে মুসা
(আ)-এর মুজিযার সাদৃশ্য রয়েছে যার বিবরণ পরে দেয়া হবে ৷
আলা ইবন হায্রামির ঘটনার মত আর একটি ঘটনা
ইমাম বায়হাকীর দালইিল’ গ্রন্থে উল্লেখিত এ ঘটনাটিও ইতিপুর্বে একবার বলা হয়েছে ৷
ণ্ সুলাযমান ইবন মারওয়ান আমাশ জনৈক সাথীর বরাতে বর্ণনা করেন : আমরা একবার
দাজলায় উপনীত হই ৷ দাজলা (নদী) আরব ও আজমের মধ্যবর্তী সীমানা ৷ দাজলায় অপর
পাড়ে আজম এলাকা ৷ মুসলিম বাহিনীর মধ্য থেকে একজন বিসৃমিল্লাহ্ বলে ঘোড়ার আরোহণ
করে নদীর পানির উপর দিয়ে চলে গেল ৷ তার পশ্চাতে অন্যান্য লোকও বিসৃমিল্লাহ্ বলে
ঘোড়ার চড়ে পানির উপর দিয়ে রওয়ানা হল ৷ আজমীরা তাদের দিকে অবাক দৃষ্টিতে তাকিয়ে
বললাে পাগল ! পাগল! এরপর মুসলমানরা সম্মুখে অগ্রসর হয় ৷ নদী অতিক্রম কালে
بِدُعَائِهَا، وَسَنُنَبِّهُ عَلَى ذَلِكَ فِيمَا يَتَعَلَّقُ بِمُعْجِزَاتِ الْمَسِيحِ عِيسَى ابْنِ مَرْيَمَ، مَعَ مَا يُشَابِهُهَا، إِنْ شَاءَ اللَّهُ تَعَالَى، كَمَا سَنُشِيرُ إِلَى قِصَّةِ الْعَلَاءِ هَذِهِ مَعَ مَا سَنُورِدُهُ مَعَهَا هَا هُنَا فِيمَا يَتَعَلَّقُ بِمُعْجِزَاتِ مُوسَى، عَلَيْهِ السَّلَامُ، فِي قِصَّةِ فَلْقِ الْبَحْرِ لِبَنِي إِسْرَائِيلَ، وَقَدْ أَرْشَدَ إِلَى ذَلِكَ شَيْخُنَا فِي عُيُونِ كَلَامِهِ.
[خَبَرُ أَوَّلِ مَنِ اقْتَحَمَ دِجْلَةَ]
قِصَّةٌ أُخْرَى تُشْبِهُ قِصَّةَ الْعَلَاءِ بْنِ الْحَضْرَمِيِّ.
رَوَى الْبَيْهَقِيُّ فِي " الدَّلَائِلِ " - وَقَدْ تَقَدَّمَ ذَلِكَ أَيْضًا - مِنْ طَرِيقِ سُلَيْمَانَ بْنِ مِهْرَانَ الْأَعْمَشِ، عَنْ بَعْضِ أَصْحَابِهِ قَالَ: انْتَهَيْنَا إِلَى دِجْلَةَ وَهِيَ مَادَّةٌ وَالْأَعَاجِمُ خَلْفَهَا، فَقَالَ رَجُلٌ مِنَ الْمُسْلِمِينَ: بِسْمِ اللَّهِ، ثُمَّ اقْتَحَمَ بِفَرَسِهِ فَارْتَفَعَ عَلَى الْمَاءِ. فَقَالَ النَّاسُ: بِسْمِ اللَّهِ. ثُمَّ اقْتَحَمُوا فَارْتَفَعُوا عَلَى الْمَاءِ، فَنَظَرَ إِلَيْهِمُ الْأَعَاجِمُ وَقَالُوا: دِيوَانُ، دِيوَانُ. أَيْ مَجَانِينُ، ثُمَّ ذَهَبُوا عَلَى وُجُوهِهِمْ. قَالَ: فَمَا فَقَدَ النَّاسُ إِلَّا قَدَحًا كَانَ مُعَلَّقًا بِعَذَبَةِ سَرْجٍ، فَلَمَّا خَرَجُوا أَصَابُوا الْغَنَائِمَ وَاقْتَسَمُوا، فَجَعَلَ الرَّجُلُ يَقُولُ: مَنْ يُبَادِلُ صَفْرَاءَ بِبَيْضَاءَ؟ وَقَدْ ذَكَرْنَا فِي " السِّيرَةِ الْعُمَرِيَّةِ " وَأَيَّامِهَا، وَفِي " التَّفْسِيرِ " أَيْضًا أَنَّ أَوَّلَ مَنِ اقْتَحَمَ دِجْلَةَ يَوْمَئِذٍ أَبُو عَبِيدٍ الثَّقَفِيُّ أَمِيرُ الْجُيُوشِ فِي أَيَّامِ عُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، وَأَنَّهُ نَظَرَ إِلَى دِجْلَةَ فَتَلَا قَوْلَهُ تَعَالَى: " {وَمَا كَانَ لِنَفْسٍ أَنْ تَمُوتَ إِلَّا بِإِذْنِ اللَّهِ كِتَابًا مُؤَجَّلًا "} [آل عمران: 145] . ثُمَّ سَمَّى اللَّهَ تَعَالَى وَاقْتَحَمَ بِفَرَسِهِ الْمَاءَ،