سنة إحدى عشرة من الهجرة
فصل: إيراد ما بقي علينا من متعلقات السيرة الشريفة
معجزات لرسول الله صلى الله عليه وسلم مماثلة لمعجزات جماعة من الأنبياء قبله
من أعظم معجزات رسول الله القرآن العظيم
পৃষ্ঠা - ৫১৩৫
যুগে, এর পুর্বের যুগে এবং তারও পুর্বের যুগে অধিক মাত্রায় পরিলক্ষিত হয় ৷ এ দল দু’টি হল
সে সব জল্লাদ, যাদেরকে রিজালাহ্ ও জালদারিয়াহ্ বলে আখ্যায়িত করা হয় এবং ঐসব মহিলা
যাদেরকে পোশাক পরা সত্বেও উলঙ্গের ন্যায় দেখায় ৷ অর্থাৎ এমন পোশাক পরে, যার দ্বারা
গুপ্তাঙ্গ প্রকাশ পায় ৷ বরং তাকে আরও লোভনীয়, আরো আকর্ষণীয় করে তোলে ৷ অঙ্গতংগি
করে পথ চলে এবং অন্যের দৃষ্টি আকর্ষণ করে ৷ এ যুগে এবং পুর্বের যুগে নারীদের এ অশুভ
আচরণ অত্যধিক বেড়ে গেছে ৷ নবুওতের সভ্যতার এটা একটি বড় প্রমাণ ৷ কেননা, নবী করীম
(সা) যা বলে গেছেন তা পুংতািবে বাস্তবে প্রকাশ পাচ্ছে ৷ এ প্রসংগে জাবিরের হাদীস পুর্বেই
উল্লেখিত হয়েছে ৷ ঐ হাদীসে আছে যে, শীঘ্রই সুক্ষ্ণ ও মিহিন কাপড় তৈরী হয়ে ৷ জাৰিরের শ্রী
পরবর্তীকালে এ হাদীসের সত্যতা বাস্তবে প্রত্যক্ষ করেন ৷
আরেকটি হাদীস : প্রাচুর্য ও তার কুফল সম্পর্কে
ইমাম আহমদ, আবদুস সামাদ দাউদ ইবন আবু হিন্দ থেকে এবং বায়হাকী
তালহা ইবন আমর বসরী থেকে বর্ণনা করেন যে, তালহা ইবন আমর রাসুলুল্লাহ্ (সা)এর
সাথে সাক্ষাতের উদ্দেশ্যে মদীনায় আগমন করেন ৷ নবী করীম (সা ) তখন সালাত আদায়
করছিলেন ৷ এমন সময় একজন লোক এসে আরব করল ইয়া রাসুলাল্লাহ্ ! আমাদের বাড়িঘর
আগুনে পুড়ে গেছে এবং সেসাথে আমাদের খেজুর ও খেজুর বাগান জ্বলে গেছে ৷ তার কথা
শেষ হলে রাসুলুল্লাহ্ (সা) আল্লাহ্র প্রশংসা করে বললেন, আমাকে ও আমার সাথীকে দেখেছ
যে, শুকনো খুরমা ব্যতীত অন্য কোন খাদ্য ছিল না ৷ যখন আমরা আনসার ভাইদের মাঝে
আসলাম তখন তারা তাজা খেজুর দ্বারা আমাদেরকে পরিতৃপ্ত করে ৷ এ তাজা খেজুরই তাদের
সাধারণ খাদ্য ৷ জেনে রেখ, সেই সত্তার কসম, যিনি ব্যতীত অন্য কোন ইলাহ্ নেই আমি
যদি তোমাদের জন্য রুটি ও খেজুরকে খাদ্যরুপে নির্দিষ্ট করে যেতে পারতাম তবে তাই
করতাম ৷ বিক্ষ্ম অচিরেই তোমাদের অবস্থার পরিবর্তন হবে এবং এমন এক সময় আসবে, যখন
তোমাদের পরিধেয় পোশাক কা’বা ঘরের গিলাফের ন্যায় মুল্যবান হবে এবং সকাল-সন্ধ্যায়
উন্নত মানের রকমারি খাদ্য তোমাদের সামনে পরিবেশিত হবে ৷
উপস্থিত সবাই জিজ্ঞেস করলেন, ইয়৷ রাসুলাল্পাহ্ ! ঐ অবস্থায় আমরা উত্তম মানুষ, না
বর্তমান অবস্থায়? তিনি বললেন, বর্তমান অবস্থায় ৷ এখন তো তোমরা পরস্পর ভ্রাতৃবন্ধনে
আবদ্ধ, আর ঐ সময় তোমরা পরস্পর পরস্পরের রক্তপাত ঘটাবে ৷ সুফিয়ান ছাওরী আবু
মুসা থেকে বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ্ (সা) বলেছেন : আমার উষ্মতগণ যখন অহংকারের সাথে
দম্ভভরে পথ চলবে এবং পারস্য ও রোমকগণ তাদের সেবা করবে, তখন আল্লাহ্ তাদের এক
দলকে অন্য দলের বিরুদ্ধে লাগিয়ে দেবেন ৷ বায়হাকী ইবন উমর (রা) থেকেও এরুপ
একটি বর্ণনা উল্লেখ করেছেন ৷
হাদীস : ঈসা (আ)-এর পুনরাণমন সম্পর্কে
আবু দাউদ, সুলায়মান আবু আলকামা আবু হুরায়রা (রা) সুত্র বর্ণনা করেন,
রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর বরাতে যে, তিনি বলেছেন, আমার যতদুর মনে হয় আবু হুরায়রা
জানিয়েছেন ;; আল্লাহ এই উম্মতের স্বার্থে প্রতি শতাব্দীর শেষে এমন এক ব্যক্তিকে প্রেরণ
করবেন, যে ব্যক্তি দীনের বিষয়বস্তুকে নতুনভাবে উষ্মতের সামনে তুলে ধরবে :
فَعَلُوا مِنَ الْعُدْوَانِ، وَفِي هَذَا حِكْمَةٌ عَظِيمَةٌ، وَهُوَ أَنْ يَنْزِلَ عَلَى هَذِهِ الْمَبْنِيَّةِ مِنْ أَمْوَالِهِمْ عِيسَى ابْنُ مَرْيَمَ نَبِيُّ اللَّهِ، فَيُكَذِّبَهُمْ فِيمَا افْتَرَوْهُ عَلَيْهِ مِنَ الْكَذِبِ عَلَيْهِ وَعَلَى اللَّهِ، وَيَكْسِرَ الصَّلِيبَ، وَيَقْتُلَ الْخِنْزِيرَ، وَيَضَعَ الْجِزْيَةَ - أَيْ يَتْرُكُهَا - وَلَا يَقْبَلُ مِنْ أَحَدٍ مِنْهُمْ وَلَا مِنْ غَيْرِهِمْ إِلَّا الْإِسْلَامَ، يَعْنِي أَوْ يَقْتُلُهُ، وَقَدْ أَخْبَرَ بِهَذَا عَنْهُ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَقَرَّرَهُ عَلَيْهِ وَسَوَّغَهُ لَهُ، صَلَوَاتُ اللَّهِ وَسَلَامُهُ عَلَيْهِ دَائِمًا إِلَى يَوْمِ الدِّينِ، وَعَلَى آلِهِ وَصَحْبِهِ أَجْمَعِينَ وَالتَّابِعِينَ لَهُمْ بِإِحْسَانٍ.
[مُعْجِزَاتٌ لِرَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مُمَاثِلَةٌ لِمُعْجِزَاتِ جَمَاعَةٍ مِنَ الْأَنْبِيَاءِ قَبْلَهُ]
[مِنْ أَعْظَمِ مُعْجِزَاتِ رَسُولِ اللَّهِ الْقُرْآنُ الْعَظِيمُ]
بَابٌ مُعْجِزَاتٌ لِرَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، مُمَاثِلَةٌ لِمُعْجِزَاتِ جَمَاعَةٍ مِنَ الْأَنْبِيَاءِ قَبْلَهُ.
التَّنْبِيهُ عَلَى ذِكْرِ مُعْجِزَاتٍ لِرَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، مُمَاثِلَةٍ لِمُعْجِزَاتِ جَمَاعَةٍ مِنَ الْأَنْبِيَاءِ قَبْلَهُ، أَوْ أَعْلَى مِنْهَا، خَارِجًا عَمَّا اخْتَصَّ بِهِ مِنَ الْمُعْجِزَاتِ الْعَظِيمَةِ الَّتِي لَمْ تَكُنْ لِأَحَدٍ قَبْلَهُ مِنْهُمْ، عَلَيْهِمُ السَّلَامُ.
فَمِنْ ذَلِكَ الْقُرْآنُ الْعَظِيمُ الَّذِي لَا يَأْتِيهِ الْبَاطِلُ مِنْ بَيْنِ يَدَيْهِ وَلَا مِنْ خَلْفِهِ تَنْزِيلٌ مِنْ حَكِيمٍ حَمِيدٍ، فَإِنَّهُ مُعْجِزَةٌ مُسْتَمِرَّةٌ عَلَى الْآبَادِ، وَلَا يَخْفَى بُرْهَانُهَا، وَلَا يَنْخَفِضُ شَأْنُهَا، وَقَدْ تَحَدَّى بِهِ الثَّقَلَيْنِ مِنَ الْجِنِّ وَالْإِنْسِ عَلَى أَنْ يَأْتُوا بِمِثْلِهِ
পৃষ্ঠা - ৫১৩৬
আবু দাউদ বলেন, প্রত্যেক শ্রেণীর আলিমগণ প্রতি শতাব্দীর শেষে এ হাদীসকে নিজ নিজ
শ্রেণীর শ্রেষ্ঠ আলিমেৱ ক্ষেত্রে প্রয়োগ করে থাকেন ৷ একদল আলিম মনে করেন, এ হাদীসটির
আওতায় সেই সকল আলিমই এসে যান, যারা তাদের পুর্বুবর্তীদের থেকে ইল্ম শিক্ষা করে
পরবর্তীদেরকে শিক্ষা দানের মাধ্যমে ফরযে কিফায়া পালন করে যাচ্ছেন ৷ বিভিন্ন হাদীস দ্বারাও
এ মতের সমর্থন পাওয়া যায় ৷ দীনকে নতুন ভাবে পেশ করার অর্থ হল, পরবর্তী লোকদের
হাতে দীনের যে বিকৃতি হয়েছে ও দীনের মধ্যে অতিরঞ্জন করা হয়েছে তা থেকে দীনকে মুক্ত
করা ও বাতিলের মুকাবিলা করা ৷ আমাদের এ অষ্টম শতাব্দীতে আল্লাহর রহমতে এ কাজ চালু
আছে ৷ সহীহ রিওয়ায়াতে এসােছ, (রাসুলুল্লাহ্ (সা) বলেছেন)৪
;,ন্খুঙ্ ১া
আমার উম্মতের একটি দল সর্বদা হকের উপর অটল থাকবে, তাদেরকে সাহায্য পরিত্যাগ
করলে বা কেউ তাদের বিরোধিতা করলে তাদের কিছুমাত্র ক্ষতি করতে পারবে না ৷ তাদের এ
অবস্থায় উপরই আল্লাহর চুড়ান্ত নির্দেশ (কিয়ামত) এসে যাবে ৷ বুখারীতে আছে, এ দলটি
সিরিয়ার অবস্থান করবে ৷ অধিকাৎশ আলিমেৱ মতে হাদীসের খিদমতে আত্মনিয়োগ কারীগণই
এ দলের অন্তর্ভুক্ত ৷ এটাও নবুওতের একটি জ্বলত প্রমাণ ৷ কেননা, বিশ্বের মধ্যে অধিক সংখ্যক
হাদীস বিশারদ সিরিয়ায়ই রয়েছেন, বিশেষ করে দামিশক শহরে ৷ সম্মুখে আলোচনায় জানা
যাবে যে, ফিত্নার যুগে সিরিয়ইি হবে মুসলমানদের ঈমান রক্ষার স্থান ৷
সহীহ মুসলিমে নাওয়াস ইবন সামআন থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ্ (সা) বলেছেন : ঈসা
ইবন মরিয়াম আসমান থেকে পুর্ব দামিশকের শুভ্র মিনারায় অবতরণ করবেন ৷ কিন্তু হাদীসের
মুল শব্দে দামিশৃক শহরের স্পষ্ট উল্লেখ আছে ৷ আমি অবগত হয়েছি যে, কোন কোন পুন্তিকায়
অনুরুপ শব্দাবলীতে দামিশ্কের উল্লেখ রয়েছে ৷ অবশ্য এখনও পর্যন্ত আমি তা প্রত্যক্ষ করিনি ৷
হি সাতশ’ চল্লিশ সনের পরে দামিশকের জামি মসজিদের পুর্ব দিকের শুভ্র মীনারায়
খ্রিস্টানদের দ্বারা ধ্বংসপ্রাপ্ত হলে তাদেরই অর্থ দ্বারা তা পুননির্যাণ করা হয় ৷ এটা আমাদেরই এ
যুগের ঘটনা ৷ এরুপ হওয়াটা খুবই তাৎপর্যপুর্ণ ৷ কেননা, খ্রিষ্টানদের অর্থে নির্মিত প্রাসাদেই
ঈসা ইবন মরিয়াম অবতরণ করবেন ৷ অতঃপর থ্রিষ্টানগণ তার সম্পর্কে ও আল্লাহ সম্পর্কে
যেসব মিথ্যা কথা রচনা করেছে তার বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিবাদ করবেন ৷ তিনি ক্রুশ উৎখাত
করবেন, শুকর হত্যা করবেন (অর্থাৎ হারাম ঘোষণা করবেন) ৷ জিবৃয়া কর প্রত্যাহার করবেন ৷
খ্রিষ্টান ও অথ্রিন্টান কারও থেকে ইসলাম ব্যতীত অন্য কোন দীন মেনে নেবেন না ৷ এ সবেরই
ভবিষ্যদ্বাণী রাসুলুল্লাহ্ (সা) করে গেছেন ৷ তার ও তার সাহাৰীদের প্রতি অসংখ্য দরুদ ও
সালাম কিয়ামত পর্যন্ত বর্ষিত হোক ৷
রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর মুজিযা
অন্যান্য নবী রাসুলগণ্যক যেরুপ মুজিযা প্রদান করা হয়েজ্জি, রাসুলুল্লাহ্ (সা)-কেও
অনুরুপভাবে মু’জিযা দান করা হয়েছে ৷ কিন্তু র্তাকে এমন কতিপয় মুজিযা দেয়া হয়েছে, যা
অভীব মহান, তেমনটি আর কাউকেই দেয়৷ হয়নি ৷ এগুলোর মধ্যে অন্যতম শ্রেষ্ঠ মুজিয়া
أَوْ بِعَشْرِ سُوَرٍ أَوْ بِسُورَةٍ مِنْ مِثْلِهِ، فَعَجَزُوا عَنْ ذَلِكَ، كَمَا تَقَدَّمَ تَقْرِيرُ ذَلِكَ فِي أَوَّلِ كِتَابِ الْمُعْجِزَاتِ، وَقَدْ سَبَقَ الْحَدِيثُ الْمُتَّفَقُ عَلَى إِخْرَاجِهِ فِي " الصَّحِيحَيْنِ " مِنْ طَرِيقِ اللَّيْثِ بْنِ سَعْدٍ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ أَبِي سَعِيدٍ الْمَقْبُرِيِّ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنَّهُ قَالَ: «مَا مِنْ نَبِيٍّ إِلَّا وَقَدْ أُوتِيَ مِنَ الْآيَاتِ مَا آمَنَ عَلَى مِثْلِهِ الْبَشَرُ، وَإِنَّمَا كَانَ الَّذِي أُوتِيتُ وَحْيًا أَوْحَاهُ اللَّهُ إِلَيَّ، فَأَرْجُو أَنْ أَكُونَ أَكْثَرَهُمْ تَابِعًا يَوْمَ الْقِيَامَةِ» . وَالْمَعْنَى أَنَّ كُلَّ نَبِيٍّ قَدْ أُوتِيَ مِنْ خَوَارِقِ الْعَادَاتِ مَا يَقْتَضِي إِيمَانَ مَنْ رَأَى ذَلِكَ مِنْ أُولِي الْبَصَائِرِ وَالنُّهَى، لَا مِنْ أَهْلِ الْعِنَادِ وَالشَّقَاءِ، " وَإِنَّمَا كَانَ الَّذِي أُوتِيتُهُ " ; أَيْ جُلُّهُ وَأَعْظَمُهُ وَأَبْهَرُهُ، الْقُرْآنُ الَّذِي أَوْحَاهُ اللَّهُ إِلَيْهِ، فَإِنَّهُ لَا يَبِيدُ وَلَا يَذْهَبُ كَمَا ذَهَبَتْ مُعْجِزَاتُ الْأَنْبِيَاءِ وَانْقَضَتْ بِانْقِضَاءِ أَيَّامِهِمْ فَلَا تُشَاهَدُ، بَلْ يُخْبَرُ عَنْهَا بِالتَّوَاتُرِ أَوِ الْآحَادِ، بِخِلَافِ الْقُرْآنِ الْعَظِيمِ، فَإِنَّهُ مُعْجِزَةٌ مُتَوَاتِرَةٌ عَنْهُ، مُسْتَمِرَّةٌ دَائِمَةُ الْبَقَاءِ بَعْدَهُ، مَسْمُوعَةٌ لِكُلٍّ مَنْ أَلْقَى السَّمْعَ وَهُوَ شَهِيدٌ.
وَقَدْ تَقَدَّمَ فِي الْخَصَائِصِ ذِكْرُ مَا اخْتُصَّ بِهِ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَنْ بَقِيَّةِ إِخْوَانِهِ مِنَ الْأَنْبِيَاءِ، عَلَيْهِمُ الصَّلَاةُ وَالسَّلَامُ، كَمَا ثَبَتَ فِي " الصَّحِيحَيْنِ " عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ قَالَ: «قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " أُعْطِيتُ خَمْسًا لَمْ يُعْطَهُنَّ أَحَدٌ قَبْلِي ;
পৃষ্ঠা - ৫১৩৭
১ কুরআন মজীদ, এর মধ্যে কোন প্রকার পরিবর্ভা না তার জীবদ্দশায় হয়েছে না তার পরে
হতে পারে ৷ মহাজ্ঞানী আল্লাহ্ব পক্ষ থেকে তা অবতীর্ণ ৷ কুরআন একটা স্থায়ী মু’জিযা, তার
অকাট্য হওয়া কারও কাছে অবিদিত নয়, অথচ কোনটি এর সমতুল্য হতে পারে না ৷ জিন ও
মানব জাতিকে চ্যালেঞ্জ করা হয়েছে যে, পারলে তারা এর অনুরুপ একটি কুরআন বা দশটি
সুরা কিৎরা একটি মাত্র সুরা তৈরী করুক, জ্যি উভয় জাচ্ছি এ চ্যালেঞ্জের মুকাবিলা করতে
ব্যর্থ হয়েছে ৷ মু’জিযার আলোচনায় ইতিপুর্বে এ বিষয়ের উল্লেখ করা হয়েছে ৷ এ প্রসঙ্গে বুখারী
ও মুসলিমে লায়ছ ইবন সাদ ৰু আবু হুরায়রা (রা) সুত্রে বর্ণিত হয়েছে যে, রাসুলুল্লাহ্ (সা)
বলেছেন : পুর্ববর্তী প্রত্যেক নবীবেইি কোন না কোন মু’জিযা দান করা হয়েছে ৷ জ্যি মানুষ
সেভাবে তার উপর ঈমান আনেনি ৷ আর আমাকে যে মু’জিযা দেয়া হয়েছে তা হল আল্লাহ্র
পক্ষ থােক প্রেরিত ওহী ৷ আমি আশা রাখি কিয়ামতের দিনে আমার অনুসারীর সংখ্যা বেশি
হবে ৷ অর্থাৎ পুর্বের নবীগণকে যে সব মু’জিযা দেয়া হয়েছিল তাতে কেবল জ্ঞানী ও দুরদর্শী
ব্যক্তিরইি ঈমান আনত ৷ হিংসুক ও পাপিষ্ঠরা ঈমান আনত না ৷ পক্ষাম্ভরে আমাকে যে মুজিযা
অর্থাৎ কুরআন দেয়া হয়েছে তা অতি মহান ও অতি বড় ৷ কারণ এটা সর্বযুগে থাকবে, কখনও
অপসৃত হবে না ৷ অন্যান্য নবীদের মু’জিযা এরুপ নয় ৷ তাদের যুগ শেষ হয়ে গেছে, কখনও
আর তা প্রত্যক্ষ করা যাবে না ৷ বরং অন্যের মাধ্যমে বহু জনের বর্ণনা পয়ম্পরায় বা একক
বর্ণনার মাধ্যমে কেবল সে সম্পর্কে জানা যায় ৷ অথচ পক্ষান্তরে কুরআন শরীফ আল্লাহ্র পক্ষ
থেকে নাযিলকৃত মুজিযা, যা অব্যাহতভাবে চলছে যার কান আছে সে শুনতে পায় এবং যার
চোখ আছে সে দেখতে পায় ৷
অন্যান্য নবীদের থেকে রাসুলুল্লাহ্ (সা)-কে যেসব বিষয়ে বৈশিষ্ট্যমণ্ডিত করা হয়েছে
খাসাইস’ অধ্যায়ে তা বিশদভাবে আলোচিত হয়েছে ৷ তার কিছু অংশ আমরা পুর্বেই উল্লেখ
করেছি ৷ এ প্রসঙ্গে বুখারী ও মুসলিম শরীফে হযরত জাবির ইবন আবদুল্লাহ্ (রা) থেকে বর্ণিত,
রাসুলুল্পাহ্ (সা) বলেন, আমাকে এমন পড়াচটি জিনিস দান করা হয়েছে যা আমার পুর্বে অন্য
কাউকে দেয়া হয়নি ৷ ১ আমাকে এই সাহায্য দেয়া হয়েছে যে, এক মাসের দুরত্ব থেকে
লোকে আমার প্রভাব অনুভব করে ৷ ২ সমগ্র যমীনকে আমার জন্য নামাষের স্থান ও পাক
সাব্যস্ত করে দেয়া হয়েছে ৷ সুতরাং আমার উম্মতের যে কোন লোক যে কোন স্থানে থাকুক না
কেন, সালাতের সময় হলে সে যেন সেখানেই সালাত আদায় করে ৷ ৩ আমার জন্য গনীমতের
মাল হালাল করা হয়েছে, কিন্তু ইতিপুর্বে অন্য কারও জন্য তা হালাল করা হয়নি : আমাকে
শাফাআতের ইখতিয়ার দেয়া হয়েছে ৷ ৫ অন্যান্য নবীগণআপন আপন জাতির জন্যে নবী
হতেন; কিন্তু আমাকে সমগ্র মানব জাতির জন্য নবী করে প্রেরণ করা হয়েছে :
,
এ সম্পর্কে পুর্বেই আলোচনা করা হয়েছে ৷
نُصِرْتُ بِالرُّعْبِ مَسِيرَةَ شَهْرٍ، وَجُعِلَتْ لِيَ الْأَرْضُ مَسْجِدًا وَطَهُورًا، فَأَيُّمَا رَجُلٍ مِنْ أُمَّتِي أَدْرَكَتْهُ الصَّلَاةُ فَلْيُصَلِّ، وَأُحِلَّتْ لِيَ الْغَنَائِمُ وَلَمْ تَحِلَّ لِأَحَدٍ قَبْلِي، وَأُعْطِيتُ الشَّفَاعَةُ، وَكَانَ النَّبِيُّ يُبْعَثُ إِلَى قَوْمِهِ، وَبُعِثْتُ إِلَى النَّاسِ عَامَّةً» . وَقَدْ تَكَلَّمْنَا عَلَى ذَلِكَ وَمَا شَاكَلَهُ فِيمَا سَلَفَ بِمَا أَغْنَى عَنْ إِعَادَتِهِ، وَلِلَّهِ الْحَمْدُ.
وَقَدْ ذَكَرَ غَيْرُ وَاحِدٍ مِنَ الْعُلَمَاءِ أَنَّ كُلَّ مُعْجِزَةٍ لِنَبِيٍّ مِنَ الْأَنْبِيَاءِ فَهِيَ فِي الْحَقِيقَةِ مُعْجِزَةٌ لِخَاتَمِهِمْ مُحَمَّدٍ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ; وَذَلِكَ أَنَّ كُلًّا مِنْهُمْ بَشَّرَ بِمَبْعَثِهِ، وَأَمَرَ بِمُتَابَعَتِهِ، كَمَا قَالَ تَعَالَى: {وَإِذْ أَخَذَ اللَّهُ مِيثَاقَ النَّبِيِّينَ لَمَا آتَيْتُكُمْ مِنْ كِتَابٍ وَحِكْمَةٍ ثُمَّ جَاءَكُمْ رَسُولٌ مُصَدِّقٌ لِمَا مَعَكُمْ لَتُؤْمِنُنَّ بِهِ وَلَتَنْصُرُنَّهُ قَالَ أَأَقْرَرْتُمْ وَأَخَذْتُمْ عَلَى ذَلِكُمْ إِصْرِي قَالُوا أَقْرَرْنَا قَالَ فَاشْهَدُوا وَأَنَا مَعَكُمْ مِنَ الشَّاهِدِينَ فَمَنْ تَوَلَّى بَعْدَ ذَلِكَ فَأُولَئِكَ هُمُ الْفَاسِقُونَ} [آل عمران: 81]
[آلِ عِمْرَانَ: 82، 81] .
وَقَدْ ذَكَرَ الْبُخَارِيُّ وَغَيْرُهُ عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، أَنَّهُ قَالَ: مَا بَعَثَ اللَّهُ نَبِيًّا مِنَ الْأَنْبِيَاءِ إِلَّا أَخَذَ عَلَيْهِ الْعَهْدَ وَالْمِيثَاقَ لَئِنْ بُعِثَ مُحَمَّدٌ وَهُوَ حَيٌّ لَيُؤْمِنَنَّ بِهِ وَلَيَتَّبِعَنَّهُ، وَأَمَرَهُ أَنْ يَأْخُذَ الْعَهْدَ عَلَى أُمَّتِهِ لَئِنْ بُعِثَ مُحَمَّدٌ وَهُمْ أَحْيَاءٌ لَيُؤْمِنُنَّ بِهِ وَلَيَنْصُرُنَّهُ. .
وَذَكَرَ غَيْرُ وَاحِدٍ مِنَ الْعُلَمَاءِ أَنَّ كَرَامَاتِ الْأَوْلِيَاءِ مُعْجِزَاتٌ لِلْأَنْبِيَاءِ ; لِأَنَّ الْوَلِيَّ إِنَّمَا نَالَ ذَلِكَ بِبَرَكَةِ مُتَابَعَتِهِ لِنَبِيِّهِ، وَثَوَابِ إِيمَانِهِ بِهِ.
পৃষ্ঠা - ৫১৩৮
বহু মনীষী এ মত ব্যক্ত করেছেন যে, পুর্ববর্তী নবীগণের হার যে মু’জিযা ছিল তা শেষ নবী
হযরত মুহাম্মদ (সা) এর মু’জিযা বলেও গণ্য হবে ৷ কারণ তারা প্রতোকেই শেষ নবীর
শুভাগমনের সুসং বাদ দিয়েছেন এবং তিনি আসলে তারই অনুসরণ করার নির্দেশ দিয়েছেন ৷
যেমন আল্লাহ বলেন :
ন্ছু৷ ৷১প্রুা;
ৰুড্রুটুছুাট্রুব্লট্রু৷ ৷ ন্ঠু; এৰুাম্র এ ৷১
অর্থাৎ “স্মরণ কর, যখন আল্লাহ্ নবীদের অঙ্গীকার নিয়েছিলেন ৷৫ তােমাদেরকে কিতাব ও
হিকমত যা কিছু দিয়েছি তার শপথ, আর (৩ ৷মাদের কাছে যা আছে তার সমর্থকরুপে যখন
একজন রাসুল আসবে তখন নিশ্চয় তোমরা তাকে বিশ্বা স করবে এবং তাকে সাহায্য করবে ৷
তিনি বললেন, তে ৷মরা কি স্বীকার করলে এবং এ সম্পর্কে আমার অঙ্গীকার কি গ্রহণ করলে ?
তারা বললো, আমরা স্বীকার করলাম ৷ তিনি বললেন, তবে তোমরা সাক্ষী থাক এবং আমিও
তোমাদের সাথে সাক্ষী রইলাম ৷ এরপর যারা মুখ ফিরিয়ে নেবে তারাই সত্যপথ ত্যাপী
(আলে ইমরানং ৮১ ৮২) ৷
বুখড়ারী ও অন্যান্য হাদীসবেত্তা ইবন আব্বাস (রা)-এর উক্তি বর্ণনা করেছেন যে, আল্লাহ্
দুনিয়ার প্রেরিত প্রত্যেক নবী থেকে এই শপথ ও অঙ্গীকার নিয়েছেন যে, যদি মুহাম্মদের
আবির্ভাব হয় আর ঐ নবী জীবিত থাকে৩ তবে অবশ্যই তিনি তার আনুগত্য করবেন ও তাকে
সাহায্য করবেন ৷ বহু সংখ্যক আলিমের বক্তব্য এই যে, আওলিয়াদের কারামত প্রকৃতপক্ষে
নবীদেরই মু’জিযা ৷ কেননা, কোন ওলী তার সময়ের নবীর প্রতি ঈমান ও তার আনুগত্য করার
বরকতেই কারামত লাভ করে থাকে ৷
এ অধ্যায়ের বিষয়বস্তু সম্পর্কে আমার পুর্ববর্তী ঐতিহাসিকগণ যা কিছু লিখেছেন তা ছিল
ংক্ষিপ্ত ও বিক্ষিপ্ত ৷৩ তাই বন্ধুজনের অনুরোধক্রমে আমি এ বিষয়টিকে স্বতস্ত্র ও পুর্ণাঙ্গভাবে
লিপিবদ্ধ করি ৷ আমার শায়খ ইমাম আবুল হাজ্জাজ বলেছেনং এ বিষয়ে যিনি সর্বপ্রথম কথা
বলেছেন তিনি হলেন আবু আবদুল্লাহ মুহাম্মদ ইবন ইদরীস শাফিঈ (র) ৷ হাফিয আবু বকর
বায়হাকী দালাইলুন নবুওত গ্রন্থে উমর ইবন সাওয়ার থেকে বর্ণনা করেন, ইমাম
শাফিঈ (র) বলেছেনং অন্যান্য নবীদেরকে আল্লাহ্ যে মু ’জিযা দান করেহেন৩ তার সদৃশ মু ’জিযা
মুহাম্মদ (সা) কেও দান করা হয়েছে ৷ আমি বললাম, হযরত ঈসা (আ) কে (তা মৃতকে
জীবিত করার মুজিযা দেয়৷ হয়েছে ৷ তখন ইমাম শাফিঈ (র) বললেন, মুহাম্মদ (সা)-কেণ্ড
এরুপ মু’জিযা দেয়া হয়েছে ৷ তিনি একটি শুকনা খেজুর গাছের উপর ভর দিয়ে খুতবা পাঠ
করতেন ৷ মসজিদের মিম্বর ভৈ৩ রি হলে তিনি ঐ গাছে ভর দেয়৷ ত্যাগ করেন ৷ তখন গাছ স্বশব্দে
রোদন করতে থাকে, সে রোদন সবাই শ্রবণ করে ৷ এটা হযরত ৩ঈসার মৃতকে জীবিত করার
চেয়েও বড় মু’জিযা ৷ এ অধ্যায়ে নবীগণের মু’জিযা ও অলৌকিক ঘটনাবলী প্রতিষ্ঠিত হয়েছে
এবং তার সবগুলিরই শেষ নবী মুহাম্মদ (না)-এর মধ্যে সমাবেশ ঘটেছে ৷ এছাড়া রাসুলুল্লাহ্
وَالْمَقْصُودُ أَنَّهُ كَانَ الْبَاعِثَ لِي عَلَى عَقْدِ هَذَا الْبَابِ أَنِّي وَقَفْتُ عَلَى مُوَلَّدٍ اخْتَصَرَهُ مِنْ " سِيرَةِ " الْإِمَامِ مُحَمَّدِ بْنِ إِسْحَاقَ بْنِ يَسَارٍ وَغَيْرِهَا شَيْخُنَا الْإِمَامُ الْعَلَّامَةُ شَيْخُ الْإِسْلَامِ كَمَالُ الدِّينِ أَبُو الْمَعَالِي مُحَمَّدُ بْنُ عَلِيٍّ الْأَنْصَارِيُّ السِّمَاكِيُّ - نِسْبَةً إِلَى أَبِي دُجَانَةَ سِمِاكِ بْنِ خَرَشَةَ الْأَوْسِيِّ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ - شَيْخُ الشَّافِعِيَّةِ فِي زَمَانِهِ بِلَا مُدَافَعَةٍ، الْمَعْرُوفِ بِابْنِ الزَّمْلَكَانِيِّ، رَحِمَهُ اللَّهُ وَبَلَّ بِالرَّحْمَةِ ثَرَاهُ، وَقَدْ ذَكَرَ فِي أَوَاخِرِهِ شَيْئًا مِنْ فَضَائِلِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَعَقَدَ فَصْلًا فِي هَذَا الْبَابِ فَأَوْرَدَ فِيهِ أَشْيَاءَ حَسَنَةً، وَنَبَّهَ عَلَى فَوَائِدَ جَمَّةٍ، وَفَرَائِدَ مُهِمَّةٍ، وَتَرَكَ أَشْيَاءَ أُخْرَى حَسَنَةً، ذَكَرَهَا غَيْرُهُ مِنَ الْأَئِمَّةِ الْمُتَقَدِّمِينَ، وَلَمْ أَرَهُ اسْتَوْعَبَ الْكَلَامَ إِلَى آخِرِهِ فَإِمَّا أَنَّهُ قَدْ سَقَطَ مِنْ خَطِّهِ، أَوْ أَنَّهُ لَمْ يُكْمِلْ تَصْنِيفَهُ، فَسَأَلَنِي بَعْضُ أَهْلِهِ مِنْ أَصْحَابِنَا مِمَّنْ تَتَأَكَّدُ إِجَابَتُهُ، وَتَكَرَّرَ ذَلِكَ مِنْهُ فِي تَكْمِيلِهِ وَتَذْيِيلِهِ وَتَرْتِيبِهِ، وَتَهْذِيبِهِ، وَالزِّيَادَةِ عَلَيْهِ وَالْإِضَافَةِ إِلَيْهِ، فَاسْتَخَرْتُ اللَّهَ حِينًا مِنَ الدَّهْرِ، ثُمَّ نَشِطْتُ لِذَلِكَ ابْتِغَاءَ الثَّوَابِ وَالْأَجْرِ، وَقَدْ كُنْتُ سَمِعْتُ مِنْ شَيْخِنَا الْإِمَامِ الْعَلَّامَةِ الْحَافِظِ الْجِهْبَذِ أَبِي الْحَجَّاجِ الْمِزِّيِّ، تَغَمَّدَهُ اللَّهُ تَعَالَى بِرَحْمَتِهِ، أَنَّ أَوَّلَ مَنْ تَكَلَّمَ فِي هَذَا الْمَقَامِ الْإِمَامُ أَبُو عَبْدِ اللَّهِ مُحَمَّدُ بْنُ إِدْرِيسَ الشَّافِعِيُّ.
وَقَدْ رَوَى الْحَافِظُ أَبُو بَكْرٍ الْبَيْهَقِيُّ، رَحِمَهُ اللَّهُ، فِي كِتَابِهِ " دَلَائِلِ النُّبُوَّةِ " عَنْ شَيْخِهِ الْحَاكِمِ أَبِي عَبْدِ اللَّهِ، أَخْبَرَنِي أَبُو أَحْمَدَ بْنُ أَبِي الْحَسَنِ، أَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ
পৃষ্ঠা - ৫১৩৯
بْنُ أَبِي حَاتِمٍ الرَّازِيُّ، عَنْ أَبِيهِ قَالَ عَمْرُو بْنُ سَوَّادٍ: قَالَ الشَّافِعِيُّ: مَا أَعْطَى اللَّهُ نَبِيًّا مَا أَعْطَى مُحَمَّدًا صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ. فَقُلْتُ: أَعْطَى عِيسَى إِحْيَاءَ الْمَوْتَى. فَقَالَ: أَعْطَى مُحَمَّدًا صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ الْجِذْعَ الَّذِي كَانَ يَخْطُبُ إِلَى جَنْبِهِ ; حِينَ هُيِّئَ لَهُ الْمِنْبَرُ حَنَّ الْجِذْعُ حَتَّى سُمِعَ صَوْتُهُ، فَهَذَا أَكْبَرُ مِنْ ذَاكَ. هَذَا لَفْظُهُ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ. وَالْمُرَادُ مِنْ إِيرَادِ مَا نَذْكُرُهُ فِي هَذَا الْبَابِ التَّنْبِيهُ عَلَى شَرَفِ مَا أَعْطَى اللَّهُ أَنْبِيَاءَهُ، عَلَيْهِمُ السَّلَامُ، مِنَ الْآيَاتِ الْبَيِّنَاتِ، وَالْخَوَارِقِ الْقَاطِعَاتِ، وَالْحُجَجِ الْوَاضِحَاتِ، وَأَنَّ اللَّهَ تَعَالَى جَمَعَ لِعَبْدِهِ وَرَسُولِهِ سَيِّدِ الْأَنْبِيَاءِ وَخَاتَمِهِمْ مِنْ جَمِيعِ أَنْوَاعِ الْمَحَاسِنِ وَالْآيَاتِ، مَعَ مَا اخْتَصَّهُ اللَّهُ بِهِ مِمَّا لَمَّ يُؤْتِ أَحَدًا قَبْلَهُ، كَمَا ذَكَرْنَا مِنْ خَصَائِصِهِ وَشَمَائِلِهِ، صَلَوَاتُ اللَّهِ وَسَلَامُهُ عَلَيْهِ وَعَلَيْهِمْ أَجْمَعِينَ. وَوَقَفْتُ عَلَى فَصْلٍ مَلِيحٍ فِي هَذَا الْمَعْنَى فِي كِتَابِ " دَلَائِلِ النُّبُوَّةِ " لِلْحَافِظِ أَبِي نُعَيْمٍ أَحْمَدَ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ الْأَصْبَهَانِيِّ، وَهُوَ كِتَابٌ حَافِلٌ فِي ثَلَاثِ مُجَلَّدَاتٍ، عَقَدَ فِيهِ فَصْلًا فِي هَذَا الْمَعْنَى، وَكَذَا ذَكَرَ ذَلِكَ الْفَقِيهُ أَبُو مُحَمَّدٍ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ حَامِدٍ فِي كِتَابِهِ " دَلَائِلِ النُّبُوَّةِ " وَهُوَ كِتَابٌ كَبِيرٌ جَلِيلٌ حَافِلٌ، مُشْتَمِلٌ عَلَى فَوَائِدَ نَفِيسَةٍ، وَكَذَا الصَّرْصَرِيُّ الشَّاعِرُ يُورِدُ فِي بَعْضِ قَصَائِدِهِ أَشْيَاءَ مِنْ ذَلِكَ أَيْضًا، كَمَا سَيَأْتِي، وَهَا أَنَا أَذْكُرُ بِعَوْنِ اللَّهِ تَعَالَى مَجَامِعَ مَا ذُكِرَ مِنْ هَذِهِ الْأَمَاكِنِ الْمُتَفَرِّقَةِ