আল বিদায়া ওয়া আন্নিহায়া

سنة إحدى عشرة من الهجرة

فصل: إيراد ما بقي علينا من متعلقات السيرة الشريفة

دلائل النبوة

ذكر الإخبار بانخرام قرنه صلى الله عليه وسلم بعد مائة سنة
পৃষ্ঠা - ৫০৯৩


রড়াসুলুল্লাহ্র পরবর্তী শতাব্দীকালের ভবিষ্যদ্বাণী

বুখারী ও যুসলিম্৷ শ্ারীফে যুহরী সুত্রে আবদুল্লাহ ইবন উমর থেকে বর্ণিত, তিনি
বলেন, রাসুলুল্লাহ্ (সা) জীবনের শেষ দিকে একদা আমাদেরকে নিয়ে ইশার নামায আদায়
করেন৷ সালাম ফিরিয়ে তিনি দন্ডায়মান হন এবং বলেন, এ রাতঢিকে তোমরা কেমন মনে
কর? কেননা, এ রাত থেকে আরম্ভ করে একশ’ বছরের মাথায় যারা আজ এ পৃথিবীতে বেচে
আছে তাদের কেউই জীবিত থাকবে না ৷ হযরত উমর (রা) বলেন, রাসুলুল্লাহ্ (সা)-এর কথার
দ্বারা লোকজন বুঝলো যে, তারা যে সব কথাবার্তা বলে তা একশ বছর পর্যন্ত চলবে ৷ অথচ
রাসুলুল্লাহ্ (সা) বুঝাতে চেয়েছেন যে, তখন এ যুগের অবসান হবে ৷ এক বর্ণনা মতে, তিনি
এতে তার নিজের যুগের অবসানের প্রতি ইঙ্গিত দেন ৷ মুসলিম শরীফে ইবন জুরায়জ সুত্রে
জাবির ইবন আবদুল্লাহ্ (রা) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি শুনেছি, রাসুলুল্পাহ্ (সা) মৃত্যুর
একমাস পুর্বে বলেছেন, লোকেরা কিয়ামত সম্পর্কে জিজ্ঞেস করে ৷ অথচ তা শুধু আল্লাহ্ই
প্ জানেন ৷ তবে আমি আল্লাহ্র কসম করে বলছি, আজ যারা ধরাপৃষ্ঠে বিচরণ করছে তারা
কেউ-ই একশ’ বছর পর জীবিত থাকবে না ৷ এ হাদীস এবং এ মর্মের হাদীস সেই সব
ইমড়ামদের পক্ষে দলীল যারা বলেছেন যে, খিযর (আ) বর্তমানে জীবিত নেই ৷ নবীদের
আলোচনায় খিযর-এর উল্পেখপ্ৰসঙ্গে আমরা এ বিষয়ে ইতিপুর্বে বিস্তারিত আংলাচনা করেছি ৷
এ হাদীসে স্পষ্টভাবে বলা হয়েছে যে, পৃথিবীতে সমস্ত জীবিত লোক এক’শ বছরের মধ্যে
মৃত্যুবরণ করবে ৷ রাসুলের এ ভবিষ্যদ্বাণী যথাযথভাবে বাস্তবায়িত হয় ৷ আমরা তার কোন
সাহাবী সম্পর্কে জানিনা যে, তিনি এই সময়সীমা অতিক্রম করে বেচে রয়েছেন ৷ তেমনিভাবে
অন্যান্য ণ্লাকও ৷ আলিমগণ এ ঘোষণাটিকে প্রতি শতাব্দীর জন্য প্রয়োগ করেছেন এবং
হড়াদীসের সাথে এর কোন সম্পর্ক নেই ৷

হাদীস

মুহাম্মদ ইবন উমর আল ওয়াকিদী শুরায়হ ইবন ইয়াযীদ আবদৃল্লাহ্ ইবন বুসৃর থেকে বর্ণনা
করেন, তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ্ (সা) আমার মাথার উপরে তার হাত রেখে বলেন, ৷;গ্র
া;,,ও ,র্দুন্ৰু ণ্শ্রো ৷ এই বালকটি এ শতাব্দীকাল পর্যন্ত বেচে থাকবে ৷ সত্য সত্যই তিনি
একশ’ বছর জীবিত থাকেন ৷ বুখারী এ হাদীসটি তার ইতিহাস গ্রন্থে আবুহায়াত শুরায়হ্ থেকে
বর্ণনা করেছেন ৷ অন্যান্য বর্ণনাকারীগণ আরও কিছু কথা অতিরিক্ত বলেছেন ৷ অর্থাৎ-তার
ঘুখমন্ডলে দাগ ছিল ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) বলেন, তার মুখের দাগ দুর না হওয়া পর্যন্ত যে মারা
যাবে না ৷ দেখা গেল, দাগ দুর হওয়ার পরেই তিনি ইনতিকাল করেন ৷ বায়হাকী হাকিম
আবদুল্লাহ্ ইবন বুসৃর সুত্রে বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ্ (সা) বলেছেন এই বালকটি এক
শতাব্দীকাল বীচবে ৷ সত্যি সত্যি তিনি একশ’ বছর জীবিত থাকে ৷ ওয়াকিদী প্রমুখ বলেছেন,
অড়াবদুল্লাহ্ ইবন বুসৃর অষ্টাশি হি সনে ৯৪ বছর বয়সে হিমসে ইনতিকাল করেন ৷ সিরিয়ার যে
সকল সাহাবী ছিলেন, আবদুল্লাহ্ ইবন বুসৃর তাদের মধ্যে সকলের শেষে মৃত্যুবরণ করেন ৷


وَرَوَى الْبَيْهَقِيُّ عَنِ الْحَاكِمِ، عَنِ الْأَصَمِّ، عَنْ إِسْمَاعِيلَ الْقَاضِي، ثَنَا أَبُو ثَابِتٍ، ثَنَا ابْنُ وَهْبٍ، حَدَّثَنِي عَبْدُ الْجَبَّارِ بْنُ عُمَرَ، عَنْ رَبِيعَةَ بْنِ أَبِي عَبْدِ الرَّحْمَنِ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «يَكُونُ فِي أَحَدِ الْكَاهِنَيْنِ رَجُلٌ يَدْرُسُ الْقُرْآنَ دِرَاسَةً لَا يَدْرُسُهَا غَيْرُهُ» قَالَ: فَكَانُوا يَرَوْنَ أَنَّهُ مُحَمَّدُ بْنُ كَعْبٍ الْقُرَظِيُّ. قَالَ أَبُو ثَابِتٍ: الْكَاهِنَانِ قُرَيْظَةُ وَالنَّضِيرُ. وَقَدْ رَوَى مِنْ وَجْهٍ آخَرَ مُرْسَلٍ: «يَخْرُجُ مِنَ الْكَاهِنَيْنِ رَجُلٌ أَعْلَمُ النَّاسِ بِكِتَابِ اللَّهِ» . وَقَدْ قَالَ عَوْنُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ: مَا رَأَيْتُ أَحَدًا أَعْلَمَ بِتَأْوِيلِ الْقُرْآنِ مِنْ مُحَمَّدِ بْنِ كَعْبٍ. [ذِكْرُ الْإِخْبَارِ بِانْخِرَامِ قَرْنِهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بَعْدَ مِائَةِ سَنَةٍ] ٍ مِنْ لَيْلَةِ إِخْبَارِهِ فَكَانَ كَمَا أَخْبَرَ ثَبَتَ فِي " الصَّحِيحَيْنِ " مِنْ حَدِيثِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ سَالِمٍ وَأَبِي بَكْرِ بْنِ سُلَيْمَانَ بْنِ أَبِي حَثْمَةَ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ قَالَ: «صَلَّى بِنَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ صَلَاةَ الْعِشَاءِ لَيْلَةً فِي آخِرِ عُمُرِهِ، فَلَمَّا سَلَّمَ قَامَ فَقَالَ: " أَرَأَيْتَكُمْ لَيْلَتَكُمْ هَذِهِ؟ فَإِنَّ رَأْسَ مِائَةِ سَنَةٍ مِنْهَا لَا يَبْقَى مِمَّنْ هُوَ الْيَوْمَ عَلَى ظَهْرِ الْأَرْضِ أَحَدٌ» قَالَ
পৃষ্ঠা - ৫০৯৪
ابْنُ عُمَرَ: فَوَهَلَ النَّاسُ فِي مَقَالَةِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، إِلَى مَا يَتَحَدَّثُونَ مِنْ هَذِهِ الْأَحَادِيثِ عَنْ مِائَةِ سَنَةٍ، وَإِنَّمَا يُرِيدُ بِذَلِكَ أَنَّهَا تَخْرِمُ ذَلِكَ الْقَرْنَ. وَفِي رِوَايَةٍ: إِنَّمَا أَرَادَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ انْخِرَامَ قَرْنِهِ. وَفِي " صَحِيحِ مُسْلِمٍ " مِنْ حَدِيثِ ابْنِ جُرَيْجٍ، أَخْبَرَنِي أَبُو الزُّبَيْرِ أَنَّهُ سَمِعَ جَابِرَ بْنَ عَبْدِ اللَّهِ يَقُولُ: «سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ قَبْلَ مَوْتِهِ بِشَهْرٍ: " تَسْأَلُونَ عَنِ السَّاعَةِ، وَإِنَّمَا عِلْمُهَا عِنْدَ اللَّهِ، فَأُقْسِمُ بِاللَّهِ مَا عَلَى ظَهْرِ الْأَرْضِ مِنْ نَفْسٍ مَنْفُوسَةٍ الْيَوْمَ تَأْتِي عَلَيْهَا مِائَةُ سَنَةٍ» وَهَذَا الْحَدِيثُ وَأَمْثَالُهُ مِمَّا يَحْتَجُّ بِهِ مَنْ ذَهَبٍ مِنَ الْأَئِمَّةِ إِلَى أَنَّ الْخَضِرَ لَيْسَ بِمَوْجُودٍ الْآنَ، كَمَا قَدَّمْنَا ذَلِكَ فِي تَرْجَمَتِهِ مِنْ قَصَصِ الْأَنْبِيَاءِ، عَلَيْهِمُ السَّلَامُ، وَهُوَ نَصٌّ عَلَى أَنَّ جَمِيعَ الْأَحْيَاءِ فِي الْأَرْضِ يَمُوتُونَ إِلَى تَمَامِ مِائَةِ سَنَةٍ مِنْ إِخْبَارِهِ، عَلَيْهِ الصَّلَاةُ وَالسَّلَامُ، وَكَذَا وَقَعَ سَوَاءً; فَإِنَّهُ لَمْ يَتَأَخَّرْ أَحَدٌ مِنْ أَصْحَابِهِ إِلَى مَا يُجَاوِزُ هَذِهِ الْمُدَّةَ، وَكَذَلِكَ جَمِيعُ النَّاسِ، ثُمَّ قَدْ طَرَدَ بَعْضُ الْعُلَمَاءِ هَذَا الْحُكْمَ فِي كُلِّ مِائَةِ سَنَةٍ، وَلَيْسَ فِي الْحَدِيثِ تَعَرُّضٌ لِهَذَا. وَاللَّهُ أَعْلَمُ. حَدِيثٌ آخَرُ: قَالَ مُحَمَّدُ بْنُ عُمَرَ الْوَاقِدِيُّ: حَدَّثَنِي شُرَيْحُ بْنُ يَزِيدَ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ بْنِ مُحَمَّدِ بْنِ زِيَادٍ الْأَلْهَانِيِّ، عَنْ أَبِيهِ، «عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ بُسْرٍ قَالَ: وَضَعَ
পৃষ্ঠা - ৫০৯৫
رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَدَهُ عَلَى رَأْسِي، وَقَالَ: هَذَا الْغُلَامُ يَعِيشُ قَرْنًا ".» قَالَ: فَعَاشَ مِائَةَ سَنَةٍ وَقَدْ رَوَاهُ الْبُخَارِيُّ فِي " التَّارِيخِ " عَنْ أَبِي حَيْوَةَ شُرَيْحِ بْنِ يَزِيدَ بِهِ، فَذَكَرَهُ. قَالَ وَزَادَ غَيْرُهُ وَكَانَ فِي وَجْهِهِ ثُؤْلُولٌ. فَقَالَ: " وَلَا يَمُوتُ حَتَّى يَذْهَبَ الثُّؤْلُولُ مِنْ وَجْهِهِ ". فَلَمْ يَمُتْ حَتَّى ذَهَبَ الثُّؤْلُولُ مِنْ وَجْهِهِ. وَهَذَا إِسْنَادٌ عَلَى شَرْطِ السُّنَنِ، وَلَمْ يُخْرِجُوهُ. وَرَوَاهُ الْبَيْهَقِيُّ عَنِ الْحَاكِمِ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ الْمُؤَمَّلِ بْنِ الْحَسَنِ بْنِ عِيسَى، عَنِ الْفَضْلِ بْنِ مُحَمَّدٍ الشَّعْرَانِيِّ، ثَنَا حَيْوَةُ بْنُ شُرَيْحٍ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ بْنِ مُحَمَّدِ بْنِ زِيَادِ الْأَلْهَانِيِّ، عَنْ أَبِيهِ، «عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ بُسْرٍ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ لَهُ: " يَعِيشُ هَذَا الْغُلَامُ قَرْنًا» ". فَعَاشَ مِائَةَ سَنَةٍ. قَالَ الْوَاقِدِيُّ وَغَيْرُ وَاحِدٍ: تُوُفِّيَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ بُسْرٍ بِحِمْصٍ سَنَةَ ثَمَانٍ وَثَمَانِينَ، عَنْ أَرْبَعٍ وَتِسْعِينَ، وَهُوَ آخَرُ مَا بَقِيَ مِنَ الصَّحَابَةِ بِالشَّامِ.