আল বিদায়া ওয়া আন্নিহায়া

سنة إحدى عشرة من الهجرة

فصل: إيراد ما بقي علينا من متعلقات السيرة الشريفة

دلائل النبوة

الإشارة النبوية إلى دولة عمر بن عبد العزيز
পৃষ্ঠা - ৫০৮৬


লোকদেরকে হত্যা করবে ৷ তার অত্যাচারের কারণে অশান্তি, দুঃখ-কষ্ট বেড়ে যাবে এবং দুর্ভিক্ষ
মহামারী বৃদ্ধি পাবে ৷ আল্লাহ এই জাতিকে দমন করার জন্যে৩ তাকে তাদের উপর চাপিয়ে
দেবেন ৷

বায়হাকী ইয়াঘীদ ইবন হারুন হাবীব ইবন ছাবিত থেকে বর্ণনা করেন ৷ হযরত
আলী (রা) একদা তাকে বলেন, ওহে হাবীব! ছাকীফ গোত্রের এক যুবকের সাক্ষাৎ না পেয়ে
তুমি মৃত্যুবরণ করবে না ৷ জিজ্ঞেস করা হলো, হে আমীরুল মু’মিনীন, ছাকীফ গোত্রের সে
যুবকটি কে? হযরত আলী বললেন, কিয়ামতের দিন তাকে বলা হবে, জাহান্নামের একটি কােনৃ
বিশ বা৩ তদুর্ধ বয়সের এক যুবককে দিয়ে পুর্ণ করা হবে ৷ এমন কোন পাপ নেই, যা সে করবে
না ৷ এমনকি একটি পাপও যদি থাকে যা সে করেনি, কোন প্রতিবন্ধক থাকার কারণে, তবে যে
ঐ প্রতিবন্ধক দুর করে দিয়ে সেই পাপটি অবশ্যই করবে ৷ তাকে যারা অমান্য করবে, তারা ঐ
সব লোকদের দ্বারা নির্যাতিত হবে, যায়৷ তার আনুগত্য মেনে নেবে ৷ এ হাদীসটি মুদাল
(,ন্ ) যে সনদে দু’জন রাবীর নাম নেই ৷ আলী (রা) থেকে এর বর্ণিত হওয়া সন্দেহমুক্ত
নয় ৷

বায়হাকী হাকাম সুত্রে হিশাম ইবন ইয়াহ্ইয়৷ থেকে বর্ণনা করেন, উমর ইবন আবদুল
আযীয বলেছেন, প্রতিটি জাতি যদি তাদের মধ্যে জনগ্রেহণকারী সকল পাপিষ্ঠকে উপস্থিত করে,
আর তাদের মুকাবিলায় আমরা কেবল হাজ্জাজ ইবন ইউসুফ কে উপস্থিত করি, তবে আমাদের
পাল্লাই হবে ভারী ৷

আবু বকর ইবন আয়্যাশ আবুন-নাজুদ সুত্রে বর্ণনা করেছেন যে, আল্লাহর নিষিদ্ধ
কর্মসমুহের মধ্যে এমন একটি কর্মও অবশিষ্ট নেই, যা হাজ্জাজ করেনি ৷

আবদুর রায্যাক লিখেছেন ইবন তাউস বলেন, হাজ্জাজের মৃত্যু সংবাদ শুনে আমার
পিতা তাউস কুরআনের এ আয়াতটি তিলাওয়াত করেন :

স্পে
তঃপর যালিম সম্প্রদায়ের মুলােচ্ছেদ করা হলো এবং প্রশংসা কেবল আ ৷ল্লাহ্রই, যিনি
বিশ্ব জাহানের রব (৬ আন আমং : ৪৫) ৷ হি পচানব্বই সালে হাজ্জা জের মৃত্যু হয় ৷

উমাইয়৷ বংশের মুকুট উমর ইবন আবদুল আযীষের
শাসন সম্পর্কে মহানবীর ইঙ্গিত

আবু ইদরীস আল খাওলানী বর্ণিত হাদীস ইতিপুর্বে উল্লেখ করা হয়েছে ৷ হুযায়ফা (রা)
বলেন, আমি রাসুলুল্লাহ্ (না)-কে জিজ্ঞেস করলাম, বর্তমানের এই উত্তম যুগের পরে কি
নিকৃষ্ট যুগের আগমন হবে ? তিনি বললেন, ই৷ ৷ পুনরায় আমি জিজ্ঞেস করলাম; সেই নিকৃষ্ট
যুগের পরে কি আবার উত্তম যুগ আসবে ? তিনি বললেন, ইা; তবে তা ঘোয়াটে হবে ৷ আমি
জিজ্ঞেস করলাম, ঘোয়াটে ব্যাপারটি কী ? তিনি বললেন, এক দল হবে যারা আমার আচরিত
সুন্নতের পরিবর্তে অন্য পদ্ধতি ৩গ্রহণ করবে এবং আমার প্রদর্শিত পথের পরিবতে ভিন্ন পথ
অনুসরণ করার ৷ তাদের মধ্যে কেউ ভাল হবে আর কেউ মন্দ হবে ৷ বায়হাকী প্রমুখ হাদীসের
মধ্যে দ্বিতীয় উত্তম যুগ দ্বারা উমর ইবন আবদুল আযীষের শাসনকালকে বুঝিয়েছেন ৷


وَقَالَ الْبَيْهَقِيُّ، عَنِ الْحَاكِمِ، عَنِ الْحُسَيْنِ بْنِ الْحَسَنِ بْنِ أَيُّوبَ، عَنْ أَبِي حَاتِمٍ الرَّازِيِّ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ يُوسُفَ التِّنِّيسِيِّ، ثَنَا هِشَامُ بْنُ يَحْيَى الْغَسَّانِيُّ قَالَ: قَالَ عُمَرُ بْنُ عَبْدِ الْعَزِيزِ: لَوْ جَاءَتْ كُلُّ أُمَّةٍ بِخَبِيثِهَا، وَجِئْنَاهُمْ بِالْحَجَّاجِ لَغَلَبْنَاهُمْ. وَقَالَ أَبُو بَكْرِ بْنُ عَيَّاشٍ، عَنْ عَاصِمِ بْنِ أَبِي النَّجُودِ: مَا بَقِيَتْ لِلَّهِ حُرْمَةٌ إِلَّا وَقَدِ ارْتَكَبَهَا الْحَجَّاجُ. وَقَالَ عَبْدُ الرَّزَّاقِ، عَنْ مَعْمَرٍ، عَنِ ابْنِ طَاوُسٍ أَنَّ أَبَاهُ لَمَّا تَحَقَّقَ مَوْتُ الْحَجَّاجِ تَلَا قَوْلَهُ تَعَالَى: {فَقُطِعَ دَابِرُ الْقَوْمِ الَّذِينَ ظَلَمُوا وَالْحَمْدُ لِلَّهِ رَبِّ الْعَالَمِينَ} [الأنعام: 45] قُلْتُ: وَقَدْ تُوُفِّيَ الْحَجَّاجُ سَنَةَ خَمْسٍ وَتِسْعِينَ. [الْإِشَارَةُ النَّبَوِيَّةُ إِلَى دَوْلَةِ عُمَرَ بْنِ عَبْدِ الْعَزِيزِ] ذِكْرُ الْإِشَارَةِ النَّبَوِيَّةِ إِلَى دَوْلَةِ عُمَرَ بْنِ عَبْدِ الْعَزِيزِ تَاجِ بَنِي أُمَيَّةَ قَدْ تَقَدَّمَ حَدِيثُ أَبِي إِدْرِيسَ الْخَوْلَانِيِّ عَنْ حُذَيْفَةَ قَالَ: «سَأَلْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ هَلْ بَعْدَ هَذَا الْخَيْرِ مِنْ شَرٍّ؟ قَالَ: " نَعَمْ ". قُلْتُ وَهَلْ بَعْدَ ذَلِكَ الشَّرِّ مِنْ
পৃষ্ঠা - ৫০৮৭

বায়হাকী হাকিম ওলীদ ইবন মারছাদ সুত্রে বর্ণনা করেন, আওযাঈকে জিজ্ঞেস করা
হয় হুযায়ফ্৷ (রা) রাসুলুল্লাহ্ (সা) কে উত্তম যুগের পর যে নিকৃষ্ট বিষয় সম্পর্কে জিজ্ঞেস
করেছিলেন (এবং নবী সা উত্তরে বলেছিলেন হা) ঐ নিকৃষ্ট বিষয়টি কী ? উত্তরে আওযাঈ
বলেন,৩ তা হলো নবী (সা) এর ইনতিকালের পর বিদ্দা বা ধর্ম ত্যাগের ঘটনা ৷ আওযাঈকে
আরও জিজ্ঞেস করা হয়-হুযায়ফা জানতে চাইলেন, ঐ নিকুষ্ট যুগের পর কি উত্তম যুগ আসবে?
নবী করীম (সা) বলেছিলেন, হী; তবে তখন ধোয়াটে অবস্থা থাকবে-এ উক্তির ব্যাখ্যা কি ?
জবাবে আওযাঈ বললেন : উত্তম দ্বারা বুঝান হয়েছে জামাআত বা মুসলমানদের দল ৷ তবে
তাদের শাসকবর্গের মধ্যে কারও চরিত্র তলে হবে এবং কারও চরিত্র মন্দ হবে ৷ আওযাঈ বলেন,
এ শাসকগণ যতদিন নামায পড়বে ততদিন তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে রাসুলুল্লাহ্ (সা)
অনুমতি দেননি৪

ণ্পুণ্

আবু দাউদ তায়ালিসী হুযায়ফা (রা) থেকে বণ্টা৷ করেন, রাসুলুল্লাহ্ (সা) বলেছেন, ন্
তোমরা নবুওতি শাসন ধারার মধ্যে থাকবে যতদিন আল্লাহ এ ধারাকে অক্ষুগ্ন রাখবেন ৷
তারপরে যখন তিনি ইচ্ছা করবেন এ ধারাকে ভুলে নেবেন ৷ এরপরে পুনরায় নবুওতি ধারায়
খিলাফত প্রতিষ্ঠিত হবে ৷ এ সময় উমর ইবন আবদুল আযীয (র) আগমন করে ৷ তখন তার
সাথে ছিলেন ইয়াযীদ ইবন নুমান, আমি হাদীসটি উল্লেখ করে তাকে লিখিতভাবে জানালাম
যে, আমি আশা করি, উত্তম যুগের অবসানের পর আপনি আমীরুল মু’মিনীন পদে অধিষ্ঠিত
হবেন ৷ ইয়াযীদ পত্রটি নিয়ে উমর ইবন আবদুল আযীযের নিকট গেলেন ৷ তিনি পত্রটি পেয়ে
আনন্দিত হলেন ৷

নাঈম ইবন হাম্মাদ কাতাদা থেকে বর্ণনা করেন ৷ তিনি বলেন, উমর ইবন আবদুল
আযীয বলেছেন , আমি একদা স্বপ্নে দেখলাম যে, রাসুলুল্লাহ্ (সা)-এর নিকট উমর, উছমান ও
আলী (রা) বসে আছেন ৷ নবী করীম (সা) আমাকে বললেনাঃ তুমি কাছে এসো ৷ আমি অগ্রসর
হয়ে তার সম্মুখে গিয়ে দাড়ালাম্ ৷ নবী করীম (সা) চোখ তুলে আমার দিকে তাকিয়ে বললেন,
অচিরেই তুমি মুসলমানদের নেতৃত্বে অধিষ্ঠিত হবে এবং তাদের মধ্যে ইনসাফ কায়েম করবে ৷
সম্মুখে এ হাদীস আসছে যে, নবী করীম (সা) বলেছেন, এই উষ্মতের কল্যাণে আল্লাহ প্রতি
শতাব্দীর শেষে এমন এক ব্যক্তিকে প্রেরণ করবেন, যে উম্মতের জন্য দীনকে পুনৰুজ্জীবিত
করবে : ধ্দু৷ ৷ ;, ৷ বহু
সংখ্যক ইমামের মতে ৩উমর ইবন আবদুল আযীযই সেই ব্যক্তি ৷ কারণ, তিনি একশত এক হি
সনে৩ তিনি ইনতিকাল করেন ৷ ১

বায়হাকী হাকিম ইবন উমর (রা) থেকে বর্ণনা করেন ৷ তিনি বলেন, আমরা জানি

উমর ইবন খাত্তাব বলেছেন, আমার বংশ থেকে এমন এক ব্যক্তি শাসন ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত
হবে, যে বিশ্বকে ইনাসাফ দ্বারা পুর্ণ করে দেবে ৷ তার চেহারায় দাগ থাকবে ৷ নড়াফি
১ মুল কিভাবে ছু১ও ও-স্থলে ওপ্রুও ছাপা রয়েছে, যা কোনও ভাবে ঠিক নয় ৷ কারণ উমর ইবন আবদুল

আযীয ১০১ রজব মাসে ইনতিকাল করেন ৷ ৯৯ হিজরীর সফর মাসে তিনি ক্ষমতাসীন হয়েছিলেন ৷
দ্র ইসলামী বিশ্বকোষ খ ৬, পৃ£ ১ ৭ ৷ ষ্সম্পাদকদ্বয় ৷


خَيْرٍ؟ قَالَ: " نَعَمْ وَفِيهِ دَخَنٌ ". قُلْتُ: وَمَا دَخَنُهُ؟ قَالَ: " قَوْمٌ يَسْتَنُّونَ بِغَيْرِ سُنَّتِي وَيَهْدُونَ بِغَيْرِ هَدْيِي، تَعْرِفُ مِنْهُمْ وَتُنْكِرُ» الْحَدِيثَ، فَحَمَلَ الْبَيْهَقِيُّ، وَغَيْرُهُ هَذَا الْخَبَرَ الثَّانِي عَلَى أَيَّامِ عُمَرَ بْنِ عَبْدِ الْعَزِيزِ. وَرَوَى عَنِ الْحَاكِمِ، عَنِ الْأَصَمِّ، عَنِ الْعَبَّاسِ بْنِ الْوَلِيدِ بْنِ مَزْيَدٍ، عَنْ أَبِيهِ قَالَ: سُئِلَ الْأَوْزَاعِيُّ عَنْ تَفْسِيرِ حَدِيثِ حُذَيْفَةَ حِينَ سَأَلَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَنِ الشَّرِّ الَّذِي يَكُونُ بَعْدَ ذَلِكَ الْخَيْرِ، فَقَالَ الْأَوْزَاعِيُّ: هِيَ الرِّدَّةُ الَّتِي كَانَتْ بَعْدَ وَفَاةِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ. قَالَ الْأَوْزَاعِيُّ: وَفِي مَسْأَلَةِ حُذَيْفَةَ: فَهَلْ بَعْدَ ذَلِكَ الشَّرِّ مِنْ خَيْرٍ؟ قَالَ: " نَعَمْ، وَفِيهِ دَخَنٌ ". قَالَ الْأَوْزَاعِيُّ: فَالْخَيْرُ الْجَمَاعَةُ، وَفِي وُلَاتِهِمْ مَنْ تَعْرِفُ سِيرَتَهُ، وَفِيهِمْ مَنْ تُنْكِرُ سِيرَتَهُ. قَالَ: فَلَمْ يَأْذَنْ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي قِتَالِهِمْ مَا صَلَّوُا الصَّلَاةَ. وَرَوَى أَبُو دَاوُدَ الطَّيَالِسِيُّ، عَنْ دَاوُدَ الْوَاسِطِيِّ، وَكَانَ ثِقَةً، عَنْ حَبِيبِ بْنِ سَالِمٍ، عَنِ النُّعْمَانِ بْنِ بَشِيرِ بْنِ سَعْدٍ، عَنْ حُذَيْفَةَ قَالَ: «قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ:
পৃষ্ঠা - ৫০৮৮
" إِنَّكُمْ فِي النُّبُوَّةِ مَا شَاءَ اللَّهُ أَنْ تَكُونَ، ثُمَّ يَرْفَعُهَا إِذَا شَاءَ، ثُمَّ تَكُونُ خِلَافَةٌ عَلَى مِنْهَاجِ النُّبُوَّةِ مَا شَاءَ اللَّهُ أَنْ تَكُونَ، ثُمَّ يَرْفَعُهَا إِذَا شَاءَ، ثُمَّ تَكُونُ جَبْرِيَّةٌ مَا شَاءَ اللَّهُ أَنْ تَكُونَ، ثُمَّ يَرْفَعُهَا إِذَا شَاءَ اللَّهُ أَنْ يَرْفَعَهَا، ثُمَّ تَكُونُ خِلَافَةٌ عَلَى مِنْهَاجِ النُّبُوَّةِ» قَالَ: فَقَدِمَ عُمَرُ بْنُ عَبْدِ الْعَزِيزِ وَمَعَهُ يَزِيدُ بْنُ النُّعْمَانِ، فَكَتَبْتُ إِلَيْهِ أُذَكِّرُهُ الْحَدِيثَ وَكَتَبْتُ إِلَيْهِ أَقُولُ: إِنِّي أَرْجُو أَنْ تَكُونَ أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ بَعْدَ الْجَبْرِيَّةِ. قَالَ: فَأَخَذَ يَزِيدُ الْكِتَابَ فَأَدْخَلَهُ عَلَى عُمَرَ فَسُرَّ بِهِ وَأَعْجَبَهُ. وَقَالَ نُعَيْمُ بْنُ حَمَّادٍ: حَدَّثَنَا رَوْحُ بْنُ عُبَادَةَ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ أَبِي عَرُوبَةَ: عَنْ قَتَادَةَ قَالَ: قَالَ عُمَرُ بْنُ عَبْدِ الْعَزِيزِ: رَأَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي النَّوْمِ، وَعِنْدَهُ أَبُو بَكْرٍ وَعُمَرُ وَعُثْمَانُ وَعَلِيٌّ، فَقَالَ لِيَ " ادْنُهْ ". فَدَنَوْتُ حَتَّى قُمْتُ بَيْنَ يَدَيْهِ، فَرَفَعَ بَصَرَهُ إِلَيَّ وَقَالَ: " أَمَا إِنَّكَ سَتَلِي أَمْرَ هَذِهِ الْأُمَّةِ، وَسَتَعْدِلُ عَلَيْهِمْ ". وَسَيَأْتِي فِي الْحَدِيثِ الْآخَرِ، إِنْ شَاءَ اللَّهُ; أَنَّ اللَّهَ يَبْعَثُ لِهَذِهِ الْأُمَّةِ عَلَى رَأْسِ كُلِّ مِائَةٍ سَنَةٍ مِنْ يُجَدِّدُ لَهَا دِينَهَا وَقَدْ قَالَ كَثِيرٌ مِنَ الْأَئِمَّةِ: إِنَّهُ عُمَرُ بْنُ عَبْدِ الْعَزِيزِ ; فَإِنَّهُ تُوُفِّيَ سَنَةَ إِحْدَى وَمِائَةٍ.
পৃষ্ঠা - ৫০৮৯

বলেন,আমার মতে, তিনি উমর ইবন আবদুল আযীয ব্যতীত কেউ নন ৷ বিভিন্ন সুত্রে এ
হাদীসটি ইবন উমর থেকে বর্ণিত হয়েছে ৷ ইবন উমর বলতেন, উমর ইবন থাত্তাবের বংশের
যে ল্যেকটি ক্ষমতা প্রাপ্ত হয়ে ইনসাফ দ্বারা বিশ্বকে পুর্ণ করবে যার মুখমন্ডলে একটি চিহ্ন
থাকবে; হায় যদি আমি তাকে জানতাম ! সাঈদ ইবনমুসাব্যিব থেকেও এরুপ বর্ণিত হয়েছে ৷
উমর ইবন আবদুল আযীষের জন্মের এবং খিলাফত লাভের বহু পুর্ব থেকেই সর্বত্রই এ কথা
বহুল প্রচারিত ছিল যে, উমাইয়া বং শের এমন এক ব্যক্তি শাসন কর্ততু লাভ করবে, যে হবে
মারওয়ান বংশের এবং মাথায় আঘাতপ্রাপ্ত ৷ তার মা ছিলেন উমর ইবন খাত্তাবের পুত্র আসিম
এর কন্যা আরওয়া (ঞ) ৷) ৷ তার পিতা আযীয ইবন মারওয়ান তার ভাই আবদুল মালিক
ইবন মারওয়ানের প্রতিনিধি হিসেবে মিসর শাসন করতেন ৷ আবদুল্লাহ্ ইবন উমরকে তিনি
অত্যন্ত সম্মান করতেন ৷ তার নিকট উপচৌকনাদি প্রেরণ করতেন এবং তিনি তা গ্রহণও
করতেন ৷ একবার এক সহস্র স্বর্ণমুদ্রা পাঠালে তিনি তা গ্রহণ করেন ৷

কথিত আছে, উমর ইবন আবদুল আযীয একদা আপন পিতার আন্তাবলে প্রবেশ করেন ৷
তিনি তখন বালক মাত্র ৷ একটি ঘোড়া তাকে আঘাত করে কপালে জখম করে দেয় ৷ পিতা
তার জখমের স্থান থেকে রক্ত মুছতে মুছতে বলতে লাগলেন, হায় ৷ তুমি যদি মারওয়ান বংশের
আশাজ (যখমপ্রাপ্ত) হয়ে থাক, তাহলে তুমি অত্যন্ত ভাগ্যবান ৷ লোকমুখে চর্চা হত যে,
মারওয়ান বংশের দু’জন লোকই বেশি ন্যায়পরায়ণ ৷ একজনের মাথায় আঘাতের ক্ষত ও
অন্যজন দৈহিক ত্রুটিযুক্ত ৷ মাথায় আঘাতপ্রাপ্ত জন উমর ইবন আবদুল আযীয আর যিনি
দৈহিক ত্রুটিযুক্ত তিনি হলেন ইয়াযীদ ইবন ওলীদ ইবন আবদুল মালিক ৷ এ সম্পর্কে করি


“খিলাফতের বোঝা বহন করার ব্যাপারে ইয়াযীদ ইবন ওলীদের স্কন্ধকে আমি অত্যন্ত
মজবুত দেখেছি ৷

সুলায়মান ইবন আবদুল মালিকের পরে ইে বছর ছয় মাস কাল উমর ইবন আবদুল আযীয
খিলাফভের মসনদে আসীন ছিলেন ৷ ইনসাফ ও ন্যায়নীতির দ্বারা তিনি রাজেব্র শান্তি প্রতিষ্ঠা
করেন ৷ সম্পদের এত প্রাচুর্য হয় যে, লোককে তার যাকাত গ্রহণকারী খুজৈ পেতে বেগ পেতে
হতো ৷ আদী ইবন হাতিমের বর্ণিত পুর্বোল্লোখিত হাদীসকে বায়হাকী উমর ইবন আবদুল
আযীষের সময়কালের সাথে সম্পৃক্ত করেন ৷ তবে এ ব্যাপারে আমার সন্দেহ রয়েছে ৷

বায়হাকী ইসমাঈল উসায়দ সুত্রে বর্ণনা করেন, একবার উমর ইবন আবদুল আযীয
মক্কার কোন এক প্রাস্তরের মধ্য দিয়ে যাওয়ার সময় একটি মৃত সাপ দেখতে পান ৷ গর্ত খুড়ার
জন্য সাথীদের নিকট তিনি একটি কােদাল চান ৷ সাথীরা বললো, এর জন্য আমরা যথেষ্ট,
আল্লাহ আপনার মঙ্গল করুন ৷ তিনি বললেন না, এরপর নিজে কােদাল দ্বারা গর্ত করেন,
সাপটিকে একটি ন্যকড়ায় জড়িয়ে দাফন করেন ৷ এমন সময় অদৃশ্য থেকে কে যেন শব্দ করে
বললো , হে সারাক! তোমার উপর আল্লাহ্ৱ বহমত বর্ধিত হোক ৷ উমর ইবন আবদুল আযীয
তাকে বললেন, তোমার পরিচয় কি ? আল্লাহ তোমার উপর রহম করুন! উত্তর এলো, আমি
একটি জিন এবং এর নাম সারাক ৷ রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর নিকট যারা বায়আত হয়েছিলেন
তাদের মধ্যে আমি এবং এ ব্যতীত আর কেউ জীবিত সেই ৷ আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি রাসুলুল্পাহ্


وَقَالَ الْبَيْهَقِيُّ: أَنَا الْحَاكِمُ، أَنَا أَبُو حَامِدٍ أَحْمَدُ بْنُ عَلِيٍّ الْمُقْرِئُ، ثَنَا أَبُو عِيسَى، ثَنَا أَحْمَدُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، ثَنَا عَفَّانُ بْنُ مُسْلِمٍ، ثَنَا عُثْمَانُ بْنُ عَبْدِ الْحَمِيدِ بْنِ لَاحِقٍ، عَنْ جُوَيْرِيَّةَ بْنِ أَسْمَاءَ، عَنْ نَافِعٍ قَالَ: بَلَغَنَا أَنَّ عُمَرَ بْنَ الْخَطَّابِ قَالَ: إِنَّ مِنْ وَلَدِي رَجُلًا بِوَجْهِهِ شَيْنٌ، يَلِي فَيَمْلَأُ الْأَرْضَ عَدْلًا. قَالَ نَافِعٌ مِنْ قِبَلِهِ: وَلَا أَحْسَبُهُ إِلَّا عُمَرَ بْنَ عَبْدِ الْعَزِيزِ وَقَدْ رَوَاهُ نُعَيْمُ بْنُ حَمَّادٍ عَنْ عُثْمَانَ بْنِ عَبْدِ الْحَمِيدِ. وَلِهَذَا طَرُقٌ عَنِ ابْنِ عُمَرَ أَنَّهُ كَانَ يَقُولُ: لَيْتَ شِعْرِي مَنْ هَذَا الَّذِي مِنْ وَلَدِ عُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ فِي وَجْهِهِ عَلَامَةٌ، يَمْلَأُ الْأَرْضَ عَدْلًا؟ وَقَدْ رُوِيَ ذَلِكَ عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ حَرْمَلَةَ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ الْمُسَيَّبِ نَحْوًا مِنْ هَذَا، وَقَدْ كَانَ هَذَا الْأَمْرُ مَشْهُورًا قَبْلَ وِلَايَتِهِ وَمِيلَادِهِ بِالْكُلِّيَّةِ; أَنَّهُ يَلِي رَجُلٌ مِنْ بَنِي أُمَيَّةَ يُقَالُ لَهُ: أَشُجُّ بَنِي مَرْوَانَ. وَكَانَتْ أُمُّهُ أَرْوَى بِنْتَ عَاصِمِ بْنِ عُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ، وَكَانَ أَبُوهُ عَبْدَ الْعَزِيزِ بْنَ مَرْوَانَ نَائِبًا لِأَخِيهِ عَبْدِ الْمَلِكِ عَلَى مِصْرَ، وَكَانَ يُكْرِمُ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ عُمَرَ، وَيَبْعَثُ إِلَيْهِ بِالتُّحَفِ وَالْهَدَايَا وَالْجَوَائِزِ فَيَقْبَلُهَا، وَبَعَثَ إِلَيْهِ مَرَّةً بِأَلْفِ دِينَارٍ فَأَخَذَهَا. وَقَدْ دَخَلَ عُمَرُ بْنُ عَبْدِ الْعَزِيزِ يَوْمًا إِلَى اصْطَبْلِ أَبِيهِ وَهُوَ صَغِيرٌ،
পৃষ্ঠা - ৫০৯০
فَرَمَحَهُ فَرَسٌ فَشَجَّهُ فِي جَبِينِهِ، فَجَعَلَ أَبُوهُ يَسْلُتُ عَنْهُ الدَّمَ وَيَقُولُ: أَمَّا لَئِنْ كُنْتَ أَشَجَّ بَنِي مَرْوَانَ، إِنَّكَ إِذًا لَسَعِيدٌ. وَكَانَ النَّاسُ يَقُولُونَ: الْأَشَجُّ وَالنَّاقِصُ أَعْدَلُ بَنِي مَرْوَانَ; فَالْأَشَجُّ هُوَ عُمَرُ بْنُ عَبْدِ الْعَزِيزِ، وَالنَّاقِصُ هُوَ يَزِيدُ بْنُ الْوَلِيدِ بْنِ عَبْدِ الْمَلِكِ، الَّذِي يَقُولُ فِيهِ الشَّاعِرَ: رَأَيْتُ الْيَزِيدَ بْنَ الْوَلِيدِ مُبَارَكًا ... شَدِيدًا بِأَعْبَاءِ الْخِلَافَةِ كَاهِلُهْ قُلْتُ: وَقَدْ وَلِيَ عُمَرُ بْنُ عَبْدِ الْعَزِيزِ بَعْدَ سُلَيْمَانَ بْنِ عَبْدِ الْمَلِكِ سَنَتَيْنِ وَنِصْفًا، فَمَلَأَ الْأَرْضَ عَدْلًا، وَفَاضَ الْمَالُ حَتَّى كَانَ الرَّجُلُ يَهُمُّهُ لِمَنْ يُعْطِي صَدَقَتَهُ. وَقَدْ حَمَلَ الْبَيْهَقِيُّ الْحَدِيثَ الْمُتَقَدِّمَ عَنْ عَدِيِّ بْنِ حَاتِمٍ، عَلَى أَيَّامِ عُمَرَ بْنِ عَبْدِ الْعَزِيزِ،، وَعِنْدِي فِي ذَلِكَ نَظَرٌ. وَاللَّهُ أَعْلَمُ. وَقَدْ رَوَى الْبَيْهَقِيُّ مِنْ حَدِيثِ إِسْمَاعِيلَ بْنِ أَبِي أُوَيْسٍ، حَدَّثَنِي أَبُو مَعْنٍ