سنة إحدى عشرة من الهجرة
فصل: إيراد ما بقي علينا من متعلقات السيرة الشريفة
دلائل النبوة
إخباره صلى الله عليه وسلم عن الحجاج فتى ثقيف
পৃষ্ঠা - ৫০৮০
مَاتَ ابْنُ عَبَّاسٍ سَنَةَ ثَمَانٍ وَسِتِّينَ بَعْدَ مَا عَمِيَ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ.
وَرَوَى الْبَيْهَقِيُّ مِنْ حَدِيثِ الْمُعْتَمِرِ بْنِ سُلَيْمَانَ، حَدَّثَتْنَا نُبَاتَةُ بِنْتُ بُرَيْرٍ، عَنْ حَمَادَةَ، عَنْ أُنَيْسَةَ بِنْتِ زَيْدِ بْنِ أَرْقَمَ، عَنْ أَبِيهَا، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ دَخَلَ عَلَى زَيْدٍ يَعُودُهُ فِي مَرَضٍ كَانَ بِهِ، قَالَ: «لَيْسَ عَلَيْكَ مِنْ مَرَضِكَ بَأْسٌ، وَلَكِنْ كَيْفَ بِكَ إِذَا عُمِّرْتَ بَعْدِي فَعَمِيتَ؟ " قَالَ: إِذًا أَحْتَسِبَ وَأَصْبِرَ. قَالَ: " إِذًا تَدْخُلَ الْجَنَّةَ بِغَيْرِ حِسَابٍ» قَالَ فَعَمِيَ بَعْدَ مَا مَاتَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، ثُمَّ رَدَّ اللَّهُ عَلَيْهِ بَصَرَهُ، ثُمَّ مَاتَ.
[إِخْبَارُهُ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَنِ الْحَجَّاجِ فَتَى ثَقِيفٍ]
فَصَلٌ إِخْبَارُهُ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَنِ الْحَجَّاجِ فَتَى ثَقِيفٍ
وَقَدْ ثَبَتَ فِي " الصَّحِيحَيْنِ " عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، وَعِنْدَ مُسْلِمٍ عَنْ جَابِرِ بْنِ سَمُرَةَ، عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنَّهُ قَالَ: «إِنَّ بَيْنَ يَدَيِ السَّاعَةِ ثَلَاثِينَ كَذَّابًا دَجَّالًا، كُلُّهُمْ يَزْعُمُ أَنَّهُ نَبِيٌّ»
وَقَالَ الْبَيْهَقِيُّ، عَنِ الْمَالِينِيِّ، عَنِ ابْنِ عَدِيٍّ، عَنْ أَبِي يَعْلَى الْمُوصِلِيِّ، حَدَّثَنَا عُثْمَانُ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، ثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْحَسَنِ الْأَسَدِيُّ، ثَنَا شَرِيكٌ، عَنْ أَبِي
পৃষ্ঠা - ৫০৮১
বায়হাকী হাকিম ও আবু সাঈদ আবুল মাহ্য়ারমা থেকে বর্ণনা করেন ৷ তিনি বলেন,
হাজ্জাজ ইবন ইউসুফ হযরত আবদুল্লাহ ইবন যুবায়রকে হত্যা করার পর (আবদুল্লাহ্র মা)
আসমা বিনৃত আবু বকরের নিকট গিয়ে বলে, ওহে আমাজান ৷ আমীরুল মু’মিনীন আমাকে
আপনার নিকট আমার জন্য হুকুম করেছেন, কোন কিছুর প্রয়োজন আছে কি ? আসমা
বললেন, আমি তোমার আমা নই, বরং আমি ছানিয়া শীর্ষে শুলে ঝুলম্ভ লাশের (আবদুল্লাহ)
আম্মা, আমার কোন কিছুর প্রয়োজন নেই ৷ কেবল রাসুলুল্লাহ্ (সা) থেকে শোনা একটি হাদীস
তোমাকে জানাবার প্রতীক্ষায় আছি ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) বলেছেন; ছাকীফ গোত্র থেকে একজন
মিথ্যাবাদী ও একজন ধ্বংসযজ্ঞ সাধনকারী ব্যক্তি অচিরেই আত্মপ্রকাশ করবে ৷ মিথ্যাবাদীকে
তো আমরা দেখতে পেয়েছি ৷ আর ধ্বংসযজ্ঞ সাধনাকারী তুমি ব্যতীত অন্য কেউ নও ৷
হাজ্জাজ বললাে, হী, আমি ধ্বংসকারী, তবে মুনাফিকদের ৷
আবু দাউদ তায়ালিসী শুরায়ক ইবন উমর (রা) থেকে বর্ণনা করেন ৷ তিনি বলেন, আমি
শুনেছি রাসুলুল্লাহ্ (সা) বলেন, ছাকীফ গোত্রে মহড়ামিথুকে ও বিপর্যয় সৃষ্টিকারী লোক
আত্মপ্রকাশ করবে ৷ কিছুকাল পরে মুখতার ইবন আবু উবায়দ (ছাকীফী) যে ইরাকের শাসকর্তা
হয়, সে নিজেকে নবী বলে দাবি করতো এবং বলতো জিবরীল তার নিকট ওহী পৌছিয়ে
থাকেন ৷ আর তিনি ছিলেন মুখতারের ভগ্নিপতি ৷ ইবন উমরকে জানান হয় যে, মুখতার ধারণা
করে যে, তাৰুনিকট ওহী আসে ৷ ইবন উমর বললেন, যে সত্য কথাই বলেছে ৷ কারণ আল্লাহ্
বলেছেন, ন্ন্ণ্ড্রণ্া;াং,’৷ “fl ৷ ১র্টুট্রুৰু ,৬াট্রুণ্ড্র৷ ৷ ১ ৷, “শয়তানরা তাদের বন্ধুদের নিকট ওহী
নিয়ে আসে’ন্ ৷ ’ ’
আবু দাউদ তায়ালিসী কুর্বা ইবন খালিদ রিফাআ ইবন শাদ্দাদ থেকে বর্ণনা
করেন ৷ তিনি বলেন, মহা মিথুক মুখতারের সাথে আমার কিছুটা সম্পর্ক ছিল ৷ একদা আমি
তার নিকট গেলাম ৷ সে বললাে, তুমি এসেছ, অথচ অল্পক্ষণ পুর্বেই জিবরীল এই আসন থেকে
উঠে গেলেন ৷ তা শুনে তাকে মারার জন্য আমি তালায়ারের হাতলের দিকে হাত বাড়াই ৷ হঠাৎ
আমর ইবন হুমুক আল খৃযাঈর বর্ণিত একটি হাদীস আমার স্মরণ হলো ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা)
বলেছেন, কোন লোক যখন অন্য কোন লোককে জীবনের নিরাপত্তা দেয় এবং পরে হত্যা করে,
তার জন্য কিয়ামতের দিন বিশ্বাসঘাতকতার ঝান্ডা স্থাপন করা হবে ৷ সুতরাং আমি বিরত
থাকলাম ৷ আসবাত ইবন নজর প্রভৃতি লেখকগণ ভিন্ন ভিন্ন সুত্রে রিফাআ ইবন শাদ্দাদ থেকে
অনুরুপ বর্ণনা করেছেন ৷
ইয়াকুব ইবন সুফিয়ান আবু বকর হুমায়দী শাবী সুত্রে বর্ণনা করেন ৷ তিনি বলেন,
অতঃপর আমি বসরাবাসীদের পক্ষ অবলম্বন করি এবং কুফাবাসীদের উপর তাদেরকে বিজয়ী
করি ৷ এ সময় আহ্নাফ কোন কথাবার্তা না বলে নীরবতা অবলম্বন করে ৷ যখন সে দেখলো
যে, আমি বসরাবাসীদেরকে বিজয়ী করেছি তখন সে তার একজন দাসকে পাঠিয়ে দিল ৷
কিছুক্ষণ পর দাসটি একখানা পত্র এনে আমাকে বললাে, পভুন৷ আমি পত্রটি পড়লাম ৷ তাতে
লেখা আছে : গো১ ব্ ৷ ,ব্লু;ধ্ৰু ধ্পু এচু১ণ্ন্৷ ৷ ;প্রুণ্ এ চিঠি মুখতারের পক্ষ থেকে প্রেরিত
হলো ৷ আল্লাহ্র কসম, সে একজন নবী ৷ আহ্নাফ বললাে, আমাদের অঞ্চলে আমিও এইরুপ ৷
আর হাজ্জাজের কথা পুর্বেই বলা হয়েছে যে, সে ছাকাফী গোত্রে জন্মগ্রহণকারী এক দুর্ধর্ষ
إِسْحَاقَ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الزُّبَيْرِ قَالَ: «قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " لَا تَقُومُ السَّاعَةُ حَتَّى يَخْرُجَ ثَلَاثُونَ كَذَّابًا، مِنْهُمْ; مُسَيْلِمَةُ، وَالْعَنْسِيُّ، وَالْمُخْتَارُ، وَشَرُّ قَبَائِلِ الْعَرَبِ بَنُو أُمَيَّةَ وَبَنُو حَنِيفَةَ وَثَقِيفٌ» . قَالَ ابْنُ عَدِيٍّ: مُحَمَّدُ بْنُ الْحَسَنِ لَهُ إِفْرَادَاتٌ، وَقَدْ حَدَّثَ عَنْهُ الثِّقَاتُ، وَلَمْ أَرَ بِحَدِيثِهِ بَأْسًا.
وَقَالَ الْبَيْهَقِيُّ: لِحَدِيثِهِ فِي الْمُخْتَارِ شَوَاهِدُ صَحِيحَةٌ. ثُمَّ أَوْرَدَ مِنْ طَرِيقِ أَبِي دَاوُدَ الطَّيَالِسِيِّ، حَدَّثَنَا الْأَسْوَدُ بْنُ شَيْبَانَ، عَنْ أَبِي نَوْفَلِ بْنِ أَبِي عَقْرَبٍ، عَنْ أَسْمَاءَ بِنْتِ أَبِي بَكْرٍ، أَنَّهَا قَالَتْ لِلْحَجَّاجِ بْنِ يُوسُفَ: «أَمَا إِنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ حَدَّثَنَا أَنَّ فِي ثَقِيفٍ كَذَّابًا وَمُبِيرًا، فَأَمَّا الْكَذَّابُ فَقَدْ رَأَيْنَاهُ، وَأَمَّا الْمُبِيرُ فَلَا إِخَالُكُ إِلَّا إِيَّاهُ» . قَالَ: وَرَوَاهُ مُسْلِمٌ مِنْ حَدِيثِ الْأَسْوَدِ بْنِ شَيْبَانَ. وَلَهُ طُرُقٌ عَنْ أَسْمَاءَ وَأَلْفَاظٌ سَيَأْتِي إِيرَادُهَا فِي مَوْضِعِهِ.
وَقَالَ الْبَيْهَقِيُّ: أَنَا الْحَاكِمُ وَأَبُو سَعِيدٍ، عَنِ الْأَصَمِّ، عَنْ عَبَّاسٍ الدُّورِيِّ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الزُّبَيْرِ الْحُمَيْدِيِّ، ثَنَا سُفْيَانُ بْنُ عُيَيْنَةَ، عَنْ أَبِي الْمُحَيَّاةِ، عَنْ أَبِيهِ قَالَ: «لَمَّا قَتَلَ الْحَجَّاجُ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ الزُّبَيْرِ دَخَلَ الْحَجَّاجُ عَلَى أَسْمَاءَ بِنْتِ أَبِي
পৃষ্ঠা - ৫০৮২
بَكْرٍ فَقَالَ: يَا أُمَّهْ، إِنَّ أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ أَوْصَانِي بِكِ، فَهَلْ لَكِ مِنْ حَاجَةٍ؟ فَقَالَتْ: لَسْتُ لَكَ بِأُمٍّ، وَلَكِنِّي أُمُّ الْمَصْلُوبِ عَلَى رَأْسِ الثَّنِيَّةِ، وَمَا لِي مِنْ حَاجَةٍ، وَلَكِنِ انْتَظَرَ حَتَّى أُحَدِّثَكَ بِمَا سَمِعْتُ مِنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، يَقُولُ: " يَخْرُجُ مِنْ ثَقِيفٍ كَذَّابٌ وَمُبِيرٌ فَأَمَّا الْكَذَّابُ فَقَدْ رَأَيْنَاهُ، وَأَمَّا الْمُبِيرُ فَأَنْتَ. فَقَالَ الْحَجَّاجُ: مُبِيرُ الْمُنَافِقِينَ» .
وَقَالَ أَبُو دَاوُدَ الطَّيَالِسِيُّ: حَدَّثَنَا شَرِيكٌ، عَنْ أَبِي عَلْوَانَ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عِصْمَةَ، «عَنِ ابْنِ عُمَرَ قَالَ: سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ: " إِنَّ فِي ثَقِيفٍ كَذَّابًا وَمُبِيرًا» . وَقَدْ تَوَاتَرَ خَبَرُ الْمُخْتَارِ بْنِ أَبِي عُبَيْدٍ الْكَذَّابِ الَّذِي كَانَ نَائِبًا عَلَى الْعِرَاقِ وَكَانَ يَزْعُمُ أَنَّهُ نَبِيٌّ، وَأَنَّ جِبْرِيلَ كَانَ يَأْتِيهِ بِالْوَحْيِ، وَقَدْ قِيلَ لِابْنِ عُمَرَ، وَكَانَ زَوْجَ أُخْتِ الْمُخْتَارِ صَفَّيْةَ: إِنَّ الْمُخْتَارَ يَزْعُمُ أَنَّ الْوَحْيَ يَأْتِيهِ. فَقَالَ: صَدَقَ، قَالَ اللَّهُ تَعَالَى: {وَإِنَّ الشَّيَاطِينَ لَيُوحُونَ إِلَى أَوْلِيَائِهِمْ} [الأنعام: 121]
وَقَالَ أَبُو دَاوُدَ الطَّيَالِسِيُّ: ثَنَا قُرَّةُ بْنُ خَالِدٍ، عَنْ عَبْدِ الْمَلِكِ بْنِ عُمَيْرٍ، عَنْ رِفَاعَةَ بْنِ شَدَّادٍ قَالَ: «كُنْتُ أَبْطَنَ شَيْءٍ بِالْمُخْتَارِ الْكَذَّابِ. قَالَ: فَدَخَلْتُ عَلَيْهِ ذَاتَ يَوْمٍ فَقَالَ: دَخَلْتَ وَقَدْ قَامَ جِبْرِيلُ قَبْلُ مِنْ هَذَا الْكُرْسِيِّ. قَالَ: فَأَهْوَيْتُ إِلَى قَائِمِ السَّيْفِ - يَعْنِي لِأَضْرِبَهُ - حَتَّى ذَكَرْتُ حَدِيثًا حَدِّثْنِيهِ عَمْرُو بْنُ الْحَمِقِ الْخُزَاعِيِّ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: " إِذَا أَمَّنَ الرَّجُلُ الرَّجُلَ عَلَى دَمِهِ ثُمَّ قَتَلَهُ، رُفِعَ
পৃষ্ঠা - ৫০৮৩
যুবক ৷ তার বিস্তারিত পরিচয় যথাস্থানে আসবে ৷ সে খলীফা আবদুল মালিক ইবন মার ওয়ান ও
তার পুত্র খলীফা ইবন আবদুল মালিকের পক্ষ থেকে হীরকেৱ শাসনকর্তা ছিল ৷ বদান্যতা ও
বাকপটুতাসহ অন্যান্য কতিপয় গুণ থাকা সত্বেও সে কাি এক অত্যাচারী স্বৈরশাসক ৷
বায়হাকী হাকিম আবু উয্বার থেকে বর্ণনা করেন ৷ তিনি বলেন, এক ব্যক্তি এসে
হযরত উমর ইবন খাত্তাব (রা)-কে সংবাদ দিল যে, ইরাকবাসীরা তাদের আমীরের বিরুদ্ধে
বিদ্রোহ করেছে ৷ উমর (রা) ক্রুদ্ধ অবস্থায় বেরিয়ে এলেন এবং নামাষে আমাদের ইমামতি
করলেন ৷ নামাযের মধ্যে তিনি তুং৷ করে বসলেন ৷ মুক্তাদীগণ সুবহানাল্লাহ্! সুবহনােল্লাহ্ বলে
ভুলের দিকে দৃষ্টি আকর্ষণ করে ৷ নামায়ের সালাম ফিরিয়ে তিনি মুকতাদীগণের দিকে ঘুরে
বলেন এবং জিজ্ঞেস করেন, এখানে সিরিয়ার কে আছে ? একজন দীড়াল, পরে আর একজনও
উঠল, তারপর তৃতীয় বা চতুর্থবারে আমি দীড়ালাম ৷ তিনি বললেন, হে সিরিয়ার জনগণ!
তোমরা ইরাকীদের বিরুদ্ধে মোকাবিলার জন্য প্রস্তুত হও ! কারণ, শয়তান তাদের মাঝে ডিম
পেড়ে বাচ্চা ফুটিয়েছে ৷ হে আল্লাহ! তারা আমার উপর চড়াও হয়েছে ৷ আপনি তাদের উপর
ছাকাফী গোত্রের কোন যুবককে চাপিয়ে দিন, যে তাদেরকে জাহিলী যুগের ন্যায় শাসন করবে
এবং তাদের কোন উত্তম কাজকে সে গ্রহণ করবে না এবং তাদের কোন অপরাধীকে সে ক্ষমা
করবে না ৷ আবদুল্লাহ ইবন লাহিয়া সুত্রে অনুরুপ বর্ণনা করে বলেন, হাজ্জাজ ঐ দিনই জন্মর্চক্রহণ
করে ৷ দারেমী আবুল ইয়ামান সুত্রে উমর (রা) থেকেও অনুরুপ বর্ণনা করেছেন ৷
আবুল ইয়ামান বলেন, উমর (রা) জানতেন যে, হাজ্জাজ অবশ্যই আত্মপ্রকাশ করবে ৷
কিন্তু ক্রুব্ধ হওয়ার কারণে তিনি ইরাকীদের প্রতিশোধ্ দ্রুত কামনা করেন ৷ আমার বক্তব্য
হলো, এ বিষয়টি যদি হযরত উমর রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর থেকে শ্র বণ করে বর্ণনা করে থাকেন,
তবে আশ্চর্যের কিছুই নেই ৷ যেহেতু এরুপ হাদীস ইতিপুর্বে অন্য থেকেও উদ্ধৃত হয়েছে ৷ আর
যদি এটা হযরত উমরের কথা হয়ে থাকে, তবুও অবাক হবার কিছু নেই ৷কারণ ওলীদের
কারামত নবীদেরই যুজিযা স্বরুপ : ণ্;এ ওঙু ষ্;ৰু ন্ঞ্জু ৷ নুা,হ্র
আবদুর রায্যাক জাফর হাসান সুত্রে আলী (রা) থেকে বর্ণনা করেন ৷ হযরত আলী
একদা কুফাবাসীদের সম্পর্কে দুআ করেন, হে আল্লাহ! আমি ওদের আমানত রক্ষা করেছি;
কিন্তু ওরা আমার সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করেছে ৷ আমি তাদেরকে উপদেশ দিয়েছি; কিন্তু তারা
আমার সাথে প্রতারণা করেছে ৷ সুতরাং আপনি ছাকীফ গোত্রের একজন অত্যাচারী ও অহংকারী
যুবককে তাদের শাসন করার জন্য চাপিয়ে দিন, যে তাদের সকল সুখসষ্পদকে ছিনিয়ে নেবে
এবং তাদের সড্রান্ত লোকদেরকে লাঞ্ছিত করবে, জাহিলী যুগের বর্বর শাসনে তাদেরকে জব্দ
করবে ৷ শ্
মালিক ইবন দীনার বলেন, হাসানের ইনতিকালের সময় পর্যন্ত হাজ্জাজের জন্ম হয়নি ৷ এ
বর্ণনাটির সনদ বিচ্ছিন্ন ৷
মুতামার মালিক ইবন আওস সুত্রে আলী ইবন আবু তালিব থেকে উক্ত বর্ণনাকে
নিম্নলিখিতভাবে বর্ণনা করেছেন; অহংকারী এক যুবক দু’টি১ শহরের আমীর হবে৷ সে
অত্যাচারের ভুষণ পরিধান করে তথাকার সুখ সম্পদকে উজাড় করে দেবে, শহরের সম্ভাম্ভ
১ দুটি শহর দ্বারা ইরাকের কুফ৷ ও বসরাকে বুঝান হয়েছে ৷
— : ৫
لَهُ لِوَاءُ الْغَدْرِ يَوْمَ الْقِيَامَةِ ". فَكَفَفْتُ عَنْهُ» وَقَدْ رَوَاهُ أَسْبَاطُ بْنُ نَصْرٍ وَزَائِدَةُ وَالثَّوْرِيُّ، عَنْ إِسْمَاعِيلَ السُّدِّيِّ، عَنْ رِفَاعَةَ بْنِ شَدَّادٍ الْفِتْيَانِيِّ فَذَكَرَ نَحْوَهُ.
وَقَالَ يَعْقُوبُ بْنُ سُفْيَانَ، ثَنَا أَبُو بَكْرٍ الْحُمَيْدِيُّ، ثَنَا سُفْيَانُ بْنُ عُيَيْنَةَ، عَنْ مُجَالِدٍ، عَنِ الشَّعْبِيِّ قَالَ: فَأَخَّرْتُ أَهْلَ الْبَصْرَةِ فَغَلَبْتُهُمْ بِأَهْلِ الْكُوفَةِ، وَالْأَحْنَفُ سَاكِتٌ لَا يَتَكَلَّمُ، فَلَمَّا رَآنِي غَلَبْتُهُمْ أَرْسَلَ غُلَامًا لَهُ فَجَاءَ بِكِتَابٍ فَقَالَ: هَاكَ اقْرَأْ فَقَرَأْتُهُ فَإِذَا فِيهِ مَنِ الْمُخْتَارِ إِلَيْهِ، يَذْكُرُ أَنَّهُ نَبِيٌّ. قَالَ: يَقُولُ الْأَحْنَفُ: أَنَّى فِينَا مِثْلُ هَذَا؟! .
وَأَمَّا الْحَجَّاجُ بْنُ يُوسُفَ فَقَدْ تَقَدَّمَ الْحَدِيثُ أَنَّهُ الْغُلَامُ الْمُبِيرُ الثَّقَفِيُّ، وَسَنَذْكُرُ تَرْجَمَتَهُ إِذَا انْتَهَيْنَا إِلَى أَيَّامِهِ، فَإِنَّهُ كَانَ نَائِبًا عَلَى الْعِرَاقِ لِعَبْدِ الْمَلِكِ بْنِ مَرْوَانَ، ثُمَّ لِابْنِهِ الْوَلِيدِ بْنِ عَبْدِ الْمَلِكِ،، وَكَانَ مِنْ جَبَابِرَةِ الْمُلُوكِ، عَلَى مَا كَانَ فِيهِ مِنَ الْكَرَمِ وَالْفَصَاحَةِ، عَلَى مَا سَنَذْكُرُهُ.
وَقَدْ قَالَ الْبَيْهَقِيُّ: ثَنَا الْحَاكِمُ عَنْ أَبِي نَصْرٍ الْفَقِيهِ، ثَنَا عُثْمَانَ بْنِ سَعِيدٍ الدَّارِمِيِّ قَالَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ صَالِحٍ الْمِصْرِيُّ، أَنَّ مُعَاوِيَةَ بْنَ صَالِحٍ حَدَّثَهُ، عَنْ
পৃষ্ঠা - ৫০৮৪
شُرَيْحِ بْنِ عُبَيْدٍ، عَنْ أَبِي عَذَبَةَ قَالَ: جَاءَ رَجُلٌ إِلَى عُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ فَأَخْبَرَهُ أَنَّ أَهْلَ الْعِرَاقِ قَدْ حَصَبُوا أَمِيرَهُمْ، فَخَرَجَ غَضْبَانَ، فَصَلَّى لَنَا الصَّلَاةَ فَسَهَا فِيهَا حَتَّى جَعَلَ النَّاسُ يَقُولُونَ: سُبْحَانَ اللَّهِ، سُبْحَانَ اللَّهِ. فَلَمَّا سَلَّمَ أَقْبَلَ عَلَى النَّاسِ فَقَالَ: مَنْ هَاهُنَا مِنْ أَهْلِ الشَّامِ؟ فَقَامَ رَجُلٌ، ثُمَّ قَامَ آخَرُ، ثُمَّ قُمْتُ أَنَا ثَالِثًا أَوْ رَابِعًا، فَقَالَ: يَا أَهْلَ الشَّامِ اسْتَعِدُّوا لِأَهْلِ الْعِرَاقِ، فَإِنَّ الشَّيْطَانَ قَدْ بَاضَ فِيهِمْ وَفَرَّخَ، اللَّهُمَّ إِنَّهُمْ قَدْ لَبِسُوا عَلَيَّ فَأَلْبِسْ عَلَيْهِمْ، وَعَجِّلْ عَلَيْهِمْ بِالْغُلَامِ الثَّقَفِيِّ يَحْكُمُ فِيهِمْ بِحُكْمِ أَهْلِ الْجَاهِلِيَّةِ، لَا يَقْبَلُ مِنْ مُحْسِنِهِمْ، وَلَا يَتَجَاوَزُ عَنْ مُسِيئِهِمْ قَالَ عَبْدُ اللَّهِ: وَحَدَّثَنِي ابْنُ لَهِيعَةَ بِمَثَلِهِ. قَالَ: وَمَا وُلِدَ الْحَجَّاجُ يَوْمَئِذٍ. وَرَوَاهُ الدَّارِمِيُّ أَيْضًا عَنْ أَبِي الْيَمَانِ، عَنْ جَرِيرِ بْنِ عُثْمَانَ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ مَيْسَرَةَ، عَنْ أَبِي عَذَبَةَ الْحِمْصِيِّ، عَنْ عُمَرَ فَذَكَرَ مِثْلَهُ. قَالَ أَبُو الْيَمَانِ: عَلِمَ عُمَرُ أَنَّ الْحَجَّاجَ خَارِجٌ لَا مَحَالَةَ، فَلَمَّا أَغْضَبُوهُ اسْتَعْجَلَ لَهُمُ الْعُقُوبَةَ. قُلْتُ: فَإِنْ كَانَ هَذَا نَقَلَهُ عُمَرُ عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَدْ تَقَدَّمَ لَهُ شَاهِدٌ عَنْ غَيْرِهِ، وَإِنْ كَانَ عَنْ تَحْدِيثٍ فَكَرَامَةُ الْوَلِيِّ مُعْجِزَةٌ لِنَبِيِّهِ.
وَقَالَ عَبْدُ الرَّزَّاقِ: أَنَا جَعْفَرٌ، يَعْنِي ابْنَ سُلَيْمَانَ، عَنْ مَالِكِ بْنِ دِينَارٍ، عَنِ الْحَسَنِ قَالَ: قَالَ عَلِيٌّ لِأَهْلِ الْكُوفَةِ: اللَّهُمَّ كَمَا ائْتَمَنْتُهُمْ فَخَانُونِي، وَنَصَحْتُ لَهُمْ فَغَشُّونِي، فَسَلِّطْ عَلَيْهِمْ فَتَى ثَقِيفٍ الذَّيَّالَ الْمَيَّالَ، يَأْكُلُ خَضِرَتَهَا، وَيَلْبَسُ
পৃষ্ঠা - ৫০৮৫
فَرْوَتَهَا، وَيَحْكُمُ فِيهِمْ بِحُكْمِ الْجَاهِلِيَّةِ. قَالَ: يَقُولُ الْحَسَنُ: وَمَا خُلِقَ الْحَجَّاجُ يَوْمَئِذٍ. وَهَذَا مُنْقَطِعٌ.
وَقَدْ رَوَاهُ الْبَيْهَقِيُّ أَيْضًا، مِنْ حَدِيثِ مُعْتَمِرِ بْنِ سُلَيْمَانَ عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَيُّوبَ عَنْ مَالِكِ بْنِ أَوْسِ بْنِ الْحَدَثَانِ، عَنْ عَلِيِّ بْنِ أَبِي طَالِبٍ أَنَّهُ قَالَ: الشَّابُّ الذَّيَّالُ أَمِيرُ الْمِصْرَيْنِ، يَلْبَسُ فَرْوَتَهَا، وَيَأْكُلُ خَضِرَتَهَا، وَيَقْتُلُ أَشْرَافَ أَهْلِهَا، يَشْتَدُّ مِنْهُ الْفَرَقُ وَيَكْثُرُ مِنْهُ الْأَرَقُ، وَيُسَلِّطُهُ اللَّهُ عَلَى شِيعَتِهِ.
وَلَهُ مِنْ حَدِيثِ يَزِيدَ بْنِ هَارُونَ، أَنَا الْعَوَّامُ بْنُ حَوْشَبٍ، حَدَّثَنِي حَبِيبُ بْنُ أَبِي ثَابِتٍ قَالَ: قَالَ عَلِيٌّ لِرَجُلٍ: لَا مِتَّ حَتَّى تُدْرِكَ فَتَى ثَقِيفٍ. فَقِيلَ: يَا أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ، وَمَا فَتَى ثَقِيفٍ؟ فَقَالَ: لَيُقَالَنَّ لَهُ يَوْمَ الْقِيَامَةِ: اكْفِنَا زَاوِيَةً مِنْ زَوَايَا جَهَنَّمَ. رَجُلٌ يَمْلِكُ عِشْرِينَ سَنَةً أَوْ بِضْعًا وَعِشْرِينَ سَنَةً، لَا يَدْعُ لِلَّهِ مَعْصِيَةً إِلَّا ارْتَكَبَهَا، حَتَّى لَوْ لَمْ يَبْقَ إِلَّا مَعْصِيَةٌ وَاحِدَةٌ وَكَانَ بَيْنَهُ وَبَيْنَهَا بَابٌ مُغْلِقٌ لَكَسَرَهُ حَتَّى يَرْتَكِبَهَا، يَقْتُلُ بِمَنْ أَطَاعَهُ مَنْ عَصَاهُ. وَهَذَا مُعْضَلٌ، وَفِي صِحَّتِهِ عَنْ عَلِيٍّ نَظَرٌ. وَاللَّهُ أَعْلَمُ.