আল বিদায়া ওয়া আন্নিহায়া

سنة إحدى عشرة من الهجرة

فصل: إيراد ما بقي علينا من متعلقات السيرة الشريفة

دلائل النبوة

من معجزة رسول الله
পৃষ্ঠা - ৫০৭৯


আরও একটি মুজিযা

বায়হাকী দারাওয়ার্দী আব্বাস ইবন আবদুল যুত্তালিব থেকে বর্ণনা করেন ৷ আব্বাস
একদিন কোন প্রয়োজনে আপন পুত্র আবদৃল্লাহ্কে রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর নিকট প্রেরণ করেন ৷
আবদুল্লাহ্সেখানে যান ৷ তিনি দেখতে পেলেন যে, রাসুলের নিকট একজন লোক বসে আছে ৷
এ কারণে কোন কথাবার্তা না বলেই তিনি ফিরে এলেন ৷ পরে আব্বাস রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর
সঙ্গে সাক্ষাৎ করে এ ঘটনাটি জানালেন ৷ রাসুলুল্পাহ্ (সা) জিজ্ঞেস করলেন, আবদুল্লাহ কি যে
লোকটিকে দেখেছে ? আ বৃবৃাস বললেন, হী দেখেছে ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) বললেন, জানের্নকি, সে
লোকটি কে ? তিনি তে৷ জিবরীল ৷ আবদুল্লাহ মৃত্যুর পুর্বে অন্ধ হয়ে যাবে এবং প্রচুর জ্ঞানের
অধিকারী হয়ে ৷ স৩াই হি অটিষট্টি সালে আবদুল্লাহ অন্ধ হওয়ার পর মারা যান ৷

বায়হাকী মুতড়ামার যায়দ ইবন আরকাম থেকে বর্ণনা করেন, যায়দ একবার রোগে
আক্রান্ত হলে রাসুলুল্লাহ্ (সা) তাকে দেখতে যান ৷ দেখার পর বললেন, রোগ হওয়ার কারণে
দুঃখের তেমন কিছু নেই ৷ কিন্তু আমার ইনতিকালের পরেও তুমি জীবিত থাকবে এবং অন্ধ
হয়ে যাবে তখন তোমার কী অবস্থা হবে ? যায়দ বললেন, আমি আল্লাহর সন্তুষ্টির আশায় ধৈর্য
ধারণ করবো ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) বললেন, তবে তুমি বিনা হিসাবে জান্নাতে প্রবেশ করবে ৷
পরবপতে রাসুলুল্পাহ্ (সা) এর ইনতিকালের পরে তিনি অন্ধ হয়ে যান ৷ কিছুদিন পর অন্ধতু
দুর করে আল্লাহ দৃষ্টি শক্তি ফিরিয়ে দেন, তারপরে তিনি মৃত্যুবরণ করেন ৷

বুখারীশ ৷রীফে আবু হুরায়রা থেকে এবং মুসলিম শরীফে আবু হুরায়রা ও জ বিব (রা)
থেকে বর্ণিত ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) বলেছেন, কিয়ামতের পুর্বে ত্রিশজন মিথুকে প্রতারকের আবির্ভাব
হবে, তারা প্রত্যেকেই নিজেকে নবী বলে দাবি করবে

;, ৷

বায়হাকী আল সালিমী আবদুল্লাহ ইবন যুবায়র (রা) থেকে বর্ণনা করেন ৷ রাসুলুল্লাহ্
(যা) বলেছেন, ত্রিশজন মিথুত্রক (নবীর) এর আবির্ভাব না হওয়া পর্যন্ত কিয়ামত সংঘটিত হয়ে
না ৷ তাদের মধ্যে মুসায়লামা, আনাসী ও মুখতার অন্যতম; আরব গোত্র সমুহের মধ্যে সবচেয়ে
জঘন্যতম গোত্র হলো বনু উমাইয়া, বনু হানীফা ও ছাকীফ গোত্র ৷ ইবন আদী বলেন,
বর্ণনাকারী মুহাম্মদ ইবন হাসানের-অনেকগুলি একক বর্ণনা আছে ৷ নির্ভরযোগ্য রাবীগণ তার
থেকে হাদীস বর্ণনা করেছেন৷ তার হাদীস বর্ণনায় আমি কোন দোষ দেখিনা ৷ বায়হাকী
বলেছেন, মুহাম্মদ ইবন হাসান একাই কেবল মুখতারকে মিথুক নবী হিসেবে বর্ণনা করেনি;
বরং অন্য রাবীদের সহীহ বর্ণনায়ও এর সমর্থন পাওয়া যায় ৷

বায়হাকী অড়াসওদ আসমা বিন্ত আবু বকর (রা) থেকে বর্ণনা করেন ৷ তিনি
একবার হাজ্জাজ ইবন ইউসুফকে বলেন,রাসুলুল্পাহ্ (সা) আমাদেরকে জানিয়েছেন যে, ছাকীফ
গোত্রে মিথ্যাবাদী ও ধ্বৎসকামী লোকের আর্বিভাব হবে ৷ মিথ্যাবাদীকে তো আমরা দেখলাম,
আর ধ্বংসকারী ব্যক্তি তুমি ব্যতীত অন্য কেউ নও ৷ মুসলিম শরীফেও এ হাদীস আসমা থেকে
বিভিন্ন সুত্রে বর্ণিত হয়েছে ৷


أَبِي زِيَادٍ الثَّقَفِيِّ قَالَ: اصْطَحَبَ قَيْسُ بْنُ خَرَشَةَ وَكَعْبٌ حَتَّى إِذَا بَلَغَا صِفِّينَ وَقَفَ كَعْبُ الْأَحْبَارِ. فَذَكَرَ كَلَامَهُ فِيمَا يَقَعُ هُنَاكَ مِنْ سَفْكِ دِمَاءِ الْمُسْلِمِينَ، وَأَنَّهُ يَجِدُ ذَلِكَ فِي التَّوْرَاةِ، وَذَكَرَ عَنْ قَيْسِ بْنِ خَرَشَةَ أَنَّهُ بَايَعَ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَلَى أَنْ يَقُولَ بِالْحَقِّ. وَقَالَ: " يَا قَيْسُ، عَسَى أَنْ يَمُدَّ بِكَ الدَّهْرُ حَتَّى يَلِيَكَ بَعْدِي مَنْ لَا تَسْتَطِيعُ أَنْ تَقُولَ بِالْحَقِّ مَعَهُمْ ". فَقَالَ: وَاللَّهِ لَا أُبَايِعُكَ عَلَى شَيْءٍ إِلَّا وَفَّيْتُ لَكَ بِهِ. فَقَالَ لَهُ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " إِذًا لَا يَضُرُّكَ بَشَرٌ ". فَبَلَغَ قَيْسٌ إِلَى أَيَّامِ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ زِيَادِ بْنِ أَبِي سُفْيَانَ، فَنِقَمَ عَلَيْهِ عُبَيْدُ اللَّهِ فِي شَيْءٍ، فَأَحْضَرَهُ فَقَالَ: أَنْتَ الَّذِي تَزْعُمُ أَنَّهُ لَا يَضُرُّكَ بَشَرٌ؟ قَالَ: نَعَمْ. قَالَ: لَتَعْلَمَنَّ الْيَوْمَ أَنَّكَ قَدْ كَذَبْتَ، ائْتُونِي بِصَاحِبِ الْعَذَابِ. قَالَ: فَمَالَ قَيْسٌ عِنْدَ ذَلِكَ فَمَاتَ. [مِنْ مُعْجِزَةِ رَسُولِ اللَّهِ] مُعْجِزَةٌ أُخْرَى رَوَى الْبَيْهَقِيُّ مِنْ طَرِيقِ الدَّرَاوَرْدِيِّ، عَنْ ثَوْرِ بْنِ يَزِيدَ عَنْ مُوسَى بْنِ مَيْسَرَةَ، أَنَّ بَعْضَ بَنِي عَبْدِ اللَّهِ سَايَرَهُ فِي بَعْضِ طَرِيقِ مَكَّةَ. قَالَ: «حَدَّثَنِي الْعَبَّاسُ بْنُ عَبْدِ الْمَطْلَبِ أَنَّهُ بَعَثَ ابْنَهُ عَبْدَ اللَّهِ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي حَاجَةٍ، فَوَجَدَ عِنْدَهُ رَجُلًا، فَرَجَعَ وَلَمْ يُكَلِّمْهُ; مِنْ أَجْلِ مَكَانِ الرَّجُلِ، فَلَقِيَ الْعَبَّاسُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَأَخْبَرَهُ بِذَلِكَ، فَقَالَ: " وَرَآهُ؟ " قَالَ: نَعَمْ. قَالَ: " أَتَدْرِي مَنْ ذَلِكَ الرَّجُلُ؟ ذَاكَ جِبْرِيلُ، وَلَنْ يَمُوتَ حَتَّى يَذْهَبَ بَصَرُهُ وَيُؤْتَى عِلْمًا» . وَقَدْ