আল বিদায়া ওয়া আন্নিহায়া

سنة إحدى عشرة من الهجرة

فصل: إيراد ما بقي علينا من متعلقات السيرة الشريفة

دلائل النبوة

إخباره صلى الله عليه وسلم عن وقعة الحرة
পৃষ্ঠা - ৫০৭৩


লোকদের সাথে এই কি তোমাদের আচরণ ? তাদের কাউকে করেছ বন্দী আর কাউকে করেছ
হত্যা, রক্ত আচ্ছাদনে তাদের দেহ হয়েছে আবৃত ৷ এই কি আমার প্রতিদান ? আমি তো
ণ্তামাদেরকে সৎ উপদেশ দান করেছিলাম, আর তোমরা আমার স্বজনদের উপর অত্যাচার
চালিয়ে তার বিরোধিতা করেছ ৷

এ প্রসঙ্গে বিস্তারিত আলোচনা আমরা যথান্থানে করবো ইনৃশাআল্লাহ্ ৷ হযরত হুসায়ন
(রা) এর করুণ মৃত্যু উপলক্ষে অসংখ্য গােকপাথা রচিত হয়েছে ৷ এখানে হাকিম আবু
আবদুল্লাহ নিশাপুরীর গ্রন্থ থেকে কিছু অংশ উদ্ধৃত করা হলো

ৰুখ্ট্রুএই ৰুএাএ

প্ শ্

অর্থাৎ-হে মুহাম্মদ তনয়া পুত্র! এরা তোমার মস্তককে রক্তের চাদর পরিয়ে বহন করে
এসেছে ৷ হে মুহাম্মদ তনয়া পুত্র ! তোমার হত্যার মাধ্যমে এরা যেন প্রকাশভােবে উদ্দেশ্য
প্রণোদিত হয়ে স্বয়ং রাসুলকেই হত্যা করেছে ৷ তৃষ্ণা কাতর অবস্থায় এরা তোমাকে বধ করেছে,
এ ব্যাপারে তারা কুরআন ও হাদীসের কিছুমাত্র পরোয়া করেনি ৷ তোমাকে হত্যা করে এরা
আল্লাহ আকবর (আল্লাহ্ মহান) বলে জয়ধ্বনি দিচ্ছে ৷ অথচ তোমাকে হত্যা করার মধ্য দিয়ে
এরা তাকবীর ও তাওহীদকেই হত্যা করে দিয়েছে ৷

ইয়াযীদের আমলে সংঘটিত হার্রার ঘটনা সম্পর্কে ভবিষ্যদ্বাণী

ইয়াকুব ইবন সুফিয়ান আইয়ুব ইবন বশীর থেকে বর্ণনা করেন ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা)
একদা সফরে বের হন ৷ হাবৃরার এক উদ্যানের নিকট এসে তিনি থামলেন এবং ইন্নালিল্লাহ্
পড়লেন ৷ সাথীদেরকে এ বিষয়টি ব্বিত করে তোলে ৷ তারা ধারণা করে নেন যে, এটা হয়তো
সফরের ব্যাপারে প্রযোজ্য ৷ হযরত উমর (রা) জিজ্ঞেস করলেন, ইয়া রাসুলাল্লাহ্৷ এটা তাহলে
কী ? তিনি বললেন, সাহাবীদের পরে এই হাবৃরায় আমার শ্রেষ্ঠ উম্মতদেরকে হত্যা করা হবে :
গোাগ্রা১৷ এ বর্ণনাটি মুরসাল (অর্থাৎ সনদে সাহাবীর
নাম উল্লেখ নেই) ৷ ইয়াকুব ইবন সুফিয়ান ইবন আব্বাস সুত্রে বর্ণনা করেন ৷ তিনি
বলেন, এ আয়াতটির মর্ম ষাট বছর পর বুঝা গেল, তারপর তিনি এ আয়াত টি পাঠ করলেন,

শ্শ্শ্শ্শ্ : ; ,

এ অর্থাৎ “আর যদি শহরের
চারদিক থেকে শত্রু এসে প্রবেশ করতো এবং তখন এদেরকে বিদ্রোহের জন্য প্ররাে ৷চিত করতো
তাহলে তারা অবশ্যই তাতে সাড়া দিতো” (৩৩ং , ১৪) ৷

ইবন আব্বাস বলেন, এ সাড়া দেয়ার অর্থ হলো মদীনাবাসীদের উপরে সিরিয়াবাসীদের
প্রবেশ লাভের জন্য বনু হারিছার সম্মতি ৷ এ হাদীসের বর্ণনাসুত্র সহীহ্ এবৎবহু সংখ্যক
মুহাদ্দিসের মতে সাহাবীর তাফসীর মারকু হাদীসের পর্যায়ভুক্ত ৷


مَاذَا تَقُولُونَ إِنْ قَالَ النَّبِيُّ لَكُمْ ... مَاذَا فَعَلْتُمْ وَأَنْتُمْ آخِرُ الْأُمَمِ بِعِتْرَتِي وَبِأَهْلِي بَعْدَ مُفْتَقَدِي ... مِنْهُمْ أُسَارَى وَقَتْلَى ضُرِّجُوا بِدَمِ مَا كَانَ هَذَا جَزَائِي إِذْ نَصَحْتُ لَكُمْ ... أَنْ تَخْلُفُونِي بِشَرٍّ فِي ذَوِي رَحِمِي وَسَنُورِدُ هَذَا مُفَصَّلًا فِي مَوْضِعِهِ إِذَا انْتَهَيْنَا إِلَيْهِ إِنْ شَاءَ اللَّهُ، وَبِهِ الثِّقَةُ وَعَلَيْهِ التُّكْلَانُ، وَقَدْ رَثَاهُ النَّاسُ بِمَرَاثٍ كَثِيرَةٍ، وَمِنْ أَحْسَنِ ذَلِكَ مَا أَوْرَدَهُ الْحَاكِمُ أَبُو عَبْدِ اللَّهِ النَّيْسَابُورِيُّ، وَكَانَ فِيهِ تَشَيُّعٌ: جَاءُوا بِرَأْسِكَ يَا ابْنَ بِنْتِ مُحَمَّدٍ ... مُتَزَمِّلًا بِدِمَائِهِ تَزْمِيلَا فَكَأَنَّمَا بِكَ يَا ابْنَ بِنْتِ مُحَمَّدٍ ... قَتَلُوا جِهَارًا عَامِدِينَ رَسُولَا قَتَلُوكَ عَطْشَانًا وَلَمْ يَتَرَقَّبُوا ... فِي قَتْلِكَ التَّنْزِيلَ وَالتَّأْوِيلَا وَيُكَبِّرُونَ بِأَنْ قُتِلْتَ وَإِنَّمَا ... قَتَلُوا بِكَ التَّكْبِيرَ وَالتَّهْلِيلَا [إِخْبَارُهُ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَنْ وَقْعَةِ الْحَرَّةِ] ذِكْرُ الْإِخْبَارِ عَنْ وَقْعَةِ الْحَرَّةِ الَّتِي كَانَتْ فِي زَمَنِ يَزِيدَ أَيْضًا قَالَ يَعْقُوبُ بْنُ سُفْيَانَ: حَدَّثَنِي إِبْرَاهِيمُ بْنُ الْمُنْذِرِ، حَدَّثَنِي ابْنُ فُلَيْحٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَيُّوبَ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، عَنْ أَيُّوبَ بْنِ بَشِيرٍ الْمُعَاوِيِّ «أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ خَرَجَ فِي سَفَرٍ مِنْ أَسْفَارِهِ، فَلَمَّا مَرَّ بِحَرَّةِ زُهْرَةَ وَقَفَ فَاسْتَرْجَعَ، فَسَاءَ ذَلِكَ مَنْ مَعَهُ، وَظَنُّوا أَنَّ ذَلِكَ مِنْ أَمْرِ سَفَرِهِمْ، فَقَالَ عُمَرُ بْنُ الْخَطَّابِ: يَا رَسُولَ اللَّهِ،
পৃষ্ঠা - ৫০৭৪

নুআয়ম ইবন হাম্মাদ কিতাবুল ফিতান ওয়াল মালাহিম’ গ্রন্থে আবু বর (বা) থেকে
বংনাি করেছেন ৷ তিনি বলেন, একদা রাসুলুল্লাহ্ (সা) আমাকে ডেকে বলেন, হে আবু ঘর, যে
সময় লোক অকাতরে নিহত হবে, এমনকি তাদের রক্তের স্রোতে গাছপাথর ডুবে যাবে, তখন
তুমি কী করবে ? আবু বর (বা) বলেন, আল্লাহ ও তার রাসুল ভাল জানেন ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা)
বললেন, তুমি তখনও তামার গৃহের অভ্যন্তরে অবস্থান নেবে ৷ আমি বললাম, তারা যদি আমার
উপর চড়৷ ও হয় ? রাসুলুল্লাহ্ (সা) বললেন, চড়াও হলে সে তোমার নিজের গোত্রের লোকই
হবে ৷ আমি জিজ্ঞেস করলাম, তখন কি আমি অস্ত্র হাতে নেব ? তিনি বললেন, তাহলে তো
তুমিও৩ তাদের কাজে শরীক হয়ে যাবে ৷ আমি পুনরায় জিজ্ঞেস করলাম, ইয়৷ রাসুলাল্লাহ্! আমি
তখন কী করতে পারি ? জবাবে রাসুলুল্লাহ্ (সা) বললেন, এমন আশংকা যদি হয় যে,
তোমাকে তল্যেয়ার দ্বারা আঘাত করবে, তখন তোমার চেহারা চাদর দিয়ে ঢেকে নিবে,
হত্যাকারী যাতে তার নিজের ও তোমার পাপের বোঝা বহন করে ৷ ইমাম আহমদ তার
মুসনাদ’ গ্রন্থে অড়াবুইমরান আ ৷ল-জাওনী সুত্রে এ হাদীসকে আরও বিশদভাবে বর্ণনা করেছেন ৷

আমি বলি, হাবরার ঘটনার কারণ এই যে, মদীনা থেকে প্রতিনিধি দল দামিশৃকে গিয়ে
ইয়াঘীদ ইবন মুআবিয়ার সাথে সাক্ষাৎ করে ৷ ইয়াঘীদ তাদেরকে যথোপযুক্ত সম্মান, আপ্যায়ন
করে এবং উত্তম উপচৌকন দান করে ৷ দলের আমীর আবদুল্লাহ ইবন হানযালা ইবন আবু
আমেরকে প্রায় এক লক্ষ দিরহাম দিয়ে পুরকৃত করে ৷৩ তারা ফিরে এসে মদীনাবাসীদেরকে
ইয়াযীদের পাপাচার সম্পর্কে ধারণা দেন এবং বলেন যে, সে মদ পান করে এবং মাতাল
অবস্থায় বহু সময় তার নামাযের ওয়াক্ত অতিবাহিত হয়ে যায় ৷ত তা শুনে মদীনাবাসীর৷ মসজিদে
নববীতে সমবেত ৩হয়ে ইয়াযীদের খিলড়াফতের প্রতি অ৩নাস্থ৷ প্রক৷ শ্া৷ করলেন ৷ ইয়াযীদের নিকট

সংবাদ পৌছ৷ মাত্র বিদ্রোহ দমনের জন্য মুসলিম ইবন উক্বড়ার নেতৃত্বে (প্রাচীন ইতিহাসে
তার নাম মুসাবরাফ ইবন উক্বা) এক বাহিনী প্রেরণ করে ৷ মুসলিম মদীনায় পৌছে তিন দিন
পর্যন্ত নৃশ০ ৎসভাবে হত্যায়জ্ঞ চালায় ৷ অস০ ৎখ্য লোক এতে নিহত হয় ৷ মদীনায় কোন একটি
লোকও আঘাত থেকে রেহাই পাননি ৷ প্রাচীন ঐতিহাসিকগণ লিখেছেন এ অভিযানে এক
হাজার তরুণ নিহত হয় ৷ ইমাম মালিক (র) বলেছেন, হাবরার ঘটনায় সাত শ’ হাফিযে
কুরআন নিহত হন ৷ আবদুল্লাহ ইবন ওহাব বলেন, ইমাম মালিক সম্ভবত এ কথাও বলেছেন
যে, নিহতদের মধ্যে রাসুল (সা) এর তিনজন সাহাবীও ছিলেন ৷ ইয়াকুব ইবন সুফিয়ান সাঈদ
ইবন কাহীর সুত্রে লেখেন যে, হাবরার ঐ দিন নিহতদের তালিকায় আবদুল্লাহ ইবন ইয়াঘীদ
আল-মাযিনী, মাকিল ইবন সুলায়মান আল-আশজাঈ ও মুআয ইবন হারিছ আল-কারী,
আবদুল্লাহ ইবন হানযাল৷ ইবন আবু আযিরও ছিলেন ৷

ইয়াকুব ইয়াহ্ইয়ার সুত্রে লায়ছ থেকে বর্ণনা করেন যে, হাবরার ঘটনা হি তেষট্টি সালের
যিল-হাজ মাসের সাতাশ তারিখে বুধবারে স০ ঘটিত হয় ৷

মদীনায় ধ্বংস অভিযান <:শষে মুসাবরফ ইবন উক্বা আবদুল্লাহ ইবন যুবায়রকে হত্যা
করার উদ্দেশ্যে মক্কা অভিমুখে যাত্রা করে ৷ কারণ আবদুল্লাহ ইবন যুবায়র ইয়াযীদের হাতে
বায়আত না করেই শাসন অস্বীকার করে বিদ্রোহ করেছিলেন ৷ ইত্যবসরে ইয়াঘীদ ইবন
মুআবিয়া মৃত্যুবরণ করে ৷ তার মৃত্যুতে সমগ্র হিজাষে আবদুল্লাহ ইবন যুবায়রের শাসন সু-দৃঢ়
হয় ৷ ইরাক ও মিসর তার অধীনে চলে আসে ৷


مَا الَّذِي رَأَيْتَ؟ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " أَمَا إِنَّ ذَلِكَ لَيْسَ مِنْ سَفَرِكُمْ هَذَا ". قَالُوا: فَمَا هُوَ يَا رَسُولَ اللَّهِ؟ قَالَ: " يُقْتَلُ بِهَذِهِ الْحَرَّةِ خِيَارُ أُمَّتِي بَعْدَ أَصْحَابِي» . هَذَا مُرْسَلٌ. وَقَدْ قَالَ يَعْقُوبُ بْنُ سُفْيَانَ: قَالَ وَهْبُ بْنُ جَرِيرٍ: قَالَتْ جُوَيْرِيَةُ: حَدَّثَنِي ثَوْرُ بْنُ زَيْدٍ، عَنْ عِكْرِمَةَ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ قَالَ: جَاءَ تَأْوِيلُ هَذِهِ الْآيَةِ عَلَى رَأْسِ سِتِّينَ سَنَةً: {وَلَوْ دُخِلَتْ عَلَيْهِمْ مِنْ أَقْطَارِهَا ثُمَّ سُئِلُوا الْفِتْنَةَ لَآتَوْهَا} [الأحزاب: 14] . قَالَ: لَأَعْطَوْهَا. يَعْنِي إِدْخَالَ بَنِي حَارِثَةَ أَهْلَ الشَّامِ عَلَى أَهْلِ الْمَدِينَةِ. وَهَذَا إِسْنَادٌ صَحِيحٌ إِلَى ابْنِ عَبَّاسٍ، وَتَفْسِيرُ الصَّحَابِيِّ فِي حُكْمِ الْمَرْفُوعِ عِنْدَ كَثِيرٍ مِنَ الْعُلَمَاءِ. وَقَالَ نُعَيْمُ بْنُ حَمَّادٍ فِي كِتَابِ " الْفِتَنِ وَالْمَلَاحِمِ ": حَدَّثَنَا أَبُو عَبْدِ الصَّمَدِ الْعَمِّيُّ، ثَنَا أَبُو عِمْرَانَ الْجَوْنِيُّ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الصَّامِتِ، عَنْ أَبِي ذَرٍّ قَالَ: قَالَ لِي رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «يَا أَبَا ذَرٍّ، أَرَأَيْتَ إِنِ النَّاسُ قُتِلُوا حَتَّى تَغْرَقَ حِجَارَةُ الزَّيْتِ مِنَ الدِّمَاءِ، كَيْفَ أَنْتِ صَانِعٌ؟ " قَالَ: قُلْتُ: اللَّهُ وَرَسُولُهُ أَعْلَمُ. قَالَ: " تَدْخُلُ بَيْتَكَ ". قَالَ: قُلْتُ: فَإِنْ أَتَى عَلَيَّ؟ قَالَ: " تَأْتِي مَنْ أَنْتَ مِنْهُ ". قَالَ: قُلْتُ: وَأَحْمِلُ السِّلَاحَ؟ قَالَ: " إِذًا تُشْرَكَ مَعَهُمْ ". قَالَ: قُلْتُ: فَكَيْفَ أَصْنَعُ يَا رَسُولَ اللَّهِ؟ قَالَ: " إِنْ خِفْتَ أَنْ يَبْهَرَكَ شُعَاعُ السَّيْفِ فَأَلْقِ طَائِفَةً مِنْ رِدَائِكَ عَلَى وَجْهِكَ يَبُوءُ بِإِثْمِكَ وَإِثْمِهِ» وَرَوَاهُ الْإِمَامُ أَحْمَدُ فِي
পৃষ্ঠা - ৫০৭৫
" مُسْنَدِهِ " عَنْ مَرْحُومٍ، هُوَ ابْنُ عَبْدِ الْعَزِيزِ، عَنْ أَبِي عِمْرَانَ الْجَوْنِيِّ فَذَكَرَهُ مُطَوَّلًا. قُلْتُ: وَكَانَ سَبَبُ وَقْعَةِ الْحَرَّةِ أَنَّ وَفْدًا مِنْ أَهْلِ الْمَدِينَةِ قَدِمُوا عَلَى يَزِيدَ بْنِ مُعَاوِيَةَ بِدِمَشْقَ، فَأَكْرَمَهُمْ وَأَحْسَنَ جَائِزَتَهُمْ، وَأَطْلَقَ لِأَمِيرِهِمْ، وَهُوَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ حَنْظَلَةَ بْنِ أَبِي عَامِرٍ، قَرِيبًا مِنْ مِائَةِ أَلْفٍ، فَلَمَّا رَجَعُوا ذَكَرُوا لِأَهْلِيهِمْ عَنْ يَزِيدَ مَا كَانَ يَقَعُ مِنْهُ مِنَ الْقَبَائِحِ فِي شُرْبِهِ الْخَمْرَ، وَمَا يَتْبَعُ ذَلِكَ مِنَ الْفَوَاحِشِ الَّتِي مِنْ أَكْبَرِهَا تَرْكُ الصَّلَاةِ عَنْ وَقْتِهَا بِسَبَبِ السُّكْرِ، فَاجْتَمَعُوا عَلَى خَلْعِهِ، فَخَلَعُوهُ عِنْدَ الْمِنْبَرِ النَّبَوِيِّ، فَلَمَّا بَلَغَهُ ذَلِكَ بَعَثَ إِلَيْهِمْ سَرِيَّةً يَقْدُمُهَا رَجُلٌ يُقَالُ لَهُ: مُسْلِمُ بْنُ عُقْبَةَ. وَإِنَّمَا يُسَمِّيهِ السَّلَفُ مُسْرِفَ بْنَ عُقْبَةَ، فَلَمَّا وَرَدَ الْمَدِينَةَ اسْتَبَاحَهَا ثَلَاثَةَ أَيَّامٍ، فَقَتَلَ فِي غُبُونِ هَذِهِ الْأَيَّامَ بَشَرًا كَثِيرًا حَتَّى كَادَ لَا يَفْلِتُ أَحَدٌ مِنْ أَهْلِهَا، وَزَعَمَ بَعْضُ عُلَمَاءِ السَّلَفِ أَنَّهُ افْتَضَّ فِي غُبُونِ ذَلِكَ أَلْفَ بِكْرٍ. فَاللَّهُ أَعْلَمُ. وَقَالَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ وَهْبٍ عَنِ الْإِمَامِ مَالِكٍ: قُتِلَ يَوْمَ الْحَرَّةِ سَبْعُمِائَةِ رَجُلٍ مِنْ حَمَلَةِ الْقُرْآنِ. حَسِبْتُ أَنَّهُ قَالَ: وَكَانَ فِيهِمْ ثَلَاثَةٌ مِنْ أَصْحَابِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ. وَذَلِكَ فِي خِلَافَةِ يَزِيدَ. وَقَالَ يَعْقُوبُ بْنُ سُفْيَانَ سَمِعْتُ سَعِيدَ بْنَ كَثِيرِ بْنِ عُفَيْرٍ الْأَنْصَارِيَّ يَقُولُ: قُتِلَ يَوْمَ الْحَرَّةِ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ يَزِيدَ الْمَازِنِيُّ، وَمَعْقِلُ بْنُ سِنَانٍ الْأَشْجَعِيُّ،
পৃষ্ঠা - ৫০৭৬

ইয়াষীদের পরে তার পুত্র মু আবিয়৷ পিতার খিলাফতে অধিষ্ঠিত হন ৷ তিনি ছিলেন সৎ ও
ন্যায়পরায়ণ লোক ৷ কিভু বেশি দিন তিনি জীবিত ছিলেন না ৷ মাত্র চল্লিশ দিন, কারও মতে
বিশ দিন খিলাফত পরিচালনা করার পর তিনি ইনতিকাল করেন ৷ মারওয়ান ইবন হাকাম এ
সময় সিরিয়ার ক্ষমতায় আসীন হন ৷ নয় মাস রাজতৃ করার পর তিনি মারা যান ৷ মারওয়ানের
মৃত্যুর পর তার পুত্র আবদুল্লাহ খিলাফতের মসনদে অধিষ্ঠিত তহয় ৷ কিন্তু আমর ইবন সাঈদ
ইবন আশদাক তার প্ৰতিদ্বজ্বি হয়ে উঠে ৷ মু আবিয়া, ইয়াযীদ ও মারওয়ানের শাসনকালে এই
আমর মদীনায় খলীফ৷ ৷র প্রতিনিধিরুপে দ যি৩ পালন করেন ৷ মারওয়ানের মৃত্যুকালে আমর
ধারণা করেছিলেন যে, নিশ্চয়ই তিনি আমাকে তার স্থলাভিষিক্ত করবেন এবং আব্দুল মালিলকে
আমার পরে খলীফারুপে ঘোষণা দেবেন ৷ বিক্ষ্ম তার সকল আশা চুর্ণ হয়ে গেল ৷ ফলে আমর
ইবন সাঈদ ক্ষুদ্ধ হৃদয়ে আপন দাবিতে রাজ্যাভ্যন্তরে বিশৃৎখলা সৃষ্টি করতে থাকে ৷ হি
উনসত্তর অথবা সত্তর সালে খলীফ৷ তাকে হত্যা করেন ৷ অতঃপর আব্দুল মালিক সুষ্ঠুভাবে দেশ
শাসন করতে থাকেন ৷ হি তিহাত্তর সালে৩ তিনি আবদুল্লাহ ইবন যুবায়রকে দমন করতে সক্ষম
হন ৷ খলীফার নির্দেশক্রমে হাজ্জাজ ইবন ইউসুফ মক্কায় আবদুল্লাহ্কে দীর্ঘদিন অবরোধ রাখার
পর হত্যা করে ৷ আবদুল্লাহ ইবন যুবায়র হারাম শরীফে আশ্রয় গ্রহণ করেছিলেন ৷ সুতরাং হত্যা
করার সুযোগ না থাকায় হাজ্জাজ কাবা গৃহের উপর মিনজানীক ক্রেন স্থাপন করে সু-কৌশলে
আবদুল্লাহ্ ইবন যুবায়রকে হত্যা করে ৷ আব্দুল মালিক তার মৃত্যুর পরে খিলাফত পদে নিজের
চার পুত্র যথা : ওলীদ, সুলায়মান, ইয়াযীদ ও হিশামের নাম ঘোষণা করেন ৷

ইমাম আহমদ আসওদ ও ইয়াহিয়া আবু হুরায়রা (রা) সুত্রে বর্ণনা করেন, রাসুলুল্পাহ্
(সা) বলেছেন, তোমরা সত্তর দশকের শেষের বছরগুলো থেকে আশ্রয় প্রার্থনা কর, এবং
বালকদের শাসনকর্তৃৎ থেকে পানাহ্ চাও ৷ তিনি আরও বলেছেন : এ জগত ততদিন ধ্বংস
হয়ে না যতদিন না পাপিষ্ঠ পুত্র ও পাপিষ্ঠ ও দুর্নীতিবাজ হবে এবং উভয়েই ক্ষমতার সিংহাসনে
আরোহণ করবে ও
, এ্এে


তিরমিষী আবু হুরায়রা (যা) থেকে বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ্ (যা) বলেছেন : আমার
উন্মতের বয়স ষাট থেকে সত্তরের মধ্যে হবে (স্বাভাবিকভাবে) ৷ হাদীসটি হাসান গরীব ৷

ইমাম আহমদ আবু হুরায়রা (রা) থেকে বর্ণনা করেন ৷ তিনি বলেন, আমি শুনেছি,
রাসুলুল্লাহ্ (যা) বলেছেন, আমার এই মিম্বরের উপর বসে বনু উমায়্যার স্বৈরাচার অহং কারী
শাসকরা উচ্চস্বরে রাজকীয় ঘোষণা পাঠ করবে ৷ আবদুস সামাদ বড়াড়িয়ে বলেছেন যে, সে
চিৎকারে তার নাক দিয়ে রক্ত প্রবাহিত হয়ে ৷

এরপর আবদুস সামাদ বলেন, আমার নিকট এমন এক ব্যক্তি বর্ণনা করেছে যে আমর

ইবন সাঈদ ইবন আসকে দেখেছে যে, সে মসজিদে নববীর মিম্বরের উপর উপবিষ্ট থাকাকালে
তার নাক থেকে রক্ত প্রবা তহয় ৷ আমি বলি, জনৈক বর্ণনাকা রী আলী ইবন ইয়াযীদ ইবন
জাদ আন হাদীস বর্ণনায় অপরিচিত, অনির্ভরযােগ্য ৷ তিনি শিয়া প্রভাবিত ছিলেন ৷ এবং এই


وَمُعَاذُ بْنُ الْحَارِثِ الْقَارِئُ، وَقُتِلَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ حَنْظَلَةَ بْنِ أَبِي عَامِرٍ. قَالَ يَعْقُوبُ: وَحَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ بُكَيْرٍ، عَنِ اللَّيْثِ قَالَ: وَكَانَتْ وَقْعَةُ الْحَرَّةِ يَوْمَ الْأَرْبِعَاءِ لِثَلَاثٍ بَقِينَ مِنْ ذِي الْحِجَّةِ سَنَةَ ثَلَاثٍ وَسِتِّينَ. ثُمَّ انْبَعَثَ مُسْرِفُ بْنُ عُقْبَةَ إِلَى مَكَّةَ قَاصِدًا عَبْدَ اللَّهِ بْنَ الزُّبَيْرِ لِيَقْتُلَهُ بِهَا; لِأَنَّهُ فَرَّ مِنْ بَيْعَةِ يَزِيدَ، فَمَاتَ يَزِيدُ بْنُ مُعَاوِيَةَ فِي غُبُونِ ذَلِكَ، وَاسْتَفْحَلَ أَمْرُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الزُّبَيْرِ فِي الْخِلَافَةِ بِالْحِجَازِ، ثُمَّ أَخَذَ الْعِرَاقَ وَمِصْرَ، وَبُويِعَ بَعْدَ يَزِيدَ لِابْنِهِ مُعَاوِيَةَ بْنِ يَزِيدَ، وَكَانَ رَجُلًا صَالِحًا، فَلَمْ تَطُلْ مُدَّتُهُ; مَكَثَ أَرْبَعِينَ يَوْمًا، وَقِيلَ: عِشْرِينَ يَوْمًا. ثُمَّ مَاتَ، رَحِمَهُ اللَّهُ، فَوَثَبَ مَرْوَانُ بْنُ الْحَكَمِ عَلَى الشَّامِ فَأَخْذَهَا، فَبَقِيَ تِسْعَةَ أَشْهُرٍ ثُمَّ مَاتَ، وَقَامَ بَعْدَهُ ابْنُهُ عَبْدُ الْمَلِكِ بْنُ مَرْوَانَ، فَنَازَعَهُ فِيهَا عَمْرُو بْنُ سَعِيدِ بْنِ الْأَشْدَقِ، وَكَانَ نَائِبًا عَلَى الْمَدِينَةِ مِنْ زَمَنِ مُعَاوِيَةَ وَأَيَّامِ يَزِيدَ، وَمَرْوَانَ، فَلَمَّا هَلَكَ مَرْوَانُ زَعَمَ أَنَّهُ أَوْصَى لَهُ بِالْأَمْرِ مِنْ بَعْدِ ابْنِهِ عَبْدِ الْمَلِكِ، فَضَاقَ بِهِ ذَرْعًا، وَلَمْ يَزَلْ بِهِ حَتَّى أَخَذَهُ بَعْدَ مَا اسْتَفْحَلَ أَمْرُهُ بِدِمَشْقَ، فَقَتَلَهُ فِي سَنَةِ تِسْعٍ وَسِتِّينَ، وَيُقَالُ: فِي سَنَةِ سَبْعِينَ. وَاسْتَمَرَّتْ أَيَّامُ عَبْدِ الْمَلِكِ حَتَّى ظَفِرَ بِابْنِ الزُّبَيْرِ سَنَةَ ثَلَاثٍ وَسَبْعِينَ، قَتَلَهُ الْحَجَّاجُ بْنُ يُوسُفَ الثَّقَفِيُّ عَنْ أَمْرِهِ بِمَكَّةَ، بَعْدَ مُحَاصَرَةٍ طَوِيلَةٍ اقْتَضَتْ أَنْ نَصَبَ الْمَنْجَنِيقَ عَلَى الْكَعْبَةِ; مِنْ أَجْلِ أَنَّ ابْنَ الزُّبَيْرِ لَجَأَ إِلَى الْحَرَمِ، فَلَمْ يَزَلْ بِهِ حَتَّى قَتَلَهُ، ثُمَّ عَهِدَ فِي الْأَمْرِ إِلَى بَنِيهِ الْأَرْبَعَةِ مِنْ بَعْدِهِ; الْوَلِيدِ، ثُمَّ سُلَيْمَانَ، ثُمَّ يَزِيدَ، ثُمَّ هِشَامِ بْنِ عَبْدِ الْمَلِكِ وَقَدْ قَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا أَسْوَدُ وَيَحْيَى بْنُ أَبِي بُكَيْرٍ، ثَنَا كَامِلٌ
পৃষ্ঠা - ৫০৭৭

আমর ইবন সাঈদকে বলা হয় আশদাক, তিনি মুসলিম সমাজের নেতৃস্থানীয় ও সল্লাড় ব্যাক্তি
ছিলেন (পার্থিব দিক থেকে, দীনদারীর দিক থেকে নয়) ৷ বহু সং খ্যক সাহারা থেকে তিনি
হাদীস বর্ণনা করেছেন ৷ যেমন মুসলিম শরীফে৩ তাহারাত অধ্যায়ে তিনি উছমান (রা) থেকে
হাদীস বর্ণনা করেছেন ৷ যু আবিয়া ও ইয়াষীদের শাসনকালে তিনি মদীনার শাসনকর্তা ছিলেন ৷
এরপর তার তৎপরতা ডিন্নপথে ধাবিত হয় ৷ এক পর্যায়ে তিনি আবদুল মালিক ইবন
মারওয়ানের সাথে সংঘর্ষে লিপ্ত হন ৷ আবদুল মালিক কৌশলে তাকে হি উনসত্তর অথবা সত্তর
সালে হত্যা করেন ৷

আমর ইবন সাঈদ আলআশদা কের মহানুভবতা সম্পর্কে বহু ঘটনা প্রসিদ্ধ রয়েছে ৷ যেমন,
যখন তার পিতার মৃত্যুর সময় উপস্থিত হয় তখন তার তিন পুত্র আমর , উমায়্যা ও মুসাকে
ডেকে বললেন, আমার উপর যে ঋণ আছে তা পরিশোধ করার দায়িত্ব কে নেবে ? আমর
অগ্রসর হয়ে বললেন-আব্বাজান! এ দায়িত্ব আমি মোঃ; অতঃপর বললেন, আপনার ঋণের
পরিমান কত ? পিতা বললেন, ত্রিশ সহস্র স্বর্ণ মুদ্রা (দীনার) ৷ আমর বললেন, আমি তা পােধ
করতে রাজী আছি ৷ তারপর বললেন, তোমার বোনদের বিবাহ্ সমপর্যায়ের পাত্রদের সাথে
দেবে, যবের রুটি দ্বারা আপ্যায়ন করে হলেও ৷ আমর বললেন, রাজী আছি ৷ পিতা পুনরায়
বললেন, আমার বন্ধু-বান্ধবগণ আমার মৃত্যুতে যদিও আমার দর্শন থেকে বঞ্চিত হবে, কিন্তু
তাই বলে আমার সৌহার্দপুর্ণ আচরণ থেকে যেন তারা বঞ্চিত না হয় ৷ আমর বললেন-অবশ্যই
তাই করবো ৷ পিতা বললেন, তুমি আজ যে এইরুপ উত্তর দোব, আমি তা সেই দিন তোমার
মুখমণ্ডলের দ্যুতি থেকে উপলব্ধি করেছিলাম, যে দিন তুমি দোলনায় ছিলে ৷

বায়হাকী আবদুল্লাহ ইবন সালেহ মুহাম্মদ ইবন ইয়াযীদ সুত্রে বর্ণনা করেন-একদা কায়স

ইবন হারাশা ও কাব একত্রে সফর করছিলেন ৷ সিফ্ফীনে পৌছলে কাব আহ্বার খমকে

র্দাড়ালেন এবং বললেন, এই তো সে স্থান, যার কথা তাওরাতে এসেছে যে, এখানে একদিন
মুসলমানদের রক্ত বন্যা প্রবাহিত হবে৷ কায়স ইবন হারাশা সম্পর্কে বায়হাকী বলেছেন যে,
তিনি সত্য ও হক কথা বলার ব্যাপারে রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর নিকট অঙ্গীকারাৰ্দ্ধ হন ৷
রাসুলুল্লাহ্ (সা) বলেছিলেন, হে কায়স ইবন হারাশা! শীঘ্রই ভুমি সমাজের ণ্লাকদের নিকট
নিগৃহীত হবে ৷ আমার মৃত্যুর পরে এমন সব লোকদের র্ফাদে তুমি আবদ্ধ হবে যে, তাদের
সম্মুখে হক কথা বলতে সক্ষম হবে না ৷ কায়স বললেন, আল্লাহর শপথ, আমি যে ব্যাপারে
আপনার নিকট বায়আত ৫নব তা পুরণ করবেইি ৷ রাসুলুল্লাহ্ (না)-কে বললেন, তাই যদি পায়
তার কোন লোক তোমার কোন ক্ষতি করতে পারবে না ৷ কায়স উবায়দুল্পাহ্ ইবন যিয়াদ ইবন
আবু সুফিয়ানের শাসনকাল পর্যন্ত জীবিত থাকেন ৷ কোন এক ন্ কারবৃণ উবায়দুল্লাহ্ তার উপর
ক্ষি প্ত হয় ৷ কায়সকে দরবারে ডেকে এনে সে বললো, তৃমিই কি সেই ব্যক্তি, যে এই ধারণা
পোষণ কর যে, ন্ক্লেউ তোমার কোন ক্ষতি করতে পারবে না ? কায়স বললেন, হী ৷ উবায়দৃল্লাহ্
বললো, জ্যোঅই তুমি দেখে নেবে যে, তোমার এ দাবি মিথ্যা ৷ এ কথা বলে উবায়দুল্পাহ্
জল্লাদকে ডেকেৰুপাঠাল ৷ তখন কায়স অন্য দিকে মুখ ফিরালেন এবং সাথে সাথে যারা
গেলেন ৷


أَبُو الْعَلَاءِ، سَمِعْتُ أَبَا صَالِحٍ - وَهُوَ مَوْلَى ضُبَاعَةَ - الْمُؤَذِّنَ، وَاسْمُهُ مِينَاءُ قَالَ: «سَمِعْتُ أَبَا هُرَيْرَةَ يَقُولُ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " تَعَوَّذُوا بِاللَّهِ مِنْ رَأْسِ السَّبْعِينَ، وَإِمَارَةِ الصِّبْيَانِ ". وَقَالَ: " لَا تَذْهَبُ الدُّنْيَا حَتَّى تَصِيرَ لِلُكَعِ ابْنِ لُكَعٍ ". وَقَالَ الْأَسْوَدُ: يَعْنِي اللَّئِيمَ ابْنَ اللَّئِيمِ» . وَقَدْ رَوَى التِّرْمِذِيُّ مِنْ حَدِيثِ كَامِلٍ، عَنْ أَبِي صَالِحٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ: «قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " عُمُرُ أُمَّتِي مِنْ سِتِّينَ إِلَى سَبْعِينَ سَنَةً» . ثُمَّ قَالَ: حَسَنٌ غَرِيبٌ. وَقَدْ رَوَى الْإِمَامُ أَحْمَدُ عَنْ عَفَّانَ وَعَبْدِ الصَّمَدِ، عَنْ حَمَّادِ بْنِ سَلَمَةَ، عَنْ عَلِيِّ بْنِ يَزِيدَ، حَدَّثَنِي مَنْ سَمِعَ أَبَا هُرَيْرَةَ يَقُولُ: «سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ: " لَيَرْتَقِيَنَّ - وَقَالَ عَبْدُ الصَّمَدِ فِي رِوَايَتِهِ: لَيَرْعُفَنَّ - جَبَّارٌ مِنْ جَبَابِرَةِ بَنِي أُمَيَّةَ عَلَى مِنْبَرِي هَذَا» . زَادَ عَبْدُ الصَّمَدِ: " يَسِيلُ رُعَافُهُ ". قَالَ: فَحَدَّثَنِي مَنْ رَأَى عَمْرَو بْنَ سَعِيدِ بْنِ الْعَاصِ رَعُفَ عَلَى مِنْبَرِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ حَتَّى سَالَ رُعَافُهُ. قُلْتُ: عَلِيُّ بْنُ زَيْدِ بْنِ جُدْعَانَ فِي رِوَايَتِهِ غَرَابَةٌ وَنَكَارَةٌ، وَفِيهِ تَشَيُّعٌ، وَعَمْرُو بْنُ سَعِيدٍ هَذَا يُقَالُ لَهُ: الْأَشْدَقُ. كَانَ مِنْ سَادَاتِ الْمُسْلِمِينَ
পৃষ্ঠা - ৫০৭৮
وَأَشْرَافِهِمْ رَأَى النَّبِيَّ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَرَوَى عَنْ جَمَاعَةٍ مِنَ الصَّحَابَةِ، مِنْهُمْ فِي " صَحِيحِ مُسْلِمٍ " عَنْ عُثْمَانَ فِي فَضْلِ الطَّهُورِ، وَكَانَ نَائِبًا عَلَى الْمَدِينَةِ لِمُعَاوِيَةَ وَلِابْنِهِ يَزِيدَ بَعْدَهُ، ثُمَّ اسْتَفْحَلَ أَمْرُهُ حَتَّى كَانَ يُصَاوِلُ عَبْدَ الْمَلِكِ بْنَ مَرْوَانَ، ثُمَّ خَدَعَهُ عَبْدُ الْمَلِكِ حَتَّى ظَفِرَ بِهِ، فَقَتَلَهُ فِي سَنَةِ تِسْعٍ وَسِتِّينَ، أَوْ سَنَةِ سَبْعِينَ. فَاللَّهُ أَعْلَمُ. وَقَدْ رُوِيَ عَنْهُ مِنَ الْمَكَارِمِ أَشْيَاءُ كَثِيرَةٌ، مِنْ أَحْسَنِهَا أَنَّهُ لَمَّا حَضَرَتْ أَبَاهُ الْوَفَاةُ قَالَ لِبَنِيهِ، وَكَانُوا ثَلَاثَةً; عَمْرٌو هَذَا، وَأُمَيَّةُ، وَمُوسَى، فَقَالَ لَهُمْ: مَنْ يَتَحَمَّلُ مَا عَلَيَّ؟ فَبَدَرَ ابْنُهُ عَمْرٌو هَذَا وَقَالَ: أَنَا يَا أَبَهْ، وَمَا عَلَيْكَ؟ قَالَ: ثَلَاثُونَ أَلْفَ دِينَارٍ. قَالَ: نَعَمْ. قَالَ: وَأَخَوَاتُكَ لَا تُزَوِّجْهُنَّ إِلَّا بِالْأَكْفَاءِ وَلَوْ أَكَلْنَ خُبْزَ الشَّعِيرِ. قَالَ: نَعَمْ قَالَ: وَأَصْحَابِي مِنْ بَعْدِي، إِنْ فَقَدُوا وَجْهِي فَلَا يَفْقِدُوا مَعْرُوفِي. قَالَ: نَعَمْ. قَالَ: أَمَا لَئِنْ قُلْتَ ذَلِكَ فَلَقَدْ كُنْتُ أَعْرِفُهُ مِنْ حَمَالِيقِ وَجْهِكَ وَأَنْتَ فِي مَهْدِكَ. وَقَدْ ذَكَرَ الْبَيْهَقِيُّ مِنْ طَرِيقِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ صَالِحٍ كَاتِبِ اللَّيْثِ، عَنْ حَرْمَلَةَ بْنِ عِمْرَانَ، عَنْ يَزِيدَ بْنِ أَبِي حَبِيبٍ، أَنَّهُ سَمِعَهُ يُحَدِّثُ عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ يَزِيدَ بْنِ