سنة إحدى عشرة من الهجرة
فصل: إيراد ما بقي علينا من متعلقات السيرة الشريفة
دلائل النبوة
إخباره صلى الله عليه وسلم عن مقتل حجر بن عدي وأصحابه
পৃষ্ঠা - ৫০৫৫
নিকট স্বপ্নের বিবরণ পেশ করেন, তখন রাসুলুল্লাহ্ (সা) বলেন, পাহাড় হচ্ছে শহীদদের স্থান ৷
তুমি এ স্থান লাভ করতে পারবে না ৷ বারহাকী বলেন, এটা রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর দ্বিতীয়
মৃজিযা ৷ কারণ, তিনি আবদুল্লাহ ইবন সালাম সম্পর্কে শহীদ না হওয়ার ভবিষ্যদ্বাণী করেছেন ৷
আর বাস্তবে তাই হয়েছে ৷ কেননা, তিনি হি তেতাল্লিশ সালে স্বাভাবিক মৃত্যুবরণ করেন ৷ আবু
উবায়দ আন কাসিম ইবন সাল্লাম প্রমুখ ঐতিহাসিকপণ এরুপই বর্ণনা করেছেন ৷
মায়মুনা ৰিন্ত হাঙ্গিহ এম মৃতুঙ্গোন সম্পর্কে ভবিষ্যদ্বাণী
ইমাম বুখা রী তীর ইতিহাস গ্রন্থে মুসা ইবন ইসমঈল সুত্রে ইয়াযীদ ইবন আসম থেকে
বর্ণনা করেন; হযরত মায়মুনা মক্কায় অসুস্থ হয়ে পড়েন ৷ তার বোনের কোন সন্তান তথায়
উপস্থিত ছিল না ৷ লোকদেরকে তিনি বললেন, আমাকে মক্কার বাইরে নিয়ে যাও ৷ কারণ,
এখানে আমার মৃত্যু হবে না ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) আমাকে জানিয়ে দিয়েছেন যে, আমার মৃত্যু
মক্কায় হবে না ৷ সুতরাং লোকজন র্তাকে মক্কার বাইরে সারিফ নামক স্থানে নিয়ে আসে এবং
র্তাবুর স্থানে অবস্থিত সেই বৃক্ষের নিকট রেখে দেয় যেখানে রাসুলুল্লাহ্ (সা) মায়মুনার সাথে
বাসর উদ্ষাপন করেছিলেন ৷ হযরত মায়মুনা (রা) তথায় ইনতিকাল করেন ৷ সঠিক মত
অনুসারে তার মৃত্যু হয়েছিল ইি একান্ন সালে ৷
দো ইৰ্ন আর্দী ও তার সাধীঙ্গেৰ হত্যা সম্পর্কে ভবিষ্যদ্বাণী
ইয়াকুব ইবন সুফিয়ান ইবন বুকায়য় সুত্রে আবদুল্লাহ ইবন রাযীন থেকে বর্ণনা করেন ৷
তিনি বলেন, আমি শুনেছি, হযরত আলী (রা) একদা ঘোষণা করেন, হে ইরাকবাসীহ্র
তোমাদের মধ্য থেকে সাত ব্যক্তি আষ্রা’ নামক স্থানে নিহত হবে ৷ তাদের (অর্থাৎ
হত্যাকারীদের) পরিণতি হবে অগ্নিকুন্ডৰাসীদের পরিণতির মত১ ৷ পরবর্তীকালে হুজ্বর ইবন
আদী ও তার সাখীপণ নিহত হন ৷ আবু নুআয়ম্ বলেন, যিয়াদ ইবন সুমাইয়া মিম্বরে বসা
অবস্থায় হযরত আলীর কুৎসা বর্ণনা করলে হুজ্বর এক মুঠো কঙ্কর নিয়ে যিয়াদের প্রতি নিক্ষেপ
করেন ৷ যিয়াদ মুআবিয়াকে পত্র দ্বারা জানান যে, হুজ্বর আমাকে মিম্বরে বসা অবস্থায় আমার
প্রতি কঙ্কর নিক্ষেপ করেছে ৷ মুআবিয়া লিখিতভাবে যিয়াদকে জানান যে, হুজ্বরকে আমার
নিকট পাঠিয়ে দাও ৷ যখন তিনি দামিশকের সন্নিকটে পৌছেন তখন মুআবিয়া তাদের সাথে
সাক্ষাৎ করার জন্য কিছু লোক পাঠিয়ে দেন ৷ আয্রা নামক স্থানে উভয় পক্ষের সাক্ষাৎ হয় এবং
মুআবিরার দল হুজ্বর ও তার সাথীদেবকে হত্যা করে ৷ বায়হাকী বলেন, হযরত আলী এ
জাতীয় ভবিষ্যদ্বাণী রাসুলুল্লাহ্ (সা)-এর নিকট থেকে না শুনে বলেননি ৷
ইয়াকুব আবুল আসওয়াদ থেকে বর্ণনা করেন ৷ মৃআবিয়া একদা হযরত আইশা (রা)-এর
নিকট গেলে তিনি জিজ্ঞেস করেন, হুজ্বর ও তার সঙ্গীদেরকে কী কারণে হত্যা করেছ ?
মুআৰিয়া বললেন, হে উম্মুল মু’মিনীন ! আমি প্রত্যক্ষ করেছি যে, এদের হত্যা করার মধ্যে
জনগণের মঙ্গল নিহিত আছে; পক্ষাম্ভার এদেরকে ছেড়ে দিলে ফিত্না-ফ্যাসাদ সৃষ্টি করবে :
১ সুরা বুরুজের : নং আয়াতের প্ৰতি ইঙ্গিত করা হয়েছে ৷ প্রাচীনকালে এক কাফির বাদশাহ্
(ঘু-নুয়াস-ইয়েমেনের রাজা) তার কিছু প্ৰজাকে অগ্নিকুডে নিক্ষেপ করে হত্যা করেছিল ৷ তাদের অপরাধ
ছিস্ যে , অ্যা এক আন্নাহ্ব প্রতি ঈমান আনে ৷ পরিণতিতে এই রাজা তার রাজ্যসহ ধ্বংস হয় ৷
[إِخْبَارُهُ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَنْ مَقْتَلِ حُجْرِ بْنِ عَدِيٍّ وَأَصْحَابِهِ]
مَا رُوِيَ فِي إِخْبَارِهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَنْ مَقْتَلِ حُجْرِ بْنِ عَدِيٍّ وَأَصْحَابِهِ
قَالَ يَعْقُوبُ بْنُ سُفْيَانَ: ثَنَا ابْنُ بُكَيْرٍ، ثَنَا ابْنُ لَهِيعَةَ، حَدَّثَنِي الْحَارِثُ بْنُ يَزِيدَ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ زُرَيْرٍ الْغَافِقِيُّ قَالَ: سَمِعْتُ عَلِيَّ بْنَ أَبِي طَالِبٍ يَقُولُ: يَا أَهْلَ الْعِرَاقِ، سَيُقْتَلُ مِنْكُمْ سَبْعَةُ نَفَرٍ بِعَذْرَاءَ، مَثَلُهُمْ كَمَثَلِ أَصْحَابِ الْأُخْدُودِ. فَقُتِلَ حُجْرُ بْنُ عَدِيٍّ وَأَصْحَابُهُ. وَقَالَ يَعْقُوبُ بْنُ سُفْيَانَ: قَالَ أَبُو نُعَيْمٍ: ذَكَرَ زِيَادُ بْنُ سُمَيَّةَ عَلِيَّ بْنَ أَبِي طَالِبٍ عَلَى الْمِنْبَرِ، فَقَبَضَ حُجْرٌ عَلَى الْحَصْبَاءِ ثُمَّ أَرْسَلَهَا، وَحَصَبَ مَنْ حَوْلَهُ زِيَادًا، فَكَتَبَ إِلَى مُعَاوِيَةَ يَقُولُ: إِنَّ حُجْرًا حَصَبَنِي وَأَنَا عَلَى الْمِنْبَرِ. فَكَتَبَ إِلَيْهِ مُعَاوِيَةُ أَنْ يَحْمِلَ إِلَيْهِ حُجْرًا، فَلَمَّا قَرُبَ مِنْ دِمَشْقَ بَعَثَ مَنْ يَتَلَقَّاهُمْ، فَالْتَقَى مَعَهُمْ بِعَذْرَاءَ فَقَتَلَهُمْ قَالَ الْبَيْهَقِيُّ: لَا يَقُولُ عَلَيٌّ مِثْلَ هَذَا إِلَّا أَنْ يَكُونَ سَمِعَهُ مِنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ.
وَقَالَ يَعْقُوبُ بْنُ سُفْيَانَ: حَدَّثَنَا حَرْمَلَةُ، ثَنَا ابْنُ وَهْبٍ، أَخْبَرَنِي ابْنُ
পৃষ্ঠা - ৫০৫৬
لَهِيعَةَ، عَنْ أَبِي الْأَسْوَدِ قَالَ: «دَخَلَ مُعَاوِيَةُ عَلَى عَائِشَةَ فَقَالَتْ: مَا حَمَلَكَ عَلَى قَتْلِ أَهْلِ عَذْرَاءَ حُجْرٍ وَأَصْحَابِهِ؟ فَقَالَ: يَا أُمَّ الْمُؤْمِنِينَ، إِنِّي رَأَيْتُ قَتْلَهُمْ صَلَاحًا لِلْأُمَّةِ، وَأَنَّ بَقَاءَهُمْ فَسَادٌ. فَقَالَتْ: سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ: " سَيُقْتَلُ بِعَذْرَاءَ نَاسٌ يَغْضَبُ اللَّهُ لَهُمْ وَأَهْلُ السَّمَاءِ» وَقَالَ يَعْقُوبُ بْنُ سُفْيَانَ: ثَنَا عَمْرُو بْنُ عَاصِمٍ، ثَنَا حَمَّادُ بْنُ سَلَمَةَ عَنْ عَلِيِّ بْنِ زَيْدٍ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ الْمُسَيَّبِ، عَنْ مَرْوَانَ بْنِ الْحَكَمِ قَالَ: «دَخَلْتُ مَعَ مُعَاوِيَةَ عَلَى أُمِّ الْمُؤْمِنِينَ عَائِشَةَ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهَا، فَقَالَتْ: يَا مُعَاوِيَةُ، قَتَلْتَ حُجْرًا وَأَصْحَابَهُ، وَفَعَلْتَ الَّذِي فَعَلْتَ، أَمَّا خَشِيتَ أَنْ أُخَبِّئَ لَكَ رَجُلًا فَيَقْتُلَكَ؟ قَالَ: لَا، إِنِّي فِي بَيْتِ أَمَانٍ; سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ: " الْإِيمَانُ قَيَّدَ الْفَتْكَ، لَا يَفْتِكُ مُؤْمِنٌ ". يَا أُمَّ الْمُؤْمِنِينَ، كَيْفَ أَنَا فِيمَا سِوَى ذَلِكَ مِنْ حَاجَاتِكَ؟ قَالَتْ: صَالِحٌ. قَالَ: فَدَعِينِي وَحُجْرًا حَتَّى نَلْتَقِيَ عِنْدَ رَبِّنَا، عَزَّ وَجَلَّ»
حَدِيثٌ آخَرُ: قَالَ يَعْقُوبُ بْنُ سُفْيَانَ: ثَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ مُعَاذٍ، ثَنَا أَبِي، ثَنَا شُعْبَةُ عَنْ أَبِي سَلَمَةَ، عَنْ أَبِي نَضْرَةَ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، «أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ لِعَشَرَةٍ مِنْ أَصْحَابِهِ: " آخِرُكُمْ مَوْتًا فِي النَّارِ ". فِيهِمْ سَمُرَةُ بْنُ جُنْدُبٍ. قَالَ أَبُو نَضْرَةَ: فَكَانَ سَمُرَةَ آخِرُهُمْ مَوْتًا» قَالَ الْبَيْهَقِيُّ: رُوَاتُهُ ثِقَاتٌ; إِلَّا أَنَّ أَبَا نَضْرَةَ
পৃষ্ঠা - ৫০৫৭
হযরত অইিশা
(রা) বলেন, আমি শুনেছি, রাসুলুল্লাহ্ (সা) বলেছেন, আয্রায় কিছু লোককে হত্যা করা হবে,
তাদের হত্যাকারীদের উপর আল্লাহ ও আকাশবাসীগণ অসভুষ্ট হবেন ৷
ইয়াকুব ইবন সুফিয়ান মারওয়ান ইবন হাকাম থেকে বর্ণনা করেন ৷ তিনি বলেন,
একবার আমি মুআবিয়ার সাথে উম্মুল মু’মিনীন হযরত আইশার নিকট যাই ৷ তিনি
মুআবিয়াকে বললেন, হুজ্বর ও তার সাথীদেরকে তুমি হত্যা করে নৃশংসতার পরিচয় দিয়েছ ৷
তোমার কি এ ভয় নেই যে, লুকিয়ে থেকে কোন ব্যক্তি তোমাকে হত্যা করতে পারে ?
মুআবিয়া বললেন, জী না, আমি নিরাপদ ঘরে আছি ৷ আমি শুনেছি, রাসুলুল্লাহ্ (সা) বলেছেন,
ঈমান নির্তীক লোকের অলংকার ৷ এটা কখনও লাঞ্ছিত হয় না, হে উম্মুল মু’মিনীন! কোন
মু’মিন ব্যক্তিই কাপুরুষ হয় না ৷ এ সব ব্যতীত আপনার প্রয়োজনে আমাকে আপনি কেমন
পেয়েছেন ? আইশা (রা) বললেন, উত্তম ? মুআবিয়া বললেন, মহা বিচারকের জন্য আমার ও
হুজ্বরের ব্যাপারটি ছেড়ে দিন ৷
আরেকটি ভবিষ্যদ্বাণী
ইয়াকুব ইবন সুফিয়ান আবু হুরায়রা (রা) থেকে বর্ণনা করেন ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা)
তার দশজন সাহাবী সম্পর্কে বলেছেন যে, তোমাদের মধ্যে যে সর্বশেষে মারা যাবে, যে আগুনে
পুড়ে মরবে ৷ সামুরা ইবন জুনদুব (বা) ঐ দশজনের একজন ৷ আবু নায্রা বলেন, সাযুরার মৃত্যু
সকলের শেষে হয় ৷ বায়হাকী বলেন, এই হাদীসের সকল বর্ণনাকারী নির্ত্যযোগ্য তবে, আবু
হুরায়রায় থেকে আবু নাযরার শ্রবণ প্রমাণিত নয় ৷ বায়হাকী ইসমাঈল ইবন হাকিম আনাস
ইবন হাকিম সুত্রে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন, আমি মদীনায় শাসক ছিলাম ৷ আবু
হুরায়রায় সাথে আমার সাক্ষাৎ হয় ৷ তিনি যেই কোন কাজ করতেন পুর্বেই সামুরা সম্পর্কে
আমার থেকে সংবাদ জেনে নিতেন ৷ সামুরার জীবিত থাকা ও সুস্থ অবস্থায় থাকার সংবাদ দিলে
তিনি খুশি হতেন ৷ আবু হুরায়রা (রা) বলেছেন, আমরা দশজন লোক এক ঘরে অবস্থান
করছিলাম ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) আমাদের নিকট আগমন করেন এবং সকলের চেহারার প্রতি দৃষ্টি
নিক্ষেপ করেন ৷ দুই চৌকাংঠ হাত রেখে তিনি বললেন, তোমাদের মধ্যে যার মৃত্যু শেষে হবে
সে আগুনে পুড়ে মারা যাবে ৷ আবু হুরায়রা (রা) বলেন, আমাদের ঐ দশজনের আটজনেরই
মৃত্যু হয়েছে সামুরা ও আমি ব্যতীত আর কেউ জীবিত নেই ৷ সুতরাং মৃত্যুর স্বাদ আস্বাদন
করার চাইতে অন্য কিছুই আমার নিকট প্রিয় নয় ৷ অন্য সুত্র দ্বারাও এ বর্ণনার সমর্থন পাওয়া
যায় ৷
ইয়াকুব ইবন সুফিয়ান আওস ইবন খালিদ থেকে বর্ণনা করেন ৷ তিনি বলেন, আমি
যখনই আবু মাহয়ুরার নিকট গমন করতড়াম তখনই তিনি সামুরা সম্পর্কে আমাকে জিজ্ঞেস
করতেন ৷ আর যখন সামুরার নিকট গমন করতাম তখন তিনি আবু মাহযুরা সম্পর্কে জিজ্ঞেস
করতেন ৷ একদা আমি আবুমাহয়ুরাকে বললাম, আপনার নিকট এলে সামুরা সম্পর্কে জিজ্ঞেস
করেন, আর সামুরার নিকট গেলে তিনি আপনার সম্পর্কে জিজ্ঞেস করেন, এর কারণ কি?
তিনি বললেন, একদা আমি, সামুরা ও আবু হুরায়রা এক ঘরে বসা ছিলাম ৷ নবী করীম (সা)
সেখানে উপস্থিত হন এবং বলেন, তোমাদের মধ্যে সর্বশেষে মৃত্যুবরণকারী আগুনে পুড়ে মারা
— : ৩
الْعَبْدِيَّ لَمْ يَثْبُتْ لَهُ مِنْ أَبِي هُرَيْرَةَ سَمَاعٌ، وَاللَّهُ أَعْلَمُ.
ثُمَّ رَوَى مِنْ طَرِيقِ إِسْمَاعِيلَ بْنِ حَكِيمٍ، عَنْ يُونُسَ بْنِ عُبَيْدٍ، عَنِ الْحَسَنِ، عَنْ أَنَسِ بْنِ حَكِيمٍ قَالَ: «كُنْتُ أَمُرُّ بِالْمَدِينَةِ فَأَلْقَى أَبَا هُرَيْرَةَ، فَلَا يَبْدَأُ بِشَيْءٍ حَتَّى يَسْأَلَنِي عَنْ سَمُرَةَ، فَلَوْ أَخْبَرْتُهُ بِحَيَاتِهِ وَصِحَّتِهِ فَرِحَ وَقَالَ: إِنَّا كُنَّا عَشَرَةً فِي بَيْتٍ، وَإِنَّ رَسُولَ اللَّهِ قَامَ عَلَيْنَا، وَنَظَرَ فِي وُجُوهِنَا وَأَخَذَ بِعِضَادَتَيِ الْبَابِ وَقَالَ: " آخِرُكُمْ مَوْتًا فِي النَّارِ ". فَقَدْ مَاتَ مِنَّا ثَمَانِيَةٌ وَلَمْ يَبْقَ غَيْرِي وَغَيْرُهُ، فَلَيْسَ شَيْءٌ أَحَبَّ إِلَيَّ مِنْ أَنْ أَكُونَ قَدْ ذُقْتُ الْمَوْتَ» وَلَهُ شَاهِدٌ مِنْ وَجْهٍ آخَرَ; وَقَالَ يَعْقُوبُ بْنُ سُفْيَانَ: ثَنَا حَجَّاجُ بْنُ مِنْهَالٍ، ثَنَا حَمَّادِ بْنِ سَلَمَةَ، عَنْ عَلِيِّ بْنِ زَيْدٍ، عَنْ أَوْسِ بْنِ خَالِدٍ قَالَ: «كُنْتُ إِذَا قَدِمْتُ عَلَى أَبِي مَحْذُورَةَ سَأَلَنِي عَنْ سَمُرَةَ، وَإِذَا قَدِمْتُ عَلَى سَمُرَةَ سَأَلَنِي عَنْ أَبِي مَحْذُورَةَ، فَقُلْتُ لِأَبِي مَحْذُورَةَ: مَالَكَ إِذَا قَدِمْتُ عَلَيْكَ تَسْأَلُنِي عَنْ سَمُرَةَ، وَإِذَا قَدِمْتُ عَلَى سَمُرَةَ سَأَلَنِي عَنْكَ؟ فَقَالَ: إِنِّي كُنْتُ أَنَا وَسَمُرَةَ وَأَبُو هُرَيْرَةَ فِي بَيْتٍ، فَجَاءَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ: " آخِرُكُمْ مَوْتًا فِي النَّارِ ". قَالَ: فَمَاتَ أَبُو هُرَيْرَةَ، ثُمَّ مَاتَ أَبُو مَحْذُورَةَ، ثُمَّ مَاتَ سَمُرَةَ»
وَقَالَ عَبْدُ الرَّزَّاقِ: أَنَا مَعْمَرٌ، سَمِعْتُ ابْنَ طَاوُسٍ وَغَيْرَهُ يَقُولُونَ: «قَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لِأَبِي هُرَيْرَةَ وَلِسَمُرَةَ بْنِ جُنْدُبٍ وَلِرَجُلٍ آخَرَ: " آخِرُكُمْ مَوْتًا فِي النَّارِ ".
পৃষ্ঠা - ৫০৫৮
فَمَاتَ الرَّجُلُ قَبْلَهُمَا. وَبَقِيَ أَبُو هُرَيْرَةَ وَسَمُرَةُ، فَكَانَ الرَّجُلُ إِذَا أَرَادَ أَنْ يَغِيظَ أَبَا هُرَيْرَةَ يَقُولُ: مَاتَ سَمُرَةَ. فَإِذَا سَمِعَهُ غَشِيَ عَلَيْهِ وَصُعِقَ، ثُمَّ مَاتَ أَبُو هُرَيْرَةَ قَبْلَ سَمُرَةَ، فَقَتَلَ سَمُرَةُ بَشَرًا كَثِيرًا.» وَقَدْ ضَعَّفَ الْبَيْهَقِيُّ عَامَّةَ هَذِهِ الرِّوَايَات ِ; لِانْقِطَاعِ بَعْضِهَا وَإِرْسَالِهِ، ثُمَّ قَالَ: وَقَدْ قَالَ بَعْضُ أَهْلِ الْعِلْمِ: إِنَّ سَمُرَةَ مَاتَ فِي الْحَرِيقِ. ثُمَّ قَالَ: وَيَحْتَمِلُ أَنْ يُورَدَ النَّارَ بِذُنُوبِهِ، ثُمَّ يَنْجُو مِنْهَا بِإِيمَانِهِ، فَيَخْرُجُ مِنْهَا بِشَفَاعَةِ الشَّافِعِينَ، وَاللَّهُ أَعْلَمُ.
ثُمَّ أَوْرَدَ مِنْ طَرِيقِ هِلَالِ بْنِ الْعَلَاءِ الرَّقِّيِّ أَنَّ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ مُعَاوِيَةَ حَدَّثَهُمْ عَنْ رَجُلٍ قَدْ سَمَّاهُ، أَنَّ سَمُرَةَ اسْتَجْمَرَ فَغَفَلَ عَنْ نَفْسِهِ وَغَفَلَ أَهْلُهُ عَنْهُ حَتَّى أَخَذْتُهُ النَّارُ. قُلْتُ: وَذَكَرَ غَيْرُهُ أَنَّ سَمُرَةَ بْنَ جُنْدُبٍ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، أَصَابَهُ كُزَازٌ شَدِيدٌ، فَكَانَ يُوقَدُ لَهُ عَلَى قَدْرٍ مَمْلُوءَةٍ مَاءًا حَارًّا، فَيَجْلِسُ فَوْقَهَا; لِيَتَدَفَّأَ بِبُخَارِهَا، فَسَقَطَ يَوْمًا فِيهَا فَمَاتَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، وَكَانَ مَوْتُهُ سَنَةَ تِسْعٍ وَخَمْسِينَ بَعْدَ أَبِي هُرَيْرَةَ بِسَنَةٍ، وَقَدْ كَانَ يَنُوبُ عَنْ زِيَادِ بْنِ سُمَيَّةَ فِي الْبَصْرَةِ إِذَا سَارَ إِلَى الْكُوفَةِ، وَفِي الْكُوفَةِ إِذَا سَارَ إِلَى الْبَصْرَةِ، فَكَانَ يُقِيمُ فِي كُلٍّ مِنْهُمَا سِتَّةَ أَشْهُرٍ مِنَ السَّنَةِ، وَكَانَ شَدِيدًا عَلَى الْخَوَارِجِ، يُكْثِرُ الْقَتْلَ فِيهِمْ، وَيَقُولُ: هُمْ شَرُّ قَتْلَى تَحْتَ أَدِيمِ السَّمَاءِ. وَقَدْ كَانَ الْحَسَنُ الْبَصْرِيُّ وَمُحَمَّدُ بْنُ سِيرِينَ وَغَيْرُهُمَا مِنْ