আল বিদায়া ওয়া আন্নিহায়া

سنة إحدى عشرة من الهجرة

فصل: إيراد ما بقي علينا من متعلقات السيرة الشريفة

دلائل النبوة

إخباره صلى الله عليه وسلم عن قتال الترك
পৃষ্ঠা - ৫০৪৯

করেন ৷ এটা ছিল সাইপ্রাসের যুদ্ধ ৷ তখন তিনি সিরিয়ার হযরত উছমান (রা)-এর প্রতিনিধি
ছিলেন ৷ এ যুদ্ধে উবাদা ইবন সামিতের শ্রী উম্মে হারাম বিন্ত মিলহান শরীক ছিলেন ৷ উবাদা
(রা) আকাবার শপথকারীদের অন্যতম নকীব ৷ ইমাম বুখারীর বর্ণনা অনুযায়ী এ যুদ্ধ থেকে
প্রত্যাবর্তন করার পর ২৭ হিজরীতে তিনি নিহত হন ৷ ইবন যায়দের মতে ঐ সনেই তিনি
সাইপ্রারুসৃ মৃত্যুবরণ করেন ৷ দ্বিতীয় যুদ্ধ হলো কনন্টান্টিনােপলের (হাদ্ব) যুদ্ধ ৷ এ
অভিযানের নেতৃত্ব দেন ইয়াযীদ ইবন মুআবিয়া ইবন আবু সুফিয়ান ৷ হি ৫২ সনে এ যুদ্ধ
সংঘটিত হয় ৷ হযরত আবু অইিয়ুব খালিদ ইবন যায়দ আল আনসারী (বা) এ যুদ্ধে শরীক
ছিলেন ৷ কনষ্টান্টিনোপলে ইনতিকাল করেন ৷ উম্মে হারাম বিনৃত মিলহান এ যুদ্ধে শরীক

ছিলেন না ৷ কারণ, এর আগে প্রথম যুরুইে তিনি ইনতিকাল করেন ৷ সুতরাং দেখা গেল যে,
এই হাদীসের মধ্যে নবী করীম (সা) এর তিনটি ভবিষ্যদ্বাণী পরবর্তীকালে বাস্তবায়িত হয় ৷

দুইটি যুদ্ধ এবং তৃতীয়টি উষ্মে হারামের প্রথম যুদ্ধে মারা যাওয়া ৷

হিন্দুস্তানের যুদ্ধ সম্পর্কে ডৰিৰযোণী

ইমাম আহমদ হুশায়ম সুত্রে আবু হুরায়রা (রা) থেকে বর্ণনা করেন ৷ তিনি বলেন,
রাসুলুল্পাহ্ (সা) হিন্দুস্তান (ভারতবর্ষ) এর যুদ্ধ সম্পর্কে আমাদেরকে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন ৷ যদি
আমি যে যুদ্ধে শহীদ হতে পারি তবে আমি হবো একজন উত্তম শহীদ, আর যদি আমি ফিরে
আসি তবে আমি হবো (জাহান্নাম থেকে) মুক্তিপ্রাপ্ত ৷ আবু হুরায়রা ও নাসাঈ এ হাদীস
হুশায়ম জুবায়র সুত্রে আবু হুরায়রা (রা) থেকে অনুরুপ বর্ণনা করেছেন ৷ আহমদ ইয়াহ্ইয়া
ইবন ইসহাক সুত্রে আবু হুরায়রা (বা) থেকে বর্ণনা করেন ৷ তিনি বলেন, আমার পরম বন্ধু
মহাসতবােদী রাসুলুল্লাহ্ (সা) বলেছেন, এই উষ্মতের মধ্য হতে হিন্দুস্তান ও সিন্ধু দেশে
অভিযান পরিচালিত হবে“ ৷ যদি আমি যে পর্যন্ত বেচে থাকি,তবে শহীদ হওয়ার বাসনা রাখি ৷
আর যদি আমি প্রত্যাবতনি করি তবে আমাকে (বর্ণনাকারী আবু হ্বায়রাকে) আল্লাহ দোযখ
থেকে মুক্তি দিয়ােড্ডা এমন অবস্থায় প্রত্যাবর্ভা করবো ৷ এ হাদীস কেবল ইমাম আহমদই
বর্ণনা করেছেন ৷ বস্তুত ইি ৪৪ সনে মুআবিয়ার আমলে মুসলমানগণ হিন্দুস্তানে অভিযান
পরিচালনা করেন ৷ এ বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা আমরা পরে করবো ৷ গযনীর বিখ্যাত
সুলতান মাহ্মুদ হিন্দুস্তানে চতৃর্দিক থেকে আক্রমণ করেন ৷ এ আক্রমণে তিনি হিফ্তোনে প্রবেশ
করে শত্রু নিধন করেন, তাদের অনেককে বন্দী করেন এবং বিপুল পরিমাণ গনীমতের মাল
হস্তগত করেন ৷ তিনি সোমনাথ মন্দির ধ্বংস করেন এবং সেখানকার প্রধান মুর্তি বিধ্বস্থ করেন
এবং বিপুল পরিমাণ তরবারি ও মাল প্রভৃতি হস্তগত করে আল্লাহর সাহায্যপ্রাপ্ত হয়ে নির্বিঘ্নে
প্রত্যাবর্তন করেন ৷

তুর্কীদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ সম্বন্ধে ভবিষ্যদ্বাণী

ইমাম বুখারী আবুল ইয়ামান আবু হুরায়রা (রা) থেকে বর্ণনা করেন ৷ রাসুলুল্পাহ্
(সা) বলেছেন, কিয়ামত ততদিন পর্যন্ত হয়ে না যতদিন না তোমরা এমন একটি জাতির সাথে
লড়াই করবে, যাদের জুতা পশমের তৈরী এবং যতদিন না ভুর্কিদেৱ সাথে লড়াই করবে যাদের


سُبُكْتِكِينَ صَاحِبُ غَزْنَةَ فِي حُدُودِ أَرْبَعِمِائَةٍ بِلَادَ الْهِنْدِ، فَوَغَلَ فِيهَا وَقَتَلَ وَأَسَرَ وَسَبَى وَغَنِمَ وَدَخَلَ السُّومَنَاتَ، وَكَسَرَ الْبُدَّ الْأَعْظَمَ الَّذِي يَعْبُدُونَهُ، وَاسْتَلَبَ شُنُوفَهُ وَقَلَائِدَهُ، ثُمَّ رَجَعَ سَالِمًا مُؤَيِّدًا مَنْصُورًا، كَمَا سَيَأْتِي. [إِخْبَارُهُ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَنْ قِتَالِ التُّرْكِ] فَصْلٌ فِي الْإِخْبَارِ عَنْ قِتَالِ التُّرْكِ كَمَا وَقَعَ، سَنُبَيِّنُهُ إِنْ شَاءَ اللَّهُ تَعَالَى، وَبِهِ ثِقَةٌ قَالَ الْبُخَارِيُّ: ثَنَا أَبُو الْيَمَانِ، أَنَا شُعَيْبٌ، ثَنَا أَبُو الزِّنَادِ عَنِ الْأَعْرَجِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «لَا تَقُومُ السَّاعَةُ حَتَّى تُقَاتِلُوا قَوْمًا نِعَالُهُمُ الشَّعْرُ، وَحَتَّى تُقَاتِلُوا التُّرْكَ صِغَارَ الْأَعْيُنِ، حُمْرَ الْوُجُوهِ، ذُلْفَ الْأُنُوفِ، كَأَنَّ
পৃষ্ঠা - ৫০৫০

চোখ ছেটি, চেহারা লাল, নাক বেড়াচা, মুখমণ্ডল ঢালের ন্যায় সমতল ৷ সেই লোককে তোমরা
সর্বোৎকৃষ্ট পারে যে শাসন ক্ষমতাকে অপছন্দ করবে এবং বাধ্য করে তাকে সে দায়িত্ব দেয়া
হবে ৷ মানুষ খনির ন্যায় ৷ জাহিলী যুগে যে ব্যক্তি উত্তম ইসলাম গ্রহণের পরও সে উত্তম ৷ এমন
এক সময় তোমাদের উপর আসবে, যখন তোমাদের কেউ আমাকে দেখতে পাওয়াকে তার
পরিবারবর্গ ও সম্পদের চেয়ে অধিক ভালবাসবে এ সুত্রটি বুখারীর একার ৷
বুখারী ইয়াহ্ইয়া সুত্রে আবু হুরায়রা (রা) থেকে বর্ণনা করেন ৷ নবী করীম (সা)
বলেছেন : আরবের বাইরে খােয ও কিরমানের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার পুর্বে কিয়ামত সংঘটিত হয়ে
না ৷ তাদের চেহারা রক্তিম বর্ণের, নাক বেড়াচা, চোখ ছেটি, মুখমন্ডল চালের ন্যায় সমতল এবং
তারা পায়ে পশমের জুতা পরিধান করে ৷ ইয়াহ্ইয়া ছাড়া আরও অনেকে এ হাদীসটির সমর্থনে
আবদুর রায্যাক থেকে হাদীস বর্ণনা করেছেন ৷ ইমাম আহমদ বলেন, আবদুর রায্ষাকের
বর্ণনায় থােয শব্দ এসেছে-এটা ভুল-প্রকৃতপক্ষে শব্দটি হচ্ছে জোয ও কিরমান এ দু’টি ৷ প্রাচ্যের
দু’টি প্রসিদ্ধ , দেশের নাম ৷ ইমাম আহমদ সুফিয়ান সুত্রে আবু হুরায়রা (বা) থেকে বর্ণনা
করেন ৷ নবী করীম (সা) বলেছেন, এমন একটি জাতির সাথে যুদ্ধ করার আগে কিয়ামত
ৎঘটিত হবে না, যাদের চেহারা চালের ন্যায় সমতল এবং জুতা পশমের ৷ একমাত্র নাসাঈ
জ্যি সিহা সিত্তার অন্য সংকলকগণ সুফিয়ান থেকে এ হাদীস বর্ণনা করেছেন ৷
বুখারী আলী ইবন আবদুল্লাহ আবু হুরায়রা (বা) থেকে বর্ণনা করেন ৷ তিনি বলেন,

আমি তিন বছর রাসুলুল্পাহ (সা)-এর সংসর্গ লাভ করেছি ৷ এই বছরগুলোতে রাসুলের কোন
হাদীস যাতে আমার থেকে ছুটে না যায় সে জন্য আমি বিশেষ যত্নবান ফ্লিাম ৷ আমি রাসুলুল্লাহ্
র্দু(সা)-কে বলতে শুনেছি, তিনি হাত দ্বারা ইশারা করে বলেছেন, এভাবে কিয়ামতের পুর্বে

তোমরা এমন এক জাতির সাথে যুদ্ধ করবে, যাদের জুতা পশমের ৷ এই যে বাবিয ৷ সুফিয়ান

বলেছেন, তারা হবে বারিযের অধিবাসী ৷মুসলিম আবু কুরায়ব সুত্রে আবু হুরায়রা (রা) থেকে

বর্ণনা করেন ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) বলেছেন, কিয়ামত সংঘটিত হয়ে না যতদিন না তোমরা এমন
একটি জাতির সাথে লড়াই করবে যাদেরচুজুতা পশমের তৈরী, মুখমন্ডল ঢালের ন্যায় সমতল,
চেহারা রক্তিম বর্ণ এবং চোখ ছোট ছেটি ৷ সুফিয়ান এদের পরিচয়ে বলেছেন, তারা বারিযের
অধিবাসী; বিক্ষ্ম আমার মতে শব্দটির মধ্যে কিছুটা রদবদল হয়েছে ৷ প্রকৃতপক্ষে শব্দটি হবে
রাবির-আর বাযির শব্দের অর্থ তাদের ভাষায় বাজার ( ;প্রু) ৷ ইমাম আহমদ আফ্ফান সুত্রে
আমর ইবন ছালাব থেকে বর্ণনা করেন ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) বলেছেন : কিয়ামতের অন্যতম লক্ষণ
এই যে, তোমরা এমন একটি জাতির সাথে যুদ্ধ করবে যাদের জুতা হবে চুলের, অথবা
বলেছেন, তারা চুল দ্বারা জুতা তৈরী করে ৷ কিয়ামতের আর একটি লক্ষণ এই যে, চওড়া
মুখমন্ডল বিশিষ্ট একটি জাতির সাথে ণ্তামাদের যুদ্ধ হবে-তাদের মুখমন্ডল হবে ঢালের ন্যায়
সমতল ৷ বুখারী সুলায়মান সুত্রে ইবন হাযিম থেকে এ হাদীস বর্ণনা করেছেন ৷ বলা বাহুল্য,
সাহাবীগণের যুগের শেবাংন্থশ তৃর্কিদের সাথে এ যুদ্ধ সংঘটিত হয়েছে ৷ তাদের বিশাল বাহিনীর
সাথে মুসলমানদের লড়াই হয় এবং তারা শৌচনীয়ভাবে পরাজয় বরণ করে ৷ এ ব্যাপারে
বিস্তারিত আলোচনা যথান্থানে আসবে ৷


وُجُوهَهُمُ الْمَجَانُّ الْمُطْرَقَةُ، وَتَجِدُونَ مِنْ خَيْرِ النَّاسِ أَشَدَّهُمْ كَرَاهِيَةً لِهَذَا الْأَمْرِ حَتَّى يَقَعَ فِيهِ، وَالنَّاسُ مَعَادِنُ، خِيَارُهُمْ فِي الْجَاهِلِيَّةِ خِيَارُهُمْ فِي الْإِسْلَامِ، وَلَيَأْتِيَنَّ عَلَى أَحَدِكُمْ زَمَانٌ لَأَنْ يَرَانِي أَحَبُّ إِلَيْهِ مِنْ أَنْ يَكُونَ لَهُ مِثْلُ أَهْلِهِ وَمَالِهِ ".» تَفَرَّدَ بِهِ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ. ثُمَّ قَالَ الْبُخَارِيُّ: ثَنَا يَحْيَى، ثَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ عَنْ مَعْمَرٍ، عَنْ هَمَّامِ بْنِ مُنَبِّهٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «لَا تَقُومُ السَّاعَةُ حَتَّى تُقَاتِلُوا خُوزًا وَكِرْمَانَ مِنَ الْأَعَاجِمِ، حُمْرَ الْوُجُوهِ، فُطْسَ الْأُنُوفِ، صِغَارَ الْأَعْيُنِ، كَأَنَّ وُجُوهَهُمُ الْمَجَانُّ الْمُطْرَقَةُ، نِعَالُهُمُ الشَّعْرُ ".» تَابَعَهُ غَيْرُهُ عَنْ عَبْدِ الرَّزَّاقِ. وَقَدْ ذَكَرَ عَنِ الْإِمَامِ أَحْمَدَ أَنَّهُ قَالَ: أَخْطَأَ عَبْدُ الرَّزَّاقِ فِي قَوْلِهِ: خُوزًا. بِالْخَاءِ، وَإِنَّمَا هُوَ بِالْجِيمِ. قُلْتُ: خُوزٌ وَكِرْمَانُ بَلَدَانِ مَعْرُوفَانِ بِالشَّرْقِ. فَاللَّهُ أَعْلَمُ. وَقَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا سُفْيَانُ عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ سَعِيدٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ يَبْلُغُ بِهِ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «لَا تَقُومُ السَّاعَةُ حَتَّى تُقَاتِلُوا قَوْمًا كَأَنَّ وُجُوهَهُمُ الْمَجَانُّ الْمُطْرَقَةُ، نِعَالُهُمُ الشَّعْرُ» وَقَدْ رَوَاهُ الْجَمَاعَةُ إِلَّا النَّسَائِيَّ، مِنْ حَدِيثِ سُفْيَانَ بْنِ عُيَيْنَةَ بِهِ.
পৃষ্ঠা - ৫০৫১
وَقَالَ الْبُخَارِيُّ: ثَنَا عَلِيُّ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ، ثَنَا سُفْيَانُ قَالَ: قَالَ إِسْمَاعِيلُ: أَخْبَرَنِي قَيْسٌ قَالَ: أَتَيْنَا أَبَا هُرَيْرَةَ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، فَقَالَ: صَحِبْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ثَلَاثَ سِنِينَ لَمْ أَكُنْ فِي سِنِّي أَحْرَصَ عَلَى أَنْ أَعِيَ الْحَدِيثَ مِنِّي فِيهِنَّ سَمِعْتُهُ يَقُولُ; وَقَالَ هَكَذَا بِيَدِهِ: «بَيْنَ يَدَيِ السَّاعَةِ تُقَاتِلُونَ قَوْمًا نِعَالُهُمُ الشَّعْرُ وَهُوَ هَذَا الْبَارِزُ، وَقَالَ سُفْيَانُ مَرَّةً: وَهُمْ أَهْلُ الْبَازَرِ.» وَقَدْ رَوَاهُ مُسْلِمٌ عَنْ أَبِي كُرَيْبٍ، عَنْ أَبِي أُسَامَةَ وَوَكِيعٍ، كِلَاهُمَا عَنْ إِسْمَاعِيلَ بْنِ أَبِي خَالِدٍ، عَنْ قَيْسِ بْنِ أَبِي حَازِمٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «لَا تَقُومُ السَّاعَةُ حَتَّى تُقَاتِلُوا قَوْمًا نِعَالُهُمُ الشَّعْرُ، كَأَنَّ وُجُوهَهُمُ الْمَجَانُّ الْمُطْرَقَةُ، حُمْرُ الْوُجُوهِ، صِغَارُ الْأَعْيُنِ» قُلْتُ: وَأَمَّا قَوْلُ سُفْيَانَ بْنِ عُيَيْنَةَ: هُمْ أَهْلُ الْبَازَرِ. فَالْمَشْهُورُ فِي الرِّوَايَةِ تَقْدِيمُ الرَّاءِ عَلَى الزَّايِ، وَلَعَلَّهُ تَصْحِيفٌ اشْتَبَهَ عَلَى الْقَائِلِ، مِنَ الْبَازَرِ; وَهُوَ السُّوقُ بِلُغَتِهِمْ. فَاللَّهُ أَعْلَمُ. وَقَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا عَفَّانَ، ثَنَا جَرِيرُ بْنُ حَازِمٍ، سَمِعْتُ الْحَسَنَ