আল বিদায়া ওয়া আন্নিহায়া

سنة إحدى عشرة من الهجرة

فصل: إيراد ما بقي علينا من متعلقات السيرة الشريفة

دلائل النبوة

إخباره صلى الله عليه وسلم عن غزاة البحر إلى قبرص
إخباره صلى الله عليه وسلم عن غزاة البحر إلى قبرص
পৃষ্ঠা - ৫০৪৫

বলেন, আমি এ স্বপ্নের অর্থ এই বুঝেছি যে, যখন ফিত্নার উদ্ভব হবে তখন ঈমান সিরিয়ার
আশ্রয় নেবে ৷ ওলীদ বলেন, আমার সুত্রে আবুউমামা থেকেও আমি এ হাদীস শুনেছি ৷

ইয়াকুব ইবন সুফিয়ান নড়াসর ইবন মুহাম্মদ সুত্রে উমর ইবন খাত্তাব (রা) থেকে বর্ণনা
করেন ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) বলেছেন, আমি একবার স্বপ্নে দেখলাম, নুরের একটি স্তম্ভ আমার
শিয়রেব নিচ থেকে উঠে উচু হয়ে সিরিয়ার গিয়ে অবস্থান নিল ৷ আবদুর রাবৃযাক মামার সুত্রে
আবদুল্লাহ্ ইবন সাফওয়ান থেকে বর্ণনা করেন, সিফ্ফীবের যুদ্ধকালে এক ব্যক্তি বললো :
ণ্এেপু ৷ ধ্াণ্৷ ৷ ,এ ৷ স্পোয়৷ ৷ (হে আল্লাহ! সিরিয়াবাসীদেরকে রহমত থেকে দুরীভুত কর) ৷
হযরত আলী তাকে বললেন, সিরিয়ার সকল মানুষকে পালি দিও না, কারণ সেখানে বহু
আবদাল১ আছেন ৷ সেখানে বহু আবদাল আছেন ৷ সেখানে বহু আবদাল আছেন : ; ৷ ,:১া
এ ৷ ণ্এে৷ ৷ ৷ আবদুর রায্যাক অন্য সুত্রেও আলী থেকে এ হাদীস
বর্ণনা করেছেন ৷ ,

ইমাম আহমদ আবদুল্লাহ সুত্রে শুরায়হ্ থেকে বর্ণনা করেন ৷ তিনি বলেন, হযরত আলী
ইরাকে থাকাকালে লোকজন তাকে এই বলে অনুরোধ জালাল যে, হে আমীরুল মু’মিনীন !
সিরিয়াবাসীদের উপর অভিশাপ করুন ৷ আলী বললেন, না, আমি রাসুলুল্লাহ্ (না)-কে বলতে
শুনেছি যে, সিরিয়ার আবদালবাসী থাকবেন ৷ আবদাল ৪০ জন লেক বন্দো, তাদের একজন
মারা গেলে আল্লাহ্ অন্য একজন দ্বারা সে স্থান পুরণ করে দেন ৷ তাদের অসীলায় আল্লাহ্র
নিকট বৃষ্টি কামনা করা হয়, তাদেরকে মাধ্যম করে শত্রুর উপর জয়ী হবার আবেদন করা হয়,
তাদের কারণেই সিরিয়াবাসীদের থেকে আমার সরিয়ে নেয়া হয় ৷ এ বর্ণনা কেবল ইমাম
আহমদই করেছেন ৷ এর সনদের মধ্যে বিচ্ছিন্নতা আছে অর্থাৎ সনদের মধ্য থেকে বর্ণনাকারী
বাদ পড়েছেন ৷ আবু হাতিম রাযী বলেন, শুরায়হ্ ইবন উবায়দ আবু উমামা ও আবদুল মালিক
কারও থেকে শ্রবণ করেন নইি ৷ উভয়ের থেকেই মুরসাল বর্ণনা করেছেন ৷ সুতরাং তিনি আলী
(রা) থেকে কিভাবে সরাসরি বর্ণনা করতে পারেন ৷ অথচ আলী (বা) ঐ দু’জলের আগেই
ইনতিকাল করেন ৷

সাইপ্রাসে নৌ-যােদ্ধাদের সম্পর্কে ভবিষ্যদ্বাণী

ইমাম মালিক ইসহাক সুত্রে আনাস ইবন মালিক থেকে বর্ণনা করেন ৷ রাসুলুল্পাহ্ (সা)
উষ্মে হারাম বিনৃত মিলহানের নিকট যাতায়াত করতেন ৷২ উম্মে হারাম রাসুলুল্লাহ্ (না)-কে
আহার দান করতেন ৷ উষ্মেহারাম উবাদা ইবন সামিতের শ্রী ছিলেন ৷ একদা রাসুলুল্লাহ্ (না)
তার নিকট গমন করেন ৷ রাসুলুল্লাহ্ (না)-কে তিনি খাবার পরিবেশন করেন ৷ খাওয়া শেষ হলে
তিনি রাসুলের মাথার চুল বাছতে থাকেন ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) ঘুমিয়ে পড়েন ৷ কিছুক্ষণ পর তিনি
হাসতে হাসতে ঘুম থেকে জেগে উঠেন ৷ উষ্মে হারাম তাকে হাসার কারণ জিজ্ঞেস করলে
রাসুলুল্লাহ্ (না) বলেন, আমার উষ্মতের কিছু সংখ্যক লোককে আমার সম্মুখে পেশ করা হয় ৷

তারা আল্লাহর পথে জিহাদ করবে ৷ এই সমুদ্রের মধ্য দিয়ে অতিক্রম করবে ৷ তারা রাজকীয়

১ আবদালের ব্যাখ্যা সামান্য পরেই আসছে ৷

২ উষ্মে হারাম বিনৃত মিলহান রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর দুধ সম্পর্কীয় খালা ৷ সুতরাং মাহ্রাম হওয়ার কারণে শরীয়ত
মতে দেখা সাক্ষাতে আপত্তি ছিল না ৷


[إِخْبَارُهُ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَنْ غَزَاةِ الْبَحْرِ إِلَى قُبْرُصَ] َ الَّتِي كَانَتْ فِي أَيَّامِ أَمِيرِ الْمُؤْمِنِينَ مُعَاوِيَةَ بْنِ أَبِي سُفْيَانَ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ قَالَ مَالِكٌ عَنْ إِسْحَاقَ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي طَلْحَةَ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، «أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَانَ يَدْخُلُ عَلَى أُمِّ حَرَامٍ بِنْتِ مِلْحَانَ فَتُطْعِمُهُ، وَكَانَتْ تَحْتَ عُبَادَةَ بْنِ الصَّامِتِ، فَدَخَلَ عَلَيْهَا يَوْمًا فَأَطْعَمَتْهُ، ثُمَّ جَلَسَتْ تَفْلِي رَأْسَهُ، فَنَامَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، ثُمَّ اسْتَيْقَظَ وَهُوَ يَضْحَكُ. قَالَتْ: فَقُلْتُ: مَا يُضْحِكُكَ يَا رَسُولَ اللَّهِ؟ قَالَ: " نَاسٌ مِنْ أُمَّتِي عُرِضُوا عَلَيَّ غُزَاةً فِي سَبِيلِ اللَّهِ يَرْكَبُونَ ثَبَجَ هَذَا الْبَحْرِ، مُلُوكًا عَلَى الْأَسِرَّةِ " - أَوْ " مِثْلَ الْمُلُوكِ عَلَى الْأَسِرَّةِ ". شَكَّ إِسْحَاقُ - فَقُلْتُ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، ادْعُ اللَّهَ أَنْ يَجْعَلَنِي مِنْهُمْ. فَدَعَا لَهَا، ثُمَّ وَضَعَ رَأْسَهُ فَنَامَ، ثُمَّ اسْتَيْقَظَ وَهُوَ يَضْحَكُ. قَالَتْ: قُلْتُ: مَا يُضْحِكُكَ يَا رَسُولَ اللَّهِ؟ قَالَ: " نَاسٌ مِنْ أُمَّتِي عُرِضُوا عَلَيَّ غُزَاةً فِي سَبِيلِ اللَّهِ ". كَمَا قَالَ فِي الْأُولَى قَالَتْ: قُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ، ادْعُ اللَّهَ أَنْ يَجْعَلَنِي مِنْهُمْ. فَقَالَ: " أَنْتِ مِنَ الْأَوَّلِينَ ". قَالَ: فَرَكِبَتْ أُمُّ حَرَامٍ بِنْتُ مِلْحَانَ الْبَحْرَ فِي زَمَانِ مُعَاوِيَةَ، فَصُرِعَتْ عَنْ دَابَّتِهَا حِينَ خَرَجَتْ مِنَ الْبَحْرِ فَهَلَكَتْ» رَوَاهُ الْبُخَارِيُّ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ يُوسُفَ، وَمُسْلِمٌ عَنْ يَحْيَى بْنِ يَحْيَى، كِلَاهُمَا عَنْ مَالِكٍ بِهِ. وَأَخْرَجَاهُ فِي " الصَّحِيحَيْنِ " مِنْ حَدِيثِ اللَّيْثِ وَحَمَّادِ بْنِ زَيْدٍ، كِلَاهُمَا عَنْ يَحْيَى بْنِ
পৃষ্ঠা - ৫০৪৬


আসনে অধিষ্ঠিত থাকবে ৷ অথবা বলেছেন, রাজকীয় আসনে উপবিষ্ট রাজা-বাদশাদেব ন্যায়
তাদের অবস্থান হয়ে ৷ এটি বর্ণনাকারী ইসহাকের সন্দেহ ৷ উম্মে হারাম বলেন, আমি বললাম,
ইয়া রাসুলাল্লাহ্ ! আল্লাহর নিকট দৃআ করুন, আমাকে যেন তিনি ঐ দলের অন্তর্ভুক্ত করেন ৷
রাসুলুল্লাহ্ (সা) তার জন্য দৃআ করলেন ৷ পুনরায় তিনি মাথা এলিয়ে দিয়ে ঘুমিয়ে পড়লেন
এবং কিছুক্ষণ পর জেগে হাসতে লাগলেন ৷ উম্মে হারাম বলেন, আমি জিজ্ঞেস করলাম, ইয়া
রাসুলুল্লাহ্ আপনার হাসার কারণ কি? পুর্বের ন্যায় তিনি উত্তর দিলেন যে, আমার কতিপয়
উম্মতকে আমার সম্মুখে পেশ কর হয়, যারা আল্লাহ্র পথে লড়াই করবে ৷ উষ্মে হারাম বলেন,
ইয়া রাসুলুল্লাহ্! দৃআ করুন, আল্পাহ্ যেন আমাকে সে দলের অন্তর্ভুক্ত করেন ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা)
বলেন, তুমি প্রথম দলের অন্তর্ভুক্ত ৷ আনাস বলেন, মুআবিয়ার আমলে উষ্মে হারাম সমুদ্র
থেকে স্থলে অবতরণ করার পর বাহনে আরোহণ করলে নিচে পড়ে গিয়ে ইনতিকাল করেন ৷
বুখারী আবদুল্পাহ্ ইবন ইউসুফ সুত্রে এবং মুসলিম ইয়াহ্ইয়া ইবন ইয়াহ্ইয়ার সুত্রে এবং উম্মে

মালিক থেকে এ হাদীস বর্ণনা করেছেন ৷ বুখারী ও মুসলিম আপন আপন গ্রন্থে লায়ছ ও হাষ্মড়াদ
সুত্রে আনাস ইবন মালিকের মাধ্যমে তার খালা উষ্মে হারাম বিনৃত মিলহান থেকে উপরোক্ত
হাদীস বর্ণনা করেছেন ৷ তবে এ বর্ণনায় এ কথা অতিরিক্ত আছে যে, তিনি আপন স্বামী উবাদা
ইবন সামিতের সাথে প্রথম পর্যায়ের যােদ্ধারুপে মুআবিয়ার সাথে সমুদ্র অতিক্রম করেন,
অথবা বলেছেন, মুআবিয়া ইবন আবু সুফিয়ানের সাথে প্রথম দলের মধ্যে তিনি সমুদ্র যাত্রা
করেন ৷ যুদ্ধ থেকে প্রত্যাবর্তন করে যখন তারা সিরিয়ার অবতরণ করে, তখন উম্মে হারামের
আরোহণের জন্য একটি বাহন আনা হয় ৷ এ বাহনে উঠতে গেলে বাহন তড়াকে ফেলে দেয় এবং
তাতে তার মৃত্যু হয় ৷ বুখারী আবু ইসহাক আল-ফাজারী সুত্রে আনাস থেকেও এ হাদীসটি
বর্ণনা করেছেন ৷ আবু দাউদ মামার সুত্রে উম্মে সুলড়ায়মের বোন থেকে উপরোক্ত বর্ণনা
করেছেন ৷

রোমের যুদ্ধ সংক্রান্ত ভবিষ্যদ্বাণী

বুখারী বলেন, ইসহাক ইবন ইয়াযীদ দিমাশকী উমায়র ইবন আসওয়ড়াদ আনাসী
থেকে বর্ণনা করেন ৷ উমায়র বলেন, আমি একবার উবাদা ইবন সামিতের নিকট উপস্থিত হই ৷
ঐ সময় তিনি হিম্স উপকুলে নিজের র্তাবুতে অবস্থান করছিলেন ৷ তার সাথে তার (শ্রী) উষ্মে
হারাম্ও ছিলেন ৷ উমম্মের বলেন, উষ্মে হারাম আমাদের নিকট বর্ণনা করেন যে, রাসুলুল্লাহ্
(সা) বলেছেন, আমার উষ্মাতের একটি দল প্রথম সমুদ্র পথে যুদ্ধ করবে, এবং এ যুদ্ধের ফলে
তাদের জন্য জান্নাত ওয়াজিব হয়ে যাবে ৷ উষ্মে হারাম বলেন, আমি তখন বললাম, ইয়া
রাসুলাল্পাহ্ ! আমি কি তাদের মধ্যে থাকবাে ? তিনি বললেন : হী, তুমি তাদের মধ্যে থাকবে ৷
এরপর নবী কয়ীম (সা) বললেন, আমার উষ্মতের প্রথম যে দলটি কায়সারের দেশে যুদ্ধ
করবে, তাদের সমস্ত পাপ ক্ষমা করা হবে ৷ আমি জিজ্ঞেস করলাম, ইয়া রাসুলাল্লাহ্! আমি
তাদের অন্তর্ভুক্ত থাকাবা? তিনি বললেন, না ৷ সিহাহ্ সিত্তার মধ্যে কেবল বুখারীতেই এ
হাদীসটি আছে ৷ বায়হাকী দালাইলুন নবুওতে হাকিমের সুত্রে ইয়াহ্ইয়া ইবন হাম্যা থেকে
অনুরুপ হাদীস বর্ণনা করেছেন৷ এ হাদীসের মধ্যে নবুওতের তিনটি প্রমাণ রয়েছে ৷ তার
একটি হলো, প্রথম নৌ-যুদ্ধ সম্পর্কে যা হি ২৭ সনে মুআবিয়া ইবন আবু সুফিয়ান পরিচালনা


سَعِيدٍ، وَعَنْ مُحَمَّدِ بْنِ يَحْيَى بْنِ حِبَّانَ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، عَنْ خَالَتِهِ أُمِّ حَرَامٍ بِنْتِ مِلْحَانَ، فَذَكَرَ الْحَدِيثِ، إِلَى أَنْ قَالَ: «فَخَرَجَتْ مَعَ زَوْجِهَا عُبَادَةَ بْنِ الصَّامِتِ غَازِيَةً أَوَّلَ مَا رَكِبُوا مَعَ مُعَاوِيَةَ، أَوْ أَوَّلَ مَا رَكِبَ الْمُسْلِمُونَ الْبَحْرَ مَعَ مُعَاوِيَةَ بْنِ أَبِي سُفْيَانَ، فَلَمَّا انْصَرَفُوا مِنْ غَزَاتِهِمْ قَافِلِينَ فَنَزَلُوا الشَّامَ، فَقُرِّبَتْ إِلَيْهَا دَابَّةٌ; لِتَرْكَبَهَا، فَصَرَعَتْهَا فَمَاتَتْ» وَرَوَاهُ الْبُخَارِيُّ مِنْ حَدِيثِ أَبِي إِسَحْاقَ الْفَزَارِيِّ، عَنْ زَائِدَةَ، عَنْ أَبِي طُوَالَةَ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، عَنْ أَنَسٍ بِهِ. وَأَخْرَجَهُ أَبُو دَاوُدَ مِنْ حَدِيثِ مَعْمَرٍ، عَنْ زَيْدِ بْنِ أَسْلَمَ، عَنْ عَطَاءِ بْنِ يَسَارٍ، عَنْ أُخْتِ أُمِّ سُلَيْمٍ الرُّمَيْصَاءِ، وَهِيَ أُمُّ حَرَامٍ، فَذَكَرَ نَحْوَ مَا تَقَدَّمَ. وَقَالَ الْبُخَارِيُّ: بَابُ مَا قِيلَ فِي قِتَالِ الرُّومِ. حَدَّثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ يَزِيدَ الدِّمَشْقِيِّ، ثَنَا يَحْيَى بْنُ حَمْزَةَ، حَدَّثَنِي ثَوْرُ بْنُ يَزِيدَ عَنْ خَالِدِ بْنِ مَعْدَانَ، أَنَّ عُمَيْرَ بْنَ الْأَسْوَدِ الْعَنْسِيَّ حَدَّثَهُ أَنَّهُ أَتَى عُبَادَةَ بْنَ الصَّامِتِ وَهُوَ نَازِلٌ فِي سَاحَةِ حِمْصَ، وَهُوَ فِي بِنَاءٍ لَهُ وَمَعَهُ أُمُّ حَرَامٍ. قَالَ عُمَيْرٌ: «فَحَدَّثَتْنَا أُمُّ حَرَامٍ أَنَّهَا
পৃষ্ঠা - ৫০৪৭
سَمِعَتْ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ: " أَوَّلُ جَيْشٍ مِنْ أُمَّتِي يَغْزُونَ الْبَحْرَ قَدْ أَوْجَبُوا ". قَالَتْ أُمُّ حَرَامٍ: فَقُلْتُ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، أَنَا فِيهِمْ؟ قَالَ: " أَنْتِ فِيهِمْ ". قَالَتْ: ثُمَّ قَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " أَوَّلُ جَيْشٍ مِنْ أُمَّتِي يَغْزُونَ مَدِينَةَ قَيْصَرَ مَغْفُورٌ لَهُمْ ". قُلْتُ: أَنَا فِيهِمْ يَا رَسُولَ اللَّهِ؟ قَالَ: " لَا» تَفَرَّدَ بِهِ الْبُخَارِيُّ دُونَ أَصْحَابِ الْكُتُبِ السِّتَّةِ. وَقَدْ رَوَاهُ الْبَيْهَقِيُّ فِي " الدَّلَائِلِ " عَنِ الْحَاكِمِ، عَنْ أَبِي عَمْرِو بْنِ أَبِي جَعْفَرٍ، عَنِ الْحَسَنِ بْنِ سُفْيَانَ، عَنْ هِشَامِ بْنِ عَمَّارٍ الْخَطِيبِ، عَنْ يَحْيَى بْنِ حَمْزَةَ الْقَاضِي بِهِ. وَهُوَ يُشْبِهُ مَعْنَى الْحَدِيثِ الْأَوَّلِ، وَفِيهِ مِنْ دَلَائِلَ النُّبُوَّةِ ثَلَاثٌ; إِحْدَاهَا الْإِخْبَارُ عَنِ الْغَزْوَةِ الْأُولَى فِي الْبَحْرِ، وَقَدْ كَانَتْ فِي سَنَةِ سَبْعٍ وَعِشْرِينَ مَعَ مُعَاوِيَةَ بْنِ أَبِي سُفْيَانَ، حِينَ غَزَا قُبْرُصَ وَهُوَ نَائِبُ الشَّامِ عَنْ عُثْمَانَ بْنِ عَفَّانَ، وَكَانَتْ مَعَهُمْ أُمُّ حَرَامٍ بِنْتُ مِلْحَانَ هَذِهِ، صُحْبَةَ زَوْجِهَا عُبَادَةَ بْنِ الصَّامِتِ، أَحَدِ النُّقَبَاءِ لَيْلَةَ الْعَقَبَةِ، فَتُوُفِّيَتْ مَرْجِعَهُمْ مِنَ الْغَزْوِ; قِيلَ: بِالشَّامِ. كَمَا تَقَدَّمَ فِي الرِّوَايَةِ عِنْدَ الْبُخَارِيِّ. وَقَالَ ابْنُ زَبْرٍ: تُوُفِّيَتْ بِقُبْرُصَ سَنَةَ سَبْعٍ وَعِشْرِينَ. وَالْغَزْوَةُ الثَّانِيَةُ غَزْوَةُ قُسْطَنْطِينِيَّةَ مَعَ أَوَّلِ جَيْشٍ غَزَاهَا، وَكَانَ أَمِيرُهَا يَزِيدَ بْنَ مُعَاوِيَةَ بْنِ أَبِي سُفْيَانَ، وَذَلِكَ سَنَةَ ثِنْتَيْنِ وَخَمْسِينَ، وَكَانَ مَعَهُمْ أَبُو أَيُّوبَ خَالِدُ بْنُ زَيْدٍ الْأَنْصَارِيُّ، فَمَاتَ هُنَالِكَ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ وَأَرْضَاهُ، وَلَمْ تَكُنْ هَذِهِ الْمَرْأَةُ مَعَهُمْ; لِأَنَّهَا كَانَتْ قَدْ تُوُفِّيَتْ قَبْلَ ذَلِكَ فِي الْغَزْوَةِ الْأُولَى. فَهَذَا الْحَدِيثُ فِيهِ ثَلَاثُ آيَاتٍ مِنْ دَلَائِلَ النُّبُوَّةِ; الْإِخْبَارُ عَنِ الْغَزْوَتَيْنِ، وَالْإِخْبَارُ عَنِ الْمَرْأَةِ بِأَنَّهَا مِنَ الْأَوَّلِينَ وَلَيْسَتْ مِنَ الْآخَرِينَ، وَكَذَلِكَ وَقَعَ كَمَا أَخْبَرَ صَلَوَاتُ اللَّهِ وَسَلَامُهُ عَلَيْهِ.