আল বিদায়া ওয়া আন্নিহায়া

سنة إحدى عشرة من الهجرة

فصل: إيراد ما بقي علينا من متعلقات السيرة الشريفة

دلائل النبوة

إخباره صلى الله عليه وسلم بمقتل علي بن أبي طالب
পৃষ্ঠা - ৫০৩৪

অকাট্য বলে প্রমাণিত হয় ৷ আর আলীর যুগে যে এ ঘটনা সংঘটিত হয়েছে, সে কথা
দিবালোকের ন্যায় সুস্পষ্ট ৷ অবশ্য তাদের বিদ্রোহের ধরণ কি ছিল, তার কারণ কি এবং এ
ব্যাপারে ইবন আব্বাসের সাথে তাদের বিতর্ক ও বিতর্ক শেষে ইবন আব্বাসের পক্ষে এক
দলের চলে আসা ইত্যাদি আলোচনা যথাস্থানে করা হবে, ইনৃশাআল্লাহ্ ৷

হযরত আলীর শাহাদাত সম্পর্কে রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর ভবিষ্যদ্বাণী

ইমাম আহমদ, আলী ইবন বাহা সুত্রে আমার ইবন ইয়াসির থেকে বর্ণনা করেন ৷
আমার বলেন, উছায়রা যুদ্ধ কালে রাসুলুল্পাহ্ (সা) আলীকে ডেকে বলেছিলেন, হে আবুভুরাব !
(তখন আলীর শরীরে ধুলাবালি লাগান ছিল-আবুতুরাব অর্থ মাটির পিতা) আমি কি তোমাকে
দু’জন নিকৃষ্টতম লোকের পরিচয় বলব ? আমরা বললাম, হী, বলুন ইয়া রাসুলাল্লাহ্! তিনি
বললেন, একজন ছামুদ জাতির লোক, যে (সালিহ নবীর) উষ্টী হত্যা করেছিল ৷ দ্বিতীয়জন সেই
ব্যক্তি, যে তোমার এখানে অর্থাৎ মাথার পাশে আঘাত করবে এবং এখানে অর্থাৎ দাড়ি রক্তে
রঞ্জিত হয়ে যাবে ৷

বায়হাকী হাকিম সুত্রে আবদুল্লাহ্ ইবন ফুযালা ইবন আবু ফুযালা আনসারী থেকে বর্ণনা
করেন ৷ ফুযালার পিতা আবু ফুযালা ংবদর যুদ্ধে শরীক ছিলেন ৷ ফুযালা বলেন, আমি আমার
পিতার সাথে আলী ইবন আবু তালিবকে তার অস্তিম শয্যায় দেখতে যইি ৷ আমার পিতা
বললেন, আপনি এই স্থানে অবস্থান করছেন কেন ? যদি আপনার মৃত্যু এসে যায় তবে
জুহায়নার বেদৃইনরা আপনাকে মদীনায় নিয়ে যাবে, যদি মৃত্যু হয়ে যায় তবে আপনার বন্ধু
বান্ধবগণ সমবেত হবে এবং জানাযা পড়বে ৷ তখন আলী বললেন, রাসুলুল্লাহ্ (সা) আমাকে
প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন যে, আমি এভাবে মারা যাব যে, আমার এ স্থান অর্থাৎ দাড়ি এই জায়গার
অর্থাৎ মাথার রক্তে রঞ্জিত হবে ৷ সুতরাং আলী ও আবুফুযালা সিফ্ফীনের যুদ্ধে নিহত হন ৷

আবু দাউদ তায়ালিসী শুরায়ক থেকে যায়দ ইবন ওহব সুত্রে বর্ণনা করেন ৷ তিনি
বলেন; খারিজীদের নেতা এসে হযরত আলীকে বললো, আল্পাহ্কে ভয় করুন, কারণ, আপনার
মরতে হবে ৷ আলী বললেন, না, সেই সত্তার কসম, যিনি বীজ থেকে অংকুর বের করেন এবং
মানুষ সৃষ্টি করেছেন (আমি স্বাভাবিক ভাবে মরবাে না) বরং আমি এক আঘাতে নিহত হবো,
যে আঘাত এখানে লাগবে এবং এখানে রঞ্জিত হয়ে যাবে ৷ এ কথা বলে তিনি আপন হাত দ্বারা
দাড়ির প্ৰতি ইঙ্গিত করেন ৷ এটা একটা দৃঢ় প্রতিশ্রুতি ও অনিবার্য লটাট লিখন ৷ যে মিথ্যা কথা
বানিয়ে বলে সে ধ্বংস হয় ৷ বায়হাকী আবু সিনানের মাধ্যমে আলী থেকে বিশুদ্ধ সুত্রে রাসুল
কতুকি তার মৃত্যুর সংবাদ দান সম্পর্কে হাদীস বর্ণনা করেছেন ৷ সুতরাং তিনি আবু ইদরীস
ইয্দী সুত্রে আলী (বা) থেকে বর্ণনা করেন, আলী বলেন, রাসুলুল্লাহ্ (সা) আমার নিকট যে সব
ভবিষ্যদ্বাণী শুনিয়েছেন সেগুলোর মধ্যে একটি এই যে, আমার পরে জাতি তোমার সাথে
বিশ্বাসঘাতকতা করবে ৷ অতঃপর ভিন্ন সুত্রে ছালাবা ইবন ইয়াযীদ থেকে তিনি বর্ণনা করেন,
ছালাবা বলেন, আমি শুনেছি-আলী বলেছেন, উঘী নবী আমাকে জানিয়েছেন যে, “এ জাতি
আমার পরে তোমার সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করবে” ৷ বুখড়ারী বলেন, এই ছালাবা একজন
সমালোচিত ব্যক্তি, তার এ হাদীসকে মুল্যায়ন করা হয় না ৷ বায়হাকী হাকিম ছালাবা
ইবন ইয়াযীদ থেকে বর্ণনা করেন ৷ তিনি বলেন, আলী বলেছেন, যে সত্তা বীজ থেকে অংকুর


الْحَدِيدِ، فَرَكِبَهُمُ الْمُسْلِمُونَ فَقَتَلُوهُمْ، وَلَمْ يَقْتُلُوا مِنَ الْمُسْلِمِينَ إِلَّا تِسْعَةَ رَهْطٍ، وَإِنْ شِئْتَ فَاذْهَبْ إِلَى أَبِي بَرْزَةَ فَإِنَّهُ قَدْ شَهِدَ ذَلِكَ. قُلْتُ: الْأَخْبَارُ بِقِتَالِ الْخَوَارِجِ مُتَوَاتِرَةٌ عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ; لِأَنَّ ذَلِكَ مِنْ طُرُقٍ تُفِيدُ الْقَطْعَ عِنْدَ أَئِمَّةِ هَذَا الشَّأْنِ، وَوُقُوعُ ذَلِكَ فِي زَمَانِ عَلِيٍّ مَعْلُومٌ ضَرُورَةً لِأَهْلِ الْعِلْمِ قَاطِبَةً، وَأَمَّا كَيْفِيَّةُ خُرُوجِهِمْ وَسَبَبُهُ وَمُنَاظَرَةُ ابْنِ عَبَّاسٍ لَهُمْ فِي ذَلِكَ وَرُجُوعُ كَثِيرٍ مِنْهُمْ إِلَيْهِ، فَسَيَأْتِي بَيَانُ ذَلِكَ فِي مَوْضِعِهِ إِنْ شَاءَ اللَّهُ تَعَالَى. [إِخْبَارُهُ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِمَقْتَلِ عَلِيِّ بْنِ أَبِي طَالِبٍ] ٍ، فَكَانَ كَمَا أَخْبَرَ سَوَاءً بِسَوَاءٍ قَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: ثَنَا عَلِيُّ بْنُ بَحْرٍ، ثَنَا عِيسَى بْنُ يُونُسَ، ثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ إِسْحَاقَ، حَدَّثَنِي يَزِيدُ بْنُ مُحَمَّدِ بْنِ خُثَيْمٍ الْمُحَارِبِيُّ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ كَعْبٍ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ خُثَيْمٍ، عَنْ عَمَّارِ بْنِ يَاسِرٍ قَالَ: «قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ
পৃষ্ঠা - ৫০৩৫
لِعَلِيٍّ حِينَ وَلِيَ غَزْوَةَ الْعُشَيْرَةِ: " يَا أَبَا تُرَابٍ - لِمَا يَرَى عَلَيْهِ مِنَ التُّرَابِ - أَلَا أُحَدِّثُكَ بِأَشْقَى النَّاسِ رَجُلَيْنِ؟ " قُلْنَا: بَلَى يَا رَسُولَ اللَّهِ. قَالَ: " أُحَيْمِرُ ثَمُودَ الَّذِي عَقَرَ النَّاقَةَ، وَالَّذِي يَضْرِبُكَ يَا عَلِيُّ عَلَى هَذِهِ - يَعْنِي قَرْنَهُ - حَتَّى يَبُلَّ هَذِهِ» يَعْنِي لِحْيَتَهُ. وَرَوَى الْبَيْهَقِيُّ عَنِ الْحَاكِمِ، عَنِ الْأَصَمِّ، عَنِ الْحَسَنِ بْنِ مُكْرَمٍ، عَنْ أَبِي النَّضْرِ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ رَاشِدٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مُحَمَّدِ بْنِ عَقِيلٍ، عَنْ فَضَالَةَ بْنِ أَبِي فَضَالَةَ الْأَنْصَارِيِّ - وَكَانَ أَبُوهُ مِنْ أَهْلِ بَدْرٍ - قَالَ: «خَرَجْتُ مَعَ أَبِي عَائِدًا لِعَلِيِّ بْنِ أَبِي طَالِبٍ فِي مَرَضٍ أَصَابَهُ، ثَقُلَ مِنْهُ. قَالَ: فَقَالَ لَهُ أَبِي: مَا يُقِيمُكَ بِمَنْزِلِكَ هَذَا؟ فَلَوْ أَصَابَكَ أَجْلُكَ لَمْ يَلِكَ إِلَّا أَعْرَابُ جُهَيْنَةَ، تَحَمُّلْ إِلَى الْمَدِينَةِ، فَإِنْ أَصَابَكَ أَجْلُكَ وَلِيَكَ أَصْحَابُكَ وَصَلَّوْا عَلَيْكَ. فَقَالَ عَلِيٌّ: إِنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَهِدَ إِلَيَّ أَنْ لَا أَمُوتَ حَتَّى أُؤَمَّرَ ثُمَّ تُخْضَبَ هَذِهِ - يَعْنِي لِحْيَتَهُ - مِنْ دَمٍ هَذِهِ» يَعْنِي هَامَتَهُ. فَقُتِلَ وَقُتِلَ أَبُو فَضَالَةَ مَعَ عَلِيٍّ يَوْمَ صِفِّينَ. وَقَالَ أَبُو دَاوُدَ الطَّيَالِسِيُّ: ثَنَا شَرِيكٌ، عَنْ عُثْمَانَ بْنِ الْمُغِيرَةِ، عَنْ زَيْدِ بْنِ وَهْبٍ قَالَ: «جَاءَ رَأْسُ الْخَوَارِجِ إِلَى عَلِيٍّ فَقَالَ لَهُ: اتَّقِ اللَّهَ فَإِنَّكَ مَيِّتٌ. فَقَالَ: لَا وَالَّذِي فَلَقَ الْحَبَّةَ وَبَرَأَ النَّسَمَةَ، وَلَكِنْ مَقْتُولٌ مِنْ ضَرْبَةٍ عَلَى هَذِهِ تُخْضِبَ هَذِهِ -
পৃষ্ঠা - ৫০৩৬
وَأَشَارَ بِيَدِهِ إِلَى لِحَيَّتِهِ - عَهْدٌ مَعْهُودٌ، وَقَضَاءٌ مَقْضِيٌّ، وَقَدْ خَابَ مَنِ افْتَرَى» وَقَدْ رَوَى الْبَيْهَقِيُّ بِإِسْنَادٍ صَحِيحٍ، عَنْ زَيْدِ بْنِ أَسْلَمَ، عَنْ أَبِي سِنَانٍ الدُّؤَلِيِّ، عَنْ عَلِيٍّ فِي إِخْبَارِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِقَتْلِهِ. وَرَوَى مِنْ حَدِيثِ هُشَيْمٍ، عَنْ إِسْمَاعِيلَ بْنِ سَالِمٍ، عَنْ أَبِي إِدْرِيسَ الْأَزْدِيِّ، عَنْ عَلِيٍّ قَالَ: «إِنَّ مِمَّا عَهِدَ إِلَيَّ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " إِنَّ الْأُمَّةَ سَتَغْدُرُ بِكَ بِعَدِي ".» ثُمَّ سَاقَهُ مِنْ طَرِيقِ فِطْرِ بْنِ خَلِيفَةَ وَعَبْدِ الْعَزِيزِ بْنِ سِيَاهٍ، عَنْ حَبِيبِ بْنِ أَبِي ثَابِتٍ، عَنْ ثَعْلَبَةَ بْنِ يَزِيدَ الْحِمَّانِيِّ قَالَ: سَمِعْتُ عَلِيًّا يَقُولُ: «إِنَّهُ لَعَهْدُ النَّبِيِّ الْأُمِّيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِلَيَّ: " إِنَّ الْأُمَّةَ سَتَغْدُرُ بِكَ بِعَدِي» قَالَ الْبُخَارِيُّ: ثَعْلَبَةُ هَذَا فِيهِ نَظَرٌ، وَلَا يُتَابَعُ عَلَى حَدِيثِهِ هَذَا. وَرَوَى الْبَيْهَقِيُّ عَنِ الْحَاكِمِ، عَنِ الْأَصَمِّ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ إِسْحَاقَ الصَّغَانِيِّ، عَنْ أَبِي الْجَوَابِ الْأَحْوَصِ بْنِ جَوَابٍ، عَنْ عَمَّارِ بْنِ
পৃষ্ঠা - ৫০৩৭
زُرَيْقٍ، عَنِ الْأَعَمْشِ، عَنْ حَبِيبِ بْنِ أَبِي ثَابِتٍ، عَنْ ثَعْلَبَةَ بْنِ يَزِيدَ قَالَ: قَالَ عَلِيٌّ: «وَالَّذِي فَلَقَ الْحَبَّةَ وَبَرَأَ النَّسَمَةَ لَتُخْضَبَنَّ هَذِهِ مِنْ هَذِهِ - لِلِحْيَتِهِ مِنْ رَأْسِهِ - فَمَا يَحْبِسُ أَشْقَاهَا؟ فَقَالَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ سَبُعٍ: وَاللَّهِ يَا أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ لَوْ أَنَّ رَجُلًّا فَعَلَ ذَلِكَ لَأَبَرْنَا عَشِيرَتَهُ. فَقَالَ: أَنْشُدُكَ بِاللَّهِ أَنْ لَا تَقْتُلَ بِي غَيْرَ قَاتِلِي. قَالُوا: يَا أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ، أَلَا تَسْتَخْلِفُ؟ قَالَ: لَا، وَلَكِنِّي أَتْرُكُكُمْ كَمَا تَرَكَكُمْ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ. قَالُوا: فَمَا تَقُولُ لِرَبِّكَ إِذَا لَقِيتَهُ وَقَدْ تَرَكْتَنَا هَمَلًا؟ قَالَ: أَقُولُ: اللَّهُمَّ اسْتَخْلَفْتَنِي فِيهِمْ مَا بَدَا لَكَ، ثُمَّ قَبَضْتَنِي وَتَرَكْتُكُ فِيهِمْ، فَإِنْ شِئْتَ أَصْلَحْتَهُمْ، وَإِنْ شِئْتَ أَفْسَدْتَهُمْ» وَهَكَذَا رَوَى الْبَيْهَقِيُّ هَذَا. وَهُوَ مَوْقُوفٌ، وَفِيهِ غَرَابَةٌ مِنْ حَيْثُ اللَّفْظِ وَمِنْ حَيْثُ الْمَعْنَى، ثُمَّ الْمَشْهُورُ عَنْ عَلِيٍّ أَنَّهُ لَمَّا طَعَنَهُ عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ مُلْجِمٍ الْخَارِجِيُّ وَهُوَ خَارِجٌ لِصَلَاةِ الصُّبْحِ عِنْدَ السُّدَّةِ، فَبَقِيَ عَلِيٌّ يَوْمَيْنِ مِنْ طَعْنَتِهِ، وَحُبِسَ ابْنُ مُلْجِمٍ، وَأَوْصَى عَلِيٌّ إِلَى ابْنِهِ الْحَسَنِ بْنِ عَلِيٍّ، كَمَا سَيَأْتِي بَيَانُهُ، وَأَمْرُهُ أَنْ يَرْكَبَ فِي الْجُنُودِ، وَقَالَ لَهُ: لَا تَحَرَّ عَلَيَّ كَمَا تَحَرُّ