আল বিদায়া ওয়া আন্নিহায়া

سنة إحدى عشرة من الهجرة

فصل: إيراد ما بقي علينا من متعلقات السيرة الشريفة

دلائل النبوة

إخباره صلى الله عليه وسلم عن خروج الخوارج
পৃষ্ঠা - ৫০২৮

তিনি বললেন, যখন বনু উমাইয়া বাদশাহ হবে এবং বনু মুগীর৷ হবে উযীর ৷ বায়হাকীও এ
বর্ণনাঢি উল্লেখ করেন এবং বলেন৪ এতে তিনি পরবউকািলে নিযুক্ত সালিশদ্বয়ের দিকেই
ইঙ্গিত করেছেন ৷

হযরত আলী (রা)-এর শাসনকালে নিযুক্ত সালিশদ্বয়ের
ব্যাপারে রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর ভবিষ্যদ্বাণী

বায়হাকী, আলী ইবন আহমদ, সুওয়ায়দ ইবন পাফালা থেকে বর্ণনা করেন ৷ তিনি বলেন,
একদা আমি ও আলী (রা) একত্রে ফুরাতের তীর দিয়ে যাচ্ছিলাম ৷ তিনি আমাকে বলছিলেন,
রাসুলুল্লাহ্ (সা) বলেছেন, বনী ইসরাঈলের মধ্যে চরম আকারে মতবিরোধ সৃষ্টি হলে তারা
দু’জন সালিশ নিয়োগ করে ৷ কিন্তু সালিশদ্বয় নিজেরাও পথভ্রষ্ট হয় এবং অনুসারীদেরকেও
পথভ্রষ্ট করে ছাড়ে ৷ অনুরুপ এই উন্মতের মধ্যেও শীঘ্রই মতভেদ সৃষ্টি হবে এবং তা ক্রমাগত
বৃদ্ধি পাবে ৷ অবশেষে জনগণ দুজন সালিশ নিযুক্ত করবে ৷ কিন্তু তারাও পথভ্রষ্ট হবে এবং
তাদের অনুসারীদেরকেও পথভ্রষ্ট করবে ৷ সুওয়ায়দ এভাবেই বর্ণনা করেছেন ৷ তিনি আলীর
কোন বিষয় সম্পর্কে কিছুই বলেননি ৷ এটা সম্পুর্ণ মুনকার বর্ণনা ৷ মুনাকারের কারণ যাকারিয়া
ইবন ইয়াহ্ইয়া নামক জনৈক বর্ণনাকারী ৷ তিনি কিনদার হিময়ারী গোত্রের লোক এবং অন্ধ
ছিলেন ৷ ইয়াহ্ইয়া ইবন মাঈন একে নির্ভরযোগ্য নয় বলে মন্তব্য করেছেন ৷ যে দু’জ্যা সালিশ
নিযুক্ত হয়েছিলেন তারা উভয়েই ছিলেন প্রথম শ্রেণীর সাহাবী ৷ একজন হলেন আমর ইবনুল
আস ৷ তিনি সিরীয় বাহিনীর মনোনীত ৷ অন্যজন আবু মুসা “আবদুল্লাহ ইবন কায়স
আল-আশআরী ৷ তিনি ইরাকী পক্ষের মনোনীত ৷ তাদেরকে নিযুক্ত করা হয়েছিল মীমাংসার
জন্য এবং আলোচনার মাধ্যমে এমন একটি সিদ্ধান্তে উপনীত হওয়ার জন্য, যাতে মানুষের
মধ্যে শান্তি পুনঃ প্রতিষ্ঠিত হয় এবং রক্তপাত বন্ধ হয় ৷ মীমাংসা ড্ডাপই হয়েছে ৷ আর তাদের
কারণে খারিজী সম্প্রদায় ব্যতীত অন্য কেউ বিভ্রান্ত হয়নি ৷ খারেজীগণ আমীরদ্বয়ের (আলী ও
মুআবিয়া) উপর সালিশীকে অস্বীকার করে, উভয়কে অমান্য করে এবং তাদের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ
করে ৷ হযরত আলী (রা)ত তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেন, হযরত ইবন আব্বাস (বা) তাদের
বুঝাবার প্রয়াস পান ৷ ফলে তাদের কিছু অংশ সঠিক পথে ফিরে আসে এবং যারা অবশিষ্ট থাকে
তাদের অধিকাৎশই নাহরাওয়ানের যুদ্ধে এবং অন্যান্য স্থানে লান্থনাজনক ভাবে নিহত হয় ৷
এদের সম্পর্কে আলোচনা পরে আসবে ৷

খারিজী সম্প্রদায়ের আত্মপ্রকাশ ও তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ
সম্পর্কে রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর ভবিষ্যদ্বাণী

ইমাম বুখারী আবুল ইয়ামান আবু সাঈদ থুদরী (রা) থেকে বর্ণনা করেন ৷ তিনি
বলেন, একদা আমরা রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর নিকট বসা ছিলাম ৷ তিনি গনীমতের মাল বন্টন
করছিলেন ৷ এ সময় বনুত তামীমের যুলখুওয়ায়সিরা নামক এক ব্যক্তি এসে উপস্থিত হয় ৷ সে
বলে, হে আল্লাহ্র রাসুল ! ইনসাফ করুন ৷ তিনি বললেন, তোমার জন্য দুর্তোগ, আমি ছাড়া


[إِخْبَارُهُ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَنْ خُرُوجِ الْخَوَارِجِ] ذِكْرُ إِخْبَارِهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَنْ خُرُوجِ الْخَوَارِجِ وَقِتَالِهِمْ وَعَلَامَاتِهِمْ بِالرَّجُلِ الْمُخَدَّجِ ذِي الثُّدَيَّةِ، فَوُجِدَ ذَلِكَ فِي خِلَافَةِ عَلِيِّ بْنِ أَبِي طَالِبٍ قَالَ الْبُخَارِيُّ: ثَنَا أَبُو الْيَمَانِ، ثَنَا شُعَيْبٌ، عَنِ الزُّهْرِيِّ قَالَ: أَخْبَرَنِي أَبُو سَلَمَةَ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ أَنَّ أَبَا سَعِيدٍ الْخُدْرِيَّ قَالَ: «بَيْنَمَا نَحْنُ عِنْدَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَهُوَ يُقْسِمُ قَسَمًا، أَتَاهُ ذُو الْخُوَيْصِرَةِ وَهُوَ رَجُلٌ مِنْ بَنِي تَمِيمٍ، فَقَالَ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، اعْدِلْ. فَقَالَ: " وَيْلَكَ، وَمَنْ يَعْدِلُ إِذْ لَمْ أَعْدَلْ، قَدْ خِبْتُ وَخَسِرْتُ إِنْ لَمْ أَكُنْ أَعْدِلُ ". فَقَالَ عُمَرُ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، ائْذَنْ لِي فِيهِ فَأَضْرِبَ عُنُقَهُ. فَقَالَ " دَعْهُ فَإِنَّ لَهُ أَصْحَابًا يَحْقِرُ أَحَدُكُمْ صَلَاتَهُ مَعَ صَلَاتِهِمْ، وَصِيَامَهُ مَعَ صِيَامِهِمْ، يَقْرَءُونَ الْقُرْآنَ لَا يُجَاوِزُ تَرَاقِيَهُمْ، يَمْرُقُونَ مِنَ الدِّينِ كَمَا يَمْرُقُ السَّهْمُ مِنَ الرَّمِيَّةِ، يَنْظُرُ إِلَى نَصْلِهِ فَلَا يُوجَدُ فِيهِ شَيْءٌ ثُمَّ يَنْظُرُ إِلَى رِصَافِهِ فَلَا يُوجَدُ فِيهِ شَيْءٌ، ثُمَّ يَنْظُرُ إِلَى نَضِيِّهِ، وَهُوَ قِدْحُهُ، فَلَا يُوجَدُ فِيهِ شَيْءٌ ثُمَّ يَنْظُرُ إِلَى قُذَذِهِ فَلَا
পৃষ্ঠা - ৫০২৯
يُوجَدُ فِيهِ شَيْءٌ، قَدْ سَبَقَ الْفَرْثَ وَالدَّمَ، آيَتُهُمْ رَجُلٌ أَسْوَدُ، إِحْدَى عَضُدَيْهِ مِثْلُ ثَدْيِ الْمَرْأَةِ أَوْ مِثْلُ الْبَضْعَةِ تَدَرْدَرُ، وَيَخْرُجُونَ عَلَى حِينِ فُرْقَةٍ مِنَ النَّاسِ» قَالَ أَبُو سَعِيدٍ: فَأَشْهَدُ أَنِّي سَمِعْتُ هَذَا الْحَدِيثَ مِنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَأَشْهَدَ أَنَّ عَلِيَّ بْنَ أَبِي طَالِبٍ قَاتَلَهُمْ وَأَنَا مَعَهُ، فَأَمَرَ بِذَلِكَ الرَّجُلِ فَالْتُمِسَ فَأُتِيَ بِهِ، حَتَّى نَظَرْتُ إِلَيْهِ عَلَى نَعْتِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ الَّذِي نَعَتَهُ. وَهَكَذَا رَوَاهُ مُسْلِمٌ مِنْ حَدِيثِ أَبِي سَعِيدٍ. وَرَوَاهُ الْبُخَارِيُّ أَيْضًا مِنْ حَدِيثِ الْأَوْزَاعِيِّ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ أَبِي سَلَمَةَ وَالضَّحَّاكِ الْمِشْرَقِيِّ، عَنْ أَبِي سَعِيدٍ، وَأَخْرَجَهُ الْبُخَارِيُّ أَيْضًا مِنْ حَدِيثِ سُفْيَانَ بْنِ سَعِيدٍ الثَّوْرِيِّ، عَنْ أَبِيهِ، وَمُسْلِمٍ عَنْ هَنَّادٍ، عَنْ أَبِي الْأَحْوَصِ سَلَّامِ بْنِ سُلَيْمٍ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ مَسْرُوقٍ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ أَبِي نُعْمٍ، عَنْ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ بِهِ. وَقَدْ رَوَى مُسْلِمٌ فِي " صَحِيحِهِ " مِنْ حَدِيثِ دَاوُدَ بْنِ أَبِي هِنْدٍ وَالْقَاسِمِ بْنِ الْفَضْلِ وَقَتَادَةَ، عَنْ أَبِي نَضْرَةَ، عَنْ أَبِي سَعِيدٍ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «تَمْرُقُ
পৃষ্ঠা - ৫০৩০

আর কে আছে ইনসাফ করার ? যদি আমি ইনসাফ না করি তবে তো আমি ধ্বংস ও ক্ষতিগ্রস্ত
হবো ৷ উমর (রা) আরয করলেন, ইয়া রাসুলাল্লাহ্! আমাকে অনুমতি দিন, ওর গর্দড়ান উড়িয়ে
চ্ছি ৷ তিনি বললেন, তার ব্যাপারটি ছেড়ে দাও ৷ কারণ, তার কিছু অনুচর আছে, তাদের
নামায রােযা দেখলে তোমরা নিজেদের নামায রােযাকে ভুচ্ছ মনে করবে ৷ তারা কুরআন পড়ে;
কিন্তু কুরআনের হিদায়াত তাদের মনের গভীরে প্রবেশ করে না ৷ দীনের আনুগত্য থেকে তারা
এমনভাবে বেরিয়ে যায়, যেমন তীর বেরিয়ে যায় শিকার ভেদ করে ৷ তীরের ফলকের দিকে
তাকালে কিছুই দেখতে পাওয়া যায় না, গােড়া ও ফলকের মধ্যবর্তী কাঠের প্রতি তাকালেও
কোন চিহ্ন দেখা যায় না, এমনকি ফলকের পাথনার প্রতি দৃষ্টি দিলেও কিছুই দেখা যায় না ৷
অথচ এ তীর (শিকারের দেহের) রক্ত ও গোবর ভেদ করে গিয়েছে ৷ এদের নিদর্শন
হলো-এদের মধ্যে একজং অতি কৃষ্ণকায় লোক হবে ৷ তার এক একটি বাহু হবে নারী লোকের
স্তনের ন্যায় বা উপরে জেগে উঠা মাংসের ন্যায়, যা সর্বদা কাপতে থাকে ৷ মানুষের মধ্যে যখন
কলহের সৃষ্টি হবে তখন এদের আবির্ভাব ঘটবে ৷ আবু সাঈদ বলেন, আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, এ
হাদীস আমি স্বয়ং রাসুলুল্পাহ্ (না)-এর মুখে শুনেছি ৷ আমি আরও সাক্ষী দিচ্ছি যে, আলী ইবন
আবু তালিব (বা) তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেছেন ৷ ঐ যুদ্ধে আমিও তার সাথে শরীক ছিলাম ৷
তিনি এ লোকটিকে খুজে বের করার জন্য হুকুম দেন ৷ সুতরাং খুজে তাকে ধরে আনা হল ৷
আমি লক্ষ্য করে দেখলাম যে, রাসুলুল্লাহ্ (সা) তার যে সব নিদর্শন বলেছিলেন, যে সব
নিদর্শনই পুরাপুরি তার মধ্যে রয়েছে ৷ ইমাম মুসলিমও এ হাদীস যাহ্হাক সুত্রেও আবু সাঈদ
থেকে বর্ণনা করেছেন ৷ বুখারী এ হাদীস যাহ্হাক সুত্রেও আবু সাঈদ থেকে বর্ণনা করেছেন ৷ তা
ছাড়া ইমাম বুখারী এটি সুফিয়ান সুত্রে সাঈদ আছছাওরী থেকে এবং ইমাম মুসলিম আবদুল
রহমান ইবন ইয়ামার সুত্রে আবু সাঈদ খুদরী থেকে বর্ণনা করেছেন ৷ ইমাম মুসলিম আবু
নাজরা সুত্রে আবু সাঈদ থেকে বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ্ (সা) বলেছেন, মুসলমানদের বিভেদ
চলাকালে একদল লোক মুসলমানদের জামাত থেকে বেরিয়ে যাবে ৷ মুসলমানদের দু’দলের
মধ্যে হকপন্থীগণ তাদেরকে হত্যা করবে ৷ মুসলিম এ হাদীসটি আবু সাঈদ (রা) থেকে বর্ণনা
করেচছা ৷

মুসলিম আবু বকর ইবন আবু শায়বা বশীর ইবন আমর থেকে বর্ণনা করেন ৷ তিনি
বলেন, আমি সাহ্ল ইবন হুনায়ফকে জিজ্ঞেস করি যে, আপনি কি ৱাসুলুল্লাহ্ (না)-এর নিকট
থেকে ঐ সব খারিজীদেৱ সম্পর্কে কিছু শুনেছেন ? তিনি বলেন, আমি শুনেছি, রাসুলুল্লাহ্ (সা)
পুর্বদিকে, ভিন্ন বর্ণনায় ইরাকের দিকে হাত দিয়ে ইঙ্গিত করে বলেছেন-ওদিক থেকে একদল
লোকের আবির্ভাব হবে, যারা মুখ দিয়ে কুরআন পড়বে কিন্তু কুরআনের হিদায়াত তাদের
অত্তার প্রবেশ করবে না ৷ তারা দীনের আনুগত্য থেকে এমন ভাবে বেরিয়ে যাবে যেমন তীর
শিকারে শরীর ভেদ করে বের হয়ে যায় ৷ তাদের মাথা মুডিত থাকবে ৷ মুসলিম আবু যার
থেকেও অনুরুপ বর্ণনা করেছেন ৷ এ বর্ণনায় আছে-তাদের চিহ্ন মাথা মুন্ডান, তারা হবে সৃষ্টির
নিকৃষ্টতম চরিত্রের লোক ৷ মুহাম্মদ ইবন কাহীরও এ হাদীসটি কাতাদা সুত্রে আস ইবন মালিক
থেকে মারকুভাবে বর্ণনা করেছেন ৷ এ বর্ণনাও আছে যে, তাদের চিহ্ন মাথা মুন্ডান, সৃষ্টির
জঘন্যতম চরিত্রের লোক তারা ৷


مَارِقَةٌ عِنْدَ فُرْقَةٍ مِنَ الْمُسْلِمِينَ يَقْتُلُهَا أَوْلَى الطَّائِفَتَيْنِ بِالْحَقِّ» وَرَوَاهُ أَيْضًا مِنْ حَدِيثِ أَبِي إِسْحَاقَ الثَّوْرِيِّ، عَنْ حَبِيبِ بْنِ أَبِي ثَابِتٍ، عَنِ الضَّحَّاكِ الْمِشْرَقِيِّ، عَنْ أَبِي سَعِيدٍ مَرْفُوعًا. وَرَوَى مُسْلِمٌ عَنْ أَبِي بَكْرِ بْنِ أَبِي شَيْبَةَ، عَنِ ابْنِ مُسْهِرٍ، عَنِ الشَّيْبَانِيِّ، عَنْ يُسَيْرِ بْنِ عَمْرٍو قَالَ: سَأَلْتُ سَهْلَ بْنَ حُنَيْفٍ: هَلْ سَمِعْتَ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَذْكُرُ هَؤُلَاءِ الْخَوَارِجَ؟ فَقَالَ: «سَمِعْتُهُ. وَأَشَارَ بِيَدِهِ نَحْوَ الْمَشْرِقِ، وَفِي رِوَايَةٍ: نَحْوَ الْعِرَاقِ " يَخْرُجُ قَوْمٌ يَقْرَءُونَ الْقُرْآنَ بِأَلْسِنَتِهِمْ لَا يُجَاوِزُ تَرَاقِيَهُمْ، يَمْرُقُونَ مِنَ الدِّينِ كَمَا يَمْرُقُ السَّهْمُ مِنَ الرَّمِيَّةِ، مُحَلِّقَةٌ رُءُوسِهِمْ» " وَرَوَى مُسْلِمٌ مِنْ حَدِيثِ حُمَيْدِ بْنِ هِلَالٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الصَّامِتِ، عَنْ أَبِي ذَرٍّ نَحْوَهُ، وَقَالَ: " شَرُّ الْخَلْقِ وَالْخَلِيقَةِ ". وَكَذَلِكَ رَوَاهُ مُحَمَّدُ بْنُ كَثِيرٍ الْمِصِّيصِيُّ، عَنِ الْأَوْزَاعِيِّ، عَنْ قَتَادَةَ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ مَرْفُوعًا، وَقَالَ: " «سِيمَاهُمُ التَّحْلِيقُ، شَرُّ الْخَلْقِ وَالْخَلِيقَةِ» ".
পৃষ্ঠা - ৫০৩১
وَفِي " الصَّحِيحَيْنِ " مِنْ حَدِيثِ الْأَعْمَشِ، عَنْ خَيْثَمَةَ، عَنْ سُوِيدِ بْنِ غَفَلَةَ، عَنْ عَلِيٍّ، سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ: «يَخْرُجُ قَوْمٌ فِي آخِرِ الزَّمَانِ حُدَثَاءُ الْأَسْنَانِ، سُفَهَاءُ الْأَحْلَامِ، يَقُولُونَ مِنْ خَيْرِ قَوْلِ الْبَرِّيَّةِ، لَا يُجَاوِزُ إِيمَانُهُمْ حَنَاجِرَهُمْ، فَأَيْنَمَا لَقِيتُمُوهُمْ فَاقْتُلُوهُمْ، فَإِنَّ فِي قَتْلِهِمْ أَجْرًا لِمَنْ قَتَلَهُمْ يَوْمَ الْقِيَامَةِ» وَقَدْ رَوَى مُسْلِمٌ عَنْ قُتَيْبَةَ، عَنْ حَمَّادٍ، عَنْ أَيُّوبَ، عَنْ مُحَمَّدٍ، عَنْ عَبِيدَةَ، عَنْ عَلِيٍّ فِي خَبَرِ مُودَنِ الْيَدِ، وَهُوَ ذُو الثُّدَيَّةِ. وَأَسْنَدَهُ مِنْ وَجْهٍ آخَرَ، عَنِ ابْنِ عَوْنٍ، عَنِ ابْنِ سِيرِينَ، عَنْ عَبِيدَةَ، عَنْ عَلِيٍّ، وَفِيهِ أَنَّهُ حَلَّفَ عَلِيًّا عَلَى ذَلِكَ، فَحَلَفَ لَهُ أَنَّهُ سَمِعَ ذَلِكَ مِنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ. وَرَوَاهُ مُسْلِمٌ عَنْ عَبْدِ بْنِ حُمَيْدٍ، عَنْ عَبْدِ الرَّزَّاقِ، عَنْ عَبْدِ الْمَلِكِ بْنِ أَبِي سُلَيْمَانَ، عَنْ سَلَمَةَ، عَنْ زَيْدِ بْنِ وَهْبٍ، عَنْ عَلِيٍّ بِالْقِصَّةِ مُطَوَّلَةً، وَفِيهِ قِصَّةُ ذِي الثُّدَيَّةِ. وَرَوَاهُ مِنْ حَدِيثِ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي رَافِعٍ، عَنْ عَلِيٍّ وَرَوَاهُ أَبُو دَاوُدَ الطَّيَالِسِيِّ، عَنْ حَمَّادِ بْنِ زَيْدٍ، عَنْ جَمِيلِ
পৃষ্ঠা - ৫০৩২

বুখারী ও মুসলিমে আমাশ আলী (রা) থেকে বর্ণিত ৷ তিনি বলেন, আমি শুনেছি
রাসুলুল্লাহ্ (সা) বলেছেন ও শেষ যুগে একদল লোকের আবির্ভাব হবে-তাদের দীত হবে নব
উদ্দাত , বুদ্ধি-বিবেক হবে অপরিপক্ক ৷ তাদের মুখে থাকবে নবীর বাণী, কিন্তু ঈমান তাদের
কষ্ঠনালীর নিচে পৌছবে না ৷ তাদেরকে যেখানেই পাবে সেখানেই হত্যা করবে ৷ কেননা, যে
তাদেরকে হত্যা করবে কিয়ামত পর্যন্ত যে এর জন্য ছওয়াব পাবে ৷ মুসলিম কৃতায়বা সুত্রে
আলী থেকে রাত্রির মুআয্যিনের সংবাদ সম্পর্কে বর্ণনা করেন যে, সে হচ্ছে স্তন বিশিষ্ট ৷ এ
হাদীসকে তিনি ইবন সীরীন সুত্রেও আলী (রা) থেকে বর্ণনা করেছেন ৷ এ সুত্র মতে উবায়দা
আলীকে এ ব্যাপারে কসম করতে বললে আলী কসম করে বলেন যে, তিনি একথা রাসুলুল্লাহ্
(সা) থেকে শুনেছেন ৷ মুসলিম আবদ ইবন হুমায়দ সুত্রে আলী (বা) থেকে দীর্ঘ ঘটনা
বর্ণনা করেন ৷ এ ঘটনার মধ্যে স্তনধারীর উল্লেখও আছে ৷ উবায়দৃল্লাহ্ইবন আবু রাফি সুত্রেও
তিনি আলী থেকে এ বর্ণনা করেছেন ৷ আবু দাউদ তড়ায়ালিসী হাম্মাদ ইবন যায়দ সুত্রে আলী
(রা) থেকে স্তনধারীর ঘটনা বর্ণনা করেছেন ৷ সুফিয়ান ছা ওরী মুহাম্মদ ইবন কায়স সুত্রে
আলী থেকে এ বর্ণনা করেছেন ৷ ইয়াকুব ইবন সুফিয়ান সাঈদ ইবন আবু ওয়াক্কাস
থেকে বর্ণনা করেন ৷ তিনি বলেন, একদা বাসুলুল্লাহ্ (সা) স্তনধারীর কথা উল্লেখ করে বলেন,
যে এক ধুরন্ধর শয়তান, ঘোড়ার বাখালের ন্যায় তাকে ভয় করা হয়, সে হবে বুজায়ল
গোত্রের ৷ আশহাব বা ইবনুল আশহাব নামে তাকে আখ্যায়িত করা হবে ৷ অভ্যাচারী কওমের
সে নিদর্শন হবে ৷ সুফিয়ান বলেন, আমার আয-যাহবী বলেছেন, উক্ত গোত্রের আশহাব বা
ইবনুল আশহাব নামক এক ব্যক্তি তার নিকট এসেছিল ৷ ইয়াকুব ইবন সুফিয়ান সাদ
ইবন মালিক থেকে বর্ণনা করেন ৷ তিনি বলেন , হযরত আলী সেই ধুরন্ধর অর্থাৎ কুশ্ৰী
শয়তানকে হত্যা করেন ৷ সে আলীর পক্ষের লোকদেরকে হত্যা করতে চেয়েছিল ৷

আলী ইবন আয়্যাশ সালামা থেকে বর্ণনা করেন ৷ আইশা (বা) এর জানা ছিল যে,
মারওয়ার বাহিনী এবং নাহরাওয়ানের অধিবাসীরা মুহাম্মদ (সা) কর্তৃক অভিশপ্ত হয়েছিল ৷ ইবন
আব্বাস (বা) বলেন, মারওয়ার বাহিনী ছিল উসমানের হভ্যাকারী দল ৷ ইমাম বায়হাকী এ
বর্ণনা দেয়ার পর হাকিম সুত্রে আবু সাঈদ খুদরী (বা) থেকে বর্ণনা করেন ৷ তিনি বলেন, আমি
রাসুলুল্পাহ্ (না)-কে বলতে শুনেছি, তোমাদের মধ্যে এমন লোক আছে, যে কুরআনের
অপব্যাখ্যাকারীদের বিরুদ্ধে লড়ইি করবে, যেমন কুরআন অস্বীকারকারীদের বিরুদ্ধে আমি
লড়াই করেছি ৷ আবু বকর (বা) আরব করলেন, ইয়া রাসুলাল্পাহ্! যে ব্যক্তি কি আমি ? তিনি
বললেন, না ৷ উমর (রা) বললেন, ইয়া রাসুলাল্লাহ্! আমি কি সেই ব্যক্তি ? বললেন, না ৷ বরং
তালিষুক্ত জুতা পরিধানকারী অর্থাৎ আলী (বা) ৷

ইয়াকুব ইবন সুফিয়ান ইমরান সুত্রে লাইিক থেকে বর্ণনা করেন ৷ তিনি বলেন,
নাহওরাওয়ান থেকে যারা আলীর বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করেছিল তারা ছিল চার হাজার
নৌহবর্যধারী ৷ মুসলামানগণ তাদের সাথে যুদ্ধ করে সকলকে হত্যা করে ৷ পক্ষান্তার তারা মাত্র
নয় জনকে হত্যা করতে সক্ষম হয় ৷ ইচ্ছা হলে আবু বুরযার নিকট যেয়ে জিজ্ঞেস কর ৷ কারণ
তিনিও ঐ যুদ্ধে শরীক ছিলেন ৷

আমার বক্তব্য এই যে, খারিজীদের সাথে যুদ্ধ হওয়ার হাদীস মুতাওয়াতির স্তরে পৌছেছে ৷
কেননা, এ ব্যাপারে এত অধিক সুত্রে হাদীস বর্ণিত হয়েছে, যাতে মুহাদ্দিসদের নিকট নির্ভুল


بْنِ مُرَّةَ، عَنْ أَبِي الْوَضِئِ السَّحْتَنِيِّ، عَنْ عَلِيٍّ، فِي قِصَّةِ ذِي الثُّدَيَّةِ. وَرَوَاهُ الثَّوْرِيُّ عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ قَيْسٍ، عَنْ أَبِي مُوسَى رَجُلٍ مِنْ قَوْمِهِ، عَنْ عَلِيٍّ بِالْقِصَّةِ. وَقَالَ يَعْقُوبُ بْنُ سُفْيَانَ: ثَنَا الْحُمَيْدِيُّ، ثَنَا سُفْيَانُ، حَدَّثَنِي الْعَلَاءُ بْنُ أَبِي الْعَبَّاسِ، أَنَّهُ سَمِعَ أَبَا الطُّفَيْلِ يُحَدِّثُ عَنْ بَكْرِ بْنِ قِرْوَاشٍ، عَنْ سَعْدِ بْنِ أَبِي وَقَاصٍّ قَالَ: «ذَكَرَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ذَا الثُّدَيَّةِ فَقَالَ: " شَيْطَانُ الرَّدْهَةِ كَرَاعِي الْخَيْلِ، يَحْتَدِرُهُ رَجُلٌ مِنْ بَجِيلَةَ يُقَالُ لَهُ: الْأَشْهَبُ. أَوِ ابْنُ الْأَشْهَبِ. عَلَامَةٌ فِي قَوْمٍ ظَلَمَةٍ» قَالَ سُفْيَانُ: فَأَخْبَرَنِي عَمَّارٌ الدُّهْنِيُّ أَنَّهُ جَاءَ بِهِ رَجُلٌ مِنْهُمْ يُقَالُ لَهُ: الْأَشْهَبُ. أَوِ ابْنُ الْأَشْهَبِ. قَالَ يَعْقُوبُ بْنُ سُفْيَانَ: وَحَدَّثَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ مُعَاذٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ
পৃষ্ঠা - ৫০৩৩
شُعْبَةَ، عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ، عَنْ حَامِدٍ الْهَمْدَانِيِّ، سَمِعْتُ سَعْدَ بْنَ مَالِكٍ يَقُولُ: قَتَلَ عَلِيُّ بْنُ أَبِي طَالِبٍ شَيْطَانَ الرَّدْهَةِ. يَعْنِي الْمُخْدَجَ. يُرِيدُ، وَاللَّهُ أَعْلَمُ، قَتَلَهُ أَصْحَابُ عَلِيٍّ. وَقَالَ عَلِيُّ بْنُ عَيَّاشٍ، عَنْ حَبِيبٍ، عَنْ سَلَمَةَ قَالَ: قَالَ عَلِيٌّ: لَقَدْ عَلِمَتْ عَائِشَةُ أَنَّ جَيْشَ الْمَرْوَةِ وَأَهْلَ النَّهْرَوَانِ مَلْعُونُونَ عَلَى لِسَانِ مُحَمَّدٍ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ. قَالَ ابْنُ عَيَّاشٍ: جَيْشُ الْمَرْوَةِ قَتَلَهُ عُثْمَانُ. رَوَاهُ الْبَيْهَقِيُّ. ثُمَّ قَالَ الْبَيْهَقِيُّ: أَنَا الْحَاكِمُ، أَنَا الْأَصَمُّ، ثَنَا أَحْمَدُ بْنُ عَبْدِ الْجَبَّارِ، حَدَّثَنَا أَبُو مُعَاوِيَةَ، عَنِ الْأَعْمَشِ، عَنْ إِسْمَاعِيلَ بْنِ رَجَاءٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ قَالَ: سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ: " «إِنَّ مِنْكُمْ مَنْ يُقَاتِلُ عَلَى تَأْوِيلِ الْقُرْآنِ كَمَا قَاتَلْتُ عَلَى تَنْزِيلِهِ ". فَقَالَ أَبُو بَكْرٍ: أَنَا هُوَ يَا رَسُولَ اللَّهِ؟ قَالَ: " لَا ". فَقَالَ عُمَرُ: أَنَا هُوَ يَا رَسُولُ اللَّهِ؟ قَالَ: " لَا، وَلَكِنْ خَاصِفُ النَّعْلِ ". يَعْنِي عَلِيًّا» . وَقَالَ يَعْقُوبُ بْنُ سُفْيَانَ، عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ مُعَاذٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عِمْرَانَ بْنِ حُدَيْرٍ، عَنْ لَاحِقٍ قَالَ: كَانَ الَّذِينَ خَرَجُوا عَلَى عَلِيٍّ بِالنَّهْرَوَانِ أَرْبَعَةَ آلَافٍ فِي