سنة إحدى عشرة من الهجرة
فصل: إيراد ما بقي علينا من متعلقات السيرة الشريفة
دلائل النبوة
পৃষ্ঠা - ৫০৯০
فَرَمَحَهُ فَرَسٌ فَشَجَّهُ فِي جَبِينِهِ، فَجَعَلَ أَبُوهُ يَسْلُتُ عَنْهُ الدَّمَ وَيَقُولُ: أَمَّا لَئِنْ كُنْتَ أَشَجَّ بَنِي مَرْوَانَ، إِنَّكَ إِذًا لَسَعِيدٌ. وَكَانَ النَّاسُ يَقُولُونَ: الْأَشَجُّ وَالنَّاقِصُ أَعْدَلُ بَنِي مَرْوَانَ; فَالْأَشَجُّ هُوَ عُمَرُ بْنُ عَبْدِ الْعَزِيزِ، وَالنَّاقِصُ هُوَ يَزِيدُ بْنُ الْوَلِيدِ بْنِ عَبْدِ الْمَلِكِ، الَّذِي يَقُولُ فِيهِ الشَّاعِرَ:
رَأَيْتُ الْيَزِيدَ بْنَ الْوَلِيدِ مُبَارَكًا ... شَدِيدًا بِأَعْبَاءِ الْخِلَافَةِ كَاهِلُهْ
قُلْتُ: وَقَدْ وَلِيَ عُمَرُ بْنُ عَبْدِ الْعَزِيزِ بَعْدَ سُلَيْمَانَ بْنِ عَبْدِ الْمَلِكِ سَنَتَيْنِ وَنِصْفًا، فَمَلَأَ الْأَرْضَ عَدْلًا، وَفَاضَ الْمَالُ حَتَّى كَانَ الرَّجُلُ يَهُمُّهُ لِمَنْ يُعْطِي صَدَقَتَهُ. وَقَدْ حَمَلَ الْبَيْهَقِيُّ الْحَدِيثَ الْمُتَقَدِّمَ عَنْ عَدِيِّ بْنِ حَاتِمٍ، عَلَى أَيَّامِ عُمَرَ بْنِ عَبْدِ الْعَزِيزِ،، وَعِنْدِي فِي ذَلِكَ نَظَرٌ. وَاللَّهُ أَعْلَمُ.
وَقَدْ رَوَى الْبَيْهَقِيُّ مِنْ حَدِيثِ إِسْمَاعِيلَ بْنِ أَبِي أُوَيْسٍ، حَدَّثَنِي أَبُو مَعْنٍ
পৃষ্ঠা - ৫০৯১
الْأَنْصَارِيُّ مَا أَسْنَدَهُ، قَالَ: «بَيْنَمَا عُمَرُ بْنُ عَبْدِ الْعَزِيزِ يَمْشِي إِلَى مَكَّةَ بِفَلَاةٍ مِنَ الْأَرْضِ إِذْ رَأَى حَيَّةً مَيِّتَةً فَقَالَ: عَلَيَّ بِمِحْفَارٍ. فَقَالُوا: نَكْفِيكَ، أَصْلَحَكَ اللَّهُ. قَالَ: لَا. ثُمَّ أَخَذَهُ فَحَفَرَ لَهُ، ثُمَّ لَفَّهُ فِي خِرْقَةٍ وَدَفَنَهُ، فَإِذَا هَاتِفٌ يَهْتِفُ لَا يَرَوْنَهُ: رَحْمَةُ اللَّهِ عَلَيْكَ يَا سُرَّقُ. فَقَالَ لَهُ عُمَرُ بْنُ عَبْدِ الْعَزِيزِ: مَنْ أَنْتَ؟ يَرْحَمُكَ اللَّهُ. قَالَ: أَنَا رَجُلٌ مِنَ الْجِنِّ، وَهَذَا سُرَّقٌ وَلَمْ يَبْقَ مِمَّنْ بَايَعَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ غَيْرِي وَغَيْرُهُ، وَأَشْهَدَ لَسَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ: " تَمُوتُ يَا سُرَّقُ بِفَلَاةٍ مِنَ الْأَرْضِ، وَيَدْفِنُكَ خَيْرُ أُمَّتِي» وَقَدْ رَوَى هَذَا مِنْ وَجْهٍ آخَرَ، وَفِيهِ أَنَّهُمْ كَانُوا تِسْعَةً بَايَعُوا رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَفِيهِ أَنَّ عُمَرَ بْنَ عَبْدِ الْعَزِيزِ حَلَّفَهُ، فَلَمَّا حَلَفَ بَكَى عُمَرُ بْنُ عَبْدِ الْعَزِيزِ. وَقَدْ رَجَّحَهُ الْبَيْهَقِيُّ وَحَسَّنَهُ. فَاللَّهُ أَعْلَمُ.
[مَدْحُ النَّبِيِّ وَهْبَ بْنَ مُنَبِّهٍ وَذَمُّهُ لِغَيْلَانَ]
حَدِيثٌ آخَرُ - فِي صِحَّتِهِ نَظَرٌ - فِي ذِكْرِ وَهْبِ بْنِ مُنَبِّهٍ بِالْمَدْحِ، وَذِكْرُ غَيْلَانَ بِالذَّمِّ
رَوَى الْبَيْهَقِيُّ مِنْ حَدِيثِ هِشَامِ بْنِ عَمَّارٍ وَغَيْرِهِ، عَنِ الْوَلِيدِ بْنِ مُسْلِمٍ،
পৃষ্ঠা - ৫০৯২
(সাট্রু-কে আমি বলতে শুনেছি-হে সারাক! এক প্রার্ভরে তোমার মৃত্যু হবে এবং আমার
উম্মতের এক উত্তম ব্যক্তি তোমাকে দাফন করবে ৷ এ হাদীসটি ভিন্ন এক সুত্রেও বর্ণিত হয়েছে ৷
ঐ বর্ণনায় এ কথা অতিরিক্ত আছে যে, তারা নয়জনে রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর নিকট বায়আত
হয়েছিলেন ৷ উমর ইবন আবদুল আযীয তাকে কসম করতে বলেন ৷ ফলে সে কসম করলো ৷
উমর ইবন আবদুল আযীয তখন রােদন করতে থাকেন ৷ বায়হাকী এই শেষের সুত্রকে প্রথম
বর্ণনার উপর প্রাধান্য দিয়েছেন এবং হাদীসটি হাসান বলে মন্তব্য করেছেন ৷
ওহ্ব ইবন মুনাব্বিহ্র প্রশংসা ও গায়লানের নিন্দা
সম্পর্কে একটি সন্দেহজনক হাদীস
বায়হাকী হিশাম উবাদা ইবন সামিত (রা) থেকে বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ্ (সা)
বলেছেন, আমার উম্মতের মধ্যে ওহ্ব নামে এক ব্যক্তির জন্ম হবে-আল্লাহ্ তাকে প্রজ্ঞা দান
করবেন ৷ আর এক ব্যক্তির নাম হবে গায়লড়ান, সে আমার উম্মতের জন্য ইবলীস অপেক্ষা
অধিক ক্ষতিকর হবে ৷ এ হাদীসটি সহীহ্ নয় ৷ কারণ সনদের মধ্যে মারওয়ড়ান ইবন সালিম
নামক বর্ণনাকারী সকলের নিকট পরিত্যাজ্য ( এ এ,;,; ) ৷ অপর এক সুত্রে আবু হুরায়রা থেকে
বর্ণিত, নবী করীম (সা) বলেছেন, শয়তান সিরিয়ার এমন এক আওয়াজ তুলবে (গুজব রটড়াবে)
যা শুনে সে দেশের দুই তৃতীয়াংশ লোইে তাকদীরকে অবিশ্বাস করবে ৷ বায়হাকী বলেন, এ
হাদীস এবং এর সদৃশ অন্যান্য হাদীস গায়লানের প্রতিই ইঙ্গিত করে ৷ গায়লানের প্ররোচনায়
সিরিয়ার লোকজন তাকদীরকে অস্বীকার করতে থাকে ৷ অবশেষে সে নিহত হয় ৷
মুহাম্মদ ইবন কা ব আল কুরাজির আগমন, কুরআনের তাফসীরে
তার পাভিত্য ও স্মৃতিশক্তি সম্পর্কে ইঙ্গিত
হারমালা আবু বুরদা সুত্রে বর্ণনা করেন ৷ তিনি বলেন, আমি রাসুলুল্লাহ্ (না)-কে
বলতে শুনেছি যে, দুই গণকের একজন থেকে এমন এক ব্যক্তির আবির্ভাব হবে, যে কুরআনের
এমন বিশ্লেষণ করবে যেরুপ বিশ্নেষ্ণ তার পরে আর কেউ করতে সক্ষম হবে না : ষ্১ ৰু প্রু১
বায়হাকী হাকিম রবীআ ইবন আবু আবদুর রহমান থেকে বর্ণনা করেন ৷ তিনি বলেন,
রাসুলুল্পাহ্ (সা) বলেছেন, দুই গণকের একটি থেকে এমন একজন লোক আত্মপ্রকাশ করবে,
যে কুরআনের এমন ব্যাখ্যা করবে, যেমনটি অন্য কেউ করতে সক্ষম হবে না ৷ লোকদের ধারণা
এ লোকটি মুহাম্মদ ইবন কাব ব্যতীত অন্য কেউ নয় ৷ আবু ছাবিত বলেন, দুই গণক হলো :
১ কুরায়যড়া ও ২ নবীর ৷ মুরসলরুপেও এ হাদীসটি বর্ণিত হয়েছে ৷ যথা : দুই গণকের একজন
থেকে এমন এক লোক আবির্ভুত হবে, যে অড়াল্লাহ্র কিতাব সম্পর্কে অন্যদের তুলনায় অধিক
জ্ঞানী হবে ৷ আওন ইবন আবদুল্লাহ বলেন, আমি মুহাম্মদ ইবন কাব অপেক্ষা অন্য কাউকে
কুরআনের ব্যাখ্যাকারীরুপে অধিক জ্ঞানী দেখিনি ৷
عَنْ مَرْوَانَ بْنِ سَالِمٍ الْقَرْقَسَانِيِّ، عَنِ الْأَحْوَصِ بْنِ حَكِيمٍ، عَنْ خَالِدِ بْنِ مَعْدَانَ، عَنْ عُبَادَةَ بْنِ الصَّامِتِ قَالَ: «قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: يَكُونُ فِي أُمَّتَيْ رَجُلٌ يُقَالُ لَهُ: وَهْبٌ. يَهَبُ اللَّهُ لَهُ الْحِكْمَةَ، وَرَجُلٌ يُقَالُ لَهُ غَيْلَانُ. هُوَ أَضَرُّ عَلَى أُمَّتِي مِنْ إِبْلِيسَ» وَهَذَا لَا يَصِحُّ; لِأَنَّ مَرْوَانَ بْنَ سَالِمٍ هَذَا مَتْرُوكٌ.
وَبِهِ إِلَى الْوَلِيدِ، حَدَّثَنَا ابْنُ لَهِيعَةَ، عَنْ مُوسَى بْنِ وَرْدَانَ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ «قَالَ: قَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: يَنْعِقُ الشَّيْطَانُ بِالشَّامِ نَعَقَةً يُكَذِّبُ ثُلُثَاهُمْ بِالْقَدَرِ» قَالَ الْبَيْهَقِيُّ: وَفِي هَذَا إِنْ صَحَّ إِشَارَةٌ إِلَى غَيْلَانَ، وَمَا ظَهَرَ بِالشَّامِ بِسَبَبِهِ مِنَ التَّكْذِيبِ بِالْقَدَرِ حَتَّى قُتِلَ.
[إِخْبَارُهُ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ كَعْبٍ وَعِلْمِهِ]
الْإِشَارَةُ إِلَى مُحَمَّدِ بْنِ كَعْبٍ الْقُرَظِيِّ وَعِلْمِهِ بِتَفْسِيرِ الْقُرْآنِ وَحِفْظِهِ
قَالَ حَرْمَلَةُ عَنِ ابْنِ وَهْبٍ، أَخْبَرَنِي أَبُو صَخْرٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مُغِيثِ بْنِ أَبِي بُرْدَةَ الظَّفَرِيِّ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ جَدِّهِ قَالَ: سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ: «يَخْرُجُ فِي أَحَدِ الْكَاهِنَيْنِ رَجُلٌ قَدْ يَدْرُسُ الْقُرْآنَ دِرَاسَةً لَا يَدْرُسُهَا أَحَدٌ يَكُونُ مِنْ بَعْدِهِ ".»
পৃষ্ঠা - ৫০৯৩
রড়াসুলুল্লাহ্র পরবর্তী শতাব্দীকালের ভবিষ্যদ্বাণী
বুখারী ও যুসলিম্৷ শ্ারীফে যুহরী সুত্রে আবদুল্লাহ ইবন উমর থেকে বর্ণিত, তিনি
বলেন, রাসুলুল্লাহ্ (সা) জীবনের শেষ দিকে একদা আমাদেরকে নিয়ে ইশার নামায আদায়
করেন৷ সালাম ফিরিয়ে তিনি দন্ডায়মান হন এবং বলেন, এ রাতঢিকে তোমরা কেমন মনে
কর? কেননা, এ রাত থেকে আরম্ভ করে একশ’ বছরের মাথায় যারা আজ এ পৃথিবীতে বেচে
আছে তাদের কেউই জীবিত থাকবে না ৷ হযরত উমর (রা) বলেন, রাসুলুল্লাহ্ (সা)-এর কথার
দ্বারা লোকজন বুঝলো যে, তারা যে সব কথাবার্তা বলে তা একশ বছর পর্যন্ত চলবে ৷ অথচ
রাসুলুল্লাহ্ (সা) বুঝাতে চেয়েছেন যে, তখন এ যুগের অবসান হবে ৷ এক বর্ণনা মতে, তিনি
এতে তার নিজের যুগের অবসানের প্রতি ইঙ্গিত দেন ৷ মুসলিম শরীফে ইবন জুরায়জ সুত্রে
জাবির ইবন আবদুল্লাহ্ (রা) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি শুনেছি, রাসুলুল্পাহ্ (সা) মৃত্যুর
একমাস পুর্বে বলেছেন, লোকেরা কিয়ামত সম্পর্কে জিজ্ঞেস করে ৷ অথচ তা শুধু আল্লাহ্ই
প্ জানেন ৷ তবে আমি আল্লাহ্র কসম করে বলছি, আজ যারা ধরাপৃষ্ঠে বিচরণ করছে তারা
কেউ-ই একশ’ বছর পর জীবিত থাকবে না ৷ এ হাদীস এবং এ মর্মের হাদীস সেই সব
ইমড়ামদের পক্ষে দলীল যারা বলেছেন যে, খিযর (আ) বর্তমানে জীবিত নেই ৷ নবীদের
আলোচনায় খিযর-এর উল্পেখপ্ৰসঙ্গে আমরা এ বিষয়ে ইতিপুর্বে বিস্তারিত আংলাচনা করেছি ৷
এ হাদীসে স্পষ্টভাবে বলা হয়েছে যে, পৃথিবীতে সমস্ত জীবিত লোক এক’শ বছরের মধ্যে
মৃত্যুবরণ করবে ৷ রাসুলের এ ভবিষ্যদ্বাণী যথাযথভাবে বাস্তবায়িত হয় ৷ আমরা তার কোন
সাহাবী সম্পর্কে জানিনা যে, তিনি এই সময়সীমা অতিক্রম করে বেচে রয়েছেন ৷ তেমনিভাবে
অন্যান্য ণ্লাকও ৷ আলিমগণ এ ঘোষণাটিকে প্রতি শতাব্দীর জন্য প্রয়োগ করেছেন এবং
হড়াদীসের সাথে এর কোন সম্পর্ক নেই ৷
হাদীস
মুহাম্মদ ইবন উমর আল ওয়াকিদী শুরায়হ ইবন ইয়াযীদ আবদৃল্লাহ্ ইবন বুসৃর থেকে বর্ণনা
করেন, তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ্ (সা) আমার মাথার উপরে তার হাত রেখে বলেন, ৷;গ্র
া;,,ও ,র্দুন্ৰু ণ্শ্রো ৷ এই বালকটি এ শতাব্দীকাল পর্যন্ত বেচে থাকবে ৷ সত্য সত্যই তিনি
একশ’ বছর জীবিত থাকেন ৷ বুখারী এ হাদীসটি তার ইতিহাস গ্রন্থে আবুহায়াত শুরায়হ্ থেকে
বর্ণনা করেছেন ৷ অন্যান্য বর্ণনাকারীগণ আরও কিছু কথা অতিরিক্ত বলেছেন ৷ অর্থাৎ-তার
ঘুখমন্ডলে দাগ ছিল ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) বলেন, তার মুখের দাগ দুর না হওয়া পর্যন্ত যে মারা
যাবে না ৷ দেখা গেল, দাগ দুর হওয়ার পরেই তিনি ইনতিকাল করেন ৷ বায়হাকী হাকিম
আবদুল্লাহ্ ইবন বুসৃর সুত্রে বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ্ (সা) বলেছেন এই বালকটি এক
শতাব্দীকাল বীচবে ৷ সত্যি সত্যি তিনি একশ’ বছর জীবিত থাকে ৷ ওয়াকিদী প্রমুখ বলেছেন,
অড়াবদুল্লাহ্ ইবন বুসৃর অষ্টাশি হি সনে ৯৪ বছর বয়সে হিমসে ইনতিকাল করেন ৷ সিরিয়ার যে
সকল সাহাবী ছিলেন, আবদুল্লাহ্ ইবন বুসৃর তাদের মধ্যে সকলের শেষে মৃত্যুবরণ করেন ৷
وَرَوَى الْبَيْهَقِيُّ عَنِ الْحَاكِمِ، عَنِ الْأَصَمِّ، عَنْ إِسْمَاعِيلَ الْقَاضِي، ثَنَا أَبُو ثَابِتٍ، ثَنَا ابْنُ وَهْبٍ، حَدَّثَنِي عَبْدُ الْجَبَّارِ بْنُ عُمَرَ، عَنْ رَبِيعَةَ بْنِ أَبِي عَبْدِ الرَّحْمَنِ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «يَكُونُ فِي أَحَدِ الْكَاهِنَيْنِ رَجُلٌ يَدْرُسُ الْقُرْآنَ دِرَاسَةً لَا يَدْرُسُهَا غَيْرُهُ» قَالَ: فَكَانُوا يَرَوْنَ أَنَّهُ مُحَمَّدُ بْنُ كَعْبٍ الْقُرَظِيُّ. قَالَ أَبُو ثَابِتٍ: الْكَاهِنَانِ قُرَيْظَةُ وَالنَّضِيرُ.
وَقَدْ رَوَى مِنْ وَجْهٍ آخَرَ مُرْسَلٍ: «يَخْرُجُ مِنَ الْكَاهِنَيْنِ رَجُلٌ أَعْلَمُ النَّاسِ بِكِتَابِ اللَّهِ» . وَقَدْ قَالَ عَوْنُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ: مَا رَأَيْتُ أَحَدًا أَعْلَمَ بِتَأْوِيلِ الْقُرْآنِ مِنْ مُحَمَّدِ بْنِ كَعْبٍ.
[ذِكْرُ الْإِخْبَارِ بِانْخِرَامِ قَرْنِهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بَعْدَ مِائَةِ سَنَةٍ]
ٍ مِنْ لَيْلَةِ إِخْبَارِهِ فَكَانَ كَمَا أَخْبَرَ
ثَبَتَ فِي " الصَّحِيحَيْنِ " مِنْ حَدِيثِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ سَالِمٍ وَأَبِي بَكْرِ بْنِ سُلَيْمَانَ بْنِ أَبِي حَثْمَةَ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ قَالَ: «صَلَّى بِنَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ صَلَاةَ الْعِشَاءِ لَيْلَةً فِي آخِرِ عُمُرِهِ، فَلَمَّا سَلَّمَ قَامَ فَقَالَ: " أَرَأَيْتَكُمْ لَيْلَتَكُمْ هَذِهِ؟ فَإِنَّ رَأْسَ مِائَةِ سَنَةٍ مِنْهَا لَا يَبْقَى مِمَّنْ هُوَ الْيَوْمَ عَلَى ظَهْرِ الْأَرْضِ أَحَدٌ» قَالَ
পৃষ্ঠা - ৫০৯৪
ابْنُ عُمَرَ: فَوَهَلَ النَّاسُ فِي مَقَالَةِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، إِلَى مَا يَتَحَدَّثُونَ مِنْ هَذِهِ الْأَحَادِيثِ عَنْ مِائَةِ سَنَةٍ، وَإِنَّمَا يُرِيدُ بِذَلِكَ أَنَّهَا تَخْرِمُ ذَلِكَ الْقَرْنَ. وَفِي رِوَايَةٍ: إِنَّمَا أَرَادَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ انْخِرَامَ قَرْنِهِ.
وَفِي " صَحِيحِ مُسْلِمٍ " مِنْ حَدِيثِ ابْنِ جُرَيْجٍ، أَخْبَرَنِي أَبُو الزُّبَيْرِ أَنَّهُ سَمِعَ جَابِرَ بْنَ عَبْدِ اللَّهِ يَقُولُ: «سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ قَبْلَ مَوْتِهِ بِشَهْرٍ: " تَسْأَلُونَ عَنِ السَّاعَةِ، وَإِنَّمَا عِلْمُهَا عِنْدَ اللَّهِ، فَأُقْسِمُ بِاللَّهِ مَا عَلَى ظَهْرِ الْأَرْضِ مِنْ نَفْسٍ مَنْفُوسَةٍ الْيَوْمَ تَأْتِي عَلَيْهَا مِائَةُ سَنَةٍ» وَهَذَا الْحَدِيثُ وَأَمْثَالُهُ مِمَّا يَحْتَجُّ بِهِ مَنْ ذَهَبٍ مِنَ الْأَئِمَّةِ إِلَى أَنَّ الْخَضِرَ لَيْسَ بِمَوْجُودٍ الْآنَ، كَمَا قَدَّمْنَا ذَلِكَ فِي تَرْجَمَتِهِ مِنْ قَصَصِ الْأَنْبِيَاءِ، عَلَيْهِمُ السَّلَامُ، وَهُوَ نَصٌّ عَلَى أَنَّ جَمِيعَ الْأَحْيَاءِ فِي الْأَرْضِ يَمُوتُونَ إِلَى تَمَامِ مِائَةِ سَنَةٍ مِنْ إِخْبَارِهِ، عَلَيْهِ الصَّلَاةُ وَالسَّلَامُ، وَكَذَا وَقَعَ سَوَاءً; فَإِنَّهُ لَمْ يَتَأَخَّرْ أَحَدٌ مِنْ أَصْحَابِهِ إِلَى مَا يُجَاوِزُ هَذِهِ الْمُدَّةَ، وَكَذَلِكَ جَمِيعُ النَّاسِ، ثُمَّ قَدْ طَرَدَ بَعْضُ الْعُلَمَاءِ هَذَا الْحُكْمَ فِي كُلِّ مِائَةِ سَنَةٍ، وَلَيْسَ فِي الْحَدِيثِ تَعَرُّضٌ لِهَذَا. وَاللَّهُ أَعْلَمُ.
حَدِيثٌ آخَرُ: قَالَ مُحَمَّدُ بْنُ عُمَرَ الْوَاقِدِيُّ: حَدَّثَنِي شُرَيْحُ بْنُ يَزِيدَ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ بْنِ مُحَمَّدِ بْنِ زِيَادٍ الْأَلْهَانِيِّ، عَنْ أَبِيهِ، «عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ بُسْرٍ قَالَ: وَضَعَ
পৃষ্ঠা - ৫০৯৫
رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَدَهُ عَلَى رَأْسِي، وَقَالَ: هَذَا الْغُلَامُ يَعِيشُ قَرْنًا ".» قَالَ: فَعَاشَ مِائَةَ سَنَةٍ وَقَدْ رَوَاهُ الْبُخَارِيُّ فِي " التَّارِيخِ " عَنْ أَبِي حَيْوَةَ شُرَيْحِ بْنِ يَزِيدَ بِهِ، فَذَكَرَهُ. قَالَ وَزَادَ غَيْرُهُ وَكَانَ فِي وَجْهِهِ ثُؤْلُولٌ. فَقَالَ: " وَلَا يَمُوتُ حَتَّى يَذْهَبَ الثُّؤْلُولُ مِنْ وَجْهِهِ ". فَلَمْ يَمُتْ حَتَّى ذَهَبَ الثُّؤْلُولُ مِنْ وَجْهِهِ. وَهَذَا إِسْنَادٌ عَلَى شَرْطِ السُّنَنِ، وَلَمْ يُخْرِجُوهُ.
وَرَوَاهُ الْبَيْهَقِيُّ عَنِ الْحَاكِمِ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ الْمُؤَمَّلِ بْنِ الْحَسَنِ بْنِ عِيسَى، عَنِ الْفَضْلِ بْنِ مُحَمَّدٍ الشَّعْرَانِيِّ، ثَنَا حَيْوَةُ بْنُ شُرَيْحٍ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ بْنِ مُحَمَّدِ بْنِ زِيَادِ الْأَلْهَانِيِّ، عَنْ أَبِيهِ، «عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ بُسْرٍ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ لَهُ: " يَعِيشُ هَذَا الْغُلَامُ قَرْنًا» ". فَعَاشَ مِائَةَ سَنَةٍ. قَالَ الْوَاقِدِيُّ وَغَيْرُ وَاحِدٍ: تُوُفِّيَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ بُسْرٍ بِحِمْصٍ سَنَةَ ثَمَانٍ وَثَمَانِينَ، عَنْ أَرْبَعٍ وَتِسْعِينَ، وَهُوَ آخَرُ مَا بَقِيَ مِنَ الصَّحَابَةِ بِالشَّامِ.
পৃষ্ঠা - ৫০৯৬
ওলীদ সম্পর্কে ভবিষ্যদ্বাণী এবং তার প্রতি উচ্চারিত সতর্কবাণী
(বর্ণনায় বিশুদ্ধতা সাপেক্ষে ইনি ওলীদ ইবন আবদুল
মালিক নন, বরং ওলীদ ইবন ইয়াযীদ)
ইয়াকুব ইবন সুফিয়ান সাঈদ ইবন মুসাব্যিব থেকে বর্ণনা করেছেন, তিনি বলেন
উম্মে সালামার এক ভ্রাতৃম্পুত্রের জন্ম হয় ৷ তার নাম হয় ওলীদ ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) বললেন,
তোমরা তোমাদের যুগের এক ফিরআউনের নাম রেখেছ ৷ এই উম্মতেৱ মধ্যে ওলীদ নামে
এক ব্যক্তির জন্ম হবে, সে আমার উম্মতের জন্য অধিকতর ক্ষতিকর হবে যতটা না ’ ক্ষতিকর
ছিল ফিরআউন তার জাতির জন্য ৷ আবুউমর আওয়াঈ বলেন, লোকে মনে করত এটি ওলীদ
ইবন আবদুল মালিক সম্পর্কে বলা হয়েছে ৷ কিন্তু পরবর্তীতে আমরা প্রত্যক্ষ করলাম যে, ঔ
ব্যক্তি হল ওলীদ ইবন ইয়াদীদ ৷ কারণ, জাতির জন্য সে এক মহা বিপর্যয়ের কারণ হয়ে
দাড়িয়েছিল ৷ শেষে জনগণ বিদ্রোহী হয়ে তাকে হত্যা করে এবং উমত তার ফিত্না থেকে
পরিত্রাণ পায় ৷ বায়হাকী এ হাদীস হাকিম থেকে এবং অন্যান্য মুহাদ্দিসগণ আসাম সুত্রে সাঈদ
থেকে বর্ণনা করেছেন ৷ তবে তাদের বর্ণনায় আওযাঈর উক্তির উল্লেখ নেই ৷ বায়হাকী এটাকে
মুরসাল বলেছেন ৷ নুআয়ম এ হাদীস ওলীদ ইবন মুসলিম সুত্রে বর্ণনা করেছেন ৷ এ
বর্ণনায় যুহরীর উক্তির বরাত রয়েছে যাতে তিনি বলেন, ওলীদ ইবন ইয়াযীদ যদি ক্ষমতা লাভ
করে তবে সেই ঐ ব্যক্তি যার কথা নবী করীম (সা) বলেছিলেন ৷ অন্যথায় যে ব্যক্তি হবে ওলীদ
ইবন আবদুল মালিক ৷ নুআয়ম ইবন হান্মাদ হাসান থেকে বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ্ (সা)
বলেছেন পরবর্তীকালে ওলীদ নামে এক ব্যক্তির জন্ম হবে, জাহান্নড়ামের একটি স্তম্ভ ও একটি
কোণ তার জন্য নির্ধারিত থাকবে ৷ এ বর্ণনাটিও মুরসাল পর্যায়ের ৷
আরেকটি ভবিষ্যদ্বাণী
সুলায়মান ইবন বিলাল আবু হুরায়রা (বা) থেকে বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ (সা)
বলেছেন, আবুল আস এর পুত্র সন্তানের সংখ্যা যখন চল্লিশে পৌছবে, তখন তারা আল্লাহর
দীনের মধ্যে সংশয় সৃষ্টি করবে ৷ আল্লাহর বান্দাগণকে দাস-দাসীতে পরিণত করবে এবং
আল্লাহর ধ্ন সম্পদকে নিজেদের সম্পত্তি বলে বিবেচনা করবে ৷ বায়হাকী
আবু নুআয়ম আবু যর (রা) থেকে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন, আমি শুনেছি,
রাসুলুল্লাহ্ (সা ) বলেছেন, উমাইয়া বংশের পুরুষের সংখ্যা যখন চল্লিশে পৌছবে তখন তারা
আল্লাহর বান্দাগণঃক নিজেদের গােলামে পরিণত করবে, আল্লাহর দেয়া ধ্ন সম্পদকে উপহার
উপচৌকন গণ্য করবে এবং আল্লাহর কিতাবকে (কুরআনকে) সন্দেহের স্থল বানড়াবে ৷ এই বর্ণনা
সুত্রে রাশিদ ইবন সাদ ও আবু যরের মাঝের বর্ণনাকারীর নাম উল্লেখ নইি ৷ ইসহাক ইবন
রহ্নিহওয়ায় আবু সাঈদ (বা) থেকে বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ (সা) বলেছেন, আবুল আসের
বংশে যখন পুরুষের সংখ্যা ত্রিশে উপনীত হবে, তখন তারা আল্লাহর দীনের মধ্যে সংশয় সৃষ্টি
করবে, আল্লাহর ধন সম্পদকে কুক্ষিগত করবে এবং আল্লাহর বন্দোগণকে দাস-দাসীতে পরিণত
করবে ৷ আহমদ জাবীর থেকেও অনুরুপ বর্ণনা করেছেন ৷ বায়হাকী আলী ইবন আহমদ
ওহব থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেন, আমি একদা মুআবিয়া ইবন আবু সুফিয়ানের
[إِخْبَارُهُ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَنِ الْوَلِيدِ بْنِ يَزِيدَ]
ذِكْرُ الْإِخْبَارِ عَنِ الْوَلِيدِ بِمَا فِيهِ لَهُ مِنِ الْوَعِيدِ الشَّدِيدِ، وَإِنْ صَحَّ فَهُوَ الْوَلِيدُ بْنُ يَزِيدَ لَا الْوَلِيدُ بْنُ عَبْدِ الْمَلِكِ بَانِي الْجَامِعِ السَّعِيدِ
قَالَ يَعْقُوبُ بْنُ سُفْيَانَ: حَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ خَالِدِ بْنِ الْعَبَّاسِ السَّكْسَكِيُّ، حَدَّثَنِي الْوَلِيدُ بْنُ مُسْلِمٍ، حَدَّثَنِي أَبُو عَمْرٍو الْأَوْزَاعِيُّ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، «عَنْ سَعِيدِ بْنِ الْمُسَيَّبِ قَالَ: وُلِدَ لِأَخِي أُمِّ سَلَمَةَ غُلَامٌ، فَسَمَّوْهُ الْوَلِيدَ، فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: قَدْ جَعَلْتُمْ تُسَمُّونَ بِأَسْمَاءِ فَرَاعِنَتِكُمْ، إِنَّهُ سَيَكُونُ فِي هَذِهِ الْأُمَّةِ رَجُلٌ يُقَالُ لَهُ: الْوَلِيدُ. هُوَ أَضَرُّ عَلَى أُمَّتِي مِنْ فِرْعَوْنَ عَلَى قَوْمِهِ» ". قَالَ أَبُو عَمْرٍو الْأَوْزَاعِيُّ: فَكَانَ النَّاسُ يُرُونَ أَنَّهُ الْوَلِيدُ بْنُ عَبْدِ الْمَلِكِ، ثُمَّ رَأَيْنَا أَنَّهُ الْوَلِيدُ بْنُ يَزِيدَ; لِفِتْنَةِ النَّاسِ بِهِ حَتَّى خَرَجُوا عَلَيْهِ فَقَتَلُوهُ، وَانْفَتَحَتِ الْفِتْنَةُ عَلَى الْأُمَّةِ وَالْهَرْجُ وَقَدْ رَوَاهُ الْبَيْهَقِيُّ عَنِ الْحَاكِمِ وَغَيْرِهِ، عَنِ الْأَصَمِّ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ عُثْمَانَ التَّنُوخِيِّ عَنْ بِشْرِ بْنِ بَكْرٍ، عَنِ الْأَوْزَاعِيِّ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ سَعِيدٍ، فَذَكَرَهُ وَلَمْ يَذْكُرْ قَوْلَ الْأَوْزَاعِيِّ، ثُمَّ قَالَ: وَهَذَا مُرْسَلٌ حَسَنٌ. وَقَدْ رَوَاهُ نُعَيْمُ
পৃষ্ঠা - ৫০৯৭
بْنُ حَمَّادٍ عَنِ الْوَلِيدِ بْنِ مُسْلِمٍ بِهِ، وَعِنْدَهُ: قَالَ الزُّهْرِيُّ: إِنِ اسْتُخْلِفَ الْوَلِيدُ بْنُ يَزِيدَ فَهُوَ هُوَ، وَإِلَّا فَهُوَ الْوَلِيدُ بْنُ عَبْدِ الْمَلِكِ.
وَقَالَ نُعَيْمُ بْنُ حَمَّادٍ: ثَنَا هُشَيْمٌ، عَنْ أَبِي حُرَّةَ، عَنِ الْحَسَنِ قَالَ: «قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: سَيَكُونُ رَجُلٌ اسْمُهُ الْوَلِيدُ، يُسَدُّ بِهِ رُكْنٌ مِنْ أَرْكَانِ جَهَنَّمَ أَوْ زَاوِيَةٌ مِنْ زَوَايَاهَا» وَهَذَا مُرْسَلٌ أَيْضًا
حَدِيثٌ آخَرُ: قَالَ سُلَيْمَانُ بْنُ بِلَالٍ، عَنِ الْعَلَاءِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «إِذَا بَلَغَ بَنُو أَبِي الْعَاصِ أَرْبَعِينَ رَجُلًا، اتَّخَذُوا دِينَ اللَّهِ دَغَلًا، وَعِبَادَ اللَّهِ خَوَلًا، وَمَالَ اللَّهِ دُوَلًا» رَوَاهُ الْبَيْهَقِيُّ مِنْ حَدِيثِهِ.
وَقَالَ نُعَيْمُ بْنُ حَمَّادٍ: ثَنَا بَقِيَّةُ بْنُ الْوَلِيدِ وَعَبْدُ الْقُدُّوسِ، عَنْ أَبِي بَكْرِ بْنِ أَبِي مَرْيَمَ، عَنْ رَاشِدِ بْنِ سَعْدٍ، عَنْ أَبِي ذَرٍّ قَالَ: سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ: «إِذَا بَلَغَتْ بَنُو أُمَيَّةَ أَرْبَعِينَ اتَّخَذُوا عِبَادَ اللَّهِ خَوَلًا، وَمَالَ اللَّهِ نُحْلًا، وَكِتَابَ
পৃষ্ঠা - ৫০৯৮
اللَّهِ دَغَلًا» وَهَذَا مُنْقَطِعٌ بَيْنَ رَاشِدِ بْنِ سَعْدٍ وَبَيْنَ أَبِي ذَرٍّ.
وَقَالَ إِسْحَاقُ بْنُ رَاهْوَيْهِ: أَنَا جَرِيرٌ، عَنِ الْأَعْمَشِ، عَنْ عَطِيَّةَ، عَنْ أَبِي سَعِيدٍ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «إِذَا بَلَغَ بَنُو أَبِي الْعَاصِ ثَلَاثِينَ رَجُلًا اتَّخَذُوا دِينَ اللَّهِ دَغَلًا، وَمَالَ اللَّهِ دُوَلًا، وَعِبَادَ اللَّهِ خَوَلًا» وَرَوَاهُ أَحْمَدُ عَنْ عُثْمَانَ بْنِ أَبِي شَيْبَةَ، عَنْ جَرِيرٍ بِهِ.
وَقَالَ الْبَيْهَقِيُّ: أَنَا عَلِيُّ بْنُ أَحْمَدَ بْنِ عَبْدَانَ، أَنَا أَحْمَدُ بْنُ عُبَيْدٍ الصَّفَّارِ، ثَنَا تَمْتَامٌ وَهُوَ مُحَمَّدُ بْنُ غَالِبٍ، ثَنَا كَامِلُ بْنُ طَلْحَةَ، ثَنَا ابْنُ لَهِيعَةَ عَنْ أَبِي قُبَيْلٍ، «أَنَّ ابْنَ مَوْهَبٍ أَخْبَرَهُ أَنَّهُ كَانَ عِنْدَ مُعَاوِيَةَ بْنِ أَبِي سُفْيَانَ، فَدَخَلَ عَلَيْهِ مَرْوَانُ فَكَلَّمَهُ فِي حَاجَتِهِ، فَقَالَ: اقْضِ حَاجَتِي يَا أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ، فَوَاللَّهِ إِنَّ مُؤْنَتِي لَعَظِيمَةٌ، وَإِنِّي لَأَبُو عَشَرَةٍ، وَعَمُّ عَشَرَةٍ، وَأَخُو عَشَرَةٍ. فَلَمَّا أَدَبَرَ مَرْوَانُ، وَابْنُ عَبَّاسٍ جَالِسٌ مَعَ مُعَاوِيَةَ عَلَى السَّرِيرِ، قَالَ مُعَاوِيَةُ: أَنْشُدُكَ بِاللَّهِ يَا بْنَ عَبَّاسٍ، أَمَا تَعْلَمُ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: إِذَا بَلَغَ بَنُو الْحَكَمِ ثَلَاثِينَ رَجُلًا، اتَّخَذُوا مَالَ اللَّهِ بَيْنَهُمْ دُوَلًا، وَعِبَادَ اللَّهِ خَوَلًا، وَكِتَابَ اللَّهِ دَغَلًا، فَإِذَا بَلَغُوا سَبْعَةً وَتِسْعِينَ وَأَرْبَعَمِائَةٍ، كَانَ هَلَاكُهُمْ أَسْرَعَ مِنْ لَوْكِ تَمْرَةٍ "؟ فَقَالَ ابْنُ عَبَّاسٍ: اللَّهُمَّ نَعَمْ.
পৃষ্ঠা - ৫০৯৯
قَالَ: وَذَكَرَ مَرْوَانُ حَاجَةً لَهُ، فَرَدَّ مَرْوَانُ عَبْدَ الْمَلِكِ إِلَى مُعَاوِيَةَ، فَكَلَّمَهُ فِيهَا، فَلَمَّا أَدْبَرَ عَبْدُ الْمَلِكِ قَالَ مُعَاوِيَةُ: أَنْشُدُكَ بِاللَّهِ يَا ابْنَ عَبَّاسٍ، أَمَا تَعْلَمُ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ذَكَرَ هَذَا فَقَالَ: " أَبُو الْجَبَابِرَةِ الْأَرْبَعَةِ "؟ فَقَالَ ابْنُ عَبَّاسٍ: اللَّهُمَّ نَعَمْ» وَهَذَا الْحَدِيثُ فِيهِ غَرَابَةٌ وَنَكَارَةٌ شَدِيدَةٌ، وَابْنُ لَهِيعَةَ ضَعِيفٌ.
وَقَدْ قَالَ أَبُو مُحَمَّدٍ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ الدَّارِمِيِّ: ثَنَا مُسْلِمُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، ثَنَا سَعِيدُ بْنُ زَيْدٍ، أَخُو حَمَّادِ بْنِ زَيْدٍ، عَنْ عَلِيِّ بْنِ الْحَكَمِ الْبُنَانِيِّ، عَنْ أَبِي الْحَسَنِ، عَنْ عَمْرِو بْنِ مُرَّةَ، وَكَانَتْ لَهُ صُحْبَةٌ، قَالَ: «جَاءَ الْحَكَمُ بْنُ أَبِي الْعَاصِ يَسْتَأْذِنُ عَلَى النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَعَرَفَ كَلَامَهُ فَقَالَ: " ائْذَنُوا لَهُ، حَيَّةٌ، أَوْ وَلَدُ حَيَّةٍ، عَلَيْهِ لَعْنَةُ اللَّهِ وَعَلَى مَنْ يَخْرُجُ مِنْ صُلْبِهِ إِلَّا الْمُؤْمِنِينَ، وَقَلِيلٌ مَا هُمْ، يُشَرَّفُونَ فِي الدُّنْيَا وَيَوْضُعُونَ فِي الْآخِرَةِ، ذَوُو مَكْرٍ وَخَدِيعَةٍ، يُعْطَوْنَ فِي الدُّنْيَا وَمَالَهُمْ فِي الْآخِرَةِ مِنْ خَلَاقٍ» قَالَ الدَّارِمِيِّ: أَبُو الْحَسَنِ هَذَا حِمْصِيٌّ.
وَقَالَ نُعَيْمُ بْنُ حَمَّادٍ فِي " الْفِتَنِ وَالْمَلَاحِمِ ": ثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مَرْوَانَ الْمَرْوَانِيُّ، عَنْ أَبِي بَكْرِ بْنِ أَبِي مَرْيَمَ، عَنْ رَاشِدِ بْنِ سَعْدٍ، «أَنَّ مَرْوَانَ بْنَ الْحَكَمِ لَمَّا وُلِدَ دُفِعَ إِلَى النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لِيَدْعُوَ لَهُ، فَأَبَى أَنْ يَفْعَلَ ثُمَّ قَالَ: " ابْنُ الزَّرْقَاءِ، هَلَاكُ
পৃষ্ঠা - ৫১০০
দরবারে উপস্থিত ছিলাম ৷ এমন সময় মারওয়ান এসে নিজের প্রয়োজনের কথা ব্যাক্ত করে
বললাে হে আমীরুল মু মিনীন! আমার প্রয়োজন পুরণ করুন! আল্লাহর কসম, আমার ব্যয়ভার
অত্যধিক ণ্বশি আমি দশ সন্তানের পিতা, দ্শজনের চাচা এবং দশজনের ভাই ৷ এ কথা বলে
মারওয়ান প্রস্থান করলো ৷ মু আ ৷বিয়ড়ার সাথে একই আসনে ইবন আব্বাস (রা) উপবিষ্ট ছিলেন ৷
মুআবিয়া বলেন, হে ইবন আব্বাস ! আল্লাহ্র কসম দিয়ে আপনাকে বলছি-আপনার কি জানা
নেই যে, রাসুলুল্লাহ্ (সা) বলেছিলেন, বনু হাকামের পুরুষের সংখ্যা যখন ত্রিশে পৌছবে তখন
তারা আল্লাহ্র সস্পদকে নিজেদের মধ্যেই ভাগ-বাটোয়ারা করে শেষে, আল্লাহর বন্দোগণকে
দাসে পরিণত করবে এবং আল্লাহ্র কিতাবকে সংশয়ময় করে ছাড়বে ? তাদের সংখ্য যখন
চারশ সাতানব্বইতে পৌছবে তখন ফল চিবানাের চইিতে দ্রুততরডাবে তারা ধ্বংস হয়ে যাবে ৷
ইবন আব্বাস (রা) বললেন, হী ৷ ইবন ওহ্ব বলেন, মারওয়ান তার প্রয়োজনের কথা ব্যক্ত
করে চলে যায় এবং আবদুল মালিককে মুআবিয়ার নিকট পাঠিয়ে দেয় ৷ আবদুল মালিক
মুষ্আবিয়ার নিকট উক্ত প্রসঙ্গে আলোচনা করে যখন চলে গেলেন তখন মুআবিয়া বললো,
আল্লাহ্র কসম, হে ইবন আব্বাস ৷ আপনার কি স্মরণ নেই যে, রাসুলুল্লাহ্ (সা)-এ কথা
বলেছিলেন, তিনি আরও বলেছিলেন যে , অত্যাচারী প্রতাপশালী শাসক হবে চারজন ? ইবন
আব্বাস বললেন, জী হী ৷ এ হাদীসটি অগ্নহণযােগ্য ও বিরল প্রকৃতির ৷ এর বর্ণনড়াকারী ইবন
লাহিয়া একজন দুর্বল রাবী ৷
আবু মুহাম্মদ আবদুল্লাহ ইবন আবদুর রহমান দারেমী মুসলিম ইবন ইবরাহীম সাহাবী
আমর ইবন মুবৃরা সুত্রে বর্ণনা করেন, একদা হাকাম ইবন আবুল আস নবী করীম (না)-এর
দরবারে প্রবেশ করার জন্য অনুমতি প্রার্থনা করে ৷ নবী করীম (সা) তার কথা শুনে তাকে
চিনতে পারেন ৷ তিনি বললেন, ওকে আসতে দাও ৷ ও একটি সর্প অথবা সর্পের পুত্র ৷ তার
উপর ও তার ঔরসে জন্মগ্রহণকারীদের উপর আল্লাহ্র লানত ৷ তবে মু’মিনগণ ব্যতীত, আর
তাদের সংখ্যা খুবই নগণ্য ৷ পার্থিব জীবনে তারা উন্নতি করবে জ্যি পরকালে অপদস্ত হবে ৷
এরা হবে প্রতারক ও ধৌকাবাজ ৷ পৃথিবীতে তাদেরকে ধন ঐশ্বর্য দেয়া হবে ৷ কিন্তু আখিরাতে
ওরা বঞ্চিত থাকবে ৷ নুআয়ম ইবন হাম্মাদ ফিতান ও মালাহিম গ্রন্থে রাশিদ ইবন সাদ
থেকে বর্ণনা করেন, মারওয়ান ইবন হাকামের জন্ম হলে দুআ করার জন্য নবী করীম
(সা) এর নিকট তাকে নেয়া হয় ৷ কিন্তু তিনি দু আ কংতে অস্বীকার করেন এবং বলেন, কটা
চাে ৷খধারী লোকের পুত্র আমার উম্মত এর হাতে এবং এর সন্তানদের হাতে ধ্বংস হয়ে ৷ এ
বর্ণনা মুরসাল ৷
উমাইয়৷ খলীফাদের সম্পর্কে রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর সার্বিক ভবিষ্যদ্বাণী
ইয়াকুব ইবন সুফিয়ান আবু হুরায়রা থেকে বর্ণনা করেন : রাসুলুল্লাহ্ (সা) বলেন,
মােমি স্বপ্নে দেখি বনু আব্দুস আস বা বনু হাকাম আমার মিম্বরের উপর লাফালাফি করছে
যেমনটা করে র্বাদররা ৷ আবুহুরায়রা বলেন, এরপর থেকে রাসুলুল্পাহ্ (সা) মৃত্যু পর্যন্ত
আমাকে কখনও হাসতে ও স্থির হয়ে থাকতে দেখেননি ৷ ছাওরী সাঈদ ইবন মুসায়্যা;বর
উক্তি বর্ণনা করেছেন যে, রাসুলুল্লাহ্ (সা) স্বপ্নযােগে বনু উমইিয়াদেরকে তাদের বিষয়ের উপর
দেখেন ৷ এ দৃশ্য তার নিকট খুবই অপছন্দ হয় ৷ আল্লাহ্ ওহী অবতীর্ণ করে জানান যে, এ হল
أُمَّتِي عَلَى يَدَيْهِ وَيَدِي ذُرِّيَّتِهِ» وَهَذَا حَدِيثٌ مُرْسَلٌ.
[إِخْبَارُهُ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَنْ خُلَفَاءَ بَنِي أُمَيَّةَ]
ذِكْرُ الْإِخْبَارِ عَنْ خُلَفَاءِ بَنِي أُمَيَّةَ جُمْلَةً مِنْ جُمْلَةٍ، وَالْإِشَارَةُ إِلَى مُدَّةِ دَوْلَتِهِمْ
قَالَ يَعْقُوبُ بْنُ سُفْيَانَ: ثَنَا أَحْمَدُ بْنُ مُحَمَّدٍ أَبُو مُحَمَّدٍ الْأَزْرَقِيُّ، ثَنَا الزَّنْجِيُّ - يَعْنِي مُسْلِمَ بْنَ خَالِدٍ - عَنِ الْعَلَاءِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «رَأَيْتُ فِي النَّوْمِ بَنِي الْحَكَمِ - أَوْ بَنِي أَبِي الْعَاصِ - يَنْزُونَ عَلَى مِنْبَرِي كَمَا تَنْزُو الْقِرَدَةُ» قَالَ فَمَا رُئِيَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مُسْتَجْمِعًا ضَاحِكًا حَتَّى تُوُفِّيَ.
وَقَالَ الثَّوْرِيُّ، عَنْ عَلِيِّ بْنِ زَيْدِ بْنِ جُدْعَانَ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ الْمُسَيَّبِ قَالَ: «رَأَى رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بَنِي أُمَيَّةَ عَلَى مِنْبَرِهِ، فَسَاءَهُ ذَلِكَ، فَأُوحِيَ إِلَيْهِ: إِنَّمَا هِيَ دُنْيَا أُعْطُوهَا. فَقَرَّتْ عَيْنُهُ. وَهِيَ قَوْلُهُ {وَمَا جَعَلْنَا الرُّؤْيَا الَّتِي أَرَيْنَاكَ إِلَّا فِتْنَةً لِلنَّاسِ} [الإسراء: 60] . يَعْنِي بَلَاءً لِلنَّاسِ» . عَلِيُّ بْنُ زَيْدِ بْنِ جُدْعَانَ
পৃষ্ঠা - ৫১০১
পার্থিব তােগ্য সামগ্রী যা তাদেরকে দেয়া হয়েছে ৷ তারপর তার চোখ শীতল হয় ৷ আয়াতটি
এই :
“আমি যে দৃর্শটি আপনাকে র্বৃদখিয়েছি তা কেবল মানুষের পরীক্ষার জ্যা” (১ ৭
বনী-ইসরাঈল : ৬০) ৷ রাবী আলী ইবন যায়দ দুর্বল এবং হাদীসটি মুরসাল ৷
আবু দাউদ তায়ালিসী কাসিম ইবন ফযল ইউসুফ ইবন মাযিন থেকে বর্ণনা করেন,
হাসান ইবন আলী (রা) মুআবিয়ার হাতে বায়আত করার পর এক ব্যক্তি তার নিকট এসে
বললো, হে মু’মিনদের কালিমা লেপনকারী! ইমাম হাসান তাকে বললেন, আমাকে তিরস্কার
করোনা , আল্পাহ্ তোমাকে রহম করুক ৷ শুন, রাসুলুল্লাহ্ (সা) স্বপ্নযোগে উমাইয়া
খলীফাদেরকে একের পর এক মিম্বরের উপর ভাষণ দিতে দেখেছেন এবং রাসুলুল্লড়াহ্র নিকট তা
খুবই অপ্রিয় ঠেকে ৷ এরপর কুরআনের নিম্নোক্ত আয়াত নাযিল হয় : ;’:,’: ৷ এ!ট্রু ৬ছুাদু ৷
“আমি কাওছার অর্থাৎ জান্নাতে নহর দান করেছি” ৷ আরও নাযিল হয় :
ট্রু,হু হুাট্রুর্দুাটুষ্ট্রাদুৰুা
া
“আমি আপনার কাছে কদরের রাত্রে কুরআন অবতীর্ণ করেছি ৷ কদরের রাত সম্পর্কে
আপনি জানেন কি ? কদরের রাত হাজার মাসের চাইতে উত্তম” ৷ বনুউমাইয়াদের শাসনকাল
হাজার মাস পর্যন্ত চলবে ৷ কাসিম ইবন ফযল বলেন, আমরা উমাইয়াদের খিলাফত কালের
হিসাব করে দেখেছি, তা পুর্ণ এক হাজার মাস পর্যন্ত চলেছে-এক দিন কমও নয়, এক দিন
বেশিও নয় ৷
তিরমিযী, ইবন জারীর তাবারী, হাকিম ও ইমাম বায়হাকী প্রত্যেবেইি এ হাদীস আপন
আপন কিভাবে কাসিম ইবন ফযল আল হায্যা সুত্রে বর্ণনা করেছেন ৷ ইয়াহিয়া ইবন সাঈদ
আল কাত্তান ও ইবন মাহ্দী ইউসুফ ইবন সাদ সুত্রে বর্ণনা করে এটিকে আরও শক্তিশালী
করেছেন ৷ তিনি ইউসুফ ইবন মাযিন নামে পরিচিত ৷ ইবন জারীরের বর্ণনায় তার নাম এসেছে
ঈসা ইবন মাযিন ৷ তিরমিযী বলেছেন ইউসুফ একজন অজ্ঞাত পরিচয় ব্যক্তি, এ হাদীস তিনি
ব্যতীত অন্য কারো থেকে বর্ণিত হয়েছে বলে আমাদের জানা নেই “৷ তবে ইমাম তিরমিযী
সম্ভবত ইউসুফের অবস্থা অজ্ঞাত বুঝাতে চেয়েছেন ৷ কারণ এ ইউসুফের থেকে হাম্মাদ ইবন
সালামা, খালিদ আল হাষ্যা এবং ইউনুছ ইবন উবায়দ সহ বিপুল সংখ্যক মুহাদ্দিছ হাদীস
বর্ণনা করেছেন ৷ ইয়াহ্ইয়া ইবন মঈন র্তাকে মড়াশহুর বা বহু পরিচিত এবং নির্ভরযোগ্য বলে
অভিহিত করেছেন ৷
তবে আমার মতে হাসান ও মুআবিয়ার ঘটনা সম্পর্কে ইউসুফের সাক্ষ্য প্রদান বিষয়টি
সংশয়মুক্ত নয় ৷ তিনি এমন লোক থেকে মুরসাল বর্ণনা করেছেন যারউপর আস্থা রাখা যায়
না ৷ আমি এ হাদীস সম্পর্কে শায়খ হাফিয আবুল হাজ্জাজ্ব আল মিঘৃযীর নিকট জিজ্ঞেস করলে
তিনি বলেন,, এটা মুনকার হাদীস ৷ তাছাড়া কাসিম ইবন ফযলের বক্তব্য যে, তিনি হিসাব করে
দেখেছেন যে, বনু উমাইয়াদের শাসনকাল পুর্ণ এক হাজার সালে শেষ হয়েছে একদিন কমও
নয় এক দিন বেশিও নয় এ বর্ণনা অত্যন্ত গরীব এবং সন্দেহজনক ৷ কেননা এই সহস্র মাসের
— ৪৬
ضَعِيفٌ، وَالْحَدِيثُ مُرْسَلٌ أَيْضًا.
وَقَالَ أَبُو دَاوُدَ الطَّيَالِسِيُّ: ثَنَا الْقَاسِمُ بْنُ الْفَضْلِ - هُوَ الْحُدَّانِيُّ - ثَنَا يُوسُفُ بْنُ مَازِنٍ الرَّاسِبِيُّ قَالَ: «قَامَ رَجُلٌ إِلَى الْحَسَنِ بْنِ عَلِيٍّ بَعْدَ مَا بَايَعَ مُعَاوِيَةَ، فَقَالَ يَا مُسَوِّدَ وُجُوهِ الْمُؤْمِنِينَ. فَقَالَ الْحَسَنُ: لَا تُؤَنِّبْنِي، رَحِمَكَ اللَّهُ، فَإِنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ رَأَى بَنِي أُمَيَّةَ يَخْطُبُونَ عَلَى مِنْبَرِهِ رَجُلًا فَرَجُلًا، فَسَاءَهُ ذَلِكَ فَنَزَلَتْ: {إِنَّا أَعْطَيْنَاكَ الْكَوْثَرَ} [الكوثر: 1] . يَعْنِي نَهْرًا فِي الْجَنَّةِ. وَنَزَلَتْ: {إِنَّا أَنْزَلْنَاهُ فِي لَيْلَةِ الْقَدْرِ وَمَا أَدْرَاكَ مَا لَيْلَةُ الْقَدْرِ لَيْلَةُ الْقَدْرِ خَيْرٌ مِنْ أَلْفِ شَهْرٍ} [القدر: 1]
[الْقَدْرِ: 1 - 3] .» تَمْلِكُهُ بَنُو أُمَيَّةَ. قَالَ الْقَاسِمُ: فَحَسْبُنَا ذَلِكَ فَإِذَا هُوَ أَلْفُ شَهْرٍ لَا يَزِيدُ يَوْمًا وَلَا يَنْقُصُ. وَقَدْ رَوَاهُ التِّرْمِذِيُّ، وَابْنُ جَرِيرٍ الطَّبَرِيُّ، وَالْحَاكِمُ فِي " مُسْتَدْرِكِهِ "، وَالْبَيْهَقِيُّ فِي " دَلَائِلِ النُّبُوَّةِ "، كُلُّهُمْ مِنْ حَدِيثِ الْقَاسِمِ بْنِ الْفَضْلِ الْحُدَّانِيِّ - وَقَدْ وَثَّقَهُ يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ الْقَطَّانُ، وَابْنُ مَهْدِيٍّ - عَنْ يُوسُفَ بْنِ سَعْدٍ، وَيُقَالُ: يُوسُفُ بْنُ مَازِنٍ
পৃষ্ঠা - ৫১০২
الرَّاسِبِيُّ، وَفِي رِوَايَةِ ابْنِ جَرِيرٍ: عِيسَى بْنُ مَازِنٍ، قَالَ التِّرْمِذِيُّ: وَهُوَ رَجُلٌ مَجْهُولٌ، وَهَذَا الْحَدِيثُ غَرِيبٌ، لَا نَعْرِفُهُ إِلَّا مِنْ هَذَا الْوَجْهِ. فَقَوْلُهُ: إِنَّ يُوسُفَ هَذَا مَجْهُولٌ. مُشْكِلٌ; وَالظَّاهِرُ أَنَّهُ أَرَادَ أَنَّهُ مَجْهُولُ الْحَالِ، فَإِنَّهُ قَدْ رَوَى عَنْهُ جَمَاعَةٌ، مِنْهُمْ: حَمَّادُ بْنُ سَلَمَةَ، وَخَالِدٌ الْحَذَّاءُ، وَيُونُسُ بْنُ عُبَيْدٍ. وَقَالَ يَحْيَى بْنُ مَعِينٍ هُوَ مَشْهُورٌ. وَفِي رِوَايَةٍ عَنْهُ قَالَ: هُوَ ثِقَةٌ. فَارْتَفَعَتِ الْجَهَالَةُ عَنْهُ مُطْلَقًا.
قُلْتُ: وَلَكِنْ فِي شُهُودِهِ قَضِيَّةَ الْحَسَنِ وَمُعَاوِيَةَ نَظَرٌ، وَقَدْ يَكُونُ أَرْسَلَهَا عَمَّنْ لَا يُعْتَمَدُ عَلَيْهِ. وَاللَّهُ أَعْلَمُ. وَقَدْ سَأَلْتُ شَيْخَنَا الْحَافِظَ أَبَا الْحَجَّاجِ الْمِزِّيَّ، رَحِمَهُ اللَّهُ، عَنْ هَذَا الْحَدِيثِ فَقَالَ: هُوَ حَدِيثٌ مُنْكَرٌ.
وَأَمَّا قَوْلُ الْقَاسِمِ بْنِ الْفَضْلِ، رَحِمَهُ اللَّهُ: إِنَّهُ حَسَبَ دَوْلَةَ بَنِي أُمَيَّةَ، فَوَجَدَهَا أَلِفَ شَهْرٍ، لَا تَزِيدُ يَوْمًا وَلَا تَنْقُصُهُ. فَهُوَ غَرِيبٌ جِدًّا، وَفِيهِ نَظَرٌ; وَذَلِكَ لِأَنَّهُ لَا يُمْكِنُ إِدْخَالُ دَوْلَةِ عُثْمَانَ بْنِ عَفَّانَ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، وَكَانَتْ ثِنْتَيْ عَشْرَةَ سَنَةً، فِي هَذِهِ الْمُدَّةِ، لَا مِنْ حَيْثُ الصُّورَةِ، وَلَا مِنْ حَيْثُ الْمَعْنَى; وَذَلِكَ أَنَّهَا مَمْدُوحَةٌ; لِأَنَّهُ أَحَدُ الْخُلَفَاءِ الرَّاشِدِينَ وَالْأَئِمَّةِ الْمَهْدِيِّينَ، الَّذِينَ قَضَوْا بِالْحَقِّ، وَبِهِ كَانُوا يَعْدِلُونَ، وَهَذَا الْحَدِيثُ إِنَّمَا سِيقَ لِذَمِّ دَوْلَتِهِمْ، وَفِي دَلَالَةِ الْحَدِيثِ عَلَى الذَّمِّ نَظَرٌ، وَذَلِكَ أَنَّهُ دَلَّ عَلَى أَنَّ لَيْلَةَ الْقَدْرِ خَيْرٌ مِنْ أَلْفِ شَهْرِ الَّتِي هِيَ دَوْلَتُهُمْ، وَلَيْلَةُ الْقَدْرِ لَيْلَةٌ خَيِّرَةٌ، عَظِيمَةُ الْمِقْدَارِ وَالْبَرَكَةِ، كَمَا وَصَفَهَا اللَّهُ تَعَالَى بِهِ، فَمَا يَلْزَمُ مِنْ تَفْضِيلِهَا عَلَى دَوْلَتِهِمْ ذَمُّ دَوْلَتِهِمْ، فَلْيُتَأَمَّلْ هَذَا; فَإِنَّهُ دَقِيقٌ يَدُلُّ عَلَى أَنَّ الْحَدِيثَ
পৃষ্ঠা - ৫১০৩
মধ্যে হযরত উছমান (বা) (তিনি উমাইয়া ব শের ছিলেন) এর বার বছরের খিলাফ্তকাল
কোন ক্রমেই অন্তর্ভুক্ত হতে পারে না ৷ কারণ হযরত উছমান ছিলেন খুলাফায়ে রাশেদার
অন্যতম ৷ সঠিক পথের ইমাম, হকের পতা ৷কাবাহী ৷ত তাছাড়া এ হাদীসের মুল প্রতিপাদ্য বিষয়
উমাইয়া শাসনের নিন্দা করা ৷ বিক্ষ্ম হাদীস দ্বারা নিন্দা প্রমাণ করা কঠিন ৷ কেননা, হাদীসের
বক্তব্য হচ্ছে-কদরেব রাত হাজার মাসের চেয়ে উত্তম অর্থাৎ বনু উমাইয়াদের শাসনকাল
অপেক্ষা উত্তম ৷ কদরের রাত একটি উত্তম রাত অতি সম্মানিত ও বরকতময় রাত ৷ আল্লাহ
নিজেই তার বর্ণনা করেছেন ৷ সুতরাং এ রাতকে উমাইয়াদের শাসনকালের তুলনায় অধিক
উত্তম বলায় সে শাসনকালের নিন্দা করা হয় না ৷ এ দিকটি চিন্তা করলে হাদীস সহীহ্ হওয়ার
ব্যাপারে সন্দেহ থেকে যায় ৷ কারণ এ হাদীসের উদ্দেশ্যই হলো উমাইয়া শাসনামলের নিন্দা
জ্ঞাপন করা ৷
আর যদি উমাইয়াদের শাসনকড়ালের সুচনা ধরা হয় হযরত মুণ্আবিয়ার শাসনকাল থেকে,
যখন তিনি ইমাম হাসান (রা) থেকে খিলড়াফতে র দায়িতু বুঝে নেন ৷ তাহলে এ ঘটনা সং ঘটিত
হয়েছিল হি চল্লিশ কিংব৷ একচল্লিশ সনে ৷ এই বছরকে বলা হতে তা মিলনের বছর ৷ যেহেতু সে
সময় মুসলমানগণ এক ইমামের আনুগত্যে ঐক্যবদ্ধ হন ৷ বুখারী শরীফে আবু বাকরা (রা)
থেকে বর্ণিত ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) একদা হাসান ইবন আলীকে লক্ষ্য করে বলেছিলেন, আমার এ
নাতি একজন নেত তা ৷ আশা করা যায় আল্লাহ্ এর দ্বারা মুসলমানদের বিরাট দুটি দলের মধ্যে
সমঝোতা সৃষ্টি করে দেবেন :
৷ এ
উক্ত সমঝোত ৷ এ বছরেই সম্পাদিত হয়েছিল ৷ প্রকৃতপক্ষে এ বছর থেকেই বনু
উমা ইয়াদের শাসন আরম্ভ হয় ও একশত বত্রিশ সন পর্যন্ত অব্যাহত থাকে ৷ তারপরে ক্ষমতা
আব্বাসীয় বংশের হাতে চলে যায় ৷ এতে উমাইয়াদের শাসনকালের মোট সময় হয় বিরানব্বই
বছর যা এক হাজার মাসের সাথে সামঞ্জস্যপুর্ণ নয় ৷ কেননা, এক হাজার মাসে বছর গণনায়
হয়৩ তিরাশি বছর চার মাস ৷ কেউ প্রশ্ন করতে পারে যে, হযরত আবদুল্লাহ ইবন যুবায়রের নয়
বছরের শাসন উমাইয়াদের শ্ ৷৷সনকালের মধ্যে হিসাবে আসবে না ৷ তাতে বিরানব্বই থেকে নয়
বছর বাদ গেলে তিরাশি বছরই উমাইয়াদের প্রকৃত শাসনকাল হয় ৷
এ প্রশ্নের উত্তর কয়েকভাবে দেয়৷ যায় ৷ প্রথমত ইবন যুবায়রের নয় বছর বাদ দিলেও তা
পুর্ণাঙ্গরুপে এক হাজার মাসের সম পরিমান হয় না-যে, একদিন বেশিও নয়, একদিন কমও
নয়, বরং বলা যায় প্রায় এক হাজার মাসের সমান ৷ দ্বিভীয়ত ইবন যুবায়রের শাসন কেবল
হিজায ও আহ্ওষে সীমাবদ্ধ ছিল, ইরাভ্রুকে অল্প কিছুদিন শাসন করেছেন, কারও মতে মিশরেও
তার শাসন প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল ৷ জ্যি সিরিয়া থেকে উমাইয়াদের শাসন কখনও উৎখাত হয়নি ৷
বরং ইবন যুবায়র যখন ঐ সব দেশ শাসন করেন সিরিয়ার তখন উমাইয়াদের রাজতু অব্যাহত
ছিল ৷৩ তৃভীয়ত উমাইয়াদের শাসনকাল এক হাজার মাস গণ্য করা হলে উমর ইবন আবদুল
আযীযের র্ধখলাফতও তার অন্তর্ভুক্ত হয়ে যায় ৷ এবং হাদীসের ভাষ্য অনুযায়ী তার খিলাফত
আমলও নিন্দনীয় বলে গণ্য হয় ৷ বিক্ষ্ম কোন মুসলিম ঐতিহাসিক সে কথা স্বীকার করেননি ৷
বরং তারা তাকে খুলাফায়ে রাশেদার মধ্যে গণ্য করেছেন ৷ তার শাসন আমলকে খলীফা
فِي صِحَّتِهِ نَظَرٌ; لِأَنَّهُ إِنَّمَا سِيقَ لِذَمِّ أَيَّامِهِمْ. وَاللَّهُ تَعَالَى أَعْلَمُ. وَأَمَّا إِذَا أَرَادَ أَنَّ ابْتِدَاءَ دَوْلَتِهِمْ مُنْذُ وَلِيَ مُعَاوِيَةُ حِينَ تَسَلَّمَهَا مِنَ الْحَسَنِ بْنِ عَلِيٍّ، فَقَدْ كَانَ ذَلِكَ سَنَةَ أَرْبَعِينَ، أَوْ إِحْدَى وَأَرْبَعِينَ. وَكَانَ يُقَالُ لَهُ: عَامُ الْجَمَاعَةِ. لِأَنَّ النَّاسَ كُلَّهُمُ اجْتَمَعُوا عَلَى إِمَامٍ وَاحِدٍ. وَقَدْ تَقَدَّمَ الْحَدِيثُ فِي " صَحِيحِ الْبُخَارِيِّ "، «عَنْ أَبِي بَكْرَةٍ أَنَّهُ سَمِعَ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ لِلْحَسَنِ بْنِ عَلِيٍّ: إِنَّ ابْنِي هَذَا سَيِّدٌ، وَلَعَلَّ اللَّهَ أَنْ يُصْلِحَ بِهِ بَيْنَ فِئَتَيْنِ عَظِيمَتَيْنِ مِنَ الْمُسْلِمِينَ» . فَكَانَ هَذَا فِي هَذَا الْعَامِ، وَلِلَّهِ الْحَمْدُ وَالْمِنَّةُ، وَاسْتَمَرَّ الْأَمْرُ فِي أَيْدِي بَنِي أُمَيَّةَ مِنْ هَذِهِ السَّنَةِ إِلَى سَنَةِ ثِنْتَيْنِ وَثَلَاثِينَ وَمِائَةٍ، حَتَّى انْتَقَلَ إِلَى بَنِي الْعَبَّاسِ، كَمَا سَنَذْكُرُهُ، وَمَجْمُوعُ ذَلِكَ ثَنَتَانِ وَتِسْعُونَ سَنَةً، وَهَذَا لَا يُطَابِقُ أَلْفَ شَهْرٍ; لِأَنَّ مُعَدَّلَ أَلْفِ شَهْرٍ ثَلَاثٌ وَثَمَانُونَ سَنَةً وَأَرْبَعَةُ أَشْهُرٍ، فَإِنْ قَالَ: أَنَا أُخْرِجُ مِنْهَا وِلَايَةَ ابْنِ الزُّبَيْرِ. وَكَانَتْ تِسْعَ سِنِينَ، فَحِينَئِذٍ يَبْقَى ثَلَاثٌ وَثَمَانُونَ سَنَةً.
فَالْجَوَابُ أَنَّهُ وَإِنْ خَرَجَتْ وِلَايَةُ ابْنِ الزُّبَيْرِ، فَإِنَّهُ لَا يَكُونُ مَا بَقِيَ مُطَابِقًا لِأَلْفِ شَهْرٍ تَحْدِيدًا، بِحَيْثُ لَا يَنْقُصُ يَوْمًا وَلَا يَزِيدُهُ، كَمَا قَالَهُ، بَلْ يَكُونُ ذَلِكَ تَقْرِيبًا، هَذَا وَجْهٌ. الثَّانِي: أَنَّ وِلَايَةَ ابْنِ الزُّبَيْرِ كَانَتْ بِالْحِجَازِ وَالْأَهْوَازِ وَالْعِرَاقِ فِي بَعْضِ أَيَّامِهِ، وَفِي مِصْرَ فِي قَوْلٍ، وَلَمْ تَنْسَلِبْ يَدُ بَنِي أُمَيَّةَ مِنَ الشَّامِ أَصْلًا، وَلَا زَالَتْ دَوْلَتُهُمْ بِالْكُلِّيَّةِ فِي ذَلِكَ الْحِينِ. الثَّالِثُ: أَنَّ هَذَا يَقْتَضِي دُخُولَ دَوْلَةِ عُمَرَ بْنِ عَبْدِ الْعَزِيزِ فِي حِسَابِ بَنِي أُمَيَّةَ، وَمُقْتَضَى مَا ذَكَرَهُ أَنْ تَكُونَ دَوْلَتُهُ مَذْمُومَةً، وَهَذَا لَا يَقُولُهُ أَحَدٌ مِنْ أَئِمَّةٍ الْإِسْلَامِ، وَإِنَّهُمْ مُصَرِّحُونَ بِأَنَّهُ أَحَدُ الْخُلَفَاءِ الرَّاشِدِينَ حَتَّى قَرَنُوا أَيَّامَهُ تَابِعَةً لِأَيَّامِ الْأَرْبَعَةِ، وَحَتَّى اخْتَلَفُوا فِي أَيِّهِمَا أَفْضَلُ; هُوَ أَمْ مُعَاوِيَةُ بْنُ أَبِي سُفْيَانَ أَحَدِ الصَّحَابَةِ؟ وَقَدْ قَالَ أَحْمَدُ بْنُ حَنْبَلٍ: لَا أَرَى قَوْلَ أَحَدٍ مِنَ
পৃষ্ঠা - ৫১০৪
التَّابِعَيْنِ حُجَّةٌ إِلَّا قَوْلَ عُمَرَ بْنِ عَبْدِ الْعَزِيزِ. فَإِذَا عُلِمَ هَذَا، فَإِنْ أَخْرَجَ أَيَّامَهُ مِنْ حِسَابِهِ انْخَرَمَ حِسَابُهُ، وَإِنْ أَدْخَلَهَا فِيهِ مَذْمُومَةً خَالَفَ الْأَئِمَّةَ، وَهَذَا مَا لَا مَحِيدَ عَنْهُ، وَكُلُّ هَذَا مِمَّا يَدُلُّ عَلَى نَكَارَةِ هَذَا الْحَدِيثِ. وَاللَّهُ أَعْلَمُ.
وَقَالَ نُعَيْمُ بْنُ حَمَّادٍ حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنِ الْعَلَاءِ بْنِ أَبِي الْعَبَّاسِ، سَمِعَ أَبَا الطُّفَيْلِ، سَمِعَ عَلِيًّا يَقُولُ: لَا يَزَالُ هَذَا الْأَمْرُ فِي بَنِي أُمَيَّةَ مَا لَمْ يَخْتَلِفُوا بَيْنَهُمْ. حَدَّثَنَا ابْنُ وَهْبٍ، عَنْ حَرْمَلَةَ بْنِ عِمْرَانَ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ سَالِمٍ، عَنْ أَبِي سَالِمٍ الْجَيْشَانِيِّ، سَمِعَ عَلِيًّا يَقُولُ: الْأَمْرُ لَهُمْ حَتَّى يَقْتُلُوا قَتِيلَهُمْ، وَيَتَنَافَسُوا بَيْنَهُمْ، فَإِذَا كَانَ ذَلِكَ بَعَثَ اللَّهُ عَلَيْهِمْ أَقْوَامًا مِنَ الْمَشْرِقِ، فَقَتَلُوهُمْ بَدَدًا وَأَحْصَوْهُمْ عَدَدًا، وَاللَّهِ لَا يَمْلِكُونَ سَنَةً إِلَّا مَلَكْنَا سَنَتَيْنِ، وَلَا يَمْلِكُونَ سَنَتَيْنِ إِلَّا مَلَكْنَا أَرْبَعًا.
وَقَالَ نُعَيْمُ بْنُ حَمَّادٍ: حَدَّثَنَا الْوَلِيدُ بْنُ مُسْلِمٍ، عَنْ حُصَيْنِ بْنِ الْوَلِيدِ، عَنِ الْأَزْهَرِ بْنِ الْوَلِيدِ: سَمِعْتُ أُمَّ الدَّرْدَاءِ تَقُولُ: سَمِعْتُ أَبَا الدَّرْدَاءِ يَقُولُ: إِذَا قُتِلَ الْخَلِيفَةُ الشَّابُّ مِنْ بَنِي أُمَيَّةَ بَيْنَ الشَّامِ وَالْعِرَاقِ مَظْلُومًا، لَمْ تَزَلْ طَاعَةٌ
পৃষ্ঠা - ৫১০৫
চতৃষ্টয়ের শাসন আমলের সাথে তৃলনীয় বলে অভিহিত করেছেন ৷ এমনকি হযরত যুআবিয়া
(বা) রাসুল (না)-এর সাহাবী হওয়া সত্বেও তার শাসনকাল উত্তম না উমর ইবন আবদুল
আযীযের শাসনকাল উত্তম, তা নিয়ে ইমামদের মধ্যে মতভেদ সৃষ্টি হয়েছে৷ ইমাম আহমদ
ইবন হাম্বল (র) বলেন, তাবিঈনদের মধ্যে একমাত্র উমর ইবন আবদুল আযীয (বা) ব্যতীত
অন্য কারও উক্তি আমার নিকট দলীলরুপে বিবেচিত নয় : ;া ন্ ৷ ৰুড্রু ষ্ ) ৷ ১া
৷ এ আলোচনার পর উমর ইবন আবদুল
আযীযের শাসনকাল হিসাব থেকে বাদ দিলে হাজার মাস পুর্ণ হয় না ৷ আর যদি হ্ড়াজার মাসের
মধ্যে গণ্য করা হয়-যা নিন্দনীয় ও দুর্নীতিপুর্ণ-, তার সমস্ত ইমামগণ তার বিরোধী ৷ এ জটিলতা
থেকে বীচার কোন উপায় নেই ৷ উল্লেখিত বিশ্লেষণের প্রেক্ষাপটে হাদীসঢির অগ্নহণযোগ্যতা
সুস্পষ্ট হয়ে ওঠে ৷
নুআয়ম ইবন হাম্মাদ আলী (রা)-এর উক্তি বর্ণনা করেছেন যে, রাদ্রীয় ক্ষমতা
উমাইয়াদের দখলে থাকবে যদ্দিন না তাদের নিজেদের মধ্যে কােন্দল সৃষ্টি হয় ৷ ইবন ওহ্ব
আলী (রা) থেকে বর্ণনা করেন, তিনি বলেছেন, দেশ পরিচালনার ক্ষমতা তাদের (উমাইয়াদের)
হাতে থাকবে, যদ্দিন না তাদের মধ্যে হত্যাকাণ্ড ও প্রতিযোগিতা শুরু হবে ৷ যখন এ অবস্থা
দেখা দেবে, তখন আল্লাহ্ তাদের বিরুদ্ধে পুর্ব দিক থেকে এক সম্প্রদায়কেউথিত করবেন ৷
এরা ওদেরকে একে একে হত্যা করবে ও আটক রাখবে ৷ আল্পাহ্র কলম, তারা (উমইিয়ারা)
যদি এক বছর রাজত্ব করে তবে আমরা (আব্বাসীয়রা) করব দৃবছর ৷ আর তারা দুই বছর
করলে আমরা করব চার বছর ৷ নুআয়ম ইবন হাম্মাদ ওলীদ ইবন মুসলিম সুত্রে
আবুদ-দারদার উক্তি বর্ণনা করেন ৷ তিনি বলেন, উমাইয়া গোত্রের এক যুবক খলীফা যখন
সিরিয়া ও ইরাকের মাঝে নির্মমভাবে নিহত হবে তখন থেকে আনুগত্যের গুরুতুহ্রাস পেতে
থাকবে এবং অন্যায়ভাবে হত্যাকান্ড বৃদ্ধি পাবে ৷ সে যুবকটির নাম ওলীদ ইবন ইয়াদীদ ৷
রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর থেকে শ্রবণ করা ছাড়া সাহাবীগণ এরুপে উক্তি করতে পারেন না ৷
আব্বাসী শাসন সম্পর্কে ভবিষ্যদ্বাণী
(হি ১৩২ সনে খুরাসান থেকে তাদের অভ্যুত্থান)
ইয়াকুব ইবন সুফিয়ান আব্বাস ইবন ওলীদ উকবা ইবন আবু মুঈত থেকে
বর্ণিত ৷ তিনি বলেন, আমি মুআবিয়ার দরবারে উপস্থিত ছিলাম ৷ এমন সময়ে আবদুল্লাহ্ ইবন
আব্বাস তথায় আসেন ৷ মুআবিয়া তাকে উত্তম উপচৌকনাদি দান করেন এবং বলেন, হে
আবুল আব্বাস! আপনাদের কোনপৃথক সরকারের প্রয়োজন আছে কি ? তিনি বললেন, হে
আমীরুল মু’মিনীন৷ এ বিষয়ে আমাকে ক্ষমা করুন ৷ মুআবিয়া বললেন, পরে আমাকে
জানাবেন ৷ তিনি বললেন, জী হী ৷ তারপর ইবন আব্বাস (রা) তাকে সংবাদ জানান ৷ তিনি
জিজ্ঞেস করলেন, আপনাদের সাহায্যকারী করো হবে ? তিনি বললেন, খুরাসানবাসীরা ৷ আর
হাশিমী বংশের বনুউমাইয়াদের অধিকারে থাকবে বহু উপতক্যায় ৷ রায়হাকীও এ হাদীস বর্ণনা
করেছেন ৷ ইবন আদী ইবন আব্বাস সুত্রে বর্ণিত, তিনি বলেন, একদা আমি নবী করীম
(না)-এর নিকট দিয়ে যাচ্ছিলাম ৷ তার কাছে তখন হযরত জিবরীল অবস্থান করছিলেন ৷ কিন্তু
আমি ধারণা করছিলাম যে ইনি দিহ্ইয়া কালবী ৷ জিবরীল রাসুলুল্লাহ্ (না)-কে বললেন, তার
يُسْتَخَفُّ بِهَا، وَدَمٌ مُسْفُوكٌ بِغَيْرِ حَقٍّ. يَعْنِي الْوَلِيدَ بْنَ يَزِيدَ. وَمِثْلُ هَذِهِ الْأَشْيَاءِ إِنَّمَا تُقَالُ عَنْ تَوْقِيفٍ.
[إِخْبَارُهُ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَنْ دَوْلَةِ بَنِي الْعَبَّاسِ]
ذِكْرُ الْإِخْبَارِ عَنْ دَوْلَةِ بَنِي الْعَبَّاسِ، وَكَانَ ظُهُورُهُمْ مِنْ خُرَاسَانَ بِالرَّايَاتِ السُّودِ فِي سَنَةِ ثِنْتَيْنِ وَثَلَاثِينَ وَمِائَةٍ
قَالَ يَعْقُوبُ بْنُ سُفْيَانَ: حَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ خَالِدِ بْنِ الْعَبَّاسِ، ثَنَا الْوَلِيدُ بْنُ مُسْلِمٍ، حَدَّثَنِي أَبُو عَبْدِ اللَّهِ، عَنِ الْوَلِيدِ بْنِ هِشَامٍ الْمُعَيْطِيِّ، عَنْ أَبَانِ بْنِ الْوَلِيدِ بْنِ عُقْبَةَ بْنِ أَبِي مُعَيطٍ قَالَ: قَدِمَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عَبَّاسٍ عَلَى مُعَاوِيَةَ وَأَنَا حَاضِرٌ، فَأَجَازَهُ فَأَحْسَنَ جَائِزَتَهُ، ثُمَّ قَالَ: يَا أَبَا الْعَبَّاسِ، هَلْ لَكُمْ دَوْلَةٌ؟ فَقَالَ: أَعْفِنِي يَا أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ. فَقَالَ: لَتُخْبِرَنِّي. قَالَ: نَعَمْ. فَأَخْبَرَهُ، قَالَ: فَمَنْ أَنْصَارُكُمْ؟ قَالَ: أَهْلُ خُرَاسَانَ، وَلِبَنِي أُمَيَّةَ مِنْ بَنِي هَاشِمٍ بَطَحَاتٌ. رَوَاهُ الْبَيْهَقِيُّ. وَقَالَ ابْنُ عَدِيٍّ: أَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدَةَ بْنِ حَرْبٍ، ثَنَا سُوِيدُ بْنُ سَعِيدٍ، أَنَا حَجَّاجُ بْنُ تَمِيمٍ، عَنْ
পৃষ্ঠা - ৫১০৬
কাপড় ময়লা হয়েছে এবং তার পরে তার এক সন্তান ভাল পোশাক পরিধান করবে ৷ দৃষ্টিশক্তি
হারাবার পরে ইবন আব্বাস এ হাদীস বিস্তারিতভাবে বর্ণনা করেন এবং মৃত্যুর পুর্বে তার
দৃষ্টিশক্তি ফিরে পাওয়ার কথাও উল্লেখ করেন ৷ বায়হাকী বলেন, এটা হাজ্জাজ ইবন হাকিমের
একক বর্ণনা এবং তিনি সফল রাবী নন ৷
বায়হাকী আব্বাসের আযাদকৃত গোলাম মায়সারা থেকে বর্ণনা করেন, আব্বাস তার
কাছে বর্ণনা করেছেন যে, আমি এক রাতে রাসুলুল্লাহ্ (সা)-এর নিকট উপস্থিত ছিলাম ৷ তিনি
আমাকে বললেন, আকাশের দিকে তাকিয়ে দেখ, কিছু দেখতে পাও কিনা ? আমি বললড়াম,
জী, হী ৷ তিনি বললেন, কী দেখলে ? আমি বললাম, ছুরাইয়া (সপ্তর্ষিমন্ডল) ৷ তিনি বললেন,
এর সমপরিমাণ তোমার বংশের লোক বাদশাহ্ হবে ৷ বুখারী বলেন, উবায়দ ইবন আবু কুৰ্বা
লায়ছকে বলতে শুনেছেন যে, আব্বাস সম্পর্কে বর্ণিত তার হাদীসের সমর্থনে আর কোন বর্ণনা
পাওয়া যায় না ৷ বায়হাকী মুহাম্মদ ইবন আবদুর রহমান আবু হুরায়রা সুত্রে বর্ণিত, রাসুল
(সা) আব্বাসকে লক্ষ্য করে বলেছিলেন এ্যা৷ ৷ ণ্ধু দ্বু, ওৰু এ ৷ ণ্ধু দ্র অর্থাৎ নবী তোমাদের
বংশের, আর রাজা বাদশাও হবে তােমড়াদেরই বংশে ৷ আবু বকর ইবন খায়ছামা ইবন
আব্বাস থেকে মাওকুফ হাদীস বর্ণনা করেন :
“আল্লাহ প্রথমে যেভাবে আমাদেরকে বিজয়ী করেছেন আশা করি শেষেও আমাদেরকেই
বিজয়ী করবেন” ৷
ইয়াকুব ইবন সুফিয়ান সাঈদ ইবন জুবায়র থেকে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন,
আমরা ইবন আব্বাসকে বলতে শুনেছি এবং আমরা আলোচনা করছিলাম বারজন আমীর হবে
এবং বারজন; তারপরে কিয়ামত ঘটবে ৷ তখন ইবন আব্বাস বলে উঠলেন, তোমরা কত বড়
আহমক! তারপরেও তাে আমাদের মধ্য থােক আহলি বায়তের লোক খলীফা হবে অর্থাৎ
সাফ্ফাহ্, আল মানসুর এবং মাহ্দী প্রমুখ ৷ এ বর্ণনা মাওকুফ কিন্তু বায়হাকী যাহ্হাক সুত্রে
মারফুরুপে বর্ণনা করেছেন ৷ বায়হাকীর বর্ণনায় ইবন আব্বাসের উক্তি এরুপ : আমাদের বং
থেকে সাফ্ফাহ্, মানসুর ও মাহ্দী (খলীফা হবে) ৷ সুত্রটি দুর্বল, কারণ বিশুদ্ধ মতে যাহ্হাক
ইবন আব্বাস থেকে কোন হাদীস শ্রবণ করেননি ৷ সুতরাং এটা সনদ বিচ্ছিন্ন বর্ণনা ৷ আব্দুর
রাজ্জাক ছওবান থেকে বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ্ (সা) বলেছেন, তোমাদের এই হাপরের
কাছে তিন ব্যক্তি নিহত হবে ৷ তারা সবাই হবে জনৈক খলীফার পুত্র ৷ খলীফা তাদের
একজনের কাছেও পৌছতে পারবে না ৷ এরপর খুরাসান থেকে কাল পতাকা বহন করে লোক
আসতে থাকবে ৷ এরপর তারা এমন যুদ্ধ করবে যে যুদ্ধ এরা কখনও দেখেনি ৷ তারপর
আল্লাহর খলীফা মাহ্দীর আগমন হবে ৷ তোমরা যখন তার সম্পর্কে শুনতে পারে তখন তোমরা
তার কাছে যাবে ও তার আনুগত্যের শপথ গ্রহণ করবে ৷ যদিও সেখানে পৌছতে বরফের উপর
দিয়েও হামাগুড়ি দিয়ে যেতে হয় ৷ কারণ তিনি আল্পাহ্র খলীফা মাহ্দী ৷ ইবন মজাে এটি
আহমদ ইবন ইউসুফ থেকে বর্ণনা করেছেন ৷ বায়হাকী বিভিন্ন সুত্রে আব্দুর রাজ্জাক থেকে এ
হাদীস বর্ণনা করে বলেন, কেবলমাত্র আবদুর রাজ্জাকই উক্ত সুত্রে এ হাদীস বর্ণনা করেছেন ৷
বায়হাকী বলেন, আব্দুল ওহ্ব আসমা থেকে মাওকুফ ভাবে এটি বর্ণনা করেছেন, এরপরে
বায়হাকী আবু আসমা সুত্রে ছওবান থােক বর্ণনা করেন ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) বলেছেন,
مَيْمُونِ بْنِ مِهْرَانَ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ قَالَ: «مَرَرْتُ بِالنَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَإِذَا مَعَهُ جِبْرِيلُ، وَأَنَا أَظُنُّهُ دِحْيَةَ الْكَلْبِيَّ، فَقَالَ جِبْرِيلُ لِلنَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: إِنَّهُ لَوَسِخُ الثِّيَابِ، وَسَيَلْبَسُ وَلَدُهُ مِنْ بَعْدِهِ السَّوَادَ» . وَذَكَرَ تَمَامَ الْحَدِيثِ فِي ذَهَابِ بَصَرِهِ، ثُمَّ عَوْدِهِ إِلَيْهِ قَبْلَ مَوْتِهِ. قَالَ الْبَيْهَقِيُّ: تَفَرَّدَ بِهِ حَجَّاجُ بْنُ تَمِيمٍ، وَلَيْسَ بِالْقَوِيِّ.
وَقَالَ الْبَيْهَقِيُّ: أَنَا الْحَاكِمُ، ثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ إِسْحَاقَ وَأَبُو بَكْرِ بْنُ مُحَمَّدِ بْنِ أَحْمَدَ بْنِ بَالَوَيْهِ فِي آخَرِينَ قَالُوا: حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ أَحْمَدَ بْنِ حَنْبَلٍ، ثَنَا يَحْيَى بْنُ مَعِينٍ، ثَنَا عُبَيْدُ بْنُ أَبِي قُرَّةَ، ثَنَا اللَّيْثُ بْنُ سَعْدٍ، عَنْ أَبِي قُبَيْلٍ، عَنْ أَبِي مَيْسَرَةَ مَوْلَى الْعَبَّاسِ قَالَ: «سَمِعْتُ الْعَبَّاسَ قَالَ: كُنْتُ عِنْدَ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ذَاتَ لَيْلَةٍ فَقَالَ: " انْظُرْ هَلْ تَرَى فِي السَّمَاءِ مِنْ شَيْءٍ؟ " قُلْتُ: نَعَمْ. قَالَ: " مَا تَرَى؟ " قُلْتُ: الثُّرَيَّا. قَالَ: " أَمَا إِنَّهُ سَيَمْلِكُ هَذِهِ الْأُمَّةَ بِعَدَدِهَا مِنْ صُلْبِكَ» . قَالَ الْبُخَارِيُّ: عُبَيْدُ بْنُ أَبِي قُرَّةَ بَغْدَادِيٌّ سَمِعَ اللَّيْثَ، لَا يُتَابَعُ عَلَى حَدِيثِهِ فِي قِصَّةِ الْعَبَّاسِ.
وَرَوَى الْبَيْهَقِيُّ مِنْ حَدِيثِ مُحَمَّدِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ الْعَامِرِيِّ - وَهُوَ ضَعِيفٌ - عَنْ سُهَيْلٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، «أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ لِلْعَبَّاسِ: فِيكُمُ النُّبُوَّةُ وَفِيكُمُ الْمَلِكُ» .
পৃষ্ঠা - ৫১০৭
وَقَالَ أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي خَيْثَمَةَ: ثَنَا يَحْيَى بْنُ مَعِينٍ، ثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ عَمْرِو بْنِ دِينَارٍ، عَنْ أَبِي مَعْبَدٍ قَالَ: قَالَ ابْنُ عَبَّاسٍ: كَمَا فَتَحَ اللَّهُ بِأَوَّلِنَا فَأَرْجُو أَنْ يَخْتِمَهُ بِنَا. هَذَا إِسْنَادٌ جَيِّدٌ، وَهُوَ مَوْقُوفٌ عَلَى ابْنِ عَبَّاسٍ مِنْ كَلَامِهِ.
وَقَالَ يَعْقُوبُ بْنُ سُفْيَانَ: حَدَّثَنِي إِبْرَاهِيمُ بْنُ أَيُّوبَ ثَنَا الْوَلِيدُ، ثَنَا عَبْدُ الْمَلِكِ بْنُ حُمَيْدِ بْنِ أَبِي غَنِيَّةَ، عَنِ الْمِنْهَالِ بْنِ عَمْرٍو، عَنْ سَعِيدِ بْنِ جُبَيْرٍ قَالَ: سَمِعْتُ ابْنَ عَبَّاسٍ وَنَحْنُ نَقُولُ: اثَّنَيْ عَشَرَ أَمِيرًا ثُمَّ لَا أَمِيرَ، وَاثَّنَيْ عَشَرَ أَمِيرًا، ثُمَّ هِيَ السَّاعَةُ. فَقَالَ ابْنُ عَبَّاسٍ: مَا أَحْمَقَكُمْ! إِنَّ مِنَّا أَهْلَ الْبَيْتِ بَعْدَ ذَلِكَ الْمَنْصُورَ، وَالسَّفَّاحَ، وَالْمَهْدِيَّ; يَدْفَعُهَا إِلَى عِيسَى بْنِ مَرْيَمَ. وَهَذَا أَيْضًا مَوْقُوفٌ، وَقَدْ رَوَاهُ الْبَيْهَقِيُّ مِنْ طَرِيقِ الْأَعْمَشِ، عَنِ الضَّحَّاكِ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ مَرْفُوعًا: " مِنَّا السَّفَّاحُ، وَالْمَنْصُورُ، وَالْمَهْدَيُّ ". وَهَذَا إِسْنَادٌ ضَعِيفٌ، وَالضَّحَّاكُ لَمْ يَسْمَعْ مِنَ ابْنِ عَبَّاسٍ شَيْئًا عَلَى الصَّحِيحِ، فَهُوَ مُنْقَطِعٌ. وَاللَّهُ أَعْلَمُ.
وَقَدْ قَالَ عَبْدُ الرَّزَّاقِ، عَنِ الثَّوْرِيِّ، عَنْ خَالِدٍ الْحَذَّاءِ، عَنْ أَبِي قِلَابَةَ،
পৃষ্ঠা - ৫১০৮
খুরাসানের দিক থেকে যখন কাল পতাকা আসবে তখন তোমরা তাদের সাথেগ্ গিয়ে মিলিত
হবে, যদিও বরফের উপর হড়ামাগুড়ি দিয়ে যেতে হয় ৷ কারণ,৩ তাদের মাঝে আল্লাহ্র খলীফা
মাহ্দী থাকবেন : ৷ ৷ ১ ৷
৷ শুা;
হাফিয আবু বকর আল বায্যার ফযল ইবন সাহ্ল আবদুল্লাহ ইবন মাসউদ থেকে
বর্ণনা করেন, তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ্ (সা) একদা বনু হাশিমের কয়েকজন যুবকের নাম উল্লেখ
করলে তিনি আবেগ আপ্লুত হয়ে পড়েন ও তার অশ্রু নির্গত ৩হয় ৷ তিনি ভিন্ন পত কোর উল্লেখ
করে বলেন, যারা সে পতাকার সং বাদ পাও তারা যে দলের সাথে মিলিত হয়ে যদিও বরফের
উপর দিয়ে হড়ামাগুড়ি দিয়ে যেতে হয় তবুও হোক না কেন ৷ এ হাদীসটি আবু লায়লা কেবল
হাকাম থেকেই বর্ণনা করেছেন এবং একমাত্র দাহির ইবন ইয়াহ্ইয়াই এটি বর্ণনা করেছেন ৷
দাহির একজন বিজ্ঞ রাবী এবং তার বর্ণনা গ্রহণযোগ্য ৷ হাফিয আবু ইয়া’লা আবু হিশাম
ইবন মাসউদ থেকে বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ্ (সা) বলেছেন, পুর্ব দিক থেকে কাল পতাকা
আসবে ৷ অশ্বসমুহ রক্তের মধ্যে হাবুডুবু খাবে ৷ এ অবস্থা চলবে ন্যায়নীতি প্রতিষ্ঠা হওয়া পর্যন্ত ৷
লোকজন ন্যায়বিচার দাবি করবে কিন্তু পাবে না ৷ তারপর এরা বিজয়ী হয়ে এবং এদের নিকট
ন্যায় বিচার প্রত্যাশা করা হবে কিন্তু এরাও ন্যায্য অধিকার দেবে না ৷ এ হাদীসের সনদ হাসান ৷
ইমাম আহমদ ইয়া ইেয়া ইবন গায়লান আবু হরায়রা সুত্রে বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ্
(সা) বলেছেন, খুরাসান থেকে কাল পতাকা আসবে ৷ কোন কিছুতেই তা রোধ করা যাবে না ৷
অবশেষে সে পতাকা ইলিয়ার রাজপ্রাসাদে স্থাপিত হবে ৷ এ হাদীসটি ইমাম তিরমিষী কুতায়ৰ্া
থেকে বর্ণনা করে একে গরীব বলেছেন ৷ বায়হাকী ও হাকিম আবদুল্লাহ ইবন মসেউদ থেকে
বর্ণনা করেছেন ৷ কাব আহবার থেকেও এর প্রায় কাছাকাছি মর্মে বর্ণিত হয়েছে এবং এটাই
অধিকতর যুক্তিযুক্ত ৷ ইয়াকুব ইবন সুফিয়ান কাব আহবার থেকে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন,
বনু আব্বাসের কাল পতাকা উথিত হবে এবং সিরিয়ার স্থাপিত হবে ৷ সকল দৃশমন ও জালিম
তাদের হাতে নিহত হবে ৷ ইমাম আহমদ উছমান ইবন আবু শায়বা আবু সাঈদ খুদরী
থেকে বর্ণনা করেন, যুগের এক ক্রান্তিলগ্নে চারিদিকে ফিত্না-ফ্যাসাদ ছড়িয়ে পড়ার সময়
আসৃ-সাফ্ফাহ নামধায়ণকারী এক ব্যক্তির আবির্ভাব হবে ৷ সে ধন সম্পদ অঞ্জলি ভরে বিতরণ
করবে ৷ বায়হাকী এ হাদীসটি আমাশের সুত্রে বর্ণনা করেছেন, তার এ বর্ণনার শেষে আছে
আমার বংশ থেকে এক লোকের অভ্যুদয় ঘটবে, তার উপাধি হবে সাফ্ফাহ (রক্তপিপাসু)
অতংপর হাদীসের শেষ পর্যন্ত বর্ণনা করা হয় ৷ এ হাদীসের সনদ সুনান গ্রন্থসমুহের শর্ত
অনুযায়ী আছে, কিতু৷ সুনান প্রন্থকারগণ এ হাদীস বর্ণনা করেননি ৷
উপরোক্ত বর্ণনাসমুহ দু টি বিষয় সম্পর্কে ভবিষ্যদ্বাণী করছেং এক থুরাসান থেকে কাল
পতাকা প্রকাশ ৷ দুই, সাফ্ফাহ্র রাষ্ট্র ক্ষমতা লাভ ৷ সাফ্ফাহ্র প্রকৃত নাম আবুল আব্বাস ৷
উর্ধ্বতন পুরুষগণ হলেন-পিতা আবদুল্লাহ, তার পিতা মুহাম্মদ, তার পিতা আলী, তার পিতা
আবদুল্লাহ, তার পিতা আব্বাস এবং তার পিতা আব্দুল মুত্তালিব ৷ সাফ্ফাহ হি একশ ত্রিশ
সালের দিকে ক্ষমতা লাভ করেন ৷ তারপর তার সমর্থকগণসহ তিনি বিজয়ী হন ৷ তাদের
পতাকা ছিল কাল এবং প্রতীকও ছিল কৃষ্ণ বর্ণের ৷ যেমনটি মক্কা বিজয়কালে রাসুল (সা)
শিরোস্ত্রাণে কালো পাগড়ী পরিহিত ছিলেন ৷ সাফ্ফাহ্ তার চাচা আবদৃল্পাহ্কে উমাইয়াদের
عَنْ أَبِي أَسْمَاءَ، عَنْ ثَوْبَانَ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «يُقْتُلُ عِنْدَ كَنْزِكُمْ هَذِهِ ثَلَاثَةٌ، كُلُّهُمْ وَلَدُ خَلِيفَةٍ، لَا يَصِيرُ إِلَى وَاحِدٍ مِنْهُمْ، ثُمَّ تُقْبَلُ الرَّايَاتُ السُّودُ مِنْ خُرَاسَانَ، فَيَقْتُلُونَكُمْ مَقْتَلَةً لَمْ يَرَوْا مِثْلَهَا، ثُمَّ يَجِيءُ خَلِيفَةُ اللَّهِ الْمَهْدِيُّ، فَإِذَا سَمِعْتُمْ فَأْتُوهُ فَبَايِعُوهُ وَلَوْ حَبْوًا عَلَى الثَّلْجِ، فَإِنَّهُ خَلِيفَةُ اللَّهِ الْمَهْدِيُّ» . أَخْرَجَهُ ابْنُ مَاجَهْ عَنْ أَحْمَدَ بْنِ يُوسُفَ السُّلَمِيِّ، وَمُحَمَّدِ بْنِ يَحْيَى الذُّهْلِيِّ، كِلَاهُمَا عَنْ عَبْدِ الرَّزَّاقِ بِهِ. وَرَوَاهُ الْبَيْهَقِيُّ مِنْ طُرُقٍ، عَنْ عَبْدِ الرَّزَّاقِ، ثُمَّ قَالَ: تَفَرَّدَ بِهِ عَبْدُ الرَّزَّاقِ، قَالَ الْبَيْهَقِيُّ: وَرَوَاهُ عَبْدُ الْوَهَّابِ بْنُ عَطَاءٍ، عَنْ خَالِدٍ الْحَذَّاءِ، عَنْ أَبِي قِلَابَةَ، عَنْ أَسْمَاءَ، عَنْ ثَوْبَانَ مَوْقُوفًا.
ثُمَّ قَالَ الْبَيْهَقِيُّ: أَنَا عَلِيُّ بْنُ أَحْمَدَ بْنِ عَبْدَانَ، أَنَا أَحْمَدُ بْنُ عُبَيْدٍ الصَّفَّارُ، ثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ غَالِبٍ، ثَنَا كَثِيرُ بْنُ يَحْيَى، ثَنَا شَرِيكٌ، عَنْ عَلِيِّ بْنِ زَيْدٍ، عَنْ أَبِي قِلَابَةَ، عَنْ أَبِي أَسْمَاءَ، عَنْ ثَوْبَانَ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «إِذَا أَقْبَلَتِ الرَّايَاتُ السُّودُ مِنْ عَقِبِ خُرَاسَانَ فَأْتُوهَا وَلَوْ حَبْوًا عَلَى الثَّلْجِ، فَإِنَّ فِيهَا خَلِيفَةَ اللَّهِ الْمَهْدِيَّ»
وَقَالَ الْحَافِظُ أَبُو بَكْرٍ الْبَزَّارُ: حَدَّثَنَا الْفَضْلُ بْنُ سَهْلٍ، ثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ دَاهِرٍ
পৃষ্ঠা - ৫১০৯
বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার জন্য প্রেরণ করেন ৷ হি একশ বত্রিশ সালে তিনি বনু উমইিয়াদেরকে নির্মুল
করেন ৷ উমাইয়াদের সর্বশেষ খলীফা মারওয়ান ইবন মুহাম্মদ ইবন মারওয়ান যুদ্ধ ক্ষেত্র থেকে
পলায়ন করে ৷ লোকে তার উপাধি দিয়েছিল মারওয়ান আল হিমার (গাধা মারওয়ান) ৷ জাদ
ইবন দিরহামের সাথে সংশ্লিষ্ট বলে তাকে মারওয়ান আল-জাদীও বলা হত বলে কথিত আছে ৷
অতঃপর তার চাচা আবদুল্লাহ্ দামিশকে প্রবেশ করেন এবং উমাইয়াদের সমস্ত স্থাবর অন্থাবর
সম্পদ করায়ত্ত করেন ৷ আরও বহু বড় বড় ঘটনা সংঘটিত হয় ৷ যথাস্থানে আমরা তা
বিস্তারিতড়াবে বর্ণনা করব ৷ খুরাসান থেকে বহিপত কাল পতাকা সম্পর্কে প্রাচীন কালের
আলিমগণ বিস্তারিত আলোচনা করেছেন ৷ নঈম ইবন হাম্মাদ তার গ্রন্থে বিশদভাবে তা লিপিবদ্ধ
করেছেন ৷ কোন কোন বর্ণনা মতে জানা যায় যে, কাল পতাকার এসব লক্ষণাদির প্রকাশ ঐ
যুগে ঘটেনি; বরং এগুলি কিয়ামতের পুর্বে সর্বশেষ যুগে প্রকাশিত হয়ে ৷
আবদুর রাজ্জাক যুহরীর সুত্রে বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ্ (সা) বলেছেন, কিয়ামত
ততদিন পর্যন্ত সংঘটিত হবে না যতদিন পর্যন্ত এমন এক ব্যক্তির হাতে জগতের নেতৃতু আসবে
যে নিজেও হবে ইতর এবং তার পিতাও হবে ইতর ৷ আবু মামার বলেন, যে সােকঢি হলো
আব্বাসীয় রাজত্বের প্রতিষ্ঠাতা আবু মুসলিম খুরাসানী ৷ অর্থাৎ উমাইয়াদেব হাত থেকে
আব্বাসীয়দের হাতে ঐ বছরই ক্ষমতা হস্তাস্তরিত হয় ৷ আব্বাসীয় বংশের প্রথম খলীফা আবুল
আব্বাস আসৃ-সাফ্ফাহ্ ৷ দ্বিতীয় খলীফ৷ মদীনাতুস সালামের অর্থাৎ বাগদাদের প্রতিষ্ঠাতা আবু
জাফর আবদুল্লাহ আল মনসুর ৷ তারপর খলীফা হন তার পুত্র মাহ্দী মুহাম্মদ ইবন আবদৃল্লাহ্
এবং তারপর তার পুত্র হাদী এবংত তারপর মাহ্দীর অপর পুত্র হারুনুর রশীদ ৷ তারপর খিলাফত
তার উত্তরাধিকারীদের মধ্যে বিন্তুতি লাভ করে ৷ যথান্থানে আমরা এর বিস্তারিত আলোচনা
করব ৷
আলোচ্য হাদীসসমুহে আস্ সাফ্ফাহ্, আল মনসুর ও আল-মাহ্দীর খিলাফতের প্রতি
ইঙ্গিত রয়েছে ৷ তবে এ কথা নিঃসন্দেহে সত্য যে, আল মনসুরের পুত্র আব্বাসীয় বংশের তৃতীয়”
-খলী ফা মাহ্দী সে মাহ্দী নয় যার কথা প্রসিদ্ধ হাদীসগুলিতে উল্লেখিত ৩হয়েছে ৷ সে মাহ্দীর
আগমন শেষ যুগে হবে ৷ তিনি এসে অন্যায় অত্যাচারে পুর্ণ পৃবিবীকে ন্যায় ও ইনসাফের দ্বারা
পুর্ণ করবেন ৷ আমরা তার সম্পর্কে বর্ণিত হাদীসসমুহ ভিন্ন এক পুস্তকে আলোচনা করেছি
যেমনিভাবে ইমাম আবু দউিদ তার সুনান গ্রন্থে ঐ সব হাদীসের জন্য পৃথক অধ্যায় রচনা
করেছেন ৷ উল্লেখিত হাদীসের কোন কোন হাদীস থেকে এ কথা জানা গেছে যে, ঈসা (আ)
যখন আকাশ থেকে পৃথিবীতে অবতরণ করবেন তখন তিনি খিলাফত (ঈসা) এর কাছে অর্পণ
করবেন ৷
সাফ্ফাহ্ প্রসঙ্গেও বলা হয়েছে যে, এ ব্যক্তিও শেষ যুপে আবির্ভুত হবেন ৷ সুতরাং
আব্বাসীয় বংশের প্রথম খলীফ৷ যে সাফ্ফাহ্ ইনি সে সাফ্ফাহ্ নন ৷ বরং তিনি অন্য কোন
খলীফ৷ হবেন ৷ ঐহিহাসিকগণের মধ্যে এ বিষয়ে মত বিরোধ আছে ৷ ঐ সময়ে মুসলমানগণ
খালিদের নেতৃত্বে মাদাইনের উদ্দেশ্যে একটি সেনাদল প্রেরণ করেন ৷ এখানে কিসৃরার
ৎহাসন ও সভাসদগণ অবস্থান করতেন ৷ খালিদ তথাকার রাজা ও মন্তীদের নিকট এই মর্মে
পত্র লিখলেন যে, তোমরা আল্লাহ্র উপর ঈমান এনে দীন ইসলাম গ্রহণ কর-ণ্তামাদের রাজত্ব
তােমাদেরই থাকবে ৷ অন্যথায় জিযিয়া বা কর প্রেরণ কর ৷ যদি তা দিতে অস্বীকার কর তাহলে
الرَّازِيُّ، ثَنَا أَبِي، عَنِ ابْنِ أَبِي لَيْلَى، عَنِ الْحَكَمِ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ، عَنْ عَلْقَمَةَ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مَسْعُودٍ، «أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ذَكَرَ فِتْيَةً مِنْ بَنِي هَاشِمٍ، فَاغْرَوْرَقَتْ عَيْنَاهُ، وَذَكَرَ الرَّايَاتِ، قَالَ: " فَمَنْ أَدْرَكَهَا فَلْيَأْتِهَا وَلَوْ حَبْوًا عَلَى الثَّلْجِ» ثُمَّ قَالَ: وَهَذَا الْحَدِيثُ لَا نَعْلَمُ رَوَاهُ عَنِ الْحَكَمِ إِلَّا ابْنُ أَبِي لَيْلَى، وَلَا نَعْلَمُ يُرْوَى إِلَّا مِنْ حَدِيثِ دَاهِرِ بْنِ يَحْيَى، وَهُوَ مِنْ أَهْلِ الرَّأْيِ، صَالِحُ الْحَدِيثِ، وَإِنَّمَا يُعْرَفُ مِنْ حَدِيثِ يَزِيدَ بْنِ أَبِي زِيَادٍ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ.
وَقَالَ الْحَافِظُ أَبُو يَعْلَى: ثَنَا أَبُو هِشَامٍ مُحَمَّدُ بْنُ يَزِيدَ بْنِ رِفَاعَةَ، ثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ عَيَّاشٍ، ثَنَا يَزِيدُ بْنُ أَبِي زِيَادٍ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ، عَنْ عَلْقَمَةَ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ، هُوَ ابْنُ مَسْعُودٍ، قَالَ: «قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: تَجِيءُ رَايَاتٌ سُودٌ مِنْ قِبَلِ الْمَشْرِقِ، تَخُوضُ الْخَيْلُ الدَّمَ إِلَى ثُنَّتِهَا، يُظْهِرُونَ الْعَدْلَ، وَيَطْلُبُونَ الْعَدْلَ فَلَا يُعْطَوْنَهُ، فَيَظْهَرُونَ فَيُطْلَبُ مِنْهُمُ الْعَدْلُ فَلَا يُعْطُونَهُ» . وَهَذَا إِسْنَادٌ حَسَنٌ.
وَقَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ غَيْلَانَ وَقُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، قَالَا: ثَنَا رِشْدِينُ بْنُ سَعْدٍ. قَالَ يَحْيَى بْنُ غَيْلَانَ فِي حَدِيثِهِ، قَالَ: حَدَّثَنِي يُونُسُ بْنُ يَزِيدَ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، عَنْ قَبِيصَةَ، هُوَ ابْنُ ذُؤَيْبٍ الْخُزَاعِيُّ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، عَنْ
পৃষ্ঠা - ৫১১০
رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، أَنَّهُ قَالَ: «يَخْرُجُ مِنْ خُرَاسَانَ رَايَاتٌ سُودٌ، لَا يَرُدُّهَا شَيْءٌ حَتَّى تُنْصَبَ بِإِيلِيَاءَ» . وَقَدْ رَوَاهُ التِّرْمِذِيُّ عَنْ قُتَيْبَةَ بِهِ، وَقَالَ: غَرِيبٌ. وَرَوَاهُ الْبَيْهَقِيُّ وَالْحَاكِمُ مِنْ حَدِيثِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ يُوسُفَ، عَنْ رِشْدِينَ بْنِ سَعْدٍ. وَقَالَ الْبَيْهَقِيُّ: تَفَرَّدَ بِهِ رِشْدِينُ بْنُ سَعْدٍ، وَقَدْ رُوِيَ قَرِيبٌ مِنْ هَذَا، عَنْ كَعْبِ الْأَحْبَارِ، وَلَعَلَّهُ أَشْبَهُ وَاللَّهُ أَعْلَمُ.
ثُمَّ رَوَى مِنْ طَرِيقِ يَعْقُوبَ بْنِ سُفْيَانَ، حَدَّثَنَا مُحَدِّثٌ عَنْ أَبِي الْمُغِيرَةِ عَبْدِ الْقُدُّوسِ، عَنْ إِسْمَاعِيلَ بْنِ عَيَّاشٍ، عَمَّنْ حَدَّثَهُ عَنْ كَعْبِ الْأَحْبَارِ قَالَ: تَظْهَرُ رَايَاتٌ سُودٌ لِبَنِي الْعَبَّاسِ حَتَّى يَنْزِلُوا بِالشَّامِ، وَيَقْتُلُ اللَّهُ عَلَى أَيْدِيهِمْ كُلَّ جَبَّارٍ وَكُلَّ عَدُوٍّ لَهُمْ.
وَقَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا عُثْمَانُ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، ثَنَا جَرِيرٌ، عَنِ الْأَعْمَشِ، عَنْ عَطِيَّةَ الْعَوْفِيِّ، عَنْ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «يَخْرُجُ عِنْدَ انْقِطَاعٍ مِنَ الزَّمَانِ وَظُهُورٍ مِنَ الْفِتَنِ، رَجُلٌ يُقَالُ لَهُ: السَّفَّاحُ. فَيَكُونُ إِعْطَاؤُهُ الْمَالَ حَثْيًا» وَرَوَاهُ الْبَيْهَقِيُّ عَنِ الْحَاكِمِ عَنِ الْأَصَمِّ، عَنْ أَحْمَدَ بْنِ عَبْدِ الْجَبَّارِ،
পৃষ্ঠা - ৫১১১
এমন এক দলের সাথে যুদ্ধ করার জন্য প্রস্তুত হও যারা মৃভ্যুব্লুক সেই পরিমাণ ভালবাসে যেই
পরিমাণ ভালবাস তোমরা বেচে থাকাকে ৷ খালিদের এই বীরতৃপুর্ণ কথা ও সাহসিকতা দেখে
তারা অবাক হয়ে গেল ৷ তাদের ন্নির্বুদ্ধিতার দরুন তারা লাঞ্ছিত হল ৷ তারা শঙ্কিত ও
আতৎকগ্নন্থ হল ৷ অতঃপর হীরার সন্ধি চুক্তির পর খালিদ তথায় এক বছরকাল অবস্থান করেন
এবংপারস্যের এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্ত পর্যন্ত বিচরণ করেন ৷ যে লোক তা দেখেছে বা কানে
শুব্লুনছে কিংবা চিন্তা করেছে সে আশ্বর্ষান্বিত ও অবাক হয়ে গেছে ৷
খালিদের আমার বিজয় (এ অভিযানগুলাে য়াভুলউয়ুন নামে বিখ্যাত)
খালিদ আপন সৈন্য বাহিনী নিয়ে আম্বার অভিমুখে যাত্রা করেন ৷ তথায় উপস্থিত হয়ে
জানতে পারেন যে শীরযায নামে একজন কৃষ্ণকায় বীর তাদের শাসক ৷ খালিদ আম্বার
অবরোধ করেন ৷ কিন্তু আমার ছিল চতুর্দিক থেকে পরিব্লুবষ্টিত ৷ তার চারপাশে বেদুইনদের
বসতি ছিল ৷ সে দেশের অন্যান্য লোকও তাদের সাথে যোগ দেয় ৷ তারা খালিদব্লুক পরিবার
কাছে যেতে বাধা দেয় ৷ খালিদ তাদেরকে আঘাত হানেন ৷ যখন উভয়পক্ষ মুখোমুখি হলো
খনত খালিদ তার সৈন্যদেরকে তীর দ্বারা আক্রমণ করার নির্দেশ দেন ৷ সৈন্যরা তীর নিক্ষেপ
করে শত্রুব্লুদর এক হাজার চোখ ভীরবিদ্ধ করে ৷ লোকজন চিৎকার দিয়ে বলে
উঠল আম্বারবাসীদের চোখ আর ব্লুনই ৷ এ কারণে এ যুদ্ধের নাম করা হয় যাতুল-উয়ুন বা
চোখের যুদ্ধ ৷
তঃপর শীরযায সন্ধি প্রস্তাবসহ খালিদের নিকট দুত প্রেরণ করে ৷ খালিদ সন্ধির জন্য
এমন অকতিপয় শত আরোপ করেন, যা শীরযায স্বীকার করতে সম্মত হয়নি ৷ খালিদ তখন
অসংখ্য উট ও অন্যান্য সামগ্রী নিয়ে অগ্রসর হলেন এবং সেগুলি যাবাহ করে পারিখায় নিক্ষেপ
করলেন ৷ এতে খন্দক ভরাট হয়ে যায় এবং তার উপর দিয়ে খালিদ ও তার সাথীরা অতিক্রম
করেন ৷ তা লক্ষ্য করে শীরযায খালিদ কতৃক পুর্ব আব্লুরাপিত শর্তসমুহে সম্মত তহয়ে সন্ধি
করতে রাজী হয়ে যায় ৷ শীরযায তাকে কোন নিরাপদ স্থানে পাঠিয়ে দেয়ার জন্য খালিদের
নিকট প্রার্থনা জানালে খ৷ ৷লিদ তা মঞ্জুর করেন ৷ শীরযায আম্বার থেকে বের হয়ে যায় এবং তা
খালিদের হাতে ততৃব্লুল দেয় ৷ খালিদ আম্বারে নিরাপদে অবতরণ করেন আর তার সাথে যে সব
সাহাবী সেখানে ছিলেন তারা আরবী লেখা শিখে নিলেন ৷ উক্ত ব্লুবদুইনরা তাদের পুর্ববর্তী
আরবদের অর্থাৎ বনু ইয়াদ থেকে আরবী শিখেছিল ৷ বুখৃত নসরের ইরাক বিজয়ের পর থেব্লুবইি
এরা তথায় বসবাস করতে থাকে ৷ ইয়াদ বংশীয় জনৈক কবির রচিত কবিতার কিছু অংশ তারা
খালিদের সম্মুখে আবৃত্তি করে ৷ এতে করি আপন বংব্লু শের প্রশংসা করে বলেন :
’ণ্৷ ৷ এ;প্রু;ও৷ ৷ প্রুাদ্বু ৷ ণ্৷ , ৷ ণ্ঠুন্’৷ ন্ট্রুৰুটু৷ প্রু৷ ট্ট১ ৷ ৰু,প্রুঠুপুম্ভ
ণ্ব্রো৷এ প্লোা৷এ
অর্থাৎ আমি ইয়াদ বংশের লোক ৷ ইয়াদ বংশ এমন এক জাতি যেখানে তারা অবতরণ
করে ধন ঐশ্বর্য তাদের করায়ত্ত হয়ে যায় ৷ ইরাকের প্রশস্ত ভুখন্ড যখন তাদের অধিক৷ ৷ব্লুর আসে
তখন তথাকার সমস্ত লোক তাদেরকে অভিনন্দন আমার এবং সে সাথে কাগজ কলম তথা
শিক্ষা সভ্যতাও তাদের অধিকারে আসে ৷
عَنْ أَبِي مُعَاوِيَةَ، عَنِ الْأَعْمَشِ بِهِ. وَقَالَ فِيهِ: «يَخْرُجُ رَجُلٌ مِنْ أَهْلِ بَيْتِي يُقَالُ لَهُ: السَّفَّاحُ ".» فَذَكَرَهُ، وَهَذَا الْإِسْنَادُ عَلَى شَرْطِ أَهْلِ السُّنَنِ، وَلَمْ يُخْرِجُوهُ.
فَهَذِهِ الْأَخْبَارُ فِي خُرُوجِ الرَّايَاتِ السُّودِ مِنْ خُرَاسَانَ وَفِي وِلَايَةِ السَّفَّاحِ، وَهُوَ أَبُو الْعَبَّاسِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مُحَمَّدِ بْنِ عَلِيِّ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الْعَبَّاسِ بْنِ عَبْدِ الْمَطْلَبِ، وَقَدْ وَقَعَتْ وِلَايَتُهُ فِي حُدُودِ سَنَةِ ثَلَاثِينَ وَمِائَةٍ، ثُمَّ ظَهَرَ بِأَعْوَانِهِ وَمَعَهُمُ الرَّايَاتُ السُّودُ، وَشِعَارُهُمُ السَّوَادُ، كَمَا دَخَلَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَكَّةَ يَوْمَ الْفَتْحِ وَعَلَى رَأْسِهِ الْمِغْفَرُ وَفَوْقَهُ عِمَامَةٌ سَوْدَاءُ، ثُمَّ بَعَثَ عَمَّهُ عَبْدَ اللَّهِ لِقِتَالِ بَنِي أُمَيَّةَ، فَكَسَرَهُمْ فِي سَنَةِ اثْنَتَيْنِ وَثَلَاثِينَ وَمِائَةٍ، وَهَرَبَ مِنَ الْمَعْرَكَةِ آخِرُ خُلَفَائِهِمْ، وَهُوَ مَرْوَانُ بْنُ مُحَمَّدِ بْنِ مَرْوَانَ، وَيُلَقَّبُ بِمَرْوَانَ الْحِمَارِ، وَيُقَالُ لَهُ: مَرْوَانُ الْجَعْدِيُّ. لِاشْتِغَالِهِ عَلَى الْجَعْدِ بْنِ دِرْهَمٍ، فِيمَا قِيلَ، وَدَخَلَ عَمُّهُ دِمَشْقَ وَاسْتَحْوَذَ عَلَى مَا كَانَ لِبَنِي أُمَيَّةَ مِنَ الْمُلِكِ وَالْأَمْلَاكِ وَالْأَمْوَالِ، وَجَرَتْ خُطُوبٌ كَثِيرَةٌ سَنُورِدُهَا مُفَصَّلَةً فِي مَوْضِعِهَا، إِنْ شَاءَ اللَّهُ تَعَالَى.
وَقَدْ وَرَدَ عَنْ جَمَاعَةٍ مِنَ السَّلَفِ فِي ذِكْرِ الرَّايَاتِ السُّودِ الَّتِي تَخْرُجُ مِنْ خُرَاسَانَ بِمَا يَطُولُ ذِكْرُهُ، وَقَدِ اسْتَقْصَى ذَلِكَ نُعَيْمُ بْنُ حَمَّادٍ فِي كِتَابِهِ، وَفِي بَعْضِ الرِّوَايَاتِ مَا يَدُلُّ عَلَى أَنَّهُ لَمْ يَقَعْ أَمْرُهَا بَعْدُ، وَأَنَّ ذَلِكَ يَكُونُ فِي آخِرِ الزَّمَانِ، كَمَا سَنُورِدُهُ فِي مَوْضِعِهِ، إِنْ شَاءَ اللَّهُ تَعَالَى، وَبِهِ الثِّقَةُ وَعَلَيْهِ التُّكْلَانُ.
পৃষ্ঠা - ৫১১২
وَقَدْ رَوَى عَبْدُ الرَّزَّاقِ، عَنْ مَعْمَرٍ، عَنِ الزُّهْرِيِّ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «لَا تَقُومُ السَّاعَةُ حَتَّى تَكُونَ الدُّنْيَا لِلُكَعِ بْنِ لَكْعِ» قَالَ أَبُو مَعْمَرٍ: هُوَ أَبُو مُسْلِمٍ الْخُرَاسَانِيُّ. يَعْنِي الَّذِي أَقَامَ دَوْلَةَ بَنِي الْعَبَّاسِ.
وَالْمَقْصُودُ أَنَّهُ تَحَوَّلَتِ الدَّوْلَةُ مِنْ بَنِي أُمَيَّةَ إِلَى بَنِي الْعَبَّاسِ فِي هَذِهِ السَّنَةِ، وَكَانَ أَوَّلَ قَائِمٍ مِنْهُمْ أَبُو الْعَبَّاسِ السَّفَّاحُ، ثُمَّ أَخُوهُ أَبُو جَعْفَرٍ عَبْدُ اللَّهِ الْمَنْصُورُ بَانِي مَدِينَةِ السَّلَامِ بَغْدَادَ، ثُمَّ ابْنُهُ الْمَهْدِيُّ مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ، ثُمَّ مِنْ بَعْدِهِ ابْنُهُ الْهَادِي، ثُمَّ ابْنُهُ الْآخَرُ هَارُونُ الرَّشِيدُ ثُمَّ انْتَشَرَتِ الْخِلَافَةُ فِي ذُرِّيَّتِهِ، عَلَى مَا سَنُفَصِّلُهُ إِذَا وَصَلْنَا إِلَى تِلْكَ الْأَيَّامَ، وَقَدْ نَطَقَتْ هَذِهِ الْأَحَادِيثُ الَّتِي أَوْرَدْنَاهَا آنِفًا بِالسَّفَّاحِ وَالْمَنْصُورِ وَالْمَهْدِيِّ، وَلَا شَكَّ أَنَّ الْمَهْدِيَّ الَّذِي هُوَ ابْنُ الْمَنْصُورِ ثَالِثُ خُلَفَاءِ بَنِي الْعَبَّاسِ، لَيْسَ هُوَ الْمَهْدِيُّ الَّذِي وَرَدَتِ الْأَحَادِيثُ الْمُسْتَفِيضَةُ بِذِكْرِهِ وَأَنَّهُ يَكُونُ فِي آخِرِ الزَّمَانِ، يَمْلَأُ الْأَرْضَ عَدْلًا وَقِسْطًا كَمَا مُلِئَتْ جَوْرًا وَظُلْمًا، وَقَدْ أَفْرَدْنَا لِلْأَحَادِيثِ الْوَارِدَةِ فِيهِ جُزْءًا عَلَى حِدَةٍ، كَمَا أَفْرَدَ لَهُ أَبُو دَاوُدَ كِتَابًا فِي " سُنَنِهِ "، وَقَدْ تَقَدَّمَ فِي بَعْضِ هَذِهِ الْأَحَادِيثِ آنِفًا أَنَّهُ يُسَلِّمُ الْخِلَافَةَ إِلَى عِيسَى ابْنِ مَرْيَمَ إِذَا نَزَلَ إِلَى الْأَرْضِ. وَاللَّهُ أَعْلَمُ. وَأَمَّا السَّفَّاحُ فَقَدْ تَقَدَّمَ أَنَّهُ يَكُونُ فِي آخِرِ الزَّمَانِ، فَيَبْعُدُ أَنْ يَكُونَ هُوَ الَّذِي بُويِعَ أَوَّلَ خُلَفَاءِ بَنِي الْعَبَّاسِ، فَقَدْ يَكُونُ خَلِيفَةً آخَرَ، وَهَذَا هُوَ الظَّاهِرُ، فَإِنَّهُ قَدْ رَوَى نُعَيْمُ بْنُ حَمَّادٍ، عَنِ ابْنِ وَهْبٍ،
পৃষ্ঠা - ৫১১৩
অতঃপর বাওয়াযীজ ও কালওয়াযীর অধিবাসীরা খালিদের সহিত সন্ধি করে ৷ কিছুদিন পর
আম্বারবাসীদের মধ্যে অস্থিরতা দেখা দিলে তারা ও তৎপার্শ্বসহ লোকজন সন্ধি চুক্তি ভঙ্গ করে ৷
বাওয়াযীজ ও বানকিয়া ব্যতীত আর সকলেই সন্ধি থেকে বেরিয়ে আসে ৷ সায়ফ সুত্রে
হাবীব বলেন, এ ঘটনার পুর্বে বানু সালুবা অর্থাৎ হীরাবাসী, কালুসী এবং ফুরাতের কতিপয়
জনপদ ব্যতীত অন্য কারও সাথে কৃষ্ণকায় লোকদের কোন চুক্তি ছিল না ৷ তারা চুক্তি ভঙ্গ
করে এবং পুনরায় চুক্তিতে আবদ্ধ হওয়ার জন্য তাদেরকে আহ্বান জানান হয় ৷ সায়ফ বর্ণনা
করেন, মুহাম্মদ ইবন কায়স শাবীকে জিজ্ঞেস করেন, কয়েকটি দুর্গ ব্যতীত সমস্ত সওয়াদ
এলাকা কিশ্ ৷ক্তি প্রয়োগে বিজিত হয়েছিল ৭ শা বী বললেন, কেউ সন্ধি করে এবং কেউ বিজিত
হয়ে ৷ সুহ্াম্মদ্ ইবন কায়স জিজ্ঞেস করেন, যুদ্ধের পুর্বেও এরা (সওয়াদবাসীরা) কি যিন্নী ছিল?
তিনি বললেন, না; বরং তাদেরকে খারাজ প্রদানের আহ্বান জানান হলে তারা তাতে রাজী হয়
ৎএ সুত্রেই যিঘী হয় ৷
নৃ আয়ম ইবন হাম্মাদ নুফায় ইবন আমির থেকে বর্ণনা করেন, সাফ্ফাহ্ চল্লিশ বছর
বেচে থাকবেন ৷ তাওরাতে তার নাম বলা হয়েছে তাইরুস্ সামা (আকাশের পাখি) ৷ আমার
মতে, এসব গুণাবলী ও বৈশিষ্ট্যসমুহ মাহ্দীরও হবে৷ যিনি শেষ যুগে আত্মপ্রকাশ করবেনা
সাফ্ফাহ্ এ অর্থে যে, ইনৃসাফ ও ন্যায় প্রতিষ্ঠার জন্য তিনি অকাতরে রক্তপাত ঘটড়াবেন ৷
হাদীসে যে কাল পতাকার উল্লেখ হয়েছে তা মাহ্দীরই পতাকা ৷ তার বায়আত সর্বপ্রথম
মক্কাতে প্রকাশ পাবে ৷ তারপরে খুরাসানের লোক তার সাহায্যকারী হবে ৷ যেমনটি হয়েছিল
আব্বাসীয় সাফ্ফাহর ক্ষেত্রে ৷ এসব ব্যাখ্যা নির্ভর করে এ ব্যাপারে উল্লেখিত হাদীসসমুহ সহীহ্
হওয়ার উপরে ৷ কারণ, এর মধ্যে এমন একটি হাদীসও নেই যার সনদ ক্রটিমুক্ত নয় ৷ এ
আল্লাহ্ই ভাল জানেন ৷
কুৰায়শী বার ইমাম সম্পর্কে ভবিষ্যদ্বাণী
বার খলীফা বলতে রাফিযীন্ সম্প্রদায়ের দাবিকৃত বার, ইমাম নয় ৷ কেননা, তাদের ধারণা
মতে যারা বার ইমাম, তাদের মধ্যে কেবল হযরত আলী ও তার পুত্র হযরত হাসান ব্যতীত
অন্য কেউ শাসন ক্ষম৩া য় অধিষ্ঠিত ছিলেন না ৷ তাদের মতে, বার ইমামের সর্বশেষ ইমাম
সারদাবে সামিরায় অবস্থিত প্রতীক্ষিত মাহ্দী ৷ অথচ না তার কোন অস্তিত্ব আছে, না আছে
তার কোন নিদর্শন ৷ বরং তারা হচ্ছেন সেই বার ইমাম যাদের সম্বন্ধে হাদীসে ভবিষ্যদ্বাণী করা
হয়েছে ৷ তার চারজন হচ্ছেন হযরত আবু বকর (রা), উমর (রা), উছমান (রা) ও আলী
(বা) ৷ বার ইমাম সম্পর্কে আহ্লি সুন্নাত ওয়াল জামাআতের দুটি ব্যাখ্যা আছে ৷ উভয়
ব্যাখ্যাদাতাদের মতে হযরত উমর ইবন আবদুল অড়াযীয উক্ত বারজনের অন্তর্ভুক্ত ৷
বুখারী শরীফে শুবা সুত্রে এবং মুসলিম শরীফে সৃফ্ইয়ানইবন উয়ায়না সুত্রে জাবির
ইবন সামুরা (রা) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি শুনেছি, রাসুলুল্লাহ্ (সা) বলেছেন, বারজন
’খলীফা হবেন ৷ এরপর তিনি আরও একটি কথা বলেছেন ৷ কিন্তু তা আমি শুনতে পাইনি ৷
আমি আমার পিতার নিকট জিজ্ঞেস করলাম, নবী করীম (সা) কী বললেন ? তিনি বললেন,
নবী করীম (সা) বলেছেন যে, তারা সবাই কুরায়শ বংশের হবেন ৷ কিতাবুল ফিতান ওয়ান মা
লাহিনে’ আবু নৃআয়ম ঈসা ইবন ইউনুস আবদুল্লাহ্ ইবন মাসউদ (রা) থেকে বর্ণিত
عَنِ ابْنِ لَهِيعَةَ، عَنْ يَزِيدَ بْنِ عَمْرٍو الْمَعَافِرَيِّ، عَنْ تَدُومَ الْحِمْيَرِيِّ سَمِعَ تُبَيْعَ بْنَ عَامِرٍ يَقُولُ: يَعِيشُ السَّفَّاحُ أَرْبَعِينَ سَنَةً، اسْمُهُ فِي التَّوْرَاةِ طَائِرُ السَّمَاءِ.
قُلْتُ: وَقَدْ تَكُونُ صِفَةً لِلْمَهْدِيِّ الَّذِي يَظْهَرُ فِي آخِرِ الزَّمَانِ; لِكَثْرَةِ مَا يَسْفَحُ - أَيْ يُرِيقُ - مِنَ الدِّمَاءِ لِإِقَامَةِ الْعَدْلِ، وَنَشْرِ الْقِسْطِ، وَتَكُونُ الرَّايَاتُ السُّودُ الْمَذْكُورَةُ فِي هَذِهِ الْأَحَادِيثِ، إِنْ صَحَّتْ، هِيَ الَّتِي تَكُونُ مَعَ الْمَهْدِيِّ، وَيَكُونُ أَوَّلُ ظُهُورِ بَيْعَتِهِ بِمَكَّةَ، ثُمَّ تَكُونُ أَنْصَارُهُ مِنْ خُرَاسَانَ كَمَا وَقَعَ قَدِيمًا لِلسَّفَّاحِ، وَاللَّهُ تَعَالَى أَعْلَمُ. هَذَا كُلُّهُ تَفْرِيعٌ عَلَى صِحَّةِ هَذِهِ الْأَحَادِيثِ، وَإِلَّا فَلَا يَخْلُو سَنَدٌ مِنْهَا عَنْ كَلَامٍ. وَاللَّهُ سُبْحَانَهُ وَتَعَالَى أَعْلَمُ بِالصَّوَابِ.
[إِخْبَارُهُ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَنِ الْأَئِمَّةِ الِاثْنَيْ عَشَرَ]
ذِكْرُ الْإِخْبَارِ عَنِ الْأَئِمَّةِ الِاثْنَيْ عَشَرَ الَّذِينَ كُلُّهُمْ مِنْ قُرَيْشٍ
وَلَيْسُوا بِالِاثْنَيْ عَشَرَ الَّذِينَ يَدَّعُونَ إِمَامَتَهُمُ الرَّافِضَةُ; فَإِنَّ هَؤُلَاءِ الَّذِينَ يَزْعُمُونَ لَمْ يَلِ أُمُورَ النَّاسِ مِنْهُمْ إِلَّا عَلِيُّ بْنُ أَبِي طَالِبٍ وَابْنُهُ الْحَسَنُ، وَآخِرُهُمْ، فِي زَعْمِهِمْ، الْمَهْدِيُّ الْمُنْتَظَرُ، فِي زَعْمِهِمْ، بِسِرْدَابِ سَامَرَّاءَ وَلَيْسَ لَهُ وُجُودٌ، وَلَا عَيْنٌ، وَلَا أَثَرٌ، بَلْ هَؤُلَاءِ مِنَ الْأَئِمَّةِ الِاثْنَيْ عَشَرَ الْمُخْبَرِ عَنْهُمْ فِي الْحَدِيثِ، الْأَئِمَّةُ الْأَرْبَعَةُ، أَبُو بَكْرٍ وَعُمَرُ وَعُثْمَانُ وَعَلِيٌّ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمْ، وَمِنْهُمْ عُمَرُ بْنُ عَبْدِ الْعَزِيزِ بِلَا خِلَافٍ بَيْنِ الْأَئِمَّةِ عَلَى كِلَا الْقَوْلَيْنِ لِأَهْلِ السُّنَّةِ فِي تَفْسِيرِ الِاثْنَيْ
পৃষ্ঠা - ৫১১৪
হাদীস উল্লেখ করেছেন ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) বলেন, আমার পরে কতিপয় খলীফা হবে ৷ তাদের
ত্খ্যা হযরত মুসা
আল
আহবার (রা) থেকেও অনুরুপ হাদীস বর্ণিত আছে ৷
আবু দাউদ আমর ইবন উছমান জাবির ইবন সামুরা থেকে বর্ণনা করেন ৷ তিনি
বলেন, আমি রাসুলুল্লাহ্ (সা)-কে বলতে শুনেছি, বারজন খলীফা বা আমীরেৱ শাসনকালে
ইসলামী জীবন বিধান ও কুরআনী সমাজ ব্যবস্থা অক্ষুগ্ন থাকবে ৷ ঐ বারজনের প্রত্যেকের
উপরই সমস্ত উম্মতের আস্থা থাকবে ৷ এ সাথে আরও একটি কথা তিনি বলেছেন, আমি শুনেছি
কিন্তু বুঝতৈ পারিনি ৷ সুতরাং আমার পিতার নিকট জিজ্ঞেস করলাম, নবী করীম (সা) সে
কথাটি কী বলেছেন ? তিনি জানান যে, নবী করীম (সা) বল্যেছন, তারা সবাই কুরায়শী
হবেন ৷ ইবন নুফায়ল সুত্রে জাবির ইবন সামুরা থেকে আবু দাউদ আরও বর্ণনা করেছেন,
রাসুলুল্লাহ্ (সা) বলেছেন, বারজন খলীফার খিলাফতকাল পর্যন্ত মুসলমানদের রাজনৈতিক শক্তি
অক্ষুপ্ন থাকবে এর তারা শত্রুদের উপর জয়ী থাকবে ৷ ঐ খলীফাগণ সকলেই হবেন কুরায়শ
বংশের : ১া
,ভু )হৃ ;প্রু ণ্াব্লু দ্ভব্লু ান্ ,র্দু; অতঃপর তিনি বাড়ি ফিরে এলে কুরায়শগণ তার নিকট এসে
জিজ্ঞেস করলেন যে , এরপর অবস্থা কী হবে ? তিনি বললেন, এরপর অরাজ্বকরতা ও বিশৃৎখলা
আরম্ভ হবে : ৰু ,ৰুপু ৷ ;,,§§ ণ্; বায়হাকী বলেন, প্রথম হাদীসে (ইমামদের) সংখ্যার কথা বলা
হয়েছে, দ্বিতীয় হাদীসে সংখ্যার তাৎপর্য বর্ণিত হয়েছে এবং তৃতীয় হাদীসে হারাজ অর্থাৎ
পররভীকািলের হতড়াড়াকান্ড সম্পর্কে বলা হয়েছে৷ এই সংখ্যা (বার ইমাম) উল্লেখিত বৈশিষ্ট্যসহ
ওলীদ ইবন ইয়াযীদ ইবন আবদুল মালিকের সময়্ পর্যন্ত পাওয়া যায় ৷ অতঃপর হাদীসের বর্ণনা
অনুযায়ী বিশৃত্খলা ও নৃশংসতা প্রকাশ পায় ৷ তারপর আব্বাসীয় বংশের উত্থান ঘটে ৷ তবে যারা
উক্ত সংখ্যাকে আরও অতিরিক্ত বলে বর্ণনা করেন তারা হয় ইমামদের বৈশিষ্ট্যারলী শিথিল ,,
করেছেন নতুবা নৃশংসতা কালের পরবর্তী সময়ের কোন কোন খলীফাকে এর অন্তর্ভুক্ত
রেখেছেন ৷
আসিম সুত্রে ইবন উমর থেকে রপ্টি, নবী করীম (সা) বলেছেন দুজন লোক
জীবিত থাকলেও শাসন কর্তৃত্ব কুরায়শদের হাতেই থাকবে : ১া
গ্লু,া;ও ৷ ,এে ৷ ;) স্ৰুশুট্ট^ বুখারী যুহরী সুত্রে মুআবিয়া ইবন আবু সুফিয়ান (রা) থেকে
বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ্ (সা) বলেছেন, কুরায়শরা যতদিন দীন প্রতিষ্ঠার কাজে নিয়োজিত
থাকবে রাষ্টীয় ক্ষমতা ততদিন তাদের হাংজী থাকবে, যে কেউ তা দর সাথে শত্রুতা করবে,
আল্লাহ্ তাদের লাঞ্ছিত করবেন : ,ষ্১৷ ৷ ;, ৷
;ৰু এ ৷ ৷ স্পোা ৷ ৷ @ ধ্ধ্ , ৷ রায়হড়াকী এর ব্যাখ্যার বলেন, দীন প্রতিষ্ঠার অর্থ হল দীনের
গুরুত্বপুর্ণ বিধান ও নিদর্শনড়াদিকে প্রতিষ্ঠিত রাখা; যদিও তাদের ব্যক্তিগত কাজকর্ম ক্রটিপুর্ণ
থাকে ৷ চুে৷ অতঃপর তিনি এ
প্রসন্সের আরও হাদীস উল্লেখ করেছেন ৷
— : ৭
عَشَرَ كَمَا سَنَذْكُرُهُ بَعْدَ إِيرَادِ الْحَدِيثِ.
ثَبَتَ فِي " صَحِيحِ الْبُخَارِيِّ " مِنْ حَدِيثِ شُعْبَةَ، وَ " مُسْلِمٍ " مِنْ حَدِيثِ سُفْيَانَ بْنِ عُيَيْنَةَ، كِلَاهُمَا عَنْ عَبْدِ الْمَلِكِ بْنِ عُمَيْرٍ، عَنْ جَابِرِ بْنِ سَمُرَةَ قَالَ: سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ: «يَكُونُ اثْنَا عَشَرَ خَلِيفَةً ". ثُمَّ قَالَ كَلِمَةً لَمْ أسْمَعْهَا فَقُلْتُ لِأَبِي: مَا قَالَ؟ قَالَ: قَالَ: " كُلُّهُمْ مِنْ قُرَيْشٍ»
وَقَالَ نُعَيْمُ بْنُ حَمَّادٍ فِي كِتَابِ " الْفِتَنِ وَالْمَلَاحِمِ ": حَدَّثَنَا عِيسَى بْنُ يُونُسَ، حَدَّثَنَا مُجَالِدٌ، عَنِ الشَّعْبِيِّ، عَنْ مَسْرُوقٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مَسْعُودٍ قَالَ: «قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: يَكُونُ بَعْدِي مِنَ الْخُلَفَاءِ عِدَّةُ أَصْحَابِ مُوسَى» وَقَدْ رُوِيَ مِثْلُ هَذَا الْحَدِيثِ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ وَحُذَيْفَةَ وَابْنِ عَبَّاسٍ وَكَعْبِ الْأَحْبَارِ مِنْ قَوْلِهِمْ.
وَقَالَ أَبُو دَاوُدَ: حَدَّثَنَا عَمْرُو بْنُ عُثْمَانَ، حَدَّثَنَا مَرْوَانُ بْنُ مُعَاوِيَةَ، عَنْ إِسْمَاعِيلَ بْنِ أَبِي خَالِدٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ جَابِرِ بْنِ سَمُرَةَ قَالَ «سَمِعْتُ: رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ: " لَا يَزَالُ هَذَا الدِّينُ قَائِمًا حَتَّى يَكُونَ عَلَيْهِمُ اثْنَا عَشَرَ خَلِيفَةً - أَوْ: أَمِيرًا - كُلُّهُمْ تَجْتَمِعُ عَلَيْهِمُ الْأُمَّةُ» وَسَمِعْتُ كَلَامًا مِنَ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَمْ أَفْهَمْهُ، فَقُلْتُ لِأَبِي: مَا يَقُولُ؟ قَالَ: يَقُولُ: " كُلُّهُمْ مِنْ قُرَيْشٍ ".
পৃষ্ঠা - ৫১১৫
وَقَالَ أَبُو دَاوُدَ أَيْضًا: حَدَّثَنَا ابْنُ نُفَيْلٍ، حَدَّثَنَا زُهَيْرُ بْنُ مُعَاوِيَةَ، حَدَّثَنَا زِيَادُ بْنُ خَيْثَمَةَ، حَدَّثَنَا الْأَسْوَدُ بْنُ سَعِيدٍ الْهَمْدَانِيُّ، عَنْ جَابِرِ بْنِ سَمُرَةَ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «لَا تَزَالُ هَذِهِ الْأُمَّةُ مُسْتَقِيمًا أَمْرُهَا، ظَاهِرَةً عَلَى عَدْوِهَا، حَتَّى يَمْضِيَ مِنْهُمُ اثْنَا عَشَرَ خَلِيفَةً، كُلُّهُمْ مِنْ قُرَيْشٍ» قَالَ: فَلَمَّا رَجَعَ إِلَى مَنْزِلِهِ أَتَتْهُ قُرَيْشٌ فَقَالُوا: ثُمَّ يَكُونُ مَاذَا؟ قَالَ: " «ثُمَّ يَكُونُ الْهَرْجُ» ". قَالَ الْبَيْهَقِيُّ: فَفِي الرِّوَايَةِ الْأُولَى بَيَانُ الْعَدَدِ، وَفِي الثَّانِيَةِ بَيَانُ الْمُرَادِ بِالْعَدَدِ، وَفِي الثَّالِثَةِ بَيَانُ وُقُوعِ الْهَرْجِ وَهُوَ الْقَتْلُ بَعْدَهُمْ، وَقَدْ وُجِدَ هَذَا الْعَدَدُ بِالصِّفَةِ الْمَذْكُورَةِ إِلَى وَقْتِ الْوَلِيدِ بْنِ يَزِيدَ بْنِ عَبْدِ الْمَلِكِ، ثُمَّ وَقَعَ الْهَرْجُ وَالْفِتْنَةُ الْعَظِيمَةُ، كَمَا أَخْبَرَ فِي هَذِهِ الرِّوَايَةِ، ثُمَّ ظَهَرَ مُلْكُ الْعَبَّاسِيَّةِ، كَمَا أَشَارَ إِلَيْهِ فِي الْبَابِ قَبْلَهُ، وَإِنَّمَا يَزِيدُونَ عَلَى الْعَدَدِ الْمَذْكُورِ فِي الْخَبَرِ إِذَا تُرِكَتِ الصِّفَةُ الْمَذْكُورَةُ فِيهِ، أَوْ عُدَّ مَعَهُمْ مَنْ كَانَ بَعْدَ الْهَرْجِ الْمَذْكُورِ فِيهِ، وَقَدْ «قَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " لَا يَزَالُ هَذَا الْأَمْرُ فِي قُرَيْشٍ مَا بَقِيَ مِنَ النَّاسِ اثْنَانِ» ". ثُمَّ سَاقَهُ مِنْ حَدِيثِ عَاصِمِ بْنِ مُحَمَّدٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَذَكَرَهُ.
وَفِي " صَحِيحِ الْبُخَارِيِّ " مِنْ طَرِيقِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ جُبَيْرِ بْنِ
পৃষ্ঠা - ৫১১৬
বায়হাকী ও তার সমর্থনকারী একটি দলের এই মত যে, উল্লেখিত ৰুবার জন খলীফা
ধারাবাহিকভাবে এসেছেন এবং ওলীদ ইবনইয়াযীদ ইবন আবদুল মালিক পর্যন্ত এসে শেষ
হয়েছে ৷ ওলীদ যে একজন ফাসিক ও অভিশপ্ত খলীফ৷ ছিল সে সম্পর্কে হাদীস ইতিপুর্বে উল্লেখ
করা হয়েছে ৷ কিন্তু এই মত সংশয়মুক্ত নয় ৷ কেননা, যেকোন দিক থেকে হিসাব করা হোক না
কেন ওলীদ ইবন ইয়াষীদ পর্যন্ত খলীফাদের সংখ্যা বার থেকে অধিক হয় ৷ কারণ প্রথম চার
খলীফা ১ আবু বকর (বা), ২ উমর (রা), ৩ উছমান (রা) ও : আলী (রা)এর খিলাফত
সাফীনা বর্ণিত সহীহ্ হাদীস দ্বারা প্রমাণিত-আমার পরে ত্রিশ বছর ধিলাফত চলবে : ২১া১৷ ৷
দু ;,প্রু দ্াও ৰু ণ্া এদের পরে খলীফ৷ হল ৫ হাসান ইবন আলী ৷ হযরত আলী তার পক্ষে
ওসীয়ত করে যান ৷ ইরাকবাসীরা তার নিকট বায়আত গ্রহণ করে এবং তার সাথে
সিরিয়াবাসীদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে ৷ অতঃপর হাসান ও মুআবিয়ার মধ্যে সমঝোতার চুক্তি
স্বাক্ষরিত হয় ৷ বুখারী শরীফে আবু বাকরার হাদীসে এরুপই বর্ণিত হয়েছে ৷ তারপর যথাক্রমে
৬ মুআবিয়া, ৭ তার পুত্র ইয়াষীদ, ৮ ইয়াষীদের পুত্র মুআবিয়া, ৯ মারওয়ান ইবন
হাকাম, ১০ তার পুত্র আবদুল মালিক ইবন মারওয়ান, ১ ১ তার পুত্র ওলীদ ইবন আবদুল
মালিক, ১ ২ সুলায়মান ইবন আবদুল মাসিক, ১৩ উমর ইবন আবদুল আযীয, ১৪ ইয়াষীদ
ইবন আবদুল মাসিক, ১৫ হিশাম ইবন আবদুল মালিক এ পনের জনের পর ১৬ ওলীদ ইবন
ইয়াষীদ ইবন আবদুল মালিক ৷ আবদুল মালিকের পুর্বে হযরত যুবায়রের খিলাফত ধ রা হলে
খলীফার সং খ্যা হয় ষোল ৷ যে কোন দিক থেকে হিসাব ধরা হোক না কেন উমর ইবন আবদুল
আযীযের পুর্বেই বারজনের সং খ্যা পুর্ণ হয়ে যায় ৷ এ হিসাব মতে মু আবিয়াব পুত্র ইয়াষীদ উক্ত
বার জনের মধ্যে গণ্য হয় এবং উমর ইবন আবদুল আযীয বারজনের বাইরে থেকে যান ৷ অথচ
সমস্ত ইমাম ও ঐতিহ্াসিকগণ উমর ইবন আবদুল আযীযের উচ্চুন্সিত প্রশংসা করেছেন এবং
তাকে খুলাফায়ে রাশিদীনের মধে গণ্য করেছেন ৷ দলমত নির্বিশেষে সকলেই তার শাসনকালকে
ন্যায় ও ইনসাফের কাল বলে অভিহিত করেছেন ৷ এমনকি চরমপন্থী রাফিযী সম্প্রদায়ও সে
কথা স্বীকার করে নিয়েছে ৷
বায়হাকী যদি বলেন, উক্ত বারজনের মধ্যে আমি কেবল তাদেরকেই গণ্য করেছি যাদের
খিলাফতের উপর সে সময়ের সকল মুসলমান ঐক্যবদ্ধ ছিল ৷ কিত্তু তখন প্রশ্ন থাকবে যে, তা
হলে হযরত আলী ও তার পুত্র হাসান উক্ত বারজনের মধ্যে গণ্য হবেন না ৷ কারণ তাদের
খিলাফতকে গোটা উম্মত মেনে ণ্নয়নি ৷ যেমন সিরিয়ার কোন লোকই এ দু জনের মধ্যে
কারোরই যায় তাতে গ্রহণ করেননি ৷
রাবী হাবীব বার ইমামদের মধ্যে যুআবিয়া, ইয়াষীদ ইবন মুআবিয়া এবং যুআবিয়া ইবন
ইয়াযীদকে গণনা করেছেন এবং মারওয়ান ও ইবন যুবায়রের আমল হিসেব থেকে বাদ
রেখেছেন ৷ কারণ, তাদের দুজনের কারো প্রতিই সমস্ত উম্মতের আনুগত্য ছিল না ৷ সুতরাং
হাবীবের মতে ণলীফাগণ হচ্ছেন-আবু বকর, উছমড়ান, ঘুআবিয়া, ইয়াষীদ ইবন মুআৰিয়া,
আবদুল মালিক, ওলীদ ইবনসুলায়মান, উমর ইবন আবদুল আযীয, ইয়াষীদ ও হিশাম ৷ এই
দশজনের পরে ওলীদ ইবন ইয়াষীদ ইবন আবদুল মালিক আল-ফাসিক ৷ বিন্দু এ গণনা গ্রহণ
করাও সম্ভব নয় ৷ কেননা,এতে উক্ত বারজনের মধ্যে হযরত আলী ও তার পুত্র হাসান অন্তর্ভুক্ত
হয় না ৷ অথচ আহলি সুন্নাতের সমস্ত ইমাম, এমনকি শীআ সম্প্রদায়ও তাদেরকে অন্তর্ভুক্ত
مُطْعِمٍ، عَنْ مُعَاوِيَةَ بْنِ أَبِي سُفْيَانَ قَالَ: «قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " إِنَّ هَذَا الْأَمْرَ فِي قُرَيْشٍ، لَا يُعَادِيهِمْ أَحَدٌ إِلَّا كَبَّهُ اللَّهُ عَلَى وَجْهِهِ مَا أَقَامُوا الدِّينَ» ". قَالَ الْبَيْهَقِيُّ: أَيْ أَقَامُوا مَعَالِمَهُ، وَإِنْ قَصَّرُوا هُمْ فِي أَعْمَالِ أَنْفُسِهِمْ. ثُمَّ سَاقَ أَحَادِيثَ تَقْتَضِي مَا ذَكَرَهُ فِي هَذَا. وَاللَّهُ أَعْلَمُ. فَهَذَا الَّذِي سَلَكَهُ الْبَيْهَقِيُّ وَقَدْ وَافَقَهُ عَلَيْهِ جَمَاعَةٌ مِنْ أَنَّ الْمُرَادَ بِالْخُلَفَاءِ الِاثْنَيْ عَشَرَ الْمَذْكُورِينَ فِي هَذَا الْحَدِيثِ هُمُ الْمُتَتَابِعُونَ إِلَى زَمَنِ الْوَلِيدِ بْنِ يَزِيدَ بْنِ عَبْدِ الْمَلِكِ الْفَاسِقِ، الَّذِي قَدَّمْنَا الْحَدِيثَ فِيهِ بِالذَّمِّ وَالْوَعِيدِ، فَإِنَّهُ مَسْلَكٌ فِيهِ نَظَرٌ; وَبَيَانُ ذَلِكَ أَنَّ الْخُلَفَاءَ إِلَى زَمَنِ الْوَلِيدِ بْنِ يَزِيدَ هَذَا أَكْثَرُ مِنَ اثْنَيْ عَشَرَ عَلَى كُلِّ تَقْدِيرٍ نَفْرِضُهُ، وَبُرْهَانُهُ أَنَّ الْخُلَفَاءَ الْأَرْبَعَةَ; أَبُو بَكْرٍ وَعُمَرُ وَعُثْمَانُ وَعَلِيُّ، خِلَافَتُهُمْ مُحَقَّقَةٌ بِنَصِّ حَدِيثِ سَفِينَةَ: " «الْخِلَافَةُ بَعْدِي ثَلَاثُونَ سَنَةً» ". ثُمَّ بَعْدَهُمُ الْحَسَنُ بْنُ عَلِيٍّ، كَمَا وَقَعَ، لِأَنَّ عَلِيًّا أَوْصَى إِلَيْهِ، وَبَايَعَهُ أَهْلُ الْعِرَاقِ، وَرَكِبَ وَرَكِبُوا مَعَهُ لِقِتَالِ أَهْلِ الشَّامِ حَتَّى اصْطَلَحَ هُوَ وَمُعَاوِيَةُ وَسَلَّمَهَا إِلَيْهِ، كَمَا دَلَّ عَلَيْهِ حَدِيثُ أَبِي بَكْرَةَ فِي " صَحِيحِ الْبُخَارِيِّ "، ثُمَّ مُعَاوِيَةُ، ثُمَّ ابْنُهُ يَزِيدُ بْنُ مُعَاوِيَةَ، ثُمَّ ابْنُهُ مُعَاوِيَةُ بْنُ يَزِيدَ، ثُمَّ مَرْوَانُ بْنُ الْحَكَمِ، ثُمَّ ابْنُهُ عَبْدُ الْمَلِكِ بْنُ مَرْوَانَ، ثُمَّ ابْنُهُ الْوَلِيدُ بْنُ عَبْدِ الْمَلِكِ، ثُمَّ سُلَيْمَانُ بْنُ عَبْدِ الْمَلَكِ، ثُمَّ عُمَرُ بْنُ عَبْدِ الْعَزِيزِ، ثُمَّ يَزِيدُ بْنُ عَبْدِ الْمَلَكِ، ثُمَّ هِشَامُ بْنُ عَبْدِ الْمَلَكِ، فَهَؤُلَاءِ خَمْسَةَ عَشَرَ، ثُمَّ الْوَلِيدُ بْنُ يَزِيدَ بْنِ
পৃষ্ঠা - ৫১১৭
عَبْدِ الْمَلِكِ، فَإِنِ اعْتَبَرْنَا وِلَايَةَ ابْنِ الزُّبَيْرِ قَبْلَ عَبْدِ الْمَلِكِ صَارُوا سِتَّةَ عَشَرَ، وَعَلَى كُلِّ تَقْدِيرٍ فَهُمُ اثْنَا عَشَرَ قَبْلَ عُمَرَ بْنِ عَبْدِ الْعَزِيزِ، فَهَذَا الَّذِي سَلَكَهُ عَلَى هَذَا التَّقْدِيرِ يُدْخِلُ فِي الِاثْنَيْ عَشَرَ يَزِيدَ بْنَ مُعَاوِيَةَ، وَيُخْرِجُ مِنْهُمْ عُمَرَ بْنَ عَبْدِ الْعَزِيزِ، الَّذِي أَطْبَقَ الْأَئِمَّةُ عَلَى شُكْرِهِ وَعَلَى مَدْحِهِ، وَعَدُّوهُ مِنَ الْخُلَفَاءِ الرَّاشِدِينَ، وَأَجْمَعَ النَّاسُ قَاطِبَةً عَلَى عَدْلِهِ، وَأَنَّ أَيَّامَهُ كَانَتْ مِنْ أَعْدَلِ الْأَيَّامِ، حَتَّى إِنَّ الرَّافِضَةَ يَعْتَرِفُونَ بِذَلِكَ، فَإِنْ قَالَ: أَنَا لَا أَعْتَبِرُ فِي هَذَا إِلَّا مَنِ اجْتَمَعَتِ الْأُمَّةُ عَلَيْهِ. لَزِمَهُ عَلَى هَذَا الْقَوْلِ أَنْ لَا يَعُدَّ عَلِيَّ بْنَ أَبِي طَالِبٍ وَلَا ابْنَهُ; لِأَنَّ النَّاسَ لَمْ يَجْتَمِعُوا عَلَيْهِمَا ; وَذَلِكَ أَنَّ أَهْلَ الشَّامِ بِكَمَالِهِمْ لَمْ يُبَايِعُوهُمَا، وَعَدَّ حِينَئِذٍ مُعَاوِيَةَ وَابْنَهُ يَزِيدَ وَابْنَ ابْنِهِ مُعَاوِيَةَ بْنَ يَزِيدَ، وَلَمْ يَعْتَدَّ بِأَيَّامِ مَرْوَانَ وَلَا ابْنِ الزُّبَيْرِ; لِأَنَّ الْأُمَّةَ لَمْ تَجْتَمِعْ عَلَى وَاحِدٍ مِنْهُمَا، فَعَلَى هَذَا نَقُولُ فِي مَسْلَكِهِ هَذَا عَادًّا لِلْخُلَفَاءِ; أَبُو بَكْرٍ ثُمَّ عُمَرُ ثُمَّ عُثْمَانُ ثُمَّ مُعَاوِيَةُ ثُمَّ يَزِيدُ ثُمَّ مُعَاوِيَةُ ثُمَّ عَبْدُ الْمَلِكِ ثُمَّ الْوَلِيدُ ثُمَّ سُلَيْمَانُ ثُمَّ عُمَرُ بْنُ عَبْدِ الْعَزِيزِ ثُمَّ يَزِيدُ، ثُمَّ هِشَامٌ، فَهَؤُلَاءِ اثْنَا عَشَرَ، ثُمَّ مِنْ بَعْدِهِمُ الْوَلِيدُ بْنُ يَزِيدَ بْنِ عَبْدِ الْمَلِكِ الْفَاسِقُ، وَلَكِنَّ هَذَا لَا يُمْكِنُ أَنْ يُسْلَكَ; لِأَنَّهُ يَلْزَمُ مِنْهُ إِخْرَاجُ عَلِيٍّ وَابْنِهِ الْحَسَنِ مِنْ هَؤُلَاءِ الِاثْنَيْ عَشَرَ، وَهُوَ خِلَافُ مَا نَصَّ عَلَيْهِ أَئِمَّةُ السُّنَّةِ بَلْ وَالشِّيعَةِ، ثُمَّ هُوَ خِلَافُ مَا دَلَّ عَلَيْهِ نَصًّا
পৃষ্ঠা - ৫১১৮
রেখেছেন ৷ তাছাড়া এ মত সাফীনা বর্ণিত সহীহ্ হাদীসেরও পব্লিপন্থী যাতে রাসুলুল্লাহ্ (সা)
বলেছেন : আমার পরে থেলাফত ত্রিশ বছর পর্যন্ত চলবে, তারপরে স্বৈরাচারী শাসন আরম্ভ
হবে : ৷ সাফীনা উক্ত ত্রিশ বছরের
ব্যাখ্যাও প্রদান করেছেন এবং প্রথম চার খলীফার শাসন আমলকে নির্দিষ্ট করে বলেছেন ৷
ইমাম হাসানের ছয় মাসের শাসন ঐ ত্রিশ বছরের অন্তর্ভুক্ত, এ কথা আমরা ইতিপুর্বে
বিশদভাবে উল্লেখ করেছি ৷ অতঃপর ইমাম হাসান মুআবিয়ার পক্ষে ক্ষমতা ত্যাগ করলে
রাজ্যের নিয়ন্ত্রণ মুআবিয়ার হাতে চলে যায় ৷ এ হাদীস হযরত মুআবিয়াকে খলীফা বলে
আখ্যায়িতবদ্বরণের স্বীকৃতি দেয় না ৷ অবশ্য ত্রিশ বছর পরন্খিলাফত বন্ধ হয়ে যাওয়ায় অর্থ এ
নয় যে তা সম্পুর্ণরুপে বন্ধ হবে তা হতেই পারবে না বরং এর অর্থ খিলাফত ধারাবাহিকভাবে
ত্রিশ বছর চলবে ৷ ত্রিশ বছর পর এর ধারাবাহিকতা বিয়িত হবে ৷ পরবর্তী সময়ে খিলাফতে
রাশেদা পুনরায় চালু হওয়ার সম্ভাবনাকে এ হাদীস অস্বীকার করে না যেমনটি জাৰির ইবন
সামুরার হাদীস থেকে প্রতীয়মান হয় ৷
নু আয়ম ইবন হাম্মাদ হুযায়ফ৷ ইবন ইয়ামান থেকে বর্ণনা করেন, তিনি
বলেছেন, উছমানের পরে উমাইয়৷ বং শ থেকে বারজন বাদশা হবেন ৷ তাকে জিজ্ঞেস করা
হলো-এরা কি খলীফা হবেন ? তিনি বললেন, না, বরং বাদশাহ্
৷ বায়হাকী আবুবাহার
থেকে হাতিম ইবন সুফরার হাদীস বর্ণনা করেন ৷ আবু বাহার বলেন, আবু জাল্দ আমার
প্রতিবেশী ৷ একদা শুনতে পেলাম, তিনি শপথ করে বলছেন, এই উষ্মতের মধ্যে বারজন
খলীফার আবির্ভাব না হওয়া পর্যন্ত এ উমত ধ্ব স হবে না ৷ তাদের প্রত্যেকেই হিদায়াত ও
সত্যপথের উপর প্রতিষ্ঠিত থাকবেন ৷ তাদের দৃ জন হবেন আহলি বায় অড়াতের (নবী
পরিবারের) লোক, একজনের আয়ু হবে চল্লিশ বছর এবং অন্য জনের ত্রিশ বছর ৷ এ বর্ণনা
শেষে বায়হাকী আবু জাল্দের উক্তির প্রতিবাদ করেন ৷ কিন্তু প্রতিবাদে যা কিছু বলেছেন তা
দ্বারা প্রতিবাদ হয় না ৷ বায়হাকীর এ প্রচেষ্টা খুবই বিস্ময়কর ৷ পক্ষান্তরে, কতিপয় আলিম আবু
জালুদের উক্তিকে সমর্থন জানিয়েছেন ৷ এ প্রসঙ্গে আমরা ইতিপুর্বে যা কিছু উল্লেখ করেছি তার
মধ্যে আবু জাল্দের কথাই সম্ভবত অগাধিকারয়েগ্যে ৷ তিনি প্রাচীন আসমানী কিতাবসমুহ পাঠ
করতেন ৷ তাওরাতে এ প্রসঙ্গে এমন একটি ভবিষ্যদ্বাণী রয়েছে যা আবু জালদের উক্তির সাথে
সামঞ্জস্যপুর্ণ ৷ তার মর্ম হল এই ং আল্লাহ্ ইব্রাহীম (আ) কে ইসমাঈলের সুসৎবাদ দান
করেছিলেন ৷ তিনি ইসমাঈলের বং ×শ বৃদ্ধি করবেন এবং তার বৎশধরদের মধ্য থেকে বারজন
বাদশাহ্বানাবেন ৷
শায়খ আল্লামা আবুল আব্বাস ইবন তায়মিয়া বলেন, এ বারজন র্তারাই যাদের সম্পর্কে
হযরত জাবির ইবন স্ামুরার হাদীসে ভবিষ্যদ্বাণী করা হয়েছে ৷ এ ব্যাপারটিও স্বীকৃত সত্য যে,
তারা উম্মতের মধ্যে ভিন্ন ভিন্ন সময়ে হবেন ৷ তাদের সকলের আগমন শেষ না হওয়া পর্যন্ত
কিয়ামত অনুষ্ঠিত হবে না ৷ যে সব ইয়াহুদী আপন ধর্ম ত্যাগ করে মুসলমান হয়েছিলেন তাদের
অনেকেই এ ব্যাপারে বিভ্রান্তির শিকার হয় ৷ কেননা, তারা ধারণা করেন যে রাফিযী সম্প্রদায়
যাদেরকে বার ইমাম বলে দাবি করে র্তারইি সে সব ইমাম তাই তারা তাদের অনুসরণ করে ৷
حَدِيثُ سَفِينَةَ، عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنَّهُ قَالَ: «الْخِلَافَةُ بَعْدِي ثَلَاثُونَ سَنَةً، ثُمَّ تَكُونُ مُلْكًا عَضُوضًا» وَقَدْ ذَكَرَ سَفِينَةُ تَفْصِيلُ هَذِهِ الثَّلَاثِينَ سَنَةً. فَجَمَعَهَا مِنْ خِلَافَةِ الْأَرْبَعَةِ، وَقَدْ بَيَّنَّا دُخُولَ خِلَافَةِ الْحَسَنِ - وَكَانَتْ نَحْوًا مِنْ سِتَّةِ أَشْهُرٍ - فِيهَا أَيْضًا، ثُمَّ صَارَ الْمُلْكُ إِلَى مُعَاوِيَةَ لَمَّا سَلَّمَ الْأَمْرَ إِلَيْهِ الْحَسَنُ بْنُ عَلِيٍّ، وَهَذَا الْحَدِيثُ فِيهِ الْمَنْعُ مِنْ تَسْمِيَةِ مُعَاوِيَةَ خَلِيفَةً، وَبَيَانُ أَنَّ الْخِلَافَةَ قَدِ انْقَطَعَتْ بَعْدَ الثَّلَاثِينَ سَنَةً، لَا مُطْلَقًا، بَلِ انْقَطَعَ تَتَابُعُهَا، وَلَا يَنْفِي وُجُودَ خُلَفَاءَ رَاشِدِينَ بَعْدَ ذَلِكَ، كَمَا دَلَّ عَلَيْهِ حَدِيثُ جَابِرُ بْنُ سَمُرَةَ.
وَقَالَ نُعَيْمُ بْنُ حَمَّادٍ: حَدَّثَنَا رِشْدِينُ بْنُ سَعْدٍ، عَنِ ابْنِ لَهِيعَةَ، عَنْ خَالِدِ بْنِ أَبِي عِمْرَانَ، عَنْ حُذَيْفَةَ بْنِ الْيَمَانِ قَالَ: يَكُونُ بَعْدَ عُثْمَانَ اثْنَا عَشَرَ مَلِكًا مَنْ بَنِي أُمَيَّةَ. قِيلَ لَهُ: خُلَفَاءُ؟ قَالَ: لَا، بَلْ مُلُوكٌ.
وَقَدْ رَوَى الْبَيْهَقِيُّ مِنْ حَدِيثِ حَاتِمِ بْنِ أَبِي صَغِيرَةَ، عَنْ أَبِي بَحْرٍ قَالَ: كَانَ أَبُو الْجَلْدِ جَارًا لِي، فَسَمِعْتُهُ يَقُولُ، يَحْلِفُ عَلَيْهِ: إِنَّ هَذِهِ الْأُمَّةَ لَنْ تَهْلِكَ حَتَّى يَكُونَ فِيهَا اثْنَا عَشَرَ خَلِيفَةً، كُلُّهُمْ يَعْمَلُ بِالْهُدَى وَدِينِ الْحَقِّ، مِنْهُمْ رَجُلَانِ مِنْ أَهْلِ الْبَيْتِ; أَحَدُهُمَا يَعِيشُ أَرْبَعِينَ سَنَةً، وَالْآخِرُ ثَلَاثِينَ سَنَةً. ثُمَّ شَرَعَ الْبَيْهَقِيُّ فِي رَدِّ مَا قَالَهُ أَبُو الْجَلْدِ بِمَا لَا يَحْصُلُ بِهِ الرَّدُّ، وَهَذَا عَجِيبٌ مِنْهُ، وَقَدْ وَافَقَ أَبَا الْجَلْدِ طَائِفَةٌ مِنَ الْعُلَمَاءِ، وَلَعَلَّ قَوْلَهُ أَرْجَحُ; لِمَا ذَكَرْنَا، وَقَدْ كَانَ يَنْظُرُ فِي شَيْءٍ مِنَ الْكُتُبِ الْمُتَقَدِّمَةِ.
পৃষ্ঠা - ৫১১৯
وَفِي التَّوْرَاةِ الَّتِي بِأَيْدِي أَهْلِ الْكِتَابِ مَا مَعْنَاهُ: إِنَّ اللَّهَ تَعَالَى بَشَّرَ إِبْرَاهِيمَ بِإِسْمَاعِيلَ، وَأَنَّهُ يُنَمِّيهِ وَيُكَثِّرُهُ وَيَجْعَلُ مِنْ ذُرِّيَّتِهِ اثَّنَى عَشَرَ عَظِيمًا. قَالَ شَيْخُنَا الْعَلَّامَةُ أَبُو الْعَبَّاسِ ابْنُ تَيْمِيَّةَ: وَهَؤُلَاءِ هُمُ الْمُبَشَّرُ بِهِمْ فِي حَدِيثِ جَابِرِ بْنِ سَمُرَةَ. وَقَرَّرَ أَنَّهُمْ يَكُونُونَ مُفَرَّقِينَ فِي الْأُمَّةِ، وَلَا تَقُومُ السَّاعَةُ حَتَّى يُوجَدُوا. قَالَ: وَغَلِطَ كَثِيرٌ مِمَّنْ تَشَرَّفَ بِالْإِسْلَامِ مِنَ الْيَهُودِ فَظَنُّوا أَنَّهُمُ الَّذِينَ تَدْعُو إِلَيْهِمْ فِرْقَةُ الرَّافِضَةِ، فَاتَّبَعُوهُمْ.
وَقَدْ قَالَ نُعَيْمُ بْنُ حَمَّادٍ حَدَّثَنَا ضَمْرَةُ، عَنِ ابْنِ شَوْذَبٍ، عَنْ أَبِي الْمِنْهَالِ، عَنْ أَبِي زِيَادِ بْنِ كَعْبٍ قَالَ: إِنَّ اللَّهَ وَهَبَ لِإِسْمَاعِيلَ مِنْ صُلْبِهِ اثْنَيْ عَشَرَ قَيِّمًا، أَفْضَلُهُمْ وَخَيْرُهُمْ أَبُو بَكْرٍ وَعُمَرُ وَعُثْمَانُ.
وَقَالَ نُعَيْمٌ: حَدَّثَنَا ضَمْرَةُ، عَنِ ابْنِ شَوْذَبٍ، عَنْ يَحْيَى بْنِ أَبِي عَمْرٍو الشَّيْبَانِيِّ قَالَ: لَيْسَ مِنَ الْخُلَفَاءِ مَنْ لَمْ يَمْلِكِ الْمَسْجِدَيْنِ; الْمَسْجِدَ الْحَرَامَ وَمَسْجِدَ بَيْتِ الْمَقْدِسِ.
পৃষ্ঠা - ৫১২০
[إِخْبَارُهُ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَنْ أُمُورٍ وَقَعَتْ فِي دَوْلَةِ بَنِي الْعَبَّاسِ إِلَى زَمَانِنَا هَذَا]
ذِكْرُ الْإِخْبَارِ عَنْ أُمُورٍ وَقَعَتْ فِي دَوْلَةِ بَنِي الْعَبَّاسِ إِلَى زَمَانِنَا هَذَا
فَمِنْ ذَلِكَ بِنَاءُ أَبِي جَعْفَرٍ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مُحَمَّدِ بْنِ عَلِيِّ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَبَّاسٍ - الْخَلِيفَةِ بَعْدَ أَخِيهِ الْخَلِيفَةِ السَّفَّاحِ، وَهُوَ الْمَنْصُورُ - لِمَدِينَةِ بَغْدَادَ فِي سَنَةِ خَمْسٍ وَأَرْبَعِينَ وَمِائَةٍ.
قَالَ نُعَيْمُ بْنُ حَمَّادٍ فِي كِتَابِهِ، عَنْ أَبِي الْمُغِيرَةِ، عَنْ أَرْطَأَةَ بْنِ الْمُنْذِرِ، عَمَّنْ حَدَّثَهُ عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ أَنَّهُ أَتَاهُ رَجُلٌ وَعِنْدَهُ حُذَيْفَةُ فَقَالَ: يَابْنَ عَبَّاسٍ، قَوْلُهُ تَعَالَى {حم عسق} [الشورى: 1]
[الشُّورَى: 1، 2] . فَأَطْرَقَ سَاعَةً وَأَعْرَضَ عَنْهُ، ثُمَّ كَرَّرَهَا فَلَمْ يُجِبْهُ بِشَيْءٍ، فَقَالَ لَهُ حُذَيْفَةُ: أَنَا أُنْبِئُكَ، قَدْ عَرَفْتُ لِمَ كَرِهَهَا، إِنَّمَا نَزَلَتْ فِي رَجُلٍ مِنْ أَهْلِ بَيْتِهِ يُقَالُ لَهُ: عَبْدُ الْإِلَهِ. أَوْ عَبْدُ اللَّهِ. يَنْزِلُ عَلَى نَهْرٍ مِنْ أَنْهَارِ الْمَشْرِقِ، يَبْنِي عَلَيْهِ مَدِينَتَيْنِ يَشُقُّ النَّهْرُ بَيْنَهُمَا شَقًّا، يَجْتَمِعُ فِيهِمَا كُلُّ جَبَّارٍ عَنِيدٍ.
পৃষ্ঠা - ৫১২১
নুআয়ম ইবন হাম্মাদ কাব থেকে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন : আল্লাহ্ ইসমাঈল
(আ) এর বংশে বারজন কাইয়িম দান করেছেন ৷ তন্মধ্যে আবু বকর, উমর ও উছমান শ্রেষ্ঠ :
ণ্এ৷ ৷ ;, ৷
ড্রুএে;;, নুআয়ম ইয়াহ্ইয়া ইবন আমর আশ-শায়বানীর উক্তি বর্ণনা করেছেন ৷ তিনি ,
বলেন, খলীফাদের মধ্যে এমন বেইি নেই, যিনি মসজিদদ্বয় অর্থাৎ মসজিদে হারাম ও মসজিদে
আক্সা (বায়তুল মুকাদ্দাস) এর কর্তৃত্ব লাভ করেননি ৷
আব্বাসীয় বংশের শাসনামলের কতিপয় বিষয় সম্পর্কে ভবিষ্যদ্বাণী
আব্বাসীয় বংশের প্রথম খলীফা (আবুল আব্বাস) আসসাফ্ফাহ্ ৷ তার মৃত্যুর পর তার
ভাই আবু জাফর আল-মনসুর খিলাফতে অধিষ্ঠিত হন ৷ তিনি হিঃ ১ : ৫ সনে বাগদাদ নগরী
প্রতিষ্ঠা করেন ৷ নুআয়ম ইবন হাম্মাদ তার গ্রন্থে মুগীরা সুত্রে আবু জাফর থেকে বর্ণনা
করেছেন আবদুল্লাহ ইবন আব্বাসের নিকট হুযায়ফা (বা) বসা ছিলেন ৷ এমন সময় জনৈক
ব্যক্তি সেখানে উপস্থিত হয়ে জিজ্ঞেস করল, হে ইবন আব্বাস ! পবিত্র কুরআনের
হা-যীম-আইন-সীন-কাফ (প্রু;;;;) নাযিল হওয়ার পটভুমি কি? ইবন আব্বাস কিছুক্ষণ
মাথা নত করে তার দিক থেকে মুখ ফিরিয়ে রইলেন ৷ ঐ ব্যক্তি কয়েকবার একই কথা জিজ্ঞেস
করল; কিন্তু তিনি কোন উত্তর দিলেন না ৷ হুযায়ফা বলেন, আমি বুঝতে পারলাম, যে কেন
বারবার এ কথা ইবন আব্বাসের নিকট জিজ্ঞেস করছে ৷ সুতরাং তাকে বললাম, এর উত্তর
আমিই দিচ্ছি ৷ তারপর তিনি বলেন, এটি ইবন আব্বাসের পরিবারের এক জনের সম্পর্কে
নাযিল হয়েছে, তার নাম আব্দুহৃন্৷ ইলাহ বা আবদুল্লাহ ৷ সে পুর্বাঞ্চলের এক নদীর তীরে অবস্থান
করবে ৷ ঐ নদীর দুই তীরে সে দু’টি শহর নির্মাণ করবে ৷ এটা হবে অহং কারী ও যালিম
বাদশাদের রাজধানী ৷
আবুল কাসিম তাবারানী ,সালিহ ইবন আলী সুত্রে৩ তীর দাদা থেকে বর্ণনা করেন ৷ নবী
করীম (সা) বলেছেন, একশ’ চুয়ান্ন (১৫৪) সনের পরে অবস্থা এমন দাড়াবে যে, তখন নিজের
ঔরসজাত সম্ভানকে লালন-পালন করার চেয়ে একটি কুকুরের বাচ্চাকে লালন-পালন করা
অধিকতর কল্যাণকর হবে ৷ আমাদের শায়খ সাহাবী এ বর্ণনাকে মাওঘু বলেছেন, আবদুল্লাহ্
ইবন সড়াম্তকে এ ব্যাপারে অভিযুক্ত করা হয়েছে ৷ বুখারীর উস্তাদ নুআয়ম ইবন হামমাদ তার
গ্রন্থ আল ফিতান ওয়াল মালাহিম ৷ আবু আমর বসরী কাবের উক্তি বর্ণনা করেছেন, একশ
ষাট হিজরী পুর্ণ হলে পুর্ণ ধৈর্যশীল লোকদের ধৈর্য ও জ্ঞানীদের জ্ঞান-বিবেকহ্রাস পাবে ৷
ইমাম মালিক ইবন আনাসের প্রতি ইঙ্গিতপুর্ণ ভবিষ্যদ্বাণী
তিরমিযী ইবন উয়ায়নড়া সুত্রে আবু হুরায়রা (রা) থেকে বর্ণনা করেন ৷ তিনি বলেন,
শীঘ্রই এমন একটি সময় আসছে, যখন মানুষ দীনের ইল্ম অম্বেষণে উটে আরোহণ করে
দুর দুরাম্ভ পথ অতিক্রম করবে ৷ তখন মদীনায় অবস্থুড়ানরত জনৈক আলিমের চেয়ে অধিক
ইলমের অধিকারী তারা অন্য কাউকে পাবে না ৷ অতঃপর ইমাম তিরমিযী বলেন, এ হাদীসটি
হাসান এবং ঐ আলিম ব্যক্তি হচ্ছেন মালিক ইবন আনাস ৷ আবদুর রায্যাকও অনুরুপ অভিমত
ব্যাক্ত করেছেন ৷ ইমাম মালিক (র) একশ’ উনাশি (১৭৯) সনে ইন্তিকাল করেন ৷
وَقَالَ أَبُو الْقَاسِمِ الطَّبَرَانِيُّ: حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ عَبْدِ الْوَهَّابِ بْنِ نَجْدَةَ الْحَوْطِيُّ، حَدَّثَنَا أَبُو الْمُغِيرَةِ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ السِّمْطِ، حَدَّثَنَا صَالِحُ بْنُ عَلِيٍّ الْهَاشِمِيُّ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ جَدِّهِ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «لِأَنْ يُرَبِّيَ أَحَدُكُمْ بَعْدَ أَرْبَعٍ وَخَمْسِينَ وَمِائَةٍ جَرْوَ كَلْبٍ، خَيْرٌ لَهُ مِنْ أَنْ يُرَبِّيَ وَلَدًا لِصُلْبِهِ» قَالَ شَيْخُنَا الذَّهَبِيُّ: هَذَا الْحَدِيثُ مَوْضُوعٌ. وَاتُّهِمَ بِهِ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ السِّمْطِ هَذَا.
وَقَالَ نُعَيْمُ بْنُ حَمَّادٍ الْخُزَاعِيُّ شَيْخُ الْبُخَارِيِّ فِي كِتَابِهِ " الْفِتَنِ وَالْمَلَاحِمِ ": حَدَّثَنَا أَبُو عُمَرَ الْبَصْرِيُّ، عَنْ أَبِي بَيَانَ الْمَعَافِرَيِّ، عَنْ تُبَيْعٍ، عَنْ كَعْبٍ قَالَ: إِذَا كَانَتْ سَنَةُ سِتِّينَ وَمِائَةٍ انْتَقَصَ فِيهَا حِلْمُ ذَوِي الْأَحْلَامِ، وَرَأْيُ ذَوِي الرَّأْيِ.
[إِخْبَارُهُ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَنْ مَالِكِ بْنِ أَنَسٍ الْإِمَامِ]
حَدِيثٌ آخَرُ فِيهِ إِشَارَةٌ إِلَى مَالِكِ بْنِ أَنَسٍ الْإِمَامِ، رَحِمَهُ اللَّهُ
رَوَى التِّرْمِذِيُّ مِنْ حَدِيثِ ابْنِ عُيَيْنَةَ، عَنِ ابْنِ جُرَيْجٍ، عَنْ أَبِي الزُّبَيْرِ، عَنْ أَبِي صَالِحٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ رِوَايَةً: «يُوشِكُ أَنْ يَضْرِبَ النَّاسُ أَكْبَادَ الْإِبِلِ يَطْلُبُونَ الْعِلْمَ، فَلَا يَجِدُونَ أَحَدًا أَعْلَمَ مِنْ عَالِمِ الْمَدِينَةِ» ثُمَّ قَالَ: هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ، وَهُوَ حَدِيثُ ابْنِ عُيَيْنَةَ، وَقَدْ رَوَى عَنْهُ أَنَّهُ قَالَ: هُوَ مَالِكُ بْنُ أَنَسٍ. وَكَذَا قَالَ عَبْدُ الرَّزَّاقِ.
পৃষ্ঠা - ৫১২২
ইমাম মুহাম্মদ ইবন ইদরীস অশে-শাফিঈর
প্ৰতি ইঙ্গিতপুর্ণ ভবিষ্যদ্বাণী
আবু দাউদ তায়ালিসী জাফর ইবন সুলায়মান হযরত আর্বদুল্লাহ্ (রা) থেকে বর্ণনা
করেন ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) বলেছেন, তোমরা কুরায়শ বংশের কাউকে পালি দিওনা; কারণ এ
বংশে এমন একজন আলিম জন্মগ্রহণ করবে, যার ইল্ম দ্বারা জগত পুর্ণ হবে ৷ হে আল্লাহা
কুরায়শদের প্রথম যুগের মুসলমানদেরকে বিভিন্ন পরীক্ষার মাধ্যমে তুমি তিক্ত স্বাদ আস্বাদন
করিয়েছ, সুতরাং পরবর্তী কুরায়শদেরকে তুমি নিয়ামতের মিষ্ট স্বাদ দান করিও ৷ হাকিম এ
হাদীস আবু হুরায়রা (রা) সুত্রে বর্ণনা করেছেন ৷ হাফিয আবু নাঈম ইম্পাহানী বলেন, সেই
ব্যক্তি হচ্ছেন ইমাম শাফিঈ ৷ ইমাম শাফিঈ হি দৃশ চার (২০৪) সালে ইনতিকাল করেন ৷
আমরা ইমাম শাফিঈ ও তার শিষ্যদের জীবনড়ালেখ্য ভিন্ন এক খন্ডে লিপিবদ্ধ করেছি ৷
হাদীস
রাওয়াদ ইবন জারাহ হুযায়ফা (রা) থেকে মারকু হাদীস বর্ণনা করেন ৷ রাসুলুল্পাহ্ (সা)
বলেছেন, দুশ সনের পরে তোমাদের মধ্যে যে ব্যক্তি সর্বোত্তম লোক বলে বিবেচিত হবে, যার
শরীর হালকা হবে ( ১£ন্৷ ৷ ; ৰুঙ্) ৷ সাহাবীগণ জিজ্ঞেস করলেন ইয়া রাসুলাল্লাহ! শরীর
হালকা বলতে কী বুঝায় ? তিনি বললেন, যার শ্রী, সম্পদ ও সন্তান নইি ৷
আরেকটি হাদীস
ইবন মাজা হাসান ইবন আলী আল খাল্লাল আবু কাতাদা (রা) সুত্রে বর্ণনা করেন,
রাসুলুল্লাহ্ (সা) বলেছেন, (কিয়ামতের) নিদর্শনসমুহ দু’শ সনের পর থেকে আরম্ভ হবে ৷ নাসর
ইবন আলী আনাস ইবন মালিক (রা) থেকে বর্ণনা করেন ৷ রাসুলুল্পাহ্ (সা) বলেছেন, আমার
উম্মত পাচটি স্তরে বিভক্ত, তার মধ্যে চল্লিশ বছর সৎ ও থােদাভীরু লোকদের যুগ ? ,প্রু )া১ ৷
প্রুপ্রু£; এরপর থেকে একশ’ বিশ বছরের মধ্যে যারা আসবে তারা হবে মানুষের প্রতি
সহানুভুতিশীল ও সুসষ্পর্ক রক্ষাকারী ব্যক্তিবর্গ : ;াপ্রু; , ণ্১ ৷ ;; াষ্ ৷ এরপর একশ ষাট
সনের মধ্যের স্তরটি হবে সম্পর্ক বিচ্ছিন্নকারী লোকদের : ৫ ,£;: , ) ৷ এ () ৷ এরপর আসবে
ফেৎনা-ফ্যাসাদ ও ধ্বংস-বিপর্যয়ের কাল ( ব্লু প্রুধ্ ৷ ) ৷ সাবধান ! সাবধান ৷ ৷
নাসর ইবন আলী আনাস ইবন মালিক (রা) থেকে বর্ণনা করেন ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা)
বলেছেন, আমার উষ্মতুন্ পাচটি স্তরে বিভক্ত ৷ প্রতিটি স্তরের মেয়াদ হবে চল্লিশ বছর করে ৷
আমার ও আমার সাহাবীগণের স্তরটি হলো ইল্ম ও ঈমানের দ্বারা পরিপুর্ণ : ণ্া; াস্ ৷
ড্রুধ্ ৷ , দ্বিতীয় স্তর চল্লিশ থেকে আশি সনের মধ্যে; এই কালটি হলো পুণ্য ও আল্লাহ ভীতির
কাল ৷ তারপর উপরের হাদীসের ন্যায় বর্ণনা করেন ৷ আনাস ইবন মালিক থেকে বর্ণিত
উপরোক্ত দুটো সুত্রই গরীব পর্যায়তুক্ত ৷ আর এটি অগ্রহণযােগ্যতা মুক্ত নয় ৷
ইমাম আহমদ ওকী ইবন আমাশ ইমরান ইবন হুসায়ন (রা) থেকে বর্ণনা করেন ৷
রাসুলুল্পাহ্ (সা) বলেছেন, আমার যুগের লোক সর্বোৎকৃষ্ট; তার পরের স্থান তাদের, যারা এ
যুগের পরে আসবে এবং তারও পরের স্থান তাদের, যারা ঐ যুগের পরে আসবে ৷ তারপরে
قُلْتُ وَقَدْ تُوُفِّيَ مَالِكٌ رَحِمَهُ اللَّهُ، سَنَةَ تِسْعٍ وَسَبْعِينَ وَمِائَةٍ.
[إِخْبَارُهُ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَنِ الشَّافِعِيِّ]
حَدِيثٌ آخَرُ فِيهِ إِشَارَةٌ إِلَى مُحَمَّدِ بْنِ إِدْرِيسَ الشَّافِعِيِّ
قَالَ أَبُو دَاوُدَ الطَّيَالِسِيُّ: حَدَّثَنَا جَعْفَرُ بْنُ سُلَيْمَانَ، عَنِ النَّضْرِ بْنِ حُمَيْدٍ الْكِنْدِيِّ أَوِ الْعَبْدِيِّ، عَنْ أَبِي الْجَارُودِ، عَنْ أَبِي الْأَحْوَصِ، «عَنْ عَبْدِ اللَّهِ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: لَا تَسُبُّوا قُرَيْشًا; فَإِنَّ عَالِمَهَا يَمْلَأُ الْأَرْضَ عِلْمًا، اللَّهُمَّ إِنَّكَ أَذَقْتَ أَوَّلَهَا وَبَالًا، فَأَذِقْ آخِرَهَا نَوَالًا» وَقَدْ رَوَاهُ الْحَاكِمُ مِنْ طَرِيقِ أَبِي هُرَيْرَةَ. وَقَالَ الْحَافِظُ أَبُو نُعَيْمٍ الْأَصْبَهَانِيُّ: هُوَ الشَّافِعِيُّ. قُلْتُ: وَقَدْ تُوُفِّيَ الشَّافِعِيُّ، رَحِمَهُ اللَّهُ، فِي سَنَةِ أَرْبَعٍ وَمِائَتَيْنِ، وَقَدْ أَفْرَدْنَا تَرْجَمَتَهُ فِي مُجَلَّدٍ، وَذَكَرْنَا مَعَهُ تَرَاجِمَ أَصْحَابِهِ مِنْ بَعْدِهِ.
حَدِيثٌ آخَرُ: رَوَى رَوَّادُ بْنُ الْجَرَّاحِ، عَنْ سُفْيَانَ الثَّوْرِيِّ، عَنْ مَنْصُورٍ،
পৃষ্ঠা - ৫১২৩
عَنْ رِبْعِيٍ، عَنْ حُذَيْفَةَ مَرْفُوعًا: «خَيْرُكُمْ بَعْدَ الْمِائَتَيْنِ خَفِيفُ الْحَاذِ ". قَالُوا: وَمَا خَفِيفُ الْحَاذِ يَا رَسُولَ اللَّهِ؟ قَالَ: " مَنْ لَا أَهْلَ لَهُ وَلَا مَالَ وَلَا وَلَدَ»
حَدِيثٌ آخَرُ: قَالَ ابْنُ مَاجَهْ: حَدَّثَنَا الْحَسَنُ بْنُ عَلِيٍّ الْخَلَّالُ، حَدَّثَنَا عَوْنُ بْنُ عُمَارَةَ، حَدَّثَنِي عَبْدُ اللَّهِ بْنُ الْمُثَنَّى بْنِ ثُمَامَةَ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ جَدِّهِ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، عَنْ أَبِي قَتَادَةَ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " الْآيَاتُ بَعْدَ الْمِائَتَيْنِ ".
وَحَدَّثَنَا نَصْرُ بْنُ عَلِيٍّ الْجَهْضَمِيُّ، حَدَّثَنَا نُوحُ بْنُ قَيْسٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مَعْقِلٍ، عَنْ يَزِيدَ الرَّقَاشِيِّ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «أُمَّتِي عَلَى خَمْسِ طَبَقَاتٍ ; فَأَرْبَعُونَ سَنَةً أَهْلُ بِرٍّ وَتَقْوَى، ثُمَّ الَّذِينَ يَلُونَهُمْ إِلَى عِشْرِينَ وَمِائَةِ سَنَةٍ أَهْلُ تَرَاحُمٍ وَتَوَاصُلٍ، ثُمَّ الَّذِينَ يَلُونَهُمْ إِلَى سِتِّينَ وَمِائَةِ أَهْلُ تَدَابُرٍ وَتَقَاطُعٍ، ثُمَّ الْهَرْجُ الْهَرْجُ، النَّجَا النَّجَا» وَحَدَّثَنَا نَصْرُ بْنُ عَلِيٍّ، حَدَّثَنَا حَازِمٌ أَبُو مُحَمَّدٍ الْعَنْزِيُّ، حَدَّثَنَا الْمِسْوَرُ بْنُ الْحَسَنِ، عَنْ أَبِي مَعْنٍ، عَنْ
পৃষ্ঠা - ৫১২৪
আসবে এমন সব (লোক, যারা এমন গুণাবলীর দাবি করবে, যা তাদের মধ্যে নেই, তাদের
নিকট জিজ্ঞেস না করতেই তারা সাক্ষ্য দেবে :
ণ্১-হু
তিরমিযী এ হাদীসখানা আমাশ সুত্রে বর্ণনা করেছেন ৷ ইমাম বুখারী ও মুসলিম শু’বা
সুত্রে ইমরান ইবন হুসায়ন (রা) থেকে বর্ণনা করেন ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) বলেছেন, আমার
সর্বোৎকৃষ্ট উম্মত তারাই, যারা আমার যুগে আছে, তারপরের স্থান তাদের যারা এদের পরে
আসবে এবং তারপরের স্থান তাদের যারা তাদের পরে আসবে ৷ ইমরান বলেন , রাসুলুল্লাহ্ (সা)
তার যুগের পরে দুই বা তিন যুগের উল্লেখ করেছেন, তা আমার স্মরণ নেই ৷ তারপর এমন
এক সম্প্রদায় আসবে, যাদের নিকট সাক্ষ্য চাওয়া হবে না অথচ তারা সাক্ষ্য দেবে, তারা
আমানতের খিয়ানত করবে এবং তাদের ওপর নির্ভর করা যাবে না ৷ তারা মানত করবে, কিত্তু
তা পুরণ করবে না ৷ তাদের মধ্যে অহংবােধ প্রকাশ পাবে ৷ এটি বুখারীর ভাষ্য ৷
ইমাম বুখারী মুহাম্মদ ইবন কাহীর আবদুল্লাহ (রা) থেকে বর্ণনা করেন ৷ রাসুলুল্লাহ্
(না) বলেছেন : সর্বোত্কৃষ্ট যুগ আমার যুগ, এর পরের স্থান তাদের, যারা এ যুগের পরে
আসবে ৷ তারপরের স্থান তাদের, যারা দ্বিতীয় যুগের পরে আসবে ৷ তারপরের স্থান তাদের,
যারা তৃতীয় যুগের পরে আসবে ৷ অতঃপর এমন সব লোকের যুগ আসবে, যারা কখনও আগে
সাক্ষ্য দিয়ে পরে কসম করবে, আবার কখনও প্রথমে কসম করে পরে সাক্ষ্য দেবে ৷ এ
হাদীসের জনৈক বর্ণনাকারী ইব্রাহীম বলেন, আমাদের বাল্যকালে (অনাহুত) সাক্ষ্য দেয়ার
জন্য এবং প্রতিজ্ঞা করার জন্য আমাদেরকে প্রহার করা হতো ৷ আবু দাউদ ভিন্ন অন্যান্য হাদীস
বেত্তাগণ বিভিন্ন সুত্রে মনসুর থেকে এটি বর্ণনা করেছেন ৷
আরেকটি হাদীস
নুআয়ম ইবন হাম্মাদ আবু আমর বসরী ইবন মাসউদ (রা) সুত্রে বর্ণনা করেন ৷ নবী
করীম (সা) বলেছেন, আব্বাসীয় বংশের সপ্তম শাসক জনগণকে একটি মহা পাপের দিকে
অহ্বান করবে ৷ কিন্তু জনগণ তার আহ্বানে সাড়া দেবে না ৷ তার আপনজন তাকে বলবে,
আপনি কি আমাদেরকে আমাদের জীবনোপকরণ থেকে বিচ্ছিন্ন করতে চান? উত্তরে শাসক
বলবে আমি তোমাদের মাঝে আবু বকর ও উমরের নীতি প্রবর্তন করতে চইি ৷ কিন্তু তারা তার
কথা গ্রহণ করতে অস্বীকার করবে ৷ তারপর হাশিম গোত্রভুক্ত তার এক শত্রু তাকে হত্যা
করবে ৷ সে যখন এ কাজে উদ্যত হবে তখন জনসাধারণের মধ্যে প্রচন্ড মতভেদ শুরু হবে ৷
এরপর নুআয়ম ইবন হাষ্মড়াদ মতভেদের বিশদ বর্ণনা দেন ৷ অবশেষে সুফিয়ানীর আবির্ভাব
ঘটবে ৷ এ হাদীস (খলীফা) আবদুল্লাহ আল-মড়ামুনের উপর প্রযোজ্য হয়, যিনি জনগণকে
কুরআন মব্জীদ সৃষ্ট ( ;, ৷ ,দ্ব ড্রুা;) হওয়ার মতবাদে বিশ্বাস করতে আহ্বান জানিয়েছিলেন ৷
আল্লাহ এ ফিৎনা থেকে মুসলমানদেরকে রক্ষা করেছিলেন ৷ যথাস্থানে এ সম্পর্কে বিস্তারিত
আলোচনা আসবে ৷ সুফিয়ানী একজন লোক, আবু সুফিয়ানের প্রতি সম্পর্কিত করে তাকে
সুফিয়ানী বলা হয়, শেষ যুগে তার আগমন ঘটবে ৷ কিতাবুল মালাহিমে এ বিষয়ে আলোচনা
করা হবে ৷
أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «أُمَّتِي عَلَى خَمْسِ طَبَقَاتٍ، كُلُّ طَبَقَةٍ أَرْبَعُونَ عَامًا، فَأَمَّا طَبَقَتِي وَطَبَقَةُ أَصْحَابِي فَأَهْلُ عَلَمٍ وَإِيمَانٍ، وَأَمَّا الطَّبَقَةُ الثَّانِيَةُ مَا بَيْنَ الْأَرْبَعِينَ إِلَى الثَّمَانِينَ، فَأَهْلُ بِرٍّ وَتَقْوَى» ثُمَّ ذَكَرَ نَحْوَهُ. هَذَا لَفْظُهُ، وَهُوَ حَدِيثٌ غَرِيبٌ مِنْ هَذَيْنَ الْوَجْهَيْنِ، وَلَا يَخْلُو عَنْ نَكَارَةٍ. وَاللَّهُ أَعْلَمُ.
وَقَدْ قَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: ثَنَا وَكِيعٌ، ثَنَا الْأَعْمَشُ، حَدَّثَنَا هِلَالُ بْنُ يِسَافٍ، عَنْ عِمْرَانَ بْنِ حُصَيْنٍ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «خَيْرُ النَّاسِ قَرْنِي، ثُمَّ الَّذِينَ يَلُونَهُمْ، ثُمَّ الَّذِينَ يَلُونَهُمْ، ثُمَّ يَجِيءُ قَوْمٌ يَتَسَمَّنُونَ، يُحِبُّونَ السِّمَنَ، يُعْطُونَ الشَّهَادَةَ قَبْلَ أَنْ يُسْأَلُوهَا» وَرَوَاهُ التِّرْمِذِيُّ مِنْ طَرِيقِ الْأَعْمَشِ
وَقَدْ رَوَاهُ الْبُخَارِيُّ وَمُسْلِمٌ مِنْ حَدِيثِ شُعْبَةَ، عَنْ أَبِي جَمْرَةَ، عَنْ زَهْدَمِ بْنِ مُضَرِّبٍ، سَمِعْتُ عِمْرَانَ بْنَ حُصَيْنٍ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «خَيْرُ أُمَّتِي قَرْنِي، ثُمَّ الَّذِينَ يَلُونَهُمْ ثُمَّ الَّذِينَ يَلُونَهُمْ - قَالَ عِمْرَانُ: فَلَا أَدْرِي أَذَكَرَ بَعْدَ قَرْنِهِ
পৃষ্ঠা - ৫১২৫
قَرْنَيْنِ أَوْ ثَلَاثَةً؟ - ثُمَّ إِنَّ بَعْدَكُمْ قَوْمًا يَشْهَدُونَ وَلَا يُسْتَشْهَدُونَ، وَيَخُونُونَ وَلَا يُؤْتَمَنُونَ، وَيَنْذِرُونَ وَلَا يُوفُونَ، وَيَظْهَرُ فِيهِمُ السِّمَنُ» لَفْظُ الْبُخَارِيِّ.
وَقَالَ الْبُخَارِيُّ: حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ كَثِيرٍ، أَنَا سُفْيَانُ، عَنْ مَنْصُورٍ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ، عَنْ عُبَيْدَةَ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «خَيْرُ النَّاسِ قَرْنِي، ثُمَّ الَّذِينَ يَلُونَهُمْ، ثُمَّ الَّذِينَ يَلُونَهُمْ، ثُمَّ الَّذِينَ يَلُونَهُمْ، ثُمَّ يَجِيءُ قَوْمٌ تَسْبِقُ شَهَادَةُ أَحَدِهِمْ يَمِينَهُ وَيَمِينُهُ شَهَادَتَهُ» قَالَ إِبْرَاهِيمُ: وَكَانُوا يَضْرِبُونَنَا عَلَى الشَّهَادَةِ وَالْعَهْدِ وَنَحْنُ صِغَارٌ. وَقَدْ رَوَاهُ بَقِيَّةُ الْجَمَاعَةِ إِلَّا أَبَا دَاوُدَ مِنْ طُرُقٍ مُتَعَدِّدَةٍ، عَنْ مَنْصُورٍ بِهِ.
حَدِيثٌ آخَرُ: قَالَ نُعَيْمُ بْنُ حَمَّادٍ: حَدَّثَنَا أَبُو عُمَرَ الْبَصْرِيُّ، عَنِ ابْنِ لَهِيعَةَ، عَنْ عَبْدِ الْوَهَّابِ بْنِ حُسَيْنٍ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ ثَابِتٍ الْبُنَانِيِّ، عَنْ أَبِيهِ، عَنِ الْحَارِثِ الْهَمْدَانِيِّ، عَنِ ابْنِ مَسْعُودٍ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «السَّابِعُ مِنْ وَلَدِ الْعَبَّاسِ يَدْعُو النَّاسَ إِلَى الْكُفْرِ فَلَا يُجِيبُونَهُ، فَيَقُولُ لَهُ أَهْلُ بَيْتِهِ: تُرِيدُ أَنْ تُخْرِجَنَا مِنْ مَعَايِشِنَا؟! فَيَقُولُ: إِنِّي أَسِيرُ فِيكُمْ بِسِيرَةِ أَبِي بَكْرٍ وَعُمَرَ فَيَأْبَوْنَ عَلَيْهِ فَيَقْتُلُهُ عَدُوٌّ لَهُ مِنْ أَهْلِ بَيْتِهِ مَنْ بَنِي هَاشِمٍ، فَإِذَا وَثَبَ عَلَيْهِ اخْتَلَفُوا فِيمَا بَيْنَهُمْ» فَذَكَرَ
পৃষ্ঠা - ৫১২৬
اخْتِلَافًا طَوِيلًا إِلَى خُرُوجِ السُّفْيَانِيِّ. وَهَذَا الْحَدِيثُ يَنْطَبِقُ عَلَى عَبْدِ اللَّهِ الْمَأْمُونِ الَّذِي دَعَا النَّاسَ إِلَى الْقَوْلِ بِخَلْقِ الْقُرْآنِ، وَوَقَى اللَّهُ شَرَّهَا، كَمَا سَنُورِدُ ذَلِكَ فِي مَوْضِعِهِ، وَالسُّفْيَانِيُّ رَجُلٌ يَكُونُ فِي آخِرِ الزَّمَانِ مَنْسُوبٌ إِلَى أَبِي سُفْيَانَ يَكُونُ مِنْ سُلَالَتِهِ، وَسَيَأْتِي فِي آخِرِ كِتَابِ الْمَلَاحِمِ.
حَدِيثٌ آخَرُ: قَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا هَاشِمٌ، ثَنَا لَيْثٌ، عَنْ مُعَاوِيَةَ بْنِ صَالِحٍ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ جُبَيْرٍ، عَنْ أَبِيهِ، «سَمِعْتُ أَبَا ثَعْلَبَةَ الْخُشَنِيَّ صَاحِبَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، أَنَّهُ سَمِعَهُ يَقُولُ وَهُوَ بِالْفُسْطَاطِ فِي خِلَافَةِ مُعَاوِيَةَ، وَكَانَ مُعَاوِيَةُ أَغْزَى النَّاسَ الْقُسْطَنْطِينِيَّةَ فَقَالَ: وَاللَّهِ لَا تَعْجِزُ هَذِهِ الْأُمَّةُ مِنْ نِصْفِ يَوْمٍ، إِذَا رَأَيْتَ الشَّامَ مَائِدَةَ رَجُلٍ وَاحِدٍ وَأَهْلِ بَيْتِهِ، فَعِنْدَ ذَلِكَ فَتْحُ الْقُسْطَنْطِينِيَّةِ.» هَكَذَا رَوَاهُ أَحْمَدُ مَوْقُوفًا عَلَى أَبِي ثَعْلَبَةَ.
وَقَدْ أَخْرَجَهُ أَبُو دَاوُدَ فِي " سُنَنِهِ " مِنْ حَدِيثِ ابْنِ وَهْبٍ، عَنْ مُعَاوِيَةَ بْنِ صَالِحٍ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ جُبَيْرٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَبِي ثَعْلَبَةَ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «لَنْ يُعْجِزَ اللَّهُ هَذِهِ الْأُمَّةَ مِنْ نِصْفِ يَوْمٍ» تَفَرَّدَ بِهِ أَبُو دَاوُدَ.
ثُمَّ قَالَ أَبُو دَاوُدَ: ثَنَا عَمْرُو بْنُ عُثْمَانَ، ثَنَا أَبُو الْمُغِيرَةِ، حَدَّثَنِي صَفْوَانُ عَنْ شُرَيْحِ بْنِ عُبَيْدٍ، عَنْ سَعْدِ بْنِ أَبِي وَقَاصٍ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنَّهُ قَالَ: «إِنِّي لَأَرْجُو أَنْ لَا تَعْجِزَ أُمَّتِي عِنْدَ رَبِّهَا أَنْ يُؤَخِّرَهُمْ نِصْفَ يَوْمٍ» قِيلَ لِسَعْدٍ: وَكَمْ
পৃষ্ঠা - ৫১২৭
হাদীস
ইমাম আহমদ, হড়াশিম জুবায়র (রা) থেকে বর্ণনা করেন ৷ তিনি বলেন, আমি
রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর সাহাবী আবু ছা’লাবা আল-খুশানী (রা)-কে বলতে শুনেছি ৷ তিনি তখন
মুআবিয়ার খিলাফতকালে ফুসত্যাত১ অবস্থান করছিলেন ৷ মুআবিয়া তখন কনক্টাস্টিংনাপলের
বিরুদ্ধে যুদ্ধরত ছিলেন ৷ আবু ছা’লাবা রাসুলুল্লাহ্ (সা) ফে এই কথা বলতে শুনেছেন-
আল্লাহ্র কলম, অর্ধ দিনের পুর্বে এই উষ্মৎ ধ্বং স হবে না ৷ ঐ সময়ে তুমি প্রত্যক্ষ করবে যে,
সিরিয়ায় একজন লোক ও তার পরিবারের একচ্ছত্র কর্তৃত্ব চলছে ৷ এই সময়কালে
কনপ্টান্টিন্থনাপল বিজিত হবে ৷ ইমাম আহমদ মাওকুফ ভাবেও এ হাদীসটি আবু ছা’লাবা (রা)
থেকে বর্ণনা করেছেন ৷
আবু দউিদ তার সুনান গ্রন্থে এ হাদীস ইবন ওহাব সুত্রে আবু ছালাবা থেকে বর্ণনা
করেছেন ৷ তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ্ (সা) বলেছেন, আল্লাহ্ অর্ধ দিবসের পুর্বে কিছুতেই এ
উম্মতকে ধ্বংস করবেন না অপর এক সুত্রে
আবু দাউদ সা’দ ইবন আবু ওয়াক্কাস (রা) থেকে বর্ণনা করেন ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা)
বলেছেন, আমি আশা করি যে, অর্ধ দিবসের অবকাশ না পেয়ে আমার এ উম্মতকে আল্লাহ
ধ্বংস করবেন না ৷ সা’দকে জিজ্ঞেস করা হলো, অর্ধ দিবসের পরিমাণ কী? তিনি বললেন,
পাচশ বছর ৷ এটি আবু দাউদের একক বর্ণনা ৷ এ হাদীসের সনদ উত্তম ৷ এর মধ্যে নবুওতের
প্রমাণ বিদ্যমান আছে ৷ কারণ, এর দ্বারা দাবি করা হয়েছে যে, এ উম্মত অর্ধ দিবস অর্থাৎ
পড়াচশ’ বছর টিকে থাকবে ৷ যেমনটি ঐ সাহাবী ব্যাখ্যা করেছেন ৷ উল্লেখিত অর্ধ দিবসের ভিত্তি
কুরআন মজীদে বর্ণিত নিম্নোক্ত আয়াতং ৷ ,
অর্থাৎ তোমাদের গণনাকৃত এক হাজার বছর আল্লাহ্র নিকট এক দিন মাত্র ৷ ভবিষ্যদ্বার্ণীতে
পাচশ’ বছর টিকে থাকার ঘোষণার দ্বারা এর চেয়ে অধিক সময় টিকে থাকার অস্বীকৃতি বুঝায়
না ৷ এ প্রসঙ্গে বহুল প্রচারিত অপর একটি হাদীসের উল্লেখ করা যায় যে রাসুলুল্পাহ্ (সা)
মৃত্যুর দিন থেকে কিয়ামত পর্যন্ত এক হাজার বছর করবে শায়িত থাকবেন না, (অর্থাৎ এক
হাজার বছর পুর্ণ হবার পুর্বেই কিয়ামত সংঘটিত হবে) এ হাদীসের কােনই ভিত্তি নেই ৷
আরেকটি হাদীস
এ সম্পর্কে বর্ণিত হয়েছে যে, হিজাযে এক প্রকার অগ্নি প্রকাশ হবে এবং সে অগ্নির
আলোয় বুসরার২ উটের ঘাড় আলোকিত হবে ৷ বন্তুত হি ৬৫৪ সনে এরুপ অগ্নির প্রকাশ
ঘটেছিল ৷
বুথারী আবুল ইয়ামান আবু হুরায়রা (রা) সুত্রে বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ্ (সা)
বলেছেন : কিয়ামত ততদিন পর্যন্ত হবে না যতদিন না, হিজায থেকে এমন এক আগুনের
প্রকাশ ঘটে, যার আলোয় বসরার উটের ঘাড় আলোকিত হয়ে উঠবে ৷ এটি বুখারীর একক
বর্ণনা ৷ ঐতিহাসিকগণ বলেছেন, ৬৫৪ সালে এ ধরনের আগুন প্রকাশ পেয়েছিল ৷
১ ফুসতাত হচ্ছে পুরনো কায়রাে শহর ৷ জামে আষহার অবস্থানকালে আমার তা দেখার সুযোগ হয়েছে ৷ ষ্ইবন
সাঈদ
২ এটা ইরাকের বসরা শহর নয়, বরং সিরিয়ার প্রাচীন শহর ৷
نِصْفُ يَوْمٍ؟ قَالَ: خَمْسُمِائَةِ سَنَةٍ. تَفَرَّدَ بِهِ أَبُو دَاوُدَ، وَإِسْنَادُهُ جَيِّدٌ. وَهَذَا مِنْ دَلَائِلِ النُّبُوَّة ِ، فَإِنَّ هَذَا يَقْتَضِي وُقُوعَ تَأْخِيرِ الْأُمَّةِ نِصْفَ يَوْمٍ، وَهُوَ خَمْسُمِائَةِ سَنَةٍ كَمَا فَسَّرَهُ الصَّحَابِيُّ، وَهُوَ مَأْخُوذٌ مِنْ قَوْلِهِ تَعَالَى: {وَإِنَّ يَوْمًا عِنْدَ رَبِّكَ كَأَلْفِ سَنَةٍ مِمَّا تَعُدُّونَ} [الحج: 47] . ثُمَّ هَذَا الْإِخْبَارُ بِوُقُوعِ هَذِهِ الْمُدَّةِ لَا يَنْفِي وُقُوعَ مَا زَادَ عَلَيْهَا، فَأَمَّا مَا يَذْكُرُهُ كَثِيرٌ مِنَ النَّاسِ مِنْ أَنَّهُ، عَلَيْهِ الصِّلَامُ وَالسَّلَامُ، لَا يُؤَلِّفُ فِي قَبْرِهِ، بِمَعْنَى لَا يَمْضِي عَلَيْهِ أَلْفُ سَنَةٍ مِنْ يَوْمِ مَاتَ إِلَى حِينِ قِيَامِ السَّاعَةِ، فَإِنَّهُ حَدِيثٌ لَا أَصْلَ لَهُ فِي شَيْءٍ مِنْ كُتُبِ الْإِسْلَامِ. وَاللَّهُ أَعْلَمُ.
حَدِيثٌ آخَرُ فِيهِ الْإِخْبَارُ عَنْ ظُهُورِ النَّارِ الَّتِي كَانَتْ بِأَرْضِ الْحِجَازِ، حَتَّى أَضَاءَتْ لَهَا أَعْنَاقَ الْإِبِلِ بِبُصْرَى، وَقَدْ وَقَعَ هَذَا فِي سَنَةِ أَرْبَعٍ وَخَمْسِينَ وَسِتِّمِائَةٍ. قَالَ الْبُخَارِيُّ فِي " صَحِيحِهِ ": ثَنَا أَبُو الْيَمَانِ، ثَنَا شُعَيْبٌ، عَنِ الزُّهْرِيِّ قَالَ: قَالَ سَعِيدُ بْنُ الْمُسَيَّبِ أَخْبَرَنِي أَبُو هُرَيْرَةَ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «لَا تَقُومُ السَّاعَةُ حَتَّى تَخْرُجَ نَارٌ مِنْ أَرْضِ الْحِجَازِ تُضِيءُ أَعْنَاقَ الْإِبِلِ بِبُصْرَى» تَفَرَّدَ بِهِ الْبُخَارِيُّ.
وَقَدْ ذَكَرَ أَهْلُ التَّارِيخِ وَغَيْرُهُمْ مِنَ النَّاسِ، وَتَوَاتَرَ وُقُوعُ هَذَا فِي سَنَةِ أَرْبَعٍ وَخَمْسِينَ وَسِتِّمِائَةٍ; قَالَ الشَّيْخُ الْإِمَامُ الْحَافِظُ شَيْخُ الْحَدِيثِ وَإِمَامُ الْمُؤَرِّخِينَ فِي زَمَانِهِ شِهَابُ الدِّينِ عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ إِسْمَاعِيلَ الْمُلَقَّبُ بِأَبِي شَامَةَ، فِي " تَارِيخِهِ ": إِنَّهَا ظَهَرَتْ يَوْمَ الْجُمُعَةِ فِي خَامِسِ جُمَادَى الْآخِرَةِ سَنَةَ أَرْبَعٍ
পৃষ্ঠা - ৫১২৮
وَخَمْسِينَ وَسِتِّمِائَةٍ، وَأَنَّهَا اسْتَمَرَّتْ شَهْرًا وَأَزِيدَ مِنْهُ. وَذَكَرَ كُتُبًا مُتَوَاتِرَةً عَنْ أَهْلِ الْمَدِينَةِ فِي كَيْفِيَّةِ ظُهُورِهَا شَرْقِيَّ الْمَدِينَةِ مِنْ نَاحِيَةِ وَادِي شَظَا، تِلْقَاءَ أُحُدٍ، وَأَنَّهَا مَلَأَتْ تِلْكَ الْأَوْدِيَةَ، وَأَنَّهُ يَخْرُجُ مِنْهَا شَرَرٌ يَأْكُلُ الْحِجَارَةَ، وَذَكَرَ أَنَّ الْمَدِينَةَ زُلْزِلَتْ بِسَبَبِهَا، وَأَنَّهُمْ سَمِعُوا أَصْوَاتًا مُزْعِجَةً قَبْلَ ظُهُورِهَا بِخَمْسَةِ أَيَّامٍ، أَوَّلُ ذَلِكَ مُسْتَهَلُّ الشَّهْرِ يَوْمَ الِاثْنَيْنِ، فَلَمْ تَزَلْ لَيْلًا وَنَهَارًا حَتَّى ظَهَرَتْ يَوْمَ الْجُمُعَةِ خَامِسَهُ، فَانْبَجَسَتْ تِلْكَ الْأَرْضُ عِنْدَ وَادِي شَظَا عَنْ نَارٍ عَظِيمَةٍ جِدًّا، صَارَتْ مِثْلَ الْوَادِي، طُولُهُ أَرْبَعَةُ فَرَاسِخَ فِي عَرْضِ أَرْبَعَةِ أَمْيَالٍ، وَعَمْقُهُ قَامَةٌ وَنِصْفٌ، يَسِيلُ الصَّخْرُ حَتَّى يَبْقَى مِثْلَ الْآنُكِ، ثُمَّ يَصِيرُ كَالْفَحْمِ الْأَسْوَدِ، وَذَكَرَ أَنَّ ضَوْءَهَا يَمْتَدُّ إِلَى تَيْمَاءَ بِحَيْثُ كَتَبَ النَّاسُ عَلَى ضَوْئِهَا فِي اللَّيْلِ، وَكَأَنَّ فِي بَيْتِ كُلٍّ مِنْهُمْ مِصْبَاحًا، وَرَأَى النَّاسُ سَنَاهَا مِنْ مَكَّةَ، شَرَّفَهَا اللَّهُ.
قُلْتُ: وَأَمَّا بُصَرَى فَأَخْبَرَنِي قَاضِي الْقُضَاةِ صَدْرُ الدِّينِ عَلِيُّ بْنُ أَبِي قَاسِمٍ التَّمِيمِيُّ الْحَنَفِيُّ قَالَ: أَخْبَرَنِي وَالِدِي، وَهُوَ الشَّيْخُ صِفِيُّ الدِّينِ مُدَرِّسُ بُصَرَى، أَنَّهُ أَخْبَرَهُ غَيْرُ وَاحِدٍ مِنَ الْأَعْرَابِ صَبِيحَةَ تِلْكَ اللَّيْلَةِ مَنْ كَانَ
পৃষ্ঠা - ৫১২৯
শায়খ ইমাম হাফিয শায়খুল হাদীস, ঐতিহাসিকদের ইমাম শিহাবুদ্দীন আবদুর রহ্মান,
যিনি আবু শামা নামে প্রসিদ্ধ, তিনি তার ইতিহাস গ্রন্থে লিখেছেন ঐ আগুন হি ৬৫৪ সনে
জুমাদাল আখির মাসের পাচ তারিখ শুক্রবারে প্রকাশ পায় এবং এক মাসের অধিক সময় ব্যাপী
তা স্থায়ী থাকে ৷ মদীনায় বহু লোকেরংবর্ণনার উদ্ধৃতি দিয়ে তিনি লিখেন, এ আগুন মদীনায়
পুর্বে উহুদ পর্বতের পথে শাজ্বজা উপত্যকার পাদদেশ থেকে উথিত হয় এবং পার্শ্ববর্তী
উপত্যকাসমুহে বিন্তুতি ৩লাভ করে ৷ মদীনায় মাটি এর কারণে ণ্কপে ওঠে ৷ ঐ আগুন প্রকাশের
পাচ দিন পুর্বে মদীনাবাসীরা এক বিকট শব্দ শুনতে পান ৷ মাসের প্রথম দিন সােমবারে এই
শব্দ শোনা যায় ৷ তারপর পরবর্তী শুক্রবার পর্যন্ত রাত দিন তা অব্যাহত থাকে ৷ শুক্রবারে
আগুন প্রকাশিত হয় ৷ শাজ্বজার পার্শ্ববর্তী অঞ্চলে তা ক্রমশ ছড়িয়ে পড়ে এবং বিশাল অগ্নিকুন্ডে
পরিণত হয় ৷ অগ্নিটি লম্বায় চার করসাখ১ , প্রন্থে চার মাইল এবং গভীরতায় একজন মানুষ
যতটুকু লম্বা তার দেড় গুণ ৷ আগুনের তেজে পাথরগলিত শীসার মত বয়ে যায় ৷ এবং পরে
কাল কয়লায় পরিণত হয় ৷ সে আগুনের আলো সুদুর তায়মা পর্যন্ত বিন্তুত হয়; এমন কি
সেখানকার লোকজন রাত্রে ঐ আলোয় লেখাপড়া করে ৷ অথচ তাদের প্রত্যেকের ঘরে আলোর
ব্যবস্থা ছিল ৷ মক্কার লোকজন ঐ আগুনের লেলিহান শিখা দেখতে পায় ৷ বুসরার প্রধান
বিচারপতি আলী ইবন আবুল কাসিম হানাফী আমাকে এ আগুনের বিষয়ে বুসরাবাসীদের দেখা
সম্পর্কে বলেছেন তার পিতা শায়খ সফী উদ্দীন বুসরার কোন মাদ্রাসায় শিক্ষকতার নিযুক্ত
ছিলেন ৷ তিনি বলেন যে, ঐ ণ্রাত্রের পরবর্তী সকালে বহু বেদুইন যারা বুসরা শহরে রাত্রি যাপন
করেছে আমাকে বলেছে যে, হিজায ভুমি থেকে যে অগ্নিউথিত হয়েছে, তারা তার আলোয়
নিজেদের উটের ঘাড় পরিষ্কারভাবে দেখতে পেয়েছে ৷ শায়খ শিহাবুদ্দীন বলেন, ঐ দিনগুলোতে
মদীনাবাসীরা মসজিদে নববীতে আশ্রয় নেয় এবং নিজেদের পাপের জন্য আল্লাহ্র নিকট ক্ষমা
প্রার্থনা করে ৷ নবী (সা) এর রওযা শরীষেম্ম নিকটে গিয়ে কৃত পাপের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করে,
দাস দ৷ ৷সীকে মুক্ত করে, দরিদ্র ও প্রতিবেশিদেরকে দান খয়রাত করে ৷ এ প্রসঙ্গে তাদেরই এক
করি বলেছেনং :
ণ্াওা
’ ঞঠু
াড্রু,া’ষ্
ৰুশু;প্রু’শ্ব ণ্ণ্স্রা
১ এক ফারসাখে তিন মাইল হয়ে থাকে ৷ সম্পাদকদ্বয়
ও শ্গ্
بِحَاضِرَةِ بَلَدِ بُصَرَى، أَنَّهُمْ رَأَوْا صَفَحَاتِ أَعْنَاقِ إِبِلِهِمْ فِي ضَوْءِ هَذِهِ النَّارِ الَّتِي ظَهَرَتْ مِنْ أَرْضِ الْحِجَازِ.
وَقَدْ ذَكَرَ الشَّيْخُ شِهَابُ الدِّينِ أَنَّ أَهْلَ الْمَدِينَةِ لَجَئُوا فِي هَذِهِ الْأَيَّامِ إِلَى الْمَسْجِدِ النَّبَوِيِّ، وَتَابُوا إِلَى اللَّهِ مِنْ ذُنُوبٍ كَانُوا عَلَيْهَا، وَاسْتَغْفَرُوا عِنْدَ قَبْرِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، مِمَّا سَلَفَ مِنْهُمْ، وَأَعْتَقُوا الْغِلْمَانَ، وَتَصَدَّقُوا عَلَى فُقَرَائِهِمْ وَمَحَاويجِهِمْ، وَقَدْ قَالَ قَائِلُهُمْ فِي ذَلِكَ:
يَا كَاشِفَ الضُّرِّ صَفْحًا عَنْ جَرَائِمِنَا ... لَقَدْ أَحَاطَتْ بِنَا يَا رَبِّ بَأْسَاءُ
نَشْكُو إِلَيْكَ خُطُوبًا لَا نُطِيقُ لَهَا ... حَمْلًا وَنَحْنُ بِهَا حَقًّا أَحِقَّاءُ
زَلَازِلًا تَخْشَعُ الصُّمُّ الصِّلَادُ لَهَا ... وَكَيْفَ يَقْوَى عَلَى الزِّلْزَالِ شَمَّاءُ
أَقَامَ سَبْعًا يَرُجُّ الْأَرْضَ فَانْصَدَعَتْ ... عَنْ مَنْظَرٍ مِنْهُ عَيْنُ الشَّمْسِ عَشْوَاءُ
بَحْرٌ مِنَ النَّارِ تَجْرِي فَوْقَهُ سُفُنٌ ... مِنَ الْهِضَابِ لَهَا فِي الْأَرْضِ إِرْسَاءُ
يُرَى لَهَا شَرَرٌ كَالْقَصْرِ طَائِشَةٌ ... كَأَنَّهَا دِيمَةٌ تَنْصِبُّ هَطْلَاءُ
تَنْشَقُّ مِنْهَا قُلُوبُ الصَّخْرِ إِنْ زَفَرَتْ ... رُعْبًا وَتَرْعُدُ مِثْلَ الشُّهُبِ أَضْوَاءُ
পৃষ্ঠা - ৫১৩০
مِنْهَا تَكَاثَفَ فِي الْجَوِّ الدُّخَانُ إِلَى
أَنْ عَادَتِ الشَّمْسُ مِنْهُ وَهِيَ دَهْمَاءُ ... قَدْ أَثَّرَتْ سُفْعَةً فِي الْبَدْرِ لَفْحَتُهَا
فَلَيْلَةُ التِّمَّ بَعْدَ النُّورِ لَيْلَاءُ ... فَيَالَهَا آيَةً مِنْ مُعْجِزَاتِ رَسُو
لِ اللَّهِ يَعْقِلُهَا الْقَوْمُ الْأَلِبَّاءُ
إِلَى آخِرِهَا.
وَمِمَّا قِيلَ فِي هَذِهِ النَّارِ مَعَ غَرَقِ بَغْدَادَ فِي هَذِهِ السَّنَةِ:
سُبْحَانَ مَنْ أَصْبَحَتْ مَشِيئَتُهُ ... جَارِيَةً فِي الْوَرَى بِمِقْدَارِ
أَغْرَقَ بَغْدَادَ بِالْمِيَاهِ كَمَا ... أَحْرَقَ أَرْضَ الْحِجَازِ بِالنَّارِ
حَدِيثٌ آخَرُ: قَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا أَبُو عَامِرٍ، ثَنَا أَفْلَحُ بْنُ سَعِيدٍ الْأَنْصَارِيُّ، شَيْخٌ مِنْ أَهْلِ قِبَاءٍ مِنَ الْأَنْصَارِ، حَدَّثَنِي عَبْدُ اللَّهِ بْنُ رَافِعٍ مَوْلَى أُمِّ سَلَمَةَ قَالَ: سَمِعْتُ أَبَا هُرَيْرَةَ يَقُولُ: سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ: «إِنْ طَالَتْ بِكَ مُدَّةٌ، أَوْشَكَ أَنْ تَرَى قَوْمًا يَغْدُونَ فِي سَخَطِ اللَّهِ وَيَرُوحُونَ فِي لَعْنَتِهِ، فِي أَيْدِيهِمْ مِثْلُ أَذْنَابِ الْبَقَرِ» وَرَوَاهُ مُسْلِمٌ عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ نُمَيْرٍ، عَنْ زَيْدِ بْنِ الْحُبَابِ، عَنْ أَفْلَحَ بْنِ سَعِيدٍ بِهِ. وَرَوَى مُسْلِمٌ أَيْضًا، عَنْ زُهَيْرِ بْنِ
পৃষ্ঠা - ৫১৩১
حَرْبٍ، عَنْ جَرِيرٍ، عَنْ سُهَيْلٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «صِنْفَانِ مِنْ أَهْلِ النَّارِ لَمْ أَرَهُمَا بَعْدُ ; قَوْمٌ مَعَهُمْ سِيَاطٌ كَأَذْنَابِ الْبَقَرِ يَضْرِبُونَ بِهَا النَّاسَ، وَنِسَاءٌ كَاسِيَاتٌ عَارِيَاتٌ مَائِلَاتٌ مُمِيلَاتٌ، رُءُوسُهُنَّ كَأَسْنِمَةِ الْبُخْتِ الْمَائِلَةِ، لَا يَدْخُلْنَ الْجَنَّةَ، وَلَا يَجِدْنَ رِيحَهَا، وَإِنَّ رِيحَهَا لَيُوجَدُ مِنْ مَسِيرَةِ كَذَا وَكَذَا» . وَهَذَانِ الصِّنْفَانِ، وَهُمَا الْجَلَّادُونَ الَّذِينَ يُسَمَّوْنَ بِالرَّجَّالَةِ وَالْجَانْدَارِيَّةِ كَثِيرُونَ فِي زَمَانِنَا هَذَا، وَمِنْ قَبْلِهِ وَقَبْلِ قَبْلِهِ بِدَهْرٍ، وَالنِّسَاءُ الْكَاسِيَاتُ الْعَارِيَاتُ ; أَيْ عَلَيْهِنَّ لُبُسٌ لَا تُوَارِي سَوْآتِهِنَّ، بَلْ هُوَ زِيَادَةٌ فِي الْعَوْرَةِ، وَإِبْدَاءٌ لِلزِّينَةِ، مَائِلَاتٌ فِي مَشْيِهِنَّ، مُمِيلَاتٌ غَيْرَهُنَّ إِلَيْهِنَّ وَقَدْ عَمَّ الْبَلَاءُ بِهِنَّ فِي زَمَانِنَا هَذَا، وَمِنْ قَبْلِهِ أَيْضًا، وَهَذَا مِنْ أَكْبَرِ دَلَالَاتِ النُّبُوَّةِ ; إِذْ وَقَعَ الْأَمْرُ فِي الْخَارِجِ طِبْقَ مَا أَخْبَرَ بِهِ، عَلَيْهِ السَّلَامُ، وَقَدْ تَقَدَّمَ حَدِيثُ جَابِرٍ: " أَمَا إِنَّهَا سَتَكُونُ لَكُمْ أَنْمَاطٌ ". وَذُكِرَ تَمَامُ الْحَدِيثِ فِي وُقُوعِ ذَلِكَ وَاحْتِجَاجِ امْرَأَتِهِ عَلَيْهِ بِهَذَا.
حَدِيثٌ آخَرُ: رَوَى الْإِمَامُ أَحْمَدُ عَنْ عَبْدِ الصَّمَدِ بْنِ عَبْدِ الْوَارِثِ، عَنْ دَاوُدَ بْنِ أَبِي هِنْدَ، وَأَخْرَجَهُ الْبَيْهَقِيُّ مِنْ حَدِيثِهِ، عَنْ أَبِي
পৃষ্ঠা - ৫১৩২
অর্থাৎ হে বিপদের কাণ্ডারী ! আমাদেবই অপরাধের কারণে যে ভয়াবহ বিপদ আমাদেরকে
পরিবেষ্টন করে ফেলেছে, তা থেকে আমাদেরকে উদ্ধার কর ৷ হে রব ! এ বিপদ সহ্য করার
ক্ষমতা আমাদের নেই ৷ যদিও এরুপ শাস্তি পাবারই আমরা যোগ্য ৷ এটা এমন এক কম্পন,
যার ধাক্কায় কঠিন পাথরও ভীত হয়ে পড়ে ৷ বন্তুত এরুপ কম্পন থেকে পাথরও রক্ষা পেতে
পারে না ৷ ক্রমাগত সাতদিন পর্যন্ত এটা পৃথিবীকে ’ধা,ক্কাতে থাকে ৷ ফলে দৃশ্য পটে সুর্য যেন
ফেটে অন্ধকারে নিমজ্জিত হয়ে যায় ৷ এটা যেন আগুনের এক সমুদ্র, যার উপরে অজস্র
অগ্নি-নৌকা দিক-বিদিক ছুটাছুটি করছে ৷ দেখলে মনে হয় যেন সে অগ্নির শিখাগুলাে সুউচ্চ
প্রাসাদরাজি, যেন একটি বান্তুভিটার উপর মুষলধারে বৃষ্টিপাত হচ্ছে ৷ তার গর্জনে পাষাণ হৃদয়ও
ভয়ে ফেটে যায় ৷ নক্ষত্রের ন্যায় বিদ্যুৎ চমকে উঠে ৷ এর থেকে উৎপন্ন দ্বুগল ধোয়া সমগ্র
আকাশকে আচ্ছন্ন করে ফেলে ৷ সে ধোয়ার আড়ালেসুর্যও কৃষ্ণবর্ণ ধারণ করে ৷ অবস্থা এমন
হয়েছে যেন সাপের বিয়ের ক্রিয়ার পুর্ণিমার রাত ঘোর অন্ধকারে পতিত হয়েছে ৷ হায়! এটা
তাে আল্লাহর রাসুলের মু’জিযাসমুহের মধ্য থেকে একটি মু’জিযা বৈ কিছু নয় ৷ তবে কেবল
জ্ঞানসম্পন্ন লোবইি এটা অনুধাবন করতে সক্ষম হয় ৷ ন্
এই একই বছরে বাগদার্দনগরীও বন্যায় প্লাবিত হয় ৷ উভয় ঘটনার উল্লেখ করে জনৈক
করি বলেছেন :
ষ্মৈং
া
অর্থাৎ মহাপবিত্র সেই সত্তা, যার ইচ্ছা এ বিশ্বের বুকে সর্বদা কার্যকরী ৷ সেই ইচ্ছাশচ্ছি
বাগাদাদকে বন্যা দ্বারা প্লাবিত করেছে, যেরুপ জ্বালিয়ে ছারখার করেছে হিজায তুমিকে আগুন
দ্বারা ৷
আরেকটি হাদীস : যালিম শাসক ও বে-অব্রেন্ নারীদের সম্পর্কে
ইমাম আহমদ, আবু আমির আবু হুরায়রা (রা) সুত্রে বর্ণনা করেন ৷ তিনি বলেন,
আমি শুনেছি রাসুলুল্লাহ্ (সা) বলেছেন, তোমরা যদি দীর্ঘদিন বেচে থাক তবে এমন এক
সম্প্রদায়কে দেখতে পাবে যারা সকাল যেলা আল্লাহর অসন্তুষ্টির মধ্যে অতিবাহিত করবে এবং
সন্ধ্যড়াকালে তার অভিশাপে পতিত হবে ৷ তাদের হাতে এমন এক জিনিস থাকবে, যা দেখতে
গরুর লেজের ন্যায় মনে হবে ,া মুসলিমও এ হাদীস মুহম্মদ ইবন আবদুল্লাহ আফলাহ
ইবন সাঈদ (রা) সুত্রে বর্ণনা করেছেন ৷ মুসলিম এ জাতীয় আর একটি হাদীস বর্ণনা করেছেন
আবু হুরায়রা (রা ) থেকে ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) বলেছেন, জাহান্নড়ামীদের মধ্যে দু’টি দল এমন হবে,
যাদের সাদৃশ্য আমি কোথাও দেখিনি ৷ তার মধ্যে এক দল তারা, যাদের হাতে গরুর লেজের
মত দড়ি থাকবে এবং মানুষকে তারা তা দিয়ে প্রহার করবে ৷ দ্বিতীয় দল হল ঐ সব নারী,
যারা পোশাক পরিধান করবে বটে ; কিন্তু দেখা যাবে উলঙ্গ নারীর ন্যায় ৷ নিজেদের রুপ অন্যকে
দেখাবে এবং অন্যকে নিজেদের দিকে আকর্ষণ করবে :
১১া তাদের মাথা হবে উটের কুজের মত ৷ তারা জান্নাতে প্রবেশ করবে না এবং তার
ম্রাণও পাবে না ৷ অথচ সে ঘ্রাণ এত এত দুর পর্যন্ত বিন্তুত হয়ে ৷ এ দুটি দল আমাদের এ
— : ৮
حَرْبِ بْنِ أَبِي الْأَسْوَدِ الدُّئِلِيِّ، «عَنْ طَلْحَةَ بْنِ عَمْرٍو الْبَصْرِيِّ، أَنَّهُ قَدِمَ الْمَدِينَةَ عَلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَبَيْنَمَا هُوَ يُصَلِّي إِذْ أَتَاهُ رَجُلٌ فَقَالَ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، أَحْرَقَ بُطُونَنَا التَّمْرُ، وَتَخَرَّقَتْ عَنَّا الْخُنُفُ. قَالَ: فَحَمِدَ اللَّهَ وَأَثْنَى عَلَيْهِ ثُمَّ قَالَ: " لَقَدْ رَأَيْتُنِي وَصَاحِبِي مَكَثْنَا بِضْعَ عَشْرَةَ لَيْلَةً وَمَا لَنَا طَعَامٌ غَيْرَ الْبَرِيرِ، حَتَّى أَتَيْنَا إِخْوَانَنَا مِنَ الْأَنْصَارِ، فَآسَوْنَا مِنْ طَعَامِهِمْ، وَكَانَ جُلَّ طَعَامِهِمُ التَّمْرُ، وَالَّذِي لَا إِلَهَ إِلَّا هُوَ لَوْ قَدَرْتُ لَكُمْ عَلَى الْخُبْزِ وَاللَّحْمِ لَأَطْعَمْتُكُمُوهُ، وَسَيَأْتِي عَلَيْكُمْ زَمَانٌ أَوْ مَنْ أَدْرَكَهُ مِنْكُمْ يَلْبَسُونَ مِثْلَ أَسْتَارِ الْكَعْبَةِ، وَيُغْدَى وَيُرَاحُ عَلَيْكُمْ بِالْجِفَانِ ". قَالُوا: يَا رَسُولَ اللَّهِ، أَنْحَنُ يَوْمَئِذٍ خَيْرٌ أَمِ الْيَوْمَ؟ قَالَ: " بَلْ أَنْتُمُ الْيَوْمَ خَيْرٌ، أَنْتُمُ الْيَوْمَ إِخْوَانٌ، وَأَنْتُمْ يَوْمَئِذٍ يَضْرِبُ بَعْضُكُمْ رِقَابَ بَعْضٍ» .
وَقَدْ رَوَى سُفْيَانُ الثَّوْرِيُّ، عَنْ يَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ، عَنْ أَبِي مُوسَى يُحَنَّسَ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «إِذَا مَشَتْ أُمَّتِي الْمُطَيْطَاءَ وَخَدَمَتْهُمْ فَارِسُ وَالرُّومُ، سَلَّطَ اللَّهُ بَعْضَهُمْ عَلَى بَعْضٍ» . وَقَدْ أَسْنَدَهُ الْبَيْهَقِيُّ مِنْ طَرِيقِ مُوسَى بْنِ
পৃষ্ঠা - ৫১৩৩
عُبَيْدَةَ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ دِينَارٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ.
حَدِيثٌ آخَرُ: قَالَ أَبُو دَاوُدَ: حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ دَاوُدَ الْمَهْرِيُّ، ثَنَا ابْنُ وَهْبٍ، ثَنَا سَعِيدُ بْنُ أَبِي أَيُّوبَ، عَنْ شَرَاحِيلَ بْنِ يَزِيدَ الْمَعَافِرِيِّ، عَنْ أَبِي عَلْقَمَةَ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، فِيمَا أَعْلَمُ، عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «إِنَّ اللَّهَ يَبْعَثُ لِهَذِهِ الْأُمَّةِ عَلَى رَأْسِ كُلِّ مِائَةِ سَنَةٍ مَنْ يُجَدِّدُ لَهَا أَمْرَ دِينِهَا» . قَالَ أَبُو دَاوُدَ: رَوَاهُ عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ شُرَيْحٍ الْإِسْكَنْدَرَانِيُّ لَمْ يَجُزْ بِهِ شَرَاحِيلُ تَفَرَّدَ بِهِ أَبُو دَاوُدَ وَقَدْ ذَكَرَ كُلُّ طَائِفَةٍ مِنَ الْعُلَمَاءِ فِي رَأْسِ كُلِّ مِائَةِ سَنَةٍ، عَالِمًا مِنْ عُلَمَائِهِمْ يُنَزِّلُونَ هَذَا الْحَدِيثَ عَلَيْهِ، وَقَالَ طَائِفَةٌ مِنَ الْعُلَمَاءِ: بَلِ الصَّحِيحُ أَنَّ الْحَدِيثَ يَشْمَلُ كُلَّ فَرْدٍ فَرْدٍ مِنْ آحَادِ الْعُلَمَاءِ مِنْ هَذِهِ الْأَعْصَارِ مِمَّنْ يَقُومُ بِفَرْضِ الْكِفَايَةِ فِي أَدَاءِ الْعِلْمِ عَمَّنْ أَدْرَكَ مِنَ السَّلَفِ إِلَى مَنْ يُدْرِكُهُ مِنَ الْخَلَفِ، كَمَا جَاءَ فِي الْحَدِيثِ مِنْ طُرُقٍ مُرْسَلَةٍ وَغَيْرِ مُرْسَلَةٍ: " يَحْمِلُ هَذَا الْعِلْمَ مِنْ كُلِّ خَلَفٍ
পৃষ্ঠা - ৫১৩৪
عُدُولُهُ، يَنْفُونَ عَنْهُ تَحْرِيفَ الْغَالِينَ، وَانْتِحَالَ الْمُبْطِلِينَ ". وَهَذَا مَوْجُودٌ، وَلِلَّهِ الْحَمْدُ وَالْمِنَّةُ، إِلَى زَمَانِنَا هَذَا، وَنَحْنُ فِي الْقَرْنِ الثَّامِنِ، وَاللَّهُ الْمَسْئُولُ أَنْ يَخْتِمَ لَنَا بِخَيْرٍ، وَأَنْ يَجْعَلَنَا مِنْ عِبَادِهِ الصَّالِحِينَ، وَمِنْ وَرَثَةِ جَنَّةِ النَّعِيمِ، آمِينَ آمِينَ يَا رَبَّ الْعَالَمِينَ.
وَسَيَأْتِي الْحَدِيثُ الْمُخَرَّجُ مِنَ " الصَّحِيحِ ": «لَا تَزَالُ طَائِفَةٌ مِنْ أُمَّتِي ظَاهِرِينَ عَلَى الْحَقِّ لَا يَضُرُّهُمْ مَنْ خَذَلَهُمْ وَلَا مَنْ خَالَفَهُمْ، حَتَّى يَأْتِيَ أَمْرُ اللَّهِ وَهُمْ كَذَلِكَ» . وَفِي " صَحِيحِ الْبُخَارِيِّ ": " وَهُمْ بِالشَّامِ ". وَقَدْ قَالَ كَثِيرٌ مِنْ عُلَمَاءِ السَّلَفِ: إِنَّهُمْ أَهْلُ الْحَدِيثِ. وَهَذَا أَيْضًا مِنْ دَلَائِلِ النُّبُوَّةِ، فَإِنَّ أَهْلَ الْحَدِيثِ بِالشَّامِ الْيَوْمَ أَكْثَرُ مِنْ سَائِرِ أَقَالِيمِ الْإِسْلَامِ، وَلِلَّهِ الْحَمْدُ، وَلَا سِيَّمَا بِمَدِينَةِ دِمَشْقَ، حَمَاهَا اللَّهُ وَصَانَهَا، كَمَا وَرَدَ فِي الْحَدِيثِ الَّذِي سَنَذْكُرُهُ أَنَّهَا تَكُونُ مَعْقِلَ الْمُسْلِمِينَ عِنْدَ وُقُوعِ الْفِتَنِ.
وَفِي " صَحِيحِ مُسْلِمٍ " «عَنِ النَّوَّاسِ بْنِ سَمْعَانَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَخْبَرَ عَنْ عِيسَى ابْنِ مَرْيَمَ أَنَّهُ يَنْزِلُ مِنَ السَّمَاءِ عَلَى الْمَنَارَةِ الْبَيْضَاءِ شَرْقِيَّ دِمَشْقَ» . وَلَعَلَّ أَصْلَ لَفْظِ الْحَدِيثِ: عَلَى الْمَنَارَةِ الْبَيْضَاءِ الشَّرْقِيَّةِ بِدِمَشْقَ. وَقَدْ بَلَغَنِي أَنَّهُ كَذَلِكَ فِي بَعْضِ الْأَجْزَاءِ، وَلَمْ أَقِفْ عَلَيْهِ إِلَى الْآنَ، وَاللَّهُ الْمُيَسِّرُ، وَقَدْ جُدِّدَتْ هَذِهِ الْمَنَارَةُ الْبَيْضَاءُ الشَّرْقِيَّةُ بِجَامِعِ دِمَشْقَ - بَعْدَ مَا أَحْرَقَهَا النَّصَارَى - فِي أَيَّامِنَا هَذِهِ بَعْدَ سَنَةِ أَرْبَعِينَ وَسَبْعِمِائَةٍ، مِنْ أَمْوَالِ النَّصَارَى ; مُقَاصَّةً عَلَى مَا