আল বিদায়া ওয়া আন্নিহায়া

سنة إحدى عشرة من الهجرة

فصل: إيراد ما بقي علينا من متعلقات السيرة الشريفة

كتاب دلائل النبوة

تعريفها
পৃষ্ঠা - ৪৬৭৭

অধ্যায়
দালাইলুন নবুওয়াহ বা নবুওয়াতের প্রমাণসমুহ

এ সকল প্রমাণাদি দৃ’প্রকার ৷ ১ ৷ অভীন্ডিয়, ২ ৷ ইদ্রিয়গ্রাহ্য ৷ তার নবুওয়াতের অন্যতম
অতীদ্রিয় প্রমাণ হল তার উপর কুরআন অবতীর্ণ হওয়া ৷ আর তা নিঃসন্দেহে ণ্শ্রষ্ঠতম ঘুজিযা,
উজ্জ্বলতম নিদর্শন এবং স্পষ্টতম প্রমাণ ৷ কেননা, এই কুরআন এমন এক অলৌকিক গঠন ও
বিন্যাসের ধারক যা দ্বারা সে সমগ্র মানব ও জিন জাতিকে চ্যালেঞ্জ করেছেতার অনুরুপ গ্রন্থ
রচনার জন্য, কিন্তু তারা তাতে অক্ষম হয়েছে ৷ অথচ তার (কুরআনের) শত্রুদের মাঝে তার
প্রতিদ্বস্মিতার বহু উপাদান মওজুদ ছিল, তাদের কাজে তাদের ভাষার প্রাঞ্জলতা ও অনুপম

অলঙ্কার জ্ঞান ৷ তারপর কুরআন তাদেরকে কুরআনের সুরার ন্যায় দশটি সুরা রচনার আহ্বান
জানিয়ে চ্যালেঞ্জ করেছে, কিন্তু এতেও তারা অক্ষম হয়েছে ৷ সর্বশ্যেষ কুরআন তাদেরকে

সর্বনিম্ন একটি মাত্র সুরা রচনার চ্যালেঞ্জ ছুড়োছ; কিন্তু এতেও তারা অক্ষম হয়েছে ৷ আর এ
বিষয়ে নিজেদের অক্ষমত৷ ও অযোগ্যতার কথা তারা জানত আর এও তার জানতো যে, এই
কুরআন এমন একটি গ্রন্থ, যার অনুরুপ কোন গ্রন্থ রচনার কারও কোন সাধ্য নেই আল্লাহ্
তা জানা বলেন ং

র্চু)ট্র

০ ’ :

এেএস্পি-
বল, যদি এই কুরআনের অনুরুপ কুরআন আনয়নের জন্য সমস্ত মানুষ ও জিন একত্রিত
হয় এবং তারা পরস্পরকে সাহায্য করে তবুও তারা এর অনুরুপ আনয়ন করতে পারবে না”
(১৭ আল ইসরা ং ৮৮) ৷ এটি মকী আয়াত আর সুরা আত্-তুরে তিনি বলেন, আর সেটিও
মকী সুরা-

ং ’ : : শ্ : ) : ) ; : ! : )


“নাকি তারা বলে, এই কুরআন তার নিজের রচনা, বরং তারা অবিশ্বাসী, তারা যদি
সত্যবাদী হয়ে থাকে তাহলে এর সদৃশ কোন রচনা উপস্থিত করুক না (৫২ আত্ ভুর :
৩৩ ৩৪) ৷

অর্থাৎ (হে কুরআন বিরোধিরা) যদি তোমরা বিশ্বাস করে থাক যেত তিনি তার নিজ থেকে
এই কুরআন রচনা করেছেন তাহলে তিনি তো তোমাদের মতই মানুষ, সুতরাং তিনি যা
এসেছেন তার মত কিছু তােমরাও আন ৷ কেননা তোমাদের দাবি তো তোমরা তারই মত ৷
সুরা বাকারাতে আল্লাহ্ তাআলা পুনরায় চ্যালেঞ্জ করে বলেন, আর এটি মাদানী সুরা :


[كِتَابُ دَلَائِلِ النُّبُوَّةِ] [تَعْرِيفُهَا] وَهِيَ مَعْنَوِيَّةٌ وَحِسِّيَّةٌ؛ فَمِنَ الْمَعْنَوِيَّةِ إِنْزَالُ الْقُرْآنِ الْعَظِيمِ عَلَيْهِ، وَهُوَ أَعْظَمُ الْمُعْجِزَاتِ، وَأَبْهَرُ الْآيَاتِ، وَأَبْيَنُ الْحُجَجِ الْوَاضِحَاتِ؛ لِمَا اشْتَمَلَ عَلَيْهِ مِنَ التَّرْكِيبِ الْمُعْجِزِ الَّذِي تَحَدَّى بِهِ الْإِنْسَ وَالْجِنَّ أَنْ يَأْتُوا بِمِثْلِهِ فَعَجَزُوا عَنْ ذَلِكَ، مَعَ تَوَافُرِ دَوَاعِي أَعْدَائِهِ عَلَى مُعَارَضَتِهِ وَفَصَاحَتِهِمْ وَبَلَاغَتِهِمْ. ثُمَّ تَحَدَّاهُمْ بِعَشْرِ سُوَرٍ مِثْلِهِ فَعَجَزُوا، ثُمَّ تَنَازَلَ إِلَى التَّحَدِّي بِسُورَةٍ مِنْ مِثْلِهِ فَعَجَزُوا عَنْهُ، وَهُمْ يَعْلَمُونَ عَجْزَهُمْ وَتَقْصِيرَهُمْ عَنْ ذَلِكَ، وَأَنَّ هَذَا مَا لَا سَبِيلَ لِأَحَدٍ إِلَيْهِ أَبَدًا، قَالَ اللَّهُ تَعَالَى: {قُلْ لَئِنِ اجْتَمَعَتِ الْإِنْسُ وَالْجِنُّ عَلَى أَنْ يَأْتُوا بِمِثْلِ هَذَا الْقُرْآنِ لَا يَأْتُونَ بِمِثْلِهِ وَلَوْ كَانَ بَعْضُهُمْ لِبَعْضٍ ظَهِيرًا} [الإسراء: 88] . وَهَذِهِ الْآيَةُ مَكِّيَّةٌ، وَقَالَ فِي سُورَةِ " الطُّورِ " وَهِيَ مَكِّيَّةٌ: {أَمْ يَقُولُونَ تَقَوَّلَهُ بَلْ لَا يُؤْمِنُونَ فَلْيَأْتُوا بِحَدِيثٍ مِثْلِهِ إِنْ كَانُوا صَادِقِينَ} [الطور: 33] [الْبَقَرَةِ 23، 24] .
পৃষ্ঠা - ৪৬৭৮


৪ ’ :

া,র্চু;এে ৷ ,৷ ,

শ্ : :


“আমি আমার বন্দোর প্রতি যা নাযিল করেছি তাতে তোমাদের কোন সন্দেহ থাকলে
তোমরা তার অনুরুপ কোন সুরা নিয়ে এসো, এবং তোমরা যদি সতবােদী হও, তবে আল্লাহ্
ব্যতীত তোমাদের সকল সাহায্যকারীকে (সাহযড়ার্থে) আহ্বান কর ৷ আর যদি তোমরা না নিয়ে
আস এবং কখনই তা আনতে পারবে না তবে সেই আগুনকে ভয় কর, মানুষ ও পাথর হবে
যার ইন্ধন, কাফিরদের জন্য যা প্রস্তুত করে রাখা হয়েছে ( ২ বাকারা ২৩,২৪ ) ৷

আল্লাহ তাআলা বলেন :


শ্ শ্ —



“নাকি তারা বলে, যে তা নিজে রচনা করেছে? বল, যদি তোমরা সতবােদী হও তবে
তোমরা এর অনুরুপ দশটি স্বরচিত সুরা এবং আল্লাহ্ ব্যতীত অন্য যাকে পার (সাহাযার্থে)
ডেকে নাও ৷ (এরপর) যদি তারা তোমাদের আহ্বানে সাড়া না দেয়, তবে জেনে রেখো, এটা
আল্পাহ্রই ইল্ম থেকে অবতীর্ণ এবং তিনি ব্যতীত অন্য কোন ইলাহ নেই ৷ তবে কি তোমরা
আত্মসমর্পণকারী হবে না”? ( ১ ’১ হ্রদ ১৩, ১৪ ) ৷

অন্ল্লাহ্ তাআলা বলেন ং




০ ; :

স্পো;ষ্

৪ শ্




টুট্রট্রুএে

“এই কুরআন আল্লাহ্ ব্যতীত অপর কারও রচনা নয় ৷ পক্ষান্ত্যর তার পুর্বে যা অবতীর্ণ
হয়েছে এটা তার সমর্থন এবং বিধাণসমুহের বিশদ ব্যাখ্যা ৷ এতে কোন সন্দেহ নেই যে, এটা
জগতসমুহের প্ৰতিপালকের পক্ষ থেকে ৷ তারা কি বলে, যে এটা রচনা করেছে? বল, তবে
তোমরা এর অনুরুপ একটি সুরইি নিয়ে এসো এবং আল্লাহ্ ব্যতীত অন্য যাকে পার আহবান
কর যদি তোমরা সতবােদী হও ৷ বরং তারা যে বিষয়ের জ্ঞান আয়তু করেন নি তা অস্বীকার
করে এবং এখনও এর পরিনাম তাদের নিকট উপস্থিত হয়নি, এভাবে তাদের পুর্ববর্তীরাও
মিথ্যা আরোপ করেছিল, সুতরাং দেখ যালিমদের পরিণাম কি হয়েছে (১০ ইউনুসং



وَقَالَ تَعَالَى: {أَمْ يَقُولُونَ افْتَرَاهُ قُلْ فَأْتُوا بِعَشْرِ سُوَرٍ مِثْلِهِ مُفْتَرَيَاتٍ وَادْعُوا مَنِ اسْتَطَعْتُمْ مِنْ دُونِ اللَّهِ إِنْ كُنْتُمْ صَادِقِينَ فَإِنْ لَمْ يَسْتَجِيبُوا لَكُمْ فَاعْلَمُوا أَنَّمَا أُنْزِلَ بِعِلْمِ اللَّهِ وَأَنْ لَّا إِلَهَ إِلَّا هُوَ فَهَلْ أَنْتُمْ مُسْلِمُونَ} [هود: 13] [يُونُسَ: 37 - 39] فَبَيَّنَ تَعَالَى أَنَّ الْخَلْقَ عَاجِزُونَ عَنْ مُعَارَضَةِ هَذَا الْقُرْآنِ، بَلْ عَنْ عَشْرِ سُوَرٍ مِثْلِهِ، بَلْ عَنْ سُورَةٍ مِنْهُ، وَأَنَّهُمْ لَا يَسْتَطِيعُونَ ذَلِكَ أَبَدًا، كَمَا قَالَ تَعَالَى: {فَإِنْ لَمْ تَفْعَلُوا وَلَنْ تَفْعَلُوا} [البقرة: 24] أَيْ؛ فَإِنْ لَمْ تَفْعَلُوا فِي الْمَاضِي وَلَنْ تَسْتَطِيعُوا ذَلِكَ فِي الْمُسْتَقْبَلِ، وَهَذَا تَحَدٍّ ثَانٍ، وَهُوَ أَنَّهُ لَا يُمْكِنُ مُعَارَضَتُهُ لَهُمْ لَا فِي الْحَالِ وَلَا فِي الْمَآلِ، وَمِثْلُ هَذَا التَّحَدِّي إِنَّمَا يَصْدُرُ عَنْ وَاثِقٍ بِأَنَّ مَا جَاءَ بِهِ لَا يُمْكِنُ الْبَشَرَ مُعَارَضَتُهُ وَلَا الْإِتْيَانُ بِمِثْلِهِ، وَلَوْ كَانَ مِنْ مُتَقَوِّلٍ مِنْ عِنْدِ نَفْسِهِ لَخَافَ أَنْ يُعَارَضَ، فَيَفْتَضِحَ وَيَعُودَ عَلَيْهِ نَقِيضُ مَا قَصَدَهُ مِنْ مُتَابَعَةِ النَّاسِ لَهُ، وَمَعْلُومٌ لِكُلِّ ذِي لُبٍّ أَنَّ مُحَمَّدًا صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِنْ أَعْقَلِ خَلْقِ اللَّهِ، بَلْ أَعْقَلُهُمْ وَأَكْمَلُهُمْ عَلَى الْإِطْلَاقِ فِي نَفْسِ الْأَمْرِ، فَمَا كَانَ لِيُقْدِمَ عَلَى هَذَا إِلَّا وَهُوَ عَالِمٌ بِأَنَّهُ لَا يُمْكِنُ مُعَارَضَتُهُ، وَهَكَذَا وَقَعَ، فَإِنَّ مِنْ لَدُنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَإِلَى زَمَانِنَا هَذَا لَمْ يَسْتَطِعْ أَحَدٌ أَنْ يَأْتِيَ بِنَظِيرِهِ وَلَا نَظِيرِ سُورَةٍ مِنْهُ، وَهَذَا لَا سَبِيلَ إِلَيْهِ أَبَدًا، فَإِنَّهُ كَلَامُ رَبِّ الْعَالَمِينَ الَّذِي لَا يُشْبِهُهُ شَيْءٌ مِنْ
পৃষ্ঠা - ৪৬৭৯


(এখানে) আল্লাহ্ তাআল৷ সুস্পষ্টভাবেবংনি৷ করেছেন যে, গোটা সৃষ্টিকুল এই কুরআনের
মুকাবিলা করতে অক্ষম, এমনকি তার সুরার ন্যায় দশটি সুরা রচনা করতে, এমনকি একটি
সুরা রচনা করতেও অক্ষম এবং তারা কখনোই তা করতে সক্ষম হবে না, যেমন তিনি বলেছেন
৷ ঞ্জীাষ্ৰু ং;,, ৷টুা;ন্তপু ণ্৷ ১; আর যদি তোমরা তা না কর (পার) আর কিছুতেই তোমরা তা
পারবে না ৷ অর্থাৎ যদি তোমরা অতীতে পাের না থাক, তাহলে ভবিষ্যতে ও কিছুতেই পারবে
না ৷ আর এটা হল দ্বিতীয় চ্যালেঞ্জ আর তাহল এই কুরআনের প্রতিদ্বশ্বিতা করা তাদেরজন্য
বর্তমানেও সম্ভব নয় ভবিষ্যতেও সম্ভব হবে না ৷ আর এই ধরনের চ্যালেঞ্জ এমন আস্থাবড়ানের
পক্ষ থেকে সম্ভব, যে নিশ্চিতভাবেংজানে, শ্সে যা নিয়ে এসেছে কোন মানুষের পক্ষে তার
প্রতিদ্বজ্বিতা করা কিৎবা তার অনুরুপ কিছু আনয়ন করা সম্ভব নয়, যদি তা কোন স্বরচিয়তার
পক্ষ থেকে হত তাহলে সে অন্যের পক্ষ থেকে প্রতিদ্বন্দিতার সম্মুখীন হয়ে অপদস্থতার আশংকা
করত এবং মানুষকে অনুসারী বানানোর যে ইচ্ছা সে পোষণ, করত তার বিপরীত পরিস্থিতির
শিকার হ্ত ৷ আর প্রতেক জ্ঞানীরই একথা জানা উচিত যে, মুহাম্মদ (সা) হলেন, আল্লাহর
সৃষ্টির মাঝে সর্বাধিক বুদ্ধিমান বরং এ বিষয়ে তিনি অবিসংবাদির্ত ভাবে সকলের চাইতে
বুদ্ধিমান ও পুর্ণতার অধিকারী ৷ এই কুরআনের প্রতিদ্বন্দিত৷ সম্ভব নয়-এ বিষয়ে নিশ্চিত হয়েই
তিনি এই চ্যালেঞ্জের বিষয়ে অগ্রসর হয়েছেন ৷ এবং তার এ বিশ্বাস অটুট থেকেছে ৷ কেননা,
রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর কাল থেকে আমাদের একাল পর্যন্ত কেউ এর কোন নজীর পেশ করতে
সক্ষম হয়নি এমনকি একটি সুরায়ওনা ; আসলে কোন ক্রমেই এটা সম্ভব নয়, কেননা, তা
জগৎসমুহের ঐ প্রতিপালকের কালাম যার কোন সৃষ্টিই সত্তাগদ্ভভাবে, গুণগতভাবে বা
ক্রিয়াকর্মে তার সদৃশ নয় ৷ আর সৃষ্টির কথা কিভাবে স্রষ্টার কথার মত হবে? আর কুরায়শ
কাফিরদের যে দাবি আল্লাহ উল্লেখ কারছেনং :

: : ” : ’ ,
১৷ ৷ ৷১টু১ ৷ ১ ৷


“যখন তাদের নিকট আয়াত পাঠ করা হয় তখন তারা বলে, আমরা তো শুনলাম ইচ্ছা
করলে আমরাও এর অনুরুপ বলতে পারি এটাতে৷ শুধু সেকালের লোকদিগের উপকথা” (৮
আনফাল : ৯) ৷ ন্
এই তাদের অসার ও মিথ্যা দাবি যার স্বপক্ষে কোন যুক্তি-প্রমাণ কিত্বা দলীল কিছুই
নেই ৷ তারা যদি সত্যবাদীহভাে, তাহলে তার সমকক্ষ কোন প্রতিদ্বব্দী নিয়ে আসত, বরং তারা
নিজেরাই তাদের মিথ্যাচার সম্পর্কে অবগত যেমন তারা তাদের নিম্নের বক্তব্যে নিজেদের
মিথ্যাচার সম্পর্কে অবগত ছিল যাতে তার বলেছে০ ং

“এগুলি তো সেকালের উপকপা, যা সে নিখিয়ে নিয়েছে, এগুলি সকাল সন্ধ্য৷ তার নিকট
পাঠ করা হয় ( ২৫ ফুরকান৪ ৫) ৷


خَلْقِهِ؛ لَا فِي ذَاتِهِ، وَلَا فِي صِفَاتِهِ، وَلَا فِي أَفْعَالِهِ، فَأَنَّى يُشْبِهُ كَلَامُ الْمَخْلُوقِينَ كَلَامَ الْخَالِقِ؟! وَقَوْلُ كُفَّارِ قُرَيْشٍ الَّذِي حَكَاهُ تَعَالَى عَنْهُمْ فِي قَوْلِهِ تَعَالَى: {وَإِذَا تُتْلَى عَلَيْهِمْ آيَاتُنَا قَالُوا قَدْ سَمِعْنَا لَوْ نَشَاءُ لَقُلْنَا مِثْلَ هَذَا إِنْ هَذَا إِلَّا أَسَاطِيرُ الْأَوَّلِينَ} [الأنفال: 31] كَذِبٌ مِنْهُمْ وَدَعْوَى بَاطِلَةٌ بِلَا دَلِيلٍ وَلَا بُرْهَانٍ وَلَا حُجَّةٍ وَلَا بَيَانٍ، وَلَوْ كَانُوا صَادِقِينَ لَأَتَوْا بِمَا يُعَارِضُهُ، بَلْ هُمْ يَعْلَمُونَ كَذِبَ أَنْفُسِهِمْ، كَمَا يَعْلَمُونَ كَذِبَ أَنْفُسِهِمْ فِي قَوْلِهِمْ: {أَسَاطِيرُ الْأَوَّلِينَ اكْتَتَبَهَا فَهِيَ تُمْلَى عَلَيْهِ بُكْرَةً وَأَصِيلًا} [الفرقان: 5] قَالَ اللَّهُ تَعَالَى: {قُلْ أَنْزَلَهُ الَّذِي يَعْلَمُ السِّرَّ فِي السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضِ إِنَّهُ كَانَ غَفُورًا رَحِيمًا} [الفرقان: 6] أَيْ؛ أَنْزَلَهُ عَالِمُ الْخَفِيَّاتِ، وَرَبُّ الْأَرْضِ وَالسَّمَاوَاتِ، الَّذِي يَعْلَمُ مَا كَانَ وَمَا يَكُونُ وَمَا لَمْ يَكُنْ لَوْ كَانَ كَيْفَ يَكُونُ، فَإِنَّهُ تَعَالَى أَوْحَى إِلَى عَبْدِهِ وَرَسُولِهِ النَّبِيِّ الْأُمِّيِّ الَّذِي كَانَ لَا يُحْسِنُ الْكِتَابَةَ وَلَا يَدْرِيهَا بِالْكُلِّيَّةِ، وَلَا يَعْلَمُ شَيْئًا مِنْ عِلْمِ الْأَوَائِلِ، وَأَخْبَارِ الْمَاضِينَ، فَقَصَّ اللَّهُ عَلَيْهِ خَبَرَ مَا كَانَ وَمَا هُوَ كَائِنٌ عَلَى الْوَجْهِ الْوَاقِعِ سَوَاءً بِسَوَاءٍ، وَهُوَ فِي ذَلِكَ يَفْصِلُ بَيْنَ الْحَقِّ وَالْبَاطِلِ الَّذِي اخْتَلَفَتْ فِي إِيرَادِهِ جُمْلَةُ الْكُتُبِ الْمُتَقَدِّمَةِ، كَمَا قَالَ تَعَالَى: {تِلْكَ مِنْ أَنْبَاءِ الْغَيْبِ نُوحِيهَا إِلَيْكَ مَا كُنْتَ تَعْلَمُهَا أَنْتَ وَلَا قَوْمُكَ مِنْ قَبْلِ هَذَا فَاصْبِرْ إِنَّ الْعَاقِبَةَ لِلْمُتَّقِينَ} [هود: 49] وَقَالَ تَعَالَى: {كَذَلِكَ نَقُصُّ عَلَيْكَ مِنْ أَنْبَاءِ مَا قَدْ سَبَقَ وَقَدْ آتَيْنَاكَ مِنْ لَدُنَّا ذِكْرًا مَنْ أَعْرَضَ عَنْهُ فَإِنَّهُ يَحْمِلُ يَوْمَ الْقِيَامَةِ وِزْرًا خَالِدِينَ فِيهِ وَسَاءَ لَهُمْ يَوْمَ الْقِيَامَةِ حِمْلًا} [طه: 99] الْآيَةَ [الْمَائِدَةِ: 48]
পৃষ্ঠা - ৪৬৮০




“ বল, এটা তিনিই অবতীর্ণ করেছেন যিনি আকাশমণ্ডলী ও পৃথিবীর সকল রহস্য অবগত
আছেন, তিনি ক্ষমাশীল পরম দয়ালু (২৫ ফুরকানং ৬) ৷

অর্থাৎ তা অবতীর্ণ করেছেন অদৃশ্যসমুহের পবিজ্ঞাতা, যিনি যমীন ও আসমানের রব, যিনি
জানেন যা হয়েছে এবং যা হবে এবং যা হয়নি তা যদি হত তাহলে কেমন হত ৷ কেননা, আল্লাহ
তাআলা তার বান্দা এবং রাসুল উঘী নবীর প্রতি ওহী প্রেরণ করেছেন, যিনি ভাল করে লিখতে
জানতেন না এবং অতীত ও আদিকালের লোকদের কোন বৃত্তাম্ভও তার আদৌ জানা ছিল না ৷
তাই আল্লাহ তাআলা অতীতে সংঘটিত এবং ভবিষ্যতে সংঘতিতব্য সব কিছুকে যথাযথভাবে
তাকে অবহিত করেছেন ৷ আর এক্ষেত্রে তিনি সত্য ও মিথ্যার মাঝে ব্যবধান করেছেন যার
বর্ণনায় পুর্ববর্তী ধর্মগ্রন্থসমুহ পরস্পর বিরোধী বিষয়ের অবতারণা করেছে ৷ যেমন আল্লাহ
তা জানা বলেনং :

া১ট্রুগু
“এই সমস্ত অদৃশ্যলােকের সংবাদ আমি তোমাকে ওহী দ্বারা অবহিত করছি যা এর পুর্বে
তুমি জানতে না ৷ সুতরাংধৈর্য ধারণ কর, শুভ পরিণাম মুত্তাকীদেরই জন্য” ( ১১ হ্রদ ং ৪৯) ৷

০ ; :


; ণ্ ; শ্ ; শ্ ;


“পুর্বে যা ঘটেছে তার সংবাদ আমি এভাবে তোমার নিকট বিবৃত করি এবং আমি আমার
নিকট থেকে তোমাকে দান করেছি উপদেশ, তা থেকে যে বিমুখ হবে সে কিয়ামতের দিন
মহাভার বহন করবে ৷ তাতে তারা স্থায়ী হবে এবং কিয়ামতের দিন এই বোঝা তাদের জ্যাদ্র
হবে কত মন্দ’ (২০ তা-হাং : ৯৯ ১০১) ৷

আল্লাহ তা জানা বলেন

“তোমার প্রতি স৩ ৷সহ কিতাব অবতীর্ণ করেছি এর পুর্বে অবতীর্ণ কিতাবের সমর্থক ও
সংরক্ষকরুপে ( ৫ যায়িদাং : ৪) ৷
আন্নুআল্লাহ্ তাআলা বলেন :
ছুট্র১


“তৃমিতো এর পুর্বে কোন কিতাব পাঠ করনি এবং নিজহাতে কোন কিতাব লিখনি যে,
মিথ্যাচারীরা সন্দেহ পোষণ করবে ৷ বন্তুত যাদেরকে জ্ঞান দেয়৷ হয়েছে, তাদের অন্তরে এটা
স্পষ্ট নিদর্শন ৷ কেবল জালিমরাই আমার নিদর্শন অস্বীকার করে৷ তারা বলে, তার
১ :


وَقَالَ تَعَالَى: {وَمَا كُنْتَ تَتْلُو مِنْ قَبْلِهِ مِنْ كِتَابٍ وَلَا تَخُطُّهُ بِيَمِينِكَ إِذًا لَارْتَابَ الْمُبْطِلُونَ بَلْ هُوَ آيَاتٌ بَيِّنَاتٌ فِي صُدُورِ الَّذِينَ أُوتُوا الْعِلْمَ وَمَا يَجْحَدُ بِآيَاتِنَا إِلَّا الظَّالِمُونَ وَقَالُوا لَوْلَا أُنْزِلَ عَلَيْهِ آيَاتٌ مِنْ رَبِّهِ قُلْ إِنَّمَا الْآيَاتُ عِنْدَ اللَّهِ وَإِنَّمَا أَنَا نَذِيرٌ مُبِينٌ أَوَلَمْ يَكْفِهِمْ أَنَّا أَنْزَلْنَا عَلَيْكَ الْكِتَابَ يُتْلَى عَلَيْهِمْ إِنَّ فِي ذَلِكَ لَرَحْمَةً وَذِكْرَى لِقَوْمٍ يُؤْمِنُونَ قُلْ كَفَى بِاللَّهِ بَيْنِي وَبَيْنَكُمْ شَهِيدًا يَعْلَمُ مَا فِي السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضِ وَالَّذِينَ آمَنُوا بِالْبَاطِلِ وَكَفَرُوا بِاللَّهِ أُولَئِكَ هُمُ الْخَاسِرُونَ} [العنكبوت: 48] [يُونُسَ: 15 - 17] يَقُولُ لَهُمْ: إِنِّي لَا أُطِيقُ تَبْدِيلَ هَذَا مِنْ تِلْقَاءِ نَفْسِي، وَإِنَّمَا
পৃষ্ঠা - ৪৬৮১

প্রতিপালকের নিকট থেকে তার নিকট নিদর্শন কেন প্রেরিত হয় না? বল নিদর্শন আল্লাহর
ইখতিয়ারে, আমিতাে একজন প্রকাশ্য সতর্ককারী মাত্র ৷ এটা কি তাদের জন্য যথেষ্ট নয় যে,
আমি তে ড়ামার নিকট কুরআন অবতীর্ণ করেছি, যা তাদের নিকট পাঠ করা হয়, এতে অবশ্যই
মু মিন সম্প্রদায়ের জন্য অনুগ্নহ ও উপদেশ রয়েছে ৷ বল, আমার ও তোমাদের মাঝে সাক্ষীরুপে
আল্লাইে যথেষ্ট ৷ আকাশমণ্ডলী ও পৃথিবীতে যা আছে তা তিনি অবগত এবং যারা অসত্যে
, বিশ্বাস করে ও আল্লাহ্কে অস্বীকার করে, তারইি তো ক্ষতিগ্রস্ত” (২৯ আনকাবুত ৪৮ ৫২) ৷

এখানে আল্লাহ তাআলা বর্ণনা করেছেন যে-অভীতে যা ঘটেছে এবং ভবিষ্যতে যা ঘটরে
তার জ্ঞান এবং মানুষের মাঝে যা কিছু ঘটবে তার বিধান সম্বলিত এই গ্রন্থ এককভাবে এই
উস্বী নবীর ন্যায় এক ব্যক্তির উপর অবতীর্ণ হওয়াই তার সত্যতা প্রমাণের জন্য যথেষ্ট ৷ আল্পাহ্
তাআলা বলেন :

াৰুৰুা
“যখন আমার আয়াত, যা সুস্পষ্ট, তাদের নিকট পাঠ করা হয় তখন যারা আমার
সাক্ষাতের আশা পোষণ করে না, তারা বলে, এটা ছাড়া অন্য কোন কুরআন নিয়ে এসো অথবা
এটা বদলিয়ে দাও ৷ তুমি বল, নিজ থেকে এটা বদলান আমার কাজ নয়, আমার প্রতি যা ওহী
হয় আমি কেবল তারই অনুসরণ করি ৷ আমার প্রতিপালকের অবাধ্যতা করলে আমি
মহাদিবসের শাস্তির আশংকা করি ৷ বল আল্লাহ্র তেমন অভিপ্রায় হলে আমিও তোমাদের নিকট
এটা পাঠ করতাম না এবং তিনিও এ বিষয়ে তোমাদেরকে অবহিত করতেন না ৷ আমি তো
এর পুর্বে তোমাদের মধ্যে জীবনের দীর্ঘকাল অবস্থান করেছি, তবুও কি তোমরা বুঝতে পায়
না? যে ব্যক্তি আল্লাহ সম্পর্কে মিথ্যা রচনা করে অথবা আল্লাহ্র নিদর্শনকে প্রত্যাখ্যান করে,
তার চেয়ে অধিক যালিম আর কে? নিশ্চয়ই অপরাধীরা সফলকাম হয় না” ( ইউনুস৪
১৫ ১৭) ৷
তিনি (রাসুল) তাদেরকে বলছেন, নিজের পক্ষ থেকে এর পরিবর্তন আমার সাধ্যাতীত,
আল্পাহ্ তা আলা এর যে অংশ ইচ্ছা মিটিয়ে ফেলেন এবং যা ইচ্ছা তা প্রতিষ্ঠিত রাখেন আর
আমি তার পক্ষ থেকে বার্তাবাহক ও প্রচারক, আর তোমরাতে৷ আমার আনীত গ্রন্থের ব্যাপারে
আমার সত্যতা সম্পর্কে অবগত রয়েছে ৷ কেননা, আমি তোমাদের মাঝেই লালিত-পালিত
হয়েছি, এবং তোমরা আমার বংশ পরিচয়, সততা ও বিশ্বস্তত৷ সম্পর্কে ওয়াকিবহাল ৷ আমি
তো কােনদিন তোমাদের কারো নামে মিথ্যা বলিনি ৷ তাহলে মহান আল্লাহ্র নামে আমি
কিভাবে মিথ্যা বলতে পারি? যিনি উপকার-অপকারের মালিক, সর্ব বিষয়ে ক্ষমতাবান, এবং
সৃর্ব বিষয়ে সবিশেষ অবগত ৷ তার কাছে তার নামে মিথ্যা রটনা এবং যা তার নয় তাকে তার
সাথে সম্পৃক্ত করার চইিতে বড় পাপ আর কী হতে পারে? যেমন তিনি বলেছেন :

ট্রুাটুট্রুগু; টুর্চুাটু
অর্থাৎ “যদি সে আমার নামে কোন মিথ্যা রটনা করত তাহলে আমি তার থেকে নির্মমতম
প্রতিশোধ গ্রহণ করতাম, এবং কোন পৃথিবীবাসী তাকে আমার হাত থেকে রক্ষা করতে পারত
না ( ৬৯ হড়াক্কা : ৪৪-৪৫) ৷
আল্লাহ্ তাআলা আরও বলেন :


اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ، هُوَ الَّذِي يَمْحُو مَا يَشَاءُ وَيُثْبِتُ، وَأَنَا مُبَلِّغٌ عَنْهُ، وَأَنْتُمْ تَعْلَمُونَ صِدْقِي فِيمَا جِئْتُكُمْ بِهِ؛ لِأَنِّي نَشَأْتُ بَيْنَ أَظْهُرِكُمْ، وَأَنْتُمْ تَعْلَمُونَ نَسَبِي وَصِدْقِي، وَأَمَانَتِي، وَأَنِّي لَمْ أَكْذِبْ عَلَى أَحَدٍ مِنْكُمْ يَوْمًا مِنَ الدَّهْرِ، فَكَيْفَ يَسَعُنِي أَنْ أَكْذِبَ عَلَى اللَّهِ عَزَّ وَجَلَّ، مَالِكِ الضُّرِّ وَالنَّفْعِ، الَّذِي هُوَ عَلَى كُلِّ شَيْءٍ قَدِيرٌ، وَبِكُلِّ شَيْءٍ عَلِيمٌ؟! وَأَيُّ ذَنْبٍ عِنْدَهُ أَعْظَمُ مِنَ الْكَذِبِ عَلَيْهِ، وَنِسْبَةِ مَا لَيْسَ مِنْهُ إِلَيْهِ؟ كَمَا قَالَ تَعَالَى: {وَلَوْ تَقَوَّلَ عَلَيْنَا بَعْضَ الْأَقَاوِيلِ لَأَخَذْنَا مِنْهُ بِالْيَمِينِ ثُمَّ لَقَطَعْنَا مِنْهُ الْوَتِينَ فَمَا مِنْكُمْ مِنْ أَحَدٍ عَنْهُ حَاجِزِينَ} [الحاقة: 44] [الْحَاقَّةِ: 44 - 47] أَيْ لَوْ كَذَبَ عَلَيْنَا لَانْتَقَمْنَا مِنْهُ أَشَدَّ الِانْتِقَامِ، وَمَا اسْتَطَاعَ أَحَدٌ مِنْ أَهْلِ الْأَرْضِ أَنْ يَحْجِزَنَا عَنْهُ وَلَا يَمْنَعَنَا مِنْهُ. وَقَالَ تَعَالَى: {وَمَنْ أَظْلَمُ مِمَّنِ افْتَرَى عَلَى اللَّهِ كَذِبًا أَوْ قَالَ أُوحِيَ إِلَيَّ وَلَمْ يُوحَ إِلَيْهِ شَيْءٌ وَمَنْ قَالَ سَأُنْزِلُ مِثْلَ مَا أَنْزَلَ اللَّهُ وَلَوْ تَرَى إِذِ الظَّالِمُونَ فِي غَمَرَاتِ الْمَوْتِ وَالْمَلَائِكَةُ بَاسِطُو أَيْدِيهِمْ أَخْرِجُوا أَنْفُسَكُمُ الْيَوْمَ تُجْزَوْنَ عَذَابَ الْهُونِ بِمَا كُنْتُمْ تَقُولُونَ عَلَى اللَّهِ غَيْرَ الْحَقِّ وَكُنْتُمْ عَنْ آيَاتِهِ تَسْتَكْبِرُونَ} [الأنعام: 93] وَقَالَ تَعَالَى: {قُلْ أَيُّ شَيْءٍ أَكْبَرُ شَهَادَةً قُلِ اللَّهُ شَهِيدٌ بَيْنِي وَبَيْنَكُمْ وَأُوحِيَ إِلَيَّ هَذَا الْقُرْآنُ لِأُنْذِرَكُمْ بِهِ وَمَنْ بَلَغَ} [الأنعام: 19] وَهَذَا الْكَلَامُ فِيهِ الْإِخْبَارُ بِأَنَّ اللَّهَ شَهِيدٌ عَلَى كُلِّ شَيْءٍ، وَأَنَّهُ تَعَالَى أَعْظَمُ الشُّهَدَاءِ، وَهُوَ مُطَّلِعٌ عَلَيَّ وَعَلَيْكُمْ فِيمَا جِئْتُكُمْ بِهِ عَنْهُ، وَتَتَضَمَّنُ قُوَّةُ الْكَلَامِ قَسَمًا بِهِ أَنَّهُ قَدْ أَرْسَلَنِي إِلَى الْخَلْقِ لِأُنْذِرَهُمْ بِهَذَا الْقُرْآنِ، فَمَنْ بَلَغَهُ مِنْهُمْ فَهُوَ نَذِيرٌ لَهُ، كَمَا قَالَ تَعَالَى: {وَمَنْ يَكْفُرْ بِهِ مِنَ الْأَحْزَابِ فَالنَّارُ مَوْعِدُهُ فَلَا تَكُ فِي مِرْيَةٍ مِنْهُ إِنَّهُ الْحَقُّ مِنْ رَبِّكَ وَلَكِنَّ أَكْثَرَ النَّاسِ لَا يُؤْمِنُونَ} [هود: 17] فَفِي هَذَا الْقُرْآنِ مِنَ الْأَخْبَارِ الصَّادِقَةِ عَنِ اللَّهِ وَمَلَائِكَتِهِ وَعَرْشِهِ وَمَخْلُوقَاتِهِ الْعُلْوِيَّةِ وَالسُّفْلِيَّةِ، كَالسَّمَاوَاتِ، وَالْأَرْضِينَ، وَمَا بَيْنَهُمَا وَمَا فِيهِنَّ، أُمُورٌ عَظِيمَةٌ كَثِيرَةٌ مُبَرْهَنَةٌ بِالْأَدِلَّةِ
পৃষ্ঠা - ৪৬৮২


“যে আল্পাহ্ সম্বন্ধে মিথ্যা রচনা করে কিংবা বলে, আমার নিকট ওহী হয়, যদিও তার প্ৰতি
নাযিল হয় না এবং যে বলে আল্লাহ যা নাযিল করেছেন, আমিও তার অনুরুপ নাযিল করব,
তার চাইতে বড় যালিম আর কে? যদি তুমি দেখতে পেতে যখন যালিমরা মৃত্যু যস্ত্রণায় থাকবে
এবং ফেরেশতারা হাত বাড়িয়ে বলবে, তোমাদের প্রাণ বের কর, তোমরা আল্পাহ্ সম্বন্ধে অন্যায়
বলতে ও তার নিদর্শন সম্বন্ধে ঔদ্ধত্য প্রকাশ করতে, সেজন্য আজ তোমাদেরকে অবমাননাকর
শাস্তি দেয়া হবে (৬ আনআম : ৯৩) ৷

মহান আল্লাহ্ তাআলা বলেন :



“বল, সাক্ষাতে সর্বশ্রেষ্ঠ কী? বল আল্লাহ্ আমার ও তে ঢ়মাদের মধ্যে সাক্ষী এবং এই
কুরআন আমার নিকট প্রেরিত হয়েছে যেন ণ্তামাংদরাক এবং যার নিকট এটা পৌছবে
তাদেরকে এ দ্বারা আমি সতর্ক করি” ( ৬ আনআম : ১৯) ৷
এই ভায্যের দ্বারা একথা অবগত করা হয়েছে যে, আল্লাহ্ সব কিছুর প্রত্যক্ষদর্শী সাক্ষী,
এবং তিনি সর্বশ্রেষ্ঠ সাক্ষী ৷ আর তিনি তার পক্ষ থেকে আমি তোমাদের কাছে যা নিয়ে এসেছি
সে বিষয়ে পুর্ণ অবগত ৷ আর তিনি আমাকে সৃষ্টিকুলের কাছে পাঠিয়েছেন এই কুরআন দ্বারা
তাদেরকে সতর্ক করতে, সুতরাং তাদের মধ্যে যাকে তিনি এই বার্তা পৌছে দিলেন, তার জন্য
তিনি সতর্ককারী ৷ যেমন আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেন০ ং

০ : ন্ : ; ;




“অন্যান্য দলের যারা একে অস্বীকার করে, আগুনই তাদের প্রতিশ্রুত স্থান ৷ সুতরাং তুমি
এতে সন্দিহ্ান হয়ো না ৷ এতো তোমার প্রতিপালক প্রেরিত সত্য; কিন্তু অধিকাংশ মানুষ বিশ্বাস
করে না ( ১ ১ হ্রদ ও ১ ৭) ৷
আর এই কুরআনে আল্লাহ ফেরেশতা, আরশ, উর্ধ্ব জগত ও এ জগতের সৃষ্টিকুল,
আকাশমণ্ডলী, পৃথিবী এবং এ দৃয়ের মধ্যবর্তী ও অন্তবর্তী সৃষ্টিকুল সম্বন্ধীয় সত্য বিবরণ সমুহে
এমন বহু সংখ্যক বিরাট বিষয়াদি বিদ্যমান যা অকটিত্র প্রমাণাদি দ্বারা প্রমাণিত এবং সুস্থবুদ্ধির
দিক থােক সঠিক জ্ঞানের পথপ্রদর্শক ৷ যেমন আল্লাহ্ তড়াআলা বলেন :

ণ্াটুঠুব্লব্রক্টা৷,াট্রুা৷,ব্ল৷ ;;এ;;,)হ্র,; ৷ট্রুা৷গ্রা দ্বুা;;ষ্টুণ্;ষ্ট্রদ্ভু

“ আমি মানুষের জন্য এই কুরআনে বিভিন্ন উপমা বিশদভাবে বর্ণনা করেছি, কিন্তু
অধিকাংশ মানুষ কুফ্রী করা ব্যতীত ক্ষাম্ভ হল না ( ১ ৭ ইসৃরাং ৮৯) ৷

তিনি আরো বলেনং



الْقَطْعِيَّةِ الْمُرْشِدَةِ إِلَى الْعِلْمِ بِذَلِكَ مِنْ جِهَةِ الْعَقْلِ الصَّحِيحِ، كَمَا قَالَ تَعَالَى: {وَلَقَدْ صَرَّفْنَا لِلنَّاسِ فِي هَذَا الْقُرْآنِ مِنْ كُلِّ مَثَلٍ فَأَبَى أَكْثَرُ النَّاسِ إِلَّا كُفُورًا} [الإسراء: 89] وَقَالَ تَعَالَى: {وَتِلْكَ الْأَمْثَالُ نَضْرِبُهَا لِلنَّاسِ وَمَا يَعْقِلُهَا إِلَّا الْعَالِمُونَ} [العنكبوت: 43] وَقَالَ تَعَالَى: {وَلَقَدْ ضَرَبْنَا لِلنَّاسِ فِي هَذَا الْقُرْآنِ مِنْ كُلِّ مَثَلٍ لَعَلَّهُمْ يَتَذَكَّرُونَ قُرْآنًا عَرَبِيًّا غَيْرَ ذِي عِوَجٍ لَعَلَّهُمْ يَتَّقُونَ} [الروم: 58] [الْقَصَصِ: 46] وَقَالَ تَعَالَى: {وَمَا كُنْتَ لَدَيْهِمْ إِذْ يُلْقُونَ أَقْلَامَهُمْ أَيْهُمْ يَكْفُلُ مَرْيَمَ وَمَا كُنْتَ لَدَيْهِمْ إِذْ يَخْتَصِمُونَ} [آل عمران: 44] وَقَالَ تَعَالَى فِي سُورَةِ يُوسُفَ: {ذَلِكَ مِنْ أَنْبَاءِ الْغَيْبِ نُوحِيهِ إِلَيْكَ وَمَا كُنْتَ لَدَيْهِمْ إِذْ أَجْمَعُوا أَمْرَهُمْ وَهُمْ يَمْكُرُونَ وَمَا أَكْثَرُ النَّاسِ وَلَوْ حَرَصْتَ بِمُؤْمِنِينَ وَمَا تَسْأَلُهُمْ عَلَيْهِ مِنْ أَجْرٍ إِنْ هُوَ إِلَّا ذِكْرٌ لِلْعَالَمِينَ} [يوسف: 102] [يُوسُفَ: 101 - 104]
পৃষ্ঠা - ৪৬৮৩


“ মানুষের জন্য আমি এই সকল দৃষ্টান্ত দিই; কিন্তু কেবল জ্ঞানী ব্যক্তিরাই এটা বুঝে
(২৯ আনকাবুত : ৪৩) ৷
আল্লাহ্ তাআলা বলেন :

াট্রা,ট্রুদ্ব

০ ’

আমি এই কুরআনে মানুষের জন্য সর্বপ্রকার দৃষ্টান্ত উপস্থিত করেছি, যাতে তারা উপদেশ
গ্রহণ করে ৷ আরবী ভাষায় এই কুরআন বক্রতা মুক্ত, যাতে মানুষ সাবধানতা অবলম্বন করে
(৩৯ যুমার : ২৭-২৮) ৷
মহাগ্রন্থ আল কুরআনে অতীত ঘটনাবলীর যথার্থ বিবরণ বিদ্যমান, আর তার যথার্থতার
প্রমাণ আহলে কিতাবদের গ্রন্থসমুহে তার যে সাক্ষী রয়েছে, উপরন্তু তার এমন একজন উঘী
ব্যক্তির উপর নাযিল হয় যিনি লিখতে জানেন না, এবং কোন দিন বিগতদের কোন ইতিকথা
কিৎবা আদি লোকদের জ্ঞান ও শাত্রের চর্চা করেননি ৷ এরপর মানুষ সচকিত হল তার কাছে
প্রেরিত ওহী দ্বারা যার বিষয়বস্তু ছিল শিক্ষণীয় অতীত বৃত্তান্তসমুহ যা উপদেশ গ্রহণের
মাধ্যমরুপে উল্লেখ করা উচিত, আর এগুলি হল আল্লাহ্র নবীদের সাথে তাদের উষ্মতের বৃত্তান্ত
এবং আচার আচরণ কিভাবে আল্লাহ্ মু’মিনদের রক্ষা করেছেন এবং কাফিরদের ধ্বংস
করেছেন ৷ আর এ সকল বৃত্তান্ত ও ঘটনাসমুহ কুরআনে এমন মর্মস্পর্শী বিশুদ্ধ ও সারগর্ভভাষ্যে
বিবৃত হয়েছে, যা কোন মানুষের পক্ষে কখনও তার সদৃশ বর্ণনায় আনয়ন করা সম্ভব নয় ৷
একস্থানে তা কাহিনী বিবৃত করেছে সংক্ষিপ্তাকারে কিত্তু অত্যন্ত বিশুদ্ধে ও প্রাঞ্জল ভাষায়,
আবার কখনও বিশদ বিস্তারিতভাবে ৷ তার বর্ণনা ধারার চেয়ে উন্নত, স্পষ্ট শ্রুতিমধুর ও জীবন্ত
কোন বর্ণনাধারা নেই ৷ এমনকি তার পাঠক বা শ্রোতা যেন প্রতিটি ঘটনা ও বৃত্তান্তের
প্রত্যক্ষদর্শী সাক্ষী ৷ যেমন আল্লাহ তাআলা বলেন :

ণ্ স্র :



মুসাকে যখন আমি আহবান করেছিলাম তখন তুমি তুর পর্বত পার্শে উপস্থিত ছিলে না ৷

বন্তুত এটা তোমার প্ৰতিপালকের নিকট থেকে দয়া স্বরুপ, যাতে তুমি এমন এক সম্প্রদায়কে

সতর্ক করতে পার, যাদের নিকট তোমার পুর্বে কোন সতর্ককারী আসেনি, যেন তারা উপদেশ
গ্রহণ করে (২৮ কাসাস : ৪৬) ৷


শ্ : ’ :

মারইয়ামেরত তত্ত্বাবাধানের দায়িত্ব তাদের মধ্যে কে গ্রহণ করবে এর জন্য যখন তারা
তাদের কলম নিক্ষেপ করজ্যি, তুমি তখন তাদের নিকট ছিলেনা এবং তারা তখন বাদানুবাদ
করছিল তখনও তুমি তাদের নিকট ছিলে না ৷


إِلَى أَنْ قَالَ فِي آخِرِهَا {لَقَدْ كَانَ فِي قَصَصِهِمْ عِبْرَةٌ لِأُولِي الْأَلْبَابِ مَا كَانَ حَدِيثًا يُفْتَرَى وَلَكِنْ تَصْدِيقَ الَّذِي بَيْنَ يَدَيْهِ وَتَفْصِيلَ كُلِّ شَيْءٍ وَهُدًى وَرَحْمَةً لِقَوْمٍ يُؤْمِنُونَ} [يوسف: 111] وَقَالَ تَعَالَى: {وَقَالُوا لَوْلَا يَأْتِينَا بِآيَةٍ مِنْ رَبِّهِ أَوَلَمْ تَأْتِهِمْ بَيِّنَةُ مَا فِي الصُّحُفِ الْأُولَى} [طه: 133] وَقَالَ تَعَالَى: {قُلْ أَرَأَيْتُمْ إِنْ كَانَ مِنْ عِنْدِ اللَّهِ ثُمَّ كَفَرْتُمْ بِهِ مَنْ أَضَلُّ مِمَّنْ هُوَ فِي شِقَاقٍ بَعِيدٍ سَنُرِيهِمْ آيَاتِنَا فِي الْآفَاقِ وَفِي أَنْفُسِهِمْ حَتَّى يَتَبَيَّنَ لَهُمْ أَنَّهُ الْحَقُّ أَوَلَمْ يَكْفِ بِرَبِّكَ أَنَّهُ عَلَى كُلِّ شَيْءٍ شَهِيدٌ} [فصلت: 52] ؛ أَيْ فِي الْعِلْمِ بِأَنَّ اللَّهَ مُطَّلِعٌ عَلَى هَذَا الْأَمْرِ كِفَايَةٌ فِي صِدْقِ هَذَا الْمُخْبِرِ عَنْهُ، إِذْ لَوْ كَانَ مُفْتَرِيًا عَلَيْهِ لَعَاجَلَهُ بِالْعُقُوبَةِ الْبَلِيغَةِ، كَمَا تَقَدَّمَ بَيَانُ ذَلِكَ. وَفِي هَذَا الْقُرْآنِ إِخْبَارٌ عَمَّا وَقَعَ فِي الْمُسْتَقْبَلِ طِبْقَ مَا وَقَعَ سَوَاءً بِسَوَاءٍ، وَكَذَلِكَ فِي الْأَحَادِيثِ حَسَبَ مَا قَرَّرْنَاهُ فِي كِتَابِنَا " التَّفْسِيرِ "، وَمَا سَنَذْكُرُهُ مِنَ الْمَلَاحِمِ وَالْفِتَنِ، كَقَوْلِهِ تَعَالَى: {عَلِمَ أَنْ سَيَكُونُ مِنْكُمْ مَرْضَى وَآخَرُونَ يَضْرِبُونَ فِي الْأَرْضِ يَبْتَغُونَ مِنْ فَضْلِ اللَّهِ وَآخَرُونَ يُقَاتِلُونَ فِي سَبِيلِ اللَّهِ} [المزمل: 20]
পৃষ্ঠা - ৪৬৮৪

সুরা ইউসুফে রয়েছে :

০ :


“এ হল অদৃশ্যলোকের সংবাদ যা তোমাকে আমি ওহী দ্বারা অবহিত করছি, ষড়ষস্ত্রকালে
তখন তারা মতৈকে পৌছেছিল, তখন তুমি তাদের সঙ্গে ছিলে না ৷ তুমি যতই চাওনা কেন
অধিকাৎশ লোকই বিশ্বাস করার নয় এবং তুমি তাদের কাছে কোন পারিশ্রমিক দাবি করছ না ৷
এতো বিশ্বজপতের জন্য উপদেশ ব্যতীত কিছু নয়” ( ১২ ইউসুফ : ১ :২ ১ :৪ ) ৷


“তাদের বৃত্তান্তে বোধশক্তি সম্পন্ন ব্যক্তিদের জন্য আছে শিক্ষা ৷ এ এমন বাণী যা মিথ্যা
রচনা নয় ৷ কিন্তু মু’মিনদের জন্য তা পুর্বগ্নন্থে যা আছে তার সমর্থন এবং সমস্ত কিছুর বিশদ
বিবরণ, হিদায়াত ও রহমত ( ১২ ইউসুফ : ১১১) ৷

০ ! ণ্ ; ণ্ , : শ্


“তারা বলে সে তার প্ৰতিপালকের নিকট থেকে আমাদের নিকট কোন নিদর্শন আনয়ন
করে না কেন? তাদের নিকট কি আসেনি সুস্পষ্ট প্রমাণ যা আছে পুর্ববর্তী গ্রন্থসমুহে (তা-হা :
১৩৩) ৷

০ ! : শ্ #

র্ট
: ন্ ; : ! শ্শ্শ্শ্শ্শ্ : : ! # :


, ,


বল, তোমরা ভেবে দেখেছ কি, যদি এই কুরআন আল্লাহর নিকট থেকে অবতীর্ণ হয়ে
থাকে এবং তোমরা তা প্রত্যাখ্যান কর তবে যে ব্যক্তি ঘোর বিরুদ্ধাচারণে লিপ্ত আছে, তার
চেয়ে অধিক বিভ্রান্ত আর কে? আমি তাদের জন্য আমার নিদর্শনাবলী ব্যক্ত করব বিশ্বজগতে
এবং তাদের নিজেদের মধ্যে, ফলে তাদের নিকট সুস্পষ্ট হয়ে উঠবে যে, তাই সত্য ৷ এটা কি
যথেষ্ট নয় যে, তোমার প্রতিপালক সর্ব বিষয়ে অবহিত”? ( ৪১ হা-মীম সাজদা ৫২-৫৩) ৷
এই আয়াতে আল্লাহ্ তাআলা প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন যে অবশ্যই তিনি নিদর্শনড়াবলীর প্রকাশ
ঘটাবেন, আর সেগুলি হল, আল-কুরআন, তার সত্যতা, এবং যিনি তা নিয়ে এসেছেন তার
সত্যতা ৷ তা তিনি করবেন দিক্দিগস্তে এই গ্রন্থের সত্যতা প্রমাণকারী নিদর্শনাদি সৃষ্টি করে
এবং তার অস্বীকারকারী প্ৰত্যাখ্যানকারীদের অন্তরে তাদের সং শয় খগুনকারী অকঢি৷ যুক্তি
প্রমাণাদি সৃষ্টি করা দ্বারা ৷ যাতে করে তারা নিশ্চিতভাবে বিশ্বাস করে যে, তা আল্লাহ্র পক্ষ
থেকে তার সতবাদী রাসুলের কাছে প্রেরিত ৷ তারপর তিনি স্বতন্ত্র একটি প্রমাণের সন্ধান দিয়ে
বলেছেন : “এটা কি যথেষ্ট নয় যে, তোমার প্রতিপালক সর্ব বিষয়ে অবহিত” ৷ অর্থাৎ তাদের
এই অবগতি কি কুরআন বাহকের সভ্যতার জন্য যথেষ্ট নয় যে, আল্লাহ্ তার এ বিষয়ে


وَهَذِهِ السُّورَةُ مِنْ أَوَائِلِ مَا نَزَلَ بِمَكَّةَ. وَكَذَلِكَ قَوْلُهُ تَعَالَى فِي سُورَةِ " اقْتَرَبَتْ " وَهِيَ مَكِّيَّةٌ بِلَا خِلَافٍ: {سَيُهْزَمُ الْجَمْعُ وَيُوَلُّونَ الدُّبُرَ بَلِ السَّاعَةُ مَوْعِدُهُمْ وَالسَّاعَةُ أَدْهَى وَأَمَرُّ} [القمر: 45] [الْقَمَرِ: 45، 46] وَقَعَ مِصْدَاقُ هَذِهِ الْهَزِيمَةِ يَوْمَ بَدْرٍ بَعْدَ ذَلِكَ، إِلَى أَمْثَالِ هَذَا مِنَ الْأُمُورِ الْبَيِّنَةِ الْوَاضِحَةِ، وَسَيَأْتِي فَصْلٌ فِيمَا أَخْبَرَ بِهِ مِنَ الْأُمُورِ الَّتِي وَقَعَتْ بَعْدَهُ عَلَيْهِ الصَّلَاةُ وَالسَّلَامُ، طِبْقَ مَا أَخْبَرَ بِهِ. وَفِي الْقُرْآنِ الْأَحْكَامُ الْعَادِلَةُ أَمْرًا وَنَهْيًا، الْمُشْتَمِلَةُ عَلَى الْحِكَمِ الْبَالِغَةِ الَّتِي إِذَا تَأَمَّلَهَا ذُو الْفَهْمِ وَالْعَقْلِ الصَّحِيحِ قَطَعَ بِأَنَّ هَذِهِ الْأَحْكَامَ إِنَّمَا أَنْزَلَهَا الْعَالِمُ بِالْخَفِيَّاتِ، الرَّحِيمُ بِعِبَادِهِ، الَّذِي يُعَامِلُهُمْ بِلُطْفِهِ وَرَحْمَتِهِ وَإِحْسَانِهِ، قَالَ تَعَالَى {وَتَمَّتْ كَلِمَةُ رَبِّكَ صِدْقًا وَعَدْلًا} [الأنعام: 115] ؛ أَيْ صِدْقًا فِي الْأَخْبَارِ وَعَدْلًا فِي الْأَوَامِرِ وَالنَّوَاهِي. وَقَالَ تَعَالَى {الر كِتَابٌ أُحْكِمَتْ آيَاتُهُ ثُمَّ فُصِّلَتْ مِنْ لَدُنْ حَكِيمٍ خَبِيرٍ} [هود: 1] أَيْ؛ أُحْكِمَتْ أَلْفَاظُهُ وَفُصِّلَتْ مَعَانِيهِ. وَقَالَ تَعَالَى: {هُوَ الَّذِي أَرْسَلَ رَسُولَهُ بِالْهُدَى وَدِينِ الْحَقِّ} [التوبة: 33] أَيِ الْعِلْمِ النَّافِعِ وَالْعَمَلِ الصَّالِحِ. وَهَكَذَا رُوِيَ عَنْ عَلِيِّ بْنِ أَبِي طَالِبٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، أَنَّهُ قَالَ لِكُمَيْلِ بْنِ زِيَادٍ: هُوَ كِتَابُ اللَّهِ، فِيهِ
পৃষ্ঠা - ৪৬৮৫


অবগত, কেননা, তিনি যদি মিথ্যা রটনাকারী হতেন তাহলে তো আল্লাহ তাকে তৎক্ষণাৎ

কঠোর শাস্তিদ্বারা পাকড়াও করতেনধ্যমন ইতিপুর্বে তার আলোচনা হয়েছে ৷ এই কুরআনে
ভবিষ্যতে সংঘটিতব্য ঘটনা সমুহের সঠিক বিবরণ রয়েছে, এভাবে হাদীসসমুহে রয়েছে যেমন
আমরা আমাদের তাফসীর গ্রন্থে বিবৃত করেছি এবং ষুদ্ধ-ৰিগ্রহ ফিত্নার বিষয়ে আমরা যা
উল্লেখ কবর ৷ আল্লাহ তাআলা বলেন :

’ ং ’ শ্ #

স্পে

“আল্লাহ জানেন যে, তোমাদের মধ্যে কেউ ৰেউি অসুস্থ হয়ে পড়বে, কেউ কেউ আল্লাহর
অনুগ্রহ সন্ধানে দেশ ভ্রমণ করবে এবং কেউ কেউ আল্লাহর পথে সগ্রামে লিপ্ত হবে” (৭৩
মুয্যামমিল৪ ২০) ৷ এই সুরাটি মক্কায় নাযিলকৃত প্রথম সুরাগুলির অন্যতম ৷ তদ্রাপ সুরা
কামায়ে আল্লাহ তা অলাের বাণী, আর সুরাটি সর্বসম্মতিক্রমে মক্কায় অবতীর্ণ

০ শ্


“এ দলতো শীঘ্রই পরাজিত হবে এবং পৃষ্ঠ প্রদর্শন করবে, অধিকন্তু কিয়ামত তাদের
শাস্তির নির্ধারিত কাল এবং কিয়ামত হবে কঠিনতর ও তিক্ততর” ( ৫৪ কামার : ৪৫)

এ পরাজয় সংঘটিত হয়েছিল এ আয়াত নাযিল হওয়ার বেশ পরে বদরের যুদ্ধে ৷ এ জাতীয়
আরও বহু সুস্পষ্ট বিষয়াদি বিদ্যমান ৷ শীঘ্রই রাসুলুল্লাহ্ (সা)-এর ভবিষ্যদ্বাণী সম্বলিত একটি
পরিচ্ছেদ আসছে ৷ এ ছাড়া আল-কুরআনে আদেশ ও নিষেধ বড়াচক ভারসাম্যমুলক বিধানালী
রয়েছে, বা এমন সব হিকমত ও প্রভাব ধারক যে, যেকোন সুবােধ ও বুদ্ধিসম্পন্ন ব্যক্তি একটু
গভীরভাবে চিন্তা ভাবনা করলেই বুঝতে পারবে যে এ সকল (প্রজ্ঞাময়) বিধি বিধান এমন
সত্তার পক্ষ থেকে নাযিলকৃত, যিনি অদৃশ্যসমুহের পরিজ্ঞাতা, আপন বন্দোদের প্রতি অনুগ্নহশীল
এবং বান্দাদের সাথে যার আচরণ কােমলতা, সদায়তা ও অনুগ্রহশীলতড়ায়ট্রু পুর্ণ ৷ আল্লাহ
তাআলা বলেন : §ং(;, র্চুণ্ৰু;ণ্ এ ;ঠু দ্ভট্রু;াব্র পুট্রুট্রটু

“সত্য ও ন্যায়ের দিক র্থেকে তোমার এতিপালকের বাণী সম্পুর্ণ” ( ৫ আনআম ৪১১৫)

অর্থাৎ খবর ও বৃত্তান্তের সত্যতা এবং আদেশ-নিষেধের যথার্থতা ৷ তিনি আরও বলেন :




“আলিফ্ লাম-রা, যিনি প্রজ্ঞাময়, সর্বজ্ঞ এই কিতাব তার নিকট থেকে, এর আয়াতসমুহ
সুস্পষ্ট, সুবিন্যস্ত করা হয়েছে ও পরে বিশদভাবে বলা হয়েছে” ( ১১ হ্রদ : ১)

অর্থাৎ তার শব্দমালাকে সুবিন্যস্ত করা হয়েছে তারপর তার অর্থ ও মর্মসমুহকে সুস্পষ্ট ও
বিশভােবে বর্ণনা করা হয়েছে ৷ আল্লাহ তাআলা বলেন :

“তিনি সেই সত্তা, যিনি তার রাসুলকে পথনির্দেশ ও সত্য দীনসহ প্রেরণ করেছেন” (৪৮
ফাত্হ : ২৮) ৷


خَبَرُ مَا قَبْلَكُمْ، وَحُكْمُ مَا بَيْنَكُمْ، وَنَبَأُ مَا بَعْدَكُمْ. وَقَدْ بَسَطْنَا هَذَا كُلَّهُ فِي كِتَابِنَا " التَّفْسِيرِ " بِمَا فِيهِ كِفَايَةٌ، وَلِلَّهِ الْحَمْدُ وَالْمِنَّةُ فَالْقُرْآنُ الْعَظِيمُ مُعْجِزٌ مِنْ وُجُوهٍ كَثِيرَةٍ؛ مِنْ فَصَاحَتِهِ، وَبَلَاغَتِهِ، وَنَظْمِهِ، وَتَرَاكِيبِهِ، وَأَسَالِيبِهِ، وَمَا تَضَمَّنَهُ مِنَ الْإِخْبَارِ بِالْغُيُوبِ الْمَاضِيَةِ وَالْمُسْتَقْبَلَةِ، وَمَا اشْتَمَلَ عَلَيْهِ مِنَ الْأَحْكَامِ الْمُحْكَمَةِ الْجَلِيَّةِ، فَالتَّحَدِّي بِبَلَاغَةِ أَلْفَاظِهِ يَخُصُّ فُصَحَاءَ الْعَرَبِ، وَالتَّحَدِّي بِمَا اشْتَمَلَ عَلَيْهِ مِنَ الْمَعَانِي الصَّحِيحَةِ الْكَامِلَةِ - وَهِيَ أَعْظَمُ فِي التَّحَدِّي عِنْدَ كَثِيرٍ مِنَ الْعُلَمَّاءِ - يَعُمُّ جَمِيعَ أَهْلِ الْأَرْضِ مِنَ الْمِلَّتَيْنِ؛ أَهْلِ الْكِتَابَيْنِ وَغَيْرِهِمْ مِنْ عُقَلَاءِ الْيُونَانِ وَالْهِنْدِ وَالْفَرَسِ وَالْقِبْطِ وَغَيْرِهِمْ مِنْ أَصْنَافِ بَنِي آدَمَ فِي سَائِرِ الْأَقْطَارِ وَالْأَعْصَارِ، وَأَمَّا مَنْ زَعَمَ مِنَ الْمُتَكَلِّمِينَ أَنَّ الْإِعْجَازَ إِنَّمَا هُوَ مَنْ صَرْفِ دَوَاعِي الْكَفَرَةِ عَنْ مُعَارَضَتِهِ مَعَ إِمْكَانِ ذَلِكَ، أَوْ هُوَ سَلْبُ قُدَرِهِمْ عَلَى ذَلِكَ، فَقَوْلٌ بَاطِلٌ وَهُوَ مُفَرَّعٌ عَلَى اعْتِقَادِهِمْ أَنَّ الْقُرْآنَ مَخْلُوقٌ، خَلَقَهُ اللَّهُ فِي بَعْضِ الْأَجْرَامِ، وَلَا فَرْقَ عِنْدَهُمْ بَيْنَ مَخْلُوقٍ وَمَخْلُوقٍ، وَقَوْلُهُمْ هَذَا كُفْرٌ وَبَاطِلٌ، وَلَيْسَ بِمُطَابِقٍ لِمَا فِي نَفْسِ الْأَمْرِ، بَلِ الْقُرْآنُ كَلَامُ اللَّهِ غَيْرُ مَخْلُوقٍ، تَكَلَّمَ بِهِ كَمَا شَاءَ تَعَالَى وَتَقَدَّسَ وَتَنَزَّهَ عَمَّا يَقُولُونَ عُلُوًّا كَبِيرًا فَالْخَلْقُ كُلُّهُمْ عَاجِزُونَ حَقِيقَةً فِي نَفْسِ الْأَمْرِ عَنِ الْإِتْيَانِ بِمِثْلِهِ وَلَوْ تَعَاضَدُوا وَتَظَاهَرُوا عَلَى ذَلِكَ، بَلْ لَا تَقْدِرُ الرُّسُلُ الَّذِينَ هُمْ أَفْصَحُ الْخَلْقِ وَأَعْلَمُ الْخَلْقِ وَأَكْمَلُهُمْ أَنْ يَتَكَلَّمُوا بِمِثْلِ كَلَامِ اللَّهِ، وَهَذَا الْقُرْآنُ الَّذِي يُبَلِّغُهُ الرَّسُولُ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَنْ
পৃষ্ঠা - ৪৬৮৬

অর্থাৎ কল্যাণময় জ্ঞান ও নেক আমলসমুহ ৷ হযরত আলী (বা) থেকেও এমন বর্ণিত আছে
যে, তিনি (একবার) কুমায়ল ইবন যিয়াদকে বলেন, তা হল আল্লাহর কিতাব, তাতে রয়েছে
তোমাদের পুর্ববর্তীদের বৃত্তান্ত, পরবর্তীদের সংবাদ এবং তোমাদের নিজেদের মাঝের সমস্যার
সমাধান ৷ আর এ সকল বিষয় আমরা আমাদের তাফসীর গ্রন্থে বিশদভাবে বিবৃত করেছি, যা
যথেষ্ট ৷ সকল প্রশংসা ও অনুগ্রহ আল্লাহর ৷ আল কুরআন অনেক দিক থেকেই মুজিযা ৷ তার
ভাষার বিশুদ্ধতা, অলঙ্কারগুণ, বাক্য বিন্যাস, গঠন ও রচনাশৈলী, তার মধ্যে বিবৃত অতীত ও
ভবিষ্যৎ বৃত্তান্ত, সুস্পষ্ট ও সুবিন্যস্ত বিধি-বিধান এবং তার সদৃশ রচনার চ্যালেঞ্জ ৷ আর তার
ভাষার বিশুদ্ধতা ও অলঙ্কার গুণের চ্যালেঞ্জের পাত্র হল প্রাঞ্জলভাষী আরবগণ ৷ আর তার
অন্তর্নিহিত পুর্ণাঙ্গ অর্থ ও মর্মের (সমকক্ষ আনার) চ্যালেঞ্জের পাত্র হল সমগ্র জগৎবাসী,
কিতাবধারী ইয়াহুদী নাসারা জাতিদ্বয় এবং গ্রীক, ভারতীয়, পারসিক (মিসরের) কিবতীসহ
ধর্ম, বর্ণের জ্ঞানী-গুণী, দার্শনিক-পণ্ডিত ও সাহিত্যিকগণ ৷ আর বিজ্ঞজনদের অনেকের কাছে
এটাই সবচাইতে বড় চ্যালেঞ্জ ৷ আর কালামশাব্রীয় যে সকল জ্ঞানীগণ এই দাবি করেছেন, যে
ইজায হল অস্বীকৃতির সাথে কাফিরদের আল কুরআনের সাথে প্রতিদ্বস্মিতার মনোভাব প্রতিহত
করণের অংশবিশেষ অথবা তাদের সেই সামর্থ্যহরণ--তা অসার দাবি ৷ আসলে তাদের এই
বিশ্বাস থেকে উদ্ভুত যে, আল কুরআন মড়াখলুক বা সৃষ্ট ৷ আল্লাহ্ তড়াআলা তাকে কোন এক
অবয়বে বা আকৃতিতে সৃষ্টি করেছেন ৷ আর তাদের কাছে মাখলুকে মাখলুকে কোন তারতম্য
নেই ৷ আর তাদের এই বক্তব্য (সম্পুর্ণ) কুফ্রী ও ভিত্তিহীন এবং বিষয়টির সাথে অসামঞ্জস্যপুর্ণ;
বরং সঠিক হল কুরআন আল্লাহর কালাম এবং তা মাখলুক বা সৃষ্ট নয় ৷ তার ইচ্ছামাফিক তিনি
এই কালাম করেছেন (কথা বলেছেন) ৷ তাদের বক্তব্যের অনেক উরুর্ধ্ব সর্বোতভাবে পবিত্র,
মহান ৷ আর প্রকৃত বিচারে এবং বাস্তবিক অর্থে তারা আল্লাহ্র সৃষ্টি এই কুরআনের সদৃশ কিছু
আনয়ন করতে অক্ষম, যদিও তারা এ ব্যাপারে একে অন্যকে সাহায্য ও পৃষ্ঠপোষকতা করে ৷
এমন কি রাসুলগণ যারা সবচাইতে প্রাঞ্জলভাষী এবং আল্লাহ্র সেবা সৃষ্টি, তারাও আল্লাহর
কালামের ন্যায় কথা বলতে সক্ষম নন ৷ আর এই কুরআন রাসুলুল্লাহ্ (সা) আল্লাহ্র পক্ষ থেকে
পৌছান অথচ তার বর্ণনাশৈলী রাসুলের কথার বর্ণনা শৈলীসমুহের সাথে তুলা নয়, তদ্র্যপ
রাসুলের ঐ সকল কথা-যা অবিচ্ছিন্ন ও বিশুদ্ধ সুত্র পরস্পরায় সংরক্ষিত-তার ন্যায় বিশুদ্ধ ও
অলংকারপুর্ণ বাকশৈলীতে কথা বলা কোন সাহাবী বা তাদের পরবর্তী কারও পক্ষে সম্ভব হয়নি ৷
এমন কি স ড়াহাবায়ে কিরামের বাক্শৈলীও তাবেয়ীদের বাকশৈলী থেকে উন্নততর ৷ আর একই
ভাবে পুর্বসুরী আলিমগণ তাদের কথা ও বর্ণনায় উত্তরসুরী আলিমগণের তুলনায় অধিকতর প্রা
লভাষী, জ্ঞানবান এবং অপেক্ষাকৃত কম লৌকিকতড়া-কৃত্রিমতা সম্পন্ন ৷ আর যাদের মধ্যে
মানুষের কথা ও বর্ণনার সাহিত্যমান বিচারের শক্তি বিদ্যমান তারা এ বিষয়ের যথার্থতায় সাক্ষ্য
দিবেন, অনুরুপ তারাও যারা জাহিলী যুগের রচিত আরবী কাব্য এবং পরবর্তীদের রচিত
কাব্যের মাঝে ব্যবধান উপলব্ধি করে থাকেন ৷ ইমাম আহমদ ইবন হাম্বল বর্ণিত হাদীসে এই
প্রসঙ্গ উল্লেখিত হয়েছে ৷

ইমাম আহমদ হাজ্জাজ হযরত আবু হুরায়রা সুত্রে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন,
রাসুলুল্লাহ্ (সা) ইরশাদ করেন, প্রত্যেক নবীকেই তার উম্মতের ঈমান আনার জন্য যথেষ্ট ও
পর্যাপ্ত পরিমাণ নিদর্শনাদি (সাময়িক) দান করা হয়েছে, আর আমাকে যা দেওয়া হয়েছে তা হল


اللَّهِ كَلَامٌ لَهُ أُسْلُوبٌ لَا يُشْبِهُ أَسَالِيبَ كَلَامِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَأَسَالِيبُ كَلَامِهِ عَلَيْهِ الصَّلَاةُ وَالسَّلَامُ الْمَحْفُوظَةُ عَنْهُ بِالسَّنَدِ الصَّحِيحِ إِلَيْهِ لَا يَقْدِرُ أَحَدٌ مِنَ الصَّحَابَةِ وَلَا مَنْ بَعْدَهُمْ أَنْ يَتَكَلَّمَ بِمِثْلِ أَسَالِيبِهِ فِي فَصَاحَتِهِ وَبَلَاغَتِهِ فِيمَا يَرُومُهُ مِنَ الْمَعَانِي بِأَلْفَاظِهِ الشَّرِيفَةِ، بَلْ وَكَلَامُ الصَّحَابَةِ أُسْلُوبٌ أَعْلَى مِنْ أَسَالِيبِ كَلَامِ التَّابِعِينَ، وَهَلُمَّ جَرًّا إِلَى زَمَانِنَا، وَعُلَمَاءُ السَّلَفِ أَفْصَحُ وَأَعْلَمُ وَأَقَلُّ تَكَلُّفًا فِي أَدَاءِ مَا يُرِيدُونَهُ مِنَ الْمَعَانِي بِأَلْفَاظِهِمْ، مِنْ عُلَمَاءِ الْخَلَفِ، وَهَذَا يَشْهَدُهُ مَنْ لَهُ ذَوْقٌ بِكَلَامِ النَّاسِ، كَمَا يُدْرَكُ تَفَاوُتُ مَا بَيْنَ أَشْعَارِ الْعَرَبِ فِي زَمَنِ الْجَاهِلِيَّةِ وَبَيْنَ أَشْعَارِ الْمُوَلَّدِينَ الَّذِينَ كَانُوا بَعْدَ ذَلِكَ. وَلِهَذَا جَاءَ الْحَدِيثُ الثَّابِتُ فِي هَذَا الْمَعْنَى، وَهُوَ فِيمَا رَوَاهُ الْإِمَامُ أَحْمَدُ قَائِلًا: حَدَّثَنَا حَجَّاجٌ، ثَنَا لَيْثٌ، حَدَّثَنِي سَعِيدُ بْنُ أَبِي سَعِيدٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «مَا مِنَ الْأَنْبِيَاءِ نَبِيٌّ إِلَّا قَدْ أُعْطِيَ مِنَ الْآيَاتِ مَا مِثْلُهُ آمَنَ عَلَيْهِ الْبَشَرُ وَإِنَّمَا كَانَ الَّذِي أُوتِيتُ وَحَيًّا أَوْحَاهُ اللَّهُ إِلَيَّ فَأَرْجُو أَنْ أَكُونَ أَكْثَرَهُمْ تَابِعًا يَوْمَ الْقِيَامَةِ» وَقَدْ أَخْرَجَهُ الْبُخَارِيُّ وَمُسْلِمٌ مِنْ حَدِيثِ اللَّيْثِ بْنِ سَعْدٍ بِهِ. وَمَعْنَى هَذَا أَنَّ الْأَنْبِيَاءَ عَلَيْهِمُ الصَّلَاةُ وَالسَّلَامُ، كُلٌّ مِنْهُمْ قَدْ أُوتِيَ مِنَ الْحُجَجِ وَالدَّلَائِلِ عَلَى صِدْقِهِ وَصِحَّةِ مَا جَاءَ بِهِ عَنْ رَبِّهِ مَا فِيهِ كِفَايَةٌ وَحُجَّةٌ لِقَوْمِهِ الَّذِينَ بُعِثَ إِلَيْهِمْ، سَوَاءٌ آمَنُوا بِهِ فَفَازُوا بِثَوَابِ إِيمَانِهِمْ، أَوْ جَحَدُوا