سنة إحدى عشرة من الهجرة
فصل: إيراد ما بقي علينا من متعلقات السيرة الشريفة
كتاب الشمائل
باب ذكر أخلاقه وشمائله الطاهرة صلى الله عليه وسلم
পৃষ্ঠা - ৪৫৯৩
আবদুল্লাহ্ ইবন আল হারিছ ইবন জায্ থেকে বর্ণনা করেন ৷ তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ্
(সা) এর চেয়ে অধিক মৃদু হাসতে আমি কাউকে দেখিনি ৷ তারপর তিনি লায়ছের হাদীস
স ৎগ্রহ থেকে আবদুল্লাহ হারিছ থেকে তা বর্ণনা করেছেন ৷ তিনি (আবদুল্লাহ) বলেন রাসুলুল্লাহ্
(সা) কখনও মৃদু হাসি ব্যতীত হাসতেন না ৷ তারপর তিনি হাদীসখানিকে সহীহ্ বলেছেন ৷
মুসলিম, ইয়াহ্য়া ইবন ইয়াহ্য়া সিমাক ইবন হড়ারব সুত্রে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন,
আমি (একবার) জাবির ইবন সামুরাকে জিজ্ঞেস করলাম, আপনি কি রাসুলুল্লাহ্ (সা)-এর
সাথে উঠাবসা করতেন? তিনি বললেন, হী ৷ প্রায়শই তিনি যে স্থানে ফজরের নামায পড়তেন
সুর্যোদয় পর্যন্ত যে স্থান থেকে উঠতেন না ৷ আর সাহাবাগণ আলাপ আলোচনা করতেন এবং
কখনও কখনও জাহিলিয়াতের কো ন বিষয় নিয়ে হাসাহাসি করতে ন ৷ কিন্তু রাসুলুল্লাহ্ (না) শুধু
মৃদু হাসতেন ৷ আবু দাউদ ৩য়োলিসী শুরায়ক ও কায়স ইবন সা দ সুত্রে সিমাক হারব
থেকে বর্ণনা করেন ৷ তিনি বলেন, আমি জাবির ইবন সামুরাকে জিজ্ঞেস করলাম, আপনি কি
নবী করীম (সা) এর সাথে উঠাবসা করতেন? তিনি বললেন, হা ৷ তিনি চুপ থাকতেন কম
এবং হাসতেন কম, কখনওব৷ তার সাহাবাগণ তার কাছে কবিতা আবৃত্তি করতেন, কখনওবা
তাদের কোন বিষয় নিয়ে হাসাহাসি কর৩ ত,ন তখন তিনি মাঝে মধ্যে মৃদু হাসতে ন ৷ হাফিয
বায়হাকী, আবু আবদুল্লাহ আল-হাফিয এবং আবু সাঈদ ইবন আবু আমর সুত্রে খারিজা
ইবন যায়দ (ইবন ছাবি৩ ) থেকে বর্ণনা করেন যে, একবার কতিপয় ব্যক্তি তার পিতার
সাক্ষাতে প্রবেশ করে বললেন, আমাদের রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর কিছু স্বভাব চরিত্রের কথা বলুন ৷
তখন তিনি বললেন, আমি তার প্রতিবেশী ছিলাম ৷ যখনই ওহী নাযিল হত, তখন তিনি
আমাকে ডেকে পাঠ্যতেন এবং আমি তার কাছে আসতাম এবং নাযিলকৃত ওহী লিখতাম ৷ আর
আমরা যখন নিজেদের মাঝে দুনিয়ার কথা উল্লেখ করতাম তখন আমাদের সাথে তিনিও তার
উল্লেখ করতেন, তদ্র্যপ আমরা যখন আখিরাঃ৩ তর কথা উল্লেখ করতাম তখন আমাদের সাথে
তিনিও তা উল্লেখ করতেন, এবং আমরা যখন খাবারের আলোচনা করতাম, তখন তিনিও
আমাদের সাথে তার আলোচনা করতেন এ সবই তার বরাতে আমরা তোমাদের সাথে
আলোচনা করি ৷ ইমাম তিরমিযী তার শামায়েলে’ আব্বাস আদ্দাওরীয় আবদুল্পাহ্ ইবন
ইয়াযীদ সুত্রে হাদীসখানি ঐ সনদে অনুরুপ করে রিওয়ায়৷ ত করেছেন ৷
নবীজীর বদান্যতা ও মহানুভবতা
যুহরী ইবন আব্বাস সুত্রে বুখারী ও মুসলিম বর্ণিত যে হাদীস বিগত হয়েছে, তা হল,
তিনি (ইবন আব্বাস) বলেন, রাসুলুল্লাহ্ (মা) ছিলেন শ্রেষ্ঠতম বদান্য ব্যক্তি ৷ আর তিনি
সবচেয়ে অধিক বদন্য হতেন রমযান মাসে, যখন ওহী নিয়ে জিবরীল (আ) তার সাক্ষাতে
আসতেন এবং তাকে কুরআন শোনাতেন এবং তার থেকে কুরআন শুনতেন ৷ আর আল্লাহর
রাসুল বদান্যতায় অবাধ বায়ুর চাইতে ও অগ্রগামী ছিলেন ৷ সন্দেহ নেই এই উপম৷ আরবী
ভাষার অলঙ্করণের অনুপম প্রকাশ ৷ এখানে রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর বদান্যতাকে তার ব্যাপকতা,
সার্বক্ষণিকতা ও নিরবচ্ছিন্নতায় অবাধ প্রবাহের মুক্ত বাতাসের সাথে তুলনা করা হয়েছে ৷
সুফিয়ান ইবন সাঈদের হাদীস সংগ্রহ থেকে মুহাম্মদ ইবন মুনকাদির জাবির ইবন
আবদুল্লাহ্ সুত্রে বুখারী ও মুসলিম শরীফে যে হাদীস বর্ণিত হয়েছে তা হল, রাসুলুল্লাহ্
[بَابُ ذِكْرِ أَخْلَاقِهِ وَشَمَائِلِهِ الطَّاهِرَةِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ]
[حَدِيثُ بُعِثْتُ مِنْ خَيْرِ قُرُونِ بَنِي آدَمَ قَرْنًا فَقَرَنًا]
قَدْ قَدَّمْنَا طِيبَ أَصْلِهِ وَمَحْتِدِهِ، وَطَهَارَةَ نَسَبِهِ وَمَوْلِدِهِ، وَقَدْ قَالَ اللَّهُ تَعَالَى: {اللَّهُ أَعْلَمُ حَيْثُ يَجْعَلُ رِسَالَاتِهِ} [الأنعام: 124] .
وَقَالَ الْبُخَارِيُّ: حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ، ثَنَا يَعْقُوبُ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، عَنْ عَمْرٍو، عَنْ سَعِيدٍ الْمَقْبُرِيِّ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «بُعِثْتُ مِنْ خَيْرِ قُرُونِ بَنِي آدَمَ قَرْنًا فَقَرْنًا، حَتَّى كُنْتُ مِنَ الْقَرْنِ الَّذِي كُنْتُ فِيهِ» .
وَفِي " صَحِيحِ مُسْلِمٍ " عَنْ وَاثِلَةَ بْنِ الْأَسْقَعِ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «إِنَّ اللَّهَ اصْطَفَى قُرَيْشًا مِنْ بَنِي إِسْمَاعِيلَ، وَاصْطَفَى بَنِي هَاشِمٍ مِنْ قُرَيْشٍ، وَاصْطَفَانِي مِنْ بَنِي هَاشِمٍ.» .
وَقَالَ اللَّهُ تَعَالَى: {ن وَالْقَلَمِ وَمَا يَسْطُرُونَ مَا أَنْتَ بِنِعْمَةِ رَبِّكَ بِمَجْنُونٍ وَإِنَّ لَكَ لَأَجْرًا غَيْرَ مَمْنُونٍ وَإِنَّكَ لَعَلَى خُلُقٍ عَظِيمٍ} [القلم: 1] أَيْ؛ وَإِنَّكَ لَعَلَى دِينٍ عَظِيمٍ، وَهُوَ الْإِسْلَامُ. وَهَكَذَا قَالَ مُجَاهِدٌ وَابْنُ مَالِكٍ وَالسُّدِّيُّ وَالضَّحَّاكُ وَعَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ زَيْدِ بْنِ أَسْلَمَ. وَقَالَ عَطِيَّةُ:
পৃষ্ঠা - ৪৫৯৪
لَعَلَى أَدَبٍ عَظِيمٍ. وَقَدْ ثَبَتَ فِي " صَحِيحِ مُسْلِمٍ " مِنْ حَدِيثِ قَتَادَةَ، عَنْ زُرَارَةَ بْنِ أَوْفَى، عَنْ سَعْدِ بْنِ هِشَامٍ قَالَ: «سَأَلْتُ عَائِشَةَ أُمَّ الْمُؤْمِنِينَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهَا، فَقُلْتُ: أَخْبِرِينِي عَنْ خُلُقِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ. فَقَالَتْ: أَمَا تَقْرَأُ الْقُرْآنَ؟ قُلْتُ بَلَى. فَقَالَتْ: كَانَ خُلُقُهُ الْقُرْآنَ» .
وَقَدْ رَوَى الْإِمَامُ أَحْمَدُ، عَنْ إِسْمَاعِيلَ بْنِ عُلَيَّةَ، عَنْ يُونُسَ بْنِ عُبَيْدٍ، عَنِ الْحَسَنِ الْبَصْرِيِّ قَالَ: «سُئِلَتْ عَائِشَةُ عَنْ خُلُقِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَتْ: كَانَ خُلُقُهُ الْقُرْآنَ» .
وَرَوَى الْإِمَامُ أَحْمَدُ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ مَهْدِيٍّ، وَالنَّسَائِيِّ مِنْ حَدِيثِهِ، وَابْنِ جَرِيرٍ مِنْ حَدِيثِ ابْنِ وَهْبٍ، كِلَاهُمَا عَنْ مُعَاوِيَةَ بْنِ صَالِحٍ، عَنْ أَبِي الزَّاهِرِيَّةِ، عَنْ جُبَيْرِ بْنِ نُفَيْرٍ قَالَ: «حَجَجْتُ فَدَخَلْتُ عَلَى عَائِشَةَ، فَسَأَلْتُهَا، عَنْ خُلُقِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَقَالَتْ: كَانَ خُلُقُهُ الْقُرْآنَ» . وَمَعْنَى هَذَا أَنَّهُ عَلَيْهِ الصَّلَاةُ وَالسَّلَامُ، مَهْمَا أَمَرَهُ بِهِ الْقُرْآنُ امْتَثَلَهُ، وَمَهْمَا نَهَاهُ عَنْهُ تَرَكَهُ، هَذَا مَعَ مَا جَبَلَهُ اللَّهُ عَلَيْهِ مِنَ الْأَخْلَاقِ الْجِبِلِيَّةِ الْأَصْلِيَّةِ الْعَظِيمَةِ الَّتِي لَمْ يَكُنْ أَحَدٌ مِنَ الْبَشَرِ وَلَا يَكُونُ عَلَى أَكْمَلَ مِنْهَا، وَشَرَعَ لَهُ الدِّينَ الْعَظِيمَ الَّذِي لَمْ يَشْرَعْهُ لِأَحَدٍ قَبْلَهُ، وَهُوَ مَعَ ذَلِكَ خَاتَمُ النَّبِيِّينَ، فَلَا رَسُولَ بَعْدَهُ وَلَا نَبِيَّ، فَكَانَ فِيهِ مِنَ الْحَيَاءِ وَالْكَرَمِ وَالشَّجَاعَةِ وَالْحِلْمِ وَالصَّفْحِ وَالرَّحْمَةِ وَسَائِرِ الْأَخْلَاقِ الْكَامِلَةِ مَا لَا يُحَدُّ وَلَا يُمْكِنُ وَصْفُهُ.
পৃষ্ঠা - ৪৫৯৫
وَقَالَ يَعْقُوبُ بْنُ سُفْيَانَ: ثَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، ثَنَا الْحَسَنُ بْنُ يَحْيَى، ثَنَا زَيْدُ بْنُ وَاقِدٍ، عَنْ بُسْرِ بْنِ عُبَيْدِ اللَّهِ، عَنْ أَبِي إِدْرِيسَ الْخَوْلَانِيِّ، عَنْ أَبِي الدَّرْدَاءِ قَالَ: «سَأَلْتُ عَائِشَةَ عَنْ خُلُقِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَقَالَتْ: كَانَ خُلُقُهُ الْقُرْآنَ؛ يَرْضَى لِرِضَاهُ وَيَسْخَطُ لِسُخْطِهِ» .
وَقَالَ الْبَيْهَقِيُّ: أَنَا أَبُو عَبْدِ اللَّهِ الْحَافِظُ، أَنَا أَحْمَدُ بْنُ سَهْلٍ الْفَقِيهُ بِبُخَارَى، أَنَا قَيْسُ بْنُ أُنَيْفٍ، ثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، ثَنَا جَعْفَرُ بْنُ سُلَيْمَانَ، عَنْ أَبِي عِمْرَانَ، عَنْ يَزِيدَ بْنِ بَابَنُوسَ قَالَ: «قُلْنَا لِعَائِشَةَ: يَا أُمَّ الْمُؤْمِنِينَ، كَيْفَ كَانَ خُلُقُ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ؟ قَالَتْ: كَانَ خُلُقُ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ الْقُرْآنَ. ثُمَّ قَالَتْ: أَتُقْرَأُ سُورَةَ " الْمُؤْمِنِينَ "؟ اقْرَأْ: {قَدْ أَفْلَحَ الْمُؤْمِنُونَ} [المؤمنون: 1] إِلَى الْعَشْرِ. قَالَتْ: هَكَذَا كَانَ خُلُقُ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ» . وَهَكَذَا رَوَاهُ النَّسَائِيُّ عَنْ قُتَيْبَةَ.
وَرَوَى الْبُخَارِيُّ مِنْ حَدِيثِ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الزُّبَيْرِ فِي قَوْلِهِ تَعَالَى: {خُذِ الْعَفْوَ وَأْمُرْ بِالْعُرْفِ وَأَعْرِضْ عَنِ الْجَاهِلِينَ} [الأعراف: 199] قَالَ: أُمِرَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنْ يَأْخُذَ الْعَفْوَ مِنْ أَخْلَاقِ النَّاسِ.
পৃষ্ঠা - ৪৫৯৬
وَقَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا سَعِيدُ بْنُ مَنْصُورٍ، ثَنَا عَبْدُ الْعَزِيزِ بْنُ مُحَمَّدٍ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ عَجْلَانَ، عَنِ الْقَعْقَاعِ بْنِ حَكِيمٍ، عَنْ أَبِي صَالِحٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ «إِنَّمَا بُعِثْتُ لِأُتَمِّمَ صَالِحَ الْأَخْلَاقِ» تَفَرَّدَ بِهِ أَحْمَدُ. وَرَوَاهُ الْحَافِظُ أَبُو بَكْرٍ الْخَرَائِطِيُّ فِي كِتَابِهِ، فَقَالَ: «إِنَّمَا بُعِثْتُ لِأُتَمِّمَ مَكَارِمَ الْأَخْلَاقِ» .
وَتَقَدَّمَ مَا رَوَاهُ الْبُخَارِيُّ مِنْ حَدِيثِ أَبِي إِسْحَاقَ، عَنِ الْبَرَاءِ بْنِ عَازِبٍ قَالَ: «كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَحْسَنَ النَّاسِ وَجْهًا، وَأَحْسَنَ النَّاسِ خُلُقًا» .
وَقَالَ مَالِكٌ، عَنِ الْزُّهْرِيِّ، عَنْ عُرْوَةَ، عَنْ عَائِشَةَ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهَا، أَنَّهَا: قَالَتْ «مَا خُيِّرَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بَيْنَ أَمْرَيْنِ إِلَّا أَخَذَ أَيْسَرَهُمَا مَا لَمْ يَكُنْ إِثْمًا، فَإِنْ كَانَ إِثْمًا كَانَ أَبْعَدَ النَّاسِ مِنْهُ، وَمَا انْتَقَمَ لِنَفْسِهِ إِلَّا أَنْ تُنْتَهَكَ حُرْمَةُ اللَّهِ فَيَنْتَقِمَ لِلَّهِ بِهَا» . وَرَوَاهُ الْبُخَارِيُّ وَمُسْلِمٌ مِنْ حَدِيثِ مَالِكٍ.
وَرَوَى مُسْلِمٌ عَنْ أَبِي كُرَيْبٍ، عَنْ أَبِي أُسَامَةَ، عَنْ هِشَامٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَائِشَةَ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهَا، قَالَتْ: «مَا ضَرَبَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِيَدِهِ شَيْئًا قَطُّ لَا عَبْدًا وَلَا امْرَأَةً وَلَا خَادِمًا، إِلَّا أَنْ يُجَاهِدَ فِي سَبِيلِ اللَّهِ، وَلَا نِيلَ مِنْهُ شَيْءٌ قَطُّ فَيَنْتَقِمَ مِنْ صَاحِبِهِ، إِلَّا أَنْ يُنْتَهَكَ شَيْءٌ مِنْ مَحَارِمِ اللَّهِ فَيَنْتَقِمُ لِلَّهِ عَزَّ وَجَلَّ» .
পৃষ্ঠা - ৪৫৯৭
(সা)-এর কাছে কোন কিছু চাওয়া হলে তিনি কখনো না’ বলেননি ৷ ইমাম আহমদ, ইবন আবু
আদী আনাস (রা) সুত্রে বংনাি করেন যে, রাসুলুল্লাহ্ (সা)-এর কাছে মুসলমান অবস্থায়
কিছু চাওয়া হলেই তিনি তা দান করতেন ৷ তিনি বলেন, (একবার) তার কাছে এক ব্যক্তি
আসল তখন তিনি দুই পাহাড়ের মধ্যবর্তী স্থানে অবস্থানরত সদকার যেষপাল থেকে তাকে বহু
থােক ছাগল দান করলেন ৷ তিনি বলেন, এরপর সে তার সম্প্রদায়ের কাছে ফিরে বলল, হে
আমার সম্প্রদায় ! তোমরা ইসলাম গ্রহণ করে নাও, কেননা, মুহাম্মদ কােনরুপ দারািদ্র্যর
আশংকা না করে উদার হস্তে দান করেন ৷ ণ্ আসিম ইবন নসর হুমায়দ সুত্রে ইমাম মুসলিম
তা ৰিওয়ায়াত করেছেন ৷ আহমদ আফ্ফান আনাস (রা) সুত্রে উক্ত হাদীসটি বর্ণনা
করেন ৷ তাতে অতিরিক্ত আছে, শুধুমাত্র এ দুনিয়া লাভের উদ্দেশ্যেই যদি কেউ রাসুলুল্লাহ্
(সা) এর কাছে আসত, সন্ধ্য৷ হতে না হতেই তার দীন ঐ ব্যক্তির কাছে গোটা দুনিয়া ও তার
সবকিছুর চেয়ে অধিক প্রিয় ও মর্যাদাপুর্ণ হয়ে যেত ৷ হ ৷ম্মাদ ইবন সালামার হাদীস সংগ্রহ থেকে
ঐ সনদে ইমাম মুসলিম এই হাদীসখঃানি রিওয়ায়াত করেছেন ৷ আর এই দান ছিল দুর্বল চিত্ত
(ঈমান) মুসলমানদের চিত্ত জয়ের উদ্দেশ্যে ৷ এ ছাড়া এ দ্বারা তিনি অন্যদেরকে ইসলামের
দিকে আকৃষ্ট করেছেন যেমন হুনায়নের দিন করেছেন ৷ সেদিন এই শ্রেণীর লোকদের মাঝে
বিশাল ও বিপুল পরিমাণ স্বর্ণ রৌপ্য ও উটযেষ প্রভৃতি বন্টন করেছেন ৷ অথচ আনসারদের
কাউকে এবং মুজাহিদদের অধিকাংশকে কিছুই দেননি ৷ বরং তা ব্যয় করেছেন তাদের মাঝে,
যাদেরকে তিনি ইসলামের দিকে আকৃষ্ট করতে চেয়েছেন ৷ আর ওদেরকে দেননি যেহেতু
আল্লাহ্ তাদের হৃদয়কে অভাবমুক্ত ও কল্যাণময় করেছিলেন ৷
এই বণ্টনের রহস্য সম্পর্কে আনসারদের যারা সমালোচনা করেছিলেন, তাদেরকে সান্তুনা
দিয়ে তিনি বলেছিলেন, তোমরা কি এতে সন্তুষ্ট নও যে, লোকেরা উট ও যেষ নিয়ে যাবে আর
তোমরা আল্পাহ্র রাসুলকে নিয়ে তোমাদের গৃহে ফিরবে? তখন তারা বললেন, ইয়৷ রাসুলাল্লাহ্
আমরা সভুষ্ট আছি ৷ একইভাবে তিনি তার পিতৃব্য আব্বাস (রা) কে ইসলাম গ্রহণের পর দান
করেছিলেন ৷ যখন বাহরায়ন থেকে উল্লেখযোগ্য পরিমাণ মাল এসে তার সামনে রাখা হল ৷ এ
সময় আব্বাস এসে বললেন, ইয়৷ রাসুলাল্লাহ্৷ আমাকে দান করুন, বদরের দিন আমি নিজের
মুক্তিপণ দিয়েছি এবং আর্কীলের মুক্তিপণ দিয়েছি ৷ তখন তিনি বললেন, ঠিক আছে, আপনি
নিন ৷ তখন তিনিত তার পরনের জামা খুলে সে সাল থেকে নিয়ে তা ভরে ফেললেন এরপর তা
উঠাতে গেলেন; কিন্তু পারলেন না ৷ তখন তিনি রাসুলুল্লাহ্ (সা) কে বললেন, তা আমার উপর
উঠিয়ে দিন ৷ তিনি বললেন আমি তা করব না ৷ তখন আব্বাস বললেন, আপনি কাউকেত
উঠিয়ে দিতে বলুন! তখনও তিনি বললেন না, তাও পারব না ৷ তখন তিনি (আব্বাস)ত
থেকে কিছু মাল নামিয়ে তা উঠাতে গেলেন কিন্তু সক্ষম হলেন না ৷ এরপর পুনরায় তিনি
রাসুলুল্লাহ্ (সা) কে তা উঠিয়ে দিতে কিত্বা দেয়ার জন্য কাউকে নির্দেশ দিতে বললেন ৷ কিন্তু
তিনি তা করলেন না ৷ তখন আব্বাস তার উঠানাে মাল আরো কমালেন এরপর অবগ্রিষ্টি মাল
বহন করে মসজিদ থেকে বেরিয়ে গেলেন, আর রাসুলুল্লাহ্ (সা) তার এই সম্পদাসক্তি দেখে
অবাক দৃষ্টিতে তার দিকে তা ৷কিয়ে থাকলেন ৷
আমি বলি, হযরত আব্বাস বেশ দীর্ঘকায় ও শক্ত সমর্থ ব্যক্তি ছিলেন ৷ তিনি যা বহন
করেছেন তা কম করে হলেও প্রায় চল্লিশ হাজার দিরহাম হবে ৷ আল্লাহ্ই সর্বাধিক জানেন ৷
وَقَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، أَنَا مَعْمَرٌ، عَنِ الْزُّهْرِيِّ، عَنْ عُرْوَةَ، عَنْ عَائِشَةَ قَالَتْ: «مَا ضَرَبَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِيَدِهِ خَادِمًا لَهُ قَطُّ، وَلَا امْرَأَةً، وَلَا ضَرَبَ بِيَدِهِ شَيْئًا إِلَّا أَنْ يُجَاهِدَ فِي سَبِيلِ اللَّهِ، وَلَا خُيِّرَ بَيْنَ أَمْرَيْنِ قَطُّ إِلَّا كَانَ أَحَبَّهُمَا إِلَيْهِ أَيْسَرُهُمَا، حَتَّى يَكُونَ إِثْمًا، فَإِذَا كَانَ إِثْمًا كَانَ أَبْعَدَ النَّاسِ مِنَ الْإِثْمِ، وَلَا انْتَقَمَ لِنَفْسِهِ مِنْ شَيْءٍ يُؤْتَى إِلَيْهِ حَتَّى تُنْتَهَكَ حُرُمَاتُ اللَّهِ، فَيَكُونُ هُوَ يَنْتَقِمُ لِلَّهِ عَزَّ وَجَلَّ» .
وَقَالَ أَبُو دَاوُدَ الطَّيَالِسِيُّ: ثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ، سَمِعْتُ أَبَا عَبْدِ اللَّهِ الْجَدَلِيَّ يَقُولُ: «سَمِعْتُ عَائِشَةَ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهَا، وَسَأَلْتُهَا عَنْ خُلُقِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَقَالَتْ: لَمْ يَكُنْ فَاحِشًا وَلَا مُتَفَحِّشًا، وَلَا سَخَّابًا فِي الْأَسْوَاقِ، وَلَا يَجْزِي بِالسَّيِّئَةِ السَّيِّئَةَ، وَلَكِنْ يَعْفُو وَيَصْفَحُ. أَوْ قَالَتْ: يَعْفُو وَيَغْفِرُ» . شَكَّ أَبُو دَاوُدَ. وَرَوَاهُ التِّرْمِذِيُّ مِنْ حَدِيثِ شُعْبَةَ، وَقَالَ: حَسَنٌ صَحِيحٌ.
وَقَالَ يَعْقُوبُ بْنُ سُفْيَانَ: ثَنَا آدَمُ وَعَاصِمُ بْنُ عَلِيٍّ، قَالَا: ثَنَا ابْنُ أَبِي ذِئْبٍ، ثَنَا صَالِحٌ مَوْلَى التَّوْأَمَةِ قَالَ: «كَانَ أَبُو هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ يَنْعَتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: كَانَ يُقْبِلُ جَمِيعًا وَيُدْبِرُ جَمِيعًا، بِأَبِي وَأُمِّي لَمْ يَكُنْ فَاحِشًا، وَلَا مُتَفَحِّشًا، وَلَا سَخَّابًا فِي الْأَسْوَاقِ. زَادَ آدَمُ: وَلَمْ أَرَ مِثْلَهُ قَبْلَهُ، وَلَنْ أَرَى بَعْدَهُ» .
পৃষ্ঠা - ৪৫৯৮
وَقَالَ الْبُخَارِيُّ: ثَنَا عَبْدَانُ عَنْ أَبِي حَمْزَةَ، عَنِ الْأَعْمَشِ، عَنْ أَبِي وَائِلٍ، عَنْ مَسْرُوقٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرٍو قَالَ: «لَمْ يَكُنِ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَاحِشًا وَلَا مُتَفَحِّشًا، وَكَانَ يَقُولُ: إِنَّ مِنْ خِيَارِكُمْ أَحْسَنَكُمْ أَخْلَاقًا» وَرَوَاهُ مُسْلِمٌ مِنْ حَدِيثِ الْأَعْمَشِ بِهِ.
وَقَدْ رَوَى الْبُخَارِيُّ مِنْ حَدِيثِ فُلَيْحِ بْنِ سُلَيْمَانَ، عَنْ هِلَالِ بْنِ عَلِيٍّ، عَنْ عَطَاءِ بْنِ يَسَارٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ أَنَّهُ قَالَ: «إِنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَوْصُوفٌ فِي التَّوْرَاةِ بِمَا هُوَ مَوْصُوفٌ فِي الْقُرْآنِ: يَا أَيُّهَا النَّبِيُّ، إِنَّا أَرْسَلْنَاكَ شَاهِدًا وَمُبَشِّرًا وَنَذِيرًا، وَحِرْزًا لِلْأُمِّيِّينَ، أَنْتَ عَبْدِي وَرَسُولِي، سَمَّيْتُكَ الْمُتَوَكِّلَ، لَيْسَ بِفَظٍّ وَلَا غَلِيظٍ وَلَا سَخَّابٍ فِي الْأَسْوَاقِ، وَلَا يَجْزِي بِالسَّيِّئَةِ السَّيِّئَةَ، وَلَكِنْ يَعْفُو وَيَصْفَحُ، وَلَنْ يَقْبِضَهُ اللَّهُ حَتَّى يُقِيمَ بِهِ الْمِلَّةَ الْعَوْجَاءَ بِأَنْ يَقُولُوا: لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ. وَيَفْتَحُ بِهَا أَعْيُنًا عُمْيًا، وَآذَانًا صُمًّا، وَقُلُوبًا غُلْفًا» . وَقَدْ رُوِيَ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ سَلَامٍ وَكَعْبِ الْأَحْبَارِ.
وَقَالَ الْبُخَارِيُّ: ثَنَا مُسَدَّدٌ، ثَنَا يَحْيَى، عَنْ شُعْبَةَ، عَنْ قَتَادَةَ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي عُتْبَةَ، عَنْ أَبِي سَعِيدٍ قَالَ: «كَانَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَشَدَّ حَيَاءً مِنَ الْعَذْرَاءِ فِي خِدْرِهَا.» حَدَّثَنَا ابْنُ بَشَّارٍ، ثَنَا يَحْيَى وَعَبْدُ الرَّحْمَنِ، قَالَا: ثَنَا شُعْبَةُ مِثْلَهُ، «وَإِذَا
পৃষ্ঠা - ৪৫৯৯
كَرِهَ شَيْئًا عُرِفَ ذَلِكَ فِي وَجْهِهِ.» وَرَوَاهُ مُسْلِمٌ مِنْ حَدِيثِ شُعْبَةَ.
وَقَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: ثَنَا أَبُو عَامِرٍ، ثَنَا فُلَيْحٌ، عَنْ هِلَالِ بْنِ عَلِيٍّ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ قَالَ: «لَمْ يَكُنْ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ سَبَّابًا وَلَا لَعَّانًا وَلَا فَاحِشًا، كَانَ يَقُولُ لِأَحَدِنَا عِنْدَ الْمُعَاتَبَةِ: مَا لَهُ تَرِبَتْ جَبِينُهُ؟» وَرَوَاهُ الْبُخَارِيُّ عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ سِنَانٍ، عَنْ فُلَيْحٍ.
وَفِي " الصَّحِيحَيْنِ " - وَاللَّفْظُ لِمُسْلِمٍ - مِنْ حَدِيثِ حَمَّادِ بْنِ زَيْدٍ، عَنْ ثَابِتٍ، «عَنْ أَنَسٍ قَالَ: كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَحْسَنَ النَّاسِ، وَكَانَ أَجْوَدَ النَّاسِ، وَكَانَ أَشْجَعَ النَّاسِ، وَلَقَدْ فَزِعَ أَهْلُ الْمَدِينَةِ ذَاتَ لَيْلَةٍ، فَانْطَلَقَ نَاسٌ قِبَلَ الصَّوْتِ، فَتَلَقَّاهُمْ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ رَاجِعًا وَقَدْ سَبَقَهُمْ إِلَى الصَّوْتِ، وَهُوَ عَلَى فَرَسٍ لِأَبِي طَلْحَةَ عُرْيٍ، فِي عُنُقِهِ السَّيْفُ، وَهُوَ يَقُولُ لَمْ تُرَاعُوا، لَمْ تُرَاعُوا قَالَ: وَجَدْنَاهُ بَحْرًا أَوْ: إِنَّهُ لَبَحْرٌ قَالَ: وَكَانَ فَرَسًا يُبَطَّأُ» .
ثُمَّ قَالَ مُسْلِمٌ: ثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، ثَنَا وَكِيعٌ، عَنْ شُعْبَةَ، عَنْ قَتَادَةَ، «عَنْ أَنَسٍ قَالَ: كَانَ فَزَعٌ بِالْمَدِينَةِ فَاسْتَعَارَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَرَسًا لِأَبِي طَلْحَةَ يُقَالُ لَهُ: مَنْدُوبٌ. فَرَكِبَهُ فَقَالَ: مَا رَأَيْنَا مِنْ فَزَعٍ، وَإِنْ وَجَدْنَاهُ لَبَحْرًا وَقَالَ عَلِيٌّ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ: كُنَّا إِذَا اشْتَدَّ الْبَأْسُ اتَّقَيْنَا بِرَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ» .
পৃষ্ঠা - ৪৬০০
وَقَالَ أَبُو إِسْحَاقَ السَّبِيعِيُّ، عَنْ حَارِثَةَ بْنِ مُضَرِّبٍ، «عَنْ عَلِيِّ بْنِ أَبِي طَالِبٍ قَالَ: لَمَّا كَانَ يَوْمُ بَدْرٍ اتَّقَيْنَا الْمُشْرِكِينَ بِرَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَكَانَ أَشَدَّ النَّاسِ بَأْسًا.» رَوَاهُ أَحْمَدُ وَالْبَيْهَقِيُّ. وَتَقَدَّمَ فِي غَزْوَةِ هَوَازِنَ «أَنَّهُ عَلَيْهِ الصَّلَاةُ وَالسَّلَامُ، لَمَّا فَرَّ جُمْهُورُ أَصْحَابِهِ يَوْمَئِذٍ ثَبَتَ وَهُوَ رَاكِبٌ بَغْلَتَهُ، وَهُوَ يُنَوِّهُ بِاسْمِهِ الشَّرِيفِ يَقُولُ: أَنَا النَّبِيُّ لَا كَذِبْ أَنَا ابْنُ عَبْدِ الْمُطَّلِبْ وَهُوَ مَعَ ذَلِكَ يَرْكُضُهَا إِلَى نُحُورِ الْأَعْدَاءِ» ، وَهَذَا فِي غَايَةِ مَا يَكُونُ مِنْ الشَّجَاعَةِ الْعَظِيمَةِ وَالتَّوَكُّلِ التَّامِّ، صَلَوَاتُ اللَّهِ وَسَلَامُهُ عَلَيْهِ.
وَفِي " صَحِيحِ مُسْلِمٍ " مِنْ حَدِيثِ إِسْمَاعِيلَ بْنِ عُلَيَّةَ، عَنْ عَبْدِ الْعَزِيزِ، عَنْ أَنَسٍ قَالَ: «لَمَّا قَدِمَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ الْمَدِينَةَ أَخَذَ أَبُو طَلْحَةَ بِيَدِي، فَانْطَلَقَ بِي إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، إِنَّ أَنَسًا غُلَامٌ كَيِّسٌ فَلْيَخْدُمْكَ. قَالَ: فَخَدَمْتُهُ فِي السَّفَرِ وَالْحَضَرِ، وَاللَّهِ مَا قَالَ لِي لِشَيْءٍ صَنَعْتُهُ: لِمَ صَنَعْتَ هَذَا هَكَذَا؟ وَلَا لِشَيْءٍ لَمْ أَصْنَعْهُ: لِمَ لَمْ تَصْنَعْ هَذَا هَكَذَا؟»
وَلَهُ مِنْ حَدِيثِ سَعِيدِ بْنِ أَبِي بُرْدَةَ، «عَنْ أَنَسٍ قَالَ: خَدَمْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ تِسْعَ سِنِينَ، فَمَا أَعْلَمُهُ قَالَ لِي قَطُّ: لِمَ فَعَلْتَ كَذَا وَكَذَا؟ وَلَا عَابَ عَلَيَّ شَيْئًا قَطُّ» .
পৃষ্ঠা - ৪৬০১
ইমাম বৃখারী তার সহীহ্ গ্রন্থে একাধিক স্থানে তালীক রুপে হাদীসখানি দ্ব্যর্থহীনভা ৷বে উল্লেখ
করেছেন ৷ এ হাদীসখানি হযরত আব্বাসের মানবিক বা প্রশংসনীয় বৈশ্যিষ্ট্যর ক্ষেত্রে আলোচিত
হতে পারে এই আঘাতের কারণে ং
০ শ্
“হে নবী ! তোমাদের করায়ত্ত্ব যুদ্ধ বন্দীদিগকে বল আল্লাহ যদি ণ্তা মাদের হৃদয়ে ভাল কিছু
দেখেন তাহলে তোমাদের নিকট থেকে যা নেওয়া হয়েছে তা অপেক্ষা উত্তম কিছু তিনি
তােমাদেরকে দান করবেন এবং তােমাদেরকে ক্ষমা করবেন ৷ আল্লাহ ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু!
(৮ : ৭০)
ইতিপুর্বে তার খাদিম আনাস ইবন মালিকের উদ্ধৃতিতে বিগত হয়েছে যে, তিনি বলেন,
রাসুলুল্লাহ্ (সা) ছিলেন গ্রেষ্ঠতম দানশীল ও সাহসী ব্যক্তি ৷ আর ণ্কনইবা তা হবেনা, অথচ
তিনি সর্বশ্রেষ্ঠ গুণে গুণাযি৩ রুপে সৃষ্ট আল্লাহর রাসুল যিনি আল্লাহর হাতে যা আছে সে
ব্যাপারে পুর্ণ আন্থাবান, যিনি তার সুদৃঢ় গ্রন্থে৩ তার প্রতি নাযিল করেছেন :
এ);ষ্,১৷ ৷ ,
“তোমরা আল্লাহর পথে কেন ব্যয় করবে না? আকাশমণ্ডলী ও পৃথিবীর মালিকানাভাে
আল্লাহ্রই (৫৭ : ১০) ৷
তিনি আরো বলেছেন :
আর তোমরা যা কিছু ব্যয় করবে, তিনি তার প্রতিদান দেবেন ৷ তিনিই শ্রেষ্ঠ রিযিকদাতা
(৩৪ং : ৩৯) ৷
আর তিনিই তার মুয়ায্যিন বিলাল (রা)-কে বলেছিলেন ৷ আর তিনি কথায় ও
প্রতিশ্রুতিতে সত্যবাদী ও সত ত্যায়িত-
১া১াঘু া১ান্ ৰু;ছু;া)
“হে বেলাল ৷ তুমি মুক্ত হতে ব্যয় কর, আরশাধিপতি থেকেহ্রাসের আশংকা করো না” ৷
তিনিই বলেছেন,
“প্রতিদিন যখন বান্দারা সকাল যাপন করে তখন দুইজন ফেরেশতার আবির্ভাব হয়, তাদের
একজন বলে, হে আল্লাহদ্বু তুমি ব্যয়কারীকে উত্তম বিনিময় দান কর ৷ আর অন্যজন বলে, হে
আল্লাহ! তুমি কৃপণকে ধ্বংস কর” ৷
অন্য হাদীসে রয়েছে যে, তিনি আইশা (রা)-কে বলেন, ধ্নসষ্পদ সংরক্ষণ করে রেখোনা
তাহলে আল্লাহ্ও তােমা থেকে তা সংরক্ষণ করে রাখবেন, আর কৃপণতাবশত মশকের মুখের
وَلَهُ مِنْ حَدِيثِ عِكْرِمَةَ بْنِ عَمَّارٍ، عَنْ إِسْحَاقَ، قَالَ أَنَسٌ: «كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِنْ أَحْسَنِ النَّاسِ خُلُقًا، فَأَرْسَلَنِي يَوْمًا لِحَاجَةٍ فَقُلْتُ: وَاللَّهِ لَا أَذْهَبُ. وَفِي نَفْسِي أَنْ أَذْهَبَ لِمَا أَمَرَنِي بِهِ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَخَرَجْتُ حَتَّى أَمُرَّ عَلَى صِبْيَانٍ وَهُمْ يَلْعَبُونَ فِي السُّوقِ، فَإِذَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَدْ قَبَضَ بِقَفَايَ مِنْ وَرَائِي. قَالَ: فَنَظَرْتُ إِلَيْهِ وَهُوَ يَضْحَكُ، فَقَالَ: يَا أُنَيْسُ، ذَهَبْتَ حَيْثُ أَمَرْتُكَ؟ فَقُلْتُ: نَعَمْ، أَنَا أَذْهَبُ يَا رَسُولَ اللَّهِ. قَالَ أَنَسٌ: وَاللَّهِ لَقَدْ خَدَمْتُهُ تِسْعَ سِنِينَ، مَا عَلِمْتُهُ قَالَ لِشَيْءٍ صَنَعْتُهُ: لِمَ صَنَعْتَ كَذَا وَكَذَا؟ أَوْ لِشَيْءٍ تَرَكْتُهُ: هَلَّا فَعَلْتَ كَذَا وَكَذَا» .
وَقَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: ثَنَا كَثِيرُ بْنُ هِشَامٍ، ثَنَا جَعْفَرٌ، ثَنَا عِمْرَانُ الْقَصِيرُ، «عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ قَالَ: خَدَمْتُ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَشْرَ سِنِينَ، فَمَا أَمَرَنِي بِأَمْرٍ فَتَوَانَيْتُ عَنْهُ أَوْ ضَيَّعْتُهُ فَلَامَنِي، وَإِنْ لَامَنِي أَحَدٌ مِنْ أَهْلِهِ إِلَّا قَالَ دَعُوهُ فَلَوْ قُدِّرَ - أَوْ قَالَ: قَضَى - أَنْ يَكُونَ كَانَ» ثُمَّ رَوَاهُ أَحْمَدُ، عَنْ عَلِيِّ بْنِ ثَابِتٍ، عَنْ جَعْفَرٍ هُوَ ابْنُ بُرْقَانَ، عَنْ عِمْرَانَ الْبَصَرِيِّ، وَهُوَ الْقَصِيرُ، عَنْ أَنَسٍ، فَذَكَرَهُ، تَفَرَّدَ بِهِ الْإِمَامُ أَحْمَدُ.
وَقَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: ثَنَا عَبْدُ الصَّمَدِ، ثَنَا أَبِي، ثَنَا أَبُو الْتَّيَّاحِ، «ثَنَا أَنَسٌ قَالَ: كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَحْسَنَ النَّاسِ خُلُقًا، وَكَانَ لِي أَخٌ يُقَالُ لَهُ: أَبُو عُمَيْرٍ. قَالَ: أَحْسَبُهُ قَالَ فَطِيمًا. قَالَ: فَكَانَ إِذَا جَاءَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَرَآهُ قَالَ:
পৃষ্ঠা - ৪৬০২
أَبَا عُمَيْرٍ، مَا فَعَلَ النُّغَيْرُ؟ قَالَ: نُغَرٌ كَانَ يُلْعَبُ بِهِ. قَالَ فَرُبَّمَا تَحْضُرُ الصَّلَاةُ وَهُوَ فِي بَيْتِنَا، فَيَأْمُرُ بِالْبِسَاطِ الَّذِي تَحْتَهُ فَيُكْنَسُ، ثُمَّ يُنْضَحُ، ثُمَّ يَقُومُ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَنَقُومُ خَلْفَهُ يُصَلِّي بِنَا. قَالَ: وَكَانَ بِسَاطُهُمْ مِنْ جَرِيدِ النَّخْلِ» . وَقَدْ رَوَاهُ الْجَمَاعَةُ إِلَّا أَبَا دَاوُدَ، مِنْ طُرُقٍ، عَنْ أَبِي الْتَّيَّاحِ يَزِيدَ بْنِ حُمَيْدٍ، عَنْ أَنَسٍ بِنَحْوِهِ.
وَثَبَتَ فِي " الصَّحِيحَيْنِ " مِنْ حَدِيثِ الْزُّهْرِيِّ، عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُتْبَةَ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ قَالَ: «كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَجْوَدَ النَّاسِ، وَكَانَ أَجْوَدَ مَا يَكُونُ فِي رَمَضَانَ حِينَ يَلْقَاهُ جِبْرِيلُ فَيُدَارِسُهُ الْقُرْآنَ، فَلَرَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَجْوَدُ بِالْخَيْرِ مِنَ الرِّيحِ الْمُرْسَلَةِ» .
وَقَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا أَبُو كَامِلٍ، ثَنَا حَمَّادُ بْنُ زَيْدٍ، ثَنَا سَلْمٌ الْعَلَوِيُّ، سَمِعْتُ أَنَسَ بْنَ مَالِكٍ، «أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ رَأَى عَلَى رَجُلٍ صُفْرَةً - أَوْ قَالَ: أَثَرَ صُفْرَةٍ - فَكَرِهَهَا. قَالَ: فَلَمَّا قَامَ قَالَ: لَوْ أَمَرْتُمْ هَذَا أَنْ يَغْسِلَ عَنْهُ هَذِهِ الصُّفْرَةَ قَالَ: وَكَانَ لَا يَكَادُ يُوَاجِهُ أَحَدًا فِي وَجْهِهِ بِشَيْءٍ يَكْرَهُهُ» . وَقَدْ رَوَاهُ أَبُو دَاوُدَ، وَالتِّرْمِذِيُّ فِي " الشَّمَائِلِ "، وَالنَّسَائِيُّ فِي " الْيَوْمِ وَاللَّيْلَةِ " مِنْ
পৃষ্ঠা - ৪৬০৩
حَدِيثِ حَمَّادِ بْنِ زَيْدٍ، عَنْ سَلْمِ بْنِ قَيْسٍ الْعَلَوِيِّ الْبَصْرِيِّ. قَالَ أَبُو دَاوُدَ: وَلَيْسَ مِنْ وَلَدِ عَلِيِّ بْنِ أَبِي طَالِبٍ، وَكَانَ يُبْصِرُ فِي النُّجُومِ، وَقَدْ شَهِدَ عِنْدَ عَدِيِّ بْنِ أَرْطَاةَ عَلَى رُؤْيَةِ الْهِلَالِ، فَلَمْ يُجِزْ شَهَادَتَهُ.
وَقَالَ أَبُو دَاوُدَ: ثَنَا عُثْمَانُ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، ثَنَا عَبْدُ الْحَمِيدِ الْحِمَّانِيُّ، ثَنَا الْأَعْمَشُ، عَنْ مُسْلِمٍ، عَنْ مَسْرُوقٍ، عَنْ عَائِشَةَ قَالَتْ: «كَانَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِذَا بَلَغَهُ عَنْ رَجُلٍ شَيْءٌ لَمْ يَقُلْ: مَا بَالُ فُلَانٍ يَقُولُ. وَلَكِنْ يَقُولُ: مَا بَالُ أَقْوَامٍ يَقُولُونَ كَذَا وَكَذَا» .
وَثَبَتَ فِي الصَّحِيحِ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «لَا يُبَلِّغُنِي أَحَدٌ عَنْ أَحَدٍ شَيْئًا؛ إِنِّي أُحِبُّ أَنْ أَخْرُجَ إِلَيْكُمْ وَأَنَا سَلِيمُ الصَّدْرِ» .
وَقَالَ مَالِكٌ، عَنْ إِسْحَاقَ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي طَلْحَةَ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ قَالَ: «كُنْتُ أَمْشِي مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَعَلَيْهِ بُرْدٌ نَجْرَانِيٌّ غَلِيظُ الْحَاشِيَةِ، فَأَدْرَكَهُ أَعْرَابِيٌّ فَجَبَذَ بِرِدَائِهِ جَبْذًا شَدِيدًا، حَتَّى نَظَرْتُ إِلَى صَفْحَةِ عَاتِقِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَإِذَا قَدْ أَثَّرَتْ بِهَا حَاشِيَةُ الْبُرْدِ مِنْ شِدَّةِ جَبْذَتِهِ، ثُمَّ قَالَ: يَا مُحَمَّدُ، مُرْ لِي مِنْ مَالِ اللَّهِ الَّذِي عِنْدَكَ. قَالَ: فَالْتَفَتَ إِلَيْهِ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَضَحِكَ، ثُمَّ أَمَرَ
পৃষ্ঠা - ৪৬০৪
لَهُ بِعَطَاءٍ» . أَخْرَجَاهُ مِنْ حَدِيثِ مَالِكٍ.
وَقَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: ثَنَا زَيْدُ بْنُ الْحُبَابِ، أَخْبَرَنِي مُحَمَّدُ بْنُ هِلَالٍ الْقُرَشِيُّ، عَنْ أَبِيهِ، أَنَّهُ سَمِعَ أَبَا هُرَيْرَةَ يَقُولُ: «كُنَّا مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي الْمَسْجِدِ، فَلَمَّا قَامَ قُمْنَا مَعَهُ، فَجَاءَ أَعْرَابِيٌّ فَقَالَ: أَعْطِنِي يَا مُحَمَّدُ. فَقَالَ: " لَا، وَأَسْتَغْفِرُ اللَّهَ ". فَجَذَبَهُ بِحُجْزَتِهِ فَخَدَشَهُ. قَالَ: فَهَمُّوا بِهِ. فَقَالَ: " دَعُوهُ ". قَالَ: ثُمَّ أَعْطَاهُ. قَالَ: وَكَانَتْ يَمِينُهُ: " لَا، وَأَسْتَغْفِرُ اللَّهَ ".» وَقَدْ رَوَى أَصْلَ هَذَا الْحَدِيثِ أَبُو دَاوُدَ وَالنَّسَائِيُّ وَابْنُ مَاجَهْ مِنْ طُرُقٍ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ هِلَالِ بْنِ أَبِي هِلَالٍ الْمَدَنِيِّ مَوْلَى بَنِي كَعْبٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ بِنَحْوِهِ.
وَقَالَ يَعْقُوبُ بْنُ سُفْيَانَ: ثَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ مُوسَى، عَنْ شَيْبَانَ، عَنِ الْأَعْمَشِ، عَنْ ثُمَامَةَ بْنِ عُقْبَةَ عَنْ زَيْدِ بْنِ أَرْقَمَ قَالَ: «كَانَ رَجُلٌ مِنَ الْأَنْصَارِ يَدْخُلُ عَلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَيَأْتَمِنُهُ، وَأَنَّهُ عَقَدَ لَهُ عُقَدًا فَأَلْقَاهُ فِي بِئْرٍ، فَصَرَعَ ذَلِكَ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَأَتَاهُ مَلِكَانِ يَعُودَانِهِ، فَأَخْبَرَاهُ أَنَّ فُلَانًا عَقَدَ لَهُ عُقَدًا، وَهِيَ فِي بِئْرِ بَنِي فُلَانٍ، وَلَقَدِ اصْفَرَّ الْمَاءُ مِنْ شِدَّةِ عُقَدِهِ، فَأَرْسَلَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَاسْتَخْرَجَ
পৃষ্ঠা - ৪৬০৫
الْعُقَدَ، فَوَجَدَ الْمَاءَ قَدِ اصْفَرَّ، فَحَلَّ الْعُقَدَ، وَنَامَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَلَقَدْ رَأَيْتُ الرَّجُلَ بَعْدَ ذَلِكَ يَدْخُلُ عَلَى النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَمَا رَأَيْتُهُ فِي وَجْهِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ حَتَّى مَاتَ» . وَرَوَاهُ الطَّبَرَانِيُّ مِنْ طَرِيقِ عَلِيِّ بْنِ الْمَدِينِيِّ، عَنْ جَرِيرٍ عَنِ الْأَعْمَشِ بِهِ، وَقَالَ: فَلَمْ يُعَاتِبْهُ. قُلْتُ: وَالْمَشْهُورُ فِي الصَّحِيحِ أَنَّ لَبِيدَ بْنَ الْأَعْصَمِ الْيَهُودِيَّ هُوَ الَّذِي سَحَرَ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي مُشْطٍ وَمُشَاطَةٍ فِي جُفِّ طَلْعَةِ ذَكَرٍ تَحْتَ رَعُوفَةِ بِئْرِ ذِي أَرْوَانَ، وَأَنَّ الْحَالَ اسْتَمَرَّ نَحْوًا مِنْ سِتَّةِ أَشْهُرٍ حَتَّى أَنْزَلَ اللَّهُ سُورَتَيِ الْمُعَوِّذَتَيْنِ، وَيُقَالُ إِنَّ آيَاتِهِمَا إِحْدَى عَشْرَةَ آيَةً، وَإِنَّ عُقَدَ ذَلِكَ الَّذِي سُحِرَ فِيهِ كَانَ إِحْدَى عَشْرَةَ عُقْدَةً. وَقَدْ بَسَطْنَا ذَلِكَ فِي كِتَابِنَا " التَّفْسِيرِ " بِمَا فِيهِ كِفَايَةٌ. وَاللَّهُ أَعْلَمُ.
وَقَالَ يَعْقُوبُ بْنُ سُفْيَانَ: ثَنَا أَبُو نُعَيْمٍ، ثَنَا عِمْرَانُ بْنُ زَيْدٍ أَبُو يَحْيَى الْمُلَائِيُّ، ثَنَا زَيْدٌ الْعَمِّيُّ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ قَالَ: «كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِذَا صَافَحَ أَوْ صَافَحَهُ الرَّجُلُ لَا يَنْزِعُ يَدَهُ مِنْ يَدِهِ حَتَّى يَكُونَ الرَّجُلُ يَنْزِعُ يَدَهُ، وَإِنِ اسْتَقْبَلَهُ بِوَجْهٍ لَا يَصْرِفُهُ عَنْهُ حَتَّى يَكُونَ الرَّجُلُ يَنْصَرِفُ عَنْهُ، وَلَمْ يُرَ
পৃষ্ঠা - ৪৬০৬
ন্যায় তা বেধে ব্লেখোনা, তাহলে তোমাকে দেয়৷ থেকে আল্লাহ্ও তা বেধে রাখবেন ৷ সহীহ্
বুখারীতে রয়েছে যে, নবী করীম (সা) বলেছেন, আল্লাহ তাআলা বলেন, (হড়াদীসে কুদসী) :
“হে আদমসম্ভান ! তুমি (অন্যের জন্য) ব্যয় কর, আমিও তোমার জন্য ব্যয় করব” ৷
সুতরাং কেন তিনি শ্রেষ্ঠতম দানশীল ও সাহসী ব্যক্তি হবেন না, অথচ আল্লাহর ভরসায়
ও>ার চেয়ে বড় কেউ নেই, তিনি আল্লাহর দান ও সাহায্যের ব্যাপারে পুর্ণ বিশ্বাসী, সকল বিষয়ে
নিজ প্রতিপালকের সাহায্যপ্রাথী ৷৩ তদুপরি তিনি তার নৃবুওয়াতের পুর্বে ও পরে এবং হিজরতের
পুর্বে দরিদ্র ও বিধবাদের এবং পিতৃহীন ও নিংস্বদের আশ্রয়স্থল ছিলেন ৷ যেমনটি তার পিতৃব্য
আবু তালিব এক প্রসিদ্ধ পংক্তি তবর্ণন৷ করেছেন, যা আমরা ইতিপুর্বে উল্লেখ করেছি৪
§
“তুমি পিতৃহীন হও! গোত্র কর্তক এমন নেতাকে বর্জন, তুমি কী মনে কর, যিনি
, ,
মড়ান-মর্যাদার রক্ষক যিনি অশ্লীল ও তীক্ষ্ণ-বাক্ নন ৷
যিনি গৌরবর্ণ, হার দোহাই দিয়ে বৃষ্টি প্রার্থনা করা হয়, পিতৃহীনদের আশ্রয় এবং
বিধবাদের রক্ষক ৷
,)প্রু৯াপ্রু১থুড্রু;
হড়াশিম গোত্রের অসহায়রা তার আশ্রয় নেয়, তখন তার দান ও অনুগ্রহ লাভে ধন্য হয় ৷
আর তার বিনয়ের পরিচয় হল হাম্মাদ ইবন সালামাব হাদীস সংগ্রহ থেকে হযরত
আনাসের বরাতে ইমাম আহমদ যে হাদীস রিওয়ায়াত করেছেন যে, এক ব্যক্তি রাসুলুল্লাহ্
(সা) কে সম্বোধন করে বলল, হে আমাদের নেতার পুত্র নেতা ! তখন তিনি বললেন, হে লোক
সকল! তোমরা তোমাদের স্বাভাবিক কথা বল, শয়তান যেন তোমাদেরকে বিভ্রান্ত না করে,
আমি আবদৃল্লাহর পুত্র ও আল্লাহর রাসুল, আল্লাহর কসম, আল্লাহ আমাকে মর্যাদার যে স্তরে
উন্নীত করেছেন, আমি এটা পছন্দ করি না যে, তোমরা আমাকে তারও উপরে উন্নীত করবে ৷
হযরত উমর ইবন খাত্তাব থেকে সহীহ্ মুসলিমে বর্ণিত হয়েছে ৷ তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা)
ইরশাদ করেছেন, তোমরা আমার মাত্রাতিরিক্ত প্রশংসা করে৷ না (আমাকে নিয়ে বাড়াবাড়ি
করে৷ না) যেমন খ্রিষ্টানরা হযরত ঈসাকে নিয়ে করেছে ৷ আমি তো এক বান্দা ৷ সুতরাং
তোমরা বল, আল্লাহর বান্দ৷ ও তার রাসুল ৷ ইমাম আহমদ ইয়াহয়৷ আল-আসওয়াদ সুত্রে
বর্ণনা করেন ৷ তিনি বলেন, আমি আইশা (রা) কে বললাম, রাসুলুল্লাহ্ (সা) তীর
শ্রী পরিজনের মাঝে কিভাবে থাকতেন? তিনি বললেন, তিনি তীর পরিবার পরিজনের
গৃহান্থলীর কাজ করতেন, যখন নামাযের সময় হত, তখন তিনি নড়ামাযে বের হতেন ৷ আর
ওকী আসওয়াদ সুত্রে বর্ণিত হয়েছে ৷ তিনি (আসওয়াদ) বলেন, আমি আইশা (রা)-কে
জিজ্ঞেস করলাম, গৃহে অবস্থানকালে নবী করীম (সা) কী কী করতেন? তিনি বললেন, তিনি
র্তার পবিবার পরিজনের গৃহাস্থুলীর কাজ আঞ্জাম দিতেন, আর যখন নামাযের সময় হত তখন
বেবিয়েগ্ গিয়ে নামায পড়তে তন ৷ হাদীসখানি ইমাম বুখারী আদম ও ও বা সুত্রে বর্ণনা করেছেন ৷
مُقَدِّمًا رُكْبَتَيْهِ بَيْنَ يَدَيْ جَلِيسٍ لَهُ» . وَرَوَاهُ التِّرْمِذِيُّ وَابْنُ مَاجَهْ، مِنْ حَدِيثِ عِمْرَانَ بْنِ زَيْدٍ التَّغْلِبِيِّ أَبِي يَحْيَى الطَّوِيلِ الْكُوفِيِّ، عَنْ زَيْدِ بْنِ الْحِوَارِيِّ الْعَمِّيِّ، عَنْ أَنَسٍ بِهِ.
وَقَالَ أَبُو دَاوُدَ: ثَنَا أَحْمَدُ بْنُ مَنِيعٍ، ثَنَا أَبُو قَطَنٍ، ثَنَا مُبَارَكُ بْنُ فُضَالَةَ، عَنْ ثَابِتٍ الْبُنَانِيِّ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ قَالَ: «مَا رَأَيْتُ رَجُلًا قَطُّ الْتَقَمَ أُذُنَ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَيُنَحِّي رَأْسَهُ حَتَّى يَكُونَ الرَّجُلُ هُوَ الَّذِي يُنَحِّي رَأْسَهُ، وَمَا رَأَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَخَذَ بِيَدِهِ رَجُلٌ فَتَرَكَ يَدَهُ حَتَّى يَكُونَ الرَّجُلُ هُوَ الَّذِي يَدَعُ يَدَهُ» . تَفَرَّدَ بِهِ أَبُو دَاوُدَ.
وَقَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ جَعْفَرٍ وَحَجَّاجٌ قَالَا: ثَنَا شُعْبَةُ - قَالَ ابْنُ جَعْفَرٍ فِي حَدِيثِهِ: قَالَ - سَمِعْتُ عَلِيَّ بْنَ زَيْدٍ قَالَ: قَالَ أَنَسُ بْنُ مَالِكٍ «إِنْ كَانَتْ الْوَلِيدَةُ مِنْ وَلَائِدِ أَهْلِ الْمَدِينَةِ لَتَجِيءُ فَتَأْخُذُ بِيَدِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَمَا يَنْزِعُ يَدَهُ مِنْ يَدِهَا حَتَّى تَذْهَبَ بِهِ حَيْثُ شَاءَتْ» . وَرَوَاهُ ابْنُ مَاجَهْ مِنْ حَدِيثِ شُعْبَةَ.
وَقَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: ثَنَا هُشَيْمٌ، ثَنَا حُمَيْدٌ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ قَالَ: «إِنْ كَانَتِ الْأَمَةُ مِنْ أَهْلِ الْمَدِينَةِ لَتَأْخُذُ بِيَدِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَتَنْطَلِقُ بِهِ فِي حَاجَتِهَا» .
পৃষ্ঠা - ৪৬০৭
وَقَدْ رَوَاهُ الْبُخَارِيُّ فِي كِتَابِ الْأَدَبِ مِنْ " صَحِيحِهِ " مُعَلَّقًا، فَقَالَ: وَقَالَ مُحَمَّدُ بْنُ عِيسَى - هُوَ ابْنُ الطَّبَّاعِ -: ثَنَا هُشَيْمٌ. فَذَكَرَهُ.
وَقَالَ الطَّبَرَانِيُّ: ثَنَا أَبُو شُعَيْبٍ الْحَرَّانِيُّ، ثَنَا يَحْيَى بْنُ عَبْدِ اللَّهِ الْبَابْلُتِّيُّ، ثَنَا أَيُّوبُ بْنُ نُهَيْكٍ، سَمِعْتُ عَطَاءَ بْنَ أَبِي رَبَاحٍ، «سَمِعْتُ ابْنَ عُمَرَ، سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَأَتَى صَاحِبَ بَزٍّ، فَاشْتَرَى مِنْهُ قَمِيصًا بِأَرْبَعَةِ دَرَاهِمَ، فَخَرَجَ وَهُوَ عَلَيْهِ، فَإِذَا رَجُلٌ مِنَ الْأَنْصَارِ فَقَالَ: يَا رَسُولَ اللَّهِ اكْسُنِي قَمِيصًا، كَسَاكَ اللَّهُ مِنْ ثِيَابِ الْجَنَّةِ. فَنَزَعَ الْقَمِيصَ فَكَسَاهُ إِيَّاهُ ثُمَّ رَجَعَ إِلَى صَاحِبِ الْحَانُوتِ، فَاشْتَرَى مِنْهُ قَمِيصًا بِأَرْبَعَةِ دَرَاهِمَ، وَبَقِيَ مَعَهُ دِرْهَمَانِ فَإِذَا هُوَ بِجَارِيَةٍ فِي الطَّرِيقِ تَبْكِي فَقَالَ: " مَا يُبْكِيكِ؟ " فَقَالَتْ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، دَفَعَ إِلَيَّ أَهْلِي دِرْهَمَيْنِ أَشْتَرِيَ بِهِمَا دَقِيقًا فَهَلَكَا. فَدَفَعَ إِلَيْهَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ الدِّرْهَمَيْنِ الْبَاقِيَيْنِ، ثُمَّ انْقَلَبَتْ وَهِيَ تَبْكِي، فَدَعَاهَا فَقَالَ " مَا يُبْكِيكِ وَقَدْ أَخَذْتِ الدِّرْهَمَيْنِ؟ " فَقَالَتْ: أَخَافَ أَنْ يَضْرِبُونِي. فَمَشَى مَعَهَا إِلَى أَهْلِهَا، فَسَلَّمَ، فَعَرَفُوا صَوْتَهُ، ثُمَّ عَادَ فَسَلَّمَ، ثُمَّ عَادَ فَسَلَّمَ، ثُمَّ عَادَ فَثَلَّثَ فَرَدُّوا، فَقَالَ: " أَسَمِعْتُمْ أَوَّلَ السَّلَامِ؟ " قَالُوا: نَعَمْ، وَلَكِنْ أَحْبَبْنَا أَنْ تَزِيدَنَا مِنَ السَّلَامِ، فَمَا أَشْخَصَكَ بِأَبِينَا وَأُمِّنَا؟ فَقَالَ: " أَشْفَقَتْ هَذِهِ الْجَارِيَةُ أَنْ تَضْرِبُوهَا ". فَقَالَ صَاحِبُهَا: فَهِيَ حُرَّةٌ لِوَجْهِ اللَّهِ؛ لِمَمْشَاكَ مَعَهَا. فَبَشَّرَهُمْ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِالْخَيْرِ وَالْجَنَّةِ، ثُمَّ قَالَ: " لَقَدْ بَارَكَ اللَّهُ فِي الْعَشَرَةِ؛ كَسَا اللَّهُ نَبِيَّهُ قَمِيصًا، وَرَجُلًا مِنَ الْأَنْصَارِ قَمِيصًا،
পৃষ্ঠা - ৪৬০৮
وَأَعْتَقَ اللَّهُ مِنْهَا رَقَبَةً، وَأَحْمَدُ اللَّهَ هُوَ الَّذِي رَزَقَنَا هَذَا بِقُدْرَتِهِ» هَكَذَا رَوَاهُ الطَّبَرَانِيُّ، وَفِي إِسْنَادِهِ أَيُّوبُ بْنُ نَهِيكَ الْحَلَبِيُّ، وَقَدْ ضَعَّفَهُ أَبُو حَاتِمٍ، وَقَالَ أَبُو زُرْعَةَ مُنْكَرُ الْحَدِيثِ. وَقَالَ الْأَزْدِيُّ: مَتْرُوكٌ.
وَقَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: ثَنَا عَفَّانُ، ثَنَا حَمَّادٌ، عَنْ ثَابِتٍ، عَنْ أَنَسٍ «أَنَّ امْرَأَةً كَانَ فِي عَقْلِهَا شَيْءٌ فَقَالَتْ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، إِنَّ لِي حَاجَةً. فَقَالَ: " يَا أَمَّ فَلَانٍ انْظُرِي أَيَّ الطُّرُقِ شِئْتِ؟ " فَقَامَ مَعَهَا يُنَاجِيهَا حَتَّى قَضَتْ حَاجَتَهَا» وَهَكَذَا رَوَاهُ مُسْلِمٌ مِنْ حَدِيثِ حَمَّادِ بْنِ سَلَمَةَ
وَثَبَتَ فِي " الصَّحِيحَيْنِ " مِنْ حَدِيثِ الْأَعْمَشِ، عَنْ أَبِي حَازِمٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ: «مَا عَابَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ طَعَامًا قَطُّ، إِنِ اشْتَهَاهُ أَكَلَهُ، وَإِلَّا تَرَكَهُ» . وَقَالَ الثَّوْرِيُّ، عَنِ الْأَسْوَدِ بْنِ قَيْسٍ، عَنْ نُبَيْحٍ الْعَنْزِيِّ، عَنْ جَابِرٍ قَالَ: «أَتَانَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي مَنْزِلِنَا فَذَبَحْنَا لَهُ شَاةً فَقَالَ: كَأَنَّهُمْ عَلِمُوا أَنَّا نُحِبُّ اللَّحْمَ» وَذَكَرَ الْحَدِيثَ.
وَقَالَ مُحَمَّدُ بْنُ إِسْحَاقَ، عَنْ يَعْقُوبَ بْنِ عُتْبَةَ، عَنْ عُمَرَ بْنِ عَبْدِ الْعَزِيزِ، عَنْ يُوسُفَ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ سَلَامٍ، عَنْ أَبِيهِ قَالَ: «كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِذَا جَلَسَ
পৃষ্ঠা - ৪৬০৯
يَتَحَدَّثُ، كَثِيرًا مَا يَرْفَعُ طَرْفَهُ إِلَى السَّمَاءِ» . وَهَكَذَا رَوَاهُ أَبُو دَاوُدَ فِي كِتَابِ الْأَدَبِ مِنْ " سُنَنِهِ " مِنْ حَدِيثِ مُحَمَّدِ بْنِ إِسْحَاقَ بِهِ.
وَقَالَ أَبُو دَاوُدَ: حَدَّثَنَا سَلَمَةُ بْنُ شَبِيبٍ، ثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، ثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ مُحَمَّدٍ الْأَنْصَارِيُّ، عَنْ رُبَيْحِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ جَدِّهِ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ، «أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَانَ إِذَا جَلَسَ احْتَبَى بِيَدِهِ» . وَرَوَاهُ الْبَزَّارُ فِي " مَسْنَدِهِ "، وَلَفْظِهِ: كَانَ إِذَا جَلَسَ نَصَبَ رُكْبَتَيْهِ وَاحْتَبَى بِيَدَيْهِ.
ثُمَّ قَالَ أَبُو دَاوُدَ: ثَنَا حَفْصُ بْنُ عُمَرَ وَمُوسَى بْنُ إِسْمَاعِيلَ قَالَا: ثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ حَسَّانَ الْعَنْبَرِيُّ، حَدَّثَتْنِي جَدَّتَايَ صَفِيَّةُ وَدُحَيْبَةُ ابْنَتَا عُلَيْبَةَ - قَالَ مُوسَى: ابْنَةُ حَرْمَلَةَ. وَكَانَتَا رَبِيبَتَيْ قَيْلَةَ بِنْتِ مَخْرَمَةَ، وَكَانَتْ جَدَّةَ أَبِيهِمَا - أَنَّهَا أَخْبَرَتْهُمَا «أَنَّهَا رَأَتْ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَهُوَ قَاعِدٌ الْقُرْفُصَاءَ. قَالَتْ: فَلَمَّا رَأَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ الْمُتَخَشِّعَ فِي الْجَلْسَةِ أُرْعِدْتُ مِنَ الْفَرَقِ» . وَرَوَاهُ التِّرْمِذِيُّ فِي " الشَّمَائِلِ "، وَفِي " الْجَامِعِ "، عَنْ عَبْدِ بْنِ حُمَيْدٍ، عَنْ عَفَّانَ بْنِ مُسْلِمٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ حَسَّانَ بِهِ. وَهُوَ قِطْعَةٌ مِنْ حَدِيثٍ طَوِيلٍ قَدْ سَاقَهُ الطَّبَرَانِيُّ بِتَمَامِهِ فِي " مُعْجَمِهِ الْكَبِيرِ ".
পৃষ্ঠা - ৪৬১০
ইমাম আহমদ আবদাহ সুত্রে অনিপতি এক ব্যক্তিকে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন,
হযরত আইশা (রা)-কে প্রশ্ন করা হল, রাসুলুল্লাহ্ (সা) তার গৃহে কী করতেন? তিনি বললেন,
তিনি কখনও কাপড়ে তালি লাগাতেন, কখনও জুতা মেরামত করতেন এবং এ জাতীয় অন্যান্য
কাজ করতেন ৷ এই সুত্রে হাদীসটিমুনকাতি বা ছিন্নসুত্র ৷ আব্দুর রাজ্জাক বলেন, মামার
উরওয়া সুত্রে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন, (একবার) এক ব্যক্তি অইিশা (রা)-কে প্রশ্ন
করল, রাসুলুল্লাহ্ (না) তার গৃহাভ্যতরে কােনৃ কাজ করতেন? তিনি বললেন, হা; তিনি তার
জুতা মেরামত করতেন, কাপড় সেলাই করতে ন, যেমনটি তোমাদের কেউ তার গৃহে কাজ
করে থাকে ৷ বায়হড়াকী হাদীসখানি রিওয়ায়াত করেছেন এবং তিনি তা মুত্তাসিল বা সং যুক্ত
সনদে বর্ণনা করেছেন৷ তিনি বলেন, উমরাহ সুত্রে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন, হযরত
আইশা (রা) কে আমি জিজ্ঞেস করলাম, রাসুলুল্লাহ্ (সা) তার গৃহে কী করতেন? জবাবে তিনি
বললেন তিনিও অন্যদের মতই একজন মানুষ ছিলেন, নিজ কাপড় উকুনমুক্ত করতে ন, নিজের
বকরী দােহন করতে ন, নিজের কাজকর্ম করতে তন ৷ তিরমিযী তার শামায়েলে মুহম্মদ ইবন
ইসমাঈল উমরা সুত্রে হাদীসখানি রিওয়ায়াত করেছেন ৷ তিনি (উমরা) বলেন, হযরত
আইশা (রা)-কে প্রশ্ন করা হল, রাসুলুল্পাহ্ (সা) তার পরিবারে কীভাবে চলতেন? এ ছাড়া
ইবন আসাকির আবু উসামা উমরা সুত্রে বর্ণনা করেন ৷ তিনি বলেন, আমি হযরত আইশা
(বা)-কে জিজ্ঞেস করলাম, রাসুলুল্লাহ্ (সা) তার শ্রী ও পরিজনদের সাথে কেমন ছিলেন?
জবাবে তিনি বললেন, তিনি ছিলেন কােমলতম ও উদারতম ব্যক্তি, সহাস্য প্ৰসন্ন মুখ ৷ আবু
দাউদ তায়ালিসী শু বা মুসলিম আবু আবদুল্লাহ আ ওর সুত্রে বর্ণনা করেন যে, তিনি হযরত
আনাসকে বলতে শুনেছেন, রাসুলুল্লাহ্ (সা) বহুল পরিমাণে যিক্র করতেন এবং অনর্থক কথা
খুবই কম বলতেন, গাধায আরোহণ করতেন এবং সাধারণ পশমী জুব্বা পরিধান করতেন,
দাসের আহ্বানেও সাড়া দিতেন ৷ তুমি যদি তাকে খয়বার বিজয়ের দিন দেখতে তাহলে দেখতে
পেতে তিনি এমন এক গাধার আরােহী যার লাগাম কাি খেজুর গাছের আশের রশি ৷ তিরমিযী
ও ইবন মাজাতে মুসলিম ইবন কায়সানের হাদীস সংগ্রহ থেকে হযরত আনাসের বরাতে এর
অংশবিশেষ উল্লেখিত হয়েছে ৷ বায়হাকী হাফিয আবু আবদুল্লাহ হুসায়ন ইবন ওয়াকিদ
সুত্রে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন, আমি ইয়াহ্ইয়া ইবন আকীলকে বলতে শুনেছি, তিনি
বলেন যে, আমি আবদুল্লাহ্ ইবন আবু আওফা (রা) কে বলতে শুনেছি, রাসুলুল্লাহ্ (সা) বহুল
পরিমাণে যিক্র করতে ন, অনর্থক কথা কম বলতে ন, নামায দীর্ঘ করতেন, থুৎবা স ক্ষিপ্ত
করতেন, দাস কিৎবা বিধবার সাথে পথ চলতেও সংকোচবোধ করতেন না, যতক্ষণ না তাদের
প্রয়োজন পুরণ করে দিতেন ৷ নাসাঈ ও মুহাম্মদ ইবন আবদুল আযীয সুত্রে ইবন আবু
আওফা থেকে অনুরুপ রিওয়ায়াত করেছেন ৷
বায়হাকীর হাফিয আবু আবদৃল্লাহ্ হযরত আবু মুসা থেকে এ মর্মে বর্ণিত হাদীসে
অতিরিক্ত আছে তিনি বলেন, নিজ হাতে অতিথির সেবা করতেন, অবশ্য এই সুত্রে হাদীসটি,
গরীব’ শ্রেণীর ৷ আর সিহাসিত্তার সঙ্কলক এটি উল্লেখ করেননি, তবে এ সনদটি উত্তম ৷
মুহাম্মদ ইবন সা’দ ইসমাঈল ইবন আবু ফুদায়ক উতবার আযাদকৃত গোলাম সাহ্ল থেকে
বর্ণনা করেছেন যে, তিনি মারীসবাসী খ্রিষ্টান ছিলেন ৷ তিনি তার চাচার তত্ত্বড়াবধানে লালিত
পালিত হতেন, তিনি বলেন, একদিন আমি আমার চাচার একটি ধমীয়গ্রন্থ পড়লাম, আর
— ১ :
وَقَالَ الْبُخَارِيُّ: ثَنَا الْحَسَنُ بْنُ الصَّبَّاحِ الْبَزَّارُ، ثَنَا سُفْيَانُ، عَنِ الْزُّهْرِيِّ، عَنْ عُرْوَةَ، عَنْ عَائِشَةَ «أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَانَ يُحَدِّثُ حَدِيثًا لَوْ عَدَّهُ الْعَادُّ لَأَحْصَاهُ» .
قَالَ الْبُخَارِيُّ: وَقَالَ اللَّيْثُ: حَدَّثَنِي يُونُسُ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، أَخْبَرَنِي عُرْوَةُ بْنُ الزُّبَيْرِ، عَنْ عَائِشَةَ أَنَّهَا قَالَتْ: «أَلَا أَعْجَبَكَ أَبُو فُلَانٍ، جَاءَ فَجَلَسَ إِلَى جَانِبِ حُجْرَتِي يُحَدِّثُ عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يُسْمِعُنِي ذَلِكَ، وَكُنْتُ أُسَبِّحُ، فَقَامَ قَبْلَ أَنْ أَقْضِيَ سُبْحَتِي، وَلَوْ أَدْرَكْتُهُ لَرَدَدْتُ عَلَيْهِ، إِنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَمْ يَكُنْ يَسْرُدُ الْحَدِيثَ كَسَرْدِكُمْ» . وَقَدْ رَوَاهُ أَحْمَدُ عَنْ عَلِيِّ بْنِ إِسْحَاقَ، وَمُسْلِمٍ عَنْ حَرْمَلَةَ، وَأَبُو دَاوُدَ عَنْ سُلَيْمَانَ بْنِ دَاوُدَ، كُلُّهُمْ عَنِ ابْنِ وَهْبٍ، عَنْ يُونُسَ بْنِ يَزِيدَ بِهِ، وَفِي رِوَايَتِهِمْ: أَلَا أَعْجَبَكَ مِنْ أَبِي هُرَيْرَةَ. فَذَكَرَ نَحْوَهُ.
وَقَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، عَنْ سُفْيَانَ، عَنْ أُسَامَةَ، عَنِ الْزُّهْرِيِّ، عَنْ عُرْوَةَ، عَنْ عَائِشَةَ قَالَتْ: «كَانَ كَلَامُ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَصْلًا يَفْهَمُهُ كُلُّ أَحَدٍ
পৃষ্ঠা - ৪৬১১
لَمْ يَكُنْ يَسْرُدُهُ سَرْدًا» . وَقَدْ رَوَاهُ أَبُو دَاوُدَ، عَنِ ابْنِ أَبِي شَيْبَةَ، عَنْ وَكِيعٍ.
وَقَالَ أَبُو يَعْلَى: ثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مُحَمَّدِ بْنِ أَسْمَاءَ، ثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مِسْعَرٍ، حَدَّثَنِي شَيْخٌ أَنَّهُ سَمِعَ جَابِرَ بْنَ عَبْدِ اللَّهِ - أَوِ ابْنَ عُمَرَ - يَقُولُ: «كَانَ فِي كَلَامِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ تَرْتِيلٌ أَوْ تَرْسِيلٌ» .
وَقَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا عَبْدُ الصَّمَدِ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ الْمُثَنَّى، عَنْ ثُمَامَةَ، عَنْ أَنَسٍ «أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَانَ إِذَا تَكَلَّمَ بِكَلِمَةٍ رَدَّدَهَا ثَلَاثًا، وَإِذَا أَتَى قَوْمًا فَسَلَّمَ عَلَيْهِمْ سَلَّمَ ثَلَاثًا.» وَرَوَاهُ الْبُخَارِيُّ مِنْ حَدِيثِ عَبْدِ الصَّمَدِ.
وَقَالَ أَحْمَدُ: ثَنَا أَبُو سَعِيدٍ مَوْلَى بَنِي هَاشِمٍ، ثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ الْمُثَنَّى، سَمِعْتُ ثُمَامَةَ بْنَ أَنَسٍ يَذْكُرُ «أَنَّ أَنَسًا كَانَ إِذَا تَكَلَّمَ تَكَلَّمَ ثَلَاثًا، وَيَذْكُرُ أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَانَ إِذَا تَكَلَّمَ تَكَلَّمَ ثَلَاثًا، وَكَانَ يَسْتَأْذِنُ ثَلَاثًا» .
وَجَاءَ فِي الْحَدِيثِ الَّذِي رَوَاهُ التِّرْمِذِيُّ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ يَحْيَى، حَدَّثَنَا أَبُو قُتَيْبَةَ سَلْمُ بْنُ قُتَيْبَةَ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الْمُثَنَّى، عَنْ ثُمَامَةَ، عَنْ أَنَسٍ، «أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَانَ يُعِيدُ الْكَلِمَةَ ثَلَاثًا؛ لِتُعْقَلَ عَنْهُ.» ثُمَّ قَالَ التِّرْمِذِيُّ: حَسَنٌ
পৃষ্ঠা - ৪৬১২
صَحِيحٌ غَرِيبٌ.
وَفِي " الصَّحِيحِ " أَنَّهُ قَالَ: «أُوتِيتُ جَوَامِعَ الْكَلِمِ وَاخْتُصِرَتْ لِيَ الْحِكَمُ اخْتِصَارًا» .
قَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا حَجَّاجٌ، حَدَّثَنَا لَيْثٌ، حَدَّثَنِي عُقَيْلُ بْنُ خَالِدٍ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ الْمُسَيَّبِ، أَنَّ أَبَا هُرَيْرَةَ قَالَ: سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ: «بُعِثْتُ بِجَوَامِعِ الْكَلِمِ، وَنُصِرْتُ بِالرُّعْبِ، وَبَيْنَا أَنَا نَائِمٌ أُوتِيتُ بِمَفَاتِيحِ خَزَائِنِ الْأَرْضِ فَوُضِعَتْ فِي يَدِي» وَهَكَذَا رَوَاهُ الْبُخَارِيُّ مِنْ حَدِيثِ اللَّيْثِ.
وَقَالَ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ عِيسَى، ثَنَا ابْنُ لَهِيعَةَ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ الْأَعْرَجِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «نُصِرْتُ بِالرُّعْبِ، وَأُوتِيتُ جَوَامِعَ الْكَلَامِ، وَبَيْنَا أَنَا نَائِمٌ أُوتِيتُ بِمَفَاتِيحِ خَزَائِنِ الْأَرْضِ فَوُضِعَتْ فِي يَدِي» . تَفَرَّدَ بِهِ أَحْمَدُ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ.
وَقَالَ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا يَزِيدُ، ثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَمْرٍو، عَنْ أَبِي سَلَمَةَ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «نُصِرْتُ بِالرُّعْبِ، وَأُوتِيتُ جَوَامِعَ الْكَلِمِ، وَجُعِلَتْ لِيَ الْأَرْضُ مَسْجِدًا وَطَهُورًا، وَبَيْنَا أَنَا نَائِمٌ أُوتِيتُ بِمَفَاتِيحِ خَزَائِنِ الْأَرْضِ
পৃষ্ঠা - ৪৬১৩
فَتُلَّتْ فِي يَدِي» . تَفَرَّدَ بِهِ أَحْمَدُ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ، وَهُوَ عَلَى شَرْطِ مُسْلِمٍ.
وَثَبَتَ فِي " الصَّحِيحَيْنِ " مِنْ حَدِيثِ ابْنِ وَهْبٍ، عَنْ عَمْرِو بْنِ الْحَارِثِ، حَدَّثَنِي أَبُو النَّضْرِ، عَنْ سُلَيْمَانَ بْنِ يَسَارٍ، عَنْ عَائِشَةَ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهَا قَالَتْ: «مَا رَأَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مُسْتَجْمِعًا ضَاحِكًا حَتَّى أَرَى مِنْهُ لَهَوَاتِهِ، إِنَّمَا كَانَ يَتَبَسَّمُ.»
وَقَالَ التِّرْمِذِيُّ: ثَنَا قُتَيْبَةُ:، ثَنَا ابْنُ لَهِيعَةَ، عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ الْمُغِيرَةِ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الْحَارِثِ بْنِ جَزْءٍ قَالَ: «مَا رَأَيْتُ أَحَدًا أَكْثَرَ تَبَسُّمًا مِنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ» . ثُمَّ رَوَاهُ مِنْ حَدِيثِ اللَّيْثِ، عَنْ يَزِيدَ بْنِ أَبِي حَبِيبٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الْحَارِثِ بْنِ جَزْءٍ قَالَ: مَا كَانَ ضَحِكُ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِلَّا تَبَسُّمَا. ثُمَّ قَالَ: صَحِيحٌ.
وَقَالَ مُسْلِمٌ: ثَنَا يَحْيَى بْنُ يَحْيَى، ثَنَا أَبُو خَيْثَمَةَ، عَنْ سِمَاكِ بْنِ حَرْبٍ، قُلْتُ لِجَابِرِ بْنِ سَمُرَةَ: «أَكُنْتَ تُجَالِسُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ؟ قَالَ: نَعَمْ، كَثِيرًا، كَانَ لَا يَقُومُ مِنْ مُصَلَّاهُ الَّذِي يُصَلِّي فِيهِ الصُّبْحَ حَتَّى تَطْلُعَ الشَّمْسُ، فَإِذَا طَلَعَتْ قَامَ، وَكَانُوا يَتَحَدَّثُونَ فَيَأْخُذُونَ فِي أَمْرِ الْجَاهِلِيَّةِ فَيَضْحَكُونَ وَيَتَبَسَّمُ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ» .
وَقَالَ أَبُو دَاوُدَ الطَّيَالِسِيُّ: ثَنَا شَرِيكٌ وَقَيْسُ بْنُ سَعْدٍ، عَنْ سِمَاكِ بْنِ
পৃষ্ঠা - ৪৬১৪
حَرْبٍ قَالَ: قُلْتُ لِجَابِرِ بْنِ سَمُرَةَ: «أَكُنْتَ تُجَالِسُ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ؟ قَالَ: نَعَمْ، كَانَ كَثِيرَ الصَّمْتِ، قَلِيلَ الضَّحِكِ، فَكَانَ أَصْحَابُهُ رُبَّمَا يَتَنَاشَدُونَ الشِّعْرَ عِنْدَهُ، وَرُبَّمَا قَالُوا الشَّيْءَ مِنْ أُمُورِهِمْ فَيَضْحَكُونَ، وَرُبَّمَا تَبَسَّمَ» .
وَقَالَ الْحَافِظُ أَبُو بَكْرٍ الْبَيْهَقِيُّ: أَنَا أَبُو عَبْدِ اللَّهِ الْحَافِظُ وَأَبُو سَعِيدِ بْنُ أَبِي عَمْرٍو قَالَا: ثَنَا أَبُو الْعَبَّاسِ مُحَمَّدُ بْنُ يَعْقُوبَ، ثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ إِسْحَاقَ، أَنَا أَبُو عَبْدِ الرَّحْمَنِ الْمُقْرِئُ، ثَنَا اللَّيْثُ بْنُ سَعْدٍ، عَنِ الْوَلِيدِ بْنِ أَبِي الْوَلِيدِ، أَنَّ سُلَيْمَانَ بْنَ خَارِجَةَ أَخْبَرَهُ «عَنْ خَارِجَةَ بْنِ زَيْدٍ، يَعْنِي ابْنَ ثَابِتٍ، أَنَّ نَفَرًا دَخَلُوا عَلَى أَبِيهِ، فَقَالُوا: حَدِّثْنَا عَنْ بَعْضِ أَخْلَاقِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ. فَقَالَ: كُنْتُ جَارَهُ فَكَانَ إِذَا نَزَلَ الْوَحْيُ بَعَثَ إِلَيَّ فَآتِيهِ فَأَكْتُبُ الْوَحْيَ، وَكُنَّا إِذَا ذَكَرْنَا الدُّنْيَا ذَكَرَهَا مَعَنَا، وَإِذَا ذَكَرْنَا الْآخِرَةَ ذَكَرَهَا مَعَنَا، وَإِذَا ذَكَرْنَا الطَّعَامَ ذَكَرَهُ مَعَنَا، فَكُلُّ هَذَا نُحَدِّثُكُمْ عَنْهُ» . وَرَوَاهُ التِّرْمِذِيُّ فِي " الشَّمَائِلِ " عَنْ عَبَّاسٍ الدُّورِيِّ، عَنْ أَبِي عَبْدِ الرَّحْمَنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ يَزِيدَ الْمُقْرِئِ بِهِ نَحْوَهُ.
পৃষ্ঠা - ৪৬১৫
সেখানে মুহাম্মাদ (না)-এর দেহাবয়বের বিবরণ : “তিনি বেটেও নন অতি দীর্ঘকায়ও নন, চুলে
দুটি গুচ্ছ বা বেণীসদৃশ গুচ্ছের অধিকারী, তার দুই র্কাধের মধ্যবর্তী স্থানে নবুওয়াতের মােহর
চিহ্ন, ইহ্তিব১ আসনে অধিক বলবেন, সাদকা গ্রহণ করতেন না শাখা ও উটে আরোহণ
করতেন, বকরী দোহন করতেন, তালিযুক্ত জামা পরতেন ৷ আর যে তা করে সে অহং কারমুক্ত
হয় ৷ তিনি হযরত ইসমাঈলের অধ৪স্তন বংশধর এবং নাম আহমদ’ ৷ ’তিনি বলেন, এরপর
আমার চাচা এসে যখন দেখলেন আমি সেটি পড়ে ফেলেছি তখন আমাকে প্রহার করে বললেন,
তুমি এটা খুলতে গেলে কেন? তখন আমি বললাম, এতে তাে (শেষ নবী) আহমাদের বিবরণ
রয়েছে ৷ তখন তিনি বললেন, তিনি এখনো আসেন নি ৷ ইমাম আহমদ, ইসমাঈল আনাস
(রা) সুত্রে বর্ণনা করেন ৷ তিনি বলেন, পােষ্য পরিজনের প্রতি রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর চাইতে
অধিক দয়ার্দ্র হৃদয় কাউকে আমি দেখিনি এবং একথা বলে তিনি হাদীসখড়ানি উল্লেখ করলেন ৷
ইমাম মুসলিম যুহায়র ইবন হারব ইসমাঈল ইবন উলায়্যা সুত্রে ঐ সনদে তা বর্ণনা
করেছেন ৷ শামাইলে’ তিরমিযী মাহমুদ ইবন গায়লান আশ’আছ ইবন সুলায়ম সুত্রে বর্ণনা
করেন ৷ তিনি বলেন, আমি আমার ফুফুকে তার চাচার বরাতে বলতে শুনেছি, তিনি বলেন,
একবার আমি মদীনায় পথ ধরে হীটছি, হঠাৎ আমার পিছন থেকে কে একজন বলে উঠলেন,
তোমার লুঙ্গি উঠিয়ে পর ৷ কেননা, তা অধিকতর পরিচ্ছন্ন ও স্থায়ী ৷ তখন আমি তাকিয়ে দেখি
যে তিনি রাসুলুল্পাহ্ (সা) ৷ তখন আমি বললাম, ইয়া রাসুলাল্লাহ! এটা তো গাঢ় নীল রঙের
চাদর (তেমন ময়লা হবে না), তখন তিনি বললেন, আমার মধ্যে কি তোমার জন্য অনুকরর্ণীয়
আদর্শ নেই? তখন আমি দেখতে পেলাম তার লুঙ্গি পায়ের গোছার অর্ধেক পর্যন্ত উঠানাে ৷
তারপর তিনি সুওয়াদ ইবন ইয়াস ইবন সালামার পিতা সুত্রে বর্ণনা করেন যে, তিনি
বলেছেন (একবার) উছমান ইবন আফ্ফান (রা)ত তার পায়ের গোছার অর্ধেক পর্যন্ত উঠিয়ে
লুঙ্গি পরেছিলেন, এ সময় তিনি বললেন, আমার নবীজীর লুঙ্গিও এমনই ছিল ৷ এছাড়াও তিনি
ইউসুফ ইবন ঈসা আনাস ইবন মালিক সুত্রে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন, রাসুলুল্লাহ্
(সা) প্রায়শই অতিরিক্ত তেল ব্যবহারের কারণে মাথায় এক খণ্ড কাপড় ব্যবহার করতেন,
মনে হত তার এই কাপড় যেন কোন তে ল বিক্রেতার কাপড় ৷ এই হাদীসটি গরীব পর্যায়ের
এবং অগ্রহণযােগ্য ৷ আল্লাহ্ই ভাল জানেন ৷ বুখারী আলী ইবন আল জা’ দ আনাস (রা) সুত্রে
বর্ণনা করেন যে, (একবার) রাসুলুল্লাহ্ (সা) ক্রীড়ারত কয়েকজন বালকের পাশ দিয়ে যাওয়ার
সময় তাদেরকে সালাম করলেন ৷ মুসলিম অন্য সুত্রে শু’বা থেকে হাদীসখানি রিওয়ায়াত
করেছেন ৷
নবীজীর হাসি-কৌতুকরস পরিহাস
ইবন লাহীআ, উমারা ইবন গাযিয়্যা আনাস সুত্রে বর্ণনা করেন ৷ তিনি বলেন, আল্লাহর
রাসুল (সা) একটি শিশুর সাথেও সরসত ম ব্যক্তি ছিলেন ৷ আর ইতিপুর্বে তার (আনাসের)
ছোট ভাই আবু উমায়রের সাথে নবীজীর কৌতৃকের কথা এবং তার এই বাক্য “হে আবু
উমায়র! কী করল নুগায়র” উল্লেখিত হয়েছে ৷ এ বাক্য দ্বারা তিনি তার খেলার সাথী বুলবলি
পাখীর মৃত্যুর কথা ৷উল্লেখ করে তার সাথে একটু কৌতুক করলেন ৷ এটা হল ছোট শিশুদের
১ নিতন্বে ঠেস দিয়ে উরুদ্বর পেটসংলগ্ন করে উভয় পা-কে হাত বা অন্য কিছু দ্বারা জড়িয়ে বসা ৷
[ذِكْرُ كَرَمِهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ]
تَقَدَّمَ مَا أَخْرَجَاهُ فِي " الصَّحِيحَيْنِ " مِنْ طَرِيقِ الْزُّهْرِيِّ، عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ قَالَ: «كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَجْوَدَ النَّاسِ، وَكَانَ أَجْوَدَ مَا يَكُونُ فِي شَهْرِ رَمَضَانَ، حِينَ يَلْقَاهُ جِبْرِيلُ بِالْوَحْيِ فَيُدَارِسُهُ الْقُرْآنَ، فَلَرَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَجْوَدُ بِالْخَيْرِ مِنَ الرِّيحِ الْمُرْسَلَةِ» . وَهَذَا التَّشْبِيهُ فِي غَايَةِ مَا يَكُونُ مِنَ الْبَلَاغَةِ فِي تَشْبِيهِهِ الْكَرَمَ بِالرِّيحِ الْمُرْسَلَةِ فِي عُمُومِهَا وَتَوَاتُرِهَا وَعَدَمِ انْقِطَاعِهَا.
وَفِي " الصَّحِيحَيْنِ " مِنْ حَدِيثِ سُفْيَانَ بْنِ سَعِيدٍ الثَّوْرِيِّ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ الْمُنْكَدِرِ، عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ قَالَ: «مَا سُئِلَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ شَيْئًا قَطُّ فَقَالَ: لَا» .
وَقَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي عَدِيٍّ، عَنْ حُمَيْدٍ، عَنْ مُوسَى بْنِ أَنَسٍ، عَنْ أَنَسٍ «أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَمْ يُسْأَلْ شَيْئًا عَلَى الْإِسْلَامِ إِلَّا أَعْطَاهُ. قَالَ: فَأَتَاهُ رَجُلٌ فَسَأَلَهُ فَأَمَرَ لَهُ بِشَاءٍ كَثِيرٍ بَيْنَ جَبَلَيْنِ مِنْ شَاءِ الصَّدَقَةِ. قَالَ: فَرَجَعَ إِلَى قَوْمِهِ فَقَالَ: يَا قَوْمِ، أَسْلِمُوا، فَإِنَّ مُحَمَّدًا يُعْطِي عَطَاءً، مَا يَخْشَى الْفَاقَةَ» . وَرَوَاهُ مُسْلِمٌ، عَنْ عَاصِمِ بْنِ النَّضْرِ، عَنْ خَالِدِ بْنِ الْحَارِثِ، عَنْ حُمَيْدٍ بِهِ.
পৃষ্ঠা - ৪৬১৬
সাথে রসিকত ৷ করার মানুষের যে সাধারণ অভ্যাস রয়েছে, তার প্রকাশ ৷ ইমাম আহমদ,
খালফ বিন ওলীদ আনাস ইবন মালিক সুত্রে বর্ণনা করেন যে, (একবার) এক ব্যক্তি এসে
নবী করীম (না)-এর কাছে বাহন চাইল ৷ তখন রাসুলুল্লাহ্ (সা) বললেন, আমরা ব্লুতড়ামাব্লুক
বাহনরুপে একটা উটের বাচ্চা দিতে পারি ৷ তখন যে ব্যক্তি বলল, ইয়া রাসুলাল্লাহ্ ! উটের
বাচ্চা দিয়ে আমি কী করব? তখন রাসুলুল্লাহ্ (সা) বললেন সব উটই কি উটনীর বাচ্চা নয়?
আর ইমাম আবু দাউদ এবং তিরমিযী ভিন্ন ভিন্ন সুত্রে হাদীসখানি বর্ণনা করেছেন ৷ আর ইমাম
তিরমিযী হাদীসখানিব্লুক সহীহ গরীব’ বলেছেন ৷ এই প্রসঙ্গে ইমাম আবু দাউদ ইয়াহইয়া ইবন
মায়ীনসুত্রে নুমান ইবন বাশীর থেকে বর্ণনা করেন ৷ তিনি বলেন, একবার (নবীগৃহে
আগমন করে) আবু বকর (রা) নবী করীম (সা) এর সাথে সাক্ষাব্লুত র অনুমতি প্রার্থনা
করলেন ৷ এ সময় তিনি হযরত আইশার আওয়াজ নবীজীর আওয়াজব্লুক ছাড়িয়ে যেতে
শুনব্লুলন ৷ এরপর তিনি যখন ভিতরে প্রবেশ করলেন তখন তিনি তাকে (আইশাকে) চপেটাঘাত
করতে উদ্যত হলেন এবং বললেন, আর যেন কখনও তোমাকে আল্লাহ্র রাসুলের আওয়াজের
চেয়ে আওয়াজ উচু না করতে দেখি ৷ তখন নবী করীম (সা) তাকে আড়াল করে রাখলেন এবং
হযরত আবু বকর (রা) ক্রুদ্ধ অবস্থায় চলে গেলেন ৷ হযরত আবুবকরের যাওয়ার পর নবীজী
বললেন, দেখেছো কিভাবে ব্লুলাকটির’ হাত থেকে তোমাকে বীচিব্লুয় দিলাম? এর কয়েকদিন
পর পুনরায় হযরত আবু বকর এসে রাসুলুল্লাহ্ (সা)-এর সাক্ষাৎ প্রার্থনা করে গৃহড়াভ্যন্তরে প্রবেশ
করলেন, তখন তিনি দেখলেন তারা দুজব্লুন (স্বামীত্রী) সমঝোতা করে নিয়েছেন ৷ তখন
হযরত আবু বকর বললেন, আমাকে আপনাদের সমঝোতায় প্রবেশ করিয়ে নিন, যেমনভাবে
আপনাদের যুদ্ধে প্রবেশ করিয়েছিলেন ৷ তখন রাসুলুল্লাহ্ (সা) বললেন, আমরা তাই করলাম!
আমরা তইি করলাম ! ! আবু দাউদ মুআম্মাল ইবন ফযল আওফ ইবন মালিক আল
অম্পোজায়ী সুত্রে বর্ণনা করেন, তিনি বলেছেন, তাবুক অভিযানকালে আমি রাসুলুল্লাহ্ (সা)-এর
কাছে আমি ৷ এ সময় তিনি একটি চামড়ার র্তাবুব্লুত অবস্থান করছিলেন ৷ তখন আমি তাকে
সালাম করলে তিনি আমার সালাব্লুমব জওয়াব দিয়ে বললেন, (ভিতরে) প্রবেশ কর, তখন
আমি বললড়াম, ইয়া রাসুলাল্লাহ্ ! আমার সবটুকু? তখন তিনি বললেন, তােমার সবটুকু’,
এরপর আমি প্রবেশ করলাম ৷ সাফওয়ান ইবন সালিহ সুত্রে বর্ণিত আছে, এখানে আমার
সবর্টুকু বা আমি পুরোপুরি প্রবেশ করব কি?” র্তাবুর ক্ষুদ্রতার কারণে বলেছিলেন ৷ এরপর আবু
দাউদ ইবরাহীম ইবন মাহদী আনাস (রা) সুত্রে বর্ণনা করেন ৷ তিনি বলেন, একবার
রাসুলুল্লাহ্ (সা) আমাকে সম্বোধন করে বললেন, হে দুই কড়ানওয়ালা ! আমি বলি, ইমাম
আহমদ, আব্দুর রাজ্জাক হযরত আনাস সুত্রে যা বর্ণনা করেছেন, তাও এই শ্রেণীরই ৷
তাতে আনাস (রা) বলেন, যাহির নামক জনৈক মরুবাসী ব্লুবদৃইন মরুপল্লী থেকে নবী করীম
(সা) এর জন্য হাদিয়া’ পাঠাব্লুত তন ৷ আর তিনি যখন কোন অভিযানে বের হতে চাইতেন তখন
নবীজী তার সকল ব্যবস্থা করতেন ৷ তার সম্পর্কে (একবার) রাসুলুল্লাহ্ (সা) বললেন, যাহির
হল আমাদের মরুবাসী বন্ধু আর আমরা তার শহরবাসী বন্ধু ৷ > রাসুলুল্লাহ্ (সা) তাকে
ভালবাসতেন, আর তিনি ছিলেন কদাকার ৷ একবার তিনি তার পণ্য বিক্রি করছিলেন, এ সময়
রাসুলুল্লাহ্ (সা) তার পিছন দিক থেকে এসে তাকে জড়িয়ে ধরলেন ৷ বিক্ষ্ম তিনি তাকে দেখতে
১ অর্থাৎ মরুভুমিতে ও আমাদের একজন, আর শহরে আমরা তার আপনজন ৷ জালালাবাদী (সম্পাদক)
وَقَالَ أَحْمَدُ: ثَنَا عَفَّانُ، ثَنَا حَمَّادٌ، ثَنَا ثَابِتٌ، عَنْ أَنَسٍ، «أَنَّ رَجُلًا سَأَلَ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَأَعْطَاهُ غَنَمًا بَيْنَ جَبَلَيْنِ، فَأَتَى قَوْمَهُ فَقَالَ: أَيْ قَوْمِ، أَسْلِمُوا؛ فَوَاللَّهِ إِنَّ مُحَمَّدًا يُعْطِي عَطَاءَ مَنْ لَا يَخَافُ الْفَاقَةَ. فَإِنْ كَانَ الرَّجُلُ لَيَجِيءُ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَا يُرِيدُ إِلَّا الدُّنْيَا. فَمَا يُمْسِي حَتَّى يَكُونَ دِينُهُ أَحَبَّ إِلَيْهِ أَوْ أَعَزَّ عَلَيْهِ مِنَ الدُّنْيَا وَمَا فِيهَا» . وَرَوَاهُ مُسْلِمٌ مِنْ حَدِيثِ حَمَّادِ بْنِ سَلَمَةَ بِهِ. وَهَذَا الْعَطَاءُ؛ لِيُؤَلِّفَ بِهِ قُلُوبَ ضَعِيفِي الْقُلُوبِ فِي الْإِسْلَامِ، وَيَتَأَلَّفَ آخَرِينَ لِيَدْخُلُوا فِي الْإِسْلَامِ، كَمَا فَعَلَ يَوْمَ حَنِينٍ حِينَ قَسَّمَ تِلْكَ الْأَمْوَالَ الْجَزِيلَةَ مِنَ الْإِبِلِ وَالشَّاءِ وَالذَّهَبِ وَالْفِضَّةِ فِي الْمُؤَلَّفَةِ قُلُوبُهُمْ، وَمَعَ هَذَا لَمْ يُعْطِ الْأَنْصَارَ وَجُمْهُورَ الْمُهَاجِرِينَ شَيْئًا، بَلْ أَنْفَقَ فِيمَنْ كَانَ يُحِبُّ أَنْ يَتَأَلَّفَهُ عَلَى الْإِسْلَامِ، وَتَرَكَ أُولَئِكَ لِمَا جَعَلَ اللَّهُ فِي قُلُوبِهِمْ مِنَ الْغِنَى وَالْخَيْرِ، وَقَالَ مُسَلِّيًا لِمَنْ سَأَلَ عَنْ وَجْهِ الْحِكْمَةِ فِي هَذِهِ الْقِسْمَةِ؛ لِمَنْ عَتَبَ مِنْ جَمَاعَةِ الْأَنْصَارِ: «أَمَا تَرْضَوْنَ أَنْ يَذْهَبَ النَّاسُ بِالشَّاءِ وَالْبَعِيرِ، وَتَذْهَبُونَ بِرَسُولِ اللَّهِ تَحُوزُونَهُ إِلَى رِحَالِكُمْ؟» قَالُوا: رَضِينَا يَا رَسُولَ اللَّهِ. وَهَكَذَا أَعْطَى عَمَّهُ الْعَبَّاسَ بَعْدَمَا أَسْلَمَ حِينَ جَاءَهُ ذَلِكَ الْمَالُ مِنِ الْبَحْرَيْنِ فَوُضِعَ بَيْنَ يَدَيْهِ فِي الْمَسْجِدِ، وَجَاءَ الْعَبَّاسُ فَقَالَ: «يَا رَسُولَ اللَّهِ، أَعْطِنِي فَقَدَ فَادَيْتُ نَفْسِي يَوْمَ بَدْرٍ وَفَادَيْتُ عَقِيلًا. فَقَالَ: " خُذْ ". فَنَزَعَ ثَوْبَهُ عَنْهُ، وَجَعَلَ يَضَعُ فِيهِ مِنْ ذَلِكَ الْمَالِ، ثُمَّ قَامَ لِيُقِلَّهُ، فَلَمْ يَقْدِرْ، فَقَالَ لِرَسُولِ اللَّهِ
পৃষ্ঠা - ৪৬১৭
পাচ্ছিলেন না ৷ তখন তিনি বললেন, ৫ক৩ তুমি ? আমাকে ছেড়ে দাও! এরপর তিনি ঘুরে তাকিয়ে
নবীজীকে চিনতে পারলেন ৷ আর তাকে চিনতে পেরে তার পিঠের যে অংশ নবীজীর বুকের
সাথে লেগেছিল তা সরালেন না ৷ এ সময় রাসুলুল্লাহ (না) বলতে লাগলেন, এই গোলামটিকে
ক্লে খরিদ করবে? তখন যাহির বললেন, আল্লাহর কসম , তাহলে আপনি আমাকে অচল (পণ্য)
পাবেন? তখন রাসুলুল্লাহ (সা) বললেন, কিন্তু আল্লাহর কাছে তুমি অচল নও, অথবা বললেন,
কিন্তু আল্লাহর কাছে তুমি মহা মুল্যবান ৷ আর এই সনদের সকল রাবী নির্জাযোগ্য, বুখারী ও
মুসলিমের শণ্ডোত্তীর্ণ ৷ আর ইসহাক ইবন মানসুর সুত্রে শুধুমাত্র ইমাম তিরমিযী তার শামাইলে
ছাড়া সিহাসিত্তা ৷র সঙ্কলকগণের আর কেউ তা বর্ণনা করেননি ৷ আর ইবন হিব্বান তার সহীহ
গ্রন্থে তা রিওয়ায়াত ৩করেছেন ৷ এই জাতীয় আরেকটি হাদীস হল যা বুখারীও তার সহীহ গ্রন্থে
বর্ণনা করেছেন যে, আবদুল্লাহ নামক এক ব্যক্তি ছিলেন, যাকে হিমার (গাধা) বলা হত ৷ তিনি
নবী করীম (সা) কে হাসাতেন ৷ মাঝে মাঝে শরাব পানের অপরাধে তাকে ধরে আনা হত ৷
একদিন যখন তাকে আনা হল তখন একব্যক্তি তাকে ৷ধক্কার দিয়ে বলে উঠল, “তার উপর
আল্লাহর লা নত হোক’ কতবার যে তাকে ধরে আনা হলো ৷
তখন রাসুলুল্লাহ (সা) তাকে বললেন ধ্টু,প্রু ণ্এ৷ ৷ ন্১ন্ <ট্রু£ব্র ধ্;এট্রুৰু৷ তাকে লানত
করে৷ না, কেননা সে আল্লাহ ও তার রাসুলকে ভালবাসে ৷ এ জাতীয় আরেকটি হাদীস যা
ইমাম আহমদ, হাজ্জাজ আনাস ইবন মালিক সুত্রে বর্ণনা করেন যে, একবার নবী করীম
(সা) কোন এক সফরে ছিলেন ৷ সে সময় এক হুদী র্থী’ তার সহধর্মিণীদের উট ছুাকিয়ে
নিচ্ছিল ৷ তিনি (আনাস) বলেন, তার হুদির১ তালে তার শ্রীদের বাহন দ্রুত গতিতে তার
সামনে অগ্রসর হয়ে যাচ্ছিল ৷ তখন তিনিও (াকে) বললেন, একটু ধীরে হে আনজাশা তোমার
সাথে যে কাচের বোঝা? (অর্থাৎ উট একটু আস্তে হাকাও) ৷ এখানে নারীদেরকে তাদের
দুর্বলচিত্ততা ও শারীরিক অক্ষমতার কারণে ভঙ্গুর র্কাচ পাত্রের সাথে তুলনা করা হয়েছে ৷ আর
এটি নবী করীম (সা) এর পক্ষ থেকে নারীদের প্রতি কৌতু কস্বরুপ ৷ তার চারিত্রিক উদারতা,
রসবােধ ও সৌজন্য বোধসম্পন্ন স্বভাবের অন্যতম প্রকাশ হল যে,৩ তিনি হযরত আইশা (রা)
থেকে উম্মু যা’রআ-এর সম্পুর্ণ কাহিনী মনোযোগ দিয়ে শুনে গেছেন ৷ কোন কোন বর্ণনায় তো
এসেছে যে, নবী করীম (সা) নিজেই তা হযরত আইশাকে শুনিয়েছেন ৷ এই শ্রেণীর একটি
হাদীস যা ইমাম আহমদ আবনৃ নযর হযরত আইশা (রা) সুত্রে বর্ণনা করেন ৷ তিনি বলেন,
এক রাত্রে রাসুলুল্লাহ্ (সা) তার সহধর্মিণীগণের সাথে এক কাহিনী আলোচনা করলেন ৷ তখন
তাদের একজন বললেন, ইয়া রাসুলাল্লাহ্! কাহিনী হল কল্পকাহিনী ৷ তখন রাসুলুল্লাহ (সা)
বললেন, তুমি কি জান কল্পকাহিনী কী? কল্পকাহিনী হল, বানু উযরার এক ব্যক্তি ছিল, যাকে
জাহিলিয়াতে র যুগে জিনেরা বন্দী করল ৷ ফলে সে দীঘক ল তাদের মাঝে অবস্থান করল,
এরপর তারা তাকে মানব সমাজে ফিরিয়ে দিল ৷ তখন সে জিনদের মাঝে থাকাকালীন যে
সকল আশ্চর্যজনক বিষয় দেখেছিল তা মানুষের সাথে আলোচনা করতো ৷ তখন লোকেরা
বলল, এ হল কল্পকাহিনী-রুপকথা ৷ তিরমিযী তার শামাইলে’ হাসান ইবন সাবাহ
১ আমাদের মাঝিদের ভাটিয়ালী গান বা গাভৈড়ায়ানদের তাওয়াইয়ার মত মরুভুমিতে উটচালকরা এক প্রকার
গান গেয়ে নিজের ও উটের বা তার আরোহীদের ক্লান্তি দুর করার চেষ্টাই করে থাকে ৷ এটাকে হুদী গান বলা
হয় এবং এর গায়ক হচ্ছে ’হদী র্খা বা হুদী গায়ক ৷ জালালাবাদী (সম্পাদক)
صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: ارْفَعْهُ عَلَيَّ قَالَ: " لَا أَفْعَلُ ". فَقَالَ: مُرْ بَعْضَهُمْ لِيَرْفَعَهُ عَلَيَّ. فَقَالَ: " لَا " فَوَضَعَ مِنْهُ شَيْئًا. ثُمَّ عَادَ، فَلَمْ يَقْدِرْ، فَسَأَلَهُ أَنْ يَرْفَعَهُ أَوْ أَنْ يَأْمُرَ بَعْضَهُمْ يَرْفَعُهُ، فَلَمْ يَفْعَلْ، فَوَضَعَ مِنْهُ، ثُمَّ احْتَمَلَ الْبَاقِيَ، وَخَرَجَ بِهِ مِنَ الْمَسْجِدِ وَرَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يُتْبِعُهُ بَصَرَهُ عَجَبًا مِنْ حِرْصِهِ.» قُلْتُ: وَقَدْ كَانَ الْعَبَّاسُ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ رَجُلًا شَدِيدًا طَوِيلًا نَبِيلًا، فَأَقَلُّ مَا احْتَمَلَ شَيْءٌ يُقَارِبُ أَرْبَعِينَ أَلْفًا. وَاللَّهُ أَعْلَمُ. وَقَدْ ذَكَرَهُ الْبُخَارِيُّ فِي " صَحِيحِهِ " فِي مَوَاضِعَ مُعَلِّقًا بِصِيغَةِ الْجَزْمِ، وَهَذَا يُورَدُ فِي مَنَاقِبِ الْعَبَّاسِ لِقَوْلِهِ تَعَالَى {يَا أَيُّهَا النَّبِيُّ قُلْ لِمَنْ فِي أَيْدِيكُمْ مِنَ الْأَسْرَى إِنْ يَعْلَمِ اللَّهُ فِي قُلُوبِكُمْ خَيْرًا يُؤْتِكُمْ خَيْرًا مِمَّا أُخِذَ مِنْكُمْ وَيَغْفِرْ لَكُمْ وَاللَّهُ غَفُورٌ رَحِيمٌ} [الأنفال: 70] وَقَدْ تَقَدَّمَ عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ خَادِمِهِ عَلَيْهِ الصَّلَاةُ وَالسَّلَامُ أَنَّهُ قَالَ: «كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَجْوَدَ النَّاسِ، وَأَشْجَعَ النَّاسِ» . الْحَدِيثَ. وَكَيْفَ لَا يَكُونُ كَذَلِكَ، وَهُوَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ الْمَجْبُولُ عَلَى أَكْمَلِ الصِّفَاتِ، الْوَاثِقُ بِمَا فِي يَدَيِ اللَّهِ عَزَّ وَجَلَّ، الَّذِي أَنْزَلَ اللَّهُ تَعَالِي عَلَيْهِ فِي مُحْكَمِ كِتَابِهِ الْعَزِيزِ: {وَمَا لَكُمْ أَلَّا تُنْفِقُوا فِي سَبِيلِ اللَّهِ وَلِلَّهِ مِيرَاثُ السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضِ} [الحديد: 10] الْآيَةَ؟! [الْحَدِيدِ: 10] . وَقَالَ تَعَالَى: {وَمَا أَنْفَقْتُمْ مِنْ شَيْءٍ فَهُوَ يُخْلِفُهُ وَهُوَ خَيْرُ الرَّازِقِينَ} [سبأ: 39] .
وَهُوَ عَلَيْهِ الصَّلَاةُ وَالسَّلَامُ الْقَائِلُ لِمُؤَذِّنِهِ بِلَالٍ، وَهُوَ الصَّادِقُ الْمَصْدُوقُ فِي
পৃষ্ঠা - ৪৬১৮
الْوَعْدِ وَالْمَقَالِ: «أَنْفِقْ يَا بِلَالُ، وَلَا تَخْشَ مِنْ ذِي الْعَرْشِ إِقْلَالًا» .
وَهُوَ الْقَائِلُ عَلَيْهِ الصَّلَاةُ وَالسَّلَامُ: «مَا مِنْ يَوْمٍ يُصْبِحُ الْعَبَّادُ فِيهِ إِلَّا وَمَلَكَانِ يَقُولُ أَحَدُهُمَا: اللَّهُمَّ أَعْطِ مُنْفِقًا خَلَفًا، وَيَقُولُ الْآخَرُ: اللَّهُمَّ أَعْطِ مُمْسِكًا تَلَفًا» وَفِي الْحَدِيثِ الْآخَرِ أَنَّهُ قَالَ لِعَائِشَةَ: «لَا تُوعِي فَيُوعِيَ اللَّهُ عَلَيْكِ، وَلَا تُوكِي فَيُوكِيَ اللَّهُ عَلَيْكِ» وَفِي " الصَّحِيحِ " أَنَّهُ عَلَيْهِ الصَّلَاةُ وَالسَّلَامُ قَالَ: «يَقُولُ اللَّهُ تَعَالَى: ابْنَ آدَمَ، أَنْفِقْ أُنْفِقْ عَلَيْكَ» فَكَيْفَ لَا يَكُونُ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَكْرَمَ النَّاسِ وَأَشْجَعَ النَّاسِ، وَهُوَ الْمُتَوَكِّلُ الَّذِي لَا أَعْظَمَ مِنْهُ فِي تَوَكُّلِهِ، الْوَاثِقُ بِرِزْقِ اللَّهِ وَنَصْرِهِ الْمُسْتَعِينُ بِرَبِّهِ فِي جَمِيعِ أَمْرِهِ؟! ثُمَّ قَدْ كَانَ قَبْلَ بِعْثَتِهِ وَبَعْدَهَا وَقَبْلَ هِجْرَتِهِ، مَلْجَأَ الْفُقَرَاءِ وَالْأَرَامِلِ، وَالْأَيْتَامِ وَالضُّعَفَاءِ وَالْمَسَاكِينِ، كَمَا قَالَ عَمُّهُ أَبُو طَالِبٍ فِيمَا قَدَّمْنَاهُ مِنَ الْقَصِيدَةِ الْمَشْهُورَةِ:
পৃষ্ঠা - ৪৬১৯
আল-বায্যড়ার সুত্রে এই সনদে তা বিওয়ড়াযাত ৩করেছেন ৷ আমি বলি, এই হাদীসখানি গরীব ও
মুনকার পর্যায়ের অর্থাৎ এতে অগ্নহণযােগতে ৷ বিদ্যমান, আর এর রাবী ঘুজালিদ ইবন সাঈদের
গ্রহণযােগ্যতার ব্যাপারেও মুহদ্দিসগণের আপত্তি’ রয়েছে ৷ সঠিক বিষয় আল্লাহ্ই অধিক
জানেন ৷ তিরমিষী তার শামইিলে নবীজীর খিরাজ’ অধ্যায়ে আব্দ ইবন হ্না৷য়দ হাসান
সুত্রে বর্ণনা করেন যে,৩ তিনি বলেছেন, (একবার) জনৈকা বৃদ্ধা নবী করীম (না)-এর কাছে
এসে আরব করলেন, ইয়৷ রাসুলাল্লাহ্ ! আমার জন্য প্রার্থনা করুন, আল্লাহ যেন আমাকে
জান্নাতে প্রবেশ করলে ৷ তখন নবীজী তাকে বললেন, হে অমুকের মা ! কোন বৃদ্ধাতো জান্নাতে
প্রবেশ করবে না ৷ একথা শুনে বৃদ্ধা র্কাদতে র্কীদতে ফিরে চললেন ৷ তখন নবীজী বললেন,
তোমরা ওকে জানিয়ে দাও যে, বৃদ্ধা অবস্থায় সে জান্নাতে প্রবেশ করবে না, (বরং পুর্ণ যুবতী ও
কুমারী হয়ে জান্নাতে প্রবেশ করবে) কেননা স্বয়ং আল্লাহ্স্থ বলছেন & ৷ ,গুা ; ৷ ৷ ৷
,াধু ৷ র্টু,ট্রু১াঠুট্রু ১ট্রু১ “তাদেরকে আমি সৃষ্টি করেছি বিশেষ রুপে, তাদেরকে করেছি কুমারী’
(ওয়াকিআ : ৩৫-৩৬) ৷ অবশ্য এ সুত্রে হাদীসটি মুরসাল’ ৷ তিরমিষী আব্বাস ইবন মুহাম্মাদ
আবু হুরায়রা (রা) সুত্রে বর্ণনা করেন যে, তিনি ব লেছেন,৩ তারা (সড়াহাবাগণ) বললেন, ইয়া
রাসুলাল্লাহ্! আপনিও আমাদের সাথে ঠাট্টা কৌতুক করেন? তিনি বললেন, তবে (কৌতুকেও)
আমি সতৰুই বলে থাকি ৷ তিরমিষী তার জা মি গ্রন্থে এ সনদে সদাচার অধ্যায়ে হাদীসখানা
রিওয়ায়াত করে মন্তব্য করেছেন, এটা মুরসাল ও হাসান’ শ্রেণীভুক্ত ৷
নবীজীর ষুহ্দ ও পার্থিব ভোগ বিমুখতা
আল-কুরআনে আল্লাহ্ তাআলা বলেন :
é ’ ১
ণ্ :’ন্
ণ্শু’নু)
¢
;,ছু §,; ট্রু,০,ছুএে
৷া১১১,
তুমি ণ্৩ ৷মার চক্ষুদ্বয় কখনও প্রসারিত করে৷ না, তার প্রতি যা আমি তাদের বিভিন্ন
গ্রেণীকে পার্থিব জীবনের সৌন্দর্যস্বরুপ উপভােগের উপকরণরুপে দিয়েছি তা দ্বারা তাদেরকে
পরীক্ষা করার জন্য ৷ তোমার প্রতিপালক-প্রদত্ত জীবনােপকরণ উৎকৃষ্ট ও অধিকতর স্থায়ী ৷ (২০
وَمَا تَرْكُ قَوْمٍ - لَا أَبَالَكَ - سَيِّدًا ... يَحُوطُ الذِّمَارَ غَيْرَ ذَرْبِ مُوَاكِلِ
وَأَبْيَضُ يُسْتَسْقَى الْغَمَامُ بِوَجْهِهِ ... ثِمَالُ الْيَتَامَى عِصْمَةٌ لِلْأَرَامِلِ
يَلُوذُ بِهِ الْهُلَّاكُ مِنْ آلِ هَاشِمٍ ... فَهُمْ عِنْدَهُ فِي نِعْمَةٍ وَفَوَاضِلِ
[تَوَاضُعُهُ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ]
وَمِنْ تَوَاضُعِهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ
مَا رَوَى الْإِمَامُ أَحْمَدُ مِنْ حَدِيثِ حَمَّادِ بْنِ سَلَمَةَ، عَنْ ثَابِتٍ - زَادَ النَّسَائِيُّ: وَحُمَيْدٌ - «عَنْ أَنَسٍ أَنَّ رَجُلًا قَالَ: لِرَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: يَا سَيِّدَنَا وَابْنَ سَيِّدِنَا، وَخَيْرَنَا وَابْنَ خَيْرِنَا. فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَا أَيُّهَا النَّاسُ قُولُوا بِقَوْلِكُمْ، وَلَا يَسْتَهْوِيَنَّكُمُ الشَّيْطَانُ أَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ عَبْدُ اللَّهِ وَرَسُولُهُ، وَاللَّهِ مَا أُحِبُّ أَنْ تَرْفَعُونِي فَوْقَ مَا رَفَعَنِيَ اللَّهُ» .
وَفِي " صَحِيحِ مُسْلِمٍ " عَنْ عُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ «لَا تُطْرُونِي كَمَا أَطْرَتِ النَّصَارَى عِيسَى بْنَ مَرْيَمَ، فَإِنَّمَا أَنَا عَبْدٌ، فَقُولُوا: عَبْدُ اللَّهِ وَرَسُولُهُ» .
وَقَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا يَحْيَى عَنْ شُعْبَةَ، حَدَّثَنِي الْحَكَمُ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ، عَنِ الْأَسْوَدِ قَالَ: «قُلْتُ لِعَائِشَةَ: مَا كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَصْنَعُ فِي أَهْلِهِ؟ قَالَتْ:
পৃষ্ঠা - ৪৬২০
তুমি নিজেকে ধৈর্যসহকারে রাখবে তাদেরই সংসর্গে, যারা সকাল ও সন্ধ্যায় আহ্বান করে
তাদের প্রতিপালককে, তাঁর সন্তুষ্টি লাভের উদ্দেশ্যে এবং তুমি পার্থিব জীবনের শোভা কামনা
করে তাদের থেকে তোমার দৃষ্টি ফিরিয়ে নেবে না ৷ তুমি তার আনুগত্য করো না, যার চিত্তকে
আমি আমার স্মরণে অমনােযোগী করে দিয়েছি, যে তার খেয়ালখুশীর অনুসরণ করে ও যার
কার্যকলাপ সীমা অতিক্রম করে ৷ (১৮ কাহ্ফ : ২৮)
অতএব যে আমার স্মরণে বিমুখ তাকে উপেক্ষা করে চল, সে তাে কেবল পার্থিব জীবনই
কামনা করে ৷ (৫৩ নাজমং ২৯)
আমি তাে তোমাকে দিয়েছি সাত আয়াত যা পুন পুন আবৃত্ত হয় এবং দিয়েছি মহা
কুরআন ৷ আমি তাদের বিভিন্ন শ্রেণীকে ভোগ-বিলাসের যে উপকরণ দিয়েছি তার প্রতি তুমি
কখনও তোমার চক্ষুদ্বয় প্রসারিত করো না, তাদের জন্য তুমি ক্ষোভ করো না, তুমি মু’মিনদের
জন্য তোমার পক্ষপুট অবনমিত কর (১৫ হিজর : ৮৭-৮৮) আর এ প্রসঙ্গে বহুসংখ্যক আয়াত
বিদ্যমান ৷
হাদীসে ভােগবিমুখতা প্রসঙ্গ
আর এ প্রসঙ্গে অনেক হাদীসও রয়েছে ৷ ইয়াকুব ইবন সুফিয়ান আবুল আব্বাস হায়ওয়া
ইবন শুরায়হ ...... মুহাম্মদ ইবন আবদুল্লাহ ইবন আব্বাস সুত্রে বর্ণনা করেন যে, আবদুল্লাহ
ইবন আব্বাস (রা) বলেছেন, যে আল্লাহ তাআলা একদা হযরত জিবরাঈলের সাথে এক
ফেরেশতড়াকে তার নবীর কাছে পাঠালেন ৷ তখন সেই ফেরেশতা নবীজীকে বললেন, “আল্লাহ আপনাকে দুটি
বিষয়ের যে কোন একঢিকে বেছে নেয়ার ইখতিয়ার দিচ্ছেন, আপনি সাধারণ বান্দা ও নবী
হবেন, নাকি বাদশা ও নবী হবেন ৷ ” তখন রাসুলুল্লাহ্ (সা) জিবরাঈল আলাইহিস সালামের
দিকে এমনতাবে তাকালেন, যেন তিনি এ ব্যাপারে তার পরামর্শ জানতে চাচ্ছেন ৷ তখন
হযরত জিবরাঈল (আ) রাসুলুল্লাহ্ (সা)-কে বিনয়ীকে বেছে নেয়ার ইঙ্গিত করলেন ৷ তখন
তিনি বললেন, আমি বরং বান্দা-নবী হব ৷ তিনি (ইবন আব্বাস) বলেন, এই কথা বলার পর
থেকে আল্লাহর সাক্ষাৎ পাওয়া পর্যন্ত তিনি কােনদিন হেলান দিয়ে কোন খাবার খাননি ৷ বুখারী
তাঁর 'আত তারীখে’ হাওয়াত ইবন শুরায়হ্ সুত্রে এবং নাসাঈ আমর ইবন উছমান সুত্রে
এভাবেই তা রিওয়ায়াত করেছেন ৷ আর সহীহ্ বুখারীতে প্রায় এ জাতীয় শব্দেই মুল হাদীসখানা
বিদ্যমান রয়েছে ৷ আর ইমাম আহমাদ মুহাম্মাদ ইবন ফুযায়ল আবু যুর'আ সুত্রে (আমি বলি,
আমার জানা মতে, আবু হুরায়রার সুত্র ছাড়া অন্য কারো থেকে আমি তা জানি না) ৷ তিনি
বলেন, (একবার) জিবরাঈল রাসুলুল্লাহ্ (সা)-এর কাছে বসে আসমানের দিকে তাকালেন,
হঠাৎ এক ফেরেশতাকে অবতরণ করতে দেখা গেল ৷ তখন জিবরাঈল বললেন, সৃষ্টি হওয়ার
পর থেকে এই মুহুর্তের পুর্ব পর্যন্ত এই ফেরেশত৷ (কোথাও) অবতীর্ণ হননি ৷ অতঃপর তিনি
যখন অবতরণ করলেন তখন তিনি বললেন হে মুহাম্মদ ! আপনার রব আমাকে আপনার কাছে
পাঠিয়েছেন (আপনার মত গ্রহণ করার জন্য) যে, তিনি আপনাকে বাদশা-নবী করবেন, নাকি
বান্দা-নবী? আমি বলি, আমার কাছে রক্ষিত মুসনাদে আহমদের কপিতে আমি হাদীসখানি
এরুপ সংক্ষিপ্তভাবে পেয়েছি ৷ আর এক্ষেত্রে এটি আহমদের একক বর্ণনা ৷
كَانَ فِي مِهْنَةِ أَهْلِهِ، فَإِذَا حَضَرَتِ الصَّلَاةُ خَرَجَ إِلَى الصَّلَاةِ» .
وَحَدَّثَنَا وَكِيعٌ وَمُحَمَّدُ بْنُ جَعْفَرٍ، قَالَا: حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنِ الْحَكَمِ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ، عَنِ الْأَسْوَدِ قَالَ: «قُلْتُ لِعَائِشَةَ: مَا كَانَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَصْنَعُ إِذَا دَخَلَ بَيْتَهُ؟ قَالَتْ: كَانَ يَكُونُ فِي مِهْنَةِ أَهْلِهِ فَإِذَا حَضَرَتِ الصَّلَاةُ خَرَجَ فَصَلَّى» . وَرَوَاهُ الْبُخَارِيُّ، عَنْ آدَمَ، عَنْ شُعْبَةَ.
وَقَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا عَبْدَةُ، ثَنَا هِشَامُ بْنُ عُرْوَةَ، عَنْ رَجُلٍ قَالَ: «سَأَلْتُ عَائِشَةَ: مَا كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَصْنَعُ فِي بَيْتِهِ؟ قَالَتْ: كَانَ يُرَقِّعُ الثَّوْبَ، وَيَخْصِفُ النَّعْلَ. أَوْ نَحْوَ هَذَا» . وَهَذَا مُنْقَطِعٌ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ. وَقَدْ قَالَ: عَبْدُ الرَّزَّاقِ: أَنَا مَعْمَرٌ، عَنِ الْزُّهْرِيِّ، عَنْ عُرْوَةَ، وَهِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ، عَنْ أَبِيهِ قَالَ: «سَأَلَ رَجُلٌ عَائِشَةَ: هَلْ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَعْمَلُ فِي بَيْتِهِ؟ قَالَتْ: نَعَمْ، كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَخْصِفُ نَعْلَهُ، وَيَخِيطُ ثَوْبَهُ، وَيَعْمَلُ فِي بَيْتِهِ كَمَا يَعْمَلُ أَحَدُكُمْ فِي بَيْتِهِ» . رَوَاهُ الْبَيْهَقِيُّ فَاتَّصَلَ الْإِسْنَادُ.
وَقَالَ الْبَيْهَقِيُّ: أَنَا أَبُو الْحُسَيْنِ بْنُ بِشْرَانَ، أَنَا أَبُو جَعْفَرٍ مُحَمَّدُ بْنُ عَمْرِو بْنِ الْبَخْتَرِيِّ إِمْلَاءً، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ إِسْمَاعِيلَ السُّلَمِيُّ، حَدَّثَنَا
পৃষ্ঠা - ৪৬২১
এছাড়া বুখারী ও মুসলিমে ইবন আব্বাসের (রা) হাদীস সংগ্রহ থেকে হযরত উমরের
বরাতে ঈলা১ সং ক্রাম্ভ যে হাদীস বর্ণিত হয়েছে তাতে রয়েছে যে, (একবার) রাসুলুল্লাহ্ (সা)
তার সহধর্মিণীগণের সাথে ঈলা করলেন ৷ অর্থাৎ দীর্ঘ একমাস পর্যন্ত তাদের সং ত্সর্গ বর্জন করে
তার গৃহের উপর তলায় অবস্থান করলেন ৷ তারপর (একবার) হযরত উমর যখন সেখানে তার
কক্ষে প্রবেশ করলেন, তখন তিনি দেখতে পেলেন, সেখানে কিছু বাংলা জাতীয় হলো গাছের
ফল তুপাকৃতির কিছু যব এবং একটি চামড়া ঝুলানাে রয়েছে ৷ আর তিনি একটি খালি চাটাইয়ে
কাত হয়ে শুয়ে আছেন, তার পার্শ্বদেশে চাটাইয়ের দাগ পড়ে গেছে ৷ আল্লাহ্র রাসুলের এই দীন
অবস্থা দেখে হযরত উমরের চক্ষুদ্বয় অশ্রুপ্লাবিত হল, তখন নবীজী তাকে বললেন, কী ব্যাপার?
(তুমি র্কাদছ কেন) তখন আমি (উমর) বললাম, ইয়া রাসুলাল্লাহ্া আপনি আল্লাহ্র মনোনীত
শ্রেষ্ঠ৩ ম সৃষ্টি, (অথচ আপনার এই দীন অবস্থা) অথচ কিসরা-বগয়সারের (আরাম আয়েশ ও
ভোগ বিলাসের) কি অবস্থা? উমরের একথায় তিনি (ক্রুদ্ধ ও) রক্তিম চেহারা নিয়ে উঠে
বললেন এবং তাকে বললেন, হে খাত্তাব তনয়! তুমি কি স ৎশয়গ্রস্ত? তারপর তিনি বললেন,
ওরা তো এমন সম্প্রদায় যাদেরকে পার্থিব জীবনেই সকল আরাম-আয়েশ ও ভোগ বিলাসের
উপকরণ সরবরাহ করা হয়েছে ৷ মুসলিমের বর্ণনায় আছে, তুমি কি এতে তৃষ্ট নও যে, তাদের
জন্য হবে দুনিয়া আর আমাদের জন্য আখিরাত? তখন আমি বললাম, অবশ্যই ! হে আল্লাহ্র
রাসুল (আমি তাতে তুষ্ট) ৷ উমর বলেন, আমি আল্লাহ্র প্রশ সা করছি ৷ তারপর এক মাস
অতিবাহিত হলে আল্লাহ্ তাকে তার ত্রীদের ইখতিয়ার প্রদানের নির্দেশ দিলেন এবং এই আয়াত
নাযিল করলেন :
; ন্ ; : ; ষ্ ; ; : ষ্ ; ; ণ্ণ্ ;
fl , : ন্ শ্
হে নবী তুমি তোমার ত্রীদের বল! তোমরা যদি পাথিং জীবন ও তার তুষণ কামনা কর
তবে আস আমিণ্ তামাদের ভোগ সামগ্রীর ব্যবস্থা করে দিই এবং সৌজন্যের সাথে
ণ্তামাদেরকে বিদায় দেই ৷ আর যদি তোমরা আল্পাহ্,৩ তার রাসুল ও আখিরাত কামনা কর
তবে তোমাদের মধ্যে যারা সৎকর্মশীল আল্লাহ্৩ তাদের জন্য মহাপ্রতিদান প্রস্তুত রেখেছেন ৷
(৩৩ আহযাবং ২৮ ২৯)
আর এ সম্পর্কিত বিশদ বিবরণ আমরা আমাদের তাফসীর গ্রন্থে উল্লেখ করেছি ৷ তিনি
এই ইখতিয়ার প্রদানের সুচনা করেন হযরত আইশাকে দিয়ে, তিনি তাকে বলেন, আমি একটি
বিষয়ে তে আমার মত ও সিদ্ধান্ত জানতে চাই, এতে তোমার তাড়াহুড়া করার কোন প্রয়োজন
নেই যতক্ষণ না তুমি তোমার পিতা-মা৩ার পরামর্শ গ্রহণ করবে ৷ এরপর তিনি তাকে আয়াত
তেলাওয়াত করে গোনালেন ৷
আইশা বলেন, তখন জবাবে আমি বললাম, এ ব্যাপারে আমি পরামর্শ করতে যাব আমার
পিতা-মাতার সাথে? আমি (নির্ধিধায়) আল্লাহ্ ও তার রাসুল এবং আখিরা৩ কে গ্রহণ করছি ৷
১ (চার মাস বা তদুর্ধ্ব সময়) শ্রীগমন না করার শপথ করাকে পরিভাষায় ঈলা বলা হয় ৷ অনুবাদক
ওোা
أَبُو صَالِحٍ، حَدَّثَنِي مُعَاوِيَةُ بْنُ صَالِحٍ، عَنْ يَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ، عَنْ عَمْرَةَ قَالَتْ: «قُلْتُ لِعَائِشَةَ: مَا كَانَ يَعْمَلُ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي بَيْتِهِ؟ قَالَتْ: كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بَشَرًا مِنَ الْبَشَرِ، يُفَلِّي ثَوْبَهُ، وَيَحْلِبُ شَاتَهُ، وَيَخْدِمُ نَفْسَهُ» . وَرَوَاهُ التِّرْمِذِيُّ فِي " الشَّمَائِلِ " عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ إِسْمَاعِيلَ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ صَالِحٍ، عَنْ مُعَاوِيَةَ بْنِ صَالِحٍ، عَنْ يَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ، عَنْ عَمْرَةَ قَالَتْ: قِيلَ لِعَائِشَةَ: مَا كَانَ يَعْمَلُ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي بَيْتِهِ؟ الْحَدِيثَ.
وَرَوَى ابْنُ عَسَاكِرَ مِنْ طَرِيقِ أَبِي أُسَامَةَ، عَنْ حَارِثَةَ بْنِ مُحَمَّدٍ الْأَنْصَارِيِّ، عَنْ عَمْرَةَ قَالَتْ: «قُلْتُ لِعَائِشَةَ: كَيْفَ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي أَهْلِهِ؟ قَالَتْ: كَانَ أَلْيَنَ النَّاسِ، وَأَكْرَمَ النَّاسِ، وَكَانَ ضَحَّاكًا بَسَّامًا» .
وَقَالَ أَبُو دَاوُدَ الطَّيَالِسِيُّ: ثَنَا شُعْبَةُ، حَدَّثَنِي مُسْلِمٌ أَبُو عَبْدِ اللَّهِ الْأَعْوَرُ، سَمِعَ أَنَسًا يَقُولُ: «كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يُكْثِرُ الذِّكْرَ، وَيُقِلُّ اللَّغْوَ، وَيَرْكَبُ الْحِمَارَ، وَيَلْبَسُ الصُّوفَ، وَيُجِيبُ دَعْوَةَ الْمَمْلُوكِ، وَلَقَدْ رَأَيْتُهُ يَوْمَ خَيْبَرَ عَلَى حِمَارٍ خِطَامُهُ مِنْ لِيفٍ» . وَفِي التِّرْمِذِيِّ، وَابْنِ مَاجَهْ مِنْ حَدِيثِ مُسْلِمِ بْنِ كَيْسَانَ الْمُلَائِيِّ، عَنْ أَنَسٍ بَعْضُ ذَلِكَ.
পৃষ্ঠা - ৪৬২২
আর এরপর তার অন্যান্য সহধর্মিনীগণও এমনই বললেন এবং তিনি তাদের প্রতি প্রসন্ন হলেন ৷
মুবারক ইবন ফুযালা আনাস সুত্রে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন, (একবার) আমি রাসুলুল্লাহ্
(সা)-এর সাক্ষাতে প্রবেশ করলাম ৷ তখন তিনি পাকানাে দড়ি দিয়ে তৈরী একটি খাটে
শুয়েছিলেন, তার মাথার নীচে ছিল খেজুর গাছের আশ ভর্তি একটি চামড়ার বালিশ, এ সময়
হযরত উমর এবং আরও কয়েকজন সাহাবী তার কক্ষে প্রবেশ করলেন ৷ তখন রাসুলুল্লাহ্ (সা)
ফিরলেন, তখন উমর তার শরীরে দড়ির দাগ দেখে কেদে ফেললেন ৷ তখন নবী করীম (সা)
তড়াকে জিজ্ঞেস করলেন, উমর! তুমি কড়াদছ কেন? উমর বললেন, না কেদে আমি কিভাবে
থাকতে পারি? কিনরা-কায়সার কী আরাম-আয়েশ ও ভোগ-বিলাসে রয়েছে, তা আর আপনার
এ দীন অবন্থাও আমি প্রত্যক্ষ করছি ৷ তখন তিনি বললেন, হে উমর ! তুমি কি এতে সন্তুষ্ট নও
যে, দুনিয়া তাদের জন্য হবে আর আমাদের জন্য হবে আখিরাত? তখন উমর বললেন, হী
অবশ্যই (সন্তুষ্ট) ৷ তিনি বললেন, তাহলে তােমাংক এটাও (মনে নিতে হবে ৷
আবু দাউদ তায়ালিসী আল-মাসউদী ইবন মাসউদ সুত্রে বর্ণনা করেন যে, তিনি
বলেছেন, একবার রাসুলুল্লাহ্ (সা) একখানা খালি চাটাইয়ের (খেজুর পাতার) উপর কাত হয়ে
গোয়া ছিলেন ৷ তখন তার দেহে চাটাইয়ের দাগ ফুটে উঠেছিল, তখন আমি তা মিটিয়ে দিতে
দিতে বলতে লাগলাম, আমার পিতামাতা আপনার জন্য কুরবান ৷ আপনি কেন আমাদেরকে
জানালেন না তাহলে তার (চাটাইয়ের) উপর একটা (নরম) কিছু বিছিয়ে দিতাম; তাহলে
আপনি তার উপর শুতে পারতেন, আর তা আপনাকে এ অবস্থা থেকে রক্ষা করতো ৷ তখন
তিনি বললেন, দুনিয়ার সাথে আমার কী সম্পর্ক! দুনিয়ার সাথে আমার সম্পর্ক ঐ অশ্বারোহী
পথচারীর ন্যায়, যে ক্ষণিকের জন্য কোন গাছের ছায়ায় আরাম করে তারপর সে স্থান ত্যাগ
করে চলে যায় ৷ ইবন মাজ৷ ইয়াহইয়া ইবন হাকীম আবু দাউদ তায়ালিসীর বরাতে এই সনদে
হাদীসখড়ানি রিওয়ায়াত করেছেন ৷ এছাড়া তিরমিযী মুসা ইবন আব্দুর রহমান কিন্দী সুত্রে তা
বর্ণনা করে মন্তব্য করেছেন, হাদীসখানি হাসান সহীহ্’, ৷ এছাড়া ইমাম আহমদ আব্দুস সামাদ
ইবন আব্বাস সুত্রে রিওয়ায়াত করেছেন যে (একবার) উমর (রা) রাসুলুল্লাহ্ (সা)-এর কক্ষে
প্রবেশ করে দেখতে পেলেন যে, তিনি (খেজুর পাতার) চাটাইয়ে শায়িত যা তার শরীরে দাগ
ফেলে দিয়েছে ৷ তখন তিনি বললেন, ইয়া রাসুলাল্লাহ্! আপনি যদি এর চেয়ে কােমলতর
বিছানা গ্রহণ করতেন ! তখন তিনি বললেন, আমার সাথে দুনিয়ার কী সম্পর্ক! আমার ও
দুনিয়ার দৃষ্টান্ত হল ঐ অশ্বারোহীর ন্যায়, যে গ্রীষ্মের দিবসে পথ চলে ক্ষণিকের জন্য দিনের
একাৎশে কোন বৃক্ষের ছায়ায় বিশ্রাম করে, এরপর সেখান থেকে উঠে চলে যয়ে ৷ হাদীসখানি
ইমাম আহমদের একক বর্ণনা ৷ বুখারী শরীফে ইমাম যুহরীর হাদীস সংগ্রহ থেকে আবদুল্লাহ
ইবন আবদুল্লাহ আবু হুরায়রা সুত্রে উল্লেখ করা হয়েছে যে, রাসুলুল্লাহ্ (সা) বলেছেন,
আমার কাছে যদি উহুদ পাহাড় পরিমাণ স্বর্ণও থাকত, তাহলে এটা আমার জন্য থুশির ব্যাপার
হত না যে, তিন দিন অতিবাহিত হওয়ার পরও তার সামান্য অংশ আমার কাছে থাকবে,
শুধুমাত্র কিছু পরিমাণ যা আমি ঋণ পরিশোধের জন্য মজুদ রাখবাে ৷ > হযরত আবু হুরায়রার
উদ্ধৃতিতে বুখারী ও মুসলিমে উমারা ইবন কা’কার হাদীস সংগ্রহ থেকে আবু হুরায়রার প্রমুখাৎ
১ রাসুলুল্লাহ্ (সা) ঋণ্যাস্তদের ঋণ পরিশেত্রে সাহায্য করতেন ৷ বিশেষত, যদি কেউ ঋণগ্রস্ত অবস্থায় মারা
যেতেন ৷-জালালাবাদী (সম্পাদক)
وَقَالَ الْبَيْهَقِيُّ أَنَا أَبُو عَبْدِ اللَّهِ الْحَافِظُ إِمْلَاءً، ثَنَا أَبُو بَكْرٍ مُحَمَّدُ بْنُ جَعْفَرٍ الْآدَمِيُّ الْقَارِئُ بِبَغْدَادَ، ثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ أَحْمَدَ بْنِ إِبْرَاهِيمَ الدَّوْرَقِيُّ، ثَنَا أَحْمَدُ بْنُ نَصْرِ بْنِ مَالِكٍ الْخُزَاعِيُّ، ثَنَا عَلِيُّ بْنُ الْحُسَيْنِ بْنِ وَاقَدٍ، عَنْ أَبِيهِ قَالَ: سَمِعْتُ يَحْيَى بْنَ عُقَيْلٍ يَقُولُ: سَمِعْتُ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ أَبِي أَوْفَى يَقُولُ: «كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يُكْثِرُ الذِّكْرَ، وَيُقِلُّ اللَّغْوَ، وَيُطِيلُ الصَّلَاةَ، وَيُقَصِّرُ الْخُطْبَةَ، وَلَا يَسْتَنْكِفُ أَنْ يَمْشِيَ مَعَ الْعَبْدِ، وَلَا مَعَ الْأَرْمَلَةِ، حَتَّى يَفْرُغَ لَهُمْ مِنْ حَاجَاتِهِمْ» . وَرَوَاهُ النَّسَائِيُّ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ عَبْدِ الْعَزِيزِ بْنِ أَبِي رِزْمَةَ، عَنِ الْفَضْلِ بْنِ مُوسَى، عَنِ الْحُسَيْنِ بْنِ وَاقِدٍ، عَنْ يَحْيَى بْنِ عُقَيْلٍ الْخُزَاعِيِّ الْبَصْرِيِّ، عَنِ ابْنِ أَبِي أَوْفَى بِنَحْوِهِ.
وَقَالَ الْبَيْهَقِيُّ: أَنَا أَبُو عَبْدِ اللَّهِ الْحَافِظُ، ثَنَا أَبُو بَكْرٍ إِسْمَاعِيلُ بْنُ مُحَمَّدِ بْنِ إِسْمَاعِيلَ الْفَقِيهُ بِالرَّيِّ، ثَنَا أَبُو بَكْرٍ مُحَمَّدُ بْنُ الْفَرَجِ الْأَزْرَقُ، ثَنَا هَاشِمُ بْنُ الْقَاسِمِ، ثَنَا شَيْبَانُ أَبُو مُعَاوِيَةَ، عَنْ أَشْعَثَ بْنِ أَبِي الشَّعْثَاءِ، عَنْ أَبِي بُرْدَةَ، عَنْ أَبِي مُوسَى قَالَ: «كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَرْكَبُ الْحِمَارَ، وَيَلْبَسُ الصُّوفَ، وَيَعْتَقِلُ الشَّاةَ، وَيَأْتِي مُرَاعَاةَ الضَّيْفِ» . وَهَذَا غَرِيبٌ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ، وَلَمْ يُخْرِجُوهُ، وَإِسْنَادُهُ جَيِّدٌ.
পৃষ্ঠা - ৪৬২৩
বর্ণনা করা হয়েছে যে, রাসুলুল্পাহ্ (সা) বলেছেন, হে আল্লাহ্! মুহাম্মাদ পরিবারকে ন্যুনতম
পরিমাণ জীবনােপকরণ দান করুন ৷ আর ইয়াষীদ ইবন সিনান হযরত আবু সাঈদ সুত্রের
বরাতে ইবন মাজা যে হাদীসখানি রিওয়ায়াত করেছেন যে রাসুলুল্পাহ্ (সা) বলেছেন, হে
আল্লাহ্! আমাকে নিঃা দরিদ্র অবস্থায় বীচিয়ে রাখুন এবং নিঃা দরিদ্র অবস্থায় মৃত্যু দান করুন
এবং নিঃা-দরিদ্রের সাথে আমার হাশর করুন, তা যয়ীফ, এর সনদ সুসাব্যস্ত নয় ৷ কেননা,
এতে ইয়াষীদ ইবন সিনান নামক একজন অত্যন্ত দুর্বল রাবী রয়েছেন ৷ আল্লাহ্ই সম্যক
অবগত ৷ অবশ্য তিরমিঘী অন্য এক সনদে তা বর্ণনা করেছেন ৷ তিনি আবদুল আলা ইবন
ওয়াসিল কুফী আনাস (রা) সুত্রে হাদীসটি বর্ণনা করেছেন ৷ তাতে অতিরিক্ত আছে :
তখন আইশা (বা) প্রশ্ন করলেন, কেন ইয়৷ রাসুলাল্লাহ্ ? জবাবে তিনি বললেন, কেননা, তারা
তাদের ধনীদের চল্লিশ বছর পুর্বে জান্নাতে প্রবেশ করবে, হে আইশা ! মিসকীনকে শুন্য হাতে
ফিরিয়ে দেবে না, যদি একটি থেজুরের একাৎশ হলেও তাকে দিও ৷ হে আইশা,
নিঃা-দবিদ্রদের ডালবসেবে এবং তাদেরকে কছে টেনে নেবে; তাহলে কাল কিয়ামতের দিন
আল্লাহও তোমাকে নৈকট্য দান করবেন ৷ তারপর ইমাম তিরমিঘী মন্তব্য করেন, এটা গরীব’
শ্রেণীর হাদীস ৷ আমি বলি, উক্ত হাদীসের সনদে দৃর্বলতা, আর তার ভাবে অগহণযোগ্যতা
রয়েছে ৷ আর :নঠিক বিষয় আল্লাহ্ই ভাল জানেন ৷
ইমাম আহুমদ আবদুস সামাদ সুত্রে সাঈদ ইবন সা’দ থেকে বর্ণনা করেন যে,
(একবার) তাকে প্রশ্ন করা হল : তিনি কিাচক্ষে (ময়দা, ভুষিযুক্ত আটা) দেখেছিলেন ? তখন
তিনি বললেন যে, রাৰুসুলুল্লাহ্ (সা)াচক্ষে ময়দা দেখেন নি এমনাকি (এ অবস্থাংয়ই) তিনি
আল্লাহ্র দরবারে চলে যাঘুণ্ব্ ৷ তখন তাকে বলা হল, রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর আমলে কি আপনাদের
চালুনি ছিল ? তখন জবারুহ্ব্ তিনি বললেন, না সেকালে আমাদের কোন চালুনি ছিল না ৷
পুনরায় তাকে জিজ্ঞেস করা হৰু, তাহলে যব আপনারা কী করতেন ? জবাবে তিনি বললেন,
আমরা ভাঙানাে ও পেষা যবে ফু ক দিতাম তখন তার ভুসি যা উড়াৱ উড়ে যেত ৷ ইমাম
তিরমিঘী আবদুর রহমান ইবন আবদুল্লাহ ইবন দীনারের হাদীস সংগ্রহ থেকে এই সনদে
এভাবেই তা রিওয়ায়াত করেছেন এবং নীিাক্ত অংশ বৃদ্ধি করেছেন-এরপর আমরা তা বাতাসে
উড়িয়ে তার খামীর বানাতাম ৷৩ তারপর তিনি বলেন, হাদীসখানি হাসান সহীহ্’ ৷ আর আবু
হাযিম থেকে ইমাম মালিক তা বর্ণনা করেছেন ৷ আমি বলি, ইমাম বুখারী সাঈদ ইবন আবু
মরিয়াম সাহল ইবন সা’দ (রা) সুত্রে তা রিওয়ায়াত করেছেন ৷ এছাড়াও ইমাম বুখারী ও
নাসাঈ শায়বা ,সাহ্ল (রা) সুত্রে ঐ সনদে তা বর্ণনা করেছেন ৷ আর তিরমিঘী, আব্বাস
ইবন মুহাম্মাদ আছ ছাওরী সুলায়মান ইবন আমির, থেকে বর্ণনা করেন ৷ (তিনি বলেন)
আমি আবু উমামাকে (বা) বলতে শুনেছি, রাসুলুল্লাহ্ (সা)-এর পরিবারে যবের রুটিও বাড়তি
থাকত না ৷ তারপর তিনি হাদীসটিকে “হাসন সহীহ্ ন্ারীব্ব্ বলে মন্তব্য করেছেন ৷ ইমাম
আহমদ ইয়াহ্ইয়া ইবন সাঈদ আবু হাযিম সুত্রে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন, আমি
আবু হুরায়রা (রাকে তার হাতের আঙ্গুল দিয়ে একাধিকবার ইশারা করতে দেখেছি (এবং
বলতে শুনেছি) শপথ ঐ সভার, যার হাতে আবু হরায়রার প্রাণং সাধাকুহ৷ যবের রুটিও আল্লাহর
নবী ও তার পরিবারের লোকেরা ক্রমাগত তিন দিন পেট ভরে খেতে পাক্লো নি, এমনকি তিনি
দুনিয়া ছেড়ে চলে গেছেন ৷ ইমাম মুসলিম, তিরমিঘী ও ইবন মাজা ইয়াষীদ ইবন কায়সানের
— ১ ১
وَرَوَى مُحَمَّدُ بْنُ سَعْدٍ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ إِسْمَاعِيلَ بْنِ أَبِي فُدَيْكٍ، عَنْ مُوسَى بْنِ يَعْقُوبَ الزَّمْعِيِّ، عَنْ سَهْلٍ مَوْلَى غُنَيْمَةَ، أَنَّهُ كَانَ نَصْرَانِيًّا مِنْ أَهْلِ مَرِيسٍ، وَأَنَّهُ كَانَ فِي حِجْرِ عَمِّهِ، أَوْ أُمِّهِ قَالَ: «قَرَأْتُ يَوْمًا فِي مُصْحَفٍ لِعَمِّي فَإِذَا فِيهِ وَرَقَةٌ بِغَيْرِ الْخَطِّ، وَإِذَا فِيهَا نَعْتُ مُحَمَّدٍ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ؛ لَا قَصِيرٌ، وَلَا طَوِيلٌ، أَبْيَضُ ذُو ضَفِيرَتَيْنِ، بَيْنَ كَتِفَيْهِ خَاتَمٌ، يُكْثِرُ الِاحْتِبَاءَ، وَلَا يَقْبَلُ الصَّدَقَةَ، وَيَرْكَبُ الْحِمَارَ وَالْبَعِيرَ، وَيَحْتَلِبُ الشَّاةَ، وَيَلْبَسُ قَمِيصًا مَرْقُوعًا، وَمَنْ فَعَلَ ذَلِكَ فَقَدْ بَرِئَ مِنَ الْكِبْرِ، وَهُوَ مِنْ ذُرِّيَّةِ إِسْمَاعِيلَ، اسْمُهُ أَحْمَدُ. قَالَ: فَلَمَّا جَاءَ عَمِّي وَرَآنِي قَدْ قَرَأْتُهَا ضَرَبَنِي، وَقَالَ: مَا لَكَ وَفَتْحَ هَذِهِ؟ فَقُلْتُ: إِنَّ فِيهَا نَعْتَ أَحْمَدَ. فَقَالَ: إِنَّهُ لَمْ يَأْتِ بَعْدُ» .
وَقَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: ثَنَا إِسْمَاعِيلُ، ثَنَا أَيُّوبُ، عَنْ عَمْرِو بْنِ سَعِيدٍ، عَنْ
পৃষ্ঠা - ৪৬২৪
হাদীস সংগ্রহ থেকে হাদীসখানি রিওয়ায়াত করেছেন ৷ বুখারী ও মুসলিমে জারীর ইবন আবদুল
হামীদের হাদীস সংগ্রহ থেকে হযরত আইশার বরাতে বর্ণিত আছে যে, তিনি বলেছেন,
মদীনায় আগমনের পর থেকে তার পথে চলে যাওয়া পর্যন্ত মুহাম্মাদ পরিবারবর্গ গমের রুটিও
উপর্বুপরি তিনদিন পেট ভরে খাননি ৷ ইমাম আহমাদ হাশিম অইিশা সুত্রে বর্ণনা করেন
যে , তিনি বলেছেন, মুহাম্মাদ পরিবার তাকে উঠিয়ে নেয়া পর্যন্ত গমের রুটিও উপর্বুপরি তিন
দিন পেট ভরে খাননি এবং তাকে উঠিয়ে নেয়া পর্যন্ত তার দস্তরখানা থেকে কখনও কোন রুটির
টুকরো তুলে রাখার অবকাশ ঘটেনি ৷ ইমাম আহমদ মুহাম্মাদ ইবন উবায়দ হযরত
অইিশা সুত্রে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন, রাসুলুল্লাহ্ (সা) তার পথে চলে গেছেন কিন্তুং
তার পরিবারের লোকেরা উপর্বুপরি তিন দিন সাধারণ গমের রুটিও পেট ভরে খাননি ৷ ইমাম
আহমদ হাসান হযরত অইিশা সুত্রে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন, শপথ ঐ সত্তার,
যিনি মুহাম্মাদ (সা)-কে সত্যসহ প্রেরণ করেছেন, আল্লাহ তাকে নবী করার পর থেকে আমৃভ্যু
তিনি কখনও (আটার) চালুনি দেখেন নি এবং চালাদীআটার অর্থাৎ ময়দার রুটি খাননি ৷ রাবী
উরওয়া বলেন, আমি বললাম, কিভাবে আপনারা যব থেতেন ? তিনি বললেন, আমরা উফ্
বলতাম অর্থাৎ কুক দিয়ে তার ভুসি উড়িয়ে নিতাম ৷ এ সুত্রে হাদীসখানি ইমাম আহমাদের
একক বর্ণনা ৷
বুখারী মুহাম্মাদ ইবন কাহীর হযরত অইিশা সুত্রে বর্ণনা করেন যে , তিনি বলেছেন,
আমরা তাে পনের দিন পর একবার উট-বকরীর কিছু পা রান্না করে যেতে পারতাম ৷ আমি
বললাম, কেন আপনারা তা করতেন ? তখন তিনি হেসে বললেন, (বৎসা) মুহাম্মাদ (না)-এর
পরিবারবর্গ কখনও পেট পুরে ব্যঞ্জনসহ রুটি খাননি, এ অবস্থা চলতে চলতেই তিনি আল্লাহর
সাথে গিয়ে মিলিত হয়েছেন ৷ ইমাম আহমদ ইয়াইেয়া হযরত অইিশা সুত্রে বর্ণনা করেন
যে, তিনি বলেছেন, মুহাম্মাদ (না)-এর পরিবারে মাস অতিবাহিত হয়ে যেত, কিন্তু তাদের চুলা
জ্বালানাে হত না, শুধু খেজুর আর পানিই ছিল তাদের সম্বল , তবে কখনও যদি গোশত আসত
তাহলে চুলায় আগুন জ্বলত ৷ বুখারী ও মুসলিমে হিশাম ইবন উরওয়া অইিশা (রা)-এর সুত্রে
বর্ণিত আছে যে, তিনি বলেছেন, আমরা মুহাম্মাদ (সা)-এর পরিবারবর্গ এমন ছিলাম যে,
আমাদের মাস অতিবাহিত হয়ে যেত কিন্তু আমরা চুলা জ্বালাতড়াম না ৷ শুধুমাত্র খেজুর ও
পানিই ছিল আমাদের সম্বল ৷ তবে আমাদের আশেপাশের আনসার প্রতিবেশীরা তাদের উট বা
বকরীর দুধ রাসুলুল্লাহ্ (সা)-এর খিদমতে পাঠিয়ে দিতেন, তখন তিনি নিজে পান করতেন
এবং আমাদেরকেও সেই দুধ থেকে পান করাতেন ৷ ইমাম আহমদ বুরায়দা হযরত অইিশা
সুত্রে অনুরুপ রিওয়ায়াত করেছেন ৷ ইমাম আহমদ আবদুল্লাহ উরওয়া ইবন যুবায়র সুত্রে
বর্ণনা করেন যে , তিনি হযরত অইিশাকে বলতে শুনেছেন, আমাদের মাসের পর মাস
অতিবাহিত হয়ে যেত, কিন্তু রাসুট্রণুল্লাহ্ (না)-এর কোন গৃহে আগুন জ্বাত না ৷ তিনি (উরওয়া)
বলেন, আমি বললাম, খালাম্মা ৷ তাহলে আপনারা কী থেয়ে জীবন ধারণ করতেন ? তিনি
বললেন, শুধু খেজুর আর পানির উপর চলতো ৷ এটি ইমাম আহমদের একক বর্ণনা ৷ আবু
দাউদ তায়ালিসী শু’বা অইিশা (রা) সুত্রে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন, মৃত্যুর পুর্ব
পর্যন্ত রাসুলুল্পাহ্ (সাটুৰু কখনও ক্রমাগত দুই দিন তৃপ্তির সাথে যবের রুটিও খান নি ৷ শুবার
হাদীস সংগ্রহ থেকে মুসলিম তা রিওয়ায়াত করেছেন ৷ ইমাম আহমদ, আবদুল্লাহ হযরত
أَنَسٍ قَالَ: «مَا رَأَيْتُ أَحَدًا كَانَ أَرْحَمَ بِالْعِيَالِ مِنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ» . وَذَكَرَ الْحَدِيثَ. وَرَوَاهُ مُسْلِمٌ، عَنْ زُهَيْرِ بْنِ حَرْبٍ، عَنْ إِسْمَاعِيلَ بْنِ عُلَيَّةَ بِهِ.
وَقَالَ التِّرْمِذِيُّ فِي " الشَّمَائِلِ ": ثَنَا مَحْمُودُ بْنُ غَيْلَانَ، ثَنَا أَبُو دَاوُدَ، عَنْ شُعْبَةَ، عَنِ الْأَشْعَثِ بْنِ سُلَيْمٍ قَالَ: سَمِعْتُ عَمَّتِي تُحَدِّثُ عَنْ عَمِّهَا قَالَ: «بَيْنَا أَنَا أَمْشِي بِالْمَدِينَةِ إِذَا إِنْسَانٌ خَلْفِي يَقُولُ " ارْفَعْ إِزَارَكَ فَإِنَّهُ أَتْقَى وَأَبْقَى ". فَإِذَا هُوَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَلْتُ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، إِنَّمَا هِيَ بُرْدَةٌ مَلْحَاءُ. قَالَ: " أَمَا لَكَ فِيَّ أُسْوَةٌ؟» فَنَظَرْتُ، فَإِذَا إِزَارُهُ إِلَى نِصْفِ سَاقَيْهِ.
ثُمَّ قَالَ: ثَنَا سُوِيدُ بْنُ نَصْرٍ، ثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ الْمُبَارَكِ، عَنْ مُوسَى بْنِ عُبَيْدَةَ، عَنْ إِيَاسِ بْنِ سَلَمَةَ، عَنْ أَبِيهِ قَالَ: «كَانَ عُثْمَانُ بْنُ عَفَّانَ يَأْتَزِرُ إِلَى أَنْصَافِ سَاقَيْهِ، قَالَ: وَقَالَ: هَكَذَا كَانَتْ إِزْرَةُ صَاحِبِي صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ» .
وَقَالَ أَيْضًا: ثَنَا يُوسُفُ بْنُ عِيسَى، ثَنَا وَكِيعٌ، ثَنَا الرَّبِيعُ بْنُ صَبِيحٍ، ثَنَا يَزِيدُ بْنُ أَبَانٍ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ قَالَ: «كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يُكْثِرُ الْقِنَاعَ، كَأَنَّ ثَوْبَهُ ثَوْبُ زَيَّاتٍ» . وَهَذَا فِيهِ غَرَابَةٌ وَنَكَارَةٌ. وَاللَّهُ أَعْلَمُ.
পৃষ্ঠা - ৪৬২৫
আইশা সুত্রে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন, এক রাত্রে আবু বকর পরিবার একটি বকরীর
রান (রান্না করা) পাঠান, তখন আমি সেটা ধরলাম আর রাসুলুল্লাহ্ (সা) সেটা কাটালেন,
অথবা আইশা বলেন, রাসুলুল্লাহ্ (না) সেটা ধরলেন আর আমি সেটা কাটলাম ৷ তিনি বলেন,
এই কাটার কাজ ছিল কোন বাতি ছাড়া ৷ অন্য রিওয়ায়াতে আছে, যদি আমাদের কাছে কোন
বাতি থাকত (অর্থাৎ বাতির তেল) তাহলে আমরা তাই ব্যঞ্জনরুপে ব্যবহার করতড়াম ৷
হুমায়দ ইবন হিলাল বলেন, হযরত আইশা (আরো) বলেন, মুহাম্মাদ (না)-এর মাস
অতিবাহিত হয়ে যেত, কিন্তু তারা কোন রুটি বানাতেন না; কোন পারে কোন কিছু রান্নাও
করতেন না ৷ আর এটি তিনি বাহ্য ইবন আসাদ থেকে রিওয়ায়াত করেছেন ৷ এক রিওয়ায়াতে
এক মাসের স্থলে দুই মাসের কথা উল্লেখিত আছে ৷ হাদীসটি ইমাম আহমাদের একক বর্ণনা ৷
ইমাম আহমদ খলুফ হযরত আবু হুরায়রা সুত্রে বর্ণনা করেছেন যে, তিনি বলেছেন,
(মাঝে মাঝে) রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর পরিবারে মাসের পর মাস অতিবাহিত হয়ে যেত; কিন্তু
তারা তাদের ঘরে না কোন রুটি বানাতেন, না কিছু পাক করতেন ৷ লোকেরা জিজ্ঞেস করল,
হে আবু হুরায়রা! তাহলে তারা কী খেয়ে জীবন ধারণ করতেন ? তিনি বললেন, দুটি কালো
বস্তু থেজুর ও পানি ৷ তবে তাদের কতক আনসার প্রতিবেশী ছিলেন-আল্লাহ্ তাদেরকে উত্তম
প্রতিদান দিন! যাদের দুধের উটনী ছিল, মাঝে মাঝে তারা তাদের কাছে কিছু দুধ পাঠিয়ে
দিতেন ৷ এটি আহমদের একক বর্ণনা ৷ সহীহ্ মুসলিমে মড়ানসুর ইবন আবদুর রহমানের হাদীস
সংগ্রহ থেকে হযরত আইশার বরাতে বর্ণিত আছে যে, তিনি বলেছেন, রাসুলুল্পাহ্ (সা) যখন
ইন্তিকাল করেন তখন লোকেরা কেবল দু’টি কাল বস্তু-থেজুর ও পানি দ্বারা তৃপ্ত হতেন ৷ ইবন
মাজা সুয়ায়দ ইবন সাঈদ সুত্রে আবু হুরায়রা সুত্রে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন,
একদিন রাসুলুল্পাহ্ (না)-এর কাছে গরম গরম খাবার আনা হল, যখন তিনি তা খেয়ে অবসর
হলেন তখন আলহামদুলিল্লাহ্ বলার পর বললেন, এত এত দিন পর্যন্ত আমার পেটে কোন গরম
খাদ্য পড়েনি ৷ ইমাম আহমদ, আবদুস সামাদ হযরত আনাস ইবন মালিক সুত্রে বর্ণনা
করেন যে, (একবার) হযরত ফাতিমা (রা) রাসুলুল্লাহ্ (সা)একে যবের রুটির একটি টুকরো
থেতে দিলেন ৷ তখন তিনি বললেন, তিন দিনের মাঝে এটাই প্রথম পাক করা খাবার, যা
তেমাের পিতা থেল ৷ এটি ইমাম আহমদের একক বর্ণনা ৷
ইমাম আহমদ, ইমাম তিরমিযী ও ইবন মাজা ইবন আব্বাস (রা) থেকে বর্ণনা
করেন যে, রাসুলুল্লাহ্ (না) উপর্বুপরি কয়েক রাত্র ক্ষুধার্ত থাকতেন আর তার
পরিবার-পরিজনের কোন রাতের খাবার থাকত না ৷ আর সচরাচর তাদের রুটি হত যবের
তৈরী-এই শব্দমালা ইমাম আহমদের ৷ ইমাম তিরমিযী তার শামইিলে’ আবদুল্লাহ ইবন
আবদুর রহমান আদ দারিমী আবদুল্লাহ ইবন সালামের পুত্র ইউসুফ থেকে বর্ণনা করেন
যে, তিনি বলেছেন, আমি রাসুলুল্লাহ্ (না)-কে দেখলাম তিনি এক টুকরো যবের রুটি নিলেন
এবং তার উপর একটি খেজুর রেখে বললেন, এটা হল ওটড়ার ব্যঞ্জন ৷ তারপর তিনি তা খেয়ে
নিলেন ৷ যুহরীর হাদীস সংগ্রহ থেকে হযরত আইশার বরাতে বুখারী ও মুসলিম শরীফে আছে;
তিনি (আইশা) বলেন, রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর কাছে সবচেয়ে প্রিয় পানীয় ছিল যা ঠাণ্ডা ও মিষ্ট
হতো ৷ বুখারী কাতাদার হাদীস সংগ্রহ থেকে হযরত আনাসের বরাতে উল্লেখ করেছেন যে,
তিনি বলেছেন, রাসুলুল্লাহ্ (সা) তার ওফাতের পুর্বে কখনও (নিজগৃহে) চাপাতি রুটি কিৎবা
وَرَوَى الْبُخَارِيُّ، عَنْ عَلِيِّ بْنِ الْجَعْدِ، عَنْ شُعْبَةَ، عَنْ سَيَّارٍ أَبِي الْحَكَمِ، عَنْ ثَابِتٍ، عَنْ أَنَسٍ «أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَرَّ عَلَى صِبْيَانٍ يَلْعَبُونَ فَسَلَّمَ عَلَيْهِمْ.» وَرَوَاهُ مُسْلِمٌ مِنْ وَجْهٍ آخَرَ، عَنْ شُعْبَةَ.
পৃষ্ঠা - ৪৬২৬
নিজ চোখে ভুনা বকরী দেখেছেন বলে আমার জানা নেই ৷ তারই বরাতে বর্ণিত বুখারীরই
অপর একটি রিওয়ায়াতে রয়েছে : রাসুলুল্পাহ্ (সা) কখনও খাঞ্চায় কিংবা তশত তে আহার
করেননি এবং৩ তার জন্য কখনও চাপাতি রুটি বানানো হয়নি ৷ তখন আমি (কাতাদা)
আনাসকে বললাম, তাহলে তারা কিসে খেতে ন ? তখন তিনি বললেন, এই সকল সাধারণ
দস্তরখানে ৷ এছাড়াও কাতাদার হাদীস সংগ্রহ থেকে হযরত আনাস সুত্রে তার (ইমাম বুখারীর)
বর্ণিত হাদীসে রয়েছে যে, তিনি রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর কাছে যবের রুচি ও গরম চর্বি নিয়ে
গেলেন ৷ আর ইতিপুর্বে তিনি পোষ্য পরিজনের জন্য যবের বিনিময়ে জনৈক ইয়াহুদীর কাছে
তার বর্ম বন্ধক রেখেছিলেন ৷ আর একদিন আমি তাকে বলতে শুনেছি, মুহাম্মাদ (না)-এর
পরিবারের কাছে কখনও এক সা’১ পরিমাণ খেজুর কিৎবা এক সা” পরিমাণ শস্যদানা মজুদ
থাকেনি ৷ ইমাম আহমদ, আফ্ফান আনাস ইবন মালিক সুত্রে বর্ণনা করেন যে,
অতিথিদের ভিড়ের পরিস্থিতি ব্যতীত রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর কখনও দুপুর ও রাতের দু’বেলা রুচি
ও গোশতের খাবার জুটেনি ৷ ইমাম তিরমিযী তার শামাইল’-এ আবদুল্লাহ ইবন আবদুর
রহমান সুত্রে হাদীসখানি রিওয়ায়াত করেছেন ৷ আর এ সনদটি বুথারী ও মুসলিমের
শর্তানুযায়ী ৷ আবু দাউদ তায়ালিসী ও ’ব৷ সিমাক ইবন হাবৃব সুত্রে বর্ণনা করেন যে, তিনি
বলেছেন, আমি নুমান ইবন বশিরকে বলতে শুনেছি, তিনি বলেন, (একবার) আমি উমর
ইবনুল খাত্তাবকে খুৎবা দিতে শুনলাম, তখন তিনি তার সময়ে আল্লাহ্ মানুষকে যে সম্পদ ও
প্রাচুর্ষ দান করেছেন তার উল্লেখ করলেন ৷৩ তারপর বললেন, আমি তাে রাসুলুল্লাহ্ (সা) ণ্ক
ক্ষুধার তাড়নায় কুকড়ে যেতে দেখেছি, পেট ভরার মত দাকাল’২ খেজুরও৩ তার জুটাতা না ৷
ও বার হাদীস সংগ্রহ থেকে মুসলিম তা বর্ণনা করেছেন ৷ সহীহ্ বুখারীতে রয়েছে যে, (একবার)
হযরত আবু তালহ৷ তার ত্রীকে বললেন, হে উম্মু সুলায়ম! আমি রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর স্বরে
ক্ষুধার আভাস পেলাম ৷ আর হাদীসখানি দালাইলুন্ নবুওয়্যা গ্রন্থে এবং আবুল হায়ছাম ইবন
তায়হান এর কাহিনীতে আসছে যে (একবার) হযরত আবু বকর ও উমর ক্ষুধার তাড়নায়
বাড়ি থেকে বের হলেন, এমন সময় হঠাৎ রাসুলুল্লাহ্ (সা) বের হলেন, তখন তিনি তাদেরকে
জিজ্ঞেস করলেন, কী তোমাদের ঘর-ছাড়৷ করল ? তারা বললেন, ক্ষুধা ৷ তখন তিনি বললেন,
শপথ ঐ সভার, যার কুদরতি ৩হাতে আমার প্রাণ, ণ্তামাদেরাক যা ঘর ছাড়া করেছে আমাকেও
তাই ঘর ছাড়া করেছে ৷ এরপর তারা সকলে হায়ছাম ইবন তায়হানের বাগানে গেলেন, তখন
তিনি তাদেরকে গাছপালা (তরতাজা) খেজুর খাওয়ালেন এবং তাদের জন্য একটি বকরীও
জবাই করলেন, তখন তারা তা খেলেন এবং ঠাণ্ডা পানিও পান করলেন ৷ এ সময় নবীজী
বললেন, এই হল এ নিআমত যে সম্পর্কে তোমরা জিজ্ঞাসিত হবে ৷
ইমাম তিরমিযী আবদৃল্লাহ্ আবু যিয়াদ সুত্রে হযরত আবু তালহ৷ থেকে বর্ণনা করেন ৷
একবার আমরা রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর কাছে ক্ষুধার অনুযােগ করে আমাদের পেটে বাধা একটি
পাথর বের করে দেখালাম, তখন নবীজী তার পেটে বাধা দু’টি পাথর আমাদেরকে দেখালেন ৷
তারপর তিনি বলেন, হাদীসখানি গরীব ৷
১ অতি নিকৃষ্ট ও নিম্নমানের খেজুর ৷-অনুবাদক সােয়৷ তিন কেজি পরিমাণ ৷ ষ্সম্পাদক
২ ব্যক্তিগত জীবনে কৃচ্ছতাপালনকারী হলেও অতিথিদের আগমণে নবীগৃহে গোশতের ব্যবস্থা করা
হতো ৷-জালালাবাদী (সম্পাদক)
[ذِكْرُ مِزَاحِهِ عَلَيْهِ الصَّلَاةُ وَالسَّلَامُ]
قَالَ ابْنُ لَهِيعَةَ حَدَّثَنِي عُمَارَةُ بْنُ غَزِيَّةَ، عَنْ إِسْحَاقَ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي طَلْحَةَ، عَنْ أَنَسٍ قَالَ: «كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِنْ أَفْكَهِ النَّاسِ مَعَ صَبِيٍّ.» وَقَدْ تَقَدَّمَ حَدِيثُهُ فِي مُلَاعَبَتِهِ أَخَاهُ أَبَا عُمَيْرٍ، وَقَوْلُهُ: «أَبَا عُمَيْرٍ، مَا فَعَلَ النُّغَيْرُ؟» يُذَكِّرُهُ بِمَوْتِ نُغَرٍ كَانَ يَلْعَبُ بِهِ؛ لِيُخْرِجَهُ بِذَلِكَ، كَمَا جَرَتْ بِهِ عَادَةُ النَّاسِ مِنَ الْمُدَاعَبَةِ مَعَ الْأَطْفَالِ الصِّغَارِ.
وَقَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: ثَنَا خَلَفُ بْنُ الْوَلِيدِ، ثَنَا خَالِدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ، عَنْ حُمَيْدٍ الطَّوِيلِ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، «أَنَّ رَجُلًا أَتَى النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَاسْتَحْمَلَهُ، فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " إِنَّا حَامِلُوكَ عَلَى وَلَدِ نَاقَةٍ " فَقَالَ: يَا رَسُولَ اللَّهِ مَا أَصْنَعُ بِوَلَدِ نَاقَةٍ؟ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " وَهَلْ تَلِدُ الْإِبِلَ إِلَّا النُّوقُ!» . وَرَوَاهُ أَبُو دَاوُدَ عَنْ وَهْبِ بْنِ بَقِيَّةَ، وَالتِّرْمِذِيِّ عَنْ قُتَيْبَةَ، كِلَاهُمَا عَنْ خَالِدِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ الْوَاسِطِيِّ الطَّحَّانِ بِهِ. وَقَالَ التِّرْمِذِيُّ: صَحِيحٌ غَرِيبٌ.
পৃষ্ঠা - ৪৬২৭
হিশাম ইবন উরওয়ার হাদীস সংগ্রহ থেকে হযরত আইশার বরাতে বুখারী ও মুসলিমে
রয়েছে যে, (একবার) তাকে রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর বিছানা সম্পর্কে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি
বললেন, তা ছিল খেজুর গাছের আশ ভর্তি চামড়ার তােষক ৷ হাসান ইবন আরাফা হযরত
আইশা সুত্রে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন, (একবার) জনৈক আনাসারী নারী আমার কক্ষে
প্রবেশ করল, তখন সে রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর বিছানা দেখল, আর তা ছিল দু ভাজ করা আবা১
তখন স্লে গিয়ে তৎক্ষণাৎ আমার কাছে পশম ভর্তি একটি তােষক পাঠিয়ে দিল ৷ এরপর
রাসুলুল্লাহ্ (না) আমার কক্ষে প্রবেশ করে বললেন, হে আইশা! এটা কী ? আইশা বলেন,
আমি বললাম, ইয়া রাসুলাল্লাহ্৷ অমুক আনসারী নারী আমার কাছে এসেছিল, যে আপনার
বিছানা দেখেগ্ গিয়ে আমার কাছে এটা পাঠিয়ে দিয়েছে ৷ তখন তিনি বললেন, তৃমি তা ফিরিয়ে
দাও ৷ আইশা বলেন, কিন্তু আমি তা ফেরত পাঠালাম না আমার গৃহে৩ তা থাকবে এ বিষয়টি
আমার কাছে মোহনীয় ঠেকেছিল ৷ এমনকি তিনি তা তিনবার বললেন ৷ আইশা বলেন, তখন
তিনি বললেন, হে আইশা তৃমি তা ফিরিয়ে দাও আল্লাহর কসম আমি যদি চাইতাম তাহলে
আল্লাহ্ আমার সাথে সাথে স্বর্ণ ও রৌগ্যের পাহাড় চা ৷লিত করতেন ৷ তিরমিযী তার শামইিলে
আবুল খাত্তাব জাফর ইবন মুহাম্মাদের পিতা সুত্রে বর্ণনা করেন যে,৩ তিনি বলেছেন,
একবার আইশা (রা)-কে জিজ্ঞাসা করা হল, আপনার গৃহে নবীজীর বিছানা কী ছিল ? জবাবে
তিনি বলেন, খেজুর গাছের আশ ভর্তি চামড়ার তােষক ৷ আর হযরত হাফসাকে জিজ্ঞাসা করা
হল : রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর বিছানা কী ছিল ? তিনি বললেন, তা ছিল একটি পশযী জুব্বা,
যাকে আমরা দু ভাজ করে দিতাম এবং তিনি তার উপর ঘুমাতেন ৷ এরপর কোন এক রাত্রে
আমি ভাবলাম, আমি যদি এটিকে চারর্ভাজ করে দিই তাহলে তা আরো ণ্কামল ও
আরামদায়ক হবে ৷ এরপর আমরা তার জন্য তা চার ভীজ করে বিছিয়ে দিলাম ৷ তারপর (সে
বিছানায় রাত্রে শ্যেয়ার পর) সকালে তিনি বললেন, গতরাত্রে তোমরা আমাকে কী বিছিয়ে
দিয়েছিলে ? হাফসা বলেন, আমরা বললাম, তা আপনারই বিছানা, তবে আমরা তা চার র্ভাজ
করে দিয়েছিলাম ৷ আমরা বললাম, তা আপনার জন্য কােমলতর ৷ তিনি বললেন, তাকে
পুর্বাবস্থায় ফিরিয়ে দাও ৷ কেননা তার কােমলতা গত রাত্রে আমাকে তাহাজ্জ্বদ থেকে বিরত
রেখেছে ৷ তাবারানী মুহাম্মাদ ইবন আবান হাকীম ইবন হিযাম সুত্রে বর্ণনা করেন ৷ তিনি
বলেছেন যে, একবার আমি ইয়ামানে গিয়েছিলাম, সেখানে আমি যী-য়াযানের জোড়া পোশাক
খরিদ করলাম এরপর তা রাসুলুল্লাহ্ (সা) এব কাছে উপচৌকনরুপে পাঠালাম, কিন্তু তিনি তা
ফিরিয়ে দিলেন ৷ এরপর আমি তা বিক্রি করতে চাইলে তিনি তা খরিদ করে নিলেন, এরপর
তা পরিধান করে তার সাহাবীগণের কাছে আসলেন ৷ এই পােশাকে তার চেয়ে সুন্দর কাউকে
আমি দেখিনি ৷ তখন আমি আত্মসংব বরণ করতে না পেরে আবৃত্তি করলাম
০ :
,াদ্বুন্১, ও,ছু ;,ৰু
ললাটের২ ও পায়ের শুভ্রতা সুস্পষ্টরুপে প্রকাশ পাওয়ার পর বিচারকগণ আর অশ্বেব
শ্রেষ্ঠত্বে র ব্যাপারে কি রায় প্রদান করবেন ৷
১ হাতাবিহীন ঢিলেঢালা আলখেল্লা বিশেষ ৷
২ ললাট ও পায়ে শুভ্র চিহ্ন থাকা ঘোড়ার সদ্বৎশজাত হওয়ার প্রমাণ ৷-অনুবাদক
وَقَالَ أَبُو دَاوُدَ فِي هَذَا الْبَابِ: ثَنَا يَحْيَى بْنُ مَعِينٍ، ثَنَا حَجَّاجُ بْنُ مُحَمَّدٍ، ثَنَا يُونُسُ بْنُ أَبِي إِسْحَاقَ، عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ، عَنِ الْعَيْزَارِ بْنِ حُرَيْثٍ، عَنِ النُّعْمَانِ بْنِ بَشِيرٍ قَالَ: «اسْتَأْذَنَ أَبُو بَكْرٍ عَلَى النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَسَمِعَ صَوْتَ عَائِشَةَ عَالِيًا عَلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَلَمَّا دَخَلَ تَنَاوَلَهَا لِيَلْطِمَهَا، وَقَالَ: أَلَا أَرَاكِ تَرْفَعِينَ صَوْتَكِ عَلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ. فَجَعَلَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَحْجِزُهُ، وَخَرَجَ أَبُو بَكْرٍ مُغْضَبًا، فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ حِينَ خَرَجَ أَبُو بَكْرٍ: " كَيْفَ رَأَيْتِنِي أَنْقَذْتُكِ مِنَ الرَّجُلِ؟ " فَمَكَثَ أَبُو بَكْرٍ أَيَّامًا، ثُمَّ اسْتَأْذَنَ عَلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَوَجَدَهُمَا قَدِ اصْطَلَحَا، فَقَالَ لَهُمَا: أَدْخِلَانِي فِي سِلْمِكُمَا كَمَا أَدْخَلْتُمَانِي فِي حَرْبِكُمَا. فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ " قَدْ فَعَلْنَا قَدْ فَعَلْنَا» .
ثُمَّ قَالَ أَبُو دَاوُدَ: ثَنَا مُؤَمَّلُ بْنُ الْفَضْلِ، ثَنَا الْوَلِيدُ بْنُ مُسْلِمٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الْعَلَاءِ، عَنْ بُسْرِ بْنِ عُبَيْدِ اللَّهِ، عَنْ أَبِي إِدْرِيسَ الْخَوْلَانِيِّ، عَنْ عَوْفِ بْنِ مَالِكٍ الْأَشْجَعِيِّ قَالَ: «أَتَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي غَزْوَةِ تَبُوكَ وَهُوَ فِي قُبَّةٍ مَنْ أَدَمٍ، فَسَلَّمْتُ فَرَدَّ وَقَالَ: " ادْخُلْ ". فَقُلْتُ: أَكُلِّي يَا رَسُولَ اللَّهِ؟ فَقَالَ: " كُلُّكَ ". فَدَخَلْتُ.» .
পৃষ্ঠা - ৪৬২৮
আর যখন তারা তার বীরত্বের যথার্থত৷ পরিমাপ করে তখন তিনি অপ্রতিহত রক্ত
প্রবাহিত কারী তরবড়ারির গুণে তাদেরকে ছাড়িয়ে যান ৷
তখন নবীজী তা শুনে আমার দিকে তাকিয়ে মুচকি হাসলেন, তারপর ঘরে নিয়েত
হযরত উমামা ইবন যায়দকে পরিয়ে দিলেন ৷
ইমাম আহমদ, হুসায়ন ইবন আলী হযরত উম্মু সালামা সুত্রে বর্ণনা করেন যে,
তিনি বলেছেন, (একবার) বিবর্ণ ও ভারী চেহারা নিয়ে রাসুলুল্লাহ্ (সা) আমার কাছে আসলেন ৷
তিনি (উম্মু সালামা) বলেন, আমি ধারণা করলাম, তা কোন ব্যথার কারণে হয়ে থাকবে ৷ তখন
আমি তাকে বললাম, ইয়৷ রাসুলাল্লাহ্া৩৷ আপনার চেহারা বিবর্ণ ও ভারী দেখছি এটা কি কোন
ব্যথার কারণে ? তখন তিনি বললেন, না বরং ঐ সাতটি দীনার যা আমাকে গতকাল দেয়া
হয়েছে অথচ আমি তা এখনও ব্যয় করিনি তােষকের নীচের এক প্রান্তে রেখে আমি তা ভুলে
গিয়েছি ৷ এটি ইমাম আহমদের একক বর্ণনা ৷ ইমাম আহমদ আবু সালামা আবু উমামা
ইবন সাহ্ল সুত্রে বর্ণনা করেন যে তিনি বলেছেন (একবার) আমি এবং উরওয়৷ ইবন যুবায়র
হযরত আইশার কক্ষে প্রবেশ করলাম, তখন তিনি বললেন তোমরা যদি নবী করীম (স ) কে
একদিন তার মৃত্যু শয্যায় দেখতে তিনি বলেন, আমার কাছে তার ছয়টি দীনার রাখা ছিল
(রাবী মুস৷ বিন জুবায়র বলেন, অথবা সাত ঢি) আইশা বলেন, তখন রাসুলুল্লাহ (সা) আমাকে
সেগুলো বিলিয়ে দেয়ার নির্দেশ দিলেন ৷ তিনি বলেন, কিন্তু ইতিমধ্যে নবীজীর ব্যথা ও অসুস্থতা
আমাকে ব্যস্ত রাখল এবং পরিশেষে আল্লাহ্ত তাকে আরোগ্য দান করলেন ৷ আইশা বলেন,
এরপর তিনি আমাকে সে সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলেন, তিনি বললেন, ছয় দীন৷ ৷রের অথবা সাত
দীনারের কী হল ? আমি বললাম, না আল্লাহর কসমৰু (আমি তা বিলাতে পারিনি) আপনার
অসুস্থতা আমাকে তা থেকে বিরত রেখেছিল ৷ তিনি বললেন, তখন তিনি তা আনালেন এবং
তা হাতে ধারণ করে বললেন, আল্লাহর নবীর কী ধারণা, যদি যে এগুলি নিজের কাছে রেখে
আল্লাহর সাথে সাক্ষাৎ করে ? (তখন আল্লাহর কাছে কী জবাব হবে ?) এটি ইমাম আহমদের
একক বর্ণনা ৷
কুতায়বা জাফর ইবন সুলায়মান আনাস সুত্রে বর্ণনা করেন ৷ তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ্
(সা ) কোন কিছু আগামীকালের জন্য মজুদ করতেন না ৷ এই হাদীসখানি বুখারী ও মুসলিম
শরীফেও বিদ্যমান ৷ মর্মার্থ হল দ্রুত নষ্ট হয়ে যায় এমন কিছু তিনি আগামীকালের জন্য মজুদ
করতেন না, যেমন খাবার (রান্না করা) ও এ জাতীয় দ্রব্য ৷ এর প্রমাণ বুখারী ও মুসলিমে
হযরত উমর সুত্রে বর্ণিত রয়েছে যে, তিনি বলেন, বানু নড়াযীরের যে সম্পদ আল্লাহ তার
রাসুলকে মুসলমানদের অশ্ব বা উষ্ট্ৰ বাহিনীর আক্রমণ ছাড়ইি দান করেছিলেন, সেখান থেকে
তিনি পোয্যপরিজনের এক বছরের থােরাকী-খরচ৷ পৃথক করে ব্লেখেছিলেন ৷ তারপর যা
অবশিষ্ট ছিল তা যুদ্ধের বাহন ও অস্ত্র সংগ্রহে আল্লাহর রাহে জিহাদের প্রস্তুতি-উপকরণ
করেছিলেন ৷ ইমাম আহমদের পরবর্তী রিওয়ায়ড়া৩ টিও আমাদের উল্লেখিত রিওয়ায়াতের
সমর্থক ৷ আহমদ মারওয়ান ইবন যুআবিয়৷ হিলাল ইবন সুওয়ায়দ সুত্রে বর্ণনা করেন
যে, তিনি বলেছেন, আমি আনাস ইবন মালিককে বলতে শুনেছি (একবার) রাসুলুল্লাহ্
وَحَدَّثَنَا صَفْوَانُ بْنُ صَالِحٍ، ثَنَا الْوَلِيدُ، ثَنَا عُثْمَانُ بْنُ أَبِي الْعَاتِكَةِ، إِنَّمَا قَالَ: أَدْخُلُ كُلِّي؟ مِنْ صِغَرِ الْقُبَّةِ.
ثُمَّ قَالَ أَبُو دَاوُدَ: ثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ مَهْدِيٍّ، ثَنَا شَرِيكٌ، عَنْ عَاصِمٍ، عَنْ أَنَسٍ قَالَ: قَالَ لِي رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ «يَا ذَا الْأُذُنَيْنِ» .
قُلْتُ: وَمِنْ هَذَا الْقَبِيلِ مَا رَوَاهُ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: ثَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ:، ثَنَا مَعْمَرٌ، عَنْ ثَابِتٍ، عَنْ أَنَسٍ، «أَنَّ رَجُلًا مِنْ أَهْلِ الْبَادِيَةِ كَانَ اسْمُهُ زَاهِرًا، وَكَانَ يُهْدِي لِلنَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ الْهَدِيَّةَ مِنَ الْبَادِيَةِ، فَيُجَهِّزُهُ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِذَا أَرَادَ أَنْ يَخْرُجَ، فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ " إِنَّ زَاهِرًا بَادِيَتُنَا، وَنَحْنُ حَاضِرُوهُ ". وَكَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يُحِبُّهُ، وَكَانَ رَجُلًا دَمِيمًا، فَأَتَاهُ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَوْمًا وَهُوَ يَبِيعُ مَتَاعَهُ فَاحْتَضَنَهُ مِنْ خَلْفِهِ وَهُوَ لَا يُبْصِرُهُ، فَقَالَ الرَّجُلُ: أَرْسِلْنِي، مَنْ هَذَا؟ فَالْتَفَتَ فَعَرَفَ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَجَعَلَ لَا يَأْلُو مَا أَلْصَقَ ظَهْرَهُ بِصَدْرِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ حِينَ عَرَفَهُ، وَجَعَلَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ: " مَنْ يَشْتَرِي الْعَبْدَ؟ " فَقَالَ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، إِذَنْ وَاللَّهِ تَجِدُنِي كَاسِدًا. فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " لَكِنَّ عِنْدَ اللَّهِ لَسْتَ بِكَاسِدٍ " أَوْ قَالَ: " لَكِنَّ عِنْدَ اللَّهِ أَنْتَ غَالٍ» وَهَذَا إِسْنَادٌ رِجَالُهُ كُلُّهُمْ ثِقَاتٌ عَلَى شَرْطِ " الصَّحِيحَيْنِ "، وَلَمْ يَرْوِهِ إِلَّا التِّرْمِذِيُّ فِي " الشَّمَائِلِ "، عَنْ إِسْحَاقَ بْنِ
পৃষ্ঠা - ৪৬২৯
(না)-এর জন্য তিনটি (ভুনা করা) পাখি হাদিয়া আসল ৷ তখন তিনি তার খাদিমকে একটি
খাওয়ালেন ৷ পরদিন তিনি (সম্ভবত আইশা রা) অবশিষ্ট (পাখি) তড়াকে পরিবেশন করলেন ৷
তখন রাসুলুল্লাহ্ (সা) র্তাকে বললেন, আমি কি তোমাকে আগামী দিনের জন্য কোন কিছু
(খাবার) উঠিয়ে রাখতে নিষেধ করিনি ? কেননা, আল্লাহ্ র্তাআলা প্রতিটি আগামী দিনের
রিযিক (পৃথকভাবে) দান করে থাকেন ৷
এ প্রসঙ্গে হযরত বিলালেৱ হাদীস
ইমাম বায়হাকী, আবুল হুসায়ন ইবন বুশরান আবু হুরায়রা সুত্রে বর্ণনা করেন যে,
(একবার) বাসুলুল্লাহ্ (সা) হযরত বিলালেৱ কক্ষে প্রবেশ করে তার কাছে থেজুরের কয়েকটি
দ্ভুপ দেখতে পেয়ে বললেন, হে বিলাল! এ কী ? বিলাল বললেন, এগুলি খেজুর, আমি মজুদ
করছি ৷ তিনি বললেন, তোমার সর্বনাশ আসন্ন, বিলাল! তুমি কি ভয় করো না যে, এগুলোর
জন্য জাহান্নড়ামে (তোমার জন্য) প্রজ্জ্বলিত সমুদ্র সৃষ্টি হবে ? হে বিলাল ! (দান সদকার মাধ্যমে)
ব্যয় করতে থাক এবং আরশাধিপতি থেকে কোন প্রকার কমতির আশংকা করো না ৷ বায়হাকী
তার নিজ সনদে আবু দাউদ সিজিসৃতানী আবদৃল্লাহ্ আল হুরায়নীর বরাঃত বর্ণনা করেন ৷
তিনি বলেন, একবার আমি রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর মুয়ড়াজ্বজিন হযরত বিলালেৱ সাথে হাল্ব
শহরে১ সাক্ষাৎ করলাম ৷ তখন আমি তাকে জিজ্ঞেস করলাম, হে বিলালা রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর
ব্যয় (অর্থাৎ দান-সদকা) সম্পর্কে আমাকেবলুনঃ ৷ তখন তিনি বললেন, তীর নবুওয়াত লাভের
পর থেকে ওফাত পর্যন্ত তার (প্রায়) সব ব্যয় সংক্রান্ত দায়িতুই তার পক্ষ থেকে আমি পালন
করতাম ৷ তার কাছে যখন কোন মুসলমান আসত আর তিনি তাকে অভাবী মনে করতেন,
তখন তিনি আমাকে নির্দেশ দিতেন, তখন আমি বেরিয়ে ৰুপড়তাম এবং কারও থেকে ধার
নিতাম, তারপর তা দিয়ে চাদর ও অন্য কিছু কিনে তাংক পরিধেয় ও আহার্য দান করতাম ৷
অবশেষে একদিন এক মুশরিক আমার পথ আগলে দাড়িয়ে বলল, হে বিলাল! আমার যথেষ্ট
অর্থ সম্পদ রয়েছে ৷ সুতরাং তুমি আমি ছাড়া আর কারও থেকে ধার নিও না ৷ তখন আমি তাই
করলাম ৷ এরপর কোন একদিন আমি উযু করে আযান দেয়ার জন্য দীড়িয়েছি এমন সময় এ
মুশরিককে একদল ব্যবসায়ীর মাঝে দেখতে পেলাম ৷ তারপর সে যখন আমাকে দেখতে পেল
তখন বলল, হে হাবশী (নিগ্রো) ! বিলাল বলেন, আমি বললাম, বল ৷ তখন সে আমার উপর
আক্রমণ করল এবং কঠোর বা গুরতর অন্যায় কথা বলল ৷ সে বলল, তুমি কি জান, একমাস
পুর্ণ হতে আর ক’দিন বাকী ? আমি বললাম, সামান্য কয়েক দিন ৷ তখন সে বলল, তোমার
মেয়াদ পুর্ণ হতে আর চার দিন বাকী ৷ এরপর আমার পাওনার বিনিময়ে আমি তোমাকে
পাকড়াও করব ৷ কেননা, তোমাকে যে ঋণ আমি দিয়েছি তা তোমার বা তোমার নবীর
সম্মানার্থে নয়, আমি তাে এইজন্য তোমাকে ঋণ দিয়েছি যে, তার মাধ্যমে তুমি আমার দাসে
পরিণত হয়ে আর আমি তোমাকে মেষ চরাতে পাঠড়াব যেমনটি তুমি পুর্বে করতে ৷ তিনি
(বিলাল ) বলেন, তখন আমার অন্য দশ জনের মত মনকেও দুশ্চিন্তায় পেয়ে বসল ৷ তখন আমি
( সেখান থেকে) প্রস্থান করলাম এবং নামাষের আমান দিলাম ৷
১ আল্যেপ্পা নগরী ৷-জালালাবাদী (সম্পাদক)
مَنْصُورٍ، عَنْ عَبْدِ الرَّزَّاقِ. وَرَوَاهُ ابْنُ حِبَّانَ فِي " صَحِيحِهِ ".
وَمِنْ هَذَا الْقَبِيلِ مَا رَوَاهُ الْبُخَارِيُّ فِي " صَحِيحِهِ " «أَنَّ رَجُلًا كَانَ يُقَالُ لَهُ: عَبْدُ اللَّهِ. وَكَانَ يُلَقَّبُ حِمَارًا، وَكَانَ يُضْحِكُ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَكَانَ يُؤْتَى بِهِ فِي الشَّرَابِ، فَجِيءَ بِهِ يَوْمًا، فَقَالَ رَجُلٌ: لَعَنَهُ اللَّهُ، مَا أَكْثَرَ مَا يُؤْتَى بِهِ. فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ " " لَا تَلْعَنْهُ؛ فَإِنَّهُ يُحِبُّ اللَّهَ وَرَسُولَهُ» .
وَمِنْ هَذَا مَا قَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: ثَنَا حَجَّاجٌ، حَدَّثَنِي شُعْبَةُ، عَنْ ثَابِتٍ الْبُنَانِيِّ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، «أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَانَ فِي مَسِيرٍ، وَكَانَ حَادٍ يَحْدُو بِنِسَائِهِ أَوْ سَائِقٌ. قَالَ: فَكَانَ نِسَاؤُهُ يَتَقَدَّمْنَ بَيْنَ يَدَيْهِ، فَقَالَ: " يَا أَنْجَشَةُ، وَيْحَكَ، ارْفُقْ بِالْقَوَارِيرِ» .
وَهَذَا الْحَدِيثُ فِي " الصَّحِيحَيْنِ " عَنْ أَنَسٍ قَالَ: «كَانَ لِلنَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ حَادٍ يَحْدُو بِنِسَائِهِ يُقَالُ لَهُ: أَنْجَشَةُ. فَحَدَا، فَأَعْنَقَتِ الْإِبِلُ، فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " وَيْحَكَ يَا أَنْجَشَةُ، ارْفُقْ بِالْقَوَارِيرِ» وَمَعْنَى الْقَوَارِيرِ: النِّسَاءُ، وَهِيَ كَلِمَةُ دُعَابَةٍ، صَلَوَاتُ اللَّهِ وَسَلَامُهُ عَلَيْهِ دَائِمًا إِلَى يَوْمِ الدِّينِ.
وَمِنْ مَكَارِمِ أَخْلَاقِهِ وَدُعَابَتِهِ وَحَسَنِ خُلُقِهِ، اسْتِمَاعُهُ عَلَيْهِ الصَّلَاةُ وَالسَّلَامُ
পৃষ্ঠা - ৪৬৩০
অবশেষে আমি যখন ’ ইশার নামায পড়লাম এবং রাসুলুল্লাহ্ (সা) তার সহধর্মিণীগণের
কাছে ফিরে গেলেন তখন আমি তার সাক্ষাতের অনুমতি প্রার্থনা করলাম এবং তিনি আমাকে
অনুমতি দিলেন ৷ তখন আমি বললাম, ইয়া রাসুলাল্লাহ্! আমার পিতামাতড়া আপনার জন্য
কুরবান হোন, ঐ মুশরিকটি যার কথা আমি আপনার কাছে উল্লেখ করেছিলাম, যে আমি তার
নিকট থেকে ঋণ গ্রহণ করতাম, যে আজ আমাকে এমন এমন কথা বল্যেছ (অর্থাৎ ঋণ
পরিশোধের জন্য চাপ দিয়েছে ৷) অথচ আপনার বা আমার কারও কাছেই আমার ঋণ
পরিশোধের ব্যবস্থা নেই ৷ সুতরাং সে তো আমাকে লাঞ্ছিত করে ছাড়বে ৷ তখন তিনি আমাকে
ইসলাম গ্রহণকারী এই মহল্পাবাসীদের কারও কারও কাছে যেতে বললেন, যাতে আল্লাহ্ তার
রাসুলকে এমন কিছু দান করেন যা দিয়ে আমি আমার দেনা পরিশোধ করবো ৷ তখন আমি
সেখান থেকে বের হয়ে আমার বাড়িতে আসলাম এবং আমার তরবারি, বল্লম, বর্শা ও পাদৃকা
আমার শিয়রের কাছে রাখলাম, আর আমার মুখমণ্ডল দিগন্তমুখী করে রাখলাম ৷ ফলে যখন
আমার ঘুম আসছিল তখনই আমি জেগে উঠছিলাম ৷ এরপর যখন রাত ঘনিয়ে এসেছে অনুভব
করলাম তখন ঘুমিয়ে পড়লাম ৷ অবশেষে ভোরের প্রথম আলো প্রকাশ পেল ৷ তখন আমি চলে
যেতে উদ্যত হলাম ৷ হঠাৎ শুনতে পেলাম এক ব্যক্তি ডেকে বলছে : হে বিলাল! রাসুলুল্লাহ্
(না)-এর ডাকে সাড়া দাও ! তখন আমি তার কাছে আমার জন্য রওয়ানা হলাম ৷ এমন সময়
দেখতে পেলাম পিঠে বোঝাসহ চারটি উট ৷ তখন আমি রাসুলুল্লাহ্ (সা)-এর কাছে এসে তীর
অনুমতি প্রার্থনা করলাম ৷ তখন নবী করীম (সা) আমাকে বললেন, (বিলাল) তুমি সুসংবাদ
গ্রহণ কর ৷ আল্লাহ তোমার ঋণ পরিশোধের ব্যবস্থা করেছেন ৷ তখন আমি আল্লাহর হামদ ও
শোকর আদায় করলাম, আর তিনি বললেন, তুমি কি বসিয়ে রাখা উট চারটি অতিক্রম করে
আসনি ? তিনি বলেন, জবাবে আমি বললাম, অবশ্যই ৷ তিনি বললেন, এই উটগুলি এবং
এগুলোর পিঠের উপর যা কিছু রয়েছে তুমি সবকিছুর-মালিক ৷ তখন আমি দেখতে পেলাম
ওগুলোর পিঠে খাবার ও পোশাক সামগ্রী রয়েছে যা ফাদাকের শাসক তার কাছে উপচৌকন
স্বরুপপাঠিয়েছেন ৷ এগুলি তুমি নিয়ে যাও এবং তোমার দেনা পরিশোধ করে দাও ৷ বিলাল
বলেন, আমি তাই করলাম, প্রথমে সেগুলোর পিঠের বোঝাগুলি নামিয়ে সেগুলোকে ঘাস
খাওয়ালাম ৷ তারপর ফজরের আযান দিলাম ৷ যখন রাসুলুল্লাহ্ (সা) নামায শেষ করলেন,
তখন আমি (জান্নাতৃল) বাকীর দিকে বের হয়ে গেলাম ৷ তখন আমি কানে আঙ্গুল ভরে
উচ্চস্বরে ঘোষণা করলাম, যাদের রাসুলুল্লাহ্ (সা)-এর কাছে কোন পাওনা আছে তারা যেন
উপস্থিত হয় ৷ এভাবে আমি পণ্যসামঘী বিক্রয় করে করে দেনা পােধ করতে থাকলাম ৷ এমন
কি রাসুলুল্লাহ্ (সা)-এর কাছে পৃথিবীর আর কারও কোন পাওনা অবশিষ্ট রইল না ৷ পরিশেষে
আমার কাছে দুই বা দেড় উকিয়া স্বর্ণ রয়ে পেল ৷ তখন আমি মসজিদে পেলাম; কিন্তু বেলা
হয়ে যাওয়ায় বেশির ভাগ লোক চলে গিয়েছে ৷ তখন আমি দেখতে পেলাম রাসুলুল্লাহ্ (সা)
একাকী মসজিদে বসে আছেন, আমি তাকে সালাম করলে তিনি আমাকে বললেন, তোমার
পুর্বের ঋণের কী অবস্থা ? আমি বললাম, আল্লাহর রাসুলের সকল ঋণ পরিশোধ করা হয়েছে,
এখন আর কিছু বাকি নেই ৷ তিনি বললেন, কিছু বাড়তি রয়েছে কি ? আমি বললাম হী, দুই
দীনার ৷ তিনি বললেন, দেখ যে দুটি থেকে আমাকে স্বস্তি দিতে পার কিনা ? যে দুটি থেকে
তুমি আমাকে রেহাই না দেওয়া পর্যন্ত আমি আমার পরিবারবর্গের কারও কাছে যাচ্ছি না ৷ কিন্তু
حَدِيثَ أُمِّ زَرْعٍ مِنْ عَائِشَةَ بِطُولِهِ، وَوَقَعَ فِي بَعْضِ الرِّوَايَاتِ أَنَّهُ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ هُوَ الَّذِي قَصَّهُ عَلَى عَائِشَةَ.
وَمِنْ هَذَا مَا رَوَاهُ الْإِمَامُ أَحْمَدُ، ثَنَا أَبُو النَّضْرِ، ثَنَا أَبُو عَقِيلٍ - يَعْنِي عَبْدَ اللَّهِ بْنَ عَقِيلٍ الثَّقَفِيَّ. ثِقَةٌ - حَدَّثَنَا مَجَالِدُ بْنُ سَعِيدٍ، عَنْ عَامِرٍ، عَنْ مَسْرُوقٍ، عَنْ عَائِشَةَ قَالَتْ: «حَدَّثَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ نِسَاءَهُ ذَاتَ لَيْلَةٍ حَدِيثًا، فَقَالَتِ امْرَأَةٌ مِنْهُنَّ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، كَانَ الْحَدِيثُ حَدِيثَ خُرَافَةَ. فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " أَتَدْرِينَ مَا خُرَافَةُ؟ إِنَّ خُرَافَةَ كَانَ رَجُلًا مِنْ عُذْرَةَ أَسَرْتُهُ الْجِنُّ فِي الْجَاهِلِيَّةِ، فَمَكَثَ فِيهِمْ دَهْرًا طَوِيلًا، ثُمَّ رَدُّوهُ إِلَى الْإِنْسِ، فَكَانَ يُحَدِّثُ النَّاسَ بِمَا رَأَى فِيهِمْ مِنَ الْأَعَاجِيبِ، فَقَالَ النَّاسُ: حَدِيثُ خُرَافَةَ» وَقَدْ رَوَاهُ التِّرْمِذِيُّ فِي " الشَّمَائِلِ " عَنِ الْحَسَنِ بْنِ الصَّبَّاحِ الْبَزَّارِ، عَنْ أَبِي النَّضْرِ هَاشِمِ بْنِ الْقَاسِمِ بِهِ. قُلْتُ: وَهُوَ مِنْ غَرَائِبِ الْأَحَادِيثِ، وَفِيهِ نَكَارَةٌ، وَمَجَالِدُ بْنُ سَعِيدٍ يَتَكَلَّمُونَ فِيهِ. فَاللَّهُ أَعْلَمُ.
وَقَالَ التِّرْمِذِيُّ فِي بَابِ مُزَاحِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِنْ كِتَابِهِ " الشَّمَائِلِ ": ثَنَا
পৃষ্ঠা - ৪৬৩১
আমাদের কাছে কেউ (যাঞ্চাকারী) আসল না ৷ তাই তিনি মসজিদে রাত্রি যাপন করলেন ৷
এমনকি দ্বিতীয় দিন সকাল ও দুপুর মসজিদেই অবস্থান করলেন ৷ অবশেষে দিন শেষে দুজন
আরোহী আসল ৷ তখন আমি তাদেরকে নিয়ে গিয়ে দীনার দুটি দ্বারা তাদের জন্য খাদ্য ও
পােশাকের সংন্থান করলাম ৷ অবশেষে যখন তিনি ইশার নামায পড়লেন তখন আমাকে ডেকে
জিজ্ঞেস করলেন তোমার কাছের দীনার দুটির কী খবর ? আমি বললাম, তা থেকে আল্লাহ
আপনাকে নিকৃতি দিয়েছেন ৷ তখন তিনি তার কাছে দীনার দুটি থাকা অবস্থায় তার মৃত্যু হতে
পারে এই আশঙ্কা থেকে মুক্ত হয়ে আল্লাহ আকবার ও আ ৷লহামদুলিল্লাহ্ বললেন ৷ এরপর আমি
তার পিছু পিছু চললাম ৷ অবশেষে তিনি তার শ্রীদের কাছে এসে তাদেরকে একজন একজন
করে সালাম করলেন এবং তিনি তার রাত্রি যাপনন্থলে পৌছলেন ৷ আর এটইি ঐ বিষয় যে
সম্পর্কে তুমি আমাকে জিজ্ঞেস করেছিলে ৷
তিরমিযী তার শামাইলে হারুন ইবন মুসা উমর ইবনুল খাত্তাব সুত্রে বর্ণনা করেন
যে, (একবার) এক ব্যক্তি রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর কাছে এসে ভিক্ষা চাইল ৷ তখন তিনি বললেন,
(এই মুহুর্তে) আমার কাছে তোমাকে দেয়ার মত কিছু নেই, তবে তুমি আমার দায়িত্বে
বাকিতে কিছু কিনে নাও ৷ আমার কাছে কিছু আসলে আমি তা পরিশোধ করে দিব ৷ তখন
উমর (রা) বললেন, ইয়৷ রাসুলাল্লাহ্! আমি তাকে দিয়েছি, আর যা আপনার সামর্থ্যাতীত, তার
দায়িত্ব আল্পাহ্ আপনাকে দেননি ৷ তখন নবী করীম (সা) উমরের কথা তেমন পছন্দ করলেন
না ৷ এ সময় জনৈক আনসারী বললেন, ইয়া রাসুলাল্লাহ্! আপনি দান করে যান আর
আরশাধিপতির পক্ষ থেকে কমতির আশঙ্কা করবেন না ৷ তখন তিনি মুচকি হাসলেন এবং
আনসারীর কথায় তার চেহারায় প্রসন্নতার মৃদু হাসি প্রকাশ পেল ৷ এরপর তিনি বললেন,
এমনটি করতেই আমি আদিষ্ট হয়েছি ৷ হাদীসে এ-ও রয়েছে, তারা আমার কাছে চাবেই; আর
আল্লাহ্ তাআলাও আমার জন্য কৃপণতা অনুমোদন করেন না ৷ হুনায়নের দিন যখন লোকেরা
তার কাছে গনীমত বণ্টনের জন্য আবেদন করল, তখন তিনি বললেন, আল্লাহর কসম, আমার
কাছে যদি এই সকল বাবলা গাছের সংখ্যার ন্যায় (অগগিত) ধন-সম্পদও থাকত তাহলেও
আমি তার সব তোমাদের মাঝে বণ্টন করে দিতাম আর তোমরা আমাকে কৃপণ ব্যয়কুণ্ঠ কিৎবা
মিথ্যাশ্রয়ী পেতে না ৷ তিরমিযী, আলী ইবন হাজার রবী বিনত মুআববিয ইবন উমর
সুত্রে বর্ণনা করেন, তিনি (রবী) বলেন, একবার আমি রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর কাছে বেশ কিছু
থেজুরের র্কাদি ও আঙুরের ছড়া নিয়ে আসলাম ৷ তখন তিনি আমাকে তার হাতের মুঠি ভরে
গহনা বা সোনা দিলেন ৷
ইমাম আহমাদ, সুফিয়ান হযরত আবু সাঈদ (রা) সুত্রে নবী করীম (সা) থেকে
বর্ণনা করেন যে তিনি বলেন, কী৩াবে আমি স্বস্তি লাভ করব, অথচ শিঙ্গাওয়ালা তার শিক্ষা
মুখে পুরে নিয়েছেন এবং কপাল ঝুকিয়ে উৎকর্ণ হয়ে প্রতীক্ষায় আছেন কখন তাকে (শিঙ্গায়
কুক দেয়ার জন্য) আদেশ করা হয় ৷ তখন মৃসলমানগণ বললেন, ইয়া রাসুলাল্লাহ্! তাহলে
আমরা কী বলব ৷ তিনি বললেন, তোমরা বলবে
এেপ্রু; আল্লাহ্ই আমাদের জন্য যথেষ্ট এবং তিনি কতই না উত্তম কর্মবিধায়ক ৷ আমরা তারই
উপর ভরসা রাখি ৷ তিরমিষী ইবন আবু উমর আবু সাঈদ খুদরী সুত্রে হাদীসখানি বর্ণনা
করেছেন এবং তা ন্হাসান’ বলে উল্লেখ করেছেন ৷ এছাড়া হাদীসখানি অন্য সুত্রে এবং ইবন
আব্বাসের হাদীস সংগ্রহ থেকেও বর্ণিত আছে, যেমনটি শীঘ্রই যথাস্থানে বর্ণিত হবে ৷
— ১ ২
عَبْدُ بْنُ حُمَيْدٍ، ثَنَا مُصْعَبُ بْنُ الْمِقْدَامِ، ثَنَا الْمُبَارَكُ بْنُ فُضَالَةَ، عَنِ الْحَسَنِ قَالَ: «أَتَتْ عَجُوزٌ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَتْ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، ادْعُ اللَّهَ لِي أَنْ يُدْخِلَنِي الْجَنَّةَ. فَقَالَ: " يَا أُمَّ فُلَانٍ، إِنَّ الْجَنَّةَ لَا تَدْخُلُهَا عَجُوزٌ ". قَالَ: فَوَلَّتِ الْعَجُوزُ تَبْكِي، فَقَالَ: " أَخْبِرُوهَا أَنَّهَا لَا تَدْخُلُهَا وَهِيَ عَجُوزٌ؛ إِنَّ اللَّهَ تَعَالَى يَقُولُ: " {إِنَّا أَنْشَأْنَاهُنَّ إِنْشَاءً فَجَعَلْنَاهُنَّ أَبْكَارًا عَرَّبًا أَتْرَابًا} [الواقعة: 35] » " [الْوَاقِعَةِ: 35 - 37] وَهَذَا مُرْسَلٌ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ.
وَقَالَ التِّرْمِذِيُّ: ثَنَا عَبَّاسُ بْنُ مُحَمَّدٍ الدُّورِيُّ، ثَنَا عَلِيُّ بْنُ الْحَسَنِ بْنِ شَقِيقٍ، ثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنِ الْمُبَارَكِ، عَنْ أُسَامَةَ بْنِ زَيْدٍ، عَنْ سَعِيدٍ الْمَقْبُرِيِّ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ: «قَالُوا: يَا رَسُولَ اللَّهِ، إِنَّكَ تُدَاعِبُنَا. قَالَ: " إِنِّي لَا أَقُولُ إِلَّا حَقًّا» تُدَاعِبُنَا يَعْنِي تُمَازِحُنَا. وَهَكَذَا رَوَاهُ التِّرْمِذِيُّ فِي " جَامِعِهِ " فِي بَابِ الْبِرِّ، بِهَذَا الْإِسْنَادِ، ثُمَّ قَالَ: وَهَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ.
পৃষ্ঠা - ৪৬৩২
নবী করীম (না)-এর বিনয়
নবী করীম (না)-এর বিনয়ের আরও বহু প্রকাশ রয়েছে ৷ ইবন মাজা, আহমদ ইবন
মুহাম্মাদ, ইবন ইয়াহইয়া ইবন সাঈদ সুত্রে খাব্বার (রা) থেকে আল্লাহ তাআলার এই
বাণী বর্ণিত :
০ স্ ;
টু, ব্লুা,
“যারা তাদের প্রতিপালককে সকাল-সন্ধ্যায় তার সভুষ্টি লাভের উদ্দেশ্যে ডাকে, তাদেরকে
তৃমি তাড়িয়ে দিও না ৷৩ তাদের কর্মের জবাবদিহির দায়িত্ব তোমার নয় এবং তোমার কর্মের
জবাবদিহির দায়িত্ব তাদের নয় যে তুমি তাদেরকে তাড়িয়ে দিবে; তাহলে তুমি যালিমদের
অন্তর্ভুক্ত হবে” (সুরা আন আম ৫২) ৷
প্রসঙ্গে তিনি (খাব্বাব) বলেন, একবার আকরা ইবন হাবিস আত তামীমী এবং উয়ায়না
ইবন হিসন আল-ফাযারী এসে রাসুলুল্লাহ্ (সা)-কে সুহায়ব, বিলাল, আমার, খাব্বাব (রা)
প্রমুখ অসহায় ও দুর্বল কতিপয় মুমিনের মাঝে বসা অবস্থায় পেল ৷ তারা যখন এদেরকে তার
পাশে দেখল তখন তাদেরকে হেয় জ্ঞান করে একাস্তে তার সাথে মিলিত হয়ে বলল, আমরা
চাই আপনি আমাদের জন্য এমন এক বিশেষ মজলিসের ব্যবস্থা করবেন যাতে করে আরবরা
আমাদের ৫শ্রষ্ঠতু উপলব্ধি করতে পারে ৷ কেননা, আপনার কাছে বিভিন্ন আরব গোত্রের
প্রতিনিধিদল আণমন করে থাকে ৷ তাই আমরা লজ্জাবােধ করি যে আরবরা আমাদেরকে এই
সকল ক্রীতদাসদের সাহচর্যে দেখবে ৷ আমরা যখন আসর আপনি তখন ওদেরকে আপনার
মজলিস থেকে দুরে সরিয়ে দেবেন ৷ এরপর আমরা নিক্রান্ত হলে আপনি পুনরায় ইচ্ছা করলে
তাদের সাথে রসবেন (এতে আমাদের কোন আপত্তি থাকবে না) ৷ তখন তিনি বললেন, আচ্ছা
, (তাই হবে) ৷ তারা বলল, তাহলে আপনি এই ম র্ম আমাদের অনুকুলে একটি চুক্তিপত্র লিখে
দিন ৷ রর্ণনাকারী বলেন, তখন তিনি একটি সহীফ৷ (কাগজ) আনতে বললেন এবং হযরত
আলীকে লিখার জন্য ডেকে পাঠালেন, আর আমরা তখন এক প্রান্তে বসা ৷ এমন সময় হযরত
জিবরাঈল (আ) অবতরণ করে তিলাওয়াত করলেন :
ব্লু ন্
তারপর তিনি আল আকরা ইবন হাবিস এবং উয়ায়না ইবন হিসন এর কথা উল্লেখ করে
এের্দুট্রুষ্ ছুাৰুাৰুাছুটু
“এভাবে তাদের একদলকে অন্যদল দ্বারা পরীক্ষা করেছি যেন তারা বলে, আমাদের মধ্যে
কি এদের প্রচ্ছি আল্লাহ অনুগ্রহ করলেন ? আল্লাহ কি কৃত তজ্ঞদের সম্বন্ধে সবিশেষ অবহিত
নন? (৬আন আমং ৫৩) ৷
০ ; , শ্ ,
তারপর বললেন, ইটু
১ আয়াতটির অনুবাদ ইতিপুর্বেই উল্লেখ করা হয়েছে ৷
[بَابُ زُهْدِهِ عَلَيْهِ الصَّلَاةُ وَالسَّلَامُ وَإِعْرَاضِهِ عَنِ الدُّنْيَا]
بَابُ زُهْدِهِ عَلَيْهِ الصَّلَاةُ وَالسَّلَامُ، وَإِعْرَاضِهِ عَنْ هَذِهِ الدَّارِ وَإِقْبَالِهِ وَاجْتِهَادِهِ وَعَمَلِهِ لِدَارِ الْقَرَارِ
قَالَ اللَّهُ تَعَالَى: {وَلَا تَمُدَّنَّ عَيْنَيْكَ إِلَى مَا مَتَّعْنَا بِهِ أَزْوَاجًا مِنْهُمْ زَهْرَةَ الْحَيَاةِ الدُّنْيَا لِنَفْتِنَهُمْ فِيهِ وَرِزْقُ رَبِّكَ خَيْرٌ وَأَبْقَى} [طه: 131] وَقَالَ تَعَالَى: {وَاصْبِرْ نَفْسَكَ مَعَ الَّذِينَ يَدْعُونَ رَبَّهُمْ بِالْغَدَاةِ وَالْعَشِيِّ يُرِيدُونَ وَجْهَهُ وَلَا تَعْدُ عَيْنَاكَ عَنْهُمْ تُرِيدُ زِينَةَ الْحَيَاةِ الدُّنْيَا وَلَا تُطِعْ مَنْ أَغْفَلْنَا قَلْبَهُ عَنْ ذِكْرِنَا وَاتَّبَعَ هَوَاهُ وَكَانَ أَمْرُهُ فُرُطًا} [الكهف: 28] وَقَالَ تَعَالَى: {فَأَعْرَضْ عَنْ مَنْ تَوَلَّى عَنْ ذِكْرِنَا وَلَمْ يُرِدْ إِلَّا الْحَيَاةَ الدُّنْيَا ذَلِكَ مَبْلَغُهُمْ مِنَ الْعِلْمِ} [النجم: 29]
[الْحِجْرِ: 88، 87] وَالْآيَاتُ فِي هَذَا كَثِيرَةٌ.
وَأَمَّا الْأَحَادِيثُ؛ فَقَالَ يَعْقُوبُ بْنُ سُفْيَانَ: حَدَّثَنِي أَبُو الْعَبَّاسِ حَيْوَةُ بْنُ شُرَيْحٍ أَنَا بَقِيَّةُ، عَنِ الزُّبَيْدِيِّ، عَنِ الْزُّهْرِيِّ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ
পৃষ্ঠা - ৪৬৩৩
بْنِ عَبَّاسٍ قَالَ: كَانَ ابْنُ عَبَّاسٍ يُحَدِّثُ «أَنَّ اللَّهَ أَرْسَلَ إِلَى نَبِيِّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَلَكًا مِنَ الْمَلَائِكَةِ مَعَهُ جِبْرِيلُ، فَقَالَ الْمَلَكُ لِرَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: إِنَّ اللَّهَ يُخَيِّرُكَ بَيْنَ أَنْ تَكُونَ عَبْدًا نَبِيًّا، وَبَيْنَ أَنْ تَكُونَ مَلَكًا نَبِيًّا. فَالْتَفَتَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِلَى جِبْرِيلَ كَالْمُسْتَشِيرِ لَهُ، فَأَشَارَ جِبْرِيلُ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنْ تَوَاضَعْ. فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " بَلْ أَكُونُ عَبْدًا نَبِيًّا " قَالَ: فَمَا أَكَلَ بَعْدَ تِلْكَ الْكَلِمَةِ طَعَامًا مُتَّكِئًا حَتَّى لَقِيَ اللَّهَ عَزَّ وَجَلَّ» . وَهَكَذَا رَوَاهُ الْبُخَارِيُّ فِي " التَّارِيخِ " عَنْ حَيْوَةَ بْنِ شُرَيْحٍ، وَأَخْرَجَهُ النَّسَائِيُّ عَنْ عَمْرِو بْنِ عُثْمَانَ، كِلَاهُمَا عَنْ بَقِيَّةَ بْنِ الْوَلِيدِ بِهِ، وَأَصْلُ هَذَا الْحَدِيثِ فِي " الصَّحِيحِ " بِنَحْوٍ مِنْ هَذَا اللَّفْظِ.
وَقَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ فُضَيْلٍ، عَنْ عُمَارَةَ، عَنْ أَبِي زُرْعَةَ، وَلَا أَعْلَمُهُ إِلَّا عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ: «جَلَسَ جِبْرِيلُ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَنَظَرَ إِلَى السَّمَاءِ فَإِذَا مَلَكٌ يَنْزِلُ فَقَالَ جِبْرِيلُ: إِنَّ هَذَا الْمَلَكَ مَا نَزَلَ مُنْذُ يَوْمِ خُلِقَ، قَبْلَ السَّاعَةِ. فَلَمَّا نَزَلَ قَالَ: يَا مُحَمَّدُ، أَرْسَلَنِي إِلَيْكَ رَبُّكَ؛ أَفَمَلَكًا نَبِيًّا يَجْعَلُكَ أَوْ عَبْدًا رَسُولًا» . هَكَذَا وَجَدْتُهُ بِالنُّسْخَةِ الَّتِي عِنْدِي " بِالْمُسْنَدِ " مُقْتَصِرًا، وَهُوَ مِنْ أَفْرَادِهِ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ.
وَثَبَتَ فِي " الصَّحِيحَيْنِ " مِنْ حَدِيثِ ابْنِ عَبَّاسٍ، عَنْ عُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ فِي حَدِيثِ «إِيلَاءِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِنْ أَزْوَاجِهِ أَنْ لَا يَدْخُلَ عَلَيْهِنَّ شَهْرًا، وَاعْتَزَلَ عَنْهُنَّ فِي عُلِّيَّةٍ، فَلَمَّا دَخَلَ عَلَيْهِ عُمَرُ فِي تِلْكَ الْعُلِّيَّةِ، فَإِذَا لَيْسَ فِيهَا سِوَى صُبْرَةٍ مِنْ
পৃষ্ঠা - ৪৬৩৪
قَرَظٍ، وَآهِبَةٍ مُعَلَّقَةٍ، وَصُبْرَةٍ مِنْ شَعِيرٍ، وَإِذَا هُوَ مُضْطَجِعٌ عَلَى رُمَالِ حَصِيرٍ قَدْ أَثَّرَ فِي جَنْبِهِ، فَهَمَلَتْ عَيْنَا عُمَرَ، فَقَالَ: " مَا لَكَ ". فَقُلْتُ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، أَنْتَ صَفْوَةُ اللَّهِ مِنْ خَلْقِهِ، وَكِسْرَى وَقَيْصَرُ فِيمَا هَمَا فِيهِ! فَجَلَسَ مُحْمَرًّا وَجْهُهُ، فَقَالَ: أَوَفِي شَكٍّ أَنْتَ يَا بْنَ الْخَطَّابِ؟ " ثُمَّ قَالَ: " أُولَئِكَ قَوْمٌ عُجِّلَتْ لَهُمْ طَيِّبَاتُهُمْ فِي حَيَاتِهِمُ الدُّنْيَا ". وَفِي رِوَايَةٍ لِمُسْلِمٍ: " أَمَا تَرْضَى أَنْ تَكُونَ لَهُمُ الدُّنْيَا، وَلَنَا الْآخِرَةُ؟ " فَقُلْتُ: بَلَى يَا رَسُولَ اللَّهِ. قَالَ: " فَاحْمَدِ اللَّهَ عَزَّ وَجَلَّ "، ثُمَّ لَمَّا انْقَضَى الشَّهْرُ أَمَرَهُ اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ، أَنْ يُخَيِّرَ أَزْوَاجَهُ، وَأَنْزَلَ عَلَيْهِ قَوْلَهُ: {يَا أَيُّهَا النَّبِيُّ قُلْ لِأَزْوَاجِكَ إِنْ كُنْتُنَّ تُرِدْنَ الْحَيَاةَ الدُّنْيَا وَزِينَتَهَا فَتَعَالَيْنَ أُمَتِّعْكُنَّ وَأُسَرِّحْكُنَّ سَرَاحًا جَمِيلًا وَإِنْ كُنْتُنَّ تُرِدْنَ اللَّهَ وَرَسُولَهُ وَالدَّارَ الْآخِرَةَ فَإِنَّ اللَّهَ أَعَدَّ لِلْمُحْسِنَاتِ مِنْكُنَّ أَجْرًا عَظِيمًا} [الأحزاب: 28] » [الْأَحْزَابِ: 28، 29] . وَقَدْ ذَكَرْنَا هَذَا مَبْسُوطًا فِي كِتَابِنَا " التَّفْسِيرِ " وَأَنَّهُ بَدَأَ بِعَائِشَةَ، فَقَالَ لَهَا: إِنِّي ذَاكِرٌ لَكِ أَمْرًا، فَلَا عَلَيْكِ أَنْ لَا تَعْجَلِي حَتَّى تَسْتَأْمِرِي أَبَوَيْكِ، وَتَلَا عَلَيْهَا هَذِهِ الْآيَةَ. قَالَتْ: فَقُلْتُ: أَفِي هَذَا أَسْتَأْمِرُ أَبَوَيَّ؟! فَإِنِّي أَخْتَارُ اللَّهَ وَرَسُولَهُ وَالدَّارَ الْآخِرَةَ. وَكَذَلِكَ قَالَ سَائِرُ أَزْوَاجِهِ، عَلَيْهِ الصَّلَاةُ وَالسَّلَامُ، وَرَضِيَ اللَّهُ عَنْهُنَّ.
وَقَالَ مُبَارَكُ بْنُ فُضَالَةَ، عَنِ الْحَسَنِ، عَنْ أَنَسٍ قَالَ: «دَخَلْتُ عَلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَهُوَ عَلَى سَرِيرٍ مَرْمُولٍ بِالشَّرِيطِ، وَتَحْتَ رَأْسِهِ وِسَادَةٌ مَنْ أَدَمٍ، حَشْوُهَا
পৃষ্ঠা - ৪৬৩৫
لِيفٌ، وَدَخَلَ عَلَيْهِ عُمَرُ، وَنَاسٌ مِنَ الصَّحَابَةِ، فَانْحَرَفَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ انْحِرَافَةً، فَرَأَى عُمَرُ أَثَرَ الشَّرِيطِ فِي جَنْبِهِ فَبَكَى، فَقَالَ لَهُ: " مَا يُبْكِيكَ يَا عُمَرُ؟ " قَالَ: وَمَا لِي لَا أَبْكِي، وَكِسْرَى وَقَيْصَرُ يَعِيشَانِ فِيمَا يَعِيشَانِ فِيهِ مِنَ الدُّنْيَا، وَأَنْتَ عَلَى الْحَالِ الَّذِي أَرَى؟ فَقَالَ: " يَا عُمَرُ، أَمَا تَرْضَى أَنْ تَكُونَ لَهُمُ الدُّنْيَا وَلَنَا الْآخِرَةُ؟ " قَالَ: بَلَى. قَالَ: " هُوَ كَذَلِكَ» " هَكَذَا رَوَاهُ الْبَيْهَقِيُّ.
وَقَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا أَبُو النَّضْرِ، ثَنَا مُبَارَكٌ، عَنِ الْحَسَنِ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ قَالَ: «دَخَلْتُ عَلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَهُوَ عَلَى سَرِيرٍ مُضْطَجِعٍ مُرْمَلٍ بِشَرِيطٍ، وَتَحْتَ رَأْسِهِ وِسَادَةٌ مِنْ أَدَمٍ، حَشْوُهَا لِيفٌ، فَدَخَلَ عَلَيْهِ نَفَرٌ مِنْ أَصْحَابِهِ، وَدَخَلَ عُمَرُ فَانْحَرَفَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ انْحِرَافَةً، فَلَمْ يَرَ عُمَرُ بَيْنَ جَنْبِهِ وَبَيْنَ الشَّرِيطِ ثَوْبًا، وَقَدْ أَثَّرَ الشَّرِيطُ بِجَنْبِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَبَكَى عُمَرُ، فَقَالَ لَهُ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " مَا يُبْكِيكَ يَا عُمَرُ؟ " قَالَ: وَاللَّهِ مَا أَبْكِي إِلَّا أَكُونُ أَعْلَمُ أَنَّكَ أَكْرَمُ عَلَى اللَّهِ مِنْ كِسْرَى وَقَيْصَرَ، وَهُمَا يَعِيشَانِ فِي الدُّنْيَا فِيمَا يَعِيشَانِ فِيهِ، وَأَنْتَ يَا رَسُولُ اللَّهِ فِي الْمَكَانِ الَّذِي أَرَى! فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ " أَمَا تَرْضَى أَنْ تَكُونَ لَهُمُ الدُّنْيَا، وَلَنَا الْآخِرَةُ؟ " قَالَ: بَلَى. قَالَ: " فَإِنَّهُ كَذَلِكَ» .
وَقَالَ أَبُو دَاوُدَ الطَّيَالِسِيُّ: ثَنَا الْمَسْعُودِيُّ، عَنْ عَمْرِو بْنِ مُرَّةَ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ، عَنْ عَلْقَمَةَ، عَنِ ابْنِ مَسْعُودٍ قَالَ: «اضْطَجَعَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَلَى حَصِيرٍ، فَأَثَّرَ الْحَصِيرُ بِجِلْدِهِ، فَجَعَلْتُ أَمْسَحُهُ، وَأَقُولُ: بِأَبِي أَنْتَ وَأُمِّي يَا رَسُولَ اللَّهِ، أَلَا
পৃষ্ঠা - ৪৬৩৬
آذَنْتَنَا فَنَبْسُطَ لَكَ شَيْئًا يَقِيكَ مِنْهُ تَنَامُ عَلَيْهِ؟ فَقَالَ: " مَا لِي وَلِلدُّنْيَا، مَا أَنَا وَالدُّنْيَا إِلَّا كَرَاكِبٍ اسْتَظَلَّ تَحْتَ شَجَرَةٍ ثُمَّ رَاحَ وَتَرَكَهَا» وَرَوَاهُ ابْنُ مَاجَهْ، عَنْ يَحْيَى بْنِ حَكِيمٍ، عَنْ أَبِي دَاوُدَ الطَّيَالِسِيِّ، وَأَخْرَجَهُ التِّرْمِذِيُّ، عَنْ مُوسَى بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ الْكِنْدِيِّ، عَنْ زَيْدِ بْنِ الْحُبَابِ، كِلَاهُمَا عَنِ الْمَسْعُودِيِّ بِهِ، وَقَالَ التِّرْمِذِيُّ: حَسَنٌ صَحِيحٌ.
وَقَدْ رَوَاهُ الْإِمَامُ أَحْمَدُ مِنْ حَدِيثِ ابْنِ عَبَّاسٍ، فَقَالَ: حَدَّثَنَا عَبْدُ الصَّمَدِ وَأَبُو سَعِيدٍ وَعَفَّانُ، قَالُوا: ثَنَا ثَابِتٌ، ثَنَا هِلَالٌ، عَنْ عِكْرِمَةَ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، «أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ دَخَلَ عَلَيْهِ عُمَرُ وَهُوَ عَلَى حَصِيرٍ قَدْ أَثَّرَ فِي جَنْبِهِ، فَقَالَ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، لَوِ اتَّخَذْتَ فِرَاشًا أَوْثَرَ مِنْ هَذَا. فَقَالَ " مَا لِي وَلِلدُّنْيَا، مَا مَثَلِي وَمَثَلُ الدُّنْيَا إِلَّا كَرَاكِبٍ سَارَ فِي يَوْمٍ صَائِفٍ، فَاسْتَظَلَّ تَحْتَ شَجَرَةٍ سَاعَةً مِنْ نَهَارٍ، ثُمَّ رَاحَ وَتَرَكَهَا» . تَفَرَّدَ بِهِ أَحْمَدُ.
وَفِي " صَحِيحِ الْبُخَارِيِّ " مِنْ حَدِيثِ الْزُّهْرِيِّ، عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُتْبَةَ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ «أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: " لَوْ أَنَّ لِي مِثْلَ أَحَدٍ ذَهَبًا مَا سَرَّنِي أَنْ تَأْتِيَ عَلِيَّ ثَلَاثُ لَيَالٍ وَعِنْدِي مِنْهُ شَيْءٌ إِلَّا شَيْءٌ أَرْصُدُهُ لِدَيْنٍ» .
وَفِي " الصَّحِيحَيْنِ " مِنْ حَدِيثِ عُمَارَةَ بْنِ الْقَعْقَاعِ، عَنْ أَبِي زُرْعَةَ، عَنْ
পৃষ্ঠা - ৪৬৩৭
أَبِي هُرَيْرَةَ «أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: " اللَّهُمَّ اجْعَلْ رِزْقَ آلِ مُحَمَّدٍ قُوتًا» .
فَأَمَّا الْحَدِيثُ الَّذِي رَوَاهُ ابْنُ مَاجَهْ مِنْ حَدِيثِ يَزِيدَ بْنِ سِنَانٍ، عَنْ أَبِي الْمُبَارَكِ، عَنْ عَطَاءٍ، عَنْ أَبِي سَعِيدٍ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «اللَّهُمَّ أَحْيِنِي مِسْكِينًا، وَأَمِتْنِي مِسْكِينًا، وَاحْشُرْنِي فِي زُمْرَةِ الْمَسَاكِينِ» فَإِنَّهُ حَدِيثٌ ضَعِيفٌ لَا يَثْبُتُ مِنْ جِهَةِ إِسْنَادِهِ؛ لِأَنَّ فِيهِ يَزِيدَ بْنَ سِنَانٍ أَبَا فَرْوَةَ الرُّهَاوِيَّ، وَهُوَ ضَعِيفٌ جِدًّا. وَاللَّهُ أَعْلَمُ.
وَقَدْ رَوَاهُ التِّرْمِذِيُّ مِنْ وَجْهٍ آخَرَ فَقَالَ: حَدَّثَنَا عَبْدُ الْأَعْلَى بْنُ وَاصِلٍ الْكُوفِيُّ، ثَنَا ثَابِتُ بْنُ مُحَمَّدٍ الْعَابِدُ الْكُوفِيُّ، حَدَّثَنَا الْحَارِثُ بْنُ النُّعْمَانِ اللَّيْثِيُّ، عَنْ أَنَسٍ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «اللَّهُمَّ أَحْيِنِي مِسْكِينًا، وَأَمِتْنِي مِسْكِينًا، وَاحْشُرْنِي فِي زُمْرَةِ الْمَسَاكِينِ يَوْمَ الْقِيَامَةِ " فَقَالَتْ عَائِشَةُ: لِمَ يَا رَسُولَ اللَّهِ؟ قَالَ: " إِنَّهُمْ يَدْخُلُونَ الْجَنَّةَ قَبْلَ أَغْنِيَائِهِمْ بِأَرْبَعِينَ خَرِيفًا، يَا عَائِشَةُ، لَا تَرُدِّي الْمِسْكِينَ وَلَوْ بِشِقِّ تَمْرَةٍ، يَا عَائِشَةُ، حِبِّي الْمَسَاكِينَ وَقَرِّبِيهِمْ؛ فَإِنَّ اللَّهَ يُقَرِّبُكِ يَوْمَ الْقِيَامَةِ» ثُمَّ قَالَ: هَذَا حَدِيثٌ غَرِيبٌ. قُلْتُ: وَفِي إِسْنَادِهِ ضَعْفٌ، وَفِي مَتْنِهِ نَكَارَةٌ. وَاللَّهُ أَعْلَمُ.
وَقَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا عَبْدُ الصَّمَدِ قَالَ: حَدَّثَنَا أَبُو عَبْدِ الرَّحْمَنِ، يَعْنِي ابْنَ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ دِينَارٍ، عَنْ أَبِي حَازِمٍ، عَنْ
পৃষ্ঠা - ৪৬৩৮
سَهْلِ بْنِ سَعْدٍ، أَنَّهُ قِيلَ لَهُ: «هَلْ رَأَى رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ النَّقِيَّ بِعَيْنِهِ، يَعْنِي الْحُوَّارَى؟ فَقَالَ لَهُ: مَا رَأَى رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ النَّقِيَّ بِعَيْنِهِ حَتَّى لَقِيَ اللَّهَ عَزَّ وَجَلَّ. فَقِيلَ لَهُ: هَلْ كَانَتْ لَكُمْ مَنَاخِلُ عَلَى عَهْدِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ؟ فَقَالَ: مَا كَانَتْ لَنَا مَنَاخِلُ. فَقِيلَ لَهُ: فَكَيْفَ كُنْتُمْ تَصْنَعُونَ بِالشَّعِيرِ؟ قَالَ: نَنْفُخُهُ فَيَطِيرُ مِنْهُ مَا طَارَ» . وَهَكَذَا رَوَاهُ التِّرْمِذِيُّ مِنْ حَدِيثِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ دِينَارٍ بِهِ. وَزَادَ: ثُمَّ نُثَرِّيهِ، وَنَعْجِنُهُ. ثُمَّ قَالَ: حَسَنٌ صَحِيحٌ، وَقَدْ رَوَاهُ مَالِكٌ عَنْ أَبِي حَازِمٍ. قُلْتُ: وَقَدْ رَوَاهُ الْبُخَارِيُّ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ أَبِي مَرْيَمَ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ مُطَرِّفٍ أَبِي غَسَّانَ الْمَدَنِيِّ، عَنْ أَبِي حَازِمٍ، عَنْ سَهْلِ بْنِ سَعْدٍ بِهِ. وَرَوَاهُ الْبُخَارِيُّ أَيْضًا وَالْنَّسَائِيُّ، عَنْ قُتَيْبَةَ، عَنْ يَعْقُوبَ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ الْقَارِّيِّ، عَنْ أَبِي حَازِمٍ، عَنْ سَهْلٍ بِهِ.
وَقَالَ التِّرْمِذِيُّ: حَدَّثَنَا عَبَّاسُ بْنُ مُحَمَّدٍ الدُّورِيُّ، ثَنَا يَحْيَى بْنُ أَبِي بُكَيْرٍ، ثَنَا جَرِيرُ بْنُ عُثْمَانَ، عَنْ سُلَيْمِ بْنِ عَامِرٍ، سَمِعْتُ أَبَا أُمَامَةَ يَقُولُ: «مَا كَانَ يَفْضُلُ عَنْ أَهْلِ بَيْتِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ خُبْزُ الشَّعِيرِ» . ثُمَّ قَالَ: حَسَنٌ صَحِيحٌ
পৃষ্ঠা - ৪৬৩৯
غَرِيبٌ.
وَقَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: ثَنَا يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ، عَنْ يَزِيدَ بْنِ كَيْسَانَ، حَدَّثَنِي أَبُو حَازِمٍ قَالَ: رَأَيْتُ أَبَا هُرَيْرَةَ يُشِيرُ بِأُصْبُعِهِ مِرَارًا: «وَالَّذِي نَفْسُ أَبِي هُرَيْرَةَ بِيَدِهِ مَا شَبِعَ نَبِيُّ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَأَهْلُهُ ثَلَاثَةَ أَيَّامٍ تِبَاعًا مِنْ خُبْزِ حِنْطَةٍ حَتَّى فَارَقَ الدُّنْيَا» . وَرَوَاهُ مُسْلِمٌ وَالتِّرْمِذِيُّ وَابْنُ مَاجَهْ مِنْ حَدِيثِ يَزِيدَ بْنِ كَيْسَانَ.
وَفِي " الصَّحِيحَيْنِ " مِنْ حَدِيثِ جَرِيرِ بْنِ عَبْدِ الْحَمِيدِ، عَنْ مَنْصُورٍ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ، عَنِ الْأَسْوَدِ، عَنْ عَائِشَةَ قَالَتْ: «مَا شَبِعَ آلُ مُحَمَّدٍ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مُنْذُ قَدِمُوا الْمَدِينَةَ ثَلَاثَةَ أَيَّامٍ تِبَاعًا مِنْ خُبْزِ بُرٍّ حَتَّى مَضَى لِسَبِيلِهِ» .
وَقَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا هَاشِمٌ، ثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ طَلْحَةَ، عَنْ أَبِي حَمْزَةَ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ، عَنِ الْأَسْوَدِ، عَنْ عَائِشَةَ قَالَتْ: «مَا شَبِعَ آلُ مُحَمَّدٍ ثَلَاثًا مِنْ خُبْزِ بُرٍّ حَتَّى قُبِضَ، وَمَا رُفِعَ مِنْ مَائِدَتِهِ كِسْرَةٌ قَطُّ حَتَّى قُبِضَ» .
وَقَالَ أَحْمَدُ: ثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عُبَيْدٍ، ثَنَا مُطِيعٌ الْغَزَّالُ، عَنْ كُرْدُوسٍ، عَنْ عَائِشَةَ قَالَتْ: «قَدْ مَضَى رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لِسَبِيلِهِ، وَمَا شَبِعَ أَهْلُهُ ثَلَاثَةَ أَيَّامٍ مِنْ طَعَامِ بُرٍّ» .
পৃষ্ঠা - ৪৬৪০
وَقَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: ثَنَا حُسَيْنٌ، ثَنَا دُوَيْدٌ، عَنْ أَبِي سَهْلٍ، عَنْ سُلَيْمَانَ بْنِ رُومَانَ مَوْلَى عُرْوَةَ، عَنْ عُرْوَةَ، عَنْ عَائِشَةَ، أَنَّهَا قَالَتْ: «وَالَّذِي بَعَثَ مُحَمَّدًا بِالْحَقِّ مَا رَأَى مُنْخُلًا، وَلَا أَكَلَ خَبْزًا مَنْخُولًا مُنْذُ بَعَثَهُ اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ، إِلَى أَنَّ قُبِضَ. قُلْتُ: كَيْفَ كُنْتُمْ تَأْكُلُونَ الشَّعِيرَ؟ قَالَتْ: كُنَّا نَقُولُ: أُفُّ» . تَفَرَّدَ بِهِ أَحْمَدُ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ.
وَرَوَى الْبُخَارِيُّ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ كَثِيرٍ، عَنِ الثَّوْرِيِّ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ عَابِسِ بْنِ رَبِيعَةَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَائِشَةَ قَالَتْ: «إِنْ كُنَّا لَنُخْرِجُ الْكُرَاعَ بَعْدَ خَمْسَةَ عَشَرَ يَوْمًا فَنَأْكُلُهُ. قُلْتُ: وَلِمَ تَفْعَلُونَ ذَلِكَ؟ فَضَحِكَتْ وَقَالَتْ: مَا شَبِعَ آلُ مُحَمَّدٍ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِنْ خَبْزِ بُرٍّ مَأْدُومٍ ثَلَاثَةَ أَيَّامٍ حَتَّى لَحِقَ بِاللَّهِ عَزَّ وَجَلَّ» .
وَقَالَ أَحْمَدُ: ثَنَا يَحْيَى، ثَنَا هِشَامٌ، أَخْبَرَنِي أَبِي، عَنْ عَائِشَةَ قَالَتْ: «كَانَ يَأْتِي عَلَى آلِ مُحَمَّدٍ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ الشَّهْرُ مَا يُوقِدُونَ فِيهِ نَارًا، لَيْسَ إِلَّا التَّمْرُ وَالْمَاءُ إِلَّا أَنْ نُؤْتَى بِاللَّحْمِ» .
পৃষ্ঠা - ৪৬৪১
وَفِي " الصَّحِيحَيْنِ " مِنْ حَدِيثِ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَائِشَةَ، أَنَّهَا قَالَتْ: «إِنْ كُنَّا آلَ مُحَمَّدٍ لَيَمُرُّ بِنَا الْهِلَالُ مَا نُوقِدُ نَارًا، إِنَّمَا هُوَ الْأَسْوَدَانِ؛ التَّمْرُ وَالْمَاءُ، إِلَّا أَنَّهُ كَانَ حَوْلَنَا أَهْلُ دُورٍ مِنَ الْأَنْصَارِ يَبْعَثُونَ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِلَبَنِ مَنَائِحِهِمْ فَيَشْرَبُ وَيَسْقِينَا مِنْ ذَلِكَ اللَّبَنِ» . وَرَوَاهُ أَحْمَدُ، عَنْ يَزِيدَ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ عَمْرٍو، عَنْ أَبِي سَلَمَةَ، عَنْهَا بِنَحْوِهِ.
وَقَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ عَيَّاشٍ وَحُسَيْنُ بْنُ مُحَمَّدٍ، قَالَا: ثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ مُطَرِّفٍ قَالَ: ثَنَا أَبُو حَازِمٍ، قَالَ حُسَيْنٌ: عَنْ عُرْوَةَ بْنِ الزُّبَيْرٍ عَنْ عَائِشَةَ قَالَتْ: «كَانَ يَمُرُّ بِرَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ هِلَالٌ وَهِلَالٌ مَا يُوقَدُ فِي بَيْتٍ مِنْ بُيُوتِهِ نَارٌ. قَالَ: قُلْتُ: يَا خَالَةُ عَلَى أَيِّ شَيْءٍ كُنْتُمْ تَعِيشُونَ؟ قَالَتْ: عَلَى الْأَسْوَدَيْنِ؛ التَّمْرِ وَالْمَاءِ» . تَفَرَّدَ بِهِ أَحْمَدُ.
وَقَالَ أَبُو دَاوُدَ الطَّيَالِسِيُّ، عَنْ شُعْبَةَ، عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ يَزِيدَ، عَنِ الْأَسْوَدِ، عَنْ عَائِشَةَ قَالَتْ: «مَا شَبِعَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِنْ خُبْزِ شَعِيرٍ يَوْمَيْنِ مُتَتَابِعَيْنِ حَتَّى قُبِضَ» . وَقَدْ رَوَاهُ مُسْلِمٌ مِنْ حَدِيثِ شُعْبَةَ.
পৃষ্ঠা - ৪৬৪২
وَقَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: ثَنَا إِسْمَاعِيلُ، حَدَّثَنِي سُلَيْمَانُ بْنُ الْمُغِيرَةِ، عَنْ حُمَيْدِ بْنِ هِلَالٍ قَالَ: قَالَتْ عَائِشَةُ: «بَعَثَ إِلَيْنَا آلُ أَبِي بَكْرٍ بِقَائِمَةِ شَاةٍ لَيْلًا، فَأَمْسَكَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَقَطَعْتُ، أَوْ أَمْسَكْتُ وَقَطَعَ. فَقَالَ الَّذِي تُحَدِّثُهُ: أَعْلَى غَيْرِ مِصْبَاحٍ؟ فَقَالَتْ: لَوْ كَانَ عِنْدَنَا مِصْبَاحٌ لَأْتَدَمْنَا بِهِ، إِنْ كَانَ لِيَأْتِيَ عَلَى آلِ مُحَمَّدٍ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ الشَّهْرُ مَا يَخْتَبِزُونَ خُبْزًا وَلَا يَطْبُخُونَ قِدْرًا» . وَقَدْ رَوَاهُ أَيْضًا، عَنْ بَهْزِ بْنِ أَسَدٍ، عَنْ سُلَيْمَانَ بْنِ الْمُغِيرَةِ، وَفِي رِوَايَةٍ: شَهْرَيْنِ. تَفَرَّدَ بِهِ أَحْمَدُ.
وَقَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: ثَنَا خَلَفٌ، ثَنَا أَبُو مَعْشَرٍ، عَنْ سَعِيدٍ، هُوَ ابْنُ أَبِي سَعِيدٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ: «كَانَ يَمُرُّ بِآلِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ هِلَالٌ ثُمَّ هِلَالٌ لَا يُوقِدُونَ فِي بُيُوتِهِمُ النَّارَ لَا لِخُبْزٍ وَلَا لِطَبِيخٍ. قَالُوا: بِأَيِّ شَيْءٍ كَانُوا يَعِيشُونَ يَا أَبَا هُرَيْرَةَ؟ قَالَ: الْأَسْوَدَانِ؛ التَّمْرُ وَالْمَاءُ، وَكَانَ لَهُمْ جِيرَانٌ مِنَ الْأَنْصَارِ، جَزَاهُمُ اللَّهُ خَيْرًا، لَهُمْ مَنَائِحُ يُرْسِلُونَ إِلَيْهِمْ شَيْئًا مِنْ لَبَنٍ» . تَفَرَّدَ بِهِ أَحْمَدُ.
وَفِي " صَحِيحِ مُسْلِمٍ " مِنْ حَدِيثِ مَنْصُورِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ الْحَجَبِّي، عَنْ أُمِّهِ، عَنْ عَائِشَةَ قَالَتْ: «تُوُفِّيَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَقَدْ شَبِعَ النَّاسُ مِنَ الْأَسْوَدَيْنِ؛ التَّمْرِ وَالْمَاءِ» .
পৃষ্ঠা - ৪৬৪৩
وَقَالَ ابْنُ مَاجَهْ: حَدَّثَنَا سُوَيْدُ بْنُ سَعِيدٍ، ثَنَا عَلِيُّ بْنُ مُسْهِرٍ، عَنِ الْأَعْمَشِ، عَنْ أَبِي صَالِحٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ: «أُتِيَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَوْمًا بِطَعَامٍ سُخْنٍ فَأَكَلَ، فَلَمَّا فَرَغَ قَالَ: " الْحَمْدُ لِلَّهِ مَا دَخَلَ بَطْنِي طَعَامٌ سُخْنٌ مُنْذُ كَذَا وَكَذَا» .
وَقَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: ثَنَا عَبْدُ الصَّمَدِ، ثَنَا عَمَّارٌ أَبُو هَاشِمٍ صَاحِبُ الزَّعْفَرَانِيِّ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، «أَنَّ فَاطِمَةَ نَاوَلَتْ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كِسْرَةً مِنْ خُبْزِ شَعِيرٍ، فَقَالَ: " هَذَا أَوَّلُ طَعَامٍ أَكَلَهُ أَبُوكِ مُنْذُ ثَلَاثَةِ أَيَّامٍ» تَفَرَّدَ بِهِ أَحْمَدُ. وَرَوَى الْإِمَامُ أَحْمَدُ عَنْ عَفَّانَ، وَالتِّرْمِذِيِّ وَابْنِ مَاجَهْ جَمِيعًا عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مُعَاوِيَةَ، كِلَاهُمَا عَنْ ثَابِتِ بْنِ يَزِيدَ، عَنْ هِلَالِ بْنِ خَبَّابٍ الْعَبْدِيِّ الْكُوفِيِّ، عَنْ عِكْرِمَةَ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ «أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَانَ يَبِيتُ اللَّيَالِيَ الْمُتَتَابِعَةَ طَاوِيًا، وَأَهْلُهُ لَا يَجِدُونَ عَشَاءً، وَكَانَ عَامَّةَ خُبْزِهِمْ خُبْزُ الشَّعِيرِ» . وَهَذَا لَفْظُ أَحْمَدَ.
وَقَالَ التِّرْمِذِيُّ فِي " الشَّمَائِلِ ": ثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ الدَّارِمِيُّ، ثَنَا عُمَرُ بْنُ حَفْصِ بْنِ غِيَاثٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ أَبِي يَحْيَى الْأَسْلَمِيِّ، عَنْ يَزِيدَ بْنِ أَبِي أُمَيَّةَ الْأَعْوَرِ، عَنْ يُوسُفَ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ سَلَامٍ قَالَ: «رَأَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَخَذَ كِسْرَةً مِنْ خُبْزِ الشَّعِيرِ، فَوَضَعَ عَلَيْهَا تَمْرَةً، وَقَالَ: " هَذِهِ إِدَامُ هَذِهِ " وَأَكَلَ.» .
পৃষ্ঠা - ৪৬৪৪
وَفِي " الصَّحِيحِ " مِنْ حَدِيثِ الْزُّهْرِيِّ، عَنْ عُرْوَةَ، عَنْ عَائِشَةَ قَالَتْ: «كَانَ أَحَبَّ الشَّرَابِ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ الْحُلْوُ الْبَارِدُ» .
وَقَالَ أَبُو عِصَامٍ عَنْ أَنَسٍ قَالَ: «كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَتَنَفَّسُ فِي الشَّرَابِ ثَلَاثًا وَيَقُولُ " هُوَ أَرَوَى وَأَبْرَأُ وَأَمْرَى» .
وَرَوَى الْبُخَارِيُّ مِنْ حَدِيثِ قَتَادَةَ، عَنْ أَنَسٍ قَالَ: «مَا أَعْلَمُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ رَأَى رَغِيفًا مُرَقَّقًا حَتَّى لَحِقَ بِاللَّهِ، وَلَا شَاةً سَمِيطًا بِعَيْنِهِ قَطُّ. وَفِي رِوَايَةٍ لَهُ عَنْهُ أَيْضًا: مَا أَكَلَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَلَى خِوَانٍ، وَلَا فِي سُكُرُّجَةٍ، وَلَا خُبِزَ لَهُ مُرَقَّقٌ. فَقُلْتُ لِأَنَسٍ: فَعَلَى مَا كَانُوا يَأْكُلُونَ؟ قَالَ: عَلَى السُّفَرِ» .
وَلَهُ مِنْ حَدِيثِ قَتَادَةَ أَيْضًا، عَنْ أَنَسٍ، «أَنَّهُ مَشَى إِلَى رَسُولِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِخُبْزِ شَعِيرٍ وَإِهَالَةٍ سَنِخَةٍ، وَلَقَدْ رَهَنَ دِرْعَهُ عِنْدَ يَهُودِيٍّ، فَأَخَذَ لِأَهْلِهِ شَعِيرًا،
পৃষ্ঠা - ৪৬৪৫
“যারা আমার আয়াতে ঈমান আসে, তারা যখন তোমার নিকট আসে তখন তাদেরকে
তুমি বলো তোমাদের প্রতি শান্তি বর্ষিত হোক, তোমাদের প্রতিপালক দয়া করা তার কর্তব্য
বলে স্থির করেছেন” (সুরা আন ংআম ৫৪) ৷
বর্ণনাকারী বলেন, তখন আমরা তার কাছে যেয়ে আসলাম এমনকি আমরা আমাদের ইাটু
তার হাটুর সাথে মিশিয়ে বসলড়াম , এরপর থেকে রাসুলুল্পাহ্ (সা) আমাদের সাথে মজলিসে
বসতেন আর যখন তিনি উঠে যেতে চাইতেন তখন আমাদেরকে রেখে উঠে যেতেন তখন
আল্লাহ্ তাআলা নাযিল করলেন :
% ৰুগ্রট্টরু১ ছু১ই১ট্রু ;ছু র্দু
“তুমি নিজকে ধৈর্য সহকারে রাখবে তাদেরই সং সর্গে-যারা সকাল সন্ধ্যায় আহ্বান করে
তাদের প্রতিপলেককে, তার সন্তুষ্টি লাভের উদ্দেশ্যে এবং তুমি পার্থিব জীবনের শোভা কামনা
করে তাদের থেকে তোমার দৃষ্টি ফিরিয়ে নেবে না ৷ আর সন্থান্তদের সাথে উঠা-বসা করো না ৷
ৰুাট্রু
“আর তুমি তার আনুগত্য করো না, যার চিত্তকে আমি আমার স্মরণে অমনােযােগী করে
দিয়েছি ৷ (অর্থাৎ উয়ায়না ও আকরা)
¢ ষ্
“আর যে তার থেয়ালখুশীর অনুসরণ করে ও যার কার্যকলাপ সীমা অতিক্রম করে” (১৮
কাহ্ফ : ২৮) ৷
আমি বলি, উয়ায়না ও আকরার বিষয় উল্লেখ করার পর তাদের জন্য দুই ব্যক্তি ও পার্থিব
জীবনের দৃষ্টান্ত তুলে ধরেছেন ৷ খাব্বাব বলেন, এরপর থেকে আমরা যখন রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর
সাথে বসতড়াম এবং তার উঠার সময় হতো তখন আমরা তাকে রেখে প্রথমে উঠে যেতাম,
এরপর তিনি উঠতেন ৷ এরপর ইবন মাজা ইয়াহইয়া ইবন হাকীম হযরত সাদ সুত্রে
বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন, এই আয়াত আমাদের ছয়জনের ব্যাপারে নাযিল হয়েছে ৷
আমি, ইবন মাসউদ, সুহায়ব, আমার, মিকদাদ ও বিলাল ৷ তিনি বলেন, কুরায়শরা বলল, হে
আল্লাহ্র রাসুল ! আমরা তাদের অনুপামী হতে চাই না ৷ আপনি তাদেরকে তাড়িয়ে দিন ৷ রাবী
বলেন, তখন তাদের এ কথায় রড়াসুলুল্লাহ্ (সা) এর মাঝে যে প্রতিক্রিয়া হওয়া আল্লাহ্র অভীষ্ট
ছিল, তা ই হয়েছিল, তখন আল্লাহ্ তা আলা নাযিল করলেন
’ #
হাকিম, বায়হাকী, আবু মুহাম্মাদ আবদুল্লাহ্ ইবন ইউসুফ ইস্পাহানী আবু সাঈদ
খৃদরী সুত্রে বর্ণনা করেন যে,৩ তিনি বলেছেন, একবার আমি মুহাজিরদের একটি দলের সাথে
বসা ছিলাম, গায়ে কাপড় না থাকায় তারা একে অপরের দ্বারা নিজেকে আড়াল করে বসে
ছিলেন, আর আমাদের এক কাবী আমাদেরকে তিলাওয়াত করে শুনাচ্ছিলেন ৷ আমরা সকলে
وَلِقَدٍّ سَمِعْتُهُ ذَاتَ يَوْمٍ يَقُولُ: " مَا أَمْسَى عِنْدَ آلِ مُحَمَّدٍ صَاعُ تَمْرٍ وَلَا صَاعُ حَبٍّ» .
وَقَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: ثَنَا عَفَّانُ، ثَنَا أَبَانُ بْنُ يَزِيدَ، ثَنَا قَتَادَةُ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ «لَمْ يَجْتَمِعْ لَهُ غَدَاءٌ وَلَا عَشَاءٌ مِنْ خُبْزٍ وَلَحْمٍ إِلَّا عَلَى ضَفَفٍ» . وَرَوَاهُ التِّرْمِذِيُّ فِي " الشَّمَائِلِ "، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ الدَّارِمِيِّ، عَنْ عَفَّانَ، وَهَذَا الْإِسْنَادُ عَلَى شَرْطِ الشَّيْخَيْنِ.
وَقَالَ أَبُو دَاوُدَ الطَّيَالِسِيُّ: حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ سِمَاكِ بْنِ حَرْبٍ، سَمِعْتُ النُّعْمَانَ بْنَ بَشِيرٍ يَقُولُ: سَمِعْتُ عُمَرَ بْنَ الْخَطَّابِ يَخْطُبُ، فَذَكَرَ مَا فَتَحَ اللَّهُ عَلَى النَّاسِ، فَقَالَ: «لَقَدْ رَأَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَلْتَوِي مِنَ الْجُوعِ، مَا يَجِدُ مِنَ الدَّقَلِ مَا يَمْلَأُ بَطْنَهُ» . وَأَخْرَجَهُ مُسْلِمٌ مِنْ حَدِيثِ شُعْبَةَ.
وَفِي " الصَّحِيحِ " أَنَّ أَبَا طَلْحَةَ قَالَ: يَا أُمَّ سُلَيْمٍ، «لَقَدْ سَمِعْتُ صَوْتَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَعْرِفُ فِيهِ الْجُوعَ» . وَسَيَأْتِي الْحَدِيثُ فِي " دَلَائِلِ النُّبُوَّةِ ".
وَفِي قِصَّةِ أَبِي الْهَيْثَمِ بْنِ التَّيِّهَانِ، «أَنَّ أَبَا بَكْرٍ وَعُمَرَ خَرَجَا مِنَ الْجُوعِ،
পৃষ্ঠা - ৪৬৪৬
فَبَيْنَمَا هُمَا كَذَلِكَ إِذْ خَرَجَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ: " مَا أَخْرَجَكُمَا؟ " فَقَالَا: الْجُوعُ. فَقَالَ: " وَالَّذِي نَفْسِي بِيَدِهِ لَقَدْ أَخْرَجَنِي الَّذِي أَخْرَجَكُمَا ". فَذَهَبُوا إِلَى حَدِيقَةِ أَبِي الْهَيْثَمِ بْنِ التَّيِّهَانِ، فَأَطْعَمَهُمْ رُطَبًا، وَذَبَحَ لَهُمْ شَاةً، فَأَكَلُوا وَشَرِبُوا الْمَاءَ الْبَارِدَ، وَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " هَذَا مِنَ النَّعِيمِ الَّذِي تُسْأَلُونَ عَنْهُ» ".
وَقَالَ التِّرْمِذِيُّ: ثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ أَبِي زِيَادٍ، ثَنَا سَيَّارٌ، ثَنَا سَهْلُ بْنُ أَسْلَمَ، عَنْ يَزِيدَ بْنِ أَبِي مَنْصُورٍ، عَنْ أَنَسٍ، عَنْ أَبِي طَلْحَةَ قَالَ: «شَكَوْنَا إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ الْجُوعَ، وَرَفَعْنَا عَنْ بُطُونِنَا عَنْ حَجَرٍ حَجَرٍ، فَرَفَعَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، عَنْ حَجَرَيْنِ» . ثُمَّ قَالَ: غَرِيبٌ.
وَثَبَتَ فِي " الصَّحِيحَيْنِ " مِنْ حَدِيثِ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ، عَنْ أَبِيهِ، «عَنْ عَائِشَةَ، أَنَّهَا سُئِلَتْ عَنْ فِرَاشِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَقَالَتْ: كَانَ مَنْ أَدَمٍ حَشْوُهُ لِيفٌ» .
وَقَالَ الْحَسَنُ بْنُ عَرَفَةَ: ثَنَا عَبَّادُ بْنُ عَبَّادٍ الْمُهَلَّبِيُّ، عَنْ مَجَالِدِ بْنِ سَعِيدٍ، عَنِ الشَّعْبِيِّ، عَنْ مَسْرُوقٍ، عَنْ عَائِشَةَ قَالَتْ: «دَخَلَتْ عَلَيَّ امْرَأَةٌ مِنَ الْأَنْصَارِ فَرَأَتْ فِرَاشَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَبَاءَةً مَثْنِيَّةً، فَانْطَلَقَتْ فَبَعَثَتْ إِلَيَّ بِفِرَاشٍ حَشْوُهُ الصُّوفُ، فَدَخَلَ عَلَيَّ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ: " مَا هَذَا يَا عَائِشَةُ؟ " قَالَتْ: قُلْتُ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، فُلَانَةُ الْأَنْصَارِيَّةُ دَخَلَتْ عَلَيَّ فَرَأَتْ فِرَاشَكَ فَذَهَبَتْ فَبَعَثَتْ
পৃষ্ঠা - ৪৬৪৭
إِلَيَّ بِهَذَا. فَقَالَ: " رُدِّيهِ ". قَالَتْ: فَلَمْ أَرُدَّهُ وَأَعْجَبَنِي أَنْ يَكُونَ فِي بَيْتِي، حَتَّى قَالَ ذَلِكَ ثَلَاثَ مَرَّاتٍ. قَالَتْ: فَقَالَ: " رُدِّيهِ يَا عَائِشَةُ، فَوَاللَّهِ لَوْ شِئْتُ لَأَجْرَى اللَّهُ مَعِي جِبَالَ الذَّهَبِ وَالْفِضَّةِ» "
وَقَالَ التِّرْمِذِيُّ فِي " الشَّمَائِلِ ": حَدَّثَنَا أَبُو الْخَطَّابِ زِيَادُ بْنُ يَحْيَى الْبَصْرِيُّ، ثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مَيْمُونٍ، ثَنَا جَعْفَرُ بْنُ مُحَمَّدٍ، عَنْ أَبِيهِ قَالَ: «سُئِلَتْ عَائِشَةُ: مَا كَانَ فِرَاشُ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي بَيْتِكِ؟ قَالَتْ: مِنْ أَدَمٍ حَشْوُهُ لِيفٌ. وَسُئِلَتْ حَفْصَةُ: مَا كَانَ فِرَاشُ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ؟ قَالَتْ: مِسْحًا نَثْنِيهِ ثِنْيَتَيْنِ فَيَنَامُ عَلَيْهِ، فَلَمَّا كَانَ ذَاتَ لَيْلَةٍ قُلْتُ: لَوْ ثَنَيْتُهُ بِأَرْبَعِ ثِنْيَاتٍ كَانَ أَوْطَأَ لَهُ. فَثَنَيْنَاهُ لَهُ بِأَرْبَعِ ثِنْيَاتٍ، فَلَمَّا أَصْبَحَ قَالَ: " مَا فَرَشْتُمُونِي اللَّيْلَةَ؟ " قَالَتْ: قُلْنَا: هُوَ فِرَاشُكَ، إِلَّا أَنَّا ثَنَيْنَاهُ بِأَرْبَعِ ثِنْيَاتٍ. قُلْنَا: هُوَ أَوْطَأُ لَكَ. قَالَ: " رَدُّوهُ لِحَالَتِهِ الْأُولَى؛ فَإِنَّهُ مَنَعَتْنِي وَطْأَتُهُ صَلَاتِيَ اللَّيْلَةَ» ".
وَقَالَ الطَّبَرَانِيُّ: حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ أَبَانٍ الْأَصْبِهَانِيُّ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عُبَادَةَ الْوَاسِطِيُّ، حَدَّثَنَا يَعْقُوبُ بْنُ مُحَمَّدٍ الْزُّهْرِيُّ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، حَدَّثَنَا ابْنُ لَهِيعَةَ، عَنْ أَبِي الْأَسْوَدِ، عَنْ عُرْوَةَ، عَنْ حَكِيمِ بْنِ حِزَامٍ قَالَ:
পৃষ্ঠা - ৪৬৪৮
«خَرَجْتُ إِلَى الْيَمَنِ فَابْتَعْتُ حُلَّةَ ذِي يَزَنَ، فَأَهْدَيْتُهَا إِلَى النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي الْمُدَّةِ الَّتِي كَانَتْ بَيْنَهُ وَبَيْنَ قُرَيْشٍ فَقَالَ: " لَا أَقْبَلُ هَدِيَّةَ مُشْرِكٍ " فَرَدَّهَا، فَبِعْتُهَا فَاشْتَرَاهَا، فَلَبِسَهَا ثُمَّ خَرَجَ عَلَى أَصْحَابِهِ وَهِيَ عَلَيْهِ، فَمَا رَأَيْتُ شَيْئًا فِي شَيْءٍ أَحْسَنَ مِنْهُ فِيهَا، فَمَا مَلَكْتُ أَنْ قُلْتُ:
مَا يَنْظُرُ الْحُكَّامُ بِالْفَضْلِ بَعْدَمَا ... بَدَا وَاضِحٌ مِنْ غُرَّةٍ وَحُجُولِ
إِذَا قَايَسُوهُ الْمَجْدَ أَرْبَى عَلَيْهُمُ ... كَمُسْتَفْرِغٍ مَاءَ الذِّنَابِ سَجِيلِ
فَسَمِعَهَا النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَالْتَفَتَ إِلَيَّ يَتَبَسَّمُ، ثُمَّ دَخَلَ فَكَسَاهَا أُسَامَةَ بْنَ زَيْدٍ»
وَقَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: حَدَّثَنِي حُسَيْنُ بْنُ عَلِيٍّ، عَنْ زَائِدَةَ عَنْ عَبْدِ الْمَلِكِ بْنِ عُمَيْرٍ قَالَ: حَدَّثَنِي رِبْعِيُّ بْنُ حِرَاشٍ، عَنْ أُمِّ سَلَمَةَ قَالَتْ: «دَخَلَ عَلَيَّ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَهُوَ سَاهِمُ الْوَجْهِ. قَالَتْ: فَحَسِبْتُ ذَلِكَ مِنْ وَجَعٍ. فَقُلْتُ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، أَرَاكَ سَاهِمَ الْوَجْهِ، أَفَمِنْ وَجَعٍ؟ فَقَالَ: " لَا، وَلَكِنَّ الدَّنَانِيرَ السَّبْعَةَ الَّتِي أُتِينَا بِهَا أَمْسِ، أَمْسَيْنَا وَلَمْ نُنْفِقْهَا، نُسِّيتُهَا فِي خُصْمِ الْفِرَاشِ» تَفَرَّدَ بِهِ أَحْمَدُ.
পৃষ্ঠা - ৪৬৪৯
وَقَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: ثَنَا أَبُو سَلَمَةَ قَالَ: أَنَا بَكْرُ بْنُ مُضَرٍ، ثَنَا مُوسَى بْنُ جُبَيْرٍ، عَنْ أَبِي أُمَامَةَ بْنِ سَهْلٍ قَالَ: «دَخَلْتُ أَنَا وَعُرْوَةُ بْنُ الزُّبَيْرِ يَوْمًا عَلَى عَائِشَةَ فَقَالَتْ: لَوْ رَأَيْتُمَا نَبِيَّ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ذَاتَ يَوْمٍ فِي مَرَضٍ مَرِضَهُ. قَالَتْ: وَكَانَ لَهُ عِنْدِي سِتَّةُ دَنَانِيرَ. قَالَ مُوسَى أَوْ سَبْعَةٌ. قَالَتْ: فَأَمَرَنِي رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنْ أُفَرِّقَهَا. قَالَتْ: فَشَغَلَنِي وَجَعُ نَبِيِّ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ حَتَّى عَافَاهُ اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ. قَالَتْ: ثُمَّ سَأَلَنِي عَنْهَا فَقَالَ: " مَا فَعَلَتِ السِّتَّةُ؟ " قَالَ: أَوِ " السَّبْعَةُ " قُلْتُ: لَا وَاللَّهِ لَقَدْ كَانَ شَغَلَنِي عَنْهَا وَجَعُكَ. قَالَتْ: فَدَعَا بِهَا ثُمَّ صَفَّهَا فِي كَفِّهِ، فَقَالَ: " مَا ظَنُّ نَبِيِّ اللَّهِ لَوْ لَقِيَ اللَّهَ وَهَذِهِ عِنْدَهُ؟» تَفَرَّدَ بِهِ أَحْمَدُ.
وَقَالَ قُتَيْبَةُ: ثَنَا جَعْفَرُ بْنُ سُلَيْمَانَ، عَنْ ثَابِتٍ، عَنْ أَنَسٍ قَالَ: «كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَا يَدَّخِرُ شَيْئًا لِغَدٍ» . وَهَذَا الْحَدِيثُ فِي " الصَّحِيحِ ".
وَالْمُرَادُ أَنَّهُ كَانَ لَا يَدَّخِرُ شَيْئًا لِغَدٍ مِمَّا يُسْرِعُ إِلَيْهِ الْفَسَادُ كَالْأَطْعِمَةِ وَنَحْوِهَا؛ لِمَا ثَبَتَ فِي " الصَّحِيحَيْنِ " عَنْ عُمَرَ، أَنَّهُ قَالَ: «كَانَتْ أَمْوَالُ بَنِي النَّضِيرِ مِمَّا أَفَاءَ اللَّهُ عَلَى رَسُولِهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِمَّا لَمْ يُوجِفِ الْمُسْلِمُونَ عَلَيْهَا بِخَيْلٍ وَلَا رِكَابٍ، فَكَانَ يَعْزِلُ نَفَقَةَ أَهْلِهِ سَنَةً، ثُمَّ يَجْعَلُ مَا بَقِيَ فِي الْكُرَاعِ وَالسِّلَاحِ عُدَّةً فِي سَبِيلِ اللَّهِ عَزَّ وَجَلَّ» .
পৃষ্ঠা - ৪৬৫০
وَمِمَّا يُؤَيِّدُ مَا ذَكَّرْنَاهُ مَا رَوَاهُ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا مَرْوَانُ بْنُ مُعَاوِيَةَ قَالَ: أَخْبَرَنِي هِلَالُ بْنُ سُوَيْدٍ أَبُو مُعَلَّى قَالَ: «سَمِعْتُ أَنَسَ بْنَ مَالِكٍ وَهُوَ يَقُولُ: أُهْدِيَتْ لِرَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ثَلَاثَةُ طَوَائِرَ، فَأَطْعَمَ خَادِمَهُ طَائِرًا، فَلَمَّا كَانَ مِنَ الْغَدِ أَتَتْهُ بِهِ، فَقَالَ لَهَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ " أَلَمْ أَنْهَكِ أَنْ تَرْفَعِي شَيْئًا لِغَدٍ؛ فَإِنَّ اللَّهَ عَزَّ وَجَلَّ يَأْتِي بِرِزْقِ كُلِّ غَدٍ» .
حَدِيثُ بِلَالٍ فِي ذَلِكَ: قَالَ الْبَيْهَقِيُّ: ثَنَا أَبُو الْحُسَيْنِ بْنُ بِشْرَانَ، أَنَا أَبُو مُحَمَّدٍ جَعْفَرُ بْنُ نُصَيْرٍ، ثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ الْبَصْرِيُّ:، ثَنَا بَكَّارُ بْنُ مُحَمَّدٍ، أَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عَوْنٍ، عَنِ ابْنِ سِيرِينَ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، «أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ دَخَلَ عَلَى بِلَالٍ، فَوَجَدَ عِنْدَهُ صُبَرًا مِنْ تَمْرٍ، فَقَالَ: مَا هَذَا يَا بِلَالُ؟ قَالَ: تَمْرٌ أَدَّخِرُهُ. قَالَ: " وَيْحَكَ يَا بِلَالُ! أَوَ مَا تَخَافُ أَنْ يَكُونَ لَهُ بُخَارٌ فِي النَّارِ؟ أَنْفِقْ بِلَالُ، وَلَا تَخْشَ مِنْ ذِي الْعَرْشِ إِقْلَالًا» ".
قَالَ الْبَيْهَقِيُّ بِسَنَدِهِ عَنْ أَبِي دَاوُدَ السِّجِسْتَانِيِّ وَأَبِي حَاتِمٍ الرَّازِيِّ، كِلَاهُمَا عَنْ أَبِي تَوْبَةَ الرَّبِيعِ بْنِ نَافِعٍ، حَدَّثَنِي مُعَاوِيَةُ بْنُ سَلَامٍ، عَنْ زَيْدِ بْنِ سَلَامٍ، حَدَّثَنِي عَبْدُ اللَّهِ الْهَوَزْنِيُّ قَالَ: «لَقِيتُ بِلَالًا مُؤَذِّنَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِحَلَبَ، فَقُلْتُ: يَا بِلَالُ حَدِّثْنِي كَيْفَ كَانَتْ نَفَقَةُ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ؟ فَقَالَ: مَا كَانَ لَهُ شَيْءٌ مِنْ ذَلِكَ إِلَّا أَنَا الَّذِي كُنْتُ أَلِي ذَلِكَ مِنْهُ مُنْذُ بَعَثَهُ اللَّهُ إِلَى أَنْ تُوُفِّيَ، فَكَانَ إِذَا أَتَاهُ
পৃষ্ঠা - ৪৬৫১
الْإِنْسَانُ الْمُسْلِمُ فَرَآهُ عَارِيًا، يَأْمُرُنِي فَأَنْطَلِقُ فَأَسْتَقْرِضُ فَأَشْتَرِي الْبُرْدَةَ وَالشَّيْءَ فَأَكْسُوهُ وَأُطْعِمُهُ، حَتَّى اعْتَرَضَنِي رَجُلٌ مِنَ الْمُشْرِكِينَ، فَقَالَ: يَا بِلَالُ، إِنَّ عِنْدِي سِعَةً فَلَا تَسْتَقْرِضْ مِنْ أَحَدٍ إِلَّا مِنِّي. فَفَعَلْتُ فَلَمَّا كَانَ ذَاتَ يَوْمٍ تَوَضَّأْتُ، ثُمَّ قُمْتُ لِأُؤَذِّنَ بِالصَّلَاةِ، فَإِذَا الْمُشْرِكُ فِي عِصَابَةٍ مِنَ التُّجَّارِ، فَلَمَّا رَآنِي قَالَ: يَا حَبَشِيُّ. قَالَ: قُلْتُ: يَا لَبَّيْهُ. فَتَجَهَّمَنِي، وَقَالَ قَوْلًا عَظِيمًا أَوْ غَلِيظًا، وَقَالَ: أَتَدْرِي كَمْ بَيْنَكَ وَبَيْنَ الشَّهْرِ؟ قُلْتُ: قَرِيبٌ. قَالَ إِنَّمَا بَيْنَكَ وَبَيْنَهُ أَرْبَعُ لَيَالٍ فَآخُذُكَ بِالَّذِي لِي عَلَيْكَ، فَإِنِّي لَمْ أُعْطِكَ الَّذِي أَعْطَيْتُكَ مِنْ كَرَامَتِكَ، وَلَا مِنْ كَرَامَةِ صَاحِبِكَ، وَإِنَّمَا أَعْطَيْتُكَ لِتَجِبَ لِي عَبْدًا فَأَذَرَكَ تَرْعَى الْغَنَمَ، كَمَا كُنْتَ قَبْلَ ذَلِكَ. قَالَ: فَأَخَذَ فِي نَفْسِي مَا يَأْخُذُ فِي أَنْفُسِ النَّاسِ، فَانْطَلَقْتُ ثُمَّ أَذَّنْتُ بِالصَّلَاةِ، حَتَّى إِذَا صَلَّيْتُ الْعَتَمَةَ وَرَجَعَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِلَى أَهْلِهِ، فَاسْتَأْذَنْتُ عَلَيْهِ، فَأَذِنَ لِي، فَقُلْتُ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، بِأَبِي أَنْتَ وَأُمِّي، إِنَّ الْمُشْرِكَ الَّذِي ذَكَرْتُ لَكَ أَنِّي كُنْتُ أَتَدَيَّنُ مِنْهُ قَدْ قَالَ كَذَا وَكَذَا، وَلَيْسَ عِنْدَكَ مَا يَقْضِي عَنِّي، وَلَا عِنْدِي، وَهُوَ فَاضِحِي، فَأْذَنْ لِي أَنْ آتِيَ بَعْضَ هَؤُلَاءِ الْأَحْيَاءِ الَّذِينَ قَدْ أَسْلَمُوا حَتَّى يَرْزُقَ اللَّهُ رَسُولَهُ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَا يَقْضِي عَنِّي. فَخَرَجْتُ حَتَّى أَتَيْتُ مَنْزِلِي فَجَعَلْتُ سَيْفِي وَجِرَابِي وَرُمْحِي وَنَعْلِي عِنْدَ رَأْسِي، فَاسْتَقْبَلْتُ بِوَجْهِيَ الْأُفُقَ، فَكُلَّمَا نِمْتُ انْتَبَهْتُ، فَإِذَا رَأَيْتُ عَلَيَّ لَيْلًا نِمْتُ حَتَّى انْشَقَّ عَمُودُ الصُّبْحِ الْأَوَّلِ فَأَرَدْتُ أَنْ أَنْطَلِقَ، فَإِذَا إِنْسَانٌ يَسْعَى يَدْعُو: يَا بِلَالُ أَجِبْ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ. فَانْطَلَقْتُ
পৃষ্ঠা - ৪৬৫২
حَتَّى أَتَيْتُهُ، فَإِذَا أَرْبَعُ رَكَائِبَ عَلَيْهِمْ أَحْمَالُهُنَّ، فَأَتَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَاسْتَأْذَنْتُ، فَقَالَ لِي رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَبْشِرْ فَقَدْ جَاءَكَ اللَّهُ بِقَضَاءِ دَيْنِكَ فَحَمِدْتُ اللَّهَ وَقَالَ: أَلَمْ تَمُرَّ عَلَى الرَّكَائِبِ الْمُنَاخَاتِ الْأَرْبَعِ قَالَ: قُلْتُ: بَلَى. قَالَ: فَإِنَّ لَكَ رِقَابَهُنَّ وَمَا عَلَيْهِنَّ فَإِذَا عَلَيْهِنَّ كِسْوَةٌ وَطَعَامٌ أَهْدَاهُنَّ لَهُ عَظِيمُ فَدَكَ. فَاقْبِضْهُنَّ إِلَيْكَ، ثُمَّ اقْضِ دَيْنَكَ قَالَ: فَفَعَلْتُ فَحَطَطْتُ عَنْهُنَّ أَحْمَالَهُنَّ، ثُمَّ عَقَلْتُهُنَّ، ثُمَّ عَمَدْتُ إِلَى تَأْذِينِ صَلَاةِ الصُّبْحِ حَتَّى إِذَا صَلَّى رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ خَرَجْتُ إِلَى الْبَقِيعِ فَجَعَلْتُ أُصْبُعِي فِي أُذُنِي، فَنَادَيْتُ فَقُلْتُ: مَنْ كَانَ يَطْلُبُ مِنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ دَيْنًا فَلْيَحْضُرْ. فَمَا زِلْتُ أَبِيعُ وَأَقْضِي، وَأَعْرِضُ وَأَقْضِي حَتَّى لَمْ يَبْقَ عَلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ دَيْنٌ فِي الْأَرْضِ حَتَّى فَضَلَ عِنْدِي أُوقِيَّتَانِ أَوْ أُوقِيَّةٌ وَنِصْفٌ، ثُمَّ انْطَلَقْتُ إِلَى الْمَسْجِدِ وَقَدْ ذَهَبَ عَامَّةُ النَّهَارِ، فَإِذَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَاعِدٌ فِي الْمَسْجِدِ وَحْدَهُ، فَسَلَّمْتُ عَلَيْهِ، فَقَالَ لِي مَا فَعَلَ مَا قِبَلَكَ؟ قُلْتُ: قَدْ قَضَى اللَّهُ كُلَّ شَيْءٍ كَانَ عَلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَلَمْ يَبْقَ شَيْءٌ. قَالَ: فَضَلَ شَيْءٌ؟ قُلْتُ: نَعَمْ: دِينَارَانِ. قَالَ: انْظُرْ أَنْ تُرِيحَنِي مِنْهُمَا، فَلَسْتُ بِدَاخِلٍ عَلَى أَحَدٍ مِنْ أَهْلِي حَتَّى تُرِيحَنِي مِنْهُمَا قَالَ: فَلَمْ يَأْتِنَا أَحَدٌ فَبَاتَ فِي الْمَسْجِدِ حَتَّى أَصْبَحَ، وَظَلَّ فِي الْمَسْجِدِ الْيَوْمَ الثَّانِيَ حَتَّى إِذَا كَانَ فِي آخِرِ النَّهَارِ جَاءَ رَاكِبَانِ فَانْطَلَقْتُ بِهِمَا
পৃষ্ঠা - ৪৬৫৩
فَكَسَوْتُهُمَا وَأَطْعَمْتُهُمَا، حَتَّى إِذَا صَلَّى الْعَتَمَةَ دَعَانِي فَقَالَ: مَا فَعَلَ الَّذِي قِبَلَكَ؟ قُلْتُ: قَدْ أَرَاحَكَ اللَّهُ مِنْهُ. فَكَبَّرَ وَحَمِدَ اللَّهَ شَفَقًا مِنْ أَنْ يُدْرِكَهُ الْمَوْتُ وَعِنْدَهُ ذَلِكَ، ثُمَّ اتَّبَعْتُهُ حَتَّى جَاءَ أَزْوَاجَهُ، فَسَلَّمَ عَلَى امْرَأَةٍ امْرَأَةٍ حَتَّى أَتَى مَبِيتَهُ فَهَذَا الَّذِي سَأَلْتَنِي عَنْهُ» .
وَقَالَ التِّرْمِذِيُّ فِي " الشَّمَائِلِ ": حَدَّثَنَا هَارُونُ بْنُ مُوسَى بْنِ أَبِي عَلْقَمَةَ الْمَدِينِيُّ، حَدَّثَنِي أَبِي، عَنْ هِشَامِ بْنِ سَعْدٍ، عَنْ زَيْدِ بْنِ أَسْلَمَ، عَنْ أَبِيهِ، «عَنْ عُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ، أَنَّ رَجُلًا جَاءَ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَسَأَلَهُ أَنْ يُعْطِيَهُ فَقَالَ: " مَا عِنْدِي مَا أُعْطِيكَ، وَلَكِنِ ابْتَعْ عَلَيَّ، فَإِذَا جَاءَنِي شَيْءٌ قَضَيْتُهُ " فَقَالَ عُمَرُ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، قَدْ أَعْطَيْتَهُ فَمَا كَلَّفَكَ اللَّهُ مَا لَا تَقْدِرُ عَلَيْهِ. فَكَرِهَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَوْلَ عُمَرَ، فَقَالَ رَجُلٌ مِنَ الْأَنْصَارِ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، أَنْفِقْ وَلَا تَخَفْ مِنْ ذِي الْعَرْشِ إِقْلَالًا. فَتَبَسَّمَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَعُرِفَ التَّبَسُّمُ فِي وَجْهِهِ؛ لِقَوْلِ الْأَنْصَارِيِّ، وَقَالَ: بِهَذَا أُمِرْتُ» وَفِي الْحَدِيثِ «أَلَا إِنَّهُمْ لَيَسْأَلُونِي وَيَأْبَى اللَّهُ لِيَ الْبُخْلَ وَقَالَ يَوْمَ حُنَيْنٍ حِينَ سَأَلُوهُ قَسْمَ الْغَنَائِمِ: وَاللَّهِ لَوْ أَنَّ عِنْدِي عَدَدَ هَذِهِ الْعِضَاهِ نَعَمًا لَقَسَمْتُهَا فِيكُمْ، ثُمَّ لَا تَجِدُونِي بَخِيلًا وَلَا جَبَانًا، وَلَا كَذَّابًا» صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ.
পৃষ্ঠা - ৪৬৫৪
وَقَالَ التِّرْمِذِيُّ: ثَنَا عَلِيُّ بْنُ حُجْرٍ، ثَنَا شَرِيكٌ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مُحَمَّدِ بْنِ عَقِيلٍ، عَنْ الرُّبَيِّعِ بِنْتِ مُعَوِّذِ ابْنِ عَفْرَاءَ قَالَتْ: «أَتَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِقِنَاعٍ مِنْ رُطَبٍ، وَأَجْرٍ زُغْبٍ، فَأَعْطَانِي مِلْءَ كَفِّهِ حُلِيًّا أَوْ ذَهَبًا» .
وَقَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ مُطَرِّفٍ، عَنْ عَطِيَّةَ، عَنْ أَبِي سَعِيدٍ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «كَيْفَ أَنْعَمُ وَقَدِ الْتَقَمَ صَاحِبُ الْقَرْنِ الْقَرْنَ، وَحَنَى جَبْهَتَهُ وَأَصْغَى سَمْعَهُ يَنْتَظِرُ مَتَى يُؤْمَرُ " قَالَ الْمُسْلِمُونَ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، فَمَا نَقُولُ؟ قَالَ: " قُولُوا حَسْبُنَا اللَّهُ وَنِعْمَ الْوَكِيلُ، عَلَى اللَّهِ تَوَكَّلْنَا» وَرَوَاهُ التِّرْمِذِيُّ، عَنِ ابْنِ أَبِي عُمَرَ، عَنْ سُفْيَانَ بْنِ عُيَيْنَةَ، عَنْ مُطَرِّفٍ، وَمِنْ حَدِيثِ خَالِدِ بْنِ طَهْمَانَ، كِلَاهُمَا عَنْ عَطِيَّةَ، وَهُوَ ابْنُ سَعْدٍ الْعَوْفِيُّ الْجَدَلِيُّ أَبُو الْحَسَنِ الْكُوفِيُّ، عَنْ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ، وَقَالَ التِّرْمِذِيُّ: حَسَنٌ. قُلْتُ: وَقَدْ رُوِيَ مِنْ وَجْهٍ آخَرَ عَنْهُ مِنْ حَدِيثِ ابْنِ عَبَّاسٍ، كَمَا سَيَأْتِي فِي مَوْضِعِهِ.
وَمِنْ تَوَاضُعِهِ عَلَيْهِ الصَّلَاةُ وَالسَّلَامُ. قَالَ أَبُو عَبْدِ اللَّهِ بْنُ مَاجَهْ: حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ مُحَمَّدِ بْنِ يَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ الْقَطَّانُ، ثَنَا عَمْرُو بْنُ مُحَمَّدٍ الْعَنْقَزِيُّ،
পৃষ্ঠা - ৪৬৫৫
ثَنَا أَسْبَاطُ بْنُ نَصْرٍ، عَنِ السُّدِّيِّ، عَنْ أَبِي سَعْدٍ الْأَزْدِيِّ - وَكَانَ قَارِئَ الْأَزْدِ - عَنْ أَبِي الْكَنُودِ، عَنْ خَبَّابٍ فِي قَوْلِهِ تَعَالَى: {وَلَا تَطْرُدِ الَّذِينَ يَدْعُونَ رَبَّهُمْ بِالْغَدَاةِ وَالْعَشِيِّ يُرِيدُونَ وَجْهَهُ إِلَى قَوْلِهِ: فَتَكُونَ مِنَ الظَّالِمِينَ} [الأنعام: 52] . قَالَ: «جَاءَ الْأَقْرَعُ بْنُ حَابِسٍ التَّمِيمِيُّ، وعُيَيْنَةُ بْنُ حِصْنٍ الْفَزَارِيُّ، فَوَجَدُوا رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَعَ صُهَيْبٍ وَبِلَالٍ وَعَمَّارٍ وَخَبَّابٍ قَاعِدًا فِي نَاسٍ مِنَ الضُّعَفَاءِ مِنَ الْمُؤْمِنِينَ، فَلَمَّا رَأَوْهُمْ حَوْلَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ حَقَرُوهُمْ، فَأَتَوْا فَخَلَوْا بِهِ وَقَالُوا: إِنَّا نُرِيدُ أَنْ تَجْعَلَ لَنَا مِنْكَ مَجْلِسًا تَعْرِفُ لَنَا بِهِ الْعَرَبُ فَضْلَنَا، فَإِنَّ وُفُودَ الْعَرَبِ تَأْتِيكَ فَنَسْتَحِي أَنْ تَرَانَا الْعَرَبُ مَعَ هَذِهِ الْأَعْبُدِ، فَإِذَا نَحْنُ جِئْنَاكَ فَأَقِمْهُمْ عَنْكَ، فَإِذَا نَحْنُ فَرَغْنَا فَاقْعُدْ مَعَهُمْ إِنْ شِئْتَ. قَالَ: " نَعَمْ " قَالُوا: فَاكْتُبْ لَنَا عَلَيْكَ كِتَابًا. قَالَ فَدَعَا بِصَحِيفَةٍ، وَدَعَا عَلِيًّا لِيَكْتُبَ، وَنَحْنُ قُعُودٌ فِي نَاحِيَةٍ، فَنَزَلَ جِبْرِيلُ عَلَيْهِ السَّلَامُ، فَقَالَ: {وَلَا تَطْرُدِ الَّذِينَ يَدْعُونَ رَبَّهُمْ بِالْغَدَاةِ وَالْعَشِيِّ يُرِيدُونَ وَجْهَهُ مَا عَلَيْكَ مِنْ حِسَابِهِمْ مِنْ شَيْءٍ وَمَا مِنْ حِسَابِكَ عَلَيْهِمْ مِنْ شَيْءٍ فَتَطْرُدَهُمْ فَتَكُونَ مِنَ الظَّالِمِينَ} [الأنعام: 52] ثُمَّ ذَكَرَ الْأَقْرَعَ بْنَ حَابِسٍ وَعُيَيْنَةَ بْنَ حِصْنٍ فَقَالَ: {وَكَذَلِكَ فَتَنَّا بَعْضَهُمْ بِبَعْضٍ لِيَقُولُوا أَهَؤُلَاءِ مَنَّ اللَّهُ عَلَيْهِمْ مِنْ بَيْنِنَا أَلَيْسَ اللَّهُ بِأَعْلَمَ بِالشَّاكِرِينَ} [الأنعام: 53] . ثُمَّ قَالَ: {وَإِذَا جَاءَكَ الَّذِينَ يُؤْمِنُونَ بِآيَاتِنَا فَقُلْ سَلَامٌ عَلَيْكُمْ كَتَبَ رَبُّكُمْ عَلَى نَفْسِهِ الرَّحْمَةَ} [الأنعام: 54] . قَالَ: فَدَنَوْنَا مِنْهُ حَتَّى، وَضَعْنَا رُكَبَنَا عَلَى رُكْبَتِهِ، وَكَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَجْلِسُ مَعَنَا، فَإِذَا أَرَادَ أَنْ يَقُومَ قَامَ وَتَرَكَنَا، فَأَنْزَلَ اللَّهُ عَزَّ
পৃষ্ঠা - ৪৬৫৬
وَجَلَّ: {وَاصْبِرْ نَفْسَكَ مَعَ الَّذِينَ يَدْعُونَ رَبَّهُمْ بِالْغَدَاةِ وَالْعَشِيِّ يُرِيدُونَ وَجْهَهُ وَلَا تَعْدُ عَيْنَاكَ عَنْهُمْ} [الكهف: 28] وَلَا تُجَالِسِ الْأَشْرَافَ {تُرِيدُ زِينَةَ الْحَيَاةِ الدُّنْيَا وَلَا تُطِعْ مَنْ أَغْفَلْنَا قَلْبَهُ عَنْ ذِكْرِنَا} [الكهف: 28] يَعْنِي عُيَيْنَةَ وَالْأَقْرَعَ {وَاتَّبَعَ هَوَاهُ وَكَانَ أَمْرُهُ فُرُطًا} [الكهف: 28] . قَالَ: هَلَاكًا. قَالَ: أَمْرُ عُيَيْنَةَ وَالْأَقْرَعِ. ثُمَّ ضَرَبَ لَهُمْ مَثَلَ الرَّجُلَيْنِ وَمَثَلَ الْحَيَاةِ الدُّنْيَا. قَالَ خَبَّابٌ: فَكُنَّا نَقْعُدُ مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَإِذَا بَلَغْنَا السَّاعَةَ الَّتِي يَقُومُ قُمْنَا وَتَرَكْنَاهُ حَتَّى يَقُومَ» .
ثُمَّ قَالَ ابْنُ مَاجَهْ: حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ حَكِيمٍ، ثَنَا أَبُو دَاوُدَ، ثَنَا قَيْسُ بْنُ الرَّبِيعِ، عَنِ الْمِقْدَامِ بْنِ شُرَيْحٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ سَعْدٍ قَالَ: «نَزَلَتْ هَذِهِ الْآيَةُ فِينَا سِتَّةٍ؛ فِيَّ وَفِي ابْنِ مَسْعُودٍ وَصْهَيْبٍ وَعَمَّارٍ وَالْمِقْدَادِ وَبِلَالٍ. قَالَ: قَالَتْ قُرَيْشٌ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، إِنَّا لَا نَرْضَى أَنْ نَكُونَ أَتْبَاعًا لَهُمْ، فَاطْرُدْهُمْ عَنْكَ. قَالَ: فَدَخَلَ قَلْبَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِنْ ذَلِكَ مَا شَاءَ اللَّهُ أَنْ يَدْخُلَ، فَأَنْزَلَ اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ: {وَلَا تَطْرُدِ الَّذِينَ يَدْعُونَ رَبَّهُمْ بِالْغَدَاةِ وَالْعَشِيِّ يُرِيدُونَ وَجْهَهُ} [الأنعام: 52] الْآيَةَ» .
وَقَالَ الْحَافِظُ الْبَيْهَقِيُّ: أَنَا أَبُو مُحَمَّدٍ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ يُوسُفَ الْأَصْفَهَانِيُّ، أَنَا أَبُو سَعِيدِ بْنُ الْأَعْرَابِيِّ، ثَنَا أَبُو الْحُسَيْنِ خَلَفُ بْنُ مُحَمَّدٍ الْوَاسِطِيُّ كُرْدُوسٌ،
পৃষ্ঠা - ৪৬৫৭
ثَنَا يَزِيدُ بْنُ هَارُونَ، ثَنَا جَعْفَرُ بْنُ سُلَيْمَانَ الضُّبَعِيُّ، ثَنَا الْمُعَلَّى بْنُ زِيَادٍ، يَعْنِي عَنِ الْعَلَاءِ بْنِ بَشِيرٍ الْمَازِنِيِّ، ثَنَا أَبُو الصِّدِّيقِ النَّاجِيُّ، عَنْ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ قَالَ: «كُنْتُ فِي عِصَابَةٍ مِنَ الْمُهَاجِرِينَ جَالِسًا مَعَهُمْ، وَإِنَّ بَعْضَهُمْ لَيَسْتَتِرُ بِبَعْضٍ مِنَ الْعُرْيِ، وَقَارِئٌ لَنَا يَقْرَأُ عَلَيْنَا، فَكُنَّا نَسْمَعُ إِلَى كِتَابِ اللَّهِ، فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " الْحَمْدُ لِلَّهِ الَّذِي جَعَلَ مِنْ أُمَّتِي مَنْ أُمِرْتُ أَنْ أَصْبِرَ مَعَهُمْ نَفْسِي ". قَالَ: ثُمَّ جَلَسَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَسْطَنَا لِيَعْدِلَ بَيْنَنَا نَفْسَهُ فِينَا، ثُمَّ قَالَ بِيَدِهِ هَكَذَا. قَالَ: فَاسْتَدَارَتِ الْحَلْقَةُ وَبَرَزَتْ وُجُوهُهُمْ. قَالَ: فَمَا عَرَفَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَحَدًا مِنْهُمْ غَيْرِي. فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ " أَبْشِرُوا مَعَاشِرَ صَعَالِيكِ الْمُهَاجِرِينَ بِالنُّورِ التَّامِّ يَوْمَ الْقِيَامَةِ، تَدْخُلُونَ الْجَنَّةَ قَبْلَ الْأَغْنِيَاءِ بِنِصْفِ يَوْمٍ، وَذَلِكَ خَمْسُمِائَةِ عَامٍ» ".
وَقَدْ رَوَى الْإِمَامُ أَحْمَدُ وَأَبُو دَاوُدَ وَالتِّرْمِذِيُّ، مِنْ حَدِيثِ حَمَّادِ بْنِ سَلَمَةَ، عَنْ حُمَيْدٍ، عَنْ أَنَسٍ قَالَ: «لَمْ يَكُنْ شَخْصٌ أَحَبَّ إِلَيْهِمْ مِنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ. قَالَ: وَكَانُوا إِذَا رَأَوْهُ لَمْ يَقُومُوا؛ لِمَا يَعْلَمُونَ مِنْ كَرَاهِيَتِهِ لِذَلِكَ» .
পৃষ্ঠা - ৪৬৫৮
মন দিয়ে আল্লাহ্র কালাম শুনছিলাম ৷ তখন রাসুলুল্লাহ্ (সা) বললেন, প্রশংসা ঐ আল্লাহ্র,
যিনি আমার উম্মতের মাঝে এমন লোক পয়দা করেছেন, যাদের সংস্পর্শে নিজকে ধৈর্য সহকারে
রাখতে আমাকে আদেশ করা হয়েছে ৷ রাবী বলেন, তখন চক্রাকারে উপবিষ্ট সকলে ঘুরে বসল
এবং তাদের চেহারা প্রকাশ পেল ৷ (তিনি বলেন) কিন্তু রাসুলুল্লাহ্ (না) তাদের মাঝে একমাত্র
আমাকে ব্যতীত কাউকেই চিনলেন না ৷ তখন তিনি বললেন, হে দরিদ্র-নিঃস্ব মুহাজির
সম্প্রদায় ৷ তোমরা কাল কিয়ামত দিবসের পুর্ণ নুর ও জ্যোতির সুসংবাদ গ্রহণ কর ৷ ধনীদের
অর্ধ-দিবস পুর্বেই তোমরা জান্নাতে প্রবেশ করবে আর তা হবে (এ দুনিয়ার) পাচশ বছর ৷
ইমাম আহমদ, আবু দাউদ ও তিরমিযী হাম্মাদ ইবন সালামার হাদীস সংগ্রহ থেকে হুমায়দ
আনাস সুত্রে রিওয়ায়াত করেছেন যে, তিনি বলেছেন, তাদের কাছে রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর
চাইতে প্রিয়৩ র কেউ ছিল না ৷ আনাস (রা) বলেন, তারা (সড়াহাবাগণ) যখন তাকে দেখতে
পেতেন (অর্থাৎ তার আণমনকালে ) তার সম্মানার্থে উঠে দাড়ান্থ৩ ন না ৷ কেননা তিনি যে তা
পছন্দ করতেন না তা তাদের জানা ছিল ৷
পরািচ্ছদ
নবী করীম (না)-এর ইবাদত বন্দেগী এবং এ ব্যাপারে তার চেষ্টা সাধনা
হযরত আইশা (রা) বলেন, রাসুলুল্লাহ্ (সা) এমনভাবে (ক্রমাগত) রােযা রেখে যেতেন
যে, আমরা বলাবলি কর৩ তাম, তিনি বুঝি আর রােযা ক্ষান্ত দেবেন না ৷ আবার এমনভাবে
ক্রাগত রােয৷ না রেখে রেখে থাকতেন যে, আমরা বলাবলি করতাম,৩ তিনি বুঝি আর রােযা
রাখবেন না ৷ তুমি ইচ্ছা করলে রাত্রে তাকে (নামাঘে) দণ্ডায়মান দেখতে পেতে, ইচ্ছা করলে
ঘুমত ৷ তিনি বলেন, রমযানে কিংবা অন্য কোন সময়ে (রাত্রিকালে ইশার পর) তিনি এগার
রড়াকআতের বেশি পড়েননি ৷ প্রথমে চার রাকআত পড়তেন-এই চার রাকআত কেমন দীর্ঘ
ছিল বা কেমন সুন্দর ছিল, সে সম্পর্কে তোমার প্রশ্ন করার কিছু নেই ৷ তারপর চার রাকআত
৷ ৩াও দৈর্থো ও সৌন্দর্যে অনুপম ও প্রশ্নাভীত, তারপর তিনি তিন রাক আত বিত্র পড়তেন ৷
তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ্ (সা) যখন কোন সুরা৩ তিলাওয়াত করতেন তখন তারভীলের (ধীর
স্থিরত৷ ও সুস্পষ্টতার) কারণে তা অনেক অনেক দীর্ঘ হয়ে যেত ৷ তিনি বলেন, তিনি এত দীর্ঘ
সময়ে নামাযে দাড়িয়ে থাকতেন যে, তার র্দাড়ানাের কষ্ট দেখে আমার তার জন্য বড় করুণা
হতো ইবন মাসউদ (রা) উল্লেখ করেন যে, তিনি এক রাত্রে তার সাথে নামায পড়লেন, তখন
তিনি প্রথম রাকআতে সুরা বাকারা , নিসা ও আলে ইমরান তিলাওয়াত করলেন ৷ তারপর তার
সমপরিমাণ সময় রুকু করলেন এবং রুকুর পর সমপরিমাণ সময় কিয়াম করলেন, তারপর
সমপরিমাণ সময় সিজদা করলেন ৷
হযরত আবু যার (বা) থেকে বর্ণিত আছে যে, এক রাত্রে রাসুলুল্লাহ্ (সা) নামাযে দাড়িয়ে
এই আয়াত পড়তে পড়তে সকাল করে ফেললেন :
শ্
ন্ঠু;,;াষ্ ণ্ধ্ণ্,ন্প্লুদ্ টু, ৷
“আপনি যদি তাদেরকে শাস্তি দেন তাহলে তারা তাে আপনারই বন্দো, আর যদি তাদেরকে
ক্ষমা করেন তাহলে আপনি পরাক্রমশালী, প্রজ্ঞাময়” (৫ মায়িদা : ১১৮) ৷
[فَصْلٌ فِي عِبَادَتِهِ عَلَيْهِ الصَّلَاةُ وَالسَّلَامُ وَاجْتِهَادِهِ فِي ذَلِكَ]
قَالَتْ عَائِشَةُ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهَا: «كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَصُومُ حَتَّى نَقُولَ: لَا يُفْطِرُ. وَيُفْطِرُ حَتَّى نَقُولَ: لَا يَصُومُ. وَكَانَ لَا تَشَاءُ تَرَاهُ مِنَ اللَّيْلِ قَائِمًا إِلَّا رَأَيْتَهُ، وَلَا تَشَاءُ تَرَاهُ نَائِمًا إِلَّا رَأَيْتَهُ. قَالَتْ: وَمَا زَادَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي رَمَضَانَ وَلَا فِي غَيْرِهِ عَلَى إِحْدَى عَشْرَةَ رَكْعَةً، يُصَلِّي أَرْبَعًا، فَلَا تَسْأَلْ عَنْ حُسْنِهِنَّ وَطُولِهِنَّ، ثُمَّ يُصَلِّي أَرْبَعًا، فَلَا تَسْأَلْ عَنْ حُسْنِهِنَّ وَطُولِهِنَّ، ثُمَّ يُوتِرُ بِثَلَاثٍ. قَالَتْ: وَكَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقْرَأُ السُّورَةَ فَيُرَتِّلُهَا حَتَّى تَكُونَ أَطْوَلَ مِنْ أَطْوَلَ مِنْهَا. قَالَتْ: وَلَقَدْ كَانَ يَقُومُ حَتَّى أَرْثِيَ لَهُ؛ مِنْ شِدَّةِ قِيَامِهِ» .
وَذَكَرَ ابْنُ مَسْعُودٍ «أَنَّهُ صَلَّى مَعَهُ لَيْلَةً فَقَرَأَ فِي الرَّكْعَةِ الْأَوْلَى بِالْبَقَرَةِ وَالنِّسَاءِ
পৃষ্ঠা - ৪৬৫৯
وَآلِ عِمْرَانَ، ثُمَّ رَكَعَ قَرِيبًا مِنْ ذَلِكَ، وَرَفَعَ نَحْوَهُ وَسَجَدَ نَحْوَهُ» .
وَعَنْ أَبِي ذَرٍّ، «أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَامَ لَيْلَةً حَتَّى أَصْبَحَ يَقْرَأُ هَذِهِ الْآيَةَ: {إِنْ تُعَذِّبْهُمْ فَإِنَّهُمْ عَبَّادُكَ وَإِنْ تَغْفِرْ لَهُمْ فَإِنَّكَ أَنْتَ الْعَزِيزُ الْحَكِيمُ} [المائدة: 118] » [الْمَائِدَةِ: 118] . رَوَاهُ أَحْمَدُ.
وَكُلُّ هَذَا فِي " الصَّحِيحَيْنِ " وَغَيْرِهِمَا مِنَ الصِّحَاحِ، وَمَوْضِعُ بَسْطِ هَذِهِ الْأَشْيَاءِ فِي كِتَابِ " الْأَحْكَامِ الْكَبِيرِ ".
وَقَدْ ثَبَتَ فِي " الصَّحِيحَيْنِ " مِنْ حَدِيثِ سُفْيَانَ بْنِ عُيَيْنَةَ، عَنْ زِيَادِ بْنِ عِلَاقَةَ، عَنِ الْمُغِيرَةِ بْنِ شُعْبَةَ، «أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَامَ حَتَّى تَفَطَّرَتْ قَدَمَاهُ، فَقِيلَ لَهُ: أَلَيْسَ قَدْ غَفَرَ اللَّهُ لَكَ مَا تَقَدَّمَ مِنْ ذَنْبِكَ وَمَا تَأَخَّرَ؟! قَالَ: " أَفَلَا أَكُونُ عَبْدًا شَكُورًا» .
وَتَقَدَّمَ فِي حَدِيثِ سَلَّامِ بْنِ سُلَيْمَانَ، عَنْ ثَابِتٍ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «حُبِّبَ إِلَيَّ الطِّيبُ وَالنِّسَاءُ، وَجُعِلَتْ قُرَّةُ عَيْنِي فِي الصَّلَاةِ» " رَوَاهُ أَحْمَدُ وَالنَّسَائِيُّ.
وَقَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: ثَنَا عَفَّانُ، ثَنَا حَمَّادُ بْنُ سَلَمَةَ، أَخْبَرَنِي عَلِيُّ بْنُ زَيْدٍ، عَنْ يُوسُفَ بْنِ مِهْرَانَ عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، «أَنَّ جِبْرِيلَ قَالَ لِرَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: إِنَّهُ قَدْ حُبِّبَ إِلَيْكَ الصَّلَاةُ فَخُذْ مِنْهَا مَا شِئْتَ» .
পৃষ্ঠা - ৪৬৬০
এই হাদীসখানি ইমাম আহমদ রিওয়ায়াত করেছেন ৷ আর এসবই বুখারী মুসলিম এবং
হাদীসের অন্যান্য সহীহ্ গ্রন্থে বিদ্যমান ৷ আর এ সকল বিষয় বিশদতাবে আলোচনার ক্ষেত্র হল
কিতড়াবুল আহকাম আল-কাবীয়’ ৷
সুফিয়ান ইবন উয়ায়নার হাদীস সংগ্রহ থেকে বুখারী ও মুসলিমে বর্ণিত আছে যে,
রাসুলুল্লাহ (সা) এত দীর্ঘক্ষণ নামাযে দাড়িয়ে থাকতেন যে, তার পদদ্বয় ফেটে যেত ৷ এ প্রসঙ্গে
তাকে বলা হল, আল্লাহ্ কি আপনার পুর্বাপর সকল ত্রুটি বিচ্যুতি ক্ষমা করে দেননি ? তখন
তিনি বলৰ্ত তন আমি কি তার শোকরগুযার (কৃতজ্ঞ) বান্দ৷ হবে৷ না ? আর সালাম ইবন
সুলায়মানের হাদীস সংগ্রহে হযরত আনাস সুত্রে ইতোপুর্বে বর্ণিত হয়েছে যে, রাসুলুল্লাহ্ (সা)
ইরশাদ করেছেন, আমার কাছে সুগন্ধি ও নারীকে প্রিয় করা হয়েছে আর নড়ামাযে আমার চক্ষুর
শীত লত৷ রাখা হয়েছে ৷ ইমাম আহমদ ও নাসাঈ হাদীসখড়ানি রিওয়ায়াত করেছেন ৷ ইমাম
আহমদ, আফ্ফান ইবন আব্বাস সুত্রে বর্ণনা করেন যে, জিবরাঈল রাসুলুল্লাহ্ (সা)-ণ্ক
বললেন :
“আপনার কাছে নামাযকে প্রিয় করা হয়েছে ৷ সুতরাং আপনি তা থেকে যত ইচ্ছা গ্রহণ
করুন ৷’
বুখারী ও মুসলিংম হযরত আবুদ দারদা থেকে বর্ণিত আছে ৷ তিনি বলেন, (একবার)
রমযান মাসে প্রচণ্ড গরমের মাঝে আমরা রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর সাথে সফরে বের হলড়াম ৷ এ
সময় রাসুলুল্লাহ্ (সা) এবং আবদুল্লাহ ইবন রাওয়াহড়া ব্যতীত আমাদের কেউ রােযাদার ছিল
না ৷ মানসুরের হাদীস সংগ্রহ থেকে বুখারী ও মুসলিম শরীফে আলকামার বরাতে বর্ণিত আছে ৷
তিনি বলেন, আমি হযরত আয়েশা (রা)-কে জিজ্ঞেস করলাম, ইরাদত-বন্দেগীর জন্য কি
রাসুলুল্লাহ (সা) বিশেষ কোন দিন নির্ধারিত করতেন? জবাবে তিনি বললেন, না ৷ তার আমল
ছিল নিয়মিত ৷ আর আল্লাহর রাসুল যা পারতেন তেমািদের কে তা পারবে? হযরত আনাস,
আবদুল্লাহ ইবন উমর, আবু হুরায়রা ও আয়েশা বর্ণিত হাদীস থেকে বুখারী ও মুসলিম শরীফে
একথা প্রামাণ্যরুপে সাব্যস্ত হয়েছে যে, রাসুলুল্লাহ্ (সা) নিজে (সাওমে বিছাল) বিরামহীনভাবে
রোয৷ রাখতেন; কিন্তু তার সাহাবীগণকে তা থেকে বারণ করেছেন এবং বলেছেন, আমিতাে
তোমাদের কারও মত নই ৷ আমি যখন আমার প্রতিপালকের কাছে (বিশেষ ব্যবস্থায়) রাত্রি
যাপন করি তখন তিনি আমাকে (বিশেষ ব্যবস্থায়) পানাহার করান ৷ আমি বলি, বিশুদ্ধ মত
হল, এই পানাহার হচ্ছে আধ্যাত্মিকভারে (বাহ্যিক পানাহার নয়) যেমন ইবন আসিম বর্ণিত
হাদীসে আছে যে, রাসুলুল্লাহ্ (সা) বলেছেন, তোমরা তোমাদের অসুস্থদের পানাহারে বাধ্য
করােনা , কেননা, আল্লাহ তাআলা তাদের (বিশেষ) পানাহারের ব্যবস্থা করেন ৷ র্জ্যনক করি কী
সুন্দরই না বলেছেন :
;াহু৷ ;)এ লোঃম্র
তোমার স্মৃতির মধুর আলোচনা তাকে পানাহার ও পাথােয়র কথা বিস্মৃত করে দেয় ৷
নযর ইবন শুমায়ল, মুহাম্মদ ইবন আমর আবু হুরায়রড়া সুত্রে বর্ণনা করেন যে,৩ তিনি
বলেছেন, প্রতিদিন আমি আল্লাহর কাছে একশ’বার তাওবা-ইসতিগৃফার করি ৷ বুখারী ফারয়াবী
وَثَبَتَ فِي " الصَّحِيحَيْنِ " عَنْ أَبِي الدَّرْدَاءِ قَالَ: «خَرَجْنَا مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي شَهْرِ رَمَضَانَ فِي حَرٍّ شَدِيدٍ، وَمَا فِينَا صَائِمٌ إِلَّا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَعَبْدُ اللَّهِ بْنُ رَوَاحَةَ» .
وَفِي " الصَّحِيحَيْنِ " مِنْ حَدِيثِ مَنْصُورٍ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ، عَنْ عَلْقَمَةَ قَالَ: «سَأَلْتُ عَائِشَةَ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهَا: هَلْ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَخُصُّ شَيْئًا مِنَ الْأَيَّامِ؟ قَالَتْ: لَا، كَانَ عَمَلُهُ دِيمَةً، وَأَيُّكُمْ يَسْتَطِيعُ مَا كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَسْتَطِيعُ؟» !
وَثَبَتَ فِي " الصَّحِيحَيْنِ " مِنْ حَدِيثِ أَنَسٍ وَعَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ وَأَبِي هُرَيْرَةَ وَعَائِشَةَ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمْ، «أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَانَ يُوَاصِلُ، وَنَهَى أَصْحَابَهُ عَنِ الْوِصَالِ وَقَالَ: " إِنِّي لَسْتُ كَأَحَدِكُمْ، إِنِّي أَبَيْتُ عِنْدَ رَبِّي يُطْعِمُنِي وَيَسْقِينِي» ".
وَالصَّحِيحُ أَنَّ هَذَا الْإِطْعَامَ وَالسُّقْيَا مَعْنَوِيَّانِ، كَمَا وَرَدَ فِي الْحَدِيثِ الَّذِي رَوَاهُ ابْنُ مَاجَهْ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ «لَا تُكْرِهُوا مَرْضَاكُمْ عَلَى الطَّعَامِ وَالشَّرَابِ؛ فَإِنَّ اللَّهَ يُطْعِمُهُمْ وَيَسْقِيهِمْ» وَمَا أَحْسَنَ مَا قَالَ بَعْضُهُمْ:
لَهَا أَحَادِيثُ مِنْ ذِكْرَاكَ تَشْغَلُهَا ... عَنِ الشَّرَابِ وَتُلْهِيهَا عَنِ الزَّادِ
وَقَالَ النَّضْرُ بْنُ شُمَيْلٍ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ عَمْرٍو، عَنْ أَبِي سَلَمَةَ عَنْ أَبِي
পৃষ্ঠা - ৪৬৬১
هُرَيْرَةَ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «إِنِّي لَأَسْتَغْفِرُ اللَّهَ وَأَتُوبُ إِلَيْهِ فِي الْيَوْمِ مِائَةَ مَرَّةٍ» ".
وَرَوَى الْبُخَارِيُّ، عَنِ الْفِرْيَابِيِّ، عَنِ الثَّوْرِيِّ، عَنِ الْأَعْمَشِ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ، عَنْ عُبَيْدَةَ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ قَالَ: «قَالَ لِي رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ " اقْرَأْ عَلَيَّ ". فَقُلْتُ: اقْرَأُ عَلَيْكَ، وَعَلَيْكَ أُنْزِلَ؟ فَقَالَ: " إِنِّي أُحِبُّ أَنْ أَسْمَعَهُ مِنْ غَيْرِي ". قَالَ: فَقَرَأْتُ سُورَةَ النِّسَاءِ حَتَّى إِذَا بَلَغْتُ: {فَكَيْفَ إِذَا جِئْنَا مِنْ كُلِّ أُمَّةٍ بِشَهِيدٍ وَجِئْنَا بِكَ عَلَى هَؤُلَاءِ شَهِيدًا} [النساء: 41] . قَالَ: " حَسْبُكَ ". فَالْتَفَتُّ فَإِذَا عَيْنَاهُ تَذْرِفَانِ» .
وَثَبَتَ فِي الصَّحِيحِ «أَنَّهُ عَلَيْهِ الصَّلَاةُ وَالسَّلَامُ، كَانَ يَجِدُ التَّمْرَةَ عَلَى فِرَاشِهِ فَيَقُولُ: لَوْلَا أَنِّي أَخْشَى أَنْ تَكُونَ مِنَ الصَّدَقَةِ لَأَكَلْتُهَا» .
وَقَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ حَدَّثَنَا: وَكِيعٌ، ثَنَا أُسَامَةُ بْنُ زَيْدٍ، عَنْ عَمْرِو بْنِ شُعَيْبٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ جَدِّهِ، أَنَّ «رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَجَدَ تَحْتَ جَنْبِهِ تَمْرَةً مِنَ اللَّيْلِ فَأَكَلَهَا، فَلَمْ يَنَمْ تِلْكَ اللَّيْلَةَ، فَقَالَ بَعْضُ نِسَائِهِ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، أَرِقْتَ اللَّيْلَةَ. قَالَ: " إِنِّي وَجَدْتُ تَحْتَ جَنْبِي تَمْرَةً فَأَكَلْتُهَا، وَكَانَ عِنْدَنَا تَمْرٌ مِنْ تَمْرِ الصَّدَقَةِ فَخَشِيتُ أَنْ تَكُونَ مِنْهُ» ". تَفَرَّدَ بِهِ أَحْمَدُ. وَأُسَامَةُ بْنُ زَيْدٍ هَذَا هُوَ اللَّيْثِيُّ؛ مِنْ
পৃষ্ঠা - ৪৬৬২
আবদুল্লাহ্ আমর আবু হুরায়রা সুত্রে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন, (একবার)
রাসুলুল্লাহ্ (সা) আমাকে বললেন, আমাকে তিলাওয়াত করে শুনাও৷ তখন আমি বললাম,
আপনাকে কী তিলাওয়াত করে শুনাবাে, আপনার উপরই তাে তা নাযিল হয়েছে? তিনি
বললেন, আমি তা অন্যের থেকে শুনতে তালবাসি ৷ তিনি (আবদুল্লাহ) বলেন, তখন আমি সুরা
আন-নিসা তিলাওয়াত শুরু করলাম ৷ অবশেষে আমি যখন এই আয়াতে পৌহ্না৷মং
-যখন প্রত্যেক উম্মত থেকে একজন সাক্ষী উপস্থিত করব এবং তোমাকে তাদের বিরুদ্ধে
সাক্ষীরুপে উপস্থিত করব, তখন কী অবস্থা হবে”? (৪ নিসাং : : ১ )
তখন তিনি বললেন; থাম, যথেষ্ট হয়েছে! তখন আমি তার দিকে ফিরে দেখলাম ,তার
চক্ষুদ্বয় অশ্রুপ্লাবিত ৷ সহীহ বুখারীতে রয়েছে যে, নবী করীম (সা) মাঝে মধ্যে তার বিছানায়
কোন খেজুর পােতন, তখন তিনি বলতেন, আমার যদি এই আশঙ্কা না হত যে তা সদকার
হতে পারে, তাহলে আমি তা খেতাম ৷ ইমাম আহমদ (বা) ওয়াকী আমর ইবন
শুআয়বের দাদা সুত্রে বর্ণনা করেন যে, (একবার) রাত্রিকালে তার পার্শ্বদেশের নীচে একটি
খেজুর পেয়ে তা খেয়ে ফেললেন, এরপর তিনি আর সেই রাত্রে ঘুমাতে পারলেন না ৷ তখন
তার এক সহধ্র্মিণী বললেন, ইয়া রাসুলাল্লাহ্! আপনি বিনিদ্র রাত কটিালেন? জবাবে তিনি
বললেন, পার্শ্বদেশের একপাশে একটি খেজুর পেয়ে আমি তা খেয়ে ফেলেছি ৷ আর এ সময়
আমাদের গৃহে কিছু সাদকার খেজুর ছিল, তখন আমার আশঙ্কা হল, খেজুরটি ঐ খেজুরও হতে
পারে ৷ হাদীসটি ইমাম আহমদের একক বর্ণনা ৷ আর এই হাদীসের রাবী উসামা ইবন যায়দ
(লড়ায়হী) ইমাম মুসলিমের অন্যতম রাবী ৷ আমি বলি, আমাদের বিশ্বাস, এই খেজুরটি
সাদকার খেজুর ছিল না ৷ যেহেতু নবী করীম (সা) ইসমতেরই , অধিকারী ছিলেন; কিন্তু তিনি
তার খোদাভীতি ও তাকওয়ার পুর্ণতার কারণে সেই রাত্রে বিনিদ্র থেকেছেন ৷ কেননা, বুখারী
শরীফে তার সম্পর্কে ’প্ৰড়ামাণ্য বর্ণনা রয়েছে যে, তিনি বলেছেন, আল্লাহ্র শপথ ! আমি
তোমাদের মাঝে সর্বাধিক মুত্তাকী (সতর্ক ও সংযমী) এবং কোন ব্যাপারে আমাকে সাবধান
হতে হবে সে সম্পর্কে সর্বাধিক জ্ঞাত ৷ অন্য হাদীসে রয়েছে, তিনি বলেছেন, সন্দেহযুক্ত বিষয়
ত্যাগ করে সন্দেহমুক্ত বিষয় গ্রহণ করবে ৷ আর হাম্মাদ ইবন সালামা,শ্ছাব্লিত মুতার্বাফ
ইবন আবদুল্লাহ ইবন শিখখীর (রা) সুত্রে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন : একদা আমি
রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর কাছে আসলাম ৷ তখন তিনি নামায পড়ছিলেন ৷ আর তার উদরাভ্যন্তর
থেকে ডেগৃচির টগবগ করার ন্যায় শব্দ শোনা যাচ্ছিল ৷ অন্য রিওয়ায়াতে আছে, কান্নার কারণে
তার বুকের অভ্যন্তরে ডেগের টগবগ করার ন্যায় শব্দ শোনা যাচ্ছিল ৷ বায়হাকী আবু কুরায়ব
মুহাম্মা ইবন আলা ইবন আব্বাস সুত্রে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন : একদা আবু
ন্ বকর (রা) বললেন, ইয়া রাসুলাল্লাহ৷ আপনি দেখছি বার্ধক্যে পৌছে গেছেন ৷ তখন তিনি
বললেন, সুরা হ্রদ, ওয়াকি আ, মুরসালাত, নাব৷ ও তাকভীর আমাকে বৃদ্ধ বানিয়ে ফেলছে!
আবুকুরায়ব সাঈদ সুত্রে তার ভিন্ন একটি রিওয়ায়াতে আছে, তিনি (আবু সাঈদ) বলেন,
১ ইসৃমাত৪ আল্লাহ্ প্রদত্ত ঐ যোগ্যতা যা আল্লাহর নাফরমানী ও তার প্রতি আকৃষ্ট হওয়া থেকে বিরত রাখে ৷
এটা একমাত্র নবীগণের বৈশিষ্ট্য ৷
رِجَالِ مُسْلِمٍ. وَالَّذِي نَعْتَقِدُ: أَنَّ هَذِهِ التَّمْرَةَ لَمْ تَكُنْ مِنْ تَمْرِ الصَّدَقَةِ؛ لِعِصْمَتِهِ عَلَيْهِ الصَّلَاةُ وَالسَّلَامُ، وَلَكِنْ مِنْ كَمَالِ وَرَعِهِ عَلَيْهِ الصَّلَاةُ وَالسَّلَامُ أَرِقَ تِلْكَ اللَّيْلَةَ.
وَقَدْ ثَبَتَ عَنْهُ فِي الصَّحِيحِ أَنَّهُ قَالَ: «وَاللَّهِ إِنِّي لَأَتْقَاكُمْ لِلَّهِ وَأَعْلَمُكُمْ بِمَا أَتَّقِي» وَفِي الْحَدِيثِ الْآخَرِ أَنَّهُ قَالَ: «دَعْ مَا يَرِيبُكَ إِلَى مَا لَا يَرِيبُكَ» .
وَقَالَ حَمَّادُ بْنُ سَلَمَةَ، عَنْ ثَابِتٍ، عَنْ مُطَرِّفِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الشِّخِّيرِ، عَنْ أَبِيهِ قَالَ: «أَتَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَهُوَ يُصَلِّي، وَلِجَوْفِهِ أَزِيزٌ كَأَزِيزِ الْمِرْجَلِ. وَفِي رِوَايَةٍ: وَفِي صَدْرِهِ أَزِيزٌ كَأَزِيزِ الرَّحَى مِنَ الْبُكَاءِ» .
وَرَوَى الْبَيْهَقِيُّ مِنْ طَرِيقِ أَبِي كُرَيْبٍ مُحَمَّدِ بْنِ الْعَلَاءِ الْهَمْدَانِيِّ، ثَنَا مُعَاوِيَةُ بْنُ هِشَامٍ، عَنْ شَيْبَانَ، عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ، عَنْ عِكْرِمَةَ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ قَالَ: «قَالَ أَبُو بَكْرٍ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، أَرَاكَ شِبْتَ. فَقَالَ: " شَيَّبَتْنِي هُودٌ وَالْوَاقِعَةُ وَالْمُرْسَلَاتُ وَعَمَّ يَتَسَاءَلُونَ وَإِذَا الشَّمْسُ كُوِّرَتْ» ".
পৃষ্ঠা - ৪৬৬৩
وَفِي رِوَايَةٍ لَهُ، عَنْ أَبِي كُرَيْبٍ، عَنْ مُعَاوِيَةَ بْنِ هِشَامٍ، عَنْ شَيْبَانَ، عَنْ فِرَاسٍ، عَنْ عَطِيَّةَ، عَنْ أَبِي سَعِيدٍ قَالَ: قَالَ عُمَرُ بْنُ الْخَطَّابِ: «يَا رَسُولَ اللَّهِ، أَسْرَعَ إِلَيْكَ الشَّيْبُ. فَقَالَ: " شَيَّبَتْنِي هُودٌ وَأَخَوَاتُهَا؛ الْوَاقِعَةُ، وَعَمَّ يَتَسَاءَلُونَ، وَإِذَا الشَّمْسُ كُوِّرَتْ» "
পৃষ্ঠা - ৪৬৬৪
(একবার) হযরত উমর বললেন, ইয়া রাসুলাল্লাহ্! আপনাকে দ্রুত বার্ধক্য পেয়ে বসেছে ৷ তখন
তিনি বললেন, সুরা হ্রদ ও এ জাতীয় সুরাগুলি, ওয়াকি আ না বা, তাকভীর আমাকে বৃদ্ধ বানিয়ে
ফেল্যেছ
নবী করীম (না)-এর বীরত্ব প্রসঙ্গ
গ্রন্থকার বলেন, আমি আমার তাফসীর গ্রন্থে অতীতকালের জনৈক পুণ্যবান পুরুষের
বরাতে উল্লেখ করেছি যে , তিনি আল্লাহ তাআলার এই বাণী দ্ভ
সুতরাং আল্লাহ্ৰ্ পথে যুদ্ধ কর, তোমাকে শুধু তোমার নিজের জন্য দায়ী করা হবে এবং
মুমিনদেরকে উদ্বুদ্ধ কব থেকে এই সিদ্ধান্ত আহরণ করেছেন যে, একাকী অবস্থায়
মুশবিকদের মুখোমুখি হলেও রাসুলুল্লাহ্ (সা)ত তাদের থেকে পলায়ন না করার জন্য আদিষ্ট
ছিলেন ৷ আর তিনি ছিলেন, সর্বাধিক সাহসী, ধৈর্যশীল এবং শক্তসমর্থ অরিচল ৷ তিনি কখনও
যুদ্ধ ক্ষেত্র থেকে পলায়ন করেননি, যদিও তীর সহযােদ্ধারা তাকে ছেড়ে চলে গেছেন ৷ জনৈক
সাহাবী বলেন, যুদ্ধ যখন তীব্রতয় হত এবং যােদ্ধারা প্রচণ্ড লড়াইয়ে লিপ্ত হত তখন আমরা
ষ্
রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর আড়ালে আত্মরক্ষা করতাম ৷ বদরের দিন তিনি যখন প্রু;ণ্ প্রু ৷ ঞাটুশ্
(চেহারাসমুহ বিকৃত হোক) বলে এক মুঠো কঙ্কর নিয়ে এক সহস্র কাফেরের দিকে ছুড়ে
মাবলেন, তখন তা তাদের সকলের উপরই পড়েছিল ৷ এভাবে হুনায়ন্সের দিলেও; যেমনটি
ইতিপুর্বে বিগত হয়েছে ৷ উহুদ যুদ্ধের দিন পরবর্তী অবস্থায় তার অধিকাৎশ সহযোদ্ধারা পলায়ন
করেছিলেন, কিন্তু তিনি স্বস্থানে স্থির ও অরিচল ছিলেন, তার সাথে শুধুমাত্র বারজন ছিলেন
যাদের ম কোর সাতজন নিহত হয়েছিলেন এবং পাচজন জীবিত ছিলেন ৷ আর এ সময়েই
উরাই ইবন খালুফ নিহত হয়েছিল ৷ আল্পাহ্ তাকে অভিশপ্ত করেন এবং সতুরই জাহান্নামে
প্রেরণ করেন ৷ আর হুনায়নের দিন সকলেই পলায়ন করেছিলেন, আর তাদের সং খ্যা ছিল বার
হাজার, এ সময় তিনি (তার) একশর মত সাহৰী নিয়ে স্বস্থানে অরিচল ছিলেন, সেদিন তিনি
তীর খচ্চর হীকিয়ে শত্রুদের দিকে অগ্রসর হচ্ছিলেন ৷ আর উচ্চস্বরে নিজের নাম ঘোষণা করে
আবৃত্তি করছিলেন :
াত্রৰু১া৷
“ আমি তা ৷ল্পাহ্র নবী মিথুদ্রক কভু নই
আবদুল মুত্তা ৷লিবের সন্তান আমি হই”
এমনকি শত্রুদের কেউ তার কাছে পৌছে যেতে পারে এ আশংকায় তার খচ্চরের চলার
গতি ৩হ্রড়াস করার জন্য হযরত আব্বাস, আলী ও আবু সুফিয়ান ঐ খচ্চরের সাথে ঝুলে
পড়ছিলেন ৷ (যুদ্ধের এই কঠিন মুহুর্ত পর্যন্ত) তিনি এরুপ স্থির ও অরিচল ছিলেন, অবশেষে
আল্লাহ তার ঐ স্থানেই তাকে সাহায্য ও সমর্থন যােগালেন ৷ আর লোকেরা যখন ফিরে আসল
তখন তার সামনে কর্তিত অঙ্গ-প্রত্যঙ্গসমুহ ভুপীকৃত হয়ে পড়ে রয়েছিল ৷ আবু যুরআ আব্বাস
ইবন আনাস (রা) সুত্রে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন, রাসুলুল্লাহ্ (সা) ইরশাদ
করেছেন, প্রচণ্ড আক্রমণের ক্ষমতা দ্বারা আমাকে লোকদের মাঝে শ্রেষ্ঠতু দান করা হয়েছে ৷
[فَصْلٌ فِي شَجَاعَتِهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ]
ذَكَرْتُ فِي " التَّفْسِيرِ " عَنْ بَعْضِ السَّلَفِ أَنَّهُ اسْتَنْبَطَ مِنْ قَوْلِهِ تَعَالَى: {فَقَاتِلْ فِي سَبِيلِ اللَّهِ لَا تُكَلَّفُ إِلَّا نَفْسَكَ وَحَرِّضِ الْمُؤْمِنِينَ} [النساء: 84] . أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَانَ مَأْمُورًا أَنْ لَا يَفِرَّ مِنَ الْمُشْرِكِينَ إِذَا وَاجَهُوهُ، وَلَوْ كَانَ وَحْدَهُ، مِنْ قَوْلِهِ: {لَا تُكَلَّفُ إِلَّا نَفْسَكَ} [النساء: 84] وَقَدْ كَانَ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِنْ أَشْجَعِ النَّاسِ وَأَصْبَرِ النَّاسِ وَأَجْلِدِهِمْ، مَا فَرَّ قَطُّ مِنْ مَصَافَّ وَلَوْ تَوَلَّى عَنْهُ أَصْحَابُهُ. قَالَ بَعْضُ الصَّحَابَةِ: كُنَّا إِذَا اشْتَدَّ الْحَرْبُ وَحَمِيَ الْبَأْسُ نَتَّقِي بِرَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ. فَفِي يَوْمِ بَدْرٍ رَمَى أَلْفَ مُشْرِكٍ بِقَبْضَةٍ مِنْ حَصْبَاءَ، فَنَالَتْهُمْ أَجْمَعِينَ حِينَ قَالَ: ( «شَاهَتِ الْوُجُوهُ» وَكَذَلِكَ يَوْمَ حُنَيْنٍ كَمَا تَقَدَّمَ، وَفَرَّ أَكْثَرُ أَصْحَابِهِ فِي ثَانِي الْحَالِ يَوْمَ أُحُدٍ وَهُوَ ثَابِتٌ فِي مُقَامِهِ لَمْ يَبْرَحْ مِنْهُ، وَلَمْ يَبْقَ مَعَهُ إِلَّا اثْنَا عَشَرَ، قُتِلَ مِنْهُمْ سَبْعَةٌ، وَبَقِيَ الْخَمْسَةُ، وَفِي هَذَا الْوَقْتِ قُتِلَ أُبَيُّ بْنُ خَلَفٍ، لَعَنَهُ اللَّهُ، فَعَجَّلَهُ اللَّهُ إِلَى النَّارِ، وَيَوْمَ حُنَيْنٍ وَلَّى النَّاسُ كُلُّهُمْ، وَكَانُوا يَوْمَئِذٍ اثَّنَيْ عَشَرَ أَلْفًا، وَثَبَتَ هُوَ فِي نَحْوٍ مِنْ مِائَةٍ مِنْ أَصْحَابِهِ وَهُوَ رَاكِبٌ يَوْمَئِذٍ بَغْلَتَهُ، وَهُوَ يَرْكُضُ بِهَا إِلَى نَحْوِ الْعَدُوِّ، وَهُوَ يُنَوِّهُ بِاسْمِهِ الْكَرِيمِ وَيُعْلِنُ بِذَلِكَ
পৃষ্ঠা - ৪৬৬৫
قَائِلًا: «أَنَا النَّبِيُّ لَا كَذِبْ، أَنَا ابْنُ عَبْدِ الْمُطَّلِبْ» حَتَّى جَعَلَ الْعَبَّاسُ وَعَلِيُّ وَأَبُو سُفْيَانَ بْنُ الْحَارِثِ يَتَعَلَّقُونَ فِي تِلْكَ الْبَغْلَةِ لِيُبَطِّؤُوا سَيْرَهَا؛ خَوْفًا عَلَيْهِ مِنْ أَنْ يَصِلَ أَحَدٌ مِنَ الْأَعْدَاءِ إِلَيْهِ، وَمَا زَالَ كَذَلِكَ حَتَّى نَصَرَهُ اللَّهُ وَأَيَّدَهُ فِي مَقَامِهِ ذَلِكَ، وَمَا تَرَاجَعَ النَّاسُ إِلَّا وَالْأُسَارَى مُكَبَّلَةٌ بَيْنَ يَدَيْهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ.
وَقَالَ أَبُو زُرْعَةَ حَدَّثَنَا الْعَبَّاسُ بْنُ الْوَلِيدِ بْنِ صُبْحٍ الدِّمَشْقِيُّ، حَدَّثَنَا مَرْوَانُ، يَعْنِي ابْنَ مُحَمَّدٍ، حَدَّثَنَا سَعِيدُ بْنُ بَشِيرٍ، عَنْ قَتَادَةَ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «فُضِّلْتُ عَلَى النَّاسِ بِشِدَّةِ الْبَطْشِ» .
পৃষ্ঠা - ৪৬৬৬
নবী করীম (না)-এর ঐ সকল গুণাগুণের বিবরণ,যেগুলেশ্ব পুর্ববর্তী
নবীগণের বরাতে প্রাচীন গ্রন্থসমুহে উদ্ধৃত হয়েছে
রাসুলুল্লাহ্ (সা)এর জন্মের পুর্বে প্রকাশিত শুভ লক্ষণসমুহের বিবরণে আমরা এ বিষয়ে
বেশ খানিকটা আলোচনা করেছি ৷ আর এখানে আমরা তার শ্রেষ্ঠাংশ উল্লেখ করছি ৷ ইমাম
বুখারী ও বায়হাকী (এখানে উল্লেখিত ভাষ্য বায়হাকীর) ফুলায়হ ইবন সুলায়মান আতা
ইবন ইয়াসার সুত্রে বর্ণনা করেন যে, তিন বলেছেন, একবার আবদৃল্লাহ্ ইবন আমরের সাথে
সাক্ষাৎ হলে আমি র্তাকে বললাম, তাওরাতে বর্ণিত রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর বর্ণনা সম্পর্কে
আমাকে বলুন ৷ তখন তিনি বললেন , হী; আল্লাহ্র কলম, আল ফুরকানে (অর্থাৎ কুরআনে)
তার যে সকল বিশেষণ বর্ণিত হয়েছে, তাওরাতে র্তাকে তার কতক বিশেষণে উল্লেখ করা
হয়েছে ৷ যেমন
“হে নবী ! আমিতাে তোমাকে পাঠিয়েছি সাক্ষীরুগে এবং সুসংবাদদাতা ও সতবকািরীরুপে
(৩৩ আহযাব : ৪৫) ৷ প্
এবং উঘীদের আশ্রয়স্থুলরুপে; তুমি আমার বান্দা ও রাসুল, তোমাকে আমি আল
মুতাওয়াক্কিল’ (ভরসাকারী) নামে অভিহিত করেছি, যে কর্কশভাষী নয় এবং হাটে বাজারে
শোরগােল ও কােলাহলকারী নয়, মন্দ আচরণকে মন্দ আচরণ দ্বারা প্রতিহত করে না; বরং
ক্ষমা ও মার্জনা করে, তার দ্বারা বক্র মিল্পাতকে সোজা না করে আমি তাকে মৃত্যু দান
করবনা ৷ অর্থাৎ লা ইলাহা ইল্লাল্লাহআল্লাহ্ ট্রুছাড়া কোন উপাস্য নেই বলা পর্যন্ত ৷ তার দ্বারা
আমি অন্ধ চােখসমুহ, বধির কানসমুহ এবং আচ্ছাদিত হৃদয়সমুহ্ আবরণমুক্ত করব ৷ আতা
ইবন ইয়াসার বলেন, এরপর আমি হযরত কাব আহ্বারের সাক্ষাৎ পেয়ে র্তাকে এ বিবরণ
সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলাম, তখন এই বিবরাণর সাথে তার বিবরণের একটি বর্ণেও অমিল ছিল
না ৷ তবে কাব চোখ শব্দটি (অন্ধ বিশেষণ ছাড়া) উল্লেখ করলেন ৷ বুখারী ও আবদুল্লাহ্ ইবন
সালিহ হিলাল ইবন আলী সুত্রে ঐ সনদে তা রিওয়ায়াত করেছেন ৷ এ ছাড়া আবদুল্লাহ্
ইবন সালাম (রা) সুত্রে ইমাম বুখারী হাদীসখানিকে তালীকরুপে উল্লেখ করেছেন ৷ আর
বায়হাকী ইয়াকুব ইবন সুফিয়ড়ান হযরত আবদুল্লাহ ইবন সালাম (রা) সুত্রে পুর্বোল্লেখিত
আবদুল্লাহ্ ইবন আমরের অনুরুপ হ ড়াদীস বর্ণনা করেন যে, আতা ইবন য়াসার বলেন, আমাকে
আল্লায়হী অবহিত করেছেন যে, তিনি কাব আল আহবারকে আবদুল্লাহ ইবন সালামের ন্যায়
বলতে শুনেছেন ৷ অন্য একটি সুত্রে আবদুল্লাহ ইবন সালাম (রা) থেকে হাদীসখানি বর্ণিত
হয়েছে ৷ ইমাম তিরমিষী যায়দ ইবন আরখম আততায়ী আল-বসরী আবদুল্লাহ্ ইবন
সালামের দাদা সুত্রে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন, তাওরাতে লিখিত আছে, মুহাম্মাদ এর
সাথে (পাশে) ঈসা ইবন মরিয়মকে সমাহিত করা হবে ৷ এরপর আবু মাওদুদ বলেন, নবী গৃহে
একটি কবরের স্থান সংরক্ষিত রয়েছে ৷ তারপর তিরমিষী বলেন, এই হাদীসখানি হাসান’
স্তরের ৷ আয্যাহ্হাক এমনই বলেছেন ৷ ইনি যাহ্হাক ইবন উছমান আল মাদানী নামে বিখ্যাত ৷
আমাদের শায়খ আল হাফিয আলু মিয্যী তার আল আতরাফ’ গ্রন্থে ইবন আসাকিরের বরাতে
এমনটিই বর্ণনা করেছেন যে, তিনি তিরমিযীর অনুরুপ বলেছেন ৷ তারপর তিনি বলেন, এই
[فَصْلٌ فِيمَا يُذْكَرُ مِنْ صِفَاتِهِ عَلَيْهِ الصَّلَاةُ وَالسَّلَامُ فِي الْكُتُبِ الْمَأْثُورَةِ عَنِ الْأَنْبِيَاءِ الْأَقْدَمِينَ]
قَدْ أَسْلَفْنَا طَرَفًا صَالِحًا مِنْ ذَلِكَ فِي الْبِشَارَاتِ بِهِ قَبْلَ مَوْلِدِهِ، وَنَحْنُ نَذْكُرُ هَاهُنَا غُرَرًا مِنْ ذَلِكَ.
فَقَدْ رَوَى الْبُخَارِيُّ وَالْبَيْهَقِيُّ، وَاللَّفْظُ لَهُ، مِنْ حَدِيثِ فُلَيْحِ بْنِ سُلَيْمَانَ، عَنْ هِلَالِ بْنِ عَلِيٍّ، عَنْ عَطَاءِ بْنِ يَسَارٍ قَالَ: «لَقِيتُ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ عَمْرٍو فَقُلْتُ: أَخْبِرْنِي عَنْ صِفَةِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي التَّوْرَاةِ. فَقَالَ: أَجَلْ، وَاللَّهِ إِنَّهُ لَمَوْصُوفٌ فِي التَّوْرَاةِ بِبَعْضِ صِفَتِهِ فِي الْقُرْآنِ: يَا أَيُّهَا النَّبِيُّ إِنَّا أَرْسَلْنَاكَ شَاهِدًا، وَمُبَشِّرًا، وَنَذِيرًا، وَحِرْزًا لِلْأُمِّيِّينَ أَنْتَ عَبْدِي وَرَسُولِي، سَمَّيْتُكَ الْمُتَوَكِّلَ، لَيْسَ بِفَظٍّ وَلَا غَلِيظٍ وَلَا صَخِبٍ بِالْأَسْوَاقِ، وَلَا يَدْفَعُ السَّيِّئَةَ بِالسَّيِّئَةِ، وَلَكِنْ يَعْفُو وَيَغْفِرُ، وَلَنْ أَقْبِضَهُ حَتَّى أُقِيمَ بِهِ الْمِلَّةَ الْعَوْجَاءَ؛ أَنْ يَقُولُوا: لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ. وَأَفْتَحَ بِهِ أَعْيُنًا عُمْيًا، وَآذَانًا صُمًّا، وَقُلُوبًا غُلْفًا» . قَالَ عَطَاءُ بْنُ يَسَارٍ ثُمَّ لَقِيتُ كَعْبًا الْحَبْرَ، فَسَأَلْتُهُ، فَمَا اخْتَلَفَا فِي حَرْفٍ إِلَّا أَنَّ كَعْبًا قَالَ: أَعْيُنًا عُمُومَى وَقُلُوبًا غُلُوفَى وَآذَانًا صُمُومَى.
পৃষ্ঠা - ৪৬৬৭
যাহ্হাক হলেন যাহ্হাক ইবন উছমানেরও পুর্ববর্তী অন্য এক শায়খ ৷ ইবন আবু হাতিম তার
পিতার বরাতে তাকে উছমান নামধারীন্থদর অন্তর্ভুক্ত বলে উল্লেখ করেছেন ৷ এই হাদীসখানি
বর্ণিত হয়েছে আবদুল্লাহ ইবন সালাম ও আবদুল্লাহ ইবন আমর ইবনুল আস সুত্রে ৷
প্রথমােক্তজন ইয়াহ্রদীদের নেতৃস্থানীয় ব্যক্তি ছিলেন, পরে ঈমান আনয়ন করে এবং এ বিষয়ে
দ্বিতীয়ােক্তজ্যনর অবগতি ছিল ঐ দুই বোঝা কিতাব থেকে, যা তিনি ইয়ারমুকেৱ দিন লাভ
করেছিলেন ৷ তিনি আহ্ল কিতাবদের সাথে এ সম্বন্ধে আলোচনা করতেন ৷ এ বিষয়ে রিওয়ায়াত
সমুহের অপর উৎস হচ্ছেন কাব আল আহবার ৷ তিনি এ বিষয়ে পুর্ববর্তীদের বর্ণনা ও উক্তি
সন্বন্ধেই কেবল জ্ঞাত ছিলেন না, তাতে বিদ্যমান সকল ত্রুটি-বিচ্যুতি, পরিবর্তন ও বিকৃতি
সম্বন্ধেও সম্যক জ্ঞাত ছিলেন ৷ তবে এসব তিনি তেমন কোন পরিবর্ভুর্ত্যৰু, পরিমার্জন ও মন্তব্য
ছাড়াই হুবুহু বর্ণনা করতেন ৷ সুতরাং অনেক পুর্বসুরী রাবী এ সকল বর্ণনার প্রতি সুধারণাবশত
নির্ধিধায় তা রিওয়ায়াত করেছেন ৷ অথচ এগুলো আমাদের কাছে যে সকল প্রমাণিত সভ্য
রিওয়ায়াত রয়েছে তার পরিপহী, কিন্তু এ ব্যাপারেই সচেতন নন ৷ ণ্
উপরন্তু এ বিষয়টিও বিবেচনায় আনা প্রয়োজন যে পুর্ববর্তীদের অনেকেই তাওরাত বলতে
ইয়াহুদীদের নিকট পঠিত হয় এমন যে কোন ধর্মগ্রন্থকে বুঝে থাকেন, বরং এর থেকেও
ব্যাপকতর অর্থেও তারা এ শব্দটিকে ব্যবহার করে থাকেন, যেমন কুরআন বলতে বিশেষভাবে
আমাদের ধর্মগ্রন্থকে বুঝায়, তবে অন্য ক্ষেত্রেও এর প্রয়োগ হয়ে থাকে, যেমন বুখারী শরীকে
রয়েছেং ষ্এ; ঞ
ব্লু,ব্রা ৷; হযরত দাউদ (আ) এর জন্য কুরআন’ সহজপাঠ্য করে দেয়৷ হয়েছিল, তাই তিনি
তার গবাদিপশুদের ব্যাপারে নির্দেশ দিতেন যেন ওগুলো চারণক্ষেএ চরে যেড়ায় ৷ এতে তিনি সে
সময়র্টুকুর অবসর পেতেন যেটুকু কুরআন (তাওরাত) তিলাওয়৷ ৷ত ব্যয় করতেন ৷
এ বিষয়টি অনাএ বিশদভাবে আলোচিত হয়েছে ৷ আল্পাহ্ই অধিক জ্ঞাত ৷ বায়হাকী হাকিম
উম্মুদৃ দারদ ৷ (রা) সুত্রে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন, একবার আমি হযরত কা ব
আল-আহবারকে জিজ্ঞেস করলাম, আপনারা তাওরাতে রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর কী বিবরণ পান?
তিনি বললেন, সেখানে আমরা পইি-তিনি মুহাম্মদের আল্লাহুর রাসুল তার উপাধি
আলমুতাওয়াক্কিল (ভরসাকারী) তিনি কঠোর ও কর্কশভাষী নন, বাজারে বাজারে
শোরগােলকা ৷রীও নন, তাকে হিদায়ীতের চাবির্সমুহ প্রদান করা হয়েছে যাতে আল্লাহ তার দ্বারা
অন্ধ চােখসমুহকে দৃষ্টি শক্তিসম্পন্ন ও বধির কানসমুহ্কে শ্রবণ শক্তিসম্পন্ন করেন এবং বক্র
জিহ্বাসমুহরুক সোজা করতে পারেন যাতে তারা এই মর্মে সাক্ষ্য দেয় যে, এক অ ৷ল্লাহ্ ব্যতীত
কোন উপাস৷ নেই, তার কোন শরীক নেই ৷ আর তিনি মযলুম ও অসহায়কে সাহায্য ও রক্ষা
করেন ৷ এছাড়া ইউনুস ইবন বুকায়র হযরত আইশা সুত্রে বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ্ (সা)
সম্পর্কে ইনজ্যিল রয়েছে যে,৩ তিনিকঠোর কিংবা কর্কশভ৷ ষী নন, বাজারে বাজারে হৈ চৈ ও
কোলাহলকারী নন, মন্দের প্রতিদান তদ্রপ মন্দ দিয়ে দেননা, বরং তিনি ক্ষমা ও মার্জনা করেন ৷
ইয়াকুব ইবন সুফিয়্ান কায়স আল বাজালী মুকাতিল ইবন হায়া৷ন সুত্রে বর্ণনা করেন যে,
তিনি বলেছেন, আল্লাহ্ তাআলা হযরত ঈসা ইবন মরিয়মের কাছে এ মর্মে ওহী প্রেরণ
করলেন, আমার নির্দেশ পালনে তৎপর ও সত্যনিষ্ঠহও-, একে হালকাভাবে নিও না ৷ হেন্
১৩
وَرَوَاهُ الْبُخَارِيُّ أَيْضًا عَنْ عَبْدِ اللَّهِ غَيْرَ مَنْسُوبٍ - قِيلَ: هُوَ ابْنُ رَجَاءٍ. وَقِيلَ: عَبْدُ اللَّهِ بْنُ صَالِحٍ. وَهُوَ الْأَرْجَحُ - عَنْ عَبْدِ الْعَزِيزِ بْنِ أَبِي سَلَمَةَ الْمَاجِشُونَ، عَنْ هِلَالِ بْنِ عَلِيٍّ بِهِ. قَالَ الْبُخَارِيُّ: وَقَالَ سَعِيدٌ، عَنْ هِلَالٍ، عَنْ عَطَاءٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ سَلَامٍ. كَذَا عَلَّقَهُ الْبُخَارِيُّ.
وَقَدْ رَوَى الْبَيْهَقِيُّ مِنْ طَرِيقِ يَعْقُوبَ بْنِ سُفْيَانَ: حَدَّثَنَا أَبُو صَالِحٍ، هُوَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ صَالِحٍ كَاتِبُ اللَّيْثِ، حَدَّثَنِي اللَّيْثُ، حَدَّثَنِي خَالِدُ بْنُ يَزِيدَ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ أَبِي هِلَالٍ، عَنْ هِلَالِ بْنِ أُسَامَةَ، عَنْ عَطَاءِ بْنِ يَسَارٍ، عَنِ ابْنِ سَلَامٍ أَنَّهُ كَانَ يَقُولُ: «إِنَّا لَنَجِدُ صِفَةَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: إِنَّا أَرْسَلْنَاكَ شَاهِدًا وَمُبَشِّرًا وَنَذِيرًا، وَحِرْزًا لِلْأُمِّيِّينَ، أَنْتَ عَبْدِي وَرَسُولِي، سَمَّيْتُهُ الْمُتَوَكِّلَ، لَيْسَ بِفَظٍّ، وَلَا غَلِيظٍ، وَلَا سَخَّابٍ فِي الْأَسْوَاقِ، وَلَا يَجْزِي بِالسَّيِّئَةِ مِثْلَهَا، وَلَكِنْ يَعْفُو وَيَتَجَاوَزُ، وَلَنْ أَقْبِضَهُ حَتَّى يُقِيمَ الْمِلَّةَ الْعَوْجَاءَ، بِأَنْ يُشْهَدَ أَنَّ لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ، نَفْتَحُ بِهِ أَعْيُنًا عُمْيًا وَآذَانًا صُمًّا وَقُلُوبًا غُلْفًا» . قَالَ عَطَاءُ بْنُ يَسَارٍ وَأَخْبَرَنِي اللَّيْثِيُّ،
পৃষ্ঠা - ৪৬৬৮
أَنَّهُ سَمِعَ كَعْبَ الْأَحْبَارِ يَقُولُ مِثْلَ مَا قَالَ ابْنُ سَلَامٍ.
وَقَدْ رُوِيَ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ سَلَامٍ مِنْ وَجْهٍ آخَرَ، فَقَالَ التِّرْمِذِيُّ: حَدَّثَنَا زَيْدُ بْنُ أَخْزَمَ الطَّائِيُّ الْبَصْرِيُّ، ثَنَا أَبُو قُتَيْبَةَ سَلْمُ بْنُ قُتَيْبَةَ، حَدَّثَنِي أَبُو مَوْدُودٍ الْمَدَنِيُّ، ثَنَا عُثْمَانُ بْنُ الضَّحَّاكِ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ يُوسُفَ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ سَلَامٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ جَدِّهِ قَالَ: مَكْتُوبٌ فِي التَّوْرَاةِ: صِفَةُ مُحَمَّدٍ، وَعِيسَى بْنُ مَرْيَمَ يُدْفَنُ مَعَهُ. فَقَالَ أَبُو مَوْدُودٍ: وَقَدْ بَقِيَ فِي الْبَيْتِ مَوْضِعُ قَبْرٍ. ثُمَّ قَالَ التِّرْمِذِيُّ: هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ. هَكَذَا قَالَ: عُثْمَانُ بْنُ الضَّحَّاكِ. وَالْمَعْرُوفُ الضَّحَّاكُ بْنُ عُثْمَانَ الْمَدَنِيُّ، وَهَكَذَا حَكَى شَيْخُنَا الْحَافِظُ الْمِزِّيُّ فِي كِتَابِهِ " الْأَطْرَافِ " عَنِ ابْنِ عَسَاكِرَ أَنَّهُ قَالَ مِثْلَ قَوْلِ التِّرْمِذِيِّ، ثُمَّ قَالَ: وَهُوَ شَيْخٌ آخَرُ أَقْدَمُ مِنَ الضَّحَّاكِ بْنِ عُثْمَانَ، ذَكَرَهُ ابْنُ أَبِي حَاتِمٍ، عَنْ أَبِيهِ فِيمَنِ اسْمُهُ عُثْمَانُ. فَقَدْ رُوِيَ هَذَا عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ سَلَامٍ، وَهُوَ مِنْ أَئِمَّةِ أَهْلِ الْكِتَابِ مِمَّنْ آمَنَ، وَعَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرِو بْنِ الْعَاصِ، وَقَدْ كَانَ لَهُ اطِّلَاعٌ عَلَى ذَلِكَ مِنْ
পৃষ্ঠা - ৪৬৬৯
পুরুষাসক্তিমুক্ত পবিত্র নারীর পুত্র ! আমার নির্দেশ শুন এবং আনুগত্য কর, আমিভাে তোমাকে
কোন পুরুষ ব্যতীত সৃষ্টি করেছি এবং তোমাকে বিশ্ববাসীর জন্য নিদর্শন বানিয়েছি ৷ সুতরাং
তুমি আমারই ইবাদত করবে এবং আমারই উপর ভরসা রাখবে ৷ আর সুরানবাসীদের
সুস্পষ্টভাবে জানিয়ে দেবে যে, আমি পরম সত তা স্বাধিষ্ঠ বিশ্বধাতা, আমার কোন লয় নেই ৷ আর
তোমরা আরবী নবীর সতায়ন করবে, যিনি নব উটের মালিক, বর্মধারী, পাগড়ি, পাদৃকা ও
ছড়ির অধিকারী; তার মাথায় চুল ঈষৎ কোকড়ানাে, ললাট প্রশস্ত ও মসৃণ, ভ্রুদ্বয় সংযুক্ত প্রায়,
চক্ষুদ্বয় ডাপর ও টানাটানা, নাসিকা উন্নত , গণ্ডদ্বয় মসৃণ, দাড়ি ঘন ৷ তার মুখমন্ডলের ঘাম যেন
মুক্তোদানা, তার দেহের ঘ্রণি (যেন) সৌরভময় মেশক , তার গ্রীবা দেশ যেন রুপার জগ, তার
হাসুলিয় হড়াড়ে যেন রহমান গলিতস্বর্ণ, তার বুকের মধ্যন্থল থেকে নাভি পর্যন্ত প্ৰলন্বিত
কেশরেখা যা কর্তিত বৃক্ষশাখার ন্যায় ৷ এ ছাড়া তার বুকে ও পেটে কোন পর্শম নেই, ভরাট ও
কোমল হাতের তালু ও পায়ের পাতায় অধিকারী, লোক সমাবেশে থাকলে উচ্চতায় তাদেরকে
ছাপিয়ে যান, যখন ছুাটেন মনে হয় যেন তিনি প্রস্তরখণ্ড থেকে পা টেনে তৃলছেন এবং
ঢালুভুমিংত নামছেন, স্বল্প সংখ্যক সন্তানের অধিকারী ৷
হাফিয বায়হাকী ওয়াহ্ব ইবন মুনাবৃবিহ আল ইয়ামযী থেকে তার সনদে বর্ণনা করেন ৷
তিনি (ওয়াহ্ব) বলেন, আল্লাহ তা আলা যখন হযরত মুসা (আ)-কে নিকট সান্নিধ্যে নিয়ে
অন্তরঙ্গ আলাপ করলেন, তখন তিনি বললেন, হে আমার প্রতিপালক, তাওরাতে আমি এমন
এক উমতেরউল্পেখ পাই, যারা মানুষের কল্যাণার্থে সৃষ্ট, যারা সত্কাজের নির্দেশ দান করবে
এবং অসৎ ও গর্হিত কাজ থেকে বাৱণ করবে এবং আল্লাহর ট্রুপ্রতি ঈমান পোষণ করবে, আপনি
তাদেরকে আমার উমত করে দিন ৷ আল্লাহ বললেন, তারা হল আহমদ (না)-এর উমত ৷ তখন
মুসা (আ) বললেন, হে আমার প্রতিপালক৷ তাওরাতে আমি এমন এক উমতের উল্লেখ পাই
সর্বশ্রেষ্ঠ ও সর্বশেষ উমত, কিয়ামতেব দিন সর্বাগ্নগামী তাদেরকে আপনি আমার উমত করে
দিন ৷ তিনি বললেন, তারা আহমাদের উমত ৷ তিনি বললেন, হে আমার প্রতিপালক ৷ তাওরাতে
আমি এমন এক উমতের উল্লেখ পাই, যাদের ধর্মগ্রন্থ হয়ে তাদের বুকে তারা তা মুখস্থু পড়বে ৷
অথচ তাদের পুর্বের উমতগণ কষ্ঠস্থু না করে তাদের ধর্মগ্রন্থসমুহ দেখে দেখে পড়ত, আপনি
তাদেরকে আমার উমত করে দিন ৷ তিনি বললেন, তারা আহমদের উমত ৷ মুসা বললেন, হে
আমার প্রতিপালক৷ তাওরাতে আমি এমন এক উমতের উল্লেখ পাই, যারা প্রথম ও শেষ
ধর্মগ্রন্থকে বিশ্বাস করবে এবং গােমরাহীর হোতাদের বিরুদ্ধে লড়াই করবে, এমন কি তারা
মহামিথুদ্রক কানা দাজ্জালের বিরুদ্ধেও লড়বে, আপনি তাদেরকে আমার উমত করে দিন ৷ তিনি
বললেন এরা হল আহমদের উমত৷ তিনি বললেন, হে আমার প্রতিপালক৷ তাওরাতে আমি
এমন এক উম্মতে তর উল্লেখ পাই, যারা তাদের দানসাদ্কাসমুহ নিজেরাই ভক্ষণ করবে, অথচ
তাদের পুর্ববর্তীদের কেউ যখন সাদকা করত, তখন একটি অগ্নিকুণ্ড পাঠাতেন এবং তা এই
সাদকাকে গ্রাস করত, আর যদিত ৷আল্লাহ্র কাছে গৃহীত না হত তাহলে আগুন তার
নিকটবর্তী হত না, তাদেরকে আমার উমত করে দিন ৷ আল্লাহ্ বললেন, তারা হল আহমদের
উমত ৷ মুসা (আ) বললেন, হে আমার প্রতিপালক তাওরাতে আমি এক উম্মা৩ র উল্লেখ পইি,
যাদের কেউ যখন কোন মন্দ কর্মে উদ্যত হয় তখন তা লিপিবদ্ধ করা হয় না-এরপব যদি সে
তা করে তখন তা একটি পাপরুপে লিপিবদ্ধ করা হয় ৷ পক্ষান্তরে তাদের কেউ যখন কোন ভাল
جِهَةِ زَامِلَتَيْنِ كَانَ أَصَابَهُمَا يَوْمَ الْيَرْمُوكِ فَكَانَ يُحَدِّثُ مِنْهُمَا عَنْ أَهْلِ الْكِتَابِ، وَعَنْ كَعْبِ بْنِ مَاتِعٍ الْحَبْرِ وَكَانَ بَصِيرًا بِأَقْوَالِ الْمُتَقَدِّمِينَ عَلَى مَا فِيهَا مِنْ خَلْطٍ وَغَلَطٍ، وَتَحْرِيفٍ وَتَبْدِيلٍ، فَكَانَ يَقُولُهَا بِمَا فِيهَا مِنْ غَيْرِ نَقْدٍ، وَرُبَّمَا أَحْسَنَ بَعْضُ السَّلَفِ بِهَا الظَّنَّ فَنَقَلَهَا عَنْهُ مُسَلَّمَةً، وَفِي ذَلِكَ مِنَ الْمُخَالَفَةِ لِبَعْضِ مَا بِأَيْدِينَا مِنَ الْحَقِّ جُمْلَةٌ كَثِيرَةٌ، لَكِنْ لَا يَتَفَطَّنُ لَهَا كَثِيرٌ مِنَ النَّاسِ، ثُمَّ لْيُعْلَمْ أَنَّ كَثِيرًا مِنَ السَّلَفِ يُطْلِقُونَ التَّوْرَاةَ عَلَى كُتُبِ أَهْلِ الْكِتَابِ، سَوَاءٌ كَانَتْ هَذَا الْكِتَابَ الْمَتْلُوَّ عِنْدَهُمْ، أَوْ أَعَمَّ مِنْ ذَلِكَ، كَمَا أَنَّ لَفْظَ الْقُرْآنِ يُطْلَقُ عَلَى كِتَابِنَا خُصُوصًا، وَقَدْ يُسْتَعْمَلُ وَيُرَادُ بِهِ غَيْرُهُ، كَمَا فِي الصَّحِيحِ: " خُفِّفَ عَلَى دَاوُدَ الْقُرْآنُ، فَكَانَ يَأْمُرُ بِدَوَابِّهِ فَتُسْرَجُ، فَيَقْرَأُ الْقُرْآنَ مِقْدَارَ مَا يَفْرُغُ ". وَقَدْ بُسِطَ هَذَا فِي غَيْرِ هَذَا الْمَوْضِعِ. وَاللَّهُ أَعْلَمُ.
وَقَالَ الْبَيْهَقِيُّ، عَنِ الْحَاكِمِ، عَنِ الْأَصَمِّ، عَنْ أَحْمَدَ بْنِ عَبْدِ الْجَبَّارِ، عَنْ يُونُسَ بْنِ بُكَيْرٍ، عَنِ ابْنِ إِسْحَاقَ، حَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ ثَابِتِ بْنِ شُرَحْبِيلَ، عَنْ أُمِّ الدَّرْدَاءِ قَالَتْ: قُلْتُ لِكَعْبٍ الْحَبْرِ: «كَيْفَ تَجِدُونَ صِفَةَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي التَّوْرَاةِ؟ قَالَ: نَجِدُهُ: مُحَمَّدٌ رَسُولُ اللَّهِ اسْمُهُ الْمُتَوَكِّلُ، لَيْسَ بِفَظٍّ وَلَا غَلِيظٍ، وَلَا سَخَّابٍ بِالْأَسْوَاقِ، وَأُعْطِيَ الْمَفَاتِيحَ لِيُبَصِّرَ اللَّهُ بِهِ أَعْيُنًا عُورًا، وَيُسْمِعَ بِهِ
পৃষ্ঠা - ৪৬৭০
آذَانًا وُقْرًا، وَيُقِيمَ بِهِ أَلْسُنًا مُعْوَجَّةً، حَتَّى يُشْهَدَ أَنَّ لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ وَحْدَهُ لَا شَرِيكَ لَهُ، يُعِينُ الْمَظْلُومَ وَيَمْنَعُهُ» .
وَبِهِ عَنْ يُونُسَ بْنِ بُكَيْرٍ، عَنْ يُونُسَ بْنِ عَمْرٍو، عَنِ الْعَيْزَارِ بْنِ حُرَيْثٍ، عَنْ عَائِشَةَ، «أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَكْتُوبٌ فِي الْإِنْجِيلِ: لَا فَظٌّ، وَلَا غَلِيظٌ، وَلَا سَخَّابٌ فِي الْأَسْوَاقِ، وَلَا يَجْزِي بِالسَّيِّئَةِ مِثْلَهَا، بَلْ يَعْفُو وَيَصْفَحُ» .
وَقَالَ يَعْقُوبُ بْنُ سُفْيَانَ: ثَنَا فَيْضٌ الْبَجَلِيُّ، حَدَّثَنَا سَلَّامُ بْنُ مِسْكِينٍ، عَنْ مُقَاتِلِ بْنِ حَيَّانَ قَالَ: أَوْحَى اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ، إِلَى عِيسَى بْنِ مَرْيَمَ: جِدَّ فِي أَمْرِي وَلَا تَهْزُلْ، وَاسْمَعْ وَأَطِعْ يَا بْنَ الطَّاهِرِ الْبِكْرِ الْبَتُولِ، إِنِّي خَلَقْتُكَ مِنْ غَيْرِ فَحْلٍ فَجَعَلْتُكَ آيَةً لِلْعَالَمِينَ، فَإِيَّايَ فَاعْبُدْ، وَعَلَيَّ فَتَوَكَّلْ، فَبَيِّنْ لِأَهْلِ سُورَانَ بِالسُّرْيَانِيَّةِ، بَلِّغْ مِنْ بَيْنِ يَدِكَ أَنِّي أَنَا الْحَقُّ الْقَائِمُ الَّذِي لَا أَزُولُ، صَدِّقُوا بِالنَّبِيِّ الْأُمِّيِّ الْعَرَبِيِّ، صَاحِبِ الْجَمَلِ وَالْمِدْرَعَةِ وَالْعِمَامَةِ وَالنَّعْلَيْنِ وَالْهِرَاوَةِ،
পৃষ্ঠা - ৪৬৭১
কাজে উদ্যত হয় তাহলে তা কাজে পরিণত করার পুর্বেই তা একটি ণ্নক আমলরুপে লিখিত
হয় ৷ আর যদি যে তা কাজে পরিণত করে তাহলে তা দশগুণ থেকে সাতশ’গুণ পর্যন্ত বৃদ্ধি করে
দেয়৷ হয় ৷ আপনি তাদেরকে আমার উম্মত করে দিন ৷ তিনি বললেন, তারা আহমদের উস্মত ৷
মুসা (আ) বললেন, হে আমার প্রদিপালক তাওরাতে আমি এমন এক উম্মতের উল্লেখ পাই,
যারা তাদের প্রতিপালকের আহ্বানে সাড়াদানকারী এবং প্রতিপালকের পক্ষ থেকে সাড়াপ্রাপ্ত,
আপনি তাদেরকে আমার উম্মত করে দিন ৷ তিনি বললেন, তারা আহমদের উষ্মত ৷ ওয়াহ্ব বিন
মুনাবৃবিহ হযরত দাউদ (আ) ও তার প্রতি ওহীরুপে প্রেরীত যাবুরের বর্ণনায় উল্লেখ করেছেন-
(হযরত দাউদকে সম্বোধন করে আল্লাহ তাআলা বলেন) হে দাউদ ৷ তোমার পর এমন একজন
নবী আসবেন, র্যার নাম হবে আহমদ ও মুহাম্মদ ৷ তিনি আসবেন সত্যবাদী ও বরণীয়রুপে ৷
আমি কখনও তার প্রতি রুষ্ট হবো না, আর তিনিও কখনও আমাকে রুষ্ট করবেন না ৷ আমার
নাফ্যামানী করার পুর্বেই আমি তার অগ্ন পশ্চাত সকল গুনাহ ক্ষমা করে দিয়েছি ৷ তার উম্মত
হল অনুগ্রহপ্রাপ্ত তাদের আমি এমন সব নফল (অতিরিক্ত) ইবাদত-বন্দেগী দান করব যা
ইতিপুর্বে নবীদেরকে দান করেছি ৷ আর তাদের উপর ঐ সকল ফরয বিধান (অত্যাবশ্যকীয়)
আরোপ করেছি যা (ইতিপুর্বে) নবী-রাসুলদের উপর আরোপ করেছি ৷ ফলে তারা কাল
কিয়ামতের দিন নবীদের নুরের ন্যায় (উজ্জ্বল) নুর নিয়ে উপস্থিত হয়ে ৷ আর তার কারণ হল
আমি তাদের উপর প্রত্যেক নামায়ে আমার জন্য বিশেষভাবে পবিত্রত৷ অর্জ্যাকে অপরিহার্য করে
দিয়েছি, যেমন তাদের পুর্বে নবীদের জন্য করেছিলাম ৷ আর আমি তাদেরকে জানাবতের
গােসলের নির্দেশ দিয়েছি যেমন তাদের পুর্বে নবীদেরকে দিয়েছি, তাদেরকে হজের নির্দেশ
দিয়েছি যেমন তাদের পুর্বের নবীদের দিয়েছি ৷ তাদেরকে জিহাদের নির্কো দিয়েছি যেমন
তাদের পুর্বের রাসুলদ্বেয়কে দিয়েছি ৷ হে দাউদ আমি মুহাম্মদ (সা) ও তার উম্মতকে অন্য
সকল উন্মতের উপর অধিকতর মর্যাদা সম্পন্ন করেছি ৷ আর যে মুহাম্মদ (না)-কে অবিশ্বাস
করবে কিৎব৷ তার আনীত কিতাবকে প্রত্যাখ্যান করবে এবং আমার কিতাবকে উপহাস করবে
আমি তাকে কবরে মর্মন্তুদ শাস্তি প্রদান করব আর আযাবের ফেরেশতাগণ তার মুখমণ্ডল ও
পশ্চাৎদদেশে আঘাত করতে করতে তাকে কবর থেকে পুনরুথিত করবে, তারপর আমি তাকে
জাহান্নামের নিম্নতমুস্তরে প্রবেশ করার ৷
হাফিয বায়হাকী আবুল ফাত্হ শরীফ আল উমরী সুত্রে মুহাম্মাদ ইবন জুবায়র বিন
মুতইম থেকে বর্ণনা করেছেন ৷ তিনি বলেন, আমি আমার পিতা জুবায়র ইবন মুতইমকে
বলতে শুনেছি, আল্লাহ যখন তার নবীকে নবুওয়াত দান করলেন এবং মক্কায় তার প্রচারিত দীন
প্রকাশ পেল সে সময় আমি (একবার) শাম দেশের উদ্দেশ্যে বের হলাম ৷ অতঃপর আমি য়খন
বুসরায় উপনীত হলাম তখন আমার কাছে খ্রিস্টান একটি দল এসে বলল, তুমি কি (মক্কার)
হারাম এলাকার অধিবাসী? আমি বললাম, হী ৷ তারা বলল, তুমি কি তোমাদের নবুওয়াতের
দাবিদার ব্যক্তিটিকে জান? আমি বললাম, হী ৷ তিনি বললেন, তখন তারা আমার হাত ধরে
আমাকে তাদের একটি মঠে ঢুকালো যেখানে বহু প্রতিকৃতি ও ভাস্কর্য রক্ষিত ছিল ৷ তখন তারা
আমাকে বলল, লক্ষ্য করে দেখ তো, এগুলোর মধ্যে কি তোমাদের মধ্যে প্রেরিত এই নবীর
প্রতিকৃতি আছে? তখন আমি বললাম, (এখানেতে তা আমি) তার প্রতিকৃতি দেখছিনা ৷ তখন
তারা আমাকে পুর্বের চাইতে বড় একটি মঠে প্রবেশ করলে, আমি তখন দেখতে পেলাম
সেখানে পুর্বের উপসনালয়েরপ্ চাইতে অধিক সংখ্যক ভাস্কর্য ও প্রতিকৃতি ৷ তখন তারা আমাকে
الْجَعْدِ الرَّأْسِ، الصَّلْتِ الْجَبِينِ، الْمَقْرُونِ الْحَاجِبَيْنِ، الْأَنْجَلِ الْعَيْنَيْنِ، الْأَهْدَبِ الْأَشْفَارِ الْأَدْعَجِ الْعَيْنَيْنِ، الْأَقْنَى الْأَنْفِ، الْوَاضِحِ الْجَبِينِ الْكَثِّ اللِّحْيَةِ، عَرَقُهُ فِي وَجْهِهِ كَاللُّؤْلُؤِ، رِيحُهُ الْمِسْكُ يَنْفَحُ مِنْهُ، كَأَنَّ عُنُقَهُ إِبْرِيقُ فِضَّةٍ، وَكَأَنَّ الذَّهَبَ يَجْرِي فِي تَرَاقِيهِ، لَهُ شَعَرَاتٌ مِنْ لَبَّتِهِ إِلَى سُرَّتِهِ تَجْرِي كَالْقَضِيبِ، لَيْسَ عَلَى صَدْرِهِ وَلَا بَطْنِهِ شِعْرٌ غَيْرُهُ، شَثْنُ الْكَفِّ وَالْقَدَمِ، إِذَا جَاءَ مَعَ النَّاسِ غَمَرَهُمْ، وَإِذَا مَشَى كَأَنَّمَا يَتَقَلَّعُ مِنَ الصَّخْرِ وَيَنْحَدِرُ فِي صَبَبٍ، ذُو النَّسْلِ الْقَلِيلِ.
وَرَوَى الْحَافِظُ الْبَيْهَقِيُّ بِسَنَدِهِ عَنْ وَهْبِ بْنِ مُنَبِّهٍ الْيَمَانِيِّ قَالَ: إِنَّ اللَّهَ عَزَّ وَجَلَّ لَمَّا قَرَّبَ مُوسَى نَجِيًّا، قَالَ: رَبِّ، إِنِّي أُجِدُّ فِي التَّوْرَاةِ أُمَّةً خَيْرَ أُمَّةٍ أُخْرِجَتْ لِلنَّاسِ، يَأْمُرُونَ بِالْمَعْرُوفِ وَيَنْهَوْنَ عَنِ الْمُنْكَرِ، وَيُؤْمِنُونَ بِاللَّهِ، فَاجْعَلْهُمْ أُمَّتِي. قَالَ: تِلْكَ أُمَّةُ أَحْمَدَ. قَالَ: رَبِّ، إِنِّي أَجِدُ فِي التَّوْرَاةِ أُمَّةً هُمُ الْآخِرُونَ مِنَ الْأُمَمِ، السَّابِقُونَ يَوْمَ الْقِيَامَةِ، فَاجْعَلْهُمْ أُمَّتِي. قَالَ: تِلْكَ أُمَّةُ أَحْمَدَ. قَالَ: رَبِّ، إِنِّي أَجِدُ فِي التَّوْرَاةِ أُمَّةً أَنَاجِيلُهُمْ فِي صُدُورِهِمْ يَقْرَؤُونَهَا، وَكَانَ مَنْ قَبْلَهُمْ يَقْرَؤُونَ كُتُبَهُمْ نَظَرًا وَلَا يَحْفَظُونَهَا، فَاجْعَلْهُمْ أُمَّتِي. قَالَ: تِلْكَ أُمَّةُ أَحْمَدَ. قَالَ: رَبِّ، إِنِّي أَجِدُ فِي التَّوْرَاةِ أُمَّةً يُؤْمِنُونَ بِالْكِتَابِ الْأَوَّلِ وَالْآخِرِ، وَيُقَاتِلُونَ رُؤُوسَ الضَّلَالَةِ حَتَّى يُقَاتِلُوا الْأَعْوَرَ الْكَذَّابَ، فَاجْعَلْهُمْ أُمَّتِي. قَالَ: تِلْكَ أُمَّةُ أَحْمَدَ. قَالَ: رَبِّ،
পৃষ্ঠা - ৪৬৭২
إِنِّي أَجِدُ فِي التَّوْرَاةِ أُمَّةً يَأْكُلُونَ صَدَقَاتِهِمْ فِي بُطُونِهِمْ، وَكَانَ مَنْ قَبْلَهُمْ إِذَا أَخْرَجَ صَدَقَتَهُ بَعَثَ اللَّهُ عَلَيْهَا نَارًا فَأَكَلَتْهَا، فَإِنْ لَمْ تُقْبَلْ لَمْ تَقْرَبْهَا النَّارُ، فَاجْعَلْهُمْ أُمَّتِي. قَالَ: تِلْكَ أُمَّةُ أَحْمَدَ. قَالَ: رَبِّ، إِنِّي أَجِدُ فِي التَّوْرَاةِ أُمَّةً إِذَا هَمَّ أَحَدُهُمْ بِسَيِّئَةٍ لَمْ تُكْتَبْ عَلَيْهِ، فَإِنْ عَمِلَهَا كُتِبَتْ عَلَيْهِ سَيِّئَةٌ وَاحِدَةٌ، وَإِذَا هَمَّ أَحَدُهُمْ بِحَسَنَةٍ وَلَمْ يَعْمَلْهَا كُتِبَتْ لَهُ حَسَنَةٌ، فَإِنْ عَمِلَهَا كُتِبَتْ لَهُ عَشْرُ أَمْثَالِهَا إِلَى سَبْعِمِائَةِ ضِعْفٍ، فَاجْعَلْهُمْ أُمَّتِي. قَالَ: تِلْكَ أُمَّةُ أَحْمَدَ. قَالَ: رَبِّ، إِنِّي أَجِدُ فِي التَّوْرَاةِ أُمَّةً هُمُ الْمُسْتَجِيبُونَ وَالْمُسْتَجَابُ لَهُمْ، فَاجْعَلْهُمْ أُمَّتِي. قَالَ: تِلْكَ أُمَّةُ أَحْمَدَ.
قَالَ: وَذَكَرُ وَهْبُ بْنُ مُنَبِّهٍ فِي قِصَّةِ دَاوُدَ عَلَيْهِ السَّلَامُ، وَمَا أُوحِيَ إِلَيْهِ فِي الزَّبُورِ: يَا دَاوُدُ، إِنَّهُ سَيَأْتِي مِنْ بَعْدِكَ نَبِيٌّ اسْمُهُ أَحْمَدُ وَمُحَمَّدٌ، صَادِقًا سَيِّدًا، لَا أَغْضَبُ عَلَيْهِ أَبَدًا، وَلَا يُغْضِبُنِي أَبَدًا، وَقَدْ غَفَرْتُ لَهُ قَبْلَ أَنْ يَعْصِيَنِي مَا تَقَدَّمَ مِنْ ذَنْبِهِ وَمَا تَأَخَّرَ، أُمَّتُهُ مَرْحُومَةٌ، أَعْطَيْتُهُمْ مِنَ النَّوَافِلِ مِثْلَ مَا أَعْطَيْتُ الْأَنْبِيَاءَ، وَافْتَرَضْتُ عَلَيْهِمُ الْفَرَائِضَ الَّتِي افْتَرَضْتُ عَلَى الْأَنْبِيَاءِ وَالرُّسُلِ، حَتَّى يَأْتُونِي يَوْمَ الْقِيَامَةِ وَنُورُهُمْ مِثْلُ نُورِ الْأَنْبِيَاءِ، وَذَلِكَ أَنِّي افْتَرَضْتُ عَلَيْهِمْ أَنْ يَتَطَهَّرُوا لِي لِكُلِّ صَلَاةٍ كَمَا افْتَرَضْتُ عَلَى الْأَنْبِيَاءِ قَبْلَهُمْ، وَأَمَرْتُهُمْ بِالْغُسْلِ مِنَ الْجَنَابَةِ كَمَا أَمَرْتُ الْأَنْبِيَاءَ قَبْلَهُمْ، وَأَمَرْتُهُمْ بِالْحَجِّ كَمَا أَمَرْتُ الْأَنْبِيَاءَ قَبْلَهُمْ، وَأَمَرْتُهُمْ بِالْجِهَادِ كَمَا أَمَرْتُ الرُّسُلَ قَبْلَهُمْ، يَا دَاوُدُ، إِنِّي فَضَّلْتُ مُحَمَّدًا وَأُمَّتَهُ عَلَى الْأُمَمِ كُلِّهَا،
পৃষ্ঠা - ৪৬৭৩
বলল, এবার তুমি লক্ষ্য কর, তার কোন প্রতিকৃতি দেখতে পাও কি না ৷ তখন আমি লক্ষ্য
করলাম এবং হঠাৎ একস্থানে রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর প্রতিকৃতি দেখতে পেলাম, অরুপ অবিকল
হযরত আবু বকরের প্রতিকৃতি, তিনি তার পশ্চাতে অবস্থান করছেন ৷ তারা আমাকে বলল,
তুমি কি তার প্রতিকৃতি দেখতে পাচ্ছ? আমি বললাম, হী ৷ তারা তখন (তার প্রতিকৃতিরি প্রতি
ইঙ্গিত করে) বলল, আমরা সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, ইনি তোমাদের নবী আর এ হলো তার পরবর্তী
খলীফা ৷
আতৃ-তড়ারীখে ইমাম বুখারী তার সনদে মুহাম্মদ সুত্রে হাদীসখানি রিওয়ায়াত
করেছেন ৷ তার বর্ণিত ভাবে রয়েছে-তখন তারা বলল, ইনি ব্যতীত এমন কোন নবী ছিলেন না
যার পর অন্য নবী আসেননি ৷ এ বিষয়ে আমরা আমাদের তাফসীরগন্থে সুরা আরাফের এই
আঘাতের ব্যাখ্যায় :
া
৮ চু এটুৰুম্
“যারা অনুসরণ করে বার্তাবাহক উমী নবীর, যার উল্লেখ তাওরাত ও ইনজিলে, যা তাদের
নিকট আছে তাতে লিপিবদ্ধ, যে তাদেরকে সৎ কাজের আদেশ করে ও অসৎকাজে ধারণ
করে’ (৭ আবাফ ১৫৭) ৷
ঐ হাদীসখানি উল্লেখ করেছি যা বায়হাকী ও অন্যরা হযরত আবু উসামা বাহিলী
হিশাম ইবনুল আস সুত্রে রিওয়ায়াত করেছেন ৷ এতে তিনি বলেন যে, ইসলামের দাওয়াত
দেয়ার উদ্দেশ্যে জনৈকা কুরায়শীর সাথে আমি রোম সম্রাট হিরাক্লিয়াসের দরবারে প্রেরিত
হলাম ৷ এরপর তিনি তার সাথে তাদের সাক্ষাতের কথা এবং তারা যখন আল্লাহ্কে স্মরণ
করলেন তখন তার রাজকীয় অতিথিশালায় অবস্থান করালেন ৷ তারপর তিনদিন পর তাদেরকে
ডেকে পাঠালেন, তারপর বিশালাকৃতির সুগন্ধিপাত্রের ন্যায় (অ্যালবাম জাতীয়) কিছু একটা
আনালেন যার মাহ্ঝ দরজা বিশিষ্ট ছেটি ছেটি খোপের মত জ্জি, আর সেগুলির মাঝে ব্লেশমের
টুকরো কাপড়ে হযরত আদম (আ) থেকে মুহাম্মদ (সা) পর্যন্ত সকল নবীদের প্রতিকৃতি, তখন
তিনি একটি একটি ছবি বের করে তাদেরকে দেখাতে লাগলেন এবং তাদেরকে তাদের পরিচয় ,
অবহিত করতে লাগলেন ৷ এভাবে তিনি তাদেরকে প্রথমে আদম, তারপর নুহ তারপর
ইব্রাহীম (আ)-এর প্রতিকৃতি বের করে দেখালেন ৷ তারপর তড়িঘড়ি করে রাসুলুল্লাহ্
(না)-এর প্ৰতিকৃতি বের করতে চাইলেন ৷ রাবী বলেন, তারপর তিনি অপর একটি দরজা
থুললেন, হঠাৎ দেখা গেল তাতে একটি শুভ্রপ্রতিকৃতি, আল্লাহ্র কসম, তা ছিল রাসুলুল্লাহ্
(না)-এর প্রতিকৃতি ৷ তিনি বললেন, তোমরা কি একে চিন? আমরা বললাম, হী ৷ ইনিই
আল্লাহর রাসুল (সা) ৷ হিশাম বলেন, তখন আমরা কেদে ফেললাম, আর আল্লাহ্ সাক্ষী, তিনি
কতক্ষণ দাড়িয়ে থাকার পর এসে বললেন, আল্লাহ্র কসম, তিনিই তিনি! আমরা বললাম,
ইড়া-আপনি যেমন তাকে দেখছেন তিনিই তিনি ৷ এরপর তিনি বেশ কিছুক্ষণ সেই প্রতিকৃতির
দিকে তাকিয়ে বললেন, শুনে রেখো তার প্ৰতিকৃতিটি ছিল সর্বশেষ খোপে, জ্যি তোমাদের
তথ্যের সত্যতা যাচাইয়ের জন্য আমি তা দ্রুত বের করেছি ৷ তারপর তিনি হাদীসের
অবশিষ্টাৎশ উল্লেখ করেছেন যাতে তার অন্যান্য নবীদের প্রতিকৃতি বের করা, এবং তাদের
(দু’জন)-কে সেগুলির সাথে পরিচয় করিয়ে দেয়ার কথা উল্লেখ রয়েছে ৷ আর হাদীসের
শেসাংশে রয়েছে-আমরা তাকে বললাম, এই সকল প্ৰতিকৃতি আপনি কোথায় পেলেন?
أَعْطَيْتُهُمْ سِتَّ خِصَالٍ لَمْ أُعْطِهَا غَيْرَهُمْ مِنَ الْأُمَمِ؛ لَا أُؤَاخِذُهُمْ بِالْخَطَأِ وَالنِّسْيَانِ، وَكُلُّ ذَنْبٍ رَكِبُوهُ عَلَى غَيْرِ عَمْدٍ إِنِ اسْتَغْفَرُونِي مِنْهُ غَفَرْتُهُ لَهُمْ، وَمَا قَدَّمُوا لِآخِرَتِهِمْ مِنْ شَيْءٍ طَيِّبَةً بِهِ أَنْفُسُهُمْ عَجَّلْتُهُ لَهُمْ أَضْعَافًا مُضَاعَفَةً، وَلَهُمْ فِي الْمَدْخُورِ عِنْدِي أَضْعَافٌ مُضَاعَفَةٌ وَأَفْضَلُ مِنْ ذَلِكَ، وَأَعْطَيْتُهُمْ عَلَى الْمَصَائِبِ فِي الْبَلَايَا إِذَا صَبَرُوا وَقَالُوا: إِنَّا لِلَّهِ وَإِنَّا إِلَيْهِ رَاجِعُونَ. الصَّلَاةَ وَالرَّحْمَةَ وَالْهُدَى إِلَى جَنَّاتِ النَّعِيمِ، فَإِنْ دَعَوْنِي اسْتَجَبْتُ لَهُمْ، فَإِمَّا أَنْ يَرَوْهُ عَاجِلًا، وَإِمَّا أَنْ أَصْرِفَ عَنْهُمْ سُوءًا، وَإِمَّا أَنْ أَدَّخِرَهُ لَهُمْ فِي الْآخِرَةِ، يَا دَاوُدُ، مَنْ لَقِيَنِي مِنْ أُمَّةِ مُحَمَّدٍ يَشْهَدُ أَنْ لَا إِلَهَ إِلَّا أَنَا وَحْدِي لَا شَرِيكَ لِي صَادِقًا بِهَا، فَهُوَ مَعِي فِي جَنَّتِي وَكَرَامَتِي، وَمَنْ لَقِيَنِي وَقَدْ كَذَّبَ مُحَمَّدًا وَكَذَّبَ بِمَا جَاءَ بِهِ وَاسْتَهْزَأَ بِكِتَابِي، صَبَبْتُ عَلَيْهِ فِي قَبْرِهِ الْعَذَابَ صَبًّا، وَضَرَبَتِ الْمَلَائِكَةُ وَجْهَهُ وَدُبُرَهُ عِنْدَ مَنْشَرِهِ مِنْ قَبْرِهِ، ثُمَّ أُدْخِلُهُ فِي الدَّرْكِ الْأَسْفَلِ مِنَ النَّارِ.
وَقَالَ الْحَافِظُ الْبَيْهَقِيُّ: أَخْبَرَنَا الشَّرِيفُ أَبُو الْفَتْحِ الْعُمَرِيُّ، ثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ أَبِي شُرَيْحٍ الْهَرَوِيُّ، ثَنَا يَحْيَى بْنُ مُحَمَّدِ بْنِ صَاعِدٍ، ثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ شَبِيبٍ أَبُو سَعِيدٍ الرَّبَعِيُّ، حَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ عُمَرَ بْنِ إِبْرَاهِيمَ يَعْنِي ابْنَ
পৃষ্ঠা - ৪৬৭৪
مُحَمَّدِ بْنِ جُبَيْرِ بْنِ مُطْعِمٍ، قَالَ: حَدَّثَتْنِي أُمُّ عُثْمَانَ بِنْتُ سَعِيدِ بْنِ مُحَمَّدِ بْنِ جُبَيْرِ بْنِ مُطْعِمٍ، عَنْ أَبِيهَا، عَنْ أَبِيهِ قَالَ: سَمِعْتُ أَبِي جُبَيْرَ بْنَ مُطْعِمٍ يَقُولُ: لَمَّا بَعَثَ اللَّهُ نَبِيَّهُ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَظَهَرَ أَمْرُهُ بِمَكَّةَ، خَرَجْتُ إِلَى الشَّامِ فَلَمَّا كُنْتُ بِبَصْرَى أَتَتْنِي جَمَاعَةٌ مِنَ النَّصَارَى فَقَالُوا لِي: أَمِنَ الْحَرَمِ أَنْتَ؟ قُلْتُ: نَعَمْ. قَالُوا: فَتَعْرِفُ هَذَا الَّذِي تَنَبَّأَ فِيكُمْ؟ قُلْتُ: نَعَمْ. قَالَ: فَأَخَذُوا بِيَدِي، فَأَدْخَلُونِي دَيْرًا لَهُمْ فِيهِ تَمَاثِيلُ وَصُوَرٌ، فَقَالُوا لِي: انْظُرْ، هَلْ تَرَى صُورَةَ هَذَا النَّبِيِّ الَّذِي بُعِثَ فِيكُمْ؟ فَنَظَرْتُ فَلَمْ أَرَ صُورَتَهُ، قُلْتُ: لَا أَرَى صُورَتَهُ. فَأَدْخَلُونِي دَيْرًا أَكْبَرَ مِنْ ذَلِكَ الدَّيْرِ، فَإِذَا فِيهِ تَمَاثِيلُ وَصُوَرٌ أَكْثَرَ مِمَّا فِي ذَلِكَ الدَّيْرِ، فَقَالُوا لِي: انْظُرْ، هَلْ تَرَى صُورَتَهُ؟ فَنَظَرْتُ فَإِذَا أَنَا بِصِفَةِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَصُورَتِهِ، وَإِذَا أَنَا بِصِفَةِ أَبِي بَكْرٍ وَصُورَتِهِ وَهُوَ آخِذٌ بِعَقِبِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَقَالُوا لِي: هَلْ تَرَى صِفَتَهُ؟ قُلْتُ: نَعَمْ. قَالُوا: أَهْوَ هَذَا؟ وَأَشَارُوا إِلَى صِفَةِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، قُلْتُ: اللَّهُمَّ نَعَمْ، أَشْهَدُ أَنَّهُ هُوَ. قَالُوا: أَتَعْرِفُ هَذَا الَّذِي هُوَ آخِذٌ بِعَقِبِهِ؟ قُلْتُ: نَعَمْ. قَالُوا: نَشْهَدُ أَنَّ هَذَا صَاحَبُكُمْ، وَأَنَّ هَذَا الْخَلِيفَةُ مِنْ بَعْدِهِ.
وَرَوَاهُ الْبُخَارِيُّ فِي " التَّارِيخِ " عَنْ مُحَمَّدٍ غَيْرَ مَنْسُوبٍ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ عُمَرَ هَذَا بِإِسْنَادِهِ، فَذَكَرَهُ مُخْتَصَرًا، وَعِنْدَهُ: فَقَالُوا: إِنَّهُ لَمْ يَكُنْ نَبِيٌّ إِلَّا بَعْدَهُ نَبِيٌّ إِلَّا هَذَا النَّبِيُّ. وَقَدْ ذَكَرْنَا فِي كِتَابِنَا " التَّفْسِيرِ " عِنْدَ قَوْلِهِ تَعَالَى فِي سُورَةِ الْأَعْرَافِ: {الَّذِينَ يَتَّبِعُونَ الرَّسُولَ النَّبِيَّ الْأُمِّيَّ الَّذِي يَجِدُونَهُ مَكْتُوبًا عِنْدَهُمْ فِي التَّوْرَاةِ وَالْإِنْجِيلِ يَأْمُرُهُمْ بِالْمَعْرُوفِ وَيَنْهَاهُمْ عَنِ الْمُنْكَرِ} [الأعراف: 157] الْآيَةَ [الْأَعْرَافِ: 175] . ذَكَرْنَا مَا أَوْرَدَهُ الْبَيْهَقِيُّ وَغَيْرُهُ مِنْ طَرِيقِ أَبِي أُمَامَةَ الْبَاهِلِيِّ،
পৃষ্ঠা - ৪৬৭৫
আমরাতাে দেখতে পাচ্ছি এতে নবীদের হুবহু প্রতিকৃতি বিদ্যমান ৷ কেননা, আমরা আমাদের
নবী (আ) প্রতিকৃতিকে তারই মত দেখলাম ৷ তখন তিনি বললেন, হযরত আদম (আ) তার
রবের কাছে বর্ণনা করেছিলেন যেন তিনি তার সন্তানদের মধ্যকার নৰীদেরকে (প্রতিকৃতিকে)
তাকে দেখিয়ে দেন ৷ তখন তিনি তার কাছে তাদের প্ৰতিকৃতিসমুহ অবতারিত্ত করলেন, আর
সেগুলি অস্তাচলের নিকট হযরত আদমের ভাণ্ডারে রক্ষিত ছিল ৷ এরপর যুলকারনড়ায়ন সেগুলিকে
বের করে দানিয়ালের নিকট হন্তন্তেরিত করেছিলেন ৷ তারপর তিনি বললেন, আল্লাহ্র কসম,
তোমরা শুনে ব্লেখো, এখন আমার মন এতে পুর্ণ সন্তুষ্ট যে আমি আমার রাজ্যপথ ত্যাগ করে
তোমাদের নিকৃষ্টতম ব্যক্তির দাস হয়ে অবগ্রিষ্টি জীবন অতিবাহিত করি ৷ হিশাম বলেন, তারপর
তিনি আমাদেরকে মুল্যবান উপহার সামগ্রী দিয়ে বিদায় জানালেন ৷ তারপর আমরা যখন আবু
বকর সিদ্দীক (রা)-এর কাছে আসলাম তখন আমরা দু’জন যা দেখেছি তাকে তা অবহিত
করলাম; কিত্তু তিনি আমাদেরকে তেমন কিছুই বললেন না বা আমাদেরকে কোন পুরস্কারও
দিলেন না ৷ হিশাম বলেন, তখন আবু বকর কেদে বললেন, হতভড়াগা সাে আল্লাহ যদি তার
মঙ্গল চাইতেন তাহলে সে যা বলেছে তাই করত ৷ তারপর বললেন, আমাদেরকে রাসুলুল্লাহ্
(সা) জানিয়েছেন যে, (খ্রিষ্টানরা) ও ইয়াহুদীরা (তাদের গ্রন্থে) মুহাম্মদ (না)-এর দেহাকৃতির
বিবরণ পেয়ে থাকে ৷
ওয়াকিদী আলী ইবন ঈসা আল-হাকীমী আমির ইবন রাবিআর বরাতে বর্ণনা করেন
যে, তিনি বলেছেন, আমি যায়দ ইবন আমর ইবন নুফায়লকে বলতে শুনেছি, আমি হযরত
ইসমাঈলের বংশধর থেকে একজন নবীর প্রতীক্ষা করছি, যিনি বানু আবদুল মুত্তালিব পরিবার
থেকে হবেন ৷ আমার মনে হয় না যে, আমি তার সাক্ষাৎ পাব, তবে আমি তার প্রতি ঈমান
আনছি, তার সত্যায়ন করছি এবং তার রিসালাতের সাক্ষ্য প্রদান করছি ৷ তোমার আয়ু যদি
দীর্ঘ হয় আর তুমি তার দেখা পাও, তাহলে আমার পক্ষ থেকে তাকে সালাম বলবে, আর
আমি অবশ্যই তোমাকে তার দেহাবয়বের বর্ণনা দেবাে যাতে করে তার বিষয় তোমার কাছে
গোপন না থাকে ৷ আমি বললাম, তাহলে আপনি তার বিবরণ দিন ৷ তখন তিনি বললেন, তিনি
অতি দীর্ঘকায় নন আবার খৰ্বাকৃতিও নন ৷ অতি ঘন চুলওয়লো নন আবার অতিঅল্প চুলওয়ালাও
নন, তার চোখ থেকে লালিমা সরে না; নুবুওয়াতের মোহর চিহ্ন তার স্কন্ধদ্বয়ের মাঝে, তার
নাম আহমদ-এই শহর জন্মভুমি এবং নবুওয়াত লাভের স্থান, তারপর তার সম্প্রদায় তাকে
সেখান থেকে বহিষ্কার করবে, এবং তার আনিত পয়গামকে তারা অপছন্দ করবে, অবশেষে
তিনি য়াছরিবে হিজরত করবেন এবং সেখানে তার (দীনের) আধিপত্য প্রতিষ্ঠিত হয় ৷ সুতরাং
তার ব্যাপারে তুমি কোন প্রতারণার শিকার হয়াে না, হযরত ইবরাহীমের দীনের সন্ধানে আমি
দেশে দেশে ঘুরে বেড়িয়েছি, এ সময় যে সকল ইয়াহুদী, খ্রিষ্টান ও মাজুসীকে (এ সম্পর্কে)
জিজ্ঞেস করা হয়েছে, তারইি বলেছে এই দীনই সেই দীন, এবং তারা তার সেরুপ বিবরণই
দিয়েছে, যেরুপ আমি তোমাকে দিলাম ৷ তাদের বক্তব্য হলো, তিনি ছাড়া আর কোন নবী
নেই ৷ আমির ইবন রাবীআ বলেন, তারপর আমি যখন ইসলাম গ্রহণ করলাম তখন নবী করীম
(সা) যায়দ ইবন আমর ইবন নুফায়লের বক্তব্য ও তাকে তার সালাম জানানোর কথা বললাম ,
তখন তিনি তার সালামের উত্তর দিয়ে তার জন্য রহমতের দৃআ করলেন এবং বললেন,
জান্নড়াতে আমি তাকে কাপড়ের খুট টেনে ধরে হটিতে দেখেছি ৷
«عَنْ هِشَامِ بْنِ الْعَاصِ الْأُمَوِيِّ قَالَ: بُعِثْتُ أَنَا وَرَجُلٌ مِنْ قُرَيْشٍ إِلَى هِرَقْلَ صَاحِبِ الرُّومِ نَدْعُوهُ إِلَى الْإِسْلَامِ. فَذَكَرَ اجْتِمَاعَهُمْ بِهِ وَأَنَّ غُرْفَتَهُ تَنَفَّضَتْ حِينَ ذَكَرُوا اللَّهَ عَزَّ وَجَلَّ، فَأَنْزَلَهُمْ فِي دَارِ ضِيَافَتِهِ، ثُمَّ اسْتَدْعَاهُمْ بَعْدَ ثَلَاثٍ فَدَعَا بِشَيْءٍ نَحْوَ الرَّبْعَةِ الْعَظِيمَةِ، فِيهَا بُيُوتٌ صِغَارٌ، عَلَيْهَا أَبْوَابٌ، وَإِذَا فِيهَا صُوَرُ الْأَنْبِيَاءِ مُمَثَّلَةً فِي قِطَعٍ مِنْ حَرِيرٍ، مِنْ آدَمَ إِلَى مُحَمَّدٍ، صَلَوَاتُ اللَّهِ عَلَيْهِمْ أَجْمَعِينَ، فَجَعَلَ يُخْرِجُ لَهُمْ وَاحِدًا وَاحِدًا، وَيُخْبِرُهُمْ عَنْهُ، وَأَخْرَجَ لَهُمْ صُورَةَ آدَمَ ثُمَّ نُوحٍ ثُمَّ إِبْرَاهِيمَ، ثُمَّ تَعَجَّلَ إِخْرَاجَ صُورَةِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ. قَالَ: ثُمَّ فَتَحَ بَابًا آخَرَ، فَإِذَا فِيهَا صُورَةٌ بَيْضَاءُ، وَإِذَا وَاللَّهِ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، قَالَ: أَتَعْرِفُونَ هَذَا؟ قُلْنَا: نَعَمْ، مُحَمَّدٌ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: وَبَكَيْنَا. قَالَ: وَاللَّهُ يَعْلَمُ أَنَّهُ قَامَ قَائِمًا، ثُمَّ جَلَسَ، وَقَالَ: وَاللَّهِ إِنَّهُ لَهُوَ؟ قُلْنَا: نَعَمْ، إِنَّهُ لَهُوَ كَمَا تَنْظُرُ إِلَيْهِ. فَأَمْسَكَ سَاعَةً يَنْظُرُ إِلَيْهَا، ثُمَّ قَالَ: أَمَا إِنَّهُ كَانَ آخِرَ الْبُيُوتِ، وَلَكِنِّي عَجَّلْتُهُ لَكُمْ لِأَنْظُرَ مَا عِنْدَكُمْ. ثُمَّ ذَكَرَ تَمَامَ الْحَدِيثِ فِي إِخْرَاجِهِ صُوَرَ بَقِيَّةِ صُوَرِ الْأَنْبِيَاءِ وَتَعْرِيفِهِ إِيَّاهُمَا بِهِمْ. وَقَالَ فِي آخِرِهِ: قُلْنَا لَهُ: مِنْ أَيْنَ لَكَ هَذِهِ الصُّوَرُ؟ لِأَنَّا نَعْلَمُ أَنَّهَا عَلَى مَا صُوِّرَتْ عَلَيْهِ الْأَنْبِيَاءُ عَلَيْهِمُ الصَّلَاةُ وَالسَّلَامُ؛ لِأَنَّا رَأَيْنَا صُورَةَ نَبِيِّنَا عَلَيْهِ الصَّلَاةُ وَالسَّلَامُ، مِثْلَهُ. فَقَالَ: إِنَّ آدَمَ، عَلَيْهِ السَّلَامُ، سَأَلَ رَبَّهُ أَنْ يُرِيَهُ الْأَنْبِيَاءَ مَنْ وَلَدِهِ، فَأَنْزَلَ عَلَيْهِ صُوَرَهُمْ، فَكَانَ فِي خِزَانَةِ آدَمَ عَلَيْهِ السَّلَامُ، عِنْدَ مَغْرِبِ الشَّمْسِ، فَاسْتَخْرَجَهَا ذُو الْقَرْنَيْنِ مِنْ مَغْرِبِ الشَّمْسِ، فَدَفَعَهَا إِلَى دَانْيَالَ. ثُمَّ قَالَ: أَمَا وَاللَّهِ إِنَّ نَفْسِي طَابَتْ بِالْخُرُوجِ مِنْ مُلْكِي، وَأَنِّي كُنْتُ عَبْدًا لِأَشَرِّكُمْ مَلَكَةً حَتَّى أَمُوتَ. قَالَ: ثُمَّ أَجَازَنَا فَأَحْسَنَ جَائِزَتَنَا وَسَرَّحَنَا، فَلَمَّا أَتَيْنَا أَبَا بَكْرٍ الصِّدِّيقَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، حَدَّثْنَاهُ بِمَا رَأَيْنَا وَمَا قَالَ لَنَا وَمَا أَجَازَنَا. قَالَ: فَبَكَى أَبُو بَكْرٍ، قَالَ: مِسْكِينٌ لَوْ
পৃষ্ঠা - ৪৬৭৬
أَرَادَ اللَّهُ بِهِ خَيْرًا لَفَعَلَ. ثُمَّ قَالَ: أَخْبَرَنَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنَّهُمْ وَالْيَهُودُ يَجِدُونَ نَعْتَ مُحَمَّدٍ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عِنْدَهُمْ» .
وَقَالَ الْوَاقِدِيُّ: حَدَّثَنِي عَلِيُّ بْنُ عِيسَى الْحَكَمِيُّ، عَنْ أَبِيهِ، «عَنْ عَامِرِ بْنِ رَبِيعَةَ قَالَ: سَمِعْتُ زَيْدَ بْنَ عَمْرِو بْنِ نُفَيْلٍ يَقُولُ: أَنَا أَنْتَظِرُ نَبِيًّا مِنْ وَلَدِ إِسْمَاعِيلَ، ثُمَّ مِنْ بَنِي عَبْدِ الْمُطَّلِبِ، وَلَا أَرَانِي أُدْرِكُهُ، وَأَنَا أُومِنُ بِهِ وَأُصَدِّقُهُ وَأَشْهَدُ أَنَّهُ نَبِيٌّ، فَإِنْ طَالَتْ بِكَ مُدَّةٌ فَرَأَيْتَهُ فَأَقْرِئْهُ مِنِّي السَّلَامَ، وَسَأُخْبِرُكَ مَا نَعْتُهُ حَتَّى لَا يَخْفَى عَلَيْكَ. قُلْتُ: هَلُمَّ. قَالَ هُوَ رَجُلٌ لَيْسَ بِالطَّوِيلِ وَلَا بِالْقَصِيرِ، وَلَا بِكَثِيرِ الشَّعْرِ وَلَا بِقَلِيلِهِ، وَلَيْسَتْ تُفَارِقُ عَيْنَيْهِ حُمْرَةٌ، وَخَاتَمُ النُّبُوَّةِ بَيْنَ كَتِفَيْهِ، وَاسْمُهُ أَحْمَدُ، وَهَذَا الْبَلَدُ مَوْلِدُهُ وَمَبْعَثُهُ، ثُمَّ يُخْرِجُهُ قَوْمُهُ مِنْهَا، وَيَكْرَهُونَ مَا جَاءَ بِهِ حَتَّى يُهَاجِرَ إِلَى يَثْرِبَ فَيَظْهَرَ أَمْرُهُ، فَإِيَّاكَ أَنْ تُخْدَعَ عَنْهُ، فَإِنِّي طُفْتُ الْبِلَادَ كُلَّهَا أَطْلُبُ دِينَ إِبْرَاهِيمَ، فَكُلُّ مَنْ أَسْأَلُ مِنَ الْيَهُودِ وَالنَّصَارَى وَالْمَجُوسِ يَقُولُونَ: هَذَا الدِّينُ وَرَاءَكَ. وَيَنْعَتُونَهُ مِثْلَ مَا نَعَتُّهُ لَكَ، وَيَقُولُونَ: لَمْ يَبْقَ نَبِيٌّ غَيْرُهُ. قَالَ عَامِرُ بْنُ رَبِيعَةَ: فَلَمَّا أَسْلَمْتُ أَخْبَرْتُ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَوْلَ زَيْدِ بْنِ عَمْرِو بْنِ نُفَيْلٍ وَأَقْرَأْتُهُ مِنْهُ السَّلَامَ، فَرَدَّ عَلَيْهِ السَّلَامَ، وَتَرَحَّمَ عَلَيْهِ، وَقَالَ: قَدْ رَأَيْتُهُ فِي الْجَنَّةِ يَسْحَبُ ذُيُولًا» .