سنة إحدى عشرة من الهجرة
فصل: إيراد ما بقي علينا من متعلقات السيرة الشريفة
كتاب الشمائل
باب جامع لأحاديث متفرقة وردت في صفة رسول الله صلى الله عليه وسلم
পৃষ্ঠা - ৪৫৭৭
অধ্যায়
রাসুল (সা)এর দেহাবয়ব ও স্বভাব বর্ণনা বিষয়ক বিচ্ছিন্ন হাদীস
হযরত আলী ইবন আবু তালিবের বরাতে নাফি ইবন জুবায়রের রিওয়ায়াতে ইতিপুর্বে
বর্ণিত হয়েছে যে, তিনি আলী রা বলেন ং তার পুর্বে ও পরে তার মত কাউকে আমি
দেখিনি ৷ আর ইয়া কুব ইবন সুফিয়ান আবদুল্লাহ ইবন মুসলিম ও সাঈদ ইবন মানসুর সুত্রে
হযরত আলীর কোন এক পুত্র থেকে বর্ণনা করেন ৷ তিনি বলেন, হযরত আলী যখন
রাসুলুল্লাহ্ (সা)-এর দেহাবয়ব বর্ণনা করতেন, তখন বলতেন : তিনি বেশি লম্বাও ছিলেন না,
আবার খুব বৈটে সেটেও না ৷ তিনি ছিলেন মধ্যম আকৃতির লোক ৷ আর মাথার চুল অতি
ফোকাড়ানােও ছিল না, আবার একেবারে সােজাও ছিল না, তা ছিল ঈষৎ ফোকড়ানাে ৷ তার
দেহ মােটাসােটা ও মেদবহুল ছিল না এবং তার চেহারা একেবারে ভরাট গোলাকারও নয় ৷
তবে তার মুখমণ্ডল গোলাকৃতির ছিল, তার গাত্রবর্ণ ছিল লালাভ ফর্সা, চক্ষুদ্বয় ছিল ডাপর কাল,
চোখের পাতা পাপড়িপুর্ণ, তার অঙ্গ-প্রতাঙ্গ ও র্কাধের অস্থিসন্ধিসমুহ শক্ত ও মোটা, দেহ
অতিরিক্ত পশমবডিতি, বুকে নিম্নমুখী পশমের রেখা, ভরটি ও কোমল হাত ও পায়ের তালুর
অধিকারী ৷ ইাটার সময় পা তুলে দ্রুত হাটতেন যেন তিনি চালু ভুমিতে নামহ্নেষ্ক, যখন ঘুরে
তাকাতেন গোটা দেহ ঘুরে তাকাতেন, তার উভয় স্কন্ধান্থির মাঝে নুবুওয়াতের মােহর চিহ্ন
সর্বাধিক উদার হস্ত ও প্রশস্ত বক্ষ, সর্বাধিক সত্যভাষী ও শ্রেষ্ঠতম প্রতিশ্রুতি পুর্ণকারী,
কোমলতম স্বভাবের অধিকারী, পারিবারিক জীবন যাপনে সেরা কর্তব্য পরায়ণ ৷ হঠাৎ কেউ
তাকে দেখলে তীর প্রতি সমীহ সৃষ্টি হত, আর কেউ ঘনিষ্ঠভাবে তার সাথে পরিচিত হলে তার
প্রতি ৩অনুরক্ত হতো ৷ তার দেহাবয়ব বর্ণনাকারী বলেন, তার আগে বা পরে তার তুলা কাউকে
আমি দেখিনি ৷ ইমাম আবু উবায়দ বাসিম ইবন সাল্লাম এ এই হাদীসখানা
বর্ণনা করেছেন ৷
অতঃপর তিনি কিসাঈ, আসমায়ী ও আবু আমর থেকে তার দুর্বোধ্য ও জটিল শব্দগুলির
অর্থ ও ব্যাখ্যা উল্লেখ করেছেন ৷ এ প্রসঙ্গে তার উল্লেখিত বিবরণের সারাংশ হল, স্পে;া৷ ৷ হল
ভরাটদেহী ৷ া£৷ ৷ অতি গোলাকৃতির মুখমণ্ডলের অধিকারী ৷ অর্থাৎ তিনি মেদবহুল
অতিমােটা ছিলেন না, আবার কৃশকায় দুর্বলও ছিলেন না; বরং এ দুয়ের মধ্যবর্তী দেহাবয়বের
অধিকারী ছিলেন ৷ তার মুখমণ্ডল একেবারে গোলাকৃতির ছিল না, বরং তা কিছুটা উপবৃত্তাকার
ছিল, যা আরবদের কাছে এবং রুচিবানদের কাছে প্রিয়দর্শন ৷ তিনি ছিলেন লালাভ ফর্সা-দুধে
আলতায় মেশানাে বর্ণের আর এটাই সুন্দর৩ ম গাত্রবর্ণ ৷ এ কারণেই তিনি অতি শুভ্র বর্ণ ছিলেন
না ৷ ’ব্লু;টু১’১৷ ৷ হল ভোমর কাজল চক্ষুমণির অধিকারী , :া;;স্দু ৷ ট্রুাপুাট্রুশু বিশাল বিশাল অস্থিপ্রান্ত
বা জোড় ৷র অধিকারী ৷ যেমন হাটুদ্বয়, কনুইদ্বয় ও স্কন্ধদ্বয়,াএ ৷ হল কাধের সংযোগস্থল ও
তার সংলগ্ন৷ শরীর আর ;,ট্রু ব্লুদ্বু ৷ গ্লু ,:; অর্থাৎ ভারী ও মোটা হাতের তালুর অধিকারী আর
[بَابٌ جَامِعٌ لِأَحَادِيثَ مُتَفَرِّقَةٍ وَرَدَتْ فِي صِفَةِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ]
[حَدِيثُ عَلِيِّ بْنِ أَبِي طَالِبٍ فِي صِفَةِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ]
قَدْ تَقَدَّمَ فِي رِوَايَةِ نَافِعِ بْنِ جُبَيْرٍ عَنْ عَلِيِّ بْنِ أَبِي طَالِبٍ، أَنَّهُ قَالَ: لَمْ أَرَ قَبْلَهُ وَلَا بَعْدَهُ مِثْلَهُ.
وَقَالَ يَعْقُوبُ بْنُ سُفْيَانَ: حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مَسْلَمَةَ الْقَعْنَبِيُّ وَسَعِيدُ بْنُ مَنْصُورٍ، ثَنَا عُمَرُ بْنُ يُونُسَ، ثَنَا عُمَرُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ مَوْلَى غُفْرَةَ، حَدَّثَنِي إِبْرَاهِيمُ بْنُ مُحَمَّدٍ مِنْ وَلَدِ عَلِيٍّ، قَالَ: «كَانَ عَلِيٌّ إِذَا نَعَتَ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: لَمْ يَكُنْ بِالطَّوِيلِ الْمُمَّغِطِ وَلَا الْقَصِيرِ الْمُتَرَدِّدِ، وَكَانَ رَبْعَةً مِنَ الْقَوْمِ، وَلَمْ يَكُنْ بِالْجَعْدِ الْقَطَطِ، وَلَا بِالسَّبْطِ، كَانَ جَعْدًا رَجِلًا، وَلَمْ يَكُنْ بِالْمُطَهَّمِ وَلَا الْمُكَلْثَمِ، وَكَانَ فِي الْوَجْهِ تَدْوِيرٌ، أَبْيَضَ مُشْرَبًا، أَدْعَجَ الْعَيْنَيْنِ، أَهْدَبَ الْأَشْفَارِ، جَلِيلَ الْمُشَاشِ وَالْكَتَدِ، أَجْرَدَ ذَا مَسْرُبَةٍ، شَثْنَ الْكَفَّيْنِ وَالْقَدَمَيْنِ، إِذَا مَشَى تَقَلَّعَ كَأَنَّمَا يَمْشِي
পৃষ্ঠা - ৪৫৭৮
অধিকারী, যে দৃটির মাঝখানে একটি শির৷ ছিল, ক্রোধ যাকে স্ফীত করে তৃলতে৷ ৷ উন্নত
নাসিকা, যা সর্বদা দ্যুতি ছড়াত, গভীর দৃষ্টিতে যে র্তাকে পর্যবেক্ষণ করেনি সে তার নড়াকের
অগ্নভাগ উচু মনে করত ৷ ঘন দাড়ি ও ডাগর চোখের অধিকারী ৷ তার গণ্ডদ্বয় সমতল, প্রশস্ত
মুখ, সুবিন্যস্ত র্দাতের সারি, বুকে নিম্নাপামী ও সরু পশমের রেখা, বর্ণ স্বচ্ছতায় তার গ্রীবা যেন
কোন কোন লোহিতবরণ প্রতিমার বৌপ্যনির্মিত গ্রীবা ৷ সুচৌল দেহ কাঠামো, দৃঢ় গড়নের ভারী
দেহ, সমান্তরাল পেট ও বুকের অধিকারী ৷ তীর বুক প্রশস্ত, দুই কাধের মাঝে বেশ দুরতৃ,
মোটা মোটা অন্থিসন্ধি, সারা দেহ অতিরিক্ত লোমযুক্ত, বুকের মধ্যখান থােক নাভি পর্যন্ত
রেখার ন্যায় প্রবহমান পশমধারা, স্তনদ্বয় ও পেট ণ্কর্শযুক্ত, দেহের অন্যত্র দুই বাহু, দুই র্কাধ ও
বুকের উপরিভাগে স্বাভাবিক সোম ৷ দীর্ঘ কজি, প্রশস্ত তালু বিন্তুত পেশী, হাত ও পায়ের তালু
কোমল ও ভরাট, হাত ও পায়ের আঙ্গুলসমুহ দীর্ঘ পায়ের তলাদ্বয় ভরাট ও শুন্যতাবিহীন, পদদ্বয়
মসৃণ যা থেকে পানি পড়া মাত্র সরে যায় ৷ যখন তিনি কোন স্থান থেকে সরেন তখন পুর্ণ দেহে
সরেন, দীর্ঘ পদক্ষের্পে গান্তীর্যের সাথে দ্রুত ইাটেন, যখন তিনি ইাটেন তখন মনে হয় যেন তিনি
চালু ভুমি থেকে নামছেন, আর যখন তিনি ঘুরেত তাকান তখন গোটড়াদেহে ঘুরে তাকান, আনত
দৃষ্টি, আসমড়ানের দিকে তার দৃষ্টির চেয়ে যমীনের দিকের দৃষ্টি দীর্ঘস্থায়ী ৷৩ তার অধিকাত্শ দৃষ্টিই
মনযােগপুর্ণ, সাথীদের পেছনে পেছনে চলতেন, যার সাথেই সাক্ষাৎ হতো তাকেই তিনি সালাম
দিতেন ৷
এরপর আমি তাকে বললাম, আমাকে তার কথা বলার বিবরণ দিন ৷ তখন তিনি বললেন,
রাসুলুল্লাহ্ (মা) ছিলেন, নিরৰিচ্ছিন্ন বিষগ্ন ও সদা চিন্তিত ৩৷ তার যেন কোন স্বস্তি ছিল না ৷
প্রয়োজন ছাড়া কথা বলতেন না ৷ দীর্ঘক্ষণ নির্বাক থাকতেন, পুর্ণমুখ খুলে কথা শুরু করতেন
এবং কথা শেষ করতেন ৷ তিনি সারগর্ভ কথা বলতেন, যা হতো স্পষ্ট ও প্রাঞ্জল, অস্ফীন বাহুল্য
নয় আবার উদ্দেশ্য প্রকাশে অক্ষম অতি স্বল্পও নয় ৷ কোমল স্বভাব, কঠোর ও রুঢ় নন এবং
আত্মমর্ষাদাহীন ছাড়াবলাও নন ৷ কারো দান বা অনুগ্রহ ক্ষুদ্র হলেও তাকে বিরাট বলে গণ্য
করতেন, তার কোন কিছুর নিন্দা করতেন না, আবার তার অতিরিক্ত প্রশং সাও করতেন না ৷
সত্য ও ন্যায়ের পরিপন্থী কিছু হলে তার ক্রোধের সামনে কোন কিছু টিকতে পারত না, যতক্ষণ
না তার প্রতিবিধান করতে পারতেন ৷
অন্য রিওয়ায়াতে আছে, দুনিয়া এবং দুনিয়ার কিছু তাকে রাগাষিত করতে পারত না ৷ যখন
সত্যের মর্যাদা লগ্রিত হতো, তখন কেউ তাকে কিনতে পারত না এবং তার ক্রোধের সামনে
কোন কিছু টিকত না, যতক্ষণ না তিনি তার প্রতিযিধান করতেন ৷ নিজের স্বার্থে কখনও ক্ষুদ্ধ
হতেন না এবং প্ৰতিশোধও গ্রহণ করতেন না ৷ তিনি যখন ইঙ্গিত করতেন তখন পুর্ণত তালু দিয়ে
ইঙ্গিত করতেন ৷ আর যখন আশ্চর্য হতেন তখন তা উল্টাতেন ৷ যখন আলোচনা করতেন তখন
হাতের তালুদ্বয় একত্র করতেন, ডান হাতের তা ৷লু দ্বারা বাম হাতের বুড়াে আঙ্গুলের৩ ভিতর দিকে
আঘাত করতেন ৷ তিনি যখন ক্ষুদ্ধ হতেন, উপেক্ষায় মুখ ফিরিয়ে নিতে ন ৷ প্রসন্ন হলে দৃষ্টি
অবনত রাখতেন ৷ তার অধিকাত্শ হ সিই ছিল মৃদু হ সি, তিনি শিলা শুভ্র র্দাতে হাসতেন ৷
হাসান বলেন, বেশ কিছুদিন আমি তা (এই বিবরণ) আমার অনুজ হুসায়ন ইবন আলী
থেকে গোপন রাখলাম , তারপর তার কাছে তা বর্ণনা করলাম ৷ দেখলাম, যে আমার আগেই
তা সংরক্ষণ করেছে এবং আমিতাকে যে বিষয় সম্পর্কে জিজ্ঞেস করেছিলাম সেও তাকে সে
فِي صَبَبٍ، وَإِذَا الْتَفَتَ الْتَفَتَ مَعًا، بَيْنَ كَتِفَيْهِ خَاتَمُ النُّبُوَّةِ، أَجْوَدَ النَّاسِ كَفًّا، وَأَرْحَبَ النَّاسِ صَدْرًا، وَأَصْدَقَ النَّاسِ لَهْجَةً، وَأَوْفَى النَّاسِ ذِمَّةً، وَأَلْيَنَهُمْ عَرِيكَةً، وَأَلْزَمَهُمْ عِشْرَةً، مَنْ رَآهُ بَدِيهَةً هَابَهُ، وَمَنْ خَالَطَهُ مَعْرِفَةً أَحَبَّهُ، يَقُولُ نَاعِتُهُ: لَمْ أَرَ قَبْلَهُ وَلَا بَعْدَهُ مِثْلَهُ» . وَقَدْ رَوَى هَذَا الْحَدِيثَ الْإِمَامُ أَبُو عُبَيْدٍ الْقَاسِمُ بْنُ سَلَّامٍ فِي كِتَابِ " الْغَرِيبِ "، ثُمَّ رَوَى عَنِ الْكِسَائِيِّ وَالْأَصْمَعِيِّ وَأَبِي عَمْرٍو تَفْسِيرَ غَرِيبِهِ، وَحَاصِلُ مَا ذَكَرَهُ مِمَّا فِيهِ غَرَابَةٌ أَنَّ الْمُطَهَّمَ هُوَ الْمُمْتَلِئُ الْجِسْمِ، وَالْمُكَلْثَمَ شَدِيدُ تَدْوِيرِ الْوَجْهِ، يَعْنِي لَمْ يَكُنْ بِالسَّمِينِ النَّاهِضِ، وَلَمْ يَكُنْ ضَعِيفًا، بَلْ كَانَ بَيْنَ ذَلِكَ، وَلَمْ يَكُنْ وَجْهُهُ فِي غَايَةِ التَّدْوِيرِ بَلْ فِيهِ سُهُولَةٌ، وَهِيَ أَحْلَى عِنْدَ الْعَرَبِ وَمَنْ يَعْرِفُ، وَكَانَ أَبْيَضَ مُشْرَبًا حُمْرَةً، وَهِيَ أَحْسَنُ اللَّوْنِ، وَلِهَذَا لَمْ يَكُنْ أَمْهَقَ اللَّوْنِ، وَالْأَدْعَجَ هُوَ شَدِيدُ سَوَادِ الْحَدَقَةِ، وَجَلِيلَ الْمُشَاشِ هُوَ عَظِيمُ رُؤُوسِ الْعِظَامِ مِثْلِ الرُّكْبَتَيْنِ وَالْمِرْفَقَيْنِ وَالْمَنْكِبَيْنِ، وَالْكَتَدَ الْكَاهِلُ وَمَا يَلِيهِ مِنَ الْجَسَدِ. وَقَوْلُهُ: شَثْنَ الْكَفَّيْنِ. أَيْ: غَلِيظَهُمَا. وَتَقَلَّعَ فِي مِشْيَتِهِ، أَيْ شَدِيدَ الْمِشْيَةِ، وَتَقَدَّمَ الْكَلَامُ عَلَى الشُّكْلَةِ وَالشُّهْلَةِ وَالْفَرْقِ
পৃষ্ঠা - ৪৫৭৯
অধ্যায়
তার পবিত্র স্বভাব-চরিত্রের বিবরণ
পুর্বে আমরা তার বংশগত কুলীনতা, পবিত্রতা এবং জন্মের কথা উল্লেখ করেছি ৷ আর
আল্লাহ তাআলা স্বয়ং বলেছেন৪ ৷ এ ৷ “আল্লাহ তার ’
রিসালাণ্ডে র ভার কার উপর অর্পণ করবেন, তা তিনিই ভাল জানেন ( ৬ আন আম৪ ১২৪) ৷
বুখারী কুতায়বা আবু হুরায়রা (রা) সুত্রে বর্ণনা করেন যে,৩ তিনি বলেছেন, রাসুলুল্পাহ্
(সা ) ইরশাদ করেন :
’ ’
“মানবজাতির সর্বোত্তম কালে আমি প্রেরিত হয়েছি, একের পর এককাল অতিবাহিত
হয়েছে পরিশেষে আমি যে কালে প্রেরিত হওয়ার সেকালে প্রেরিত হয়েছি” ৷
মুসলিম শরীফে ওয়াছিলা ইবন আসকা থেকে বর্ণিত ৩,আছে তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ্ (সা)
ইরশাদ করেছেন :
(fl ৷ ;, ৷
“আল্লাহ্ তাআলা ইসমাঈল (আ)-এর বংশধরদের মাঝে কুরায়শকে মনোনীত করেছেন,
আর কুরায়শদের মধ্য থেক বনু হাশিমকে, আর বনু হাশিম থেকে আমাকে মনোনীত
করেহ্নেম্ব” ৷
আল্লাহ তড়াআলা বলেন :
০ ’ : ; ; :
এ
“নুন-শপথ কলমের এবং তারা বা লিপিবদ্ধ করে তার, ৫৩ ড়ামার প্রতিপালকের অনুগহে
তুমি উম্মাদ নও ৷ তোমার জন্য অবশ্যই রয়েছে নিরবিচ্ছিন্ন পুরষ্কার ৷ আর তুমি অবশ্যই সুমহান
চরিত্রে অধিষ্ঠিত” (৬৮ কালাম : ১৪ ) ৷
আওফী ইবন আব্বাস (রা) থেকে উক্ত আঘাতের ব্যাখ্যার বলেন, অর্থাৎ তুমি এক মহান
দীনের অনুসারী অর্থাৎ ইসলাম ৷ মুজাহিদ ইবন মালিক, সুদ্দী, যাহ্হাক এবং আবদুর রহমান
ইবন যায়দ ইবন আসলামও এমনই বলেছেন ৷ আর আতিয়্যা বলেন, এর অর্থ হল, আপনি
মহান শিষ্টাচার এর উপর প্রতিষ্ঠিত ৷ সহীহ্ মুসলিমে যুরারা ইবন আওফা সুত্রে হযরত
কাতাদার হাদীস থেকে সাব্যস্ত হয়েছে যে, তিনি বলেন, (একবার) আমি উম্মুল মুমিনীন
بَيْنَهُمَا، وَالْأَهْدَبَ طَوِيلُ أَشْفَارِ الْعَيْنِ، وَجَاءَ فِي حَدِيثٍ أَنَّهُ كَانَ شَبْحَ الذِّرَاعَيْنِ يَعْنِي غَلِيظَهُمَا. وَاللَّهُ تَعَالَى أَعْلَمُ.
[حَدِيثُ أُمِّ مَعْبَدٍ]
ٍ فِي ذَلِكَ
قَدْ تَقَدَّمَ الْحَدِيثُ بِتَمَامِهِ فِي الْهِجْرَةِ مِنْ مَكَّةَ إِلَى الْمَدِينَةِ حِينَ وَرَدَ عَلَيْهَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَمَعَهُ أَبُو بَكْرٍ وَمَوْلَاهُ عَامِرُ بْنُ فُهَيْرَةَ وَدَلِيلُهُمْ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ أُرَيْقِطَ الدِّيلِيُّ، فَسَأَلُوهَا هَلْ عِنْدَهَا لَبَنٌ أَوْ لَحْمٌ يَشْتَرُونَهُ مِنْهَا، فَلَمْ يَجِدُوا عِنْدَهَا شَيْئًا، وَقَالَتْ: لَوْ كَانَ عِنْدَنَا شَيْءٌ مَا أَعْوَزَكُمُ الْقِرَى. وَكَانُوا مُمْحِلِينَ، فَنَظَرَ إِلَى شَاةٍ فِي كَسْرِ خَيْمَتِهَا، فَقَالَ: مَا هَذِهِ الشَّاةُ يَا أُمَّ مَعْبَدٍ؟ " فَقَالَتْ: خَلَّفَهَا الْجَهْدُ. فَقَالَ: " أَتَأْذَنِينَ أَنْ أَحْلِبَهَا؟ " فَقَالَتْ: إِنْ كَانَ بِهَا حَلَبٌ فَاحْلِبْهَا. فَدَعَا بِالشَّاةِ فَمَسَحَهَا وَذَكَرَ اسْمَ اللَّهِ. فَذَكَرَ الْحَدِيثَ فِي حَلْبِهِ مِنْهَا مَا كَفَاهُمْ أَجْمَعِينَ، ثُمَّ حَلَبَهَا وَتَرَكَ عِنْدَهَا إِنَاءَهَا مَلْأَى، وَكَانَ يُرْبِضُ الرَّهْطَ، فَلِمَا جَاءَ بَعْلُهَا اسْتَنْكَرَ اللَّبَنَ وَقَالَ: مِنْ أَيْنَ لَكِ هَذَا يَا أُمَّ مَعْبَدٍ وَلَا حَلُوبَةَ فِي الْبَيْتِ، وَالشَّاءُ عَازِبٌ؟! فَقَالَتْ: لَا وَاللَّهِ، إِلَّا أَنَّهُ مَرَّ بِنَا رَجُلٌ مُبَارَكٌ كَانَ مِنْ حَدِيثِهِ كَيْتَ وَكَيْتَ. فَقَالَ: صِفِيهِ لِي، فَوَاللَّهِ إِنِّي لَأَرَاهُ صَاحِبَ قُرَيْشٍ الَّذِي تَطْلُبُ. فَقَالَتْ:
পৃষ্ঠা - ৪৫৮০
আইশা (রা)-কে বললাম, আমাকে রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর চরিত্র সম্পর্কে অবহিত করুন ৷ তখন
তিনি বললেন, তুমি কি কুরআন পড় না? আমি বললাম অবশ্যই পড়ি ৷ তখন তিনি বললেন,
কুরআনই (অর্থাৎ কুরআনে উল্লেখিত স্বভাব চরিত্রই) তার চরিত্র ৷ ইমাম আহমদ ইসমাঈল
ইবন আলিয়্যা হাসান বসরী সুত্রে বর্ণনা করেন, তিনি (হাসান) বলেন-হযরত আইশা
(রা)-কে রাসুলুল্লাহ্ (সা)-এর স্বভাব-চবিত্র সম্পর্কে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি বললেন,
কুরআনই ছিল তার চরিত্র ৷ এছাড়া ইমাম আহমদ, ইমাম নাসাঈ, আর ইবন জারীর ভিন্ন ভিন্ন
সনদে জুবড়ায়র ইবন নুফায়র থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন, তিনি (একবার)
হজ্জ করার সময় আমি আইশা (রা)-এর সাথে সাক্ষাৎ করলাম, তখন আমি তাকে রাসুলুল্পাহ্
(না)-এর চরিত্র সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলাম, তখন তিনি বললেন, তার চরিত্র ছিল কুরআন ৷ এর
অর্থ হল কুরআন তবে যে নির্দেংইি দিত তিনি তা’ পালন করতেন এবং যা থেকে তাকে
নিষেধ করত তিনি তা পরিহার করতেন ৷ এই মহান জন্মগত ও সহজাত স্বভাবচরিত্র দিয়েই
: আল্লাহ্ র্তাকে সৃষ্টি করেছিলেন, যার চাইতে উত্তম চরিত্র গুণের অধিকারী কোন মানুষ কোনদিন
ছিলনা এবং ভবিষ্যতেও কোনদিন হবে না৷ এবং তিনি তার জন্য ঐ মহান দীনের বিধান
দিয়েছেন, যা তার পুর্বে কাউকে দেননি ৷ সর্বোপরি তিনি ছিলেন সর্বশেষ নবী, সুতরাং তার পরে
কোন রাসুল নেই, কোন নবী নেই ৷ তাই তার মাঝে যে লজ্জাশীলতা , মহানুতংতা ,
সাহসিকতা, সহিষ্ণুত৷ , ক্ষমাপ্রিয়তা, দয়ার্দ্রতা এবং সকল চারিত্রিক পুর্ণতার সে অপুর্ব সমন্বয়
ঘটেছিল তার কোন সীমা নেই এবং তা বর্ণনা করে শেষ করা সম্ভব নয় ৷ ইয়াকুব ইবন
সুফিয়ান সুলায়মান সুত্রে আবুদৃ দারদা (রা) থেকে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন, (একবার)
আমি আইশা (রা) কে রাসুলুল্পাহ্ (সা) এর চরিত্র সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলাম, তখন তিনি
বললেন, তার চরিত্র ছিল কুরআন ৷ কুরআনের সন্তুষ্টিতে তিনি সন্তুষ্ট হতেন এবং তার
অসন্তুষ্টিতে অসন্তুষ্ট হতেন ৷
বায়হাকী আবু আবদুল্লাহ হড়াফিয সুত্রে যায়দ ইবন য়াবনুস সুত্রে বর্ণনা করেন যে,
তিনি বলেছেন, আমরা আইশা (রা)-কে জিজ্ঞেস করলাম হে উম্মুল মু’মিনীন! রাসুলুল্লাহ্
(না)-এর চরিত্র কেমন ছিল? তিনি বললেন, রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর চরিত্র ছিল তারপর তিনি
বললেন, তুমি কি সুরা মু’মিনুন পড়তে পার, তাহলে পড় প্রথম দশ আয়াত-এরপর তিনি
বললেন, এমনই ছিল রাসুলুল্লাহ্ (সা)এর চরিত্র ৷ নাসাঈ কুতায়বা সুত্রে এভাবেই রিওয়ায়াত
করেছেন ৷ আর বুখারী এই আঘাতের
ব্যাখ্যা প্রসঙ্গে আবদুল্লাহ ইবন যুবায়রের বরাতে হিশাম ইবন উরওয়া থেকে বর্ণনা করেছেন যে,
তিনি বলেছেন, রাসুলুল্লাহ্ (সা) মানুষের স্বভাবসমুহের মাঝে ক্ষমা ও মার্জনার স্বভাব গ্রহণ
করার নির্দেশ দিয়েছেন ৷ ইমাম আহমদ সাঈদ ইবন মনসুর আবুহ্ স্মায়রা সুত্রে বর্ণনা করেন যে,
তিনি বলছেন, রাসুলুল্লাহ (সা) বলেন, ষ্১ধ্রুগ্র ৷ ষ্ান্ ণ্ঠুছু১৷ ;’:; ! ৷ সদগুণ ও সৎ
স্বভাবের পরিপুর্ণতা দানের জন্যই আমি প্রেরিত হয়েছি ৷ এটি ইমাম আহমদের একক বর্ণনা ৷
হাফিয আবু বকর আল খারাইতী তার কিভাবে তা ভিন্ন শব্দে উল্লেখ করেছেন, ছু- ই;ন্ট্রু ৮ ৷
ষ্১া ১৷ ৷ ণ্,াৰু; ণ্ছু;১৷ উত্তম চরিত্রগুণসমুহকে পুর্ণতাদানের জন্যেই আমি প্রেরিত হয়েছি ৷
আবু ইসহাকের হাদীস সংগ্রহ থেকে ইমাম বুখারী বারা বিন আযিব (রা) থেকে যা রিওয়ায়াত
رَأَيْتُ رَجُلًا ظَاهِرَ الْوَضَّاءَةِ، حَسَنَ الْخَلْقِ، مَلِيحَ الْوَجْهِ، لَمْ تَعِبْهُ ثُجْلَةٌ، وَلَمْ تُزْرِ بِهِ صَعْلَةٌ، قَسِيمٌ وَسِيمٌ، فِي عَيْنَيْهِ دُعْجٌ، وَفِي أَشْفَارِهِ وَطَفٌ، وَفِي صَوْتِهِ صَحَلٌ، أَحْوَرُ، أَكْحَلُ، أَزَجُّ، أَقْرَنُ، فِي عُنُقِهِ سَطَعٌ، وَفِي لِحْيَتِهِ كَثَافَةٌ، إِذَا صَمَتَ فَعَلَيْهِ الْوَقَارُ، وَإِذَا تَكَلَّمَ سَمَا، وَعَلَاهُ الْبَهَاءُ، حُلْوُ الْمَنْطِقِ فَصْلٌ، لَا نَزْرٌ وَلَا هَذْرٌ، كَأَنَّ مَنْطِقَهُ خَرَزَاتُ نَظْمٍ يَنْحَدِرْنَ، أَبْهَى النَّاسِ وَأَجْمَلُهُ مِنْ بَعِيدٍ، وَأَحْلَاهُ وَأَحْسَنُهُ مِنْ قَرِيبٍ؛ رَبْعَةٌ لَا تَشْنَؤُهُ عَيْنٌ مِنْ طُولٍ، وَلَا تَقْتَحِمُهُ عَيْنٌ مَنْ قِصَرٍ، غُصْنٌ بَيْنَ غُصْنَيْنِ فَهُوَ أَنْضَرُ الثَّلَاثَةِ مَنْظَرًا، وَأَحْسَنُهُمْ قَدًّا، لَهُ رُفَقَاءُ يَحُفُّونَ بِهِ، إِنْ قَالَ اسْتَمَعُوا لِقَوْلِهِ، وَإِنَّ أَمَرَ تَبَادَرُوا إِلَى أَمْرِهِ، مَحْفُودٌ مَحْشُودٌ، لَا عَابِسٌ وَلَا مُفَنَّدٌ. فَقَالَ بَعْلُهَا: هَذَا وَاللَّهِ صَاحِبُ قُرَيْشٍ الَّذِي تَطْلُبُ، وَلَوْ صَادَفْتُهُ لَالْتَمَسْتُ أَنْ أَصْحَبَهُ، وَلَأَجْهَدَنَّ إِنْ وَجَدْتُ إِلَى ذَلِكَ سَبِيلًا. قَالَ: وَأَصْبَحَ صَوْتٌ بِمَكَّةَ عَالٍ بَيْنَ السَّمَاءِ وَالْأَرْضِ يَسْمَعُونَهُ، وَلَا يَرَوْنَ مَنْ يَقُولُهُ وَهُوَ يَقُولُ:
جَزَى اللَّهُ رَبُّ النَّاسِ خَيْرَ جَزَائِهِ ... رَفِيقَيْنِ حَلَّا خَيْمَتَيْ أُمِّ مَعْبَدِ
هُمَا نَزَلَا بَالْبِرِّ وَارْتَحَلَا بِهِ ... فَأَفْلَحَ مَنْ أَمْسَى رَفِيقَ مُحَمَّدِ
فِيَالَ قُصَيٍّ مَا زَوَى اللَّهُ عَنْكُمُ ... بِهِ مِنْ فِعَالٍ لَا تُجَارَى وَسُؤْدُدِ
পৃষ্ঠা - ৪৫৮১
করেছেন তা আমরা ইতিপুর্বে বর্ণনা করে এসেছি ৷ তাতে তিনি (বাবা) বলেন, রাসুলুল্লাহ্ (মা)
ছিলেন সুন্দরতম মুখাবয়ব ও সুন্দরতমাডাবের অধিকারী ৷ ইমাম মালিক যুহরী অইিশা
(রা) সুত্রে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন, যখনই রাসুলুল্লাহ্ (না)-কে কোন দু’টি বিষয়ের
একটি বেছে নেয়ার এখতিয়ার দেয়া হয়েছে তখনই তিনি সহজতরটি গ্রহণ করেছেন, যদি
তাতে কোন পাপ না হয় ৷ আর যদি তাতে পাপ থাকত তাহলে তিনি তা থেকে সবচেয়ে
দুরবর্তী মানুষ হতেন ৷ নিজ্যেষ্ জন্য তিনি কখনও প্ৰতিশোধ গ্রহণ করেননি, তবে যদি আল্লাহ্র
কোন পবিত্র বিষয় বা বিধান লগ্রিত হত তাহলে তিনি আল্লাহ্রই সভুষ্টির জন্যে তা করতেন ৷
বুখারী ও মুসলিম ইমাম মালিকের হাদীস সংগ্রহ থেকে বর্ণনা করেছেন, আবুকুরায়ব সুত্রে
এবং ইমাম মুসলিম হযরত অইিশা (রা)-এর বরাতে উল্লেখ করেছেন, তিনি বলেন,
আল্লাহ্ররািহে জিহাদের সময় ব্যতীত রাসুলুল্লাহ্ (সা) কখনও কাউকে তারাহন্তে আঘাত
করেন নি, না কোন ত্রীকে, না কোন দাস-দাসীকে এবং ব্যক্তিগত কারণে তিনি কারো থেকে
প্রতিশোধ্ গ্রহণ করেননি, তবে যদি আল্লাহর কোন বিধান লডিঘত হত, তখন তিনি আল্লাহ্র
সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যে তার বল্দো৷ নািতন ৷ ইমাম আহমদ ও আবদুর রাজ্জাক আইশা (রা)
সুত্রে উক্ত হাদীসটি বর্ণনা করেছেন ৷ ওবা সুত্রে ইমাম আবু দাউদ, আবু আবদুল্লাহ আলজাদালী
থেকে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন, আমি অইিশা (রা)-কে হাদীস বর্ণনা করতে ওনেছি এবং
তাকে রাসুলুল্লাহ্ (না)-এরাভাব-চরিত্র সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলাম ৷ তখন তিনি বললেন, তিনি
সহজাতভাবে অশ্লীলভাষী ছিলেন না, বা রাগ করেও অশ্লীল ভাষা প্রয়োগ করতেন না ৷ তিনি
বাজারে বাজারে গােরগোল ও হৈ চৈকারী ছিলেন না, আর তিনি মন্দের বদলে মন্দ আচরণ
করতেন না, বরং ক্ষমা ও মার্জনা করতেন ৷ শুবার হাদীস সংগ্রহ থেকে ইমাম তিরমিযী এটি
রিওয়ায়াত করেছেন এবং একে হাসান সহীহ্ বলে মন্তব্য করেছেন ৷ ইয়াকুব ইবন সুফিয়ান
আদম ও আনিস ইবন আলী সালিহ সুত্রে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন, হযরত আবু
হুরায়রা রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর দেহাবয়ব ওাভাব বর্ণনা করতেন; তিনি পুর্ণদেহে অগ্রসর হতেন
এবং পুর্ণদেহে পিছু হটতেন, আমার পিতা-মাতা কুরবান হোক, তিনিাতাবে বা কর্মে অশ্লীল
ছিলেন না এবং বাজারে বাজারে হৈ চৈ গোরগােলকারী ছিলেন না ৷ আদম এরপর অতিরিক্ত
বলেছেন, তার পুর্বে ও পরে আমি তার কোন তৃল্য ব্যক্তিকে দেখিনি ৷ বুখারী আবদান
আবদুল্লাহ ইবন আমর সুত্রে বর্ণনা করেন, তিনি বলেছেন, নবী করীম (সা)াভাবে ও কর্মে
অশ্লীল ছিলেন না, আর তিনি বলতেন, তোমাদের মাঝে সর্বোত্তম তারা যাদেরাডাব-চরিত্র বা
আচার-ব্যবহার সর্বোত্তম ৷ মুসলিম , আমাশের হাদীস সংগ্রহ থেকে ঐ সনদে তা রিওয়ায়াত
করেছেন ৷ এ ছাড়া বুখারী ফুলায়হ ইবন সুলায়মানের হাদীস সংগ্রহ থেকে আবদুল্পাহ্ ইবন
আমর (রা) সুত্রে বর্ণনা করেন যে, তিনি (আবদুল্লাহ্) বলেছেন, রাসুলুল্পাহ্ (না)-কে তাওরাতে
সেই গুণে গুনাষিত উল্লেখ করা হয়েছে, যে সকল গুণে গুণান্বিত বলে তাকে কুরআনে উল্লেখ
করা হয়েছে :
“আমি তোমাকে প্রেরণ করেছি সাক্ষীরুপে, সুসংবাদদাতারুপে ও সর্জারীরুপে (৪৮ : ৮) ৷
এবং উমীদের জন্য রক্ষা কবচরুপে (তোমাকে আমি প্রেরণ করেছি) তুমি আমার বান্দা ও
আমার রাসুল তোমাকে আমি আলমুতাওয়াক্কিল (ভরসাকারী) উপাধি দিয়েছি ৷ আর তিনি রুঢ়
سَلُوا أُخْتَكُمْ عَنْ شَاتِهَا وَإِنَائِهَا
فَإِنَّكُمُ إِنْ تَسْأَلُوا الشَّاةَ تَشْهَدِ ... دَعَاهَا بِشَاةٍ حَائِلٍ فَتَحَلَّبَتْ
لَهُ بِصَرِيحٍ ضَرَّةُ الشَّاةِ مُزْبِدِ ... فَغَادَرَهُ رَهْنًا لَدَيْهَا لِحَالِبٍ
يَدُرُّ لَهَا فِي مَصْدَرٍ ثُمَّ مَوْرِدِ
وَقَدْ قَدَّمْنَا جَوَابَ حَسَّانَ بْنِ ثَابِتٍ لِهَذَا الشِّعْرِ الْمُبَارَكِ بِمِثْلِهِ فِي الْحُسْنِ.
وَالْمَقْصُودُ أَنَّ الْحَافِظَ الْبَيْهَقِيَّ رَوَى هَذَا الْحَدِيثَ مِنْ طَرِيقِ عَبْدِ الْمَلِكِ بْنِ وَهْبٍ الْمَذْحِجِيِّ قَالَ: ثَنَا الْحُرُّ بْنُ الصَّيَّاحِ، عَنْ أَبِي مَعْبَدٍ الْخُزَاعِيِّ. فَذَكَرَ الْحَدِيثَ بِطُولِهِ كَمَا قَدَّمْنَاهُ بِأَلْفَاظِهِ. وَقَدْ رَوَاهُ الْحَافِظُ يَعْقُوبُ بْنُ سُفْيَانَ الْفَسَوِيُّ، وَالْحَافِظُ أَبُو نُعَيْمٍ فِي كِتَابِهِ " دَلَائِلِ النُّبُوَّةِ " قَالَ عَبْدُ الْمَلِكِ: فَبَلَغَنِي أَنَّ أَبَا مَعْبَدٍ أَسْلَمَ بَعْدَ ذَلِكَ، وَأَنَّ أُمَّ مَعْبَدٍ هَاجَرَتْ وَأَسْلَمَتْ. ثُمَّ إِنَّ الْحَافِظَ الْبَيْهَقِيَّ أَتْبَعَ هَذَا الْحَدِيثَ بِذِكْرِ غَرِيبِهِ، وَقَدْ ذَكَرْنَاهُ فِي الْحَوَاشِي فِيمَا سَبَقَ، وَنَحْنُ نَذْكُرُ هَاهُنَا نُكَتًا مِنْ ذَلِكَ؛ فَقَوْلُهَا: ظَاهِرَ الْوَضَّاءَةِ. أَيْ ظَاهِرَ الْجَمَالِ. أَبْلَجَ الْوَجْهِ: أَيْ مَشْرِقَ الْوَجْهِ مُضِيئَهُ. لَمْ تَعِبْهُ ثُجْلَةٌ: قَالَ أَبُو عُبَيْدٍ: هُوَ كِبَرُ الْبَطْنِ. وَقَالَ غَيْرُهُ: كِبَرُ الرَّأْسِ. وَرَدَّ أَبُو عُبَيْدٍ رِوَايَةَ مَنْ رَوَى: لَمْ تَعِبْهُ نُحْلَةٌ. يَعْنِي مِنَ النُّحُولِ، وَهُوَ الضَّعْفُ. قُلْتُ: وَهَذَا هُوَ الَّذِي فَسَّرَ بِهِ الْبَيْهَقِيُّ
পৃষ্ঠা - ৪৫৮২
الْحَدِيثَ، وَالصَّحِيحُ قَوْلُ أَبِي عُبَيْدَةَ وَلَوْ قِيلَ: إِنَّهُ كِبَرُ الرَّأْسِ. لَكَانَ قَوِيًّا؛ وَذَلِكَ لِقَوْلِهَا بَعْدَهُ: وَلَمْ تُزْرِ بِهِ صَعْلَةٌ. وَهُوَ صِغَرُ الرَّأْسِ بِلَا خِلَافٍ، وَمِنْهُ يُقَالُ لِوَلَدِ النَّعَامَةِ: صَعْلٌ. لِصِغَرِ رَأْسِهِ، وَيُقَالُ لَهُ: الظَّلِيمُ. وَأَمَّا الْبَيْهَقِيُّ فَرَوَاهُ: لَمْ تَعِبْهُ نُحْلَةٌ. يَعْنِي مِنَ الضَّعْفِ كَمَا فَسَّرَهُ، وَلَمْ تُزْرِ بِهِ صُقْلَةٌ: قَالَ: وَهُوَ الْخَاصِرَةُ، يُرِيدُ أَنَّهُ ضَرْبٌ مِنَ الرِّجَالِ لَيْسَ بِمُنْتَفِخٍ وَلَا نَاحِلٍ. قَالَ: وَيُرْوَى: لَمْ تَعِبْهُ ثُجْلَةٌ. وَهُوَ كِبَرُ الْبَطْنِ. وَلَمْ تُزْرِ بِهِ صَعْلَةٌ. وَهُوَ صِغَرُ الرَّأْسِ. وَأَمَّا الْوَسِيمُ فَهُوَ حَسَنُ الْخَلْقِ، وَكَذَلِكَ الْقَسِيمُ أَيْضًا. وَالدَّعَجُ: شِدَّةُ سَوَادِ الْحَدَقَةِ. وَالْوَطَفُ: طُولُ أَشْفَارِ الْعَيْنَيْنِ. وَرَوَاهُ الْقُتَيْبِيُّ: فِي أَشْفَارِهِ عَطَفٌ. وَتَبِعَهُ الْبَيْهَقِيُّ فِي ذَلِكَ. قَالَ ابْنُ قُتَيْبَةَ وَلَا أَعْرِفُ مَا هَذَا. وَهُوَ مَعْذُورٌ؛ لِأَنَّهُ وَقَعَ فِي رِوَايَتِهِ غَلَطٌ، فَحَارَ فِي تَفْسِيرِهِ، وَالصَّوَابُ مَا ذَكَرْنَاهُ. وَاللَّهُ أَعْلَمُ. وَفِي صَوْتِهِ صَحَلٌ: وَهُوَ بُحَّةٌ يَسِيرَةٌ، وَهِيَ أَحْلَى فِي الصَّوْتِ مِنْ أَنْ يَكُونَ حَادًّا. قَالَ أَبُو عُبَيْدٍ: وَبِالصَّحَلِ تُوصَفُ الظِّبَاءُ. قَالَ: وَمَنْ رَوَى: فِي صَوْتِهِ صَهَلٌ. فَقَدْ غَلِطَ؛ فَإِنَّ ذَلِكَ لَا يَكُونُ إِلَّا فِي الْخَيْلِ، وَلَا يَكُونُ فِي الْإِنْسَانِ. قُلْتُ: وَهُوَ الَّذِي أَوْرَدَهُ الْبَيْهَقِيُّ؛ قَالَ: وَيُرْوَى: صَحَلٌ. وَالصَّوَابُ قَوْلُ أَبِي عُبَيْدٍ. وَاللَّهُ أَعْلَمُ. وَأَمَّا قَوْلُهَا: أَحْوَرُ. فَمُسْتَغْرَبٌ فِي صِفَةِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَهُوَ قَبَلٌ يَسِيرٌ فِي الْعَيْنَيْنِ يُزَيِّنُهَا وَلَا يَشِينُهَا كَالْحَوَلِ. وَقَوْلُهَا: أَكْحَلُ. قَدْ تَقَدَّمَ لَهُ شَاهِدٌ. وَقَوْلُهَا: أَزُجُّ. قَالَ أَبُو عُبَيْدٍ: هُوَ الْمُتَقَوِّسُ الْحَاجِبَيْنِ. قَالَ: وَأَمَّا قَوْلُهَا: أَقْرَنُ. فَهُوَ الْتِقَاءُ الْحَاجِبَيْنِ بَيْنَ الْعَيْنَيْنِ. قَالَ: وَلَا يُعْرَفُ هَذَا فِي صِفَةِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِلَّا فِي هَذَا
পৃষ্ঠা - ৪৫৮৩
ও কঠোর-কর্কশ নন, বাজারে বাজারে হৈ চৈ কারী নন, মন্দের বদলে মন্দ আচরণ করেন না;
বরং ক্ষমা ও মার্জনা করেন, আর আল্লাহ তাকে মৃত্যু দান করবেন না যতদিন না তিনি বক্র ও
গোমরাহ্ মিল্লাতকে সরল সোজা করবেন আর তা হবে৩ তাদের ল৷ ইলাহা ইল্লাল্লাহ স্বীকার
করা দ্বারা ৷ আর তিনি অন্ধদৃষ্টি বধির কর্ণ এবং আচ্ছাদিত হৃদয়সমুহকে আবরণমুক্ত ও উন্মুক্ত
করবেন ৷ আর হাদীসখানি হযরত আবদুল্লাহ ইবন সালাম ও কাব আহবার থেকেও বর্ণিত
আছে ৷ বুখারী মুসাদ্দাদ আবুসাঈদ (রা) সুত্রে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন, নবী করীম
(সা) পর্দানুশীন কুমারীর চাইতেও অধিকতর লজ্জাশীল ছিলেন ৷ ইবন বাশৃশার শুব৷ সুত্রে
অনুরুপ বর্ণিত আছে ৷ আর তাতে আরো রয়েছে-যখন তিনি কোন কিছু অপছন্দ করতেন তখন
তা তার চেহারায় প্রকাশ পেত ৷ আর মুসলিম শুবার হাদীস সংগ্রহ থেকে তা রিওয়ায়াত
করেছেন ৷ ইমাম আহমদ আবু আমির আনাস ইবন মালিক সুত্রে বর্ণনা করেন, তিনি
বলেন, রাসুলুল্লাহ্ (সা) গালমন্দকারী, অভিশাপকারী কিংবা অশ্লীলভাষী ছিলেন না ৷ আমাদের
কাউকে ভর্মুসনাকালে তিনি বেশি থেকে বেশি তিনি এই বলতেন, কি হয়েছে! তার ললাট
ধুলিধুসরিত হোক মুহাম্মদ ইবন সিনান সুত্রে যুম্পায়হ থােক বুখারী তা রিওয়ায়াত করেছেন ৷
বুখারী ও মুসলিম শরীফে হান্মাদ ইবন যায়দের হাদীস সংগ্র হ থেকে আনাস (রা) থেকে
বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, (শব্দমালা মুসলিমের) রাসুলুল্লাহ্ (সা) স্বভাবে ও অবয়বে সুন্দরতম
মানুষ ছিলেন, তিনি ছিলেন, সবচেয়ে বদান্য ও সাহসী ব্যক্তি ৷ (একবার) কোন এক রাতে
মদীনাবাসী (এক আওয়াজে) ভীত-সস্ত্রস্ত) হয়ে পড়ল, তখন কতিপয় সাহসী ব্যক্তি শব্দের উৎস
সন্ধানে অগ্রসর হলেন ৷ এ সময় ফিরতি পথে রাসুলুল্লাহ্’ (সা) তাদের দেখা পেলেন, তাদের
পুর্বেই তিনি সেই শব্দের উৎসে পৌছে গিয়েছিলেন, আর এ সময় তিনি আবু তালহা (রা)-এৱ
একটি জিনবিহীন ঘোড়ায় সওয়ার ছিলেন এবং তার কাধে তরবারি লটকানাে ছিল আরও তিনি
বলছিলেন, তোমরা আ৩ ঙ্কিত হয়ে না আতঙ্কিত হয়ো না ৷ (বর্ণনাকারী বলেন) আমরা তাকে
অত্যন্ত দ্রুতগামী পেলাম অথবা অত্যন্ত দ্রুতগামী ছিল ৷ তিনি বলেন অথচ ঘোড়াটি ছিল
ধীরগতি সম্পন্ন ৷ তারপর মুসলিম বাক্র ইবন শায়বা আনাস (রা) সুত্রে বর্ণনা করেন যে,
তিনি বললেন, (একবার) মদীনায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়া ৷ তখন নবী করীম (সা) হযরত আবু
তালহার একটি ঘোড়া ধার নিলেন, যার নাম জ্যি মানদুব’ ৷ এরপর তিনি তাতে আরোহণ
করে (ঘুরে এসে) বললেন, আমরা ভরের কিছুই দেখলাম না, আর ঘোড়াটিকে বেশ দ্রুতগামী
পেলাম ৷ আনাস (রা) বলেন, ভীতি ও আতঙ্ক যখন তীব্র হত তখন আমরা রাসুলুল্লাছু
(না)-এর আড়ালে আত্মরক্ষা করতাম ৷
আবু ইসহাক সুবায়য়ী হযরত আলী (রা) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন,
-বদরের দিন (যুদ্ধ যখন প্রচণ্ডরুপ ধারণ করল তখন) আমরা রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর আড়ালে
আত্মরক্ষা করতে লাগলাম, আর তিনি ছিলেন সর্বাধিক সাহসী যোদ্ধা ৷ ইমাম আহমদ ও
বায়হাকী তা রিওয়ায়াত করেছেন ৷ ইতিপুর্বে হাওয়াযিন যুদ্ধের বর্ণনায় আমরা বলে এসেছি যে,
সে দিন যখন তার অধিকাত্শ সহযোদ্ধ৷ পলায়ন করলেন তখনও তিনি অবিচল ছিলেন ৷ এ সময়
তিনি তার খচ্চরে সওয়ার ছিলেন আর নিজের পবিত্র নাম উচ্চস্বরে উচ্চারণ করে করে আবৃত্তি
করছিলেন ৷
“আমি আল্লাহ্র নবী মিধ্যুক কভু নই ৷ আবদুল মুত্তালিবের সন্তান আমি হই ৷
الْحَدِيثِ. قَالَ: وَالْمَعْرُوفُ فِي صِفَتِهِ عَلَيْهِ الصَّلَاةُ وَالسَّلَامُ أَنَّهُ أَبْلَجُ الْحَاجِبَيْنِ. فِي عُنُقِهِ سَطَعٌ: قَالَ أَبُو عُبَيْدٍ: أَيْ طُولٌ. وَقَالَ غَيْرُهُ: نُورٌ. قُلْتُ: وَالْجَمْعُ مُمْكِنٌ بَلْ مُتَعَيِّنٌ. وَقَوْلُهَا: إِذَا صَمَتَ فَعَلَيْهِ الْوَقَارُ. أَيِ الْهَيْبَةُ عَلَيْهِ فِي حَالِ صَمْتِهِ وَسُكُوتِهِ. وَإِذَا تَكَلَّمَ سَمَا: أَيْ عَلَا عَلَى النَّاسِ. وَعَلَاهُ الْبَهَاءُ: أَيْ فِي حَالِ كَلَامِهِ. حُلْوُ الْمَنْطِقِ فَصْلٌ: أَيْ فَصِيحٌ بَلِيغٌ يَفْصِلُ الْكَلَامَ وَيُبَيِّنُهُ. لَا نَزْرٌ وَلَا هَذْرٌ: أَيْ لَا قَلِيلٌ وَلَا كَثِيرٌ. كَأَنَّ مَنْطِقَهُ خَرَزَاتُ نَظْمٍ: يَعْنِي الدُّرَّ مِنْ حُسْنِهِ وَبَلَاغَتِهِ وَفَصَاحَتِهِ وَبَيَانِهِ وَحَلَاوَةِ لِسَانِهِ. أَبْهَى النَّاسِ وَأَجْمَلُهُ مِنْ بَعِيدٍ وَأَحْلَاهُ وَأَحْسَنُهُ مِنْ قَرِيبٍ: أَيْ هُوَ مَلِيحٌ مِنْ بَعِيدٍ وَمِنْ قَرِيبٍ. وَذَكَرَتْ أَنَّهُ لَا طَوِيلَ وَلَا قَصِيرَ، بَلْ هُوَ أَحْسَنُ مِنْ هَذَا وَمِنْ هَذَا. وَذَكَرَتْ أَنَّ أَصْحَابَهُ يُعَظِّمُونَهُ وَيُكْرِّمُونَهُ وَيَخْدِمُونَهُ وَيُبَادِرُونَ إِلَى طَاعَتِهِ، وَمَا ذَاكَ إِلَّا لِجَلَالَتِهِ عِنْدَهُمْ وَعَظْمَتِهِ فِي نُفُوسِهِمْ وَمَحَبَّتِهِمْ لَهُ، وَأَنَّهُ لَيْسَ بِعَابِسٍ: أَيْ لَيْسَ يَعْبِسُ. وَلَا يُفَنِّدُ أَحَدًا: أَيْ يُهَجِّنُهُ وَيَسْتَقِلُّ عَقْلَهُ؛ بَلْ جَمِيلُ الْمُعَاشَرَةِ، حَسَنُ الصُّحْبَةِ، صَاحِبُهُ كَرِيمٌ عَلَيْهِ، وَهُوَ حَبِيبٌ إِلَيْهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ
قَالَ أَبُو زُرْعَةَ فِي " الدَّلَائِلِ ": ثَنَا أَبُو نُعَيْمٍ، ثَنَا يُوسُفُ - يَعْنِي ابْنَ صُهَيْبٍ - عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ بُرَيْدَةَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، «كَانَ أَحْسَنَ الْبَشَرِ قَدَمًا» . وَهَذَا مُرْسَلٌ.
পৃষ্ঠা - ৪৫৮৪
আর এ সময় তিনি তার খচ্চরকে শত্রু ব্যুহ অভিমুখে অগ্রসর হওয়ার জন্য পদাঘাত
করছিলেন ৷ আর এটা যেমন ছিল তার সাহসিকতা ও বীরত্বের পরাকাষ্ঠা, তেমনি আল্লাহ্র
প্রতি পুর্ণ আস্থারও পরিচায়ক ৷ মুসলিম শরীফে ইসমাঈল ইবন উলায়্যার হাদীস সংগ্রহ থেকে
আনাস (রা) এর বরাতে বর্ণিত আছে যে, তিনি বলেছেন, রাসুলুল্লাহ্ (সা) যখন মদীনায়
আগমন করলেন তখন আবু তালহা (রা) আমাকে হাত ধরে তার কাছে নিয়ে গেলেন এবং
বললেন, ইয়৷ রাসুলাল্লাহ্! আনাস বেশ চৌকস বালক, যে আপনার খিদমত করুক ৷ আনাস
বলেন, এরপর থেকে বাড়িতে অবস্থানকালে ও সফরে আমি তার খিদমত করেছি, কিন্তু
আল্লাহ্র কলম, তিনি কখনও আমাকে আমার কৃত কোন কাজের কারণে এ কথাও বলেননি
যে, এটা তুমি এভাবে কেন করলে? এবং আমার না করা কোন কাজ সম্পর্কে এ কথা বলেন
নি, কেন তুমি এটা এভাবে করলে না? এছাড়া সাঈদ ইবন আবু বুরদার হাদীস সংগ্রহ থেকে
তার বিওয়ায়াত বিদ্যমান, যাতে আনাস (রা) বলেন, আমি দীর্ঘ নয় বছর রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর
খিদমত করেছি, কিন্তু কখনও আমাকে এ কথা বলতে শুনিনি যে, £কন তুমি এমন এমন
করেছো? আর তিনি কখনো আমার কোন দোষ ধ্রেননি ৷ এ ছাড়া ইকরিমা ইবন আম্মারের
হাদীস সংগ্রহ থেকে হযরত আনাস সুত্রেত তার বিওয়ায়াত বিদ্যামান-যাতে আনাস (রা) বলেন,
রাসুলুল্লাহ্ (সা) সর্বোত্তম স্বভাবের মানুষ ছিলেন ৷ একদিন তিনি আমাকে তার কােন এক
প্রয়োজনে পাঠালেন ৷ তখন আমি মুখে বললাম, আল্লাহ্র কলম, আমি যাব না-আর মনে ছিল
যে, আমি আল্লাহর রাসুলের নির্দেশ পালন করব-এরপর আমি বের হয়ে আসলাম এবং বাজারে
ক্রীড়ারত কয়েকজন বালকের খেলা দেখে দাড়িয়ে রইলাম ৷ এমন সময় রাসুলুল্লাহ্ (সা)
আমার পিছন থেকে আমার ন্ঘাড় চেপে ধরলেন ৷ আনাস বলেন, তখন আমি তার দিকে
তাকিয়ে দেখলাম, তিনি মিঢিমিটি হাসছেন ৷ তিনি বললেন হে উনায়স! (আনাসের স্নেহসুচক
রুপভেদ) যেখানে যেতে বলেছি সেখানে গিয়েছিলে? তখন আমি বললাম, জী হা ইয়া
রাসুলাল্লাহ্ ৷ আমি যাচ্ছি ৷ আনাস বলেন, আল্লাহ্র কসম, আমি দীর্ঘ নয় বছর তার খিদমত
করেছি, আমার করা কোন কাজ সম্পর্কে তাকে কোনদিন বলতে শুনিনি যে, কেন তুমি এমনটি
করলে, কিৎবা যা আমি করিনি সে সম্পর্কে র্তাকে বলতে শুনিনি যে, কেন তুমি এমনটি করলে
না ৷ ইমাম আহমদ, কাহীর সুত্রে আনাস ইবন মালিক থেকে বর্ণনা করেন ৷ তিনি বলেন,
আমি দশ বছর নবী (সা) এর খিদমত করেছি, বিৎ তার কোন নির্দেশ পালনে অলসতা বা
অবহেলা করার দরুন তিনি কোনদিন আমাকে ভর্বৃসনা করেননি, আর তার পরিবারের কেউ
যদি আমাকে ভৎসনা করতো তাহলে তিনি বলগ্লু তন, ওকে ছেড়ে দাও, তিরস্কার করে৷ না,
কেননা, যদি ভাগ্যে তা হওয়ার থাকত তাহলে হতোই ( তার কি দোষ) ৷ অতঃপর ইমাম
আহমদ ভি ন্ন সুত্রেও এককভাবে আনাল (রা) থেকে তা বিওয়ায়াত করেছেন ৷ ইমাম আহমদ
আব্দুস সামাদ আনাস (রা) সুত্রে বলেন যে, তিনি বলেছেন, রাসুলুল্লাহ্ (সা) সর্বোত্তম
স্বভাব-চরিত্রের অধিকারী ছিলেন ৷ আবু উমায়র নামে আমার এক ভাই ছিল ৷ রাবী বলেন,
আমার ধারণা, তিনি সবেমাত্র দুধ ছেড়েছে এমন ভাই বলেছেন ৷ আনাস বলেন, রাসুলুল্লাহ্
(না) যখন তাকে এসে দেখতেন তখন বলতেন, ওগাে আবু উমায়র! কী করল তোমার
নুগায়র’১ ৷ আনন্দে বলেন, যে এই পাখিটি নিয়ে থেলত ৷ আনাস বলেন, তিনি আমাদের
১ বুলবুলি পাখীরছান৷ ৷ র্ধ
وَقَالَ أَبُو زُرْعَةَ أَيْضًا: ثَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ أَبَانٍ الْأَزْدِيُّ الْوَرَّاقُ، ثَنَا عَنْبَسَةُ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ زَاذَانَ، عَنْ أُمِّ سَعِدٍ عَنْ عَائِشَةَ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهَا، قَالَتْ: «قُلْتُ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، تَأْتِي الْخَلَاءَ فَلَا نَرَى مِنْكَ شَيْئًا مِنَ الْأَذَى؟ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " أَوَ مَا عَلِمْتِ يَا عَائِشَةُ أَنَّ الْأَرْضَ تَبْتَلِعُ مَا يَخْرُجُ مِنَ الْأَنْبِيَاءِ فَلَا يُرَى مِنْهُ شَيْءٌ؟» هَذَا الْحَدِيثُ يُعَدُّ مِنَ الْمُنْكَرَاتِ. وَاللَّهُ أَعْلَمُ.
পৃষ্ঠা - ৪৫৮৫
[حَدِيثُ هِنْدِ بْنِ أَبِي هَالَةَ]
َ فِي ذَلِكَ
وَهِنْدٌ هَذَا هُوَ رَبِيبُ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أُمُّهُ خَدِيجَةُ بِنْتُ خُوَيْلِدٍ، وَأَبُوهُ أَبُو هَالَةَ، كَمَا قَدَّمْنَا بَيَانَهُ، وَاللَّهُ أَعْلَمُ.
قَالَ يَعْقُوبُ بْنُ سُفْيَانَ الْفَسَوِيُّ الْحَافِظُ، رَحِمَهُ اللَّهُ: حَدَّثَنَا سَعِيدُ بْنُ حَمَّادٍ الْأَنْصَارِيُّ الْمِصْرِيُّ وَأَبُو غَسَّانَ مَالِكُ بْنُ إِسْمَاعِيلَ النَّهْدِيُّ، قَالَا: ثَنَا جُمَيْعُ بْنُ عُمَرَ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ الْعِجْلِيُّ قَالَ: حَدَّثَنِي رَجُلٌ بِمَكَّةَ، عَنِ ابْنٍ لِأَبِي هَالَةَ التَّمِيمِيِّ، «عَنِ الْحَسَنِ بْنِ عَلِيٍّ قَالَ: سَأَلْتُ خَالِيَ هِنْدَ بْنَ أَبِي هَالَةَ - وَكَانَ وَصَّافًا - عَنْ حِلْيَةِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَأَنَا أَشْتَهِي أَنْ يَصِفَ لِي مِنْهَا شَيْئًا أَتَعَلَّقُ بِهِ، فَقَالَ: كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَخْمًا مُفَخَّمًا، يَتَلَأْلَأُ وَجْهُهُ تَلَأْلُؤَ الْقَمَرِ لَيْلَةَ الْبَدْرِ، أَطْوَلَ مِنَ الْمَرْبُوعِ وَأَقْصَرَ مِنَ الْمُشَذَّبِ، عَظِيمَ الْهَامَةِ، رَجِلَ الشَّعْرِ، إِذَا تَفَرَّقَتْ عَقِيصَتُهُ فَرَقَ، وَإِلَّا فَلَا يُجَاوِزُ شَعْرُهُ شَحْمَةَ أُذُنَيْهِ إِذَا هُوَ وَفَّرَهُ، أَزْهَرَ اللَّوْنِ، وَاسِعَ الْجَبِينِ، أَزَجَّ الْحَوَاجِبِ سَوَابِغَ فِي غَيْرِ قَرَنٍ، بَيْنَهُمَا عِرْقٌ يُدِرُّهُ الْغَضَبُ، أَقْنَى الْعِرْنِينِ، لَهُ نُورٌ يَعْلُوهُ يَحْسَبُهُ مَنْ لَمْ يَتَأَمَّلْهُ أَشَمَّ، كَثَّ اللِّحْيَةِ، أَدْعَجَ، سَهَلَ الْخَدَّيْنِ، ضَلِيعَ الْفَمِ، أَشْنَبَ، مُفَلَّجَ الْأَسْنَانِ، دَقِيقَ الْمَسْرُبَةِ،
পৃষ্ঠা - ৪৫৮৬
বাড়িতে অবস্থান কালে যখন নামাষের সময় হত, তখন তিনি তার ব্যবহৃত মাদৃর ঝাড়ার
নির্দেশ দিতেন, এরপর তাতে পানির ছিটা দিতেন এরপর তিনি উঠে দীড়াতেন এবং আমরাও
তার পিছে দাড়িয়ে পড়তাম আর তিনি আমাদের নিয়ে নামায পড়তেন ৷ রাবী বলেন, আর
তাদের মাদৃর ছিল থেজুরের পাতায় তৈরী ৷ আবু দাউদ ব্যতীত সিহাহ্ সিত্তার অন্য সঙ্কলকগণ
আবুত্তায়্যাহ আনাস সুত্রে অনুরুপ রিওয়ায়াত করেছেন ৷ বুখায়ী মুসলিমে জুহরীর হাদীস সংগ্রহ
থেকে উবায়দুল্পাহ্ ইবন উতবা ইবন আব্বাস সুত্রে বর্ণিত যে, তিনি বলেছেন, রাসুলুল্পাহ্
(সা) সবচেয়ে দানশীল ছিলেন, আর রমাযানে তিনি সবচে অধিক দানশীল হতেন ৷ যখন
জিবৱাঈল তার সাথে সাক্ষাৎ করতেন এবং তারা পরস্পরকে কুরআনও শুনাতেন ৷ আর
আল্লাহ্র রাসুল মুক্ত বায়ুর চাইতেও অধিকতর বদান্য ছিলেন ৷
ইমাম আহমদ আবু কামিল সাল্ম আলাভী সুত্রে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন
আমি আনাস ইবন মালিককে বলতে শুনেছি (একবার) নবী করীম (সা) এক ব্যক্তির শরীরে
হলুদ রঙ দেখতে পেয়ে তিনি তা অপছন্দ করলেন ৷ আনাস বলেন, এরপর তিনি দাড়িয়ে
বললেন, যদি তোমরা ওকে তার শরীর থেকে এই হলুদ রঙ ধোয়ার কথা বলতে ৷ আনাস
বলেন, অপ্রিয় কোন বিষয় নিয়ে কিছুতেই তিনি কারো মুখোমুখি হতেন না ৷ আর ইমাম আবু
দাউদ, তিরমিযী তার শামাংয়লে’ এবং নাসাঈ তার আল ইয়াওম ওয়াল লাইলা গ্রন্থে হাষ্মাদ
ইবন যায়দের হাদীস সংগ্রহ থেকে সাল্ম ইবন কায়স আলাভী আল বসরী থােক তা বর্ণনা
করেছেন ৷ আবু দাউদ বলেন, সাল্ম আলাভী আলী ইবন আবু তালিবের অধস্তেন বংশধর নয়,
সে জ্যোতির্বিদ্যা চর্চা করত ৷ একবার সে র্চাদ দেখার ব্যাপারে আদী ইবন আরতাআর কাছে
সাক্ষ্য দিল, বিৎ তিনি তার সাক্ষ্য অনুমোদন করলেন না ৷ আবু দাউদ উছমান ইবন আবু
শায়বা অইিশা (রা) সুত্রে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন, নবী করীম (না)-এর অভ্যাস ছিল
যখন তার কাছে কোন ব্যক্তি সম্পর্কে কোন আপত্তিকর কিছু পৌছত তখন তিনি এভাবে
বলতেননা যে, অমুকের কী হয়েছে, যে এমন এমন বলে; বর ! এভাবে বলতেন, লোকদের কী
হয়েছে যে, তারা এমন এমন বলে ! সহীহ্ বুখারীতে এসেছে যে, রাসুলুল্লাহ্ (সা) ইরশাদ
করেছেন, তোমাদের কেউ যেন আমার কাছে কারো বিরুদ্ধে না লাপায় ৷ খোলা মনে আমি
তোমাদের সাথে মিলিত হতে চইি ৷ মালিক ইসহাক ইবন আবদুল্লাহ আনাস (রা) সুত্রে
বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন, একবার আমি নবী করীম (সা)এর সাথে ইটিছিলাম এ
সময় তার পরণে খসখসে কিনারা বিশিষ্ট চাদর ছিল, তখন এক বেদৃইন তাকে পেয়ে, তার
চাদর ধরে এমন জোরে টান দিন যে, আমি তার গ্রীবাদেশে তার তীব্র টানের চিহ্ন দেখতে
পেলাম ৷ এরপর সে বলল, হে মুহাম্মদ ! আল্পাহ্ তোমাকে যে মান দিয়েছেন, তা থেকে আমাকে
কিছু দিতে বল ৷ আনাস বলেন, তখন রাসুলুল্পাহ্ (সা) তার দিকে তাকিয়ে হাসলেন, এরপর
তাকে কিছু দানের নির্দেশ দিলেন ৷ মালিকের হাদীস সংগ্রহ থেকে হাদীসখানি বর্ণিত হয়েছে ৷
ইমাম আহমদ যায়দ ইবন হুবাব হিলাল আল-কুরাশী সুত্রে বর্ণনা করেন যে, তিনি আবু
হুরায়রা (রা)-কে বলতে শুনেছেন, আমরা রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর সাথে মসজিদে অবস্থান
প্ করছিলাম ৷ কিছুক্ষণপর তিনি যখন উঠে র্দাড়ালেন, আমরাও তার সাথে উঠে র্দাড়ালাম ৷ তখন
এক বেদৃইন এসে বলল, হে মুহাম্মদ ! আমাকে কিছু দান করুন ৷ তখন তিনি বললেন, না,
আমি আল্লাহ্র নিকট ক্ষমা প্রার্থনা করছি ৷ তখন সে তার কােমর বরাবর চাদর ধরে টেনে তার
كَأَنَّ عُنُقَهُ جِيدُ دُمْيَةٍ فِي صَفَاءِ الْفِضَّةِ، مُعْتَدِلَ الْخَلْقِ - فَهُوَ بَادِنٌ مُتَمَاسِكٌ، سَوَاءُ الْبَطْنِ وَالصَّدْرِ، عَرِيضُ الصَّدْرِ، بَعِيدُ مَا بَيْنَ الْمَنْكِبَيْنِ، ضَخْمُ الْكَرَادِيسِ، أَنْوَرُ الْمُتَجَرَّدِ، مَوْصُولُ مَا بَيْنَ اللَّبَّةِ وَالسُّرَّةِ بِشَعْرٍ يَجْرِي كَالْخَطِّ، عَارِي الثَّدْيَيْنِ وَالْبَطْنِ مِمَّا سِوَى ذَلِكَ، أَشَعَرُ الذِّرَاعَيْنِ وَالْمَنْكِبَيْنِ، وَأَعَالِي الصَّدْرِ، طَوِيلُ الزَّنْدَيْنِ، رَحْبُ الرَّاحَةِ، سَبْطُ الْقَصَبِ، شَثْنُ الْكَفَّيْنِ وَالْقَدَمَيْنِ، سَابِلُ الْأَطْرَافِ، خَمْصَانُ الْأَخَمَصَيْنِ، مَسِيحُ الْقَدَمَيْنِ يَنْبُو عَنْهُمَا الْمَاءُ، إِذَا زَالَ زَالَ قَلْعًا، يَخْطُو تَكَفِّيًا، وَيَمْشِيَ هَوْنًا، ذَرِيعُ الْمِشْيَةِ؛ إِذَا مَشَى كَأَنَّمَا يَنْحَطُّ مِنْ صَبَبٍ، وَإِذَا الْتَفَتَ الْتَفَتَ جَمِيعًا، خَافِضُ الطَّرْفِ، نَظَرُهُ إِلَى الْأَرْضِ أَطْوَلُ مِنْ نَظَرِهِ إِلَى السَّمَاءِ، جُلُّ نَظَرِهِ الْمُلَاحَظَةُ، يَسُوقُ أَصْحَابَهُ، يَبْدَأُ مَنْ لَقِيَهُ بِالسَّلَامِ. قُلْتُ: صِفْ لِي مَنْطِقَهُ. قَالَ: كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مُتَوَاصِلَ الْأَحْزَانِ، دَائِمَ الْفِكْرَةِ، لَيْسَتْ لَهُ رَاحَةٌ، لَا يَتَكَلَّمُ فِي غَيْرِ حَاجَّةٍ، طَوِيلَ السُّكُوتِ يَفْتَتِحُ الْكَلَامَ، وَيَخْتِمُهُ بِأَشْدَاقِهِ، وَيَتَكَلَّمُ بِجَوَامِعِ الْكَلِمِ، فَصْلٌ لَا فُضُولٌ وَلَا تَقْصِيرٌ، دَمِثٌ لَيْسَ بِالْجَافِي وَلَا الْمُهِينِ، يُعَظِّمُ النِّعْمَةَ وَإِنْ دَقَّتْ، لَا يَذُمُّ مِنْهَا شَيْئًا وَلَا يَمْدَحُهُ، وَلَا يَقُومُ لِغَضَبِهِ إِذَا تَعَرَّضَ لِلْحَقِّ شَيْءٌ حَتَّى يَنْتَصِرَ لَهُ - وَفِي رِوَايَةٍ: لَا تُغْضِبُهُ الدُّنْيَا وَمَا كَانَ لَهَا، فَإِذَا تَعَرَّضَ لِلْحَقِّ لَمْ يَعْرِفْهُ أَحَدٌ وَلَمْ يَقُمْ لِغَضَبِهِ شَيْءٌ
পৃষ্ঠা - ৪৫৮৭
চামড়ার দাগ ফেলে দিল ৷ আবু হুরায়রা বলেন, তখন উপস্থিত সাহাবীগণ ওকে ধরতে উদ্যত
হলেন, তখন তিনি বললেন, ওকে ছেড়ে দাও ৷ আবু হুরায়রা বলেন, তারপর তিনি তাকে কিছু
অর্থসম্পদ দান করলেন ৷
ইমাম আবু দাউদ নাসাঈ ও ইবন মাজা মুহাম্মাদ ইবন হিলাল সুত্রে আবু হুরড়ায়রার
বরাতে একাধিক সনদে এই হাদীসের মুখ্য অংশ মোটামুটি একই রকমভাবে উল্লেখ করেছেন ৷
ইয়াকুব ইবন সুফিয়ান আবদুল্লাহ ইবন মুসা যায়দ ইবন আরকাম সুত্রে বর্ণনা করেন যে,
তিনি বলেছেন, আনসারদের থোত্রের এক ব্যক্তি রাসুলুল্লাহ (সা) এর সাথে দেখা সাক্ষাৎ করত
আর তিনি তাকে বিশ্বাস করতে তন ৷ সেই ব্যক্তি তাকে যাদুগ্নস্থু করার জন্য মন্ত্র পড়ে দড়িতে
গিরা দিল এবং তা একটি কুয়ােতে নিক্ষেপ করল ৷ তখন রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর মাঝে সেই য়াদৃ
ক্রিয়া করল ৷ তখন (স্বপ্নযােপে) দৃই ফেরেশতা তাকে দেখতে এসে জানালেন যে, অমুক ব্যক্তি
তাকে যাদৃগ্রস্থ করার জন্য দড়িতে গিরা দিয়েছে আর তা অমুক কুয়ােতে রয়েছে, আর যাদুর
গিরার তীব্র ক্রিয়ার কুয়াের পানি হলুদ বর্ণ ধারণ করেছে ৷ তখন নবী করীম (সা) লোক
পাঠালেন , তখন সেই গিরাযুক্ত রশি বের করা হল এবং কুয়াের পানি হলুদ দেখা গেল ৷ তারপর
সেই গিরাসমুহ মুক্ত করা হলো এবং নবী কয়ীম (সা) যাদুমুক্ত হয়ে ঘুমিয়ে গেলেন ৷ যায়দ
ইবন আরকাম বলেন, এরপরও আমি ঐ ব্যক্তিকে নবীজীর সাক্ষাতে প্রবেশ করতে দেখেছি
কিন্তু তার চেহারায় ঐ ব্যক্তির মৃত্যু না হওয়া পর্যন্ত তার অপকর্মের কোন প্রতিক্রিয়া দেখিনি ৷
গ্রন্থকার বলেন, এসং ×ক্রান্ত প্রসিদ্ধ রিওয়ায়াতটি সহীহ্ বুখারীতে রয়েছে, যে লাবীদ ইবন আসম
নামক যারওয়ান কুয়াের নীচে রাখা একটি চিরুনী ৷
আর নবীজীর এই যাদুগ্নস্ত অবস্থা প্রায় ছয় মাসের মত অব্যাহত ছিল ৷ অবশেষে আল্লাহ
সুরা ফালাক ও সুরা নাস নাযিল করলেন ৷ বলা হয়, এই দুই সুরার আয়াত সংখ্যা এগড়ার এবং
প্ যাতে তাকে যাদু করা হয়েছিল তাতেও এগারটি গিরা ছিল ৷ আমাদের ৩াফসীর গ্রন্থে আমরা
এ ব্যাপারে বিশদ আলোচনা করেছি যা পাঠকদের জন্যে যথেষ্ট ৷ আল্লাহ্ই সঠিক জানেন ৷
ইয়াকুব ইবন সুফিয়ান আবু নুআয়ম সুত্রে আনাস ইবন মালিক থেকে বর্ণনা করেন ৷
তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ্ (সা) যখন মুসাফাহা করতেন কিংবা তার সাথে মুসাফাহড়া করত তখন
তিনি এ ব্যক্তির হাত থেকে তার হাত ছাড়িয়ে নিতেন না যতক্ষণনা ঐ ব্যক্তি নিজেই তার হাত
ছাড়িয়ে নিত ৷ আর যদি মুখোমুখি হয়ে কারো সাথে সাক্ষাৎ করতেন তাহলে ততক্ষণ পর্যন্ত ঐ
ব্যক্তি থেকে মুখ ফিরিয়ে নিতেন না, যতক্ষণনা ঐ ব্যক্তি নিজেই তার কে ফিরে যেতো ৷ তার
সামনে বসা কোন ব্যক্তির সম্মুখে তার হাটুদ্বয়ের অগ্নভাগ কখনও দেখা যায়নি ৷ ইমাম তিরমিযী
ও ইবন মাজা ইমরান ইবন যায়দ্রের হাদীস সংগ্রহ থেকে হযরত আনাসের বরাতে ঐ সনদে তা
রিওয়ায়াত করেছেন ৷ আবু দাউদ, আহমদ ইবন মানী আনাস ইবন মালিক সুত্রে বর্ণনা
করেন ৷ তিনি বলেন, আমি কখনও এমন ব্যক্তিকে দেখিনি যে কানে কানে কথা বলার জন্য
নবী (না)-এর কানকে আবৃত করেছে আর তিনি ঐ ব্যক্তি থেকে তার মাথা সরিয়ে নিয়েছে ৷
তদ্র্যপ আমি রাসুলুল্লাহ্ (সা) কে এ অবস্থায় দেখিনি যে, কোন ব্যক্তি তার হাত রয়েছে আর
তিনি তার হাত ছেড়ে দিয়েছেন, য৩ ক্ষণনা ঐ ব্যক্তি নিজেই তার হাত ছাড়িয়ে নিয়েছে ৷ এটি
আবু দাউদের বর্ণনা ৷ ইমাম আহমদ মুহাম্মাদ ইবন জা ফর ও হাজ্জাজ আনাস ইবন
মালিক সুত্রে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন, মদীনাবাসী যে কোন ছোট ছোট কাজের মেয়েরা
— ৯
حَتَّى يَنْتَصِرَ لَهُ - لَا يَغْضَبُ لِنَفْسِهِ وَلَا يَنْتَصِرُ لَهَا، إِذَا أَشَارَ أَشَارَ بِكَفِّهِ كُلِّهَا، وَإِذَا تَعَجَّبَ قَلَبَهَا، وَإِذَا تَحَدَّثَ يَصِلُ بِهَا يَضْرِبُ بِرَاحَتِهِ الْيُمْنَى بَاطِنَ إِبْهَامِهِ الْيُسْرَى، وَإِذَا غَضِبَ أَعْرَضَ وَأَشَاحَ، وَإِذَا فَرِحَ غَضَّ طَرْفَهُ، جُلُّ ضَحِكِهِ التَّبَسُّمُ، وَيَفْتَرُّ عَنْ مِثْلِ حَبِّ الْغَمَامِ. قَالَ الْحَسَنُ: فَكَتَمْتُهَا الْحُسَيْنَ بْنَ عَلِيٍّ زَمَانًا، ثُمَّ حَدَّثْتُهُ فَوَجَدْتُهُ قَدْ سَبَقَنِي إِلَيْهِ، فَسَأَلَهُ عَمَّا سَأَلْتُهُ عَنْهُ، وَوَجَدْتُهُ قَدْ سَأَلَ أَبَاهُ عَنْ مَدْخَلِهِ وَمَخْرَجِهِ وَمَجْلِسِهِ وَشَكْلِهِ، فَلَمْ يَدَعْ مِنْهُ شَيْئًا. قَالَ الْحُسَيْنُ: سَأَلْتُ أَبِي عَنْ دُخُولِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ: كَانَ دُخُولُهُ لِنَفْسِهِ مَأْذُونٌ لَهُ فِي ذَلِكَ، وَكَانَ إِذَا أَوَى إِلَى مَنْزِلِهِ جَزَّأَ دُخُولَهُ ثَلَاثَةَ أَجْزَاءٍ؛ جُزْءًا لِلَّهِ، وَجُزْءًا لِأَهْلِهِ، وَجُزْءًا لِنَفْسِهِ، ثُمَّ جَزَّأَ جُزْأَهُ بَيْنَهُ وَبَيْنَ النَّاسِ، فَرَدَّ ذَلِكَ عَلَى الْعَامَّةِ وَالْخَاصَّةِ لَا يَدَّخِرُ عَنْهُمْ شَيْئًا، وَكَانَ مِنْ سِيرَتِهِ فِي جُزْءِ الْأُمَّةِ إِيثَارُ أَهْلِ الْفَضْلِ بِأَدَبِهِ، وَقَسْمِهِ عَلَى قَدْرِ فَضْلِهِمْ فِي الدِّينِ، فَمِنْهُمْ ذُو الْحَاجَةِ، وَمِنْهُمْ ذُو الْحَاجَتَيْنِ، وَمِنْهُمْ ذُو الْحَوَائِجِ، فَيَتَشَاغَلُ بِهِمْ وَيُشْغِلُهُمْ فِيمَا أَصْلَحَهُمْ وَالْأُمَّةَ مِنْ مَسْأَلَتِهِ عَنْهُمْ وَإِخْبَارِهِمْ بِالَّذِي يَنْبَغِي، وَيَقُولُ لِيُبَلِّغِ الشَّاهِدُ الْغَائِبَ، وَأَبْلِغُونِي حَاجَةَ مَنْ لَا يَسْتَطِيعُ إِبْلَاغِي حَاجَتَهُ؛ فَإِنَّهُ مَنْ بَلَّغَ سُلْطَانًا حَاجَةَ مَنْ لَا يَسْتَطِيعُ إِبْلَاغَهَا إِيَّاهُ ثَبَّتَ اللَّهُ قَدَمَيْهِ يَوْمَ الْقِيَامَةِ لَا يُذْكَرُ عِنْدَهُ إِلَّا ذَلِكَ، وَلَا يَقْبَلُ مِنْ أَحَدٍ غَيْرَهُ يَدْخُلُونَ عَلَيْهِ زُوَّارًا - وَيُرْوَى: رُوَّادًا. أَيْ طَالِبِينَ مَا عِنْدَهُ - يَفْتَرِقُونَ إِلَّا عَنْ ذَوَاقٍ - وَفِي رِوَايَةٍ: وَلَا يَتَفَرَّقُونَ إِلَّا عَنْ ذَوْقٍ - وَيَخْرُجُونَ أَدِلَّةً، يَعْنِي فُقَهَاءَ، قَالَ: وَسَأَلْتُهُ عَنْ مَخْرَجِهِ كَيْفَ كَانَ يَصْنَعُ فِيهِ، فَقَالَ: كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ
পৃষ্ঠা - ৪৫৮৮
পর্যন্ত রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর হাত ধরে কথা বলতাে ৷ আর তিনি তার হাত থেকে নিজের হাত
ছাড়িয়ে নিতেন না, এমনকি সে তাকে যে দিকে ইচ্ছা নিয়ে যেত ৷ শুবার হাদীস সংগ্রহ থেকে
ইবন মাজা হাদীসখানি রিওয়ায়াত করেছেন ৷ ইমাম আহমদ হাশিম আনাস ইবন মালিক
সুত্রে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন, মদীনাবাসী দাসীও রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর হাত ধরে তার
প্রয়োজনে তাকে নিয়ে যেত ৷ ইমাম বুখড়ারী তার সহীহ্ গ্রন্থে কিতাবুল আদবে’ তা’লীক রুপে
হাদীসখানি রিওয়ড়ায়াত করেছেন ৷ আর মুহাম্মদ ইবন ঈসা হাশিম সুত্রে তা উল্লেখ করেছেন ৷
তাবারানী আবু শুআয়ব আল হাবৃরানী ইবন উমর সুত্রে বর্ণনা করেন ৷ (তিনি বলেন)
আমি শুনেছি (একবার) রাসুলুল্লাহ্ (সা) কাপড় বিক্রেতাকে দেখে তার থেকে চার দিরহামে
একটি জামা খরিদ করলেন, এরপর তিনি তা গায়ে দিয়ে বের হলেন ৷ তখন এক আনসারীর
সাথে তার সাক্ষাত হল ৷ আনসারীটি বলল, হে আল্লাহ্র রাসুল! আমাকে একটি জামা পরতে
দিন, আল্লাহ্ আপনাকে জান্নড়াতের জামা পরিয়ে দেবেন ৷ তখন তিনি ঐ জামাটি খুলে উক্ত
আনসারীকে পরিয়ে দিলেন, তারপর সেই দোকানদার (কাপড় বিক্রেতার) কাছে ফিরে
আসলেন এবং পুনরায় চার দিরহামের বিনিময়ে তার থেকে আরেকটি জামা খরিদ করলেন,
তার কাছে তখন দুই দিরহাম অবশিষ্ট রইল ৷ এ সময় হঠাৎ তিনি এক ক্রন্দনরত বালিকার
দেখা পেলেন ৷ তখন তিনি তাকে জিজ্ঞেস করলেন, তুমি র্কাদছে৷ কেন? সে বলল, ইয়া
রাসুলাল্লাহ্! আমার গৃহকর্তারা ময়দা খরিদ করার জন্য দু’টি দিরহাম দিয়েছিল; কিন্তু আমার
নিকট থেকে তা হারিয়ে গেছে ৷ তখন রাসুলুল্লাহ্ (সা) তাকে অবশিষ্ট দিরহাম দু’টি দিয়ে চলে
যেতে উদ্যত হলেন, কিন্তু মেয়েঢি তখনও র্কাদছিল ৷ তখন তিনি তাকে ডেকে বললেন, তুমি
তাে দুই দিরহাম নিয়েছ, তাহলে আবার র্কাদছো কেন? তখন সে বলল, আমার আশঙ্কা হচ্ছে
তারা আমাকে প্রহড়ার করবে ৷ তখন তিনি তাকে সাথে নিয়ে তার গৃহবাসীদের কাছে গেলেন
এবং তাদেরকে (বাড়ির বাহিরে থেকে) সালাম করলেন, তখন তারা নবীজীর কণ্ঠ চিনতে
পারল ৷ তিনি আবার সালাম করলেন, তারপর আবার, তারপর আবার, তারপর আবার, এরুপে
তিনি তিনবার সালাম করলেন ৷ তখন তারা সালামের উত্তর দিন, তখন তিনি জিজ্ঞেস
করলেন, তোমরা কি আমার প্রথম সালাম শুনতে পাওনি? তারা বলল, জী হী ৷ তবে আমরা
চাচ্ছিলাম আপনি আমাদেরকে বেশি বেশি সালাম দিন ৷ আমাদের পিতামাতা আপনার জন্য
কুরবড়ান হোন, আপনাকে কি যে বিব্রত করলো? তখন তিনি বললেন, এই টুদাসী মেয়েঢি
আশঙ্কা করছে যে, তোমরা তাকে প্রহার করবে ৷ তখন সেই বীদীর মনিব বলল, আপনার তার
সাথে হীটার সন্মানার্থে সে আল্লাহ্র ওয়াস্তে স্বাধীন ৷ (তাদের এরুপ আচরণে প্রীত হয়ে)
রাসুলুল্লাহ্ (সা) তখন তাদেরকে মঙ্গলের ও জান্নাতের সুসংবাদ দিলেন ৷ তারপর তিনি বললেন,
আল্লাহ্ আমাদেরকে দশ দিরহামের মধ্যে বরকত দান করেছেন, আল্লাহ্ তার নবীকে একটি
জামা পরিয়েছেন, আনসারদের এক ব্যক্তিকে আরেকটি জামা পরিয়েছেন এবং তা থেকেই
একজনকে দাসতৃমুক্ত করেছেন ৷ আমি আল্লাহ্র প্রশংসা করছি, তিনিই আমাদেরকে নিজ
কুদরতে এটা দান করেছেন ৷ এভাবেই তাবারানী হাদীসখানি বর্ণনা করেছেন ৷ আর তার সনদে
আইব্যুব ইবন নাহীক আল-হালাবী রয়েছেন, যাকে আবু হাতিম দুর্বল বলে অভিহিত করেছেন ৷
আর আবু যুরআ বলেন, তার হাদীস অগ্রহণয়ােগ্য আল আয্দী বলেন-বত্তনীিয় ৷
يَخْزُنُ لِسَانَهُ إِلَّا بِمَا يَعْنِيهِمْ، وَيُؤَلِّفُهُمْ وَلَا يُنَفِّرُهُمْ، وَيُكْرِمُ كَرِيمَ كُلِّ قَوْمٍ وَيُوَلِّيهِ عَلَيْهِمْ، وَيَحْذَرُ النَّاسَ، وَيَحْتَرِسُ مِنْهُمْ مِنْ غَيْرِ أَنْ يَطْوِيَ عَنْ أَحَدٍ مِنْهُمْ بِشْرَهُ وَلَا خُلُقَهُ، يَتَفَقَّدُ أَصْحَابَهُ، وَيَسْأَلُ النَّاسَ عَمَّا فِي النَّاسِ، وَيُحَسِّنُ الْحَسَنَ وَيُقَوِّيهِ، وَيُقَبِّحُ الْقَبِيحَ وَيُوَهِّيهِ، مُعْتَدِلَ الْأَمْرِ غَيْرَ مُخْتَلِفٍ، لَا يَغْفُلُ مَخَافَةَ أَنْ يَغْفُلُوا أَوْ يَمِيلُوا، لِكُلِّ حَالٍ عِنْدَهُ عَتَادٌ، لَا يَقْصُرُ عَنِ الْحَقِّ وَلَا يَجُوزُهُ، الَّذِينَ يَلُونَهُ مِنَ النَّاسِ خِيَارُهُمْ، أَفْضَلُهُمْ عِنْدَهُ أَعَمُّهُمْ نَصِيحَةً، وَأَعْظَمُهُمْ عِنْدَهُ مَنْزِلَةً أَحْسَنُهُمْ مُوَاسَاةً وَمُؤَازَرَةً. قَالَ: فَسَأَلْتُهُ عَنْ مَجْلِسِهِ كَيْفَ كَانَ، فَقَالَ: كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَا يَجْلِسُ وَلَا يَقُومُ إِلَّا عَلَى ذِكْرٍ، وَلَا يُوطِنُ الْأَمَاكِنَ، وَيَنْهَى عَنْ إِيطَانِهَا، وَإِذَا انْتَهَى إِلَى قَوْمٍ جَلَسَ حَيْثُ يَنْتَهِي بِهِ الْمَجْلِسُ، وَيَأْمُرُ بِذَلِكَ، يُعْطِي كُلَّ جُلَسَائِهِ نَصِيبَهُ، لَا يَحْسَبُ جَلِيسُهُ أَنَّ أَحَدًا أَكْرَمُ عَلَيْهِ مِنْهُ، مَنْ جَالَسَهُ أَوْ قَاوَمَهُ فِي حَاجَةٍ صَابَرَهُ حَتَّى يَكُونَ هُوَ الْمُنْصَرِفَ، وَمَنْ سَأَلَهُ حَاجَةً لَمْ يَرُدَّهُ إِلَّا بِهَا أَوْ بِمَيْسُورٍ مِنَ الْقَوْلِ، قَدْ وَسِعَ النَّاسَ مِنْهُ بَسْطُهُ وَخُلُقُهُ، فَصَارَ لَهُمْ أَبًا، وَصَارُوا عِنْدَهُ فِي الْحَقِّ سَوَاءً، مَجْلِسُهُ مَجْلِسُ حِكَمٍ وَحَيَاءٍ وَصَبْرٍ وَأَمَانَةٍ، لَا تُرْفَعُ فِيهِ الْأَصْوَاتُ، وَلَا تُؤْبَنُ فِيهِ الْحُرَمُ، وَلَا تُنْثَى فَلَتَاتُهُ، مُتَعَادِلِينَ يَتَفَاضَلُونَ فِيهِ بِالتَّقْوَى، مُتَوَاضِعِينَ يُوَقِّرُونَ فِيهِ الْكَبِيرَ وَيَرْحَمُونَ الصَّغِيرَ، يُؤْثِرُونَ ذَا الْحَاجَةِ، وَيَحْفَظُونَ الْغَرِيبَ. قَالَ: فَسَأَلْتُهُ عَنْ سِيرَتِهِ فِي جُلَسَائِهِ، فَقَالَ: كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ دَائِمَ الْبِشْرِ، سَهْلَ الْخُلُقِ، لَيِّنَ الْجَانِبِ، لَيْسَ بِفَظٍّ وَلَا غَلِيظٍ وَلَا سَخَّابٍ
পৃষ্ঠা - ৪৫৮৯
وَلَا فَحَاشٍ وَلَا عَيَّابٍ، وَلَا مَزَّاحٍ، يَتَغَافَلُ عَمَّا لَا يَشْتَهِي، وَلَا يُؤْيِسُ مِنْهُ رَاجِيَهُ، وَلَا يُخَيِّبُ فِيهِ، قَدْ تَرَكَ نَفْسَهُ مِنْ ثَلَاثٍ؛ الْمِرَاءِ، وَالْإِكْثَارِ، وَمَا لَا يَعْنِيهِ، وَتَرَكَ النَّاسَ مِنْ ثَلَاثٍ؛ كَانَ لَا يَذُمُّ أَحَدًا وَلَا يُعَيِّرُهُ، وَلَا يَطْلُبُ عَوْرَتَهُ، وَلَا يَتَكَلَّمُ إِلَّا فِيمَا يَرْجُو ثَوَابَهُ، إِذَا تَكَلَّمَ أَطْرَقَ جُلَسَاؤُهُ كَأَنَّمَا عَلَى رُؤُوسِهِمُ الطَّيْرُ، فَإِذَا سَكَتَ تَكَلَّمُوا، وَلَا يَتَنَازَعُونَ عِنْدَهُ، يَضْحَكُ مِمَّا يَضْحَكُونَ مِنْهُ، وَيَتَعَجَّبُ مِمَّا يَتَعَجَّبُونَ مِنْهُ، وَيَصْبِرُ لِلْغَرِيبِ عَلَى الْجَفْوَةِ فِي مَنْطِقِهِ وَمَسْأَلَتِهِ، حَتَّى إِنْ كَانَ أَصْحَابُهُ يَسْتَحْلِبُونَهُ فِي الْمَنْطِقِ، وَيَقُولُ إِذَا رَأَيْتُمْ طَالِبَ حَاجَةٍ فَارْفِدُوهُ وَلَا يَقْبَلُ الثَّنَاءَ إِلَّا مِنْ مُكَافِئٍ، وَلَا يَقْطَعُ عَلَى أَحَدٍ حَدِيثَهُ حَتَّى يَجُوزَ فَيَقْطَعُهُ بِانْتِهَاءٍ أَوْ قِيَامٍ. قَالَ: فَسَأَلْتُهُ كَيْفَ كَانَ سُكُوتُهُ، قَالَ كَانَ سُكُوتُهُ عَلَى أَرْبَعٍ؛ الْحِلْمِ وَالْحَذَرِ وَالتَّقْدِيرِ وَالتَّفَكُّرِ. فَأَمَّا تَقْدِيرُهُ فَفِي تَسْوِيَتِهِ النَّظَرُ وَالِاسْتِمَاعُ بَيْنَ النَّاسِ، وَأَمَّا تَذَكُّرُهُ - أَوْ قَالَ: تَفَكُّرُهُ - فَفِيمَا يَبْقَى وَيَفْنَى، وَجُمِعَ لَهُ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ الْحِلْمُ وَالصَّبْرُ فَكَانَ لَا يُغْضِبُهُ شَيْءٌ وَلَا يَسْتَفِزُّهُ، وَجُمِعَ لَهُ الْحَذَرُ فِي أَرْبَعٍ؛ أَخْذِهِ بِالْحُسْنَى، وَالْقِيَامِ لَهُمْ فِيمَا جُمِعَ لَهُمْ مِنْ أَمْرِ الدُّنْيَا وَالْآخِرَةِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ» . وَقَدْ رَوَى هَذَا الْحَدِيثَ بِطُولِهِ الْحَافِظُ أَبُو عِيسَى التِّرْمِذِيُّ، رَحِمَهُ اللَّهُ فِي كِتَابِ " شَمَائِلِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ " عَنْ سُفْيَانَ بْنِ وَكِيعِ بْنِ الْجَرَّاحِ، عَنْ جُمَيْعِ بْنِ عُمَرَ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ الْعِجْلِيِّ، حَدَّثَنِي رَجُلٌ مَنْ وَلَدِ أَبِي هَالَةَ زَوْجِ خَدِيجَةَ، يُكَنَّى أَبَا عَبْدِ اللَّهِ سَمَّاهُ غَيْرُهُ يَزِيدَ بْنَ عُمَرَ، عَنِ ابْنٍ لِأَبِي هَالَةَ، عَنِ الْحَسَنِ بْنِ عَلِيٍّ قَالَ: سَأَلْتُ خَالِي. فَذَكَرَهُ، وَفِيهِ حَدِيثُهُ عَنْ أَخِيهِ الْحُسَيْنِ، عَنْ أَبِيهِ عَلِيِّ بْنِ
পৃষ্ঠা - ৪৫৯০
ইমাম আহমদ আফ্ফান আনড়াস সুত্রে বংনাি করেন, জনৈকা ত্রী লোকের মাঝে
কিছুটা অপ্রকৃতিস্থতা ছিল (একবার) সে বলল, ইয়া রাসুলাল্পাহ্! আমার একটি প্রয়োজন
রয়েছে ৷ তখন তিনি বললেন, হে অমুকেরমা ! দেখ, তুমি কােনৃপথে যাবে? তখন তিনি তার
সাথে উঠে চুপিসারে আলাপ করতে লাগলেন এবং পরিশেষে তার প্রার্থিত প্রয়োজন পুর্ণ
করলেন ৷ হাম্মড়াদ ইবন সালামার হাদীস সংগ্রহ থেকে মুসলিম তা এভাবেই রিওয়ায়ড়াত
করেছেন ৷ বুখারী ও মুসলিমে আবু হুরায়রা (রা)-এর বরাতে আমাশের হাদীস সংগ্রহ থেকে
সাব্যস্ত হয়েছে ৷ তিনি (আবু হুরায়রা) বলেন, রড়াসুলুল্লাহ্ (সা) কখনও কোন খাবারের দোষ
ধরেননি, যদি তার তড়া’ খাওয়ার আগ্রহ হত, তাহলে তিনি তা যেতেন, অন্যথায় তা ছেড়ে
দিতেন ৷ ছাওরী আসওদ ইবন কায়স জাবির(রা) সুত্রে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন,
(একবার) রাসুলুল্লাহ্ (সা) আমাদের বাড়িতে তাশরীফ আনলেন, তখন আমরা তার জন্য
একটি বকরী জবাই করলাম ৷ তখন তিনি বললেন, তাদের যেন জানা আছে; আমরা গোশৃত
থেতে ভালবাসি ৷ মুহাম্মদ ইবন ইসহাক ইয়াকুব আবদুল্লাহ ইবন সালাম সুত্রে বর্ণনা
করেন, তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ্ (সা) যখন কথা বলার জন্য মজলিসে বসতেন তখন থেকে
থেকে বারবার আকাশের দিকে চোখ তুলে তাকাতেন ৷ আবু দাউদ তার সুনানের কিতাবুল
আদবে’ মুহাম্মদ ইবন ইসহড়াকের হাদীস সংগ্রহ থেকে এই সনদে এভাবেই তা রিওয়ায়াত
করেছেন ৷ আবু দাউদ সালামা ইবন শুআয়ব সাঈদ খুদরী (রা) সুত্রে বর্ণনা করেন যে,
তিনি বলেছেন, রাসুলুল্লাহ্ (সা) যখন বসতেন তখন (মাঝে মাঝে) উভয় পা পেটের সাথে
লাগিয়ে ইে হাত দিয়ে জড়িয়ে রাখতেন ৷ আল বায্যার তার মুসনড়াদে তা বর্ণনা করেছেন ৷ তার
ভাষ্য হল নবী“ করীম (সা) যখন বসতেন তখন উভয় হাটু সোজা করে (পেট সংলগ্ন অবস্থায়)
তা দু’হাত দিয়ে জড়িয়ে ধরতেন ৷ তারপর আবু দাউদ হাফস ইবন উমর ও মুসা ইবন
ইসমাঈল কায়লা বিনতমাখরামা সুত্রে বর্ণনা করেন যে, তিনি (একবার) রাসুলুল্লাহ্
(না)-কে নিতম্বে ভর দিয়ে উরুদ্বয় পেট সংলগ্ন করে তা হাত দিয়ে জড়িয়ে ধরে বসতে
দেখেছেন ৷ তিনি (কায়লা) বলেন, আমি যখন বসা অবস্থায় বিনীত-বিনম্র রাসুলকে দেখতে
পেলাম , তখন আৎকে উঠলাম ৷ আর তিরিমিষী শামাঈলে এবং তার জ্বামি গ্রন্থে আবদ ইবন
হুমায়দের বরাতে রিওয়ায়াত করেছন ৷ আর তা মুলত একটি দীর্ঘ হাদীসের অংশবিশেষ যা
তাবারানী তার আল-মুজামুল কাবীর’ গ্রন্থে উল্লেখ করেছেন ৷
বুখারী হাসান ইবন আব্বাস আল-বায্যার এর বরাতে সুফিয়ান হযরত আইশা (বা)
সুত্রে বর্ণনা করেছেন যে, তিনি বলেছেন, রাসুলুল্লাহ্ (সা) এত কম কথা বলতেন যে, যদি
কোন গণনাকারী তা গণনা করত তাহলে নিশ্চয় গণনা করতে পারত ৷ বুখারী লায়ছ
হযরত আইশা সুত্রে রিওয়ায়াত করেন যে, তিনি (তার বোনপেড়া উরওয়া ইবন জুবায়রকে
সম্বোধন করে) বললেন, অমুক ব্যক্তি কি তোমাকে অবাক করে না, সে এসে আমার হুজরার
পাশে বসে আমাকে শুনিয়ে রাসুলুল্লাহ্ (সা) থেকে হাদীস বর্ণনা করতে লাগল; আর এ সময়
আমি (আমার নিয়মিত) তাসৃবীহ পাঠ করছিলাম, আমার তাসৃবীহ পাঠ শেষ হওয়ার পুর্বেই
সে উঠে চলে গেল , আমি তাকে পেলে তাকে উচিত জবাব দিতাম ৷ রাসুলুল্পাহ্ (সা) তোমাদের
এমন কথা বলে যেতেন না ৷ ইমাম আহমদ তা রিওয়ায়াত করেছেন আলী ইবন ইসহাক
, ইউনুস ইবন ইয়াযীদ সুত্রে (ঐ সনদে) ৷ তাদের রিওয়ায়াতে রয়েছে, আবু হুরায়রা কি তোমাকে
أَبِي طَالِبٍ. وَقَدْ رَوَاهُ الْحَافِظُ أَبُو بَكْرٍ الْبَيْهَقِيُّ فِي " الدَّلَائِلِ " عَنْ أَبِي عَبْدِ اللَّهِ الْحَاكِمِ النَّيْسَابُورِيِّ، لَفْظًا وَقِرَاءَةً عَلَيْهِ، أَنَا أَبُو مُحَمَّدٍ الْحَسَنُ بْنِ مُحَمَّدِ بْنِ يَحْيَى بْنِ الْحَسَنِ بْنِ جَعْفَرِ بْنِ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ الْحُسَيْنِ بْنِ عَلِيِّ بْنِ الْحُسَيْنِ بْنِ عَلِيِّ بْنِ أَبِي طَالِبٍ الْعَقِيقِيُّ صَاحِبُ كِتَابِ " النَّسَبِ " بِبَغْدَادَ، حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ مُحَمَّدِ بْنِ إِسْحَاقَ بْنِ جَعْفَرِ بْنِ مُحَمَّدِ بْنِ عَلِيِّ بْنِ الْحُسَيْنِ بْنِ عَلِيِّ بْنِ أَبِي طَالِبٍ، أَبُو مُحَمَّدٍ بِالْمَدِينَةِ سَنَةَ ثَلَاثٍ وَسِتِّينَ وَمِائَتَيْنِ، حَدَّثَنِي عَلِيُّ بْنُ جَعْفَرِ بْنِ مُحَمَّدٍ، عَنْ أَخِيهِ مُوسَى بْنِ جَعْفَرٍ، عَنْ جَعْفَرِ بْنِ مُحَمَّدِ بْنِ عَلِيِّ بْنِ الْحُسَيْنِ بْنِ عَلِيٍّ، عَنْ أَبِيهِ مُحَمَّدِ بْنِ عَلِيٍّ عَنْ عَلِيِّ بْنِ الْحُسَيْنِ قَالَ: قَالَ الْحَسَنُ: سَأَلْتُ خَالِيَ هِنْدَ بْنَ أَبِي هَالَةَ. فَذَكَرَهُ. وَرَوَاهُ الطَّبَرَانِيُّ، عَنْ عَلِيِّ بْنِ عَبْدِ الْعَزِيزِ، عَنْ أَبِي غَسَّانَ مَالِكِ بْنِ إِسْمَاعِيلَ، فَذَكَرَهُ بِإِسْنَادِهِ مُطَوَّلًا، ثُمَّ أَوْرَدَ غَرِيبَهُ. قَالَ شَيْخُنَا الْحَافِظُ أَبُو الْحَجَّاجِ الْمِزِّيُّ، رَحِمَهُ اللَّهُ، فِي كِتَابِهِ " الْأَطْرَافِ " بَعْدَ ذِكْرِهِ مَا تَقَدَّمَ مِنْ هَاتَيْنِ الطَّرِيقَيْنِ: وَرَوَى إِسْمَاعِيلُ بْنُ مَسْلَمَةَ بْنِ قَعْنَبٍ الْقَعْنَبِيُّ، عَنْ إِسْحَاقَ بْنِ صَالِحٍ الْمَخْزُومِيِّ، عَنْ يَعْقُوبَ التَّيْمِيِّ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَبَّاسٍ، أَنَّهُ قَالَ لِهِنْدِ بْنِ أَبِي هَالَةَ، وَكَانَ وَصَّافًا
পৃষ্ঠা - ৪৫৯১
অবাক করেনা? এরপর তিনি অনুরুপ বর্ণনা করেন ৷ ইমাম আহমদ আইশা (বা)
সুত্রে বংনাি করেন, তিনি আইশা (বা) বলেন, নবী করীম (সা) এর কথাগুলো হতো (পৃথক
পৃথক) যা সকলেই বুঝতে পারতৰু তিনি লাগাতার বলে যেতেন না ৷ ইবন আবু শায়বার বরাতে
আবু দাউদ তা রিওয়ায়াত করেছেন ৷ আবু ইয়ালা আবদুল্লাহ্ ইবন মুহাম্মদ জাবির ইবন
আবদুল্লাহ অথবা ইবন উমর (রা) থেকে বর্ণনা করেন, নবী করীম (সা)-এব কথা হতো ধীরে
ধীরে অনব্য বা অছন্দবদ্ধ ৷ ইমাম আহমদ আব্দুস সামাদ আনাস সুত্রে রিওয়ায়াত করেন
যে, তিনি বলেছেন, রাসুলুল্লাহ্ (সা) যখন কোন কথা বলতেন তখন তা তিনবার করে বলতেন
এবং যখন কোন লোকজনকে সালাম করতেন তখন তিনবার করে সালাম করতেন ৷ আব্দুস
সামাদের হাদীস সংগ্রহ থেকে বুখড়ারীও তা বর্ণনা করেছেন ৷ আহমদ বলেন, আবু সাঈদ
আবদুল্লাহ ইবনুল মুছান্না সুত্রে বর্ণনা করেছেন, তিনি বলেছেন, আমি ছুমড়ামা ইবন আনাসকে
উল্লেখ করতে শুনেছি যে, হযরত আনাস যখন কোন কথা বলতেন তখন তা তিনবার করে
বলতেন এবং তিনি উল্লেখ করেন যে, নবী করীম (সা) যখন কোন কথা বলতেন তখন
তিনবার করে বলতেন এবং তিনি যখন কোন গৃহে প্রবেশের অনুমতি চেয়ে সালাম করতেন
তখনও তিনবার করে সালাম করতেন ৷ আর তিরমিযী আবদুল্লাহ ইবনুল মুছান্ন৷ আনাস সুত্রে
যে হাদীস রিওয়ায়াত করেছেন, তাতে রয়েছে যে, রাসুলুল্লাহ্ (সা) যখন কোন কথা বলতেন
তখন শ্রোতারা যাতে বুঝতে পারে সে জন্য তিনি তিনি তিনবার বলতেন ৷ এরপর তিরমিযী
হাদীসখানিকে হাসান-সহীহ্-গরীব’ বলে মন্তব্য করেছেন ৷
সহীহ্ বুখড়ারীতে রয়েছে যে, তিনি (নবীজী) বলেন, আমাকে ব্যাপক অর্থবােধক বাণীসমুহ
প্রদান করা হয়েছে আর আমি প্রজ্ঞার বাণী সমুহ অতি সংক্ষেপে বিবৃত করি ৷ ইমাম আহমদ,
হাজ্জাজ সাঈদ ইবনুল মুসায়্যাবৃ সুত্রে বর্ণনা করেন যে, হযরত আবু হুরায়রা (বা) বলেন,
আমি রাসুলুল্লাহ্ (সা)-কে বলতে শুনেছি, আমাকে সারগর্ভ বাণী দিয়ে প্রেরণ করা হয়েছে এবং
ভীতি (অর্থাৎ আমাকে দেখে সকলের মাঝে ভীতি ও সমীহবােধ সৃষ্টি হয়) দ্বারা সাহায্য করা
হয়েছে ৷ একবার নিদ্রিত অবস্থায় স্বপ্নযোগে পৃথিবীর ভাণ্ডারসমুহের চাবিসমুহ আমার হাতে
তুলে দেয়া হয় ৷ লায়ছের হাদীস সংগ্রহ থেকে বুখারী তা এভাবে রিওয়ায়াত করেছেন ৷ ইমাম
আহমদ ইসহাক ইবন ঈসা আবু হুরায়রা সুত্রে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন,
রাসুলুল্লাহ্ (সা) বলেন, আমাকে ভীতি দ্বারা সাহায্য করা হয়েছে এবং ব্যাপক অর্থবোধক বাণী
দান করা হয়েছে ৷ একবার ঘুমস্ত অবস্থায় স্বপ্নয়েৰেগ পৃথিবীর তাণ্ডারসমুহের চাবিকাঠি আমার
হাতে অর্পণ করা হয়েছে ৷ এ সুত্রে এটি ইমাম আহমদের একক বর্ণনা ৷ ইমাম আহমদ,
ইয়াযীদ আবু হুরায়রা সুত্রে বর্ণনা করেন ৷ তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ্ (সা) বলেন, আমাকে
ত্রাসন দ্বারা সাহায্য করা হয়েছে এবং ব্যাপক অর্থপুর্ণ বাণীসমুহ দান করা হয়েছে এবং গোটা
ভুপৃষ্ঠকে আমার জন্য সালাতের স্থান ও পাক সদৃশ করা হয়েছে ৷ আর একবার ঘুমন্ত অবস্থায়
স্বপ্নযােগে পৃথিবীর ভাণ্ডারসমুহের চাবিকাঠি আমার হাতে তুলে দেয়া হয় ৷ এই সুত্রে হাদীসখানি
ইমাম আহমদের একক বর্ণনা আর হাদীসখানি মুসলিমের শম্ভতাত্তীর্ণ ৷ ইবন ওয়াহ্বের হাদীস
ৎগ্রহ থেকে আইশা (বা) এর বরাতে বুখারী ও মুসলিমে রয়েছে, তিনি (আইশা) বলেন,
আমি কখনও রাসুলুল্লাহ্ (সা)-কে পুর্ণমুখ খুলে এমনভাবে হাসতে দেখিনি যে আমি তীর
আল্জিহ্বা দেখতে পাব ৷ তিনি (সব সময়) মৃদু হাসতেন ৷ ইমাম তিরমিযী, কুতায়বা সুত্রে
لِرَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: صِفْ لَنَا رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَذَكَرَ بَعْضَ هَذَا الْحَدِيثِ. وَقَدْ رَوَى الْحَافِظُ الْبَيْهَقِيُّ مِنْ طَرِيقِ صُبَيْحِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ الْفَرْغَانِيِّ، وَهُوَ ضَعِيفٌ، عَنْ عَبْدِ الْعَزِيزِ بْنِ عَبْدِ الصَّمَدِ، عَنْ جَعْفَرِ بْنِ مُحَمَّدٍ، عَنْ أَبِيهِ، وَعَنْ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَائِشَةَ حَدِيثًا مُطَوَّلًا فِي صِفَةِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَرِيبًا مِنْ حَدِيثِ هِنْدِ بْنِ أَبِي هَالَةَ، وَسَرَدَهُ الْبَيْهَقِيُّ بِتَمَامِهِ، وَفِي أَثْنَائِهِ تَفْسِيرُ مَا فِيهِ مِنَ الْغَرِيبِ، وَفِيمَا ذَكَرْنَاهُ غُنْيَةٌ عَنْهُ. وَاللَّهُ تَعَالَى أَعْلَمُ.
وَرَوَى الْبُخَارِيُّ، عَنْ أَبِي عَاصِمٍ الضَّحَّاكِ، عَنْ عُمَرَ بْنِ سَعِيدِ بْنِ أَبِي حُسَيْنٍ، عَنِ ابْنِ أَبِي مُلَيْكَةَ، عَنْ عُقْبَةَ بْنَ الْحَارِثِ قَالَ: صَلَّى أَبُو بَكْرٍ الْعَصْرَ بَعْدَ مَوْتِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِلَيَالٍ، فَخَرَجَ هُوَ وَعَلِيٌّ يَمْشِيَانِ، فَإِذَا الْحَسَنُ بْنُ عَلِيٍّ يَلْعَبُ مَعَ الْغِلْمَانِ. قَالَ: فَاحْتَمَلَهُ أَبُو بَكْرٍ عَلَى كَاهِلِهِ وَجَعَلَ يَقُولُ: بِأَبِي شِبْهُ النَّبِيِّ، لَيْسَ شَبِيهًا بِعَلِيٍّ. وَعَلِيٌّ يَضْحَكُ مِنْهُمَا، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا.
وَقَالَ الْبُخَارِيُّ: ثَنَا أَحْمَدُ بْنُ يُونُسَ، ثَنَا زُهَيْرٌ، ثَنَا إِسْمَاعِيلُ، عَنْ أَبِي جُحَيْفَةَ قَالَ: «رَأَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَكَانَ الْحَسَنُ بْنُ عَلِيٍّ يُشْبِهُهُ» .
وَرَوَى الْبَيْهَقِيُّ، عَنْ أَبِي عَلِيٍّ الرُّوذَبَارِيِّ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ جَعْفَرِ بْنِ شَوْذَبٍ الْوَاسِطِيِّ، عَنْ شُعَيْبِ بْنِ أَيُّوبَ الصَّرِيفِينِيِّ، عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ مُوسَى،
পৃষ্ঠা - ৪৫৯২
عَنْ إِسْرَائِيلَ، عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ، عَنْ هَانِئٍ، عَنْ عَلِيٍّ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، قَالَ: الْحَسَنُ أَشْبَهُ بِرَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَا بَيْنَ الصَّدْرِ إِلَى الرَّأْسِ، وَالْحُسَيْنُ أَشْبَهُ بِرَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَا كَانَ أَسْفَلَ مِنْ ذَلِكَ.