سنة إحدى عشرة من الهجرة
فصل: إيراد ما بقي علينا من متعلقات السيرة الشريفة
كتاب الشمائل
صفة قوامه عليه الصلاة والسلام وطيب رائحته
পৃষ্ঠা - ৪৫৫৯
ঘ্রড়াণের চাইতে অধিকতর সুগন্ধময় কােনঘ্রাণ শুকিনি ৷ মুসলিম তা রিওয়ায়াত করেছেন
আনাস (রা ) থেকে ৷ এছাড়া ইমাম মুসলিমও হাম্মাদ ইবন সালামা ও সুলায়মান ইবন মুর্গীরা
আনাস (রা) থেকে বর্ণনা করেছেন ৷ তিনি (আনাস) বলেন, রাসুলুল্লাহ্ (সা) ছিলেন
উজ্জ্বল ফর্স৷ বর্ণের অধিকারী ৷ তার ঘাম যেন মুক্তার ৷ তিনি যখন হীটতেন, সামনে ঝুকে
হীটতেন ৷ রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর হাতের তালুর চেয়ে কোমল কোন রেশমী কাপড় আমি স্পর্শ
করিনি এবং তার দেহের থ্রাণের চেয়ে অধিকতর সুগন্ধযুক্ত কোন মিশৃক বা আম্বরও আমি
শুকিনি ৷ ইবন আবু আদী হযরত আনাস সুত্রে ইমাম আহমদ বর্ণনা করেন যে, তিনি
(আনাস) বলেছেন, আমি কখনও রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর হাতের তালুর চেয়ে কোন কোমল
রেশমী কাপড় বা অন্য কিছু স্পর্শ করিনি এবং রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর দেহের ঘ্রড়াণের চেয়ে উত্তম
কোন ঘ্রাণ শুকিনি ৷ এই সনদটি ছুলাহী১ এবং বুখারী মুসলিমের শর্তোত্তীর্ণ; তবে সিহা সিত্তার
কোন সঙ্কলক এই সুত্রে হাদীসখানি উল্লেখ করেননি ৷ ইয়াকুব ইবন সুফিয়ান আমর ইবন
হাম্মাদ ইবন তালহা সুত্রে আর বায়হাকী আহমদ ইবন হাযিম ইবন আবু উরওয়া জাবির
ইবন সামুরা সুত্রে বর্ণনা করেন ৷ তিনি (জাবির) বলেন, আমি রাসুলুল্পাহ্ (না)-এর সাথে প্রথম
ওয়াক্তের সালাত আদায় করলাম ৷ তারপর তিনি তার ত্রী-পরিজনদের উদ্দেশেব্র বের হলেন,
তখন আমিও তার সাথে বের হলাম ৷ তখন কয়েকজন বালক তার মুখোমুখি হলো তিনি
তাদের একেকজনের গণ্ডদ্বয়ে হাত বৃলিয়ে দিতে লাগলেন ৷ জাবির (রা) বলেন, আর তিনি যখন
আমার গণ্ডে হাত বুলালেন তখন আমি তার অপুর্ব শীতলতা ও সুঘ্রাণ অনুভব করলাম, তিনি
যেন মাত্র সুগন্ধি বিক্রেতার পাত্র থেকে তা বের করেছেন ৷ আমর ইবন হাম্মাদ সুত্রে মুসলিমও
তা ঐ সনদে অনুরুপ বর্ণনা করেছেন ৷ মুহাম্মাদ ইবন জাফর সুত্রে হাকাম থেকে ইমাম
আহমদ বর্ণনা করেন ৷ (হাকাম বলেন) আমি আবু জুহায়ফাকে বলতে শুনেছি, দ্বিপ্রহরকালে
রাসুলুল্লাহ্ (সা) বাতহার (কঙ্করময় ভুখণ্ড) উদ্দেশ্যে বের হলেন, এরপর তিনি উয়ু করে যুহরের
নামায (কসর করে) দৃরাকাআত পড়লেন ৷ এ সময় তার সামনে একটি ছড়ি ছিল ৷ এ
রিওয়ায়াতে আওন তার পিতা থেকে অতিরিক্ত বর্ণনা দিয়ে বলেন-এই ছড়িটির সামনে দিয়ে
নারী ও মধ্যে অতিক্রম করছিল ৷ এই হাদীসে হাজ্জাজ বলেন, এরপর লোকেরা উঠে দাড়িয়ে
তার হাত ধরতে লাগল এবং সেই হাত তাদের মুখমণ্ডলে বুলড়াতে লাগল ৷ তিনি (রাবী) বলেন,
তখন আমি তার হাত ধরে তা আমার মুখমণ্ডলে রাখলড়াম , তখন আমার মনে হল তা বরফের
চেয়ে শীতল এবং মিশকের চেয়ে সুঘ্রাণময় ৷ হাসান ইবন মানসুর সুত্রে শুবা থেকে ইমাম
বুখারীও তা রিওয়ায়াত করেছেন এবং হুবহু তার অনুরুপ বর্ণনা করেছেন ৷
আর মুল হাদীসখানি সহীহায়নে এভাবেই বিদ্যমান রয়েছে ৷ আর ইমাম আহমদ ইয়াযীদ
ইবন হারুন ইয়াযীদ ইবন আসওয়াদ সুত্রে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন, রাসুলুল্পাহ্ (সা)
মিনায় সালাত আদায় করলেন, তারপর যখন ঘুরে বললেন তখন লোকদের পিছনে দুই ব্যক্তিকে
পৃথক দেখতে পেলেন ৷ তখন তিনি তাদের দুজনকে কাছে ডাকলেন ৷ তখন কম্পনরত অবস্থায়
তাদেরকে উপ ত করা হল ৷ তিনি তাদেরকে জিজ্ঞেস করলেন, কিসে তােমাদেরকে জামাতে
নামায পড়া থেকে বিরত রাখল ? তখন তারা দুজন বললেন, ইয়া রাসুলাল্পাহ্! আমরা
আমাদের র্তাবুতে নামায আদায় করেছি ৷ তখন তিনি বললেন, তাহলে তোমরা এমন করো না,
তোমাদের কেউ যদি স্বস্থানে নামায পড়ে নেয় এরপর ইমামের সাথে নামায পায় তাহলে যে
১ অর্থাৎ বর্ণনাকারী ও রাসুলুল্লাহ্ (সা)-এর মাত্র মাঝে তিনটি সুত্রীয় ধাপ যে সনদের ৷
وَقَالَ الْبَيْهَقِيُّ: أَنَا عَلِيُّ بْنُ مُحَمَّدِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ بِشْرَانَ، أَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ مُحَمَّدٍ الصَّفَّارُ، ثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ إِسْحَاقَ أَبُو بَكْرٍ، ثَنَا سَلَمَةُ بْنُ حَفْصٍ السَّعْدِيُّ، ثَنَا يَحْيَى بْنُ الْيَمَانِ، ثَنَا إِسْرَائِيلُ، عَنْ سِمَاكٍ، عَنْ جَابِرِ بْنِ سَمُرَةَ قَالَ: «كَانَتْ أُصْبُعُ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ؛ خِنْصَرُهُ مِنْ رِجْلَيْهِ مُتَظَاهِرَةً» . وَهَذَا حَدِيثٌ غَرِيبٌ.
[صِفَةُ قَوَامِهِ عَلَيْهِ الصَّلَاةُ وَالسَّلَامُ وَطِيبِ رَائِحَتِهِ]
فِي " صَحِيحِ الْبُخَارِيِّ " مِنْ حَدِيثِ رَبِيعَةَ، عَنْ أَنَسٍ قَالَ: «كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ رَبْعَةً مِنَ الْقَوْمِ؛ لَيْسَ بِالطَّوِيلِ وَلَا بِالْقَصِيرِ» .
وَقَالَ أَبُو إِسْحَاقَ عَنِ الْبَرَاءِ: «كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَحْسَنَ النَّاسِ وَجْهًا، وَأَحْسَنَهُمْ خَلْقًا، لَيْسَ بِالطَّوِيلِ وَلَا بِالْقَصِيرِ» . أَخْرَجَاهُ فِي " الصَّحِيحَيْنِ ".
وَقَالَ نَافِعُ بْنُ جُبَيْرٍ عَنْ عَلِيٍّ: «كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَيْسَ بِالطَّوِيلِ وَلَا
পৃষ্ঠা - ৪৫৬০
بِالْقَصِيرِ، لَمْ أَرَ قَبْلَهُ وَلَا بَعْدَهُ مِثْلَهُ» .
وَقَالَ سَعِيدُ بْنُ مَنْصُورٍ، عَنْ خَالِدِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ مُحَمَّدِ بْنِ عُمَرَ بْنِ عَلِيِّ بْنِ أَبِي طَالِبٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ جَدِّهِ، عَنْ عَلِيٍّ قَالَ: «كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَيْسَ بِالطَّوِيلِ وَلَا بِالْقَصِيرِ،» وَهُوَ إِلَى الطُّولِ أَقْرَبُ، وَكَانَ عَرَقُهُ كَاللُّؤْلُؤِ. الْحَدِيثَ.
وَقَالَ سَعِيدٌ، عَنْ نُوحِ بْنِ قَيْسٍ، عَنْ خَالِدِ بْنِ خَالِدِ التَّمِيمِيِّ، عَنْ يُوسُفَ بْنِ مَازِنٍ الرَّاسِبِيِّ، عَنْ عَلِيٍّ قَالَ: «كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَيْسَ بِالذَّاهِبِ طُولًا، وَفَوْقَ الرَّبْعَةِ، إِذَا جَاءَ مَعَ الْقَوْمِ غَمَرَهُمْ، وَكَانَ عَرَقُهُ فِي وَجْهِهِ كَاللُّؤْلُؤِ» . الْحَدِيثَ.
وَقَالَ الزُّبَيْدِيُّ، عَنِ الْزُّهْرِيِّ، عَنْ سَعِيدٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ: «كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ رَبْعَةً، وَهُوَ إِلَى الطُّولِ أَقْرَبُ، وَكَانَ يُقْبِلُ جَمِيعًا، وَيُدْبِرُ جَمِيعًا، لَمْ أَرَ قَبْلَهُ وَلَا بَعْدَهُ مِثْلَهُ» .
وَثَبَتَ فِي " الْبُخَارِيِّ " مِنْ حَدِيثِ حَمَّادِ بْنِ زَيْدٍ، عَنْ ثَابِتٍ، عَنْ أَنَسٍ قَالَ: «مَا مَسِسْتُ بِيَدِي دِيبَاجًا وَلَا حَرِيرًا وَلَا شَيْئًا أَلْيَنَ مِنْ كَفِّ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَلَا شَمَمْتُ رَائِحَةً أَطْيَبَ مِنْ رِيحِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ» . وَرَوَاهُ مُسْلِمٌ مِنْ
পৃষ্ঠা - ৪৫৬১
حَدِيثِ سُلَيْمَانَ بْنِ الْمُغِيرَةِ، عَنْ ثَابِتٍ، عَنْ أَنَسٍ بِهِ.
وَرَوَاهُ مُسْلِمٌ أَيْضًا مِنْ حَدِيثِ حَمَّادِ بْنِ سَلَمَةَ، عَنْ ثَابِتٍ، عَنْ أَنَسٍ قَالَ: «كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَزْهَرَ اللَّوْنِ، كَأَنَّ عَرَقَهُ اللُّؤْلُؤُ، إِذَا مَشَى تَكَفَّأَ، وَمَا مَسِسْتُ حَرِيرًا وَلَا دِيبَاجًا أَلْيَنَ مِنْ كَفِّ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَلَا شَمَمْتُ مِسْكًا وَلَا عَنْبَرًا أَطْيَبَ مِنْ رَائِحَةِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ» .
وَقَالَ أَحْمَدُ: ثَنَا ابْنُ أَبِي عَدِيٍّ، ثَنَا حُمَيْدٌ، عَنْ أَنَسٍ قَالَ: «مَا مَسِسْتُ شَيْئًا قَطُّ خَزًّا وَلَا حَرِيرًا أَلْيَنَ مِنْ كَفِّ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَلَا شَمَمْتُ رَائِحَةً أَطْيَبَ مِنْ رِيحِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ» . وَهَذَا إِسْنَادٌ ثُلَاثِيٌّ عَلَى شَرْطِ " الصَّحِيحَيْنِ "، وَلَمْ يُخْرِجْهُ أَحَدٌ مِنْ أَصْحَابِ الْكُتُبِ السِّتَّةِ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ.
وَقَالَ يَعْقُوبُ بْنُ سُفْيَانَ: أَنَا عَمْرُو بْنُ حَمَّادِ بْنِ طَلْحَةَ الْقَنَّادُ - وَأَخْرَجَهُ الْبَيْهَقِيُّ مِنْ حَدِيثِ أَحْمَدَ بْنِ حَازِمِ بْنِ أَبِي غَرَزَةَ عَنْهُ - قَالَ: ثَنَا أَسْبَاطُ بْنُ نَصْرٍ، عَنْ سِمَاكٍ، عَنْ جَابِرِ بْنِ سَمُرَةَ قَالَ: «صَلَّيْتُ مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ صَلَاةَ الْأُولَى، ثُمَّ خَرَجَ إِلَى أَهْلِهِ، وَخَرَجْتُ مَعَهُ فَاسْتَقْبَلَهُ وِلْدَانٌ، فَجَعَلَ يَمْسَحُ خَدَّيْ أَحَدِهِمْ وَاحِدًا وَاحِدًا. قَالَ: وَأَمَّا أَنَا فَمَسَحَ خَدِّي، فَوَجَدْتُ لِيَدِهِ
পৃষ্ঠা - ৪৫৬২
যেন তার সাথে তা পড়ে নেয় ৷ কেননা, তা তার জন্য নফল রুপে গণ্য হবে ৷ রাবী বলেন,
তখন তাদের একজন বলল, ইয়া রাসুলাল্লাহ্ ! আমার জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করুন ৷ তখন তিনি
তার জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করলেন ৷ তিনি বলেন, এ সময় লোকেরা রাসুলুল্লাহ্ (সা)-এর কাছে
উঠে গেল এবং আমিও তাদের সাথে উঠলাম ৷ আর তখন আমি সকলের চেয়ে শক্ত সমর্থ
যুবক ৷ তিনি বলেন, তড়িৎ আমি (সহজেই) লোকদের ভিড় ঠেলে ঠেলে রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর
কাছে পৌছে গেলাম ৷ তারপর তার হাত ধরে তা আমার মুখমণ্ডলে অথবা বুকে রাখলাম ৷ রাবী
বলেন, রাসুলুল্লাহ্ (সা)-এর হাতের চেয়ে শীতল ও সুঘ্রাণযুক্ত কিছু আমি পাইনি ৷ আর সে
সময় তিনি মসজিদে খায়ফে ছিলেন ৷ তারপর তিনি তা আসওয়াদ ইবন আমির ও আবুনৃ নযর
সুত্রেও ইয়াযীদ ইবন আসওয়াদের পিতা থেকে বর্ণনা করেছেন যে, তিনি রাসুলুল্লাহ্ (সা)-এর
সাথে ফজরের নামায পড়েছেন ৷ তারপর তিনি হাদীসথানি উল্লেখ করে বলেন, এরপর
লোকজন তার হাত ধরে তা তাদের মুখমণ্ডলে বুলাতে লাগল ৷ তিনি বলেন, তখন আমিও তার
পবিত্র হাত ধরে আমার মুখমণ্ডলে বুলিয়ে নিলাম ৷ আমি তা বরফের চেয়ে শীতল এবং
মেশকের চেয়ে সুগন্ধময় পেলাম ৷ আর আবু দাউদ শু’বার সুত্রে এবং তিরমিযী ও নাসাঈ
হুশায়ম সুত্রে তা ঐ সনদে রিওয়ায়াত করেছেন ৷ তিরমিযী বলেন, হাদীসটি হাসান সহীহ্
স্তরের ৷
ইমাম আহমদ আবু নুআয়ম আবদুল জাব্বার ইবন ওয়ইিল সুত্রে বর্ণনা করেন ৷ তিনি
বলেন, আমার স্বজনরা আমার পিতার বরাতে আমাকে বর্ণনা করেছেন ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা)-এৱ
কাছে এক বালতি পানি আনা হল, তখন তিনি তা থেকে পান করলেন, তারপর বালতিতে
কুলি করলেন, পরে সেই বালতির পানি কুয়ােতে ঢেলে দেয়া হল, অথবা (রাবীর সন্দেহ) তিনি
বালতি থেকে পান করলেন ৷ তারপর তা কুয়ােতে ঢেলে দিলেন, তখন তা থেকে মিশকের
সুঘ্রাণ ছড়িয়ে পড়া ৷ এ হাদীসথানি বায়হাকী ইয়াকুব ইবন সুফিয়ান সুত্রে বর্ণনা করেছেন ৷
ইমাম আহমদ হাশিম আনাস (রা) সুত্রে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন, রাসুলুল্লাহ্ (না)
যখন ফজরের নামায পড়তেন তখন মদীনায় খাদিমরা তাদের পাত্র সমুহে পানি নিয়ে হাযির
হত ৷ নিয়ে আসা সকল পাত্রেই তিনি হাত চুবাতেন, কখনও যা তারা শীতের সকালে হাবিব
হত, তখন তিনি তা’ তার পবিত্র হাতে ছুয়ে দিতেন ৷ মুসলিম আবুনৃ নযর থেকে ঐ সনদে তা
রিওয়ায়াত করেছেন ৷ ইমাম আহমদ হুজায়ন ইবনুল মুছান্না সুত্রে আনাস (রা) থেকে
বর্ণনা করেন ৷ তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ্ (সা) উম্মে সুলায়মের গৃহে প্রবেশ করতেন এবং তার
বিছানায় ঘুমাতেন, আর তখন উম্মে সুলায়ম সেখানে থাকতেন না ৷ রাবী বলেন, একদিন যখন
তিনি এসে তার বিছানায় ঘুমিয়ে পড়লেন তখন উম্মে সুলড়ায়ম সেখানে আগমন করলেন ৷ তখন
তাকে বলা হল এই যে আল্লাহ্র রাসুল তোমার ঘরে তোমার বিছানায় ঘুমিয়ে আছেন ৷ রাবী
বলেন, তিনি তখন এসে দেখলেন, তিনি খামার ফলে তার ঘাম বিছানায় উপরের একটি
চামড়ার টুকরার উপর জমা হয়ে আছে ৷ তখন উষ্মে সুলড়ায়ম তার সুগন্ধির কৌটা খুললেন এবং
সেই ঘাম শুষে নিয়ে তা নিংড়ে তার শিশিগুলিতে রাখতে লাগলেন ৷ তখন নবী করীম (না)
ঘুম থেকে জেগে বললেন, ওহে উম্মে সুলায়ম, তুমি কী করছ? তখন তিনি বললেন, ইয়া
রাসুলাল্লাহ্! আমরা আমাদের শিশুদের জন্য তার বরকত প্রত্যাশা করি ৷ তিনি বললেন, তুমি
(তাহলে)ন্ঠিকই করেছ ৷ মুসলিম মুহাম্মাদ ইবন রাফি সুত্রে ঐ সনদে তা বর্ণনা করোছা ৷
بَرْدًا وَرِيحًا، كَأَنَّمَا أَخْرَجَهَا مِنْ جُؤْنَةِ عَطَّارٍ» . وَرَوَاهُ مُسْلِمٌ عَنْ عَمْرِو بْنِ حَمَّادٍ بِهِ نَحْوَهُ.
قَالَ أَبُو زُرْعَةَ الرَّازِيُّ ثَنَا سَعِيدُ بْنُ مُحَمَّدٍ الْجَرْمِيُّ، ثَنَا أَبُو ثُمَيْلَةَ، عَنْ أَبِي حَمْزَةَ، عَنْ جَابِرٍ، عَنْ عَبْدِ الْجَبَّارِ بْنِ وَائِلٍ، عَنْ أَبِيهِ قَالَ: «كُنْتُ أُصَافِحُ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَوْ يَمَسُّ جِلْدِي جِلْدَهُ، فَأَتَعَرَّفُهُ فِي يَدِي بَعْدَمَا نَالَتْهُ أَطْيَبَ رَائِحَةً مِنَ الْمِسْكِ» .
وَقَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: ثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ جَعْفَرٍ، ثَنَا شُعْبَةُ، وَحَجَّاجٌ، أَخْبَرَنِي شُعْبَةُ، عَنِ الْحِكَمِ سُمِعْتُ أَبَا جُحَيْفَةَ قَالَ: «خَرَجَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِالْهَاجِرَةِ إِلَى الْبَطْحَاءِ، فَتَوَضَّأَ وَصَلَّى الظُّهْرَ رَكْعَتَيْنِ وَبَيْنَ يَدَيْهِ عَنَزَةٌ» . زَادَ فِيهِ عَوْنٌ عَنْ أَبِيهِ: يَمُرُّ مِنْ وَرَائِهَا الْحِمَارُ وَالْمَرْأَةُ.
قَالَ حَجَّاجٌ فِي الْحَدِيثِ: ثُمَّ قَامَ النَّاسُ فَجَعَلُوا يَأْخُذُونَ يَدَهُ فَيَمْسَحُونَ بِهَا وُجُوهَهُمْ. قَالَ فَأَخَذْتُ يَدَهُ فَوَضَعْتُهَا عَلَى وَجْهِي، فَإِذَا هِيَ أَبْرَدُ مِنَ الثَّلْجِ، وَأَطْيَبُ رِيحًا مِنَ الْمِسْكِ. وَهَكَذَا رَوَاهُ الْبُخَارِيُّ، عَنِ الْحَسَنِ بْنِ مَنْصُورٍ، عَنْ حَجَّاجِ بْنِ مُحَمَّدٍ الْأَعْوَرِ، عَنْ شُعْبَةَ، فَذَكَرَ مِثْلَهُ سَوَاءً. وَأَصْلُ الْحَدِيثِ فِي
পৃষ্ঠা - ৪৫৬৩
" الصَّحِيحَيْنِ " أَيْضًا.
وَقَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا يَزِيدُ بْنُ هَارُونَ، أَنَا هِشَامُ بْنُ حَسَّانَ وَشُعْبَةُ وَشَرِيكٌ، عَنْ يَعْلَى بْنِ عَطَاءٍ، عَنْ جَابِرِ بْنِ يَزِيدَ، عَنْ أَبِيهِ - يَعْنِي يَزِيدَ بْنَ الْأَسْوَدِ - قَالَ: «صَلَّى رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ الْفَجْرَ بِمِنًى، فَانْحَرَفَ فَرَأَى رَجُلَيْنِ مِنْ وَرَاءِ النَّاسِ، فَدَعَا بِهِمَا فَجِيءَ بِهِمَا تُرْعَدُ فَرَائِصُهُمَا، فَقَالَ: " مَا مَنَعَكُمَا أَنْ تُصَلِّيَا مَعَ النَّاسِ؟ " قَالَا: يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنَّا كُنَّا قَدْ صَلَّيْنَا فِي الرِّحَالِ. قَالَ " فَلَا تَفْعَلَا إِذَا صَلَّى أَحَدُكُمْ فِي رَحْلِهِ، ثُمَّ أَدْرَكَ الصَّلَاةَ مَعَ الْإِمَامِ فَلْيُصَلِّهَا مَعَهُ، فَإِنَّهَا لَهُ نَافِلَةٌ " قَالَ: فَقَالَ أُحُدُهُمَا: اسْتَغْفِرْ لِي يَا رَسُولَ اللَّهِ. فَاسْتَغْفَرَ لَهُ، قَالَ: وَنَهَضَ النَّاسُ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَنَهَضْتُ مَعَهُمْ، وَأَنَا يَوْمَئِذٍ أَشَبُّ الرِّجَالِ وَأَجْلَدُهُ. قَالَ: فَمَا زِلْتُ أَزْحَمُ النَّاسَ حَتَّى وَصَلْتُ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَأَخَذْتُ بِيَدِهِ، فَوَضَعْتُهَا إِمَّا عَلَى وَجْهِي أَوْ صَدْرِي، قَالَ: فَمَا وَجَدْتُ شَيْئًا أَطْيَبَ وَلَا أَبْرَدَ مِنْ يَدِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ. قَالَ: وَهُوَ يَوْمَئِذٍ فِي مَسْجِدِ الْخَيْفِ» .
ثُمَّ رَوَاهُ أَيْضًا، عَنْ أَسْوَدَ بْنِ عَامِرٍ وَأَبِي النَّضْرِ، عَنْ شُعْبَةَ، عَنْ يَعْلَى بْنِ عَطَاءٍ، سَمِعْتُ جَابِرَ بْنَ يَزِيدَ بْنِ الْأَسْوَدِ، عَنْ أَبِيهِ أَنَّهُ صَلَّى مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ
পৃষ্ঠা - ৪৫৬৪
الصُّبْحَ، فَذَكَرَ الْحَدِيثَ، قَالَ: «ثُمَّ ثَارَ النَّاسُ يَأْخُذُونَ بِيَدِهِ يَمْسَحُونَ بِهَا وُجُوهَهُمْ. قَالَ: فَأَخَذْتُ بِيَدِهِ فَمَسَحْتُ بِهَا وَجْهِي، فَوَجَدْتُهَا أَبْرَدَ مِنَ الثَّلْجِ، وَأَطْيَبَ رِيحًا مِنَ الْمِسْكِ» . وَقَدْ رَوَاهُ أَبُو دَاوُدَ مِنْ حَدِيثِ شُعْبَةَ، وَالتِّرْمِذِيِّ وَالنَّسَائِيِّ مِنْ حَدِيثِ هُشَيْمٍ، عَنْ يَعْلَى بِهِ. وَقَالَ التِّرْمِذِيُّ: حَسَنٌ صَحِيحٌ.
وَقَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا أَبُو نُعَيْمٍ، ثَنَا مِسْعَرٌ، عَنْ عَبْدِ الْجَبَّارِ بْنِ وَائِلِ بْنِ حُجْرٍ قَالَ: حَدَّثَنِي أَهْلِي عَنْ أَبِي قَالَ: «أَتَى رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِدَلْوٍ مِنْ مَاءٍ، فَشَرِبَ مِنْهُ، ثُمَّ مَجَّ فِي الدَّلْوِ، ثُمَّ صَبَّ فِي الْبِئْرِ، أَوْ شَرِبَ مِنَ الدَّلْوِ، ثُمَّ مَجَّ فِي الْبِئْرِ، فَفَاحَ مِنْهَا مِثْلُ رِيحِ الْمِسْكِ» . وَهَكَذَا رَوَاهُ الْبَيْهَقِيُّ مِنْ طَرِيقِ يَعْقُوبَ بْنِ سُفْيَانَ، عَنْ أَبِي نُعَيْمٍ، وَهُوَ الْفَضْلُ بْنُ دُكَيْنٍ بِهِ.
وَقَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: ثَنَا هَاشِمٌ، ثَنَا سُلَيْمَانُ، عَنْ ثَابِتٍ، عَنْ أَنَسٍ قَالَ: «كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِذَا صَلَّى الْغَدَاةَ جَاءَ خَدَمُ أَهْلِ الْمَدِينَةِ بِآنِيَتِهِمْ فِيهَا الْمَاءُ، فَمَا يُؤْتَى بِإِنَاءٍ إِلَّا غَمَسَ يَدَهُ فِيهَا، فَرُبَّمَا جَاؤُوهُ فِي الْغَدَاةِ الْبَارِدَةِ، فَغَمَسَ يَدَهُ فِيهَا» . وَرَوَاهُ مُسْلِمٌ مِنْ حَدِيثِ أَبِي النَّضْرِ هَاشِمِ بْنِ الْقَاسِمِ بِهِ.
وَقَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا حُجَيْنُ بْنُ الْمُثَنَّى، ثَنَا عَبْدُ الْعَزِيزِ، يَعْنِي ابْنَ أَبِي
পৃষ্ঠা - ৪৫৬৫
আর ইমামশ্র হ্ামদ হাশিম ইবন কাসিম সুত্রে আনাস থেকে বর্ণনা করে বলেন :
একবার রাসুলুলুন্হ্ (সা ) আমাদের কাছে আসলেন, এরপর দ্বিপ্ৰহর কালে সামান্য ঘুমিয়ে
বিশ্রাম নিলেন ৷ এ সময় তিনি থেমে গেলেন; তখন আমার আশা একটি বো৩ ল নিয়ে এসে
তাতে ঘাম সংগ্রহ করতে লাগলেন ৷ এমন সময় রাসুলুল্লাহ্ (সা) জেগে গেলেন এবং বললেন
হে উম্মে সুলায়ম , এ তুমি কী করছ? তিনি বললেন, আপনার নাম আমাদের সুগন্ধিতে মিশিয়ে
নিচ্ছি, তা হল সর্বোত্তম সুগন্ধি ৷ মুসলিম ইমাম আহমদ ভিন্ন ভিন্ন সুত্রে হযরত আনাস
থেকে বর্ণনা করেন ৷ তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ্ (সা) উম্মে সুলায়মের গৃহে দুপুরে বিশ্রাম নিতেন ৷
আর তার শরীর থেকে প্রচুর ঘাম ঝরত ৷ তাই উম্মে সুলায়ম৩ তার জন্য একটি চামড়ার
বিছানার ব্যবস্থা করলেন, যাতে তিনি দিবা বিশ্রাম করতেন ৷ আর উম্মে সুলায়ম তার পদদ্বয়ের
নিচে কোন কিছু একটা দিয়ে রাখতেন, যা তার ঘাম শুয়ে নিতে এবং৩ তিনি তা সংরক্ষণের
ব্যবস্থা করতেন ৷ এ সময় একদিন নবী আলায়হিস সালাম বললেন, হে উম্মে সুলায়ম, এটা
কী? তিনি বললেন, ইয৷ রাসুলাল্লাহ্! আপনার ঘাম আমার সুগন্ধিতে মেশাচ্ছি ৷ বর্ণনড়াকারী
বলেন, তখন তিনি তার জন্য উত্তমরুপে দু আ করলেন এই সুত্রে এটি ইমাম আহমদের একক
বর্ণনা ৷ এ ছ৷ ৷ড়৷ ইমাম আহমদ মুহাম্মদ ইবন আবদুল্লাহ সুত্রে হযরত আনাস থেকে বর্ণনা
করেন যে, তিনি বললেন, নবী করীম (সা) যখন ঘুমাতেন তখন বেশ ঘামাতে ন ৷ তখন তিনি
(উম্মে সুলায়ম) একখণ্ড তৃলার দ্বারা শুষে তা একটি শিশিতে সংরক্ষণ করতেন এবং পরে তা
তার মিশকের সাথে মেশাতেন ৷ এই হাদীসের সনদ বুখারী ও মুসলিমের শতে র্টত্তীর্ণ এবং
ছুলাহী অর্থাৎ বর্ণনাকারী রাবী ও রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর মাঝে মাত্র তিনটি স্তরের পার্থক্য
বিদ্যমান ৷ কিন্তু তাদের উভয়ে কোন একজন তা রিওয়ায়াত করেননি ৷ বায়হাকী মুহাম্মাদ
ইবন আবদুল্লাহ আর ইমাম মুসলিম আবু বকর ইবন শায়বা সুত্রে হযরত আনাস থেকে
বর্ণনা করেন৷ আর তিনি উম্মে সুলায়ম থেকে এই মর্মে যে, রাসুলুল্লাহ্ (সা) তার ঘরে
আসতেন এবং তার কাছে দিবা বিশ্রাম করতে ন ৷ এ সময় তিনি তাকে একটি চামড়ার মাদুর
বিছিয়ে দিতেন আর তিনি তাতে বিশ্রাম করতেন ৷ তিনি প্রচুর ঘামতে ,ন উম্মে সুলায়ম তার
দেহ নি ংসৃত এই নাম সংগ্রহ করতেন এবৎ৩ ৷ সুগন্ধিতে মেশাতেন এবং বোতলে সংরক্ষণ
করতেন ৷ তখন রাসুলুল্লাহ্ (সা) বললেন, হে উম্ম সুলায়ম , এসব কী? জবাবে তিনি বললেন,
আপনার ঘাম , আমি আমার সুগন্ধিতে মিশিয়ে নিচ্ছি-এটা মুসলিমের পাঠ ৷
আবু ইয়ালা মাউসিলী তার মুসনাদ’ গ্রন্থে বুসর হযরত আবু হুরায়রা সুত্রে বর্ণনা
করেন যে, তিনি বলেছেন, রাসুলুল্লাহ্ (সা)এর কাছে এক ব্যক্তি এসে বলল, ইয়া রাসুলাল্লাহ্া
আমি আমার মেয়ের বিবাহ দিয়েছিষ্ এখন আমার আকাগ্রা আপনি কিছু একটা দিয়ে
আমাকে সাহায্য করবেন ৷ তিনি বললেন, এখনতে ৷ আমার কাছে কিছুই নেই, তবে
আপামীকাল ভুমি প্রশস্তমুখ একটি বোতল এবং একটি গাছের ডাল নিয়ে আমার কাছে আসবে,
আর তোমার ও আমার মাঝের সংকেত হল যে, তুমি দরজার প্রান্তে টোক৷ দেবে ৷ বর্ণনাকারী
বলেন কথহ্বমত সেই ব্যক্তি একটি প্রশস্তমুখ বোতল এবং একটি গাছের ডাল নিয়ে আসল ৷
বর্ণনাকারী বালন তখন তিনি তার বাহুদ্বয় থেকে নাম নিং ড়াতে লাগলেন, এমনকি বো৩ লটি
পুর্ণ হয়ে গেল ৷ তিনি বললেন, এটি নিয়ে যাও এবং৫ তামার মেয়েকে বলবে, এই কাঠিটি
বোতলে চ্নিয়ে তা যেন সৃগন্ধিরুপে ব্যবহার করে ৷ বর্ণনাকারী বলেন, সেই মেয়েটি যখন তার
سَلَمَةَ الْمَاجِشُونَ، عَنْ إِسْحَاقَ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي طَلْحَةَ، عَنْ أَنَسٍ قَالَ: «كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَدْخُلُ بَيْتَ أُمِّ سُلَيْمٍ فَيَنَامُ عَلَى فِرَاشِهَا وَلَيْسَتْ فِيهِ. قَالَ: فَجَاءَ ذَاتَ يَوْمٍ فَنَامَ عَلَى فِرَاشِهَا، فَأَتَتْ فَقِيلَ لَهَا: هَذَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ نَائِمٌ فِي بَيْتِكِ عَلَى فِرَاشِكِ. قَالَ: فَجَاءَتْ وَقَدْ عَرَقَ وَاسْتَنْقَعَ عَرَقُهُ عَلَى قِطْعَةِ أَدِيمٍ عَلَى الْفِرَاشِ، فَفَتَحَتْ عَتِيدَتَهَا، فَجَعَلَتْ تُنَشِّفُ ذَلِكَ الْعَرَقَ فَتَعْصِرُهُ فِي قَوَارِيرِهَا، فَفَزِعَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ: " مَا تَصْنَعِينَ يَا أُمَّ سُلَيْمٍ؟ " فَقَالَتْ: يَا رَسُولَ اللَّهِ نَرْجُو بَرَكَتَهُ لِصِبْيَانِنَا. قَالَ " أَصَبْتِ» وَرَوَاهُ مُسْلِمٌ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ رَافِعٍ، عَنْ حُجَيْنٍ بِهِ.
وَقَالَ أَحْمَدُ: ثَنَا هَاشِمُ بْنُ الْقَاسِمِ، ثَنَا سُلَيْمَانُ، عَنْ ثَابِتٍ، عَنْ أَنَسٍ قَالَ: «دَخَلَ عَلَيْنَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَقَالَ عِنْدَنَا فَعَرِقَ، وَجَاءَتْ أُمِّي بِقَارُورَةٍ، فَجَعَلَتْ تَسْلُتُ الْعَرَقَ فِيهَا، فَاسْتَيْقَظَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ: " يَا أُمَّ سُلَيْمٍ مَا هَذَا الَّذِي تَصْنَعِينَ؟ " قَالَتْ: هَذَا عَرَقُكَ نَجْعَلُهُ فِي طِيبِنَا، وَهُوَ مِنْ أَطْيَبِ الطِّيبِ» وَرَوَاهُ مُسْلِمٌ، عَنْ زُهَيْرِ بْنِ حَرْبٍ، عَنْ أَبِي النَّضْرِ هَاشِمِ بْنِ الْقَاسِمِ بِهِ.
পৃষ্ঠা - ৪৫৬৬
وَقَالَ أَحْمَدُ: ثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ مَنْصُورٍ، يَعْنِي السَّلُولِيَّ، ثَنَا عُمَارَةُ، يَعْنِي ابْنَ زَاذَانَ، عَنْ ثَابِتٍ، عَنْ أَنَسٍ قَالَ: «كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يُقِيلُ عِنْدَ أُمِّ سُلَيْمٍ، وَكَانَ مِنْ أَكْثَرِ النَّاسِ عَرَقًا، فَاتَّخَذَتْ لَهُ نِطْعًا، وَكَانَ يُقِيلُ عَلَيْهِ، وَخَطَّتْ بَيْنَ رِجْلَيْهِ خَطًّا، وَكَانَتْ تُنَشِّفُ الْعَرَقَ فَتَأْخُذُهُ، فَقَالَ: " مَا هَذَا يَا أُمَّ سُلَيْمٍ؟ " قَالَتْ: عَرَقُكَ يَا رَسُولَ اللَّهِ، أَجْعَلُهُ فِي طِيبِي. قَالَ: فَدَعَا لَهَا بِدُعَاءٍ حَسَنٍ» تَفَرَّدَ بِهِ أَحْمَدُ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ.
وَقَالَ أَحْمَدُ: ثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ، ثَنَا حُمَيْدٌ، عَنْ أَنَسٍ قَالَ: «كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَأْتِي بَيْتَ أُمِّ سُلَيْمٍ فَيَنَامُ عَلَى فِرَاشِهَا، وَلَيْسَتْ أُمُّ سُلَيْمٍ فِي بَيْتِهَا، فَتَأْتِي فَتَجِدُهُ نَائِمًا، وَكَانَ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِذَا نَامَ ذَفَّ عَرَقًا، فَتَأْخُذُ عَرَقَهُ بِقُطْنَةٍ فِي قَارُورَةٍ فَتَجْعَلُهُ فِي مِسْكِهَا» . وَهَذَا إِسْنَادٌ ثُلَاثِيٌّ عَلَى شَرْطِ الشَّيْخَيْنِ، وَلَمْ يُخْرِجَاهُ وَلَا أَحَدٌ مِنْهُمَا.
وَقَالَ الْبَيْهَقِيُّ: أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ الْحَافِظُ، أَخْبَرَنِي أَبُو عَمْرٍو الْمُقْرِئُ، أَنَا الْحَسَنُ بْنُ سُفْيَانَ، ثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ - وَقَالَ مُسْلِمٌ: ثَنَا
পৃষ্ঠা - ৪৫৬৭
أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ - ثَنَا عَفَّانَ، ثَنَا وُهَيْبٌ، ثَنَا أَيُّوبُ، عَنْ أَبِي قِلَابَةَ، عَنْ أَنَسٍ، عَنْ أُمِّ سُلَيْمٍ «أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَانَ يَأْتِيهَا، فَيُقِيلُ عِنْدَهَا فَتَبْسُطُ لَهُ نِطْعًا، فَيُقِيلُ عَلَيْهِ، وَكَانَ كَثِيرَ الْعَرَقِ، فَكَانَتْ تَجْمَعُ عَرَقَهُ، فَتَجْعَلُهُ فِي الطِّيبِ وَالْقَوَارِيرِ، فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " يَا أُمَّ سُلَيْمٍ، مَا هَذَا؟ " فَقَالَتْ: عَرَقُكَ أَدُوفُ بِهِ طِيبِي» . لَفْظُ مُسْلِمٍ.
وَقَالَ أَبُو يَعْلَى الْمَوْصِلِيُّ فِي مَسْنَدِهِ: ثَنَا بِشْرٌ، ثَنَا حَلْبَسُ بْنُ غَالِبٍ، ثَنَا سُفْيَانُ الثَّوْرِيُّ، عَنْ أَبِي الزِّنَادِ، عَنِ الْأَعْرَجِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ: «جَاءَ رَجُلٌ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، إِنِّي زَوَّجْتُ ابْنَتِي، وَأَنَا أُحِبُّ أَنْ تُعِينَنِي بِشَيْءٍ. قَالَ: " مَا عِنْدِي شَيْءٌ، وَلَكِنْ إِذَا كَانَ غَدٌ فَأْتِنِي بِقَارُورَةٍ وَاسِعَةِ الرَّأْسِ وَعُودِ شَجَرَةٍ، وَآيَةُ بَيْنِي وَبَيْنَكَ أَنْ تَدُقَّ نَاحِيَةَ الْبَابِ ". قَالَ: فَأَتَاهُ بِقَارُورَةٍ وَاسِعَةِ الرَّأْسِ، وَعُودِ شَجَرَةٍ. قَالَ: فَجَعَلَ يَسْلُتُ الْعَرَقَ مِنْ ذِرَاعَيْهِ حَتَّى امْتَلَأَتِ الْقَارُورَةُ. قَالَ: " فَخُذْهَا، وَمُرِ ابْنَتَكِ أَنْ تَغْمِسَ هَذَا الْعُودَ فِي الْقَارُورَةِ، وَتَطَّيَّبَ بِهِ ". قَالَ: فَكَانَتْ إِذَا تَطَيَّبَتْ بِهِ شَمَّ أَهْلُ الْمَدِينَةِ رَائِحَةَ ذَلِكَ الطِّيبِ فَسُمُّوا بُيُوتَ الْمُطَيَّبِينَ» وَهَذَا حَدِيثٌ غَرِيبٌ جِدًّا.
পৃষ্ঠা - ৪৫৬৮
وَقَدْ قَالَ الْحَافِظُ أَبُو بَكْرٍ الْبَزَّارُ: ثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ هَاشِمٍ، ثَنَا مُوسَى بْنُ عَبْدِ اللَّهِ، ثَنَا عُمَرُ بْنُ سَعِيدٍ، عَنْ سَعِيدٍ، عَنْ قَتَادَةَ، عَنْ أَنَسٍ قَالَ: «كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِذَا مَرَّ فِي طَرِيقٍ مِنْ طُرُقِ الْمَدِينَةِ وَجَدُوا مِنْهُ رَائِحَةَ الطِّيبِ، وَقَالُوا: مَرَّ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي هَذَا الطَّرِيقِ» . وَقَدْ رَوَاهُ أَبُو زُرْعَةَ الرَّازِيُّ فِي " دَلَائِلِ النُّبُوَّةِ " مِنْ حَدِيثِ عُمَرَ بْنِ سَعِيدٍ الْأَبَحِّ، عَنْ سَعِيدٍ، عَنْ قَتَادَةَ، عَنْ أَنَسٍ قَالَ: «كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِذَا مَرَّ فِي طَرِيقٍ مِنْ طُرُقِ الْمَدِينَةِ وُجِدَ مِنْ ذَلِكَ الطَّرِيقِ رَائِحَةُ الْمِسْكِ، فَيَقُولُونَ: مَرَّ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي هَذَا الطَّرِيقِ» . ثُمَّ قَالَ: وَهَذَا الْحَدِيثُ رَوَاهُ أَيْضًا مُعَاذُ بْنُ هِشَامٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ قَتَادَةَ، عَنْ أَنَسٍ، «أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَانَ يُعْرَفُ بِرِيحِ الطِّيبِ. قُلْتُ: كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ طَيِّبًا، وَرِيحُهُ طَيِّبٌ، وَكَانَ مَعَ ذَلِكَ يُحِبُّ الطِّيبَ أَيْضًا» .
قَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: ثَنَا أَبُو عُبَيْدَةَ، عَنْ سَلَّامٍ أَبِي الْمُنْذِرِ، عَنْ ثَابِتٍ، عَنْ أَنَسٍ، أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «حُبِّبَ إِلَيَّ النِّسَاءُ وَالطِّيبُ، وَجُعِلَ قُرَّةُ عَيْنِي فِي الصَّلَاةِ» .
ثَنَا أَبُو سَعِيدٍ مَوْلَى بَنِي هَاشِمٍ، ثَنَا سَلَّامٌ أَبُو الْمُنْذِرِ الْقَارِئُ، عَنْ ثَابِتٍ، عَنْ